doc_id
large_stringlengths
32
64
text
large_stringlengths
0
560k
type
large_stringclasses
3 values
3838c696ac676f44015b30eba2b9d1d7cb71be83
এটা একটা কুছ কুছ হোতা হ্যায় পুনর্মিলন আমরা আশা করিনি! বলিউড অভিনেতা অনুপম খের প্রকাশ করেছেন যে তিনি দিওয়ালির সন্ধ্যার কয়েক ঘন্টা মুম্বাইতে রানি মুখার্জি এবং আদিত্য চোপড়ার বাড়িতে কাটিয়েছেন। অভিনেতা ইনস্টাগ্রামে গিয়ে রানির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিতে রানিকে একটি কালো এবং লাল সালোয়ার-কামিজে সজ্জিত এবং অনুপমকে লাল ঐতিহ্যবাহী কুর্তা পরতে দেখা গেছে। ছবিটি শেয়ার করে অনুপম লিখেছেন আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় রানি এবং আদিকে আপনার আতিথেয়তা এবং উষ্ণতার জন্য! আপনার এবং আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো এটি দুর্দান্ত ছিল! আমি রানি তোমার বাড়ি ভালোবাসতাম। ইহা সুন্দর! ভালবাসা এবং প্রার্থনা সবসময়! 😍❤️ #দিওয়ালি #লাভ #উৎসব। অনুরাগী রা মন্তব্য বিভাগে যান এবং তাদের ভালবাসায় বর্ষণ করেন। টিনা এবং সাদু ❤️ একজন অনুরাগী মন্তব্য করেছেন। বাবা এবং মেয়ের জুটি একজন মন্তব্য করেন। অনুপম ও রানি বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুছ কুছ হোতা হ্যায়, বীর-জারা, লাগা চুনারি মে দাগ, দিল বোলে হাদিপ্পা! এবং পহেলি।
web
87baf41265dc4614b3ac5a0ec2539457c1164b00
মৃত্যুর পর ব্রিটেনের রাজা হয়েছেন তার ছেলে চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ। কয়েক প্রজন্ম ধরে যুক্তরাজ্যকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন রানি এলিজাবেথ। দায়িত্বের প্রতি তার নিষ্ঠার কারণে বিশ্বজুড়ে মানুষের শ্রদ্ধা ও প্রশংসা অর্জন করেছেন। ১৯৫২ সালে সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন তিনি। এই বছর সিংহাসন আরোহণের ৭০ বছর তিনি পালন করেছেন। অনেকের নতুন এলিজাবেথীয় যুগ বলে পরিচিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে বৃহস্পতিবার।
web
d728d5be0aa130bffa33ae808fb0d6bc9036766d
সুন্দরবনের এই রহস্যময় আলো অনুসরণ করলেই তার মৃত্যু! কাল তুমি আলেয়া! সুন্দরবনের জলে-জঙ্গলে অদ্ভুত ভাবে খাপ খেয়ে গিয়েছে কথাটা! এমনিতেই সুন্দরবন বড় রহস্যময় জায়গা। আপনি যদি বেড়াতে গিয়ে ভাবেন সুন্দরবনের সবটুকু দেখে ফেলেছেন, তবে সে গুড়ে বালি! আসলে তো ওটা সুন্দরবনই নয়! স্রেফ জঙ্গল আর খাঁড়ি শুরু হওয়ার আগে তার গা ঘেঁষে যে লোকবসতি রয়েছে, সেটাই ঘুরিয়ে দেখানো হয় পর্যটকদের। কলকাতার বাংলা সংবাদ মাধ্যম 'সংবাদ প্রতিদিন' জানাচ্ছে, কারণটা নেহাত বাঘের ভয় নয়। ভূতের ভয়ও! শোনা যায়, সুন্দরবনের গভীরে, জলে-জঙ্গলে মাঝে মাঝেই দেখা যায় এক রহস্যময় আলো! যাকে আমরা চলতি কথায় ডেকে থাকি আলেয়া বলে! সেই আলেয়ার আলোই জেলেদের রাত-বিরেতে নিয়ে যায় মৃত্যুর কাছে! সেই আলো দেখলেই না কি শরীরে-মনে এক ঘোরের সৃষ্টি হয়। বোধ-বুদ্ধি কাজ করে না। লোকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই আলো অনুসরণ করে এগোতে থাকে। তার পরে, জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাদের! নইলে অন্য কোনও রহস্যজনক কারণে! দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কিন্তু শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় না! বিজ্ঞানীরা যদিও এই সব যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, আলেয়ার জন্ম হয় নানা গ্যাসের রাসায়নিক বিক্রিয়ায়। মূলত মিথেন আর ফসফরাসের! সুন্দরবনের নিচু জমির জলা জায়গায় এরকম গ্যাস সুলভ। ফলে, তাদের পারস্পরিক বিক্রিয়ায় জলে মাঝে মাঝেই আলো জ্বলে ওঠাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু, সুন্দরবনের মানুষ তা মানতে একেবারেই নারাজ। তারা যুক্তি হিসেবে ফিরে যান অতীতের এক রাজবংশের গল্পে। সেই কাহিনি বলে, এক সময়ে সুন্দরবন এবং তৎকালীন অঞ্চলে রাজত্ব করতেন রাজা শ্রুঞ্জয়। তার ছেলের নাম ছিল অঞ্জয়। সৎ গুণের জন্য রাজকুমার ছিলেন সবার প্রিয়। তাই প্রজারা এবং রাজবংশের বাকিরা তাকে আলেয়া নামে আদর করে ডাকতেন! দিনে দিনে বড় হলেন আলেয়া। পারদর্শী হলেন সব বিদ্যায়। এলো রাজ্যাভিষেকের সময়। রাজবংশের নিয়ম মেনে তিনি চললেন শিকারে। কেন না শর্ত ছিল এটাই, নরখাদক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার শিকার করে প্রমাণ দিতে হবে যোগ্যতার! যথাসময়ে শিকারে গেলেন আলেয়া বাবার সঙ্গে। সুন্দরবনের খাঁড়ির মধ্যে দিয়ে ভেসে চলল তাদের বজরা। আলেয়া দেখতে পেলেন চাঁদের আলোয়, এক শাবককে সঙ্গে করে খাঁড়ির মুখে জল খাচ্ছে এক বাঘিনী। দেখতে দেখতে সন্তর্পণে তাকে ঘিরে ফেললেন আলেয়া এবং তার দলবল। তার পর আর তাকে বধ করতে কতক্ষণ! জঙ্গলের গভীরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও রেহাই পেল না শাবকটিও! হত্যা করা হল তাকেও! মনের আনন্দে রাজ্যের দিকে ফিরতে থাকলেন আলেয়া। কিন্তু, বিপদ ঘনিয়ে এল পরের রাতেই! বাঘ শিকারের পরের রাতে দেখলেন আলেয়া, আরও এক বাঘিনী তার শাবককে নিয়ে জল খাচ্ছে। ধীরে ধীরে ঠিক আগের মতো তার দিকে এগিয়ে গেলেন রাজকুমার। এবার কিন্তু আর আগের মতো ঘটনা ঘটল না! সবাই দেখল চোখের সামনে, রাজকুমারকে মুখে নিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল বাঘিনী আর তার শাবক! বুড়ো রাজাও হাহাকার করতে করতে ফিরে এলেন ঘরে! আলেয়ার অতৃপ্ত আত্মা কিন্তু থেকে গেল সুন্দরবনের জলে-জঙ্গলেই! নিজের অকালমৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আজও তিনি আলো হয়ে ঘুরে বেড়ান সেখানে। যারা সেই আলো দেখতে পান, অনুসরণ করতে করতে তলিয়ে যান মৃত্যুমুখে। অনেকে আবার বলেন, আলেয়া এতটাও খারাপ নন! তিনি না কি আলোর বেশে দেখা দিয়ে সাবধান করে দেন সবাইকে! সামনে বিপদ রয়েছে, তাই এগোতে বারণ করেন! যারা সেই বারণ শোনেননি, তারা জীবনের বিনিময়ে ভুল শুধরেছেন! বিতর্ক থাকতেই পারে! কিন্তু কোনও দিন ভেবেছেন কি, আলোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকছে এতখানি মৃত্যুর আঁধার?
web
b2f7ea57781ee452621472a4e761970d340794ab
এদিন অনুষ্ঠান শুরুর আগে মঞ্চের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ আরও অনেকে। এরপর একে একে সকলকে মঞ্চে ওঠার আবেদন জানানো হয়। সেই সময় হঠাৎ করে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। সেই শুনে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে উঠতে আপত্তি জানান। তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকেন রাজ্যপালও। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বারবার অনুরোধ জানালেও লাভ হয়নি। অন্যদিকে, মঞ্চে উঠে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এর কিছুক্ষণ পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু কথা বলে মঞ্চে উঠতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মঞ্চের বাইরে রাখা চেয়ারে বসেই বক্তৃতা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। बीजेपी वालों को दीदी में ही राम दिखाई देता है! इसीलिए उन्हें देखते ही "जय श्री राम"का नारा भी लगा देते हैं. .
web
736b212955b9a9a7e5f91092bfdb6bee
"এল রাইনোর জন্ম হয়েছিল দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে।" নিশা বোরার মুখে যেন রহস্যের হাসি। অসমের অবসরপ্রাপ্ত মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার মহেশ বোরার মেয়ে বলছিলেন, " রাজস্থানে যে হাতির মল থেকে কাগজ তৈরি হয়, ভাগ্যিস তা বাবা খবরের কাগজ পড়ে জানতে পেরেছিলেন। ভাগ্যিস সেই কাজে যুক্ত লোকগুলোর দেখা পেয়েছিলেন। ভাগ্যিস ওরা বাবাকে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন।" এতগুলো ভাগ্যিস ছিল বলেই না এল রাইনোর গল্প সত্যি হল। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মহেশ বোরা যে গন্ডারের মল থেকে কাগজ তৈরি করতে চান, সে কথা শুনে তো পাড়া-প্রতিবেশীরা হেসেই খুন। অনেকে বললেন, "বার্ধক্যের লক্ষণ"। কারও ধারণা, "লোকটা বোধহয় পাগল হতে চলেছে।" সে সময় নিশা কর্মসূত্রে অসমের বাইরে। কোয়ান্টাম নামের সংস্থায় কাজ করতেন। বাবার নতুন অ্যাডভেঞ্চারের খবর পেয়ে দিন কয়েকের জন্য অসমে ফিরলেন নিশা। সব দেখেশুনে তো নিশার চক্ষু চড়কগাছ। এভাবেও কি কখনও কাগজ তৈরি হতে পারে। না, এরপর নিজের কাজের জগতে ফিরেও নিশা আর মন দিতে পারেননি। বছর দুয়েকের মধ্যেই ইস্তফা। অসমে ফিরে তৈরি করলেন এল রাইনো নামের সংস্থা। ব্র্যান্ড হিসাবে এলা রাইনোকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যটা নিশার কোনও কালে ছিল না। তিনি জানতেন বিরল প্রজাতি হিসাবে চিহ্নিত এক শৃঙ্গযুক্ত গন্ডারের সংখ্যা খুব বেশি হলে হাজার তিনেক। অসম যেন সেই গন্ডারের মাতৃভূমি। এক শৃ্ঙ্গের গন্ডার সংরক্ষণকে প্রধান গুরুত্ব দেওয়া হলেও, জোরকদমে শুরু হল গন্ডার এবং হাতির মল থেকে কাগজ তৈরির কাজ। শুরুতে সব কাজই কঠিন। কিন্তু গন্ডার কিংবা হাতির মল সংগ্রহের কাজটা আরও কঠিন। সেই মলে জলে ভিজিয়ে, নানান রাসয়নিক মিশিয়ে, নানা ধাপের মধ্যে দিয়ে এগোনোর পর কাগজ তৈরি হল ঠিকই। কিন্তু তা কিনবেটা কে? "ভেবেছিলাম কাগজ তৈরি হয়ে গেলেই বোধহয় বিক্রি হয়ে যাবে। কিন্তু হল ঠিক উল্টোটা। ক্রেতাই নেই। বিশ্বে কাগজশিল্পের অন্যতম বড় শক্তি ভারতের বিভিন্ন কাগজ কারখানায় কাজ করেন লক্ষাধিক মানুষ। অন্যান্য সংস্থাগুলো যে দামে কাগজ বিক্রি করে তা এল রাইনোর পক্ষে সম্ভব নয়।" বলছিলেন নিশা। অতএব বন্যপ্রাণীর মল থেকে তৈরি কাগজ নিয়ে আগ্রহ থাকলেও, ক্রেতা পেল না এল রাইনো। এরপর বানিজ্য মেলা কিংবা ফেসবুকে প্রচার। নিশা বোঝাতে লাগলেন, প্রাণীর বিষ্ঠা থেকে তৈরি হলেও এ কাগজ কম কিছু নয়। বরং গুণগত মানে অনেক-অনেক ভাল। ধীরে ধীরে এল রাইনোর কথা ছড়াতে লাগল, বাড়ল বিক্রি। এল রাইনোর সাফল্যে উৎসাহিত হল অসম সরকার। নিশার আশা, সরকার হয়তো এল রাইনোর সঙ্গে যৌথভাবে কাগজ তৈরিতে উদ্যোগী হবে। আরও জোর দেওয়া হবে গন্ডার সংরক্ষণেও। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কাজে আগ্রহী নয় বোরা পরিবার। বরং ব্যবসায়িক কাজের সঙ্গে সেবামূলক কাজের ফারাকটুকু তাঁরা ঘুচিয়ে দিতে চান। সরকারিকর্মী না হয়েও অসমের যে সব মানুষ গন্ডার সংরক্ষণের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে, তাদের আর্থিক সহায়তা দেয় এল রাইনো। একেতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আবহাওয়া কাগজ শিল্পের পক্ষে অনুকূল নয়। তার ওপর গন্ডারের মল থেকে হ্যান্ডমেড পেপারের দামও বেশি। নিশা জানেন, দোকানে-দোকানে এই কাগজ বিক্রি করা সম্ভব নয়। বরং এর জন্য আলাদা ক্রেতা তৈরি করতে হবে। বোঝানো দরকার এই কাগজ হল 'এক্সক্লুসিভ'। প্রতিবন্ধকতা জয়ের জন্য দরকার স্বপ্ন। বৃহৎ সব কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে যেতে নিশা স্বপ্ন দেখেন, এক দিন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াবে এল রাইনো।হাতে-হাতে ছড়িয়ে পড়বে পরিবেশবান্ধব কাগজ। ছাপা হবে কত বই...। নিশা বলেন, "চেষ্টা থাকলে সব হয়। আজ না হলে কাল ক্রেতারা বুঝবে যে এল রাইনোর কাগজ হল সবচেয়ে ভাল। "
web
d946cc32498899c1fb7b633b3ba43ab3ded7a094
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে চায় বিএনপি। ইসি, মাঠ প্রশাসন এবং দলীয় সরকার নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে দলে। প্রকাশ্যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বললেও ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি, সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই চলছে। দল গোছানো, আন্দোলন কৌশল নির্ধারণ ও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে এখন দলটি ব্যস্ত। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকারের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ক্ষমতাবলয়ের বাইরের রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা শুরু করেছে। সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত দলের বাইরে থাকা নেতাদের আবার দলে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে,বিএনপি নির্বাচন বর্জনের কথা ভাবছে না। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দর-কষাকষিতে সব রকমের চেষ্টা চালাবে দলটি । সরকারকে চাপে রাখবে। যদি এই কৌশল সফল না হয় তবে দাবি আদায়ে শেষ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে রাজপথের আন্দোলনে যাওয়ার চিন্তাও করছেন নীতিনির্ধারকেরা। গত মাসে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বেগম খালেদা জিয়া নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং দ্রুত দল গোছানোর কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। আন্দোলনের প্রস্তুতি রাখতেও বলেন। ইতিমধ্যে ৭৫ টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অর্ধেকের বেশি জেলার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিগুলো আগামী দেড়-দুই মাসের মধ্যে ঘোষণার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পরবর্তী 'রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন'-এ অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্রে জানা যায়,বিএনপির বৃহত্তর স্বার্থে সব রকম প্রতিকূল পরিস্থিতি মেনে নিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন সিনিয়র নেতারা। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নিতে এখন থেকেই সব রকম প্রস্তুতি নিতে তারা বিএনপি চেয়ারপারসনকে পরামর্শ দিয়েছেন। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই বৈঠকে নির্বাচনকালীন 'সহায়ক সরকার'ব্যবস্থা প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। দলের উপদেষ্টা-পরামর্শকরা বলছেন, নির্বাচনে যাওয়া হবে মন্দের ভালো। নির্বাচনে না গেলে নিবন্ধন টেকানোর শংকা, মামলা হুলিয়ার শিকার মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সামলানোর ঝুঁকিতে পড়তে হবে বিএনপিকে। দশ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি আবার সংসদের বাইরে থাকলে বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে নির্যাতিত নেতারা আরো হতাশ হয়ে যাবেন। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন,দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও আগামী নির্বাচনে আমরা অংশ নিতে চাই। গত নির্বাচনে না যাওয়ায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্বাচনে যাওয়ার জন্য দলের ভেতর এবং বাইরে থেকে নানামুখী চাপ আছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নিবন্ধনের বিষয়টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের (আরপিও)৯০ (এইচ) (১) অনুসারে পরপর দুইবার নির্বাচনে অংশ না নিলে দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে বিএনপির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনকে ঘিরে অনেক আইন সংশোধন হলেও সরকার বিএনপিকে চাপে রাখতে গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের নিবন্ধন বাতিলের ধারাটি রেখে দিয়েছে। তিনি বলেন,আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা প্রস্তুত। তবে এ জন্য উপযুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ দরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। নির্বাচনে না যাওয়ায় আমরা সংসদে বিরোধী দলে নেই, আমাদের কোনো এমপি নেই। চেয়ারপারসনের কোনো সরকারি প্রটোকল নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে চিন্তিত আমরা। বিএনপি চেয়ারপারসনের দু'টি মামলার বিচার কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ দুটি মামলার রায়ের ওপর বহুলাংশে নির্ভর করছে বিএনপির রাজনীতির ভবিষ্যৎ। খালেদা জিয়াকে যদি কারাগারে যেতে হয় সেক্ষেত্রে বিএনপির রাজনীতির প্রেক্ষাপট হবে একরকম। আর তিনি যদি মুক্ত অবস্থায় থাকেন সেক্ষেত্রে বিএনপির অন্যরকম। বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ না পেলে নির্বাচনে যাওয়াটা অনিশ্চয়তার আবর্তে পড়বে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল, গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বিএনপি । তবে অবশ্যই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এতদিন ধরে বার বার প্রমানিত হয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না। তিনি দাবি করেন, নতুন আওয়ামী দলীয় লোক নুরুল হুদাকে সিইসি করার পর নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা যৌক্তিকতা ও আরও দৃঢ় হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অবশ্যই যাবে। আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া 'নির্বাচনী রূপরেখা' তুলে ধরবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টর মওদুদ আহমদ বলেন, একদলীয় কোনো নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে আর হবে না। গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য বিএনপির আন্দোলনও চলবে, নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলবে।
web
7c448a8ecedbd9149f17d7ec6e7686329572538a
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড়দিয়া বাজারে মোল্যা মার্কেটে মদিনা ষ্টোর নামে একটি মুদি দোকানে আগুন লেগেছে। ২৪ মে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নগদ টাকাসহ প্রায় ৮/১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মোঃ শাফিজুর রহমান। এছাড়া পার্শ্ববর্তী হার্ডওয়্যার ও রঙ ব্যবসায়ী মাহবুর মোল্যার গোডাউনে ও প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ক্ষতিগ্রস্থ মুদী দোকানের ওপরে ধোঁয়া দেখে কালিয়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে মদিনা ষ্টোর নামে দোকানটি পুড়ে যায়। আগুনের সুত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ ওই দোকানে থাকা কুরআন শরীফ পুঁড়ে ওপরে কালো হয়ে গেলেও ভিতরের লেখা আগুন স্পর্শ করতে পারেনি। এ বিষয়ে কালিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার সামসুল হক বলেন, আমরা আসার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। একটি মুদি দোকান সম্পূর্ণ পুঁড়ে গিয়ে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
web
0ffb9ea4e34a56835f89519724aba829
লিখেছেনঃ এ এইচ নান্টু, রামপাল (বাগেরহাট)\nপ্রকাশ : মার্চ ১১, ২০২১, ১২ঃ৫৩পূর্বাহ্ণ\nতীব্র লবণাক্ততার মধ্যে ও রামপালে বোরো ধানের আবাদ বেড়েছে। লবন সহিষ্ণুজাত, উন্নত বীজ, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সঠিক বীজ নির্বাচণ ও সেচ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার ফলে এ উপজেলায় উত্তরোত্তর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।\nরামপাল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৯ টি ইউনিয়নে মোট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৫৫ হেক্টর।\nতা বৃদ্ধি পেয়ে আবাদ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে। গৌরম্ভা ইউনিয়নে হাইব্রিড জাতের ৪৪৫ ও উফশী ৮৫ হেক্টর। উজলকুড় ইউনিয়নে হাইব্রিড ২ হাজার ১০৫ ও উফশী ২৬০ হেক্টর। বাইনতলা ইউনিয়নে হাইব্রিড ৭৬০, উফশী ১৮০ ও স্থানীয় ০৫ হেক্টর। রামপাল সদর ইউনিয়নে হাইব্রিড ২৪০ ও উফশী ১৬৫ হেক্টর। রাজনগর ইউনিয়নে হাইব্রিড ৩৭ ও উফশী ১১ হেক্টর। হুড়কা ইউনিয়নে হাইব্রিড ০৩ হেক্টর। পেড়িখালী ইউনিয়নে হাইব্রিড ০১ ও উফশী ০১ হেক্টর। মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে হাইব্রিড ২৮ ও উফশী ০৬ হেক্টর। বাঁশতলী ইউনিয়নে হাইব্রিড ০১ ও উফশী ০২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।\nগোবিন্দপুরের কৃষক হাওলাদার মারুফুল হক, ভরসাপুর আইপিএম ক্লাবের সভাপতি আনসার আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, রামপাল কৃষি অফিসের কোন কর্মকর্তা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেন না, কোন প্রকার পরামর্শ ও দেন না। তিনি আরও বলেন, সার্বিকভাবে আবাদ ভালো হয়েছে, পোকামাকড় দেখা যায়নি কিন্তু ইঁদুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। গাছ কেটে দিচ্ছে। এতে বেশ ক্ষতি হচ্ছে। আমরা স্ব উদ্যোগে সবকিছু করছি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মন্ডল এর সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন কারণে এবছর বোরো'র আবাদ বেড়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ গুলো হলো, আমন মৌসুমে ভালো ফলনের কারণে কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছে। নতুন করে বাঁশতলী ও মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে আবাদ সম্প্রসারণ কারা হয়েছে।\nপ্রণোদনা পুনর্বাসনের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৭০ জন্য কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে ১ হাজার কৃষককে হাইব্রিড এসএলএইটএইচ ধানের বীজ দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। লবণ সহিষ্ণু জাতের ধান ব্রি-৬৭ ও বিনা ধান ১০ জাত সরবরাহের বৃদ্ধি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের উপর আস্তা বৃদ্ধি, সার, বীজ সঠিক সময়ে সরবরাহ, ন্যায্য মূল্য ও কৃষি যান্ত্রিকিকরণের ফলে আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।\nতিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে বেশি করে ফলন বৃদ্ধি করতে পারেন সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২০২০ অর্থ বছরে বোরো'র আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। ২০২১ সালে তার বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর যা গত বছরের চেয়ে ২৭৫ হেক্টর বেশি।\nচাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৭০৮ মে. টন। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১৮ হাজার ৫৮৫ টন যা বেড়ে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২২৩ মে. টানে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ ফলন হতে পারে বলে কৃষি সংশি¬ষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।
web
6aab8d907e571569ccecf829ece6e7949745a813
স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনই আবারও নির্দলীয়ভাবে করার দাবি উঠেছে খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেই। দলটির বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, চলমান উপজেলা নির্বাচনের 'তিক্ত অভিজ্ঞতাই' তাদের এমন দাবির প্রধান কারণ। এ প্রসঙ্গে দেশ রূপান্তরকে তারা জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পৌরসভার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয়ভাবে হয়। এরপর ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন নির্বাচনও হয় একইভাবে। এই তিন নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশ নেওয়ায় বেশ জমজমাটই ছিল স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচন। সর্বশেষ চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে হলেও নেই বিএনপিসহ অন্য দলগুলো। এতে এই নির্বাচনে ভোটারদের সাড়া মেলেনি। আবার নির্বাচন 'অংশগ্রহণমূলক দেখাতে গিয়ে' ক্ষমতাসীন দলেও তৈরি হয়েছে নানা ক্ষত। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ওই নেতারা চাইছেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্য দিয়েই স্থানীয় সরকারে আবারও শুরু হোক নির্দলীয় ভোট। তাদের এমন চাওয়ার সঙ্গে একমত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাও। তবে কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি। কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের ওই সব নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, চলমান পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই একভাবে নৌকা প্রতীকের অবমাননা করেছেন বা করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা জানান, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় 'ঝামেলায়' পড়তে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। অতীতে ব্যালটে নৌকা প্রতীক দেখলে শত্রুতা ভুলেও নৌকায় সিল মারতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই নৌকার বাইরেও সিল মারার সাহস করেছেন, যা দলের জন্য বিপদসংকেত। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর দুই সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনে পরিবর্তন আসতে পারে। ওই দুই নেতা বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই আইন করা হলেও বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো যায়নি। এখন বিকল্প ভাবতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ওই তৃণমূল নেতারা দেশ রূপান্তরকে আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হওয়ায় দলের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে দ্বন্দ্ব-কোন্দল, ক্ষোভ-বিক্ষোভ বেড়েছে; রক্তপাতও হচ্ছে। এসব ঠেকাতে ভবিষ্যতে স্থানীয় যেকোনো নির্বাচন উন্মুক্তই রাখা উচিত। তাদের দাবি, ২০২০ সালে হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগেই আইন সংশোধন করে বা অন্য কোনো উপায়ে নির্দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন করা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার জন্য আওয়ামী লীগ ২০১৫ সালে সংসদে যে আইন পাস করে, তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির বর্জন, আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে মারামারি-হানাহানি, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান। আনা হয়েছে। তারপর স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনই দলীয় প্রতীকে হচ্ছে। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক মনে করেন, আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সব নির্বাচনই নির্দলীয়ভাবে হওয়া উচিত। তার এই অবস্থানের কারণ জানতে চাইলে দেশ রূপান্তরকে তিনি বলেন, 'পাবলিক ফিল করবে। উৎসব ফিরে আসবে। ' ফজলুর রহমান বলেন, 'এই নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হয়েছে আইন করে। সেখানে কমপিটিশন হলে ভালো হতো। বিএনপি রাজনীতি বোঝে না বলে কমপিটিশনে নামে না। যেখানে রাজনীতি মানেই স্ট্রাগল। ' চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবং বিএনপি বর্জন করায় উপজেলা নির্বাচন জৌলুসহীন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকেই দলীয় প্রতীকে নির্বাচন বন্ধ হওয়া উচিত। উপজেলা নির্বাচন থেকে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে, নিশ্চয়ই দলীয় হাইকমান্ড বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। মফিজুর বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মর্যাদা ক্ষুণœ হয়েছে। নৌকার লোকেরাই নৌকার বাইরে ভোট দিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য ব্যাড প্র্যাকটিস। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজলও মনে করেন আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকেই নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন হলে ভালো হয়। দেশ রূপান্তরকে তিনি বলেন, তবুও দলীয় হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই আমাদের মত। আফজল বলেন, স্থানীয় নির্বাচনগুলো আগে নির্দলীয় হলেও পরোক্ষভাবে দলীয়ই হতো। দলগতভাবে বসে আমরা একজন প্রার্থী পছন্দ করতাম। তাতে জমজমাট হতো নির্বাচন। পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট দেশ রূপান্তরকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দলীয় হাইকমান্ড বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। সেই আলোকে নিশ্চয়ই স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে বিকল্প কিছু চিন্তা করবেন।
web
396ce879d600fa2182610f34e1bfe50b578dcbfb8359f11645102ec19b16585d
আহা, বেচারী - জীবেশের মা বললেন সাহেবের মাকে। নিজে খেতে পাচ্ছিস না, তাই পরের খিদেয় প্রাণ পোড়ে। বোস্, সরে বোস ওখানটায়। তোর জন্যে থাবার নিয়ে আসছি আমি। আর, কাপড় নিবিনে একখানা? বোস বোস ওই নিচে নেমে । জীবেশ ও জীবেশের মা চলে গেল ভিতরে। ছেলেকে খেতে দিয়ে জীবেশের মা বুড়ির জন্যে কলাপাতায় করে খাবার নিয়ে এলেন, নানারকম খাবার; কিন্তু বুড়িকে কোথাও দেখতে পেলেন না। না বারান্দায়, না বা নিচে, বসতে বলেছিলেন যেখানটায় অন্ধকারে চলে গিয়েছে কোন দিকে। শুধু একটা কাগজের ঠোঙা রেখে গিয়েছে দরজার কাছে। তাতে কটি ভাঙা গুঁড়ো-গুঁড়ো চিনির বাতাসা।
pdf
dc50f4aa62a2a90df3351f563365d4fa98313778
দেশের হয়ে সর্বশেষ নেমেছিলেন গত বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার সঙ্গে। এরপর আর আকাশী-নীল জার্সি গায়ে চড়াণো হয়নি। ডিয়েগো ফোরলান হয়তো বুঝতে পেরেছেন, বিদায় বলার সময় এসে গেছে। উরুগুয়ে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। একটা সময় উরুগুয়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাদের একজন ছিলেন। ২০১১ সালে দলকে কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন সামনে থেকে, দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডও (১১২) তাঁর। উরুগুয়ের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ গোল করেছেন সব মিলে। বিদায়বেলায় তাঁকে ছুঁয়ে গেল আবেগ, "খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল এটি। সবকিছুরই একটা শুরু ও শেষ আছে- আমার মনে হয় আমার শেষ বলার সময় এটাই। আমি এখন নতুনদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চাই।" ক্লাব ক্যারিয়ারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ , ভিয়ারিয়ালের মতো ক্লাবে খেলেছেন। অর্জনও কম নয়। তবে দেশের হয়ে খেলতে পারাটাকেই রেখেছেন সবার ওপরে, "দেশের হয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মুহূর্তটা আমি কখনও ভুলতে পারব না। এটা অন্য রকম একটা সম্মানের, কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনা হয় না।" তবে দেশের হয়ে আর না খেললেও ক্লাবের হয়ে খেলা ঠিকই চালিয়ে যাবেন। এই মুহূর্তে জাপানের সেরেজোতে খেলছেন ফোরলান, তবে গত মৌসুমে জে লিগ থেকে তাঁর ক্লাব অবনমিত হয়ে গেছে।
web
1a35b05e557abe58a1c32342493f21fb
ভারত চিন সংঘাতের পর ভারতে শুরু হয়েছে চিনা পণ্য বর্জন। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বাতিল করা হয়েছে ৫৯টি চিনা অ্যাপ। এখন দেশের মানুষ চিনা ছাড়াও বিদেশী অন্যান্য জিনিসকে বর্জন করে দেশীয় দিকে ঝুঁকছেন। অন্যদিকে সরকারিভাবেও চলছে 'আত্মনির্ভর ভারত' প্রকল্প। এমত অবস্থায় ভারতের অন্যতম শিল্প সংস্থা রিলায়েন্স জিও নিয়ে এলো ভিডিও কনফারেন্সের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির অ্যাপ JioMeet। মে মাসে অ্যাপটিকে লঞ্চ করার পর বর্তমানে আরও ডেভলপ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিযুক্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নতুন ফিচার। আর দেশীয় এই অ্যাপ এবার Zoom-এর মতো বিদেশি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপকে টেক্কা দেবে। যেখানে ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ১০০ জন পর্যন্ত অনলাইন ভিডিয়ো চ্যাটে যুক্ত হতে পারবেন। গুগল প্লে-স্টোরে থাকা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, 'জিওমিট' হল 'মেড ইন ইন্ডিয়া' এইচডি (৭২০পি) ভিডিয়ো কনফারেন্সিং অ্যাপ, যেখানে ১ঃ১ থেকে ১০০ জনের মধ্যে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং চালানো যাবে। ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলির মধ্যে যেহেতু Zoom বর্তমানে বিপুল জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে সুতরাং এই অ্যাপের সাথে তুলনা করা হলে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির অ্যাপ JioMeet ব্যবহারকারীদের বাড়তি কি কি সুবিধা দিচ্ছে সেদিকে নজর রাখা যাক। ১) Zoom অ্যাপের ক্ষেত্রে ৪০ মিনিটের বাঁধাধরা সময় থাকে। JioMeet-এর ক্ষেত্রে কোনো রকম বাঁধাধরা সময় নেই। ইচ্ছে করলে ২৪ ঘন্টায় ভিডিও কনফারেন্স করা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। ২) JioMeet অ্যাপের মাধ্যমে HD কোয়ালিটির ভিডিও ও অডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একসাথে ১০০ জন যুক্ত হতে পারবেন। ৩) JioMeet অ্যাপে স্ক্রিম শেয়ারিং এবং মিটিং শিডিউলের মত একাধিক ফিচার রয়েছে। ৪) প্রিমিয়াম ভার্সনের ক্ষেত্রে JioMeet অ্যাপ Zoom অ্যাপের তুলনায় অনেক কম খরচের। ৫) একসঙ্গে পাঁচটি আলাদা আলাদা ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে এই অ্যাপ। ৬) খুব সহজেই তৈরি করা যাবে নতুন গ্রুপ এবং সহজেই করা যাবে কলিং চ্যাট। ৭) Zoom অ্যাপে যেখানে একটি স্ক্রিনে একসাথে চারজনকে দেখা যায় সেখানে এই অ্যাপে একসঙ্গে নয় জনকে দেখা যাবে। JioMeet ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য ইমেইল আইডি এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে সাইন আপ করতে হবে। প্রত্যেক কল অথবা কনফারেন্সের ক্ষেত্রে থাকবে পাসওয়ার্ড।
web
45293bc0362fb5e5a977495c245417d5b835a890
মৃত্যুর কারণ নিয়ে মানুষের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা করে কিছু কারণের কথা বলা হয়েছে। ভবিষ্যতেও যে মানুষ একই কারণে একই ধারায় প্রাণ হারাবে সেটি বলা যায় না। করোনা মহামারী নিয়ে মানুষ বিষম ভয় পেয়ে যায়। তথ্য উপাত্ত বলছে, এটি মানুষের সাম্প্রতিক বছরগুলোর গড় মৃত্যুহার বেশি বাড়িয়ে দেয়নি; বরং এটি অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধিতে মানুষের মৃত্যুর একটি সাধারণ কারণের মতো কাজ করেছে। মানুষের মৃত্যুর জন্য এখনো অসংক্রামক রোগ বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ হচ্ছে অসংক্রামক রোগে। এর সাথে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের প্রবণতা সেগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতে পারে। চিকিৎসাব্যবস্থার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। মরণশীল প্রাণী হিসেবে মানুষের নিয়তিতে কোনো পরিবর্তন আনার লক্ষ্য চিকিৎসাশাস্ত্র নির্ধারণ করেনি। কষ্ট দুঃখ লাঘব করে সুস্থ জীবনযাপনে এটি সহযোগিতা করতে পারে। ওই সেমিনারে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাপন নিয়ে যেসব তথ্য উঠে এসেছে সেটি উদ্বেগজনক। একদিকে হিসাব করে দেখানো হচ্ছে, দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। অন্যদিকে, মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়েছে; বরং এ দেশের মানুষ আগে কিছুটা কম আয়ু পেলেও এখনকার চেয়ে আরো সুস্থ জীবনযাপন করত। তবে গড় আয়ু বৃদ্ধির বিষয়টি অনেকে সন্দেহের চোখে দেখে। সেমিনারে তথ্য উপস্থাপন করা হয়, দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ ধূমপানে অভ্যস্ত। প্রাপ্তবয়স্কদের ৬ শতাংশ স্থূল। বিভিন্ন মাত্রায় স্বাভাবিকের চেয়ে তাদের ওজন বেশি। ২০ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের ১৪ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী ৪৫ শতাংশ নারী ও ৩৪ শতাংশ পুরুষ উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন। এসব তথ্য-উপাত্ত বলে দিচ্ছে, দেশের মানুষের প্রকৃত স্বাস্থ্যের অবস্থা। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যনীতিতে এ বিষয়টি সর্বাধিক প্রাধান্য দিলে দেশের মানুষ উপকৃত হতে পারে। ধূমপানের চেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে বায়ুদূষণ। কিছু দিন ধরে ঢাকা শহরের বায়ুমান বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ধূমপান না করেও আমরা সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু গ্রহণ করছি। এ বিষয়ে দেশ-বিদেশে বহু আলোচনা হলেও আমাদের সরকারের খুব একটা টনক নড়েনি। জনসাধারণের বড় একটি অংশ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে; এতে কোনো সন্দেহ নেই। করোনাকাল আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী দ্বিগুণ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় জনগণের আরেকটি অংশ স্থূল হয়ে যাচ্ছে। উভয়টিকে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। সেমিনারের কর্তাব্যক্তিরা সরকারের স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে সন্তুষ্ট। সরকারের সাফল্যের চিত্র এতে বলার চেষ্টা করা হয়েছে। মুক্ত আলোচনার সুযোগ নিয়ে কেউ প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরারও চেষ্টা করেছেন। বলা হয়েছে, জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রতি বছর ৬২ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যান। আর ব্যয় মেটানোর সামর্থ্য না থাকায় চিকিৎসা নিতে পারেন না ১৬ শতাংশ পরিবার। সেমিনারে উল্লেøখ করা হয়, সবচেয়ে বেশি মানুষ দেশে প্রাণ হারায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোকে। মৃত্যুর দ্বিতীয় ও তৃতীয় কারণ হচ্ছে হৃদ ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ। এসব মৃত্যুর পেছনেও আগের বিবৃত কারণগুলো রয়েছে। গত তিন বছর করোনা নিয়ে প্রস্তুতি ও তোড়জোড় দেখানো হয়েছে। করোনা এখন আমাদের দেশের অন্যান্য ঠাণ্ডাজনিত একটি রোগের মতো আচরণ করছে। আমাদের বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে উঠে আসছে মৃত্যুর প্রধান কারণ অসংক্রামক রোগ। এর পেছনে যেসব কারণ রয়েছে সেগুলো মোকাবেলায় আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সেভাবে কোনো প্রস্তুতি ও প্রচার নেই। আমাদের স্বাস্থ্যনীতির কেন্দ্রেও এটি নেই। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসঙ্কট অনুযায়ী আমাদের স্বাস্থ্যনীতি ঢেলে সাজানো এখন সময়ে দাবি।
web
1aeac9fd79b86d100a9933fee33ea26f
'নিউ জলপাইগুড়ি-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে ট্রেন চালু করা হবে' রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেন, উত্তর জনপদের মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলের মান বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা স্টেশন আধুনিকায়ন করছি, যাতে মানুষ রেলের উন্নত সেবা পায়। ডোমার স্টেশনকে সুন্দর ও উন্নত করতে আধুনিকায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করা হলো। দিবাকালীন নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন অতিদ্রুত চালু করা হবে। এছাড়া ভারতীয় ভিসা প্রদান চালু করা হলে দুই দেশের সমন্বয়ে নিউ জলপাইগুড়ি-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হবে। বৃহস্পতিবার (১১ই নভেম্বর) রাত ১০টায় ডোমার রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গনে আধুনিকায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনায়েত হোসেন নয়ন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় প্ল্যাটফর্ম উঁচু ও বৃদ্ধিকরণ, ২ নং প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ, শেড পুনঃসংস্কার ও নির্মাণ, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, বিশ্রামাগার, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের পৃথক বিশ্রামাগার ও টয়লেট নির্মাণ, পার্কিং সিস্টেম চালু, টিকেট বিহীন মানুষের পদচারণা রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা, স্টেশন প্রাঙ্গনের নিরাপত্তা জোরদারে প্রাচীর নির্মাণ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে।
web
6e3520b670c5912644374b54bd22516f
ঝড়ের কবলে পড়ে ৪,২০০ বর্গকিলোমিটার বনের মধ্যে প্রায় ১,০০০ বর্গকিমি. ধ্বংস হয়ে গেছে। এই গাছগুলি বহু প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষকে বাঁচিয়েছে। ম্যানগ্রোভের একটি বড় অংশটি ঘূর্ণিঝড় দ্বারা ধ্বংস হয়ে গেছে। ম্যানগ্রোভগুলি অতীতে বহুবার সুন্দরবনকে বাঁচিয়েছে, এমনকি আইলার সময়েও (২০০৯ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড়)। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সুন্দরবনে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগাব"। গতকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়, রাজ্য বন বিভাগ এই কর্মসূচিটি ১৪ ই জুলাই থেকে শুরু করবে। বন বিভাগের প্রধান প্রধান সংরক্ষণক রবি কান্ত সিনহা বলেছেন, সুন্দরবন এলাকায় বন বিভাগের নার্সারি থেকে গাছ পরিবহন করা হবে। মানবকে সুন্দরবন বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে এবং রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ সরকারকেও এগিয়ে থাকতে হবে।
web
e36a7f651bf79fc0bb10e18e967358544673cafa
প্যারিসঃ রোলঁ গ্যারোজে নোভাক জকোভিচকে (Novak Djokovic) সবচেয়ে বেশ বেগ দিয়েছেন রাফায়েল নাদাল (Rafael Nadal)। বেশিরভাগ ম্যাচ জিতেছেন ক্লে কোর্টের সম্রাট রাফাই। সেই নাদাল চোটের জন্য নেই। অনেকে মনে করেছিলেন, এবারের ফরাসি ওপেন কেকওয়াক হয়ে দাঁড়াবে জোকারের কাছে। কে জানত যে, পুরুষ সিঙ্গলসের তৃতীয় রাউন্ডে নাদালের দেশের এক তরুণই কালঘাম ছুটিয়ে দেবেন ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিকের। স্পেনের আলেহান্দ্রো দাভিদোভিচ ফোকিনা-কে স্ট্রেট সেটে হারিয়েছেন জকোভিচ। কিন্তু তার মধ্যে দুটি সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। দুটি সেট চলে প্রায় দু ঘণ্টা। গোটা ম্যাচে ৬টি ডাবল ফল্ট করেন জোকার। সেকেন্ড সার্ভেও ৪০ পয়েন্টের মধ্যে মাত্র ১৬টি জেতেন জকোভিচ। ফোকিনা যেখানে ৩৪টি উইনার মারেন, জকোভিচ মারেন ২৭টি। তবু দিনের শেষে শেষ হাসি জকোভিচের। অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে অনভিজ্ঞ প্রতিপক্ষকে হারালেন জকোভিচ। বিশ্বের তিন নম্বর জকোভিচ জিতলেন ৭-৬ (৪), ৭-৬ (৫) ও ৬-২ সেটে। ফরাসি ওপেনের প্রথম তিন রাউন্ডেই বেশ কষ্টার্জিতভাবে জিততে হল জকোভিচকে। তাঁর ফিটনেস নিয়ে সমস্যা রয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় সেটের পর চিকিৎসার জন্য একটা মেডিক্যাল টাইম আউটও নিতে হয় জকোভিচকে। ২০২১ সালের ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন বিশ্বের ৩৪ নম্বর ফোকিনা। প্রথম দুই সেট যথেষ্ট লড়াই করেন। কিন্তু মরণকামড় দিতে পারেননি। প্রথম দুই সেট চলে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। কিন্তু অভিজ্ঞতার জোরে শেষ হাসি হাসেন জোকারই। ম্যাচের পর জোকার বলেছেন, 'জানতাম কঠিন ম্যাচ হবে। শারীরিকভাবে কঠিন লড়াই করতে হবে। ও দারুণ লড়াই করেছে। দারুণ প্লেয়ার ও। ওর খেলায় খুব বেশি দুর্বলতা নেই। দারুণ খেলেছে। ' জকোভিচ যোগ করেছেন, 'জয় তো জয়ই। একবার মনে হয়েছিল যে দ্বিতীয় সেটটা হেরে গেলে হয়তো ৫ ঘণ্টার ম্যাচ খেলতে হবে। তবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিস তো এরকমই। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তবে নিজের দক্ষতায় আস্থা দেখাতেই হবে। আমি নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত। '
web
e9952b63b50ca003ac4d152c0ea037fc85b84908
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি আন্দোলনের নামে রাজপথে আবারও সহিংসতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, 'বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে বাঁশের লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা দেখা যাচ্ছে। এটা কিসের আলামত? এটা কি জাতীয় পতাকার অবমাননা নয়? গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজের দফতরে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। সরকার নাকি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, আসলে সরকার নয়, বিএনপির সঙ্গে তৈরি হয়েছে জনগণের যোজন-যোজন দূরত্ব, দাবি ওবায়দুল কাদেরের। ওবায়দুল কাদের বলেন, 'শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে এবং বক্তৃতা-বিবৃতিতে বিষোদগার করে জনগণের থেকে দূরত্ব কমানো সম্ভব নয়। ' এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
web
08e61fd9e6d90f84b1b743f5a733bbe16b06e99206f81ea51a073219f182c65e
ডেরায় পৌছে সাইক্স্কে টাকা দিয়েই ন্যানসি বলল, আমি একটু বাইরে যাচ্ছি। সাইক্স্ অবাক হয়ে বলল, এই মাত্র এলে ! এখনই আবার কোথায় যাচ্ছো ? - আমার একটু দরকার আছে। এক্ষুনি ফিরে আসবো। -না । তুমি এখন কোথাও যেতে পারবে না। সাইকস্ গলা চড়িয়ে বলল, এখন মদটদ আনার ব্যবস্থা কর। -আমি এসে সব ব্যবস্থা করবো। আমাকে যেতে দাও লক্ষ্মীটি। - খবরদার। এখন যেতে পারবে না। এখন গেলে গলা টিপে মেরে ফেলবো। সাইকস্-এর মূর্তি দেখে ন্যানসি আর যাওয়ার কথা বলতে ভরসা পেল না। সে সাইকস্-এর খাবারের ব্যবস্থা করল। খেয়ে দেয়ে প্রচুর মদ পান করে সাইকস্ ঘুমিয়ে পড়ল । সঙ্গে সঙ্গে ন্যানসি উঠে পড়ল । পোশাক পরে সোজা হাজির হল হাইড পার্কে মিসেস সেইলির বাড়িতে। দারোয়ানকে বলল, মিস রোজের সাথে দেখা করতে চাই । ন্যানসির পোশাকের ছিরি দেখে দারোয়ান তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলল, তোমার নাম কি ? ন্যানসি বলল, নাম বলে কোন লাভ নেই। মিস রোজের সঙ্গে আমার খুব জরুরী কথা আছে। - তোমার মতো মেয়ের সাথে কোন জরুরী কথা থাকতে পারে না রোজ দিদিমণির। ভাগোঠিক সেই সময় উপর থেকে শোনা গেল তীক্ষ্ণ কণ্ঠস্বর, জো ওকে ভিতরে আসতে দাও । দারোয়ান তাকিয়ে দেখল, রোজ দিদিমণি দাঁড়িয়ে সব শুনছে । সে তাড়াতাড়ি ন্যানসিকে বলল, যাও তুমি। ন্যানসি সোজা উপরে উঠে এল। রোজ তাকে নিয়ে একটা ঘরে বসালো। মিষ্টি গলায় বলল, তোমাকে তো আমি চিনি না। বলো তো আমার সাথে দেখা করতে চাইছিলে কেন ? - আমার কোন স্বার্থ নেই । আপনাদের ভালোর জন্যেই আপনাদের দারোয়ানট। এমন হতচ্ছাড়া - দারোয়ানের ব্যবহারের জন্যে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। তুমি কিছু মনে করো না। - ন্যানসি খুব অবাক হল রোজের মিষ্টি কথায় । এ রকম মিষ্টি ব্যবহার জ্ঞানত সে কোনদিন পায়নি। তাই সে অবাক হয়ে বলল, আপনি আমার আসল পরিচয় জানেন না তাই এত ভালো ব্যবহার করছেন। আসল পরিচয় জানলে হয়তো আমার সাথে রূঢ় ব্যবহারই রোজ হেসে বলল, তোমার পরিচয় তো তোমার ব্যবহারে। এর আবার আসল নকল কি । ন্যানসি বলল, আমি খুব গোপন খবরটি বলবো আপনার কাছে । হয়তো সে জন্যে আমাকে খুন করাও হতে পারে। তবু আমি বলতে বাধ্য । আপনি জেনে রাখুন, আমি হচ্ছি সেই মেয়ে যে অলিভারকে ভুলিয়ে নিয়ে গিয়েছিল কুখ্যাত গুণ্ডা ফ্যাগিনের ডেরায় । - তুমি নিয়ে গিয়েছিলে? রোজের চোখে মুখে বিস্ময়ের রেখা । - হ্যাঁ আমিই । ন্যানসি আস্তে আস্তে বলল, জন্ম থেকেই আমি ওই সব দাগী আসামীদের মধ্যে বড় হয়েছি এবং ভালো মানুষ কাদের বলে জানি না। - সত্যি ব্যাপারটা খুব দুঃখের । তোমার কথা ভেবে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। - আপনার মনটা আপনার চেহারার মতোই সুন্দর। তাই আপনার কষ্ট হচ্ছে আমার জন্যে । এবার শুনুন আসল কথা - মংকস নামে একটি বদ লোক অলিভারকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চায় । - সে কি ? রোজ আঁতকে উঠল, অলিভারকে সরিয়ে দিয়ে তার লাভ কি ? -লাভ নিশ্চয় অনেক। আমি নিজের কানে একথা শুনেছি বলেই ছুটে এসেছি। দেখুন আমি মেয়ে ভালে। নই। মিনতি, আমার প্রতিটি কথাকে গুরুত্ব দেবেন । ফ্যাগিনের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। ফ্যাগিনকে এজন্য প্রচুর টাকাও দিয়েছে । ফ্যাগিনকে সে বলছিল, বাপের উত্তরাধিকারীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারলে তার আর কোন চিন্তা থাকবে না । - বাপের উত্তরাধিকারী ? তার মানে ভাই ? - আমারও তাই মনে হচ্ছে। লোকটা হয়তো অলিভারের কোন রকম ভাই। অলিভারের বাবা প্রচুর ধন-দৌলত রেখে গেছে। মংকস অলিভারকে মেরে ফেলে সেই ধন-দৌলত একা ভোগ করতে চায়। - ব্যাপারটা খুব চিন্তার তো। রোজ চিন্তিত মুখে বলল, আমি অবশ্যই উপযুক্ত জায়গায় জানাবো । ন্যানসি উঠে পড়ে বলল, দেখুন যা কিছু করবেন খুব সাবধানে। আমি আপনার কাছে এসে এ খবর দিয়ে গেছি, একথা জানতে পারলে কিন্তু নির্ঘাত আমাকে খুন করবে। রোজ ন্যানসির হাত ধরে বলল, তুমি তাহলে যেও না। আমি তোমাকে নিরাপদে রাখার সব ব্যবস্থা করছি। ন্যানসি ম্লান হেসে বলল, আমাকে যেতেই হবে একজনের জন্যে । তাতে খুন হলেও কিছু করার নেই। রোজ অবাক হয়ে বলল, কে সেই লোকটা যার জন্যে তুমি জীবনের ঝুঁকি নিয়েও যাচ্ছো। -এই দলের মধ্যে সবচেয়ে যে ভয়ংকর তার জন্যেই আমাকে যেতে হবে। তাকে আমি ভালোবাসি। ন্যানসি রোজের হাত ছাড়িয়ে এক পা এগোতেই রোজ বলল, আর একটু দাড়াও । দাড়াও। দরকার হলে কোথায় তোমার দেখা পাওয়া যাবে ? এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত ব্রীজের উপর - রবিবার রাত আমাকে পাবেন। এই বলে ন্যানসি হন হন করে চলে গেল। রোজ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। সত্যি, সমাজের এই সব খারাপ নীচুতলার মেয়েরাও কত মহৎ হয়। এদের মনের মধ্যেও কত করুণা জমা থাকে কেউ তার খোঁজ রাখে না। । আবার ব্রাউনলো । ন্যানসি চলে যাওয়ার পর রোজ কাজ শুরু করে দিল। মিসেস সেইলিকে মোটামুটি সব জানিয়ে সে হ্যারীকে চিঠি লিখে সব জানাল। অলিভারকে চোখে চোখে রাখার জন্য চাকর বাকরদের নির্দেশ দিল। দুপুরের দিকে অলিভার ছুটতে ছুটতে তার ঘরে ঢুকে বলল, রোজ দিদি, একটা সুসংবাদ আছে। রোজ হেসে বলল, বলে ফ্যাল দেখি অলিভার বলল, আমি গাড়ী করে আসছিলাম। সেই সময় দেখলাম মিষ্টার ব্রাউনলো একটা বাড়িতে ঢুকছেন। আমি চিনে রেখেছি সেই বাড়িটা। তুমি নিয়ে যাবে আমাকে? - নিশ্চয় নিয়ে যাবো। তুমি অপেক্ষা করো। আমি তৈরী হয়ে আসি । রোজ কিছুক্ষণের মধ্যেই জামা কাপড় বদলে তৈরী হয়ে এল। অলিভারের নির্দেশ মতো গাড়ী করে এসে হাজির হল ক্র্যাডেন স্ট্রীটের একটা বাড়িতে। অলিভার গাড়ীর মধ্যে বসে থাকল। বাড়ির ভিতর একটা ঘরে বসে ছিলেন ব্রাউনলে। আর গ্রীণউইগ । রোজ নিজের পরিচয় দিয়ে ব্রাউনলোকে বলল, আপনাদের কথা অনেক শুনেছি। আপনার কাছে এসেছি একটা বিষয়ে পরামর্শের ব্রাউনলে। বললেন, তুমি আমার মেয়ের মতো। নিশ্চয় তোমাকে আমি সাহায্য করবো। গ্রীণউইগ, তুমি একটু বাইরে গ্রীণউইগ উঠে বাইরে যাবার উদ্যোগ করতেই রোজ বলল, না-না, উনিও থাকুন। আপনাদের দুজনের পরামর্শই আমার দরকার । গ্রীণউইগ আবার চেয়ারে বসলেন। রোজ বিনা ভূমিকায় বলল, অলিভার টুইষ্ট নামে একটি ছেলেকে আপনি যে দয়া দেখিয়েছিলেন, তা সে ভোলেনি। রোজই সে আপনার কথা বলে। ব্রাউনলো বললেন, ছেলেটা তো খুবই ভালো ছিল। কিন্তু বদসঙ্গে পড়ে সে গোল্লায় গেল । রোজ জোর দিয়ে বলল, না, সে গোল্লায় যায়নি। বদসঙ্গ থেকে নিজের চেষ্টায় বেরিয়ে এসে সে এখন খুবই ভালো ছেলে । গ্রীণউইগ বললেন, অসম্ভব । আমি বলছি অলিভার কখনো ভালো হতে পারে না । রোজ হেসে বলল, অলিভার এত ভালো যে তার ভালোত্বের সামান্য কিছু বুড়ো মানুষদের থাকলে পৃথিবীর চেহারা অন্য রকম হয়ে যেত। গ্রীণউইগ বললেন, আরে, এতো আমাকেই লক্ষ্য করে কথাগুলো বললে দেখছি। তুমি তো ভারী ফাজিল মেয়ে। ব্রাউনলে। বিব্রত কণ্ঠে রোজকে বললেন, তুমি কিছু মনে করো না মা, আমার বন্ধুর কথাগুলো চোয়াড়ে। তবে মন থেকে উনি এসব বলেন না। গ্রীণউইগ গর্জন করে বললেন, মন থেকেই বলি । ব্রাউনলো জোর দিয়ে বললেন, না, না, মন থেকে বলো না। গ্রীণউইগ সমান জোর দিয়ে বললেন, আলবৎ আমি মন থেকে -বলো না। -বলি । - খবরদার বাজে কথা বলবে না। - তুমিও বাজে কথা বলবে না। দুই বুড়ো দুইজনের দিকে হিংস্র চোখে তাকিয়ে থাকেন । মনে হয়, এক্ষুনি দুজনে দুজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু কি আশ্চর্য। গ্রীণউইগ বললেন, এক টিপ নস্যি দাও। ব্রাউনলো নস্যি দিয়ে বললেন, তোমার হাতটা দাও । দুজনে গভীর আবেগে করমর্দন করলেন। রোজ অবাক হয়ে দুজনের এ বিচিত্র বন্ধুত্ব দেখছিল। আবার বলল, ধন্য আপনারা। আপনাদের কথা অলিভারের মুখে শুনেছিলাম। আজ চোখে দেখলাম, অলিভার থাকলে খুব খুশি হত । ব্রাউনলো বললেন, হ্যাঁ মা, এবার বল তো অলিভারের কথা। রোজ সংক্ষেপে অলিভার সম্পর্কে সব কথা জানাল। শুনে ব্রাউনলো বললেন, তুমি অলিভারকে সঙ্গে আনলে না কেন ? - সঙ্গেই এনেছি। গাড়ীতে বসে আছে। -তাই নাকি? তাই নাকি? আমি তাকে নিয়ে আসি । এই বলে ব্রাউনলে। নিজেই গেলেন অলিভারকে আনতে । সঙ্গে সঙ্গে তড়াক করে লাফিয়ে উঠলো গ্রীণউইগ। রোজের কাছে এসে সশব্দে তার কপালে চুমু খেলেন। রোজ বলল, একি! একি! গ্রীমউইগ বললেন, ঘাবড়াও মৎ। তুমি আমার নাতনীর বয়সী। আসলে তুমি খুব ভালো মেয়ে । এই সময় ব্রাউনলে। অলিভারকে নিয়ে ঢুকলেন। গ্রীণউইগ উঠে তার সঙ্গে করমর্দন করে বললেন, মিষ্টার্ অলিভার, তোমার সম্পর্কে আমার ধারণা পালটাতে পেরেছি, তাতে আমি সুখী । খবর পেয়ে মিসেস বেডুয়িন এসে হাজির। তিনি অলিভারকে পাড়মে বরে কাদতে লাগলেন। হাসি-কান্নার পাট শেষ হলে রোজ চুপিচুপি ব্রাউনলোকে একসময় বলল, আপনার সাথে অলিভার সম্পর্কে জরুরী পরামর্শ আছে। এখানে বলা যাবে না। - ঠিক আছে। আমি রাত আটটার সময় তোমাদের বাড়িতে যাবো। তখন সব কথা হবে। রোজ অলিভারকে নিয়ে বাড়ি ফিরে এল । ।। পরামর্শ সভা # রাত আটটা নাগাদ ব্রাউনলো এলেন। রোজ তাঁকে ঘরের মধ্যে এনে বসাল। ঘরের মধ্যে মিসেস সেইলি আর ডাক্তার লসবার্ণ ছিলেন। তাঁদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। ডাক্তার লসবার্ণ বললেন, আমার তো ইচ্ছে করছে সমস্ত দলটাকে এখনই পুলিশে ধরিয়ে দি ব্রাউনলো বললেন, আমাদের একটু মাথা ঠাণ্ডা রেখে চলতে হবে ডাক্তার। দলটাকে ধরিয়ে দিলে অলিভারের তো কোন লাভ হবে না। -কেন ? পুলিশে ওদের ধরলে ওরা আর অলিভারের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। - তা ঠিক। ব্রাউনলো বললেন, তবে তার আগে দরকার অলিভারের পিতৃ পরিচয় খুঁজে বের করা। করা। তাহলে অনেক ব্যাপারই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। -ঠিক আছে। তাই হবে। তবে ওদের সব কটাকে দ্বীপান্তরে না পাঠিয়ে আমার শাস্তি হবে না। - ব্রাউনলো বললেন, আমরা কেউ মংকসকে চিনি না। এ ব্যাপারে ন্যানসির সাহায্য নিতে হবে। আর গ্রীণউইগকেও আমাদের সঙ্গে নিতে হবে। লোকটা খুব চালাক চতুর আর আইনজ্ঞও বটে । লসবার্ণ রোজের দিকে তাকিয়ে বললেন, এ ছাড়া আর একজনের সাহায্যও আমাদের নিতে হবে। তাঁর নাম হ্যারী সেইলি - তিনি আমাদের এই তরুণী বন্ধুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু । রোজ লজ্জিত হয়ে মুখ নীচু করল। মিসেস সেইলি বললেন, আপনারা কাজ করুন। যে ভাবেই হোক অলিভারের পিতৃ পরিচয় খুঁজে বের করুন। এ ব্যাপারে যত টাকা লাগে আমি ॥ ন্যানসি খুন ॥ ফ্যাগিন লোকটা যেমন ধূর্ত তেমনি শয়তান। কয়েক দিনের মধ্যেই সে বুঝে নিল যে ন্যানসির মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘটে গেছে । সে আর আগেকার মতো তাদের সঙ্গে আড্ডা মারে চুপচাপ বসে বসে না। হাত সাফাইয়ের কাজেও যেতে চায় না। কি ভাবে । ফ্যাগিন সাইকসকেও একথাট। জানাল। বুদ্ধির মানুষ । সে এ সব উড়িয়ে দিল, ধ্যৎ। ন্যানসির মধ্যে আবার কি পরিবর্তন ঘটবে। যত সব বাজে ব্যাপার । দেখতে দেখতে রবিবার এসে গেল। রাত যত বাড়তে লাগল, ন্যানসি তত চঞ্চল হয়ে পড়ল । ন্যানসি সাইকস-এর কাছে গিয়ে বলল, আমার একটু কাজ আছে । আমি একটু ঘুরে আসি । সাইকস ফ্যাগিনের সঙ্গে বসে মদ খাচ্ছিল। সে বলল, এত রাত্তিরে আবার কি কাজ? এখন বাইরে বেরোন হবে না । ন্যানসি মিনতি করে বলল, আমাকে যেতে দাও দয়া করে। আমি যাব আর চলে আসবো। - না না এখন যাওয়া হবে না। সাইকস্ চড়া গলায় বলল । - আমি যাবোই। ন্যানসিও মেজাজ দেখিয়ে বলল। কি ? আমার সঙ্গে মেজাজ দেখানো। সাইকস উঠে গিয়ে ন্যানসির হাত ধরে একটা ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিল। - ন্যানসি ভিতর থেকে চেঁচিয়ে বলল, কাজটা তুমি ভালো করছো না বিল। সাইকস ফ্যাগিনের দিকে তাকিয়ে বলল, ওর মাথা নিশ্চয় খারাপ হয়ে গেছে। না হলে আমার সাথে এভাবে কথা বলবার সাহস হয়। ভিতর থেকে ন্যানসি তখন দরজার গায় দুমদাম করে ধাক্কা মারতে মারতে বলল, আমাকে যেতে দাও। না হলে ভাল হবে না। সাইকস চেঁচিয়ে বলল, চুপ করে থাক বলছি। আর একটা শব্দ শুনি তো তোর গলা টিপে আমি মেরে ফেলব। ন্যানসি খিলখিল করে হেসে উঠল, মার না দেখি কেমন মুরোদ - সাইকস তেড়ে যাচ্ছিল, ফ্যাগিন তাকে ধরে ফিসফিস করে বলল, আমার বিশ্বাস, ন্যানসি বিগড়ে গেছে। রবিবার রাত্তিরে ও কোন মতলব নিয়ে বাইরে যেতে চায় । - চুলোয় যাক । সাইকস আবার মদের বোতল নিয়ে বসল। গীর্জার ঘড়িতে ঢং ঢং করে বারোটা বাজল । সঙ্গে সঙ্গে ন্যানসিও চুপ করে গেল। ফ্যাগিন ভালোমতোই বুঝতে পেরেছিল যে রবিবার রাত এগারোটায় নিশ্চয় কারো সাথে দেখা করতে চায়। তাই সে একটা লোককে ঠিক করে রাখল, ন্যানসির পিছনে যাওয়ার জন্যে । ন্যানসিকে দূর থেকে একদিন দেখিয়ে দিয়ে বলল, এই মেয়েমানুষটাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করবে, আর কি কথা বলে শুনবে। ফ্যাগিন আরও জানতো, সাইকস অত রাতে কিছুতেই ন্যানসিকে বেরোতে দেবে না। তাই পরের রবিবার কায়দা করে প্রচুর মদ খাইয়ে সাইকসকে নিজের ডেরায় আটকে রাখল । ন্যানসি জেনে গেল, সাইকস রাত্তিরে ফিরবে না। রাত এগারোটা নাগাদ সোলণ্ডন ব্রীজের উপর উঠে গেল। কুয়াশায় ভরা অন্ধকার রাত । পাশের লোককে ভাল করে দেখা যায় না। ন্যানসির একটু দূরে যে একজন হেঁটে আসছে সে খেয়াল করল না। সে খুঁজছিল রোজকে, কিছুক্ষণ বাদেই সেখানে হাজির হল রোজ । সঙ্গে ব্রাউনলো। ন্যানসি দূর থেকেই চিনতে পেরেছিল রোজকে । তাড়াতাড়ি তার কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল, চলুন ওই সিঁড়ির কাছে । রোজ বলল, গত রবিবার তুমি আসোনি । ন্যানসি বলল, আমাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছিল। ব্রাউনলে। বললেন, শোন ন্যানসি, তুমি আমাদের সাহায্য করো। আমি দলবল সমেত ফ্যাগিনকে হাজতে পোরার ব্যবস্থা করবো। ন্যানসি মাথা নাড়ল, না, তা আমি পারবো না। ফ্যাগিন খুব খারাপ লোক, কিন্তু আমিও তো ভালো নই । আমিও তো ওই দলেরই। - তাহলে মংকসকে চিনিয়ে দাও। -তা দিতে পারি। মংকস দেখতে বেজায় লম্বা - বেশ হেলে দুলে হাঁটে - গায়ে সব সময় একটা লম্বা কোট - তার কলারটা আবার খুব উঁচু - গলা ঢেকে রাখবার চেষ্টা করে। ব্রাউনলে। বললেন, দাঁড়াও - দাঁড়াও - তার গলায় নিশ্চয় একটা লাল দাগ আছে । তাই না ? - তা আছে। আপনি কি করে জানলেন ? - অমনি জানলাম। ব্রাউনলে। হেসে বললেন, বয়স তো কম হল না। অনেক কিছু জানতে হয়েছে আমাকে। যাক, এবার
pdf
a92365271b04cc6230f085f250dddd6e
মাহিকে দ্বিতীয় বিয়ের শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক স্বামী! ঢালিউড চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সাবেক ছাত্রলীগ এক নেতাকে নিয়েই তার বিয়ের গুজব উঠেছিলো। অবশেষে সেই পাত্রকেই বিয়ে করলেন তিনি।
web
cce313af3a190867f222f05090e4452907fdee72
নতুন ছবি নিয়ে আসছেন কপিল শর্মা, জানেন তো? সলমন-ক্যাটরিনাকে পাহারা দিতে ছবির সেটে য়ুলিয়া? অক্ষয় কুমারের 'টয়লেটঃ এক প্রেম কথা' কি শৌচালয় তৈরির অনুপ্রেরণা জোগাবে? বলিউডের নতুন 'সিমরন' কঙ্গনা, ট্রেলার দেখেছেন? সঞ্জয় দত্তকে এ কী বললেন রণবীর! বাসের রড ধরে ঝুললেন শাহরুখ 'মার্কেটিং' খান! তড়িঘড়ি মুম্বই ফিরলেন আমির, কেন? এই মেয়েটিকে আপনি হয়তো চেনেন, কে বলুন তো?
web
55598a4793319d953784d038158ff7be5ab82fdb
দ্য রিপোর্ট ডেস্কঃ এবার কার রেসিংয়ে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়তে চলেছেন সৌদির রিমা জুফালি। কট্টরপন্থী সৌদিতে সম্প্রতি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে সৌদির রাজপথ দাপিয়ে গাড়ি নিয়ে ছুটছেন সৌদি নারীরা। কয়েক মাস আগেই সৌদির এই নারী দেশের মধ্যেই রেসিং কার চালিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। এবার সৌদিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কার রেসিংয়ে অংশ নিয়েছেন রিমা জুফালি। গত বছর থেকেই গাড়ি চালানোর অনুমতি পান সৌদি নারীরা। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর থেকেই গাড়ি চালানোয় নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই সাথে রেসিং কার চালানোর দিকেও ঝুঁকছেন অনেক নারী। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ঘোষণা করেন, মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। এরপরই রাস্তায় গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেন নারীরা। ২০১৮ সালের ২৪ জুন মধ্যরাতে রিয়াদের রাস্তায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়। কয়েক দশকের নিষেধের বাধা অতিক্রম করে ছুটে চলে গাড়ি, যার স্টিয়ারিং ছিল নারীদের হাতে। এরপরই রেসিং কারের স্টিয়ারিং হাতে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন রীমা আল জুফালি। জুনে লাইসেন্স পাওয়ার পর গত অক্টোবরেই প্রথম রেসে অংশ নেন তিনি। কলেজে পড়তে পড়তেই ফর্মুলা ওয়ানের প্রতি ঝোঁক বাড়ে রীমার। তারপর রেসিং কার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন তিনি। ফর্মুলা কার রেসিং স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। ২৭ বছর বয়সী এই সৌদি তরুণী রাজধানী রিয়াদের কাছে দিরিয়াহ এলাকায় শুক্র ও শনিবার জাগুয়ার আই-পিএসিই ই-ট্রফি সিরিজে অংশ নেন। জুফালি বলেন, গত বছরই গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। কিন্তু আমি কখনওই ভাবিনি যে, আমি পেশাগত রেসার হিসেবে অংশ নেব। (দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ২৩,২০১৯)
web
dc2cd409fb01b301351917fbe0544ee66893ff67
হুদায়বিয়ার সন্ধি আপাত দৃষ্টিতে মুসলিমদের জন্য এমন অপমানকর ছিল যে, অনেক সাহাবী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারপরেও বদর যুদ্ধ কিংবা মক্কা বিজয়ের মত বড় বিজয়কে আল্লাহ তায়ালা "ফাতহুম মুবিন" না বলে হুদায়বিয়ার সন্ধিকে কেন "ফাতহুম মুবিন" বা "বড় বিজয়" বলেছেন? ? ১. মুসলমানরা এ বছর হজ্জ না করেই ফিরে যাবে। ২. তারা আগামী বছর আসবে এবং মাত্র তিন দিন থেকে চলে যাবে। ৩. কেউ অস্ত্রপাতি নিয়ে আসবে না। শুধু তলোয়ার সঙ্গে রাখতে পারবেঃ কিন্তু তাও কোষবদ্ধ থাকবে, বাইরে বের করা যাবে না। ৪. মক্কায় সে সব মুসলমান অবশিষ্ট রয়েছে, তাদের কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে না। আর কোনো মুসলমান মক্কায় ফিরে আসতে চাইলে তাকেও বাধা দেয়া যাবে না। ৫. কাফির বা মুসলমানদের মধ্য থেকে কেউ মদীনায় গেলে তাকে ফেরত পাঠাতে হবে। কিন্তু কোনো মুসলমান মক্কায় গেলে তাকে ফেরত দেয়া হবে না। ৬. আরবের গোত্রগুলো মুসলমান বা কাফির যে কোনো পক্ষের সাথে সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করতে পারবে। ৭. এ সন্ধি-চুক্তি দশ বছরকাল বহাল থাকবে। দৃশ্যত এই শর্তাবলী ছিলো মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী আর মুসলমানরা যে চাপে পড়েই এ সন্ধি করেছিলো, তাও বেশ বোঝা যাচ্ছিলো। মোটকথা, সন্ধি-চুক্তি সম্পাদিত হলো। সন্ধির শর্ত মুতাবেক আবু জান্দালকে ফিরে যেতে হলো। এভাবে ইসলামের পথে জীবন উৎসর্গকারীরা রাসূলের আনুগত্যের এক কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। একদিকে ছিলো দৃশ্যত ইসলামের অবমাননা ও হযরত আবু জান্দালের শোচনীয় দুর্গতি আর অন্যদিকে ছিলো রাসূলুল্লাহ (স) -এর নিরংকুশ আনুগত্যের প্রশ্ন। হযরত (স) আবু জান্দালকে বললেন : 'আবু জান্দাল! ধৈয্য ও সংযমের সাথে কাজ করো। খোদা তোমার এবং অন্যান্য মজলুমের জন্যে কোনো রাস্তা বের করে দিবেনই। সন্ধি-চুক্তি সম্পন্ন হয়ে গেছে। কাজেই আমরা তাদের তাদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারি না। ' তাই আবু জান্দালকে সেই শৃংখলিত অবস্থায়ই ফিরে যেতে হলো। মুসলিম বাহিনীর এমন নাজুক পরিস্থিতিকেও আল্লাহতাআলা এই চুক্তিকে এক মহা বিজয় হিসাবে উল্লেখ করলেন। আসলে হুদায়বিয়ার সন্ধির পরে হয়রত বেলাল (রাঃ) বলছিলেন - আমাদের সময় দরকার, এবার আমরা সময় পেলাম। . মক্কার জীবনে এত মার খেয়েও জবাবী হামলা করেননি তার একটা কারন ছিল এই যে দাওয়াতী কাজের প্রসার ঘটিয়ে লোক তৈরী করা । হুদায়বিয়ার সন্ধি এমন একটা পয়েন্টে এসে হয়েছিল যে তখন আরব ভুখন্ডে ইসলামের পূর্ণতা লাভের সকল লক্ষন ফুটে উঠেছিল কিন্তু তখন পর্যন্ত কিছু স্থানে দাওয়াতের হাত পৌছতে পারছিলনা কাফেরদের অব্যাহত নোংরা বিরোধীতার জন্য । হুদায়বিয়ার সন্ধি সবদিক থেকে অপমানজনক মনে হলেও এই দাওয়াত প্রসারের প্রতিবন্ধকতা সরে গিয়েছিল অনেকটাই কাফেরদের অজান্তেই । এমন পরিবেশ পেয়ে মুসলমানরা দাওয়াতী কাজের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালালেন । ইসলামের ইতিহাসে সম্ভবত এই সময়টাতেই বেশী মুসলমান দাওয়াত গ্রহন করে অল্প সময়ে । হুদায়বিয়ার সন্ধিতে মাত্র চৌদ্দশ সাহাবী নিয়ে নবী সাঃ গিয়েছিলেন কিন্তু মাত্র দুবছরের মাথায় দশ হাজার সাহাবী নিয়ে মক্কা বিজয়ে গেলেন ! ক্যালকুলেটর দিয়েও দাওয়াত গ্রহনের হার খুজতে কষ্ট হবে ! চুড়ান্ত বিজয় বলার পেছনে এটাও একটা কারন। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। নিজের শক্তি, সমর্থ প্রজ্ঞা দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একদিকে দাওয়াতি কাজের প্রসার ঘটানো অন্যদিকে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করাই রাসুল (সাঃ) এর শিক্ষা। এর বাহিরে যেয়ে যারা কিতাল কিতাল করে তারা পরিত্যাজ্য. . . আল্লাহ্ আমাদের ইলসামকে জানার ও বোঝার তৌফিক দিন, আমীন।
web
469731ea1013254f2c0223857b57cfe6
সাইদ সাজু, তানোর : তানোরে প্রধান মন্ত্রীর উপহার বাড়ি পেল সরকারী খাস জায়গায় বসবাস করা সেই ভুমিহীন আদিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডি। আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে প্রধান মন্ত্রীর উপহার বাড়ির চাবিসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। আজ (৩০নভেম্বর) সোমবার দুপুরে মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জমকালো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডির হাতে প্রধান মন্ত্রীর উপহার নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুর। তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাগাতোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, তানোর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার, তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) স্বীকৃতি প্রামানিক, তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান, রাজশাহী জেলা আ'লীগ সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল, তানোর পৌর আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সরকার, পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন প্রমুখ। স্বাধীনতা যুদ্ধ অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডি মোহাম্মদপুর আদিবাসী পাড়ার ৪শতক খাস জমিতে স্বাধীনতার যুদ্ধের আগে থেকে বসবাস করে আসছিলেন। ভুমিহীন অসহায় আদিবাসী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ৪ পুত্র সন্তানের কথা চিন্তা বসত বাড়ির খাস জায়গা টুকু নিজ নামে করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মিসহ ভুমি অফিসে ধর্না দিয়ে ১০বছরেও বসতবাড়ির জায়গা টুকু নিজ নামে করাতে পারেননি। ২৫জুলাই দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশের পরদিনই রাতে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো প্রধান মন্ত্রীর উপহার বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নাইকা মার্ডির বাড়িতে হাজির হয়ে বসতবাড়ির জায়গা নিজ নামে দলিল করে দেয়ার পাশাপাশি ওই জায়গাতেই প্রধান মন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে বাড়ি নির্মান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র ১৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে ২লাখ টাকা ব্যায়ে ১টি করে প্রধান মন্ত্রীর উপহার নতুন বাড়ি'র চাবি তুলে দেয়া হয়। এর আগে মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নতুন ৪তলা ভবনের উদ্বোধনসহ বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্মানকৃত শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়।
web
fcddcae54d39b606a9fb854138ce3e649fc966fe
বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, পাকিস্তানের পতাকার কথা চিন্তা করা সুযোগই নেই। যেখানে বাংলাদেশ লেখা সেখানে পাকিস্তান মনে হবে কেন? বাঘ আছে, বিসিবির লোগো আছে। এরপরও এ বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অনেক সময় আমাদের অনেকেরই মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন পড়ে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সাথেও। আর এই যোগাযোগের জন্য একটা মাধ্যম দরকার। বর্তমান যুগে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে 'অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার' পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১১ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদের নামঃ অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার বিভাগের নামঃ ইনফরমেশন সিস্টেম অ্যান্ড ভিজিল্যান্স অডিট- বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কয়েক বছরের তীব্র সমালোচনা হজম করে ফেসবুককে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক জাকারবার্গ। তার মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ডেভেলপারদের সম্মেলনে নিজের বক্তৃতার বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ হজমের সমস্যার সমাধানে পেঁপে অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের জন্যেও পেঁপে কতটা উপকারী তা আমরা অনেকেই জানি। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পেঁপে অত্যন্ত বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অনেক জল্পনা-কল্পনা ও নাটকীয়তার পর প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের জার্সি পরিয়ে অফিশিয়াল ফটো সেশন করা বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে অবাধে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। বৈধ ভাটাগুলোতেও মানা হচ্ছে না ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন। যার বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আজ মহান মে দিবস। সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। আজকের এই দিন শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস এই বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মাত্র তিন বছর আগের কথা। হালিমা অ্যাডেন তখন কলেজ ছাত্রী। হঠাৎ সংবাদের শিরোনাম তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সুন্দরী প্রতিযোগিতা 'মিস মিনেসোটা'য় একজন প্রতিযোগী। প্রতিযোগী তো অনেকেই থাকেন। ব্যতিক্রম হলো বিস্তারিত.. বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইদানীং নারী পুরুষের বিবাহিত সেক্সুয়াল লাইফ এ কিছু কিছু সমস্যা প্রকট আকারে সামনে চলে এসেছে। বিবাহিত জীবন গড়াচ্ছে ডিভোর্স পর্যন্ত। অস্বাভাবিক সেক্সুয়াল লাইফের বলি হিসেবে মহিলারা মারাত্মক বিস্তারিত..
web
283bdf36209977b9efa5bd3210a76498922ed40f
জয়নগরে খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধা হচ্ছে। ছবিঃশশাঙ্ক মণ্ডল। বাজার আছে। রয়েছে বিদেশে রফতানির হাতছানিও। কিন্তু ভাল নলেন গুড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ু-জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ। কণকচূড় ধানের খইয়ের সঙ্গে নলেন গুড়ই মোয়া তৈরির প্রধান উপাদান। কিন্তু পছন্দের নলেন গুড় মোয়া ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ পাচ্ছেন না। কারণ, 'শিউলি'র অভাব। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় বানান এই 'শিউলি'রা। গুড়-শিল্পে 'শিউলি'দের গুরুত্ব অনেক। ঘড়ি ধরে ঠিক সূর্যাস্তের সময় খেজুর গাছ কেটে মাটির হাড়ি ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। সূর্যোদয়ের ঘণ্টাখানেক আগে ওই রস গাছ থেকে নামিয়ে আনেন। তেঁতুল কাঠের জ্বালে পাক দিয়ে সেই রস থেকে তৈরি করেন গুড়। খাটাখাটনির পরে এক কেজি গুড় মহাজনের কাছে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করে 'শিউলি'দের লাভ থাকে কেজি প্রতি বড়জোর ২০ টাকা। বহড়ু ও জয়নগরের অধিকাংশ 'শিউলি' এখন বৃদ্ধ। কেউ গাছ থেকে পড়ে চোট পেয়ে শয্যাশায়ী। কেউ বয়সের ভারে ধকল নিতে পারছেন না। বহড়ুর বাসিন্দা 'শিউলি' কাহার গাজিরের কথায়, "খেজুর গাছে ওঠা-নামা কষ্টসাধ্য কাজ। বয়সের জন্য এখন আর গাছে উঠতে পারি না।" 'শিউলি'দের মধ্যে এক সময় নামডাক ছিল বহড়ুর মিহির মণ্ডলের। বয়সের ভারে তিনিও গাছে ওঠা ছেড়ে দিয়েছেন। জানালেন, তিন ছেলের কেউই বাবার পেশায় আসতে চায় না। তারা পড়াশোনা করছে।
web
76e46f6fbd6a6a8e3bc0a0df97365427b111ed58
মঙ্গলবার সকালে হ্যাক হয়েছিল বিজেপি ওয়েবসাইট। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বন্ধ রয়েছে বিজেপি ওয়েবসাইট। বিজেপি ওয়েবসাইট খুলতে কিছুক্ষণ "error 522" মেসেজ দেখিয়েছে। তবে কে বা কারা বিজেপি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে তা জানা যায়নি। তবে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে ওয়েবসাইট বন্ধ হওয়ার আগে সেখানে নরেন্দ্র মোদি ও জার্মান চান্সেলার অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের কিছু হাস্যকর ছবি দেখা গিয়েছিল। কতক্ষণ পার্টি ওয়েবসাইট বন্ধ থাকবে সেই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এই ওয়েবসাইট কে বা কারা হ্যাক করেছে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে টুইটারে ঝড় উঠতে শুরু করেছে। একাধিক ব্যাক্তি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পোস্ট করতে শুরু করেছেন। এই মুহুর্তে ভারতের অন্যতম ট্রেন্ডিং টপিকের শিরোপা কেড়ে নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির ওয়েবসাইট হ্যাকিং এর ঘটনা। কতক্ষণ পার্টি ওয়েবসাইট বন্ধ থাকবে তা জানাইয়নি ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে ঠিক কখন এই ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে তা জানা যায়নি। এখনও কোনও সংগঠন এই হ্যাকিং এর দায় স্বীকার করেনি।
web
4b4736c80eb9cd79107167a661d74ef006b95ca1
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া থেকে ২৪১ পিস ইয়াবাসহ হানিফ হাওলাদার (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-৮। আটককৃত হানিফ যুবক দপদপিয়া এলাকার মৃত সিরাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বকুলতলা জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। এক প্রেসবার্তায় র্যাব-৮ জানায়, নিয়মিত টহলকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক হানিফ হাওলাদার নামের এক যুবকের দেহ তল্লাশি করে ২৪১ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। সে বিভিন্ন জায়গা থেকে ইয়াবা এনে জেলার নলছিটিসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ও খুচরা মূল্যে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল বলে ওই প্রেবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
web
191c82747a97e0c4e31138dfc749bbdfaa5e451929314effaf8440d65123e2fe
[ ৫ম অঙ্ক ভাবিনি। রণরাও আসতে পারে আগে তো সে কথা মনে হয়নি। না না, জেনে-শুনে আমার বিরুদ্ধে রণরাওকে তারা কখনো পাঠাবে ন। - শ্যামলী আছে, সেই-ই বাধা দেবে । ঘোড়পুরে। কি ভাবছ মা ! বীরা। শিবাজী নিজে যদি আসেন, বাজীসাহেব? ঘোড়পুরে। প্রতিশোধ নেবার একটা সুযোগ আমরা পাব । বীরা। আপনি কি বলেন বাজীসাহেব! শিবাজী এলে এক মুহূর্ত্তও আমরা এ দুর্গ রক্ষা করতে পারব না। তিনি এলে আমি-ই অস্ত্র ত্যাগ করব। ঘোড়পুরে। সে কি মা ! বীরা। করব না বাজীসাহেব ? আমার বিরুদ্ধে শিবাজীকেও অস্ত্র ধরতে হয়েছে, এর চেয়ে বড় কথা আর কি হতে পারে? সেই-ই আমার জয় ! তিনি এলে তাঁর পদতলে অস্ত্র রেখে আমি বলবআপনার প্রিয়শিষ্য আমায় পরিত্যাগ করে চলে গিয়েছিল, আমাকে মুক্তিপথের বিঘ্ন মনে করে। ঘোড়পুরে। যতই তাতিয়ে তুলি না কেন, জল হতে একটুও দেরী লাগে না। তুমি বীরত্বের অধিকারিণী এ পরিচয় শিবাজীকে দিয়ে আত্মশ্লাঘা অনুভব করতে পার; কিন্তু জিজ্ঞাসা করি তাতে কি তোমার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে ? বীরা। বাজীসাহেব ! ঘোড়পুরে। আমার উপর ক্রুদ্ধ হও কেন মা! তোমার পিতার অতৃপ্ত আত্মার কথা ভেবেই আমি তোমায় কৰ্ত্তব্য দেখিয়ে দিচ্ছিনইলে শিবাজীর পতনে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনই লাভ নেই । ৩য় দৃশ্য ] বীরা। আমার পিতার আত্ম। যদি অতৃপ্ত থাকে, তা হলে রক্তপান করে তা তৃপ্ত হবে না। আপনাকে আমি অনুরোধ করছি বাজীসাহেব, আর কখনো আপনি আমার পিতৃহত্যার কথা তুলে আমায় উত্তেজিত করবার চেষ্টা করবেন ন! - কখনো না। বীরা ফিরিয়া দাঁড়াইয়া দূরবীন লইয়া দেখিতে লাগিল ঘোড়পুরে। একবার যে আগুন জ্বেলে দিয়েছি, তা কি সহজেই নিভতে দোব? মনের ওই উত্তেজনাই তো প্রকাশ করছে যে আগুন একেবারে নেভেনি । বীরা। বাজীসাহেব, দেখুন ত দুরে, বহুদূরে, মাটি থেকে আকাশ অবধি আচ্ছন্ন করে, ধূলোর প্রচণ্ড একটা ঘূর্ণাবর্ত্ত এই দিকেই ছুটে আসছে না? ওই মারহাঠারাই আসছে, দূরবীন নিয়ে আপনি এখানে দাঁড়ান বাজীসাহেব। আমি স্যৈদের প্রস্তুত করি। ঘোড়পুরে। এইবার আত্মরক্ষার চেষ্টা দেখতে হয়। দুরবীন নিয়ে আমি কি করব মা! বুড়ো মানুষ, দৃষ্টি ত তত দূরে যাবে না ! বীরা। আপনি তাহলে নীচে যান বাজীসাহেব। সৈনিকদের প্রস্তুত হতে বলুন গে ! দূরবীন লইয়া দেখিতে লাগিল ঘোড়পুরে। দুর্গ থেকে এখন বার হওয়া ত সম্ভবপর নয়। কোন নিরাপদ স্থানে গিয়ে আত্মরক্ষা করি। তারপর যুদ্ধ থেমে গেলে আবার দেখা দেবো। ঘোড়পুরের অস্ত্র অসি নয়, বর্শা নয়, বন্দুক নয়, কামান নম্ন -ঘোরপুরের অস্ত্র ওই বীরাবাঈ। ওকে সামনে রেখে লড়তে পারলে জীবন-যুদ্ধে ঘোড়পুরেকে পরাজিত হতে হবে না। তা'হলে যাই মা, সৈন্যদের প্রস্তুত করি গে।
pdf
fc31ad5a35c228d1ca210081f2292ad8f1e61690
মোগল আমল। বাংলার সুবাদার বা প্রাদেশিক শাসকের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় এলেন কুতুব-উদ-দীন মুহাম্মদ আজম। শত্রুসেনার আক্রমণ থেকে ঢাকাকে বাঁচাতে বুড়িগঙ্গার তীরে কেল্লা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৬৭৮ সালে শুরু হলো নির্মাণকাজ। তবে কাজ শেষ করতে পরেননি মুহাম্মদ আজম, তার আগেই বাবা মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন। তাঁর জায়গায় বাংলার সুবাদার হয়ে এলেন শায়েস্তা খান। কেল্লা নির্মাণের কাজও চলতে থাকল। কিন্তু এর মধ্যেই শায়েস্তা খানের পরিবারে একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটল। ১৬৮৪ সালে তাঁর মেয়ে ইরান দুখ্ত্ রহমত বানু ওরফে পরী বিবি মারা গেলেন। তার পর থেকেই দুর্গটিকে শায়েস্তা খানের মনে হতে থাকল অপয়া। কেল্লার নির্মাণকাজই বন্ধ করে দিলেন তিনি। সেই অসমাপ্ত দুর্গই কালের বিবর্তনে লালবাগ কেল্লা নামে পরিচিতি লাভ করে। দুর্গের ভেতরে প্রধান তিনটি ভবনের একটি মসজিদ। যার পূর্ব দিকে পরী বিবির সামাধিসৌধ। অন্যটি দেওয়ান-ই-আম বা দরবার হল ও হাম্মামখানা, যা জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এখন সেই দরবার হল ও হাম্মামখানারই পুনরুদ্ধার ও সংস্কারকাজ চলছে।
web
f30f9721ff432301663f51135c7760bf4d2dc860
'তুমি নামের পৃথিবী' নামের নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে হাজির এ সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া। তার সঙ্গে গানটি যৌথভাবে গেয়েছেন তারকা কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। গানটি আজ বিকেলে কর্ণিয়ার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল 'কর্ণিয়া'তে প্রকাশিত হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন নাভেদ পারভেজ। কর্ণিয়া বলেন, 'গানটি আমার নিজেরই একবার শোনার পর আবারও শুনতে ইচ্ছে করছিল। তাই এক ধরনের আত্মবিশ্বাস ছিল যে প্রকাশের পর দর্শকের মধ্যে ভালো সাড়া ফেলবে। ' গানের পেছনের গল্প জানালেন কর্ণিয়া, 'অনেকদিন ধরেই আমার ভক্ত দর্শকরা আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে ডুয়েট চাচ্ছিলেন। কারণ তার সঙ্গে আমি এই পর্যন্ত যে ৬টি গান করেছি সবকটিই দর্শকের ভালো লেগেছে। বিশেষ করে একবার ছুঁয়ে যা হৃদয় গানটি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের মতো চ্যানেলের এক নম্বর অবস্থানে আছে। তাই আমিও ভাবছিলাম এতদিন তো অন্য চ্যানেল ও কোম্পানির জন্য আমরা একসঙ্গে গান করেছি। এবার আমার চ্যানেলের জন্যই আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে একটা গান করি। নাভেদ যখন গানটির সুর করে পাঠালেন আমি ভয়েসটা দিলাম। তবে শুনে মনে হলো সামথিং মিসিং। আবিষ্কার করলাম পুরুষ কণ্ঠ থাকলে গানটি আরও জমবে। প্রথমেই আসিফ ভাইয়ার কথা মাথায় আসে। তিনি গানটি শুনেই গাইতে রাজি হয়ে যান। ভালোবাসা দিবসেই গানটি আসার কথা ছিল। কিন্তু মিউজিক ভিডিও করতে দেরি হয়ে যায় বলে এখন প্রকাশ করলাম। সবাইকে গানটি কর্ণিয়া নামের ইউটিউব চ্যানেলে শোনার অনুরোধ রইল। '
web
4f0ee5466babfcfd19b96bc4a2f203a1df8c7a5e
ঢাকা, ০৪ এপ্রিল - আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ করেই কালবৈশাখী ঝড় আঘাত আনে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। গাইবান্ধায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে ও আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। এছাড়াও বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছপালা। বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় দুপুর থেকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হঠাৎ ঝড়ে উড়ে আসা টিনের আঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। আজ ভেড়ামারা উপজেলার দফাদার ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রবিউল ইসলামের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়ায়। পুলিশ জানায়, রবিউল ঝড়ের সময় দফাদার ফিলিং স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ সময় পাশ থেকে উড়ে আসা টিন তাকে আঘাত করে। কেটে যায় মুখমণ্ডল ও এর নিচের অংশ। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৬৬ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের অনেক স্থানেই কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। রাজধানীতে হঠাৎ বয়ে যাওয়া ঝড়ে শিশু তুয়া (৪), সায়মা আক্তার (৩৭) নামে এক নারী ও ফরিদ (৩৫) নামে এক রিকশাচালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
web
e1ec4731cbbd2eab57eef9a34395624e4112427f
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্ট-বিপ্লবীরা লড়াই করতে করতে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তা আজও অম্লান এবং বিপ্লবীদের পথ দেখায় মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বিপ্লবীরা যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা জেলের মধ্যেও লড়াই করেছেন, জীবন দিয়েছেন তার আজও অধরা। তাঁদের মতো তেজ, দৃঢ়তা, কমিটমেন্ট নিয়ে রাজনীতিরতে দাড়াতে না পারলে গণমানুষের মুক্তি সম্ভব নয়। সব ধরনের দ্যোদুল্যমানতা, সুবিধাবাদ, আপসকামিতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবস স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত ভার্চুাল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই আজও আমাদের উজ্জীবিত করে, পথ দেখায়। ভবিষ্যতের দিশা পাবার জন্য খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী ইতিহাস জানা এবং অনুধাবন করা জরুরি। খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদ-যোদ্ধাদের আদর্শ, লড়াই ও আত্মত্যাগ থেকে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের স্বাধীনতা-অধিকার অর্জনের সকল লড়াইয়ের ইতিহাসই আগামী প্রজন্মের জন্য পাঠ্যপাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত করা উচিত। সেই ক্ষেত্রে খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী ইতিহাস তুলে ধরা সময়ের দাবী। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে রাজনীতি থেকে দেশপ্রেমকে নির্বাসন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষকে রাজনীতির প্রতি করা হচ্ছে বীতশ্রদ্ধ। তরুনদের আত্মত্যাগের পথ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই নষ্ট সময়ে খাপড়া ওয়ার্ডের গৌরবোজ্জ্বল লড়াইয়ের ইতিহাসকে সামনে আনতে হবে। শুধু অতীতকে জানার তাগিদ থেকে নয়, ভবিষ্যতের পথ সন্ধানের জন্যও, খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই ও সেদিনের বিপ্লবী যোদ্ধাদের জানা খুবই প্রয়োজন। খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই আত্মত্যাগে মানুষকে উজ্জীবিত করে। খাপড়া ওয়ার্ডের সেদিনের লড়াই মুক্তির লড়াইয়ে এখনও পথ দেখিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, কুমিল্লা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মো. মহসিন ভুইয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্ট রাজবন্দীদের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকারের রক্তের হোলি খেলায় ঝরে যায় ৭টি বিপ্লবী প্রাণ। বন্দী অবস্থায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী সুধীন ধর, বিজন সেন, হানিফ শেখ, সুখেন্দু ভট্টাচার্য, দেলোয়ার হোসেন, কম্পরাম সিং ও আনোয়ার হোসেন।
web
d8ba13e9ac02b33d3a058a44f2d2e8159c10ebf2
পবিত্র মাহে রমজানে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির বন্ধন জোরালো করতে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি মো. রিফাত মেহেদীর সভাপত্বিতে ও সহ-সভাপতি ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রনি খাঁ, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসিফ আল আজাদ, উপদেষ্টা এসএম আহম্মেদ মনি, ডা. এড্রিক বেকার ব্লাড ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল আওয়াল লিলনসহ গবিসাস সদস্যবৃন্দ। মাহফিলে সংগঠনের পাশাপাশি দেশবাসীর উন্নতি চেয়ে দোয়া কামনা হয়। এ সময় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন গণ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
web
908d307a880eb3e03656f84f736e49c582bb23cc
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল - বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে। সেখানে তাকে দেখে এক মাছ বিক্রেতা বললেন, আপা ৫০ টাকায় এ পচা মাছগুলো নিয়ে যান। 'ফেরেশতে' নামের নতুন একটি সিনেমার শুটিংকালে নানারকম বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন জয়া আহসান। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জয়া আহসান জানান, শুটিংয়ের কারণে জয়ার বেশভূষা ছিল একেবারে সাধারণ কোনো দরিদ্র নারীর মতো। এমন রূপে তাকে চিনতেই পারেনি কেউ। তাই ওই মাছ বিক্রেতা তাকে গরিব ভেবে অল্প টাকায় পচা কেনার অফার করেন। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে জয়া বলেন, কারওয়ানবাজারে শুটিং করছিলাম। আমার বেশভূষা দেখে কেউ টাটকা মাছও অফার করল না। একজন ডেকে বললেন, আপা ৫০ টাকায় এ পচা মাছগুলো নিয়ে যান। শুধু তাই নয়, সাদামাটা রূপে থাকার কারণে রাস্তায় ভিক্ষুক তার কাছে ভিক্ষাও চায়নি। জয়া জানান, তিনি শুটিংয়ের গেটআপে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার সহকারী। যানজটে গাড়ি থামায় সাহায্য চাইতে আসে একজন ভিক্ষুক। জয়া বলেন, আমি যখন গাড়ির গ্লাসটা নামালাম, আমার কাছে ভিক্ষাই চাইল না। চাইল মানিকের (সহকারী) কাছে। ও তখন মানিব্যাগ বের করে টাকা দেয়। ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের 'ফেরেশতে' সিনেমার শুটিংয়ের জন্য রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, কারওয়ানবাজারসহ বেশ কিছু লোকেশন নির্বাচন করা হয়েছিল। 'ফেরেশতে' সিনেমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য শনিবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেন নির্মাতা-শিল্পীরা। সেখানেই এসব ঘটনা জানান জয়া আহসান। উল্লেখ্য, ইরানি এ সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে বাংলা ভাষায়। পরে ডাবিং করে ইরানেও মুক্তি দেওয়া হবে। এতে জয়ার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুমন ফারুকসহ অনেকে।
web
38d312f6ab1c8d7ac9ae16250164bc65
(এমনিতে দেখতে সমস্যা হলে ডাউনলোড করে জুম করে দেখুন) লিস্ট থেকে দেখে নিন কার কোথায় সিট পড়েছে। দেখতে বা, ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে আমাদের ফেসবুক পেজ বা, এইখানে কমেন্ট করে জানাবেন। কোন ব্যাংকে কতজন নেবে? মোট পদ ১৬৬৩- সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-৫২৭; জনতা ব্যাংক লিমিটেড-১৬১; রূপালী ব্যাংক লিমিটেড-২৮৩; বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক- ৩৯; বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক- ৩৫১; রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক- ২৩১; বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন- ০১ টি এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ এ ৭০ টি। ১ ঘন্টার এই প্রিলিমিনারী পরীক্ষার নোটিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সব চাকরির তথ্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইট jobsbd.club এবং ফেসবুক পেজ "বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতি " এর মাধ্যমে আপনাদের কাছে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করি। যাচাই করে আমরা সঠিক তথ্য দেই, তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যদানের ক্ষেত্রে কয়েক ঘন্টা দেরী হতে পারে। সঠিক তথ্য সময়মত পেতে নিয়মিত ফেসবুক ও ওয়েবসাইটে খোঁজ রাখুন।
web
81e92fe5c996b11244b43d5807c6731b0aaec8ba
শুধু অর্থ খরচের চিন্তা থেকে প্রকল্প না নিয়ে, বরং অপচয় রোধ করে সঠিক প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (২০১৬-১৭) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প প্রণয়নটা শুধু অর্থ ব্যয়ের চিন্তা থেকে যেন না হয়। সেখান থেকে কতটুকু দেশের উন্নতি হবে আর এর সুফল মানুষ কতটুকু পাবে সে হিসাবটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সে সঙ্গে দেখতে হবে যেন আমাদের এই কষ্টার্জিত অর্থের অপব্যবহার না হয়। উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এর আগেও একধিকবার ব্যয় সাশ্রয় ও অপচয় রোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের মতো সীমিত সম্পদের দেশে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপচয়-দুর্নীতি ও ব্যয়বাহুল্যের কোনো সুযোগ থাকা মোটেই সমীচীন নয়। অথচ দুর্ভাগ্যবশত আমরা বিপরীত চিত্র দেখেই অভ্যস্ত। এ দেশে খুবই প্রচলিত একটা কথা- সরকারি মাল, দরিয়া মে ঢাল। এটা এমনি এমনি তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই এ ধরনের প্রবচণের সৃষ্টি। এর নমুনা দেখতে আমাদের খুব পেছনে যেতে হয় না। সমকালেও 'সরকারি মাল দরিয়ায় ঢালার' বহু দৃষ্টান্ত খুঁজে পেতে বেগ পেতে হবে না। আর বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দিতে হয়েছে। খুবই সত্যি যে, উন্নয়ন প্রকল্পে যথাযথভাবে অর্থের ব্যবহার না হওয়া ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের চিত্র মোটেও সুখকর নয়। দেখা যায়, বাস্তব প্রয়োজন বিবেচনা না করে অর্থ খরচ ও এর মাধ্যমে প্রাপ্তি যোগের কথা মাথায় রেখে বহু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তারপর আছে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি। কিছুদিন আগেই এডিপি বরাদ্দের ঘোষণা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) উদাসীনতার কারণে সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় না। ফলে ব্যয় বৃদ্ধির নামে সরকারের অর্থের অপচয় হয়। চলমান প্রকল্পে নতুন কম্পনেন্ট যোগ করে বারবার ব্যয় বাড়ানোর প্রবণতা রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও রয়েছে বহু প্রশ্ন। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি শুধু নয় দুর্নীতিরও দৃষ্টান্ত রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় একটি সরকারি ভবনে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের ঘটনা কিছুদিন আগে আলোড়ন তুলেছে। উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়াও সরকারি ব্যয় বাহুল্য ও অপচয়ের আরো কিছু বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষভাবে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। এর মাঝে উল্লেখ করা যায়, দেশের সড়কের অবস্থা বিবেচনায় না নিয়ে বিআরটিসির দুর্বল আর্টিকুলেটেড বাস ক্রয় এবং তা রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার কথা। তারপর ডেমু ট্রেন কেনার প্রসঙ্গ। সরকারি ক্রয়ে উপযোগিতা যাচাই এবং মান নিশ্চিতকরণে দুর্বলতা; সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে অব্যবস্থাপনা এবং এসবের পরিণামে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়ের এসব দৃষ্টান্ত আমাদের মতো গরিব দেশের জন্য উদ্বেগের বৈকি। দেশের অগ্রগতি এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্র তথা সরকারের পরিকল্পনাটাই আসল। সরকারের উন্নয়ন-পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে জনগণের মুখে হাসি ফোটে, আর ব্যত্যয় ঘটলে জনগণের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। ফলে ক্ষোভ-বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর আমাদের মতো দরিদ্র দেশে উপযুক্ত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ দেশের সাধারণ মানুষের শ্রমে-ঘামে অর্জিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার হোক এটাই সবার চাওয়া। আমরা আশা করব রাজনৈতিক বা ব্যক্তি-বিশেষের স্বার্থ বিবেচনা নয়, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হবে। যথাসময়ে মানসম্মতভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা সচেষ্ট থাকবেন। এ ব্যাপারে তদারকি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। সর্বক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় সম্পদের সাশ্রয়ী ব্যবহার ও অপচয় রোধ অপরিহার্য। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল, জনপ্রতিনিধিরা ও প্রশাসনযন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিক হবেন- এটাই প্রত্যাশিত। শুধু অর্থ খরচের চিন্তা থেকে প্রকল্প না নিয়ে, বরং অপচয় রোধ করে সঠিক প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (২০১৬-১৭) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প প্রণয়নটা শুধু অর্থ ব্যয়ের চিন্তা থেকে যেন না হয়। সেখান থেকে কতটুকু দেশের উন্নতি হবে আর এর সুফল মানুষ কতটুকু পাবে সে হিসাবটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সে সঙ্গে দেখতে হবে যেন আমাদের এই কষ্টার্জিত অর্থের অপব্যবহার না হয়। উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এর আগেও একধিকবার ব্যয় সাশ্রয় ও অপচয় রোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
web
d14ad2da3d1da45198b4d32307e7b91d32031665
মানিক ঘোষ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ১১ টি মোবাইল সেট ও দুই টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অজয় দাস (২০) নামে একজনকে আটক করা হয়। বুধবার ভোরে থানার এস আই রবিউল ইসলাম শহরের ফয়লা দাসপাড়ার বিমল দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। স্থানীদের অভিযোগ অজয় দীর্ঘদিন ধরে চোরাই ল্যাপটপ ও মোবাইলসেট বিকিকিনির সাথে জড়িত। বিভিন্ন এলাকার চোরেরা অজয়ের মাধ্যমে তাদের চোরাই জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকে। কালীগঞ্জ থানার এসআই রবিউল ইসলাম জানান, কালীগঞ্জে বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল সেট চুরির বিষয়ে থানাতে অভিযোগ ছিল। এ প্রেক্ষিতেই তিনি তদন্ত চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে ফয়লা দাসপাড়া হতে অজয় দাসকে আটক করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক চুরিকৃত মোবাইলসেট শহরের বিভিন্ন এলাকা হতে ১১ টি মোবাইল সেট ও ২ টি ল্যাপটপ উদ্ধার করেন। আটক অজয়ের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানাতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার বিকালে তাকে ঝিনাইদহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, চোরাই মোবাইল উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আটক অজয়ের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আরো মোবাইল উদ্ধার হতে পারে। উল্লেখ্য,অজয় ওই এলাকার মাদকাসক্তদের বন্ধু হিসেবে চলাচল কওে থাকে। সে নিজেও একজন মাদক সেবনকারী। পুলিশের মত সাধারন মানুষেরও ধারনা অজয়কে রিমান্ডে নিয়ে আসা হলে চোর সিন্ডিকেটসহ আরও মোবাইল উদ্ধার হতে পারে।
web
fd2ea702c70e56407c60a2df47ec7eaaa286427a
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের তেল ট্যাংকার আটকের ঘটনায় ব্রিটেনকে পারণতি ভোগ করতে হবে। রাজধানী তেহরানে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রুহানি ব্রিটেনের এ পদক্ষেপকে শিশুসুলভ, ঘৃণ্য ও অন্যায় বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, সমুদ্রপথের নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক সমস্ত প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত।
web
837b25b8788862c98290e088b6792ec1
আজ তোমার জন্মদিন\nরবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯ ২০ঃ৩৭ ঘণ্টা\nআজ ১৭ মার্চ। একটি বিশেষ দিন। বিশেষ করে পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ বিশেষণে বিশেষায়িত। কেননা, এদিনে পৃথিবীতে তোমার জন্ম হয়েছিল।\nতুমি এসেছিলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। বাইগার নদীর তীরে, ছোট্ট একটি ঘরে। মা সায়েরা খাতুনের কোল আলো করে সুতীব্র চিৎকারে বলেছিলে, 'এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম'। সেদিন সেই সুতীব্র চিৎকারের মাঝে যে একটি দেশের স্বাধীনতার পবিত্র বাণী লিপিবদ্ধ ছিল, তা আমরা বুঝতে পারিনি। বুঝতে অনেক দিন লেগেছে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ৭ মার্চ ১৯৭০। মাঝখানে ৫০ বছর। ৭ মার্চ আমরা পেলাম বাইগার নদীর তীর থেকে ভেসে আসা সেই সুতীব্র চিৎকারের মর্মবাণী।\nশুভ জন্মদিন। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অভাব-অনটনের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে যিনি দাঁড়াবেন, লড়াই করবেন, নেতৃত্ব দেবেন এবং নেতৃত্বের ফসল ঘরে তুলবেন, তিনিই তো নেতা। হে বন্ধু; তোমাকে সালাম। তুমিই সেই সার্থক পুরুষ। যাকে ভালোবেসে আজ ১৬ কোটি মানুষ 'বঙ্গবন্ধু বলে ডাকে। তোমার কৈশোরেই আমরা তোমার নেতৃত্ব এবং সাহসের পরিচয় পেয়েছি। তুমি তখন গোপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সময়টা ১৯৩৯। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এবং একই কেবিনেটের অন্যতম মন্ত্রী শহীদ সোহরাওয়ার্দী এসেছিলেন স্কুল পরিদর্শনে। সাম্প্রদায়িক প্রতিকূলতাকে পদদলিত করে কিশোর মুজিব (আজকের বঙ্গবন্ধু) মন্ত্রীদের যথাযোগ্য সংবর্ধনা জ্ঞাপনের পর ছাত্রদের পক্ষ থেকে স্কুল ছাত্রাবাসের নষ্ট ছাদ মেরামতের দাবি উত্থাপন করে অবিলম্বে তা কার্যকর করার ব্যবস্থা করিয়ে নেন। এখানেই নেতৃত্বের উত্থান।\nসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ফেলা হয়। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে গিয়ে তাকে সাত দিন কারাগারেও কাটাতে হয়েছে। সম্ভবত কিশোর জীবনের কারাবাস পরে তাকে আরো অনেক বেশি সাহসী করেছে। কোনো স্বৈরশাসক তাকে আর দাবায়ে রাখতে পারেনি। দেশের মানুষের বুকে তিনি সেই দাবায়ে রাখতে না পারার বীজ বপনের ক্ষেত্রে একজন সার্থক কৃষকের ভূমিকা পালনে সক্ষম হয়েছিলেন। সততার সঙ্গে নিজের বিশ্বাস এবং অনুশীলন একই সমান্তরাল রেখায় দাঁড় করাতে পারার কারণে আজ তিনি বঙ্গবন্ধু।\nএকবার বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'তোমার কোয়ালিফিকেশন কী? উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'আমি আমার মানুষকে ভালোবাসি'। সাংবাদিক আবার জিজ্ঞাসা করেন, 'তোমার ডিজকোয়ালিফিকেশন কী? বঙ্গবন্ধু মুহূর্ত সময় নিয়ে বলেছিলেন, 'আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি'। এজন্যই তিনি খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধুু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক। হে জনক, তোমাকে সালাম।
web
bb3b9feaea7ece5684781433c52d8c5214859be9
হযরত আলী (রা. ) মারহাবের ঘাড় লক্ষ্য করে এমন আঘাত করলেন যে, কমিনা ইহুদী সেখানেই শেষ হলো। হযরত আলীর (রা. ) হাতেই বিজয় অর্জিত হলো। যুদ্ধের সময় হযরত আলী (রা. ) ইহুদীদের একটি দুর্গের কাছে গেলে একজন ইহুদী দুর্গের ওপর থেকে জিজ্ঞাসা করলো যে, তুমি কে? হযরত আলী (রা. ) বললেন, আমি আলী ইবনে আবু তালেব। ইহুদী বললো, হযরত মূসার ওপর অবতীর্ণ কেতাবের শপথ, তোমরা বুলন্দ হয়েছ। এরপর মারহাবের ভাই ইয়াসের এগিয়ে এসে বললো, কে আছো যে আমার মোকাবেলা করবে? এ চ্যালেঞ্জে সাড়া দিলেন হযরত যোবায়ের (রা. )। এ দৃশ্য দেখে হযরত যোবায়েরের (রা. ) মা হযরত ছফিয়া (রা. ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল, আমার পুত্র কি নিহত হবে?
web
7bbc407c1f8e955adf4c1714b50c3a599670fa06
পুরোটাই 'গুজব'! কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ ও টুইটারে প্রচার শুরু। প্রধানশিক্ষিকার তৎপরতায় শেষরক্ষা। রাজ্যে ভোটের দিনই বলি ১৬! তৃণমূল বলল,'উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে' সীমান্ত লাগোয়া জেলায় ফের খুন, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে উত্তপ্ত বাগদা!
web
403d29e597a2df9ce6afb8a7656617f74a660769
করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা আসায় বৈশ্বিক রেমিট্যান্সও কমবে এমন পূর্বাভাস ছিল। মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সংকটে রয়েছেন। এর পরও দেশে থাকা স্বজনদের কথা ভেবে তারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বৈধ পথ বেছে নেওয়ায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রদানকারী প্রবাসীদের নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা, হুন্ডি নিরুসাহিতকরণসহ নানামুখী পদক্ষেপের কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ১৭ জুন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, হুন্ডি চক্রকে ভাঙতে পারলে এ প্রবাহ আরও বাড়বে। হুন্ডি চক্রের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে হুন্ডির ফাঁদে পড়ে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। ওই ঘোষণার পরপরই বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর শুরুতে রেমিট্যান্সে ধস নামলেও গত ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে অন্তত ছয় মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছর ১৭ জুন পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১৬ দশমিক ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। করোনা সংকটকালেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে এটা নিঃসন্দেহে সুখকর বিষয়। তবে যেসব প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন, করোনা-পরবর্তী তাদের কর্মস্থলে ফেরত পাঠাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বৈদেশিক শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার ও নতুন বাজার অনুসন্ধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
web
14873a692fb33aef873cda14b52d026a205889812358818bf9bd10dbe0767e22
চণ্ডীৰউ বাধা দিচ্ছে না দেখছে শুধু। পাঁচ দিনে পাঁচ দফা সিন্দুক খোলা হল, টাকা বার করা হল। তার পরদিনও সিন্দুক খুলতে গিয়ে রাধানাথ দেখে পকেটে চাবি নেই। প্রথমে চমকেই উঠল সে। তাড়াতাড়ি বাবার ঘরে গিয়ে সিন্দুকের ডালা টেনে দেখল। যেমন বন্ধ ছিল, তেমনি আছে। ছুটল বারইয়ারীতে। সেখানেও চাবি নেই। বাড়ি এসে আবার আঁতিপাতি করে খুঁজল। নেই কোথাও। বউয়ের দিকে চোখ পড়তে কেমন মনে হল সে চাবির সন্ধান জানে। মুহূর্তে রক্ত উঠল মাথায়। কিন্তু বহুবারের অভিজ্ঞাতায় দেখেছে রক্ত চড়লে শেষে নিজেকেই ঠকতে হয়। তাই বেশ কঠিন সংযত মুখ করেই বউয়ের সামনে এসে দাঁড়াল সে। চাবি কোথায় ? জবাব না দিয়ে চণ্ডীবউ তার দিকে তাকালো শুধু। বাবার সিন্দুকের চাবি কোথায় ? আমার কাছে। তাই থাকার কথা। যাবার সময় ঠাকুর তাই বলে গেছলেন। ও...! রাগে কন্ঠস্বর বিকৃত হয়ে উঠল রাধানাথের। - - - - সেই জন্যে আমার জামার পকেট থেকে তুমি চুরি করে চাবি সরিয়েছ... আর একঘন্টা ধরে আমি খোঁজাখুঁজি করছি দেখেও চুপ করে আছ ? চণ্ডীবউ নীরব, দৃষ্টিটা শুধু খরখরে হয়ে ওঠল। রাধানাথ আবার ঝাঁজিয়ে উঠল, ভালয় ভালয় চাবিটা এখন বার করে দেবে ? এ ক'দিন যা খরচ করেছ এক পয়সা অবধি তার হিসেব লেখো, তারপর দেব। আর ধৈর্য সংবরণ করা গেলই না। মারমুখী রাধানাথ গর্জন করে উঠল, কি, এত বড় আস্পর্ধা! আমি হিসেব দেব তবে তুমি চাবি দেবে ? বলি ওই সিন্দুক তোমার বাপের বাড়ি থেকে এসেছে, না বাপের জন্মে অত টাকা চোখে দেখেছ কোনদিন ? দু'চোখের সাদার ভাগ বড় হয়ে উঠেছে চণ্ডীবউয়ের, মুখেরও দ্রুত রং বদলাচ্ছে। কিন্তু এই প্রতিক্রিয়ার ওপর দিয়ে মেজাজ চড়াতে না পারলে বউ ঢিট হবে না। বউয়ের স্পর্ধা যে কত বেড়েছে সেটা সেদিনই সে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে - মুখের ওপর যেদিন জিজ্ঞাসা করেছে ছেলেপুলে হয় না কেন? রাধানাথের সমস্ত পুরুষকার একেবারে ধুলোয় টেনে নামিয়েছে সেদিন। বাপ তুলে কটূক্তি করতে পারায় সে-অপমানের জ্বালা জুড়িয়েছে খানিকটা। গলার স্বর সপ্তমে চড়ল আবার।~~এক্ষুনি তুমি চাবি বার করবে কিনা আমি জানতে চাই ? অব্যক্ত ক্রোধে ত্যার বিতৃষ্ণায় চণ্ডীবউ গিয়ে দেয়ালের খুপরি থেকে চাবির গোছা বার করে মেঝের ওপর ছুঁড়ে দিল। সজোরে ওটা ঘরের চৌকাঠে গিয়ে লাগল। চাবি তুলে নিয়ে রাধানাথ বলল, তোমার তেজ আমি বার করছি! সদর্পে চলে গেল তখনকার মত।
pdf
bdd70c75e6863523b78684a2a1a493b0074b1ebc
যখন আপনি ব্যবসায়িক পরিষেবাগুলি প্রদান করেন, তখন একটি সংকীর্ণ ফোকাসটি উপকারী। আপনি আপনার কুলুঙ্গি বাজারে একটি বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠে এবং যে মানের একটি বিশেষ এলাকায় দক্ষতা, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সঙ্গে একটি পেশাদার জন্য অনুসন্ধান সম্ভাব্য ইভেন্ট পরিকল্পনা ক্লায়েন্টদের খুব আকর্ষণীয় হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি আপনার বাগানে একটি বেড়া ইনস্টল করার প্রয়োজন হয়, আপনি বেড়া ইনস্টলেশন অভিজ্ঞতা সঙ্গে একটি পেশাদারী জন্য অনুসন্ধান করা হবে। পরবর্তী, আপনি আপনার বিবেচনা করা হয় বেড়া ধরণ ইনস্টল অভিজ্ঞতা সঙ্গে কেউ যে অনুসন্ধান সংকীর্ণ হবে। একইভাবে, যদি আপনার এলাকার একটি ব্যবসা একটি পেশাদার শিল্প সমাবেশের হোস্টিং করা হয়, তবে তারা কর্পোরেট ইভেন্টের পরিকল্পনাতে অভিজ্ঞতা সহ একটি ইভেন্টের পরিকল্পনাকারী দেখতে পাবে। একটি ইভেন্ট পরিকল্পনা কুলুঙ্গি করা আপনার জন্য সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের আপনার পরিষেবা বাজারে জন্য এটি সহজ করে তোলে এবং এটি তাদের খুঁজে পেতে সহজ করে তোলে। এটি আপনাকে মূল্যবান সময় সংরক্ষণ করবে। একটি নির্দিষ্ট ধরনের ইভেন্ট পরিকল্পনা বিশেষ করে, আপনি দ্রুত যারা ঘটনা পরিকল্পনা জন্য সেরা চর্চা, সমস্ত উপাদান জড়িত, সর্বশেষ প্রবণতা এবং যা বিক্রেতারা ভাড়া করা হবে ভাল হয়ে ওঠে। একটি বিশেষ অঞ্চলের উপর নিবদ্ধ একটি ইভেন্ট পরিকল্পনা ব্যবসা সঙ্গে, আপনি শুধুমাত্র আপনার বিশেষীকরণের জন্য প্রাসঙ্গিক সরবরাহ ক্রয় দ্বারা ব্যবসা খরচ সংরক্ষণ করতে পারেন। যেকোনো ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হওয়ার কারণে তার সুবিধার এবং ইভেন্ট পরিকল্পনাতে এটি হ্রাসকৃত খরচ এবং বাড়তি ব্যবসায়ে অনুবাদ করতে পারে। আপনি একটি সাধারণ ইভেন্ট পরিকল্পনাকারী যারা একটি বিশেষজ্ঞ বিবেচনা করা হয়, কিভাবে আপনি আপনার ইভেন্ট পরিকল্পনা কুলুঙ্গি খুঁজে না? প্রথম ধাপটি যেখানে আপনি অবস্থিত সেখানে বাজারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। আপনার ইভেন্ট পরিকল্পনা ব্যবসার বিশেষত্বের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আপনার এলাকার আগ্রহের ভিত্তিতে নয়। যেসব পণ্য বা পরিষেবাগুলি তারা অফার করছে তাদের জন্য চাহিদা আছে তাই সফল করে এমন ব্যবসার কাজ করে। এস্কিমোসে স্কোবলবলের চেষ্টা এবং বিক্রি করবেন না। আপনার এলাকায় অর্থনৈতিক জলবায়ু এবং ব্যবসার বিবেচনা করুন। বড় কর্পোরেশন আছে যে কনফারেন্স, বিশেষ ঘটনা, এবং কর্মী মিটিং আছে? আপনার locale একটি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে একটি upscale সম্প্রদায়ের যে catered, বিচ্ছিন্ন বহিরঙ্গন বার্ষিকী দল এবং কাস্টমাইজড শিশুদের জন্মদিনের দল উপভোগ করেন? একটি ইভেন্ট পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ বিবেচনা করার সময়, প্রথম পদক্ষেপ আপনি কর্পোরেট ইভেন্ট পরিকল্পনা বা সামাজিক ইভেন্ট পরিকল্পনা ফোকাস করতে চান কিনা তা সিদ্ধান্ত হয়। কর্পোরেট ইভেন্ট পরিকল্পনা কোম্পানী দ্বারা পরিচালিত ঘটনা অন্তর্ভুক্ত, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, এবং অলাভজনক সংস্থা। কোম্পানি নিম্নোক্ত ইভেন্টগুলির কোনও হোস্ট করতে পারেঃ কর্পোরেট ইভেন্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যান্য সুযোগসুবিধা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেঃ যদিও বড় আকারের কর্পোরেট ইভেন্টগুলিতে অধিক অভিজ্ঞতা এবং বিশেষত্ব প্রয়োজন হতে পারে, ছোট স্থানীয় ঘটনাগুলি আগ্রহের বাজারে ভাঙ্গার এবং জল পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। যদি আপনি সামাজিক ইভেন্ট পরিকল্পনাতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে আগ্রহী হন, তবে বিশেষ করে এলাকার সংখ্যা বাড়ছেঃ মনে রাখবেন যে কর্পোরেশনগুলি এবং ব্যবসাগুলি সামাজিক ইভেন্টের পরিকল্পনাগুলির জন্যও সুযোগ প্রদান করে, যেমন কর্মচারী পিকনিকস এবং ছুটির দলগুলি সহ।
web
85ef931aed233842137414a88e07c440c99f7760
খাস খবর ডেস্কঃ এবার 'ভার্চুয়াল আধার কার্ড'-এর ব্যবস্থা করল 'ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া'। গ্রাহকের মোবাইলেই স্থায়ীভাবে থাকতে পারবে এই পরিচয় পত্র। ব্যাগে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঝুঁকি নিতে হবে না। আধার কার্ড থাকলেও তা সঙ্গে রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা । নিত্যদিন আধার কার্ড সঙ্গে রাখার ঝুঁকিও রয়েছে বিস্তর। আসল কার্ড হারিয়ে গেলে পড়তে হবে সাধারণকে সমস্যার মুখে। গ্রাহকের এই সমস্যার সামধানে এগিয়ে এসেছে আধার অথরিটি। ১৬ সংখ্যার নম্বর দিয়ে তৈরি হয়েছে এই ভার্চুয়াল আধার আইডি। ইউআইডিএআই-এর ওয়েবাসাইট থেকে তৈরি করা যায় ভার্চুয়াল আধার কার্ড। প্রসঙ্গত, ভার্চুয়াল আধার কার্ড হল একটা ১৬ সংখ্যার আইডি। আধার কার্ডের পরিবর্তে এই নম্বরও নিজের কাছে রাখা যায়। সব ধরনের ব্যাঙ্কিং সম্পর্কিত সুবিধা এই কার্ডের মাধ্যমে পাওয়া যায়। বলা হয়, এর মেয়াদ কেবল একদিনের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। তবে গ্রাহক অন্য কোনও ভার্চুয়াল আইডি তৈরি না করা পর্যন্ত এর মেয়াদ ফুরোয় না। বর্তমানে আধারের ভার্চুয়াল আইডির কোনও মেয়াদকাল নেই। কিভাবে আবেদন করবেন 'ভার্চুয়াল আধার কার্ড'? জেনে নিন এখুনই প্রথমে আধারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://www. uidai. gov. in-এ যান। এবার আধার পরিষেবায় লগ ইন করে ভার্চুয়াল আইডিতে ক্লিক করুন। একটা নতুন পেজ আপনার সামনে খুলে যাবে। সেখানে ১৬ সংখ্যার আধার নম্বর জমা দিন। এবার ওটিপির জন্য সিকিউরিটি কোড তৈরি করুন। নিজের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে ওটিপি দেখতে পাবেন। ওটিপি জমা দিয়ে এবার ভিআইডি অপশনে ক্লিক করুন। ভার্চুয়াল আইডির জন্য আপনার কাছে এবার একটা বার্তা চলে আসবে।
web
299c681033d4063613295b9385525899d2c0e214
পন্ডিত জগন্নাথ গুরুজী (Pandit Jagannath Guruji)-র বর্তমানে একটাই কাজ,ভবিষ্যদ্বাণী করা। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma)-র কন্যাসন্তান ভামিকা (Bhamika)-র জন্মের ভবিষ্যদ্বাণী করার পর থেকেই জগন্নাথ গুরুজী মারাত্মক বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বলিউডের সবকিছু নিয়েই প্রেডিকশন করেন। এবার জগন্নাথ প্রেডিকশন করলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra Jonas) ও নিক জোনাস (Nick Jonas)-এর সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে। যবে থেকে প্রিয়াঙ্কা তাঁর তুলনায় বয়সে ছোট নিককে বিয়ে করেছেন, তবে থেকেই তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই শোনা যায়। নেটিজেনদের একাংশের ধারণা মহিলারা যদি তাঁর স্বামীর তুলনায় বয়সে বড় হন, তাহলে বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী। অথচ রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)-এর তুলনায় বয়সে অনেকটাই ছোট আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)-এর সম্পর্ক ও বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে সকলে গদগদ হয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছরের শুরুতেই প্রিয়াঙ্কা ও নিকের জীবনে এসেছে তাঁদের কন্যাসন্তান। সারোগেসির মাধ্যমে তার জন্ম হয়েছে। কিন্তু কন্যাসন্তানের জন্মের আগে পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা ও নিকের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে। শেষ অবধি প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া (Madhu Chopra) প্রতিবাদ করেছিলেন এই ধরনের গুজব রটানোর বিরুদ্ধে। এবার পন্ডিত জগন্নাথ গুরুজী জানালেন, প্রিয়াঙ্কা ও নিক নাকি আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁদের চাহিদা হারাচ্ছেন। এই কারণে নিক তাঁদের সম্পর্ককে মজবুত করতে চাইছেন। ফলে বর্তমানে তাঁদের বিচ্ছেদের সম্ভাবনা নেই। তবে পরবর্তীতে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে। কারণ নিকের ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বর্তমান রয়েছে। 2021 সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে 2028 সালের জুন মাস পর্যন্ত নিক ও প্রিয়াঙ্কার সময় খারাপ যাবে। তবে 2023-এর ডিসেম্বরের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তবে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন নিক। কিন্তু পন্ডিত জগন্নাথ গুরুজী শুধুমুদু নিক ও প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে প্রেডিকশন করতে গেলেন কেন? দিল্লি তো এখনও অনেক দূর। রণবীর ও আলিয়াকে নিয়ে বরং প্রেডিকশন করলেও তো পারেন! A post shared by Pandit Jagannath Guruji (@panditjagannathguruji)
web
5af667ff4fb52ad094f43730bb928ba619e9af63
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ও ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ এর ১২০তম শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বনানী-১১ তে এই শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। রোববার এর উদ্বোধন করেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আ. রউফ চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংক এশিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান জনাব এম সাঈদুজ্জামান, ব্যাংকের পরিচালক দিলওয়ার এইচ চৌধুরী, ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী, ডিএমডি বৃন্দ সিনিয়র এক্সিকিউটিভস সহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । (বিজ্ঞপ্তি)
web
092c18a6c3303c629b5ff25919920a71
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের বুধবার আলিপুর জাজেস কোর্টে হাজিরা দিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আগের দু'দিনের মতো আজও দু'জনের পরনেই ছিল একই রংয়ের পোশাক। এ দিন দুজনেই পরেছিলেন সাদা। শোভন সাদা শার্ট ও বৈশাখী সাদা ও হলুদ কম্বিনেশনের শাড়ি। এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। কেন তিনি সেই টাকা চেয়েছেন, আজ সেটাই জানতে চাওয়া হয় আদালতে। যদিও আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না রত্না। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলা ও অন্য মামলা চালাতে গিয়েই এই টাকা খরচ হয়েছে তাঁর মক্কেলের। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন তাঁকে সব রশিদ দিলে তিনি সে সব দেখে তবেই ব্যবস্থা নেবেন। এরপর রত্নার তরফে ইডি-র একটি কাগজ জমা করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু এই কাগজ দেখে কী ভাবে সব বোঝা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। আরও পড়ুনঃ বাংলায় নতুন ক্লাস তৈরি করেছি, গ্রাসরুট ক্লাসঃ বললেন মমতা। কী সেই ক্লাস, তাতে কারা পড়েন? জানতে পড়ুন। এর পর আদালতের কাছে তিন সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন রত্নার আইনজীবী। আগামী ৩০ জুলাই পুনরায় এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই দিন শোভন এবং রত্না দু'জনকেই আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর জাজেস কোর্ট।
web
0770281994f526c16aa7595027a1af89c0642f88
লালমনিরহাট সংবাদাদাতা : সীমান্তঘেঁষা লালমনিরহাট জেলার ৩টি আসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন ১৮, লালমনিরহাট সদর-০৩ আসনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৯টি মোগলহাট, কুলাঘাট, মহেন্দ্রনগর, হারাটি, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, পঞ্চগ্রাম, বড়বাড়ী ইউনিয়নসহ ১টি পৌরসভা লালমনিরহাট নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় এ আসনের গুরুত্ব যেন একটু বেশিই মনে করছেন ভোটাররা। এ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কা নিয়ে লড়বেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ কাদের। অপরদিকে রাজনৈতিক মাঠের বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, লালমনির হাট জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ (অবঃ) আসাদুল হাবিব দুলু এবারে ধানের শীষ নিয়ে নতুন উদ্যমে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। তিনি পুরোদমে জেলা সদরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করছেন। সাধারণ মানুষ মনে করছেন এ আসনে এবার লড়াই হবে ২ সাবেক মন্ত্রীর মধ্যেই। ষষ্ঠ ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির আসাদুল হাবীব দুলু প্রথম ও দ্বিতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। অতঃপর তিনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী পরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের নির্বাচিত হয়ে প্রথম বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেন। তাই ১৮, লালমনিরহাট-০৩ (লালমনিরহাট সদর) আসনে সংসদ সদস্যপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪ জন। এরা হলেন, জাতীয় পার্টির কো- চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বিএনপির সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোকছেদুল ইসলাম, বাসদ লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি আবু তৈয়ব মোঃ আজমুল হক পুতুল। তবে ১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার লালমনিরহাট সদর উপাজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গেলে ভোটাররা জানান, লালমনিরহাটের স্থানীয় ছেলে হিসেবে বিএনপির অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুকেই ভোট দিবেন। সবমিলে এ আসনে সাবেক ২ মন্ত্রীর লড়াই হবে। লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৬ শত ৫১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
web
c9b2cff8893210bb6db9eab50d86e56d21406fac
লবণ খাওয়া যতটা জরুরি, তেমনি কারও জীবনে নুন ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়। লবণ কেবল খাবারকেই সুস্বাদু করে না, এতে নেতিবাচক শক্তি অপসারণ করার আশ্চর্য শক্তিও রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে নুন ব্যক্তির স্ট্রেস ও ক্লান্তি দূর করে এবং রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাবও দূর করে। ঘরে অর্থের প্রবাহ ধরে রাখতে একটি গ্লাস নিয়ে তাতে জল ও লবণ মিশিয়ে ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রেখে দিন। এর পিছনে একটি লাল রঙের বাল্ব রাখুন। যখনই জল শুকিয়ে যাবে তখন গ্লাসটি পরিষ্কার করুন এবং আবার জলে ভরে দিন। এটি করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় থাকে। বাস্তু শাস্ত্রের মতে, লবণের ব্যবহার ঘরে ইতিবাচক শক্তি সংক্রমণে সহায়তা করে এবং সমৃদ্ধি বাড়াতেও সহায়তা করে। রাতে, জলে এক চিমটি নুন, হাত পা ধুয়ে, স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেয় এবং ঘুমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও রাহু-কেতু এর অশুভ প্রভাবগুলিও কাটিয়ে উঠে। বাস্তুর মতে মাটিতে নুন পড়া শুভ লক্ষণ নয়। ঘরে নুন ফেলে দিয়ে চাঁদ ও শুক্র উভয়ই দুর্বল হয়ে পড়ে। ইস্পাত ও লোহার তৈরি পাত্রে লবণ কখনও সংরক্ষণ করা উচিৎ নয়। লবণ সবসময় কাচের জারে সংরক্ষণ করা উচিৎ। আপনি যদি সারাক্ষণ স্ট্রেসে থাকেন তবে স্নান করার সময় জলে এক চিমটি নুন দিন। এই স্নানের পরে, আপনি চাপ থেকে মুক্তি পান। ঘরে যদি কোনও মতবিরোধ বা ঝামেলা হয়, তবে ওয়াশরুমে কাচের পাত্রে লবণ পূরণ করুন এবং প্রতি শুক্রবার এটি পরিবর্তন করুন।
web
92e4d85e6023e8f85349259ed2a42900
আগরতলা, আগষ্ট ২৭, : গত ২৬শে আগষ্ট ২০২০ খোয়াই জেলার পদ্মবিল ব্লকের অধীন মারেহাদুক গ্রামে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক পদ্মবিল ব্লকের বিডিও শ্রী বেইসিইয়া ডার্লং কে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছে। আজ বিষয়টি ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসারস এসোসিয়েশনের গোচরে আসতেই এসোসিয়েশন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের উপযুক্ত কঠোর শাস্তির দাবী করেছে। টি সি এস অফিসারস এসো-র মতে, সিভিল সার্ভিস অফিসারগন অত্যন্ত নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে এবং রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প জনগনের কাছে পৌছে দিচ্ছে। কিন্তু এই দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কতিপয় দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা সিভিল সার্ভিস অফিসারগণ আক্রান্ত হচ্ছেন যা নিতান্তই উদ্বেগের বিষয়। গতকাল পদ্মবিল ব্লকের বিডিও শ্রী বেইসিইয়া ডার্লং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার বিষয়টি ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসারস এসোসিয়েশনের নজরে আসার সাথে সাথে এসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রী দিলীপ কুমার চাকমা এবং সাধারন সম্পাদক শ্রী অসীম সাহা খোয়াই জেলা প্রশাসনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থার জন্য দাবী জানান। উল্লেখ্য, বিডিও শ্রী শ্রী বেইসিইয়া ডার্লং আজ খোয়াই থানায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে আজ এসোসিয়েশনের এক জরুরী সভা আহ্বান করা হয়। সভা থেকে সিদ্ধান্ত হয় যে প্রয়োজনে এসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি দল খোয়াই জেলা শাসক ও সমাহর্তা এবং পুলিশ সুপারের সাথে মিলিত হয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তি চেয়ে এক ডেপুটেশন প্রদান করা হবে। এই অবাঞ্চিত বিষয় সমূহ নিয়ে এসোসিয়েশনের রাজ্য সরকারের দৃষ্টিও আকর্ষন করছে এবং সিভিল সার্ভিসের ফিল্ড লেভেল অফিসারদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছে।
web
f9e1abc1e8456497582f70447870161a2cf153e2
আধুনিক যুগে পালোয়ানির ভাষা পাল্টে গেলেও কয়েক দশক আগে পর্যন্ত এই পালোয়ানি ধরা দিত অন্য রূপে। সিন্থেটিক ম্যাটের ওপর নয়, মাটিতে লড়াই চলত। এখনও গ্রাম গঞ্জে সেই রেওয়াজ আছে। তবে মাটির বুকে কুস্তিগিরি করার গল্প যে একেবারেই আলাদা তা আজও শোনা যায় বহু প্রবীণ মানুষের গলায়। সেই গল্পে অনেক সময়েই উঠে এসেছে একটি নাম। তা হল গামা পালোয়ান (Gama Pehlwan)। পরাধীন ভারতের অন্যতম বিখ্যাত কুস্তিগীরের জন্ম বার্ষিকী পালন করছে গুগল ডুডল (Google Doodle)। এখনকার প্রজন্ম অনেকেই এই নামটার সঙ্গে পরিচিত নন। কেউ কেউ আবার নাম শুনলেও কে তিনি জানেন না। তবে বয়স্কদের কাছে কান পাতলেই শোনা যায় গামা পালোয়ানের এমন সব কীর্তির কথা, যা শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে। গামা পালোয়ানের কায়দা, কৌশল দেখে চমকে গিয়েছিলেন স্বয়ং ব্রুস লিও। শোনা যায়, নিজের প্রশিক্ষণ রুটিনে গামা পালোয়ানের নানা কৌশল অন্তর্ভুক্ত করেছিলন ব্রুস লি। গামা পালোয়ানের আসল নাম গোলাম মোহাম্মদ বকশ বাট। ১৮৭৮ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসরের জাবোয়াল গ্রামের এক কাশ্মীরি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৫২ বছর যুক্ত ছিলেন কুস্তিগিরিতে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, কখনও হারেননি তিনি! মাত্র ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির গামার কাছে হারতে হয়েছিল তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রহিম বখশ সুলতানিওয়ালাকেও। চারবার তাঁরা মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রথম তিন ম্যাচ ড্র হলেও শেষ ম্যাচে বাজিমাত করেন গামা পালোয়ান। ১৯১০ সালে ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট খেতাব যেতেন গামা পালোয়ান। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই নিজেকে এমনভাবে তৈরি করেছিলেন যা এক কথায় অভাবনীয়। ৫০০ বার ডন বৈঠক ও পুশ আপ ছিল তাঁর রোজনামচা। ১৯৮৮ সালে একটি বিশ্ব ব্যাপী অনুষ্ঠিত ডন বৈঠক প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা জুটেছিল গামার মুকুটে।
web
61d0ff1076cbfad202c7f1372972c1a8a0469cba
দেবীপক্ষের সূচনা হল। মহালয়ার এই পূর্নলগ্নে বাঙালিরা ভোরে উঠে যেমন বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের চন্ডীপাঠ শোনেন ঠিক তেমনি টিভি চ্যানেলগুলিতে দেখেন দক্ষ অভিনেতা অভিনেত্রীদের মহালয়ার নাটকীয় রূপান্তর। শুভশ্রী গাঙ্গুলী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে সোলাঙ্কি রায়, রূকমা রায়, শ্বেতা ভট্টাচার্য, সৌমিত্রীষা কুন্ডু সকলেই রয়েছেন এবারের মহালয়ায়। প্রতি বছর, মহালয়ার সকালে প্রায় ৫ টায়, স্টার জলসা, জি বাংলা, কালারস বাংলা এবং অন্যান্য চ্যানেলগুলি দর্শকদের মনোনয়নের জন্য চলতে থাকে একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। প্রতি বছর, নেটওয়ার্কগুলি একটি পৌরাণিক কাহিনিকে নাটকে রূপান্তর করে পাশাপাশি দেবীকে চিত্রিত করার জন্য চলচ্চিত্র বা টেলিভিশন থেকে একজন নতুন অভিনেত্রীকে বেছে নেয়। এখানে সেই অভিনেত্রীদের একটি তালিকা তৈরি করা হল যারা মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানগুলিতে দুর্গার সাজে হাজির হন। জি বাংলা শোতে মা দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি। এবছরে জি বাংলায় মহালয়ার থিম 'সিংহ বাহিনী ত্রিনয়নী'। এই বছরের কালারস বাংলার থিম দেবী দশমহাবিদ্যা, মহালয়ায় দশভূজার চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো দুর্গা চরিত্রে অভিনয় করবেন টলিউড অভিনেত্রী। অনুষ্ঠানে দেখানো হবে ১০টি দুর্গার অবতার। সতী, পার্বতী এবং দুর্গা এই তিনটি চরিত্রে অভিনয় করবেন ঋতুপর্ণা। টিভি অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য (যমুনা ঢাকি) তার ছেলে গণেশকে পার্বতী রূপে দুর্গার গল্প শোনাবেন। ইধিকা পল, পিলু থেকে রঞ্জা নামে জনপ্রিয় তিনি চন্ডিকা চরিত্রে অভিনয় করবেন, যিনি শুম্ভ এবং নিশুম্ভকে বধ করেন। রুকমা রায়, যিনি লালকুঠিতে অনামিকা চরিত্রে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন, এই শোতে স্কন্দমাতার ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। পাশাপাশি কামাখ্যা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিঞ্জিনী চক্রবর্তী (উমা)। লক্ষী কাকিমা সুপারস্টার-এর টিভি অভিনেত্রী শার্লি মোদক জগদ্ধাত্রী চরিত্রে দর্শকদের মোহিত করতে প্রস্তুত হয়েছেন। এছাড়াও টিভি অভিনেত্রীরা অন্যান্য দেবীর ভূমিকা নেবেন। কালী চরিত্রে অভিনয় করবেন শ্রুতি দাস এবং ভুবনেশ্বরী চরিত্রে অভিনয় করবেন অদ্রিজা রায়। বগালা চরিত্রে তিতিক্ষা দাস, কমলা চরিত্রে ডোনা ভৌমিক এবং ছিন্নমস্তা চরিত্রে দেবাদ্রিতা বসু অভিনয় করবেন। ত্রিপুরাসুন্দরী ও ভৈরবীর চরিত্রে যথাক্রমে দেবলীনা দত্ত ও রিমঝিম মিত্রকে দেখা যাবে। সৌমিত্রীষা ('মিঠাই') কুন্ডুকে দেখা যাবে জয় দুর্গার চরিত্রে। মেঘা দা (পিলু) কুষ্মাণ্ডা চরিত্রে অভিনয় করবেন, যিনি তার তৃতীয় নয়ন থেকে নির্গত শক্তি দিয়ে লক্ষ্মী, সরস্বতী এবং মহাকালী সৃষ্টি করেন। খেলনাবাড়ির মিতুল (আরাত্রিকা মাইতি) লক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয় করবেন, আর এই পথ যদি না শেষ হয়-এর উর্মি (অন্নেশা হাজরা) সরস্বতীর চরিত্রে দেখা যাবে। উরান তুবরি থেকে তুবরি (সোহিনী ব্যানার্জী) মহাকালীর চরিত্রে অভিনয় করবেন। টলিউডের অন্যতম সুন্দরী শ্রাবন্তী বাদ যায়নি দুর্গা চরিত্র থেকে। তার সৌন্দর্যের মোহে পাগল সবাই। তিনি অবশ্য এই বছর দুর্গা চরিত্রে অভিনয় না করলেও ২০২০ সাল পর্যন্ত তাকে বহুবার এই চরিত্রে দেখেছেন দর্শকেরা।
web
3ef35f2f5159c25d78aacb8d82658a5d
২১/১০/২০১৯ তারিখে নারায়ণ কিশোর প্রভুর শ্রদ্ধা কুটির প্রাঙ্গনে ভগবান শ্রী দামোদরের উদ্দেশ্যে দীপ দান অনুষ্ঠানের শুভ আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা 6 ঘটিকায় শ্রীপাদ নারায়ণ কিশোর প্রভুর সুমধুর কন্ঠে মঙ্গলাচরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয় তার কিছু সময় পরেই উনার সুকন্যা মৌটুসী মাতাজী এবং একে একে অন্যান্য ভক্তরা তাদের সুললিত কন্ঠে ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন। সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় পুরুলিয়া নামহট্টের উপচক্রবর্তী শ্রীপাদ শ্রীহরিশ্যাম প্রভু উক্ত অনুষ্ঠানে দামোদর লীলা প্রসঙ্গে প্রবচন প্রদান করেন। ঠিক তারপরেই দামোদর অষ্টকম কীর্তন পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রী দামোদরকে দীপ প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রায় ৪৫ জন ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে সকলের জন্য মহাপ্রসাদ এর সুব্যবস্থা ছিল। লাইফস্টাইল ডেস্ক : আজ আপনার জন্ম দিন হলে পাশ্চাত্য মতে আপনার রাশি মকর, আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহঃ রবি ও শনি। ১৯ তারিখে জন্ম হবার কারণে আপনার ওপর রবির প্রভাব স্পষ্ট। আপনার শুভ সংখ্যাঃ ১, ১০, ১৯, ২৮। আপনার শুভ বর্ণঃ নীল ও কমলা। শুভ গ্রহ ও বারঃ শনি ও রবি। শুভ রত্নঃ নীলা ও রুবী। আজকের দিনে জন্মগ্রহনকারী বিখ্যাত ব্যক্তিরা হলেনঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আবিষ্কারক জেমস ওয়াট,অভিনেতা সৌমিত্র চট্টপাধ্যায়, সাহিত্যিক এডগার এলান পো প্রমুখ। আজকের দিনের শুভ বর্ণঃ আজ আপনার জন্য নীল ও কমলা বর্ণ সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে। আজকের দিনের শুভ সময়ঃ জ্যোতিষ শাস্ত্রানুসারে আজকের শুভ সময়ঃ সকালঃ ৭ঃ৩৩-১০ঃ৩০, দুপরঃ ১ঃ২৬-২ঃ১০, বিকালঃ ৬ঃ৪২-৯ঃ১৮ পর্যন্ত। চন্দ্রাবস্থানঃ আজ চন্দ্র তুলা রাশিতে অবস্থান করবে, রাত ৯ঃ০৮ থেকে বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করবে। ৯মী সকালঃ ৭ঃ৩০ পর্যন্ত পরে ১০মী তিথি চলবে। আজকের বর্জণীয় খাদ্যঃ সকালঃ ৭ঃ৩০ পর্যন্ত লাউ পরে কলমি শাক খাওয়া নিষেধ। মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল): মেষ রাশির জাতক জাতিকার দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। ব্যবসায়ীক কাজে আশানুরুপ লাভের সুযোগ রয়েছে। জীবন সাথীর কর্মস্থলে পদোন্নতির যোগ। অংশিদারী বাণিজ্যে পার্টনারদের সাহায্য আশা করতে পারেন। কোনো নিকট আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যেতে হবে। অবিবাহিতদের বিবাহ সংক্রান্ত আলাপ আলোচনায় অগ্রগতি আশা করা যায়। দাম্পত্য সুখ শান্তি বৃদ্ধি পাবে।
web
8e63d0b29c619542bc46af0e83de916dedfe0149273b02bdf111b0c4a9f6046c
সদগ্রন্থের প্রচার যত হয় ততই জাতির ও সমাজের কল্যাণ। কতকটা সেই উদ্দেশ্যে ও কতকটা সাধারণ পাঠক-পাঠিকাগণের নিকট বঙ্কিমচন্দ্রের রচনাবলী সহজবোধ্য করবার ও বহুল প্রচারের মানসে গ্রন্থগুলিকে সংক্ষেপিত করা হয়েছে। দুদিনে বাঙালির মনে আশা, বাঙালির মনে জাতীয়তা-জ্ঞান জাগ্রত করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। দেশকে মাতৃরূপে কল্পনা করে তাকে ভালবাসতে ও তার জন্য প্রাণত্যাগ করতে শিখিয়েছিলেন তিনিই। কিন্তু তাঁর ভাষা, ভাব ও রচনা-কৌশল তাঁকে এতদিন সাধারণ পাঠকের অনায়ত্ত করে রেখেছিল। তাঁর রচনাবলী ছিল উচ্চশিক্ষিত ও সাহিত্য-রসিকগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আজকাল বুঝি সে গণ্ডীও সঙ্কুচিত ! মানুষের সাংস্কৃতিক জীবন সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্প-কলাদির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এগুলি যদি নিম্নস্তরের হয়, তা হলে সাংস্কৃতিক জীবনের গতিও নিম্নপথে ধাবিত হয়ে থাকে । সেইজন্য যা সৎ, য। উৎকৃষ্ট, যা মনুষ্যত্বকে ফুল্লকমলের মত প্রস্ফুটিত করে, তারই প্রয়োজন । বলা অনাবশ্যক যে বঙ্কিমরচনাবলী এইরূপই গুণশালিনী। বঙ্কিমের রচনাবলীকে সাধারণ পাঠকের উপযোগী করতে হলে তার কিয়দংশ পরিবর্জন অত্যাবশ্যক । সেইজন্যই স্থানে স্থানে তা করা হয়েছে, কিন্তু তাঁর সুমধুর ভাষা, মৌলিক ভাবসম্পদ ও অতুলনীয় রচনা-কৌশলকে কোথাও ক্ষুণ্ন করা হয়নি এবং গল্পাংশ অক্ষুণ্ন রাখতে মধ্যে মধ্যে নিজের রচনার অনুপ্রবেশও করানো হয়নি। আরও একটি কথা বলা দরকার। গ্রন্থগুলি যাতে কেবল বয়স্ক সাধারণ পাঠকগণের উপভোগ্য হয় সম্পাদনকালে আমাদের দৃষ্টি কেবল সেই দিকেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ছাত্রগণও যাতে রসাস্বাদ করে তৃপ্ত ও উপকৃত হয়, সেদিকেও দৃষ্টি ছিল । কলিকাতা আষাঢ়, ১৩৫৯ খগেন্দ্রনাথ মিত্র
pdf
999f75343443ec87dbe0a57509aaf2ddb0a270a2
দেশে চলতি বছর মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১০১ জনের মৃত্যু হল। গত ২৪ ঘণ্টায় এইডস মশাবাহিত এ রোগে ৩১ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাতে বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৮৭০ জনে। এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৭ হাজার ৫৫৬ জন। এখনও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২১৩ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের ১৪৫ জনই ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। অন্যান্য বিভাগে ভর্তি আছেন ৬৮ জন। কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
web
ea3e442c69ed207aeac356b0b5840b5f92d9a1b3ae9ecfaa3ba3cc2ce01dd84e
বাঙলার বাউল : কাব্য ও দর্শন নাই সুখ দুঃখ ভয়, আকাঙ্ক্ষ। বিলুপ্ত হ'ল সব, আকাশে নিস্তব্ধ এক শান্ত অনুভব । তোমাতে সমস্ত লীন, তুমি আছ একা - আমি-হীন চিত্ত মাঝে একান্ত তোমারে শুধু দেখা।" - ধ্যান, বীথিকা কবি আত্মধ্যান-নিমগ্ন; কবিত। এখানে সংসারভাব-বিষয়ক নয়, আত্মভাবাত্মক । কিন্তু তৎসত্ত্বেও এগুলির প্রকাশভঙ্গিম! বাউলের সঙ্গে এক নয়। কারণ এখানে কবিদৃষ্টি জগৎসীমার পরপারে স্থাপিত বটে, কিন্তু জগতের অনিত্যতাবোধের প্রাবল্য এর সঙ্গে নেই । শুধু বলা যায়, কবি এখানে সংসার-সচেতন নন, আপাতত সংসার-বিস্মৃত। কাব্যের রূপভেদের আলোচনা প্রসঙ্গে আমরা এই শ্রেণীর সৃষ্টিকে 'আত্মসম্বন্ধ-ভাবভিত্তি আধ্যাত্মিক কাব্য' নামে অভিহিত করেছি। রবীন্দ্রনাথের বাউলগান নামে অভিহিত অথবা ঐ জাতীয় গানগুলির আলোচনায় এ পার্থক্য স্পষ্টতর হয়ে উঠবে। প্রায়শ্চিত্ত নাটক থেকে ধনঞ্জয়ের একটি গান উদ্ধৃত করি'ওরে শিকল, তোমায় কোলে করে দিয়েছি ঝংকার। তুমি আনন্দে ভাই রেখেছিলে ভেঙে অহংকার। তোমায় নিয়ে করে খেল। সুখে দুঃখে কাটল বেল। অঙ্গ বেড়ি দিলে বেড়ি বিনা দামের অলংকার । তোমার প'রে করিনে রোষ দোষ থাকে তো আমারি দোষ ভয় যদি রয় আপন মনে তোমায় দেখি ভয়ংকর।
pdf
93b0745a2e1bb11491756b8a5fd597cb0325cbc4
একুশের রাত। ১৯ এপ্রিল ২০১৮। আলোচক : এয়ার কমডোর (অব. ) ইসফাক ইলাহি চৌধুরী [নিরাপত্তা বিশ্লেষক] এবং আমেনা মহসিন (অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। একুশের রাত, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ।আলোচকঃ ইলিয়াস কাঞ্চন (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই) । মোহাম্মদ শওকত আলী (সচিব,বিআরটিএ)
web
f295447a6479a74569a4a810b6ad3c9798be7df0
অন্যদের আশেপাশে থাকা বহির্মুখীদের শক্তি জোগায়, যখন অন্তর্মুখীদের রিচার্জ করার জন্য শান্ত (এবং কখনও কখনও নির্জনতা) প্রয়োজন। বহির্মুখীদের এত কথা বলার একটি কারণ হল আমাদের মৌখিকভাবে কিছু কাজ করতে হবে, যখন অন্তর্মুখীরা মতামত প্রকাশ করার আগে তাদের মাথায় চিন্তাভাবনা করে। সমস্ত মানুষ - উভয় অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী - জৈবিকভাবে, আধ্যাত্মিকভাবে, জ্ঞানগতভাবে এবং শারীরিকভাবে প্রেম, ভালবাসা এবং সম্পর্কিত। প্রত্যেকে জীবনের প্রতি আলাদা পন্থা নেয় এবং আলাদাভাবে ভালবাসে। এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে বিশ্বের জন্য আপনার উৎসাহকে লুকাতে করতে হবে। বরং, আপনার চারপাশের বিশ্বে সফলভাবে নেভিগেট করার দক্ষতা শিখুন, যা আপনার থেকে আলাদাভাবে তাদের শক্তি পরিচালনা করে এমন লোকেদের দ্বারা পরিপূর্ণ। ডেটিং দৃশ্যে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি যদি একজন অন্তর্মুখীর সাথে সম্পর্কে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এখানে তিনটি জিনিস রয়েছে যা একজন বহির্মুখীকে একজন অন্তর্মুখীর সম্পর্কে জানতে হবে। বহির্মুখী হিসাবে, আমরা চিন্তা করার জন্য কথা বলার প্রবণতা রাখি। আমরা বিগ-টাইম ইন্টারপ্টারও। অন্য একজন ব্যক্তি আমাদের সাথে কথা বলার সাথে সাথে, আমাদের প্রতিক্রিয়াগুলি ইতিমধ্যেই পৃষ্ঠে বুদবুদ হয়ে যাচ্ছে, কার্যত আমাদের মস্তিষ্ককে বাইপাস করে। এটি অন্যদের, বিশেষ করে অন্তর্মুখীদের হতাশ করে এবং তাদের আমাদের দ্বারা নীরব বোধ করায়। তারা আপনার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি শোনার জন্য সময় এবং মনোযোগ দিয়েছে। আপনি যখন তাদের কম প্রভাবশালী যোগাযোগের উপায়ে বাধা দেন বা বাষ্প-রোল করেন, তখন তারা তাদের কথাগুলি গুরুত্বহীন বলে মনে করে। আমি জানি এটা মনে হয় যেন আপনি বাঁধা পড়ে যাচ্ছেন যখন আপনি প্রতিটি প্ররোচনায় কথা বলেন না, কিন্তু অন্যদের তাদের পালা এবং তাদের কথা বলার অনুমতি দেওয়া বিশ্বাস এবং সম্পর্ক তৈরিতে অনেক দূর এগিয়ে যায়। সুতরাং, প্রশ্নগুলির একটি তালিকা তৈরি করতে সময় ব্যয় করুন যা আপনি তাকে আঁকতে একটি অন্তর্মুখী তারিখ জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তারপর, চুপ করুন এবং আসলে শুনুন। এভাবেই শুরু হয় চিন্তাশীল আদান-প্রদান। ২. ডেটের জন্য নিরিবিলি জায়গাগুলি সুপারিশ করুনঃ- বহির্মুখীরা অন্যদের আশেপাশে থাকার দ্বারা শক্তি অনুভব করে। একটি বড় পার্টি, নাইটক্লাব বা জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় যাওয়া আপনাকে জীবন্ত অনুভব করায়। যাইহোক, এই অভিজ্ঞতাগুলি অন্তর্মুখীদের নিষ্কাশন করে এবং তারা পালানোর জন্য অপেক্ষা করতে পারে না। এটি ব্যক্তিগত মনে হয় যদি তিনি রাতের প্রথম দিকে শেষ করতে চান যখন সত্যই, তিনি কেবল সমস্ত লোকের কোলাহল এবং শক্তি থেকে নিষ্কাশিত হন। আপনার সম্পর্কের পরে, এটি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে যখন আপনার মধ্যে একজন বাইরে যেতে চায় এবং অন্যজন থাকতে চায়। অন্তর্মুখীদের নতুন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এর মানে আপনি চান যে তারা আপনাকে পর্যবেক্ষণে মনোনিবেশ করবে, উচ্চস্বরে পরিবেশ নয়। সুতরাং, একটি তারিখের জন্য পরিচিত বা নিম্ন-কী দাগগুলি সুপারিশ করুন। আমি জানি যে একটি খুব শান্ত পরিবেশ আপনার কাছে বিরক্তিকর বোধ করে, তবে এটি আপনাকে বাইরের জগতের দ্বারা খুব বেশি বিভ্রান্ত না হয়ে একে অপরকে জানার সুযোগ দেয়। একজন বহির্মুখী হিসাবে, আপনি নতুন অভিজ্ঞতার চেষ্টা করতে চান এবং এটি সমস্ত কিছুতে নিতে চান। আপনি দ্রুত চিন্তা করেন, দ্রুত সরে যান এবং স্পটলাইট পছন্দ করেন। কখনও কখনও, আপনি অধৈর্য হয়ে ওঠেন যখন আপনি দ্রুত একটি নতুন দক্ষতা অর্জন করেন না বা যখন অন্যরা তা ধরে না রাখে। অন্তর্মুখীরা প্রায়শই তাদের সাথে আসা দুঃসাহসিকতার সেই লাগামহীন অনুভূতিতে আকৃষ্ট হয়, বিশেষ করে যদি তাদের পরিকল্পনা করতে না হয়। কিন্তু, সেই সমস্ত উৎসাহ দ্রুত তাদের কাছে অপ্রতিরোধ্য এবং ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে। এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে বিশ্ব অন্বেষণের জন্য আপনার উৎসাহ ত্যাগ করতে হবে, তবে ধীরগতির মাধ্যমে আপনি স্বাদ নেওয়ার শিল্প শিখবেন। পিছিয়ে যান এবং দেখুন আপনার অন্তর্মুখী সঙ্গী একটি (আপাতদৃষ্টিতে) স্থির দৃঢ়তার সাথে একটি সমস্যার দিকে যাচ্ছে। আপনি তাদের দৃঢ়তা এবং নতুন দক্ষতা শিখতে এবং আপনার সাথে অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা অর্জনের দৃঢ়তা দেখে ধৈর্য শিখতে পারেন। আরও ধৈর্যশীল হওয়ার মাধ্যমে, আপনি কেবল আপনার সঙ্গীকে সেই উপহারটি অফার করেন না, তবে আপনি নিজের সাথে কম বিচারপ্রবণ এবং ধৈর্যশীল হতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে বহির্মুখী হওয়া কোনো অপরাধ নয়। আপনি যদি এমন কিছু হিসাবে ডেটিংয়ে আপনার সময় ব্যয় করেন যা আপনি নন, তবে আপনি কখনই সত্যিকারের গৃহীত এবং প্রিয় বোধ করবেন না। আপনার গৌরবময়, বহির্মুখী স্বয়ং হয়ে, আপনার কাছে এমন একটি সম্পর্ক খুঁজে পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ রয়েছে যা সহযোগিতামূলক, প্রেমময় এবং সহায়ক বোধ করে - এমনকি একজন অন্তর্মুখীও। কেন? একজন বহির্মুখী স্বভাবতই তার চারপাশের জগতকে অন্বেষণ ও অভিজ্ঞতার জন্য তার শেল থেকে একজন অন্তর্মুখীকে আমন্ত্রণ জানায়।
web
7210b73fb4ce7d5673910d14d78377623571011a
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নিত্যপণ্যের বাজারে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। পরিবহণ ব্যয়ের অজুহাতে হু হু করে বাড়ছে সব ধরনের পণ্যের দাম। প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের মূল্য আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দামের চাপ আরও বাড়ছে। চাপ সামাল দিতে গিয়ে দম বন্ধের জোগাড় নিু ও মধ্যবিত্তের। বাজারে যথাযথ পর্যবেক্ষণের অভাবেই নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় মেতেছে। এর পেছনের কারিগর হচ্ছে অতিমুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা। এরা জ্বালানি তেলের প্রভাবে যে পরিমাণ দাম বৃদ্ধির কথা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করছে গ্রাহকের কাছ থেকে। এদেরই এক অংশ হাত করে রেখেছেন বাজার পর্যবেক্ষণে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের। ফলে খেয়াল খুশি মতো দাম বাড়িয়ে ব্যবসা করছে চক্রটি। জানা গেছে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বড় ট্রাকে রাজশাহী থেকে চাল আনতে আগের চেয়ে কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া বেড়েছে। এই ট্রাকে ১০ টন চাল এলে তাতে আগের চেয়ে এক কেজিতে ৫০ পয়সা বেশি ব্যয় হওয়ার কথা। অথচ মান ভেদে এক কেজি চালের দাম চার টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কোন হিসাবে এই মূল্যবৃদ্ধি তার ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা । জ্বালানির অজুহাতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি দাম ৫৫ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। ২৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এ ছাড়া সবজি ও মাছ কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। নতুন করে পেঁয়াজের বাড়তি দাম ভোক্তার কপালে ভাঁজ ফেলছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার খেসারত দিচ্ছে ভোক্তা। এদিকে বাজারে এমন পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি আরও ২০ টাকা বাড়াতে চাচ্ছে। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্য সমন্বয়ের জন্য তারা মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন-এক সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হবে। পাশাপাশি বাজারে চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে রিফাইনারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে দিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম রহমান। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তার মধ্যে আরও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এটা স্বাভাবিক জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে সব খাতে সমস্যা সৃষ্টি হবে। আগে নিত্যপণ্যের বাজারে প্রভাব ফেলবে। ইতোমধ্যে একাধিক পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে যে হারে দাম বাড়ার কথা, সে হারে বাড়ানো হয়েছে কিনা তা সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখতে হবে। বাজার তদারকির মাধ্যমে অতি মুনাফা করতে পণ্যের দাম বেশি বাড়ানো হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। এমনটা হলে অসাধুদের চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এতে বাজারে স্বস্তি ফিরবে। শনিবার সরেজমিন রাজধানীর নয়াবাজার, কাওরান বাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৪ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৫৬-৫৭ টাকা, যা সাত দিন আগে ৫২ টাকা ছিল। বিআর ২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৬০-৬২ টাকা, যা আগে ৫৫ টাকা ছিল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৪ টাকা, যা সাত দিন আগে ৬৮-৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নাজিরশাল মানভেদে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫-৯০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৭০-৮৫ টাকা ছিল। আর পোলাও চালের দাম বেড়েছে সব চেয়ে বেশি। কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। কাওরান বাজারের আল মদিনা রাইস অ্যাজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে মিলাররা ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আমদানি ব্যয় বেশির অজুহাতে সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়েছে। এর মধ্যে আবার জ্বালানি তেলের কারণে পরিবহণ খরচ বেড়েছে। ফলে সব মিলে বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৬৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা, যা আগে ১২৫ টাকা ছিল। দাম বাড়ার কারণ হিসাবে নয়াবাজারের ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে খামার পর্যায়ে মুরগির রোগবালাই বেড়েছে। মুরগি মারা যাচ্ছে। সঙ্গে ডিম উৎপাদনও কমেছে। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহণ খরচ বেড়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪২ টাকা ছিল। প্রতিকেজি খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছে ৬২ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৫৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি চিনি ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগে ৮২ টাকা ছিল। প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে ১১০-১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা শনিবার বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। পাঁচ টাকা বেড়ে এক কেজি পেঁপে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে চিচিঙ্গা, ধুন্দল, কাঁকরোল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগে ৬০-৬৫ টাকা ছিল। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে, যা আগে ৩১০ টাকা ছিল। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. নূরে আলম বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে সব পণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি বাজার তদারকি সংশ্লিষ্টদের দেখা উচিত। কারণ আমরা ক্রেতা অনেক কষ্টে আছি। এভাবে যদি পণ্যের দাম বাড়তে থাকে, পাশাপাশি অন্যান্য ব্যয় বাড়তে থাকে। তাহলে না খেয়ে থাকতে হবে। জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে যাতে অসাধুরা পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়াতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে। এ জন্য তিন স্তরে তদারকি চলছে। অসঙ্গতি পেলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। দু'দিনের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে আট টাকা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা হয়েছে। শনিবার দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। রংপুর জেলাসহ বিভাগের আট জেলায় চালের বাজার আবারও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে। প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে চার টাকা থেকে ছয় টাকা। ফলে চালের বাজার সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। রংপুর নগরীসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলায় প্রায় ২০০ অটোরাইস মিল আছে। এসব মিলের কিছু অসাধু মালিক বিদ্যুতের সমস্যাকে পুঁজি করে নিজেদের ইচ্ছেমতো চালের মজুত গড়ে তুলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। গত এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চালের (৫০ কেজি) বস্তা ছিল তিন হাজার টাকা, সেই চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ২০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৩০০ টাকায়, ব্রিধান-২৮ (৮৪ কেজি) বস্তা ছিল তিন হাজার টাকা, বর্তমানে তিন হাজার ৫৫০ টাকা।
web
4d0c000865f4433b66f4bd936ed009ebfbaadf411568967829521d22d32e93ef
বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে হৃদয়মন ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যেতে চায়, কিন্তু একবার এ সাধনা শুরু করলেই এর মধ্যে এক রহস্যময় তৃপ্তি অনুভূত হয়। কষ্ট করেও দুঃখ সয়ে যারা নিজেদের প্রবৃত্তিকে দমন করতে পারে তারাই আল্লাহর বিশেষ রহমতের হকদার হয় । দুঃখ কষ্ট ছাড়া ও ত্যাগ স্বীকার করা ছাড়া এবাদাতের স্বাদ ও সাফল্যের খুশী লাভ করা কিছুতেই সম্ভব নয় এর রহস্যময় কারণ একমাত্র তারাই জানতে পারে এবং আল্লাহর রহমতের খোশবু একমাত্র তারাই পেতে পারে যারা পুরোপুরিভাবে নিজেদেরকে আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দেয় এবং আল্লাহর ইচ্ছাকে নিজের ইচ্ছা বানিয়ে নেয়। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে সর্বপ্রকার কষ্ট সহ্য করতে প্রস্তুত হয়ে যায় সত্য উপলব্ধির জন্যে তাদেরই হৃদয় দ্বার খুলে যায় এবং তাদের অনুভূতির বাতায়নসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়। এরশাদ হচ্ছে, 'আনুগত্য করো নিঃশর্ত ও নিরংকুশভাবে একমাত্র তাঁর এবং চরমভাবে ধৈর্য অবলম্বন করো সকল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে।'............ আর একথা ভালো করে বুঝে নিতে হবে যে ইসলামের এবাদাত শুধুমাত্র অন্ডরে বিদ্যমান নিছক কোনো অনুভূতির নাম নয়। ইসলাম গ্রহণ করতে গেলে এবং আল্লাহর কাছে মুসলমান বলে স্বীকৃতি পেতে হলে প্রয়োজন চূড়ান্ত প্রচেষ্টা, এ চেষ্টাকালে প্রতিটি কর্মাকাণ্ড, প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি ব্যস্ততা, প্রতিটি ইচ্ছা এরাদা, প্রতিটি ঝোঁক প্রবণতা আল্লাহর কাছে পুরস্কারের নিশ্চয়তা এনে দেয়। তবে একথা স্থির নিশ্চিত আল্লাহর রহমতের দৃষ্টি লাভ করতে হলে এবং চূড়ান্ত সাফল্যের দ্বারে উপনীত হতে হলে অবশ্য অবশ্যই কিছু না কিছু কষ্ট স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ব্যাপারে একটা স্বত-সিদ্ধ কথা রয়েছে, মূল্য দিয়েই মূল্যবান কিছু লাভ করা যায় এবং কষ্ট করেই কষ্ট দূর করার পথ উন্মুক্ত হয়। এজন্যে পুরোপুরি আল্লাহমুখী হতে হবে এবং সবাইকে ছেড়ে এবং সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে একমাত্র আল্লাহকেন্দ্রিক হতে হবে। এপথে যে কষ্ট আসবে তা ধৈর্যের সাথে সহ্য করে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, যাতে করে পৃথিবীর সকল মোহ থেকে মুক্ত হয়ে আকাশের মালিকের নৈকট্য লাভ করা যায়..... পৃথিবীর জনতার ভীড় থেকে ও যাবতীয় প্রয়োজন ও লোভ-লালসার ফাঁদ থেকে এবং প্রবৃত্তির বল্গাহীন চাহিদা ও ভোগ বিলাস থেকে মুক্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলেই আখেরাতের চিরন্তন সুখ এবং চরম ও পরম শান্তির আশা করা যেতে পারে । আল্লাহর এবাদাত বা আল্লাহকে মনিব মালিক প্রভু মেনে তাঁর হুকুম মতো যে জীবন যাপন করা হয় তাই হচ্ছে আল্লাহর জীবনের পূর্ণাংগ দেয়া ব্যবস্থা। এই জীবন ব্যবস্থা অবলম্বন করেই মানুষ সুখী ও সমৃদ্ধশালী জীবন গড়ে তুলতে পারে এবং এ ব্যবস্থা মতো চলতে গিয়ে মানুষ অনুভব করে যে তার জীবনের ছোট বড় সব কিছুর মধ্যে সে আল্লাহরই দাসত্ব করছে, এভাবে সে তার সকল কর্ম প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে নিজের জীবনকে আল্লাহর বিধান পালনকারী হিসাবে দেখতে পায় এবং জীবনকে ধাপে ধাপে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে, আর এভাবেই তার জীবনকে সে সুখী ও সুন্দর বানাতে সক্ষম হয়। তবে এ জীবন পথে প্রয়োজন অনেক সবর, প্রচেষ্টা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা। অতএব তাঁর দাসত্ব করো এবং তাঁর হুকুমমতো চলার জন্যে ধৈর্য অবলম্বন করো ও দৃঢ়তা গ্রহণ করো........... কারণ তিনিই হচ্ছেন একমাত্র সেই সত্ত্বা এই সৃষ্টির সব কিছু যাঁর আনুগত্য করে চলেছে এবং সবাই প্রকৃতিগতভাবে যাঁর মুখাপেক্ষী এবং সকল অন্তর যাঁর দিকে ঝুঁকে থাকে তাই এরশাদ হচ্ছে, 'তাঁর সমকক্ষ ক্ষমতাবান অন্য কোনো নাম তোমার জানা আছে কি?' অর্থাৎ তাঁর মতো আরো কেউ ক্ষমতাধিকারী আছে বলে কি তোমার জানা আছে? যতোপ্রকার গুণ মানুষের হতে পারে এবং যতো দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে সব কিছু থেকেই তিনি ঊর্ধে । ويقول الإنسان إذا ما مت لسوف أخرج حياه أولا يذكر الإنسان أنا خلقنه من قبل ولم يك شيئا و فوريك لنحشرنه والشيطين حول جهنر جنيا و ثر لتنزعي من كل شيعة أيمر ثر لتحضرنهم حول جهنم أشد على الرحمن عتيا و ثمر لنحن أعلم بالذين هم أولى بها مليا و وإن منكر إلا واردها ، كان على ربك حتما مقضيان تر ننجی الذين اتقوا ونذر الظلمين فيها جثيا * وإذا تتلى عليمر ايتنا قال الذين كفروا للذين امنوا ، أي الفريقين خير مقاما بینت وأحسن نديا * وكم أهلكنا قبلهم من قرن هم أحسن أثاثا ورعيا و রুকু ৫ ৬৬. (কিছু সংখ্যক মূৰ্খ) মানুষ বলে, (একবার) আমার মৃত্যু হলে আমি কি জীবিত অবস্থায় (মাটির ভেতরে থেকে) পুনরুত্থিত হবো? ৬৭. (এ নির্বোধ) মানুষটি কি (একবারও) চিন্তা করে না, এর আগে তো আমিই তাকে সৃষ্টি করেছি; অথচ সে তখন কিছুই ছিলো না । ৬৮. অতএব তোমার মালিকের শপথ, আমি অবশ্যই এদের একত্রিত করবো, (একত্রিত করবো) শয়তানদেরও, অতপর এদের (সবাইকে) হাঁটু গাড়া অবস্থায় জাহান্নামের চারপাশে এনে জড়ো করাবো। ৬৯. তারপর আমি অবশ্যই এদের প্রত্যেক দলের মধ্য থেকে দয়াময় আল্লাহ তায়ালার প্রতি যারা সবচাইতে বেশী বিদ্রোহী facent), STCM (E ST) IN PC STC । 90. SMA N AT (1) নিক্ষিপ্ত হবার অধিকতর যোগ্য, আমি তাদের সবার চাইতে বেশী জানি। ৭১. (জাহান্নামে তোমাদের মধ্যে) এমন একজন ব্যক্তিও হবে না, যাকে এর ওপর দিয়ে পার হতে হবে না, এটা হচ্ছে তোমার মালিকের অমোঘ সিদ্ধান্ত। ৭২. (এ পার হওয়ার সময়) আমি শুধু ওসব মানুষদেরই পার করিয়ে নেবো যারা দুনিয়ার জীবনে (আল্লাহ তায়ালাকে) ভয় PCR, (f) 17 afa OST ON CRICT A Chai । 95 সামনে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয়েছে, তখন যারা (ঈমানের বদলে) কুফরী করেছে তারা ঈমানদারদের লক্ষ্য করে বলে (বলো তো), আমাদের উভয় দলের মাঝে কোন্ দলটি মর্যাদায় শ্রেষ্ঠতর ও কোন্ দলের মাহফিল বেশী শানদার! ৭৪. অথচ ওদের পূর্বে কতো (শানদার মাহফিলের অধিকারী) মানবগোষ্ঠীকে আমি নির্মূল করে দিয়েছি, যারা (আজকের) এ (কাফেরদের) চাইতে সহায় সম্পদ ও প্রাচুর্যের বাহাদুরীতে ছিলো অনেক শ্রেষ্ঠ! قل من كان في الضللة فليين له الرحمن منا؛ حتى إذا رأوا ما يوعدون إما العذاب وإما الساعة ، فسيعلمون من هو شر وأضعف جندا و ويزين الله الذين اهتدوا هدى ، والبقيت الملحت خير عند ربك ثوابا وخير مردا و أفرءيت الذي كفر بايتنا وقال لأوتين مالا وولدا و اقلع الغيب أم اتخذ مثل الرحمن عهدا و كلا، سنكتب ما يقول ونمد له من العذاب منا و وترته ما يقول ويأتينا فردا و واتخذوا من دون الله المة ليكونوا لهر عزا وكلاء سيكفرون بعبادتهم ويكونون عليم ضدا و 9. (c , ana) TT, C f (a (ffe) IC, OG Ma আল্লাহ তায়ালা অনেক ঢিল দিতে থাকেন- যতোক্ষণ না তারা সে (বিষয়)-টি (স্বচক্ষে ) প্রত্যক্ষ করবে, যে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হচ্ছে- হয় তা (হবে) আল্লাহ তায়ালার শাস্তি, নতুবা হবে কেয়ামত, (তেমন সময় উপস্থিত হলে) তারা অচিরেই একথা জানতে পারবে, কোন্ ব্যক্তিটি মর্যাদায় নিকৃষ্ট ছিলো এবং কার জনশক্তি ছিলো দুর্বল! ৭৬. (এর বিপরীত) যারা হেদায়াতের পথে চলে, আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়াতের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন; (হে নবী,) তোমার মালিকের কাছে তো স্থায়ী জিনিস হিসেবে (মানুষের) নেক আমলই হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট পুরস্কার পাবার দিক থেকে যেমন (তা ভালো), প্রতিদান fans ( of ban) । ۹۹. gfa cafe । *} PCQ f- C a আয়াতসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে এবং (ঔদ্ধত্যের সাথে) বলে বেড়ায়, (কেয়ামতের হলে h) ICE * (ala) la 3 el fad CM 54 । 5. C f (A) কোনো খবর পেয়েছে? না দয়াময় আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে (এ ব্যাপারে) সে কোনো প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছে! ৭৯. না (এর কোনোটাই নয়), যা কিছু সে বলে আমি তার (প্রতিটি কথাই) লিখে রাখবো এবং সে হিসেবেই (কেয়ামতের দিন) আমি তার শাস্তি বাড়াতে থাকবো, ৮০. সে (তার শক্তি সমর্থ সম্পর্কে আজ) যা কিছু বলছে আমিই হবো OIR afapl, is 1 As pf (R) TR PICS (fps) at । . এরা আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে অন্যদের মাবুদ বানায়, যেন এরা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হতে পারে, ৮২. কিন্তু না; (কেয়ামতের দিন বরং) এরা তাদের এবাদাতের * (*) **/? PC, Ast (57) 01 f** ** । । যিলাল ১৩তম الم تر أنا أرسلنا الشيطين على الكفرين تؤزهر أزا و فلا تعجل عليم، إنها تعد لمر عن ان يوم نحشر المتقين إلى الرحمن وفدان ونسوق المجرمين إلى جهنم وردا 5 لا يملكون الشفاعة إلا من اتخل عند الرحمن عهدا 6 وقالوا اتخل الرحمن ولدا و لقن جئتم شيئا إذا تكاد السموت يتفطرن منه وتنشق الأرض وتخر الجبال منا و أن دعوا للرحمن ولدا و وما ينبغي للرحمن أن يتخذ ولدا ف إن كل من في السموت والأرض إلا أتى الرحمن عبدا و لقن أحصهر وعده عنا و وكلهر اتيه يوم القيمة فردا ৮৩. (হে নবী,) তুমি কি (এ বিষয়টির প্রতি) লক্ষ্য করোনি, আমি (কিভাবে) কাফেরদের ওপর শয়তানদের ছেড়ে দিয়ে রেখেছি, তারা (আল্লাহ তায়ালার বিরুদ্ধে) তাদের ক্রমাগত উৎসাহ দান করছে, ৮৪. অতএব, তুমি এদের (আযাবের) ব্যাপারে কোনো রকম তাড়াহুড়ো করো না; আমি তো এদের (চূড়ান্ত ধ্বংসের) দিনটিই গণনা করে যাচ্ছি, ৮৫. সেদিন আমি পরহেযগার বান্দাদের সম্মানিত মেহমান হিসেবে দয়াময় আল্লাহ তায়ালার কাছে একত্রিত করবো, ৮৬. আর না-ফরমানদের জাহান্নামের দিকে তৃষ্ণার্ত (উটের ন্যায়) তাড়িয়ে নিয়ে যাবো, ৮৭. (সেদিন) কোনো মানুষই আল্লাহ তায়ালার দরবারে সুপারিশ পেশ করার ক্ষমতা রাখবে না, হ্যাঁ, যদি কেউ আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে (তেমন Cli) affs 5 PC AT (E of fear palt) । bb (4 ) 99 1, করুণাময় আল্লাহ তায়ালা সন্তান গ্রহণ করেছেন; ৮৯. (তুমি এদের বলো,) এটি অত্যন্ত কঠিন একটি কথা, তোমরা যা (আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে) নিয়ে এসেছো, ৯০. (এটা এতো কঠিন কথা) যার কারণে হয়তো আসমান ফেটে পড়ার উপক্রম হবে, যমীন বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পাহাড়সমূহ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাবে, ৯১. (এর কারণ,) এরা দয়াময় আল্লাহ তায়ালার জন্যে সন্তান হওয়ার কথা বলেছে, ৯২. (অথচ) সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহ তায়ালার জন্যে কোনো অবস্থায়ই শোভনীয় নয়। ৯৩. (কেননা) আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, তাদের মাঝে কিছুই এমন নেই যা (কেয়ামতের দিন) দয়াময় আল্লাহ তায়ালার সম্মুখে তার অনুগত (বান্দা) হিসেবে উপস্থিত হবে না; ৯৪. তিনি (তাঁর সৃষ্টির) সব কিছুকেই (কড়ায় গন্ডায়) গুনে তার পূর্ণাংগ হিসাব রেখে দিয়েছেন; ৯৫. কেয়ামতের দিন এদের সবাই নিসংগ অবস্থায় তাঁর সামনে আসবে। إن الذين امنوا وعملوا الصلحت سيجعل لهم الرحمن وداه فإنما يسرنه بلسانك لتبشر به المتقين وتنذر به قوما لنا وكم أهلكنا قبلهم من قرن ، هل تحس منهم من أحد أو تسمع لهم ركزا و ৯৬. যারা (আল্লাহ তায়ালার ওপর) ঈমান আনে এবং নেক কাজ করে, আল্লাহ তায়ালা অচিরেই তাদের জন্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবেন। ৯৭. আমি তো এ কোরআনকে তোমার ভাষায় সহজ (করে নাযিল) করেছি, যাতে করে তুমি এর দ্বারা- যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) ভয় করে তাদের (জান্নাতের সুসংবাদ দিতে পারো এবং (দ্বীনের ব্যাপারে) যে জাতি (খামাখা) ঝগড়া করে, তুমি তাদেরও (এ দিয়ে) সাবধান করে দিতে পারো। ৯৮. তাদের আগেও আমি বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি, এদের কোনোরকম অস্তিত্ব কি তুমি এখন অনুভব করো, না শুনতে পাও এদের কোনো ক্ষীণতম শব্দও? 'আর মানুষ বলে, আমরা যখন মরে যাবো তখন কি আবারও আমাকে যিন্দা করে তোলা হবে? ........... ওদের মধ্য থেকে কাউকে কি তুমি অনুভব করছো? অথবা কোনো মৃদু শব্দও কি শুনতে পাচ্ছ (আয়াত ৬৬-৯৮) এ সূরার আলোচ্য অংশের মধ্যে যাকারিয়া (আ.) ও ইয়াহইয়া (আ.)-এর জন্মের বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হয়েছে। বর্ণনা করা হয়েছে মারইয়াম ও ঈসা (আ.)-এর জন্ম সংক্রান্ত তথ্যাদি, আলোচনা হয়েছে ইবরাহীম (আ.)-এর ঘটনা ও পিতা থেকে তার পৃথক হয়ে যাওয়ার ইতিহাস, আরো বর্ণিত হয়েছে তাদের কথা যারা পরবর্তীতে হেদায়াত গ্রহণ করেছে অথবা গোমরাহ হয়ে গেছে এবং এসব ঘটনাবলী শেষে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এক ও অদ্বিতীয় প্রতিপালক মালিকের কর্তৃত্ব সম্পর্কে, যিনি নিরংকুশ ও নিঃশর্ত আনুগত্য পাওয়ার একমাত্র অধিকারী। এই হচ্ছে সেই আসল ও মহা সত্য যা সকল কাহিনী ও ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে, সকল দৃশ্য ও সবার পরিণতির মধ্যে সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে এ সত্য । আলোচ্য সূরার শেষ পাঠটির মধ্যে শেরক ও রোয হাশরের দিনে আবার যে যিন্দা হয়ে উঠতে হবে, সে সম্পর্কে যেসব যুক্তি পেশ করা হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। আর কেয়ামতের যে সব দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে মানব জাতির প্রত্যাবর্তন সম্পর্কিত তথ্য এমন জীবন্ত রূপ নিয়ে ফুটে উঠেছে যে মনে হয় সে সব ঘটনা যেন চোখের সামনে বাস্তবে ঘটে চলেছে এবং এসব ঘটনার সাথে যেন গোটা সৃষ্টির সকল কিছু সহযোগিতা করে চলেছে; আকাশমন্ডলী, পৃথিবী, মানুষ, জ্বিন, এ সৃষ্টিজগতের মধ্যে বিরাজমান সকল মোমেন ও সকল কাফের ব্যক্তি সবাই যেন সে মহাসত্য কেয়ামতের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সত্যকে বাস্তবায়নে সহায়তা করে চলেছে।
pdf
2d7bfc89fcc10920f99edcbba7294282
'ইন টাইম ড্যান্স'-এর পরিচালক রেমো ডিসুজা। সূত্রের খবর, রেমোর অন্যান্য সিনেমার মতোই নাচকে কেন্দ্র এগোবে এই কাহিনি। যেখানে নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে ক্যাটের বোনকে। সিনেমাটি প্রযোজক ভূষণ কুমার।
web
2af6fb2761fead4394e9fc73c40fa19014b8d132
১. অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম কোনটি? ২. একস্থান থেকে অন্যস্থানে টাকা পাঠানোর যায় নিচের কোনটির সাহায্যে? ৩. ইঈঝ পরীক্ষার আবেদনপত্র পূরণ করতে কোনো প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে? ৪. ল্যাপটপের সঙ্গে কোন যন্ত্রটি লাগিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে? ৫. 'সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা' উক্তিটি কার? ৬. কী প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো সময় গ্রাহকের নির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাব দেওয়া যায়? ৭. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কী ধরনের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে? ৮. বাংলাদেশের অনেক সেক্টরে বিপুল পরিমাণ কর্মের সৃষ্টি হয়েছে নিচের কোনটির মাধ্যমে? ৯. বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি কোনটি? ১০. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্রণোদনা কী? ১১. বাংলাদেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা কত? ১২. নিচের কোনটি কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওয়েবসাইট? ১৩. মোবাইল ফোনে বিল পরিশোধের জন্য বাংলাদেশে গড়ে ওঠা কেন্দ্রের সংখ্যা কত? ১৪. এক দেশের কাজ অন্য দেশের কর্মীর মাধ্যমে সম্পন্ন করাকে কী বলে? ১৫. ঊ-সধরষ-এর পূর্ণনাম কোনটি? ১৬. ঝগঝ-এর পূর্ণনাম কোনটি?
web
f68f44bacc9d133545b7c40f69fd5446ad5c87fb
Kolkata Metro: বিদায় নিল শেষ নন এসি মেট্রো রেক, কেমন ছিল ৩৭ বছরের যাত্রাপথ? Kolkata Metro Railway: কলকাতায় কাল থেকে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা, কতক্ষণ অন্তর ট্রেন? Tags: Tags: Tags: Tags: Tags: Tags: Kolkata Metro Trial Run: বুধবার শুরু ট্রায়াল রান, দু-তিন মাসের মধ্যেই নিউ গড়িয়া থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো চালু? Tags: Tags: Tags: Tags: © Copyright@ 2023, ABP News. All rights reserved.
web
914e8777cda51813d9e00bbfadf5fc89
65 মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সাথে গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে ডাইনোসর যখন মারা যাচ্ছিল, সেই সময়টি খুব সহজ ছিল না। এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সেই সময় এটি মেক্সিকো উপসাগরের মধ্য দিয়ে প্রায় এক মাইলেরও বেশি সুনামি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল যার ফলে সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছিলো। চিকক্সুলব গ্রহাণু হিসাবে পরিচিত 9-মাইল-জুড়ে (14 কিলোমিটার) স্পেস রক, এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছিল, এতে কোনও সন্দেহ নেই যে গ্রহাণুটি ডাইনোসর যুগের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে, তথাকথিত ক্রিটেসিয়াস-প্যালিওজিন (কে-পিজি) বিলুপ্তির সময়ে।মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সময় গবেষক মলি রেঞ্জ বলেন, "চিক্সুলুব গ্রহাণুটি বিশাল সুনামি ঘটিয়েছিল, যা বর্তমান যুগে আজ পর্যন্ত কখনো ঘটেনি। রেঞ্জ এবং তার সহকর্মীরা গবেষণাটি উপস্থাপিত করেছেন, যা এখনও আমেরিকান পিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের ওয়াশিংটন ডিসি-তে বার্ষিক সভায় 14 জুন পিয়ার রিভিউ জার্নালে প্রকাশ করা হয়নি। গবেষণাযটি প্রথম ইওএস যেভাবে প্রকাশ করে তা অভূতপূর্ব। এই প্রজেক্টের ধারণাটি শুরু হয়েছিলো, যখন রেঞ্জের দুজন উপদেষ্টা মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগে টেড মুর এবং ব্রায়ান আর্বিক অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, চিক্সুলুব গবেষণার ক্ষেত্রে কোথাও বড় একটি ফাঁক রয়েছে। গবেষকরা জানতেন যে গ্রহাণুটি মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলের অগভীর জলকে আঘাত করেছিল। কিন্তু তার বিশাল প্রভাবটি সঠিকভাবে বুঝার জন্য, তাদের এমন একটি মডেলের প্রয়োজন ছিল যা "পৃথিবীর ক্রাস্টের বড় আকারের বিকৃতি, যা গর্ত তৈরি করেছিল,পাশাপাশি প্রভাবশালী স্থান থেকে পানির প্রাথমিক বিস্ফোরণ এর ফলে বিশৃঙ্খল তরঙ্গ তৈরি হচ্ছিল। তাই দলটি ব্র্যান্ডন জনসন এর শরণাপন্ন হন যিনি রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির একজন সহকারী অধ্যাপক এবং যিনি ইমপ্যাক্ট ক্রিয়েটিং নিয়ে পড়ালেখা করেছেন। জনসন একটি মডেল তৈরি করেন যা 10 মিনিটের মধ্যে কি ঘটেছিল তা বর্ণনা করে, যখন গর্তটি ছিল প্রায় এক মাইল গভীর (1.5 কিলোমিটার) এবং বিস্ফোরণটি খুব শক্তিশালী ছিল, তখনও সেই গর্তে কোন পানি ছিল না। রেঞ্জ বলেন, "এই সময়ে, কিছু জল গর্তের দিকে ফিরে আসছিল,"। এই মদেল অনুসারে, জল তখন গর্তে ঢুকে পরবে এবং কোলাপ্স ওয়েভ তৈরি করবে। দ্বিতীয় মডেলে, সারা বিশ্ব জুড়ে মহাসাগরের মাধ্যমে কিভাবে সুনামি কিভাবে ছরিয়ে পরে তা নিয়ে দলটি গবেষণা করে। রেঞ্জ জানায়, তারা প্রথম মডেল (বিশেষ করে ক্র্যাটার আকৃতি) এবং সমুদ্রের স্তর এবং পানির গতি বিশেষের সাথে প্রভাবগুলির ফলাফল তুলনা করেছেন । এরপর তারা সমুদ্রের প্রাচীন ভূখণ্ডে তথ্য ব্যবহার করে এবং সুনামি কীভাবে ছরিয়ে পরে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। রেঞ্জ বলেন, আমরা দেখেছি এই সুনামি কিভাবে সমগ্র মহাসাগর জুড়ে উপসাগর জুড়ে ছরিয়ে পরে। মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে জল প্রায় 8২ মাইল জুড়ে (143 কিলোমিটার / ঘন্টা) দ্রুত গতিতে সুনামি চলে আসে। প্রথম ২4 ঘন্টার মধ্যে, সুনামির প্রভাব মেক্সিকো উপসাগর থেকে আটলান্টিকের পাশাপাশি সেন্ট্রাল আমেরিকান সাওওয়ে (যা আর বিদ্যমান নেই, তবে উপসাগরীয় অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত আছে) ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে প্রায় মাইল সমান উঁচু (1.5 কিলোমিটার) তরঙ্গ দেখা যায়, অন্যান্য বিশাল তরঙ্গ বিশ্বের সমুদ্র উপকূলে আঘাত হানে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ও উত্তর আটলান্টিকের মধ্যে তরঙ্গগুলি সর্বাধিক 46 ফুট (14 মিটার) উচ্চতায় পৌঁছেছিল। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তারা 13 ফুট (4 মিটার) পৌঁছেছিল। এদিকে, মেক্সিকো উপসাগরীয় কিছু অঞ্চলের মধ্যে 65 ফুট (২0 মিটার) উচ্চতা এবং অন্যদের মধ্যে 328 ফুট (100 মিটার) উচ্চতর তরঙ্গ দেখা গিয়েছিল। (দক্ষিণ গোলার্ধে রেকর্ড করা সর্বকালের সর্ববৃহৎ আধুনিক তরঙ্গটি ছিল 78 ফুট (23.8 মি) লম্বা, যা ২018 সালের মে মাসে নিউজিল্যান্ডের কাছে আঘাত হানে। )
web
b9c0100c02c4583ef394b657cfe0586b
শরৎকালটা বেশ ছিমছাম সুন্দর। সূর্যের আলোয় ঝলমল করে চারদিক। আর নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় স্নিগ্ধ সাদা মেঘের ভেলা। সেই স্নিগ্ধতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মৃদু বাতাসে দোল খায় কাশফুল। মন ভালো করা এসব দৃশ্য উপভোগ করতে মানুষ ছুটে যায় কাশবনে। মনের স্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীন এই দেশে এগুলো মোটেও ভালো কোনো কাজ না, রীতিমতো অশ্লীলতা! অন্তত সিলেটের গোলাপগঞ্জে সম্প্রতি কাশবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা সেই কথাই প্রমাণ করে। প্রথম আলোসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গোলাপগঞ্জের চৌঘরী এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে প্রচুর কাশফুল হয়েছে। সেই কাশবন দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছিলেন। সঙ্গী কখনো স্বজন, কখনো বন্ধু-বান্ধব। মানুষের কাশবন দেখার এত আনন্দ-আহ্লাদ স্থানীয় লোকজনের ভালো লাগেনি। তাঁরা কাশবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এই আগুন ধরিয়ে দেওয়াটা বৈধ করতে চরিত্র ধরে টান দিয়েছেন তাঁরা। আরও খুলে বললে 'অশ্লীল, অসামাজিক' শব্দগুলো বলেছেন। আমরা তো শুদ্ধ জাতি! আমরা কোনো অশুদ্ধতা-অশ্লীলতা একেবারে মেনে নিতে পারি না। তবে আমরা ঘুষ খেতে পছন্দ করি। ঘুষের টাকায় জমি, বাড়ি, গাড়ি, দামি সব জিনিস কিনে বুক ফুলিয়ে চলতে পারি। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে পারি। পর্ণ সাইট দেখতে পারি। 'শুদ্ধ' মানুষ হিসেবে আমাদের দেখার কথা না থাকলেও নায়িকাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিগুলো মন দিয়ে দেখি। দেখতে খুব সুখ লাগে। কিন্তু এই গোপন সুখের কথা তো মানুষকে বলা যায় না। বললে জাত চলে যাবে না? লোকে কী আর 'শুদ্ধ' মানুষ বলবে আমাদের! ফলে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ওই সব ছবির মানুষের চরিত্র ধরে টান দিয়ে বাজে বাজে সব মন্তব্য করা। আমাদের মনটা অশ্লীলতায় ভরা তো কী হয়েছে, 'শুদ্ধ' মানুষ হিসেবে অন্যকে শালীনতার জ্ঞান দেওয়া আমাদের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য। এই যে আমরা কথায়-কথায় 'অশ্লীল', 'অসামাজিক' শব্দগুলো বলি, কেন বলি? অশ্লীলতা-অসামাজিকতার সংজ্ঞা কে নির্ধারণ করে দেয়? উত্তরে হয়তো আসবে সমাজের নাম। সমাজ তো আকাশ থেকে টুপ করে পড়া কিছু না। আমরা যা, সেটাই সমাজ। আমাদের চেহারা যেমন হবে, আয়নায় আমরা তেমন সমাজের ছবিই দেখতে পাব। আর এ কারণেই আমরা দেখতে পাই, 'মুখে এক আর মনে আরেক' একটা গোষ্ঠী। আমরা যদি আসলেই 'শুদ্ধ' মানুষ হতাম তবে ঘরে-বাইরে কোনো মেয়েকে যৌন হয়রানির মুখে পড়তে হতো না, অন্যায়ের শিকার ব্যক্তিকে দোষারোপ করা হতো না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা 'কিন্তু' 'তবে' এমন দ্বিধান্বিত থাকতাম না, নারী-বয়োজ্যেষ্ঠদের দেখলে সিটটা ছেড়ে দিয়ে বসতে দেওয়ার মতো ভদ্রতা দেখাতাম, অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য আত্মসম্মানহীন তেলবাজ হতাম না। আমরা শালীন, সামাজিক, সভ্য মানুষ হলে অন্যের ব্যক্তিস্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিতাম। আমাদের সংবিধানে এটাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ 'আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না' মর্মে ঘোষণা দিয়েছে। ব্যক্তি কোথায় ঘুরতে যাবেন, কার সঙ্গে যাবেন; এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে আমরা তাঁকে বিরক্ত, বিব্রত করতে পারি না। ব্যক্তির কোনো আচরণ যদি উৎপাতের সৃষ্টি করে, আমরা আইনের শরণাপন্ন হতে পারি। কিন্তু কোনোভাবেই নিজেরা 'নৈতিক পুলিশ' সেজে শাস্তি দিতে পারি না। এটা রীতিমতো আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো। কাশবনে কথিত অশ্লীলতা ঠেকাতে গিয়ে আমরা আইন ভেঙেছি। আমরা মোটেও সুনাগরিকের পরিচয় দিইনি। এই যে কাশবনে 'অশ্লীল কর্মকাণ্ডের' অভিযোগ আনা হলো, সেখানে গিয়ে মানুষ আসলে কতটা খারাপ কাজ করতে পারে? নিশ্চয় ছবি তুলে, বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে গল্প করে, প্রেমিক বা প্রেমিকা হাত ধরে ঘুরে বেড়ায়। যে জায়গায় এত এত মানুষ যায়, সেখানে এর চেয়ে বেশি মানুষ কী করতে পারে! যদি এর চেয়ে বেশি কিছু এখানে ঘটে থাকে স্থানীয় লোকজন সেটা পুলিশকে জানাতে পারত। কিন্তু কথিত অশ্লীলতা ঠেকাতে গিয়ে কাশবনে আগুন দিয়ে আইন ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। কাশবন তো আর কোনো 'অশ্লীল কাজ' করেনি। কেন তাকে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হলো? অথচ চাইলেই সুন্দর এই কাশবন ঘিরে ছোটখাটো একটা মৌসুমি পর্যটনব্যবসা করা যেত। টিকিটের ব্যবস্থা, কাছেই বসে চা-পানি পানের মতো আয়োজন, টাকার বিনিময়ে ছবি তোলার সুযোগ ইত্যাদি বেশ পর্যটকবান্ধব হতো। স্থানীয় অর্থনীতিতে টাকার আনাগোনা বাড়ত।
web
e5cccc947a20af0b93bdf096e820141c
ট্যাব "হোম" - - "পেজেস", "বাছাই" বাটনে বিভাগে সমস্যা আপনি পদক্ষেপ নিম্নলিখিত কোর্সের চালানো সমাধানের জন্য। তাদের একটি সহজ তালিকা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান বাছাই বা কোনো পৃথক অনুচ্ছেদে নতুন লাইন প্রতিটি উপাদান হন। এখন আমরা কিভাবে ওয়ার্ড সহজ তালিকা এবং সারণির তথ্য বর্ণানুক্রমে সাজাতে দিকে তাকাও। সারণীতে ডেটা বাছাই প্রক্রিয়া অনুরূপ, কিন্তু কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। প্রক্রিয়ার একটি সম্পূর্ণ বোঝার জন্য পরবর্তী টেবিলের উদাহরণ সাজাতে হয়। যেহেতু আপনি দেখতে পারেন, এন্ট্রি প্রথম পোস্ট দ্বারা বর্ণানুক্রমে সাজানো হয়। তারপর অফিস মধ্যে পদবি দ্বারা। এই উদাহরণে তৃতীয় চাবি রেকর্ডের ছোট সংখ্যা এবং একই নামের অভাবে তাদের কাজ প্রদর্শন করা হয়নি। সাজান ওয়ার্ড যেমন রেফারেন্সের তালিকা বিভিন্ন তালিকা প্রস্তুতি প্রয়োজন যখন একটি প্রবন্ধ লেখা। যখন এই app এর মধ্যে টেবিল সম্পাদনা একটি নির্দিষ্ট অনুক্রমে লাইন বাছাই সনাক্ত করতে সাহায্য করে। ওয়ার্ড সম্পাদক স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুচ্ছেদ বা টেবিল তালিকায় সারির অর্ডার সাজাতে পারেন, উভয় সংখ্যাযুক্ত এবং লেবেল। সেখানে তালিকার তিন ধরনের যে ওয়ার্ড সাজানো যেতে পারে। প্রথম - একটি সাধারণ তালিকা , এই তালিকাটির প্রতিটি উপাদান পৃথক অনুচ্ছেদ রয়েছে। দ্বিতীয় ধরনের - একটি unordered বা বুলেটযুক্ত তালিকা । তৃতীয় - সংখ্যাযুক্ত , যা এই তালিকার অংশের আদেশ একটি মান আছে। তালিকা একই ভাবে বাছাই এই সব ধরনের জন্য। স্বয়ংক্রিয় বাছাইয়ের জন্য মাউস বা কীবোর্ড ব্যবহার করে সমগ্র তালিকা নির্বাচন করা প্রয়োজন। তারপর "অনুচ্ছেদ" এ ট্যাব "বাড়ি" আইকন খুঁজে পেতে এবং এটিতে ক্লিক করুন - টেক্সট উইন্ডো সাজাতে হবে। ": পাঠ্য টাইপ করুন", অর্থাত শ্রেণীবিভাজন শুধুমাত্র প্রতিটি অনুচ্ছেদের প্রথম অক্ষর দ্বারা সম্ভব উইন্ডোর সক্রিয় শুধুমাত্র এক লাইন, যা নির্দেশ করছে "অনুচ্ছেদ প্রথম" এবং হয়। আরোহী (যেমন, A থেকে টু Z, বর্ণানুক্রমে সাজানো) অথবা সাজানো অর্ডার (অর্থাত জেড থেকে ক তে): যখন তালিকার বাছাই, দুই অপশন আছে। পছন্দসই বাছাই পদ্ধতি, ক্রম অনুযায়ী, অথবা উলটোটা নির্বাচন করতে, এটিকে উপযুক্ত সংখ্যা শেষ করা এবং ক্লিক করুন প্রয়োজনীয় "ঠিক আছে" সারণিতে সারি বাছাই শুধু তাই এখানে তালিকা বাছাই তাদের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন পরামিতি ও পদ্ধতি নির্ধারণ করা সম্ভব থেকে পৃথক। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ইভেন্টের একটি তালিকা প্রথম তাদের তারিখ অনুসারে, প্রতিটি দিনের মধ্যে, ক্রম অনুযায়ী সাজানো যেতে পারে, এবং তারপর। নির্মল টেবিলের একটি শিরোলেখ (শিরোলেখ) আছে কিনা। আপনি "শিরোনাম দণ্ড এর" সামনে একটি পূর্ণ স্টপ করিয়ে দিলে শিরোনাম জায়গা থাকবে এবং পুরো টেবিল একসাথে সাজানো হবে না; সাজান শব্দ, অবশ্যই, এক্সেল থেকে কম ক্রিয়ামূলক অবশ্য প্রাপ্তিসাধ্য ধারণক্ষমতা সবচেয়ে অফিস কাজের জন্য যথেষ্ট। ইন্টারেক্টিভ বোতাম একটা টেবিল বাছাই বাক্স খোলার পাওয়া যাবে না শুধুমাত্র "অনুচ্ছেদ", কিন্তু এছাড়াও "ডাটা" এর উঠতি ট্যাব "লেআউট" বিভাগে হয়; কখনও কখনও ব্যবহারকারীদের ওয়ার্ড এক্সেল স্প্রেডশীট সম্পাদকের কাছে এই টুল এবং প্রক্রিয়াকরণ ট্যাবুলার তথ্য সম্পর্কে ভুলবেন সরাসরি অনুলিপি (ট্রান্সফার) তাদের। সুতরাং, ওয়ার্ড অফিস অ্যাপ্লিকেশনে একটি ব্যবহারকারী বান্ধব আছে, তালিকা এবং টেবিল সব ধরনের সাজাতে অপ্রয়োজনীয় কার্যকারিতা টুল দিয়ে ওভারলোড না।
web
598545f48087bfc78c2c7e710cc0a22e0dfb8125
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দশম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলায় পদ্মা ব্যাংকের স্টল নম্বর-২০৭ (হল-ডি) উদ্বোধন করা হয়েছে। পদ্মা ব্যাংকের এমডি ও সিইও তারেক রিয়াজ খান স্টলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভিপি অ্যান্ড হেড অব এসএমই বিজনেস আসাদুজ্জামান খানসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া মেলার স্টল পরিদর্শন করেন ব্যাংকের ডিএমডি জাবেদ আমিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
web
4a14a831a5f52352d29795fca3588f5bddc581f3
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ নববর্ষে বাঙালি নিজের হাতে কাতলা মাছের রেজালা তৈরি করে পরিবারের সবাইকে ও বন্ধুদের খাইয়ে খুশি করতে পারেন। মটন/চিকেন রেজালা তো অনেক খেয়েছেন এবার কাতলা মাছের রেজালা তৈরি করে সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে দেখতে পারেন। কাতলা মাছের রেজালা তৈরির পদ্ধতি--- একেকটা একশো গ্রাম ওজনের মোট পাঁচটা পাকা কাতলা মাছের খণ্ড (মোট পাঁচশো গ্রাম) জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছুন। কাতলা মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে এক টেবিল চামচ আদাবাটা, এক টেবিল চামচ রসুনবাটা ও আন্দাজমতো নুন হাতের সাহায্যে ভাল করে মাখিয়ে এক ঘন্টা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে দিন। একটি সসপ্যান আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে দুটো বড় পেয়াজের কুচি, ৭৫ গ্রাম কাজু বাদাম, এক টেবিল চামচ পোস্ত, দশটা রসুনের কোয়া, দুই টেবিল চামচ আদা কুচি, দুটো কাচালঙ্কা ও আন্দাজমতো জল দিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সিদ্ধ করা সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে দিয়ে একটি পেস্ট বা মিশ্রন তৈরি করে নিন। মিশ্রনটা আলাদা করে রাখুন। একঘন্টা বাদে ফ্রিজ থেকে বার করে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে ভাতের হাতার এক হাতা সাদা তেল ও ভাতের হাতার এক হাতা দেশি ঘি গরম করে ওর মধ্যে একটি একটি করে আদা, রসুন বাটা ও নুন মাখানো কাতলা মাছের খণ্ড দিয়ে উল্টে-পাল্টে দুই পিঠ খুব হাল্কা করে ভেজে তুলে তেল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন। সবকটা মাছ তুলে নেওয়ার পরে কড়ার মধ্যের সাদা তেল ও দেশি ঘিয়ের মিশ্রনের মধ্যে দুটো তেজপাতা, দুটো গোটা শুকনো লঙ্কা, একটি বড় দারচিনির স্টিক, ছটা ছোট এলাচ, ছটা লবঙ্গ, এক চা চামচ গোটা কালো গোল মরিচ ফোরন দিন। এবার মিক্সিতে বাটা পেয়াজ, কাজুবাদাম, পোস্ত, আদা, রসুন, কাচালঙ্কা বাটার মিশ্রন বা পেস্টটা দিয়ে সামান্য জল দিয়ে নিভু আঁচে ক্রমাগত নেড়ে মিনিট পাঁচেক কষে নিন। এবার ওর মধ্যে একশো গ্রাম ফেটানো টকদই, হাফ চা চামচ সাদা মরিচের গুঁড়ো দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার আন্দাজমতো নুন ও এক চা চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে হালকা ভাজা কাতলা মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে সামান্য জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে মিনিট ছয়েক রান্না করুন। এরপরে ঢাকনা খুলে হাফ চা চামচ জাফরান তিন টেবিল চামচ দুধে গুলে ওর মধ্যে দিন। এক চা চামচ কেওড়া জল দিয়ে উপর থেকে কয়েকটি গোটা শুকনো লঙ্কা ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পরোটা, রুটি বা পোলাও সহযোগে।
web
b7a4ca07ee525104c19ebd3a96c275eba5f7305b
পরিবেশের প্রতিটি উপাদানের সুসমন্বিত রূপই হলো সুস্থ পরিবেশ। এই সুসমন্বিত রূপের ব্যত্যয় ঘটলে পরিবেশ দূষণ হয় এবং পরিবেশের স্বাভাবিক মাত্রার অবক্ষয় দেখা দেয়। পরিবেশ বিভিন্ন কারণে দূষিত হতে পারে। প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণও এর জন্য দায়ী। পরিবেশের দুই ধরনের উপাদান রয়েছে- ১. অজীব উপাদান ২. সজীব উপাদান। পরিবেশের অজীব উপাদান হলো- মাটি, পানি, আলো, বাতাস, জলাশয়, হাওর, নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, হিমবাহ, মরুভূমি, বায়ুমণ্ডল, বারিমল, মেঘমালা, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি এবং পরিবেশের সজীব উপাদানগুলো উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব ইত্যাদির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। এ পরিবেশের মধ্যে বিরাজ করছে মানব কর্তৃক সৃষ্ট পরিবেশ, যেমন- ঘরবাড়ি, গ্রাম-শহর, সুউচ্চ ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, সেতু, বাঁধ, মোটরযান, রেলওয়ে, উড়োজাহাজ, রকেট, স্টিমার, ইটভাটা, বিদ্যুৎ, শিল্পকারখানা, ইন্টারনেট, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, জাহাজ-শিল্প, অস্ত্র-কারখানা, পারমাণবিক চুল্লি ইত্যাদি। সুতরাং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট উভয় পরিবেশের সমন্বয়েই সৃষ্টি হয়েছে আমাদের এ সুন্দর পরিবেশ। একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশের জন্য অজীব ও সজীব প্রতিটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভৌতিক, রাসায়নিক ও জৈবিক কারণে এ উপাদানগুলোর মধ্যে যে কোনো একটির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটলে সামগ্রিক পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং পরিবেশ দূষণ হয়। মানুষের অসচেতনতা এবং অনিয়ন্ত্রিত আচরণের কারণেই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মোড়কে প্রতিদিনই পলিথিন এবং প্লাস্টিক মোড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ওই দ্রব্যগুলো ব্যবহারের পর বর্জ্য হিসেবে পলিথিন এবং প্লাস্টিকের মোড়কগুলো ড্রেন, রাস্তাঘাট, মাঠে-ময়দানে, নদী-নালা, খালবিল এবং ফসলের মাঠে ফেলা হচ্ছে। পলিথিনই একমাত্র বস্তু, পণ্য বহন বা প্যাকেটজাত করা ছাড়া যার কোনো উপকারিতা নেই। বিপরীতে রয়েছে অসংখ্য ক্ষতিকর প্রভাব। এমনকি পলিথিনই একমাত্র বস্তু, যার দ্বারা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে একটি দেশ। স্লো-পয়জন বলতে যা বোঝায়, পলিথিন তাই। পলিথিন ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পলিথিন উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে এটির বাজারজাতকারী ও ব্যবহারকারীরা পর্যন্ত জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে রয়েছে। পলিথিন এমন একটি উপাদানে তৈরি, যা পরিবেশের জন্য মোটেই উপযোগী নয়। এর মধ্য থেকে 'বিষফেনোল' নামক বিষ নির্গত হয় এবং খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মিশে যায়। পলিথিন মাটির সঙ্গে মেশে না। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে। ডাস্টবিনে ফেলা পলিথিন বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনে ঢুকে পড়ে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। পলিথিন নদীর তলদেশে জমা হয়ে তলদেশ ভরাট করে ফেলে। পলিথিন পোড়ালে বাষুদূষণ ঘটে। পলিথিন এবং প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো মাটিতে পড়ার কারণে মাটি তার মৌলিকত্ব হারাচ্ছে এবং এই মাটিতে কোনো ভৌত কাঠামো নির্মাণ করলেও তা দুর্বল হতে পারে। গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতেই তরিতরকারীর খোসা, মাছের অপ্রয়োজনীয় অংশ, বাড়িঘর, উঠান ঝাড়ু দেওয়ার পর ময়লা আবর্জনাগুলো একটা নির্দিষ্ট গর্তে ফেলা হয় এবং যেগুলো কয়েক মাস পর কৃষকরা জৈব সার হিসেবে কৃষি কাজে ব্যবহার করে থাকেন। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ড্রেন, নদী-নালা খালবিলে ফেলার দরুন ময়লা পানি নিষ্কাশনে নদীনালা-খালবিলগুলো মাছ চাষে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে চর্মরোগ, ক্যান্সারসহ আরও জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পলিথিন ব্যাগকে চর্মরোগের এজেন্ট বলা হয়। পলিথিনে মাছ, মাংস মুড়িয়ে রাখলে কিছুক্ষণ পর এতে রেডিয়েশন তৈরি হয়ে খাবার বিষাক্ত হয়ে ওঠে। পলিথিনে রঙ করার জন্য ব্যবহৃত ক্যাডমিয়াম মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। উন্নত দেশগুলোয় ক্যাডমিয়াম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফ্রিজে বা স্বাভাবিকভাবে সংরক্ষণের জন্য ঝুঁকিমুক্ত মোটা কাগজ ব্যবহার হয়। তাছাড়া আমাদের দেশে বর্তমানে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধত্বের যে প্রকট সমস্যা, তার মূলেও রয়েছে পলিথিনের ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রভাব। রাজধানীবাসী ওয়াসার পরিষ্কার পানি পায় না। অবাক হলেও সত্য যে, এর পেছনেও পলিথিন অনেকাংশে দায়ী। পলিথিনসহ অপচনশীল বর্জ্যে বুড়িগঙ্গা ভয়াবহ দূষণের শিকার। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বর্জ্যে অনেক আগেই বিষাক্ত হয়ে গেছে বুড়িগঙ্গার পানি। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নদীর তলদেশে জমাট বেঁধেছে ৮ ফুট পুরু পলিথিনের স্তর। যদিও পরিবেশবিদরা বলছেন, এ জন্য পলিথিনের পাশাপাশি অন্যান্য কারণও দায়ী। তবে পলিথিনের ভূমিকা সর্বাগ্রে। পলিথিন ব্যাগ এবং প্লাস্টিক দ্রব্যসামগ্রী যেখানে উৎপাদিত হচ্ছে সেখানেও প্রতিনিয়তই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা বায়ুমণ্ডলে মিশে যাচ্ছে এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঢাকা শহরে একটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে চারটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। সে হিসেবে শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা পলিথিন এবং প্লাস্টিকের বর্জ্যগুলো একত্রিত করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং প্রজ্বালিত পলিথিন এবং প্লাস্টিক থেকে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাস গাছপালার মাধ্যমে পরিশোধিত হতে পারে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক পলিথিনের কুফল থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য সরকার ইতোমধ্যে সারাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ ও বিক্রয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এর সঙ্গে মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অর্থাৎ পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধের আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদফতরের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ ও শপিং ব্যাগ জব্দ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তারপরও পলিথিনের আগ্রাসন কিছুতেই কমছে না। এখন কাগজ ও পাটের ব্যাগের ব্যবহারই আমাদের পলিথিনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে পারে। পাটের ব্যাগ পরিবেশবান্ধব। পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে সরকারের ব্যাপক নজরদারিসহ প্রচার মাধ্যমগুলোতে (রেডিও, টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকা) ব্যাপক প্রচারণার দরকার। এভাবে পলিথিনের ক্ষতিকারক দিকগুলো সাধারণ মানুষের দৃষ্টিগোচর করার পর কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে পলিথিন ও প্লাস্টিকের বর্জ্যগুলোর ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশের পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ পলিথিন হলেও, এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে টিস্যু ব্যাগ। ওভেন পলি প্রোপাইলিন দিয়ে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির পাশাপাশি টিস্যু ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন রঙের ও মোটা হওয়ায় অনেকেই কাপড়ের ব্যবহার করায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে টিস্যু ব্যাগের ব্যবহার। টিস্যু ব্যাগ অপচনশীল। এই বস্তুটি ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়। যা পানি নিষ্কাশন নালায় আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। টিস্যু ব্যাগ ব্যবহারের কারণে রাজধানীসহ সারাদেশ পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিশ্লেষকরা। তারা আরও জানিয়েছেন, বাজারে প্রকাশ্যে টিস্যু ব্যাগ ব্যবহার হলেও এটি বন্ধে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। রাজধানীর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ফ্যাশন হাউস, কাপড়ের দোকান, জুতা কোম্পানি, মোবাইল ফোন কোম্পানি, বিভিন্ন নাম করা কোম্পানি বিভিন্ন রঙের টিস্যু ব্যাগ ব্যবহার করছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শোরুমে যোগাযোগ করলেও টিস্যু ব্যাগ উৎপাদনকারীদের নাম ঠিকানা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চীন, কোরিয়াসহ বেশকিছু কোম্পানি বন্ড লাইসেন্স নিয়ে পলি প্রোপাইলিন আমদানি করছে। বন্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে কোনো পণ্য আমদানি করলে সে পণ্য থেকে উৎপাদিত মালামাল বিদেশে রপ্তানি পণ্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। আইন অনুযায়ী, দেশের ভেতরে কোনো বিপণন নিষিদ্ধ হলেও গোপনে টিস্যু ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বৈধভাবে আমদানি করা এ পলি প্রোপাইলিন প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বেআইনিভাবে টিস্যু ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ টিস্যু ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে। নিষিদ্ধ পলিথিন হলেও এ ব্যাগটি কাপড়ের বলে বিক্রি করা হচ্ছে। দেখতে কাপড়ের মতো মনে হলেও আগুন দিলে গলে যায়। টিস্যু কাপড়ের হলে সেলাই করা থাকত, কিন্তু এ ব্যাগে কোনো সেলাই নেই, তা তাপ প্রয়োগ করে চাপ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। বেশকিছু ব্যবসায়ী কৌশলে টিস্যু ব্যাগ বিক্রি করছেন। সাধারণ মানুষ না জেনে ব্যবহার করছে এবং পরিবেশের ক্ষতি করছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান পরিত্যক্ত পলিথিন ব্যাগ থেকে ডিজেল ও পেট্রোল তেল উৎপাদন করেছেন। তিনি ৩০ গ্রাম প্লাস্টিক ব্যাগ থেকে ১৫ মি.লি. জ্বালানি তেল উৎপাদন করেছেন। এ প্রক্রিয়ায় ১ কেজি প্লাস্টিক থেকে ০.৫ লিটার তেল উৎপাদন সম্ভব। এই তেল সম্পূর্ণ সালফারমুক্ত। এ প্রক্রিয়ায় ১৭% গ্যাস, ৪৩% পেট্রোল, ২৩% কেরোসিন, ১৪% ডিজেল এবং ৩% কার্বন রেসিডিউ তৈরি হয়। এ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত লাভজনক হবে, কারণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত ক্যাটালিস্টটি তৈরির কাঁচামাল সস্তা ও সহজলভ্য। এ প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত মিক্সড তেলকে Fractional Distillation-এর মাধ্যমে আলাদা করে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। এই তেল প্রতি লিটার ৩০.০০ টাকা হারে বাজারজাত করা যাবে। প্রাথমিক অবস্থায় স্বল্প পরিসরে একটি মেশিনের মাধ্যমে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৩০০ লিটার তেল উৎপাদন সম্ভব হবে। বড় পরিসরে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ লিটার তেল উৎপাদন করা সম্ভব। এর ফলে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ব্যাগ থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদনের মাধ্যমে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং পরিবেশ দূষণ হতে সমগ্র দেশ রক্ষা পাবে। ওই তেলে সব প্রকার যানবাহন, সেচ পাম্পসহ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
web
e4abeecff5950e4bf535dd85191cd9472bb90173
সদস্য নেই। এই দলের আদর্শ কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দলের প্রধান রাস বলেন, একটি বিষয় স্পষ্ট যে ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতাসীন পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)-এর বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে। রাস নিজেও পাঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কতজন আইনপ্রনেতা দলটিতে যুক্ত হয়েছে তা নিয়ে জানতে চাইলে রাস বলেন, আমরা নিয়মিত বৈঠক করছি।
web
2dcb9c6c6e8297be3f567d02f622e931d86712020f433c293edad36ed2fba70e
বঙ্গের মহিলা কবিদের সম্বন্ধে ধারাবাহিক রূপে আলোচনা করিবার ইচ্ছা অনেকদিন হইতেই আমার ছিল কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহা এতদিন করিতে পারি নাই । প্রায় তিন বৎসর পূর্ব্বে ঢাকা বিশ্বভারতীর দুইটি সভায় 'দীপিকা' সম্পাদক শ্রীযুক্ত মনোরঞ্জন চৌধুরী মহাশয়ের বিশেষ উদ্যোগে ও আগ্রহে আমি 'বঙ্গের মহিলা কবিদের' সম্বন্ধে দুইটি প্রবন্ধ পাঠ করি এবং একে একে 'দীপিকা', 'বীণ।' ও 'পঞ্চপুষ্প' প্রভৃতি মাসিক পত্রে কয়েকজন মহিলা কবির বিষয়ও প্রকাশ করিয়াছিলাম, অনেকের কাছেই ঐ সকল প্রবন্ধ প্রীতিপ্রদ হইয়াছিল। দুর্ভাগ্যবশতঃ মনোরঞ্জন বাবু আমার নিকট হইতে প্রথম পাণ্ডুলিপি খানা নিয়। হারাইয়া ফেলেন, সেজন্য আমার বিশেষ ক্লেশ পাইতে হইয়াছিল এবং পুনরায় অনেক প্রবন্ধ নূতন করিয়া লিখিতে হওয়ায়ও অনেক সময় লাগিয়াছে। আজ তিন বৎসরের চেষ্টা ও যত্নে বঙ্গের মহিলা কবিদের পরিচয় ও আলোচনামূলক এই গ্রন্থ প্রকাশ করিতে পারিলাম। বর্ত্তমান বৈজ্ঞানিক প্রণালী অনুযায়ী ইতিহাস ও সাহিত্যের অনুশীলনের ফলে নানা দিক্ দিয়া নানারূপ পরিবর্তন হইতেছে; একদিন যাহা সত্যরূপে জনসমাজে পরিগৃহীত হইয়াছে আজ তাহার অস্তিত্ব সম্বন্ধেই সকলে সন্দিহান হইতেছেন। বাঙ্গালার মহিলা কবিদের মধ্যে প্রাচীনত্বের দাবী করিবার অধিকারিণী চণ্ডীদাসের পদাবলীর উৎস - বাঙলী দেবীর মন্দিরের সেবিকা রামী বা রামমণি। এই রামমণি কয়েকটি পদাবলী রচনা করিয়াছিলেন বলিয়া একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে, এমন কি তাঁহার পদাবলীও আবিষ্কৃত হইয়াছে, এজন্যই আমরা তাঁহাকে প্রাচীনত্বের দিক্ দিয়া সকলের আগে স্থান দিয়াছি। রামমণির অস্তিত্ব ছিল কিনা এবং কয়জন চণ্ডীদাস ছিলেন তাহা লইয়া পণ্ডিতগণ বিচার করিবেন, আমরা যে প্রবাদ সত্যরূপে চলিয়া আসিতেছে এবং গৃহীত হইয়াছে তাহাকেই সাদরে বরণ করিয়া লইয়াছি। তারপর চন্দ্রাবতী, আনন্দময়ী, গঙ্গামণি ইত্যাদির বিষয় আলোচিত হইয়াছে। কবিওয়ালা সম্প্রদায়ের মধ্যে যজ্ঞেশ্বরী নামে একজন স্ত্রীকবির পরিচয় পাওয়া যায়, ইনি কয়েকটি সঙ্গীত মাত্র রচনা করিয়াছিলেন । ঊনবিংশ শতাব্দীর শুভ অভ্যুদয়ে বাঙ্গালা সাহিত্যে এক নূতন ভাব বিকশিত হইল । মানব, প্রকৃতি ও সমাজের আলোচনায় কাব্য সাহিত্যের মধ্যে নূতন প্রেরণার উদ্দীপনা জাগরিত হইল। ইহার পূর্ব্বে গলা কাব্য-সাহিত্য ছিল রাজসভার স্তুতিগান ও গৃহস্থ ঘরের কথা। ইংরাজী আমলের পূর্ব্ব পর্যন্ত আমাদের সাহিত্যের মধ্যে বিশালতা বা বিপুলতা - এক কথায় বিশ্বজনীন ভাব, জাতিবর্ণনির্বিশেষে মানুষমাত্রকেই অনুভব করা - তাহা ছিল না। এই বিশ্বের বাণী ইংরাজী আমলে মধুসূদন, বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠ হইতে বাহির হইয়া সমগ্র জগতের মধ্যে বঙ্গসাহিত্য-সরস্বতীর আসনখানি সুপ্রতিষ্ঠিত করিল। সেই সুর মহিলা কবিদের মধ্যেও সকলের আগে স্বর্ণকুমারী দেবীর বীণার তারে ঝঙ্কত হইয়া উঠিয়াছিল। শ্ৰীযুক্ত। কামিনী রায়, গিরীন্দ্রমোহিনী, মানকুমারী, প্রিয়ম্বদা হইতে আরম্ভ করিয়া বর্তমান অতি আধুনিক যুগের নিরুপমা, লীলা, রাধারাণী ও উমাদেবীর মধ্যেও তাহার বিকাশ লাভের প্রয়াস দেখিতে পাইতেছি। ইহাদের কবিতার সুরে প্রাণের অভিনব স্পন্দন শুনিতে পাওয়া যায় । কবির পরিচয় কাব্যের ভিতর দিয়াই হইয়া থাকে, তাহাতেই তাঁহার প্রকৃত রূপটি ফুটিয়া উঠে। কবিতা কি? কাব্য কি? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ নহে! গল্প আছে একজন সেণ্ট আগষ্টাইন্কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন - কবিতার স্বরূপ কি ? তিনি উত্তর করিয়াছিলেন - "If not asked, I know, if you ask me I know not. " ইহার চেয়ে সুন্দর উত্তর বড় একটা মিলে না। কবিতার বিচার নানাভাবে নানারূপে নানাজনে করিয়া থাকেন কিন্তু কবির প্রাণের মধ্যে যে সৃষ্টির সৌন্দর্য্য শতরূপে শতভাবে প্রকাশ পাইয়া থাকে সেই প্রাণের সন্ধান কয়জন পাইয়া থাকেন? সেইখানেই কবিতার প্রকৃত পরিচয়। সেইরূপ বিচার করিবার ক্ষমতা আমাদের কতদূর আছে জানি না। আমি সেইরূপ সূক্ষ্মভাবে এবং বিস্তারিতরূপে কোন আলোচনা করি নাই - এক কথায় কবির পরিচয়, কাব্য-পরিচয় এবং কাব্য-গ্রন্থে আলোচনা প্রয়োজনানুরূপ কোথাও বিশদভাবে করিয়াছি, কোথাও করি নাই। তবে প্রত্যেক কবির কবিতার মূলসুরটুকু আমি যেমন বুঝিয়াছি তাহ। স্পষ্টভাবে উল্লেখ করিতে ইতস্ততঃ করি নাই। মহিলা কবিদের প্রত্যেকের কবিতায়ই একটা বিষাদের সুর - একটা নিরাশার সুর প্রবাহিত, এই বিশেষত্বটুকু সকলেরই চক্ষে পড়িবে। একথার উল্লেখও গ্রন্থ মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দেখিতে পাইবেন । আমি শুধু বাঙ্গালা কাব্য-সাহিত্যের আলোচনা ধাঁহারা করিয়াছেন, সেই সকল মহিলা কবিদের বিষয়ই বিবৃত করিয়াছি, এই জন্যই ইংরাজী ভাষায় কবিতা রচনা করিয়া যশস্বিনী কবি, স্বর্গীয়। তরু দত্ত, এবং আমাদের জাতীয় জীবনের নব উদ্বোধন-দিনের জননেত্রী বিদ্যুন্ময়ী তেজস্বিনী মহিলা কবি শ্রীযুক্ত। সরোজিনী নাইডুর বিষয়এ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করি নাই। ইহারা যদি বাঙ্গালা সাহিত্যেরও আলোচনা করিতেন তাহা হইলে তাহা কত বড় গৌরবের কারণ হইত ! সংস্কৃত কবিতা রচনা করিয়াও অনেকে যশস্বিনী হইয়াছিলেন, বঙ্গে এমন মহিলা কবিও আছেন - এখানে বৈজয়ন্তী দেবী এবং প্রিয়ম্বদা দেবীর নাম উল্লেখ করিতে পারি। তাঁহাদের সম্বন্ধেও এই গ্রন্থ মধ্যে কোন কথা বলা হয় নাই, যদি পাঠক-সমাজ ইহা প্রয়োজনীয় মনে করেন তাহা হইলে ভবিষ্যত সংস্করণে ইঁহাদের বিষয় সন্নিবেশিত করিব । এই গ্রন্থ প্রকাশে আমাকে বিশেষভাবে সাহায্য করিয়াছেন এবং উৎসাহ দিয়াছেন পূজনীয়া শ্রীযুক্ত। স্বর্ণকুমারী দেবী, শ্রীযুক্তা কামিনী রায় বি-এ ও শ্রীযুক্তা প্রিয়ম্বদা দেবী বি-এ। ইঁহাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা-ঋণ অত্যন্ত বেশি। শ্রীযুক্ত। স্বর্ণকুমারী দেবী এই প্রাচীন বয়সেও আমাকে যে ভাবে সাহায্য করিয়াছেন তাঁহার ন্যায় মহীয়সী মহিলার পক্ষেই তাহা সম্ভব। একদিকে যেমন তিনি অনেক মহিলা কবির পরিচয় ইত্যাদি সংগ্রহ বিষয়ে আমাকে সাহায্য করিয়াছেন, তেমনি স্বর্গীয়। গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর ব্লকথানা প্রদান করিয়াও উপকৃত করিয়াছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দের সহিত বলিতে পারি যে, প্রত্যেক মহিলা কবিই আমাকে এই গ্রন্থ প্রকাশে নানারূপে সাহায্য করিয়াছেন, তাঁহাদের সাহায্য না পাইলে আমার পক্ষে এত সহজে এই গ্রন্থ প্রকাশ করা সম্ভবপর হইত না। কলিকাতা সাহিত্য পরিষদের প্রধান কর্ম্মাধ্যক্ষ সুহৃদ্বর শ্রীযুক্ত রামকমল সিংহ ও শ্রীযুক্ত শচীন্দ্রনাথ নন্দী সাহিত্য-পরিষদ পুস্তকালয় হইতে এবং রজনীকান্ত গুপ্ত মেমোরিয়েল লাইব্রেরীর কর্তৃপক্ষগণ উক্ত পাঠাগার হইতে আমাকে অনেক দুর্লভ পুস্তক ইত্যাদি দ্বারা বিশেষ ভাবে সাহায্য করিয়াছেন। তাঁহাদের ঐরূপ সাহায্য না পাইলে আমার পক্ষে অনেক মহিলা কবিদের পরিচয় ও কাব্য আলোচনা করা সম্ভবপর হইত না। এজন্য তাঁহাদের নিকট আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি। পরম স্নেহভাজন সুহৃদ কবি শ্রীমান্ নরেন্দ্র দেব ও লুকবি শ্রীযুক্ত গিরিজাকুমার বহু, বন্ধুবর, কবিশেখর শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ সোম কবিভূষণ, মিউনিসিপাল গেজেট সম্পাদক সুহৃত্তম শ্রীযুক্ত অমলচন্দ্র হোম মহাশয় কোন কোন বিষয়ে সাহায্য করিয়া আমাকে উপকৃত করিয়াছেন, এ সুযোগে তাঁহাদিগকেও বঙ্গের মহিলা কবিদের বিষয় আলোচনা করিতে হইলে সকলের আগে রজকিনী রামীর নাম করিতে হয় । তাঁহার রচিত কয়েকটি পদ আবিষ্কৃত হওয়ায় তাঁহাকেই বঙ্গের মহিলা কবিদের মধ্যে প্রথম স্থান দিতে হয়। তাঁহার পূর্ব্বের আর কোনও মহিলা কবির পরিচয় আমরা পাই নাই । রামীর পূর্ব্বে যে দুই একজন স্ত্রী-কবির ভণিতা পাওয়া যায় তাহাদিগকে নিঃসন্দেহরূপে মহিলা কবিরূপে গ্রহণ করা যায় না বলিয়াই আমরা প্রথমেই রামীর কথা বলিতেছি । রামীর সহিত চণ্ডীদাসের নামের স্মৃতি চির বিরাজিত। কিন্তু চণ্ডীদাসের পদাবলী লইয়া বর্তমান সময়ে যে বিতর্ক চলিতেছে তাহাতে কোন্ চণ্ডীদাসের সহিত রজকিনী রামীর প্রণয়লীলা ঘটিয়াছিল তাহার একটা সুমীমাংসায় আসাও বড় সহজ নহে। তবে এ পর্যন্ত যে প্রেমবিহ্বল - ভাব-সম্পদপূর্ণ পদাবলী রচয়িতা চণ্ডীদাসের কামগন্ধবিহীন পীযূষ-মধুর কবিতালহরীর সহিত আমাদের দেশের জনসাধারণের স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা 'আছে, সেই চণ্ডীদাসের সহিতই আমরা রজকিনী রামীর জীবন-ইতিহাসকে গ্রথিত করিলাম। চণ্ডীদাস যৌবনেই ছিলেন উদাস প্রকৃতির লোক। সংসারের দিকে তাঁহার বড় একটা লক্ষ্য ছিল না। আপনার মনে আপনার খেয়ালে চলিতেন, তবে কিন। 'দেবদ্বিজে' প্রথম জীবনে ছিল তাঁহার অসাধারণ ভক্তি। আর ছিল তাঁহার সুমধুর কণ্ঠ - গান গাহিয়া মানুষের মন মুগ্ধ করিতেন। চণ্ডীদাসের পিতার মৃত্যুর পর তিনি বাশুলী দেবীর পূজক নিযুক্ত হইয়াছিলেন । উক্ত দেবমন্দিরের সেবিকা রামমণি ( নরহরির মতে তারা ধুবনী ) কবির হৃদয়ে প্রেম উদ্দীপিত করিয়া দিয়াছিলেন। চণ্ডীদাস পূজারীর কার্যে নিযুক্ত হইয়া প্রতিদিন দেবীর পূজা করিতেন, ভোগ রাঁধিতেন এবং গ্রামের প্রান্তভাগে, নির্জনস্থানে, একটী পত্রের কুটিরে থাকিয়া নিত্য ভজন করিতেন । "নান্নুরের মাঠে বাগুলি আদেশে, নিরজন স্থান অতি । "অলপ বয়সে পত্রের কুটির ভজন করয়ে নিতি ॥" এই সময়ে রামমণি অসহায় অবস্থায় আহার অন্বেষণে ইতস্ততঃ বেড়াইতেন। গ্রামের লোকেরা দয়া করিয়া তাঁহাকে দেবীর শ্রীমন্দির মার্জ্জনা কার্য়্যে নিযুক্ত করিয়া দিলেন। করিতেন এবং দেবীর প্রসাদ পাইতেন। প্রসাদের মাহাত্ম্যে রামমণি দিন দিন চণ্ডীদাস তথা চণ্ডীদাস কহে, সেবাতে নিযুক্ত হোল । দুঃখিনী রামিনী, শশীকলার ন্যায় ক্রমে বাড়িতে লাগিল।" নিয়ত শ্রীমন্দুিরে থাকিয়া রামমণি বড়ই শুদ্ধমতি হইয়া উঠিলেন ; তাঁহার হৃদয়ে ক্রমে ভক্তির সঞ্চার হইল। গ্রামের সকলেই তাঁহার কাৰ্য্যে প্রীতিলাভ করিলেন। "রামিনী কামিনী, কাজেতে নিপুণা, সকলের প্রিয়তমা।" রামমণির বিবাহ করিতে বা অন্য পতি গ্রহণ করিতে আর ইচ্ছ রহিল না! কিন্তু দৈবের বিচিত্র সংঘটন - চণ্ডীদাসের সহিত রামমণির কামগন্ধহীন প্রেমের সম্বন্ধ স্থাপিত হইল। প্রকৃতপক্ষে চণ্ডীদাস শ্রীকৃষ প্রীত্যর্থে রামমণির সঙ্গ করিয়াছিলেন এবং তাহাতে কামগন্ধ ছিল না রামমণিকে চণ্ডীদাস কখন মাতা, কখন গুরু সম্বোধন করিয়াছেন নিম্নলিখিত পদ দুইটী তাহার প্রমাণ। "শুন রজকিনী রামি ! শরণ লইনু আমি । এক নিবেদন, শীতল জানিয়া করি পুনঃপুনঃ শুন রজকিনী রামি।" রজকিনীর কলঙ্কহেতু চণ্ডীদাস সমাজচ্যুত অবস্থায় ছিলেন; একদ তাঁহার জ্ঞাতিবর্গ তাঁহাকে বলিলেন, - "শুন শুন চণ্ডীদাস। তোমা লাগিয়া আমরা সকলে ক্রিয়াকাণ্ডে সৰ্ব্বনাশ ॥ তোমার পিরীতে আম পতিত, নকুল ডাকিয়া বলে। ঘরে ঘরে সব কুটুম্ব ভোজন করিঞা উঠা কুলে।" রামমণিও বাঙলী দেবীর প্রসাদান্নে বঞ্চিতা হইলেন - তিনি মিছা কলঙ্কে ম্রিয়মাণ। হইয়া চণ্ডীদাসকে জানাইয়াছিলেন : - কি কহিব বঁধু হে বলিতে না জুয়ায় । কাঁদিয়া কহিতে পোড়া মুখে হাসি পায় ॥ অনামুখ মিন্সে গুলোয় কিবা বুকের পাটা । দেবীপূজা বন্দ করে কুলে দেয় বাটা ॥ দুঃখের কথা কৈতে গেলে প্রাণ কাঁদি উঠে। মুখ ফুটে না বলতে পারি মরি বুক ফেটে ।। ঢাক পিটিয়ে সহজবাদ গ্রামে গ্রামে দেয় হে ? চক্ষে না দেখিয়ে মিছে কলঙ্ক রটায় হে ? ঢাক ঢোলে যে জন সুজন নিন্দা করে। ঝঞ্ঝনা পড়ুক তার মস্তক উপরে ।। অবিচার পুরী দেশে আর না রহিব । যে দেশে পাষণ্ড নাই সেই দেশে যাব । বাশুলী দেবীর যদি কৃপাদৃষ্টি হয় । মিছে কথ। সেঁচা জল কতক্ষণ রয় । আপনার নাক কাটি পরে বলে বোঁচা । সে ভয় করে না রামী নিজে আছে সাঁচা ॥ - পদসমুদ্র চণ্ডীদাসের মৃত্যু সম্বন্ধে রামীর রচিত একটী গীতিক। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হইয়াছে। * ইহাতে জানা যার চণ্ডীদাস গৌড়ের নবাবের রাজসভায় গান গাহিতে অনুরুদ্ধ হইয়া তথায় গমন করেন। সেই গানে বেগম মুগ্ধ হইয়া যান এবং চণ্ডীদাসের গুণের অনুরাগিনী হন। নবাবের নিকট তিনি নির্ভীক ভাবে এই কথা স্বীকার করেন। নবাবের আদেশে চণ্ডীদাস হস্তী-পৃষ্ঠে আরদ্ধ হইয়া দারুণ কষাঘাতে প্রাণত্যাগ করেন। * "বঙ্গভাষা ও সাহিত্য" প্রণেতা শ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন বলেন - চণ্ডীদাসের মৃত্যু সম্বন্ধে প্রায় দুইশত বৎসরের প্রাচীন হস্তলিপি সম্বলিত একটি প্রমাণ বসন্ত বাবু সম্প্ৰতি আবিষ্কার করিয়াছেন। তাহা রামীর রচিত একটী গীতিক।। কবিতাটী "সাহিত্যপরিষদের" পুস্তকাগারে আছে । ২১৭ পৃষ্ঠা। তাঁহার আত্মীয় বন্ধুবর্গের সমক্ষে এইরূপ কষাঘাত করিয়া তাহার প্রাণ হননের দণ্ডাজ্ঞা ছিল সুতরাং রামী ও বেগম সকলেই কবির এই শোচনীয় পরিণাম দেখিয়াছিলেন। চণ্ডীদাস মৃত্যুকালে সমস্ত শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করিয়াও রামীর দিকে দুইটী নিশ্চল চক্ষের প্রেমের দৃষ্টি আবদ্ধ রাখিয়াছিলেন । বেগন এই দৃশ্য দর্শন করিয়া মূর্ছিতা হন। সেই মূৰ্চ্ছা তাঁহার ভঙ্গ হইল না । বেগমের মৃত্যুতে রামীর হৃদয় শ্রদ্ধাতে পূর্ণ হইয়া উঠিল এবং তিনি মৃত দেহের পদযুগল স্পর্শ করিয়া শোক-প্রকাশ করিলেন । এই অপূর্ব্ব শোক-গীতিকা হইতে ইহাও জানা যায় যে চণ্ডীদাসও বেগমের প্রতি অনুরক্ত হইয়াছিলেন। রামী অনুযোগ দিয়া বলিতেছে, "বাশুলী তোমার শুধু আমাকে ভালবাসিতে বলিয়াছিলেন, তুমি তাহার আজ্ঞা লঙ্ঘন করিলে কেন ? একটি দেশব্যাপী জনশ্রুতি যখন দুই শত বৎসরের প্রাচীন হস্তলিপি সম্বলিত প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হইতেছে, তখন তাহা আমরা ঐতিহাসিক সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে বাধা দেখিতেছি না। রাণী বাদসাহকে বলিয়াছিলেন - যাঁহার সুস্বরে ভুবন মুগ্ধ - যিনি প্রেমের মূর্তিমান বিগ্রহস্বরূপ, তাঁহাকে সামান্য মানুষ মনে করিও না। রামী বলিয়াছেন - "যে ব্যক্তি রাজপাটে বসিয়াও প্রেমের আস্বাদ পায় নাই, তাহার জীবন নিরর্থক।" রামীর পদ (১) "কোথা যাও ওহে, প্রাণ বঁধু মোর, দাসীরে উপেক্ষা করি। না দেখিয়া মুখ, ফাটে মোর বুক ধৈর্য ধরিতে নারি ॥ বাল্যকাল হতে, এ দেহ সঁপিলু, মনে আন নাহি জানি। কি দোষ পাইয়া, মথুরা যাইবে, বল হে সে কথা শুনি । তোমার এ সারথি, ক্রুর অতিশর, বোধ বিচার নাই । বোধ থাকিলে, দুঃখ-সিন্ধু-নীরে, অবলা ভাসাইতে নাই ।।
pdf
a4d39535f225f2c0a5b4e0907afd70066e3c1abb
আইপিএলের এবারের আসরে প্রথম সাত ম্যাচ গেইলকে ছাড়াই খেলেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। এই সময়ে দলটার অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। তবে ক্যারিবীয় তারকা ফিরতেই যেন বদলে গেছে পাঞ্জাব। গেইল মাঠে ফেরার পর টানা ৫ ম্যাচ জিতেছে দলটি। রবিবার গেইলের ২৯ বলে ৫১ রানের সুবাদে কলকাতাকে ৮ উইকেটে হারায় লোকেশ রাহুলের দল। প্লে-অফের দৌড়েও এখন ভালোভাবেই আছে দলটি। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে দারুণ খুশি ৪১ বছর বয়সী গেইল। ম্যাচ শেষে যিনি নিজের অবসর নিয়েও মুখ খোলেন। কলকাতার বিপক্ষে গেইলের পাশাপাশি মানদিপ খেলেন ৫৬ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। ম্যাচ শেষে মানদিপের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন গেইল। যেখানে ওঠে আসে 'ইউনিভার্স বস'র অবসর প্রসঙ্গ। আইপিএলের ওয়েবসাইটে যে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আইপিএলের এবারের আসরে রবিবার গেইল নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন। ৫ ম্যাচ শেষে গেইলের নামের পাশে এখন ১৭৭ রান।
web
fab425aab1a651a643c681c0c077be45616f6fa3944a8a2460cfc2227074de02
সে আমাদের ঘরে প্রবেশ করলো, আমিও তার সঙ্গে গেলাম। - লুই, মা বলছেন ফেব্রুয়ারী'তে হ'বে - সত্যি ? - হ্যাঁ - ভগবানের ইচ্ছা হ'লে তাই হ'বে । আমি একটু চুপ করে থেকে বললাম - আমার ছেলে হ'বার সময় বৃটেনে থাকতে ইচ্ছে হয়। মনে হ'য় আমার গলাটা একটু ভিজে উঠেছিল। জুঁই ফুলের পানের শেষ কলিগুলো আমার মনে পড়লো, লুই হঠাৎ মাথা তুলে আমায় চুম্বন করলে। - নিশ্চয় - সে সময় তোমার মা'র চে' আর দেখাশোনা করবার লোক আর কে আছে। মা নিশ্চয়ই বাবাকে এ সংবাদ দিয়েছিলেন, কারণ যখন নীচে নামলাম তখন বাবা আমায় আলিঙ্গন করে আমার মাথায় হাত রেখে বললেন। আশীর্বাদ করুন -তোকে, তোর স্বামীকে আর তোর সন্তানকে। লুইও কিছু পরে এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে। সন্ধ্যাটা ভারি আনন্দে কাটলো। ২০শে নভেম্বর আজ আমরা সকলে ভিয়ারের চিত্রগৃহ দেখতে গেসলাম। সে আমাদের ছবিটা দেখাতে চাইলে, ছবিখানা প্রায় শেষ হ'য়ে এসেছিল। আমি বসে আছি লুইয়ের দিকে একটু অবনত হ'য়ে - লুই চিৎ হয়ে শুয়ে আছে আমার পায়ের উপর মাথা রেখে। এক হাতে করে সে আমার গলার পদক নিয়ে খেলা করছে। তার অধরে মৃদু হাসিকুমারী আরভ্যার-এর দিনপঞ্জী আমায় যেন একটু গম্ভীর বলে মনে হ'চ্ছে - কিন্তু মুখে একটা আশার আলোক পরিস্ফুট হ'য়ে উঠেছে। ভিয়ার ছবিটার নাম দিয়েছে "প্রেমের স্বপ্ন"। বাবা অবাক হ'য়ে চেয়েছিলেন ছবির দিকে, মায়ের আনন্দ আর ধরে না। আমাদের ছবিটী ভালো লাগলো। কাল সকালে মঃ ভিয়ার পারী যাবেন। সে এসেছিল আজ আমাদের সঙ্গে খাবার জন্যে আর বিদায় নিতে। ৩০শে নভেম্বর আমি বুড়ী জাকোর কাছে বিদায় নিতে গেলাম। আমরা বৃটেনে চলে যাচ্ছি শুনে বুড়ী মুষড়ে পড়েছিল। যখন আমরা তার ঘরে ঢুকলাম, দেখি একজন স্থূলকায় স্ত্রীলোক বসে রয়েছেন। তিনি আমাদের নমস্কার করে চেয়ার এগিয়ে দিলেন। ইনি হচ্ছেন মাদাম তুলঁ্যা। কাল তুমি চলে যাচ্ছ ? বুড়ী জাকেঃ বিমর্ষ ভাবে বললেন। তোমার সঙ্গে যা'ক সৌভাগ্য। বুড়ী জাকো রোজ তোমাদের জন্যে প্রার্থনা করবে। আমরা তার কাছ থেকে বিদায় নিলাম, তার হাতে দুটো স্বর্ণমুদ্র শুঁজে দিয়ে। মারী বোলেন উঠে দরজা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে এলেন। ১০ই ডিসেম্বর ১৮৬১ আমরা পারীতে এসেছি। কাল আমরা এখান থেকে রওনা হ'বো। জুই-এর ইচ্ছে নয় যে আমি একবারে অনেক দূর ভ্রমণ করি কারণ তা'তে আমি পরিশ্রান্ত হয়ে পড়তে পারি। এসেছিলেন। আসেন আমাদের সঙ্গে এক সঙ্গে গাড়ী করে বেড়াবার জনে। আমি সকাল বেলা তাঁর বাড়ীতে যাই। তিনি আমায় বড় ভালোবাসেন। কাল মা আমার সঙ্গে আসতে পারেননি, সে জন্যে লুই আমার সঙ্গে এসেছিল এবং আমরাই তার সঙ্গে বেড়াতে গেলাম। বাবা গেসলেন এক বন্ধুর বাড়ী। বুল ই'এর বাগানে দিদিমা আমাদের নামতে বললেন । আমরা প্রায় এক ঘণ্টা চল্লাম, তার পর লুই আমায় গাড়ীতে উঠতে বল্লে। - তুমি পরিশ্রান্ত হ'য়ে পড়নি? সে সঙ্কিত ভাবে জিজ্ঞেস করলে আমায় তার লোমষ ওভারকোট দিয়ে ঢাকা দিয়ে - চিঃ! আমি বুড়ী, আমি হাঁপিয়ে উঠিনি আর ঐ যুবতী মেয়েটা হাঁপিয়ে উঠলো ! - ওর এখন বেশী পরিশ্রম করা ঠিক হ'বে না। এই কথা বলে সে দিদিমার পিছনে পিছনে গাড়ীতে উঠলো। দিদিমা যেন কিছুক্ষণ কি ভাবলেন, আমার দিকে চেয়ে। ~~-ওঃ এতক্ষণে বুঝেছি, তিনি চিৎকার করে বলেন···সত্যি ! আমি হাসলাম । -ঐ তো রং ফিরে এসেছে - আগেই আমার বোঝা উচিত ছিল বুড়ো হ'য়ে বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পেয়েছে । তিনি আমায় প্রাণ ভরে আদর করলেন। - যখন আমি ভাবি, তুই, সেই ছোট্ট মেয়েটা মা হ'বি, আর আমি এখনও বিয়ে করলাম না, তখন সত্যিই অবাক হ'য়ে যাই। দুষ্ট টা কবে আসছে। - ফেব্রুয়ারী'তে দিঙ্গিমা।
pdf
758af169b33c16b8793214dc0ea719bc
ফের সাধারণ ছুটি নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। ক'রোনাভা'ইরাসে প'রিস্থিতির আরও অবনতি হলে ফের সাধারণ ছুটি এবং লকডাউন দেওয়ার বি'ষয়টি বিবেচনা করবে স'রকার। সেজন্য আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন সংশ্লিষ্টরা। স'রকারের ক'য়েকজন মন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ক'রোনা সং'ক্র'মণের ঝুঁ'কির মধ্যেই দেশে সী'মিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া গ'ণপরিবহনও চা'লু হয়েছে।ক'রোনাভা'ইরাসেের সং'ক্র'মণ পরিস্থিতির অবনতির দিকে যেতে থাকলে ফের ছুটি দেয়া হবে কিনা, এম'ন প্র'শ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদেরকে বলেন, 'যদি দেখি ব্যাপক অবনতি ঘটছে তাহলে তো বিকল্প কিছু থাকবে না। অ'র্থনৈতিক ক'র্মকাণ্ডগুলো চা'লিয়ে নেয়ার জন্যই তো খুলে দেয়া হলো।'প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা জানি ৮৫ শতাংশ ক'রোনা রো'গী ঘরে বসেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। সং'ক্র'মণ যাতে না বাড়ে সেজন্যব্যাপকভাবে চেষ্টা করছি। ছোট দে'শের বি'শাল জনসংখ্যা ম্যানেজ করা কঠিন। পুলিশ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে ক'ঠোরতা অবলম্বন করছি।' ২৫ শ'তাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে অফিস করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ১৫ দিন সময় দিয়েছি। কম সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে অফিস চলছে। অফিস টাইমটাও খুবই ফ্লেক্সিবল। কে'উ দু'ই ঘণ্টায় কাজ শেষ করতে পারলে সে চলে যাবে। বাসায় বসে কাজ করতে পারে করে দেবে। কিন্তু মুভমেন্টটা কম থাকবে।'কয়েক দফায় ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে। তবে শি'ক্ষা প্র'তিষ্ঠানের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হলেও বন্ধ রয়েছে পাঠদান। শিগগিরই তা শুরু হচ্ছে না বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত সোমবার স'ড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ক'রোনা পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় এবং জনস্বার্থের বিপরীতে যায়, তাহলে স'রকার ফের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বা'ধ্য হবে।
web
d7aaee629237a27d7d42e6c3d5e67a1eba94df3b
শাহরুখ কন্যা। সুহানাকে নিয়ে প্রতিনিয়তই যেন চর্চা বেড়েই চলেছে অন্তর্জালে। বলিউডের কিং খানের থেকেও যেন কমসময়ে ভাইরাল হয়েছেন সুহানা। গত মাসেই মুম্বই ছেড়ে নিউ ইয়র্কে ফিরেছেন শাহরুখ কন্যা। সম্প্রতি নিজের গার্লস গ্যাংয়ের সঙ্গে হট ছবি পোস্ট করে রাতারাতি লাইমলাইটের শীর্ষে চলে এসেছেন এই স্টারকিড। মীরা রাজপুতের সঙ্গে শাহিদ কাপুরের সম্পর্ক বেশ মিষ্টি প্রকৃতির, বলিউডের এই সেলেব জুটির কপিল গোলে মুগ্ধ অনেকেই। একে অন্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বজায় রেখেছেন সংসার, পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বিনোদন জগতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন মীরা, চুটিয়ে ছবি করার জন্য প্রস্তুত শাহিদও। বিগ বস মানেই বিনোদনের রসদ। সলমন খানের বিতর্কিত শো বিগ বস ১৪ জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বিশেষত, যেদিন থেকে রাখি সওয়ান্ত বিগ বসের ঘরে পা রেখেছেন সেদিন থেকেই পুরো ভোল বদলে গিয়েছে। একে অপরের সঙ্গে লড়াই থেকে শো-এর টিআরপি বাড়ানোর জন্য চরম অশ্লীলতার সীমা পার করছেন প্রতিযোগীরা। বিগ বসের ঘরের ভিতরের কান্ডকারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। রাখি সাওয়ান্ত নিয়ে তোলপাড় নেটিজেনরা। ব্রা পরে স্নান করা থেকে অন্যের অন্তর্বাস কেটে দেওয়া। ক্যামোরার সামনে রাখির কীর্তিতে ছিঃ ছিক্কারে ভরে গেল সোশ্যাল মিডিয়া। বলিউডের সেরা রোমান্টিক জুটি কাজল ও শাহরুখ খানের রোম্যান্স আজও পেজ থ্রি-র শিরোনামে। প্রথমসারির জুটি হিসেবে যেমন তাদের পরিচিতি রয়েছে ঠিক তেমনই বন্ধুত্বের রসায়ণও তাদের খুবই ভাল। পর্দায় কোনওদিনও চুমু খাননি এই হিট রোম্যান্টিক জুটি। সম্প্রতি এমন এক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যা শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে নেটিজেনদের। বাজিগর ছবির সেটে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের সময়ে নাকি কাজলের কোমরে চিমটি কাটেন শাহরুখ। দীর্ঘদিন বাদে ক্যামেরার পিছনের গল্প নিয়ে শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। জীবনে সফল কেই না হতে চায়। সকলের চোখেই কম বেশি স্বপ্ন থাকে পৃথিবী জয় করার। কিন্তু এই সাফল্যের চাবিকাঠি কী। অনেকেই আছেন যাঁরা প্রায়ই বলে থাকেন, কিছুতেই আমি পারছি না। এই না পাড়ার পেছনে থাকা কারণগুলোকে ধৈর্য ধরে ভেবে দেখেন কটা মানুষ! কাজলের জীবনে সাফল্যের গ্রাফটা নিঃসন্দেহে উর্ধমূখী। তিনি কোন মন্ত্রে বিশ্বাস করেন! প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং বোল্ডনেস অর্থাৎ সাহসিকতা। এই দু'টি শব্দ যেন একে অপরের সঙ্গে ওতোপ্রতভাবে জড়িত। বলিউড প্রিয়ঙ্কার এক অন্য সাহসিকতা দেখেছে। গোটা ইন্ডাস্ট্রি তাঁক বিরুদ্ধে চলে গেলেও তিনি একে প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে নিজের নাম শক্তভাবে ধরে রেখেছেন। অন্যদিকে হলিউডে গিয়ে পদার্পণ করতেই তাঁর এক অন্য সাহসিকতা নজর কাড়ল সকলের। হৃত্বিকের বিপরীতে নাচ। ওয়ার ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর কেমন প্রতিক্রিয়া ছিল বানীর, নাচ নিয়ে খুব একটা চর্চা করেন না তিনি। যার ফলে বেশ খানিকটা ভাবিয়ে তুলেছিল এই ছবি, হৃত্বিক বলে কথা, কী চিন্তা প্রথম বানীর মাথায় খেলেছিল! রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ি, 'কাপুর হাভেলি' অবস্থিত পেশওয়ারের কুইসা খওয়ানি বাজারে। ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে এই ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন রাজ কাপুরের দাদু। রাজ কাপুর নিজে এবং তাঁর কাকা ত্রিলোক কাপুর এই ভবনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে অভিনেতা দিলীপ কুমারের পৈতৃক বাড়িটি শতাব্দী প্রাচীন। সেই বাড়ি বিক্রি নিয়ে এবার একাধিকবার খবর প্রকাশ্যে উঠে আসলেও শেষমেশ বিক্রি হচ্ছে না কাপুর হাভেলি। ভিকি কৌশল এবং ক্যাটরিনা কাইফকে নিয়ে সর্বদাই সরগরম টিনসেল টাউন। বলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই ক্যাটরিনার নতুন প্রেমের কথা শোনা যাচ্ছে। একাধিক সম্পর্কে থেকে বেরিয়ে নতুন প্রেমকেই আষ্টেপৃষ্টে আকড়ে ধরেছেন বলিউডের ক্যাট। সম্প্রতি প্রেমিককে জড়িয়ে ধরে ছবি পোস্ট করেছেন ক্যাটরিনা। চরম ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে শীতের উষ্ণতা মাখানো ভালবাসার ছবি ঘিরেই জোর জল্পনা দানা বেঁধেছে। কে এই গোপন প্রেমিক, যার সঙ্গে অন্তরঙ্গতায় ডুব দিলেন বলিউডের ক্যাট। সিনে জগতে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন কাজল। কিন্তু পরিবারে কতটা হিট তিনি! বাইরের জগত সামলাতে গিয়ে কতটা সময় দিতে পেরেছিলেন তাঁর সন্তানদের, এই নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন কাজল, তুলে ধরলেন এক অতিবাস্তব ও সত্যকে।
web
a047b92bb34b2cbfd080db03d1ebef697b455542
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার প্রচেষ্টায় নড়াইল সদর হাসপাতালে জিন এক্সপার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ৪৫ মিনিটে কোভিড-১৯ পরীক্ষার যাত্রা শুরু হয়েছে। খুলনা বিভাগের মধ্যে কোনো সরকারি হাসপাতালে প্রথম সংযোজিত অত্যাধুনিক এ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী করোনা পরীক্ষা করে রোগিদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। হাতের কাছে করোনা পরীক্ষার দূর্লভ এ উপহারে মানবিক এমপি মাশরাফির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নড়াইলবাসী। শনিবার বেলা ১২টির দিকে সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে মাত্র ৪৫ মিনিটে কোভিড-১৯ পরীক্ষা পদ্ধতির উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এম বি ডি সি পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ সামিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে তিনি ৬০০টি করোনা পরীক্ষা কিট সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মাশরাফির বাবা, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, চিকিৎসক, নার্স, জিন এক্সপার্ট টেকনেশিয়ানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মাশরাফি এই পরীক্ষা পদ্ধতির উদ্বোধন করে সমৃদ্ধ নড়াইল গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উদ্বোধনীর পরই সদর হাসপাতালের নিচতলায় ১০৪ নং কক্ষে পূর্ব স্থাপিত জিন এক্সপার্ট ল্যাবরেটরিতে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের বিভাগীয় মাইক্রোবায়োলজিস্ট মোঃ মামুন হাসান বলেন, অত্যাধুনিক এ প্রযুক্তির মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত সংকটাপন্ন রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত করোনা পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। মাশরাফির উদ্যোগে নিজেদের দোড়-গোড়ায় স্বল্প সময়ে করোনা পরীক্ষার অত্যাধুনিক এ ব্যবস্থায় খুশি নড়াইলবাসী।
web
1df2a5f1f6c11c62b96d8c6e38733877de1d012b
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নতুন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন এনেছে স্যামসাং। গুগল অপারেটিং সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে আনা হয়েছে এই হ্যান্ডসেট। অল্টারনেটিভ অপারেটিং সিস্টেম (টিজেন) চালিত জেড১ নামের এই সেট ভারতের বাজারে ছাড়া হয়েছে। কম দামের এই স্মার্টফোনটি মূলত রাশিয়া বা জাপানের বাজারে ছাড়ার কথা ছিলো। ৪৮০ রেজ্যুলেশনের এই স্মার্টফোনের আছে ৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ২.৩ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রসেসর। এর পেছনে আছে ৩.১ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং সামনে ০.৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। আলট্রা পাওয়ার সেভিং ফোনটিতে ব্যবহৃত সব ফিচারই টুডি ও থ্রিডি গ্রাফিক্সের মতো। এর ৪ জিবি ইন্টারনাল মেমরি থাকলেও মাইক্রো এসডি কার্ড দিয়ে তা বাড়ানো যাবে ডাটা স্টোরেজ। এতে দুইটি সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে। একবার চার্জে ৮ ঘণ্টা একটানা কথা বলা এবং ৭ ঘণ্টা টানা ভিডিও দেখাও যাবে। মাত্র ৫ হাজার ৭০০ রুপির ফোনটির দাম বাংলাদেশী মুদ্রায় পড়বে ৭ হাজার টাকার মতো। স্মার্টফোন বিক্রিতে এগিয়ে থাকলেও অ্যান্ড্রয়েডের অপারেটিং সিস্টেমের দিক দিয়ে স্যামসাংয়ের কোনো অবস্থান নেই। প্রতিষ্ঠানটি নির্ভর করে আছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উপর। টিজেন অপারেটিং সিস্টেমের উদ্বোধনকে তাই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা স্যামসাংয়ের সবচে বড় বাজি বলেই মনে করছেন। গুগল অ্যান্ড্রয়েডের তুমুল জনপ্রিয়তার কাছে স্যামসাংয়ের অপারেটিং সিস্টেম কতটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরি করতে পারবে সেটাই এখন দেখার ব্যাপার।
web
131cd9c70238963d79a35b86d59968497d7b8058
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর থানার বকুলপুর এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে আজ সকালে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। মৃতের মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত যুবকের বয়স অনুমানিক ২৬। অন্যত্র খুন করে তাঁকে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি ক্লিক করে দেখুন। বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি ক্লিক করে দেখুন।
web
3897b54372d82bdd8ff964d7a5bc5d1e
জাতীয় বাজেটে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা অগ্রাধিকার দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অভিযোজন ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনে চরাঞ্চলগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাজেট বৃদ্ধি করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। সোমবার সকালে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে জেলা জলবায়ু ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তারা জলবায়ু পরির্বতনের ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে উল্লেখ করে উপকূলীয় জনগোষ্ঠিকে সুরক্ষায় জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান। তারা বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পবিরর্বতনের ফলে ঝুঁকির মধ্যে থাকা উপকূলীয় জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম ঝুকিঁপূর্ণ জেলা ভোলা। ভোলা মূল দ্বীপের সাথে অনেকগুলি বিচ্ছিন্ন চর রয়েছে। যেখানে প্রায় দুই লাখ মানুষ স্থায়ী ভাবে বসবাস করে। এই বিচ্ছিন্ন চরগুলোতে অনেক ফসলি জমি রয়েছে। যেখান থেকে প্রচুর কৃষি শষ্য উৎপন্ন হয়। কিন্তু সরকারের পরিকল্পনার অভাবে এই বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল গুলো দুর্গম চরে পরিণত রয়েছে। সরকার যদি এই সমস্থ চরাঞ্চলের প্রতি নজর দেয় তবে চরাঞ্চল থেকে আরো বেশি কৃষি পণ্য উৎপাদন সম্ভব যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখবে। তাই সরকার যদি সুনজর দেয় তাহলে এই দুর্গম চরের মানুষের অনেক সুবিধা হবে। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা জলবায়ু ফোরামের সভাপতি নুরুল ইসলামের, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা জলবায়ু ফোরামের সম্পাদক অধ্যক্ষ শাফিয়া খাতুন, অ্যাড. কামাল উদ্দিন সুলতান, সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলন নেয়ামতউল্লাহ, কোস্টট্রাস্ট সিএফটিএম প্রকল্পের টিম লিডার রাশিদা বেগম, আইইসিএম প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, শরমিন জাহান শ্যামলী।
web
8341b0c20233365934ab8b38b3e5037bbae28ff6
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জে পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই শিশু সহোদরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব জাহিদপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের আজমান আলীর শিশু পুত্র প্রতিবন্ধী শাহান আহমেদ (১০) ও রাহান আহমেদ (৭)। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত সময় পরিবারের অগোচরে শিশু শাহান ও রাহান উঠানের পাশ্ববর্তী পুকুরে নামে। এরপর থেকে তাদের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্ভাব্য স্থানে খুঁজাখুঁজি প্রায় ১ঘন্টা পর পুকুরে দুই ভাইর নিথর দেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। এসময় তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
web
4e416d288a9b38781e80f9e705efeeb3952abae1
কাজীদা ( কাজী আনোয়ার হোসেন ) যদি বিন্দুমাত্র জানতেন যে বাংলাদেশের মানুষ তাকে কী পরিমাণ ভালবাসে! ভাই, পাহাড়ে যারা যান তাদের মন পাহাড়ের চেয়েও উঁচু হবেই বলে আমরা ভেবে নিই, কিন্তু কথাটা সত্য নয়। পর্বতারোহীর অনেক জালিয়াতি ধরা পড়েছে যুগে যুগে, মিথ্যা খ্যাতির লোভে, স্পন্সরের টাকার জন্য, অসফলতার দায়ভার এড়াতে অনেকেই পাহাড় চুড়োয় না পৌঁছেও বলে দেন- আমরা শীর্ষে ! অনেক বছরের সম্পর্ক অনিবার্য কারণে ভেঙ্গে যাবার পর কেবল ভাল বন্ধু থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যখন বিদায় দেবার জন্য দরজায় দাড়িয়ে ওর চোখের দিকে তাকালাম, সে কেবল অস্ফুট স্বরে বলল- আশা করি জীবনে তোমার মতই আর কারো সাথে আমার দেখা হবে। অতিসাধারণ এক তরুণ থেকে সেই মুহূর্তেই পরিণত হলাম বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম এক্স-বয়ফ্রেন্ডে! শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন-কানুন সর্বনেশে ! এতে অবাক হবার কিছুই নেই, তারপরও অবাক হতে হয়। যে মহাবিজ্ঞ মানুষেরা দিনরাত নিজেদের সৃষ্টির সেরা জীব মনে করে তারা কিভাবে দৈনন্দিন জীবনের এই সমস্ত বিষয়গুলো পাশ কাটিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে পারে তাতে অবাক হওয়া ছাড়া কোন গতি দেখি না।
web
d326f88b2332a1c5eb7762b16de58694
সূত্রের খবরানুযায়ী খুব সম্ভবত ভারত সফর এড়িয়ে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর আগে নয়াদিল্লী জানিয়েছিল এসসিও সম্মেলনে ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা। তবে সেই আমন্ত্রণ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান না করে পরিবর্ত হিসেবে ইমরান তাঁর বিদেশমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন বলে পাক প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস। এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। সম্মেলনের রীতি মেনে আটটি সদস্য দেশ ছাড়াও পর্যবেক্ষক ও আলোচক দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে বৃহস্পতিবার জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তখনই কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা ছিল, পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় পাক যোগের প্রমাণ, তার জেরে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্কের ফাটল যা চওড়া হয়েছে, তা উপেক্ষা করে ইমরানের ভারত সফরে আসা কার্যত অসম্ভব। এ বার সেই ইঙ্গিতই দিলেন পাক প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তা আইএনএস-কে বলেছেন, "বালাকোটের পর ভারত-পাক সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে, তার পরে ভারত সফরে গেলে ইমরান খানের পক্ষে তার যথার্থতা ব্যাখ্যা করা কঠিন। খুব সম্ভবত, তিনি তাঁর বিদেশমন্ত্রীকে পাঠাবেন।" কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তাতে নিমন্ত্রণ রক্ষাও হবে আবার নিজে এলে দেশের অভ্যন্তরে যে প্রশ্নের মুখে পড়তেন, তাও এড়াতে পারবেন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতি বিষয়ক আট সদস্যের সংগঠন এসসিও-র নেতৃত্বে রয়েছে চিন। সদস্য দেশ হিসেবে ২০১৭ সালে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। চিন, পাকিস্তান ও ভারত ছাড়াও কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও আফগানিস্তান এই সংগঠনের সদস্য দেশ। সংগঠনে রয়েছে চার পর্যবেক্ষক দেশ - আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়া। এ ছাড়া আলোচনার অংশীদার ছ'টি দেশ হল আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল, তুরস্ক ও শ্রীলঙ্কা।
web
a2f3d25c5d1fab5f8c34f53403ffda588e4d3a01
মিলন আর সাদিয়া ছোটবেলা থেকে অনেক ভাল বন্ধু। মিলনদের আর্থিক অবস্থা ভাল হলেও হঠাৎ করেই বাবা-মা দুর্ঘটনায় মারা গেলে এতিম হয়ে যায় সে। আর সাদিয়ারা অনেক গরিব। টাকার অভাবে এক সময় পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় তার। তখন মিলন নিজের পড়ালেখা ছেড়ে ভাতের হোটেল খোলে যাতে সাদিয়া আবার স্কুলে যেতে পারে, স্বচ্ছন্দে থাকতে পারে। এইচএসসি পরীক্ষার পর মেডিকেলে ভর্তির জন্য সাদিয়া আর তার মাকে নিয়ে ঢাকায় পাড়ি দেয় মিলন। কিন্তু তারপর থেকেই বিপত্তি। ঢাকায় এসে টাকার গন্ধ পেয়ে মন পাল্টে যায় সাদিয়ার। তার আর গরিব, খ্যাত মিলনকে ভালো লাগে না। টাকার বিনিময়ে নিজের ভালোবাসাকে সে বিকিয়ে দেয় ধনীর দুলাল আরজুর কাছে। এবার কি করবে ভালোবেসে প্রতারিত হওয়া মিলন? এই নিয়েই 'ভালোবাসার গল্প' - একটি অনন্য মামুন চলচ্চিত্র। একটি মৌলিক গল্পে ১০০% বাংলাদেশী ছবি। ছবির সেরা দিক এর কাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রথম একটা কমার্সিয়াল ছবি দেখলাম যার পুরোটা জুড়ে তার কাহিনীই প্রাণ হয়ে ছিল। কাহিনীতে নতুনত্ব ছিল। একেবারে জীবনঘনিষ্ঠ এবং প্রাত্যহিক জীবনের খুবই পরিচিত একটা গল্প। কিন্তু বড় পর্দায় এই প্রথমই এত বড় ক্যানভাসে উঠে এল সেটা। এবং পুরো ছবি জুড়ে যে দর্শককে যে মেসেজটা দেয়ার ছিল, সেটাও অসাধারণ। সবমিলিয়ে 'ভালোবাসার গল্পে' যে ভালোবাসার গল্পের দেখা পেলাম, তা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী, অনেকদিন মনে রাখার মত। এবং অবশ্যই, বাংলা ছবিতে দারুণ অভিনব। আশি নব্বইয়ের দশকে যেধরণের কাহিনীনির্ভর ছবি নির্মাণ হতো, 'ভালোবাসার গল্প'ও ঠিক সেই ঘরানার ছবি। চিত্রনাট্য সহজ-সরল কিন্তু সুন্দর। ছবির রানিং টাইম বেশ লম্বা, কিন্তু কাহিনীর উপস্থাপনায় কোন বাহুল্য নেই। প্রতিটা দৃশ্যই মূল কাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত। কোন অপ্রয়োজনীয় সাবপ্লট নেই। ছবির সংলাপও অসাধারণ। রোমান্টিক, ইমোশনাল এবং কমেডি, সবধরণের সিনের সংলাপগুলোই ভালো লাগার মত। গানগুলো ভাল লেগেছে। বিশেষ করে মিলন সাদিয়ার প্রথম রোমান্টিক গানটা। এবং সাম্প্রতিক সময়ের অন্যান্য বাংলা ছবির মতই, এই ছবিরও দৃশ্যায়ন চমৎকার। পরিচালকরা যে দেরিতে হলেও দেশীয় সুন্দর সুন্দর লোকেশনের কদর করছেন, এটা অনেক ভাল লাগছে। পরিচালক হিসেবে অনন্য মামুন অসাধারণ। আরও একবার তিনি প্রমাণ করেছেন কেন তাকে এই সময়ের সবচেয়ে মেধাবী পরিচালকদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার নির্মাণ বরাবরের মতই ভাল। এই ছবির যে কাহিনী তাতে অনেক বিগ বাজেটের টেকনোলজি, গ্রাফিক্স এসবের দরকার ছিল না। দরকার ছিল কাহিনীর ফ্লো ঠিক রেখে আন্তরিকতার সাথে সেটিকে পর্দায় উপস্থাপন। এবং সেটা পারফেক্টলি করেছেন তিনি। তবে গানের ক্ষেত্রে টাইমিং সেন্স আরেকটু ভাল হলে ভাল হত। মিলন আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করলেন। মাসুম চরিত্রকে তিনি যতটা যথার্থভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন, সেটা আর কোন অভিনেতার পক্ষে হয়ত সম্ভব হতো না। অভিনেতা হিসেবে নিজেকে আরও বড় উচ্চতায় নিয়ে গেলেন তিনি। মিশা সওদাগরও অসাধারণ। এ বছর এখন পর্যন্ত তার আগের সেরা দুই ছবি 'ছুঁয়ে দিলে মন' আর 'ব্ল্যাকমেইল'। এ ছবিতে তিনি আরও কয়েকগুণ ভাল ছিলেন। কে ভাবতে পেরেছিল, আলাভোলা সৎ নীতিবান উকিলের চরিত্রের সাথে চিরকালের খলনায়ক মিশা এত সুন্দরভাবে মানিয়ে যাবেন? অন্যদিকে নবাগতা হিসেবে সাদিয়াও ভাল করেছেন। ভবিষ্যতে আশা করি তিনি আরও ভাল করবেন। আরজুও মন্দ ছিলেন না কিন্তু সাদিয়ার পাশে তাকে বাচ্চা বাচ্চা লেগেছে। ডন আর মুনিরা মিঠুর অভিনয় এই ছবির আরেকটা বড় দিক। মুনিরা মিঠু সাদিয়ার মা হিসেবে অনেক ভাল করেছেন। আর মিলনের বন্ধু হিসেবে ডনও নিজেকে নতুনরূপে তুলে ধরেছেন। একজন চরিত্রাভিনেতা হিসেবে তিনি ভবিষ্যতেও এরকম আরও ভাল ভাল কাজের সুযোগ পাবেন, এই আশা রাখি। এবং লাস্ট বাট নট দি লিস্ট, পিচ্চিগুলোও ছিল স্রেফ দারুণ। সবমিলিয়ে ভাল অভিনয়, ভাল পরিচালনা, ভাল নির্মাণ, ভাল গানের ছবি ভালোবাসার গল্প। কিন্তু বাকি সব বাদ দিন। জাস্ট ভাল গল্পের, মৌলিক গল্পের, দেশী ফ্লেভারসমৃদ্ধ গল্পের একটা ছবি দেখতে 'ভালোবাসার গল্প' দেখুন। অনেকদিন পর বাংলাদেশে এমন একটা ছবি দেখলাম যার একাধারে ভাল একটা কাহিনী আছে, পাশাপাশি সেটা দর্শককে খুব ভাল একটা সামাজিক বার্তাও দিচ্ছে। ভালোবাসার গল্প এমন একটা ছবি যা দেখে রুচিশীল দর্শক গর্ব করে বলতে পারে, হ্যাঁ, এটা আমাদের বাংলাদেশের ছবি। পরিচালককে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ছবি উপহার দেওয়ায়।
web
585c926360e2fe080b8a65e74dbbab15ee7ad3c4
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সুলতানপুর দক্ষিণ পালপাড়া গ্রামে গণেশ পালের বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭০ কেজি ওজনের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও মহাদেবপুর থানা পুলিশ যৌথভাবে এই মূর্তি উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ মূর্তি পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো মহাদেবপুর উপজেলার বালাতৈড় গ্রামের সুমন আচার্য (৩০), সুলতানপুর গ্রামের মনি মন্ডল (২৫), ও তাতারপুর সরকারপাড়া গ্রামের রকি সরকার (২৮)। মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দীন মাহমুদ জানান, অভিযুক্ত সুমন আচার্য এর বিরুদ্ধে কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত সম্পর্কিত অভিযোগ এনএসআই কার্যালয় পায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুমন আচার্যকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরেই বুধবার দুপুরে মহাদেবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছে থেকে একটি কষ্টি পাথরের ব্রহ্ম মূর্তি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, আটককৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে স্বীকার করে যে, তারা কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচার চক্রের সদস্য। এনএসআই এর গোয়েন্দা তথ্যে মতে, তাদের কাছে আরও বেশ কয়েকটি কষ্টি পাথরের মূর্তি রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে বুধবার বিকেলে মহাদেবপুর থানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের পূর্বক তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
web
85e2cb2edebba2194f6a36d2609b7d1133b04ee7
অভিযোগ আছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির প্রশাসনের অধীন ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে। জানা যায়, এই প্রশাসন লুটপাট করেছে জনগণের জন্য আসা বিদেশি সহায়তার লাখ লাখ অর্থ। এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বয়ং গণির বিরুদ্ধেও। দেশ ছেড়ে পালান গনি ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের দখল নিলে। শোনা গেছে, তিনি ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন যাওয়ার সময়। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তবে তিনি। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন মঙ্গলবার ১৪ সেপ্টেম্বর কয়েকজন তালেবান কর্মকর্তা। সেখানে তারা অভিযোগ করেন, লাখ লাখ নগদ অর্থ ও সোনার বার উদ্ধার করা হয় পানশির উপত্যকায় প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর বাড়ি থেকে। ভিডিওতে দেখা গেছে, তালেবান যোদ্ধারা গণনা করছেন মাটিতে বসে স্যুটকেসে থাকা ওই নগদ অর্থ ও সোনার বার। একজন যোদ্ধা বলেছেন, তারা প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছেন তালেবানের হাতে পানশির উপত্যকার পতনের পরের দিন। আর ৬২ লাখ মার্কিন ডলার ও ১৮টি সোনার বার উদ্ধার করেন পরের সময়ে তল্লাশি চালিয়ে। আফগানিস্তানে এখন ব্যাপক নগদ অর্থের সংকট চলছে। এখন দেশটিতে এক ব্যক্তি দিনে ২০০ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। আর্থিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সম্ভবত অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে তালেবান। তালেবান ক্ষমতায় আসার আগেও দেশটিতে সরকারি কর্মীদের বেতন দেরিতেই পেতে হতো। আর গ্রামপর্যায়ে এক মাসের বেতন পেতে পরের মাসও পেরিয়ে যেত। তালেবান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ অর্থসহায়তা বন্ধ করে দেওয়ায় আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও নাজুক হয়েছে। খাবার ছাড়াও অর্থের অভাবে পড়েছে লাখ লাখ আফগান। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব ব্যাংক হিসাব নিরীক্ষা করে দেখছে তালেবান। তালেবানের চোখে এসব অর্থ অবৈধভাবে উপার্জিত। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে এএফপিকে বলেন, এই কর্মকর্তাদের তালিকায় রয়েছেন সরকারি চাকরিজীবী, মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতারা।
web
8f23bcea71b70d79e7b8ef1792482ac8
আজ সারা বিশ্বে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা। খেলাটি আজ যে জায়গায় এসে সমৃদ্ধ হয়েছে শুরুতে এরকম ছিল না। আবার ক্রিকেট খেলার এতগুলো ফরম্যাটও ছিল না। বর্তমানে টেস্ট, ওয়ানডে, টি টোয়েন্টি তিন ধরণের ফরম্যাটে খেলা হয়। তাই যদি বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাস ভাগ করা হয় তবে দুভাগে ভাগ করা যেতে পারে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি বলতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশের গণমানুষের সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য, ভোজনরীতি, পোশাক, উৎসব ইত্যাদির মিথস্কিয়াকে বোঝানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশের স্বকীয় কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আলাদা করার প্রয়াস পাওয়া যায়। "... আপনি এখানে নদীর পাশে বসে কিছুটা সুন্দর সময় কাটাতে পারেন.. ইচ্ছে করলে বোটে ঘুরতে পারেন.. এমনকি ঘোড়ার গাড়িতে চড়তে পারবেন!!! আর আশে পাশে হাটার অনেক জায়গা আছে.. চারপাশের কাশফুল গুলো যখন এক দল বেধে উড়ে আসবে তখন পরিবেশ হবে আরো রোমাঞ্চকর.. কম্পিউটারে আমরা অনেকেই অনেক রকম কাজ করি। কিন্তু এর পরেও কম্পিউটারের হাতের কাছের অনেক কিছুই আমাদের অজানা রয়ে যায়। যার ফলে অনেক সহজ কাজও আমাদের করতে হয় নানান সব জটিলতার মধ্যে দিয়ে।
web
51b422e83ce412ee1b71164a88b7bdcd4e08f602
খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, কসবা প্রতিনিধি ::কসবা পৌর সভায় বাজার ইজারার দরপত্র নিয়ে পৌর প্রকৌশলীর জালিয়াতি ও কারচুপির বিরোদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কসবার একজন বাজার ইজারাদার। এই দরপত্র বাতিল করে পৌর সহকারি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ পেশ করেছেন ইজারাদার কামাল উদ্দিন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, পৌর সভার অধীন কসবা পুরাতন বাজার ও রিক্সা স্ট্যান্ডের ইজারার একটি বিজ্ঞপ্তি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সাপ্তাহিক অগ্নিবাণী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইজারাদার কামাল উদ্দিন গতকাল সোমবার (৯ মার্চ) দরপত্রটি যথা সময়ে পৌর সভার দরপত্র বাক্সে দাখিল করে। পরে ইজারাদার ও দরপত্র কমিটির অনুপস্থিতিতে পৌর প্রকৌশলী বাক্স খোলে দরপত্র দাতা কামাল উদ্দিনের দরপত্রটি দেখে অন্য একটি দরপত্র তৈরি করে পেশকৃত দরপত্রের খাম গুলো সন্নিবেশিত করে। ওই সময় দরপত্র কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত না থাকায় দরপত্র দাতা ও তার সহযোগিরা দেখতে পায় প্রকৌশলী কামরুজ্জামান দরপত্রের খামগুলো ঘাটা ঘাটি করছেন। পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে দেখা যায় কামাল উদ্দিনের দাখিলকৃত দরপত্রের খামসহ আরো কয়েকটি খামের মুখ খোলা। ফলে ঘটনাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে প্রকৌশলী নিরোত্তর থাকে। পরে কাউন্সিলর মো.জসিম উদ্দিন,কামাল সরকার,জাঙ্গাগীর আলমের পরামর্শ মতে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মেয়রের নিকট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ পেশ করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে পৌর সভা কার্যালয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বাধানুবাদ হয়েছে। পৌর সচিব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ইজারাদার মোঃ কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কসবা থানায় পৌর প্রকৌশলী কামরুজ্জামানকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
web
7f6e794f497d301fe7e7966f2a8a419dc1d66a77
শুভেন্দুর নেতৃত্বে বগটুইয়ে বিজেপির দল। বগটুই গ্রামে পৌঁছল বিজেপির প্রতিনিধি দল। এরপর সেখান থেকে রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন আমরা দায়িত্ব নেব কল্যানী এইমস কিংবা কোনও উচ্চ হাসপাতালে। Published at: 23 Mar 2022 08:01 PM (IST)
web
b5999c2feeefac4ca83e559f8bab41e1fe4326c1
টিভির পর্দায় নায়ক দের শরীর দেখে আপনার কি চোখ জলজল করে ওঠে? মনে মনে ভাবেন এমন একটা মানুষ যদি আমার জীবনে আসতো কতই না ভালো হতো। হৃত্বিক রোশন, সালমান খান, আমির খান, শাহরুখ খান, রনবীর কাপুর কত কেউই আছে আপনার লিস্টে। কিংবা রাস্তাঘাটেও সুন্দর দেখতে, সুন্দর চেহারার ছেলে দেখে একবার উঁকি মেরে দেখেন নাকি! এই গল্পটা শুধু আপনার নয় এই গল্পটা আমার আপনার মতো প্রতিটি সাধারণ ঘরের মেয়ের নিত্যনৈমিত্তিক গল্প। রাস্তাঘাটে যাওয়ার সময় সুন্দর ছেলে দেখলে একবার উঁকি মেরে বা পিছন ফিরে তাকাতে সকল মেয়েদের ইচ্ছা করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সমস্ত সুপারহিরোদের জায়গা নিয়েছেন সত্তিকারের সুপারহিরোরা। আসুন এই সুপার হিরোর মধ্যে একজন যার সঙ্গে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই। ইনিও একজন খান, তবে না বলিউডের তিন খানের মতন নয়। তার নাম মোহাম্মদ জাভেদ খান। তথাকথিত গ্ল্যামার এবং শারীরিক গঠনের সৌন্দর্য নেই, কিন্তু ভগবান যে মন বানিয়ে পাঠিয়েছে পৃথিবীতে তা কিন্তু আপনি সহজে পাবেন না। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন অটো চালানো। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা যে অটো চালায় না তা বোঝাই যাচ্ছে তাই সে ক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য অর্থনৈতিক সংকটের পরিবেশেই ছিলেন এই যুবক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এক হিরোগিরি বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। সত্যিই একে আপনি হিরোগিরি বলতেই পারেন। নিজের অটোকে একেবারে পরিবর্তন করে ফেলেছেন অ্যাম্বুলেন্সে। দেশজুড়ে যখন এম্বুলেন্স অক্সিজেন স্বাস্থ্যব্যবস্থার এমন খারাপ অবস্থা ঠিক সেইসময় এই হিরোর আবির্ভাব হয়েছে। আজ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কোন সিনেমার হিরো কে নয় এই সমস্ত সামাজিক হিরো কে স্যালুট জানাই। অটোর মধ্যে ব্যবস্থা রেখেছেন অক্সিজেন সিলিন্ডারের। ফোন অন করে রেখেছেন সারাক্ষণ দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন বলে। ফোন পাওয়া মাত্রই পেশেন্ট এবং তাদের লোকজনকে নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন গন্তব্যস্থলে। নিশ্চয়ই ভুরু কুঁচকে ভাবছেন এত কাণ্ড যখন করছে তার মানে মোটা টাকা হাঁকাচ্ছে পেশেন্ট পার্টির থেকে। শুনলে অবাক হবেন একদমই তা নয়, এই যুবক একেবারে বিনামূল্যে করে চলেছেন এই কাজটি। দিনরাত এক করে নিজের অটোকে অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করে রুটে ডিউটি করা বন্ধ করে দিয়ে বিনা পয়সায় পেশেন্টদের নিয়ে চলে যাচ্ছেন হাসপাতালে হাসপাতালে। টিভির পর্দা খুলে এই যেমন আপনি একেবারে জবুথবু হয়ে বসে পড়ছেন চারিদিকে পরিস্থিতি দেখে। আপনি ভয়ে শিউরে উঠছেন ভাবছেন আপনার যদি কোন কারণে কোভিড হয় তখন আপনি কোন হাসপাতালে ছোটাছুটি করবেন। হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেন নেই, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছে না, অমানবিকতার ছবির মধ্যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এই যুবক। নিজের রুটি-রুজির পরোয়া না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মানুষকে সাহায্য করতে। গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাকে স্যালুট জানাচ্ছে। আমরাও প্রত্যেকে তাকে স্যালুট জানাই, তিনি সুস্থ থাকুক, ভালো থাকুক এই কামনা করি। স্যালুট মোহাম্মদ জাভেদ খান।
web
e42397cb24e910f9e7e0da7d44ff96be
'ওর চিৎকার আমার বিবেককে স্পর্শ করে' লালমনিরহাটঃ জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের উত্তর জাওরানী এলাকার একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী রিক্তা আক্তার মুন্নি। গত ৭ এপ্রিল দুপুরে ট্রলির চাপায় ডান পা পিষ্ট হয়ে যায় শিশুটির। সেই থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থো-সার্জারি (নারী) ইউনিটের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে মুন্নি। পায়ে ড্রেসিংয়ের সময় ওর চিৎকার নাড়া দেয় চিকিৎসকের হৃদয়কে। মুন্নি স্বপ্ন দেখে আগের মতো আবারও স্কুলে যাবে সে; বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি আর হইহুল্লড়ে মেতে উঠবে। উত্তর জাওরানী সন্যাসীর ডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মুন্নির বাবা আব্দুল কুদ্দুস ভুট্ট একজন কৃষি শ্রমিক। বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, 'কায়িক শ্রম বিক্রি করে কোনও রকমে সংসার চলে। এর মধ্যে মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সবকিছু হারিয়েছি। একমাসের বেশি হয়ে গেল মা (মেয়ে) এখনও সুস্থ হলো না। আর কতদিন লাগবে? কেউ কিছু বলতে পারে না। পকেটে টাকাও নেই, চিকিৎসা করাবো কীভাবে?' কথাগুলো বলতে গিয়ে কান্নায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মুন্নির মা রবিলা খাতুন বলেন, মেয়েটা হাসপাতালে থাকতে থাকতে শুকিয়ে যাচ্ছে। তার পরিণতি আমরা কিছুই জানি না। আপনারা আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। মুন্নির প্রধান চিকিৎসক রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থো-সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন মুন্নিকে আশঙ্কামুক্ত বলা যেতে পারে। তবে তার ডান পা আগের অবস্থায় না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাকে দ্রুত সুস্থ করতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কিন্তু আরও কত সময় লাগবে, তা বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, মুন্নিকে যখন ড্রেসিং করানো হয়, তখন ওর চিৎকার আমার বিবেককে স্পর্শ করে, আমিও কাঁদি। তাকে আমার মেয়ের আদরে চিকিৎসা করছি। উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য মুন্নির বাবা-মায়ের আর্থিক সামর্থ্য নেই। অর্থো-সার্জারি (নারী) ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন ও ওয়ার্ড বয় মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, হাসপাতালে উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় সুচিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগী অনেক বেশি। তাদের জায়গা দিতেই হিমশিম খেতে হয়। পাঁচটি পেয়িং বেড ও ১১টি জেনারেল বেডে ১৬ জন রোগী থাকার কথা, কিন্তু ৫৯ জন রোগী আছে। এতে ঠাসাঠাসি করে রোগীদের থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালটির সহকারী রেজিস্টার ডা. রায়হান আলী বলেন, যদি সড়ক দুর্ঘটনা না ঘটে, আপনি এই অর্থো-সার্জারি ওয়ার্ডে কোনও রোগীই পাবেন না। অথচ এখন বেড়ের চেয়ে রোগী অনেক বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে না পারলে, আরও খারাপ অবস্থা দেখতে হবে। দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন থাকলে এক সময় রোগীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ওই এলাকার শামছুদ্দিন-কমর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অসহায় মুন্নির সুচিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। শিশুটি বাঁচতে ও লেখাপড়া করতে চায়। মুন্নির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, মুন্নিকে বাঁচাতে আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি। মেধাবী এই শিশুটির দুরন্তপনা চোখের সামনে দমে যেতে পারে না। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ স্যারকে জানানো হয়েছে।
web
9d23b0046773055c030891b66737d930544018fb
আফগানিস্তানের কাবুলে একটি গুরুদুয়ারায় (শিখদের উপাসনালয়) বিস্ফোরণের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। নিজেদের কথিত বার্তা সংস্থা আমাক-এ প্রকাশিত এক বার্তায় আইএস বলেছে, মহানবীকে (সা. ) অবমাননার প্রতিশোধ নিতে হামলা চালিয়েছে তারা। খবর এএফপির। গত ২৬ মে এক টেলিভিশন বিতর্কে হজরত মুহাম্মদকে (সা. ) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) তৎকালীন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। বিজেপির দিল্লি শাখার তৎকালীন গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালও টুইটারে মহানবীকে (সা. ) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে উত্তেজনা চলার মধ্যে শনিবার কাবুলে একটি গুরুদুয়ারায় বিস্ফোরণ হয়। এতে দুজন নিহত এবং সাতজন আহত হন। এ ঘটনায় আমাক-এ প্রকাশিত বার্তায় আইএস দায় স্বীকার করে বলেছে, হিন্দু, শিখ ও স্বধর্মভ্রষ্টদের- মহানবীর (সা. ) অবমাননাকারীদের যারা সুরক্ষা দিয়েছে, তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। আইএস আরও বলেছে, তাদের এক সদস্য গুরুদুয়ারার এক নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যার পর ভেতরে প্রবেশ করেন। মেশিনগান থেকে গুলি ছুড়তে থাকেন এবং হ্যান্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটান। আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল নাফি তাকোর বলেন, হামলাকারীরা গুরুদুয়ারায় প্রবেশের সময় অন্তত একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। আফগানিস্তানে ১৯৭০- এর দশকে প্রায় ৫ লাখ শিখ বসবাস করলেও বর্তমানে তা কমে ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় নারী, শিশুসহ অনেক শিখ ধর্মাবলম্বী গুরুদুয়ারায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। শনিবার সেখানে হামলা হয়। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের কাবুল সফরের পরপরই এ হামলা হলো। ভারত থেকে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা বিতরণ নিয়ে আলোচনা করতে আফগানিস্তান সফরে যায় ভারতীয় প্রতিনিধিদল। আফগান ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে নতুন করে ভারতীয় দূতাবাস খোলার ব্যাপারে কথা বলেছে প্রতিনিধি দলটি। গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর বোমা হামলার সংখ্যা কমলেও গত কয়েক মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। এর বেশ কয়েকটির দায় স্বীকার করেছে আইএস।
web
e3ce56377ad74c489feb0a7792793cca75c6cb95
কুমিল্লার দেবিদ্বারের গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ যেন এখন কাঁঠালের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ডানে কাঁঠাল, বামে কাঁঠাল, উপরেও কাঁঠাল। চারদিকে যেন কাঁঠালের ছড়াছড়ি। বেড়িবাঁধঘেঁষা গ্রাম সদর উপজেলার পালপাড়া, বুড়িচংয়ের ষোলনল, শিমাইল খাড়া, বালিখাড়া, ধামতী, রামনগর, হুরহুড়া, কামারখাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের ঢালু জায়গায় শত শত কাঁঠালগাছ। প্রতিটি গাছেই ঝুলছে কাঁঠাল। কোনো কোনো গাছে ৫০টি, কোনোটিতে ৩০টির আবার কোনো গাছে ধরে রয়েছে ১০ বা তার কমণ্ডবেশি কাঁঠাল। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গোমতী নদীর বেড়িবাঁধজুড়ে সারি সারি কাঁঠালগাছ। সেই গাছে থরে থরে ঝুলছে কাঁঠাল। গাছের গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত ঝুলে আছে কাঁঠাল। গালা ও খাজা দুই জাতের কাঁঠালই পাওয়া যায় এখানে। তবে শুধু কাঁঠালই নয়, গ্রীষ্মে তাল, আম, পেঁপেসহ নানা ফলের সমাহার ঘটেছে এ এলাকায়। জানা যায়, কাঁঠালসহ মৌসুমি বিভিন্ন ফল এখন নগরীর বাজারগুলোয় বিক্রি হচ্ছে। খেতে সুস্বাদু ও টাটকা এসব ফলের চাহিদা বাজারে রয়েছে প্রচুর। শিমাইলখাড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার ১৭টি কাঁঠালগাছ রয়েছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে গাছগুলোতে। আমরা কিছু কাঁঠাল বিক্রি করি, কিছু খাই ও কিছু মানুষকে বিলিয়ে দিই। ষোলনল গ্রামের আলমগীর হোসেন বাসসকে বলেন, এবার কাঁঠাল বেশি ধরলেও তেমন একটা বড় হয়নি। বৃষ্টিপাত কম হলে এমন সমস্যা হয়। তবে ফলন ভালো হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক ড. মিজানুর রহমান জানান, কুমিল্লার সব উপজেলাতেই কাঁঠালের আবাদ হয়। এর মধ্যে বেশি আবাদ হয় লালমাই পাহাড় ও গোমতীর বেড়িবাঁধে। কুমিল্লার কাঁঠাল দেরিতে পাকে, তাই প্রথম দিকে কিছু কাঁঠাল বাইরের জেলা থেকে আসে। কুমিল্লায় যে পরিমাণ কাঁঠাল উৎপাদিত হয়, তা জেলার চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
web
15b0b81ad1af9fb0a6b3ac9d48f81085acfafc7e
মাত্র সাত বছর বয়সে পবিত্র কুরআনের হাফেজ হয়েছে এক ফিলিস্তিনি শিশু। তার স্বপ্ন বড় হয়ে মসজিদুল আকসার ইমাম হবে সে। শিশুটির নাম মাজিদ আবু আওদাহ। তার বসবাস ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুস এলাকায়। তার বাবার নাম আমজাদ। খান ইউনুসের আল মুহাজিরিন আশ শরিয়াহ মাদরাসায় হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাজিদ আবু আওদাহ। বর্তমানে ফিলিস্তিন ও আরব দেশগুলোর মধ্যে তাকে সর্বকনিষ্ঠ হাফেজ বিবেচনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তার দ্রুত হিফজ যাত্রার অভিজ্ঞতা ও বর্তমান পড়াশোনা 'ইসলামী শরিয়াহ' নিয়ে মাজিদ আবু আওদাহ কথা বলেছে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মুবাশিরের সাথে। হিফজের 'দুর্গম' এ যাত্রায় মাজিদ আবু আওদাহ পরিবারের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। সে হিফজ সমাপ্তের ব্যাপারে খুব আগ্রহী ছিল। গত বছরের আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে মাজিদ আবু আওদাহ কুরআন মুখস্থ শুরু করে। সাধারণ পড়ানোশার পাশাপাশি মাত্র এক বছরের প্রচেষ্টায় এ যাত্রা সম্পন্ন করল সে। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় পবিত্র কুরআনের অসংখ্য হাফেজ রয়েছেন। প্রতি বছর শিশুদের হিফজ সম্পন্নের পর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে তা উদযাপন করা হয়। হাফেজদের সম্মাননা দিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় 'দারুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ' নামের একটি সংস্থা। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী হিফজ সম্পন্ন করেছ। শিশু-কিশোরদের মধ্যে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের শিক্ষার প্রসার করতে তা প্রতিষ্ঠিত হয়। কাতারসহ বেশ কিছু দেশের সহায়তায় গাজা এলাকায় পবিত্র কুরআন হিফজের এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
web
15d6c7c6261f04dc17c8c4b7f5aa35a5e7a5fb55
কুমিল্লার বরুড়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একজন প্রতিবন্ধী কে ওরাই আপনজন সামাজিক সংগঠন বরুড়া কুমিল্লা পক্ষ থেকে একটি হুইল চেয়ার উপহার প্রদান করা হয়। রোববার (২৬ মার্চ) বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউ এন ও) সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা,বরুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এই হুইল চেয়ার টি তুলে দেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, সংগঠনের সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, মানুষ মানুষের জন্য সংগঠনের সভাপতি আজহার সুমন, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, ও ওরাই আপনজন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তুহিন উপস্থিত ছিলেন। এই নিয়ে ওরাই আপনজন সংগঠন ৫০ টির অধিক হুহুল চেয়ার উপহার প্রদান করেছেন।
web
f62f69ba7bf3880d2e09d5e4a1a444fd0edf5a6417400c20b38d5f10bec34475
রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তাঁর ও পিতৃদেবের অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার কথা বহুদিন পরে লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন, যার থেকে প্রমাণ হয় পথের অবমাননা সহজে স্মৃতি থেকে মুছে যায় না। স্বামীদির ক্ষেত্রে তিনি সবসময় নীরব, সৌভাগ্যক্রমে বেশ কয়েকটি বিড়ম্বনার ঘটনা তাঁর বিশ্বস্ত জীবনীকাররা লিপিবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা দু'একটি ঘটনার দিকে তাকাতে পারি - দেখা যাবে রেলের অপমান কখনও আসে দুর্বিনীত সহযাত্রীদের কাছ থেকে এবং কোথাও সভ্যতাহীন দাম্ভিক কর্মীদের কাছ থেকে। বিবেকানন্দ জীবনীকার স্বীকার করেছেনও ঘটনার স্থান ও কাল সঠিক জানা নেই। "রাজস্থানের মধ্যে একবার ট্রেনে যাইবার কালে তাঁহার কামরাতে দুইজন ইংরেজ সহযাত্রী ছিলেন ইঁহারা। ভাবিলেন, স্বামীজি একজন ফকির মাত্র ; অতএব ইংরেজীতে অপমান করিতে করিতে তাঁহার প্রসঙ্গ তুলিয়া হাসিঠাট্টায় মাতিয়া গেলেন। স্বামীজি যেন কিছুই বুঝিতেছেন না এমনিভাবে নীরবে অম্লানবদনে বসিয়া রহিলেন। একটু করে ট্রেনটি একটি স্টেশনে থামিলে স্বামীজি স্টেশনমাস্টারের নিকট ইংরেজীতে একগ্লাশ জল চাহিলেন, সহযাত্রী দুইজন দেখিলেন যে স্বামীজি তাঁহাদের ভাষা জানেন, তখন বিশেষ লজ্জিত ও আশ্চার্যান্বিত হইয়া স্বামীজিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তিনি সব বুঝিয়াও কেমন করিয়া বিন্দুমাত্র ক্রোধ না দেখাইয়া বসিয়া ছিলেন? উত্তরে স্বামীজি বলিলেন, 'দেখুন বন্ধুগণ, আপনাদের সংস্পর্শে আসা তো আমার জীবনে এই নয়।' ইহাতে সহযাত্রীদের ক্রোধ হইল নিশ্চয়, কিন্তু স্বামীজির তেজপূর্ণ সুগঠিত চেহারা দর্শনে তাহারা ক্রোধ চাপিয়া বরং ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন।" পরের ঘটনাটি আবু স্টেশনে। যুগনায়ক বিবেকানন্দর পূজ্যপাদ লেখক স্বামী গম্ভীরানন্দ এই অপ্রীতিকর ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন : "স্বামীজির সহিত গাড়িতে বসিয়া স্বামীজির ভক্ত এক বাঙালি ভদ্রলোক আলাপ করিতেছিলেন, এমন সময় এক শ্বেতাঙ্গ টিকিট পরীক্ষক আসিয়া ভদ্রলোককে নামিয়া যাইতে বলিলেন। কিন্তু ভদ্রলোক নিজেও রেলকর্মচারী ছিলেন, তাই উহাতে ভ্রূক্ষেপ করিলেন না, প্রত্যুত সাহেবের সহিত বচসায় প্রবৃত্ত হইলেন। অগত্যা স্বামীজি, উহা থামাইতে সচেষ্ট হইলে সাহেব আরও চটিয়া গিয়া রূঢ় ভাষায় বলিলেন, 'তুম কাহে বাত করতে হো?' সামান্য 'সন্ন্যাসী ভাবিয়া এক ধমকে থামাইয়া দিবার উদ্দেশ্যেই সাহেব হিন্দির সাহায্য লইয়াছিলেন; কিন্তু স্বামীজি যখন ইংরেজিতে গর্জিয়া উঠিলেন, তুম তুম করছ কাকে? উচ্চ শ্রেণীর যাত্রীর সঙ্গে কি করে কথা বলতে হয় জান না? আপ বলতে পার না? "তখন টিকিট পরীক্ষক সাহেব বেগতিক দেখিয়া বলিলেন, 'অন্যায় হয়েছে, আমি হিন্দি ভাষাটা ভাল জানি না। আমি শুধু ও লোকটাকে (ফেলো) - ' স্বামীজির আর সহ্য হইল না। কথা শেষ করিতে না দিয়াই তিনি তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন, 'তুমি এই বললে হিন্দি ভাষা জান না, এখন দেখছি তুমি নিজের ভাষাও জান না। 'লোকটা কি?' 'ভদ্রলোক বলতে পার না?' 'তোমার নাম ও নম্বর দাও, আমি উপরওয়ালাদের জানাব।' ততক্ষণে চারিদিকে ভিড় জমিয়া গিয়াছে এবং সাহেবও পলাইতে পারিলে বাঁচেন। স্বামীজি তবু বলিতেছেন, 'এই শেষ বলছি, হয় তোমার নম্বর দাও, নতুবা লোকে দেখুক, তোমার মতন কাপুরুষ দুনিয়ায় নাই।' "সাহেব ঘাড় হেঁট করিয়া সরিয়া পড়িলেন। শ্বেতাঙ্গ চলিয়া গেলে মুনসী জগমোহনের দিকে ফিরিয়া স্বামীজি বলিলেন, "ইউরোপীয়দের সঙ্গে ব্যবহার করতে গেলে আমাদের কি চাই দেখছ? এই আত্মসম্মানজ্ঞান । আমরা কে, কি দরের লোক না বুঝে ব্যবহার করাতেই লোকে আমাদের ঘাড়ে চড়তে চায়। অন্যের নিকট নিজেদের মর্যাদা বজায় রাখা চাই। তা না হলেই তারা আমাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অপমান করে - এতে দুর্নীতির প্রশ্রয় দেওয়া হয়।" শিক্ষা ও সভ্যতায় ভারতীয়রা জগতের কোন জাতির চেয়ে হীন নয়, "কিন্তু তারা নিজেদের হীন মনে করে বলেই একটা সামান্য বিদেশীও আমাদের লাথি ঝাঁটা মারে - আমরা চুপ করে তা হজম করি।" রেল স্টেশনে এবং ট্রেনে অপ্রত্যাশিত বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। শেষবারের মতন হিমালয় ভ্রমণ করে স্বামীজি সেবার বেলুড়ে ফিরছেন। সময় ১৯০১ সালের শুরু। স্বামীজি পিলভিত স্টেশনে এসেছেন, সহযাত্রী চিরবিশ্বস্ত স্বামী সদানন্দ, যিনি বহুদিন আগে হাতরাস স্টেশনে কর্মী ছিলেন। পিলভিত স্টেশনের দৃশ্যটি স্বামী গম্ভীরানন্দ এইভাবে বর্ণনা করেছেন : "ট্রেন আসিলে স্বামীজি ও সদানন্দ একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর কামরায় প্রবেশ করিতে যাইবেন এমন সময় এক হাঙ্গামা উপস্থিত হইল।" একালের পাঠকপাঠিকাদের মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, সেকালের সেকেন্ড ক্লাস ও একালের সেকেন্ড ক্লাস এক নয়। তখন থার্ড ক্লাস ও ইন্টার ক্লাস-এর ওপরে সেকেন্ড ক্লাস। পিলভিতের ঘটনা : "ঐ কক্ষে কর্নেলপদস্থ এক ইংরাজ সৈন্যাধ্যক্ষ ছিলেন। নেটিভদ্বয়কে তথায় প্রবেশ করতে দেখিয়া তাঁহার মন বিদ্বেষপূর্ণ হইল, তখন এতগুলি নেটিভ ভদ্রলোক সন্ন্যাসিদ্বয়কে গাড়িতে তুলিয়া দিতে আসিতেছেন দেখিয়া সরাসরি বাধা দিতে সাহসে কুলাইল না। অগত্যা এই অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের অপসারণের জন্য তিনি স্টেশন মাস্টারের শরণাপন্ন হইলেন। ইংরেজ-পুঙ্গবের দাপটে হতবুদ্ধি স্টেশন মাস্টার আইন-এর মর্যাদা লঙ্ঘনপূর্বক স্বামীজির নিকট আসিয়া বিনীতভাবে তাঁহাকে কক্ষত্যাগের অনুরোধ জানাইলেন। স্বামীজি কিন্তু এভাবে নতিস্বীকার করিয়া স্বদেশ ও স্বজাতির অপমান বাড়াইতে প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি ঐ ব্যক্তির কথা শেষ হইতে না হইতে গর্জিয়া উঠিলেন, আপনি কি করে এ-কথা আমায় বলতে সাহস করলেন? আপনার লজ্জা হলো না? বেগতিক দেখিয়া স্টেশন মাস্টার সরিয়া পড়িলেন। ইত্যবসরে স্বাভিপ্রায়ানুরূপ কার্য সমাধা হইয়া গিয়াছে এই বিশ্বাসে কর্নেল স্বস্থানে ফিরিয়া দেখেন, স্বামীজি ও সদানন্দ পূর্ববৎ সেখানেই বসিয়া আছেন। তখন তাঁহার পুনর্বার গাত্রদাহ আরম্ভ হওয়ায় তিনি স্টেশনের এক প্রান্ত হইতে প্রান্তান্তর পর্যন্ত উচ্চরবে 'স্টেশন মাস্টার', 'স্টেশন মাস্টার' বলিয়া ডাকিতে ডাকিতে ছুটাছুটি করিতে লাগিলেন। কিন্তু স্টেশন মাস্টার গা ঢাকা দিয়াছেন, আর এদিকে ট্রেন ছাড়িবারও বিলম্ব নাই। অতএব সাহেবের মাথায় সুবুদ্ধি আসিল, তিনি স্বীয় বোঁচকা-কুঁচকি লইয়া অপর এক কামরায় চলিয়া গেলেন বীরত্ব সেখানেই সমাপ্ত হইল। স্বামীজি তাঁহার পাগলামি দেখিয়া হাস্যসংবরণ করিতে পারিলেন না। এমনি ছিল সমসাময়িক ভারতবর্ষের অবস্থা।" মহাসমুদ্রের অপরপারে সুদূর মার্কিন দেশে বিজয়ী বিবেকানন্দকে আঘাতে অপমানে ক্ষতবিক্ষত করার যে বিরামহীন প্রচেষ্টা চলেছিল তার বিস্তারিত বিবরণ মার্কিন গবেষিকা মেরি লুইস বার্ক তাঁর ছ'খণ্ডের ইংরিজি বইতে রেখে গিয়েছেন। এমন ধৈর্যময় গবেষণার জন্য এই মার্কিনী লেখিকা আমাদের হৃদয়ের সবচেয়ে শ্রদ্ধার আসনটি দখল করে নিয়েছেন। গুরু অশোকানন্দের নির্দেশে এই গবেষিকা ১৯৪৪ সাল থেকে কয়েক যুগ ধরে স্বামীজি সম্বন্ধে নানা অজানা তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের বিস্ময়ের পাত্রী হয়েছেন। সুদূর মার্কিন মুলুকে স্বামী বিবেকানন্দ যেমন বহুজনের হৃদয়েশ্বর হয়ে উঠেছিলেন, তেমন একই সঙ্গে প্রবাসের পরিবেশে কপর্দকশূন্য সন্ন্যাসীর ভাগ্যে জুটেছে নানা ধরনের অত্যাচার ও অপমান। কখনও তিনি বিচিত্র বেশবাসের জন্য পথচারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন, কখনও বিতাড়িত হয়েছেন চুলছাঁটার সেলুন থেকে, কখনও পয়সা দিয়েও প্রবেশ করতে পারেন নি রাতের আশ্রয়স্থল কোনো হোটেলে। এই সেই সন্ন্যাসী যাঁর সম্বন্ধে মেরি লুইস বার্ক আবিষ্কার করেছেন রেল ইয়ার্ডে ওয়াগনে শুয়ে থাকার কথা। মেরি লুইস বার্ক পাঁচহাজার পাতা ধরে মার্কিনদেশের সংবাদপত্র এবং সমসাময়িক ব্যক্তিদের যে স্মৃতিকাহিনি বিপুল নিষ্ঠার সঙ্গে পুনরুদ্ধার করেছেন এই নিবন্ধে তার প্রতি সুবিচার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। মহাসমুদ্রকে হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশিতে সংক্ষেপিত করার প্রচেষ্টার কোনো অর্থ হয় না। আমরা বরং প্রথমে গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজার উদ্দেশ্যে খোদ বিবেকানন্দর মার্কিনদেশ থেকে লেখা কিছু চিঠিপত্রের ওপর নির্ভর ২৮ ডিসেম্বর ১৮৯৩, হেল পরিবারের ডিয়ারবর্ন এভিনিউ, চিকাগো থেকে হরিপদ মিত্রকে লেখা স্বামীজির চিঠি : "আমি এদেশে এসেছি, দেশ দেখতে নয়, তামাসা দেখতে নয়, নাম করতে নয়, দরিদ্রের জন্য উপায় দেখতে। সে উপায় কি, পরে জানতে পারবে, যদি ভগবান সহায় হন।" অবিশ্বাস্য বিবকানন্দ ২৪ জানুয়ারি ১৮৯৪, একই ঠিকানা থেকে স্বামীজি খবরের কাগজের অংশ কেটে পাঠাচ্ছেন মাদ্রাজী ভক্তদের কাছে। "কাগজটার অতিরিক্ত গোঁড়ামি ও আমাকে গালাগালি দিয়া একটা নাম জাহির করিবার চেষ্টা সত্ত্বেও উহাদের স্বীকার করিতে হইয়াছিল যে আমি সর্বসাধারণের প্রিয় বক্তা ছিলাম।" ১৮ মার্চ ১৮৯৪ ডেট্রয়েট থেকে মিস মেরী হেলকে লেখা চিঠি : পত্রে গুরুভাইরা কলকাতা থেকে লিখেছেন, : "ম-কলকাতায় ফিরে গিয়ে রটাচ্ছে যে বিবেকানন্দ আমেরিকায় সব রকমের পাপ কাজ করছে...এই তো তোমাদের আমেরিকার অপূর্ব আধ্যাত্মিক পুরুষ।' ম - বেচারীর এতোদূর অধঃপতনে আমি বিশেষ দুঃখিত। ভগবান ভদ্রলোককে ক্ষমা করুন।" বলাবাহুল্য এই ম প্রতাপচন্দ্র মজুমদার ছাড়া আর কেউ নন। পরের দিন ১৯ মার্চ চিকাগো ডিয়ারবর্ন এভিনিউ থেকে শশীমহারাজকে কলকাতায় লেখা চিঠি : "বড় ভয় ছিল যে, আমার নাক কান খসে যাবে, কিন্তু আজিও কিছু হয় নাই। তবে রাশীকৃত গরমকাপড়, তার উপর সালোম চামড়ার কোট. জুতো, জুতোর উপর পশমের জুতো ইত্যাদি আবৃত হয়ে বাইরে যেতে হয়।...প্রভুর ইচ্ছায় মজুমদারমশায়ের সঙ্গে এখানে দেখা। প্রথমে বড়ই প্রীতি, পরে যখন চিকিাগো-সুদ্ধ নরনারী আমার উপর ভেঙে পড়তে লাগলো তখন মজুমদার ভায়ার মনে আগুন জ্বললো...দাদা আমি দেখেশুনে অবাক! বল্ বাবা, আমি কি তোর অন্নে আঘাত করেছি? তোর খাতির তো যথেষ্ট এদেশে, তবে আমার মতো তোদের হ'ল না, তা আমার কি দোষ?...আর মজুমদার পার্লামেন্ট অব রিলিজিয়নের পাদ্রীদের কাছে আমার যথেষ্ট নিন্দা করে, 'ও কেউ নয়, ঠক জোচ্চোর ; ও তোমাদের দেশে এসে বলে - আমি ফকির ইত্যাদি বলে তাদের মন আমার উপর যথেষ্ট বিগড়ে দিলে। ব্যারেজ প্রেসিডেন্টকে এমনি বিগড়ালে যে, সে আমার সঙ্গে ভাল করে কথাও কয় না। তাদের পুস্তকে যথাসাধ্য আমাকে দাবাবার চেষ্টা; কিন্তু গুরুসহায় ভাগ্য। মজুমদার কি বলে? সমস্ত আমেরিকান যে আমায় ভালবাসে, ভক্তি করে, টাকা দেয়, গুরুর মত মানে - মজুমদার করবে কি?...দাদা মজুমদারকে দেখে আমার আক্কেল এসে গেল।...ভায়া, সব যায়, ওই পোড়া হিংসেটা যায় না। আমাদের ভিতরও খুব আছে। আমাদের জাতের এঁটে দোষ, খালি পরনিন্দা আর পরশ্রীকাতরতা। হামবড়া, আর কেউ বড় হবে না।" ৯ এপ্রিল ১৮৯৪ নিউ ইয়র্ক থেকে প্রিয় আলাসিঙ্গা পেরুমলকে স্বামী বিবেকানন্দ : "গোঁড়াপাদ্রীরা আমার বিপক্ষে, আর তাঁরা আমার সঙ্গে সোজা রাস্তায় সহজে পেরে উঠলেন না দেখে আমাকে গালমন্দ নিন্দাবাদ করতে আরম্ভ করেছেন, আর ম - - বাবু তাঁদের সাহায্য করছেন। তিনি নিশ্চয় হিংসেয় পাগল হয়ে গেছেন। তিনি তাঁদের বলছেন, আমি একটা ভয়ানক জোচ্চোর ও বদমাশ, আবার কলকাতায় গিয়ে সেখানকার লোকদের বলছেন, আমি ঘোর পাপে মগ্ন, বিশেষত আমি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছি!!! প্রভু তাঁকে আশীর্বাদ করুন।" মে, ১৮৯৪, ১৭ বীকন স্ট্রিট, বস্টন থেকে অধ্যাপক রাইটকে স্বামী বিবেকানন্দ : "হে সহৃদয় বন্ধু, সর্বপ্রকারে আপনার সন্তোষ বিধান করতে ন্যায়ত আমি বাধ্য। আর বাকি পৃথিবীতে - তাদের বাতচীতকে আমি গ্রাহ্য করি না। আত্মসমর্থন সন্ন্যাসীর কাজ নয়। আপনার কাছে তাই আমার প্রার্থনা...বুড়ো মিশনারীগুলোর আক্রমণকে আমি গ্রাহ্যের মধ্যে আনি না। কিন্তু আমি দারুণ আঘাত পেয়েছি মজুমদারের ঈর্ষার জ্বালা দেখে। প্রার্থনা করি, তাঁর যেন চৈতন্য হয়।...সাধু ও পবিত্র হবার যত চেষ্টাই কেউ করুক না কেন, মানুষ যতক্ষণ এই পৃথিবীতে আছে তার স্বভাব কিছু পরিমাণে নিম্নগামী হবেই।" মেরি লুইস বার্ক-এর ছটি খণ্ড ধৈর্য ধরে পড়লে স্পষ্ট হয়ে ওঠে কেন বিবেকানন্দ এক শ্রেণীর মানুষের বিদ্বেষের কারণ হয়ে উঠেছিলেন। স্বামীজির বক্তৃষ্ণর ফলে ভারতের যথার্থ সংবাদ পেয়ে অনেকেই ভারতে ধর্মান্তরিতকরণের চাঁদা কমিয়ে দেন। এর ফলে চার্চ তহবিলে দানের পরিমাণ এক বছরে দশ লক্ষ পাউন্ড তখনকার হিসেবে দেড় কোটি টাকা (এবং এখনকার হিসেবে সাড়ে আট কোটি টাকা) কমে যায়। তাই কেউ কেউ ক্ষতিটা করলেন, "জাহান্নাম যেতে হয় তাও স্বীকার, কিন্তু নচ্ছার বিবেকানন্দর সর্বনাশ করতেই হবে।" ডেট্রয়েটে প্রাক্তন গভর্নরের স্ত্রী শ্রীমতী জন জি ব্যাগলি ছিলেন বিবেকানন্দর গুণমুগ্ধ, তাঁর বাড়িতে স্বামীজি আতিথেয়তা নেন। ক্ষিপ্তপ্রায় শত্রুপক্ষ গুজব ছড়িয়ে দিল সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের আচরণে উত্ত্যক্ত হয়ে একটি অল্পবয়স্কা ঝিকে ব্যাগলির গৃহ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। অতিথিটি অসম্ভব রকম আত্মসংযমহীন। মিথ্যা গুজবে বিরক্ত হয়ে মিসেস ব্যাগলি ২২ জুন ১৮৯৪ সালে চিঠি লিখলেন, "তিনি আমাদের বাড়িতে অতিথিরূপে তিন সপ্তাহের অধিক ছিলেন এবং তাঁকে আমি, আমার ছেলেরা, আমার জামাই ও গোটা পরিবার সর্বদা ভদ্রলোকরূপে পেয়েছি - তাঁর ব্যবহার অতি অমায়িক ও সৌজন্যপূর্ণ, সঙ্গী হিসেবে তিনি আনন্দময় ও অতিথিরূপে সদাবাঞ্ছিত। বহুদিন পর মেরি লুই বার্ক জানতে পারেন, মিসেস ব্যাগলির ন'বছর বয়সের নাতনীকেও এইসময় অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল, স্কুলের সহপাঠিনীরা বাড়িতে বিধর্মী রাখা হয়েছিল বলে নাতনীকে মুখ ভেঙচাত। অমন যে অমন হেল পরিবার সেখানেও প্রবল ধাক্কা গিয়েছিল। শ্রীমতী হেলকে একখানা বেনামী চিঠিতে বলা হলো, স্বামীজি দুশ্চরিত্র, অতএব হেল পরিবারের কন্যাদের সঙ্গে যেন তাঁকে মিশতে না দেওয়া হয়। শুধু কুৎসা রটানো নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে আসে মার্কিন মুলুকে যে স্বামীজিকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হতে পারে এমন আশঙ্কাও মনে জেগেছিল। যাঁরা অলৌকিকে বিশ্বাস করেন তাঁরা জানেন, ডেট্রয়টের এক ডিনারে স্বামীজি যখন কফির পেয়ালায় চুমুক দিতে যাবেন তখন দেখলেন শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে বলেছেন, 'খাসনি, বিষ!' স্বদেশ থেকেও যে নিন্দার নিরন্তর প্রচার চলেছে তার মোদ্দা কথাটা বলে - স্বামীজি অধুনা বিবেকানন্দ হলেও আসলে তিনি নরেন্দ্রনাথ দত্ত, তিনি খাঁটি হিন্দু নন, তিনি ম্লেচ্ছাকারী তাম্রকূটসেবী সাগরলঙ্ঘনকারী গায়ক ও অভিনেতা - স্বেচ্ছাচারী এবং আমোদপ্রিয়। কাল ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮, স্থান বেলুড়, ভাড়াটিয়া মঠ বাটি। স্বামীজি তাঁর প্রিয়শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীকে নীলাম্বরবাবুর বাগানবাড়িতে বলছেন : "অল্প বয়স থেকেই আমি ডানপিটে ছিলুম, নইলে কি নিঃসম্বলে দুনিয়া ঘুরে আসতে পারতুম রে?" আমেরিকার কথা ওঠায় একসময় তিনি বললেন, "আমার নামে কত কুৎসা কাগজে লিখে রটনা করেছিল। কতলোক আমায় তার প্রতিবাদ করতে বললো। আমি কিন্তু গ্রাহ্য করতুম না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস - চালাকি দ্বারা জগতে কোনো মহৎ কার্য হয়না। তাই ঐ সকল অশ্লীল কুৎসায় কর্ণপাত না করে ধীরে ধীরে আপনার কাজ করে যেতুম। দেখতেও পেতুম, অনেকসময় যারা আমায় অযথা গালমন্দ করত, তারাও অনুতপ্ত হয়ে আমার শরণ নিত এবং নিজেরাই কাগজে প্রতিবাদ করে ক্ষমা চাইত। কখন কখন এমনও হয়েছে - আমায় কোন বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছে দেখে কেউ কেউ আমার নামে ঐ-সব মিথ্যা কুৎসা বাড়িওয়ালাকে শুনিয়ে দিয়েছে। তাই শুনে তিনি দোর বন্ধ করে কোথাও চলে গিয়েছেন। আমি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে দেখি - সব ভোঁ ভোঁ, কেউ নেই, আবার কিছুদিন পরে তারাই সত্য কথা জানতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে আমার চেনা হতে এসেছে। "কি জানিস বাবা, সংসার সবই দুনিয়া-দারি ! ঠিক সৎসাহসী ও জ্ঞানী কি এ-সব দুনিয়াদারিতে ভোলে রে বাপ! জগৎ যা ইচ্ছে বলুক, আমার কর্তব্য কার্য করে চলে যাব - এই জানবি বীরের কাজ।...লোকে তোর স্তুতিই করুক বা নিন্দাই করুক, তোর প্রতি লক্ষ্মীর কৃপা হোক বা না হোক, আজ বা শতবর্ষপরে তোর দেহপাত হোক, ন্যায় পথ থেকে যেন ভ্রষ্ট হোসনি। কত ঝড় তুফান এড়িয়ে গেলে তবে শান্তির রাজ্যে পৌঁছানো যায়। যে যত বড় হয়েছে তার উপর তত কঠিন পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় কষ্টিপাথরে তার জীবন ঘষে মেজে দেখে তবে তাকে জগৎ বড় বলে স্বীকার করেছে। যারা ভীরু কাপুরুষ, তারাই সমুদ্রের তরঙ্গ দেখে তীরে নৌকা ডোবায়।" ডাঃ ব্যারোজ যে প্রথমে স্নেহপরায়ণ হয়েও ক্রমশ কানপাতলা হয়ে বিবেকানন্দ সম্বন্ধে বিগড়েছিলেন তার বিস্তারিত বিবরণ শঙ্করীপ্রসাদ বসুমহাশয় আমাদের উপহার দিয়েছেন। পুরনো অনুরাগী যখন নতুন শত্রুর ভূমিকা গ্রহণ করেন তখন অবস্থা সঙ্গীন হয়ে দাঁড়ায়। ডাঃ ব্যারোজ ভারত ভ্রমণে এসেছিলেন, প্রবল শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও বিবেকানন্দ তাঁর অভ্যর্থনার জন্য যেসব ব্যবস্থা করেছিলেন তা বোধ হয় তাঁর মনঃপূত হয় নি। পরবর্তীকালে তাঁর একটি ছোট্ট বক্তব্য এদেশে বিরাট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রশ্নটি ভারতীয় সমাজে গুরুতর। চিকাগো বক্তৃতার পরেই স্বামীজিকে নিয়ে ব্যারোজ নাকি একটি ভোজনালয়ে গিয়েছিলেন এবং কি খাবেন জিজ্ঞেস করায় স্বামীজি নাকি বিফের অর্ডার দিয়েছিলেন। বিলম্বে হলেও কলকাতায় সমাজে গেল-গেল রব উঠলো। অসুস্থ অবস্থায় বিবেকানন্দ তখন কলকাতা থেকে অনেক দূরে। খবর গেলো, কিন্তু খবরটা মিথ্যা হওয়া সত্ত্বেও স্বামীজি প্রকাশ্যে তর্কযুদ্ধে নামলেন না। জীবনের বড় বড় সমস্যার মোলাকাত করার সময় বিবেকানন্দ নির্বাক থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন, তার ফলাফল কী হলো তা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থাতেও তিনি উত্তেজিত হন নি। শুধু শত্রু নয়, স্বামীজি তাঁর আপনজনদের হাতে যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন সেও এক দীর্ঘ ইতিহাস। ঠিকমতন লিখতে গেলে কেবল তাঁর দুই সন্ন্যাসী শিষ্য লিয়োঁ ল্যান্ডসবার্গ ও মেরি লুইস সম্বন্ধে পুরো একখানা বই লিখতে হয়। স্বামীজী এঁদের সন্ন্যাস দিয়ে কৃপানন্দ ও অভয়ানন্দ নামে অভিহিত করেন। প্রবাসের কালে শিষ্য ও শিষ্যা নিয়ে স্বামীজি যে অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়েছিলেন তা বড়ই দুঃখজনক। ল্যান্ডসবার্গ পুরো তিনবছর ছিলেন স্বামীজির অবিচ্ছেদ্য সাথী, বন্ধু, সেক্রেটারি ও সেবক। তিনি নিউইয়র্কের বিখ্যাত খবরের কাগজ নিউ ইয়র্ক ট্রিবিউনে কাজ করতেন। স্বামীজির সঙ্গে তিনি একই বাড়িতে (৩৩ নম্বর রাস্তা) নিউ ইয়র্কে থাকতেন এবং তাঁর অসীম স্নেহের পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। প্রথমপর্বে বস্টন থেকে (১৩ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪) স্বামীজি প্রিয় শিষ্য কৃপানন্দকে লিখছেন, "তুমি নিজের ব্যবহারের জন্য কিছু বস্ত্রাদি অবশ্যই ক্রয় করবে, কারণ এগুলির অভাব এদেশে কোন কাজ করার পক্ষে তোমার প্রতিবন্ধক স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে।...আমাকে ধন্যবাদ দেবার কোন প্রয়োজন নাই, কারণ এটা আমার কর্তব্যমাত্র। হিন্দু আইন অনুসারে শিষ্যই সন্ন্যাসীর উত্তরাধিকারী, যদি সন্ন্যাসগ্রহণের পূর্বে তার কোন পুত্র জন্মিয়াও থাকে, তবু সে উত্তরাধিকারী নয়। এ-সম্বন্ধ খাঁটি অধ্যাত্মিক সম্বন্ধ - ইয়াঙ্কির · 'অভিভাবকগিরি' ব্যবসা নয়, বুঝতেই পারছো।" কৃপানন্দ জাতিতে ইহুদি এবং আদিতে পোল্যান্ডবাসী ছিলেন। ব্রহ্মবাদিন পত্রিকায় কিছু পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রবন্ধ লিখেছেন। এরপর শুনুন স্বামী অভেদানন্দর 'আমার জীবনকথা' থেকে বর্ণনার আঙ্গিকে : "২৭ মার্চ ১৮৯৮ নিউ ইয়র্ক হেরাল্ডে স্বামী বিবেকানন্দকে আক্রমণ করে এবং রাজযোগকে বিদ্রুপ করিয়া একটি সচিত্র প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাতে মাথায় পাগড়ি বাঁধা এক মোগলাই চেহারার কৃষ্ণকায় ব্যক্তির পদতলে এক শ্বেতাঙ্গিনী মহিলার চিত্র ছিল। আশ্চর্যের বিষয় এই প্রবন্ধ স্বামীজির অধঃপতিত শিষ্য কৃপানন্দ লিখেছিলেন। স্বামী অভেদানন্দ এই প্রবন্ধ সঙ্গে নিয়ে মিস্টার লেগেট্কে দেখাবার জন্য তাঁর বাড়িতে গমন করেন। তাঁরা সেই প্রসঙ্গে কথা বলছেন এমন সময় কৃপানন্দ অকস্মাৎ লেগেটের বাড়ি এসে উপস্থিত হলেন। কৃপানন্দের আগমনবার্তা পেয়ে ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে মিস্টার লেগেট বেরিয়ে আসলেন এবং প্রবন্ধটি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন - 'তুমি কি এই প্রবন্ধ লিখেছ?' কৃপানন্দ বলল - হ্যাঁ। 'কত পেয়েছ?' 'বেশি নয়, পঞ্চাশ ডলার মাত্র।' 'তুমি এত নীচ, এত স্বার্থপর যে, সামান্য অর্থের জন্য তোমার আচার্যকে উপহাসাস্পদ করলে? আমার বাড়ি থেকে বের হও।' কৃপানন্দ যেমন এসেছিলেন তেমনই বেরিয়ে গেলেন।" এবিষয়ে পরবর্তীকালে আমরা স্বামী অভেদানন্দর মুখে আরও কিছু শুনেছি। "অভয়ানন্দ, যোগানন্দ, কৃপানন্দ - এরা শেষে সব স্বামীজির বিরুদ্ধে গেছেন। যোগানন্দ ভাল লোক ছিল, বেদান্ত বলতে পারতো না, ভান্দান্ত বলত।...১৮৯৯-১৯০১ স্বামীজি দ্বিতীয়বার যখন আমেরিকায় যান, তখন শরীর খুব খারাপ...তিনি লেগেটের বাড়িতে ওঠেন। এক ডাক্তার (ডাক্তার গার্নসি) ওঁকে খুব ভালবাসতেন। তাঁর এক ছেলে মারা গেল। তার মুখ নাকি স্বামীজির মতন দেখতে। তা সেই ডাক্তারের বাড়িতে তখন স্বামীজি আছেন। একদিন স্বামীজির শরীর পরীক্ষা করছেন ডাক্তার গার্নসি। হঠাৎ কৃপানন্দ সেখানে এসে পড়েন। তাই দেখেই স্বামীজির নাড়ি বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম। জিজ্ঞেস করাতে বললেন, ওকে দেখেই ও রকম হলো। ডাক্তার তখন কৃপানন্দকে চলে যেতে বললেন। আটলান্টিক পেরিয়ে ইংলন্ডে ফিরে এসেও স্বামীজি যে মানসিক শান্তি পান নি তার বিবরণও নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। যারা একসময় বন্ধু থাকে তারাও ভাগ্যের পরিহাসে অনেক সময় শত্রুতে পরিণত হয়ে মহাপুরুষদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ান। দুটি চরিত্রের কথা বিশেষভাবে মনে এসে যায় - মিস্ হেনরিয়েটা মুলার, যিনি একসময় প্রবল উৎসাহী হয়ে বেলুড় মঠের জমি কেনবার জন্য বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন, আর একজন এডওয়ার্ড স্টাডি, একসময় স্বামীজি তাঁর ওপর বড় বেশি নির্ভর করেছিলেন। লন্ডনে মিস্ মুলারের আতিথ্যে থাকার সময় থেকেই পরিস্থিতি যে খারাপ আকার ধারণ করছে তা বিবেকানন্দভ্রাতা মহেন্দ্রনাথের 'লন্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ' বইটিতে স্বামী সারদানন্দ ও স্বামীজির ক্ষিপ্রলিপিকার গুডউইনের বিভিন্ন অস্বস্তিকর মন্তব্য থেকেই বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এডওয়ার্ড স্টার্ডির ব্যাপারটাও বিশেষ বেদনাদায়ক, এই লোকটির আচরণে স্বামীজি যে খুবই মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন তার প্রমাণ রয়েছে তাঁর সুদীর্ঘ চিঠিতে। একজন ভক্ত পত্রযোগে জানান, মিস্ মুলার স্বামীজির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। গুরুভাই স্বামী অভেদানন্দ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি কোন কথাই বুঝবেন না, বললেন ইন্ডিয়া ইজ এ গড় ফরশেকেন কানট্রি। ইনিই স্বামীজিকে ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান বলেছিলেন। এর আগের পর্বে প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে মিস মুলার : "একেই স্ত্রীলোক তাতে আবার বুড়ী, মেজাজ অত্যন্ত খিটখিটে, কাহারও সহিত বনিবনা হয় না।" আরও একটি বর্ণনা - "তাঁহার ঠোঁটে পুরুষের মতো একটু গোঁফ অবিশ্বাস্য বিবেকানন্দ-১৫
pdf
d6cd7fa49d7a61f99c94901f00c09b8ece0929e2
মাত্র সপ্তাহ দেড়েক আগে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা জন্মের পর থেকে জোড়া লাগা দুই বোন লাবিবা-লামিসাকে অস্ত্রোপচার করে সফলভাবে আলাদা করতে সক্ষম হন। এর আগেও ২০১৭ সালে তোফা-তহুরা এবং ২০১৯ সালে রাবেয়া-রোকাইয়া নামের আরও দুই জোড়া লাগা যমজ বোনকে অস্ত্রোপচারে সফলভাবে আলাদা করেছিলেন একই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কিন্তু ঢাকায় লাবিবা-লামিসাকে আলাদা করার অস্ত্রোপচারের ঠিক আগের দিন ১১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরেকটি অস্ত্রোপচারের ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। ফরিদপুরের অস্ত্রোপচারটি ছিল ১৯ বছরের তরুণী মনিরা খাতুনের পেট থেকে ছয় ইঞ্চি লম্বা মিডিয়াম সাইজের একটা আর্টারি ফরসেপ বা কাঁচি বের করে আনার জন্য। এ ঘটনার ৬৪৩ দিন আগে একই হাসপাতালে একটি সিস্ট অপসারণে অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের অজ্ঞাতসারে ওই কাঁচিটি মনিরার পেটের ভেতর রয়ে যায়। মনিরার প্রথম অস্ত্রোপচারটি হয়েছিল ২০২০ সালের ৩ মার্চ। কিন্তু সেলাই শুকিয়ে গেলেও মনিরা সুস্থ না হওয়ায় আর তার পেটে ক্রমাগত ব্যথা বাড়তে থাকায় পরবর্তী চিকিৎসার একপর্যায়ে বিষয়টি ধরা পড়ে এবং অস্ত্রোপচার করে কাঁচিটি বের করে আনা হয়। মনিরা এখনো হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও গুরুতর সমস্যা নিয়ে মনিরা কবে নাগাদ সেরে উঠতে পারবেন তা জানাতে পারেননি চিকিৎসকরা। তরুণী মনিরার জীবনে ঘটে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক এ ঘটনা সংবাদমাধ্যমের বরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। আর এখন সমালোচনা হচ্ছে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে। কেননা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনিরা খাতুনের পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় কারও গাফিলতি চিহ্নিত হয়নি। ফলে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেনি এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি। হাসপাতালটির পরিচালক সাইফুর রহমান আরও জানিয়েছেন, 'বিদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচারের সময় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ' কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্জারি ইউনিট ২-এর দায়িত্বে নিয়োজিত সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা সরফউদ্দিনের অধীনে মনিরা খাতুনের অস্ত্রোপচারে আরও তিন-চার চিকিৎসক অংশ নেন। কার গাফিলতিতে এটি হয়েছে, তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত কমিটি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে অস্ত্রোপচারের সময় একজন নার্সকে যন্ত্রপাতির দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি অস্ত্রোপচারে যুক্ত সবাইকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়ার সুপারিশ করেছে। এদিকে এ ঘটনায় মনিরা খাতুনের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে একটি আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফরিদপুরের সিভিল সার্জনসহ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের এ নোটিস পাঠানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান ও সৈয়দা নাসরিন এ নোটিস পাঠান। মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারেন। চিকিৎসকরাও ভুলের ঊর্ধ্বে নন। অস্ত্রোপচারের সময় এ ধরনের ভুলের ঘটনা দেশ-বিদেশে আরও অনেক হয়েছে এ কথা সত্যি। কিন্তু কে বা কারা সেজন্য দায়ী তা জানা যাবে না কেন? সংগত কারণেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কার ভুল সেটা চিহ্নিত করা গেল না কেন? কিংবা যে চিকিৎসক ও সহযোগীরা ওই অস্ত্রোপচারে যুক্ত ছিলেন তাদের কাউকেই কোনো শাস্তির আওতায় আনা হলো না কেন? এসব প্রশ্ন যেমন উঠছে তেমনি প্রশ্ন উঠছে যে, প্রথম অস্ত্রোপচারের পর ৬৪৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পেটে কাঁচি রয়ে যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ল না কেন? পেটে কাঁচি/গজ/ছুরি থেকে যাওয়ার ঘটনা ভুলবশত ঘটতে পারে বটে। কিন্তু পৌনে দুই বছরেও এটা ধরা না পড়া নিশ্চয়ই দেশের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যর্থতা হিসেবেই চিহ্নিত হবে। আর এটাও স্মরণ রাখা দরকার বিশে^র অনেক দেশের মতোই বাংলাদেশেও এখন অনেক ক্ষেত্রেই পুরো অস্ত্রোপচারের ভিডিও ধারণ করার রীতি প্রতিষ্ঠিত। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল বা অপরাপর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো কি এই চর্চা অনুসরণ করছে না? এটা মনে রাখতে হবে যে, জনসংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসক ঘাটতি বাংলাদেশে এখনো বিপুল। রোগী-চিকিৎসক কাম্য হারের হিসাবে সেটা প্রায় ৭০ শতাংশ। তথাপি দেশের চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। নানা জটিল রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি দুরূহ অস্ত্রোপচার এবং কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বাংলাদেশের চিকিৎসকরা দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন। টিস্যু ব্যাংকের সুবিধা নিয়ে গত ১২ বছরে দেশে দুই লাখ মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে। এর মধ্যে মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ৩৪৭টি। এসব দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতিরই ফসল। কিন্তু চিকিৎসকদের অবশ্যই সেবাপরায়ণতার পাশাপাশি ভুল স্বীকারের মানসিকতা দেখাতে হবে। ভুল স্বীকারই সংশোধনের পথ দেখায়।
web
36b04ea1a38ea32a375d8e463bcc3e1c801fc9eb
অন্তত ৮৫ অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছে গুগল। এই অ্যাপগুলো এত দিন অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যেত। কিন্তু এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে স্মার্টফোনে হানা দিত অ্যাডওয়ার। এ কারণে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ৮৫ অ্যাপ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে টিভি, গেম ও বেশ কিছু রিমোটচালিত অ্যাপ। এই অ্যাপগুলো কয়েক লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে। ব্লগে সিকিউরিটি রিসার্চার ট্রেন্ড মিক্রো জানিয়েছেন, এই ৮৫ অ্যাপের মধ্যে 'ইজি ইউনিভার্সাল টিভি রিমোট নামে একটি অ্যাপ আছে। এই অ্যাপটি প্লে স্টোর থেকে ৫০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে। অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফুল স্ক্রিন অ্যাড মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। স্ক্রিনে বারবার ইউজার বা ব্যবহারকারীকে কনটিনিউ বাটন প্রেস করতে বলে। প্রতি ক্লিকে একটি করে অ্যাড পেজ খুলতে থাকে। একদম শেষে অ্যাপ্লিকেশনটি ক্র্যাশ করে। এই অ্যাপ আসলে অ্যাডওয়ার। এটি এক ধরনের সফটওয়্যার, যেটি কোনো স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে প্রবেশ করলে সেগুলোর ক্ষতি করতে পারে। এটি ডাউনলোড হয়ে গেলে মোবাইল আনলক করলেই ইউজারদের মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে ওঠে নানা বিজ্ঞাপন। তাতেই ক্ষতি হয় ফোনটির। এই ৮৫ অ্যাপের মধ্যে রয়েছে স্পোর্টস টিভি, টিভি ওয়ার্ল্ড, আমেরিকান মাসল কার, এসি রিমোট, টিভি রিমোট, বাস ড্রাইভার, পার্কিং গেম, রেসিং ইন কার থ্রিডি গেম, নাইজেরিয়া টিভি, টিভি ইন ইংলিশ, পাইরেট স্টোরি, ফটো এডিটর কলেজ ১, স্প্যানিশ টিভি ইত্যাদি। গত বছর ২২টি এ রকম ক্ষতিকর অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছিল গুগল। রিপোর্ট অনুযায়ী এই অ্যাপগুলো ২০ লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
web
032afe715167b0f7284c011899e8a2d527041919
নয়াদিল্লিঃ চলন্ত ট্রেনে মহিলা যাত্রীর কাছ থেকে দামী জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পর তাঁকে ধর্ষণ করল এক দুষ্কৃতী। গতকাল শাহদরা ও ওল্ড দিল্লি স্টেশনের মাঝে ট্রেনের মহিলা কামরায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা গেছে, ওই ট্রেনের মহিলা কামরায় পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। চার জন মহিলা যাত্রী শাহদরা স্টেশনে নেমে যান। ওই স্টেশনেই কামরায় ওঠে তিনজন। তাদের মধ্যে দুজন ৩২ বছরের ওই মহিলার ব্যাগ ছিনিয়ে চম্পট দেয়। তৃতীয় দুষ্কৃতী ওই মহিলাকে ধর্ষণ ও মারধর করে। পুলিশের দুই কনস্টেবল ট্রেনে উঠে ওই ঘটনা দেখতে পান। তাঁরা দেখেন, ওই মহিলা প্রাণপনে দুষ্কৃতীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুলিশ ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। ওল্ড দিল্লি স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনোর পর ওই মহিলা ও দুষ্কৃতীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত শাহবাজ (২৫)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতা মহিলা বিহারের বাসিন্দা। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি দিল্লি এসেছিলেন। দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
web
899789d3c417e2d788c739d3638e44d456824346
নজরবন্দি ব্যুরোঃ শ্বশুর- স্ত্রী মীরজাফর, নজিরবিহীন আক্রমনের পর ক্ষমতায় এলে তদন্তের হুঁশিয়ারি শোভনের। আজ মহেশতলায় বিজেপির সভায় বান্ধবী বৈশাখীকে পাশে নিয়ে শাসক দলকে আক্রমনের পাশাপাশি নজিরবিহীন ভাষায় নিজের প্রাক্তন এবং শ্বশুরকে মীরজাফর বলে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত তাঁর শ্বশুর দুলাল দাস ও স্ত্রী রত্না দুজনেই তৃণমূলের উচ্চপদের নেতা। আরও পড়ুনঃ এখনই কি খোলা বাজারে ভ্যাকসিন, রাজ্য সফরে এসে জবাব দিলেন হর্ষবর্ধন। শুধু তাই নয় এদিন বান্ধবী বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর হুঙ্কার 'বহু কৈফিয়ত বহু ভাবে মানুষের কাছে দিতে হবে। ' তবে আজকের এই সভা নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। তার আগে রোড শো তেও উত্তেজিত হয় পরিস্থিতি। যে পথ দিয়ে রোড শো যায়, তার পাশে ভিড় করেন তৃণমূল সমর্থকরা। কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মহিলাদের হাতে দেখা যায় ঝাঁটাও। শ্বশুর- স্ত্রী মীরজাফর, নজিরবিহীন আক্রমনের পর ক্ষমতায় এলে তদন্তের হুঁশিয়ারি শোভনের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দু' পক্ষের মধ্যে কোনও সংঘাত বাঁধেনি। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে শেষ হয় বিজেপি-র রোড শো। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্য রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। সেই সঙ্গে বাড়ছে ব্যাক্তিগত আক্রমনের রীতি।
web