doc_id
large_stringlengths 32
64
| text
large_stringlengths 0
560k
| type
large_stringclasses 3
values |
---|---|---|
4eb6268ba66cc52c4f39a5659f52b70115286651 | যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীবর্গ এই মর্মে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, যুক্তরাজ্যের অটোমেটেড ওয়েলফেয়ার সিস্টেম অর্থ্যাৎ স্বয়ংক্রিয় কল্যান ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অধিকতর মানবীয় যোগাযোগ প্রয়োজন। তারা বলেন, প্রতিদিন সাড়ে ৩শ' স্বল্প আয়ের শ্রমিক ওয়েলফেয়ারের শীর্ষ পর্যায়ে ত্রুটির বিষয়ে অভিযোগ উত্থাপন করছেন, যা তাদের দুর্ভোগ ও মানসিক ক্ষেত্রে চাপ বৃদ্ধি করছে।
তথ্যের স্বাধীনতা সংক্রান্ত অনুরোধে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের 'ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক এন্ড পেনশন্স' (ডিডব্লিউপি) ২০২২ সালে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৮৬ টি বিরোধ নিয়ে কাজ করেছে, যেগুলো তার দশক প্রাচীন অটোমেটেড রিয়েল টাইম ইনফারমেশন (আরটিআই) সিস্টেম সংক্রান্ত ত্রুটি।
টেকনোলজিটি হচ্ছে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট (ইউসি) ব্যবস্থাপনায় একটি প্রধান কগ, যা যুক্তরাজ্যের মূল ওয়েলফেয়ার সিস্টেম এবং এটা শ্রমিকদের ওয়েলফেয়ার টপ-আপস স্বয়ংক্রিয়ভাবে এডজাস্ট করতে ট্যাক্স থেকে বেনিফিট পর্যন্ত আয়ের ডাটা প্রবাহ সরবরাহ করে। যখন এতে ত্রুটি বা বিভ্রাট ঘটে, তখন দাবিদাররা এটাকে 'নরকীয়' ও 'ভয়াবহ' বলে বর্ননা করেন। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ- এর গবেষকদের মতে, এসব সমস্যা বিশেষভাবে খন্ডকালীন সিঙ্গেল বা একক মায়েদের ক্ষতি করছে। এজন্য ডিডব্লিউপি সমালোচিত হচ্ছে তাদের স্বয়ংক্রিয় ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পন্থার ক্ষেত্রে উন্মুক্ততার অভাব থাকার কারনে। এসব সংশ্লিষ্টদের যেভাবে ক্ষতি করছে, এটাও সমালোচিত হচ্ছে।
এমিলি নামক জনৈক এডমিনিষ্ট্রেটর বলেন, যখন নিয়োগকর্তা ভুলভাবে তার মাসিক বেতনের অংক দাখিল করেন, তখন তার ৩ শ' পাউন্ড কর্তন হয়ে যায়। তিনি বলেন, এতে তার যে আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়, একজন্য তিনি রাতে ঘুমাতে পারেননি। পরের ২ মাসেও এই ভুল শোধরানো হয়নি। তিনি বলেন, গোটা ব্যবস্থাই গোলমেলে। এসব দুর্ভোগ বৃদ্ধি করছে।
গবেষক মর্গান কারি এবং লেনা পডোলেটজ্ বিষয়টিকে একটি উচ্চ পর্যায়েল বিভ্রাট বলে মন্তব্য করেন, যার বিপুল মানবিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।
ব্রিটেনে ক্রমবর্ধমান অটোমেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মধ্যে অভিযোগগুলো আসছে। পাঁচ বছর আগে, চরম দারিদ্রের ওপর গবেষনাকারী জাতিসংঘের প্রতিবেদক ফিলিপ অ্যাস্টন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এতে যুক্তরাজ্যের ভঙ্গুর মানবাধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
| web |
c7c1c7d02284f0fab8d6e8a3632138e154c19562 | এটিএম থেকে যতবার খুশি টাকা (money) তোলা না গেলেও ব্যাংকের (bank) অফিস থেকে সেই সুবিধা ছিল। কিন্তু গত ১ নভেম্বর থেকে সেই নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। একজন কতবার টাকা তুলতে পারবে ও জমা দিতে পারবে, তার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি বার টাকা তুলতে গেলেই দিতে হবে অতিরিক্ত চার্জ।
১ নভেম্বর থেকে ব্যাংক অফ বরোদা এই নিয়ম চালু করেছে। বলা বাহুল্য, এই নিয়মে মাথায় হাত পড়েছে ব্যাংকটির সাধারণ মধ্যবিত্ত গ্রাহকের। ব্যাংকের তরফ থেকে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কে এসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে সর্বোচ্চ তিন বার টাকা জমা দিতে পারবেন। চতুর্থ বার এই জমার ক্ষেত্রে সেভিংস একাউন্ট গ্রাহকদের দিতে হবে ৪০ টাকা।
পাশাপাশি লোন একাউন্ট গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এই চার্জ অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে দিতে হবে ১৫০ টাকার চার্জ। টাকা তোলার ক্ষেত্রেও তিন বারের বেশি টাকা তুলতে গেলে দিতে হবে ১০০ টাকা। যদিও জনধন যোজনা অ্যাকাউন্টকে এই নিয়মের বাইরে রাখা হয়েছে।
তবে কেবলমাত্র ব্যাংক অফ বরোদা এই নিয়ম চালু করেছে। প্রথম সারির অন্যান্য ব্যাংক যেমন এস বি আই, পি এন বি ইত্যাদির ক্ষেত্রে আগের নিয়মেই টাকা লেনদেন করা যাবে।
| web |
4c2661602c12c3cf7aff889a7cbfc0d4f91d91b0 | লকডাউনের জেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। তা থেকে কিছুটা সুরাহা দেওয়ার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বৃৃহস্পতিবার ১. ৭৫ লাখ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্র। 'প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা' নামে সেই প্যাকেজের আওতায় দেশজুড়ে মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে অবশ্য সরাসরি আর্থিক সাহায্যে দেওয়া হয়নি। বরং বন্ধক ছাড়াই ঋণ নেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ক্ষেত্রে বন্ধক ছাড়াই ঋণ নেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা করা হল। এর ফলে, দেশের ৬৩ লাখ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী উপকৃত হবে। সুবিধা পাবে ৬. ৮৫ কোটি পরিবার। ' নির্মলার দাবি, বন্ধক ছাড়া ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে বাড়তি অর্থ আসবে। ুন :
| web |
fe438aa1371019d8d307bf79ca14928b52d82f1e | রিয়াদ হাসানঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোছাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, শনিবার (১৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমাদের সমাবেশ হবে। বিকেল ৪টার সমাবেশে আপনারা সবাই থাকবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পতন না ঘটবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাবই।
তিনি আরো বলেন, রোববার (১৮ জুন) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের পল্টনের কেন্দ্রীয় অফিসে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।
তিনি বলেন, খুলনাতেও হাতপাখার জয় হয়েছে। কিন্তু সেখানেও ইভিএমে ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা নিজেরা সেটি বুথে হাতেনাতে ধরেছি। জগদ্দল পাথরের মতো আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। সিইসি একজন মানসিক রোগী। তার পদে থাকার কোনো যোগ্যতা নেই। এই মানসিক রোগীকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করাতে হবে পাবনায় নিয়ে। এখানে সিইসিকে আর রাখা যাবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য আরো বলেন, এ জালেম সরকারকে হঠাতে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। আমাদের একটাই কথা এ জালিম সরকারকে আর থাকতে দেওয়া যাবে না।
| web |
1c3492bab0e3d37af508b953d6a70399c4959909 | ঠাশ! ! করে শব্দটা হতেই আশেপাশে যারা ছিল তারা সবাই শব্দ যেদিকে হয়েছে সেদিকে ফিরে তাকালো। যে থাপ্পরটা খেয়েছে সে গালে একটা হাত দিয়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল যে থাপ্পরটা দিয়েছে তার দিকে। কিন্ত থাপ্পর দেয়া মেয়েটা ফোঁশ করে একটা নিঃশ্বাসে বাকি ঘৃনাটুকু উগরে দিয়ে তার বড় বড় চোখের জলন্ত দৃষ্টি সরিয়ে হন হন করে উল্টা দিকে হাঁটা দিল। আর থাপ্পর খাওয়া ছেলেটি তার বজ্রাহত বন্ধুদের মাঝে ,অধিকতর বজ্রাহত হয়ে গালে হাত দিয়ে বসে রইল।
মেয়েটির বান্ধবী চৈতি, যে মেয়েটির পিছু পিছু দৌড়ে এসেছিল সর্বনাশ ঠেকাতে কিন্ত পৌঁছানোর আগেই তা ঘটে গেছে, সেই মেয়েটি আবার তার পিছু পিছু দৌড়ে গিয়ে বলল,শিলা তোর ভীষন সাহস! ! ! শিলার মুখটি তখন সেই শরতে, ক্যাম্পাসের গেটের পাশে গাছের নিচে বিছিয়ে থাকা শিউলী ফুলের মতই শুভ্র লাগছিল । রাগ আর উত্তেজনার কারনেই বোধ হয় সে ফর্সা মুখে কিছুটা লালচে আভা। সে বলল,এতে সাহসের কি দেখলি? যত্তসব স্টুপিড,রাস্কেল ছেলে! ! সবকিছু নিয়ে ফাজলামি! ! আমাদের এতগুলো মাসের পরিশ্রম এভাবে নষ্ট করে দিল! ! পারলে খুন করতাম ওটাকে। বড়লোকের ছেলে হয়েছে বলে জীবনকে সিরিয়াসলী নিতে শেখেনি ভাল কথা তাই বলে অন্যদের নিয়েও কি ফান করবে? চৈতি ভয়ে ভয়ে বলল,কিন্ত সে ছেলে মানুষ। যদি অপমানের প্রতিশোধ নিতে তোর কোনো ক্ষতি করে? শিলা ঠোঁট উলটে জবাব দিল,আমার সাথে আবার লাগতে আসলে জান নিয়ে ফিরে যেতে দেব না।
এদিকে থাপ্পর খাওয়া ছেলেটির বন্ধু ছেলেটিকে বলল,তুষার এখান থেকে উঠে পড়। সবাই কেমন ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছে। তুষার সহ অন্য সবাই দেখল কথাটা মিথ্যা নয়। তাই তারা ক্যান্টিন চত্তর থেকে উঠে লাইব্রেরীর মাঠে গিয়ে বসলো। চুপচাপ এক মনে কিছুক্ষন সিগারেটের ধোঁয়া গলাধকরন করে অপমানের জ্বালা না মিটাতে পেরে শেষে তুষার বলে উঠল,এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে হবে! শোভন বলল, অবশ্যই। কিন্ত কিভাবে? রবি বলল,তুষার গিয়ে শিলাকেও এভাবে সবার সামনে থাপ্পর মেরে আসবে। কাজল এদের মধ্যে একটু পড়ুয়া। সে বলল,মেয়ে লোকের গায়ে হাত তোলা? কি সর্বনাশ! তাহলে তো তুষার নারী নির্যাতন কেসে ফেঁসে যাবে। রবি বলল,তাহলে সবার সামনে শিলাকে গিয়ে চুমু খাবে। কাজল হতাশ হয়ে বলল,তাহলে আর রক্ষা নেই। ডাইরেক্ট এটেম্পট টু রেপ কেস। এবার তুষার মুখ খুলল। সে বলল,এই অপমানের জ্বালা তখনি মিটতে পারে যখন ঐ মেয়ে যে গালে চড় মেরেছে সে গালে চুমু খাবে। সেটা তো কোনো মেয়ে এমনি এমনি করবে না। তখনই করবে যখন সে আমার প্রেমে পড়বে। সো, এই মেয়ের সাথে প্রেম করতে হবে। একে পটাতে হবে। তোরা বল কিভাবে একে পটানো যায়।
মিঠু এতক্ষন চুপচাপ শুনছিল। সে আঁতকে উঠে বলল। ও কাজ করতে যাস না। আমি শিলার সাথে একই কলেজে পড়তাম। সে সময় তার একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল। সিরিয়াস কিছু না। এই যে ছেলেরা কয়দিন পিছু পিছু ঘুরে, তারপর মেয়ে রাজি হলে গিফট টিফট দেয়,চটপটি ফুচকা খায় এইসব। ঐ বয়েসে যেমনটা হয় আর কি? তো শিলা একদিন কলেজ থেকে ফেরার পথে দেখল সে ছেলে আর এক মেয়ের সাথে চটপটির দোকানে খাচ্ছে। আর একদিন দেখল ভরদুপুরে কলেজের পেছনে বকুলতলায় বসে আছে সেই মেয়ের হাত ধরে। ছেলেকে জিগাসা করার পর সে জানালো যে শিলার চাইতে তার এখন ঐ মেয়েকে ভাললাগে তাই সে ওর সাথেই থাকবে। স্বাভাবিক মেয়ে হলে এরপর কেঁদে কেটে এক করত। এমনকি হয়ত হারপিক কিংবা ডেটল খাওয়ার চেষ্টা করত। কিন্ত শিলা এক বিকালে নির্জন রাস্তায় সে ছেলেকে একা পেয়ে ধরে আচ্ছা মত পিটিয়ে দিল। আগেই বলে নিচ্ছি সে স্কুল জীবন থেকেই ভাল এথলেট ছিল। তার পক্ষে দু একটা ছেলেকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়া অসম্ভব ছিলনা। ঐ ছেলে জন্মেও ভাবেনি এমন কিছু হতে পারে তাই আচমকা মারও খেয়েছিল ভালই। সে ব্যাচারার নাকমুখ ফুলে এমন অবস্থা হয়েছিল যাতে কয়দিন বাইরে বের হতে পারেনি। কাওকে বলতেও পারেনি কে মেরেছে। এখন তুষার,তুই যে ঐ মেয়ের সাথে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রেম করতে চাইছিস,একটু এদিক সেদিক হলে সে তোর কি অবস্থা করতে পারে ভেবে দেখেছিস? এই কথা শুনে রবি ভয়ে ভয়ে বলল,যে তখনই অমন ছিল সে এখন কেমন ভয়ানক হয়েছে ভাবতে পারিস? দরকার নাই প্রতিশোধ নেয়ার,ছেড়ে দে। শোভন বলল,তাই বলে সবার সামনে একটা ছেলেকে সে চড় মারবে আর তার প্রতিশোধ নেয়া হবে না? বিন্দু মুখ বাঁকিয়ে বলল,এমনি এমনি তো মারেনি। তোরা যা করেছিস তা ভীষন অন্যায় হয়েছে। সারাটা বছর ধরে ওরা এই কম্বল আর শীতের কাপড়গুলো যোগার করেছে আর তোরা এক নিমেষেই সব নষ্ট করে দিলি? রবি বলল,কিন্ত ওরা তো সব সময় কেমন নাক উঁচু ভাব করে। দেখলি না সেদিন ক্যান্টিনে আমাদের টেবিল ছিনিয়ে নিল কেমন ঝগড়া করে? সে জন্যই তো একটু শিক্ষা দিলাম। এবার বিন্দু আর রবির একটা ঝগড়া বেধে যায়। আর যে যাই বলুক তুষার মনে মনে ঠিক করে ঐ বুনো ঘোড়াকে সে লাগাম পড়াবেই এবং এর জন্য যা করতে হয় সবই করবে।
টুপটাপ টুপটাপ রিমঝিম রিমঝিম করে ঝরেই চলেছে বৃষ্টি। কোনো বিরাম নেই বিশ্রাম নেই। মেঘের উপরে যেন ভেজা বসনে একদল কিশোরি নেচে চলেছে উদ্দাম নৃত্য আর তাদের পায়ের জলের নুপুর থেকে মুক্তোদানার মত খসে পড়ছে বিন্দু বিন্দু জল। সেই রাশি রাশি জলধারার দিকে একটানা তাকিয়ে থাকলে যেন চোখে নেশা লাগে। মন এমনিতেই উদাস হয় আর উদাস হয়ে উলটাতে চায় স্মৃতির পুরোনো ডাইরী। এক মাতাল হাওয়ার ঝাপটা শিলাকে স্মৃতির অলিগলি থেকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনল। সে চোখ ফিরিয়ে দেখে চায়ের পানি ফুটে গেছে। চা বানিয়ে কাপে ঢেলে তার সাথে পিরিচে কিছু ড্রাইকেক নিয়ে শিলা তার লাইব্রেরীতে ঢুকল। মিতুল,স্নিগ্ধা আর জলির দিকে চায়ের কাপ আর ড্রাইকেক এগিয়ে দিয়ে নিজে একটা কাপ হাতে সে তার প্রিয় রকিং চেয়ারটাতে গিয়ে বসল।
শিলা আহমেদ কমলদিঘি যৌথ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সেই সাথে একই কলেজের মহিলা হোস্টেলের সুপারিন্ডেন্ট। দুইশজন ছাত্রীর বাসযোগ্য এই হোস্টেলের দোতলা বিল্ডিং এর পেছনেই বিল্ডিঙ্গের সাথে লাগানো তার একতলা বাড়িতে তিনি থাকেন। দুই বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা হোস্টেলটির পেছনে ঘাট বাঁধানো বড় পুকুর। পুকুরের চার পাশ ঘিরে মেহেগনি, জারুল আর আম,জাম,পেয়ারা ইত্যাদি ফলফলাদির বাগান। উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আয়তাকার হোস্টেল বিল্ডিঙ্গের বাইরে আর ভেতরের অংশে নয়নাভিরাম ফুল বাগান। লাল ইঁট বাধানো রাস্তাগুলির পাশে দেবদারু আর পাম গাছের সারি। ধবধবে সাদা দোতলা বিল্ডিঙ্গের উপরে লাল টালি দেয়া ছাঁদ। বাইরের জানালাগুলোর পাশে দেয়াল ঘেসে ছাদে উঠে গেছে রংবেরঙ্গের বাগানবিলাসের ঝাড়। ভেতরের দিকে বারান্দার প্রতিটা পিলার ঘেসে উঠেছে অপরাজিতার লতা। তার নীল নীল ফুলগুলি চোখ মেলে তাকিয়ে দিনরাত দোল খায় মিষ্টি বাতাসে। এই হোস্টেল যেন এক স্বপ্নের রাজ্য। এখান থেকে পায়ে হাঁটা দুরত্বে সাড়ে চার বিঘা জায়গার উপরে বাগানশোভিত সাদা দেয়াল আর লাল টালির ছাদের স্কুল আর কলেজ। এখানে কমলদিঘি সহ আসেপাশের গ্রামের মেয়েরা পড়ালেখা করে। কমলদিঘি একেবারে গহীন গ্রাম না হলেও গ্রাম তো বটেই। গ্রামের মাঝে শুধু মেয়েদের জন্য এত ভাল মানের স্কুল আর হোস্টেলসহ কলেজ যেন অকল্পনীয় এক রূপকথার মত। এই স্বপ্নের রূপকার শিলা আহমেদ কে গ্রামের লোক শুধু শ্রদ্ধাই করেনা বরং আন্তরিকভাবে ভালোওবাসে। কমলদিঘি থেকে দুরের গ্রামের মেয়েরা নামমাত্র খরচে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়ায় গ্রামের পিতামাতা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। যাদের সামর্থ্য আছে তাদেরও আর মেয়েকে শহরে পড়ানোর ঝামেলা করতে হয়না আর যাদের সামর্থ্য নেই তারাও তাদের মেয়েদের শিক্ষার পথে একধাপ এগিয়ে দিতে পারে নিশ্চিন্তে।
মিতুলরা এবার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী। একবছর হতে চলল তারা এই হোস্টেলে থেকে পড়ছে কিন্ত কোন দিন শিলা ম্যাডামের মুখের হাসি ম্লান হতে দেখেনি। আজ বাংলা ক্লাসের সময় তারা দেখেছে এক ভদ্রলোকের সাথে শিলা আহমেদ লাল ইঁটের রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে কথা বলছেন। বাইরের অনেক লোকই শুধু স্কুল দেখতে এখানে আসে তাই স্কুলে বাইরের মানুষ দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে মিতুলের মনে হলো এই লোকটি শিলা আহমেদের পুর্বপরিচিত। তাছাড়া লোকটি যথেষ্ট সুদর্শন আর বয়স ও ম্যাডামের কাছাকাছি। হোস্টেলে ফিরে মিতুল এব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গেল কারন হোস্টেলের অফিসে বসে শিলা আহমেদ লোকটির সাথে কথা বলছিলেন। তবে সে ভীষন রকম অবাক হয়ে গেল তখন যখন লোকটি চলে যাওয়ার পর শিলা আহমেদ কে টেবিলে মাথা রেখে ফুপিয়ে কাঁদতে দেখল। মিতুলের কাছে এটা যেন এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য। অফিসের জানালার ধার থেকে চুপিচুপি নিজেদের রুমে ফিরে সে রুমের অন্য দুজনের সাথে এ নিয়ে আলোচনায় মগ্ন হয়ে গেল।
শিলা আহমেদের বয়স এখন আটচল্লিশ। হোস্টেলের মেয়ে,স্টাফ আর কাজের লোকদের বাদ দিলে বলা যায় তিনি একাই থাকেন নিজের বাড়িতে । তিনি সারাদিন স্কুল-কলেজে ব্যস্ত থাকেন,তারপর হোস্টেল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তার বাড়ির সাথে মূল বিল্ডিঙ্গের সংযোগ ছাঁদ আর গ্রীল দিয়ে ঘেরা লম্বা একটা বারান্দা। সেই বারান্দা দিয়ে তিনি যখন ইচ্ছা মূল বিল্ডিঙ্গে গিয়ে মেয়েদের ভালমন্দ দেখাশোনা করেন। সদাহাস্যময়ী এই মানুষটাকে ঘিরে মেয়েদের মনে অনেক রহস্য। তারা জানে না শিলা আহমেদ বিবাহিত,বিধবা না ডিভোর্সী। তারা এটাও জানে না কেন এমন সুন্দরী শিক্ষিত একজন মহিলা এমন একটা গ্রামে একাকী জীবন অতিবাহিত করছে। আজ সন্ধ্যায় যখন বৃষ্টি নামল তখন মিতুল মরিয়া হয়ে ঘোষনা করল যে,যা হয় হবে কিন্ত আজ সে শিলা আহমেদের কাছে গিয়ে তার জীবনকাহিনী শুনতে চাইবে। মিতুলের বাঁকি দুই রুমমেট ও ভয়ে ভয়ে রাজি হয়ে গেল। তারপরেই তারা শিলা আহমেদের কাছে গিয়ে তাদের ইচ্ছা জানালো এবং তিনি এদের লাইব্রেরীতে বসিয়ে চা আনতে গেলেন।
চায়ে আনমনে একটা চুমুক দিয়ে শিলা আহমেদ শুরু করলেন,তোমরা আমার জীবনের কথা শুনতে চাও কিন্ত আমার জীবন কোনো চমকপ্রদ সুখের কাহিনী নয়। আমার ছোটবেলাটা আর দশটা মানুষের মতই সাধারন ভাবে কেটেছে তাই সেটা নিয়ে কিছু বলছিনা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি একটা সমাজসেবী ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হলাম। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করে তা দিয়ে অসহায় মানুষ্ কে সাহায্য করতাম। সেইবার আমরা সারাবছর ধরে নানা জায়গা থেকে শীতের কাপড় আর সংগৃহীত টাকা দিয়ে অনেকগুলো কম্বল কিনে জমা করে রেখেছিলাম গ্রামের গরীব মানুষের মাঝে বিতরনের জন্যে। একদিন সকালে গিয়ে দেখি সবকিছুর উপরে বাদামী কি যেন ছড়ানো আর তা থেকে বিকট দুর্গন্ধ আসছে। কাছে গিয়ে বুঝলাম গরুর গোবর পানি দিয়ে গুলিয়ে সব কাপড়ের উপর ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে আবার একটা নোটে নাম সই করে লেখা এটা ছিল আমাদের উচিত শাস্তি। আর দুদিন পরেই আমরা বিতরনে বের হব তাই সব আয়োজন করে ফেলা হয়েছে। এর মাঝে আসল জিনিসের এই অবস্থা দেখে আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল এবং আমি গিয়ে দোষীদের সর্দারকে একটা চড় কষালাম। আসলে আমাদের ব্যাচের একটা বখাটে গ্রুপের সাথে আমাদের প্রায়ই খিটিমিটি লেগে থাকত,বিশেষ করে তুষারের সাথে আমার। ক্যান্টিনে বসার জায়গা নিয়ে কথা কাটাকাটি করে হেরে যাওয়ার শোধ নিয়েছিল তারা ঐ নীচ কাজটা করে। তারপর চড়ের প্রতিশোধ নিতেই তুষার প্রতিজ্ঞা করেছিল আমার সাথে সে প্রেম করবে। এসব অবশ্য আমি পরে তুষারের কাছেই শুনেছিলাম।
এই পর্যন্ত বলে শিলা আহমেদ চায়ের কাপে পর পর কয়টা চুমুক দিয়ে কাপটা টেবিলে নামিয়ে রাখলেন। মিতুল আগ্রহী হয়ে জিগাসা করল তারপর কি হলো ম্যাডাম? শিলা আহমেদ একটু হেসে আবার শুরু করলেন,তারপর তুষার আমাদের সংগঠনের নেতার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে কথায় কথায় তাকে পটিয়ে ফেলল এবং সেদিনই সংগঠনের সদস্য হয়ে গেল। আমরা তখন ক্যাম্পাসের একটা পুকুরের ধারে বড় বড় ড্রামে সাবান পানিতে কাপড়গুলো চুবিয়ে পরিষ্কার করছি। তুষার তার দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে কাজে হাত লাগালো। এমনকি দশটা কম্বল আর ত্রিশটা গরম চাদর কিনে সংগঠনে দান করে দিল। এভাবেই সে আমাদের একজন হয়ে গেল। তবে অন্যরা তার আচরনে ভুলে গেলেও সে আমার মন ভুলাতে পারেনি। সে তখনও ছিল আমার জন্য এলার্জি। তাছাড়া তখন থেকে সে সারাদিন আমার আগেপিছে ঘুরে বেড়াত। আমি যেখানে যেখানে কাজে যেতাম সেও সেখানে সেখানে যেতে শুরু করল। আমি কি যে বিরক্ত হতাম তা বলার মত না। এটুকু বলেই শিলা আহমেদ চুপ করে কি যেন ভাবতে লাগলেন। হয়ত পুরোনো দিনের মাঝে হারিয়ে গেলেন।
একটু পর মিতুল বলল,তিনি কি তার প্রতিজ্ঞা রাখতে পেরেছিলেন? শিলা আহমেদ মৃদু হেসে উত্তর দিলেন। হ্যাঁ সে পেরেছিল ঠিকই কিন্ত জয়ী হতে পারেনি। মেয়েটিকে দূর্বল করে দিয়ে নিজেও সেই মেয়েটির প্রতি নিজের অসীম দূর্বলতার কাছে হেরে গিয়েছিল সে। আসলে আমার পক্ষে বাস্তবতা জ্ঞানহীন,বখাটে কোনো ছেলের প্রতি আসক্ত হওয়ার কারন ছিল না। কিন্ত তখন তুষার অনেক অনেক বেশি পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। লোক দেখানো পরিবর্তন নয় বরং সত্যিকারের স্থায়ী পরিবর্তন। আমার মনে হয় ওর এমন বদলে যাওয়ার পেছেনে বড় ভুমিকা ছিল আমাদের সংগঠনের। সে ছিল বড়লোক ব্যবসায়ীর একমাত্র ছেলে,জীবন সম্পর্কে প্রকৃত কোনো ধারনাই ছিলনা তার। আমাদের সাথে থেকে মানুষের জীবনের দুঃখ কষ্ট দেখে দেখে তার মাঝে যেন নতুন কিছুর জন্ম হলো। মানুষের জন্য কাজ করতে করতে সে যেন প্রকৃত অর্থে দায়ীত্বশীল মানুষ হয়ে উঠতে থাকল দিনে দিনে। আমি সেই দায়ীত্বশীল মানুষটির প্রতি আসক্ত হয়েছিলাম। আরো বেশি আসক্ত হয়েছিলাম তার বাইরের ছটফটে আবরনের ভেতরে থাকা প্রচন্ড অনুভুতিপ্রবন,রুচিশীল,দরদী আর নরম মনের ছেলেটির প্রতি। ভীষন তীব্র ছিল সেই আকর্ষন। তবে হয়ত আমারটার চেয়েও তীব্র ছিল আমার প্রতি তার আকর্ষন। সেই চড় মারার ঘটনার আড়াই কি তিন বছর পর আমরা দুজনেই আবিষ্কার করলাম যে একে অপরকে ছাড়া নিজেদের জীবন আমরা ভাবতে পারছিনা। তখন যতটা সময় সম্ভব একসাথে কাটাতাম আমরা তবুও কখনো বিরক্তি বা ক্লান্তি আসত না। তার উপর ছিল আমার অসীম ভরসা,কোথায় কোথায় যে চলে যেতাম ওর সাথে নির্দ্বিধায়! ! ! একবার বন্যার সময় মাত্র দুজনে মিলে সেই পটুয়াখালিতে ত্রান দিতে গিয়েছি। সে সাথে ছিল তাই অচেনা জায়গাতে একা মেয়ে হওয়ার পরেও ভয় পাইনি। দিনে দিনে অবস্থা এমন হল যে আমরা একে অন্যকে আলাদা মানুষ বলে ভাবতে পারতাম না। দুজনের পরিবারও বিষয়টা সহজভাবেই মেনে নিয়েছিল। তাই পড়ালেখা শেষ হওয়ার পরে পরিবারের মানুষজন আমাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে এক করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
এবার স্নিগ্ধা প্রশ্ন করল,আপনি তো খুব খুশি ছিলেন তাই না ম্যাডাম? প্রশ্ন শুনেই শিলা আহমেদের মুখ এক অপুর্ব খুশির আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। তিনি উত্তর দিলেন,হ্যাঁ ভীষন খুশি ছিলাম আমি। তখন আমার চব্বিশ বছর বয়সের জীবনের সমস্ত পৃথিবী,আকাশ, বাতাস যেন আনন্দের ভরে উঠেছিল। তবে শুধু আমরা না আমাদের পরিবারের লোকজন,বন্ধু বান্ধব সবাই খুব খুশি ছিল। তাদের কাছে আমরা ছিলাম একেবারে পারফেক্ট কাপল। । তাছাড়া সবাই বলতো আমাদের দুজনকে নাকি একে অন্যের সাথে ভীষন মানায়। তাই খুব ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল। বিয়ের শাড়ি,গয়না,ফুল, খাবার সবকিছুর জন্য শপিং করে করে বাড়ি ভরে ফেলা হয়েছিল। সেই দিনগুলোর প্রতিটি রং,প্রতিটি সুর,প্রতিটি সৌরভ এখনও আমার মনকে দোলা দেয়। তোমরা শুনলে অবাক হবে যে আমার গায়ে হলুদের জন্য তুষারের ফুপি আর আমার ফুপিরা মিলে মোট একশ রকমের পিঠা বানিয়েছিল। এখন তো মানুষ বিরানী দিয়েই ঝামেলা শেষ করে ফেলে কিন্ত তখন গায়ে হলুদ মানেই ছিল পিঠা পায়েস। তবে এত রকমের পিঠা দিয়ে বুঝি তখনকার কোনো মেহমানই আগে আপ্যায়িত হয়নি। লোকের মুখে মুখেই ছিল সেই গায়ে হলুদের আলোচনা। কিন্ত এতকিছুর পরেও আমার গায়ে হলুদ আর সব মেয়ের চেয়ে কেন স্পেশাল ছিল জান? কারন হয়ত কোনো মেয়েই গায়ে হলুদে এমন ফুলের গহনা পড়েনি যে ফুল তার হবু স্বামী নিজের হাতে চাষ করেছে। জানি তোমরা অবাক হচ্ছ কিন্ত সত্যিই সে নিজের বারান্দার টবে আমার জন্য লাল গোলাপ আর রজনীগন্ধা লাগিয়েছিল,নিজে যত্ন করে সেই গাছে ফুল ফুটিয়েছিল। সেই ফুলের গহনা দিয়েই আমি সেজেছিলাম। ছেলেটার মাঝে অদ্ভুত সব পাগলামী খেয়াল কাজ করত। হয়ত এজন্যই ওকে আমার আরো বেশি ভাল লাগত।
এটুকু বলে শিলা আহমেদ চেয়ার থেকে উঠে একটা পুরোনো এলবাম মিতুলের দিকে এগিয়ে দিলেন। অন্যরা সেদিকে হুমড়ি খেয়ে আসলো। এলবাম খুলে সেখানে শিলা আহমেদের পুরোনো ববকাট চুলের ছবি দেখে তারা একেবারে বোকা বনে গেল। এখনের শান্ত দিঘির মত চেহারার লম্বা চুলের মহিলাটির সাথে ছাত্র জীবনের সেই দুরন্ত মেয়েটিকে যেন মেলানো যায় না। এলবাম দেখতে দেখতেই মিতুল প্রশ্ন করল,তারপর কি হলো ম্যাডাম? একটা নিঃশ্বাস ফেলে শিলা আহমেদ বললেন,তারপর? তারপর সবকিছু শেষ হয়ে গেল। মিতুলরা সবাই চমকে উঠে শিলা আহমেদের দিকে তাকালো। তিনি তখন জানালার ধারে দাঁড়িয়ে বাইরের বৃষ্টি দেখছেন। হয়ত নিজের চোখের জল কেউ দেখুক তা চাইছেন না বলেই। বাইরে তাকিয়ে থেকেই তিনি বললেন,তখন দুজনেরই গায়ে হলুদ হয়ে গেছে, বিয়ের মাত্র একদিন বাকি,হঠাত তার মাথায় আর এক পাগলামী খেয়াল চাপল। আমি বরাবরই অপরাজিতা ফুলের বর্ননা শুনে খুব মুগ্ধ ছিলাম কিন্ত কখনো চোখে দেখিনি। এটা শুনে সে একদিন বলেছিল যেখান থেকে পারে জোগাড় করে একরাশ অপরাজিতা দিয়ে সে আমার ঘর ভরিয়ে দেবে। বিয়ের আগের দিন সে বন্ধুর মোটর সাইকেল ধার নিয়ে শহরের বাইরে গিয়েছিল। ফেরার পথে তার এক্সিডেন্ট হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছিল এতে তুষারের কোনো দোষ ছিল না। একটা ছোট বাচ্চা হঠাত তার সামনে দৌড়ে এসেছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়েই সে মোটরসাইকেল সহ পাশের খাদে পড়ে গিয়েছিল। মাথায় ভীষন আঘাত পাওয়ায় তার সেখানেই মৃত্যু হয়।
আমি যখন তাকে দেখলাম তখন সে শান্ত হয়ে লক্ষীছেলের মত ঘুমিয়ে আছে। আমি তার কপাল স্পর্শ করলাম হাত দিয়ে। উফ! কি ভীষন ঠান্ডা ছিল তার শরীর! আমি বুঝতে পারছিলাম যে নিজের শরীরের সমস্ত উষ্ণতার ভাগ দিয়েও ওকে আমি আর উষ্ণ করতে পারবো না। আমি আঙ্গুল দিয়ে তার মাথার চুল স্পর্শ করলাম কিন্ত বরাবরের মত তার ঠোঁটে দুষ্টু হাসি ফুটে উঠল না। তার শার্টের বুক পকেটে একটা খামের মধ্যে ছিল লম্বা লম্বা পাঁচ ছয়টা শুকনো অপরাজিতার ফল আর সবুজ লতানো ডালে একটি তাজা ফুল। হয়ত সে কোথাও সেই ফুল গাছের খোঁজ পেয়েছিল। বিয়ের রাতে আমাকে উপহার দেবে বলেই ছেলেটা সেই ফুলের বীজ আনতে গিয়েছিল। কিন্ত সে আর ফিরল না আমার কাছে আগের মত হাসিমুখে।
বাইরে তখনও রিমঝিম করে বৃষ্টি ঝরেই চলেছে আর ঘরের ভেতরে নিরব বৃষ্টি নেমেছে চার জোড়া চোখে। চুপচাপ অনেক সময় কাটানোর পর,মিতুল জিগাসা করল আপনি এখানে কেন আসলেন? শিলা আহমেদ তখন নিজেকে সামলে নিয়েছেন। তিনি আবার এসে চেয়ারে বসে বললেন,ও চলে যাওয়ার পর আমি বুঝতে পারতাম না যে বেঁচে আছি কিনা। তবুও আমি চাইছিলাম নিজেকে সামলে নিতে। কিন্ত ঐ শহর আমাকে সবসময় ওর কথা মনে করিয়ে দিত। আমি চেষ্টা করলাম কাজের মাঝে ডুবে যেতে কিন্ত পরিচিত সবাই আমাকে সমবেদনা জানিয়ে জানিয়ে জীবনের নিদারুন দুর্ঘটনা ভুলতে দিত না। কিন্ত আমি চাইতাম ওর সাথে কাটানো সুন্দর স্মৃতিগুলো নিয়ে বাঁচতে। ও পৃথিবী থেকে চলে গেছে এই বেদনাদায়ক কথাটি মনে করতে চাইতাম না। বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর আমার অবস্থা দেখে অনেকেই আমাকে অন্য কারো সাথে নতুন করে জীবন শুরু করতে বলা শুরু করল। আগের সবকিছু সহ্য হলেও এই জিনিসটা আমার সহ্য হল না। তাই নিরুপায় হয়ে আমি এই গ্রামে,সবার চোখের আড়ালে চলে আসলাম। এটা আসলে ছিল তুষারের দাদুর বাড়ি। একবার ওর সাথে এখানে এসে আমি কিছুদিন কাটিয়ে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই তুষারের দাদু দাদি আমায় খুব স্নেহ করতেন। তারা আমায় সাদরে গ্রহন করলেন। একমাত্র তারাই আমাকে বুঝলেন,আমার মনের অবস্থা বুঝলেন। আমি কিভাবে অন্য কারো সাথে আমার জীবন শুরু করবো? আমার জীবন তো ওর সাথে শুরু হয়েছে,ওর সাথেই তার শেষ হয়ে গেছে। ওর সাথে আমার সংসার করাটাই তো শুধু বাকি ছিল? সেটাও নাহয় হবে অন্য কোনো জগতে। কিন্ত ওর বদলে অন্য কাওকে ভাবা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ওর সাথে থেকে আমি এত আনন্দ পেয়েছি যে সারা জীবনে আর কোনো সুখ না হলেও আমার চলবে। মাঝে মাঝে একজন মানুষই জীবনটাকে এতটা ভরিয়ে দিতে পারে যে সে চলে গেলেও তার স্থানটা শুন্য হয়না। তাই সেখানে অন্য কাওকে কখনোই বসানো যায় না।
এরপর তুষারের দাদুর দেয়া জায়গাতে আমি গ্রামের মেয়েদের জন্য স্কুল খুললাম। তারপর দিনে দিনে সবকিছু এই অবস্থায় এসেছে। এই যে স্কুল আর হোস্টেল,এই সব জায়গাজমি দাদুরই ছিল। একসময় এগুলো তুষারের হতে পারত কিন্ত এখন সবকিছু আমার নামে লিখে দেয়া হয়েছে। দাদু দাদির মৃত্যুর পর আমি এই হোস্টেল গড়ে তুলেছি বসত বাড়ির উপর। যে বাড়িতে আমি থাকছি সেটাতেই আগে তারা থাকতেন আমি শুধু কিছুটা পরিবর্তন করে মূল বিল্ডিঙ্গের সাথে জুড়ে দিয়েছি। অনেকে এসব দেখে অবাক হয়ে যায় কিন্ত সত্যি কথাটা হচ্ছে এত জায়গা আর টাকা না পেলে আমি মনের মত করে সব গড়তে পারতাম না। তুষারের বাবা অনেক সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন আমার নামে। আমার নিজের জন্য তো কিছুই দরকার নেই শুধু খাওয়া থাকার ব্যবস্থা হলেই চলে। তাই সেসব এই স্কুল কলেজ গড়তে আর চালাতেই ব্যয় করেছি। তারা সত্যি সত্যি আমাকে ছেলের বউয়ের মত দেখেন আমিও তাদের আমার আত্মীয় মনে করি। তাদের আশীর্বাদেই আমি এখন একরাশ তাজা ফুলের মত মেয়ের মাঝে দিন কাটাচ্ছি আর অধীর অপেক্ষা করছি জীবনের শেষ দিনের,যেদিন দুজনের অনন্ত প্রতীক্ষা শেষ হবে এবং আবার ওকে দেখতে পাব। এই হচ্ছে আমার জীবন। এখন বল তোমাদেরও কি আমার আত্মীয় আর বন্ধুদের মত আমাকে খুব অভাগা বলে মনে হয়?
মিতুলরা মাথা নেড়ে অসম্মতি জানায়। যে জীবনে এমন বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মত ভালবাসা পেয়েছে এবং এতটা তীব্রভাবে কাওকে ভালবাসতে পেরেছে তাকে আর যাই হোক অভাগা বলা যায় না। এলবামের একটা যুগল ছবিতে মিতুলের চোখ আঁটকে যায়। পাশাপাশি হাসিমুখে বসা একটা অপূর্ব ছবি। ছবির পেছনে লেখা তুষার আহমেদ ও শিলা ইয়াসমিন,কক্সবাজার শিক্ষা সফরে। চলে আসার সময় শিলা বললেন,আজ যে লোকটি এসেছিল সে তুষারের বন্ধু শোভন। প্রথম দিকে আত্মীয় বন্ধুরা আমাকে দেখতে প্রায়ই আসত। মৃত্যুর আগে আমার মাও এসে আমার সাথে থাকতেন কখনো কখনো। তারা অনেকেই এই স্কুল কলেজ গড়ে তুলতে অনেক রকম সাহায্য করেছে। এখন সবাই নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত আর নিশ্চিত হয়ে গেছে যে এখানে আমি ভাল আছি তাই অনেকদিন পর সময় হলে আসে। তাকে দেখে আর কথা বলে কেন জানিনা আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল। তোমাদের সাথে কথা বলতে বলতে অনেক সুখের স্মৃতি মনে পড়ায় এখন বেশ ভাল লাগছে।
সে রাতে মিতুলের ঘুম আসতে অনেক দেরী হয়ে গেল। আজ যেন তার ভাবনার জগতটা এলোমেলো হয়ে গেছে। জীবনের সমস্ত প্রলোভন কে পেছনে ফেলে একাকী এই নির্জনে দিনের পর দিন বসবাস করাটা কম কথা নয় একজন মেয়ের জন্য। হাজারটা বিপদ আপদ আর প্রতিকূলতা আসে একাকী মেয়ের জীবনে। সেগুলো কাটিয়ে উঠে নিজেকে একটা কিংবদন্তিতে পরিনত করাও কম কথা নয়। তাছাড়া দূর্বল মুহুর্তও তো আসে মাঝে মাঝে যখন একজন সঙ্গীর অভাব খুব বেশি করে বোধ হয়। আর মাতৃত্ব? কোনো মানিকরতনের বিনিময়েও তো নারীরা এই সুখ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চায় না। একজন মানুষের মাঝে কোন ঐশ্বর্যের সন্ধান পেলে অন্য একজন মানুষের হৃদয় এতটা পূর্ন হতে পারে যে সে পৃথিবীর সব সুখ তুচ্ছ করে দেয় তা ভেবে মিতুল অভিভুত হয়ে যায়। হাতের মুঠোয় ধরে রাখা অপরাজিতা ফুলটির দিকে তাকিয়ে সে ভাবে যে,তুষার তার কথা রেখেছে। প্রেয়সীর জন্য তার অতুলনীয় শেষ উপহারে সে বেদনার রঙ্গে রাঙ্গানো কিন্ত অপূর্ব সুন্দর অসংখ্য অপরাজিতায় ভরিয়ে দিয়েছে শিলার ঘর!
| web |
df63939b29419f8c430eb3f66a1735c43c22e881 | সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রংপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শাহানারা বেগম (৮১) আর নেই। রবিবার ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে রংপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। গতকাল বাদ আসর তার জানাজা রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মুন্সিপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শাহানারা বেগমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
| web |
f186cdaf6a83de36a8dfa69a272b93e5f194ba0d | ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধপন্থা অবলম্বন করে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়া ৭ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
শুধু তাই না দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে নির্দিষ্ট সময়ে জবাবদিহি দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অধিভুক্ত কলেজের ১৪৭ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করার সুপারিশও করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে শৃঙ্খলা পরিষদের এক নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শৃঙ্খলা পরিষদের সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
| web |
a59e7a75bcd54ed19b04ae8bf6af616b329e6095 | মূলকথার বাইরে [অ. ট. ? ]: প্রথমেই জানিয়ে রাখি স্বাধীনতা দিবসের ই-পুস্তক কথা। যারা লেখা ও ছবি পাঠিয়েছেন, প্রত্যেককে অশেষ ধন্যবাদ। আর সবাইকেই ফিরতি পত্র পাঠানো হয়েছে। ফিরতি পত্র না পেলে বুঝতে হবে আপনার লেখাটি আমাদের হস্তগত হয়নি। সেক্ষেত্রে মন্তব্যের ঘরে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো। ধন্যবাদ।
চলুন এবার সাজি বৈশাখের রঙে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমরা বন্ধু প্রকাশ করবে একটি সম্পূর্ণ রঙিন ই-পুস্তক। যাদের মনে এখনো রঙ বিদ্যমান, যারা এখনো বিবর্ণ হয়ে যাননি, তারা দ্রুত লিখে ফেলুন।
এবারের বিষয়ঃ "স্মৃতির পহেলা বৈশাখ"
আপনার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় বর্ষবরণ উদযাপনটির কথা আনন্দের ভাষায় লিখে পাঠিয়ে দিন pustok@amrabondhu. com এই ঠিকানায়। লেখার সঙ্গে ছবি থাকলে তাও পাঠিয়ে দিন। আবার কেউ ইচ্ছে করলে শুধু ছবিও দিতে পারেন। বর্ষবরণের ছবি। যারা প্রবাসে আছেন, তারা প্রবাসে বর্ষবরণের আনন্দ অভিজ্ঞতার কথা লিখতে পারেন।
| web |
76525cd18df85123dfb15cb8aaa57824105d7ce7 | ওয়েবডেস্কঃ বলিউডের অন্দরমহলে পরনিন্দা আর পরচর্চা করার জন্য কুখ্যাত বেগমজান! করণ জোহর তো তাঁর প্রিয় এই বন্ধুটিকে ডেকেই থাকেন 'গসিপ ক্যুইন' নামে! তা বলে এ বার ছোটো ভাইয়ের ব্যক্তিগত জীবন আর সম্পর্ক নিয়েও ফুট কাটবেন করিনা কাপুর খান? তাও আবার সবার সামনেই?
বলিউডের অন্দরমহল বলছে, তা দুনিয়া যদি রণবীর কাপুরকে নিয়ে কথা বলতে পারে, তা হলে করিনাই বা নয় কেন? তিনি তো নায়কের দিদি! ভাইয়ের ভুল নিয়ে কথা বলার অধিকার নিশ্চয়ই রয়েছে তাঁর!
হয়েছে কী, সম্প্রতি এক সাক্ষাকারে এক বেয়াড়া প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন করিনা। 'বীরে দি ওয়েডিং' ছবির প্রচারে এসে এই সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন করিনা। তখন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছবির মেয়েদের জায়গায় যদি বলিউডের নায়কদের নেওয়া হত, তা হলে তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করছেন, সে রকম কমিটমেন্ট ফোবিক ভূমিকায় কে একদম ঠিকঠাক অভিনয় করতে পারতেন?
বুঝতে অসুবিধা নেই- আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন করিনা! সত্যিই তো, একটাও সম্পর্ক টেকে না রণবীর কাপুরের জীবনে। এবং না টেকার জন্য দোষটা পুরোপুরি তাঁর মা নীতুকে দেওয়া যায়ও না! সে নীতু যতই দীপিকা পাড়ুকোন আর ক্যাটরিনা কাইফকে অপছন্দ করে থাকুন না কেন!
রণবীরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সবারই দাবি- নায়ক আসলে কমিটমেন্ট ফোবিক! তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে ভয় পান! তাই যখনই প্রেমিকারা তাঁকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই মতো এগোতে থাকে, ধীরে ধীরে সরে আসেন তিনি!
এই যেমন এখন আলিয়া ভাট সম্পর্কেও একটা দ্বিধা কিন্তু থেকেই গিয়েছে রণবীরের মনে। এক দিকে যেমন এর আগে জানিয়েছেন যে আলিয়ার প্রতি তাঁর একটা ছেলেমানুষের মতো আকর্ষণ রয়েছে, অন্য দিকে তেমনই 'ব্যাপারটা এখনও কথা বলার মতো স্তরে আসেনি'- এ রকম বিবৃতিও দিয়েছেন সম্পর্তি!
সে দিক থেকে দেখলে বোধ হয় করিনা ভাইকে সাবধানই করে দিতে চেয়েছেন! সবার সামনেই চরিত্রের দুর্বলতা তুলে ধরে ঘা দিতে চাইছেন ভাইয়ের অহং-এ। যাতে আলিয়ার সঙ্গে জীবন কাটানোর ব্যাপারে ভেবে দেখতে পারেন নায়ক! আপনার কী মনে হয়?
| web |
9511ad51b69c068be4b6b5f78cdb09f0 | মৌলভীবাজার অফিস।। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর। একজন মুক্তিযোদ্ধার কৃতিত্ব। যিনি অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে। সেই মুক্তিযোদ্ধা বলতে গেলে এবার জীবনের শেষ সময়ে এসে দেশের কৃতিত্ব মর্যাদাকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে নদীতে সাঁতার দিলেন। সাবাশ সাঁতারু ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য।
৬৭ বছর বয়স্ক ক্ষিতীন্দ্র সাঁতার দিয়েছেন ১৮৫কিঃমিঃ জলপথ। সময় লেগেছে ৬০ঘন্টা ৫৫মিঃ। সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, এর আগে ২০১৩সালে কিউবা থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত ১৭৭কিঃমিঃ জলপথ সাঁতরে পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকার সাঁতারু ভায়ানা নাঈদ। ভায়ানা নাঈদের সে রেকর্ড ভেঙ্গে সাঁতারে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন বাংলাদেশকে।
কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম লিখেছে, সিলেটে ধুপাদিঘীর সাঁতারু অরুণ কুমার নন্দী ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যের অনুপ্রেরণা। কোনো বিরতি ছাড়াই অরুণ কুমার নন্দী ৩০ ঘণ্টা সাতারের রেকর্ড গড়েছিলেন। অদম্য ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য, অরুণের সে রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতেই এই অভিযান চালিয়েছেন।
১৯৭৪সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথহলের পুকুরে ৯৩ঘণ্টা ১১মিনিট বিরামহীন সাঁতার প্রদর্শন করে জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করেন। জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করায় ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ডাকসুর উদ্যোগে ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে তিনি জগন্নাথ হলের পুকুরে ১শ' ৮ঘণ্টা ৫মিনিট সাঁতার প্রদর্শন করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জগন্নাথ হলের পুকুর পাড়ে একটি স্মারক ফলক নির্মাণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ঢাকা স্টেডিয়ামের সুইমিং পুল, মদন উপজেলা পরিষদের পুকুর এবং নেত্রকোনা পৌরসভার পুকুরে তার একাধিক সাঁতার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতেও দূরপাল্লার সাঁতার প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি। ১৯৮০ সালে মাত্র ১২ঘণ্টা ২৮মিনিটে মুর্শিদাবাদের ভাগিরথী নদীর জঙ্গীপুর ঘাট থেকে গোদাবরী ঘাট পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেন। সাঁতার প্রদর্শনী ও রেকর্ড সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যের বাড়ী নেত্রকোণার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। তার বাবার নাম ক্ষিতীশ চন্দ্র বৈশ্য ও মা সুপ্রভা রাণী বৈশ্য। জন্ম ১৯৫২ সালের ২৩ মে। পদার্থবিদ্যা বিষয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করেন। পেশায় তিনি চাকুরিজীবী। ১৯৭৫ সালে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট থেকে সম্মাননাও পেয়েছিলেন।
| web |
e3af7592d6bcbe6a29014db2c9d7c30b0cb9558e | সিদ্দিক কাপ্পান। - ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগে হাথরস কাণ্ড নিয়ে খবর করতে যাওয়া সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল উত্তরপ্রদেশে। তাঁর বিরুদ্ধে ৫ হাজার পাতার চার্জশিট দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ), তথ্যপ্রযুক্তি আইন-সহ একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ছাড়াও, তিনি সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাধানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
হাথরস নিয়ে খবর করতে যাওয়ায় সবমিলিয়ে ৭ সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্যে সিদ্দিক এবং তাঁর সতীর্থ আতিক-উর-রহমান, মাসুদ আহমেদ এবং আলমের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের দাবি, বাইরে থেকে কিছু লোকের সন্দেহজনক গতিবিধি নিয়ে গোপন সূত্রে খবর পৌঁছেছিল তাদের কাছে। সেই ভিত্তিতেই সকলকে গ্রেফতার করা হয়। সিদ্দিক এবং তাঁর সতীর্থরা উগ্রপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র সদস্য বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
এর আগে ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানায়, কেরলের যে সংবাদপত্রের কর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন সিদ্দিক, সেটি দু'বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাংবাদিক সেজে আসলে জাতি ভিত্তিক বিভাজন তৈরি এবং আইন-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতেই সিদ্দিক হাথরস যান বলেও অভিযোগ করেছে তারা। তবে এ ব্যাপারে সিদ্দিকের পাশে দাঁড়িয়েছে কেরল ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস। সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছে, বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সিদ্দিককে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে। সিদ্দিক পিএফআই-এর সদস্য বলে যে অভিযোগ এনেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, তা-ও সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি তাদের।
| web |
fd25d77008a937e4931cf129fc9205bd | ঝিনাইদহের সদর উপজেলার নেবুতলায় অপারেশন শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১০টা ২৪ মিনিটে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ভেতরে প্রবেশ করে। পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ ঘটনাস্থলে এসেছেন। এর আগে পুলিশ প্রতিবেশীদের বাড়ির গৃহপালিত পশু নিয়ে বাড়ি ত্যাগ করতে বলে। সম্প্রতি নেবুতলায় মৃত শরাফত হোসেনের বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ রোববার দুপুরে মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সদর উপজেলার নেবুতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮টি বোমা, ১টি নাইন এমএম পিস্তল ও ৬টি গ্রেনেড পাওয়া গেছে। এরপর সন্ধ্যায় ডিআইজি মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি ব্রিফিংয়ে বলেন, 'সোমবার সকাল থেকে সদর উপজেলার নেবুতলায় অভিযান চালানো হবে।
| web |
541e6b0c8f0ac71015cbf511961ad9af56ea3d6adb4a0ad999b07d32ac77a17a | বন্ধুর অনুমোদন আছে। আমাদেরও এই ধারণা হয়েছিল (হয়ত সেটা ভুল ) যে তোমারও অনুমোদন আছে এই উদ্যোগে। পরে কী হল তা তো তুমি জানোই ।
প্রকাশ্য অধিবেশনে গোবিন্দবল্লভ যখন মূল প্রস্তাবটি তুলছেন তখন বাংলার প্রতিনিধি সুরেশ মজুমদার জওহরের কাছে এলেন। ঐআনে যে প্রস্তাবটি এনেছিলেন তা ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সুরেশবাবু জওহরকে বললেন, শ্রীআনের প্রস্তাবমতো মূল প্রস্তাবটি এ আই সি সি-তেই পাঠানো হোক। আগের রাতে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। জওহর তখন ললেন, এখন তো গোবিন্দবল্লভ প্রস্তাবটি তোলার জন্য উঠে, দাড়িয়েছেন, এই অবস্থায় তিনি আর কী করতে পারেন। তিনি তো আগে নানাভাবেই চেষ্টা করেছেন, সুরেশবাবু বরং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের কাছে যান।
জওহরলাল দেখাতে চেয়েছেন তিনি পন্থ প্রস্তাব নিয়ে একটা বোঝাপড়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন, যে আকারে প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত গৃহীত হল তা তাঁর পছন্দসই ছিল না। কিন্তু সুভাষ যখন তাঁকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছেন এই ব্যাপারে তখন জওহর স্বভাব অনুযায়ী স্পষ্ট উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। সুভাষ জানতে চান : পন্থ প্ৰস্তাৰ সম্পর্কে তোমার মত কী? জওহর উত্তর দেনঃ এই প্রস্তাবটি কংগ্রেসের গঠনতন্ত্র বিরোধী বা অবৈধ তা তুমিই ঠিক করবে। বিষয় আমার মতামতের খুব একটা দাম নেই। আবার বলেনঃ আমি মনে করি না পন্থ-প্রস্তাব একটা অনাস্থাজ্ঞাপক প্রস্তাব, তবে তোমার বিচক্ষণতা সম্পর্কে পূর্ণ আস্থার অভাবের ইঙ্গিত তো এই প্রস্তাবে আছেই। নিশ্চিতভাবেই এই প্রস্তাব গান্ধীজির প্রতি আস্থাজ্ঞাপক ভোট।
পন্থ-প্রস্তাব জওহরলালের পুরোপুরি পছন্দ হয়ে না থাকলেও এই প্রস্তাবের পিছনে বিদায়ী ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের যে তথাকথিত 'মানসম্মানের' প্রশ্ন জড়িত ছিল, সে বিষয়ে তাঁর কিছুটা সহানুভূতি
দুই নায়ক - ১
ছিলই। ফেডারেশনের প্রশ্নে এক শ্রেণীর কংগ্রেস নেতা ইংরেজ সরকারের সঙ্গে আপসের চেষ্টা করছেন, এমন কি প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নামও ঠিক হয়ে গেছে - এই ধরনের অভিযোগ তুলে সুভাষ যে মোটেই ভাল করেন নি, এ-কথা জওহর বারবার বলেছেন। সুভাষকে অনুরোধও করেছেন, গান্ধীজি এবং বল্লভভাই প্রমুখের সঙ্গে কথা বলে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে ।
১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ছুটি অংশ। একটিতে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের কথা, আর একটিতে বিভিন্ন প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্য নিয়ে ফেডারেশন বা যুক্তরাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব। প্রথম অংশটি শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস মেনে নেয়, নির্বাচনে নামে এবং কয়েকটি প্রদেশে সরকারের যোগ দেয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্তরে যে ধরনের শাসন ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয় তার তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস। ত্রিপুরী কংগ্রেসের আগে সুভাষ যখন এই প্রশ্নে আপস করার চেষ্টার অভিযোগ আনলেন তখন শুরু হয়ে গেল তুমুল সোরগোল।
সুভাষ এই অভিযোগের কোন নির্দিষ্ট প্রমাণ দেন নি। কিন্তু বারবার একই অভিযোগ করেছেন। এই প্রসঙ্গে জওহরের কাছে লিখেছেন : আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন করব। তুমি কি ভুলে গেছ, লর্ড লোথিয়ান যখন ভারত সফর করছিলেন তখন প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে ফেডারেল ব্যবস্থা সম্পর্কে জওহরলাল নেহরুর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কংগ্রেস নেতা একমত নন? এই মন্তব্যের অর্থ ও তাৎপর্য কী?
এই সম্পর্কে ঐতিহাসিক ডঃ তারাচাদের একটি মন্তব্য উদ্ধৃত করে এই প্রসঙ্গের ইতি টানা যায়। 'স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস' গ্রন্থের ষষ্ঠ খণ্ডে তিনি লিখছেন : এ-কথা সত্যি যে এই সময়ে অল্প দিনের মধ্যে ফেডারেল ইউনিয়ন স্থাপনের ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় আসার চেষ্টা চলছিল। ১৮৩৮ সালের ১৬ এপ্রিল গান্ধীজি দেখা করেন বড়লাট লিনলিথগোর সঙ্গে। বড়গাটকে তিনি বলেন, লর্ড লোখিয়ানের কাছে তিনি যে ফর্মুলার আভাস দিয়েছেন
তার প্রতি তিনি খুব বেশি গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারতকে ব্রিটেন পূর্ণ সার্বভৌমত্ব দিতে চায় কিনা তার প্রকৃত পরীক্ষা হবে এই ফর্মুলা গ্রহণের দ্বারা। লিনলিথগোর এই ধারণা হয় যে, যদি কয়েকটি বড় দেশীয় রাজ্যে নির্বাচনের রীতি প্রবর্তিত হয় তবে গান্ধীজি ফেডারেশন মেনে নেবেন। লিনলিথগো লগুনে ভারত সচিবের কাছে ঐ তারিখেই যে রিপোর্ট পাঠান তাতেই এ-কথা লেখেন তিনি। ইংরেজ সরকারের নথিপত্র থেকে এই বিবরণ উদ্ধার করেছেন ডঃ তারাচাঁদ।
জওহর বারবারই বলতে চেয়েছেন, ফেডারেশনের প্রশ্ন নিয়ে মিছেই চিন্তিত হচ্ছেন সুভাষ, ফেডারেশন আর কোন ইসুই নয়, কংগ্রেস তো ফেডারেশনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত মত প্রকাশ করেছে আগেই। জওহরের এই কথার মধ্যে নিশ্চয়ই যুক্তি আছে। কিন্তু এই বিরোধিতা সত্যিই কতটা 'চূড়ান্ত' সে-বিষয়ে সন্দেহ দেখাও কি অস্বাভাবিক ?
১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে দেশের উপর যে সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তা সত্বেও দেখা গেল কংগ্রেস এই আইন অনুসারেই প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে যোগ দিল এবং সাফল্যও পেল বড় রকম। অবশ্যই বোম্বাইয়ে এ আই সি সি-র বৈঠকে ( ২২ আগস্ট ১৯৩৬) অনুমোদিত নির্বাচনী ইশতাহারে বলা হয়েছিল, নির্বাচনে এই যোগদান শুধু সংবিধানটিকে আইন সভার ভিতরে থেকেই বিনাশ করা। নির্বাচনের মন্ত্রিত্ব গ্রহণের প্রশ্নটি তখন রাখা হয়েছিল মুলতুবি। কিন্তু নির্বাচনের (ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ ) পরই এই প্রশ্ন আর ঠেকিয়ে রাখা গেল না।
মন্ত্রিত্ব গ্রহণ নিয়ে কংগ্রেসে বিতর্ক চলেছে তীব্র। জওহর, সুভাষ ও বামপন্থী গোষ্ঠী এই প্রচেষ্টার বিরোধিতায় ছিলেন সরব (অস্ট্রিয়া থেকে জওহরের কাছে লেখা সুভাষের চিঠি স্মরণীয় )। কিন্তু বল্লভভাই, রাজেন্দ্র প্রসাদ, রাজাগোপালাচারি প্রমুখের অনীহা ছিল না এই প্রস্তাবে । নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য যে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেই
যুক্তিই দেওয়া শুরু হল মন্ত্রিত্ব গ্রহণ সম্পর্কে - অর্থাৎ মন্ত্রিত্ব নিয়ে সংবিধানটিকেই বানচাল করে দেবে কংগ্রেস। দিল্লিতে এ আই সি সি-র বৈঠকে (মার্চ ১৯৩৭) দেখা গেল মন্ত্রিত্ব গ্রহণসম্পর্কে প্রস্তাব উঠল, সেই প্রস্তাবের অন্যতম রচয়িতা মহাত্মা গান্ধী স্বয়ং। অবশ্যই এই প্রস্তাবেও বলা হল, সংবিধানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস। কিন্তু সেই সঙ্গে মন্ত্রিত্ব গ্রহণেও অনুমতি দেওয়া হল, যদিও এক-আধটি শর্ত জুড়ে।
এই প্রস্তাব গ্রহণের পরেই জনমনে দেখা দেয় গভীর সংশয়। কংগ্রেস কি তবে সংগ্রামের পথ ছেড়ে এবার আইন সভার নিরাপদ আশ্রয়ে প্রবেশের পথ ধরল ? স্বয়ং জওহরের নানা রচনাতেও দেখতে পাই জনমনের এই সংশয়ের কথা তিনি উল্লেখ করছেন বারবার। আশ্বস্ত করছেন, মন্ত্রিত্ব গ্রহণ মানেই "ক্রীতদাসের সংবিধান" মেনে নেওয়া নয়। ওয়ার্ধায় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যখন প্রস্তাবটি প্রথম অনুমোদিত হয় তারপরই সাংবাদিকের। জওহরকে (তিনিই তখন কংগ্রেস সভাপতি ) ছে'কে ধরেন : এই প্রস্তাব সম্পর্কে আপনার মত কী? জওহর প্রথমে উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। হেসে বলেন, ওয়ার্কিং কমিটির একজন সদস্যের কাছে ওয়ার্কিং কমিটির যে কোন সিদ্ধান্তই নির্ভুল! কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দেওয়ার নয়। তাই সকলকে আশ্বস্ত করার জন্য কলম ধরতে হয় তাঁকে।
সুভাষও স্বীকার করেছেন, মন্ত্রিত্ব গ্রহণ আর ফেডারেশনের প্রস্ত, ব' মেনে নেওয়া এক কথা নয়। কিন্তু কংগ্রেস মন্ত্রীরা যখন প্রদেশেপ্রদেশে ক্ষমতায় আসীন তখনও তিনি মডার্ন রিভিউ পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখে (আগস্ট ১৯৩৮ ) সতর্ক করছেন মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকার বিপদ সম্পর্কে। প্রশ্ন তুলছেন এই মন্ত্রিত্ব গ্রহণের দ্বারা কংগ্রেসের যে "বিদ্রোহী মনোভাব" তা কি নষ্ট হবে না ?
নতুন সংবিধান যেদিন চালু হল ( ১ এপ্রিল ১৯৩৭) সেদিন হরতাল হল দেশজুড়ে, কংগ্রেস নতুন করে ধিক্কার জানাল 'দাসত্বের এই
শৃংখলকে'। গান্ধীজির এই সময়ের একটি বিবৃতিতে শোনা গেল কয়েকটি নতুন শব্দ - বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের হাতে সুশৃংখলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর।
সংগ্রাম নয়, ক্ষমতা হস্তান্তর । এই চিন্তাই তখন শুরু হয়ে গেছে। ত্রিপুরীতে সুভাষ বৃিটেনকে চরমপত্র দেওয়ার যে-ডাক দিয়েছিলেন তা যে অগ্রাহ্য হবে তাতে আর সন্দেহ কি!
ত্রিপুরীকে কেন্দ্র করেই আমরা জওহর-সুভাষ কাহিনীর সব চেয়ে বিচিত্র অধ্যায়ে প্রবেশ করি। আর মার্কিন ঐতিহাসিক লিনার্ড গর্ডন যে বলেছেন এই দুই নায়কের সম্পর্ক ঠিকমতো বোঝার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ইতিহাসকারের নয়, একজন মনোবিজ্ঞানীর সেই কথাটা সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য এই অধ্যায় সম্পর্কেই।
আমরা সুভাষকে দেখছি দীর্ঘতম চিঠি লিখতে ( ২৮ মার্চ ১৯৩৯ ), জওহরকে দেখছি তার প্রায় সমান দীর্ঘ জবাব দিতে (৩ এপ্রিল)। চিঠিতে রাজনৈতিক প্রশ্ন, নীতি আদর্শের প্রশ্ন যথেষ্টই উঠছে, এর আগেই আমরা তার কিছু উদ্ধৃতি ও উদাহরণ দিয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রতি আক্রমণও কিছু কম নেই।
সুভাষ সরাসরি বলছেন : গত কিছু দিন ধরেই দেখছি আমার সম্পর্কে তোমার ঘোর বিরাগ জমেছে। আমি এ-কথা বলছি কারণ দেখছি আমার বিরুদ্ধে কোন বিষয় থাকলেই তুমি সানন্দে সেটা মেনে নাও, আমার সম্পর্কে যদি কিছু বলার থাকে তাতে তুমি কান দাও না। আমার রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষ আমার বিরুদ্ধে যা বলে তুমি তা মেনে নাও। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যদি কিছু বলার থাকে সে ব্যাপারে তুমি চোখ বুজে থাকো।
সুভাষ অবশ্য চিঠির শেষে নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি খোলা১৪১
খুলি সব বলতে চেয়েছেন। সেই 'খোলাখুলি বলার' আরও কিছু উদাহরণ :
সভাপতি নির্বাচনের পর থেকে আমাকে জনসমক্ষে হেয় করার ব্যাপারে ওয়ার্কিং কমিটির বারোজন সদস্য সকলে মিলে যতটা না করেছেন তুমি তার চেয়ে বেশি করেছ ।
বোম্বাই ট্রেডস্ ডিসপিউট বিল প্রসঙ্গে সুভাষ লিখছেন : ইদানীং তুমি আমার ব্যাপারে প্রকৃত ঘটনা না-জেনেই অভিযোগ আনার অনেক সময় প্রকাশ্যেই - কায়দা রপ্ত করেছ ।
ত্রিপুরী অধিবেশনের কিছু দিন পরেই জওহর এক তারবার্তা পাঠান সুভাষকে। তাড়াতাড়ি ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের ব্যাপারে তাগাদা দেন । সেই প্রসঙ্গে সুভাষ লেখেন : তুমি টেলিগ্রামে লিখেছ কংগ্রেসে অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য আমি দায়ী। তুমি এত নিরপেক্ষ কিন্তু তোমার একবারও মনে হল না যে ত্রিপুরী কংগ্রেসে যখন পণ্ডিত পন্থের প্রস্তাব গৃহীত হল তখন ভালোভাবেই জানা ছিল যে আমি গুরুতর অসুস্থ, গান্ধীজি ত্রিপুরীতে আসেন নি এবং নিকট ভবিষ্যতে আমাদের দেখা হওয়া কঠিন।...ত্রিপুরী কংগ্রেস শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে তুমি আমার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আন্দোলন শুরু করে দিলে, যদিও তুমি জানতে আমার শরীরের কী অবস্থা, আর আমার হাতে পৌঁছাবার আগেই তোমার টেলিগ্রামের কথা খবরের কাগজে বেরিয়ে গেল। ত্রিপুরীর আগে ওয়ার্কিং কমিটির দ্বাদশ সদস্যের ইস্তফার ফলে কংগ্রেসে যখন অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল তখন তুমি প্রতিবাদে একটা কথাও বলেছিলে? আমার প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছিলে একটি কথা বলে ?
উদাহরণ এমন আরও দেওয়া যায়। রাজনৈতিক প্রশ্নের ক্ষেত্রেও সুভাষ সরাসরি আক্রমণ করছেন জওহরকে। কোয়ালিশন মন্ত্রীসভা গঠনের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন জওহর। সুভাষ সেই সম্পর্কে লিখছেন : তোমার এলাহাবাদে বসে বসে এমন জ্ঞানের কথা বলে লাভ কি যার সঙ্গে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই?...বাংলা সম্পর্কে বলতে গেলে,
তুমি কিছুই জানো না। তুমি যে দুই বছর কংগ্রেস সভাপতি ছিলে তুমি এই প্রদেশে সফর করা দরকারই মনে করো নি, যদিও এই প্রদেশে তোমার অনেক বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল, কারণ এখানে চলেছে নির্মম নির্যাতন ।
সুভাষের চিঠি পেয়েই উত্তর লিখতে বসেন জওহর। সুভাষ যে খোলাখুলি সব কথা লিখেছেন তাতে খুশিই হয়েছেন তিনি। সুভাষের চিঠিকে তিনি আখ্যা দেন তাঁর বিরুদ্ধে "এক অভিযোগ পত্র এবং তাঁর ত্রুটিবিচ্যুতির অনুসন্ধান"। এই ধরনের অভিযোগের উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন ও অস্বস্তিকর। ত্রুটিবিচ্যুতি সম্পর্কেও তিনি বিশেষ কিছু বলতে চান না। বরং দোষ স্বীকার করে নেন নিজের।
তারপর লেখেনঃ তুমি লিখেছ ১৯৩৭ সালে অন্তরীণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার পর তুমি সাধারণ্যে ও ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রতি অত্যন্ত সুবিবেচনা ও প্রীতিপূর্ণ আচরণ করেছ। আমি এই কথার সত্যতা পুরোপুরিই মানি। এ জন্য আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। অনেক সময় তুমি যা করেছ অথবা যেমনভাবে তা করেছ তা আমার পছন্দ হয়নি মোটেই, তবু ব্যক্তিগতভাবে তোমার প্রতি সর্বদাই আমার প্রীতি ও ভালোবাসা বজায় থেকেছে এবং এখনও আছে। আমার মনে হয় কিছুটা পরিমাণে আমাদের মেজাজের তফাৎ আছে, জীবন ও তার নানা সমস্যা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও এক নয়।
এরপর জওহর একে একে সুভাষের অনেক অভিযোগেরই উত্তর দেন। তাঁর ভাষা কখনোই সুভাষের মতো তীক্ষ্ণ নয়, কিন্তু ৪ ফেব্রুয়ারির চিঠির মতো এখানেও তিনি সুভাষের নানা ত্রুটিবিচ্যুতির কথা তুলে ধরতে কুণ্ঠিত হন নি।
আবার উঠেছে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের সম্পর্কে সুভাষের কটাক্ষের প্রসঙ্গ। জওহর লিখছেনঃ তিনি হুভাষকে বলেছিলেন গান্ধীজির সঙ্গে কথা বলে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে, কারণ এক হিসেবে ঐ সদস্তরা গান্ধীজিরই প্রতিভূ। কিন্তু পরে জয়প্রকাশ নারায়ণ ও
গান্ধীজির কাছে তিনি যখন জানলেন যে সুভাষ প্রসঙ্গটি উত্থাপনই করেন নি তখন অবাক হয়ে গেলেন জহর। "তখনই বুঝতে পারলাম তোমার সঙ্গে কাজ করা কত কঠিন।"
সভাপতি নির্বাচনে সুভাষের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রশ্নও আবার উঠল। জওহর বলছেন : একটা ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ তিনি খোলাখুলিই বলতে চান। তাঁর সর্বদাই মনে হয়েছে পুনর্নির্বাচনের ব্যাপারে সুভাষ বড় বেশি আগ্রহী ছিলেন। রাজনৈতিক দিক থেকে এতে অবশ্য কোন অন্যায় নেই, অবশ্যই সুভাষ পুনর্নির্বাচিত হতে চাইতে পারেন, তার জন্য চেষ্টাও করতে পারেন। কিন্তু জওহর এতে ব্যথিতই হয়েছিলেন কারণ তাঁর মনে হয়েছিল সুভাষের মর্যাদা অনেক বেশি, সুভাষ এ সবের ঊর্ধ্বে থাকবেন ।
কেন জওহর সুভাষের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিরুদ্ধে ছিলেন তাও ব্যাখ্যা করলেন : বর্তমান অবস্থায় এর অর্থ হবে গান্ধীজির সঙ্গে সম্পর্কছেদ এবং তিনি তা চান না। কেন যে এই সম্পর্কছেদ ঘটবে তা অবশ্য তিনি ব্যাখ্যা করেন নি। শুধু বলেছেন, তাঁর মনে হয়েছে এই রকমই ঘটবে। দ্বিতীয় কারণ : এর ফলে প্রকৃত বামপন্থীর ক্ষতিই হবে। সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার মতো শক্তি বামপন্থী গোষ্ঠীর নেই। কংগ্রেসের মধ্যে সত্যিই যখন লড়াই লাগবে তখন বামপন্থীরা হেরে যাবে, তখন দেখা দেবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া। পট্টভির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুভাষ জিততে পারেন, এমন ধারণা তাঁর হয়েছিল। কিন্তু গান্ধীবাদের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে কংগ্রেসকে সুভাষ নিজের দিকে রাখতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে জওহরের ঘোরতর সন্দেহ ছিল।
জওহর আরও লিখলেন : ইদানিং সুভাষ যাদের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিচ্ছেন তাঁদেরও তেমন পছন্দ নয় তাঁর। ভাসা-ভাস। বামপন্থী শ্লোগান ইদানীং ইউরোপে যথেষ্ট শোনা গেছে। এ থেকেই জন্ম হয়েছে ফ্যাসিবাদের। "আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তোমার আর আমার মতের ফারাক আছে। নাৎসি জার্মানি বা ফ্যাসিস্ত ইতালির আমরা
যে নিন্দা করেছি তা তুমি পুরোপুরি অনুমোদন করো নি। সামগ্রিকভাবে ছবিটার দিকে তাকালে, তুমি আমাদের যে দিকে নিয়ে যেতে চাও তা আমার মোটেই ভালো লাগে নি।"
চিঠিপত্রে এই ধরনের আদান প্রদানের পর সাধারণত আশা করা হয় দুই নায়কের মুখ দেখাদেখিই বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু প্রকৃতই কি হতে দেখি আমরা ?
ত্রিপুরী অধিবেশনের কিছু দিন পর থেকেই শুরু হল গান্ধীজির সঙ্গে সুভাষের চিঠিপত্র ও তারবার্তার আদান-প্রদান । না করে উপায়ও ছিল না, কারণ কংগ্রেস সভাপতির পরবর্তী কর্তব্য ওয়ার্কিং কমিটি গঠন । পন্থ-প্রস্তাব অনুযায়ী এই ব্যাপারে তিনি গান্ধীজির পরামর্শ গ্রহণে বাধ্য। সুভাষ তাই-ই চাইলেন। জানতে চাইলেন, পন্থ-প্রস্তাবের পর প্রথম অবস্থাটা কী দাঁড়াল? তাঁর কি আর কোন ভূমিকা রইল ? এখন নানা বাধাবিপত্তির মুখে সুভাষ কীভাবে কাজ করবেন তা গান্ধীজি বলে দিন।
সুভাষ জানালেন, শুধু সমমনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রস্তাবের তিনি বরাবরই বিরোধিতা করে এসেছেন। কিন্তু গান্ধীজি কি এখনও ঐ মতেই অটল আছেন? তা যদি হয় তবে তো সুভাষ আর সর্দার প্যাটেলের মতো লোক এক কমিটিতে থাকতে পারেন না। আর যদি বরাবরের মতো বিভিন্ন গোষ্ঠীর অর্থাৎ বিভিন্ন মতাবলম্বীদের নিয়েই কমিটি গঠন করতে হয় তবে সুভাষ সাত জনের নাম প্রস্তাব করতে পারেন, বাকি সাত জনের নাম প্রস্তাব করুন বল্লভভাই ।
আবার লিখলেন সুভাষ : যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন মূল সমস্য। হল দু'পক্ষ অতীতের কথা ভুলে গিয়ে একত্রে কাজ শুরু করতে পারে কিনা। আর তা নির্ভর করছে একান্তভাবেই গান্ধীজির উপর। তিনি যদি প্রকৃত নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে দু' পক্ষের আস্থা অর্জনে এগিয়ে আসেন তবে তিনিই বাঁচাতে পারেন কংগ্রেসকে। সুভাষ লিখলেনঃ "মেজাজের দিক দিয়ে আমি প্রতিশোধপরায়ণ নই এবং
মনে ক্ষোভও পুষে রাখি না। একদিক থেকে আমার মনোভাব অনেকটা মুষ্টিযোদ্ধার মতো - অর্থাৎ লড়াই শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি হাসিমুখে করমর্দন করি এবং ফলাফল খেলোয়াড়োচিত মনোভাব নিয়ে।"
সুভাষ গান্ধীজিকে স্মরণ করিয়ে দিলেন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দু'জনের আলোচনার কথা। সেই সময় আলোচনা হয়েছিল ভবিষ্যৎ কর্মসূচী নিয়ে। সুভাষ প্রস্তাব করেছিলেন, ইংরেজ সরকারকে চরমপত্র দেওয়া হোক, কারণ এখনই তার প্রকৃষ্ট সময়। দেখা যাচ্ছে, এই চরমপত্র দিতে গান্ধীজি ও জওহরলালের অনীহা। সুভাষ প্রশ্ন তুললেন : কিন্তু কেন? গান্ধীজি নিজেই কি বারবার চরমপত্র দেন নি? সুভাষ এখনও তাঁর ধারণায় অটল। তাঁর ধারণা, সাহস করে যদি এগিয়ে যাওয়া যায় তবে দেড় বছরের মধ্যেই স্বরাজ আসবে। এই বিশ্বাস তাঁর এতই দৃঢ় যে তিনি এর জন্য যে কোন ধরনের আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত।
আমরা দেখছি সুভাষ গান্ধীজিকে প্রস্তাব দিচ্ছেন, যদি গান্ধীজি মনে করেন অন্য কেউ সভাপতি হলে সংগ্রাম জোরদার হবে তবে সুভাষ সানন্দে সরে দাঁড়াবেন। যদি গান্ধীজি মনে করেন তাঁর মনোনীত ওয়ার্কিং কমিটি দিয়ে সংগ্রাম আরও ভালোভাবে চালানো যাবে তা হলে সুভাষ সানন্দে মেনে নেবেন তাঁর ইচ্ছা। সুভাষ শুধু চান এই সঙ্কটের মুহূর্তে গান্ধীজির নেতৃত্বে আবার শুরু হোক স্বরাজ অর্জনের সংগ্রাম। যদি সুভাষ নিজেকে সরিয়ে নিলেই সংগ্রামের কাজে সহায়তা হয় তবে সুভাষ তাই-ই করবেন ।
কিন্তু দেখা গেল সুভাষের সব আর্জি, সব প্রস্তাব, সব উদ্যোগ মহাত্মার অনড়-অচল মতামতের প্রাচীরে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসছে। গান্ধীজি বলছেন, সমস্যার সুরাহার উদ্যোগ নেওয়ার দায় তাঁর নয়, সুভাষের। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের মনোনীত করুন সুভাষ, গান্ধীজি তাতে হাত দিতে চান না। তিনি চাপিয়ে দিতে চান না কোন কমিটি । মূলনীতি নিয়েই যখন বিরোধ রয়েছে তখন বিভিন্ন
মতাবলম্বীদের কমিটি গড়া উচিত নয়। তাতে ক্ষতিই হবে।
তা ছাড়া সুভাষের চিঠি থেকে গান্ধীজি বুঝতে পারছেন যে তাঁর ও অন্যান্যদের মত এবং সুভাষের মত একেবারে বিপরীত। সেখান কোন সেতুবন্ধনের অবকাশ নেই। এই মতবিরোধ অবশ্য তেমন কিছু অন্যায় ব্যাপার নয়, আসলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর বিশ্বাসটাই
চলে গেছে।
স্বরাজের জন্য সংগ্রাম আবার শুরু করতে বলেছেন সুভাষ। কিন্তু গান্ধীজি জানালেন, এখন তার সময় নয়। এখন চতুর্দিকে তিনি পাচ্ছেন হিংসার গন্ধ। কংগ্রেসে দেখা দিয়েছে দুর্নীতি। তা ছাড়া তিনি এখন বুড়ো হয়েছেন, হয়ত ভয় পান, বেশি মাত্রায় সতর্ক হয়ে পড়েছেন। সুভাষই হয়ত ঠিক বলছেন, তিনিই ভ্রান্ত।
গান্ধীজির এই মনোভাবের সামনে পড়ে সুভাষ এখন কী করবেন? স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের অনুরোধও টলাতে পারছে না মাহাত্মাকে এই অবস্থায় সুভাষ কার সঙ্গে পরামর্শ করবেন? মেজদা শরৎচন্দ্র অবশ্যই আছেন। কিন্তু আর কে? আমরা কিছুটা বিস্মিত হয়েই দেখি সুভাষ পরামর্শ চাইছেন জওহরলালেরই কাছে। জিয়ালগোড়া ( মানভূম ) থেকে সুভাষ চিঠি লিখছেন জওহরকে (১৫ এপ্রিল )। জানাচ্ছেন গান্ধীজির সঙ্গে তার পত্রালাপের সারমর্ম। তারপর বলছেন, অতঃপর আমি কী করব তুমি জানাও।
তারপর চিঠির শেষে লিখছেনঃ তুমি কি কয়েক ঘণ্টার জন্য এখানে আসতে পারবে? তা হলে আমরা কথা বলতে পারি, এরপরে কী করব সে বিষয়ে তোমার পরামর্শ পেতে পারি। যদি সময় করতে পারে। তবে তুফান এক্সপ্রেসে (৮ ডাউন) এলে সময় বাঁচবে! ট্রেনটা ধানবাদে পৌঁছয় বিকেল সাড়ে চারটেয়। বোম্বে মেইলে তুমি ফিরে যেতে পারো। ঐ ট্রেন ধানবাদে আসে মাঝরাতে। ধানবাদ থেকে জামাডোবা ন' মাইল । স্টেশনে গাড়ি থাকবে।
সুভাষের এই অনুরোধ কিন্তু তিক্ত মতবিরোধ সত্ত্বেও ঠেলতে পারলেন না জওহর। গান্ধীজিকে লেখা চিঠিতে ( ১৭ এপ্রিল)
তাঁকে বলতে দেখি : এই মাত্র সুভাষের চিঠি পেলাম । ও লিখেছে কয়েক ঘণ্টার জন্য ওর কাছে গিয়ে বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করতে । আমার আশঙ্কা এই কথাবার্তায় নির্দিষ্ট কিছু ফললাভ হবে না, কারণ আমি তো ফয়সালা করতে পারব না। তবু ওকে তো আমি না বলতে পারি না। দু' এক দিনের মধ্যেই আমি ওখানে
যাব ।
জওহর জামাডোবায় গেলেন ১৯ তারিখেই। গান্ধীজির কাছে সুভাষের চিঠি ও তারবার্তা ( ২০ এপ্রিল) থেকে আমরা জানতে পারি, কথাবার্তা একেবারেই নিম্ফলা হয় নি। সুভাষ জানাচ্ছেন, সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে দু' জনে একমতই হয়েছিলেন। এও ঠিক হয়েছিল কলকাতার কাছে কোন এক জায়গায় গান্ধীজি যদি আসেন তবে জওহর ও সুভাষ দু'জনে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন।
এই মতৈক্যের কিছুটা আভাস গান্ধীজির কাছে জওহরের লেখা ঐ ১৭ তারিখের চিঠিতেই আমরা পাই। চিঠিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, এখানে জওহর স্পষ্টভাষায় লিখছেন : "আমি এখন মনে করি, এবং দিল্লিতেও তাই বলেছিলাম, সুভাষকে আপনার সভাপতি হিসেবে মেনে নেওয়া উচিত । ওকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আমার মতে অত্যন্ত গর্হিত কাজ।" জওহর অনুরোধ করছেন গান্ধীজিকে আপনি যদি দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে না-নেন তবে মীমাংসার কোন পথ আমি দেখতে পাচ্ছি না। আপনাকেই অগ্রণী হতে হবে, শুধু ঘটনা ঘটার আশায় বসে থাকলে আপনার চলবে না সুভাষের অনেক ত্রুটি আছে, কিন্তু বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে এগোলে সে সাড়া দেয়। আপনি যদি মনস্থ করেন তবে নিশ্চয়ই সমাধানের পথ খুঁজে বার করতে পারবেন। জওহর গান্ধীজির কাছে সমাধানের পথের কয়েকটি ইঙ্গিতও দিলেন। তিনি সুভাষকে বলবেন ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য মনোনয়নের ব্যাপারটা পুরোপুরি গান্ধীজির হাতে ছেড়ে দিতে। সুভাষ কয়েকটা নাম দিতে পারে, কিন্তু তা মানা বা না-মানা নির্ভর করবে গান্ধীজির উপর। শুধু সমমনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের
নিয়েই কমিটি গঠিত হবে এ কথায় জহরের সায় নেই। কিছুঃ পরিমাণে মতের সমতা থাকতেই হবে। তা না হলে তো কাজই করা যাবে না। কিন্তু তাকে সংকীর্ণ অর্থে দেখলে চলবে না। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য থাকার ব্যাপারে জওহরের নিজের অনীহা বেশ কিছু দিনের। কিন্তু সঙ্কট মীমাংসায় যদি সাহায্য হয় তবে তিনি কমিটিতে থাকতে রাজি।
কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কর্মসূচী নিয়ে জওহরের প্রস্তাবঃ ত্রিপুরী অধিবেশনে যেসব প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তার দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হবে এই কর্মসূচী। তাতে তো স্পষ্টই বলা হয়েছে, অতীতের কর্মপন্থা থেকে বিচ্যুত হবে না কংগ্রেস।
সুভাষ নিশ্চয়ই জানতেন না, জওহর ১৭ এপ্রিল গান্ধীজিকে এই মর্মে চিঠি লিখেছেন । কারণ আমরা দেখি ঠিক ঐ দিনই তিনি অমিয়নাথকে লিখছেন, জওহরলাল ব্যক্তিগতভাবে তাঁর যত ক্ষতি করেছেন তেমন আর কেউ করেন নি।
এ থেকে এই কথাই মনে হয় যে, এই সময়ে দুই নায়কের মধ্যে ঘটেছিল যাকে বলা যায় 'কম্যুনিকেশন গ্যাপ'।
কলকাতায় বসবে এ আই সি সি-র অধিবেশন এপ্রিলের শেষে। তার আগে গান্ধীজি এলেন। কিন্তু তিনি এ আই সি সি-র বৈঠকে যোগ দেবেন না। থাকবেন সোদপুরে। নিজের অসুস্থতার জন্য শুভাষ এতদিন গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করে মুখোমুখি কথা বলতে পারেন নি। সেই সুযোগ এতদিনে এল। গান্ধীজি এসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই সুভাষ ছুটলেন তাঁর কাছে। দিলেন মীমাংসার জন্য
কিন্তু গান্ধীজি তাঁর নিজের মতে অটল! তিনি ওয়ার্কিং কমিটির
সদস্যদের মনোনীত করবেন না। সুভাষ যদি চান বিদায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে আপস মীমাংসার চেষ্টা করতে পারেন। গান্ধীজি জানেন, পন্থ-প্রস্তাবের দড়ি দিয়ে সুভাষের হাত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। গান্ধীজির পরামর্শ নিয়েই কমিটি গড়তে হবে। কিন্তু তিনি কোন মতামত দেবেন না। তা হলে সুভাষ কী করবেন ? গান্ধীজিকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করাতে তিনি জওহরলালকেও সঙ্গী করে নিলেন।
কলকাতায় জওহর যথারীতি উঠেছেন বসু বাড়িতেই। -শিশিরকুমার বহু জানিয়েছেন : সুভাষ প্রায়ই খুব সকালে উডবাণ পার্কের বাড়িতে ( শরৎ বসুর বাড়ি ) আসভেন। পণ্ডিতজিকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে সোদপুরে যেতেন। গান্ধীজির সঙ্গে অনেক আলোচনা করেও মীমাংসার কোন স্বত্র পাওয়া গেল না। একদিন দেখি রাঙাকাকাবাবু ও জওহরলাল একটু বেলায় উডবার্ণ পার্কের বাড়িতে ফিরে সামনের বারান্দায় গম্ভীর মুখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছেন। যেন গুরুতর কিছু ঘটে গেছে। বেশ কিছুক্ষণ স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকার পর রাঙাকাকাবাবুই স্তব্ধতা ভাঙলেন । বললেনঃ যাও, খাওয়াদাওয়া কর। আফটার অল ম্যান মাস্ট লিভ। জওহরলাল উত্তরে শুধু বললেন, ইয়েস ম্যান মাস্ট লিভ। তারপর দু'জনে দুদিকে চলে গেলেন।
এর পরের ইতিহাস সংক্ষিপ্ত। এ আই সি সির বৈঠকে সুভাষ জানালেন, ত্রিপুরী কংগ্রেসের পর যে সংকট দেখা দিয়েছে তার নিরসন হয় নি। ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করতে পারেন নি তিনি। গান্ধীজিকে তিনি এই প্রস্তাবও দিয়েছিলেন যে, গান্ধীজি যে কমিটি গঠন করবেন তাই তিনি মেনে নেবেন। কিন্তু তাতেও রাঙ্গি হন নি মহাত্মা। তাই অনেক ভাবনাচিন্তার পর সুভাষ স্থির করেছেন তিনি ইস্তফাই দেবেন। কংগ্রেসের সামনে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার নিরসনের জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। এ আই সি সি হয়ত নতুন কোন সভাপতি নিয়োগ করতে পারে, তাতে সংকট নিরসন
সহজ হবে। তা ছাড়া এখন এ আই সি সি এমন একটি কমিটি গড়তে পারে যেখানে সুভাষকে ঠিক মানাবে না। (ইস্তুফা সম্পর্কে বিবৃতি ) ।
এই সময় জওহরলালকে দেখি একটা নতুন প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসতে। তিনি বললেন, সুভাষ পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করে নিন এবং ১৯৩৮ সালে যাঁরা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন তাঁদেরই আবার মনোনীত করুন। দু'জন সদস্য কিছু দিনের মধ্যেই ইস্তফা দেবেন। তখন সুভাষ সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন দু'জন সদস্য মনোনীত করতে পারবেন।
জওহরের এই প্রস্তাব কিন্তু সুভাষের মনোমত হয় নি। তাঁর সমর্থকেরা বরং বিপরীত ব্যাখ্যা করলেন জওহরের প্রস্তাবের। তাঁরা বললেন, এটা সুভাষের উপর আবার সেই পুরানো ওয়ার্কিং কমিটিই চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। সুভাষের সমর্থনে তাঁরা বিক্ষোভও দেখালেন রীতিমতো এবং সেই বিক্ষোভ খুব শান্তও ছিল না সুভাষকেই উাদ্যাগী হয়ে প্রশমিত করতে হল সেই বিক্ষোভ ।
পর দিনের বৈঠকে জওহর আবার জানতে চাইলেন তাঁর প্রস্তাবে সুভাষের সায় আছে কিনা। সুভাষ জবাব দিলেনঃ জওহরলালের মতো একজন নেতা যে তাঁকে পদত্যাগ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছেন তার জন্য তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। কিন্তু তিনি তো তা ভেবেচিন্তে হঠাৎ ইস্তফা দিয়ে বসেন নি। পদত্যাগের আগে গভীরভাবে চিন্তা করেছেন সবদিক।
ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য মনোনয়ন সম্পর্কে বললেন : গত বছর হরিপুরায় তিনি কমিটিতে নতুন সদস্য নিয়েছিলেন তিন জন। প্রতি বছরই কিছু নতুন সদস্য নেওয়া উচিত। নীতির পরম্পরা বজায় রাখার জন্য পুরানো কমিটির অধিকাংশ সদস্য থাকতে পারেন। কিন্তু ভারতের মতো বিশাল দেশে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ কর্মসমিতি বিশেষ কিছু লোকের একচেটিয়া অধিকারে থাকা উচিত নয়। যদি
আমরা চাই একটি গতিশীল, শক্তিশালী কমিটি তবে কংগ্রেসের মধ্যে বিভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতিনিধি গ্রহণ করা উচিত। যদি নতুন সদস্য গ্রহণ করা না হয় তবে কমিটির শক্তি সামর্থ্য কমে যাবে। ১৯২১ সালের পর থেকে কংগ্রেসে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে । ওয়ার্কিং কমিটিতেও তার ছাপ পড়া উচিত। গত সভাপতি নির্বাচনের তাৎপর্য ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না।
সুভাষ জানালেন, পদত্যাগ প্রত্যাহারের কথা তিনি বিবেচনা করতে পারেন যদি তাঁর এই মত এ আই সি সির সমর্থন পায়। না হলে তিনি সভাপতির পদ থেকে সরে দাড়াতে চান। "আমি যদি সভাপতির গদিতে না থাকি তাতে কী আসে যায়? আমি চিরদিনই কংগ্রেসের সেবা করে যাব।"
সরোজিনী নাইডু সেদিন সভাপতির আসনে। তিনি আবার সুভাষকে অনুরোধ করলেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার। কিন্তু সুভাষ জানালেন, তিনি তাঁর মত স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন কিছু বলার আর নেই । তখন জওহর প্রত্যাহার করে নিলেন তাঁর প্রস্তাবটি। সরোজিনী এ আই সি সি-র সদস্যদের অনুরোধ করলেন নতুন সভাপতি মনোনীত করতে। সুভাষের শূন্য আসনে বসলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ। নতুন ওয়ার্কিং কমিটিতে থাকতে রাজি হলেন না সুভাষ। জওহর বললেন, তিনিও থাকবেন না এই কমিটিতে।
এ আই সি সি-র এই বৈঠকের মাসখানেকের মধ্যেই ( ২৪ মে) এই সম্পর্কে আমরা কলম ধরতে দেখি জওহরকে। সেই প্রবন্ধটির নাম 'এ আই সি সি অ্যাণ্ড আফটার' । জওহর লিখছেন : কলকাতায় সুভাষবাবু যে-সব প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার সব কটি সম্পর্কেই যে আমি একমত ছিলাম তা নয়, কিন্তু আমার নিশ্চিতই মনে হয়েছিল তিনি ত্রিপুরীর সিদ্ধান্তগুলি মেনে নিয়ে কংগ্রেসের ঐক্যবদ্ধ কাজকর্মের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছিলেন। এই ব্যাপারে সফলতা আসা কেন কঠিন হবে তার কোন কারণই আমি খুঁজে পাই নি, কিন্তু বিরোধিতা এস ( আমার মতে এই বিরোধিতা
একেবারেই অযৌক্তিক ) এবং তার পরিণতিতে তিনি ইস্তফা দিলেন। ঐ অবস্থায় পদত্যাগ হয়ত অনিবার্য ছিল, তবু এতে আমি খুবই পরিতাপ বোধ করেছি, কারণ এর ফলে কংগ্রেসের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও ব্যক্তির মধ্যে ব্যবধানটা আরও গভীর হয়ে পড়ে। কলকাতায় এ আই সি সি-র বৈঠকে একটা বোঝাপড়ার মনোভাবের অভাবে আমি পরিতাপ বোধ করেছি আরও বেশি।
জওহর আরও লিখলেনঃ এই অবস্থায় আমি নতুন ওয়ার্কিং কমিটিতে যোগ দিতে পারিনি। পুরানো কমিটির সঙ্গে দীর্ঘদিনই আমার মনের মিল হচ্ছিল না, তবু আমি সদস্য থেকেছি, কারণ আমার মনে হয়েছে বড় স্বার্থে থাকা দরকার। কলকাতায় যে সব নতুন ঘটনা ঘটল তারপর আমার স্থান (কমিটির) বাইরে, অবশ্য বিরোধিতা বা অসহযোগের মনোভাব নিয়ে নয়।
ইস্তফা দেওয়ার আগে জওহরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল সুভাষের। সেই আলোচনাকে সুভাষ নিজেই বলেছেন 'ইন্টারেস্টিং। সুভাষ জানালেন, তিনি কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিচ্ছেন, আর তারপর গঠন করছেন নতুন একটি দল। এই কথায় খুব একটা উৎসাহিত হলেন না জওহর। বললেন, এর ফলে তো কংগ্রেসে ভাঙন দেখা দেবে, এই সংকটের মুহূর্তে সংগঠন হয়ে পড়বে দুর্বল।
সুভাষ তখন বললেন, সংগঠনের ঐক্য নিশ্চয়ই দরকার। কিন্তু ঐক্যও তো দুই ধরনের। এক ধরনের ঐক্য হল যার দ্বারা প্রকৃত সংগ্রামের কাজ করা যায়। আর এক ধরনের ঐক্য সকলকে করে তোলে অকর্মণ্য। কংগ্রেসে এই মুহূর্তে ঐক্য বজায় থাকতে পারে একটি মাত্র উপায়েই - গান্ধী গোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণের দ্বারা। কিন্তু ঐ গোষ্ঠী এখন জাতীয় সংগ্রাম চায় না। সুতরাং এখন যদি ঐক্য বজায় রাখাই প্রধান কথা হয়, তবে তো ভবিষ্যতে সব আন্দোলনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
হুভাষ তাই বললেন, এখন যদি কংগ্রেসের মধ্যেই একটা নতুন ঘল (গোষ্ঠী) গঠন করা যায় যার কার্যধারা হবে গতিশীল, তবে
হই নাৱক-১০
একদিন হয়ত এই গোষ্ঠী গান্ধীবাদীদের তথা গোটা কংগ্রেসকে আন্দোলনের পথে নিয়ে যেতে পারে। বিশ্বযুদ্ধ আাসর, সেই সুযোগ নেওয়ার জন্যও নতুন দল দরকার।
জওহর অবশ্য এই সব যুক্তি মানলেন না। কংগ্রেসে ভাঙনের কোনরকম প্রস্তাবই তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই সুভাষ গঠন করলেন ফরওয়ার্ড ব্লক। কংগ্রেসের মধ্যে থেকেই বামপন্থী শক্তিকে সংহত করা এর উদ্দেশ্য। ত্রিপুরীর অভিজ্ঞতার পরই সুভাষ বুঝতে পেরেছিলেন (এখন নিশ্চয়ই মনে হবে একটু বেশি দেরিতেই বুঝেছিলেন) গান্ধী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়তে গেলে বামপন্থী শক্তিগুলির ঐক্য বিশেষত প্রয়োজন। ভবিষ্যতে যদি ঐ গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়তে হয়, তবে ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো একটা নিজস্ব গোষ্ঠী থাকলে লড়াই করা সুবিধে হবে। একদিন হয়ত গোটা কংগ্রেসকেও তাঁর পথ অবলম্বন করাতে তিনি সমর্থ হবেন। আর যদি না-ও হয়, তবু প্রয়োজনে নিজেই আন্দোলনে নামতে পারবেন।
বছর চারেক পরে প্রবাসে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সুভাষ এই সৰ কথা লেখেন। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক গঠনের সময়েই 'ফরওয়ার্ড ব্লক' পত্রিকায় স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় প্রবন্ধেও সুভাষ ব্যাখ্যা করেন নতুন গোষ্ঠী গঠনের উদ্দেশ্য। বামপন্থী শক্তিকে সংহত করা, কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে দলে টেনে আনা, আর আবার জাতীয় সংগ্রাম গুরু করা - এই হল নতুন গোষ্ঠীর তিন লক্ষ্য (দা রোল অব ফরওয়ার্ড ব্লক, ১২ আগস্ট ১৯৩৯)। ১৯৪০ সালে শেষ কারাবাসের সময়েও সুভাষ শুরু করেন একটি রচনা : দা ফরওয়ার্ড ব্লক ইন পারসপেকটিভ। এটিকে তিনি বিশদ আকার দেন ১৯৪১ সালে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর কাবুলে। কংগ্রেস আন্দোলনের নিজস্ব প্রয়োজনেই ঐতিহাসিক অনিবার্যতা নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের বিকাশের পটভূমি ব্যাখ্যা করেছেন সুভাষ।
সুভাষকে নিজে কলম ধরতে হল, কারণ নতুন গোষ্ঠীর লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন। তাঁদের অন্যতম
জওহরলাল। তিনি বললেন : সুভাষবাবু ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেছেন। যা সব ঘটে গেল তারপর এই পদক্ষেপের কারণ বোঝা কঠিন নয়। কিন্তু তাই বলে এটা যে বাঞ্ছনীয় তা নয়। কারণ এর মধ্যে স্পষ্টই রয়েছে বিপদের আশঙ্কা। ফরওয়ার্ড ব্লককে জওহর চিহ্নিত করলেন নেতিবাচক গোষ্ঠী, 'অ্যান্টি-ব্লক' হিসেবে। এদের ঐক্যের সূত্র একটাই। আজ যারা কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের বিরোধিতা। নির্দিষ্ট লক্ষ্য-আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত কোন নীতি নেই। একমাত্র কংগ্রেসের লক্ষ্য-আদর্শকে কিছুটা ঝাঝালো করে তোলা ছাড়া। (দা এ আই সি সি অ্যাও আফটার - ২৪ মে ১৯৩৯ )
আমরা দেখি জহরের শঙ্ক। শুধু নীতি-আদর্শের প্রশ্নেই নয়। যাঁরা এই গোষ্ঠীতে আছেন বা আসবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তিনি। বলছেন : ব্লছেন : ব্লকের দ্বার অবারিত। রাজনৈতিক বা অন্যান্য দিক দিয়ে যারা অবাঞ্ছিত তাদের প্রবেশে কোন বাধানিষেধ নেই। কংগ্রেসের মধ্যেই ঢুকে পড়েছে অনেক হঠকারী, সুযোগ-সন্ধানীর দল। তা নিয়েই অনেক ঝামেলা। কংগ্রেসের দীর্ঘ ঐতিহ্য এবং অন্তর্নিহিত শক্তির জন্য তাদের কিছুটা ঠেকিয়ে রাখা গেছে। কিন্তু নতুন সংগঠনে বিপদ আরও বেশি। খুবই সম্ভব যে ফ্যাসিস্ত ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব-সম্পন্ন লোকেরা এই দলে ভিড়ে পড়বে এবং কংগ্রেস ও তার ফ্যাসিবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে নতুন দলকে কাজে লাগাবে । এই অবস্থা দেখা দিলে তখন সুভাষবাবু কী করবেন? মনে রাখতে হবে বিপ্লবী শ্লোগান আর লোক-ভোলানো বাক্যজালের আড়ালেই ইউরোপে ফ্যাসিবাদের বিকাশ ঘটেছে ।
ফরওয়ার্ড ব্লক সম্পর্কে জওহর নিজের "অসুবিধার" আরও অন্তত ছুটি কারণ জানিয়েছেন। নির্দিষ্ট নীতি-আদর্শের অভাবের প্রসঙ্গে জওহর বলছেন, মানবেন্দ্রনাথ রায়ের কিছু বক্তৃতা ও রচনার মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লকের কিছু নির্দিষ্ট নীতির কথা তিনি জানতে পেরেছেন। মানবেন্দ্রনাথের এই সব বক্তব্য থেকে তাঁর মনে হয়েছে, কংগ্রেসের এতদিনের নীতি থেকে তিনি একেবারেই সরে যেতে চান। এই
বক্তব্য ত্রিপুরীতে গৃহীত বিভিন্ন প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। এমন কি, বর্তমানের নানা সমস্যা নিয়ে সুভাষবাবুরও যে চিন্তাধারা তার সঙ্গেও এই বক্তব্যের মিল নেই। জওহর নিজেও কংগ্রেসে অনেক পরিবর্তন চান, কিন্তু সেই পরিবর্তন অতীতের কাজের ধারা বেয়েই আসা উচিত, খুব বড় রকমের বদল ঘটাও উচিত নয় ।
এ ছাড়াও জওহরের মনে হয়েছে, ফরওয়ার্ড ব্লক অথবা এই ধরনের কোন গোষ্ঠী গড়ে তুললে এর বিরোধী গোষ্ঠীগুলিও সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। এটা অবশ্য কোন গোষ্ঠী গঠন না করার কোন কারণ হতে পারে না, কিন্তু ঠিক সময়ে এবং ঠিকভাবে গোষ্ঠী গঠনের কারণ হতে পারে বৈকি। এর ফল হবে কি, সংগঠনের মধ্যে বিভিন্ন কমিটি দখল করার জন্য দেখা দেবে তিক্ত সংঘর্ষ। গণতান্ত্রিক সংগঠনে এই ধরনের সংঘর্ষ দেখা দিতেই পারে। কিন্তু ভিতরেবাইরে সংকটের মুহূর্তে এই ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া হবে পরিতাপের বিষয়।
সুভাষ এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন একাধিক রচনায়। অনেক ক্ষেত্রেই নাম না উল্লেখ করলেও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তাঁর বক্তব্যের লক্ষ্য জওহর। যেমন 'আওয়ার ক্রিটিকস' (ফরওয়ার্ড ব্লক ১৯ আগস্ট ১৯৩৯)। নতুন গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট নীতি-আদর্শের অভাব আছে, এটা যে একটা 'অ্যান্টি ব্লক', কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরোধিতা করাই এর লক্ষ্য - জওহরের এই সব মন্তব্যেরই উল্লেখ করছেন সুভাষ।
বলছেন, এখন ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এই গোষ্ঠীতে নাকি সুবিধাবাদী আর ফ্যাসিস্তদের ভিড়। সুভাষের প্রশ্ন : সুবিধাবাদীরা ফরওয়ার্ড ব্লকে আসতে যাবেন কেন? এই গোষ্ঠীতে এলে তো দু' দিক থেকে নির্যাতনের শিকার হতে হবে - ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং কংগ্রেসী আমলাতন্ত্র। আসল সুবিধাবাদীদের দেখা পাওয়া যাবে দক্ষিণপন্থী শিবিরে। এরপর 'তথাকথিত বামপন্থীদের' সম্পর্কে সুভাষের মন্তব্যটির লক্ষ্য কে তা বুঝতে অসুবিধে
হওয়ার কথা নয় : "মুখে বামপন্থী, কাজে দক্ষিণপন্থী - মুখের কথায় 'গান্ধীজিকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া, তারপর দক্ষিণপন্থীদের প্রথম ধমকেই নতি স্বীকার - ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বর্জন করা এবং তারপরও কমিটির আলোচনায় যোগদান - এগুলিই সম্ভবত সুবিধাবাদের চমৎকার উদাহরণ।"
এই সময়েই আমরা দেখি সুভাষ বারবার জওহরকে অভিহিত করছেন প্রাক্তন বামপন্থী নেতা হিসেবে। জওহর যে বামপন্থীদের পক্ষ ত্যাগ করে পুরোপুরিই দক্ষিণপন্থীদের শিবিরে চলে গেছেন তাতেই সুভাষের ক্ষোভ, সুভাষের আক্ষেপ। 'ইণ্ডিয়ান স্ট্রাগল বইয়ের দ্বিতীয় পর্বে স্মৃতিচারণ করতে গিয়েও এসেছে ফরওয়ার্ড ব্লক ও জওহর প্রসঙ্গ।
সুভাষ বলেছেন : ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্মের ফলে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তীক্ষ্ণতর হল। কারো পক্ষেই আর কোন নির্দিষ্ট পক্ষ অবলম্বন করা বা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হল না। এই অভ্যন্তরীণ সংকটে সবচেয়ে অসুবিধেয় পড়লেন জওহরলাল নেহরু। এতদিন পর্যন্ত তিনি চমৎকার দক্ষতা ও কৃতিত্বের সঙ্গে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলেছেন । বামপন্থীদের বন্ধু বা পৃষ্ঠপোষক হয়ে থেকেছেন, আবার গান্ধী গোষ্ঠীরও সমর্থন আদায়ে সমর্থ হয়েছেন । ফরওয়ার্ড ব্লকের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তাঁকে একটা পথ বেছে নিতে হল এবং তিনি দক্ষিণপন্থী - গান্ধী গোষ্ঠীর দিকে ঝুকলেন। গান্ধী গোষ্ঠী এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের মধ্যে সম্পর্ক যখন তিক্ত হয়ে উঠতে লাগল, নেহরু তখন ক্রমেই আরও বেশি করে মহাত্মার সমর্থনে এগিয়ে গেলেন।
কংগ্রেসের এবং নিজের রাজনৈতিক জীবনের চরম সংকটে জওহরলালের সুস্পষ্ট সমর্থন না পাওয়ায় সুভাষের আক্ষেপ ক্ষোভের যথেষ্ট কারণ ছিল। মুখে গান্ধীবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, কাজে গান্ধীবাদের সমর্থন - জওহরের আচরণ সম্পর্কে তাঁর এই বিশ্লেষণও ভুল নয়। কিন্তু জওহর এই সময়ে পুরোপুরি গান্ধী গোষ্ঠীতেই নাম লিখিয়েছেন, এ-কথাও ঠিক নয়। আসলে তিনি
এই সংকটের মধ্যে নিজেও সংকটে পড়েছিলেন। কংগ্রেসের মধ্যে ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর সংসর্গ যে তাঁর পছন্দ নয় তা তিনি বারবারই বলছেন, এদিকে সুভাষের সমর্থনেও পুরোপুরি এগিয়ে আসতে পারছেন না। দুলছেন তাঁর স্বভাবসুলভ দোদুল্যমানতায় ।
সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কয়েক মাসও গেল না, কংগ্রেস থেকে কার্যত বহিষ্কৃত হলেন সুভাষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলের নিয়মশৃংখলা মানছেন না তিনি। এ আই সি সি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সংশ্লিষ্ট প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন কংগ্রেস কর্মী সত্যাগ্রহ আন্দোলন করতে পারবে না। আর একটি সিদ্ধান্ত : কোন প্রদেশে কংগ্রেস মন্ত্রিসভার সঙ্গে যদি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বিবাদ দেখা দেয়, তবে তা মেটাবার দায়িত্ব পড়ৰে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর ।
সুভাষ এবং বামপন্থীরা এই দুটির কোন সিদ্ধান্তই মানতে রাজি ছিলেন না। বেশ কয়েকটি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাল। ৯ জুলাই সুভাষের নেতৃত্বে বাম সংহতি কমিটি ডাক দিল দেশব্যাপী প্রতিবাদ দিবস পালনের। কংগ্রেস সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পালিত হল প্রতিবাদ দিবস।
কংগ্রেস নেতৃত্ব কৈফিয়ৎ চাইলেন সুভাষের। সেই কৈফিয়ৎ যথেষ্ট জোরালে। ভাষাতেই দিয়েছিলেন সুভাষ । কংগ্রেসের যে-কোন প্রস্তাবের বিরোধিতা করার গণতান্ত্রিক অধিকার তাঁর আছে বলে দাবি করলেন তিনি। তিনি যা করেছেন জেনে-বুঝেই করেছেন, তার জন্য সাজা পেতেও তিনি প্রস্তুত।
সাজা পেতে অবশ্য দেরি হল না। বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করা হল। আরও সিদ্ধান্ত হল, পরবর্তী তিন বছর তিনি কংগ্রেসের কোন নির্বাচিত পদে
থাকতে পারবেন না। গান্ধীজি নিজের হাতে রচনা করলেন সেই প্রস্তাব (আগস্ট ১৯৩৯)। কংগ্রেসের ইতিহাসে আবার ঘটল নজিরবিহীন ঘটনা। ঘটনা। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিই হলেন কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত। জহরলাল বলেছেন, এই সাজা দেওয়াট। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষে একটা খুবই অসাধারণ বা অস্বাভাবিক ব্যবস্থা (আনইউজুয়াল স্টেপ)। কিন্তু তাঁর মন্তব্য থেকে মনে হয় না যে, ওয়ার্কিং কমিটি খুব একটা অন্যায় কাজ করেছে বলে তিনি মনে করেছিলেন ( ডিসকভারি অব ইণ্ডিয়া - নবম অধ্যায়)।
সুভাষের এই সাজার মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ হল মহাত্মা গান্ধীর সুভাষ হঠাও অভিযান। ঐতিহাসিকেরা কেউ কেউ এই অভিযানের নাম দিয়েছেন অহিংস পদ্ধতিতে নিধন। কেউ বলেছেন, ইংরেজের বিরুদ্ধে এতদিন গান্ধীজি যে অসহযোগ আন্দোলন করে এসেছেন এবার তিনি সেই অস্ত্র সাফল্যের সঙ্গে প্রয়োগ করলেন সুভাষের বিরুদ্ধে! মাইকেল ব্রেশার খোলাখুলিই বলেছেন : ত্রিপুরীর নাটকের কুশীলবদের মধ্যে একমাত্র গান্ধীজিরই ছিল সুস্পষ্ট ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য - সুভাষকে অপসারণ। শেষ পর্যন্ত তিনি তাই করলেন। হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়, এই মহামানবকে অন্তত এই একটি ক্ষেত্রে মনে হয়েছে নিতান্তই ক্ষুদ্রমনা ।
কিন্তু কেন গান্ধীজির এই আচরণ? সুভাষের নিজের ব্যাখ্যা এই রকম : কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন ব্রিটেনের সঙ্গে কোন রকম আপসরফার প্রয়াসের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে। এতে গান্ধীজির ঘনিষ্ঠ মহল অখুশি হন, কারণ তখন তাঁরা চেষ্টা করছিলেন ইংরেজ সরকারের সঙ্গে বোঝা-পড়ায় আসার। ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিটি গঠনের পর গান্ধীজি আরও ক্ষুব্ধ হন, কারণ এই কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের শিল্পায়নের নক্শা প্রস্তুত করা এবং গান্ধীজি ছিলেন শিল্পায়নের বিরোধী। মিউনিখ চুক্তির পর সুভাষ দেশব্যাপী প্রচার শুরু করেছিলেন ইউরোপে আসন্ন যুদ্ধের কথা মনে রেখে জাতীয় সংগ্রাম শুরু করার
জন্য। তাঁর এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের সমর্থন পেলেও গান্ধীবাদীদের পছন্দ হয়নি, কারণ তখন তাঁরা মন্ত্রিত্ব আর সংসদীয় কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, জাতীয় সংগ্রাম শুরু করার ঝামেলায় আর যেতে চাইছিলেন না ( ইণ্ডিয়ান স্ট্রাগল ) ।
জাতীয় সংগ্রাম নতুন করে শুরু করার জন্য সুভাষের আর্জিতে গান্ধীজি কর্ণপাত করেননি কিছুতেই। শেষবার গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করতে সেবাগ্রামে ছুটে যান সুভাষ ১৯৪০ সালে জুন মাসে। সেখানেও তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আবার সংগ্রাম শুরু করতে গান্ধীজিকে রাজি করানো। কিন্তু গান্ধীজি সুভাষকে অনেক ভালো ভালো কথা বললেও (সুভাষ, আমি তোমাকে সব সময়েই ভালোবাসি। দেশপ্রেম আর স্বাধীনতা অর্জনের সংকল্পে তুমি কারো চেয়ে কম যাও না। তোমার আন্তরিকতা স্পষ্ট। আত্মত্যাগ আর নির্যাতন সহ্য করার সংকল্পে কেউই তোমাকে পিছনে ফেলে যেতে পারবে না। এক মহান নেতা হওয়ার সব গুণই তোমার আছে। ইত্যাদি।) তাঁর আবেদনে সাড়া দেননি। এমন কি সুভাষ যখন নিজে আন্দোলন শুরু করার জন্য আশীর্বাদ চেয়েছেন তখনও তিনি তা দিতে চাননি ।
ইংরেজদের চরমপত্র দিয়ে জাতীয় আন্দোলন শুরু করার প্রশ্নেই শেষ পর্যন্ত গান্ধীজির সঙ্গে সুভাষের রাজনৈতিক বিরোধ চরম রূপ নেয়। গান্ধীজির মতে, নতুন আন্দোলন শুরু করার সময় তখনও আসেনি। কারণ তাঁর মতে, দেশ তখনও নতুন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত নয় । কংগ্রেসের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুর্নীতি। তা ছাড়া, এই মুহূর্তে আন্দোলন শুরু করলে তা হিংসাত্মক রূপ নেওয়ার আশঙ্ক।।
সুভাষ মানতে পারেননি এই যুক্তি। তাঁর মতে, জনগণ তৈরিই আছে, নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছে কংগ্রেস। গান্ধীজি কিন্তু
মনে করছেন তখনও যে আন্দোলন শুরু করার পক্ষে আরও ভালো সময় আসবে অথবা দেশব্যাপী আন্দোলন ছাড়াই ইংরেজ বোঝাপড়ার
আসবে কংগ্রেসের সঙ্গে
কিন্তু পরবর্তী ইতিহাস কী প্রমাণ করে? সুভাষের সঙ্গে সেবাগ্রামে ঐ আলোচনার কয়েক মাস পরেই গান্ধীজি সিদ্ধান্ত নিলেন 'ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ' শুরু করার। সেই কর্মসূচীতে প্রথম সত্যাগ্রহী বিনোৰাভাবে এবং দ্বিতীয় জওহরলাল নেহরু। এই কর্মসূচী অবশ্যই ছিল অনেকটা প্রতীকী ধরনের, তবু তো বেশ কয়েক বছর পরে কংগ্রেসকে দেখা গেল একটু নড়ে-চড়ে বসতে। আর এর বছর ছয়েকের মধ্যে, ইংরেজ সরকারের সদাশয়তায় বিশ্বাস হারিয়ে শেষ পর্যন্ত যে ইংরেজকে চরমপত্র দিয়ে জাতীয় সংগ্রাম শুরু করার ডাক দিতে বাধ্য হলেন গান্ধীজি (আগস্ট ১৯৪২) তা কি সুভাষের বক্তব্যের সারবত্তাই প্রমাণ করল না? ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই কংগ্রেস থেকে দূর হয়ে যায়নি সব দুর্নীতি, অথবা দেশ থেকে দূর হয়ে যায়নি হিংসার আবহাওয়া।
গান্ধী-সুভাষ দীর্ঘ পত্রালাপের মধ্যে গান্ধীজিকে এক জায়গায় আমরা লিখতে দেখি : রাজনৈতিক মঞ্চে আমরা কী ভাবে মিলিত হতে পারি? সেখানে আমাদের মতপার্থক্য বরং বজায় থাকুক, আমরা সামাজিক, নৈতিক পৌর মঞ্চে মিলিত হই। আমি অর্থনৈতিক মঞ্চের কথা বলতে পারলাম না, কারণ ঐ মঞ্চেও যে আমাদের মতবিরোধ আছে, তা আমরা দেখতে পেয়েছি। (রাজকোট থেকে চিঠি, ১০ এপ্রিল ১৯৩৯)।
সুভাষ নিজেও আভাস দিয়েছেন এই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মতবিরোধের, যখন তিনি ন্যাশনাল প্ল্যানিং সম্পর্কে গান্ধীজি ও তাঁর অনুগামীদের বিরোধিতার কথা বলেছেন। জওহরলালকে ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিটির শিরোমণি করে গান্ধীবাদীদের বিরোধিতা কিছুটা ভোঁতা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সুভাষ। কিন্তু এই ব্যাপারে গান্ধীজির দ্বিধা-সন্দেহ মোটেই দূর হয়নি। জওহরকে তিনি স্পষ্টই লিখেছেন (১১ আগস্ট ১৯৩৯ ): এই কমিটি যে কী কাজ করছে
তা আমি কখনোই বুঝতে বা উপলব্ধি করতে পারিনি। এভ যে
অসংখ্য সাব কমিটি তৈরি করা হয়েছে তার উদ্দেশ্যও আমি বুঝতে পারিনি। আমার মনে হয়েছে এমন একটা ব্যাপারে শ্রম আর অর্থের অপচয় করা হচ্ছে, যা থেকে বিশেষ বা আদৌ কোন ফল পাওয়া যাবে না।
পরিকল্পিত অর্থ নৈতিক ব্যবস্থায় বৃহৎ শিল্পের প্রসার ঘটবে, কুটীর ও গ্রামীণ শিল্প মার খাবে - এমন আশঙ্কা দূর করতে বারবারই উদ্যোগী হয়েছেন সুভাষ ও জওহর। কিন্তু তবু গান্ধীজির আশঙ্কা যায়নি। তা ছাড়া, গান্ধীজি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছিলেন যে, হরিপুরা ভাষণে সুভাষ যে সমাজতান্ত্রিক পথে ভবিষ্যৎ দেশগঠনের কথা বলেছিলেন তা নিশ্চয়ই কথার কথা নয়, ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিটি সেই স্বপ্ন রূপায়ণের পথে একটি সোপান। আর সুভাষ তো শুধু আধুনিক ও বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠার কথাই বলেন নি, ভূমি ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কথাও বলেছিলেন। ভবিষ্যৎ ভারতের অর্থ নৈতিক বিকাশ যে একমাত্র সমাজতান্ত্রিক পথেই ঘটবে, সুভাষের অহরহ এই ঘোষণা নিশ্চয়ই গান্ধীজি ও তাঁর নিষ্ঠাবান অনুগামীদের কানে সুধাবর্ষণ করেনি।
গান্ধীজিও এক ধরনের সমাজবাদে অবশ্যই বিশ্বাস করতেন, কিন্তু তার মূল কথা ছিল মানবতাবাদ। রাষ্ট্রের উদ্যোগে শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনা নয়। তিনি মনে করতেন একজন রাজাও সমাজবাদী হতে পারেন যদি তিনি প্রজাবৎসল হন। কিন্তু যাকে বলা হয় বৈজ্ঞানিক সমাজবাদ তাতে তাঁর আস্থা ছিল না। কংগ্রেসের মধ্যে যখন সমাজবাদীরা একত্র হতে শুরু করলেন তখন গান্ধীজি বললেন : কংগ্রেসে যদি সমাজবাদীরা প্রাধান্য পায়, এবং তা পেতেই পারে, তবে আমি কংগ্রেসে থাকতে পারি না ( সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ )।
মৌলিক ব্যাপারে সুভাষের সঙ্গে গুরুতর মতবিরোধের কথা স্বয়ং গান্ধীজি স্বীকার করছেন বারবার : দা ভিউজ ইউ এক্সপ্রেস সিম টু যি টু বি সো ডায়ামেট্রিকালি অপোজড টু দোজ অব দা আদার্স খ্যাও মাই ওন ভ্যাট আই ডু নট সি এনি পসিবিলিটি অব ব্রিজিং
দেম (২ এপ্রিল ১৯৩৯, দিল্লি থেকে চিঠি)। আবার আট দিন পরে রাজকোট থেকে লিখছেন : দা গালফ ইজ টু ওয়াইড, সাসপিসন্ টু ডিপ। আই সি নো ওয়ে অব ক্লোজিং দা র্যাঙ্কস্। ঐ চিঠিতেই গান্ধীজির আর একটি মন্তব্য থেকেও এ-কথা স্পষ্ট যে, মতবিরোধটা নিছক ব্যক্তিগত নয় । গান্ধীজি সুভাষকে বলছেন, তুমি যদি মনে করে থাকে। ওল্ড গার্ডের মধ্যে তোমার একজনও ব্যক্তিগত শত্রু আছে তবে তুমি ভুল করবে।
কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করি, ত্রিপুরী ঘিরে যে সংকট, জওহরলাল তাকে আগাগোড়া ব্যক্তিগত বিরোধ বলেই চিহ্নিত করতে চেয়েছেন, এর পিছনে নীতি-আদর্শের কোন ব্যাপার আছে বলে স্বীকার করতে চাননি। সুভাষের কাছে যখন চিঠি লিখছেন অথবা প্রবন্ধ লিখছেন ন্যাশনাল হেরল্ডে, তখন বারবার বলছেন বর্তমান সংকটের পিছনে কোন আদর্শের দ্বন্দ্ব নেই, নেই বামপন্থী-দক্ষিণপন্থী লড়াই। বরং সুভাষ যে বাম ও দক্ষিণ শব্দ ব্যবহার করছেন তাতে রীতিমতো আপত্তি করছেন জওহর। সুভাষ অবশ্য ক্ষুব্ধ হয়ে বলছেন : তুমি অনায়াসে বাম-দক্ষিণের কথা বলতে পারো, আর আমি বললেই যত দোষ ?
জওহর ত্রিপুরী সংকটকে শুধুই ব্যক্তিগত বিরোধ হিসেবে দেখেন নি। আমরা লক্ষ্য করি, তিনি এই ব্যাপারের মধ্যে প্রাদেশিকতাও এনে ফেলেছেন। ভি কে কৃষ্ণমেননকে তিনি যে-কথা বলেছিলেন
৪ এপ্রিল ১৯৩৯ ), তা থেকে আমরা আর কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারি ? জওহর বলেছিলেনঃ এই মুহূর্তে সুভাষ হয়ে দাড়িয়েছেন বাংলার প্রতীক। প্রতীকের সঙ্গে বা প্রতীককে নিয়ে তর্ক করা নিতান্তই অসম্ভব ।
অবশ্য জওহরলাল বলতে পারতেন, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত বিষয়টিকে বাংলার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছেন। কংগ্রেস সভাপতি পদে সুভাষের ইস্তফার পর কবি যে বিবৃতি দেন ( মে মাসে) তাতে এসে যায় বাংলার কথা। হুভাষের কাছে বাণীতে রবীন্দ্রনাথ বলেন,
| pdf |
294f8e73210fe8ec027a55f83463bc91eaf338bc | অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রিয়ডটকম, পরিবর্তন, ঢাকাটাইমসসহ ৫৮টি সাইট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এসব পোর্টাল বন্ধে রোববার সব ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ সংস্থা এবং আন্তার্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়েকে (আইআইজি) চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে কী কারণে নিউজ পোর্টালগগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিটিআরসি'র পক্ষ থেকে কোন তথ্য জানানো হয়নি।
দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি'র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বোরবার বিকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পক্ষ থেকে এসব ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
| web |
a4a0eb1f9ef6c2fb9ea3908b014b1b49112bd9f5fbde9aa2f5dd11ef4843f49f | ১৮৭৪-এর মে মাসে শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত শ্রমজীবী নামে যে পত্রিকা বের করেন তাতে এই জাতীয় বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল, 'প্রিয়তম শ্রমজীবীগণ। বহুকাল হইতে তোমাদের দুঃখ আরম্ভ হইয়াছে, আজও তাহার শেষ হইল না! তোমাদের যে দুঃখ তাহা আর দূর হইল না' ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে আসল প্রতিকারের কোনো কথা নেই। কেবল বলা হয়েছে যে, 'তোমরা যদি লেখাপড়া শিখ, সহজেই তোমাদের দুঃখ ঘুচিবে, দেশের মঙ্গ ল হইবে।' আসলে তখন লেখকদের সামনে রুশ বিপ্লবের মতো কোনো উদাহরণ ছিল না, শ্রমিকশ্রেণি যে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে পারে তেমন বিশ্বাসও কারও ছিল না।
অবশ্য পটভূমিকা ক্রমশই তৈরি হচ্ছিল। বিশেষ করে চা-বাগান এবং চটকলেব শ্রমিকদের ওপর বিদেশি মালিকদের অকথ্য অত্যাচার নিজেদের চোখে দেখে এসে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সে কাহিনি তুলে ধরছিলেন দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, রামকুমার বিদ্যারত্ন বা শিবনাথ শাস্ত্রীর মতো প্রগতিশীল ব্রাহ্ম সংস্কারকেরা। এরা একদিকে যেমন শ্রমিকশ্রেণির প্রতি মালিকের নির্মম অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেন, অন্যদিকে তেমনি সংঘবদ্ধ প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তাকেও স্বীকৃতি দেন। এঁদের মতামত যেসব পত্রিকায় প্রকাশিত হত তা প্রচলিত অর্থে বামপন্থী পত্রিকা নয়। দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় আসাম থেকে বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে যে সঞ্জীবনী পত্রিকায় আসামের চা-কুলিদের বেদনার কাহিনি পাঠাতেন কৃষ্ণকুমার মিত্র সম্পাদিত সেই পত্রিকাটি ছিল জাতীয়তাবাদী সাপ্তাহিক। প্রচণ্ড বিপদের ঝুঁকি নিয়ে যে দ্বারকানাথ সংবাদ পাঠাতেন তা এই উদাহরণেই স্পষ্ট, আসামের কুলিঅত্যাচার লিখিতে গিয়া আপনার উপায়হীন সংবাদদাতা সম্পূর্ণরূপে প্রমাদজালে জড়িত, চতুর্দিকে শত্রুবেষ্টিত। কেবল যে সাহেবরাই শত্রু এমন নয়, কোম্পানীর হাকিম, উকিল, মোক্তার, সরকার, কেরানী, গোমস্তা, সকলেই আমার উচ্ছেদ সাধনে তৎপর।' (সঞ্জীবনী, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১২৯২) শ্রমিকশ্রেণীর বিরুদ্ধে শুধু বিদেশি শাসকই নয়, স্বদেশিরাও যে জোট বেঁধেছিল সংবাদদাতার এই বক্তব্যেই সেই ঐতিহাসিক সত্যটি স্পষ্ট হয়ে যায়।
বিশ শতকের প্রথমার্ধে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের কথাও সমসাময়িক পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছিল। ১৯০৫-এর সেপ্টেম্বর হাওড়ার বার্ন কোম্পানির ৩০০ কর্মচারী বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে একদিনের প্রতীক ধর্মঘট পালন করেন। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বিখ্যাত প্রবাসী পত্রিকায় বার্ন-এর ধর্মঘটী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রমথনাথ রায়চৌধুরীর এক লেখায় আবেদন জানানো হয় (কথা বনাম কাজ, প্রবাসী আশ্বিন ১৩১২) অমৃতবাজার পত্রিকা (১৭ অক্টোবর ১৯০৫) আরও জানাচ্ছেন যে ১৯০৫-এর ১৬ অক্টোবর জাতীয় প্রতিবাদ দিবসে ১২টি চটকল, একটি চিনিকল সমেত সর্বমোট ১০টি কারখানা শ্রমিক ধর্মঘটের ফলে বন্ধ ছিল। তাছাড়া কলকাতার ১১ হাজার গাড়োয়ান সেদিন গোরু বা মোষের গাড়ি বের করেনি, ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলপথে সেদিন সফল ধর্মঘট হয়েছিল। লক্ষণীয়, যে আন্দোলন উপলক্ষে এই ব্যাপক শ্রমিক ধর্মঘট, তা সম্পূর্ণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে এর তেমন সম্পর্ক নেই। তবে প্রবাসী পত্রিকায় বিবিধ প্রসঙ্গের অন্তর্গত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের 'রাশিয়ায় সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের আনন্দ' শীর্ষক রচনাটি
দুই শতকের বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্র
বোধহয় রুশ বিপ্লবের উল্লেখ সম্বলিত প্রথম বাংলা প্রবন্ধ। অবশ্য অধ্যাপিকা শিপ্রা সরকার লক্ষ করেছেন যে, রামানন্দ যে বিপ্লবের কথা লিখেছেন তা বলশেভিক বিপ্লব নয়, তার আগের ধাপ অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি বিপ্লব। তবে রামানন্দ রুশ বিপ্লবের আন্তর্জাতিক তাৎপর্যকে উপেক্ষা করেননি, 'পৃথিবীর কোথাও কোনও মানুষ মানুষ হইবার সুযোগ পাইলে আমাদের আনন্দ আপনা-আপনিই উথলিয়া উঠে।' বলা যেতে পারে, এই বক্তব্যে প্রবাসী বামপন্থী পত্রিকা হিসেবে চিহ্নিত হয়নি ঠিকই কিন্তু প্রকৃত বামপন্থী মতাদর্শ পত্রিকার পাতায় এই প্রথম ধরা পড়তে থাকে।
এরপর থেকে পত্রিকাগুলির প্রবন্ধের শিরোনাম পালটাতে থাকে, বিষয়বস্তুও পালটায়। বারেবারেই রুশবিপ্লব, সাম্যবাদ বা লেনিন প্রবন্ধের বিষয়বস্তু হয়। কয়েকটি উদাহরণই এক্ষেত্রে যথেষ্ট ; বলশেভিজম্ ; রাশিয়ার বিপ্লব, লেনিন ও কমিউনিজম, বাংলার বলশি' প্রভৃতি। এগুলির কোনোটিই প্রতিষ্ঠিত বামপন্থী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু এই পটভূমিকাই প্রকৃত বামপন্থী পত্রপত্রিকার জন্ম দিতে থাকে। এর সঙ্গে যোগ হয় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রথমত, প্রথম মহাযুদ্ধ-পরবর্তী চরম অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারি এবং এরই প্রতিক্রিয়ায় ১৯১৮ ও ১৯১৯-এর সংঘবদ্ধ শ্রমিক ধর্মঘট। দ্বিতীয়ত, ১৯২০-এর ৩১ অক্টোবর বোম্বাইয়ে সারা ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা। লালা লাজপত রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রায় ১০৭টি ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রেল, খনি, বন্দর, সুতাকল, চটকল, পরিবহন প্রভৃতি সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা তো বটেই, প্রেস-কর্মচারীদের মতো অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরাও অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ট্রেড ইউনিয়নের ছাতার নিচে এসে একসঙ্গে দাঁড়ায়। তাই একদিকে শ্রমিক-আন্দোলন যেমন তীব্রতর হয় তেমনি তাদের মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা। এরাই বামপন্থী পত্রিকার যথার্থ পূর্বসূরি।
এই পর্বের কোনো পত্রিকাই দীর্ঘায়ু হয়নি। বেশ কিছু পত্রিকা দুষ্প্রাপ্য ; 'ওইরকম সময়ে, কিছু আগেও, কয়েকটি স্বল্পস্থায়ী, এখন দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা বেরিয়েছিল ; সর্বহারা, দিনমজুর, চাষীমজুর, মার্কসবাদী (এটি ১৯৪৮-এর মার্কসবাদী নয়), মার্কসপন্থী, নয়া মজদুর ইত্যাদি।' (শিপ্রা সরকার, ভূমিকা, বাঙালির সাম্যবাদ চর্চা) এগুলি সঙ্গত কারণেই আমাদেরও আলোচ্য নয়। তাছাড়া এই আলোচনায় ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার তুলনায় প্রতিনিধিস্থানীয় পত্রিকাগুলিকেই গুরুত্ব দিতে চাওয়া হয়েছে। আরও একটি জিনিস লক্ষণীয়। এদেশে বামপন্থী রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাতের সঙ্গে তাল রেখেই বামপন্থী পত্রিকাগুলির দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে, এমন কি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন বিতর্কের সূচনাও হয়েছে এই জাতীয় পত্রপত্রিকাতেই। এদের মধ্য দিয়েই বোধহয় রাজনীতি ও সাহিত্য একসূত্রে গ্রথিত হওয়া শুরু হয়।
সংহতি দিয়েই যাত্রা শুরু করা যাক। ঐতিহাসিকদেরও সেটাই মত ; 'শ্রমিকদের জীবন ও আন্দোলন নিয়ে বোম্বাইয়ে 'দি সোস্যালিস্ট' বা তখনকার মাদ্রাজে 'লেবার-কিশান-গেজেট' এবং বাংলাদেশে প্রথমে সংহতি তারপর লাঙ্গল ও শেষে গণবাণী।' (গৌতম চট্টোপাধ্যায়, মুখবন্ধ, সংহতি-লাঙ্গল-গণবাণী) সংহতি (১৯২৩) সম্পূর্ণরূপে শ্রমজীবী মানুষ পরিচালিত শ্রমজীবীদের পত্রিকা। তদানীন্তন কলকাতার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক ও কম্পোজিটরদের
নিজেদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্যই এই পত্রিকার অবতারণা। এর মূল উদ্যোক্তা জিতেন্দ্রনাথ গুপ্ত নিজেই ছিলেন একজন কম্পোজিটার এবং প্রখ্যাত বিপিনচন্দ্ৰ পালের পুত্র জ্ঞানাঞ্জন পাল তাঁকে এ ব্যাপারে সহায়তা করেছিলেন।
পত্রিকার ১ম বর্ষ ১ম সংখ্যার লেখাগুলির শিরোনাম এইরকম, 'শ্রমিক সংবাদ'; 'জামশেদপুর টাটা কোম্পানির কর্মচারীগণের মুখ বন্ধ', দ্বিতীয় সংখ্যার প্রথমেই রয়েছে 'আমরা কি চাই' শ্রমিক-সংবাদ-এ রয়েছে 'প্রতিবাদ', সংহতির জীবন, বাংলার চটকল, পঞ্চম সংখ্যায় সোসিয়ালিজ্ম, প্রিন্টার্সদের কথা, মেসিনম্যানের কথা প্রভৃতি। শ্রমজীবী সংক্রান্ত পূর্বের পত্রিকাগুলির তুলনায় এই প্রবন্ধগুলি অনেক বেশি যুক্তি ও তথ্যভিত্তিক, আবেগবর্জিত। প্রথম সংখ্যার 'নিবেদন'-অংশেই জিতেন্দ্রনাথ গুপ্ত কঠোর বাস্তবের দিকটি সম্পর্কে শ্রমিকদের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, 'আমরা যদি এক হই, উন্নত হই, দ্বেষশূন্য হইয়া ধনীর অবিচারকে অন্যায় বলিয়াই তাহার প্রতিকার করিতে বদ্ধপরিকর হই তাহা হইলেই একদিন ভগবানের কৃপায়-এ সমস্যার মীমাংসা হইবে।' কেউ যদি 'দ্বেষশূন্য' এবং 'ভগবানের কৃপায়' কথা দুটির মধ্যে গান্ধিবাদের প্রভাব লক্ষ করেন তবে তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে না। অন্তত যথার্থ শ্রমজীবী জিতেন্দ্রনাথ গুপ্তের 'নিবেদন' অংশে শ্রেণিসংগ্রামের কোনো আহ্বান নেই।
সংহতির একটি বড়ো প্রাপ্তি বোধহয় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের কাছে থেকে পাওয়া 'সংহতি' শীর্ষক প্রবন্ধটি (১৯২৩, জুন)। মনে হয় বিপিনচন্দ্র পালের অনুরোধেই প্রবন্ধটি লেখা। তিনিই পত্রিকাটির নামকরণ করেছিলেন। বাশিয়া যাত্রার প্রায় সাত বছর আগে লেখা এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বজোড়া শ্রমিক আন্দোলন, অথবা শ্রমিক শ্রেণির ক্ষমতা দখলের ঐতিহাসিক পটভূমিটি বর্ণনা করে ভারতবর্ষেও ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রমিকরাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন, 'পৃথিবীর সর্বত্রই মানুষের ইতিহাসের যে চেষ্টা আজ দেখতে পাচ্ছি, ভারত তার থেকে স্বতন্ত্র হয়ে থাকলে বঞ্চিত হবে। নূতন শক্তির যে বিশ্বব্যাপী মন্দির তৈরি হচ্ছে, তার একটা সিংহদ্বার রচনার ভার ভারতকে নিতে হবে। সেই রচনার কাজ যে আরম্ভ হয়েছে সংহতি পত্রিকাখানি তারই চিহ্ন। প্রবন্ধের সূচনাতেই এই কারণে কবি বলে নিয়েছিলেন, 'সংহতি পত্রিকার নাম সার্থক হোক এই আমি কামনা করি।'
আবার লেখকের নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেই তাঁর প্রবন্ধ গতানুগতিক পথ ধরে চলে না, তাঁকে ভবিষ্যৎ-স্রষ্টার ভূমিকাতেও দেখা গেছে, 'ধনের রথযাত্রায় যে দড়িটা ধরে টান দিতে হচ্ছে সে দড়িটা সমস্ত পৃথিবীর উপর দিয়ে চলে গেছে। যারা টানছে তারা সকল দেশেরই মানুষ। এই দড়িটির ঐক্যেই তারা এক। তাই এই ঐক্যটাকে অবলম্বন করেই তারা সম্পূর্ণ আঁট বাঁধতে পারবে। যদি এই আঁট বাঁধা সম্পূর্ণ হয় তাহলে পৃথিবীতে একদিন একটা অতি প্রচণ্ড শক্তির উদ্ভব হবে। এই দুঃসহ শক্তির প্রলোভনই সোভিয়েত সম্প্রদায়কে বিচলিত করেছিল। তারা তাড়াতাড়ি এইটাকে জাগ্রত এবং অধিকার করতে লোলুপ হয়ে উঠেছিল। এবং সকল লোলুপতারই যে লক্ষণ নিষ্ঠুরতা ও জবরদস্তি - তা সেখানেও দেখা দিয়েছিল।' রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধের বিভিন্ন অংশ থেকে এইসব উদ্ধৃতি দেওয়াটা অপ্রাসঙ্গিক নয়। এই একই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি রবীন্দ্র রচনায় একাধিকবার শোনা গেছে। উদ্ধৃতির শেষাংশে তাঁর যে মতামত তা পরবর্তী কালে 'রাশিয়ার চিঠি'-তে পুনরাবৃত্ত হয়েছে। আর যে প্রতীকী
| pdf |
b894ae419f932303d8ebc7d79323d2e1ee8f3f2a | দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ রাজ্যের (West Bengal) মুকুটে নতুন পালক। শিক্ষাক্ষেত্রে স্কচ অ্যাওয়ার্ড (Scotch Award) পেল বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতরকে 'স্টার অফ গভর্নেন্স'-এর জন্য এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, আগামী ১৮ জুন পশ্চিমবঙ্গের হাতে দিল্লি থেকে স্কচ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হবে (West Bengal)। 'স্কচ স্টেট অফ গভর্নেন্স রিপোর্ট ২০২১' ক্যাটেগরিতে দেশের সবকটি রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা। শিক্ষা ক্ষেত্রে এই রাজ্যের অবস্থান এক্কেবারে প্রথমে।
বস্তুত, এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে এখন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পরিস্থিতি টালমাটাল। প্রাথমিক স্তর থেকে নবম-দশকের শিক্ষক নিয়োগ কিংবা স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি- সব ক্ষেত্রেই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টে সেই মামলা চলছে। আদালতের নির্দেশেই এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে তারা দু'বার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে জেরা করেছে। রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী শিক্ষিকা হিসেবে যে চাকরি করতেন তা থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ফেরত দিতে বলা হয়েছে সমস্ত বেতন। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষায় স্কচ অ্যাওয়ার্ড নিঃসন্দেহে স্বস্তির।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থ দফতর, নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মুকুটেও এই স্কচ অ্যাওয়ার্ডের পালক রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতরের স্কচ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার খবর টুইট করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যের শিক্ষা দফতরের টিমকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
| web |
10f34f396bb632a4a9680e8e6231bccbe132375e | বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দল ইতিমধ্যেই নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়ার্ড ঘোষণা করে দিয়েছে। ব্যতিক্রম নয় সাউথ আফ্রিকাও। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা সম্পন্ন করেছে তারা। কিন্তু সেই দলে সুযোগ পাননি তারকা লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। এ ঘটনায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। তিনি ২০১৯ সালে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে উপলব্ধ রেখেছিলেন। আর তাই সুযোগ না পেয়ে রীতিমতো হতাশ তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একের পর এক টি-টোয়েন্টি লিগে সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন তাহির। বয়সকে প্রায় তুড়ি মেরে উড়িয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির খেতাব জিতে নিয়েছেন একাধিকবার। তাই তার দলে না থাকা এবং সেই সূত্র ধরে হতাশ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। জানিয়ে রাখি, ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুবাইতে উইকেট যে স্পিনের জন্য সহায়ক হবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সেখানে তাহিরের মত একজন অভিজ্ঞ স্পিনারের না থাকায় নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও চাপে পড়তে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
| web |
4f7de1f96d0550d30794f6f4e24bd752b5c2fe3a | লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে সয়াবিন আবাদ লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে গেছে। কৃষকরা বলছেন, শুধু লক্ষ্যমাত্রই নয়, এবছর ছাড়িয়ে যেতে পারে অতীতের রেকর্ড। তবে বেড়েছে চাষাবাদে খরচ। এতে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তিত তারা। এ মৌসুমে সাড়ে ৩শ' কোটি টাকার সয়াবিন উৎপাদিত হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর, রায়পুরের চরাঞ্চল। দৃষ্টির সীমা জুড়ে শুধুই সয়াবিন ক্ষেত। অনুকূল আবহাওয়া, সময়মত বৃষ্টি এবং সঠিক সময়ে বীজ বপন করতে পারায় এ বছর ব্যাপক আবাদ হয়েছে সয়াবিনের।
দেশে মোট সয়াবিনের উৎপাদনের প্রায় ৮০ ভাগই যোগায় লক্ষ্মীপুর। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫শ২৮ হেক্টরে বেশি আবাদ হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, উপকরণের দাম বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ।
কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রায় ১শ' হাজার টনেরও বেশি সয়াবিন উৎপাদন হবে।
স্থানীয় পর্যায়ে সয়াবিনভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতসহ এই তেলবীজের আবাদ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
| web |
071fc947df12a4f55b4867c25f8114982ce3e6cb | মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার রাজনীতির নতুন মৌসুমে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পদপ্রার্থী প্রত্যাশীদের প্রথম বড় সম্মুখযুদ্ধের প্রথমার্ধ শেষ হলো। দলটির ১০ নেতা স্থানীয় সময় বুধবার রাতে মঞ্চে ওঠেন। তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীন মৌখিক হেনস্তা ও জাতীয়তাবাদী সংরক্ষণবাদের বদলে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলেছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির বাকি নেতারা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবেন বিতর্কে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিতর্ক শেষের পর্যালোচনায় এগিয়ে রাখা হয়েছে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, সাবেক গৃহায়ন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী জুলিয়ান কাস্ত্রো ও নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের সিনেটর কোরি বুকারকে। দ্বিতীয় দফার বিতর্কে আলোচনায় থাকা জো বাইডেন, সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও কমলা হ্যারিস প্রথম দফায় এগিয়ে থাকাদের কাছ থেকে আলো কেড়ে নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রথম বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় ট্রাম্প-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতি কেমন হবে, তারও চিত্র উঠে এসেছে। এতে মনে হয়েছে, ২০২১ সালে নতুন কোনো ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে স্প্যানিশ বলতে পারেন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামির বিতর্কে এমনটা করেছেনও কেউ কেউ। ট্রাম্পের সঙ্গে ধরনগত বৈসাদৃশ্য দেখা গেছে দুই নারী সিনেটর ওয়ারেন ও অ্যামি ক্লোবুচারের মধ্যে। দুজনই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চাইছেন। একই অবস্থা লাতিন আমেরিকা থেকে প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চাওয়া কাস্ত্রোর। তারা যেকোনো মুহূর্তে উত্তপ্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একজন শ্বেতাঙ্গ খ্যাপাটে পুরুষ প্রার্থী ভালো বিকল্প কি না সে বিষয়ে প্রশ্নকে ব্যক্তিগতভাবে নেন।
দ্বিতীয় দফার বিতর্কে জো বাইডেন যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চাইবেন, একই জনগোষ্ঠীর মানুষ হওয়া সত্ত্বেও অভিজ্ঞতা তাকে ট্রাম্পের সবচেয়ে ভালো বিকল্প হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তার আগে প্রথম দফার বিতর্কে ট্রাম্পের মতো অপমানের ভঙ্গিতে থাকা, উন্মত্ত কাউকেই পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় দফায়ও এমন কাউকে আশা করা যাচ্ছে না। এদিকে প্রথম দফার বিতর্ককে 'বিরক্তিকর' বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে জাপানে যাওয়া ট্রাম্প টুইটে এ মন্তব্য করেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ভর করছে মার্কিন জনগণ তার সঙ্গে একমত নাকি তারা নীরব, অনেক বেশি সাধারণ রাজনৈতিক বিতর্ক চান (যেখানে বড় বিভক্তি ব্যক্তিগত না হয়ে নীতিগত বিষয়ে হয়), তার ওপর। আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পদপ্রার্থী প্রত্যাশীদের বিশদ সরকারি সংস্কার পরিকল্পনা ইলেকটোরাল ভোটের বড় অংশ টানতে পারে কি না, তাও বলে দেবে। প্রগতিশীল ভোটারদের কাছে অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেওয়া যুক্তিগুলো জাতীয় নৈতিকতার চেতনায় প্রোথিত ও সাহসী বিষয়। অন্যদিকে অধিকতর রক্ষণশীল ভোটারদের কাছে এগুলো মৌল পরিবর্তন বা ভীতি সঞ্চারকারী বিবেচিত হতে পারে। এ বিতর্কের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটদের কট্টর সমাজতন্ত্রী প্রমাণে যথেষ্ট রসদ পেয়েছে ট্রাম্প ও তার দল।
| web |
51680f8b74b9aade71761157a95787a47bf1e73a | করোনা ভাইরাসের দাপট অব্যহত। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। এই পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মতোই পিছিয়ে দেওয়া হল ইউনিয়ন সিভিল সার্ভিস কমিশনের (UPSC) পরীক্ষা। বৃহস্পতিবারই কমিশনের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার নতুন দিনক্ষণ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ঠিক ছিল ২৭ জুন থেকে শুরু হবে ইউপিএসসি পরীক্ষা। কিন্তু করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে সেই দিন থেকে আর পরীক্ষা হবে না। জানানো হয়েছে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ইউপিএসসি পরীক্ষা।
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রশাসনিক স্তরে আমলা নির্বাচন হয়ে থাকে। সর্বভারতীয় স্তরের এই পরীক্ষায় সফল হওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জ পরীক্ষার্থীদের কাছে। কিন্তু করোনা অতিমারীর জেরে গত বছরও পিছিয়ে গিয়েছিল পরীক্ষা। এবছরও প্রায় চারমাস পিছিয়ে গেল গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা। অধিকাংশ রাজ্যেই চলছে লকডাউন, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হওয়া নিয়ে সংশয়ে ছিলেন পরীক্ষার্থীরা। এবার সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হল নতুন দিনক্ষণ।
| web |
7c94950d83b0df064afefd3db1216c923a31170a | এবার কালিম্পংয়ে এক জিএনএলএফ নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পাহাড় থেকে খাদে ফেলে দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। গতকাল, সোমবার বেশি রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন এই খবর গোটা পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। জিএনএলএফ এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। সুতরাং এই খুনের ঘটনা নিয়ে পথে নামতে পারে দুই দল। পেডং থেকে ফেরার পথে খুন হন জিএনএলএফ নেতা। এখন পাহাড়ে এটাই চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালিম্পংয়ে জিএনএলএফ নেতা ও প্রাক্তন কাউন্সিলর রোশন লামা খুন হয়েছেন। পেডং থেকে বাড়ি ফেরার সময় রামধুরার কাছে রোশন লামার গাড়ির সঙ্গে একটি মোটরবাইকের সংঘর্ষ হয়। তাতে মোটরবাইক আরোহীর সঙ্গে জিএনএলএফ নেতার বচসা শুরু হয়ে যায়। সেখান থেকে হাতাহাতিও হয় দু'জনের মধ্যে। তখন ধাক্কা মেরে রোশন লামাকে পাহাড় থেকে খাদে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
| web |
94d2d13b3bed680774a4bbea21093c4fef80efbf | নতুন বইয়ের আনন্দ নিয়ে তালহা স্কুলে গেল। একে তো প্রথমবার নতুন বই পেয়েছে। সেই সাথে আজ স্কুলের প্রথম দিন। এজন্য তালহা খুশিতে খুবই আত্মহারা। গত সপ্তাহে স্কুলে বিশাল বই বিতরণ অনুষ্ঠান করে। তালহাদের হাতে হাতে বই তুলে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বই নেওয়ার সময় তালহা তার প্রধান শিক্ষককে বললো- মন দিয়ে লেখাপড়া করবে আর স্কুলের নাম চারিদিকে ছড়িয়ে দিবে। সেই লক্ষ নিয়েই আজকে থেকে তালহার স্কুলের লেখাপড়া শুরু। প্রথম দিন স্কুলে এসে অনেক নতুন নতুন বন্ধু পেল তালহা। ক্লাসের বেঞ্চে বসলো মিরাজ নামের একটা ছেলের সাথে। স্যার আসার আগে অনেক কথা হলো পরিচয় হলো, আড্ডা হলো।
আড্ডার মাঝে মাঝে তালহা বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে।
আর নতুন বইয়ের মিষ্টি সুবাস নিচ্ছে। নতুন বই পাওয়ার পর থেকেই তালহা মায়ের কাছে পড়তে বসতো। আব্বু বাসায় আসলে সারাদিন আম্মুর থেকে যে পড়া শিখত তাই রাতে আব্বুর কাছে বলতো আর খুশিতে নাচতো। পড়া শুনে আব্বুও তালহাকে কোলে তুলে নিয়ে কপালে চুমু এঁকে দেয়।
প্রথম আড্ডাতেই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। কথা বলতে বলতে স্যার ক্লাসে আসলেন। সবাই দাঁড়িয়ে স্যারকে সালাম দিলো। স্যারও নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের দেখে খুশি হলেন। সবাইকে বসতে বলেন। একে একে সবার পরিচয় নিলেন। তালহা নিজের পরিচয় দিলো। সবার শেষে স্যার নিজের পরিচয় দিলেন। স্যার- এবার সবাই বই বের করো। পড়ানো শুরু করছি। এভাবেই প্রথম ক্লাস হলো। তারপর দ্বিতীয়, তারপর তৃতীয়। আরেক স্যার আসেন। পরিচয় পর্ব। তারপর পড়া। তারপর চলে যান।
আবার সবাই আড্ডা দেয়। তারপর আরেক স্যার আসেন একই নিয়ম শেষে চলে যান। আবার আড্ডা। তালহার স্কুলে আজ খুব ভালো লাগছে। নতুন নতুন বন্ধু। নতুন বই। নতুন পড়া। নতুন বন্ধুদের সাথে আড্ডা। খেলাধুলা। এভাবেই ক্লাস শেষ হয়ে এলো।
দপ্তরীর হাতে ছুটির ঘন্টা বেজে উঠল টিং টিং টিং টিং টিং টিং। সবাই বই ব্যাগে ভরে দৌড়ে ক্লাস থেকে বের হতে লাগলো। তালহা আর মিরাজ একসাথে বের হলো ধীরে ধীরে। মা বলেছেন কোনকিছু তাড়াহুড়ো করে না করতে। তাই তালহা আর মিরাজ আস্তে আস্তে সবার পরে বের হল। স্কুল মাঠ থেকে দুজনের বাসার রাস্তা ভিন্ন।
এজন্য মাঠের শেষ প্রান্তে এসে দুজন দুজনকে আল্লাহ হাফেজ বলে নিজেদের বাসায় যেতে লাগলো। মনে মনে তালহা অনেক খুশি। এভাবেই হাসি খুশি আর আনন্দে শুরু হলো তালহার স্কুল জীবন।
| web |
69545338f50202a173ac3d08409c7310f501f02a | শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষিত, বিজ্ঞানমনস্ক ও আধুনিক জাতি বিনির্মাণ হোক আমাদের প্রত্যয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুরের নাজিরপুরে মাটিভাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি মঞ্চে আয়োজিত এক উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বারবার প্রয়োজন। শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব।
মন্ত্রী আরো বলেন, সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব। সেই সম্মিলিত কাজের উত্তরাধিকার বহন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে দেশের কোন অঞ্চলের উন্নয়নে বাধা হবে না। শেখ হাসিনা আছেন বিধায় প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের সর্বত্র রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টসহ ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। এজন্য তিনি যে স্রোতে থাকেন সেই স্রোতে সম্মিলিতভাবে থাকতে হবে।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে উন্নয়ন সমাবেশে মাটিভাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. আঃ সালাম, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, নাজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ প্রমৃখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
| web |
e0e1b983f603c8e516b7ccf04628260d | পলাশীর যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকদের শেষ পরিণতি পলাশীর যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকদের শেষ পরিণতি - Daily Khoborpatra\nপলাশীর যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকদের শেষ পরিণতি\n১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম বাগানের যুদ্ধে বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লা (১৭৩২-১৭৫৭) কতিপয় বিশ্বাসঘাতকের ষড়যন্ত্রের কারণে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়। ফলে প্রায় ২০০ বছরের জন্য বাংলা স্বাধীনতা হারায়। পলাশীর যুদ্ধে নবাবের পরাজয় ও মৃত্যুর পরই ভারতবর্ষে ইংরেজ-শাসনের সূচনা হয়।\nপলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর নবাব সিরাজদৌল্লা ও বাংলার ভাগ্যে কি ঘটেছিল তা তো আমরা কিছুটা জানি, কিন্তু এই বিশ্বাসঘাতকদের ভাগ্যে কি ঘটেছিল? প্রিয় পাঠক আপনারা জেনে একটু অবাক হবেন যে যুদ্ধ পরবর্তীকালে এই বিশ্বাসঘাতকদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল।\nপ্রায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছিল মর্মান্তিকভাবে।\nমীর জাফরঃ বশ্বাসঘাতকদের সর্দার মীর জাফর পবিত্র কুরআন শরীফ মাথায় রেখে নবাবের সামনে তার পাশে থাকবেন বলে অঙ্গীকার করবার পর পরই বেঈমানী করেছিল। তার জামাতা মীর কাসেম তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। পরবর্তীতে তিনি দুরারোগ্য কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ভবিষ্যতে আমি বাংলা অভিধানে বিশ্বাসঘাতকের সমার্থক শব্দ হিসেবে মীরজাফর দেখলে মোটেও অবাক হব না।\nজগৎ? শেঠ, মহারাজা স্বরূপচাঁদঃমীর কাসেম তদের হত্যা করে। জগৎ? শেঠকে দূর্গের চূড়া থেকে গঙ্গায় নিক্ষেপ করা হয়। পলাশীর যুদ্ধের শেষে মীরজাফর ও লর্ড ক্লাইভের সাক্ষাৎ?, ফ্রান্সিস হেম্যান (১৭৬২)\nরায় দূর্লভঃযুদ্ধের পর তিনি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।\nউমিচাঁদঃযুদ্ধের রবার্ট ক্লাইভ কর্তৃক প্রতারিত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং উন্মাদ অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে তার মৃত্যু ঘটে।রাজা রাজবল্লভঃ পদ্মায় ডুবে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন।\nমীর কাসেমঃ মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজে ক্ষমতা দখল করেন। পরবর্তীতে ইংরেজদের সাথে তার বিরোধ বাধে ও বকসারের যুদ্ধ পরাজিত হন। পরে ইংরেজদের ভয়ে পালিয়ে বেড়ান এবং অজ্ঞাতনামা অবস্থায় দিল্লীতে তার করুণ মৃত্যু ঘটে। তার মাথার কাছে পড়ে থাকা একটা পোঁটলায় পাওয়া যায় নবাব মীর কাসেম হিসেবে ব্যবহৃত চাপকান। এ থেকেই জানা যায় মৃত ব্যক্তি বাংলার ভূতপূর্ব নবাব মীর কাসেম আলী খান।\nইয়ার লতিফ খানঃ তিনি যুদ্ধের পর হঠাৎ? করে নিরুদ্দিষ্ট হয়ে যান। ধারণা করা হয়, তাকে গোপনে হত্যা করা হয়েছিল।\nমহারাজা নন্দকুমারঃ তহবিল তছরুপ ও অন্যান্য অভিযোগের বিচারে নন্দকুমারের ফাঁসিকাষ্ঠে মৃত্যু হয়েছিল।\nমিরনঃ মীর জাফরের বড় ছেলে মিরন। অসংখ্য কুকর্মের নায়ক এই মিরন। ইংরেজদের নির্দেশে এই মিরনকে হত্যা করে মেজর ওয়ালস। তার এই মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইংরেজরা বলে বেড়ায় যে বজ্রপাতে মিরনের মৃত্যু ঘটে।\nঘষেটি বেগমঃ মিরনের নির্দেশে নৌকা ডুবিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।\nমুহাম্মদী বেগঃ নবাব সিরাজদৌল্লার হত্যাকারী। কথিত আছে মৃত্যুর সময় নবাব তার কাছ থেকে দুই রাকাত সালাত আদায় করার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু কুখ্যাত মুহাম্মদী বেগ সেই দাবী প্রত্যাখ্যান করে নবাব সিরাজকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তী পর্যায়ে মুহাম্মদী বেগ মাথা গড়গড় অবস্থায় বিনা কারণে কূপে ঝাঁপ দেয় এবং মৃত্যুবরণ করে।\nদানিশ শাহ বা দানা শাহঃ অনেকে বলে, এই ফকির নবাব সিরাজকে ধরিয়ে দিয়েছিল। আসকার ইবনে শাইখ তার 'মুসলিম আমলে বাংলার শাসনকর্তা' গ্রন্থে লিখেছেন, বিষাক্ত সাপের কামড়ে দানিশ শাহর মৃত্যু ঘটেছিল।\nরবার্ট ক্লাইভঃ পলাশী ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি কোটি টাকার মালিক হন। ইংরেজরা তাকে 'প্লাসি হিরো' হিসেবে আখ্যায?িত করেন। এই রবার্ট ক্লাইভ দেশে ফিরে গিয়ে একদিন বিনা কারণে বাথরুমে ঢুকে নিজের গলায় নিজের হাতেই ক্ষুর চালিয়ে আত্মহত্যা করে।\nওয়াটসঃ মনের দুঃখে ও অনুশোচনায় বিদেশের মাটিতেই হঠাৎ? মৃত্যুমুখে পতিত হন। স্ক্রাফটনঃ বাংলার বিপুল সম্পদ চুরি করে বিলেতে যাবার সময় জাহাজডুবে তার অকাল মৃত্যু ঘটে। ওয়াটসনঃওয়াটসনের ক্রমাগত স্বাস্থ্যহানী হলে কোনো ওষুধেই ফল না পেয়ে কলকাতাতেই করুণ মৃত্যুর মুখোমুখি হন।
| web |
01839cce00e1ab9423c703114824dd7e | আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ৭০০ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠাতে প্রত্যাবাসন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । নাইজেরিয়ান নাগরিক জেকভ। ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করলেও বছর পাঁচেক আগেই শেষ হয়েছে তার ভিসার মেয়াদ। বাংলাদেশে থেকে কোনো ধরনের চাকরি না করলেও আর্থিক দিক থেকে ভালো অবস্থানে ছিলেন জেকভ। প্রতারণা করে প্রতি মাসে কামাতেন অন্তত লাখ দশেক টাকা।
প্রতারণার টাকা দিয়ে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে 'আফ্রো-এশিয়ান' নামে একটি রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। সেখানে বসেই কয়েকজন বাংলাদেশি অপরাধী ও অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশি মিলে প্রতারণার ফাঁদ পাততেন।
গত ৬ আগস্ট পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জালে ধরা পড়েন জেকভ। পরে সিআইডির কাছে নিজের অপরাধের ফিরিস্তি দেন। তার মতোই গত ২১ জুলাই রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বিভিন্ন দেশের ১২ জন নাগরিককে।
দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ভিসার মেয়াদ ছিল না। এমনকি পাসপোর্টও নেই তাদের কাছে। এদের মতোই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে অবস্থান করা অন্তত ৭০০ বিদেশিকে খুঁজছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
এছাড়া ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪৩৩ জন বিদেশি প্রতারণাসহ নানা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে রয়েছেন। তার মধ্যে ৭০ বিদেশির সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তারা কারাগারে আটক আছেন। কবে তারা বের হয়ে নিজ দেশে চলে যাবেন তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না।
ভিসার মেয়াদ না থাকা এমন অন্তত ৭০০ বিদেশিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে একটি প্রত্যাবাসন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অবৈধ বিদেশিদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকেই বিদেশিদের জন্য একটি 'প্রত্যাবাসন তহবিল' তৈরি ও সেফ হোম তৈরি করতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া তহবিল গঠনে অর্থ জোগান দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে জানায়, গত তিন মাসে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও র্যাব বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৬০ বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে।
আর গত তিন বছরে এমন গ্রেপ্তারের সংখ্যা তিনশোর বেশি। বাংলাদেশে উপহার পাঠানোর নামে প্রতারণা, হেরোইন-কোকেনসহ মাদকের কারবার, এটিএম বুথে জালিয়াতি, বিভিন্ন দেশের জাল মুদ্রার কারবার, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, সোনা চোরাচালান, অনলাইনে ক্যাসিনো কারবার এবং মানব পাচারে এসব বিদেশিরা জড়িত।
তারা নানা গ্রুপে ভাগ হয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। আবার তাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে বেশকিছু নারী। এসব নারীকে দিয়ে তারা ব্ল্যাকমেইল করে থাকে।
জানা গেছে, ভিসার মেয়াদ নেই এমন বিদেশিদের একটি তালিকা করার কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছে সরকারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থা। ওই তালিকাটি কয়েক দিনের মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা রয়েছে।
তাছাড়া এ তালিকার আগে আরেকটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রণালয়ে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ৭০০ বিদেশির ওয়ার্ক পারমিট নেই। তাদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত না পাঠালে বাংলাদেশ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তারা নানা অপকর্মে জড়িত।
ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনপ্রয়োগকারী কয়েকটি সংস্থা আলাদাভাবে নজরদারি করছে। তাদের নজরদারির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে অবৈধভাবে অবস্থান করা বিদেশিরা নিজেদের অবস্থান গোপন করছে। অনেকে নিজ নিজ পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে পরিচয় আড়াল করছে। ফলে চাইলেও তারা কোন দেশের নাগরিক তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'অবৈধ বিদেশিদের নিজ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের কীভাবে পাঠানো যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেক বিদেশি আছে, তাদের ভিসার মেয়াদ নেই। তাদের খুঁজে বের করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজ করছে।
| web |
801fd2b91e1b4d785dfa24e06843d0a9 | বান্দরবানের স্বর্ণ মন্দির এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটর সাইকেল চালক টরিং ম্রো (২৭) নিহত হয়েছে। এসময় তার সাথে থাকা অপর জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় একজন মারা গেছে। তার লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
| web |
027b0b333126efc2cffda8ada4157be7857bdf8d | মিনি জু-এর পরিকাঠামো প্রায় তৈরি। এসে গিয়েছে বিভিন্ন পশুপাখি। পর্যটকদের আশা ছিল বৃহস্পতিবার পাঁচলার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নিউটাউনের পাশাপাশি গড়চুমুকের মিনি জু-ও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিউটাউনের ইকো পার্কে হরিণালয় মিনি চিড়িয়াখানার উদ্বোধন হলেও গড়চুমুক মিনি জুয়ের দরজা খুলল না। এতে হতাশ পর্যটকরা। এদিকে, হাওড়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মিনি জু খোলার দায়িত্ব বনদপ্তরের কাঁধে চাপানো হয়েছে। আর বনদপ্তরের কর্তারা এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রে গড়ে ওঠা মিনি জু পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। আগে এই এখানে হরিণ, ময়ূর, কুমির, কচ্ছপ সহ অল্পকিছু পশুপাখি ছিল। বছরখানেক আগে এই মিনি জুকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা করে বনদপ্তর। সেখানে অজগর সাপ, এমু, ম্যাকাও, গোল্ডেন ফেজান্ট, বার্কিং ডিয়ার, লেজার হুইসিলিং ডাক আনা হয়েছে। তৈরি হয়েছে বাঘরোল প্রকল্প, প্রজাপতি পার্ক। এক কথায় দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রস্তুত এই মিনি জু। সূত্রের খবর, বুধবার রাত পর্যন্ত ঠিক ছিল যে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই নবরূপে সেজে ওঠা এই মিনি জু খুলে যাবে। কিন্তু তা হল না।
| web |
01d3b45b7ed186c6a9e52e902e3b13fda07e0f58 | দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী করেছে ভোম্বল মিস্ত্রিকে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।
বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী হিসেবে নদিয়ার নবদ্বীপ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন গৌরহরি দাস। কী করেন? তিনি মাছ বিক্রেতা।
বর্ধমান পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি সংরক্ষিত। এই ওয়ার্ডে লালঝান্ডার প্রার্থীর মানু খাঁ টোটো চালান। বর্ধমানের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে বামেদের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম এতজন ঠিকা শ্রমিক।
২৭ ফেব্রুয়ারি যে ১০৮টি পুরসভার ভোট তারমধ্যে প্রায় ৯০টির মতো পুরসভায় কোথাও সব আসনে আবার কোথাও অধিকাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে বামফ্রন্ট। যেগুলি বাকি রয়েছে সেগুলিও শনি-রবিবারের মধ্যে হয়ে যাবে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ - বামেদের প্রার্থী তালিকায় চোখ রাখলে দেখা যাবে শয়ে শয়ে এমন প্রার্থী করেছে তারা যাঁরা আর্থিক ভাবে প্রান্তিক অংশের।
এখানে বলে রাখা ভাল, সিপিএমের দলীয় রীতি অনুযায়ী পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে জেলা কমিটিই প্রার্থী তালিকায় অনুমোদন দেয়। তবে সেটা অফিশিয়াল সিলমোহরটুকুই। মূলত স্থানীয় স্তরেই ঠিক হয় প্রার্থী।
তাতে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান থেকে বারুইপুর, বজবজ থেকে বাঁশবেড়িয়া, দমদম থেকে দিনহাটা - সর্বত্রই একই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বামেরা। যে তালিকায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গরিব অংশের মানুষকে। বামেদের অভিধান অনুযায়ী 'মেহনতী'দের।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত?
সিপিএমের মধ্যেই আলোচনা চলছিল, গরিবমানুষের থেকে দলের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নিয়ে। সম্প্রতি দলের এরিয়া ও জেলা সম্মেলনগুলিতে ব্যাপক ভাবে এই আলোচনা হয়েছে। অনেকে এও বলেছেন, পার্টি দুর্বলতাকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। একাধিক জেলা সম্মেলনে প্রতিনিধিরা বলেছেন, আসল দুর্বলতা হল শ্রেণি বিচ্ছিন্নতা। তাকে ঢাকতে জোটের শর্টকাট রাজনীতির কৌশল নেওয়া হয়েছে। দেখা গেল জেলা সম্মেলন পর্ব যখন শেষের মুখে তখনই জেলায় জেলায় প্রান্তিক অংশের মানুষজনকে কাস্তে হাতুড়ি তারা চিহ্নে দাঁড় করাল সিপিএম।
এখন প্রশ্ন হল, এই ব্যামো কি সিপিএমের নতুন?
অনেকের মতে, একেবারেই তা নয়। বরং বলা যেতে পারে, এই শ্রেণি বিচ্ছিন্নতার ক্যানসার সিপিএমের শরীরে বাসা বেঁধেছিল ৩৪ বছরের শাসনের মাঝামাঝি সময় থেকেই। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম বোঝার মতো লোক চাই বলে যুক্তি তুলে ধরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রমুখকে প্রার্থী করাকেই রেওয়াজ করে নিয়েছিল সিপিএম। নানা সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে এই অংশের মানুষ আবার বিরোধী শিবিরে ভিড়তেন না তেমন। আবার, সেই সময়ে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বেশিরভাগেরাই ছিল দরিদ্র অংশের। এইভাবে প্রান্তিক অংশের সঙ্গে সিপিএমের দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। সেই প্রবণতা বড় ভাবে ধরা পড়েছিল ২০০৮-এর পঞ্চায়েত ভোটে। সেবার গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অর্ধেক চলে যায় বিরোধীদের দখলে, যার সিংহভাগই ছিল তৃণমূলের হাতে।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর নানা সুবিধা পেয়ে সেই মানুষের সিংহভাগই যে এখন বর্তমান শাসক দলের সঙ্গে ভোটের ফলেই তা প্রমাণ মিলছে। ঘুরে দাঁড়াতে হলে ওই মানুষদের ঘরে ফেরাতে হবে, এই বুঝেই প্রার্থী তালিকায় শ্রেণি যোগাযোগ মজবুত করার বার্তা দিল সিপিএম। যখন সেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত নেতারাই এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।
এবারের পুর ভোটে বহু তরুণ মুখকেও প্রার্থী করেছে বামেরা। পাড়ায় পাড়ায় রেড ভলান্টিয়ার হিসেবে যাঁরা কাজ করেছিলেন তাঁদের ঢালাও টিকিট দেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, মানুষই পার্থক্য করতে পারবেন। একদিকে তৃণমূলের করে খাওয়া নেতারা, অন্যদিকে আমাদের প্রার্থীরা। কাদের কাউন্সিলরগিরি করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হয়েছে আর কারা মানুষের জন্য কাজ করেন জীবন বাজি রেখে মানুষ তাঁদের অভিজ্ঞতায় দেখছেন।
| web |
e5a6fe2eb8a2286bbefb14f5228eed1a205b1848 | মাছের ঝাল, ঝোল, কালিয়া তো খেয়েছেন কিন্তু ঠাকুরবাড়ির দুধ কাতলা চেখে দেখেছেন কি?
ফিশ ফ্রাইয়ের সঙ্গে কাসুন্দি সকলেই খান, কিন্তু ইলিশ মাছের রান্নায় ক'জন ব্যবহার করেন?
দাম কমার কোনও নাম নেই, টোম্যাটো ছাড়াই ঝোল-তরকারি বানাবেন কী করে ?
সর্ষেবাটা দিয়ে রান্না করলেই তেতো হয়ে যায়? কোন টোটকায় স্বাদ বাড়বে ইলিশ ভাপার?
মাটির পাত্রে চম্পারণ মটন রাঁধার শখ হয়েছে? সঠিক কায়দা জানা আছে তো?
ইলিশ মাছের নানা পদ তো চেখে দেখেছেন, কিন্তু হালের 'স্মোক্ড ইলিশ' খেয়েছেন কি?
| web |
c82181ad34b72696de4a522f2cc272de | রাজ্যে প্রকট ভ্যাকসিন সংকট। আগামিকাল থেকে কোথাও মিলবে না কোভিশিল্ড টিকা। কলকাতার কোথাও কোভিশিল্ড টিকা পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। আগেই টিকা সংকট িনয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কবে থেকে কোভিশিল্ড টিকা মিলবে তাও কেউ বলতে পারছেন না। এক কথায় অনির্দিষ্ট কালের জন্যই কোভিশিল্ড িটকা মিলবে না বলে জানানো হয়েছে। এতে চরম সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।
শহরে কোভিশিল্ড টিকার ভাঁড়ার শূন্য। যার জেরে আগামিকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে শহরের কোভিশিল্ডের টিকা করণ। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ১৫২টি কেন্দ্রে করোনা কোভিশল্ডের টিকাকরণ চলছিল সেটা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ১০২ হেলথ সেন্টারে কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হত। দিনে ২০০ জন করে সেখানে কোভিশিল্ড টিকা নিতেন। এর পাশাপাশি ৫০ টি মেগা সেন্টারেও কোভিশিল্ড দেওয়া হত। সেখানে দিনে পাঁচশো থেকে ২০০০ জন এই কোভিশিল্ড টিকা পেতেন। শুধু কলকাতা নয় জেলাতেও কোভিশিল্ডের ভাঁড়ারে টান পড়েছে।
কোভিশিল্ড না পাওয়া গেলেও কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ চলবে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। পুরসভার ৩৯ টি হেলথ সেন্টার ও ১ টি মেগা সেন্টারে অন্যান্য দিনের মতোই দেওয়া হবে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ। সকাল থেকে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। আর দুপুরের পর থেকে দেওয়া হবে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ। এদিকে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে জেলায় জেলায় ভ্যাকসিন নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মানুষ করোনা টিকা পাচ্ছেন না। আগের দিন রাত থেকে অনেকেই লাইনে দাঁড়াচ্ছেন টিকার জন্য। প্রবল সংকট তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যে।
বৃহস্পতিবার বিকেলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে করোনা টিকা নিয়ে কড়া চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকা বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন িতনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে অভিযোগ করেছেন বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, কর্নাটকে বেশি করে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। জন ঘনত্ব অনুযায়ী টিকা বন্টনের কথা বলেিছল মোদী সরকার। কিন্তু বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। টিকা বণ্টন নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈিতর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া ভাষায় টিকা সরবরাহ নিয়ে বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করা হলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না। রাজ্যেকে দৈনির ৪ লক্ষ হিসেবে টিকা পাঠাচ্ছে মোদী সরকার। সেখানে রাজ্য দিনে ১১ লক্ষ টিকা দিতে সক্ষম।
| web |
eeb0b3f7dd6713a6beda87d947eee6f7 | বিশেষ প্রতিবেদনঃ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম" শব্দটা মাথায় এলেই আপামর ভারতবাসীর চোখে যে মুখগুলো ভেসে উঠবে, সেই মুখগুলো হলো যথাক্রমে সচিন, সৌরভ, কোহলি, যুবরাজ, ধোনি কিংবা বুমরাহ। কিন্তু "এর বাইরেও জগৎ আছে, তোমরা জানো না"! হ্যাঁ সত্যিই জগৎ আছে, যে গৌরবের জগতের সন্ধান দেয় ইন্ডিয়ান উইমেন্স ক্রিকেট টিম।
আর সেই গৌরবের ইতিহাসে সোনার মুকুটের নাম স্মৃতি মান্ধানা। স্মৃতি আরও একবার ইন্ডিয়ান ম্যান ক্রিকেটার বিরাট -সৌরভ-সিধুদের পিছনের তালিকায় ফেলে বুঝিয়ে দিলো -" আমরা নারী, আমরাও পারি"। হ্যাঁ, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র ৫১ তম ম্যাচে ২০০০ রান করে সৌরভ,সিধু ও বিরাটদের পিছনে প্রথম এত দ্রুত ২০০০ রান করলো সে এবং বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় স্থানে নিজেকে পৌঁছে দিলো সে।
সাম্প্রতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ৫১ তম ম্যাচ খেলে ভারতীয় ক্রিকেটে সর্বদ্রুত প্রথম ২০০০ রান করে স্মৃতি। এর আগে ৫২ টি ম্যাচ খেলে সিধু ও সৌরভ সে রান করেছিলো এবং সর্বশেষ সংকলন ছিলো ৫৩ টি ম্যাচে ২০০০ রান করে। কিন্তু স্মৃতি মান্ধানা মাত্র ৫১ টি ম্যাচে অতিদ্রুত ২০২৫ রান করে পিছনে ফেলে দিলো এদের এবং বিশ্ব ক্রিকেটে তৃতীয় স্থানে জায়গা পেলো। এর আগে বিশ্বক্রিকেটের ইতিহাসে ৪০ তম ক্রিকেট ইনিংস খেলে দ্রুত ২০০০ রান করে প্রথম স্থানে জায়গা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ওপেনার হাশিম আমলা।
| web |
169cdc832e95bf3b9ff1687002b1a2bbe1eed553a867342b85afcdf87fba4d59 | যাতে নিজের শিক্ষার্থীদের কাছে এবং সাধারণভাবে তরণে কৃষকদের কাছে তিনি সাদাসিধে করে এবং বোধগম্য কায়দায় বিবৃত করতে পারেন কী আছে এই বইয়ে।
এটা করতে প্রচেষ্টা দরকার হবে বড় কম নয়। আমরা গরিব এবং অশিক্ষিত। কিন্তু, তাতে কিছু এসে যায় না যদি কেবল আমাদের জনগণ বোঝে যে, তাদের জ্ঞানলাভ করতেই হবে, যদি কেবল তারা শিখতে ইচ্ছুক হয়; যদি কেবল শ্রমিক আর কৃষকেরা স্পষ্ট বোঝে যে, এখন তাদের শিখতে-জানতে হবেই জমিদার আর পাজিপতিদের 'লাভবান করার' এবং তাদের মনাফা সৃষ্টি করার জন্যে নয় তাদের নিজেদের জীবনযাত্রার অবস্থা উন্নীত করার জন্যে।
এই জ্ঞান এবং ইচ্ছা রয়েছে। কাজেই, অতঃপর আমরা জ্ঞানলাভ করতে আরম্ভ করব নিশ্চিতভাবেই, আর কিছু শিখবও নিশ্চয়ই।
'প্রাভদা', ৬৪ নং
ন. লেনিন
শিক্ষা কর্মীদের কংগ্রেসের প্রতি
কমরেডসব, আপনাদের অভিবাদনের জন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের নতুন সমাজ গড়ার কাজের জন্যে উঠতি পুরষকে ট্রেনিং দেবার যে-বিরাট আর দায়িত্বসম্পন্ন কাজ আপনাদের সামনে রয়েছে তার মোকাবিলা করায় আপনাদের সাফল্য কামনা করছি।
নভেম্বরে লেখা
৪৫শ খণ্ড, পঃ ৩১৪
| pdf |
794c25ff9a7da70f3cfee430fa0974412a731e28 | নগরীর মার্কেটগুলোতে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের আনাগোনা। প্রতিদিনই ক্রেতা বাড়ছে। শিশু থেকে শুরু করে নারী পুরুষের পদচারণায় মুখরিত এখন মার্কেটগুলো।
ক্রেতা আকর্ষণে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মার্কেটগুলোও । বর্ণিল আলোকসজ্জা, মনোলোভা ডেকোরেশনের মাধ্যমে সজ্জিত করা এসব মার্কেট যেন এখন ঝকঝক তকতক করছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের আকর্ষন বাড়াতে মার্কেটের সামনে টানিয়ে রাখা হয়েছে নিত্যনতুন নকশা করা পোশাকের নমুনা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এবার ঈদের বাজারে তারা নিত্যনতুন নামের বেশকিছু নারী, শিশু ও পুরুষের কাপড় তুলেছেন দোকানে। নিত্যনতুন ডিজাইনের দেশি ও বিদেশি থ্রীপিছ, গাউন, শাড়ি ছেলেদের পাঞ্জাবী,শার্ট-প্যান্ট,টি-শার্ট আনা হয়েছে। পাকিস্তান,ভারত থেকেও পোশাক আনা হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটার উদ্দেশ্যে ইফতারের পর থেকেই মার্কেটগুলোতে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ভিড় জমাচ্ছে। ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সকল শ্রেণীর মানুষ। মানুষ তাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারছেন।
সবচেয়ে বেশি ভীড় লক্ষ্য করা গেছে সমবায় মার্কেটে। এছাড়াও সায়াম প্লাজা,হক প্লাজা, সান্তনা মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বুটিকস,বিশ্বরঙ, নকশা,আড়ং,টপটেন,রঙ বাংলাদেশ,আজহার মার্কেটের বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড়। শাড়ী থ্রিপিসের পাশাপাশি প্রসাধনী, পারফিউম, কসমেটিক সামগ্রী, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যেও দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেনাকাট করতে এসেছেন কাশিপুরের বাহার উদ্দিন মোল্লা। তার মতে রোজা যত এগোবে মার্কেটগুলোতে ততই ভীড় বাড়বে। তাই রোজার শুরুর দিকটাতেই কেনাকাটা সারছে তারা।
বাহারউদ্দীন জানান, রোজার শুরুর দিকে মার্কেট গুলোতে ভীড় কম থাকে। পরে ঝামেলা আরো বাড়বে। তাই ১৫-২০ রমজানের মধ্যে কেনাকাটা শেষ করতে চাই।
মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায় এবার ঈদে জামার মধ্যে রয়েছে ডালি, স্বপ্নের দেশ, অস্থির। মেয়েদের গ্রাউনের মধ্যে রাজ কুমারী, ডায়মন্ড, ললিপপ, জবা। থ্রীপিছের মধ্যে গরিলা, কাবেরী, বিনয় ইত্যাদি। শাড়ির মধ্যে দেশি কাতান ছাড়াও রয়েছে জবা, জবা বড়ভাবী, ক্রাস-২, নিল পদ্ম, পদ্মরাণী, রাজপরী, রাজেশ্বরী, রাজগুরু। ইন্ডিয়ার চুন্দ্রি কাতান, চায়না সিল্ক, পাকিস্তানী জর্জেট, দেশীয় মসলিন, কাতান শাড়ি, মেয়েদের কাপপিচ, লং থ্রীপিছ, রেডিমেট লংগ্রাউন, বম্বে গ্রাউন, পাকিস্থানী, ইন্ডিয়ান পাশাপাশি বম্বে, মিশরী ও দেশীয় পাঞ্জাবির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এদিকে বিপণিবিতান ও শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম নিয়ে বিক্রেতারা জানায়, রোজার শুরুর দিকটাতে এমন ঢিমেতালেই চলে। কিন্তু ১৫ রমজানের পর থেকে দমফেলারও ফুরসত থাকে না।
সমবায় মার্কেটের বিক্রেতা মোঃ শামসুদ্দিন বলেন, ক্রেতারা আসছে দেখছে। কেউ কেউ কিনছেও। আশা করছি ১৫ রমজানের পর বিক্রি বাড়বে।
রূপক ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আশা করছি এবার ভালো বিক্রয় হবে। এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। টুকটাক চলছে। আসলে সবাই ১০,১৫ রোজার পর থেকে কেনাকাটা শুরু করে। তবে আমরা প্রস্তুত আছি। নতুন নতুন ডিজাইনের জিন্স প্যান্ট, শ্যার্ট পাঞ্জাবী ও টি-শ্যার্ট ও পাঞ্জাবী রাখা হয়েছে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ।
| web |
3bf9eb41734eb29ccfd890cac1b189bf29dd7af6 | সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ মহাষ্টমীতেই নয়া রূপে ধরা দিলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। প্রকাশ্যে টি-২০ বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সি। আর সেই জার্সি গায়ে চাপিয়েই ফটো শুট করলেন ভারতীয় তারকারা।
গত বছর শেষের দিকে রেট্রো লুকে নস্ট্যালজিয়া উসকে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ১৯৯২ বিশ্বকাপে যে জার্সি পরে খেলেছিল টিম ইন্ডিয়া, সেই জার্সিই ফের পরতে দেখা গিয়েছিল কোহলি অ্যান্ড কোংকে। তবে এবার আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) জন্য নতুন ডিজাইনের জার্সি গায়ে চাপাবে দল। বুধবার যা প্রকাশ করল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। যে কিটের নাম দেওয়া হয়েছে 'বিলিয়ন চিয়ার্স জার্সি। ' টুইটারে বোর্ডের পোস্ট করা ছবিতেই দেখা যাচ্ছে, রোহিত, কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে নয়া জার্সি পরে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন জাদেজা, কেএল রাহুল এবং জসপ্রীত বুমরাহ। সঙ্গে লেখা, জার্সির ডিজাইনের প্যাটার্নটি কোটি কোটি সমর্থকের অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে।
Presenting the Billion Cheers Jersey!
The patterns on the jersey are inspired by the billion cheers of the fans.
Get ready to #ShowYourGame @mpl_sport.
এখানেই শেষ নয়, পোস্টটির সঙ্গে একটি লিংকও দিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। যেখান থেকে আপনিও জার্সি কিনে নিতে পারবেন। এবারের কোহলিদের কিট স্পনসর এমপিএল স্পোর্টস। বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি জার্সিটিতে দ্রুত ঘাম শুকিয়ে যাবে। ভিজে গেলে শুকোতেও বিশেষ সময় লাগবে না। পলিয়েস্টার কাপড়ের তৈরি জার্সি পরেও আরাম। জার্সিটি হরভজন সিংয়ের এতই পছন্দ হয়েছে যে তিনি নিজের নামের একটি জার্সি ইতিমধ্যেই বিসিসিআইয়ের কাছে আবদার করে ফেলেছেন।
চলতি মাসেই দুবাইয়ে বসছে কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপের আসর। আইপিএল (IPL 2021) শেষ হতেই প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি এবং কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর এটাই শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ। তাই আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্ট জিততে মরিয়া তাঁরা।
| web |
d1b90b832e754c7ff6d3140530eda711 | বিআরটিসি বাসে সিট না পেয়ে মাঝখানের বদ্ধ দরজায় হেলান দিয়ে হেডফোন কানে লাগিয়ে রেডিও অন করতেই শুনতে পেলাম তার কণ্ঠস্বর। প্রথমে মনে হলো খবর পাঠিকার গলটা একটু ফ্যাসফ্যাসে, একদমই নয়া। পরে খবর নয়, কেমন যেনো কল্পগাঁথা লাগছিলো। ঠিক তখনই চিনতে পারলাম প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর। একটু চর্চা করলে ভালো খবর পাঠিকা হতে পারতেন।
প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন আশা করি দেশের সব মানুষ নানাভাবে তা শুনেছেন বা জানতে পেরেছেন। এবং সবাই মোটামুটি এমন এক রাষ্ট্রের সাফল্যের চিত্র ফুটে উঠতে দেখলেন যার সাথে তাদের পরিচয় নেই।
আমার সন্দেহ হয় প্রধানমন্ত্রী জীবনে নিজে চাল কিনেছেন কিনা। আজকাল তো নয়ই। তিনবছর আগেও না। প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনা সারা জীবনে কখনও চাল কিনেছেন কিনা সেটা নিয়ে সংসদীয় বিতর্ক হতে পারে।
তিনবছর আগে চালের দাম ছিলো ৪০-৪৫, এখন সেটা ২৫ থেকে ৩০ - এই আবিস্কার প্রধানমন্ত্রীর। নিশ্চয়ই তার আস্থা ছিলো বক্তৃতায় বাজারের দাম বসিয়েছে যে মন্ত্রনালয় - তাদের প্রতি। অথচ যারা বক্তৃতা শুনেছেন তারা কিন্তু প্রতিদিন চাল কিনছেন, যত ধরণের চাল আছে সবগুলোর দাম তাদের নখদর্পনে, কবে কেজি প্রতি এক টাকা চেঞ্জ হয় সেসব তাদের স্মরণে থাকে দীর্ঘকাল। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনে মনে হলো তিনি এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে চালের দাম সম্পর্কে জ্ঞান দান করলেন - ধরে নিয়েছেন এরা জীবনে চাল কেনে না, ভাত খায় না - কেবল হাওয়া খেয়ে বাঁচে।
তিনবছর আগে মোটা চালের দাম ঐ ৩০টাকার আশেপাশে ছিলো - এখনও তাই আছে। যে মিনিকেট বা চিকন চালের দাম ৪৫ টাকা ছিলো সেটা দোকান ও বাজার ভেদে ৪৫ থেকে ৫০ এর মধ্যেই আছে। চালের দাম কমলো কিভাবে?
হয়তো প্রধানমন্ত্রী এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে যারা আগে ৪৫ টাকা দামের চিকন চাল খেতেন তারা এখন ৩০ টাকা দামের মোটা চাল খাচ্ছেন, ফলে চালের দাম তাদের কমেছে। তেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুতসহ অন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম যেভাবে বেড়েছে - সেক্ষেত্রে চিকন চাল থেকে মোটা চালে অবনয়ন ঘটাই স্বাভাবিক, প্রধানমন্ত্রীর কাছে হয়তো সেটাই মনে হয়েছে উত্তরণ!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছেন তেমন করে ভাষণ দিতেন বেগম খালেদা জিয়া। আর বেগম খালেদা জিয়া যখন শেখ হাসিনার মত ভাষণ দিতেন তখন তার ব্যর্থতার পাল্লা ছিল পর্বতসব।
বেশি প্যাচানো হয়েগেল বাক্য দুটো। সোজা কথা হলো, ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হলেই সরকার প্রধানরা এভাবে ভাষণ দিয়ে থাকে।
| web |
7419a4309cb4e895abc0dbcbdbeff7d43d2ea853 | যেহেতু পোস্টটা শুধু সলো গোল নিয়ে তাই জিদান,ভ্যান ব্যাস্তেন, পল স্কলসের বিখ্যাত ভলি, দলগত অসাধারণ গোল ,ফ্রিকিক ইত্যাদি বিবেচনা করা হয় নাই ।
মাঝমাঠ বল নিয়ে এই চিলিয়ান চিলির ফুটবল ইতিহাসের সেরা গোলটি করেন প্রতিপক্ষের ৫ জন খেলোয়ারকে কাটিয়ে।
ফরমার ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার ওফ দ্যা ইয়ার নিজের পেনাল্টি বক্স থেকে বল নিয়ে ৯০ গজ দৌড়ে কুনাকুনি শুটে আসাধারন গোলটি করেন । সেরি আর ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোল ।
অখ্যাত লোকের বিখ্যাত গোল। ৯৪ এর ওয়ার্ল্ড কাপের গোল। এটিও প্রতিপক্ষের ৫ জন খেলোয়ারকে কাটিয়ে করা গোল।
৬২ এর ওয়ার্ল্ড কাপের উদ্বধনী ম্যাচের গোল। ভালোই ।
আয়াক্সের হয়ে খেলা শেষ ম্যাচ। প্রতিপক্ষের ৫ জন খেলোয়ারকে ডজ মেরে বাম পায়ের কুল ফিনিস। ২০০৪ এর গোল অব দ্যা ইয়ার। ইব্রা বার্সাতে আইসা পরসে দেখা যাক কি হয় ।
তিন বারের ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার ওফ দ্যা ইয়ার এক বছর বার্সেলোনাতে কি কাপানো খেলা খেলছে তার প্রমান এই গোলটা। ৬০ মিটার দৌড়ানোর সময় যে দূর্দান্ত ড্রিবলটা দেখাইলো তা একমাত্র রোনালদর পক্ষেই সম্ভব ।
এই গোলটা করার সময় মেসি ১২ সেকেণ্ডে ৬৩ মিটার দৌড়েছেন ,চারটা স্লাইডিং ট্যাকাল বিট করেছেন। গোলের নাম মেসিডোনা। তবে ম্যারাডোনার গোল অব দ্যা সেঞ্চুরির চেয়ে এই গোলটা একটু বেশি ষ্পিডি .
এটিও অখ্যাত লোকের বিখ্যাত গোল। প্রতিপক্ষের ৬ জন খেলোয়ারকে বিট করে করা গোলেও তার দল হারে ১-৩ গোলে ।
১৯৯৯ এর এফ এ কাপ সেমি ফাইনালের উইনিং গোল। ম্যান ইউ ফ্যানদের ভোটে নির্বাচিত ম্যান ইউএর ইতিহাসের সেরা গোল। ফিনিশিংটা আসলেই আসাধারন।
এটা নিয়া আর কি বলব । ইংলিশ গোল কিপার পিটার সিলটন কে বোকা বানানোর আগে ম্যারাডোনা গ্লেন হোডল ,পিটার রেইড , কেনি স্যানসম ,টেরি বুচার, টেরি ফ্যানউইক নামক ৫ ইংলিশ মহাপুরুষ খেলোয়ারকে ঘোল খাওয়াইছিলেন। এই গোলটি ২০০২ সালে ফিফার অনলাইন জরিপে গোল অব দ্যা সেঞ্চুরি হিসেবে নির্বাচিত হয় ।
| web |
aebfe4bb1c5b1e4f39428b855092dc882714036e | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতাকে 'বিপর্যয়' অভিহিত করে বলেছেন, "এ চুক্তির কল্যাণে ইরান এ পর্যন্ত কোটি কোটি নগদ ডলার ফিরে পেয়েছে। " এটা ঠিক যে পরমাণু সমঝোতার কারণে ইরানের হাতে এসব অর্থ হস্তগত হয়েছে। তবে এসব অর্থ ইরানের নিজস্ব এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব ডলার এতদিন বিদেশে আটকে ছিল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, পরমাণু সমঝোতার পর ইরান ১৫ হাজার কোটি ডলার ফেরত পেয়েছে অথচ তার এ সংক্রান্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। কারণ পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী বিদেশের ব্যাংকগুলোতে আটকে থাকা অর্থের মধ্যে ইরান প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার দেশে ফেরত আনতে পারবে। ইরান এ পর্যন্ত তিন হাজার ৫০০ থেকে ছয় হাজার ৫০০ কোটি ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছে। এসব অর্থ ছিল ইরানের তেল বিক্রি বাবদ পাওনা টাকা। এ ছাড়া, ইরানে ইসলামি বিপ্লবের আগে রেজা শাহের শাসনামলে আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র কেনার জন্য ৪০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল। কিন্তু বিপ্লবের পর আমেরিকা সেই অর্থ আর ইরানকে ফেরত দেয়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ২০০৯ সালের মার্চে বলেছিলেন, "সাবেক স্বৈরাচারী শাহ সরকার আমেরিকার কাছ থেকে বিমান, হেলিকপ্টারসহ অন্যান্য অস্ত্রসস্ত্র কেনার জন্য অগ্রিম প্রচুর অর্থ দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু বিপ্লবের পর অর্ডার দেয়া ওইসব অস্ত্রের বেশ কিছু অংশ তৈরি হলেও আমেরিকা তা ইরানকে হস্তান্তর করেনি, অর্থও ফেরত দেয়নি। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে প্রস্তুতকৃত এসব অস্ত্র গুদামে সংরক্ষণের ব্যয়ভারও ইরানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়। "
যাইহোক, ওই ঘটনার বহু বছর পর পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন ও ইরানের পক্ষ থেকে আস্থা অর্জনের জন্য তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এক বিবৃতিতে ইরানের সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিতর্ক নিরসনের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছে। কথা ছিল আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা বাবদ পরিশোধকৃত ৪০ কোটি ডলার সুদসহ ইরানকে ফেরত দেয়া হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মিথ্যাচারিতার আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে, তিনি দাবি করেছেন, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতার পর ইরান সরকার সামরিক খাতে বাজেট ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে। গত ৮মে পরমাণু সমঝোতা থেকে তিনি যেদিন বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সেদিনই ইরানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন। এরপর ১২ তারিখে এক টুইট বার্তায় তিনি একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন। অথচ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ সেন্টার সংক্ষেপে 'সিপ্রি'র এক প্রতিবেদন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সংক্রান্ত দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। সিপ্রি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রতিরক্ষা বাজেটের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য সঠিক নয়। গত তিন বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা হওয়ার পর ইরানের সামরিক বাজেট মাত্র ৩০ শতাংশ বেড়েছে। অথচ প্রতিবেশী অন্য আরব দেশের সামরিক বাজেটের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে সামরিক খাতে ইরানের বাজেটের পরিমাণ অনেক কম। আরব দেশগুলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অস্ত্রের ক্রেতা। সৌদি আরব গত বছর আমেরিকার সঙ্গে ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছে। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি সেনাদের সামরিক অস্ত্র ব্যবহারের যোগ্যতা খুব একটা নেই।
রুশ সামরিক বিশেষজ্ঞ ভিক্টোর মোরাকোভস্কি মনে করেন, "সৌদি সেনাবাহিনী বহু বছর আগে থেকে আমেরিকার অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হলেও স্থল যুদ্ধ করার মতো প্রস্তুতি তাদের নেই আর বিমান কিংবা সমুদ্র পথে যুদ্ধতো দূরের কথা। কারণ এ দুই যুদ্ধের কারিগরি জ্ঞান ও প্রস্তুতি কোনটিই তাদের নেই। "
এর বিপরীতে ইরান সামরিক ক্ষেত্রে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং কোনো দিক দিয়েই ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের তুলনা চলে না। অথচ সৌদি আরবের তুলনায় সামরিক খাতে ইরানের ব্যয় খুবই কম। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল নাইটস্ এ ব্যাপারে বলেছেন, "নিঃসন্দেহে ইরান সামরিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। " মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিথ্যাচারিতার আরেকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদের প্রতি ইরানের সমর্থনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তব্যে দাবি করেছেন, "ইরান সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন দেয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধকবলিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। " তিনি বলেন, "হিজবুল্লাহ, হামাস, তালেবান ও আল কায়দার মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে। "
বাস্তবতা হচ্ছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান নিজেই বড় ধরণের সন্ত্রাসবাদের শিকার। ১৯৮০'র দশকের শুরু থেকে আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলো ইরান বিরোধী সন্ত্রাসী মোনাফেকিন গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। সন্ত্রাসী মোনাফেকিনরা ইরানের বহু কর্মকর্তাসহ ১৫ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এখনো ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সম্পর্ক রয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে পাশ্চাত্যের স্বার্থে তারা কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে করে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এর আগে আমেরিকা আফগানিস্তানে আল কায়দা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে গড়ে তুলেছিল। আমেরিকা ও তাদের আরব মিত্ররা ইরাক ও সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসীদের মোকাবেলার পরিবর্তে তাদের প্রতি সমর্থন যোগাচ্ছে। এইসব সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে এ দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। অথচ ইরান বিশ্বের নির্যাতিত জনগোষ্ঠী ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো প্রতিরোধকামী শক্তিগুলোর প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও আমেরিকা ইরানকে সন্ত্রাসীদের সমর্থক বলে প্রচার চালাচ্ছে।
| web |
380de6c4affaf1a5577bc4e7bfa6c2c233abe4ec | ম্যাগনেসিয়াম একটি রাসায়নিক মৌল যার রাসায়নিক চিহ্ন Mg এবং এর পারমাণবিক সংখ্যা ১২। এটি একটি চকচকে ধূসর বর্ণের ধাতু যা পর্যায় সারণির দ্বিতীয় শ্রেণীর বাকি ৫ টি ( গ্রুপ ২, বা মৃৎক্ষার ধাতু) মৌলের সাথে বাহ্যিক সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২য় শ্রেণীর সকল মৌলগুলোর শেষ পরমাণু কক্ষে একই রকম ইলেক্ট্রনীয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং মৌলগুলি অনুরূপ স্ফটিক গঠন করে।
(আরও)
4940 m·s−১ (at r. t. )
মহাজগতে মৌলের প্রাচুর্যের দিক বিচারে ম্যাগনেসিয়াম নবম স্থানে রয়েছে। এটা উৎপন্ন হয় বিশাল এবং পুরানো তারকায় ২টি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস ও একটি কার্বন নিউক্লিয়াসের সাথে অনুক্রমিকভাবে যুক্ত হয়ে। যখন এসব তারকা অতিনবতারা বা সুপারনোভা হিসেবে বিষ্ফোরিত হয়, এতে বিপুল পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে যা পরবর্তীতে পুনরায় নতুন তারকা সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হতে পারে। পৃথিবীর ভূত্বকের উপাদানের প্রাচুর্যের দিক থেকে অষ্টম মৌল এবং লোহা, অক্সিজেন এবং সিলিকনের পর এটা চতুর্থতম সুলভ উপাদান যা পৃথিবীর ১৩% ভর এবং আবরনের বিশাল অংশ সৃষ্টি করে। সোডিয়াম এবং ক্লোরিনের পর সমুদ্রজলে সবচেয়ে বেশি দ্রবীভূত উপাদানের মধ্যে এটি তৃতীয়।
ম্যাগনেসিয়াম স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য উপাদানের সাথে মিলিত হয়, যেখানে এটি অনির্দিষ্টভাবে একটি +2 অক্সিডেশন অবস্থায় থাকে। এই মুক্ত মৌলটি(ধাতু) কৃত্রিমভাবে তৈরী করা যায় এবং এটি খুব বেশি সক্রিয়(যদিও বায়ুমন্ডলের উপস্থিতিতে এর ওপর অক্সাইডের একটি পাতলা আবরন তৈরী হয় যা ধাতুটির সক্রিয়তা হ্রাস করে)। ধাতুটি খুব উজ্জ্বল সাদা অলো উৎপন্ন করে পুড়ে। এটি এখন মূখ্যভাবে সমুদ্রজলে উপস্থিত থাকা ম্যাগনেসিয়াম লবণ এর তড়িৎ বিশ্লেষনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় এবং অ্যালুমিনিয়াম-ম্যাগনেসিয়াম সংকর ধাতুর(ম্যাগনেলিয়াম বা ম্যাগনালিয়াম) একটি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মানবদেহে ভরের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এরকম উপাদানের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম এগারোতম উপাদান এবং এটি দেহের প্রত্যেকটি কোষ এবং ৩০০ টি এনজাইমের[২] জন্য প্রয়োজনীয়। ম্যাগনেসিয়াম আয়ন এটিপি, ডিএনএ এবং আরএনএ হিসাবে পলিফসফেট যৌগের সাথে ক্রিয়া করে। এনজাইমের শত শত কাজ করতে ম্যাগনেসিয়াম আয়ন প্রয়োজন। ম্যাগনেসিয়াম যৌগগুলি সাধারণ ল্যাক্সটিভস, অ্যান্টাকিডস (যেমন, ম্যাগনেসিয়া দুধ), এবং অ্যাক্ল্যাম্প্সিয়ার মতো অস্বাভাবিক নার্ভ উত্তেজক বা রক্তবাহী নালী স্থিতিশীল করতে ব্যবহৃত হয়।
বাহ্যিকভাবে ম্যাগনেসিয়াম হলো ধূসর-সাদা হাল্কা ধাতু যা অ্যালুমিনিয়ামের ঘনত্বের দুই-তৃতীয়াংশ। বায়ুর উপস্থিতিতে সামান্য পরিমাণে এটি ক্ষয় হয়, যদিও ভারী মৃৎক্ষার ধাতুগুলি এর বিপরীত। সংরক্ষণের জন্য অক্সিজেন মুক্ত পরিবেশ অপ্রয়োজনীয় কারণ ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইডের পাতলা স্তর দ্বারা ধাতুটি সুরক্ষিত থাকে যা মোটামুটি সরানো কঠিন বা প্রায় অসম্ভব। সমস্ত মৃৎক্ষার ধাতুর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম সর্বনিম্ন গলনাংক (৯২৩ কেলভিন (১,২০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)) এবং সর্বনিম্ন স্ফুটনাঙ্ক বিন্দু (১,৩৬৩ কেলভিন (1,994 ডিগ্রী ফারেনহাইট) বিশিষ্ট।
ম্যাগনেসিয়াম ঘরের তাপমাত্রায় জলের সাথে প্রতিক্রিয়া জানায়, যদিও এটি ক্যালসিয়ামের তুলনায় অনেক ধীরে ধীরে প্রতিক্রিয়া করে, একই গ্রুপ 2 ধাতব। জলে ডুবে গেলে হাইড্রোজেন বুদবুদগুলি ধীরে ধীরে ধাতব পৃষ্ঠের উপরে গঠন করে - যদিও, যদি এটি গুঁড়ো করা হয় তবে এটি আরও বেশি দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায়। উচ্চতর তাপমাত্রার সাথে প্রতিক্রিয়াটি দ্রুত ঘটে ( নিরাপত্তার সতর্কতা দেখুন )। জলের সাথে ম্যাগনেসিয়ামের বিপরীত প্রতিক্রিয়া শক্তি সঞ্চয় করতে এবং একটি ম্যাগনেসিয়াম-ভিত্তিক ইঞ্জিন চালনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
ম্যাগনেসিয়াম বেশিরভাগ অ্যাসিডের সাথে অত্যধিকভাবে বিক্রিয়া করে ধাতব ক্লোরাইড এবং হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদন করে যা হাইড্রোক্লোরিক এসিড (এইচসিএল) এর সাথে অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা এবং অন্যান্য অনেক ধাতুর বিক্রিয়ার অনুরূপ।
খাঁটি পলিক্রিস্টালিন ম্যাগনেসিয়াম ভঙ্গুর এবং শিয়ার ব্যান্ডগুলি সহ সহজেই ফ্র্যাকচার হয়। 1% অ্যালুমিনিয়াম, অল্প পরিমাণে এর সঙ্গে মিশ্রিত করলে এটি অনেক বেশি নমনীয় হয়ে ওঠে।
ম্যাগনেসিয়াম অত্যন্ত দাহ্য হয়, বিশেষ করে যখন গুঁড়া বা পাতলা চাঁচা(রিবন) জ্বালানো হয়, যদিও ভর বা বাল্কের মধ্যে জ্বলতে অসুবিধা হয়। ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম অ্যালয় এর শিখা তাপমাত্রা ৩,১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫,৬১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছাতে পারে, যদিও ধাতুটির উপরে প্রজ্জ্বলিত শিখা উচ্চতা সাধারণত ৩০০ মিমি (১২ ইঞ্চি) কম। একবার জ্বললে এটি নেভানো কষ্টকর কারণ দহনে ম্যাগনেসিয়াম নাইট্রোজেন (ম্যাগনেসিয়াম নাইট্রাইড গঠন), কার্বন ডাই অক্সাইড (ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড এবং কার্বন গঠন), এবং পানি (ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড এবং হাইড্রোজেন গঠন) এর সাথে বিক্রিয়া করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহরগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে এটিও ব্যবহৃত হয়েছিল, যেখানে একমাত্র ব্যবহারিক নাগরিক প্রতিরক্ষাকারীরা এই জ্বলন থেকে তাদের প্রয়োজনীয় বায়ুমণ্ডলকে মুক্তি দেয়ার জন্য শুষ্ক বালির নিচে আশ্রয় নেয়।
জৈব রসায়নে অর্গানোগ্যাগনেসিয়াম যৌগগুলোর পরিসর ব্যাপক। তারা সাধারণত গ্রিগনার্ড রিএজেন্ট হিসাবে পাওয়া যায়। ম্যাগনেসিয়াম গ্রিগনার্ড রিএজেন্ট দিতে Haloalkanes সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারেন। গ্রিনগার্ড রিএজেন্টগুলির উদাহরণগুলি হল ফিনাইলম্যাগনেসিয়াম ব্রোমাইড এবং ইথাইলম্যাগনেসিয়াম ব্রোমাইড। গ্রাইগার্ড রিজেন্টস একটি সাধারণ নিউক্লিওফিল হিসাবে কাজ করে, কার্বনিল গ্রুপের মেরু বন্ধনের মধ্যে উপস্থিত কার্বন পরমাণুর মতো ইলেক্ট্রোফিলিক গ্রুপকে আক্রমণ করে।
গ্রিগনার্ড রিএজেন্টস ছাড়িয়ে একটি বিশিষ্ট অর্গোন্যাগনেসিয়াম রিএজেন্ট হ'ল ম্যাগনেসিয়াম অ্যানথ্রেসিন যা ম্যাগনেসিয়াম কেন্দ্রীয় রিংয়ের উপরে একটি 1,4-সেতু গঠন করে। এটি অত্যন্ত সক্রিয় ম্যাগনেসিয়ামের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এর সাথে সম্পর্কিত butadiene -magnesium adduct butadiene dianion জন্য একটি উৎস হিসেবে কাজ করে।
।doi=at position 15 (সাহায্য)উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণঃ পাইপ অনুপস্থিত (link) উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link) উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণঃ একাধিক নামঃ লেখকগণের তালিকা (link)
- ↑ "Dietary Supplement Fact Sheet: Magnesium"। Office of Dietary Supplements, US National Institutes of Health। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Hannavy, John (২০১৩)। Encyclopedia of Nineteenth-Century Photography। Routledge। পৃষ্ঠা 84। আইএসবিএন 978-1135873271।
- ↑ Scientific American: Supplement। Munn and Company। ১৮৯৯। পৃষ্ঠা 20035।
- ↑ Billboard। Nielsen Business Media, Inc. । ১৯৭৪। পৃষ্ঠা 20।
- ↑ Altman, Rick (২০০৭)। Silent Film Sound। Columbia University Press। পৃষ্ঠা 41। আইএসবিএন 978-0231116633।
- ↑ Lindsay, David (২০০৫)। Madness in the Making: The Triumphant Rise & Untimely Fall of America's Show Inventors। iUniverse। পৃষ্ঠা 210। আইএসবিএন 978-0595347667।
- ↑ McCormick, John; Pratasik, Bennie (২০০৫)। Popular Puppet Theatre in Europe, 1800-1914। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 106। আইএসবিএন 978-0521616157।
| web |
2a5d6783cbc0ae7a7a8de4000a7ae9a41cb26eae | নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে ছেলে শান্তর মৃত্যুর ছয় দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ মা সুফিয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উদ্ববগঞ্জ এলাকায় হাজী শহিদুল্লাহ প্লাজার সামনে 'বোন ও ভাগিনাকে পুড়িয়ে হত্যার' প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নিহত সুফিয়া বেগমের ভাই হযরত আলী, মোঃ শহীদ মিয়া, বোন সুরিয়া আক্তার, শিউলি বেগম, ভাগিনা সুমন মিয়া, কাউসার প্রমুখ।
এ সময় বক্তরা দাবি করেন- নিহত সুফিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলী একাধিক বিয়ে করেন। সুফিয়া তার প্রথম স্ত্রী। তার সংসারে তিনজন সন্তান রয়েছে। তৃতীয় স্ত্রী জায়েদাকে সংসারে আনার জন্য বিভিন্ন সময়ে সুফিয়া বেগম ও তার সন্তানদের নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল।
মানববন্ধনে তাদের দাবি, পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও পরকিয়ার জেরে গত ৮ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের নিজ বাড়িতে মোহাম্মদ আলী তার ছেলে শান্ত ও সুফিয়া বেগমকে অকটেন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় মা ও ছেলে অগ্নিদগ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন ছেলে শান্ত ও গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মা সুফিয়া বেগম মারা যান।
অগ্নিদগ্ধ সুফিয়া বেগম মৃত্যুর আগে অগ্নিদগ্ধে জড়িতদের নাম প্রকাশের একটি ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এতে সুফিয়া বেগম তার স্বামী মোহাম্মদ আলী, সতিন জায়েদা বেগম, জায়েদা বেগমের বোন জামাই মুজিবুর রহমান, বোন হাসিনা, মোস্তফা, হামিদা বেগম ও রাবেয়া নামের ব্যক্তিদের দায়ি করেন।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে ইতোপূর্বে একটি মামলা হয়েছে। হত্যা প্রমাণিত হলে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
| web |
d7b7bb882664b9e990ef0aff41bd945c4574a05c | যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান জোসে শহরে এক বাংলাদেশি দম্পতির গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার বিকেলে তারা বাংলাদেশি নাগরিক গোলাম রাব্বি (৫৯) এবং তার স্ত্রী শামিমা রাব্বির (৫৬) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন তারা। স্থানীয় ইসলামিক কমিউনিটির সদস্য ছিলেন। নিহত গোলাম রাব্বি পেশায় একজন প্রকৌশলী এবং তার স্ত্রী শামিমা রাব্বি ছিলেন পেশাদার অ্যাকাউন্টেন্ট।
নিহত ওই দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে সুন্দরভাবেই জীবনযাপন করছিলেন এবং তারা অত্যন্ত নম্র, ভদ্র এবং শান্তিপ্রিয় ছিলেন বলেও গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকদিন ধরে গোলাম রাব্বির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত রোববার বিকেলে তার কয়েক বন্ধু সান জোসের বাড়িতে যান। গিয়ে তারা বাড়ির দরজা খোলা পান। ঘরে ঢুকেই তাদের চোখে পড়ে খুনের ভয়াবহ দৃশ্য। কাঠের মেঝেতে পড়ে ছিল তাদের মৃতদেহ।
ঘটনাস্থলে একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে। তাতে লেখা রয়েছে, 'দুঃখিত, আমার প্রথম খুনটি ছিল বিরক্তিকর'। ওই দম্পতির দুই ছেলেও তাদের সঙ্গে থাকতেন। তাদের একজনের বয়স ১৭ বছর ও আরেক জনের ২১। ঘটনার সময় দুই সন্তান বাড়িতে ছিল না।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনের কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। তাদের সঙ্গে কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল কিনা তাও বলতে পারছেন না বন্ধুরা।
প্রসঙ্গত, খুনের ঘটনাটি গত রোববার ঘটলেও পুলিশ সোমবার গণমাধ্যমকে জানায়।
| web |
80d284ebc72d68ff9dc8fb43264faf27 | বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান যেনো মেতেছে রানোৎসবে। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়া প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ড করে ৩৭৩ রান, জবাবে পাকিস্তান গিয়ে থামে ৩৬১ রানে।
গতকাল (মঙ্গলবার) আগে ব্যাট করলো পাকিস্তান। ইমাম উল হকের ক্যারিয়ার সেরা ১৫১ রানের ইনিংসে ৩৫৮ রানের পাহাড়ে চড়েছিল তারা। কিন্তু এত বড় সংগ্রহকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল স্বাগতিকরা। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে তারা যখন জয়ের বন্দরে পৌঁছায়, তখনও বাকি ছিলো ৩১টি বল!
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ৩৫০+ রানের লক্ষ্য তাড়া করলো তারা, যার সবকয়টিই ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পরে। সবচেয়ে বেশিবার ৩৫০+ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের তালিকায় ভারতের পাশেই নাম লেখালো ইংলিশরা। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সাড়ে তিনশর বেশি রান তাড়া করে জয়ের দশম নজির এটি। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সহজেই ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে রান তুলছিল দেখেই অনুমান করা গিয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসে কী অপেক্ষা করছে পাকিস্তানি বোলারদের জন্য। যা তারা টের পায় ইংলিশ ইনিংসের শুরু থেকেই।
দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং জেসন রয় শুরু করেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৭.৩ ওভারেই আসে ১৫৯ রান। জেসন রয় যখন ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন, তখন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৯৫ বলে ২০০ রান।
সমীকরণ সহজ করে দিয়ে জেসন ফিরে গেলেও অপরপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন বেয়ারস্টো। সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাত্র ৭৪ বলে। ইনিংসের ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন ২৩৪ রানের মাথায়। তখন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য বাকি ১২৫ রান, হাতে বল রয়েছে ১২৮টি। আউট হওয়ার আগে ১৫ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৯৩ বলে ১২৮ রান করেন বেয়ারস্টো।
ম্যাচজয়ের বাকি কাজটা সারেন জো রুট ৩৭ বলে ৪৩, বেন স্টোকস ৩৮ বলে ৩৭, মইন আলি ৩৬ বলে অপরাজিত ৪৬ এবং অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ১২ বলে অপরাজিত ১৭ রান করে। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে ২-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের পক্ষে আর এ সিরিজ জেতা সম্ভব নয়। পরের দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ সিরিজ ড্র করতে পারবে তারা।
এর আগে ব্রিস্টলে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ক্রিস ওকস তুলে নেন ফাখর জামান (২) আর বাবর আজমকে (১৫)।
সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে হারিস সোহেলের সঙ্গে ৬৮ আর চতুর্থ উইকেটে সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ৬৭ রানের দুটি জুটি গড়েন ইমাম। হারিস ৪১ রানে রানআউট হন, সরফরাজ ফেরেন ২৭ করে।
এরপর আসিফ আলিকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক জুটি ইমামের। ৪৩ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৫২ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে আসিফ সাজঘরের পথ ধরলে ভাঙে এই জুটি।
তবে ইমাম ফিরেছেন দলকে তিনশো পার করে দিয়েই। ক্যারিয়ার সেরা এক ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৩১ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১৫১ রান করে টম কুরানের বলে বোল্ড হন তিনি।
এরপর ইমাদ ওয়াসিমের ১২ বলে ২২, ফাহিম আশরাফের ১১ বলে ১৩ আর হাসান আলির ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে সাড়ে তিনশো পার করে পাকিস্তান।
| web |
c9535c7cfeb6efdfdd2001f191470f98 | মায়ানমার আইন না মানলে কি করার আছে, চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের ফেরার সময়সীমা নেইঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী\n/ জাতীয় / মায়ানমার আইন না মানলে কি করার আছে, চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের ফেরার সময়সীমা নেইঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী\nPublished : Saturday, 25 November, 2017 at 5:17 PM\nরোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শুরু হবে। তবে ঠিক কত দিনের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে তার কোনো সময়সীমা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শনিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, চুক্তি হয়েছে আইন মেনে। আইন মানলে ঠিক আছে, আইন না মানলে কী করার আছে?\nমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। সেখানে খুঁটি-নাটি, ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। সেটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। মূল কথা হলো, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।\nমন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমারের সাথে যে চুক্তিটি হয়েছে এটা রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে পাঠানোর প্রথম পদক্ষেপ। এরপর আরো পদক্ষেপ আছে। সেগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে।\nআবুল হাসান বলেন, মিয়ানমারের সাথে আলোচনা চলছে। তাদের ফেরত পাঠানোর কাজে কোনো জটিলতা দেখা দিলে আমরা তাদের সাথে আবার আলোচনায় বসব।\nপররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, রাখাইন যেহেতু এখন মানুষ বসবাসের উপযোগী নয়। এখন সেটাকে উপযোগী করে তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাখাইন রাজ্যের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে।\nসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চুক্তি হয়েছে। অবশ্যই আইন অনুযায়ী হয়েছে। তবে আইন দিয়ে কিছুই হয় না। আইন মানলে ঠিক আছে, আইন না মানলে কী করার আছে?\nউল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি চেকপোস্টে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার জের ধরে দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।\nমিয়ানমারের দাবি, রোহিঙ্গারা বাঙালি এবং তারা বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তাই তাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানায় দেশটি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ইতিহাস বলে, তারা যুগের পর যুগ ধরে ওই অঞ্চলে বাস করছে।\nসর্বশেষ রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানে হতবাক হয় বিশ্ব। জাতিসংঘকে একে জাতিগত নিধন বলে উল্লেখ করে। অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কিছুটা নমনীয় হয় মিয়ানমার সরকার এবং ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা বলে।\nএরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির আলোচনা চলছে। এ উদ্দেশ্যে প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটি সফর করেন।
| web |
78e9e8fcfac8e9310d6a89faed8fb84be93c705e | বাংলাদেশ ডেস্কঃ বাংলাদেশকে পেঁয়াজ না দিলেও, মালদ্বীপকে অব্যাহতভাবে পেঁয়াজ সরবরাহ করে যাবে ভারত। নিজেদের দেশে পেয়াজের সংকট থাকা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এই সংকট মোকাবিলায় কয়েকটি দেশ থেকে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করছে ভারত। তা সত্ত্বেও, তারা মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত রাখবে। উল্লেখ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য ভারতের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল মালদ্বীপ। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রোববার মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এক টুইটে পেঁয়াজ রপ্তানির কথা নিশ্চিত করেছে। বলেছে, আমরা আমাদের মালদ্বীপের বন্ধুদের নিশ্চিত করে জানিয়েছি যে, নিজের দেশে মারাত্মক সংকট এবং মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করছে ভারত।
তা সত্ত্বেও মালদ্বীপকে পেঁয়াজ দেয়া অব্যাহত রাখা হবে। কেবল পেঁয়াজ নয়, মালদ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য রপ্তানিই অব্যাহত রাখবে ভারত। উল্লেখ্য, দেশে চলমান সংকট সামাল দিতে আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে ভারত।
ভারতের খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান রোববার জানিয়েছেন, দেশে চলমান ঘাটতি সামাল দিতে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতিও।
উল্লেখ্য, ভারতে পেঁয়াজের মূল্য রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার পরিমাপক হিসেবে বিবেচিত। এজন্য সরকারের পতনও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের জন্য জনসম্মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন। ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় বাংলাদেশকেও অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে। শেখ হাসিনা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে রসিকতা করে বলেছিলেন, একটা সমস্যা আছে। আপনারা পেঁয়াজ পাঠাচ্ছেন না, তাই আমি পেঁয়াজ ছাড়াই (খাবার) খাচ্ছি।
| web |
fd5970efbd6bdc4d0341885be3878d007416c634 | বাংলা অনুবাদে জাহিদ।
এটা কেন করলে?
সত্যি আমি করিনি।
প্লিজ আমাকে বাঁচান।
বলা শুরু করেছিস?
প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।
তুই শালা জারজ।
বুল গ্যাং কে এই তথ্য কে দিয়েছে?
হু?
নিশ্চয়ই তোদের ভিতরে কেউ দিয়েছে।
প্লিজ স্যার।
তোরা বলতে চাস না?
এখান থেকে পড়লে খুব মজা হবে।
প্লিজ বাচান।
প্লিজ এমন করবেন না।
আমরা করতে পারতাম।
ঠিকভাবে করো, বুঝছো?
জি স্যার।
এক্সকিউজ মি।
আমার একটা অ্যাপোয়েন্টমেন্ট আছে।
আমাকে কে ডেকেছে?
আপনি কি লায়ার হান্টার?
হ্যাঁ?
ও মাই গড।
ওই বাচ্চা এখানে দাঁড়াও একটু, ঠিক আছে?
সে কি সত্যি লায়ার হান্টার?
সে শুধু একটা বাচ্চা।
এসেছো, চলে যাও।
না হলে সমস্যায় পড়বে।
তার থেকে দূরে থাক।
এদিকে আই।
আপনাকে চিনতে পারিনি দুঃখিত।
আপনি কি বুলগং গ্যাং কে তথ্য দিয়েছেন?
না।
আপনি কি বুলগং গ্যাং কে তথ্য দিয়েছেন?
না এটা আমি করিনি।
না এটা আমি না।
এটা অন্যায়।
ঠিক আছে।
অপেক্ষা করা উচিত ছিল।
এদের ভিতরে কেউ না।
কিভাবে বিশ্বাস করেন?
এটা হয়তো আপনি?
যে বুলগং কে তথ্য দিয়েছে।
কি বলছো এসব?
উত্তর দে।
কি করছো উত্তর দে।
অবশ্যই আমি না।
কি বলছো?
এসব বলার তুমি কে?
কোন প্রমাণ আছে?
তাই হয়।
এটা আমি না, আমি তাদের কাছে মার খেয়েছি।
আপনাকে বাচাতে গিয়ে পা ভেঙ্গে গেছে।
বাচ্চার কথা কিভাবে বিশ্বাস করতে পারেন?
আপনার পা সত্যি ভেঙেছে?
মিথ্যা বললে তোকে মেরে ফেলবো, বুঝেছিস?
শালা আমাকে বোকা ভেবেছিস?
হু?
ভুলে যা।
আপনি তাকে মেরে ফেলবেন না, তাই না?
না, মারব না।
আপনি আমার সামনে মিথ্যা বলছেন?
এই নিন।
আপনার কাজের জন্য ধন্যবাদ।
সবাই সাইড দাও।
মরার মতো ভয় হচ্ছিল।
আমরা রাউন্ড অফ ১৬ তে উঠছি না।
ছোট বাচ্চা আজ তোকে মেরে ফেলবো।
শিট! তুই পালাবি কোথায়?
আরে! দাড়া! দুঃখিত।
সিউলের টিকিট দেন প্লিজ।
আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ।
তুমি এখানে কি করছো?
দেখুন সিউল যাচ্ছি।
রাতে সে মেসেজ দিয়েছিল সে আত্মহত্যা করবে।
এটা কি?
আমরা ব্রেকআপ করেছি।
আবার ঝগড়া করেছ?
না, আমি যাব না।
তুমি এত নির্লজ্জ কেন?
শিউলে ঝামেলা করার জন্য তোমাকে ক্ষমা করেছি।
তার সাথে শুধু কি মজা করেছো?
আমি প্রতারণা করিনি।
নতুন জিএফ পেয়েছো?
আমি বলছি না।
শালা হারামি।
থামুন প্লিজ।
আপনার জন্য বাস থেমে আছে।
তোর নতুন জিএফ কে সাথে নিয়ে এসেছিস?
হ্যাঁ আমি তার নতুন জিএফ।
সে আমার, এখান থেকে যান।
ধুর শালা, সামনে থেকে সর।
ড্রাইভার এবার চলুন।
সবাই বসেন।
প্লিজ এবার যান।
ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নাই।
আমাকে তাড়াতাড়ি শিউল এ যেতে হবে।
জবাব দেননি কেনো?
না হলে মনে হবে, আপনি প্রতারক।
আপনি কি সম্পর্কে বলছেন, জানেন?
আমি যা বলি, তাই হয়।
এটা আমি।
বাংলা অনুবাদে জাহিদ।
আমি তরুণ নয়।
আমার হিংসা হচ্ছে।
হিংসা হচ্ছে?
আমি এটা পছন্দ করি।
তুমি কি করছ?
সেক্স কি ভালো?
কি?
আপনি সেক্স করেছেন তাই না?
আপনি কি এতে সন্তুষ্ট?
আমিও কৌতুহলী, বলো।
হ্যাঁ।
আমি সন্তুষ্ট।
ওহ! এটা সত্যি ছিল।
কি?
আচ্ছা তোমরা কি সত্যিই কাজিন?
তোমরা মোটেও একরকম না।
আপনারাও একরকম না।
শুনেছি ভালোবাসার মানুষরা একরকম হয়।
হয়তো একে অপরকে ভালোবাসেন না।
কি?
টাকার জন্য ডেটিং করছেন?
দেওয়ার দরকার আছে?
সে শুধু আমাকে নিয়ে চিন্তিত।
তাকে শুধু আসস্ত করো।
নিশ্চিত।
সত্য বলবো।
এটা ভালোবাসা।
এটাও সত্য।
শুনে কিভাবে বলতে পারো যে এসব সত্য?
আমি যা বলি, তাই হয়।
আমরা কখন বিয়ে করবো?
আমি বড় ও অসামান্য বিয়ে করতে যাচ্ছি।
যা চাও করতে পারো।
ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
হাই বলো, তার সাথে প্রায় দেখা হবে।
দেখা করে ভালো লাগলো।
এটা আপনাদের প্রথম সাক্ষাৎ তাই না?
কি?
আপনারা কি পরিচিত?
আপনি ঠিক আছেন?
ওহ, আমি ভয় পেয়েছিলাম।
কথা বলতে বলতে ভয় পেয়ে গেছিলাম।
দুঃখিত, পরিষ্কার করছি।
তাড়াতাড়ি করো।
আপনি কি প্রেগনেন্ট?
কি?
না।
সে কি বাচ্চার বাবা?
কি আবোল তাবোল বলছো?
জানু, তোমার বোন এসব কি বলছে?
বাচ্চাটা তার।
আমি দুঃখিত।
ক্ষমা করে দিন।
এই মেয়ের সমস্যা কি?
হেই।
কি আজেবাজে বলছো?
আমি বলেছিলাম, আমি যা বলি তাই হয়।
আমি তোমাকে যেতে দিব না।
আমি বাইরে যাচ্ছি।
খাবারের জন্য ধন্যবাদ, উন্নি।
কাকে বেশি ভালোবাসো?
কাকে বেশি পছন্দ, বলো?
এমন করছ কেন?
শুধু বলো।
অবশ্যই তুমি।
এটাও মিথ্যা।
আমার কথা শোনো।
না।
কেবল শেষ করলাম।
তাই তার টাকা পাঠাতে একটু সময় লাগবে।
মিস চোই এর অবস্থা এখন ভালো না।
না এখনই টাকা চলে এসেছে।
ধনী ব্যক্তিরা আসলেই আলাদা।
এসবের মাঝেও টাকা দিয়েছে।
এটা শেষ।
ভালো লাগছে, মহান কাজ।
জমানো টাকা দিয়ে কি করবেন?
আমি শুধু সত্যের দেবতাকে অনুসরণ করি।
আমি দামি জিনিসে আগ্রহী না।
আপনি টাকা ভালোবাসেন।
কি?
কারণ মুদ্রাস্ফীতি এবং আপনার বেতন।
আপনি কেন Goot করেন না?
শুনেছি তারা অনেক টাকা দেয়।
একটি "Goot"?
এটা সত্যিই আমার জন্য না।
এটাকে কি ধরনের শামান বলে?
আপনি কি শামানবাদী অনুষ্ঠানে যাননি?
আমি এই আত্মার অধিকারী ছিলাম না।
আমার মায়ের গর্ভে তৈরি হয়েছিল।
আমি প্রার্থনা করি।
এ শিশুকে একটি প্রতিভা দিন।
যা দিয়ে সে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
আমাকে আশীর্বাদ দেন।
প্লিজ আমার সন্তানকে প্রতিভা দেন।
প্রার্থনা করি, সে যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে।
আমিন।
সকল কষ্টের মূল টাকা।
এমন কোনো প্রতিভা দিবেন না যাতে খরচ হয়।
আমার দুর্ভাগ্য ছিল।
আমার সন্তানের দুর্ভাগ্য হওয়া কি ঠিক?
আপনি আমাকে এটা দিতে পারেন না?
মা গর্ভবতী সময় থেকে।
প্রত্যেক দেবতার কাছে গিয়েছে।
তবে কোন দেবতা ছিলেন।
যার কারণে আমি এটা পেয়েছি।
কিভাবে বিক্রয় করতে পারি?
না না।
কি?
আমি কচ্ছপের পুতুল চাই।
পরে কিনে দিবো।
তুমি কিনবে না।
আর কতদিন এভাবে বাঁচবো?
তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।
তাড়াতাড়ি কবে?
আমি মাংস খেতে চাই।
মনে করো এটি মাংস।
এই সবজি কি মাংস?
ঠিক আছে।
আমি বুঝেছিলাম এটা মিথ্যা।
দুঃখজনক বা খারাপ কিছু।
যেন আমার ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারি।
অনুমান অনেক ভালো।
পরীক্ষা এমন হতো নাকি?
দাঁড়াও, আমার সাথে স্যার ডেট করতে চাই।
তুমি কি বলতে পারবে মিথ্যা বলছে নাকি?
কলেজে ভর্তি হও তারপর বুঝবে।
হেই, আমি টাকা দিব।
আমি তখন বুঝলাম।
এবার?
প্রসিকিউটরের থেকে ভালো উপায় ছিল।
আমার কান লাই ডিটেক্টর।
ভেবেছিলাম শামানবাদ এর মত কাজ করব।
হ্যালো আমি লায়ার হান্টার।
আমরা এখানে কথা বলবো?
শান্ত কোনো পরিবেশে যেতে পারি?
আপাতত বসুন।
ব্যক্তির সাথে কাজ করেছি।
তাই আমার গোপন জায়গার প্রয়োজন ছিল।
এক দুই তিন।
ঠিক আছে।
কিন্তু আমার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে।
আমি বুঝতে পারিনা।
সব জায়গায় যেতে হয়।
ডেট করা উচিত প্লিজ।
সব সময় ভুল বলেন।
তুমি সবসময় এটা বাজাও।
এভাবেই ফ্যান হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে যেতে চাও?
কিম দো হা কে? নতুন গায়ক?
কি আর বলবো।
মিস হান্টার, সে নতুন গায়ক না।
তিনি গানের সুরকার।
গানের সুরকারের কাছে নিয়ে যাচ্ছ?
কিভাবে বলবো? সে অনেক ভালো।
একজন মানুষ এ ছাড়া কিছু জানিনা।
তিনি কারো সাথে দেখা করে না।
ভিডিও মিটিংয়েও মুখ দেখায় না।
কি এক আজব রহস্যময়।
কিভাবে রহস্যময়?
সে রহস্যময় হওয়ার চেষ্টা করছে।
সবার নজর কারার জন্য।
শুনুন, ফু দিন।
তাকে ধরো।
ব্যাকআপ ডাকো।
এবং ভালো সুর দরকার।
এখন সেরা সুরকারের পুরস্কার দিব।
অভিনন্দন কিম দো হা।
শা কি তার পক্ষ থেকে পুরস্কার নেবে?
আমার সুরকার কিম দো হা কে ধন্যবাদ।
আমি সাধারণ মেয়ে থেকে শা অন হয়েছি।
আমি তাকে পুরস্কারটা দিবো।
সুরকার কিম দো হা অভিনন্দন।
আমি কিভাবে যোগাযোগ করবো?
সে শুধু শা ওনের সাথে কাজ করে তাই না?
সাথে কাজ করে।
সে কারো সাথে কাজ করবে না।
সে কাউকে মুখ দেখায় না কেন?
শুনেছি গান লেখা তার পার্টটাইম জব।
তার প্রধান কাজ অন্য কিছু।
এজেন্ট নাকি অন্য কিছু?
মনে হয় আপনি অনেক মুভি দেখেন।
তুমি কি জানো?
হ্যাঁ শুনেছি তার বয়স কম।
সে হাইস্কুলে পড়ে।
তিনি খুব শান্ত।
সেকি কোনো কর্পোরেট পরিবারের ছেলে?
তাই পরিবার তাকে গান করতে দেয় না।
কি? কর্পোরেট পরিবার?
এটা আমি জানিনা।
এটা পার্ট টাইম জব না।
সে মেধাবী এবং প্রতিভাবান।
তাহলে পরিচয় গোপন করার দরকার কি?
ও আচ্ছা।
শা অন।
ভালোভাবে জানেন।
সে কী পছন্দ করে?
আসলে আমিও জানিনা।
আমি শুধু ফোনে আর ইমেইলে কথা বলেছি।
যা জানেন কিছু একটা বলুন।
তার কন্ঠ অনেক সুন্দর।
থামুন থামুন।
আপনি কি সেই ভাবে করছেন?
হ্যাঁ, আমি কিছুই পরিবর্তন করিনি।
প্রথমে ভায়োলিনের সুর।
এখন ভালো এবার শুরু করুন।
এবার সব ঠিক আছে।
আমি বাড়ি যাচ্ছি।
আর একটু থাকো।
খ্যাতির জন্য বদলে গেছো।
আমি ক্লান্ত।
এই পোশাকের জন্য কাল থেকে খাইনি।
মনে হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে যাবো।
কিছু হবে না আমিও আগে ডায়েট করেছি।
শা অন।
পুরস্কারের জন্য অভিনন্দন।
অভিনন্দন।
ধন্যবাদ।
সুরকার কে অভিনন্দন জানাতে চেয়েছিলাম।
তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিবে?
কাজ ছাড়া আমিও যোগাযোগ করতে পারিনা।
এর সাথে কাজ করতে চাই।
হে ড্যান, আমি প্রেসিডেন্ট পার্ক।
আমাকে সুরকারের সাথে কথা বলতে হবে।
সত্যি?
অবশ্যই ধন্যবাদ।
এই কিম দোহা কোন শালা?
সবাই তাকে খুজছে।
শে কোনাচে ব্যাং।
পরিচালক পার্ক কোনাচে ব্যাং মানে কি?
আপনি গুজব ছড়াচ্ছেন কেন?
লিখেছিলাম এটা তেমন।
এত ড্রিঙ্ক করলেন কেন?
আপনারও সময় আসবে।
হেই, আমার বাড়ি পুরস্কারে ভরা।
কি মনে করো আমি ট্রফি চাই?
কিম দো আমার থেকে চুরি করেছে।
এটা কোথায় পেলো তাকে জিজ্ঞেস করবো।
আপনি কি করছেন এসব?
আমিও কিম দো হাকে বেশি দেখিনি।
কি? ০ ১ তারপর?
ম্যানেজার চো।
হ্যাঁ প্রেসিডেন্ট।
আচ্ছা স্যার।
তাকে ভিতরেই রাখবে।
হেই তুমি কিম দো হা কে জানো?
হ্যাঁ?
তার কাছে দুইটি ট্রফি কেন?
আরে আরেকটি কিম দোহার।
তাড়াতাড়ি।
সে কি NSI এজেন্ট?
NSI এজেন্ট?
ওপ্পা, এটা আমি দরজা খোলো।
ডিউক কি সাথে আছে?
হ্যাঁ আছে।
দাঁড়াও, ডিউক কোথায়?
আমি একা থাকলে দরজা খুলতে না।
তুমি কোথাও গিয়েছিলে ওপ্পা?
নাকি এখানে অন্য কেউ আছে?
কি?
আমি সব জানি।
আপনি ওপ্পার সাথে কিভাবে দেখা করলেন?
আপনি এখানে তাই না?
নাকি এখানে?
তোমার থেকে কেন লুকাবো?
আমার সাথে পরিচয় করিও না।
পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সাহস নাই।
কাজ শেষ হলে এবার যাও।
শেষ না।
তোমার ফোন দাও ছবি তুলবো।
তুলতে হবে না।
তোমার এক্সপ্রেশন খুব ভালো।
নাও।
তুমি কি জানতে এমন দিন আসবে?
তুমি কি যাচ্ছ না?
তুমি কি জানতে?
আমি জানতাম।
প্রথমবার তুমি আমার গান গেয়েছিলে।
তোটোরো?
হ্যাঁ, সন হিউং এর দল।
তুমি যাচ্ছ না?
চলে যেতে বলছ কেন?
এটা খুব টাইট।
জিপ খুলে দিতে পারবে?
দেখো আমি পারছিনা।
ওহ মাই গড।
তুমি কি করছ?
তুমি কি দেখছিলে?
রক্ত বের হচ্ছে কি দেখ?
শুধু কফি খাবেন নাকি পড়তেও চান?
আমি ঠান্ডা কফি অর্ডার করতে চাই।
কয়টি বরফের টুকরো?
কতটুকু ক্রিম?
আড়াই বৃত্ত।
কোন কুপন আছে?
আমরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।
প্রেসিডেন্ট গাং আপনার কথা বলেছেন।
একটা বাড়ি কিনতে বলেছেন।
সুতরাং আপনি সত্য জানতে চান?
এখন বাড়ি যাবে না বিপদজনক .
বিপদজনক .
প্লিজ পথ থেকে সরুন।
মিস্টার কিম দোহা?
আপনি কে?
আপনি কিম দো হা, তাই না?
আমরা এক মিনিট কথা বলতে পারি?
তোমার মুখ দেখাও ! তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন ! কত লজ্জাজনক ! দূর, মি: কিম দো হা।
দাঁড়ান, মাক্স খুলুন।
কিম দো হা।
এটা কি ছিল?
এটা আমি দরজা খুলো।
টিম এই মুহূর্তে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কাজ করছে।
ডেটিং একটি গুজব তাড়াতাড়ি বলা হবে।
শা অন এর কি অবস্থা?
সে কি ঠিক আছে?
সাংবাদিকরা এখন এখানে যাতায়াত করবে।
আমার স্ত্রী ও জানে না।
সেখানে কিছুক্ষণ থাকো।
শা অনও খুঁজে না পাই।
সেখানে গিয়ে আরাম করো।
না, ধন্যবাদ।
থাকতে পারি, চলে যেতে পারি না।
এখন পর্যন্ত?
আর কতদিন এভাবে থাকবে?
আমি বলেছিলাম এটা তোমার দোষ ছিল না।
সত্যি এটা মনে করো?
এই রাস্তায় আর যাব না।
আমি তোমাকে বিশ্বাস করি।
সিওর।
টাকা কামিয়ে কি লাভ?
বাইরে বের হওয়া না যায়?
আপনাকে কতবার বলবো?
আমি যা বলি, তাই হয়।
আচ্ছা শুভরাত্রি।
বাই।
বাংলা অনুবাদে জাহিদ।
সব ঠিকঠাক।
পোশাক পরে কেন?
তাদের সবার কি একরকম পোশাক আছে?
আপনিও এমন পোশাক পড়ে আছেন।
কি বলছেন? এটি একটি ডিজাইন.
দেখুন দেখুন।
ট্যাগ লাগানো কেন?
কি?
ও এটা যেন ফেরত দিতে পারি।
আশা করি শীঘ্রই সে ধরা পড়বে।
আমাকে দোকানে যেতে হবে।
পরে দেখা হবে।
খুব অদ্ভুত।
এটা খারাপ।
কি?
আমার আজকের ভাগ্য।
ইদানিং এখানকার পরিবেশ ভালো না।
মরলেও জানতে চাই কখন কিভাবে.
আমি কাল সেই অপরাধী কে দেখেছি।
সত্যি?
এটা কয়েকদিনের জন্য নাও।
দরকার নাই।
মাত্র কয়েক দিনের জন্য।
সে ধরে না পড়া পর্যন্ত এটা রাখবে।
আজ দোকানদারদের মিটিং আছে।
এটি এড়িয়ে যাও।
ভোট আছে।
দেখা করবো এবং তাড়াতাড়ি চলে আসবো।
আজ কোথায়?
মদের দোকানে।
আমি কিছু অতিরিক্ত তৈরি করেছি।
খারাপ রুটি এনেছেন?
সে অবশিষ্ট রুটি এনেছে।
ধন্যবাদ।
আমরা কি খাবার অর্ডার করবো?
চিকেন?
দুটি চিকেন?
দুষ্টামি করনা, ধন্যবাদ।
আপনি কি গোল্ড নাকি সিলভার?
কি?
মিস কোরিয়াতে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় হয়েছেন?
নাকি সে জিতেছে আপনারা তিনজন আছেন।
আপনি কিছুক্ষণ আগে এসেছেন তাই না?
হ্যাঁ স্যার।
স্যার? আমাকে ওপ্পা বলে ডাকবে।
আমি বলেছিলাম ওপ্পা বলতে।
কখন বলেছিলেন?
আপনার বয়স 34?
আসলে 33।
সত্যি? দেখে তরুণ মনে হয়।
বেবি ফেস,,, আমি 18 বছর ভেবেছিলাম।
আমাদের চশমা লাগাতে হবে।
চিয়ার্স।
চমৎকার।
আপনি সত্যিই মদ ভালোবাসেন।
বাই।
কি অবস্থা?
মেয়েগুলো আমার নাম্বার চাইছিল।
পাড়ার সব তরুন তরুনী।
কফি তো একই জিনিস দিয়েই বানায়।
আমি ভাবলাম চিংড়ি মাছ ধরছি।
মানুষ তোমাকে ঘৃণা করবে।
হাসি থামাও এবং শোনো।
বিনিয়োগ করতে হবে।
এক দৃশ্য দেখেছিলাম।
টাকা ফুরাতে চাও?
আবার আমরা তিনজন? আমি অসুস্থ.
দেখুন একটা রুটি আছে।
আপনার বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য অভিনন্দন।
আরে ট্যারেট ক্যাফের মালিকে এখানে।
কারো সাথে ফ্লার্ট করা বন্ধ করুন।
সে পালিয়ে যাবে।
তুমি চাও আমি শুধু তোমার হই?
আপনি কি পছন্দ করেন?
গড, আমি এখানে বসতে চাই না।
আপনি কি রুটি চান?
ওহ! ধন্যবাদ।
নিশ্চিত।
কি দারুন, তুমি অনেক সুন্দর হয়ে গেছো।
আমাদের কি দুপুরে দেখা হয়নি?
তুমি আরো সুন্দর হয়েছো।
পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য এর মতো।
তুমি কিভাবে এত সুন্দর?
আমার একটা প্রশ্ন আছে।
আসলে, দোকান বন্ধ রাখো?
তুমি সেখানে কি করো?
সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে কথা বলতে আসে।
আমি তাদের প্রাইভেসি রক্ষা করি।
তাদের কি ডাক্তার দেখাতে হবে না?
বের করে বলবে এটি ঘটবে।
সরি এই কারণে আমার বেশি বন্ধু নাই।
ওহ আমারো।
সত্যিই? আমার মত?
হ্যালো সবাইকে দেখে ভালো লাগলো।
আমি দোকান সমিতির সভাপতি।
অনেক তরুণতরুণীকে দেখছি।
মালিক কে ধন্যবাদ জানাই।
দিছি খাবারের জন্য টাকা দিতে হবে।
মিটিং শুরু করার আগে একটি ঘোষণা আছে।
এটা সবাই দেখেছেন তাই না?
কালো হুডি, কালো মাক্স।
এই অপরাধী একা মহিলাদের টার্গেট করে।
ফেরার সময় সতর্ক থাকবেন।
দিয়ে কিছুই করতে পারবে না।
আমি তখন অনেক আবেগপ্রবণ ছিলাম।
অনুপ্রাণিত করার জন্য চিয়ার্স।
যখন অগুন বলবো তখন বলবে প্যাশান।
আগুন।
আগুন।
হুহ এটা কি?
এটা কি?
আগুন, আগুন লেগেছে।
আগুন লেগেছে।
আগুন কোথায়?
কোথায়?
কোন দিকে আগুন?
কোথায় আগুন?
কোথায়? কোথায়?
তুমি কি করছ?
কালো হুডি, কালো মাক্স।
ওই দিকে গেল।
চলো ওইদিকে যাই।
তুমি কি পাগল?
আমি তোমার সাথে ছিলাম।
আগুন কোথায়?
ওটা আগুন ছিল না।
এটা সেই অপরাধী।
তাহলে আগুন বললে কেন?
কি হয়েছে?
তুমি তো জানো আমি মিথ্যা বলছি না।
সরি আমি ভেবেছিলাম কেউ আসবেনা।
দেখে মনে হচ্ছে সে ভালো আছে।
চলুন পুলিশকে কল করি।
তাড়াতাড়ি খুঁজে পাবো।
চলো তাকে খুঁজি।
হ্যাঁ তাকে ধরতে হবে।
পরবর্তী টার্গেট কে হবে? কে জানে?
দাও আমি নিয়ে যাব।
না, ধন্যবাদ।
আমাদের পুলিশকে কল করা উচিত।
না, আমাদের তাকে খুঁজতে হবে।
আমি তোমাকে ধরেছি।
আপনি কে?
আপনি অপরাধী?
আরে, সেই হারামি।
তুমি ঠিক আছো?
আমি ইচ্ছা করে করিনি।
তোমার আন্ডার দেখতে পাচ্ছি।
প্যান্ট পরো, ঠিক আছে।
দুঃখিত আমি ইচ্ছা করে করিনি।
আরে তুমি এখনো তাকে খুজতে চাও?
আমি ভালো আছি।
তার চোখে ভালোভাবে স্প্রে করা উচিত ছিল।
তুমি স্প্রে নিয়ে ঘুরো কেন?
জীবনে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমরা ধরেছি।
হেই! সে বিকৃতের মতো দেখতে।
কালো হুডি, কালো মাক্স।
এই সেই জারজ।
তাকে মারবে না।
আপনারা সবাই এমন করছেন কেন?
আমি সে না.
তার মাক্স খুলো।
তোমার মুখটা দেখা যাক।
না।
এটা সে না।
সে অপরাধী না।
তুমি কিভাবে জানো?
আমি যা বলি, তাই হয়।
বাংলা অনুবাদে জাহিদ।
"My Lovely Liar"
"আমার প্রিয় মিথ্যাবাদী"
বাংলা অনুবাদে জাহিদ।
এটা কেন করলে?
সত্যি আমি করিনি।
দয়া করে আমাকে বাঁচান
প্লিজ আমাকে বাঁচান।
বলা শুরু করেছিস?
প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।
শালা জারজ, আমি শুধু,,,,
তুই শালা জারজ।
বুল গ্যাং কে এই তথ্য কে দিয়েছে?
হু?
নিশ্চয়ই তোদের ভিতরে কেউ দিয়েছে।
বল তাড়াতাড়ি
প্লিজ স্যার।
তোরা বলতে চাস না?
এখান থেকে পড়লে খুব মজা হবে।
ওই, দড়ি কাট,
যা,
প্লিজ বাচান।
প্লিজ এমন করবেন না।
আরে আরে, থামো
বস খুশি হবে না
আমরা করতে পারতাম।
ঠিকভাবে করো, বুঝছো?
জি স্যার।
এক্সকিউজ মি।
আমার একটা অ্যাপোয়েন্টমেন্ট আছে।
আমাকে কে ডেকেছে?
আপনি কি লায়ার হান্টার?
হ্যা
হ্যাঁ?
ও মাই গড।
"লায়ার হান্টার, যে সত্যের দেবতার সেবা করে। "
ওই বাচ্চা এখানে দাঁড়াও একটু, ঠিক আছে?
হ্যালো চেয়ারম্যান
সে কি সত্যি লায়ার হান্টার?
সে শুধু একটা বাচ্চা।
মনে হয় তুমি ভুল ঠিকানায়
এসেছো, চলে যাও।
না হলে সমস্যায় পড়বে।
ওই চোখ নামাও,
তার থেকে দূরে থাক।
এদিকে আই।
আপনাকে চিনতে পারিনি দুঃখিত।
এদিকে
আপনি কি বুলগং গ্যাং কে তথ্য দিয়েছেন?
না।
আপনি কি বুলগং গ্যাং কে তথ্য দিয়েছেন?
না এটা আমি করিনি।
না এটা আমি না।
এটা অন্যায়।
ঠিক আছে।
আমার না আসা পর্যন্ত
অপেক্ষা করা উচিত ছিল।
এদের ভিতরে কেউ না।
আপনি এই বাচ্চার কথা
কিভাবে বিশ্বাস করেন?
এটা হয়তো আপনি?
যে বুলগং কে তথ্য দিয়েছে।
কি বলছো এসব?
উত্তর দে।
হিউংনিম,
কি করছো উত্তর দে।
অবশ্যই আমি না।
"অবশ্যই আমি না "
"অবশ্যই আমি না "
এটা সে,
কি বলছো?
এসব বলার তুমি কে?
কোন প্রমাণ আছে?
আমি যা বলি,
তাই হয়।
এটা আমি না, আমি তাদের কাছে মার খেয়েছি।
আপনাকে বাচাতে গিয়ে পা ভেঙ্গে গেছে।
বাচ্চার কথা কিভাবে বিশ্বাস করতে পারেন?
আপনার পা সত্যি ভেঙেছে?
চুপ করো,
মিথ্যা বললে তোকে মেরে ফেলবো, বুঝেছিস?
শালা আমাকে বোকা ভেবেছিস?
এটা তুই না,
হু?
ভুলে যা।
তাকে মারো সবাই,
আপনি তাকে মেরে ফেলবেন না, তাই না?
না, মারব না।
আপনি আমার সামনে মিথ্যা বলছেন?
আমি নিশ্চিত করবো যেন সে না মরে,
এই নিন।
আপনার কাজের জন্য ধন্যবাদ।
ওই,
লায়ার হান্টার চলে যাচ্ছে,
সবাই সাইড দাও।
মরার মতো ভয় হচ্ছিল।
"ফিফা বিশ্বকাপ রাশিয়া, গ্রুপ F,
সাউথ কোরিয়া vs মেক্সিকো ম্যাচ শীঘ্রই শুরু হবে"
আমি যদি এখন যায়
ততক্ষণে খেলা শেষ হয়ে যাবে,
এখানেও ফুটবল ভক্ত আছে,
আমরা রাউন্ড অফ ১৬ তে উঠছি না।
আইয়া,,,
ছোট বাচ্চা আজ তোকে মেরে ফেলবো।
শিট!
তুই পালাবি কোথায়?
আরে!
দাড়া!
দুঃখিত।
সিউলের টিকিট দেন প্লিজ।
তাড়াতাড়ি,,,
তাড়াতাড়ি যাও প্লিজ,
আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ।
তুমি এখানে কি করছো?
দেখুন সিউল যাচ্ছি।
রাতে সে মেসেজ দিয়েছিল সে আত্মহত্যা করবে।
এটা কি?
আমরা ব্রেকআপ করেছি।
আবার ঝগড়া করেছ?
এসব পরে ভাববো, চলো আগে ইউন জু কে খুঁজি
না, আমি যাব না।
তুমি এত নির্লজ্জ কেন?
শিউলে ঝামেলা করার জন্য তোমাকে ক্ষমা করেছি।
তার সাথে শুধু কি মজা করেছো?
আমি প্রতারণা করিনি।
ওহ,,, আমার,,,,
নতুন জিএফ পেয়েছো?
না
আমি বলছি না।
শালা হারামি।
থামুন প্লিজ।
আপনার জন্য বাস থেমে আছে।
তোর নতুন জিএফ কে সাথে নিয়ে এসেছিস?
হ্যাঁ আমি তার নতুন জিএফ।
সে আমার, এখান থেকে যান।
ধুর শালা, সামনে থেকে সর।
ড্রাইভার এবার চলুন।
সবাই বসেন।
প্লিজ এবার যান।
ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নাই।
আমাকে তাড়াতাড়ি শিউল এ যেতে হবে।
আপনি তাকে পাল্টা
জবাব দেননি কেনো?
না হলে মনে হবে, আপনি প্রতারক।
আপনি কি সম্পর্কে বলছেন, জানেন?
আমি যা বলি, তাই হয়।
এটা আমি।
"লায়ার হান্টার, যিনি সত্যের দেবতার সেবা করে "
বাংলা অনুবাদে জাহিদ।
আমি তরুণ নয়।
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে
আমার হিংসা হচ্ছে।
হিংসা হচ্ছে?
আমি এটা পছন্দ করি।
তুমি কি করছ?
সেক্স কি ভালো?
কি?
আপনি সেক্স করেছেন তাই না?
আপনি কি এতে সন্তুষ্ট?
আচ্ছা,
আমিও কৌতুহলী, বলো।
হ্যাঁ।
আমি সন্তুষ্ট।
ওহ! এটা সত্যি ছিল।
কি?
আচ্ছা তোমরা কি সত্যিই কাজিন?
তোমরা মোটেও একরকম না।
আপনারাও একরকম না।
শুনেছি ভালোবাসার মানুষরা একরকম হয়।
হয়তো একে অপরকে ভালোবাসেন না।
কি?
সত্যি বলেন, আপনি কি
টাকার জন্য ডেটিং করছেন?
জি আই, এই প্রশ্নের উত্তর
দেওয়ার দরকার আছে?
আচ্ছা, সে যখন জিজ্ঞেস করছে,,,
সে শুধু আমাকে নিয়ে চিন্তিত।
তাকে শুধু আসস্ত করো।
নিশ্চিত।
সত্য বলবো।
প্রথমে টাকার দিকে নজর ছিল কিন্তু এখন,
এটা ভালোবাসা।
এটাও সত্য।
শুনে কিভাবে বলতে পারো যে এসব সত্য?
আমি যা বলি, তাই হয়।
গড,,,,
আমরা কখন বিয়ে করবো?
জানি আমার বয়স বেশি,
আমি বড় ও অসামান্য বিয়ে করতে যাচ্ছি।
যা চাও করতে পারো।
ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
হাই বলো, তার সাথে প্রায় দেখা হবে।
আমি জাং জিন উন,
দেখা করে ভালো লাগলো।
"দেখা করে ভালো লাগলো "
এটা আপনাদের প্রথম সাক্ষাৎ তাই না?
কি?
আপনারা কি পরিচিত?
আপনি ঠিক আছেন?
ওহ, আমি ভয় পেয়েছিলাম।
কথা বলতে বলতে ভয় পেয়ে গেছিলাম।
দুঃখিত, পরিষ্কার করছি।
তাড়াতাড়ি করো।
আপনি কি প্রেগনেন্ট?
কি?
না।
সে কি বাচ্চার বাবা?
কি আবোল তাবোল বলছো?
জানু, তোমার বোন এসব কি বলছে?
বাচ্চাটা তার।
আমি দুঃখিত।
ক্ষমা করে দিন।
এই মেয়ের সমস্যা কি?
হেই।
কি আজেবাজে বলছো?
"তুমি কিছুই জানো না "
আমি বলেছিলাম, আমি যা বলি তাই হয়।
পুরোটা সময় তুমি,,,,,,
আমি তোমাকে যেতে দিব না।
আমি বাইরে যাচ্ছি।
খাবারের জন্য ধন্যবাদ, উন্নি।
আরেকটা জিনিস,
জানু,
তাকে নাকি আমাকে
কাকে বেশি ভালোবাসো?
কাকে বেশি পছন্দ, বলো?
এমন করছ কেন?
শুধু বলো।
অবশ্যই তুমি।
এটাও মিথ্যা।
আমার কথা শোনো।
না।
কেবল শেষ করলাম।
তাই তার টাকা পাঠাতে একটু সময় লাগবে।
মিস চোই এর অবস্থা এখন ভালো না।
না এখনই টাকা চলে এসেছে।
ধনী ব্যক্তিরা আসলেই আলাদা।
এসবের মাঝেও টাকা দিয়েছে।
এটা শেষ।
ভালো লাগছে, মহান কাজ।
মিস হান্টার,
জমানো টাকা দিয়ে কি করবেন?
আমি শুধু সত্যের দেবতাকে অনুসরণ করি।
আমি দামি জিনিসে আগ্রহী না।
আপনি টাকা ভালোবাসেন।
কি?
আমি বলতে চাইছি,,
আপনার টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ে,
কারণ মুদ্রাস্ফীতি এবং আপনার বেতন।
আপনি কেন Goot করেন না?
শুনেছি তারা অনেক টাকা দেয়।
একটি "Goot"?
এটা সত্যিই আমার জন্য না।
এটাকে কি ধরনের শামান বলে?
আপনি কি শামানবাদী অনুষ্ঠানে যাননি?
এটা সত্য কিন্তু,,,,
>
<<যে দেবতা ও মানবতার মধ্যে
মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে।>>
আমি এই আত্মার অধিকারী ছিলাম না।
সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করার ক্ষমতা
আমার মায়ের গর্ভে তৈরি হয়েছিল।
আমি প্রার্থনা করি।
এ শিশুকে একটি প্রতিভা দিন।
যা দিয়ে সে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
প্রিয় বাবা
আমাকে আশীর্বাদ দেন।
প্লিজ আমার সন্তানকে প্রতিভা দেন।
প্রার্থনা করি, সে যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে।
আমিন।
সকল কষ্টের মূল টাকা।
এমন কোনো প্রতিভা দিবেন না যাতে খরচ হয়।
এমন প্রতিভা দেন যেন খরচ না হয়
এটা আমার দোষ, এটা আমার দোষ,
এটা আমার দোষ
আমার দুর্ভাগ্য ছিল।
আমার সন্তানের দুর্ভাগ্য হওয়া কি ঠিক?
আপনি আমাকে এটা দিতে পারেন না?
মা গর্ভবতী সময় থেকে।
প্রত্যেক দেবতার কাছে গিয়েছে।
তবে কোন দেবতা ছিলেন।
যার কারণে আমি এটা পেয়েছি।
কি বলছেন, ১০০০ টাকায়
কিভাবে বিক্রয় করতে পারি?
না না।
মা,
কি?
আমি কচ্ছপের পুতুল চাই।
পরে কিনে দিবো।
তুমি কিনবে না।
আর কতদিন এভাবে বাঁচবো?
তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।
তাড়াতাড়ি কবে?
আমি মাংস খেতে চাই।
মনে করো এটি মাংস।
হা
এই সবজি কি মাংস?
ঠিক আছে।
বাবামা ঝগড়া করছে না
আমি বুঝেছিলাম এটা মিথ্যা।
দুঃখজনক বা খারাপ কিছু।
মা আমাকে প্রসিকিউটর হতে বলেছিল
যেন আমার ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারি।
হেই, আমি শুনেছি তোমার
অনুমান অনেক ভালো।
যদি তাই হতো আমার
পরীক্ষা এমন হতো নাকি?
দাঁড়াও, আমার সাথে স্যার ডেট করতে চাই।
তুমি কি বলতে পারবে মিথ্যা বলছে নাকি?
কলেজে ভর্তি হও তারপর বুঝবে।
হেই, আমি টাকা দিব।
আমি তখন বুঝলাম।
এবার?
প্রসিকিউটরের থেকে ভালো উপায় ছিল।
কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি
আমার কান লাই ডিটেক্টর।
ভেবেছিলাম শামানবাদ এর মত কাজ করব।
হ্যালো আমি লায়ার হান্টার।
আমরা এখানে কথা বলবো?
শান্ত কোনো পরিবেশে যেতে পারি?
আচ্ছা,,,,
আপাতত বসুন।
আমার যা সাহায্য দরকার,,,,
এবং আমি অনেক ধনী
ব্যক্তির সাথে কাজ করেছি।
তাই আমার গোপন জায়গার প্রয়োজন ছিল।
এক দুই তিন।
লাইন
ঠিক আছে।
কিন্তু আমার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে।
সরাসরি কারো কথা না শুনলে
আমি বুঝতে পারিনা।
তাই কন্ঠ শোনার জন্য
সব জায়গায় যেতে হয়।
আপনার আমাকে ডেট করা উচিত,
এটা হবে, আপনার আমাকে
ডেট করা উচিত প্লিজ।
সব সময় ভুল বলেন।
মিস মনে হচ্ছে তুমি এই গানের ভক্ত
তুমি সবসময় এটা বাজাও।
এভাবেই ফ্যান হয়ে যায়।
তুমি কি পুরস্কার বিতরণী
অনুষ্ঠানে যেতে চাও?
কিম দো হা সেখানে থাকবে
কিম দো হা কে? নতুন গায়ক?
কি আর বলবো।
মিস হান্টার, সে নতুন গায়ক না।
তিনি গানের সুরকার।
গানের সুরকারের কাছে নিয়ে যাচ্ছ?
কিভাবে বলবো? সে অনেক ভালো।
একজন মানুষ এ ছাড়া কিছু জানিনা।
তিনি কারো সাথে দেখা করে না।
ভিডিও মিটিংয়েও মুখ দেখায় না।
কি এক আজব রহস্যময়।
কিভাবে রহস্যময়?
সে রহস্যময় হওয়ার চেষ্টা করছে।
সবার নজর কারার জন্য।
শা অন
শুনুন, ফু দিন।
হেই হেই হেই
তাকে ধরো।
ব্যাকআপ ডাকো।
"চেকপোস্ট "
দারুণ পারফরম্যান্স
নিখুঁত পারফরম্যান্সের জন্য ভালো
গায়ক এবং ভালো কোরিওগ্রাফি দরকার
এবং ভালো সুর দরকার।
এখন সেরা সুরকারের পুরস্কার দিব।
সেরা সুরকার হলো,,,,,
অভিনন্দন কিম দো হা।
শা কি তার পক্ষ থেকে পুরস্কার নেবে?
আচ্ছা,,,,
আমার সুরকার কিম দো হা কে ধন্যবাদ।
আমি সাধারণ মেয়ে থেকে শা অন হয়েছি।
আমি তাকে পুরস্কারটা দিবো।
সুরকার কিম দো হা অভিনন্দন।
ঠিক আছে ট্রফি তুলুন
এক দুই তিন
হ্যালো
তুমি এটা করেছো
আমি কিম দো হার সাথে দেখা করতে চাই
আমি কিভাবে যোগাযোগ করবো?
সে শুধু শা ওনের সাথে কাজ করে তাই না?
শুনেছি J এন্টারটেইনমেন্টের
সাথে কাজ করে।
সে কারো সাথে কাজ করবে না।
সে কাউকে মুখ দেখায় না কেন?
শুনেছি গান লেখা তার পার্টটাইম জব।
তার প্রধান কাজ অন্য কিছু।
কি মনে হয় NSI
এজেন্ট নাকি অন্য কিছু?
মনে হয় আপনি অনেক মুভি দেখেন।
তুমি কি জানো?
হ্যাঁ শুনেছি তার বয়স কম।
সে হাইস্কুলে পড়ে।
তিনি খুব শান্ত।
সেকি কোনো কর্পোরেট পরিবারের ছেলে?
তাই পরিবার তাকে গান করতে দেয় না।
কি? কর্পোরেট পরিবার?
এটা আমি জানিনা।
কিন্তু তার গানের যে মান,,
এটা পার্ট টাইম জব না।
আমি অন্যরকম কিছু শুনেছি,
সে মেধাবী এবং প্রতিভাবান।
তাহলে পরিচয় গোপন করার দরকার কি?
সাভান্তা সিনড্রোম,
ও আচ্ছা।
মানে এসব তার ধর্মীয় প্রভাব
শা অন।
হ্যা। আপনি তো কিম দোহা কে
ভালোভাবে জানেন।
সে কী পছন্দ করে?
আসলে আমিও জানিনা।
আমি শুধু ফোনে আর ইমেইলে কথা বলেছি।
যা জানেন কিছু একটা বলুন।
আমি যেটা জানি,,,,
তার কন্ঠ অনেক সুন্দর।
থামুন থামুন।
আমি আপনাকে যে সুর পাঠিয়েছি
আপনি কি সেই ভাবে করছেন?
হ্যাঁ, আমি কিছুই পরিবর্তন করিনি।
প্রথমে ভায়োলিনের সুর।
এটা #D
আরেকটা টিউন করুন
এখন ভালো এবার শুরু করুন।
এবার সব ঠিক আছে।
আমি বাড়ি যাচ্ছি।
আর একটু থাকো।
এখন গেলে সবাই বলবে এই
খ্যাতির জন্য বদলে গেছো।
আমি ক্লান্ত।
এই পোশাকের জন্য কাল থেকে খাইনি।
মনে হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে যাবো।
কিছু হবে না আমিও আগে ডায়েট করেছি।
শা অন।
পুরস্কারের জন্য অভিনন্দন।
অভিনন্দন।
ধন্যবাদ।
সুরকার কে অভিনন্দন জানাতে চেয়েছিলাম।
তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিবে?
কাজ ছাড়া আমিও যোগাযোগ করতে পারিনা।
আমরা J এন্টারটেইনমেন্ট
এর সাথে কাজ করতে চাই।
হে ড্যান, আমি প্রেসিডেন্ট পার্ক।
আমাকে সুরকারের সাথে কথা বলতে হবে।
সত্যি?
অবশ্যই ধন্যবাদ।
এই কিম দোহা কোন শালা?
সবাই তাকে খুজছে।
শে কোনাচে ব্যাং।
পরিচালক পার্ক কোনাচে ব্যাং মানে কি?
আপনি গুজব ছড়াচ্ছেন কেন?
শা অনের নতুন গান,,,,,
তিন বছর আগে আমি যেমন
লিখেছিলাম এটা তেমন।
এত ড্রিঙ্ক করলেন কেন?
চিয়ার আপ,
আপনারও সময় আসবে।
হেই, আমার বাড়ি পুরস্কারে ভরা।
কি মনে করো আমি ট্রফি চাই?
কিম দো আমার থেকে চুরি করেছে।
এটা কোথায় পেলো তাকে জিজ্ঞেস করবো।
আপনি কি করছেন এসব?
আমিও কিম দো হাকে বেশি দেখিনি।
..কিছু মনে করবে না, হেই
ফোন নাম্বার দাও
স্যার
কি? ০ ১ তারপর?
সত্যি পুরনো নাম্বার,,,
হে ১ সেকেন্ড ধরুন
ম্যানেজার চো।
হ্যাঁ প্রেসিডেন্ট।
ডিরেক্টর বেশি ড্রিঙ্ক
করেছে বাথরুমে নিয়ে যাও,
আচ্ছা স্যার।
দারুন
তাকে ভিতরেই রাখবে।
হেই তুমি কিম দো হা কে জানো?
হ্যা হ্যাঁ
হে তুমি হাসছো কেন
হ্যাঁ?
ওহ হা অন, এটা শা অন
তার কাছে দুইটি ট্রফি কেন?
আরে আরেকটি কিম দোহার।
শা অন কে অনুসরণ করি,
গাড়ির পিছু নাও,
তাড়াতাড়ি।
""জিতার যোগ্য ছিল তাই জিতেছে ""
""সে সেরা সুরকার ""
মুখ না দেখানোর কারণ কি
সে কি NSI এজেন্ট?
NSI এজেন্ট?
ওপ্পা, এটা আমি দরজা খোলো।
ডিউক কি সাথে আছে?
হ্যাঁ আছে।
দাঁড়াও, ডিউক কোথায়?
আমি একা থাকলে দরজা খুলতে না।
হুহ, আমার জুতা,,,,,
তুমি কোথাও গিয়েছিলে ওপ্পা?
নাকি এখানে অন্য কেউ আছে?
এটা সন্দেহজনক,
কি?
হ্যালো,
আমি সব জানি।
আপনি ওপ্পার সাথে কিভাবে দেখা করলেন?
আপনি এখানে তাই না?
নাকি এখানে?
এটা সন্দেহজনক,
কারো সাথে দেখা করলে তোমাকে বলতাম
তোমার থেকে কেন লুকাবো?
আমার সাথে পরিচয় করিও না।
পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সাহস নাই।
কাজ শেষ হলে এবার যাও।
শেষ না।
টা ডা
তোমার ফোন দাও ছবি তুলবো।
তুলতে হবে না।
এখানে
এভাবে ধরো
তোমার এক্সপ্রেশন খুব ভালো।
নাও।
আমরা ভাঙ্গা স্টুডিওতে কাজ করতাম,
তুমি কি জানতে এমন দিন আসবে?
তুমি কি যাচ্ছ না?
তুমি কি জানতে?
হুহ
আমি জানতাম।
প্রথমবার তুমি আমার গান গেয়েছিলে।
ওপ্পা,,,,
এবার যাও,
একসাথে ফুটবল খেলা দেখি,
আমিও তোমার মত ফুটবল দেখি,
আমার একটা প্রিয় দলও আছে,
তোটোরো
তোটোরো?
হ্যাঁ, সন হিউং এর দল।
মানে টটেনহ্যাস
তুমি যাচ্ছ না?
চলে যেতে বলছ কেন?
আমি এখানে থাকবো,
এটা খুব টাইট।
জিপ খুলে দিতে পারবে?
দেখো আমি পারছিনা।
ওপ্পা,
ওপ্পা
অদ্ভুত
কি?,,,,,
ওহ মাই গড।
তুমি কি করছ?
তুমি কি দেখছিলে?
রক্ত বের হচ্ছে কি দেখ?
লুকাও লুকাও
ওহ মাই,,,,
হ্যালো
শুধু কফি খাবেন নাকি পড়তেও চান?
আচ্ছা ভালো,
আমি ঠান্ডা কফি অর্ডার করতে চাই।
কয়টি বরফের টুকরো?
পাঁচটি
কতটুকু ক্রিম?
আড়াই বৃত্ত।
কোন কুপন আছে?
এখানে
আমরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।
এদিকে
প্রেসিডেন্ট গাং আপনার কথা বলেছেন।
তিনি আমাকে এই পাড়ায়
একটা বাড়ি কিনতে বলেছেন।
সুতরাং আপনি সত্য জানতে চান?
এখন বাড়ি যাবে না বিপদজনক .
বিপদজনক .
প্লিজ পথ থেকে সরুন।
মিস্টার কিম দোহা?
আপনি কে?
আপনি কিম দো হা, তাই না?
আমরা এক মিনিট কথা বলতে পারি?
তুমি খুনি
তোমার মুখ দেখাও !
তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন !
কত লজ্জাজনক !
দূর, মি: কিম দো হা।
দাঁড়ান, মাক্স খুলুন।
কিম দো হা।
দূর ছাই
এটা কি ছিল?
এটা আমি দরজা খুলো।
টিম এই মুহূর্তে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কাজ করছে।
ডেটিং একটি গুজব তাড়াতাড়ি বলা হবে।
শা অন এর কি অবস্থা?
সে কি ঠিক আছে?
তোমার ব্যাপারে চিন্তিত
সাংবাদিকরা এখন এখানে যাতায়াত করবে।
এই বাড়ি আমি কিছুদিন আগে কিনেছিলাম,
আমার স্ত্রী ও জানে না।
সেখানে কিছুক্ষণ থাকো।
আমি দেখবো যেন
শা অনও খুঁজে না পাই।
সেখানে গিয়ে আরাম করো।
না, ধন্যবাদ।
আমি শুধু জানালা বন্ধ করে ভিতরে
থাকতে পারি, চলে যেতে পারি না।
এখন পর্যন্ত?
আর কতদিন এভাবে থাকবে?
আমি বলেছিলাম এটা তোমার দোষ ছিল না।
হিউং,,,,,
সত্যি এটা মনে করো?
এই রাস্তায় আর যাব না।
আমি তোমাকে বিশ্বাস করি।
সিওর।
টাকা কামিয়ে কি লাভ?
যদি লুকিয়ে থাকতে হয়,
বাইরে বের হওয়া না যায়?
আমি যাচ্ছি,,,
এটা নিয়ে চিন্তা করে দেখো,,
আপনাকে কতবার বলবো?
আমি যা বলি, তাই হয়।
আচ্ছা শুভরাত্রি।
বাই।
বাংলা অনুবাদে জাহিদ।
সব ঠিকঠাক।
সব অপরাধী এমন
পোশাক পরে কেন?
তাদের সবার কি একরকম পোশাক আছে?
আপনিও এমন পোশাক পড়ে আছেন।
কি বলছেন? এটি একটি ডিজাইন.
দেখুন দেখুন।
ট্যাগ লাগানো কেন?
কি?
ও এটা যেন ফেরত দিতে পারি।
আশা করি শীঘ্রই সে ধরা পড়বে।
আমাকে দোকানে যেতে হবে।
পরে দেখা হবে।
খুব অদ্ভুত।
এটা খারাপ।
কি?
আমার আজকের ভাগ্য।
ইদানিং এখানকার পরিবেশ ভালো না।
মরলেও জানতে চাই কখন কিভাবে.
আমি কাল সেই অপরাধী কে দেখেছি।
সত্যি?
এটা কয়েকদিনের জন্য নাও।
দরকার নাই।
মাত্র কয়েক দিনের জন্য।
কি ঝামেলা
সে ধরে না পড়া পর্যন্ত এটা রাখবে।
আজ দোকানদারদের মিটিং আছে।
এটি এড়িয়ে যাও।
ভোট আছে।
দেখা করবো এবং তাড়াতাড়ি চলে আসবো।
আজ কোথায়?
মদের দোকানে।
"চিয়ার্স !"
আমাদের বেকারির রুটি
আর নাই
আমি কিছু অতিরিক্ত তৈরি করেছি।
খারাপ রুটি এনেছেন?
না না। অতিরিক্ত করেছি,
সে অবশিষ্ট রুটি এনেছে।
ধন্যবাদ।
আমরা কি খাবার অর্ডার করবো?
চিকেন?
দুটি চিকেন?
দুষ্টামি করনা, ধন্যবাদ।
আপনি কি গোল্ড নাকি সিলভার?
কি?
মিস কোরিয়াতে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় হয়েছেন?
নাকি সে জিতেছে আপনারা তিনজন আছেন।
একটা মজার না
আসলে আমি মজার
আপনি কিছুক্ষণ আগে এসেছেন তাই না?
হ্যাঁ স্যার।
স্যার? আমাকে ওপ্পা বলে ডাকবে।
আমি বলেছিলাম ওপ্পা বলতে।
কখন বলেছিলেন?
আপনার বয়স 34?
আসলে 33।
সে আপনার চেয়ে বড়
সত্যি? দেখে তরুণ মনে হয়।
বেবি ফেস,,, আমি 18 বছর ভেবেছিলাম।
আমাদের চশমা লাগাতে হবে।
চিয়ার্স।
চমৎকার।
আপনি সত্যিই মদ ভালোবাসেন।
বাই।
কি অবস্থা?
মেয়েগুলো আমার নাম্বার চাইছিল।
চলো চিয়ার্স করি
চিয়ার্স
আমাদের কিছু দরকার
পাড়ার সব তরুন তরুনী।
সত্যিই সেম জিনিস যদি গাংনামে হয়
কফি তো একই জিনিস দিয়েই বানায়।
গাং নামে ৫০০০ টাকা থেকে শুরু
সত্যিই চিংড়ির সেই পাস্তা
আমি ভাবলাম চিংড়ি মাছ ধরছি।
গাংনামে যদি 40 হাজার খরচ হয়
মানুষ তোমাকে ঘৃণা করবে।
হাসি থামাও এবং শোনো।
তোমাকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের
বিনিয়োগ করতে হবে।
পরিবেশের উপর কফির দাম নির্ভর
আমি যখন সেখানে গিয়েছিলাম
এক দৃশ্য দেখেছিলাম।
সেই দৃশ্যের জন্য ৫০০০
টাকা ফুরাতে চাও?
জ্ঞানহীন
সবচেয়ে খারাপ
অনেক খারাপ
খারাপ
ওহ,সুন্দর বসার জায়গা
যাই হোক এটা আমার পছন্দ
দাত বের করা বন্ধ করো
আবার আমরা তিনজন? আমি অসুস্থ.
দেখুন একটা রুটি আছে।
আপনার বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য অভিনন্দন।
"তুমি এত সুন্দর কেন "
"আমি করেছি "
"তোমাকে অনেক দারুন লাগছে "
"আমি এখানে আবার আসবো "
❞আমি অনেক খরচ করেছি "
"আমি এটা পছন্দ করি "
আরে ট্যারেট ক্যাফের মালিকে এখানে।
এখানে
কারো সাথে ফ্লার্ট করা বন্ধ করুন।
সে পালিয়ে যাবে।
তুমি চাও আমি শুধু তোমার হই?
আপনি কি পছন্দ করেন?
গড, আমি এখানে বসতে চাই না।
আপনি কি রুটি চান?
ওহ! ধন্যবাদ।
নিশ্চিত।
কি দারুন, তুমি অনেক সুন্দর হয়ে গেছো।
আমাদের কি দুপুরে দেখা হয়নি?
মানে তারপর থেকে
তুমি আরো সুন্দর হয়েছো।
পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য এর মতো।
তুমি কিভাবে এত সুন্দর?
আমার একটা প্রশ্ন আছে।
তোমার দোকানে কিছু অতিথি
আসলে, দোকান বন্ধ রাখো?
তুমি সেখানে কি করো?
ওহ! কখনো কখনো লোকেরা
সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে কথা বলতে আসে।
আমি তাদের প্রাইভেসি রক্ষা করি।
তাদের কি ডাক্তার দেখাতে হবে না?
তুমি শুধু কয়েকটি কার্ড
বের করে বলবে এটি ঘটবে।
এটা কতটা ভালো হবে, ওহ সরি সরি
সরি এই কারণে আমার বেশি বন্ধু নাই।
সেটি সঠিক,
ওহ আমারো।
সত্যিই? আমার মত?
হ্যালো সবাইকে দেখে ভালো লাগলো।
আমি দোকান সমিতির সভাপতি।
অনেক তরুণতরুণীকে দেখছি।
এখানে জায়গা দেওয়ার জন্য
মালিক কে ধন্যবাদ জানাই।
না না, আমি শুধু জায়গা ব্যবহার করতে
দিছি খাবারের জন্য টাকা দিতে হবে।
তোমাকে ধন্যবাদ
মিটিং শুরু করার আগে একটি ঘোষণা আছে।
এটা সবাই দেখেছেন তাই না?
কালো হুডি, কালো মাক্স।
এই অপরাধী একা মহিলাদের টার্গেট করে।
এ পাড়ার মেয়েরা বাড়ি
ফেরার সময় সতর্ক থাকবেন।
সবাই,,,,
আমি তোমাকে বলছি এসব
দিয়ে কিছুই করতে পারবে না।
বন্ধুরা আমি যখন তোমাদের বয়সে ছিলাম
আমি তখন অনেক আবেগপ্রবণ ছিলাম।
অনেক আবেগি
অনুপ্রাণিত করার জন্য চিয়ার্স।
যখন অগুন বলবো তখন বলবে প্যাশান।
আগুন।
আগুন।
"আগুন"
হুহ এটা কি?
এটা কি?
আগুন, আগুন লেগেছে।
আগুন লেগেছে।
আগুন
বাইরে চল
আগুন
বাইরে চলো
আগুন
আগুন কোথায়?
কোথায়?
কোন দিকে আগুন?
কোথায় আগুন?
কোথায়? কোথায়?
তুমি কি করছ?
কালো হুডি, কালো মাক্স।
ওই দিকে গেল।
চলো ওইদিকে যাই।
তুমি কি পাগল?
আমি তোমার সাথে ছিলাম।
আগুন কোথায়?
ওটা আগুন ছিল না।
এটা সেই অপরাধী।
তাহলে আগুন বললে কেন?
কি হয়েছে?
তুমি তো জানো আমি মিথ্যা বলছি না।
সরি আমি ভেবেছিলাম কেউ আসবেনা।
দেখে মনে হচ্ছে সে ভালো আছে।
চলুন পুলিশকে কল করি।
আমরা সবাই খুঁজলে
তাড়াতাড়ি খুঁজে পাবো।
চলো তাকে খুঁজি।
হ্যাঁ তাকে ধরতে হবে।
পরবর্তী টার্গেট কে হবে? কে জানে?
ঠিক
মিস তোমার বাড়ির ঠিকানা
দাও আমি নিয়ে যাব।
না, ধন্যবাদ।
আমাদের পুলিশকে কল করা উচিত।
না, আমাদের তাকে খুঁজতে হবে।
আমি তোমাকে ধরেছি।
আপনি কে?
আপনি অপরাধী?
আরে, সেই হারামি।
তুমি ঠিক আছো?
আমি ইচ্ছা করে করিনি।
তোমার আন্ডার দেখতে পাচ্ছি।
প্যান্ট পরো, ঠিক আছে।
দুঃখিত আমি ইচ্ছা করে করিনি।
আরে তুমি এখনো তাকে খুজতে চাও?
আমি ভালো আছি।
তার চোখে ভালোভাবে স্প্রে করা উচিত ছিল।
তুমি স্প্রে নিয়ে ঘুরো কেন?
জীবনে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমরা ধরেছি।
হেই!
সে বিকৃতের মতো দেখতে।
কালো হুডি, কালো মাক্স।
এই সেই জারজ।
তাকে মারবে না।
আপনারা সবাই এমন করছেন কেন?
আমি সে না.
তার মাক্স খুলো।
ঠিক আছে
তোমার মুখটা দেখা যাক।
না।
এটা সে না।
সে অপরাধী না।
তুমি কিভাবে জানো?
আমি যা বলি, তাই হয়।
"আমি যা বলি, তাই হয়"
বাংলা অনুবাদে জাহিদ।
| speech |
1080d0ca2a46d980d3d9bdb187a4da170ece4d40089216e6208de0f0a3ac2308 | পড়েছি দ'জনে, উনি পরতে ভুলে গিয়েছিলেন। সেদিন হোটেলে ফিরে ওটা দেখে ওঁকে টেলিফোন করতেই উনি বললেন, আপনার কাছে রেখে দিন, বিকেলে স্টেশনে সি-অফ করার সময় নিয়ে নেব। কিন্তু, বিকেলে আর আসতে পারেননি স্টেশনে। আমি একেবারে ভুলেই গিয়েছিলাম এ ক'দিন ।
অরর্ণিমা আর একবার নেড়েচেড়ে দেখল আংটিটা, কিন্তু, এ তো মেয়েদের আংটি ।
রূপম বিব্রত হল কিছুটা, কাঁচুমাচু হেসে বলল, তা সন্তোষবাব, যদি মেয়েদের আংটি পরেন তো আমি কী করব ?
অরণিমা কিছুক্ষণ ভারতে কোঁচ ফেলে থাকল, তারপর মুখে বিচিত্র হাসি ফটিয়ে বলল, দ্যাখো, সন্তোষবাব, তোমাদের ক্লায়েন্ট যখন, তখন হয়তো আংটি দিয়ে তোমাকে ঘষে দিতে চাইছে। ঘষ দেওয়ার এও হয়তো এক নতুন পদ্ধতি -
রূপম বেশ একট, কুঁকড়ে গেল স্বভাবতই। অরুণিমা যে ঘষ নামক আধুনিক এই মারণাস্ত্রটিকে ভীষণ অপছন্দ করে তা রূপম হাড়ে-হাড়ে জানে। সে হেসে ম্যানেজ করার ভঙ্গিতে বলল, তাতে খুব সবিধে হবে না। রূপম রায়কে আমাদের কোম্পানির এ ট জেড্ লোকজন সবাইই ভয় পায়। আমি আজই ক্যুরিয়ার সার্ভিসে ওটা ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি। যদি কোন মতলবও থাকে, ফেরত পেলেই বুঝে যাবে-আংটিটা মোড়কে পনবার ভরে অরুণিমা রেখে দিল রূপমের সামনে, নাও, তোমার সম্পত্তি ধরো। বলে পায়ে ধপধাপ শব্দ তুলে কিচেনের ভেতর ঢঢুকে গিয়ে বহুঝিয়ে দিল, ব্যাপারটা তার খুবই অপছন্দের ।
দিন দ'য়েক টিটোকে আর স্কুলে পাঠাল না অরুণিমা। স্কুল বাস রোজ সময়মতো তাদের স্টপেজে এসে যাচ্ছে দেখে খুবই কষ্ট হচ্ছে, তার তব, বাকের কাঁপ,নিটক, যাচ্ছে না যেন । তৃতীয় দিন সকালে ফোন করল টিলার মা প্রত্যাশা, কী হল দিদি, টিটোর শরীর খারাপ নাকি ?
| pdf |
992e119addf1f72d18808841aa9fd7407854e5eb | নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বৃহস্পতিবার অ্যারাইজ তেজ গোল্ড ধানের বীজ বিতরণ করে কীটনাশক কোম্পানি বায়ার ক্রপ সায়েন্স লিমিটেড।
সকাল ১১টায় এ উপলক্ষে অয়োজিত অনুষ্ঠানে চার শতজন কৃষকের মাঝে প্রত্যেকের হাতে দুই কেজি করে অ্যারাইজ তেজ গোল্ড ধনের বীজ বিতরন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কানিজ তাশনোভা, কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. বিমল কুমার প্রামাণিক, বায়ার ক্রপ সায়েন্স লিমিটেড'র সিনিয়র টেরিটরী অফিসার মোহাম্মদ মোস্তাকিম, ফিল্ড এসোসিয়েট মোয়াজ্জেম হোসেন দুলাল প্রমুখ।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ভাল ধানে ভাল জীবন, চিকন দানা অধিক ফলন। তাই অধিক ফলনের জন্য চিকন ধান চাষাবাদ করা আমাদের প্রয়োজন।
| web |
feb3c371c261a5f88353a3c5b34b8f230bd62eda | একেই বলে বাম্পার পুজো গিফট। সবে মাত্র ৯ ই সেপ্টেম্বর থেকে প্রি-অর্ডার শুরু হয়েছে ভারতে, এরই মধ্যে হাতের নাগালে এসে গেল iphone14 pro max! জীবনের প্রিয় মানুষের থেকে এরকম দুর্দান্ত উপহার পেলে বলতেই হয় আসছে বছর আবার হবে।
চলতি সপ্তাহের টিআরপি চার্টে (TRP Chart) বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। দর্শকদের মনে মিঠাই রাজ করলেও, গল্পের মোড় পছন্দ হচ্ছে না, তাই 'মিঠাই' (Mithai) এর টিআরপি কিছুটা পিছলে পিছনে চলে গিয়েছে। কিন্তু, কিন্তু, মিঠাই রানী ওরফে সৌমিতৃষা কুণ্ডুর (Soumitrisha Kundu) মনে লাড্ডু ফুটছে। সদ্য লঞ্চ হওয়া iphone14 pro max! এখন তাঁর হাতের মুঠোয়। তাও আবার বাড়ির প্রিয় মানুষটা উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছেন পুজোয়, তাইতো বলতেই হয় 'লাভ ইউ বাবাই'। এই বাবাই হল অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডুর বাবা।
কী আছে এই ফোনে? আপনিও কিনতে চান কি? চলুন দেখে নিই এর কিছু বৈশিষ্ট্য।
১) চারটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে এই ফোনে, যেমন - 128GB, 256GB, 512GB এবং 1TB। আহা অসাধারণ।
২) লেটেস্ট A16 Bionic চিপ, স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি সাপোর্ট। সব মিলিয়ে আগের প্রো মডেলগুলির তুলনায় iPhone 14 Pro যথেষ্ট উন্নত।
৪) 14 প্রো সেরামিক শিল্ড ফ্রন্ট কভারের সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে।
৫) iPhone 14 Pro Max-এর দাম শুরু হচ্ছে ১০৯৯ ডলার (প্রায় ৮৭,৬০০ টাকা) থেকে। এই দাম বর্ধিত হয়েছে ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী।
| web |
a7048a2cd01b172e7ce2c0036e7ea2a4c60b1be79fc97fa97c63e7d0b135f6f1 | মন্মায়ামোহিতধিয়ঃ পুরুষাঃ পুরুষষভ।
শ্ৰেয়ো বদভ্যনেকান্তং যথাকর্ম যথারুচি।।৯।। অন্বয়ঃ - (হে) পুরুষষভ! (হে পুরুষশ্রেষ্ঠ!) মন্মায়ামোহিতধিয়ঃ (মম মায়য়া বিমোহিতচিত্তাঃ) পুরুষাঃ যথাকৰ্ম্ম যথারুচি (কর্ম্মানুসারে রুচ্যনুসারেণ চ) অনেকান্তং (নানাবিধং) শ্রেয়ঃ (শ্রেয়ঃ সাধনং) বদস্তি ।। ৯।।
অনুবাদ - হে পুরুষশ্রেষ্ঠ! মানবগণ আমার মায়ায় বিমোহিত হইয়া রুচিকর্ম্মভেদে নানাবিধ শ্রেয়ঃসাধন বর্ণন করিয়া থাকেন ।। ৯।।
বিশ্বনাথ - অনেকান্তং নানাবিধম্।। ৯।। টীকার বঙ্গানুবাদ - অনেকান্ত অর্থাৎ নানাবিধ।।৯ বিবৃতি - জীবগণের কর্ম্মানুসারে রুচির উদয় হয়। সেই রুচি-বশেই তাঁহারা নানাপ্রকার কৰ্ম্মফলভোগে তাৎপর্য্য-পরতাকেই শ্রেয়ঃ জ্ঞান করেন। কখনও কখনও তাঁহারা পঞ্চবিধ সকাম উপাসনা পরিত্যাগপূৰ্ব্বক নিৰ্ব্বিশেষবিচারে প্রমত্ত হন। তাঁহারা স্ব-স্ব-বিচারমূঢ়তা প্ৰদৰ্শন-পূর্ব্বক পুরুষোত্তমের সেবাই যে একমাত্র শ্রেয়ঃসাধন - ইহা বুঝিতে পারে না। কেহ বা গুরু, কেহ বা শিষ্য প্রভৃতির সজ্জায় নিষ্ঠা-বৰ্জ্জিত হইয়া অনর্থ-সাগরে পতিত হয়, এবং অনর্থের মধ্যে থাকিয়া ভজনরহিত হন। সাধুসঙ্গের অভাবেই ভজনরাহিত্য তাহাদিগকে অনর্থে প্রবৃত্ত করায় । শ্রদ্ধার অভাব হইতেই তাঁহাদের ভগবদভক্তিতে রুচি হয় না - আসক্তি ত' দূরের কথা।
যে-স্থানে শ্রদ্ধা নাই, সৎসঙ্গ নাই, ভজন নাই, সেস্থানেই অনর্থ প্রবল। তাঁহারা সত্যের উপলব্ধি হইতে সর্ব্বদা বঞ্চিত বলিয়া নিষ্ঠা ও রুচির অভাবে জড়ভোগে প্রমত্ত থাকে।। ৯।।
ধৰ্ম্মমেকে যশশ্চান্যে কামং সত্যং দমং শমম্। অন্যে বদন্তি স্বার্থং বৈ ঐশ্বৰ্য্যং ত্যাগভোজনম্ । কেচিদ যজ্ঞং তপো দানং ব্ৰতানি নিয়মান্ যমান্ ॥ ১০॥
অন্বয়ঃ - একে (কৰ্ম্মমীমাংসকাঃ) ধৰ্ম্মম্, অন্যে (কাব্যালঙ্কারকৃতঃ) যশঃচ, (অন্যে বাৎস্যায়নাদয়ঃ)
কামম্, অন্যে (যোগশাস্ত্ৰকৃতঃ) সত্যং দমং শমম্ (অন্যে দৃষ্টাৰ্থবাদিনো দণ্ডনীতিকৃতঃ) ঐশ্বৰ্য্যং বৈ এব স্বার্থং (পুরুষাথম্, অন্যে লোকায়তিকাঃ) ত্যাগভোজনং (দানং ভোগঞ্চ, কেচিৎ) যজ্ঞং তপঃ দানং ব্ৰতানি নিয়মান্ যমান্ (চ শ্রেয়ঃ কথয়ন্তি)।। ১০।
অনুবাদ - তন্মধ্যে কেহ ধৰ্ম্ম, কেহ যশঃ, কেহ কাম, কেহ সত্য-দম-শম, কেহ ঐশ্বৰ্য্য, কেহ দান ভোগ, কেহ বা যজ্ঞ তপঃ-দান-ব্রত-নিয়ম-যমপ্রভৃতিকে শ্রেয়সাধন বলিয়া থাকেন।।১০।।
বিশ্বনাথ - তদেবাহ, - ধৰ্ম্মমিতি সার্দ্ধেন। ধর্ম্মং কৰ্ম্মমীমাংসকাঃ, তদুক্তং "মোক্ষার্থী ন প্ৰবৰ্ত্তেত তত্র কাম্যনিষিদ্ধয়োঃ। নিত্যনৈমিত্তিকে কুৰ্য্যাৎ প্রত্যবায়জিহাসয়া।।"ইত্যাদি। যশঃ কাব্যলঙ্কারকৃতঃ, যথাহুঃ - "যাবৎ কীৰ্ত্তিমনুষ্যাণাং পুণ্যলোকেষু গীয়তে। তাবদ্বর্ষসহস্রাণি স্বৰ্গলোকে মহীয়তে।।" ইতি। কামং বাৎস্যায়নাদয়ঃ। সত্যং দমং শমমিতি শান্তিশাস্ত্ৰকৃতঃ। অন্যে দৃষ্টাৰ্থবাদিনঃ দণ্ডনীতিকৃতঃ। বৈ প্রসিদ্ধং ঐশ্বৰ্য্যমেব স্বার্থং বদন্তি। অতঃ সামাদ্যপায়া এব শ্রেয়ঃসাধনমিতি তেষাং মতং, তথৈব ত্যাগং ভোজনঞ্চ লোকায়তিকাঃ, যজ্ঞাদিকং বৈদিকাঃ, নিয়মান্ যমান্ তপোব্ৰতাদিনিষ্ঠাঃ ।। ১০।।
টীকার বঙ্গানুবাদ - তাহাই বলিতেছেন - ধৰ্ম্মকে কৰ্ম্ম মীমাংসকগণ তাহারা বলেন মোক্ষার্থী কাম্য ও নিষিদ্ধ কৰ্ম্মে প্রবর্তিত হইবে না, নিত্য ও নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম করিবে প্রত্যবায় দোষ ত্যাগের জন্য ইত্যাদি। যশ কাব্য অলঙ্কার কর্ত্তাগণ তাহারা বলেন মনুষ্যগণের কীর্ত্তি পুণ্যলোকে যেপৰ্য্যন্ত গীত হয় সেই পরিমাণ সহস্ৰবৰ্ষ স্বর্গলোকে পূজিত হয় । বাৎসায়নাদি কামকে পুরুষার্থ বলেন। শান্তি শাস্ত্রকারীগণ বলেন সত্য দম শম ইহাই ধৰ্ম্ম, প্রত্যক্ষবাদীগণ বলেন - দণ্ডনীতি ঐশ্বৰ্য্যই স্বাৰ্থ ইহা কেহ কেহ বলেন। অতএব সামাদি উপায় সমূহই তাহাদের মতে মঙ্গলের সাধন। চাৰ্ব্বাক্গণ বলেন ত্যাগ ও ভোজন ধৰ্ম্ম, বৈদিকগণ বলেন যজ্ঞাদি ধৰ্ম্ম, তপস্যা ও ব্রতাদিনিষ্ঠগণ বলেন - যম নিয়ম ধৰ্ম্ম।। ১০।
| pdf |
6daaeca72bae6c73d53139b65501420aa9b9ed6c | সংগ্রাম অনলাইন ডেস্কঃ অবশেষে পর্ণ সাইট অনলিফ্যানস নিষিদ্ধ করেছে তুরস্ক। দেশটির রক্ষণশীল সংস্থা সিআইএমইআর সম্প্রতি এ নিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করে। তারই প্রেক্ষিতে অনলিফ্যানসে প্রবেশ ব্লক করে দিয়েছে দেশটির ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ খবর দিয়েছে আরটি।
খবরে জানানো হয়, আঙ্কারা যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে অনলিফ্যানস নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ঘোষণা করেনি, তবে তুরস্কের গণমাধ্যমগুলো খবরটি নিশ্চিত করেছে। তুরস্ক থেকে অনলিফ্যানসে প্রবেশ করলে বলা হচ্ছে, এই সাইটটি নিরাপদ নয়।
অনলিফ্যানস হচ্ছে এমন একটি সাইট যেখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করতে পারেন। তবে এই আয় বিজ্ঞাপনভিত্তিক নয়। সাধারণত নির্দিষ্ট সাবস্ক্রিপশন ফি'র মাধ্যমে অনলিফ্যানস ক্রিয়েটরদের কন্টেন্ট দেখা যায়।
অনলিফ্যানস নিজেদেরকে বয়স্কদের সাইট বলে দাবি করলেও এখানে পর্নস্টার থেকে শুরু করে সাধারণ তরুনীরাও নিজেদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও বিক্রি করে থাকে।
অনলিফ্যানস বন্ধ করে দেয়ায় সে দেশের পশ্চিমাপন্থী ক্রিয়েটররা সংকটে পড়তে চলেছেন। এরইমধ্যে টুইটারে এরকম ক্রিয়েটররা এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ ব্যবহারকারীদের ভিপিএন ব্যাবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে তুরস্কের রক্ষণশীলরা বলছেন, অনলিফ্যানস মানুষকে অনৈতিক পদ্ধতিতে অর্থ আয়ে উৎসাহিত করছে। যদি এখনই এ ধরণের প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে তুরস্কের পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে। অনলিফ্যানসে বর্তমানে ১৯০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছেন, যারা অর্থ দিয়ে বিশ্বজুড়ে তরুণীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও কিনে থাকেন। প্রতি দুই দিনে নতুন করে এক মিলিয়ন মানুষ অনলিফ্যানসে অর্থ ঢালছেন।
অনলিফ্যানসে ২১ লাখ ক্রিয়েটর রয়েছেন। তারা নিজেদের ছবি ও ভিডিওর জন্য নির্দিষ্ট অর্থ গ্রহণ করে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, অনলিফ্যানসে যারা জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন তারা প্রতি মাসে লাখ লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে গড় হিসেবে ক্রিয়েটরদের এই আয় মাত্র ১৫১ ডলার! অনলিফ্যানস ক্রিয়েটরদের আয়ের ২০ শতাংশ নিয়ে নেয়। সাধারণত সদ্য ১৮ বছরে পা দেয়া তরুণীরা সহজ আয়ের উৎস হিসেবে অনলিফ্যানসকে বেছে নেয়। এর আগে রাশিয়া থেকে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছিল অনলিফ্যানস।
| web |
dd73cf3501fc9a66e6ed3c37e4c249aefabe91ff00177f2dc6c5a42645b63e9f | এমনি ধারা কত কথাই না লোকেরা বলে বেড়াত। এ যেন একটা প্রতিশোধ--যার মারফত গরীবরা বিত্তশালীদের ওপর মনের ঝাল ঝাড়ে। রিক্তের জগৎ চক্ষুষ্মান্, আবার তেমনি ক্ষিপ্রকারীঃ এই চট্টপটে সেয়ানাগিরির জন্যেই রিক্তের দল বদ্ধিহীন। তারা দেখতে পায় না যে প্রকৃতির দান আকস্মিক ভাবে অযাচিতেই বর্ষিত হয়, কখনো বা নিৰ্ম্মমভাবেই সহসা দেখা দেয়-নিশ্চয়তা তার ভিতর থাকে না এতটুকু। প্রকৃতি দরদ জানে না, পরোপকার এজনোই দেখতে পাও- দুনিয়ায় মার আর কিছু নাই সম্মল তাদের হাতেই পজিম্বরূপ প্রকৃতি ঢেলে দেয় প্রতিভা - বিশেষ করে সাহিত্যের রাজ্যে এত বাঁধাধরা কাননে। খারা চির-ক্ষুধার্ত্ত- যারা জন রণ, যারা সরকার কর্তৃক নিপীড়িত--তাদেরই জন্যে এ যেন সান্ত্বনা-পারস্কার ; জীবনে সব কিছ, থেকে বঞ্চিত হয়ে যারা প্রস্থান করেছে মহাকালের আহবানে- তাদের জন্যেও এমনি ধার। ক্ষতিপরেণ পারিতোষিক যেন।
না, তা বলে আমার এমন আকাঙ্ক্ষা কোন দিন হয় নি যে, মানবজাতির এ বিরাট নিবন্ধিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করব। আমি শধু, এর কাছে মাথা নতই করলাম, লোকে যেমন বজ্রপাত, বন্যা, ভূমিকম্প, ঝড়-ঝঞ্ঝা প্রভৃতি দৈব-দ,বিপাকের তাণ্ডবকে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় নিরুপায় হয়ে, জানিও তেমনি উপায়হীনতার কশাঘাতেই একে অঙ্গীকার করতে পারলাম ন.........। না করেই কি ঢারা আছে. কি সাধ্য আমার এমন প্রবল জনমতের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার, আর দাঁড়ালেই বা এর একচুল হেরফের করবার কি
ক্ষমতা আমার..
আমি ছিলাম এবং এখনও আছি বোহেমিয়ান : আমার জাতির চিরাগত ঐতিহ্যের মর্যাদা আমি রক্ষা করলাম। কাজেই সটকেশ ভৰ্ত্তি ব্যাঙ্ক-নোট নিয়ে বুদাপেস্তে ফিরে আমার সেই চির পরাতন নোংরা ক্ষদে কাফেটিতেই আনাগোনা করতে লাগলাম যেখানকার আমি ছিলাম একজন রীতিমত একনিষ্ঠ খদ্দের। আমি যেন সেখানকার আহারের বিল যথাসময়ে শোধ করতে অসমর্থ - এমন ভান করতাম। গলার কলারটা পাছে বেশী ধব্ধবে দেখায় এজন্য ইচ্ছা করেই সেগুলা ময়লা নোংর। করে তারপর পরতাম।
কিনে নিজে হাতে তার চলাঁটা ফুটা করে নিতাম ছারি দিয়ে। আমায় কেমন হাসিয়ার হয়ে চলতে হত, পারবে না। কব না-নইলে আমার কবি যশ যে বলিসাৎ
হয়ে যায়।
তা ছাড়া যে জীবনে যে পারিপার্শিকে আমি অভ্যন্ত দীর্ঘকাল, তা-ই ছিল আমার কাছে বেশী আরামপ্রদ বেশী আকর্ষণযোগ্য। যদি আমার এ অর্থপ্রাপ্তির সংবাদ বাইরে প্রচার হয়ে যায়, অমনি আমার বন্ধু-বান্ধবগণ (আমার শত্রুদষমনেরাও তার সাথে) আমায় একেবারে ছে'কে ধরবে, দিনরাত সাক্ষাতের পর সাক্ষাতে আমায় অতিষ্ঠ করে তুলবে, কবিতা লেখার মত মনের শান্তি আর আমার মিলবে না এক নিমেষ।
-"তাহলেও এত টাকাকড়ি নিয়ে শেষ পর্য্যন্ত তুমি করলে কি বল ত
সে-ই ত হয়ে পড়ল আমার মহা সমস্যা! আমি যে ফস্ করে একটা ব্যাঙ্কে একাউন্ট খুলব, তাও পারি নি; সেটা ত স্বাভাবিকই, কারণ তাহলে আমার এত যে গোপনতা, সব ফাঁস হয়ে যাবে। তার বদলে আমি করলাম কি জান ? টেবিলের টানায় যে আমার পাণ্ডুলিপির গাদা, তারই ভিতরে গাঁজে রাখলাম নোটগুলা তালা T প্রত্যেক দিন সন্ধ্যাবেলা এবার করে দেয়াজটা বলতামআর নোটগুলার উপর নজর দিতাম, অবশ্য নোটগুলো ঠিক ঠিক আছে কিনা, তা পরখ করবার জন্যে নয় -একটা এলোমেলো মনের ভাব নিয়ে। তা বলে এটা নিশ্চয়ই মিথ্যাভাষণ হবে, যদি বলি দেরাজের ভিতর থেকে অতগুল। নোট উকি মেরে আমায় খুশী করে নি এতটুকু; ঋশী আমায় করেছে, কেন না, অর্থকে আমি শ্রদ্ধা করি। অর্থ যে কি, উহার গর্ত্বে কি অশেষ, সে সম্বন্ধে আমি অবহিত ছিলাম সম্পূর্ণ। অর্থই যে আনন্দ, অর্থই যে ক্ষমতা, অর্থ যে সংসারের সারতাতে আমার সন্দেহ ছিল না একবিন্দ। তা'হলেও এই অগুনতি নোট এই বিপুল অর্থ রাশি আমার বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মতই চেপে বসেছিল--স্বস্তি, আরাম আমায় পরিহার করে চলে গিয়েছিল। সে সময়ে আমি বেজায় বাঘিমান, বিষণ্ন • সেয়ানা ছিলাম -তাই হালচাল পাল্টিয়ে নতুন মানসেটি হতে চেষ্টা করিনি। - এই ধর না, একটা মোটর কেনা, কিব! আমার সাধের ও-নোংরা আঁধারপোরা ঘরটা ছেড়ে ভদ্রগোছের একখানি বাড়ী করা, এবং তারপর নিত্য নতুন দায় কাটিয়ে হিমসিম খাওয়া--এ আমার ধাতে বরদাস্ত হবার নয় আদপেই। না! অন্য কেউ না হলেও তুমি ত জান আমি অথকে কি রকম অপছন্দ করি! আমার আহার শাদার্শিদে; সন্ত। মদই আমি পছন্দ করিঃ সম্ভা সিগারেট ; আর, আর সপ্তা......সবই তোমায় বলতে কি ।
তারই জন্যে নিজের মনের সঙ্গেই তর্ক জড়তে হল নিম্নমভাবে আর ন্যায়শাস্ত্রকে অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করে। আমার পেশা হ'ল -লেখা, কবিতা লেখা। এমন কি তখনকার দিনেও আমার লেখনীর সাহায্যে আমি দশজনের কাছে বলে বেড়াবার মত নষাদাপূর্ণ অঙ্ক-পরিমাণেরই অর্থ অঞ্জন করতে সক্ষম জীবন ধারণের পক্ষে তা টায়-টোয় ৰোগই বলা যেতে পারে। এ রোজগারের সঙ্গে আর কিছু যোগ করলেই তোমা আরামে আমি জীবনটা কাটাতে পারব। ভাই ও নোটগুলো থেকে কিছুটা নিয়ে সে ব্যবস্থা লো। আমি হিসেব করে দেখলাম আমাদের বংশে তেমন দীর্ঘায়, কেউ হয়নিঃ বরান্দ কনে নিলাম আমি ৬. বছর অবধি বাঁচব। কাজেই ম বাকি জীবন ধরে নিলাম ৩০ বছর। তিরিশ বছরের জন্যে আমার উপাঙ্গনে মেটুকু যোগ করতে হবে মাসিক তার জন্যে ৪ লক্ষ কাউনের বেশী দরকার হবার কথা নয়। ও-টাকাটা আলাদা করে রেখে দিয়ে আমার মনে হ'ল-বাণিত কত অর্থাৎ যাকে বলে অপ্রয়োজনীয় অকেজো। মাকে বললাম -
| pdf |
22603887f0ce24dcc1191a828a4604f1a5c7d7a5 | গোটা বিশ্বে করোনা ত্রাস। দিনে দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাভাইরাসের প্রকোপে জনপ্রিয় অভিনেত্রী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন জনপ্রিয় সিরিজ 'গেম অব থ্রোনস'র অভিনেত্রী ইন্দিরা বর্মা।
এক সহ-অভিনেতা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ২ দিনের মাথায় ইন্দিরার শরীরিক রিপোর্টে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ইন্দিরা বার্মার পাশাপাশি করোনায় আরও আক্রান্ত হয়েছেন গেম অব থ্রোনস সিনেমার অভিনেতা খ্রিস্টোফার হিবজু।
জনপ্রিয় সিরিজ গেম অব থ্রোনস-এ এলারিয়া স্যান্ড'র চরিত্রে দেখা মেলে ইন্দিরার। ইন্দিরা বর্মা নিজেই ইনস্টাগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। তিনি লেখেন, শয্যাসায়ী, ভালো লাগছে না। করোনা সংক্রমণের কথা জানার পর থেকেই কোয়ারেন্টিনে। সবাই সু্স্থ থাকুন, আশপাশের সবার খেয়াল রাখুন। সতর্ক ও সাবধান থাকুন।
| web |
957af40de3d55d8d77e93e89ef9288e41bb8ff75bc7b5d1c0959e83759f31383 | চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ
চিনি রপ্তানী হইল। বাংলা হইতে ইয়োরোপে কয়েক বৎসর পূর্বেই চিনি রপ্তানী সর হইয়াছিল। এখনও উহা রপ্তানী হইতেছে এবং এই রপ্তানীর পরিমাণ প্রতি বৎসর বাড়িয়া যাইবে ও ইয়োরোপের বাজারে মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলার লাভ হইবে তাহাতে সন্দেহ নাই। ওয়েষ্ট ইণ্ডিসও এই লাভের কিয়দংশ পাইবে।
"বেনারস হইতে রংপুর, আসামের প্রান্ত হইতে কটক পর্যন্ত, বাংলা ও তৎসংলগ্ন প্রদেশে প্রায় সকল জেলায় আখের চাষ হয়। বেনারস, বিহার, রংপর, বীরভূম, বর্ধমান এবং মেদিনীপরেই আখের চাষ হয়। বাংলা দেশে প্রভূত পরিমাণে চিনি উৎপন্ন হয়। যত চাহিদাই হোক না কেন, বাংলা দেশ তদনরূপ চিনি যোগাইতে পারে বলিয়া মনে হয়। বাংলার প্রয়োজনীয় সমস্ত চিনি বাংলা দেশেই তৈরী হয় এবং উৎসাহ পাইলে বাংলা ইয়োরোপকেও চিনি যোগাইতে পারে।
"বাংলায় খুব সস্তায় চিনি তৈরী হয়। বাংলায় যে মোটা চিনি বা দয়া তৈরী হয়, তাহার ব্যয় বেশী নহে - হন্দর প্রতি পাঁচ শিলিংএর বেশী নয়। উহা হইতে কিছু অধিক ব্যয়ে চিনি তৈরী করা যাইতে পারে। ব্রিটিশ ওয়েষ্ট ইণ্ডিসে তাহার তুলনায় ছয় গুণ ব্যয় পড়ে। দুই দেশের অবস্থার কথা তুলনা করিলে এরূপ ব্যয়ের তারতম্য আশ্চর্যের বিষয় বোধ হইবে না। বাংলা দেশে কৃষিকার্য অতি সরল স্বল্পব্যয়-সাধ্য প্রণালীতে চলে। অন্যান্য বাণিজ্য-প্রধান দেশ হইতে ভারতে জীবনযাত্রার ব্যয় অতি অল্প। বাংলা দেশে আবার ভারতের অন্যান্য সকল প্রদেশ হইতে অল্প। বাঙালী কৃষকের আহার্য ও বেশভূষায় ব্যর অতি সামান্য, শ্রমের মূল্যও সেই জন্য খুব কম। চাষের যন্ত্রপাতি সপ্তা। গো-মহিষাদি পশশুও সস্তায় পাওয়া যায়। শিল্পজাত তৈরীর জন্য কোন বহব্যয়সাধ্য যন্ত্রপাতির দরকার হয় না। কৃষকেরা খড়ের ঘরে থাকে, তাহার যন্ত্রপাতি উপকরণের মধ্যে একটিমাত্র সহজ ষাঁতা, কয়েকটি মাটীর পাত্র। সংক্ষেপে, তাহার সামান্য মূলধনেরই প্রয়োজন হয় এবং উৎপন্ন আখ ও গড় হইতেই তাহার পরিশ্রমের মূল্য উঠিয়া যায় এবং কিছু লাভও হয়।" কোলব্রক - Remarks on the Husbandry and Internal Commerce of Bengal, pp. 78-79.
এই কথাগুলি প্রায় ১৩০ বৎসর পূর্বে লিখিত হইয়াছিল এবং যে বাংলাদেশ এক কালে সমস্ত পৃথিবীর বাজারে চিনি যোগাইত তাহাকেই এখন চিনির জন্য জাভার উপর নির্ভর করিতে হয়। উন্নত বৈজ্ঞানিক কৃষি প্ৰণালীর ফলে কিউবা ও জাভা এখন অত্যন্ত সস্তায় চিনি রপ্তানী করিয়া পৃথিবীর বাজার ছাইয়া ফেলিয়াছে। বর্তমানে (১৯২৮২৯) জাভা হইতে ভারতে বৎসরে প্রায় ১৫।১৬ কোটী টাকার চিনি আমদানী হয় এবং এই চিনির অধিকাংশ বাংলা দেশই ক্রয় করে। বর্তমান সময়ে চিনি এদেশেই প্রধানতঃ প্রস্তুত হইতেছে, অতিরিক্ত শল্ক বসাইয়া জাভার চিনি একবারে বন্ধ হইয়াছে। কিন্তু তাহাতে বাংলার কোন লাভ নাই। এই চিনি বিহার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল হইতে আমদানী হয়, স'তরাং বাংলার টাকা বাংলার বাহিরে যায়।
পাট এখন বাংলার, বিশেষতঃ উত্তর ও পূর্ব বঙ্গের, প্রধান ফসল! কিন্তু ১৮৬০ সালের কোঠায় পাট যশোরে অল্প পরিমাণ উৎপন্ন হইত এবং তাহা গৃহস্থের দড়ি, বস্তা প্রভৃতি তৈরী করার কাজে লাগিত। এই সব জিনিষ হাতেই সতা কাটিয়া তৈরী হইত। ভদ্র পরিবারের পুরুষরাও অবসর সময়ে পাটের সুতা বোনা, দড়ি তৈরী প্রভৃতির কাজ করিত। বাজারে পাটের দর ছিল ১০০ মণ। কিন্তু পাটের চাষ ক্রমশঃ বাড়িয়া যাওয়াতে বাংলার আর্থিক অবস্থার ঘোর পরিবর্তন ঘটিয়াছে।
উত্তর বঙ্গের রংপুর প্রভৃতি জেলায় "পাটের সুতা কাটা ও বোনা খুব প্রচলিত ছিল। ঊষা হইতে গৃহস্থের ব্যবহারোপযোগী বিছানার চাদর, পর্দা, গরীব লোকদের পরিচ্ছদ প্রভৃতি তৈরী হইত। ১৮৪০ সালের কোঠায়, কলিকাতা হইতে উত্তর আমেরিকা ও বোম্বাই বন্দরে তুলার গাঁইট বাঁধিবার জন্য চট রপ্তানী হইত; কিন্তু চিনি ও অন্যান্য জিনিষ রপ্তানী করিবার জন্য বস্তা তৈরীর কাজেই পাট বেশী লাগিত।"
ডাঃ ফরবেশ রয়েল তাঁহার "Fibrous Plants of India" (১৮৫৫ খৃঃ প্রকাশিত) নামক গ্রন্থে হেনলি নামক জনৈক কলিকাতার বণিকের নিকট হইতে প্রাপ্ত নিম্নলিখিত বর্ণনা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। এই বর্ণনা হইতে বুঝা যায়, পাট শিল্প বাংলার অন্যতম প্রধান শিল্প হইয়া উঠিয়াছিল এবং এখানকার হাতে বোনা চট ও বস্তা পৃথিবীর দেশ দেশান্তরে রপ্তানী হইত।
"পাট হইতে যে সমস্ত জিনিষ তৈরী হইত, তাহার মধ্যে চট ও চটের বস্তাই প্রধান । নিম্ন বঙ্গের পূর্বাঞ্চলের জেলাগলির ইহাই সর্বাপেক্ষা প্রধান গার্হস্থ্য শিল্প। সমাজের প্রত্যেক সম্প্রদায় ও প্রত্যেক গৃহস্থই এই শিল্পে নিযুক্ত থাকিত। পুরুষ, স্ফীলোক, বালক, বালিকা সকলেই এই কাজ করিত। নৌকার মাঝি, কৃষক, বেহারা, পরিবারের ভৃত্য প্রভৃতি সকলেই অবসর সময় - এই শিল্পে নিযুক্ত করিত। বস্তুতঃ, প্রত্যেক হিন্দ, গৃহস্থই অবসর সময় টাকু হাতে পাটের সুতা কাটিত। কেবল মুসলমান গৃহস্থেরা তুলার সতা কাটিত। এই পাটের সুতা কাটা ও চট বোনা হিন্দু, বিধবাদের একটা প্রধান কাজ ছিল। এই হিন্দু, বিধবারা অবজ্ঞাত, উপেক্ষিত, বিনম্র, চিরসহিষ্ণু; আইন তাহাদিগকে চিতার আগুণ হইতে রক্ষা করিয়াছে বটে, কিন্তু সমাজ তাহাদিগকে অবশিষ্ট কালের জন্য অভিশপ্ত সন্ন্যাসিনী জীবন যাপন করিতে বাধ্য করিয়াছে। যে গৃহে একদিন সে হয়ত কর্ত্রী ছিল, সেই গৃহেই এখন সে ক্রীতদাসী। এই পাট শিল্পের কল্যাণেই তাহাদিগকে পরের গলগ্রহ হইতে হইতেছে না। ইহা তাহাদের অন্ন সংস্থানের প্রধান উপায়। পাট শিল্পজাত যে বাংলায় এত অল্প ব্যয়ে প্রস্তুত হয়, এই সমস্ত অবস্থাই তাহার প্রধান কারণ এবং মূল্য সূলভ হওয়াতেই বাংলার পাট শিল্পজাত সমস্ত পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে।" Wallace: The Romance of Jute.
ইহা হইতে বুঝা যাইবে যে, হাতে তৈরী পাট শিল্প বাংলার কৃষক ও গৃহস্থদের একটি প্রধান গৌণ শিল্প ছিল। ১৮৫০-৫১ সালে কলিকাতা হইতে ২১,৫৯,৭৮২ টাকার চট ও বস্তা রপ্তানী হইয়াছিল।
বাংলার পাট এখন চাউলের পরেই প্রধান কৃষিজাত পণ্য। কিন্তু বাঙালীদের ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যর্থতা ও অক্ষমতার দরূণ, পাট হইতে যে প্রভূত লাভ হয়, তাহার বেশীর ভাগই ইয়োরোপীয়, আর্মানী বা মাড়োয়ারী বণিকদের উদরে যায়। (৪)
প্রকৃত অবস্থা সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ একজন বিদেশী পাঠক হয়ত মনে করিতে পারে, ব্যবসায়ীদের এই বিপুল লাভের টাকাটা বাঙালীরাই পায়। কিন্তু তাহা সত্য নহে। কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে, পাটের কল কোম্পানীগুলির অধিকাংশ অংশীদার ভারতবাসী। তাহারা ভারতবাসী বটে, কিন্তু তাহাদের মধ্যে অধিকাংশই বাঙালী নয়। অবশ্য, একথা অস্বীকার করা যায় না যে, পাট বিক্রয়ের টাকার একটা প্রধান অংশ কৃষকেরাও পার। যে সব জমিতে পূর্বে কেবল ধান চাষ হইত, সেই সব জমিতে - বিশেষভাবে ত্রিপুরা, ময়মনসিং,
(8) অনুসন্ধানে জানা যায় যে, পাটের মূল্য হইতে প্রায় ১২২ কোটী টাকা এই সব ব্যবসায়ীদের
হাতে যায়।
| pdf |
03f9d66d3e0e1f78742223caaed3ea21bd80b79d | Here are the results for the search:
"{{td_search_query}}"
No results!
রাহুল গান্ধীর কথায় অপমানিত হয়ে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন মনমোহন সিংহ!
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের যোগ্য উত্তরসূরি পেয়ে গেল কংগ্রেস?
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতার গলায় 'মনমোহনী' সুর!
সংসদে তৃণমূলের ধরনায় রাহুল-সনিয়া-মনমোহন, বিরোধী সমাবেশে থাকবেন?
নোটবন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে 'ব্যর্থতা' মেনে নিলেন জেটলি!
অটলবিহারী বাজপেয়ী, প্রণব মুখোপাধ্যায়, মনমোহন সিংহ সরকারি বাসভবন হারাতে চলেছেন?
© 2021 Media 5. All rights reserved.
| web |
15afc33593565816a87b9a58bd8e5b29b69a37fa | প্রতীকী ছবি।
এক দাওয়াইয়ে দুই রোগ সারাতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর!
রাজ্যে অঙ্গগ্রহণের আবেদনের তুলনায় দাতা খুব কম। তাই বেআইনি ভাবে অঙ্গ কেনাবেচার প্রবণতা রয়েছে। এই রোগ সারাতে তৈরি হচ্ছে নতুন পদ, যার পোশাকি নাম 'কো-অর্ডিনেটর'। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আইসিইউ বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে থাকা রোগীর অবস্থা বুঝে তাঁর পরিবারকে অঙ্গদানের বিষয়টি বোঝাতে প্রতিটি হাসপাতালে এক জন কো-অর্ডিনেটর থাকবেন।
সম্প্রতি এসএসকেএমে এক জন কো-অর্ডিনেটর কাজ শুরু করেছেন। তিনি বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীর সম্পর্কে চিকিৎসকদের থেকে খোঁজ রাখবেন। 'ব্রেন ডেথ' ঘোষণার মতো পরিস্থিতি হলে রোগীর পরিবারকে অঙ্গদানে উৎসাহ দেবেন তিনি। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তিনি দ্রুত অঙ্গদানের সরকারি কাজের দিকটি তদারকি করবেন। এর আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চক্ষুদান করানোর জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছিল। যার জেরে চোখ প্রতিস্থাপনের কাজ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল চক্ষু ব্যাঙ্ক করতে উদ্যোগী হয়েছে। তাই চোখ প্রতিস্থাপনে এখন সমস্যা কমেছে। কিন্তু লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন এখন রাজ্যের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো থাকলেও অঙ্গ না মেলায় অনেক ক্ষেত্রে পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। রোগীদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অঙ্গদান বাড়লে ঘুরপথে অঙ্গ কেনাবেচার প্রবণতাও কমবে বলে আশা স্বাস্থ্য দফতরের।
স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানান, এ রাজ্যে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক। কিন্তু 'ব্রেন ডেথ' ঘোষণা করে দিলেও প্রতিস্থাপনের কাজ সে ভাবে হয় না। হাসপাতালের সুপার কিংবা অধ্যক্ষের পক্ষেও এ ধরনের সব রোগীর পরিজনেদের অঙ্গদান নিয়ে বোঝানো সম্ভব হয় না। এই কাজের জন্য এক জন নির্দিষ্ট ব্যক্তি নিযুক্ত থাকলে অনেক সহজে কাজ হবে।
সম্প্রতি শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গেও এ বিষয়ে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সরকারির পাশাপাশি অন্য রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল কী ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে এগিয়ে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে বুঝতে বেসরকারি হাসপাতালের কর্তা এবং চিকিৎসকদের একটি কর্মশালায় যোগদানের জন্যও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
| web |
f24276d18852be91f0dbaede57b07f36495e3646 | সরাইল প্রতিনিধিঃ:ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড় হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ দুই কেজি গাঁজাসহ আরিফ মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরিফ সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের কলামুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
সরাইল বিশ্বরোড মোড় হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
« ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহাবাজপুরে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪ (পূর্বের সংবাদ)
| web |
c7e405729b925d4eaddbb3bf6207ce2b95cb7a07 | শনিবার Tata Motors লঞ্চ করে দিল নতুন Altroz XM+ এবং এই গাড়িতে থাকছে একটি ৭ ইঞ্চির স্ক্রিন। মাত্র ৬. ৬ লক্ষ টাকা মূল্যে এই গাড়িতে থাকছে আরো অনেক নতুন নতুন ফিচার। নতুন লঞ্চ হওয়া গাড়ি Hyundai i20 গাড়ির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এই গাড়ি সস্তার মধ্যে প্রিমিয়াম ফিচার দিচ্ছে। নতুন i20 গাড়ির দাম টাটার গাড়ি থেকে কিছুটা হলেও বেশি। তাই মধ্যবিত্তের বাজেটে Tata Altroz XM+ বেশ ভালই জনপ্রিয় হতে পারবে বলে মতামত বিশেষজ্ঞ মহলের।
এই গাড়ির ৭ ইঞ্চি স্ক্রিনে আপনারা অ্যাপেল কার্ড প্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও স্টীয়ারিং-এ কিছু কন্ট্রোল থাকবে যার মাধ্যমে ড্রাইভার এর এই গাড়ি চালাতে অনেক সুবিধা হবে।
২০২০ সালের প্রথমদিকে Tata Altroz লঞ্চ করা হয়েছিল। এবং প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক গাড়ির মধ্যে এই গাড়ি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কিছুদিনের মধ্যেই। এই ভারতীয় গাড়ি কোম্পানির পোর্টফলিওতে Altroz বর্তমানে বেশ উপরের দিকে রয়েছে।
ফিচারঃ ফিচারের কথা বলতে গেলে এই গাড়িতে ABS সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ডুয়াল টোন হর্ন, পাওয়ার উইন্ডো, ইলেকট্রিক অ্যাডজাস্টেবল, ফোল্ডিং ORVM, আম্বিয়েন্ট লাইটিং এর মত ফিচার এখানে আপনি পাবেন।
ইঞ্জিনঃ ইঞ্জিন এর ব্যাপারে বলতে গেলে, Tata Altroz XM+ গাড়িতে দেওয়া হয়েছে ১. ২ লিটারের পেট্রোল ইঞ্জিন যা ৮৬ hp এবং ১১৩ ন্যানোমিটার টর্ক তৈরি করতে পারে। অথবা রয়েছে ১. ৫ লিডারের টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন যেখানে ৯০hp এবং ২০০ ন্যানোমিটার টর্ক তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে।
| web |
6a744656d9639523f34a955079f3b45d | হালকা নাস্তা তা হউক বিকেলে চায়ের আড্ডা অথবা অতিথি আপ্যায়ন। ভাজাপোড়া বাঙ্গালীর অতিপ্রিয় খাবার। আর আলুর চপ তো যেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার অতিপ্রিয়। আসুন জেনে নেই তিনটি মজাদার ও ভিন্ন স্বাদের আলুর চপ তৈরির প্রক্রিয়া।
কিমা তৈরির উপকরণঃ
কাঁচামরিচ- ২টি (কুচি)
ব্যাটার তৈরি উপকরণঃ
কোটিংয়ের উপকরণঃ
কিমার পুর দেওয়া আলুর চপ তৈরির জন্য চুলায় তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে আদা-রসুন বাটা, কাঁচামরিচ কুচি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে কয়েক মিনিট ভেজে নিন(১-২ মিনিট)। মাংসের কিমা দিয়ে দিন প্যানে। ভালো করে মিশিয়ে বাকিসব মসলা দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণের(৫ মিনিট) জন্য প্যান ঢেকে দিন। কিমার মিশ্রণ হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন। সেদ্ধ আলু চটকে নিন মিহি করে। শুকনা মরিচ লবণ দিয়ে ডলে পেঁয়াজ বেরেস্তা মেশান। আবারও মেখে কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, টালা জিরার গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া, চাট মসলা ও সরিষার তেল দিয়ে একসঙ্গে মেখে আলু ভর্তা মিশিয়ে নিন। এই আলু ভর্তা দিয়েই হবে তিন স্বাদের চপ।
প্রথমে হাতের তালুতে আলু ভর্তার খানিকটা অংশ নিয়ে চপের আকার করে নিন। এগুলো হবে রেগুলার আলুর চপ।
এবারে দ্বিতীয় স্বাদ অর্থাৎ কিমা আলুর চপ বানানোর জন্য আলু ভর্তা হাতের তালুতে রেখে ছড়িয়ে নিন। মাঝখানে খানিকটা কিমার মিশ্রণ দিয়ে চারদিক থেকে ঢেকে নিন। এটা লম্বাটে আকৃতির হবে।
এখন বেসনের ব্যাটার বানিয়ে নিন। বেসন চেলে বাকি সব শুকনা উপকরণ মিশিয়ে নিন। এরপর আদা-রসুন বাটা ও অল্প অল্প করে পানি মিশিয়ে ব্যাটার তৈরি করে নিন। খুব বেশি ঘন বা পাতলা হবে না ব্যাটার। ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন।
এর মধ্যে বানিয়ে রাখা দুই ধরনের চপ ভেজে নিন। ডিম ফেটিয়ে নিন। আলুর চপ ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে নিন। দুইবার করে কোট করুন ডিম ও ক্রাম্বে। ভাজার আগে আধা ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন আলুর চপ। তেল গরম করে ভেজে তুলুন আলুর চপ।
এবার আরেক স্বাদের চপ বানানোর জন্য বেসনের ব্যাটারে ডুবিয়ে কোট করে ভাজুন। হয়ে গেল তিনটি ভিন্ন কিন্ত মজাদার ও মসলাদার স্বাদের আলুর চপ। এখন চায়ের সাথে অথবা এমনিতেই পরিবেশন করুন গরম গরম।
| web |
4ea573abca19c6ae59f6a365b4621300dd6bba33 | টরগোল লিখেছেনঃট্র্যাকার তৈরি করতে স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা ইঞ্জিনটি পুনরুদ্ধার করা ভাল!
আপনি দেখুন, আমি এই লিঙ্কটিতে যা আকর্ষণীয় পেয়েছি এবং যে অনেক লোক সন্ধান করেছিল, তা হ'ল এক্সএনএমএমএক্স-এর স্বাধীন এবং শক্ত মোটরগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সেন্সর এবং সাধারণ ইলেকট্রনিক্স ছিল।
সৌর জন্য, আপনার একটি শক্ত ফ্রেম প্রয়োজন, এত ভারী; এবং এটি আপনার বিচ্ছিন্ন প্যারাবলিক ইঞ্জিন নয় যা কৌশলটি করবে .... প্রোগ্রামিংয়ের দিকগুলি হিসাবে, সূর্যের সন্ধানে ইঞ্জিনটি চালানোর জন্য শুভকামনা।
সুতরাং আমার লিঙ্কে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হ'ল 4 ldr সেন্সর, অপ এম্পস, নিয়ন্ত্রণ এবং আউটপুট রিলে, বা এই নীতি থেকে শুরু করে এক্সএনএমএক্সএক্স ইঞ্জিনগুলির শক্তি অনুযায়ী অন্যান্য পাওয়ার অভিযোজন।
এই সেন্সর মডিউলটি স্ট্যান্ডার্ড, সার্বজনীন, পাওয়ার আউটপুটটির জন্য অভিযোজন সহ হতে পারে।
| web |
40bf9522abd739423acb8c5ca6be4591 | ৫ মে, ২০২০ / ২৩৫ বার পঠিত\nজিটিবি নিউজঃ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকদের মধ্যে হোস্টেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার রাতে ১৫ জন মেয়ে ও একজন ছেলে চিকিৎসকের করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া যায়।\nওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে অতিরিক্ত চাপ থাকায় গত ২৪ এপ্রিল তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার রাতে রিপোর্ট জানাজানির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসকদের গ্রুপে আলোচনা শুরু হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।\nএই গ্রুপে বিষয়টি আলোচনায় আসার পর ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ময়নুল হক ফেসবুকে লিখেন, ৫৩তম ব্যাচ, তোমাদের আবার পরীক্ষা করা হবে। ভয়ের কোনো কারণ নাই। ইনশাল্লাহ নেগেটিভ হবে। আমরা তোমাদের সাথেই আছি।\nতবে মঙ্গলবার সকালে ডা. ময়নুল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। ওসমানী হাসপাতালের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ইন্টার্ন হোস্টেলে আগে থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১৬ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তাদের নমুনা আবারও পরীক্ষা হবে।\nআবারও নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে ওসমানী হাসপাতালের ওই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ এপ্রিল তাদের প্রথম নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসলেও কোন উপসর্গ নেই। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন।\nসোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১৬ জন চিকিৎসক আক্রান্তের বিষয়টি অবগত করে একজন লেখেন, সিওমেকের ৫৩তম ব্যাচের নতুন ইন্টার্নদের ১৬ জনের কোভিড ১৯ রিপোর্ট আজ পজেটিভ এসেছে। আশ্চার্য বিষয় হলো কারোরই কোন সাইন/সিম্পটমস নাই।\nগত ২৩ এপ্রিল ওসমানী হাসপাতালের একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন। গাজীপুর ফেরত ওই চিকিৎসক কাজে যোগ দেওয়ার আগে সাবধানতামূলকভাবে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তিনি আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর তার সংস্পর্শে আসা শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হোস্টেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।
| web |
5fe43be0cdb5a3707e92fdd4a377c7f1 | বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রকিবউদ্দীন মার্কা নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশে সুষ্ঠু ভোট হবে না। সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে জনমতের ভিত্তিতে। ২০১৪ সালের চেয়ে নিকৃষ্ট নির্বাচন করার জন্য সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের নামে মুলা ঝুলানো হয়েছে। শেখ হাসিনা বা রাষ্ট্রপতির অধীনে কোনো নিরপেক্ষ কমিশন গঠন হতে পারে না। সার্চ কমিটি গঠনের জন্য সব রাজনৈতিক দল থেকে পাঁচজন নির্বাচন কমিশনের সদস্য নির্বাচিত করে তাতে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিতে পারেন। একটা পথও বের হতে পারে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার 'নবম কারামুক্তি দিবস' উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি বা অন্য কোনো কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জনমতের বাইরে কোনো কমিটি গঠন করা হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। বিএনপি অবশ্যই নির্বাচন চায়। তবে সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বর্তমানের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন দিয়ে সংসদ নির্বাচন হলে দেশবাসী তা প্রত্যাখ্যান করবে। নিজের মতো করে সরকার সবকিছু সাজিয়ে নেবে, তা হবে না।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা অব্বাসের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, নূরে আরা সাফা, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার, মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, রফিকুল আলম মজনু, রাজীব আহসান প্রমুখ।
| web |
1cbc7cb32205a676ca23787d187a49e7c33b6556 | রাজধানীর পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের সংগঠন মিরপুর ক্লাব লিমিটেডের 'বার্ষিক সভা-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে দিনব্যাপী ওই সভায় ক্লাবের সর্বস্তরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ক্লাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম মাহাবুব আলম এর সভাপতিত্বে ক্লাবের উপদেষ্টা, ভিপি, অতিরিক্ত ভিপি, পরিচালক এবং অন্যান্য সকল সদস্যরা সভার বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। চলমান কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ বিভিন্ন পরিকল্পনার বিষয়ে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
মিরপুর ক্লাব প্রচলিত ধারণার ক্লাব কনসেপ্টের বাইরের একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের সরাসরি নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে নানাধরণের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে।
| web |
eb22ee9cb88b76a21a5731768551e692dee4725facc0555d2efd7da4f3e12bd3 | শ্যামাঙ্গী বর্ষাসুন্দরী
মুক্ত মেঘ-বাতায়নে বসি, এলোকেশী কে ঐ রূপসী ? জলযন্ত্র ঘুরায়ে ঘুরায়ে,
জলরাশি দিতেছে ছড়ায়ে !
রিম্ ঝিম্ ঝিম্ ঝিম্ করি,
সারাদিন, সারারাত্রি, বারিরাশি পড়িছে ঝঝরি
চমকিল বিদ্যুৎ সহসা ! এ আলোকে বুঝিয়াছি, এ নারীরে চিনিয়াছি; এ যে সেই সতত-সরস!, ভুবনমোহিনী ধনী রূপসী বরযা।
শ্যামাঙ্গী বরষা আজি, বিহ্বল। মোহিনী সাজি, এলায়ে দিয়েছে তার মসীবর্ণ কালো কালো চুল ; শ্রীকণ্ঠে প'রেছে বালা, অপরাজিতার মালা, দু'কৰ্ণে দোদুল দোলে নীলবর্ণ ঝুকার ফুল !
নীলাম্বরী সাড়ীখানি পরি,
অপূর্ব্ব মল্লার রাগ ধ'রেছে সুন্দরী !
স্রস্ত কেশরাশি হ'তে বেলফুল চৌদিকে ঝরিছে ;
কালে।-রূপ ফাটিয়া পড়িছে !
যাই বলিহারি !
কে দেখেছে কবে ভবে হেন বরনারী ?
এখনো কাঁপিছে তরু
এখনো কাঁপিছে তরু, মনে নাহি পড়ে ঠিকহেথা পিক ! এখনো কাঁপিছে নদ, ভাবিতেছে বার বার, ঢলিয়া কি পড়েছিল মেঘখানি বুকে ভার!
এখনো শ্বসিছে বায়ু, মনে যেন হয় হয়, ছিল তরু-লতা-কুঞ্জ-তৃণ-গুল্ম ফুলময় ! এখনো ভাবিছে ধরা, নহে বহুদিন-কথা,
আকাশে নীলিম। ছিল, ভূমিতলে শ্যামলতা
এ রুদ্ধ কুটীরে মোর এসেছিল কোন্ জন। ? এখনো আঁধারে যেন ভাসে তার রূপ-কণা ! মূরছিয়া পড়ে দেহ, আকুলিয়া উঠে মন, - শয়নে তৈজসে বাসে কাঁপে তার পরশন !
অক্ষয়কুমার বড়াল
এসেছিল কত সাধে, মনে যেন পড়ে-পড়ে, পূরে নাই সাধ তার, ফিরে গেছে অনাদরে ! কাতর নয়নে চেয়ে - কোথা গেল নাহি জানি, মরুর উপর দিয়া নব-নীল মেঘখানি !
কি ভাবিছে আমারে সে, কোথা বসে অভিমানে ! আগে কেন বুঝি নাই, - সে-ও ব্যাথা দিতে জানে ! ভাঙ্গিয়া গিয়াছে ঘুম, কেন গে। স্বপন আর - কুয়াসা-অাঁধার ভাবে শারদ পূর্ণিমা তার !
অক্ষয়ক্রমার বড়াল
হের প্রিয়া, এই ধর
নগ্ন দেহে, মুক্ত প্রাণে
চাহিয়। আকাশ-পানে
নাহি লজ্জা, নাহিক ছলনা ।
হের, ওই মহাকাশলইয়া আলোক
কি গাঢ় গভীর সুখে
ল'য়ে মেঘ বাশ রাশ,
অন্ধকারপড়িয়া ধরার বুকে ;
নাহি ঘৃণা, নাহি অহঙ্কার।
শিরে শূন্য, পদে ভূমি মধ্যে আছি আমি তুমি - কল্প-কল্প বিকাশ-বারতা !
আছে দেহ - আছে ক্ষুধা, আছে হৃদি-খুঁজি সুধা, আছে মৃত্যু - চাহি অমরতা !
| pdf |
24d212c9d318f05bc2659e28c0f6aa241422b051 | সাম্প্রতিক অতীতে স্টার জলসার পর্দায় একাধিক নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে। 'পঞ্চমী', 'বালিঝড়', 'কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ' হয়ে 'মেয়েবেলা'- লিস্টটা কিন্তু বেশ লম্বা। তবে এর মধ্যে হাতেগোনা কিছু সিরিয়ালই দর্শকমনে স্থান করে নিতে পেরেছে। আর এমনই একটি সিরিয়াল হল মৌ, ডোডো, বীথির 'মেয়েবেলা'। মেয়ের জীবন সংগ্রাম নিয়ে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক খুব কম সময়ের মধ্যেই ইমপ্রেস করেছে দর্শকদের। 'মেয়েবেলা'র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, বীথি একেবারেই তাঁর ছেলের বৌ মৌকে সহ্য করতে পারে না। একমাত্র ছেলে ডোডোর সঙ্গে তাঁকে কিছুতেই দেখতে পারে না সে।
মৌ-ডোডোর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেই বীথি চায় চাঁদনি বাড়ির বৌ হয়ে আসুক। প্রথমে ডোডোকে এই বিষয়ে বলায় মুখের ওপর চাঁদনিকে ভুলে যাওয়ার কথা বলে সে। তাই এবার মৌ-ডোডোকে আলাদা করতে নতুন চাল চালছে বীথি। ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, চাঁদনি কাঁদতে কাঁদতে মৌকে গিয়ে বলে সে ডোডোকে ৭০ লাখ টাকা দিতে চাইলেও ডোডো তা না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিল। আর একথা আড়াল থেকে শুনে নেয় বীথি। ছেলে তাঁকে না জানিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভে, কষ্টে ফেটে পড়ে সে। এরপরই ঠিক করে পুরনো বীথিকে বিদায় জানিয়ে একেবারে নতুন বীথির আত্মপ্রকাশ হবে এবার। বীথি ঠিক করে নেয়, মৌ-ডোডোর বিয়ে ভেঙে চাঁদনিকে বাড়ির বৌ করে আনবে সে। আর সেই প্ল্যান সফল করতে ডোডোর সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশবে সে। পাশাপাশি মা-মরা মৌয়ের প্রতি দুর্ব্যবহার কমিয়ে তাঁর সঙ্গে মায়ের মতো ভালো ব্যবহার করবে। আর এই ভালোমানুষির মুখোশ পরেই আলাদা করবে মৌ-ডোডোকে। ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দর্শকরা দেখেছেন, ডোডোর সঙ্গে মৌকে ডিভোর্স দেওয়া নিয়ে কথা বলে বীথি। তবে পুরোটাই ভালোভাবে বলেছে। সেই সঙ্গে ছেলেকে বীথি এও বলে, সে নাকি বুঝতে পেরেছে মৌ খারাপ নয়। বরং সে নাকি মৌয়ের সঙ্গে নিজের অনেকটা মিল খুঁজে পেয়েছে। এরপরই মৌয়ের কাছে গিয়ে ভালো শাশুড়ি মা হওয়ার নাটক শুরু করে বীথি।
'মেয়েবেলা'র আগামী পর্বে দেখানো হবে, মৌয়ের কাছে গিয়ে ভালোমানুষির নাটক শুরু করে দিয়েছে বীথি। শুধু তাই নয়, ছেলের বৌয়ের হাত-পা ধরে ক্ষমাও চায় সে। বীথি মাসির এমন পরিবর্তন দেখে মৌয়ের মনও গলে যায়। সে জড়িয়ে ধরে তাঁকে। এরপরই বীথি মনে মনে বলে, 'মেয়েটাকে হাতের মুঠোয় না আনলে আমি জিতব কী করে? ' এবার দেখা যাক, মৌ-ডোডোকে আলাদা করতে বীথি সক্ষম হয় কিনা।
| web |
8ddc9a546ae15bb0c21a371008b91b4b | দরদী কন্ঠের গায়ক মানির খান। গ্রামবাংলার শ্রোতাদের কাছেই তার জনপ্রিয়তা বেশি। গুণী এই সঙ্গীত শিল্পী এবারের ঈদে তার চল্লিশতম একক অ্যালবাম নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন।
মনির খানের চল্লিশতম একক আলবামটিতে মোট গান থাকছে দশটি। দশটি গানেরই কথা লিখেছেন মিল্টন খন্দকার। গানগুলো সুরও তার করা। এর আগে মনির খানের ৩৪তম একক অ্যালবাম 'ভালোবেসে যারা কেঁদেছে'-এর সবগানের গীতিকার এবং সুরকার ছিলেন মিল্টন খন্দকার। অ্যালবামটি ২০০৫ সালে বাজারে এসছিলো। এরপর মনির খান ও মিল্টন খন্দকার আর কোন নতুন একক এ্যালবামে একসাথে কাজ করেননি। দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর পর আবারো তারা দুজন একই অ্যালবামে কাজ করছেন।
জনপ্রিয় শিল্পী মনির খানের প্রথম একক অ্যালবাম 'তোমার কোন দোষ নেই'-এর সবগুলো গানের কথা ও সুর ছিলো মিল্টন খন্দকারের। এরপর তারা দুজন প্রায় দশটির মতো অ্যালবাম করেছেন। মনির খানের নতুন একক অ্যালবামটির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে মায়ের দোয়ায় আউলিয়া, নামী দামী টাকা পয়সা, আমার চোখে অশ্রু দেখে প্রভৃতি।
| web |
cda9084f2d15dc4ee537c84f7035675c10ebfcc8 | স্পোর্টস রিপোর্টার : আগামী বছর ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ গেমসে থাকছেনা শ্যুটিং ও আরচ্যারি ডিসিপ্লিন। কমনওয়েলথ গেমসে এই দু'টি ডিসিপ্লিন না থাকায় বাংলাদেশে কমনওয়েলথ গেমসে পদক জয়ের সম্ভাবনা কমে গেল। অলিম্পিকের পর বৃহত্তম গেমস হিসেবে ধরা হয় কমনওয়েলথ গেমস। সেই গেমসে বাংলাদেশের ধারাবাহিক পদক আসত শুটিং থেকে। বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেন, 'আমাদের জানা মতে বার্মিংহামের শ্যুটিং ও আরচারি হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে। করোনার কারণে ভারত তা বাতিল করেছে। পরের কমনওয়েলথ গেমসেও শুটিং না রেখেই অনেকে আয়োজক হওয়ার জন্য বিডিং করেছে। যদি পরবর্তীতে কমনওয়েলথ গেমস থেকেই শুটিং বাদ দেয়া হয়, তাহলে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ব। কারণ কমনওয়েলথ গেমস থেকে কেবল আমাদের শুটাররাই দেশের জন্য পদক জিতে এনেছে। আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল বলেন,' এটা আসলেই খুব দুঃখজনক। আরচ্যারি এবং শুটিং দু'টি ডিসিপ্লিনই আমাদের জন্য পদক জয়ের দারুণ সম্ভাবনাময়। ভারত চেয়েছিল এই দু'টি ডিসিপ্লিন আয়োজন করতে আসন্ন গেমসে। এতে কমনওয়েলথ কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। ' বার্মিংহামে শুটিং না থাকার কারণ সম্পর্কে শ্যুটিং ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপুর মন্তব্য, 'বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে শুটাররা আসেন গেমসে। তাই নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কমনওয়েলথ গেমসে শুটিংকে রাখেনি বার্মিংহাম। কেবল বার্মিংহামেই নয়, আগামীতে কোন কমনওয়েলথ গেমসেই থাকবে না শ্যুটিং। সম্প্রতি এমন আশংকা তৈরি হয়েছে দেশের শ্যুটিং অঙ্গনে। কারণ গত বছর গেমসের আয়োজক হওয়ার জন্য বিডিংয়ে এসে 'শুটিং নট এ পার্ট অব কমনওয়েলথ গেমস' বলেছিলেন বিড কমিটির চেয়ারম্যান লু ফ্রাপোর্তি। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব. ) ফখরুদ্দিন হায়দার বলেন, 'বার্মিংহামে শুটিং নেই আমরা জানি। তাই বলে পরবর্তীতে যে থাকবে না এরকম কোন তথ্য নেই আমাদের কাছে।
| web |
6ba9dbd3843e9af74755a8f6cbee8d70b512ba14 | নীরাজ চোপড়াকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে নীরাজ পান্ডে কে শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন করে হাসির খোরাকে পরিণত হলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা!
এবারে ফের সামাজিক মাধ্যমে কটুক্তির শিকার হলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। অভিনেত্রী বর্তমানে জনপ্রিয় চ্যানেল স্টার জলসায় খড়কুটো ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। তার বিপরীতে জুটি বেঁধেছেন কৌশিক মুখার্জী। তবে গুনগুন এবং সৌজন্য অভিনীত এই ধারাবাহিকটি সর্বদা ভালো চর্চার কেন্দ্রে থাকলেও এবারে কুমন্তব্যের কেন্দ্রে নেমে এলেন তৃণা সাহা। তবে এর কারণ কি!
সম্প্রতি অভিনেত্রী টুইটারে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পোস্ট করেন। গত শনিবারের জাপানের টোকিও অলিম্পিকে ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড এ ভারতকে প্রথম স্বর্ণপদক উপহার দিয়েছেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরাজ চোপরা। সেই আনন্দে ভেসেছে গোটা দেশবাসী। সেখানে অভিনেত্রী তৃণাও ব্যতিক্রম নন।
তবে টুইটারে নীরাজ চোপরার উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে গিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে বসলেন নীরাজ পান্ডেকে! হ্যাঁ, এমনটাই দেখা গেছে অভিনেত্রীর টুইটার হ্যান্ডেলে। তিনি টুইট করে লিখেছেন,"নীরাজ পান্ডে তোমার জন্য আমরা গর্বিত।" তবে কে এই নীরাজ পান্ডে! অভিনেত্রী হয়তো নিজেও জানেন না।
তবে বিষয়টি নজরে আসার পর তড়িঘড়ি নিজের ভুল শুধরে নেয় অভিনেত্রী। তবে ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে গেছে। নেটিজেনরা স্ক্রিনশট মেরে ব্যাকআপ রেখে দিয়েছিলেন। সেই স্ক্রীনশট রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় এবং সামাজিক মাধ্যমে নতুন করে হাসির খোরাকে পরিণত হয় অভিনেত্রী তৃণা সাহা।
| web |
9c460741986160ede9945e0f51ee5f39d2f68a6ce0efcefaf717bccdae5c024b | 'তোমার চোর তোমার প্রতি তার মৃত্যুকালীন বাণীতে বলে গেছেঃ "তাকে বলবেন আমি নির্দোষ; যত দিন, যত ঘণ্টা, যত মিনিট ধরে আমি না খেতে পেয়ে তিলে তিলে মৃত্যুকে বরণ করব আমি তাকে ভালবাসব, তার কথা চিন্তা করব, আর যে দিনটিতে তার সুন্দর মুখখানি আমি দেখেছিলাম সেই দিনটিকে আশীর্বাদ করব।" কথাগুলি ভারী সুন্দর, এমন কী কাব্যময়!'
"আমি বললাম, 'সে নোংরা-তার কথা আর কখনও শুনতে চাই না।' হায়, ভাবুন তো-সে তো সত্যি নির্দোষ ছিল!"
"ন'টি মাস-ন'টি একঘেয়ে বিষণ্ণ মাস পার হয়ে গেল। অবশেষে এল সেই 'মহান বাৎসরিক বলিদান দিবস' যখন আমাদের জাতির সব কুমারী মেয়েরা ভাল করে মুখ ধোয়, চুল আঁচড়ায়। প্রথমবার চিরুনী চালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে এল সেই নরঘাতী বড়শী-এতগুলো মাস ধরে সেটা আমার চুলের মধ্যেই বাসা বেঁধে ছিল। আমার অনুতপ্ত বাবার কোলের মধ্যেই আমি মূর্ছিত হয়ে পড়লাম। আর্তকণ্ঠে বাবা বলে উঠল, "তাকে আমরা খুন করেছি; আর কোন দিন আমি হাসব না!" বাবা তার কথা রেখেছিল। শুনুনঃ সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসে আমি চুলে চিরুনী চালাই। কিন্তু হায়, আজ আর তাতে কি লাভ!"
বেচারি ছোট মেয়েটির ছোট কাহিনী এখানেই শেষ হল-আর আমরা জানলাম, যেহেতু নিউ ইয়র্ক শহরের এক কোটি ডলার এবং মেরু অঞ্চলের সীমান্তের বাইশটি বড়শির আর্থিক প্রভুত্ব সমপর্যায়ের, তখন আর্থিক দুরবস্থায় পড়লে যে মানুষ ইচ্ছা করলে দশ সেণ্ট দামের কতকগুলি বড়শি কিনে সে দেশে পাড়ি জমাতে পারে অথচ নিউ ইয়র্কেই থেকে যায়, সে তো মূর্খ।
সে কি জীবিত না মৃত?
Is He Living or Is He Dead?
১৮৯২ সালের মার্চ মাসটা আমি রিভিয়েরা-র মেন্টোন-এ কাটাচ্ছিলাম। এখান থেকে কয়েক মাইল দূরবর্তী মণ্টি কার্লো এবং নাইস-এ সর্বাসাধারণের জন্য যে সব সুখ-সুবিধা আছে, ব্যক্তিগতভাবে সেই সব সুখ-সুবিধা অবসর যাপনের এই জায়গাটাতেও পাওয়া যায়। তার অর্থ, এখানে আছে প্রচুর রোদ, স্বাস্থ্যপ্রদ হাওয়া, আর উজ্জ্বল নীল সমুদ্র; অথচ মানুষের হৈ-হট্টগোল ও নানা রকম পোশাকের পারিপাট্য এখানে চোখে পড়ে না। মেন্টোন শান্ত, সরল বিশ্রামস্থল; ধনী ও জাঁকজমকবিলাসীরা সেখানে যায় না। আমি বলতে চাই, ধনী লোকরা সাধারণতই সেখানে যায় না। মাঝে সাঝে এক আধজন ধনী মানুষ এসে পড়ে। সম্প্রতি সেই রকম একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটেছে। কিছুটা গোপন রাখবার জন্য তাকে আমি স্মিথ বলে ডাকবল।
একদিন হোটেল দ্য আংলে-র দ্বিতীয় প্রাতরাশের সময় সে হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠলঃ
"জলদি! যে লোকটি দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে তাকে লক্ষ্য করুন। তার সব বিবরণ টু কে নিন।"
"লোকটি কে জানেন?"
"হ্যাঁ। আপনি আসবার আগে থেকেই তিনি এখানে আছেন। লোকে বলে, তিনি লায়ন্স থেকে আগত একজন বৃদ্ধ, অবসরপ্রাপ্ত, খুব ধনী রেশমীবস্ত্র প্রস্তুতকারক। আমার ধারণা, লোকটি এই পৃথিবীতে একাবের একা, কারণ সব সময়ই তাকে বিষণ্ণ ও স্বপ্নদর্শী বলে মনে হয়, আর কারও সঙ্গে কথাও বলেন না। তার নাম থিয়োফিল ম্যাগ্গ্নান।"
ভেবেছিলাম, এবার স্মিথ খুলে বলবে মঁসিয়ে ম্যাগনান-এর প্রতি তার এই অতি-আগ্রহের কারণ কি; কিন্তু তার পরিবর্তে সে যেন একটা দিবাস্বপ্নের মধ্যে ডুবে গেল এবং কয়েক মিনিটের জন্য আমার কাছ থেকে এবং বাকি পৃথিবীর কাছ থেকেও হারিয়ে গেল। মাঝে মাঝে চিন্তার সুবিধা হবে বলে চকচকে সাদা চুলের মধ্যে আঙুল বুলোতে লাগল, আর এদিকে প্রাতরাশ ক্রমেই ঠাণ্ডা হতে
লাগল। অবশেষে বললঃ
"না, একেবারেই হারিয়ে গেছে; কিছুতেই মনে করতে পারছি না।"
"কি মনে করতে পারছেন না?"
"হান্স এণ্ডারসন-এর একটি ছোট্ট সুন্দর গল্প। কিন্তু একেবারেই ভুলে মেরে দিয়েছি। কিছুটা অংশ এই রকমঃ একটি শিশুর ছিল খাঁচার বন্দী একটা পাখি। পাখিটাকে সে ভালবাসে, কিন্তু কিছু না ভেবেচিন্তেই তাকে অবহেলা করে। পাখিটা গান গায়, কিন্তু কেউ তা শোনে না। কেউ সেদিকে মন দেয় না; যথাসময়ে পাখিটা ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায় কাতর হয়, তার গান বিষণ্ন ও দুর্বল হতে হতে একসময় থেমে যায়-পাখিটা মারা যায়। শিশুটি আসে, দুঃখে তার মন কাতর হয়; তারপর চোখের জলে শোক করতে করতে সে তার সঙ্গীদের ডেকে এনে যথাযোগ্য জাঁকজমক ও দুঃখের সঙ্গে পাখিটাকে কবর দেয়। বেচারিরা জানতেও পারে না যে জীবিত কালে তাদের বাঁচিয়ে রাখতে ও আয়েসে-আরামে রাখতে চেষ্টা না করে কবিদের না খাইয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে তারপর তাদের সৎকারে ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজে যথেষ্ট টাকা পয়সা খরচ করবার এই অপকর্মটি শুধু শিশু রাই যে করে তা নয়। এখন-"
কিন্তু এইখানে আমাদের আলোচনায় বাধা পড়ল। সেদিন সন্ধা দশটা নাগাদ স্মিথের সঙ্গে দেখা হতেই সে আমাকে তার ঘরে নিয়ে গেল একসঙ্গে ধুমধাম ও গরম স্কচ-হুইস্কি খাবে বলে। ঘরটা খুব আরামদায়ক। ভাল চেয়ার, উজ্জ্বল বাতি, ভাল অলিভ কাঠের খোলা আগুন। তার উপর সোনায় সোহাগার মত বাইরে ভেসে আসছে সমুদ্রের বিক্ষিপ্ত তরঙ্গগর্জন। দ্বিতীয় দফা স্কচ ও অনেক রকম অলস গুপ্তানির পরে স্মিথ বললঃ
| pdf |
bb007bdc6f8878fbfddaed34a539381f | শরণানন্দ দাস, কলকাতাঃ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন শ্রীরাম। শরৎকালে এই দুর্গোৎসব অকালবোধন নামেই পরিচিত। এ বছর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের উদ্যোগে অকালবোধন দুর্গোৎসব সম্মান দেওয়া হবে। ক্যাচ লাইন ' বঙ্গ জীবনের অঙ্গ রাম'।
শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের সম্পাদক অলোক শূর জানালেন,' অনেকেই একটা অপপ্রচার করেন যে শ্রীরাম বহিরাগত। কিন্ত এই ধারনা যে ভ্রান্ত, শ্রীরামের সঙ্গে যে বাংলার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে তার বড়ো প্রমাণ বাঙালির দুর্গাপুজো। রাবণ বধের জন্য শ্রীরাম অকালবোধন করেছিলেন যা এই সময়ের শারদোৎসব। আমরা বাংলার মানুষকে এই বার্তাটি ই দিতে চাই যে শ্রীরামচন্দ্র আমাদের ঘরের জন, আত্মার আত্মীয়।' দীর্ঘ দিনের বিবাদের অবসান হয়ে রামমন্দির নির্মাণের ভূমিপূজন হয়েছে অযোধ্যায়। দেশজুড়ে রাম আবেগ এবার বাঙালির দুর্গাপুজোতেও।
অলোকবাবু জানিয়েছেন, 'কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত সমস্ত সাবেকি পুজো ও আবাসিক পুজো, মহিলা পরিচালিত পুজো এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে vhpdurgapujasamman@ gmail.com এই ইমেলে অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ৯৪৩২২৬৯৪৬১ বা ৭৯৮০৮৯১৫৮২/ ৯৮৩১৪৭০০৫৮ এই নম্বরে পুজো কমিটিগুলোকে নাম নথিভুক্ত করার জন্য যোগাযোগ করতে হবে। প্রথম থেকে পঞ্চম পুরস্কার ( মহিলা পরিচালিত পুজো) দেওয়া হবে। এছাড়া রয়েছে শ্রেষ্ঠ প্রতিমা, শ্রেষ্ঠ পুরোহিত, শ্রেষ্ঠ নিয়মনিষ্ঠার পুজো, সেরা পরিবেশ,সেরা আলো, সেরা মণ্ডপ, সেরা পুজো সংগঠক, সেরার সেরা পুজো ব্যবস্থাপনা,,সেরা সামাজিক পুজো কর্মকাণ্ড সংগঠক, সেরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সংগঠক ও সেরা আবাসিক পুজোর পুরস্কার ।'
তিনি জানিয়েছেন, 'পঞ্চমীর দিন করোনার সময়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। তবে কোন আর্থিক পুরস্কার থাকছে না। উপহার হিসাবে দেওয়া হবে শ্রীরামচন্দ্র ও দুর্গা মূর্তির স্মারক, শংসাপত্র ও পুজোর উপচার।' পুরাণ অনুসারে রাবণ বধের জন্য শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দেবীর অকাল বোধন করেন। শরৎকাল দেবলোকের রাত্রি, তাই এই সময় দেবপূজা করতে হলে বোধন করতে হয়। শ্রীরাম ১০৮ টি পদ্ম দিয়ে দেবীপুজো করতে গিয়ে দেখেন একটি পদ্ম কম। তখন তিনি নিজের চোখ দেবীকে দান করতে চাইলে দেবী তাঁকে বিরত করেন। দেবীর আশীর্বাদে এরপর শ্রীরাম রাবণবধ করেন। বিশ্বহিন্দু পরিষদ সেই পুরনো অথচ চিরকালীন ঐতিহ্যের স্মৃতি তুলে ধরতে চাইছে, সঙ্গে ফল্গুধারার মতো রাম আবেগও।
| web |
7e7701cf7749bf12e7a918fc1658c98ac2121c33 | আলোচনা সাপেক্ষে কয়েক পেয়ার ইন্ডিয়ান লাক্ষা সেল হবে।
১। সাদা লাক্ষা নিউ রানিং পেয়ার,
২। সবজি লাক্ষা নিউ এডাল্ট পেয়ার,
৫। সাদা সিংগেল নর, সবজি সিংগেল নর।
সবগুলো কোয়ালিটিফুল কবুতর তাই বাজারের দোহাই দিয়ে আজেবাজে দাম লিখে বিরক্ত করবেন না।
কেউ নতুন খামার করলে বা কোন ব্যবসায়ী ভাই লটে কিনলে বিশেষ ছাড় থাকবে।
| web |
287c3fb860491086d2af936ad8c6c0bc | ঢাকা (বাংলা ২৪ বিডি নিউজ): একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন মহলের সংশয়-সন্দেহের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইলেকশন ইনশাল্লাহ হবে। জনগণ সঙ্গে থাকলে ইলেকশন কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বিমসটেক সম্মেলন শেষে এর গুরুত্ব তুলে ধরতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী।
ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী - তাদের জোট গঠনকে সাধুবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'তাদের এই উদ্যোগ, ঐক্যকে সাধুবাদ জানাই। ঐক্য হোক, একসঙ্গে হয়ে ভোটটা করুক। বিকল্প একটা জোট থাকুক।'
নির্বাচন হবে না - ড. কামাল হোসেনের এমন সন্দেহের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, 'ড. কামাল হোসেনের কাছে প্রশ্ন তারা বা তিনি আদৌ নির্বাচন চান কিনা।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তিনি যদি গরম বক্তৃতা দেন, ধরে নিতে হবে তার প্লেন রেডি।'
আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী - এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের ওপর আমার আস্থা-বিশ্বাস আছে। আমার কোনও আকাঙ্ক্ষা নেই। জনগণ যদি উন্নতি চায়, কল্যাণ চায়, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও আমাকে জয়যুক্ত করবে। তবে আমি এটুকু মনে করি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারলে সুদিন আসবে না, আসবে দুর্দিন। এটা আমি নিশ্চিত।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'জনগণ আমাকে না চাইলে আমার কোনও দুঃখ নাই। ক্ষমতায় থেকে কাজ করেছি জনগণের জন্যে, জনগণ ভোট দিলে দেবে, না দিলে কিছু করার নাই।'
| web |
3e1f6a223ab3f6cb4c2e34b3848fb9e6879cbaf7 | করোনাকালে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোয় শিরোনামে উঠে এসেছেন সোনু সুদ। আমাদের রাজ্যেও তারকাদের একাংশও এই ধরনের মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন। সেফ হোমের ধাঁচে পাটুলিতে তৈরি হয়েছে 'ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টার'।
করোনা কাড়ছে প্রাণ! তবুও শিখিয়েছে, পরস্পরের পাশে থাকতে। যেখানে, সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি সকলেই মিলে মিশে এক হয়ে গেছেন! এবার সঙ্কটমোচনে এগিয়ে এসেছেন কলকাতার বিশিষ্টরাও। নিজেদের উদ্যোগে গড়িয়ার কাছে একটি ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টার চালু করেছেন তাঁরা। দশ শয্যার ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টারে আসতেও শুরু করেছেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা।
'সিটিজেন্স রেসপন্স' নামে নাগরিক মঞ্চ গড়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন শিল্পীরা। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে রিলিফ সেন্টার। তার জন্য সময় ভিত্তিক হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে নাগরিক মঞ্চ সিটিজেন্স রেসপন্স।
বেডের সংখ্যা, অক্সিজেনের সুবিধা থেকে শুরু করে হেল্পলাইন নম্বর, সমস্ত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপম রায় ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা তাঁরাই।
'সিটিজেন্স রেসপন্স' -এর ঠিক কাজটা কী? যে সমস্ত মানুষদের অক্সিজেনের সাপোর্ট প্রয়োজন কিন্তু জোগাড় করতে পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য এই 'সিটিজেন্স রেসপন্স' সেন্টার।
এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করে রিলিফ সেন্টারের সমস্ত তথ্য পেতে পারে যে কেউ। আবেদন করতে পারে সাহায্যেরও। তারকারা এই নম্বরগুলি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি সৌজন্যেঃ ঋদ্ধি সেনের ফেসবুক পোস্ট।
| web |
46e51e684c7e1d0ffebd0b2e7132977e | ডেস্ক : সংবাদে ব্যতিক্রম স্বাদ আর নতুনত্বে বিশ্বাসী হয়ে পথ চলতে শুরু করেছে দৈনিক প্রথম কথা। সংবাদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সচেতন পাঠকের সংবাদপত্র দৈনিক প্রথম কথা পত্রিকায় জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নেয়া হচ্ছে।
ভাবনায় একাগ্র, সাহসীকতা সম্পন্ন উদ্যোমীদের নিয়ে আগামীর পথ চলতে চাই আমরা। আর তাই যারা নিজেকে উপযুক্ত মনে করেন এবং আমাদের সঙ্গে সাংবাদিকতায় আগ্রহী তারা দ্রুত যোগাযোগ করুন। এ বিষয়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগ্রহীদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।
আবেদনের পদগুলো হচ্ছে : ১। জেলা প্রতিনিধি, ২। উপজেলা প্রতিনিধি, ৩। জেলা বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি, ৪। বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদতাতা।
এছাড়া, ঢাকা মহানগরীর উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, খিলক্ষেত, বাড্ডা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, কদমতলী থানা এলাকায় একজন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। একই সঙ্গে কেরাণীগঞ্জ, দোহার, নবাবগঞ্জ, সাভার ও ধামরাই উপজেলা এবং আশুলিয়ায় প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে।
আবেদন পাঠানোর ঠিকানা : প্রার্থীরা ২৩ কৈলাশ ঘোষ লেন (২য় তলা), কোতয়ালি, ঢাকা-১১০০ এই ঠিকানায় ডাকযোগে কিংবা ই-মেইল : [email protected] এই ঠিকানায় আবেদন পাঠাতে পারবেন।
আবেদন পাঠানোর নিয়ম : আবেদনে অবশ্যই খামের ওপর "জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি পদে আবেদন" উল্লেখ করবেন। ই-মেইলে আবেদনকারীরা ই-মেইলের বিষয়ে Apply for (জেলা/উপজেলা/বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম) correspondence" এভাবে উল্লেখ করবেন।
| web |
17b13ce6b6697bd48addad93805a9df2c848abfb | কাগজ প্রতিবেদক : দুই দিনের সফরে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সড়কপথে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জে যান। এ নিয়ে ১৪ বার পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন সরকারপ্রধান।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আউয়াল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর গতকাল শনিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে মাওয়া টোল প্লাজায় ৮ নম্বর লেন দিয়ে প্রবেশ করে। টোল পরিশোধ করে বহরের ২৩টি গাড়ি সেতু অতিক্রম করে সকাল ৯টায়। সেতু অতিক্রমের সময় প্রধানমন্ত্রী আষাঢ়ের টইটম্বুর পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগ করেন। সেতু পেরিয়ে সরকারপ্রধান শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া -২ এ প্রায় আধা ঘণ্টা যাত্রা বিরতি করেন।
গতকাল বেলা ১১টার কিছু সময় পর তিনি গোপালগঞ্জে পৌঁছান। রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাইওয়ে এক্সপ্রেস মাদারীপুরের শিবচরের পাঁচ্চর গোলচত্বরে হাজারো জনতার ঢল নামে। এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী এমপির পক্ষ থেকে শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীকে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী প্রথমে কোটালীপাড়ায় যান। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় শেষে বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় যান। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেন এবং নিজ বাড়িতেই রাতযাপন করেন।
আজ রবিবার সকাল ৯টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা। পরে তার নিজ বাড়িতে বিশ্রামে যাবেন। এরপর দুপুর ১টায় সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
| web |
c7899c2c254152e270c9039e0c13e1ad32e3856339806471f3f6d4ca8c0e3963 | [একটি নিতান্ত সাধারণ ঘর। একটি টেপ রেকর্ডার চলছে। গালে হাত দিয়ে যুবক হরিপদ একটি সানাই-এর সুর বাজিয়ে চলছিল। হরিপদ উঠে ফুলদানিতে ফুল ঠিক করতে থাকে। ঘরটি সাজানোর দিকে নজর দিচ্ছে বোঝা যায়। টেপের সানাই বন্ধ করে। টেপের ব্যবহার মঞ্চে অথবা নেপথ্যে হতে পারে।]
হরিপদ - আসলে ঘরটা আমি যতই সাজাবার চেষ্টা করি না কেন ঠিকমতো গোছাতে পারবে মালতী।
[গুণগুণ করে সানাই-এর সুর ভাঁজে]
মা'র কথা প্রায়ই মনে পড়ে। মা বেঁচে থাকলে আমার জীবনটা তো এমন ছন্নছাড়া হয়ে যেত না। অবশ্য আত্মীয়েরা বলেন, এই রকম জীবন আমি ইচ্ছে করেই...। থাক। এসব কথা আজ না ভাবাই ভালো। আজ এমন শুভদিনে...
[আবার টেপে সানাই বাজাতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে নিজে পাঞ্জাবী পরে।]
হাসি পাচ্ছে।
[নিজের আনন্দ প্রকাশ করতে থাকে। কাপড়ের কোঁচা পাট করতে থাকে। চুল ব্রাশ করা ইত্যাদির মধ্যে আনন্দ প্রকাশিত হতে থাকে। টেপ বন্ধ করে।]
টেপটা অঞ্জনের কাছ থেকে নিয়েছি। এ ক্যাসেটটা ও আমাকে ব্যবহার করতে দিয়েছে। এ কথাটা ভাবলে বেশ আনন্দ লাগে যে বন্ধুভাগ্য আমার বেশ ভালো। মালতী এ কথাটা অনেকবার বলেছে। প্রথমে বলেছিলো...
[নেপথ্য থেকে কোলকাতার রাস্তায় বাস চলার শব্দ...ট্রামের শব্দ শুনতে পাওয়া যাবে।] সেদিন শরীরটা বেশ খারাপ। সওদাগরী অফিসের কেরানী। অফিসে না গেলে মাইনে কাটা যাবে। নইলে ট্রামে তো উঠি না। সত্যি কথা বলতে কি - পঁয়ত্রিশ মিনিট হেঁটে খরচা বাঁচাই। সেদিন ট্রামে উঠলাম। বিপত্তি ঘটলো নামবার সময়। কি করে যে ঘটলো।
[নেপথ্যে ট্রামের শব্দ আর 'গেল গেল' আওয়াজ, বেশ গোলমাল] প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগলো মেয়েটির সঙ্গে। একটি সাধারণ মেয়ে। সত্যি খুবই সাধারণ মেয়ে - মালতী। মালতী নাকি রাস্তা পার হবার জন্যে অপেক্ষা করছিলো। ও না থাকলে আমি তো বাঘ মার্কা বাসের তলাতেই পড়তাম। অন্য মেয়ে হলে কি বলতো তাতো বোঝাই যাচ্ছে। মালতী কিন্তু...।
[নেপথ্যে মালতীর গলা] মালতী - -(নেপথ্যে) একি! আপনার কাঁধের কাছটা কি হ'ল দেখুন! আপনার জামায়
বাংলা একাঙ্ক নাটক সঙ্কলন
রক্ত! শুনছেন, আপনার এখুনি হাসপাতালে...। হরিপদ - মালতীর হাতটা খুব জোরে আঁকড়ে ধরেছিলাম। জামায় রক্ত দেখে, আরও নারভাস হয়ে সেই মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে মালতীর গায়ে পড়ে যাই। আর লোকজনের চেষ্টায় তখনই হাসপাতালে..। জ্ঞান ফিরতে বুঝলাম আমার জামা ছিঁড়ে খুলে নেওয়া হয়েছে। কাঁধের কাছে ব্যণ্ডেজ। শুনলাম কয়েকটা সেলাই দিতে হয়েছে। আর দেখলাম মালতীকে। কেমন করুণ সুন্দর মেয়ে মালতী। সাধারণ মেয়ে। আমাদের ঘরের সাধারণ মেয়ের মতো। এ জগতে যারা অসাধারণ, তারা যে
সাধারণের থেকে আলাদা এটা মালতী অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছিলো। এখানে আগে বলে রাখি, আমি কিনু গোয়ালার গলির হরিপদ কেরানীর মধ্যে নিজের মিল খুঁজে পাই। হরিপদ কেরানীর আমি হরিপদ। মালতী সাধারণ মেয়ের মধ্যে নিজেকে পেয়েছে - সাধারণ মেয়ে। মালতীর মধ্যে আমার দেখা মালতীর অমিল খুঁজে পাওয়া ভার। মালতী তার ভালোলাগা কবিতাটা আওড়ায়। আমারও ভালো লাগে ওর অভিযোগগুলো -
[কথা বলতে বলতে টেপ চালায়। মালতীর কণ্ঠ শোনা যায়। কবিগুরুর 'সাধারণ মেয়ে' আবৃত্তি শোনা যেতে থাকে। হরিপদ বুকের ওপর হাত রেখে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়।]
মালতী - -(নেপথ্যে) তোমার শেষ গল্পের বইটি পড়েছি, শরৎবাবু, 'বাসি ফুলের মালা'।
তোমার নায়িকা এলোকেশীর মরণদশা ধরেছিল
পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে।
পঁচিশ বছর বয়সের সঙ্গে ছিল তার রেষারেষি -
দেখলেম তুমি মহদাশয় বটে,
জিতিয়ে দিলে তাকে ।
নিজের কথা বলি।
বয়স আমার অল্প।
একজনের মন ছুঁয়েছিল
আমার এই কাঁচা বয়সের মায়া।
তাই জেনে পুলক লাগত আমার দেহেভুলে গিয়েছিলেম অত্যন্ত সাধারণ মেয়ে আমি, আমার মতো এমন আছে হাজার হাজার মেয়ে, অল্প বয়সের মন্ত্র তাদের যৌবনে ।।
তোমাকে দোহাই দিই,
একটি সাধারণ মেয়ের গল্প লেখো তুমি।
বড় দুঃখ তার।
হরিপদ কেরানী
তারও স্বভাবের গভীরে
অসাধারণ যদি কিছু তলিয়ে থাকে কোথাও
কেমন করে প্রমাণ করবে সে - -
এমন কজন মেলে যারা তা ধরতে পারে! কাঁচা বয়সের জাদু লাগে ওদের চোখে, মন যায় না সত্যের খোঁজে আমরা বিকিয়ে যাই মরীচিকার দানে
[নেপথ্য কণ্ঠ বন্ধ হয়]
হরিপদ - ওর - মানে মালতীর ভালোলাগে এই কবিতাটা। আমি যখনই ওকে জিজ্ঞেস করেছি কেন তোমার ভালো লাগে! তার উত্তরে ও একটা কথাই বলে এসেছে, কবিতার সঙ্গে আমি মিশে যেতে পারি বলে! আমার কাছে এসব কথা খুব হেঁয়ালী মনে হয়। অবশ্য ওকে ঠিক মতো বুঝতে পারিনি এমনও হতে পারে। একথা সকলকে বলাটা বোধহয় ভালো দেখাবে না। মানে - আজ যার জন্যে অপেক্ষা করছি। মানে আজই আমাদের স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী দিনে পরিকল্পনা মতো এগোবার বাসনা করছি, ঠিক তখন আমার ভাবী ঘরণীকে এখনও বুঝতে পারিনি কথাটা খুবই বেমানান। আচ্ছা...! (চিন্তা করে) আমি তো মালতীর সঙ্গে কেমন করে আলাপ হল সেটা শেষ করিনি। আজ মালতী আসবে। আমরা আগামীকাল আমাদের বিবাহের কাজ সেরে নেবো। দু-পক্ষের কম করে চল্লিশজন নিমন্ত্রিত। মানে সবই ঠিক। মালতী আজ তার মা-বাবাকে বলে চলে আসবে। আজ ওর বন্ধু মঞ্জুলিকার বাড়ীতে থাকবে।
এই প্রথম আমার ভাড়া বাড়ীতে মালতী আসবে। আসলে প্রথম বলেই যে ভালো লাগছে তা নয়। মালতী এতদিন তো কিছুতেই রাজী হতে পারছিল না। তাই আজ ভালো লাগছে। ভীষণ ভালো লাগছে। আমি ওর বাড়ীতে গেছি। গেছি মানে গিয়ে থেকেছি। হাসপাতাল থেকে এখানে চলে আসার কথা। মালতীর বাবা-মা বাধা দিলেন। বললেন - আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা, আমাদের কথা শোন। ওখানে তোমাকে দেখার কেউ নেই। এখন কদিন একটু সেবা-শুশ্রুষা প্রয়োজন। আমাদের ঘরে কদিন থাকবে চলো! এখানে মালতীর ভূমিকা কতোখানি ছিলো জানি না। কিন্তু ওদের আন্তরিকতায় যে কোন মানুষই মুগ্ধ হবে। আমার কেরানী মনে কেমন যেন লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো এরা আমাকে দয়া করছেন। কিন্তু...
কিন্তু নিশ্চয়ই তা নয়। মালতীর মা হঠাৎ আমার কপালে হাত দিয়ে বললেন - তোমার এখনও জ্বর চলছে। কোন মা কি ছেলেকে এভাবে ছেড়ে দিতে পারে বাবা! আমার চোখের জল গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিলো। মালতীর মা সযত্নে তাঁর আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দিলেন।
| pdf |
4b7dcda35f87cf6e534d6c1577a87ef2be105bff | একনাথ শিন্ডের(Eknath Shindhe) বিদ্রোহে জোট সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে শুরু করল মহারাষ্ট্রে। ইস্তফা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে(Uddhav Thakre)। বুধবার শিবসেনা(Shivsena) সাংসদ সঞ্জয় রাউতের(Sanjay Raut) টুইটে এই সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া গেল। এদিন টুইটারে রাউত লিখলেন, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ যে পথে এগোতে শুরু করেছে তাতে বিধানসভা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, কংগ্রেস নেতা কমলনাথ ও উদ্ধব ঠাকরে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছিল। শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে দাবি করেন বিজেপির সঙ্গে পুরানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করুক শিবসেনা। তবে তা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ৪৬ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার গুজরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখানে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন উদ্ধব ঠাকরে। তাঁকে দলে ফিরে আসার অনুরোধ জানান। তবে ঠাকরের আবেদন উপেক্ষা করে মাঝরাতে গুজরাট থেকে বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য অসম চলে যান শিন্ডে। তবে পরিস্থিতি যা তাতে ৪৬ বিধায়কের সমর্থন হারালে জোট সরকার পড়ে যেতে বাধ্য। অন্যদিকে এই চরম সঙ্কটের মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও।
যদিও বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে অসম যাওয়ার পর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নেমে শিন্ডে জানান, 'আমি শিবসেনাতেই আছি। এবং থাকব। আমার সঙ্গে ৪৬ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। ' তবে পরিস্থিতি যে পথে এগোচ্ছে তাতে অনুমান শিন্ডের বিজেপি যোগ শুধু সময়ের অপেক্ষা।
| web |
408ba696ea51232e5a0ad70643db1dbe163dd3be | চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে পরাজয়ে আইপিএল শুরু রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। শনিবার হায়দরাবাদকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল থেকে বিদায় নেয় বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি। যুগান্তর।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার আগে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, আমরা আপনাদের জন্য তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদেরকে সবাই ক্ষমা করে দেবেন। আগামী আইপিএলে আপনাদের প্রত্যাশা পুরণের চেষ্টা করব।
কোহলি আরও বলেন, দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাতে না পারার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। সমর্থকরা বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করে মাঝরাতে ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত গ্যালারিতে ছিলেন।
এই সমর্থন সত্যিই আমাদের সম্পদ। এই সমর্থনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আইপিএলের আগামী আসরে ভালো পারফর্ম্যান্স করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে এনিয়ে নয় আসরে নেতৃত্ব দেন কোহলি। দীর্ঘদিন বেঙ্গালুরুকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা উপহার দিতে পারেননি তিনি।
শুধু তাই নয়! এবারের আইপিএলে প্লে অফেও উঠতে ব্যর্থ হয় কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি। আট দলের মধ্যে ১৪ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে থেকেই বিদায় নেয় বেঙ্গালুরু।
| web |
5815e7bb59ec218a914ccf6479cd5ac8366fb832 | গণভোটের রায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পক্ষে যাওয়ায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। গণভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর শুক্রবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন তিনি।
পদত্যাগের জন্য ডেভিড ক্যামেরন তিন মাস সময় নিয়েছেন। অর্থাৎ আগামী অক্টোবরের মধ্যে তিনি দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন।
স্ত্রী সামান্থাকে পাশে রেখে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের বাইরে বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ক্যামেরন। এসময় তিনি বলেন, 'আমাদের দেশকে পরবর্তী গন্তব্যে নিয়ে যাবে যে জাহাজটি আমি মনে করি না আমার পক্ষে আর তার নাবিকের দায়িত্ব পালন করা যথাযথ হবে। ' প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আর স্বল্প সময় অবস্থানের বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা রানীকে অবহিত করেছেন বলেও জানান ক্যামেরন।
আগামী অক্টোবরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই সময় নতুন প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত করবেন বলে জানিয়েছেন ক্যামেরন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইইউর সঙ্গে ৪৩ বছরের বন্ধন ছিন্ন করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ব্রিটেনের জনগণ। ফল ঘোষণা শুরুর পর থেকে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের দরপতন ঘটতে শুরু করেছে। ১৯৮৫ সালের ডলারের বিপরীতে এদিন সর্বোচ্চ দরপতন।
| web |
fe0bea0b2ee83138d9f5ae77ee58869057074ab5 | রাজশাহীতে পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের আয়োজনে পরিচয় প্রাঙ্গণে 'সমকালীন সাহিত্য-সংস্কৃতি : সংকট ও উত্তরণ' শীর্ষক এক সাহিত্য সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সাহিত্য সংলাপে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শাহ আবদুল হালিম, শিশু সাহিত্যিক মাহবুবুল হক এবং আশির দশকের অন্যতম কথাশিল্পী নাজিব ওয়াদুদ। বিকেল চারটায় শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত প্রাণবন্ত আলোচনার মাধ্যমে সংলাপ চলে। সংলাপে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন, ছড়াকার ও সাংবাদিক সরদার আবদুর রহমান, শিশুসাহিত্যিক জাইদুর রহমান, রাবি প্রফেসর ড. শাহ হোসাইন আহমদ মেহদী, কবি ও সাহিত্যসমালোচক খুরশিদ আলম বাবু, কবি ও গল্পকার আসাদুল্লাহ মামুন, কবি ও গবেষক ড. আবু নোমান, গল্পকার মাতিউর রাহমান, কবি ও গবেষক ড. ফজলুল হক তুহিন, ছড়াকার এরফান আলী এনাফ, সাবরিনা শারমিন বনি, কবি ফারহানা শরমিন জেনি, কবি ফেরদৗস আরা বেগম, কবি শাহাদাৎ সরকার, কবি আল মারুফ প্রমুখ। সংলাপে বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের প্রতিনিধিগণও অংশগ্রহণ করেন।
দীর্ঘ চারঘন্টার অন্তরঙ্গ সংলাপে বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি, ধারা এবং বর্তমান সময়ের সাহিত্যচর্চার নানা দিক উঠে আসে। বক্তাগণ বলেন, নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যের চর্চা ও সমৃদ্ধি এখন সকল সময়ের চেয়ে শীর্ষধারায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশে এখন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা এখন ব্যাপক আশাপ্রদ। কিন্তু যে সাহিত্য নৈতিক উন্নয়ন ও সমাজ গঠনে সহায়ক সে ধরনের সাহিত্যের বিকাশ খুব বেশি ঘটছে না। বিশেষ করে শিশু ও তরুণ প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যে ধরনের সাহিত্য প্রয়োজন তা খুব বেশি লেখা হচ্ছে না। এছাড়া সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিভাজন আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনছে। মফস্বলের ছোট ছোট জায়গাতেও সাহিত্যিকদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সাহিত্যের স্বাভাবিক বিকাশে এটা প্রতিযোগিতার পরিবর্তে পিছনে টেনে নিচ্ছে। তাছাড়া দৈনিক কাগজের সাহিত্য পাতাসমূহ সাহিত্য চর্চার পথকে উন্মুক্ত করে দিলেও এ পাতাগুলোও অনেকটা কর্পোরেট বাণিজ্যের মতোই হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক বিভাজন থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারলে বাংলাসাহিত্য চর্চাকে একটি সফল রূপে দাঁড় করানো সম্ভব বলেও তারা মন্তব্য করেন।
| web |
f3473d490448c1b6bed136d2e7dd3cfe0dcd5731 | পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিভিন্ন দেশের উমরাহযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ভিডিয়ো ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্রের মাধ্যমে পবিত্র হজ ও উমরাহ পালনের পদ্ধতি দেখাচ্ছে সউদির একাধিক বিমান সংস্থা। বাংলাসহ ৯টি ভাষায় উমরাহ বিষয়ক তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে। হজ ও উমরাহ পালনের তথ্যচিত্র প্রদর্শনের এ উদ্যোগ নিয়েছে সউদি আরবের হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রক।
১৪৪টি বিমানে ৯টি ভাষায় এই তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে উমরাহযাত্রীদের। গত সোমবার জেদ্দায় প্রিন্স সুলতান অ্যাকাডেমি অব অ্যাভিয়েশন সায়েন্সেসের সদর দফতরে 'রিহলাতুল উমর' বা 'জার্নি অব অ্যা লাইফটাইম' নামে এই তথ্যচিত্রের উদ্বোধন করা হয়। হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ এর উদ্বোধন করেন।
মূলত বিভিন্ন দেশের উমরাহযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সউদির ওয়াকফ বিভাগ ও সউদি এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে আরবি, ইংরেজি, বাংলা, ফার্সি, ফ্রেঞ্চ, হাউসা, ইন্দোনেশিয়ান, তুর্কি ও উর্দু ভাষায় ফিল্মটি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এতে পবিত্র হজ ও উমরাহ পালনের সব নিয়ম-নীতি আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। হজ ও উমরাহর সময় ব্যবহার্য বিমানবন্দর, আল-হারামাইন এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন, মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে উমরাহযাত্রীদের করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা তুলে ধরা হয় এই তথ্যচিত্রে। হজ ও উমরাহ মন্ত্রকের জেনারেল বিভাগের পরিচালক তুর্কি আল-খালাফ জানান, সউদি এয়ারলাইন্সের বিমানে যাত্রীদের হজ ও উমরাহ চ্যানেলের মাধ্যমে ফিল্মটি দেখানো হচ্ছে।
| web |
ff8893786373634109a63f8e83bfa437c4b57a51 | নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তৃণমূল-সিপিএমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে গ্রাম জুড়ে পোস্টারিং শুরু করল বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতার ছবি সহ পোস্টারিংয়ের পাশাপাশি '৩৪ বছরে বাংলাকে ধ্বংসকারী,অত্যাচারী সিপিএম' এই অভিযোগ তুলে সিপিএমের বিরুদ্ধেও পোস্টারিং করে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পরই বিজেপির এই পোস্টারিংকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়োশিমুলিয়া এলাকায়। গতকাল বিকেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। তারপরের দিনই অর্থাৎ আজ শুক্রবার দাসপুরের বড়োশিমুলিয়া এলাকা জুড়ে তৃণমূল ও সিপিএমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে পোস্টারিং করল বিজেপি। বিজেপির দাবি, 'পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি আমরা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছি। এর আগেও আমরা তৃণমূল সিপিএমের বিরুদ্ধে পোস্টারিং করেছি,গতকাল পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর আমরা ফের তৃণমূলের একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং ৩৪ বছরে বাংলা ধ্বংস করার জন্য সিপিএমের বিরুদ্ধেও এলাকা জুড়ে পোস্টারিং শুরু করেছি। ' বিজেপির অভিযোগ, উন্নয়ন কিছুটা হয়েছে ঠিক কিন্তু তা তৃণমূলের গুটিকয়েক নেতার বাড়িতে পৌঁছেছে। বিজেপির তরফে দেওয়া পোস্টারে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সমেত লেখা রয়েছে 'নো ভোট টু মমতা','হিটলারি শাসক আর না'। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সমেত পোস্টারে লেখা রয়েছে,'পাথর চোর',অনুব্রত মন্ডল ও ফিরহাদ হাকিমের ছবি দিয়ে পোস্টারে লেখা রয়েছে,'বালি চোর', 'চাকরি চোর'। এছাড়াও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ দেখা গেছে বিজেপির দেওয়া পোস্টারে। তৃণমূল ছাড়াও বাংলায় ৩৪ বছর সিপিএমের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করা হয়েছে এবং সিপিএমকে অত্যাচারী সিপিএম আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক পোস্টার সাঁটিয়েছে বিজেপি। আর এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কাজল সামন্ত বলেন, "৩৪ বছর সিপিএম রাজ্য ক্ষমতায় ছিল। বড়োশিমুলিয়ায় কোনো উন্নয়ন হয়নি, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর অনেক উন্নয়ন হয়েছে আগামী দিনেও হবে। তৃণমূল প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। ভোট এলেই যাযাবর পাখির মতো কিছু রাজনৈতিক দল বেরিয়ে পড়ে,যারা এখন পোস্টার দিচ্ছে। তাদের কখনও মানুষের বিপদে দেখা যায়নি। মানুষ আমাদের সাথে আছে, আমরা আবারও বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখল করবো। " যদিও তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির এই পোস্টারকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ সিপিএম। স্থানীয় সিপিএম নেতা শ্রীজিব দে জানান, 'আমাদের ঘোষিত স্লোগান 'বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও', 'তৃণমূল হটাও রাজ্য বাঁচাও'। সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে দেশ ও রাজ্য থেকে, সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত, সিপিএমের যেসকল বন্ধু বিজেপিতে গা ভাসিয়ে চলে গিয়েছিল তাদের এটা ভাবতে হবে বিজেপির ঘোষিত শত্রু আমরা। । ' ৮ ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট ১১ ই জুলাই ফল ঘোষণা হবে। দাসপুরের এই গ্রাম পঞ্চায়েত কার দখলে যায় সেটাই এখন দেখার।
| web |
ded108389b67f1dfd969c3b0e738f7683568f184 | "ফিচার্ড রিপোর্ট"
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা হত্যা, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি ফের পিছিয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ইতিহাস বিভাগের বেশ কয়েকটি কক্ষ, জানালার কাচ ভাংচুর করা হয়। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভোলায় পাঙ্গাসিয়া বাজার মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গোপনে একই পরিবারের ৪ জন সদস্যকে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চাকরি প্রত্যাশী ও এলাকাবাসী।
ড. কামাল হোসেনকে গণফোরামের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারি শেষ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। স্বামী প্রিন্স ফিলিপের পাশে তাকে সমাহিত করা। স্থানীয় সময় সোমবার সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে তাকে সমাহিত করা হয়। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে উইপোকায় খাচ্ছে সরকারের দেওয়া বিনা মূল্যের বই। বছরের আট মাস অতিক্রান্ত হলেও বিতরণ না হওয়ায় বইগুলো উইপোকার খাদ্যে পরিণত হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এসএসসি পরীক্ষা শেষে মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বখাটেদের হামলার শিকার হয়ে পরীক্ষার্থী ও তার মা আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা রয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরকারি বিধি মোতাবেক ইসলামাবাদ দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসা শূন্যপদে সহ-সুপারিনটেনডেন্ট, নৈশপ্রহরী ও সৃষ্ট পদে নিরাপত্তাকর্মী, আয়া নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রতি পদে ১ জন করে আবশ্যক।
| web |
df1dee5c0afa56cc868f8398d2b18cf5 | সাইফুদ্দিন মোল্লা : পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দামামা বেজে গেছে । এই ভোট আবহে মুক্তি পেতে চলেছে একটি অসাধারণ সামাজ সচেতন চলচ্চিত্র । রেশমি মিত্র পরিচালিত ছবি ' শ্লীলতাহানীর পরে' । আগামী ১২ই মার্চ, রাজ্যের গ্রাম - গঞ্জ - শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাবে ।
মল্লিকা সেনগুপ্তর কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত 'শ্লীলতাহানীর পরে' ছবির সম্পূর্ণ শুটিং ২০১৯ সালে শেষ করেন পরিচালিকা রেশমি মিত্র । ছবিটি ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনা অতি মারির জন্য তা প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের দেখানো সম্ভব হয়না । তাই আগামী ১২ই মার্চ পর্যন্ত আমাদের সবার ছবিটির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে । এই ছবিতে শিল্পীদের বিশেষ করে ছবির নায়িকার পোশাক ডিজাইন করেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট কস্টিউম ডিজাইনার ইরানি মিত্র । গত রবিবার,২৮ শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইরানি মিত্রের কলকাতার ডিজাইন স্টুডিওতে সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের সামনে শ্লীলতাহানীর পরে ছবির কলাকুশলীরা ইরানি মিত্রের হাতে তৈরি ডিজাইনের নতুন পোশাকে রেম্পে হাঁটলেন । এই ছবির পরিচালক রেশমি মিত্র বলেছেন, এই ধরনের নতুন ডিজাইনের পোশাক শুধু মধ্যবিত্ত নয়, উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের মন জয় করবে । ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর ছবির কলাকুশলীদের পরা পোশাকের ডিজাইনের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণ বাড়বে ।
ইরানি মিত্র বলেছেন,তরুণ প্রজন্ম তাঁর ডিজাইনের পোশাক পরে যাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটাই তাঁর লক্ষ্য । তিনি তাঁর ভাবনা-চিন্তার মধ্যে সব সময় নতুনত্ব খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন ।এদিনের এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছবির অভিনেতা ঈশান মজুমদার, গায়িকা অন্বেষা, সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পা অরিন্দম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন ।
| web |
8643be9f11937af5569a2d5fcd7138428e93b38c | বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মেধাতালিতায় যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা চাকরি পাননি। অন্যদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। ২০২৯ সালে ধর্মতলার প্রেস ক্লাবের সামনে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রায় একমাস আন্দোলনে বসেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি মানা হবে। অভিযোগ, দেড় বছর হয়ে যাওয়ার পরেও সেই দাবি মানা হয়নি। আন্দোলনকারীদের আরও অভিযোগ, সেই সময় যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁরা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। অথচ বিপুল সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী চাকরি পাননি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, অনেকগুলো ব্যাপারে দুর্নীতি হয়েছে। তাঁরা সকলেই ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। মেধাতালিকায় নামও উঠেছে। কিন্তু এরপরেও কমিশন নিয়োগ করেনি। বরং অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অনেক, যেমন, ১) নম্বর সহ পূর্ণ মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, ২) গেজেট অনুযায়ী ১ঃ১ঃ৪ রেশিও মানা হয়নি, ৩) অযোগ্য প্রার্থী যাঁরা পাস করতে পারেননি, তাঁদেরও মেধা তালিকায় ওপরের দিকে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগ, অঙ্কিতা অধিকারী নামে এক চাকরি প্রার্থী যিনি পাশই করেননি, তাঁরও নাম রয়েছে তালিকায়। ৪) মেধাতালিকার পিছনে থাকা প্রার্থীদের র্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগ করা হচ্ছে, ৫) পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীদের সিট দেওয়া হচ্ছে, ৬) ২০১৯ সালে অনশন মঞ্চের পাঁচ প্রতিনিধি ও তাঁদের নিকট আত্মীয়দের অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
এদিন সন্তান কোলে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে চাকরিপ্রার্থীদের। বিকেলের দিকে এসএসসি অবস্থান মঞ্চে পৌঁছেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনিও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বসে পড়েছেন অবস্থান মঞ্চে।
চলতি বছরই মার্চে কালীঘাটে জড়ো হয়েছিলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। সেবারও হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে দিয়ে রাস্তায় বসে, পড়েন আন্দোলনকারীরা। তারপরে রাস্তায় শুয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁদের। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকশ পরীক্ষার্থী। তাঁদের দাবি, মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হচ্ছে না তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁদের চাকরি হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে এসএসসির লিখিত পরীক্ষায় পাস করেও, কয়েক বছর ধরে ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হচ্ছে কয়েকশে প্রার্থীকে। অথচ ওই শিক্ষকদের জন্য অসংখ্য শূন্য পদ রয়েছে একাধিক স্কুলে। গত ১২ মার্চ ধর্মতলা, কলেজস্ট্রিট, শিয়ালদা, মৌলালি, শ্যামবাজার-সহ গোটা শহর জুড়ে ৪৮ ঘণ্টার অনশন আন্দোলন করেছিলেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের বিভিন্ন দফতরে বারবার গিয়ে, অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কবে প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে সে নিশ্চয়তাও নেই।
| web |
817d373c8f31223c746940f28f480c90ddeaa92d | করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জেরবার চিন। সূত্রের খবর, এবার করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য মাত্র ১০ দিনে ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করেছে চিন। সদ্য নির্মিত এই হাসপাতালে সোমবার থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সামগ্রীও পাঠানো হচ্ছে সরকারি ভাবে।
প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় চিনের উহান শহরে যেখানে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষের বাস। ইতিমধ্যেই শহরটির হাসপাতালগুলোতে উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের উপচে পড়া ভীর এবং ফার্মেসিগুলোতে ওষুধের সংকট তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত গোটা চিনে চারশো জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চিনের উহান প্রদেশেই মাত্র ১০ দিনে নির্মাণ করা হয়েছে এই বিশেষ হাসপাতাল। এছাড়া, দেড় হাজার শয্যা বিশিষ্ট অপর একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণাধীন রয়েছে বলে খবর। সেই সাথে ভাইরাস সংক্রমণে আশঙ্কায় চিনের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল কলেজ।
পাশাপাশি শহরে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীদের সহায়তা করতে এবং শহর থেকে দূরে অবস্থিত নতুন হাসপাতালে কাজ করার জন্য উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির চিকিৎসকেরাও।
| web |
2892b2bb459cb399078ad360829501aa9bf10924 | ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ওমান উপসাগরে তেলবাহী দুই ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে দাবির স্বপক্ষে ভিডিও প্রমাণ উপস্থাপন করেছে তারা। ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানি নৌবাহিনীর সদস্যরা জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কারেজিয়াস নামক ট্যাংকার থেকে অবিস্ফোরিত মাইন সরিয়ে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের কবলে পড়া দুই ট্যাংকারের একটি এটি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হামলার স্থল থেকে আলামত সরানোর চেষ্টার অংশ হিসেবেই এই কাজ করেছে ইরান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ট্যাংকার দুটির একটি মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ফ্রন্ট অ্যালটেয়ার এবং অপরটি পানামার পতাকাবাহী কোকুকা কারেজিয়াস। ফ্রন্ট অ্যালটেয়ার নরওয়ের মালিকানাধীন আর কোকুকা জাপানের মালিকানাধীন। বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের পর দুই ট্যাংকার থেকে ৪৪ জন ক্রু-কে উদ্ধার করে ইরানি কর্তৃপক্ষ। বিস্ফোরণের কারণ জানা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র এর জন্য ইরানকে দায়ী করছে।
ঘটনার পর চারজন মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন তাদের কাছে ওই হামলার ছবি আছে। ওই কর্মকর্তাদের একজন জানান ভিডিওটি মার্কিন সামরিক বিমান থেকে ধারণ করা। সেখানে দেখা যায়, একটি ছোট নৌকা জাপানি ট্যাংকারের পাশে এসে দাঁড়ায়। একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ট্যাংকার থেকে কিছু সরিয়ে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই বস্তুটি অবিস্ফোরিত মাইন। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, মার্কিন ডেস্ট্রেয়ার জাহাজ ও একটি ড্রোন থাকার পরও সেখানে নৌকাটি অবস্থান করে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ধারণা, হামলার প্রমাণ মুছে ফেলতেই সেখানে গিয়েছিলো সেটি।
আরেকজন কর্মকর্তা সিএনএন-এর কাছে দাবি করেন, ঘটনার সময় সেখানে অনেকগুলো ইরানি ছোট নৌকা প্রবেশ করেছিল। এক বিবৃতিতে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড জানায়, ইউএসএস বেইনব্রিজ কিংবা এর মিশনের ওপর কোনও রকম হস্তক্ষেপ করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।
বৃহস্পতিবার কোকুয়া কারেজেস ও ফ্রন্ট আলটেয়ার নামের নৌযানদুটিতে 'বিস্ফোরণের পর' আগুন ধরে গেলে ইরানি উদ্ধারকারী দল ট্যাঙ্কার দুটির ৪৪ ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।
ওই ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তবে ইরান অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মৌসাভি বলেছেন, "ইরানকে এরকম একটি সন্দেহজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য দায়ী করা নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সস্তা একটি ব্যাপার। এ ধরনের অভিযোগ উদ্বেগজনক। " তিনি বলেন, আমরা ওই প্রণালীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করি এবং আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ট্যাংকারের ক্রুদেরকে উদ্ধার করেছি। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় ইএসএস বেইনব্রিজ কোকুকা কারেজিয়াসের কর্মীদের সহায়তা করছে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট ট্যাংকার ওনার্স বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা বলে সন্দেহ করছে তারা। জাতিসংঘের নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জোনাথান কোহেন বলেন, এটা এই অঞ্চলে ইরানের সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার আরেকটি উদাহরণ। তবে ইরানি মিশন এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
| web |
a8e88b606f9393a991e97e068e30d285044dd4c6 | মানুষের চাহিদা বুঝে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন এস এম রাশেদ রহমান ও শামীমা ইয়াসমিন নীলা দম্পতি। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে লোভনীয় চাকরির ব্যবস্থা করা, ঝামেলা ছাড়াই গাড়ি আমদানি করা, ব্যাংক থেকে বড় লোন পাইয়ে দেওয়া যেন কোনো ব্যাপারই নয় তাদের কাছে। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলেই মিলবে সবকিছু। অনেকেই তাদের ফাঁদে পা দিয়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে বর্তমানে নিঃস্ব হয়েছেন। অনেকে বছরের পর বছর এ দম্পতির পেছনে ঘুরে শুধু চোখের জলই ফেলে যাচ্ছেন। অভাবে পড়ে অনেকের সংসার ভেঙে গেছে। তবুও থামছে না এ দম্পতির প্রতারণা। ৫৩ লাখ টাকা প্রতারণা মামলায় গত বছর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে আবারও শুরু করেছেন একই কাজ। ভুক্তভোগীদের অনেকে মামলা দায়ের করলেও এবং দুটি মামলায় সাজা হলেও তারা অধরা থেকে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রাশেদের স্ত্রী নীলার এক আত্মীয় বিচারাঙ্গনে কর্মরত থাকায় তারই ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তারা। হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, টাকা আদায়ে কেউ চাপ প্রয়োগ করলে পুলিশের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভয় দেখানো হয়। কেউ যদি হুমকিতে ভয় না পায়, তাহলে বিভিন্ন কর্মকর্তার পরিচয়ে ফোনে হুমকি-ধমকি দিতেই থাকেন তারা। এ দম্পতি ২০১৪ সাল থেকে ইতালি, কানাডা, রোমানিয়া, পর্তুগাল, জার্মান ও মাল্টাসহ অনেক দেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভুয়া কাগজপত্র (ভিসা, কার্ড, টিকিট) সরবরাহ করে মানুষ ঠকিয়ে দিনের পর দিন অপকর্ম করে আসছে। একই সঙ্গে রাশেদের এক স্বজনের সহযোগিতায় বড় অঙ্কের ব্যাংক লোন পাওয়ার ফাঁদ পাতেন তারা। তাদের আশ্বাসে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছে অনেক পরিবার। গাড়ি আমদানির নামেও লাখ লাখ টাকা হাতাতেন তারা। তাদের এ গাড়ি আমদানির ফাঁদে পড়ে ২৫ লাখ টাকা খুইয়েছেন সরকারি এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও। ব্যাংকলোনের ফাঁদে কুষ্টিয়ার মিরপুরের কাজিম আলী ১০ লাখ, একই এলাকার মনোয়ার হোসেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও শারমিন আক্তার সাড়ে ৮ লাখ টাকা, ব্যাংকে চাকরি বাবদ চুয়াডাঙ্গার টিপু সুলতান সাড়ে ৮ লাখ টাকা খুইয়েছেন। এ ছাড়া রোমানিয়া যাওয়ার ফাঁদে ফরিদ আহমেদ, সাইফুল ইসলাম ও আতিকুর রহমান ১৮ লাখ টাকা, কানাডা যাওয়ার ফাঁদে পড়ে খোরশেদ আলম ও সোলাইমান নামে ২ জন ৪ লাখ টাকা খুইয়েছেন।
এ চক্রের খপ্পড়ে পড়া কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা রিফাত আরা রিমু বলেন, আমার স্বামীর এক বন্ধুর মাধ্যমে রাশেদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। আমরা জানতে পারি, রাশেদ একটি দূতাবাসে চাকরি করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠান। পরে আমার চাচা মফিজ আহমেদ ও চাচার এক বন্ধুকে ইতালি পাঠানোর জন্য কথাবার্তা আগানো হয়। ইতালিতে চাচার এক বন্ধু চাকরির ব্যবস্থা করতে চাওয়ায়, আমরা রাশেদের সঙ্গে চুক্তি করি বৈধভাবে শুধু ইতালি পৌঁছে দিতে হবে। এতে রাশেদ রাজি হয়ে জানায়, রোমানিয়া হয়ে আমার চাচা ও চাচার বন্ধুকে ইতালি পৌঁছে দেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পাসপোর্ট, ভিসা লাগানো ও ইনড্রোস করানোর বাহানায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরই মধ্যে সে ইতালির তিন মাসের ভিসা পেয়েছে বলে ভুয়া কাগজ দেখায়। এমনকি ইতালির গ্রিনকার্ডও বের করে আনে আমার চাচার নামে। ইতালি পৌঁছানোর আগেই গ্রিন কার্ড দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা ভিসাসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে দেখি সবই ভুয়া। পরে টাকা ফেরত চাইলে বেঁকে বসেন রাশেদ। দিতে থাকেন বিভিন্ন হুমকি। একপর্যায়ে ব্যাংকের চেক দিলেও সে একাউন্টে কোনো টাকা ছিল না। পরে তার বিরুদ্ধে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। যা চলমান রয়েছে।
রিফাত আরা রিমু আরও বলেন, আমার চাচা ইটভাটার ব্যবসায় লস খেয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন। একমাত্র বাড়ি বিক্রি করে ৯ লাখ টাকা আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আমিও সরল বিশ্বাসে রাশেদকে টাকা দিয়েছিলাম। ফলে চাচা সব টাকা আমার কাছে ফেরত চাইছে। এ অবস্থার সমাধান খুঁজে পাচ্ছি না। কোথায় পাব এত টাকা। আর কেউ যাতে এমন প্রতারণার শিকার না হয়, সে জন্য রাশেদ ও তার সহযোগীদের বিচার চাই।
রাশেদ-নীলা দম্পতির মাধ্যমে রোমানিয়া যেতে চেয়েছিলেন আলম সরকার নামের গাজীপুরের এক লোক। তিনি ওই দম্পতিকে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাকে রোমানিয়া পাঠানোর প্রলোভনে ভারতে পাচার করা হয়। আলম সরকার নিজের বাড়ি বিক্রি করে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে পাচার চক্রের দাবিকৃত মুক্তিপণ দিয়ে তিন মাস পর দেশে ফিরে আসেন। এরপর ওই দম্পতির খিলগাঁও মান্ডা এলাকার বাসায় গিয়ে বাসাটি ফাঁকা দেখতে পান। তার মতো আর কেউ যাতে প্রতারণায় না পড়েন, সে জন্য এ দম্পতির বিচার দাবি করেছেন আলম সরকারও।
| web |
24548e4aabc6900abdd7aa8363d1d2363b16c1a9 | জানুয়ারি মাস থেকে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা। এবার 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। এমনকি বিক্ষুব্ধ এক মহিলার পায়ে ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সভাধিপতি!
হুগলি জেলার গোঘাটের মান্দারণ পঞ্চায়েতের তারাহাট এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। মঙ্গলবার গোঘাটের মান্দারণে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দেন সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তারাহাট গ্রামে যেতেই ক্ষোভের মুখে পড়ে তাঁরা।
গ্রামের বেশ কয়েকজন মহিলা তাঁদের সামনে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মূলত তাদের অভিযোগ, ভোট এলেই গ্রামে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ নিতে আসেন। কিন্তু এলাকার উন্নয়ন করা হয়নি ও আবাসের বাড়ি উপযুক্ত প্রাপকদের দেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগ নিয়েই সভাধিপতি ও বাকি নেতৃত্বদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
সেই ঘটনায় বেগতিক দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে এক বিক্ষুব্ধ মহিলার পায়েও ধরতে যান সভাধিপতি। পাশাপাশি তাদের যা যা অভিযোগ তা দ্রুত সমাধান করার আশ্বাসও দেন সভাধিপতি। যদিও ঘটনার পর আর কেউ মুখ খুলতে চাননি।
অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান ঘটনার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, "কিছু ক্ষোভ থাকতে পারে মানুষের মধ্যে, তবে উন্নয়ন হয়েছে। তবুও এই মানুষদের যেসব অভাব অভিযোগ আছে, আমি টা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করব খুব তাড়াতাড়ি। " পাশাপাশি বিগত সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের উপরও দায় চাপিয়েছেন তিনি।
| web |
df8383976cf09ac4889f4d4a092c66aa17939222 | তাহলে কী কলকাতায় নামার পর যে আফ্রিদি বলেছিলেন, 'ভারতেরই সবচেয়ে বেশি ভালবাসা পান'- তাতেই ভারতীয় দর্শকদের মন-মানসিকতায় পরিবর্তণ চলে এলো! কলকাতার মানুষ সব পাকিস্তানের সমর্থক হয়ে গেলো! আর তিনদিন পরই এই ইডেন গার্ডেনে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। তার আগে আজ বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। অথচ, ইডেনে দেখা গেলো পাকিস্তানের সমর্থকই বেশি। আফ্রিদি-হাফিজদের এক একটি শটের সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস করছে যেন ইডেনের তিনভাগের দুই ভা দর্শক।
ভারতীয়দের পাকিস্তান বিরোধীতা নতুন কিছু নয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজন হওয়ার পর থেকেই এ দুই প্রতিবেশি দেশ চিরশত্রুতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং বুধবার ইডেনের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বাভাবিকভাবেই মাশরাফিরা প্রত্যাশা করেছিলেন এ ম্যাচ দর্শকদের সমর্থন তারাই পাবেন। কিন্তু মাঠে হলো তার উল্টো। প্রায় সকল ভারতীয় দর্শক যারা এ ম্যাচ দেখতে গিয়েছেন তারা সমর্থন দিচ্ছেন পাকিস্তান দলকে।
কিন্তু এদিন মাঠে উপস্থিত দর্শকদের প্রায় সবাই সমর্থন দিচ্ছেন পাকিস্তানকে। বাংলাদেশের সমর্থন যা রয়েছে তার প্রায় সবই বাংলাদেশ থেকে উড়ে যাওয়া সমর্থক।
| web |
09a54103bdd219f6754a672e8af31472a26d12e9 | বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন তা শিষ্টাচার বহির্ভূত, অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের সামিল এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন মোতাবেক অপসারণযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বরে ভোরে দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল মাঠে উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহ। ভোর থেকে ওই মাঠের শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন। এ সময় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। উপস্থাপক শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মাইকে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের নাম ঘোষণা করছিলেন। পৌরসভার নাম ৫ নম্বরে ঘোষণা করার কারণে মেয়র প্রকাশ্যে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও থাপ্পড় মারেন। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় অনুষ্ঠানটির কিছু সময়ের জন বন্ধ থাকে। পরে অপর জনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করে। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় শিক্ষা কর্মকর্তা বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
| web |
ad07bfa11c97dcfaa233f86720351ce0213a311f | শীত মৌসুমে ইউরোপে করোনার প্রকোপ আবারো বাড়ছে, তাই আগামী দিনগুলোতে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে কোভিড-১৯ পেনডামিক নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, কোন প্রকার অবহেলা না করে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে আরও বেশি যত্নবান হতে হবে।
কোভিড-১৯ পেনডামিক নিয়ে, সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন। এতে যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এসময় দেশে করোনা কমলেও এখনো একেবারে নির্মূল হয়ে যায়নি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবেলায় আগামী দিনগুলোতে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, মাস্ক ব্যবহার এবং সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা থেকে অনেকটাই দুরে থাকা সম্ভব।
দেশে ইতোমধ্যে ৯ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার কাজ হয়েছে, বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
| web |
1ad8ae632685da2705235589f6fb6e56aee5abda | খায়রুল আলম, ঢাকা : ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩২ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার ইয়ালভা জোহানসন এ ঘোষণা দেন।
এসময় বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান কমিশন ডেলিগেশন প্রধানের দূতাবাস ভবনে এক অনুষ্ঠানে এ সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার ইয়ালভা জোহানসন ১০ ও ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) দুদিনের বাংলাদেশ সফরে এসেছেন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩ মিলিয়ন ইউরো দেবে, এটা শুনে আমরা খুশি হয়েছি। কক্সবাজারেও রোহিঙ্গাদের তারা সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সব ধরনের মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সহিংসতা এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে'- বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ডা. এনামুর রহমান আরও বলেন, ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের পুষ্টির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। প্রথম দিকে যে পুষ্টি পরিস্থিতি ছিল এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে সে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
| web |
1a5a90b19714d26980c3b80905775ddf709827a8 | ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন দুই পর্যটক। সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টে গত শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, কুমিল্লার তিতাস থানার গোপালপুরের সামশুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান ও মোশাররফের ছেলে শাকিল। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ট্যুরিস্ট পুলিশ ও আহত পর্যটকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পৌঁছেন তারা। গাড়ি থেকে নেমে সিগাল পয়েন্ট থেকে সমুদ্রসৈকতে নামেন। এ সময় ৫-৬ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার পর ধারালো ছুরি দিয়ে মেহেদী হাসানকে আঘাত করতে থাকে তারা। তাকে বাঁচাতে গেলে শাকিলকেও ছুরিকাঘাত করে। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয়রা। আহত শাকিল জানান, মেহেদীর পিঠে দুটি এবং হাতে একটি ছুরিকাঘাত করা হয়। হাত ছিদ্র হয়ে যায়। পিটের অংশ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে।
| web |
6ab192c2304ee064c64bd05970db3c037e26b5d3 | ব্র্যাড পিট ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠিয়েছেন নোরাকে!
হলিউড তারকা ব্র্যাড পিট ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ করেছেন নোরাকে! এমনটাই দাবি করলেন ভারতের অন্যতম গ্ল্যামার গার্ল নোরা ফাতেহি।
সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ব্র্যাড পিটকে নিয়ে কথা বলেছেন নোরা ফাতেহি। তিনি বলেছেন, হলিউড অভিনেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর ডিএম-এ স্লাইড করেছিলেন। 'ডিএম স্লাইড' করা বলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা মেসেজিং অ্যাপে কাউকে সরাসরি বার্তা পাঠানোকে বোঝায়।
সাধারণত ফ্লার্ট করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই ধরনের মেসেজ করা হয়।
তবে আলোচনা ও সমালোচনা দুই মিলেই ব্র্যাড পিটের মেসেজের বিষয়টি বেশ সাড়া ফেলেছে। নোরার প্রতি পিটের আগ্রহের কারণ খুঁজছেন কৌতুহলী সবাই। কে জানে, যদি নোরার দাবিটি সত্যি হয়ে যায়!
নোরাকে সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখায় তলব করা হয়েছিল সুকেশ চন্দ্রশেখরের সাথে অর্থ পাচারের মামলায় জড়িত থাকা সন্দেহে। তিনি সেখানে হাজিরা দেন এবং নিজের বিষয়ে জবাব প্রদান করেন।
এছাড়াও বিশ্বকাপের থিম সংয়ে পারফর্ম করতে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে। সামনে তাঁর হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ। এছাড়াও নিয়মিত বিভিন্ন রিয়েলিটি শো'র এর বিচারক হসেবে উপস্থিত থাকছেন তিনি।
| web |
e88c8e38988e52a8dc87354367f2f29844d24629 | দৃষ্টিনন্দন কারুকাজে গড়া লালবাগ দুর্গের মুঘল হাম্মামখানা, উপরে গম্বুজাকৃতির জায়গায় বৃত্তাকার ফুটো দিয়ে অন্ধকার ভেতরে ঠিকরে পড়ত দিনের আলো; আর চারদিক দিয়ে ছিল বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা।
কিন্তু নানা সময়ে সংস্কারের ধারাবাহিকতায় সেই ফুটো বন্ধ করে ভেতরে লাগান হয়েছিল বৈদ্যুতিক বাতি; আটকে দেওয়া হয়েছিল নির্মল বায়ু ঢোকার সব পথ।
নতুন এক উদ্যোগে এই পুরাকীর্তি সংস্কার করা হয়েছে; ফেরানো হয়েছে মুঘল আমলের সেই ঐতিহাসিক কারুকাজ।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে আদিরূপ পাওয়া সেই হাম্মামখানা সোমবার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
সংস্কারের মাধ্যমে হাম্মামখানায় আনার 'অপরিকল্পিত' পরিবর্তনকে আগের জায়গায় নেওয়ার কথা তুলে ধরে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "হাম্মামখানার নানাবিধ পরিবর্তন করা হয়েছিল, আলাদা একটা সিঁড়ি লাগানো হয়েছিল। একেক দিকে দরোজা আপনমনে নিজের মতো করে তৈরি করা হয়েছিল, হাম্মামখানার উপরের দিকে আলো এবং বাতাস ঢুকবে, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২১ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর'স ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশন (এএফসিপি) কার্যক্রমের আওতায় দুই বছর মেয়াদী পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজটি শুরু হয়।
১৭ শতকে তৈরি প্রাচীন লালবাগ দুর্গের তিনটি প্রধান কাঠামোর অন্যতম মুঘল হাম্মামখানার পুনরুদ্ধার ও স্থাপত্য কলার নথিবদ্ধকরণের কাজে এএফসিপি তহবিল থেকে প্রায় এক লাখ ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করা হয়েছে।
পুনরুদ্ধার করা মুঘল হাম্মামখানা উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত 'রেস্টোরিং, রেট্রোফিটিং অ্যান্ড থ্রিডি আর্কিটেকচারাল ডকুমেন্টেশন অফ হিস্টোরিকাল মুঘল এরা হাম্মামখানা অ্যাট লালবাগ ফোর্ট' শীর্ষক অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, "বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রসার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকার। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। "
গত ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ১১টি প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
বাংলাপিডিয়ার তথ্য বলছে, বাংলার সুবাহদার থাকার সময়ে যুবরাজ মুহম্মদ আজম ১৬৭৮ সালে লালবাগ দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান।
তার উত্তরসূরি শায়েস্তা খান ১৬৮৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করলেও দুর্গের কাজ সমাপ্ত করেননি। ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে শায়েস্তা খানের মেয়ে বিবি পরী এখানে মারা গেলে দুর্গটিকে তিনি অপয়া হিসেবে বিবেচনা করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন বলে বাংলাপিডিয়ায় উল্লেখ রয়েছে।
হাম্মাম কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম, একটি ছোট রান্নাঘর, একটি চুল্লী, একটি পানির আধার, ইট নির্মিত পাকা একটি বাথ-টাব, একটি শৌচাগার, একটি ড্রেসিং রুম এবং বাড়তি একটি কক্ষ।
হাম্মাম অংশে পানি গরম করার জন্য ভূগর্ভস্থ একটি কক্ষ এবং ঝাড়ুদারদের ব্যবহারের জন্য একটি অলিন্দ রয়েছে। হাম্মামের পশ্চিম দিকে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত দীর্ঘ একটি বিভাজন দেওয়াল সমস্ত দুর্গটিকে দুভাগে বিভক্ত করেছে।
হাম্মামখানা সংস্কার প্রকল্পের পরামর্শক অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, মুঘল স্থাপত্যের বিভিন্ন দিক ও ঐতিহাসিক অবস্থা পর্যালোচনা করে হাম্মামখানার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সংস্কারের ফলে পরিবর্তন করে ফেলা অংশকে আগের মতো ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
হাম্মামখানার পুরোপুরি পুনরুদ্ধার এবং লালবাগ দুর্গকে আদিরূপে ফিরিয়ে নিতে আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর বক্তব্য দেন।
| web |
9d3893cbf7713a6312ec7f18f8bb02d392fd8875 | বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উপর্যুপরি বিপদে কামাল আর খান (Kamal R Khan)। কিছুদিন আগেই প্রয়াত ইরফান খান এবং ঋষি কাপুর সম্পর্কে পুরনো কিছু অসম্মানজনক টুইটের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেআরকে। এবার একটি অন্য মামলায় ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হল তাঁর। তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গরাদের পেছনে পাঠানো হল খানকে।
গত শনিবার কেআরকে কে গ্রেফতার করে ভারসোভা থানার পুলিস। ২০১৯ সালে যৌন সুবিধা চাওয়া এবং অভিযোগকারিনীর অনুমতি বিনা হাত ধরার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। রবিবার বান্দ্রা কোর্টে কেআরকে কে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, কেআরকের বিরুদ্ধে অভিযোগ কারী মহিলা পেশায় একজন অভিনেত্রী, গায়িকা তথা মডেল। পুলিসের কাছে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে একটি পার্টিতে কেআরকের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় তাঁর। নিজেকে প্রযোজক বলে পরিচঢ় দিয়েছিলেন কামাল আর খান। তরুণীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ইমরান হাশমির বিপরীতে নায়িকার চরিত্রে সুযোগ দেবেন তিনি।
পুলিসের কাছে কেআরকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী। তিনি দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে যখন তিনি কেআরকের বাংলোয় যান তখন তাঁকে পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন করে জোর করে তাঁর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিলেন কেআরকে। ওই তরুণী ঘটনাটার কথা প্রথমে নিজের এক বন্ধুকে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু তাঁর সেই বন্ধু তাঁকে পুলিসের কাছে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে দাবি করেছিলেন সেই বন্ধু। কিন্তু ২০২১ সালে আরেক বন্ধু এই ঘটনার কথা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ তাঁকে পুলিসে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন।
সেই মতো ভারসোভা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তরুণী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এ এবং ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের হয় কেআরকের বিরুদ্ধে। আদালতে কেআরকের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ঘটনা ঘটার ১৮ মাস পরে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণী। কিন্তু তাঁর কোনো অভিযোগই সত্য নয়। পালটা পুলিস দাবি করেন, কেআরকের লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু পারেননি।
রবিবার বান্দ্রা কোর্টে তোলা হলে কেআরকে কে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগের বার আদালতের শুনানির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কেআরকে। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে।
| web |
dc954070f7a06223176206dc56325690cac24a9b | এই মুহূর্তে টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা বললেই উঠে আসে ঋত্বিক চক্রবর্তীর নাম। অন্যরকম সিনেমার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দর্শকদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়েছে অভিনেতা। বলাই বাহুল্য তাই তারপর পরবর্তী সিনেমা নিয়েও দারুন আগ্রহ বজায় রয়েছে অনুগামীদের মধ্যে। তবে এবার অভিনেতাকে কলকাতার হাজরা অঞ্চলের একটি এটিএম এর সামনে নিরাপত্তারক্ষীর পোশাক পরে বসে থাকতে দেখতে পেয়ে বেজায় চমকে উঠলেন অনুগামীদের একটি বড় অংশ।
প্রসঙ্গত এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত ছবিগুলি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে ন্যাড়া মাথায় টুপি পরে একটি নীল রঙের নিরাপত্তার রক্ষীর পোশাক গায়ে দিয়ে এটিএম পাহারা দিচ্ছেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। তবে এটিএম এ টাকা তুলতে আসা মানুষদের অনেকেই কিন্তু অভিনেতাকে দেখে চিনে উঠতে পারেননি। তবে যারা চিনতে পেরেছেন অভিনেতাকে তাদের সঙ্গে এগিয়ে এসে কথা বলা এবং ফটো তুলতে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে।
তবে জানা গিয়েছে এই সমস্তটাই আসলে নিজের আসন্ন ছবির প্রচারের জন্য করেছেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে নতুন সিনেমা মায়ার জঞ্জাল যা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। সেই সিনেমার প্রচারেই এদিন নিরাপত্তারক্ষীর বেশ ধারণ করতে দেখা গিয়েছে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীকে।
| web |
9778455d4a3104ac57e1bc2cb9d16d08a95bde4d | নিজস্ব প্রতিবেদনঃ পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করে দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার নতুন দুটি সুবিধা চালু করল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। একটি হল পাসপোর্টের জন্য দেশের যেকোনও জায়গা থেকেই আবেদন করা যাবে। অন্যটি হল পাসপোর্টের আবেদনের জন্য চালু করা হল 'পাসপোর্ট সেবা অ্যাপ'। মোবাইলের এই অ্যাপ থেকেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে।
পাসপোর্টে সেবা দিবস উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, বিবাহিত মহিলাদের পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে এতদিন বিয়ের শংসাপত্র বাধ্যতামূলক ছিল। এবার তা আর থাকছে না। বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের আর এখন থেকে প্রাক্তন স্বামীর নাম লিখতে হবে না।
| web |
924e6a1ba31f55d43a3da289f86908e6ca680b83 | ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ৩ ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুলগাম বিভাগে দুই পক্ষের মধ্যে সম্মুখ লড়াই হয়। এতে ৩ সেনা নিহত হন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কাশ্মীরের দক্ষিণভাগের কুলগাম বিভাগের হালান বনাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের লুকিয়ে থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান চালানো হয়। এটি ছিল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান।
এ সময় জঙ্গলের ভেতর থেকে জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি চলে। এতে ৩ সেনা আহত হন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে এক টুইট বার্তায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫ কোর জানিয়েছে, ওই এলাকায় এখনও অভিযান চলছে।
এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
| web |
80e43b70ee9550edf87d0834ed2f00bc083e50e0e40dc11eba2f053c69a52205 | www.BanglaBook.org অভিযাত্রিক
-না মাধোলালজি, মিশনের মেয়ে আমাদের সমাজে চলবে না। আমাদেরও তো সমাজ আছে, না নেই ?
- বাবুজি আপনি না করেন, ওর একটি ভালো পাত্র তবে যোগাড় করে দেবেন? - আমি কথা দিতে পারিনে মাধোলালব্জি, তবে চেষ্টা করে দেখতে পারি । দারকেশা থেকে এগারো মাইল দূরবর্তী গভর্ণমেণ্ট রিজার্ভ ফরেস্ট একদিন দেখতে গেলুম। সেদিন সঙ্গে কেউই ছিল না - আমি ঘোড়া করে বেলা দশটার সময় বার হয়ে বেলা একটার সময় একেবারে পথহীন বিজন বনের মধ্যে গিয়ে পড়লুম
বড় বড় গাছ, পাতায় পাতায় জড়াজড়ি - নীচে কোথাও যেন মাটি নেই, শুধুই সাদা পাথরের হুড়ি ছড়ানো - মাঝে মাঝে ঝরনা। এ বনেও অনেক বুদ্ধ-নারিকেলের গাছ দেখা গেল। ঝরনার ধারে ঘন জঙ্গল, অনূত্র বন এত ঘন নয়। এই বনে অত্যন্ত ম্যালেরিয়া ফুলের ( Lantana Camera ) ভিড়, বিশেষ করে ঝরনার ধারে। এই সুদৃশ্য ফুল এখানে ফুটেচে খুব বেশি ও নানা রঙের।
বনের মধ্যে এক জায়গায় বাঘ শিকারের মাচান বাঁধা। দেখে মনে হল কিছুদিন আগে এখানে কেউ শিকার করতে এসেছিল। এই বন যে হিংস্ৰজন্তু-অধ্যুষিত, তা মনে পড়লো এই মাচান' দেখে - আরও গভীরতর অরণ্যে অবেলায় প্রবেশ করা সমীচীন হবে না ভেবে ঘোড়ার মুখ গ্রামের দিকে ফেরালুম ।
পথে একজন থাকী পোশাক পরা কালো লোকের সঙ্গে দেখা। লোকটি গবর্নমেণ্টের অরণ্যবিভাগের জনৈক কর্মচারী। আমায় দেখে বললে - আপনি কোথায় গিয়েছিলেন ?
আমি বললুম, বনে বেড়াতে গিয়েছিলুম।
লোকটি বললে - অন্যায় করেচেন, একা যাওয়া আপনার উচিত হয়নি। বনে বাঘের ভয় আছে, এ সব অঞ্চলের বাঘ বড় খারাপ। একটা মানুষ থেকো বাঘও বেরিয়েছে বলে জানি।
সামনে আসচে কোজাগরী পূর্ণিমার জ্যোৎস্নারাত্রি। আমার প্রবল আগ্রহ ছিল অমন জ্যোৎস্নারাত্রিটি বনের মধ্যে কোথাও যাপন করা। অনেক বক্তৃতা দিয়েও একজন লোককেও যোগাড় করা গেল না যে আমার সঙ্গী হতে পারে, কারণ মানুষ থেকে। বাঘ্নের কথা কানে শুনে সেখানে একা যেতে চাইবে। এমন সাহস আমার ছিল না।
অবশেষে দ্বারকেশার পূর্বপ্রান্তে একটা ছোট পাহাড়ের ওপর সেরাত্রে থেকে আমার সাধ খানিকটা মিটলো। আমার সঙ্গে গ্রামের দু-তিন জন লোকের মধ্যে মাধোলালও ছিল।
মাধোলাল এই অরণ্য অঞ্চল সম্বন্ধে অনেক তথ্য
আমার কোথাও যেতে ভালো লাগে না।
- কেন মাধোজি ?
- মন হাঁপিয়ে ওঠে, মনে হয় সব চাপা ।
· বনের মধ্যে গিয়েচ রাত্রে ?
চলে। আমার বললে, বাবুসাহেব,
| pdf |
18e16a571d36cae73ec6536c072bc9c5a40e12b6 | বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলে সরকার সরাসরি কোনো ভর্তুকি দেয় না।
বুধবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এমনকি সরকার দাম সমন্বয় করার পরেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রায় ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা লোকসান করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়ে বিপিসি তার আগের লাভ থেকে এই ক্ষতি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০২২-২৩ অর্থ বছরেও বিপিসির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিপিসি এই অর্থ বছরেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি পায়নি, এবং এটি তার আগের লাভ থেকে লোকসান বহন করছে।
চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নসরুল বলেন, গ্যাস খাতের উন্নয়নে গত ১৪ বছরে সাতটি বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে ৩ হাজার ৪৮৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
| web |