doc_id
large_stringlengths 32
64
| text
large_stringlengths 0
560k
| type
large_stringclasses 3
values |
---|---|---|
84917ff509bf85e0d13c0eefe402d9bb | সার্ভে পার্কে বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু। বাড়ির দোতলা থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার পচাগলা দেহ। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, পচা গন্ধের কথা বলার পরেও, কোনও রকমের সহযোগিতা করেননি ওই বৃদ্ধ।
সার্ভে পার্কে বি ১৩০-এর দোতলা বাড়ি। এই বাড়ির বাসিন্দা সাহা পরিববার। বাড়ির দোতলায় থাকতেন বৃদ্ধা মঞ্জু সাহা। আর একতলায় থাকতেন তাঁর স্বামী গোষ্ঠবিহারী সাহা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে পচা গন্ধ পাওয়ায় প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই বাড়ির দোতলা থেকে বছর পঁচাত্তরের মঞ্জু সাহার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। বৃদ্ধার স্বামী গোষ্ঠবিহারী সাহা একতলায় থাকেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী বার্ধক্যজনিত কারণে চলাফেরা করতে পারতেন না। একই কারণে তিনিও ওপরে উঠতে পারতেন না। স্ত্রীকে দেখাশোনা করার মহিলা কাজে না আসায় তিনিও জানতে পারেননি, যে স্ত্রী মারা গিয়েছেন।
যদিও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই প্রাতর্কালীন ভ্রমণে দেখা যেত ওই বৃদ্ধাকে। পুলিশকে দেওয়া তথ্য এবং বৃদ্ধের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছে পুলিশ।
| web |
43dc2528a79495f22cddafd6390e6e84 | ঢাকাঃ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াত একটি অশান্তির বিষবৃক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
ঢাকাঃ বুর্জোয়া শাসকদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
ঢাকাঃ দেশ এবং সমাজের বর্তমান দুর্গতি থেকে মুক্তির দিশা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনের চিন্তা ও কর্ম থেকেই খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
ঢাকাঃ স্বৈরাচার ও সামরিক শাসন বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পতন হয়েছিল উল্লেখ করে গণফোরাম নেতারা বলেছেন, আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে জোরদার করি। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির চক্রান্ত, সরকারের ভুল নীতি গ্রহণ ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আয়োজন করেছে বাম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
'ছাত্ররাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে হবে'
ঢাকাঃ ছাত্ররাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে আনতে হবে। দলের সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হতে পারলে এ দেশের ছাত্ররাজনীতি এগিয়ে যাবে।
| web |
bd17930d439d6f00f48a2a0d7a8921b2ae7f2483 | হিলি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আজ বেলা দু'টায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের তিওড় কিষাণ মাণ্ডিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাবলম্বন কানেক্ট কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন হলো। এই মহতী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় গীরিধারি নাগ, জোনাল অফিসার অ্যাকসেস লাইভলিহুড, শ্যামল চক্রবর্তী প্রাক্তন শিক্ষক, অরুণ বর্মণ বিশিষ্ট সমাজসেবী, সূরজ দাশ সমাজকর্মী সহ আরো অনেকে। স্বাবলম্বন কানেক্ট কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হল উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তাদের তাদের উদ্যোগ স্থাপনের জন্য হ্যান্ড-হোল্ডিং সহায়তা প্রদান করা এবং তাদের টেকসই অর্থনৈতিক অবস্থা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সরকারী ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সংযোগ প্রদান করা। , সাথে এসআইডিবিআই ভারতের ৫টি রাজ্যে ১০০টি কেন্দ্র [৫টি রাজ্যের ১০০টি জেলা] স্বাবলম্বন সংযোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় উজ্জীবন এন্টারপ্রাইজ স্বাবলম্বন কানেক্ট কেন্দ্র দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন নামক হায়দ্রাবাদের একটি জাতীয় সংস্থার নিকট থেকে । নারী ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে ভারতীয় ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশ ব্যাঙ্ক ( SIDBI ) ও অ্যাকসেস লাইভলিহুড এর যৌথ প্রয়াসে ভারতের পাঁচটি রাজ্যে মোট ১০০টি জেলার সাথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও শুরু হল স্বাবলম্বন কানেক্ট কেন্দ্র। এই স্বাবলম্বন কানেক্ট কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্যগুলি হল - মহিলাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনে উৎসাহ প্রদান ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা, স্থান ও পরিবেশ উপযোগী বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া ও তার প্রশিক্ষণের সহায়তা করা, ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সের অনুমতির ব্যবস্থা করা, ব্যবসা ও শিল্প পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি করা, ব্যবসা ও শিল্প পরিচালনার জন্য ক্ষুদ্রঋণের জন্য ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে দেওয়া, সুলভে কাঁচামাল সরবরাহকারী সংস্থাদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, তৈরি মালের ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিং-এ সহায়তা করা, ই-কমার্সের মাধ্যমে বিজনেস টু বিজনেস, বিজনেস টু কাস্টমারের মঞ্চ স্থাপনের সাহায্য করা, উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রয়ে সহায়তা করায় স্বাবলম্বন কানেক্ট কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা আজকে স্বাবলম্বন কানেক্ট দক্ষিণ দিনাজপুরের অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন। প্রায় ৬০ জন মহিলা উপস্থিত হয়েছিলেন আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
| web |
2590231b1e8c2242b84a465e8327ad20bc606ae3 | ত্বক ফর্সা করার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কিন্তু ঈশ্বর প্রদত্ত গায়ের রংকে একেবারে দুধের মতন ফর্সা করা সম্ভব না কিন্তু আপনি যদি প্রতিনিয়ত কয়েকটা টিপস মেনে চলতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনার ত্বক অনেক বেশি সুন্দর হতে পারে। অনেকেই কয়েকদিন করার পর হাল ছেড়ে দেন। হাল ছেড়ে দিয়ে যদি বলেন আপনার ত্বককে দুধের মতন ফর্সা হলো না তাহলে কিন্তু কাজ হবে না। আপনাকে প্রতিদিন নিয়ম করে যেমন যেমন বলা হচ্ছে, তেমন করতে হবে যাদের গায়ের রং কালো তারা কখনোই দুধের মতন ফর্সা হবে না। কিন্তু কালো কিভাবে চকচকে হতে পারেন এইটা আমরা Hoophaap এর পাতায় বলার চেষ্টা করছি।
তৈরি করার পদ্ধতি- ডাভ সাবানকে ভালো করে গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রের মধ্যে এক কাপ জল দিয়ে ডাভ দিয়ে ভালো করে নাড়াতে হবে। তারপর এক এক করে সমস্ত উপকরণ দিয়ে ভালো করে একটি চামচের সাহায্যে নাড়িয়ে নিতে হবে।
ব্যবহার করার পদ্ধতি - প্রতিদিন রাতে শুতে যাবার সময় মুখ ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পর এই ভেজা মুখের এই ফেসপ্যাক থেকে একটুখানি নিয়ে হাতে ভালো করে জল দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে মুখে, গলায় বা যেখানে চাইছেন, সেখানেই খুব ভালো করে ঘষতে হবে। অন্তত দু মিনিট ধরে এর পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
উপকারিতা - পরপর অন্তত ১৫ দিন এটি আপনাকে নিয়ম করে করতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার মুখের ত্বক কত বেশি উজ্জ্বল হয়ে গেছে। দুধের মতন ফর্সা ত্বক তখনই হতে পারবে, যখন আপনি নিয়মিত এগুলি করবেন। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাস আপনার জীবনের অভ্যাস আপনাকে বদলাতে হবে উল্টো পাল্টা খাওয়া জল কম খাওয়া, এইসব করলে কিন্তু মোটেই ত্বক ভাল হবে না।
| web |
c429ab68da0754a7d76600d905b0288116193484 | হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা আগেই ঠিক হয়েছে। শুরুতে রাজি না হলেও এই প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু শনিবার নতুন করে বেঁকে বসেছে তারা। পাকিস্তানে আরও বেশি ম্যাচ দেওয়ার দাবি করেছে সে দেশের বোর্ড।
প্রাথমিক সূচি অনুসারে শ্রীলঙ্কায় ন'টি ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে। তার মধ্যে ভারতের সবক'টি ম্যাচ রয়েছে। পাকিস্তানে হবে চারটি ম্যাচ। দেশের মাটিতে একমাত্র নেপালের বিরুদ্ধে খেলবে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান বোর্ডের দাবি, তাদের দেশে আরও বেশি ম্যাচ দিতে হবে।
পাকিস্তানে গিয়ে খেলার ব্যাপারে ভারত রাজি না হওয়ার পরেই সে দেশের বোর্ডের তরফে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তা মেনে নেয় ভারতীয় বোর্ড। তখন পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন নাজম শেটি। কিন্তু জাকা আশরফ নতুন চেয়ারম্যান হয়ে আসার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে। প্রথমে তিনি ভারতকে পাকিস্তানে গিয়ে খেলার জন্য চাপ দিয়েছেন। সেটা সম্ভব নয় বুঝেই তিনি এ বার নিজের দেশে বেশি ম্যাচ করার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছেন। সম্প্রতি ডারবানে আইসিসির বৈঠকে গিয়ে সে কথা বলেও এসেছেন আশরফ।
এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের দু'টি ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলাতে। পাকিস্তানে ম্যাচগুলি হবে লাহোরে। পাক বোর্ডের দাবি, আরও বেশি ম্যাচ পাওয়া গেলে কিছু ম্যাচ মুলতানে আয়োজন করা যেতে পারে।
| web |
b9e23da55af78f70b7875a7e31c8a0d43a4a3022 | ফেস্টিভ সিজনের হট লুকে ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করলেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী!
ফেস্টিভ সিজনের হট লুকে ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করলেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী!
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ ফেস্টিভ সিজন চলছে। বর্ষশেষের অপেক্ষায় সকলে। টলিউডের নায়িকারা প্রায় সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ফেস্টিভ লুকের ছবি শেয়ার করছেন। সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সবের মঞ্চে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সম্প্রতি তিনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলেন তাঁর কয়েকটি ছবি।
ইন্সটাগ্রামে মিমির শেয়ার করা ছবিতে তাঁর পরনে রয়েছে কালো রঙের সাটিনের শর্ট ড্রেস। ড্রেসটি প্লিটেড। ড্রেসটির স্লিভ স্প্যাগেটি। ড্রেসের ডিপ নেকলাইনের কারণে মিমির ক্লিভেজ কিছুটা উন্মুক্ত। ড্রেসের সামনে রয়েছে অ্যাসিমেট্রিক ডিজাইন। এই পোশাকের সাথে মিমি অবলীলায় কাঁধের উপর ফেলে রেখেছেন কালো রঙের সিকুইনড ফুলস্লিভ ব্লেজার।
মিমির পায়ে রয়েছে কালো রঙের নেটের স্টকিংস। সেটি স্টোন স্টাডেড। এই ড্রেসের সাথে মিমির কানে রয়েছে স্টোন স্টাডেড জাঙ্ক ইয়ারিং। চুলে একটি পনিটেল বেঁধেছেন তিনি। মেকআপ যথেষ্ট উজ্জ্বল। মিমি নিজের ঠোঁট রাঙিয়েছেন রাস্ট রঙের লিপস্টিকে। ছবিগুলি শেয়ার করে ক্যাপশনে শুধুমাত্র কয়েকটি কালো রঙের হার্ট ইমোজি দিয়েছেন মিমি।
ছবির কমেন্ট বক্সে অনুরাগীরা লিখেছেন 'বিউটি ইন ব্ল্যাক'। চলতি বছরে রিলিজ করেছে মিমি অভিনীত ফিল্ম 'মিনি' ও 'খেলা যখন'। দুটি ফিল্মই বক্স অফিসে অসফল। তবে মিমির হাতে রয়েছে একাধিক ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট। তিনি জানিয়েছেন বাংলায় সবচেয়ে বেশি ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট তিনিই করেন।
| web |
3d8298aa2650c926a98e243c5a4c877c048f580e | বাস্তবতার বিবর্তনেও তাই,
ওই মেঘেদের রাজ্যে মুখ লুকায়।
মেঘের রাজ্য ঘন কালো হয়, ফুঁসে উঠে,
বিনাশী বৃষ্টির আগমনে,
ব্যর্থ স্বপ্নেরা শোক মিছিল করে;
বিশ্ব কাঁপে তিমির বিদারী স্লোগানে।
বলো,
তবু কি ফিরে আসে স্বপ্নের জোনাকীরা?
এই আমিই তো এক সময় সব বদলাতে চেয়েছি,
বসে স্বপ্ন নদীর তীরে।
| web |
a2eddc4520ff82fbb30ef13a39ace7c7 | ইউজিসি কর্তৃক অভীন্ন নীতিমালার প্রতিবাদ সহ এগারো দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাস চত্বরে বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদ এই কর্মসূচী পালন করেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের সভাপতি ফজলে আলী তুষার, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সাবেক সভাপতি জামসেদ পলাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহারিয়ার পাভেল, পাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন জাবিউল্লাহ মনি, কর্মচারী হাবিবুর রহমান, ইমান আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইউজিসি যে স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন পুর্বক বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সালের ১০ ধাপে নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন, কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা কোট অনুসরণ, পোষ্য কোটা নিশ্চিতকরণ সহ যে ১১ দফা দাবি ইউজিসিকে দেয়া হয়েছিল, ইউজিসি সে দাবিগুলো না মেনে, কারো সাথে আলোচনা না করে তাদের নিজেদের বানানো অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। যেটা বিশ^বিদ্যালয়ের সকল কর্মচারীর জন্য হুমকি। এ কারণে ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশে কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
| web |
8e884037b23cf5f92b819668de0691cf | অস্ত্র রেখে তালেবান যোদ্ধাদের সাথে আফগান সেনাদের কোলাকুলি! - ডেইলি সাতক্ষীরা\nHome » অস্ত্র রেখে তালেবান যোদ্ধাদের সাথে আফগান সেনাদের কোলাকুলি!\nঅস্ত্র রেখে তালেবান যোদ্ধাদের সাথে আফগান সেনাদের কোলাকুলি!\nজুন ১৭, ২০১৮0মন্তব্য 87 ভিউ\nআন্তর্জাতিক খবরঃ মাত্র কয়েকদিন আগেও দু'পক্ষ পরস্পরের সাথে তুমুল লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু ঈদকে কেন্দ্র করে ঘোষণা করা এক অভূতপূর্ব যুদ্ধবিরতির মধ্যে কয়েক ডজন তালেবান জঙ্গি অস্ত্র ছাড়াই আফগানিস্তানের রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। শনিবার কাবুলের এই নতুন মেহমানরা নিরাপত্তা চেকপোস্টগুলিতে নিজেদের অস্ত্র জমা দেন এবং তারপর শহরে ঢোকেন। এরপর আফগান সেনারা তালেবানের যোদ্ধাদের সাথে কোলাকুলি করেন যা দেখে অনেকেই নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারেননি।\nএকজন মুখপাত্র জানান, তালেবান গত শুক্রবার ঈদ উপলক্ষে তিন দিনের এই অস্ত্র-বিরতি ঘোষণা করে।\nএকজন জঙ্গিকে শহরের একটি সেতুর ওপর থেকে তালেবানের পতাকা দোলাতেও দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন। কিন্তু এই তালেবানের সাথে এই আপোষের চিত্র শুধু রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ ছল না। আফগানিস্তানের অন্যান্য শহর থেকেও সৈন্যরা তালেবানের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছে, এমন ছবি এবং ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী রূপ নেবে, এমনটাই আশা করছেন অনেক আফগান।
| web |
3900d39e2a824a71f5619b440e41d695 | মাইজদীর এক ক্লিনিকে সিজারের বিল ৪৮০০০ টাকা।এইবার জনগনের বিষোদগার ডাক্তারদের উপর,কসাই শালা!বিলটা খুটিয়ে দেখলাম । সেখানে,ডাক্তারকে দেয়া হয়েছে ৩০০০ টাকা। বাকি সব ক্লিনিকের হাবিজাবি বিল।
যে ডাক্তার মুল শ্রমটা দিলো,যে ডাক্তার একটা অপারেশন করে কত টেনশন নিয়ে থাকে,একটা অপারেশনের পুরা দায়ভার যে ডাক্তারের উপর,যে ডাক্তারকে অপারেশন করার দশবছর পরেও অন্যকোন সমস্যা হলে রুগীর লোকের গালি শুনতে হয়,তাকে নিয়ে ক্লিনিক ওয়ালারা শুধু ব্যবসা করেই গেলো।
জনগণ এইটুকু কখনওই বুঝলোনা ডাক্তারদের নিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক,নামকরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো কতবড় বাণিজ্য ফেঁদে বসেছে!!
ঢাকা শহরের নামকরা এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, একজন রেডিওলোজিস্ট একটা আল্ট্রা করে পান ২০০ টাকা,রুগীর কাছ থেকে রাখা হয় ১৮০০ টাকা।একটু চিন্তা করে দেখবেন কি বাকি টাকা কার পকেটে যাচ্ছে?আপনার চোখ শুধু ডাক্তারের ওই ২০০ টাকার উপরেই পরবে।আপনারা ভিতরটা কখনও জানার চেষ্টা ও করেন না।
কিছুদিন আগে, এক রুগীকে পই পই করে বলে দিলাম,একটু কষ্ট করে হাসপাতাল থেকেই আল্ট্রা করে আনেন,আমার হাসপাতাল সরকারি নামে মাত্র টাকা লাগে,কিন্তু ভাল ভাল ডাক্তার রিপোর্ট করে,বাইরে গেলে চার পাঁচগুণ টাকা লাগবে উলটা পালটা রিপোর্ট হয়।যাইহোক এই ক্ষেত্রে অনেক রুগী দালালের খপ্পরে পরে বাইরে থেকেই করে আনে,সে ক্ষেত্রে দালাল যে টাকা পায় তার অর্ধেকও যে আল্ট্রা করে সে পায় না।হাসপাতালের চারিদিকে দালাল ভরা।
কয়েকদিন আগে এক রুগী আল্ট্রা হাসপাতাল থেকেই করে আনলো, ব্রেস্টে ছোট একটা গোটা।FNAC করতে দিলাম,বার বার বলে দিলাম,একটু অপেক্ষা করে হাসপাতাল থেকে করলে খরচ কম পড়বে।সেও কোন দালালের খপ্পরে পরে নামকরা এক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আল্ট্রা গাইডেড এফ এন এ সি করে আনলো।টাকা লেগেছে ৪০০০ টাকা।হাসপাতালে শুধু FNAC তে ৩০০ টাকা নেয়,হাতে না পেলে রুগী ফেরত দেয়।আমি বুঝে শুনে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিই।এই রুগীর উপর রাগ হলাম,ডাক্তার কে প্রাইভেটে ৫০০ টাকা দিতেই কষ্ট, টেস্টে হাজার টাকা খরচ করতে খারাপ লাগলো না?
আরেকটা ব্যাপারে রুগীদের সতর্ক করতে চাই,অনেকসময় বাইরে এক্সে করলে দেখবেন,রিপোর্ট ছাড়াই আপনাকে শুধু এক্সে প্লেট ধরায় দিবে।কিন্তু ডাক্তারের রিপোর্টের নাম করে ঠিকই টাকা রেখে দিবে।দয়া করে রিপোর্ট ছাড়া এক্সে প্লেট নিলে রিপোর্ট বাবদ যে টাকা রাখে তাতে ছাড় দিবেন না।প্লেট দেখে একজন ফিজিশিয়ান রিপোর্ট বুঝলেও,রিপোর্ট করার দায়িত্ব রেডিলওলোজিস্টের।তার নাম করে,সেন্টারগুলো টাকা নিলেও রিপোর্ট দেয় না।এইসব নিয়ে কারো মাথা ব্যথা দেখিনা।সব দোষ নন্দদের ঘাড়ে চাপায় সবাই মজা নেয়।নন্দরাও চুপ।
এবার আসি কমিশন নিয়ে,এইখানেও রুগীদের ডাক্তাদের নিয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে।কিছু কিছু নামকরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডাক্তারদের বসায়,আর রুগী দেয়,আমার দেখা বেশিরভাগ ডাক্তার সেখান থেকে কখনও কমিশন নেন না।কিন্তু ডাক্তারদের নামে কমিশনের টাকা সেন্টারগুলো ঠিকই রেখে দেয়।হ্যা চাইলে ডাক্তাররা নিজেই চেম্বার ভাড়া করে বসতে পারেন,তাতে কি হবে?রুগীরা হচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারমুখি,সেইসব ডাক্তারদের রুগী হবেনা।ভাই সৎ হয়ে বেচে থাকাটা খুব কঠিন।
আরেকটা ব্যপার ভেবে দেখেন,কোন ডাক্তার টেস্ট করতে দিলেন কল্যাণপুর থেকে,আপনি সেইটা করে আনলেন ধানমন্ডি থেকে।আপনার কি ধারনা,সেই সেন্টার ডাক্তার কে যেচে এসে কমিশন দিয়ে যায়?অথচ কমিশনের নামে আপনার কাছ থেকে তারা টাকা ঠিকই কেটে রাখে।সেই সব নিয়ে সচেতন জনগনের মাথা ব্যাথা নাই।
জনগনের কষ্ট শুধু একজায়গায়,দুই মিনিটে কলমের খোচায় কেন ৫০০ টাকা নেয়া হলো।এই দুইমিনিটের কলমের খোঁচার জন্যে দুই যুগ একটা ডাক্তারকে অমানবিক পরিশ্রম করতে হয়েছে,দুই মিনিটে কলমের খোঁচা তার তার পেশা,দুইমিনিটের কলমের খোঁচায় কত রুগী বেচে যায়,কত রুগীর কত কষ্ট লাঘব হয়,যদি কলমের খোঁচা এতই সহজ হয়,তাহলে বেটার নিজেই কলমের খোঁচা মেরে নিজের চিকিৎসা নিজেই করে ফেলুন,৫০০ টাকা বাচান।
| web |
9f91649df257e1f1ac05c5bbd4b34636b01d5f50 | মাগুরার শালিখা উপজেলায় প্রতিবন্ধী ছেলে ও প্রতিবন্ধী মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী এই নবদম্পতিকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। জানা গেছে, শালিখা উপজেলার মশাখালী গ্রামের কালাম জোয়ার্দারের ছেলে আলামিন (২৪) জন্ম থেকেই বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। অপরদিকে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার বনকুবরা গ্রামের আবু বক্কর মন্ডলের মেয়ে মিনা খাতুনও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। উভয় পরিবারের সম্মতিতে ইসলামী শরিয়াহ মেনে অতি সম্প্রতি তাদেরকে বিয়ে হয়। আলোচিত এ প্রতিবন্ধী দম্পতিকে দেখতে প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছেন শালিখা উপজেলা ও বাইরের বিভিন্ন এলাকার কৌতুহলী জনতা। আলামিনের পিতা কামাল জোয়ারদার বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য কেউ ভালো মেয়ে দিতে চায় না, তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমি যতদিন বেঁচে আছি কষ্ট করে ছেলে-বৌমাকে ভরণপোষণ দিয়ে যাব ভবিষ্যতে কি হবে না হবে তা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।
| web |
d49718960a152d3cc5782bc53c7fbd791ed98b35 | মাগুরার শালিখা উপজেলার বুনাগাতি বাজারে আল-ইমরান বস্ত্রালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বুনাগাতি বাজারের জাফর মার্কেটের আল-ইমরান বস্ত্রালয়ে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় দোকানে থাকা কাপড়, বকেয়া হিসাবের খাতাসহ নগদ ৫ লক্ষ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত বস্ত্রালায়টির স্বতধিকারী।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় চেয়ারম্যান বখতিয়ার লঙ্কার মাগুরা ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন আল-ইমরান বস্ত্রালয় থেকে আগুনের উৎপত্তি হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাগুরা ফায়ার সার্ভিস বলেন, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকেই আগুনের উৎপত্তি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
| web |
990956c612368ac56070191fbb25e66de7a2d018 | রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা মোড়ে অবস্থিত ঝিলপাড় বস্তি প্রায় শতভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস পরিচালক (অপারেশনস ও মেইনটেন্যানস) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান।
শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মিরপুর ৭ নম্বরে রূপনগর থানার পেছনে ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন লাগে বলে রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম রাব্বানী জানান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আগুনের ব্যাপকতা দেখে পরে আরো ইউনিট বাড়ানো হয়।
জিল্লুর রহমান জানান, শেষ পর্যন্ত ২৪টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগুন সত্তর ভাগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলা যাবে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে কি না তা এখই বলা যাবে না।
এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ নিহত হয়েছে কি না তা উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাবে না।
তবে বস্তিবাসী জানান ঈদের ছুটির কারণে বস্তির বেশিরভাগ ঘর ছিল তালাবদ্ধ। যে কারণে আসবাবসহ অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জিল্লুর রহমান বলেন, আশপাশে কোনো জলাশয় না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ে আসা পানিতে আগুন নেভাতে হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঝিলপাড় বস্তি অন্যান্য বস্তির তুলনায় অনেক বড়। তবে বস্তির প্রায় শতভাগ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ সহায়তা দেবেন বলে জানান।
বস্তিবাসী অভিযোগ করেন, এর আগে তিনবার ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন লাগলেও তা এতটা ভয়াবহ হয়নি।
আগুন ছড়িয়ে বস্তির পশ্চিম পাশের একটি মসজিদ ভবনে লাগে। আল আরাবিয়া নামে চারতলা ওই মসজিদ ভবনের নিচ তলায় মার্কেট, দ্বিতীয় তলা থেকে মসজিদ। ভবনটির নিচতলায় আগুন লেগে কয়েকটি সবজির দোকান পুড়ে গেছে।
মসজিদের পাশে একটি বহুতল ভবন, বিজিএমইএর একটি হাসপাতাল এবং কয়েকটি পোশাক কারখানা রয়েছে।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই পোশাক কারখানায় ছুটি দেওয়া হয় বলে এলাকাবাসী জানান।
| web |
659df3a6dfc44750bcc6f17eb73375248bb37fefb4ac388f0af3366f2b2158c4 | সাত্বিকানাং বনে বাসো গ্রামে বাসন্তু রাজসঃ । তামসং দ্যুতম্যাদিসদনং পরিকীর্তিতম্ ।। ৪৯ ন দাতা স হরিঃ কিঞ্চিৎ সেবকস্তু ন যাচকঃ । তথাপি পবম। প্রীতিস্তয়োঃ কিমিতি শাশ্বতী ॥ ৫০ ইত্যেতদ্ ভগবত ঈশ্বর্য বিষ্ণোগুণকথনং সনকৌ বিধ্যভক্তা। সবিনয়বচনৈঃ সুরর্ষিবর্ষং পরিণুত্যেন্দ্রপুরং জগাম শুদ্ধঃ ॥ ৫১ ইতি শ্রীকল্কিপুবাণে অনুভাগবতে ভবিষ্যে তৃতীয়াংশে নৃপগণ-পশিধ্বজসংবাদে জাতিস্মবত্বকথনং নাম একাদশোহধ্যাযঃ ॥
শ্লোকার্থ। অতঃপব তামস আহার বলিতেছি। যাহা কটু, অম্ল, উষ্ণ, , দুর্গন্ধযুক্ত ও পর্যুসিত, তাহা তামস আহার ও তামসিক ব্যক্তির প্রিয় ॥৪৮ সত্ত্বগুণী ব্যক্তিগণ বনে বাস করেন, রাজসিক ব্যক্তিগণ গ্রামে বাস করেন এবং তামসিক ব্যক্তিগণ দ্যুতালযে বা সুরালয়ে বাস কবেন।৪৯
শ্রীহবি কাহাকেও কোন বস্তু স্বহস্তে দেন না। উত্তম সেবকও শ্রীহরির নিকট কিছু যাচ্ঞা করেন না। তথাপি তাঁহাদের মধ্যে পরস্পর পবম প্রীতি নিযত লক্ষিত হয়। ইহা সামান্য ঘটনা নহে।৫০
বিশুদ্ধ হৃদষ দেবর্ষি সনক এইরূপে ঈশ্বৰ বিষ্ণুব গুণগান শ্রবণ করিয়া বিনয়বচনে স্তুতি পাঠান্তে অমবাবতীতে প্রস্থান করিলেন। ৫১
শ্রীকল্কিপুরাণে ভবিষ্য অনুভাগবতে তৃতীয়াংশে নৃপগণ ও শশিধ্বজ সংবাদে জাতিশ্বরত্ব
কথন নামক একাদশ অধ্যাবের
অনুবাদ সমার্থ।
| pdf |
3c5a06801ea609eca721668a5a3cfd0f | সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন ফরম পূরণ না করায় কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীর আমেঠিতে বাসের আবেদনপত্র নাকচ করে দিয়েছে আদালত। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি না মানার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে নিজেকে আমেঠির বাসিন্দা প্রমাণ করতে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের জন্য দরখাস্ত জমা দেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু আবেদনপত্রে তাঁর জায়গায় স্বাক্ষর করেন জনৈক রাজেন্দ্র সিং। দরখাস্তটি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দেয় জেলা আদালত।
জেলা প্রশাসক জগত্রাজ ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, আবেদনপত্রে আবেদনকারীর সই না থাকার কারণেই তা বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দরখাস্তের সঙ্গে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা আবশ্যিক। এবং ওই অ্যাকাউন্ট খুলতেই প্রয়োজন ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের। স্থানীয় মানসী গেস্টহাউসকে রাহুলের অস্থায়ী বাসভবন হিসেবে দেখিয়ে আবেদনপত্রে সই করেন আমেঠির কংগ্রেস মুখপাত্র রাজেন্দ্র সিং।
| web |
0c6ab806a15915c460628e794aa348e6727d428c | Cooch Behar Medical College & Hospital Fire: কোচবিহারের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন। কোচবিহারের এই হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড বিভাগে ভয়াবহ আগুন নেভানোর কাজে নেমেছে দমকল বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল ৯. ২০মিনিট নাগাদ হাসপাতাল ভবনের তিনতলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তখনই রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। আগুন কিছুটা ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
আগুন ছড়ানোর ভয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এখন আগুন নেভানোর কাজ করছে। তবে কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
| web |
2ca8846f233e3f9e476ef9e520f6d327 | আধুনিক সভ্য দেশ সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্রতা মুক্ত দেশ। উন্নত দেশে সাধারণত রাস্তা ঘাটে যেমন নোংরা, আবর্জনা দেখা যায় না, তেমনি প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িকতা আর উগ্রতার নোংরামিও দেখা যায় না।
সম্প্রীতি এবং সাম্প্রদায়িকতা এক সাথে চলে না চলতে পারে না। প্রত্যাশার বাংলাদেশ সব সময়ই একটি গণতান্ত্রিক আধুনিক সভ্য নিরাপদ নির্ভেজাল সাম্প্রদায়িকতা' মুক্ত দেশ।
সাম্প্রদায়িকতা একটি ব্যাধি। সামাজিক ক্যান্সার। আমাদের আশা দেশ হবে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, সহিংসতা মুক্ত, শান্তি পূর্ন সহিষ্ণু, নিরাপদ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। বিশ্ব রোল মডেল। অভিষ্ঠ এই লক্ষ অর্জন এখনও সম্ভব। সব সময়ই তা সম্ভব। যদি থাকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আর ওই লক্ষ অর্জনে সুনির্দিষ্ট একটি রোড ম্যাপ।
বক্তব্যটি পরিষ্কার। তবে নানা চক্রে, কূট মার প্যাচে বিষয়টি অকারণ কঠিন হয়ে উঠেছে ।
রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে অন্যায় অত্যাচার, জুলুম দূর করে সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসাবে গড়ে উঠা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু, এই পরিবেশ সৃষ্টি ও বাস্তবায়ন। এদেশের পরিবেশ প্রকৃতির নিজস্বতায় এমন কিছু আছে যা তাকে-নেগেটিভ বা পজেটিভ দুদিকেই সব সম্ভবের দেশে রূপান্তরিত করতে পারে।
মিডিয়াতে সংখ্যা লঘু নির্যাতন সংক্রান্ত বক্তব্য প্রায়শই এসে থাকে। এই ঘটনা ণ্ডলির পশ্চাতে থাকে বিভিন্ন কারন ও উদ্দেশ্যে। গোড়াতেই ঘটনা ঘটবার পিছে মূল কারন নিরপেক্ষ ভাবে উদঘাটন করে, পিছনের কালো হাত ভেঙে দিলে এবং সময়ে সুষ্ঠ ব্যবস্থা নিলে এটি বন্দ হতে বাধ্য। লিপ সার্ভিসে কাজ হয় না। হবেও না।
সাম্প্রদায়িকতা অসভ্যতার অপর নাম। এটি জংলী বর্বরতা। কোন সভ্য দেশে তা চলতে পারেনা। তা যেকোন ফর্মে আর কোন প্রকার অজুহাত তুলেই হোক না কেন!
অত্যাচারী গোষ্ঠীর মনস্তত্বে থাকে দেশের দুর্বল শ্রেণী ও সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় এ দুটি বিষয় মাথায় রেখে-এবং দুর্বলের এই- দুর্বলতাকে চিহ্নিত করেই অপ শক্তি তাদের অপকর্মের প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামে। এই দুঃষ কর্ম করতে কেন এবং কি ভাবে তারা সাহস পায়? কাদের মদদে! বিষয়টি ণ্ডরুত্বের সাথে দেখতে হবে। এবং উপযুক্ত বেব্যস্থা নিতে হবে।
সবল দুর্বৃত্ত শ্রেণীর হাতে দেশে-সংখ্যা লঘু এবং সংখ্যা ণ্ডরু উভয় সম্প্রদায়ের দুর্বল শ্রেণী নির্যাতিত হন। এবিষয়ে হিন্দু মুসলিম কোন প্রকার বাছ বিচার নাই।
তাদের হাতে সংখ্যা লঘু এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতনের থেকে মুসলিম বিরুদ্ধে নির্যাতনও কম সংগঠিত হয়না। এবং হচ্ছে না।। দেশে দুর্বৃত্তদের হাতে সব সম্প্রদায়ের দুর্বল, সাধারণ মানুষই নির্মম ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছেন। এ বিষয়টিও সত্য। এ কথা বলবার অর্থ এই নয় মুসলমান অত্যাচারিত হচ্ছে বলে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করা হালাল হয়ে গেল। বলবার মূল উদ্দেশ্য দেশের সব সম্প্রদায়, সব ধর্ম মতের দুর্বল মানুষের উপরই অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন সবল দুর্বৃত্তদের হাতে ঘটে চলেছে। এই সত্যের স্বীকৃতি সহ মূল অন্যায়, অত্যাচারের বিষয়টি সার্বিক ভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করা। খণ্ডিত ভাবে নয়। দেশে সামগ্রিক ভাবে মানব অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
সত্যিকার সমাধান পেতে অত্যাচার এবং নির্যাতন বন্ধে সব ক্ষেত্রেই সমান ভাবে নজর দিতে হবে। সে অনুযায়ী সার্বিক দৃষ্টি কোন থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটি সুশাসন আর আইনের শাসনের কথা। তাই প্রথমেই বিষয়টি স্বীকৃত হতে হবে। সত্যিকার ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও নেয্য তার জন্যেই এটি প্রয়োজন। অতঃপর সংখ্যা লঘু এবং সংখ্যা ণ্ডরু বিষয়টি আসতে পারে। এবং শুধু মাত্র তখনি সংখ্যালঘু - ফাইলটি প্রয়োজনের নিরিখে অগ্রাধিকার পেতে পারে। সততার দৃষ্টান্ত রাখতে।
দুই : দেশে নাগরিক ও মানবিক অধিকারের মূল ভিত্তি যেন হয় সর্বজনীন সুশাসন। আধুনিক রাষ্ট্রের উপযোগী আইন। কোন ক্ষেত্রেই বিশেষ কোটারি চিন্তা নয়। নাগরিক অধিকারের ভিত্তিতেই সমস্যার সমাধান চাওয়া এবং পাওয়া।
এই নীতি প্রতিষ্ঠা করতে এবং দেশের সব ধরনের অপকর্ম, কূ-কর্মের সাথে জড়িতদের দমনে প্রয়োজন সত্যিকার সুনীতি ও সুশাসন। আইনের শাসন। দুর্নীতি মুক্ত সিস্টেম এবং দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন।
সাম্প্রদায়িকতা সমাজে প্লান্টেড। যার শুরু হয়ে ছিল ঔপনেবেশিক ইংরেজ আমলে। তাদের নিজস্ব ভূরাজনীতির স্বার্থে। আজও ওয়ার্ল্ড অর্ডার নিয়ন্ত্রনের নামে নিজ স্বার্থে নিজ প্রয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পুরাতন আফিম, নীল ও সাম্প্রদায়িকতা চাষের মত নুতন নুতন অনেক কিছুই উদ্ভাবন হচ্ছে এবং তার হচ্ছে চাষ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম গোলার্ধের সবখানেই একই চিত্র।
এ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে দুর্বল পক্ষের আছে ক্ষোভ। বিশ্ব মুসলিম মনেও পড়েছে এর প্রভাব। উঠেছে ক্ষোভ। এ ইতিহাস লম্বা।
মুসলিম মানসে আবছা ছায়া হয়ে যাওয়া সুদূর অতীতের ত্রুসেড এর ইতিহাস বাদ দিলেও'। এরপরও এসে যায় চোখ মেলতেই সম্প্রতির কালের জ্বলন্ত ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তান। সঙ্গে প্যালেস্টাইন, চেসনিয়ান, বসনিয়ান, কাশ্মীরি, ভারতীয় চিত্র এবং চীনের জিনজিয়াং এর ইউঘুরি মুসলিম সহ বার্মার রাখাইন এর রোহিঙ্গা এবং আরো অনেক বিষয়। এইসব শক্তি ধর দেশ এবং রাষ্ট্রর গণতন্ত্রের প্রবক্তাদের হাতেই- ১৯৫৩ সনে, ইরানে মোসাদ্দেক সরকার উৎখাত, মিশরের মুরসি, আলজেরিয়ায় নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় যেতে না দিয়ে গণ রায় ধূলিস্যাৎ। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের রক্তাক্ত ক্যু-সম্প্রতির ইমরান খানের পতন সবই একই সূত্রে গাঁথা। সারা বিশ্বের সব দুর্বল শ্রেণীর মনেই জ্বলছে বিক্ষোভের আণ্ডনি ধারা।
সমস্যা হয় তখনিই যখন অত্যাচারিতের মন মানস ও সুযোগ পেলে জেগে উঠে অত্যাচারী হবার খায়েস। ইসরায়েল তার একটি উদাহরণ। তারপরও চোখে দেখা চিত্র আর গলিত লাভার নদী মনে না ধরে এবং মনে না রেখেই হতে হবে বিশ্ব মডেল।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিবেশ, পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কুসংস্কার যুক্ত অল্প ও অর্ধ শিক্ষিত, ইসলামের ভুল বেখ্যাকারীদেরকে এবং সাধারণ মুসলিম সমাজকে সচেতন করা এবং তাদের সামনে প্রকৃত ইসলামের আদর্শ, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, কালচার ইতিহাস তুলে ধরা। একটি বিশেষ ণ্ডরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় কাজ। জন স্বার্থেই এটি জরুরি। এজন্য প্রয়োজন দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কৃষ্টি কালচার ইউনিভার্সিটি স্থাপন।
আর প্রয়োজন বলা দেশের হিন্দু সমাজও এদেশের অন্যান্য সম্প্রদায়ের মত উন্নয়ন কর্ম কান্ডে পজেটিভ অবদান রাখছেন। সবার পজেটিভ দিক ণ্ডলি তুলে ধরা জরুরি। এ পথে এ ভাবেই গড়ে উঠবে দেশে আস্থা, বিশ্বাস ও সহমর্মিতার ভিত্তি।
এক সময়ে হিন্দু সমাজের এক অংশে ছোঁয়া ছুইর কিছু বিষয় ছিল সত্য। এখন তা খুব একটা নজরে আসে না। তবে কিছু মানুষ এখনও ইসলাম আরবের ধর্ম, মরুর ধর্ম, মুসলিম বহিরাগত, মুসলমান এদেশে নিম্ন হিন্দু শ্রেণী থেকে আসা ইত্যাদি নেগেটিভ কথা সুযোগ মত বলে থাকেন। এরূপ কথা বাত্রা এক কথায় বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট। যা কিনা সাম্প্রদায়িকতা রুখতে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। কোন ভাবেই তা পজেটিভ অবদান রাখতে পারে না। এসব কথা বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক।
মুসলিম ধর্ম মতে সব মানুষই আদম সন্তান। তাই মানুষ মাত্রেই ভাই ভাই। মুসলিম স্কলার, চিন্তাবিদ মনে করেন ভারতে ৭০ হাজার বছর পূর্বে যখন আফ্রিকা থেকে দ্রাবিড়রা আসে তখনও এ অঞ্চল বিরান ভূমি ছিল না! দ্রাবিড়রা এদেশে এক উন্নত সভ্য মানব ণ্ডষ্টির দেখা পেয়েছিলেন। ধারনা করা হয় এরা ছিলেন সাবিয়ান।
এখানে তখন সাবিয়ানদের বসবাস ছিলো। যারা ছিল মুসলিম, ক্রিষ্টান, ইহুদিদের পূর্ব সুরি। শ্রীলংকাতে অনেকে দাবি করেন সেখানে পাওয়া গেছে আদম পদ চিহ্ন। মুসলিম বিশ্বাস মতে আল্লাহ পাক এমন কোন জনপদ নেই যেখানে মেসেঞ্জার পাঠাননি।
একই ভাবে মুসলিম বিশ্বাসে মতে মৃত্যু পর বিচারের মালিক একমাত্র আল্লাহ পাক। মানুষের জাজ করবার চূড়ান্ত ক্ষমতা নাই। ইসলামে সাম্প্রদায়িকতা নিষিদ্ধ। নির্যাতন, নিষ্পেষন, অশান্তি, দাঙ্গা, ফাসাদের স্থান ইসলামে নাই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই সব বাণী একজন মুসলমান কে অসাম্প্রদায়িক হতেই শিক্ষা দেয়।
অশান্তি সৃষ্টি কারিরা ইসলামের না এবং সভ্য আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজেরও কেউ না এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে, জেনে এবং মেনেই দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়কে সাম্প্রদায়িতা নির্মূলে অগ্রসর হতে হবে।
স্বার্থানেষী মহল দেশের ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবার বা হাতিয়ার বানানর সুযোগ যাতে নিতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে এই অপতৎপরতা প্রতিরোধের জন্য সর্বচ্চ সতর্ক এবং সচেষ্ট থাকাও প্রয়োজন।
এই ক্ষেত্রে মুসলমান, হিন্দু বা সংখ্যা লঘু, সংখ্যা ণ্ডরু এই বিভাজন না করে সমস্যাটির সার্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান চাইতে হবে।
অন্যথায় বিষয়টি দীর্ঘ সূত্রীতার পথে তুলে দেওয়াও হতে পারে। ক্ষেত্রে বিশেষ তা উদ্দেশ মূলক ভাবেই হয়ত করা হতে পারে। মূল কথা বিষয়টি হতে বিভাজন নয়, ঐক্য মতে। সাম্প্রদায়িকতা রোধ পলিসিতে, আওয়াজ উঠতে হবে সমস্বরে একই সাথে। ণ্ডরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় মূল বক্তব্য এটিই।
| web |
5a8a2df2ccb83b1974f334f23804040195425d5e | সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ শুরু হতে চলেছে নতুন ধারাবাহিক 'নিম ফুলের মধু'। কিন্তু কোন ধারাবাহিকের বদলে? এই প্রশ্ন নিয়ে চলছে তরজা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল 'মিঠাই' সিরিয়াল শেষ হতে চলেছে আর তাঁর বদলেই নতুন ধারাবাহিক শুরু হচ্ছে। কিন্তু সে রটনা ধোপে টেকেনি। এবার আবার নতুন গুঞ্জন। জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'পিলু' শেষ হতে চলেছে। সেই স্লটেই 'নিম ফুলের মধু'র (Neem Phuler Modhu) শুরু হওয়ার কথা।
ইতিমধ্যেই 'নিম ফুলের মধু' সিরিয়ালের প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন পল্লবী শর্মা (Pallavi Sharma)। যাঁকে বাংলা টেলিভিশনের দর্শক 'কে আপন কে পর' ধারাবাহিকের জবা হিসেবে চেনেন। 'কে আপন কে পর' বন্ধ হওয়ার পর থেকে সেভাবে ছোটপর্দায় পল্লবীকে দেখা যায়নি। এবার তিনি ফিরছেন নায়ক রুবেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে। রুবেলকে এর আগে দেখা গিয়েছিল 'যমুনা ঢাকি' ধারাবাহিকে। ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন লিলি চক্রবর্তীও।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল। 'মিঠাই' সিরিয়াল শেষ হতে চলেছে। সেই সময়ই 'নিম ফুলের মধু' শুরু হতে চলেছে। কিন্তু সে রটনা ধারাবাহিকের কলাকুশলীরাই নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তারপরই শোনা যাচ্ছে, জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'পিলু' বন্ধ হতে চলেছে।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি 'পিলু' শুরু হয়েছে। প্রথমে ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র হিসেবে আহির ও পিলু নজর কেড়েছিল। তবে এখন মূল আকর্ষণ রঞ্জা ও মল্লার। তাঁদের সম্পর্কের টানাপোড়েন দর্শকরা পছন্দ করছেন। অবশ্য আহির-পিলুর অনুরাগীরা এতে অসন্তুষ্ট বলে খবর। এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, নভেম্বরেই 'পিলু'র শুটিং শেষ সম্প্রচার। অবশ্য এ খবর কতটা সত্যি, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
| web |
e17feed10bdbe64e19803851880cc771d9be2a9c | 'তাইওয়ান সফরে গিয়ে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ করেছেন আমেরিকার কংগ্রেসের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি '-এমনই অভিযোগ চীনা পররাষ্ট্র দফতরের। হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে তাইওয়ান সফরে যাওয়ায় তাই ন্যান্সির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন।
শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণায় বলা হয়, 'দুষ্ট' এবং 'প্ররোচনামূলক' কার্যকলাপের জন্য আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকারের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ।
চীনের হুমকি অগ্রাহ্য করেই মঙ্গলবার তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন পেলোসি। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তাইওয়ান প্রণালীতে। ইতোমধ্যেই ওই 'দ্বীপরাষ্ট্রের' বিরুদ্ধে 'সুনির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপের' কথা ঘোষণা করেছে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। চীনা বিমানবাহিনীর যুদ্ধ মহড়ার কারণে তাইওয়ানের আকাশপথে ঢুকতে পারছে না বিভিন্ন দেশের বেসামরিক বিমান।
এই পরিস্থিতিতে পেলোসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ঘোষণা করে বেজিং কার্যত ওয়াশিংটনের সাথে কূটনৈতিক যুদ্ধে নামার বার্তা দিল বলে কূটনৈতিক এবং সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ান সঙ্কট নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
| web |
d6aad6ce7239afed8f54f71321f8060f3c026dd1 | বিষাক্ত পার্থেনিয়ামের জঙ্গলের মধ্যেই চলছে অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র । ভাঙ্গা ছাউনির নিচেই চলে পঠন-পাঠন থেকে রান্না । কেন্দ্রের চারপাশ নোংরা আবর্জনা আগাছায় পরিপূর্ণ ।
ভগবান গণপতির মূর্তি যেকোনওভাবে বাড়িতে রেখে দিলেই হল না। সঠিক নিয়ম মেনে না রাখলে হতে পারে বড়সড় বিপত্তি।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্নীতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তারমত ভাল মানুষ হয় না। বললেন শাশুড়ি দিপালী গুপ্ত।
ফের নেটদুনিয়ার চর্চায় চলে এলেন উরফি জাভেদ। তাকে নিয়ে চর্চা হবে না এমন দিন মনে হয় হাতে গোনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবশালী ফাইজান আনসারির থেকে আইনি নোটিশ পেলেন ফ্যাশনিস্তা,এমনকী মুম্বই ছাড়া করানোর হুমকী পেলেন উরফি।
আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে চলছে জমজমাট লড়াই। তৃতীয় দিনের শেষে ভালোভাবেই লড়াইয়ে আছে ভারতীয় দল।
সিদ্ধার্থ মালহোত্রা,সুনিধি চৌহান থেকে করিনা কাপুর, দেখুন আপনার পছন্দের তারকার দিন ভরের খবর এই বলিউড মশালায় ।
ভারতীয় দলের হয়ে সম্প্রতি সীমিত ওভারের পাশাপাশি টেস্ট ফর্ম্য়াটেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন তরুণ ওপেনার শুবমান গিল। তাঁর প্রশংসা করলেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর।
H3N2র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য বিধি ও নজরদারি নিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার।
তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠকে ধুন্ধুমার! পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব , নেতৃত্বের সামনেই ধস্তাধস্তি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর, অস্বস্তিতে শাসকদল। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের থানা পাড়ার ঘটনা।
| web |
befdf99b0ec4c1e8260ea9697ca10392fc6de105 | এইদিন ওয়েবডেস্ক,এগরা(পূর্ব মেদিনীপুর),১৭ মে : মঙ্গলবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে । বিস্ফোরণে এযাবৎ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে । বুধবার সকালে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তার আগে প্রচুর গ্রামবাসী সেখানে জড়ো হয় । শুভেন্দু উপস্থিত জনতা আশ্বস্ত করে বলেন,'হিসাব হবে । একটা কেউ ছাড় পাবে না । ' তিনি বলেন,'মমতা চোর,তার পুলিশও চোর । ' এর আগে মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মৃতদেহ লোপাট করে দিতে পারে । সেই কারনে ঘটনার তদন্তভার দ্রুত এনআইএ-এর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারী ।
মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম ও ওড়িশা সীমানার কাছেই ছিল ওই বেআইনি বাজি কারখানাটি । মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ ওই কারখানায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় । বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সেখান থেকে কয়েক'শ মিটার দূরে সড়ক পথে ছিটকে আসে কারখানার শ্রমিকদের দেহাংশ । এদিকে খবর পেয়েই পুলিশ খাদিকুল গ্রামে গেলে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়ে । শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়,পুলিশের পোশাক টেনে ছিঁড়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা । এমনকি লাঠি হাতে নিয়ে পুলিশকে তাড়া করে গ্রামবাসীরা । গ্রামবাসীদের অভিযোগ,ওই বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এগরা থানায় বারবার বলা সত্ত্বেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি । উলটে পুলিশ কারখানা থেকে প্রতিমাসে মাসোহারা নিয়ে যেত বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের । তাদের অভিযোগ, পুলিশ যথা সময়ে ব্যবস্থা নিলে এতগুলো মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না । এদিকে মঙ্গলবারই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পাশাপাশি তিনি জানান, এনআইএ-এর তদন্তেও তার কোনো আপত্তি নেই । ।
| web |
1b9bec24867e8548b8a5228500e0fa0597b00b39 | নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট তুষারধসে চাপা পড়া একটি গ্রাম থেকে ১শ' টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্প দুর্গত এলাকায় মহামারি হওয়ার প্রবল ঝুঁকি রয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চীনের একটি চিকিৎসক দল।
গত দুইদিনে (শনি ও রোববার) কাঠমান্ডু থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের লাংটাং গ্রাম থেকে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন নেপালি পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। তুষার ও বরফ খুঁড়ে গ্রামবাসী ও পর্বতারোহীদের এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
ভূমিকম্পের পর নেপালে গণস্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে চীনের চিকিৎসা দলের এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে মহামারির আশংকার বিষয়টি তুলে ধরে।
একই ধরনের মত পোষণ করেছেন নেপালে নিয়োজিত ইউনিসেফের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও।
ইউনিসেফের জরুরি কৌশলগত যোগাযোগ উপদেষ্টা কেন্ট পেজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিমান ও সদস্যরা কাঠমান্ডুর বাইরে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ তৎপরতায় সহায়তা করতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা।
বিদেশী উদ্ধারকর্মীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে নেপাল সরকার। সোমবার নেপালের কেন্দ্রীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ত্রাণ কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উদ্ধার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি কাজ নেপালের উদ্ধারকর্মীরাই করতে পারবে। ভূমিকম্পের পর ৩৩টির বেশি দেশ থেকে উদ্ধারকর্মীরা নেপালে যান।
| web |
dc077d58ee43ed0d82efb13959fcd8a9 | মৃত সেলিব্রেটি হিসেবে আয়ের পরিমাণ পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনকে ছাড়িয়ে গেছেন ক্লিওপেট্রা-খ্যাত এলিজাবেথ টেইলর। ফোর্বস এক রিপোর্টে জানিয়েছে, গত বছর কেবল এলিজাবেথ টেইলরের সম্পদ থেকেই আয় করা হয়েছে ২১ কোটি ডলার। এ অর্থের বেশির ভাগই এসেছে তার অলঙ্কার, পোশাক এবং শিল্পকর্ম নিলামের মাধ্যমে। ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণকারী মাইকেল জ্যাকসন এক্ষেত্রে সাড়ে ১৪ কোটি ডলার আয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
আর সাড়ে আট কোটি ডলার আয় করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সঙ্গীত তারকা এলভিস প্রিসলি। ২০১১ সালে ৭৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণকারী টেইলরের বিভিন্ন জিনিস নিলামের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার আয় করা হলেও তার হোয়াইট ডায়মন্ড পারফিউম বিক্রি করে সাড়ে সাত লাখ ডলার আয় করা হয়েছে। ফোর্বস বলেছে, বাকি অর্থ এসেছে টেইলরের সম্পত্তি এবং তার অভিনীত চলচ্চিত্র থেকে। ক্লিওপেট্রার পর থেকে প্রতি ছবি থেকেই তিনি ১০ ভাগ স্বত্ব পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। গত বছর আয়ের ক্ষেত্রে এলিজাবেথ টেইলর মাইকেল জ্যাকসনকে ছাড়িয়ে গেলেও ফোর্বস বলছে, তার সঙ্গীত এবং অন্যান্য খাত থেকে অর্থ আসার কারণে এ বছর মাইকেল আবার শীর্ষে উঠে আসবেন। মৃত সেলিব্রেটি হিসেবে আয়ের শীর্ষের বিচারের তিন কোটি ৭০ লাখ ডলার আয়ের মাধ্যমে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন পিনাট কমিক স্ট্রিপের স্রষ্টা কার্টুনিস্ট চার্লস শুলস। এরপর এক লাখ ৭০ হাজার ডলার আয় করে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন র্যাগ তারকা বব মার্লি। ২০১১ সালের অক্টোবর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে মৃত সেলিব্রেটিদের অর্জিত অর্থের ভিত্তিতেই ফোর্বস এ তালিকা করেছে।
| web |
3837798a64221bcea9b4fa773e62a6590a3c61c2 | কৃষকের উৎপাদিত মিনিকেট চাল মিল মালিক আর মধ্যসত্তভোগিদের হাত ঘুরে ক্রেতাদের কাছে যাচ্ছে দ্বিগুনের বেশী দামে। এককেজি ভালো মানের মিনিকেট চাল উৎপাদন করতে কৃষকের খরচ হয় ২৫ টাকা। এই চাল মিল মালিকদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ২৫টাকা ৯২ পয়সায়। আর মধ্যসত্তভোগিদের হাত ঘুরে এসে ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ৫৫ টাকারও বেশী দরে।
দেশে ফসলি জমি কমে গেলেও চাষাবাদের আধুনিক পদ্ধতি আর কৃষকের ঘাম ঝরানো শ্রমে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন। বছরে ৩৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন চালের চাহিদার পুরোটাই যোগান দিচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষকের শ্রমের মূল্য ছাড়াই ১ মণ ধান উৎপাদনে বীজ, সার, কীটনাশক সহ সব মিলিয়ে গড়ে খরচ পড়ে ৭শ টাকা। আর ১মণ ধান শুকানোর পর থাকে প্রায় ৩৫ কেজি। কৃষকের হাত থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী বা ফড়িয়া হয়ে ধান আসে চাতালে। এরপর ধান যায় আড়ৎদারদের হাতে। সেখান থেকে যায় রাইস মিলে। এখানে যন্ত্রের মাধ্যমে ধান থেকে বের করা হয় চাল।
দেখা যায়, ৩৫ কেজি ধান থেকে পাওয়া যায় ২৬ কেজি চাল। কিছু মধ্যসত্তভোগী থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ অটোরাইস মিল মালিকরা সরাসরি কৃষক থেকে ধান ক্রয় করছেন । ৭শ টাকার ধান থেকে উৎপাদিত ২৬ কেজি চাল, মিল মালিকরা ঢাকার মকাম বা আড়ৎদারদের কাছে বিক্রি করেন ১১শ টাকার বেশী দামে। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম প্রায় ৪২ টাকা। আর ঢাকার মুহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের আড়তে এই চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ৪৩-৪৪ টাকায়। বিভিন্ন বাজারে ভাল মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা দরে।
তবে রাজধানীর গলির দোকানে ৫৫ বা তার বেশী দামেও বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট চাল।
যদিও টিসিবির তালিকা অনুযায়ী, ভোক্তাদের ভাল মানের মিনিকেট পাওয়ার কথা ৪৪-৪৫ টাকায়।
| web |
c0b514d6a9a769f6bce731cbf1fdcbec2f286c0b | নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রোববারের পূর্ব ঘোষিত হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহারের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে এই হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের বরাত দিয়ে তিনি দাবি করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল দাবি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রয়েছে। পরবর্তী এই সব বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলার প্রতিবাদে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় অবস্থান ধর্মঘট থেকে রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ'লীগ।
কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
| web |
e2dd1e91a261137f2f38e22ee450e35535e87232 | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে দারুণ জয় দিয়ে নতুন বছরটা শুরু করলো আর্সেনাল। বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ইউনাইটেডের বিপক্ষে গানারদের জয়টি ২-০ গোলের।
আর্সেনাল ম্যাচের প্রথমার্ধে ছিলো দুর্দান্ত। সফরকারী ম্যানইউ অবশ্য ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিলো। কিন্তু অষ্টম মিনিটে প্রথম গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা। সেয়াদ কোলাসিনাচের মাইনাস থেকে আনমার্কড নিকোলা পেপে বল পেয়ে যান। সেখান থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার।
৪২ মিনিটে আর্সেনালের দ্বিতীয় গোলটিও আসে ডিফেন্ডারের পা থেকে। নিকোলাস পেপের কর্ণার থেকে লাকাজেতের হেড বিপদ মুক্ত করতে ব্যর্থ রেড ডেভিল গোলরক্ষক ডি গিয়া। শূন্যে ভেসে থাকার বলের কাছে থাকা গ্রিক ডিফেন্ডার সক্রেটিস পাপাস্তাথোপুলোস জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮৭ দিন পর প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে আর্সেনালকে জয় এনে দিলেন মাইকেল আর্তেতা।
| web |
cc43b44924d03cc5b0d41a7906054ec00077898a | ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পিকআপ ও ব্যাটারীচালিত অটো ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরতর আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে নিহতের সংখ্যা ২ শিশুসহ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ জনে।
বৃহস্পতিবার, ৪ মে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কের কোটচাঁদপুরের কাশিপুর পৌর কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-কালীগঞ্জ উপজেলার বলাকান্দা গ্রামের শাহিন উদ্দিনের মেয়ে খুকু মনি (৭), একই উপজেলার শাহাপুর ঘিঘাটি গ্রামের মখলেছ উদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক সলেমান উদ্দিন (৬০), কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের রুবেল হোসেনের ১১ মাস বয়সী ছেলে রাফান, রাফানের দাদী শিউলি বেগম (৫০) এবং অজ্ঞাত আরও এক ভ্যান যাত্রী।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি মঈন উদ্দিন জানান, সকালে কালীগঞ্জ থেকে হতাহতরা ব্যাটারী চালিত ভ্যান যোগে কোটচাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ওই ৩ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও ৫ জন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত আরও একজনের মৃত্যু হয়।
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
| web |
9acd845dcb7a011776efeb916e59904404b10391 | Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- অনিয়ন্ত্রিত গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা চীনের বৃহত্তম রকেট লং মার্চ ৫-বি এর টুকরো। আগামী শনিবার রাতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাইক হাওয়ার্ড বলেছেন, ধারাণা করা হচ্ছে চীনের লং মার্চ রকেটটি ৮ মে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে। মার্কিন স্পেস কমান্ড রকেটটির ট্র্যাক করছে।
আজ ৮ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে। তবে এর সময় পরিবর্তনও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে উৎক্ষেপণ করা চীনা রকেটের ওই অংশ কয়েক দিনের মধ্যেই বায়ুমণ্ডল অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠে বা সমুদ্রে আছড়ে পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তিয়ানহে মডিউল চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য কক্ষপথে মোট ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই 'লং মার্চ ৫বি' রকেটে করে তিয়ানহে মডিউল কক্ষপথে পাঠানো হয়। এটা পৃথিবীর কোথায় আছড়ে পড়বে তা জানা না গেলেও এই অংশটি কোনো মহাসাগর বা নির্জন এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স সেন্টারের একজন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জনাথন ম্যাকডোয়েল।
এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে চীনের আরেকটি 'লং মার্চ ৫বি' রকেটের খণ্ডাংশ আইভরি কোস্টে পড়েছিল; তখন কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাতে কেউই আঘাত পায়নি বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ম্যাকডোয়েল।
আরো পড়ুন :- দাড়িয়ে প্রস্রাব করলে মারাত্বক বিপদ ! কেন জানেন ?
মার্কিন ১৮ মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ স্কোয়াড্রন মহাকাশে গতিপথে নজর রাখছে, বেশির ভাগই কক্ষপথের নিচের অংশে পৃথিবীর কাছাকাছি আছে বলে জানিয়েছে মহাকাশ কমান্ড।
| web |
d22510b460e7220a2a90ffd5084a78a5c95a8853 | রাজধানীর উত্তরায় বিলবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মই থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২মে) বেলা ১২টার দিকে উত্তরার আজমপুর হোসেন মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় সূত্রধর (৩০) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সাওয়ালি বাজার মহেরা গ্রামের রামকৃষ্ণের ছেলে এবং তিনি বাড্ডা এলাকায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, হৃদয় অন্যদের সঙ্গে আজমপুরের হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানির বিলবোর্ড লাগাতে যান। হৃদয় আরেকজনের সঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে একটি ভবনের উপরের অংশে ওঠার চেষ্টা করছিল।
দুপুর ১২টার দিকে ভবন সংলগ্ন মইটি হঠাৎ তার ওপরে পড়ে গেলে বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পরে তাদের উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে হৃদয়কে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক টিউবওয়েল মিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের মধুরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খলিল মিয়া (২৭) জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া গ্রামের মো.গেন্দু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিউবওয়েলমিস্ত্রী খলিল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের মধুরদিয়া গ্রামের নজরুলের বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্পে কাজ করছিলেন। তিনি বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ না করেই কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুর শহরে খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন হাফেজ খান (৭৫) নামে আরও এক বৃদ্ধ।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে দিকে সদরের বহরীয়া লক্ষীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রামদাসদী গ্রামের একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-গ্রামের আকবর মিজির ছেলে শামীম মিজি (১৩) ও জাহাঙ্গীর খানের ছেলে মিনহাজ খান (১২)।
নিহতরা একই গ্রামের স্থানীয় লালুর দোকান এলাকার বাসিন্দা। তারা দুইজনই পুরান বাজার নুরিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আহত হাফেজ খান ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, ঝড় তুফান ও বৃষ্টি কমলে মাঠে খেলার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্টের শিকার হন শামীম ও মিনহাজ। এ সময় হাফেজ খান নামের এক বৃদ্ধও আহত হন।
পরে দুই কিশোর গুরুতর আহত হলে তাদের দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ঘোষণার পরপরই স্বজনদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে না দেওয়ায় হাসপাতালের স্টাফদের উপর হামলা করে মৃতদের বিক্ষুব্ধ স্বজনরা। এতে করে হাসপাতালে নিহতদের স্বজন ও হাসপাতালের স্টাফদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ রশিদ জানান, এখন লাশ থানার হেফাজতে রয়েছে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন লাইনম্যান নিহত এবং হেডমিস্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কুমারখালী পৌরসভার খোকনমোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লাইনম্যানের নাম মো. মানিক হোসেন (৪০)। তিনি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
আহত হেডমিস্ত্রী রাজু হোসেন (৪৫) একই এলাকার মৃত তছলেম হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, কুমারখালীর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ড্রিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ( ওজোপাডিকোলি) পৌরসভার খোকনমোড় এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করছিলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। উন্নয়ন কাজের জন্য বেলা দুইটা পর্যন্ত বিদ্যুত লাইন বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন সহকারী প্রকৌশলী মো. রাজু হোসেন। কাজ চলাকালীন সময়ে শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে রাজুর কথা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বেলা দেড়টার দিকে লাইন চালু হলে বিদ্যুতায়িত হয়ে লাইনম্যান মানিক ও হেডমিস্ত্রি রাজু গুরুতর আহত হন। পরে অন্যান্য শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজুকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠান।
এবিষয়ে শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা খোকন মোড়ে কাজ করছিলেন। রাজু স্যারের সঙ্গে তাদের বারবার কথা হচ্ছিল। দুইটা পর্যন্ত লাইন বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু আগেই লাইন চালু হলে দুর্ঘটনায় মানিক মারা যান এবং হেডমিস্ত্রি আহত হন।
এবিষয়ে কাজের ঠিকাদার ময়েজ উদ্দিন বলেন, তিনি অন্য সাইডের কাজে ছিলেন। লাইন বন্ধ রাখার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লাইন চালু হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী ওজোপাডিকোলি'র প্রকৌশলী মো. মখলেছুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী রাজু হোসেন বলেন, এক অঞ্চলের লাইন বন্ধ করে শ্রমিকরা অন্য অঞ্চলে কাজ করছিলেন। ঠিকাদারের ভুলেই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বিদ্যুত অফিস দুইটার পরিবর্তে দেড়টার দিকে লাইন চালু করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক যুবকের শরীরের ৫০ শতাংশ ঝলসে গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের উত্তর পাশে তহশীলদের বাড়ির পেছনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত যুবক পিডিবি'র বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।
আহত সবুজ পাটওয়ারী (২৫) উত্তর গুনরাজদি এলাকার মৃত মালেক পাটোয়ারীর ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আহত সবুজ সোমবার গভীর রাতে ঘোড়ামারা এলাকার তহশিলদার বাড়ির পিছনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আগুনে দগ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ সময় বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ কল দেয়।
তাৎক্ষণিক চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত সবুজের শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এদিকে এ ব্যাপারে চাঁদপুর পিডিবি'র কর্মকর্তারা ইউএনবিকে জানান, এতে তাদের বিদ্যুতের কোন ক্ষতি হয়নি।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক কিশোর নিহত এবং একই এলাকার এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে।
শনিবার রাতে রেল স্টেশন সংলগ্ন চাঁন মসজিদের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শামিম (১৬) শামিম শহরের ষোলহাসিয়া এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে। গুরুতর আহত হয় সাজ্জাদ (১৯)।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে শামিমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত সাজ্জাদকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, আর্জেন্টিনার সমর্থক শামিম ও সাজ্জাদ বিদ্যুতের খুঁটিতে পতাকা টাঙাতে গিয়ে অসাবধানতা বসত বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায়। দুজনই ছিটকে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে মাটিতে পরে মারাত্মক আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে শামিম মারা যায়।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর এলাকার বারোইয়া মহল্লায় রবিবার সকালে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ফারুক আহমেদ (৩০) পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ওই মহল্লার রোস্তম আলীর ছেলে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকালে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার বারোইয়া মহল্লায় নিজ ঘরের পেছনে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে পাশ দিয়ে টানানো বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ফারুক আহমেদ মারা যায়।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া কোনো অভিযোগ না থাকায় লাম পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহীর মোহনপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আদরী বেগম (৩৬) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ দিকে উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরসা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আদরী বেগম ওই গ্রামের আনসার আলীর মেয়ে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত আদরী বেগম মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রান্না ঘরে টেবিল ফ্যান চালু করে কাজ করছিলেন। এসময় ফ্যানের পিছনের প্লাস্টিকের ঢাকনা খুলে পড়ে। আদরী ফ্যানের পিছনের ঢাকনা ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় মোহনপুর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
কুমিল্লার চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত আড়াইটায় চান্দিনা উপজেলা সদরের বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জহির মিয়া (৩৮) চান্দিনা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড হারং এলাকার মৃত তমিজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ চান্দিনা বাজার, বাগানবাড়ি ও ধানসিঁড়ি এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে। বুধবার রাত আড়াইটায় বাগানবাড়ি এলাকায় একটি ভবনের ছাদ থেকে অন্য ছাদে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলেই জহির মিয়ার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, নিহতের লাশ তল্লাশি করে একটি ছুড়ি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বাংগরা বাজার থানাধীন এলখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন হোসনেয়ারা বেগম (৬০), তারা মিয়া (৩০), রিফাত হোসেন (৮)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে এলখাল গ্রামের তারা মিয়ার ভাগিনা রিফাত হোসেন বাড়ির পাশের একটি জমিতে কলমি শাক তুলতে যায়। সেখানে দৌলতপুর থেকে এলখাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইনের একটি তার ছিঁড়ে রিফাতের ওপর পড়ে। চিৎকার শুনে তার নানী হোসনে আরা তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে আটকে যায়। এ সময় মা ও ভাগিনাকে উদ্ধারের জন্য তারা মিয়া গিয়ে সেও বিদ্যুতের সঙ্গে আটকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দৌলতপুর অফিসে খবর দিলে সেখান থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়। পরে এলাকার লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
| web |
450fd1745d041bed5846eda391e42e9d5cd1f5fa | বিএনপিকে অসত্য এবং মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসত্যের ওপর বিএনপির রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা আর অসত্যের ওপর রাজনীতি করে বেশিদিন ঠিকে থাকা যায়না, এটিই হচ্ছে ইতিহাসের শিক্ষা। তাহলে হয়তো বিএনপির আজকের যে অবস্থা সেটা থেকে তারা মুক্তি পেতে পারে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে পনের ও একুশে আগস্টে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে আসছেন। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালান। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবরে যান তারা, কোন সময় কারো বিয়ে ও কর্ণছেদন অনুষ্ঠান উপলক্ষেও তারা জিয়াউর রহমানের কবরে যান সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। সেখানে গিয়ে আবার তারা মারামারি করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অনেক অপচেষ্টা হয়েছে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে ইতিহাসের পাতা থেকে তাঁকে নির্বাসিত করার চেষ্টা হয়েছিল। রেডিও টেলিভিশন রাষ্ট্রীয় প্রচার যন্ত্র থেকে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার খলনায়ক পাকিস্তানিদের দোসর জিয়াউর রহমানকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায় অনেক বাঙালি নেতা স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেছেন। ১৮৩০ সালে তিতুমীর বাঁশের কেল্লা তৈরী করে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাঙালির জন্য স্বাধীনতার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এর এক'শ বছর পর ১৯৩০ সালে মাষ্টারদা সূর্যসেন চট্টগ্রামে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে চট্টগ্রামকে ১১দিন স্বাধীন রেখেছিলেন। ১৯৪৪ সালে নেতাজি সুভাস বসু মায়ানমারে ইন্ডিয়ান লিবারেশন আর্মির সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, তোরা রক্ত দে, আমি স্বাধীনতা দিব। বাঙালি রক্তও দেয়নি স্বাধীনতাও আসেনি। বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। ত্রিশ লক্ষ মানুষ রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছে বঙ্গবন্ধুর আহবানে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনীতির পাশাপাশি লেখাপড়া সঠিকভাবে চালিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা লেখাপড়াকে গুরুত্ব দেন। রাজনীতি হচ্ছে একটি ব্রত, দেশ এবং সমাজ পরিবর্তনের জন্য, সেটি মাথায় রাখতে হবে। যেকোন ত্যাগ স্বীকারে শিক্ষার্থীরা সবসময় প্রস্তুত থাকবে তবে রাজনীতি করতে গিয়ে যাতে পড়াশোনার ক্ষতি না হয়।
উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, দেবাশীষ পালিত, জসিম উদ্দিন শাহ, শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, গিয়াস উদ্দিন, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খাঁন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
| web |
22cb6ad6e065f0fefbbccaef2403cc92f1009c07 | যুক্তরাষ্ট্রের পতন অনিবার্য!
ইরানের আইআরজিসি'র কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানি বলেছেন, ইরানের সাথে যুদ্ধ শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের পতন অনিবার্য। যুক্তরাষ্ট্রে তার সব কিছু হারাবে। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু করলে এর সমাপ্তিটা কেমন হবে তা আমরা নির্ধারণ করব। সম্প্রতি হামেদানে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন।
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় জেনারেল সুলাইমানি আরো বলেছেন, ট্রাম্প জুয়াড়ির ভাষায় কথা বলেন। ইসলামি ইরানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জবাব পাওয়ার মতো মর্যাদার অধিকারী ট্রাম্প নন।
গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,আমেরিকাকে কখনো আর হুমকি দেবেন না। দিলে এমন পরিণাম ভোগ করবেন, ইতিহাসে যাদের সংখ্যা খুব অল্প।
এর জবাবে কাসেম সুলাইমানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনি ইরানকে ইতিহাসের বিরল পরিণতির হুমকি দিচ্ছেন। আপনি আপনার সামরিক কমান্ডার, রাজনীতিবিদ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রধানদের কাছ থেকে জেনে নিন যে, তারা গত কয়েক দশকে কী করতে পেরেছে।
কুদস ফোর্সের প্রধান আফগানিস্তানে মার্কিন অপরাধযজ্ঞের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমেরিকা এক লাখ ১০ হাজার সেনা, হাজার হাজার ট্যাঙ্ক ও সাজোয়া যান, শত শত উন্নত জঙ্গিবিমান ও হেলিকপ্টারসহ ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে তালেবানের মতো একটি দুর্বল সংগঠনের ওপর হামলা চালিয়েও কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারে নি।
ইরাকে মার্কিন নির্মমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইরাকে মার্কিনীদের নৃশংসতা মধ্যযুগের পাশবিকতাকেও হার মানিয়েছে। তারা ট্যাঙ্ক নিয়ে ঘরবাড়িতে ঢুকে সেখানকার অধিবাসীদেরকে ট্যাঙ্কের নিচে পিষে মেরেছে। তারাই ইরাকে আবু গারিব বন্দিশিবির গড়ে তুলেছিল। এসব কলঙ্ক কখনোই মুছে যাবে না।
আইআরজিসি'র কুদস ফোর্সের প্রধান আরো বলেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ৩৩ দিনের যুদ্ধে আমেরিকা ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছে। কিন্তু তাদের পরাজয় ঘটেছে। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতায় ২ লাখ কোটি ডলার নিয়ে ইয়েমেনে হামলা শুরু করেছে। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকা এমন সময় ইরানকে হুমকি দিচ্ছে যখন তারা লোহিত সাগরকে অনিরাপদ করে তুলেছে এবং বছরের পর বছর ধরে সৌদি আরব নিরাপদ দেশ হিসেবে থাকলেও এখন দেশটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পড়ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাকে মোকাবেলা করার জন্য ইরানের গোটা সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন নেই। আইআরজিসি'র কুদস ফোর্স একাই যথেষ্ট। আমরা সব জায়গায় আছি। কারণ আমরা হলাম শাহাদাৎপিয়াসী জাতি। আমরা অনেক কঠিন পথ ও ঘটনা পাড়ি দিয়ে এসেছি।
সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোয়াইদা প্রদেশে ধারাবাহিক হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত ও কয়েক ডজন মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় কড়া নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে সোয়াইদা প্রদেশে ধারাবাহিক বোমা হামলা এবং গুলিবর্ষণে নিহত ব্যাক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটিকে সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে বড় ধরনের বর্বরোচিত হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চার আত্মঘাতী ব্যক্তি সোয়ইদা প্রদেশে বোমা হামলা চালায় এবং অন্য সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট গ্রাম ও আবাসিক এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে বহু বেসামারিক ব্যক্তিকে হত্যা করে। হামলায় ২৪৬ জন নিহত হয়েছে বলে সিরিয়ার কথিত মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহ বলেছে, সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করেছে যে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী নিজেদের অসৎ এবং আগ্রাসী লক্ষ্য অর্জনের জন্য দায়েশের মতো উগ্র ও হিংস্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছে। এছাড়া, হিজবুল্লাহ দামেস্ক-বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সহযোগিতার নিন্দা জানিয়েছে। সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধযজ্ঞে দখলদার মার্কিন বাহিনী সন্ত্রাসীদেরকে সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছে বলেও সংগঠনটি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ গতকাল বুধবার সিরিয়া বিষয়ে রাশিয়ার বিশেষ প্রতিনিধি আলেক্সান্ডার লেভরেন্তিভের সঙ্গে বৈঠকে তার দেশের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দেয়ার কাজে লিপ্ত রাষ্ট্রগুলোর নিন্দা জানান।
মধ্যপ্রাচ্যের হরমুজ প্রণালী দিয়ে চলাচল করা সব দেশের জাহাজের নিরাপত্তা ইরানের হাতে। ইরান তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেই কেবল সেখান থেকে জাহাজ চলাচল করতে পারে। শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান সমন্বয়কারী রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ইরান নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেই কেবল হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেল রফতানি অব্যাহত থাকবে। তবে ইরান শুধু নিজের জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিচ্ছে না। সব দেশের জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ইরানের নৌবাহিনী পারস্য উপসগার, হরমুজ প্রণালী, এর পূর্বাঞ্চল, ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশ এবং ওমান সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলেছে। ইরান বারবারই এ কথা ঘোষণা করেছে যে, পারস্য উপসাগরে বিদেশি সেনা উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। আঞ্চলিক দেশগুলো সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম।
ইরান এর আগে হুমকি দিয়ে বলেছে, ইরানকে তেল বিক্রি করতে দেয়া না হলে হরমুজ প্রণালী দিয়ে অন্যরাও তেল বিক্রি করতে পারবে না।
| web |
f0d9724654f081f203ef71bbc60c2d56 | সুমন- অসাধারণ! দেখ, ওঁর কিন্তু কোন দরকার ছিলনা। এগুলো ছাড়াই তো উনি উত্তমকুমার। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে এমন একটা পারফেকসনের জন্য হাঙ্গার - অকল্পনীয়। আর একটা ঘটনা বলছি। এটা আমার 'নোবেলচোর' ছবির স্যুটিং এর সময় মিঠুনদার কাছে শোনা। সৌমিত্রকাকুও ছিলেন। মিঠুনদা উত্তমের পরিচালনায় 'কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী' ছবিতে কাজ করেছিলেন। তখন মিঠুনের বেশ নাম হয়ে গেছে। উত্তমদা একদিন মিঠুনকে ডেকে বললেন - 'মিঠুন তুই কি জানিস যে তুই স্লাইট ট্যারা আছিস? মানে ঐ লক্ষ্মী ট্যারা আর কি!' মিঠুন বললেন যে তিনি এতদিন কাজ করছেন কেউ ধরতে পারেননি, এই ক'দিনে উত্তম বলে দিলেন? তারপর বলেছিলেন, 'তুই কখনো লেন্সের দিকে সোজা তাকাবি না, একটু ইঞ্চিদুয়েক পাশের দিকে তাকাবি - তাহলেই ঠিক থাকবে।' মিঠুন এত অবাক হয়েছিলেন - আনিবিলিভেবল!
মানে ধর, আমরা তো ভাবি সৌমিত্র হলেন রাহুল দ্রাবিড়, খুব মেথডিক্যাল। কিন্তু শচীন তেন্ডুলকরকেও প্রচণ্ড খাটতে হয় - নিজেকে ঠিকভাবে মেলে ধরার জন্য। এটাই আমার সৌমিত্রকাকুর কাছ থেকে জানা উত্তমকুমার সম্পর্কে - মানে উনি কি শিখেছেন উত্তমকুমারের কাছ থেকে।
অরিন্দম- আচ্ছা, সৌমিত্রর নায়িকাদের সঙ্গে জুটি হিসেবে - সৌমিত্র-অপর্ণা, সৌমিত্র-শর্মিলা কোনটা বেশি পছন্দ তোর জুটি হিসেবে?
সুমন- এমনকি সৌমিত্র - তনুজা! 'প্রথম কদম ফুল' বা 'তিন ভুবনের পারে'। কিন্তু আমি ঠিক ঐভাবে দেখিনা। যেমন ধর - 'সাত পাকে বাঁধা'। কি অসাধারণ সিনেমা! সেখানে তো নায়িকা সুচিত্রা সেন। মানে যাঁর অভিনয় ক্ষমতা সম্পর্কে সীমিত কথাটা বলা হয়, অন্য গুলো নিয়ে তো অতুলনীয়। সেখানে ওঁদের জুটিটাও দারুণ লেগেছিল, সিনেমাটাও খুব ভালো।
তবে যেমন 'উত্তম-সুচিত্রা' সেভাবে কেউ নেই। সৌমিত্র-শর্মিলার জুটিতে সত্যজিৎ রায়ের ছবিগুলিই বেশী স্মরণীয়।
অরিন্দম- অর্থাৎ সেভাবে সৌমিত্রের খুব কনসিস্টেন্ট নায়িকা কেউ ছিলেন না। ইন্টারেস্টিং! আচ্ছা, তুই তো 'বসু-পরিবার' ছবিতে সৌমিত্র-অপর্ণাকে জুটি হিসেবে পেয়েছিলি। মানে ওঁদের শেষ ছবি ছিল 'পারমিতার একদিন'। লং গ্যাপ তারপর। সেখানে কেমন কেমিস্ট্রি ছিল ওঁদের মধ্যে?
সুমন- 'পারমিতার একদিন' এ ঠিক জুটি তো নয়। তবে সৌমিত্রর অভিনয় খুব ভালো। আসলে দেখ, এক শহরে থাকলেও ওঁদের দেখা হয় অনুষ্ঠানে। আমার ভাল লাগলো দুজনের মেন ভোকেশন হল বইপড়া আর সেটা নিয়ে একটা অদ্ভুত কনেক্ট হয়। অবশ্য আমার ছবিতে তো বিরাট কাস্ট। কিন্তু এটা ঠিকই ওঁদের দুজনের একজন রাজী না হলে আমি ছবিটাই করতাম না কারণ আমার অন্য চয়েস ছিলই না। তবে আমার ওটা মনে ছিল না যে ওঁদের এতদিন বাদে ফিরিয়ে আনা বা সেই পুরনো কেমিস্ট্রি আবার তৈরি করা - ওটা আমার কাছে ন্যাকামো মনে হয়।
আর কেমিস্ট্রির কথা যদি বলিস, তাহলে আমার 'বসু-পরিবার' ছবিতে আমি একটা নতুন চেষ্টা করেছিলাম। মানে আমার কাছে নতুন, অন্যরা হয়তো করে থাকবেন। একটা স্ক্রিপ্ট ছিল, কিন্তু ঐ আড্ডার দৃশ্যে আমি স্ক্রিপ্টটা দিয়ে সবাইকে নিজেদের মত করে করার কথা বলেছিলাম। আমি জানতাম, অভিনেতারা যখন সৌমিত্র, অপর্ণা, লিলি চক্রবর্তী, ঋতুপর্ণা - তাঁরা ঠিক নিজেদের মত করে নেবেন। কারণ আমি একটা গ্রুপ কেমিস্ট্রি চেয়েছিলাম। সেজন্যই আমি ব্যাপারটাকে একটু ফ্লেক্সিবল রাখতে চেয়েছিলাম। ঐখানে আমি সৌমিত্র অপর্ণার কেমিস্ট্রি দেখেছি। সৌমিত্র এবং অপর্ণার - টু ইচ আদারস ডায়ালগ। যেমন স্ক্রিপ্টে একটা জায়গায় ছিল যে অপর্ণা বলবেন সৌমিত্রকে দেখে প্রথমে একটা ভয় হয়। এটা বলার পর সৌমিত্র এমন একটা ইমিডিয়েট রিএকসন দেন, মানে একটু পেছনে তাকিয়ে,- সবাই হেসে ফেলেন। এটা স্ক্রিপ্টে ছিল না। তারপর ধর পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, মাস্টার অফ সাচ ইনোভেসনস। এছাড়াও এ টুকটাক দিচ্ছে, অন্যরা রিএক্ট করছে - আসলে ঐ গ্রুপ কেমিস্ট্রিটা যেটা চেয়েছিলাম, সেটা খুব সুন্দর এসেছিল। সেখানে তো অপর্ণা-সৌমিত্র কেমিস্ট্রিটাও ছিল।
অরিন্দম- কিন্তু এখানে সৌমিত্র-অপর্ণা এজ এ কাপল, 'বেলাশেষে'র থেকে একদমই আলাদা। আচ্ছা, এবার আমরা পিছিয়ে যাব, স্যুটিং ফ্লোরে তোর প্রথম অভিজ্ঞতা - গৌতম ঘোষের 'দেখা'। আচ্ছা, তুই কি এসিস্ট্যান্ট ছিলি?
সুমন- না, এসিস্ট্যান্ট ঠিক বলবো না। মোর এজ এন অবসার্ভার। তখন আমি কর্নেল থেকে ফিল্ম কোর্স করেছি, আমি একটা রিয়েল শুট দেখতে চেয়েছিলাম। আমি জানি আমি কলকাতায় আমি ছবি বানাবো, সেই হিসেবেই অবসার্ভার ছিলাম।
সুমন- মনে আছে, তখনো আলাপ হয়নি, প্রথম সামনা সামনি দেখেই মানে - আই ওয়াজ অস্ট্রাক। দেখ, লাইভ দেখেছি ওঁকে নাটকে। যেদিন আমি প্রথম স্যুটিং দেখতে যাই, স্যুটিং হচ্ছিল নর্থ ক্যালকাটার অরোরা স্টুডিওতে। ছিলেন, সৌমিত্র, পরান বন্দ্যোপাধ্যায় আর বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। সৌমিত্রকে দেখে একেবারে হকচকিয়ে গিয়েছিলাম - সেই অপুর সংসার, ফেলুদা - কেমন যেন একটা আনরিয়েল মনে হত। তারপর স্যুটিং দেখতাম, কিন্তু অনেকদিন গিয়ে আলাপ করার সাহস পাইনি। উনি শট দিয়ে বসতেন, সেখানে ফালতু গিয়ে 'আপনার সঙ্গে আলাপ করতে চাই' গোছের কথা বলাটা ঠিক ভালো লাগতো না। উনিও হয়তো লক্ষ করেছিলেন, গৌতমদাও আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন যে সুমনও ফিল্মে উৎসাহী। প্রথম যেদিন ইন্টারেকসন হয়, সেদিন একটা সিনে দুটো টেকের পর থার্ড টেকটা ওকে হওয়ার পর উনি এসে বসলেন। আমার ঐ ফাইন্যাল টেকটা সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল, আমি তখন গিয়ে বললাম, 'কাকু, এই টেক টা, খুব ভালো লাগলো।' তখন আমাকে বললেন,- 'আগের গুলোর থেকে কেন এটা বেশি ভালো লাগলো জান?' আমিও সেটা ভাবছিলাম কিন্তু ঠিক ধরতে পারছিলাম না যে কেন থার্ড টেকটা প্রথম দুটোর থেকে ভালো। তখন আমাকে বললেন যে,
তারপর থেকে আমিও এই ব্যাপারে বেশ সচেতন হয়ে গেলাম। মানে ধর কোন একটা অভিনয় খুব ভালো লাগলো, কারণটা বোঝার চেষ্টা করতাম। দেখবি অনেক সময় কোন অভিনয় দেখেই আমাদের মনে হয় -'উফফ, ফাটিয়ে দিল'। কেন যে ফাটিয়ে দিল, সেটা আবিষ্কার করার চেষ্টা করতাম, পরে নিজের পরিচালনার ক্ষেত্রেও সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।
সুমন- একদম, একদম। আসলে সেটা আমার একটু গণ্ডগোলই আছে। আমি এখনো যখন কোন স্ক্রিপ্ট লিখি, কোন অভিনেতাকে ভেবে নিয়েই লিখি। তাহলে আমার একটু সুবিধে হয়। আসলে স্ক্রিপ্টের ও একটা তো ভিস্যুয়াল ইমেজিং এর ব্যাপার আছে, তখন একটা মুখ থাকলে সুবিধে হয়। যেমন এই চরিত্রটা সৌমিত্র, এটা অরুণ মুখোপাধ্যায় - এরকম ভেবেই আমি স্ক্রিপ্ট লিখি। লাকিলি এখনো পর্যন্ত আমি যাঁদের ভেবে লিখেছি, তাঁদেরই পেয়ে গেছি।
অরিন্দম- কিন্তু এখনকার কথা আলাদা। কিন্তু একেবারে শুরুতে, যখন সৌমিত্রর কথা ভাবছিলি, সেটা কি একটু রিস্কি হয়ে যেত না? ধর যদি রাজি না হতেন?
সুমন- সেটা ঠিক। আসলে পদক্ষেপ এর স্ক্রিপ্ট লিখি ২০০৪এ, সিনেমাটা করি ২০০৫এ। এই চার বছরে যখনই কলকাতা গেছি, ওঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছি। একটা রিলেসনসিপ ডেভেলপ করেছে। ততদিনে আমি অমর্ত্য সেনের ওপর ডকুমেন্টারি টা বানিয়েছি, ২০০২ তে। উনি অনেক জানতে চাইলেন অমর্ত্য সেনের ব্যাপারে। তবে স্ক্রিপ্টটা না পড়া অবধি আমি জানতাম না উনি রাজি হবেন।
সুমন- হ্যাঁ। আমি তখন আমেরিকা থেকে স্ক্রিপ্টটা পাঠিয়েছিলাম, মেল করে। তখন ইমেল এত প্রচলিত ছিল না, আমি হার্ড কপি নিয়ে একেবারে সাধারণ মেলেই পাঠিয়েছিলাম। তারপরে ফোনে কথা হল। উনি জানালেন যে ওঁর মাইনর কিছু সাজেসন আছে, কিন্তু ওঁর ওভার অল খুব ভালো লেগেছে। বেশ অনেস্ট স্ক্রিপ্ট। বললেন, 'তুমি কলকাতায় এসো, কথা হবে।' তারপরে কলকাতায় এসে তো কথা হল, সিনেমাও হল।
অরিন্দম- আচ্ছা, যখন এটার জন্য উনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পেলেন, তোর কীরকম রিএকসন ছিল? এটা তো সেবার বেস্ট বেঙ্গলি ফিল্মের জন্যও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। আর সৌমিত্রর তো এটা প্রথম জাতীয় পুরস্কার।
| web |
e1f5dcef6d6d8cbedb69253b27fca88d332467b1 | মা কে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিায়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা কায়লান মাহোমস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোষ্ট করেছিলেন। আর ছবির ক্যাপশন হিসেবে লিখেছিলেন, আমি, আমার যমজ বোন কায়লা ও মা। ছবিটি প্রকাশের পরপরই আলোচনার ঝড় ওঠে এবং সবারই এক প্রশ্ন মা কে?
২৮ জানুয়ারি স্কুল থেকে ফেরার পথে গাড়িতে বসে সেলফি তুলেছিলেন কায়লান মাহোমস । মজা করে সেই ছবিটি পোস্ট করে দেন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে। নিচে ক্যাপশন লিখে দেন যমজ বোন কায়ালাসহ আমি। ছবিতে তিন নারীরই বয়স বোঝাটা মুশকিল। এদের মধ্যে বাম ও ডান সিটে বসা দুজনের চুল একই ভঙ্গিতে বিন্যাস করা। পেছনের জনেরটা একটু ভিন্নরকম। ছবিটি পোস্ট করার পর ইতিমধ্যে ২০ হাজার বার রিটুইট হয়েছে। অনেকে কায়লানের কাছে তার মাকে চিহ্নিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। অনেকে তিনজনকে সহোদর বোন বলে মন্তব্য করেছেন। শেষ পর্যন্ত কায়লান অবশ্য জানিয়েছেন বা দিকে কোট পরিহিত নারীটিই তার মা।
| web |
aba0fce6af4a8cca1ebb512136943edf2ef01462 | ভারতের ওডিশার রাজ্যের বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী হলেন দুই বাংলাদেশি। তারা কলকাতার শালিমার স্ট্শেন খেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। একজন বাংলাদেশে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাঁদরতনপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক মো. আকতারুজ্জান ও তার স্ত্রী নুরজামান বেগম। তারা ভেলরে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন।
আকতারুজ্জামান মোবাইল ফোনে বলেন, ১ জুন তারা বাড়ি থেকে রওনা দেন। আর শুক্রবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে শালিমার স্টেশন থেকে তাদের করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যাত্রা শুরু হয়। তাদের গন্তব্য ছিল তামিলনাড়ুর রাজ্যের ভেলরে। দ্রুতগতির ট্রেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বলেশ্বরের বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় পৌঁছালে বিকট শব্দ ও ঝাঁকুনি অনুভব করেন। চারিদিকে মানুষের আর্তচিৎকার। তারাও আতংকিত হয়ে পড়েন। তারা পিছনের দিকে এসি কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। এরপর ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। সামনের দিকে এগুতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। ততক্ষণে বুঝতে পারেন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আখতারুজ্জামান জানান, এর মধ্যে উদ্ধার কর্মীরা এসে গেছেন। অ্যাম্বুলেন্স আসা যাওয়ার সাইরেনের শব্দ। কি করবেন বুঝতে পারছেন না। তখন তাদের পাশে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাত ১টার দিকে বাসে তুলে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ভুবনেশ্বর স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর তাদের শনিবার চেন্নাইগামী বনশ্রী এক্সপ্রেস টেনে তুলে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ঐ ট্রেনে আরও দুই বাংলাদেশি দম্পতি আছে। তাদের একজনের বাড়ি যশোরে ও অপর জনের ঢাকায়। তারাও ভেলরে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। ট্রেনে আরও বাংলাদেশি যাত্রী ভেলরে চিকিৎসার যাচ্ছিল বলে জানান তিনি। রাত ৮টার সময় বলেন, এখনো ট্রেনে আছেন। রোববার সকালে চেন্নাই পৌঁছাবেন। দুর্ঘটনার যে ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছেন তা বাকি জীবনে কখনো ভুলবেন না তিনি।
আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর তারা অন্ধকারের মধ্যে ছিলেন। কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। বাসে ওঠা পর্যন্ত সময়টুকু তাদের আতঙ্কে কেটেছে।
আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী নূরজাহান বলেন, তারা যে কামরায় ছিলেন সেখানে দুজন বাংলাদেশি ছিল। তবে অন্য কামরাগুলোয় আরও অনেক বাংলাদেশি ছিল। পরের ট্রেনে তাদের তুলে দেওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন অনেক বাংলাদেশি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে ছিল।
এদিকে এ ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে ঢাকার মিরপুরে বসবাসকারী ব্যবসায়ী সাজ্জাদ ভারতের একটি দৈনিককে জানান, বহু মানুষকে চোখের সামনে মরে যেতে দেখেছি। সে কী সাংঘাতিক দৃশ্য! আমার স্ত্রীর মেরুদণ্ডে একটু চোট লেগেছে, আমার লেগেছে হাতে। কিন্তু যা দেখলাম, তার সঙ্গে আমাদের আঘাত একেবারেই তুলনা করার মতো কিছু নয়।
| web |
ca7e065efb683aab3a857f1c27967aa702477d38 | মুম্বইয়ের লোখান্ডওয়ালায় ফিল্মের সেটে ভয়াবহ আগুন। 'লভ রঞ্জন' সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন সেটে আগুন। ফিল্মে অভিনয় করছেন রণবীর কপূর ও শ্রদ্ধা কপূর। আগামী সপ্তাহে এই সেটেই শ্যুটিং করার কথা রণবীর-শ্রদ্ধার।
Birbhum News: সকন্যা তিহাড়ে অনুব্রত, খাঁ খাঁ করছে বাড়ি-কার্যালয়, বীরভূমে বৈতরণী পার হবে তৃণমূলের!
| web |
f16cfaf10b44af8a8aef21f83ce97e9e4f96f095 | পাল্টে গেল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজের সূচি। কিউইদের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এক সপ্তাহ।
১৩ মার্চ থেকে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির সিরিজ। পিছিয়ে সেটি ২০ মার্চ থেকে মাঠে গড়াবে, ডানেডিনে হবে প্রথম ওয়ানডে।
পিছিয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি হিসেবে সফরকারী দলকে পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে দেয়ার সুযোগের কথা বলেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
নতুন সূচি অনুযায়ী ডানেডিনে ২০ মার্চ প্রথম, ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ও ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে হবে শেষ ওয়ানডে।
২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল টি-টুয়েন্টি সিরিজ। পরিবর্তিত সূচিতে ২৮ মার্চে হবে ছোট ফরম্যাটের প্রথম ম্যাচটি, হ্যামিল্টনে। নেপিয়ারে ৩০ মার্চ দ্বিতীয় ও অকল্যান্ডে ১ এপ্রিল হবে সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টি।
২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার মাঝে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। তারপর এটাই হবে টাইগারদের প্রথম নিউজিল্যান্ড সফর। দুবছর আগে অল্পের জন্য বন্দুকধারীর হামলা থেকে বেঁচে যান তামিম-মুশফিকরা।
করোনা মোকাবেলায় নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সফল দেশগুলোর একটি। হঠাৎ করেই দেশটিতে বেড়ে গেছে কোভিড সংক্রমণের হার। ৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে নতুন ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মিলেছে। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে দেশটির নারী দলের অস্ট্রেলিয়া সফরও।
| web |
aa9733e991f9ba1929699c33354a8513ad72c89b630e67655716193df0d6b740 | হেমৎ সিং ভুঁইয়ার পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। তাতে তরফেরই অমংগল
ডেকে আনে।
মুখে অবশ্য তারা কিছুই বলেনি। রাজাকে তারা ভালবাসে। রাজা যে তাদের প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন।
স্কন্ধচ্যুত কুকুরের দেহগুলে। অতিক্রম করে রাজা পূজারীর সামনে গিয়ে বলেছিলেন - অনর্থক এত রক্তপাত কেন ?
- অনর্থক ? এই তো সার্থক। ফুল দিয়ে পূজো হয় গংগার পলিমাটিতে, জংগল মহলের পাথুরে মাটির ওপর নয়। এখানে ফুল রাখার সংগে সংগেই উত্তাপে কুঁকড়ে শুকিয়ে যাবে। তাই রক্তের প্রয়োজন।
রাজার চোখ দুটো নিমেষের তরে জ্বলে উঠেছিল। এমন উদ্ধৃত জবাব তিনি প্রত্যাশা করেননি। তিনি জানতেন না যে মারাংবুরুর পূজারী মংগল হেম্বরম্ বহুদিন থেকেই চটে আছেন তাঁর ওপর, আর তাঁর কুলদেবতা কালাচাদ জিউর ওপর।
- তবু আমি বলছি এই রক্তপাত যাতে কম হয় সেদিকে লক্ষ্য
দর্ভব নয়। মারাংবুরু স্বপ্নে কাকে কি আদেশ দেন, আমি ত। কি করে জানব? রক্তের তৃষ্ণা যদি জাগে তাঁর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তা ঠেকাতে পারবে না।
-তাহ'লে আমাকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে।
- আপনি ? বন্ধ করবেন ?
ঠিক সেই সময় বিকট শব্দে একটা কুকুর ডেকে ওঠে মারাংবুরুর গুহার ভেতর থেকে।
- শুনলেন ? ও চেষ্টা করবেন না। সর্বনাশ হবে আপনার। মংগল হেম্বরম্ হো হো করে হেসে ওঠে! রাজার হুকুম যেন ছেলেমানুষের
- হোক্ । বলি বন্ধ করতেই হবে।
চেষ্টা করুন। হেম্বরমের কথায় বিদ্রূপের খোঁচ।।
রাজা খাঁড়ি পাহাড়িতে ওঠেন। সর্দারদের ঝুঁহু, ধুবুর করছিল। সাংঘাতিক লোক এই মংগল হেম্বরম্। রাজা তাঁকে এমনভাবে হাঁ বললেই
ভাল করতেন। অনেক দিকু এই অনেক দিকু এই পূজারীকেই সাক্ষাৎ মারাংবুরু বলে ভাবে। বলির সংগে সংগে যেভাবে তিনি কুকুরের রক্ত পান করেন তাতে না ভেবে উপায়ও নেই। আগুনে সেদ্ধ করে কুকুরের মাংস সবাই খায়। কিন্তু কাঁচা মাংস চামড়া সমেত কামড়ে ধরার কথা ভাবা যায় না। পূজারী আর এই দেবতার পক্ষেই তা সম্ভব ।
এই সব অমংগল চিন্তায় সর্দারদের বুক যখন কাঁপছিল, ঠিক তখনি ঘটল দুর্ঘটনা। পাহাড়ে ওঠার পথে একটা বড় পাথর গড়িয়ে পড়ল রাজার মাথার ওপর। মুখ থুবড়ে পড়ে যান তিনি। ধরাধরি করে তাঁকে কিতাগড়ে নিয়ে এল সর্দাররা। সেই থেকে তিনি অজ্ঞান।
রাজু পাওলিয়া শেষ জবাব দিয়ে গেলেন - অহই বাঞ্চাওলেনা - রাজা বাঁচবেন না।
রাণী ভূলুণ্ঠিত - অচৈতন্য। শয্যার ওপর রাজা শায়িত।
সারিমুমু ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় ঘরের ভেতরে। পেছনে যায় ঝুকিঙ্কু, ডুইঃ টুডু আর বাঘরায় সোরেণ। এ-সময়ে লজ্জা সরমের কথা ভাবতে গেলে চলে না। রাণীর মর্যাদার অবমাননা তারা করছে না। শেষ সময়ে রাজার পাশে দাঁড়াতেই হবে তরফের সর্দারদের। সেটাই নিয়ম।
হেমৎ সিং-এর শিয়রের কাছে এসে দাঁড়ায় তারা। প্রদীপ নিভু নিতু। তবু যদি শেষ মুহূর্তে একবার দপ করে জ্বলে ওঠে। অন্তিম বাসন। যদি কিছু থেকে থাকে রাজার।
ত্রিভন কোথায় ? 'যুবরাজ ত্রিভন সিং ? এতক্ষণে সর্দারদের মনে পড়ে যায় তার কথা। এই সময়েও কি সে বসে রয়েছে কোন শালবনের নীচে অথবা নির্জন কোন ঝরণার ধারে ! এখনো কি সে তন্ময় হয়ে বাঁশী বাজিয়ে চলেছে ? বাবার এ-অবস্থা দেখেও কেমন করে অনুপস্থিত থাকতে পারে সে, ভেবে পায় ন। কেউ। বিতৃষ্ণায় ভরে ওঠে অতগুলো মন - সতেরখানি তরফের মাথা। চিন্তায় কপাল কুঁচকে ওঠে তাদের।
অম্ল তিন তরফ সতেরখানিকে এবারে অনেক পেছনে ফেলে যাবে। এগিয়ে যাবে পঞ্চনারী - তিনসওয়া - ধাদকা। বরাহভূমের রাজদরবার
থেকে সতেরখানির রাজার কাছে আসবে না আর মর্যাদার আমন্ত্রণ । বিপদের সময়ে এ-রাজ্যের আর বুঝবেন না বরাহভূমের মহারাজা। পঞ্চ খুঁটের সভার এক খুঁট অনাদৃতই থেকে যাবে। জংগল মহলের ভাগ্যবিধাতা এবার থেকে এক খুঁটকে বাদ দিয়ে চার খুঁট। রাজধানী বাটালুক। গ্রাম এখন থেকে শালবনের অন্ধকারে পচে পচে মরবে। মরবে কিতাগড় - আর প্রজারা। সতেরখানির রাজার হাতে আর শোভা পাবে না তারওয়াড়ী - কাপি - আঃ - ফিরি। বাঁশী-বাঁশী থাকবে রাজার হাতে। কর্মের অভাবে প্রজাদের পেশী যাবে ঢিলে হর্ষে। উদ্দীপনা আর বীরত্বের অভাবে তাদের বুক যাবে ধ্বসে। বহিঃশত্রুর আক্রমণে পাহাড়ে পাহাড়ে আগুণ জ্বলবে - আর রাজা বাঁশী বাজিষে পাখীদের মন ভোলাবেন । চার সর্দার মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে - বাশীওয়ালাকে রাজা করবে না তারা।
প্রদীপ সত্যিই জ্বলে উঠল শেষ বারের মত। ঝুঁকে পড়ে শয্যার ওপর। রাজ। চোখ মেলেন। তিনি।
সারর' এক স'থে কাকে,সন জেন
রাণীর তখনো মূর্ছা ভাঙেনি।
কিছু বলবেন ? ডুইং টুডুর গলার স্বর কেঁপে ওঠে। সে-ই সর্বকনিষ্ঠ সর্দার। বাঘরায় সোরেণ তার চেয়ে সামান্য বড়।
- ত্রিভু। রাজ। অনেক কণ্ঠে উচ্চারণ করেন।
সাররা চুপ ।
- নেই? বাঁশী বাজায় ? রাজার মুখের ওপর অপূর্ব স্নেহের হাসি চকিতে খেলে গিয়ে আবার মিলিয়ে যায়।
- যুবরাজ ছেলেমানুষ রাজা। সর্দাররা সাহস পায় রাজার হাসি
একটু চুপ করে থাকেন রাজা। বোঝা যায় শক্তি সঞ্চয় করছেন তিনি। শেষে বলেন - ওকেই রাজ। করবে ?
- আপনার হুকুম ! সর্দারদের প্রতিজ্ঞা যেন হলে ওঠে এর মধ্যেই।
-না । তোমাদের পছন্দ । রাজার ছেলে হলেই রাজা হওয়া যায় না । যন্ত্রণায় মুখ বিকৃত করে থেমে যান রাজা। চোখ বন্ধ করেন তিনি। প্রদীপ বোধ হয় এবারে নিভবে। সর্দাররা নির্বাক। নিষ্পলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে তারা। রাণীর দেহ তখনও নিশ্চল ।
কালাচাঁদ জিউএর মন্দিরের ঘণ্টা এইমাত্র থামল । সমস্ত বাটালুকা গ্রাম জুড়ে নেমে এসেছে অন্ধকার। শালবনের ছায়ায় সে অন্ধকার আরও গাঢ় - আরও ভয়ংকর। সেই অন্ধকারকে সামান্য আলোকিত করে তুলতে অসংখ্য বাক্জুহু ব্যর্থ প্রয়াসে ঘুরে ঘুরে মরছে। ঘরের ভেতরে বাতি এনে রেখে যায় একজন দাসী। সেই আলোতে চার সর্দারের দীর্ঘ ছায়া পড়ে পেছনের দেয়ালে।
রাজ। আবার চোখ মেলেন। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাঁর। তবু কি যেন বলতে চান।
- আপনি কথা বলবেন না রাজা। কষ্ট হবে। সারিমু বলে। --একট! ত্রিভুকে গড়ে তোলো। ঠকবে না।
--আমরা জানি রাজা। আপনার রক্ত তার শরীরে। তাই হবেতাই হবে। বুধ কিস্তু ব্যস্ত হয়ে বলে।
--সব শরীরেই এক রক্ত বুধ। মানুষের রক্ত।
এবারে চুপ করুন রাজা। বাঘরায় সোরেণ এতক্ষণে মুখ খোলে । সে সভয়ে চেষে দেখে রাজার মাথার একপাশ দিয়ে নতুন রক্ত গড়িয়ে পড়ছে - তাজা টাটকা রক্ত। মারাংবুরুর ঠাঁই-এর দৃশ্য তার মনে পড়ে। এমন রক্ত,সখানে দেখেছিল সে।
সুবর্ণরেখা নদীর তীরে দাহকার্য সমাপ্ত হল। ত্রিভনসিংহ দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে দেখে তারই অতি পরিচিত মানুষটি ধীরে ধীরে কেমন ভস্মীভূত হয়ে যায় । তার একমাত্র বন্ধু আর পৃথিবীতে নেই। তার একাকীত্বের একমাত্র সাথী ছিলেন রাজা হেমৎ সিং। পুত্রের মন একা তিনিই চিনতেন। আর সবাই তার বিরুদ্ধে - পছন্দ করে না কেউ। এমন কি তার নিজের মাকেও ফেলা যায় সে দলে। নিজের ছেলেকে কখনো কাছে ডাকেননি তিনি - কোনদিন দুটো মিষ্টি কথাও বলেন নি তুলে।
শুধু ধর্ম- নরহরি দাস আর কালাচাঁদ জিউ। পৃথিবীর সংগে আর কোন সম্পর্ক নেই তাঁর। শেষের দিকে অবশ্য রাজাকে পছন্দ করতে শুরু করেছিলেন। কারণ রাজাও তাঁরই মত খাঁটি বৈষ্ণব হয়ে উঠেছিলেন। মায়ের কথা ভেবে চোখে জল আসে ত্রিভনের। অন্যের মায়েদেরও তো সে দেখে।
সর্দারদের মনেও স্থান নেই ত্রিভনের। তারা বলে সে নাকি ভূঁইয়া বংশের কলংক। তারা চায় তাদের সংগে ঘুরে ঘুরে সে-ও শিকার করুক, তাঁর ধহুক ছুঁডুক। বনে জংগলে সে ঘোরে, সর্দারদের চেয়ে বেশীই ঘোরে। তবে একা একা। আর তীর ধনুকে সে যে কতখানি সিদ্ধহস্ত সে-খবর রাখতেন শুধু তার বাবা। কিতাডুংরি পাহাড়ে কিতাপাটের মন্দিরের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ। হেমৎসিং-এর কাছে বহুবার সে পরীক্ষা দিয়েছে। প্রতিবারই বিস্মিত হয়েছেন রাজা পুত্রের অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ দেখে। তাই ত্রিভন পাগলের মত বাঁশী নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও তিনি বলতেন না কিছু। হাসতেন।
চিতাভস্ম থেকে রাজার অস্থি সংগ্রহ করে অনুষ্ঠান সতত্কারে রাখা হয় রাজ পরিবারের অস্থিশালায়। বিরাট এক পাথর চাপানো হয় তার ওপর। সতেরখানি তরফের প্রথম রাজা খাঁড়ে পাথর, তৎপুত্র যুঝার সিং তু ইয়া - তাঁরই পাথরের পাশে রাখা হল হেমৎ সিং ভূঁইয়ার অস্থি। ত্রিভন মনে মনে ভাবে, যদি কোনরকম অঘটদ না ঘটে তবে এরপর স্থান পাবে তারই অস্থি।
পিতার সমাধির দিকে চেয়ে তন্ময় হয়ে পড়েছিল ত্রিভন। ঠিক সেইসময় একখানা বলিষ্ঠ হাতের স্পর্শ কাঁধের ওপর অনুভব করে সে। ঘাড় ফিরিয়ে দেখে বৃদ্ধ সর্দার সারিমুমু চেয়ে রয়েছে তার দিকে।
-কি সর্দার ? - জরুরী কথা রয়েছে।
- বলুন ।
- বাইরে আসতে হবে একটু। অন্য সবাই অপেক্ষা করছে সেখানে। তিন সর্দার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। ত্রিভন লক্ষ্য করে, রাজার মৃত্যুতে সবাই তারা শোকাহত। অথচ কিসের চিন্তায় যেন অস্থির।
ডুইঃ টুডু ধীরে ধীরে বলে - সতেরখানি তরফের রাজাকে আমরা হারিয়েছি ত্রিভন সিং। সিংহাসন শূন্য। কিন্তু বেশীদিন তো এভাবে ফেলে রাখা যায় না। সমাজের গোলমাল রয়েছে, বাইরের বিপদও আছে। আমরা, সর্দাররা চাই, একজন যোগ্য ব্যক্তি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিংহাসনে বসে আমাদের নিশ্চিন্ত করুন। রাজার মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। তবু আপনাকে ডাকতে হল শুধু এইজন্যেই।
ডুইঃ খুব সুন্দর ভাবেই কথাগুলো উচ্চারণ করল। অন্যান্য সর্দারর
তারা ভেবে উঠতে পারছিল না, কথাগুলো বলা যায়। ডুইঃ-এর তার আয়ত্তে।
ত্রিভন । শেষে বলে - কি করতে
মনে মনে প্রশংসা না করে পারে না।
আজকের দিনেই কিভাবে ত্রিভনকে গান-বাঁধা সার্থক। কথার যাদু সত্যিই নিজের অজ্ঞাতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে হবে আমাকে?
- পরীক্ষা দিতে হবে আপনাকে। তরফের রাজা হবার উপযুক্ত আপনি।
বলে ।
প্রমাণ করতে হবে যে সতেরখানি সারিমুমু এবারে পরিষ্কার করে
- বেশ। পরীক্ষা নিন। আমি প্রস্তুত।
- অত সহজ নয ত্রিভন সিং। দুমাস সময় দিলাম। আমরাই শিক্ষ' দেব এই দুমাস। তবে ওই বাঁশী ছাড়তে হবে আপনাকে।
ত্রিভনের চোখে মুখে দৃঢ়তার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সে বলে - বাশী আমি ছাড়ব না। যে পরীক্ষা করতে চান আপনারা এখনি করতে
সর্দাররা পরস্পরের মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করে। রাজা হেমৎ সিং-এর শেষ কথা তাদের কানে বাজে। তাঁর অন্তরের বাসনা ছিল, ত্ৰিভনই সিংহাসনে বসুক। সর্দাররাও চায় তাই। রাজাকে তারা ভালবাসত। কিন্তু অবাচীন কিশোরের হঠকারিতাষ সে সুযোগ বুঝি নষ্ট হয় ।
ডুইঃ টুডু সামনে এগিয়ে এসে তর্জনী তুলে বলে - ত্ৰিভনসিং! খেয়ালের বশে এতদিন চলেছেন। আর তা সম্ভব নয় । আমরা যা বলছি, সেই অনুযায়ী কাজ করুন। খাঁড়ে পাথরের বংশের মর্যাদাই রক্ষিত হবে তাতে।
জ্বলে ওঠে ত্রিভন সিং। কঠোর দৃষ্টিতে সর্দারদের দিকে চেয়ে বলে
| pdf |
bfa2aac7eceeb4e46a19fb0ff86bf9137b7ecc95 | কুমারেশ রায়, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ আগস্টঃ
সেপটিক ট্যাঙ্কের সেন্টারিংয়ের কাঠ খুলতে গিয়ে দুই শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল দাসপুরে। ঘটনাটি ঘটে ১৪ আগস্ট শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ দাসপুর থানার রবিদাস পুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সহদেব দাস নামে এক ব্যক্তির সেপটিক ট্যাঙ্কে সেন্টারিংয়ের কাঠ খুলতে নেমেছিলেন মধু দাস এবং কার্তিক সিং নামে দুই শ্রমিক। সেখানে নামার পর বিষাক্ত গ্যাসে তারা অজ্ঞান হয়ে যান।
পাশে কাজ করছিলেন আরও কয়েকজন শ্রমিক। তাদের বাঁচাতে ছুটে আসেন পাপন দিয়াসি এবং বিশ্বম্ভর দাস। সেখানে পাপন এবং বিশ্বম্ভর নামলে তারাও অজ্ঞান হয়ে যান। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এরপর স্থানীয় মানুষজন এবং পাশাপাশি কাজ করা শ্রমিকরা এসে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কের দেওয়াল কেটে চার জনকে উদ্ধার করে। চারজনকে ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মধু দাস(৪৫) এবং কার্তিক সিং(৩৪) কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
| web |
229884593335af06a293e06bc4909127 | RBN Web Desk: সত্যজিৎ রায় পরিচালিত 'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি' তাঁর অন্যতম প্রিয় আন্তর্জাতিক ছবি বলে মনে করেন মার্টিন স্করসেসি। বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসাবে গণ্য স্করসেসি এর আগেও একাধিকবার সত্যজিতের ছবি দেখে তাঁর মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি তাঁর পছন্দের ৪০টি আন্তর্জাতিক ছবির একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন স্করসেসি। সেই তালিকায় স্থান পেয়েছে অরসন ওয়েলেসের 'সিটিজ়েন কেন', জঁ লু গোদারের 'কনটেম্প্ট', জঁ রেনোয়াঁর 'দ্য রিভার', আরি অ্যাস্টারের 'মিডসোমার' ও ভ্যাল লিউটনের 'আইল অফ দ্য ডেড'-এর মতো ছবি।
'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি' সম্পর্কে স্করসেসি বলেছেন যে খুব কম পরিচালকই আছেন যাঁরা তাঁদের ছবিতে ইতিহাসের কোনও সন্ধিক্ষণকে ঠিকমতো তুলে ধরতে পারেন। সেই কাজটাই সত্যজিৎ করে দেখিয়েছন তাঁর এই ছবিতে। 'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি' দেখার সময় তাঁর মনে হচ্ছিল ওই সময়টায় তিনি নিজে উপস্থিত রয়েছেন। ইটস বিগ অ্যান্ড ট্র্যাজিক, বলেছেন স্করসেসি।
মুনশি প্রেমচন্দের কাহিনী অবলম্বনে, ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি'র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সঞ্জীব কুমার, সৈয়দ জাফরি, রিচার্ড অ্যাটেনবরো, আমজাদ খান, শাবানা আজ়মী ও ফারুক শেখ। ১৮৫৭-এর সিপাহী বিদ্রোহের পটভূমিতে নির্মিত হয়েছিল এই ছবি।
| web |
01cbee39109ac087ab18649ac4866db323dda809 | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন চায়ের দোকানের সামনে হঠাৎ গাছ ভেঙ্গে পড়ায় একজন রিকশা চালকের মৃত্যু এবং দুজন যাত্রী আহত হয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন চায়ের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
টিএসসি সংলগ্ন চায়ের দোকানের সামনে দুজন যাত্রী নিয়ে রওনা হচ্ছিলেন একজন রিকশাচালক। যাত্রীদের মধ্যে একজন ছেলে আর একজন মেয়ে। হঠাৎ করেই বিশালাকৃতির একটি গাছ ভেঙ্গে পড়ে রিকশার উপর।মাথায় আঘাত লাগায় তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয় ওই রিকশাচালকের এবং যাত্রীরা আহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
সরেজমিনে দেখা যায়, রিকশাটি গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের উপর গাছ পড়ায় স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পথচারীদের জন্য।ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
গাছটি ভেঙ্গে পড়ার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিয়ের একজন কর্মকর্তা বিবার্তাকে জানান, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা গাছের মধ্যের অংশটা পচন ধরার কারণেই গাছটি বাতাসে ভেঙ্গে পড়েছে।
একজন পথচারী থেকে জানা যায়, ওই রিকশাওয়ালা বৃষ্টির কারণে সেখানে রিকশা থামিয়ে যাত্রীদের জন্য পলিথিন বের করছিল।বাতাসে গাছটি ভেঙ্গে তাদের উপর পড়ে। গুরুতর অবস্থা দেখে লোকজন রিকশাচালককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে মৃত্যু হয় তার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিসার ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, লোকটির বয়স ৩৫-৪০ হবে, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।তার পরিচয় এখনো অজ্ঞাত।
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
| web |
0eff6a072d09e2b8d113f11b60b9b1bdc16039a3 | সদ্য শেষ হওয়া মার্কিন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল হলো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ২৬৪, অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১৪। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রয়োজন হয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। ফলাফল অনুযায়ী বাইডেন যখন জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে, তখনই ভোট গণনা বন্ধ রাখতে একাধিক মামলা ঠুকে দেয় ট্রাম্প শিবির।
মিশিগান অঙ্গরাজ্যে করা তেমনই একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বিচারক সিনথিয়া স্টিভেন্স বলেন, মামলায় ভুল কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। তাছাড়া ভোট গণনা যখন একদম শেষের দিকে, আর হয়তো ঘণ্টাখানেক বাকি, তখনই করা হয়েছে এই মামলা। তাই ট্রাম্প শিবিরের অভিযোগ আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই। মামলাটা তারা আরও আগে করতে পারতেন না।
এর আগে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে এবার। ট্রাম্প বলেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য বিব্রতকর। আমরা নতুন করে ভোট গণনার দাবি জানাই। ' তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প তার দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.
360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.
Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.
| web |
271ca087e6a4f466ef23a8024dcf9246 | ইরাবতী ডেস্ক ॥ প্রকাশকালঃ 25 ফেব্রুয়ারী 2020 (25 ফেব্রুয়ারী 2020)
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও গল্পকার ঋত্বিক ঘটক। ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার জন্ম ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর, বাংলাদেশের রাজশাহী শহরের মিয়াপাড়ায়। ইরাবতীর পাঠকদের জন্য তাঁর 'এজাহার' গল্পটি পুনর্মুদ্রণ করা হলো।
হ্যাঁ, আমিই করেছি এ কাজ। আমি ভবেশরঞ্জন বাগচী, পিতা গোপেশরঞ্জন বাগচী, নিবাস রামপুর বোয়ালিয়া; সজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে; এবং সমস্ত ফলাফল বুঝে স্বীকারোক্তি দিচ্ছি। নিজের থেকেই বলছি আমি; কারো চাপে পড়ে নয়, আমিই দোষী। আচ্ছা, দারোগাবাবু, ভালো করিনি আমি?-ও ছাড়া যে উপায় ছিল না।
জয়া ভয় পেত। মরতে ওর ভয় ছিল।
তাই আমায় এ পথ বেছে নিতে হলো।
আচ্ছা, তুমি বল। আমার কষ্ট হবে না?
একসঙ্গে দুজনে মানুষ হয়েছি, ও মোটে বছর দুই-এর ছোটো আমার থেকে। ছোটোকাল থেকে ওকে দেখে আসছি, বড় ভালোবাসতাম জয়াকে। ওর দুঃখ দেখলে কষ্ট আমার হবেই।
দুঃখ কীসের?-বাঙালি মেয়ের দুঃখের কারণ কী হতে পারে মনে কর? -স্বামী।
জয়ার বিয়ে দিতে কিছু দেরি হয়েছিল। বয়স আঠারো পার হয়ে যাবার পর ওর বিয়ে হয়। রূপ ওর ছিল, তাই অর্থবান পাত্র জুটে যায়। পাত্রের বয়স কিছু বেশি, চল্লিশের ওপরে। তা ছাড়া দোজবরে। পয়সার অভাবে এ পাতই সকলের কাছে ভগবানের দান বলে মনে হয়েছিল।
শুধু আমি মেডিকেল কলেজ থেকে বেরিয়ে বাড়ি এসে একথা শুনে আপত্তি করি। সে আপত্তিতে কোনো ফল হয়নি। রাগটা আমার চিরকালই বেশি। একটু রাগলে কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান থাকে না। সোজা বাড়ি থেকে বের হয়ে পশ্চিমে চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলাম।
কয়দিন আগে মার পত্র পেলাম বাবার অসুখটা বেড়েছে। অসুখ বরাবরই ছিল, গ্রীষ্মকালে বাড়ত। তবে শুনলাম এবার নাকি একটা বাড়াবাড়ি। বাড়ি এলাম। ও-রোগের কোনো ওষুধ নেই, কাজেই চুপচাপ বসে থাকা। হঠাৎ ইচ্ছে করল জয়াকে দেখতে যাব। অনেকদিন দেখিনি।
ছোট্ট জায়গাটি। মেল থামে না। প্যাসেঞ্জার। চব্বিশ ঘণ্টায় আসার একটি ও যাবার একটি। নামলাম যখন তখন বিকেল। বড় ভালো লাগল আমার, চমৎকার জায়গা।
জায়গা চমৎকার হলেও চৌধুরী মশাইকে ঠিক তেমন ঠেকল না আমার। বিরাট সেকেলে ভাঙা চক-মেলানো বাড়ির সামনের ঘরে নথিপত্র সামনে করে ভদ্রলোক বসেছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল একটা কচ্ছপ। মোটা ঘাড়ে-গর্দানে ঠাসা, বিরাট কালো চেহারা, ছয় ফুট লম্বা হবে, অথচ পা দুটো কেমন সরু সরু, ভারি বিসদৃশ লাগে। ঘাম পড়ছে কপাল বেয়ে। যেন আলকাতরা চুইয়ে পড়ছে।-চেহারা দেখলে লোকটা যে শিক্ষিত, তা মনেই হয় না। কথাবার্তা বেজায় রুক্ষ, চাষিদের চক্রবৃদ্ধি হারে ধার দিয়ে তেজারতি ব্যবসা করলে বোধ হয় অমনই হয়।
ওরই মধ্যে যতটা সম্ভব বন্ধুভাবের পরিচয় দিয়ে ভদ্রলোক উঠে আমায় ভেতরে নিয়ে যান আলো আঁধারির ছক কাটা লম্বা বারান্দা দিয়ে। কদর্য কথাটা তখনই সন্দেহ করেছিলাম। সঙ্গে যেতে যেতে অপাঙ্গে লোকটার লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিচ্ছিলাম। উনি বাঁ-পাটাকে মাটির ওপর দিয়ে টেনে টেনে চলছিলেন, একটা পা বিকৃত।
নানা রকম কথা বলছিলেন ভদ্রলোক।
বসেছিলাম কিছুক্ষণ। সামনে ভেতর বাড়ির উঠোনটা দেখা যাচ্ছে, এ পাশে নারকেল দড়িতে কতগুলি কাপড় ঝুলছে ঘরের একপাশে কতকগুলো বোতল পড়ে, মদ।-অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম।
হঠাৎ শুনলাম কাংস্যকণ্ঠে কে কাকে বলছে-'মাগির বড় বাড় বেড়েছে। বলি, কতক্ষণ লাগে এ কটা বাসন মাজতে? ঘাটের ধারে সে ঘোষেদের ছোঁড়াটা এসেছিল বুঝি"
অস্ফুট স্বরে কে যেন কী উত্তর দিল। আবার ঝংকার ওঠে।-"থাক, আর আদিখ্যেতা দেখাতে হবে না। তা আর হবে না?-ওই বাপের মেয়ে তো!- ছোটোলোক, ছোটোলোক নজর কোনোদিন তো আর উঁচু হলো না।-বলি পয়সা নেই তো বামুন হয়ে চাঁদে হাত কেন?-আমার ঢং কতরকম। পড়াশুনা। বড় পণ্ডিত, শাস্তর পড়ে মোক্ষলাভ করবেন। ঝাঁটা মার।" হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। কথ্যমানেরা আমার দৃষ্টিরেখার মধ্যে এসে পড়ে। পুরোনো সেই কাহিনী। আমাদের ভাষায় যাকে খোঁটা দেয়া বলে।
জয়া। একগাদি বাসন হাতে ছেঁড়া কাপড় পরে জয়া ঘামছে, আর কোমরে হাত দিয়ে মামুলি সেই কোঁদলের ভঙ্গিতে এক প্রৌঢ়া অপরূপ ভাষা ব্যবহার করে যাচ্ছেন। ফুলের মতো মেয়েটার গা দিয়ে খড়ি উঠতে আরম্ভ করেছে, চুল রুক্ষ, চোখ গর্তে, গায়ের রং কেমন রোগগ্রস্ত হলদে। রক্ত কমতে শুরু করেছে।
জয়া। আমার ছোটোবেলা থেকে কত সুখস্মৃতি জড়িয়ে আছে মেয়েটার সঙ্গে। মায়ের একটা অংশ যেন জড়িয়ে ছিল মেয়েটার সর্বাঙ্গে। দোজবরে চৌধুরীমশাই রূপ দেখে বিয়ে করেছিলেন তাকে। সাক্ষাৎ কল্যাণী লক্ষী যে ও। ওর স্পর্শে একটা সংসার যে শান্তিতে ভরে উঠত। সে-খোঁজ নেননি তিনি দেখছি।
জয়া। হাসি পেল আমার।-অজান্তেই বারান্দায় চলে এসেছিলাম।
জয়া আমাকে দেখ অবাক হয়ে যায়।-"তুমি। চলো, ঘরে চলো।"
প্রৌঢ়ার বোধহয় লজ্জা হয়েছিল। সর্বাঙ্গ খালি রেখে এক হাত ঘোমটা টেনে ফিসফিস করে আমার পরিচয় নেন, তারপর তাড়াতাড়ি চলে যান। আমি ঘরে আসি। বাসনগুলো রেখে আসে জয়া।-শুনলাম, চৌধুরীমশাই-এর পিসি উনি। বাড়িতে এই তিনটি প্রাণী। এত বড় বাড়িটার জায়গায় জায়গায় বট-অশ্বত্থ-ওঠা ভাঙা দালানের মধ্যে নিঃসঙ্গ জয়া ঘুরে বেড়ায়, গৃহকর্ম করে, পিসিমা মালা জপেন আর অকথ্য ভাষায় জয়াকে গাল দেন এবং চৌধুরীমশাই তেজারতির টাকা গোনেন বসে বসে।
জয়া আমাকে দেখে একেবারে আনন্দে উচ্ছল হয়ে ওঠে। দু-হাতে উলটোপিঠ দিয়ে ঘর্মাক্ত কপালের চূর্ণকুন্তল সরিয়ে দেয়। বলে-'কখন এলে তুমি? বাবা কেমন আছেন? খুকুর অসুখ লিখেছিলেন যে, কেমন আছেন সে?" আমাকে মুখের ওপর চোখ বোলায় ও।-"কী রোগাই হয়ে গেছ! খালি অনিয়ম আর অত্যাচার, শরীর টিকবে কেমন করে! একটু শাসনের অভাব হয়েছে। আর যা ইচ্ছে তাই আরম্ভ করেছ। এই কয় মাসেই যেমন হয়ে পড়েছ তুমি, আর কিছুদিনে অসুখে পড়ে যাবে যে!"
বলি না আর, আমার থেকেও রোগা আর অসুস্থ দেখাচ্ছে কাকে। তিলে তিলে মৃত্যু একেবারে অবধারিত।
বাপের বাড়ির খবর নেবার জন্য জয়া উদ্গ্রীব। ফুঁ দিয়ে বারান্দার কোণের কাঠের উনুনে চায়ের জল করতে করতে খোঁজ নিতে থাকে সঙ্গীসাথির। একটা মোড়ায় বসে যতদূর জানি বলে যাই। জয়ার কথাবার্তা এখনও তেমনি আছে। সেই ঘাড় একটু হেলিয়ে কথা বলা। কী সুঠাম ঘাড়, ঠিক হাতির দাঁতের তৈরি মনে হয়।
চৌধুরীমশাই ভেতরে এসে চা খেতে খেতে পলিটিক্স আলোচনা করেন। তাঁকে আবার এখনই রওনা হতে হবে সেই দূর গাঁয়ে। আমি আসাতে ভালোই হয়েছে। ওরা একা থাকত। অবশ্য তাঁকে এরকম দূরে প্রায়ই যেতে হয় এক-আধদিনের জন্য। জয়াদের একা থাকা অভ্যাস আছে। তিনি ক্যাম্বিসের ব্যাগ হাতে বিদেয় নেন।
জয়াকে তারপর থেকে ধীরে ধীরে প্রশ্ন করতে থাকি অনেক কথা জানবার আছে আমার।
চৌধুরীমশাই মদ খান। প্রচুর খান মাঝে মাঝে। পিসিমা ও ধরনের কথা বলে থাকেন প্রায়ই। আমি যা শুনছি তা তো কিছুই নয়, ওর থেকে অনেক বেশি ওকে বলে থাকেন। বাপের দৈন্য নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রƒপ তাঁর প্রতিপদে।-মেয়েটাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক কিছু এই কয় মাসে।-হঠাৎ আমার মুখের দিকে চেয়ে সে স্তব্ধ হয়ে গেল।-আমার মুখটা বোধ হয় শক্ত হয়ে উঠছিল ক্রমে।
অন্য কথা পাড়ে ও। বাড়ির কথা, আমার চাকরির কথা।-সন্ধ্যা হয়ে আসছিল।... জয়া রান্না করতে যায়। আমি একা বসে থাকি। কী পৈশাচিক ব্যাপার! এত মিষ্টি মেয়েকে কেউ লাঞ্ছনা-গঞ্জনা দিতে পারে এ আমার ধারণার অতীত ছিল। মাথাটা ভীষণ গরম হয়ে যায়, উঠে পায়চারি করতে থাকি।
জয়ার বিয়ের সময়কার একটা কথা আমার মনে পড়ল। কথাটা ভীষণ এবং এ বিয়েতে আমার আপত্তির প্রধান কারণ একটা।
চৌধুরীমশাইয়ের প্রথমা স্ত্রী আত্মহত্যা করেছিলেন। কেন করেছিলেন এখন বুঝতে পারি। শুনেছিলাম, তিনি উন্মাদ হয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।
কিন্তু এ যে কিছুই নয়, এর থেকে জঘন্য আরও আছে, তা তো জানতাম না। খানিক পায়চারি করার পর ভেতরে গিয়েছিলাম, যেখানে জয়া বসে আছে। পিসিমাকে দেখলাম না, কোথায় কে জানে! খালি পায়ে ছিলাম, আমার আসা সে টের পায়নি। আমার দিকে পেছন ফিরে সে রান্না করছিল।-আমি আর একটা প্রশ্ন করতে এসেছিলাম। কথাটা আগে মনে ছিল না। চৌধুরীমশাইয়ের এক পা টেনে টেনে হাঁটার কথা মনে পড়ছিল।
নোনাধরা ঝুলে বোঝাই রান্নাঘরের দেওয়াল। কুপিটার শিখা কাঁপছিল বারে বারে, তার সঙ্গে দেওয়ালে কাঁপছিল জয়ার ছায়া। তার অঙ্গাবরণীর পিঠের কাছের ফাঁক দিয়ে ওর অনাবৃত দেহের অংশ বের হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছিল একটা কালো বিশ্রী মারের খানিকটা।
প্রশ্ন করলাম, ওটা কী জয়া?
চমকে উঠে সে আমার দিকে তাকাল। ওর দৃষ্টি- এ তো জয়া নয়! এ যে-এক মুহূর্তের জন্য জয়ার সেই চোখ দুটো দেখেছিলাম। তারপরই স্বাভাবিকভাবে সে বলল-"ওঃ, হঠাৎ চমকে গিয়েছিলাম।-ও কিছু না।"
পীড়াপীড়ির ফলে বেরিয়ে এল কথাটা। চৌধুরীমশাই রাতে মাতাল হয়ে ওকে প্রায়ই মারেন। জুতো দিয়ে।
উঃ, মাথাটা কীরকম দপ দপ করছে। কেমন অন্ধকার হয়ে আসছে চারদিক। জয়া উঠে দাঁড়িয়ে শ্লথ বসন সামলে নেয়।
আগে ওদিকে নজর ছিল না বলেই হোক, কী এখন কুপিটার শিখা অমন কোনাচে করে পড়েছে বলেই হোক, এতক্ষণে স্পষ্ট বুঝলাম কথাটা। রাগে দৃষ্টিশক্তি আমি হারাইনি। পরিষ্কার বুঝতে পারলাম। এক ঝলক বুঝলাম তখন, জয়া সন্তানসম্ভাবা।
আমি যে-প্রশ্ন করতে এসেছিলাম, তা করা হলো না আর। জয়ার কাছে জিজ্ঞাসা না করেই বুঝেছিলাম।-সে কলুষিত, অপবিত্র হয়ে গেছে।
হ্যাঁ, কী বলছিলাম? -ও, -তারপর শুনলাম জয়া বলছে-"আমার পথ আমি খুঁজে পেয়েছি। বাবার কাছে শিক্ষা আমার, মন কেমন করে সংযত শান্ত করতে হয় জানি আমি। গীতা, বেদসার, উপনিষদের তর্জমা বিয়ের সময় বাবা দিয়েছিলেন, নীরবে সব অপমান আমি বহন করতে পারব। করছিলামও, কেবল তোমাকে দেখে কেমন চঞ্চল হয়ে উঠেছিলাম। আমার ধৈর্যের স্খলন হয়েছিল। ও কিছু নয়, সাময়িক ব্যাপার মাত্র-"
নিচু, আগ্রহান্বিত গলায় খুব তাড়াতাড়ি কথাটা বলি। এখনো হয়তো সময় আছে।-"আমার সঙ্গে চল জয়া। চলে যাই আমার ওখানে।"
"তা হয় না"-কম্পিত গলায় উত্তর দেয় জয়া-'তা হয় না। হলে খুবই ভালো হতো। বেঁচে যেতাম আমি। না, হাজার হলেও শ্বশুরের ভিটে-"
"ইচ্ছে করছে চৌধুরীমশাইকে মেরে ফেলি-"
"ওকথা বলে না। আমাকে বিধবা দেখতে চাও?"
আস্তে আস্তে চিন্তান্বিত হয়ে উঠি। রাগের আগুন মাথায় নেই আর।
পশুটার কথা কেবল ভাবছিলাম আমি। ও কী করবে তবে?
"তবে তো তোমার এক আত্মহত্যা ছাড়া পথ দেখছি না।"
জয়া কেমন ছিটকে সরে গিয়েছিল। বড় বড় চোখ মেলে আমায় দেখছিল স্থিরভাবে।
"আত্মহত্যা মহাপাপ।"
আমি হাসলাম।-"কেন?"
"কখন কোন দরকারে আসবে তুমি তাঁর তা তো জান না তুমি!"
"কার?"-অসম্ভব হাসি পাচ্ছে আমার।
"বাবার কাছেই তোমারও শিক্ষা, সে-শিক্ষা একেবারেই তুমি গ্রহণ করনি।"
সত্যিই। সে-শিক্ষা মোটেই গ্রহণ করিনি। একেবারেই না। খুব ধীরে বলি-"আর এক পথ আছে-"
কাছে সরে আসি জয়ার। ও আমার উদ্দেশ্য বুঝতে পারেনি। ওর গলাটা বড় নরম। এত শোকে তাপেও মর্মর পাথরের মতো সুগঠিত, ঠাণ্ডা। বেশি জোর দিতে হয়নি, ওর গলায় আমার লম্বা আঙুল বসে গিয়েছিল।
ও চেয়ে ছিল বিস্ফোরিত চোখে আমার দিকে, হাত দিয়ে সজোরে আমার হাত টিপে ধরেছিল... এই দেখো নখের ক্ষত এখনও যায়নি।
এক গেলাস জল খাওয়াবে দারোগাবাবু?
হ্যাঁ। জয়া মরে গেল। আমার কোন অনুভূতি ছিল না। ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম ওর অসাড় দেহটা কোলে করে। পিসিমা কোথায় ছিল? - জানি না।
জয়াকে মেরে ফেলা আমার উচিত হয়েছিল কি না বলতে পারি না। তবে ওকে সুখ ও সম্মানদায়কভাবে মুক্তি দেবার ওই একমাত্র উপায় বলে আমার মনে হয়েছিল।
হঠাৎ বাঁচবার ইচ্ছে প্রবল হলো। তাই বেরিয়ে এলাম।-পেছনে ফিরে তাকালাম ওই বাড়িটার দিকে। সে তার আবছা আলো-আঁধারি নিয়ে, তার লম্বা, টানা বারান্দা আর স্তূপীকৃত দালান নিয়ে কেমন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হলো অকস্মাৎ। যেন পরিত্যক্ত গোরস্থান। জয়াকে কোলে করে চলে গিয়েছিলাম রেললাইনের ধারে। একটা গাড়ি আসবেই কোনো-না কোনো সময়ে।
কোনোদিন রাতে একা অচেনা রেললাইনের ধারে অতি প্রিয়জনের মৃতদেহ কোলে করে বসে থেকেছ, দারোগাবাবু? আমি থেকেছি। আমার কাছ থেকে শোনো।
জয়ার চোখ দুটো বন্ধ করে দিয়েছিলাম আমি। সত্যি বলছি, শেষ মুহূর্তটাতে ওর ভীত, অবাক দৃষ্টি চলে গিয়ে কেমন শান্ত হয়ে এসেছিল তারা, জিভ ওর বেরোয়নি। অমন সুন্দর গলাটা খালি ফুলে গিয়েছিল।-তা হোক, এমন পবিত্র, তৃপ্ত লাগছিল ওকে দেখতে। ওর মাথায় অনেকক্ষণ ধরে হাত বুলিয়ে দিলাম আমি। রুক্ষ চুলগুলো, হতাদরে, অনাদরে তেল পড়েনি কতকাল। সীমন্তের সিঁদুর মুছে দিলাম। ওটা মানায় না ওকে। এখন বেশ লাগছে! জয়া কুমারী জয়া। কল্যাণী, মঙ্গলময়ী। যতক্ষণ বসেছিলাম, তার মধ্যে নানাকথা একটার পর একটা মনে পড়তে লাগল। কতদিনের কত বিস্মৃত ঘটনা মনে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল। ওপরে প্রেমময় আকাশ তার অজস্র তারার দল নিয়ে ভালোবাসার চাউনি দিয়ে ছেয়ে রইল বিশ্বচরাচর। জয়ার মাথা কোলে করে আমি বসে রইলাম। কতক্ষণ যে কেটে গেল, নিখিল-দৃষ্টি-পরিব্যাপ্ত শান্তি ভঙ্গ করল না কেউ।
লাইনগুলো যখন থরথর কাঁপছিল, তখন শেষবারের মতো ওকে স্পর্শ করে বাবলা গাছটার পেছনে এসে দাঁড়ালাম।
দারোগাবাবু, ট্রেনটা চলে যাবার পর বুকের ভেতরটা খালি হয়ে গেল। সব ফাঁকা। কোথাও কিছু নেই। জয়ার তিন টুকরো দেহটা চাঁদের আলোয় পড়ে রইল, তাকাইনি সেদিকে আমি।
আচ্ছন্নের মতো স্টেশনে এলাম লাইন ধরে। কতক্ষণ বসেছিলাম জানি না। ওপাশে নতুন চাঁদের তির্যক হয়ে পড়া আলোয় রেল কোম্পানির কোয়ার্টারগুলো দেখা যাচ্ছিল। লোকজন ক্রমে এসে জমল প্ল্যাটফর্মে। উঠে একেবারে কিনারে চলে গেলাম। গন্ধটা কি ওখান থেকে আসছে? ওই যে কোয়ার্টারটা! -নাঃ সব আলো তো নেভা ও-বাড়ির। পারছি না আর, মাথাটা চেপে আসছে গন্ধে।
কোনো একসময় ট্রেন এল। সেটায় উঠে বসলাম কলকাতার টিকিট কেটে। বাড়ি যাব না। হ্যারিসন রোডের মোড়ে একজন পরিচিত লোক আছে, তার কাছ থেকে চোরাই রিভলবার একটা কিনতেই হবে। যেমন করে হোক, যত দাম লাগুক। গায়ের জোরে আমি পারব না চৌধুরীমশাইয়ের সঙ্গে। থানার ওপাশে ওই কি তোমার বাড়ি দারোগাবাবু? বেশ তো বাড়িটি।
অথচ চৌধুরী নিজের রোগের কথা এবং তার ফলাফল জানত! -তোমরা ছেড়ে দিলে রিভলবারের সব কটা গুলি ওর গায়ে পরপর মারব, প্রথমে পায়ে, তারপর হাতে, তারপর পেটে, তারপর বুকে... তোমরা তো ছাড়বে না।
কিন্তু ওকে মেরেই বা কী হতো বলো তো? কী হতো? -কিছু না। জয়াকে মেরেও অন্যায় করেছি। কত মেয়ে আছে জয়ার মতো, কত পশু আছে চৌধুরীর মতো।
| web |
fe502eed3aca9df79e05642c10ee461f | রিয়েলমে এটি সর্বশেষতম মিড-রেঞ্জের স্মার্টফোন রিয়েলমি ইউ 1 ভারতে চালু করেছে। স্মার্টফোনটির মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে 6.3-ইঞ্চি এফএইচডি + ডিউড্রপ নচ ডিসপ্লে, মিডিয়াটেক হেলিও পি 70 এসসি 4 জিবি র্যাম সহ, 13 এমপি + 2 এমপি রিয়ার ক্যামেরা এবং সনি আইএমএক্স 576 সেন্সর সহ একটি 25 এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা। ফোনটি Amazon ই ডিসেম্বর থেকে অ্যামাজন.ইনের মাধ্যমে একচেটিয়াভাবে উপলভ্য হবে আপনি যদি এটি কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে দয়া করে এখানে রিয়েলমে ইউ 1 এফএকিউ পড়ুন।
প্রশ্নঃ রিয়েলমে ইউ 1 এর বিল্ড কোয়ালিটি কেমন?
উত্তরঃ দ্য রিয়েলমি ইউ 1 প্লাস্টিকের শরীর নিয়ে আসে। আগের রিয়েলমি ফোনের মতো ফোনের একই ডিজাইনের ভাষা রয়েছে। ফোনটি লাইটওয়েট এবং কমপ্যাক্ট তাই এটি এক হাত দিয়ে সহজেই ব্যবহার করা যায়। এটি বিচ্ছিন্নতার সাথে একটি চকচকে ব্যাক খেলাধুলা করে যা স্তরিত প্রযুক্তির 13 স্তর রয়েছে এবং সংস্থাটি এটিকে লাইট পিলার ডিজাইন বলে। সব মিলিয়ে ফোনটি দেখতে ভাল লাগছে তবে প্রিমিয়ামটি নয়।
প্রশ্নঃ রিয়েলমে ইউ 1 এর প্রদর্শনটি কেমন?
উত্তরঃ ফোনটি 650-ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লেটি 2350 × 1080 পিক্সেলের এফএইচডি + স্ক্রিন রেজোলিউশন সহ স্পোর্ট করে। তদুপরি, ডিসপ্লেটি 19.5: 9 টির অনুপাত এবং 90.5 শতাংশ স্ক্রিন থেকে বডি রেশিওতে খেলাধুলা করে তাই প্রতিটি দিকে কম বেজেল রয়েছে। ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা ভাল এবং রঙগুলিও তীক্ষ্ণ। দিবালোকের দৃশ্যমানতাও ভাল।
প্রশ্নঃ রিয়েলমে ইউ 1 এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি কেমন?
উত্তরঃ দ্য সত্যিকার আমি ইউ 1 একটি ব্যাক-মাউন্টড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর নিয়ে আসে যা দ্রুত এবং প্রতিক্রিয়াশীল।
প্রশ্নঃ রিয়েলমে ইউ 1 এর ক্যামেরা বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী? ?
উত্তরঃ রিয়েলমে ইউ 1 টি ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সহ আসে। এতে এফ / 2.2 অ্যাপারচার সহ 13 এমপি প্রাথমিক সেন্সর, এলইডি ফ্ল্যাশ এবং এফ / 2.4 অ্যাপারচার সহ একটি 2 এমপি মাধ্যমিক ক্যামেরা রয়েছে। 1.8-মাইক্রন পিক্সেল সহ একটি 25 এমপি সেলফি ক্যামেরা এবং 4-ইন-1 পিক্সেল প্রযুক্তি এবং এফ / 2.0 অ্যাপারচার রয়েছে।
প্রশ্নঃ রিয়েলমে ইউ 1 এ ক্যামেরা মোডগুলি কী পাওয়া যায়?
উত্তরঃ রিয়েলমে ইউ 1 রিয়ার ক্যামেরাটি পোর্ট্রেট লাইটিং, স্লো-মো ভিডিও 90fps পর্যন্ত, এআই দৃশ্য সনাক্তকরণ এবং বোকেহ এফেক্ট মোডগুলিকে সমর্থন করে। সামনের ক্যামেরাটি এআই ফেস আনলক বৈশিষ্ট্য, ব্যাকলাইট মোড, এআই বিউটি + মোড এবং স্মার্ট গ্রুপি বৈশিষ্ট্যটিকেও সমর্থন করে।
প্রশ্নঃ কোন মানের ভিডিও রেকর্ড করা যায় রিয়েলমে ইউ 1?
উত্তরঃ আপনি Realme U1 এ 1080p ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন।
প্রশ্নঃ কোন মোবাইল প্রসেসর রিয়েলমে ইউ 1 তে ব্যবহৃত হয় ?
উত্তরঃ নতুন রিয়েলমে ইউ 1 সর্বশেষতম অক্টা-কোর মিডিয়াটেক হেলিও পি 70 12 এনএম প্রসেসর দ্বারা চালিত হয়েছে 2.1GHz এ ক্লিঙ্ক করেছে এবং মালি জি 72 এমপি 3 জিপিইউর সাথে মিলিত হয়েছে। হেলিও পি 70 এর পূর্বসূর হেলিও পি 60 এর তুলনায় উন্নত কর্মক্ষমতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রশ্নঃ কতটি র্যাম এবং অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ বিকল্প উপলব্ধ রিয়েলমে ইউ 1?
উত্তরঃ Realme U1 3GB / 4GB র্যাম এবং 32GB / 64GB অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ বিকল্পগুলির সাথে আসে।
প্রশ্নঃ নতুন Realme U1 এ অভ্যন্তরীণ স্টোরেজটি কি পারবেন? প্রসারিত করা হবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, রিয়েলমে ইউ 1 এর অভ্যন্তরীণ সঞ্চয়টি 256 গিগাবাইট পর্যন্ত ডেডিকেটেড মাইক্রোএসডি কার্ড স্লটের সাহায্যে প্রসারণযোগ্য।
প্রশ্নঃ ব্যাটারির আকারটি কী? রিয়েলমে ইউ 1? এটি দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে?
উত্তরঃ রিয়েলমে ইউ 1 একটি 3,500 এমএএইচ অ-অপসারণযোগ্য ব্যাটারি দ্বারা চালিত। এটি দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে না।
প্রশ্নঃ কোন অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণটি চলছে রিয়েলমে ইউ 1?
উত্তরঃ স্মার্টফোনটি বক্সের বাইরে অ্যান্ড্রয়েড ওরিও 8.1 চালায় কালারওএস 5.2 শীর্ষে।
প্রশ্নঃ রিয়েলমে ইউ 1 করে? দ্বৈত সিম কার্ড সমর্থন?
প্রশ্নঃ ফোনটি কি এলটিই এবং ভিওএলটিই উভয় নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, Realme U1 LTE এবং VoLTE নেটওয়ার্কগুলিকে সমর্থন করে এবং এটি ডুয়াল সিম ডুয়াল VoLTE বৈশিষ্ট্যটিকেও সমর্থন করে।
প্রশ্নঃ এটি একটি 3.5 মিমি হেডফোন জ্যাক আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, ফোনটি একটি 3.5 মিমি হেডফোন জ্যাক সহ আসে।
উত্তরঃ হ্যাঁ, রিয়েলমে ইউ 1 এআই ভিত্তিক ফেস আনলক বৈশিষ্ট্যটিকে সমর্থন করে।
প্রশ্নঃ এর অডিও কেমন আছে নতুন রিয়েলমি ইউ 1?
উত্তরঃ একক নীচে ফায়ারিং স্পিকারগুলির সাথে অডিওর ক্ষেত্রে ফোনটি খুব জোরে এবং স্পষ্ট। পাশাপাশি শব্দ বাতিল করার জন্য একটি ডেডিকেটেড মাইক রয়েছে।
প্রশ্নঃ রিয়েলমে ইউ 1 এ কী সেন্সর রয়েছে?
উত্তরঃ ফোনের সেন্সরগুলির মধ্যে একটি পরিবেষ্টিত আলোক সেন্সর, মাধ্যাকর্ষণ সেন্সর, জাইরোস্কোপ, প্রক্সিমিটি সেন্সর এবং একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রশ্নঃ দাম কত? ভারতে রিয়েলমে ইউ 1?
উত্তরঃ রিয়েলমে ইউ 1 এর দাম পড়েছে Rs। 11,999 3 জিবি / 32 জিবি ভেরিয়েন্টের জন্য। 4 জিবি / 64 জিবি ভেরিয়েন্টের দাম Rs। 14,499।
প্রশ্নঃ আমি কোথায় এবং কখন নতুন রিয়েলমে ইউ 1 কিনতে পারি?
উত্তরঃ রিয়েলমে ইউ 1 5 ডিসেম্বর থেকে অ্যামাজন.ইনের মাধ্যমে একচেটিয়াভাবে অনলাইনে কিনতে পাওয়া যাবে।
প্রশ্নঃ ভারতে রিয়েলমে ইউ 1 এর রঙিন বিকল্পগুলি কী কী?
উত্তর : এই রিয়েলমি ইউ 1 সাহসী নীল, উচ্চাভিলাষী কালো, এবং জ্বলজ্বলে সোনার রঙের বিকল্পগুলিতে পাওয়া যাবে।
| web |
ee1e59d7a42e3ae53db3758f462f8b7e | বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী চিত্রনায়ক সালমান শাহ্ খু'ন হননি, তিনি আ'ত্মহ'ত্যা করেছেন। দীর্ঘ তিন বছর দুই মাস ত'দ'ন্ত শেষে সোমবার দুপুরে এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সালমানের আ'ত্মহ'ত্যার পক্ষে এসময় বেশকিছু তথ্য উ'পা'ত্তের কথাও জানানো হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
এরমধ্যে একটি হলো সালমানের সুই'সাইড নোট! পিবিআই হেড কোয়ার্টার্সে এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, "সিআইডি ত'দ'ন্তকালে সামিরার কাছ থেকে এই সুই'সাইড নোটটি উ'দ্ধা'র করে। সেটি সালমানের প্যান্টের পকেট থেকে উ'দ্ধা'র করা হয়।"
সালমান সুই'সাইড নোটে লিখেন, "আমি চৌ. মো. শাহরিয়ার। পিতা কমরুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী। ১৪৬/৫, গ্রীণ রোড ঢাকা ১২১৫ ওরফে সালমান শাহ। এই মর্মে অ'ঙ্গি'কার করছি যে- আজ অথবা আজকের পরে যে কোনো দিন। আমার মৃ'ত্যু হলে তার জন্য কেউ দা'য়ী থাকবে না। সে'চ্ছায়, স্ব'জ্ঞানে, সুস্থ ম'স্তিষ্কে আমি আ'ত্মহ'ত্যা করছি।"
| web |
cd1166e2be9e799d36603219f26f109420ab1615 | লেজার ভিশনের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে পার্থ প্রতিম রায়ের কথা, সুর ও গায়কিতে মিউজিক ভিডিও 'শুধু তোমাকেই'। এটি নির্মাণ করেছেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক সি. বি. জামানের একমাত্র সন্তান সি. এফ. জামান। সি. এফ. জামান বলেন, 'পার্থ প্রতিম রায় আমার ছোটবেলার বন্ধু, পরিচালক হিসেবে বড় কোনো কাজ হাতে নেওয়ার আগে তাই বন্ধুর গান নিয়েই একটি মিউজিক ভিডিও বানালাম নিজের সক্ষমতা প্রকাশ করতে। গুরু রিয়াজুল রিজুকে এই মিউজিক ভিডিওর মূল চরিত্রে নিয়েছি এক প্রকার ট্রিবিউট হিসেবে। ' তাঁর বিশ্বাস কনটেন্ট ভালো হলে নিজে থেকেই মানুষের মনে ধরবে আর খারাপ হলে তিনি পরবর্তী কাজগুলোতে নিজের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করবেন।
| web |
74349511d4320f393fb5f773d745bf92 | Home » আন্তর্জাতিক » 'আবারও ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার দাবি'
'আবারও ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার দাবি'
ডেস্ক : মালয়েশিয়ার নিখোঁজ এমএইচ ৩৭০ বিমানের সন্ধান মিলেছে বলে আবারও দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে যে বস্তু দুটি ভাসতে দেখা গেছে সেটি নিখোঁজ বিমানের বলে অনেকটাই নিশ্চিত তিনি।
রবিবার তিনি বেশ জোর দিয়েই জানান, তাদের হাতে এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। অবশ্য এর আগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে দুটি বস্তুকে দেখা গেছে বলে তিনি জানালেও পরে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর রবিবারের বক্তব্যের পর তাই আবারও বিমানটি খুঁজে পাওয়ার আশা ক্রমেই বাড়ছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট বলেন, তাদের উপগ্রহ থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ভাসছে। তার এই বক্তব্যের পরই দেশটির বিমান তল্লাশি দলের বেশ কয়েকটি বিমান ও জাহাজ তল্লাশি শুরু করে। যদিও শনিবার সকালে জানানো হয়েছিল, সেখানে কোনো কিছুরই খোঁজ মেলেনি। তবে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর বিশ্ববাসী ফের নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন।
অন্যদিকে শনিবার মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেন জানান, নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষের উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে চীন। কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের হিশামুদ্দিন জানান, চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে কিছু উপগ্রহচিত্র এসেছে যাতে দেখা যাচ্ছে চীন সাগরের দক্ষিণ করিডরে কিছু বস্তু ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। আর চীন সরকার ওই ভাসমান বস্তুগুলোর উদ্দেশ্যে অনুসন্ধানী জাহাজ পাঠিয়েছে। তবে কতগুলো ভাসমান বস্তু দেখতে পাওয়া গেছে তা স্পষ্ট না হলেও হিশামুদ্দিন জানান, একটি বস্তু লম্বায় ৭২ ফুট ও চওড়ায় ৯৮ ফুট।
এবার ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার দাবি ফ্রান্সেরঃ চীন, অস্ট্রেলিয়ার পর এবার নিখোঁজ মালয়েশিয়ান এমএইচ-৩৭০ জেট বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স। তল্লাশির তৃতীয় সপ্তাহে এসে ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের কিছু চিত্র দেখতে পেয়েছে।
মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ফ্রান্স আমাদের জানিয়েছে তারা বিমানটির প্যালেটসহ কিছু জিনিসপত্র দেখতে পেয়েছে। স্যাটেলাইটে পাওয়া চিত্রগুলো ফ্রান্স আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
১৬ দিন আগে ৭ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০ বিমানটি ২৩৯ যাত্রী নিয়ে হঠাত্ নিখোঁজ হয়। তারপর থেকেই বাড়তে থাকে নিখোঁজরহস্য। ২৬টি দেশের বিমান ও জাহাজের সঙ্গে কয়েকটি দেশে তাদের কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমেও অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
| web |
f9df2addacc60514e79045f859fd8833ebe27020 | চিনে ১৩৩ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ল বোয়িং ৭৩৭ বিমান। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। উদ্ধারের কাজ চলছে। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি যাচ্ছিল। ভারতীয় সময় সোমবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। কুনমিং শহর থেকে গুয়াংজু যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা হয়। বিমানটি একটি বনের মধ্যে ভেঙে পড়ে। নিমেষে বনে আগুন লেগে যায়।
| web |
eac221e9d69db2676c2268d7546b798e8cde61f4286c9f20c18d2890c48d3a50 | মাটি কারো নয়। আর দাঁড়াবেন না, বাড়ি যান। বৃষ্টি পড়ল বলে।
একমাস আগে নিজের কলজে সে যেন এখানে রেখে গিয়েছিল। এখন শব্দ পাঁজর বয়ে বেড়ানো। নীল ধীরে ধীরে সাইকেলটার কাছে ফিরে গেল। বড়ো হারিয়েছিল মাঝপথে, এবার দ্রুত পায়ে কাছে আসল । অন্ধকারেই একটা হাত বাড়িয়ে বললো, 'এটা নিয়ে যান বাব। দেখতে তো সোনার মতো তাই সেদিন খুব লোভ হয়েছিল। পরে দেখলাম পেতলের। বিক্রি করলে কিছুই পাওয়া যাবে না। তার জিনিস আপনি রাখন।' বিস্মিত নীল জিনিসটাকে ধরল । সাতোয় বাঁধা একটা মাদলি। বয়ার কবজির ওপর বাঁধা ছিল । ওকে যখন বড়ো মাটিতে শোয়ার তখন নিশ্চয়ই খলে নিয়েছিল। একটাও রাখতে পারল না সে। অন্যায় কাজটা করার জন্যে এখন সে বড়োর কাছে কৃতজ্ঞ হলো। পকেট থেকে পাঁচটা টাকা বের করে বড়োর হাতে ধরিয়ে দিয়ে সে সাইকেলে উঠল। তারপর বড় রাস্তায় এসে বাঁ পায়ে ব্যালেন্স রেখে মাদলিটা নাকের কাছে এনে ঘ্রাণ নিল। সঙ্গে সঙ্গে বয়ার শরীরের গন্ধ সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল যেন ।
বাড়ির সামনে এসে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করল নীল। পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িতে আলো জ্বলছে, শুধ, আরতি আলো জ্বালায় নি। ব্যাপারটা অস্বস্তিকর। এই সন্ধ্যেবেলায় কেউ ঘর অন্ধকার করে বসে থাকে না। মাথার ঠিক মাঝখানে শীতল জলের ফোঁটা পড়তেই সনলি তড়িঘড়ি বারান্দায় উঠে এলো । চমৎকার টাইমিং, যেন তার বারান্দায় ওঠা পর্যন্ত বৃষ্টি অপেক্ষা করছিল। সঙ্গে সঙ্গে শীতল হাওয়া গায়ে কাঁটা তুলল নীলের। সে একট, জোরেই বেলের বোতাম টিপল। কেবলম কোম্পানির কোয়ার্টার্স গুলোয় সবরকম আধুনিক সসুবিধে আছে শুধ, জায়গাটাই যা কম । স্বামী স্ত্রী এবং একটি বাচ্চার জন্যে মেপে মেপে তৈরি । ওপর তলার কথা অবশ্য আলাদা কিন্তু তাদের কাছে যেন আত্মীয়বদ্ধ, এসে থাকতে পারে না। মাঝে মাঝে বিরক্ত হলেও আরতি বলত, 'এই ভালো। বড় কোয়ার্টার্স পেলে আমাকেই তো ঝাঁট দেওয়া ঘর মোছা করতে হবে।' সেটাও ঠিক। এখানে কাজের লোক পাওয়া ঈশ্বর পাওয়ার সমান। আরতি এখনও দরজা খুলছে না। নীল আবার বোতামে চাপ দিল । শব্দটা নিজের কানেই কক'শ শোনাল এবার। বিরক্ত এব উবিগ্ন নীল পাশের জানলাটার গ্রিলে শব্দ করার পর দরজাটা খুলল। অন্ধকার ঘরে আরতি দাঁড়িয়ে আছে । তার মখদেখা যাচ্ছেনা। দাঁড়াবার ভঙ্গিটিও স্বাভাবিক নয় । সুনীলের সমস্ত বিরক্তি উধাও, একট, সম্মত গলায় সে প্রশ্ন করল, "কি হয়েছে :' আরতি তৎক্ষণাৎ জবাব দিল না। একটা ভারি নিঃশ্বাস ফেলল। তারপর বলল, 'ও, তুমি। এত তাড়াতাড়ি এলে।'
নীল অভিমানটাকে আহত করতে চাইল না, 'না. মানে, ছটার আগে অফিস থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। তাও তো সর্টকাট পথে এলাম। নইলে বৃষ্টিতে ভিজতে হতো। রাগ করো না, আমি বুঝতে পারছি।'
'রাগ করবো কেন ? তুমি তো আগে অনেক রাত্রে ফিরতে, সেই বয়া ঘমিয়ে পড়ার পর। এখন তেমন ফিরতে পারো না? তুমি তো তাস খেলতে যেতেও পার। আমি রাগ করে বলছি না, বিশ্বাস কর।' সামান্য সরে আরতি যেভাবে কথাগুলো বলল তাতে নীলের মনে হলো সে একট, আগে ভুল বুঝেছিল । আজ সকালের আরতি আর এই আরতি ঠিক এক মানষ নয়। ব্যাপারটা নিয়ে এখনই জলঘোলা করা উচিত হবে না। সে সাইকেলটা ঘরে ঢুকিয়ে আলো জদালতে যেতেই আরতির মুখ থেকে অদ্ভুত একটা শব্দ বের হলো। নীল অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল, 'কি হলো?' আরতির গলায় মিনতি, "এখন আলো না জাললেই নয় ?"
'আলো জ্বালবো না ? কেন ?' বলতে বলতে সাইচ টিপে দিতেই ঘরটা ঝলকে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করল আরতি। এবং তখন নীল তাকে স্পষ্ট দেখল । আঁচলটা মাটিতে লাটোচ্ছে। চুল খোলা। সমস্ত শরীরে একটা রক্ষ ভাব। বোঝা যায় সে অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর আরতি কিছুই করে নি । ব্যাপারটা নীলের কাছে খুব রহস্যময় মনে হচ্ছিল। সে ডান হাতটা আরতির কাঁধে আলতো করে রেখে জিজ্ঞাসা করল, "কি হয়েছে সোনা?'
আরতি মাথা নাড়ল, কিছু না। কিন্তু তার চোখ মুখ অস্বাভাবিক দেখাচ্ছিল। দরজাটা বন্ধ করে নীল দুহাতে ওকে টেনে নিল কাছে, 'তুমি আজ স্নান, খাওয়া করো নি ?' আরতি প্রথমে জবাব দিল না। নীল পীড়াপীড়ি করতে মাথা নাড়ল । এতক্ষণে ওর মুখ স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। আরতি বলল, 'কিছ, করতে ভালো লাগছিল না। চুপচাপ শয়েছিলাম। তুমি হাত মুখ ধনুয়ে নাও। আমি চা করছি।'
বাইরে এখন প্রবল বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টি হলে এখানে জল জমে না কিন্তু চট করে তাপ নেমে যায়। নীল চাদর জড়িয়ে খবরের কাগজটা টেবিল থেকে তুলল । এখানে কাগজ আসে দুপারে। আজ এটায় একদম হাত দেয়নি আরতি। অথচ ওর আচরণ তো ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। আরতি এখন কিচেনে। গ্যান জ্বলারশব্দ আসছে। আজ ওর আচরণ এমন হলো কেন ? এই ঘরে একটা আলনা আছে। বয়ার ব্যবহৃত জামাপ্যান্ট ওখানে থাকত । বউদি এসে সেসব সরিয়ে একটা স্যুটকেসে ভরে রেখে গিয়েছে। আজ সেগুলোকে আবার আলনায় দেখতে পেল নীল । নিপাট ভাঁজ করা নয়। এলোমেলো হাতে রেখে দেওয়া, বয়া থাকলে যেমনটি থাকত। নীলের কপালে ভাঁজ পড়ল। সে কাঁচের আলমারিটার দিকে তাকাল। বয়ার খেলনাগুলো ওখানে সাজানো ছিল । এখন তার অনেকগুলোই সেখানে নেই। চোখ বোলাতে বোলাতে খাটের ওপর কয়েকটাকে আবিষ্কার করল সে। বহুকের মধ্যে ধক করে উঠল। যেন বয়া এতক্ষণ এই ঘরে ছিল, খেলতে খেলতে ওঘরে গিয়েছে।
নীল শক্ত হলো। এইভাবে বয়ার স্মৃতিগুলোকে টেনে আনল কেন আরতি ? এই একমাস সে অনেক বুঝিয়েছে। মনে হয়েছিল ও বেশ শান্ত হয়ে গিয়েছে। কষ্টটাকে গিলতে পারছে। নিঃশব্দে কিচেনের দরজায় গিয়ে দাঁড়াতেই চোখে
পড়ল । গ্যাম জলছে । কেটলির মুখ থেকে সোঁ সোঁ ধোঁয়া বের হচ্ছে। আরাত বসে আছে পাথরের মতো, হাঁটতে চিবুক রেখে। সুনীলের প্রথমবারের ডাক যেন তার কানেই গেল না। দ্বিতীয়বারে যেন স্বপ্ন থেকে জেগে বসল । এবং তখনই আরতির মুখে প্রচণ্ড বিরক্তি ফটে এলো । সেই অবস্থায় চাপা গলায় সে যেন ধমকে উঠল, 'এখানে কেন ?' এখানে কি দরকার ?
কি করছ তুমি ? গ্যাস শেষ হয়ে যা।েতো।' সূনল কি বলবে বুঝতে পারছিল না। আরতি জবাব না দিয়ে উঠে নব ঘুরিয়ে গ্যাস নিভিয়ে মুখে না ফিরিয়ে বলল, 'ঘরে গিয়ে বসো, চা দিচ্ছি।' এই আরতির সঙ্গে একট, আগের আরতির কোনো মিল নেই। কথা না বাড়িয়ে বাইরের ঘরে চলে এলো নীল। আজ নিশ্চয়ই কিছ; ঘটেছে নইলে আরতির আচরণ এমন হতো না। বয়া মারা যাওয়ার পর তিনদিন আরতি প্রায়ই অচেতন হয়ে থাকত। তারপর কান্নাকাটি, না খাওয়া, মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পালা চলেছিল। দাদা-বউদি চলে যাওয়ার আগে সে সস্থ হয়ে উঠছিল । কান্না থেমেছিল, কাজকর্ম' শরন করেছিল কিন্তু ওই সময়ে যে স্বাভাবিকতা আশা করা যায় তাই করছিল সে। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধ, কিংবা তারও চেয়ে বেশি একটা অবলম্বন হয়ে নীল তার আস্থা ফিরিয়ে আনছিল। গত চার পাঁচদিনে ব্যাপারটা অন্যদিকে বাঁক নিতে শুরু করল। নীল যখন বাড়িতে থাকে তখন নাকি কিছুই হয় না। নীল বেরিয়ে গেলেই অকারণে বাথরুমে মগ পড়ে যাওয়ার আওয়াজ হয়। পাশের ঘরে বয়ার বল অকারণে ড্রপ খায়। ভেজা তোয়ালেটা, যা একট, আগে রেখে আসা হয়েছিল চৌবাচ্চার পাশে সে চলে আসে বালতির মধ্যে। এবং গতকাল নাকি কিচেনের আলোটা অকারণে জ্বলে উঠেছিল। কাল রাত্রেও নীল আরতিকে বাঝিয়েছে এসবই মনের ভ্রান্তি। একা থাকার কারণে শোক থেকে শূন্যতাবোধে এমন ভেবে নেওয়া ছাড়া কিছু নয়। কাল রাত্রেও আরতির ব্যবহারে অসঙ্গতি ছিল না।
খবরের কাগজটা খুলতে যেতেই দরজায় শব্দ হলো। এই বৃষ্টিতে কোনো মানুষের আসার কথা নয়। নীল দরজা খলে অবাক হলো। অবনী দাঁড়িয়ে আছে বর্ষাতি গায়ে। অবনী আর সে একই অফিসে কাজ করে তবে বিল্ডিং অন্য । একসময় ছেলেটিকে তার ভালো লাগত। বিয়ে থা করেনি সংসারের চাপে, এখানে একা থাকে। কিন্তু মখোর্জীর স্ত্রীর সঙ্গে ওর মাখামাখি নিয়ে গল্প চাল, হওয়ার পর থেকেই নীল ওকে এড়িয়ে চলছিল। অবশ্য এখন অবনীর কাছে কৃতজ্ঞ সে, বয়োর মারা যাওয়ার আগে পরে প্রচুর করেছে অবনী। সুনীল 'কি ব্যাপার ? এই বৃষ্টির মধ্যে ! ভেতরে এসো।'
'কখন এলেন?' অবনী বর্ষাতি খুলে দরজার পাশে রাখল ।
'একটু আগে। তা কি মনে করে ?' সরাসরি না বলে নীল বোঝাতে চাইল এইসময় ওর আসাটা সে পছন্দ করছে না। কিন্তু ব্যাপারটা গায়েই মাখস না অবনী, সকালে মন ভালো ছিল না বলে অফিসে গেলাম না। সারাদিন বাড়িতে বসে এত বিরক্ত হলাম যে চলে এলাম। বউদি কোথায় ? জম্পেশ করে চা বলনে
'আরতি আজ ভালো নেই। মানে এখনও রিঅ্যাকশন কাটেনি। বঝতেই পারছ।' 'স্বাভাবিক। তবে আপনার উচিত হেল্প করা। সিনেমা দেখাতে নিয়ে যেতে পারেন, কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। বাড়িতে বসে থাকলে তো মন ভালো হবে না। ও হ্যাঁ, বয়ার ব্যাপারটা আমি কোলকাতায় এক ডাক্তার বন্ধকে লিঃখছিলাম। সে বলেছে যতই হোক চিকিৎসায় একটা ভুল নিশ্চয়ই হয়েছিল । ছেলেটা স্বাভাবিক ছিল, ভোরবেলায় টয়লেটে গিয়ে আর উঠতে পারল না, হাতপা ঠাণ্ডা হয়ে আসতে লাগল এবং শেষে ব্রেন-অ্যাটাকড হলো - ওর কাছে স্বাভাবিক বনে মনে হচ্ছে না। এরকম কেস এর আগে ঘটে নি।' নীলের দিকে একটা সিগারেট বাড়িয়ে দিল অবনী। ইচ্ছে না থাকলেও সিগারেটটা ধরাল নীল। বয়ার ব্যাপারটা। নয়ে অবনী এখনও ভাবছে দেখে তার মন ভালো হলো। মিসেস মমুখার্জীর সঙ্গে প্রেম করা নিশ্চয়ই অন্যায় তাই বলে মানুষটার সব কাজ বেঠিক হবে কেন ? নীল ধোঁয়া ছেড়ে বলল, 'আর ওনব কথা ভেবে কি লাভ । আমারে কপালে যা ছিল তাই হলো।'
'বউদি কি খুব কান্নাকাটি করছে ? রি-অ্যাকশন কাটে নি বললেন '
'না ঠিক কান্নাকাটি নয় । ব্যাপারটা তোমাকে বোঝানো যাবে না অবনী ।' 'স,নীলদা, যদি অপরাধ না নেন তাহলে একটা কথা বলি ।
'ঠিক এইসময় কথাটা শোভনীয় নয় হয়তো, কিন্তু বউদির জন্যেই, মানে, ওর আর একটি সন্তান দরকার।'
'পাগল ।' এছাড়া কিছুই বলতে পারল না নীল। বয়া চলে যাওয়ার পর এই ব্যাপারটাই মাথায় আসেনি। পাশাপাশি শলেও শরীর কিংবা মনে যৌনচিতা বারেকের জন্যে উঁকি দেয় নি। সবকিছুর ওপর মৃত বড়ুয়া যেন পাথর চাপিয়ে গেছে। এই সময় একথা বলা মানে নিজেকে একটি লম্পট কামক ছাড়া কল্পনা করা যায় না। আর এই চিন্তাটাই অবনীর মাথায় এল। অবনী উঠে দাঁড়াল, 'বউদি কোথায়?'
'কিচেনে ।' নীল ঠিক কি বলা উচিত ঠাওর করতে পারছিল না। বড়ুয়ার নারা যাওয়ার পর এই ছেলেটার কাছে বাড়ির অন্দরমহল বলে কিছু ছিল না। আজ কি করে সে তাপছন্দের কথা বলবে। অবনী ততক্ষণে চলে গেছে ভেতরে। চিৎকার করে সে ডাকল, 'বউদি, বৃষ্টি মাথায় করে চা খেতে এলাম।' নীল উঠল না। অবনী যা উপকার করেছে তা তো ভোলার নয়। হাসপাতালে ছোটাছটি থেকে শুরু করে বয়ার শরীরটা শ্মশানে বয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সবসময় পাশে পাশে ছিল। প্রবাসে কজন এমন করে। ভেতরে কি কথা হচ্ছে তা সে এখান থেকে শুনতে পাচ্ছে না। এই মুহূর্তে আরতির মেজাজও নেই খোশ গল্প করার। খবরের কাগজে চোখ রাখল নীল। কিন্তু এতক্ষণ তো অবনীর ফিরে আসা উচিত। বাইরে বৃষ্টির শব্দ হচ্ছে না। তার মানে এখনই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে আর ঠাণ্ডাটা বাড়বে। এইসময় হাসির
আওয়াজ কানে এল। অবনী একা নয়, আরতির গলাও যেন তাতে যোগ দিয়েছে । এই প্রথম, বয়া যাওয়ার পরে এই প্রথম আরতির গলায় হাসি বাজল। কি এমন কথা যা আরতিকে হাসাতে পারল। নীলের খুব ইচ্ছে করছিল ওদের সঙ্গ নিতে। কিন্তু তখনই অবনী ফিরে এলো, 'বউদি ইজ অলরাইট। আপনি মিছিমিছি ভাবছিলেন।' অবনীর পেছন পেছন এলো আরতি, হাতে চায়ের দটো কাপ আর বিস্কুট প্লেটের কোণে। নীল দেখল ওর মুখে সেই বিরক্তির মেঘটা আর লেগে নেই। সকালবেলার আরতি কিংবা তার চেয়েও উজ্জল এক রমণী তার সামনে দাঁড়িয়ে।
নীল কাপটা নেওয়ামাত্র আরতি স্বাভাবিক গলায় বলল, 'অবনী ঠাকুরপো বলছিল, বৃষ্টি থেমেছে, একট, বেড়িয়ে আসার জন্যে।'
'তুমি যাও না, সারাদিন খাটাখাটনি করেছ, ঠাণ্ডা হাওয়া ভালো লাগবে।' 'তুমি যাবে ?' নীল স্পষ্ট চোখে তাকাল ।
'আমার খুব মাথা ধরেছে। আমি একট, একা থাকি লক্ষক্ষ্মীটি। তুমি যাও । রাত হলে আমি কিছু বলব না। যাও না।'
আরতির কথা শেষ হওয়ামাত্র অবনী চেঁচিয়ে উঠল, 'সাবাস। আপনি কি ভাগ্যবান দাদা, সবাই বলে দেরি হলে বউ খিচখিচ করে। আর আপনার বেলায় ঢালাও লাইসেন্স পাচ্ছেন। মখার্জীদাকে বলতে হবে।'
'আমার এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, অতএব স্বাধীনতা পেয়ে কোনো লাভ হলো না।'
'উহ, তা শুনছি না। চেহারাটা কি হয়েছে দেখেছ। তোমার বাড়িতে বসে থাকা চলবে না। নিয়ে যান তো ওকে অবনী ঠাকুরপো। যাও না, ক্লাবে গিয়ে তাস খেলে এসো। পরষমানষে সবসময় মখের সামনে বসে থাকলে ভালো লাগে না। ওঠো।'
ব্যাপারটা ক্রমশ জেদাজেদির পর্যায়ে চলে গেল। অবনী চুপচাপ মজা দেখছিল। এই আরতিকে চেনে না নীল। আজ পর্যন্ত কখনই সন্ধ্যেবেলায় বাড়ি ফিরলে আর বেরতে দেয় নি যে সে আজ জোর করছে ক্লাবে যাওয়ার জন্যে। শেষ পর্যন্ত উঠল নীল। যদিও বৃষ্টি হবে না তব, ছাতাটা সঙ্গে নিল। ছাতা আর টর্চ। দরজা বন্ধ করল আরতি। সেইসময় তার মুখ বেশ সখী দেখাচ্ছিল।
"শী ইজ অল রাইট নীলদা। আপনার চিন্তা করার কিছু নেই।' ঠাণ্ডা হাওয়ায় ঘোলাটে আকাশের নিচে পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে অবনী বলল । দপাশে কোয়ার্টার্সের জানলা দরজা এখন হয়তো বৃষ্টির কারণেই বন্ধ । সুনীল মাথা নাড়ল। তারপর জিজ্ঞাসা করল, 'তুমি কি আমার সঙ্গে ক্লাবে যাচ্ছ ?' 'না। আমি এই মোড় থেকে বাঁ দিকে বাঁক নেব।'
'ওদিকে কোথায় যাবে?'
'নায়ারদের বাড়িতে। মিস্টার নায়ার জরুরী টেলিগ্রাম পেয়ে দেশে গিয়েছেন। মিসেস নায়ার একা আছেন, দেখে আসি কোনো প্রয়োজন আছে কিনা। কখনও
কোনো দরকার হলে দ্বিধা করবেন না সংনীলদা।' অবনী বাঁ দিকে চলে গেলে কিছুটা এগিয়ে থামল সংনীল । এদিকটা এখনই নির্জন হয়ে পড়েছে । অবনী ছোকরার ধান্দা কি ? নায়ারদের ছেলেমেয়ে নেই। মিসেস নায়ারকে দেখে সবারই চোখ টাটায়, আরতিরও। বড্ড বেশি উদ্ধত শরীর । সেই মহিলা একা আছেন রাত্রে সেখানে যাওয়ার কি দরকার? মনে মনে একট, ঈর্ষা অনভেব করল যেন নীল। কিচেনে গিয়ে অবনী আরতির সঙ্গে কি কথা বলেছিল যাতে হাসি এল ? আর তারপরেই আরতি ব্যস্ত হয়ে পড়ল তাকে বাড়ি থেকে বের করতে। ব্যাপারটা ভাবতেই খারাপ লাগছিল কিন্তু এড়িয়ে যেতেও পারছিল না সে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নীল আবার বাড়ির পথ ধরল। মাঝ রাস্তায় তার শরীর খারাপ করতেই পারে। ল্যাট্রিনে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যে কোনো একটা কৈফিয়ৎ দিতে পারে সে নিজের বাড়িতে ফিরে আসার জন্যে । এখনও আকাশে বিদ্যুতের ঝিলিক। অসহায় ভঙ্গিতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল সানীল । সবকটা জানলা দরজা বন্ধ। ভেতরে একটুও আলো জ্বলছে না। ঠিক অফিস থেকে ফেরার পর যেমনটি ছিল। এইটে বড় অস্বাভাবিক। এত তাড়াতাড়ি নিশ্চয়ই আরতি ঘুমিয়ে পড়তে পারে না। যে সন্দেহটা একটা আগে মনে ফণা তুলেছিল তা হাসিল করার মতো পায় নি কেউ । তাহলে ? বারান্দায় উঠে দরজা খুলতে বলার ইচ্ছেটা সামলালো সে। তারপর নিঃশব্দে বাড়ির পেছন দিকে চলে এলো। এদিক দিয়ে জমাদার আসা যাওয়া করে।
ভেতরে ঢোকা যায় না, দরজা বন্ধ থাকলে তবে শোওয়ার ঘরের কাছে চলে আসা যায়।
প্রায় ভূতের মতো নিজের শোওয়ার ঘরের জানলার পাশে চলে এলো নীল। জানলাটা খোলা। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ভেতরটার কিছু দেখা যাচ্ছে না। নেলি চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। ঠিক সেইসময় আরতির গলা শুনতে পেল সে। আরে নরম এবং নিচু গলায় আরতি বলল, "কি দমি হচ্ছে? আমি কিন্তু খব রাগ করব বলে দিলাম।'
শক্ত হয়ে গেল নীল। তার মাথার ভেতর যেন অনেকগুলো দূরমশে ওঠানামা শহর, করল । এ কার সঙ্গে কথা বলছে আরতি। অবনী? সে কখন ফিরে এলো ? আরতি চাপা গলায় বলল, "কি এখনও চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকবে : সচকিত হলো নীল। প্রশ্নটা কি তাকেই ? সে এখানে চোরের মতো এসে দাঁড়িয়েছে তা জেনেছে কি আরতি ? জেনেই ডাকছে? এই কণ্ঠস্বর কতক'ল শোনেনি সুনীল। এমন আদরে, ভালবাসার গলা। ধরা দেওয়া যাক, লাকোচুরি খেলার ইচ্ছে ছিল তাই এই পথে এসেছে এমন কৈফিয়ৎ দেওয়া যাবে। আর তখনই আরতি বলল, 'না সোনা, বাড়িতে এখন কেউ নেই । শুধু, তুমি আর আমি। সে গেছে ক্লাবে। ফিরতে অনেক রাত । আমি জানি তো, ও অফিস থেকে এসে আলো জ্বালতে তুমি রাগ করেছ। আমার কি দোষ বল । আচ্ছা, আচ্ছা, ও যাতে খুব কম থাকে এই বাড়িতে আমি তার চেষ্টা করব।'
প্রচণ্ড একটা ক্লোথ শরীরে পাক খেয়ে গেল। মাত্র মাসখানেক আগে একমাত্র
| pdf |
f3b363ba4fcbe4208a7128d7dee5e87b4f7e4680 | নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের পুঁজিবাজারে গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রধান সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে তুলে দেয়া ১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আবার আরোপ এবং বাজার গতিশীল না হওয়া পর্যন্ত উঠছে না ফ্লোর প্রাইস। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এমন আশ্বাসে সূচক ও লেনদেন ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেছে। একই সঙ্গে কেনার প্রবণতাও ছিল বেশ ভালো, যে কারণে ফ্লোর প্রাইস না তোলায় পুঁজি হারানোর ভয় কমেছে এবং নতুন তহবিল প্রবেশের জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক টানা দুই সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে। কারণ ১৬৯টি কোম্পানিতে ফ্লোর প্রাইস আবার আরোপ করায় লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করেছে। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস পুনঃস্থাপনে পুঁজি হারানোর ভয় কমেছে এবং সুরক্ষা দিচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি হয়েছে এবং বাজারে নতুন তহবিল প্রবেশ করছে। এদিকে দীর্ঘদিন বাজার সংশোধনের ফলে বর্তমানে লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করেছে। ফলে সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগের জন্য দর কমার ও বৃদ্ধির বিষয়টি কাজে লাগিয়েছেন।
তারা আরও জানান, গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে তেজিভাব লক্ষ করা গেছে। কারণ বাজার গতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস উঠছে না বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ ইঙ্গিতের ওপর ভিত্তি করে সপ্তাহব্যাপী বাজারে ছিল বিনিয়োগকারীদের উদ্যমী অংশগ্রহণ এবং একই সঙ্গে তারা ক্রয়ের মেজাজে ফিরে এসেছেন। তাই বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক ও অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমে সপ্তাহের শেষ দিন ব্যতীত বাকি কার্যদিবসে সূচকের ধীরে ধীরে উত্থান দেখা গেছে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের এ ক্রমবর্ধমান অংশ নেয়ার সম্ভাবনা ও আস্থা লক্ষ করা গেছে। তাই বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশ নেয়ার মাধ্যমে সামগ্রিক বাজারে প্রাণবন্ত অবস্থা ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৯১ কোটি চার লাখ টাকার বা ৪৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৩৫টির, দর কমেছে ২৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৫টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৪৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ছয় হাজার ২৬০ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১০ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে ও শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস ৫ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে দুই হাজার ২২৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে ও এক হাজার ৩৬২ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে। এদিকে সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ১৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি আট লাখ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বা ৪৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে তালিকাভুক্ত ২৭০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১২৩টির, দর কমেছে ১১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৬টি কোম্পানির। এতে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে পতনের তুলনায় উত্থান ১১ গুণ বেশি। একটি বাদে বাকি পাঁচ ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪৫০ দশমিক ১৫ পয়েন্টে। সিএসই৩০ সূচক দশমিক ৩৭ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ৮৯ শতাংশ, সিএসআই সূচক দশমিক ৫৬ শতাংশ ও সিএসই এসএমইএক্স ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৫৯ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, এক হাজার ১৬১ দশমিক ২১ পয়েন্টে ও এক হাজার ৬৫৯ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক শূন্য আট শতাংশ কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৩২৩ দশমিক ৯২ পয়েন্টে।
| web |
e8011b818c2bdf88d4890a21ce4e141c188b1751 | ব্রিস্টলের মারপিট কাণ্ডে ক্যারিয়ার বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়েছিলেন বেন স্টোকস। প্রায় ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজ সিরিজেও আলো ছড়িয়েছেন স্টোকস। দেশকে গর্ব করার উপলক্ষ্য এনে দেওয়ার জন্য ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে আরো বড় পুরস্কার পেলেন স্টোকস। এসজেএ (স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েসন) ব্রিটিশ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন বিশ্বজয়ী অলরাউন্ডার।
প্রতিবছর ব্রিটিশ ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভোটে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত ক্রিকেটের বাইরের খেলোয়াড়রাই জিতে থাকেন বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার। এ বছর ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জেতায় সেটার প্রভাব পড়েছে ব্রিটিশ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে। মোট তিনজনকে সেরার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
জফরা আর্চার উদীয়মান সেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সব ছাপিয়ে আলোকিত থাকলেন শুধু ইংলিশ অলরাউন্ডারই। স্টোকস হারিয়েছেন ছয়বারের ফর্মুলা ওয়ানের বিশ্বকাপজয়ী লুইস হ্যামিল্টন ও ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফুটবলার রহিম স্টার্লিংকে।
Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues - along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.
Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.
| web |
6a4ecc7ceb7db7a3c3f495e99e5387e1a079a348 | সীতাকুণ্ডে সাড়ে ৪ ঘন্টায় ৭ ভোট!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে সাড়ে ৪ ঘন্টায় মাত্র ৭টি ভোট পড়েছে। উপজেলার কুমিরা ঘোড়ামরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১ টায় পরিদর্শনে গেলে এ চিত্র দেখা যায়। এছাড়াও ভাটিয়ারী, ছোটদারোগারহাট, কুমিরার, ফকিরহাট ও শীতলপুরের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরদর্শনে গিয়েও গড়ে ৩০/৩৫টির বেশি ভোট পড়তে দেখা যায়নি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের চিত্র এটি।
এ নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে হাস্যরস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘোড়ামরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা বুথের ৩নং কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টায় একটি ভোটও পড়েনি। তবে ৫নং বুথে ১টি, ৭নং বুথে ১টি এবং ২নং বুথে ৫টি ভোট পড়ে। সব মিয়ে ওই কেন্দ্রে সর্বমোট ৭টি ভোট পড়ে।
সরেজমিন এমএ কাশেম রাজা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের মূলফটকটি ভিতর থেকে তালা লাগানো। সাংবাদিকরা ভিতরে ঢুকতে চাইলে তালা খুলে দেয়া হয়। সেখানকার ৭টি বুথ পরিদর্শ করে দেখা যায় প্রত্যেকটি বুথে গড়ে ১০০ থেকে প্রায় ১৩০টি ভোট কাস্ট হয়েছে। সাংবাদিক দেখে কিছু যুবক তড়িঘড়ি লাইন তৈরী করার জন্য একে অপরকে ডাকাডাকি করতে থাকে।
এদিকে নিরুত্তাপ ভোটের মাঝেও কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কেন্দ্র দখল ও এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুন নাহার নিলু অভিযোগ করেন, এমপি সমর্থিত লোকজন ভাটিয়ারীতে দুইটি ও রাজা কাশেম কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন।
নয়া দিগন্ত অনলাইন, (১৪ মার্চ ২০১৯)
গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে অনুষ্টিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ভোটবাক্সে ব্যালট ভরা, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি ২০১৮ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করা হয়েছে। বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত আছে। কিন্তু কার্যত সব ক্ষমতাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। গত ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু এই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এই নির্বাচনে ভোটবাক্সে ব্যালট ভরা, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার চলার সময় অনেক বিরোধী প্রার্থীকে হয়রানি, হুমকি দেয়া, বিতর্কিত গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে। এর ফলে অনেক বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের পক্ষে স্বাধীনভাবে নির্বাচনী প্রচার চালানো সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি এবং বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে পর্যবেক্ষকদের ভিসা দেয়া হয়নি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২২টি এনজিও'র মধ্যে মোটে ৭টিকে অনুমোদন দেয়া হয়।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, ডিসেম্বরের নির্বাচনে বেসামরিক কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো দেশজুড়েই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো নির্যাতনের বিচার না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকার খুব কম পদক্ষেপই নিয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, বাংলাদেশে আরও কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে গুম, খুন, নির্যাতন, অযাচিত সেন্সরশিপ, সাইট ব্লক করা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার লঙ্ঘন প্রভৃতি বিষয়।
| web |
5ece28c31310e0d211d616e19509c394 | কিশোরীর সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে আটক সেই মেজর!...-640021 । কালের কণ্ঠ । kalerkantho\nকিশোরীর সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে আটক সেই মেজর!\n২৪ মে, ২০১৮ ২২ঃ২৯\nলজ্জা! আর কী বা বলা যায়। একবছর আগে কাশ্মীরে ভোটের সময় স্থানীয়দের ছোড়া পাথরের হাত থেকে ভোটকর্মীদের বাঁচাতে এক স্থানীয় কাশ্মীরি যুবককে মানব ঢাল বানিয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাঁকে এর জন্য পুরস্কারও দিয়েছিল। সেই মেজরই শ্রীনগরের এক হোটেলে ১৬ বছরের এক কাশ্মীরি কিশোরীর সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে ধরা পড়লেন পুলিশের হাতে।\nহোটেলের মালিক জানিয়েছেন, গগৈ হোটেলের রেজিস্টার ফর্মে দুজনের নাম নথিভুক্ত করতে যেতে হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্ক ওই দুজনের আধার কার্ড চায়। আধার কার্ড দুটি দিতেই দেখা যায়, তাদের একজন স্থানীয় কিশোরী। এতে ফ্রন্ট ডেস্ক তাঁকে জানায় স্থানীয়দের তারা ঘর ভাড়া দিতে পারবে না। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি সেসময় স্থানীয় ওই ব্যক্তি ও কিশোরী বাইরে একটি গাড়িতে বসেছিলেন। এরপরই গাড়িতে থাকা ওই ব্যক্তিকে ফ্রন্ট ডেস্কের কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেন। উত্য়প্ত বাদানুবাদ চলার মধ্যেই হোটেল থেকে খবর দেওয়া হয় খানিয়ার থানায়।\nপুলিশ জানিয়েছে, মমতা হোটেলের ফোন পেয়ে তারা এই হোটেলে যায়। এরপরই বেরোয় মেজরের আসল পরিচয়। জানা যায় স্থানীয় ওই ব্যক্তির নাম সমীর আহমেদ। তিনি বুড়গামের বাসিন্দা। জানা যায় কিশোরীর পরিচয়ও। তাঁর বয়স ১৬। তিনজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।\nপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেসময় মেজর বাধা দেন। তাঁকে একরকম টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনা অফিসারটির পরিচয় ও তাঁর বিবৃতি গ্রহন করে তাঁকে তাঁর ইউনিটের হাতে তুলে দিয়েছে। বিবৃতি গ্রহন করা হয়েছে কিশোরীটিরও। তবে এবিষয়ে আরো তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি এসপি পানি। এ ব্যাপারে শ্রীনগরের এসপি (উত্তর)-র নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।\nএদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আসলে মেজর লীতুল গগৈ, কোনও অপরিচিত নাম নয়। গত বছর কাশ্মীরে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন একাংশের কাশ্মীরিরা। ভোটকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিতে তারা ভোটকর্মীদের গাড়ি লক্ষ্য করে সমানে পাথর বৃষ্টি করেছিল। সেসময় গগৈ এক কেন্দ্রে ভোটকর্মীদের পৌঁছতে এক অন্য উপায় নিয়েছিলেন। ফারুক দার নামে এক কাশ্মীরি যুবককে তিনি জিপের সামনে ঢাল হিসেবে বেঁধে নেন। এতে স্থানীয়রা আর গাড়িটি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে পারেনি।\nএ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিতর্ক উঠলেও ভারতীয় সেনাবাহিনী মেজর গগৈ-এর ওই কাজকে পুরস্কৃত করেছিল। তাঁকে নিজে হাতে কমেন্ডেশন কারড তুলে দিয়েছিলেন ভারতের সেনা প্রধান বিপিন রাউত।\nএদিনের ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় কাশ্মীরিরা একহাত নিয়েছেন মেজরকে। ফারুক দারের আইনজীবি আহসান আনটু বলেন, 'এবারে মেজরের আসল রূপ সামনে এল।'\nতবে সংশ্লিষ্ট অনেকের দাবি, মেজরের সঙ্গে হোটেলের ঘরে রাত কাটাতে কিশোরীটিরও সম্মতি ছিল। তাকে জোর করা হয়নি। কিন্তু সেক্ষেত্রেও তার বয়সের কথা চিন্তা করলে এটা একটা গুরুতর অপরাধ বটেই। সবচেয়ে বড় কথা এই ঘটনায় মুখ পুড়ল ভারতীয় সেনাবাহিনীর।
| web |
aab2ea7264bdad0a79ff4b6394913a502c2ec3a5 | গাজীপুর সংবাদদাতাঃ কাপাসিয়া উপজেলার দিগধা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ছাইদুল হক (৬৮) বুধবার বেলা ২ টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় তিনি শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সেফাউল হকের বড় ভাই ও কাপাসিয়ার বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব মরহুম মাওলানা ওয়ারেছ আলীর মেঝো ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ২ মেয়ে এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার দিগধা ফাজিল মাদরাসা ময়দানে নামাযে জানাযা শেষে তাকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মরহুমের নামাজে জানাজায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য ও গাজীপুর মহানগর আমীর অধ্যক্ষ এসএম সানাউল্লাহ, জেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী এবং কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ওলামা-মাশায়েখ নেতৃবৃন্দ ও বিপুল পরিমাণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে অধ্যক্ষ মাওলানা ছাইদুল হকের মৃত্যুতে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি জননেতা হারুনুর রশীদ, জেলা প্রচার সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান খান ও কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর শোকবাণী দিয়েছেন। এক যুক্ত শোকবানীতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান আল্লাহ মরহুমের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন। নেতৃবৃন্দ ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনে তার অবদানের জন্য আল্লাহর কাছে উত্তম জাযা কামনা করেন এবং পরিবার ও আত্নীয়-স্বজনদের শোক সইবার তাওফিক কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
| web |
5d7cee6d92d8933cee0c29ac109c4032bb247a8f | রাজস্থান রয়্যালস দলের ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্ট সেরা বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। ট্রেন্ট বোল্টের স্ত্রী একজন শিক্ষিকা, তাঁর বয়স ২৮ বছর। বোল্ট প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন। বোল্টের স্ত্রীর নাম গার্ট স্মিথ। দুজনের প্রথম সাক্ষাতের কথা বলতে গেলে, তাঁদের সাক্ষাৎ হয় নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে। প্রথম দেখাতেই স্ত্রীর প্রেমে পড়ে যান বোল্ট। এখান থেকেই দু'জনের মধ্যে এক দফা আলোচনা শুরু হয়।
ট্রেন্ট বোল্ট ২০১৬ সালের জুন মাসে একটি ভ্রমণের সময় স্ত্রী গার্টকে প্রস্তাব দেন। এক বছর ধরে দুজনেই একে অপরকে ডেট করেন। এরপর ট্রেন্ট বোল্ট আগস্ট ২০১৭ সালে গার্টকে বিয়ে করেন। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বাবা হন গার্ট। তাঁদের একটি ছেলে আছে। বোল্টের প্রেমের খবর সামনে এলেই নিউজিল্যান্ডে দারুন বিখ্যাত হয়ে ওঠেন গার্ট।
গার্টের আসল নাম আলেকজান্দ্রা। গার্ট ছিল পরিবারের দেওয়া একটি ডাকনাম কারণ তার ছোট ভাইয়ের পক্ষে উচ্চারণ করা সহজ ছিল তাই।
গার্ট আরও প্রকাশ করেছিলেন যে তার ছাত্রদের মধ্যে একটি বাজি ছিল যে তিনি নিউজিল্যান্ডের একজন তারকা খেলোয়াড়ের সাথে ডেটিং করছেন। আইপিএলের এই ১৬ তম আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।
| web |
a87e6a436a66571d7b99b5b0b687028468a4e22f | আমার মেধা ও যোগ্যতা মানুষ ও মানবতার কল্যানে কতটুকু ব্যয় করতে পেরেছি?
আমাদের দেশের মানুষের টেন্ডেন্সি হলো লেখাপড়া করা মানে হলো চাকুরী করা। নেই কোন সৃজনশীলতা তৈরীর উদ্যোগ। উদ্যোগ বা সেই মাপের কর্মক্ষেত্র তৈরীর উদ্যোগ।
এই প্রেক্ষিতে, আমাদের কওমী মাদ্রাসার ভাইদের টার্গেট থাকে মসজিদের ইমামতী করানো আর কলেজ ভার্সিটিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রের টার্গেট থাকে একটা চাকরি করতে হবে।
কি চাকুরী? সরকারি চাকরি। না হলে একটা বে সরকারি চাকরি। তা না হলেও যে কোন একটা ছোট খাট চাকরি হলেই চলবে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় ইন্জিনিয়ারিং শেষ করেও ব্যাংকার হতে, এমবিবিএস পাশ করেও ইউএনও হতে।
লক্ষ্য যেহেতু চাকরি করা, মেধা সৃজনশীলতা ও পড়ালেখা সেখানে অর্থ হীন।
শিক্ষামন্ত্রী, পাঠ্যসূচীতে কি কি পরিবর্তন এনেছেন? শিক্ষকদের কি কি প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষা দিয়েছেন?
আমাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থার আউটপুট কি?
শিক্ষামন্ত্রীর কাজ কি? বেকার প্রডাকশন দেওয়া?
ধন্যবাদ মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী,আপনি অনার্স মাষ্টার শেষ করা ছাত্রকেও আজ কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদেরমতো বেকার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেনঃ চাকুরী না খুঁজে নিজেকেই কিছু করতে হবে।
প্রতিদিন বাংলা বলেছেনঃ দূরের সবকিছুই ছোট লাগে ,
কাছে গেলে বুঝা যায় বিশালত্ত্ব।
আশিকি ৪ বলেছেনঃ বাবু বাই চবি গুলা যেখান তেকে সংগ্রহ করেছেন তার লিংক যুক্ত করে দিন। অপ তানভির গং সুত্র ছারা ছবি বা কফি লেখা প্রকাশ যারা করে তাদের একটা তালিকা বানায় ফুষ্টু লিখসে। যেটা স্টিকি করা হবে।
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেনঃ শিক্ষামন্ত্রী বলছিলেন যত্রতত্র অনার্স মাস্টার্স করার প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করবেন, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন। সেটা হলেই মঙ্গল।
©somewhere in net ltd.
| web |
4fa159b3af54e93ff8272d91e86ad191206e7ad3 | সাত দিনের চলমান কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীতে সরকারি আদেশ অমান্য করায় ৬১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৪ জুলাই) বিকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬১৮ জনকে আটকের পাশাপাশি অযথা বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৬১ জনকে ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউনের নিময় ভঙ্গে ৪৯৬টি গাড়িকে ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
কঠোর এই লকডাউনে অযথা ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও শপিংমল, দোকানপাট, গণপরিহন বন্ধ রাখা হয়েছে। জনসাধারণকে কঠোর স্বাস্থবিধি মেনে চলারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
| web |
df274509e726ab3e40574baa8a9df3d495fc47e1 | ফিনল্যান্ডের কুপিও শহরে একটি উন্মুক্ত কলেজে হামলায় অন্তত একজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী তলোয়ার নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী একটি ধারালো অস্ত্র ও বন্দুক বহন করছিল। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘিরে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী একজন ফিনিশ নাগরিক। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ওই কলেজে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী ও ৪০ জন কর্মী ছিলেন। হামলার সময় কতজন উপস্থিত ছিলেন তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি পুলিশ।
ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টি রনি এই হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন। দেশটিতে এমন হামলার ঘটনা বিরল। চলতি বছরের মার্চে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক বিভাগের জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের খেতাব অর্জন করেছিল ফিনল্যান্ড। এর আগের জরিপেও ফিনল্যান্ডের দখলেই ছিল এ খেতাব।
| web |
259f6fc761f4592580fa03efa8353a482f29cc95 | র্যাঙ্কিং নিয়ে যেন একটা ধোঁয়াশাই চলছে। ভারতের সঙ্গে সিরিজের আগে বাংলাদেশ ছিল আটে, প্রথম ম্যাচ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে চলে এসেছে সাতে। এবছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের আটের মধ্যে থাকলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা নিশ্চিত, সেই হিসেবে বাংলাদেশের খেলা নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। তার ওপর পরের ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ রেটিং আরও বাড়িয়ে নিয়েছে। কিন্তু আট ও নয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান জিম্বাবুয়েকে নিয়ে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার পরিকল্পনা করছে। ধুয়া উঠে গেছে, বাংলাদেশ সেরকম হলে আটের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আসলেই কী তাই ?
কয়েকটা ব্যাপার একটু খতিয়ে দেখা যাক। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রেটিং ৯৩, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮৮, পাকিস্তানের ৮৭। সামনের মাসে বাংলাদেশে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তিনটি ওয়ানডে খেলবে। টাইগাররা এই তিনটির ওয়ানডের অন্তত একটি জিতলে তো কথাই নেই, এতো হিসেব নিকেশের দরকারই পড়বেনা; আর বাংলাদেশ ওয়াইটওয়াশ হলেও পয়েন্ট কমে হবে ৯০।
৩০ সেপ্টেম্বরের আগে এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো খেলা নেই। কাজেই তাদের রেটিং ৮৮ থেকে বাড়ার বা কমার সম্ভাবনাও নেই। ওদিকে পাকিস্তানের সামনে সুযোগ আছে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিতে সেটাকে বাড়িয়ে নেওয়ার। সামনের মাসেই ১১ জুলাই থেকে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান, সেটা জিতলেই শুধু আটের মধ্যে আসার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তারা টপকে যাবে, বাংলাদেশকে নয়।
আর অন্যদিকে, পাকিস্তান যদি শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ জেতে, তাহলে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে চলে যাবে আটের মধ্যে। কিন্তু হারলে আরো কমে যাবে রেটিং। এদিকে যদি ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়, তাহলে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুযোগ থাকছে পয়েন্ট বা রেটিং বাড়িয়ে নেওয়ার। কিন্তু দুই দলেরই অবস্থান পয়েন্টের বিচারে কাছাকাছি, নিজেদের মধ্যে তাই ম্যাচ জিতলে খুব একটা পয়েন্ট বাড়বে না। আর র্যাঙ্কিংয়ে দুর্বল অবস্থানে থাকা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতলেও খুব বেশি যে পয়েন্ট বাড়বে তা তো নয়ই, বরং ম্যাচ হারলে এই দুই দল পয়েন্ট হারাবে অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় কথা, ত্রিদেশীয় সিরিজ হলেও যে কোনো একটা দল তো হারবেই, তার মানে তাদের রেটিং কমবে অবধারিতভাবেই। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান যদি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জেতে, তাহলে ওই সিরিজ খেলার ঝুঁকি কেন নিতে যাবে? আর পাকিস্তান যদি হেরে যায়, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজই বা খেলে নিজেদের রেটিং কমানোর ঝুঁকি নেবে কেন? মোদ্দা কথা, সিরিজ হলেও বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা করার তেমন কারণ নেই।
| web |
c15cfcfd2c59a5e5e65ffa6db7b6df8001f0abbf | উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মানচিত্রে স্থান করে নিল ইসলামপুরের সায়ন কুমার দাস। মন্ত্রী হিসেবে নয় এই স্কুলের শিক্ষক হিসেবে রাজ্যে চতুর্থ স্থানাধিকারী সায়নকে শুভেচ্ছা জানাতে এলাম। শুক্রবার ইসলামপুর হাইস্কুলে এসে কৃতী ছাত্র সায়নকে পাশে নিয়ে এমনই জানান রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী। এদিন ওই ছাত্রকে সংবর্ধনার পাশাপাশি সবাইকে মিষ্টিমুখ করান মন্ত্রী রাব্বানী। বিদ্যালয়ের তরফে প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সলিমুদ্দিন আহমেদ ওই কৃতিকে সংবর্ধনা জানান।
পল্লবী সাহার পর আবার উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মানচিত্রে স্থান রাখলো ইসলামপুরের সায়ন কুমার দাস। সায়ন রাজ্যে চতুর্থ স্থান দখল করায় ইসলামপুর শহরের মানুষের মনে যেন উচ্ছাসের বহিঃপ্রকাশ। সায়নের প্রাপ্ত নাম্বার ৪৮৭। ইসলামপুর হাই স্কুলের কৃতী ছাত্র সায়ন মাধ্যমিকেও রাজ্যে একাদশ তম স্থানে ছিল। আই আই এস ই আর তে ভর্তি হবার পাশাপাশি ভবিষ্যতে গবেষণা মূলক কাজ করতে আগ্রহী বলে জানায় সায়ন। সায়নের বাবা সমর দাস সাগুদাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন, থাকেন স্থানীয় নেতাজী পল্লী এলাকায়। সায়ন কুইজে ভীষণ আগ্রহী। নানান প্রশ্নের অজানা উত্তর যেন ওর মুখস্ত।
| web |
0720eff219834be9946281284221f02548269705 | ব্রাসেলসঃ এসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (Association of Southeast Asian Nations) (আসিয়ান)-এ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ইউরো (১০. ৬ বিলিয়ন ডলার) সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) (ইইউ)। সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবর অনুসারে বুধবার অনুষ্ঠিত ইইউ-আসিয়ান স্মারক সম্মেলনে (EU-ASEAN Commemorative Summit) ইইউ ও এর সদস্য দেশগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবুজ রূপান্তর,'সাসটেইনেবল কানেক্টিভিটি ইনিশিয়েটিভ' এবং 'গ্রিন টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ'-এর আওতায়, ও টেকসই যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগে জ্বালানি, পরিবহন, ডিজিটালাইজেশন, শিক্ষা এবং বাণিজ্য ও টেকসই মূল্য শৃঙ্খলের প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই তহবিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তর, প্রয়োজনীয় পরিষেবায় উন্নত প্রবেশাধিকার এবং অর্থনৈতিক সুযোগ ও চাকরিতে সহায়তা করবে।
বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে নেতারা ইইউ-আসিয়ান কম্প্রিহেনসিভ এয়ার ট্রান্সপোর্ট চুক্তি (EU-ASEAN Comprehensive Air Transport agreement), যার মানে প্রথমবারের মতো অঞ্চল থেকে অঞ্চল বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের বিশেষ প্রশংসা করেন। সম্মেলনের শেষে আসিয়ানের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী ইইউর সঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আসিয়ান নেতারা। স্থায়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসারে তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ, এটিও জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লেয়েন (Ursula von der Leyen) জানান যে এখনও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে কারণ, যখন তাঁরা একে অপরের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, তখন তাঁদের বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ। সামিটের সময়, বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাতের বিষয়েও আলোচনা হয় এবং এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন নেতারা, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাতের কারণে ভোগান্তির বিষয়ে তাদের আপত্তি সহ, বিবৃতিতে বলা হয়।
| web |
9aa24611d6f71a8e9f2d44cd7fb36809c79a8230 | টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপনে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'কনসার্ট ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ'।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর বাড্ডার মাদানী এভিনিউয়ের ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে এই কনসার্ট হবে।
রক ও মেটাল ব্যান্ড ওয়ারফেজ, নেমেসিস, স্পন্দন, মমতাজ, ঐশী, প্রীতম হাসানের মতো তারকারা এই কনাসার্টে পারফর্ম করবেন।
এই কনর্সাট সবার জন্য উন্মুক্ত, এতে যোগ দিতে কোনো নিবন্ধন লাগবে না, লাগবে না কোনো টিকেট।
কনসার্টের আয়োজক তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সার্বিক প্রস্তুতি দেখেছেন। তিনি নিজে রিহার্সেলে অংশ নিয়েছেন।
ঢাকার বাইরেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই কনসার্ট। রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে ৩টায় আর সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট।
'সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার ৩য় বারের মত উদযাপিত হতে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯।
২০১৭ সালের প্রথমবারের মতো এ দিনটি (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়েছিল।
২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রথম জাতীয়ভাবে তথ্যপ্রযুক্তি দিবস পালনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করা হয়। যার মূল উপজীব্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন। তাই জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি দিবস নির্ধারণে তখন এ বিষয়টিকেই ভিত্তি ধরা হয়েছে।
ভিশনের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ততা বাড়াতে নাম পরিবর্তন করে পরে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস করা হয়।
আর দেশব্যাপী নানা আয়োজনে ২০১৮ সাল হতে দিনটি 'ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস' নামে পালন শুরু হয়।
| web |
581a99edfccdf760c0aa5bf1f732d181 | খাদ্য হিসেবে মুরগি সারাবিশ্বে ব্যাপক সমাদৃত। অধিক স্বাস্থ্যকর ভেবে অনেকে লাল মাংসের চেয়ে মুরগিই পছন্দের প্রথম তালিকায় রাখেন। চিকেন ফ্রাইড, তরকারি, রোস্টসহ নানান রকমের আইটেমে মুরগি খাওয়া হচ্ছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, পোল্ট্রি ফার্মের ব্যাপক উত্থানের ফলে মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণে অনেকটাই ভাটা পড়েছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির বুকের সাদা অংশে উচ্চমাত্রায় চর্বি থাকে। মূলত অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানোর ফলেই ফার্মের মুরগির বুকে চর্বি জমে সাদা রং ধারণ করে। মুরগির দ্রুত বৃদ্ধি এবং বড় দেখানো জন্য খামারিরা এমন কাজ করে থাকেন।সুপারমার্কেট থেকে আমরা যে মুরগি কিনে খাচ্ছি, সেখানে উচ্চমাত্রায় চর্বি থাকলেও পুষ্টি উপাদান নেই বললেই চলে।আরকানসাস ও টেক্সাস ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, মুরগির বুকের সাদা অংশ মাংসের গুণগত মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মাংসের স্বাদও অনেকটা নষ্ট করে দেয়।
| web |
d67da62e83b3647bd1dba26f4039520fb07e3712 | কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়ায় ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে আব্দুর রহমান নামের এক চিকিৎসককে গণপিটুনি দিয়েছে রোগীর স্বজনেরা।
সোমবার (১৯ জুন) বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় অবস্থিত বেসরকারী আদ্ দ্বীন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে । খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গণপিটুনির শিকার ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করেন। গণপিটুনির শিকার ডা. আব্দুর রহমান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক অজ্ঞানকারী চিকিৎসক। অবসরে যাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে অপারেশনের সময় রোগীকে অজ্ঞান করার কাজ করেন।
এদিকে ঘটনার পরেই এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। চার মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখাযায়, কয়েকজন বিক্ষুব্ধ লোক একব্যক্তিকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করছে। দুইজন নার্সসহ কয়েকজন মিলে ওই ব্যক্তিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
রোগীর স্বজন,পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার জিকে স্কুল এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব আলীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুনের পিত্তথলির পাথর অপারেশনের জন্য দুইদিন আগে কুষ্টিয়ায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে ডা. আমিরুল ইসলাম এর কাছে যান। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আজ সকালে তাকে অপারেশনের কথা জানান আমিরুল ইসলাম।
চিকিৎসাকের কথা মতো রোববার বিকেলের দিকে ফিরোজা খাতুন আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অজ্ঞানকারী চিকিৎসক ডা. আব্দুর রহমানকে সাথে নিয়ে ডা. আমিরুল ইসলাম রোগীর অপারেশন শুরু করেন। অপারেশন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগীর রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়ায় অপারেশন বন্ধ রেখে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীকে পার্শ্ববর্তী মান্নান হার্ট হাসপাতালে পাঠায় আদ-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে নেওয়া পথেই ফিরোজা খাতুনের মৃত্যু হয়।
এসময় ফিরোজার স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও আদ-দ্বীন হাসপাতালে আসেন এবং অপরেশনের অজ্ঞানকারী চিকিৎসক ডা. আব্দুর রহমানকে সামনে পেয়ে তার উপর হামলা চালায়। এসময় তাকে কিল-ঘুষি এবং এলোপাথারি লাথি মারা হয়। পরে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় মারা যাওয়া ফিরোজা খাতুনের ছেলে আসাদুল বলেন, 'আমার আম্মুকে সুস্থ অবস্থায় অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। তারপর আমি অপারেশনের জিনিসপত্র কিনে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, রোগী অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে অপারেশন করতে পারবো না। তার পরক্ষণেই আমার আম্মু মারা যায়। ' অপারেশন থিয়েটারে ভুল কিছু হওয়ার কারণেই আমার মা মারা গেছেন।
ঘটনার সময় অপারেশন থিয়েটারে থাকা আদ-দ্বীন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি আক্তার বলেন,'প্রথমে আমরা রোগী নিয়ে আসলাম, রোগীর কোনো সমস্যার কথা আমাদের বলা হয়নি। সে স্বাভাবিক ছিলো, চিকিৎসকের সাথে কথাও বলেছেন । ডাক্তার আপারেশন কারার সময় রোগীর সেচুরেশন কমে যায়। পরে আস্তে আস্তে আর শ্বাস নিতে পারছিলো না। তখন অপরেশন বন্ধ রাখা হয়।
| web |
5176b10366401bf859bd8669ab31a84fc6c41163 | পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা খসড়া প্রস্তাব যুদ্ধ বন্ধের জন্য নয়, দোষারোপের জন্য ছিল। সাধারণ পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে বাংলাদেশ, ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সোমবার আরব আমিরাতে যাচ্ছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর প্রতিবাদে সাধারণ পরিষদ একটি জরুরি অধিবেশন ডাকে। আলোচনা শেষে ২ মার্চ রাতে পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সমর্থনে রুশ হামলা বন্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়। বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবের ওপর ভোটদানে বিরত ছিল।
পরিষদের প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যদেশের মধ্যে ১৪১টি পক্ষে ভোট দেয়। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তানসহ ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়াসহ পাঁচটি দেশ।
| web |
36cc1e863bc0e20e15aee042631b202a30c876f5 | উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সিরাজগঞ্জে গত চারদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে দ্বিতীয় দফায় আবারও বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে, জেলার বন্যাকবলিত অন্তত দেড় লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে আজ সোমবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এমন অবস্থায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দিন দিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
প্রায় ২২ দিন যাবৎ জেলার যমুনা নদী অববাহিকার বন্যাকবলিত পাঁচ উপজেলা কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের ১ লক্ষ ৬০ হাজার ভানবাসি মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। করোনা দুর্যোগের মাঝে একটানা বন্যা ও বৃষ্টিতে আরও হতাশায় ফেলেছে তাদের।
| web |
46fbc760cdaba59403e08202cad305ecf4135353 | এই মুহূর্তে চালের দাম কমানো যাচ্ছে না তাই উৎপাদন আরো বাড়াতে সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে এই সংক্রান্ত এক সভা শেষে কৃষিমন্ত্রী একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই বছরে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ কিভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেটাই এখন সরকারের লক্ষ্য। এজন্য কী করতে হবে, সরকার কোন ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে পারে? সরকারের পক্ষ থেকে বীজ সার কতটা সরবরাহ করতে হবে সেটাই এখন নির্ধারণ করতে হবে।
সবমিলিয়ে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ বাড়াতে দুই বছরের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার কথাও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। যে কমিটি শিঘ্রই এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে যে, কিভাবে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ বাড়ানো যায়।
| web |
2b680987c3e504b6a0081fea4c71e9f7c4d27e616674b8ce897e3676874a406d | থে- সঞ্জীবক বলল, "যদি অভয় দেন, তবে ।" "না না," করটক বলল, "ভয়ের কিছু নেই। তুমি কি জান নাপ্রবলবায়ু কোমল, ক্ষুদ্র ও সর্বপ্রকারের নিচু তৃণকে উৎপাটিত করে না। উন্নত বৃক্ষকেই ভাঙে বা উৎপাটিত করে। প্রবল প্রলের প্রতিই শৌষ প্রদর্শন করে।
যাকগে, চলঃ" বলে দমনক ও করটক সঞ্জীবককে নিয়ে চলল রাজার কাছে। ডেন্নার কাছে নিয়ে একটা ঝোপের আড়ালে সঞ্জীবককে রেখে তার। দুজনে ঢুকে গেল গুহায়
রাজা তো তাদের দেখেই বলল, "আরে, আরে. এস এস। তারপর কি খবর? সেই প্রাণীটার দেখা পেলে ?"
"হ্যাঁ মহারাজ," দমনক বলল, "আপনি যেমন বলেছিলেন, গর্জনও যেমন প্রচণ্ড দেখতেও তেমনি ভয়ঙ্কর। তাকে নিয়ে এসেছি এখানে আপনার সঙ্গে দেখা করবে বলে।"
"অ্য," বলে হাত-প। এলিয়ে দিল সিংহ। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ। কথায় আছে নাজলের বেগে আপনিই বাঁধ ভেঙে যায়, গোপন না রাখলে মন্ত্রগুপ্তিত প্রকাশ হয়ে যায়, খলায় প্রণয় নষ্ট হয় আর কথায় লঘুচিকে বশ করা যায়।
সিংহের হয়েছে তাই। ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলল, · তা-তাহলে তুমি বলছ, সে এখানে আছে ?
দমনক কিন্তু ঠিক লক্ষ্য করেছিল সিংহের ভাব। সে বলল, "না মহারাজ ভয়ের কিছু নেই। আপনি ঠিক হয়ে বলুন । আপনি কি
জানেন না-শব্দের কারণ না জেনে কেবল শব্দ শুনেই ভয় করা উচিত নয়। শব্দের কারণ জেনেই না এক দূতী রাজ সম্মান লাভ করেছিল।"
"তাই নাকি?" রাজা বলল, "কি রকম?"
"তাহলে শুনুন মহারাজ ।" বলে দমনক বলতে লাগল :
গল্প : পাঁচ
শ্রীপর্বতে ব্রহ্মপুর নামে একটি নগর ছিল। লোকে বল · সেই পর্বতের চূড়ায় ঘণ্টাকর্ণ নামে নাকি এক রাক্ষস বাস করত ।
তা সত্যি মিথ্যে যাই হোক, একদিন এক চোর এক ব্রাহ্মণের বাড়ি থেকে একটা ঘণ্টা চুরি করে। চুরি করে সে গোপনে সেই পর্বতের চূড়ার কাছ দিয়ে একটা পথে যাচ্ছিল। তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাকে থেয়ে ফেলে।
এদিকে হয়েছে কি, সেই পর্বতে কতগুলি বানর বাস করত। তারা একদিন সেই ঘণ্টাটা পেয়ে খুব খুশি। টিং টিং করে ঘণ্টা বাজায়
আর নাচে।
পাহাড়ী জায়গ! তো, চারদিকে খুব শব্দ নগরের লোকেরাও শুনতে পেত।
নীরব। নেই ঘণ্টার টিং টিং এদিকে মাঝে মাঝেই তো তারা একদিন বাঘের খাওয়া
কাঠুরিয়ার। পর্বতে কাঠ কাটতে যেত ।
এক পথিকের দেহ দেখতে পেয়ে ভাবল নিশ্চয় ব্রাক্ষসই তাকে খেয়েছে । একটু পরে দূর থেকে সেই ঘণ্টার শব্দ শুনে ভাবল এটাও নিশ্চয় রাক্ষসই বাজাচ্ছে।
তারপর থেকে তারা যখনই ঘণ্টার শব্দ শোনে তখনই ভাবত
রাক্ষসই মানুষ খাচ্ছে আর ঘণ্টা বাজাচ্ছে। তারপর সেই নগরের এবার ভয়ে রাজ্য ছেড়ে পালাতে লাগল।
রাজা পড়লেন মহা বিপদে। প্রজাব্বাই যদি চলে যায় তবে কাকে নিয়ে রাজত্ব করবেন তিনি। তখন রাজার কয়ালা নামে এক বিশ্বাসী যুতী ভাবল রাক্ষস যদি মানুষ খায়ই তবে সে ঘণ্টা বাজাবে কেন? তাহলে মানুষ তো ভয় পেয়ে পালিয়ে যাবে। তাছাড়া এই পর্বতে যে রাক্ষস আছে তারও তো কোন প্রমাণ নেই। তাই সে খোঁজ করে দেখল এগুলি বানরের কাজ।
তারপর সে রাজার কাছে গিয়ে অভয় দিয়ে বলল, "মহারাজ যদি অনুমতি করেন তবে আমি ঘণ্টাকর্ণকে বশীভূত করতে পারি। তবে সামান্য অর্থব্যয় করতে হবে আপনাকে।"
তার কথা শুনে রাজা তো খুব খুশি। তাকে যথেষ্ট টাকাকড়ি দিয়ে বললেন- "তুমি যদি রাক্ষসকে বশীভূত করতে পার তোমাকে যথেষ্ট ধনদৌলতে দেওয়া হবে।"
তারপর সেই দূতী একদিন অনেক কলা কিনে পর্বতের এক জায়গায় ছড়িয়ে রেখে সেখানে অপেক্ষা করতে লাগল। বানরগুলি তো অতশত জানে না। তারা একটু পরে এসে ঘণ্টাটা মাটিতে ফেলে কলাগুলি খেতে খেতে চলে গেল ।
আড়াল থেকে পুরী তো সবই দেখেছে। সে তখন বেরিয়ে এসে ঘণ্টাটা নিয়ে রাজবাড়িতে গিয়ে রাজার হাতে তুলে দিল। রাজা তো খুব খুশি। বখশিসও করল সেরকম। প্রজারা তো আনন্দে আত্মাহারা। রাক্ষসের আর ভয় নেই। তারপরে সে যা সম্মান পেল তা আর কি বলব। সেজন্যই বলেছিলাম শব্দের কারণ না জেনেই ভয় তো সবাই ভয় পেয়েছিল।
সে যা হোক, তারপর দমনক ও কয়টক তো সঞ্জীবককে নিয়ে এল সিংহের কাছে। প্রথমটা ঘাবড়ে গেলেও সিংহ যখন দেখল এ একটা বলা ছাড়া আর কিছুই নয়, তখন সে একটু আশ্বস্ত হল।
সঞ্জীৰককে তখনই খেয়ে ফেলতে পারত। কিন্তু সে ভাবল, না এভবড় প্রাণীটাকে না খেয়ে যদি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করি তবে ভবিষ্যভে অনেক উপকার হতে পারে। তাই সে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে একসঙ্গে বাস করতে লাগল ।
দিন যায়। একদিন স্তব্ধকৰ্ণ নামে সিংহের এক ভাই এল পিঙ্গলকের সঙ্গে দেখা করতে। পিঙ্গলক মহা খুশি হয়ে ভাইকে আদর আপ্যায়নের পর প্রচুর প্রাণী হত্যা করে তাকে খেতে দিল।
খাওয়া দাওয়া সেরে তারা বসে কথা বলছে এমন সময় সঞ্জীবক এসে পিঙ্গলককে বলল, "প্রভূ, আজ যে এতগুলি জন্তু হত্যা করা হয়েছে তার মাংস গেল কোথায় ?"
পিঙ্গলক হেসে বলল, "এর উত্তর দমনক ও করকট জানে।" "তারা দুজনে এত মাংস খেয়েছে ?" সঞ্জীৰক বলল।
"না না," পশুরাজ বলল, "এত মাংস কি আর খেতে পেরেছে। কিছু খেয়েছে, কিছু নষ্ট করেছে। রোজই তো তারা এরকম করে।" "সে কি ! আপনার অজ্ঞাতসারে তারা এরকম করে ?" "হ্যাঁ, তারা এরকমই করে!"
"না, না, এ তো ভাল কথা নয়।" সঞ্জীবক বলল, "কথাতেই তো
বিপদ নিবারণ ছাড়া রাজার কাছে না বলে কোন কাজ নিজের ইচ্ছানুসারে করা উচিত নয় ।
যে অমাত। এক কপর্দকও বৃদ্ধি করতে সক্ষম সেই শ্রেষ্ঠ । ধনশালী ভূপতির ধনই প্রাণ, অন্য কিছু নয়। আর,
যিনি আয়ের কথা বিবেচনা না করে যথেচ্ছাচার করেন তিনি কুবেরের মত ধনশালী হলেও শীঘ্রই ভিক্ষুকের মত দরিদ্র হয়ে পড়েন।"
স্তব্ধণ বলল, "হ্যাঁ, ঠিকই বলেছ সঙ্গীকে। তো যুদ্ধের কাজেই নিযুক্ত। তাদের কেন মাংস
দমনক ও কটক মানে ধনের কাজে
নিয়োগ করেছ? কাকে কি কাজে নিয়োগ করবে জান না? শাস্ত্রেই তো আছেব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও আত্মীয় স্বজনকে ধনাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা উচিত নয় বায় করবার জন্য রাজার অনুমতিপ্রাপ্ত অর্থও ব্রাহ্মণ অতিকষ্টে দান করেন না।
ধন রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ক্ষত্রিয় নিশ্চয় খড়্গ প্রদর্শন করে ( অর্থাৎ উৎকোচদশনে লোককে বশীভূত করে রাজ্যলাভে অস্ত্রশহণ করে) জ্ঞাতিবর্গের মত আত্মীয় অধিকার করে সব অর্থ গ্রাস করে।
সকল প্রকার অমাতাই, উত্তম, মধ্যম এ অদম, ধনশালী হলে জা বশে থাকে না। ঐশ্বর্যং চিত্তবিকার ঘটায়, এ সিদ্ধপুরুষদেরই উপদেশ ।
প্রাপ্ত অর্থ গ্রহণ করা, বহুমূল। দ্রব্য পরিবউন করে তাল্পমূল্যের প্ৰৰ। ব্লথে দেওয়া, হ্যায়বিচারে পক্ষপাতিত কর. রাজার कार्य উপেক্ষা করা, করা, অভিভাবকের ভোগবিলাসে আসক্তি মন্ত্রীর দোষ।
-কর্মচারিগণের নাগমে বিঘ্ন সৃষ্টি করা, সর্বদ। রাজাকে পরীক্ষা কর!, অধীনস্থকে প্রশ্রয় দেওয়া " কর্তব্য কর্মে উপেক্ষাও মন্ত্রীর দোষ।
স্বায়হীন ধনগ্রহণকারী কর্মচারীদের বারবার পীড়ন কর। রাজার কর্তব্য । স্নানবন্ধু একবার নিংড়াশেই কি বজল
বের হয় ?
"যাকগে যা বললাম, " স্তব্ধণ বলল এখন বুঝে দেখ ।" পিলক বলল, "যা বলেছ ঠিকই বলেছ, কিন্তু দমনক ও করটক নামার কোন কথাই শোনে না।"
স্বরূৰ্ণ ৰলল, "না না, এ তো ঠিক নয়। কথায়ই তো আছে - নিশ্চেষ্ট ব্যক্তির যশ নষ্ট হয়, খলের নষ্ট হয় মৈত্র, চরিত্রহীনের
| pdf |
def12aee4b286583d8be69451c47c0d6 | সম্পর্কের মাঝে বিভেদ ডেকে আনল সাধের বিরিয়ানি। স্বামী বিরিয়ানি খেতে ভালবাসেন, স্ত্রী আবার বিরিয়ানি গন্ধও সহ্যও করতে পারেন না।
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা রাজু সরকার ও তাঁর স্ত্রী অনিতা সরকার গত ৮ বছর ধরে কর্নাটকের কাম্মাগোন্ডানাহাল্লিতে থাকেন। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। কয়েক দিন আগে রাজু রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন অনিতা বাড়িতে নেই। শেষে অনেক খোঁজ করে তাঁর কোনও হদিস না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন রাজু।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ খোঁজ করে জানতে পারে অনিতা তাঁর বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বাড়ি ছাড়ার কারণ জানতে গিয়ে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ।
জানা যায় যে, অনিতা বিরিয়ানির গন্ধ একেবার সহ্য করতে পারতেন না। অন্য দিকে রাজু বিরিয়ানি খেতে প্রচণ্ড ভালবাসতেন। অনিতা নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন রাতে রাজু বিরিয়ানি নিয়ে আসেন বাড়িতে। ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়াও করেন তিনি। তখন অনিতা অন্য একটি ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরের দিন কাউকে না জানিয়ে ১২ হাজার টাকা নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান অনিতা। জানা গিয়েছে, অনিতা সেইসময় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ছিলেন।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমরা বিষয়টি স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হিসেবেই দেখছি। এখন ওই মহিলা তাঁর স্বামীর কাছেই রয়েছেন।"
ওই দম্পতির মধ্যে বিরিয়ানি নিয়ে সমস্যা মিটবে কি না জানা নেই। তবে বিরিয়ানি নিয়ে দাম্পত্য কলহ এমন জায়গায় পৌঁছতে পারে, তা ভেবেই অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকে।
| web |
de0680ad7bf1ad8f77254bc6ff814df2f40d217f | ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ফুলবাড়ী উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের একমাত্র খেলার মাঠে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক দখল করে গাছ লাগানোর প্রতিবাদে ও খেলার মাঠ রক্ষায় দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় খুদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চাঁদাপাড়া মৌজার ১৮১৫ ও ১৮১৬ দাগের সরকারি খাস জমিতে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। হঠাৎ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদুর রহমান জোর করে মাঠ দখল করে বিভিন্ন প্রকার গাছ রোপণ করছেন। আমরা তাকে নিষেধ করলেও সে আমাদের কথায় কোনো কর্ণপাত না করায় আমরা প্রতিবাদস্বরূপ মানববন্ধন করছি।
পরে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের গণস্বাক্ষরকৃত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রিয়াজ উদ্দিন বরাবর দেয়া হয়।
| web |
1cda3da20b62e68e72801593a9fa3dc3f1ecf07f | আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান নেতা ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা দিনে দিনই বাড়ছে। টানা তিন জয়ে তার সম্ভাবনা এখন যথেষ্ট উজ্জ্বল বলে মনে করছেন অনেকে। এরই মধ্যে তাকে আক্রমণ করে বসলেন প্রার্থীতার দৌড়ে থাকা অপর রিপাবলিকান নেতা মার্কো রুবিও। ট্রাম্পকে তিনি একজন 'নিকৃষ্ট' ব্যবসায়ী বলে মন্তব্য করেছেন।
সুপার টুইসডে'র আগে রিপাবলিকান নেতাদের সর্বশেষ বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন টেড ক্রুজ, মার্কো রুবিও ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিতর্কেই ট্রাম্পকে ধুয়ে দিয়েছেন প্রার্থীতার দৌড়ে থাকা বাকি দুই সম্ভাবনাময় নেতা। কম যাননি ট্রাম্পও। প্রার্থীদের অভিবাসন ও স্বাস্থ্য পরিকল্পনাই এবারের বিতর্কের মূখ্য বিষয় ছিল।
বিতর্কে প্রথম কামানটা দাগেন মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, উত্তরাধীকার সূত্রে ট্রাম্প যদি ২০০ মিলিয়ন ডলার না পেতেন, তাহলে তিনি কোথায় থাকতেন, তা কেউ অনুমান করতে পারবে না। তিনি একজন 'নিকৃষ্ট' ব্যবসায়ী।
এ সময় ট্রাম্পের বিফল অনলাইন শিক্ষা উদ্যোগ, ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে কড়া সমালোচনা করেন রুবিও। এছাড়া ট্রাম্পের নির্মাণ প্রকল্পে আমেরিকানদের রেখে বিদেশি কর্মী নিয়োগেরও সমালোচনা করেন তিনি। রুবিও বলেন, এই স্টেজে একমাত্র আপনিই আছেন, যিনি অবৈধভাবে কর্মী নিয়োগ করে জরিমানার মুখে পড়েছেন।
জবাবে উত্তপ্ত ট্রাম্প বলেন, আমি লাখ কর্মী নিয়োগ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। আপনি তো কারোরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেননি। আপনি একজন চতুর অভিনেতা মাত্র। নিজের ক্রেডিট কার্ড নিয়েই আপনাকে সমস্যা পোহাতে হয়।
ট্রাম্প এ সময় টেড ক্রুজকে সরাসরি 'মিথ্যাবাদী' বলে আক্রমণ করেন। জবাবে ক্রুজ বলেন, কাউকে 'মিথ্যাবাদী' অপবাদ দেওয়াও একটা মিথ্যা। আপনি এ ধরনের মিথ্যার আশ্রয় প্রতিদিনই নিয়ে থাকেন।
ট্রাম্প ক্রুজকে বলেন, আপনার পাশে কেউই নেই। একজন রিপাবলিকান নেতাও আপনাকে সমর্থন করে না। একজনও না. . . নিজেকে নিয়ে লজ্জা হওয়া উচিত আপনার। আমি জানি, আপনি বিব্রত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ডেমোক্রেটদের সাউথ ক্যারোলিনা প্রাইমারি। আগামী ১ মার্চ দুই দলের 'সুপার টুইসডে'। এ দিন ১১টি অঙ্গরাজ্য একসঙ্গে প্রার্থী নির্বাচন করবে। আগামী ১৮ থেকে ২১ জুলাই রিপাবলিকান কনভেনশন। এ কনভেনশনে চূড়ান্ত প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর ২৫ থেকে ২৮ জুলাই ডেমোক্রেট কনভেনশন। সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জাতীয় এ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র তার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণ করবেন।
পূর্ববর্তী জরীপগুলো বলছে, সুপার টুইসডে'র লড়াইয়েও এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। ১১টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ১০টিতেই তার জয় দেখতে পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, এ পর্যন্ত ট্রাম্পের পক্ষে রায় দিয়েছেন ৮২ জন ডেলিগেট। ক্রুজের পক্ষে মত দিয়েছেন ১৭ জন। আর রুবিওকে পছন্দ করেছেন ১৬ জন। রিপাবলিকান দলের পক্ষে মনোনয়ন পেতে হলে একজন প্রার্থীকে অন্তত ১ হাজার ২৩৭ জন ডেলিগেটের সমর্থন প্রয়োজন।
অন্যদিকে, ডেমোক্রেট দলে যথেষ্ট শক্ত অবস্থানে আছেন হিলারি ক্লিনটন। তার পক্ষে ৫০৫ জন ডেলিগেট রায় দিয়েছেন। আর বার্নি স্যান্ডার্সকে পছন্দ করেছেন ৭১ জন। সুপার টুইসডে'তে ১ হাজার ৪ জন ডেলিগেটকে নিজের পক্ষে টানতে তারা লড়াইয়ে নামবেন।
| web |
20e2d99e326c774c4d0185a12d54b6cd194d7087 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে জেলা শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোকিল ট্রেক্সটাইল পর্যন্ত এলাকা জুড়ে এ উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোশারফ হোসেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমাণ সরকারি জায়গা বেহাত হয়ে অবৈধ দখলদারদের জিম্মায় ছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকারি জায়গাগুলো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু পুনরায় কিছু অবৈধ দখলদার আবার সরকারি জায়গায় স্হাপনা তৈরি করে। এই স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য আজ দুপুরে মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোকিল ট্রেক্সটাইল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এসময় সদর মডেল থানা পুলিশ, ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেয়ার ও বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।
| web |
ac01958d60573732834038885fd1b13808927a80 | তাশখন্দ, ২৫ সেপ্টেম্বর - নারী ফুটবলে শক্তির বিচারে জর্ডান ও ইরানের চেয়ে বেশি পেছনে নয় হংকং। র্যাংকিং যদি শক্তির সনদ হয়, তাহলে এই তিনটি দেশের অবস্থান কাছাকাছি। জর্ডান ৬৩, ইরান ৭২ ও হংকং ৭৬। এই তিন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ পিছয়ে অনেক। লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েদের অবস্থান ১৩৮ নম্বরে।
উজবেকিস্তানে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচে জর্ডান ও ইরানের কাছে ৫ গোল করে হজমে কাগজ-কলমের পার্থক্যটা মাঠে ফুটে উঠেছে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ শেষে দেশে ফেরার আগে আরেকটি ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে হংকংয়ের বিপক্ষে। রোববার এই প্রীতি ম্যাচটি খেলে উজবেকিস্তান সফর শেষ করবে সাবিনা-মৌসুমীরা।
কি লক্ষ্য এই ম্যাচে? নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ম্যাচটি থেকে মেয়েদের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল গঠিত বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়দের নিয়ে। জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামলে তাই পার্থক্য ফুটে ওঠে মাঠে।
উজবেকিস্তানের জার একাডেমিতে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৪টায়। এ ম্যাচ সামনে রেখে সাবিনারা শনিবার হোটেলে দুইবেলা জিম সেশন করেছেন। তারা সফরের শেষ ম্যাচটা ভালো করতে চায়।
উজবেকিস্তান যাওয়ার পথে নারী ফুটবল দল নেপালের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে একটি হেরেছে, আরেকটি ড্র করেছে। এখন দেখার অপেক্ষা, হংকংয়ের বিপক্ষে কী ফল করে লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা।
| web |
aba64e60c77f4c66e481e273e9fced8fb91e9b5f | আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি. . . রাজিউন)।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের ছোট ভাই বাদশা চৌধুরী জানান, ড. ফজলে রাব্বী চৌধুরীর দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণ ও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। পারিবারিক জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জনক।
রাব্বী চৌধুরী ১৯৩৪ সালে ১ অক্টোবর গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
জাতীয় পার্টি থেকে গাইবান্ধা-৩ আসনে ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
এর আগে ১৯৮৪ সালে ফজলে রাব্বী চৌধুরী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তী সময় ভূমি মন্ত্রী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ও সংস্থাপন মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
| web |
cbda2f6c910bff9176d10bd496f32b9c2311cd0e | ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের চারজন পুলিশ পরিদর্শককে বদলি করা হয়েছে।
বদলিকৃত পুলিশ পরিদর্শকগণ হলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আল মামুন ভূইয়াকে পিআই চকবাজার, পিওএম-পূর্ব বিভাগে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল বারিককে পুলিশ পরিদর্শক পিওএম-উত্তর বিভাগ ও সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মমিনুল ইসলাম সোহেলকে পুলিশ পরিদর্শক গোয়েন্দা-উত্তর বিভাগ হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখিত তিনজনকে গত ২৩ মে'১৮ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম-বার, পিপিএম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বদলি করা হয়।
এছাড়াও, গত ১৯ মে'১৮ অপর এক আদেশে মুন্সীগঞ্জ জেলার পুলিশ পরিদর্শক (বর্তমানে ডিএমপি'র প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত) এফ এম ইসরাফিল হোসেনকে আরআই খুলনা রেঞ্জ হিসেবে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে।
| web |
7d5a64b910309d384ef8fe1023fda1fba626b135 | ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, বহু মেরু কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে না। তিনি রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।
বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে যে, রাশিয়ার সাথে চলমান সংঘাতের কারণে ইউক্রেন অর্থনৈতিকভাবে ধারণার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মার্কিন কেন্দ্রিয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএ-র প্রধান ইরানে সংঘটিত নৈরাজ্যে প্রকাশ্য সমর্থন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বিশ্ব খুবই বড় একটি সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আর দেখা যায়নি।
ইউক্রেন যুদ্ধে যেকোনো একটি পক্ষ নেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো যে চাপ সৃষ্টি করছে তাতে নমনীয় হবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি আরো বলেছে, পাশ্চাত্য কখনও কখনও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিতে চায় যা গ্রহণযোগ্য নয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিশ্ব ব্যবস্থায় জেগে ওঠা ক্ষমতার নতুন কেন্দ্র এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার অবসান ঘটিয়েছে এবং পুরনো ব্যবস্থা আর কখনো ফিরে আসবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন দীর্ঘস্থায়ী পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে আমরা আন্তরিক। সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দাভোস সম্মেলনের অবকাশে মার্কিন টিভি চ্যঅনেল সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেনঃ একটি শক্তিশালী চুক্তির জন্য কূটনীতির সকল দুয়ার খোলা থাকবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেনঃ বিশ্ব এখন নয়া শীতল যুদ্ধের মুখোমুখি। আমেরিকার নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের স্টোন হল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই হুশিয়ারি দেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান সামরিক সংঘাতের কারণে সামনের মাসগুলোতে সারা বিশ্বে বড় রকমের খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে যাওয়ায় গরিব দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে তার দেশের ওপর আমেরিকা এবং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাতে বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা বদলে যাবে।
| web |
f2e56d72cb1445069025c27570f367bf0f1c1c83 | খুলনা মহানগরীতে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে নগরীর আড়ংঘাটা থানার বাইপাস সড়কের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো-নগরীর আড়ংঘাটা মোড়লপাড়ার মো. খোরশেদ মোড়লের ছেলে বেল্লাল মোড়ল (৪৬), দেয়ানা মধ্যপাড়ার মৃত ফরুক আলম চৌধুরীর ছেলে মো. আজিজুর রহমান ওরফে মিঠু চৌধুরী (৪০), দিঘলিয়া ব্রহ্মগাতী গ্রামের রেজা মুন্সির ছেলে মো. জিহাদ মুন্সি (২৪) ও আড়ংঘাটা দক্ষিণপাড়ার মো. আব্দুস সাত্তার শেখের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২২)।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, নগরীর আড়ংঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৬ এর এ কর্মকর্তা জানান, আড়ংঘাটা এলাকায় ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী ঘুরতে বের হন। ঘোরাফেরা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আড়ংঘাটা বাজারে যাওয়ার পথে চার ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। পরে তারা ভয়ভীতি দিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে একটি স্থানে আটকে রাখে। পরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে চার ব্যক্তি পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় আসামিরা মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি কোথাও জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে গভীর রাতে ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয়। ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। পরে ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আড়ংঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনা জানতে পেরে অভিযানে নামে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তি ও সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় ভিকটিম তার স্বামী জীবন শেখকে নিয়ে ঘোরার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা দৌলতপুর থেকে একটি ইজিবাইকযোগে আড়ংঘাটা বাইপাস মোড়ে এসে নামে। বাইপাস মোড়ে কিছু সময় ঘোরা ফেরার পর পায়ে হেঁটে তারা আড়ংঘাটা বাজারের দিকে আসার পথে মোড়ল পাড়াস্থ নূরানী জামে মসজিদের নিকট আসলে উল্লেখিত আসামিরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের পথরোধ করে। ভিকটিমের স্বামীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে অভিযুক্ত বেল্লাল মোড়লের বাড়ির একতলা ছাদে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় ৪নং আসামি মো. রাসেল শেখ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি জানাজানি করলে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
ভিকটিমের স্বামী জানায়, পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে তল্লাশির নাম করে একটি স্থানে নিয়ে যায়। পরে আমাকে চোখ বেঁধে একটি স্থানে আটকে রাখে। আমার স্ত্রী দুই ঘন্টা পর অজ্ঞাত স্থান থেকে আমাকে ফোন দিয়ে কান্নারত অবস্থায় ঘটনার বিবরণ দেয়।
তিনি ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়। পরে শুনানি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
| web |
703c998946d356a84e4d9962f94fd37f | আহা রে ছবিতে অভিনয়ের পর কোন ছবিতে অভিনয় করেন নি আরিফিন শুভ। তিন মাস বিরতির পর অ্যাকশন থ্রিলার ছবি 'সাপলুডু'তে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ছবিটির পরিচালক গোলাম সোহরাব। চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। এতে আরেফিন শুভর বিপরীতে রয়েছেন বিদ্যা সিনহা মিম।
অক্টোবর মাস থেকে ছবিটির শুটিং শুরু হবে। ঢাকা, বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজারের লোকেশনে শুট করা হবে।
| web |
a249a13cc07845435eb7a1963c7b1c7e | তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ নামেই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট আদতে আবর্জনার পাহাড়! গত তিনবছর ধরে খড়্গপুরের হিরাডিহি, তালবাগিচা, আরামবাটি এলাকার বাসিন্দারা গ্রীন ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপাতত মুক্তি মিলবে এমনটাই তারা জানিয়েছেন। প্রশাসনের আকুতি মেনেই অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও ওই এলাকার মানুষেরা শেষে রাজি হয়েছিলেন খড়গপুর পৌরসভার আবর্জনা ফেলতে দিতে। পৌরসভা বলেছিল আধুনিক ব্যবস্থা সম্মত 'সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট' ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন তাঁদের এলাকায়, তাতে কোন অসুবিধা হবে না এলাকাবাসীর।
কিন্তু বাস্তবে শুরু হয়েছিল বিশাল বিশাল গর্ত করে আবর্জনা পুঁতে দেওয়া আর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া। খড়গপুর পৌরসভার দৈনিক ১০০টনের সেই আবর্জনার বিষ বাষ্প অতিষ্ঠ করে তুলেছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের যার প্রতিবাদে গ্রীন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত ১৫ অক্টোবর নয়াদিল্লির সেই জাতীয় গ্ৰীন ট্রাইব্যুনাল এক নির্দেশে খড়গপুর পুরসভাকে জানিয়ে দিয়েছেন হিরাডিহি এলাকা থেকে ডাম্পিং ইয়ার্ড সরিয়ে নিতে হবে এবং কঠিন বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের জন্য প্রতি মাসে সবমিলিয়ে তিন লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল আরও জানিয়েছে জাতীয় গ্ৰীন ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেওয়ার সময় স্পষ্ট জানিয়েছেন পরিবেশ দূষণ রোধের কোনও আগাম ছাড়পত্র না নিয়ে এই এলাকায় আবর্জনা জড়ো করে পুড়িয়ে ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছিল। যা কিনা কঠিন বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনা আইনের বিরোধী। ওই সমস্ত বর্জ্য পৌরসভাকে সরিয়ে নিতে হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে এবং। তার আগে এই দুটি নির্দেশ অনুযায়ী কাজ কতটা হয়েছে তার একটি রিপোর্ট পৌরসভাকে দিতে হবে।
ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হিরাডিহি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি কতটা ন্যায্য ছিল তা স্বীকার করে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল অথচ এই দাবি করার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের রক্ত চক্ষু সহ্য করতে হয়েছে এমনকি তাঁদের হয়ে মুখ খোলার জন্য তাঁদের শাসকদলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতিদের দ্বারা নিগৃহীত ও হেনস্থার শিকারও হতে হয়েছে। উল্লেখ্য কয়েকমাস আগেই হিরাডিহির বাসিন্দাদের এই দাবির পাশে দাঁড়িয়ে কিছু দুষ্কৃতিদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী তালবাগিচার বাসিন্দার দুই প্রতিবাদী প্রদীপ ধর এবং অমল চ্যাটার্জী। পুলিশের সামনেই তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এই রায়ের কথা জানার পর সেই প্রদীপ ধর বলেন "সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের ভাঁওতাবাজি করে লুট করা হয়েছে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা। গত ৫বছর ধরে লুট চলেছে এই পৌরসভায়। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের নামে গ্রামের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে তেমনি শহরের একটার পর একটা জলাশয় বুজিয়ে শহরের পরিবেশের বারোটা বাজানো হয়েছে। বিশ্বাঘাতকতা করা হয়েছে শহরবাসীর সঙ্গে। গত ৫ বছরে এত পুকুর ও জলাশয় লুট হয়েছে যা আগে কোনোও দিন হয়নি। কিসের বিনিময়ে এই জলাভূমির চরিত্র বদল হয়েছে তা জানতে চেয়ে আমরাও পরিবেশ আদালতের কাছে আপিল করবো।"
দিনের পর দিন শহরের বিভিন্ন অংশে আবর্জনা জমছে।পুরসভার নিজস্ব আবর্জনার ফেলার জায়গাও নেই। শহরের বর্তমান পুর প্রশাসক এবং বিধায়ক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন, "পরিবেশ আদালতের নিয়ম মেনেই কাজ হবে। আমরা ইতিমধ্যেই আধুনিক মেশিন, পুনর্বব্যবহার যোগ্য করে তোলার যন্ত্রপাতি আনিয়েছি। এ নিয়ে কোন সমস্যা হবেনা।"এদিকে হিরাডিহিতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হলে শহরের এত আবর্জনা যাবে কোথায়? কোথায় ফেলা হবে? তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে শহরবাসীর।
| web |
719fbe0f9d63f2e6fcb71126c821b9dc | পাঠকরা প্রশংসা করেন বর্তমান প্রবণতা সম্পর্কে শেখা, হাবস্পটের মতে, এবং ব্লগ সাইট যখন বাস্তব জীবনে এই প্রবণতাগুলি কীভাবে প্রয়োগ করতে হয় সে সম্পর্কে তথ্য পোস্ট করে তখন তারা আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে। মার্কেটিং ব্লগগুলিও বিনোদনমূলক হতে পারে। বিভিন্ন শিল্পের ব্রেকিং নিউজও এই ব্লগগুলিতে কভার করা হয় যেখানে লোকেরা বর্তমান মার্কেটিং ক্ষেত্রগুলির সাথে আরও আপ টু ডেট হতে পারে। আসুন নিচের কয়েকটি সেরা বিপণন ব্লগ সম্পর্কে জেনে নিইঃ
আপনি যদি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান এবং মার্কেটিং বিশেষজ্ঞদের থেকে দরকারী অন্তর্দৃষ্টি সহ ডেটা-চালিত ব্লগ পড়তে চান, হাবস্পট একটি সেরা মার্কেটিং ব্লগ সাইট যেখানে আপনি মার্কেটিং গাইডের কেস স্টাডি সব এক জায়গায় পাবেন। যেকোনো ধরনের ব্যবসার জন্য, মার্কেটিং ধারনা পর্যাপ্ত এবং সঠিক হতে হবে। হাবস্পট ব্লগ বেশিরভাগই বাস্তব জীবনের উদাহরণ সহ সংশ্লিষ্ট কাজের টেমপ্লেট সহ বিপণন কৌশলগুলিকে কভার করে। এই ব্লগ সাইটটি অন্তর্মুখী বিপণন গাইডের জন্য সেরা যা আপনাকে আপনার ব্যবসা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
মোজ ব্যাখ্যা করা নেতৃস্থানীয় বিপণন ব্লগ সাইট হয়েছে এসইও মার্কেটিং নতুনদের জন্য শুধু এসইও মার্কেটিং নয়, বিভিন্ন মার্কেটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করে থাকে Moz। আপনি সম্পর্কিত ব্লগ পাবেন 'মৌলিক বিপণনের দিকে নির্দেশিকা' 'হোয়াইটবোর্ড ভিডিও টিউটোরিয়াল' সব Moz-এ। এই বিপণন ব্লগ সাইটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল, তারা তাদের ব্লগগুলিকে খুব কৌতুকপূর্ণ উপায়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে যে পাঠকরা অবিলম্বে আগ্রহী হতে বাধ্য।
আপনি যদি এক জায়গায় সব ধরনের মার্কেটিং ব্লগ পড়তে চান, কন্টেন্ট মার্কেটিং ইনস্টিটিউট (CMI) আপনার জন্য আদর্শ মার্কেটিং ব্লগ সাইট। তাদের ব্লগ সাইটে, আপনি নিবন্ধ, গবেষণা, পরামর্শ, ম্যাগাজিন এবং আরও অনেক কিছুতে সাজানো ব্লগ পাবেন। সিএমআই বার্ষিক গবেষণা পরিচালনা করে যা শিল্পের অসুবিধা, প্রতিবন্ধকতা এবং সাফল্যের গল্পগুলিতে দরকারী অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
CXL.com উন্নত বিপণনকারীদের জন্য একটি বিপণন ব্লগ সাইট যারা সম্পর্কিত বিষয়বস্তুতে বেশি আগ্রহী রূপান্তর গবেষণা বৃদ্ধি এবং অন্যদের থেকে পাঠ। আপনি বিষয়বস্তু আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণা করা এবং সহায়ক সাইটগুলির সাথে লিঙ্কযুক্ত সামগ্রী পাবেন। এই কারণেই তাদের কিছু বিষয়বস্তু নতুনদের বোঝার জন্য খুব প্রযুক্তিগত হতে পারে। আপনি তাদের ব্লগের পাশাপাশি গবেষণা এবং ডেটা-চালিত পাবেন।
কপিব্লগার ইমেল বিপণন এবং বিষয়বস্তু বিপণন টিপস এবং কৌশল জন্য সেরা. আপনি যদি এই ধরনের বিপণনে নতুন হন, তাহলে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ উদাহরণ সহ সম্পর্কিত নিবন্ধগুলি পড়তে আপনি CopyBlogger বুকমার্ক করতে পারেন। এই ব্লগ সাইটের সেরা অংশ হল যে আপনি সামগ্রী বিপণনের নিবন্ধগুলির মাধ্যমে পাবেন যা অবশেষে দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে সাহায্য করবে।
সকল অনলাইন মার্কেটারদের জন্য, বাফার ব্লগ অন্বেষণ করার জন্য আদর্শ বিপণন ব্লগ সাইট. এই ব্লগ সাইটটি ডিজিটাল মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কিত কৌশলে পূর্ণ। আপনি বিভিন্ন ব্যাখ্যা সহ বর্তমান বিপণন প্রবণতাগুলির প্রতি একটি আকর্ষণীয় পদ্ধতির সন্ধান পাবেন। শুধু ব্লগ নয়, আপনি শুনতে শুনতে পডকাস্টও পাবেন।
সার্চ ইঞ্জিন ঘড়ি আরেকটি ব্লগ সাইট যা আপনার ওয়েবসাইটকে সহজে র্যাঙ্ক করার কৌশল উপস্থাপন করে। নাম অনুসারে, আপনি এসইও মার্কেটিং কৌশলগুলির ভিতরে এবং বাইরে জানতে পারবেন। সার্চ ইঞ্জিন ঘড়িকে পিপিসি, সোশ্যাল মিডিয়া, মোবাইল মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্টের নিবন্ধ এবং ব্লগ সহ সেরা রিসোর্স জায়ান্টগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আপনি যদি ট্রেন্ডিং ইকমার্স অনুশীলন জানতে আগ্রহী হন, তাহলে এই ব্লগ সাইটটি আপনার জন্য আদর্শ।
কিসমেট্রিক্স প্রচুর অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ব্লগ সংস্থান সহ একটি অসাধারণ ব্লগ সাইট যা আপনাকে আপনার নিজস্ব কুলুঙ্গি বুঝতে সাহায্য করবে। তারা অত্যন্ত বিশ্লেষণাত্মক ব্লগ প্রকাশ করে যা আপনাকে প্রকৃত উদাহরণের ভিত্তিতে প্রথমে বাজার বুঝতে সাহায্য করবে। এছাড়াও গাইডের একটি বিভাগ রয়েছে যেখানে আপনি বিভিন্ন বিশ্লেষণী সরঞ্জাম ব্যবহার করে কীভাবে আপনার ব্যবসা চালাবেন তা শিখবেন।
UnboundB2B ব্লগ গভীর বিশ্লেষণ সহ B2B, B2C এবং C2C ব্যবসায়িক মডেল বোঝার জন্য সাইটটি সর্বোত্তম। আপনি শিখবেন কিভাবে ইন্টেন্ট ডেটা ব্যবহার করে ডিমান্ড জেনারেশন তৈরি করতে হয়। এগুলি ছাড়াও, আপনি বিপণনের যোগ্য লিড, ইমেল বিপণন, মৌলিক বিপণন কৌশল, বিষয়বস্তু সিন্ডিকেট, অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেটিংস ইত্যাদি জানতে পারবেন।
NotificationX অন্য একটি ব্লগ সাইট যা যেকোনো বিপণনকারীর জন্য তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমাণে সম্পদ দিয়ে সমৃদ্ধ। আপনি যদি সবেমাত্র আপনার ব্যবসা শুরু করেছেন বা বেশ কিছুদিন ধরে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করছেন তা কোন ব্যাপারই না, এই ব্লগ সাইটটি আপনাকে সবচেয়ে দক্ষ সরঞ্জামগুলির সাথে সর্বশেষ বিপণন প্রবণতা শিখতে দেবে।
আপনি যদি একজন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারী হন, তাহলে এই ব্লগ সাইটটি আপনাকে আপনার ব্যবসার যেকোনো কাজের জন্য সেরা মার্কেটিং-সম্পর্কিত ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন বেছে নিতে সাহায্য করবে। আপনার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটের জন্য সঠিক টেমপ্লেট নির্বাচন করা থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক বৃদ্ধির কৌশল বাস্তবায়ন করা পর্যন্ত, আপনি এই সাইট থেকে সবকিছু শিখতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া পরীক্ষক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার ধারণাকে পরিষ্কার করার জন্য ব্লগ সাইটের বিভিন্ন সংস্থান রয়েছে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া-সম্পর্কিত পডকাস্ট পাবেন যেখানে ব্যবসায়িক ধারণা এবং প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া-সম্পর্কিত টক শোগুলিও পাবেন যেখানে বিশেষজ্ঞরা সোশ্যাল মিডিয়া-সম্পর্কিত বিষয়, প্রবণতা, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং এই জাতীয় বিষয়ে তাদের মতামত শেয়ার করেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, আপনি আপনার ব্যবসার ধারণাগুলিকে আরও স্পষ্ট করতে ক্রিপ্টো ব্যবসার পডকাস্টগুলিও পাবেন। আপনি যদি এমন একজন ব্যক্তি হন যিনি ব্লগ পড়ার পরিবর্তে ভিডিও দেখেন, আপনি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে তাদের প্রযুক্তিগত বা শিক্ষামূলক ভিডিওগুলিও পাবেন।
Adweek এটি একটি বিখ্যাত বিপণন ব্লগ সাইট যেখানে শুধুমাত্র ব্যবসা-সম্পর্কিত ব্লগই নয় বরং সাম্প্রতিক বিষয়গুলিও সাধারণত কভার করা হয়। তারা তাদের ব্লগগুলিকে এজেন্সি, ব্র্যান্ড মার্কেটিং, বাণিজ্য, ব্র্যান্ডের ভিতরে, মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মতো বিভাগে ভাগ করেছে। তারা খুব অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ নিবন্ধগুলি প্রকাশ করে যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক যৌগের যেকোনো ব্যবসায়িক প্রবণতার প্রভাবগুলির অন্তর্দৃষ্টি এবং আউটগুলিকে কভার করে। আপনার ব্যবসার জন্য কোন প্রবণতা অনুসরণ করা উচিত তা বুঝতে আপনি তাদের ব্লগগুলি পরীক্ষা করতে পারেন।
বিঘ্নিত বিজ্ঞাপন একটি বিপণন ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার ব্যবসা তৈরি করতে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে শিখতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, তাদের ব্লগ রয়েছে কার্যকর রূপান্তর পথ, পরীক্ষামূলক বিপণন কৌশল, ব্র্যান্ড সচেতনতা স্টান্ট, মেট্রিক্স গণনা ইত্যাদির উপর জোর দেয়। আপনি যদি বিজ্ঞাপন সম্পর্কে কিছু না জানেন তবে আপনি তাদের ব্লগ থেকে এর বেশিরভাগই শিখবেন।
আহরেফস এটি একটি অসাধারণ মার্কেটিং ব্লগ সাইট যেখানে আপনি সাধারণ মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড মার্কেটিং এবং এমনকি ভিডিও মার্কেটিং-এ বিভক্ত ব্লগ পাবেন। তারা অনলাইন বিপণনের উপর জোর দেয় এবং বর্তমান সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ টিপস এবং কৌশলগুলি দেয়। সুতরাং আপনি যদি প্রবণতায় থাকতে চান তবে আরও জানতে আপনাকে আহরেফ বুকমার্ক করতে হবে।
সম্পর্কে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস প্রতিক্রিয়া পেতে বিপণনকারীদের গ্রাহকের দৃষ্টিকোণ বোঝার জন্য তাদের সম্পদ রয়েছে। তারা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা, গ্রাহকদের কণ্ঠস্বর, গ্রাহকের সন্তুষ্টি, গ্রাহক প্রচেষ্টার স্কোর এবং আরও অনেক কিছু অনুসারে তাদের ব্লগগুলিকে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। তাই এই ব্লগ সাইট থেকে, আপনি আপনার ব্যবসার অন্য প্রান্ত সম্পর্কে জানতে পারবেন।
মার্কেটিং এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এটি কীভাবে বিপণন সংস্কৃতি এবং উদ্যোগগুলিকে পরিবর্তন করছে সে সম্পর্কে ব্লগ সরবরাহ করে। আপনি যদি ব্যবসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান তবে এটি আপনার জন্য নিখুঁত বিপণন ব্লগ সাইট।
কুইকস্প্রাউট এছাড়াও এসইও এবং এসইএম মার্কেটিং, বিষয়বস্তু বিপণন, ইমেল বিপণন, অনলাইন বিপণন ইত্যাদির ব্লগ রয়েছে। তারা ব্যবসায় নতুনদের কাছে বিপণনের কৌশল ব্যাখ্যা করার জন্য অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং ধাপে ধাপে নির্দেশিকা প্রকাশ করে। এজন্য এই ব্লগ সাইটটি সহজেই আপনার মার্কেটিং ব্লগ বুকমার্কে যোগ করা যায়।
Adobe দ্বারা CMO একটি আদর্শ বিপণন ব্লগ সাইট যেখানে আপনি বিপণনের ব্লগের বিভিন্ন বিষয় পাবেন। তারা বিপণন কৌশল বাস্তবায়নের ফলাফলের উপর জোর দিয়ে ব্লগ প্রকাশ করে। আপনি তাদের ব্লগ সাইট থেকে ব্যবসার ক্ষেত্রে রাস্তার পরামর্শের মতো আরও শিখতে পারবেন।
LeanPlum ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর এবং প্রয়োজনীয় বিপণন কৌশল ব্যবহার করে আপনি কীভাবে সহজেই আপনার ব্যবসাকে স্বয়ংক্রিয় করতে পারেন তার উপর ফোকাস করে। এই ব্লগ সাইটে, আপনি কোম্পানির সংস্কৃতি বজায় রাখা, কর্মচারীদের ব্যস্ততা এবং সন্তুষ্টি নীতি সম্পর্কে আরও শিখবেন।
আপনি যদি এই মত আরো ব্লগ পড়তে চান আমাদের ব্লগে সাবস্ক্রাইব করুন এবং আমাদের যোগদান করে আপনার চিন্তা শেয়ার করুন ফেসবুক সম্প্রদায়.
| web |
73f9cc7a3976c3813f346d114e10c5eb | আপনি বাগদত্তা (ই) ভিসার (K1) জন্য যোগ্য হতে পারেন কিনা তা দেখতে নিম্নলিখিত প্রশ্নের উত্তর দিন।
মার্কিন বাগদত্তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। গ্রীন কার্ডধারীরা K1 ভিসার জন্য তাদের বিদেশী বাগদত্তাকে স্পনসর করতে পারে না। যাইহোক, তারা তাদের বিদেশী বাগদত্তাকে (ই) বিদেশে বিয়ে করতে পারে এবং তারপর তাদের নতুন পত্নীকে CR1 ভিসার জন্য স্পনসর করতে পারে।
আপনার উত্তরের উপর ভিত্তি করে, মনে হচ্ছে আপনি বাগদত্তা(e) ভিসার জন্য যোগ্য নন।
USCIS এবং কনস্যুলার অফিসারদের নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার বিয়ে তথাকথিত "স্ক্যাম ম্যারেজ" নয়।
উভয় বাগদত্তার (ই) বিবাহের জন্য বৈধ বয়স হতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন দ্বারা নির্ধারিত যেখানে তারা বিয়ে করতে চায়। যদি বাগদত্তার (ই) মধ্যে একজনের আগে কখনও বিয়ে হয়ে থাকে, তবে তাদের অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তাদের বিয়ে আইনত সমাপ্ত হয়েছে। প্রমাণ হতে পারে বিবাহবিচ্ছেদ বা বাতিলের ডিক্রি বা মৃত্যু শংসাপত্র।
দম্পতিকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তারা গত 2 বছরের মধ্যে অন্তত একবার ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছেন। স্কাইপ এবং ভিডিও কল গণনা করা হয় না.
এই অপরাধগুলির মধ্যে রয়েছে গার্হস্থ্য সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন, শিশু নির্যাতন এবং অবহেলা, ডেটিং সহিংসতা, বড়দের নির্যাতন, নরহত্যা, হত্যা, নরহত্যা, ধর্ষণ, অপমানজনক যৌন যোগাযোগ, অপহরণ, অপহরণ, বেআইনি অপরাধী প্রতিরোধ, মিথ্যা কারাদণ্ড ইত্যাদি।
যদি মার্কিন বাগদত্তা (ই) এই অপরাধগুলির মধ্যে কোনটির জন্য দোষী সাব্যস্ত হন (বা তাদের চেষ্টা করেন), তবে তাদের K1 ভিসার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে।
| web |
60d105a9ecbd4969a7809044d0ae22179954a378 | বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খান, নির্বাহী সদস্য জাহিদ হাসান, ছাত্রলীগ কর্মী দুলাল, সানজিদ ও রাজন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করতে বগুড়া শহর থেকে রওনা দেন। ধুনট যাওয়ার পথে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবিরের মোটরসাইকেলের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ হাসানের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে দুই নেতার মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। ধুনট থেকে সন্ধ্যায় বগুড়া ফেরার পর সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফসহ তার সমর্থকরা জাহিদের পক্ষ নিয়ে তাকবির ও তার সমর্থকদের সঙ্গে আবারও বিত-ায় জড়ান। এরই একপর্যায়ে হামলা ও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় তাকবির ছুরিকাহত হন এবং দুলালের মাথা ফাটে এবং অন্যরা মারধরে আহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাকবির ও তার সমর্থকরা অভিযোগ করেন, তারা সন্ধ্যার পর থেকে সাতমাথায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত ৯টার দিকে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা আবদুর রউফের নেতৃত্বে সাতমাথায় তাকবিরসহ অন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।
তবে আবদুর রউফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে তাকবিরের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা জাহিদসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে ধাওয়া করে। এতে হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না।
ঘটনার পরপরই শজিমেক হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়েই তারা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। দুপক্ষের মধ্যে মারামারির কারণ নিশ্চিত করা যায়নি। তবে উভয়পক্ষের কাছে যতটুকু জেনেছেন তা খুবই তুচ্ছ বিষয়। কে বা কারা আগ বাড়িয়ে হামলা করল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হবে। এতে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, কথা-কাটাকাটি থেকে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আহত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
| web |
47a58b09d3be831cf7b25360e13c76a1fce9d85a | - #Afc CupDurnad Cup 2023: সূচি নিয়ে অসন্তোষ, ডার্বিতে সিনিয়র দল খেলাবে মোহনবাগান?
- #Afc Cupএএফসি এশিয়ান কাপের ড্র ঘোষণা, সুনীলদের প্রতিপক্ষ কারা?
জমে গিয়েছে এএফসি কাপ-এর গ্রপ 'ডি'। জোনাল সেমিফাইনালে একটি করে দল উঠবে গ্রুপ থেকে। সেই ক্ষেত্রে মঙ্গলবারই এটিকে মোহনবাগানের ভাগ্য নির্ধারণ হবে, ঠিক হয়ে যাবে চার দলের মধ্যে কোন দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছবে। গ্রুপের চারটি দলেরই পয়েন্ট দুই ম্যাচে ৩। ফলে প্রতিটা দলের কাছেই সুযোগ রয়েছে পরবর্তী রাউন্ডের পৌঁছনোর।
এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় সুযোগ রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে এটিকে এমবি। তারা মলদ্বীপের দলটিকে হারিয়ে দিতে পারলে অনেকটাই ভাল জায়গায় থাকবেন। তবে, সেক্ষেত্রে গোকুলামকে পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে বসুন্ধরা কিংস-এর বিরুদ্ধে। কারণ গোল পার্থক্য নয়, পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ে কোন দল কাকে হারিয়েছে। সেক্ষেত্রে গোকুলাম যদি হারিয়ে দেয় বসুন্ধরাকে সেখানে এটিকে মোহনবাগান জিতলেও ছিটকে যেতে হবে তাদের।
এটিকে মোহনবাগান এই দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে মাজিয়ার সঙ্গে। প্রথম ম্যাচটি হবে বসুন্ধরা এবং গোকুলামের মধ্যে। গোকুলাম যদি জিতে যায় তা হলে দ্বিতীয় ম্যাচের কোনও গুরুত্বই থাকবে না। কিন্তু প্রথম ম্যাচ যদি ড্র হয় বা বসুন্ধরা জেতে তা হলে এটিকে মোহনবাগান- মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনের ম্যাচের উপর নির্ভর করবে গ্রুপের ভাগ্য। ইতিমধ্যেই এই দু'টি ম্যাচ একই সময়ে আয়োজন করার পক্ষে সাওয়াল করেছেন বসুন্ধরা কোচ অস্কর ব্রুজোন। একই দাবি তুলেছেন মাজিয়ার কোচ মিওড্রাগ জেসিচ। তিনি বলেছেন, "মঙ্গলবার দু'টি ম্যাচই ভাল হবে। একই সময়ে ম্যাচ হলে আরও ভাল হতো। এটিকে মোহনবাগান শক্তিশালী দল। তবে মনে রাখবেন আমরাও প্রস্তুত। " পাশাপাশি গ্যালারি ভর্তি বাগান সমর্থক কি চাপে ফেলবে তাঁর দলকে? এই প্রশ্নের জবাবে সার্বিয়ার কোচ বলেন, " ফুটবলে সমর্থক তো থাকবেই, কিন্তু আমরা জয় ছাড়া কিছু ভাবছি না। "
অন্য দিকে, শেষ ম্যাচে বসুন্ধরাকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দোর শরীরী ভাষায় চনবনে ভাব ফিরে এসেছে, একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও ধরা পড়েছে তাঁর গলায়। তিনি বলেছেন, "আগামীকাল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমরা মাজিয়ার মুখোমুখি হবো। আমার লক্ষ্য ৩ পয়েন্ট ঘরে তোলা, অতীতে নিয়ে ভাবতে রাজি নই। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি। ফুটবল এমনই একটা খেলা, যেখানে পরিকল্পনা থেকে ছিটকে গেলে সেটাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন। প্রথম ম্যাচে পরিকলনা অনুযায়ী দল খেলতে পারেনি, বসুন্ধরার ম্যাচে পরিকল্পনা কাজ করেছে। "
চোট রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠের কাণ্ডারী হুগো বৌমসের। তাঁকে এই ম্যাচে পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফেরান্দো জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন স্প্যানিশ মিডিও'কে প্রথম একাদশে রাখবেন কি না।
| web |
af378c648a1e2c1ca47ca33b40d2b552 | আরনিয়া সীমান্ত (জম্মু), ৬ অক্টোবর : ফের যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘণ করল পাকিস্তান। রাতভর চলা পাকিস্তানের গোলাগুলিতে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৭ জন গ্রামবাসীর। আহত হয়েছেন পঞ্চাশেরও বেশি। জম্মুর আরনিয়া সীমান্তে এবং জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে এই গুলির লড়াই চলে।
এদিন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাক সেনাবাহিনী হামলা চালায়। মানকোটের কৃষ্ণাঘাটি সেক্টর, বালাকোট থেকে শুরু করে, কেরিয়ান্দ এমনকী ভিমবার গলি পাক-আক্রমণের নিশানায় এসেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও মর্টার শেল দিয়ে আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তান। তার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীও।
এর আগে রবিবার রাতেও হামলা চালায় পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই গুলির লড়াইয়ে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়। মর্টার শেল এসে পড়ে আরনিয়া শহরের মূল বাজারেও। এমনকী বাসস্ট্যান্ডেও পড়ে মর্টার শেল। যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি হয়েছে। আরনিয়া শহর ছাড়া সবচেয়ে বেশি মর্টার শেল পড়েছে ত্রেওয়া, সুহাগপুর ও দেবীগড় গ্রামে।
এই প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের জওয়ানরা ও আধা সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণ তৈরি। পাকিস্তানের প্রত্যেকটা হামলার জবাব দিয়েছে তারা। ভারতীয় শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে কমপক্ষে ১০ টি ভারতীয় শিবিরকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান হামলা শুরু করে। অক্টোবর মাসে এই নিয়ে ১১ তম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘণ করল পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় সেনার আক্রমণে পাকিস্তানের ৪ গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়েছে।
ঐতিহ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ঈদে ওয়াঘা সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানী সৈন্যরা মিষ্টান্ন দেওয়া নেওয়া করে শুভেচ্ছার আদানপ্রদান করে। কিন্তু ঐতিহ্য ভেঙে এই প্রথমবার ওয়াঘা সীমান্তে মিষ্টির আদানপ্রদান হল না।
| web |
982753d1052796f9fd811c0b26229ff574e69775 | লক্ষ্মীপুরে অগ্নিদগ্ধ তরুণী শাহেনুরের মৃত্যুর ঘটনার মামলায় গ্রেফতার চার আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। কমলনগরের আমলি আদালতের বিচারক তারেক আজিজ গতকাল তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দাহ্য পদার্থ দ্বারা মৃত্যু ঘটানো ও এ কাজে সহায়তার অভিযোগ থাকায় ওই আসামিদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের আসামিরা হলেন- হাফিজ মেম্বার, আলাউদিন, রহমান ও গ্রাম পুলিশ তাহের। আদালত সূত্র জানায়, স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে কেরোসিনের আগুনে পুড়িয়ে শাহেনুরকে হত্যার চেষ্টা করে তার দাবি করা স্বামী কমলনগরের চরফলকন নিবাসী সালাহ উদ্দিন। অগ্নিদগ্ধ শাহেনুর গত সোমবার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
| web |
b9b17192ae7dfae3e5cd070581860d9b64aae4ed | এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
মূল প্রবেশ পথ এবং বাম পাশের বৃক্ষরাজি।
মিগ-২১ এফ এল বিমানটি ভারতীয় বিমান বাহিনী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আকাশ ও ভুমি আক্রমনের কাজে ব্রবহার করেছিল।
রাশিয়ার তৈরী মিগ-২১ যুদ্ধ বিমানটি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ হয়েছিল।
জি ন্যাট বিমানটি ৭১ সালের যুদ্ধের সময় বগুড়া সেক্টরে পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর তিনটি বিমান ভুপাতিত করেছিল।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Dear honorable learned Mr. Ulf Kristersson,
| web |
b588498200bef75844dd0d38e38299fc4e5765f5 | আরও পড়ুন- নিজেদের পাড়ায় পিছিয়ে অধিকারী পরিবার!
সায়ন্তিকা বাঁকুড়া সম্পর্কে আরও বলছেন, "লোকসভা ২০১৯ এর পিছিয়ে থাকা বাঁকুড়া বিধানসভা আসনকে আমি অনেকটাই এগিয়ে এনেছি এটাই আমাদের কাছে বড় বিষয়। এর জন্য আমি বাঁকুড়ার সাধারণ মানুষের কাছে চিরকৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জানাই। সবাই সুস্থ থাকবেন, মাস্ক পরবেন ও ভ্য়াকসিন অবশ্যই নেবেন। সদ্য রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া অভিনেত্রীর কাছে এই গতি সাফল্যের চেয়ে কম কিছু নয়। অতিমারিকালে তাই টলিউডের চাকচিক্য থেকে বেরিয়ে বাঁকুড়ার মানুষের পাশে সায়ন্তিকা।
| web |
923a6c608457a10f6069ad4a2ddfeba6 | ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ইসকন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় শ্রী শ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে ঐ মন্দিরে ১২ বছর ধরে পূজা বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহরিয়ার রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ ও ভাতগাঁও মৌজায় গ্রামে অবস্থিত শ্রী শ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, জমিদার বর্ধামনি চৌধুরাণী প্রায় ১০০ বছর আগে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ ও ভাতগাঁও মৌজা এলাকায় শ্রী শ্রী রশিক রায় জিউ মন্দির নির্মাণ করেন।
এছাড়াও মন্দির পরিচালনার জন্য ওই জমিদার আরও ৮১ একর সম্পত্তি দান করেন। এরপর মন্দিরের আয়-ব্যয় নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। এরপর আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) রশিক রায় জিউ মন্দির পরিচালনা করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আধিপত্য নিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ইসকনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রশিক রায় জিউ মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ইসকন সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় ইসকনভক্তদের হামলায় মন্দিরের সেবায়েত ফুলবাবু নিহত হন। সেই থেকে ওই মন্দিরে দুর্গাপূজার সময় স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে আসছে।
এদিকে মন্দিরের সেবায়েত ফুলবাবু নিহত হওয়ার ঘটনায় তখন ইসকনের বর্তমান মহারাজসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছিল। মামলাটি এখনো বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, মন্দিরের জমি নিয়ে এটি দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বিরোধের জেরে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। এ বছর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপূজা শেষ হলে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার চিন্তা রয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ বলেন, বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য দুই পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বসার চেষ্টা করেছি আমরা। কিন্তু কোনো পক্ষই আলোচনায় বসতে আগ্রহী হয়নি। তারপরও বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এবছর নিয়ে শ্রী শ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে ১২ বছর ধরে পূজা হয়না।
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শ্রী শ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি করার পর থেকে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে পুরো মন্দির এলাকা আমরা গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখেছি। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
| web |
b60b26f1bb96b563fef5e7365467f1eadc69ffed | ওমিক্রন উদ্বেগের মাঝেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লিতে আজ থেকে ফের নাইট কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে নিয়ন্ত্রণ বিধি। এবার মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচলপ্রদেশে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ। এই নিয়ে দেশের ১৯টি রাজ্যে ছড়াল সংক্রমণ। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু। সিডনির বাসিন্দা ৮০ বছরের ওউ রোগীর করোনার দুটি টিকা নেওয়া ছিল বলে অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়া সফররত ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের দুই সাপোর্ট স্টাফ। তাঁদের পরিবারের দুই সদস্যও আক্রান্ত, জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড।
নতুন বছরের গোড়াতেই দেশে শুরু হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার ভ্যাকসিনেশন। এই মুহূর্তে, কোভ্যাক্সিন ও জাইকভ ডি দেওয়ার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুশি চিকিত্সকরা। তবে দাবি উঠছে, ১৫ বছরের কম বয়সীদের করোনা ভ্যাকসিনেশনেরও।
দেশে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনাযোদ্ধাদের প্রিকশন ডোজ দেওয়া হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু, কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করার দাবি তুলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পাশাপাশি কোমরবিডিটিযুক্ত ষাটোর্ধ্বদের এই ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও, চিকিৎসকদের একাংশের মতে সব ষাটোর্ধ্বকেই তা দেওয়া উচিত।
উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলায় হানা দিয়েছে ওমিক্রন। বিদেশ না গিয়েও, মেডিক্যাল পড়ুয়ার ধরা পড়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন। এই প্রেক্ষাপটে করোনা বিধি মানা দূরের কথা, বড়দিনে বাঁধ ভাঙা ভিড়ের ছবি ধরা পড়েছে কলকাতায়। জেলাতেও দেখা গিয়েছে অসচেতনার ছবি। নাগরিকদের একাংশের মনোভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
বড়দিন কাটতেই ফের হাওয়া বদল। বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। তুষারপাতের জেরে নাথুলায় আটকে পড়া হাজারের বেশি পর্যটককে উদ্ধার করল ভারতীয় সেনা।
| web |
934a776fbc5c58b0a9e40fc3ea32f11f5861043b | সময়টা ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম ভাগ। শীতের শেষ বিকালের উষ্ণতাটুকু ধরে রাখতে পানছড়ি জোন অফিসার মেসের বারান্দায় পায়ের জঙ্গল বুট খুলে একটু আয়েশি ভঙ্গিতে বসে আছি। টানা একুশ দিন বান্দরবনে একটি হারানো অস্ত্র উদ্ধারের বিশেষ অভিযান শেষ করে আজই নিজ ইউনিটে ফেরত এসেছি। কোতে সৈনিকরা অস্ত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত প্রায় ৬০ জন সৈনিকের দল দ্রুতই চেষ্টা করছে অস্ত্র জমা দিয়ে মেসে ঢুকতে। ব্যাটালিয়ন সার্জেন্ট মেজরের হাকঢাকে মেসের ঐ জায়গাটি বেশ সরগরম।
'আমাকে বলো'- আমি আস্বস্ত করি।
টিকটিকি তার পেটের ভিতরে থাকা ব্রেকিং নিউজটি উগরে দিলো :
বলো কি? বাঘের ঘরে ঘোগের বাস?
আর্কিমিডিসের মতো নগ্ন দেহে না হলেও নগ্ন পায়ে ছুটে গেলাম রুমে। মনের মধ্যে ক্রমাগত বেল আইকন বেজে চলছে -'ইউরেকা', 'ইউরেকা','ইউরেকা'।
খুলে রাখা জঙ্গল বুট আবার তার স্থানে ফিরে এলো। ওয়াকিটকিতে ব্যাটালিয়ন সার্জেন্ট মেজরকে দ্রুত একটি 'সি' টাইপ পেট্রোল রেডী করতে বললাম। টিকটিকির কাছ থেকে টার্গেটের বিশদ জেনে নিলাম। টিএন্ডটি টিলা জোন থেকে এক কিলোমিটার দূরে পানছড়ি বাজার সংলগ্ন খুব ঘনবসতিপূর্ণ বাঙালি-পাহাড়ি অধ্যূষিত একটি মিক্সড কলোনি। পাড়াটি আমার খুবই চেনা। টার্গেট চিনতে অসুবিধা হলো না।
৫/৭ মিনিটের মধ্যেই বিএসএম হাজির হলো তার টীম নিয়ে। ছোটখাট ব্রিফিং দিলাম। গত ২০/২১ দিন ওরা আমার সাথে ওপারেশন ট্রেজার হান্ট করে এসেছে। ওরা সবাই আমার 'মোডাস ওপারেন্ডী' সম্পর্কে জানে। অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধে ওরা ক্ষুধার কথা গেল ভুলে।
যেতে যেতে ভাবছি এতটা সাহস ওরা পায় কিভাবে। জোন সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরের বাজারে ওরা কোন দুষ্কর্ম করে গেলে আমাদের তো মাথা হেট হয়ে যাবে।
দু'দিক থেকে এপ্রোচ করে 'টার্গেট' ঘরে পৌঁছেই সজোরে এক লাথিতে দরজার কপাট ভেঙে ঢুকে পরলাম ভিতরে । মূর্তিমান যমদূতের মতো তিন সেনা সদস্য। দেখা মিললো কিলিং মিশনের তিনজনের। সাথে তাদেরই এক গাদ্দার সহযোগীর। অপারেশনে যাবার পূর্বে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চুয়ানীর মদির নেশায় মগ্ন।
একেবারেই সাদামাঠা এক অ্যাকশন মুভির খণ্ডিত দৃশ্য। ঘরের এক কোনায় বাজারের ব্যাগের ভিতর তিনটি ক্ষুদে অস্ত্র। কিলিং মিশনের সদস্যদের দ্রুত ওপস (ওপারেশন) রুমে আনা হলো। তখনো যেন ওদের বিস্ময়ের ঘোর কাটেনি। পাহাড়ি দারুর (মদ) শেষ চুম্বনটুকু দেওয়া হয়নি। অতঃপর প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে স্বীকার করলো সবই। শীতের এই সন্ধ্যায় কে আর জামাই আদর চায়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে জোন অধিনায়ক ওদের পুলিশে হস্তান্তর করে দিতে বললেন। কিন্তু আমার মধ্যে 'উত্তর নালকাটার' অধিবাসী এই 'ব্যাডবয়'দের কাছে আরো তথ্য আছে এইরকম একটা 'সিক্সথ সেন্স' কাজ করছিল। আমি বললাম, 'স্যার একটু দেখি'।
খাগড়াছড়ি- পানছড়ি সড়ক সংশ্লিষ্ট নালকাটা আর্মি ক্যাম্পের উত্তরে কয়েক কিলোমিটার দূরের এক পাহাড়ি গ্রাম 'উত্তর নালকাটা'। এটা সদা বিবদমান দুই পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের জন্য 'গোলান হাইটের' মতোই স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। নিত্যদিন এখানে তাদের আনাগোনা। চাদাঁ আদায়ের বিট। এসব খবর আগে থেকেই জানা ছিল।
ওই এলাকার অধিবাসী হিসাবে ওরা কি কিছু জানবে না? মনের মধ্যে এ রকম একটা প্রশ্ন নিয়ে আবার ওদের সাথে বসলাম। ওরা জানালো ইউপিডিএফ'র দশ-বারো জনের একটি গ্রুপ প্রায়শই এলাকায় আসে সারাদিন পাড়ায় অবস্থান করে সন্ধ্যায় চলে যায়। কোথা থেকে আসে কোনদিকে চলে যায় তা কেও জানে না।
ওদের কার্যকলাপ, জনবল, অস্ত্র আসা যাওয়ার সময় সম্পর্কে কিছু সাধারণ তথ্য পাওয়া গেল। কিন্তু তা ওদেরকে এম্বুশে ফেলার মতো সুনির্দিষ্ট নয়। তারপরও আজকের সন্ধ্যার সাদামাঠা এই একশন মুভির বাকী অংশটুকুর চিএায়নের জন্য ঐ রাতেই একটি এম্বুশের সিদ্ধান্ত নেই।
অধিনায়ককে জানালাম আদ্যপ্রান্ত সবকিছু। বললাম চান্স '৫০ঃ৫০'। উত্তেজনার বশে তিনিও শামিল হবেন জানালেন।
সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলোঃ নালকাটা ক্যাম্প লন্চিং প্যাড। চারজন অফিসারের সমন্বয়ে চারটি বি টাইপ পেট্রল। স্টার্ট টাইম রাত ১২টা।
মধ্য রাতের পর ডিসেম্বরের তীব্র শীতের কামড়কে অগ্রাহ্য করে ঘন কুয়াশার চাঁদর ভেদ করে চারটি গাড়ীর একটি বহর নিয়ে পার্কিং লাইটের আলোর উপর ভর করে বেরিয়ে পরলাম। আজ আমাদের হাতে কারো মৃত্যু পরওয়ানা। শরীরে তাই মৃদু উত্তেজনা।
নালকাটা ক্যাম্পে এসে দ্রুত চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে পরলাম। ক্যাম্প সংলগ্ন পাড়াগুলি এড়াতে হিম শীতল ছড়ার পানিতে পা ভেজাতে হলো। নিকষ কালো অন্ধকারে পথ চলতে গিয়ে এল এমজি ম্যানগুলো প্রায়ই ধপাস ধপাস করে পরে রাতের নিস্তব্ধতা কে ভাঙছিল।
চরম সতর্কতা ছিলো পথ সংলগ্ন বাড়ির পোষা কুকুরগুলোর নিদ্রা ভঙ্গ নিয়ে। যদি এরা সেনাবাহিনীর টহল দলের উপস্থিতি টের পায় তবে তাদের গগন বিদারী চিৎকার ফাইভ জি'র চেয়েও দ্রুতগতিতে মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।
একটি কুকুরের এরকম একটি উচ্চনিনাদ এই টিলা থেকে ঐ টিলায় 'শেয়ার' হতে হতে বহু দূরের কোন গ্রাম বা পাড়ায় পৌঁছে যায়। আর এরকম আর্তনাদের অর্থ খুঁজতে শীতের রাতে খুস খুসে কাশিতে ঘুমাতে না পারা পাড়ার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে কৌতূহলী করে তুলে বেড়ার ফাকঁ দিয়ে বাহিরে ভিউ করতে। যা শত্রু পক্ষের কাছে নানা উপায়ে পৌঁছে যেতে পারে। আপনার সকল প্রস্তুতি পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে এরকম ট্র্যাডিশনাল সিকিউরিটি সিস্টেমের কারণে।
এম্বুশে গোপনীয়তা অন্যতম প্রধান শর্ত। যে কোন মূল্যেই তা রক্ষা করতে হবে। পাহাড়ের ঢালে একটি সরু রাস্তায় এসে পরেছি। তখনই সকলেই তটস্থ হয়ে গেলাম স্বল্প দূরে কিছু টর্চের আলো দেখে। 'এরা কারা? ' এই প্রশ্ন সবার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো। রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছি ওদের কাছে আসার। মনে হলো তিনজন লোক কিছু একটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
কেও একজন মন্তব্য করলো।
ওরা টিলা বরাবর উপরে আসতেই বোঝা গেল বিষয়টি কীঃ
একটি বড় বাশেঁর ঝুড়িতে আধ কাত হয়ে শুয়ে আছে এক নারী। বাশঁ দিয়ে ঝুড়িটাকে দু'দিক থেকে বেধে একটা 'মেক শিফট' স্ট্রেচার বানিয়ে তাতে এক প্রসব বেদনায় কাতর নারীকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে 'স্বামী- দেবরের তিনজনের এক ক্ষুদ্রদল'।
একগাদা প্রশ্ন ওদের দিকেঃ
পাহাড়ি চাঁদের ঢাকা তরুণী বধূর অস্ফুট কান্নার মাঝে জানা গেল সন্ধার পর থেকে প্রসব বেদনায় কাতর বধূকে নিয়ে যাচ্ছে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে। ওরা কোন যানবাহন না পেলে হেঁটেই চলবে। যদি বাঁচে তবে ভগবানের কৃপা।
আমি বিস্ময় প্রকাশ করে বলি, 'সে তো বহু দূরের পথ। '!
ক্যাম্প থেকে স্পষ্ট ১৬ কিলোমিটার রাস্তা। এতো দূরের পথ পাড়ি দিতে কত ঘণ্টা লাগবে তা সহজেই অনুমেয়। পাহাড়ে এতো রাতে যানবাহনের প্রত্যাশা করা আর স্বয়ং ভগবানের দেখা মেলা একই কথা।
অসহায় স্বামীর দিশাহীন উত্তর।
বিরক্তিবোধ করছিলাম ওদের সাথে মুখোমুখি এড়াতে না পেরে। ভাবছিলাম আমাদের অপারেশনের গোপনীয়তা বোধহয় আর থাকলো না।
এটা ভাবতে ভাবতেই কে যেন অন্ধকারের মধ্যে বলে উঠলোঃ
সৈনিকদের মধ্যে 'মাদার তেরেসা'র কণ্ঠ!
আমাদের বয়ে আনা গাড়িগুলো তখনোও সড়কের উপর অপেক্ষা করছে। ওদের উপর আদেশ ছিল আমরা চূড়ান্ত মিলন স্থানে পৌঁছালে আমাদের সংকেত পেয়ে তবেই ফেরত যাবে।
'ধনঞ্জয়কে অনুচ্চ স্বরে কাছে ডাকলাম। তীব্র শীতেও ওর ঘর্মাক্ত গা। গায়ের শার্টকে কুণ্ডলি পাকিয়ে কাধেঁর উপর রেখে ভার বহনের কাজে লাগিয়েছে। ওর মুশকিল আসানের পথ বলে-'মূল সড়কে পৌঁছে আর্মির গাড়ি পাবে, ওরা তোমাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবে দিলাম। ' অন্ধকারের মধ্যেও নালকাটা নিবাসী ধনঞ্জয় চাকমার হাসির রেখাটি স্পষ্টই দেখা গেল।
এবার চারটি দল বিভক্ত হয়ে নিজেদের এম্বুশ পয়েন্টের দিকে রওনা হলাম। এটা একটা অনুমান নির্ভর এম্বুশ প্ল্যান। শত্রু আসতেও পারে নাও আসতে পারে। যে চারটি আগমনের পথে এম্বুশ পার্টি বসবে তাও ম্যাপ নির্ভর। আগে রেকি করাছিলো না। সঠিক অবস্থানে গিয়েছি কিনা তা বোঝা যাবে ভোরের আলো ফুটলে।
পরিকল্পনা ছিলো রাতে যতটা সম্ভব পজিশন এডজাস্ট করে খুব ভোরের আলোর অপেক্ষায় থাকবে।
তিনটি শর্তঃ 'রেডিও সাইলেন্স', 'নো লাইট' এবং 'নো মুভ' সবাইকে মানতে হবে।
সব পাড়াবাসীকে এম্বুশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত Stay home Stay safe এই বাণী পৌঁছে দিতে হবে। ঘর থেকে বের হতে দেওয়া যাবে না। এই লকডাউনটি করতে হবে ক্রশ ফায়ারের সংক্রমণে কোন নিরীহ পাড়াবাসী যেন আক্রান্ত না হন তা নিশ্চিত করতে। এম্বুশের সময়কাল সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নির্ধারণ করে আমরা 'রেডিও সাইলেন্সে বা বেতার নিরবতায়' চলে গেলাম। কুয়াশা হাতড়ে হাতড়ে নিজের অবস্থান নিলাম। এবার অপেক্ষার পালা।
হঠাৎ করে থেমে যাওয়া শরীরের উপর শেষ রাতের শীত উওর মেরুর তীব্রতা নিয়ে উত্তর নালকাটায় হাজির হলো। অটোমেটিক অস্ত্রগুলি শত্রু আগমনের পথের উপর নিখুঁত নিশানায় রেখে আমাদের কাউন্টডাউন শুরু হলো।
'টাস, টাস, টাস' এসএমসি'র একটি নাতিদীর্ঘ বাস্ট ফায়ারে মাধ্যমে আমাদের ভোরের তন্দ্রা ছুটে গেল।
হতচকিয়ে গেলাম, 'এটাতো আমাদের অস্রের শব্দ নয়। ' আমরা এম্বুশে আছি শত্রু ফাদেঁ আসলে আমাদের অস্ত্রই তো আগে ওপেন করবে। তবে কি আমাদের কোন দল আক্রান্ত হলো?
পর মুহূর্তেই আমাদের উপদল-২ এর অস্ত্রের গর্জন শোনা গেল। চির পরিচিত একে ৪৭ এবং এলএমজির দ্বৈত গর্জন শুনে ঠাহর করতে পারলাম ওদের অবস্থান ঠিক কোন দিকে।
'হ্যালো আলফা-১ ফর আলফা-২ ওভার' রেডিও সাইলেন্স ভেঙে উপদল-২ এর ওয়ারলেস ওপারেটরকে ক্রমাগত ডাকতে লাগলাম। আলফা-২ নিরুত্তর।
আমরা আমাদের অবস্থান কিছুটা এডজাস্ট করে উপদল-২ এর কাছাকাছি গেলাম। এরই মাঝে উপদল-৩, এবং উপদল-৪ এর লোকেশন থেকেও গুলির আওয়াজ পেলাম। ওদের বলা হলো উপদল-২ যে রিজ লাইনে আছে সে দিকটাকে ফায়ার দিয়ে আচ্ছাদিত রাখতে। উদ্দেশ্য শত্রুকে এম্বুশ সাইটে আটকে রাখা। এভাবে বিশ পঁচিশ মিনিট ধরে বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি বিনিময়ের এক কনসার্ট চললো।
ততক্ষণ সূর্যের আলো রিজ লাইনের বৃক্ষের মাথা ছুঁয়েছে। কুয়াশার ঘন চাদরে পাহাড়ের পাদদেশটা তখনও ঢাকা। আর এই চাদরের নিচে আছে কর্দমাক্ত জলাভূমি। এখানে প্লানজিং ফায়ারের কারণে আমাদের গুলি ততটা কার্যকরি হয়নি। আর এইটাই 'উত্তর নালকাটার ব্যাডবয়দের জীবনের আয়ুষ্কাল বাড়িয়ে দেয়। আরো কিছুদিন বেচেঁ থাকার জন্য আশির্বাদ হিসাবে থাকা কুয়াশার চাঁদরের নিচ দিয়ে ওরা বেড়িয়ে যায় আমাদের পাতা মৃত্যু ফাঁদ থেকে।
না, সকলেই এমন ভাগ্যবান হয়নি।
সূর্যের আলো আরো প্রখর হলে সকলের তল্লাশিতে পাওয়া গেল এক হতভাগার বুলেট বিদ্ধ লাশ। 'দলদলে' মুখ থুবড়ে পড়েছিলো সে। 'থ্রী নট থ্রী'র গুলি ওর পিঠে বিশাল এক ক্ষত চিহ্ন রেখে বের হয়ে গেছে। ওর এই ক্ষত চিহ্ন আমাদেরও ধাঁধায় ফেলে দিলো এই থ্রী নট থ্রী গুলি কে করলো? সেনাবাহিনীতো এই অস্ত্র ব্যবহার করে না। উপদল-২ এর ক্যাপ্টেন তোফায়েল জানালো ওরা ব্যাডবয়দের পালানোর রাস্তায় যেসব গুলির খোসা কুড়িয়ে পেয়েছে তার মধ্যে থ্রী নট থ্রী ও রয়েছে।
কিন্ত আপাতত এই ফরেনসিক এনালাইসিস বাদ দিয়ে এই হতভাগার লাশ উদ্ধার এবং তার পরিচয় উদঘাটনে মগ্ন হলাম। ততক্ষণে পাড়াবাসী লকডাউন ভেঙে বের হয়ে আসছে। 'দাবা' মুখে নিয়ে 'গুরুং গুরুং' আওয়াজ তুলে বৃদ্ধ বৃদ্ধাগণ দরজার চৌকাঠে বসে ধোঁয়া ছাড়তে লাগলো।
বয়ঃজৈষ্ঠ্য কয়েকজনকে এনে দেখানো হলো হতভাগার লাশ।
'মূই ন চিনি', 'মূই ন জানি', 'মূই ন জানং'। মাথা ডানে-বামে দোলাতে দোলাতে নির্বিকার ভঙ্গিতে দায় সারে। আইডেন্টিটিফিকেশন প্যারেডটি গভীর আগ্রহের সাথে পরিচালনা করছিলো সহযোদ্ধা কোর্সমেট জিয়াদ। ওদের নির্বিকার ভাবলেশহীন উত্তরে সে তিতি বিরুক্ত-'ব্যাটা এমন মরা মরলি, তাও আবার থ্রী নট থ্রী র গুলি খাইলি, এখন তোরে কেও চেনেও না, কান্ধেও নিবে না'।
যেন সব দোষ ঐ থ্রী নট থ্রী গুলির, অন্য অস্ত্রের গুলিতে মারা পরলে ওর অমর্যাদা হতো না।
চারজন সৈনিকের কাধেঁর উপর ভর করে এই বেওয়ারিশ ব্যাডবয়কে উপরে তোলা হলো। বাংলা ছবির শেষ দৃশ্যের মতো পুলিশ এসে হাজির হলো।
ততক্ষণে বেলা অনেক গড়িয়েছে সূর্য প্রায় মাথার উপরে। কারোরই সকালে কিছু খাওয়া হয়নি। ক্যাম্পের উদ্দেশে দ্রুত যাত্রা করলাম। উপদল-২ এর লিডার তোফায়েলের কাছে শোনা গেল কেন সকালে ঐ 'টাস, টাস' শব্দ আমরা আগে শুনেছিঃ এম্বুশ অফিসিয়ালি 'কলড অফ' হওয়ার মিনিট দুয়েক আগে উপদল-২ এর মূল লক্ষ্যবস্তুর উপর স্হাপিত এল এম জি ম্যান 'এম্বুশ শেষ', 'সব ফকফকা', 'সব দেখা যায়' এমনভাব নিয়ে ফায়ার পজিশনের শায়িত অবস্থা থেকে একটু সরে বসে প্রস্রাব করছিলো। ওরা নিজে থেকেই স্ট্যান্ড ডাউন হয়ে গিয়েছিল।
ঠিক তখনই ১২জনের ইউপিডিএফের ঐ দলটি আকাঁবাকাঁ রিজ লাইন ধরে আসছিলো উপদল-২ বরাবর।
৩০/৪০গজ দূরে থাকতেই ওদের চাদর মুড়ি দিয়ে পথ চলা স্কাউট পথের মাঝ বরাবর সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখে ভড়কে যায়। ও বেটা এল এম জি গ্রুপ কে পিন ডাউন করার জন্য হাতের স্টেনগান দিয়ে বাস্ট ফায়ার করে।
আমাদের টহল দলও ওদের দেখে কিন্ত শত্রু দেখার পর বেসিক ড্রীল : ড্যাশ, ডাউন, ক্রল, কাভার এন্ড ফায়ার করতে যেয়েই যে সময় ক্ষেপণ হয়েছে তাই ওদের জন্য জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য বয়ে আনে। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে একটা ড্রপ ক্যাচে লাইফ পাওয়া ইউপিডিএফ র দলটি উসাইন বোল্টের চেয়েও দ্রুত গতিতে দৌঁড়ে পালাতে থাকে।
বারো জনের দলটি প্রথমে চারিদিকে সেনাবাহিনীর ঘেরাটোপে পরলেও পরবর্তীতে নিজেদেরকে যেভাবে পারে এই কৌশল অবলম্বন করে পালাতে থাকে। চালাতে থাকে লক্ষহীন গুলি।
ওদের লোকাল নলেজ বা এলাকার অলি-গলি সম্পর্কে জ্ঞান ভালো থাকায় ওরা আমাদের কারেন্ট জাল কেটে বের হয়ে যায়। তবে ঐ হতভাগার কারণে বারোজনের দলটি একটি বেজোর সংখ্যার দলে পরিণত হয়। একটি নিশ্চিত টার্গেট শেষ মূহুর্তে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় আমরা হতাশ ছিলাম।
নালকাটা ক্যাম্পে ফিরে এলাম। সড়ক থেকে মাটির ধাপ কাটা সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে। সড়কের ওপাশেই চেক পোস্টের নোয়ানো বাশঁ। এখানেই থামে এ পথে চলাচলকারী সকল যানবাহন। সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা রাখা মাত্রই 'স্যার, নমস্কার স্যার' ডাক শুনে ঘুরে দাঁড়াই।
'স্যার, আমার একটা ছেলে হইছে'।
পানের রসে সিক্ত তার ঠোঁটের দুইপ্রান্ত, অমলিন হাসিতে ভাসছে তার সারা মুখ।
এতক্ষণ পর্যন্ত চিন্তা চেতনা ডুবে ছিল বেওয়ারিশ লাশ আর এম্বুশের ফলাফল নিয়ে। ধনঞ্জয়ের স্ত্রীর কি ঘটেছে তা আর জানা হয়নি।
ধনঞ্জয়ের স্ত্রীকে নিয়ে একটি পিকআপ ছুটে গিয়েছিল সদর হাসপাতালের উদ্দেশে। নালকাটা ক্যাম্পে অবস্থান করা অধিনায়কের নির্দেশে খাগড়াছড়ি রিয়ার ওসি'র সক্রিয়তায় সদর হাসপাতাল দ্রুতই ব্যবস্থা নেয় ধনঞ্জয়ের স্ত্রীর ডেলিভারির। মধ্যরাতে বাংলাদেশের বাস্তবতায় ডাক্তার নার্সের দেখা মেলা কতটা রাজসিক তা গরীব না হলে কেও বুঝবে না। মধ্যরাতে গাড়ি আর ডাক্তার দুটোই ভগবান সম।
ধনঞ্জয়কে দেখে মনে হলো না গতরাতে ওর পাড়াতে যে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেছে তার কোন রেশ তার মধ্যে আছে। আমরা দুজন মুখোমুখি। আমার হাতে মৃত্যু সনদ। ওর হাতে জন্ম সনদ।
ধনঞ্জয়কে কিছু বলতে হয়। আমি তড়িঘড়ি করে বলি, 'খুশি হলাম'।
'তা কি নাম রাখবে ছেলের? ' আমি কিছু না ভেবেই বলি।
'কি নাম হলে ভালো হবে স্যার'? ধনঞ্জয় আমার কাছেই জানতে চায়, 'তু এহান নাম দিলে ভালো অবো'।
'মৃত্যুঞ্জয়'। আমার ভাবনাহীন উত্তর।
ধনঞ্জয় বিড় বিড় করতে থাকে 'মৃত্যুঞ্জয়, মৃত্যুঞ্জয়'।
আমারও ইচ্ছে হচ্ছিলো অদূরে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে খাগড়াছড়ির মর্গে যাবার জন্য প্রস্তুত ঐ হতভাগার নাম কি তা ওকে জিজ্ঞাসা করি। আমাদের পেয়ে ধনঞ্জয়ের ছেলে গতরাতে মৃত্যুকে জয় করেছে। আর আমাদেরই পাতা ফাদেঁ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে আরেকজন।
এক যাত্রায় দুই ফল। সবই ভগবানের ইচ্ছে।
| web |
42e9995d8d5ea02fddf92ed58092431bb247ccbfec8e77a6aa3c14dcccde567d | ১৪ই ফেব্রুয়ারি
'কোথায় তোমাদের গ্রাম?'
'কুলপীর সর্দারপাড়ায়।'
কিছুক্ষণের জন্য আবার তাকে আপাদমস্তক দেখলাম। মনে পড়ল গণেশদের আদিবাড়ি ওই কুলপীতেই।
একটা কথা জানতে ইচ্ছে হচ্ছিল তন্ময়ের কাছে। গণেশদের সঙ্গে পারিবারিক কোনও কানেকশন নিশ্চই রয়েছে এই ছেলেটির। সেটাই ক্লিয়ার করার জন্য জিগেস করলাম, 'গণেশ কে হয় তোমার?'
'আজ্ঞে দূর সম্পর্কের কাকা।' সংক্ষিপ্ত উত্তর দিল ছেলেটি।
ওর সঙ্গে কথা বলে দেখলাম অত্যন্ত বিনম্র ছেলে সে। আমার সমস্ত প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়ে চলেছে। একটুও বিরক্তি প্রকাশ করছে না। যেন আমার জেরার প্রত্যেকটা উত্তর দিতে সে বাধ্য।
আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আবার জিগেস করলাম, 'গ্রামে কী কাজ করতে?'
'আজ্ঞে আমি তো পড়াশোনা করতুম।'
আমি অবাক হয়ে তাকালাম।
'কোন ক্লাস?'
'আজ্ঞে আমি বাংলা অনার্স নিয়ে পড়িচি। এমএ পড়ার ইচ্ছে ছিল। খরচের ভয়ে আর পারিনি।'
'বাংলা অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করে চায়ের দোকান্ে প্রশ্নটা করতে চাইনি আমি। তবুও আমার ভেতর থেকে
করে বসল।
তন্ময় সামান্য হেসে জবাব দিল, 'আত্মহত্যা করার চাইতে চায়ের দোকানে কাজ করা অনেক সম্মানজনক পৌদাদাবাবু'
আমি আর কোনও কথা বলতে পারলাম না।
করছ?' কেউ সেটা
বুদ্ধদেব হালদার
এই দেশের রাজনীতি যে মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মেধা, মনন, সংস্কৃতিকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছে তন্ময় সর্দার সেটারই ফসল। এবং শুধু সে-ই বা কেন? আমরা প্রত্যেকেই, আমরা প্রত্যেকেই তাই জন্মাবার আগেই মরে যাচ্ছি প্রতিদিন।
দোকানে বিশেষ ভিড় ছিল না। আমি চুপচাপ বসেই ছিলাম। নিজের খেয়ালে কী ভেবে চলেছি নিজেই জানি না।
'দাদাবাবু আপনি কি কবিতা লেখেন?' প্রশ্নটা শুনেই আমি আঁতকে উঠলাম।
তন্ময়ের মুখের দিকে তাকাতে সে আবারও প্রশ্ন করল, 'আপনি কবিতা লেখেন তাই না?'
আমি তাকে হ্যাঁ না কিছুই না বলে চারপাশটা একবার দেখে নিলাম। নাহ, দোকানের আশেপাশে আর কেউ নেই আমি আর সে ছাড়া।
আমি তাকে বললাম, 'তা একযুগ আগে লিখতাম। কিন্তু তুমি জানলে কী করে?
'গণেশ কাকার মুখে আপনার অনেক কথা শুনিচি।'
কিছুক্ষণ চুপ থেকে সে বলল, 'জানেন দাদাবাবু আমিও গাজনের ছক লিখতুম। সেসব ছক একেকটা গ্রামে এত হাততালি আর টাকা পেত যে বলার নয়, বিশ্বাস করুন।'
তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
আমি তার বুকের ভিতরটা স্পষ্ট দেখতে পারছি। তার প্রাণটুকু স্পর্শ করতে পারছি আমি।
'আর কী জানিস আমার সম্পর্কে?' আমি তাকে জিগেস করলাম।
সে একমুহূর্ত কিছু একটা ভাবল।
তারপর আবার আমার দিকে তাকিয়ে হাসি হাসি মুখ করে বলল, 'দাদাবাবু, একটা অনুরোধ করব?'
| pdf |
b9ae7a3d1a764a88ceba17b9e9eb1695c993ee00218fb53d347eabf52aee03db | অগ্রহায়ণ - ১৩৪০ ।
পরিভাষা : সুতরাং কোন বিশিষ্ট বিষয়ে জন্মগত সংস্কারাদিসমন্বিত অধিকারীর শিক্ষা ও চচ্চা প্রভৃতি দ্বারা লব্ধ জ্ঞানের ক্রমবিকাশে স্বরূপনিশ্চয়ে ও পদার্থান্তর নির্ণযে যে যুক্তিসমন্বিত শব্দ ব্যবহৃত হয় ডহা পরিভাষা, 94/ পরিভাষী এইরূপ ব্যক্তির আত্মবিবদ্ধনানুযায়ী নিশ্চিতির প্রকাশ মাত্র।
"সাধারণ লোকে কথাবা স্থায় চিঠিপরে অমাখা শব্দ নির্দিষ্ট অর্থে প্রযোগ করে, কিন্তু বিদ্যাচচ্চার জন্য করে না, সেজন্য হ্যামাদের খেয়াল হয় না সেসকল শব্দ পারিভাসিক। 'স্বামী, সা, গাই, স'াড, বন্ধক, তামাদি, লোহা, তামা, চৌকো, গোল' প্রভৃতি শব্দের পারিভাষিক খ্যাতি নেই, কারণ এ-সকল শব্দ অতিপরিচিত।" পেরোক্ত কথাগুলির অথ অস্পষ্ট বোধ হইতেছে, কারণ ইহার কয়েক পংক্তি উপরেই রাজশেনর বাবু লিখিতেছেন, "যে শব্দের অর্থ সীমাবিশিষ্ট বা শুনিদ্দিষ্ট তা পরিভাগা", এবং বড় পারিভাষিক শব্দই বিড়াচিচ্চার জন্য বাবহৃত হয় না এবং উপরোক্ত শব্দগুলির প্রত্যেকটিই পরিভাষা, যদিও উঁহা "অতিপরিচিত", স্নতরা অতিপরিচিত হইলেই শব্দের পরিভাষা হইবার পেযুক্ততা নষ্ট হয় না । স্মৃতিশাস্ত্রে এবং আইনে "ঙ্গামা" ও "স্বী" পরিভাষা প্রাণ।তত্ত্বে "গাত" ও "ঘড়ি" পরিভাষা মহাজনী ও তেজারতিতে "বন্ধক" ও "তামাদি" পরিভাসা ভূতত্ত্ববিদা, খনিজবিছা । ও রসায়ন শাস্ত্র প্রভৃতিতে ""লোহা" ও "তাম।" পরিভাষা এব" গণিত শাস্ত্রে ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে "চৌকো" ও "গোল' পরিভাষা
বাস্তবিক পক্ষে শব্দের স্বরূপের দিকে লক্ষ। করিলে দেখা যায় উহা কোন না কোন বিশিষ্ট অর্থে, কোন না কোন বিশিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষের বা জাতিবিশেষের আত্মবিবদ্ধনানুযায়ী প্রকাশ মাত্র। সুতরাং প্রত্যেক শব্দই স্থল বিশেষে পরিভাষা, কিন্তু বিষয়ান্তরে নহে। প্রাণী তত্ত্ববিদের নিকট "কান্কো যুক্ত হাত-পা-বিহীন মেরুদণ্ডী অন্তুজ (এবং আরও কয়েকটি লক্ষণযুক্ত ) প্রাণী" "মংস্য," সুতরা" "চি"ড়ি" "সংখ্য" পড়ে। কিন্তু মংলা-বাবসাযার পরিভাষায় "চিড়ি" নিশ্চয়ই সংস্থা।
বিদ্যাচমে পরিভাষার প্রযোজন সম্বন্ধে সন্দেহ নাই, কিন্তু বিদ্যাচচ্চ। ভিন্ন তান্য ক্ষেত্রে যথা, কাঁডা, ব্যবসায় প্রভৃতিতেও নিশ্চয়ই পরিভাষা ব্যবহৃত হয়। "সাধারণ কাজে" পরিভাষার এত প্রয়োজন হয় না বাকাটি সঙ্গত নহে, যেহেতু সাধাৰণ কেন, কোন কাজেই ভাষা বা পরিভাষার প্রয়োজন হয় না। ভাগ । "কাগ্যবিপস্যথ;" ( শব্দকল্পদ্রুণ, পৃ ৮৮২), পরিভাষা "পদার্থবিবেচক।চাষাণাং যুক্তিযুক্ত। বাক্" এবং "ক্রিযতে বৎ" ইতি কায্যম্ (শব্দকল্পদ্রুম, পৃ ১৮৩)।
লেখক বা বক্তার মনোভাব প্রকাশক শব্দ ভাগা, কিন্তু ঐ শব্দই ভাগার তত্ত্বানুসন্ধিৎহয় নিকট পরিভাষা এইরূপে কত্তা, কৰ্ম্ম, ক্রিয়া প্রভৃতি বৈয়াকরণিকের নিকট পরিভাষা, কিন্তু লেখক বা বক্তার নিকট মনোভাব প্রকাশক শব্দ মাত্র । পুব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে পরিভাষায় লোক ব্যবহারেরও নিশ্চয়ত স্থান আছে ; কারণ পরিভাষা "পদার্থ বিবেচকাচায্যাণাং যুক্তিযুক্ত। বাক্" এবং "যুক্তি"র একটা অর্থ "লোকব্যবহার"
বহুদিন পূল্পে ইংলণ্ডের পণ্ডিতমণ্ডলীর নিকট ইংরেজী ভাগার আদর স্কিল না কারণ তাঁহারা ফরাসী ও ল্যাটিন ভাষায় প্রগাঢ় আহ্বাবান ছিলেন।
বৰ্ত্তমান কালে বঙ্গবাসীদিগের নিকটও সেইরূপ বাঙ্গালা ভাষার আদর অতি অল্পহ দেখিতে পাওয়া যায়, ইহার প্রমাণ এই যে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমে বঙ্গভ়।সায় যে উদ্বোধনের ভাব লক্ষিত হইয়াছিল উহা পরে, আর রক্ষিত বা বৰ্দ্ধিত হয় নাই । ৰক্তমান কালের বাঙ্গালা ভাষায় ( বিশেষতঃ কথ। ভাষায়) যেরূপ বিনা প্রয়োজনে ইংরেজী শব্দ দেখিতে পাওয়া যায় মধ্যযুগের বাঙ্গালা ভাষায় সেইরূপ বিন। প্রয়োজনে উদ্দ শব্দের প্রাচুগ! পরিলক্ষিত হইত। বাঙ্গালা ভাষার এই দৈস্যের জন্য ভাষার নিন্দা করা হাস্যকর কারণ ভাষা প্রকৃতিপ্রপূত নহে, বক্তার প্রয়োজনানুযায়ী ও আত্মবিৰদ্ধনানুযায়ী শব্দ। সুতরাং বাঙ্গালা ভাষাভাষীদের জ্ঞানলাভ ও জ্ঞানপ্রসারের ফলেই বাঙ্গালা ভাষা ও পরিভাস। গড়িয়া উঠিবে সত্য কোন কারণে নহে। হলওে যে Eau-d Cologne প্রস্তুত হয় ঊছ। নিশ্চয়ই জাম্মানীর Cologne প্রদেশ 5. আসে না, তথাপি উহার নাম Ea-de-Cologne ইটালীর Del credere শব্দ ইংরাজীতে প্রযোজনানুযায়ী ব্যবহৃত হয়, ইটালীর Double-entry system সমস্ত পৃথিবী গ্রহণ করিয়াছে। ইংরেজী Lloyd's জান্মানীতেও Lloyd', তার কারণ পূরবর্ত্তীর প্রথম আবিষ্কার বলিযা পরবর্ত্তী দেশগুলিও পূবনভীর গৌরব রক্ষা করিতেছে। ইংরেজীতে ব্যবহৃত এক লক্ষ শব্দের মধ্যে দ্বিতীয়াশেরও অধিক ইংরেজী নহে * । সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সমস্ত পৃথিবার মানবমণ্ডলীর পরস্পর সংযোগ সাধিত হইতেছে । যে জাতি সব প্রথম মানব-সভাত! বুদ্ধির উপযোগী কোন কাগ্য করে সেই জাতির সেই বিশিষ্ট বিষয়ের পরিভাষ। অপর জাতি নিবিচারে গণ করে ও এইরূপ করায পরবর্ত্তীর জীবনী শক্তি প্রকাশ পায় মাত্র।
সংস্কৃতচয্যার যুগে দশে কেবল নার কয়েকখান। রসগ্রন্থই রচিত হয় নাই, চগ্যার উপযোগী অন্যান্য বিষয়েও বিভিন্ন গন্ত রচিত হইয়াছিল । দুঃগের বিষয় এ সমস্ত গ্রন্থ সম্বন্ধে অনেকেই কান সন্ধান রাখেন না, সুতরা তাৎকালিক ভারতীয় চৰ্য্যায় ব্যবহৃত ভাষা ও পরিভাষা আজ পুনরাবিষ্কারের প্রচেষ্টা হইতেছে মাত্র। ঐ সকল পরিভাষা আজ অজ্ঞাত ও অবজ্ঞা ত শুভরাং বিভিন্ন লোক বিষয় প্রবেশ না করিযাহ কেবল মাত্র পাণ্ডিত্য প্রদর্শনের জন্য প্রসঙ্গচাত এক গাদটা পরিভাষার ব্যবহার করিলে উহা নিঃসন্দেহ অনাত্মক হইবে। পক্ষান্তরে ভাংকালিক ভারতীয় গোয়ে যে সকল বিষয় পরিগৃহীত হয় নাই, কিন্তু মানবসভ্যতা বিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দেশে পরিগৃহীত হইয়াছে, সভ্যসমাজান্তগত থাকিতে হইলে ঐ সকল আমাদিগকে নিশ্চয়ই পরিগ্রহণ করিতে হইবে। সুতরাং সেই সেই দেশের পরিভাষা ব্যবহারে আমাদিগের ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ নাই। পৃথিবীতে সাত্র এইরূপ হইয়াছে ? হইতেছে । কিন্তু যদি হাতে আমাদিগের চিত্তে ক্ষোভ উপস্থিত হয়, তন্নিবারণের একমাত্র উপায় আমাদিগেরও মানবসভ্যতা-বিবন্ধনে সাহায্য করা, তাহা হইলেই বঙ্গীয় পরিভাষা ও স্বতঃই প্রসার লাভ করিবে। কিন্তু সব্বাগ্রে মনে রাখা উচিত আমাদিগের পূর্বপুরুষগণ মানবসভ্যতা-বিবন্ধনের জন্য কি কি কাজ করিয়াছিলেন এবং অন্যান্য দেশীয়গণও এই কল্পে : The Art of Writing English. p 121 by Prof. J. M. D. Merklejohn. London, gth edition.
| pdf |
d96966bfa89a0f8d3fce24aa4465350e40e9f411 | করোনাভাইরাস সংক্রমণ মূলত বাতাসবাহিত। বিজ্ঞানীদের চাপের মুখে স্বীকার করতে বাধ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
ঘটনা হল, বরাবরই Covid-19 সংক্রমণ বাতাসে উপস্থিত জলকণার মাধ্যমে হচ্ছে বলে জানিয়েছে WHO। বলা হয়েছে, মানুষের হাঁচি, কাশি অথবা কথা বলার সময় নাক-মুখ থেকে বের হওয়া জলকণা বাতাসে ভর করে ছড়িয়ে পড়ে, তবে বেশি দূর সফর করার আগে তা মাটিতে ঝরে পড়ে।
গত সোমবার 'ক্লিনিকাল ইনফেকশাস ডিজিজ' জার্নালে প্রকাশিত খোলা চিঠিতে WHO-কে উদ্দেশ্য করে ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী প্রমাণ দাখিল করে জানান যে, বাতাসে উপস্থিত করোনাভাইরাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করার পরেই সংক্রমণ ঘটে। যে হেতু দীর্ঘ সময় হাওয়ায় ভেসে থাকতে পারে এই ভাইরাস, সেই কারণে WHO-কে তার আগের পরামর্শজনিত অবস্থান সংশোধনের জন্য তাঁরা আর্জি জানান।
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে সংস্থার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রযুক্তিগত প্রধান বেনেডেটা আলেগ্রান্ৎজি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ যে বাতাসবাহিত, তার প্রমাণ পাওয়া গেলেও এই সম্পর্কে সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞানীদের এই দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছে বলেও WHO-এর তরফে ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রচারিত সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কে তত্ত্বে বদল ঘটলে তা বেশ কিছু দেশের স্বাস্থ্যবিধিকে প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। WHO-এর পরামর্শ অনুযায়ী ওই সমস্ত দেশে করোনা সংক্রমণ এড়াতে ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব এখনও পর্যন্ত এক মিটার (৩. ৩ ফিট) ধার্য করা রয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ বায়ুবাহিত হিসেবে নির্দিষ্ট হলে এই দূরত্ববিধিও পরিবর্তন করতে হতে পারে।
| web |
692cb46c9b6337f71df3bb12dd2c6d823e93050b | নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ আট!
আবার লিখতে বসলাম সকাল সকাল। রাত তিনটার দিকে ঘুমিয়ে আট টায় উঠলে শরীরটা একটু ম্যাজম্যাজ করে। তার ভেতরে সকাল নাস্তা করা হয় না। তাই কেমন কেমন জানি লাগে। বাবা মায়ের সাথে যখন ছিলাম তখন কোনোকালেই নাস্তা জিনিসটা আমার এতো আরাধ্য ছিলো না। ঘুম থেকে উঠতাম দেখি আম্মু নাস্তা বানিয়ে রেডি তাই অল্প খেতাম। কিন্তু এখন ঘুম থেকে উঠি দেরীতে, নাস্তা প্রাপ্তির কোনো সম্ভাবনা নাই তাই চা বিস্কুটই ভরসা। ইহাই উত্তম নাস্তা। তবে আজ বিস্কুটও নাই খালি চা। আর ওদিকে বাকীর চায়ের দোকান তো উঠে গেছে। তাই সকাল সকাল বের হতেও ইচ্ছা করে না।
ফড়িংয়ের ডানাতেও এই জীবন দেয় ডাক!
শিরোনামটা কবীর সুমনের গান থেকে ধার করা। আমার মাথায় এতো কাব্য কিংবা উপমা আসে না কখনো তাই এ ধার ও ধার করেই চলি! আর এখন যে অস্থিরতার ভেতরে আছি তাতে কাব্য আসার কোনো সম্ভাবনাই তাই। তাও এই পোষ্টটা লিখছি স্রেফ মন মেজাজ হালকা করার জন্য সাথে হালকা থাকার জন্যে। কাল মামা সেই মাঝ রাতে বাসায় ফিরলো। আমি কামাল ভাইয়ের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়লাম। ভাগ্যিস দরজা খোলার গেঞ্জামে পড়তে হয় নাই। নয়তো সাড়ে তিনটায় উঠে নীচের তালা যেয়ে চাবি নিয়ে দেনদরবার করতে হতো। আমাদের বাসাটা এদিক দিয়ে অসাধারন। রাত যতই বাজুক গেট নিয়ে টেনশন নাই। তারপর বাসাটা ছাদের উপরে। মানুষ যে ধরনের বাসায় থাকার স্বপ্ন থাকে আমার বাসাটা ঠিক তেমনি। সব দিক থেকেই দারুন। খালি ডিশের লাইন নিয়ে একটা গেঞ্জাম তাই চার মাস ধরে টিভি দেখতে পারি না আর বাসা থেকে টাকা নিয়ে চলতে হয় ইহাই বড় সংকট। তা না ছাড়া স্বর্গে আছি। বাবা মা কে খুব মিস করি কিন্তু কি আর করা সেই মিস সবাই করে। বাবা মায়ের সাথে থেকেও তা করে এই যা।
মন খারাপের ভিতর বাহির!
ইতিমধ্যেই রাজীবের নির্মম জবাই পরবর্তি শোক আমরা কাটিয়ে উঠছি। বরং সে নাস্তিক নাকি আস্তিক? তার জানাযা পড়া উচিত নাকি অনুচিত? শেষ মেষ কেনো একজন নাস্তিক কেনো পলিটিক্যাল জানাযাতেই আশ্রয় নিতে হলো এর মানে কি? সে যে সমস্ত পোস্ট লিখছে সেগুলো তার লেখা নাকি? আর লেখা পড়েই কেউ তাকে মেরেছে নাকি? জামাত শিবিরের উপর দোষ চাপিয়ে অন্য কেউ করলো নাকি কাজটা? হাবিজাবি নানান প্রশ্নে ফেসবুক ব্লগে খাবি খাচ্ছে জনতা। আমি খালি একখান কথাই বলবো ফেসবুক ছাড়া যারা দিন কাটায় তারাই আছে সুখে। নয়তো বাংলাদেশে ফেসবুক এমন এক পরিস্থিতিতে যাচ্ছে যে অসুস্থ লোকেরাই শুধু যাবে। একাউন্ট ডিএক্টিভেট করলে ভালো হতো কিন্তু তা আর করছি কই? ঘুরে ফিরে এই ফেসবুক। আর সেইখানে বসে বসে আজাইরা মানুষের বস্তাপচা প্রশ্ন আর দোহাই দেখতে আর ভালো লাগে না!
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ সাত!
পোষ্ট তো কেউ পড়ে না তাই কমেন্টও হয় কম। এরকম পরিস্থিতিতে পোস্ট কম দেয়াই ভালো। তাও অতো ভেবে লাভ কি? আরেকটা পোস্ট শুরু করি। জানালা খুলে বের হয়ে ছিলাম বাসা থেকে তাই এসে দেখি বাসা ভর্তি মশা। এখন পাব্লিক ডিমান্ডে আমার মশার কামড় খেতে খেতে লিখতে হবে, কি একটা বিপদ! কত কষ্ট করে একেকটা পোস্ট লিখি তা তো পাব্লিক বুঝে না তাই কমেন্টও করে না এই মরা ব্লগে। এই ছিলো আমার কপালে!
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ ছয়!
আমি ইদানিং খুব ভালো প্রাক্টিক্যাল মিথ্যে কথা বলতে পারি। আগেও পারতাম। কিন্তু এখন তা পারফেক্টশনিস্টের পর্যায়ে চলে গেছি। আব্বু আম্মুর সাথে প্রতিদিন দেখা যায় ডজন খানেক আংশিক মিথ্যা বা পুরোটাই মিথ্যাতে বলে চলে যায়। এই তো গত পরশু দিন আব্বু ফোন দিলো'শাহবাগে যাস? আমি বললাম না ভার্সিটিতে ব্যাস্ত তাই যাই না আর কি। আব্বু বলে ওইদিকে অনেক গেঞ্জাম, সারাদিন তো পাঞ্জাবী পড়োস, তোকে শিবির মনে করে যদি ধোলাই দেয়, সাবধানে থাকিস' আমি বলি ' না আব্বু আমি গেঞ্জামে যাই না তবে ইন্টারনেট থেকে সংহতি জানাই। আব্বু বলে তাই ভালো। ভাইয়া বলে আন্দোলোনে যাস? আমি বলি আমাদের আন্দোলন আমরা যাবো না কেন? প্রতিদিন যাই। ভাইয়া বলে সাবাশ। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আর কাকে বলে? আমি নিজেও এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ডে আটকানো। এমন অনেক কথা বলি যা মাঝে মধ্যে নিজেই খুব একটা বিশ্বাস করি না। তাও বলি বাবা মা বন্ধুদের খুশী করতে। যাপিত জীবনে সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে হলে মিথ্যে বলার বিকল্প নাই। তবে আমি তা সর্বোচ্চ মাত্রায় বাবা মায়ের সাথেই প্রয়োগ করি। আর বন্ধু বান্ধবদের সাথে যতো কমে পারা যায়।
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ পাঁচ!
আজ সকালেই মামা চলে গেলো বাড়ীতে। যাবে জামালপুর সকালের ট্রেন অগ্নীবিনাতে। আমারো যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু এই ক্লাস টাস শাহবাগ অবরোধ ফেলে বাড়িতে যেতে ইচ্ছা করলো না। যদিও বাড়িতে যাওয়াটা খুব ইম্পোর্টেন্ট। তবে মামা এতো সাত সকালে গিয়েও পড়ছে ফ্যাসাদে। ট্রেন ছাড়ার কথা নয়টা ২০য়ে। কিন্তু এখনো ট্রেনের কোনো নাম গন্ধ নাই। সেই নভেম্বরে বাড়ি থেকে এসে আর গেলাম না। অথচ উত্তরবংগ, খুলনা এতো দুরে দূরে বাড়ী থেকেও লোকজন প্রতি মাসেই চলে যায় একটু সময় পেলেই। আর আমার বাড়ীতে যাওয়াই হয় না। আসলে বাড়ী আমার খুব যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু কাহিনী হলো বাড়ীতে এতো আদর যত্নের পরেও বারবার যখন মনে হয় আব্বু আম্মু আমার জন্য এতো কষ্ট করলো তাদের জন্য কি দিলাম? আমি কি করলাম জীবনে?
গ্যালাক্সি এস!
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ চার!
অনেক দিন পর আমি সকালে লিখতে বসলাম। রাতে রাতে লিখতে লিখতে এমন অবস্থা হইছে যে রাত ছাড়া লেখারই ইচ্ছা থাকেনা। কিন্তু সারাদিন এই চেচামেচির পরিবেশে থেকে, মাথা ব্যাথা আর মশার কামড় খেতে খেতে বিরক্ত লাগে। আর না লিখলে মনে হয় হুদেই লেখলাম না। এই জটিল পরিস্থিতিতে আজ সকাল সাড়ে সাতটাতেই ঘুম থেকে উঠলাম। চা বানাতে বানাতে ভাবলাম পোস্ট লিখে ফেলি। ক্লাস টেনে থাকতে আমার বাসার উপর তালায় থাকতো ক্লাস মেট মেধাবী ছাত্রী। আম্মু ফজরে উঠেই তার চেয়ার টানাটানির শব্দ শুনতো। আর আমাকে বলতো শান্ত উইঠা পড়, মেয়ে মানুষ হয়ে কত সকালে ঘুম থেকে উঠে! আমিও উঠে যেতাম। এইসব সকালে আম্মুর কথা খুব মনে পড়ে। এখন আর ভোরে ডাক দেয়ার কেউ নাই মায়ের মতো। যখন যতক্ষন খুশী ঘুমানো যায় বলার কেউ কিছু নাই। কিন্তু নিজেরই ঘুমাতে ভালো লাগে না।
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ তিন!
ভেবেছিলাম শাহবাগ নিয়ে লিখবো না আর। কারন চারিদিকে এতো বেশী এই নামের লেখালেখি, তাদের এতো শতো ভালোবাসার আবেগের লেখার ভীড়ে আমার সরল দিনলিপির ঠায় কই? তাও লিখি কারন আমার লেখাতো কীবোর্ড টেপার কষ্ট ছাড়া আর কোনো কষ্ট নাই। লেখা যদিও অনেকে ভালো বলে তাও আমি আমার লেখার কোয়ালিটি নিয়া মোটেও সন্তুষ্ট না। তারপর আছে আবার বানান ভুল আর যতি চিন্হ ব্যাবহারের ভুল ভ্রান্তি। তাও লিখি কারন লেখাতেই যাত্রা লেখাতেই শেষ, আমি ভালো আছি এই নিয়ে বেশ!
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ দুই!
আজকেও যে পোষ্ট লিখবো সেই ইচ্ছা ছিলো না। ইদানিং এতো ঘন ঘন পোস্ট দিচ্ছি নিজেরই বিরক্ত লাগে। তাও লিখি। যারা পড়ার তারা পড়ে নেয়। অন্যেরা হয়তো মুখ ভেংচায়। তাতে আমি ওতো ভাবি না। লেখার সময় সুযোগ থাকলে ব্লগ লেখা কঠিন কিছু না। আর ব্লগ লেখাকে আমি নিতান্তই সরল দিনলিপিতে পরিনত করছি তাতে আমার জন্য সুবিধা হলো যাই ঘটে বলতে ইচ্ছা করলে বলে দেই। অনেকেরই দিনলিপিতে অনেক কিছু বলার থাকে কিন্তু সুযোগ, সময়, ভাষা পায় না। আমার দিনলিপি গুলো ভাষা পায় এতেই আমার আনন্দ।
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময়!
যাপিত জীবনে কিছু সময় আসে এরকম যখন প্রতিটা মুহুর্তকে দামী মনে হয়। ইচ্ছে করে সবটুকু অনুভব দিয়ে উপভোগ করি কিন্তু উপায় থাকে না। সময় চলে যাবার পরে বুঝা যায় কি চলে গেলো এই এক নিমিষে। আমরা যারা ছয় সাত বছর ধরে ব্লগে ফেসবুকে ডায়লগ বাজী করে বেড়াই, তাদের জন্যে স্বপ্নের মতো কিছু দিন যাচ্ছে। কেউ কোনোদিন ভাবতেই পারে নাই ফেসবুক ব্লগের যুদ্ধাপরাধ বিরোধী সেন্ট্রিমেন্ট এরকম গনরোষে পরিনত হবে। ফেসবুক ব্লগে বিপ্লব হয় তা আরব বসন্ত থেকে জেনেছি। কিন্তু এই শীত পালানো মাঘের দিনগুলোতে এরকম কিছু হুট করেই হবে ভাবি নি। ধারনা ছিলো কাদের মোল্লার ফাসি হবে। সবাই খুব খুশী হবে। ছবির হাটে অনেকে মিস্টি খাবে। কিন্তু হলো যাবজ্জীবন। একজন মানুষ খুনী ধর্ষক কসাইয়ের শাস্তি জেলের আটার রুটি খাওয়া তা আমার চিন্তারও বাইরে। কালকেই এক সামান্য ইভেন্ট থেকে অনেক মানুষ হয়ে জানান দিছে এ রায় মানার কোনো উপায় নাই। আজ তার পুর্নতার দিন। আন্দোলন চলছে। কাল সকালে হরতাল হীন শাহবাগে কিভাবে কি হয় পুলিশ কি আচরন করে? তা দেখার জন্য তর সইছে না।
ভালো থাকার কিছু নেই!
ভালো লাগতেছে না হুট করেই। এমনিতে আমি অবশ্য খুব খারাপ থাকি না। তবে আজ কেনো জানি না প্রচন্ড বিষন্ন লাগতেছে। ক্রিকেট খেলে মন মেজাজ হালকা ছিলো কিন্তু তা আর থাকলো না। কসাই কাদেরের ফাসী হলো না এইটা ভাবতে ভাবতেই বারবার মন খারাপ হয়। যদিও আইন আদালতের বিষয় নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা কম থাকে। তাও খুব জানতে ইচ্ছা করে এতো মানুষ মেরে শিশু ধর্ষন করেও যদি নিস্কৃতি পায় তাহলে আদালত থাকার মানে কি! ভাবতেছিলাম এতো আশা করে আমাদের ভোট দেয়া, এতো এক্টিভিজম সব কি তবে বিফলে! জানি না ভাবতে ইচ্ছা করতেছে না। অন্য চায়ের দোকানে বসে আছি। চারিপাশে চায়ের দোকানে ছোটোবড়ো লোকজন বসা। কিন্তু কারো সাথেই কথা বলতে ইচ্ছা করতেছে না। শাহবাগ যাবার কথা ছিলো বেরও হলাম কিন্তু যাওয়া আর হলো না। বন্ধু লতা গেলো না কিন্তু আমি বাসা থেকে বের হয়ে চায়ের দোকানে আসলাম। আছি তো আছিই বসেই। কত হাসির কথাবার্তা চলছে তাও হাসছি। সাইফ বললো চলেন ভাই সাব হাটে গিয়ে ইয়া বড় বার্গার খেয়ে আসি। আমি বললাম রীচ ফুড খেতে খেতে ক্লান্ত আর কতো! এদিকে দুপুরে আম্মুর সাথে কথা হলো। আম্মু বলে বাড়ীতে আসবিনা? আমি বললাম জব টব নাই বাড়ীতে যেয়ে কি করবো, ক্লাস তো চলে কিভাবে আসি?
শরীর জুড়ে ক্লান্তিময় বিষন্নতা। তাও ভাবলাম লিখে ফেলি পোস্ট। পোষ্ট লিখলেই কাজ শেষ নয়তো মনে হয় ব্লগে লিখলাম না কেনো। ব্যাসিকেলি আমি অলস লোক না। ঘুমাতে অতো বেশী ভাল্লাগে না। কেউ কোনো কাজ দিলে আর আমি তা করতে পারলে মানা করি না। নিজের পকেটের পয়সা খরচ করেও অনেকের অনেক কাজে নেমে গেছি। তাই বলা যাবে না আমি অলস। তবে আমি নিজে অনুভব করি যে আমি খুব অলস। নয়তো এই চায়ের দোকানে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা কোনো নরমাল মানুষের জন্যে সম্ভব না। এমন না যে সব সময় অনেক লোকজন থাকে। এমন অনেক সময় গেছে যখন আমি আর চায়ের দোকানদার বাদে কাক কুত্তাও নাই। বসে আছি আছি তো আছিই একটানা একি ভাবে। এই অন্তহীণ অলস সময় গুলো আমি অন্য কিছু করলে নিশ্চই অনেক কিছু হয়ে যেতো। শুধুমাত্র বাসা থেকে পড়াশুনাটা করলেও অনেক গুলা বই শেষ করা যেতো, যা অনেক দিন আমার আলমারি হীন ঘরে ফ্লোরে পড়ে আছে।
দশ বছর!
বই পুস্তকের মেলা খেলায়!
অনেক দিন দুপুরে পোষ্ট লেখি না। সেই সামুর আমলে দুপুরে পোষ্ট লিখতাম সকাল জুড়ে ব্লগে বসে থাকতাম। দিনগুলো ছিলো অন্যরকম। তখন মনে হতো ব্লগে থাকার চেয়ে গুরুত্বপুর্ন কোনো কাজ থাকতে পারে না আর। যাই হোক ব্লগের জায়গায় এখন ফেসবুক। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক দেখা সংযোগ থাকা খুব ইজি কাজ। তার জন্য কোনো বাড়তি এফোর্টের প্রয়োজন নাই। কিন্তু ব্লগিংটা আসলে পিসিতে বসেই করার জিনিস। যদিও আমি মোবাইলে লিখতে পারি পোস্ট ভালোই। তাও সেটা ঠেকায় পড়েই। কিন্তু ব্লগিং জিনিসটা কম্পিউটার ল্যাপটপেরই ব্যাপার। ফেসবুকের মতো তা এতো ইউজার ফ্রেন্ডলী আইটেম না। আর ফেসবুক দিয়ে দ্রুত সবার কাছে চলে যাওয়া যায়। ধরেন আমি কালকে একটা লেখা শেয়ার দিলাম বা ইদানিং দিতেছি তাতে চায়ের দোকানের বন্ধু বান্ধবেরা পড়ছে আর এসেমেস করে বলে শান্ত ভাই আপনি তো আমাদের নিয়া সেরকম লেখা লিখে ফেলেন। আপনার লেখার হাত দারুন। অথচ আমি যে ব্লগে লিখি কোন ব্লগে কি লিখি তা কেউ জানে না অথচ ফেসবুকের এক শেয়ারের উসিলায় সব কিছু পড়ে ফেললো। এইটাই ফেসবুকের শক্তি।
| web |
2f1144e151181054061bd511455b2ae49cbe322b9b489580525f830960471b12 | ভোর হয়েছে অনেকক্ষণ। রূপসী এবার রাতের পোশাক ছেড়ে শাড়ি পরে নিলো। কাগজে সদাপ্রসন্নর ছবির ভূয়সী প্রশংসা বেরিয়েছে। "যেভাবে আধ ঘন্টার মধ্যে প্রদর্শনীর সব ছবি বিক্রি হয়ে গেল তার থেকেই প্রমাণ হয় সদাপ্রসন্ন এখন প্রথম সারিতে।"
কাল খুব ঝুঁকি নিয়েছিল রূপসী। ঐভাবে ওর সঙ্গে বেরুনো নিরাপদ হয়নি। কিছু একটা অঘটন ঘটে গেলে কিছু বলবার থাকতো না। আবার মনে হলো, সদাপ্রসন্ন শেষ হয়ে গিয়েছে - প্রতিমা কাঠুরিয়ারা ওর কোনো কিছু অবশিষ্ট রাখেনি!
রেডিওতে মীরার ভজন শুরু হয়েছে। মনের মধ্যেও কোনো এক উদাসী কিছু একটা গাইবার জন্যে উদ্গ্রীব হয়ে উঠছে।
অথচ কেমন এক অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরছে রূপসীকে। যে-কলকাতাকে সে অনেক দিন আগে চিনতো, যে কলকাতাকে কলকাতায় রেখে সে সুদূর বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল, সে যেন নেই। লেফট লাগেজে অনেক সময় মাল বদলি হয়ে যায়। ব্যাগটা একই রকমের, একই রঙের, কিন্তু ভিতরের জিনিস আলাদা।
কলকাতা কোথায় যেন হেরে গিয়েছে। মীরার ভজন শুনতে-শুনতেই আর একজনের কথা মনে পড়লো। মহীতোষদা। অসামান্য মানুষ মহীতোষদা। রূপসীদের পুরনো বাড়ির সামনেই থাকতেন।
কম বয়স থেকেই মহীতোষদার মধ্যে ধর্মভাব ছিল। ওঁর মায়েরও ছিল ধর্মে মতি । সোজা চলে যেতেন দক্ষিণেশ্বরে, বেলুড়ে, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে। মা আনন্দময়ীর সঙ্গেও ছিল ওঁর মায়ের যোগাযোগ। মহীতোষদা কৃতী ছাত্র ছিলেন। ইস্কুলে কলেজে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। গান গাইতেন 'অসামানা। সেই মহীতোষদা শেষ পর্যন্ত বৈরাগ্যের পথ ধরলেন। যে বয়সে লোকে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাদের সান্নিধ্য পেলে ধন্য হয়, যে বয়সে ছেলেরা সিনেমায় যায়, বাবরি চুল রাখে চিত্রাভিনেতাদের স্টাইলে, সেই বয়সে মুণ্ডিতমস্তক হলেন মহীতোষদা। সাদা পাঞ্জাবি ও কাছাবিহীন কাপড় পরা সেই ব্রহ্মচারীকে রূপসী দেখেছে ঠাকুরের জন্মদিনে, আর্তদের সেবা করে চলেছেন নীরবে।
মহীতোষ মহারাজের পরে কী একটা নাম হয়েছে। কয়েক বছর কংখলে তপস্যা করে কাটিয়ে দিয়েছেন। ওঁর সঙ্গে দেখা হলে মন্দ হতো না। ভক্তির পথে, সন্ন্যাসের পথেই তো চিরদিনের ভারতবর্ষ মোক্ষের সন্ধান করেছে। বিবেকানন্দ তো বলেছিলেন, আমরা স্বর্গসুখের সন্ধান করি না, আমরা চাই মোক্ষ, মুক্তি। এই শাশ্বত বাণীই তো অভিনব রূপ পেয়েছে রবীন্দ্রনাথের গানে।
মহীতোষ মহারাজ একবার অনুপ্রাণিত হয়ে রচনা করেছিলেন অসামান্য কাব্য যা রূপসী পড়েছে কোনো এক সাপ্তাহিক পত্রিকায়। বিবেকানন্দর অনুপ্রেরণায় রচনাঃ
আ-হা, আবার সেই মধুর বাণী, সেই চিরচেনা কণ্ঠস্বর। কন্টকিত অন্তর, রোমাঞ্চিত প্রাণ,
নেই বন্ধন মায়াজাল ।
নেই জীবনের আকর্ষণ।
শুধু আছে প্রভুর মধুর গম্ভীর আহ্বান।
যাই প্ৰভু যাই।
ওই তিনি বলছেন,
মৃতের সৎকার করুক মৃতেরা,
সংসারের ভালোমন্দ দেখুক সংসারীরা, ওসব ফেলে তুই চলে আয়। যাই প্ৰভু যাই ।
নির্বাণ-সমুদ্রের অপূর্ব বিস্তার সামনে - ওই।
অসীম শান্তির ওই পারাবার, মায়ার বাতাসে নেই, তরঙ্গ-বিক্ষেপ, আমি যাই।
আমি যে জন্মেছি তাতে খুশি, দুঃখ যে পেয়েছি তাতে খুশি, জীবনে যত ভুল, তাতে খুশি, নির্বাণে চলেছি, তাতে খুশি।
মহীতোষদা যেদিন সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন সেদিনটাও মনে আছে। রাণুমাসীমা পুত্রশোকে কাতর - আবার কতো মেয়ে তাঁকে প্রণাম করছে এমন সন্তানের গর্ভধারিণী হওয়ার জন্যে।
অনেক চেষ্টায় মহীতোষদার খবর পাওয়া গেল। কলকাতা থেকে বেশ দূরে নির্জন সমুদ্রতীরে আশ্রম গড়েছেন মহীতোষদা - স্বামী নির্বাণানন্দ নাম নিয়েছেন।
মুক্তির সন্ধানে সংসারের সমস্ত বন্ধন অগ্রাহ্য করে মহীতোষদা ভারতবর্ষের প্রান্তরেপ্রান্তরে ঘুরেছেন। চরম দুর্যোগে দুঃখী মানুষের সেবা করেছেন। হিমালয়ের গহনে বসে পাঠ করেছেন সংস্কৃত সাহিত্যমালা। নিজেই অনুবাদ করেছেন যোগবাশিষ্ঠ
মহীতোষদাই দিতে পারেন রূপসীকে দু'দণ্ডের শাস্তি। মহীতোষদা ভীষণ স্নেহপ্রবণ । এতো স্নেহভালবাসা নিয়ে তিনি কী করে মাকে কাঁদিয়ে সংসার ত্যাগ করতে পারলেন তা শুধুমাত্র তিনিই জানেন।
অনেকক্ষণ ড্রাইভ করে মহীতোষদার আশ্রমের সন্ধান পেলো রূপসী। হীতোষদাকে সব বলবে রূপসী। কোনো কিছুই লুকিয়ে রাখবে না সর্বত্যাগী পুরুষের
গছ থেকে।
মহীতোষদা অনেকদিন পরে রূপসীকে দেখে খুশি হলেন। রূপসী যে এতো বিদ্যাবতী য়েছে এবং একজন বিদ্যাপতি লাভ করেছে তা জানতেন না। বিদেশে বসবাস করছে এবং সামান্য কয়েকদিনের জন্যে দেশে এসে যে আশ্রমে ছুটে এসেছে তাতেই তৃপ্তি হীতোষদার।
মহীতোষদা জানেন না, এছাড়া পথ নেই রূপসীর। একজন প্রাণবস্তু পুরুষকে ।াল্যদান করেছিল, সে এখন একটা মানি এক্সচেঞ্জার হয়ে দূরদূরান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে। দূর কলকাতা হাতছানি দিলো - সেই আকাশ যা একদিন রামকৃষ্ণকে, রবীন্দ্রনাথকে, ববেকানন্দকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু কোথায় কী যেন হয়ে যাচ্ছে, দেশটা দিশাহারা তে আরম্ভ করেছে। রুপসী জানে, এই দেশ এই সভ্যতা এখনও শূন্য হয়নি। এইখানেই কোথাও তার ঈপ্সিত শান্তি খুঁজে পাবে রূপসী।
মহীতোষদা এসব জানেন না, জানবার প্রয়োজন নেই, কোন আগুনে জ্বলে পুড়ে রছে রূপসী।
রূপসী বুকের মধ্যে কিছুটা শান্তি অনুভব করছে। আশ্রমে উপনিষদের বাণী পঠিত চ্ছে। মহীতোষদা বলছেন সেই পূর্ণের কথা যা কিছুতেই অপূর্ণ হয় না। পূর্ণ থেকে ঘূর্ণকে বিয়োগ করলেও পূর্ণ থেকে যায়।
সূর্য অস্তাচলের পথে। সমুদ্রতীরে ধীর পদক্ষেপে ভ্রমণ করছেন মহীতোষদা। কোনো খদ নেই তাঁর।
শেষ মুহূর্তে রূপসী স্তম্ভিত হলো। বাধার কথা জানতে চাইছিল রূপসী - সাধনার কথা, তপস্যার কথা। একটু ভেবে মহীতোষদা হঠাৎ বললেন, আরও দ্রুত এগুনো যেতো। কিন্তু টাকার অভাব।
রূপসী চমকে উঠলো । মোক্ষও তা হলে বিলম্বিত হয় টাকার অভাবে! জলেহলে-অন্তরীক্ষে তৃষিত ধরিত্রী যেন চাতক পাখির মতন বলছে - টাকা দাও, টাকা দাও। টাকার অভাবে সব শূন্য হয়ে যাচ্ছে এই মানব-অরণ্যে।
রূপসী ফিরে এসেছে গভীর রাত্রে। তার সমস্ত শরীর কাঁপছে। তা হলে ওই লোকটা যে ক্লিভল্যাণ্ডে বসে টাকা রোজগারের চেষ্টা করছে সে তো অন্যায় কিছু করছে না। অনুরাগ যা করছে সেও এক তপস্যা।
টেলিফোন বাজছে। অনুরাগের গলা কী পরিষ্কার শোনাচ্ছে ? অনুরাগ বলছে, "তোমার অভাবে বাড়ি মরুভূমি। কবে আসছো?" জানতে চাইছে অনুরাগ।
| pdf |
967c01a2f72bddb2e419e3fabb9a604cdf0a33fb | ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, মাত্র একশ' টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া!
স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে সরকার। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে মা ও শিশুসহ প্রায় সব ধরনের রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ব্যতিক্রমী কিছু উদ্যোগ নেয়া দরকার, যা গরিব মানুষদের সহায়ক হিসেবে কাজে লাগে।
এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে নওগাঁর ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদে। মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় মাতৃছায়া নামে একটি ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হয়েছে। উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গত ২৮ জানুয়ারি 'কাইযেন' সেবা মেলায় অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করা হয়।
একটি ইজিবাইককে (ব্যাটারিচালিত চার্জার) অ্যাম্বুলেন্স রূপ দেয়া হয়েছে। সবুজ রঙের ইজিবাইককে নাম দেয়া হয়েছে মাতৃছায়া। ছাদে ঘূর্ণায়মান লাল আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে ঠিক অ্যাম্বুলেন্সের মত সাইরেন বাজিয়ে গ্রামের কাঁচা-পাকা মেঠো পথে ছুটে চলে সেই অ্যাম্বুলেন্স।
জরুরি সেবা নিতে অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে লেখা রয়েছে মোবাইল নম্বর। ভেতরে রয়েছে প্রসূতি শুয়ে-বসে যাওয়ার সুব্যবস্থা। রাত-বিরাতে মোবাইল ফোন থেকে কল করে ঠিকানা জানিয়ে দিলেই পৌঁছে যাবে সেই অ্যাম্বুলেন্স।
অ্যাম্বুলেন্সচালক আল-আমিন হোসেন জানান, গত তিন মাসে ৪০/৪৫ জন ডেলিভারি রোগীকে নিরাপদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রায় সবার কাছে মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে। যেকোনো সময় ফোন করলে রোগীদের বাড়িতে চলে যাই। রোগীদের সেবার পাশাপাশি যাত্রীদের ভাড়া মারা হয়।
ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী রাম প্রসাদ ভদ্র জানান, গরিব প্রকৃতির মানুষদের বেশি টাকা খরচ করে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া সম্ভব হয় না। কম খরচে সবসময় সেবা দেয়া যায় সে চিন্তা করেই অ্যাম্বুলেন্সটি তৈরি করা হয়েছে। আপাতত এটি শুধু ভীমপুর ইউনিয়নবাসীর জন্য চালু করা হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সটি ইউনিয়নের বাগাচারা কমিউনিটি ক্লিনিকে (সিসি) এককালীন দিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি যে দুটি সিসি আছে আগামী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে পারলে সেখানেও দুটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, অ্যাম্বুলেন্সটিতে একজন চালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দিনের যেকোনো সময় ভীমপুর থেকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং নওগাঁ সদর হাসপাতালের নেয়ার জন্য ভাড়া মাত্র একশ' টাকা। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত দেড়শ' টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
| web |
43bdefe78c6c275dd60b7758ed87654a0fc1d3b9 | পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে যাব। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর বুধবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। অবসরপ্রাপ্ত এ পেশাদার কূটনীতিক দায়িত্ব নেবার পর মন্ত্রণালয়ে এসে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, নবনির্বাচিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করে আমি খুবই আনন্দিত। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যেতে চাই। ইশতেহারের প্রতিপাদ্য ছিল 'বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে'। প্রতিপাদ্যের এ লক্ষ্য অর্জনেই আমি কাজ করে যাব।
মাহমুদ আলী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে অন্তবর্তীকালিন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা ১২ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ গঠন করলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটি খালি রাখেন। শাহরিয়ার আলম প্রতিমন্ত্রী হিসাবে এতদিন মন্ত্রণালয়ের মূখ্য দায়িত্বে ছিলেন। সংসদীয় আসনের কিছু কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন হওয়ায় পর মাহমুদ আলী এমপি হিসাবে শপথ নেন। এরপর গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিলেন।
| web |
a15eaadf88cfd2aedd4eef8f3ddae752bf761d5eec3fb76e118c79434ee71001 | হয়েছিলেন, মুরাদের সৈন্যদল আমোদপ্রমোদের জন্য ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত
হয়ে গেছে।
উৎসবের ভোজ আরম্ভ হ'ল - সুস্বাদু খাদ্য ও সুপেয় পুরা আওরঙ্গজেবের শিবিরে কোন সম্মানিত অতিথির পানপাত্র কখনো শূন্য হয় নি। দু'ঘণ্টা পরে আওরঙ্গজেব মুরাদকে বল্লেন - ভ্ৰাত!, তুমি বিশ্রাম কর। আমি অভিষেকের সমস্ত আয়োজন ও ব্যবস্থা করব; আমি তোমাকে যথাসময়ে খবর দেব।
বিশ্বস্ত শাহবাজের সঙ্গে মুরাদ অন্য কক্ষে প্রত্যাবর্তন করলেন। সেখানে এক অপরূপ সুন্দরী নারী অপেক্ষা করছিল - খোজা ভৃত্য তাকে দূর করে দিল। অতিরিক্ত মদ্যপানের পর মুরাদ খুব শীঘ্রই নিদ্রামগ্ন হয়ে পড়লেন।
এই সমস্ত ও পরবর্ত্তী ঘটনাগুলি একজন বিশ্বস্ত লোক আমার কাছে বিবৃত করেছিল। আমি সেই কাহিনী শুনে শোকে নিষ্পেষিত হয়ে পড়েছিলাম - সমস্ত রাত্রি জেগেছিলাম - আর প্রার্থনা করেছিলাম। * * * ইয়া আল্লাহ !!!!
শাহবাজ মুরাদের পদতলে বসে অতি মৃদুভাবে - তাঁর পদসেবা করছিল। হঠাৎ আওরঙ্গজেব উন্মুক্ত দরজার প্রান্তে উপস্থিত হলেন। তাঁর পরিধানে শ্বেত পরিচ্ছদ, মস্তক শিরোপা-বিহীন; অভিষেকের অনুরূপ কোন ভূষণ তাঁর অঙ্গে ছিল না। মৃহুগতিতে আওরঙ্গজেব অগ্রসর হলেন।
তারপর মস্তক উত্তোলন করে খোজাকে উঠে আসতে ইঙ্গিত করলেন। খোজ। আদেশ প্রতিপালন করল। তৎক্ষণাৎ চারজন লোক সেই খোজাকে নিঃশ্বাস বন্ধ করে হত্যা করল এবং সেই স্থানেই তাকে ভুনিম্নে প্রোথিত করা হ'ল।
এবার আওরঙ্গজেবের রাজভূমিকা আরম্ভ হ'ল। তিনি তাঁর চার
বৎসর বয়স্ক কনিষ্ঠ পুত্র আজীমকে ডেকে একটি উজ্জ্বল মুক্তা দেখিয়ে বল্লেন - "যদি তোমার ঘুমন্ত চাচার পাশ থেকে তাঁর তরবারি তাঁকে না জানিয়ে নিয়ে আসতে পার, তবে তোমাকে এই মুক্তাখণ্ড উপহার দেব।" এই ব্যাপারে যদি মুরাদ জেগে ওঠেন তবে মুরাদ দেখবেন, একটি নির্দোষ শিশু তরবারি নিয়ে খেলা করছে। শিশু আজীম উল্লসিত হয়ে মুরাদের তরবারি নিয়ে এলো। তখন স্বপ্নের আবেশে মুরাদের মুখে অপূর্ধ্ব প্রশান্তি। আর একটি মুক্ত। শিশুকে দেখিয়ে আওরঙ্গজেব বল্লেন - "তুমি চাচার ঐ ক্ষুদ্র ছুরিকা নিয়ে আসতে পার ?" উল্লসিত শিশু আবার মুরাদের প্রতিবন্ধের ছুরিকা নিয়ে এল । আওরঙ্গজেব স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।
মুরাদ জেগে দেখলেন, তাঁর পদদ্বয় গুরুভার শৃঙ্খলাবদ্ধ। হস্ত প্রসারিত করে মুরাদ তাঁর অস্ত্রের সন্ধান করে দেখলেন। তিনি প্রতিশোধের কোন চেষ্টাই করেন নি। অবনত মস্তকে শান্তস্বরে মুরাদ বললেন - "কোরাণ স্পর্শ করে আমার কাছে এই শপথই করা হয়েছিল। আল্লাহ !"
সঙ্গীত নূতন সুরে বেজে উঠল। মুরাদের অনুচরবর্গ মনে করল, অভিষেক উৎসব তখনও চলেছে। সন্ধ্যাসমাগমে দুটি হস্তী চলেছে - একটি আগ্রার দিকে, অন্যটি দিল্লীর পথে - দুটি হস্তীই প্রহরীবেষ্টিত । দিল্লীর পথে হণ্ডীপৃষ্ঠে চলেছে দুর্ভাগ্য মুরাদ।
ক্রমশঃ মুরাদের অনুচরবর্গ চঞ্চল হয়ে উঠল। কিন্তু আওরঙ্গজেবের সৈন্যাধ্যক্ষদের আদেশ দেওয়া হয়েছিল - যেন তখন মুরাদের সেনাপতিগণ শিবির ত্যাগ করতে না পারে। তারা জানত আওরঙ্গজেবের কৌশল ।
রাত্রিতে হঠাৎ আওরঙ্গজেবের সৈন্যদল আনন্দধ্বনি করে উঠল "ছানা জালালুল্লাহ" (সম্রাট আওরঙ্গজেব দীর্ঘজীবী হউন)। সঙ্গে সঙ্গে
ঘোষণা করা হ'ল যে, শাহজাহান এবং মুরাদের অধীন সৈন্যগণ দ্বিগুণ বেতন পাবে। মুরাদের সৈন্যাধ্যক্ষগণ প্রথমে পলায়নের চেষ্টা করেছিল কিন্তু সৈন্যদল ভীষণ ভীতও হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন দেখা গেল মুরাদের সমস্ত সৈন্য আওরঙ্গজেবের দলে যোগ দিয়েছে ।
আওরঙ্গজেবের দরবেশের আলখাল্লার নীচে তাঁর শিরায় চেঙ্গিসের রক্তধারা প্রবাহিত হ'ত। চেঙ্গিস সমস্ত পৃথিবীকে ভীত ও সন্ত্রস্ত করেছিলেন । শক্তি সংগ্রহের আকুলতায় যখন আওরঙ্গজেবের রক্ত উষ্ণ হয়ে উঠত, রক্তধারায় মুছে যেত কোরাণের অক্ষরগুলি ।
মুরাদ চলেছেন দিল্লীর রাজপথে, অত্যন্ত অপমানিতভাবে। তাঁর পশ্চাতে হস্তীপৃষ্ঠে অনুসরণ করে চলেছে ঘাতক - পলায়নের চেষ্টা মাত্রই মুরাদের শিরশ্ছেদ করবে। বন্দী অবস্থায় তাঁকে কারাগারে নিয়ে গেল, সেখানে তাঁকে পান করতে হ'ল "পপীর" সরবৎ।
তারপর আওরঙ্গজেব সিংহাসনে আরোহণ করলেন।
কতকগুলি পত্র ছিন্ন, অসংলগ্ন•••পূর্ণ পাঠোদ্ধার হয় নি
আমি দারার ইতিহাস লিখছি - আমার কপোল আমি পত্রের উপর ন্যস্ত করলাম, আমার অশ্রুধারা কালির অক্ষরের সঙ্গে মিশে যাক ।
মাঝে মাঝে দারার ইচ্ছাশক্তি দুর্দমনীয় হয়ে উঠত। সেই শক্তির আবেগে দারা লাহোরে প্রায় ত্রিশ সহস্র সৈন্য সমাবেশ করলেন - লাহোরের পার্শ্ববর্ত্তী একজন রাজা দারাকে সৈন্য সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দারা তার কথার উপর অত্যন্ত বেশী নির্ভর
করলেন । আমার সহোদরদের মধ্যে দারার মতন হৃদয় জয়ের ক্ষমতা
আর কারো ছিল না। তাঁর ছিল মুখে সরল হাসি, কণ্ঠে সঙ্গীতের সুর। দারা এই হিন্দুরাজার হৃদয় জয় করার বাসনা করলেন। তাকে রাজানুগ্রহের বহু নিদর্শন এবং যথেষ্ট অর্থ উপহার দেওয়া হ'ল । কিন্তু আওরঙ্গজেবের গুপ্ত পত্রাবলী রাজ্যের প্রতি কোণে ছড়িয়ে গেল ।
হিন্দু রাজা দারাকে পরিত্যাগ করল, কিন্তু আওরঙ্গজেবের প্রেরিত অর্থ ত্যাগ করতে পারল না।
আওরঙ্গজেব সৈন্যদের পুরোভাগে অগ্রসর হতে লাগলেন। তিনি জানতেন যে, বহু বিখ্যাত সৈন্যাধ্যক্ষ দারার পক্ষপাতী। তাদের অনেকেই দারার সঙ্গে প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। তন্মধ্যে দায়ুদ খান অন্যতম। আওরঙ্গজেব অনেকগুলি জাল পত্র তৈরী করলেন - পত্রের মূল কথা আওরঙ্গজেব ও দায়ুদ খানের পত্র বিনিময়। সেই পত্রগুলিতে দারার চিত্ত সন্দিগ্ধ হয়ে উঠেছিল। হতভাগ্য দারা তাঁর বিশ্বাস সৈন্যাধ্যক্ষদিগকে অবিশ্বাস করতে আরম্ভ করলেন। দারা দায়ুদখানকে আদেশ করলেন, "আমাকে ত্যাগ কর। আমার সৈন্য পরিত্যাগ করে চলে যাও।" দায়ুদখান শিশুর মতন ক্রন্দন করলেন। তার পর দায়ুদখান উত্তর দিলেন - "দুর্ভাগ্য দারাকে মৃত্যুর পথে নিয়ে যাচ্ছে।" দায়ুদখান দারাকে পরিত্যাগ করে গেলেন।
অতি দ্রুতগতিতে দার। লাহোর ত্যাগ করে স্থানাস্তরে আশ্র!
অন্বেষণ করলেন। ভাক্কারের ( ৭৪ ) দুর্গে তাঁর বহু সুশিক্ষিত সৈন্য পশ্চাতে রেখে গেলেন - অবশ্য তাঁর অনেক সৈন্য তাঁকে পরিত্যাগ করে গেছে। পরিশেষে দার। গুজরাটে উপস্থিত হলেন; - সেখানে সৈন্য
সংগ্রহ করলেন।
ইত্যবসরে আওরঙ্গজেব সংবাদ পেলেন শাহ্ শুজ। বাংলাদেশ পরিত্যাগ করে বহু সৈন্য নিয়ে অভিযান করেছেন। শুজা দারার অনুসরণ ত্যাগ করে তাঁর সমস্ত সৈন্য নিয়ে দক্ষিণ অভিমুখে অভিযান করলেন। তাঁর লক্ষ্যস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য আওরঙ্গজেব দ্রুত অশ্বচালনা করে অনেকবার সৈন্যদের অতিক্রম করে একাকী বহুদূরে চলে যেতেন, কখনও একাকী বৃক্ষতলে বিশ্রাম করতেন। কখনও নিজের ঢালের উপর মস্তক ন্যস্ত করে নিদ্রা যেতেন।
অতর্কিতে আওরঙ্গজেব একদিন বনপথে রাজা জয়সিংহের সম্মুখীন হয়ে পড়লেন । জয়সিংহ সুলেমান শুকোর সৈন্য পরিচালক। তিনি দারাকে ঘৃণা করতেন - কারণ, তাঁকে একদিন "গায়ক" বলে উপহাস করেছিলেন। কিন্তু জয়সিংহ শাহজাহানের প্রিয়পাত্র ছিলেন। জয়সিংহের সৈন্যগণ আওরঙ্গজেবকে হত্যা করে সম্রাট শাহজাহানকে মুক্ত করবার জন্য অনুরোধ করল। যদি তাহা করা হ'ত জয়সিংহের প্রশংসায় পৃথিবী মুখর হয়ে উঠত!
আওরঙ্গজেব বিপদের গভীরতা অনুভব করলেন। তিনি একাকী জয়সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ কৰ্ত্তে উপস্থিত হ'লেন - যেন তাঁর প্রত্যাশাই আওরঙ্গজেব করেছিলেন। তৈমুরের ভাষায় রাজা জয়সিংহকে প্রশংসা করলেন। তারপর নিজের কণ্ঠ থেকে বহুমুল্য মুক্তাহার খুলে রাজার কণ্ঠে পরিয়ে দিয়ে বল্লেন - "আমি আপনাকে দিল্লীর শাসনকৰ্ত্ত।
(৭৪) ভাক্কার - পাঞ্জাবের একটি ক্ষুদ্র রাজ্য
নিযুক্ত করলাম···সাম্রাজ্যের প্রয়োজন - আপনি এই মুহূর্ত্তে দিল্লীর পথে
যাত্রা করুন।"
ভাগ্য নিজের পথ রচনার জন্য কতকগুলি অস্ত্র ব্যবহার করে - সে অস্ত্র সৎ হউক আর অসৎ হউক। কিন্তু ভাগ্য আমাদের পথের গতি কোন্ দিকে রচনা করেছেন ?
রাজা জয়সিংহ অবিলম্বে দিল্লী যাত্রা করলেন।
আগ্রার তীব্র উত্তাপ কণ্ঠরোধ করে দেয়। প্রায়ই আমি বিনিদ্র রজনী যাপন করেছি - আমার মনে হ'ত যেন আমার সুবর্ণ শয্যার উপরিভাগে কক্ষের ছাদ আমার শবাধারের আবরণে পরিণত হয়েছে। আমার পিতা ও আমি যেন সমুদ্রে জলমগ্ন যাত্রী - এক নির্জ্জন দ্বীপে উঠছি। আমাদের কাছে আগত সংবাদগুলি যেন একটি বিরাট নৌবাহিনীর বাত্যাবিক্ষুব্ধ ধ্বংসীভূত যানের ভগ্ন অংশমাত্র। কিন্তু আওরঙ্গজেবের ঘৃণা যেন আমার পিতার দেহে নূতন জীবনী-শক্তি সঞ্চার করেছিল।
অদূরে খাজুয়ার প্রান্তরে নবীন সম্রাট ও শাহ শুজার যুদ্ধ আরম্ভ হ'ল । কি ভীষণ সংগ্রাম! আওরঙ্গজেবের হস্তীর চতুর্দিকে তীর বৃষ্টি চলেছে! সামুগড়ের প্রান্তরের মত মৃত্যুর সম্মুখীন - সেখানেও বিজয়ী শত্রুদলের মধ্যে একজন বিশ্বাসঘাতকের অভাব হ'ল না। যখন আওরঙ্গজেব হস্তীপৃষ্ঠ থেকে অবতরণ করছিলেন - মীরজুমলা চিৎকার করে উঠল - "হস্তীপৃষ্ঠে অপেক্ষা করুন।" আওরঙ্গজেব হস্তীপৃষ্ঠ থেকে অবতরণ করলেন না। সামুগড় আওরঙ্গজেবকে সিংহাসনের পথে চলা শিক্ষা দিয়েছিল। সেই বিশ্বাসঘাতক শুজাকে পরামর্শ দিল - হস্তীপৃষ্ঠ থেকে অবতরণ করুন, যদিও দারার দুর্ভাগ্যের ইতিহাস শুজা অবগত ছিলেন। তবু ভাগ্যহীন শুজা হস্তীপৃষ্ঠ থেকে অবতরণ করলেন। তৎক্ষণাৎ তাঁর সৈন্যদলের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হল। সৈদ
পলায়ন আরম্ভ করল জয়ের চরম মুহূর্ত্তে শুজা আওরঙ্গজেবের নিকট পরাজিত হলেন।
আমার লেখনী শ্রান্ত হয়ে পড়েছে। এই কয়েকটি ঘটনা শাহজাহানের সাম্রাজ্যের ভিত্তি চিরতরে শিথিল করে দিয়ে গেল, পিতা শাহজাহান পুত্রদের বিশ্বাস করতেন - সেই পিতা-পুত্রের সংগ্রামের ধ্বনি হ'ল, ইয়া তকৃত ইয়া তাবুত, "হয় সিংহাসন না হয় সমাধি।" শাহ শুজার ভাগ্যে সমাধিলাভও হয় নি। আশ্রয়ের জন্যে শাহ শুজা ব্রহ্মদেশে পলায়ন করেছিলেন, সেখানে রাজা তাকে পশ্চাদ্ধাবন করে বনে নিয়ে গেল। রাজার অনুচরের ছুরিকাঘাতে শুজাকে হত্যা করা হ'ল । তাঁর মৃতদেহ বন্যজন্তুর আহার্যে পরিণত হয়েছিল। রাজপুত্র শুজাই প্রথ সাম্রাজ্যের শান্তি ভঙ্গ করেছিলেন। কর্ম্মফল ? না, অদৃষ্ট ?
দশম স্তবক
খাজুয়াতে শুজার পতনের পর আবার আরম্ভ হ'ল দারার কাহিনী। এখানে আমার কাহিনী আমার প্রারম্ভ দিনে এসেছে।
সেদিন ছিল এক হাজার ঊনসত্তর হিজরী জমাদিউল-আওয়াল ( ১৬৫৯ খৃঃ অব্দ )। দারা পূর্ব্বব্যবস্থামত যশোবন্ত সিংহের সৈন্যের সঙ্গে আগ্রার পথে মিলিত হওয়ার জন্যে তাঁর নূতন সৈন্য নিয়ে গুজরাট থেকে অভিযান আরম্ভ করলেন। রাজা যশোবন্ত সিংহের সাহায্য ব্যতিরেকে শাহজাদা দারার পক্ষে আওরঙ্গজেবকে প্রতিহত করার বা সিংহাসন উদ্ধার করার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। কিন্তু আমার পিতার বিশ্বস্ত সামন্ত যশোবন্ত সিংহও প্রতিশ্রুতির মর্যাদা রক্ষা করেন নি। আওরঙ্গজেবের ইন্দ্ৰজালে, চক্রজালে বা অর্থজালে ধরা পড়ে নি এমন ত কেউ ছিল না ।
দারা একটি ক্ষুদ্র পর্ব্বতের উপত্যকায় আজমীরের অদূরে শিবির সংস্থাপন করলেন এবং সেখানে আত্মরক্ষার জন্য কয়েকটি পরিখা খনন করলেন। আওরঙ্গজেব উপস্থিত হয়ে দেখলেন আক্রমণ অসম্ভব। আওরঙ্গজেব নূতন সূত্র অবলম্বন করলেন। অত্যন্ত বিশ্বাসী সম্ভ্রান্ত দিলওয়ার খান পূর্ব্বেই ধর্ম্মের নামে আওরঙ্গজেবের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন। আওরঙ্গজেব দিলওয়ার খানকে দিয়ে দারার নিকট পত্র লিখলেন - সে পত্রে লিখিত ছিল, "আমি কোরাণ স্পর্শ করে বল্ছি যে যুদ্ধের সময় আওরঙ্গজেবের পক্ষ ত্যাগ করে শাহজাদার সঙ্গে যোগ দেব।" সুতরাং দারা সেই পত্রে বিশ্বাস করে তাঁর সৈন্যদের আদেশ দিলেন তারা যেন দিলওয়ার খানের সৈন্যদের আক্রমণ না করে।
যুদ্ধের পূর্ব্বদিন আওরঙ্গজেবের জ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী করল যে আকাশের জ্যোতিষ্কমণ্ডলী সম্রাটের সৈন্যাধ্যক্ষমণ্ডলীর দুভার্গ্য সূচনা
করছে। আওরঙ্গজেবের সৈন্যাধ্যক্ষগণ তাঁদের গোপন মন্ত্রণা সভায় এই সংবাদ শুনে শেখ মীর সম্রাটের হস্তী আরোহণ করে সম্রাটের জন্য জীবন উৎসর্গ করবার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। প্রত্যুষের প্রথম প্রহরে সৈন্যগণ যুদ্ধযাত্রা করেছে। শেখ মীর আওরঙ্গজেবের হস্তীপৃষ্ঠে সমাসীন, আওরঙ্গজেবের ভূষণ-পরিহিত । প্রভাতের অস্পষ্ট আলোকে সৈন্যগণ নিশ্চিত ছিল যে, তাদের অধিনায়ক স্বয়ং পুরোভাগে। যুদ্ধ আরম্ভ হয়েছে। দারার গোলন্দাজবাহিনী শত্রুকে বিক্ষিপ্ত করছিল। শেখ মীর গুলীর আঘাতে মৃত্যুমুখে পতিত হ'ল । কিন্তু তাঁর শরীররক্ষী মৃতদেহ যথাস্থানে নিবদ্ধ করে সৈন্যদের উৎসাহিত করছিল। আওরঙ্গজেবের সৈন্যগণ অধিনায়ককে জীবিত মনে করে প্রাণপণে যুদ্ধ করতে লাগল । আওরঙ্গজেব এবারও তাঁর হস্তীপৃষ্ঠ ত্যাগ করেন নি।......
এবার দিলওয়ার খানের সুযোগ উপস্থিত। তিনি দারাকে ইঙ্গিত করলেন যেন তাঁর সৈন্যদের অতিক্রম করতে দেওয়া হয়। তারপর তিনি দ্বাদশ সহস্ৰ সৈন্য নিয়ে আক্রমণ করলেন। কিন্তু দারার পক্ষে যোগ না দিয়ে দারার সৈন্যদের ক্ষতবিক্ষত করে দিলেন। দারার সমস্ত সৈন্য পলায়ন করল। সুতরাং দারা দ্বিতীয়বার পরাজিত হলেন।
হতভাগ্য দারার দুর্ভাগ্য আরও ঘনিয়ে এল। গুজরাটের যে নগর থেকে দারা শুকো অভিযান আরম্ভ করেছিলেন, সেই নগর নিজের গৃহ মনে করে প্রত্যাবর্তন করলেন। কিন্তু সেই নগরে তৃষ্ণার্ত্ত ধূলিধূসরিত দারার প্রবেশ নিষিদ্ধ হ'ল। সঙ্গে সঙ্গে দারার সমস্ত আশা নির্ম্মল হয়ে গেল। শিবির হতে উত্থিত নারীকণ্ঠের আর্তনাদ আকাশ বিদীর্ণ করে দিল । সে কণ্ঠস্বরে ছিল বিধাতার করুণা যাজ্ঞা!
কেন, কেন ভগবান মানুষের সত্ত্বাকে অবনমিত করেন? অথচ সেই আত্মাকে আবার ভগবান নিজের কাছে টেনে নেন। শাহজাদা দারার পুরাতন বন্ধুগণ তাঁকে ত্যাগ করে গেলেন; তাঁর পরাজয়ের পরেও যে
সমস্ত সৈন্য তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিল, তাদের অধিকাংশ আজ তাঁকে ত্যাগ করে গেছে । আজ দারা তাঁর হীনতম অনুচরের সঙ্গেও আলাপ করলেন, - তিনি যে আজ পৃথিবীতে রিক্ততম।
আওরঙ্গজেবের অনুচর কর্তৃক অনুধাবিত হয়ে দারা পারস্থের দিকে অগ্রসর হলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর তিন স্ত্রী - নাদিরা বেগম, উদীপুরী বেগম, রাণাদিল, কন্যা জানি বেগম এবং কনিষ্ঠ পুত্র শিপার শুকো। দুই সহস্র অনুচর তখনও তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করে নি।
কেন দারা বিশ্রাম না করে ক্রোশের পর ক্রোশ অতিক্রম করে যান নি? এবার অদৃষ্ট তাঁর সম্মুখে সর্ব্বশেষ বাধা সৃষ্টি করল। তাঁকে দুঃখের গভীরতম গহ্বরে টেনে নিল। পারস্য সীমান্তের অনতিদূরে অতি ক্ষুদ্র ধুণরাজ্য অবস্থিত ছিল। সে রাজ্যের আফগান রাজাকে দারা অতীতে তিনবার মৃত্যু থেকে বাঁচিয়েছিলেন। তার কাছে সাহায্য
প্রত্যাশা করে ধূণরাজ্য পরিদর্শনের ইচ্ছা করলেন। আফগান রাজা তাঁকে সাহায্য না করে সপরিবারে কারারুদ্ধ করল এবং সৈন্যদল থেকে বিচ্ছিন্ন করল। দারার খোজা ভৃত্য আফগান সুলতানকে হত্যা করে তার প্রভুকে রক্ষা করবার সংকল্প করল। কিন্তু তার বন্দুকের গুলি ব্যর্থ হয়ে গেল। দারার সমস্ত সৈন্য কারারুদ্ধ হ'ল। সংবাদ রটে গেল যে, আওরঙ্গজেবের সৈন্য ধুণরাজ্য থেকে বেশী দূরে নয়।
দারার প্রধানা স্ত্রী নাদিরা বেগম ভয়ার্ত্তা, কম্পিতা, নিরাশাহতা হয়ে পড়লেন। তিনি তাঁর স্বামীকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। সুতরাং তিনি স্বামীর অবর্তমানে জীবনধারণের ইচ্ছা পরে ত্যাগ করলেন। আওরঙ্গজেবের পার্শ্বচারিণী-রূপে নিজেকে কল্পনা করে তিনি শিউরে উঠলেন। তিনি চীৎকার করে উঠলেন, "প্রতিহিংসাপিপাণ্ডু আওরঙ্গজেব আমার স্বামী-পুত্রের রক্তে তাঁর রক্তপিপাসা নিবারণ করবেন। সেই অত্যাচারীর জয়যাত্রার পথে আমার মৃত্যু হবে তার জন্মচিহ্ন।"
| pdf |
075004af230b0b3fc37c70a2d52f2ee9 | এখনও ফিরে আসেনি তারা!
বছরের পর বছর গড়িয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে হদিস মিলছে না আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমানের। তারা কোথায় আছেন সে সম্পর্কে কারো কাছেই কোনো তথ্য নেই। পরিবারের সদস্যরা জানেন না; আদৌ তারা বেঁচে আছেন কি না। সবাই পথ চেয়ে আছেন হয়তো তারা ফিরে আসবেন। পরপর তিনজনকে তুলে নেয়ার পর তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা হুমাম কাদের ফিরে এলেও বাকি দুইজনের কোনোই খবর নেই।
শুধু কি আরমান আযমী? না তাদের মত অনেকের পরিবার চেয়ে আছে তাদের প্রিয় মানুষটার দিকে। এই মহামারির মধ্যেও নিজের প্রিয়জনদের ফিরে পেতে বেরিয়েছেন রাজপথে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গত দশ বছরে যে গুমের এই বিভীষিকা বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছে তা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগকে হার মানিয়েছে। গত দশ বছরে ৫২৪ জন মানুষেরও বেশী বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। এদের বেশিরভাগেরই কোন হদিস মেলেনি। আদৌ তারা ফিরবেন কি না জানেনা পরিবার।
বাংলাদেশে কেন এত মানুষ গুম হয়? তা নিয়ে গত বছরে আল জাজিরায় এক ভিডিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গুম নিয়ে বিভিন্ন তথ্য।
| web |
8ca75cb3e773073342cee8ddc69c50c2c0702c63a4ca5243cfcde5f5fb4f3161 | [ কার্ডিক
মকশির মাসে নবান্ন অবশ্য করণীয়। নতুন হাঁড়িতে নতুন চাল দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে ভাত রাঁধে। নবান্ন শব্দের নব শব্দকে নবম অর্থ করে ন'রকমের তরকারী রান্না হয়। প্রথমে রান্না ঘরের ঈশান কোনে কৃষি দেবতা ঈশান-শিবের উদ্দেশ্যে একটি কলাপাতায় ভাত ও সমস্ত তরিতরকারী নিবেদন করা হয়। পরে পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধে দেয় নবান্ন পিও (আতপ চাল, কলা, দুধ, গুড় বা মধু, ঘৃত এই সব একত্রে গোল্লা পাকান)। ইত্যাদি কৌলিক প্রথা অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়। ঐদিন সাধ্যমত প্রতিবেশিদের নিমন্ত্রণ করা হয়। নবান্ন গ্রহণের পূর্বে গো-গ্রাস (একটি থালায় ভাত সাজিয়ে দিয়ে গরুকে দেওয়া। ) পরে পরস্পর গুরুজনদের অনুমভি গ্রহণ করে নবান্ন গ্রহণ করা হয়।
ভাদ্র মাসে হয় অরাঁধ উৎসব। অবাঁধ শব্দের অর্থ অরন্ধন। ঘরের কোনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের দিন একটি কাঠের পিঁড়িতে আলপনা দিয়ে তার উপরে কিয়াঘড়ি (ছোট্ট কেয়াগাছ) চাপটাদল (খ্যামাজাতীয় ঘাস।) কাল কচুর গাছ, ধানগাছ, হেঁসাতি (তেশিরা ঘাস, যেগুলোতে চাটাইজাতীয় মাদুর তৈরী হয়।) বাঁশপাতা, জু-ডাল (শাঁই গাছের ডাল)। এই সাত রকমের পাতা একখানি হলদে ন্যাকড়ায় বেঁধে পিঁড়েটির উপর দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পাশে রাখা হয় একটি অখণ্ড কলার ছড়া, একটি পুতা, (শিলের নড়াকে পুভা বলে।) পুতাটিকে কল্পনা করা হয় পুত্র। সামনে রাখা হয় ভালপাতা আর লেখনী। বাড়ীর মেয়েরাই এই ষষ্ঠী পূজা করেন। ঐদিন উনানও জ্বলে না। উল্লিখিত সপ্তপত্রীর আর একটি ভাগ উনানের মধ্যে রেখে উনান পূজা করা হয়। আগের দিন রাতে নতুন মাটির হাঁড়িতে আতপ চালের ভাত রান্না করে । ভাতে দেওয়া হয় - কুমড়ো, লাউ, চাল-কুমড়োর খণ্ড, চালতা ইত্যাদি। অন্যান্য ফলমূল ও নৈবেদ্যের সঙ্গে পান্তার হাঁড়িও নৈবেদ্য দেওয়া হয়। উনান পূজার সময় তার চার পাশে সাতটি চালকুমড়োর পাতার উপর ঐ পাস্তা ও ভাতে দেওয়া কুমড়ো লাউ ইত্যাদির এক একটু অংশ সাজিয়ে তার উপর আর একটি করে চাল কুমড়ার ফুল উপুড় করে দিতে হয়। ঐদিন মনসা পূজাও হয়।
মহাবিষুব সংক্রান্তি বা চৈত্র সংক্রান্তিকে বলা হয় আইক্ষণ। আইক্ষণ শব্দের অর্থ অয়ঃক্ষণ বা এই মূহুর্ত। ভালবাসার মাধ্যমে মুহুর্তটিকে গাছ-পালা, পশু-পাখী, আত্মীয়-স্বজন সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে নব-বর্ষের উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হন । ভোর হতে না হতেই, বনে, বাগানে, ঝোপেঝাড়ে, ক্ষেতে খামারে, শুকনা ঝরা পাতা জড় করে হরিধ্বনি দিতে দিতে দেয় আগুন লাগিয়ে শষ্যের অনিষ্টকারী কীট পতঙ্গ সব যায় মরে। বাঁশের ঝাড়ে গাছের গোড়ায় নতুন মাটি দেওয়া হয়। দৈর্ঘ্যে, প্রস্থে ও গভীরতায় বিঘৎখানিক একটি গর্ত করে ভার মধ্যে ঘুঁটে জালিয়ে আগুন করে একটি কান্তে ফেলে দেয়। সেই উত্তপ্ত কান্তের ডগা নিয়ে ভোরের বেলা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নাভির তলায় দেয় ছেঁকিয়ে। ছেঁকানোর সঙ্গে সঙ্গে চমকে ওঠে ভারা, সমস্ত স্নায়ু হয়ে ওঠে চঞ্চল, পুরাতন বৎসরের অসাড়তা যায় দূর হয়ে, হঠাৎ কোনও কঠিন ব্যাধি সহজে আক্রমণ করে না। এরপর সমস্ত গরু বাছুরকে নাইয়ে দেয়, নিজেরাও নেয়ে আসে। বুড়ো বুড়ীরা বিশ্ব, অশ্বত্থ, বট, তুলসী, মনসা প্রভৃতি দেব-দেবী কল্পিত বৃক্ষগুলিতে দেওয়া হয় ঝরা। একটি ঠেকির (এক সের দু'সের জল ধরে, এরকম ছোট্ট ছোট্ট ভাঁড়।) তলদেশে একটি ছোট্ট ছিদ্র করে তাতে দুর্বোঘাস গুঁজে দিয়ে জ্বল ধরে, ভর্তি করে গাছের গোড়ায় টাঙিয়ে দেয়। ফোঁটা ফোটা করে জল ঝরতে থাকে। সারা
| pdf |
8d1b3374b706bcdbeba47ddb51ecabce4372b4d7 | জগন্নাথপুর২৪ ডেস্কঃ:
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন, তুরস্ক, জার্মানি ও ফিলিপাইন। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ কোটি ৮৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ লাখ ৭৪ হাজার।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৪০০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৩০০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৮০৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৪৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৮৭ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭০৬ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৪১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৮১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩৬ জনের।
| web |