doc_id
large_stringlengths
32
64
text
large_stringlengths
0
560k
type
large_stringclasses
3 values
c4d7100a11ed92a9d7ea29b61ea04407c2ff7d6a
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে শত পুরস্কার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি। শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে শনিবার বিকালে শত শিশুদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। চার ধাপে একশ শিশুদের মাঝে ক শাখার জন্য একটি করে কমিক বুক, গ্লোব, বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ক্রিস্টাল, তিন প্যাকেট রং, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট, টপসহ গাছ ও প্রথম স্থান অর্জনকারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য দেয়া হয়েছে। আরও পড়ুনঃ মার্চে মুক্তি পাবে 'বঙ্গবন্ধু'! এ ছাড়া খ-গ-ঘ শাখার শিশুদের প্রতিটি প্যাকেটে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, একাত্তরের সহযোদ্ধা, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন, শত বর্ষে বঙ্গবন্ধুর বই যুক্ত করা হয়েছে। বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ।
web
d9a16f302f6d97d11a1621b545ceab0752db1008
এবার সিনেমা হলে তাদের বড় প্রজেক্ট রিলিজের পথে হাঁটছে ডিজনি ইন্ডিয়া (Disney India)। করোনা দুনিয়াকে পিছনে ফেলে চলতি বছর নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের বেশ কিছু বড় সিনেমা রিলিজ করতে চলেছে ডিজনি। দ্য মার্ভেল থেকে অবতার ২ (Avatar2), থোর লাভ। একের পর এক সিনেমা ২০২১ সাল থেকে পরপর রিলিজ করতে থাকবে ডিজনি। অবতার টু রিলিজ করবে আগামী বছর ১৬ ডিসেম্বর। (টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ সোশাল মিডিয়া থেকে আপনার কাছে সর্বশেষতম ব্রেকিং নিউজ, ভাইরাল ট্রেন্ডস এবং ইনফরমেশন নিয়ে আসে SocialLY। উপরের পোস্টটি ব্যবহারকারীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি এম্বেড করা হয়েছে এবং লেটেস্টলি এতে কোনও সংশোধন বা সম্পাদনা করেনি। সোশাল মিডিয়া পোস্টের মতামত এবং তথ্য লেটেস্টলি-র মতামতকে প্রতিফলিত করে না। লেটেস্টলি এর জন্য কোনও দায়বদ্ধতা বা দায় গ্রহণ করে না। )
web
23710440246edc341559af4309c41bae3a744dcd
শুভব্রত মুখার্জিঃদীর্ঘ টালবাহানার পরে কেটেছে ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব বনাম ইনভেস্টর চুক্তি জট। তারপরে আর একটুও সময় নষ্ট না করে দলগঠনের কাজে মরিয়া হয়ে নেমে পড়েছেন কতৃপক্ষ। অমরজিত সিং কিয়াম, শুভ ঘোষদের মতন বেশ কিছু নতুন প্রতিভাবান তারকাকে চুক্তিবদ্ধ করার পাশাপাশি তারা আদিল খান, রাজু গায়রকোয়াড়দের মতন অভিজ্ঞ ফুটবলারদেরও দলে নিয়েছেন। তবে দল গঠনের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ না হলেও প্রায় শেষের পথে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোচ রবি ফাওলারের দলের সঙ্গে যোগদানের অপেক্ষায় সমর্থকরা। যা খবর তাতে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকেই ভারতে আসছেন তিনি। আর এসেই তিনি সোজাসুজি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন দলের গোয়ার শিবিরে। খবর অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতে আসতে চলেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার রবি ফাওলার। লাল হলুদের প্রাক মরশুম শিবির এ বার বসবে গোয়াতেই। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরুর ভাবনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। তবে কোভিড প্রোটোকল মেনে বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসে কাটানোর জন্য অনুশীলনের প্রথম দিকে বেশ কয়েকটা দিন দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না ফাওলার। দু'সপ্তাহের নিভৃতবাস কাটানোর পরে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আশা করা হচ্ছে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। দলের ভারতীয় ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেলেও বিদেশিদের সঙ্গে এখনও লাল হলুদের চুক্তি হয়নি। জানা গিয়েছে পাঁচজন পছন্দের বিদেশির তালিকা নাকি ক্লাবকে পাঠিয়েছেন ফাওলার। কর্মকর্তাদের তরফে কথাবার্তা চলছে সেই সব বিদেশীদের সঙ্গে । তবে চুক্তির পর্যায়ে এখনও কথাবার্তা পৌঁছায়নি। ফলে কোনকিছু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিদেশি ফুটবলারদের চুক্তি চূড়ান্ত না হলেও স্থানীয় ফুটবলারদের কোটা প্রায় সম্পূর্ণ লাল হলুদের। শনিবার নাওরেম সিংকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে লাল হলুদের গোলকিপার সমস্যা এখনও মেটেনি। ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শীঘ্রই নিয়ে ফেলবেন অরিন্দম ভট্টাচার্য।
web
bc244cbab312b2beec2942dd5fc626b16b97a044
গত মার্চ মাস পর্যন্ত চলতি অর্থ বছরের ৯ মাসে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি হয়েছে ১২ কোটি ৮০ লাখ কেজি। তা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবি আর) বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য মাত্রায় রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৮১ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম। কাস্টমস সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ চলতি অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবি আর) বেঁধে দেওয়া চলতি অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২১৬ কোটি ৬৫ লাখ। লক্ষ্য মাত্রা পেরিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৮১ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। চলতি অর্থ বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১৩০%। ২০১৯-২০ গত অর্থ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫৩ কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। গত অর্থ বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ১৮৩%। কাস্টমস সুত্রে আরও জানা যায়, চলতি অর্থ বছরের জুলাই মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৬ কোটি ৭৬ লাখ, রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগস্ট মাসের লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ১৩ কোটি ৩৪ লাখ, রাজস্ব আদায় হয়েছে ২০ কোটি ২৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ২০ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অক্টোবর মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ১৮ কোটি ৪১ লাখ, রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ২২ হাজার টাকা। নভেম্বর মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৩১ কোটি ৬৩ লাখ, রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৫২ কোটি ৫৭, রাজস্ব আদায় হয়েছে ২২ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার টাকা। জানুয়ারি মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ২৮ কোটি ৩৭ লাখ, রাজস্ব আদায় হয়েছে ২০ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারী মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৩০ কোটি ৮৬ লাখ, রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। গত মার্চ মাসে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬১ কোটি ৩৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম জানান, গত অর্থ বছরের চেয়ে, চলতি অর্থ বছরের রাজস্ব আদায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল প্রকার অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধ হওয়া, দ্রুততর সময়ে পণ্য চালান খালাস করা হচ্ছে। কার্যক্রমের সকল ব্যাপারে কঠোর নজরদারি এবং ন্যায়সঙ্গত সমস্যার ব্যপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত ও সমাধান দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে আমদানি- রপ্তানিতে আরো উৎসাহিত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বিগত বছরের সমান পন্য বাহী ট্রাক আমদানি হওয়া সত্বেও রাজস্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজস্ব প্রবৃদ্ধির এই ধারাকে অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আমরা অর্থবছরের শেষ নাগাদ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
web
481bfa756cd35a99dfdabef6a31d008a3c357f6a226038a0a1b8d808fb34bfdd
কী নাম আপনার তবে? বল্ল্ব কেন গা? তুমি চাপতে পারো আর আমি লুকোতে পারিনে? এই ত সেদিন, কানের পাশে দাঁড়িয়ে ডাকছি লাবণ্যকে, শুনতেই পায় না, যেন কে কা'কে ডাকছে! ওগো, অমন হয়। রাসমণি নামটা মনের সঙ্গে অভ্যেস ক'রে নিতে আমারে। লেগেছিল তিনমাস । সত্যবাল। কহিল, আপনি কি জন্যে এখানে এসেছিলেন দিদিমণি? চোখ কপালে তুলিয়া রাসমণি কহিলেন, শোনো কথা মেয়ের, কি জন্যে আসতে হয়েছিল তা দেবতাদেরও জানতে দিইনি, আর মরণকালে, বল্য তোমাকে ? তোমাদের মতন সতীসাবিত্রী কি আর ভূ-ভারতে নেই বলতে চাও ? সত্যবালা অনেকক্ষণ চিন্তা করিল, তারপর বলিল, শেফালি যে বললে, বিয়ে হয়নি, সেটাও কি মিথ্যে ? রাসমণি এবার রাগ করিয়া কহিলেন, তুমি বুঝি ছিলে ওর শুভদৃষ্টির সময় ? বলি, এত জেরা কেন ? কুমারী মেয়ের! অত আলল্গা নয়, বুঝলে, তারা আশায় আশায় থাকে ঘরের ভেতর ! বিয়ে হওয়া আর বিধবারা, এরাই সহজে পথে পা বাড়ায়। বলে, বিয়ে হয়নি শেফালির! বাগানের ফুল আর বাসি ফুল, এ আমি দেখলেই চিনতে পারি। সিঁদূরটুকু মুছে আসতে কতটুকু সময় লাগে, গা। এই যে তুমি এসেছিলে পরিচয় ভাঁড়িয়ে, পরামর্শ করে পাঁচটা লোক নিয়ে শ্বশুরবাড়ী থেকে পালিয়ে এলে, চোর-দায়ে ধরিয়ে দিলে সঙ্গীদের ! হবে না বাছা, তোমাদের যে ফূর্ত্তির প্রাণ! ঘরের আগল সইবে কেন ? ভালো জ্বালা । তাঁহার মাংসল মূখের নিষ্ঠুর বক্রহাসি দেখিয়া সত্যবালা স্তম্ভিত হইয়া গেল। স্থূল দেহ দোলাইয়া একবার কটাক্ষে সকলকে লক্ষ্য করিয়া রাসমণি চলিয়া গেলেন। সত্যবালার ইচ্ছা হইল, ছুটিয়া গিয়া তাঁহার হাতখানায় ঝাঁকানি দিয়া বলে, অপমান করিবার অধিকার তোমার নাই, তুমি আমার শ্বশুরবাড়ীর দাসীগিরিরও যোগ্য নও। - কিন্তু তাহার পা উঠিল না, নীরবে দাঁড়াইয়া রহিল ! মুহূর্তের জন্য একবার চোখ দুইটা জালা করিয়া আসিল। প্রতিবাদ করিবার উপায় নাই। অপমান বোধ করিবারও অধিকার নাই। এখানে অন্ন আছে, আশ্রয় আছে। আশ্চর্য্য, ওই স্ত্রীলোকটির কথায় আজ যেন
pdf
7a511a68ca1ba156583e7082d5936524445015f1f474f2249de1b688234b96de
কুঠির হাতার কিছু দূরে কুঠিয়াল লারমার সাহেবের এক শিশুপুত্রের সমাধি পরিত্যক্ত ও জঙ্গলাকীর্ণ অবস্থায় পড়িয়া আছে। বেঙ্গল ইণ্ডিগো কসারনের বিশাল হেডকুঠির এইটুকু ছাড়া অন্য কোনও চিহ্ন আর অখণ্ড অবস্থায় মাটির উপর দাঁড়াইয়া নাই। নিকটে গেলে অনেক কালের কালো পাথরের ফলকে এখনও পড়া যায় - Here lies Edwin Lermor, The only son of John & Mrs. অন্য অন্য গাছপালার মধ্যে একটি বন্য সোঁদাল গাছ তাহার উপর শাখাপত্রে ছায়াবিস্তার করিয়া বাড়িয়া উঠিয়াছে, চৈত্র বৈশাখ মাসে আড়াই-বাঁকীর মোহনা হইতে জোর হাওয়ায় তাহার পীত পুষ্পস্তবক সারা দিনরাত ধরিয়া বিস্মৃত বিদেশী শিশুর ভগ্ন-সমাধির উপর রাশি রাশি পুষ্প ঝরাইয়া দেয়। সকলে ভুলিয়া গেলেও বনের গাছপালা শিশুটিকে এখনও ভোলে নাই। বালক অবাক হইয়া চারিদিক চাহিয়া দেখিতেছে। তাহার ছয় বৎসরের জীবনে এই প্রথম সে বাড়ী হইতে এতদূরে আসিয়াছে। এতদিন নেড়াদের বাড়ী, নিজেদের বাড়ীর সামনেটা, বড়জোর রাণুদিদিদের বাড়ী, ইহাই ছিল তাহার জগতের সীমা। কেবল এক এক দিন তাহাদের পাড়ার ঘাটে মায়ের সঙ্গে স্নান করিতে আসিয়া সে স্নানের ঘাট হইতে আবছা দেখিতে পাওয়া কুঠির ভাঙা জ্বালঘরটার দিকে চাহিয়া দেখিত~~আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া বলিত, মা, ওদিকে কি সেই কুঠি? সে তাহার বাবার মুখে, দিদির মুখে, আরও পাড়ার কত লোকের মুখে কুঠির মাঠের কথা শুনিয়াছে, কিন্তু আজ তাহার প্রথম সেখানে আসা। ঐ মাঠের পর ওদিকে বুঝি মায়ের মুখের সেই রূপকথার রাজ্য? শ্যাম-লকার দেশে বেঙ্গমাবেঙ্গমীর গাছের নীচে, নির্বাসিত রাজপুত্র যেখানে তলোয়ার পাশে রাখিয়া শুইয়া রাত কাটায়? ও ধারে আর মানুষের বাস নাই, জগতের শেষ সীমাটাই এই। ইহার পর হইতেই অসম্ভবের দেশ, অজানার দেশ শুরু হইয়াছে। বাড়ী ফিরিবার পথে সে পথের ধারের একটা নীচু ঝোপ হইতে একটা উজ্জ্বল রং-এর ফলের থোলো ছিঁড়িতে হাত বাড়াইল। তাহার বাবা বলিল, হাঁ হাঁ, হাত দিও না - আলকুশী আলকুশী। কি যে তুমি করো বাবা! বড্ড জ্বালালে দেখছি। আর কোনদিন কোথাও নিয়ে বেরুচ্চিনে বলে দিলাম - এক্ষুনি হাত চুলকে ফোস্কা হবে - পথের মাঝখান দিয়ে এত করে বলচি হাঁটতে - তা তুমি কিছুতেই শুনবে না। - হাত চুলকুবে কেন বাবা? - হাত চুলকুবে, বিষ বিষ - আলকুশীতে কে হাত দেয় বাবা? শুঁয়ো ফুটে রি রি করে জ্বলবে এক্ষুনি - তখন তুমি চীৎকার শুরু করবে। গ্রামের মধ্যে দিয়া হরিহর ছেলেকে সঙ্গে করিয়া খিড়কির দোর দিয়া বাড়ী ঢুকিল। সর্বজয়া খিড়কির দোর খোলার শব্দে বাহিরে আসিয়া বলিল - - এই এত রাত হোল! তা ওকে নিয়ে গিয়েচ, না একটা দোলাই গায়ে না কিছু। হরিহর বলিল - আঃ, নিয়ে গিয়ে যা বিরক্ত! এদিকে যায়, ওদিকে যায়, সামলে রাখতে পারিনেআলকুশীর ফল ধরে টানতে যায়। পরে ছেলের দিকে চাহিয়া বলিল - কুঠির মাঠ দেখবো, কুঠির মাঠ দেখবো - কেমন, হোল তো কুঠির মাঠ দেখা? পথের পাঁচালী অষ্টম পরিচ্ছেদ সকাল বেলা । আটটা কি নয়টা। হরিহরের পুত্র আপন মনে রোয়াকে বসিয়া খেলা করিতেছে, তাহার একটা ছোট টিনের বাক্স আছে, সেটার ডালা ভাঙা। বাক্সের সমুদয় সম্পত্তি সে উপুড় করিয়া মেঝেতে ঢালিয়াছে। একটা রং-ওঠা কাঠের ঘোড়া, চার পয়সা দামের, একটা টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু-বাঁশী, গোটাকতক কড়ি। এগুলি সে মায়ের অজ্ঞাতসারে লক্ষ্মীপূজার কড়ির চুপড়ী হইতে খুলিয়া
pdf
13a2cd24bb390b3b5009a55461f053f71e9154a3
Bangla Help? Forget Password? Search for: বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যার খুনীচক্রের হাতে বাংলা টিভির লাইসেন্স গেল কী ভাবে? খালেদা জিয়াকে নিয়ে মার্কিন শিল্পী এমিলি এন্ডারসনের গান (ভিডিও) (পূর্বের সংবাদ) (পরের সংবাদ) । NewsPress Theme by: । Powered by:
web
59fdf3f1311ad48858d75f04ad6f200a681a7048
স্টাফ রিপোর্টারঃ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লুর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠক করেছেন। গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। তুরস্কের আনাতালিয়া ডিপ্লোম্যাসি ফোরামে অংশ নেন ড. মোমেন। এ সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লুর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আরব আমিরাত সফরে ছিলেন। সেখান থেকে তুরস্কে সফরে যান।
web
d07166f04031b1056d74997f7653f7bd
একদিকে ভুল রেশন কার্ড বাতিল করা, অন্যদিকে ডাক সমস্যা এড়ানো এই দুই সমস্যার সমাধান করতে ই রেশন কার্ড চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ডিজিটাল রেশন কার্ডের পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানা গিয়েছে। খাদ্য অধিকর্তাদের দাবি রাজ্যের প্রায় 10 কোটি মানুষের কাছে ডিজিটাল রেশন কার্ড পৌঁছানোর কথা। কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় চলে এলো,অথচ মানুষের হাতে এখনও ডিজিটাল রেশন কার্ড পৌঁছয়নি। খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের মোবাইল নম্বার দিয়ে রেশন কার্ড পেতে পারবেন যে কেউ। শুধুমাত্র চালু রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার এবং মোবাইল নম্বর যুক্ত করতে হবে। মোবাইল থেকে রেশন কার্ড দেখালে নির্ধারিত খাদ্যসামগ্রী পেতে পারবেন রেশন দোকান থেকে। মনে করা হচ্ছে, নতুন বছরের শুরুতেই পরিষেবা চালু হতে পারে। আগে রেশন কার্ড না নিয়ে দোকানে গেলে খাদ্যশস্য দেওয়া হতো না। এখন ই রেশন কার্ড পরিষেবার আওতায় কোন গ্রাহক এলে তিনি খাদ্য দপ্তর এর মূল সার্ভার থেকে উপভোক্তার এলাকার রেশন দোকানে বার্তা দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে রেশন কার্ড দিয়ে জিনিসপত্র কিনতে গ্রাহকদের সমস্যা হবে না। আধার নম্বর যুক্ত থাকবে। ফলে অন্য কেউ নকল করতে পারবে না। কিউআর কোড থাকায় সুরক্ষা অনেক বেশি। অন্যান্য কার্ডের মতই রেশন কার্ডকে বৈধতা দিতে কোনো বাধা থাকবে না। সরকারের লকডাউন এর সময় ডিজিটাল রেশন কার্ড একযোগে গ্রাহকদের কাছে পাঠাতে বেশ সমস্যা হয়েছিল পরবর্তী পর্যায়ে রেশন কার্ড পাঠানোর প্রক্রিয়া এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জুন মাস পর্যন্ত সমস্ত গ্রাহককে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। লকডাউনে কাজকর্ম বন্ধ থাকায় আধার সংযুক্তিকরণ এর প্রক্রিয়া শুরু হলেও শেষ হয়নি। বিপুলসংখ্যক কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ এর কাজ এখনো বাকি। এই অবস্থায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর নতুন করে কোনো সমস্যা তৈরি হোক চাইছে না রাজ্য। সেই কারণে রেশন পদ্ধতিতে আরো একবার সংস্কার করা হয়েছে।
web
040ce4f5e07d2f6bfb4378144366f41d03df634b
শীতের ভোরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ব সম্মিলনের কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি হবে দ্বিতীয় পর্ব। এবার প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। আর দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায়। ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, শুক্রবার ফজরের পর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক শুরু করেন আম বয়ান। একইসঙ্গে তা বাংলায় তরজমা করে শোনানো হয়। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত চলবে তাবলীগের ছয় উসুলের এ বয়ান। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের আলেমরা মূল বয়ান করবেন। মূল বয়ান বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষাভাষীদের জন্য তাৎক্ষণিক তরজমা করে শোনানো হবে। ইজতেমা মাঠের মুরব্বি আব্দুন নূর বলেন, "তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমা হয়। মাঠের সব কাজ করা হয় পরামর্শের মাধ্যমে। এখানে বিদ্যুৎ, পানি, প্যান্ডেল তৈরি, গ্যাস সরবরাহ প্রতিটি কাজই আলাদা আলাদা গ্রুপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর শীতের মধ্যেই বুধবার থেকে টঙ্গীর পথে ইজতেমাগামী মানুষের ঢল নামলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবারই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ইজতেমা ময়দান। প্রায় এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল মাঠকে বাঁশের খুঁটির উপর চটের ছাউনি দিয়ে ইজতেমার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বয়ান মঞ্চ করা হয়েছে ইজতেমা মাঠের পশ্চিম-উত্তরের মাঝ বরাবর। বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে বিশেষ ছাতা মাইক। বয়ান ও দোয়া মঞ্চ ছাড়া নামাজের মিম্বরও তৈরি করা হয়েছে আলাদাভাবে। পুরো মাঠকে জেলাওয়ারী আলাদা ৯১ ভাগে (খিত্তায়) ভাগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষ অবস্থান নিয়েছেন সেসব খিত্তায়। এসেছেন বিদেশিরাও। তাদের জন্য ইজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত আলাদা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। মাঠে জায়গা না হওয়ায় অনেকে রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে ত্রিপল বা পলিথিনের সামিয়ানা টাঙিয়ে তার নিচে অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার সকালেও বাস, ট্রাক, ট্রেনের চড়ে, অনেকে পায়ে হেঁটে গাজীপুরের টঙ্গীতে আসছেন ইজতেমায় যোগ দিতে। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত এ আগমন ধারা অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার দুপুরে এই ইজতেমা মাঠেই হবে জুমার নামাজে দেশের সর্ববৃহৎ জামাত। কাকরাইল মসজিদের মাওলানা জোবায়ের ইমামতিতে ১৫ লাখ মানুষ এই জামাতে নামাজ পড়বেন বলে ধারণা দিচ্ছেন তাবলিগের মুরুব্বিরা। এই নামাজের জন্যই ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে জড়ো হচ্ছেন টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কর্মকাণ্ড সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয় করে জেলা প্রশাসন। বিদেশি মেহমানদের আবাসস্থল নির্মাণের জন্য টিন সরবরাহ, বিভিন্ন দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের স্থান নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিভাগীয় প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন কাজের তদারকিও জেলা প্রশাসন করে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দল অনিয়মের বিচারে থাকবে টঙ্গীজুড়ে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মাঠের পাশে ৩১টি টয়লেট বিল্ডিং করা হয়েছে। এক সঙ্গে নয় হাজার মানুষ তা ব্যবহার করতে পারবেন। বিআরটিসি ও রেলওয়ে ইজতেমায় আসা-যাওয়ার জন্য বিশেষ সার্ভিসের পদক্ষেপ নিয়েছে। ময়দানের পশ্চিম পাশে তুরাগ নদীর উপর সেনাবাহিনী পাঁচটি ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও ময়দানের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা বিধান করবেন। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এবার সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যুক্ত করেছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, ময়দান ও আশপাশে ১৪টি নিয়ন্ত্রণকক্ষ রয়েছে পুলিশের। র্যাবের হেলিকপ্টারে টহল থাকবে। এ ছাড়া ডগ স্কোয়াড টিম, মোবাইল পেট্রোল টিম, বোম ডিসপোজল টিম থাকবে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইজতেমায় আসা মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পাঁচটি ক্যাম্প স্থাপনের কাজ চলছে। এখান থেকে ২৪ ঘণ্টাই ওষুধ ও সেবা পাওয়া যাবে। হাসপাতালের সাতটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এখানে মোতায়েন থাকবে। করোনাভাইরাসের প্রকোপের আগে দুই বছর দুই ভাগে বিশ্ব ইজতেমা করেছে দুই পক্ষ। মাঝখানে মহামারীর কারণে দুই বছর ইজতেমার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এবার মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা প্রথম পর্বে ১৩-১৫ জানুয়ারি এবং মাওলানা সা'দ পক্ষের অনুসারীরা ২০-২২ জানুয়ারি ইজতেমা পরিচালনা করবেন। প্রতি পর্বেই শেষ দিনে আখেরি মোনাজাত হবে। বিদেশ থেকে আসা অতিথিরা প্রথম পর্ব শেষে ইজতেমাস্থল ত্যাগ করে হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে যাবেন। আর দ্বিতীয় পর্বের বিদেশি মেহমান যারা আসবেন তারা ইজতেমা মাঠেই অবস্থান করবেন এবং ইজতেমা শেষে তারা যার যার গন্তব্যে চলে যাবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আশা প্রকাশ করেছেন, দুই পক্ষই একে অপরকে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এই ধর্মীয় সম্মিলনের কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ করবেন।
web
fcd66138d59cd62c4fe1385c4895ed32bed476d755ebe615db454d6c204007b9
আমাদের কথা যে কোন মানুষকেই যদি প্রশ্ন করা হয়- যুদ্ধ চান নাকি শান্তি তিনি অবশ্যই বলবেন শান্তি। অথচ পৃথিবীতে আজ শান্তির বড় অভাব, সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে অশান্তি, হানাহানি ও অস্থিরতা। মানুষের মনগড়া মতবাদই এই সব অশান্তির একমাত্র কারণ। শুধুমাত্র পৃথিবীতে শান্তি, শৃংখলা, ভালবাসা ও সুখ ফিরিয়ে আনতে পারে ইসলাম। আল্লাহর দেয়া ও রাসুলের (সঃ) দেখানো পথ ইসলাম। ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন বিধান। মানুষের জীবনের প্রতিটি দিক ও বিভাগ সম্পর্কেই ইসলামের বিধান সুস্পষ্ট ও সুন্দর । ইসলাম সহজ, সরল, সকলের অনুসরণ করার মত, বিজ্ঞানসম্মত ও সব সময়ই আধুনিক । যা ইসলাম তা'ই বিজ্ঞান, তা'ই আধুনিক। কিন্তু এই সহজ ও সুন্দর ইসলামকে না জানা ও না বুঝার কারণেই অনেকে ইসলামের নাম শুনলে ভয় পায়। দেশের ভবিষ্যত নাগরিক শিশু-কিশোরদের কাছে ইসলামের পরিপূর্ণ রূপটি সহজ ও সুন্দরভাবে তুলে ধরার তীব্র প্রয়োজনীয়তা বহুদিন ধরে অনুভব করা হচ্ছিলো। "মোদের চলার পথ ইসলাম" বইটি প্রকাশের মাধ্যমে অনেকদিন পর সে চাহিদা সামান্য হলেও পূরণ করা গেল বলে আমরা আল্লার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। বিশিষ্ট শিশু-কিশোর সাহিত্যিক জনাব মাসুদ আলী তাঁর সুপরিচিত সহজ ভাষা ও সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বইটি লিখে নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের অভাব পূরণ করেছেন। আশা করি বইটি শিশু-কিশোরদের কাছে ইসলামের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে সহায়ক হবে। বইটিকে আরো সুন্দর করার ব্যাপারে যে কোন পরামর্শ আমরা সাদরে গ্রহণ করবো। লেখকের কথা চঞ্চল তরুণ মনের সবটুকুই রোমান্টিক নয়। শরতের হিমেল বাতাস আর বসন্তের ফুলের সুবাস তার মনকে যতটুকু চঞ্চল করে তার চেয়ে বেশী চঞ্চল হয় তার মন সমাজের কুটিলতা, হানাহানি, জুলুম ও নির্যাতন দেখে। পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির প্রতি পলে পলে অন্যায় ক্লেদ, হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থপরতা, নীতিহীনতা, কথা ও কাজের গরমিল আজকে তরুণ সমাজকে তাই করেছে বিদ্রোহী, তার চলাকে করেছে উদ্দাম। তারুণ্যে উজ্জীবিত দিশেহারা মন কোন আদর্শের পরিচয় না পেয়ে হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির মত ধ্বংসকামী, এইতো স্বাভাবিক । অথচ তারুণ্যের এই উদ্দামকে, তার কোমল হৃদয়ে সুপ্ত ভালবাসাকে, তার প্রতিভাকে, যোগ্যতাকে, দেশ ও দশের কাজে মোটকথা মানবতার উপকারে লাগাতে হলে তরুণদের সামনে তুলে ধরতে হবে এক সুন্দর আদর্শ- যে আদর্শ তরুণ মনে হাজারো প্রশ্নের উত্তর যোগাবে, যে আদর্শ তাকে নিজকে চিনতে শেখাবে, যে আদর্শ তাকে দিবে পথের দিশা। আজ তাই তরুণ সমাজের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। "মোদের চলার পথ ইসলাম" তরুণদের কাছে ইসলামের বিপ্লবী আওয়াজ তুলে ধরার এমনি একটি প্রয়াস। এই পুস্তক যদি আমাদের তরুণদের মনে ইসলামকে বুঝা, তাকে মনে প্রাণে গ্রহণ করা এবং জীবনের সকল দিকে বাস্তবায়নের প্রেরণা যোগায় তবেই আমাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে । আল্লাহ আমাদের এই উদ্যোগ কবুল করুন। আমীন ।
pdf
7fdbd20c858b6fb99a6a9823cb277e8669845c4e
গুলি ছোড়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ৩ তারিখ ফোন পেয়ে পুলিস যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন গুলিবিদ্ধ রঞ্জুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ঘাড়ে গুলি লেগেছিল। তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায়।
web
9a43e339f32aeda162e2335f3b0af73da7617f3c
সব ঠিকঠাক চললে ২৬ অগস্ট চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে জাপানের 'চন্দ্রযান'। গবেষণা চালাবে পৃথিবীর উপগ্রহের বুকে। তার জন্ম, বিবর্তন নিয়ে তুলে আনবে অনেক নতুন তথ্য। এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন। ভারতের পর জাপান। গন্তব্য সেই চাঁদ। মাঝে ব্যবধান মাত্র তিন দিনের। সব ঠিকঠাক চললে ২৬ অগস্ট চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে জাপানের 'চন্দ্রযান'। গবেষণা চালাবে পৃথিবীর উপগ্রহের বুকে। তার জন্ম, বিবর্তন নিয়ে তুলে আনবে অনেক নতুন তথ্য। ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ভারতের 'চন্দ্রযান ৩'। তার তিন দিন পর ২৬ অগস্ট, চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে জাপানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র জাপানিস এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)-এর তৈরি চন্দ্রযান। জাপানের তৈরি সেই ল্যান্ডারের নাম স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেশন মুন (এসএলআইএম)। চাঁদের বুকে নেমে খোঁজখবর নেবে সে। স্লিম ল্যান্ডার থেকে যে রোভার নামবে চাঁদের বুকে, তা এক্স-রে ছবি তুলবে। সে কারণে এই অভিযানের নাম এক্স-রে ইমেজিং অ্যান্ড স্পেকট্রোস্কোপি মিশন (এক্সরিজ়ম)। এই অভিযানে জাক্সার সঙ্গে সহযোগিতা করবে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। পরবর্তী কালে কৃষ্ণগহ্বর, নিউট্রন স্টার, সুপারনোভার বিষয়েও গবেষণা চালানো হবে। প্রসঙ্গত, একটি নক্ষত্র ধ্বংস হওয়ার মুখে যে তিনটি ভাগে ভেঙে যায় সেগুলি নিয়েও গবেষণা চালানো হবে। এর মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণগহ্বর। এক্সরিজ়ম -এর উদ্দেশ্য হল কৃষ্ণগহ্বর, নিউট্রন স্টার এবং সুপারনোভার উচ্চ মানের এক্স-রে তুলে জাপানের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে পাঠানো। এর ফলে সেগুলির গঠন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হবে। জাপানের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদে কেমন করে অবতরণ করে ল্যান্ডার, তা বোঝাই হল তাদের চন্দ্রাভিযানের মূল লক্ষ্য। এর ফলে ভবিষ্যতে চাঁদের আরও কঠিন জায়গায় সহজেই অবতরণ করতে পারবে তাদের ল্যান্ডার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। অবতরণের সময় জাপানের ল্যান্ডারের ওজন থাকবে ৫৯০ কেজি। চাঁদের পৃষ্ঠ স্পর্শ করার সময় এর ওজন হবে ২১০ কেজি। জাক্সার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ল্যান্ডারের উচ্চতা ৯ ফুট (প্রায় ২.৪ মিটার), প্রস্থ ৮.৮ মিটার (২.৭ মিটার), গভীরতা ৫.৬ মিটার (১.৭ মিটার)। লক্ষ্যবিন্দুর ৩২৮ ফুট (১০০ মিটার) দূরত্বের মধ্যে অবতরণ করাই আপাতত লক্ষ্য ওই ল্যান্ডারের। সূত্রের খবর, এই ল্যান্ডারের একটি র্যাডার রয়েছে, যা নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণে সাহায্য করবে। অবতরণের পথে কোনও বাধা থাকলে তা আগে থেকেই আঁচ করতে পারবে এই ল্যান্ডার। সেই মতো পদক্ষেপ করতে পারবে। জাক্সা সূত্রের খবর, চাঁদের যে জায়গায় অবতরণ করতে হবে, তার ছবি আগে থেকেই ধরা থাকবে ল্যান্ডারের। সেই ছবি মিলিয়েই সঠিক জায়গায় অবতরণ করতে পারবে সে। জাক্সার তরফে জানানো হয়েছে, এই এসএলআইএম ল্যান্ডারের গঠন এমন যে, তার ফলে অবতরণের খরচ অনেক কম পড়বে। আরও কম দূরত্বের অভিযানেও অনায়াসে যেতে পারবে সে। চাঁদের ঠিক কোথায় অবতরণ করতে পারে তাদের ল্যান্ডার, তা-ও জানিয়েছে জাক্সা। ভারতের ল্যান্ডার নেমেছে দক্ষিণ মেরুতে, যে পিঠ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। জাপানের ল্যান্ডার নামবে সেই পৃষ্ঠে, যা পৃথিবী থেকে দেখা যায়। জাক্সার তরফে জানানো হয়েছে, তুলনামূলক ভাবে নতুন তৈরি হওয়া শিওলি গহ্বরে অবতরণ করবে সে। পৃথিবী থেকে চাঁদের যে দিক দেখা যায়, সেখানে রয়েছে এক শূন্য সমুদ্র (মেয়ার নেকটারিস)। তার মধ্যেই রয়েছে সেই শিওলি গহ্বর। যার বিস্তৃতি প্রায় ৯৮৪ ফুট (৩০০ মিটার)। সেই শিওলি গহ্বরে নামবে জাপানের ল্যান্ডার। প্রসঙ্গত, ভারতের চন্দ্রাভিযানেও এ বার সঙ্গী হতে চলেছে জাপান। জাক্সার সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তি হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর। ভারত এবং জাপান যৌথ ভাবে 'চন্দ্রযান-৪' অভিযানে কাজ করবে। এই অভিযানের আসল নাম লুপেক্স (লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন)।
web
446db697f5f02377e8f7748dfac922b59cf23470
সামনের দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। সোমবার ডিএমপি হেডকোয়াটার্সে এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ডিএমপিতে কর্মরত যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) টুটুল চক্রবর্তীকে ঢাকা রেঞ্জে পদায়ন হওয়ায় তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ডিএমপি কমিশনার পদায়ন কর্মকর্তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে বলেন, টিম ডিএমপিতে কাজ করা সত্যিই আনন্দের। যেহেতু বিদায়ী অতিথি দীর্ঘদিন ডিএমপিতে কাজ করেছেন সেহেতু সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন কর্মস্থলে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। বাংলাদেশ পুলিশের বেস্ট পুলিশ অফিসাররা ডিএমপিতে কাজ করে থাকে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামনে দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। পদায়নকৃত কর্মস্থলে নিজের দক্ষতা দিয়ে বিদায়ী অতিথি সেই ক্রাইসিস মোকাবেলা করতে পারবেন বলে আমি আশা করি। অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
web
f7014eac10441437d90d849160546d01903aa038
শাহীন খন্দকারঃ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৯৮ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী'র উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে ১৫ জন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুলইসলাম চৌধুরী। সরেজমিনে দেখা যায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশেই গড়ে উঠেছে ৩২ একর ভুমির উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। এখানে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের অধীনে ১৪টি বিভাগে পাঠদান চলছে। এই শিক্ষালয়ে ২ হাজার ৩১১জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন এবং শিক্ষকতা করছেন ১৬০জন শিক্ষক। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরী কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন নিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। এই শিক্ষালয় বাঙালি সন্তানদের গৌরবের প্রতিষ্ঠান। আধুনিক যুগের চাহিদা মেটাতে ও তরুণ-তরুণীদের উচ্চমানের শিক্ষা উপহার দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল উচ্চতর শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের একটি কেন্দ্র তৈরি করা। যা জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত করবে। সমাজের চাহিদা, সামাজিক বিকাশ ও মানবকল্যাণে সাড়া জাগাবে। এখান থেকে উচ্চমানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি, দূরদর্শী নেতা ও আলোকিত নাগরিক তৈরি করবে। এতে করে ব্যক্তিরা তাদের বৌদ্ধিক, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত সম্ভাবনা অর্জন করতে পারবে। ২৪ বছরের পথচলায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনে অনেকটাই এগিয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসছেন। সবুজ ক্যাম্পাস আপন করে নিয়েছে সবাইকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সহশিক্ষা কার্যক্রমে প্রাণবন্ত থাকে নব্বই দশকের এই বিদ্যাপীঠ। গণ বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ বর্ষে পদার্পণ করছে যা অন্তত আনন্দের ও গৌরবের। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবগাঁথা নিয়ে ২৫ বর্ষে পা রাখছে আমাদের প্রাণপ্রিয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোভিড-১৯ আক্রান্ত পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, শিক্ষার্থী উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলকে অভিনন্দন ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
web
1457e1ef19ec99e9bef4b61bf7763ebe376b395b
কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তুলুয়া শহরের একটি কারাগারে দাঙ্গা ও আগুন লেগে কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার জাতীয় কারা সংস্থার প্রধান জেনারেল তিতো কাস্তেলেনাস বলেন, পালানোর প্রচেষ্টা চালাতে কারাবন্দীরা নিজেদের ম্যাট্রেসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে। এছাড়া, অন্য কোনো ঘটনা ঢাকতে দাঙ্গা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে। নিহতরা সবাই কারাবন্দী কি না কিংবা ঘটনার সময় কেউ পালিয়ে গেছেন কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। কারা সংস্থার প্রধান আরো বলেন, "এটি এক মর্মান্তিক ও ভয়াবহ ঘটনা।" কলম্বিয়ার কারা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র শুরুতে বলেছিলেন, বন্দীরা কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পালাতে গিয়ে কেন হতাহতের ঘটনা ঘটবে সে প্রশ্নের সদুত্তর মিলছে না।
web
58b01c54880ef4f795f33e3960a3ec5e
ভালবাসা ভালবাসে শুধুই তাঁকে ভালবেসে ভালবাসায় বেঁধে যে রাখে। এই 'ভালবাসা' কি শুধু শরীরের? একটি পুরুষ আর একটি নারী দেহের সম্পর্কের নাম কী 'ভালবাসা'? আমার যে বলি ভালবাসার জন্ম দেয় মন। তাইতো আদর করে ভালবাসার মানুষটি বলা হয় 'মনের মানুষ'। তাই যদি হয়, তবে ওঁদের 'ভালবাসা'য় কেন সমাজের এতো আপত্তি? কেন ওঁদের 'ভালবাসা' জন্ম নেয় সমাজে নতুন নাম 'লেসবিয়ান'। তবে কবির কথায়, 'গোলাপকে যে নামেই ডাক না কেন, সে গোলাপই থাকে'। তাই ভালবাসা একটি মেয়ের হোক কিংবা একটি লেসবিয়ানের আদতে তা ভালবাসাই থেকে যায়। তাইতো আজ তাঁদের ভালবাসায় মেলেছে স্বীকৃতির ডানা। এমন আনন্দের দিনে এই লেসবিয়ান প্রেম গলিতে একটু ঘোরাঘুরি হোক। 'হোক কলোরব, ফুল গুল সব সব লাল না হয়ে নীল হল কেন'? মনে-প্রাণে-আত্মায় প্রতিনিয়ত একটু একটু সে বেড়ে উঠছে পুরুষ সত্ত্বায়। কিন্তু শরীরে-দেহে সে এক নারী। নিজেকে লুকিয়ে প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে তাঁর লড়াই। কিন্তু একদিন কলের তলে ভিষন জলে খালটি হয় ঝিল। সেই ঝিলের 'আয়না জলে' জন্ম নেয় চিত্রাংঙ্গদারা। একটি মেয়ে প্রেমে পড়বে একটি ছেলের অলিখিত এক অনিবার্য নিয়ম। অন্যথা হলেই বিপদ। তাইতো স্পাইক করা চুল, হাফ হাতা টি-শার্টে উঁকি মারা বলিষ্ঠ বাইসেপে কলেজ হার্টথ্রব আকাশ দা-কে নয়, খোলা চুল, চুড়িদার, কাজল চোখে পৌলমী দি-র প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করলেও কোনও দিন সেকথা বলতে পারেনি সোলানি। কৃষ্ণ বিরহে কাতর রাধার মতো বিরহ জ্বালা এখানেও। তবে শুধু কি বিরহ! থেকে যাওয়া না বলা কথা, অসমাপ্ত ভালবাসা, নিজের সত্ত্বাকে হারিয়ে ফেলে জীবন গলিত নিজেকে খুঁজে ফেরা সব মিলিয়ে মনের গহ্বরে ঢুকরে সে কেঁদে ওঠে..... আর চুপি চুপি বলে ওঠে 'বনমালি তুমি পর জনমে হইয়ও রাধা.......' পুরনো কাসুন্দি নিয়ে ঘাটাঘাটিঃ লোকে বলে আজকের প্রজন্মের ভিমরতি হয়েছে। মেয়েতে-মেয়েতে আবার কিসের ভালবাসা হে...। যত সব অপসংষ্কৃতি। কিন্তু মাননীয় গুরুজনেরা আপনাদের একটু ভুল হচ্ছে। সময়ের উল্টে দিকে তাকালে আপনারা দেখতে পাবেন সমলিঙ্গের প্রতি ভালবাসা আমাদের রক্তে রয়েছে। ইতিহাস বলছে যীশু খ্রীষ্ঠের জন্মের আগে থেকে এ ধরনীতে বিদ্যমান সমকামীতা। বিভিন্ন লিপি ও চিত্রপটে মিলছে তার প্রমাণও। পার্থক্য একটাই আগে নিজের সত্ত্বাকে লুকিয়ে নিজেদের তাঁরা সপে দিয়েছে বিষম-লিঙ্গের ভোগে-বিলাসে। কিন্তু আজ অনেকেই মুক্ত কন্ঠ। নিজেদের চাওয়া-পাওয়াটা ছিনিয়ে নিতে শিখেছে। তাই এ প্রজন্মের মাথার বিকৃতি নয়। আসলে তাঁরা তাঁদের প্রাপ্তিটি বুঝে নিতে শিখেছে। তাই দয়া করে এই জেনেরেশনকে দায়ী করবেন না প্লিজজজজজ......। আফটার অল 'জিন' কথা বলে। এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া.... 'অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোনও দাবিদাবি...' লেসবিয়ান প্রেমের দাবি সত্যি 'শুধু তোমাকে চাওয়া'। তাইতো নিজের অতীত-ভবিষ্যৎ সব ভুলে একসঙ্গে পথ চলা শুরু হয় দুটি নারী শরীরের। নিজের পরিবারকে ফিরে পাওয়া প্রত্যাশা তাঁদের থাকেনা, না থাকে নিজেদের অস্তিত্ব পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার দাবি। যা থাকে তা হল শুধু ভালবাসা। এই প্রেম জানে না কতটা পথ পেরলে পাবে মথুরা। শ্যামের বাঁশিতে কবে খুলবে মানুষের বন্ধ মনের দরজা। হাজার বছর পেড়িয়েও সমকামী ভালবাসার ফ্রেমটা যে একই রকম রয়েগিয়েছিল। মানুষের ঘৃণা, তাচ্ছিল, হাসি আর বিকৃতকামের তকমার চার ফেম্রে বন্দি। তবে 'প্রেম' কোনদিন আর চোখ রাঙানি ভয় করেছে। তাই আজ 'হোক কলোরব' তাঁদের ভালবাসাও কম নয় কারও থেকে। ময়দান থেকে ভিক্টোরিয়া, বনবিতান কিংবা সিসিডি সাক্ষী থাকুর তাঁদের ভালবাসার। আজ থেকে যে বাতিল সমস্ত দন্ডবিধান। মস্ত বড় অন্ধকারে স্বপ্ন দেখে দুটি চোখ। রহস্য নীল রাতের আলোয় খুঁজে ফেরে তাঁর 'প্রিয়া'কে। কে জানে, " রাধা ভালবাসে কি না রাধাচূড়াকে"। পীড়িত ভ্রমরায় দংশন করে প্রিয়াকে। এ যেন সমুদ্রমন্থনে অমৃতের সন্ধান। কিন্তু একদিন তাঁর গুন গুন মনের গান বাতাসে ভেসে ধরা দেয় মেঘ। তখনই হয় প্রেম প্রেমবৃষ্টি। শুরু হয় এক প্রেম-কাহিনির। শুরু হয় এক লড়াইয়ের। যে যুদ্ধের হাতিয়ার ভালবাসা আর সেনাপতি মনের মানুষটি। নারী-পুরুষের ভালবাসায় যখন জন্ম নেয় নতুন এক জীবন। তখন দুই নারীর ভালবাসায় জন্ম হয় নতুন এক 'আমির'। সঙ্গীর পছন্দনে কেউ কেটে ফেলে তাঁর সখের লম্বা চুল, কেউ বা সাধের শাড়িটি শরীরে আর জড়ায় না। প্রকৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কেউ কেউ আবার বদলে ফেলে নিজের শরীর। চাহিদা থাকে শুধু একটু সঙ্গীর মুখের হাসি, আর ভালবাসা। তাই 'প্রেম' এই গলিও সহজ নহে। শুভেচ্ছায় ভরা আজ ওঁদের আকাশঃ I will right away grab your rss feed as I can't in finding your email subscription hyperlink or e-newsletter service. Do you've any? Kindly let me recognise so that I may just subscribe. Thanks. https://penzu.com/p/793c8671 bookmarked!!, I love your blog! "I loved your article. Really Great." Kudos This was an incredibly wonderful article. Thank you for supplying these details. http://www.helios7.com/lawyers/car-accident/ - Very good article. I will be experiencing many of these issues as well.. http://www.academia.edu/38514281/Simple_New_York_Personal_Injury_Hi5Lawyers_Methods_-_Updated - Saved as a favorite, I really like your blog! Hello, came across your website, thanks so much for your the post you have here. It would be amazing if you can maintain your good {work।effort) you had put in. There are other related post at Piermont Grand. Do check it out too! Hey, came across your blog, thanks for the post you have here. It would be cool if you can maintain your good work you had put in. There are many other related post that you can see at Piermont Grand EC. Do take a look too!
web
9a2605bad02595a75116d47d9c7f6a913bef0f92
সৌদি আরবের তায়েফে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নজরুল ইসলাম সুমন, সুমন মোল্লা ও মো. আলম। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম সুমন ও সুমন মোল্লা নোয়াখালীর এবং মো. আলম গাজীপুরের বাসিন্দা। নিহত নজরুল ইসলাম সুমন সৌদি আরব কিলো-১৪ শাখা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়া সুমন মোল্লা সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং মো. আলম স্থানীয় বিএনপির সদস্য ছিলেন।
web
53402f46598b794aaee3898c0fb9f62a
নূরে আলম জীবনঃ দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি)। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সংগঠনটির জন্ম হয়। এরপর ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সঙ্কটে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছে সংগঠনটি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শক্তিশালী ইউনিট হিসেবে বিগত দিনগুলো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় এবার ব্যাপক উদ্যােগ নিয়েছে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ। শৃঙ্খলার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে র্যালী সম্পন্ন করবে দক্ষিণ ছাত্রলীগ। প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডকে কঠোর নিদের্শনা দিয়েছে নগর নেতা জুবায়ের।
web
22b3a5b2e822e6a3ed0b058cc4e2643a
সৌদি আরবে বাথরুমে প্রবেশ করা নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে জবাই করে হত্যা করা হয় এক বাংলাদেশীকে। সৌদি আরবের আল খারিজ শহরের আজিজিয়া নামক স্থানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বাংলাদেশীকে জবাই করে হত্যা করেছে নিহতের দুই বাংলাদেশী রুমমেট। সৌদি আরবে বাংলাদেশীকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় দুই বাংলাদেশী রুমমেটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সৌদিতে বাথরুমে প্রবেশ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বাংলাদেশীকে জবাই করে হত্যার ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, সৌদি আরবের আল খারিজ শহরের আজিজিয়া নামক স্থানে বাংলাদেশী একটি ভিলাতে রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত বাংলাদেশীসহ অপর দুইজন মিলে তারা একই রুমে বসবাস করতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাথরুমে প্রবেশ নিয়ে রুমমেটদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে দু'জন মিলে একজনকে বাথরুমে ফেলে গলা কেটে হত্যা করে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। পুলিশ পুরো এলাকা কর্ডন করে ভিলার বাকি বাঙালিদের সাহায্যে দুই হত্যকারীকে গ্রেফতার করেছে। সৌদি আরবের আল খারিজে গলাকেটে হত্যার যুবকের নাম মোঃমাইনুদ্দিন। নিহত মাইনুদ্দিন হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি আরবে নিজ রুমে এ ঘটনা ঘটে।
web
8f9f2239f2f95e5e6994e3ef6a311f8c63a02342
এদিকে এই সিরিজের মধ্যদিয়ে ৬ বছর পর প্রথমবার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর ম্যাকমিলান জানান, সেপ্টেম্বরের শেষে কলম্বোতে শুরু হতে যাওয়া তিন সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্পে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অনেক সময় দিতে হবে। কেননা করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রিকেটারদের দীর্ঘদিন খেলার বাইরে থাকতে হয়েছে। আর ৬ বছর পর তিন ম্যাচের সিরিজটি টাইগারদের জন্য অনেক বড় সুযোগ বলে মনে করেন তিনি।
web
98d95e0ba1e302f6db3582b3b05bf17791e3a53e
ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মাত্র দুটি ট্রেন চেয়েছে। রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের সঙ্গে কথা বলার পর এমনটাই দাবি করলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। যদিও এব্যাপারের রাজ্য সরকারের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁরা যে যেখানে আটকে পড়েছে তাঁদের জন্য সাধ্য মতো রসদ জুগিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। কিন্তু তাঁদের ফিরিয়ে আনতে গেলে একদিকে যেমন রেলমন্ত্রকের সাহায্য জরুরি, ঠিক তেমনই রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা থাকাটাও জরুরি। আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার পাশাপাশি সরকারের অবস্থান জানতে অধীর চৌধুরী নিরন্তর কথা চালিয়ে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। অধীর চৌধুরী আরও দাবি করেছেন, তাঁকে রেলমন্ত্রী বলেছেন, শ্রমিকদের ফেরাতে ব্যাঙ্গালোর থেকে ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতে রাজ্য সরকার আগ্রহ দেখায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কাথে অধীর চৌধুরী বারবার আবেদন করেছেন, যদি তাঁকে সরকারি কাজে লাগানো যায়। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে তিনি আগেও চেষ্টা করেছেন, ভবিষ্যতেও তাঁর চেষ্টা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন অধীর। এখনও পর্যন্ত কেরল ও আজমেড় শরিফ থেকে ফিরেছেন রাজ্যের প্রায় ২৫০০-র মতো বাসিন্দা। তবে আজমেড় থেকে আসা ট্রেনে বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী ছিলেন।
web
cfbed396ba7523453674d943ae7508b5b845556c
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদঃ বাড়িতে ঝাঁট দিতে গিয়ে বিস্ফোরণ! (Explosion) আহত হলেন এক মহিলা ও তার শিশুকন্যা। সোমবার এই ঘটনা ঘিরে লালগোলার (Laalgola) ময়াগ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জখম ওই মহিলার নাম ফুলসোরা বিবি। জখম ফুলসোরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে তিনি বাড়ির উঠোন ঝাঁট দিচ্ছিলেন (sweeping the yard)। সেখানে খেলছিল তাঁর চার বছরের মেয়ে। সেখানে এক কোণায় একটি ড্রাম দেখতে পান তিনি। সেটি সরিয়ে রাখতে গেলে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। জখম হন ফুলসোরা ও তাঁর শিশুকন্যা। তড়িঘড়ি জখম ওই মহিলা ও শিশুকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তারা। ফুলসোরা বিবির নাক ও হাতের কনুইয়ের অংশে আঘাত রয়েছে। ওই শিশু সামান্য আহত হওয়ার তাদের চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে লালগোলায়। পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ময়াগ্রামে। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বোমা নয়, অন্য কোনও কারণে বিস্ফোরণ বলে দাবি করেছেন ময়াগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুরুদ্দিন আহমেদ।
web
2944a74e7261ce5f3b9cb526516755b84697df726166bcd1c99f77d9921ac4f5
ফিরে পাওয়া হাতের ওপর মাথা রেখে, চোখ বুঁজে সে ভাবতে লাগল'। নিজের ওপর রাগ হ'তে হ'তে হঠাৎ নিজের ওপর সহানুভূতি এল। 'হতে পারে আমি অন্যায় করেছি, কিন্তু তাই বলে কি স্ত্রীর কথা মত উঠতে বসতে হবে। কেন আর কারুর তো স্ত্রীকে অত কৈফিয়ৎ দিতে হয় না। তারা তো যখন খুসী ৰাড়ী যায় - রাত ১২টা নেই ১টা নেই। পে কেন সবিতার কথা শোনে। তার উচিৎ ছিল - কি উচিৎ ছিল? প্রশ্নের মীমাংসা হয় না। তিনটে-চারটে বেজে গেল, তবুও কোন কিনারা হ'ল না। অনেক রকম উত্তর পাওয়া গেল। নরম হতে হবে। দোষ স্বীকার করতে হবে। শক্ত হতে হবে। কথা শোনা উচিত। সে এবার অনবরত কথ। কইবে। প্রতিজ্ঞা করবে। কেন প্রতিজ্ঞ। কবে ? এ রকমের নান। মীমাংসা করার কথা মনে হ'ল, কিন্তু কোনটাই মনোমত হ'ল না। পাঁচটার সময় মনে হ'ল আচ্ছা এ সব বিষয়ে তো বিপিনবাবুর বেশ জ্ঞান। ওঁর কাছেই পরামর্শ নেওয়া যাক্ না। মনে হওয়ামাত্রই বিপিনবাবুর কাছে উপস্থিত -"আচ্ছ। ঠাকুর্দা মনে করুন ঠানূদির সঙ্গে আপনার মনোমালিন্য হয়েছে, অবশ্য দোষটা আপনার, এবং আপনি সেটা ভাল রকমই জানেন - এমন অবস্থায় আপনি কি করেন ? বিপিনবাবু একটু মুখ টিপে চোখ ঘুরিয়ে বল্লেন "হুঁ!" তারপর বল্লেন "বুঝলে ভায়া, ক্ষেত্র-কৰ্ম্ম বিধিয়তে। তবুও একটা 'তুক্' বলে দিই ; এসৰ অবস্থায় বাড়ী ঢুকেই কথা আরম্ভ করে দেবে। মোটেই থাম্বে না। তুমি যদি কথা না কও তো নাতনী হুরু ক'রে দেবেন। আর মেয়েমানুষ যদি একবার কথা আরম্ভ করে তো সহজে থামে না। তাকে একেবারে কথা কইবার অবকাশ দিও না। কি কথা ? - এই, এই ধরণা কেন, সামান্য খুঁটি নাটি নিয়ে সেই বিয়ে করা থেকে এ-নাগাদ তার যা কিছু খুঁৎ, সে থাক্ বা নাই থাক্ - সব হুড় হুড় করে বক্তৃতা দেবে। প্ল্যাটফর্ম স্পিচ, ভায়া, বাঙালীর একমাত্র অস্ত্র। নাতনী 'দেখবে, একেবারে থ'। তার পর - " "তার পর ?" একটু মুচকে হেলে বিপিনবাবু তার পিঠ চাপড়ে বল্লেন, "অাঁ, একেবারে নাবালক - তারপর, দেখাবে তুমিই যেন তাকে ক্ষমা করলে - অপাঙ্গদৃষ্টিতে একবার? চাইবে আর সন্ধি হয়ে যাবে- একটা সোহাগভরা অধরামৃত বিভাস নিজের জায়গায় ফিরে এসে এ-সব কথা বেশ আলোচনা করে দেখল। তারপর ৬টা বাজলে আপিস থেকে বেরুল। ভাব্ল' এবার জয়ের আশা নিশ্চিত। সদর দরজা ভেজান ছিল। সে ঠেলে বেশ গটট্ করেই ঢুল'। সামনেই চোখে পড়ল স্থলপদ্মের গাছ। বিভাস সেদিকে চেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ধরল' এবং হাত মুঠো করল'। সমস্ত পথ সে ঠাকুর্দার ব্যাবস্থাগুলা রিহাস্যাল দিতে দিতে এসেছে -কি বলবে কি করবে। সব তার বেশ মনে আছে। আরো এ ঘটনা তারপর ওটা, তারপর সেইটে এইরকম! বাড়ীর দরজা ঠেলে বাইরে ঘরের পাশ দিয়ে দালানে পড়বে - তখনও তার সব মুখস্থ। তারপর - উঠানে পড়তেই সামনে দেখে সবিতা দাঁড়িয়ে। তার সঙ্গে চোখোচোৰী হ'তেই বিভাস কথার খেই হারিয়ে ফেল্পে, ঢোক গিলে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইল। কোন কথাই তার মনে আসে নাশত চেষ্টা করেও সে একটা উপদেশ মনে আনূতে পারলে না। তার শরীর যেন কেমন অবশ হ'য়ে এল । নিশ্চল পাথরের মতন সে দাঁড়িয়ে রইল'। তার দৃষ্টি মাটিতে সন্নন্ধ থাকলেও বেশ বুঝতে পারল' ঐ সবিতা তার দিকে এগিয়ে আসছে। এইবার - তিরস্কারের পালা। সেই কথার পর কথা! তারই দোষ, হাঁ সতাই সেই দোষী। সবিতা কাছে এগিয়ে এল। তার শাড়ীর আঁচল বিভাগের গায়ে ঠেকূল'। হঠাৎ সে অনুভব করুণ সবিতার বাহুপাশে সে আবদ্ধ - সবিতার মুখ তার গালের ওপর, সবিতার চোখের জল তাঁর গালে পড়ছে। "সবিতা ! সবি! আমি - " "কিছুই গুন্তে চাই না গো আমি। কিছু না, কিছু না । কিছু বলিতে হবে না, অমল ঠাকুরপোকে আমার সেই চিঠি পাঠিয়ে দিল তার উত্তর থেকে জানতে পেরে তুমি আফিসে? আছ, সব দুর্ভাবনা কেটে গেছে কত দেবতাকেই না সারারাত মানত করে কাটিয়েছি - তাদের আশীর্ব্বাদে
pdf
19de948ba11d51f39738d032db56e1ab88caa292b40fd9e2950690e687b9a3f3
আরো গান চাই স্নেহময়ী - হরিরলুটের বাতাসাগুলো বড় কাঁসার থালাটায় সাজিয়ে দিস। আর·· বাণী - জানি, জানি। আমি সব করবো। তুমি যাও তো আসরে । অমরেশ - এসো এসো । গান প্রায় শেষ হয়ে এলো । [ একগল। ঘে'মটা দিয়ে স্নেহময়ী গেলেন স্বামীর সঙ্গে ] বাণী - মনে মনে লোভটুকু আছে, যত রাগ কেবল মুখে···সাধে কি তোমায় সবাই পাগল বলে ! [ ভেতর থেকে কিছু এলো। তার মুখ শুকনো, হাতে দুটি ব্লাউজ ] কিন্তু - বাণী, এ দুটো দেখতে। তোর গায়ে হয় কিনা ? বাণী - (জামা নিয়ে ) বাঃ সুন্দর ব্লাউজ দুটো তো। চমৎকার ! ( হাত গলিয়ে ) হ্যাঁ হবে। হঠাৎ সিল্কের ব্লাউজ আনতে গেলে কেন ? অনেক দাম পড়লো তো? কিন্তু - ভালে। জাম। নেই বলে তুই বন্ধুর বিয়েতে গেলি না···তাই নিয়ে এলাম । বাণী - তা বেশ করেছো। আমাকে খুব মানাবে, কি বলো ? কিন্তু - হ্যাঁ । বাণী - কি হয়েছে তোমার? মুখ শুকনো দেখাচ্ছে কেন ? কিনু - কিছু হয়নি তো।
pdf
5ba4f6c819382b22b85e67f53beedd6088aa4cb0
টিআরপি জালিয়াতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নিউজ চ্যানেলগুলোর মধ্যে সংঘাত এবার প্রকাশ্যে। রাজ্যের এক নম্বর নিউজ চ্যানেল ABP ANANDA র বিরুদ্ধে এবার টিআরপি জালিয়াতির অভিযোগে নিয়ামক সংস্থা BARC কে চিঠি দিল কলকাতা টিভি। গত ১২ অক্টোবর, সোমবার TheBengalStory জানিয়েছিল, এবিপি আনন্দ একাধিক চ্যানেলের বিরুদ্ধে টিআরপি জালিয়াতির অভিযোগে BARC কে চিঠি দিয়েছে। এবার টিআরপি জালিয়াতির পাল্টা অভিযোগ তুলল কলকাতা টিভি। তাতে নির্দিষ্ট করে এবিপি আনন্দের দিকে অভিযোগের আঙুল। মুম্বই পুলিশ অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভি সহ ৩ টি চ্যানেলের বিরুদ্ধে টিআরপি জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি একই কাজে নামতে হবে কলকাতা পুলিশকেও? কারণ, কলকাতা টিভি কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে BARC কোনও ব্যবস্থা না নিলে তারা আইনি পথে যাবে। সূত্রের খবর, ১৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার কলকাতা টিভির কর্ণধার ও সম্পাদক কৌস্তুভ রায় চিঠি দেন ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা BARC কে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, প্রতি বৃহস্পতিবার যে টিআরপি রেটিং প্রকাশ করে BARC, তাতে কলকাতা টিভির পারফর্মেন্সের সঠিক প্রতিফলন হচ্ছে না। কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য বাংলা নিউজ চ্যানেলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কথাও লেখা হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, টিআরপি সংগ্রহের মেশিনে কারচুপির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে কোনও কোনও চ্যানেলের টিআরপি বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে সন্দেহ করছে কলকাতা টিভি। এই সন্দেহ নিরসনে BARC কে তদন্তের আর্জি জানিয়েছে কলকাতা টিভি। ঠিক কী অভিযোগ কলকাতা টিভির? BARC কে পাঠানো চিঠিতে কলকাতা টিভির অভিযোগ, এ বছর ৩৩ থেকে ৩৯ তম সপ্তাহের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডে কলকাতা টিভির ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে BARC। কিন্তু অ্যাভারেজ টাইম স্পেন্ট ও সাপ্তাহিক জিআরপিতে তার কোনও প্রতিফলন তো নেই-ই, উল্টে ৩৩ তম সপ্তাহে কলকাতা টিভির জিআরপি যেখানে ছিল ৩০. ৪৪ সেখানে ৩৯ তম সপ্তাহে তা কমে হয়েছে ২৫. ২৪। তাদের প্রশ্ন, একই সঙ্গে বৃদ্ধি ও হ্রাস কী করে সম্ভব? এরপর এবিপি আনন্দের নাম করে BARC এর কাছে নালিশ জানিয়েছে কলকাতা টিভি। সকাল ও সন্ধ্যায় এবিপি আনন্দের অ্যাভারেজ টাইম স্পেন্ট কলকাতা টিভির চেয়ে অনেক কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও কীভাবে এবিপি আনন্দের অ্যাভারেজ রিচ পার্সেন্টেজ বেড়ে চলেছে? তাহলে কি নির্ণয় প্রক্রিয়ায় কারসাজি করছে এবিপি আনন্দ, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখুক BARC। চিঠিতে আর্জি কলকাতা টিভির। প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এবিপি আনন্দ BARC কে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছে, ধারাবাহিকভাবে তারা এক নম্বরে থাকলেও, কোনও দর্শক গড়ে কতক্ষণ চ্যানেল দেখছেন, এই সূচকে তারা দুই বা তিন নম্বরে। তা কীভাবে হয়? এমনকী ৩৯ তম সপ্তাহের (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত) রেটিংয়েও এবিপি আনন্দর মার্কেট শেয়ার বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে (৪১%) হলেও, প্রতি দর্শক কত সময় ব্যয় করেছেন ওই চ্যানেল দেখতে (TSPV), সেই মানদণ্ডে দু'নম্বরে তারা। সেখানে এক নম্বরে কলকাতা টিভি। এবার কলকাতা টিভির পাল্টা অভিযোগ, এবিপি আনন্দ অনেক পুরনো অনুষ্ঠানের পুনঃসম্প্রচার করে। BARC এর রিপোর্ট অনুযায়ী পুরনো অনুষ্ঠানের পুনঃসম্প্রচারেও তারা এত বেশি টিআরপি পায়, যা নতুন অনুষ্ঠানেও জোটে না। কীভাবে পুরনো অনুষ্ঠান এত টিআরপি পায়, প্রশ্ন কলকাতা টিভির। কৌস্তুভ রায় জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে আমরা ধারাবাহিকভাবে BARC কে বহু চিঠি দিয়েছি টিআরপি কারচুপির অভিযোগ তুলে। BARC যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তবে আদালতের দরজা খোলা আছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। বাংলায় সকলের নজর ছিল যে নিউজ চ্যানেলগুলোর দিকে, টিআরপি জালিয়াতির অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে এখন তারাই খবরের কেন্দ্রে। মুম্বই পুলিশের তদন্ত বেআব্রু করেছে সর্বভারতীয় চ্যানেলের ভূমিকাকে। তার রেশ ধরে এবার প্রশ্নের মুখে এরাজ্যেরও নিউজ চ্যানেলের বিশ্বাসযোগ্যতা।
web
7d53c27ccb09a0a43ea1e8feaafd6e87
বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকমঃ সিলেটে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন সাংবাদিক। বর্তমানে তারা প্রত্যেকে সামাজিক বিধি-নিষেধ মেনে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এ আক্রান্ত চার জনের মধ্যে গত রোববার দুজনের ও গত সপ্তাহে অন্য দু'জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়া তিনজন টেলিভিশনে ও একজন প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ সূত্রে এই চারজনের শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। ওসমানীর পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই চারজনেরই করোনা শনাক্ত হয়। তবে চারজনই শারিরীকভাবে সুস্থ আছেন এবং বাসায় আছেন বলে জানা গেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, আক্রান্তের তালিকায় আছেন একাত্তর টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান ইকবাল মাহমুদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির রিপোর্টার মাধব কর্মকার, যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন নিরানন্দ পাল এবং দৈনিক সবুজ সিলেটের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার আবুল হোসেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সাংবাদিক ইকবাল মাহমুদ জানান, তিনি বাসায় অবস্থান করছেন এবং এখন পর্যন্ত ভাল আছেন। তিনি সকলের দোয়া কামনা করেছেন। স্বাস্থ্য অধিপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যারয়ের হিসেব অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে সোমবার সকাল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৪১ জনের আর সিলেট জেলায় এ সংখ্যা ৫৫৭ জন।
web
a847b5c59aeb4cb414c6abf2f6ca53b1a76df569
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং বিভাগ এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের প্রথমে কথাকাটাকাটি এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত হওয়ায় সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব শান্তকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করছিল সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একাদশ। এ সময় মার্কেটিং বিভাগের একজন আউট হওয়ার পরে মাঠ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ ছাড়া দর্শক সারিতেও এ নিয়ে স্লেজিং হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে উপস্থিত শিক্ষকরা খেলা স্থগিত করে দেন।
web
6a2b573e5c36e7790082d59f2ac767eaa9d95ebe
গাছের প্রতি দরদ বাড়াতে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামের আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল থেকে বিতরণ করা গাছ বাড়িতে নিয়ে রোপণ করে যত্ন নিলে বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৫০ নম্বর পাবে শিক্ষার্থীরা। যত্ন না করলে মোট নম্বর থেকে ৫০ কেটে দেওয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় 'আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ' ক্লাবের পক্ষ থেকে শুক্রবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলদ গাছের চারা বিতরণের সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা দেয়। ক্লাবের আহ্বায়ক রুবেল আহমেদের সভাপতিত্বে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠন উপদেষ্টা ও রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন এশিয়া সানি ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারন্যাশনাল কো. লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জেসি জ্যাং ও মরটন সেনেটারিওয়ার ম্যানুফেকচার লিমিটেডের সেলস ম্যানেজার পেনসন সি।
web
5b3c760eca7a0485d36ebc879b88894abd43c135
#শালবনীঃ রেল লাইনের ধারে পড়ে রয়েছে বেশ বড় একটা বস্তা। মুখ খুলতেই পচা দুর্গন্ধ. . . ! জানা যায়, শালবনী থানার যজ্ঞেশ্বরপুর গ্রাম লাগোয়া আদ্রা ডিভিশন এর কেমপোস্ট ১৪৯/১৯ নম্বর ট্র্যাকে রেল লাইনের উপর এদিন সকালে গ্রামবাসীরা দেখতে পান বস্তাবন্দী অবস্থায় কিছু একটা পড়ে রয়েছে । গ্রামবাসীদের সন্দেহ হলে তাঁরা বস্তার মুখ খোলে। বেরিয়ে আসে পচা গন্ধ। কী রয়েছে বস্তায় ? কৌতূহলী গ্রামবাসীরা বস্তা খুলতেই দেখে ভিতরে রয়েছে মাঝবয়সী এক মহিলার পচা গলা মৃতদেহ। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শালবনী থানার পুলিশ। মৃতদেহটি শনাক্ত করার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গ্রামবাসীদের অনুমান, অন্য কোথাও মহিলাকে খুন করে বস্তাবন্দী অবস্থায় রেল লাইনের ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
web
9ebf731e5ddf3184c078604a86dc4abf7928a117
ODD বাংলা ডেস্কঃ নারীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন চাহিদাও কমতে থাকে। এক্ষেত্রে সমবয়সী পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে থাকেন তারা। এমনকি নির্দিষ্ট একটি সময়ের পর তাদের আর সেই চাহিদাও থাকে না। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক প্রায় সাড়ে চার হাজার নারীর ওপর সমীক্ষা চালানোর পর এসব তথ্য সামনে এনেছে। নর্থ আমেরিকান মেনোপজ সোসাইটি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট একটি বয়স অর্থাৎ ঋতুস্রাব বন্ধের পর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, শরীরিক ও মানসিক স্থিতির পরিবর্তন ঘটে নারীদের। এমনকি ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যৌনতায় আসক্তি কমে যায়। তবে এক্ষেত্রে পুরুষসঙ্গীর ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সমীক্ষায় অংশ নেয়া অনেকেই বলেছেন, ঋতুস্রাবের পর শারীরিক সুখ বঞ্চিত হন তারা। এটি হয় নিজের শারীরিক কারণে। এই সময় শরীরের গোপনাঙ্গে পরিবর্তন আসে। শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য এই বয়সে এসে তারা দৈহিক মিলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তবে নিয়মিত চিকিৎসা নেয়ায় এই সমস্যা থেকে অনেকেই মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দেশটির প্রায় সাড়ে ৪ হাজার নারীর ওপর এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়। সমীক্ষা যখন শুরু হয়, তখন এই নারীদের প্রত্যেকেই যৌনজীবনে সক্রিয় ছিলেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চালানো এই সমীক্ষায় গবেষকরা দেখেছেন যে নারীরা ধীরে ধীরে যৌনতায় আগ্রহ হারিয়েছেন। এমনকি বয়স বাড়ার সঙ্গে শারীরিক পরিবর্তন ঘটে নারীদের। তবে শুধুমাত্র ঋতুস্রাবের পর নয়, বয়স বাড়লেও শারীরিক ক্ষমতাও কমে। এতেও কমে যায় যৌন চাহিদা।
web
dbaef82d0a3140c87c84b169b967a6de2769d9f8
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার জের, একই সঙ্গে তেলের বিকল্প উৎস খুঁজতে এবার সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তেল-গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে চায় যুক্তরাজ্য সরকার। জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত বুধবার বরিস জনসন সৌদি আরব যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামাতে সহযোগিতা করা, একই সঙ্গে তেল ও গ্যাসের ব্যাপারে কথা বলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে আসবে বরিস জনসনের এ সফরের মধ্য দিয়ে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে প্রধান আন্তর্জাতিক সহযোগী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
web
19ab1c419b4f08ac38d1b8c73412bc7317aad0a3
যে তোমার হাতের পোড়া মাংস কোনদিন ছুঁয়ে অনুভব করতে চেষ্টা করেনি, যে ধরেই নিয়েছে তোমার দু হাত তৈরিই হয়েছে ডাল সবজিতে হলুদ মরিচের ফোড়ঁন দেয়ার জন্য, সেই ফোড়ঁনের তেলের ছিটেঁ যদি সামান্য গায়ে লেগেই যায়, তাতে ক্ষতি কি! যে ধরেই নিয়েছে তুমি তৈরিই হয়েছো ঘর সংসার সামলানোর জন্য, সারাদিন ঘরে শুয়ে বসে থেকে ঘরের কয়েকটা কাজ আর বাচ্চাদের সামলানো এ আর তেমন কি কাজ! ! যে ধরেই নিয়েছে তুমি তৈরিই হয়েছে তার সেবা শুশ্রূষার জন্য, তার সেবা করতে গিয়ে তোমার যদি কয়েকটা রাত জাগতেই হয়, তোমার চোখের নিচে যদি কালি পড়ে সামান্য, তাতে ক্ষতি কি! ! তুমি তো তৈরিই হয়েছো সেজন্য! ! যে বছর দশেক সংসারে খাটাখাটুনির পর তোমার দিকে চেয়ে বলে, নিজেকে আয়নায় দেখেছো কখনও? কেমন একটা বুড়িয়ে গেছো। গা থেকে হলুদ-রসুনের ফোড়ঁনের গন্ধ বেরোয়। তোমাকে এখন একটা থলথলে মাংসপিন্ড ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। তোমার সাথে আমার এখন একদমই যায় না। অথচ তুমি সেই মানুষটার পছন্দের খাবার রান্না করতে করতেই গায়ে ফোড়ঁনের গন্ধ করেছো, মানুষটা যে ফোঁড়ন দেয়া সবজি খেতে বড্ড ভালোবাসে। তুমি সেই মানুষটারই একটা অংশ জন্ম দিতে গিয়েই এমন মুটিয়ে গেছো, সেই মানুষটা সকালে কখন অফিস যাবে, কি পড়বে, কি খাবে, লাঞ্চে কি খাবার নিয়ে যাবে, বাচ্চা স্কুলে যাবে, বাচ্চার টিফিন, বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসা, বৃদ্ধ শ্বাশুড়ির ওষুধপথ্য, রোজকার বাজার করা, বাচ্চাকে পড়াতে বসানো, রাতে মানুষটার খাবার তার সাথে এক অগোছালো সংসার ইত্যাদি ইত্যাদি সব কিছু আগলে গুছিয়ে রাখতে গিয়ে নিজেকে গুছিয়ে রাখার আর সময়ই পাওনি। সেই মানুষটার কাছে তুমি পোড়া মন শীতল করার আশা করো! ! যে তোমার মতো আস্ত মানুষটারেই দেখতে পায়নি সে তোমার অদৃশ্য মনটার হদিশ পাবে বলে তোমার মনে হয়! ! ! নির্বোধ! ! ! ! সারকথাঃ ভালোবেসে কোন কাজ করাই ছোট নয়। ছোট এইসব সংকীর্ণ মানসিকতা, এইসব সংকীর্ণ চিন্তাধারা, যারা ধরেই নেয় নারী তৈরিই হয়েছে সেবা শুশ্রুষা, মনোরঞ্জন আর তথাকথিত সংসার সংসার খেলার জন্য।
web
de40757137b4b4ef39aff1b8b2e1fb48e15a16bd
আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক সমালোচনার শিকার হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যা শুধু সমর্থক পর্যায়েই আটকে নেই; সাবেক কোচ-খেলোয়াড়রাও প্রশ্ন তুলছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল নিয়ে। তাতে এবার যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। বিশ্বকাপ দলের কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তার। তবে সেসব খেলোয়াড়ের নাম বলেননি আফ্রিদি। বিশ্বকাপের আগে দলে পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। চলতি মাসের ১০ তারিখ ছিলো বিশ্বকাপের দল ঘোষণা শেষ দিন। তবে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০ অক্টোবর পর্যন্ত স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারবে যেকোনো দল। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েই হয়তো নিজেদের স্কোয়াডে পরিবর্তন আনবে পাকিস্তান। ১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
web
4b069efb8ea5bf96095c588d370ff4591c6cfb2e
সোনাতলা (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়া সোনাতলায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে শিশুসহ দুইজনকে বেগতিক মারধর করে গুরুতর জখম করে। আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সরোজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তেকানী চুকাইনগড় ইউনিয়নের উত্তর মহেশপাড়া গ্রামের মৃত সালাম ব্যাপারীর ছেলে আশরাফ ব্যাপারী ও তারই আপন ভাই বাবু ব্যাপারীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক দন্দ চলে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তারা। এক পর্যায়ে আশরাফ ব্যাপারী তার দখলে থাকা সম্পত্তি রক্ষা করতে বাদি হয়ে নিকটস্থ সোনাতলা থানায় বাবু ব্যাপারীসহ তার পরিবারের ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আর সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম উভয় পক্ষকে মীমাংসার জন্য থানায় ডেকে পাঠান। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়না, বিবাদী বাবু ব্যাপারী থানার আদেশ অমান্য করে সেখানেও অনুপস্থিত থাকেন। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে আরো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবু ও তার পরিবারের সদস্যরা আশরাফের দখলকৃত জমিতে লাগানো প্রায় ৭০-৮০ টি দেশি প্রজাতির গাছ নষ্টসহ তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২টি মোবাইলফোন, অনুঃ ৩ ভরি স¦র্ণালংকার, ১টি বিদেশি লাইটসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র লুটতরাজ করে নিয়ে যায় এবং খাট, তোষক, চেয়ার, টেবিল, হাড়ি-পাতিল, ঘরের চাল বাড়ির পাশে পুকুর ও মাঠঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যায়। এসময় বাধা প্রদান করতে এগিয়ে গেলে আশরাফের স্ত্রী মুঞ্জুয়ারা, মেয়ে নিপা ও শিশুছেলে শিহাবকে বেগতিক মারধর করে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলামের নির্দেশে এসআই মানিক সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
web
7b2645f0b9556a6faa4aefcfcef6d7bf
মধ্যাহ্নে গােরার কাছে যাইবার জন্য বিনয়ের মন আবার চঞ্চল হইয়া উঠিল। বিনয় গােরার কাছে নিজেকে নত করিতে কোনােদিন সংকোচ বােধ করে নাই। কিন্তু নিজের অভিমান না থাকিলেও বন্ধুত্বের অভি- মানকে ঠেকানাে শক্ত। পরেশবাবুর কাছে ধরা দিয়া বিনয় গােরার প্রতি তাহার এতদিনকার নিষ্ঠায় একটু যেন খাটো হইয়াছে বলিয়া অপরাধ অনুভব করিতেছিল বটে, কিন্তু সেজন্য গােরা তাহাকে পরিহাস ও ভর্ৎসনা করিবে এই পর্যন্তই আশা করিয়াছিল, তাহাকে যে এমন করিয়া ঠেলিয়া রাখিবার চেষ্টা করিবে তাহা সে মনেও করে নাই। বাসা হইতে খানিকটা দূর বাহির হইয়া বিনয় আবার ফিরিয়া আসিল ; বন্ধুত্ব পাছে অপমানিত হয়, এই ভয়ে সে গােরার বাড়িতে যাইতে পারিল না। মধ্যাহ্নে আহারের পর গােরাকে একখানা চিঠি লিখিবে বলিয়া কাগজ- কলম লইয়া বিনয় বসিয়াছে ; বসিয়া অকারণে কলমটাকে ভোঁতা অপবাদ দিয়া একটা ছুরি লইয়া অতিশয় যত্নে একটু একটু করিয়া তাহার সংস্কার করিতে লাগিয়াছে, এমন সময় নীচে হইতে 'বিনয়' বলিয়া ডাক আসিল। বিনয় কলম ফেলিয়া তাড়াতাড়ি নীচে গিয়া বলিল, "মহিমদাদা, আসুন, উপরে আসুন।" বসিলেন এবং ঘরের আসবাবপত্র বেশ ভালাে করিয়া নিরীক্ষণ করিয়া কহিলেন, "দেখাে, বিনয়, তােমার বাসা যে আমি চিনি নে তা নয় - মাঝে মাঝে তােমার খবর নিয়ে যাই এমন ইচ্ছাও করে। কিন্তু, আমি জানি তােমরা আজকালকার ভালাে ছেলে, তোমাদের এখানে তামাকটি পাবার জো নেই, তাই বিশেষ প্রয়ােজন না হলে - " বিনয়কে ব্যস্ত হইয়া উঠিতে দেখিয়া মহিম কহিলেন, "তুমি ভাবছ এখনি বাজার থেকে নতুন হুঁকো কিনে এনে আমাকে তামাক খাওয়াবে, সে চেষ্টা কোরো না। তামাক না দিলে ক্ষমা করতে পারব, কিন্তু নতুন হুঁকোয় আনাড়ি হাতের সাজা তামাক আমার সহ্য হবে না।" এই বলিয়া মহিম বিছানা হইতে একটা হাতপাখা তুলিয়া লইয়া হাওয়া খাইতে খাইতে কহিলেন, "আজ রবিবারের দিবানিদ্রাটা সম্পূর্ণ মাটি করে তােমার এখানে এসেছি, তার একটু কারণ আছে। আমার একটি উপকার তােমাকে করতেই হবে।" বিনয় "কী উপকার" জিজ্ঞাসা করিল। মহিম কহিলেন, "আগে কথা দাও, তবে বলব।" বিনয়। আমার দ্বারা যদি সম্ভব হয় তবে তাে? মহিম। কেবলমাত্র তােমার দ্বারাই সম্ভব। আর কিছু নয়, তুমি একবার 'হাঁ' বললেই হয়। বিনয়। আমাকে এত করে কেন বলছেন। আপনি তাে জানেন, আমি আপনাদের ঘরেরই লােক - পারলে আপনার উপকার করব না, এ হতেই পারে না। লক্ষ্মীছাড়ার হাতে পড়বে, এই ভেবে আমার তাে রাত্রে ঘুম হয় না।" বিনয় কহিল, "ব্যস্ত হচ্ছেন কেন, এখনো সময় আছে।" মহিম। নিজের মেয়ে যদি থাকত তো বুঝতে কেন ব্যস্ত হচ্ছি। বছর গেলেই বয়েস আপনি বাড়ে, কিন্তু পাত্র তাে আপনি আসে না। কাজেই দিন যত যায় মন ততই ব্যাকুল হয়ে ওঠে। এখন, তুমি যদি একটু আশ্বাস দাও তা হলে না হয় দু-দিন সবুর করতেও পারি। বিনয়। আমার তাে বেশি লােকের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় নেই- কলকাতার মধ্যে আপনাদের বাড়ি ছাড়া আর-কোনাে বাড়ি জানি নে বললেই হয়- তবু আমি খোঁজ করে দেখব। মহিম। শশিমুখীর স্বভাবচরিত্র তাে জান। বিনয়। জানি বই-কি। ওকে এতটুকুবেলা থেকে দেখে আসছি লক্ষ্মী মেয়ে। মহিম। তবে আর বেশিদূর খোঁজ করবার কী দরকার বাপু। ও মেয়ে তােমারই হাতে আমি সমর্পণ করব। বিনয় ব্যস্ত হইয়া উঠিয়া কহিল, "বলেন কী!" মহিম। কেন, অন্যায় কী বলেছি ? অবশ্য, কুলে তােমরা আমাদের চেয়ে অনেক বড়ো - কিন্তু, বিনয়, এত পড়াশুনাে করে যদি তােমরা কুল মানবে তবে হল কী ! মহিম। বল কী! শশীর বয়েস কম কী হল । হিঁদুর ঘরের মেয়ে তাে মেমসাহেব নয়- সমাজকে তো উড়িয়ে দিলে চলে না।। মহিম সহজে ছাড়িবার পাত্র নহেন- বিনয়কে তিনি অস্থির করিয়া তুলিলেন। অবশেষে বিনয় কহিল, "আমাকে একটু ভাববার সময় দিন।" মহিম। আমি তাে আজ রাত্রেই দিন স্থির করছি নে। খুড়ােমশায় যখন বর্তমান আছেন তাঁর অমতে তাে কিছু হতে পারে না। এই বলিয়া পকেট হইতে দ্বিতীয় পানের দোনা নিঃশেষ করিয়া যেন কথাটা পাকাপাকি হইয়া আসিয়াছে, এইরূপ ভাব করিয়া মহিম চলিয়া গেলেন। কিছুদিন পূর্বে আনন্দময়ী একবার শশিমুখীর সঙ্গে বিনয়ের বিবাহের প্রস্তাব আভাসে উত্থাপন করিয়াছিলেন। কিন্তু বিনয় তাহা কানেও তােলে নাই। আজও প্রস্তাবটা যে বিশেষ সংগত বােধ হইল তাহা নহে, কিন্তু তবু কথাটা মনের মধ্যে একটুখানি যেন স্থান পাইল। বিনয়ের মনে হইল, এই বিবাহ ঘটিলে আত্মীয়তা-সম্বন্ধে গােরা তাহাকে কোনােদিন ঠেলিতে পারিবে না। বিবাহ ব্যাপারটাকে হৃদয়াবেগের সঙ্গে জড়িত করাকে ইংরেজিয়ানা বলিয়াই সে এতদিন পরিহাস করিয়া আসিয়াছে, তাই শশিমুখীকে বিবাহ করাটা তাহার কাছে অসম্ভব বলিয়া বােধ হইল না। মহিমের এই প্রস্তাব লইয়া গােরার সঙ্গে পরামর্শ করিবার যে একটা উপলক্ষ্য জুটিল আপাতত ইহাতেই সে খুশি হইল। বিনয়ের ইচ্ছা, গােরা এই লইয়া তাহাকে একটু পীড়াপীড়ি করে। মহিমকে সহজে সম্মতি না দিলে মহিম গােরাকে দিয়া তাহাকে অনুরােধ করাইবার চেষ্টা করিবে, ইহাতে বিনয়ের সন্দেহ ছিল না। এই-সমস্ত আলােচনা করিয়া বিনয়ের মনের অবসাদ কাটিয়া গেল। সে তখনই গােরার বাড়ি যাইবার জন্য প্রস্তুত হইয়া চাদর কাঁধে বাহির হইয়া পড়িল। অল্প একটু দূর যাইতেই পশ্চাৎ হইতে শুনিতে পাইল, "বিনয়বাবু!" পিছন ফিরিয়া দেখিল সতীশ তাহাকে ডাকিতেছে। সতীশকে সঙ্গে লইয়া আবার বিনয় বাসায় প্রবেশ করিল। সতীশ পকেট হইতে রুমালের পুটুলি বাহির করিয়া কহিল, "এর মধ্যে কী আছে বলুন দেখি।" কী বলুন দেখি।" বিনয় যাহা মুখে আসিল তাহাই বলিল। অবশেষে পরাভব স্বীকার করিলে সতীশ কহিল, রেঙ্গুনে তাহার এক মামা আছেন, তিনি সেখানকার এই ফল তাহার মার কাছে পাঠাইয়া দিয়াছেন - মা তাহারই পাঁচটা বিনয়বাবুকে উপহার পাঠাইয়াছেন। ব্ৰহ্মদেশের ম্যাঙ্গোস্টিন ফল তখনকার দিনে কলিকাতায় সুলভ ছিল না ; তাই বিনয় ফলগুলি নাড়িয়া-চাড়িয়া টিপিয়া-টুপিয়া কহিল, "সতীশবাবু, ফলগুলাে খাব কী করে?" সতীশ বিনয়ের এই অজ্ঞতায় হাসিয়া কহিল, "দেখবেন, কামড়ে খাবেন না যেন - ছুরি দিয়ে কেটে খেতে হয়।" সতীশ নিজেই এই ফল কামড় দিয়া খাইবার নিষ্ফল চেষ্টা করিয়া আজ কিছুক্ষণ পূর্বে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হাস্যাস্পদ হইয়াছে - সেই জন্য বিনয়ের অভিজ্ঞতায় বিজ্ঞজনােচিত হাস্য করিয়া তাহার মনের বেদনা দূর হইল। তাহার পরে দুই অসমবয়সী বন্ধুর মধ্যে কিছু ক্ষণ কৌতুকালাপ হইলে পর সতীশ কহিল, "বিনয়বাবু, মা বলেছেন, আপনার যদি সময় থাকে তো একবার আমাদের বাড়ি আসতে হবে আজ লীলার জন্মদিন।" বিনয় বলিল, "আজ, ভাই, আমার সময় হবে না, আজ আমি আর-এক জায়গায় যাচ্ছি।" সতীশ। কোথায় যাচ্ছেন? বিনয় । আমার বন্ধুর বাড়িতে। সতীশ। আপনার সেই বন্ধু? বিনয়। হাঁ। লােক, তাহাকে আর্গিন শুনাইয়া কেহ যশ লাভ করিবে সে এমন ব্যক্তিই নয়। এমন লােকের কাছে যাইবার জন্য বিনয় যে কিছুমাত্র প্রয়ােজন অনুভব করিবে তাহা সতীশের কাছে ভালােই লাগিল না। সে কহিল, "না, বিনয়বাবু, আপনি আমাদের বাড়ি আসুন।" 'আহ্বানসত্ত্বেও পরেশবাবুর বাড়িতে না গিয়া গােরার কাছে যাইব' বিনয় এটা মনে মনে খুব আস্ফালন করিয়া বলিয়াছিল। আহত বন্ধুত্বের অভিমানকে আজ সে ক্ষুন্ন হইতে দিবে না, গােরার প্রতি বন্ধুত্বের গৌরবকেই সে সকলের উর্ধ্বে রাখিবে, ইহাই সে স্থির করিয়াছিল। কিন্তু হার মানিতে তাহার বেশি ক্ষণ লাগিল না। দ্বিধা করিতে করিতে, মনের মধ্যে আপত্তি করিতে করিতে, অবশেষে বালকের হাত ধরিয়া সেই আটাত্তর নম্বরেরই পথে সে চলিল। বর্মা হইতে আগত দুর্লভ ফলের এক অংশ বিনয়কে মনে করিয়া পাঠানোতে যে আত্মীয়তা প্রকাশ পাইয়াছে তাহাকে খাতির না করা বিনয়ের পক্ষে অসম্ভব। বিনয় পরেশবাবুর বাড়ির কাছাকাছি আসিয়া দেখিল, পানুবাবু এবং আর কয়েক জন অপরিচিত ব্যক্তি পরেশবাবুর বাড়ি হইতে বাহির হইয়া আসিতেছে। লীলার জন্মদিনের মধ্যাহ্নভােজনে তাহারা নিমন্ত্রিত ছিল। পানুবাবু যেন বিনয়কে দেখিতে পান নাই, এমনি ভাবে চলিয়া গেলেন। বাড়িতে প্রবেশ করিয়াই বিনয় খুব একটা হাসির ধ্বনি এবং দৌড়া- দৌড়ির শব্দ শুনিতে পাইল। সুধীর লাবণ্যর চাবি চুরি করিয়াছে ; শুধু তাই নয়, দেরাজের মধ্যে লাবণ্যর খাতা আছে এবং সেই খাতার মধ্যে কবিষশঃ- প্রার্থিনীর উপহাস্যতার উপকরণ আছে, তাহাই এই দস্যু লােকসমাজে উদ্ঘাটন করিবে বলিয়া শাসাইতেছে ; ইহাই লইয়া উভয় পক্ষে যখন দ্বন্দ্ব চলিতেছে এমন সময়ে রঙ্গভূমিতে বিনয় প্রবেশ করিল। বিনয়। বাইরে থেকে দেখে হঠাৎ তাই মনে হয়। কিন্তু একটা কথা আপনি মনে রাখবেন, আমাদের দেশের সংস্কারগুলিকে তিনি যে চেপে ধরে থাকেন, তার কারণ এ নয় যে সেই সংস্কারগুলিকেই তিনি শ্রেয় মনে করেন। আমরা দেশের প্রতি অন্ধ অশ্রদ্ধাবশত দেশের সমস্ত প্রথাকে অবজ্ঞা করতে বসেছিলুম বলেই তিনি এই প্রলয়কার্যে বাধা দিতে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, আগে আমাদের দেশকে শ্রদ্ধার দ্বারা প্রীতির দ্বারা সমগ্রভাবে পেতে হবে, জানতে হবে, তার পরে আপনিই ভিতর থেকে স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের নিয়মে সংশােধনের কাজ চলবে। সুচরিতা কহিল, "আপনিই যদি হত তা হলে এতদিন হয় নি কেন?" বিনয়। হয় নি তার কারণ, ইতিপূর্বে দেশ বলে আমাদের সমস্ত দেশকে, জাতি বলে আমাদের সমস্ত জাতিকে এক করে দেখতে পারি নি। তখন যদি বা আমাদের স্বজাতিকে অশ্রদ্ধা করি নি তেমনি শ্রদ্ধাও করি নি, অর্থাৎ তাকে লক্ষ্যই করা যায় নি সেইজন্যেই তার শক্তি জাগে নি। এক সময়ে রােগীর দিকে না তাকিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় বিনা পথ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল এখন তাকে ডাক্তারখানায় আনা হয়েছে বটে, কিন্তু ডাক্তার তাকে এতই অশ্রদ্ধা করে যে, একে একে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা ছাড়া আর-কোনাে দীর্ঘ শুশ্রুষাসাধ্য চিকিৎসা সম্বন্ধে সে ধৈর্য ধরে বিচার করে না। এই সময়ে আমার বন্ধু ডাক্তারটি বলছেন, 'আমার এই পরমাত্মীয়টিকে যে চিকিৎসার চোটে আগাগােড়া নিঃশেষ করে ফেলবে, এ আমি সহ্য করতে পারব না। এখন আমি এই ছেদনকার্য একেবারেই বন্ধ করে দেব এবং অনুকূল পথ্য দ্বারা আগে এর নিজের ভিতরকার জীবনী- শক্তিকে জাগিয়ে তুলব, তার পরে ছেদন করলেও রােগী সইতে পারবে, ছেদন না করলেও হয়তাে রােগী সেরে উঠবে।' গােরা বলেন, গভীর শ্রদ্ধাই আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থায় সকলের চেয়ে বড়ো পথ্য - এই শ্রদ্ধার অভাবেই আমরা দেশকে সমগ্রভাবে জানতে পারছি নে- জানতে পারছি নে বলেই তার সম্বন্ধে যা ব্যবস্থা করছি তা কুব্যবস্থা হয়ে উঠছে। দেশকে ভালাে না বাসলে তাকে ভালো করে জানবার ধৈর্য থাকে না, তাকে না জানলে তার ভালাে করতে চাইলেও তার ভালাে করা যায় না। সুচরিতা একটু একটু করিয়া খোঁচা দিয়া দিয়া গােরার সম্বন্ধে আলোচনাকে নিবিতে দিল না। বিনয়ও গােরার পক্ষে তাহার যাহা-কিছু বলিবার তাহা খুব ভালাে করিয়াই বলিতে লাগিল। এমন যুক্তির কথা এমন দৃষ্টান্ত দিয়া এমন গুছাইয়া আর কখনাে যেন সে বলে নাই ; গােরাও তাহার নিজের মত এমন পরিষ্কার করিয়া এমন উজ্জ্বল করিয়া বলিতে পারিত কি না সন্দেহ। বিনয়ের বুদ্ধি ও প্রকাশক্ষমতার এই অপূর্ব উত্তেজনায় তাহার মনে একটা আনন্দ জন্মিতে লাগিল এবং সেই আনন্দে তাহার মুখ উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিল। বিনয় কহিল, "দেখুন, শাস্ত্রে বলে, আত্মানং বিদ্ধি- আপনাকে জানাে। নইলে মুক্তি কিছুতেই নেই। আমি আপনাকে বলছি, আমার বন্ধু গােরা ভারতবর্ষের সেই আত্মবােধের প্রকাশ রূপে আবির্ভূত হয়েছে। তাকে আমি সামান্য লােক বলে মনে করতে পারি নে। আমাদের সকলের মন যখন তুচ্ছ আকর্ষণে নূতনের প্রলােভনে বাহিরের দিকে ছড়িয়ে পড়েছে তখন ওই একটিমাত্র লােক এই-সমস্ত বিক্ষিপ্ততার মাঝখানে অটলভাবে দাঁড়িয়ে সিংহগর্জনে সেই পুরাতন মন্ত্র বলছে- আত্মানং বিদ্ধি।" "বােলো না কাতর স্বরে না করি বিচার, জীবন স্বপনসম, মায়ার সংসার।" বেচারা সতীশ বাড়ির অতিথি-অভ্যাগতদের সামনে বিদ্যা ফলাইবার কোনাে অবকাশ পায় না। লীলা পর্যন্ত ইংরেজি কবিতা আওড়াইয়া সভা গরম করিয়া তােলে, কিন্তু সতীশকে বরদাসুন্দরী ডাকেন না। অথচ লীলার সঙ্গে সকল বিষয়েই সতীশের খুব একটা প্রতিযােগিতা আছে। কোনােমতে লীলার দর্প চূর্ণ করা সতীশের জীবনের প্রধান সুখ। বিনয়ের সম্মুখে কাল লীলার পরীক্ষা হইয়া গেছে। তখন অনাহুত সতীশ তাহাকে ছাড়াইয়া উঠিবার কোনো চেষ্টা করিতে পারে নাই । চেষ্টা করিলেও বরদাসুন্দরী তখনই তাহাকে দাবাইয়া দিতেন ; তাই সে আজ পাশের ঘরে যেন আপন মনে উচ্চস্বরে কাব্যচর্চায় প্রবৃত্ত হইল। শুনিয়া সুচরিতা হাস্য সম্বরণ করিতে পারিল না । এমন সময় লীলা তাহার মুক্ত বেণী দোলাইয়া ঘরে ঢুকিয়া সুচরিতার গলা জড়াইয়া ধরিয়া তাহার কানে কানে কী একটা বলিল । অমনি সতীশ ছুটিয়া তাহার পিছনে আসিয়া কহিল, "আচ্ছা, লীলা, বলে দেখি 'মনোযোগ' মানে কী ।" লীলা কহিল, "বলব না।" সতীশ । ইস্ ! বলব না ! জান না তাই বলো-না। বিনয় সতীশকে কাছে টানিয়া লইয়া হাসিয়া কহিল, "তুমি বলো দেখি, 'মনোযোগ' মানে কী ।" সতীশ সগর্বে মাথা তুলিয়া কহিল, "মনোযোগ মানে মনোনিবেশ ।" সুচরিতা জিজ্ঞাসা করিল, "মনোনিবেশ বলতে কী বোঝায় ?" আত্মীয় না হইলে আত্মীয়কে এমন বিপদে কে ফেলিতে পারে । সতীশ প্রশ্নটা যেন শুনিতে পায় নাই, এমনি ভাবে লাফাইতে লাফাইতে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । বিনয় আজ পরেশবাবুর বাড়ি হইতে সকাল সকাল বিদায় লইয়া গোরার কাছে যাইবে নিশ্চয় স্থির করিয়া আসিয়াছিল । বিশেষত গোরার কথা বলিতে বলিতে গোরার কাছে যাইবার উৎসাহও তাহার মনে প্রবল হইয়া উঠিল । তাই সে ঘড়িতে চারটে বাজিতে শুনিয়া তাড়াতাড়ি চৌকি ছাড়িয়া উঠিয়া পড়িল । সুচরিতা কহিল, "আপনি এখনি যাবেন ? মা আপনার জন্যে খাবার তৈরি করছেন ; আর-একটু পরে গেলে চলবে না ?" বিনয়ের পক্ষে এ তো প্রশ্ন নয়, এ হুকুম । সে তখনই বসিয়া পড়িল । লাবণ্য রঙিন রেশমের কাপড়ে সাজিয়া-গুজিয়া ঘরে প্রবেশ করিয়া কহিল, "দিদি, খাবার তৈরি হয়েছে। মা ছাতে আসতে বললেন।" ছাতে আসিয়া বিনয়কে আহারে প্রবৃত্ত হইতে হইল। বরদাসুন্দরী তাঁহার সব সন্তানদের জীবনবৃত্তান্ত আলােচনা করিতে লাগিলেন। ললিতা সুচরিতাকে ঘরে টানিয়া লইয়া গেল। লাবণ্য একটা চৌকিতে বসিয়া ঘাড় হেঁট করিয়া দুই লােহার কাঠি লইয়া বুনানির কার্যে লাগিল। তাহাকে কবে একজন বলিয়াছিল, বুনানির সময় তাহার কোমল আঙুলগুলির খেলা ভারি সুন্দর দেখায় ; সেই অবধি লােকের সাক্ষাতে বিনা প্রয়ােজনে বুনানি করা তাহার অভ্যাস হইয়া গিয়াছিল। পরেশ আসিলেন। সন্ধ্যা হইয়া আসিল। আজ রবিবারে উপাসনা- মন্দিরে যাইবার কথা। বরদাসুন্দরী বিনয়কে কহিলেন, "যদি আপত্তি না থাকে, আমাদের সঙ্গে সমাজে যাবেন ?" ইহার পর কোনো ওজর-আপত্তি করা চলে না। দুই গাড়িতে ভাগ করিয়া সকলে উপাসনালয়ে গেলেন। ফিরিবার সময় যখন গাড়িতে উঠিতেছেন তখন হঠাৎ সুচরিতা চমকিয়া উঠিয়া কহিল, "ওই-যে গৌরমােহনবাবু যাচ্ছেন।" গােরা যে এই দলকে দেখিতে পাইয়াছিল তাহাতে কাহারও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু যেন দেখিতে পায় নাই, এইরূপ ভাব করিয়া সে বেগে চলিয়া গেল। গােরার এই উদ্ধত অশিষ্টতায় বিনয় পরেশবাবুদের কাছে লজ্জিত হইয়া মাথা হেঁট করিল। কিন্তু সে মনে মনে স্পষ্ট বুঝিল, বিনয়কেই এই দলের মধ্যে দেখিয়া গাের এমন প্রবল বেগে বিমুখ হইয়া চলিয়া গেল। এত ক্ষণ তাহার মনের মধ্যে যে-একটি আনন্দের আলো জ্বলিতেছিল তাহা একেবারে নিবিয়া গেল। সুচরিতা বিনয়ের মনের ভাব ও তাহার কারণটা তখনই বুঝিতে পারিল, এবং বিনয়ের মতাে বন্ধুর প্রতি গােরার এই অবিচারে ও ব্রাহ্মদের প্রতি তাহার এই অন্যায় অশ্রদ্ধায় গােরার উপরে আবার তাহার রাগ হইল - কোনাে মতে গােরার পরাভব ঘটে, এই সে মনে মনে ইচ্ছা করিল।
web
b8a1727c784cab5f80c7007f7eba66b76acc0eaeaeb66c52052f98ae37cb97c2
পরিত্রাণ পুস্তক উন্নত অবস্থা লইয়া আলাপ করিতে আমার বড় লজ্জা হয়। কারণ সে অবস্থা তাঁহা হইতেই লব্ধ।" যে সূফী স্বীয় 'থান্কার' নির্জ্জনে বসিয়া থাকেন এবং তাঁহার সেবক তাঁহার জীবিকা সংগ্রহে বাহিরে যায়, তাহার তওাঙ্কোল' ব্যবসায়ী লোকের 'তওয়াকোল' সদৃশ দুর্নাল। 'ত ওয়াক্কোল' সর্ব্বাঙ্গসুন্দর হইবার অনেকগুলি শর্ত আছে। হৃদনের দ্বার খুলিয়া যাইবার আশায় যে ব্যক্তি ধ্যানে উপবিষ্ট থাকেন তাঁহার সেই 'অবস্থান'কে 'তওয়াক্কোলের' সমান ফলপ্রদ বলা যাইতে পারে। তাঁহার তদরূপ অবস্থিতি-স্থান বহু-জন-পরিচিত হইলে এবং তদুপাযে তিনি লোকের নিকট প্রকাশিত হইবার সুযোগ পাইলে এবং উপার্জ্জন বিষয়ে কিঞ্চিৎ ভরসা মনের মধ্যে উদয় হইলে তাঁহার অবস্থা বাজারী দোকানদারের তুল্য - কিন্তু তাঁহার মন, লোক-বিখ্যাতির দিকে কিছুমাত্র আকৃষ্ট না হইলে তাঁহার 'ত ওয়াক্কোল' ব্যবসাদী লোকের 'ত ওয়াক্কোলে'র সদৃশ। এ সম্বন্ধে 'আসল কথা এই যে, উপাজ্জন বিষবে লোকে যেন কোন সৃষ্ট জীবের উপর ভরসা না রাখিয়া কেবল আল্লার প্রতি ভবসা করে। ১। মহাত্মা এবরাহীম খাওয়াছ `গিণছেন - "আমি মহাত্মা হজরং প্রেজেরকে দেখিয়াছিলাম - তিনি আমার সঙ্গে অবস্থান করিতে সম্মত ছিলেন কিন্তু তাঁহার সঙ্গে অবস্থান কবিলে সামার মনে একটু ভবস। বাড়িতে পারে এবং তাহাতে আমার 'ত আক্কোন দুর্বল হইতে পারে, সেই ভয়ে আমি তাঁহার সঙ্গ ত্যাগ করিয়াছিলাম।" ২। ইমাম আহমদ হজ্বল একদা এক শ্রমজীবীকে কৰ্ম্মে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। কৰ্ম্ম-সমাপ্তির পর তাহাকে কিছু অধিক পারিশ্রমিক দিয়া বিদায় করিতে আদেশ দেন । সেবক অধিক আঙ্গুরা দিতে লাগিলে, মজুর নিজের প্রাপ্যাংশ গ্রহণ পূৰ্ব্বক অতিরিক্ত অর্থ যে রৎ দিয়া চলিয়া যায় । ঈমাম ছাড়ের স্বীয় সেবককে মজুবের পিছে পিছে গিয়া অতিরিক্ত পয়সা দিবার আদেশ করেন সেবক প্রতিবাদ করিয়া বলিয়াছিল, মজুর 'প্রথমে যখন অতিরিক্ত পয়সা গ্রহণ করে নাই, তখন পুনরায় লইবে কেন? ইমাম মহোদয় বলিয়াছিলেন "তখন হয়তো অধিক অর্থ দেখিয়া তৎপ্রতি উঠার লোভ জন্মিবাছিল; এবং সেই লোভের উল্টা চাল চলিয়া তখন সে উগ গ্রহণ করিতে পারে নাই, এখন হয়তো সে লোভ বিদুরিত হইয়াছে - সুতরাং লইতে পারে।" সৌভাগ্য স্পর্শমণি [ অষ্টম পরিচ্ছেদ উপাৰ্জ্জনেচ্ছ, ব্যবসায়ীর তওয়াক্কোল - যাহা হউক, ফল কথা ধনের প্রতি আন্তরিক ভরসা স্থাপন না করিয়া আল্লার অনুগ্রহের উপর নির্ভর করা উপার্জ্জনেচ্ছু ব্যবসায়ীদিগের 'তওয়াক্কোল'। তাহার চিহ্ন এই যে ধন অপহৃত হইলেও তাহার হৃদয় শোকাক্রান্ত বা বিমর্ষ হয় না এবং জীবিকা সম্বন্ধেও হতাশ হয় না। আল্লার অনুগ্রহের প্রতি ভরসা রাখে বলিয়া এইরূপ বিশ্বাস করে যে, তাগর জীবিকা এমন স্থান হইতে যোগাইয়া দিবেন, যাহার কল্পনাও সে মনে আঁকে নাই। আবার আল্লা তাহাকে জীবিকা না দিলেও সে বিবেচনা করে, জীবিকা দেও। অপেক্ষা না দেওয়াতে তাহার মঙ্গল হইবে। জীবিকা দেওয়া বা না দেওয়া আল্লার মঙ্গল বিধান - এইরূপ বুঝিবার অবস্থা মনে জন্মাইয়া লইবার তদ্বীর - পাঠক! জানিরা রাখ, জীবিক। মঙ্গলকর হইলে আল্লা দিবেন, আর মঙ্গলকর না হইলে দিবেন না, এইরূপ মনের অবস্থা বড় দুষ্প্রাপ্য। ধনীর ধন চুরীগেল, বা অন্য প্রকারে নষ্ট হইল, অথচ তাহার মন কিছুমাত্র বিমর্ষ হইল নাস্বকীয় পূৰ্ব্ব অবস্থান মন প্রশাভাবে থাকিল - বিন্দুমাত্র বিচলিত হইল না, মনের এ অবস্থা অতীব দুষ্প্রাপ্য হলেও একেবারে অসম্ভব নহে। মনের সেই অবস্থা নিম্ন লিখিত উপাষে লাভ করিতে পারা যায় - প্রথমে আল্লার পূর্ণ দয়া, অসীম অনুগ্রহ এবং পূর্ণ ক্ষমতার উপর এরূপ পুরা ঈমান (বিশ্বাস-জ্ঞান) জন্মাইরা লইতে হয় যে সেই জ্ঞান চুড়ান্ত 'ইয়াকীন' অর্থাং ধ্ৰুব জ্ঞানে পরিণত হয়। তাহার পর তাহার পর এই কথা নিঃসন্দেহে বুঝিয়া লইতে হয় যে 'বহু রিক্তহস্ত জীব'কে আল্লা পর্যাপ্ত পরিমাণে জীবিকা দিতেছেন; আবার বহু স্থানে লোকের সঞ্চিত ধনই, তাহার অধিকাধিকে সমূলে বিনাশ করিতেছে। সে স্থলে সঞ্চিত ধন অগ্রে নষ্ট হইলে অধিকারীর জীবন নষ্ট করিত না - তাহার মঙ্গল হইত । পয়গম্বব শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ হজরত রসুল সভা বলিয়াছেন - "সচরাচর এরূপ ঘটে, - মানব রাত্রিকালে এরূপ কায্যের কল্পনা করে যাহা তাহাকে বিনাশ করিতে পারে, কিন্তু করুণাময় মহাপভু 'আর্শ' এর উপর হইতে করুণা-চক্ষে উহার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন; তাহাতে তাহার সেই কাৰ্য্য ঘটিতে পারে না। প্রাতঃকালে সে ব্যক্তি শয্যাত্যাগ করিয়া উঠে এবং কাৰ্য্যটী বিগ্ডিয়াছে দেখিয়া দুঃখিত হয় এবং অনুসন্ধান করিতে লাগে কে যে কাৰ্য্য বিগড়াইয়া দিয়াছে ? কেমন করিয়া বিগ ড্রিল ? শেষে ভ্রম-অনুমানে ঠাওরাইয়া লয়, তাহার প্রতিবেশী বিগড়াইয়া দিয়াছে বা তাহার 'চাচাজাদ' ভাই উহা নষ্ট করিয়াছে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে স্বয়ং আল্লার 'রহমৎ' উক্ত নিষ্ফলতার মধ্যে মূর্তিমান হইয়া দাঁড়াইয়া আছে একথা বুঝিতে পারে না।" এই কারণে মহাত্মা ওমর ফারুক বলিতেন -"প্রাতঃকালে শয্যাত্যাগ করিয়া আমি নিজকে কি অবস্থায় দেখিব - দুর্গতিগ্রস্ত ফকীর আকারে দেখিব কি মান্যমান আমীর রূপে দেখিব তৎসম্বন্ধে আমি কিছুমাত্র ভয় করি না। কেননা আমার জানা নাই মঙ্গল কোন অবস্থার মধ্যে আছে।" যাহা হউক, এ সমস্ত বুঝিবার পর এ কথাও জানিয়া লওয়া প্রয়োজন যে দুষ্ট শয়তানই মানবকে দরিদ্রতার ভয় দেখায় । সেই কথাই বলিতেছেন - كم افق "শয়তান তোমাদিগকে দরিদ্রতার ভয় দেখাইতেছে ।" ৩৭ রোকু)। আল্লার করুণা দৃষ্টির উপর নির্ভর করা 'মীরেফৎ' বা তত্ত্বদর্শনের পূর্ণতা' । বিশেষ করিয়া এ কথাটী জানা আবশ্যক যে মানুষের জীবিকা অনেক সময়ে নিতান্ত গুপ্ত স্থান হইতে আসিরা থাকে। আবার তাই বলিনা গুৰু 'উপায়' বা 'কারণ' 'এর উপর ও ভরসা করাও উচিৎ নহে । কেবল জগতের মূল - আল্লা, সকলকে জাবিক। যোগাইবেন বলিয়া জিম্মাদার আছেন, তাঁহার উপরই ভরসা করা আবশ্যক। ১। এক জন 'তওয়াক্কোল-ধারী' গাধু দরবেশ কোন মছ জেদে বাস করিতেন। মছ জেদের ইমাম তাহাকে কয়েকবার এই কথা বলিয়াছিলেন--"হে সাধু! তোমাকে নিঃস্ব দরিদ্র দেখা যান, তুমি যদি জীবিকা অর্জনের জন্য শিল্পাদি কোন কাৰ্যা অবলম্বন কবিতে তবে ভাল হইত।" সাধু বলিলেন- "আমার প্রতিবেশী এক ইয়াহুদী প্রত্যহ আমাকে দুই ধানী কবিনা কটী দিতে অঙ্গীকার করিয়াছেন।" ইহা শুনিন। ইমাম সাহেব বলিলেন "যদি এই কথা হইয়া থাকে তবে কোন ব্যবসায় না করাই সঙ্গত।" তখন সাধু বলিলেন "হে ভাই ইমাম! তোমার পক্ষে ইমামতী না করাই ভাল। তোমার নিকট একজন ইয়াহুদির অঙ্গীকার, আল্লার জিম্মাদারী অপেক্ষা মজবুৎ বলিরা বুঝা অন্য এক নছ,জেদের ইমান কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করিরা১৩৩ পৌভাগ। পশমণি [ অষ্টম পরিচ্ছেন ছিলেন- "তুমি কোথা হইতে অন্ন খাইতে পাও?" সে ব্যক্তি বলিল "ইমাম সাহেব! আপনি একটু বিলম্ব করুন - আপনার পশ্চাতে যে নমাজ পড়িলাম তাহা পুনরায় দোহ রাইয়া পড়িয়া আপনার কথার উত্তর দিতেছিকেননা আল্লা সকলের জীবিকার জিম্মাদার আছেন তৎপ্রতি আপনার ঈমান ( বিশ্বাস ) নাই।" কল্পনাতীত স্থান হইতেও আন্না জীবিকা দেন - যাহা হউক, যাঁহারা এই বিষয় সম্বন্ধে পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন, তাঁহারা এমন স্থান হইতে জীবিকার পথ খুলিয়া যাইতে দেখিয়াছেন, যাহার সম্বন্ধে কখন কল্পনাও করেন নাই। এই উপলক্ষে আল্লা বলিয়াছেন - الأرض إلا على "ভূপৃষ্ঠে যাহারা চলে, তাহাদের জীবিকা আল্লার উপর না আছে এমন কেহ নাই।" ( ১২ পারা। সূরা হুদ। ১ রোকূ )। এই বাক্যের প্রতি তাঁহাদের ঈমান মজবুত হইয়া গিয়াছে। মহাত্মা হোজয়ফা গশীকে লোক জিজ্ঞাসা করিযাছিল - "আপনি বহুদিন মহাত্মা এব রাহীম আহমের সংসর্গে ছিলেন। তাঁহার মধ্যে কি অলৌকিক বিষয় দর্শন করিয়াছেন ?" মহাত্মা বলিলেন-"মক্কাশরীফে নাইবার পথে আমি তাঁহার সঙ্গে ছিলাম। একদা আমরা উভয়ে ক্ষুধার জ্বালায় বড়ই অস্থির হইয়া পড়িয়াছিলাম। আমরা যখন কুফা শহরে উপস্থিত হইলাম তখন ক্ষুধার চিহ্ন আমার শরীরের উপর প্রকাশ হইয়া পড়িল। সেই অবস্থা দেখিয়া তিনি বলিলেন- "ক্ষুধার জ্বালায় তুমি বড় কাতর হইনাছ ।" আমি তাহার উক্তি স্বীকার করিলাম। তখন তিনি আমাকে কালী, কলম কাগজ উপস্থিত করিতে আদেশ করিলেন। আমি তৎসমুদয় তাঁহার সম্মুখে স্থাপন করিলাম। তিনি কাগজের উপব প্রথমে 'বিছ মেল্লাহে-র রহমানে-রব্লকীম' লিখিলেন তাহার পর লিখিলেন - "ওহে ! তুমিই প্রত্যেক অবস্থায় আমাদের উদ্দেশ্য ; এবং সকলেরই লক্ষ্য তোমার দিকে ; আমি তোমার ইশারা পাঠ করিয়া চলি, এবং তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ, এবং তোমাকে স্মরণ করিয়া থাকি, কিন্তু আমি বিবস্ত্র, ক্ষুধিত, তৃষ্ণাতুর । তোমার প্রশংসা করা, ধন্যবাদ দেওয়া ও স্মরণ করা এই তিন কার্য আমার কর্তব্য। তজ্জন্য আমি দায়ী রহিলাম। অন্ন জল, বত্র এই তিন বস্তু দেওয়া তোমার কাজ। তুমি তাহা দিতে জিম্মাদার রহিলে।" এই কথাগুলি লিখিয়া কাগজখানী আমার হস্তে দিলেন এবং বলিলেন - "ইহা লইয়া বাহিরে যাও ; কোন দিকে মন লাগাইবে না। প্রথমে যাহার প্রতি তোমার দৃষ্টি পড়িবে তাহার হস্তে এই কাগজ টুকরা দিবে।" আমি বাহিরে আসিয়া এক উষ্ট্রারোহী ব্যক্তিকে দেখিয়া তাঁহার হস্তে ঐ কাগজ থানী দিলাম। তিনি পাঠ করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন "এই চিঠির লিখক কোথায়?" আমি বলিলাম তিনি মছজেদে আছেন।' তখন তিনি ছয় শত দিনার পূর্ণ এক থলী আমার হাতে দিলেন। আমি ঐ উষ্ট্রারোহী ব্যক্তির পরিচয় জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলাম - তিনি একজন খৃষ্টান । তাহার পর আমি মহাত্মার নিকট উপস্থিত হইয়া সমস্ত কথা জ্ঞাপন করিলাম। তিনি থলীতে হাত লাগাইতে নিষেধ করিয়া বলিলেন - 'আমরা এখন থলীর মালেককে চাই।' ইতি মধ্যে সেই খৃষ্টান আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং মহাত্মার চরণ-চুম্বন করিয়া এছ লাম ধর্মে ঈমান আনিলেন।" ২। মহাত্মা আবু ইয়াকুব বছরী বলিয়াছেন - "ক্কা শহরে আসি দশ দিন অনাহারে ছিলাম। পরিশেষে ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হইয়া বাহিরে গিয়াছিলাম । পথে একটী শালগম পতিত দেখিবা মনে মনে ভাবিয়াছিলাম উহ! কুড়াইয়া লইয়া আহার করি। এমন সমণে অন্তরের মধ্য হইতে এই কথা যেন শুনিতে পাইলাম - "দশদিন অনাগর-যাতনা সহ্যের পর অদ্য কি তোমার ভাগ্যে একটী পচা শালগম মিলিল ?" ইহা বুঝিতে পারিয়। হস্ত সঙ্কুচিত করতঃ পুনরায় মছ জেদে প্রবেশ করিলাম। ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন. এবং এক বাক্স বিস্কুট, মিছরী ও বাদামশাঁস আমার সম্মুখে স্থাপন করিলেন এবং আত্ম-কাহিনী বর্ণনা করিয়া বলিতে লাগিলেন -"আমি জাহাজে চড়িয়া সমুদ্র যাত্রা করিয়াছিলাম। দিন হঠাৎ ঝড় তুফান উঠিরা জাহাজ বিপন্ন করিয়া তুলিল। সেই বিপদে পড়িয়া আমি 'মান্নৎ করিয়াছিলাম - নিরাপদে সমুদ্র উত্তীর্ণ হইতে পারিলে এই সমস্ত দ্রব্য দরবেশদিগকে দিব এবং সর্ব প্রথমে যে দরবেশকে দেখিতে পাইব তাহার হাতে সমর্পণ করিব।" এই কাহিনী শুনিরা আমি প্রত্যেক পদার্থ হইতে এক এক মুখী তুলিয়া লইয়া অবশিষ্ট পদার্থ তাঁহাকে
pdf
09f5f7496b3e8a3321fd946433e2180bd5aff987
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে মুখ খুললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এক সময় যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন। পরবর্তীকালে মন্ত্রীত্ব থেকে দল - সব থেকে সরে যান। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। এবার সেই শোভ চট্টোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করলেন সর্বোত ভাবে। তা নিয়ে ফের জল্পনা তৈরি হল। কী এমন ঘটলো যে এভাবে প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছেন তিনি? নিজের ফেসবুক লাইভে এসে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্প্রতি তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষত, দীপক ঘোষের লেখা বইকে হাতিয়ার করে। প্রথমেই তার তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি। তারপর নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়েও মুখ কোলেন। বারবার শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সাফল্য অধিকারী পরিবারের জন্যই এসেছে। আর সে জন্যই তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে। সে দাবিকেও খন্ডন করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সেই কৃতিত্বও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঠিক কী বলেছেন তিনি শুনে নিন। এভাবে প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাট ধরায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
web
24621abbcb7f71829c39164e716264eb
ম্যাচের ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। অনেকে ধরেই নিয়েছিল, জয় পাচ্ছে বেঙ্গল টাইগার্সরা। কিন্তু তীরে এস তরি ডুবল লা-সবুজ জার্সিওয়ালাদের। শেষ মুহূর্তের গোল জয় হাতছাড়া্ করেন জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচটি তাই ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়। গতকাল(১৫ অক্টোবর) কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ড্র হলেও বাংলাদেশ জিততে পারত অন্তত পাঁচ গোলে। নিশ্চিত চারটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। এত সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপে পুড়ছেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের যুবাদের নিয়ে গর্ব করলেও হতাশা ধরে রাখতে পারেননি এই ইংশি কোচ। গতকাল ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশ দারুণ দু'টি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে ভারতের বিপদ সীমানায় ঢুকে শট নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের ডিফেন্সের কাছে ব্যর্থ হয় শটটি। দ্বিতয়ার্ধের শুরুতেও একটি সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। অবশেষে ড্র নিয়ে সাজ ঘরে ফিরতে হয় তাদের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বলেন, 'ভারতের বিপক্ষে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। ছেলেরা ভালোভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে এবং পুরো ম্যাচ জুড়ে অনেক সুযাগ তৈরি করেছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোলে আমি হতাশ। কেননা তিন পয়েন্টের জণ্য পরিশ্রম করে পয়েন্ট ভাগাভাগি অনেক কষ্টদায়ক। ভারতের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনে আমার ছেলেরা দারুণ খেলেছে । আমি তাদের নিয়ে গর্বিত।' তিনি আরো বলেন 'আমরা র্যাংকিংয়ে ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে।তাদের মাঠে এতো দর্শকের সামনে ড্র করে ফিরে আসা কম কিছু নয়। তবুও পূর্ণ তিন পয়েন্ট না পাওয়ায় আমি কিছুটা হতাশ।'
web
b6d30334321cbd0f7a2c4e266eee7504f694b28f4355d518f215f2601a151813
"যারা সুদ খায় তারা দাঁড়াবে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে দেয়।" [সূরা আলবাকারাহ, আয়াতঃ ২৭৫] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ «الربا ثلاثة وسبعون بابا أيسرها مثل أن ينكح الرجل أمه وإن أربى الربي عرض الرجل المسلم». "সুদের গুনাহের ৭৩টি স্তর রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে হাল্কা হলো নিজ মাতাকে বিবাহ করা। সর্বনিম্ন স্তর হলো কোনো মুসলিমের ইজ্জত সম্ভ্রম হরণ করা।"13 ১৩ নং কবীরা গুনাহ particull Jo Si 'ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ করা ১ ৩০ জ্ঞ إنّ الذين يأكلون أموال اليتامى ظلما إنّما يأكلون في بطونهم نارا وسيصلون سعيرا 13 হাকেম, সহীহ আল-জামে। 1. শুক "যারা ইয়াতীমের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং সত্তরই তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে।" [সূরা আন-নিসা, আয়াতঃ ১০] ১৪ নং কবীরা গুনাহ الكذب على الله عز وجل وعلى رسوله আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের ওপর মিথ্যারোপ করা ويوم القيامة ترى الذين كذبوا على الله وجوههم مسودة "যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে কিয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কালো দেখবেন।" [সূরা আয-যুমার, আয়াতঃ ৬০] كذب علي متعمدا فليتبوأ مقعده من النار». ৩১ জ্ঞ "যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে সে যেন তার অবস্থান জাহান্নাম করে নেয়।"14 হাসান রহ. বলেন, স্মরণ রাখতে হবে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম করেন নি তা হারাম করল, আর যা হালাল বলেন নি তা হালাল বলল, সে আল্লাহ ও তার রাসূল এর প্রতি মিথ্যারোপ করল এবং কুফুরী করল।" ১৫ নং কবীরা গুনাহ isll jessell 'যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা' আল্লাহ তা'আলা বলেন, ومن يولهم يوميذ دبره إلا متحرفا لقتال أو متحيزا إلى فئة فقد باء بغضب من الله ومأونه جهنم وبئس المصير 14 সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৭। "আর যে ব্যক্তি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছু হটে যাবে সে আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তন করতে কিংবা নিজ সৈন্যদের নিকট স্থান নিতে আসে সে ব্যতীত।" [সূরা আল-আনফাল, আয়াতঃ ১৬] অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমান যুগে মুসলিমরা শুধু যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করে না, বরং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে কোনো ধরনের অংশই নিতেই চায় না। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। ১৬নং কবীরা গুনাহ غش الإمام للرعية وظلمه لهم শাসক ব্যক্তি কর্তৃক প্রজাদেরকে ধোকা দেওয়া এবং তাদের ওপর অত্যাচার করা (إنما الشبيل على الذين يظلمون الناس ويبغون في الأرض بغير الحق أولتيك لهم عذاب أليم "শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে ৩৩ জ্ঞ অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।" [সূরা আশ-শূরা, আয়াতঃ ৪২] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, غشنا فليس منا» «من "যে আমাদেরকে ধোকা দেয় সে আমাদের অন্তভুক্ত নয়।"15 রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, "অত্যাচার কিয়ামতের দিন চরম অন্ধকার হবে।"16 «الظلم ظلماة يوم 15 সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৮৬৭। 16 সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৬৭। «أيما راع غش رعيته فهو في النار».
pdf
84a97e3a7fffd87e46240b8d85f04fde
অলৌকিক ইস্টিমারের নাবিক হুমায়ুন আজাদ । মুন্সিগঞ্জের খবর...\nBy Munshiganj24.com on August 31, 2015\nমাসকাওয়াথ আহসানঃ আমাদের সমাজে ভক্তদের বাড়াবাড়িতে রাগ করে ঈশ্বরকে অপছন্দ করার একটি প্রবণতা রয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও দলীয় ক্যাডারের আচরণে তিক্ত হয়ে রাজনৈতিক দলটির শত্রু হয়ে যাবার চল রয়েছে। সম্প্রতি হুমায়ুন আজাদের খাদেমদের ওপর রাগ করে উনার মত একজন বাতিঘরকে অসম্মান করার কিছু অপচেষ্টা দৃশ্যমান। ঋজু সত্য উচ্চারণের দায়ে যাকে ধর্মের ম্যানেজারদের চাপাতির কোপ খেয়ে ক্রমশঃ মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়েছে; তিনি বোধ সম্পন্ন মানুষের চোখে অবশ্যই মুক্তভাবনার আইকন। সাহিত্যিক আজাদের কবিতা-উপন্যাস-প্রবচনগুচ্ছ সর্বত্রই ক্ষয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের অচলায়তন ভাঙ্গার আহবান। তা আমাদের সতত উদ্দীপ্ত করে অচলায়তন ভাঙ্গতে।\nতিনি বলেছেন, আমি একজন পাকিস্তানীকে বিশ্বাস করিনা; যদি সে ফুল নিয়েও আসে।\n১৯৭১ সালে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী বাংলাদেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে; তাতে এটি খুবই যুক্তিসঙ্গত উপলব্ধি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান শাসনের ম্যান্ডেট পায়। এই ম্যান্ডেট অগ্রাহ্য করে উলটো নির্বাচনে বিজয়ী দলের শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার এবং ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে বর্বরোচিত গণহত্যা শুরুর মাঝ দিয়ে পাকিস্তান নিজের বিশ্বস্ততা হারায়। বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা; কমপক্ষে ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির পর পাকিস্তানীরা একটি ঘাতক জাতি হিসেবে গোটা পৃথিবীতেই নিন্দিত।\nপাকিস্তানের নাগরিক সমাজের যারা ১৯৭১ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়েছেন তাদের। ততকালীন পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা বিস্মৃত নন। তাদের প্রাণ বাঁচাতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের খল রাজনৈতিক নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে কৌশলী সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছিলেন। মুজিব যেহেতু জনমানুষের নেতা; মানুষ তাঁর কাছে ছিলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর এই মানবিক ঔদার্য্যের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন ভুট্টো। ১৯৭৪ সালে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে গেলে ভুট্টো ফুল নিয়ে এগিয়ে আসেন। সেই একই ভুট্টো বঙ্গবন্ধু হত্যার পরেই খুনীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠাতে পাকিস্তানের বিমান পাঠিয়ে দেন।\nভুট্টো ৭১-এর গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন হামিদুর রহমান কমিশন রিপোর্টের কিছু অংশ প্রকাশের আগেই লুকিয়ে ফেলেন। এরপরেও মানবতা বিরোধী অপরাধী সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু তিনি পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে শোচনীয় যুদ্ধ-পরাজয় লুকাতে একে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ভারতের ষড়যন্ত্রের ফলাফল ইত্যাদি বিকৃত ন্যারেটিভ চালু করেন।\nফলে ভুট্টো ও অপরাধী ঘাতক সেনাচক্রের গণহত্যা অস্বীকারের ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা পাকিস্তানে। ভুট্টো বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার দিবাস্বপ্নও দেখেছিলেন। ভুট্টোর পতন ও ফাঁসির পর জামাত সমর্থিত সেনা শাসক জিয়াউল হক বাংলাদেশের ততকালীন বাংলাদেশের সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে মিলে মিশে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ব্যবসা চালু করেন। সেনাশাসক এরশাদও সেই পাকিস্তানী ধর্ম নিয়ে রাজনীতির ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশে পাকিস্তানের ইসলামী প্রজাতন্ত্র আদলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করে দেন। ধর্মকে ভালবেসে নয়; ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার জন্য। অর্থাৎ পাকিস্তান ভূতটি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর আবার বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসে।\nমুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা কাঠামো থেকে দূরে রেখে এক অর্থে আরেকটি ছোট পাকিস্তান হিসেবে বাংলাদেশ সমাজ পরিচালিত হতে থাকে। ১৯৭১ এর ঘাতক রাজাকারদের দল জামাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এর কালো অর্থনীতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মাঝে একটি পাকিস্তান রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। বিএনপির সঙ্গে জোট বেধে বাংলাদেশে মন্ত্রী হয় সেই একাত্তরের ঘাতক আল-বদর, আল-শামস-এরা। পাকিস্তানের অনুকরণে বাংলাদেশের অন্যধর্মের মানুষের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায় বিএনপি-জামাত জোট। বাংলাদেশ থেকে অন্যধর্মের মানুষদের পাকিস্তানের অসভ্য মডেলে উচ্ছেদ করে আজ জনসংখ্যার পরিসংখ্যানে একই রকম নিষ্ঠুর চিহ্ন দৃশ্যমান। এই সুযোগে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আর পাকিস্তান থেকে জঙ্গীবাদ রপ্তানীর ধারাবাহিকতায় বাংলা ভাইদের মত জঙ্গীদের উত্থান ঘটে। আর ঠিক এই ক্রান্তিকালে (২০০৪ সাল) অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে জঙ্গীরা চাপাতি দিয়ে কোপায়; পাক-সার-জমিন-আসমান উপন্যাসে এই পাকিস্তান ভাইরাসের ইতিবৃত্ত লিপিবদ্ধ করার দায়ে।\nআজ বাংলাদেশ সমাজে শিশুকে খুঁচিয়ে হত্যা, গণপিটুনীতে মানুষ মেরে ফেলা, নারী ধর্ষণ ও নারীকে অবরুদ্ধ করার হতাশাদায়ী প্রবণতাগুলো পাকিস্তানের অন্ধকার সমাজের ফটোকপি। এই প্রেক্ষিতে হুমায়ূন আজাদ যে বলে গিয়েছেন, আমি একজন পাকিস্তানীকে বিশ্বাস করিনা; যদি সে ফুল নিয়েও আসে।-এই অনিবার্য উচ্চারণ খুবই যৌক্তিক।\nদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হলোকস্টের অপরাধে জার্মানী সেদেশের ঘাতক নাতসীদের বিচার করে। অপরাধ স্বীকার করে সমাজকে ন্যায়ের শিক্ষা দেয়। হলোকস্টের পক্ষে যে কোন কথা বলা আইনত নিষিদ্ধ করে। সেইখানে পাকিস্তান অপরাধ অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে নরভোজী কুতর্ক করে। এই অনুতাপহীন পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার কী কোন কারণ থাকতে পারে!\nপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররাফ ১৯৭১-এর ট্র্যাজেডীর জন্য ব্যক্তিগতভাবে অনুতাপ প্রকাশ করলেও; পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে শত চেষ্টা করে ১৯৭১-এর গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার বিল উত্থাপন করাতে পারেনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পক্ষ অবলম্বন করা নাগরিক সমাজ প্রতিনিধি ও তাদের উত্তর প্রজন্ম। অবশ্য শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতিষ্ঠিত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পাকিস্তান শাখা এ লক্ষ্যে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনের আইকন শাহরিয়ার কবির পাকিস্তানে এ আন্দোলনের সূচনা করেছেন ২০১২ সালে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির পর দ্রুত সংসদে একটি শোক প্রস্তাব উত্থাপন করতে পাকিস্তান জামাতের কোন কোন সমস্যা হয়নি। অবশ্য প্রস্তাবটি মূলধারার রাজনৈতিক দলের সাংসদদের সমর্থন পায়নি। পাকিস্তান বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক ভাইরাস ছড়িয়েছে বিএনপি-জামাতের হাত ধরে; তার বিপরীতে পাকিস্তানে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির প্রচলনের একটি নাগরিক পর্যায়ের কূটনীতি সক্রিয় হয়েছে। বাংলাদেশ সংস্কৃতির এই কাউন্টার হেজিমনি সফল না হওয়া পর্যন্ত; পাকিস্তানীদের বিশ্বাস করার মত কোন যৌক্তিক কারণ নেই। পাকিস্তানের সামগ্রিক মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার প্রবণতা দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত; একাত্তরের গণহত্যার জন্য সংসদের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া না হলে; বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ রপ্তানী ও অশুভ গোয়েন্দা ততপরতা বন্ধ না করা পর্যন্ত; হুমায়ুন আজাদের প্রজ্ঞাসঞ্জাত প্রত্যাখান জারী থাকাই স্বাভাবিক।\nবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেহেতু জনমুখী নেতা ছিলেন; তাঁর উত্তরসূরী শেখ হাসিনা পাকিস্তানের ক্ষমতা কাঠামোর ধারাবাহিক শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতা সত্ত্বেও পাকিস্তানের বানভাসী মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে দ্বিধা করেননি। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক নিরাপত্তা যেহেতু পারস্পরিকভাবে সম্পৃক্ত; বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি শান্তি ও নিরাপত্তা মডেল উপস্থাপন করেন। সেটি বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে জঙ্গীবাদ দমনে। বাংলাদেশের কয়েকটি এনজিও জঙ্গীবাদ-হত পাকিস্তান ও আফঘানিস্তানের প্রান্তিক মানুষকে বেঁচে থাকার পথ দেখিয়ে চলেছে। সুতরাং দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ পাকিস্তানে একটি অসাম্প্রদায়িক ও উন্নয়নমুখী সংস্কৃতি প্রচলনে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত কোন সুসংস্কৃতিগত কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সক্ষম হয়নি। ফলে ভুলে ভরা-অপরাধ প্রবণতায় আক্রান্ত পাকিস্তান ফুল নিয়ে এগিয়ে এলেও তাকে বিশ্বাস করার কারণতো ঘটেনি।\nআর সবকিছু বাদ দিলেও একাত্তরের অপরাধ অস্বীকারের পরেও পাকিস্তান ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের কালো দিনটির পর যেভাবে বাংলাদেশ সমাজকে জঙ্গী ও পশ্চাদপদ মরণব্যাধিতে আক্রান্ত করেছে; সেই বাস্তবতায় বসে ত্রিকালদর্শী হুমায়ুন আজাদ আরো বেশী প্রাসঙ্গিক।\nএখন তর্কের খাতিরে তর্ক করতে গিয়ে পন্ডিত হুমায়ুন আজাদকে অপমান করার ভাইরাসটিও পাকিস্তান ভাইরাস। পাকিস্তানে অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদের মত মুক্ত ভাবনার মানুষদের গুলি করে হত্যা করা হয়, দেশত্যাগে বাধ্য করা হয় এবং এরপর স্যুডো বুদ্ধিজীবীরা তাদের শব ব্যবচ্ছেদ করে। দার্শনিক হুমায়ুন আজাদকে আমরা পড়েছি। আত্মস্থ করেছি। উনি লেখকদের অনুসারীদের মাজারের খাদেম হতে নিরুতসাহিত করেছেন। ফলে হুমায়ুন আজাদের কাছে আমাদের ঋণ একজন শিক্ষকের কাছে ছাত্রের ঋণ। মিডিওকার কিছু লোক যেমন আমাদের চিন্তার বাতিঘর মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কটি গবেষণা পত্র আছে এরকম অর্বাচীন প্রশ্ন করে; হুমায়ুন আজাদকে নিয়েও এ্কইরকম বালখিল্য বিতর্ক তৈরী করে কটাদিন নিজেদের বৈচিত্র্যহীন জীবনে ছদ্ম উত্তেজনা অনুভব করছে যারা; তা খর্ব চিন্তার বৈকল্য। অনেকেই বলেন, আমাকে রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করার জন্য রবীন্দ্রনাথ হতে হবে নাকি! সেটা যেহেতু অসম্ভব; অন্ততঃ রবীন্দ্রনাথকে বোঝার ন্যুনতম প্রজ্ঞা থাকতে হবে সমালোচকের। চিন্তার বাতিঘরেরা যারা আমাদের সংস্কৃতি-মনোজগত ও সমাজকে আলো দিয়েছেন; তাদের দিকে গোবরডাঙ্গার চায়ের দোকানে বসে স্ল্যাং নিক্ষেপের গ্যাং তৈরীর আদিম প্রবণতাটি একবিংশের প্রথম আলোয় আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা। সূর্যকে খর্ব আঙ্গুলে কীবোর্ড চালিয়ে ঢেকে দেয়া যে অসম্ভব; তা যত দ্রুত স্যুডো বুদ্ধিজীবীরা বুঝতে পারে; তাতেই মঙ্গল। নইলে সভ্যতার দৌড়ে তারা পিছিয়ে পড়বে। আমাদের চিন্তার জগতের দার্শনিক রাজাদের মৃত্যুর পরে তাদের আবার হত্যার জন্য যারা ততপর হবে; তারা গোলাপ নিয়ে এগিয়ে এলেও আগামী মনস্ক তারুণ্য তাদের বিশ্বাস করবে না; এটা নিশ্চিত।
web
3830b00c33cccceef59b8a5d7aa73094302796de
#ব্রাসিলিয়াঃ ব্রাজিলের প্রাক্তন সুন্দরী গ্লেসিসি কোরিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু। বিশ্ববাসীর কাছে তিনি সেভাবে পরিচিত না হলেও, এদিন খবরের শিরোনামে তিনি এসেছেন তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে। টনসিলের অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে মারা গিয়েছেন প্রাক্তন মিস ব্রাজিল গ্লেসিসি কোরিয়ার। রুটিন চেক-আপ করাতে গিয়েই এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটে এবং প্রাণ হারান তিনি। (Former Miss Brazil Died) জানা গিয়েছে, গ্লেসিসি কোরিয়ার রুটিন চেক-আপ করাতে গিয়েছিলেন। সেখানে ব্রেন হ্যামারেজ এবং হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। সেই সময় টনসিলের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছিল তাঁর। ২০১৮ সালে মিস ইউনাইটেড কন্টিনেন্টস ব্রাজিলের খেতাব জয় করেছিলেন তিনি। সোমবার অস্ত্রোপচার করাতে গিয়েই তিনি প্রয়াত হন। কোমায় চলে গিয়েছিলেন প্রায় দু'সপ্তাহ। গত ৪ এপ্রিল টনসিলের অস্ত্রোপচার করাতে নার্সিং হোমে গিয়েছিলেন গ্লেসিসি কোরিয়ার। জানা গিয়েছে, টনসিল বের করার পরই খুব রক্তপাত হয় গ্লেসিসি কোরিয়ারের। এর পরই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। গ্লেসিসি কোরিয়ার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, 'আমরা এই মৃত্যুর খবরে খুবই ভেঙে পড়েছি। ও খুবই ভালো একজন মানুষ ছিল। ' আরও পড়ুনঃ যৌনমিলনের সময় এই শব্দ-খেলা চরম উত্তেজনা এনে দেয়, পার্টনারকে কখনও বলেছেন? সোশ্যাল মিডিয়াতেও গ্লেসিসি কোরিয়ারের খুবই জনপ্রিয়তা ছিল। মেকাওতে জন্ম তাঁর। মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ২৭ বছরের সুন্দরী গ্লেসিসি কোরিয়ারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া তাঁর ভক্তমহলেও। নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
web
8b0fe5a566f394a1f9d32d8166e4bb5e6abca580
প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, কমলগঞ্জ :: বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী চুঙ্গাপিঠা। কালের আবর্তে এই পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে। পূর্বেকার সময়ে শীতের রাতে বাড়িঘরে চুঙ্গাপিঠা ও উৎসব হতো। পৌষ সংক্রান্তিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা মহাসমারোহে চুঙ্গা পিঠা বানিয়ে অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করতো। বর্তমানে এগুলো স্বপ্নের মতোই মনে হয়। বৃহত্তর সিলেটের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষারে কবি জয়নাল আবেদীন ব্যতিক্রমী চুঙ্গাপিঠা উৎসবের আয়োজন করেন। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টায় নিজ বাড়িতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনা, গান, গল্প, কৌতুক, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চুঙ্গাপিঠা উৎসব পরিচালিত হয়। সংস্কৃতি কর্মী মহসিন আহমদ কয়েস ও আব্দুল মুকিত হাসানীর সঞ্চালনায় এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেন কবি শহীদ সাগ্নিক, টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া, সাংবাদিক নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, রাজনীতিবিদ অলি আহমদ খান, টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের নেতা তালুকদার আমীনুর রহমান, সমাজ সেবক তোয়াবুর রহমান, শিক্ষক আব্দুল লতিফ, হরমুজ আলী প্রমুখ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুল, কবি জয়নাল আবেদীন, আব্দুল জলির।
web
24641a6412248bd8651d162997d3fa5f264f5fd9
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। অনেক বক্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। দেশে-বিদেশে অনেক কথা উঠতেছে, তাহলে কিছু একটা আছে। অবশ্যই কিছু একটা আছে। শনিবার বিকেলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর একপক্ষ বলেন সুন্দর ভোট করে দেশটাকে বাঁচিয়েছি। অপরপক্ষ বলেন খুব চমৎকার নির্বাচন করেছি আর একদল স্পষ্টভাবে বলেছেন দেশটাকে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছি। 'যদি অন্যায় কিছু করতে হয়, বেআইনি কাজ করতে বাধ্য করা হয় আপনারা বিরত থাকবেন। সব দায় আমার। নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে থাকবে। কোনো অন্যায় কাজে আপনারা মাথানত করবেন না', কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এমন কথা বলেন রফিকুল ইসলাম। (নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
web
d6376e7c5c742dbb3ed4dfab7641955b
কোচবিহারঃ আজ কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন এবং আগামীকাল রাজ্যজুড়ে কালো ব্যাজ পরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অমিত শাহের দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, ওনার নির্দেশেই গুলি চালানো হয়েছে যার জেরে ৪ জনের প্রাণ গেছে। আজ কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে কোচবিহারের SP দেবাশিস ধর জানান। 'সকাল ৯ঃ৩০ নাগাদ একজন লোকাল ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে অসুস্থ হওয়ায় কারণে দু' তিনজন তাঁর চিকিৎসা করছিল। সেটা দেখে CISF এর কজন জওয়ান তাঁদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করে যে কি হয়েছে? তখন একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে সিআইএসএফ লোকাল ছেলেটাকে মারধর করেছে। আর সেই গুজব ছড়িয়ে যাওয়ার পর প্রায় ৩০০-৩৫০ গ্রামবাসী লোকেল মেড অস্ত্র যেমন দাঁ, খুন্তি নিয়ে জওয়ানদের উপর আক্রমণ করে।" দেবাশিসবাবু জানান, ' সিআইএসএফ এর সঙ্গে হোমগার্ড এই আক্রমণে আঘাত পান। এমনকি সিআইএসএফ জওয়ানদের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা। এরপর সিআইএসএফ কুইক রেসপন্স টিমকে ডেকে নেয় আর এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে তুমুল মারপিট বাঁধে। তখন এমন পরস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, ব্যালট ইউনিট ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।" এরপর পুলিশের এসপি বলেন, ' এরপর সিআইএস এফ বাহিনী ১৫ রাউন্ড ফায়ার করে এরফলে চারজনের মৃত্যু হয়। চারজনের বয়স ২২ থেকে ২৫-এর মধ্যে। তিনজন আহত হয়েছে। এছাড়াও কর্তব্যরত হোমগার্ডরাও আঘাত পান।"
web
e7c935583d78ac9955fd073443c272583afaa8c4
ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিনদিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক 'ঢাকা মোটর শো' প্রদর্শনী। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আগামী ১৪ মার্চ থেকে এ মেলা চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ কার্যালয়ে প্রদর্শনীর বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন সেমস গ্লোবাল ইউএসএ ও এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন ইসলাম। তিনি বলেন, এবারের প্রদর্শনীতে ১৬টি দেশ ও ২৬৫টি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। প্রদর্শনীতে থাকছে ১৪তম ঢাকা মোটর শো-২০১৯, পঞ্চম ঢাকা বাইক শো-২০১৯, চতুর্থ ঢাকা অটোপার্টস শো ২০১৯ এবং তৃতীয় ঢাকা কমার্শিয়াল অটোমোটিভ শো ২০১৯। মেহেরুন ইসলাম আরও বলেন, ঢাকা মোটর শো বাংলাদেশের অটোমোটিভ শিল্পের একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনী নতুন যানবাহন ও দ্রুত বর্ধনশীল অটোমোটিভ বাজার বাড়ানোর জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম এবং বাংলাদেশে অটো শিল্পের ব্যবসার জন্য গত ১৩ বছর যাবত এক নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে অটো শিল্পের চাহিদা উল্লেখ্যযোগ্য হারে বেড়েছে এবং দেশটিতে মোটরগাড়ি আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। গত তিন বছরে গাড়ি বিক্রির হার তিনগুণ বেড়েছে, যেখানে একই সময়ে মোটরবাইক বিক্রয়ের পরিমাণও দ্বিগুণ হয়েছে। প্রদর্শনীতে থাকছে ব্র্যান্ড নিউ মোটর বাইক, স্কুটারস এবং নতুন গাড়ি, স্পোর্টস ইউটিলিটি যানবাহন, মাল্টি ইউটিলিটি যানবাহন, বাণিজ্যিক যানবাহন, বাস, ট্রাক, থ্রি হুইলার, বিকল্প শক্তি চালিত যানবাহন ইত্যাদি। এছাড়া প্রদর্শনীতে থাকবে স্বয়ংচালিত সামগ্রী এবং খুচরা যন্ত্রাংশ, গ্যারেজ ও গ্যারেজ সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক, বীমা পণ্য ও পরিসেবা, অটো ফাইন্যান্স অ্যান্ড লিজিং, অটো ইন্ডাস্ট্রি, আইটি ও লুব্রিকেন্টস, সিএনজি কিট, টায়ার ও হুইল, ডিজাইন ধারণা, অটো ইলেকট্রনিক্স, কোচ বিল্ডার/ডিজাইন যানবাহন। এছাড়াও দর্শনার্থীদের জন্য ফ্রি মোটরবাইক শেখার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। এবারের প্রদর্শনীতে ব্যাংকসহ অনেক স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। তারা বিভিন্ন ধরনের অটোমোবাইল ঋণের আকর্ষণীয় অফার নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও সুবারু বাংলাদেশ অন্যান্য বিখ্যাত কার ব্র্যান্ডের সাথে বিশেষভাবে সুবারু বিআরজেড-২০১৯ মডেলের কার প্রদর্শনী শো করবে এবং এটি পুনরায় বাংলাদেশে চালু করার জন্য বিভিন্ন মডেলের যানবাহনগুলোতে বিশেষ ছাড় দেবে। হাওজু তার নতুন ও আকর্ষণীয় মোটরবাইক ডিআর-১৬০ প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করবে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিয়েল মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রিয়াদ হাসনাইন, (সুবারু), এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড এর এজিএম ফাইয়াজ এইচ. চৌধুরী, র্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেড (সুজুকি)র হেড অব সেলস্ এ. কে. এম তৌহিদুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর কামরুল ইসলাম, সেমস বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং নইম শরীফ।
web
00515fa9a757cde80c2c2dd2b648c097345a392ec6d0815bce30027b1ccbc0cc
গৃহ-পরিচালনার কথা করিযা সাধারণ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত আদিবাসীরা পর্যন্ত প্রকৃতির সঙ্গে প্রাণের সম্মিলন অনুভব করিয়া থাকে। বিভিন্ন ঘরের দেওয়াল সজ্জিত করিতে, বিভিন্ন মনোভাবের সঙ্গে সংযোগ রাখিতে, বিভিন্ন রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করিতে পারে একমাত্র প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিত চিত্রাদি বা ছবি ( Landscapes)। জগতের সকল যুগের শিল্পীরাই প্রকৃতির দৃশ্য ক্যানভাসে রাঙাইয়া তুলিয়াছেন। সকল আলোক-চিত্রশিল্পীই ক্যামেরায় প্রকৃতির ছবি ধরিয়। রাখিয়াছেন । সুতরাং এই ধরনের চিত্র বা ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা ভোগ করিতে হয় না। যে কোন ঘরের দেওয়ালে পছন্দমত প্রাকৃতিক দৃশ্যসম্বলিত ছবি বা চিত্র সাজাইয়া ঘরের সৌন্দর্য অনেকগুণ বাড়াইয়া তোলা সম্ভব এবং রুচিকর পরিবেশ সৃষ্টিও সহজসাধ্য। শয়নঘরে এই ধরনের ছবি টাঙাইবার সময় মনে রাখিতে হইবে যেন রঙ হাল্কা অথচ উজ্জ্বল হয়। বিশ্রামঘরে এই ধরনের ছবি আকারে একটু বড় হওয়া প্রয়োজন। রঙ সর্বক্ষেত্রেই উজ্জ্বল হইবে। বহু রঙ বা বিভিন্ন রঙের ছবি হলঘরে থাকিতে পারে। হলঘরের ছবি আকারে বেশ বড় হইবে। যে ঘরে যেমন অবস্থায়ই প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি টাঙান যাউক, মনে রাখিতে হইবে ছবিটি যেন চোখ ধাঁধাইয়া না দেয় এবং শান্ত ও মনোরম ভাবের সৃষ্টি করিয়া ইহা যেন বিশ্রাম-সুখ ও নির্মল আনন্দ উপভোগ করিতে সাহায্য করে। আলোকচিত্র - ফটো তোলা (Photograph ) অনেকের নিকটই আনন্দজনক প্রিয়-খেয়াল (hobby)। কোনও মুগ্ধকর দৃশ্য ক্যামেরায় ধরিয়া রাখিতে সকলেরই ইচ্ছা হয়। প্রকৃতির বা প্রিয়জনের রূপ ও স্মৃতিকে চিরদিনের জন্য ছবিতে মূর্ত করিয়া রাখিবার
pdf
3307b371b7b344aaac489a66a3f6c40ba18ac707
বছরের প্রথম দিন, তার ওপর রবিবার। পুরুলিয়ার জয়চণ্ডী পাহাড়ে পিকনিকের মেজাজ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও ভিনরাজ্য থেকে পর্যটকরা এসেছেন হীরক রাজার দেশের শ্যুটিংস্থল দেখতে। বাড়তি আকর্ষণ পর্যটন মেলা। Published at: 01 Jan 2023 01:42 PM (IST)
web
63286496fd18ea88386b5a8f661f100fec28e1091aa3c7835aeb7c69c41daedc
অমান্যকারী । তাদের মু'মিন মুসলিম হওয়ার দাবী মিথ্যা । তারা প্রকৃতপক্ষে নবীর বিরোধী এক প্রকার কাফির এতে কোন সন্দেহ নেই । রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অনুসরণের পরিপন্থী কাজ করার ক্ষতি ও পরিণতিঃ فليحذر الذين يخالفون عن أمره أن تصيبهم فثئة أو يصيبهم عذاب أليم. أضرار ومفاسد مخالفته অন্যত্র বলেছেনঃ যারা তাঁর (রাসূলের) নির্দেশের পরিপন্থী চলে তারা যেন এই ভীতির মাঝে থাকে যে, যে কোন সময় ফিতনার (বিপদের) মাঝে পতিত হবে কিংবা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে । ومن يعص الله ورسوله فقد ضل ضلالا مبينا অন্যত্র বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (হুকুমের) অবাদ্ধতা করবে সে প্রকাশ্য ভ্রষ্টতার মধ্যে নিপতিত হবে । - সূরা আহযাব ৩৬ । ومن يعص الله ورسوله ويتعد حدوده يدخله نارا خالدا فيها وله عذاب مهين. যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাদ্ধতা করবে এবং তাঁর সীমারেখা অতিক্রম করবে তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন যার মধ্যে চিরকাল বসবাস করবে । আর তার জন্য অপমানজনক শাস্তি রয়েছে । يأيها الذين آمنوا أطيعوا الله وأطيعوا الرسول ولا تبطلوا أعمالكم হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর অনুসরণ করো এবং তাঁর রাসূলের অনুসরণ করো । খবরদার তোমাদের আমলগুলি বিনষ্ট করো না । - সূরা মুহাম্মাদ ৩৩ । অর্থাৎ যে আমল আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী এবং রাসূল (সা.) এর তরীকা অনযায়ী না হবে তা বিনষ্ট, তার কোন সওয়াবই সে পাবে না, পরিমাণে যতই বেশী হোক না কেন । قل أطيعوا الله والرسول فإن تولوا فإن الله لا يحب الكافرين বলুনঃ তোমরা আল্লাহর অনুসরণ কর এবং রসূলের, এরপর যদি তারা বিমুখ হয় তাহলে আল্লাহ কাফিরদের পছন্দ করেন না । - আলূ ইমরান -৩২ । হাদীছে এসেছে : عن أنس قال : جاء ثلاثة رهط إلى بعض أزواج النبي صلى الله عليه وسلم يسألون عن عبادة النبي صلى الله عليه وسلم" فلما أخبروا بها كأنهم تقالوها" فقالوا أين نحن من النبي صلى الله عليه وسلم وقد غفر له ما تقدم من ذنبه وما تأخر" فقال أحدهم: أما أنا فاصلى الليل أبدا" وقال الأخر: أنا أصوم النهار أبدا ولا أفطر' وقال الأخر: انا أعتزل النساء فلا اتزوج (بهن) أبدا، فجاء النبي صلى الله عليه وسلم فقال: انتم الذين قلتم كذا وكذا؟ اما والله إنى لأخشاكم لله وأتقاكم له" ولكني أصوم وافطر وأصلى وأرقد وأتزوج النساء' فمن رغب عن سنتي فليس مني - (متفق عليه ) আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা তিন ব্যক্তি আল্লাহর রাসূলের কোন স্ত্রীর (আয়েশার) নিকট এসে নবী (সা.) এর ইবাদতের ব্যাপারে জানতে চাইলো । যখন বলা হলো তখন তারা তা সামান্য মনে করলো এবং বললো আমরা নবী (সা.) এর তুলনায় কোথায়? তার তো অগ্র-পশ্চাতের সমস্ত গুনাহ মোচন করে দেয়া হয়েছে। অতঃপর তাদের একজন বললোঃ আমি সর্বদা সারা রাত্রি নামায পড়বো । অন্যজন বললোঃ আমি সর্বদা দিনে রোযা রাখবো কোন দিন রোযা ছাড়বো না । তৃতীয় জন বললো আমি মহিলাদের থেকে পৃথক থাকবো । কখনোও বিবাহ করবো না । অতঃপর রাসূলুল্লাহ তাদের নিকট এসে বললেনঃ তোমরাই কি এই এই কথা বলেছিলে? জেনে রেখ আমি সবচেয়ে আল্লাহকে ভয় করি আমি তোমাদের সবার চেয়ে পরহেযগার বান্দা । অথচ আমি রোযা রাখি আবার ছেড়েও দেই । (নফল রোযার ক্ষেত্রে) নামায পড়ি আবার ঘুমাই ও । নারীদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি (নয়টি স্ত্রী রয়েছে)। এই ভাবে ইবাদত করাই আমার সুন্নাত বা পদ্ধতি । যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে বিমুখ হবে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয় । অপর হাদীছে এসেছেঃ عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم حين أتاه عمر فقال: إنا نسمع أحاديث من يهود تعجبنا أفترى أن نكتب بعضها؟ فقال: أمتهوكون أنتم كما تهوكت اليهود والنصارى؟ فقد جئتكم بها بيضاء نقية ولو كان موسى حيا ما وسعه إلا اتباعي رواه البيهقي في شعب الايمان وأحمد জাবির (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সা.) থেকে এমন সময়ের কথা বর্ণনা করেন যখন উমার (রা.) তার নিকট এসে বললেনঃ নিশ্চয় আমরা ইহুদীদের নিকট এমন কিছু হাদীছ পাই যা আমাদেরকে চমৎকৃত করে । আপনি কি মনে করেন - এগুলোর কিছু কি আমরা লিখে নিব? তিনি বললেনঃ তোমরা কি ইহুদী ও নাসারাদের মত দিশেহারা হতে চাও? আমি যা তোমাদের নিকটই নিয়ে এসেছি তা সাদা ও স্বচ্ছ । স্বয়ং মুসা (আ.)ও যদি থাকতেন তাহলে আমার অনুসরণ ছাড়া তারও উপায় ছিল না । · এটি আহমাদ ও বায়হাক্বী শয়াবুল ঈমানে বর্ণনা করেছেন । অপর একটি হাদীছে এরূপ এসেছেঃ وفي رواية عن جابر ان عمر بن الخطاب رضي الله عنهما أتى رسول الله صلى الله عليه وسلم بنسخة من التوراة فقال: يا رسول الله! هذه من التوراة فسكت فجعل يقرأ ووجه رسول الله يتغير فقال أبو بكر: ثكلتك الثواكل! ما ترى بوجه رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ فنظر عمر إلى وجه رسول الله فقال: أعوذ بالله من غضب الله وغضب رسوله٬ رضينا بالله ربا وبالاسلام دينا وبمحمد نبيا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذي نفس محمد بيده لو بدأ لكم موسى فاتبعتموه وتركتمونی لضللتم عن سواء السبيل ولو كان موسى حيا وأدرك نبوتى لاتبعنی (رواه الدارمی، 194/177 ) 63/1 মেtaall olsive এ এয়াখা diwe g জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, উমার (রা.) একদিন তাওরাতের একটি কপি নিয়ে এসে বলেছিলেন হে আল্লাহর রাসুল এটা তাওরাতের একটা কপি । আল্লাহর রাসুল (সা.) চুপ রইলেন, অতঃপর উমার (রা.) পড়া শুরু করলেন এবং এদিকে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর চেহারা মুবারক পরিবর্তন হতে শুরু করল । আবু বাকর (রা.) বললেনঃ (উমরকে উদ্দেশ্য করে) তোমার জন্য ক্রন্দনকারীরা ক্রন্দন করুক। অর্থাৎ তোমার মৃত্যু হোক । দেখনা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর চেহারার কি পরিবর্তন হয়েছে । উমার (রা.) রাসূল (সা.)এর চেহারার দিকে তাকিয়ে বললেন আল্লাহর নিকট তার ক্রোধ ও রাসূলের ক্রোধ থেকে আশ্রয় চাই। আল্লাহকে রব্ব হিসাবে ইসলামকে একমাত্র ধর্ম হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (সা.) নবী হিসাবে গ্রহণ করে রাযী হয়েছি । এ কথা শুনে রাগ প্রশমিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন ঐ সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার জীবন আজ মুসা-ও যদি প্রকাশ লাভ করতেন আর তোমরা আমাকে ছেড়ে তার অনুসরণ করতে তবু সঠিক পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়ে যেতে । যদি তিনি বেচে থাকতেন এবং আমার নবুওতের সময়কাল পেতেন তবে অবশ্যই তিনি আমার অনুসরণ করতেন। - দারেমী । শাইখ আলবানী এটিকে মিশকাতে হাসান বলেছেন । পৃঃ ১/৬৩ হাদীছ নং ১৭৭ ও ১৯৪ । অত্র হাদীছ থেকে পরিস্কার বূঝা যায় যে, আল্লাহর রাসুল (সা.) ব্যতীত অন্য যত বড়ই সৎ লোক বা অলি-দরবেশ বা ইমাম হোক তার সুন্নাত বা কথার বিরুদ্ধে এক মুহুর্তের জন্য-ও তাদের অনুসরণ করা চলবে না । এমনিভাবে যত বড় পণ্ডিত বা আলেমের লিখা কিতাব হোক না কেন কুরআন ও হাদীছের বিরুদ্ধে ক্ষণিকের জন্যও মানা চলবে না । আরো বুঝা গেল যে, যারা একথা বলে যে, কুরআন ও হাদীছ শুধু বরকত লাভের জন্য এবং মাসলা মাসায়েলের জন্য নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের ফিকাহই যথেষ্ট । তাদের একথা বলা ও তার উপর আমল করা জঘণ্যতম অপরাধ । কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের মুসলমানী থাকায় দ্বিধাযুক্ত । দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিরাট সংখ্যক সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা খ্যাতিমান বড় বড় মাযহাবী আলিমগণও এমন আক্বীদা পোষণ করেন । আল্লাহ তাদের সঠিক পথ দান করুন । সত্যিকার হাক্কানী আলিম বানান । অপর পক্ষে রাজনীতি এবং রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনার নামে বা স্বার্থে কুরআন সুন্নাহ বাদে কাফির রাষ্ট্র থেকে আমদানীকৃত সংবিধান, তন্ত্রমন্ত্র ও মতবাদ যেমন গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ, নাস্তিকতাবাদ এসবই কুরআনের উপরোক্ত আয়াত ও হাদীছের আলোকে ইসলামের সাথে এমন সাংঘর্ষিক যে ওসব কিছুর সমর্থকদেরকে ইসলামের গণ্ডির বহির্ভূত করে দেয় এবং কাফিরদের গণ্ডিভূক্ত করে দেয় । فضائل وفوائد طاعته واتباعه
pdf
c7f6cd169dd0758d40d39d833cfca38a99982e7d1c5b032fb614456b0e1fd89b
ন গুকনেপিদেশশ্চ ন চোপাধিন"চ ক্রিয়া। বিদেহং গগনং বিদ্ধি বিশুদ্ধোহহং স্বভাবতঃ ॥ ৫৪ ॥ বিশুদ্ধোঽস্যশবীরোঽসি ন তে চিত্তং পরাৎপরম্ । অহং চাত্মা পরং তত্ত্বমিতি বক্তং ন লজ্জসে ॥ ৫৫ ॥ কথং বোদিধি রে চিত্ত হ্যাত্মৈবাত্মাত্মন। ভব। পিব বস কল/তাঁতমদ্বৈতং পরমাম্বতম্ ॥ ৫৬ ॥ নৈব বোধো ন চাবোধো ন বোধো বোধ এব চ। বসেদস্যদৃশঃ সদাবোধঃ স বোধো নান্যথা ভবেৎ ॥ ৫৭ ॥ জ্ঞানং ন তর্কে। ন সমাধিষোগো, ন দেশকালে। ন গুরূপদেশঃ। স্বভাবসংবিত্তিরঞ্চ তত্ত্বমাকাশকল্পং সহজং ধ্ৰুৰঞ্চ ॥ ৫৮ ॥ ন জাতোঽহং মুতো বাপি ন মে কৰ্ম্ম শুভাশুভম্ । বিশুদ্ধং নিৰ্গুণং ব্রহ্ম বন্ধো মুক্তিঃ কথং মম ॥ ৫৯ ।। যদি সৰ্ব্বগতো দেবঃ স্থিরঃ পূর্ণো নিরস্তরঃ । অন্তরং হি ন প্যামি সবাহ্যাভ্যন্তরঃ কথম্ ॥ ৬০ ॥ আমার গুরু বা উপদেশ, উপাধি বা ক্রিয়া কিছুই নাই, আমি স্বভাবতঃ বিদেহ, গগনবৎ মুক্ত ও বিশুদ্ধ ॥ ৫৪ ।। তুমি বিশুদ্ধ ও অশরীরী, তোমার পরাৎপর চিত্ত নাই, আমি আত্মা ও পরমতত্ত্ব, ইহা বলিতে লজ্জা করিও না ॥ ৫৫ ॥ রে চিত্ত ! তুই কেন রোদন করিতেছিস্, আত্মযোগে অত্মা হও, বৎস! কলাতীত, অদ্বৈত, পরমামৃত পান কর ।। ৫৬ ॥ আমি বোধও নহি, অবোধও নহি, বোধকেও বোধ বলে না, যাহাব সদাই ঈদৃশ বোধ, সে-ই বোধস্বরূপ, ইহার অন্যথা নাই ॥ ৫৭ ॥ জ্ঞান, তর্ক, সমাধি-যোগ, দেশকাল, গুরূপদেশ কিছুরই অপেক্ষা করে না, আমি স্বভাবতই জ্ঞানস্বরূপ, পরমতত্ত্ব, আকাশকল্প, সহজ ও ধ্ৰুৰ ॥৫৮। আমি জহু্য নহি, মৃতও নহি, আমার শুভাশুভ কৰ্ম্ম নাই, আমি বিশুদ্ধ ও নিগুণ ব্রহ্ম, আমার বন্ধ বা মুক্তি কি প্রকারে হইবে ? ৫৯ ।। যদি সেই দেব সবগত, স্থির, পূর্ণ এবং নিরন্তর হন, তবে অন্তরই আমি দেখিতে পাই না, তিনি সবাহাভ্যন্তর কি প্রকারে হইবেন ? ৬০ ॥ স্ফূরত্যেৰ জগৎ কুৎত্নমখণ্ডিতনিরস্তরম্ । অহো মারা মহামোহে। দ্বৈতাদ্বৈতবিকল্পনা ॥ ৬১ ॥ সাকার নিরাকারং নেতি নেতীতি সৰ্ব্বদা। ভেদাভেদবিনিমুক্তে। বৰ্ত্ততে কেবলঃ শিবঃ ॥ ৬২ ৪ নতে চ মাতা চ পিতা চ বন্ধুনতে চপত্নী ন সুতশ্চ মিত্রম্ ন পক্ষপাতো ন বিপক্ষপাতঃ, কথং হি সন্তুপ্তিরিরং হি চিত্তে। ৬৩ ॥ দিবা নক্তং ন তে চিত্ত উদাত্তময়ৌ ন হি । বিদেহন্ত শরীরত্বং কল্পয়স্তি কথং বুধাঃ ॥ ৬৪ । নাবিভক্তং বিভক্তঞ্চ ন হি দুঃখসুখাদি চ নহি সৰ্ব্বমসৰ্ব্বঞ্চ বিদ্ধি চাত্মানমব্যয়ম্ ॥ ৬৫ ॥ নাহং কৰ্ত্তা ন ভোক্তা চ ন মে কর্ম্ম পুরাধুনা। ন যে দেহে। বিদেহো বা নিৰ্ম্মমেতি মমেতি কিম্ ॥ ৬৬ । ন যে রাগাদিকে। দোষে। দুঃখং দেহাদিকং ন মে । আত্মানং বিদ্ধি মামেকং বিশালং গগনোপমম্ ॥ ৬৭ ॥ এই সমগ্র জগৎ অথণ্ডিত ও নিরস্তর বলিয়া আমার নিকট স্ফ,র্ভি পাইতেছে। হায়! কি মায়া। কি মহামোহ। এই জগৎ সম্বন্ধে দ্বৈতাদ্বৈতকল্পনা করা হয় ।। ৬১ ।। সাকার নিরাকার সমুদয় সম্বন্ধেই সর্ব্বদা নেতি নেতীতি বলা যায়, পরন্তু কেবল ভেদাভেদ বিনিম্মুক্ত শিবই বিদ্যমান ।। ৬২ ॥ তোমার পিতা, মাতা, বন্ধু, পত্নী, সুত বা মিত্র কিছুই নাই; তোমার সম্বন্ধে পক্ষপাতও নাই, বিপক্ষভাও নাই, অতএব চিত্তে কেন এরূপ সম্ভাপ ভোগ কর ? ৬৩ ॥ রে চিত্ত! তোমার সম্বন্ধে দিন বা রাত্রি, উদয় বা অন্ত কিছুই নাই, তবে পণ্ডিতের। বিদেহের শরীরত্ব কেন কল্পনা করেন ? ৬৪ ॥ অৰ্ভিক্ত, বিভক্ত, সুখদুঃখাদি, সর্ব্ব, অসৰ্ব্ব মাত্মার সম্বন্ধে এ সকল কিছুই নাই ; আত্মাকে অব্যয় বলিয়া জানিও ।। ৬৫ অমি কৰ্ত্তা বা ভোক্তা নহি, আমার পুরা বা অধুনা কখনও কোন কৰ্ম্ম নাই, আমার দেহ বা বিদেহ নাই, নির্ঘুম বা মমতা কি প্রকারে থাকিবে ? ৬৬ ॥ আমার রাগাদি দোষ নাই, দেহাদিক দুঃখ নাই, আমাকে এক বিশাল ও গগনোপম আত্মা বলিয়া জানিও। ৬৭ ॥ সখে মনঃ কিং বহুজল্পিতেন, সথে মনঃ সৰ্ব্বমিদং বিতর্ক্যম্ । যৎ সারভূতং কথিতং মরা তে, ঘুমের তত্ত্বং গগনোপমোঽসি ॥ ৬৮ ॥ যেন কেনাপি ভাবেন যজ্ঞ কুত্র মুতা অপি। যোগিনস্তত্র লীয়ন্তে ঘটাকাশমিবাম্বরে ॥ ৬৯ ।। তীর্থে চান্ত্যজগেহে বা নষ্টশ্বতিরপি তাজন্ । সমকালে তহুং মুক্তঃ কৈবল্যব্যাপকো ভবেৎ ॥ ৭ ॥ ধৰ্ম্মার্থকামমোক্ষাংশ্চ দ্বিপদাদিচরাচরম্। ম্যস্তে যোগিনঃ সৰ্ব্বং মরীচিজলসন্নিভম্ ॥ ৭১ ॥ অতীতানাগতং কৰ্ম্ম বৰ্ত্তমানং তথৈব চ। ন করোমি ন হুঞ্জামি ইতি মে নিশ্চল। মতিঃ ৭২ ॥ শূন্যাগারে সমরসপূতন্তিষ্ঠত্যেকঃ সুখমৰধৃতঃ । চৰতি হি নগ্নস্ত্যক্ত। গৰ্ব্বং, বিন্দতি কেবলমাত্মনি সৰ্ব্বম্ ॥ ৭৩ ॥ ত্রিতয়তুরীয়ং ন হি ন হি যত্র, বিন্দতি কেবলমাত্মনি তত্র । ধর্ম্মাধর্ম্মৌ নহিন হি যজ্ঞ, বন্ধে। মুক্তঃ কথমিহ তত্ৰ ॥ ৭৪ ॥ হে সথে ! মন বহু জল্পনার প্রয়োজন কি ? এ সমুদয় বিতর্কেরই বা প্রয়োজন কি? যাগ সারভূত, আমি তাহা কহিলাম, তুমিই গগনোপম পরমতত্ত্ব ।। ৬৮ ।। যে কোন ভাৰেই হউক, আর যথায় তথায় হউক, মৃত্যুর পর যোগীরা তথায়ই লয় পান, যেমন ঘটাকাশ মহাকাশে লয় হইয়া থাকে । ৬৯ ।। তীর্থেই হউক আর অন্ত্যজগৃহেই হউক, নষ্টশ্বতি ত্যাগ করিয়া যোগী তরুমুক্ত হইয়া কৈবল্যব্যাপকতা লাভ করেন। १• ॥ ধর্ম্মার্থকামমোক্ষ দ্বিপদাদি চরাচর সমুদয়ই যোগী মরীচিজল-সন্নিভ বলিয়া মনে করেন। ৭১ কি অতীত, কি অনাগত, কি বর্ত্তমান কোন কৰ্ম্মই আমি করি না অথবা কর্ম্মফলও আমি ভোগ করি না, ইহা আমার নিশ্চল বুদ্ধি ॥ ৭২ ॥ অবধূত শূন্যগৃহে সমরসলাভে পবিত্র হইয়া বাস করেন এবং গৰ্ব্বত্যাগ করিয়া নগ্নভাবে সর্ব্বত্র বিচরণ করেন; তিনি আত্মাতেই সমূদয় লাভ করেন ।। ৭৩ ॥ যথায় কেবল আত্মলাভ, তথায় ত্রিতয় বা তুরীয়াবস্থা নাই অথবা যথার কেবল আত্মলাভ, তথায় ধর্ম্মাধর্ম্ম বা বদ্ধ ও মুক্তও নাই ॥ ৭৪ ॥ অবধূত গীতা বিন্দতি বিন্দতি ন হি ন হি মন্ত্রং, ছন্দোলক্ষণং ন হি ন হি তন্ত্রম্ সমরসমগ্নো ভাবিতপূতঃ, প্রলপিতমেতৎ পরমাবধৃতঃ ॥ ৭৫ ॥ সৰ্ব্বশূন্যমশূন্যঞ্চ সত্যাসতাং ন বিদ্যতে। স্বভাবভাবতঃ প্রোক্তং শাস্ত্রসংবিত্তিপূৰ্ব্বকম্ ॥ ৭৬ ॥ ইতি শ্রীদত্তাত্রেয়-বিরচিতায়ামবধৃতগীতায়ামাত্মণংর্বিত্ত্যপদেশে। নাম প্রথমোঽধ্যায়ঃ ॥ ১ ॥ অবধৃত উবাচ । বলিস্থ্য বা বিষয়ভোগরত্য বাপি, মূৰ্খস্থ্য সেবকজনস্য গৃহস্থিতস্থ ! এতদ্দ্গুরোঃ কিমপি নৈব ন চিন্তনীয়ং, রত্নং কথং ত্যজতি কোঽপ্যশুচৌ প্রবিষ্টম্ ॥১॥ নৈবাত্র কাব্যগুণ এর তু চিপ্নীয়ো, গ্রাহঃ পরং গুণবতা খলু সার এব! সিন্দুরচিত্ররহিতা তুবি রূপশ্যা, পারং ন কিং নয়তি নৌরিহ গন্থকামান ॥ ॥ তথায় ছন্দোবন্ধ মন্ত্রেরও প্রয়োজন নাই বা তন্ত্রেরও প্রয়োজন নাই, সমরসে মগ্ন ধ্যানপুত অবধৃত কর্তৃক এই প্রলাপ কথিত হইল ।। ৭৫ ।। তথায় শূন্যাশূন্য সত্যাসত্য কিছুই নাই, শাস্ত্রজ্ঞান পূর্ব্বক সহজভাব হইতেই অবধৃত কর্তৃক ইহা কথিত হইল ॥ ৭৬ । ইতি শ্রীদত্তাত্রেয়-বিরচিত অবধৃতগীতান্তর্গত আত্মসংবিত্ত পদেশ নামক প্রথম অধ্যায়। অবধৃত কহিলেন, ইনি বালক, বিষয়ভোগরত, মূর্খ, সেবকজন বা গৃহস্থ, গুরুর সম্বন্ধে এই প্রকার চিন্ত। করিতে নাই, অশুদ্ধ স্থানে পতিত রত্নকে কোন্ জন ত্যাগ করিয়া থাকে? ১ ॥ গুরুর সম্বন্ধে পাণ্ডিত্যগুণ বিচার করিতে নাই, গুণবান্ জনেরা সারই গ্রহণ করিয়া থাকেন; সিন্দুরচিত্ররহিত কুরূপ নৌকা কি গমনেচ্ছু ব্যক্তিকে পারে লইয়া যায় না? ২ ॥ প্রযত্নেন বিনা যেন নিশ্চলেন চলাচলম্ । গ্ৰন্তং স্বভাবতঃ শান্তং চৈতন্যং গগনোপমম্ ॥ ৩ ॥ অগত্নাচ্চালয়্যেস্ত একমেব চরাচরম্ । সৰ্ব্বগং তৎ কথং ভিন্নমদ্বৈতং বৰ্ত্ততে মম॥ ৪ ॥ অহমের পরং যস্মাৎ সারাসারতরং শিবম্ । গমাগমবিনিমুক্তং নির্বিকল্পং নিরাকুলম্ ॥ ৫॥ সৰ্ব্বাবয়বনিম্মু ক্তং তদহং ত্রিদশাদিকম্ । সম্পূর্ণতান্ন গৃহ্লামি বিভাগং ত্রিদশাদিকম্ ।। ৬ ॥ প্রমাদেন ন সন্দেহঃ কিং করিষ্যামি বৃত্তিবান। উৎপছ্যন্তে বিলীয়ন্তে বদ্বুদাশ্চ যথা জলে ॥ ৭ ॥ মহাদাদীনি ভূতানি সমাপ্যৈবং সদৈব হি । মৃছদ্রব্যেষু তীক্ষ্ণেষু গুড়েষু কটুকেষু চ ॥ ৮ ॥ কটূত্বং চৈব শৈত্যত্বং মৃদুত্বঞ্চ যথা জলে। প্রকৃতিঃ পুরুষস্তদ্বদভিন্ন প্রতিভাতি মে॥ ৯ ।। যে নিশ্চল পুরুষ কর্তৃক চরাচর ব্যাপ্ত হইয়া রহিয়াছে, প্রযত্ন ব্যতীত স্বভা বতই তাঁহাকে গগনোপম, শান্ত ও চৈতন্যস্বরূপ বলিয়া উপলব্ধি হয় ॥ ৩॥ যিনি একা এই চরাচরকে প্রযত্ন ব্যতীত চালনা করিতেছেন, যিনি সর্ব্বত্রগামী, তিনি কি প্রকারে আত্মার সহিত ভিন্ন হইবেন ? তিনি অদ্বৈত, এই আমার বোধ হয় ॥ ৪ ॥ আমিই পরম, সারাৎসারতর, গমাগম-বিনিম্মুক্ত, নির্ব্বিকল্প, নিরাকুল ও শিবশ্বরূপ ॥ ৫ ॥ আমি সর্ব্বাবয়বনির্মূক্ত ও দেবপূজ্য, সম্পূর্ণতা-প্রযুক্ত আমি দেবাদি বিভাগ গ্রাহ্য করি না ॥ ৬০ প্রমাদযুক্ত হইয়াও আমার সন্দেহ নাই, বৃত্তিবান্ হইয়াই বা আমি কি করিব ? জলে যেমন বুদবুদ সকল উৎপন্ন হইয়া লয় হয়, তদ্রূপ এই সমুদয় আত্মাতে উৎপন্ন হইয়া Jয় পাইতেছে ॥ ৭ ॥ মহদাদি ভূতসকল যেমন সদা সৰ্ব্বতোভাবে মৃদু, তীক্ষ্ণ, কটু বা মিষ্ট দ্রব্য ব্যাপ্ত হইয়। আছে, এক জলে যেমন কটুত্ব, শৈত্যত্ব ও মৃদুত্ব আছে, তদ্রূপ প্রকৃতি ও পুরুষকে আমার সদাই অভিন্ন বলিয়া প্রতিভাত হয়। ৯। সর্ব্বাখ্যারহিতং যদযৎ সূক্ষ্মাৎ সূক্ষ্মতরং পরম্ মনোবুদ্ধীন্দ্রিয়াতীতমকলঙ্কং জগৎপতিম্ ॥ ১৩।। ঈদৃশং সহজং যত্র অহং তত্র কথং ভবে। ত্বমেব হি কথং তত্র কথং তত্র চরাচরম্ ॥ ১১।। গগনোপমত্ত যৎ প্রোক্তং তদেব গগনোপমম্ । চৈতন্যৎ দোষহীনঞ্চ সৰ্ব্বজ্ঞং পূৰ্ণমেব চ ॥ ১২ ॥ পৃথিব্যাং চরিতং নৈব মারুতেন চ বাহ্নিতম্ । বারিণা নিহিতং নৈব তেজোমধ্যে ব্যবস্থিতম্। ১৩ ।। আকাশং তেন সংব্যাপ্তং ন দ্ব্যাগুঞ্চ কেনচিৎ। সবাহাভ্যন্তরং তিষ্ঠত্যবচ্ছিন্নং নিবন্তরম্ ॥ ১৬ ॥ সূক্ষ্মত্বাত্দদৃশ্যত্বাপ্পিগু ণত্বাচ্চ যোগিভিঃ। আলম্বনাদি যৎ প্রোক্তং ক্রমাদালম্বনং ভবেৎ ॥ ১৫ ।। সততাঽভ্যাসযুক্তস্ত নিরালম্বো যদা ভবেৎ। তল্লয়াল্লীয়তে নাওগুণদোষবিবর্জিতঃ ॥ ১৬ ॥ যিনি সর্ব্বকর্ম্মরহিত, সূক্ষ্ম হইতে পরম সূক্ষ্ম, মন বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয়।।দব অতীত, অকলঙ্ক ও জগৎপতি, তিনি যথায় সহজ, তথায় আমি বা তুমি কি প্রকারে থাকিবে ? ১০-১১। যে গগনোপমের কথা বলা হইল, গগনের সঙ্গেই তাঁহাব তুলনা হয়, তিনি চৈত্যস্বরূপ, দোষহীন, সর্বজ্ঞ ও পূর্ণ ॥ ১২ ॥ তিনি পৃথিবীতে বিচরণ করেন না, বায়ু কর্তৃকও বাহিত হন না, ল কর্তৃকও আবৃত নহেন অথবা তেজোমধ্যেও ব্যবস্থিত নহেন ॥ ১৩ ॥ তৎকর্তৃকই আকাশ সর্ব্বতোভাবে ব্যাপ্ত রহিয়াছে, পরন্তু তিনি কাহা কর্তৃক ব্যাপ্ত নন, তিনি নিরন্তরভাবে সবাহভ্যন্তর ব্যাপিয়া অবস্থান করিতেছেন। ১৪ ॥ সন্মত্বহেতু, অদৃশ্যত্বহেতু, নিগুণত্বহেতু যোগিগণ কর্তৃক যে আলম্বনাদি কথিত হইয়াছে, ক্রমশঃ সেই আলম্বন অভ্যাস করিতে হইবে। ১৫ ।। সতত অভ্যাসযুক্ত হওয়াতে যখন নিরালম্ব হইবে, তখন আলম্বন লয় হুওয়াতে গুণ-দোষ-বিবর্জিত হইয়া লীন হইয়া যাইবে । ১৬ ॥ বিষবিশ্বস্ত রৌদ্র্য মোহমূৰ্চ্ছাপ্রদশ্য চ। একমেব বিনাশায় হমোঘং সহজামৃতম্ ॥ ১৭ ॥ ভাবগম্যৎ নিরাকারং সাকারং দৃষ্টিগোচরম্। ভাবাভাববিনিম্মু ক্তমন্তরালং তহচ্যুতে ।। ১৮ ।। বাহ্যভাবং ভবেদ্বিশ্বমন্তঃ প্রকৃতিরুচ্যতে। অন্তরাদত্তরং জ্ঞেয়ং নারিকেলফলাম্বুবৎ ।। ১৯। ভ্রান্তিজ্ঞানং স্থিতং বাহ্যে সম্যগ জ্ঞানঞ্চ মধ্যগম্ । মধ্যান্মধ্যাত্তরং জ্ঞেয়ং নারিকেলফলাম্বুবৎ ॥ - ০ পৌর্ণমানহ্যাং যথা চন্দ্ৰ এক এবাতিনিৰ্ম্মলঃ। তেন তৎসদৃশং পণ্যেৎ দ্বিধাদৃষ্টিব্বিপৰ্যায়ঃ ।। ২১ ।। অনেনৈব প্রকারেণ বুদ্ধিভেদো ন সৰ্ব্বগঃ । দাতা চ ধীরতামেতি গীয়তে নামকোটিভিঃ ।। ২২ ।। গুরুপ্রজ্ঞাপ্রসাদেন মুখো বা যদি পণ্ডিতঃ । যন্ত্র সংরধাতে তত্ত্বং বিরক্তো ভবসাগরাৎ ॥ ২৩ ।। মোহমূৰ্চ্ছাপ্রদ ভয়ানক এই সংসার-বিষ-বিনাশের একমাত্র ও অবার্থ উপায় সহজামৃত ॥ ১৭ ॥ নিরাকার পদার্থ ভাবগম্য অর্থাৎ ভাবনাদ্বারাই জানিতে পারা যায়, সাকার পদার্থ দৃষ্টিগোচর, পরস্তু আত্মা ভাষাভাববিনিম্মুক্ত. এ কারণ তাঁহাকে অন্তরাল বলা যায় ।। ১০। এই বিশ্ব বাহ্যভাবাপন্ন, প্রকৃতি অন্তৰ্ভাৰাপন্ন, পরন্তু নারিকেলঞ্চলে জলপ্রবেশের ন্যায় আত্মাকে অন্তর হইতেও অন্তর বলিয়া জানিবে ।। ১৯-২০। পৌর্ণমাসীতে চন্দ্র যেমন এক ও অতি নির্ম্মল দেখায়, আত্মাকে তৎসদৃশ দেখিৰে ; দ্বিধা - দৃষ্টিবিপৰ্যয়ভাব হইতে উৎপন্ন হয় ॥২১ ॥ এই প্রকারে বুদ্ধি স্থির করিবে, বুদ্ধিভেদ হইগে সৰ্ব্বজ্ঞ হয় না, বুদ্ধি স্থির হইলেই দাতা ও ধীর হয় এবং কোটি নামে তাহার বশঃকীর্তন হয় ॥ ২২ ॥ মূর্খই হউক আর পণ্ডিতই হউক, গুরুপ্রজ্ঞাপ্রসাদে যাহার তত্ত্ব সম্পূর্ণ উদ্বুদ্ধ হইরাছে, তিনিই ভবসাগর হইতে নিস্তার পাইতে পারেন ৬২৩ ॥ বাগদ্বেষবিনিম্মু ক্তঃ সর্ব্বভূত হিতে রতঃ । দৃঢ়বোধশ্চ ধীরশ্চ স গচ্ছেৎ পরমং পদম্ ॥ ২৪ ঘটে ভিন্নে ঘটাকাশ আকাশে লীয়তে যথা। দেহ/ভাবে তথা যোগী স্বরূপে পরমাত্মনি ॥ ২৫ ॥ উক্তেয়ং কর্ম্মমুক্তানাং মতির্যান্তেঽপি সা গতিঃ । ন চোক্তা যোগ-যুক্তানাং মতির্যান্তেঽপি সা গতিঃ। ২৬ ।। না গতিঃ কৰ্ম্মযুক্তানাং স চ বাগিন্দ্ৰিয়াদ্বদেৎ । যোগিনাং যা গতিঃ ক্বাপি হ্যকথা ভবতোষ্ঠিতা ॥ ২৭ ।। এবং জ্ঞাত্বা ত্বমুং মার্গং যোগিনাং নৈব কল্পিতম্ । বিকল্পবর্জ নং তেষাং স্বয়ং সিদ্ধিঃ প্রবর্ততে ।। ২৮ ।। তীর্থে বাস্ত্যজগেহে বা যত্র তত্র মৃতোঽপি বা। ন যোগী পশ্যতে গর্ভং পরে ব্রহ্মণি লীয়তে ।। ২৯ । সহজমজমচিন্ত্যং যস্ত পােং স্বরূপং, ঘটতি যদি যথেষ্টং লিপ্যতে নৈব দোষৈঃ। যিনি রাগদ্বেষ-বিনিমুক্ত, সর্ব্বভূতের হিতকার্য্যে রত, দৃঢ় জ্ঞানসম্পন্ন ও ধীর, তিনিই পরমপদ প্ৰাপ্ত হন।। ২৪ । ঘট ভাঙ্গিলে যেমন ঘটাকাশ মহাকাশে লয় পায়, দেহাভাবে যোগী ও তদ্রূপ পরমাত্মস্বরূপে লয় পান ॥ ২৫ ॥ কর্ম্মমুক্তদিগের সম্বন্ধে এই গতি কথিত হইয়াছে, অন্তে যাহার যেরূপ মনন থাকে, তাহার সেইরূপ গতিই লাভ হয়, কিন্তু যোগযুক্তদিগের সম্বন্ধে এ কথা কথিত হয় নাই ॥ ২৬ ॥ কর্ম্মযুক্তদিগের গতির কথা বাগিন্দ্রিয় দ্বারা বর্ণনা করা যায়, কিন্তু যোগযুক্তদিগের যে কি গতি, তাহা বাক্যের দ্বারা বলা যায় না ॥ ২৭ ॥ যোগীদিগের সম্বন্ধে যে অমুক মাৰ্গ আছে, ইহাঁ কল্পনা করা যায় না, বিকল্প-বর্জ্জনই তাঁহাদের গতি এবং তাঁহারা স্বয়ংসিদ্ধ ॥ ২৮ ॥ তীর্থেই হউক আর অন্ত্যজগৃহেই হউক, যোগী যথায় তথায় মৃত হউন না কেন, তাঁহাকে আর গর্ভযন্ত্রণা ভোগ করিতে হয় না, তিনি পরমব্রহ্মে লয় প্রাপ্ত হন ।। ২৯ ॥ সহজ, অজ, অচিন্ত্য স্বরূপকে যিনি দর্শন করেন, তাঁহার যদি কোন ইষ্টঘটনা হয়, তাহা হইলে তিনি দোষলিপ্ত হয়েন না অথবা সেই ইষ্টের অভা সরুদপি তদভাবাৎ কৰ্ম্ম কিঞ্চিন্ন কুৰ্য্যাৎ, তদপিন ০ বিবদ্ধঃ সংযমী বা তপস্বী ॥ ৩০ ॥ নিবাময়ং নিষ্প্রতিমং নিরাক্বতিং, নিরাশ্রয়ং নিব পুষ° নিরাশিষম্ । নির্দ্বন্দ্বনিৰ্ম্মোহমলুপ্তশক্তিকং, তমীশমাত্মানমুপৈতি শাশ্বতম্ ॥ ৩১ ।। বেদে। ন দীক্ষা ন চ মুগুনক্রিয়া, গুরুন শিষ্যো ন চ মন্ত্রসম্পদঃ। মুদ্রাদিকং চাপি ন যত্র ভাসতে, তমীশমাত্মানমুপৈতি শাশ্বতম্ ॥ ৩২ ॥ ন শান্তবং শক্তিকমানবং ন বা, পিগুঞ্চ রূপঞ্চ পদাদিকং ন বা আরম্ভনিষ্পত্তিঘটাদিকঞ্চ নো, তমীশমাত্মানমুপৈতি শাশ্বতম্ ॥ ৩৩ । যস্য স্বরূপাৎ সচরাচরং জগদুৎপদ্যতে তিষ্ঠতি লীয়তেঽপি বা। পয়োবিকারাদিব ফেনবুদ্বু দাস্তমীশমাত্মানমুপৈতি শাশ্বতম্ ॥ ৩৪ ॥ নাসানিরোধো ন চ দৃষ্টিরাসনং, বোধোইপ্যবোধোঽপি ন যত্র ভাসতে । বেও তিনি কোন কার্য করেন না, সংযমী তপস্বিগণ কিছুতেই কৰ্ম্মবদ্ধ হসেন না ।। ৩০ ॥ নিরাময়, অপ্রতিম, নিরাকার, নিরাশ্রয়, অদেহ, নিৰ্দ্ধ ন্দ্ব, নিৰ্ম্মোহ, অনুপ্তশক্তি, ঈশ, সেই নিত্য আত্মাকেই যোগীরা প্রাপ্ত হযেন ।। ৩১ ।। বেদ, দীক্ষা, মুণ্ডনক্রিয়া, গুরু, শিষ্য, মন্ত্রসমূহ, মুদ্রাদি কিছুই যে আত্মস্বরূপের নিকট দীপ্তি পায় না, যোগী সেই ঈশ নিত্য আত্মাকে প্রাপ্ত হয়েন ।। ৩২ ।। তিনি শম্ভু বা শক্তিসম্ভূত নহেন, কিংবা রূপ বা পদাদি নহেন, আরম্ভনিষ্পত্তিবিশিষ্ট ঘটাদিও নহেন, যোগিগণ সেই ঈশ শাশ্বত আত্মাকে প্রাপ্ত হয়েন ।। ৩৩ ॥ যাঁহার স্বরূপ হইতে এই সচরাচর জগৎ উৎপন্ন হইয়াছে, যাহাতে এই বিশ্ব অবস্থান করিতেছে এবং অন্তে যাঁহাতে জলবুবুদের ন্যায় লয় পাইবে, যোগিগণ তাঁহাকে শাশ্বত আত্মরূপে প্রাপ্ত হয়েন ॥ ৩৪ ॥ নাসিকা-নিরোধ কিংবা দৃষ্টিসাধন, কি কোন প্রকার আসন, কি উদ্বোধনবিরহিত অন্য কোন সাধন, কোন সাধনই যথায় প্রকাশ পায় না,যথায় নাড়ী. অবধৃত গীতা । নাড়ীপ্রচারোঽপি ন যত্র কিঞ্চি ত্তমীশমাত্মানমুপৈতি শাশ্বতম্ ॥ ৩৫ ॥ নানাত্বমেকত্বমুভত্বমন্যতা, অণুত্বদীর্ঘত্বমহত্ত্বশূন্যতা । মানত্বমেয়ত্বসমত্ববর্জি তং, তমীশমাত্মানমুপৈতি শাখতম্ ॥ ৩৬ । সুসংযমী বা যদি বা ন সংযমী, সুসংগ্রহী বা যদি বা ন সংগ্রহী। নিষ্কর্ম্মকো বা যদি বা সকৰ্ম্মকন্তমীশমাত্মানমুপৈতি শাশ্বতম্ ॥ ৩৭ ॥ মনে। ন বুদ্ধিন' শরীরমিজিয়ং, তন্মাত্রভূতানি ন ভূতপঞ্চকম্ । অহংকৃতিশ্চাপি বিয়ৎস্বরূপকং, তমীশমাত্মানমুপৈতি শাশ্বতম্ ॥ ৩৮ ।। বিধৌ নিরোধে পরমাত্মতাং গতে, ন যোগিনশ্চেতসি ভেদবর্জিতে । শৌচং ন বা শৌচমলিঙ্গভাবনা, সৰ্ব্বং বিধেয়ং যদি বা নিষিধ্যতে ॥৩৯॥ মনে। বাচো যত্র ন শক্তমীরিতুং, নৃনং কথং তত্র গুরুপদেশতান। ইমাৎ কথামুক্তবতে। গুরোস্তৎ,যুক্তস্য তত্ত্বং হি সমং প্ৰকাশতে ॥ ৪০ ॥ ইতি শ্রীদত্তাত্রেয়বিরচিতায়ামবধৃতগীতায়ামাত্মসংবিত্ত, পদেশো নামো দ্বিতীয়োঽধ্যায়ঃ ।। ২ ।। শুদ্ধিরও অধিকার নাই, সাধকগণ তথায় তাঁহাকে শাশ্বত আত্মরূপে প্রাপ্ত হয়েন ।। ৩৫ ॥ নানাত্ব, একত্ব, উভত্ব, অন্যত্ব, অণুত্ব, দীর্ঘত্ব, নহজ, শূন্যত্ব, মানত্ব, মেয়ত্ব এবং সমত্ববর্জ্জিত সেই ঈশ শাশ্বত আত্মাকে যোগীরা প্রাপ্ত হয়েন ॥ ৩৬ ॥ সুসংযমী, অসংযমী, সুসংগ্রহী বা অসংগ্রহী, সকর্ম্মক বা নিষ্কর্ম্মক যথায় বাইতে পারে না, যোগী সেই ঈশ শাশ্বত আত্মাকে প্রাপ্ত হয়েন ॥ ৩৭ ॥ মন, বুদ্ধি, শরীর, ইন্দ্রিয়, তন্মাত্রভূত পঞ্চমহাভূত এবং অহঙ্কারও যথায় যাইতে পারে না,যোগিগণ তাঁহাকে ঈশ শাশ্বত আত্মারূপে প্রাপ্ত হয়েন ॥৩৮।। বিধির নিরোধে পরমাত্মপ্রাপ্তিতে যোগীর চিত্তভেদ বর্জিত হয়। শৌচ বা অশৌচ অথবা লিঙ্গরহিত ভাবনা সমুদয়, নিষিদ্ধ বিষয়ও বিহিত হইয়া থাকে ।। ৩৯ ।। যে বিষয় মন ও বাক্য বর্ণন করিতে সক্ষম নয়, সে বিষয়ে গুরূপদেশ কি করিবে ? যে গুরু এই কথা বলিয়াছেন, তাঁহা হইতেই এই সমস্তত্ব প্রকাশিত হইতেছে ।। ৪০ । ইতি উদত্তাত্রেয়বিরচিত অবধূত-গীতায় আত্মসংবি, পদেশনামক দ্বিতীয় অধ্যায় সমাপ্ত।
pdf
0085c3763108725901146ffc7bb8af87
পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, 'আগে জানতাম আইনের হাত অনেক লম্বা। কিন্তু তার চেয়েও পুলিশের হাত লম্বা। এদের ওপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই।' তিনি বলেন, 'পুলিশ হলো জনগণের সেবক। কিছু পুলিশ চরম অত্যাচার, দুর্নীতির সঙ্গে লিপ্ত। তারা মানুষকে আটক করে টাকা চায়। না হলে ক্রসফায়ার দেয়ার হুমকি দেয়। পুলিশ এখন সরকারেরও উপরে। এদের হাত অনেক লম্বা হয়ে গেছে। তারা বলছে সরকারকে টিকিয়ে রেখেছি আমরা।' রোববার রাজধানীর লেডিসক্লাবে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টর'স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের হুঁশিয়ারি দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'রমজানে সবাই দোয়া করবেন যাতে জালেমদের দ্রুত বিদায় হয়। জনগণের গণঅভ্যুত্থানে সরকারের বিদায় হয়।' সাধারণত ইফতারের আগেই খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক বক্তব্য শেষ হয়। তবে এবার সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ থাকেনি। কারণ ইফতারের পর তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেনে। আসতে বিলম্ব হওয়ায় ইফতারের পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জনগণের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, 'জিনিসপত্রের দাম অনেক। সাধারণ মানুষকে অনেক কষ্টে রোজা রাখতে হচ্ছে। সরকার বড় বড় বুলি আওড়ায় কিন্তু এদিকে তাদের কোনো নজর নেই। অথচ তারা বড় বড় প্রকল্পের নামে লুটপাট করছে।' আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আবদুল মাজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহ্বান রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
web
1b27f9c3a5fbafd648487aac9618481675b61a06
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে স্বামীর উপড় অভিমানে সনজু বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধু বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যা করেছে। সনজু বেগম আদমদীঘির পশ্চিম ছাতনি গ্রামের শাহিন আলমের ১ম স্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্বামীর বাড়িতে বিষপান করলে তাকে মূমূষ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সনজু বেগম মারা যায়। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় একটি ইউ. ডি মামলা হয়েছে। পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ওসি জালাল উদ্দীন জানান. গৃহবধু সনজুর বাবার বাড়ি যশোহর জেলায় তার স্বজনরা আসার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলেই রয়েছে। থানায় কোন মামলা কিংবা লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়নি।
web
c920817a14c2b4a7806eec2f70479900a7390194
যাদের 4G তে আর মন ভরছে না, তাদের জন্য রয়েছে সুখবর! Depertment of Telecom জানিয়েছে, এই বছরেই লঞ্চ হতে চলেছে 5G পরিষেবা। রিপোর্ট অনুযায়ী, 2022 এর মাঝামাঝি 5G স্পেকট্রাম ডিস্ট্রিবিউশন প্রসেস শুরু হবে। যদিও এই স্পেকট্রাম ডিস্ট্রিবিউশন প্রসেস শুরুর অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলি 5G নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছে। কলকাতার পাশাপাশি দেশের সব বড় শহরগুলিতে করা হয়েছে টেস্ট। বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, প্রথমে 13 টি শহরে এই পরিষেবা শুরু হবে। বিভিন্ন কোম্পানির 5g টেস্টিং এর সময় Jio কোম্পানির টেস্টিং এর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যা থেকে 5G বিষয় বিভিন্ন ডেটা জানা যায়। Jio এর 5G টেস্টিং এর একটি স্ক্রিনশট দেশের এক বড় নিউজ মিডিয়া খুজে পায়। সেই মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, Jio 5G এর মাধ্যমে Jio তার গ্রাহকদের 420 Mbps ডাউনলোড স্পিড ও 412 Mbps আপলোড স্পিডের সুবিধা দেবে। এর latency Jio 4G এর দিয়ে অনেকটাই কম। Jio 4G এর সাথে 5G স্পিডের তুলনা করলে দেখা যাবে 4G এর দিয়ে 5G প্রায় 10 গুণ স্পিড দেবে। কারণ Jio 4G এর ডাউনলোড স্পিড 46. 82 Mbps এবং আপলোড স্পিড মাত্র 25. 31 Mbps। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন 5G এর স্পিড 4G এর থেকে প্রায় 15 গুণ বেশি হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন স্পিড এতো বেশি হবেনা। কারণ, লিক হওয়া স্ক্রিনশটটি টেস্টিং এর রেজাল্ট। এই সময় কেউ এই নেট ব্যবহার করছে না। কিন্তু 5G লঞ্চ করলে দেশের সবচেয়ে বেশি ইউজড নেটওয়ার্ক এর গ্রাহকরা সবাই 5G তেই শিফট করবে। অর্থাৎ 5G গ্রাহকের সংখ্যা ছাড়াবে কোটিরও বেশি। সুতরাং 5G এর স্পিড কোনোভাবেই 420 Mbps হওয়া সম্ভব নয়। এছাড়াও, স্ক্রিনশটের টেস্টটি হয়েছিল মুম্বাই শহরে। সেখানকার সার্ভারের স্পিড আর অন্য শহরের সার্ভারের স্পিড এক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এবিষয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যখন4G এর টেস্টিং হয় 2016 সালে, তখন স্পিড উঠেছিল প্রায় 135 Mbps। কিন্তু যখন এটি লঞ্চ করা হল এবং অসংখ্য মানুষ ব্যবহার করা শুরু করলো এর স্পিড 20-30 Mbps-এ নেমে আসে। 5G লঞ্চ করার বিষয় Reliance Jio সবচেয়ে এগিয়ে, লঞ্চ হতে পারে 2022 এর মাঝামাঝি সময় । যদিও, শোনা যাচ্ছে Vodafone-Idea এবং Airtel ও খুব শীঘ্রই 5G পরিষেবা আনতে চলেছে। রিউমর অনুযায়ী, 2022 সালের শেষে অথবা 2023 সালের শুরুর দিকে আসতে পারে Vi 5G এবং Airtel 5G। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের BSNL এখনও পর্যন্ত 4G নেটওয়ার্ক-ই চালু করে উঠতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে তর্ক-বিতর্ক চললেও কবে এটি BSNL গ্রাহকদের জন্যে আসবে, তা জানা যায়নি।
web
a36fa9accbcca3c5422402430638161d778b4fd4713b44b55ed07a52f2aac12f
তার ইচ্ছে মতো সরলকে নাচিয়ে বেড়াচ্ছে। সে বলল, আজ থাক । আর একদিন যাব। লীনা বলল, ওতে। পরশু চলে যাবে। হাতে আমাদের একদম সময় নেই। তুমি চলে যাচ্ছ না তো। বলেই ভাবল, রূপের সামনে এ-ভাবে কথা বলা ঠিক হয় নি। সে চোখ সামান্য তুলে রূপের দিকে তাকাল । রূপ সামান্য হাসল । বলল, বেশি আসকারা দেবেন না। জালিয়ে খাবে। সরল কেমন মাস্টাবি গলায় বলল, না না লীনা বড় ভাল এখন উঠুন । আর সার্টিফিকেট দিতে হবে না। সবল ভেতরে ভেতরে যুদ্ধ করছে। সে রূপ এবং লীন। নামক দুটো অদ্ভুত মানুষের পৃথিবী আবিষ্কারে কেমন গোলমালে পড়ে গেছে । রূপ লীনার স্বামী, লীনা রূপের স্ত্রী ভাবতে কষ্ট হচ্ছিল। মানুষেরতো এখন সাম্রাজ্য বলতে স্বামী না হয় স্ত্রী। এমন একটা সাম্রাজ্যে এত সহজে অধিকার লাভ সরলকে ভারি অধীর করে তুলল। এই মেয়ের লাবণ্য যেন আজ কানায় কানায় - এসেই একবার নিয়েছে রূপবাবু, খোলাখুলি স্বীকার করেছে লীনা - তখন কেমন চোখ মুখ ছিল - এখন শরীরের সর্বত্র সে কি কি ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছিল মুহূর্তে চোখের ওপর সব ভেসে গেল। সে আর এক দণ্ড অপেক্ষা করতে পারল না। বাড়িতে খবর পাঠিয়ে দিল - ফিরতে বেশ রাতই হবে। লীনা ড্রাইভ করছিল। বেশ ভাল হাত। লীন। বলেছিল, আপনি পাশে বসুন। সে লীনার পাশে বসতে ইতস্তত করছিল। সে বলেছিল, পিছনে বসি। তখনই রূপ বলল, না না বলুন না । লীনা ভীষন ভাল মুডে আছে আজ। তখন সরল বলল, বরং আমরা পুরুষ মানুষ, পেছনের সিটেই ভাল মানাবে। পুরুষদের তুমি বহন করে নিয়ে যাচ্ছ। বহন শব্দটিতে সরল আরও অধিকতর কিছু ইঙ্গিত করতে চাইল। তখন লীনা বলেছে - তাই হোক। আপনাদের বহন করবার ক্ষমতা আমাকে দিন। রূপ যেতে যেতে এই শহর এবং তুলনায় পৃথিবীর অন্য যে কোন শহর যে কত পরিচ্ছন্ন তার সম্পর্কে কথাবার্তা বলছিল। এই শহর সম্পর্কে সরলের গর্ব আছে। গর্বটা আর কিছুই নয় - শহরটা এখনও টিকে আছে এটাই গর্বের বিষয়। মানুষের প্রতি মানুষের উদাসীনতা কত এই শহরে না এলে টের পাওয়া যায় না। যেমন গতাকালের পিকনিক থেকে আরম্ভ করে আজকের এই ভ্রমণ সবটাই এ-শহরের পক্ষে বেমানান। এবং বুনোর গাড়িতে স্কুলে যাওয়া, ঢুলতে ঢুলতে তোতাপাখির মতো পড়া কণ্ঠস্থ করা, একটা গোটা বাক্য অন্তত কমপক্ষে দশ থেকে কুড়িবার পড়া তারপর মুখস্থ তারপর আন্টিদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে প্রসন্ন রাখা এত অর্থহীন যে মাঝে মাঝে ভাবলে পাগল হয়ে যাবার যোগাড়। ওর সেই নগেন বন্ধুটির মুখ এ-সময় একবার জানালায় উকি মেরে গেল। খুবই নীতিপরায়ন ছিল। বিয়ের পর সে একদিন দুম করে পাগল হয়ে গেল। সেও কিছুটা নগেনের মতো। তার কি পাগল হবার কোন আশংকা আছে। তা না হলে যা এত কষ্ট করে সে করেছে সবই মাঝে মাঝে এই শহরের মধ্যে ভেসে যেতে যেতে এত অর্থহীন লাগে কেন । এই যে রাত করে সে ফিরবে - কখনও যে না ফেরে তা নয়, তবু তার মনে হয় নিয়তির ওপর সে টরচার করছে। আবার মনে হয় বেশ করছে। আমি কি দাস । আমি কি দাসখত লিখে দিয়েছি। তবে ! এবং যখন লীনা দেখল, পেছনের দুজনই ভারি চুপচাপ, তখন সে রসিকতা করল, কি ব্যাপার তোমরা কি ডুয়েল লড়বে ভাবছ । সরল বলল, রূপবাবু আপনার কপালে দুঃখ আছে । রূপ বলল, তা আছে। আছে বলেই মজা। সরল ঠিক এটাই আজ সকালে ভেবেছে। এই মজা না থাকলে মানুষের অনেক কিছু হারিয়ে যায়। নিয়তি কি যথার্থই সব হারিয়েছে। তার কি আর বেঁচে থাকার মতে। কোন সম্বল নেই। তারপরেই সেই হেসে ওঠার দৃশ্যটা মনে হতেই সে কেমন বিষন্ন বোধ করল। এবং চকিতে যেন সে বুঝল, না নিয়তিকে নিয়েও সে দারুন মজা উপভোগ করতে পাবে। আজই সে ফিবে ভাবল, শুভেন্দুকে নিয়ে সে দুটো একটা ঠাট্টা তামাসা করবে। এবং সে দেখেছে, এখনও সহবাসের সময় শুভেন্দুৰ কথা উঠলে, ওর শরীরের কথা উঠলে নিয়তি ভীষণ ব্যাগ্র হয়ে ওঠে। এই ওঠাব হেতুটা রূপ এবং লীনাকে দেখে আবিষ্কারের মতো মনে হল। আসলে রূপ সবটাই চেটেপুটে খেতে চায়। জীবনেব যোল আনা বলে একটা কথা আছে, সহবাসে ষোলআনার জন্য আজ বোধ হয় লীনার দরকার পড়েছে সবলকে। এবং রূপ এটা টের পেয়ে গেছে বলেই সে আগুনে খড়কুটো যখন যতটা পাবছে দিয়ে যাচ্ছে । সরল সেই অগুনে এখন শুধু সামান্য খড়কুটো। সরল তখন বলল, লীনা তুমি আমাকে কতদূর নিয়ে যাবে । দেখুন না কতদূর নিয়ে যেতে পারি । গাড়িতো কেবল চালিয়ে যাচ্ছ। এবার কোথাও লীনা ঘড়িতে সময় দেখল । আর আধঘণ্টা ঘুরব। তারপর বসব। গাড়িটা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে গঙ্গার পাড়ে পাড়ে চলতে থাকল। বেশ হাওয়া বইছে। নদীর জলে কিছু জাহাজ এবং নৌকা। এই সব জাহাজ সম্পর্কে গাড়ির তিন আরোহীরই যথেষ্ট ধারনা থাকায় কেউ জাহাজ দেখে কোন আর পুলক বোধ করল না । বরং দূরের সব নৌকা, তাদের সামান্য আলে। সরলকে কেমন অস্থির করে তুলছে। বড় গভীর সেই আলোর সংকেত। ঠিক নিয়তির মতো - চুপচাপ ধিকিধিকি বুনে। আৰ সরল নামক দু'জন মানুষকে নিয়ে জ্বলে যাচ্ছে। জ্বলে জ্বলে একদিন ছাই হয়ে যাবে নিয়তি
pdf
6239d9ffe46860cfe3425ec89c3c2b89f7be6d92
আনফোল্ড বাংলা ডেস্কঃ সারা বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন দেশে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অস্ত্র বলতে স্যানেটাইজার ও মাস্ক। কিন্তু মানুষের অসময়ে জাল স্যানেটাইজার বাজারে আনতে শুরু করেছে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। সিবিআই এই বিষয়ে ইতিমধ্যে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে। জানা গিয়েছে, দামি সংস্থার লোগো ব্যবহার করে লোকাল সংস্থাগুলো স্যানেটাইজারগুলো তৈরি করছে। সেই স্যানেটাইজারে যে পরিমাণ অ্যালকোহল থাকার কথা, সেই পরিমাণ অ্যালকোহল থাকছে বলেও অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই অ্যালকোহলের বদলে ইথানল ব্যবহার করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কেউ কেউ আবার শ্যাম্পু মেশানো জল ব্যবহার করছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমেই বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘন্টায় ১৩,৫৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আশার বাণী এই যে, ভারতে করোনায় সুস্থ হওয়ার হারও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারতে সুস্থ হওয়ার হার মানুষকে আশা জোগাচ্ছে। মানুষকে করোনা আবহের মধ্য়েও সাহস দেখাচ্ছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩২ জন। ভারতে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৪৮। ভারতে করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৪ হাজার ৭১১ জন। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৬ জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
web
cbeaaa23c7f44831195e708b2061a7cc117fa9f6
নাগরিক সমাজ। এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের থেকে যদি ঠান্ডা যুদ্ধের স্মৃতিগন্ধটিকে সরিয়ে রাখা যায়, তা হলে পড়ে থাকে একটি প্রয়োজনের কথা - রাষ্ট্র ও জনসাধারণের মধ্যবর্তী পরিসরে একটি দৃঢ়, নৈতিক কণ্ঠস্বরের গুরুত্বের কথা। কথাটি বেলারুস-রাশিয়া-ইউক্রেনের ভৌগোলিক পরিসরে যেমন সত্য, ঠিক তেমনই সত্য আমেরিকা বা ভারত বা তুরস্কেও। সেই সিভিল সোসাইটি বা নাগরিক সমাজের চরিত্র ঠিক কেমন হবে, তার কর্তব্যের পরিধি কতখানি, সে বিষয়ে বিস্তর তাত্ত্বিক আলোচনা, এবং মতান্তর রয়েছে। কিন্তু, নোবেল কমিটির বিবৃতির প্রথম অনুচ্ছেদেই ধরা রয়েছে নাগরিক সমাজের প্রধানতম কর্তব্যের কথা - তার কাজ রাষ্ট্রশক্তিকে প্রশ্ন করা, তার সমালোচনা করা; এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া। এই কাজটির গুরুত্ব চিরকালই ছিল, কিন্তু বর্তমানে যে ভাবে ক্রমেই একাধিপত্যকামী শাসকদের দাপট বাড়ছে, তাতে নাগরিক সমাজের গুরুত্ব প্রশ্নাতীত। নাগরিক সমাজের কণ্ঠস্বরকে - যদি তা শাসকের বিরোধী হয় - দমন করার প্রচেষ্টা বৈশ্বিক। এই বছরের নোবেলজয়ী আলেস বিয়ালিয়াৎস্কি এখনও বিনা বিচারে কারাবন্দি। ঠিক যেমন ভারতে জেলবন্দি অবস্থাতেই মারা গিয়েছেন স্ট্যান স্বামী, বহু দিন বন্দি থাকার পর ছাড়া পেয়েছেন ভারাভারা রাও; এখনও জেলে বন্দি আরও অনেকে। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ, কেউ অভিযুক্ত ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকায়, কারও বিরুদ্ধে ইউএপিএ নামক দানবিক আইনে মামলা করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে হেনস্থা করার কাজে। একের পর এক অসরকারি সংস্থার টাকার জোগান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় রাষ্ট্র এমন কঠোর কেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে তার বৈশ্বিক উত্তরটিরই প্রতিধ্বনি শোনা যাবে - নাগরিক সমাজের যে প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রীয় রোষানলে পড়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সরকারের বৈষম্যমূলক, অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরোধিতা করেছেন। এক অর্থে, শাসকের রোষে পড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে নিজেদের দায়িত্বপালনের স্বীকৃতিস্বরূপ। যাঁরা এই দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা নিজেদের বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়েই এই পথটি বেছে নেন। এ পথে প্রাথমিক 'পুরস্কার' রাজদণ্ডের প্রহার, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি পুরস্কার হল গণতন্ত্রের দীর্ঘায়ু। আগামী প্রজন্মের জন্য সমাজকে বাসযোগ্য রেখে যেতে পারা। ভারতের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা বলছে যে, নাগরিক সমাজের সঙ্গে শাসক শ্রেণির একটি লেনদেনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এবং নাগরিক সমাজের প্রাণকেন্দ্রে যে গণতান্ত্রিক অধিকারের অধিষ্ঠান, সে প্রসঙ্গ নিক্ষিপ্ত হয় ক্ষুদ্র স্বার্থের আঁস্তাকুড়ে। কিন্তু তাকেই নাগরিক সমাজের একমাত্র রূপ হিসাবে কল্পনা করে নিলে ভুল হবে। নাগরিক সমাজ কোনও স্থবির সত্তা নয়, তার রূপ অনবরত পাল্টাতে থাকে। ভারতের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাই বলবে যে, নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনই হোক অথবা কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, প্রতিরোধ সংঘটিত হয়েছে নতুনতর সামাজিক জোট তৈরি হওয়ার মাধ্যমেই। এই প্রতিরোধই নাগরিক সমাজের হৃৎস্পন্দন।
web
c60e0ce1ec32f3a77c39d3aa9c1087e6
বিশ্বজিৎ বাউল অনেকদিন গান গায় না। গান তাগর প্রাণ। শ্বাস প্রশ্বাসের মতো সত্যি তার এই গান গাওয়া। আদালত গরমের ছুটির জন্য বন্ধ রয়েছে। ততদিন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে কুসুমদি। শ্রীনিবাস কনস্টেবল কুসুমদিকে আগলে রাখবে। বড়োবাবু মানুষ খারাপ নন। নারী শিকারের নেশা ওঁর নেই। পয়াসা খান দুহাতে। থানা চালাতে নাই বিস্তর খরচা। ত্রিবেনীতে এসেছে বিশ্বজিৎ বাউল। বাড়িতে অনেকে তার সঙ্গে কথা বলছে না। অনেক কুকথা তার নামে রটেছে। সে খুনের মামলার সঙ্গে জড়িত। পাড়ার লোকেরা সন্দেহের চোখে দেখছে। অবৈধ প্রেম করতে গিয়ে সেও খুনে মদত দিয়েছে, এমন রটনাও ছড়িয়েছে চতুর্দিকে। মা দুটো মুড়ি আর নারকেল কোড়া দিয়েছিল। তাই খেয়ে বিশ্বজিৎ বাউল বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পরেছে। ত্রিবেনী থেকে খানিকটা দূরে হুগলির জোড়াঘাটে সে বসে রয়েছে। পলাশ, কৃষ্ণচূড়া হাওয়ায় উড়ে উড়ে ঘাটের সিঁড়ি ভরিয়ে রেখেছে। অর্কদীপ্তও বসে রয়েছে জোড়াঘাটে। মুমুর শরীর ভীষণ খারাপ। একদিন অর্কদীপ্ত মুমুকে নিয়ে তাদের কোন্নগরের বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়িটা বহু বছর তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গাছপালা গজিয়ে গিয়েছে চারদিকে। সেসব কাটতে কাটতে, মাথায় হেলমেট পড়ে মুমুকে নিয়ে ঢুকেছিল অর্কদীপ্ত। অন্ধকার ঘর। ইলেক্ট্রিক লাইন লাইটের অফিস থেকে কেটে দিয়ে গিয়েছে। স্যাতস্যাতে গন্ধ সমস্ত ঘর জুড়ে। কিন্ত্য খটকা লাগল অন্য জায়গায়। মনে হল, এই ঘর, এসব কিছু, স্বাভাবিক গন্ধ ছাড়াও যেন জীবন্ত। সবাই যেন আছে। দাদু, ঠাকুমা, আতা। তাদের পায়ের শব্দ, হাসির রোল, সব শুনতে পাচ্ছিল অর্কদীপ্ত। মুমুও এই বাড়িতে এসেছে। তখন সে ক্লাস ফোরের ছাত্রী। এই বাড়িতে পিকনিক হয়েছিল স্কুল থেকে। একটা কাঠের ঘোড়া ছিল। অর্কদীপ্ত স্কুলের কাউকে বসতে দিচ্ছিল না। পরে অবশ্য দিয়েছিল মুমুর অনুরোধে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভেবেছিল ঘোড়াতে বসলেই অশৈলি কাণ্ড কিছু ঘটবে। উড়তে থাকবে ঘোড়া, যেমন করে রূপকথায় হয়ে থাকে। তাই অনেকেই ভয়ও পেয়েছিল বসতে। অর্কদীপ্ত এসব বলেও কাউকে বসতে দিচ্ছিল না। তারপর সে নিজেই বসে ভয়ের যাবতীয় পাহাড় গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। মুমু খুঁজছিল সেই ঘোড়া। ঘোড়ার কথা জিজ্ঞেস করতে গিয়ে মুমুর মাথা ঘুরিয়ে গেল। কোন্নগর থেকে ফিরে আসার পর মুমুর তীব্র জ্বর এল। ফর্সা শরীরে লাল আভা দেখা দিল। সামান্য টোকা লাগলে চামড়া ফেটে যাচ্ছিল। চোখ বুজে শুয়ে ছিল মুমু। সাদা শাড়ি পরনে তার, গায়ের রং ফর্সা আর টুকড়ো টুকড়ো রক্তের মতন লাল রং। সব মিলিয়ে মুমু ছবির মতন শুয়েছিল। ছাতিম ফুলের গন্ধ বর্ষায় আসে। কিন্তু মুমুদের বাড়ির পাশে ছাতিম গাছে অকালে সাদা ফুল এসেছে। অর্কদীপ্ত তার মাকে এই অদ্ভুত কাণ্ডের কথা বলেছিল। আর মা বলেছিল সাগর দ্বীপেও এরকমটা হয়েছে। মুমুতো বর্ষা ভালোবাসত না।সে ভালোবাসত মার্চ মাস। সে বারবার বলেছে তার মৃত্যু হবে মার্চ মাসে। মানে মুমু আরও একবছর বাঁচতে চেয়েছিল। বালিশের পাশে বাইবেল রয়েছে। কোন্নগরে কেন সে যে নিয়ে গেল! জ্বর কিছুতেই কমছে না। গায়ের সমস্ত চামড়া ফেটে রক্ত গড়াচ্ছে। যন্ত্রণায় মুমু কখনও শব্দ করে কাঁদে না। অর্কদীপ্ত কয়েকবার ডেকেছে। কোন সাড়া নেই। ঠোঁট দুটো কেঁপে উঠছে। হয়ত অর্কদীপ্তর কথাগুলো ওর হৃদয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে, কিন্তু মুমুর শক্তি নেই শব্দ করে উত্তর দেওয়ার। অর্কদীপ্ত কখনও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেনি। মুমুর যিশু, মায়ের গোপাল, দুজনের কাছে সে মুমুর অন্তত একবছরের আয়ু প্রার্থনা করল। আরেকবার মার্চ মাস, পাতা ঝড়বে। হাওয়ার দেবদারু গাছের গন্ধও মুমুর প্রিয়। মার্চ মাসে ধর্ম অনাবিল রোদ। দুপুরে সামান্য তপ্ততা, তারপর সন্ধ্যের মায়াবি হাওয়া বা মার্চ মাসের একটি ভোর। তাদের চুঁচুড়া শহরে, বিশেষ করে মুমুদের বাড়ির গলিতে, পাঁচিলের গায়ে ফর্সা ভোরের সঙ্গে কোকিলের ডাক শুরু হবে। সায়ন্তন এল একটু রাতে। মি. গোমেজও এলেন। ডাক্তার সঙ্গে করে এনেছেন। একেবারেই রেসপন্ড করছে না মুমুর শরীর। শেষ রাতের দিকে মি. গোমেজ ছাদে উঠে গেলেন। হয়ত মেয়ের জন্য একান্তে কাঁদবেন। অর্কদীপ্ত যেতে চাইলে সায়ন্তন আটকে দিল। একসময় রাতের কালো কাটল। মুমুদের গলিতে ফর্সা ভাব আসছিল। সায়ন্তন গাইতে শুরু করল রাগ চারুকেশি। অর্কদীপ্ত গাইতে পারে না। সে ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছিল। রোদ যখন এসে পড়ল মুমুর মোম সাদা পায়ে তখন প্রভু যিশু তাকে নিয়ে গেলেন। ডাক্তারবাবু বললেন, হার্ট ফেল। প্রভু যিশুকে যে ভালোবাসে সে মরে না, তার মৃত্যু পৃথিবীতে নিরবিচ্ছিন্ন সুরের আধার সৃষ্টি করে বা হয়ত মুমু পাখি হয়ে উরে যাবে আকাশে। সাদাকালো গানওয়ালা পাখি। মুমুকে কবর দেওয়ার পর অর্কদীপ্ত দেখল পৃথিবীতে কোন পরিবর্তন হয়নি। রাত্রি নামল কিন্তু জ্যোৎস্নার মধ্যে সেই নীল সাদা ভাবটা নেই। অনেকটাই অস্বচ্ছ জ্যোৎস্না। বহু রাত অবধি সে জেগে থাকল। যদি মুমু ফিরে আসে! ফিরল না মুমু। রাত্রির ঝুমঝুম নিস্তব্ধতা প্রগাঢ় হল। পাতার গায়ে নিশির শিশির পড়ল। তবু মুমু ফিরল না।
web
ff6d884e9885f6534d1ccc8cf99056e748c151c5
স্টাফ রিপোর্টার : দেশজুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। যা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তাপমাত্রা আরও কমবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, শ্রীমঙ্গল, সীতাকুণ্ড, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এদিকে উত্তরবঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ আর কনকনে ঠাণ্ডায় মানুষের নাকাল অবস্থা। তবে রাজধানীতে শীতের প্রকোপ ততটা নেই। আজ শনিবার দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও রাত থেকেই কমতে শুরু করবে। ফলে আগামিকাল রোববার থেকে বাড়বে শীতের প্রকোপ। গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র এমন তথ্যই জানিয়েছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, শুক্রবার রাতেই তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে আজ শনিবার দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এছাড়াও আকাশে মেঘ কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন থেকেই কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। যা অন্তত তিনদিন অব্যাহত থাকবে। যে কারণে শীত বেশি অনুভূত হবে। ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের উপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হবে। এছাড়াও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। তবে দেশের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও কিছু কিছু স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকুণ্ডে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শুক্রবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৬টা ১৮ থেকে ৮টা ৫৩ পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ ছিল। বিমানবন্দর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, এ সময় ইন্দোনেশিয়ার গারুদা এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর চারটি ডোমেস্টিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।
web
6c7aadc5c55377143f75f5e80fe330226eaf41785029919574a8d9bbf14dc824
রাজেন্দ্র বলিল - "ওহে অধর - শোন।" নৃত্য করিতে করিতে অধর বলিল - "কি ?" "এখনি যাও। একখানা সেকেন্-ক্ল্যাস্ গাড়ীভাড়া ক'রে -'বেঙ্গলী' আফিসে যাও - এই চিঠি দেখিয়ে বলে এস. কাল-সকালেই যেন একটা 'প্যার।' বেরিয়ে যায়।" একজন ভক্ত বলিল - "শুধু বেঙ্গলী আফিসে কেন ? ইংলিশম্যান, ষ্টেটম্যান্, ডেলি-নিউজ, মিবব, অমৃত বাজার - সবাইকেই খবর দেওয়া উচিত।" যুগল সাহিত্যিক ইহা শুনিয়া অধব স্থির হইয়া দাড়াইল । "আচ্ছা দাও" - বলিয়! চিঠিখানা লইয়া দ্রুতপদে বাহির হইয়া পরদিন বেলা নয়টা হইতে রাজেন্দ্রনাথের গৃহে লোকসমাগম আরম্ভ হইল। আত্মীয়বন্ধু অনেকেই আসিয়' আনন্দ প্রকাশ করিতে লাগিল। - আসিল না কেবল তিনকড়ি। অপরাহ্ণে ত পূবা-মজলিস্। অধর বলিতেছিল - "সে হ'বে না রাজেন্দ্রবাবু - সে আমরা কিছুতেই শুব-না।" অন্যান্য ভক্তগণ, সমস্বরে বলিয়া উঠিল - "কিছুতেই না। এত গুলি লোককে আপনি নিরাশ করবেন ?" রাজেন্দ্র বিনয়স্বচক মুহুহাস্থ্য করিয়া বলিল - "কিএমন একটা কাণ্ড ক'বেছি, যে তার জন্যে সভা ক'বে ধনধামে আমার সম্বৰ্দ্ধনা করবেন্ ? - সামান্য বিষয় - অধর বলিল - "আপনার কাছে সামান্য হ'তে পাবে আমাদের কাছে সামান্য নয়। রবিবাবু, বিলেতে গিয়ে যা ক'রেছেন - আপনি শ্যামপুকুর থেকে এক পা না ন'ড়েও তা ক'রে ফেল্লেন্। বাঙ্গালীর মুখ, বাঙ্গালাদেশে ব'সেই আপ্নি উজ্জ্বল ক'রে দিলেন্। - অভিনন্দন না ক'রে আমরা কিছুতেই ছাড় চিনে।" অনেক উপরোধ-অনুরোধ - কাদাকাটির পর অবশেষে রাজেন্দ্রেনাথ সম্বর্দ্ধনা-গ্রহণ করিতে সম্মত হইল। অধর অবিলম্বে একটি দল গঠন করিয়া চাঁদা-সংগ্রহের জন্য উঠিয়া-পড়িয়া লাগিল। পরবর্ত্তী-শনিবার সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার সময় সম্বর্দ্ধনা স্থির হইয়াছে ; সভাপতি হইবেন, 'রত্নাকর'-সম্পাদক কৃষ্ণবিহারীবাবু । সময় অতি অল্প ; ইহারই মধ্যে সমস্ত বন্দোবস্ত করিয়া ফেলিতে হইবে। অভিনন্দন-পত্র রচিত হইল, - ছাপিতে দেওয়ার পূর্ব্বে ভক্তগণ রাজেন্দ্রকে সেথানি দেখাইতে লইয়া আসিল। বাজেন্দ্ৰ বলিল - "চাদা কত উঠল ? "এই দেখুন্ না' - বলিয়। অধর খাত' খানি খুলিয়া রাজেন্দ্রেব সম্মুখে মেলিয়া দিল। রাজেন্দ্র নামগুলি পৰীক্ষা করিয়া বলিল - "তিনকড়িও চাঁদা দিয়েছে দেখছি।" অধব বলি - -"কোন্ লজ্জায় না-দেবে ৯" বাজ়েন্দ্ৰ বলিল - "লজ্জার খাতিলে দেয়নি;-- ওটা, নিজের উদারতা দেখাবার জন্ঠে দিয়েছে। ভিতবে কিন্তু জ'লে পুড়ে ম'রছেন্।" অভিনন্দনপত্র পাঠকবিঘ্ন বাজেন্দ্র তাহা মঞ্জুর কবিয়া কর্ণওয়ালিস্ ষ্টীটে--পাপ্তির মাঠে - সম্বন্ধনার আয়োজন তোরণ দ্বার পত্রমালায় সজ্জিত - উপরে ফুটন্ত ফুলের অক্ষরে লেখা - "কবি-রাজেন্দ জয়!" করিয়া, বিবিধবর্ণ নিশান-শোভিত বিস্তীর্ণ পটনণ্ডপ। ভিতরে লাল ও সবুজ কাগজের নির্মিত গুচ্ছ গুচ্ছ শৃঙ্খল দুলিতেছে। এক প্রান্তে লোহিত বঙ্গাবুত ঈচ্চ বেদিকা। তাহার মধ্যস্থলে কারুকার্যাথচিত রেশমীআবরণযুক্ত একথামি মাঝারি আকারের টেবিল। তাহার উপর দুইটি রৌপানিস্মিত আধারে দুইটি প্রকাণ্ড ফুলের তোড়া, শোভা ও সুগন্ধ বিতরণ করিতেছে। টেবিলের অপব পার্শ্বে দুইখানি বড় বড় সুন্দর কেদারা - একখানিতে সভাপতি বসিবেন, অপরখানি কবিবরের জন্য। বেদিকার উপর আরও অনেক গুলি চেয়াহ্ - গণ্যমান্ত-দর্শক ও কবিবরের খাস-ভক্ত-সম্প্রদায় উপবেশন করিবেন। যেদিকার নিয়ে প্রথমে তিন সারি কুরসি - তাহার পর বহুসারি বেঞ্চ, চলিয়া গিয়াছে । প্রভাতকাল হইতে, সারাদিন, পথে পথে, এই সভার সংবাদ দিয়া অসংখ্যবিজ্ঞাপন-বিতরিত হইয়াছিল 1 পাটা না বাজিতেই অনেকে আসিতে আরম্ভ করিল। কেহ চেয়ার্, কেহ বেঞ্চি প্রভৃতিতে বসিয়া রহিল ; অনেকে বিলম্ব আছে দেখিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া
pdf
cf85bb8898144ba6dbf15447f1857b392cc57bc9
নিজেদের হাই-এন্ড সেগমেন্ট এক্সট্রিম (এক্স) সিরিজের নতুন মডেলের উদ্বোধন করেছে ভিভো। স্মার্টফোনটির নাম ভিভো এক্স৮০ ৫জি। সিনেমাটোগ্রাফি ফিচার সমৃদ্ধ ডিভাইসটির জন্য আজ ২৭ মে, শুক্রবার থেকে প্রি-বুকিং দেয়া যাচ্ছে। স্মার্টফোনটির দাম পড়ছে ৭৬,৯৯০ টাকা। জেইসের সাথে দূর্দান্ত ইমেজিং ফিচারঃ এক্স৮০ স্মার্টফোনে সিনেম্যাটিক ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। শুধু তাই না জেইসের সিনেমাটিক ভিডিও বোকেহ ফিচার দিয়ে হাই রেশিওর সিনেমাও তৈরি করা যাবে। সুপার নাইট ক্যামেরায় পিওর নাইট ভিউ ব্যাবহার করে রাতের দৃশ্যকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে এক্স৮০ ৫জি। স্মার্টফোনটির পেছনের ক্যামেরায় টি* কোটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে; যার মাধ্যমে প্রচন্ড আলো বা রাতের ছবিতে, ক্যামেরা লেন্সে আলোর ভারসাম্য বজায় থাকে। ভিডিও করার সময় মোশন ব্লার কমাতে ডিভাইসটিতে রয়েছে পোর্ট্রেইট ট্র্যাকিং প্রযুক্তি। ভিভো এক্স৮০ ৫জি'র ক্যামেরা ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ধারণ করতে পারে। ফলে একই ফ্রেমে বিস্তৃত ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ধারণ করা যায়। প্রিমিয়াম মোবাইল ফটোগ্রাফি এক্সপেরিয়েন্সঃ এক্স৮০ স্মার্টফোনটিতে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। ব্যাক ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা সেনসিং ক্যামেরা, ১২ মেগাপিক্সেলের পোর্ট্রেইট ক্যামেরা এবং ১২ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। উন্নতমানের ফটোগ্রাফি-সিনেমাটোগ্রাফি অভিজ্ঞতার জন্য স্মার্টফোনটিতে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে ভি১+চিপ। স্মার্টফোনটিতে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯০০০ দ্বারা পরিচালিত কুলিং প্রযুক্তিও যুক্ত করেছে ভিভো। বাষ্প চেম্বারের মাধ্যমে ডিভাইসটি ঠান্ডা থাকে। এমনকি ভারি গেমিংয়ের সময়ও ডিভাইসটি গরম হয় না। ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিকে সাপোর্ট দিতে রয়েছে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার প্রযুক্তি। ফলে মাত্র ৩৫ মিনিটেই শতভাগ চার্জ হবে এক্স৮০ ৫জি। ইমারসিভ গেমপ্লে অভিজ্ঞতাঃ স্মার্টফোনটিতে এআই গেমিং সুপার রেজ্যুলোশন প্রযুক্তি রয়েছে, যা ভিভো ও মিডিয়াটেকের সমন্বয়ে তৈরি একটি প্রযুক্তি। অনেক বড় সাইজের ইমেজ বা ভিডিও ফাইল কিংবা ভারি গেইমস স্মার্টফোনের সিপিইউ ও জিপিইউ'র ওপর চাপ সৃষ্টি করে। গেমিং সুপার রেজ্যুলোশন ফিচার এসব ভারি ফাইলের গুণগত মান বজায় রেখে আকার ছোটো করে আনে। এছাড়াও প্রথমবারের মতো ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যুক্ত করা হয়েছে ভিভো এক্স৮০ স্মার্টফোনে। যা স্মার্টফোনটিতে দূর্দান্ত সাউন্ড ইফেক্ট দিবে। নান্দনিক ডিজাইনঃ এক্স৮০ ৫জি স্মার্টফোনটি দুইটি রঙে পাওয়া যাবে। একটি হলো কসমিক ব্ল্যাক এবং আরেকটি আরবান ব্লু। কসমিক ব্ল্যাক রংটি রাতের আকাশের অপার এবং গভীর প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যদিকে, আরবান ব্লু শহুরে জীবনের ব্যস্ততা থেকে দূরে হালকা নীল সমুদ্রের রঙ দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।
web
962a2dafe8afbc204c1503b1dd4d8a5c595e7d2a
নজরবন্দি ব্যুরোঃ বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভার কক্ষের ভিতর বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ১২ জন বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেণ্ড করা হল। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ দোলা সেন, সান্তা ছেত্রী। রাজ্যসভায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ -এ কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদ এবং শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, অনীল দেশাইরাও রয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন সিপি(আই)এম সাংসদ এলামারাম করিম। শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেণ্ড থাকবেন ১২ জন সাংসদ। অভিযোগ বাদল অধিবেশনে সংসদে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছেন তাঁরা। গত অধিবেশনে ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার দলনেতা পীযুষ গোয়েল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে সেই কমিটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, রিপুন বোরা, রাজামণী প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেইন, অখিলেশ প্রসাদ সিং। তৃণমূলের সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী, সিপি(আই)এমের এলামারাম করিম, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, অনীল দেশাই, সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম। চলতি অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর আর্জি গোটা অধিবেশনে শান্তি বজায় রাখা দরকার। সংসদের অধিবেশন চলাকালীন সরকার সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে প্রস্তুত। আমরা সংসদে প্রশ্ন চাই। এবং চাই সংসদে যাতে শান্তি বজায় থাকে। যে কোনও বিষয়ে সরকার এবং সরকারের পলিসির সমালোচনা করার সময় মাথায় রাখা দরকার স্পিকারের চেয়ারের গরিমা কখনও ক্ষুন্ন না হয়। আমাদের এমন আচরণ বজায় রাখা উচিত যাতে তরুণ প্রজন্ম অনুপ্রাণিত করবে। এই ঘটনা অভুতপুর্ব। বাদল অধিবেশনের কার্যকলাপের জেরে শীতকালীন অধিবেশনে শাস্তি ভাবা যায় না। স্বাধীনতার পর এধরনের ঘটনা ঘটেনি জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। ১২ জনের সাসপেন্ডের কারণ জনসমক্ষে আনুক শাসক দল। দাবী তৃণমূলের।
web
ce565e85a4277183a990f803f0dac915
প্রতিবারের মতো এবারেও গত ২৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে নিটার প্রিমিয়াম লীগ (ক্রিকেট) ২০১৯ এর অকশন অনুষ্ঠিত হয়েছে সাভারের নিটার ক্যাম্পাসে। অকশন এ উপস্থিত ছিলেন নিটারের প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক তারেক মোঃ এনামুল হক, প্রভাষক রনি মিয়া, প্রভাষক সুরুজ-জামান সহ আরো অনেকেই। অকশনটি শুরু হয় অতিথিদদের বক্তব্যের মাধ্যমে । সকলেই এবারের অকশনের ভিন্নধর্মী আয়জনের প্রশংসা করেছেন ও প্রতিবারের মতো টুর্নামেন্টটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছেন । ১২ টি ক্যাপ্টেন একটি ব্যাটে তাদের স্বাক্ষর দেন । ক্যাপ্টেন গন হল ৪র্থ বর্ষের জীবন, শান্ত ,প্রিয়ম , কৌশিক , প্রসেঞ্জিত,নাহিদ ,তাঞ্জিল ,শামীম,জাহিদ ,সজিব,মাসুম, রাফি । আইকন সহ বিভিন্ন ক্যাটগরিতে থাকা অলরাউন্ডার, ব্যাটসম্যান ও বোলারদের নিয়ে নিলাম ডাকা শুরু হয় । ক্যাটগরি অনুযায়ী বিভিন্ন দামে প্লেয়ারদের কেনা হয় । ঠিক রাত ১১ বেজে ৪৫ মিনিটে ১২ টি ক্যপ্টেন নিজেদের মধ্যে করমর্দন করার মাধ্যমে অকশনটি শেষ করেন। জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল শিক্ষা জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় অনেক বেশি পারদর্শী । সকল ধরনের ইন্ডোর আউটডোর টুর্নামেন্ট নিটার গেমস এন্ড স্পোর্টস ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত হয় নিটার প্রিমিয়ার লিগ (ক্রিকেট ও ফুটবল ) নামক সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট অনেক জাকজমক করে আয়োজন করা হয়ে থাকে ।
web
73e7f2943c557c58593cefc7679be6e2f51bf662
وَّمَا هُوَ بِالْهَزْلِۗ ( الطارق: ١٤ ) তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran): এবং তা কোন হাসি-ঠাট্টামূলক কথা নয়। English Sahih: And it is not amusement. [১] অর্থাৎ, খেল-তামাশা এবং হাসি-ঠাট্টার বস্তু নয়। هَزل শব্দটি جِدّ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ। অর্থাৎ এটি একটি স্পষ্ট সার্থক উদ্দেশ্য বহনকারী কিতাব। খেল-তামাশার মত নিরর্থক প্রহসনমূলক কোন কিতাব নয়। এবং এটা নিরর্থক নয় [১]। [১] আসমান ও যমীনের শপথ করে যে কথাটি বলা সেটা হচ্ছে, কুরআনের সত্যতা প্রমাণ করা। [ফাতহুল কাদীর] বলা হয়েছে, এ কুরআন হক ও সত্যবাণী। [ইবন কাসীর] অথবা বলা হয়েছে, কুরআন সত্য ও মিথ্যার ফয়সালাকারী। [ফাতহুল কাদীর] এ কুরআন হাসি-তামাশার জন্য আসে নি। এটা বাস্তব সত্য। [ফাতহুল কাদীর] যা কিছু এতে বিবৃত হয়েছে তা বাস্তব সত্য, যা অবশ্যই সংঘটিত হবে। সুতরাং কুরআন হক আর তার শিক্ষাও হক। আর তা অনর্থক নয়। এবং এটা উপহাস নয়। আর এটি কোনো তামাশার জিনিস নয়।
web
ca940c996a88ceef8bc34dc144dc84e5fc4b0802
সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক : সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বের গুণ রয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ক্যাপ্টেন্সিতে। ২০০৭ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের ম্যানেজার লালচাঁদ রাজপুতের দাবি এমনই। ২০০৭ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। সচিন-সৌরভ-দ্রাবিড়ের মতো সিনিয়র প্লেযাররা ছিলেন না সেই ভারতীয় দলে। কিন্তু প্রথম বারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে সমস্যা হয়নি ধোনির ভারতের। সৌরভের মতোই ধোনিও খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ান। তাদের উৎসাহ দেন। প্রাক্তন অধিনায়কের গুণ ধোনির মধ্যে দেখে রাজপুত বলেছেন, 'কোনও খেলোয়াড়ের দক্ষতা যদি মুগ্ধ করে, তা হলে তার পাশে থাকবে ধোনি। তাকে উৎসাহ দেবে। ধোনি কোনও প্লেয়ারের উপরে চিৎকার করে না। মাঠের ভিতরে কাউকে গালমন্দও করে না। শান্তই থাকে। প্লেয়াররাও খুশি থাকে। আর ওরাও নিজেদের সেরাটা দিতে চায়। ' দলের সবার সর্মথন পাওয়ায় ধোনি অধিনায়ক হিসেবে এত সফল। খবর : আনন্দবাজার'র।
web
3b4255f530163c6f3fff5ec5db10b40521179108
মুদ্রণ শিল্প প্রযুক্তি হিসেবে সর্বপ্রথম ভারতে চালু করেন পর্তুগিজগণ। প্রথম মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় গোয়ায়। এরপর মুদ্রণ প্রযুক্তি বোম্বাইয়ে চালু হয় ১৬৭০ সালে। ইউরোপীয় মিশনারিদের প্রচেষ্টায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছাপাখানা চালু হয়। এই সকল ছাপাখানার অধিকাংশই অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে স্থাপিত হতে থাকে। পর্তুগিজ ধর্মপ্রচারকগণ লিসবন থেকে রোমান হরফে বাংলা বই ছাপিয়ে আনেন। সবচেয়ে পুরাতন বাংলা মুদ্রণের নমুনা পাওয়া গেছে ১৬৮২ সালে প্যারিসে মুদ্রিত একটি গ্রন্থে। এসব বাংলা মুদ্রণ ছিল তামার পাতে, তখনও বাংলা অক্ষর ঢালাইয়ের কোন ব্যবস্থা হয়নি। মুদ্রণের জন্য বাংলা অক্ষরের নকশা প্রথম প্রস্ত্তত করেন চার্লস উইলকিন্স। তাঁর ডিজাইনকৃত অক্ষরে ছাপা হয় নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড রচিত A Grammar of the Bengal Language (১৭৭৮) গ্রন্থটি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা উইলকিন্স ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন। প্রথম দফায় উইলকিন্স যে টাইপ নির্মাণ করেন তাকে পরবর্তী সময়ে পঞ্চানন কর্মকার আরও মার্জিত করে উন্নতমানের টাইপ নির্মাণ করেছিলেন। উইলকিন্সের সহকারী পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন বাংলা টাইপ খোদাই করতে জানা প্রথম বাঙালি। বাংলা টাইপকে আরও উন্নত করে লাইনো টাইপে উন্নীত করার কৃতিত্ব সুরেশচন্দ্র মজুমদারের। বিশ শতকের গোড়ার দিকে লাইনো-এর বাংলা অক্ষর বিন্যাস মনোটাইপ, ইস্টার্ন টাইপ এবং টাইপ রাইটার-এ বাংলা অক্ষর বিন্যাসে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখে। উনিশ শতকে ছেনিকাটা ফিক্সড টাইপ দিয়ে বই ছাপা হতো আর ছবি ছাপার জন্য ব্যবহূত হতো কাঠে খোদাই ব্লক। উপেন্দ্রকিশোর উন্নতমানের ছবি ছাপার কৌশল উদ্ভাবন করেন। এসব পদ্ধতির মধ্যে ছিল ষাট ডিগ্রি স্ক্রিন, ডায়াফ্রাম পদ্ধতি, স্ক্রিন অ্যাডজাস্টার যন্ত্র, ডায়োটাইপ ও রিপ্রিন্ট। উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী ১৮৮৫ সালে ইউরোপীয় কোম্পানি নামে ব্লক তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৫ সালে এর নাম দেওয়া হয় ইউ রায় অ্যান্ড সন্স। কাঠের পরিবর্তে তামা ও দস্তার পাতে খোদাই করে ছাপলে সেই ছাপা অনেক উন্নতমানের হয়, এটি বুঝতে পেরে উপেন্দ্রকিশোর অন্ধকার ঘরে বসে তা পরীক্ষা করে দেখতেন। অন্ধকার ঘরে আলোর প্রতিফলনও প্রতিসরণ লক্ষ্য করে তিনি হাফটোন ব্লক তৈরির সূত্র উদ্ভাবন করে স্ক্রিন তৈরির নকশা করেন। ১৮৪৭-৪৮ সালে রংপুরে প্রথম ছাপাখানা বার্তাবহ যন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বপ্রথম একজন ইংরেজ আলেকজান্ডার ফারবেখ ঢাকায় ছাপাখানা স্থাপন করেন। ছাপাখানাটির নাম ছিল 'ঢাকা প্রেস'। এই ছাপাখানাটিতে অবশ্য বাংলা মুদ্রণের কোন ব্যবস্থা ছিল না। এখান থেকে ঢাকা নিউজ নামে ইংরেজি সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো। ১৮৬০ সালে বাংলা প্রেস বা বাংলা যন্ত্র নামে ঢাকায় দ্বিতীয় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ছাপাখানাটি প্রথমদিকে শুধু বাংলা মুদ্রণের কাজ করত। ১৮৬৬ সালে ঢাকায় তিনটি ছাপাখানা ছিল। আর একটি প্রাচীন ছাপাখানা ছিল ফরিদপুরে এবং সেখান থেকে বাংলা অমৃতবাজার পত্রিকা প্রকাশিত হতো। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পূর্ববাংলায় যে মুদ্রণ শিল্পের অস্তিত্ব ছিল তা ছিল নিতান্তই ক্ষুদ্রাকৃতির। তখন অধিকাংশ প্রকাশনা কলকাতা থেকে মুদ্রিত হতো। ক্রমে ঢাকায় নিজের প্রয়োজনে আধুনিক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। সরকারি ফরম, গেজেট, নানাপ্রকার পুস্তক-পুস্তিকা ছাপার প্রয়োজন তো ছিলই, সেই সঙ্গে পাঠ্যপুস্তক ও সংবাদপত্র মুদ্রণের বিপুল চাহিদা থাকার কারণে সরকারি ও বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রে দ্রুত মুদ্রণ শিল্পের প্রসার ঘটতে থাকে। বিদেশ থেকে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশলসহ যন্ত্রপাতি সরকারি ও বেসরকারি খাতে আমদানি হয়ে মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে লাগল। অবশ্য বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে এই সকল যন্ত্রপাতি আমদানি সহজ ছিল না। উন্নতমানের মুদ্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনশক্তিরও অভাব ছিল। ঢাকার ইডেন প্রেসে সর্বপ্রথম বাংলা লাইনো টাইপ মেশিন স্থাপিত হয়েছিল। মনোটাইপ মেশিন স্থাপিত হয়েছিল প্যারামাউন্ট প্রেসে ও বলিয়াদি প্রেসে। তারা মনো সুপার কাস্টিং মেশিন বসিয়ে তাতে তৈরি নানাপ্রকার ইংরেজি-বাংলা টাইপ অন্যান্য প্রেসের নিকট বিক্রয় করত। অন্যান্য প্রেস সেই টাইপ দিয়ে কম্পোজ করে প্লাটেন অথবা ফ্লাটবেড মুদ্রণযন্ত্রে বই ও পত্র-পত্রিকা ছাপত। পঞ্চাশের দশক থেকে যে সকল প্রেস উন্নতমানের মুদ্রণের জন্য খ্যাতি লাভ করেছিল তারা হচ্ছে আলেকজান্ডার মেশিন প্রেস, স্টার প্রেস, জিনাত প্রেস ইত্যাদি। দৈনিক আজাদ পত্রিকা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগেই কলকাতা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হতো। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর বেশ কিছুদিন কলকাতা থেকেই এই পত্রিকা মুদ্রিত হয়ে আসত। অবশেষে যন্ত্রপাতি কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং ঢাকা থেকে পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে। এদিকে হামিদুল হক চৌধুরী 'আল হেলাল প্রিন্টিং প্রেস' নাম দিয়ে একটি ছাপাখানা স্থাপন করে দ্য পাকিস্তান অবজারভার নামে দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করতে আরম্ভ করেন। প্রেসের ম্যানেজার ছিলেন আবদুল গনি হাজারী। হাজারী মুদ্রণ বিষয়ে স্বশিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন। প্রেসের যন্ত্রপাতি আমদানি করতে গিয়ে কোন যন্ত্রের কী ক্ষমতা ও গুণাগুণ সে সম্পর্কে তিনি বিশেষভাবে পড়াশোনা করে অবহিত হতেন আর এভাবেই তিনি মুদ্রণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন। কবি সিকান্ন্দার আবু জাফর সমকাল মুদ্রণ নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই ছাপাখানা থেকে সেকালের পূর্ব পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা সমকাল প্রকাশিত হতো। সিকান্দার আবু জাফর হাতে কম্পোজ করা টাইপ দিয়ে উন্নতমানের রুচিসম্মত পত্রিকা ছাপতেন। সে সময়ের অধিকাংশ মুদ্রাকর একই সঙ্গে ছিলেন শিক্ষিত পন্ডিত ও মুদ্রাকর বা প্রকৌশলবিদ। বাংলাদেশে একই গুণে গুণান্বিত ছিলেন আবদুল গনি হাজারী ও সিকান্দার আবু জাফর। ফোনেটিক ও গাণিতিক চিহ্ন-সম্বলিত জটিল মুদ্রণ কাজের জন্য খ্যাতি লাভ করেছিল এশিয়াটিক প্রেস। পঞ্চাশের ও ষাটের দশকে পুস্তক ও পত্র-পত্রিকা মুদ্রিত হতো প্রধানত লেটার প্রেসে। সেজন্য ছবি মুদ্রণের জন্য ব্লকের প্রয়োজন হতো। লাইন ব্লক অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারিগররা হাতে তৈরি করতেন। হাফটোন ব্লকের জন্য প্রয়োজন হতো ক্যামেরা ও স্ক্রিনের, সেইসঙ্গে দক্ষ কারিগরের। পঞ্চাশের ও ষাটের দশকে এই কাজে সবচেয়ে নামকরা প্রতিষ্ঠান ছিল লিঙ্কম্যান, ইস্ট অ্যান্ড প্রসেস ও স্ট্যান্ডার্ড ব্লক কোম্পানি। প্রায় একই সময়ে অফসেট প্রেস স্থাপন করে সেকালের ইস্ট পাকিস্তান কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি প্রেস ও পাইওনিয়ার প্রিন্টিং প্রেস। মুদ্রণ শিল্প সমিতির হিসাবমতো বর্তমানে মাঝারি ও ছোট আকারের ছাপাখানার সংখ্যা প্রায় আটশত। ১৯৬৭ সালে ঢাকায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় মুদ্রণ প্রযুক্তি বিষয়ক দেশের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট। এখানে মুদ্রণের প্রাথমিক স্তরের মুভেবল টাইপ, লাইনো টাইপ মেশিন ও লেটার প্রেস, গ্যালারি টাইপ ক্যামেরা থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তির অফসেট লিথোগ্রাফি, গ্র্যাভিউর, স্ক্রিন প্রিন্টিং, অত্যাধুনিক প্রসেস ক্যামেরা (হরাইজন্টাল ও ভার্টিক্যাল), অটোপ্লেট প্রসেসর, লিথো ফিল্ম, প্যানক্রোমাটিক ফিল্ম প্রযুক্তিসহ উন্নত ধরনের মেকানিজম সংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে আধুনিক বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের মুদ্রণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে কম্পিউটার মুদ্রণকৌশল বিষয়ক নতুন কারিকুলাম প্রবর্তন করা হয়, যেখানে ইমেজ সেটার, ড্রাম স্ক্যানার, ফ্লাটবেড স্ক্যানার, লেজার প্রিন্টার, ইন্ক জেট প্রিন্টারসহ আধুনিক মুদ্রণ প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। উনিশ শতকে আশির দশকে মুদ্রণ শিল্পে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। যে সিসার হরফ গত পাঁচশ বছর মুদ্রণ শিল্পে দোর্দন্ড প্রতাপে রাজত্ব করেছে তাকে প্রায় রাতারাতি নির্বাসিত করা হয়েছে কম্পিউটারের বদৌলতে। পুরানো আমলের ঐতিহ্যবাহী মুদ্রণকৌশল এখন গ্রামাঞ্চলেও নেই। বাংলায় কম্পিউটার কম্পোজ এবং মুদ্রণের জন্য বেশকিছু সফটওয়্যার আবিষ্কৃত হয়েছে। কম্পিউটারে বাংলা অক্ষর বিন্যাসের জন্য কয়েকটি ভিন্ন ধরনের কি-বোর্ড আছে। কম্পিউটারে বাংলা হরফ সংযোজন করার কৃতিত্ব বেশ কয়েকজনের। ১৯৮৪ সালে সর্বপ্রথম সাইফ-উদ-দোহা শহীদ বাংলা হরফের ডিজাইন করেন অ্যাপেল ম্যাকিনটশ কম্পিউটারের জন্য। ১৯৮৬ সালে মাইনুল আরেক ধাপ অগ্রসর হয়ে বাংলা হরফের ডিজাইন করেন। ১৯৯৪ সালে মোস্তফা জববার অ্যাপেল ম্যাকিনটশ কম্পিউটারে নতুন কি-বোর্ডে বাংলা হরফ তৈরি করেন; এবং কি-বোর্ডের নাম বিজয় কি-বোর্ড আর ফন্টের নাম দেন তন্বী, সুতন্বী। পরবর্তীকালে তিনি আইবিএম কম্পিউটারেও বিজয় বাংলা সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের মুদ্রণশিল্পে এ সফটওয়্যার ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হচ্ছে।
web
f25b9de2dd6ac7c30e4aff71e65640f88ff66e1d
তপন মালিকঃ বিউটি অফ দ্য বিউটি বলা হত তাঁকে। হলিউডের প্রথম দিকের সবথেকে জনপ্রিয় নায়িকা ছিলেন তিনি। নির্বাক যুগ থেকে শুরু করে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দুনিয়ার সিনেমা দর্শকদের স্বপ্নের দেবী। অথচ মাত্র ৩৬ বছর বয়সে খ্যাতির চূড়ায় থাকার সময়েই সিনেমা জীবন থেকে বিদায় নিয়ে জনজীবন থেকে অন্তরালে চলে যান। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা আজও সিনেমা বোদ্ধাদের কাছে রহস্যময়। তবে তাঁর মৃত্যুর দু'যুগ পরেও সিনেমা প্রেমীরা তাঁর কথা ভুলতে পারেনি। গ্রেটা গার্বোর আসল নাম ছিল গ্রেটা লভিসা গুস্টাফসন। মাত্র ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত স্কুল গিয়েছিলেন। টুপি, চুলের ফিতে ইত্যাদি নানা পণ্যের দোকানে কাজ করতেন। এই সময় গ্রেটা কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মডেল হন। হঠাৎ একদিন সুইডিস ছবির পরিচালক এরিখ ফেসলারের চোখে পড়লেন। তাঁর বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেলেন। গ্রেটার এই সময়টা কাটে সুইডেনের স্টকহোমে। এরপর পরিচালক মরিস স্টিলার তাকে হলিউডে নিয়ে যান। এমজিএম-এর 'দি টরেন্টো' ছবিতে অভিনয় করে বিপুল খ্যাতি লাভ করেন। ১৯২৪ সালে সুইডিশ চলচ্চিত্র দ্য সাগা অব গোস্তা বার্লিং আই আনা ক্রিস্টি দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক তার। নির্বাক থেকে সবাক যুগে রেখেছিলেন অভিনয়-দক্ষতার ছাপ। ২১ বছরের মাথায় ১৯৪১ সালে মুক্তি পায় তার টু ফেসড ওম্যান চলচ্চিত্রটি। এরপর হঠাৎ-ই বিদায় জানালেন সিনেমা জগতকে। একই সঙ্গে বন্ধ করে দিলেন বাহিরের সঙ্গে যোগাযোগের সব জানালা, চলে গেলেন অন্তরালে। বয়স তখন সবে ৩৬, মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রের সংখ্যা ২৮। মারা যাওয়ার কয়েক বছর আগেও তিনি সকালে একটানা প্রায় এক ঘণ্টা ব্যায়াম ও জগিং করতেন। আর দিনে কয়েক মাইল পথ হাঁটতেন। কিন্তু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত আসেননি ক্যামেরার সামনে, কোনো সাংবাদিককেও দেননি ইন্টারভিউ, আর মৃত্যুর পরও মেলেনি কোনো ফটোগ্রাফ। তার এই অন্তরালই তাকে অমর করেছে। সিনেমা প্রেমীদের চোখে, মনে, এখনো সেই চিরযৌবনা, হাস্যোজ্জ্বল গ্রেটা গার্বো যার চেহারায় বার্ধক্যের কোনো দাগ নেই। তবে প্রশ্ন, জনপ্রিয়তা-যশ-খ্যাতি ছাপিয়ে কেন বেছে নিয়েছিলেন অন্তরালের জীবন? ১৯২৬ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত হলিউড ছিল তাঁর হাতের মুঠোয়। ১৯২৭ সালে 'ফ্লেশ অ্যান্ড ডেভিল' ছবিতে গ্রেটা গার্বো জন গিলবার্টের সঙ্গে জুটি বেঁধে সারা বিশ্বের দর্শকদের বুকে ঝড় তুলেছিলেন। ছবিতে অভিনয়ের সময় একে অপরের প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। গিলবার্ট গ্রেটার নিঃসঙ্গ জীবনে প্রেমের জোয়ার আনলেন। অনেক দিন রাতে গিলবার্টের টাওয়ার রোডের বাড়িতে গ্রেটা অতিথি হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ওদের সম্পর্কটা ভেঙে যায়। সুইডিশ সিনেমা নির্মাতা মরিস স্টিলার তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন গার্বোকে। তিনিই গার্বোকে হলিউডে নিয়ে এসেছিলেন। গিলবার্টের সঙ্গে গার্বোর প্রেমের খবর জানার পর লস অ্যাঞ্জেলেস ছেড়ে সুইডেনের স্টকহোমে চলে যান স্টিলার। কিছুদিন পর তিনি সেখানকার একটি হাসপাতালে মারা যান। সম্ভবত, এই কারণেই গ্রেটা গার্বো নীরবে সিনেমাকে বিদায় দিয়ে সঙ্গী করেছিলেন নির্জনতাকে। হলিউডে গ্রেট ষোল বছরের সিনেমা জীবনে ১১ বার বাড়ি বদল করেছেন। হলিউড ছেড়ে চলে যান সুইডেনে। সেখানে তার বিশাল বাড়ির বাইরে কদাচিৎ পা রাখতেন। সিনেমা লাইব্রেরি কিংবা পুরনো বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে সময় কাটাতেন। গ্রীষ্মে চলে যেতেন সুইজারল্যান্ডের ক্লোসটার্সে নিজ বাড়িতে। এ ভাবেই কেটে গেছে দশকের পর দশক; কিন্তু কখনই কোনো সাক্ষাৎর দেননি কোনো সাংবাদিককে।
web
932c8834ca2245d2afe95c2b79d6bc702c3a1940a1c4046ffd6af4ff5dea59af
দেশাত্মবোধক ও ঐতিহাসিক বাংলা নাটক অঞ্চল অল্প বিস্তর স্বাধীন ছিল। এইরূপ একটি অঞ্চল ত্রিপুরা। কল্যাণমাণিক্যের জ্যেষ্ঠ পুত্র গোবিন্দমাণিক্য ১৬৫৯ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই নক্ষত্র রায় সিংহাসন অধিকারের চক্রান্ত করেন। কিন্তু "রাজ্যলোভে ভ্রাতৃবধ জনিত পাপে লিপ্ত হওয়া নিতান্ত অযশঙ্কর । অতএব আত্মরক্ষার জন্য তিনি বিনাযুদ্ধে রাজ্য পরিত্যাগ করিয়। আরাকান যাত্রা করেন। এদিকে নক্ষত্র রায় ছত্রমাণিক্য নামে সিংহাসনে আরোহণ করিলেন"। ১৭ ছত্রমাণিক্যের সাত বছর রাজত্বের পর গোবিন্দমাণিক্য রাজা হন । 'বিসর্জন'-এ দুজনের বিবাদের কাহিনী আছে, কিন্তু তার বিন্যাস ও পরিণতি অন্যরূপ। "গোবিন্দমাণিক্যের রাজ্ঞী কমলা মহাদেবী তৎকালে রমণীকুলের মধ্যে অদ্বিতীয়া ধর্মিষ্ঠা ছিলেন।"১৮ বিসর্জনে এই কমলা দেবী 'গুণবতী' হয়েছেন ! অবশ্য রাজার সঙ্গে ধর্মাচরণ নিয়ে বিরোধের কথা ইতিহাসে পাওয়া যায় না। রবীন্দ্রনাথ 'বিসর্জন' এ একটি তত্ত্ব উপস্থিত করেছেন এবং সে তত্ত্ব হচ্ছে : 'প্রেমের পথ ও হিংসার পথ এক নয়, প্রেমেই দেবতার পূজা, হিংসায় নয়।' এই তত্ত্ব প্রচারের জন্যে তিনি 'রাজর্ষি' নামে প্রথমে যে উপন্যাস রচনা করেন তার কাহিনী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন - "এটি আমার স্বপ্নলব্ধ গল্প । এমন স্বপ্নে পাওয়। গল্প এবং অন্ক লেখা আমার আরো আছে।"১৯ এই 'রাজর্ষি' উপন্যাসের প্রথমাংশ নিয়ে বিসজন রচিত; অবশ্য পাত্র-পাত্রী কিছু অদল বদল করা হয়েছে। একটা কথা স্বভাবতই মনে হতে পারে যে, ঐ রকম স্বপ্নপু রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরা রাজপরিবারকে ঘিরে দেখলেন কেন এবং বাস্তব ইতিহাসের পটভূমিকায় এটা কতকট। সংগতি সম্পন্ন ? ত্রিপুরার রাজারা বরাবর শক্তিদেবীর উপাসক। পশুবলি তে। দূরের কথা 'রাজমালা' থেকে জানা যায় যে, নরবলি প্রথাও এখানে প্রচলিত ছিল। মহারাজ ধন্যমাণিক্য বাৎসরিক নরবলি প্রথা রহিত করেন, কিন্তু যুদ্ধে বন্দীক্বত শত্রুকে বলি দেবার প্রথা প্রচলন করেন । ১৬১১-এ রাজধর মাণিক্য রাজা হন। তাঁর সময় নিত্যানন্দ বংশজ গোম্বামিগণ রাজপরিবারে কৃষ্ণমন্ত্রের বীজ বপন করেন। রাজধরমাণিক্য বিষ্ণুমন্দির নির্মাণ করেন এবং তিনি সেখানে সর্বদা বিষ্ণুর উপাসনা করতেন। এরপর থেকেই ধর্মীয় আচরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সুতরাং এর ৫০ বছরের মধ্যে গোবিন্দমাণিক্যের সময়ের হিংসা ও প্রেমের
pdf
3367892c089cbb9ed47cd96fea59bad9
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ইটার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন । রোগীর স্বজনদের সাথে সাথে ঝগড়ার কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় তারা ধর্মঘটের ডাক দেন। জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে ওসমানী হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের অন্তসত্ত্বা সোমা আক্তারকে। বুধবার দুপুরে তার ব্যাথা ওঠলে সোমার স্বজনরা চিকিৎসকদের ডাকতে যান। এসময় দায়িত্বরত ইটার্ন চিকিৎসক তামান্না জান্নাত রিমুর সাথে তার কথাকাটি হয়। রোগীর ভাই তামিম অভিযোগ করে বলেন, আমার ডাক্তার ডাকতে গেলে তামান্না আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এসময় কথাকাটাকাটি হলে সব ইটার্ন ডাক্তাররা এসে আমাদের উপর হামলা চালান। তবে ওসমানী হাসপাতাল ইটার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মাজহারুল হক অমিত বলেন, তামিম ও পান্না বাইরে থেকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে ডাক্তার তামান্নার উপর হামলা চালিয়েছেন। এ হামলার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা ধর্মঘট আহ্বান করেছি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রসূতি সোমা আক্তারকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে বেসরকারি মহানগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সোমার বোন পান্নাকে আটকে রেখেছেন ইটার্ন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে এ নিয়ে বৈঠকে বসেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ওসমানী হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।
web
9c5ee581b09620216924f7c496990f817ad05186
স্প্যাগেটি রান্নায় আজ দেখাবো আরেকটি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি ক্রিম অ্যান্ড চিজি স্প্যাগেটি যা খুব সহজেই তৈরি করা যায়। চলুন দেখে নেই এর প্রনালী টি । উপকরণ : প্রনালী : প্রথমে স্প্যাগেটি পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এরপর প্যানে তেল গরম করে রসুন কুচি দিয়ে বাদামী করে ভেজে নিন। এবার ক্রিম ও চিজ দিয়ে নেড়ে নিন। লবন দিয়ে সেদ্ধ স্প্যাগেটি দিয়ে নাড়ুন। গোল মরিচ গুড়ো দিয়ে দিন। থকথকে হয়ে এলে পাস্তা মসলা মিক্স ছিটিয়ে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে ফেলুন। গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু ক্রিম অ্যান্ড চিজি স্প্যাগেটি। রেসিপি টি পাঠিয়েছেন জারিন নিম্মি।
web
9d727b0ba5829a609f0c77c69ec025b7e2b774c5
স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর। । জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ১০,৩২৩ সংগঠনের গণঅবস্থানের ২১ তম দিন এক নয়া কর্মসূচির মাধ্যমে ডাই ইন হারনেস-এ চাকুরির দাবি জানায়। এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ৭৭ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পরিবারের অভিভাবক এবং শিশুরা গণ অবস্থানস্থলে যোগ দেয়। দাবি তোলে তাদের পরিবারের একজনকে চাকরি প্রদান করার। নয়তো তাদের পরিবার পরিচালনা করা অসাধ্যকর হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি এদিন জে এম সি চাকরিচ্যুত সংগঠন প্রয়াত শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রয়াত চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পরিবারের একজনকে চাকরি দাবি জানিয়েছেন। এদিন প্রয়াত শিক্ষকদের ৩২ পরিবারের অভিভাবক এবং শিশুরা গণঅবস্থান স্থলের যোগদান করে।
web
e5c2197417c496928866c59316012a93e8cbfad4
"আমরা ঘনিষ্ঠতাকে গল্পের মতো আচরণ করছিলাম" শাকুন বাত্রার আসন্ন ছবির টাইটেল গান গহরাইয়ান 1 ফেব্রুয়ারী, 2022 এ মুক্তি পায়। দীপিকা পাড়ুকোন, অনন্যা পান্ডে, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী এবং ধৈর্য কারওয়া সমন্বিত, গানটি দেখায় যে কীভাবে তারা ভাঙা হৃদয়ের যত্ন নিচ্ছে। প্রাণময় গানটি অঙ্কুর তেওয়ারি লিখেছেন এবং লোথিকা গেয়েছেন, ওএএফএফ, সাভেরার সঙ্গীতে। গহরাইয়ান কাপুর অ্যান্ড সন্স খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শাকুন বাত্রার একটি সমসাময়িক সম্পর্কের নাটক। এতে আলিশা চরিত্রে দীপিকা, তার স্বামী করণের চরিত্রে ধৈর্য, তার চাচাতো বোন টিয়া চরিত্রে অনন্যা এবং টিয়ার বাগদত্তা জেইন চরিত্রে সিদ্ধান্ত অভিনয় করেছেন। এর আগে গানটি 'ডুবে' ছবিটি থেকে মুক্তি পেয়েছিল, যা দীপিকা এবং সিদ্ধান্তের সিজলিং রসায়নকে কেন্দ্র করে। তাদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো ছবির আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাকুন বাত্রা ভারত-ভিত্তিক ইউক্রেনীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা দার গাই-এর সাথে যুক্ত হয়েছেন গহরাইয়ানএর অন্তরঙ্গতা পরিচালক। তার মতামত ভাগ করে, পরিচালক বলেনঃ "আমরা ঘনিষ্ঠতাকে একটি গল্পের মতো বিবেচনা করছিলাম এবং আমরা এটিকে একটি চরিত্র হিসাবে দেখতে চাই। "সুতরাং, প্রস্তুতি এবং বিশদ বিবরণ প্রয়োজন ছিল। এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের একজন অন্তরঙ্গতা পরিচালক আছে. দার গাই যোগ করেছেন যে ওয়ার্কশপগুলি চারটি লিডকে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছিলঃ "যখন আমি প্রথম আমার কর্মশালায় প্রবেশ করি, তখন আমার এবং অভিনেতাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই অনেক বিশ্বাস ছিল। "তারা পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং এমন কিছু চেষ্টা করার জন্য যা তাদের নেই। "উদাহরণস্বরূপ, আমি দীপিকা এবং সিদ্ধান্তের সাথে যে ওয়ার্কশপগুলি করেছি তা আমরা তাদের সকলের সাথে একসাথে যা করেছি তার থেকে আলাদা ছিল - অনন্যা, ধইর্যা। "কিন্তু, একবারও নয়, আমি তাদের দিক থেকে কোনো দ্বিধা অনুভব করেছি। " দীপিকা এবং সিদ্ধান্তের সাথে কাজ করার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি যোগ করেছেনঃ "আমার প্রথম কয়েক দিন ব্যায়ামের উপর ফোকাস করা ছিল যা দীপিকা এবং সিদ্ধান্তকে একে অপরের সাথে নিরাপদ বোধ করতে, একে অপরকে বিশ্বাস করতে দেয়। "এবং, একবার আপনি একে অপরকে বিশ্বাস করলে, তখনই আপনি বিভিন্ন অভিব্যক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা করতে পারেন। " ছবিতে নাসিরুদ্দিন শাহ এবং রজত কাপুরও মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন। অফিসিয়াল সংক্ষিপ্তসার গহরাইয়ান লেখা আছেঃ "খুব প্রতিভাবান শাকুন বাত্রা দ্বারা পরিচালিত, বহু প্রতীক্ষিত সিনেমাটি জটিল আধুনিক সম্পর্কের পৃষ্ঠের নীচে দেখায়, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, ছেড়ে দেওয়া এবং নিজের জীবনের পথ নিয়ন্ত্রণ করা। " গহরাইয়ানহিরু যশ জোহর, করণ জোহর, অপূর্ব মেহতা এবং শাকুন বাত্রা দ্বারা প্রযোজিত, 11 ফেব্রুয়ারী, 2022-এ অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে সরাসরি-টু-ডিজিটাল প্রকাশের জন্য সেট করা হয়েছে।
web
268109c1e0c8a4bda2d4b9fcfb6132d9ac0c8eca
নয়াদিল্লিঃ যোগ ব্যায়াম করে ২০ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন অমিত শাহ! আগামীকাল আন্তর্জাতিক যোগদিবস। তার প্রাক্কালে মঙ্গলবার আমদাবাদে এক যোগশিবিরে যোগাসনের উপযোগিতা বোঝাতে বিজেপি সভাপতির উদাহরণ দিলেন বাবা রামদেব। যোগগুরুর বক্তব্য, যাঁরা বলেন, যোগ খেলাধুলোর মধ্যে পড়ে না, তাঁরা অজ্ঞ। ওঁদের এহেন ধারণা প্রত্যাখ্যান করাই ভাল। যোগব্যায়ামও খেলার মধ্যেই পড়ে। দেশে ক্রীড়াক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যোগব্যায়ামকে। ওলিম্পিক্সেও যোগকে খেলা হিসাবে ঢোকানোর দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপি-এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে বিহারের রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকে বেছে নেওয়ারও প্রশংসা করেন রামদেব। বলেন, রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদে বাছাই করে একটা মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি। উনি সমাজের অনগ্রসর, প্রান্তিক মানুষের হয়ে সবসময় লড়াই করেছেন। অনেকে বলছেন, বিজেপি দলিত কার্ড খেলল। কিন্তু তাঁরা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, কোবিন্দ বিজেপিতে প্রথম যোগ দেওয়া দলিত নেতাদের অন্যতম। ১৬ বছর আইনের পেশায় থাকার পর ১৯৯১ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
web
0a4c195ba563a57d89f8dfbe7ed3a15a9ddc2962
আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকা ১৪ হাজার সেনা সদস্যের মধ্যে পাঁচ হাজার সেনা সদস্যকে প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়েছেন, তাতে যেমন বিস্মিত হয়েছে আফগান নেতৃত্ব, তেমনি বিস্মিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা সহযোগীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পশ্চিমা কূটনীতিকদের একজন বলেছেন, ট্রাম্প যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেবেন সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কোনও কথা হয়নি। এখন সিদ্ধান্ত যখন হয়েই গেছে, তখন তারা পরিস্থিতি বুঝে এগোবেন। নাইন ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ শেষ হয় ২০১৪ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনও আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে এখনও ১৪ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা রয়েছে। রয়টার্স লিখেছে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন সে সম্পর্কে কাবুলবাসী বেশ কিছু দিন ধরেই অবগত ছিলেন। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জিম ম্যাটিসের পদত্যাগ ও তার সঙ্গে সঙ্গেই পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে তারা তারা বিস্মিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে ম্যাটিসকে এক রকম গ্যারান্টার হিসেবে দেখা হতো। তার চলে যাওয়া ও সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে আফগান কর্মকর্তাদের অনেকের মধ্যেই দুশ্চিন্তার জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি আবুধাবিতে আফগান তালেবানসহ অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি খলিলজাদের। সেখানে তারা শান্তি আলোচনার জন্য কিছু পূর্ব শর্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে 'ফলপ্রসূ' আলোচনা করেছেন। কিন্তু সেসব আলোচনার বিষয় এখন নিশ্চিত নয় এবং সেগুলো বাস্তবায়িতও হয়নি। এটা স্পষ্ট নয়, অস্ত্রবিরতির বিষয়ে কোনও সমঝোতা হয়ে গেছে কি না। বা আরও বড় কোনও সমঝোতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে কি না, যার কারণে ট্রাম্প ১৪ হাজারের মধ্যে পাঁচ হাজার জনকেই আফগানিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মুখপাত্র হারুন চাকানসুরি বলেছেন, পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা চলে যাওয়ায় সামগ্রিক নিরাপত্তায় কোনও ঘাটতি হবে না। কারণ এখনও মার্কিন বাহিনী মূলত আফগান বাহিনীকে সহায়তা ও পরামর্শ দানের কাজ করে। কিন্তু মার্কিন সেনাবল কমে যাওয়ার বিষয়ে এক আফগান কর্মকর্তা বলেছেন, তালেবান যোদ্ধারা কি প্রতিক্রিয়া দেখাবে তার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে অভিযানের সংখ্যা কমানো লাগবে কি না। আফগানিস্তানে ৩৮টি দেশের প্রায় আট হাজার সেনা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীতে রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের মাধ্যমে পরিস্থিতি এখন যতটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করলে সে নিয়ন্ত্রণ নাও থাকতে পারে। একদিকে যেমন তালেবান যোদ্ধাদের কাছে শান্তি চুক্তির আবেদন কমে যেতে পারে, অন্যদিকে তেমনি তাদের ওপর হামলা হলে আফগান বাহিনীর যুদ্ধ করার মনোবল হ্রাস পেতে পারে। আফগানিস্তানে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে আফগানিস্তানের অভিজাতরা কেঁপে উঠবেন। তার ভাষ্য, 'আমরা তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি। নীতিনির্ধারকরা অনেকেই নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তারা কি করেন, কীভাবে করেন তার দিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি।
web
05865e1e55f2a0b1931d9b00603b10b6
আমাদের এই দেশে যে ভুলটি হয়ে যায় অসচেতনভাবে আমাদের দ্বারা তা হলো জাতীয় শব্দটির যথেচ্ছা ব্যবহার। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৃথিবীর অনেক দেশ সহ বাংলাদেশের অনেক কিছুই স্বীকৃতি পায় জাতিসংঘের মাধ্যমে। স্বীকৃতি প্রাপ্তির খবর তখন ঘোষিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। উদাহরণ হিসেবে এখানে বলা যায় আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কথা যা প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালিত হয়। এটি মূলত বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৫২ খ্রিষ্টীয় সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া ভাষা আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ আরো বহুজনের প্রাণের বিনিময়ে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেয়ে যায়। এমনিভাবে আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ অনেক কিছু আছে যা আমাদের জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয় এবং পরবর্তীতে নানান দিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা জাতীয় হিসেবে স্বীকৃত হয়। কোনো কিছুর জাতীয় স্বীকৃতি এমনি এমনি হয়ে যায় না। যে কোনো কিছু জাতীয় স্বীকৃতি পায় সমাজ, দেশীয় সংস্কৃতি এবং বিশেষ করে মানুষের মাঝে তার কতোটা প্রভাব আছে এসব বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়েই। তবে এ কাজটি যে কোনো নাগরিকের ঘোষণায় বা কোনো সংস্থা কর্তৃক প্রকাশ পেলেই তা প্রকৃত অর্থে জাতীয় বলে স্বীকৃত হয় না। অথচ এমনি ধরণের অনেক ভুল আমরা সহজেই করে চলেছি প্রতিনিয়ত অসচেতনভাবে। এসব ভুল না করাই উত্তম। হ্যাঁ আমাদের দেশের জাতীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অনেক কিছু আছ, যা আমাদেরকে সচেতনভাবে মনে রাখতে হবে। তাহলে আর যে কেউ যে কোনো বস্তু, সংগঠন বা প্লাটফর্মের নামের আগে 'জাতীয়' শব্দটি ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন না। আবার কেউ কেউ তেমনটি করলে না ভেবেই সকল মানুষ একসাথে সেটিই মেনে নিবে না। তাহলে আসুন আমার এ পর্যন্ত জাতীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জানতে চেষ্টা করি এবং পাশাপাশি সহজে একটি ভুল ব্যবহার সম্পর্কে জানতে সচেষ্ট হই। নিশ্চয়ই সকলেরই জানা, আমাদের জাতীয় প্রতীক আছে যা দুই পার্শ্বে ধানের শীর্ষ বেষ্টিত, পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা, শীর্ষ দেশে পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাট গাছের পাতা এবং তার উভয় পার্শ্বে দু'টি করে তারকা চিহ্ন। এগুলো আমাদেরকে চিনে রাখতে হয় নিজেকে জানার জন্যেই। লাল-সবুজের পতাকা নামে আমাদের কাছে খুব বেশি পরিচিত বাংলাদেশের একটি জাতীয় পতাকা সরকারিভাবে স্বীকৃত আছে। এমনিতে পতাকাটি আয়তাকার এবং পতাকার সবুজ জমিনে লাল বৃত্ত। ১৯৭১ খ্রিষ্টীয় সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটি পতাকা ব্যবহৃত হয়েছিলো যা সবুজ জমিনে লাল বৃত্তের ভিতর তৎকালীন বাংলাদেশের হলুদ মানচিত্র। ওই পতাকার উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে নক্সা ঠিক করে ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি বর্তমান জাতীয় পতাকাটি সরকারিভাবে গৃহীত হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে, কোনোকিছু জাতীয় স্বীকৃতি পেতে হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে। সেদিক থেকে যে কোনো প্রতিষ্ঠান, বস্তু, দল বা প্ল্যাটফর্ম এর সাথে জাতীয় শব্দ সংযুক্ত করে মুখে মুখে প্রচার করাও সমীচীন হবে না। আমাদের জাতীয় সংগীত যেমন 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' তদ্রুপ আমাদের জাতীয় ফুল 'শাপলা' স্বীকৃত। আমরা জানি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল, জাতীয় মাছ ইলিশ, জাতীয় বৃক্ষ আম গাছ, জাতীয় বন সুন্দরবন, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্ক শহীদ জিয়া শিশু পার্ক এমনকি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ হলো বায়তুল মোকাররম মসজিদ। জাতীয় ফল হচ্ছে কাঁঠাল। এসব কিছুই জাতীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়া। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক কিছু আছে যা ব্যক্তি পর্যায়ে মুখে মুখে জাতীয় নাম নিয়ে উচ্চারিত হয় এবং তা অনেকের মাঝে চলতে থাকে। যেমন ধরুন, ঢাকা থেকে কয়েকজন মিলে একটি সংগঠন গড়ে তুললেন, নাম দিলেন 'জাতীয় ক সংঘ'। এমনও দেখা যায় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা আর্থিক কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের আগে জাতীয় শব্দটি জুড়ে দিয়ে বহুল প্রচার চলছে সারাদেশে। আমার কথা হলো, যেহেতু কোনোকিছু রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় ঘোষিত হলে তা জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হয় তাই জাতীয় শব্দটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চয়ই এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পরেও এতোটা উদাসীন থাকা ঠিক নয়। পাশাপাশি জনসচেতনতা জরুরী। আমি খুব ভালোভাবেই লক্ষ্য করে দেখেছি, যে কোনো বিষয়ের সাথে ভুলভাবে জাতীয় শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের লেখাপড়া জানা মানুষই অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। আমাদের অতি সাধারণ একটি ভুল হলো, রাজধানী থেকে কোনো পত্রিকা এলে বাংলাদেশের সকল জায়গার মানুষ এটিকে জাতীয় পত্রিকা বলে ফেলি। কিন্তু যদি প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসি, আমাদের জাতীয় পত্রিকা কি? উত্তর হবে, অন্যান্য অনেক জাতীয় স্বীকৃত বিষয়ের মতো আমাদের এখনো জাতীয় কোনো পত্রিকা নাই। অথচ ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাকে আমরা সহজে না ভেবেই জাতীয় পত্রিকা বলে থাকি। বাস্তবতা হলো সিলেট থেকে যেমন দৈনিক সিলেটের ডাক সহ অন্যান্য পত্রিকা তেমনি ঢাকা থেকে প্রথম আলো, যুগান্তর ইত্যাদি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সেদিক থেকে বাংলাদেশে জাতীয় পত্রিকা বলে কোনো ঘোষণা নাই। এসব বিষয়ে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। দৈনিক সিলেটের ডাকে গত ২১ জুন 'বৃদ্ধাশ্রম নয় বৃদ্ধালয়' শিরোনামে আমার একটি লেখা ছাপা হয়েছিলো। সেখানে আমি উল্লেখ করেছি শব্দ প্রয়োগে আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে। যেনতেন রূপে যে কোনো বিষয়ে যে কোনো শব্দ ব্যবহার পরিহার করতে হবে। এই লেখাটির মূল বিষয় বুঝানোর জন্যে লেখার পরিসর বাড়ানোর আর প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। পরিশেষে বলছি, আমাদেরকে শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হতে হবে। রাজধানী ঢাকা কিংবা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে যে কোনো কিছুর সাথে 'জাতীয় শব্দ' ব্যবহার করলেই আমরা সেটা মেনে নেবোনা। অনেক সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামের আগে 'জাতীয়' শব্দের ব্যবহারে সাধারণ মানুষ অধিক আস্থা রেখে বিভ্রান্ত হয়, প্রতারিত হয়। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
web
cc58d4c211fae87ebd94ed022b97d8a8a93f3c369e4bdaa41ae83a886c70fb58
৫মঃ অঃ ] সন্ন্যাসযোগঃ । যতেন্দ্রিয়মনোবুদ্ধিষ্টুনিমোক্ষপরায়ণঃ । বিগভেচ্ছাভয়ক্রোধো বঃ সদা মুক্ত এব সঃ ॥২৮ ভোক্তারং যজ্ঞতপসাং সৰ্ব্বলোকমহেশ্বরম্ । সুহৃদং সৰ্ব্বভূতানাং জ্ঞাত্বা মাং শান্তিমৄচ্ছতি ॥২৯ ইতি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতান্ত উপনিষৎসু ব্রহ্মবিদ্যায়াং যোগশাস্ত্রে সন্ন্যাসযোগে। নাম পঞ্চমোঽধ্যায়ঃ । যতে দ্ৰয়মনোবৃদ্ধিঃ মোক্ষপরায়ণঃ বিগতেচ্ছাভয়ক্রোধঃ ষঃ মুমিঃ, সঃ সদ। মুক্তঃ এর। ২৯ । [ সঃ ] মাং যজ্ঞতপসাং ভোক্তারং সর্ব্বলোকমহেশ্বরং সৰ্ব্বভূতানাং সুহৃদং জ্ঞাত্ব। শান্তিম্ ঋচ্ছতি । রাখিয়। এবং চক্ষুকে ভ্রূর মধ্যেই [রাখিয়া], নাসার অভ্যস্তরচারী প্রাণ ও অপানকে সমান করিয়া সংযতেন্দ্রিয়মনোবুদ্ধি, মোক্ষপরায়ণ, ইচ্ছা-ভয়-ক্রোধ-শূন্য যে মুনি, তিনি সদাই [ জীবিতাবস্থাতেও ] মুক্ত। ২৯। [ তিনি ] আমাকে যজ্ঞ ও তপস্যার ভোক্তা, (অর্থাৎ তজ্জন্য প্রীতিরূপ ফলের অনুভবকৰ্ত্তা) সৰ্ব্বলোকমহেশ্বর, সর্ব্বভূতের সুহৃদ জানিয়া শান্তি প্রাপ্ত হন । ইতি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা উপনিষদে ব্রহ্মবিদ্যায় যোগশাস্ত্রে সন্ন্যাসযোগ নামক পঞ্চম অধ্যায় সমাপ্ত । [ শ্লোক সংখ্যা ২৯। প্রথমাৰধি - (০৪+২১)=২৩৩ ]
pdf
f143dd0d998e207ea739b2859ce34f811b73c91f
একই সঙ্গে বেড়েছে ডিজেলের দামও। শুক্রবার কলকাতায় ১ লিটার ডিজেলের দর ৬৯.৬৩ টাকা ছুঁয়েছে ডিজেলের দর। ওয়েব ডেস্কঃ ফের বাড়ল তেলের দাম। শুক্রবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারে ২৮ পয়সা বেড়ে দাঁড়াল ৭৮.২৯ টাকা। কর্ণাটক নির্বাচন শেষের পর এই নিয়ে পাঁচ দিন বাড়ল জ্বালানির দাম। বৃহস্পতিবার ২২ পয়সা বেড়ে কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৭৮ টাকা ছাড়িয়েছিল। শুক্রবার আরও এক দফা বাড়ল পেট্রোলের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে ডিজেলের দামও। শুক্রবার কলকাতায় ১ লিটার ডিজেলের দর ৬৯.৬৩ টাকা ছুঁয়েছে ডিজেলের দর। বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে তেলের দর বাড়ছে তাতে দেশে আরও বাড়বে তেলের দাম।
web
772e1e01668d74340859388b7e9033d7ab687843
প্রাক্তন ভারতীয় দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর এখন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির উপর বড়ো অভিযোগ আনলেন। তিনি ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে নিজের আউট হওয়ার জন্য মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দায়ী করেছেন। তিনি নিজের প্রাক্তন অধিনায়ক আর ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের উপর বড়ো অভিযোগ এনেছেন। ২০১১য় ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। ওই বিশ্বকাপের ফাইনালে গৌতম গম্ভীর ৯৭ আর মহেন্দ্র সিং ধোনি ৯১ রান করেছিলেন। এখন ৯৭ রান করে আউট হওয়া নিয়ে গৌতম গম্ভীর ধোনির উপর অভিযোগ এনে লল্লনটপে বললেন যে, "যদি আমি আপনাকে সঠিক সত্যি বলি তো আমারও খারাপ লাগে। এটা এই কারণে কারণ আপনি পুরো জীবন মেহনত করেন, স্রেফ নিজের জন্য রান করার জন্যই নয়, যখন আমি বড়ো হচ্ছিলাম, আমার স্বপ্ন দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার ছিল, আর আমি দুটো এমন সুযোগ পেয়েছি যখন আমি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছি আর সেই দুটিতে আমি শীর্ষ স্কোরার ছিলাম"। সেই রাতের কথা স্মরণ করে গম্ভীর ওই ইন্টারভিউতে বলেন, "যদি আপনি কোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করেন যে আপনি এত ভালো প্রদর্শন করেছেন আর তাও ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হননি তো এটা ভীষণই হৃদয় বিদারক বিষয় হয়। আমাকে এই প্রশ্ন অনেকবার করা হয়েছে যে আপনি যখন ৯৭ রানে খেলছিলেন তো কি ভাবছিলেন। যতক্ষণ আমি ৯৭ রানে পৌঁছাইনি নিজের ব্যাপারে আমি ভাবছিলাম না, কিন্তু ওই স্কোরে আসার পর ধোনি আমাকে বলে দেয় যে আমি সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে আছি, আগে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নাও। তারপর আমার মাথায় সেঞ্চুরির কথা চলতে থাকে"। বিশ্বকাপ ২০১১য় ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের ব্যাপারে বলতে গিয়ে গৌতম গম্ভীর বলেন যে, "তার আগে আমার মাথায় খালি শ্রীলঙ্কাকে হারানোর কথা চলছিল। কিন্তু সেই মুহূর্তের পর আমি সেঞ্চুরির ব্যাপারে প্রশ্ন করি। যদি আমি সেটা না ভাবতাম তো সম্ভবত সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নিতাম। আজ পর্যন্ত আমাকে সেই প্রশ্ন করা হয় যে ওই তিন রান না করতে পারার আফসোস আপনার আছে কি নেই"।
web
ca80b44ebcfaadc29505a31021ce93d6ad7e1508
স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। আর এই স্বাস্থ্য খাত নিয়ে অন্তহীন অভিযোগ। মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (মস্তাননগর হাসপাতালে) চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া অসংক্রামক ব্যাধি (ঘড়হপড়সসঁহরপধনষব ফরংবধংবং) এনসিডিএস-এর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৫০ জনের মধ্যে সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিড ওয়াইফার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, ইপিআই টেকনিশিয়ান ও সিএইচসিপি অংশগ্রহণ করে। কর্মশালায় নির্ধারিত সম্মানি দেয়া হলেও স্টেশনারি ও নাস্তা সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা। স্টেশনারিতে ব্যাগ, পেড, পেনড্রাইভ, মার্কার, পেন্সিল ও অন্যান্য বাবদ জনপ্রতি ১২০০/- টাকা করে উল্লেখ থাকলেও দেয়া হয়েছে নামমাত্র কলম, খাতা ও ক্লিব ফাইল। এছাড়াও নাস্তাও দেয়া হয়েছে নামমাত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী জানায় আমরা ১২শ' টাকার মূল্যে কোনো স্টেশনারি পাইনি। যা পেয়েছি তার বাজার মূল্য বড়জোর ৪৫-৫০ টাকা হতে পারে। তাছাড়া নাস্তাও দেয়া হয়েছে নামমাত্র। কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কীভাবে পাবো? এই সবতো ইপিআই টেকনিশিয়ান করিব হোসেন ভাই বণ্টন করেন। এই বিষয়ে ইপিআই টেকনিশিয়ান ও এনসিডি প্রশিক্ষণ সেক্রেটারি করিব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে যেসব স্টেশনারি আসছে সবগুলো বণ্টন করা হয়েছে, এর বাহিরে কিছু জানতে চাইলে উপজেলা টিএইচও স্যারের সাথে কথা বলেন। এই বিষয়ে জানতে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ও ফোন রিসিভ করেনি। বিষয়টি নিয়ে প্রশিক্ষণের ফ্যাসিলিটেটর ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, প্রশিক্ষণ যেহেতু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই বিষয়ে ওনাদের সাথেই কথা বলেন। উনাকে হাসপাতালে পাওয়া যায় না এবং ফোনে ও পাওয়া যায় না এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখব।
web
39330f338da981eb203aa42a8cf223dc3b4efe73
চলতি বিপিএল-এ শৃঙ্খলা ভঙ্গের বরাত দিয়েই বার বার শিরোনামে আসছেন সাব্বির রহমান। রংপুরের ক্রিকেটার শাহজাদের সঙ্গে বিবাদে জড়োনোর পর এবার নতুন আরেক কেলেঙ্কারিতে জড়ালেন সাব্বির। শুধু সাব্বিরই নন একই পাপে পাপী হয়েছেন আল আমিন হোসেনও! যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দুই ক্রিকেটার কোন ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন সেই বিষয়টি উল্লেখ করেনি। শুধু জানিয়েছে, বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে জাতীয় দলের পেসার আল আমিন হোসেন ও সাব্বির রহমানকে। আল আমিন চলতি আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে খেলছেন। অন্যদিকে সাব্বির খেলছেন রাজশাহী কিংসের হয়ে। আল আমিন হোসেন চলতি আসরে 'এ' ক্যাটাগরির তালিকাতে ছিলেন। সেই হিসেবে তার টাকার পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তার চুক্তির টাকার ওপর ৫০ শতাংশ জরিমানা করেছে। আল আমিনকে তাই সাড়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া রাজশাহীর হয়ে খেলা সাব্বির রহমানকে তার চুক্তির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। এই আসরে সাব্বির 'এ প্লাস' ক্যাটাগরিতে ছিলেন। সেই হিসেবে তার প্রাপ্য টাকার পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা। সাব্বিরকে তাই ১২ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে। বিসিবি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ উল্লেখ না করলেও সন্দেহের উদ্রেক করে জরিমানার অঙ্ক। এমন কী করেছেন এই দুই ক্রিকেটার যে তাদের অত বড় অঙ্কের জরিমানা- প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেট অঙ্গনে। বিসিবির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টি উল্লেখ করলেও সংস্থাটির এক সূত্র নিশ্চিত করেছে শাস্তিটা আসলে নারীঘটিত কেলেঙ্কারির কারণে! সূত্রে পাওয়া খবরের সঙ্গে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো যেতেই পারে যখন বিসিবির বিজ্ঞপ্তির শেষের অংশে লেখা 'জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে তাদেরকে দায়বদ্ধতার বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে' ও 'এ ধরনের কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি আরও কঠোর শাস্তির মুখে ফেলবে' কথাগুলো উল্লেখ করে।
web
64971be63b0dce7e430be7542bfbbc2854e69ef5
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে গঠিত ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে করা ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায়ে গতকাল ঘোষণা করেছে, বিতর্কিত ভূমিতে মন্দির করবে একটি ট্রাস্ট, আর মসজিদ বানানোর জন্য সরকার দেবে বিকল্প একটি জায়গা। সকাল ১০টায় রায় পড়তে শুরু করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা শেষ হয়। রায়ে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি এবং নির্মোহী আখড়ার বিতর্কিত জমির ওপর দাবি দুটোই খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে বিতর্কিত জমির ওপর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্তৃত্বও খর্ব হলো, যারা মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্যে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। জমিটি এখন ট্রাস্টের অধীনে চলে যাবে এবং ট্রাস্টি বোর্ড মন্দির নির্মাণসহ সেটির দেখভালের দায়িত্বে থাকবে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, 'আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) তথ্যনুযায়ী ফাঁকা জায়গায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ হয়নি। তবে মাটির নিচে থাকা স্থাপনাটি মসজিদ ছিল নাকি মন্দির, তা এএসআই সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। তিনি বলেন, হিন্দু বিশ্বাস করেন এখানে রামের জন্মভূমি ছিল। তবে কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার হরণ না করে। যেহেতু বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে জমির মালিকানা ঠিক করা সম্ভব নয়, তাই আইনের ভিত্তিতেই জমির মালিকানা ঠিক করা উচিত। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার ওই জমির মালিকানা পাবে। কেন্দ্রকে তিন মাসের মধ্যে বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠন করে তাদের হাতে বিতর্কিত জমি তুলে দিতে হবে। ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই বিতর্কিত ২. ৭৭ একর জমিতে মন্দির নির্মাণ হবে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ওই জমিতে অধিকার দাবি করতে পারবে না। তবে তারা মসজিদ নির্মাণের জন্য বিকল্প জমি পাবে। অযোধ্যার মধ্যস্থলে কোথাও তাদের ৫ একর জমি দেওয়া হবে মসিজদ নির্মাণ করার জন্য। " অযোধ্যা মামলার রায় ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে শনিবার সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ ছাড়া আগামীকাল পর্যন্ত রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবেশী কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেও একই নির্দেশ জারি হয়েছে। অযোধ্যার রায়ের পর আবারও ১৯৯২ সালের মতো দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য সব রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়ের নেতারা নিজ নিজ দলের কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদটি উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ১৯৯২ সালে গুঁড়িয়ে দেয়। মসজিদটি ভাঙা নিয়ে ওই বছর হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় ভারতজুড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বাবরি মসজিদ ও রাম জন্মভূমি নিয়ে বিরোধীয় মামলা চলছিল। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে বিতর্কিত জমিতে রামের মূর্তি স্থাপনের পরে ফৈজাবাদ আদালতে বাবরি মসজিদের পক্ষে প্রথম মামলা দায়ের করেন হাসিম আনসারি। ২০১৬ সালে তিনি মারা গেলে তার ছেলে ইকবাল আনসারি মামলার বাদী হন। এই রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদের বিষয়টি ১৯৮০'র দশকে ভারতে অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছিল। স্পর্শকাতর এ মামলাটি নিয়ে নানা টানাপড়েনের পর চলতি বছরের শুরুতে মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি কমিটি গঠন করে দেয়। ওই কমিটি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে নানাভাবে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত ৬ আগস্ট থেকে কোনো বিরতি ছাড়া মামলার টানা শুনানি হয়। গত ১৬ অক্টোবর চূড়ান্ত শুনানি হলেও রায় প্রদান অপেক্ষমাণ রাখে শীর্ষ আদালত। অবশেষে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আকস্মিক এক ঘোষণায় জানায়, ৯ নভেম্বর রায় দেওয়া হবে। পত্র-পত্রিকার খবর : রায়ের তারিখ ঘোষণার আগে প্রধান বিচারপতি গগৈ নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ বাহিনীর ডিজির সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আগামী ১৭ নভেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রঞ্জন গগৈ। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, অবসর নেওয়ার আগেই তিনি অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দিয়ে যেতে চান। সেই অনুযায়ী তার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা হয়। ওয়াকফ বোর্ডের অসন্তোষ : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমিতে মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেওয়ায় উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বোর্ডের আইনজীবী জাফরিয়াব জিলানি সাংবাদিকদের বলেন, এটা অবিচার হয়েছে. . . আমরা এই রায় মেনে নেব না। তবে আমরা রায়ের পুরো অংশের সমালোচনা করছি না। তিনি বলেন, 'আমরা এই রায়কে সম্মান করি এবং জনগণের কাছে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করছি। কোনো পক্ষের তরফ থেকেই এই রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামা উচিত হবে না। এখানে কারও জয় বা পরাজয়ের কিছু নেই। আমি শুধু এটা বলতে পারি, এই রায় সন্তোষজনক নয় এবং আমরা এমনটা আশা করিনি। ' রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ওয়াকফ বোর্ড বৈঠক ডেকেছে।
web
0f96070e801c5815a6eaeff71b27d875683aa292
বগুড়াঃ বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে শাজাহানপুর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলার এজাহারে কলেজছাত্রী অভিযোগ করেন, ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক হয় আ'লীগ নেতা মোরশেদুল বারীর। ধীরে ধীরে প্রেমের ফাঁদে আটকে ফেলেন তাকে। একপর্যায়ে কলেজ ছাত্রীর সাথে আ'লীগ নেতার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বগুড়া পর্যটন মোটেলে নিয়মিত সময় কাটান দুজনে। রাজশাহী, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ওই কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে ফুর্তি করেন তিনি। একসময় দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ওই কলেজছাত্রী বিষয়টি মৌখিকভাবে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করে। অবশেষে বৃহস্পতিবার শাজাহানপুর থানায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
web
3960576585d59a7492bb5f63bbbf04bb05dad4fd
সিটি নিউজ ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এক মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনা করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ (২৫ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে মামলাটি চলমান থাকতে আর কোনো বাধা নেই। এর আগে, গত ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মওদুদ আহমদের লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বছরের ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।
web
5a04b4556f72d82268c6dd1b74dba165273384d1
নিজস্ব প্রতিবেদক, কলাপাড়া >> পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ফুটবল খেলতে গিয়ে মো.ইলিয়াস পাহলান (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া গ্রামে মাঠে গোল পোষ্টে ফুটবল স্যুট করার সময় এ ঘটনা ঘটে। তাকে অন্য খেলোয়াররা উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ইলিয়াস ওই ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মো.ফোরকান পাহলানের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে গেছে, প্রতিদিন বিকেলে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া গ্রামের মাঠে দু'দল যুবক ফুটবল খেলে আসছে। ঘটনার সময় ইলিয়াস প্রতিপক্ষের গোল পোষ্টের সামনে গিয়ে বলটি স্যুট করতে গেলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এসময় ঘুরে ফেরার পথে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাথে সাথে অন্যান্য খেলেয়ারা তাকে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে শোনার পর হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়ে ছিলাম।
web
5b0e799186d96d400bf425c3a3135dc860382f10
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালঃ: বরিশালের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর দিঘির প্রবেশ গেট নির্মাণের সময় ধসে পড়েছে। এতে দুই নির্মাণশ্রমিক আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের দুর্গাসাগরে এই ঘটনা ঘটে। আহত আনিসুর রহমান বলেন, গেট নির্মাণের কাজ চলছিলো। আমি মাঝখানে ছিলাম। হঠাৎ করে ভেঙে পড়েছে। আমিসহ আরও একজন আহত হয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দা ফজলে মাসুম বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছিলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান বিল্ডার্স। প্রবেশ পথের গেট ঢালাই দেওয়ার সময় ভেঙে পড়ে। তিনজন আহত হতে দেখেছি। গণপূর্ত প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, গেটটা অনেক উচুতে। উল্টা-পাল্টা ঢালাই দেওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ২২ ফুট উঁচু গেটটি নির্মাণে ত্রুটি রয়েছে কী না সেটি আমরা দেখছি। ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। দুইজন আহত হয়েছে, তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস দাস বলেন, ১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে দুর্গাসাগর উন্নয়নে। প্রবেশ পথের গেট তারই একটি অংশ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান বিল্ডার্স এই কাজটি করে। এখানে কারও গাফলতি রয়েছে কী না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
web
3ccca4bd80c0c04a3dc70626674cc3a69f266c75
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম. মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় জয়েন্ট স্টক কোম্পানির ৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম. মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় জয়েন্ট স্টক কোম্পানির ৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ২ টা পর্যন্ত দুদকের উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওই ৩ কর্মকর্তা হলেন-জয়েন্ট স্টকের সহ-নিবন্ধক রঞ্জিত কুমার রায়, এক্সামিনার অব একাউন্টস সিরাজউদ্দিন এবং উচ্চমান সহকারী আবুল কালাম আজাদ। জানা যায়-সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন মোরশেদ, পুত্র ফয়সাল মোরশেদ খান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের হংকং শাখায় ১১টি অ্যাকাউন্ট খোলেন। এর মধ্যে তাদের মালিকানাধীন ফার-ইস্ট টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড'র নামে খোলেন ৭টি অ্যাকাউন্ট। দুটি অ্যাকাউন্ট মোরশেদ খান নিজের এবং দুটি একাউন্ট পুত্র ফয়সালের নামে খোলেন। বিধি অনুযায়ী, বিদেশে কোনো অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু মোরশেদ খান পরিবারের সদস্যরা এ অনুমোদন নেননি। যা অর্থ পাচার আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। এদিকে মামলা তদন্তের শেষ পর্যায়ে ৩ জয়েন্ট স্টক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
web
f5f41370f049b307d3453f2cfbe947e258693523
নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে বরণ ও শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত বঙ্গভবন। সোমবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথের পর নতুন রাষ্ট্রপতি শপথ নথিতে সই করবেন। এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কয়েকশ বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এজন্য বঙ্গভবন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, শপথগ্রহণের পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করবেন। নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজ বাসভবন 'রাষ্ট্রপতি লজে' যাবেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে আবদুল হামিদ বঙ্গভবন ত্যাগ করবেন। এরইমধ্যে বঙ্গভবন থেকে বিদায়ী রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাবেন। এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় নতুন রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভবনে উঠবেন। তবে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে পরদিন মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নতুন রাষ্ট্রপতিকে 'গার্ড অব অনার' দেওয়া হবে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ৭৩ বছর বয়সী মোঃ সাহাবুদ্দিন। তিনি ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসা। মোঃ সাহাবুদ্দিন ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন এ রাজনীতিবিদ। নতুন রাষ্ট্রপতি ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পাবনায় আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন। মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তার অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। সাহাবুদ্দিন পরপর দুইবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন। সাবেক এ ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
web
62e49f264898a2f5672cb430ccb786cbce066a7a
Daily Horoscope for all Sun Signs- Aries, Taurus, Gemini, Cancer, Leo, Virgo, Libra, Scorpio, Sagittarius, Capricorn, Aquarius, Pisces Rashifal - কেমন কাটবে আজকের দিন? মেষ/ARIES রাশিফল Rashifal (March 21-April 20) জলপথে বিপদ।কারও জিনিসের দায়িত্ব আজ নেবেন না। সম্পত্তি কেনাবেচার শুভ সময়। যানবাহন চড়ার সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন। আজ অর্থ উপার্জনের ভাগ্য ভাল ও আর্থিক উন্নতি থাকবে। বৃষ / TAURUS রাশিফল Rashifal (April 21 - May 20) লোকে আপনায় নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করলে পাত্তাই দেবেন না। হালকা ভাবে নিন। কাজের জন্য ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা পণ্ড হতেও পারে। শরীরে ব্যথা বাড়তে পারে। প্রেমের জন্য বিরহ আসতে পারে। মিথুন GEMINI রাশিফল Rashifal (May 21-June 21) আপনার মাটির মানুষ ইমেজ ধরে রাখুন। লোকে আপনায় নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করলে পাত্তাই দেবেন না। হালকা ভাবে নিন। কাজের জন্য ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা পণ্ড হতেও পারে। শরীরে ব্যথা বাড়তে পারে। কর্কট CANCER রাশিফল Rashifal (June 22-July 22) বাড়তি কোনও খরচের জন্য ধার নিতে হতে পারে। পরিবারের কারোর সঙ্গেই ব্যক্তিত্বের সংঘাত হতে পারে। তবে ইগোকে খুব বেশি বাড়তে দেবেন না। তাতে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত, দুই জীবনেই ঝামেলা বাড়তে পারে। সিংহ LEO রাশিফল Rashifal (July 23-Aug 23) দু'দিক মেলাতেই পারছেন না। কিন্তু এখনও আপনার কাছের মানুষের কাছে একইরকম প্রিয় আছেন আপনি। সঞ্চয়ের পরিমাণ কম হলেও আয়-ব্যয়ের সমতা বজায় থাকবে বলে মনে হয়। আয়ের পরিমাণ কম হলেও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়তে হবে না। কন্যা VIRGO রাশিফল Rashifal (Aug 24-Sep 23) জীবিকার ব্যাপারে খুব একটা চিন্তা থাকবে না। ব্যবসার দিকে নতুন যোগাযোগ হতে পারে। চাকরির দিকে উন্নতির যোগ আসতে পারে। তবে ব্যবসার জন্য দূরে যেতে হতে পারে। তুলা LIBRA রাশিফল Rashifal (Sep 24-Oct 23) অন্যায় বহুদিন ধরে সহ্য করে চলেছেন, এবার প্রতিবাদ করার সময় এসেছে। অভিযোগ জানানোর মতো পরিস্থিতি এলে তা জানান। । শরীরে কোনও কষ্ট বাড়তে পারে। আজ বন্ধুর থেকে সাহায্য পেতে পারেন। পায়ের কোনও সমস্যা বাড়তে পারে। বৃশ্চিক SCORPIO রাশিফল Rashifal (Oct 24-Nov 22) দু'দিক মেলাতেই পারছেন না। কিন্তু এখনও আপনার কাছের মানুষের কাছে একইরকম প্রিয় আছেন আপনি। সঞ্চয়ের পরিমাণ কম হলেও আয়-ব্যয়ের সমতা বজায় থাকবে বলে মনে হয়। ধনু SAGITTARIUS রাশিফল Rashifal (Nov 23-Dec 21) কেউ আপনার থেকে আর্থিক সুবিধে নিতে পারবে না। এই বছর জীবিকার ব্যাপারে খুব একটা চিন্তা থাকবে না। ব্যবসার দিকে নতুন যোগাযোগ হতে পারে। চাকরির দিকে উন্নতির যোগ আসতে পারে। তবে ব্যবসার জন্য দূরে যেতে হতে পারে। মকর CAPRICORN রাশিফল Rashifal (Dec 22-Jan 21) সব কাজেই সাফল্য আসবে। তবে একা সিদ্ধান্ত না নিয়ে সঙ্গীর কাছ থেকে একটু পরামর্শ নিন। আপনার মনের মানুষ খুশি হবে। সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও অশান্তি থেকে সাবধান। কুম্ভ AQUARIUS রাশিফল Rashifal (Jan 22-Feb 19) সার্বিক বিচারে সময়টা ভালমন্দে মিশিয়ে কাটলেও আর্থিক ব্যাপারে অতিশয় শুভ সন্দেহ নেই। নতুন বছরে মোটা উপার্জন হবে। দীর্ঘকাল ধরে যে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আপনি, আচমকা একটা সমাধান পেতে পারেন আজ। মীন PISCES রাশিফল Rashifal (Feb 20-Mar 20) পরিবারের সদস্য হোক বা পরিচিত বন্ধু বান্ধব, আপনার সব সামাজিক যোগাযোগের জায়গাগুলো এক্সপ্লোর করুন আজ থেকেই। মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। ভাগ্য আপনার ওপর রীতিমতো প্রসন্ন। আনন্দে থাকবেন আপনি।
web
4d6e281a8468b970f0f5b7a10a83f559
অন্যকে সুখি করতে, অন্যের সামনে সুখি হিসেবে নিজেকে সবসময় তুলে ধরে রাখতে কত মানুষের জীবনের বড় অংশ চলে যায়। জীবনের যোগ বিয়োগ শেষে দেখা যায় আর সবাইকে সুখি করতে পারলেও যাকে সুখি করা হয়নি সেটা হলো নিজেকে! পাবলিক লাইফের প্যাড়া এমনই! এজন্যই আমরা কত রাজা-বাদশা, ধনরাজ, জ্ঞানী-মুনী-ঋষীকে দেখি অর্থ, সম্পদ, প্রাসাদ ছেড়ে জীবনের অর্থ খুঁজতে বের হয়ে পড়েন। তাদের মধ্য থেকেই বের হয়ে আসে গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর, সক্রেটিস, রাহুল সাংকৃত্যায়ন, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেকার্ত বা লুডবিগ ভিৎগেনস্টেইন প্রমুখ মহামানব। বেশিরভাগ মানুষের দিন কাটে অতীতের অনুশোচনা আর ভবিষ্যতের দুর্ভাবনা নিয়ে। কয়জন পারে আজকের দিনটাকেই শেষদিন মনে করে পূর্ণ করে বাঁচতে? আর অনেকের দিন কাটে ভবিষ্যতের ভালো সময়ের অপেক্ষা করে। সেনেকার প্রশ্ন ভবিষ্যতের কাছে দাবি-দাওয়া বা ভবিষ্যতের ভয় ছাড়া বর্তমানে বাঁচতে পারে কয়জন?
web
c0d5fce3e6bb5482a9cfddf55a53b495e72c6936
শুরুতে একটা প্রশ্ন। শেষ কবে ফেসবুক থেকে লগ আউট করেছিলেন? দিনের বেশির ভাগ সময় ফেসবুকে 'অনলাইন' থাকার দলও বেশ ভারী। সেই সূত্রে এই প্রশ্ন নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে বেশ হাসাহাসিও (মিম) হয়েছে। কিন্তু এই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বাদে আর কী হচ্ছে? এ দেশের তরুণেরা বলছেন, হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। একে অন্যের সঙ্গে সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সতেজ থাকছে, ফিকে হচ্ছে না। খবরও মিলছে হরেক রকমের। আবার তরুণেরা এও বলছেন যে এসব খবরের সিংহভাগই 'রং লাগানো'। রংবেরঙের 'মিথ্যা' খবর বাতাসের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়েও দিচ্ছে ফেসবুক। আর ভার্চ্যুয়াল সমাজের এত কিছুতে বুঁদ হয়ে তরুণেরা পড়াশোনায় খেই হারাচ্ছেন। প্রথম আলোর তারুণ্য জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে অংশ নেওয়া তরুণেরা কিছু বিষয়ে বয়স-লিঙ্গ-শিক্ষানির্বিশেষে একমত হয়েছেন। তাঁরা বলছেন, নানাবিধ খবর পাওয়া, খবরের আদান-প্রদান, একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং অনেক দিন আগে হারিয়ে ফেলা বন্ধুদের খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জুড়ি নেই। এমনকি এই মাধ্যম ব্যবহার করে যেকোনো সামাজিক অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজোটও হওয়া যায়। তরুণদের মতে, এগুলোই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইতিবাচক দিক। এমন ইতিবাচক ভূমিকার কথা বলেছেন জরিপে অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশের বেশি তরুণ। এর মধ্যে বন্ধুদের খুঁজে পাওয়ার পাল্লা সবচেয়ে ভারী। প্রায় ৯০ শতাংশ তরুণ ফেসবুক-ইউটিউব-ইমো থেকে নানা সংবাদ পান বলেও জানিয়েছেন। আর সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে একজোট হতে এসব মাধ্যমের ভূমিকায় প্রায় ৭৫ শতাংশ তরুণ আস্থাশীল। এর মধ্যে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীরা বেশি উৎসাহী। অবশ্য ইতির উল্টো পিঠেই থাকে নেতি। জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশের বেশি তরুণ মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাঁদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। শহুরে তরুণদের মধ্যে এই ভাবনা বেশি। প্রায় ৭৫ শতাংশ তরুণ মনে করছেন, ফেসবুক-ইউটিউবের দৌরাত্ম্যে শিশুরা খেলাধুলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মুখ গুঁজে থাকছে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। আবার বড়রা ভার্চ্যুয়াল সামাজিক জীবন ঠিক রাখতে গিয়ে, বাস্তবের সামাজিক অনুষ্ঠানে অসামাজিক তকমা পাচ্ছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও মোবাইল ফোনে মুখ গুঁজে থাকছে মানুষ। এই পরিস্থিতির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দুষছে ৬৮ দশমিক ১ শতাংশ তরুণ। আর প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের বেশি তরুণ বলেছেন, ফেসবুক-ইউটিউব-হোয়াটসঅ্যাপের বাড়-বাড়ন্তে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ ক্ষীণ হয়ে পড়ছে, সবাই হয়ে পড়ছে অন্তর্মুখী। শহরে এই প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। ৭০ শতাংশের বেশি তরুণের বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে এবং 'ফেক নিউজ' ছড়ায়। দুই বছর আগেও এমন জরিপের আয়োজন করেছিল প্রথম আলো। ২০১৭ সালের সেই জরিপের তুলনায় এবার বেশ কিছু লক্ষণীয় পরিবর্তন এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেক নিউজ ছড়ায় - এ বিষয়ে তরুণদের ঐকমত্য বেড়েছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। আবার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার মঞ্চ হিসেবে ফেসবুক-টুইটারের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। শিশুরা যে খেলার মাঠ ছেড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝুঁকছে, সেই বিষয়ে একমত হওয়ার হার বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। তরুণদের অভিমত, হতাশায় ডুবে যাওয়া ও মাদকাসক্তির পেছনেও ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যোগসূত্র আছে। এমনকি প্রতারণা, ধর্ষণ, সাইবার অপরাধের প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবেও ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করা হচ্ছে। জরিপে উঠে এসেছে, সদ্য তরুণেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবশ্য জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের একটি অংশ মনে করছেন, তাঁরা ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভালো সময়ও কাটাচ্ছেন। এটা পড়াশোনা থেকে শুরু করে চাকরির খোঁজখবর পেতেও সহায়তা করছে। ক্রমেই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ার অভিযোগ এই তরুণেরা মানছেন না। তাঁদের দাবি, শিক্ষা ও চাকরির প্রয়োজনে তরুণদের বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। কর্মজীবী মা-বাবারা সন্তানদের প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছেন না। এসব শূন্যস্থান পূরণ করছে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আর এসব থেকেই তৈরি হচ্ছে তরুণদের আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ার 'ভুল' দৃষ্টিভঙ্গি। গুণগত জরিপে অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ার প্রবণতা তরুণদের পাশাপাশি সব বয়সী মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। খেলাধুলার সুযোগ কম থাকা এবং শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটির কারণে তরুণেরা ফেসবুক-ইউটিউবে বেশি ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফাঁদ থেকে বের হওয়ার সমাধানও তরুণদের হাতে। ভালো-মন্দের ফারাক তরুণদের বুঝতে হবে। এ ক্ষেত্রে মা-বাবাকে বেশি উদ্যোগী হতে হবে। পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে। এর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি থেকে মা-বাবাকে আগে বের হয়ে আসতে হবে। সন্তানদের সময় দেওয়ার পাশাপাশি তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।
web
a855cc7a28a65d1bf37a99450f7bd95b98203212
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় পরকীয়ার জের ধরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে জহুর আলী (৫৫) নামে এক পাথর শ্রমিক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই ) ভোরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের বাংলাবান্ধা প্রাইমারী স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহত পাথর শ্রমিক জহুর আলী জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর এলাকার মৃত দিদার আলীর ছেলে । তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাবান্ধা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে পাথরের কাজ করতেন । পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ করে পরকীয়ার জের ধরে তার বন্ধু ইদ্রিস আলী ও জহুর আলী মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইদ্রিস আলী একটি ধারালো ছুরি বের করে তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তার বন্ধু পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফারড করলে পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে । তবে ঘটনার পর অভিযুক্তসহ তার পরিবার পলাতক রয়েছে।
web
08aad1c591198d596a5cc9b77c97e5f8
ইতালির জনসাধারণ যতবেশি চলতি ডামাডোলে নিজেদের যুক্ত হবে, একইসাথে অতীতের সমস্ত সামাজিক শক্তি এবং তাদের জোট নিজের ভারসাম্যের বারংবার বদল ঘটাবে এবং সেই অনুসারে আজকের পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সামাজিক শক্তিগুলি বিকশিত হতে থাকবে - বিশ্ব বিপ্লব এবং কমিউনিজমের লক্ষ্যে ততবেশি সেনাবাহিনীর সমাবেশ ঘটবে। ইতালিতে নতুন গড়ে ওঠা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য আগামী পরিস্থিতি যত দ্রুত ঝাপসা হয়ে উঠবে, যত বেশি পার্টির প্রয়োজনীয় সম্পদের ভান্ডারে টান পড়বে ততই কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরে বিপ্লবী শ্রমিকশ্রেণীর সমাবেশ বিস্তৃতি পাবে, শক্তিশালী হবে। Snippets Of Poll Day: A Note (Part-2) অশান্তি, ভয় দেখানো এবং প্রতিশ্রুতি মতো নির্বাচন কমিশনের সক্রিয়তা সর্বক্ষেত্রে দেখা না গেলেও সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরা সারাদিন যেভাবে মানুষের পাশে থেকে তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করে গেছেন তার জন্য সংযুক্ত মোর্চার কর্মীদের পার্টির তরফে অভিনন্দন। Election Campaign: On Air (Part 3) পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন চলছে।আজ ১লা এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহন হয়েছে। আগামী ২রা এবং ৩রা এপ্রিল ২০২১ আকাশবাণীতে সিপিআই(এম)-এর নির্বাচনী ভাষণ সম্প্রচারিত হবে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই যে অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ভাবনা আমরা রাজ্যের মানুষকে বলার চেষ্টা করেছি তা হল কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়েছি। প্রথম দফার নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শাসকদলই নিজেদের সাধ্যমতো মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে, তবু যেভাবে মানুষ ভয়কে অতিক্রম করেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন, নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তা অন্যান্য দফার নির্বাচনে দৃষ্টান্ত হবে। এটাই আজকের ভোটদানের সারমর্ম। আগামী পর্বের নির্বাচনে এই ঘটনা মানুষকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সাহস যোগাবে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সেই প্রত্যয়ে দৃঢ়।
web
9a0b30add75c806f89df6ef387f25c5ed7ef1b34
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দেবে রাজ্য সরকার। ১ জুন এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হবে বিশ্ববাংলা মেলা (মিলন মেলা) প্রাঙ্গণে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার কারণে দু'বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর থেকে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের ফের সংবর্ধনা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক ছাড়া সংবর্ধনা দেওয়া হবে, মাদ্রাসা, আইসিএসই, সিবিএসই, জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার কৃতীদের। এর আগে অনুষ্ঠানটি ৬ জুন করার কথা ছিল। পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ১ জুন অনুষ্ঠানটি করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। গত ৯ মে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তার পর বুধবার অর্থাৎ ২৪ মে প্রকাশিত হয় উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার ফল। ৩১ মে থেকে স্কুলে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবে। তার পর থেকে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তাই কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সেরে নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। সে কারণে ১ জুন অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়েছে। (পড়তে পারেনঃ ৭,৫০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ, ভোল পালটে দেবে ৬ শিল্প করিডর, 'এগিয়ে' যাবে বাংলা) এর আগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত কলকাতার টাউন হলে এবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৯. ২৫ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ০. ৮১ শতাংশ বেড়েছে। তুলনামূলক ভাবে দেখা যাচ্ছে মাধ্যমিক, আইসিএসই, সিবিএসই-র উল্টো পথে হেঁটে পাশের হার বেড়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে। করোনার কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। ফলে এ বছর যারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন তারা কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেননি।
web
0be80fb9f0913644f32cd22ba6ec9f872a49dc6b
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইমামকে তার অনুসরণের জন্যই নিয়োগ করা হয়। অতএব ইমাম যখন রুকু করে তখন তোমরাও (ইমামের সঙ্গে) রুকু কর। (ইমাম) যখন 'سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' বলে, তখন তোমরা 'رَبَّنَا وَ لَكَ الْحَمْد রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ' বল। যখন ইমাম দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর। যখন ইমাম (তাশাহহুদ বা বৈঠকে) বসে নামাজ আদায় করে তখন তোমরাও সবাই বসে (বৈঠক) নামাজ আদায় কর।' (বুখারি ও মুসলিম) জামাতে নামাজের জন্য ইমামের অনুসরণ আবশ্যক। ইমামকে অনুসরণ করেই মুক্তাদির নামাজ আদায় করতে হয়। হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজের সব কাজ ইমামের অনুসরণ ও অনুকরণে করা মুক্তাদির জন্য আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জামাতে নামাজ পড়ার সময় যথাযথভাবে ইমামকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
web
dc194718ecd7c69ef1ce3ca0e75c665ebebc2665
প্যারাসিটামল সিরাপে প্রাণঘাতী বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি থাকার অভিযোগে ২২ বছর আগে দায়ের করা দুটি মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার আদালত বিসিআই (বাংলাদেশ) লিমিটেডের অভিযুক্ত ছয় কর্মকর্তাকে জেল জরিমানা করেছেন। আজ ঢাকার ড্রাগ আদালতের বিচারক মো. আতোয়ার রহমান মামলা দুটির রায় ঘোষণা করেন। উভয় মামলার রায়েই মামলার প্রত্যেক আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে আর্থিক দণ্ড করা হয়েছে। আর আর্থিক দণ্ড প্রদানে ব্যর্থ হলে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। ১৯৯২ সালের ১৮ নভেম্বর ওষুধ প্রশাসনের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের চৌধুরী বাদী হয়ে ১৯৮২ সালের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ আইনে বিসিআইয়ের ওই ছয় কর্মকর্তাকে আসামি করে দুটি মামলা করেন। মামলায় ওই কোম্পানির বাজারজাত করা প্যারাসিটামল সিরাপে প্রাণঘাতী বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি রয়েছে মর্মে অভিযোগ করা হয়। বিসিআইয়ের প্যারাসিটামল সিরাপ দুটি ব্যাচ নম্বরে থাকায় একই আইনে একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন তত্ত্বাবধায়ক। ওই দুই মামলায় দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বিসিআই এর পরিচালক মো. শাহজাহান সরকার, উৎপাদন ব্যবস্থাপক এমতাজুল হক, মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপক আয়েশা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক এ এস এম বদরুজ্জোদা চৌধুরী, পরিচালক সামসুল হক ও পরিচালক নুরুন্নাহার। রায় ঘোষণার সময় শাহজাহান সরকার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী ও বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মো. নাদিম মিয়া বলেন, ১৯৯২ সালে মামলাটি করা হলেও আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতে নির্দেশে মামলার কার্যক্রম প্রায় দুই দশক ধরে স্থগিত ছিল। ২০১১ সালে উচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশ প্রত্যাহারের পর মামলার বিচারিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। নাদিম মিয়া আরও বলেন, আদালতে ড্রাগ পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। 'প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে, যা খেলে শিশুদের মৃত্যু হতে পারে।' এ ছাড়াও তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
web
56be4ab108190f90eef76ca95dc8398709bfee47
বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের জোড়া হাফ সেঞ্চুরীতে বড় সংগ্রহের দিকে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের জোড়া হাফ সেঞ্চুরীতে বড় সংগ্রহের দিকে বাংলাদেশ। তামিম-ইমরুলে বড় পার্টানারশিপে দারুন শুরু হয়েছে জিম্বাবুয়ের সাথে তিন ম্যাচ সিরিজের ৩য় ম্যাচে বাংলাদেশের। বুধবার দুপুর ১টায় মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মুরতজা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৮ ওভার শেষে ১৪০ রান। ইমরুল কায়েস ৯২ বলে ৭২ রান এবং তামিম ইকবাল ৭৭ বলে ৬২ রান করেছেন। ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হয়ের পর বাংলাদেশ দল এখন বাংলাওয়াশ করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছে। আর অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে শিবিরে ভিন্নচিত্র। জিম্বাবুয়ের সামনে বাংলাওয়াশ ঠেকানোর চাপ নিয়ে মাঠে নামা। ঘরের মাঠে আইসিসির সহযোগী দেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারের স্বাদ নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে দলটি। এখানেও প্রথম ম্যাচে হার। সাকিবের অনুপস্থিতে বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তবে দলে ডাক পেলেও সৌম্য সরকারের ইনজুরিতে স্কোয়াডে আসা ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় ম্যাচে বিশেষ ভূমিকা রাখার কারণে আজও তামিম ইকবালের সহযোগী হয়ে ভালোই করছে।
web
25f8685d2f1826d165d9af779fb67cce
ট্রেনেই দেখা রবিঠাকুরের নায়িকাদের মতো সাদাসিধে নয়। ফ্যাকাসে মুখের সঙ্গে কিছু মিলেনি, শুধু হ্যান্ডব্যাগের নামফলক ছাড়া। শ্রীমতি সুলেখা দত্ত যে কলেজ থিয়েটারে চিত্রাঙ্গদা সেজেছিল আমি তাকে চিনতেই পারিনি। ট্রেনের কামরায় স্টুপিডের মতো হাসছিল অকারণ বালখিল্য চপল স্বভাব - তারপর তাকে লাবণ্যের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রেন থেকে নেমে যাই।
web
3c09d8ee0a554eaf1f92dbb71b521aa6ac9b7545f230df73908cfc6069ec7ca6
প্রথম খণ্ড যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা, ২/৫২, যথা, "যে ধনাধিকারী তাহাকে ঋণ পিরিশোধ করিতে হইবে। তদাভাবে ভাৰ্য্যাগ্রাহী (অর্থাৎ স্বামীর অবর্তমানে তাহার স্ত্রীকে যে বিবাহ করিবে)।" এরূপ স্থলে বিধবা-বিবাহ আসিতেছে। পরাশর-সংহিতা, ৪।২৬, "স্বামী যদি নিরুদ্দেশ হয়, মরিয়া যায়, প্রব্রজ্যা অবলম্বন করে, ক্লীব বলিয়া স্থির হয় বা পতিত হয়, তাহা হইলে নারী পত্যন্তর গ্রহণ করিবে।" বঙ্গবাসীপ্রেশে প্রকাশিত ঊনবিংশতি সংহিতা । বসিষ্ঠ-সংহিতা, ১৭/৭৪, লিখিত, যথা, "ষগুপি কোন যুবতী স্বামীর মৃত্যুকালীন কেবল মাত্র মন্ত্রপূত বিবাহ হইয়া থাকে এবং সহবাস দ্বারা দাম্পত্যসম্বন্ধের দৃঢ়ীকরণ হয় নাই, তাহার আবার বিবাহ হইতে পারে।" ঐ, ১৭। ৭৩, যথা, "য্যপি, অনূঢ়া কন্ঠাকে বলপূর্ব্বক লইয়াগিয়া থাকে, এবং বিনা মন্ত্রে পরিণীত হইয়া থাকে, অন্য পুরুষের সহিত বিধিসঙ্গত বিবাহ হইতে পারে। সে কুমারীর ন্যায়।" এখানে মন্ত্রের প্রাধান্ত, অক্ষতা উপেক্ষিত। অবৈধ উপায়ে সহবাস দ্বারা দাম্পত্য সম্বন্ধের দৃঢ়ীকরণ এ স্থলে অস্বীকার করা হইয়াছে। ঐ, ২০১৮, যথা, "অতঃপর, যাহার অনুজ প্রথমে বিবাহ করিয়াছে, ( তজ্জন্য ) পাপ ক্ষয়ার্থ একটি ক্বহু প্রায়শ্চিত্ত আরও একটি অতি ক্বচ্ছ প্রায়শ্চিত্ত সম্পাদন করিবে (তাহার স্ত্রীকে ) সেই অগ্রদকে অর্পণ করিবে, পুনর্ব্বার বিবাহ করিবে, এবং যে নারীকে প্রথমে বিবাহ করিয়াছিল, তাহাকে আবার লইবে।" সেক্রেড, বুকস্ অভ দি ইষ্ট, ভল, ১৪, পৃঃ, ১২, ১০৩। মহাভারত, শাস্তি পর্ব্ব, ৩৫ অঃ, পৃঃ ১৪৭৫, লিখিত, "পরিবেত্ত। ( যে ব্যক্তি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে রাখিয়া অগ্রে বিবাহ করে ) পরিবিত্তি ( যাহার কনিষ্ঠের অগ্রে বিবাহ হইয়াছে তাদৃশ জ্যেষ্ঠের নাম ) ইহারা উভয়েই সংযতেপ্রিয় হইয়া দ্বাদশ দিবস নিয়মে অবস্থান পূর্ব্বক ক্বচ্ছ, অর্থাৎ প্রাজাপত্য ব্রতাহুষ্ঠান করিলেই শুদ্ধ হইবে; এবং পরিবেত্তা অর্থাৎ কনিষ্ঠাকে জ্যেষ্ঠের প্রায়শ্চিত্তের পর পুনশ্চ দার পরিগ্রহ করিতে হইবে, অন্যথা গুছিলাভ হইবে না, সুতরাং সে শ্রাদ্ধাদি দ্বারা পিতৃলোকের উত্তারণে সমর্থ হইবে ইহা একটি প্রাচীন বিবাহের বিধি, এক্ষণে প্রচলিত নাই। যে শাস্ত্র
pdf
131f271c463922e48e46212edf7f9fb51f56290d
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে। রেড ডেভিলদের প্রাক প্রস্তুতিতে না যাওয়ায় তা আরও স্পষ্ট। তবে রোনালদোকে নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কোনো ক্লাব! সেই তালিকায় আছে পিএসজিও। ইএসপিএন তাদের এক রিপোর্টে জানিয়েছে, রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেজ রোনালদোর ব্যাপারে সরাসরি পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফি ও স্পোর্টস ডিরেক্টর লুইস কাম্পোসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কেউই রোনালদোকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখাননি। ফ্রান্সের নির্ভরযোগ্য ফুটবলবিষয়ক সাংবাদিক লরেন্স ইউলিয়েনের মতে, রোনালদোর এজেন্ট পিএসজির কাছে ধারণা দিয়েছিলেন, যেন তারা রোনালদোকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে কিনে নেয়। কিন্তু পিএসজিই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। একই খবর দিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যম লে' কিপও। কয়েকদিন আগে ভেনেজুয়েলার সংবাদমাধ্যম এল নাসিওনাল জানিয়েছিল, রোনালদোকে নিয়ে পিএসজির আগ্রহে মেসি এরই মধ্যে ক্লাব কর্তাদের প্যারিস ছাড়ার 'হুমকি' দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পিএসজি কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছেন তিনি। এরপরই এলো পিএসজির রোনালদোর প্রতি অনীহার খবর। পিএসজিও মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় রোনালদোর পরবর্তী গন্তব্য খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে তার এজেন্টকে। কারণ রোনালদোর উচ্চ বেতন-ভাতার কারণে ইউরোপের খুব বেশি সংখ্যক ক্লাবের পক্ষে তাকে দলে টানা সম্ভব নয়। রোনালদো বায়ার্ন মিউনিখ বা চেলসিতে যেতে পারেন এমন খবরও এসেছিল ইউরোপীয় গণমাধ্যমে। বায়ার্ন বলেছে, রোনালদোকে পেতে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করে আইন ভঙ্গ করতে চায় না তারা। আর চেলসির কোচ টমাস টুখেল চান না রোনালদোকে নিতে। চ্যাম্পিয়নস লিগের রেকর্ড গোলদাতা রোনালদো কি শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ ছাড়াই মৌসুম কাটাবেন প্রশ্নটা উঠছে তাই।
web
cd6b109393aa972071f8273e3aa3c9553a6107aa
রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ের পরিত্যক্ত নলকূলের পাইপে পড়ে চার বছরের শিশু জিহাদের মৃত্যুর মামলার চার জনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস দেয়া হয়েছে দুই আসামীকে। দুপুরে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান দুপুরে রায় দেন। রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ের পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেন তার বাবা। অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়। ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর শুরু হয় বিচার কাজ। রোববার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষনা করেন, ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান। রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, প্রকৌশলী আবু আহমেদ শাকি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সালামকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদান্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদেরকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদন্ড- দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী দিপক কুমার ভৌমিক ও সাইফুল ইসলামকে খালাস দেন বিচারক। রায়ে সন্তোষ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তবে দুজন খালাস পাওয়ায় উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন শিশু জিহাদের বাবা। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যায় চার বছরের জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা অভিযানে পর তাকে না পেয়ে অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে কয়েকজন তরুণের তৈরি করা যন্ত্রে পাইপের নিচ থেকে উঠে আসে অচেতন জিহাদ। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
web
ab86ffc9939cfdc41ad4cb0f69d31ad76af17c23
'১৯৪৮ সালে যখন ভাষাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত হয়, আমার বাবা তখন বরিশালের জেলা জজ ছিলেন এবং আমি বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে আইএ পড়ি। বাবা এ সময় বাংলা রাষ্ট্রভাষা হওয়ার ঔচিত্যের কারণ এবং তা না হলে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণ তথা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের ওপর এর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তার বন্ধুবান্ধবদের সাথে পত্র বিনিময়ের মাধ্যমে তার নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতেন। বাবা সাধারণত তার ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের খসড়া আমাকে দিয়েই তৈরি করাতেন। আর এ কাজের ভিতর দিয়ে অজান্তেই বাংলা ভাষার প্রতি আমার অনুরাগ বৃদ্ধি পায়। ১৯৪৮ সালে ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এবং ২২ মার্চ কার্জন হলে সমাবর্তন সভায় মোহম্মদ আলী জিন্নাহ বক্তৃতা করেন। বক্তৃতার রাষ্ট্রভাষা-সম্পর্কিত অংশটি অনেককেই আহত করে। এরই মধ্যে ১৯৫০ সালে সুফিয়া আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ছাত্রীনিবাসে না থাকলেও জড়িত ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে। ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন তার ভাষণে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন। এতে মানুষের মনে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় যে ক্ষোভ এত দিন জমাটবদ্ধ ছিল তা প্রচন্ড দাবানলের মতো জ্বলে ওঠে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এই বিক্ষোভে আন্দোলিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুফিয়া আহমদ। বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করুক-এই দাবিতে সব সময়ই একাত্মতা প্রকাশ করেন সুফিয়া আহমদ। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সংগঠন সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। তাদের অনুপ্রেরণায় সুফিয়া আহমদ সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। এরপর ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যেসব মিছিল ও সমাবেস অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোতে যোগ দিয়েছেন এবং অনেক সময় বক্তৃতাও করেছেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক আমতলায় ছাত্রজনতার সমাবেশে সুফিয়া আহমদ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্তে হলে মেয়েদের যে দলটিপ্রথম বের হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে, সুফিয়া আহমদ সে দলে অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। ছাত্রীদের প্রথম যে দলটি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য এগিয়ে যায় তাদের মধ্যে ছিলেন শাফিয়া খাতুন, রওশন আরা বাচ্চু, শামসুন্নাহার আর সুফিয়া আহমদ। বিশ্ববিদালয় গেটের সামনে পুলিশের লাঠির ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। তাদের দল কিছুটা সামনে যেতেই ঢাকা সিটির এসপি মাসুদ মাহমুদের সঙ্গে দেখা হয় সুফিয়া আহমদের। তিনি সুফিয়া আহমদকে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন, কারণ তৎকালীন হাইকোর্টের জজ ছিলেন সুফিয়া আহমদের বাবা। এসপি মাসুদ মাহমুদ বলেন, 'প্রসেশনে আসাটা তোমার ভুল হয়েছে। সরকার বিক্ষোভকারীদের কঠোর হস্তে দমন করার নির্দেশ দিয়েছে আমাদের। তুমি বাসায় চলে যাও। তা না হলে তোমাদের বিপদ হতে পাতে। ' তবু সুফিয়া আহমদ তার দলের সঙ্গে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশের লাঠির আঘাতে সুফিয়া আহমদ আহত হন। সেদিন বিকেলে পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের অধিবেশনে পরিষদ সদস্য আনোয়ারা খাতুনের বক্তৃতায় সুফিয়া আহমেদের ওপর পুলিশের হামলার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ পায়। এরই মধ্যে সুফিয়া আহমেদের বাড়িতে তার আহত হওয়ার খবর পৌঁছে যায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, মেডিক্যাল কলেজে ব্যস্ত সময় কাটানোর পর সন্ধায় ফিরে যান বাড়িতে। তার বাবা-মা তার উপর রাগ না করে এই অংশগ্রহণের জন্য মেয়েকে আশীর্বাদ করেছিলেন। ওই দিনের পর থেকে তার ভাষা আন্দোলনে যোগ হয় ভিন্ন মাত্রা। ভাষা আন্দোলন পরিচালনার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। সুফিয়া আহমদ, সাংবাদিক লায়লা সামাদসহ বেশ কয়েকজন নারী ভাষা আন্দোলনের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ করেছেন। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলেছেন। এভাবে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন কাজে তিনি আত্মনিবেদন করেছেন। তিনি ১৯৫২ সালের নভেম্বর মাসে ১০ সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে তুরস্ক যান। সেই দলে ছিলেন কবি জসিমউদদীন, শামসুন নাহার মাহমুদ, লায়লা আরজুমান্দ বানুসহ আরো বেশ কয়েকজন। দলের নেতা ছিলেন করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর এ বি এ হালিম। এই অনুষ্ঠানে দলটি উর্দু গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তখন বাংলা গান গাইতে চাইলে দলের নেতা অমত প্রকাশ করেন। বাংলা গান গাওয়ার দাবিতে দলটি অনুষ্ঠান বর্জন করে। অবশেষে বাংলা গান গাওয়ার অনুমতি লাভ করেন তারা। সুফিয়া আহমদ ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপচার্য, বিচারপতি ও আইনমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহীম মেয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকেই মানুষ করেছেন। সুফিয়া আহমদের আমা লুৎফুন্নেছা ইব্রাহীম। বাবা-মা আর দুই ভাইকে নিয়েই সুফিয়া আহমদের ছোটবেলার জগৎ গড়ে উঠেছিল। 'ছোটবেলায় একবার হাম কি পক্স হয়েছিল ঠিক মনে নেই। আমার দেখাশোনার জন্য বাবা একজন খ্রিষ্টান নার্স রাখলেন। গায়ে মাখন লাগালে দাগ হয় না। আব্বা সেজন্য প্রতিদিন আমার গায়ে ঠিকমতো মাখন লাগানো হচ্ছে কি না, তার তদারকি করতেন। ' এভাবেই নিজের শৈশবকালের গল্প শোনালেন তিনি। নাচ, গান, সেলাই, রান্না, রূপচর্চা প্রভৃতিতে ভারা ছিল সুফিয়া আহমদের ছোটবেলাটা। ধ্রুপদী সংগীত শখতেন ওস্তাদ গুল মোহাম্মদের কাছে, সেলাই সেখানোর জন্য আসতেন এক মিস, রান্না শেখার জন্য হোসনে আরা রশীদের পাক প্রণালী বই আর রূপচর্চার জন্য অন্য একটি বই তার বাবা তাকে কিনে দেন। প্রতিদিন একটি করে চিঠি পাওয়ার শর্তে দার্জিলিংয়ে পড়তে যাওয়া সুফিয়া আহমদের শিক্ষাজীবন নানা বর্ণে রঙিন ও গৌরবোজ্জ্বল। বিচারপতি বাবার বদলির চাকরি এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভালো ইংরেজি স্কুল না থাকায় তার শৈশবের বেশ কিছুটা দিন অবিভক্ত ভারতের দার্জিলিংয়ে কেটেছে। আর সেখানেই শিখেছেন পিয়ানো। তবে শিক্ষাজীবনের প্রথমটা শুরু হয় ঢাকার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে। এর পর চলে যান দার্জিলিংয়ের ডাও হিল (Dow Hill) স্কুলে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ক্রমেই দেশের পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। তাই সুফিয়া আহমদ চলে আসেন নিজ দেশে। এরপর ১৯৪৮ সালে বিচারপতি বাবার কর্মস্থল বরিশাল থেকে প্রাইভেট প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর তার প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পথচলা। পূর্বপাকিস্তান থেকে ১৯৫০ সালে ইন্টারমিডিয়েট অব আর্টস (Intermediate if Arts) পরীক্ষা দেন। এই পরীক্ষার ফলে দেখা গেল সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে ছেলেমেয়ে-নির্বিশেষে প্রথম ১০ জনের মধ্যে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে লেটার মার্কস নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। সুফিয়া আহমেদের অবশ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান অথবা ইংরেজিতে অনার্স করার ইচ্ছা ছিল। বাবার ইচ্ছেমতেই শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজিকে সাবসিডিয়ারি করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হন। তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবন ছিল ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সালে এমএ পড়ার সময় তিনি সন্ধাকালীন আইনের ক্লাসে ভর্তি হন। এমএ পরীক্ষার অল্প কিছুদিন পরেই ১৯৫৫ সালে পিএইচডি করতে তিনি স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ ও ছোট ভাই খালেদ ইব্রাহীমের সঙ্গে লন্ডনে চলে যান। ফলে ল কোর্স শেষ করেও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসতে পারেন নি। তার পিএইচডির বিষয় ছিল-আধুনিক ভারতের ইতিহাস। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে (School of Oriental and African Studies) ভর্তি হন এবং ১৯৬০ সালে তিনি 'Some Aspects of the History of The Muslim Community in Bengal' (১৮৮৪-১৯১২) শিরোনামে অভিসন্দর্ভ রচনা করে পিএইচডি লাভ করেন। ১৯৬১ সালে তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থাৎ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি এই বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। দেশের বাইরেও সুফিয়া আহমদ একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অধ্যাপক সুফিয়া আহমদ অধ্যাপনাও করেছেন। তুরস্কের ইন্তাম্বুল শহরে অবস্থিত ব্যাসফোরাস ইউনিভার্সিটিতে (Basphorus University) তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৮৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে অধ্যাপনা করেন। সম্ভবত তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি দুই বার জাতিসংঘে কোনো দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রথমবার ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের এবং দ্বিতীয়বার ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের হয়ে। এরপর প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে ১৯৮৩ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগাযোগ করেন। সুফিয়া আহমদ জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়াও ১৯৭২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গার্লস গাইড আন্দোলনের নির্বাচিত আন্তর্জাতিক কমিশনার ছিলেন। সমাজসেবামূলক কাজেও এই নারী ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করে চলেছেন সমানভাবেই। গুরুত্বপূর্ণ পদ সামাল দিয়ে কঠোর পরিশ্রমী এক নারী আইসিডিডিআরবির 'অ্যাথিক্যাল রিভিউ কমিটি'র মেম্বর হিসেবে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। তিনি প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ ইশতিহাক আহমদের স্ত্রী। সুফিয়া আহমদ জাতীয় অধ্যাপক পদে ভূষিত হন। তিনি নারীদের মধ্যে প্রথম জাতীয় অধ্যাপক।
web