doc_id
large_stringlengths
32
64
text
large_stringlengths
0
560k
type
large_stringclasses
3 values
b04766888d3fbb498c522993ed4cf2ffee8c7f78
নিউজ ডেস্কঃ মণিপুর মায়ানমার সীমান্তে এক নারকীয় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। বিগত কয়েক দশকের ইতিহাসে মণিপুরে সবথেকে বড় জঙ্গি নাশকতা এটিই। হামলায় শহিদ হয়েছেন সেনার এক কর্নেল এবং তিন জওয়ান। রেহাই পাননি কর্নেলের পরিবারও। ওই সেনা আধিকারিকের স্ত্রী এবং ছেলেও আজ জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমন নারকীয় হামলা সাম্প্রতিক অতীতে দেখেনি মণিপুর। এখনও কোনও গোষ্ঠী হামলার দায়স্বীকার না করলেও মণিপুরের পিপলস লিবারেশন আর্মিই এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। ইম্ফল থেকে ১০০ কিলোমিটার ভিতরে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের কাছে হামলা হয়েছে বলে খবর। জঙ্গলে ঘেরা ওই জায়গাটি মায়ানমার সীমানার কাছেই অবস্থিত হওয়ায় হামলাকারীরা সহজেই সীমান্ত পার করে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা তাঁর টুইটারে লিখেছেন, "মণিপুরে ৪৬ অসম রাইফেলসের কনভয়ে জঙ্গিরা যে জঘন্য হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। এটা ভেবে খুব খারাপ লাগছে যে ওই হামলায় আমরা কর্নেল এবং তার পরিবারের সদস্য সহ পাঁচজন সাহসী জওয়ানকে হারিয়েছি। " শহিদ সেনাকর্মীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা দেশ যে এই হামলার বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে, সেই কথাও তিনি টুইটারে লিখেছেন।
web
837c5eab872375ee4d086642125aafd5e1ad3e75
টিডিএন বাংলা ডেস্ক : উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাসূচি নিয়ে সমস্যা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা। কিছু দিন আগেই কেন্দ্রের জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) পরীক্ষা ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা একই সময়ে পরার কারণে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাসূচিতে ইতিমধ্যেই এক বার পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু সেই পরিবর্তীত পরীক্ষার সূচিতেও আবারও পরিবর্তিন করা হতে পারে বলে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও জল্পনা দেখা দিয়েছে। কারণ, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়েই আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্টিত হতে চলেছে। প্রথমে ২ এপ্রিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ২০ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের জন্য পরীক্ষাসূচিতে পরিবর্তন আনার ফলে ৪টি পরীক্ষার সূচী পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে ২০ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৬ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ হবে বলে নতুন সূচী প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষা শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এরই মধ্যে আবার কোনও পরিবর্তন আসলে তা পরীক্ষার্তীদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দোলাচলে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা-প্রস্তুতি ব্যাহত হচ্ছে বলেও শিক্ষা শিবিরের একাংশ অনুযোগ করেছেন।
web
5a62e4cf76a5a615ded56ae2c0843533e2fc6963
ঘাসফুল শিবির ছেড়ে এখন পদ্মফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পর এই প্রথম রাজীব-প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আলিপুরদুয়ারের সভায় নাম না করে অধুনা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে মমতা বলেন, 'বন সহায়ক পদ নিয়ে কারসাজি করা হয়েছে। চুরি করে বিজেপি-তে চলে গিয়েছে। রাজ্য সরকার তদন্ত করছে। ' এই অভিযোগের পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
web
871c5055ca1c50f13e0d011f7fd30396
Home / বাংলাদেশ / রাজনীতি / 'আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, বাকি সব পরে' 'আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, বাকি সব পরে' ক্রাইম প্রতিদিন, ঢাকা : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'বর্তমানে আমাদের সামনে একটাই লক্ষ্য। সেটি হচ্ছে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। এর বাইরে আর কোনো বিকল্প চিন্তার সুযোগ নেই। আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি বাকি সব পরে।' মির্জা ফখরুল বলেন, 'আওয়ামী লীগ আজ গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে। আজ আসুন সবাই ফেটে পড়ুন, রাজপথে নেমে আসুন। এখন আর বসে থাকার সময় নেই একটাই লক্ষ্য- খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। এ ব্যতীত অন্যকিছু নয়। আমাদের একটাই পথ- আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। কারণ আন্দোলনের বিকল্প কোনো পথ নেই। এখন আমাদের ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আমাদের অধিকার, নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।' বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে, ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে সব দল-মতের লোককে, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে আন্দোলন করতে হবে। একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আওয়ামী লীগ কোনো বিরোধী মতকে সহ্য করতে পারে না। আর সেজন্যই তারা গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তারা জানে খালেদা জিয়া রাজপথে নেমে আসলে আবার সেই ১৯৯০ সালের মত জনবিস্ফোরণ ঘটবে। তাই তাকে আটকে রেখেছে।' তিনি বলেন, 'আজ আমরা এমন একটি সময় স্বাধীনতা দিবস পালন করছি, যখন আমাদের সব স্বপ্ন ও অধিকারগুলোকে ভেঙে চুরমার করা হয়েছে। যে চেতনার জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলম তা আজ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। কে ধ্বংস করেছে- যারা আজ ক্ষমতা দখল করে রেখেছে জোর করে। কারণ তাদের চরিত্রই এটা, এটা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।' বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'বর্তমান অবৈধ সরকারের যত বড় মেগা প্রজেক্ট তত বড় মেগা চুরি। কারণ তারা এক একটা মেগা প্রজেক্ট চালু করে দেশের সম্পদ চুরি করছে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।'
web
bee782b7e69b0f822928c57401ba49a1ed655d7b
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালঃ নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার। বুধবার (২ আগস্ট) পটুয়াখালীর বড় দুটি মৎস্যবন্দর আলীপুর ও মহিপুর ঘাটে আশ্রয় নিয়েছেন জেলেরা। তবে আশ্রয় নেয়া জেলেদের চোখে মুখে ছিল হতাশার ছাপ। কেননা উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে তাদের মাছ ছাড়া খালি হাতেই নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে হয়েছে। এর আগে গত ২৩ জুলাই রাতে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে নামেন জেলেরা। কিন্তু ২৫ জুলাই বিকেল থেকেই সমুদ্র উত্তাল হলে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসেন জেলেরা। এরপর শুক্রবার তারা ফের মাছ শিকারে সমুদ্রে যান। তার ঠিক তিন দিনের মাথায় ফের বৈরি আবহাওয়ার প্রভাবে ফিরে আসতে হয়েছে তাদের। এভাবে বারবার তীরে ফিরে আসায় লোকসানের পড়তে হবে তাদের। এমন শঙ্কায় ঘুম হারাম অধিকাংশ জেলের। তারা বলছেন, প্রকৃতির হাতের পুতুল আমরা। জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে জাল ফেলি। আর তা দিয়েই আমাদের পেট চলে। সমুদ্র যেভাবে বৈরিতা করছে তাতে এবার টিকে থাকা কঠিন হবে। পড়তে হবে লোকসানের মুখে। আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দেখা যায়, পটুয়াখালীর স্থানীয়রা ছাড়াও ভোলা, কক্সবাজার, মোংলা, চট্টগ্রাম, বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলেদের পদচারণায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মুখর হয়ে উঠছে। তবে তাদের মুখ ছিল মলিন। জেলেরা বলছেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ে এভাবে অবরোধ আর আবহাওয়া খারাপ হলে পেশায় টিকে থাকা দায় হয়ে যাবে। লোকসানের মুখে ফিরতে হবে অন্য পেশায়। মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু হোসেন রাজা গণমাধ্যমকে বলেন, সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় জেলেরা বন্দরে আশ্রয় নিচ্ছে। হাজারের অধিক ট্রলার এরইমধ্যে চলে এসেছে। সমুদ্র থেকে আসার সময় চারটি ট্রলার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বছরে দুইবার অবরোধ এবং বৈরি আবহাওয়ার প্রভাবে জেলেদের পেশা সংকটের মুখে পড়েছে। পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জয়দেব কবিরাজ গণমাধ্যমকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ-বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষক বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
web
d7c00239133219b27b76e9a081ffc66fc0b0a376
দিনাজপুরের হিলিতে সোনালি ব্যাংকে চুরির চেষ্টার ঘটনায় ৫ চোরসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোররাতে হিলি সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- আশিক হোসেন, মানিক মিয়া, আল আমিন, বোরহান উদ্দিন, রানা হোসেন, আরমান আলী, নুরুল ইসলাম, নাসিমা খাতুন, ইমরান আলী। তাদের সকলের বাড়ি হিলি সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায়। হাকিমপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হিলি স্থলবন্দরের সামনে অবস্থিত সোনালি ব্যাংকের পেছনের দিকের জানালার গ্রীল কেটে ব্যাংকে চুরির চেষ্টা করে দুস্কৃতিকারীরা। এ সময় ব্যাংকে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা টের পেলে চোররা পালিয়ে যায়। পরে ওই ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার ভোররাতে হিলি সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই ব্যাংকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে ৫ চোরকে আটক করা হয়। এছাড়াও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক দ্ইু আসামি ও অপরাধ সংগঠিত করতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার দায়ে এক নারীসহ দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের সকলকে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
web
3907af48c8868d6fdc2dadceeccdd8c81a33cbf7
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রামঃ করোনা যুদ্ধের 'সৈনিক' চিকিৎসক, নার্স ও পুলিশ কর্মীদের সংবর্ধনা দিল নয়াগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে সম্মানিত করা হল নয়াগ্রামের বিডিও ঋতুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়কেও। সোমবার নয়াগ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত ও নয়াগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক দুলাল মুর্মুর নেতৃ্ত্বে নয়াগ্রাম থানার প্রাঙ্গণে পুলিশ কর্মীদের স্মারক, ফুল ও মিষ্টি দিয়ে সম্মান জানানো হয়। পুলিশ কর্মীদের তরফে উজ্জ্বলবাবুর হাত থেকে সম্মান গ্রহণ করেন ডিএসপি (নয়াগ্রাম) সুব্রত মণ্ডল এবং আইসি কৃষ্ণেন্দু দত্ত। নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চত্বরে হাসপাতালের সুপার দেবাশিস মাহাতো সহ নার্সদের হাতেও স্মারক, ফুল ও মিষ্টি তুলে দেন উজ্জ্বলবাবু। দু'টি কর্মসূচিতে আদিবাসী প্রথায় পুলিশ, চিকিৎসক ও সেবিকাদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। নয়াগ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, "অতিমারীর সময়ে জঙ্গলমহলেও চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ কর্মীরা অক্লান্ত ভাবে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। তাঁদের এই সেবার প্রতি কুর্নিশ জানাতেই এমন কর্মসূচি হয়েছে। নয়াগ্রামের বিডিওকেও সম্মানিত করা হয়। " উজ্জ্বলবাবু জানান, পুলিশ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি, প্রশাসনিক আধিকারিকরাও সাধারণ মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন।
web
13ee628864ee130e5e2d5fd7b56e41a1
মিডিয়া কাস্টিং করা সহজ। মেনু খুলুন খেলুন জেলিফিন ওয়েব বা মোবাইল ক্লায়েন্ট এবং নির্বাচন করুন জেলিফিন এমপিভি শিম। তারপরে মিডিয়াটি স্বাভাবিকভাবে খেলুন। আপনি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন থেকে বা কীবোর্ড শর্টকাটের মাধ্যমে প্লেব্যাকের বেশিরভাগ দিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। প্লেব্যাক চলাকালীন বেশিরভাগ বিকল্প মেনু ব্যবহার করে অ্যাক্সেস করা যায়। প্রেস সি আপনার কম্পিউটারে বা সমর্থিত হলে মোবাইল ক্লায়েন্টে তীর-ভিত্তিক নেভিগেশন নিয়ন্ত্রণগুলি ব্যবহার করুন। আপনি মেনুতে স্বাচ্ছন্দ্যে সেটিংস এবং প্লেব্যাক পছন্দগুলি সামঞ্জস্য করতে পারেন। নেভিগেট করতে তীর কী এবং এন্টার ব্যবহার করুন এবং ফিরে আসার জন্য এস্কেপ করুন। বিকল্প অটো সেট অডিও / সাবটাইটেল প্রতিবার এপিসোড পরিবর্তিত হয়ে সেটিংস পরিবর্তন করার পরিবর্তে আপনাকে একবারে পুরো মৌসুমের জন্য সাবটাইটেল সেট করতে দেয়। মেনু ব্যবহার করুন পছন্দগুলি ডিফল্ট প্লেব্যাক সেটিংস এবং দূরবর্তী ভিডিওর মান সমন্বয় করতে। নতুন হোম স্ক্রিন। সদ্য নির্মিত হোম স্ক্রিন এখন কমবেশি ওয়েব ক্লায়েন্টের মতো একই দেখাচ্ছে। এটি আপনার হোম পছন্দগুলিতে আপনি যে বিভাগগুলি বেছে নিয়েছেন তা প্রদর্শন করবে। দ্রষ্টব্যঃ বিভাগ পরিবর্তন করা কেবলমাত্র এখনকার ওয়েব সংস্করণে উপলভ্য। অ্যান্ড্রয়েড টিভি ডিভাইসে লগ সরবরাহ করা ব্যবহারকারীদের পক্ষে চ্যালেঞ্জ হতে পারে কারণ এর জন্য অ্যান্ড্রয়েড বিকাশ সরঞ্জাম প্রয়োজন। বিকাশকারীদের পুনরুত্পাদন করতে সমস্যা হতে পারে এবং লগগুলি ক্র্যাশ করে এর সাথে অনেক বেশি সহায়তা করে।
web
b7a8f853ef6160644c1bddabe1b769b1e0b56b4615a6fa69c8c8e72518fad5d4
দাঁড়ায় যাতে ঝুলে পড়া লতাগুচ্ছ ওর হাতের নাগালেই থাকে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিয়ে দ্বন্দ্বযুদ্ধের নিয়ম ভুলে প্রচণ্ড আক্রোশে সকলে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিষ্ণুর ওপরে। প্রচণ্ড ক্ষোভে গর্জন করে অনায়াসে একটা ঝুলে-পড়া লতা বাঁ-হাতে ধরে তারই তলার পাথরে পা রেখে তীব্র অবজ্ঞার স্বরে অহি বলেছে, 'এখান থেকে আর তোর ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।' বলেই উন্মাদের মতো তলোয়ার চালিয়েছে। সে-তলোয়ার বিষ্ণুর গা স্পর্শও করতে পারেনি। তার আগেই একটা অদ্ভুত আঘাতে ঝন ঝন শব্দে আছড়ে পড়েছে নীচের পাথরে। আর একইসঙ্গে বিষ্ণুর তলোয়ারের ঘায়ে সেই লতা কেটে যেতেই অহি পা হড়কে গড়িয়ে পড়ল নীচে। ওকে সামলাতে গিয়ে দু-জন রক্ষীও একইসঙ্গে পড়ে গিয়েছে আর তখনই সুকামা অথবা উভ্রার গলা থেকে আতঙ্কের চিৎকারটা বেরিয়ে আসে। চোখ তুলে বৃত্র দেখতে পায় বিশাল একটা পাথর ওকে লক্ষ করেই যেন পাহাড়ের ঢালু গা বেয়ে হু-হু করে নেমে আসছে। কিন্তু ওর সরে যাবার উপায় নেই, কেননা নীচের টানে ও-ও তো গড়িয়ে যাচ্ছে। পাথরটা বিষ্ণুকে স্পর্শই করল না। কেননা ও যেন জানতই যে এই সময়ে পাথরটা আসবে। কাজেই আড়চোখে একবার সেটা দেখেই ও লতার গুচ্ছ ধরে দোল খেয়ে সরে গিয়েছিল পাশে। আরেকটা পাথরে পা রেখে নিজেকে সামলে নিয়েছিল। কিন্তু অহিবৃত্র এবং ওর সঙ্গীদের আর দেখা গেল না। যেখানে দাঁড়িয়ে ওরা আস্ফালন করছিল সেখানে এখন ওদের আবৃত করে বিশাল এক পাথর। বিস্ফারিত চোখে সুকামা আর উভ্রা দেখেছিল ওপর থেকে আরেকজন পুরুষ নেমে আসছে নীচে। নেমে এসে ইন্দ্ৰ হাসল বিষ্ণুর দিকে তাকিয়ে, 'তোমার লাগেনি তো?? বিষ্ণুও হাসল, 'আমার একটাই ভয় ছিল যে তুমি সবটা একদম নিখুঁত সময় ধরে করতে পারবে কি না। যাই হোক চলো ওই জলের কাছে যাই।' পাড়ের কাছে উভ্রা আর সুকামা ভয়ে সিটিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বিষ্ণু ওদের বলল, 'ভয়ের কিছু নেই। তোমরা চাইলে চলে যেতে পারো। নইলে আমাদের সঙ্গেও যেতে পারো, যা তোমাদের ইচ্ছে।' আর তখন রাত্রি নেমে এল অলৌকিক পায়ে। পরের গোটা দিন ইন্দ্র আর বিষ্ণু কাটিয়ে দিল সরোবরের ধারে। গতকাল যে মোটা ডালটার সাহায্যে ওপর থেকে ইন্দ্র পাথরটা গড়িয়ে দিয়েছিল, সেটা দিয়েই দু-জনে ঠেলে ঠেলে সরিয়ে দিতে থাকল সরস্বতীর মুখে আটকে থাকা যাবতীয় পাথর। আর সামনে খোলা পথ পেতেই ধাবমান মোষের মতো গর্জন করে জলধারা বেরিয়ে যেতে থাকল সাত প্রবাহে। আচমকাই একসময়ে তীব্র আর্তনাদ করে উঠেছিল উভ্রা এবং সুকামা দু-জনেই। পাহাড় দুলছে, মাটি কাঁপছে। এবার সমস্ত দিক থেকে পাথর গড়িয়ে পড়বে, হয়তো-বা পাহাড়ও ভেঙে পড়বে। এক্ষুনি পালাতে না পারলে ওদেরও অবস্থা হবে অহিবৃত্রর মতোই। আসলে ইন্দ্ৰ তো জানত না যে কোন পাথর কাকে ধরে রেখেছে। ও উন্মত্তের মতো
pdf
1e3dd13d5383d895f0dcb4a0ae845774
ওয়ার্কামজিগ আপনার বিজ্ঞাপন বা বিপণন সংস্থার আর্থিক এবং ক্লায়েন্ট প্রকল্প পরিচালনার জন্য একটি ওয়েব-ভিত্তিক সিস্টেম। ২ হাজারেরও বেশি সংস্থাগুলি তাদের অভ্যন্তরীণ বিভাগগুলির জন্য বিপণন পরিচালনার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে। ওয়ার্কামাজিগ হ'ল একটি কাস্টমাইজযোগ্য, ওয়েব-ভিত্তিক প্রকল্প পরিচালন সফ্টওয়্যার যা আপনার এজেন্সিটির যা কিছু করে তা প্রবাহিত করে - নতুন ব্যবসা এবং বিক্রয় থেকে শুরু করে কোনও প্রকল্পের চক্রের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টিং এবং আর্থিক প্রতিবেদনের সমস্ত উপায় স্টাফিং এবং সৃজনশীল সম্পাদনের দিকে পরিচালিত করে। এর বৈশিষ্ট্য ওয়ার্কামজিগ অন্তর্ভুক্তঃ হিসাবরক্ষণ - সৃজনশীল সংস্থার নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার সাথে কাজ করার জন্য নকশাকৃত বিপণন প্রকল্প পরিচালনা সফ্টওয়্যারটির সাথে একীভূত একটি শিল্প উদ্যোগ আর্থিক ব্যবস্থাপনার সিস্টেম। গ্রাহক সেবা - একটি সম্পূর্ণ সংহত প্রকল্প পরিচালন ব্যবস্থা যা সংক্ষিপ্তসার, প্রমাণ, বাজেট, প্রতিবেদন, ক্যালেন্ডারিং এবং যোগাযোগকে একটি সমাধানে যুক্ত করে। সৃজনী - প্রকল্প ফাইল, ক্লায়েন্টের প্রতিক্রিয়া এবং প্রকল্পের বিশদগুলির সাথে দ্রুত এবং সহজ সংস্থানগুলি, টাইমশিট এবং ব্যয়ের রিপোর্টগুলি পরিচালনা করুন। নতুন ব্যবসা - পরিচিতিগুলি, ক্যালেন্ডারগুলি পরিচালনা করুন এবং সিঙ্ক্রোনাইজ করুন পিচিং Win ট্র্যাকিং ব্যতীত, আপনার বিক্রয় প্রক্রিয়াটির জন্য সুযোগ এবং প্রতিবেদন। উত্পাদনের - বিডকে ত্বরান্বিত করুন, ক্রয় অর্ডারগুলিতে অনুমানের রূপান্তর করুন, রুটের প্রাক্কলন করুন, তফসিল তৈরি করুন এবং স্টোরের বিশদ বিবরণ দিন। আপডেটগুলি, একাধিক অবস্থানগুলিতে সৃজনশীল দলের উপলব্ধতা, গ্যান্ট চার্ট এবং ক্যালেন্ডার এবং প্রতি চাকরির জন্য লগিং।
web
bb7cc58c7694394b757d6f8d20b03267911124d5
নজরে ভবানীপুর। ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনে তিন আইনজীবীর 'লড়াই'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল-শ্রীজীব বিশ্বাস। সেই কারণে সকাল থেকে জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। প্রচারের আগে তথাগত রায়ের বাড়িতে যান প্রিয়াঙ্কা। দলের প্রবীণ নেতার আশীর্বাদ চাইতেই এদিন তাঁর বাড়ি যান প্রিয়াঙ্কা। এমনই জানান বিজেপি নেতা। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয় কামনা করে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে শুভেচ্ছা জানান তথাগত রায়। এদিন প্রিয়াঙ্কা বলেন,'আমার এখনও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়নি। মনুষ্যত্ব বাঁচানোর জন্যই আমি এই লড়াইয়ে নেমেছি। আমার এই লড়াইটা শুধু বিধায়ক হওয়ার লড়াই নয়, বাংলার মানুষকে বাঁচানোর লড়াই। তাই মনুষ্যত্ব বাঁচাতে আমি ভোট চাইব'। এর পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের আশীর্বাদে এবার কম করে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হবেন। পৃথিবীর কারোর ক্ষমতা নেই আটকানোর। এদিন হেস্টিংসে বিজেপির অফিসে বৈঠকের পর কালীঘাট মন্দিরে আসনে বিজেপির আইনজীবী প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। রুদ্রনীল গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। যদিও তিনি হেরে গিয়েছিলেন। কালীঘাট মন্দিরে পৌঁছে প্রিয়ঙ্কা বলেন, মায়ের আশীর্বাদ নিয়েই চলতে হয়। মায়ের আশীর্বাদ নিতেই এখানে এসেছি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, এন্টালিতে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছি। এখানেও বাড়ি বাড়ি প্রচার করব। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তবে হেরে গিয়েছিলেন। শনিবার ভবানীপুরে উপনির্বাচনে রণকৌশল নির্ধারণে বিজেপির বৈঠক হয়। হেস্টিংসে হয় এই দলীয় বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন অর্জুন সিং, জ্যোতির্ময় মাহাতো, সৌমিত্র খাঁ। এদিন প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে নিয়ে বৈঠক করেন নেতারা।
web
176f0090c51b3a45c518d9078e3e6048
ছোট চাচা ঈদ করতে দেশে এসেছেন। সঙ্গে চাচি আর চাচাত ভাইবোন দিবা আর রাতুলও আছে। ছোট চাচি সবার জন্য অনেক জামাকাপড় এনেছেন। রবিন আর মিতুর জন্য দুটো করে জামাকাপড় এনেছেন তিনি। বাবার জন্য এনেছেন পাজামা-পাঞ্জাবি। মায়ের জন্য শাড়ি। বাবাও ওদের কিনে দিয়েছেন অনেক কিছু। রবিন, মিতু, দিবা আর রাতুল অপেক্ষা করছে কখন রাতশেষে খুশির ঈদের দিন আসবে। ঈদের দিনে ওরা কোথায় কোথায় বেড়াতে যাবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়েছে। সকালে উঠেই গোসল করে নতুন জামাকাপড় পরতে হবে। তারপর ছেলেরা যাবে ঈদগাহে নামাজ পড়তে, আর মেয়েরা মাকে নাশতা তৈরিতে সাহায্য করবে। এরপর বড়দের সালাম করে সেমাই-নাশতা খেয়ে শুরু হবে বেড়ান। পড়শিদের সবার বাড়িতে তো যেতেই হবে, আরও যেতে হবে কয়েকজন আত্মীয়ের বাড়িতে। পরদিন খুব ভোরে ঘুম ভাঙে মিতুর। ঘুম ভাঙতেই মিতু একটা হুলস্থুল বাঁধিয়ে দেয়। হইচই করে সবাইকে ডেকে তোলে সে। রবিনটা আবার একটু অলস। সকালে কিছুতেই বিছানা ছাড়তে চায় না সে। রবিনকে জাগিয়ে তুলতে তার গায়ে পানি ঢেলে দেয় রাতুল। অন্যদিন হলে অবশ্য গায়ে পানি দেওয়ায় প্রচ- ক্ষেপে যেত রবিন। কিন্তু আজ ঈদের দিন বলেই হয়তো সে রাগল না। তাছাড়া রাতুলরা ওদের মেহমান। ওদের সঙ্গে রাগও করা যায় না। একটু মুচকি হেসে রবিন উঠে পড়ল বিছানা ছেড়ে। দিবা আর মিতু মুখ ধুয়েই গেল রান্নাঘরে। মা-চাচিরা সেখানে জর্দা, ফিরনি, সেমাই রান্না করছেন। পোলাও-মাংস রান্না করছেন। মিতু আর দিবা আসার আগেই অবশ্য রান্নাবান্না প্রায় শেষ। ছেলেটিকে দেখে তুহিন আশ্চর্য হয়ে গেল। এতটুকু ছেলে ঈদের দিনে নতুন জামাকাপড় না পরে নাশতা খেতে বেরিয়ে পড়েছে! নতুন জামাকাপড় আর পেট ভরে নাশতা খেতে পেয়ে ছেলেটি খুব খুশি হল। ওর খুশি দেখে রবিন আর রাতুলও খুব খুশি হল। তারপর ছোট্ট ছেলেটিকে নিয়ে মজা করতে করতে সবাই ঈদগাহে গেল নামাজ পড়তে।
web
4a04951f2a6803dd2072a19169e7a626
পরে যখন ২০১৯ এর বই মেলায় এটি উন্মোচিত হয়,তখন এটির কোয়ালিটি ফুটে উঠে। এই বইটির পরিবেশক ছিল তাম্রলিপি এবং প্রকাশনা ছিল অধ্যয়ন প্রকাশনা। বই প্রকাশের প্রথম দিক থেকেই দেখা যায় যে পাঠকের খুব উৎসাহ নিয়ে বইটি কিনছে,বইটি প্রকাশ করার সময় থেকেই দেখা যায় উপচে পড়া ভীড়। তাছাড়া রকমারি বেস্ট সেলার তালিকার বই গুলোর মধ্যে মস্তিষ্কের ক্যানভাস বইটি একটি। যা বিগত সাল থেকে এখনো বেস্ট সেলারেই অবস্থান করতেছে। নাগরিক জীবনের দেখা-অদেখা সব কনপ্লিক্ট অনুভুতি ঘেরা সংযোজিত হয়েছে এ বইতে। বইটি তার মনের ভেতরে যত্নে রাখা ভাবনাগুলোরই সংকলন। যে ভাবনা গুলো এসেছে যুদ্ধ জাহাজে টহল দেওয়ার সময়কার দিনপঞ্জিকা লিখার সময়গুলো থেকে শুরু করে ব্যস্তজীবনের অবিজ্ঞতা সঞ্জয়ন থেকে। যেগুলো অনেকটা তিনি ইন্টারনেটে প্রকাশও করেছিলেন।
web
f377ab82cf9ae235bec925070ac3fded
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ আগামী ১৬ ডিসেম্বর আই লিগের প্রথম পর্বের ডার্বি। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি শুরু করল মোহন বাগান। বুধবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে মোহন বাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে প্রায় দু'ঘণ্টা অনুশীলন করলেন কিংসলে,শিলটন পাল, সনি নর্ডিরা। হাইতিয়ান তারকা ফিজিক্যাল ট্রেনিং করার পর আর প্র্যাকটিসে থাকেননি। সাইড লাইনের ধারে ফিজিক্যাল ট্রেনারের কাছে কিছু শারীরিক কসরত করেন। মাঝে আইসপ্যাকও নেন। তবে সনিকে নিয়ে সমর্থকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। অঙ্ক কষে ওয়ার্কলোড নেওয়ার জন্যই সনির এই সিডিউল। বুধবার অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ সত্যজিৎ চ্যাটার্জি ও যুব উন্নয়ন সচিব বিদেশ বসু। দুই প্রাক্তন ফুটবলার টেকনিক্যাল ব্যাপারে মোহন বাগান কোচের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। সত্যজিৎ চ্যাটার্জি বলেন,'লিড ধরে রাখাটা যে কোনও টিমের পক্ষে জরুরি। কোচদের সেটা আমরা বলেছি।' ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের পর মাঠটিকে একটু ছোট করে কম্বিনেশন প্র্যাকটিসের উপর জোর দেন মোহন বাগান কোচ। অনেকক্ষণ ধরে এই ম্যাচ প্র্যাকটিস চলে। ম্যাচে শেখ ফৈয়াজকে বেশ ঝকঝকে লাগল। দু'প্রান্ত থেকেই আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। কম্বিনেশন তৈরির ম্যাচে বেশ সপ্রতিভ ছিলেন তিনি। ফৈয়াজ গোলও করলেন। এটিকে'র হয়ে খেলার সুযোগ তিনি সেইভাবে পাননি। তবে নিজেকে ম্যাচ ফিট রেখেছেন। আই লিগে উইং হাফ হিসাবে পিন্টু মাহাতো কিংবা অবিনাশ রুইদাস সেই ভাবে সফল নয়। ফৈয়াজ যদি গত মরশুমের মতো সার্ভিস দিতে পারেন তবে মোহন বাগানেরই লাভ হবে। কাফ মাসলের চোট সারিয়ে মেহতাব হোসেনও এখন বেশ ফিট। এদিন প্র্যাকটিস ম্যাচে কিংসলে- কিমকিমার সামনে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসাবে মেহতাব হোসেন খেললেন। দেখা গেল মোহন বাগান ফুটবলাররা খেলার সময়ে নিজেদের মধ্যে প্রচুর কথাবার্তা বললেন। মাঠে ফুটবলাররা যত বেশি কথাবার্তা বলবেন ততই রক্ষণ ও মাঝমাঠের মধ্যে 'গ্যাপ' কমবে। এই ব্যাপারে শিলটন পাল ও মেহতাব হোসেনই বড় ভূমিকা নিলেন। তবে ফৈয়াজকে বেশ ফিট মনে হলেও সুখদেব সিং তাঁর ফিটনেস নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছেন। চোটের জন্য তিনি পুরোদমে অনুশীলন করেননি। গত বছর আই লিগে মিনার্ভা এফসি'র হয়ে বেশ ভালো খেললেও সুখদেব গত আট মাস ম্যাচের মধ্যে নেই। মাঝে অসুস্থ ছিলেন। বাড়িতে পড়ে গিয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন। সাসপেন্ড হওয়ার পর পাঞ্জাবের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। ১২ ডিসেম্বর তাঁর সাসপেনশন উঠছে। তবে ডার্বিতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা বেশ কম। এদিকে, অফিসের খেলার জন্য দলরাজ সিং চলতি সপ্তাহে মোহন বাগানের প্র্যাকটিসে থাকতে পারছেন না।
web
64a33b099dfa23aa9d549c6878bc09bcc74529042035b8e4207cb0c6c0639131
অন্তর মাঝে লভিয়াছে যেবা প্রজ্ঞার উন্মেষ, ধ্যান ধারণায় পাইয়াছে যেবা সত্যের উদ্দেশ, ভাব-প্রবুদ্ধ পরমাত্মার পাইয়াছে সাক্ষাৎ, সকলের আগে তাঁহার চরণে করি আমি প্রণিপাত । সুন্দরে যেবা মর্ম্মে মর্ম্মে করিয়াছে অনুভব, নিষ্ঠাশ্রদ্ধা একাগ্রতায় আনন্দ সম্ভব, শিল্পে, চিত্রে, গীতে, কবিতায়, জাগে মধুমতিমায়, মূর্খ হলেও জ্ঞানী বলে' তার প্রণাম করিগো পায়। যার বাহু দুটী পরশ মাণিক, পরশন-শিহরণে মঙ্গলহেম জেগে উঠে যা'তে মানবের মনেমনে, জীবনসমরে ন্যায়ের পক্ষে যুঝে যেব। প্ৰাণপণে, ধীমান বলিয়া প্রণাম করিগো তাঁর দুটী প্রচরণে। প্রেমে যার চোখে জলধারা বয়, হৃদি যার সিত ননী, প্রাণ যার ক্ষমাভক্তি করুণাত্যাগ-ধীরতার খনি, সরল তরল জীবন যাহার অবনত হয়ে চলে, মহাজ্ঞানী বলি' করি প্রণিপাত তাঁহারো চরণ-তলে । বয়সে প্রবীণ, জীবন যাহার জীবন্ত ইতিহাস, দেখিয়া ঠেকিয়া শিখিয়া চিতের আঁধার করেছে নাশ, তরুণের পথ সরল করেছে নিজের জীবন ক্ষয়ে, জ্ঞানী বলি' আমি করিগে। প্রণাম তাঁহারো চরণদ্বয়ে । পাঠে, আহরণে তপশ্চরণে বসি গুরুপদতলে, অপরের জ্ঞান নিজের করেছে যেবা সাধনার ফলে, জীবনাদর্শ গড়িয়া তুলেছে বিদ্যার মহিমায়, জ্ঞানী বলি' আমি করিগে। প্রণাম তাঁহারো দুইটি পায় । ইঁহাদের ষেবা মৰ্ম্ম বুঝিয়া ভক্তিতে রয় নত, নিজে জ্ঞানী নাহি হয়েও যেজন জ্ঞানীর সেবায় রত, তাঁদের সকাশে কুণ্ঠায় নিজে তৃণ বলি জ্ঞান যার, শেষ প্ৰণিপাত তাঁহার চরণে করি আমি বার বার। শ্রীকালিদাস রায়।
pdf
3b90bd27a945c81496caeecaa528006acad71534
নেত্রকোনার পূর্বধলায় মো সাইকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়াপাড়া (মাঠপাড়া) গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাইকুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের লাঠুনিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন। পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে সাইকুলের শ্বশুর বাড়ির পাশে মেহগনী গাছে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় সাইকুলকে দেখে স্থানীয়রা। পরে খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
web
8660e12ba808bdf3268ded64a37c3d69
প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী ২০২০, ০৪ঃ৫৫ পি. এম. স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও রেলসেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং দেশের অর্থনীতিকে তরান্বিত করতে ঈশ্বরদীসহ পাবনা ও নাটোর জেলার মানুষের ঢাকাকে হাতের মুঠোয় এনে দিতে আগামিকাল উদ্বোধন করা হবে মাঝগ্রাম-ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেন। রবিবার সকাল দশটায় গণভবন থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। ১৭৩৭ দশমিক ১৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে মাঝগ্রাম থেকে শুরু করে ঢালার চর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথের নিকটস্থ রেলে ভ্রমনেচ্ছুক বিভিন্ন বয়সী মানুষ অপেক্ষার পালা গুণছেন। তাদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য রেলপথ মন্ত্রী এ্যাড.নুরুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে পশ্চিমাঞ্চল রেলের পক্ষ থেকে জিএম. মিহির কান্তি গুহ, প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তা মোঃ মাসুদুর রহমান, প্রধান পরিবহণ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আসাদুল হক ও প্রকল্পের পিডি আব্দুর রহিমসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সহায়তায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জানাযায়,বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার আমলে (১৯৭২-৭৩ সালে ) ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়। এ উদ্যেশ্যে মাঝগ্রাম থেকে পাবনা পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করা হয় এবং আংশি জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয় এবং ১৯৭৯ সালে প্রকল্পটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রকল্পটির কাজ পুণরায় শুরু করা হয়। ইতি মধ্যে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পদ্মা বহুমুখী সেতর নির্মাণ কাজও দ্রুত গতিতে চলমান রয়েছে। প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। মাঝগ্রাম-ঢালার চর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার রেল পথে ৭ টি স্টেশন,মেজর ব্রীজ নির্মাণ ৯ টি মাইনর ব্রীজ নির্মাণ ৮০ টি লেভেল ক্রসিং গেট ৬০ টি এ্যাপ্রোচ রোড ১১০০ দশমিক ৮৬ বর্গ মিটার, স্টাফ ব্যারাক নির্মাণ ৫৯৮ দশমিক ৩৮১ বর্গমিটার নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪৫ সাল নাগাদ রেলের উন্নয়নে দিক নির্দেশনা মূলক যে মাস্টার প্লাণ করা হয়েছে সেই দিক নির্দেশনার আলোকে ঈশ^রদী-ঢালার চর ৭৮ কিলোমিটার রেলপথটি পদ্মা নদীর উপর প্রস্তাবিত নতুন রেল কাম রোড ব্রীজ দিয়ে রাজবাড়ী রেল রাইনের সাথে সংযুক্ত হবে। ফলে ঈশ্বরদী-মাঝগ্রাম-ঢালার চর-রাজবাড়ী-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা পর্যন্ত একটি নতুন রেল রুট তৈরী হবে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য পাবনা জেলা শহরকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা এবং সহজভাবে ঢাকার সাথে যোগাযোগ স্থাপনসহ ঐ এলাকার জনগনের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা। এছাড়া ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে এবং আঞ্চলিক সংযোগের ক্ষেত্রে একটি বিকল্প রেলপথ স্থাপন করা হবে। নতুন এ রেলপথটি চালু হলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামি ৪৫ সাল নাগাদ রেলের উন্নয়নের দিক নির্দেশনা মূলক একটি মাস্টার প্লাণ করা হয়েছে। সেই দিক নির্দেশনার একটি পার্ট হলো মাঝগ্রাম-ঢালার চর প্রকল্প বাস্তবায়ন। ধাপে ধাপে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের পর রেল একটি রিমার্কেবল পজিশনে যাবে এবং দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ দৌয়া হবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪৫ সাল নাগাদ রেলের উন্নয়নে দিক নির্দেশনা মূলক যে মাস্টার প্লাণ করা হয়েছে সেই দিক নির্দেশনার একটি পার্টৃ এ মাঝগ্রাম-ঢালার চর প্রকল্প। ধাপে ধাপে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের পর রেল একটি রিমার্কেবল পজিশনে যাবে এবং দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ হবে। দেশের প্রত্যেকটি জেলায় রেলসেবা পৌঁছে দেওয়ার ৪৫ বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মানসে উন্নয়নের অভিযাত্রার অংশ হিসেবে আগামীকাল রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। এজন্য গত শুক্রবার রেলপথমন্ত্রী এ্যাড.নুরুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে প্রধান মন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারা ঈশ্বরদী, পাবনা, ঢালারচর, রাজবাড়ী, ভাঙ্গা-ফরিদপুর পরিদর্শন করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ঢালারচরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য ঢালারচর স্টেশনে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় এমপি ফিরোজ কবীর, রেলের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, পাবনা জেলা প্রশাসক ফিরোজ কবীরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিসহ উৎসুক জনতা অংশ নেবেন। এদিকে নতুন রেলপথে নতুন ট্রেন উদ্বোধনের খবর শুনে মাঝগ্রাম ও ঢালার চর স্টেশন গত কয়েক দিন থেকেই এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় করছে।
web
ebe497c3daffa8ace34d7cebc575700baba64186
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই রক্তক্ষরণের উৎস খুঁজতে বিদেশ থেকে 'ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি' নামক অত্যাধুনিক যন্ত্র আনা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসকরা জানান, এর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের প্রকৃত রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা করা হবে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গত রাতে জানান, বড় ধরনের রক্তক্ষরণের ঝুঁকি এড়াতে বেগম জিয়াকে প্রতিদিনই ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর শরীর এতটাই দুর্বল যে, কথা বলতে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। জটিল এমন শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই গত সপ্তাহে ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য বিদেশ থেকে এই 'ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি' আনা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তবে বর্তমানে তাঁর যে ধরনের চিকিৎসা দরকার সেই প্রযুক্তি আমাদের দেশে নেই। তাই তাঁকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো হলে সুচিকিৎসা সম্ভব। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস ছাড়াও বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার এখন পর্যন্ত পাঁচবার বড় ধরনের রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রতিবারই তিনি মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকিতে ছিলেন। রক্তক্ষরণ হলে শরীর এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে, তিনি উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেন। রক্তবমির কারণে তার খাদ্যগ্রহণের পরিমাণও কমে গেছে।
web
7a92d8528df2d4460738285d234e6b7de048b51f
#মুর্শিদাবাদঃ ভুয়ো পুলিশ সন্দেহে রেল পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করল উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সাগরদিঘীর কাবিলপুর এলাকায়। সাগরদিঘীর কাবিলপুরের বটতলাতে সেলিম শেখের দোকানে অনলাইনের তৎকাল টিকিট কাটা হয়। অভিযোগ সোমবার সন্ধ্যায় ওই দোকানে এসে দোকানদার সেলিম শেখের কাছে টাকা দাবি করে পুলিশকর্মীরা। আর এই নিয়েই বাকবিতণ্ডা বেধে যায়। ওই সময় তিনজন পুলিশ কর্মী সাধারণ পোষাকে ছিলেন। সেখানে প্রচুর মানুষের জমায়েত হলে, একজন রেল পুলিশ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঠিক তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা ভুয়ো পুলিশ ভেবে গাড়ি ভাঙচুর চালায়। ঘটনাস্থলে সাগারদিঘী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাগরদিঘীর কাবিলপুরের বটতলাতে সেলিম সেখের দোকানে অনলাইনের তৎকাল টিকিট কাটা হয়। অভিযোগ সোমবার আজিমগঞ্জ আর পি এফ থেকে চারজনের একটি তদন্তকারী দল ওই দোকানে হানা দেয়। চারজনেই সাধারন পোষাকে ছিলেন। তারা প্রথমেই দোকানে ঢুকে তৎকালের টিকিটের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ পরীক্ষা করতে থাকে। কম্পিউটারের সিপিইউ খুলে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয়। অভিযোগ সেইসময় এক পুলিশকর্মী সেলিম সেখের কাছে টাকা দাবি করে। এতেই সন্দেহ হয়। এরপরেই কর্তব্যরত রেল পুলিশদের কাছে তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চায়। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে চলে আসে। এইসময় এক পুলিশকর্মী পালিয়ে যায়। এরপরেই গ্রামবাসীরা গাড়ি ভাঙচুর করে। সাগরদিঘী থানায় খবর দিলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে তিন রেল পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে। যদিও আর পি এফ থেকে এই ঘটনায় কিছু বলতে চাইনি। সেলিম সেখের বাবা ফজলুর হক বলেন, আমার ছেলের দোকানে ওই পুলিশ কর্মীরা এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তারপরেই কম্পিউটার, জেরক্স মেশিন সব ওদের গাড়িতে তুলে নেয়। আমার ছেলের কাছে টাকা দাবি করে না হলে জেল হবে বলেও হুমকি দেয়। তারপরেই আশেপাশের লোকজন এসে ওই পুলিশ কর্মীদের সাথে কথা বলতেই বচসা বেধে যায়। তারা পরিচয়পত্র দেখাতে চাইনি। কাবিলপুর পঞ্চায়েতের প্রধান লাইলা বিবির স্বামী জের মহম্মদ বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যাই। উত্তেজিত জনতা তাদেরকে মারধর করে। ওরা অন্যায়ভাবে টাকা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ। সাগরদিঘী থানার পুলিশ এসে ওদের উদ্ধার করে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিই। নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
web
d59d8f456d5320e777e77a1d3e4bb011342b23cb
রাজশাহী ব্যুরো : শীত মৌসুম মানে পিঠা পায়েসের মৌসুম। নতুন ধানের চালের সাথে চিনি কিংবা গুড়ের মিশ্রনে তৈরি পায়েস দেখে রসনা সংযত করতে পারবেন এমন মানুষ খুব আছে। আর নবান্নতো শুরু হয় পিঠা পায়েস দিয়ে। এসময় যেমন আমন ধান ওঠে তেমনি আসে মাঠে মাঠে আখ হতে রস। যা দিয়ে চিনি আর গুড় হয়। আর এসময় মেলে খেজুর গাছ হতে কলস কলস ভরা রস। এ রস দিয়ে যেমন পায়েস বানানো যায় তেমনি গুড়ও তৈরী হয়। আল্লাহর কি কুদরত লাঠি ভরা শরবত কিংবা শুকনো কাট কেটে হাড়ি ভরা রসনামে। বল দেখি এগুলোর নাম কি। এমন ধাঁ ধাঁ এখনো গ্রামাঞ্চলে ছেলে মেয়েরা একে অপরের প্রতি ছুঁড়ে দিয়ে মগজ যাচাই করে। যার সহজ উত্তর হলো আখ আর খেজুর গাছ। আর যা দিয়ে তৈরী হয় চিনি আর গুড়। আর দুটোই মেলে শীতকালে। প্রত্যেক মওসুমে আল্লাহর পাকের পক্ষ থেকে নেয়ামত হিসাবে ভিন্ন ভিন্ন ফল ফলারীর মওসুম আসে শীতকালে যেমন আখ খেজুর রসসহ শীতকালীন শাক-সবজি মানুষের প্রয়োজন মেটায়। তেমনি গ্রীস্মকালে প্রচ- খরতাপে ওষ্ঠাগত প্রাণে স্বস্তি প্রশান্তি আনতে আসে রসালো শাসালো ফল আম লিচু তাল বেল তরমুজ জামসহ নানান ফল। যেন প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের প্রয়োজনে আসে এসব নেয়ামত। এক শ্রেণির অসৎ মানুষ অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী এসব নেয়ামতকে বিষ করে তুলছে। এখন চারিদিকে চলছে গুড় তৈরির মওসুম। আখ মাড়াই আর খেজুরের রস জাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়। হাটে বাজারে বিক্রিও হচ্ছে। কিন্তু এই গুড় কতটা মানবদেহের জন্য নিরাপদ। অতিমুনাফার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল গুড় তৈরি করছে। চিনি আর গুড়ের মধ্যে কেজি প্রতি পঁচিশ ত্রিশ টাকার ফারাক কাজে লাগাচ্ছে। আর ঝক ঝক আকর্ষণীয় গুড় দেখানোর জন্য ব্যবহার হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। বিক্রেতাদের মন্তব্য সবাই সুন্দর চায়। কিন্তু সব সুন্দর যে সুন্দর নয় সেটা বোঝে ক'জন। রাজশাহী অঞ্চলের বেশ ক'জন গুড় উৎপাদক জানান আমরা ইচ্ছে না থাকা সত্বেও প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য ভেজাল গুড় বানাচ্ছি। বিভিন্ন উপাদান মেশাচ্ছি। কারো কারো মতে এগুলো খুব একটা বিষাক্ত নয়। দামের হেরফেরের কারনে আখ কিংবা খেজুর রসের সাথে সাথে চিনি মেশানো হচ্ছে। আর কালোকে ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হাইড্রোজ, ফিটকারী, ইউরিয়াসহ বিভিন্ন পদার্থ। এতে করে গুড়ের কালো রং ঘিয়ে হয়ে যায়। তবে অনেকে মিলে চিনি তৈরীর পর মোলাসেস বা চিটা গুড় ব্যবহার করছে। যা পশুখাদ্য হিসাবে ব্যবহার হবার কথা। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ আর জেল জরিমানা করলেও থেমে নেই এর উৎপাদন। ক'জন গুড় উৎপাদককে প্রশ্ন করা হয় আপনি কি এসব গুড় খান। সরাসরি বলেন আমাদের জন্য আল্দাা ভাবে তৈরি করি। শহুরে অনেক পরিচিত জন আসল গুড়ের অর্ডার দিলে তাদের তা দেয়া হয়। চাইলে নিতে পারেন। তবে দাম একটু বেশি পড়বে। শহুরে বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় নতুন গুড়ে ভরা। বেচাকেনা মন্দ নয়। ভেজাল মুক্ত গুড়ও রয়েছে কারো কারো কাছে। বেশি দাম দিলে মেলে গোপনে। প্রতিদিন এ অঞ্চলে উৎপাদিত ট্রাক ট্রাক গুড় যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন হাত বদল হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। খাঁটি মানের গুড় তৈরিতে প্রয়োজন নজরদারী ও সচেতনতা বৃদ্ধির।
web
22d65b7acf83f71ab8e0121f7d488b4697f53e08
৩ মার্চ বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে ৫৫ শতাংশের বেশি ভোট রেকর্ড করা হয়েছে। এই পর্বে ১০টি জেলা জুড়ে বিস্তৃত ৫৭টি আসনের জন্য ৬৭৬ জন প্রার্থীর মধ্যে বিশিষ্ট মুখগুলির মধ্যে রয়েছে গোরখপুর আরবান থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং তমকুহি রাজ থেকে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অজয় কুমার লালু। সন্ধ্যা ৭টায় আপডেট করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫৫. ৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ৫৭টি আসনে ভোট পড়েছে ৫৬. ৪৭ শতাংশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছে "নির্বাচন কর্তৃপক্ষ পরে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে। " এর সঙ্গে মোট ৪০৩ টি বিধানসভা আসনের ৩৪৯টির জন্য ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৫৪টি আসনে চূড়ান্ত পর্বের ভোট হবে ৭ মার্চ। এই পর্বে প্রায় ২. ১৫ কোটি মানুষ ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিল। সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার যে জেলাগুলিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল সেগুলি হল আম্বেদকরনগর, বলরামপুর, সিদ্ধার্থ নগর, বাস্তি, সন্ত কবির নগর, মহারাজগঞ্জ, গোরখপুর, কুশিনগর, দেওরিয়া এবং বালিয়া। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪৬টি আসন জিতেছিল। ভারতের নির্বাচন কমিশনের টার্নআউট অ্যাপ অনুসারে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৫৩. ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা (ACEO) বিডিআর তিওয়ারি বলেন যে রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের তথ্য অনুযায়ী আম্বেদকরনগরে 62. 66 শতাংশ, বালিয়ায় 52. 01 শতাংশ, বলরামপুরে 48. 90 শতাংশ, বস্তিতে 57. 20 শতাংশ, দেওরিয়ায় 56 শতাংশ, গোরক্ষপুরে 58. 89 শতাংশ, কুশিনগরে 59 শতাংশ, মহাগঞ্জে 59 শতাংশ, রাজগঞ্জে 59 শতাংশ ভোট পড়েছে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী কবির নগরে ৫২. ২০ শতাংশ এবং সিদ্ধার্থ নগরে ৫১. ৬০ শতাংশ। সকালে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী সতীশ দ্বিবেদী, বিরোধী দলের নেতা রাম গোবিন্দ চৌধুরী, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির প্রধান ওম প্রকাশ রাজভর, মন্ত্রী উপেন্দ্র তিওয়ারি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী নারদ রাই। ভোট দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে "বিজেপি ৮০ শতাংশ ভোট পাবে এবং বাকি ২০ শতাংশ বিরোধীদের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। " সমাজবাদী পার্টি বিজেপির প্রাক্তন নেতা প্রয়াত উপেন্দ্র দত্ত শুক্লার স্ত্রীকে আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। আজাদ সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর আজাদও গোরখপুর আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই পর্বে ভোটিং মেশিনে যে মন্ত্রীদের নির্বাচনী ভাগ্য সিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন পাথরদেব থেকে সূর্য প্রতাপ শাহী, ইটওয়া থেকে সতীশ চন্দ্র দ্বিবেদী, বানসি থেকে জয় প্রতাপ সিং, খাজানি থেকে শ্রী রাম চৌহান এবং রুদ্রপুর থেকে জয় প্রকাশ নিষাদ। এই পর্বের প্রচারণায় রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণের সাক্ষী ছিল।
web
df4760a3e821c0865d1a5c9531b514e6a69126774f7f0b0489efa6da3341f0ce
শ্রীসংযুক্ত। মিত্র এমনই এক বসন্তুদিনে যখন আমের মুকুলের মধুগন্ধে বাতাস মন্থব, যখন 'কোকিল কুহরি হয়ে কোন্ সুদূর হ'তে গম্ভীর মন্ত্রধ্বনি বাতাসে ওঠে বারবার' - তখন পথ চলেছে বাসবদত্তা । আর ঠিক তখনই সাক্ষাৎ হ'ল তার জীবনের চিববাঞ্ছিতের সঙ্গে। যে বাঞ্ছিত তার জীবনে আকস্মিক, অনাহূত। একদিকে নটী, অন্যদিকে সন্ন্যাসী, বাসবদত্তা আর উপগুপ্ত, কামনা আর নিবৃত্তি ; রূপ আর অপরূপ । প্রগল্ভা বাসবদত্ত। সেদিন প্রথমে তাকে চিনতে পারেনি, প্রদীপ তুলে দেখেছে শুধু তার 'নবীন গৌব কান্তি'। দেখেনি যে অমর্ত্য শান্তি ও ক্ষান্তি ঐ কমনীয় রূপের আড়ালে আত্মগোপন ক'রে আছে। তাই তার কামনাকুঞ্জে তাকে আমন্ত্রণ করতে বোধ করেনি সে কোন বাধা । প্ৰত্যাখ্যানে ভেবেছে কে এই সুষ্পব ? বোঝেনি এই সুন্দবই জীবনের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকে আহ্বান ক'রে নিতে - ভুল হ'তে, মোহ হ'তে। যে চেয়েছে তাকে, সে তো পাবেই। কিন্তু যে চায়নি তাকে ? সেও পাবে। নইলে প্রভু বুদ্ধের অভযবাণীই যে মিথ্যা হয়ে যায়। পঙ্ক হ'তে পঙ্কজিনী আহরণই তো এ ব্রতের প্রধান সাধন । বাতাসে আজও যেন ভেসে আসে কানে । কত যুগ । কতদিন আগের সে কথা। মানবসভ্যতার ইতিহাসের চরণধ্বনির মহালগ্ন। তবু সে লগ্নেবই প্রভায় আলোকিত হ'ল, কত যুগ-যুগান্তরের সভ্যতার সাধনায় জ্বলে উঠল কত প্রদীপ। ইতিহাসের খোলা পথে কত জীবন ধন্য হ'ল, - নেমে এল কত উত্তাল হৃদগেব বেলাভূমির উপর পরম করুণার অভয়স্পর্শ। সে 'মাভৈঃ' বাণীর স্বাক্ষর রইল কত কাব্যে - অশ্বঘোষ হ'তে ববীন্দ্রনাথে। বুদ্ধজীবনেব পটভূমিকায ববীন্দ্রকাব্যে তিনটি মহা বিস্ময়কর চরিত্রের সাক্ষাৎ মেলে। তিনটি অপরূপ সৃষ্টি : বাসবদত্তা, প্রকৃতি ও শ্রীমতী । বিষম ধাতুতে গড়া তিনটি নাবীচরিত্র। কবিব প্রতিভালোকের স্ফুরণে পাঠকচিত্তে তিনটি পরমবহস্যময় জিজ্ঞাসা। 'বাসবদত্তা' নটী, রূপোপজীবিনী, দেহের যৌবনই তার অর্থ্য । কামনার আগুনে রূপের দাহনে প্রদীপ্তা নারীজীবনের বসন্ত-ক্ষণকেই শাশ্বত মনে ক'রে সে মহাম্মুখী। ষৌবনমদমত্তা জনপদবধূ তাই সুনীল আঁচল উড়িয়ে, নূপুরে রুনুঝুনু ঝঙ্কার তুলে, পথিকচিত্তে দোলা লাগিয়ে - রঙ জাগিয়ে পথ চলে। দুই চোখে তার শুধু স্বপ্নের নয় - মোহের কাজল । সে মায়া-কাজলের দৃষ্টিতে জগৎ বড় সুন্দর - জীবন বড় মধুময়। প্রেম ? - সে তো চিরন্তন। চরম আঘাতের মধ্যে বাসবদত্ত। অন্তরের অন্তরে অম্বুভব ক'রল এই সত্য। জীবনের বসস্তদিনে ক্ষণিক উৎসবের মোহে মুগ্ধ হয়েছিল সে। উৎসব-শেষে উচ্ছিষ্ট পাত্রের মতোই তাকে পথের পাশে পরিত্যাগ ক'রে গেলতারই স্তাবকের দল। আবার সেই ফাল্গুনী পূর্ণিমা। আবার সেই কোকিল-ঢাকা, জ্যোৎস্নাভরা রাত! আমের মুকুল্বের গন্ধভব! মন্থর দিন ফিরে এল। চরম অপমান ও ব্যাধিৰ উৎকট যন্ত্রণার মধ্যে বাসবদত্ত। আজ উপলব্ধি করেছে জীবনের ক্ষণিকতা । যে মুহূর্তে তার মুর্ছিত হৃদয উৎকর্ণ হয়ে প্রতীক্ষা করেছে দুটি করুণকোমল পায়ের শব্দ, সেই মুহূর্তে সেই সন্ন্যাসীব কোমল কবস্পর্শে বাসবদত্তা জেগে উঠল শুধু চেতনায় হয়, প্রজ্ঞাব আশ্বাসে একটি মহার্জাবনের স্পর্শের ব্যাকুলতার সত্যের কোলে ভ্রান্তির লয় হ'ল। একটি অপূর্ব চবন পরিণতিব মাঝেই কবিতাটির সমাপ্তি - 'আজি রজনীতে হয়েছে সময়, এসেছি বাসবদত্তা। একদিন চঞ্চল পদ-তাড়নায় সে যার ঘুম ভাঙিয়েছিল, আজ তাবই পায়ের উপর লুটিযে প'ড়ল একটি ঘুম-ভাঙা প্রাণ । 'প্রকৃতি'র চরিত্র-বল্পনা 'বাসবদত্তা'র সম্পুর্ণ বিপরীত। বহুজনসেব্য। সে নয়, সে বহু জন্ম অবমানিতা। সমাজের একটি কোণে অপাঙক্তেয় ভাগ্যহত জীবনের বোঝা সে নীরবে বহন কবে । প্রতিবাদ নয়, বিদ্রোহ নয়, কুণ্ঠিত দীনতায় দিন কাটে তার। পরিচয় তার নাবীরূপে চণ্ডালকন্যারূপে । সামাজিক গৌবব সে জানে না। সে জানে না যে তার চবম আত্মগুপ্তির অন্তরালে একটি চরম বৈভব আছে লুপ্ত । সেটি তার মহাসম্পদময় অন্তর । সমস্ত অপমান ও দীনতার বহু ঊর্ধ্বে যাব বিহার । যে শুধু পাবার অধিকারই রাখে 71, বাখে দেবারও স্বাধিকার। তাই যেদিন পথশ্রান্ত ভিক্ষু আনন্দ পিপাসার শাস্তি - 'একটি গণ্ডূষ জল' প্রার্থনা করলেন তারই কুয়ার পাশে এসে, সেদিন সে মহাবিস্ময়ে প্রথম উপলব্ধি ক'রল যে সে শুধু চণ্ডালকন্যা নয়, সে নারী। [ ৬৩তম বর্ষ-~-৪র্থ সংখ্যা পরিপূর্ণ নারীত্বের বঞ্চিত প্রলুপ্ত মহিমা সেদিন তার বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধায় জেগে উঠল অন্তরে । এই কাহিনীর আভাস কবির 'জলগাত্র' কবিতাতেও পাই। উদাসিনী ক্যাব বিহ্বল তাঁ, বাজ-ভোলা ব্যাকুলত্তা দর্শনে মাযের বিস্ময়ের উত্তর দিচ্ছে প্রকৃতি : 'সেদিন বাজবাড়ীতে বাজল বেলা দুপুরের ঘণ্টা । ঝাঁ ঝাঁ করছে রোদ্দুর । মা-মরা বাছুবটাকে নাওয়াচ্ছিলুম কুয়োব ওঁলে। । কখন সামনে দাঁড়ালেন বৌদ্ধ ভিক্ষু। পীত বসন তাঁর । বললেন - জল দাও।' (চণ্ডালিকা ) ঘটখানি নামাইযা চরণে প্রণাম ক'রে কহিলাম 'অপবাধী করিও না মোরে'। শুনিয়া আমার মুখে তুলিলে নযন বিশ্বজয়ী, হাসিয়া কহিলে, - হে মৃন্ময়ী পুণ্য যথা মৃত্তিকার এই বসুন্ধরা শ্যামল কান্তিতে ভরা সেইমত তুমি লক্ষ্মীর আসন তাঁব কমলচরণ আছ চুমি। হুন্দবেব কোন জাত নাই, মুক্ত সে সদাই। (জলপাত্র ) এতদিন সে একটি বিরাট অপ্রাপ্তিব অতল অন্ধকারে ডুবে ছিল, শুধু ধু 'না'-এর কণ্টকে ঘেব। ছিল তার জগৎখানি। সমাজে নয়, সংসারে নয়, সম্মানে নয়, বিনিময়ে নয় ; প্রতিদানে তার দেবারও নয কিছু। কিন্তু সব নিষেধের ক্ষুদ্র সীমানা ঐ ভিক্ষু আনন্দের জল প্রার্থনায় চুরমার হয়ে গেল। প্রকৃতির মনে হ'ল : 'কেবল একটি গণ্ডুষ জল নিলেন আমার হাত থেকে । অগাধ অসীম হ'ল সেই জল। সাত সমুদ্র এক হয়ে গেল, সেই জলে ডুবে গেল আমার কুল, ধুয়ে গেল আমার জন্ম।' নতুন বেদনার মাঝে নবজন্ম হ'ল প্রকৃতির। চিত্তে ঘনিয়ে উঠল প্রাপ্তির দুরন্ত ব্যাকুলতা পেতে হবে তাকে, যে ঘটালো তার এই নবরূপ, তাবু রূপান্তর । পেতে হবে তাকেদূব থেকে নয়, একান্ত প্রিয়তমরূপে। জানাতে হবে - প্রভু, আমি তোমারি। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল প্রকৃতি, শত অনুনয়ে, অশ্রুর প্লাবনে, মায়ের সহস্র নিষেধ প'ড়ল ভেঙে। সম্মত হ'ল সে বশীকরণ-মন্ত্রেব নাগপাশ পরিয়ে টেনে আনতে ভিক্ষুশ্রেষ্ঠকে। কিন্তু আশ্চর্য এই, যখন প্রলয়-মন্ত্রেব সম্মোহনে অসহায় আনন্দ দৈন্যের ও অপমানের ধূলার উপর দিয়ে প্রকৃতির দ্বাবে আসছেন, তখন বিদ্যুতের ঝলকে ঝলকে প্রকৃতির হৃদয়ের সমস্ত অন্ধকার চরম আঘাতে আঘাতে দীর্ণ বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যেন সে বুঝতে চাইছে, বুঝতে পারছে যে এই অপমানিত হতজ্যোতি ভিক্ষু তার কাম্য প্রিয়জন নয়, এ যে তারই মতো ধুলোর মধ্যে মিশে মৃন্ময় রূপ পবিগ্রহ করছে। কোথায় তার সেই দিব্য চিন্ময প্রভা ? এই অশুভূতির চরম লগ্নেই প্রকৃত নবজন্ম হ'ল প্রকৃতিব সে বুঝতে পাবলো - দৈহিক সান্নিধ্যে একান্ত পাওয়া প্রকৃত পাওয়া নয় । তার আগমনের রথেব ধ্বনি মনের মধ্যে আত্ম-জাগবণের ঊষালগ্নে এসে দাঁড়াবে। তাব দিব্যজ্যোতির উজ্জ্বল ছটায় সত্যকার মিলন হবে দু-জনার । জৈব কামনায় নয়, হৃদয়েব মণিকোঠাৰ পদ্মবেদীতে পাততে হবে তাঁর আসন । প্ৰেয লীন হবে শ্রেয়ে। তাই আনন্দ যতই এগিয়ে আসছেন নিকট হ'তে নিকটে, ততই নবভাবে জাগ্রতা প্রকৃতি বলছে তাব। মায়ের ব্যাকুল আকুতির উত্তরে : 'অভিশাপ নয়, অভিশাপ নয় আনছে আমার জন্মান্তর, মরণের সিংহদ্বার খুলছে, বজ্রের হাতুড়ি মেরে । ভাঙলে। দরজা, ভাঙলো প্রাচীর, ভাঙলো আমার এ জন্মের সমস্ত মিথ্যে।...... মা, ভয় হচ্ছে। তাঁর পথ আসছে শেষ হয়ে - তার পরে ? তার পরে কি ? শুধু এই আমি? আর কিছু না।...... শুধু আমি? কিসের জন্য এত দীর্ঘ, এত দুর্গম পথ, শেষ কোথায় এর ? শুধু এই আসাতে ?? এই আত্মজিজ্ঞাসা আর আত্মধিক্কারের মধ্যে প্রকৃতির চণ্ডাল-সংস্কাবের যত অশুচিতা ও অপবিত্রতা দগ্ধ হয়ে - ভন্য হয়ে গেল। সেই চিতাভস্মে যে উঠে দাঁড়ালো, সে প্রেমিকা নয় - সেবিকা। জৈবিক প্রয়োজনের ভস্মশেষে মহাজীবনের আশীর্বাদধন্য। কল্যাণী নারী। তাই আনন্দ যখন সত্যি তার দ্বারে এসে দাঁড়ালেন, তখন তাঁর পায়ের উপর লুটিয়ে প'ড়ল সে। একদিন পিপাসার শাস্তি একটি গণ্ডুষ জলমাত্র সে তাঁকে দান করেছিল, আজ তুলে ধ'রল তার ভক্তির অঞ্জলি-তার নব রূপাস্তবের কুসুম-অর্থ্য। 'প্রভু, এসেছ আমাকে উদ্ধাব করতে। তাই এত দুঃখই পেলে - ক্ষমা করো, ক্ষমা করে।। অসীম গ্লানি গদাঘাতে দূর ক'রে দাও। টেনে এনেছি তোমাকে মাটিতে। নইলে কেমন ক'রে আমাকে তুলে নিয়ে যাবে তোমার পুণ্যলোকে। ওগো নির্মল, পায়ে তোমার ধুলো লেগেছে - সার্থক হবে সেই ধুলো লাগা। আমার মায়া-আবরণ পড়বে খসে তোমার পায়ে, ধুলো সব নেব মুছে। জয় হোক, জয় হোক, তোমার জয় হোক।' রবীন্দ্রনাথের কাব্যে অন্য দুটি যুদ্ধ-ভক্ত নারীর সন্ধান পাওয়া যায়; তাদের নাম শ্রীমতী ও সুপ্রিয়া । অমলিন তাদের জীবনের শাস্ত প্রবাহে প্রকৃতি বা বাসবদত্তার মতো বিপ্লবের আভাস নেই। একটি শান্ত, নম্র
pdf
2eaeb68803d7a45d53575c6ea04c00e6
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভেঙে যেস্থান থেকে মিছিল বের করেছিল ভাষা সৈনিকরা, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সেই আমতলা থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত সোমবার বিকালে এই প্রতীকী পদযাত্রা হয়। গত ১৭ বছর ধরে ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে আমতলা গেইট থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন স্মৃতি রক্ষা পরিষদ প্রতীকী পদযাত্রা করে আসছে বলে জানান পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সালমা আহমেদ হীরা। তিনি বলেন, ১১ দফা দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। এসব দাবির মধ্যে কয়েকটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে প্রতীকী পদযাত্রার আগে আমতলায় অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ১১ দফার সব প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। সভায় ভাষা আন্দোলন স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সভাপতি এমআর মাহবুব বলেন, বাঙ্গালি জাতিরাষ্ট্রের বিকাশে ভাষা আন্দোলনের ভূমিকা ছিল অনন্য। দীর্ঘদিন হলেও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্নগুলো আমরা এখনও সংরক্ষণ করতে পারিনি। ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জড়িত সব স্থান চিহ্নিত করা ও সংরক্ষণের পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন স্মৃতি দিবসগুলো যথাযথভাবে পালনের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভাষা শহীদ ও সৈনিকদের নামে চত্বর, তোরণ, বিভিন্ন স্থাপনা, স্থান, সড়ক নির্মাণ ও নামকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি ভাষা শহীদদের কবর শনাক্ত করতে হবে। মাহবুব বলেন, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত রশিদ বিল্ডিং, ১৪৪ ধারা ভাঙার গেইট, শহীদ মিনার হয়ে আজিমপুর কবরস্থান পর্যন্ত সড়কটিকে শহীদ সরণি বা ভাষা আন্দোলন স্মৃতি সড়ক নামকরণ করা ও নাম ফলক লাগানোর দাবি জানাচ্ছি আমরা।
web
5f27a27c15cc6562218a26834a6db3c1d62274bc
চলচ্চিত্র জগতে একের পর এক নজির 'পাঠান'এর (Pathaan)। হিন্দি ছবির ইতিহাসে ১০০০ কোটির ব্যবসা হাঁকিয়ে এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল শাহরুখের (Shah Rukh Khan) ছবি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম কোন বলিউড ছবি মুক্তি পেল বাংলাদেশে (Pathaan in Bangladesh)। ১২ মে শুক্রবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পাঠান। দেশ বিদেশের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে শাহরুখের অগুনতি ভক্ত সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশেও। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে বসে বাদশার ছবি দেখার জন্যে প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় সিনেমাহলে। প্রেক্ষাগৃহে 'জুমে জো পাঠান'এর তালে নেচে উঠলেন তরুণী। (টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ সোশাল মিডিয়া থেকে আপনার কাছে সর্বশেষতম ব্রেকিং নিউজ, ভাইরাল ট্রেন্ডস এবং ইনফরমেশন নিয়ে আসে SocialLY। উপরের পোস্টটি ব্যবহারকারীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি এম্বেড করা হয়েছে এবং লেটেস্টলি এতে কোনও সংশোধন বা সম্পাদনা করেনি। সোশাল মিডিয়া পোস্টের মতামত এবং তথ্য লেটেস্টলি-র মতামতকে প্রতিফলিত করে না। লেটেস্টলি এর জন্য কোনও দায়বদ্ধতা বা দায় গ্রহণ করে না। )
web
cc329e4fb5005f6db5f21f8245eb58cc9a4c186a
পিকলুর দাদা অনেক দেখেশুনে পিকলুর বাবাকে বিয়ে দিলেন। বিয়ের পর একদিন পিকলুর দাদার ইচ্ছে করল বেয়াই বাড়ি যাবেন। এক শুভ দিনক্ষন দেখে পোটলা বেধে মনের আনন্দে চললেন বেয়াই বাড়ি। বেয়াইয়ের বাড়ি যে অঞ্চলে, সে অঞ্চল ছিল মুলার জন্য বিখ্যাত! পিকলুর দাদা সেখানে যেতেই তার বেয়াই রীতিমত হইচই শুরু করে দিলেন। এই পুকুরে জাল ফেলেন, মুরগী জবেহ্ করেন, খাসি জবেহ্ করেন, গরুর মাংস কিনে আনেন! নানান আয়োজন। খেতে বসে পিকলুর দাদা পড়লেন মহা বিপদে। প্রথমে আসলো মুলার শাক। তারপর মূলা দিয়ে রান্না করা পুকুরের মাছ। মাংসের বাটির দিকে হাত দিয়েও পিকলুর দাদা মূলার গন্ধ পেলেন। খাসির মাংস ভুনা আসাতে খুশি হয়ে গেলেন। কিন্তু সেটা পাতে নিয়েও দেখেন মূলা দেয়া। সব শেষে আসল মুলা দেয়া ডাল!! থমথমে মুখে পিকলুর দাদা খাওয়া শেষ করলেন। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন মূলার অত্যাচার আর না। আজকেই রওনা। বেয়াই অনেক জোড়াজুড়ি করলেও পিকলুর দাদা তার সিদ্ধান্তে অটল। পিকলুর দাদা যখন রওনা দিলেন তখন তার বেয়াই তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, "বেয়াই, আইলেন তো আইলেন, মূলার দিন আইলেন না। আপনেরে মূলা খাওয়াতে পারলাম না। আরেকবার মূলার দিন (মূলার সিজনে) আইয়েন!!!"
web
f7e0e2f18ffb3e4acd8bbd9c465a2f6a02df0307
আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স (Monkeypox)। কানাডা (Canada), সুইডেন, অস্ট্রেলিয়ার পর এবার মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণের খবর মিলছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং জার্মানি থেকে। শুক্রবার ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং জার্মানিতে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খবর মেলে। ফ্রান্সে বছর ২৯-এর একজনের শরীরে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ধরে পড়েছে। বেলজিয়ামের দুই শহরে ২ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত। ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে স্পেন, ইতালি, পর্তুগালেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খবর মেলে। স্পেনে নতুন করে ১৪ জন মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত বলে খবর। ফলে স্পেনে (Spain) এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্সে ২১ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। যা নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলিরর মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এদিকে আমেরিকার (US) তরফে জানানো হয়, আফ্রিকায় জোরদার কামড় বসিয়েছে মাঙ্কিপক্স। এমনকী আফ্রিকায় কার্যত অতিমারীর রূপ নিতে শুরু করেছে এই রোগ। বর্তমানে আমেরিকার বেশ কয়েকটি জায়গায় ৬ জনের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। অএই ৬ জন সম্প্রতি নাইজেরিয়া এবং ব্রিটেন থেকে দেশে ফেরেন। নাইজেরিয়া এবং ব্রিটেন থেকে ফেরার পরই ওই ৬ জনের শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা যায় বলে মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়। আমেরিকায় চলতি সপ্তাহে ম্যাসাচুটেসে প্রথম মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়ে। জানা যায়, যে ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়ে, তিনি এপ্রিলের শেষে কানাডা থেকে ফেরেন। তবে গত বছর নাইজেরিয়া ফেরৎ টেক্সাস এবং মারিল্যান্ডের ২ বাসিন্দা মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হন।
web
314147b07694bed2b1a0d3188c277e5eb50be3fb
অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের (Srabanti Chatterjee) নাম উঠলেই বিতর্ক যেন পিছু পিছু চলে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো শ্রাবন্তীকে নিয়ে নিন্দা করার জন্য মুখিয়ে থাকে নেটিজেনরা। কখনও তাঁর স্বামী রোশনকে নিয়ে, কখনও গুঞ্জনে থাকা তাঁর নতুন প্রেমিক অভিরূপকে নিয়ে চলে নানা গসিপ। তবে এসবে পাত্তা দেন না শ্রাবন্তী। বরং নিজের জীবনকে নিজের নিয়মেই কাটাতে চান। ১৩ আগস্ট তাঁর জন্মদিনে সেই নিয়মের কথাই শুনলেন শম্পালী মৌলিক। প্রশ্নঃ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আর ১৪ আগস্ট আপনার ছেলে অভিমন্যুর জন্মদিন। প্ল্যান কী? উত্তরঃ এবার তেমন কিছু প্ল্যান নেই। আর আমার দিদি অন্তঃসত্ত্বা। এক-দেড়মাসের মধ্যেই ওর প্রথম সন্তান আসবে। ফলে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাব। প্রশ্নঃ আর ছেলের (অভিমন্যু) জন্মদিনে কী উপহার দেবেন? উত্তরঃকিছু না কিছু গিফ্ট করব তো বটেই। আসলে ওর ডবল গিফ্ট প্রাপ্য। কিছুদিন আগেই আইসিএসই পাস করল, প্লাস জন্মদিন (হাসি)। প্রশ্নঃ এই প্যানডেমিকের মধ্যে আবার সিনেমা হল খুলেছে। তবে ২২ আগস্ট আপনার অভিনীত ছবি 'আজব প্রেমের গল্প'-র গ্র্যান্ড টেলিভিশন প্রিমিয়ার হবে জি বাংলা সিনেমায়। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলে কি বেশি খুশি হতেন? উত্তরঃএকটু বেশি খুশি হতাম ঠিকই। কারণ, আমাদের ছবি সবসময়ই আমরা বড়পর্দায় দেখতে চাই, মানুষ দেখেও এসেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যা, কিছু করার নেই। এই ছবিটা আগেই ওটিটি-তে (জি ফাইভ-এ) এসেছে। সেখানে দারুণ সাড়া পেয়েছি। এবারে 'জি বাংলা সিনেমা'তে আসছে। যাদের ওটিটি নেই তারা টেলিভিশনে ছবিটা দেখতে পাবে। খুব আশাবাদী এই ছবিটা নিয়ে। একদম ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড গল্প। ভালবাসার কোনও বয়স নেই, সেটাই দেখা যাচ্ছে ছবিতে। রাজা চন্দর সঙ্গে এটা প্রথম কাজ আমার। প্রশ্নঃ এখন কি টেলিভিশন শোয়ের শুটিং করছেন? উত্তরঃ এই 'আজব প্রেমের গল্প'-র প্রোমোশন করছি। তারপর আস্তে আস্তে আমার ছবির হল রিলিজও হবে। 'কাবেরী অন্তর্ধান', 'লকডাউন' আর বাংলাদেশের একটা মুভি 'বিক্ষোভ' মুক্তির অপেক্ষায়। এর মধ্যে 'ডান্স বাংলা ডান্স'-এর চারটে এপিসোডে গেলাম। ভাল লাগল। প্রশ্নঃ এই মুহূর্তে রাজনীতি নিয়ে কী ভাবছেন? উত্তরঃ যেটা আমার ব্রেড অ্যান্ড বাটার, ছোটবেলা থেকে যেখানে কাজ করে আসছি, যেটা আমার প্যাশন, সেই অভিনয়েই মন দিয়েছি। আমি তো নন পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছিলাম। আমাকে একটা জায়গা দেওয়া হয়েছিল। হতে পারে পরাজিত হয়েছি। তবে মানুষের রায় মেনে নিয়েছি। ভালবাসার মানুষজন আমাকে অভিনেত্রী হিসাবেই দেখতে চায়। কাজেই ফিল্মেই বেশি কনসেনট্রেট করছি। রাজনীতি নিয়ে এখন ভাবছি না। প্রশ্নঃ গত দুটো বছরে তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সকলের জীবনেই খুব ঝড়ঝাপটা গেল। আগামী নিয়ে কী ভাবছেন? উত্তরঃ মন থেকেই চাই করোনা-মুক্ত পৃথিবী দেখতে। আবার সেই আনন্দ-উৎসবের দিন ফিরে পেতে চাই। সাধারণ মানুষ কাজের জায়গায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাক। আবার নির্ভয়ে ফিল্মের শুটিং করতে চাই। প্রশ্নঃ গতবছর রাজনৈতিক কারণে হোক বা সম্পর্কের কারণে আপনি ট্রোলড হয়েছেন। এই ট্রোলিং কীভাবে দেখেন? উত্তরঃ এই প্যানডেমিকের সময় দেখেছি মানুষের কাজ কম। বাড়িতে বসে বসে ডিপ্রেশন হচ্ছে, অন্য লোককে নিয়ে ট্রোল করছে। জানি না কেন হিউম্যান নেচার এমন হয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেদের জীবনে কী ঘটছে তা না ভেবে, অন্যের জীবন নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। ইন্টারনেট আর কিছু ভুলভাল নিউজ পোর্টাল, যাদের নামই হয়তো শুনিনি, সে সব কিছু দেখেই ট্রোলিং শুরু করে দিচ্ছে। এতে আমার আর খুব কিছু যায় - আসে না। সময় আর ডেস্টিনিতে বিশ্বাস করি। সকলের জীবনেই সমস্যা থাকে। সার্কল অফ লাইফে বিশ্বাস করি। যা তুমি করছ, সেটা তোমার জীবনে ফিরে আসবে। আমার জীবন একটাই, নিজের মতো বাঁচতে হবে। কারও কথা জীবনে শুনিনি, শুনব না। যেটা মনে হবে নিজের জন্য ঠিক, সেটাই করব। ভুল তো একবার নয়, দশবারও হতে পারে। কিন্তু সবকিছুরই পজিটিভ দিক থাকে। এবং পরিবারকে দেখতে হবে। আগে ভুল কথা শুনলে খারাপ লাগত। আমি ভগবান নই, যে সবার মুখ বন্ধ করে দেব! বলুক, আর কী বলব। প্রশ্নঃ কিছুদিন আগে দেখলাম আপনি, নুসরত, তনুশ্রী জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। বন্ধুত্ব জমাট। নুসরত একটি প্রথাভাঙা পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেটা নিয়ে আপনার কী বক্তব্য? উত্তরঃ বন্ধু হিসাবে ওকে অনেক শুভেচ্ছা। ও জীবনের এমন সিচুয়েশনে আছে, আজ থেকে অনেক ছোটবেলায় আমি সেখানে ছিলাম। তখন আমি কাছের মানুষদের খুব সাপোর্ট পেয়েছিলাম। ওকেও আমি কাছের বন্ধু হিসাবেই সাপোর্ট করছি। ও মা হতে চলেছে। একজন মা হিসাবে, কলিগ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে ওকে শুভেচ্ছা। প্রশ্নঃ রাজনীতি বন্ধুত্বে ছায়া ফেলেনি তা হলে? উত্তরঃ একদমই না। রাজনীতি আলাদা পার্ট। একটা ছোট ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করছি। বন্ধুত্বের জায়গা আলাদা। পার্টি বা কিছু এসে আমাদের আলাদা করতে পারবে না। প্রশ্নঃ শুনেছি, আপনার স্বামী রোশন সিং আবার আপনার কাছে ফিরতে চান। কী বলবেন? উত্তরঃ এই ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলতে চাই না। আইনজীবীরা বিষয়টা দেখছেন। প্রশ্নঃ শোনা গিয়েছে, আপনি ব্যবসায়ী অভিরূপ নাগচৌধুরির সঙ্গে ডেট করছেন। কী বলবেন? উত্তরঃ এটা নিয়েও কিছু বলতে চাই না। কারণ, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং পরিবার আছে। তাঁর নাম বার বার উঠছে ঠিকই। কারণ, আমরা একই আবাসন 'আরবানা'-য় থাকি। এই অতিমারীতে কিছুটা সময় পেয়েছি, যা আগে কাজের চাপে পেতাম না, সেই জন্যই আবাসনে এক গ্রুপের মাধ্যমে ওঁর সঙ্গে চেনাশোনা হয়। আমরা খুব ভাল বন্ধু, এইটুকু বলতে পারি (হাসি)।
web
457b7029ed975546d2e0a70147cf26f7ef40defe
খুব ছোট বেলায় বাবার সাথে একবার রথমেলায় গিয়েছিলাম। কুষ্টিয়াতে বেশ বড় মেলা বসে রথযাত্রা উপলক্ষে, বিশেষ করে উল্টো রথে। পুরনো একটা চায়না ফনিক্স সাইকেলে বসে বাবার সাথে আবেগে শিহরিত হয়ে এক সময় পৌছে গেলাম রথ মেলায়। হাজার লোকের সমাবেশে ঘুরে ঘুরে এটা ওটা কিনে দিচ্ছিল বাবা আমি কেবল হাতে ধরা ব্যাগে খেলনা, ভুট্টার খই, হাতি ঘোড়া দিয়ে বানানো ছাঁচ মিঠাই গুলো রাখছিলাম। আকাশ জুড়ে ঘন কালো মেঘ, যে কোন সময় বৃষ্টি নামবে, হঠাৎ বাবা আমাকে সাইকেলটা ধরিয়ে দিয়ে বলল "তুই একটু দাড়া আমি আসছি"। বাধ্য ছেলের মত আমি সাইকেলটা ধরে দাড়ালাম, বাবা সেই যে গেলেন ফিরে আসার নাম নেই, হঠাৎ করে বড় বড় ফোটায় বৃষ্টি পড়তে আরম্ভ করল, যে যার মত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে পড়লো, আমি ছোট মানুষ সাইকেলটা নিয়ে ভিড়ের মধ্যে নড়তেও পারছিলামনা, কেবল সংকিত হচ্ছিলাম আমি বোধ হয় হারিয়ে গেছি। এখনই কোন ছেলেধরা আমাকে এসে ধরে নিয়ে যাবে। জীবনে প্রথমবার আমি নিরাপত্তাহীনতা টের পেয়ে ভয়ে কাঁদতে থাকলাম বাবা না আসা অবধি। সৈয়দপুর থেকে রাতের ট্রেনে ভেড়ামারা আসছি পরিবার সহ, জানালার পাশে বসে চুঁরিয়ে যাওয়া আলোয় বাইরের দৃষ্য উপভোগ করছি। রাতের এই ট্রেন গুলোতে যাত্রীদের ভীড় থাকেনা খুব একটা তাই জার্নিটা ভিষন উপভোগ্য হয়। দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটা এগিয়ে যাচ্ছে, হঠাৎ ফাঁকা মাঠের মধ্যে বলা নেই কওয়া নেই থেমে গেল ট্রেনটা, বাসের মত ট্রেনের ড্রাইভারকে কাছে পাওয়া যায় না যে জানতে পারবো কি হলো। যাত্রীরা এদিক ওদিক ইতি উতি করছে সবারই এক প্রশ্ন কি হলো কি হলো ? হঠাৎ কে যেন সামনের বগী থেকে দৌড়ে এসে চিৎকার করে বলে উঠলো ট্রেনে ডাকাত পড়েছে। চিৎকার চেচামেচি, কান্নাকাটি, মুল্যবান জিনিসপত্র লুকানোর চেষ্টা আরম্ভ হয়ে গেল সকলের মধ্যে। পরিবার সহ সেই প্রথম আর জীবনে দ্বিতীয় বার সকল যাত্রীর সাথে আমি চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতা কি জিনিস টের পেলাম। কেরাণীন্জ থাকি, যায়গাটা খুব একটা ভালো না, রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে প্রায়শই সন্দেহজনক লোকের আনাগোনা চোখে পড়ে। বিডিআর বিদ্রোহের ২য় দিন সকাল ১০টা, কেমন যেন থমথমে সকাল হঠাৎ বন্ধু হাসিবের ফোন আসল মোবাইলে, তার বাসা আমার বাসার চার পাচটা বিল্ডিং পরেই. . . . হ্যালো বলতেই প্রবল উৎকন্ঠাই সে চাঁপা গলায় বলল "এই মাত্র আমার পাশের বিল্ডিং এ তিনজন কে কারা যেন জবাই করে রেখে গেছে"। বিডিআর বিদ্রোহে ঢাকার আইনশৃংখলা ভেঙে পড়েছে, যে কোন সময় আমরাও আক্রান্ত হতে পারি ভেবে ৩য় বারের মত পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা কাকে বলে টের পেলাম। উপরের ৩টা ঘটনা আমার তখনই মনে পড়ে যখন পত্রিকায় কিংবা টিভিতে কোন সংখ্যা লঘু নির্যাতনের খবর দেখি। কষ্টে বুকটা ফেটে যায় সেই সব পরিবারের কথা ভেবে যারা সারাটা বছরই নিরাপত্তাহীনতায় কাটায়। সমাজের সেই নরপশুগুলোকে রুখে দেবার এখনই সময়, আর সেটা আরম্ভ হোক এখন থেকেই। `রাইতভর ঘুমাইতে পারি না, তুই তোর হাতের শাখা খুলে ফেল, মুছে ফেল তোর সিথির সিদুর। আমাদের শেষ কৃত্য ডেকে আনবি নাকি? চল মা, তোর ভগবান পুড়ছে, পুড়ুক। শাঁখা- সিঁদুর, তোর প্রতিমার ছিন্নভিন্ন দেহ। তোর ভগবান কি অথর্ব, অন্ধনাকি? আমার শাঁখা, মুছে দে আমার সিঁদুর, জ্বলে পুড়ে শুদ্ধ হোক আমার ঠাকুর। "সুন্দরগন্জ কিংবা বাঁশখালীর গল্প"
web
d368cc98df3b4a73d73477ca10f76cae
ক্লাশে নতুন একজন স্যার এসেছেন। নাম- মফিজুর রহমান। হ্যাংলা-পাতলা গড়ন। বাতাস আসলেই যেনাে ঢলে পড়বে মতন অবস্থা শরীরের ভদ্রলােকের চেহারার চেয়ে চোখ দুটি অস্বাভাবিক রকম বড়। দেখলেই মনে হয় যেন বড় বড় সাইজের দুটি জলপাই, কেউ খােদাই করে বসিয়ে দিয়েছে।। ভদ্রলােক খুবই ভালাে মানুষ। উনার সমস্যা একটিই- ক্লাসে উনি যতােটা না বায়ােলজি পড়ান, তারচেয়ে বেশি দর্শন চর্চা করেন। ধর্ম কোথা থেকে আসলাে, ঠিক কবে থেকে মানুষ ধার্মিক হওয়া শুরু করলাে, 'ধর্ম আদতে কি' আর, 'কি নয়' তার গল্প করেন। আজকে উনি পড়াবেন Analytical techniques & bioinformatics। চতুর্থ সেমিষ্টারে এটা পড়ানাে হয়।। স্যার এসে প্রথমে বললেন, 'Good morning, guys...' সবাই সমস্বরে বললাে,- 'Good morning, sir...' এরপর স্যার জিজ্ঞেস করলেন, 'সবাই কেমন আছাে?' স্যারের আরাে একটি ভালাে দিক হলাে- উনি ক্লাশে এলে এভাবেই সবার কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। সাধারণত হায়ার লেভেলে যেটা সব শিক্ষক করেন না। তারা রােবটের মতাে ক্লাশে আসেন, যন্ত্রের মতাে করে লেকচারটা পড়িয়ে বেরিয়ে যান। সেদিক থেকে মফিজুর রহমান নামের এই ভদ্রলােক অনেকটা অন্যরকম। আবারাে সবাই সমস্বরে উত্তর দিলাে। কিন্তু গােলমাল বাঁধলাে এক জায়গায়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন উত্তর দিয়েছে এভাবে- 'আলহামমমমদুলিল্লাহ ভালাে।' স্যার কপালের ভাঁজ একটু দীর্ঘ করে বললেন, 'আলহামদুলিল্লাহ্ ভালাে বলেছাে কে? কে?' অদ্ভুত প্রশ্ন। সবাই থতমত খেলাে।। একটু আগেই বলেছি স্যার একটু অন্যরকম। প্রাইমারি লেভেলের টিচারদের মতাে ক্লাশে এসে বিকট চিৎকার করে Good Morning বলেন, সবাই কেমন আছে। জানতে চান। এখন 'আলহামদুলিল্লাহ্' বলার জন্য কি প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষকদের মতাে বেত দিয়ে পিটাবেন নাকি? সাজিদের তখন তার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাশের কথা মনে পড়ে গেলাে। এই লােকটা ক্লাশে কেউ দুটোর বেশি হাঁচি দিলেই বেত দিয়ে আচ্ছামতন পিটাতেন। উনার কথা হলাে- 'হাঁচির সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে দু'টি। দু'টির বেশি হাঁচি দেওয়া মানে ইচ্ছে করেই বেয়াদবি করা।' যাহােক, বাবুল চন্দ্রের পাঠ তাে কবেই চুকেছে, এবার মফিজ চন্দ্রের হাতেই না গণ পিটুনি খাওয়া লাগে। হিন্দুদের দিয়ে শিক্ষকতার মত সম্মানজনক কাজ করালে যা হয় আর কী! ক্লাশের সর্বমােট সাতজন দাঁড়ালাে। এরা সবাই 'আলহামদুলিল্লাহ্ ভালাে' বলেছে। এরা হচ্ছে- রাকিব, আদনান, জুনায়েদ, সাকিব, মরিয়ম, রিতা এবং সাজিদ। স্যার সবার চেহারাটা একটু ভালােমতাে পরখ করে নিলেন। এরপর পিক করে হেসে দিয়ে বললেন, 'বসাে।' সবাই বসলাে। আজকে আর মনে হয় এ্যাকাডেমিক পড়াশুনা হবেনা। দর্শনের তাত্ত্বিক আলাপ হবে।। ঠিক তাই হলাে। মফিজুর রহমান স্যার আদনানকে দাঁড় করালাে। বললেন, 'তুমিও বলেছিলে সেটা, না?' - 'জ্বি স্যার।'- আদনান উত্তর দিলাে। স্যার বললেন, 'আলহামদুলিল্লাহ্'র অর্থ কি জানাে?'। আদনান মনে হয় একটু ভয় পাচ্ছে। সে ঢোঁক গিলতে গিলতে বললাে,- 'জ্বি স্যার, আলহামদুলিল্লাহ্ অর্থ হলাে- সকল প্রশংসা কেবলি আল্লাহর।' স্যার বললেন,- 'সকল প্রশংসা কেবলি আল্লাহর।' স্যার এই বাক্যটি দু'বার উচ্চারণ করলেন। এরপর আদনানের দিকে তাকিয়ে বললেন,- 'বসাে।' আদনান বসলাে। এবার স্যার রিতাকে দাঁড় করালেন। স্যার রিতার কাছে জিজ্ঞেস করলেন,- 'আচ্ছা, তোমাকে কী তোমার স্বামী কথা না শুনলে প্রহার করে?' রিতা একটু কাঁচুমাচু করে বললাে,- 'হ্যাঁ করে।' - 'তাই নাকি? এ তো ভয়াবহ ব্যাপার!' - 'জ্বি, স্যার।' - 'এইকাজ কি প্রশংসাযােগ্য?' - 'না। অবশ্যই না। নারী হলেও আমরা তো মানুষ, আমাদেরও আত্মসম্মান আছে।' - 'তাহলে কোরানে সুরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতে যেহেতু বলা আছে, অনুগত না হলে স্ত্রীকে প্রহার করা যাবে, এই বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়?' রিতা মাথা নিচু করে চুপ করে আছে। স্যার বললেন, 'এখানেই ধর্মের ভেল্কিবাজি। কোরান বা ধর্মগ্রন্থে যা বলা আছে, সবই প্রশংসার যোগ্য নয়। মানুষের উচিত সেখান থেকে নিজ বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে গ্রহণ বর্জন করা। মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ হয়ে থাকলে তিনি কিছুতেই স্ত্রীদের প্রহারের অনুমতি দিতে পারতেন না। স্যারের কথা শুনে ক্লাশে যে ক'জন নাস্তিক আছে, তারা হাততালি দেওয়া শুরু করলাে। সাজিদের পাশে যে নাস্তিকটা বসেছে, সে তাে বলেই বসলাে,- 'মফিজ স্যার হলেন আমাদের বাঙলার প্লেটো।'স্যার বলেই যাচ্ছেন ধর্ম আর স্রষ্টার অসারতা নিয়ে। এবার সাজিদ দাঁড়ালাে। স্যারের কথার মাঝে সে বললাে, 'স্যার, আল্লাহ একচোখা নন। তিনি যখন কোন কাজের অনুমতি দেন, সেটা কল্যাণের জন্যেই দেন। মানুষ জ্ঞানের(Human knowledge) অভাবের কারণে কল্যাণটি ঠিকমত হয়তো বুঝতে পারে না। এই যে বিজ্ঞান, আজ যা বলছে কাল বলছে ঠিক তার উল্টোটা। কয়েকবছর আগেই বিগ ব্যাং এর কথা বললে লোকে হেসেই উড়িয়ে দিতো। আর আজকে? এটা প্রায় সবাই জানে। জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে, আল্লাহ তালাহর বাণী ধীরে ধীরে মানুষ বুঝতে পারে। অনুধাবন করতে পারে। আল্লাহ অবশ্যই আছেন, এবং কোরান অবশ্যই সত্য। কোরান যা যা বলা আছে, সেই সবই মানুষের জন্য চিরকল্যানকর।' স্যার সাজিদের দিকে একটু ভালােমতাে তাকালেন। বললেন, 'শিওর?' - 'তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো, স্ত্রীদের প্রহার করার মধ্যে কল্যাণ নিহিত? জ্ঞানের অভাবের কারণে আমরা তা বুঝতে পারছি না? ' সাজিদ বললাে। - 'অবশ্যই স্যার।' স্যার এবার চিৎকার করে বললেন, কী অসম্ভব বাজে কথা। তুমি কী বুঝতে পারছ না, কোরান আসলে কোন এক পুরুষের দ্বারাই রচিত। যার কারণে কোরানে পুরুষ তার স্ত্রীকে প্রহার করার অধিকারপ্রাপ্ত। কোরান কোন নারী লিখলে, ঠিক উল্টোটি হতো। তাই বোঝাই যাচ্ছে, কোরান একটি চরম পুরুষতান্ত্রিক বই মাত্র, যা পুরুষতান্ত্রিক পুরুষদের দ্বারাই লিখিত। ক্লাশে পিনপতন নিরবতা। সাজিদ বললাে,- 'আপনি আজকে যা বলছেন, বহু কাল আগে মানুষ এরকমই ভাবতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা করে দেখিয়েছে, নারীদের নিয়মিত প্রহার করা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ' স্যার বললেন, 'হা হা হা হা। তুমি খুব মজার মানুষ দেখছি। হা হা হা হা।' সাজিদ বললাে, 'স্যার, স্রষ্টা মানুষকে একটি শরীর(Body) দিয়েছেন। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, এই শরীরের ভেতরে রক্ত(blood) সদা চলমান অবস্থায় থাকে। আমাদের হৃদপিণ্ড(heart) সারাক্ষণই রক্ত পাম্প (blood circulation) করে পুরো শরীরে ছড়িয়ে দেয়। ' স্যার বললেন, এর সাথে স্ত্রী প্রহারের কী সম্পর্ক? সাজিদ বললাে, 'স্যার, সে কথায় পরে আসছি। আধুনিক বিজ্ঞান থেকে আমরা জানি, রক্ত সঞ্চালন শরীরের রক্তের ক্রমাগত প্রক্রিয়া। হৃদপিণ্ড যেই রক্ত পাম্প করে, রক্ত সঞ্চালণের মাধ্যমে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। এটি শরীরের সমস্ত অঙ্গ এবং কোষে(Cell) অপরিহার্য পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ব্লাড ভেসেল নামক পাইপগুলোর মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত হয়। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির(gravitation) সাথে পাল্লা দিয়ে, হৃদপিণ্ড থেকে রক্তের পায়ে পৌঁছানো লাগে এবং পা থেকে আবার মাথায় চলাচল করতে হয়। আমরা নিঃশ্বাস নেয়া বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি, যা ফুসফুস থেকে আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত দ্বারা চালিত হয়, যা তাদের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। তাই সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহ ব্যবস্থা শরীরের কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। যা কোষ বৃদ্ধি এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, পুষ্টি সরবরাহ করে, এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষ থেকে বর্জ্য বাইরে বহন করে নিয়ে আসে। ভাল রক্ত সঞ্চালন সিস্টেম ছাড়া, আমাদের শরীর ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, পরিমিত পর্যায়ে শরীরে প্রহার করা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রক্তের প্রবাহকে উৎসাহিত করতে এবং শরীর থেকে সার্কুলেশন-ব্লকিং টক্সিনগুলিকে মুক্ত করে দেয়। অর্থাৎ, রক্তের এই চলাচলের রাস্তায় যেই সকল দূষিত দ্রব্য শরীরে জমা হয়, নিয়মিত শরীরে পরিমিত মাত্রায় আঘাতের মাধ্যমে দূষিত দ্রব্যগুলো রক্তের সাথে মিশে বর্জ্য হিসেবে বের হয়ে আসে। শুধু তাই নয়, আমেরিকার নাসা (The National Aeronautics and Space Administration-NASA) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত শরীরে পরিমিত পর্যায়ে প্রহার ব্যথা হ্রাস করে, ঘুম উন্নত করে, ইনসোমেনিয়ার রোগ ভাল করে, ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, মানসিকভাবে মানুষকে শক্ত করে, এবং আরও অনেক সুবিধা। সেই কারণেই আল্লাহ তালাহ পবিত্র কোরানে বলেছেন, পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। স্যার তিরস্কারের সুরে বললেন, - 'ধর্মীয় কিতাবাদির কথা বাদ দাও, ম্যান। কাম টু দ্য পয়েন্ট এন্ড বি লজিক্যাল। তুমি নিশ্চয়ই জানো, হযরত মুহাম্মদ তার শিশু স্ত্রী আয়শাকে পর্যন্ত মেরেছিলেন। হাদিসে আছে, হযরত আয়শা হতে বর্ণিত, তিনি (মুহাম্মদ) আমাকে বুকের ওপর আঘাত করলেন যা আমাকে ব্যথা দিল। [সহি মুসলিম, বই -৪, হাদিস -২১২৭]' সাজিদ মুচকি হেসে বললাে, - 'স্যার, সেই ১৪০০ বছর ধরে অনেক নাস্তিকই কোরানের এই আয়াতটি নিয়ে অনর্থক সমালোচনায় লিপ্ত ছিল। আধুনিক সময়ে বেশিরভাগ নারীরাই ইনসোমেনিয়ার শিকার। তারা ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না, তাদের শরীরে নানা ধরণের ব্যাথা বেদনা তারা অনুভব করে। অথচ, সেই ১৪০০ বছর আগেই ইসলাম মানব জাতির জন্য দিয়ে এর সমাধান দিয়ে গেছে। মানুষ যদি সঠিক উপায়ে নিয়মিত এই আয়াতটি আমল করতো, তাহলে মুসলিম নারীদের মধ্যে হতাশা, আত্মহত্যা প্রবণতা, ঘুমের সমস্যা, মানসিক রোগব্যাধি হতো না। আমি কি উদাহরণ দিয়ে বােঝাতে পারি ব্যাপারটা? - 'অবশ্যই।'- স্যার বললেন। সাজিদ বলতে শুরু করলাে 'ধরুন, একজন মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেছে। ধরুন, তার হৃদপিণ্ড কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন যেকোন ডাক্তারই সর্বপ্রথম যেই কাজটি করবেন, তা হচ্ছে, হৃদপিণ্ডটিকে সচল করবার জন্য বুকে চাপ দেয়া। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয়, cardiopulmonary resuscitation বা হৃদপিণ্ডের নবজীবনসঞ্চার। স্যার বললেন, 'হুম, তাে?' - 'ধরুন, তাতেও কাজ হলও না। তখন ডাক্তার কী করেন? ডাক্তার একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে হৃদপিণ্ডটি সচল করেন। যন্ত্রটি মানুষকে সাময়িক যন্ত্রণা দিলেও, এতে আল্লাহর রহমতে মানুষের জীবন রক্ষা পায়। হৃদপিণ্ড আবার সচল হয়। মানুষের শরীরও একইভাবে কাজ করে। জীববিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের শরীরের কোষগুলো বেশিদিন বাঁচে না। কিছুদিনের মধ্যেই কোষগুলো মারা যায়। এই মৃত কোষগুলোকে পুনরায় সচল এবং কার্যক্ষম হতে পারে শুধুমাত্র শরীরে হালকা প্রহারের মাধ্যমেই। এই কারণেই উন্নত বিশ্বে এখন অসংখ্য মেসেজ পার্লার। শরীরে ব্যাথা সৃষ্টি করে রোগ ব্যাধি উপশম তো এখন সকল বিজ্ঞানীই একবাক্যে স্বীকার করেন। ভেবে দেখুন, সেই ১৪০০ বছর আগে মানব দেহের এত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় একমাত্র আল্লাহ পাক ছাড়া আর কে জানতে পারে? বুঝতে পারে? আর নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে হযরত আয়শা (রাঃ) কে কেন বুকে ব্যাথা দিয়েছিলেন, সেটি তো আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের দ্বারাই প্রমাণিত। ডাক্তাররা যখন রোগীর জীবন বাঁচাতে cardiopulmonary resuscitation মেশিন ব্যবহার করেন, সেটাকেও কী আপনি নারী নির্যাতন বলবেন? স্যার এইসব কথা শুনে শূন্য দৃষ্টিতে সাজিদের দিকে তাকিয়ে থাকলো। যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন! কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না। ততক্ষণে মাগরিবের আজান পড়তে শুরু করেছে। স্যারকে অনেকটাই হতাশ দেখলাম। আমরা বললাম, 'আজ তাহলে উঠি?' উনি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, 'এসাে।' আমরা বেরিয়ে পড়লাম। রিতা সাজিদকে ধন্যবাদ দিতে এসেছিল। নইলে আজকে রিতার স্বামীর মান সম্মান থাকতো না। আমি অবাক হয়ে সাজিদের দিকে তাকিয়ে আছি। কে বলবে এই ছেলেটা গত ছ'মাস আগেও নাস্তিক ছিলাে। নিজের গুরুকেই কি রকম কুপােকাত করে দিয়ে আসলাে। কোরানের সূরা নিসার ৩৪ নাম্বার আয়াতটি কতাে হাজার বার পড়েছি, কিন্তু এভাবে কোনদিন ভাবিনি। আজকে এটা সাজিদ যখন স্যারকে বিজ্ঞান দিয়ে বুঝাচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিল আজকেই নতুন শুনছি এই আয়াতের কথা। গর্ব হতে লাগলাে আমার।। আমরা গর্বিত যে আমি একজন মুসলমান। আমি হেসে বললাম, 'হা হা হা। স্যারকে তাে ভালাে জব্দ করেছিস ব্যাটা।' কথাটা সে কানে নিলাে বলে মনে হলাে না। নিজের সম্পর্কে কোন কমপ্লিমেন্টই সে আমলে নেয় না। গামছায় মুখ মুছতে মুছতে সে খাটের উপর শুয়ে পড়লাে। আমি তার কাঁধে হাত রাখলাম। বললাম, 'সাজিদ......' - 'হু' - 'একটা কথা বলবাে?' 'বল।' - 'জানিস, একসময় যুবকেরা হিমু হতে চাইতাে। হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে, মরুভূমিতে গর্ত খুঁড়ে জ্যোৎস্না দেখার স্বপ্ন দেখতাে। দেখিস, এমন একদিন আসবে, যেদিন যুবকেরা সাজিদ হতে চাইবে। ঠিক তাের মতাে.....' এই বলে আমি সাজিদের দিকে তাকালাম। দেখলাম, ততক্ষণে সে ঘুমিয়ে পড়েছে। অঘাের ঘুম........ 3 thoughts on "আধুনিক বিজ্ঞান এবং স্ত্রী প্রহারের ফজিলত" ধর্মের কিছু ব্যাপার আছে যা আধ্যাত্মিক; এগুলো বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। জনাব আরিফ আজাদ ভন্ডামি শুরু করছে। VAI EKTO TO LOJJA KOREN. প্রত্যেক মুমিনের উচিৎ বাড়িতে এবার একটা করে ম্যাসাজ পার্লার খুলে ফেলা। স্ত্রীকে মারার ইচ্ছা হলেই বিজ্ঞানসম্মতভাবে ম্যাসাজ করে দিতে পারবেন!!!
web
06077f67c74de3982a7bfc0b2be9fdaa51bdbad1
স্টাফ রিপোর্টার : বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হলে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকেও দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। ক্র্যাব সভাপতি আখতারুজ্জামান লাভলু এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলুর নেতৃত্বে নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতে তার আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এর আগে নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশের কারাগারে আটক ভারতের 'মাফিয়া ডন' দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুল রউফ দাউদ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে ফেরত দেয়ার বিনিময়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে ফিরিয়ে আনা হবে কি-না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাউকে ফেরত দেয়ার বিনিময়ে ফেরত নেয়ার বিষয় নেই। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দাউদ মার্চেন্টকে ফেরত দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে নূর হোসেনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় তাকে ফেরত আনা হয়েছে। সালাউদ্দিনকে ফেরত আনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সালাউদ্দিনকেও আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেরত আনা হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ১৩ মে ভারতের শিলংয়ে নাটকীয় উপস্থিতি ঘটে সালাহউদ্দিনের। এরপর অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর থেকে তিনি ভারতে আটক রয়েছেন।
web
dd4337cd0ef271bb546a73a1514b52fea8181ad8
নি নি ঞা ঞা লিকহো তুংহে. . . " (চাক গানের অংশ বিশেষ; ভাবানুবাদঃ চৈত্র মাসে জুম কাটি/দালা গ্রামের চাক,মারমা,মুসলমান/আমরা সবাই সমান কাজ করি/জ্যৈষ্ঠ মাসে ধান রোপন করি/ চারা বড় হলে/ আমরা সবাই খুশিতে আত্মহারা. . . । ) ওন গাল্লে কাড়কা চাব্-ই" একগালে দাঁতন চিবায়। উত্তরঃ চুলা) দিম্ দিম্ দাদা দিম্ দিম্ দিম্ দিম্। " ম'-এ ন' দিচ্ গেল্। (তনচঙ্গ্যা গানের অংশ বিশেষ। ভাবানুবাদঃ রাঙা খাদি কালো পাড়/ ও লক্ষ্মী হাঁচি পেলে/ দিও না গাল। ) বারাশাড়ি রানাদে রেবো নোনো আন্তিচি। " (মান্দিদের আচিক ভাষায় শেরেনজিং পালার দুটি লাইন;ভাবানুবাদঃ মরিচ বেঁচে তিরিশ টাকা আছে আমার কাছে/ভালো শাড়ি কিনে দেব চল যাই বাজারে) মায়ের ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ৫২'র ভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের আত্মদান বাঙালি জাতির এক অনন্য গর্বের বিষয়। পৃথিবীর বুকে আমরা বাঙালিরা এক ভিন্ন নজীর হাজির করেছি মাতৃভাষার জন্য রাজপথে রক্ত ঢেলে ( অবশ্য ১৯৯৬ সালের ১৬ মার্চ ভারতের বরাক উপত্যকায় বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে সুদেষ্ণা সিংহ শহীদ হয়ে মাতৃভাষার প্রতি মানুষের অকৃত্রিম মমত্ববোধকে আবারো আমাদের সামনে তুলে ধরেন)। আমরা গবির্ত সেই বীর শহীদদের অসামান্য আত্মদানে। তাদের অসামান্য আত্মত্যাগের ভেতর দিয়ে আমরা আমাদের মায়ের ভাষাকে ঘিরে আজকে এক স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাগরিক। একজন বাঙালি হিসেবে এ আমার বুক ফুলানো এক ব্যাপার। মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার জন্য বীর শহীদদের সেদিনের আত্মত্যাগ আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ১৯৯৯ সালে আমাদের বাঙালির মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অনুমোদন দেয় ইউনেস্কো। বাঙালির একুশ আজ সবার। স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এ আমার বিরাট অহংকার। কেননা মাতৃভাষার প্রতি মানুষের নাড়ির বন্ধন কতটা মজবুত, কতটা গভীর হতে পারে তা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারেরা নিজেদের তাজা রক্ত বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করছি সেই অকুতোভয় বীর শহীদের। এই বীর শহীদসহ বাংলার সংগ্রামী জনতা সেদিন দেখিয়ে দিয়েছিলেন নিজের মায়ের ভাষা একটি জাতির কত বড় এক ধন। ৫২ সেই উত্তাল সময়ের পথ ধরে ৭১এ বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম। লাখো শহীদ, আর অগণিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এলো নতুন ভূখণ্ড; বাংলা ভাষা-ভাষীদের নিজেদের রাষ্ট্র-বাংলাদেশ। আমরা পেলাম আমাদের নিজস্ব সংবিধান। আমাদের সংবিধানে আমাদের অনেক প্রত্যাশারই প্রতিফলন ঘটল। আবার অনেক কিছুই থেকে গেল দৃশ্যময়তার আড়ালে। সেই আড়াল এই স্বাধীন ভুখন্ডের প্রায় ৪৫টি ভিন্ন ভিন্ন জাতিসমূহের অস্তিত্বকেই গ্রাস করে নিল। বাঙালি জাতির বাঙালিত্বের সাংবিধানিক দৃশ্যময়তার পাশে কোন ঠাইই মিলল না এই ভূখণ্ডের বৈচিত্রময় চাকমা, মারমা, ককবরক, লালেং, মৈতৈ, ঠার, কুরুখ, সান্তাল, আচিক, হাজং, রাখাইন, খুমি, ম্রো, মাহাতো, মুণ্ডা, খাসিয়া, সিং, বিনধ, পাহাড়িয়া, পাঙ্খো, লুসাই, চাক, তনচঙ্গ্যা, লাইমি, রাজবংশী প্রভৃতি ভাষা-ভাষী মানুষের আপন আপন মায়ের ভাষার কথা; আপন আপন জাতিগত অস্তিত্বের কথা। বহুজাতিক বা বহু ভাষাভাষীর রাষ্ট্রে বরাবরই সংখ্যার বিবেচনায় প্রান্তিক ভাষা সমূহ কোণঠাসা অবস্থায় থাকে। সেখানে বৃহত্তর জাতির ভাষা বা তাদের সুবিধা মতন অন্য কোন ভাষা প্রধান হয়ে উঠবার এবং জোরপূর্বক একভাষিকতা চাপানোর একটা অসৎ প্রবণতা প্রায়ই দেখা যায়। বুর্জোয়া জাতি রাষ্ট্র সমূহে এই প্রবনতা অত্যন্ত প্রকট হলেও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়ও তার অনুপস্থিতি দেখতে পাইনি। কেননা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নেও রুশ ভাষার জৌলুস আর বিস্তারের বিপরীতে লেট, এস্তোনিয়াসহ অন্যান্য ভাষার অবস্থা ছিল ম্রিয়মান। কিন্তু নিজ মায়ের ভাষার জন্য ত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বাঙালি জাতির বাংলাদেশ রাষ্ট্রে এর অবস্থা ভিন্নতর হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। আমরা বাঙালিরা প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ স্তর পর্যন্ত নিজেদের মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলেও অপরারাপর জাতিসমূহের আপন আপন ভাষায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার ব্যবস্থাতো দূরের কথা, তাদের ভাষা সমূহের কোন স্বীকৃতিই আমরা দিতে পারিনি সাংবিধানিক ভাবে। প্রান্তিক জাতি সমূহের আপন বর্ণমালায় আপন আপন ভাষা চর্চার কোন পদক্ষেপই রাষ্ট্রীয় ভাবে নিতে পারিনি স্বাধীনতার এতবছরেও। পারিনি সেই ভাষা সমূহের বিকাশের জন্য নুন্যতম কোন ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু মায়ের ভাষার অস্তিত্বকে সমুন্নত রাখার যে চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারেরা বুক চিতিয়ে রাজপথে অসামান্য দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন সেই শহীদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতার বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই বাংলাদেশে অপরাপর ভাষা সমূহের দুরবস্থা কী কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে? আমরা কী পেরেছি আমাদের ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথভাবে শ্রদ্ধা জানাতে? একই জনপদের অন্য জাতির মায়ের ভাষার প্রতি উদাসীনতা বজায় রেখে আমাদের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর তরিকাটা কী সঠিক হতে পারে? বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সকল জাতির সকল মানুষের আপন আপন মায়ের ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সার্বিক বিকাশের পথকে সংহত করার মধ্য দিয়েই কী আমাদের ভাষা শহীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে না?
web
49157a5b0a2eeeb39c338d752dfef3c77b6e1bf3
হরিপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬ টায় বসত বাড়িতে ঢুকে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন জহির উদ্দীন (৪৫), আরজু (২২) ও রমেশা খাতুন (৩৮)। আহতদের সূত্রে জানা যায়, হারুন, রব্বানী ও রাজুসহ ৯ থেকে ১০ ব্যক্তি অতর্কিতভাবে জহির উদ্দীনের বাড়ির ভিতরে হামলা চালায়, এতে তাঁরা ৩ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হরিপুর ভর্তি করে। উপজেলার শীতলপুর গ্রামে জহির উদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার শীতলপুর গ্রামের মুসলেম উদ্দীনরে সাথে আমার জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোমবার সকাল ৬টার দিকে ৮-১০ ব্যক্তি লাঠি-সোডা ও ইট-পাটকেল দিনে অতর্কিতভাবে তাদের বাড়িতে মামলা চালায় এতে জহির তার ছেলে আরজু (২২) ও বোন রমেশা খাতুন (৩৮) গুরুতর আহত হয়। আত্মীয়-স্বজন আহতদের উদ্ধার করতে আসলে হামলাকারীরা তাদের বাধা দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাদের হামলাকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯জনকে আসামী করে থানায় মামলা করা প্রস্তুতি চলছিলো।
web
fc7e3adc6ebf1319ef33456673f3b545702cc00f
খবর অনললাইন ডেস্ক : কোভিড ১৯-এর কোনো স্থায়ী প্রতিষেধক এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের গোড়ার দিকে এর প্রতিষেধক বাজারে আসতে পারে। সেই প্রতিষেধক কী ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, কোভিড ১৯ টিকা দেওয়ার জন্য অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্র, স্কুল এবং পঞ্চায়েত ভবন, এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির চত্ত্বরকে ব্যবহার করা হবে। লাইভ মিন্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের অধীনে এই টিকা প্রদান কমসূচি চলবে উপরে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলির চত্ত্বর থেকে। যেগুলিকে বলা হচ্ছে ভ্যাকসিন বুথ। এই বুথগুলিতে বিদ্যামান ইউভার্সাল টিকাদান কর্মসূচিও সমান্তরালভাবে চলবে বলে জানা গিয়েছে। এসএমএস-এর মাধ্যমে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন। সমগ্র কর্মসূচিটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের একটি ডিজিট্যাল প্লাটফর্ম মারফত পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর মাধ্যমে এসএমএস পাঠানো হবে এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য একটি কিউআর কোড দেওয়া হবে। টিকা কর্মমূচির আওতায় সমস্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে এবং সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে তাদের আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। যদি কোনো ব্যক্তির আধার কার্ড না থাকে তবে সনাক্তকরণের জন্য ফটো নেওয়া হবে। কবে মিলবে করোনা প্রতিষেধক? হিন্দুস্থান টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্র নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পালের নেতৃত্বে একটি টিকা প্রদান পরিকল্পনা কমিটি গঠন করছে। এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ এবং বিতরণের বিষয়ে বিশদে পরিকল্পনা করেছে। মনে করা হচ্ছে ২০২১ সালে আগে ভারতের করোনা ভ্যাকসিন আসতে পারে। গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে ৫০ হাজারের বেশি কোভিড আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন। সেই সংখ্যা পরের দিন কিছুটা নামলেও এ দিন ফের ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৩৫৬ জন। ফলে শনিবার পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৮০। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ৯২০ জন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠা কোভিডরোগীর সংখ্যা ৭৮ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৮৬। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯২. ৪১ শতাংশ।
web
faea2a44b50ac88798fd3b15551f927fc93528f1
তুরস্কে একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা সবাই সেখানকার শ্রমিক। শুক্রবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ওই খনিটিতে এই বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। স্থানীয় গভর্নরের দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় আহত আরও ছয় শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য রাজধানী ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ জনকে স্থানীয় ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩৬ জনকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় শ্রমিকরা খনিতে কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকে ৩০০ মিটারেরও বেশি গভীরতায় ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ডজন খনি শ্রমিক মাটির নিচে আটকেপড়া অবস্থায় রয়েছে। নিখোঁজদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারে কাজ করছে প্রায় ১৫০ কর্মী। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে আট জনকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জ্বালানিমন্ত্রী ফাতিহ ডনমেজ বলেছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ইঙ্গিত মিলছে, খনিতে থাকা দাহ্য গ্যাসের বিস্ফোরক মিশ্রণ ফায়ারড্যাম্পের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
web
30ff3cbb019d39e0fc4925ea82687822c81dbd7f
কমল হাসানের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি বিক্রম বক্স অফিসে সুনামিতে পরিণত হয়েছিল। লোকেশ কাঙ্গারাজ পরিচালিত ছবিটিতে প্রধান ভূমিকায় ফাহাদ ফাসিল এবং বিজয় সেতুপতি রোলেক্স এবং শিবানী নারায়ণন কালিদাস জয়রাম নারায়ণ অ্যান্টনি ভার্গিস এবং অর্জুন দাস দ্বিতীয় চরিত্রে সুরিয়ার একটি বিশেষ ক্যামিও সহ। এর ক্যাপে আরেকটি বৈশিষ্ট্য যোগ করে সিনেমাটি সম্প্রতি বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাউসফুল হয়েছে। ভরাট সিনেমা হলের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে বিক্রম যখন বক্স অফিসে ১০০ দিনের দৌড় সম্পূর্ণ করেছে তখন অভিভূত কমল হাসান ট্যুইটারে গিয়ে একটি ভয়েস বার্তা শেয়ার করেছেন তাদের সমর্থনের জন্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন অনুরাগীদের সমর্থনে বিক্রম এখন থিয়েটারে ১০০ দিনের চিহ্ন স্পর্শ করেছে। আমি খুব খুশি। আমার হৃদয়ে আমি আপনাদের প্রত্যেককে আলিঙ্গন করি যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাকে প্রশংসা করে আসছেন। বিক্রম-এর জয়ের জন্য দায়ী প্রত্যেক ব্যক্তিকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। ছোট ভাই লোকেশকে আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। পরবর্তীতে কমল হাসান তার বহুল প্রত্যাশিত নাটক ইন্ডিয়ান ২-এ ব্যস্ত। ১৯৯৬ সালের চলচ্চিত্র ইন্ডিয়ান-এর সিক্যুয়েলের চিত্রগ্রহণ দুই বছরেরও বেশি সময় পর আবার শুরু হয়েছে। এস শঙ্করের পরিচালনায় নির্মিত মুভিতে কাজল আগরওয়ালকে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে ববি সিমহা, সিদ্ধার্থ, রাকুল প্রীত সিং, প্রিয়া ভবানী শঙ্কর, গুরু সোমাসুন্দরাম এবং সামুথিরাকানি সহ অন্যান্যদের মধ্যে প্রধান চরিত্রে।
web
a463f4cc8b831e82a912951b7c8e0c2a
বছরের জন্য মানুষ ভয় এবং ইন্টারনেট পর্ণ আমাদের যৌনতা নিতে এবং আমাদের বাস্তব বিশ্বের যৌন জীবন প্রভাবিত করবে চিন্তিত, আনন্দ এবং মজার জন্য এটি ব্যবহার যারা সম্পর্ক একটি স্ট্রেন নির্বাণ. কিন্তু অধিকাংশ সময় মানুষ তারা বয়স্কদের বিনোদন ভোগ এবং এখনও একটি পূর্ণ যৌন জীবন থাকতে পারে দেখা যায়. বছরের পর বছর ধরে, দম্পতিরা তারা আসলে একসঙ্গে অশ্লীল ভোগ করতে পারেন বুঝতে পারেন যে, এবং ইন্টারনেট আপনি শোয়ার ঘরে জিনিস মসলা করতে চান যখন জন্য শুধু নিখুঁত যে পর্ণ নির্বাপণ শুরু. কিন্তু সকলেই অশ্লীল ভিডিও সঙ্গে এটা করতে পারেন. কিছু মানুষ তারা নিজেদের সেক্সি মনে করার চেষ্টা করুন যখন পর্দায় নিখুঁত পুরুষ এবং মহিলা অশ্লীল বড় এ খুঁজছেন ছাড়া আরো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ. তারা অশ্লীল সিনেমা চেয়ে বেশি নির্দোষ মনে হলেও, গেম আরো দক্ষ হতে পারে. যখন ঘনিষ্ঠ সময় মত আপনি এবং আপনার সঙ্গী মনে বৈচিত্রতা যদি একটি বিট প্রয়োজন, আমরা এই পরিস্থিতিতে ভাল কাজ যে গেম একটি সূক্ষ্ম সংগ্রহ আছে. আমরা দম্পতি প্রতি ধরনের এবং কল্পনাকে সব ধরনের জন্য তাদের আছে., এই গেম কিছু তারা নারীদের সঙ্গে এবং পুরুষদের সঙ্গে উভয় জনপ্রিয়, কারণ নির্বাচিত, তাই আমরা পুরুষ এবং মহিলাদের একসাথে খেলা জন্য তারা উপযুক্ত করা উচিত বলে মনে করা হয়. কিন্তু আমরা বিশেষ করে দম্পতিরা জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যে কিছু গেম পাওয়া যায় নি. এই বেডরুমের সম্মুখীন ভাল সংগঠিত একটি উপায় হিসেবে আসা এবং আপনি একে অপরের উপর অনুশীলন রাখতে পারেন যে মজা ধারণা সব ধরণের দিতে. এবং আমরা আরো একটি ঘনিষ্ঠ সেটিং এই খেলার সরবরাহ সম্পর্কে চিন্তা., আমরা এই গেম খেলার সময় বিছানায় একটি ল্যাপটপ বহন বা একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের সামনে বসা অস্বস্তি একটি বিট হতে নিতে পারে যে উপলব্ধি করেছি. সুতরাং, আমরা এই সংগ্রহে সমস্ত গেম আপনার মোবাইল ডিভাইসে সরাসরি অভিনয় করা যেতে পারে তা নিশ্চিত করা, কোনো রিসেট বা ইনস্টলেশন ছাড়া এটি সমস্ত কাছাকাছি আপনি দুটি আনতে পরিকল্পিত, উভয় শারীরিক এবং যৌন. নীচের আমাদের সাইট সম্পর্কে সবকিছু পড়ুন. তারা নিজেদের জন্য কিছু সময় আছে যখন উভয় পুরুষদের এবং মহিলাদের প্রাপ্তবয়স্ক গেম খেলা. এবং দম্পতিরা বেশি অর্ধেক তাদের সঙ্গী ইন্টারনেট পর্ণ অভ্যাস আছে জানি যে, যদিও, তারা দুষ্টু একাকী সময় কি ঘটছে বিস্তারিত জানি না. কিন্তু অশ্লীল সাইট যা আমরা প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন পর্ণ বলছি দ্বারা আরো উপভোগ করা হয় ঠিক কি জানেন এবং মহিলাদের সঙ্গ পছন্দ গরম কর্ম ধরনের কি ভোগ. আমরা বিভিন্ন জিনিস পছন্দ, এবং আমরা এমনকি কিছু অন্যান্য পছন্দ করে বন্ধ পরিণত করতে পারেন বার অধিকাংশ যদিও., এটা সঠিক যৌন খেলা খেলে বা ডান রচনা সিনেমা দেখার আসে যে সবচেয়ে দম্পতিরা আসলে সমস্যা আছে. আপনি আপনার মত জিনিস পছন্দ করে নিন, চিন্তা ছাড়া বাইরের এটা খুব চরম খুঁজে বের করে, আক্রমণাত্মক বা হয়ত এমনকি খুব ভাবপ্রবণ. কিন্তু তারপর আপনি উভয় চালু করতে পারেন যারা সঠিক জ্ঞাতিত্ব এবং পরিস্থিতিতে আছে. মহিলা কি অধিকাংশ সময় ভোগ তাদের অশ্লীল গেম আধিপত্য হয়. এবং একটি জিনিস মত সবচেয়ে লোক দুঃ খ মেয়েদের হয়. স্কুলের ছাত্রী সেক্স গেম দম্পতিরা জন্য উপযুক্ত এবং এই হল যেখানে., আমরা সব পারিবারিক যৌন গেম মধ্যে আছেন, এবং পিতা-মেয়ে অজাচার ফ্যান্টাসি দম্পতিরা জন্য ভাল কাজ করে. কখনও কখনও সহোদর এর অজাচার এছাড়াও কাজ করে. আপনি একটি বিট আরও আধিপত্য নিতে যখন আপনি চমৎকার হতে পারে, যা নিবন্ধন সেক্স গেম আছে. আর বলছি জন্য সারপ্রাইজ হিসাবে আসবে কি, ধর্ষণের যৌন গেম এছাড়াও বেশ শান্ত হয়. একই সময়ে, আমরা একটি মুরগীর গেম বড় সংগ্রহ অন্তর্ভুক্ত, আমরা যখন আমরা জানি যে উদলা দম্পতিরা তাদের এনিমে অক্ষরের জন্য কল্পনাকে আছে এবং আপনি একটি ভাল অশ্লীল প্যারডি খেলা সঙ্গে ভুল হয়ে যেতে পারে না যখন আপনি একটি এনিমে ফ্যান জাগানো চান. মুহূর্তে পাওয়া অনেক ধরনের প্রকল্প নেই যদিও, আমি সত্যিই প্রাপ্তবয়স্ক গেম এই বিষয়শ্রেণীতে আমাদের একসঙ্গে যৌনতা খুঁজে অন্বেষণ সাহায্য এবং জিনিষ মজা এবং আরো স্বচ্ছন্দ করতে অভিব্যক্ত হবে যে মনে. আমরা যখন সময় তাদের ব্যবহার করার জন্য সব খেলনা এবং মুহূর্তে নামের সঙ্গে, আপনি পুরো ইন্টারঅ্যাকশন প্রযুক্তিগত বিবরণ সম্পর্কে অনেক শেখানো যেতে পারে, যা একটি নিবন্ধন কাল্পনিক আছে. আমরা সত্য থেকে অনুপ্রাণিত এর একটি খেলা যে আছে বা আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন কি বিষয় এবং অবস্থানের উপর ধারনা সঙ্গে, গেম টাইপ সাহস., আমরা নতুন রিলিজের জন্য সবসময় খোলা এই বিষয়শ্রেণীতে আছে, এবং আপনি আমাদের সম্প্রদায়ের যোগদান যদি আপনি আমরা কিছু খুঁজে পেতে যখন জানতে সক্ষম হবে এবং তারা আমাদের প্ল্যাটফর্মে বাস যেতে হবে. আমাদের সাইটে প্রথম এক, এবং অবশ্যই না প্রতি দম্পতি শোয়ার ঘরে পর্ণ আনতে চেষ্টা করে যে গত এক. পর্ণ ভিসিআর উপর এসেছিল যেহেতু বেডরুমের কার্যক্রম সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন একত্রিত প্রচেষ্টা এই ধরণের কখনও অস্তিত্ব আছে. পেপারব্যাক পত্রিকা নিবন্ধ এবং দম্পতিরা ভাল এবং আরো আকর্ষণীয় সেক্স আছে সাহায্য বোঝানো হয় যে বৈশিষ্ট্য সব ধরণের আছে. কিন্তু এখন আমরা প্রাপ্তবয়স্ক গেম আছে, ঐ সমস্ত দুষ্টু ধারনা আরো দক্ষতার সঙ্গে আগের তুলনায় অনুশীলনের মধ্যে রাখা যেতে পারে. আপনি এই কুলুঙ্গি দম্পতিরা জন্য পর্ণ মাত্র শুরুতে দেখতে হবে., আর আমরা নিশ ্ চয়ই তোমাকে পাঠিয়েছি একজন সাক ্ ষীরূপে, আর সুসংবাদদাতা ও সতর ্ ককারীরূপে, -- আমাদের সাইটে গেমপ্লের বিনামূল্যে, এবং আমরা শুধুমাত্র কিছু ছোট ব্যানার বিজ্ঞাপন আমাদের অর্থ উপার্জন করতে. আমরা যে আপনি এবং আমাদের গেম চেষ্টা করছেন যারা অন্য সব দম্পতি তা খুঁজে একটা অভ্যাস করতে এবং প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসা হবে উপর বাজি. আমরা মানুষ প্রথম খেলা শুরু হওয়ার আগে এমনকি ছেড়ে যেখানে আক্রমনাত্মক বিজ্ঞাপন দিয়ে সাইট আর নিয়মিত দীর্ঘ দায়রা ভোগ দর্শক যারা সঙ্গে দুই বা তিনটি ব্যানার থেকে আরো অর্থ উপার্জন করতে পারেন.
web
f06fc42aecb25c5feac7ac7bdc7400ebc4aaf4f7
- শরীরের পক্ষে Vitamin C-এর উপযোগিতা সম্পর্কে পৃথক ভাবে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। - বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কালে Vitamin C-এর গুরুত্ব উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পেয়েছে। - জলে দ্রাব্য এই ভিটামিনটি শরীর থেকে টক্সিক নির্গত করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি মেটাবলিজম সুষ্ঠু রাখে, ওজন কম করতে সহায়তা করে এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করে, তা হল আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে উন্নত করে তোলে। এই সময় ডিজিটাল ডেস্কঃ শরীরের পক্ষে Vitamin C-এর উপযোগিতা সম্পর্কে পৃথক ভাবে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কালে Vitamin C-এর গুরুত্ব উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পেয়েছে। জলে দ্রাব্য এই ভিটামিনটি শরীর থেকে টক্সিক নির্গত করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি মেটাবলিজম সুষ্ঠু রাখে, ওজন কম করতে সহায়তা করে এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করে, তা হল আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে উন্নত করে তোলে। WHO অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন গড়ে ৪৫ মিলিগ্রাম Vitamin C খাওয়া উচিত। Vitamin C-র অভাবে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হল স্কার্ভি। খাদ্য তালিকায় এই ভিটামিনের গুরুতর অভাব থাকলে স্কার্ভি হতে পারে। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের তরফে করা একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, হু যে পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে, তা অত্যন্ত কম। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশানে এই সমীক্ষার রিপোর্ট পাবলিশ করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, দৈনিক ভিটামিন সি চাহিদার সাম্প্রতিক মানদণ্ডটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বহু দশকের অধ্যয়নের ফল। সাম্প্রতিক অধ্যয়নের ক্ষেত্রে অতীতের সমস্ত ডেটা সংগ্রহ করে প্রতিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই ডেটাগুলি আধুনিক পরিসংখ্যান কৌশলের সাহায্যে যাচাই করা হয়, যা ছোট স্যাম্পলের জন্য তৈরি। আগের গবেষকদেক কাছে এই কৌশল ছিল না। ট্রায়াল ডেটার বলিষ্ঠ প্যারামেটিক বিশ্লেষণ থেকে জানা গিয়েছে যে, ৯৭.৫ শতাংশ জনসংখ্যার দুর্বল ক্ষত শক্তি প্রতিরোধের জন্য দৈনিক ৯৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত। যা হু অনুমোদিত দৈনিক ভিটামিন সি-র চাহিদার দ্বিগুণ, তবে এটি ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ মেডিসিন এবং অন্যান্য দেশের রাইটিং প্যানেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সমীক্ষার ভিত্তিতে বলা যায় যে, শারীরিক সক্ষমতা ও সুস্থতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত। এই সমস্ত ফল ও সবজি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে Vitamin C-এর চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। তবে কম পরিমাণে খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনই অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি খেলেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
web
4ebc4c8d298c79b58224ade9402e1707b6b297240ca2ec3d19330fa4b9fa0c36
করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এটা ছিল তাঁহার ইজতিহাদ। আর ইজতিহাদে ভুল হইয়া গেলে শরীআত সেটাকে বৈধ রাখিয়াছে। তবে নবীর জন্য ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা বৈধ নহে। যেমনটি উসূলে ফিক্হের গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রহিয়াছে। এর বিস্তারিত বিবরণ এই যে, সহীহ্ মুসলিমে হযরত উমর ইব্ন খাত্তাব (রা) হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা যখন বদরের যুদ্ধের দিন কাফিরদের পরাজিত করিলেন আর মুশরিকদের ৭০ জন নিহত হইল আর ৭০ জন বন্দী হইল, তখন নবী আকরাম (সা) বন্দীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হযরত আবূ বকর ও হযরত উমর (রা)-এর সহিত পরামর্শ করিলেন। হযরত আবূ বকর (রা) পরামর্শ দিলেন যে, এ বন্দীরা তো আমাদের চাচাদেরই বংশধর, আপন ভাই ও আপনার গোত্রের লোক। আমার পরামর্শ হইল, তাহাদের কাছ হইতে মুক্তিপণ নেওয়া হউক। ইহাতে যে অর্থ আমাদের হাতে আসিবে তাহা দ্বারা কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার রণসামগ্রীর ব্যবস্থা করা যাইবে। আর এ-ও আশা রাখা যায় যে, ল্লাহ্ তা'আলা যদি তাহাদেরকে হিদায়াত দিয়া দেন, তবে তো তাহা আমাদের শক্তিবৃদ্ধি ও সহায়ক হইবে। অতঃপর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে উমর ইবন খাত্তাব! তুমি কি পরামর্শ দিতেছ ? আমি নিবেদন করিলাম, আল্লাহ্র কসম! আমার পরামর্শ আবূ বকর (রা)-এর পরামর্শের অনুকূলে নহে। আমার পরামর্শ হইল, ইহাদেরকে হত্যা করা হউক। আর আমাকে নির্দেশ দিন আমি অমুক অমুককে হত্যা করিয়া দেই (আমি আমার প্রিয়জনদের দিকে ইঙ্গিত করিয়া বলিলাম)। আর আলী (রা)-কে নির্দেশ দিন, সে যেন তাঁহার ভাই আকীল (রা)-কে হত্যা করে। হযরত হামযা (রা)-কে নির্দেশ দিন, সে যেন তাঁহার অমুক আত্মীয়কে হত্যা করে। যাহাতে অদৃশ্যের জ্ঞাতা আল্লাহ্ তা'আলা এ কথা জানিয়া নিক যে, আমাদের অন্তর মুশরিকদের মহব্বত ও বন্ধুত্ব হইতে মুক্ত। কিন্তু নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট হযরত আবূ বকর (রা)-এর পরামর্শ ভাল মনে হইল । তিনি তাহাই গ্রহণ করিলেন এবং তাহাদের নিকট হইতে মুক্তিপণ নিয়া নিলেন। পরের দিন যখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের খিদমতে হাযির হইলাম, তখন দেখিলাম নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাশরীফ আনিয়াছেন, হযরত আবূ বকর (রা) তাঁহার নিকটেই আছেন। উভয়ে কাঁদিতেছেন। তাহা দেখিয়া আমি নিবেদন করিলাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনাদের দুইজনকে কে কাঁদিতে বাধ্য করিল ? বলুন, তাহাতে আমিও কাঁদিব। কান্না না আসিলে কান্নার ভান করিয়া উচ্চ আওয়াযে কান্নার চেষ্টা করিব। নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলিলেন, আমরা এ জন্যে কাঁদিতেছি যে, তোমাদের বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনদের নিকট হইতে মুক্তিপণ নেওয়ায় নিঃসন্দেহে আমার সামনে এ গাছটির অতি নিকটে আযাব প্রকাশ হইয়া গেল। আর তিনি একটি গাছের দিকে ইঙ্গিত করিলেন, যাহা আমাদের খুব নিকটেই ছিল। তারপর আল্লাহ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করিলেন : ما كان لنبي أن يكون له أسرى حتى يثخن في الأرض "দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবীর জন্য সঙ্গত নহে।" আল্লাহ্ তা'আলার বাণী ঃ ওয়াসি "যদি আযলের দিন হইতে তা লিপিবদ্ধ না থাকিত, তবে"-এর অর্থ প্রকাশ করিতে গিয়া মুফাস্সিরীনে কিরাম নানা মত প্রকাশ করিয়া থাকেন। কেহ কেহ বলেন ঃ ইহার অর্থ হইল, "শুরু হইতেই যদি তা লিপিবদ্ধ না থাকিত যে, কাউকে আমি শাস্তির সম্মুখীন করিব না। কিন্তু, নিষেধ করার পর তো অবশ্যই আমি তোমাদেরকে শাস্তি দিতাম।" ইহাতে বুঝা গেল বন্দীদের বিষয়টি অপরাধ ছিল না। আবার কেহ কেহ বলেন, এর অর্থ পবিত্র কুরআনের উপর যদি তোমাদের ঈমান না হইত, তখন পূর্ববর্তী কিতাব দ্বারা ইহাই উদ্দেশ্য। আর তোমরা ক্ষমার যোগ্য হইলে গনীমতের সম্পদের উপর নিন্দা করা হইত। অথবা এ উদ্দেশ্যও হইতে পারে যে, "যদি লাওহে মাযে এ কথা লিপিবদ্ধ না থাকিত যে, গনীমতের সম্পদ ভোগ করা বৈধ।" সমুদয় ব্যাখ্যাই গুনাহ্ ও অপরাধ সংঘটিত না হওয়াকে প্রমাণ করে। কেননা, যে কাজ করা বৈধ, তা গুনাহ ও অপরাধ নহে । কাজেই, আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা ইরশাদ করেন : breathe ki "যুদ্ধে যাহা তোমরা লাভ করিয়াছ তাহা বৈধ ও উত্তম বলিয়া ভোগ কর।" (সূরা আনফাল : ৬৯) আবার কেহ কেহ বলেন : "রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামকে হত্যা ও মুক্তিপণ এ দুইটির মধ্যে ইখতিয়ার দেওয়া হইয়াছে। নিঃসন্দেহে আলী মুর্তাযা রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট জিবরাঈল আসিয়া বলিল, বন্দীদের বিষয়ে আপনার সাহাবীগণকে এ অধিকার দেওয়া হইল যে, হয়ত তাহাদেরকে তাহারা হত্যা করিয়া দিবে, নতুবা এই শর্তে মুক্তিপণ নিয়া তাহাদেরকে ছাড়িয়া দিবে যে, আগামী বছর তাহাদের ৭০ জন নিহত হইবে। অতঃপর সাহাবায়ে কিরাম বলেন : আমরা মুক্তিপণ গ্রহণের বিষয়টি অবলম্বন করিয়াছি, যাহাতে আমাদের মধ্য হইতে ৭০ জন শাহাদাত বরণ করে। ফলে দেখা গেল উহুদের যুদ্ধের দিন ৭০ জন সাহাবায়ে কিরাম শাহাদাত বরণ করিলেন। ইহাতে এ কথা প্রমাণিত হয় যে, তাঁহারা অধিকার ও অনুমতি পাওয়ার পরই এমনটি করিয়াছে। কাজেই, এতে গুনাহ বা অপরাধ হইল কোথায়? কেহ কেহ বলেন : যদিও তাহাদেরকে হত্যা ও মুক্তিপণ গ্রহণ - এ দুইটির যে কোন একটি অবলম্বন করার অধিকার দেওয়া হইয়াছিল, তবু হত্যা করিয়া দেওয়াটা বেশী উত্তম ছিল। যাহার কারণে ভর্ৎসনা করা হইয়াছে। কিন্তু, কেহই গুনাহগার ও অপরাধী হিসাবে বাকী রহিল না। মহান আল্লাহ্-ই অধিক পরিজ্ঞাত। শান-শওকতের প্রকাশ ও প্রভুত্বের শ্রেষ্ঠত্ব আল্লাহ্ তা'আলার ইরশাদ : ولو تقول علينا بعض الأقاويل ـ لأخذنا منه باليمين ـ ثم لقطعنا منه الوتين - "সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত, আমি অবশ্যই তাঁহার ডান হাত ধরিয়া ফেলিতাম এবং কাটিয়া দিতাম তাহার শারগ (জীবন ধমনী)।" (সূরা হাক্কা : ৪৪-৪৬)।
pdf
1418e4487942bf2caec8944223daebe2719b3e90
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অচলাবস্থা নিরসনে আশার সঞ্চার করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা। গত ১১ নভেম্বর ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থন নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেছে গাম্বিয়া। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের জাতিগত বৈষম্য ও দমননীতির ফলে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে গণহত্যার কারণে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে এককভাবে সবচেয়ে বেশি শরণার্থীকে আশ্রয়দানকারী দেশ। অবশ্য, বাংলাদেশ এই মামলায় সরাসরি কোনো পক্ষ নয়। তবে, বাংলাদেশের অনুরোধে ওআইসি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং গণহত্যা সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ গাম্বিয়া মামলাটি করে। সংগত কারণেই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণে মামলার শুনানিতে গাম্বিয়াকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কানাডা ও নেদারল্যান্ডসও নৈতিক কারণে এই মামলায় গাম্বিয়াকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দেশ দুটির কূটনৈতিক সূত্র। সু চি। তিন দিনের এ শুনানি পর্যবেক্ষণে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এখন হেগ-এ রয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা সংস্থা এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিরাও এই শুনানি পর্যবেক্ষণ করবেন। আদালতের বাইরেও প্রতিবাদে সোচ্চার থাকবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণ করা গেলে তা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুখবরের সূচনা করতে পারে। বিশ্লেষকদের অভিমত, গাম্বিয়ার কাছে যেসব তথ্য-উপাত্ত রয়েছে তাতে গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হবে বলে আশা করা যায়। তেমনটি ঘটলে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভরণপোষণে ভারাক্রান্ত বাংলাদেশের জন্য হয়তো রোহিঙ্গা সংকট থেকে উত্তরণের পথ তৈরি হতে পারে। রোহিঙ্গা সংকটে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পক্ষে সুস্পষ্ট সমর্থন তৈরি হয়েছে। বিগত দুই বছরে বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনে বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও অন্যান্য দেশের সরকার, মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ এগিয়ে এলেও ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই সংকটে এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক সাফল্য পায়নি। বিশেষত মিয়ানমারের ওপর সত্যিকার অর্থে চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম চীন, ভারত, জাপান ও রাশিয়া কার্যত এ সংকট নিরসনে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়নি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এ সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগেও সফলতা আসেনি। বাংলাদেশ এরপরও মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। মিয়ানমার ও তার মিত্রদের সঙ্গে দরকষাকষি চালিয়ে যাওয়া, আরেকদিকে ওআইসির মাধ্যমে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করার ঘটনায় বাংলাদেশের বহুমাত্রিক কূটনৈতিক তৎপরতার প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। তবে, এই নীতি কতটা সুফল বয়ে আনবে তা এখন অনেকটাই নির্ভর করছে আইসিজের এ মামলার গতিপ্রকৃতি ও রায়ের ওপর। আইসিজের রায়ে যদি প্রমাণ হয় রাখাইনে গণহত্যা হয়েছে, তাহলে মিয়ানমার সত্যিই চাপে পড়তে পারে। কারণ মিয়ানমার আইসিজেতে স্বাক্ষরকারী দেশ। পরিতাপের বিষয় হলো একদা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি'ই এখন রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানো সেনাশাসিত মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন। অথচ একসময় সু চির পরামর্শেই আনান কমিশন গঠিত হয়েছিল। আনান কমিশন মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া ১৯৮২ সালের বৈষম্যমূলক আইনটি সংশোধন করতে বলেছিল। মিয়ানমার এসব সুপারিশের একটিও বাস্তবায়ন করেনি। এছাড়া, রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ করে যে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে দেশটি তা শত চেষ্টাতেও লুকিয়ে রাখতে পারছে না। বিশ্বের বহু দেশের স্বাধীন মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের তদন্তে বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়েছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ বিচার শেষ হতে হয়তো কয়েক বছর লাগবে। তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিশ্চয়তা দিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মিয়ানমারকে অন্তর্বর্তীকালীন কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে আইসিজে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার শিকার জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত গঠন এবং জনকূটনীতি চালিয়ে যেতে হবে।
web
86d60452324ec6ce50577328dd3d8359caecd2536d336aa14a49dea62ffbca32
তত্ত্ব ও প্রয়োগে রসায়ন Na2 O + SO3 = Na2SO4 ; BaO+ SO3 = BaSO 4 BaO-এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় প্রচুর তাপ উদ্ভূত হয় । (iii) সালফার ট্রাই-অক্সাইড ও HCI-এর বিক্রিয়ায় ক্লোরোসালফনিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। SO3 + HCI SO, (OH) Cl (iv) লোহিত-তপ্ত টিউবের মধ্য দিয়ে সালফার ট্রাই-অক্সাইড গ্যাস প্রবাহিত করলে তা বিয়োজিত হয় । ব্যবহার : (i) সালফার ট্রাই-অক্সাইড থেকে সালফিউরিক অ্যাসিড ও পাইরে।-সালফিউরিক অ্যাসিড তৈরী করা হয়। (ii) এই অক্সাইড থেকে অনেক সালফেট লবণ তৈরী করা যায়। যেমন - Naj SO4, BaSO4 ইত্যাদি । জিঙ্ক অক্সাইড ও কার্বনের মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় পরীক্ষাগারে সেটি কিভাবে প্রস্তুত করবে? উপযুক্ত পরীক্ষার সাহায্যে গ্যাসটিকে সনাক্ত কর। 2. কার্বনের যে অক্সাইডটি চুন-জলকে ঘোলা করে সেটির নাম কি? চুন-জল ঘোল। হয় কেন ? বাই-কার্বনেট থেকে গ্যাসটির প্রস্তুতি লেখ । গ্যাসটির আম্লিক ধর্ম প্রমাণের জন্য কি পরীক্ষ। করবে ? উদ্ভিদ কিভাবে গ্যাসটিকে কাজে লাগায় ? 3. সিলিকন ডাই-অক্সাইডের প্রস্তুতি লেখ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের সঙ্গে এটির তুলনামূলক আলোচনা কর। সিলিকন ডাইঅক্সাইডের কয়েকটি ব্যবহার উল্লেখ কর। 4. নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইডগুলি কি কি ? অক্সাইডগুলির মধ্যে কোন কোনগুলি আম্লিক ও প্রশম। 5. একটি ধাতু (A) একটি তরল পদার্থ (B)-এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় একটি গ্যাস (C) উৎপন্ন করে। (C) গ্যাসটি অপর একটি গ্যাস (D)-এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে একটি বাদামী বর্ণের গ্যাসীয় পদার্থ (E) উৎপন্ন করে। (E)-এর জলীয় দ্রবণ আগ্নিক। (A), (B), (C) এবং (D) সনাক্ত কর। ( রাসায়নিক বিক্রিয়। উল্লেখ কর) । 6. আর্সোনাস অক্সাইড নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লালবর্ণের কি গ্যাস উৎপন্ন করে ? গ্যাসটি আর কি কি ভাবে প্রস্তুত করা যায় ? 7. একটি মৌল A দুইটি অক্সাইড গঠন করে - A2O3 (লালবর্ণের কয়েকটি অধাতব, অক্সাইড গ্যাসীয় উভধর্মী অক্সাইড ) ও A2Os ( বর্ণহীন কঠিন আম্লিক অক্সাইড)। A‡O; একটি সাদ। কঠিন পদার্থ (B)-এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় অপর একটি কঠিন পদার্থ (C) উৎপন্ন করে। (C) ফুটন্ত জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন করে একটি তরল পদার্থ (D) যেটি গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়াম মলিবডেটের সঙ্গে বিক্রিয়ায় গঠন করে হলুদ বর্ণের অধঃক্ষেপ। প্রতি ক্ষেত্রে রাসায়নিক বিক্রিয়। উল্লেখ করে (A), (B), (C) এবং (D)-কে সনাক্ত কর । 8. জিঙ্কের সঙ্গে গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় যে গ্যাসটি উৎপন্ন হয় ফসফরাসের সঙ্গে সেটির বিক্রিয়া লেখ। SO2, NaOH এবং H2-এর সঙ্গে গ্যাসটির বিক্রিয়া উল্লেখ কর । গ্যাসটির জারণ ধর্মের উদাহরণ দাও । ৩. কি সর্ভে SO, নিম্নলিখিত পদার্থগুলির সঙ্গে বিক্রিয়া করে ? (a) ক্লোরিন (b) হাইড্রোজেন পারক্সাইড (c) পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (d) পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট (c) পটাসিয়াম আয়োডেট। 10. AO, একটি আম্লিক অক্সাইড। AO, ওজোনের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ADg গঠন করে। AO2-কে পটাসিয়াম আয়োডেট দ্রবণের মধ্যে চালন। করলে একটি বেগুনী বর্ণের গ্যাস নির্গত হয়। নির্গত গ্যাসটি AOp-এর সঙ্গে পুনরায় বিক্রিয়া করে একটি বর্ণ - হীন অ্যাসিড গঠন করে। A মৌলটি সনাক্ত কর এবং বিক্রিয়াগুলি রাসায়নিক সমীকরণ সহ ব্যাখ্যা কর।
pdf
408a1fb91951cb3a2715bbb1a83a8849
কিছু দিন আগে মা হয়েছেন শ্বেতা তিওয়ারি। অভিনব কোহালির সঙ্গে গত চার বছর আগে বিয়ে হয়েছে ছোটপর্দার এই অভিনেত্রীর। কিন্তু বলি মহলের জল্পনা, বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে এই তারকা দম্পতির। শোনা যাচ্ছে, শ্বেতার জনপ্রিয়তার জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিনব। সে কারণেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে মুখ খুলেছেন অভিনব। তাঁর কথায়, এটা নিয়ে আমি বিশেষ কিছু বলতে চাই না। শুধু বলব, আমাদের মধ্যে সবই ঠিক আছে। আমরা দু'জনেই মন দিয়ে কাজ করছি। আর ওর জনপ্রিয়তা নিয়ে আমার কোনও দিনই কোনও সমস্যা ছিল না। যদিও অভিনবের কথাতে খুব একটা ভরসা পাচ্ছেন না ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ। অনেকেই এ ধরনের সমস্যার আঁচ আগেই পেয়েছিলেন। তবে এ সব নিয়ে শ্বেতা এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। সদ্য তাঁর ও অভিনবের ছেলে হয়েছে। শ্বেতার আগের পক্ষের একটি মেয়েও রয়েছে। খবর : আনন্দবাজার।
web
b233a729baf0ee0532f372ce7f2c07e2504d7551
দেশের অন্যতম শীর্ষ মেডিকেল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকদের জন্য অত্যন্ত নিম্নমানের ও নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এমন মাস্ক বিতরণের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মাস্ক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থ্রি-এমের তৈরি আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে তুলনা করলে এই মাস্ক খুবই নিম্নমানের। এটি তৈরির উপাদান ও কাঠামোও আসল এন-৯৫ মাস্ক থেকে ভিন্ন রকম। যা মোটেই মানসম্মত নয়। তাছাড়া এগুলো যে নকল তা খুব সহজেই বলে দেয়া যায়। মাস্কগুলো শনিবার বিএসএমএমইউর চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। তাদের দেয়া এসব এন-৯৫ মাস্কের লেবেলে দেখা গেছে হাস্যকর রকমের বানান ভুল। মাস্কের গায়ে লেখা আছে, 'This respirator Protects agalnst cortein Panrticles. Misuse may result insickness ordeath. For proper use see supervisor orbox or can 3. ' বাক্যের মধ্যে রয়েছে চারটি ভুল বানানের শব্দ। সেগুলো হলো- against কে লেখা হয়েছে agalnst, certain কে লেখা হয়েছে cortein, particles কে লেখা হয়েছে Panrticles এবং call কে লেখা হয়েছে can। এ ছাড়া তিনটি জায়গায় দুটি শব্দ মিলিয়ে ফেলা হয়েছে। in sickness কে লেখা হয়েছে insickness, or death কে লেখা হয়েছে ordeath এবং or box কে লেখা হয়েছে orbox। অথচ আসল এন-৯৫ মাস্কে সর্বমোট শব্দ সংখ্যা ২৩টি। কিন্তু এখানে মাত্র ২০টি। থ্রি-এমের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের গায়ে এমন হাস্যকর ভুলসহ লেবেল ছাপাবে, তা একেবারেই সম্ভব না বলছেন চিকিৎসকরা। এন-৯৫ এর মতো উচ্চমানের পণ্যের গায়ে কি এই জাতীয় বানান ভুল সম্ভব? বলে প্রশ্ন রেখেছেন তারা। শনিবারই এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। একজন চিকিৎসক জানান, হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়কে মাস্ক ও পিপিই কেনা এবং সেগুলোর মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। যদি সঠিক পিপিই ও মাস্ক দেয়া হয়, তাহলে কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন বলেন, চিকিৎসকরা অভিযোগ জানিয়েছেন। সেগুলো এখন তদন্ত করা হচ্ছে। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের মাস্ক ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের নতুন মাস্ক দেয়া হয়েছে। তবে এসব নকল পণ্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা হয়েছে কিংবা এসব কিনতে কতো টাকা খরচ হয়েছে বা কোন প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছে সে সব বিষয়ে কিছুই জানাননি হাসপাতাল পরিচালক। Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community. Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.
web
b1c33920bd19c168c5b1aba324347764cf4c9884f07032a80fe1cd84bc4e83c4
বরকত অর্জনের অর্থ আরবীতে বলা হয় 6ys syra dy যা আরবী 'বারাকাহ' শব্দ থেকে গৃহীত। তাহযীবুল লুগাহ নামক অভিধানে আবু মানসুর বলেনঃ "বারাকাহ শব্দের মূল হচ্ছে প্রাচুর্য ও প্রবৃদ্ধি।" অতএব, বরকত মানে হচ্ছে কোনো জিনিসের সে প্রাচুর্য ও প্রবৃদ্ধি, তাবাররুকের মাধ্যমে বরকত লাভকারী যা পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। এ প্রাচুর্য ও প্রবৃদ্ধি কখনো স্থানের মধ্যে হতে পারে, কখনো হতে পারে ব্যক্তির মধ্যে, আর কখনো গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যে। এটা হয়ে থাকে তার ভাষা ভিত্তিক প্রয়োগ অনুযায়ী। আর শর'ঈ প্রয়োগের বিস্তারিত আলোচনা ইনশাআল্লাহ পরে আসছে। প্রথম অর্থ (স্থানের মধ্যে বরকত) সম্পর্কে আল্লাহর বাণীঃ [\• :chei] {\৮.৩ গjড়ন্ত করতে তাঁর ভাষাতত ভূত Jag
pdf
841c5b0841fdec1aa49d5b5e45227251
Raazi movie release - Anandabazar\nকাশ্মীরি মাত্রেই জঙ্গি নয়\n১২ মে ২০১৮ ০০ঃ৫৫\nগু প্তচর কি শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযানশেষে বিধ্বস্ত ও অচেতন হয়ে পড়ে? সুপারগার্লরা কি ধারাস্নানেও কান্নায় ফুলে ফুলে ওঠে?\nমেঘনা গুলজারের 'রাজ়ি'তে আলিয়া ভট্টকে মনে থাকবে এই কারণেই। এখানে তিনি সেহমত নামে এক কাশ্মীরি কন্যার চরিত্রে। বাবা, ঠাকুর্দা স্বাধীনতা-সংগ্রামী। বাবা হিদায়াত (রজিত কপূর) ব্যবসা সূত্রে প্রায়শই পাকিস্তানে যাতায়াত করে। সে দেশের সামরিক বিভাগের উপরমহলে তার অনেক বন্ধু আছে। লাহৌর, রাওয়ালপিণ্ডিতে সকলেই তাকে বিশ্বাস করে।\nকিন্তু হিদায়াত এক জন সিক্রেট এজেন্ট। সালটা ১৯৭১, ভারত-পাকিস্তানের আকাশে যুদ্ধের মেঘ। হিদায়াতের ফুসফুসে টিউমার, দেশের কাজ আর তার করা হবে না।\nতাই দিল্লির কলেজে পাঠরতা কন্যাকে শ্রীনগরে ডেকে পাঠায় হিদায়াত। তার বন্ধুপুত্র, পাকিস্তানি সেনা-অফিসার মেজর ইকবাল সৈয়দকে (ভিকি কৌশল) বিয়ে করতে হবে সেহমতকে। পাকিস্তানি সেনা-ছাউনি হবে তার শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে গোপন তথ্য পাঠাতে হবে ভারতীয় সেনাবিভাগকে। ভুলচুক হলেই মৃত্যু। কিন্তু দেশপ্রেম অতি বিষম বস্তু! মেয়েকে দাবার বোড়ে করতেও সে পিছপা হয় না।\nঅতএব শত্রুপক্ষের অন্তঃপুরে বাড়ির বউ হয়ে ঢুকে পড়া! কখনও সে মেয়ে গোপনে 'বাগিং ইনস্ট্রুমেন্ট' দিয়ে টেলিফোনে আড়ি পাতার ব্যবস্থা করে, কখনও নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির বয়স্ক ভৃত্যকে গাড়ি চাপা দিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে। আবার কখনও স্বামী অন্য ঘরে শুতে গেলে ঠোঁটে অভিমানী পাউটিংঃ একা শুতে ভাল লাগে না। এই বিপন্ন ভঙ্গুরতা আলিয়া ভট্টের মতো মেঘবালিকা ছাড়া কেই বা তুলে ধরতে পারত!\nরাজি পরিচালনাঃ মেঘনা গুলজার অভিনয়ঃ আলিয়া ভট্ট, ভিকি কৌশল, রজিত কপূর ৭.৫/১০\nকিন্তু এ শুধুই উপরিতলের খেলা। ভবানী আইয়ারের চিত্রনাট্য আর মেঘনার পরিচালনায় রয়ে গেল আরও কিছু নীরব অন্তর্ঘাত। কাশ্মীরি মাত্রেই জঙ্গি এবং পাক-সমর্থক নয়। '৭১-এর যুদ্ধে মানববোমার মতোই তারা কেউ কেউ স্বেচ্ছায় শত্রুদেশে অভিযান বেছে নিয়েছিল।\nএই ছবিতে তিন বার আলিয়ার কান্না আছে। প্রথমে বিশ্বস্ত গৃহভৃত্যকে গাড়ি চাপা দিয়ে, দ্বিতীয় বার ভাসুরের পায়ে বিষমাখা সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে, আর তৃতীয় বার ভারতীয় গুপ্তচর-সংস্থার সৌজন্যে তার স্বামী বোমায় উড়ে গেলে। তৃতীয় কান্নাটি প্রায় হাউহাউ করে, একটু মেলোড্রামাটিক লাগছিল। কিন্তু তখনই পর্দায় ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা তাকে বোঝায়, 'যুদ্ধে মরতেই হয়। দোষী, নির্দোষ কারও না কারও প্রাণ যায়।' জাতীয়তাবাদ নামক প্রতিষ্ঠানটি সর্বদা অনড়, অটল। এক মেয়ের দ্বিধা থরথর, অশ্রু-ছলছল চোখে তার কিছু যায় আসে না।\n'রাজ়ি'র বৈশিষ্ট্য এখানেই। হাল আমলের জাতীয়তাবাদী পাক-বিরোধী জিগিরে অন্তর্ঘাত! আলিয়া তো শুধুই সিক্রেট এজেন্ট নন, ভিকিও নন শুধুই পাকিস্তানি সেনা-অফিসার। সেহমত ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীত শুনতে ভালবাসে বলে সে ওই গানের রেকর্ড নিয়ে আসে। ছবির শেষ দিকে ইকবাল বলে, 'আমরা যেমন আমাদের দেশের জন্য অপারেশন করছি, সেহমতও তাই।' তার একটু আগেই দু'জন ভেসে গিয়েছে শরীরী সংশ্লেষে, মানসিক সংরাগে। শেষ অবধি 'আন্ডারকভার এজেন্ট'-এর খোলস খসে পড়েছে, তবু কোথায় যেন দু'জনের পরস্পরের প্রতি 'মায়া রহিয়া গেল'! শেষ দৃশ্যে তাই পাথরপ্রতিমার মতো আলিয়া মাটির কুঁজোর পাশে বসে। সামনে তার মা (সোনি রাজদান)।\nঅন্তর্ঘাত কি একটাই? শঙ্কর-এহসান-লয়ের সুরে 'অ্যায় ওয়াতন' বলে একটা গান আছে ছবিতে। দেশপ্রেমের গান। একটি অনুষ্ঠানের জন্য পাকিস্তানি শিশুদের গানটি শেখায় সেহমত। অনুষ্ঠানের দিন শিশুদের পাশাপাশি মঞ্চের কোণে তারও ঠোঁট নড়ে ওঠে। গান একই, কিন্তু দেশপ্রতিমা দুই রকম।\nএই চমৎকার ছবিতে চোখে লাগে দু'-তিনটি ভুল। ভারতীয় সিক্রেট সার্ভিস অনেক তালিম দিয়ে সেহমতকে পাকিস্তানে পাঠাল, কিন্তু ঘরে সামান্য এক মই বেয়ে নামতে গিয়ে তার পা মচকে গেল! পাশে খোলা জানালা থাকলে কোন গুপ্তচর ঘরে বাগিং মেশিন লাগাবে? একটি দৃশ্যে সেহমতের টেবিলে ভিজে চুল শোকানোর ড্রায়ার। সত্তর দশকে পাকিস্তানে হেয়ার ড্রায়ার এত সহজলভ্য ছিল?\nখুঁত নিয়ে খুঁতখুঁতুনিতে লাভ নেই। নিখুঁত শিল্প আর সোনার পাথরবাটি প্রায় এক। কিন্তু মহিলা চিত্রনাট্যকার ও পরিচালকের নায়িকাপ্রধান ছবি নিরুচ্চারে একটা কথা বুঝিয়ে দিল। পাকিস্তান নিয়ে ৫৬ ইঞ্চি ছাতির বিকাশপুরুষের বয়ানটিই সব নয়, তার বাইরে আরও অনেক কিছু আছে।
web
bd76d32aa70d39b76c9c50ba1faf9a6c3ecdabef
Union Budget 2023: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছ থেকে কর বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা কি থাকছে? নিউজ ডেস্কঃ সরকার ২০২৩ সালের বাজেট প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কর বিশেষজ্ঞরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো , মাঝারি আকারের ব্যবসাকে সমর্থন, ট্যাক্স কোডের সরলীকরণ,এবং কর ফাঁকি কমানোর ব্যবস্থার প্রত্যাশা করেছেন। সরকার ২০২৩ সালের বাজেট প্রকাশ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে,আর দেশের কর বিশেষজ্ঞরা এমন ঘোষণাগুলির জন্য গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন,যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। আসন্ন বাজেটে, ভারতের কর বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন , অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো এবং ছোটো ও মাঝারি আকারের ব্যবসাকে সমর্থন করার ব্যাবস্থা নেবেন। বিশেষজ্ঞরা ট্যাক্স কোডের সরলীকরণ বৃদ্ধি এবং কর ফাঁকি কমানোর ব্যবস্থার আশা করছেন। তাঁরা এই আশা করছেন যে, সরকার মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাতকে সমর্থন করার জন্য কোনো না কোনও ব্যবস্থা নেবে। সরকার ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য সমর্থন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নকে উৎসাহিত করার ব্যবস্থাগুলিতেও মনোনিবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই গোটা বিষয়টাই আলোচনার স্তরে রয়েছে।
web
f034e3c326480cc0d6daedcb37da11676a31e467
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন ও তার গাড়িচালক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী মো. মাসুম বিল্লাহ জানায়, বরিশালে যাবার পথে ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়িচালক ও ইউএনও আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। রাজাপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুজা মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। গাড়িটি দুর্ঘটনা কবলিত হলেও ইউএনও মহোদয়ের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি সুস্থ আছেন। এ ঘটনায় অল্পের জন্য সবাই রক্ষা পেয়েছেন। ইউএনও মহোদয় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। ১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
web
cab85ac2ba92db47391a2d9751fdaefc241ce23d3029f2b04473da131c28e725
ভগবৎসন্দর্ভঃ । ] ষট সন্দৰ্ভঃ । বস্তুদেবং হয়েঃ স্থানং বদন্ত্যানকদুন্দুভিমিতি। অন্যথা হরেঃ স্থানমিতি বিশেষণস্য অকিঞ্চিৎকরত্বং গ্যাপিতি ॥ তদেবং হল।দিন্যাদ্যে তমাংশ বিশেষ প্রধানেন বিশুদ্ধ সত্ত্বেন যথাযথং স্ত্রীপ্রভৃতীনামপি প্রাদুর্ভাবে!বিবেক্তব্যঃ ॥ তত্ৰচ ভাসাং ভগবতি সংপভ্রূপত্নং তদনুগ্ৰাহে সংপত্ সংপাদক রূপত্বং সম্পদংশরূপত্বং চেন্ত্যাদি ত্রিরূপত্বং জ্ঞেয়ং । "ত্র তাসাং কেবল শক্তি মাত্রত্বেন।মূৰ্ত্তালাং ভগবদ্বিগ্ৰহাদ্যৈকাত্মোন স্থিতি স্তদধিষ্ঠাত্রী রূপত্বেন হে রাজন ! বহুদেবের জন্ম কালীন স্বর্গে দেবতাদিগের দুন্দুভি এবং ঢক্ক। বাদ্য হইয়াছিল, এই নিমিত্ত তাঁহাকে অ!নকদুন্দুভি বলিত । তিনি ভগবান হরির প্রাদুর্ভাব স্থান ছিলেন । বহুদেবের যদি শুদ্ধ সত্ত্বত্বের আবির্ভাব না হইত তাহ হুইলে "হরেঃ স্থানং" এই বিশেষণের অকিঞ্চিৎ করত্ব হইত । অতএব এই প্রকার হল।দিন্যাদির মুখ্যাংশ বিশেষ প্রমাণ দ্বারা বিশুদ্ধ সত্ত্ব হেতু যথাযোগ্য শ্রী প্রভৃতিরও প্রাদুর্ভাব বিবেচনা করিতে হইবে । তন্মধ্যেও শ্রী প্রভৃতি ভগবানের সম্পৎ রূপিণী হইয়াছেন, তাঁহার অনুগ্রহে সম্পত্তির সম্পাদক ও সম্পত্তির অংশ এই তিন জানিতে হইবে, তন্মধ্যেও কেবল শক্তিমাত্র দ্বা মুর্ত্তি রহিত সেই শ্রী প্রভৃতির ভগবদ্বিগ্রহাদির ঐকাত্ম্য রূপে ষগভঃ ।। [ ভগবৎসন্দর্ভঃ । মূর্তানাং তু তোধরণ তয়েতি দ্বিরূপত্বমপি জ্ঞেয়মিতি দিক্ ॥১০। ৪•। শ্ৰীশুক; ।। ১৮৮ ।। অথৈবং ভূতানন্ত বৃত্তিকায়। স্বরূপশক্তিঃ সাত্বিহ ভগবদ্ধ! মাংশ বৰ্ত্তিনী মূর্তিমতী লক্ষ্মীরেত্যোহ ॥ অনপায়িনী ভগবতী শ্রীঃ সাক্ষাদাত্মনো হরেরিতি ॥৮॥ টীকাচ। অনপায়িনী হরে; শক্তিঃ তত্র হেতুঃ সাক্ষাদণত্মনঃ স্বস্বরূপণ্য চিত্র্যপত্ব।ত্তস্যাস্তদভেদাদিত্যর্থঃ। ইতোষা ! স্থিতি এবং তাহার অধিষ্ঠাত্রী রূপ দ্বারা মূর্তি সকলেরও ভগবানের আবরণ রূপে স্থিতি, এই দুই প্রকার ভেদ জানিতে হইবে ।। ১৮৮ ।।। অনন্তর এই প্রকার যিনি অনন্তবৃত্তি স্বরুপ শক্তি তিনিই ভগবানের বাম পার্শ্ববর্তিনী মূৰ্ত্তি গতী লক্ষ্মী। এই অভিপ্রায়ে কহিতেছেন ।। ১২ স্কন্ধে ১১ অধ্যায়ে ১৭ শ্লোকে শ্ৰীসূত বাক্য যথা ॥ সাক্ষাৎ শ্রী আত্মরূপ নরনারায়ণের অনপায়িনী শক্তি ॥১১৮ ॥ শ্রীধরস্বামির টীকা যথা ॥ হরির শক্তি অনপায়িনী অর্থাৎ নিত্যা, তাহাতে কারণ এই যে, সাক্ষাৎ আত্মা অর্থাৎ নিজ স্বরূপের চিদ্রূপত্ব প্রযুক্ত লক্ষীর তাঁহার সহিত অভেদ। এ স্থলে সাক্ষাৎ শব্দ প্রয়োগ হেতু
pdf
75f6802130334d144a7f4714628208f43bcad3ca
৬ বছরে তিন কোটি জালিয়াতি করা দেবাঞ্জনের বাড়িতে মিলল বিএসএফ উর্দি। ৬ বছরে তিন কোটি জালিয়াতি করা দেবাঞ্জনের বাড়িতে মিলল বিএসএফ উর্দি। ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকে নকল আইএএস, দেবাঞ্জন দেবের জালিয়াতি মামলায় পুলিশ জত গভীরে যাচ্ছে ততই চমকে যাচ্ছে। এবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে মিলল বিএসএফের ইউনিফর্ম। তদন্তকারিরা মনে করছেন এই পোশাক ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই জালিয়াতি করেছে দেবাঞ্জন কিংবা জালিয়াতি করার পরিকল্পনা করেছিল। গত ২৭ তারিখ মাদুরদহে দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাসী চালায় পুলিশ। সেখানে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেখানেই মেলে এই পোশাক। আদিবাসী মনজয়ে আলিপুরদুয়ারে মমতা। গতকাল ভাটপাড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন গুড়দহ এলাকার একটি খেলার মাঠে ডে-নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। লোকসভায় অসত্য ভাষণ, এবার নুসরতের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি বিজেপি সাংসদের। লোকসভায় অসত্য ভাষণ, এবার নুসরতের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি বিজেপি সাংসদের। কিছুদিন ধরেই রাজনীতি ও বিনোদনজগত তোলপাড় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানকে নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকেন তিনি ও তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী নিখিল জৈন। তারপর থেকেই টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল নুসরত-যশের সম্পর্কের গুঞ্জন। প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ চন্দ্র নস্কর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বার্ধক্য জনিত অসুস্থতা নিয়ে গত দেড়মাস ধরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ইউক্রেন নিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার, কি পরামর্শ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে ইউক্রেনে ভারতের প্রায় ১৮,০০০ জন নাগরিক আটকে পড়েছে। এর মধ্যে ১৬,০০০ জনই পড়ুয়া। তাদের মধ্যে কয়েক হাজার জন নাগরিককেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে শুভেন্দু কোটি কোটি টাকা তুলেছে। সমস্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়ে ইডি, সিবিআইয়ের কাছে যেতে রাজি। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর মুখোমুখি বসে জেরার জন্য তৈরি। এমনটাই মন্তব্য করে জল্পনা বাড়ালেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন। নারী ও সমাজকল্যাণ দফতরের সূত্রে খবর, socialsecurity. wb. gov. in ওয়েবসাইটে আবেদনকারীরা তাঁদের আবেদনপত্রের অবস্থা, নাম নথিভুক্ত হয়েছে কি না তা দেখতে পারবেন। মোবাইল নম্বর দিয়ে এই সমস্ত তথ্য তাঁরা পেয়ে যাবেন।
web
fd44e58f9e0680cd9241c26c96c19ed281fa5e7e
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সমর্থন দিয়েছে। গত রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে ৫১%-এর কিছু বেশি ভোট পেয়ে সীমিত ব্যবধানের জয় পায় এরদোগানের হ্যাঁ-ভোটের প্রচারণা। ফলে সাংবিধানিক সংস্কারে তার সামনে আর কোন বাধা থাকল না। এই জয়ের ফলে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আরো অন্তত এক যুগ ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত হল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সমর্থন দিয়েছে। এই সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে তুরস্ক পার্লামেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে। বলা হচ্ছে, নতুন যে সংবিধান আসতে যাচ্ছে তাতে প্রেসিডেন্ট সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবেন। এই সংবিধানের খসড়া অনুযায়ী আগামী ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। প্রতি মেয়াদে পাঁচ বছর করে অন্তত দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। ফলে নির্বাচনে জিতলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন এরদোগান। মন্ত্রীসহ সকল শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট এরদোগান সরাসরি নিয়োগের ক্ষমতা পাবেন। কয়েকজন ভাইস-প্রেসিডেন্টও মনোনীত করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বলে কিছু থাকবে না দেশটিতে। বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন বিনালি ইলদিরিম। বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতাও থাকবে প্রেসিডেন্টের। জরুরি অবস্থা জারি করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট। এরদোগানের সমর্থকেরা বলছেন, পার্লামেন্টারি ব্যবস্থার পরিবর্তে নির্বাহী প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থার প্রচলন তুরস্ককে আধুনিক করবে। দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবার পর ২০১৪ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হন এরদোগান। এটা হওয়ার কথা ছিল কার্যত একটি আনুষ্ঠানিক পদ। কিন্তু আধুনিক তুরস্কের রূপকার কামাল আতাতুর্কের পর তুর্কীদের উপর সবচাইতে দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যাপক প্রভাব সম্পন্ন নেতা এরদোগান প্রভাব প্রতিপত্তি তাতে কিছু হ্রাস পায়নি। গত বছর জুলাই মাসে এরদোগানের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান ঘটে, যার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এরপর তুরস্কের অন্তত এক লাখ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা চাকরি হয়েছেন, জেল খেটেছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই থেকে তুরস্কে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে গতকাল দেশটিতে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে ৫১ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়ে সীমিত ব্যবধানের জয় পায় এরদোয়ানের 'ইয়েস' প্রচারণা। ফলে সাংবিধানিক সংস্কারে তার সামনে আর কোন বাধা থাকল না। এই জয়ের ফলে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আরো অন্তত এক যুগ ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত হল। দেশের অভ্যন্তরে বিরোধী শক্তি এবং ইউরোপের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর চরম বিরোধিতা সত্তে¡ও সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে তুর্কি জনগণ। রয়টার্স, বিবিসি।
web
6c29939e903a1fa3a860eff0886c7980
বাহুবলি' খ্যাত অভিনেতা প্রভাস। এ সিনেমার পর থেকে নির্মাতারা ছুটে বেড়াচ্ছেন অভিনেতা প্রভাসের পেছনে। বাহুবলি সিনেমার জন্য প্রায় চার বছর অন্য কোনো সিনেমায় কাজ করেননি তিনি। সিনেমাটির জন্য কঠোর পরিশ্রমও করেন এ অভিনেতা। বাহুবলী মুক্তির পরই বক্স অফিসে ইতিহাস গড়ে এই সিনেমাটি।
web
9a5dc091ef2d14906f0eb65c9cb7226c6592cf72
গভীর রাতে বেজে উঠছে মোবাইল। তা ধরলেই উল্টো দিক থেকে ভেসে আসছে গুলির শব্দ। এভাবে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন কালনার ২ নম্বর ব্লক সভাপতি প্রণব রায়। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর অভিযোগ, এই হুমকির নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। প্রণববাবুর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তাঁকে এরকম হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ফোন করে চাপা স্বরে খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি গুলির আওয়াজ শোনানো হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার। তাঁর দাবি, মাঝে বেশ কিছুদিন ওই হুমকি ফোন আসা বন্ধ ছিল। কিন্তু গত চার, পাঁচ দিন ধরে ফের ফোন আসা শুরু হয়েছে। তৃণমল নেতার দাবি, একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নম্বর ব্লক করে দিলেও নতুন নতুন নম্বর থেকে ফোন করে গুলির আওয়াজ শোনানো হচ্ছে। সঙ্গে বিজেপি-র বিভিন্ন স্লোগানও শোনানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার। পুলিশের কাছে এরকম আঠারোটি নম্বর তিনি তুলে দিয়েছেন। প্রণববাবু বলেন,'আমি যে নম্বরটি ব্যবহার করি, তাতে সারাদিনই সাধারণ মানুষ ফোন করেন। ফলে ওই নম্বর বদলে ফেললে বা বন্ধ করে দিলেই এলাকার বাসিন্দারাই অসুবিধায় পড়বেন। ' তৃণমূল নেতার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে কালনা থানার পুলিশ। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অবশ্য দাবি, এর সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ যথাযথ তদন্ত করলেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে।
web
4ebefdbf03a803c34f7b6d7a02ba30fb3aa42748
বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে আছে ক্রিকেটাঙ্গন। সব তর্ক-বিতর্ক, পূর্বাভাস শেষে এবার মাঠের খেলা উপভোগ করার সময় চলে এসেছে। অবশেষে ক্রীড়াপ্রেমীদের অপেক্ষার প্রহরও শেষ হয়েছে। চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হওয়া ক্রিকেটের বৃহত্তম আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে আজ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভারতের আহমেদাবাদে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে গত আসরে দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। এক লাখ ৩০ হাজার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্ববৃহৎ ভেন্যু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এবারের আসরে ৪৬ দিনে ১০টি ভিন্ন ভেনুতে ৪৮টি ম্যাচে ১০টি দেশ অংশ নিবে। গতবারের মতো এবারও প্রথমে লিগপর্বে প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবেলা করবে। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা চারটি দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর ১৯ নভেম্বর ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে শেষ হবে এই মেগা টুর্নামেন্ট। ভারতীয় উপমহাদেশে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে যাচ্ছে। ১৯৮৭ সালে ভারত-পাকিস্তান, ১৯৯৬ সালে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ও ২০১১ সালে সর্বশেষ ভারত-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ যৌথভাবে বেশ সফলভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করে। তবে এবারই প্রথম ভারত এককভাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বত্ব লাভ করেছে। উপমহাদেশে ক্রিকেট উন্মাদনা বিশ্বে সমাদৃত, তা আগের তিন আসরেই প্রমাণিত। এবারের বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত। ক্রিকেটের আদি সংস্করণ টেস্টের আধিপত্যবাদের মধ্যে ১৯৭৫ সালে শুরু নতুন সংস্করণ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর সেটা শুরু হয় বিশ্বকাপ দিয়ে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ১২ বার ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত ৫ বার (১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১৫ সাল) শিরোপা জিতেছে। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছে ২ বার, ১৯৮৩ ও ২০১১ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজও বিশ্বকাপ জিতেছে ২ বার ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে। পাকিস্তান ১৯৯২, শ্রীলঙ্কা ১৯৯৬ ও ইংল্যান্ড ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছে। বাংলাদেশ ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবারই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলছে। এরমধ্যে ২০০৭ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের শেষআটে উঠেছিল। বাকি আসরগুলোতে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান দলের বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর ধর্মশালা স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ১০ অক্টোবর ইংল্যান্ড, ১৩ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড, ১৯ অক্টোবর ভারত, ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৮ অক্টোবর নেদারল্যান্ডস, ৩১ অক্টোবর পাকিস্তান, ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা এবং ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচেই ২১ রানে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক দেখায়। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ২ উইকেটে হারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের কাছে ১০৬ রানে হেরে যায়। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়লাভ করে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪৮ রানে পরাজিত হয়। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ী হয় ৬২ রানে। ভারতের বিরুদ্ধে ২৪ রানে পরাজিত হয়। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৯৪ রানে পরাস্ত হয়। বাংলাদেশ মোট ৭ পয়েন্ট পেয়ে অষ্টম হয়।
web
0a8a334048e52f5859de88aac6fbe7471cc1ebfc
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ কেজি হেরোইন ও নগদ ৫৭ হাজার টাকাসহ মাদক চোরাচালান চক্রের অন্যতম চোরাকারবারিকে আটক করেছে র্যাব-৫ রাজশাহীর একটি দল। বুধবার ভোররাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানাধীন চররাণীনগর (বকচর) গ্রামে অভিযান চালিয়ে হেরোইন ও টাকাসহ ওই মাদককারবারিকে আটক করা হয়। আটক হুমায়ুন কবির (৩৭) চাঁপাইয়ের সদর থানাধীন চররাণীনগর (বকচর) গ্রামেরদামেজ উদ্দিনের ছেলে। র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫-এর গোয়েন্দারা জানতে পারে বুধবার ভোর রাতে হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একটি দল সাত থেকে আট কেজি হেরোইন সীমান্তে সংগ্রহ করেছে। পরে দুর্গম চর এলাকায় তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে র্যাবের অপারেশন দল দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা নদীপথ অতিক্রম করে ছদ্মবেশে অবস্থান করে। পরে হুমায়ুন কবিরের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশী শুরু করা হয়। এরপর মাদক চোরাচালান চক্রের কবিরকে ধরতে সক্ষম হয়। এ সময় তার শয়নকক্ষে খাটের নিচ থেকে একটি ব্যাগে সংরক্ষিত অবস্থায় এসব হেরোইন উদ্ধার করা হয়। র্যাব আরো জানায়, আটক কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ও পলাতক আসামি সংঘবদ্ধ মাদক চেইনের সাথে জড়িত। এই চেইনের সদস্যরা বর্ডার এলাকায় সীমান্তের ওপার হতে কৃষকের ছদ্মবেশে বা মাঝির ছদ্মবেশে হেরোইন চোরাচালান করে থাকে। এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা এ পন্থায় মাদক সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করেন। মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের এই অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। আটকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। র্যাব বলছে, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি মাদক চোরাচালান চক্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তবর্তী দুর্গম চর এলাকায় প্রতিবেশী দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে মাদকদ্রব্য চোরাচালান করে আনছে। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা সরবরাহ করছে। চররাণীনগর গ্রামটি পদ্মার দুর্গম চর এলাকা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ কষ্টকর হওয়ায় তারা এই এলাকাতে মাদক সংগ্রহ করে প্রাথমিক সংরক্ষণের সেফ জোন হিসেবে ব্যবহার করছে। র্যাব আরো জানায়, মাদকের সন্ধানে র্যাব-৫ তাদের গোয়েন্দা নজরদারি সার্বক্ষণিকভাবে পরিচালনা করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে মাদক চোরাচালান চক্রটির সন্ধান পাওয়ার পর গোয়েন্দারা তাদের নজরদারি করতে থাকে। গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী- চক্রটি বিভিন্ন সময়ে বর্ডার থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে খুব কম সময়ের মধ্যে তা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌকা, বাস, ট্রেন, ট্রাক ও অন্য পরিবহণের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় পাচার করে আসছে। মাদক চোরাচালানের কার্যক্রমটি একটি সুবিশাল চেইনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয় এবং এই চেইনে ৮-১০ জন মাদক ব্যবসায়ী নেতৃত্ব দেন। এই মাদক চেইনের একজনকে গত ১৩ আগস্ট র্যাব-৫-এর গোয়েন্দাজালে ধরা পড়ে। এছাড়া এই চেইনের আরেকজন সদস্য হলেন হুমায়ুন কবির, যিনি সরাসরি এই বিপুল পরিমাণ মাদক নিজে সীমান্তে সংগ্রহ করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ অপারেশন চালিয়ে বুধবার হুমায়ুন কবিরকে আটক করে।
web
5affb18714234c7a3087d8060f1409c98d2195e1
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, তার দেশের জাতীয় সংসদে পরমাণু সমঝোতার বাড়তি প্রটোকল বাস্তবায়ন স্থগিত করার বিষয়ে যে আইন পাস করেছে তা বাস্তবায়ন করতে সরকার বাধ্য। আজ (বুধবার) সকালে ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠকের অবকাশে জাওয়াদ জারিফ সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি জানান, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইরান সরকার স্বেচ্ছায় বাড়তি প্রটোকল বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেবে। তিনি বলেন, বাড়তি প্রটোকল বন্ধ হবে কিন্তু আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ'র পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি জাপানের কিয়োদো বার্তা সংস্থাকে জারিফ বলেছেন, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া আইন সরকারকে বাস্তবায়ন করতেই হবে। তিনি আরো বলেছিলেন, যখন সহযোগিতার জানালা বন্ধ হয়ে যাবে তখন ইরান আরো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করবে এবং পরমাণূ কর্মসূচির উন্নয়ন ঘটাবে। জারিফ বলেন, ইরান পরমাণু সমঝোতার প্রতি অনুগত ছিল এবং থাকবে। ইরান পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা এনপিটিতে সই করা দেশ এবং এই সদস্যপদ ধরে রাখবে।
web
8286e66dedc4219eb05f49470b120d4f
মানিক মিয়া জন্মেছিলেন ১৯১১ সালে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া গ্রামে। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভাব শিষ্য ছিলেন। তিনি সোহরাওয়ার্দী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত 'দৈনিক ইত্তেহাদ' (১৯৪৬) পত্রিকার পরিচালনা বোর্ডের সেক্রেটারি হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর হয়রানি ও প্রলোভন তাকে তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তার 'পাকিস্তানী রাজনীতির বিশ বছর' (১৯৮১) গ্রন্থে রাজনৈতিক ও আত্মজৈবনিক দর্শনের সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, 'আমি একজন বিপ্লবী তো নাই-ই সক্রিয় রাজনীতি হইতে আমি বহুদিন যাবত বিশেষত দৈনিক ইত্তেফাকের আত্মপ্রকাশের পর দূরে সরিয়া ছিলাম। আমি আমার চিন্তাশক্তি ও কর্মক্ষমতা সর্বোতভাবে ইত্তেফাকের পিছনেই নিয়োজিত করিয়াছিলাম। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সংযমশীলতা ও আপসমূলক মনোভাবের প্রয়োজন সে সম্পর্কে আমি সদা সচেতন।' ইত্তেফাক শুধু পত্রিকা নয়, বরং ছিল মেধা, শ্রম ও ঘামে প্রতিষ্ঠিত অধিকার বঞ্চিত, নৈতিকতা ও সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার স্বরূপ। মানিক মিয়া বলেন, 'সংবাদপত্রের মারফতে দেশবাসীকে ততটুকু খেদমত করা যায় তাহাই ছিল আমার একমাত্র লক্ষ্য।' মানিক মিয়া হিংসা ও রঞ্জারঞ্জিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি ছিলেন না বিপ্লবী। তিনি ছিলেন গণতান্ত্রিক মানসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, 'যাহারা স্বাধীনতা আন্দোলনের জনগণের ভূমিকাকে তুচ্ছ স্থান দিয়া ব্যক্তি বিশেষের নেতৃত্বকে ফুলাইয়া ফাঁপাইয়া তুলিতে প্রয়াসী হয় তাহারা হয় রাজনৈতিক এতিম নয় গণবিরোধী।' বিশ্বব্যাপী নৈতিকতার চরম সংকটকালে মোসাফির নামক কলামে তিনি শক্তভাবে কলম ধরেন এবং বিশ্বব্যাপী মানুষের মুক্তির জন্য চিন্তা করেন। তিনি মতাদর্শকে গুরুত্ব না দিয়ে সমাজ বাস্তবতার উপর সেটার মূল্যায়ন করেন। তাই তো তিনি বলেন, 'আধুনিক দুনিয়ায় নীতির কোনো স্থান নাই বলিলেই চলে। বিশেষত বৃহত্তর শক্তি বর্গের কাছে নীতির মূল্য নিতান্তই অকিঞ্চিত্কর। স্বীয় দল ভারী করাই এদের লক্ষ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমের শক্তিবর্গ এবং কম্যুনিস্ট দুনিয়া সকলেরই বেলায়ই এই নীতিহীনতা লক্ষ্যণীয়।' তিনি দেশপ্রেম সৃষ্টি এবং নিরপেক্ষ ও স্বাবলম্বী জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কারণ পরনির্ভরশীল অর্থনীতিতে কোনো জাতির মর্যাদা বাড়ে না। বরং মর্যাদাহানী হয়। বাংলাদেশের মানুষ, পাখি, জল প্রভৃতি ছিল তার দৃষ্টিতে সরস। কিন্তু যোগ্য নেতৃত্ব ও নির্দেশনা না থাকার কারণে জাতি সামনের দিকে যাওয়ার স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা কোনো জাতির জন্য আত্মহত্যার সামিল। তাই তো তিনি বলেন, 'বর্তমান বিশ্বে ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। অবশ্য নিরপেক্ষতার অর্থ নিষ্ক্রিয়তা বুঝাইতেছি না। নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে হইলে সংশ্লিষ্ট দেশকে অন্তত ন্যূনতম অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করিতে হইবে।' বাঙালির শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি ছিল তার গভীর অনুরাগ। ১৯৬১ সালে এদেশের প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনের বিরোধিতা করলে তাদের সে পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন এবং রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনব কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালন করেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক এবং শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার পক্ষপাতি ছিলেন। ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধলে তিনি তার বিরুদ্ধে সাহস ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক দর্শনের অনুসারী এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহকর্মী এবং বন্ধু। জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে যারা স্বার্থক হয়েছেন, সেই দিক দিয়ে বিচার করলে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সার্থক হয়েছিলেন। Arthur Schopenhauer বলেন, 'Life is short but truth works for and lives long, let us speak the truth.' আমরা যদি সত্য সুন্দর এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহণ করে জীবনকে ধন্য করতে চাই তাহলে মানিক মিয়ার মতো ব্যক্তিদের সামনে রাখলে অনেক ক্ষেত্রে সফল হবো বলে বিশ্বাস করি। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি থাকল গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি।
web
cce8a4ecd181395fb5b6b6249c29e539b10b2e6f
কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম দল হিসেবে শেষ আটে জায়গা করে নিলো ভার্জিল ভ্যান ডাইকের নেদারল্যান্ডস। শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমে নির্ধারিত সময়ে ৩-১ গোল ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন দুই দলই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে দারুণ এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে। যেখানে বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ, গোলমুখে শট সবকিছুতে এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের পরিকল্পনা এবং অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয়েছে দলটিকে। ম্যাচে এদিন শুরুর আক্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্রই। সহজ সুযোগই পেয়েছিল দলটির স্ট্রাইকার ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই যুক্তরাষ্ট্রের তারকা ফুটবলার। যুক্তরাষ্ট্র ভুল করলেও নেদারল্যান্ডসের মেম্পিস ডিপে কোনো ভুল করেননি। খেলার ১০ম মিনিটে সু্যোগ পেয়েই যুক্তরাষ্ট্রের জালে বল জড়িয়ে দেন এই ফুটবলার। শুরুর সেই ধাক্কা প্রথমার্ধে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। বরং প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জালে আরেকটি গোল দিয়ে দেয় দলটি। আর তাতেই প্রথমার্ধ শেষেই ২-০ গোল ব্যবধানে এগিয়ে কোয়ার্টারের পথে এক পা দিয়ে রাখে নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য খেলায় ফেরার চেষ্টা ভালোই চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে দলটির পক্ষে হাজি রাইট একটি গোল পরিশোধ করে খেলা জমিয়ে দেন। তবে এর ঠিক ৫ মিনিট পর নেদারল্যান্ডস গোল দিয়ে ম্যাচটি ছিনিয়ে নেয়। ৮১তম মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের জালে ডেনজেল ডামফ্রাইস গোল করলে ডাচদের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। বাকি সময় যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ চালালেও আর সুবিধা করতে পারেনি। ম্যাচে ১৭টি আক্রমণ করে ৮টি গোলমুখে শট করেও ওই ১ গোল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে।
web
a962c7901e60e32b285f83a16e9ca5ed6331183b
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ ১৪ বছর আগেই তাঁর ওই পদ প্রাপ্য ছিল। কিন্তু বঞ্চিত করা হয়েছিল শিক্ষিকাকে। মানসিকভাবে অক্ষম ও বধির শিশুদের জন্য তিনি একটি স্কুল খুলেছিলেন। কিন্তু সেই স্কুলেই অর্গানাইজিং শিক্ষক হিসেবে রয়ে গিয়েছিলেন এত বছর। স্থায়ী পদ দেওয়া হয়নি তাঁকে। সে বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলে আদালত বিচার-বিবেচনা করে শিক্ষিকাকে তাঁর পদ বকেয়া বেতন সহ ফিরিয়ে দেওয়া দেওয়ার নির্দেশ দেয়। একদিকে যখন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে আসছে, তখন শিক্ষক নিয়োগে এমন মানবিক দৃষ্টান্তও উঠে আসছে। ৯৯৮ সালে হাওড়া ভাষা বিকাশ কেন্দ্র নামে মানসিকভাবে অক্ষম ও বধির শিশুদের জন্য স্কুল খুলেছিলেন অদিতি মজুমদার নামে এক শিক্ষিকা। কিন্তু, সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে তাঁকেই অনুমোদন দিতে চায়নি শিক্ষা দফতর। ফলে তিনি অর্গানাইজিং টিচার হয়েই থেকে যান। ২০১০ সালে সরকারি তরফে ওই স্কুলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেসময় শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের জন্য ১৩টি পদ ছিল। যার মধ্যে ৫টি শিক্ষক পদ ও ৩টি অশিক্ষক পদে নিয়োগকে স্বীকৃতি দেয় রাজ্য। কিন্তু অদিতিদেবীর জন্য বলা হয়, যেহেতু তিনি মানসিকভাবে অক্ষম ও বধির শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য পুরোপুরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, তাই তাঁকে স্থায়ী পদ দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, তাঁকে এত বছর ধরে বঞ্চিতও করা হয়। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে আবেদন করেন শিক্ষিকা। আইনজীবী রবিলাল মৈত্র দাবি করেন, রাজ্য সরকারের ২০০২ সালের নির্দেশিকাতেই স্পষ্ট লেখা ছিল, অর্গানাইজিং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না থাকলেও তাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে নিয়োগ পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে প্রশিক্ষণপর্ব সম্পূর্ণ করতে হবে। আর অতিদি মজুমদারের শুরু থেকেই মানসিকভাবে অক্ষম ও বধির শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট ছিল। পাশাপাশি তিনি বিএড ডিগ্রিও অর্জন করেন। তাও তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষিকার আবেদন যাচাই করে মামলার শুনানিতে বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত নির্দেশ দেন, স্থায়ী শিক্ষিকা হিসেবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে অদিতি মজুমদারের যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই সময় থেকে বেতন হিসেব করে যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।
web
9dc535272f1a14f3f80e1be592eb65071ff17937
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় আরও এক ধাপ পিছিয়েছে। গতকাল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২১ সালের এই সূচক প্রকাশ করে। সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম। সূচকে সবার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। ২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১তম। আর ২০১৯ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম। গতবারের সূচকেও বাংলাদেশের একধাপ অবনতি হয়েছিল। এবারের সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান (৬৫), মালদ্বীপ (৭৯), নেপাল (১০৬), আফগানিস্তান (১২২), শ্রীলঙ্কা (১২৭), মিয়ানমার (১৪০), ভারত (১৪২), পাকিস্তান (১৪৫)। সূচকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরএসএফের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংকট এবং লকডাউন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ ও বেসামরিক সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। মহামারী ও সমাজে তার প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য অনেক সাংবাদিক, বøগার, কার্টুনিস্ট গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, বিশেষ উদ্দেশ্য অর্জনে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে সরকারের কাছে এখন একটি বিচারিক অস্ত্র আছে। তা হলো ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনে 'নেতিবাচক প্রচারণা'র দায়ে সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদন্ড। ফলে আত্মনিয়ন্ত্রণ (সেলফ-সেন্সর) অভূত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্পাদকরা সংগত কারণেই জেল বা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঝুঁকি এড়াতে চান। সর্বশেষ ২০১৯ সালে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে লক্ষণীয় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। তাঁদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওয়েবসাইট বøক করে দেওয়া হয়েছে।
web
c6d928a982a1f9e6479bb334c20601038f26d860fb2079100e7bf02327493b3a
ফের এমরির দিকে তাকালো ও···বিভ্রান্ত বিস্ময়ে তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখলো এমরির সারা মুখ। 'তুমি কখন...' 'আমাদের চলে আসার দিন সকাল বেলা, যখন শহরের মাঝথানে গেলাম, তখনই এটা নিয়ে এসেছিলাম। শিকাগোতে উড়ে যাবার আগেই আমি এটা কিনে নিতে চেয়েছিলাম কিনা !' 'তুমি শহরে···গিয়েছিলে ?' নিজেকে প্রশ্ন করতে শুনলো হেলেন ! 'সে জন্যেই তো তোমার সঙ্গে এয়ারপোর্টে যাইনি,' হেলেনের দিকে এক টুকরো হাসি ছুঁড়লেন এমরি। 'পলকে আমি বলে গিয়েছিলাম, সে যেন তোমাকে জানিয়ে দেয় যে তার বদলে আমিই ল্যাজার্ডদের কাছে কাগজপত্রগুলো নিয়ে গেছি। তুমি আমার আসল মতলবটা ধরে ফেলবে, আমি তা চাইনি। আমি চেয়েছিলাম, এটা দিয়ে আমি তোমাকে অবাক করে দেবো।' 'পল তাহলে ওপর-তলায় ছিলো? আর্তনাদ করে উঠলো 'ছিলো বৈকি ! কাজকর্মগুলো সেরে ফেলার জন্যে আমি তাকে রেখেই গিয়েছিলাম।' নিজেকে সামলাবার জন্যে কুর্সিটা ধরে টলোমলে। পায়ে উঠে দাঁড়ালো হেলেন। ওর দিকে তাকিয়ে ব্যঙ্গের হাসি ছড়ালেন এমরি, 'আমার ব্যাগগুলে নিয়ে আসার জন্যে আমি আবার বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলাম এবং সে তখন সেখানেই ছিলো।' বিস্ফারিত চোখ আর ছাইয়ের মতো ফ্যাকাসে মুখে ওঁর দিকে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলো হেলেন। শান্ত গলায় এমরি সিনক্লেয়ার আরও বললেন, 'আর আমি যখন বাড়ি থেকে চলে আসি, তখনও ছিলো।' ট্র্যাপ : স্ট্যানলি অ্যাবট ঘরের বাইরে ঘর ট্রেনটা দেরি করেছিলো। নাটালি যখন আবিষ্কার করলো, হাই টাওয়াব স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ও একেবারে নিঃসঙ্গ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তখন নিশ্চয়ই রাত নটা বেজে গিয়েছিলো। স্পষ্টতই স্টেশনটা রাতের মতো বন্ধ হয়ে গেছে। আসলে এটা পথ-চলতি একটা বিরতি মাত্র, কারণ এখানে কোন শহর নেই।···কি করবে, ঠিক বুঝতে পারছিলো না নাটালি। ও ধরেই নিয়েছিলো, ডাক্তার ব্রেসগার্ডল হাতের কাছে হাজির থাকবেন। লণ্ডন ছাড়ার আগে, ও এখানে এসে পৌঁছনোর সময়ট। জানিয়ে কাকাকে একখানা তাব পাঠিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু ট্রেনটা দেরি করছিলো বলে, উনি হয়তো এসে আবার চলে গেছেন। অনিশ্চিতভাবে চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে, দূবভাষ ব্যব হারের খুপরিটা দেখতে পেলো নাটালি। ডাক্তার ব্রেসগার্ডলের শেষ চিঠিট। ওর ব্যাগের মধ্যেই ছিলো, তাতে তাঁর ঠিকানা এবং ফোনের নম্বর - দুই-ই রয়েছে। খুপরির দিকে এগুতে এগুতে ব্যাগ হাতড়ে চিঠিটা খুঁজে পেলে। নাটালি । কিন্তু ফোন করাটাও খানিকটা সমস্যাজনক বলে প্রমাণিত হলো। লাইনের সংযোগ পাবার আগে পর্যন্ত সময়টা যেন সীমাহীন এবং তারপরেও লাইনে প্রচণ্ড গোলমালের আওয়াজ। খুপরির কাচের দেয়ালের এধার থেকে স্টেশনের ওধারে পাহাড়গুলোর দিকে এক পলক তাকিয়ে অসুবিধের কারণটা যেন অনুমান করতে পারলো নাটালি। শত হলেও .এটা পশ্চিমের দেশ, নিজেকে মনে করিয়ে দিলো ও। এখানকার পরি স্থিতি হয়তো এখনও কিছুটা সেকেলে। 'হ্যালো, হ্যালো!' লাইনের অপর প্রান্ত থেকে একটি মহিলার কণ্ঠস্বর ভেসে এলো। কানে তালা ধরানোর চাইতেও জোরে চিৎকার করছেন মহিলা। এক
pdf
e27f8555be7fb185d2b15c8a924b46d8eeee93a3
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন হেলিকপ্টার যোগে তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হাতয় অঞ্চল সফর করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় তুরস্কের এই এলাকাটি এবং উত্তরাঞ্চলীয় সিরিয়া ভূমিকম্পে ধূলোয় মিশে গেছে। এসব অঞ্চল নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য আরো ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তুরস্ক যখন দুটি প্রদেশ বাদ দিয়ে অন্যান্য প্রদেশের উদ্ধার অভিযান শেষ করে এনেছে, তখনই তিনি অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করেন। রোববার দুর্যোগ সংস্থা বলেছে, দুটি রাজ্যেই হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধারের খবর আসছিল। কিন্তু এখন আর আসছে না। তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কারো আর জীবিত থাকার খবর আসেনি। ভূমিকম্পের কয়েকদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ক ও সিরিয়ার জন্য ৮৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছেন। এই দুটি দেশে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্মী, ওষুধপত্র এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে। ব্লিনকেন রোববার ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে বলেছেন, 'এটা হবে দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া।' এই বিমান ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের একটি স্থাপনা। এখান থেকেই ত্রাণ সহায়তা সমন্বয় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উদ্ধার অভিযান শেষ হলেই পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে।' ব্লিনকেন বলেছেন, ইমার্জেনিস্ রিফিউজি এ্যান্ড মাইগ্রেশন তহবিলে ৫০ মিলিয়ন এবং মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। দুই বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর ন্যাটো মিত্র তুরস্কে এটাই হলো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।
web
adb22940fc2fa9b62c6eeecdda5d27978bbafca4
দুই বাংলার জনপ্রিয় মুখ জয়া আহসান। কলকাতার নিমার্তা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তার অভিনীত সিনেমা 'অর্ধাঙ্গিনী'। এটি আগামী ২ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটির মুক্তি সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। ট্রেলারে নজর কেড়েছেন জয়া আহসান। প্রাক্তন আর বর্তমান। এক পুরুষের জীবনের দুই নারীর হৃদয়ের যুদ্ধ নিয়ে এগিয়েছে সিনেমার গল্প। জয়া ছাড়াও ট্রেলারে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী চুর্ণী গাঙ্গুলী ও অভিনেতা কৌশিক সেন। অর্ধাঙ্গিনী' সিনেমাটিতে জয়াকে দেখা যাবে কৌশিক সেনের স্ত্রীর চরিত্রে, আর চুর্ণী থাকবেন তার সাবেক স্ত্রীর ভূমিকায়। ঘটনাক্রমে এক সমান্তরাল পথেই হাঁটবে এই তিনজনের জীবন। কৌশিক গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, দুই নারীর এক অদ্ভুত সম্পর্কের গল্পে নির্মাণ করা হয়েছে 'অর্ধাঙ্গিনী'। তবে এটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নয়। তিন বছর আগে কৌশিক গাঙ্গুলীর 'অর্ধাঙ্গিনী' সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলেন জয়া আহসান। তবে করোনার কারণে একটানা শেষ করা যায়নি। করোনার পর সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষা করছিলেন জয়া। অবশেষে তিন বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সিনেমাটি। বিষয়টি কদিন আগেই নিশ্চিত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সুরিন্দর ফিল্মস। 'অর্ধাঙ্গিনী' কৌশিক গাঙ্গুলীর পরিচালনায় জয়া আহসানের তৃতীয় সিনেমা। এর আগে 'বিসর্জন' ও 'বিজয়া' সিনেমায় কৌশিকের নির্দেশনায় কাজ করেছিলেন তিনি। 'অর্ধাঙ্গিনী' ছাড়াও কলকাতায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে জয়া অভিনীত 'ওসিডি', 'ভূতপরী', 'কালান্তর' ও 'পুতুল নাচের ইতিকথা'। অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর একটি হিন্দি সিনেমার শুটিংও শেষ করেছেন জয়া আহসান। সিনেমায় তার সহশিল্পী বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী, সানজানা সাঙ্ঘি ও দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী পার্বতী। ভারতের পাশাপাশি দেশেও জয়ার বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে রয়েছে নূরুল আলম আতিকের 'পেয়ারার সুবাস', আকরাম খানের 'নকশিকাঁথার জমিন' ও পিপলু আর খানের 'জয়া আর শারমিন' সিনেমাগুলো।
web
c50531c58958ca8ade2996128043555fb3f5a300
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে । রোববার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী আব্বাস, সদস্য অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দীন ও লিয়াকত আলী। একই কারণে সদস্য মজিবুর রহমানকে সতর্ক করা হয়েছে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্র থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর বিভিন্ন ইউনিটের নয়টি কমিটি ঘোষণা করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। এসব ইউনিটের কমিটি গঠন নিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে একপেশে কমিটি গঠনের অভিযোগ তুলে ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আলী আব্বাসের নেতৃত্বে দলের একাংশ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
web
1afacecd697c82a2f507cde49e1588d77dac6126
তদন্তের দাবি চেয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। ছবিঃ পিটিআই। ২০০৯ সালে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ১৮০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। যাঁরা তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, সেই তালিকায় আছে অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী এবং লালকৃষ্ণ আডবাণীর নাম। পাশাপাশি টাকা দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন বিচারপতি এবং আইনজীবীদেরও। কর্নাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার নিজের হাতে লেখা একটি ডায়েরিও নিজেদের রিপোর্টে প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় ম্যাগাজিন 'ক্যারাভান'। ভারতীয় আয়কর দফতরের হাতে এই নথি আছে বলেও দাবি করেছে ক্যারাভান। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রিপোর্ট ফাঁস হওয়ায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে বিজেপি। অন্য দিকে 'চৌকিদার প্রধানমন্ত্রী'-র কাছে অবিলম্বে লোকপাল তদন্তের দাবি করেছে কংগ্রেস। যদিও এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই এবং এই ডায়েরি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা। ক্যারাভান-এ প্রকাশিত রিপোর্টে সামনে আনা হয়েছে বি এস ইয়েদুরাপ্পার নিজের হাতে লেখা একটি ডায়েরি। কর্নাটক বিধানসভার বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট এই ডায়েরিটিতে লেখা আছে কন্নড় ভাষায়। সেখানেই ২০০৯ সালে বিজেপির কোন নেতাকে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই হিসেব নিজের হাতে লিখে রেখেছিলেন বলে দাবি ক্যারাভান পত্রিকার। ইয়েদুরাপ্পার লেখা সেই ডায়েরির পাতা থেকে দেখা যাচ্ছে, তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটিকে দিয়েছিলেন মোট ১০০০ কোটি টাকা। দেশের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীকে তিনি দিয়েছিলেন ১৫০ কোটি টাকা করে। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে তিনি দিয়েছিলেন ১০০ কোটি টাকা এবং লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলীমনোহর যোশীকে তিনি দিয়েছিলেন ৫০ কোটি টাকা করে। পাশাপাশি নিতিন গডকড়ীর ছেলের বিয়েতেও তিনি দিয়েছিলেন অন্তত দশ কোটি টাকা। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি ইয়েদুরাপ্পা যে বিভিন্ন বিচারপতি এবং আইনজীবীদেরও টাকা দিয়েছেন এবং সেই হিসেবও এই ডায়েরিতে নিজের হাতে লিখে রেখেছেন ইয়েদুরাপ্পা, এমনটাই পাওয়া যাচ্ছে ক্যারাভান ম্যাগাজিনের ফাঁস করা রিপোর্টে। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই আসরে নেমেছে কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠকে করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানতে চেয়েছেন, "এই রিপোর্ট সত্যি না মিথ্যা? ২০১৭ সাল থেকে ইয়েদুরাপ্পার নিজের হাতে সই করা এই ডায়েরি আয়কর দফতরের কাছে আছে। তা হলে বিজেপি এবং মোদীজি এই ঘটনার তদন্ত করেননি কেন?" একই সঙ্গে এই ডায়েরি নিয়ে অবিলম্বে লোকপাল তদন্তের দাবি করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, পুরো দেশ এই ঘটনা জানতে চায়, কারণ ১৮০০ কোটি টাকা জনগণের হিসেবে খুব একটা কম টাকা নয়। প্রথমে ক্যারাভান ম্যাগাজিনে রিপোর্ট প্রকাশ এবং তার ঠিক পরেই কংগ্রেস এই অভিযোগ আনলেও তা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা। বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, "আমি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, আয়কর দফতর আগেই জানিয়েছে, এই নথি ভুয়ো এবং মিথ্যা।" ইয়েদুরাপ্পার পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক করে পুরো বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদও। তাঁর দাবি ইয়েদুরাপ্পার সই জাল করা হয়েছে এবং পুরো বিষয়টি অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস-ও।
web
fff485cbff23c85086cc95f834aa8ed079aa6f33
ক্রীড়া ডেস্কঃ আয়ারল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। কিন্তু ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের জন্য জায়গা পাচ্ছিলেন না লিটন কুমার দাস। তবে গত পরশু মোহাম্মদ মিথুনের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাট হাতে নামেন ৫ নম্বর পজিশনে। সে সময় আবার দ্রুত তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে বেশ চাপে ছিল টিম বাংলাদেশ। এমন এক পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখতে যেমন খেলার দরকার ছিল, ঠিক সেটাই করেন তিনি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়ে তোলেন ১৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তার মধ্যে তিনি করেন ৬৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে ৯৪ রান। লিটনের সেঞ্চুরি না হওয়ায় অনেকেই তো গত পরশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করেছেন রসিকতা। কেউ কেউ বলেছেন, আর কিছু রান করলেই বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কি হতো? তাহলে তো বিশ্বকাপ অভিষেকেই সেঞ্চুরি পেতেন লিটন।
web
f5871e1fe13047536c875c8b5f9b55327cd24b78
সত্যের পথে অবিচল এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অনলাইন টিভি চ্যানেল উহবংিকযঁষহধ-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রূপসা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। ডি-নিউজের পরিচালক তরিকুল ইসলাম ডালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইলিয়াছুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ যোবায়ের, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা সুলতানা, কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান, খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদল কুমার বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল, নৈহাটী মাধ্যমিক বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম পলাশ, সময়ের খবরের মফস্বল সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন। ডি-নিউজের উপদেষ্টা তরুণ চক্রবর্তী বিষ্ণুর পরিচালনায় বক্তৃতা করেন রূপসা প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম তোতা, সাবেক সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য আসাবুর রহমান, আ. গফুর খান, এস এম আলমগীর হোসেন শ্রাবণ, আওয়ামীলীগ নেতা মো. মোজাফ্ফার হোসেন, কর্ণপুর যুব সংঘের সভাপতি এম এ মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী রাজ, মনিরুল ইসলাম, আ. হালিম, আলমগীর হোসেন, বেনজির হোসেন, সাংবাদিক এম এ আজিম, হামিদুল হক, তৌহিদুল ইসলাম কচি, হানিফ হাওলাদার, মিরাজ শেখ, ডি-নিউজের এডমিন তরিকুল ইসলাম, এইচ এম মনি, এম ডি আল মাফুজ প্রমূখ। এ সময় বক্তারা অনলাইন টিভি চ্যানেল ডি-নিউজের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, উন্নয়ন, অগ্রগতি তুলে ধরার আহবান জানান।
web
b66db3f5a22d6556e0d32ab0d7a1ac98b27131a59a86e75d31b847cc0c454799
মন্দিরের দ্বারপার্শ্বে ই অবস্থিত। গৃহটি অনায়ত হইলেও এক ব্যক্তির বাসের পক্ষে বিলক্ষণ উপযোগী। গৃহটির সম্মুখে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরাশি প্রসারিত রহিয়াছে । কারণ উহার পুর্ব্বদিকস্থিত গবাক্ষ পার্শ্বে দণ্ডায়মান হইবামাত্র যমুনার তরঙ্গভঙ্গিময় শ্যামল সলিলরাশি দৃষ্ট হয়। বিশেষতঃ অপর পারে কোথাও শুভ্ৰোজ্জ্বল সৈকত-ভূমি, - কোথাও বা লতাপাদপ-পরিবৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুঞ্জবন দর্শন করিয়া পুলকিত-চিত্ত হইতে হয়। এইরূপে বাসস্থান নিরূপিত হইলে পর অমরলালের গৃহে তাঁহার আহারের ব্যবস্থা হইল। অমরলাল মথুরাধামে "জ্যোৎসি-বাবা ** বলিয়া প্রসিদ্ধ। তিনি একজন দয়ার্ড-চিত্ত ব্যক্তি। অমরলাল গুজরাট প্রদেশবাসী হইলেও মথুরাতে অনেক দিন অবস্থিতি করিতেছিলেন। তিনিও উদীচ্য শ্রেণীস্থ ব্রাহ্মণ। স্বদেশস্থ ও স্বশ্রেণীস্থ দেখিয়া, অধিকন্তু বিরজানন্দের নিকট পাঠ-বাসন। একান্ত বলবর্তী বুঝিতে পারিয়া, অমরলাল স্বীয় আলয়ে দয়ানন্দের আহারের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। কেবল আহার-ব্যবস্থা করিয়া দিয়াই নিশ্চিন্ত রহিলেন না, তাঁহাকে সময়ে সময়ে প্রয়োজনানুরূপ পুস্তকাদিও সাহায্য করিতে লাগিলেন। এই বিষয়ে দয়ানন্দ বলিয়াছেন, - "আহার ও গ্রন্থাদি সম্পর্কে মুক্ত হস্তে সহায়তার নিমিত্ত আমি অমরলালের নিকট যার পর নাই বাধিত আছি। তিনি আহার বিষয়ে এতদূর যত্নপর হইতেন যে, অগ্রে আমার আহারের ব্যবস্থা করিয়া না দিয়া নিজে আহার করিতেন না। বস্তুতঃ তিনি যে একজন মহদন্তঃকরণ ব্যক্তি তাহাতে আর সংশয় নাই।" যাহা হউক এই প্রকারে অবস্থান ও ভোজন করিবার ব্যবস্থা করিয়া দয়ানন্দ বিরজানন্দের সমীপে আগমন পূর্ব্বক অধ্যয়ন কাৰ্য্যে ব্যাপৃত হইলেন। * জ্যোতিব্বিদ্যা বিষয়ে প্রাসদ্ধির নিমিত্ত অমরলাল "জ্যোৎসি-বাবা" ডপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। মহারাজ সিদ্ধিয়া তাঁহাকে এই উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন। এমন কি, মহারাজ সিদ্ধিয়।, জ্যোতিঃশাস্ত্র বিষয়ে পারদর্শিতার নিমিত্ত অমরলালের প্রতি এতদুর তুষ্ট হয়েন যে, তাঁহাকে দশ বারখানি গ্রাম প্রদান করিয়াছিলেন। অমরলাল সেই গ্রামগুলির উপসত্ব হইতে প্রতিদিন ব্রাহ্মণ ভোজনাদি সৎকার্য্যের অনুষ্ঠান করিতেন। তাঁহার গৃহে প্রত্যহ প্রায় একশত ব্রাহ্মণসজ্জন আহার করিতেন। এই স্থলে আর একটি কথা বল। উচিত যে, অমরলালের গৃহে আহার-ব্যবস্থা হইবার পূর্ব্বে দয়ানন্দ দুর্গাপ্রসাদ নামক জনৈক সদাশয় ক্ষত্রিয়ের গৃহে কিছু দিন আহার করিয়াছিলেন ।
pdf
1872268e4d706daa02e9e06fb40066027f1b1f91
ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার বদলিজনিত কারণে গত ২৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার জন্মনিবন্ধন সংশোধনীর কার্যক্রম। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য আসা সেবাগ্রহীতারা। ফরিদপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রথমে ফরিদপুর পৌরসভায় সংশোধনীর মাত্রা অনুযায়ী অনলাইনে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে আবেদন করতে হয়। এ আবেদনটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডিডিএলজি শাখায় পাঠানো হয়। ওই শাখা আবেদনপত্রটি সঠিক-বেঠিক যাচাই করে। সঠিক হলে সেটি গ্রহণ করে কোড নম্বর দেওয়া হয়। ওই কোড নম্বর পাওয়ার পর পৌরসভা কিংবা ইউপি চেয়ারম্যানরা সেটি নিবন্ধন করেন। পরে সেটির প্রিন্ট বের করে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে আসা সেবাগ্রহীতাদের হার্ডকপি সরবরাহ করা হয়। ফরিদপুর পৌরসভায় এ কাজটি করেন কম্পিউটার আপারেটর সৌরভ ঘোষ। তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধন সংশোধনী বন্ধ রয়েছে গত ২০ মার্চ থেকে। ১৯ মার্চ তারা সর্বশেষ ডিডিএলজি শাখার ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। ফলে গত ২৪ দিনে জন্মনিবন্ধনের কোন সংশোধনী সেবাগ্রহীতাদের সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে জন্মনিববন্ধন সংশোধনী করতে আসা ব্যক্তিদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সৌরভ ঘোষ আরও বলেন, জন্মনিববন্ধন সংশোধনীর ছাড়পত্র না পাওয়ায় পাসপোর্ট করা কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র করার ক্ষেত্রে সর্বস্তরের লোকদের সমস্যা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন চিকিৎসার জন্য বিদেশগামী ব্যক্তিরা। জন্মনিবন্ধনজনিত জটিলতার কারণে তারা পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করতে পারছেন না। এ পর্যন্ত পৌরসভার এ জাতীয় ৩২২টি আবেদন নিবন্ধনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন আবেদন জমা পড়ছে, বাড়ছে সংখ্যা। ফরিদপুর শহরের আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বলেন, তিনি প্রায় এক সপ্তাহ আগে তার নাতির জন্মনিববন্ধন সংশোধনের জন্য পৌরসভায় আবেদন করেছেন। কিন্তু দিনের পর দিন ঘুরেও তিনি সংশোধনী সনদটি পাননি। তিনি বলেন, তার মতো আরও অনেকে এই বিষয়ে কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা। ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ কাজটি করতেন ডিডিএলজি আসলাম মোল্লা। সম্প্রতি তিনি বদলি হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডিডিএলজির দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবির। ডিডিএলজি শাখা সূত্রে জানা যায়, সাবেক ডিডিএলজি আসলাম মোল্লা জন্ম নিবন্ধন সংশোধনীর জন্য একটি কোড ব্যবহার করতেন। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পর এই কোডটি এবং পাসওয়ার্ড কাউকে দিয়ে যাননি ফলে এ সংক্রান্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। জানতে চাইলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবির বলেন, আমরা এ সংশোধনীর জন্য নতুন একটি কোডের জন্য ঢাকার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রি বিভাগে জানিয়েছি। ওই বিভাগ থেকে গত বুধবার একটি নতুন কোড ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য আমরা সেটি ব্যবহার করতে পারছি না। তিনি বলেন, তারা স্থানীয় সরকার বিভাগের ওই শাখার সঙ্গে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। কোর্ড চালু করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটি চালু না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রত্যাশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
web
d690a28b5a1ba7c016f5674366b84b76b732ccf4
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে স্বাধীনের পর দেশের কল্যানে কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার কারণে কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। ' আজ রোববার দুপুরে উপজেলা চত্বরে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো সক্রিয় হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। তারা ২০১৪ সালের মতো আবারো আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার অপচেষ্টা করতে চাইলে তাদের শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে। রাসিক মেয়র বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, কয়লাভিত্তিক রামপাল থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর সহ দেশে অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে ঘুরছে। এখন বঙ্গবন্ধ-২ স্যাটেলাইট পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশে খাদ্য শস্যের বাম্পার ফলন হচ্ছে, অনেক খাদ্য শস্য মজুদ রয়েছে। আমরা ১১ লক্ষ রহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারছি। বছরের প্রথমে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে ক্রিকেট ও ফুটবল দল যেভাবে একের পর এক জয় লাভ করেছে, তা আমাদের অত্যন্ত গর্বের। দেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে, এগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। মানুষকে বুঝাতে হবে, তাদের জাগ্রত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের মেয়েদের সম্মান দিয়েছেন, নারীরা রাজনৈতিক করছে, নির্বাচন করছে, র্যাব, বিজিবি সহ সর্বক্ষেত্রে কাজ করছে, এমনকি শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের মেয়েরা বিদেশে গিয়ে পুরুষ সঙ্গীদের সাথে শান্তি মিশনে একসাথে কাজ করছে। শুধু তাই না আমাদের মেয়েরা হেলিকপ্টার নিয়ে আফ্রিকার আকাশে উড়ছে। এটা আমাদের গর্বের। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া করি, তিনি যাতে দীর্ঘদিন সুস্থ্য থেকে বাংলাদেশকে আরো উচুঁতে নিয়ে যেতে পারেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আধুনিক বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। যারা দেশের স্বাধীনতা মানে না, যারা দেশের উন্নয়নকে মেনে নিতে পারে না, যারা পেছনে দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে চায়, তারাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে লাভ নাই। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নাই, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু শেখ হাসিনা। সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বিএমডিএ এর চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান এবং রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আয়েন উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ালী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মোঃ আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ। সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা। এরআগে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। প্রথম অধিবেশনের পর মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে পুনরায় এ্যাড. মোঃ আব্দুস সালামকে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অধ্যক্ষ মোঃ মফিজ উদ্দিন কবিরাজকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
web
8b88c3a8465d73b8f4a313abb1959e354fe96bf0
সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও করোনার প্রকোপ অব্যাহত। এবার শেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৯৭ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের হদিশ। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,০৭,৩২৩। এই ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু আরও ৫৬ জন করোনা রোগীর। এই নিয়ে সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলায় মোট প্রাণ হারালেন ২,২৫৯ জন রোগী। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন আরও জানিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬,৪৪৭ জন সক্রিয় করোনা রোগী। ফলে এ পর্যন্ত রাজ্যে করোনাজয়ীর সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮,৬১৭ জন। এঁদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২,৪৯৭ জন।
web
69e8ce9681979c44cd7aa162ca9aebecbf350336
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আজম নাছির উদ্দিন তার নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে রাতেই বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। রাত ১০ টায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এক পথসভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি। সে সময় মেয়র বলেন, জনগণের ভোগান্তি দূর করতে এবং চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে রাতে বর্জ্য অপসারন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নগরবাসীর সহায়তা চান মেয়র আজম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, সকল বাসা বাড়ি অফিস আদালতের ময়লা আর্বজনা সিটি কর্পোরেশনের নিদিষ্ট স্থান ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় না ফেলার আহ্বান জানান। রাত ৭ টা থেকে শুরু করে রাত ১১ টার মধ্যে বর্জ্য ফেলার সময়ও বেঁধে দেন তিনি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিস্কার পরিচ্ছনতায় নিয়োজিত কর্মীরা ভোর হওয়ার আগ পর্যন্ত পরিস্কার করবে। কোনো মহল যদি এই কাজে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়র জানন, এই কার্যক্রম চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
web
30496d3b3e6a6c9e7b8c71b334069e3b95cd9812
Covid 19: কোনও উপসর্গ নেই ? জানুন কোভিড হয়েছে বুঝবেন কী করে ? Sports HIghlights: ভারতের জয়, গাওস্করের তোপ, দায়িত্ব ছাড়লেন অরুণ লাল, আজ খেলার মাঠে সারাদিন কী হল? Canning News: ক্যানিং তৃণমূল নেতা খুনে প্রথম গ্রেফতার, অধরা রফিকুল-সহ এখনও ৫ ! Panchayat Election Result : ক্ষোভে ফুঁসছে ভাঙড়, রাস্তায় এখনও পড়ে রয়েছে তাজা বোমা, ইটের টুকরো, ভাঙা কাচ ! Panchayat Election Bhangar Death : মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বেরিয়েছিলেন রাজু, ভাঙড়ে প্রাণ গেল গোলাগুলিতে ! Congress: রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে কংগ্রেসের অস্ত্র 'সত্য়াগ্রহ'
web
956ede96534b5611a98beeec8b0233ce
নেইমারের মতো তারকাকে ছেড়ে দেয়ার পর বড় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল বার্সেলোনার। তারই স্বদেশি ফিলিপ কৌতিনহোকে দিয়ে সেই অভাব ঘুচানোর চিন্তা ছিল ব্লুগ্রানাদের। সেই চিন্তা থেকেই ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকারকে দলে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্লাবটি। ২০১৮ সালে ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুল থেকে কৌতিনহোকে দলে ভেড়ায় বার্সা। ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি এই খেলোয়াড়কে কিনতে এমনকি ইংলিশ জায়ান্টদের বাড়তি ৪০ মিলিয়ন ইউরোও পরিশোধ করতে হয়েছে তাদের। প্রত্যাশা তো আকাশচুম্বীই ছিল। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতা মেলেনি। লিভারপুল ছেড়ে কাতালুনিয়ায় আসার পর থেকে নিজের ছন্দ হারিয়ে ফেলেন কৌতিনহো। টানা ব্যর্থতার জেরে একসময় তাকে ধারে বায়ার্নে পাঠিয়ে দেয় বার্সা। বাভারিয়ানরা তাকে নিতে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। কিন্তু সেখানে গিয়েও ভাগ্যবদল হয়নি। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের মূল একাদশে নিয়মিত হতে ব্যর্থ হন কৌতিনহো। লিভারপুল থেকে যে দামে বার্সা কিনেছিল, একই দামে কৌতিনহোকে স্থায়ীভাবে কেনার সুযোগ ছিল বায়ার্নের হাতে। কিন্তু যার একাদশেই জায়গা হচ্ছে না, তাকে রেখেই কী লাভ! কৌতিনহোর তাই বার্সায় ফেরার সময় হয়ে গেছে। এই কৌতিনহো ফের আলোচনায় আসলেন চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালের আগে। বার্সা থেকে ধারে বায়ার্নে খেলছেন, নিজের ক্লাবের বিপক্ষেই ম্যাচ! আলোচনা তো হবেই! সেই আলোচনায় রং ছড়ালেন কৌতিনহো নিজেই। দুই ক্লাবে উপেক্ষিত এই তারকা শুক্রবার আলো ঝলমলে এক রাত উপহার দিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো বড় মঞ্চে। বার্সাকে নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ রীতিমত ছেলেখেলায় মাতলো, সেখানেও মূল একাদশে ছিলেন না কৌতিনহো। বরং শেষের দিকে মাত্র ১৫ মিনিট সময়েই যা দেখানোর দেখিয়ে দিলেন। বায়ার্নের ৮-২ ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচে নিজে করলেন শেষ দুই গোল, একটি গোল করালেন লেভানদোভস্কিকে দিয়ে। এরপর আর কি মুখে জবাব দেয়ার দরকার পড়ে! Taohid Mithun (Senior Reporter - Jamuna Television) Chief Editor: Dhaka Office: 105 Malek Market (2nd Floor) Fakirapool, Motijheel, Dhaka, Bangladesh. Gazipur Office: Osman Market (2nd Floor ) Room No : 46 Muchack Bus Stand, Muchack, Kaliakur, Gazipur, Bangladesh.
web
d452afeedc143aeec30f0b6519d40223
সাফা বেগ (ইরফান পাঠান এর স্ত্রী) এর কারণে আবারও আলোচনায় এসেছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার। ইরফান পাঠানের স্ত্রীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, এর পরে অনেক মানুষ তাকে সমালোচনা করছেন। আসলে ইরফান পাঠানের স্ত্রীর একটি ছবি ভাইরাল হচ্ছে যার মধ্যে তার মুখ ঝাপসা করা হয়েছে (গোপন)। ঠিক এভাবেই কিছু লোক ইরফান পাঠানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ইরফান পাঠানকে লোকেরা সমান পরামর্শ দিয়েছিল, তার পরে মুখ বন্ধ করে উত্তর দিতে হয়েছিল এই প্রাক্তন এই ক্রিকেটারকে। ইরফান পাঠান সেই ছবিটি টুইট করে লিখেছেন, "এই ছবিটি আমার রানী (স্ত্রী) আমার ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছেন। ছবিটি নিয়ে আমরা প্রচুর ঘৃণা পাচ্ছি। আমাকেও এই ছবিটি এখানে পোস্ট করতে দিন। আমার স্ত্রী তার পছন্দের এই ছবিটিতে তার মুখটি ঝাপসা করে দিয়েছেন। এবং হ্যাঁ, আমি তার গুরু নই, তবে তাঁর সহচর।" ইরফান পাঠান প্রায়শই স্ত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তবে এতে তার মুখ লুকানো থাকে। সম্প্রতি পাঠান তাঁর স্ত্রীর সাথে দেখা করতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর প্রতিটি ছবিতে স্ত্রীর মুখ লুকিয়ে ছিল। পাঠান ২০১৭ সালে সাফা বেগকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি জেদ্দায় মডেলিং করতেন তবে পাঠানকে বিয়ে করার পরে তিনি মডেলিং ছেড়ে দেন। তাদের দুজনেরই একটি ছেলে হয়, যার নাম ইমরান পাঠান। আজকাল ইরফান পাঠান ও তাঁর বড় ভাই ইউসুফ পাঠান কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করছেন। ইরফান পাঠান তার উপার্জনটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তিনি অক্সিজেনের ঘাটতিতে ক্ষতিগ্রস্থ কোভিড ভুক্তভোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং কনসেন্ট্রেটরও সরবরাহ করছেন।
web
f60c2625796b6ad7e60acb6239114b7d
আপনি অফিসে বস কিন্তু আপনি দৈনন্দিন কাজে অনেক সময় ব্যয় করে ফেলেন। আপনার কোম্পানির প্রয়োজন একজন কৌশলী নেতার। তাই নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলুন। শুরুতে হয়ত শুধু আপনি আর আপনার পার্টনার ছিলেন। আপনি নিজেই সব কাজ করতেন। সবকিছু ঠিকঠাক করা, বিনিয়োগকারীদের সাথে দেখা করা, আবর্জনা সরানো ও ফোন কল করা। এখন এসব কাজ করার জন্য আপনি অন্য লোকদের নিয়োগ দিয়েছেন, তাই আপনার সময় হয়েছে একজন কৌশলী নেতা হওয়ার। যদি আপনি কৌশলী হওয়ার ব্যাপারে ইতস্তত বোঢ করে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন আপনি একা নন। সব নেতাই চায় তাদের সামনে যা আছে তা নিয়ে কাজ করতে কারণ সেটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ বলে মনে হয়। কিন্তু এমনটা করলে আপনার কোম্পানির ক্ষতি হতে পারে। কোম্পানির খুঁত সারাতে গিয়ে হয়ত আপনি বড় কোন সুযোগ হাতছাড়া করতে পারেন বা সামনে যে বিপদ আছে তা দেখতে ভুল করতে পারেন। এই কাজগুলো অবশ্যই কঠিন ও সময়সাপেক্ষ, তবে একথা সত্যি কেউই কিন্তু সব দক্ষতা একসাথে নিয়ে জন্মায় না। তাই যেসব ক্ষেত্রে দক্ষতা নেই সেসব ক্ষেত্রে দক্ষতা শিখে নিয়ে নিজের আয়ত্ত্বে আনতে হয়।
web
0e150b7364346759df842992530733331e52a817
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও বাঙালি ভ্রাতৃত্ববোধ ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ। শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাভাবিপ্রবি উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) ড. এ আর এম সোলাইমান, টেলিফোনে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ মাভাবিপ্রবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিন, সহ- সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, রেজিস্ট্রার ড. মো. তৌহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এ সময় মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ মাভাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ নেতা মানিক শীল। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে সবাই নিজ নিজ ধর্ম নিজেদের মতো করে পালন করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দিন রাত পরিশ্রম করে দেশকে ব্যাপক উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সে সময় এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা এই জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্য এবং দুঃখজনক। এছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটেছে তার প্রতি নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তারা। ১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
web
729d0fbd9e5b3d0f4b0da3d5fbd25f452d36f39350081914926cc009e0539193
অম্বুবতীব প্রতি ভগবতার অভিশাপ। কলিকাল উপস্থিত হইলে বাহুষ্ঠানে লোকেব আস্থা কমিতেছে দেখিয়া ভগবান নাৰাষণ একদিন চিন্তা কৰিতে ছিলেন যে, যুগে যুগে তপস্থ্যা প্রভৃতি কম্মদ্বাব। মানবের ধৰ্ম্মসাধনাৰ উপায় নিদ্বাবিত ছিল, এখন শেব কলিকাল, লোক কম্মহীন হইতেছে, ধম্মপূজা বা একেবাৰে উঠিয়' যায় । এইরূপ চিন্তা কবিয়া পৃথিবীতে নিজেৰ পূজা প্ৰচাৰ কৰিবাৰ উপায কল্পনা কবিতেছিলেন, এমন সময় হনুমান বলিতে লাগিলেন, - প্রভো, কলিকালে বস্মপূজাৰ প্ৰচাৰেৰ জন্য কোন চিন্তা কৰিতে হইবে না। কলিতে ধর্ম্মপূজাব প্রচাব হইবে হাকন্দ পুরাণে' তাহা আনুপূব্বিক বর্ণিত আছে। চাপাই নামক স্থানে বঞ্জাবতী পুত্র কামনা কবিযা তোমাৰ পূগ কৰিবে, ঐ পূজাৰ অনুষ্ঠানে শালে (শূলে) তাহাৰ বক্ষ বিদীণ হইবে, তৎপৰ তোমার অনুগ্রহে তাহাব এক পুত্র জন্মিবে, সেই পুত্ৰেৰ প্রভাবে সূৰ্য্যদেব একদিন পশ্চিমদিকে উদিত হইবেন। ইন্দ্রপুবে অম্বুবতী নামে যে শন্তকী আছে সে বক্তা নামে জন্মগ্রহণ কবিবে, এখন, তুমি, নকী চঞ্চলমতি, হন্দ্রপুরে অম্বুবতী, অভিশাপে অবনা পাঠাও, পাত্রের ভগিনী হয়ে, বঞ্জাবতী নাম লয়ে, জন্মিলে জগতে পূজা পাও।' ভগবান মনে কৰিলেন, গৌড়ের অধিপতিব শ্যালক মহামদ গৌডেম্ববেব পাত্র বা মন্ত্রী, অম্বুবতীবে তাহাৰ ভগিনীৰূপে জন্মাইতে হইবে। আমি স্বয়° তাহাকে বিনা কাবণে একটা অভিশাপ দিলে কাজটা ভাল দেখায় না। যদি ভগবতা তাহাব কোন ত্রুটির জন্য অভিশাপ দেন, তবেই অম্বুবতীৰ পৃথিবীতে জন্ম হইতে পাৰে। এই স্থিব কবিয়া অভিশাপ দিবাব জন্য ভগবতীকে অনুবোধ কৰিলেন। ভগবতীও সম্মত হইলেন। এরূপে সমস্ত কল্পনা স্থিৰ কৰিয়। ভগবান ইন্দ্ৰেৰ সভায় উপস্থিত হইলেন। ইন্দ্রালয়ে মহাধূম পড়িয়া গেল। স্বয়° নাবায়ণ ইন্দ্রালয়ে উপস্থিত, চারিদিকে হুলুস্থুল ব্যাপাব। গান বাঘ আমোদ প্রমোদেব স্রোত অবিবাম চলিতে লাগিল । ইন্দ্রেব সভায় ভগবানের সাক্ষাতে আজ অম্বুবতীব নৃত্যগীত ক্বইবে স্থিব হইল, এবং ইন্দ্ৰেৰ আদেশ মতে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হইবাব জন্য অম্বুবতীকে সংবাদ দেওয়া হইল। অম্বুবতী ব্যস্ত সমস্ত হইয়া স্নান কৰিতে গেল, সকাল স্কাল বেশবিন্যাস কবিয়া আসৰে যাইতে হইবে। ইন্দ্রেব সভাব নৰ্ত্তকী, তাহাব তৃণের মত জ্ঞান কবে। বতী বাড়ী যাইবাৰ পথে দেখিল, অহঙ্কাৰ কত? সে পৃথিবীটাকে মন্দাকিনী জলে স্নান কৰিয়। অম্বু"বলক্ষবণ (১) কেশ, বেশ শেষব্যী, (২) হাতে নড়ী, কাঁথে ঝুড়ি, বসে ব্রহ্মমযী । বদন বিহীন-দাঁত, আঁত অতি মৰা( ৩ ), শরীব সোণাৰ কান্তি শোভে কিন্তু জবা। ক্ষণে ক্ষণে মাযেব উঠিছে মায। কাশ ( ৪ ) অহঙ্কাবে অম্বুবতী কৰে উপহাস। ইন্দ্ৰেৰ নাচনী তায যৌবনগৰ্ব্বিণী, বেড়েছে বিশেষ গৰ্ব্ব দেব সভা শুনি, উপাষ কৰিব আজি নানা ধন কড়ি, অহঙ্কাব কবে কেন বাটে ( ৫ ) বসে বুড়ী। বাসনা কবেছ আব কত কাল জীবে, যে বেশে বসেছ ঘাটে বুক্কুণী (৬) বলিবে। স্নান কবি উঠি বলে বুড়ী ছাড়, বাট, দেব সভা বসেছে দেখিতে মোৰ নাট । বলক্ষবরণ = শুক্লবর্ণ, সাদা। শেষবয়ী = বয়সে বৃদ্ধা। আঁতমরা = অতিদুর্ব্বল । মায়া কাশ = কৃত্রিম কাশি। বাট= পথ । বুক্কুশী= পেত্নীর নাম। বুড়ী বলে ঠাঁটা (১) বেটী যা না, আন বাটে, এত যে (২) গঙ্গাব ঘাট কাবে নাই আঁটে (৩)। যৌবনগবৰে ভূমে নাহি পড়ে পা, ভাল চাস আপন-গৌৰবে চলে যা। নটী বলে, বুড়ীব বড়াই শুন বা, এত বলি অভাগী উপৰে ফেলে পা। লাগিন দেবীব গায় চৰণেৰ জল, অভিশাপ দেন দেবী পেয়ে সেই ছল । পাপিনি পায়েব ডল গাযে দিলি মোৰ, মর্ত্যেতে মানবী হ'য়ে জন্ম হোক তোৰ । দেবসভা মাঝে নাচ কৰিবি সম্প্রতি তায় হবে তালভঙ্গ তবে যাবি ক্ষিতি। বুড়ী বলি আমাকে কবিলি উপহাস, বুড়া ভাতাৰেৰ সেবা কর বাব মাস । এক জন্ম মবে দেখ পুত্রের ব্যান, ( ৪ ) এতবলি হানা।। হোস অন্তৰ্দ্ধান । ইন্দ্রেব সভঙ্গা নৃতাকাণে অম্বুবতী তালভঙ্গ কবিল, বুঝিল মহামায়াব অভিশাপ যণিতেছে । তখন অম্বুবতী নাৰায়ণেব (1) ঠাটা- কর্কশভাষী। (২) এত এত বড ৩) আঁটে - ধবে স্নান বু (৪), বয়ান - বদন মখ অবতবণিকা । পদপ্রান্তে পড়িযা আত্মকৃত অপবাধের কথা বলিয়া কাদিতে লাগিল। নাৰাণে বলিলেন ভগবতা ভিন এই অভিশপ খণ্ডন কবিবার শক্তি অন্য কাহাবও নাই। তদনুসাবে অম্বুবতী কৈলাসে যাইয। ভগবতাব স্তুতি আৰম্ভ কৰিল। স্তুতি শুনি জননী তখন কিছু কন, কি করিব, মোব কথা পাষাণে লিখন । দূৰ কৰ অভিমান দৈবে সব কবে কেন জয় বিজয় দানব দেহ ধবে ? পরিণামে সকলে পেয়েছে পবিত্রাণ, তোমাবে সদ্য সদা হবে ভগবান। ধৰ্ম্মপূজা প্রকাশিতে যাও কলিকালে, চাপায়ে সেবিবে ধম্ম ভব দিযা শালে। (১) তবে পুত্র পাবে কোলে কশ্যপ তন্য, যাহা হৈতে হবে কালে পশ্চিমে উদয। (২) জন্ম নিতে যাও গৌডে বমতি নগব, ধাৰ্ম্মিক ভূপতি যাব বাজা গেডেশ্বৰ। (1) চাপাই একটী গনের নাম। সেই স্থানে ধর্ম্মের মন্দির আছে। অনেক ধৰ্ম্মেৰ সেবক চাপা য়ে যাইয। ধর্ম্মের আবাধন করিয় থাকে। এই পঙ ভিটীর অর্থ এই - চাপাই নামক স্থানে শালে (শূলে ভর দিঘা মোকে ধম্মেব পূজা কবিতে হইবে। (২) পশ্চিম দিকে সূৰ্য্যেৰ উদ্য হইবে।
pdf
245251c8f922af73b431da5e7ce6a46c3e8f73dc
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে 'এক দেশ এক রেশন' কার্ড চালু করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। Supreme Court asks West Bengal government to implement one nation-one ration card immediately without any excuse. উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান মতে দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে 'ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড' প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি, অসম ও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প এখনও চালু হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রকল্প চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধা হবে। কারণ, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার কোনও পরিযায়ী শ্রমিক দেশের অন্য যে কোনও রাজ্যে নিজের অংশের রেশন তুলতে পারবেন। ফলে খাদ্যবণ্টন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে। এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা লাভবান হবেন। - পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এক দেশ এক রেশন কার্ড চালু করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। - পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে 'ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড' প্রকল্প দ্রুত লাগু করার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। - রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ, বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে চিহ্নিত করার মতো কাজে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
web
0978ab908c404de98d317a58bcd2c0d2d97c7e24
চাদ দেখে, তারা গুনে আর সেই নিস্তব্দতায়, থাকে তেমনই, শিশির সিক্ত ভেজা বারান্দায়। তাকিয়ে দেখো, ঐ পথ দেখায়ে দেয় নয়া ভোর, বরষার ছাটে, দৃষ্টি থমকে থাকে ভেজা বারান্দায়। ব্যাস্ত নগরীর, হাটে বন্দরে সেকি খদ্দেরের চাপ, তবুও আশায়, পথ দেখি ঘামে ভিজা বারান্দায়। 'তুমি' আসোনি, যারে না দেখেই ডেকেছি বেনামে, সঁপিবো প্রেম, রই অপেক্ষায় অশ্রুশিক্ত বারান্দায়।
web
c9f620a34613d5910329a3f1acb94f2ed62fe048
জরুরি ভিত্তিতে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে প্রণীত কুইক রেন্টাল বা ভাড়াভিত্তিক দ্রুত বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে সংসদ পাস করেছে 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১'। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী দিনে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর আগে বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত বুধবার বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়। গতকালই বিলের ওপর প্রতিবেদন দেয় সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি। বিদ্যমান আইনে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে প্রণীত এ বিশেষ বিধানের মেয়াদ চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হয়ে যাবে। তাই এ বিল পাসের মাধ্যমে আইনের মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধি করা হলো। ফলে আইনটি ১৬ বছর বলবৎ থাকার বৈধতা পেল।
web
eb6667dc620f672e429fa8c6f740f65fc1279bfa
স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে জীবন থেকেই ঝরে পড়েছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। একইসাথে স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের পরিবারের স্বজনদের। গত ৩ বছরে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি এমনকি মেডিকেলসহ ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। স্কুল-কলেজ মিলিয়ে এ সংখ্যাটা কয়েকগুন বেশি। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, মূলত সম্পর্কের টানাপড়েন, পারিবারিককলহ, পড়ালেখার চাপ, আর্থিক অনটন, বিষণœতা, মানসিক অস্থিরতা এবং সর্বোপরি হতাশার কারণেই আত্মবিধ্বংসী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, মানুষ যদি তার মানসিক সমস্যা, মানসিক বেদনা ও মানসিক হতাশা ও মানসিক রোগগুলোকে দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা করাতে পারে, সেটি হবে আত্মহত্যার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার বা উপায়। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে হলে নীতিনির্ধারকের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপ বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে মোট ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ৮৪ জন শিক্ষার্থী। এর আগের বছর আত্মহত্যার চিত্র আরো আঁৎকে ওঠার মতো। ২০২১ সালে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে ৭৯ জন। এছাড়া ২০১৯ সালে ১৭, ২০১৮ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৯ জন বিশ্ববিদ্যালয় পড়-য়া শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সব মিলিয়ে গত ৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া আত্মহত্যা করতে গিয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে একটি বড় সংখ্যার শিক্ষার্থী। মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনই প্রতিকারের উপায় বের করার ওপর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ও কর্মনিশ্চয়তা প্রদান করা জরুরি। ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ ও সেই সাথে দরকার সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা রহমান ইনকিলাবকে বলেন, করোনার সময় থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুইসাইড প্রবণতা বেড়েছে। গবেষণামূলক কার্যক্রম না থাকায় সুইসাইড কেন ঘটছে এবং প্রতিকারের বিষয়ে; কিন্তু সচেতন হতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুইসাইডের যে কারণগুলো রয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, এটা একটা 'সাইকোপ্যাথলজি প্রবলেম'। মস্তিস্ক মানুষের মানসিক অবস্থার সাথে সম্পৃক্ত। ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে হতাশা অসম্মান এবং বিষণœতা বাড়ছে। বয়সন্ধিকালে থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জায়গাটা খুবই কম। আমরা শুধু শারীরিক সমস্যাগুলো ডিল করি। ছোটোখাট মানসিক সমস্যায় এমনকি বড় মানসিক সমস্যায়ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হই না। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেহেতু আমরা সচেতন না, তাই এই মানসিক সমস্যা অনেকদিন ধরে মনের ভেতরে দানা বেঁধে থাকে। যা আমরা কারো সঙ্গে শেয়ার করতে পারি না, যা প্রফেশনালি সলভ করতে পারি না। এগুলো যদি আমরা চিহিৃত কিংবা চিকিৎসা না করি, তাহলে একটা সময় এই মানসিক সমস্যাই সুইসাইডের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিক্ষার্থীরা যেহেতু বিভিন্নভাবে ড্রাগসের ওপর নির্ভরশীল সেহেতু সে জায়গাগুলো থেকে হতাশার বিষয়টি বাসায় শেয়ার করি না চিকিৎসকের পরামর্শ নেই না। অনেক ক্ষেত্রে শুধু ওষুধ দিয়েই চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করি। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা এবং একইসাথে যুব সমাজের জন্য উৎপাদন এবং সৃষ্টিশীল (প্রোডাকটিভ এবং ক্রিয়েটিভ) কাজের সুযোগ না থাকার কারণে অনেক সময় এই জেনারেশনটা সুইসাইডের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ স্কিল বাড়াতে হবে। তাদের ফিজ্যিক্যাল একটিভিটিজ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত করা বেশি দরকার। স্কুল-কলেজগুলোতে যাদের মানসিক কারণে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয় তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হওয়া উচিৎ। মানসিক সমস্যাজনিত মানুষ আসলে পাগল এ ধরনের ট্যাবু থেকে আমাদের কঠিন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ। আমরা যদি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হই, তাহলে সুইসাইডের হার আস্তে আস্তে কমে আসবে। আঁচল ফাউন্ডের জরিপে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে যে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করেছে, তাদের মধ্যে ৪০৫ জন বা টিনএজার। তাদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা বেশি। মান-অভিমান, আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়া, শিক্ষকের হাতে অপমানিত, পরীক্ষায় অকৃতকার্য, মোবাইল ফোন কিংবা মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় আত্মহত্যা করেছে অনেকে। ২০২১ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার বড় অংশই ছিল পুরুষ শিক্ষার্থী। তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার তুলনামূলক বেশি। সম্পর্কগত, পারিবারিক সমস্যার কারণ ছাড়াও মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছে আত্মহননের পথ। আঁচলের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সাধারণত নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা গেলেও ২০২১ সালে পুরুষ আত্মহত্যাকারীদের সংখ্যা নারীদের প্রায় দ্বিগুণ। করোনার মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়া পুরুষ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়। কেস স্ট্যাডি (দুই) : এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আজিমপুর আব্দুল আজিজ লেনের একটি ৯তলা বাড়ির ৫ম তলায় জ্যোতি ঘোষ নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রাম। মিতা, জ্যোতিসহ মোট চারজন মিলে ওই বাসায় মেস করে থাকেন। তিনি মানসিকভাবে হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তার রুমমেটরা। জরিপ বলছে, ২২-২৫ বছর বয়সিদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা প্রায় ৪০। বছরে গড়ে ১০ হাজার জন আত্মহত্যা করে। নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। এ ধরনের মৃত্যু প্রতিরোধে নজরদারির বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। নেই কোনো সমন্বিত কোনো কৌশলও। গত অক্টোবরে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মাদরাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এক জরিপ চালায় আঁচল ফাউন্ডেশন। জরিপে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে ৫৭ দশমিক ৯৯ শতাংশই জানিয়েছেন যে, তাদের নিজস্ব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগ তাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য একাডেমিক চাপ, আর্থিক সংকট ও ক্যারিয়ার দুশ্চিন্তা এবং শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ দায়ী বলে জরিপে উঠে এসেছে। জানতে চাইলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, একাধিক কারণ যখন কোনো ব্যক্তির ওপর আরোপিত হয়, তখন তিনি আত্মহত্যার চিন্তা করেন। মানুষ সামাজিক কারণে যখন নিজেকে বিচ্ছিন্নবোধ করে, সমাজে যখন নিজের পরিচিতিকে প্রকাশ করতে না পারে, যখন তার চাহিদার সাথে প্রাপ্তির মিল না হয় যখন হতাশ হয়ে পড়ে, বিষণœতায় আক্তান্ত হয়, যখন মাদক গ্রহণ করে কিংবা কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়, এছাড়া পারিবারিক কিংবা পেশাগত জায়গায় অবহেলার কারণে কিছু মানুষ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পরে। অনেক কারণের মধ্যে তার ব্যক্তিত্ব, তার শৈশব, পারিবরিক পরিমন্ডল তার সামাজিক স্ট্যাটাস আত্মহত্যার কারণ। মানুষ যদি তার মানসিক সমস্যা, মানসিক বেদনা ও মানসিক হতাশা ও মানসিক রোগগুলোকে দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা করাতে পারে, সেটি আত্মহত্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার বা উপায়। এছাড়া আশপাশের মধ্যে কারো আত্মহত্যার লক্ষণ দেখা দিলে তা হালকাভাবে না নিয়ে গুরুত্বের সাথে তাকে উপযুক্ত সামাজিক ও চিকিৎিসা সহায়তা দিতে পারি, তাহলে তালতে আত্মহত্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে এটিকে কোনোভাবেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। গবেষকরা বলছেন, শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক এ চার মিলে যে স্বাস্থ্য, তা এখনো আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। আমরা অন্যান্য রোগের প্রতিকারে কাজ করলেও আত্মহত্যার প্রতিকারে গবেষণা ও প্রতিরোধে কাজ করতে পারিনি। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আত্মহত্যাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। গবেষক ও উন্নয়নকর্মী ড. মতিউর রহমান বলেছেন, আত্মকর্মসংস্থান তৈরি, কমিউনিটি ও পরিবারের সহায়তায় হতাশামুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করতে এখনই সবার এগিয়ে আসতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা পর্যালোচনা করে 'প্রেজেন্ট সিচুয়েশন অব সুইসাইড ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক এক গবেষণায় বর্তমানে আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে আর্থিক সমস্যাকে। আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, কেউ যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে সে যেন পরিবারের সাথে মন খুলে শেয়ার করতে পারে সেই ধরনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সন্তান এবং বাবা মায়েদের মাঝখানের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের উপর সমাজকর্তৃক অযাচিত চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার ব্যাপারে সবার এগিয়ে আসা জরুরি। কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, অন্যের সাথে তুলনা করা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও সাবধান হওয়া প্রয়োজন। আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমাদের শিক্ষক এবং বাবা-মায়েদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে।
web
d60bb15a56e85ab01fbd59dd1b9a75867d2d07b4
রাজশাহীতে ১০ বছরের সাজা এড়াতে ২০ বছর পলাতক! ডাকাতির মামলায় আদালত আবদুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের দেয়া সাজা ভোগ করার ভয়ে ২০ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। তবে পালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি তার। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়েছে তাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘুঘুডিমা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজশাহী জেলা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, আবদুস সাত্তারের বর্তমান বয়স ৬০ বছর। ৪০ বছর বয়সে তার সাজা হয়েছিল। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কিসমত বিল্লি গ্রামের মোঃ গরিবুল্লাহর ছেলে। তার নামে ১৯৯৯ সালের ৯ মার্চ মামলা হয়েছিল। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকেই ভারতের মুর্শিদাবাদে চলে যান তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, ডাকাতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি আবদুস সাত্তারের অনুপস্থিতিতেই তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু আসামিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি ভারতের মুর্শিদাবাদ এলাকায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। কয়েক দিন আগে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর তানোর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এরপর শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
web
cc24e5eeaaa0df594944b8024b30878cf654654b
তবে দুপুরে দুতিন ঘণ্টার ঘুম দেওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান হাত ও পায়ে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মাসিকচক্রের সময় চুল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। পুষ্টির অভাব, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এরকম বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিকদের চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। শুধু প্রসাধনী ব্যবহারে নয়, বাহুমূলে কালচেভাব স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেও হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা ছাড়াও নানান রকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে ভিটামিন সি'র অভাবে। খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে থাইরয়েডের সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মেজাজের ঘন ঘন ওঠা-নামা বা 'মুড সুইং' বেশি ঘটার কারণ হতে পারে মস্তিষ্ক দ্রুত বুড়ো হচ্ছে।
web
c21f453edc98b849b381dd9e281dd30f8a22320c
শিল্পের কাছে কার কতটুকু ঋণ? পাথুর দেয়ালে ভীষণ আছড়ে পড়ে। মাথা নিচু করে কবি ফিরে যান ঘরে। নান্দনিক সে কবির বাড়ির পথ? থিকথিকে পচা কাদা সবখানে, ডুবে গেছে তার বিদ্যুৎপ্রভ রথ। মেধা ও মনন গ্যাছে বনবাসে, প্রকৃত মানুষ সবখানে আজ মৃত। আদর্শ পচে আগাড়ে-ভাগাড়ে, সে কটু গন্ধে শ্মশান-শেয়াল প্রীত। কত বিপ্লবী ছড়ায় ব্যাপক বিষ। খঞ্জনা নাচে, শ্যামা পাখি দেয় শিস। কুড়াব নীরবে শ্যামার সুরের কণা। আঙ্গিক গড়া কক্ষণো ছাড়বো না।
web
a133d3ae754e8ea59fe06a43a56e0bca50ad256b
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় কার্যনির্বাহী (ওয়ার্কিং) কমিটির বৈঠক আজ শনিবার। দলীয় একটি সূত্র জানায়, এ বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়া গেছে। শনিবার বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যেসব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে তার মধ্যে রয়েছে, ১৫ আগস্টের কর্মসূচি, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও নবায়ন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়, তৃণমূলে সাংগঠনিক অবস্থা ও বাজেট পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা। এছাড়া আসছে শোকের মাস আগস্ট। এ মাসকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই আওয়ামী লীগ মাসব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করে। এবারও মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেবে আওয়ামী লীগ। কালকের বৈঠকে সেই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালনে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেয়া হবে। সূত্র জানায়, বৈঠকে দলের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। গত ২০ মে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় নিজ সদস্য পদ নবায়নের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর দু'দিন পর দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আট জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ঢাকায় ডেকে তাদের হাতে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে অন্য সাংগঠনিক জেলার দলীয় সভাপতিদের শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তা সংগ্রহ করার কথা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেড় মাস অতিবাহিত হলেও ফরম সংগ্রহ করেননি সাংগঠনিক জেলা ও তাদের অধীনস্থ শাখাসমূহ। ফলে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সাংগঠনিক জেলাগুলোতে চিঠি দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। এখানে সারাদেশে সাংগঠনিক ও তৃণমূলে কমিটির অবস্থা, দলের নেতাকর্মীদের দ্বন্ধ- মতবিরোধ, বিতর্কিত এমপিদের অবস্থাসহ সংগঠনের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। গুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় আপিল বিভাগে বহালের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। এ বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এবং ৯ জুলাই জাতীয় সংসদে আলোচনা হবে। এ ছাড়া বাজেটের বিষয়ে সাধারণ মানুষের কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, সে বিষয়ে দলের সিনিয়র সদস্যরা কথা বলবেন।
web
bf84082330c14f02734e77e02b499c5745d75512
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৯ কোটি ৪৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এই সার কিনবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ-সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুয়েল ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এই সার কেনা হবে। এতে খরচ হবে ১৫০ কোটি ৮ লাখ ৪ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৪৭০ মার্কিন ডলার। যার আগের মূল্য ছিল ৪৮০ মার্কিন ডলার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এই সার আমদানি করবে। তিনি বলেন, সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরো একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির বিষয়ে এ প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এটিও আমদানি করা হবে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য পড়বে ৪৭০ মার্কিন ডলার। আগের মূল্য ছিল ৫৫১ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার। সাঈদ মাহবুব খান জানান, সভায় ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ২টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা রয়েছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৯ কোটি ৪৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এই সার কিনবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
web
a36907249ee23923c17f65ff6fa57ca34073d57816f9c4689f6aa91081d850db
চিহারা উপন্যাস। চাই, তবে চল, তুমি যোগাড়ে হবে এখন, আর আমি কোদাল পাড়ব এর আর কি ? সবই হয়েছে আর ওটাই বা বাকী থাকে কেন ? তবে নাও ওঠ, চল, কোমর বাঁধ আর কি ? নীল। - তাই ত, তুমি যে বড় বাক্ চাতুরে হয়েছ দেখছি, আগে যে মুখে, বুলিটী অবধি ছিল না। পুবো। - সাধে কি হইছি তোমরাই করে তুলেছ। আর কি অনেক হয়েছে এখন যেতে পারি ত। মীলা।-যাবে, যাও আবার কবে আস্বে ? লুবো।--দেখ নীলাঞ্জন। তুমি বিদুষী ও বুদ্ধিমতী, অতএব বেশ বুঝিতে পার যে, এ প্রকারে যাতায়াত করা শাস্ত্র বিরুদ্ধ। যা হয় একটা হেস্তনেস্ত হয়ে যাক তারপর ক্রমাগত যাতায়াত করব। এতে কেউ কিছু বলতে পাবে না। না হলে, এ রকম করে যেতে আসতে গেলে আবার আগেকার মত হবে। কাজ কি ভাই, সাবধানের বিনাশ নাই। আর ৮।১০ দিন অন্তর দরকার হলে, ডেক, আস্থ। আগে চারহাত এক হয়ে যাক্ না, তারপর এত যাৰ আৰ্দ্ৰ যে, তোমরা শেষে বিরক্ত হবে। নীল। - দূর, পাগল আর কি ? অমৃত থেঙে কি অরুচি কখনও হয়, যদি বিষ মিশ্রিত না হয়। তবে ও কথা বল্ছ কেন? আচ্ছ। আমি যাতে বিবাহট। সত্বর হয়, তারি আগে চেষ্টা করছি, তার পর যা হয় হবে। আজ দাঁড়াও পুরোহিত মহাশয়কে সকল কথ! খুলিয়া লিপিবন্ধ করিয়া নেত্রকোণার একখানি পত্র পাঠাইতেছি। তিনি আসিলেই এই গুভাৰ্য সম্পাদন হ । জানিও।
pdf
cf96204a90fd8d424d693503a15f67c9
শীতকালে গবাদি পশুর বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় এর মধ্যে আঁটালি, গলা ফোলা, ক্ষুরারোগ, বাদলা, ক্যাসিওলিয়াসি, তাড়কা রোগ দেখা দেয়। এছাড়া শীতে জ্বর, নাক দিয়ে তরল পড়া কিংবা ভাইরাস জনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এসব রোগ দেখা মাত্রই পশুকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পশুর প্রতি যথেষ্ট সময় ও সঠিক ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করলে শীতকালে পশুকে সুস্থ রাখা সম্ভব। সূত্রঃ আজকের কৃষি।
web
0981095c8941db3093de57f8c7623990
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই নয়, দেশের বাইরে গিয়ে ক্যাসিনোতে যাওয়া কয়েক লাখ লোক রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। রবিবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে 'বিএসআরএফ সংলাপ' অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত, দেশে ক্যাসিনো ও জুয়াবিরোধী অভিযানের মধ্যে সম্প্রতি ক্যাসিনোর টেবিলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে নাজমুল হাসান পাপনকে জুয়ার গুটি নাড়াচাড়া করতে দেখা গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ওই ভিডিও প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নয়, দেশের বাইরে কোনো জায়গার ক্যাসিনোতে গিয়েছিলেন তিনি। এমন লোক রয়েছে কয়েক লাখ। নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্যাসিনোর প্রভাবটা কী? একটা অবৈধ ব্যবসা। আমাদের বাংলাদেশের সংবিধানে জুয়া খেলার স্বীকৃতি নেই। আর বঙ্গীয় আইন ১৮৬৭ সালের, সেই আইনটি এখনো বলবৎ রয়েছে। সেই আইনের সর্বোচ্চ সাজা আপনারা সবাই জানেন। জুয়া যেহেতু আমাদের সংবিধানে নিষিদ্ধ, এ জন্য আমরা এর বিরুদ্ধে কাজ করছি। তিনি বলেন, যারা এই আইন মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছি। যারা অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা করেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কে খেলল কে কী করল, এই রকম করলে তো আমাদের লাখ লাখ লোকের পেছনে দৌড়াতে হবে। একজন দুজন তো খেলে না, এই রকম যদি সবাইকে ধরতে যাই, কয়েক লাখ লোক হবে। যার কথা বললেন তিনি (পাপন) কিন্তু বাংলাদেশে নয়, ভিডিওটি আমরা দেখেছি, বাইরের কোনো জায়গায় খেলেছেন।
web
37ee225db414f63b3d74bac66aa3dc2ac3c71b22bc94066fd182c6af3489779f
এবং ৰহুৰিধৈৰাক্যৈৱৰিন্ধ্যো রাবণং তদা। ক্রুদ্ধং সংশময়ামাস জগৃহে চ স তদ্বচঃ ॥৩২ নির্যাণে স মতিং কৃত্ব। নিধায়ানিং ক্ষপাচরঃ। আজ্ঞাপয়ামাস তঙ্গা রখো মে কল্ল্যতামিতি ॥৩৩ এইরূপ বহুবিধ বাক্যের দ্বারা অবিন্ধ্য রাবণকে বুঝাইয়া তাহার ক্রোধকে প্রশমিত করিল, রাবণও তাহার কথা গ্রহণ করিল।৩২ [ বনপর্ব্ব । ইতি শ্রীমহাভারতে শতসাহস্লাং সংহিতায়াং বৈয়াণিক্যাং ৰনপৰ্ব্বণি রামোপাখ্যানপর্বণি ইদ্ৰজিদূষধে একোননৰভ্যধিকদ্বিশততমোহধ্যায়ঃ ॥২৮৯ তখন রাজা দশানন যুদ্ধে যাইবার জন্য কৃতনিশ্চয় হইয়া খড়গ রাখিয়া ভৃত্যগণকে আদেশ করিল - "আমার রথ সাজাও"। ৫৩ শ্রীমন্মহর্ষি বেদব্যাসপ্রণীত শতসাহশ্রী সংহিতা মহাভারতের বনপর্ব্বান্তর্গত রামোপাখ্যানপর্ধ্বে ইন্দ্ৰজিদ্-বর্ষবিষয়ক একোননবত্যধিকদ্বিশততম অধ্যায়ের অনুবাদ সমাপ্ত।২৮৯ নবত্যধিকদ্বিশততমোহধ্যায়ঃ । [ রামরাবণয়ো যুদ্ধম্, রাবণৰধশ্চ । ] মার্কণ্ডেয় ঊৰাচ। ততঃ ক্রুদ্ধে। দশগ্রীবঃ প্রিয়ে পুত্রে নিপাতিতে। নির্যযৌ রথমাস্থায় হেমরতুবিভূষিতম্ ॥১ স বৃত্তে। রাক্ষসৈর্বোরৈবিবিধায়ুৰপাণিভিঃ। অভিদুদ্ৰাৰ ৰামং স যোধয়ন হরিযূপান্ ॥২ তমাদ্ৰৰন্তং সংক্রুদ্ধং মৈন্দনীলনলাঙ্গদাঃ । হনুমান্ জাম্ববাংশ্চৈৰ সসৈন্যাঃ পৰ্য্যবাৱয়ন্ ॥৩ নবত্যধিকদ্বিশততম অধ্যায়। [ রাম ও রাবণের যুদ্ধ এবং রাবণ বধ। ] মার্কণ্ডেয় বলিলেন, - অনস্তর নিজ প্রিয়পুত্র ইন্দ্ৰজিৎ যুদ্ধে নিপতি হইলে দশানন আরও ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিল। তখন সে হেমৱঞ্জবিভূষিত রথে চড়িয়া । যুদ্ধ করিবার জন্য ঘোরদর্শন বিবিধ অস্ত্রধারী রাক্ষসগণে পরিবেষ্টিত হইয়া বহির্গত হইল এবং বানরঘুপতিগণের সহিত যুদ্ধ করিতে করিতে শ্রীরামচন্দ্রের দিকে ধাবিত হইল। ১-২ তে দশগ্রীবসৈন্যং তদৃক্ষবানরপুঙ্গৰাঃ । ভ্ৰুমৈধ্বিংসয়াংচক্ৰ দৰ্শগ্ৰীৰস্থ্য পশ্যতঃ ॥৪ ততঃ স গৈন্যমালোক্য বধ্যমানমরাতিভিঃ। মায়াবী চাহজম্মায়াং রাৰণো রাক্ষসাধিপঃ ॥৫ তস্ত দেহবিনিষ্ক্রান্তাঃ শতপোহৰ সহস্ৰশঃ। রাক্ষসাঃ প্রত্যদৃশ্যস্ত শরশভ্যূষ্টিপাণয়ঃ ॥৬ ক্রুদ্ধ হইয়া রাবণকে যুদ্ধে আসিতে দেখিয়া মৈদ, নীল, নল, অঙ্গদ, হনুমান্ ও জাম্বৰান্ প্রভৃতি বানর-নায়কগণ সসৈন্যে তাহাকে ঘিরিয়া ফেলিল। এ সেই ঋক্ষ ও বানরশ্রেষ্ঠগণ দশাননের সম্মুখেই তাহার স্যৈগণকে বৃক্ষসমূহের আঘাতে ধ্বংস করিতে লাগিল 18 ৰানরগণের দ্বারা নিজ স্যৈগণের বিনাশ হইতেছে দেখিয়া মায়াবী রাক্ষসরাজ রাবণ মায়া সৃষ্টি করিল।৫
pdf
65840356503fce03673fb114a2c7198e5e4301e2
চেলসিতে ফিরেই উড়ছেন রোমেলু লুকাকু। প্রিমিয়ার লিগে ইতিমধ্যে তিন ম্যাচে তিন গোল করে ফেললেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। এবার স্টামফোর্ড ব্রিজে লুকাকুর জোড়ে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের দাপুটে জয় পেয়েছে চেলসি। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে ব্লুজদের এগিয়ে দেন লুকাকু। ইন্টার মিলান ছেড়ে আসা তারকা নিজের দ্বিতীয় গোল করেন অতিরিক্ত সময়ে। তার আগে চেলসির দ্বিতীয় গোল করেন মাতেও কোভাচিচ। দ্বিতীয় দফায় চেলসিতে আসার পর এবারই স্টামফোর্ড ব্রিজে গোল পেলেন লুকাকু। চলতি মৌসুমটাও দুর্দান্ত শুরু করেছে টমাস টুখেলের দল। এখনো লিগে অপরাজেয় তারা। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়নরা। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম জয়ের দেখা পেলো আর্সেনাল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দল হয়ে পড়া টটেনহাম ৩-০ গোলে হেরেছে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে। লিগে টানা তৃতীয় জয় পেল ম্যানসিটি। লেস্টার সিটির মাঠ কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে সিটিজেনরা ১-০ ব্যবধানে জিতেছে বার্নার্দো সিলভার গোলে। ৬২তম মিনিটে সিটিকে এগিয়ে দেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। দুই দলের গোলরক্ষক কেসপার স্কেমাইকেল ও এডারসন বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভে গোলপোস্ট অক্ষত রাখেন প্রথমার্ধে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সিটিকে এগিয়ে দেন সিলভা। লেস্টার বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে। বার্নেসের হেড লাগে বারে। জেমি ভার্ডির একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডে। নতুন মৌসুমে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে আর্সেনাল। ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে অউবামেয়াংয়ের একমাত্র গোলে নরউইচ সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে গানাররা। টানা তিন ম্যাচ হারের পর এই প্রথম জয় পেল মাইকেল আর্তেতার দল। ৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে উঠে এসেছে আর্সেনাল। ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ম্যানসিটি। ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে লেস্টার। সমান পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে টটেনহাম।
web
fb332f363facf066e82b86a2878cb6e3958e8b6e
পুরীঃ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছেন অথচ পান্ডাদের দুর্ব্যবহারের শিকার হননি, এমন মানুষ গুনে বলা যায়। মাথায় লাঠির বাড়ি মেরে টাকা আদায়ের ফন্দি থেকে কুৎসিত গালিগালাজ- পুরীর পান্ডাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অতি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। এবার বোধহয় একটু সুদিনের মুখ দেখতে চলেছেন জগন্নাথদেবের মন্দির দর্শনার্থীরা। ঠিক হয়েছে, পান্ডাদের দেশের নানা মন্দির ঘুরিয়ে দর্শনার্থীদের সঙ্গে ভব্য ব্যবহারের পাঠ দেওয়া হবে। মন্দিরের নিয়মকানুন পালন সংক্রান্ত কাজকর্মে যুক্ত একদল পান্ডা এই যাত্রা করবেন। দেশের মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে পরিচ্ছন্নতা শিখবেন তাঁরা, সঙ্গে শিখবেন ভাল ব্যবহার। মন্দির কর্তৃপক্ষ এখন তাঁদের যাত্রাসূচি তৈরি করছে। এই মন্দিরগুলির মধ্যে রয়েছে বৈষ্ণোদেবী মন্দির, স্বর্ণমন্দির, তিরুপতি বালাজি ও পদ্মনাভস্বামী মন্দির। অন্য রাজ্যের মন্দির দর্শনে পান্ডাদের বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করবেন বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের আশা কারণ, বেশিরভাগ পান্ডাই পুরীর বাইরে কখনও কোথাও যাননি। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এঁরা বরাবর মন্দির চত্বরেই এঁদের জীবন কাটান। ফলে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কার্যত কোনও পাঠই নেই এঁদের। সফরে যেতে চলা পান্ডাদের নোটবুক দেওয়া হবে, তাতে নিজের নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখে আনবেন তাঁরা। এর আগে ২০০৬-২০০৮-এও পান্ডারা কয়েকটি মন্দির দর্শন করেন। ২০১৫-য় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় তিরুপতির ভেতরের রান্নাঘরে, দেখানো হয় কীভাবে শেখানে বজায় রাখা হয় খাবারের গুণমান ও পরিচ্ছন্নতা।
web
62ea5eca7a26e93d863c2f14e9849401e212ce68
শরীরে আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা, অবসাদ, ক্লান্তির মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। পুষ্টিবিদদের মতে, রক্ত স্বল্পতা বিশ্বের সবেচেয়ে বড় অপুষ্টিজনিত সমস্যা যা মূলত শরীরে আয়রন অভাবেই হয়ে থাকে। আগামীকাল ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের পর ধীরে ধীরে কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর যাচ্ছেন। কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি জানাতে বুধবার (১৪ আগস্ট) দেশটির নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরের অংশে যাচ্ছেন তিনি। নরসিংদীর শিবপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় চালক ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খান সতর্ক করে বলেছেন, কাশ্মীর পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। পরিস্থিতি এমন হলে তার দেশ আফগান সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন করবে। অবৈধ পথে ভারতে পাচার হওয়া ৭ বাংলাদেশি নারী ও শিশুকে স্বদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার। র্তমান বিশ্বে জ্বালানি নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। একদিকে দূষণের একটা বড় কারণ এই জ্বালানি। অন্যদিকে চাহিদা বেশি হওয়ায় এই জ্বালানির দাম খুব বেশি। নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের উপরেই নির্ভর করতে হয় ভারতের মত দেশগুলোকে। এই সব সমস্যার একসঙ্গে সমাধান দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছেন ভারতের কয়েকজন শিক্ষার্থী। রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে কী ধরণের সমস্যা হয়, সে সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা ক্রমশ মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। ওষুধ, নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া আর শরীরচর্চা করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ঠিকই, কিন্তু তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। কাশ্মীর ইস্যুতে এমনিতেই এক তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে দুই প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। তার উপর ভারতকে যুদ্ধে উৎসাহ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বলিউড তারকা প্রিয়াংকা চোপড়ার বিরুদ্ধে। আর এজন্য তাকে 'ভন্ড' বলে অভিহিত করেন এক পাকিস্তানি নারী। বাংলা ভাষার ভিত্তি বা প্রাণ হচ্ছে বাংলা বর্ণমালা। কথা বলার জন্য আমরা যে শব্দ তৈরি করি তা এই বর্ণমালার হাত ধরেই। আবার এই বর্ণমালা দিয়েই বুঝানো হয়ে থাকে নানান ধরণের সাংকেতিক অর্থ। যেমন গাড়ির নাম্বার প্লেটের বর্ণগুলো দিয়ে বুঝানো হয় বিভিন্ন ধরণের গাড়ির শ্রেণীবিভাগ। ঢাকা উত্তর সিটি থেকে মঙ্গলবার দুপুর একটার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে। এবার ২ হাজার ৪৪৯টি ট্রিপে মোট ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এসব বর্জ্য অপসরণে মোট ৯ হাজার ৫০০ জন কর্মী কাজ করেছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার চাকরির মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন এক মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মাত্র ২০০ টাকা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন অক্ষয়! ফোর্বসের ২০১৯-এ সবচেয়ে ধনী তারকাদের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অক্ষয় কুমার। এ বছর ধনী বলি তারকাদের মধ্যে একমাত্র অক্ষয়ের নামই উঠে এসেছে ফোর্বসের এই তালিকায়। নিখোঁজের পাঁচদিন পর গাজীপুরের শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি আবদ্ধ ঘর থেকে মাথা,পা বিহীন শরীরের পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়া নারীর নাম সুমি আক্তার। কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উপযুক্তমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, দেশবরেণ্য সাংবাদিক আশফাক মুনীরের (মিশুক মুনীর) অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। আজ পহেলা আগস্ট। শোকের মাসের পয়লা দিন। আগস্ট মাস এলেই মনটা যেন কেমন হয়ে যায়। আনমনা হয়ে ভাবি এমনটা কেন হলো, কি করে হলো। কি করে মানুষ এতবড় বিশ্বাসঘাতক হতে পারে, কি করে দেশ ও জাতির সঙ্গে এতবড় মোনাফেকী করতে পারে। 'দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে একটি চক্র'এমন অভিযোগ করে সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন শ্যামলী পরিবহনের এমডি ও শ্যামলী ফুড প্রডাক্টস-এর স্বত্তাধিকারী রমেশ চন্দ্র ঘোষ। কানাডায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য এখনই সেরা সুযোগ। ২০১৯ সালই হতে পারে সেই স্বপ্নপূরণের বছর। কেননা, আগের তুলনায় অনেক সহজ করা হয়েছে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রক্রিয়া। ২০২০ সালের মধ্যে ১০ লাখ দক্ষ শ্রমিক নেবে দেশটি। এতে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজ করার অনুমতি এবং নাগরিকত্ব পাবেন তারা। সম্প্রতি কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী আহমেদ হুসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ই মার্চ, ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফুর রহমান এবং সায়রা বেগমের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। নেইমারের দলবদল নাটক যেন থামছেই না! যে নাটকের শুরুতে ছিল পিএসজি ও বার্সেলোনা। এরপর অনুপ্রবেশ ঘটল রিয়াল মাদ্রিদের। আর এখন তাতে যোগ হয়েছে লিওনেল মেসির নাম! দলবদল নিয়ে নেইমারকে পরামর্শ দিয়েছেন বার্সা প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসি।
web
74b0eea9f3817d9e998ed1f188aec87385da8827
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টান হচ্ছে, একটা মোমবাতির আলোক শিখা। যে এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে, সেই এলাকায় সব ধরনের উন্নয়ন হয়। শিক্ষার উন্নয়নেরর ফলে আজ সারা দেশে উন্নয়ন ছড়িয়ে গেছে। বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে লেখা-পড়ার কোন বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার সকালে বাঘা উপজেলার আড়ানী সরকারি মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে জেএসসি মডেল টেষ্ট পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে চিন্তা করার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে ভালো মানুষ, আচরন, বিনয়ী, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আদর্শবান হতে শেখায়। পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে নতুন নতুন চিন্তা করলে সুফলতা পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের গতি এনেছেন। দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবাতা। তাই শিক্ষা স্বাস্থ্য বিদ্যুৎ রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পরে তিনি জেএসসি মডেল টেষ্ট পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ করেন এবং ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন। আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আড়ানী সরকারি মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহিন রেজা। আড়ানী সরকারি মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সহকারি শিক্ষক কামরুল হাসান জুয়েলের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলপনা ইয়াসমিন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার সহকারি কমিশনার কাউসার হামিদ, সহকারি প্রধান শিক্ষক আকবর হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক আবদুল হান্নান, নজরুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
web
5514398be80790a8a4293b5ca0d95f6eac2c40d9
জগন্নাথপুর টুযেন্টিফোর ডটকম ডেস্ক :: যুক্তরাজ্যের কানসাস রাজ্যে গোলাগুলিতে এক বন্দুকধারীসহ চার ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যের একটি কারখানায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারীর এলাপাথাড়ি গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন কারখানার আরও ১৪ কর্মী। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার একাধিক স্পটে বন্দুকধারীর এলোপাথাড়ি গুলিতে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হয়। বন্দুকধারী ওই কারখানার এক প্রাক্তন শ্রমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এটি এক্সসেল শিল্পগ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। রাজ্য পুলিশ কর্মকর্তা শরিফ টি ওয়ালটন জানান, সহকর্মীর গাড়ি চুরি করে সে কারখানায় আসছিল। পথে যাকে দেখেছে তাকেই গুলি করেছে। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে গাড়ির মালিকও রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গোলাগুলির এ ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসী তৎপরতার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে কী কারণে বন্দুকধারী এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। বন্দুকধারী ওই কারখানার একজন কর্মী। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
web
d07b9b1d35238a00929d2c4a045d45ce4f17909c
আর অ্যান্টি স্নেক ভেনম ইনজেকশন নয়, এবার সাপের কামড়ের চিকিৎসায় ব্যবহার করে যাবে ট্যাবলেট। নাম ভারেসপ্ল্যাডিব মিথাইল। পূর্বভারতে প্রথম ট্রায়ালই সফল কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ওষুধ প্রয়োগে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেন রোগী। আমেরিকায় প্রথমবার এই ট্যাবলেটের প্রয়োগ সফল হয়। এরপরেই ২০২১-এর ১৫ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি দ্বিতীয়বার ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়। এখন আমেরিকার ৪টি এবং ভারতের ৪টি হাসপাতালে এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, রাজস্থানের এস পি মেডক্যাল কলেজ, পন্ডিচেরির জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ। এখন কীভাবে এই ওষুধ রাজ্যের সর্বত্র উপলব্ধ হয় সেটাই দেখার।
web
d4b33330c6353f85dd35f5ca46050a907d74bf56
ফরাসী রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ইসলাম ধর্মের অবমাননা করেছেন। এই অভিযোগে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে ফ্রান্স থেকে পাক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেছে। কিন্তু, কোথায় পাক রাষ্ট্রদূত? অনেক খুঁজে পেতেও ফ্রান্সে পাক রাষ্ট্রদূতের কোনও খোঁজ মিলল না। কারণ, বর্তমানে ফ্রান্সে পাকিস্তানের কোনও রাষ্ট্রদূতই নেই। কোথায় পাক রাষ্ট্রদূত? জানা গিয়েছে মইন-উল-হক নামে এক পাক কূটনীতিক শেষ এই পদে ছিলেন। কিন্তু, তিন মাস আগেই তাঁকে চিনে পাক রাষ্ট্রদূতের পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই প্যারিসে কোনও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নেই। পাক বিদেশ দপ্তর তাঁর জায়গায় এখনও অন্য কাউকে নিয়োগ করতে পারেনি। ফ্রান্স-সহ অনেকগুলি দেশেই পাক রাষ্ট্রদূতের পদ এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। মহম্মদ আমজাদ আজিজ কাজি নামে এক পাক কূটনীতিক প্যারিসে পাক দূতাবাসে ডেপুটি হেড পদে রয়েছেন। আপাতত তিনিই সর্বোচ্চ সিনিয়র কূটনীতিক প্যারিসে পাক দূতাবাসের বিষয়গুলির তদারকি করছেন। সোমবার সন্ধ্যায় পাক জাতীয় সংসদে ফ্রান্স থেকে রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। সেইসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। জানা গিয়েছে, ফ্রান্সে যে পাক দূতাবাসে এই মুহূর্তে কোনও রাষ্ট্রদূত নেই, সেই বিষয়টি তিনি জানতেন। কিন্তু, সংসদে এই বিষয়ে উত্তপ্ত আলোচনা চলাকালীন তিনি সেই তথ্য জানাননি। জানা গিয়েছে প্রথমে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ফরাসী রাষ্ট্রদূতকেই বহিষ্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই পদক্ষেপের কড়া আন্তর্জাতিক প্রভাবের কথা ভেবে পাকিস্তানের সরকার পক্ষ সেই প্রস্তাব থেকে ঘুরিয়ে ফ্রান্স থেকে পাক রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ফের একটি আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কড়া জবাব দিতে গিয়ে হাস্যাস্পদ হয়েছে পাকিস্তান। এর আগে ছাত্রছাত্রীদের হজরত মহম্মদ-এর ব্যঙ্গচিত্র দেখানোর জন্য শিরশ্ছেদ করা শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির স্মৃতিচারণ করে ফরাসী প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, 'এই শিক্ষকের হত্যা বলে দিচ্ছে ইসলামবাদীরা আমাদের কী ধরণের ভবিষ্যত চায়'। 'ইসলামপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী'রা ফ্রান্সের বেশ কিছু অঞ্চলে মুসলিম সম্প্রদায়কে গ্রাস করার হুমকি দিচ্ছে দাবি করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। শনিবারই তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগান ফরাসী রাষ্ট্রপতির কড়া সমালোচনা করে 'ইসলামভীতির উত্থান' বলে মন্তব্য করেছিলেন। এমনকী ম্যাক্রঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার এমন মন্তব্যও করেছিলেন। সেই সুরে সুর মিলিয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, এই সময়ে রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁ চরমপন্থীদের জায়গা দিতে অস্বীকার করে মুসলিমদের নিরাময় স্পর্শ দিতে পারতেন। বদলে তিনি আরও ধর্মীয় মেরুকরণ ও প্রান্তিকিকরণ তৈরি করছেন, যা অনিবার্যভাবে উগ্রপন্থীকরণের দিকে পরিচালিত করবে। মুসলমানদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁর বিরুদ্ধে।
web
fb07a34227077faae6267fb7e78fac6f354c635c3118341b336d186d5b41b6d5
হিমি মাথা নাড়লো - 'জানি না ।' 'ভাইয়া কোথায় গেছে বাবা?" বাবা শান্ত গলায় বললেন, 'ও তো বলে গেলো মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেবে।' বাবু কিছুই বুঝতে পারলো না। বললো, 'সব খুলে বলুন বাবা। ভাইয়া হঠাৎ কেন চলে গেলো? ওর তো যাবার কথা ছিলো না।' বাবা আরো শান্ত গলায় বললেন, 'বিপদ যখন আসে হঠাৎ করেই আসে। আমাদের বাড়ি যে পাঞ্জাবি সৈন্যরা লুট করেছে সে খবর তো তুমি জানো না। তুমি যেদিন গেলে সেদিন সন্ধ্যের দিকে তিনটে পাঞ্জাবি সেন্য এসেছিলো। একটা বাইরে গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিলো। বাকি দুটো স্টেনগান উঁচিয়ে সোজা ওর ঘরে ঢুকে গেলো। আমরা ওর ঘরে বসেছিলাম। সৈন্য দুটো ঘরে ঢুকেই বললো, 'সবাই দেয়ালের কাছে লাইন করে দাঁড়াও। আমি বললাম, 'তোমরা কে? কেন এসেছো? একজন জবাব দিলো, আপনাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ ছিলো। এখনো আছে! ওদের লোকজন এ বাড়িতে আসতো। আপনারা তেইশে মার্চ পাড়ায় আওয়ামী লীগ-এর পতাকা বিলিয়েছেন। আমরা এ বাড়ি সার্চ করবো। আমি বললাম, তোমরা ভুল করেছো। কেউ তোমাদের ভুল খবর দিয়েছে। আমি কোনদিন আওয়ামী লীগ করিনি। আমি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে কাজ করতাম। আরেকজন সৈন্য নির্লজ্জের মতো হাসলো। বললো, আপনাকে আমরা চিনি। আমাদের অভিযোগ আপনার ছেলের বিরুদ্ধে। সঙ্গের সৈন্যটা এর ভেতরই সার্চ শুরু করে দিয়েছে। আমি বললাম, তোমাদের সার্চ ওয়ারেন্ট আছে? ওরা জবাব দিলো, দরকার নেই। সব কিছু ওরা তছনছ করে ফেললো। একজন তোর ভাইয়ার ঠিক বুকের ওপর স্টেনগান ধরেছিলো। ওয়ার্ডরোব খুলে টাকা বের করলো লোকটা। কদিন আগে বিলু ব্যাঙ্ক থেকে সমস্ত টাকা তুলে ঘরে রেখেছিলো। সৈন্যটা বললো, এগুলো আওয়ামী লীগের টাকা। সিজ করলাম। বলে বিলুর বড়ো ব্যাগটায় টাকাগুলো ঢুকিয়ে নিলো। ওয়ার্ডরোবের ড্রয়ারে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ ছিলো একটা প্যাকেটে। সবশেষে সৈন্যটা সেই প্যাকেটটা বের করলো। বললো এটা কী? যে সৈন্য স্টেনগান উঁচিয়ে দাঁড়িয়েছিলো সেও তাকালো। ঠিক তখনই তোর ভাইয়া এক ঝটকায় দরজা খুলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলো। দুটো সৈন্যই চমকে উঠে সামনের দরজা দিয়ে ছুটে গেলো। আমিও গেলাম ওদের সঙ্গে। ওরা আর ওকে খুঁজে পেলো না। যাবার সময় টাকার ব্যাগটা নিয়ে চলে গেলো। বললো, আমাদের হাত থেকে পালিয়ে কখনো বাঁচতে পারবে না। আমরা আবার আসবো। তোর ভাইয়া সারারাত আর ফেরেনি। ফজরের সময় চুপি চুপি এসে হাতব্যাগটা গুছিয়ে নিয়ে চলে গেছে। বললো, চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছে। ওর পার্টনার দুজনও নাকি সঙ্গে যাবে।'
pdf
bb30b2008470fea638ff558c015751f041f3239c5791ee6a955b81c67f8e70ff
ফাগুৰুমারী নাটব রেবতী। - ( স্নান মুখে রাঙ্গার মুখ দর্শন ) বীরেন্দ্র। - (ভয়ে ) ত্রিচে দিয়ক্ত হলে? রেবর্তী।― দুঃখিত হরে ) জিহজ্ব কেন ? হাত থেকে পত্রখানা কেড়ে নিলেন, আপনি চাইলে আর আমি দিল না ! ( অশ্ৰু পত্তন ) বীরেন্দ্র। - বড় অন্যায় করেছি। তোমার অসম্মতিতে পত্রখানা হাতে থেকে কেড়ে নেওয়া বড়ই অন্যায় হয়েছে। প্রিয়ে : ক্ষমা কর, পত্র নেও। (পত্র দিতে হস্ত অগ্রসর ) রেবতী। - ( সক্রোধে রাজার হাতে আঘাত করিয়া ) আমি পত্র চাই নে। আপনি আমার হাত থেকে পত্র কেড়ে নিয়েছেন, ঐ পত্র আবার আমি হাতে করবে। ? বীরেন্দ্র ! - তোমার পায় ধরি। পত্র ধর, আমার অপরাধ হয়েছে । ( পত্র রেবতীর সম্মুখে লইয়া ক্ষমা কর, আর কোন দিন এমন হবে না। প্রিয় গার্জ্জন! কর । রেবতী । - ( পত্র লইয়া দূরে নিক্ষেপ ) আমি আবার -কখনই বীরেন্দ্র। - ( অতি ত্ৰত্তে পত্র আনিয়া রেবতীর পদ ধারণ) প্রিয়ে ! তোমার পায় ধরি, ক্ষমা কর, আমি যদি আগে জানতুম যে, এতদূর পৰ্য্যন্ত
pdf
75db7a19893a08f1f461090891b6f552ba0a847a
ঋষভ পন্থ ভারতীয় ক্রিকেটে এক উজ্জ্বল এবং উদীয়মান তরুণ প্রতিভা , ঋষভ পন্থ যাকে সদ্য প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিশ্বের ১নম্বর উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এম এস ধোনির উত্তরসূরি হিসাবে বলা হয়। ঋষভ পন্থ তার খেলার বাজে পারফর্মেন্সের জন্য যেমন দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ঠিক তেমনি সব ভুল শুধরে গতবছর অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নিজেকে আবার প্রমান করে দিয়েছেন কেন যাকে ভারতীয় দল ভরসা করে আর কেনই বা তাকে এম এস ধোনির উত্তরসূরি বলা হয়ে থাকে। বাঁহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান যেমন টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদ্দস্য ঠিক তেমনি বিপক্ষ দলের সব থেকে মাথা বেথার কারণ। ঋষভ টেস্ট ক্রিকেটেও এমন সব অক্রিকেটীয় শট খেলে থাকেন যাতে বিপক্ষ দলের যেকোনো বোলার নিজের ছন্ধ হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হন। ভারতীয় দলের সামনে এখন লক্ষ্য হলো ওয়ার্ল্ড টেস্ট সিরিজ ফাইনাল যেখানে ঋষভ পন্থ খুবই একজন গুরুত্বপূণ ক্রিকেটার, এর ঠিক পরেই আসন্ন্য ইংল্যান্ড সিরিজ যেখানে ঋষভ এর পাশাপাশি বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা কেও ভারতীয় দোলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলার এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মনে করেন ঋষভ হলেন ভারতীয় দলের প্রথম চয়েস যাকে আসন্ন্য ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে প্রথম একাদশে খেলতে দেখা যেতে পারে। ঋদ্ধিমান সাহা শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন 2020 সালের ডিসেম্বর মাসে তারপর দলে সুযোগ পাওয়া ঋষভ পন্থ নিজের যোগ্য ক্ষমতা এবং অনবদ্দ্য পারফর্মেন্সের জোরে ভারতীয় দোলে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন এটা সাহা স্বীকার করেছেন এবনং তিনি এও বলেন তিনি যেকোনো সুযগের অপেক্ষায় আছেন, সুযোগ এলে তিনি অব্যশই নিজেকে আবার প্রমান করবেন। সাহা আরো বলেন ঋষভ যেভাবে পারফর্মেন্স করে চলেছে এতে করে অবৈশ্যই ঋষভ ভারতীয় দলের প্রথম পছন্দ তবে সাহা নিজের অনুশীলন কঠোর ভাবে করেচলেছেন যাতে করে যেকোনো সুযোগের জন্য তিনি তৈরি থাকতে পারেন। ৩৬বছর বয়সী ঋদ্ধিমান সাহা আরো বলেন গতবছর অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য তাকে দল থেকে বাদ পড়তে হয় তার পরেই সুযোগ পান ঋষভ পন্থ , ঋষভ সেই সুযোগটাকে খুব ভালো কাজে লাগিয়ে ভারতকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জিততে সাহায্য করে কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহা মনে করেন তিনি যেকোন সমস্ত ভুল ত্রূটি সুদরে তৈরি আছেন এবং দলে সুযোগ পাবার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছেন। সাহা আরো বলেন তিনি সব সময় পারফর্মেন্স দেবার জন্য মুখিয়ে থাকেন কিন্তু অনেকসময় তিনি পরাস্ত হন তাই নিয়ে তিনি চিন্তিত নন , তিনি মনে করেন তিনি তার পারফর্মেন্স করে যাবেন এবং অব্যশই ভারতীয় টীম ম্যানেজমেন্ট তাকে আবার সুযোগ দেবেন বলে তিনি আসা করেন। সব শেষে ভারতীয় দলের সামনে এখন ওয়ার্ল্ড টেস্ট সিরিজ ফাইনাল তার জন্য ভারতীয় দলকে ২৪দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে তাই ভারতীয় দলের সামনে বেশি পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই ওপর দিকে নিউজিল্যান্ড দল ওয়ার্ল্ড টেস্ট সিরিজের আগে ইংল্যান্ডের সাথে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে এবং তারা সেই পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেবে খুব তাড়াতাড়ি। তাই ওয়ার্ল্ড টেস্ট সিরিজ ফাইনাল এর খেলা যে খুব গুর্রুতপূর্ণ একটি ম্যাচ হতে চলেছে তা আমরা সকলেই আশা করতে পারি।
web
d67a0d9950056e947baaceed5d6b5e0b4d3d96f8
টানা হরতাল ও অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার দুপুরে পাবনায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে দুপুর ১২টায় শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যন্ডে এই কর্মসূচী পালন বিভিন্ন যানবাহনের শ্রমিকরা। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক একরাম হোসেন, সহ-সভাপতি জীবন কুমার সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আলাল উদ্দিন আলাল প্রমুখ। বক্তারা অবরোধের নামে সারাদেশে সহিংসতা, পেট্রোল বোমায় শ্রমিক হত্যা ও দগ্ধ করার প্রতিবাদ জানান এবং খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের দিকে তাকিয়ে অবিলম্বে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য বিএনপিসহ ২০ দলের প্রতি আহবান জানান।
web