doc_id
large_stringlengths
32
64
text
large_stringlengths
0
560k
type
large_stringclasses
3 values
3474d0b099dd1ed75a936114b7be3eb2
ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটী ইউনিয়নের চরকুশাই গ্রামে, শুক্রবার ভোরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.আজাহারের ত্রুয়কৃত জমিতে নির্মিত্ত, খামার বাড়ির ৪টি টিনশেড ঘর দুর্বৃত্তরা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে এবং বাড়ির কেয়ারটেকার বাবুলকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং খামারে থাকা দুটি গরু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে দোহার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার ভোরে স্থানীয় শেখ কালুর পুত্র মো. মিলনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ সদস্যের দুর্বৃত্তের দল হঠাৎ আজাহারের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে, ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পরে হাতড়ি, কুড়াল ও চাপাতির সাহায্যে ৪ টি ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এসময় ঘর ভাঙ্গার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনা উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মিলনকে জিঙ্গাসা করা হলে তিনি বলেন, এঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। চরকুশাই গ্রামের বাসিন্দা নিজাম বলেন, আজাহারের খামার বাড়িতে ভোরে হঠাৎ তারা উপস্থিত হয়ে ঘর দরজা ভাঙ্গা শুরু করলে শব্দ শুনে আমি এগিয়ে আসি। এসময় আমরা নিষেধ করলে তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে ও গালমন্দ করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ইউপি সদস্য মো.আজাহার বলেন, মিলন ও তার সহযোগীরা, আমার খামার বাড়ির ৪টি টিনশেড ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া ২ টি উন্নত জাতের গাভী নিয়ে গেছে। আমার বাড়ির কেয়ারটেকার বাবুলকে পিটিয়ে আহত করেছে। সে এখন দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
web
71ef13d9fead3de3615f3178f92bb61003bc1650
এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক সম্প্রতি বগুড়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)-এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির ফলে এখন থেকে বগুড়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা ভর্তি ও অন্যান্য ফি'র টাকা ব্র্যাক ব্যাংক-এর এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিদেশগামী প্রশিক্ষণার্থীদের ও তাদের নমিনিদের অ্যাকাউন্ট খুলবে, যাতে তারা বৈধভাবে বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়, যারা দেশের জন্য অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিটিসি বগুড়া শাখার অধ্যক্ষ সুশান্ত কুমার রায় এবং ব্র্যাক ব্যাংক-এর হেড অব এজেন্ট ব্যাংকিং মোঃ নাজমুল হাসান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংক-এর বগুড়ার এরিয়া হেড আজগর হোসেন, চার মাথা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবু সুফিয়ান কবিরাজ, টেরিটোরি ম্যানেজার এসএমই ব্যাংকিং খন্দকার কামরুজ্জামান এবং বগুড়া রিজিওন এর টিম লিডার মোঃ রাজিব মিয়া।
web
25e621978140b70e4f268f96dad11fb3d1577e4a
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ 'মোদি' পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে আপাতত সংসদীয় রাজনীতি থেকে নির্বাসিত রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তা নিয়ে জোরদার আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। রবিবার থেকে 'সত্যাগ্রহ' শুরু হয়েছে। রাহুল নিজেও বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি না থাকতে পারেন, তবে লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরবেন না। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দল। এই ইস্যুতে যখন উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি, সেসময়ই বাকস্বাধীনতার (Freedom of Speech) পক্ষে সওয়াল করলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। তাঁর মতে, বাকস্বাধীনতা ভারতের মহার্ঘ অলঙ্কার। তার সঙ্গে আপোস করা উচিত নয়। রবিবার সকালে কলকাতা প্রেস ক্লাবে (Kolkata Press Club) একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বাকস্বাধীনতার সঙ্গে কোনও রকম আপোস হওয়া উচিত নয়। " যদিও এর সঙ্গে কোনওরকম রাজনৈতিক সংযোগ নেই বলেই দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের। এমনকী তাঁকে রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে বাকস্বাধীনতা নিয়ে আনন্দ বোসের এই বক্তব্য গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করার বার্তা হিসেবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কারও নাম না করলেও তাঁর বক্তব্যের আসল টার্গেট যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, তা স্পষ্ট বলেই মত অনেকের। এমনিতে রাজ্যের সঙ্গে নতুন রাজ্যপালের সম্পর্ক ভাল। এখনও পর্যন্ত খুব একটা দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রাহুল গান্ধীর সাংসদ (MP)পদ খারিজ হওয়ায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের বাকস্বাধীনতার বার্তাতেও একই সুর প্রায়।
web
e0826909fa7084d49a72bca3b399c96c
লাইন সিস্টেম ১৯২০ সালে আসামের কামরূপ ও নওগাঁও জেলায় বাঙ্গালি অভিবাসীদের বসবাসের জন্য একটি সীমারেখা। বিশ শতকের প্রথমার্ধে পূর্ব পাকিস্তান থেকে (বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ) মুসলমান জনগণের, বিশেষ করে ময়মনসিংহ জেলার অধিবাসীদের অনেকের আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীতীরবর্তী নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে নিজেদের জন্য নতুন করে আবাসন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। ফলে বিশ শতকের প্রথম দশকে, পূর্ব বাংলা থেকে মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ আসামে অভিবাসী হয়েছিল (১৯১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। লাইন সিস্টেম ছিল মূলত আসাম রাষ্ট্রের স্বদেশীয় সম্প্রদায়কে অভিবাসী মুসলমান বাংলাভাষী জনগোষ্ঠী থেকে পৃথক করে রাখার বিশেষ এক ব্যবস্থা। আদিবাসী ও বাঙ্গালি অভিবাসীদের মধ্যে নানা কারণে যেন কোন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না হয় এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই লাইন প্রথা প্রবর্তিত হয়। লাইন সিস্টেম ছিল কতিপয় জেলা পর্যায়ের ব্রিটিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফল। নতুন ভূমিতে অভিবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধির উপনিবেশিক সরকারের নীতির মত এটা কোন সুস্পষ্ট নীতিমালার অংশ ছিল না। শুধু তাই না, উপনিবেশিক সরকার এবং পরবর্তীকালের আসামের নির্বাচিত সরকারও নিম্ন আসামের জেলা সমূহে এ ব্যবস্থা কার্যকর করার ব্যাপারে কোন প্রকার হস্তক্ষেপই করেনি। তবে গোয়ালপাড়া জেলার ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। কারণ সেখানে এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়নি। লাইন ব্যবস্থায় চার প্রকার ব্যাপক সীমানির্ধারণ নিশ্চিত করা হয়েছিল; (১) শুধুমাত্র আদিবাসীদের জন্য বিশেষ এলাকা সংরক্ষিত রাখা; (২) কেবলমাত্র অভিবাসীদের কৃষির জন্য স্থান নির্দিষ্ট রাখা; (৩) যে সকল গ্রামের ম্যাপের বা ভূমির ওপর সীমারেখা টানা হয়েছিল সেখানে সীমারেখার এক পার্শ্বে আদিবাসীদের আবাস করার এবং অপরপার্শ্ব অভিবাসীদের আবাসনের জন্য চিহ্নিত করে দেয়া এবং (৪) কিছু এলাকা চিহ্নিত হয় যেখানে অভিবাসী এবং স্থানীয় জনগণকে সমষ্টিবদ্ধ হয়ে থাকার ব্যবস্থা করা। লাইন প্রথা কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে প্রবর্তিত হয়নি। নওগাঁ জেলায় এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করার পর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়ায় মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ। এর অব্যবহিত পরেই কামরূপ ও ডড়ং জেলায় এত ব্যাপক সংখ্যক জনগণ অভিবাসী হতে থাকে যে খুব দ্রুত একটা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। [উল্লেখ্য যে, উপনিবেশিক শাসনামলের পরবর্তী সময়ে এ জেলাসমূহকে একাধিক জেলায় রূপান্তরের জন্য ভেঙ্গে পৃথক করা হয়েছিল]। ১৯৩১ সালে আদমশুমারির বিবরণ ছিল আশঙ্কাজনক; '১৯২১ সালের মধ্যে উপদ্রবকারীদের (অভিবাসীদের এখানে উপদ্রবকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়) প্রথম দল গোয়ালপাড়া অধিকার করে। প্রথম দলের অনুসরণে দ্বিতীয় সৈন্য দল ১৯২১-৩১ সালের মধ্যে একই জেলায় তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে এবং তারা নওগাঁও অধিকার সম্পূর্ণ করে। কামরূপের বরপেটা সাবডিভিশনও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি এবং সম্ভবত সেখানকার জেলা সমূহেই লাইন সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে যে, অভিবাসীরা ডড়ং অঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং পরিত্যক্ত জমিও বিনা বাধায় দখল করে নিচ্ছিল'। এভাবেই উপরোক্ত জেলাসমূহে লাইন সিস্টেম এর প্রবর্তন ও বহাল রাখার ফলে তা আসামের জন্য বিপদসংকেত হিসেবে দেখা দেয়। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রবর্তিত হলে নির্বাচনী রাজনীতির গতিপ্রবাহে কার্যকরী কর্মপরিষদের মাধ্যমে অভিবাসীদের পক্ষে রাজনৈতিক ভাবে ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে আসামের ধুবড়ি (দক্ষিণ) নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী অভিবাসীদের পক্ষে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পূর্ব পর্যন্ত এম এল এ হিসেবে মওলানা ভাসানীর এ ভূমিকা অব্যাহত ছিল। সুরমা তীরবর্তী অঞ্চলের মুনওয়ার আলী ছিলেন অপর গুরুত্বপূর্ণ নেতা যিনি আসাম আইন সভায় লাইন সিস্টেম অবসানের জন্য একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এ মর্মে যে, "অভিবাসীরা ঘন বনকে সবধরণের প্রাকৃতিক শস্য উপাদনের মাধ্যমে তাকে হাস্যোজ্জ্বল ধান ক্ষেতে পরিণত করেছে এবং আসাম প্রদেশে বয়ে এনেছে সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও সম্পদ।" মুসলিম লীগের আবদুল মতিন চৌধুরী এ প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। তিনি লাইন সিস্টেমকে একটি 'বর্ণাশ্রয়ী প্ররোচনা' হিসেবে আখ্যায়িত করেন যা দেশের অন্য কোন অংশে দেখা যায়নি। মওলানা ভাসানীর অবস্থান ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম। কৃষক নেতা হিসেবে তিনি এ ইস্যুটিকে সামনে রেখে কৃষক সম্প্রদায়ের সব কয়টি শ্রেণিকে একতাবদ্ধ হতে আহবান জানান। তিনি বলেন, উন্নত কৃষি উৎপাদনের জন্য ধর্ম নির্বিশেষে সকল ভূমিহীন জনগণের কাছে জমি থাকা উচিত। কিন্তু রাজস্ব মন্ত্রী রোহিনী কুমার মজুমদার লাইন সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখার জন্য একটি রাজস্ব কমিটি গঠন করার আশ্বাস দেয়ার পর মওলানা ভাসানীর প্রস্তাবটি প্রত্যার্পন করে নেয়া হয়। সংসদীয় সভায় এ ইস্যু নিয়ে বিতর্ক চলাকালে লাইন সিস্টেম ইস্যুকে সামনে রেখে অভিবাসীদের পক্ষের আইন সভার সভ্যদের এবং আসামের ভবিষ্যৎ অভিবাসী সংক্রান্ত রাজনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে এক ধরণের একতা পরিলক্ষিত হয়। আসাম আইন সভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত নয় সদস্যের লাইন সিস্টেম কমিটি সমাজের সদস্যদের, সরকারি কর্মকর্তা এবং জন নেতাদের সাক্ষাৎকার ও পুনঃসাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। অভিবাসীদের প্রতিনিধি সৈয়দ আব্দুর রউফ দৃঢ়ভাবে লাইন সিস্টেম অবসানের আবেদন জানান; অথচ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতৃস্থানীয়গণ স্থানীয় জনগণকে ক্রমবর্ধমান বহিরাগতদের প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য এ প্রথা বহাল রাখার পক্ষে রায় দেন। কমিটির সকলের সাধারণ মত ছিল যে, লাইন সিস্টেম ছিল অব্যবহূত এলাকাগুলিতে আগত অভিবাসীদের অপ্রতিরোধ্য প্রবাহকে রোধ করতে ও ধ্বংসকারী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী জনসংখ্যা সংক্রান্ত নিয়ম প্রতিরোধের স্বার্থে একটি ক্ষণস্থায়ী পন্থা মাত্র। তাঁরা প্রস্তাব করেন যে, 'এর পরবর্তী সময়ে থেকে এ প্রদেশে আগত কোন অভিবাসী স্থায়ী হতে পারবে না।' লাইন সিস্টেম অবসানের পক্ষের অনুভূতি এবং কমিটির প্রদর্শিত যুক্তির প্রতিবাদে দু'টি ভিন্নমত সম্বলিত নোট প্রকাশ করা হয়, যাতে অভিবাসীদের 'অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিবেশী' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তথাপি লাইন সিস্টেম বহাল থাকে এবং এ ব্যবস্থা আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে বহিরাগত জনসংখ্যার অবিরাম প্রবাহকে ও তাদের স্থায়ী আবাসনের প্রক্রিয়াকে রোধ করতে পারেনি। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সাদউলাহ এবং কংগ্রেসের মন্ত্রীগণ লাইন সিস্টেমকে অব্যাহত রাখা বা অবসানের ব্যাপারে কোন প্রকার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। কংগ্রেসের জোট মন্ত্রিসভা ১৯৩৯ সালের ৪ নভেম্বর নিষিদ্ধ অঞ্চলসমূহে, বিশেষ করে গ্রামের চারণভূমি এবং বনাঞ্চল থেকে অভিবাসী বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদের জন্য লাইন সিস্টেম সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রকাশ করে। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় যে, নীতিমালা কার্যকরভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। প্রকাশিত সরকারের নীতিমালা বিজ্ঞপ্তির জবাবে ১৯৩৯ সালের ১৮ নভেম্বর মওলানা ভাসানী আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ঘাগমারী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই জিহাদের ডাক দেন।
web
f1311559584f2130dacf7382bde13d083018b150
#নয়াদিল্লিঃ প্রতিশোধের আগুনে দ্বগ্ধ হচ্ছিলেন দাদা । ছোট্ট বোনটাকে অনেক কষ্ট নিয়ে চলে যেতে হয়েছিল । তার নিজেরই বন্ধু ধর্ষণ করেছিল ফুলের মতো বোনটিকে । সেই কষ্ট, যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয় বোন । ধর্ষক ধরা পড়ে । শাস্তি হয় । কিন্তু দাদার মনে প্রতিশোধের আগুন নেভে না । শেষ পর্যন্ত ইচ্ছাকৃত খুন করে জেলে গিয়ে, তিহার জেলের মধ্যেই নিজের ধর্ষিতা বোনের ধর্ষককে কুপিয়ে খুন করল দাদা! এই ঘটনায় তাজ্জব জেলের রক্ষী থেকে সমস্ত কর্মীরা । খুনের পর ২১ বছরের জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুনের নেপথ্যের আসল অভিসন্ধি বেরিয়ে আসে । জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় জেল হয় মহম্মদ মেহতাব নামের এক তরুণের। মেহতাবের বাড়ি ছিল দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায়। জাকিরের বাড়ি দক্ষিণপুরীতে। দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল, যাতায়াতও ছিল । কিন্তু ২০১৪ সালে জাকিরের কিশোরী বোনকে ধর্ষণ করে মোহতাব । রাগে, কষ্টে, অপমানে আত্মঘাতী হয় জাকিরের বোন । এই ঘটনার পর মেহতাবের ঠিকানা হয় তিহাড় জেল । অন্যদিকে, জাকির মনে মনে প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত । ২০১৮ সালে এক ব্যক্তিকে খুন করে জেলে যায় জাকিরও । কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাকে তিহাড় জেলের অন্য বিভাগে রাখা হয় । ২১ বছর হওয়ার পর তাকে রাখা হয় ৫ নং বিভাগে । মেহতাব থাকে ৮ নং ওয়ার্ডে । ইচ্ছা করে ৫ নং ওয়ার্ডের বন্দিদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধিয়ে, জেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে ৮নং সেলে চলে আসে জাকির । সোমবার সকালে মেহতাবকে একা পেয়ে জেলের কুঠুরির মধ্যেই একটি ধাতব পাত দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় মেহতাবের দেহ । চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে মেহতাবকে মৃত ঘোষণা করেন । জাকিরকে এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করায় আসল ঘটনা জানা যায় । First published: নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
web
4b37b14305992a07dd212ebfae68a08a2818ba36
কেউ নদী হবে কেউ হবে পাখি আর কেউবা আস্তাবলের বৃদ্ধ ঘোড়া। অনেকদিন। অনুগ্রহ করে কেউ বিরক্ত হবেন না। আমি ফ্লিকার থেকে এমবেড করা শিখতে চাইছি বলে পরীক্ষামূলকভাবে এই ছবি ছাপ ওয়ালা পোস্ট দিচ্ছি। ওরে এসেছে রে এসেছে রে এসেছে! জীও প্রকৃতিপ্রেমিক, শিখে ফেলেছি। অনেক ধন্যবাদ, পিপিদা। কত কী যে শিখতে পাই সচলে। ধন্য সচলায়তন। [justify]গল্পটি কোনরকম চাপানবিরতি ছাড়াই সমাপ্ত। কষ্ট করে নিচে স্ক্রল করে গিয়ে দেখতে হবে না। ধন্যবাদ। ১. জেসমিন জোয়ারদার অফিস থেকে ফিরে এসে নানা ঘরোয়া কাজের পর এখন একটু ফেসবুক খোলেন। বিদেশ থেকে তার ভাইবোনেরা ঢোকে মাঝে মাঝে, প্রায়ই নিত্যনতুন ছবি বিনিময় হয়। লিপনের ভাইয়ের বিয়া। ঢাকার বাইরে। তো সাথে গেছে পরিতোষ, শম্ভু, দীপক আরো কয়জন। একদিকে বিয়া হইতাছে আর তারা সব নদীর পাড়ে গিয়া তরলায়িত হইতাছে। কিসের বিয়া, কার কি! এইভাবে তরলায়িত হইয়া সবাই আবার হাঁটা ধরছে, সবাই দুলতাছে। হাঁটতে হাঁটতে তাদের কারো আর কিছু মনে নাই। পরের ঘটনা সুমনই ভাল বলে, আদরের কিটি,
web
b2ec6d751ff1ebd2f768dbf83fe2d8f2f91b7b66
দেশব্যাপী ২০ দলীয় জোটের চলমান অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ২য় দিনে মিছিল করেছে ছাত্রশিবির গাজীপুর মহানগরী। দেশব্যাপী ২০ দলীয় জোটের চলমান অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ২য় দিনে মিছিল করেছে ছাত্রশিবির গাজীপুর মহানগরী। মহানগরীর সেক্রেটারি আহমেদ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন শিবির নেতা শাকির বিন হোসাইন, মু. ইউসুফ, তারেক প্রমুখ। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সেক্রেটারি বলেন, সরকারের পতন না ঘটিয়ে ছাত্রসমাজ ঘরে ফিরবে না। খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন চলছে চলবে। অবৈধ সরকারের প্রতিটি গুম, খুনের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে করা হবে। তিনি অবিলম্বে নিখোজ বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ ২০ দলের সকল গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় এর পরিণতি হবে ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেন।
web
3f11fe2c718a2555ff4d17ca3244294e020cca31
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছের 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কেন্দ্রে ৯৫. ২১ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। সোমবার দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে ১টায় শেষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ একাডেমিক ভবনের ৫০টি কক্ষে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীন 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আসন পড়ে মোট ২ হাজার ১১২ শিক্ষার্থীর। এরমধ্যে ২ হাজার ১১ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে শুরু করে। পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড মো. আবু তাহের, গুচ্ছভূক্ত পরীক্ষা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র 'গ' ইউনিটের আহ্বায়ক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকদের বসার সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন বুথ বসিয়ে সেবা দেয়। শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল সংরক্ষণ, পানি বিতরন, জয় বাংলা বাইক সার্ভিস প্রদান করে। এই পরীক্ষার শেষ হওয়ার সাথে সাথে গুচ্ছের এ, বি, সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হলো। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর এ ইউনিটের ও ২৪ অক্টোবর বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
web
431c2ccba2c4503cc6e6d3c78e66aec59ecb5667
ব্রিটিশরা সবে ঝাকিয়ে বসেছে ভারত বর্ষে। সেই সময়ের কাহিনী। জানা ছিলনা ভারতের সুবিধা ভোগী সমাজের মধ্যে মেয়েরা সেই সময়ে এত স্বাধীনতা ভোগ করত। আসলে মহারাণী বলে কথা। কুচবিহার মুলত পশ্চিম বঙ্গের একটি জেলা। আগে দেখা যায় প্রতি জেলাকে একেকটা স্টেট ঘোষনা করা হত যেন খাজনা তুলতে ইংরেজদের সুবিধা হয়। তবে সুনীতি দেবী ইংরেজদের সোসাইটির খুব মুগ্ধ একজন দর্শক। কিন্তু তার বর্ণনাতে যে কোন পাঠক বুঝতে পারে ইংরেজদের এই সোসাইটি কত মেকি। যতক্ষণ স্বার্থ আছে ততক্ষণ তারা খাতির যত্ন করে। কাজে না এলে তারা ছুড়ে মারে। যদিও প্রতি ষ্টেটের জমিদার দের তার মহারাজা বলত। তথাপি এরা ছিল ইংরেজদের হাতের পুতুল। তাদের ঘরের ব্যাপারে পর্যন্ত তারা নাক গলাত। সুণীতি দেবি আরো অনেক বই পত্র লিখেছেন। প্রিনেসসদের মতই তিনি তার নামে তৎকালে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি খুব মুগ্ধ হয়ে বিলেত দেখতে যান। তার বেশির ভাগ মেয়েদের বিয়ে হয় ইংরেজদের সাথে ছেলেরাও বিয়ে করে ইংরেজ মহিলাদের। সর্বোপরি একজন বাঙ্গালী মহিলা হয়ে সুনীতি তৎকালে এ ধরনের একটা আত্মজীবনী লিখে বিখ্যাত হয়েছিল পশ্চিমে তা জেনে খুশী লাগল। বইটি সহজ পাঠ্য।
web
1f413fee2f4f1553a6ad0e954e9fd10bb751e1da561d5e6a439af1517d55d2a6
অ্যালেক। 'আমি - ' সুইনটন অ্যালেকের হাত চেপে ধরল, টেনে নামাল গামলার উপর । অ্যালেক চামড়ায় উত্তাপ টের পেলেন। 'না!' পরমুহূর্তে তার হাত ঠেসে ধরা হল গরম পাথরের মধ্যে। যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলেন তিনি, গড়াগড়ি খেতে লাগলেন মেঝেতে । সুইনটন তার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, 'উপায় একটা খুঁজে বের করতেই হবে। আমরা আপনার ওপর লক্ষ্য রাখব।' The Online Library of Bangla Books BANGLA BOOK.OR
pdf
2ad0b3400067d7de7acfad5fba9f216103b5add176845b589c4fdab67f7b6dcb
এলে, কাজে তামসিকতা প্রবেশ করে। তাই, আমার ব্রত অভিক্ষা । কারো যদি কিছু দিতে হয়, শ্রদ্ধায় এসে সেধে দিয়ে যাবেন, ভালবেসে নিজের গরজে এসে দান কৰ্ব্বেন। আমি কেন আবার চাইতে গিয়ে সময়ের অপচয় কর্ব্ব, আমি কেন আবার প্রার্থনা জানাতে গিয়ে ঈশ্বরে অবিশ্বাস প্রমাণিত কৰ্ব্ব ? কারো কাছে যদি কিছু চাইতে হয়, তবে সে হচ্ছে আমার বাহুবল, যে বাহুবল ভগবান্ দিয়েছেন দয়া করে । ভারতের অবনতির কারণ শ্রশ্রবাবামণি * বলিলেন, - - সমগ্র জাতি আজ অবসাদ-জড়তা গ্রস্ত, কোনও দুর্লভ বস্তু লাভের তার যেন ক্ষমতাই নেই। এর মূল কারণ হচ্ছে বাহুবলে অবিশ্বাস, আত্মশক্তিতে অনাস্থা। দৈবের ঘাড়ে চেপে আমরা স্বর্গে যেতে চাই, পায়ে হেঁটে যুধিষ্ঠিরের মত হিমালয়ের চড়াইউৎরাই ভাঙ্গতে চাই না। অভিক্ষা-ব্রতের যদি কোনও Mission ( মহদুদ্দেশ্য ) থাকে, তবে তা' হচ্ছে, এই দৈবরূপী ভূতকে পুরুষকাররূপী মন্ত্রপূত সর্ষপের বলে জাতীয় জীবনের ঘাড় থেকে নামানো। নিষ্কলুষ জীবসেবা সন্ধ্যাকালে শ্রীশ্রীবাবামণি আসিয়। ডাকাতিয়া নদীর তীরে বসিলেন । ধীরে ধীরে দুই একটি পরিচিত যুবক আসিয়া জুটিলেন। আলাপ চলিতে লাগিল । শ্রীশ্রবাবামণি বলিলেন, - জীবসেবাকে লক্ষ্য কর, নারীর সেবা বা নরের সেবা নয়। নরনারী-নির্বিশেষে সৰ্ব্বজীব-হিতসাধনের মহৎ * শ্রীশ্রীবাবাকে এখন পৃথিৰীজোড়া সকল স্থানের ভক্তেরাই "বাবামণি" বলিয়া ডাকেন। এই জন্য ইহার পর হইতে "শ্রীশ্রীবাবা" স্থলে আমরা "শ্রীশ্রীবাবামণি"ই লিখিব। অঃ সঃ । Collected by Mukherjee TKDhanbad 19ોય નથ ব্রতের মধ্যে তোমার সকল সেবা স্থান গ্রহণ করুক । পুরুষ যখন নারীহিত-চিন্তায় নিজেকে নিবিষ্ট করে, তখন যদি তার নারীত্বের দিকটা বাদ দিয়ে তার হিতচিন্তা না কত্তে পারে, তা হলে মনের অজ্ঞাতে অনেক দুর্ব্বলতা ভিতরে এসে বাসা বাঁধতে চেষ্টা করে । নারীর পক্ষেও তাই। নারী যখন পুরুষের নরত্বের দিকটা বাদ দিয়ে তার হিতচিন্তা কন্ঠে অক্ষম হয়, তখন সে অনেক সময় নিজের অজ্ঞাতে নিজেকে লালসার ছালে আবদ্ধ করে। নারী ও নরের পার্থিব সম্পর্ক এতই অকাট্য আর নারী ও নরের মধ্যে দ্বৈব আকর্ষণ এতই স্বাভাবিক যে নারীকে নারীত্বের উর্ধ্বে, নরকে নরত্বের ঊর্দ্ধে নিয়ে ভাবতে না পারলে জনহিত সাধন কভে গিয়েও কলুষের পথে এসে যেতে পারে । কর্মক্ষেত্রে স্ত্রী-পুরুষের সংমিশ্রণ শ্রীশ্রীবাবামণি বলিলেন, - স্ত্রীলোককে পর্দার আড়ালে লুকিয়ে রাখবার বা পুরুষকে দৃষ্টির বাইরে সরিয়ে রাখবার চেষ্টাটা ব্যর্থ হবেই। এমন একটা সময় দেশে আসবেই আসবে, যখন দেশ, জাতি ও সমাজের কল্যাণকর নানাবিধ কর্ম্মের ক্ষেত্রে বহু অনাত্মীয় স্ত্রী-পুরুষকেই একর অবস্থান কতে হবে, অবাধভাবে মিশতে হবে। চেনা-পরিচয় থাকা বা আত্মীয়তা থাকা ত দূরেরই কথা, যে পুরুষ যে নারী পরস্পর পরস্পরকে আগে কখনো দেখেনি, দেশ জাতি জগতের প্রয়োজনে তাদের দিনের পর দিন রাত্রির পর রাত্রি একত্র অবস্থান কত্তে হতে পারে। রোগাতুরা পৃথিবীর ক্ষুধাতুরা সভ্যতা তার বর্ব্বর অভিযানে কখন কোন দেশে কোন অপ্রত্যাশিত বিপত্তির সংঘটন ক'রে নারী ও পুরুষকে দীর্ঘকালের জন্য একত্র এক ঘূর্ণাবর্ত্তের মধ্যে বাস কত্তে বাধ্য করে, কে তা জানে ? সকলের তৈরী থাকা দরকার ।
pdf
449f30f742e79cd68ade6e0eb6cb3fb0340f1fa7
নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলী হোসেন প্রধানের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে বুকে ব্যথা অনুভব হলে কারারক্ষীরা তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে আলী হোসেন কারাগারে বন্দি ছিলেন। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মধ্যরাতে বুকে ব্যথার কথা জানালে তাকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাশকতার মামলায় গত ৩ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি মাঝপাড়া এলাকা থেকে আলী হোসেন প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, আলী হোসেন প্রধান বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
web
cabe9d0353d6d78f138abad74c958f87bbc7b01c
চলমান করোনা মহামারীতেও বছরজুড়ে নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বিদায়ী বছরে নারী নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। চার বছর আগের তুলনায় নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ গুণ। সারা বছর সাধারণ নারীরা যেমন পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন একইভাবে করোনা আক্রান্ত অনেক কর্মজীবী নারীও তার আপনজনের কাছে আর্থিকভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। যৌন হয়রানির হাত থেকে বাদ যাননি গ্রামের নারী থেকে শুরু করে প্রখ্যাত শিল্পী। এ বছর ধর্ষণের বিভীষিকা এতই বেড়েছে যে চলন্ত বাসেও নারীযাত্রী আর নিরাপদ নয়। সব মিলিয়ে ২০২১ সালে সরকার ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি। উল্টো নির্যাতনের আরও নতুন ধরনের শিকার হতে হয়েছে ভুক্তভোগী নারীদের। নির্যাতনের পরিসংখ্যান : সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মহামারীর মধ্যেও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এ সময় দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মোট ঘটনা ঘটে ২১ হাজার ৭৮৯টি যা এর আগের অর্থবছরে ছিল ১৮ হাজার ৫০২টি। সে হিসাবে এক বছরে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ২২২টি। যা আগের অর্থবছরে ছিল পাঁচ হাজার ৮৪২টি। অন্যদিকে নারী নির্যাতনের ঘটনা এক বছরে ১২ হাজার ৬৬০টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ হাজার ৫৬৭টি হয় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ১০৭ জন নারীর মৃত্যু হয় স্বামীর নির্যাতনে। পারিবারিক সহিংসতার কারণে ৯২ জন নারী আত্মহত্যা করেন। ৪১ জন নারীকে তার নিজ পরিবারের লোকজন হত্যা করে। পারিবারিক সহিংসতার জন্য ২৬৬টি মামলা দায়ের করা হয়। সংস্থাটির তথ্যমতে, এ সময় ১০১০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ২৩৪ জন। ২৮৬ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এ জন্য মোট মামলা হয় ৮৬৪টি। ১১ মাসে মোট ১০৯ জন নারী ও তরুণী যৌন হয়রানির শিকার হন। এদের মধ্যে ১০ জন আত্মহত্যা করেন। আর মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকার'-এর দেওয়া তথ্যে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যৌতুকের কারণে মোট ৫৫ জন গৃহবধূর অকাল মৃত্যু হয় এবং নির্যাতনে ৯৭ জন আহত হন। হেল্পলাইনে ভুক্তভোগীর কল : মহামারীর এই সময়ে বিশ্বে সহিংসতার শিকার হয়ে আগের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি নারী হেল্পলাইনে ফোন করেছেন বলে ইউএন উইমেনের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ এ বিষয় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ফোন কলই বলছে মহামারীর এই সময়ে নারী নির্যাতনের হার বেশি। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে, মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার জন্য মোট ফোন এসেছিল ৯ হাজার ২৪৩টি। আর ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এটি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৬৩টি। ২০১৮ সালে এই ফোনকলের সংখ্যা ছিল ৯৩৩টি। ২০১৯ সালে ৬ হাজার ২৯১টি। অর্থাৎ চার বছরে নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ গুণ। কেস স্টাডি : গত ১৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ বন্দরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। বন্দরের মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে কৌশলে নির্যাতিতা বাস থেকে নেমে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। জানা যায়, বাসটি মদনপুর এলাকায় পৌঁছানোর পর বাসের সব যাত্রী নেমে গেলে বাসের চালক ও দুই সহকারী চলন্ত বাসে উচ্চৈঃস্বরে গান বাজিয়ে সেই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এর আগে চলতি বছরের মার্চে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় নূর আয়শা (২৫) নামের এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শওকত ওসমান নামে এক ব্যক্তি নির্যাতন করে। উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোরাপাড়ার হাঁপানিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নির্যাতনের ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, শওকত একটি গাছের সঙ্গে শাড়ির আঁচল দিয়ে নূর আয়শাকে বেঁধে রাখে। এ সময় আয়েশা তার বাঁধন খুলে দিতে বলে। কিন্তু শওকত তা না করে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আয়েশাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং চুল ধরে টানতে থাকে। গত ১৪ ডিসেম্বর শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন নিয়ে ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীতে মৃত্যু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী মেঘলার। এলমার অভিভাবকদের অভিযোগ পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই এলমাকে তার স্বামী ইফতেখার ও স্বামীর পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। বিয়ের পর থেকে এলমাকে তার নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেওয়া হতো না। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নারীরা শুধু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন না, তারা স্ট্রিট ভায়োলেন্সেরও শিকার হচ্ছেন। এমনকি নারী এখন পর্যটন স্পটগুলোতেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতনের জায়গাগুলো এখন ভিন্নতর হচ্ছে। আবার যে নারীরা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন তাদের অনেককেই কোথাও না কোথাও যৌন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সাধারণ নারী থেকে প্রখ্যাত নারী শিল্পীও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নারীর প্রতি নির্যাতনকে সমাজ এখন কোনো বিষয় বলেও গ্রাহ্য করছে না।
web
7f391cdc1519531db23b10ccdbd10e24fd48468f
দিল্লির নিজামউদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানকারীদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন থাকাকালীন ফের অভব্যতার অভিযোগ। এবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। ধর্মীয় সমাবেশ ফেরত কয়েকজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে কোয়ারান্টাইন করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাঁরা বিধিনিষেধ না মেনে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যেখানে-সেখানে থুতু ফেলছেন। বাধা দেওয়ায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে ওই ব্যক্তিরা দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে, নিজামউদ্দিনের ওই ধর্মীয় সমাবেশের উদ্যোক্তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, তারা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবে।
web
c719c2d92c70f10b859f2b41ed6f69b2fd2669c5
আমরা আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরণের মানুষকে দেখি। এদের মধ্যে কারও কারও স্বভাব শান্ত, আবার কেউ বেশি ঝগড়া করে। এই ধরনের মানুষরা সবকিছুকে তর্কে পরিণত করে। জীবনে সুখী হতে হলে কারও সঙ্গে ঝগড়া বা তর্ক না করার চেষ্টা করা উচিত। কিন্তু অনেক সময় সামনের মানুষটি যখন আপনার সঙ্গে ঝগড়া করার মুডে থাকে, তখন সে এমন অনেক কথা বলে যা আপনি চাইলেও উপেক্ষা করতে পারবেন না। এমন কিছু কৌশল আছে যা আপনাকে ঝগড়ুটে লোকদের থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। কেউ যদি সবকিছুকে তর্কে পরিণত করে- কেউ কেউ আছেন যিনি সব কিছুকে তর্কে পরিণত করেন। অনেক সময় এ ধরনের ব্যক্তিরা জোর করে ব্যক্তিকে বিতর্কের সামনে টেনে নিয়ে যায়। এমন মানুষ থেকে দূরে থাকায় শ্রেয়। তবে আপনাকে যদিএমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে কাটাতেই হয় তবে আপনিই চেষ্টা করুন তাঁকে শান্ত করতে। বিতর্কের মাঝখানে তাঁকে সুন্দর কিছু বলুন- সামনের ব্যক্তিটি যদি আপনার সঙ্গে বিনা কারণে তর্ক করে এবং আপনি সেই বিতর্কের অংশ হতে না চান তবে বিতর্কের সময় সেই ব্যক্তির সম্পর্কে সুন্দর কিছু বলুন। এতে করে ওই ব্যক্তির রাগ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। আপনি সম্পূর্ণরূপে চুপ থাকুন- যদি কেউ আপনার সঙ্গে তর্ক করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, তবে নিজেকে শান্ত করা উচিত। ঐ ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু উত্তর না দিলে সামনের মানুষটি মন খারাপ করে শান্ত হতে পারেন। কোনও বন্ধু বা সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া হলে- যদি আপনার কোনও বন্ধু বা সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া হয়, তাহলে নিজেকে তাঁদের অবস্থানে রেখে কথা বলা উচিত। এটি করলে আপনাকে তাঁদের শান্ত করতে সাহায্য করবে।
web
d965df104df395a19272fb6667b6c2df937f2424
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করলেন রাহুল শর্মা। সোমবার জলন্ধরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "গতকাল রাতের পার্টিতে আমি মাদক নিইনি। রেভ পার্টি কী জিনিস আমি জানতাম না। আমি সেদিন রাতে জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলাম। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করলেন রাহুল শর্মা। সোমবার জলন্ধরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "গতকাল রাতের পার্টিতে আমি মাদক নিইনি। রেভ পার্টি কী জিনিস আমি জানতাম না। আমি সেদিন রাতে জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলাম। এক বন্ধু আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।" তবে, কার জন্মদিনের পার্টিতে তিনি গিয়েছিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি পুনে ওয়ারিয়র্সের এই তরুণ ক্রিকেটার। সাংবাদিকদের তিনি আরও জানান, কোনওদিন মদও স্পর্শ করেননি তিনি। পরিবারের পূর্ণ আস্থা আছে তাঁর ওপর। মাদক নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি খেলা ছেড়ে দেবেন বলেও জানান রাহুল। রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ জুহুর একটি বিলাসবহুল হোটেলের রেভ পার্টিতে হানা দিয়ে একশো গ্রাম কোকেন-সহ বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করে পুলিস। পুনে ওয়ারিওয়ার্সের ক্রিকেটার রাহুল শর্মা ও ওয়েন পার্নেলের সঙ্গে পার্টিতে উপস্থিত প্রায় শতাধিক যুবক-যুবতীকে আটক করে পুলিস। এঁদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি রয়েছেন মডেল, সেলিব্রিটিদের ছেলে মেয়ে এবং বলিউডের একাধিক ব্যক্তিত্ব। ধৃতদের ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সোমবার সকালে গ্রেফতার হন রেভ পার্টির আয়োজক বিশেষ বিজয় হান্ডা। সংশ্লিষ্ট হোটেলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিস। তবে মাদক সরবরাহকারী কে সেবিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হবে বলেই পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে। আয়োজক বিশেষ বিজয় হান্ডা পার্টিতে আসতে ফেসবুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিস।
web
7e0e35ac9668a4fbe88e87ac5842af891dae96f19f1ad413f0fcde2d98fdda2e
মৃত্যুঞ্জয়ী জানাই সুপ্রসিদ্ধ সাহিত্যিক স্বর্গীয় ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রবীন ও নিষ্ঠাবান হিন্দু ছিলেন, তিনি কানাইলালকে শ্রীকৃষ্ণের সহিত তুলন। করেন। 'পঞ্চানন্দ' আজ পরলোকে যাইলেও আমাদের কানাইলাল, তাঁহার কৃত কর্ম্মের জন্য আজ দেশবাসীর নিকট পূজিত হইতেছেন দেখিয়া, তাঁহার সেই কথা এখন স্মরণ হইতেছে। তিনি লিখিয়াছিলেন : "দ্বাপরে কানাই ছিল নন্দের নন্দনকলিতে তাঁতীর কুলে দিল দরশন ; তাহারে ছলিয়াছিল অক্রুর গোঁসাই গোঁসাইকে কানাই দিল বৃন্দাবনে ঠাঁই । গোঁসাই হল গুলিখোর কানাই নিল ফাঁসী, কোন চোখে বা কাঁদি বল কোন চোখে বা হাসি।" বাঙ্গলাদেশে সাধারণ গৃহস্থ ঘরের ছেলেমেয়েদের জীবন যেমন অনাড়ম্বর ভাবে কাটিয়া যায়, কানাইলালের জীবনও মৃত্যুঞ্জয়ী কানাই ঠিক সেই ভাবে কাটিয়াছিল। চুনীবাবু বোম্বায়েতে সরকারী চাকুরী করিতেন ; জাহাজ বিভাগের একজন হিসাব রক্ষক ছিলেন এবং অবস্থাও তাহার খুব ভাল ছিল না। সেইজন্য দারিদ্রের মধ্যেই তাহার বাল্যজীবন অতিবাহিত হইয়াছিল । চার পাঁচ বৎসর বয়সের সময় তাঁহার মাতার সহিত তিনি পিতার কর্মস্থল বোম্বাইয়ে চলিয়া যান এবং নয় বৎসরের সময় চন্দননগরে প্রত্যাবর্তন করেন। বোম্বাইয়ে 'আৰ্য্য হাই স্কুলে' কানাইলালের শিক্ষা আরম্ভ হয় এবং তাহার বিনম্র ব্যবহারে ও লেখাপড়ার ঝোক দেখিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকবর্গ তাহাকে বিশেষ স্নেহ করিতেন এবং বহু পুস্তকাদি তাহাকে উপহার দিতেন । চন্দননগরে প্রায় এক বৎসর থাকিয়া কানাই পুনরায় বোম্বাই চলিয়া যান এবং প্রায় পনের বৎসর পর্য্যন্ত তিনি বোম্বাই শহরেই লেখপড়া করেন। সেই সময় আর্ট স্কুলেও তিনি কিছুদিন পড়িয়াছিলেন বলিয়। জানা যায় । ১৯০৩ খৃষ্টাব্দে তিনি চন্দননগরে ফিরিয়া আসেন এবং স্থানীয় ডুপ্লে কলেজ হইতে ১৯০৪ খৃষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রবেশিকা পরীক্ষার পর তিনি উক্ত কলেজে এফ-এ পড়িতে আরম্ভ করেন। সেই সময় তিনি ডুপ্লে কলেজের অধ্যাপক চারুচন্দ্র রায়ের বিশেষ প্রিয় পাত্র হন এবং তাঁহার প্রভাবেই কানাইলাল একপ্রকার বিপ্লবের দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিলেন । মৃত্যুঞ্জয়ী কানাই কানাইনালের সৌজন্যতায় ও শিষ্ট ব্যবহারে চারুবাবু তাহাকে বিশেষ ভাল বাসিতেন এবং ইতিহাস ও অর্থনীতি যত্ন সহকারে পড়াইতেন এবং তদ্বিষয়ে উভয়ের মধ্যে বহু আলোচন। হইত । কানাইলাল বোমার মামলায় গ্রেপ্তার হইবার পর ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে তাহার অধ্যাপক বলিয়া চারুবাবুকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এই সম্বন্ধে শ্রীযুক্ত উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিয়াছেন যে "আমাদের বাগানে একখানা নোটবুকে একটা নাম লেখা ছিল - চারুচন্দ্র রায় চৌধুরী। খুলনার ইন্দুভূষণকে আমরা চারু বলিয়া ডাকিতাম । পুলিশ তাহা না জানিয়া চারুচন্দ্র রায় চৌধুরীকে খুজিয়া বেড়াইতে লাগিল । শেষে স্থির করিল যে চন্দননগরের ডুপ্লে কলেজের অধ্যাপক শ্রীযুক্ত চারুচন্দ্র রায়ই, ঐ চারুচন্দ্র রায় চৌধুরী। চারুবাবুর বোধহয় অপরাধ যে কানাইলাল দত্ত ও আমি উভয়েই তাহার ছ'ত্র ও উভয়েরই বাড়ী চন্দননগর। যাঁহার ছাত্রের। এমন রাজদ্রোহী, তিনি 'রায়'ই হোন, আর 'রায় চৌধুরী'ই হোন তাহাতে কি আসিয়া যায় ? তাঁহাকে ত ধরিতেই হইবে।" কানাই মুড়ি এবং দুগ্ধ বিশেষ ভালবাসিতেন ; তাহার বাল্যজীবন একপ্রকার প্রবাসেই কাটিয়াছিল বলিয়া, মহিষের দুগ্ধ তিনি বিশেষ পছন্দ করিতেন এবং তিনি প্রতিদিন হু-সের আড়াই সের করিয়া মহিষের দুগ্ধ পান করিতেন বলিয়া জানিতে পারা যায় ।
pdf
e8735aa067e5b314eadb42ef3feef285
নিজস্ব সংবাদদাতা : শনিবার ভোর রাতে জাতীয় সড়কে এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন শিলিগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী। জানা গেছে কলকাতা থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ভোর বেলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অভিজিৎ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুরের ভাকুড়ি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তাঁর গাড়ির। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা অভিজিৎবাবুকে উদ্ধার করেন। বিজেপি সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে অভিজিৎবাবুর। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাঁদেরও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে তারা। আহতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে , কলকাতায় কাজ সেরে নিজের গাড়িতেই বাড়ি ফিরছিলেন অভিজিৎবাবু। শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বহরমপুরে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের নাম রোহিত ঘোষ। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, গাড়ির সামনে আচমকা কোনও প্রাণী চলে এসেছিল। তার ফলেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। উলটোদিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, গাড়ির চালক সুস্থ রয়েছেন। আর একজনের বুকে আঘাত লেগেছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিকে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে যান স্থানীয় বিজেপি নেতারা। মুর্শিদাবাদ জেলার বিজেপি সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তিনি হাসপাতালে যান। কিন্তু ততক্ষণে মারা গিয়েছেন অভিজিৎবাবু। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। শোক প্রকাশ করেছেন অন্য বিজেপি নেতারাও।
web
2422d06e81402fa59634e90affc378996646975d08b3305871e4b69330a72721
(a) উভ-উত্তল বা Bi-convex - এই আকৃতির লেন্সের দুই পৃষ্ঠই উত্তল [ 6B(a) চিত্র]। (b) সম-উত্তল বা Plano-Convex - এই আক্বতির লেন্সের এক পৃষ্ঠ সমতল ও অপর পৃষ্ঠ উত্তল [6B (b) চিত্র ] । (c) অবতল-উত্তল (8) Double convex CONVERGING LENSES (b) Plano-convex চিত্র 6B বা Concavo-Convex - এই আকৃতির লেন্সের এক পৃষ্ঠ অবতল ও অপর পৃষ্ঠ উত্তল [ 6B(c) চিত্র ]। Conca vo-convex উত্তল লেন্সকে সাধারণভাবে অভিসারী লেন্স নামে অভিহিত করার অর্থ - এই লেন্সের মধ্য দিয়া একগুচ্ছ সমান্তরাল রশ্মি চালিত হইলে উহা প্রতিহত হইয়া অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হইয়া থাকে [ 6B(a) চিত্র দ্রষ্টব্য]। লেন্স আলোচনার আবশ্যকতা - আলোক-সম্পৰ্কীয় বিবিধ যন্ত্রে লেন্স একটি অপরিহার্য অংশ হিসাবে পরিগণিত হইয়া থাকে। অণুবীক্ষণ যন্ত্র, দূরবীক্ষণ যন্ত্র, সিনেমার আলোক-সম্পাতক যন্ত্র (Projector), চশমা ইত্যাদি বহুবিধ যন্ত্রপাতিতে লেন্সের ব্যবহার বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। এমনকি আমাদের চক্ষু দুইটিতে এক-একখানি লেন্স বসানো আছে। কাজেই আলোক-বিজ্ঞানে লেন্সের আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে। 62. লেন্সের সাহায্যে অভিসারী ও অপসারী রশ্মিগুচ্ছ সংগঠন : একথানা উত্তল লেন্সেকে কতকগুলি মাথাকাটা (truncated) প্রিজমের স্তূপ (piling) হিসাবে ধরিয়া লওয়া যাইতে পারে। এই কল্পিত সংস্থাপনার প্রতিটি প্রিজমের ভূমি লেন্সের কেন্দ্রাভিমুখে অবস্থিত থাকে [6C(a) চিত্র দেখ]। এমতাবস্থায় চিত্রে দর্শিত চিত্র 6C সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছের রশ্মিগুলি যখন এই কল্পিত প্রিজগুলির তলে আপতিত হয় তখন উহারা প্রতিহত হইয়া প্রত্যেকে সংশ্লিষ্ট প্রিজমের ভূমির দিকে বাকিয়া বাহির হইয়া আসে। ফলে, এই নির্গত রশ্মিগুলির সমষ্টি অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ সংগঠন করে। এই প্রক্রিয়।-দৃষ্টে উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হইয়া থাকে। উচ্চ-মাধ্যমিক পদার্থ-বিদ্যা অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে অনুরূপ কল্পিত মাথাকাটা প্রিজগুলির ভূমি লেন্সের প্রান্ত অভিমুখে অবস্থান করে [6C (b) চিত্র দেখ]। এমতাবস্থায় চিত্রে দর্শিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছের রশ্মিগুলি যখন এই কল্পিত প্রিজগুলির তলে আপতিত হয় তখন উহারা প্রতিহত হইয়া প্রত্যেকে সংশ্লিষ্ট প্রিজমের ভূমির দিকে ( অর্থাৎ লেন্সের প্রান্তের দিকে) বাকিয়া বাহির হইয়া আসে। ফলে, এই নির্গত রশ্মিগুলির সমষ্টি অপসারী রশ্মিগুচ্ছ সংগঠন করে। এই প্রক্রিয়া-দৃষ্টে, অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হইয়া থাকে । 6°3. লেন্সে ব্যবহৃত কয়েকটি শব্দের সংজ্ঞা : (1) লেন্স-পৃষ্ঠের বক্রতা-কেন্দ্র (Centre of curvature) এবং বক্রতাব্যাসার্ধ (Radius of curvature) - লেন্সের পৃষ্ঠ যে গোলকের অংশ, ঐ গোলকের কেন্দ্রকে বলা হয় লেন্স-পৃষ্ঠটির বক্রতা-কেন্দ্র এবং উহার ব্যাসার্ধকে বলা হয় লেন্স-পৃষ্ঠটির বক্রতা-ব্যাসার্ধ। 6D(a) চিত্রে অবতল লেন্সের ডান পৃষ্ঠের (মনে কর, প্রথম পৃষ্ঠ ) বক্রতা-কেন্দ্র C1, উহা চিত্রের ডানদিকে অবস্থিত এবং ডান পৃষ্ঠ হইতে C1-এর দূরত্ব নির্দেশ করে ঐ পৃষ্ঠের বক্রতা-ব্যাসার্ধ। ঐ লেন্সের বাম পৃষ্ঠের (মনে কর, দ্বিতীয় পৃষ্ঠ ) বক্রতা-কেন্দ্র Ca উহা চিত্রের বামদিকে অবস্থিত, এবং বাম পৃষ্ঠ হইতে Cg-এর দূরত্ব নির্দেশ করে ঐ পৃষ্ঠের অনুরূপভাবে 6D(b) চিত্রে দর্শিত Cy এবং Ca যথাক্রমে নির্দেশ করে উত্তল লেন্সের ডান ও বাম পৃষ্ঠের বক্রতা-কেন্দ্র এবং আনুষঙ্গিক পৃষ্ঠ হইতে উহাদের দূরত্ব নির্দেশ করে পৃষ্ঠ দুইটির বক্রতা-ব্যাসার্ধ। চিত্রদৃষ্টে বুঝা যায়, এক্ষেত্রে, ডান পৃষ্ঠের বক্রতা-কেন্দ্র চিত্রের বামদিকে এবং বাম পৃষ্ঠের বক্রতা-কেন্দ্র চিত্রের ডানদিকে অবস্থিত। (2) লেন্সের প্রধান অক্ষ (Principal axis) - যে রেখা লেন্সের বক্রতাকেন্দ্র দুইটি সংযোগ করে, উহাকে বলা হয় লেন্সের প্রধান অক্ষ। 6D(a) এবং 6D(b) চিত্র দুইটির CzC2 রেখা নির্দেশ করে আনুষঙ্গিক লেন্সের প্রধান অক্ষ । (3) লেন্সের আলোক-কেন্দ্র বা লেন্স-কেন্দ্র (Optical centre of & lens):-যখন কোন আলোকরশ্মি লেন্সের এক পৃষ্ঠে এরূপভাবে আপতিত হয় যে, উহ। লেন্সে প্রতিহত হইয়া অপর পৃষ্ঠ হইতে পার্শ্ব-বিচ্যুত অবস্থায় আপতিত রশ্মির সমান্তরালে নির্গত হয়, তখন ঐ প্রতিহত রশ্মি লেন্সের
pdf
74e1b710c4c339b5007fc5f5a5cb7024ef0dc7bf
বিকেএসপি থেকেঃ বিশ্বকাপ জিতে ফেরার পর বিকেএসপিতে প্রথম পা পড়ল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলীর। যেখানকার আলো-বাতাসে পেয়েছেন ক্রিকেটার হওয়ার দিশা, সেই প্রতিষ্ঠানটিতে এবার তার আগমনের উপলক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইদিনের ম্যাচ। বিসিবি একাদশের হয়ে খেলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বিশ্বজয়ী ৬ তরুণকে। লাঞ্চ বিরতির সময় বিকেএসপির প্রধান ক্রিকেট কোচ মাসুদ হাসান এগিয়ে গেলেন আকবরের দিকে। জড়িয়ে নিলেন বুকে। কোচ-শিষ্যের মাঝে কথা হল কিছুক্ষণ। পরে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মাসুদ হাসান ব্যক্ত করলেন আকবরের সঙ্গে তার রসায়ন। কথায় কথায় বেরিয়ে এলো বিকেএসপি ও জুনিয়র টাইগারদের অধিনায়কের রহস্যময় ক্রিকেট মস্তিষ্কের কথা। আপনার ছাত্রদের বিসিবি একাদশে দেখে কেমন লাগছে? এটা তো আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না, সকলেই আনন্দিত হবে। যে উদ্দেশ্যে কাজ করেছি সেটা এখন মাঠে গড়াচ্ছে, সবাই দেখতে পারছে। আসলে নিজের কাজের মূল্যায়নও নিজে করতে পারছি। এবার তাদের বিকেএসপিতে আসার মধ্যে কিছুটা তফাৎ খুঁজে পান? কোথাও ওদের খেলতে পাঠালাম বা কোথাও খেলতে গেল সেটা একরকম। নিয়মিত ট্রেনিং করাচ্ছি, দেখা হচ্ছে, সেটা একরকম। আর এখন এসেছে অন্য বেশে। চিরাচরিত বেশ যেটা ছিল সেটা আর নেই। তারা এসেছে ভিন্নভাবে (বিসিবি একাদশের হয়ে)। এখানে জাতির পূর্ণ দৃষ্টি মনে হয় তাদের দিকে রয়েছে। তার মানে এটার বিশেষত্ব তো অবশ্যই রয়েছে। সেখানে আমিও তো ব্যতিক্রম নই। বিশ্বকাপ জিতে আসা দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের নিয়মিত কোচ আপনি। নিশ্চয়ই এখন গর্ব হচ্ছে। একজন কোচের সাফল্য সেখানে, নিজের সৃষ্ট বা নিজের ট্রেনড কোনোকিছু পারফর্ম করলে। তাদের খেলা পুরো দেশ উপভোগ করছে এবং ফলাফল যেটা সেটা বয়ে এনেছে। বিকেএসপির শপথ বাক্য যেটি রয়েছে, এরসঙ্গে মিলে যায়। ওরা বিশ্বকাপ জিতবে, এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন? এটুকু বিশ্বাস ছিল ওরা ভালো ফলাফল করবে। ভালোভাবে কোয়ালিফাই করবে, সেমিফাইনাল খেলবে। যখন দেখলাম ফাইনালে চলে গেল, তখন আমার আত্মবিশ্বাসের মাত্রাটা বেড়ে গেল, ইয়েস উই ক্যান উইন দ্য ট্রফি। তখন বোঝা গেছে যে ওদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা অনেক উঁচুতে চলে গেছে। তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেক কাজ করেছি এখানে। এখান থেকেই তারা শিখেছে কখন আত্মবিশ্বাস উপরে ওঠে, কখন নিচে নামে, কখন মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকে। আসলে কাজ করার ধরণ দেখলে বোঝা যায় কেমন করবে। বিশ্বজয়ী অধিনায়ক আকবর সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? আকবর তো আকবরই। এখানে অন্যান্য কোচরাও রয়েছে। আমার বিভাগে যারা রয়েছে সকলেই তাকে আদর করে। আমি তাদের প্রধান হওয়ায় একটু বেশিই যোগাযোগ থাকে বা সব নজরে রাখতে হয়। ওর মাঝে কিছু ব্যতিক্রম তো আছেই। ওদের ব্যাচের যে সাতটা ছেলে ছিল, তাদের মধ্যে আকবর ছিল খুবই ধীরস্থির। চঞ্চল প্রকৃতির নয়। দেখতাম সববিষয় গ্রহণ করার দারুণ ক্ষমতা ওর মধ্যে। ক্রিকেট নিয়ে খুব চিন্তা করে। যখন খেলার সময়, তখন শুধু খেলা নিয়েই চিন্তা করে। যখন অন্য বিষয়, অন্য বিষয়। অনুশীলন সেশনে উপভোগ করার ব্যাপারটা অসাধারণ। বিভিন্ন পার্টি আয়োজন করা, এসব ওর মধ্যে ছিল। এরকম আয়োজন করা মানে হল সবার মাঝ থেকে কিছু একটা আদায় করে নেয়া। তখন বুঝেছি যে ভালো যোগ্যতা অধিনায়কের দায়িত্ব নেয়ার। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আদায় করে নেয়ার ব্যাপারটা আমরা কোচ হিসেবে করছি। সে জিনিসটা ও বের করতে পেরেছে। ওর মধ্যে এই তাগিদটা আছে সতীর্থ খেলোয়াড়দের থেকে ভালো কিছু আদায় করে নিতে হবে। বিষয়টা বুঝতে পারা কাকে, কখন, কীভাবে খেলাতে হবে। কোথায় ফিল্ডার নিতে হবে। কখন কাকে ব্যাটিং-বোলিং করাতে হবে। বয়সভিত্তিক পর্যায়েই একটা ছেলের এরকম বলতে পারা তো বিরাট কিছু। ম্যাচ নিয়ে আমার সঙ্গে কথাবার্তা বললে দেখতাম আমি যা চিন্তা করেছি একবারে কাছাকাছি বা তারচেয়ে বেশি কিছুটা। আমি তো কোচ হিসেবে চিন্তা করি সামগ্রিক ট্রেনিং কনসেপ্ট যা রয়েছে তা কীভাবে প্রতিফলন ঘটাব। কাজে লাগাব। আকবরও একইরকম চিন্তা করে রেখেছে। সে তো ওরকম কোচদের মতো প্রশিক্ষিত না। তারপরও যখন পেরেছে তখন বুঝেছি ওর প্রতিভা সম্পর্কে। সহজাতভাবেই ওর গেমসেন্স অনেক প্রখর। আমার সঙ্গে কাজ করেছে, যেটা বুঝতে পেরেছি তার মধ্যে এমন অনেককিছু আছে যা আমিও ভাবি না। আমি চিন্তা করেছি ওদের সবাইকে কীভাবে ট্রেন-আপ করা যায়। আর ও চিন্তা করেছে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে। তখনই বুঝতে পারি, সে অসাধারণ। সাকিব আল হাসান যখন এখানে ছাত্র ছিল, তখনও তাদের গ্রুপের কোচ ছিলাম আমি। গ্রুপ ম্যাচ বা নিজেদের মধ্যে ম্যাচগুলা করতাম তখন বলতাম ট্রেনিংয়ে টেকনিক্যালি এ কাজগুলা করব। প্রচলিত ভাষায় বলে না, 'ক' বললে কলকাতা বুঝে যায়। অনেককে হয়তো বারবার যেটা বলা লাগত তেমনটা ওকে(আকবর) বলা লাগেনি। আকবর তো অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ২৪ সদস্যের স্কোয়াডে ছিল না। সেখান থেকে পরে সুযোগ পেল কীভাবে? আমি তার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। বিসিবি বা নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনোভাবে তৈরি করা যায় কী না ওকে। সেই সুযোগটা এসে যায় যুবারা নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে। এখানে ম্যাচের আয়োজন করেছিল বিসিবি। আমাদের বলা হল আমরা ম্যাচ খেলব আপনাদের দল (বিকেএসপি) তৈরি আছে কিনা? তখন ভাবলাম, এই একটা সুযোগ। আমাদের দলের অধিনায়ক থাকবে আকবর। সে ভালো পারফর্মার। আমার মোক্ষম সুযোগ আসে কায়সার আহমেদের (গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, বিসিবি) সঙ্গে কথা বলার পর। উনি একবাক্যে বুঝে গেছে কী দরকার। আমি বললাম, 'কি করতে পারি স্যার। ' উনি বললেন, 'এটাই মোক্ষম সুযোগ। ম্যাচ খেলা লাগবে, আকবর আলীকে সুযোগ করে দিতে হবে। ' শেষে চার নম্বর মাঠে আমরা ম্যাচ আয়োজন করি। প্রথম ম্যাচে আমি এবং হান্নান সরকার (অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচক) মাঠে ছিলাম। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টিম ম্যানেজমেন্টের যারা ছিল তাদের সঙ্গে কথা বললাম। হান্নানকে বললাম, 'দেখো, আমি কোনো তদবির বা সুপারিশ করছি না, কোনো না কোনোভাবে হয়ত ভুল (আকবরের স্কোয়াডে না থাকা) হয়ে গেছে। আমার মনে হয় ও সুযোগ পেলে তোমাদের আশা পূরণ করবে। আকবরকে হারিও না। ' ছোটভাই হিসেবেই হান্নানকে বললাম। ওই ম্যাচে আকবর ৯১ রানের ইনিংস খেলায় ড্রেসিংরুমে আমরা বসলাম। বিকেল তখন, ম্যাচ তখনো চলছে। আমাকে ডেকে হান্নান বললো, 'ওর পাসপোর্টটা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। ' তাৎক্ষণিকভাবে হোস্টেলে পাঠিয়ে পাসপোর্ট আনার ব্যবস্থা করি। আমি পাসপোর্ট হাতে পেয়ে চার নম্বর মাঠ থেকে দূরে অফিসে গিয়ে ফটোকপি করালাম। 'হান্নান এই ধরো। ' ওরা তিনটা ম্যাচ খেলে চলে গেল। পরবর্তীতে দল ঘোষণার পর দেখি স্কোয়াডে আকবর আলীর নাম আছে। এরপর আমরা অনুমতি দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। সেই শুরু, একদম বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দেশে ফিরল। শিষ্যদের সাফল্যে নিজেকেও কি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কোচ মনে হচ্ছে? আমিও একজন সাধারণ নাগরিক। উপলব্ধি করি এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। যেহেতু আমরা বেতন নিয়ে কাজ করি, এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন দেয়া হচ্ছে। আমরা কী দিচ্ছি? এই অনুভূতিটা কাজ করে বলেই কাজের টাইমের বেশি অতিরিক্ত কাজ করি আমরা। এই ছেলেদের গড়ার জন্য। সাধারণ রুটির ওয়ার্কে এমন ছেলে তৈরি করা কঠিন। নিয়মিত অনেক কাজ বাদ দিয়েও আমাদের রুটিন ওয়ার্ক করতে হয়। পারফরম্যান্স যেন আরও উপরে নেয়া যায়। নিজের গরজেই এই কাজটা আমরা করি। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও ওদের সাফল্যে গর্বিত। আকবরের মতো সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার আরও কারা আছে বিকেএসপির এই ব্যাচে? কোচ হিসেবে যেটা চিন্তা করি, আকবর আলী তো আছেই। যদিও সবাই আমার ছাত্র। এভাবে নাম বললে ওরা মনে করবে 'স্যার আমার কথা বললেন না, ওর কথা বললেন। ' তারপরও আমার দেখা মতে, যতদূর জানি, আমি ট্রেনিং করাচ্ছি, আমার কাছে ভালো লাগে মাহমুদুল হাসান জয়কে। তার ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। শামীম পাটোয়ারি আছে। বলা চলে ও অলরাউন্ড খেলে। তাকে আদর্শ পরিচর্যা ও গাইডলাইনে রাখতে হবে। পারভেজ হোসেন ইমন রয়েছে। ও ভালো, মাঝে মাঝে হয়তো একটু অস্থির হয়ে যায়। এদেরকে একটু বেশি করে যত্ন নেয়া। আমাদের যা কাজ আমরা করে দিয়েছি, এখন বিসিবি যেহেতু তাদের অভিভাবক, বিসিবিকেই এই কাজগুলো করতে হবে। আশা করবো যারা কোচ থাকবেন, তারা সেভাবেই যত্ন নেবেন।
web
45d103f9d03fd14f4f86af95689ddc83
অর্ডার নম্বর 1 প্রায়শই রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছিলঃ এটা কি ছিল? 1917 সালের রাশিয়ান বিপ্লবের দিনে, একটি আদেশ দেশের সামরিক বাহিনীর কাছে গিয়েছিল, যা প্রায় লড়াই করার ক্ষমতা ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং সমাজতান্ত্রিক চরমপন্থীদের দ্বারা অধিকতর ক্ষমতা অর্জন করেছিল। এই 'অর্ডার নম্বর এক' ছিল, এবং এটি শুধুমাত্র ভাল উদ্দেশ্য ছিল। 1917 সালের আগে রাশিয়া অনেক সময় স্ট্রাইক এবং বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছিল। একসময় তারা 1905 সালে একবার চেষ্টা করেছিল একটি বিপ্লবের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই দিনগুলিতে সেনাবাহিনী সরকারে দাঁড়িয়েছিল এবং বিদ্রোহীদের দমন করেছিল; 1917 সালে স্ট্রাইকস একটি সিরিজ হিসাবে রাজনৈতিক আদেশ convulsed এবং দেখানো কিভাবে একটি Tsarist সরকার তারিখ, স্বৈরাচারী এবং সংস্কারের চেয়ে বরং ব্যর্থ ছিল সমর্থন হারিয়েছে , রাশিয়ান সামরিক বিদ্রোহের পক্ষে এসেছিলেন। 1917 সালের রাশিয়ায় ফেডারেল বিপ্লবের সময়ে পেত্র্রাগাদে বিদ্রোহের ফলে সৈন্যরা পাল্টা আক্রমণ চালায়। তারা রাস্তায় রাস্তায় নেমে আসে, যেখানে তারা পিপাসিত, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এবং কখনও কখনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক পয়েন্টগুলি অনুষ্ঠিত হয়। সৈন্যরা নতুন আবির্ভূত পরিষদের উত্সাহ দিতে শুরু করল - সোভিয়েত - এবং অবস্থাটি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তারা জারদারির পদত্যাগ করতে সম্মত হয়। একটি নতুন সরকার নিতে হবে। পুরোনো ডুমা সদস্যদের গঠিত, অসামরিক সরকার, সৈন্যরা তাদের ব্যারাকে ফিরে আসার এবং কোনও কিছু ফেরত পাওয়ার জন্য চেয়েছিল, কারন হাজার হাজার সশস্ত্র মানুষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঘোরাফেরা করে, উদারপন্থীদের একটি গোষ্ঠীকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে যারা সমাজতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের ভয় করতেন । যাইহোক, সৈন্যরা তাদের পুরানো কর্তব্য পুনরায় শুরু যদি তারা শাস্তি করা হবে ভয় ছিল। তারা তাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায় এবং আঞ্চলিক সরকারের অখণ্ডতা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে এবং অন্যান্য প্রধান সরকারী বাহিনীতে পরিণত হয়, যা এখন রাশিয়ায় মনোনীতভাবে হয়ঃ পেত্র্রাগাদ সোভিয়েত। এই শরীরটি, সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবিদের নেতৃত্বে এবং একটি বৃহত সৈন্য সৈন্য গঠিত, রাস্তায় প্রভাবশালী ক্ষমতা ছিল। রাশিয়ার একটি 'আঞ্চলিক সরকার' থাকতে পারে, কিন্তু এটি আসলে দ্বৈত সরকার ছিল এবং পেত্র্রাগাদ সোভিয়েত অন্য অর্ধেক ছিল। সৈন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সোভিয়েত তাদের সংখ্যা রক্ষা করার জন্য অর্ডার নম্বর 1 প্রদান করে। এই তালিকাভুক্ত সৈনিকের দাবী, তাদের ব্যারাকে ফেরত যাওয়ার শর্ত প্রদান করে এবং একটি নতুন সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেঃ সৈন্যরা তাদের নিজস্ব গণতান্ত্রিক কমিটির দায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়; সামরিক সোভিয়েত আদেশ অনুসরণ ছিল, এবং শুধুমাত্র সোভিয়েত সম্মত যতদিন অন্তর্বর্তী সরকার অনুসরণ; সৈন্যদের নাগরিকদের সঙ্গে সমান অধিকার ছিল যখন দায়িত্ব বন্ধ ছিল এবং এমনকি সালাম করতে হবে না। এই ব্যবস্থা সৈন্যদের সাথে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এবং ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল। সেনারা আদেশ সংখ্যা এক বহন করতে flocked। কিছু কিছু কমিটি কৌশল নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অপপোষিক কর্মকর্তাদের হত্যা, এবং কমান্ড হুমকি। সামরিক শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলা এবং সেনা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতা নষ্ট করে। এই দুটি বিষয় নয় এটি একটি বড় সমস্যা ছিল নাঃ রাশিয়ান সামরিক বিশ্বযুদ্ধ এক যুদ্ধ করার চেষ্টা ছিল, এবং তাদের সৈন্যদের উদারপন্থী তুলনায়, সোশালিস্টদের আরো আনুগত্য এবং ক্রমবর্ধমান চরম সমাজতান্ত্রিকদের।
web
0359daeccd06b6e6e8088b84e8ae31a1
-১৩০/ তারপর আমি ফেরাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপন্ন করেছিলাম । ( সংকটাপন্ন এবং বিপদগ্রস্থ অবস্থায় রেখেছিলাম ) উদ্দেশ্য ছিল, তারা হয়তো আমার পথ-নির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে আনবে । ( আমার আধিপত্য স্বীকার করে নিবে ) -৯৭-৯৮/ জনপদের অধিবাসীরা কি ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের উপর ঘুমন্ত অবস্থায় শাস্তি পাঠাবেন না ? যে শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করে ফেলবে ! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তা মুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের উপর শাস্তি পাঠাবো না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত ছিল ?? -৬-১৪/ আপনি কি দেখেননি, আপনার "রব" আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিল ?? যাদের দৈহিক গঠন ছিল, স্তম্ভ এবং খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ এবং তাদেরকে এত শক্তি ও বলবির দেওয়া হয়েছিল যে, সারা বিশ্বের শহরসমূহে অন্য কোন মানব গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়নি । এবং সামুদ গোত্রকে যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করতো এবং বহু সৈন্যবাহিনীর অধিপতি ফেরাউনের সাথে, যারা দেশের সীমা সমূহ লঙ্গন করেছিলো । অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল । তারপর আপনার "রব" তাদের উপর শাস্তির কশাঘাত করলেন । নিশ্চয়ই আপনার "রব" প্রতিটি বিষয়ের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখেন । -১৭৮/ আমি জালিমদেরকে সুযোগ দিই বা বেঁচে থাকার সময় দেই, তাদের পাপকে পাকাপোক্ত করার জন্য। ( এই বেঁচে থাকার সুযোগে তারা নিজেদের পাপের বোঝা বা পরিমাণকেই বৃদ্ধি করে থাকে ) অতঃপর তাদের জন্য রয়েছে কঠিন অপমানকর শাস্তি। -৪/ নিশ্চই ফেরাউন তার দেশে প্রচন্ড উদ্ধত সভাব দেখিয়ে ছিল এবং সে তার দেশের মানুষকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বা বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে দিয়েছিল । তারপর সে এক শ্রেণীর উপর অন্য শ্রেণী বা দলকে প্রাধান্য দিয়ে কোন কোন দল বা শ্রেণীকে ( ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে বা অবিচার মূলক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ) দূর্বল করেছিল । -৩০/ তুমি তাদেরকে বলো যে , তোমরা কি ভাবনা বা চিন্তা করে দেখেছো কি ?? যদি আল্লাহ্ তোমাদের ভূগর্ভের পানি সরিয়ে ফেলেন বা ভূগর্বের পানি তোমাদের নাগালের বাহিরে নিচে নামিয়ে দেন, তবে তোমাদেরকে কে এনে দেবে পানির স্রোতধারা ?? -১৩/ এবং এইসব মিথ্যার উপর আশ্রয়গ্রহণকারী জালিমরা অর্থাৎ কফিররা বলেছিল, আমরা তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করব । অন্যথায় তোমার আমাদের মতাদর্শে ফিরে এসো । তারপর আল্লাহ্ অহী পাঠালেন, আর বললেন আমি অবশ্যই জুলুমকারী শক্তিগুলোকে সমূলে বিনাশ করে দেব । -১৩৪/ তোমরা আল্লাহকে কখনোও অক্ষম বা দুর্বল করতে পারবে না। তোমাদের জন্য নির্ধারিত সময় ঠিক করে রাখা কর্মফল দিবস অবশ্যম্ভাবী । -৭৪/ আমিতো তাদের পূর্বে বহু মানব গোষ্ঠীকে ( তাদের সীমা লঙ্ঘনের কারণে ) সমূলে বিনাশ করে দিয়েছিলাম । তারা তাদের চাইতেও সম্পদে এবং জাঁক-জমকে শ্রেষ্ঠ ছিল । -৪৫/ যারা কুচক্র বা কু'কর্ম করে বা বিভিন্ন ধরণের অপরাধ , অবিচার এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা কি চিন্তা মুক্ত হয়ে গিয়েছে যে "আল্লাহ্" তাদেরকে সমূলে বিনাশ করে দিবেন না কিংবা তাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দিবেন না ?? কিংবা তাদের উপর এমন সব দিক থেকে বিপদ বা শাস্তি এনে হাজির করানো হবে না, যে দিকগুলোর বিষয়ে এর আগে তাদের কোন ধারণাই ছিল না ??
web
bc1c272a17a42755e1458f20c4086266
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে নিহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মিজানুর রহমানের লাশ অবশেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ফরিদ হোসেনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাইফুল ইসলাম। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, মরদেহ নেয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিজিবি দল নাইক্ষ্যংছড়ির পাইনছড়ি ৫২নং সীমান্ত পিলারের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, 'মিজানের লাশ শনাক্ত করতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকেই নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সীমান্তের ৫২নং পিলারের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে।' তবে লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে লোক মারফত যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পাইনছড়ি ৫২নং সীমান্ত পিলার এলাকায় বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। নিখোঁজ বিজিবি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের মরদেহ শনাক্ত করতে বিজিবি কর্মকর্তারা ওই এলাকায় গেলে তাদের ওপরও গুলি চালায় মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা। বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিকুর রহমান বলেছিলেন, 'মিয়ানমারের বিজিপি প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর পাল্টা গুলি চালায় বিজিবি সদস্যরা।' তবে ঘটনার পর বিজিপি প্রচার করে, গুলিতে আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশন) বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের এক সদস্য মারা গেছেন। পরে অবশ্য বিজিপির আরাকান রাজ্যের সিতুইয়ের পুলিশ কর্নেল তুনও গতকাল শুক্রবার দেশটির দ্য ইরাবতী পত্রিকার কাছে বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ পি থান ওকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। সীমান্ত থেকে বিজিবি সদস্যকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় কঠোর ভাষায় তাকে তিরস্কার করা হয়। একই সঙ্গে সীমান্তরক্ষীদের কাছে আটক বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমানকে অতি দ্রুত ছেড়ে দেয়ারও দাবি জানানো হয়। এরপর শুক্রবার নিখোঁজ বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমানকে ফিরিয়ে দিতে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় সে বৈঠক। এরপরই নাইক্ষ্যংছড়ির দোছাড়ি সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
web
46283511a95b0463af22933b9921d5f85e30cfaf
অস্ট্রিয়ার বরফাচ্ছন্ন লেকের মাঝে দাঁড়িয়ে বলিউড তারকা সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। বরফের ক্যানভাসেই বিশালাকৃতিতে আঁকা ক্যাটরিনার মুখের হুবহু অবয়ব, যার কারিগর স্বয়ং সালমান খান! কল্পনা নয়, ঘটনা বাস্তব; প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাটরিনাকে এই উপহার সালমান দিয়েছেন মুক্তি প্রতীক্ষিত 'টাইগার জিন্দা হ্যায়' এর একটি গানে। 'দিল দিয়া গাল্লান' শিরোনামের গানটি মুক্তি পাবে শীঘ্রই। তার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাটরিনার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই শিল্পীর এই দৃশ্য। পুরো গানের মূল আকর্ষণই সালমানের হাতে আঁকা ক্যাটরিনার এই ছবি। পরিচালক আলী আব্বাস জাফর জানান এই ছবি আঁকতে তাঁদেরকে প্রাকৃতিক রঙের ব্যবস্থা করতে হয়েছে কারণ বরফে সব রঙ বসে না। এরপর ২০ ফুট বাই ২০ ফুটের এই ছবি সালমান এঁকেছেন অনায়াসেই।
web
f8a954552599993b58458a945f1221b39cb60060
আরও চার সচিবকে সিনিয়র সচিব করেছে সরকার। গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। এদের আগের কর্মস্থলেই সিনিয়র সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. আলমগীর এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনকে সিনিয়র সচিব করা হয়েছে। সরকারে এখন সিনিয়র সচিবের সংখ্যা হলো ১২ জন।
web
c39b051921322cb4a257522429e2a36c
সেলভি প্রথমে ইনজামবাকামরে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে যান। সেখান চিকিৎসকরা বুঝতেই পারেননি কী হয়েছে। পরে তিনি যান চেন্নাইয়ের স্ট্যানলি মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে নাসাল এন্ডোস্কপি করা হয়। তাতেই জানা যায়, মাথার মধ্যে একটি পোকা রয়েছে। এর পরে হয় অপারেশন। নাক দিয়ে চিকিৎসকরা বের করে আনেন একটি জ্যান্ত তেলাপোকা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দু'টি চোখের মাঝখানে ছিল তেলাপোকাটি। সেটি শুধু জ্যান্তই নয়, মাথার ভিতরে হেঁটে চলে বেড়াচ্ছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অপারেশন। তার পরে বের করে আনা হয় 'অনুপ্রবেশকারী' তেলাপোকাটিকে। এখন চিকিৎসকদের কাছে দু'টি প্রশ্ন। কী ভাবে ওই মহিলার মাথায় ঢুকে পড়েছিল ওই তেলাপোকাটি? কী ভাবেই বা তেলাপোকাটি জীবিত রয়েছে? তবে আশার কথা হল যে, ওই মহিলার মাথায় সে ভাবে কোনও সংক্রমণ ঘটেনি। জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ স্থাপনার পর স্থাপনা তুলে দখল করা হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদী। অভিযোগ রয়েছে - একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ফ্রি-স্টাইলে তোলা হচ্ছে নদী তীরের এসব স্থাপনা। এ নদীর দূষণও চলছে ফ্রি-স্টাইলে।
web
ad6c84ff36e85be2ea34e03a1d2a2201
বামে জেসিয়া ও ডানে এভ্রিল বদলে যাচ্ছে 'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ' বিজয়ীর নাম। জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে 'অযোগ্য' ঘোষণা দিয়ে নতুন জনের নাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে প্রতিযোগিতার যৌথ আয়োজক অন্তর শোবিজ ও অমিকন এন্টারটেইনমেন্ট। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন অন্তর শোবিজসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি। আর এ উদ্দেশ্যে আগামীকাল (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বিস্তারিত তুলে ধরবেন আয়োজকরা। প্রথম রানারআপের স্যাশে খুলে ফেলছেন এভ্রিল। খবর : বাংলা ট্রিবিউনের।
web
ead319ec8cead94905f98e84b721652f
এলইডি আলোকসজ্জ্বার ওয়ার্কশপ রয়েছে দুর্গাপুরের করঙ্গপাড়ার গড়াইপাড়ার খোকন গড়াইয়ের। দুর্গাপুজো মানে নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাতদিন কাজ। এবার ঠিক উল্টো। হাতে অঢেল সময়। শুধু কাজটাই নেই! ছোট থেকেই ইলেকক্ট্রনিক্সের নানা বিষয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল। বড় হয়ে তা রোজগারের মাধ্যম হয়ে ওঠে। এলইডি আলোর বড় ব্যবসা সামলাতে তিনজন কর্মী রাখতে হয়। নিজের হাতেই এলইডি আলোর সার্কিট বানান তিনি। এলইডিতে খুব কম বিদ্যুৎ লাগে। রোদবৃষ্টিতে ক্ষতি হয় না। তাই উৎসব, অনুষ্ঠানে এলইডি'র ব্যবহার বেড়েছে দিন দিন। সারা বছর ধরেই কাজ হয়। তবে পুজো বা বিয়ের মরসুমে চাহিদা বাড়ে। সারা বছর ধরেই দুর্গাপুজোর জন্য আলোকসজ্জ্বা তৈরি করে রাখেন খোকনবাবু। দুর্গাপুজোয় তাঁর হাতে তৈরি এলইডি আলোকসজ্জ্বা দেখে অবাক হয়ে যান দর্শনার্থীরা। শুধু দুর্গাপুর নয়, তাঁর কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুরের বাইরেও এমনকি ভিন জেলাতেও। উদ্যোক্তারা তাঁদের 'থিম' জানিয়ে দিয়ে যান। সেই থিম সার্কিটের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন খোকনবাবু। এবার কাজ নেই। এখন তিনি পুরনো আলো রিপেয়ারিংয়ের কাজ করছেন। সেগুলি চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ডপে পাঠাবেন বলে জানান খোকনবাবু। তিনি বলেন, পুজোতেই দুই লক্ষ টাকার কাছাকাছি লোকসান হয়ে গেল এবার। বিয়ে, অন্নপ্রাশন সহ কোনও অনুষ্ঠানেই ডাক আসছে না। জানি না আদৌ কবে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে!
web
3e56f659ea93f1544fb13453fda1402a41009c74
তামিলনাড়ুতে কপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত জওয়ান সতপাল রইয়ের মৃতদেহ আনা হল এরাজ্যে। আজ সেনাবাহিনীর হাবিলদার সতপাল রাইয়ের কফিনবন্দি দেহ তাঁর দার্জিলিঙের তাগদার বাড়িতে আনা হয়। আগামিকাল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সেনাবাহিনীর ওই জওয়ানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। গত বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুর জেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বায়ুসেনার চপার। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার-সহ বেশ কয়েকজন সেনাকর্তা ও জওয়ান নিহত হন। প্রথমে সস্ত্রীক জেনারেল রাওয়াত ও ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের দেহ শনাক্ত করে সেনাবাহিনী। পরে আরও বেশ কয়েকজন নিহতের দেহ শনাক্ত করা হয়। তাঁদেরই একজন দার্জিলিঙের বাসিন্দা সতপাল রাই। রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় সতপাল রাইয়ের মরদেহ। বিমানবন্দরে সতপালের দেহ এসে পৌঁছতেই সেখানে উপস্থিত হন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। পরে ব্যাঙডুবি বিমানঘাঁটিতে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় কপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত জওয়ানকে। সেখান থেকেই তাকদায় তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। আগামিকাল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সতপাল রাইয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
web
8af1a05e7828cc75e1109660597b8c4b9953c988
নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা উত্তরবঙ্গ ঘুরতে আসেন। পাহাড় ঘেরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা পর্যটকদের মন কাড়ে। তবে উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতল ঘোরার ক্ষেত্রে প্রাইভেট যানবাহন ভাড়া করে ঘোরা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। এবার এই সমস্যার সমাধান করতে দুটি রুটে বাস পরিষেবা চালু করল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম (NBSTC)। উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের খরচ যাতে কমে এবং নিজেদের রাজকোষ যাতে বৃদ্ধি পায় তার জন্য উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম সম্প্রতি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং অথবা অন্য কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য পুরো বাস ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন রুট থেকে দার্জিলিং সহ পাহাড়ি বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাস চালানো হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই নতুন দুটি রুটে বাস পরিষেবা চালু হবে আগামী সোমবার। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম আগামী সোমবার থেকে শিলিগুড়ি থেকে জয়ন্তী চা বাগান এবং আলিপুরদুয়ারের হাতিপোতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত বাস পরিষেবা শুরু করতে চলেছে। এই দুই রুটে বাস পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে পর্যটকরা যেমন কম খরচে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াতে যেতে সক্ষম হবেন ঠিক সেই রকমই উপকৃত হবেন এই সকল প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার বাস ডিপো থেকে এই দুটি রুটের বাস পরিষেবার উদ্বোধন করা হবে। নাগরিকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এমন বাস পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার পর্যটক শিলিগুড়ি আসেন আর তাদের বেশির ভাগই ছোটেন পাহাড়। কিন্তু এই বাস পরিষেবা চালু হলে জয়ন্তের গুরুত্ব বাড়বে আগামী দিনে। জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন ভোর বেলায় জয়ন্তী থেকে বাসটি রওনা দেবে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। শিলিগুড়ি থেকে বিকালবেলায় বাসটি রওনা দিয়ে রাতে পৌঁছাবে আলিপুরদুয়ার ডিপোয়। তারপর সেখান থেকে জ্বালানি ভরে চলে আসবে জয়ন্তীতে। অন্যদিকে হাতিপোতা থেকে কোচবিহার যাওয়ার জন্য বাসটি সকাল সাতটার সময় আলিপুরদুয়ার ডিপো থেকে ছেড়ে আসবে। তারপর সেখান থেকে আলিপুরদুয়ার হয়ে চলে যাবে সোজা কোচবিহার।
web
2473372b600db5f0fda431a906ccd24eaf251673
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বগুড়ার শিবগঞ্জে পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শোক র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকালে মাস ব্যাপী দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শোক র্যালী পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার চত্বরে এসে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল হক দুদুর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুল আলম, এমদাদুল হক, ইঞ্জিঃ আব্দুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজু, ফাহিমা আক্তার। পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ছামছুল মোল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল আক্তার মিঠু, শাহাবুদ্দিন শিবলী, সোহেল রানা মিন্টু, ফাহিমা আক্তার, কৃষকলীগ নেতা লুৎফর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শাহিনুর ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইদুর রহমান, সামিউল আলম কায়েব, সাবেক কাউন্সিলর মাজেদা বেগম, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা রাসেল আহম্মেদ, হেলাল উদ্দিন, নয়ন মন্ডল, ছাত্রলীগ নেতা আরমান হোসেন, রায়হান আলী প্রমুখ। পরে মিলাদ ও দোয়া খায়ের অনুষ্ঠিত হয়।
web
5b6b1bcc802f57b58848ab251d081b81624b349c
রাজধানীর পল্টন-মতিঝিল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জামায়াতের কর্মীরা। মালিবাগ-মৌচাক এলাকায়ও মিছিল বের করার চেষ্টাকালে তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এসব স্থান থেকে পুলিশ দলটির ১০-১৫ জনকে আটক করেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটক থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর পর্যন্ত এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। অন্যদিকে মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সঙ্গে মসজিদে নামাজ শেষে জামায়াতের ব্যানারে কিছু লোক মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে জামায়াতের লোকজন। বিএনপির ঘোষিত 'যুগপৎ কর্মসূচি'র গণমিছিলের সঙ্গে একাত্ম হয়ে শুক্রবার জামায়াতও ঢাকায় একই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ বিএনপিকে এ কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিলেও জামায়াত পায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, জামায়াত মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়ায় দলটির নেতা-কর্মীরা। আশপাশের গলিগুলো থেকেও জামায়াতকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছে, জবাবে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিপেটা করছে। পুলিশ বলছে, জামায়াত নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। সংঘর্ষস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সঙ্গে মসজিদে নামাজ শেষে জামায়াতের ব্যানারে কিছু লোক মিছিল বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা জামায়াত-শিবিরের লোক কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা মিছিলের নামে সরাসরি পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যারা সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আটক করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে আমরা নিরাপত্তা বলয় রেখেছি, জনগণের যেন ভোগান্তি না হয়। ঢাকা শহরে যেহেতু জামায়াতকে গণমিছিলের অনুমতি দেয়া হয়নি, তারা কোথায় করবে আমরা তা জানি না। তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ যেন না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছি। আগামীকাল থার্টি ফাস্ট নাইট আর আজ রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের কর্মসূচি বিবেচনায় অন্য কোনো ঘটনা যেন না ঘটতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। যেহেতু জামায়াতকে গণমিছিলের অনুমতি দেয়া হয়নি, তাই তারা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
web
a7304ec6bb4d60768f6cee0e12b8227e255fafda
অল্প রানের জবাবে শেষ ওভারে গিয়ে জয় পেলো গুজরাত (Gujarat Titans)। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জয়লাভ করল গুজরাত। বৃহস্পতিবার টসে জিতে, পঞ্জাবকে (Punjab) প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় হার্দিকরা (Hardik Pandya)। ব্যাটে নেমে খুব ভালো শুরু হয়নি পঞ্জাবের। প্রথম দিকে উইকেট হারানোর পর শর্ট, জিতেশ শর্মা ও স্যাম কারাণের ব্যাটের উপর ভরসা করে, ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে পঞ্জাব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুব ভালো শুরু করে গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু শেষের দিকে গিয়ে রান রেট স্লো হয়ে গেলে, শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিততে হয় গুজরাতের। বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিকরা, ব্যাট করতে পাঠায় পঞ্জাবকে। ব্যাটে নেমে ভালো শুরু হয়নি তাদের। শিখর ধাওয়ান রান না পেলেও, ২৪ বলে ৩৬ রান করেন শর্ট। পাশাপাশি শাহরুখ খান ও স্যাম কারাণ ২২ রান করে। স্যাম কারাণ ২২ বলে ২২ রান করে, ও শাহরুখ খান ৯ বলে ২২ রান করে। ওদিকে ১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে, ভালো শুরু করে ঋদ্ধিমান সাহা ও গিল। গিল ৪৯ বলে ৬৭ রান করে এবং ঋদ্ধিমান ১৯ বলে ৩০ রান করে। এক বল বাকি থাকতেই নিজের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় গুজরাত। প্রথমে বল করতে নেমে গুজরাতের শামী, লিটল, রশিদ ও জোসেফ একটি করে উইকেট পান। দুটি উইকেট পান মোহিত শর্মা। ওদিকে পঞ্জাবের পক্ষে অর্ষদীপ, রাবাডা, হারপ্রীত ও স্যাম কারাণ একটি করে উইকেট নেন।
web
37f2609137322816daf34dfba96746ea24f2472cee2b6b904432332d994f8e84
[ নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লিখিত ] শ্রীমতী রাণী মহলানবিশ ।। ৩৬৯ ।। পশ্চিম দিকের প্রান্তে স্লায়মান রবি হেরিতেছে ধরণীর গোধূলির ছবি। ২৪ অক্টোবর সেথা তব বাতায়নতলে আরতির দীপখানি জলে, রবি সেই স্থির শিখা পর বিদায়ের আশীর্বাদে মিলাইল কর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ আমাকে জন্মদিনের আশীর্বাদ ] তোমাকে চিঠি লেখার পরেই আমার কাছে খোঁটা খেয়ে ঝুড়ি অত্যন্ত খাপ্পা হয়ে উঠল। সে বললে সে চিঠি খোলে নি পড়ে নি, কৃপালানি বললে সে চিঠিখানি যে আধারে তাড়াতাড়ি রেখেছিল সেইখান থেকেই বের করে আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। চিঠিখানা একেবারে খোলা ছিল না, লেফাফাটা খানিকটা সংলগ্ন ছিল- তুমি বোধ হয় লেফাফায় আমার নামকরণটা বাদ দিয়েছিলে। যাই হোক ব্যাপারটা কিঞ্চিৎ অশান্তির সৃষ্টি করেছে। এটা আমার গ্রহদোষ। ভুল করার কারণ ঘটে, ভুল করি, তার পরে দুঃখ দিই ও দঃখ পাই। ছন্দায় তোমার চিঠি গেছে এ নিয়ে তুমি যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছ, এর প্রধান কারণ স্বভাবতই তোমার মস্তিষ্কে উন্মায় পরিমাণ সদয়হ,দয়া রমণীদের চেয়ে অনেক বেশী--তারপর তোমার রক্তের মধ্যেই malignity-র মিশোল হয়েছে আকস্মিক কারণে। একে তো রোগ তোমার চরণে আশ্রয় নিয়েছে তারপর তাপ যদি তোমার মাথায় চড়ে বসে তা হলে তোমার চেয়েও সেটা উদ্বেগের বিষয় আশপাশের লোকের। অতএব আমার পরামর্শ, তোমার পক্ষে যতদূর সম্ভব শান্ত হও --জগঞ্জনের প্রতি ক্ষমার অনুশীলন করো যদি তোমার পক্ষে একেবারেই অসাধ্য না হয়। সম্প্রতি হাতে সময় আছে, বিছানায় পড়ে পড়ে বৌদ্ধদর্শন পড়তে থাক---অপরিমেয় মৈত্রী পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না-অতি স্বল্প পরিমাণ মৈত্রীও যদি ধাতে আসে তবে নির্বাণমক্কির স্টেশনের পথে কোনো একটা অজায়গায় কোনো একটা সাইডিঙে হঠাৎ থেমে যেতে পারে। সেখান থেকে জানলা দিয়ে মুখে বাড়িয়ে দেখতে পাবে এপাশ দিয়ে ওপাশ দিয়ে পরিমাণের মেলগাড়ি মালগাড়ি প্যাসেঞ্জার গাড়ি বাঁশি বাজাতে বাজাতে ছহুটে চলেছে। তাদের কয়লার গ'ড়ো এবং ধলোটাতেও তুমি ধন্য হতে পারবে। তোমার কনিষ্ঠ তোমাকে বিষাণ পাঠায় নি তার কারণ সেই সংখ্যায় অধ্যাপকের জঠর-বিকৃতি সম্বন্ধে একটা ছড়া বেরিয়েছে - সেটাও তোমার পক্ষে তাপজনক হতে পারে এই আশঙ্কা ছিল। বুড়ো তার সহোদরাকে জানে। আজ আমি চলেছি শ্রীনিকেতনে। দার্জিলিং দুর্গমসরলের কুঠির তেতলাটাও কম নয়। কিন্তু অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য--দিন সাতেকের মতো ঠাঁই নাড়ার ইচ্ছা আছে। চারদিকে এখন ধানের ক্ষেত্রে সবুজের বন্যা লেগেছে - চোখ দুটো দিগন্ত পর্যন্ত সাঁতার দিয়ে বেড়াবে এই আমার সাধ । ইতি ২৬-১০-৩৬ আছ কেমন? আমি আছি নিখবর শূন্যতায়, নিরাত্মীয় দূরত্বে। নীচের দিকে তৱশ্রেণী এবং তা পেরিয়ে সবুজ ধানের ক্ষেত দিগন্তরেখায় অবচ্ছিন্ন। দিনের বেলায় আকাশের এখানে সেখানে ছেড়া ছেড়া বেকার রোগা মেঘের দল. আর কম্পমান আমলকীশাখা থেকে বিচ্ছুরিত হেমন্তের রৌদ্র। সন্ধেবেলায় নির্বাণদীপ ছাদের অন্ধকারে আকাশভরা তারার নির্নিমেষ দৃষ্টিপাত। পারুল এসে খবে ধমেধাম করে ভাইফোঁটা দিলে, তার খরচ কম লাগেনি। আমার মনটাকে করণায় ব্যথিত করে কাল সে চলে যাবে। আমার নির্জন দিনের স্রোতে এরা ভেসে আসা ফলফলের মতো। ভাইদ্বিতীয়া একখানি কাগজে ছোট একটি ছবি একে তারই এক প্রান্তে তোমার খবর জিজ্ঞাসা করেছিলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম খুব কৌশল করেছি। বার্থ হয়েছে। এবার ছবি অবিলমে না--সাদা কাগজে প্রশ্নপত্র পাঠাই। ইহলোকবাসীদের সম্বন্ধে তিনটি সর্ব প্রধান জিজ্ঞাসা কে. কোথায় এবং কেমন। তোমার সম্বন্ধে দীর্ঘকালের গবেষণায় প্রথম প্রশ্নের উত্তর কিছু পরিমাণে পাওয়া গেছে-তাতে কাজ চলে যায়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয়টি ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চিত হতে থাকে। সেই কারণে মাঝে মাঝে মাসলে খরচ করা আবশ্যক হয়ে ওঠে। মানুষ জীবটা খাবার প্রয়াসী ও খবর প্রয়াসী। দুটো প্রয়োজনই মেটবার সময় এল। ইতি তোমার কাপড় দুটো জোড়াসাঁকোয় কালার কাছে পাঠানো হয়েছে - সে যদি না দিয়ে থাকে আদায় করে নিয়ো। এণ্ড্ৰজ আছে - আরো নানাবিধ অতিথি দর্শনার্থী প্রত্যহই প্রত্যেক প্রহরেই আসছে। মাথা ঘুলিয়ে গেছে। আজকাল সে ও খাপছাড়া নিয়ে অত্যন্ত ব্যাপ্ত আছি। ইতিমধ্যে তাগিদে পড়ে পপের জন্যেও কবিতা লিখতে হোলো - ঘরে বাইরে কেউ আমাকে ছাড়ে না। বউমা এখনো কষ্ট পান, তাতে আমার মন খারাপ হয়ে আছে। বোটযাত্রার আলোচনা চলচে। নদীপথ খেলা পাওয়ার উপরে সব নির্ভর করে। ইতি ১।১২।৩৬ অত্যন্ত কুণ্ঠিত কণ্ঠে জানাচ্চি পরোনো চশমা জোড়া ফিরে চাইতে হোলো। নতুন চশমা করতে খরচ হোলো বিস্তর তাই বলে যদি জেদ করে ব্যবহার করি তা হলে চোখটাও খরচ হয়ে যাবে। ওটার দাম চশমার দামের চেয়ে বেশী। তোমাকে আর একটা আমার অদূরদর্শিতার চশমা এর বদলে দেব আরো গোটা কতক আছে। সাহেবকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। বিদেশ থেকে আগন্তুকের আনাগোনা চলচে। এই পৌষের পরে বোটে চড়বার ইচ্ছে। মাথাভাঙা মোহানা যদি খোলা পাই চলে যাব পদ্মা বেয়ে। সুন্দরবনের রাস্তা সহজ নয় পথ না জেনে চালালে গমাস্থানে পৌঁছনো সম্বন্ধে সংশয় থেকে যায়। ইতি ৩।১২।৩৬ তোমাকে তোমার দুষ্টুগ্রহ ছাড়তে চাচ্চে না তার রুচির দোষ দিতে পারা যায় না। প্রশান্তর সঙ্কটের অবস্থা পেরিয়ে গেছে আশা করি। আমাদের এখানকার আকাশে ধূলো নেই ধোঁয়া নেই, হেমন্তের রৌদ্রে চারদিক ঝলমল করচে। উৎপাতের মধ্যে আছে আগন্তুকের ভিড়। ক্রমশই বেড়ে উঠচে। ৭ই পৌষটা কেটে গেলেই পালাব মনে করচি। ইতি ১০।১২।৩৬ তোমার অবস্থা কী এবং অবস্থান কোথায় জানতে কৌতূহল ছিল। বস্তুত এটা অন্তহীন কৌতূহলের বিষয়। প্রশ্ন করতে কলম বাগিয়ে বসেছিলাম, হেনকালে ডাকযোগে এইমাত্র জানা গেল যে হিজলা বটাশ্রমে তোমার আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাতে তোমার ডাক্তার দাদা চকিত হয়ে আনন্দ প্রকাশের অভিনয় করেছিলেন। একে ইংরাজী ভাষায় বলে How interesting! আমার সংসারে আমি আছি অনাথাশ্রমে রথী নেই বউমা নেই পপে লক্ষৌএ-সুধাময়ী নাম্নী অভিভাবিকার তত্ত্বাবধানে দ' বেলা শাকভাত জুটে যাচ্ছে। আর আছেন বনমালী, গাঙ্গুলী গেছেন দতসংস্কারে, রথীর মাতুল মহারাজ রাজধানীতে। অতএব বর্তমানে আমার নিঃসহায় অবস্থায় তোমার গঠন পৈতি করা তবে সে খবর পেলে খশীতব। ৭ই পৌষ আসন্ন। পূর্ব হতেই তার আতিথ্যের ভূমিকা নিবিড় হয়ে উঠেছে। মনের শান্তি আবিল হয়ে উঠচে-বিপদ এই যে, সকলেরই পালাবার পথ আছে, কেবল যমের অনুগ্রহ ছাড়া আমার পথ নেই। -আমার ভবিষ্যতের প্রোগ্রাম জটিল সংশয়ে জড়িত। ১৮।১২।৩৬ তোমাদের উপর এ কীরকম দুঃখের দিন এলো? কেবলই ঘনিয়ে উঠচে বাধাবিপত্তি। তোমরা যেন একটা ঘোর জঙ্গলের মধ্যে ঢঢুকে পড়েছ, রাস্তা নেই কোনখানে। যাই করো আবার একটা রীতিমতো রোগের সৃষ্টি কোরো না এ সম্বন্ধে তোমার যেন একটা পারদর্শিতা আছে - কথাটা ঠিক হোলো না, নানাবিধ রোগেই তো ঝাঁপ দিয়েছে, কিন্তু হওনি কোনোটাই। চারদিকে চেয়ে যখন দেখি তখন দেখতে পাই পৃথিবীতে একমাত্র অরোগী আছি আমি--খবরের কাগজে প্রাপ্তাহিক বুলেটিন প্রকাশ করবার গৌরব আমার জুটল না। আজকাল হাজার রকমের ইনজেকশনের সৃষ্টি হয়েছে--তার একটাও আমাকে সম্মানিত করেনি। সঙ্গে বোধ করি মাঝ ফেব্রুয়ারির আগে দেখা হবার সম্ভাবন নেই। সেই সময়ে আমাকে কনভোকেশনের বক্তৃতা দিতে যেতে হবে। ঠিক করেছি সেই সময়টা বোট আশ্রয় করে থাকব। যে রকম গ্রহের দৃষ্টি দেখচি তাতে আশা হয় শীঘ্র গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারবে। মাঝে মাঝে সংক্ষেপে খবর দিয়ো। রাসেলের আতিথা কি সম্পন্ন হতে পেরেচে ? দোঁহে কেমন আছ সংক্ষেপে খবর দিয়ো। মুসম্পন্ন হয়ে গেল। ইতি ১২ মাঘ ১৩৪৩
pdf
fabce849fc8ed82314c858597ee55b7af84761d1
লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Lakhi Ratan shukla) এখন ঘুমোতে যান রাত সাড়ে ন'টায়, ওঠেন ভোর পাঁচটায়। উপায় নেই। কাকভোরে উঠে টিমকে নিয়ে মাঠে দৌড়তে হয়, শরীরের দেওয়াল-ঘড়ির সময় বদলে নিতে হয়েছে সেই অনুপাতে। বিগত কয়েক মাস ধরে অপরিবর্তিত এই রুটিন। পাঁচটায় উঠে সাতটায় মাঠ, গিয়ে ব্যাটারদের নিত্য পাঁচশো করে বল ছোঁড়া, নেট বোলারের জোগাড়যন্ত্র। কিন্তু পরিশ্রম-প্রশ্নে সপাট ছয়ের মতো উত্তর আসে, "শুনুন, এটা বাংলা। আমার বাংলা। এখানে আপস চলবে না। অফ সিজনে দু'বেলা ট্রেনিং করিয়েছি। তিন ঘণ্টা সকালে, তিন ঘণ্টা বিকেলে। টিমের স্কিল, এনডিওরেন্স বেড়েছে কতটা দেখেছেন? মধ্যপ্রদেশ মাঠে পাঁচ দিন লড়ে পারল আমাদের সঙ্গে? " ফাঁপা আওয়াজ নয়, লক্ষ্মী করেছেন এ সমস্ত, করেন এ সমস্ত। এই যেমন রনজি ফাইনাল খেলতে শহরে ফিরে সোমবার সকালে ছুটলেন ইডেন। একা। ইডেন পিচ কেমন দাঁড়াচ্ছে, দেখতে হবে না? খেলা ছেড়েছেন, নয়-নয় করে আট-নয় বছর হল। কিন্তু গত আট-ন'বছরে বাংলা ক্রিকেটকে ছেড়ে এক মুহূর্ত থাকতে পারলেন কোথায় এলআরএস? খেলা ছাড়ার পর রাজনীতিতে এলেন, তবু বাংলা ক্রিকেটকে ছাড়তে পারলেন না। লাল বাতি আর হুটার বাজিয়ে ইডেনে বাংলার ম্যাচে ঢুকে পড়তেন প্রায়শই। "বাংলা ছাড়া আমার আর আছেটা কী? " অস্ফুটে বলেন লক্ষ্মী। নাহ্, নেই। মনেপ্রাণে যিনি বিশ্বাস করেন, এই বাংলায়, এই বাংলার ক্রিকেটে তাঁর জন্মগত অধিকার। বাংলা সিনিয়র টিমের কোচিংয়ে লক্ষ্মী এসেছেন পরে, অনূর্ধ্ব পঁচিশ টিমে আগে। ভবিষ্যৎ প্রতিভা আগে খুঁজে বার করতে হত, তার পর না বর্তমানের গুরুভার বহন। আর হিরে চিনতে যে তাঁর ভুল হয় না, তার প্রমাণ সুদীপ ঘরামি। যিনি লক্ষ্মীর সেই অনূর্ধ্ব ২৫ টিমের ফসল, বঙ্গ ক্রিকেটকে অধুনা আরও শস্য-শ্যামলা প্রতিনিয়ত করছেন যিনি। আর দিতে হত দু'জনকে প্রাপ্য সম্মান, দুই সিনিয়রকে। অনুষ্টুপ মজুদারের প্রয়োজন ছিল নিরাপত্তা, যাঁকে একটা সময় বাদ দিতে উদ্যত হয়েছিল অরুণ লালের টিম ম্যানেজমেন্ট। এলআরএস তাঁকে বলে দিয়েছিলেন যে, "এই টিমের তুই-ই সব। তুই-ই অলিখিত ক্যাপ্টেন, তুই-ই কোচ! " মনোজ তিওয়ারিকেও ফিরিয়ে দিতে হত তাঁর হারানো মর্যাদা। বছরখানেক আগেও তো মনোজের মতামত নিতে আসত না টিম। লক্ষ্মী দায়িত্ব নিয়ে মনোজকে অধিনায়কের রাজমুকুট দিয়ে দেন। বলে দেন- এটা তোর টিম, তুই চালাবি! "যা ঠিক মনে হয়েছে, করেছি। বাংলাকে রনজি (Ranji Trophy) জেতাতে যা দরকার, সব করব। বাংলার হয়ে খেলেছি, অধিনায়কত্ব করেছি। কিন্তু কখনও রনজি জিতিনি। কোচ হিসেবে এবার তো একটা চেষ্টা করতে পারি, স্বপ্ন দেখতে পারি, তাই না? " বলার সময় এলআরএসের চোখের কোণ কি ভিজে যায় একটু? গলা কিছুটা আর্দ্র শোনায়? কড়া হেডস্যর নয়, নিজেকে টিমের 'বড়দা' হিসেবে ভাবতে বড় ভালবাসেন বঙ্গ কোচ। জুনিয়রদের আগলে রাখেন, কিন্তু বেচাল বরদাস্ত করেন না। কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর দু'টো কাজ নিঃশব্দে করেছেন লক্ষ্মী। প্রথমত, ইতিহাসগত ভাবে বাংলা টিমের যা চিরন্তন 'অসুখ', সেই দলাদলি, গ্রুপবাজির পাট পুরো চুকিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, মিডিয়ায় খবর ফাঁস বন্ধ করেছেন। "আমি কি বকাঝকা করি না নাকি? অবশ্যই করি। কিন্তু ড্রেসিংরুমে কাকে কী বললাম, সেটা লেখার জন্য নয়," কণ্ঠস্বর এবার বেশ গরগরে শোনায়। "আমার দর্শন খুব সহজ। ভাল করলে প্রশংসা আমার টিম পাবে। কিন্তু ব্যর্থতার বুলেট আমি নেব। আমি যখন কোচ, দায়টাও পুরো আমারই। দোষারোপে আমি বিশ্বাস নই। আমি এটা বলায় বিশ্বাসী নই যে, প্লেয়ার পারল না, আমি কী করব? " হে বাংলার পূর্বতন কোচ-রাশি, শুনছেন আপনারা? শুনলে মনে হয়, ইডেনে তেত্রিশ বছর পর রনজি ফাইনালে লক্ষ্মীরতন বদলার বাংলা চান না। চান বদলের বাংলা। রেজাল্ট নিয়ে ভাবতে চান না। বরং বাংলা ক্রিকেটের 'ক্ষিদ্দা' চান শুধু লড়াই। যে ভাবে লড়ে আসছে তাঁর টিম, এত দিন। ফাইট বাংলা, ফাইট!
web
803589972f49a22d1d957f0ec5ee6d8d01d766e4
অপটিক্যাল ইলিউশন এখন সবসময় জনপ্রিয় হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক ছবি থাকে যেগুলোর অপটিক্যাল ইলিউশন মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। তেমনই একটি ইলিউশন সম্প্রতি সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে পার্কের একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের কাজে ব্যস্ত আছে। কিন্তু তার মধ্যে থেকে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে সংবাদ পত্রটি কোথায় রাখা আছে। খুব ভালো করে দেখলেই একমাত্র এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ১০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হবে। বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই খুব একটা সহজ নয় কিন্তু এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। এবার তাহলে সময় শুরু হলো আপনার। মাত্র ১% মানুষ এখনও পর্যন্ত সঠিক সময়ে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছেন। এবার আপনার সময়ও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে আসছে। আপনিও তাহলে সহজ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না। ফটোর সামনে বেঞ্চের উপরে সামনের দিকে মুখ করে যে মেয়েটি বসে আছে তার পাশেই রাখা আছে সংবাদ পত্রটি। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট চিহ্ন করেও দেওয়া হলো। কেমন লাগলো আপনাদের এই ধাঁধা নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। তাহলে এই ধরণের মজার প্রশ্ন উত্তর আপনাদের জন্য অবশ্যই নিয়ে হাজির হবো আবার খুব তাড়াতাড়ি।
web
4b1f4735a6e538f2d55e329f28f37dd76873a5f3
মলয় দে নদীয়াঃ- তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীকে বাড়ি ফেরার পথে গুলি চালিয়ে খুনের চেষ্টা চালালো দুষ্কৃতীরা। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার হাঁসখালি থানার বগুলা মুড়োগাছা দরগাতলা পাড়ায়। ওই এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের কাছে সহদেব মন্ডল নামেও একজনকে বগুলা বাজার থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা পেছন থেকে গুলি চালায়। সহদেব মন্ডল এর কাধের কাছে গুলি লাগে। সহদেব মন্ডল বগুড়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য অনিমা মন্ডল এর স্বামী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কল্যাণী যে এন এম হাসপাতাল বা কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। বগুলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিশির রায় জানিয়েছেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
web
03584ed8d0e5bcd4f8fdf9dc3fd40db5051701df
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গঙ্গানগড় এলাকা থেকে অপহৃত দুই শিশুকে উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গঙ্গানগড় এলাকা থেকে অপহৃত দুই শিশুকে উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার বন্দর উপজেলার ইস্পাহানি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত শিশুরা হলো, উপজেলা গঙ্গানগড় এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সোহান (৪) ও ওয়াসিম মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম (৯)। এরআগে গত ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার গঙ্গানগড় এলাকা থেকে ওই দুই শিশুকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পিঠা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে গঙ্গানগর এলাকার হাফসা আক্তার, তাসলিমা আক্তার, বাদল মিয়া, রাজু মিয়াসহ অপহরণকারীচক্র শিশু সোহান ও সফিকুল ইসলামকে অপহরণ করেন। পরে ওই দুই শিশুর পরিবারের কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন না। টাকা না পেলে শিশুদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানায় শিশুদের পরিবার। ৩১ জানুয়ারি বিকেলে পুলিশ গঙ্গানগড় এলাকা থেকে জড়িত সন্দেহে হাফসা আক্তার ও তাসলিমা আক্তার নামে দুই নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের কারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে জেলার বন্দর উপজেলার ইস্পাহানি থেকে ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের সঙ্গে জড়িত বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই।
web
b8faa3d9c63633294a1089bb03a437ec54910548b1b857212e2f34f61fcee763
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ক্রমে যখন অন্ধকারে সমস্ত অস্পষ্ট হয়ে এল...সমস্ত একাকার হয়ে একটা ঝাপ্সা জগৎ চোখের সামনে বিস্তৃত পড়ে ছিল - তখন ঠিক মনে হচ্ছিল এ সমস্ত যেন ছেলেবেলাকার রূপকথার অপরূপ জগৎ.০০প্রদোষের অন্ধকারে এবং একটি ভীতিপূর্ণ ছম্ছম্ নিস্তব্ধতায় সমস্ত বিশ্ব আচ্ছায়...এ যেন তখনকার সেই অতি সুদুরবর্তী অর্দ্ধ-চেতনার মোহাচ্ছন্ন মারামিশ্রিত বিস্তৃত ভগতের একটি নিস্তব্ধ নদীতীর এবং আমি সেই রাজপুত্র - একটা অসম্ভবের প্রত্যাশায় সন্ধ্যারাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি - এই উক্তির সহিত মিলাইয়া দ্রষ্টব্য 'চিত্রলিপি ২' ১৫ । মনে হয় যেন একটি উজাড় পৃথিবীর উপরে একটি উদাসীন চাদের উদয় হচ্চে- •মস্ত একটা পুরাতন গল্প এই পরিত্যক্ত পৃথিবীর উপরে শেষ হয়ে গেছে,···আমি যেন সেই মুমুষু" পৃথিবীর একটিমাত্র নাড়ীর মত আস্তে আস্তে চলছিলুম। অপর সকল ছিল আর এক পারে, জীবনের তুলনীয় 'চিত্রলিপি' সংখ্যা ১৬ । একটা প্রকাণ্ড বিস্তারিত প্রাণহীনতার উপর যখন অস্পষ্ট চাদের আলো এসে পড়ে তখন যেন একটা বিশ্বব্যাপী বিচ্ছেদশোকের ভাব মনে আসে - যেন একটি মরুময় বৃহৎ গোরের উপরে একটি শাদা কাপড়পরা মেয়ে উপুড় হয়ে মুখ ঢেকে মুচ্ছিতপ্রায় নিস্তব্ধ পড়ে রয়েছে। তুলনীয় 'চিত্রলিপি' সংখ্যা ৮। কোথাও কিছু গতি নেই শব্দ নেই বৈচিত্র্য নেই প্রাণ নেই - ভারি একটা মৃত উদাস শুন্যতা - চলবার মধ্যে কেবল একপ্রান্তে আমি একটি প্রাণী চলচি এবং আমার পায়ের কাছে একটি ছায়া চলে বেড়াচ্চে। তুলনীয় 'চিত্রলিপি' সংখ্যা ৪। কেবল নীল আকাশ এবং ধূসর পৃথিবী - তারই মাঝখানে একটি সঙ্গীহীন গৃহহীন অসীম সন্ধ্যা, - মনে হয় যেন একটি সোনার চেলিপরা বন্ধু অনন্ত প্রাত্তরের মধ্যে মাথায় একটুখানি ঘোমটা টেনে একলা চলেচে... তুলনীয় 'বিচিত্রিতা' একাকিনী, 'চিত্রলিপি' সংখ্যা ১৫, 'চিত্রলিপি ২' সংখ্যা ১০। কালি-কলমে আঁকা চিত্রগুলিতে জোর আছে, শক্তির প্রকাশ আছে, পাশব ও দানব শক্তিরও। যেমন মোষের ছবিটি। জন্তুটি কতকটা পরিচিত "পুটুরাণী" কতকটা প্রাগৈতিহাসিক ম্যাক্টোডন। লম্বা মুখে অবোধ ক্ষুধার ভোতনা, চওড়া পাছায় উদাসীন নিষ্ঠুরতার, মোটা পায়ের গোছে অন্ধ শক্তির। সবগুদ্ধ ছবিটিতে রবীন্দ্রশিল্পের যাহাকে ইংরেজিতে বলে নিছক ঈল তাহার একমাত্র ও উত্কৃষ্ট • লিপিকাল ১৬ জুন ১৮৯১। • ঐ ১৬ ডিসেম্বর ১৮৯৫। • ঐ ৩ কার্তিক, বর্ষ অনুল্লিখিত। ঐ ১৯ মার্চ ১৮৯৪।
pdf
05250f511160cb309cd6b42b4c9b3e2669a40489
সবচেয়ে অসত্য ভাবনা কী? কেন অসত্য? কারণ, প্রত্যেকটি মানুষ বহু মানুষের হাতে তৈরি। বহু মানুষের সাথে যুক্ত। সে একলা একা হতেই পারে না। বহু যুগের বহু কোটি মানুষের দেহ মন মিলিয়ে মানুষের সত্তা। সে ততটুকু যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে। মহামানুষ। মেয়েটা ছিল অতীব সুন্দরী। গায়ের রঙ বাদামী, সবুজ অ্যালমণ্ডের মতো দুটো চোখ আর কাঁধ পর্যন্ত নেমে যাওয়া ঘন কালো চুল। চেহারার মধ্যে এমন একটা প্রাচীন আভিজাত্যের ছাপ, বোঝার উপায় নেই ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্দেজের মধ্যে কোন অঞ্চলের বাসিন্দা। পোশাক আশাকে সূক্ষ্ণ এবং মার্জিত রুচির ছাপ। একটা লিংক্স জ্যাকেটের সাথে হালকা রঙের ফুলের ছাপা সিল্কের ব্লাউস পরেছে। ঢিলেঢালা লিনেনের পাজামার সাথে পরেছে বোগেনভিলিয়া রঙের ফ্ল্যাট জুতো। মেয়েটাকে দেখামাত্র মনে হলো 'এ আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে রূপবতী নারী। ' প্যারিসের শার্ল দ্য গল এয়ারপোর্টে নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটের চেক-ইন কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলাম। মেয়েটা তখন গর্বিত সিংহীর মতো দৃঢ় পদক্ষেপে আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। যেন এক অলৌকিক ছায়ামূর্তি হয়ে ক্ষণকালের জন্য আবির্ভূত হয়ে আবার টার্মিনালের ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল। প্রলয়ের দিনে, সাপগুলো সোনালিবরন, যেমন হওয়ার কথা। প্রলয়ের দিনে, নিয়ে যায় তারাভরা রাতে। জ্বলছে আগুন রাস্তা থেকে ছাদ। "প্রান্তসীমায় দেখা হবে শিগগীর" তপ্ত ভুরুর নিচে আমার গর্বিত উচ্চারণ, এখন আমি তার চেয়ে তরুণ। বলেছে যেন আমার মাথার খুলি। ঘটনাকে শিকার করতে গিয়ে ঘটনার শিকারে পরিণত হবার অভিজ্ঞতা আপনার আছে? ব্যাপারটা শুনতে হাস্যকর মনে হলেও আমার জন্য মর্মান্তিক ছিল। কারণ সেরকম একটা ঘটনার শিকার হয়ে আমি এখন ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলার অপেক্ষায় নির্জন কারাকক্ষে বসে আছি। ঘটনাটি বলা যাক। ধরা যাক আমার নাম মারফি। যে অস্বাভাবিক ঘটনাটি আমাকে এখানে এনে ফেলেছে সেটার সাথে আরো একজন জড়িত। তার নাম কেলি। আমরা দুজনই ছিলাম ট্যাক্সিডার্মিস্ট। 'ট্যাক্সিডার্মিস্ট' শব্দটা আপনার কাছে অচেনা হলে আমাকে একটু ব্যাখ্যা করতে হবে। তবে ট্যাক্সিডার্মি কী সেটা বোঝানোর জন্য আমি দীর্ঘ প্রবন্ধ ফাঁদবো না। শুধু বলি শব্দটা যেমন বিশ্রী, তেমনি অসম্পূর্ণ। সাধারণভাবে বলতে গেলে ট্যাক্সিডার্মিস্ট হলেন এমন একজন বিশেষজ্ঞ যিনি একাধারে প্রাণীবিদ, প্রকৃতিবিদ, রসায়নবিদ, ভাস্কর, চিত্রকর এবং কাঠমিস্ত্রী। যে লোক একসাথে এতগুলো কাজের সাথে জড়িয়ে থাকে তার মেজাজ একটু তিরিক্ষি হতেই পারে, তাই না? মাক্তুব, ভাবল ও। "আরে কী হলোটা কী, জিজ্ঞেস করো! " ইংরেজের কথায় সম্বিত ফিরে পেল সান্টিয়াগো। মেয়েটির কাছাকাছি গেল ও। ইতস্তত করে একটু হাসল। "ফাতিমা," চোখের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে নিতে বলল মেয়েটি। মারা যাওয়ার পর তুমি তোমার গন্তব্যে যাচ্ছিলে। একটা সড়ক দুর্ঘটনা ছিলো। তেমন আহামরি কিছু নয়, যদিও মরণঘাতী। স্ত্রী আর দুই সন্তান রেখে গিয়েছিলে। যন্ত্রণাহীন মৃত্যু। ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম (ইএমটি) তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো তোমাকে বাঁচাতে, পারেনি। তোমার শরীর এমন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো, বিশ্বাস করো এই ভালো হয়েছে। সূর্য উঠতে উঠতে সান্টিয়াগোর ঘুমও ভেঙ্গে গেল। যেখানে আগের রাতে চোখের সামনে তারার মত বিন্দু বিন্দু আলো দেখেছিল ও, এখন সেখানে শুধু সারি সারি খেজুর গাছ, যতদূর চোখ যায়। "বাব্বাহ, আমরা শেষ পর্যন্ত আসতে পারলাম তাহলে! " বলল ইংরেজ, সেও উঠে পড়েছে। আজ ওনার জন্মদিন। সব মানুষই নিজের জীবন দিয়ে যা বুঝতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে ৮৫ বছর বয়সে এই অসাধারণ কবিতাটি লিখেছিলেন লেখকদের লেখক খ্যাত হোর্হে লুইস বোর্হেস, ৮৬ বছরে তিনি মারা যান দুর্দান্ত এক জীবন শুষে নেওয়া জীবনের শেষে। কোন এক বৃষ্টি ভেজা দিনে আনমনে দুর্বল অনুবাদ করেছিলাম ইংরেজিতে থেকে (স্প্যানিশ ভালো পারি না বিধায়)- ( ছবিটা সাহারা মরুভূমিতে তোলা) 'যদি আরেকবার জীবন শুরু করতে পারি'
web
1d6e5df175918adc3c408ee3345b052f1636d036
নজরবন্দি ব্যুরোঃ বরিসের পর প্রধানমন্ত্রী পদে কে বসবেন? সেই দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনককে হারিয়ে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী লিজ টস। সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির তরফে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ হাজারের বেশী ভোটে ঋষিকে পরাজিত করেছেন তিনি। বৈধ ভোটের মধ্যে লিজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। ঋষি সুনক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯। ফলাফল ঘোষণার পর টস জানিয়েছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে ব্রিটেনের আমুল পরিবর্তন চান তিনি। ব্রিটেনের আর্থিক উন্নতি প্রধান লক্ষ্য, জানালেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ ক্ষেত্রে কর ছাড় দিয়ে ব্রিটেনের অর্থনীতিকে পুনরায় উদ্ধারের ক্ষেত্রে নজর দিতে চান তিনি। একইসঙ্গে বিদ্যুতের ঘাটতি মিটিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবেন বলেন বার্তা দিয়েছেন তিনি। রবিবার থেকেই অনলাইন আর ব্যালটে দেওয়া ভোটের গণনা শুরু হয়েছিল কনজারভেটিভ ক্যাম্পেন হেডকোয়াটার্সে। ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার স্যর গ্রাহাম ব্র্যাডি। এই নিয়ে ব্রিটেনের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। মঙ্গলবার কুইন এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে স্কটল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বরিস। নতুন সরকার গঠনের জন্য রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করবেন লিজ টস।
web
d53f8798411fa695c18453dd706ab6e7bbbc4a73150d0cba8a71458e09274ace
মাধবীলতাকে সরাইয়া দিবার প্রয়োজন কি, কারণ কি? মহেশ যে দুজনকে একসঙ্গে সরাইয়া দিবার মতলব করিয়াছে, পিন সেট কল্পনাও করিতে পারে নাই। সদানন্দ অথবা মাধবীলতাও কল্পনা করিতে পারে নাই। রাত্রি প্রায় দশটার সময় মাধবীলতাকে সঙ্গে লইয়া মহেশ চৌধুরী আশ্রমে আসিল; তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার আসল উদ্দেশ্যটা তিনজনের কাছেই পরিষ্কার হইয়া গেল। মাঝরাত্রে আশ্রমের পিছনের ঘাটে বাঁধা নৌকায় উঠিয়া সদানন্দ আর মাধবীলতা চলিয়া গেল। মাধবীলতা প্রথম দিন রাত্রে আশ্রমে আসিবার সময় নৌকা হইতে এই ঘাটেই নামিয়াছিল। নৌকা চলিয়া গেলে মহেশ বলিল - আমরা সবাই আশ্রমট! গড়ে তুলব বিপিন ।
pdf
35978b4a83fc9406d38b21f8bab72fa2b5e9d889d6baeff9914af02d10b46c65
আসামীদের মধ্যে যে পাঁচজনের তিন বছর হিসাবে সশ্রম কারাদণ্ড হয়, তাঁদের হাজতবাস ( অর্থাৎ ১.৩.৩৫ থেকে ৩০.৭.৩৬ পর্য্যন্ত ) দণ্ডভোগের কাল বলে গ্রহণ করে মুক্তি দেওয়া হয়। অজিতকুমার বসু আপীল করেননি; ট্রাইবিউন্যাল-প্রদত্ত তিন বছর সশ্রম দণ্ড বজায় থেকে যায়। হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য রাজসাহী জেলে দেহত্যাগ করেন। 'দ্বিতীয় সোয়ালিচর মামলা'য় ১৯৩৩ মার্চ ৩১-এ নরেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের ছ'বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল। বর্ত্তমান দণ্ড পূর্ববদণ্ডের একসঙ্গে ক্ষয় হবার আদেশ হয় । সীতানাথ দে মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন ; গ্রেপ্তার হবার পর তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডভোগ চলতে থাকে । মামলা চলার সময়, আসামীরা নানা ক্রিয়াকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ১৯৩৪ জুলাই ৩১-এ - সীতানাথ দে, হরিপদ দে, নিরঞ্জন ঘোষাল এবং পূর্ণানন্দ দাশগুপ্ত আলিপুর সেণ্টাল জেলের পাঁচিল টপ্কে চম্পট দেন । হরিপদ সেই বিকালেই বালিগঞ্জ রেলষ্টেশনের কাছে ধরা পড়েন । পূর্ণানন্দ ১৯৩৫ জানুয়ারী ২০-এ টিটাগড়ে এবং নিরঞ্জন আরও বেশ কিছুদিন পরে গ্রেপ্তার হন। সীতানাথকে রায়-দান পর্যন্ত আর খু'জে পাওয়া গেল না । জেল হতে পলায়নের অপরাধে তাঁর স্বতন্ত্র সাজা হয়েছিল । নানা স্থানে বাস করবার সময় অদ্ভুতভাবে যোগাযোগ সংস্থাপিত হয়েছিল। জিতেন দাশগুপ্ত বক্সা ক্যাম্প থেকে, পরেশ গুহ ফরিদপুরের অন্তরীণ আবাস থেকে এবং প্রভাত আসানসোল থেকে রওয়ানা দিয়ে কলিকাতায় এসে জুটেছিলেন। জাল যেরকম ছড়ানো হয়েছিল, ফল সে-তুলনায় কিছুই হয়নি। উপরন্তু অনেকগুলি "ধুরন্ধর" একসঙ্গে দীর্ঘকালের জন্য কর্মক্ষেত্র থেকে অপসারিত হয়েছিলেন । জিতেন্দ্রনাথ দে মজুমদারকে এই মামলায় প্রচুর খোঁজাখুজি হয়েছিল, কিন্তু পাওয়া যায়নি । কুমিল্লা গৌরীপুর ডাক-লুঠের মামলায় স্পেশ্যাল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে, ১৯৩৪ মার্চ ৭-ই, তাঁর সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ঘটে । ১৯৩৪ জুলাই ২৪-এ প্রদত্ত রায়ে হাইকোর্ট সেটা সমর্থন করে । বিমল ভট্টাচার্য্যর 'শিব ঠাকুর লেন অস্ত্র আবিষ্কার মামলা'য় ১৯৩২ ডিসেম্বর ৩০-এ চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল। বর্ত্তমান সাজাটা উপরন্তু বলে ধরা যায় । কর্ণওয়ালিশ ষ্ট্ৰীট (কলিকাতা) প্রকাণ্ড দলবল নিয়ে কলিকাতার পুলিশ ১৯৩৩ মে ২২-এ কর্ণওয়ালিশ ( বিধান সরণী ) স্ট্রীট-এর খানকয়েক বাড়ী একসঙ্গে ঘেরাও করে ফেলে ভোর ৪-টা থেকে ; ১৩৬।৩-বি নং বাড়ীটা উদ্দেশ্য করে পাশের বাড়ী ১৩৬।৪-এ নং বাড়ীর ওপর উঠে যায় । তখন প্রথম বাড়ীর ছাদে একটা বদ্ধ ঘরের মধ্যে কয়েকজন লোক গোপনে আছে বুঝে এক ইন্সপেক্টর দ্বিতল বাড়ীর ছাদ থেকে ঐ বাড়ীটায় আসেন। ব্যাপারটা বোঝবার জন্য তিনি একটা জানলার ফাঁক দিয়ে ভিতরের অবস্থাটা দেখবার চেষ্টা করেন । হঠাৎ ভিতর থেকে জানলা খুলে যায় এবং রিভলভারের একটা গুলি ছুটে যায় । তখন দু'পক্ষেই গুলি-বিনিময় চলতে থাকে । ইত্যবসরে এক ব্যক্তি দরজা সামান্য ফাঁক করে বেরিয়ে, বারান্দার খুটি-সাহায্যে পাশের বাড়ীর ছাদে গিয়ে পড়লে, সেখানেই গ্রেপ্তার হয়ে যান । ঘরের মধ্যে আবদ্ধ লোকরা মাঝে মাঝে গুলি চালাতে থাকেন। পুলিশ তখন কেবল আত্মরক্ষা করে চলেছে, আর ঘরের ভিতর এলোপাথাড়ি গুলি করছে। ভোরের আলোর সঙ্গে তিন ব্যক্তি যুদ্ধ-বিরতির সঙ্কেত দিলে, বিনা বাধায় পুলিশ সকলকেই গ্রেপ্তার করে । এর মধ্যে প্রধান হচ্ছেন দীনেশচন্দ্র মজুমদার। বর্তমান বিবরণ শেষ করবার আগে তাঁর অন্য একটু পরিচয় দেওয়া দরকার। টেগার্ট-হত্যা-প্রচেষ্টায়, ১৯৩৩ সেপ্টেম্বর ১৮-ই, তাঁর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের আদেশ হয়েছিল। দণ্ডিত আসামী কড়া পাহারার মেদিনীপুর জেলে বন্দী । ১৯৩২ ফেব্রুয়ারী ১৮।১৯ রাত্রে তিনি জেল থেকে পলায়নে সক্ষম হন। নান। স্থানে পলাতক জীবন কাটিয়ে, ১৯৩৩ ফেব্রুয়ারী চন্দননগরে আশ্রয়গ্রহণ করেন । সেখানের পুলিশ সংবাদ পায় যে, কয়েকটি বাঙ্গালী যুবক তাদের এলাকায় বাসা বেঁধে আছে । পুলিশ-কমিশনার কুঁই (Quinn) ১৯৩৩ মার্চ ৯-ই সাইকেল করে গুপ্ত আড্ডায় গিয়ে উপস্থিত হন। সদর দরজায় এক যুবক বসে ছিলেন, পুলিশের আবির্ভাব দেখে তিনি ত্বরিতে বাড়ীর ভিতর চলে যান এবং অনতিকালমধ্যেই তীরবেগে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন । একজন হোঁচট খেয়ে সেখানে পড়েন এবং গ্রেপ্তার হন । দু'জনে রাস্তায় পড়ে প্রাণপণে দৌড়তে থাকেন । সামনে এক যুবক বাধা দিতে গেলে, বুলেটের আঘাতে ধরাশায়ী হন। ঘটনাস্থল থেকে কুঁই সাইকেল চড়ে ফিরলেন যে-রাস্তায় পলাতকদের পালাবার সম্ভাবনা। বেশ কিছুদূর গিয়ে তিনি দু'জন পথচারীকে গজ-দশেক অতিক্রম ক'রে গিয়ে, সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়ালেন তাঁদের পরিচয় জানবার জন্য । যখন খুব কাছে এসে পড়েছেন তখন একজন হঠাৎ রিভলভার বার করে একেবারে গায়ের কাছে এসে গুলি ছোটালেন। কমিশনারসাহেব সঙ্গে সঙ্গে মার্টীতে লুটিয়ে পড়লেন। ঘণ্টা কয়েক মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। এই দলের মধ্যে দীনেশ ছিলেন প্রধান । সেখান থেকে বেরিয়ে এসে দীনেশ কলিকাতায় বাসা পেলেন । এখানে অপর তিন সঙ্গী সমেত ধরা পড়লেন । এবার আর নিস্তার নেই । চার আসামী খাড়া করে আলিপুর স্পেশ্যাল ট্রাইবিউন্যালে ১৯৩৩ অক্টোবর ৫-ই বিচার আরম্ভ হ'ল। অক্টোবর ১০-ই রায় প্রদত্ত হয়। তাতে দীনেশের ফাঁসি আর সঙ্গী নলিনীমোহন ঘোষ ও জগদানন্দ মুখোপাধ্যায়ের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের আদেশ হয় । অপর অভিযোগের সঙ্গে, যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের আসামীর জেল থেকে পলায়ন ও পুলিশ-হত্যা-প্রচেষ্টার অপরাধে দীনেশের ফাঁসির আদেশ হয় ; অপর দু'জন "রক্ষা" পান । আপীল করা হয়েছিল হাইকোর্টে। ১৯৩৪ জানুয়ারী ১৫-ই সেটা নাকচ ১৯৩৪ জুন ৯-ই আলিপুর সেন্টাল জেলে দীনেশের ফাঁসি হয় । আসামী নলিনী ঘোষ হিজলী ক্যাম্প থেকে পলায়ন করেন এবং বাইরে এসেই অপর বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন । তৃতীয় ম্যাজিষ্ট্রেট-হত্যা (মেদিনীপুর ) খোদ ম্যাজিষ্ট্রেট-হত্যার এটি তৃতীয় পর্ব্ব। পেডি ও ডগ্লাস-এর কথা বলা হয়ে গেছে। এবার শিকার হচ্ছেন - বাৰ্জ্জ (B. E. J. Burge), যিনি মেদিনীপুর জেলার ভার নেন, ১৯৩২ মে । আতঙ্কবশতঃ বাৰ্জ্জ বাঙলোর বাইরে বিশেষ ঘোরাফেরা করতেন না; কিন্তু ফুটবল-খেলার বাতিক ছিল খুব । ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে জেলার নানা স্থানে বার্জ্জ-এর অত্যাচারের কাহিনী লোকমুখে চলতো । অনূর্ধ্ব বিশবছর বয়সের একদল যুবক বার্জ্জ-এর কৃতকর্মের 'পুরস্কার' দেবার জন্য উদ্যোগী হলেন । ছোট্ট দল, বড় করে করবার কোনও উপায় ছিল না। জন-দুই কলিকাতায় এসে রিভলভার-ছোড়া শিখে গেলেন । মাঝে মাঝে এসে সেখান থেকে রিভলভার সংগ্রহ করে নিয়ে যেতেন । কয়েক মাসের চেষ্টায় গোটা-পাঁচেক রিভলভার সংগ্রহ করা গিয়েছিল । এইবার বার্জ্জ-হত্যার পালা। ১৯৩৩ সেপ্টেম্বর ২-র। একটা ফুটবলপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বার্ল্ড-এর অংশগ্রহণ করার কথা। খবরটা সংগৃহীত হবার পর উদ্দেশ্যসাধনের পন্থা স্থির করবার জন্য ষড়যন্ত্রকারীর দল এক গোপন স্থানে মিলিত হন । ঘটনার দিন পূধ্বনিৰ্দ্ধারিত অবস্থায় মাঠের ধারে যে-যার নির্দ্দিষ্ট স্থান গ্রহণ করে দাঁড়িয়ে রইলেন । মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত আর অনাথবন্ধু পাঁজা মাঠে নেমে একটা বল নিয়ে খেলা করতে লাগলেন; শিকারের ওপর লক্ষ্য স্থির রইল । বার্জ্জ এলেন তাঁর মোটরে ; সঙ্গে দুই দেহরক্ষী। আগে থেকেই অনেক
pdf
27660fa3cd7786d9619adbbccd015f427004d495
পাল্লেকেলে টেস্ট ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগের দিন ৩ উইকেটে ৫১২ রান নিয়ে আজ রবিবার সকালে খেলতে নামে লঙ্কানরা। দিমুথ করুনারত্নে এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা যেভাবে শনিবার সারাদিন কাটিয়ে ছিলেন আজও তারা সেই ভাবে কাটিয়ে দিবেন বলে অনেকের ধারণা ছিল। সাত সকালে এই দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান কে সাজঘরে ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৫৩ সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশের থেকে ১২ রানে এগিয়ে তারা। আজ রবিবার সকালে সিংহলীজদের যে ৩টি উইকেটের পতন ঘটেছে তার দুটো তুলে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। অন্যটি এবাদত হোসেন। লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে ২৪৪ রানে সাজঘরে ফেরান তাসকিন এর পর অপর প্রান্তে থাকা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ১৬৮ রানে আউট করেন এই পেসার। এ মুহূর্তে লঙ্কানদের যে ৬ উইকেটের পতন ঘটেছে তার তিনটি তুলে নিয়েছেন তাসকিন। অপর ৩টি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।
web
3e11c51e81728f4815ebc45fade7dd0e2ccc3529
#কলকাতাঃ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য আগামী ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১. ৫ লক্ষ তরুণদের কাজের উপযোগী করে তোলা। সে উদ্দেশ্যেই Microsoft অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (All India Council for Technical Education), NASSCOM, মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিক্স এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি (Ministry of Electronics and Information Technology ), আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়ং (Ernst & Young), GitHub প্রমুখ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলিত ভাবে এই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে Microsoft। এক নজরে ইন্টার্নশিপ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্যঃ এছাড়াও Microsoft বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যেমন, ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সাইবারসিকিউরিটি, ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদিতে প্রয়োজন অনুসারে লার্নিং মডিউলস প্রদান করবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ইন্টার্নশিপের শেষে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (National Education Policy) অনুযায়ী ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের কারিকুলাম তৈরি করবে AICTE। সম্পূর্ণ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম জুড়ে NASSCOM বিভিন্ন ন্যাশনাল স্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কোর্স প্রদান এবং EY মেন্টারশিপ ও টেকনোলজি প্রদান করবে। অন্য দিকে, GitHub ট্রেনিদের বিভিন্ন ডেভেলপার টুলস এবং Quess Corp ভার্চুয়াল কেরিয়ার ফেয়ার ও নিজেদের লার্নার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করবে। Microsoft ইন্টার্নশিপের মূল উদ্দেশ্যই থাকবে তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের বিশেষ চাহিদা যুক্ত কাজের জন্য তৈরি করে তোলা। বিশেষ করে দক্ষতামূলক কাজ যেমন ডেটা এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবারসিকিউরিটি ইত্যাদিতে। AICTE-র চিফ কোঅর্ডিনেটিং অফিসার বুদ্ধ চন্দ্রশেখরের (Buddha Chandrashekhar) মতে, আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি করে টেকনোলজি সংক্রান্ত সেক্টরে নিয়ে আসার জন্য এই প্রোগ্রাম বিশেষ ফলদায়ক হবে। Microsoft-এর মতো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এই চেষ্টা সফল হবে বলে তিনি মনে করেন।
web
6f207194b346b84a80bbdf61132430fc6a1e4527
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা মোটেও লম্বা হয়নি ভারতীয় এই ক্রিকেটারের, তবুও ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের ছায়া ফেলেছেন তিনি। আজ আমরা আলোচনা করছি আইপিএলের অন্যতম সেরা সফল স্পিনার তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার পীযূষ চাওলাকে নিয়ে। ভারতীয় এই ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আলোকপাত না হলেও চলুন আজ আমরা আপনাকে বলি তার প্রেমের কাহিনী। জাদুকর লেগ-স্পিনার পীযূষ চাওলা ছোটবেলায় প্রতিবেশী অনুভূতি চৌহানের প্রেমে পড়েছিলেন। বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় তিনি প্রায়ই তাদের বাড়িতে যেতেন। এখান থেকেই ধীরে ধীরে এগিয়েছে দুজনের প্রেমের গল্প। আপনাদের জানিয়ে রাখি, অনুভূতি চৌহান একজন এমবিএ স্নাতক এবং বিয়ের আগে একটি স্বনামধন্য কোম্পানিতে এইচআর হিসাবে কাজ করতেন। পীযূষ চাওলা এবং অনুভূতি চৌহান একে অপরকে ২ বছর ডেট করার পর জুলাই ২০১৩ সালে বাগদান করেন। উল্লেখ্য, বিয়ের চার বছর পর পীযূষ চাওলা এবং অনুভূতি চৌধুরী ২৫ মার্চ ২০১৭ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। উল্লেখ্য, ভারতের এই জাদুকরী লেগ স্পিনার নিজের ক্যারিয়ারে মাত্র ৩টি টেস্ট সহ ২৫টি একদিনের ম্যাচ এবং ৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেন ভারতের এই জাদুকরি বোলার।
web
a4fad452db77418e5d73af6a633a901da4bacf9b
মালয়েশিয়া আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হওয়া সাবেক রাষ্ট্রদূত ও জেল হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় খায়রুজ্জামানকে নিঃশর্ত মুক্তি দেন আদালত। খায়রুজ্জামানের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী রিতা রহমান। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর আগে মঙ্গলবার খায়রুজ্জামান কে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। খায়রুজ্জামান ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কুয়ালালামপুরে ঢাকার হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। এ ছাড়া মিশর, ফিলিপাইন ও মিয়ানমারেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কুয়ালালামপুরে অবস্থান করা এই বাংলাদেশিকে স্থানীয় আম্পাং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, এম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করে এবং দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনার পর খায়রুজ্জামানকে সেনাবাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর মিশর ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ২০০৩ সালে আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান এম খায়রুজ্জামান। এরপর ২০০৫ সালে তাকে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
web
0816eaab7a1969bb8917453344566bf6
فَمَنۡ کَانَ یَرۡجُوۡا لِقَآءَ رَبِّهٖ فَلۡیَعۡمَلۡ عَمَلًا صَالِحًا وَّ لَا یُشۡرِکۡ بِعِبَادَۃِ رَبِّهٖۤ اَحَدًا সুতরাং যে তার প্রভুর সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন নেক আমল করে এবং তার প্রভুর ইবাদতে কাউকে শরিক না করে। (সুরা কাহফ : আয়াত ১১০) আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার ঈমানদারদের সুসংবাদ দিয়ে ঘোষণা করেন, আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ, আল্লাহর সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাৎ করতেই হবে। আর যারা ঈমানদার তাদের সুসংবাদ জানিয়ে দাও। (সুরা বাকারা : আয়াত ২২৩) আল্লাহ তাআলা দিদার পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়; তাও তিনি কোরআনে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে, হে মানুষ! তোমাকে তোমার পালনকর্তা পর্যন্ত পৌঁছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, এরপর তার সাক্ষাৎ ঘটবে। (সুরা ইনশিকাক : আয়াত ৬) একনিষ্ঠতার সঙ্গে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। সে ইবাদত হতে হবে নেক আমলের মাধ্যমে। আবার এই নেক আমল হতে হবে একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথে। এ আয়াতে শিরকমুক্ত ইবাদত ও নেক আমলে পরিপূর্ষ জীবনের প্রতি দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ شَيْئًا وَأَنَا أَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকাবিকা শাইআন ওয়া আনা আলামু ওয়াসতাগফিরু লিমা লা আলামু। অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি যে কোনো শিরক থেকে আশ্রয় চাই। যা জানি আর যা জানিনা তা থেকে ক্ষমা চাই। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, মাজমাউয যাওয়ায়েদ) শিরক থেকে আরও সতর্কতা হজরত মাহমুদ ইবনে লবিদ রাদিয়াল্লাহু রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের সম্পর্কে যে বিষয়ে সর্বাধিক আশংকা করি, তা হচ্ছে ছোট শিরক। সাহাবায়ে কেরাম নিবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ছোট শিরক কী? তিনি বললেন- রিয়া (লোক দেখানো আমল-ইবাদত বা কাজ)। (মুসনাদে আহমাদ) অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা যখন বান্দাদের কাজকর্মের প্রতিদান দেবেন, তখন রিয়াকার লোকদেরকে বলবেন- তোমরা তোমাদের কাজের প্রতিদান নেওয়ার জন্য তাদের কাছে যাও, যাদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে তোমরা কাজ করেছিলে। এরপর দেখ, তাদের কাছে তোমাদের জন্য কোনো প্রতিদান আছে কি না। কেননা, আল্লাহ শরিকদের শরিকানার সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ,বায়হাকি) নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি শরিকদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ঊর্ধ্বে। যে ব্যক্তি কোনো নেক আমল করে এবং তাতে আমার সঙ্গে অন্যকেও শরিক করে, আমি সেই আমল শরিকের জন্য ছেড়ে দেই। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, আমি সেই আমল থেকে মুক্ত; সে আমলকে আমি তার জন্যই করে দেই, যাকে সে আমার সঙ্গে শরিক করেছিল। (মুসলিম) হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি সুখ্যাতি পাওয়ার জন্য নেক আমল করে আল্লাহ তাআলাও তার সঙ্গে এমনি ব্যবহার করেন; যার ফলে সে ঘৃণিত ও লাঞ্ছিত হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমাদ)
web
0b940b25d2ccdeee83f1e351cd5adb569c49c98e
ভারতের বিহার রাজ্যের পানিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝা বন্যা পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করায় ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেয়ার দাবি তুলেছেন। মঙ্গলবার সঞ্জয় কুমার ঝা এই দাবি তুলে বলেন, ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেয়া হোক। নইলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বন্যার পানি নিষ্কাশন করা হোক। ফারাক্কা বাঁধ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একটি প্রকল্প। বিহার, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে প্রবল বৃষ্টি থেকে সৃষ্ট বন্যায়। পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধের সব স্লুইসগেট এ অবস্থায় বিহার সরকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে প্রবল বেগে ফারাক্কার পানি গিয়ে পড়ছে। এর প্রভাবে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহারে বন্যা পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। উত্তর প্রদেশে এ বন্যায় প্রাণহানি ঘটেছে ইতিমধ্যে ১১১ জন ও বিহারে ৪০ জনের। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। সাথে প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা। বিহার ও উত্তর প্রদেশের পানি ঢুকে পড়ায় পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও বন্যা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের ফুলহার, মহানন্দা ও কালিন্দী নদীর পানি বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। বন্যায় পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে পড়ার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে। মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বন্যা পরিস্থিতি দেখবেন তাঁরা। ফারাক্কা বাঁধ কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফারাক্কায় গঙ্গার পানি বিপদসীমার ৭ ফুট ওপর দিয়ে বইছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা বাঁধের ১০৯টি স্লুইসগেট খুলে দিয়েছে। স্লুইসগেট খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের দিকে ছুটে যাচ্ছে এই পানি। বন্যার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নদীগুলোর সংস্কার কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের করছে না। নদীর ড্রেজিং হচ্ছে না ফারাক্কায়ও। এ নিয়ে বারবার চিঠি লিখেও সাড়া মিলছে না। তাই রাজ্যে বারবার বন্যা দেখা দিচ্ছে। প্রবল বন্যার কবলে পড়েছে বিহারের ১২টি জেলা। বন্যার কারণে রাজধানী পাটনায় পানিবন্দী হয়ে পড়েন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি। পরে তাঁর বাসভবন থেকে পুরো পরিবারকে উদ্ধার করেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের (এনডিআরএফ) সদস্যরা।
web
60d59d00bf6bff841f7789a4946424f84d757172
একই ফ্লোরে আরও ৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যা একেবারে গায়ে গায়ে লাগোয়া। তাও কেউ কিছু কেন শুনতে পেলো না? সে বিষয়ে পুলিস সূত্রে খবর, বাচ্চাটিকে ঘরে ঢুকিয়ে নেওয়ার পর মুখ বেঁধে দেয় অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে রেডিও চালিয়ে দেয়। খুনের পর দেহ বস্তায় ভরে রেখেছিল। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরোঃ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন দিন দুয়েক আগেই ওই শিশুকে খুনের পরিকল্পনা করে অলোক। জেরায় তার দাবি, ৩০ মার্চ "ভালো দিন"। তার আগে ওই কাজ হাসিল করতে বলেছিলেন তান্ত্রিক। ফলে কোনও ছোটো শিশু কন্যার খোঁজে ছিল অভিযুক্ত। দিন দুয়েক আগে ওই বাচ্চাটিকে ময়লা ফেলতে আসতে দেখে পরিকল্পনা করে সাজায় অভিযুক্ত। সকাল সকাল অন্য ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ থাকে ফলে সেই সুযোগকে কাজে লাগায় অলোক কুমার। কিন্তু একই ফ্লোরে আরও ৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যা একেবারে গায়ে গায়ে লাগোয়া। তাও কেউ কিছু কেন শুনতে পেলো না? সে বিষয়ে পুলিস সূত্রে খবর, বাচ্চাটিকে ঘরে ঢুকিয়ে নেওয়ার পর মুখ বেঁধে দেয় অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে রেডিও চালিয়ে দেয়। খুনের পর দেহ বস্তায় ভরে রেখেছিল। রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে দেহ লোপাট করার পরিকল্পনা ছিল। এদিকে বারবার তান্ত্রিকের কথা বললেও এখনো কোনও তান্ত্রিকের হদিশ পায়নি পুলিস। ধৃতের দাবি, সে নিজেই নিমতলায় ঘাটে গিয়েছিলেন এক তান্ত্রিকের কাছে। যদিও কোনও নাম বলতে পারছে না। ফলে বিভিন্ন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে এমন কোনও তান্ত্রিক আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিস। বাড়ির পাশে একটি আবাসনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় সাত বছরের এক নাবালিকার দেহ। পুলিসি জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, তাঁর এখনও কোনও সন্তান নেই। তাঁর স্ত্রী এখন গর্ভবতী। আগে বেশ কয়েকবার গর্ভপাত হয়ে যায় স্ত্রীর। নিমতলায় ঘাটের এক তান্ত্রিক নাকি কোনও শিশুকে বলি দেওয়ার কথা বলে ছিলেন তাঁকে। তান্ত্রিক জানিয়েছিলেন এমন করলে তবেই সন্তান হবে। সূত্রের খবর, পুলিসি জেরায় ধৃত অলোক কুমার জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে। তারপর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে। শিশুটিকে ধর্ষণ করার কোথাও জানিয়েছে সে। আরও পড়ুন, Satarup Ghosh: 'আমার বাবা কার নামে গাড়ি কিনবেন, কুণাল ঘোষের বাবা তা ঠিক করবেন না' (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
web
98937eb40d932e8eaab970ebfece9c0903355a30
অব্যবহৃত জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি জিকিউ বলপেনের পরিচালনা বোর্ড। রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ৭. ৬৭ কাঠা জমি বিক্রি করবে জিকিউ বলপেন। যার মূল্য ৩ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। কোম্পানিটি জানিয়েছে, জমি বিক্রির টাকা দিয়ে তারা সাউথইস্ট ব্যাংকের ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার দায় মেটাবে। বাকি টাকা কোম্পানিটির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যয় করা হবে। (ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/এজে)
web
cea3f6e33c444a3442ca291e995afb03
আপনি এটি একটি টক শো শ্রোতা সদস্য হতে সহজ হবে মনে হবে। আপনার পছন্দের টক শোতে বিনামূল্যে টিকিট পান, আপনার ক্যালেন্ডারে তারিখটি সংরক্ষণ করুন, স্টুডিওতে দেখান এবং সেলিব্রিটি গেস্টের সাথে আপনার fave টক শো হোস্ট ক্র্যাকটি দেখুন এবং ব্যালার মিউজিক্যাল অ্যাক্টগুলির সাথে রক আউট করুন। কিন্তু একজন শ্রোতা সদস্য হওয়ার চেয়ে এটি আরও বেশি চতুর। উদাহরণস্বরূপ, এমন কিছু কাপড় আছে যা আপনাকে পরিধান করা উচিত এবং নির্দিষ্ট কিছু উপায় যা আপনাকে করা উচিত। অন্য কথায়, সুন্দরভাবে পোষাক সাধারণত ব্যবসা নৈমিত্তিক বা প্রচলিত / upscale, আপনি ক্যামেরা শট মধ্যে শ্রোতা বৈশিষ্ট্য যে একটি দিনকাল টক শো দেখতে চলুন, বিশেষ করে যদি। উজ্জ্বল, কঠিন রং পরেন কোন ব্যস্ত নিদর্শন, কোন লোগো, কোন টুপি, কোন শর্টস, স্কার্ট বা ট্যাঙ্ক শীর্ষ। সব পরে, একটি শ্রোতা সদস্য হিসাবে, আপনি সত্যিই উত্পাদন অংশ। আপনি কিভাবে আচরণ শো এর প্রবাহ উপর সরাসরি প্রভাব আছে। টেপের সময় হোস্ট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না বা বাণিজ্যিক বিরতির সময় অটোগ্রাফের জন্য ভিক্ষা করবেন না। হোস্ট সমস্ত পরে, কাজ করছে। এবং আপনি আপনার কাজ করছেন, যখন ডান হতাশ হতে চাই না? টক শো শ্রোতাদের সমন্বয়কারী, যেমন কিথ কোয়েনোনস, প্রাক্তন সমন্বয়কারী, আপনাকে প্রোগ্রামে আপনার সর্বোত্তমটা নিয়ে আসতে চায়। তারা আপনাকে উৎসাহী এবং শোতে জড়িত হতে চায়। তারা আপনাকে আপনার ড্রাইভারের লাইসেন্স আনতে চায়। Quinnones বলছেন, "আমরা দর্শকদের তাদের টিকিট সংরক্ষণের সঙ্গে কিছু সনাক্তকরণ ফর্ম আনতে আশা করি," সব পরে, টিকেট শো টিকিট মুক্ত হতে পারে, কিন্তু তারা হস্তান্তরযোগ্য নয়। এবং "শনাক্তকরণের কিছু ফর্ম" এর অর্থ হচ্ছে ড্রাইভারের লাইসেন্স, রাষ্ট্র ID, বা অন্য সরকারী জারি করা আইডি। শ্রোতা সমন্বয়কারী তার দর্শকদের মধ্যে কে ঠিক জানে তা জানতে চায় এবং তারা বলে যে সেগুলি তারা। আপনি আসা আসা যখন আপনি পিছনে ছেড়ে দিতে চান শ্রোতা সমন্বয়কারী আইটেম একটি সংখ্যা আছে এছাড়াও আছে। যারা আইটেম সেল ফোন, লাগেজ, ব্যাকপ্যাক বা বড় শপিং ব্যাগ অন্তর্ভুক্ত এই তালিকার প্রতি টক শো পরিবর্তিত হয়, অত্যধিক। কিছু টক শো আপনি আপনার সেল ফোন আনা মনে রাখবেন না, যতক্ষণ আপনি taping সময় এটি বন্ধ রাখা হিসাবে। অন্যদের আপনি শো পর্যন্ত এটা না হওয়া পর্যন্ত পিছনে যেতে চান। Quinnones বলছেন, "বেশিরভাগ শ্রোতা সদস্যদের আশ্চর্যবোধ করে যে তারা পানি ছাড়াই বিল্ডিংয়ের ভিতরে কোন খাদ্য বা পানীয় আনতে পারবে না"। কভার, তিমিয়ার, পেরেক ফাইল, বুনন সূঁচ এবং পকেটের ছুরি মতো তীব্র বস্তুগুলিও নিষিদ্ধ। তারা দর্শক এবং হোস্ট উভয় একটি নিরাপত্তা ঝুঁকি মুদ্রণ। চিন্তা করবেন না আপনি যদি আপনার টিজারকে শোতে না দেখেন, তাহলে টক শোতে নিরাপত্তা দলগুলি সমস্ত নিষিদ্ধ অবজেক্টগুলিকে ধরে রাখে। তারপর আপনি স্টুডিও থেকে প্রস্থান করার আগে কোন জব্দ আইটেম বাছাই করার অনুমতি দেওয়া হবে। উল্টো দিকে, কোয়ানোনস বলে যে এক আইটেম আছে দর্শক শ্রোতা সদস্যদের স্টুডিওতে আনতে অনুমতি দেওয়া হয় যাতে তারা সম্ভবত নিষিদ্ধ বলে মনে হয়। একটি ক্যামেরা. "বেশিরভাগ শ্রোতা সদস্যই শিখেছেন যে তারা একটি ডিজিটাল বা ডিসপোজেবল ক্যামেরা সহ বাণিজ্যিক বিরতির সময় ছবি তুলতে পারে", Quinones বলে। কেলি এবং মাইকেল দর্শকদের সাথে লাইভ ক্যামেরাও ক্যামেরা নিয়ে আসতে পারে। আপনার কি করা উচিত এবং don'ts মনোযোগ দিয়ে প্রিয় টক শো-এবং চিন্তা করবেন না, তারা দিন হিসাবে সুস্পষ্ট তালিকাভুক্ত করা হবে-আপনি নিশ্চিত করুন যে আপনি একটি ভাল সময় আছে এবং শো আপনার জন্য একটি মহান প্রোগ্রাম বন্ধ টানা ভোগ করেন।
web
184035771b595194109ea41309e3273ecb6827ae5e810e3a00dd877d5b05415e
আমার দেবোত্তর সম্পত্তি মানুষ হইবার প্রচেষ্টা প্রথম পাঠ বিবাহের পরই যে-অক্ষমতা দেখাইলাম তাহা সত্ত্বেও দুই বৎসর ধরিয়া সংসার ভদ্রভাবেই চালাইলাম, 'প্রবাসী' ও 'মডার্ন রিভিউ'-এর সহকারী সম্পাদক হইয়া। কিন্তু আগেই বলিয়াছি মাহিনা ছিল মাত্র একশত টাকা। ইহাতে সংসার চালানো সে-যুগেও সহজ হইতে পারিত না । তাহার উপর 'প্রবাসী' আপিসের অব্যবস্থার জন্য মাহিনা থোকে পাইতাম না, কোনদিন দুইটাকা, কোনদিন দশটাকা পাইতাম। সুতরাং পাওয়ামাত্র সেই টাকা খোরাকের জন্যই খরচ হইয়া যাইত, অন্য পাওনা দিবার সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা করিতে গারিতাম না । ১৯৩৪ সনের এপ্রিল মাস হইতে একেবারে উপার্জনহীন হইলাম, 'প্রবাসীর চাকুরি ছাড়িয়া ও অন্য চাকুরি না পাইয়া। এই অবস্থা ১৯৩৭ সনের জুলাই মাস পর্যন্ত চলিয়াছিল । এই সময়েই অবস্থার বশীভূত হইয়া বাঙালী থাকিব, না অবস্থাকে অগ্রাহ্য করিয়া মানুষ হইবার চেষ্টা করিব এই প্রশ্নের সম্মুখীন হইলাম। উহাকে সত্যই struggle for existence বলা চলে। উহার সমস্ত কাহিনী বলিব না, শুধু যাহাতে মানুষ হওয়া প্রায় অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইয়াছিল সেই কয়েকটি ঘটনার কথাই বলিব । ঊনিশ শ' বত্রিশের মে মাস হইতে সংসার চালু হইল। মানুষ হইবার চেষ্টায় বহির্দৃষ্টিতে সংসার শোভন-ভাবেই চলিতে লাগিল। আমার বাড়ির সাজসজ্জার কথা বলিয়াছি, কিন্তু দুইটি অবাঙালী 'সজ্জার কথা লিখি নাই । উত্তাদের একটি স্নানের ঘর ইত্যাদির দরজাতে একটি লাল ইলেকট্রিক বাতির ব্যবস্থা, যাত্রুটিত ভিতরে কেউ থাকিলে অন্য কেউ বাহির হইতে ধাক্কাধাক্কি বা চেঁচামেচি না করে ও ভিতর হইতে কাশিতে না হয় ; অথবা অনবধানবশত দরজায় খিল না দিয়া থাকিলে উভয়ত অপ্রতিভ হইতে না হয়। দ্বিতীয় ব্যবস্থা - সদর দরজায় ইলেকট্রিক বেল। উহা তখনকার দিনে সাধারণ বাঙালীর বাড়িতে এতই বিরল ছিল যে, আমার উপরতলার ভাড়াটে একটি প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালী ভদ্রলোক নিজের বাড়িতে উঠিবার সময়ে ঐ বেলটি বাজাইয়া তরতর করিয়া উঠিয়া যাইতেন । আমি বা চাকর পরে গিয়া কাহাকেও দেখিতাম না। একদিন শুধু তিনি ধরা পড়িলেন ও কাষ্ঠহাসি হাসিলেন। কিন্তু এত করিয়াও ফাঁকা চালবাজী সম্বন্ধে বাঙালীর শ্যেনদৃষ্টি ও শশককর্ণকে আমি হার মানাইতে পারি নাই । উহার একটি মাত্র দৃষ্টান্ত দিতেছি। আমার এক কুটুম্বস্থানীয় যুবক ময়মনসিংহের অজ পাড়াগাঁয়ে সম্পত্তির সামান্য আয়ে থাকিত, ম্যাট্রিক পাশ করিয়া থাকিলেও চাকুরির চেষ্টা করিত না, কারণ সে একেবারে কালা ছিল ; কেবল একটি ইয়ার ট্রাম্পেট ব্যবহার করিয়াই কথা শুনিতে পারিত। তাহার উপর সে ঘোর কৃষ্ণবর্ণ হইলেও পত্নীর রূপ ও বর্ণ লইয়া সে অভিযোগ করিত। সে ১৯২২ সন হইতে মাঝে মাঝে কলিকাতা আসিয়া আমার সঙ্গে দেখা করিত । আমার বিবাহের মাস দুই পরে, আমার স্ত্রী দুইদিনের জন্য শ্যামবাজার হইতে ভবানীপুরে তাঁহার দিদির বাড়িতে গিয়াছেন, তখন সে আমার বাড়িতে আসিয়া উপস্থিত্ হইল । সমানে বেল বাজিতেছে শুনিয়া নিজেই তাড়াতাড়ি দরজায় গিয়া দেখিলাম, সে মুখ আকর্ণ ব্যাদান করিয়া হাসিতেছে ও বেলটা বাজাইতেছে। আমাকে দেখিয়াও সে নিবৃত্ত দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.com
pdf
d8fd7a70f6166ddd9ee0a20d0950d2fc89ffd979
জনমত ডেস্কঃ হবিগঞ্জে নতুন করে ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকার ল্যাবে তাদের করোনা শনাক্ত হয়। রোববার (৫ জুলাই) হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন মখলিছুর রহমান উজ্জ্বল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ রোববার জেলায় ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের রিপোর্ট ঢাকা থেকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে হবিগঞ্জ সদরের ১৭ জন, মাধবপুর উপজেলার ৯ জন, নবীগঞ্জের ৭ জন, চুনারুঘাটের ৬ জন, বানিয়াচংয়ের ৫ জন এবং বাহুবল উপজেলার ১ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮০৪ জনে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ছয়জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৯৮ জন।
web
efdc0c9f618006e7e6fed0f1468a872484cc3e90
নয়াদিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি (হি. স. ) : ব্যবসায়ী রাহুল বাজাজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বাণিজ্য ও শিল্পের জগতে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, শনিবার পুনের রুবি হল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাজাজ গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাহুল বাজাজ।
web
7520bff420a79bed70773d2dd34d2812d56958ec
গত ১১ই অক্টোবর ছিল বিশ্ব কন্যাশিশু এবং অ্যাডা লাভলেইস দিবস। (১) বাটনে চাপ দিতেই মোবাইলের ওপাশ থেকে নারী-কণ্ঠের রিনিঝিনি বেজে ওঠলো- দাদা কেমন আছেন ? জী ভালো। আপনি কেমন আছেন ? জী আমিও ভালো। তো দাদা, আপনাকে রিং করেছি একটা প্রয়োজনে ! বলেন ? সচলায়তনে বাংলায় ব্লগ লেখালেখি করে যারা বাংলাকে তুলে ধরছেন, বাংলার চর্চা বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের সকলেই কি বাংলা উইকিপিডিয়ায় লেখালেখি করেন? প্রশাসক হলে হয়তো সেটা বলতে পারতাম, তবে দুঃখের বিষয় আমি প্রশাসক নই।
web
df23fa4dd3e6d4ed7274b859d5bae1ae
অধিক আর্তনাদ করা। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়'আত গ্রহণকালে আমাদের কাছ থেকে এ অংগীকার নিয়েছিলেন যে আমরা (কোন মৃতের জন্য) বিলাপ করব না।....... আমাদের মধ্য হতে পাঁচজন মহিলা উম্মু সুলাইম, উম্মুল 'আলা, আবু সাবরাহর কন্যা মু'আযের স্ত্রী, আরো দু'জন মহিলা বা মু'আযের স্ত্রী ও আরেকজন মহিলা ব্যতীত কোন নারীই সে ওয়াদা রক্ষা করেনি। (বুখারী পর্ব ২৩ : /৪৬ হাঃ ১৩০৬, মুসলিম ১১/১০, হাঃ ৯৩৬)
web
e0dd0ffa781ec02e8fe0194759ed33e5
সিন পেনের বার্ষিক চ্যারিটি গালাতে আগুন ছড়ালেন 'গেম অব থ্রোন্স' তারকা এমিলিয়া ক্লার্ক। তবে এর জন্যে সিরিজের কোনো গনগনে মুখের ড্রাগন ছিল না। ছিলেন আরেক হার্টথ্রব ব্র্যাড পিট। পেনের অকশনে মাদার অব ড্রাগন্স এমিলিয়ার সঙ্গে সিরিজের একটি পর্ব দেখতে এক লাখ ২০ হাজার ডলার হেঁকেছেন ব্র্যাড! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা! নিলামে উপস্থিত ছিলেন এমিলিয়া। সঙ্গে ছিলেন সহ অভিনেতা কিন হ্যারিংটন। ২০ হাজার ডলার দিয়ে বিড শুরু করেন তিনি। এমিলিয়ার সঙ্গে বসে একটি পর্ব দেখার সুযোগ পেতে তিনি ৮০ হাজার ডলারে বিড করেন। সেই বিড চলতেই থাকে। অবশেষে ৯০ হাজার থেকে একলাফে ১ লাখ ২০ হাজারে গিয়ে থামেন 'ট্রয়' তারকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্র্যাডের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি। নিলামের আরেকজন বিড করেন ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। দুর্ভাগ্যই বলতে হবে তার। সিন পেনের চ্যারিটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের জন্যে অর্থ সহায়তা জোগাড় করে। এই আয়োজন হয় জে/পি হাইতিয়ান রিলিফ অর্গানাইজেশনের জন্যে। ২০১০ সালে হাইতির ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে এই সংস্থা গড়ে ওঠে। কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক-চতুর্থাংশ শেয়ার কিনছে চীনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জ শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। আইন অনুযায়ীই সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী সোমবারই ব্লকড হিসেবে থাকা শেয়ার বিক্রির অর্থ পাচ্ছে ব্রোকারেজ হাউস। আর চীনের প্রথম সারির দুই স্টক এক্সচেঞ্জের অংশীদার হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ডিএসইর ব্লকড হিসেবে থাকা ২৫ শতাংশ শেয়ার প্রতিটি ২২ টাকা দামে কেনার প্রস্তাব করে চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ নেওয়ায় পর প্রতি শেয়ারের দাম এক টাকা করে কমে দাঁড়ায় ২১ টাকা। অর্থাৎ ২১ টাকা করে ২৫ শতাংশ বা ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ার কিনবে এই কনসোর্টিয়াম। যার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ৯৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৬ হাজার ৬২৫ টাকা। পাশাপাশি এই কনসোর্টিয়াম কারিগরি ও প্রাযুক্তিক উন্নয়নে ৩৭০ কোটি টাকা সহায়তা করবে। সব মিলিয়ে এক হাজার ২৪৬ কোটির বেশি টাকা পাবে ডিএসই। জানা যায়, ব্লকড হিসেবে থাকা ডিএসইর শেয়ারের প্রাথমিক হোল্ডার সদস্য প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউস। ডি-মিউচুয়ালাইজেন আইন অনুযায়ী যারা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারের আইনগত মালিক। কাজেই এই শেয়ার বিক্রির অর্থ ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মধ্যেই ভাগবণ্টন হবে। সেই হিসেবে প্রতি সদস্য প্রতিষ্ঠান প্রায় চার কোটি টাকা অর্থ পাবে এই শেয়ার বিক্রি থেকে। সূত্র জানায়, শেয়ার কেনার অর্থ পরিশোধ আর শেয়ার বুঝিয়ে নিতে আজ রবিবার চীনা কনসোর্টিয়ামের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসবে। পরের দিন সোমবার ডিএসইর শেয়ারের অর্থ পরিশোধ করবে। আর কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধি নিয়ে মঙ্গলবার পর্ষদ সভা করবে ডিএসই। যিনি কৌশলগত অংশীদারের প্রতিনিধি হিসেবে বোর্ড সভায় প্রতিনিধিত্ব করবে। এই সভার মাধ্যমেই শেয়ার হস্তান্তরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে শেয়ার হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়। চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে গত ২৬ আগস্ট রবিবার ব্যাংক নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টরস ঢাকা অ্যাকাউন্ট (নিটা) খোলার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই হিসাবের মাধ্যমেই কনসোর্টিয়াম বিনিয়োগের মুনাফা ও লভ্যাংশ নিয়ে যেতে পারবে আর বিনিয়োগও আনতে পারবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলে ডিএসইর শেয়ারের জন্য অর্থ পরিশোধ করবে চীনা জোট।
web
cbf83f9e9b30bf73a736b4847f41785daa8025aa
এবার ট্রেনের ভাড়ায় মিলবে বিমান যাত্রার সুযোগ! হঠাত্ করেই ঠিক হয়েছে টুর প্যান। অথচ টিকিট কাটতে গিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এ তো ওয়েটিং লিস্টের লম্বা লাইন। ভাবছেন শেষ পর্যন্ত টিকিট কনফার্ম না হলেও সফরটাই হয়তো বাতিল করতে হবে। এমন যাত্রীদের জন্য এবার সুখবর। রেলপথে না গিয়ে এবার আকাশপথেই সেই যাত্রা করতে পারেন আপনি। ওয়েব ডেক্স : হঠাত্ করেই ঠিক হয়েছে টুর প্যান। অথচ টিকিট কাটতে গিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এ তো ওয়েটিং লিস্টের লম্বা লাইন। ভাবছেন শেষ পর্যন্ত টিকিট কনফার্ম না হলেও সফরটাই হয়তো বাতিল করতে হবে। এমন যাত্রীদের জন্য এবার সুখবর। রেলপথে না গিয়ে এবার আকাশপথেই সেই যাত্রা করতে পারেন আপনি। এবার থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা যাত্রীরা কনফার্ম টিকিট ছাড়াও যাত্রা করতে পারবেন। ট্রেনের টিকিট কনফার্ম না হলেও, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ মিলতে পারে তাঁদের। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে এই মর্মে একটি চুক্তিও সাক্ষর করেছে আইআরসিটিসি। অবশ্য ওই রুটে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট থাকতে হবে। রাজধানী এক্সপ্রেসে এসি প্রথম শ্রেণীর যাত্রী যাঁদের নাম ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে তাঁদের বিকল্প হিসাবে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের টিকিট অফার করা হবে। তবে এসি-টু টিয়ার এবং এসি -থ্রি টিয়ারের যাত্রীদের এই সুবিধা পেতে দুহাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ করতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার প্রধান অশ্বিনী লোহানি। তবে, প্রথম দফায় রাজধানী এক্সপ্রেসে এই সুবিধে মিললেও পরে তা অন্য ট্রেনের ক্ষেত্রেও পাওয়া যাবে কি না তা আইআরসিটিসি-র পক্ষে এখনও জানা যায়নি।
web
1634f74bd9042543c6b727e85e254e954f900c59e4e811e43bb39bc4593b9be1
ফ্যামিলির বালবিধবাকেও যখন ভি-ডির ইনজেকশন দিতে হয় - 'প্লীজ প্রভাকর, যথেষ্ট হয়েছে।' 'ঠিক আছে, আমি থামছি। কিন্তু চোখ বুজে জীবনকে আইডিয়ালাইজ করলেই রিয়্যালিটি ক্ষমা করে না। বরং চোখ বন্ধ করে আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে যে হাঁটছে, তাকেই অন্ধকার গর্তের ভেতরে আছড়ে পড়তে হয়। লুক অ্যাট্ ইয়োর মনীষা। তুই তো ভেবেছিলি সাবেকী বাংলা উপন্যাসের নায়িকার মতো সারাটা জীবন সে তোরই ধ্যান করে কাটিয়ে দেবে, কিন্তু নতুন কোনো শাঁসালো মক্কেল জোটবার সঙ্গে সঙ্গে - 'প্রভাকর, আমার ভালো লাগছে না।' একটু রূঢ় শোনালো কথাটা। প্রভাকর থেমে গেল । 'সরি, তোর সেন্টিমেন্টে আমি ঘা দিয়েছি। কিন্তু আমি বলছিলুম, টেক্ এভরিথিং 'এভরিথিং ঈজি !' 'এগজ্যাক্টলি । মনীষা গেছে, যাক। ব্যাঙ্ক এতদিন যেমন চলছিল তেমনি চলুক - তোর কি দায় পড়েছে যে দাড়িওলা একটা মূর্তিমান বিবেকের মতো সেখানে নাক গলাতে যাস? ভিলেজ পলিটিক্স ? মরুক না কুকুরের মতো কামড়া-কামড়ি করে । তুই গাঁট হয়ে থাক এদের ভেতরে, যেদিকে হাওয়ার জোর বেশি - সেদিকে ভেসে পড়বি। আর তঙ্কে-তক্কে থাকবি, যদি ফাঁক পাস কিছু জমিজমা সস্তায় কিনে ফেলবি গ্রামের দিকে। একটা দোকানও করে ফেলতে পারিস বাজারের ভেতর - অফ-টাইমে সেখানে বসবি।' মনের ভেতর মেঘ, কিন্তু প্রভাকরের কথার ভঙ্গিতে বিকাশ হেসে ফেলল। 'এই অবস্থায় তুই ঠাট্টা করছিস?' নিজের জমি হয়েছে তোর?' 'ঠাট্টা নয়, খুব সিরীয়াসলিই বলছি। পৈতৃক কিছু অলরেডি বোধ হয় আছে এখানে। কিন্তু জ্ঞাতিরাই তো ভোগ করে থাকেন, দু-এক বস্তা ধান-চাল যে টেনে নিয়ে আসব সে যোগ্যতাও আমার নেই। আসলে ডাক্তারী করেই সময় পাই না - ওসবে মন দেব কথন ? কিন্তু তুই তো কমার্সের ছাত্র, তায় ব্যাঙ্কের চাকুরে, হিসেব-পত্তর ভালো বুঝিস, ইচ্ছে করলেই আখের গুছিয়ে নিতে পারবি।' 'উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। আজ উঠি। 'আর এক পেয়ালা চা ?' 'না, দরকার নেই, সাড়ে আটটা বাজে।' বিকাশ উঠে পড়েছিল, ঘর থেকে বেরিয়ে এল প্রভাকরের স্ত্রী অমলা। 'বাসা ভাড়া হয়ে গেছে আপনার ?' বিকাশ একবার অমলার দিকে তাকালো। সুখী, পরিতৃপ্ত। ভ্যামল মুখখানা একটা চাপা খুশিতে ঝলমল। সেই খুশির আভাতেই সিঁথের চওড়া সিঁদুরের রেখাটাও যেন ঝকমক করছে। এখানকার মেয়েরা এমন করে সিঁদুর পরে না কেউ, কিন্তু এই মেয়েটি প্রবাসিনী বলেই বোধ হয় ষোল আনা বাঙালী ঘরের বউ হতে চাইছে। ডাক্তার প্রভাকরের অনেকটাই সময় বাইরে বাইরে কাটে, কিন্তু অমলার অতৃপ্তি নেই, তার রেডিয়ো আছে, তার বাংলা উপন্যাস আছে, আর বাস্তব মানুষ প্রভাকরের সহজ স্বাভাবিক ভালোবাসা আছে । কিন্তু অমলার মুখের দিকে তাকিয়ে একটা জিনিস বোঝা গেল তৎক্ষণাৎ । সে কেন বাসা ভাড়া করতে চেয়েছিল, অমলা তা জানে। প্রভাকর নিশ্চয় মনীষার কথাটা বলেছে তাকে । একবারের জন্যে প্রভাকরকে হিংসে করতে ইচ্ছে হল তার। তারপর বললে, 'না, বাসা ভাড়া করার কথা আর ভাবছি না আপাতত।' অমলা যেন আশ্চর্য হল একটু। 'কিন্তু-লেকিন - ' 'লেকিন কিচ্ছু নেই ভাবীজী।' জোর করে হাসল বিকাশ : 'বাসা ভাড়া করতে চাইলেই কি পাওয়া যায়, না ভাড়া পেলেই তা নেওয়া যায় সব সময় ?? অমলার চোখের তারা দুটো বড় হয়ে উঠল 1 'যাঃ, আপনি দিৱাগী করছেন।' 'দিল্লাগী-টিল্লাগী বুঝি না। বাসা ভাড়া নিচ্ছি না - ব্যাস।' অমলা সন্দিগ্ধভাবে চেয়ে রইল। বিকাশ হাসতে চেষ্টা করল আবার। 'অত ঘাবড়াচ্ছেন কেন? বাসার দরকারটা যদি খুব বেশি হয়ই, তা হলে আপনার এখানেই তো এসে ওঠা যাবে। নেমন্তন্ন তো আপনি দিয়েই রেখেছেন।' 'সে তো নিশ্চয়। কিন্তু ' 'স্থা, একটা কিন্তু আছে। তার আগে বাংলাটা আরো একটু ভালো করে রপ্ত করে নিন। অত লেকিন আর দিল্লাগী চলবে না। আমি তবে - নমস্তে জী।' প্রভাকর শব্দ করে হেসে উঠল। অপ্রতিভ হাসিমুখে অমলা বললে, 'নমস্কার।' বিকাশ পথ চলল, নিজের ভাবনার সঙ্গে সঙ্গে। ভাবনারও বিশেষ কিছু নেই, কেবল নীরস অবসাদ খানিকটা। এখান থেকে চলে যাওয়া ছাড়া নিষ্কৃতি নেই তার । কিন্তু দু মাসের মধ্যেই বদলি হওয়া যাবে? গিয়ে তদ্বির করা দরকার। বলা দরকার, প্রমোশন চাই না, অফিসার হয়ে দরকার নেই, হেড অফিসে যেমন ছিলুম, তাতেই আমার সুখে কেটে যাবে। এখান থেকে চলে গেলে, এই সব বিশ্বাদ দিনগুলোও হারিয়ে যাবে আস্তে আস্তে। মিলিয়ে যাবে কানাই পাল, শশাঙ্ক নিয়োগীদের কথা - দশ বছর পরে সব কিছুকে মনে হবে কতগুলো স্বপ্নের টুকরোর মতো। শুধু ঘুঘু-সোনালি-সুবর্ণা'এই যে - ' বিকাশ চেয়ে দেখল। হেডমাস্টার কুমুদ সেনগুপ্ত। তাঁর বাসার সামনে নামছেন রিকৃশ থেকে। 'তোমাকে নাকি ঘেরাও করেছিল সব ?" আবার সেই অরুচিকর প্রসঙ্গটা। 'আজ্ঞে না - সেরকম কিছু নয়।' 'এই হয়েছে আজকাল - ঘেরাও। টেস্টে তিন সাবজেক্টে ফেল করেছে - অ্যালাউ করা হয়নি, অমনি হেডমাস্টার ঘেরাও।' বিরক্ত হতাশ মুখে কুমুদবাবু বললেন, 'বদমাস বেয়াডা ছেলেকে স্কুল থেকে টি-সি নিতে বলা হল, সঙ্গে সঙ্গে ঘেরাও। এ-সব পোলিটিক্যাল পার্টিগুলো দেশের জন্যে কী করছে জানি না। কিন্তু ছেলেগুলো তো এমনিতেই গোল্লায় যাচ্ছিল - আরো শর্টকাট দেখিয়ে দিচ্ছে তাদের।' রাজনীতির আলোচনায় বিকাশের উৎসাহ ছিল না। সে দেখছিল, রিক্শ বোঝাই একরাশ পুরোনো বই । রিক্শওলা তার কিছু কিছু করে এক একবারে দিয়ে আসছিল হেডমাস্টারের বাইরের ঘরে। বইগুলো থেকে ধূলোর গন্ধ, পুরোনো চামড়ার গন্ধ। তার চেয়েও বড় কথা এ-সব বই মাত্র এক জায়গায় থাকতে পারে, সেই একটি ধরে। সেখানকার মানুষটা আজ এ-সব বই পড়তে ভুলে গেছে - মধ্যে মধ্যে পাতাগুলো ছিড়ে টুকরো টুকরো করে, অথচ বইগুলো সম্পর্কে যার অদ্ভুত মমতা। আবছা আলোয় দেখা যাচ্ছিল না, তবু বিকাশ নিশ্চয় জানে মোটা মোটা বাঁধানো বইগুলোর পেছনে সোনার জলে লেখা আছে পি. কে. নিয়োগী - প্রদ্যোতকুমার নিয়োগী। হেডমাস্টার বলছিলেন, 'যদি প্রদীপ মুস্তফির কথা বলো, আমার স্কুলেই তো ছাত্র ছিল সে। বুঝলে, আগে বেশ বিনীত আর ভক্তিমান ছিল, লেখাপড়ায় মন্দ ছিল না। কিন্তু কলকাতায় পড়তে গিয়েই - ' 'এই বইগুলো শশাঙ্ক কাকার মেজদার-না?' সেদিন এসাইক্লোপিডিয়াগুলো সম্পর্কে হেডমাস্টারের কোনো সংকোচ ছিল না, কিন্তু আজ এই আকস্মিক প্রশ্নটায় প্রায় চমকে উঠলেন তিনি। 'এই মানে - ' 'নিজেই দিলেন ?" 'তা কি আর দেয় ? পাগলের খেয়াল - আমাকে তো দেখলেই তেড়ে আসে। তাই অন্যভাবে যোগাড় করে আনতে হল। কী করা যায় বলো, এক একটা বই এমন রেয়ার যে হাজার টাকা দিলেও পাওয়া যায় না। অর্থাৎ নিজেও তো হিস্ট্রির লোক - বুঝি এ-সবের কদর।' 'আনলেন কী করে?' 'শশাঙ্কবাবু হেলপ, করেন। উনি - মানে - ' একটা বিরূপ মন্তব্য সামলে নিয়ে হেডমাস্টার বললেন, 'যদিও একটু বৈষয়িক লোক, তা হলেও এ-সব ব্যাপারে বেশ রিজনেবল।' নিঃসন্দেহে রিজনেবল শশাঙ্ক কাকা - বিকাশ ভাবল। আরো টাকার গন্ধ আছে যেখানে । অপ্রতিভভাবে হেডমাস্টার বললেন, 'লোকটা ভালো ছাত্র ছিল একসময়, পড়াশোন। করত, কিন্তু এখন তো মগজে গাঁজার ধোঁয়া ছাড়া আর কিছু নেই। দিনের পর দিন কেবল ধ্বংস হচ্ছে বইগুলো। এভাবে ছাড়া এগুলো বাঁচাবার রাস্তা নেই কোনো, সে তো বুঝতেই পারছ।' 'আজ্ঞে ই। তা বটে।' হেডমাস্টারের যুক্তির প্রতিবাদ করার কিছু নেই। বইগুলোর দুর্গতি তো নিজের চোখেই দেখেছে সে। বিকাশ বললে, 'আচ্ছা প্যার, আসি।' 'ভালো কথা। আমার সায়ান্স টীচারের কোনো খবর পেলে ?' কলকাতায় গিয়ে দিনগুলো কিভাবে যে তার কেটেছে কুমুদবাবুকে সে-সব বলা যায় না। ও-কথাটা তার মনেই ছিল না। 'আমি খোঁজ করছি স্যার।' 'কোরো কোরো। আমি হয়রান হয়ে যাচ্ছি।' 'আমি দেখব স্যার।' বিকাশ এগিয়ে চলল। তবু ভালো যে হেডমাস্টার মনীষার চাকরির কথাটা আর তোলেননি । মনীষার কথা মনে হলেই যন্ত্রণা। জোর করে ভাবনাটাকে ঠেলে সরিয়ে দিলে বিকাশ। তার জায়গায় মেজদা এসে দাড়ালো। ওই পাগলকে দেখলে বিকাশের যে খুব একটা আনন্দ জাগে, তা নয়। এখানে আসবার সঙ্গে সঙ্গে ওই মেজদাই তার মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। তারপর যেভাবে সেদিন গলা টিপে ধরতে এসেছিল, তাতেও মেজদাকে ভালো লাগবার বিন্দুমাত্র কারণ নেই। কাকিমার মমতা আছে মেজদার জন্যে। সুজুর চোখেও জল আসে, কিন্তু ও লোকটা ওই বাড়িতে না থাকলেই বিকাশ খুশি হত।
pdf
eca4082b3fc838953bcaf686a864289788b431bb
লক্ষ্যে অবিচল। কর্মে সফল। সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বিপুল জনাদেশ পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banarjee) দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী (Anti Incumbency) হাওয়ার পরও এই বিরাট জয় অনেকেই অবাক করেছে। সব হিসেব ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পর্বের শুরু থেকে প্রথমদিন যে কয়েকজন ব্যক্তি তৃণমুলের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে একেবারে শীর্ষে থাকবেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) । ভারতীয় রাজনীতিতে যিনি পিকে (PK) নামেই জনপ্রিয়। রাজনৈতিক মহলের অনেকের দাবি, তৃণমূলের এই জয়ের পিছনে তাঁর অবদানও কম নয়। গত ২ মে ভোটের ফলাফলের পর ভোট কৌশলী পিকে ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের (I-PAC) সমস্ত কর্মীরা একমাসের ছুটিতে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে, ফের তৃণমূলের জন্য কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে আইপ্যাক। ভোটে তৃণমূলের জয়ের জন্য বাংলার প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি বিধানসভা, প্রতিটি ব্লকে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল দু'বছর ধরে কাজ করেছিল। এবং পেশাদারিত্ব দেখিয়ে লক্ষ্যে অবিচল টিম পিকে। কর্মে সফল আইপ্যাক। আগামী শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের সাংগঠনিক বৈঠকের পর পিকের টিমের নতুন ভূমিকার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগের পর প্রশান্তের লক্ষ্য ছিল নবান্নের ১৪ তলায় ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর কৌশল ঠিক করা। সেই লক্ষ্যে তিনি সফল। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের দাবি, এবার দিল্লির রাজনীতিতে মমতা ও তৃণমূলকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলা। "মিশন বাংলা-২০২১" -এর পর এবার "মিশন দিল্লি-২০২৪"। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেন প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত 'দিদিকে বলো', 'বাংলার গর্ব মমতা', 'দুয়ারে সরকার', 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়'-র মতো কর্মসূচিগুলি সুপার হিট। এবার পিকের নতুন মন্ত্র নিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কতটা প্রভাব ফেলবে সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।
web
854cacad4327e381351e5a83f4e7a342b119365280d6c46500ecdce062c1849c
বিষয় চিন্তা মাথায় কত প্রশ্ন আসে, দিচ্ছে না কেউ জবাব তার, সবাই বলে 'মিথ্যে বাজে বকিস নে আর খবরদার! অমনধারা ধমক দিলে কেমন করে শিখব সব ? বলবে সবাই 'মুখ্যু ছেলে', বলবে আমায় 'গো-গর্দভ' । কেউ কি জানে দিনের বেলায় কোথায় পালায় ঘুমের ঘোর ? বর্ষা হলেই ব্যাঙের গলায় কোত্থেকে হয় এমন জোর ? গাধার কেন শিং থাকে না ? হাতির কেন পালক নেই ? গরম তেলে ফোড়ন দিলে লাফায় কেন তা ধেই-ধেই ? সোডার বোতল খুললে কেন ফসফসিয়ে রাগ করে ? কেমন করে রাখবে টিকি মাথায় যাদের টাক পড়ে ? ভূত যদি না থাকবে তবে কোত্থেকে হয় ভূতের ভয় ? মাথায় যাদের গোল বেধেছে তাদের কেন 'পাগোল' কয় ? কতই ভাবি এ-সব কথা, জবাব দেবার মানুষ কই ? বয়স হলে কেতাব খুলে জানতে পাব সমস্তই । হোক না কেন যতই কালো, এমন ছায়া নাই রে নাইলাগলে পরে রোদের আলো পালায় না যে আপনি ভাই। শুষ্ক মুখে আঁধার ধোঁয়া কঠিন হেন কোথায় বল, লাগলে যাতে হাসির ছোঁয়া আপনি গলে হয় না জল ? যে আনন্দ ফুলের বাসে, যে আনন্দ পাখির গানে, যে আনন্দ অরুণ আলোয়, যে আনন্দ শিশুর প্রাণে, যে আনন্দে বাতাস বহে, যে আনন্দ সাগর জলে, যে আনন্দ ধূলির কণায়, যে আনন্দ তৃণের দলে, যে আনন্দে আকাশ ভরা, যে আনন্দ তারায় তারায়, যে আনন্দ সকল সুখে, যে আনন্দ রক্তধারায়, সে আনন্দ মধুর হয়ে তোমার প্রাণে পড়ুক ঝরি, সে আনন্দ আলোর মতো থাকুক তব জীবন ভরি ।। JENO ORE বসি বছরের পয়লা তারিখে মনের খাতায় রাখিলাম লিখে 'সহজে উদরে ঢুকিবে যেটুক, সেইটুকু খাব, হব না পেটুক।' মাস দুই যেতে খাতা খুলে দেখি এরি মাঝে মন লিখিয়াছে এ কি । লিখিয়াছে, 'যদি নেমন্তন্নে কেঁদে ওঠে প্রাণ লুচির জন্যে, উচিত হবে কি কাঁদানো তাহারে ? কিংবা যখন বিপুল আহারে, তেড়ে দেয় পাতে পোলাও কালিয়া পায়েস অথবা রাবড়ি ঢালিয়া - তখন কি করি, আমি নিরুপায় ! তাড়াতে না পারি, বলি আয়, আয়, ঢুকে আয় মুখে দুয়ার ঠেলিয়া উদার রয়েছি উদর মেলিয়া !" er der ste
pdf
2401bbc7133614010cbabfadee5e81517c786093
বাংলাদেশে আঘাত হানার পূর্বে পশ্চিমবঙ্গে রীতিমতো তাণ্ডবলীলা চালায় ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'। এখন পর্যন্ত সেখানে ৪ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুর থেকে রোববার ভোররাত পর্যন্ত এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কলকাতার বালিগঞ্জে শনিবার দুপুরে গাছের ঢাল ভেঙে পড়ে সোহেল শেখ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। এরপর রাতে বাড়ির ছাদে গাছ ভেঙে পূর্ব মেদিনীপুরের খেদামবাড়ি এলাকায় এক তরুণীর মৃত্যু হয়। তীব্র ঝড়ো বাতাসে দক্ষিণ চব্বিশপরগনা জেলার বকখালির সমুদ্র উপকূলীয় নোদাখালিতে অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার বসিরহাটের গোপনা এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে রেবা বিশ্বাস (৪৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। এদিকে, রাজ্যটির উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা সমূহে ভয়ংকরভাবে ধ্বংসলীলা চালায় 'বুলবুল"। এতে ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন ঘরবাড়ি, দোকানপাট। তলিয়ে গিয়েছে বহু ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল স্টেশনসহ বহু স্থাপনা। ঘুর্ণিঝড় 'বুলবুলের' প্রভাবে ভারতের উরিষ্যা রাজ্যেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world. 360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world. Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.
web
f1fec282e433094bb1b4066988277847dcde88cf9d0df8a91547a039ebd689bb
ঘাঁটির কমান্ডার মেজর জেনারেল দিলীপ চৌহানকে ডেকে দাও। উত্তরে কিছু না বলে যোগাযোগ আবার বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এরপর আর সময় নষ্ট না করে স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীকে চরস দ্বীপে সামরিক অভিযান চালাবার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো। আর ঠিক তখন থেকেই শুরু হলো আসল বিপদ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিন বাহিনীর হেডকোয়ার্টারকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে প্রস্তুতি গ্রহণ শেষ হওয়ামাত্র রিপোর্ট করতে হবে। কিন্তু রিপোর্ট আসতে অস্বাভাবিক দেরি হচ্ছে। তাগাদার পর তাগাদা দেয়া হলো, কিন্তু নানা অজুহাত খাড়া করে প্রস্তুতি নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। প্রথমে সামরিক প্রস্তুতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলো। পরামর্শ দিয়ে বলা হলো নিজেদের ঘাঁটি নিজেদের লোকজনই যখন দখল করে নিয়েছে তখন হামলা না করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত । এই সময় চরস দ্বীপ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করল শয়তান উপাসকদের নেতা শাহ বকশী। সে জানাল চরস মিসাইল ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে তারা, বিভিন্ন পাল্লার একশো বাহাত্তরটা মিসাইল এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। এরপর সে একটা তালিকা দিল - এগুলো সে মিসাইল ছুঁড়ে ধ্বংস করেছে-একটা করে ভারতীয় ও বাংলাদেশী যাত্রীবাহী প্লেন, শ্রীলঙ্কার জন্যে জ্বালানী তেল বহনকারী একটা সুপারট্যাংকার, ভারতীয় নৌ-বাহিনীর দুটো উদ্ধারকারী জাহাজ, ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাঁচটা রেসকিউ হেলিকপ্টার। তালিকায় আরও আছে পাকিস্তানের একটা যাত্রীবাহী প্লেন, পাকিস্তান এয়ারফোর্সের এক ঝাঁক ফাইটার জেট, শ্রীলঙ্কার একটা কার্গো প্লেন ইত্যাদি; কিন্তু মিসাইলে ত্রুটি থাকায় এগুলো রক্ষা পায় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করল শাহ বকশী। তারপর জানাল, চরস দ্বীপের চারপাশে একশো কিলোমিটার পর্যন্ত আকাশকে 'নো ফ্লাই জোন' হিসেবে ঘোষণা করেছে সে। ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান, সার্কভুক্ত এই সাতটা দেশের প্লেন তার ঘোষিত নো ফ্লাই জোনের ভেতর দেখা মাত্র মিসাইল ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হবে। চরস দ্বীপের চারপাশে একশো কিলোমিটার পর্যন্ত সাগরও সবার জন্যে নিষিদ্ধ এলাকা, অনুমতি ছাড়া ভেতরে ঢুকলে যে-কোন জলযানকে সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল ছুঁড়ে ডুবিয়ে দেয়া হবে। শাহ বকশী এরপর তার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করল। সে তার নিজের প্রবর্তিত ধর্মের নাম দিয়েছে দাঁড়িপাল্লা। তার তত্ত্ব হলোঃ মানুষের পাপ ও পুণ্যের মধ্যে ব্যালেন্স বা ভারসাম্য নেই বলেই দুনিয়ায় এত বিশৃংখলা ও অশান্তি বিরাজ করছে। সব ধর্মের লোক তাদের ঈশ্বর বলতে অজ্ঞান, ঈশ্বরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ; কিন্তু ঈশ্বর যে-পথে চলতে বলেন সে-পথে খুব কম লোকই চলছে। এখানে অসঙ্গতিটা স্পষ্ট। তেমনি শয়তানকে নিয়েও এক ধরনের প্রহসনে মেতে আছে মানুষ। শয়তানের ক্ষমতা ঈশ্বরের সমান হলেও, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম যারা শয়তানের উপাসনা করে, অথচ শয়তানের প্রদর্শিত পথে থাকতে কারুরই কোন আপত্তি নেই। এখানেও অসঙ্গতি প্রকট। এই অসঙ্গতি দূর করে তার নতুন ধর্ম দাঁড়িপাল্লা দুনিয়ার বুকে শান্তি ও শৃংখলা স্থাপন করবে। তার পরামর্শ হলো, ঈশ্বরের উপাসনা কমিয়ে আনতে হবে, বাড়াতে হবে শয়তানের আরাধনা। শুধু এভাবেই ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব। সে তার ধর্ম প্রচার করার জন্যে অগ্নিউপাসক পারসীদের বেছে নিয়েছে। তার মতে, ভারতে পারসীরা নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে যারা দাঁড়িপাল্লাকে নতুন ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করছে তাদের ওপর অন্য ধর্মের লোকজন ও পুলিস অত্যাচার চালাচ্ছে। তাই পারসীদের জন্যে আলাদা, স্বাধীন একটা আবাসভূমি চায় সে। পারসীদের এই স্বাধীন রাষ্ট্রের মানচিত্র কি হবে তাও জানিয়ে দিয়েছে। ভারত সরকারকে সাতদিন সময় দিয়েছে শাহ বকশী। এর মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে দিল্লি, ইসলামাবাদ, ঢাকাসহ সার্কের সাতটা দেশের রাজধানীকে তার মিসাইলের টার্গেট করা হবে। এর কারণ হিসেবে সে জানিয়েছে, সার্কের ছ'টা দেশ চাপ সৃষ্টি করলে ভারত তার দাবি দ্রুত মেনে নিতে বাধ্য হবে। স্বাধীন আবাসভূমি ছাড়াও আরেকটা দাবি আছে শাহ বকশীর। নতুন ধর্মের প্রচার ও প্রসার এবং নতুন রাষ্ট্রের খরচ চালাবার জন্যে কিছু টাকা তার দরকার। বেশি নয়, ভারতীয় মুদ্রায় সাত হাজার কোটি রুপি পেলেই আপাতত কাজ চালিয়ে নেবে সে। এই টাকা ভারতকে একা দিতে হবে না। খুশি হয়ে সাতটা দেশ চাঁদা দেবে তাকে। রাষ্ট্রপ্রতি এক হাজার কোটি রুপি করে চাঁদা ধার্য করা হয়েছে। এ-ব্যাপারে বাকি ছ'টা রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এই পর্যায়ে বিসিআই চীফ রাহাত খান ও আইএসআই চীফ ইউসুফ হায়দার জানালেন- হ্যাঁ, চরস দ্বীপ থেকে পাঠানো শাহ বকশীর ফ্যাক্স বার্তা ঢাকা ও ইসলামাবাদে পৌঁছেছে। রাষ্ট্র প্রতি এক হাজার কোটি রুপি যোগাড় করে রাখতে বলা হয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যে পরবর্তী নির্দেশে জানানো হবে টাকাটা কিভাবে গ্রহণ করবে শাহ বকশী। চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। ওদিকে খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রবল চাপে অগত্যা ভারতীয় স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর হেডকোয়ার্টার থেকে বলা হলো, চরস দ্বীপে সামরিক অভিযান চালাবার জন্যে এখন তারা প্রস্তুত, তবে সেই সঙ্গে এটাও ভেবে দেখতে অনুরোধ করল-দ্বীপটায় যে মিসাইল আছে সেগুলোকে এড়িয়ে কোন সফল হামলা চালানো আদৌ সম্ভব কিনা। বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং উড়িয়ে দেয়ার সাত ঘণ্টা পর চরস দ্বীপ পুনর্দখলের জন্যে প্রথম সামরিক অভিযান চালানো হয়। এতে অংশগ্রহণ করে তিনটে যুদ্ধ জাহাজ, ছ'টা হেলিকপ্টার গানশিপ, তিনটে বোমারু ও পাঁচটা ফাইটার জেট। অদ্ভুত ও অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ভারতের এই সামরিক অভিযান শাহ বকশী একটা মিসাইল না ছুঁড়েও পুরোপুরি ব্যর্থ করে দেয়। ফ্রিগেট শ্রেণীর তিনটে যুদ্ধজাহাজ নৌ-ঘাঁটি থেকে রওনা হয়ে পঞ্চাশ কিলোমিটারও যেতে পারেনি, অচল হয়ে সাগরে দাঁড়িয়ে পড়ে। একটার এঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়, দ্বিতীয়টার খোল লিমপেট মাইনের বিস্ফোরণে উড়ে যায়, তৃতীয়টার ফুয়েলে বালি পাওয়া যায়। বোমারু ও জেটগুলো আকাশে ওঠার পর পরই পাইলটরা গ্রাউন্ড কন্ট্রোলকে জানায়, তাদের সিটের নিচে থেকে সাদা রঙের গন্ধহীন ধোঁয়া বেরুচ্ছে। কেউই তার মেসেজ শেষ করতে পারেনি, জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পাঁচটা ফাইটার আর তিনটে বোমারুর কি পরিণতি হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না-সবগুলো সাগরে পড়ে ডুবে গেছে। এরপর, বলাই বাহুল্য, হেলিকপ্টার গানশিপগুলো ভয় পেয়ে ঘাঁটিতে ফিরে আসে । প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরী মীটিঙে বসল। তিন বাহিনীর বোম্বে ঘাঁটি থেকে হামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল, কাজেই ধারণা করা হলো ঘাঁটিগুলোতে শাহ বকশীর অনুসারী অফিসাররা এই স্যাক্টাজের জন্যে দায়ী। দ্বিতীয় হামলার প্রস্তুতি নেয়া হলো অত্যন্ত গোপনে, ভারতের আরেক প্রান্ত থেকে-ত্রিবান্দ্রাম নৌ-ঘাঁটি থেকে রওনা হবে দুটো ফ্রিগেট, বাঙালোর এয়ারবেস থেকে আকাশে উঠবে তিনটে বোমারু ও চারটে ফাইটার। শাহ বকশী এবারও জাদুবলে জিতে গেল। বোমারু ও ফাইটারগুলো বাঙ্গলোরের আকাশে উঠতেই পারল না, রানওয়ে ধরে ছোটার সময় ভেঙে পড়ল চাকা। বিস্ফোরণ, আগুন, ধোঁয়া ও আতংক ছড়িয়ে পড়ল এয়ারবেসে। ফ্রিগেটগুলোও ত্রিবান্দ্রাম নৌ৩৮ ঘাঁটি থেকে রওনা হতে পারল না, ওগুলোর এঞ্জিনরূমে বিস্ফোরণ ঘটল-দায়ী সম্ভবত টাইমবোমা। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে তিন বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকলেন কৈলাস জাঠোর। শাহ বকশীর বিরুদ্ধে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম সামরিক অভিযান সম্পর্কে বিশদ কিছু জানাতেও রাজি হলেন না। শুধু বললেন, এ অভিযানগুলোয় ভারতের বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সবগুলো অভিযানই ব্যর্থ হয়-একটি বারও চরস মিসাইল ঘাঁটিতে আঘাত হানা সম্ভব হয়নি। মাঝ থেকে ভারতীয় নৌ-বাহিনী দুটো সাবমেরিন হারিয়েছে। ভারত সরকার উপলব্ধি করতে পারল শাহ বকশীর হাত কতটা লম্বা। সামরিক বাহিনীর ওপর ভরসা রাখা যাচ্ছে না, কারণ এটা এখন নিঃসন্দেহে প্রমাণিত যে প্রতিটি ঘাঁটিতে তার ভক্ত বা বেতনভুক লোকজন বসে আছে। একই অবস্থা ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলোরও। একটা দেশের জন্যে এরচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা আর কিছু হতে পারে না। আজ সকালে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হবে, কিন্তু তাতেও অবস্থা সামাল দেয়া যাবে কিনা সন্দেহ। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের সামনে একটা পথই খোলা আছে-তা হলো, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাহায্য চাওয়া । তবে এ-ব্যাপারেও সংশয় আছে প্রয়োজনীয় সাহায্য আদৌ পাওয়া যাবে কিনা। এখনকার এই ঢাকা বৈঠকে সার্কের সবগুলো দেশকে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া আর কোন সদস্য রাষ্ট্র আসতেই চায়নি, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে গেছে। ভারত সরকার ধারণা করছে, এখানেও শাহ বকশীর হাত থাকা বিচিত্র নয়। সবশেষে কৈলাস জাঠোর বললেন, ভারতের সাহায্যের আহ্বানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সাড়া দেয় কিনা এটাই এখন দেখার বিষয় । কথা না বলে সোফা ত্যাগ করলেন রাহাত খান। হাতের চুরুটটা অ্যাশট্রেতে গুঁজে রেখে ডান হাতটা নিঃশব্দে বাড়িয়ে দিলেন কৈলাস জাঠোরের দিকে। আসন ত্যাগ করে তাঁর সেই হাত পরম নির্ভরতার সঙ্গে চেপে ধরলেন আইএসএস চীফ । দেখা গেল আইএসআই চীফ ইউসুফ হায়দারও তাঁর ডানহাত বাড়িয়ে দিয়ে নিঃশব্দে অপেক্ষা করছেন, তবে চেপে রাখার চেষ্টা করলেও তাঁর মনের উল্লাস চোখের তারায় ফুটে উঠল। ব্যাপারটা রাহাত খানের দৃষ্টি এড়াল না। তাঁর মনে হলো, কোন গোপন ষড়যন্ত্র সফল হলেই শুধু কারও চোখের তারায় এরকম অশুভ ও নোংরা আলো ফুটতে পারে। প্রথম শত্রু হয়ে দাঁড়াল প্রকৃতি; পনেরো হাজার ফুট ওপর থেকে নিচে তাকিয়ে সাগরের চিহ্ন পর্যন্ত দেখতে পেল না মাসুদ রানা, নিশ্ছিদ্র ঘন কুয়াশায় সব ঢাকা পড়ে আছে। পশ্চিম দিগন্তে হারিয়ে যাচ্ছে সূর্য, একটু পরই চারদিক অন্ধকার হয়ে যাবে। পাকিস্তান এয়ারফোর্সের এটা একটা ছোট্ট টু-সিটার রিকনিসন্স প্লেন, করাচী থেকে রওনা হয়ে ঘুর পথ ধরে গালফ অভ ওমানের ওপর দিয়ে চলে এসেছে চরস দ্বীপের একশো মাইল দক্ষিণে। প্যারাশুট নিয়ে এখানেই কোথাও নামবে রানা, সাগরে ওর পাশেই ফেলা হবে একটা বোট। বোট না বলে ছোট্ট একটা
pdf
fb8dc850397bd50f7bd90a28c8e612cf9261e5ad
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতায় সেনাবাহিনী ও সরকারের পক্ষে কথা বলায় একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছেন দেশটির এক সুন্দরী। ১৯ বছর বয়সী শোয়ে ইয়ান শি গত ২৪ সেপ্টেম্বর তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তিনি রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসাকে দায়ী করেন। ভিডিওতে শি বলেন, সুন্দরী প্রতিযোগিতার একজন প্রতিযোগী হিসেবে তার দায়িত্ব শাস্তির পক্ষে কথা বলা। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কোকোনাটস ইয়াঙ্গুন এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে। ভিডিওটির শুরুতেই শি বলেন, 'সম্প্রতি আমাদের দেশের রাখাইন রাজ্যে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমার মতামত জানতে চান সাধারণ মানুষ। ' আর সে কারণেই নিজের দায়িত্ববোধ থেকে এই ভিডিও পোস্ট করেন এই সুন্দরী। ভিডিওতে রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে নিজের মত তুলে ধরেন শি। সেখানে তিনি আরসাকে ইসলামী সম্প্রসারণবাদী আন্দোলন হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এটি প্রতারণা করে আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যম ও সুশীল সমাজের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর চালানো হামলাকে শিউ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলেও মনে করেন। মিয়ানমারের এই তরুণী বলেন, খিলাফত ধরনের আন্দোলন করে গত মাসে আরসা হামলা চালায়। অথচ তারা এবং তাদের মিত্ররা বিষয়টি এমনভাবে প্রচার করছে যাতে মনে হচ্ছে উল্টো তারাই নির্যাতিত হয়েছে। শির এই বিবৃতিতে কোথাও বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের কথা উল্লেখ নেই। অবশ্য অং সান সু চি যে দেশটিতে জাতিসংঘের সত্য অনুসন্ধানী দলকেও প্রবেশ করতে দেননি সে সম্পর্কেও কিছু বলেননি শি ইয়ান। ১ অক্টোবর (রবিবার) মিস ইউনিভার্স মিয়ানমারের খেতাব জেতা এই সুন্দরী জানান, তার এই ভিডিওটি প্রতিযোগিতার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। তাই আগামী ৫ থেকে ২৬ অক্টোবর ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছেন না তিনি। ব্যাংকক ভিত্তিক মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধ বন্ধ করা। এদিকে, প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েও দেশের জনগণের একাংশের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন শোয়ে ইয়ান শি। জনগণের এই অংশটিরও ধারণা যে রাখাইন রাজ্যে যা হচ্ছে তা কেবলই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। তারা ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোয়ে ইয়ানের পক্ষ নিয়েই কথা বলছে।
web
197ccbf7a6a42242b454e415a4b3692916b724a9
ঈদ নাটক "আনোয়ারা মনোয়ারা" নিয়ে আসছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) এর ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী উল্লাহ। ঈদের দ্বিতীয় দিন দ্বীপ্ত টেলিভিশনে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটকটি। নাটকটির গল্পের লেখক মেহেদী উল্লাহ। এটি তার লেখা প্রথম নাটক। নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন ইকবাল হাসান খান এবং প্রযোজনা করেছেন শাহরিয়ার শাকিল। অভিনয়ে উল্লেখযোগ্য দের মধ্যে রয়েছে তাসনুভা তিশা এবং শাহনাজ খুশি।নাটকটি বাস্তবায়নে কাজ করছে মনপাচিত্র। এছাড়াও নাটকটিতে ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার হিসেবে রয়েছেন অভিনয় শিল্পী মনোজ প্রামাণিক। যিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুলইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক।
web
012269be5ad303b03e6b49e074d53f52b7df70c2
বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ জেরেমি ওয়াইজ, বেন ওয়াইজ ও বিউ ওয়াইজ। তিনজন আপন ভাই। মার্কিন সামরিক বাহিনীর হয়ে আফগান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তারা। তবে সেখান থেকে কেবল বিউ ওয়াইজ জীবিত ফিরে আসতে পেরেছিলেন। বাকি দুই ভাই যুদ্ধে নিহত হন। আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন বেন ওয়াইজ। আর জেরেমি ওয়াইজ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এজেন্সি ঘাঁটিতে তালেবানের আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। জেরেমি ওয়াইজ ছিলেন সাবেক মার্কিন নেভি সিলের সদস্য, যিনি পরবর্তীতে সিআইএ ঠিকাদার হন। ২০ বছর পর তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আফগান যুদ্ধ বেঁচে ফেরা সাবেক মার্কিন মেরিন সার্জেন্ট বিউ ওয়াইজ। সম্প্রতি তালেবানের কাবুল দখল করার দৃশ্য ঘরে বসে টেলিভিশনে দেখেছেন ৩৭ বছর বয়সী বিউ ওয়াইজ। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিউ ওয়াইজ বলেন, তালেবান আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী। টেলিভিশন দেখে আমি আতঙ্কিত, কেবল যা ঘটেছে তা নয় বরং আগামীর পরিস্থিতি নিয়েও।
web
2396beefc1869be81ae6b9a0be7feb9b0e6b0550
জানলে ধর্মঘটে যোগ দিতেন মাশরাফিও! বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ১১ দফা দাবিতে যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, তাতে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা কেন ছিলেন না, নানা তরফ থেকে এই প্রশ্ন ওঠার পর তিনি নিজেই বলছেন, ক্রিকেটারদের এই উদ্যোগ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না তিনি, থাকলে অবশ্যই যোগ দিতেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। মাশরাফি, যিনি জাতীয় দলের অধিনায়কের পাশাপাশি সরকার-দলীয় একজন সংসদ সদস্যও, তিনি সোমবার সন্ধেবেলায় টেলিফোনে বিবিসিকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছিলেন, তিনি ক্রিকেটারদের ধর্মঘট নিয়ে কথা বলতে চান না। "যখন ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবো তখন ক্রিকেটের কথা, এখন নয়। এখন এই বিষয়ে কোনো কথা বলবো না। " বিবিসির ক্রীড়া সংবাদদাতা রায়হান মাসুদকে তিনি আরো বলেছিলেন, "বিশ্বকাপের পরে আর ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছিনা আমি, আবার যখন ফিরবো তখন কথা হবে। " কিন্তু ফেসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি স্পষ্টতই অনুযোগ করছেন, আন্দোলনকারী সতীর্থরা তাকে অন্ধকারে রেখেছিলেন। মাশরাফি লিখছেন, "অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, দেশের ক্রিকেটের এমন একটি দিনে আমি কেন উপস্থিত ছিলাম না। আমার মনে হয়, প্রশ্নটি আমাকে না করে, ওদেরকে করাই শ্রেয়। এই উদ্যোগ সম্পর্কে আমি একদমই অবগত ছিলাম না"। "নিশ্চয়ই বেশ কিছু দিন ধরেই এটি নিয়ে ওদের আলোচনা ছিল, প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। সংবাদ সম্মেলন দেখে আমি ওদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পেরেছি"। স্ট্যাটাসে মাশরাফি আরো লেখেন, "ক্রিকেটারদের নানা দাবির সঙ্গে আমি আগেও একাত্ম ছিলাম, এখনও আছি। আজকের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারলে অবশ্যই আমি থাকতাম"। "আমার ঊপস্থিত থাকা কিংবা না থাকার চেয়ে, ১১ দফা দাবি বাস্তবায়িত হওয়াই বড় কথা। সবকটি দাবিই ন্যায্য, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের মঙ্গলের জন্য জরুরী। আমি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ১১ দফা দাবি শান্তিপুর্ন ভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার পক্ষে আছি, থাকব"।
web
00f97f108eae7553b118fc1e11e089fb
আগন্তুক হেকিমের সাথে বাদশাহর সাক্ষাতের দৃশ্যটি বড় চমৎকার। বাদশাহ বলছেন যে, আমি যেন আপনার জন্যই পাগল হয়েছিলাম। আমার প্রেমানন্দ দাসী নয়, আপনি। তবে আল্লাহ একটার উসিলায় আরেকটা মিলান। এটিই দুনিয়ার নিয়ম। কাজেই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টায় কেউ যেন কখনো হতাশ না হয়। হেকিমকে সম্বোধন করে বাদশাহ বলেন, আপনাকে পেয়ে আজ আমি বড়ই ধন্য। এই হেকিম আসলে আল্লাহর অলি, আধ্যাত্মিক কবিরাজ। মওলানা এই সূত্রে অলি-আল্লাহর গুণ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেন। বলেন যে, তাঁদের দর্শন লাভই মানুষের হাজারো সমস্যার সমাধান। বাদশাহ হেকিমকে রোগীর কাছে নিয়ে যান। হেকিম বলেন যে, বাড়ির ভেতর বাহির থেকে সব লোককে সরে যেতে হবে। হেকিম বুঝতে পারেন, এই রোগী সাধারণ রোগী নয়; প্রেমের রোগে আক্রান্ত হয়েছে দাসী। প্রেম ও 'এশ্ক্'-এর প্রসঙ্গ আসতেই তা মওলানার চিন্তাকে আলোড়িত করে। তিনি প্রেমের পরিচয় বর্ণনায় কয়েকটি বয়েত রচনা করে বলেন, সেটিই আসল প্রেম যা মানুষের আত্মিক পূর্ণতা আনে এবং মানুষকে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। তবে আল্লাহর রহস্য দর্শনের অনুবীক্ষণযন্ত্ররূপী প্রেম এত ব্যাপক-বিশাল ও অবর্ণনীয় যে, তা ভাষা-বর্ণনা ও লিখনির আয়ত্তে আনা যায় না। কেননা, যে কোনো বর্ণনা ও সংজ্ঞা সেই অর্থ ও আকৃতিকেই প্রকাশ করে, যা মানুষের মনের আয়ত্তাধীন। কারণ, মানব মনে আয়ত্তাধীন না হলে তা ভাষায় ও বর্ণনায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কেউ প্রকাশের চেষ্টা করার অর্থ হবে সেই বিষয়কে আরো অধিক অস্পষ্ট ও আচ্ছন্ন করা। কাজেই প্রেমকে দিয়েই প্রেমকে চেনা উচিত। ঠিক সূর্যের আলোর মতো। আলো দিয়েই সূর্যকে চেনা যায়। অবশ্য ছায়া দিয়েও সূর্যকে চেনা যায়, কিন্তু ছায়া তো সেখানেই থাকে, যেখানে সূর্যের আলো থাকে না। সূর্যের প্রসঙ্গ আসাতে মাওলানার মন চলে গেল আরেক সূর্যের দিকে। সূর্য ফারসিতে খুরশীদ, আরবিতে শামস। এই শামস আসমানের নয়, মওলানার হৃদয়-আকাশের। শামসে তাবরিযী। তাবরিযের সূর্য। শামসে তাবরিযী হলেন নূরে হক। এখানে এসে মওলানা প্রেমের আতিশয্যে কোনো কথা বলতে অপারগ, নির্বাক। কাজেই সেই প্রেমের আলেখ্য অন্য সময়ে ন্যস্ত করেন। বন্ধুরা বারবার অনুরোধ করেন শামসে তাবরিযীর প্রেমের রহস্য বর্ণনার জন্য। কিন্তু মওলানা ফিতনা ও রক্তপাতের আশংকা করেন। তাই মুখ বন্ধ করে ফিরে আসেন আসল গল্পে। আগন্তুক হেকিম দক্ষ মনোবিজ্ঞানীর মতো ধীরে ধীরে বিনম্র ভাষায় বাঁদীর সাথে আলাপ জমান। মনে কোনো সন্দেহ জাগার সুযোগ না দিয়ে দাসীর অতীত জীবনের নানা কথা জিজ্ঞেস করেন : কোথায় তার বাড়ি, আত্মীয়-স্বজন, চেনা-জানা কারা? কোথায় কোথায় ছিল? তিনি একেক শহরের নাম নেন আর হাতের শিরার দিকে লক্ষ্য রাখেন। হেকিম যখন সমরকন্দ নামোল্লেখ করলেন লক্ষ্য করলেন, দাসীর শিরার স্পন্দন দ্রুততর হয়েছে। হেকিম তখনই সমস্যার সূত্র ধরতে পারেন। হেকিম এসব প্রশ্ন এমনভাবে করেন, যাতে দাসী হেকিমের গোপন উদ্দেশ্য বুঝতে না পারে। মওলানা ব্যাপারটিকে পায়ের নিচ থেকে কাঁটা বের করার দক্ষতার সাথে তুলনা করেন। অদক্ষ চিকিৎসকদের তিনি এমন লোকের সাথে তুলনা করেন, যারা গাধার লেজের নিচে কাঁটা গুঁজে দেয়। গাধা কাঁটা বের করবার জন্য যতই লাফায়, কাঁটা ততই আরো শক্তভাবে বিদ্ধ হয়। হেকিম এই পন্থায় এ তথ্য উদঘাটন করেন যে, দাসীর প্রেমাস্পদ হচ্ছে এক স্বর্ণকার। সমরকন্দে তার বসবাস। হেকিম তার ঠিকানা জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, সারপোল মহল্লার গাতফার গলিতে তার বাড়ি। হেকিম দাসীকে নিশ্চয়তা দেন, তার মনের মানুষকে অবশ্যই তার কাছে আনার ব্যবস্থা করবেন। তবে শর্ত হলো, এর গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। মওলানা এখানে মনের গোপন কথা গোপন রাখার সুফল বর্ণনা করেন। একটি তত্ত্বকথার উদ্ধৃতি দিয়ে কয়েকটি উপমা ও উদাহরণ পেশ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সত্য ওয়াদা ও মিথ্যা ওয়াদার মধ্যকার তফাৎ নির্দেশ করে মানব মনে এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সংক্ষেপে তা ব্যাখ্যা করেন।
web
daccd467096076b38531690ea6881b8e220872f3
ডেইলি সিলেট ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারকার বিদেশ সফর বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক সফর। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অনেকের অন্তরজ্বলা আছে আমরা জানি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যারা হিংসা করে, তারাসহ বিএনপি এই সফর নিয়ে বিষোদগার করতে শুরু করেছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, যেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অপবাদ দিয়ে সরে গেছে, সেই বিশ্বব্যাংক প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছে। ২৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপিএর ধন্যবাদ দেয়া উচিত জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আছে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, আগুন সন্ত্রাস। কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন তারা জনগনকে দিতে পারেনি। বিএনপি আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বুঝে গেছে আগামী নির্বাচনে জনগনের ভোটে বিএনপির জেতার কোন সম্ভাবনা নেই। বিএনপিকে অবৈধ দল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বিএনপির অবৈধ মহাসচিব। বিএনপি ইলেকশন করবে না বলে, কিন্তু ঘোমটা পরে করবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন না করে স্বতন্ত্র হয়ে ইলেকশন করবে। আর বিএনপির ইলেকশন মানে ভাগাভাগি, মনোনয়ন বাণিজ্য।
web
4ec71e083177599cbded0f213bc7712ccd0a35b6
বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ যদি আপনি জানতে পারেন যে আপনি মাত্র ৫০০০ টাকা খরচ করে শুরু করতে পারেন এবং পরবর্তীতে আপনি প্রতি মাসে ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন তাহলে আপনার কেমন লাগবে? ঠিক এমনই একটি বিজনেস আইডিয়া আজ আপনাদের বলতে চলেছি। খুব কম সময়ের মধ্যে আপনি এটিকে একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করতে পারবেন এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। জেনে নিন এই ব্যবসার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। এই ব্যবসাটি হল সাবান উৎপাদনের। মাত্র ৫০০০ টাকা বিনিয়োগে এই ব্যবসাটি আপনি আপনার বাড়ি থেকেই শুরু করতে পারবেন। মজার ব্যাপার হলো প্রাথমিকভাবে আপনাকে কোনও কর্মী নিয়োগ করতে হবে না। ফলে বেতন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকবে না। এখন একটা প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে বাজারে যখন এত ব্র্যান্ডের সাবান পাওয়া যায় তখন আপনার ব্যবসা কীভাবে চলবে। এত বড় কোম্পানির পাল্লা দিয়ে টিকে থাকা কি সম্ভব। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সেই সমস্ত নামি ব্র্যান্ডের বিপণন, বিজ্ঞাপন সব খরচ অন্তর্ভুক্ত করার পরে, তাদের এই পণ্যটি গ্রাহকের কাছে খুব বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু আপনাকে এই সমস্ত খরচ বহন করতে হবে না, ফলে আপনি ব্র্যান্ডেড সাবান থেকে অনেক কম দামে ভালো মানের সাবানও বিক্রি করতে পারেন। সাবান বানাতে আপনার যে উপাদান লাগবে, তার দাম খুবই কম। সাবান বানানোর পর আপনি চাইলে খুব কম সময়ে নিজেই প্যাকিং করে বিক্রিযোগ্য করে তুলতে পারেন। সাবান তৈরির জন্য আপনার প্রয়োজন হবে যেমন সাবানের ট্রে বা রঞ্জক, রং, প্যাকিং উপাদান, মেল্ড কেয়ার কিট ইত্যাদি। আপনি একটি বিষয় জেনে অবাক হবেন যে সাবান উৎপাদন শুরু করতে আপনার এমন কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই, যার জন্য আপনাকে সামান্য বিনিয়োগ করতে হবে না। প্রথম প্রথম এই ব্যবসায় লাভ না হলেও আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। শুরু থেকেই আপনি ই-বিজনেসে মনোযোগ দিতে পারেন। আম্যাজন, ফ্লিপকার্ট তো আছেই, তার সাথে পাইকারি বিজনেসের জন্য, আপনি আপনার পণ্য তালিকাভুক্ত করতে পারেন ইন্ডিয়ামার্ট বা ট্রেড ইন্ডিয়ার। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার সাবান বিক্রি করতে পারবেন। ধৈর্য ধরলে লাভ এই ব্যবসায় অনিবার্য।
web
d563d43d5ddca810fbc9076ab959026cc36d67a4
এই বিষ বছরে শীত আসতে বেশ সময় নিয়েছে, কিন্তু শীত এসে গেছে। আর শীতকাল মানেই পার্টি, পিকনিক, লং ট্যুর। এবারে বন্ধুদের সঙ্গে লেট নাইট পার্টিতে মাতলেন টলি ডিভা শুভশ্রী। সেপ্টেম্বরেই রাজশ্রীর ঘরে আসে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান। ভালোবেসে বেশ ইউনিক নাম রেখেছেন এই জুটি। তাঁদের খুদে ইউভান নিজেও একজন খুদে স্টার হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দেয় ছোট্ট ইউভান। এবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউভান নেই, বরং আছে জমকালো পার্টি। সেই পার্টিতে মেতেছেন রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী নিজে। কলকাতার একটি নামী পানশালায় উপস্থিত ছিলেন এই দম্পতি। মা হওয়ার পর বেশ ঘন ঘন বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে দেখা যাচ্ছে শুভশ্রীকে। সেই পার্টিতে শুভশ্রীর পাশাপাশি তাঁর দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখা যায়। এদিন রাজ, শুভশ্রী, পার্ণো মিত্রদের পাশাপাশি অন্যান্য তারকাদেরও দেখা যায়। শুভশ্রী নিজেই তাঁদের পার্টির ছবি ইন্সটাগ্রামের স্টোরিতে দেন। প্রসঙ্গত, লক ডাউন চলাকালীন একদম গৃহ বন্দী ছিলেন অভিনেত্রী। এরপর আসে মাতৃত্ব। ছেলে প্রায় ৩ মাস পার করে ফেলেছে। তাই একটু একটু করে পার্টি, হ্যাং আউটে মেতেছেন এই টলি ডিভা। সম্প্রতি শুভশ্রীকে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিচত হাবজি গাবজির ট্রেলারে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, হাবজি গাবজির পর শুভশ্রী বিসমিল্লার শ্যুটিং শুরু করবেন। A post shared by Subhashree Ganguly (@subhashreeganguly_real)
web
3967675cb7a51518bb2652b279a48243
সুনামগঞ্জের ছাতকে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে নিটল কার্টিজ মিলের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে শ্রমিকরা। বুধবার (১৭জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কারাখানা সচল রেখে কারখানার প্রধান কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। জানা যায়, নিটল-নিলয় গ্রুপের মালিকানাধীন নিটল কার্টিজ মিলে প্রায় ৩শ' শ্রমিক কাজ করছেন। গত এপ্রিল থেকে শ্রমিকরা বেতন-ভাতা পাচ্ছিলেন না। বেতন না পাওয়ায় কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। মঙ্গলবার কর্মরত আংশিক শ্রমিকদের মোবাইল ম্যাসেজে এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করা হলে শ্রমিকদের মাঝে আরো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাদের দাবি কারখানা সচল থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তারা কোন কারণ ছাড়াই তাদের বেতন পরিশোধে টালবাহানা করছেন। বেতন-ভাতা না পাওয়াতে গত ৩ মাস ধরে ধার-দেনা করে মানবেতর জীবন-যাপন করছে শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, বেতন চাইতে গেলে মিলের সহকারী ম্যানেজার (কোয়ালিটি-কন্ট্রোল) জহিরুল ইসলামের অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। এরফলে বকেয়া বেতন প্রদান এবং সহকারী ম্যানেজার জহিরুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে শ্রমিকরা বুধবার সকাল থেকে কারখানার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে শ্রমিকদের পক্ষে কাওসার আহমদ, আবুল হাসেম, রিপন মিয়া, এনামুল হক, আনোয়ার হোসেন, মিলন মিয়া, ইব্রাহিম আলী, আব্দুল খালেক, বিল্লাল আহমদ, রাশেদ মিয়া জানান, বকেয়া বেতন বা শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলা হলেই সহকারী ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম শ্রমিকদের সাথে অশালীন আচরন করে থাকেন। বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ চাকুরীচ্যুত করার হুমকীও দিয়ে থাকেন এ কর্মকর্তা। কারখানা সচল রেখে শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।
web
8c83623622edda3d856bb5cdd17a18e3
আসন্ন বরিশাল জেলার গোরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, সমাজ সেবক ও নারীনেত্রী শারমিন কবীর বিথী ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন। তাঁর পক্ষে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে বলেও জানাগেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। জানা যায়, আসন্ন বরিশাল জেলার গোরনদী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, সমাজ সেবক ও নারীনেত্রী শারমিন কবীর বিথী নলচিড়া ইউনিয়ন সহ বরিশালের একজন পরিচিত মূখ। তিনি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। তিনি বর্তমানে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ৫৬ নং মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, পিংঙ্গলাকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে নানানভাবে জড়িত আছেন। তাঁর পিতা এইচএম শাহজাহান কবীর দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে নলচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। তাই তিনি পিতার ন্যায় জনসেবার উদ্দেশ্যে এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। এজন্য তিনি নানান মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে তিনি ব্যাপক সারা পাচ্ছেন বলেও জানাগেছে। এব্যাপারে শারমিন কবীর বিথী বলেন, আমি নলচিড়া ইউনিয়ন'কে আধুনিক ও ডিজিটাল উন্নত নাগরিক সুবিধা সম্বলিত ইউনিয়ন রূপান্তরিত করতে আমি এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। এজন্য আমি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশাকরি আমার কর্মকান্ড বিবেচনা করে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। তাই জননেতা আবুল হাসানত আব্দুল্লাহ মহোদয় সহ দলীয় নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ইতিমধ্যেই আমি নানান মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে ব্যাপক সারাও পাচ্ছি। আমি বিজয়ী হয়ে এই ইউনিয়ন'কে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো। আমি সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করছি। এব্যাপারে নলচিড়া ইউনিয়নের অনেকেই বলেন, নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী শারমিন কবীর বিথী ব্যাপক আলোচনায় ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। তিনি ও তাঁর পরিবার সকল দূর্যোগে এই ইউনিয়ন বাসীর পাশে থেকেছেন। সবদিক বিবেচনা করে তিনি নির্বাচন করলে এবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। আর তিনি নির্বাচিত হলে এই ইউনিয়ন'কে উন্নত ও সমৃদ্ধ মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করবেন বলেও আমরা বিশ্বাস করি।
web
fba8fda3937c8b72dd242f7e866d8c69ff01486a
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-২০ এবং ওয়ানডে দলে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। কিন্তু সাদা বলে ফরম্যাট দীর্ঘ হতেই দু'দলের চেহারা ভিন্ন। টি-২০ তে ধবলধোলাই হওয়া বাংলাদেশ পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে চালকের আসনে। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৮ রানে অলআউট করে অর্ধেক সিরিজ সফরকারীদের হাতে। । গায়ানায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে বৃষ্টি হয়নি। উইকেট আরও ভেঙেছে। স্পিন সহায়ক উইকেটে টস জিতলে বোলিং ছিল অনুমিত সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম সেটাই করেন। পূর্ণ ম্যাচ দেখার প্রত্যাশা নিয়ে গ্যালারি কিংবা টিভির সামনে বসা ভক্তদের হতাশ করে ৩৫ ওভারেই স্বাগতিকদের প্যাকেট করেন মিরাজ-নাসুমরা। অথচ শুরুটা সাবধানী হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১১তম ওভারে তারা হারায় প্রথম উইকেট। কাইল মেয়ার্স ও শেই হোপের ওপেনিং জুটি যোগ করেছিল ২৭ রান। এরপরই ধস। দলীয় ফিফটির আগে পঞ্চম উইকেট হারানো দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মেয়ার্স ১৭ রানে মোসাদ্দেকের বলে ফিরে যাওয়ার পর তিন উইকেট তুলে নেন দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। একে একে ফেরান সামারাহ ব্রুক (৫),শেই হোপ (১৮) এবং নিকোলাস পুরানকে (শূন্য)। পঞ্চম উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ফেরান রোভম্যান পাওয়েলকে (১৩)। পেসারদের সাফল্য ওই একটিই। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফিরে যান আকিল হোসাইন। তিনি মুস্তাফিজের দারুণ এক থ্রোতে রান আউটের শিকার হন। পরের চার সাফল্য স্পিনার মেহেদি মিরাজের। ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা এই ডানহাতি ঘূর্ণির জাদুকর ব্রেন্ডন কিংকে (১১) বোল্ড করেন। একই নিয়তি উপহার দেন রোমারিও সেইফার্ডকে। পরে তুলে নেন টেলেন্ডার আলজারি জোসেপ ও গুডাকেশ মতিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পেস অলরাউন্ডার কোমো পল।
web
f7af5aa8fb78e07ed1a34279500f7880
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) নিলাম তোলা হতে পারে দেড়শ' বিদেশি ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কান এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০ টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে খেলার জন্য ছোট-বড় বহু তারকা ক্রিকেটার নাম দিয়েছেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেখা যেতে পারে নিলামে। টাইগার স্কোয়াডের অনেক ক্রিকেটার প্রথমে নাম পাঠালেও রেসে টিকে আছেন সাতজন। সাকিব আল হাসান তাদের মধ্যে অন্যতম। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) এক টুইটে সাকিবের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তালিকায় থাকা বাকিদের বিষয়ে কিছু জানায়নি। নিলামে ওঠার রেসে এখন পর্যন্ত টিকে থাকা বাকি ছয় ক্রিকেটার হলেন তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, রুবেল হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আগামী ১৪ নভেম্বর শ্রীলংকা ঘরের মাঠে লংকান প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশ সিরিজ শেষ হওয়ার পরেই তাই শুরু হবে টি-২০ ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক ওই লিগ।
web
b3992fc576da99d27f6b81414e062d82061ae899
ছোটপর্দার একজন অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন ঋষি কৌশিক। একের পর এক নানান বাংলা ধারাবাহিকে চুটিয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে। তবে তিনি একই ধরনের চরিত্রে বারংবার অভিনয় করেন এই অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। যে কারণে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। তবে এবার কালার্স বাংলায় 'সোনা রোদের গান' ধারাবাহিকের মাধ্যমে আবারো ছোট পর্দায় ফিরতে চলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই ধারাবাহিকের হিন্দি ভার্সনের জন্য চিত্রনাট্য লিখেছেন জনপ্রিয় লেখিকা লীলা গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে জাতীয় টিভিতে হিন্দি ধারাবাহিকটির জন্যই প্রথমে অফার দেওয়া হয়েছিল অভিনেতা ঋষি কৌশিককে। তবে এত তাড়াতাড়ি মুম্বাই যাওয়া সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে, যে কারণে এবার বাংলা সিরিয়ালটিতে কাজ করবেন তিনি। তবে এদিন ধারাবাহিকের দর্শকদের দিয়ে মুখ খুলে অভিনেতা জানিয়েছেন বাংলা সিরিয়ালের দর্শকরা কুটকাচালি এবং সাংসারিক ষড়যন্ত্র দেখতে ভালবাসেন। যে কারণে একাধিক সিরিয়াল ওই একই গল্প নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছেন ধারাবাহিকের গল্প অন্যরকম হলেই দর্শকরা তা দেখা বন্ধ করে দেন, যে কারণে টিআরপি পড়তে থাকে ধারাবাহিকটির। তাই জনপ্রিয়তা বজায় রাখার জন্যই এক রকম গল্প অনুসরণ করে ধারাবাহিক তৈরি হচ্ছে বলে নিজের মতামত জানিয়েছেন ঋষি কৌশিক। এদিন তার সঙ্গে অবশ্য একমত হতে দেখা গিয়েছে নেটিজেনদের একটি বড় অংশকে।
web
e7ef52421f2d663a02faf1a57e2caca86d6114ce
তাহিরপুরের বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল হত্যা মামলার আসামী। পলাতক আসামীর নাম শফিকুল ইসলাম (৩২)। তিনি উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের মহি উদ্দিনের ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলায় বাদাঘাট পুলিশ ফাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত পৌনে ১০ টায় আবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোয়া ৬ টায় বাদাঘাট থেকে মানিক মিয়া হত্যা মামলার পলাতক আসামী শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ফাঁড়িতে নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল শাহরিয়ারের কাছে তাকে রাখা হয়। এসময় তার আরেক সহকর্মী শাহরিয়ারকে পানি আনতে বললে চতুর শফিকুল হ্যান্ডকাপ নিয়ে কৌশলে ফাঁড়ি থেকেই পালিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এসআই চম্পদ দাম বলেন, আসামীকে থানায় পাঠানোর জন্য সিসি লিখায় ব্যস্ত ছিলাম। বাহিরে সেন্ট্্িরর দায়িত্বে থাকা কনস্টেবলের কাছ থেকে আসামী শফিকুল হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। উল্ল্যেখ, গত বছরের ২ নভেম্বর রাতে উপজেলার বাদাঘাট বাজারের পান দোকানী মানিক মিয়াকে চাল পড়া দিয়ে চোর শনাক্ত করা করা হয়। পরে লোকলজ্জায় আত্মহনন করেন তিনি। এঘটনায় মানিকের পরিবার হত্যার অভিযোগ এনে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই চম্পক দাম ৮ জনকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন জানিয়ে প্রধান আসামী শফিকুলসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। হাতকড়া সহ আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তাহিরপুর থানার ওসি নন্দর কান্তি ধর।
web
ce11c55aafdeeaa9cac1673f354f9ba153059129
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনে কভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সরকারি সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বেইজিংয়ের হিসাব সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতির চেয়ে 'ভালো দেখাচ্ছে', বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। একই ব্রিফিংয়ে তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, চীনের দেওয়া আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাব ঠিক কিনা, তা জানার কোনো উপায় নেই। বেইজিংয়ের তথ্যে রিপাবলিকান দলের শীর্ষ এক আইনপ্রণেতার সন্দেহ প্রকাশ এবং চীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গের এক সংবাদের পর ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টার এ মন্তব্য এলো। একই ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও'ব্রায়েন বলেছেন, 'চীন থেকে আসা সংখ্যা সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করার মতো অবস্থায় নেই ওয়াশিংটন।
web
158d4fc9dead8fdf033abb33169dbd5c457dc19c
সারাদেশে নেতাকর্মী নির্যাতন, খুন-গুম, হামলা-মামলা এবং নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের তালিকা করার পর এবার প্রশাসনের একই ধরনের কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তৈরি শুরু করছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এই তালিকা তৈরিতে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির একটি সূত্র জানায়, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা 'পক্ষপাতমূলক আচরণ' করেছেন তাদের ওই তালিকায় রাখা হচ্ছে। তালিকাটি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা, দূতাবাস এবং প্রভাবশালী দেশগুলোকে দেওয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত একজন জানান, গুম-খুন ও নির্যাতনে জড়িত থাকা ছাড়াও প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা সংসদ নির্বাচনকে 'কলঙ্কিত' করতে ভূমিকা রেখেছেন- তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন ও ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন। তালিকায় এখন পর্যন্ত ২৪ জন সাবেক ও বর্তমান সচিব, ১৩ জন সাবেক ও বর্তমান অতিরিক্ত সচিব এবং ১২৯ জন সাবেক ও বর্তমান জেলা প্রশাসকের নাম এসেছে বলে জানান তিনি। কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এই তালিকা হচ্ছে- এমন প্রশ্নে বিএনপির এক নেতা জানান, যারা সরাসরি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে ভোট চেয়েছেন, রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন, ক্ষমতাসীন দলের কর্মীর মতো ভূমিকা রেখেছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন- তালিকায় তাদের নাম থাকছে। বিএনপির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন সাবেক আমলার সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি তালিকা তৈরির কাজটি করছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতাও কমিটিতে রয়েছেন। তবে এই কার্যক্রমে যুক্ত কেউ তাদের নাম প্রকাশ এবং মন্তব্য করতে রাজি না হলেও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'নির্বাচনে যেসব কর্মকর্তা অনিয়ম ও কারচুপিতে সহায়তা করেছেন তাদের পরিচয় দেশের জনগণ জানে। সংবিধান অনুযায়ী মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকারীদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। ' ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সহায়তাকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তালিকা তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক ব্যক্তি বলেন, নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু ও ভোট বাতিলের ক্ষমতা রাখেন তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অধীনেই থাকে। নির্বাচনের সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকাও পালন করেন জেলা প্রশাসকরা। গত দুটি সংসদ নির্বাচনকে তারাই 'বিতর্কিত' করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তালিকা তৈরিতে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হচ্ছ। তবে তালিকা এখনও চূড়ান্ত নয়; তথ্য সংগ্রহ ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এক বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অতি উৎসাহী হয়ে কোনো একটি দলকে ক্ষমতায় আনতে চান, বিরোধী দলের প্রার্থী ও ভোটারদের হয়রানি করছেন, প্রকাশ্যে সিল মারতে সহায়তা করেছেন, বিএনপির অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন- তাদেরও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির এই কার্যক্রম নিয়ে কথা হয় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে। তারা জানান, বিএনপির উদ্দেশ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি সামনে রেখে নির্বাচনকালে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চাপে রাখা। নির্বাচনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যাতে কারও পক্ষে কাজ না করেন- সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান তারা। গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থায় কেউ বাধা দিলে বা ব্যাহত করলে তাকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও বিবেচিত হবেন। উল্লেখ্য, সারাদেশে নেতাকর্মী নির্যাতন, খুন-গুম, হামলা-মামলা এবং নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করছে বিএনপি। গত জুনের প্রথম দিকে এই কার্যক্রম শুরু করতে একটি কমিটি গঠন করে বিএনপি।
web
3ce69a72de952502c3d274b868d06b2a3787ff3c
ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহার, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক, বড় ঐক্যের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রভৃতি এখন গণমাধ্যমের বড় খবর। এসবের চাপে জনদুর্ভোগের অনেক খবর তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। ঠিক এমন একটি খবর হলো উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদীতে পানির অব্যাহত বৃদ্ধি ও জনদুর্ভোগ। এ নিয়ে গতকাল শেয়ার বিজে প্রকাশিত 'যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহতঃ নি¤œাঞ্চলের আমনক্ষেত নিমজ্জিত' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি আট সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধিতে সিরাজগঞ্জের ছয় উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের শত শত হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বীজতলা, রোপা আমন, শীতের আগাম সবজি, বেগুন, মরিচসহ নানা ফসল। তীব্র স্রোতে কাজীপুরের নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধ হুমকিতে পড়েছে। চরের নিচু এলাকায় ঢুকেছে পানি। স্থানীয়রা নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ। এ পরিস্থিতিতে পাঠদান বন্ধ করতে হয়েছে সিরাজগঞ্জের ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আমাদের প্রকৃতি, পরিবেশ, জলবায়ু, কৃষি, যোগাযোগব্যবস্থায় নদ-নদীর অবদান বলে শেষ করার নয়। মুক্তিযুদ্ধের সেøাগানেও ছিল নদীÑ তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা। নদীতে মাছ ধরা, নৌকায় নদী পারাপার, জেলে-মাঝিদের জীবনধারা এখন বাস্তব থেকে চিত্রশিল্প হয়ে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়, পলিতে ভরাট হয়; দখলে সরু হয়। এতে পানির অভাবে নাব্য হারিয়েছে অধিকাংশ নদ-নদী। বর্ষায় সামান্য পানিও বহনের ক্ষমতা থাকে না তাই। সে সময় নদীর দু'কূল ছাপিয়ে ভাঙন শুরু হলে তড়িঘড়ি করে জানমাল রক্ষাই প্রধান কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। চাপা পড়ে যায় নদী খননের বিষয়। খননের ক্ষেত্রে নদী থেকে তোলা বালুই আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। নাব্য বজায় রাখতে, ভাঙন ঠেকাতে এবং সুপরিকল্পিত ও দীর্ঘস্থায়ী নদীশাসনে রাজস্ব খাতের অন্তত এক শতাংশ বরাদ্দ রাখা এবং কাজের মান রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে একসময় নৌপথ ছিল প্রধান ভরসা। এখন সড়কপথ অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এর আওতায় অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের কারণেও নদীপথ পড়ছে বিপাকে। নদীর স্বাভাবিক গতিও এতে ব্যাহত হয়। এ অবস্থায় সুনির্বাচিত স্থানে ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং চালিয়ে যেতে হবে। বর্ষাকালে নদীর তলানি পানির স্রোতের মধ্যে ঘেঁটে দিতে হবে, যাতে এটা জমা না হয়ে সহজে চলে যায়। ভারতীয় অংশে বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবছরই যেহেতু উজান থেকে আসা ঢলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে, তাই ভারতের আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত বিষয়েও জনগণকে সময়মতো ও পর্যাপ্ত তথ্য দিতে পারে আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে ক্ষয়ক্ষতি কমানো অন্তত সম্ভব হবে। নদীভাঙন ও প্লাবন প্রাকৃতিক হলেও এতে মানুষের ভূমিকাও রয়েছে। সেসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। নদীনালায় ইঞ্জিনচালিত যানের পোড়া তেল, গৃহবর্জ্য, প্লাস্টিক বোতল, পলিথিনসহ অপচনশীল বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। অবৈধ দখল থেকে নদীকে রক্ষা করতে হবে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় উচ্চফলন ও দ্রুত বর্ধনশীল ফসল চাষের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। নদীবন্দর সংস্কার এবং পরিকল্পিতভাবে নদীনালায় ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা জরুরি। শিল্পবর্জ্যরে দূষণ থেকে নদী রক্ষায় শিল্পকারখানায় ২৪ ঘণ্টা ইটিপি (ইফ্লুয়েন্ট ট্রিমেন্ট প্ল্যান্ট) চালু রাখা, হাওর-বাঁওড়-বিল ও পতিত নদীগুলোর উৎসমুখের বাধা সরিয়ে নি¤œভূমিতে জলের প্রবাহ সচল রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নে অববাহিকাভিত্তিক পরিকল্পনার পাশাপাশি উজানের দেশগুলোর সহযোগিতাও প্রয়োজন। বদ্বীপ পরিকল্পনায় আমাদের সহযোগী নেদারল্যান্ডস নদীশাসনে সফল উদাহরণ। এর পেছনে রয়েছে দেশটির সুশাসন তথা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। নদীশাসনের ক্ষেত্রে এ দেশটিকে উদাহরণ হিসেবে নিলে সেগুলোও অনুসরণ করা জরুরি।
web
badf1a4c50fae6f2118a84d06a66f3f800bf99eb
ঠাকুরগাঁওয়ে ১১'শ হতদরিদ্র ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এ উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান আবু, সাংস্কৃতিক ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আলী আবরার, সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো। এসময় বক্তাগণ বলেন, কোন অসহায় মানুষ যেন শীতে কষ্ট ভোগ না করে সেজন্য কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তাঁরা হতদরিদ্র ও অসহায় শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জিয়াউর রহমান রাজাকারদের পুর্নবাসন শুরু করেছেন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া ষোলকলা পুর্ণ করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যার আসামী, কুখ্যাত রাজাকার আলবদর নিজামি-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকাকে কলঙ্কিত করেছে। তাই বিএনপির কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা । দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এই দলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করতে আত্মোৎসর্গ করেছেন ৩০ লক্ষ শহীদ। গণতন্ত্র, স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে কিন্তু বিএনপির কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। আলোচনা শেষে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিজেরাই অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
web
25d40cee3f57039769f2357afffc5cc3dd14b3e7
আরও এক সাইক্লোনের অপেক্ষায়প্রহর গোনার পালা শুরু! আম্ফান, গতির বিপুল ক্ষতির পর এবার সাইক্লোন 'নিভার' (Cyclone Nivar) কে ঘিরে আতঙ্ক, উদ্বেগ শুরু হয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বহু রাজ্যে। আইএমডি ইতিমধ্যেই জারি করেছে সতর্কতা। আগেই মৌসমভবন জানিয়েছে যে ২০২০ সালের শীতকাল মূলত শৈত্যপ্রবাহ ও সাইক্লোনের মধ্যে দিয়েই কাটবে। মূলত নভেম্বর মাসে সাইক্লোন আছড়ে পাড়ার বার্তাও দিয়েছে আইএমডি। আর সেই বার্তাকে সত্যি করে এবার বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে সাইক্লোন নিভার। এর আগে জানানো হয়, লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সাইক্লোনের সম্ভাবনা বাড়ছে। তেমনই ক্রান্তির ঝড় সাউদিল , 'গতি'র পর 'নিবার' নাম নিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। প্রসঙ্গত, এই নিবার নামটি ইরানের দেওয়া। এবার তা বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ উপকূল বরাবর আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। জানা যাচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেগ য়পার করে যেতে পারে ল্যান্ডফলের সময়। জানা যাচ্ছে, এই ঝড় তামিলনাড়ুতে ল্যান্ডফল করবে। উত্তর তামিলনাড়ুতে এই ঝড় আছড়ে পড়ার কথা। কোথায় আছড়ে পড়তে পারে নিভার? প্রসঙ্গত, সাইক্লোন 'নিভার' অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই রায়ালসীমা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে এই ঝড় নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে। সাইক্লোন নিভার কবে আছড়ে পড়তে পারে! ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের উপকূল লাগোয়া অন্ধ্র, রায়ালসীমাতে কৃষিক্ষেত্রর নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়েছে সাইক্লোন নিভারকে ঘিরে। জানা গিয়েছে, এই সাইক্লোনের দাপটে আগামী ২৫, ২৬ নভেম্বর পূর্ব গোদাবরী জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে বলে খবর।
web
d1c64f06b828fbb777d247b51c2edff13daedabd
ট্রেনের ভেতর থেকে বাইরে মাথা বার করে হাওয়া খেতে গিয়ে বিপত্তি। পোস্টে বাড়ি খেয়ে গুরুতর জখম কল্যাণী গয়েশপুরের বেদীভবন এর বাসিন্দা দেবজ্যোতি চন্দ। বয়স 19। নৈহাটি স্টেশন ছাড়ার পর সে পোস্টে ধাক্কা খায়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা তাকে ধরে ফেলে। এই অবস্থায় তাকে হালিশহর স্টেশনে নামানো হয়। জিআরপি কোনওরকম সাহায্য করেনি। স্টেশনের যাত্রীরা তাকে কল্যাণী জে এন এম হসপিটালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে কলকাতা স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। দেবজ্যোতি কল্যাণীর একটি মেডিকেল শপে কাজ করে তিনি।
web
4796e7aec30cc02aaf1dfb4afeab37d6
২৫ ডিসেম্বর "মনুস্মৃতি দহন দিন"। ১৯২৭ সালে এই দিন ডঃ আম্বেদকারের নেতৃত্বে মনুস্মৃতি পুড়িয়ে ডাক দেওয়া হয় চতুর্বর্ণ ব্যবস্থাকে নির্মূল করার। এত বছর বাদে আজও এই দেশে জাতিবিরোধী আন্দোলন অসম্পূর্ণ, এবং বহুক্ষেত্রে তথাকথিত নিম্নবর্ণ সমাজের উপর বর্তমান সময়ের ব্রাহ্মন্যবাদী শাসকশ্রেণীর সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণ নতুন আকার ও বিদ্বেষের মাত্রা নিয়ে হাজির। আজকের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতার প্রেক্ষিতে ডঃ কে যমনাদাস-এর লেখা মনুস্মৃতি দহন দিন সম্পর্কিত একটি লেখা বাংলায় অনুবাদ করে দেওয়া হল। মূল ইংরাজি লেখাটি পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুন। আজ বড়দিন, ২৫ ডিসেম্বর। গোটা খ্রিষ্টীয় দুনিয়াজুড়ে আজ যিশুর জন্মদিন পালিত হচ্ছে। কিন্তু দলিত দুনিয়ার কাছে ২৫ ডিসেম্বর 'মনুস্মৃতি পোড়ানো'র দিন। ১৯২৭ সালে ড. আম্বেদকর প্রকাশ্যে মনুস্মৃতি পোড়ান। তখন মাহার সত্যাগ্রহের 'মহাসংগ্রাম' চলছে। ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ে দলিতদের কাছে এই দিনটি একটি মাইলফলক, একটি গর্বের দিন। সভার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবীদের ৫ টি বিষয়ে শপথ নিতে হয়েছিলঃ ১. জন্মনির্ধারিত চতুর্বর্ণ প্রথায় আমি বিশ্বাস করি না। ২. আমি জাতিভেদে বিশ্বাস করি না। ৩. অস্পৃশ্যতাকে আমি হিন্দুত্বের এক ঘৃণ্য অঙ্গ বলে মনে করি এবং একে নির্মূল করার জন্য আমি সৎভাবে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করব। ৪. কোনো অসাম্যে আমার বিশ্বাস নেই, আর তাই খাদ্য-পানীয়ের ব্যাপারে আমি সমস্ত হিন্দুদের মধ্যে অন্তত কোনো ভেদাভেদ করব না। ৫. মন্দির, জলের উৎস, স্কুল ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে সমান সুযোগ-সুবিধা পাবার অধিকার অস্পৃশ্যদের আছে বলে আমি মনে করি। ড. আম্বেদকর 'পদ্মাবতী' নামের একটি নৌকোয় চড়ে বম্বে থেকে দাসগাঁও বন্দর হয়ে এসেছিলেন। যদিও ধরমতার হয়ে এলে তাঁকে কম পথ পেরোতে হত, কিন্তু বাসমালিকরা বয়কট করলে এই পথে ৫ মাইল হেঁটে হলেও মাহার পর্যন্ত পৌঁছন সম্ভব হত। কেউ কেউ বলেন যে চাভাদর জলাশয় থেকে জল খাওয়ার কার্যক্রম আদালতের হুকুমে এবং কালেক্টরের জোরাজোরিতে বাতিল করতে হওয়ার কারণে আম্বেদকর একেবারে শেষ মুহূর্তে মনুস্মৃতি পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। কথাটা সর্বৈব মিথ্যে। সভামণ্ডপের সামনেই মনুস্মৃতি পোড়ানোর অনুষ্ঠানের জন্য বেদি গাঁথা হয়েছিল আগের থেকেই। ছ'জন মানুষ টানা দুদিন খেটে এই বেদি তৈরি করেন। ছ ইঞ্চি গভীর, দেড় ফুট দৈর্ঘের একটা বর্গাকার গর্ত খুঁড়ে চন্দন কাঠের টুকরো দিয়ে সেটা ভরা হয় এবং তার চার কোণে চারটে খুঁটি পুঁতে তার তিনদিকে ব্যানার লাগানো হয়, যাতে লেখা ছিলঃ ১৯২৭ এর ২৫ ডিসেম্বর রাত ৯টায় এই বেদিতে মনুস্মৃতি রেখে বাপুসাহেব সহস্ত্রবুদ্ধে ও আরো পাঁচ ছয়জন দলিত সাধুর হাত দিয়ে তাকে পোড়ানো হয়। গোটা মণ্ডপে একটাই ছবি ছিল, সেটা মহাত্মা গান্ধীর। যা দেখে মনে হয় আম্বেদকরসহ অন্যান্য দলিত নের্তৃবৃন্দ তখনো গান্ধীর প্রতি আশা হারান নি। সভায় বাবাসাহেব তাঁর ঐতিহাসিক বক্তব্যটি রাখেন, যার প্রধান অংশগুলো ছিল এইরকমঃ এই জলাশয়ের জল খাওয়া আমাদের বারণ কেন তা আমাদের বুঝতে হবে। চতুর্বর্ণের বিষয়ে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন যে চতুর্বর্ণের শেকল থেকে মুক্তির জন্য আমাদের লড়াই এবং সাম্যের জন্য সংগ্রামের আজ এখান থেকেই শুরু। ১৭৮৯ এর ২৪ জানুয়ারি ফ্রান্সে ষোড়শ লুই-এর ডাকা সভার সঙ্গে এই সভার তুলনা টানেন তিনি। ফরাসি জনপ্রতিনিধিদের সেই জমায়েতে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল রাজা-রাণীর, উচ্চ শ্রেণির মানুষেরা বিধ্বস্ত হয়েছিল আর বাকিরা নির্বাসিত হয়েছিল। বড়লোকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল এবং ১৫ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধের গোড়াপত্তন হয়েছিল। মানুষ এখনো এই বিদ্রোহের গুরুত্ব বোঝেনি। এ বিদ্রোহ শুধু ফ্রান্সেরই নয় গোটা ইউরোপের সমৃদ্ধির সূত্রপাত করে এবং সারা পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিপ্লব আনে। ফরাসী বিপ্লবকে তিনি খুঁটিয়ে ব্যাখ্যা করেন। তারপর বলেন যে আমাদের লক্ষ্য শুধু অস্পৃশ্যতা নির্মূল করা নয়, বরং চতুর্বর্ণকেই নিশ্চিহ্ন করা। কারণ আসল অশুভের বীজ সেখানেই নিহিত। তিনি উল্লেখ করেন কীভাবে প্যাট্রেসিয়ানরা ধর্মের নাম করে প্লেবেসিয়ানদের ঠকিয়েছিল। অস্পৃশ্যতার মূল লুকিয়ে আছে অসবর্ণ বিবাহের বিধি-নিষেধের মধ্যে আর সেটাই আমাদের ভাঙতে হবে। উচ্চবর্ণদের কাছে তিনি আবেদন রাখেন যে তারা যেন এই সামাজিক বিপ্লবকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হতে দেয়। শাস্ত্রের কথা ভুলে যেন ন্যায়ের পথকেই মান্যতা দেয়। তিনি কথা দেন যে তাহলে এপক্ষ থেকে শান্তি বজায় থাকবে। এখানে চারটি সঙ্কল্প নেওয়া হয় ও একটি "সাম্যের ঘোষণা" জারি করা হয়। এরপর মনুস্মৃতি পোড়ানো হয়। ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রেসগুলোতে জোরালো প্রতিক্রিয়া হয়। কাগজে আম্বেদকরকে 'ভীমাসুর' আখ্যা ডেওয় হয়। তিনি নিজে বিভিন্ন লেখায় মনুস্মৃতি পোড়ানোর সপক্ষে সওয়াল করেন। যারা মনুস্মৃতি না পড়েই এটি বর্জন করার নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেন। অনেকে বলেন সেকেলে হয়ে যাওয়া এক শাস্ত্রগ্রন্থকে অহেতুক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে আম্বেদকর বলেন দলিতদের ওপর ঘটে চলা আক্রমণগুলোর ওপর নজর রাখতে এবং একমাত্র তাহলেই তারা বুঝবে যে এই নিরবচ্ছিন্ন অত্যাচারের কারণ হিন্দুদের মধ্যে এই শাস্ত্রগ্রন্থের গ্রাহ্যতা। তারপর তিনি যোগ করেন যে এই নেহাত সেকেলে হয়ে যাওয়া পুস্তিকা (যদি তাই হয়) পোড়ালে কারো কিছু আসছে যাচ্ছেই বা কেন? অনেকে প্রশ্ন তোলেন মনুস্মৃতি পুড়িয়ে দলিতরা কী পেয়েছে? তাঁদের জবাবে তিনি প্রতিপ্রশ্ন করেন যে বিলিতি কাপড় পুড়িয়ে গান্ধী কী পেয়েছিলেন? খান-মালিনীর বিয়ে নিয়ে লিখিত 'দ্যান প্রকাশ' পুড়িয়ে কী পাওয়া গিয়েছিল? নিউ ইয়র্কে মিস মেয়োর 'মাদার ইন্ডিয়া' পুড়িয়ে কারা কী পেয়েছিল? এমনকি রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য গঠিত সাইমন কমিশন বয়কট করেই বা কী পাওয়া গিয়েছিল সেদিন? এসবই প্রতিবাদকে চোখের সামনে তুলে ধরার একেকটা ধরন, আমাদেরটাও তাই। তিনি আরো বলেন যে দুর্ভাগ্যের কথা হল মনুস্মৃতি পোড়ানোতেই ব্রাহ্মণ্যবাদ শেষ হয়ে যাবে না। হয় আমাদের ব্রাহ্মণ্যবাদ-গ্রস্ত মানুষদেরই পুড়িয়ে ফেলতে হবে, আর নইলে হিন্দুত্বকে একেবারে গোড়া থেকে বর্জন করতে হবে। আসুন আমরা সকলে মিলে এই মহান দিনটিকে শ্রদ্ধা জানাই। *উল্লেখনীয়, গত বছর ভীমা-কোরেগাওতে জাতিবাদবিরোধী বিপুল জমায়েতের ক্ষেত্রেও এই এক-ই অভিযোগ করেন সভায় যোগ দিতে যাওয়া মানুষঃ স্থানীয় দোকান বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সভার একদিন আগে থেকেই যাতে সভায় আসা মানুষ খাওয়ার বা পানীয় জল বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী না কিনতে পারেন। এছাড়া মিটিং হল বা মাঠ এই ধরনের সভার জন্য ব্যবহার করতে না দেওয়া প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে - এই শাসননীতি আজও সারা দেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
web
1d32b592dd39c9e8d403491e1b3253b3
অনেকের মধ্যে তাকদীর বা অদৃষ্ট সমন্ধ্যে ধারনা হল যে, আল্লাহই সবকিছু নির্ধারণ করে দিয়েছন। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কোন চোর যদি চুরি করে তাহলে তার জন্য কে দায়ী হবে? নিশ্চয়ই তিনি যিনি চুরি করাটা তার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন। *যদি কারও তাকদীরে লিখা থাকে যে, সে মানুষ হত্যা করবে তাহলে সেই হত্যার জন্য ঐ ব্যাক্তি দায়ী হতে পারেনা, বরং দায়ী হবে অদৃষ্টের লেখক অর্থাৎ আল্লাহ্ (নাউযুবিল্লাহ)। *এমন কি, কারও অমুসলিম হওয়াটা যদি তার ভাগ্যে লেখাই থাকে তাহলে সে দোযখে যাবে কেন? প্রকৃতপক্ষে এখানে যে সমস্যাটা হচ্ছে তা হল কদরের অর্থ বুঝতে ভুল করা। আমাদের অদৃষ্টে বিশ্বাস করতে হবে, এটা নিয়ম। কিন্তু সাথে আমাদের এটা জেনে নিতে হবে যে অদৃষ্ট বলতে কি বুঝায়? এটাকে একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝানো যেতে পারে। ধরুন, একটা ক্লাসে এক'শ জন ছাত্র বসে আছে। ক্লাসটি হচ্ছে বছরের শেষ দিকে বার্ষিক পরীক্ষার আগে। ক্লাসে শিক্ষক ছাত্রদের দেখিয়ে বলছেন, তুমি হবে ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট। তুমি পাবে সেকেন্ড ক্লাস আর তুমি ফেল করবে। এখন বার্ষিক পরীক্ষা হল এবং পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গেল প্রথমজন ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হয়েছে, দ্বিতীয় জন পেয়েছে সেকেন্ড ক্লাস এবং তৃতীয় জন ফেল করেছে। এখন তৃতীয় জনের ফেল করেছে বিধায় কি এ কথা বলার সুযোগ আছে যে আপনি বলেছিলেন বিধায় আমি ফেল করেছি? না এ সুযোগ নেই। কারণ উক্ত শিক্ষক তাদেরকে এক বছর পড়িয়েছেন, তাই তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান করেছেন যে কার পরীক্ষার ফলাফল কি হতে পারে? এখানে শিক্ষকের এ অনুমান কে দোষ দেওয়র সুযোগ নেই। ঠিক তেমনি বিশ্বজাহানের স্রষ্টা আল্লাহ্, তিনি শিক্ষকদের থেকেও অনেক উর্ধে্ব এবং তার ইলমুল গায়েব অর্থাৎ তিনি ভবিষ্যতের কথাগুলো জানেন। এগুলো তিনি একটি কিতাবে লিখে রেখেছেন। উদাহরণস্বরূপ মনে করি, একজন লোকের গন্তব্য যাওয়ার জন্য পাঁচটি রাস্তা সামনে আছে। আল্লাহ্ পূর্ব হতেই জানেন যে, লোকটি দ্বিতীয় রাস্তা বেছে নেবে। তাই তিনি সেটা লিখে রেখেছেন। এখানে লক্ষ্য রাখা দরকার যে, তিনি লিখে রেখেছেন বলেই তিনি দ্বিতীয় রাস্তা বেছে নেবে ব্যাপারটি ঠিক এমন নয়; বরং লোকটি দ্বিতীয় রাস্তা বেছে নেবে বলেই আল্লাহ্ সেটা লিখে রেখেছেন। আবার ধরুন, আপনি একজন ভাল ছাত্র। ইন্টার পরীক্ষার পর আপনি পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিতে এ প্লাস পেয়েছেন। এখন আপনি ডাক্তারও হতে পারেন আবার ইঞ্জিনিয়ারও হতে পারেন। আপনি ঠিক করলেন আপনি ডাক্তার হবেন। আল্লাহ্ জানেন আপনার পছন্দ দুটো, তবে আপনি ডাক্তার হবেন। তাই আল্লাহ্ তা লিখে রেখেছেন। এরপর আপনি যখন রুজি রোজগার শুরু করবেন তখন আপনি সৎ কামাই ও করতে পারেন আবার দুর্নীতি ও করতে পারেন। ধরি আপনি রোজগার দুর্নীতির মাধ্যমে করলেন। এক্ষেত্রে আল্লাহ্ তা পূর্বে থেকেই জানেন বলে তিনি তা লিখে রেখেছেন। এমন নয় যে, তিনি আগেই নির্ধারণ করে দিয়েছেন বিধায় আপনি হারাম পথে রোজগার করবেন। এটাই হল তাকদীর তথা অদৃষ্ট। সুতরাং আমাদের অপরাধগুলোর জন্য আমরাই দায়ী। কেউ চুরি করলে সে চুরির জন্য সে নিজেই দায়ী। একইভাবে যারা অমুসলিম তাদের এ অবস্থার জন্য দায়ী কে? এ ব্যাপারে হাদীসে এসেছে যে, প্রত্যেক শিশুই প্রকৃতিগতভাবে মুসলিম হয়ে জন্মায়, পরবর্তি্তে তার গুরুজনেরা তাকে পথভ্রষ্ট করে। সুতরাং কারও অমুসলিম হওয়া আল্লাহ্ নির্ধারণ করে দেন নি। কারণ একজন অমুসলিম ব্যাক্তির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুযোগ আছে যে, সে তার বুদ্ধিমত্তাকে ব্যাবহার করে কুরআন অধ্যায়ন করে মুসলিম হতে পারবে। আর এ জন্যই হাশরের ময়দানে বিচার করা হবে মানুষের কর্মের আলোকে। যে ভাল কাজ করবে সে জান্নাত পাবে। আর যে মন্দ কাজ করবে সে হবে জাহান্নামের অধিবাসী। তাক্বদীর এর এই ব্যাখ্যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, অযৌক্তিক এবং বিভ্রান্তিকর। কিছু তাক্বদীর আছে যা নির্দিষ্ট এবং অপরিবর্তনীয়, যেমন জন্ম। আবার কিছু তাক্বদীর আছে যা আল্লাহ তায়ালা স্বাভাবিকভাবে একটা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, কিন্তু পরিবর্তনের একটা সুযোগও রেখেছেন এবং এই পরিবর্তন মানুষের কর্মফলের উপর নির্ভরশীল, যেমন মৃত্যু। কুরআন ও হাদিসে বিভিন্ন জায়গায় এসেছে, কিছু কিছু কর্মের দ্বারা আয়ু বৃদ্ধি পায়, আবার কিছু কর্মের দ্বারা হ্রাস পায়। যেমন, একটি মানুষের তাক্বদীরে আয়ু লিখা হয়েছে ৭০ বছর। কিন্ত, সে ৭০ এর কম বয়সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে নাকি স্বাভাবিকভাবে ৭০ বছরই বাঁচবে এ বিষয়ে সে স্বাধীন। সে যদি আত্মহত্যা করে, তবে কর্মফল অনুযায়ী সে জাহান্নামী হবে। কেউ যদি বলে, তার তাক্বদীরেই আত্মহত্যা লিখা ছিল এবং এজন্য আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দেবেন, তাহলে আল্লাহ তায়ালাকে ছোট করা হবে এবং আল্লাহ তায়ালার "রহমানুর রহিম" ও "গফুরুর রহিম" এই গুনবাচক নামগুলোর কোন মাহাত্ম থাকবে না। নাউজুবিল্লাহ। একজন মা তার সন্তানকে যত ভালবাসেন, আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে তার চেয়েও বেশি ভালবাসেন। বান্দা যত বেশি গুনাহ করতে পছন্দ করে, আল্লাহ তার চেয়েও বেশি ক্ষমা করতে ভালবাসেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তাঁর ক্রোধ অনেক বেশি, কিন্তু মাখলুকের যে কোন বিষয়ে তিনি ক্রোধের উপর তাঁর রহমতকে প্রাধান্য দেবেন। সুতারাং, আল্লাহর বান্দারা, তাক্বদীর নির্দিষ্ট ভেবে আল্লাহর অসীম রহমত থেকে বঞ্চিত হবেন না। আল্লাহ তায়ালার "রহমানুর রহিম" ও "গফুরুর রহিম" নামদ্বয় স্মরণ রেখে আল্লাহর উপর ভরসা করে তদানুযায়ী আমল ও ইবাদত করে যান, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা আমাদের জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করবেন। আমিন। সুব্ হানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুব্ হানাল্লাহিল আযিম।
web
2954d2b449f6bce0213871bc0ad0dd500061b489
অক্টোবরের প্রথম ৬ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ মাসে প্রবাসীদের আয়ের পরিমাণ হবে ১৮০ কোটি ডলার। প্রবাসীরা ২০২২-২৩ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে ১৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। যা গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অক্টোবরের প্রথম ৬ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে অক্টোবর মাসের প্রথম ৬ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসীরা ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে আট কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এরপরের অবস্থানে রয়েছে সোনালী ব্যাংক ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এ সময় অগ্রণী ব্যাংকে ২ কোটি ২৫ লাখ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ২ কোটি ২১ লাখ এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
web
37cd3cc503c6e22d1ff3addfc697469ebaf005d9
চাঁদপুরে করোনার সংক্রমণ রোধে সরাকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন। প্রতিদিন এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে । জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জিএম শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় পরিচালিত গত ২৪ ঘন্টায় জেলার সকল উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা,এসি ল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মোবাইল কোর্ট বা অভিযান পরিচালনা করেন। এতে সর্বমোট অভিযানে ৮টি মামলায় বিভিন্নজন ও যানবাহন থেকে ৭ হাজার ৮ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে । চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অযথা বাসা থেকে বের হওয়া, গণজমায়েত করা,নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখার অপরাধ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মামলায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা এবং দন্ডবিধি এর প্রয়োগে ৭ মামলায় ২ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা করা হয় । উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা সদরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রমুখ এসব অভিযান সকার ১০ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত দু'সিফটে পরিচালনা করেন। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণরোধের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায় ।
web
91aca6ad1073951a2a23df5498790a04b0c39c95
সেন্সর বোর্ডের প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমরা এখনও আপনাদের চিঠির অপেক্ষায়। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আপিল বোর্ড একটা সিনেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখে। শনিবার বিকেলের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত দেশী-আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশনের কল্যাণে সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে। আর দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি। ওদিকে ফারাজ রিলিজ হচ্ছে তিন তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে শনিবার বিকেল মুক্তির দিকে, ফারাজের সাথে একই দিন বা এক ঘণ্টা আগে হলেও। সুতরাং এটা দ্রুত সমাধান করেন। আমরা হাসিমুখে সিনেমাটা রিলিজ করি। পৃথিবীর নানা দেশে সিনেমাটা দেখানো হয়েছে, হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের মানুষের পালা। পাশাপাশি এটাও আপনাদের ভাবার সময় আসছে, এই নতুন মিডিয়ার যুগে সিনেমা আটকানোর মতো সেকেলে চিন্তা আদৌ কোনো কাজে আসে কিনা। কারন যে কেউ চাইলে তার ছবি ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। ফলে ছবি আটকানোর চেষ্টা একটা পণ্ডশ্রম যা কেবল দেশের জন্য বদনাম-ই বয়ে আনতে পারে। ইতি, আপনাদেরই বঙ্গসন্তান! (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
web
8f52d8b141d0d27b0ccbc46c876d8d48c8b6dcdfc815525c14ac859436194cae
হুদায়বিয়ার সন্ধির সুফল প্রায় দু'সপ্তাহ অবস্থান করার পর রাসূলুল্লাহ (সা) হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। যখন মক্কা মুকাররামা ও মদীনা মুনাওয়ারার মধ্যবর্তী স্থানে পৌছেন, তখন সূরা ফাতহ নাযিল হয় : base। "নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়..." সূরার শেষ পর্যন্ত । রাসূলুল্লাহ (সা) সাহাবায়ে কিরামকে একত্র করে সূরা ফাতহ-এর শেষ পর্যন্ত শুনিয়ে দিলেন। সাহাবিগণ এ সন্ধিকে পরাজয় বলে মনে করেছিলেন, যাকে আল্লাহ তা'আলা 'সুস্পষ্ট বিজয়' বলে ঘোষণা করেন। তাই তাঁরা সূরাটি শুনে বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সত্যিই কি এটা বিজয় ? তিনি বললেন, কসম ঐ ঐ পবিত্র সত্তার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, নিঃসন্দেহে এটা বিশাল বিজয় । (আহমদ, আবূ দাউদ, হাকিম)। ইমাম যুহরী বলেন, হুদায়বিয়ার বিজয় এমন বিশাল বিজয় ছিল যে, এর পূর্বে এত বড় বিজয় কখনই তকদীরে জোটেনি। পারস্পরিক যুদ্ধের কারণে একে অপরের সাথে মেলামেশা করতে পারেনি, সন্ধির কারণে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হলো; যারা নিজের ইসলাম গ্রহণকে প্রকাশ করতে পারছিলেন না, তারা নির্ভয়ে ইসলামী আহকাম পালন করতে শুরু করলেন, পারস্পরিক মতবিরোধ ও রেষারেষি বন্ধ হয়ে গেল, কথাবার্তা বলার ও মত বিনিময় করার সুযোগ হলো, ইসলামী বিষয়াদি নিয়ে কথা বলার ও তর্ক করার সুযোগ হলো, কুরআনুল কারীম শোনানোর সুযোগ এলো, যার প্রভাব এমন হলো যে, হুদায়বিয়ার সন্ধি থেকে মক্কা বিজয় পর্যন্ত এত অধিক সংখ্যক লোক মুসলমান হলো যে, শুরু থেকে ঐ পর্যন্ত তত সংখ্যক লোক মুসলমান হয়নি।' ইসলাম তো হচ্ছে পরিপূর্ণ চরিত্র ও উত্তম কর্মের খনি কিংবা ঝর্ণাধারা স্বরূপ এবং সমস্ত মঙ্গল ও কল্যাণের সমষ্টি। আর সাহাবায়ে কিরাম (রা)-ও ছিলেন কল্যাণ, পরিপূর্ণতা, সদাচরণ ও সৎস্বভাবের মূর্তপ্রতীক । চুক্তির পূর্ব পর্যন্ত গর্ব, বিভেদ, হিংসা ও শত্রুতার দৃষ্টি এসব উপলব্ধিতে অন্তরায় সৃষ্টি করেছিল । چشم بد اندیش که برکنده باد * عیب نماید هنریش در نظر "এক্ষণে সন্ধির কারণে গর্ব অহংকার ও বিভেদের পর্দা যখন চোখের সামন থেকে সরে গেল, তখন ইসলামের চিত্তাকর্ষক দৃশ্য তাদেরকে নিজের দিকে টেনে নিল।" مرد حقانی کی پیشانی کانور * کب چهپارهتا هی پیش ذی شعور সন্ধির পূর্বে মক্কার কাফিরগণ ইসলামের ঘোর বিরোধী ছিল, "এ জন্যে ইসলাম ও মুসলমানের নূর তাদের থেকে ছিল লুক্কায়িত। সন্ধির কারণে যখন শত্রুতা ও ১. ফাতহুল বারী, ৫খ. পৃ. ২৫৬; যারকানী, ২খ. পৃ. ২১০। সীরাতুল মুস্তফা সকল খন্ড একত্রে - পৃষ্ঠাঃ (712) বিভেদ উভয় পক্ষ থেকে দূর হয়ে গেল, তখন সুযোগ সৃষ্টি হলো এবং হাক্কানী বা আল্লাহপ্রেমিকগণের কপালের নূর তাদের চোখে পড়ল।" রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মদীনায় এসে পৌঁছলেন, তখন মক্কা থেকে হযরত আবূ বাসির (রা) মুশরিকদের বন্দীখানা থেকে পালিয়ে মদীনায় আসেন। কুরায়শগণ তাড়াতাড়ি তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য দু'জন লোক পাঠায়। নবী (সা) চুক্তি মুতাবিক হযরত আবূ বাসির (রা)-কে তাদের হাতে সোপর্দ করেন এবং আবূ বাসিরকে বলেন, আমি চুক্তির বরখেলাফ করতে পারি না, ওদের সাথে চলে যাওয়াই তোমার জন্য উত্তম । হযরত আবূ বাসির (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে মুশরিকদের দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন যারা আমাকে ধর্মচ্যুত করতে চায় এবং আমার উপর নানা ধরনের অত্যাচার-নিপীড়ন চালায় ? তিনি বললেন, সবর কর এবং আল্লাহ্ তা'আলার প্রতি আশা রাখ, শীঘ্রই আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের মুক্তির কোন ব্যবস্থা করে দেবেন। ঐ দু'ব্যক্তি হযরত আবূ বাসির (রা)-কে সাথে নিয়ে রওয়ানা হলো। যুল-হুলায়ফায় পৌঁছে তারা বিশ্রাম নেয়ার জন্য থামল এবং যে খেজুর সাথে ছিল, তা খেতে শুরু করল । আবূ বাসির (রা) তাদের একজনকে বললেন, তোমার তরবারিটি তো খুব সুন্দর মনে হচ্ছে ! সে তরবারিটি খাপ থেকে বের করে বলল, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম, এটা খুবই উত্তম তরবারি, বহুবার আমি এটা পরীক্ষা করেছি। আবূ বাসির (রা) বললেন, আমাকে একটু দেখাও তো। সে তরবারিটি আবূ বাসির (রা)-এর হাতে দিয়ে দিল। আবূ বাসির (রা) সেটি নিয়ে তৎক্ষণাৎ এক কোপ বসিয়ে দিলেন লোকটির উপর, ফলে সে খতম হয়ে গেল। দ্বিতীয় ব্যক্তি এটা দেখামাত্র দৌড়ে পালাল এবং সোজা মদীনায় পৌঁছে রাসূলের খিদমতে উপস্থিত হলো এবং আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সঙ্গী তো মারা গেছে, আমিও মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছেছি। হযরত আবূ বাসির (রা) নবী দরবারে ফিরে এসে আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আল্লাহ তা'আলা তো আপনার ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, আপনি তো আমাকে ওদের হাওয়ালা করে দিয়েছিলেন। এখন আল্লাহ্ আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি জানেন, যদি আমি মক্কায় ফিরে যাই, তাহলে ওরা আমাকে ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য করবে। যা কিছু আমি করেছি, কেবল এ জন্যই করেছি। আমার আর ওদের মধ্যে কোনই চুক্তি নেই। রাসূল (সা) বললেন, খুবই যুদ্ধ উস্কে দেয়ার কাজ করেছ। যদি এর কোন সাথী থাকত ! হযরত আবূ বাসির (রা) বুঝে ফেললেন, আমি যদি এখানেই থাকি, তবে তিনি আমাকে আবার কাফিরদের হাতে সোপর্দ করবেন। এ জন্যে মদীনা থেকে বের হয়ে তিনি সমুদ্রোপকূলে গিয়ে অবস্থান নিলেন, যেখান দিয়ে কুরায়শের বাণিজ্য কাফেলা সিরিয়া থেকে আসত। মক্কার অসহায় নির্যাতীত মুসলমানগণ যখন এটা জানতে পেলেন, তখন চুপে চুপে এসে হযরত আবূ বাসিরের সাথে মিলিত হতে শুরু করলেন। সুহায়ল ইবন আমরের পুত্র হযরত আবূ জন্দল সকল খন্ড একত্রে - পৃষ্ঠাঃ (713) www.banglakitab.weebly.com
pdf
8943b89508ab400759a98ba61e68b439207d9a09
জয়পুরহাটে রান্না ঘরের মাটির দেয়ালে পাচা পড়ে আজুবা বেগম (৫০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। কালাই উপজেলার বাদাউচ্চ গ্রামে শনিবার (৩০ মে) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আজুবা বেগম কালাই উপজেলার বাদাউচ্চ গ্রামের হাফিজার রহমানের স্ত্রী। কালাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আব্দুল মালেক জানান, গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের পানি বাড়ীর দেয়ালে পড়লে তা নড়বড়ে হয়। আজুবা বেগম দুপুরে তার নিজ রান্না ঘরে রান্না করার সময় আকস্মিক ভাবে দেয়ালটি ধসে গিয়ে চাপা পড়ে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
web
3d0985e9437ddeddb6ebd88997cc482791af3a32
আর কি দেখা যাবে এই দৃশ্য? মেসি শুরু থেকেই খেলছিলেন বার্সেলোনায়। তবে যে সময় থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তার প্রতিদ্বন্দ্বী দল রিয়াল মাদ্রিদে পা রাখলেন, তখন যেন একসাথে অনেক কিছুই পাল্টে গেল। বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ খেলার সূচি পড়লেই অন্যরকম এক উত্তেজনা শুরু হতো বিশ্বজুড়ে। ব্যক্তিগত দ্বৈরথ অথবা দলীয়; সবগুলো যেন সমান তালে চলতে থাকলো। দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর ছায়ায় যেন দুই পরম স্বজন। সম্প্রতি আবার চোখে পড়লো সেই দৃশ্য। সবাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবছে, আর কি দেখা যাবে এই দৃশ্য! দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর খ্যাতিমান হয়ে ওঠা, তালিকার শীর্ষে থাকার বিষয়গুলো যেন পরস্পরের অবদানেই ধন্য হলো। উভয়েই তো খেলছিলেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু একই লিগে অর্থাৎ স্প্যানিশ লা লিগায় আসার পর যেভাবে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পেলেন, তা আগে আর কবে হয়েছিল? উভয়ের ভক্ত-সমর্থকরা মনে করেন, উভয়ের মধ্যে পূর্ণতা এসেছিল তারা লা লিগায় থাকতেই। যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবেলায় তারা দিনে দিনে নিজেদের আরও যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন, যা এক দলে থাকলেও হয়তো সম্ভব হতো না। নেইমার যেমন মেসির ছায়া সরিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর তাগিদে পিএসজিতে চলে এসেছিল, একই দলে থাকলে মেসি-রোনালদোর পরিণতিও হতে পারতো তেমনই। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং প্রতিদ্বন্দ্বী দলে থাকায় উভয়েই ছিলেন স্বমহিমায়। মেসি-রোনালদো একে অপরকে সমীহ করতেন। তাদের মধ্যে তেমন বিবাদের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। হয়তো অতিরিক্ত বন্ধুত্ব ছিল না। কিন্তু পরস্পরকে সম্মান করেই চলতেন তারা। তবে রোনালদোর রিয়াল এবং মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে ভিন্ন দুটি লিগে যোগ দেওয়ায় তাদের মধ্যে ফের মাঠের সাক্ষাতের আশা খুবই ক্ষীণ হয়ে আসছিল। সৌদি সরকার নিজেদের ফুটবলের প্রচারণা চালাতে গিয়ে আবারও মুখোমুখি করেছিলেন এই দুই জীবন্ত কিংবদন্তিকে। প্রীতি ম্যাচ হলেও উভয়েই অসাধারণভাবে নিজেদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেছিলেন। মেসি যেমন গোলের মুখ খুলে দিয়েছিলেন ম্যাচের তিন মিনিটেই। তেমনি রোনালদোও জোড়া গোল করে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছিলেন। খেলায় শেষ পর্যন্ত মেসির দল পিএসজি জিতে যায় সৌদি অল স্টারের বিপক্ষে। খেলা শেষ হওয়ার পর তারা এক সাথে ছবি তুলেছেন। একটি ছবিতে দেখা যায়, মেসি ও রোনালদো পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন। এলএম১০-এর কাঁধে সিআর৭-এর হাত। আর দেখতে শুনতে ছোটখাটো মেসির হাত রোনালদোর কোমরে। সৌহার্দ্যর এমন ছবিতে আবেগে ভাসলেন উভয় ফুটবলারের ভক্তরা। রোনালদো ওই ছবিটি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে লেখেন, ফের মাঠ ও স্কোর শিটে ফিরতে পেরে খুবই আনন্দিত। পুরনো সব বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়াটাও দারুণ। এ সময় তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে ভক্তের দল ঠিকই বুঝে গেছে সেই বন্ধুরা কারা। দীর্ঘদিন খেলে এই দুই কিংবদন্তী এখন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে আছেন বলা যায়। তার ওপর দুইজন দুই লীগে। ফলে মেসি-রোনালদো যেমন পরস্পরকে মিস করবেন, একইভাবে মিস করবেন দর্শক-ভক্তরাও। Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues - along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here. Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.
web
d71b5bfe96d2441cc0029a6bcca87526cb3facab
যাঁদের জন্য পৃথিবীর আলো দেখা, যাঁদের হাত ধরে হাঁটতে শেখা, বয়স কালে সেই সন্তানের কাছে ব্রাত্য বাবা-মায়েরা। ছেলে ও বৌমার হাতে অত্যাচারিত এমনই এক বয়স্ক দম্পতিকে বাড়ির অধিকার ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃদ্ধ বয়সের অবলম্বন যে সন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধেই অত্যাচারের অভিযোগ বাবা-মাকে। শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে ছেলে-বউমাকে বের করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ। কষ্ট হলেও, শেষ বয়েসটা একটু শান্তি থাকার আশায় বয়স্ক দম্পতি। About Channel: ABP Ananda is a regional news hub that provides you with comprehensive up-to-date news coverage from West Bengal and all over India and World. Get the latest top stories, current affairs, sports, business, entertainment, politics, spirituality, and many more here only on ABP Ananda. ABP Ananda maintains the repute of being a people's channel. Its cutting-edge formats, state-of-the-art newsrooms command the attention of million of Bengalis weekly. Social Media Handles:
web
2bb9d6f4d24d8979af862cb8e295b30e27b82e2b
আজকাল ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অনেক কোর্স বা কাউন্সেলিং সেশন পরিচালিত হয়। পরিবর্তিত সময়ে একটি শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব থাকা প্রয়োজন, কারণ আজকের পরিস্থিতি কেবল শিক্ষা এবং কর্মজীবনে কী করতে হবে তার উপর নির্ভর করে না? আমরা কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করি তাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ চাকরিজীবী বা কর্মজীবী মানুষই জানেন না যে তাদের কথা বলা, ওঠা-বসাসহ অনেক বিষয়েই খেয়াল রাখা উচিৎ। একজন বিদেশী কোচ 'গ্যারি গান' ব্যক্তিত্ব বিকাশের বিষয়ে ইন্সটাতে ভিডিও শেয়ার করেছে। কোচের মতে, আমাদের কথা বলার ধরনে 'পজ'-এরও একটা বড় ভূমিকা আছে। ধরুন একটি মেয়ের সাথে প্রথমবার দেখা করছেন এবং তার পোশাকের প্রশংসা করতে চান, তাহলে হ্যালো বা এক্সকিউজ মি বলতে হবে এবং ২ বা ৩ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। এর পরে নিজের মনের কথা বলতে হবে। এই ধরণের 'পজ' সামনের ব্যক্তিটিকে অনুভব করে যে সামনের ব্যক্তির আচরণের পদ্ধতিটি দুর্দান্ত। এ ছাড়া কথা বলার সময় পুরনো লাইন না বলে নতুন কিছু বলুন। কথা বলার সময় এটাও মনে রাখবেন যে দ্রুত কথা বলতে বা চিৎকার করতে হবে না। দ্রুত কথা বলার অভ্যাস আশেপাশের মানুষের চোখেও সেই ব্যক্তির ভাবমূর্তি নামিয়ে আনতে পারে।
web
45447c0d44627db93d94cd13949c427ffa27b15fcb5abb2dabf4a7205e669f1a
০ এ হাদিস অনুযায়ী ফজর এবং আসরের পর সাধারণ হুকুম তো এটাই যে, নামাজ পড়া নাজায়েজ । অবশ্য এই হুকুম থেকে কাজা নামাজ আদায়ের বিষয়টি ব্যতিক্রমভুক্ত। এই ব্যতিক্রমভুক্তির ওপর আল্লামা নববি (র.) ইজমা বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাফেজ ইবনে হাজার (র.) বলেছেন যে, সাহাবায়ে কেরামের জামানায় এ বিষয়ে মতানৈক্য ছিলো, এজন্য একটি দল পূর্ববর্তীদের থেকে সাধারণ বৈধতার বক্তব্য বর্ণনা করেছিলেন। এ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত হাদিসগুলো রহিত। ফলে দাউদ জাহেরি এবং ইবনে হাজম (র.)-এর ওপরই দৃঢ় বিশ্বাস করেছেন । কিন্তু অনেকে সাধারণভাবে নিষিদ্ধতার পক্ষে। ফলে আবু বকর এবং কা'ব ইবনে উজরা (রা.) এসব সময়ে কাজা নামাজ আদায় করাও বলেন। এ মাসআলাটির বিস্তারিত বিবরণ হলো, মাকরূহ ওয়াক্ত দুই প্রকার, ১. তিন ওয়াক্ত, তথা সূর্যোদয়, ঠিক দ্বিপ্রহর এবং সূর্যাস্তের সময় । ২. আসর নামাজ এবং ফজর নামাজের পরবর্তী সময় । প্রথম প্রকার সম্পর্কে হানাফিদের মাজহাব হলো, তাতে সর্বপ্রকার নামাজ অবৈধ। ফরজ হোক বা নফল । ইমামত্রয়ের মতে ফরজগুলো জায়েজ, নফলগুলো নাজায়েজ । অবশ্য ইমাম শাফেয়ি (র.)-এর মতে কারণ বিশিষ্ট নফলগুলোও জায়েজ। এ মাসআলার বিস্তারিত বিবরণ পূর্বে এসেছে। রইলো মাকরূহ ওয়াক্তগুলোর দ্বিতীয় প্রকার- তথা ফজর নামাজ ও আসর নামাজ পরবর্তীকাল । এগুলো সম্পর্কেও ইমাম শাফেয়ি (র.)-এর মাজহাব এটাই যে, এগুলোতেও ফরজ ও কারণ বিশিষ্ট নফল নামাজ সবই নাজায়েজ। অবশ্য কারণ বিশিষ্টি নয় এমন নফল নামাজ এ সময়গুলোতে , তার মতে কারণ বিশিষ্ট নফলের অর্থ তাঁর মতে এমন নফল, যেগুলোর কারণ বান্দার ইচ্ছা ব্যতিত অন্য কোনো জিনিসও হয়। যেমন তাহিয়্যাতুল ওজু, তাহিয়্যাতুল মসজিদ, শুকরানা নামাজ, ঈদের নামাজ, চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের নামাজ । এসব ওয়াক্তে ফরজ নামাজগুলোতো হানাফিদের মতে বৈধ; কিন্তু নফলগুলো চাই কারণ বিশিষ্ট হোক, বা না হোক, সবই অবৈধ। কিন্তু শাফেয়ি মতাবলম্বীগণের মতে হেরেমে মক্কায় কারণ বিশিষ্ট নয়, এমন নফলগুলোও বৈধ। অথচ হানাফিদের মতে এ ব্যতিক্রমভুক্তিও ধর্তব্য নয়; এবং এসব সময়ে সব জায়গায় সর্বপ্রকার নফল অবৈধ । একতো সেসব বর্ণনার ব্যাপকতা দ্বারা ইমাম শাফেয়ি (র.) প্রমাণ পেশ করেন, যেগুলোতে তাহিয়্যাতুল ওজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এগুলোতে মাকরূহ ওয়াক্ত কিংবা গাইরে মাকরূহ ওয়াক্তের কোনো তাফসিল বর্ণিত হয়নি। তাছাড়া হেরেম শরিফের মাসআলায় হজরত জুবায়র ইবনে মুতইম (রা.)-এর নিম্নেযুক্ত মারফু হাদিসটি দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন, যাতে বর্ণিত হয়েছে নবী করিম-এর এই বক্তব্য, یا بنی عبد مناف! لا تمنعوا أحدا طاف بهذا البيت وصلى ايـة سـاعـة شـاء مـن لـيـل او نهار 'হে আবদে মানাফের সন্তানরা! বায়তুল্লাহ শরিফে কাউকে তাওয়াফ করতে নিষেধ করো না এবং (এখানে) যে কোনো সময় রাত্রে হোক বা দিনে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করো না ।' এর পরিপন্থি হানাফিগণ হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত আলোচ্য অনুচ্ছেদের হাদিস এবং সেসব বর্ণনার ব্যাপকতা দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন, যেগুলোতে ফজরের পর ও আসরের পর নামাজ থেকে সাধারণত নিষেধ করা হয়েছে। হানাফিগণ তাহিয়্যাতুল মসজিদ সংক্রান্ত হাদিসগুলো এবং ওপরযুক্ত । dailying হাদিসটিকে আলোচ্য অনুচ্ছেদের হাদিস দ্বারা বিশেষিত মনে করেন। টাকা- ১. ফতহুল বারি : ২/৪৭ টীকা- ২. মালেক (র.) বলেছেন, নফলগুলো হারাম ফরজগুলো নয়। ইমাম আহমদ (র.) ও তাঁর স্বপক্ষে রয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র তাওয়াফের দু'রাকাত তিনি ব্যতিক্রমভুক্ত করেছেন। -ফাতহুল বারি : ২/৪৭। টীকা- ৩. আল্লামা নিমবি (র.) বলেছেন, এ হাদিসটি পঞ্চ ইমামসহ অন্যরা বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী ও হাকেম প্রমুখ এ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। অবশ্য এর সনদে কিছু আপত্তি আছে। এ কারণে আল্লামা জায়লায়ি (র.)ও এ হাদিসের সনদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। দ্রষ্টব্য 'আছারুস সুনান : ১৯১-১৯২ile 46 ৩৬l iitallisয়া যায়
pdf
567f19326fdb959f455a2d7c5ed89a508cc2b16a790c748a816d9810e5ca02c7
ASSEMBLY PROCEEDINGS [25th Apr শ্রীবিনয়কৃষ্ণ চৌধুরী : একটা কথা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে এই চৌকিদার এব দফাদারদের একটা দাবি ছিল। সেটা হলো যাতে তাদের ফ্যামিলি এ্যাবজরব কর যায় সেই ব্যাপারে। সেই জন্য সেখানে পে-কমিশন হয়েছিল এবং তাতে বলা হয় যে, পঞ্চায়েত দপ্তর এবং হোম ডিপার্টমেন্ট উভয়ে আলোচনা করে ঠিক করুন। এ পঞ্চায়েতে এ্যাবজরব করা যায় এজ এ পিয়ন এবং হোম ডিপার্টমেন্টে এ্যাবজরব কর যায় এজ এ ভিলেজ পুলিশ। প্রশ্নের উত্তরে বলা আছে যে, চৌকিদার এবং দফাদারের সংখ্যা হলো যথাক্রমে ১৯৮৮৮ এবং ৩১৪৪ জন। আবার বলা হয়েছে যে, নূতন কোন চৌকিদার এবং দফাদার নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কর্তব্যরত অবস্থায় যারা মারা যাচ্ছে তাদের সন্তান-সন্ততিরে এ্যাবজরব করার ব্যবস্থা আছে। সেই জন্য পরের প্রশ্নের উত্তরে বলা আছে যে, যদি কেউ মারা যায় কর্তব্যরত অবস্থায় তাহলে তার ছেলে বা কেউ থাকলে তাকে চৌকিদার বা দফাদার হিসাবে নেওয়া হবে না, তাদের অন্য ভাবে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেইজন্য ঐ পোষ্টে যদি সেই কর্মরত কর্মীর ছেলের কোয়ালিফিকেশন থাকে, তাহলে পরে তাকে পঞ্চায়েতের সচিব পদে নিয়োগ করা হবে বা এ্যাবজরব করা হবে। এই ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রীজয়ন্তকুমার বিশ্বাস : মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় তাঁর উত্তরে জানালেন যে, কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে তার পরিবারের কাউকে কোয়ালিফিকেশনের ভিত্তিতে চাকুরি দেওয়া হবে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় গ্রাম বাংলার মানুষ এবং একজন অভিজ্ঞ মানুষ। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, চৌকিদার ও দফাদার পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সমাজের নিচু শ্রেণী - ডোম, বাগদী থেকে আসেন। তাঁদের ঘরে ঐ রকম কোয়ালিফিকেশন সম্পন্ন - স্কুল ফাইন্যাল ইত্যাদি পাশ করা ছেলে পাওয়া যায় না। এই অবস্থায় কর্মরত থাকাকালীন কেউ মারা গেলে আপনি কি করে মনে করছেন তাদের সচিব পদে নিয়োগ করা যাবে ? শ্রীবিনয়কৃষ্ণ চৌধুরী : না, যোগ্যতা না থাকলে কাউকে ঐ পদে এ্যাবজরব করা যাবে না। সাধারণতঃ সমাজের নিচু ঘর থেকে ঐ পদে কাজের জন্য আসেন। তবে ঐ সমস্ত মানুষের মধ্যে কোয়ালিফিকেশন সম্পন্ন কিছু কিছু ছেলের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তাদের ঐ পদে এ্যাবজরব করা হবে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, চৌকিদার ও দফাদাররা এনিয়ে আন্দোলন করছেন। তাঁদের প্রশ্ন হচ্ছে ফাইন্যালি এ্যাবজরব করতে হবে।
pdf
e58f8f222375478ee04a2fd50d2da391864cfd386fa7f44f69c405aefd1cc82e
ALLING ATTENTION থাকবেই। সুতরাং, আপনারা যেটা আজকে বলেছেন কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য আবার যদি মুখ্যমন্ত্রী তাদের জন্য নিরাপত্তা খাতে ব্যয় করেন। আবার আপনারা বলেন যে, নিরাপত্তার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হইতেছে । সুতরাং আলোচনা সমালোচনা থাকৰেই । শ্রীসধীররঞ্জন মজুমদার (মুখ্যমন্ত্রী) : স্যার, আমি একটি কনডিশন দিচ্ছি। প্রথম কথা হলো স্টেটমেন্ট দিতে কোন হৈহোল্ল। করতে পারবেন না। আমি যে স্টেটমেন্ট দিচ্ছি, সেটা শুনেন না শুধু হৈ হোল্লার জন্য। আমি এখানে বলছি যে, যারা বসুরায়ের উপর আক্রমণ করেছেন, সেটার সঙ্গে টেণ্ডারের প্রশ্ন নয়। বয়ে। যারা বিল পাৰেন, বিলের জন্য গেছেন, সেটা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছে। তা সত্ত্বে ও পুলিশ তাদের এরেষ্ট করেছে, এরেষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জসীট দিয়েছে। মিঃ স্পীকার :- আমি নিম্নলিখিত সদস্য মহোদয়দের নিকট থেকে দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশ পেয়েছি, শ্রীচিত্তরঞ্জন সাহা। নোটিশের বিষয়বস্তু হলো, "গত ২২শে সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ইং উদয়পুর কে, বি, আই, ছাত্রাবাসের ছাত্রগণ বোর্ডিং স্টাইপেণ্ডের জন্য ডিপুটি ডাইরেক্টর অব এডুকেশন অফিসে গেলে পর, তাদের উপর পুলিশের লাঠি চ র্জ ও গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে। আমি মাননীয় সদস্য শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহা মহোদয় কর্তৃক আনীত দৃষ্টি আকর্ষণীয় প্রস্তাব উত্থাপনের সম্মতি দিয়েছি। এখন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের উপর বিবৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তিনি যদি আজ বিবৃতি দিতে অপারগ হন তহালে তিনি একটি তারিখ জানাবেন । শ্রীস ধীররঞ্জন মজুমদার (মুখ্যমন্ত্রী):- স্যার, আগামী ১৫ তারিখ এই সম্পর্কে শামি আমার বক্তব্য রাখব। মিঃ স্পীকার :- আমি নিম্নলিখিত সদস্য মহোদয়ের নিকট থেকে একটি দৃষ্টি আকর্ষণী মোটিশ পেয়েছি, শ্রীলুবোধচন্দ্র দাস । নোটিশটির বিষয়বস্তু হলোঃ- ধর্মনগর শহরের বন্যা নিয়ন্ত্রন কল্পে প্রস্তাবিত বাঁধ নির্মাণ করা সম্পর্কে। আমি মামমীয় সদস্য শ্রীলুৰোধচন্দ্র দাস মহোদয় কর্তৃক আনীত দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব উত্থাপনের সম্মতি দিয়েছি। এখন মাননীয় ক্ষুদ্র সেচ ও বন্যানিয়ন্ত্রণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মহোদয়কে এই দৃষ্টি আকর্ষনী নোটিশের উপর বিবৃত্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তিনি যদি আজ বিবৃতি দিতে অপারগ হন তাহলে তিনি একটি তারিখ জানাবেন। শ্রীঅরুণকুমার কর (মন্ত্রী) :মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়, আমি আগামী ১৫ই, আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারী
pdf
dc7dd1f62a7f46c013cf38d6491f17718223da8b
বলিউডের চিত্রজগতকে অলিয়া ভাট, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, বরুণ ধাওয়ানের মত উজ্জ্বল তারকাদের উপহার দেবার পর ফিল্ম মোগল করণ জোহর বেশ কয়েকজন নতুন মুখকে পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে নামী- শ্রীদেবী আর বনি কাপুর দম্পতির কন্যা জাহ্নবী কাপুর, শাহিদ কাপুরের ভাই ঈশান এবং চাঙ্কি পান্ডের কন্যা অনন্যা। তারকাদের আত্মীয় বা সন্তানদের প্রতি করণের এই পক্ষপাত নিয়ে কঙ্গনা রানৌতের অভিযোগের জবাব দেবার জন্যই বোধ হয় চলচ্চিত্র নির্মাতাটি চলচ্চিত্র জগতের বাইরে থেকে শিল্পী আমদানির উদ্যোগ নিয়েছেন। আর তারই নজির তারা সুতারিয়া। তারা বলিউডে নতুন হলেও বিনোদন শিল্পে নতুন নন। তিনি একাধারে একজন নৃত্যশিল্পী, ভিডিও জকি এবং টিভি অভিনেত্রী। করণ জোহর তার প্রযোজনায় নির্মিতব্য 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার' চলচ্চিত্রে তারাকে টাইগার শ্রফের নায়িকা হিসেবে বাছাই করেছেন। পুনিত মালহোত্রা চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন। তারা একজন প্রশিক্ষিত ব্যালে নৃত্যশিল্পী। তাকে টাইগারের সঙ্গে একাধিক নৃত্যদৃশ্যে দেখা যাবে বলে জানা গেছে।
web
4e38347cdbcc92cf10e7f7b0a9922789
বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দেশের ৫শ'টি থানায় ৬ হাজারের বেশি ৪.৫জি এবং ফোরজি প্লাস বিটিএস সাইট চালু করল দেশের শীর্ষ ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। এই অনন্য অর্জনের সাথে অন্য সব অপারেটরের আগে রবিতে ৪.৫জি গ্রাহক সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাজারে ফোরজি সেবায় রবি'র নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মানে দেশের ৯০ শতাংশ থানায় রবি ও এয়ারটেল গ্রাহকরা ৪.৫জি ও ফোরজি প্লাস সেবা উপভোগ করছেন। এ মাইলফলক অর্জনে ফোরজি সেবা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়াটাই স্বাভাবিক; কিন্তু একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে রবি'র ৪.৫জি ও এয়ারটেলের ফোরজি প্লাস সেবা উপভোগ করতে গ্রাহকদের হাতে ফোরজি সিম ও ফোরজি উপযোগী হ্যান্ডসেট থাকতে হবে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে রবি এবং এয়ারটেল ব্র্যান্ড বাজারে নিয়ে এসেছে আকর্ষণীয় সব ফোরজি উপযোগী হ্যান্ডসেট। রবি ও এয়ারটেল গ্রাহকরা এখন স্যাসমাং জে সিরিজের ফোরজি হ্যান্ডসেট কিনলে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার উপভোগ করছেন। এছাড়া আকর্ষণীয় সব বান্ডেল অফার খুঁজে পেতে ভিজিট করতে গ্রাহকরা রবি'র ই-কমার্স সাইট- www.shop.robi.com ভিজিট করতে পারেন। রবি'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন বলেন, "এই মাইলফলক অর্জন করার জন্য রবি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। স্পষ্টতই এ অর্জন ৪.৫জি সেবার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিযোগীদের অনেকদূর এগিয়ে গেল। এই শিল্পে ডিজিটাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে পথ চলছি আমরা। ৫শ'টি থানায় ৬ হাজারের বেশি ৪.৫জি বিটিএস সাইট চালু করার মাধ্যমে রবি সে লক্ষ্য অর্জনে অনেকটাই এগিয়ে গেল।" গত ২০ ফেব্রুয়ারী অন্যসব অপারেটরের আগে দেশব্যাপী ৬৪টি জেলায় রবি'র ৪.৫জি এবং এয়ারটেলর ফোরজি প্লাস সেবা চালু করেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। সেরা ইনডোর কভারেজ, দ্রততম ইন্টারনেট গতি এবং নিরবিচ্ছিন্ন কভারেজ দিচ্ছে অপারেটরটি।
web
285ac37485f6da5ffaf655e83f3ea880e5cc94e6497b1a02ee9a3699aba88ea8
১০ম স্কন্ধে ২৩শঃ অধ্যায়ঃ । নুনু স্বার্থবিমূঢ়ানাং প্রমত্তানাং গৃহেহ্যা। অহো নঃ স্মাবযামাস গোপবাক্যৈঃ সতাং গতিঃ ॥ ৪৪ অন্যথা,পূর্ণকাম্য কৈবল্যাদঘাশিষাং পতেঃ। ঈশিতব্যৈঃ-কিম্যাভিবীশষ্যৈতদ্বিড়ম্বনম্ ॥ ৪৫ বাসরূপঃ ব্রহ্মচারিধর্ম্মঃ) ন (নৈর্বাস্তি ) তপঃ (তপোন্ধপঃ বানপ্রস্থধর্ম্মঃ) ন ( নৈবাস্তি ) আত্মমীমাংসা আত্মবিচাররূপঃ যতিধর্মঃ ) ন ( নৈবাস্তি ) শৌচং ( যথাশাস্ত্রং স্নানাচমনাদিকং ) ন ( নৈবাস্তি ) শুভাঃ ক্রিয়াঃ ( সন্ধ্যোপাসনাগাঃ যজ্ঞেশ্বরাচনা্যাশ্চ) ন ( নৈব দস্তি ) তথাপি ( তাসাৎ দ্বিজাতিসংস্কারাদিরহিতত্বেঽপি) উত্তমঃশ্লোকে ( কারুণ্যভক্তবাৎসল্যাধিনা প্রথিতযশসি ) যোগেশ্বরেশ্বরে ( যোগেশ্বরাণাং শেষষনকাদীনামপি ঈশ্বরে পরমপূজ্যে ) কৃষ্ণে (,স্বয়ং ভগবতি শ্রীনন্দনন্দনে) দৃঢ়া ( নিশ্চল) ) ভক্তিঃ (প্রেমা বৰ্ত্ততে ); সংস্কারাদিমতাং (দ্বিজাতিসংস্কারাদিমতাং ) অস্মাকং (ব্রাহ্মণানামস্বাকস্থ ) ন ( নৈব ভক্তিলেশোঽপি বস্তুত ইতি ভাবঃ) ॥ ৪২ ৪৩ মূলানুবাদ। - আমাদের পত্নীগণেব উপনয়নাদি সংস্কার, বেদাধ্যয়নার্থ গুরুগৃহে বাদ, ভপ্যা, আত্মবিচার, শৌচ কিংবা কোনপ্রকার শুভক্রিয়াব অনুষ্ঠান নাই, কিন্তু তথাপি তাহাদের যোগেশ্বরেশ্বর ঐকৃষ্ণে যে গাঢ় ভক্তি দেখা যায, উপনয়ন সংস্কারাদি সর্ব্বগুণযুক্ত আমাদের তাহার লেশগন্ধমাত্রও নাই ॥ ৪২।১৩ • শ্রীবৈষ্ণভোষণী। - আশ্চর্য্যত্বমেব ব্যনক্তি নাদামিতি যুগ্মকেন। দ্বিজাতিসংস্কার উপনয়নাদি?স্বর্ণদ্বারং তথা শৌচং সামান্তধর্ম্মঃ। গুরুনিবালদিয়শ্চ ক্রমেণ ব্রহ্মচারিবানপ্রস্থযতিগৃহিধৰ্ম্মাঃ। তত্র চ শোকাবেশেন ক্রমাতিক্রমঃ। কিম্বা। গার্হস্থ্যধর্ম্মস্ত বহুমানেন পশ্চান্নিদেশঃ, অতএব শুভা ইত্যুক্তিঃ । অথাপি তত্তদ্রহিতত্বেঽপি কৃষ্ণে দৃঢ়া ভক্তিরাসাং জাতা। তা মাহাত্মেন তদ্ভক্তেরপি মাহাত্ম্যং বোধয়িতুং ডং বিশিংষত্তি। উত্তমঃশ্লোকে বৈরিণামপি মোক্ষাদিদানাৎ পরমসখ্যাত্মিতি। যোগানামীশ্বরা ভক্তিযোগবস্তস্তেযামীশ্বরে সেবানে লভ্যে । ভক্তির্দৃঢা ক্বতবিরোধৈরস্মাভিরপি পরিচ্ছেত্ত মশকরা। পুনরাশ্চর্য্যমেব ব্যতিরেকেণ প্রয়তি। নচেতি। অত্র 'দ্বিজাতিসংস্কারাদয়ঃ স্বয়ং ভক্তেঃ কারণানি ন ভবস্ত্যেব, গুগ্ণকসৎসঙ্গত্বাঁসাং তৎকারণতয়া ন অমীভিরহুমাতুৎ শক্ত ইতি শ্ৰীশুকদেবাভিপ্ৰায় । ৪২।৪৩ অন্বয়ঃ । ~অহো সতাং (ভক্তানাং ) গতিঃ ( আশ্রয়ঃ ঐকৃষ্ণঃ) গোপবাক্যৈঃ (গোপজনোচিতবাক্যৈঃ, গোপবালকানান্ অন্নপ্রার্থনরূপৰাক্যৈব্বা) স্বাৰ্থবিমূঢ়ানাং (ভক্তিহীনানাং পবমাজ্ঞানাং ) গৃহেহ্যা ( গৃহদেহাঘাশভ্যা তষ্ণৈব ভোগচেষ্টয়া ) প্রমত্তানা' { অনবহিতাত্মনাং ) নঃ ( অস্মাকং ) স্মারয়ামাস ( আত্মানং স্মারয়ামাস) ৪৪ মূলানুবাদ।~~আমরা আত্মহিতকব কাৰ্য ভুলিয়া কেবলমাত্র দেহ গেহাদি লইয়াই মত্ত ছিলাম, সেইজন্য ভক্তজনপরিপালক শ্রীকৃষ্ণ, গোপবাক্য দ্বারা আমাদের খচরণ স্মরণ করাইয়া দিয়াছেন ॥ ৪৪ শ্রীবৈষ্ণৰভোষণী। - উত্তমঃশ্লোকত্বগ্নেব দর্শয়স্তি নূনং নিশ্চিতং "সৰ্ব্বাসামপি সিদ্ধীনাং মূলং ভচ্চরণার্চ্চনম্ ইতি ন্যায়েন তদ্ভক্তিং বিনা সৰ্ব্ব্যাপ্যর্থহাসিছেঃ স্বার্থে বিমূঢ়ানাং অভ্যস্তাজ্ঞানাং যতো গৃহেহয়া গৃহক্বত্যেন প্রমত্তানাম্ অনবহিতানাং নোঽস্মন্ স্মারয়ামাস আত্মনিয্ । যতঃ সতাং স্বস্বাধিকারপ্রাপ্তবেদোক্ততৎপরাণাং গতিঃ। যথা সতাং ভক্তানাং গতিরপি কেবলকারুণ্যেনৈবেত্যর্থঃ। যথা সম্ত এব তাবৎ পরমদয়ালবঃ। সতু ভেষামপি গতিরাশ্রয় ইতি । অহো আশ্চর্য্যং উত্তমঃশ্লোকত্বাত্তেন বোধিতা অপি ব্যমবিবেকা ন বুদ্ধবন্ত ইতি ভাবঃ ॥ ৪৪ অন্বয়ঃ 1- অন্যথা ( অস্মস্থ কৃপাবিতরণমন্তরেণ) পূর্ণকাম্য (নিত তৃপ্তস্থ ) কৈবল্যাদ্যাশিষাং পতেঃ (কৈবল্যাদিসৰ্ব্ববিধপুরুষার্থপ্রদানসমর্থস্থ্য) ঈশ্য (সর্ব্বেশ্বর্য শ্রীকৃষ্ণা ) ঈশিতব্যৈঃ ( সদৈব পরস্তহৈঃ) অস্মাভিঃ ( জীবৈঃ) কিং` ( কিং প্রয়োজন' ? ) এতৎ { অন্নপ্রার্থনং তু) বিড়ম্বন; (কৃপযা তদহুকরণয়ের ভবতি নৈবাহৎ কিঞ্চিদিতি ভাবঃ ) ॥ ৪à
pdf