id
stringlengths 1
15
| text
stringlengths 1
129k
| __index_level_0__
int64 0
10k
⌀ |
---|---|---|
1b5ad36daa | স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে ছাড় উপহারের ছড়াছড়িঈদুল আজহা আর দুর্গাপূজা - এই দুই উৎসবের আগে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটারের বাজার এখন রমরমা। এই দুই প্রযুক্তিপণ্যে বিক্রেতারা এখন নানা রকম ছাড় ও উপহার দিচ্ছেন ক্রেতাদের। এদিকে ফ্লোরা লিমিটেডের আয়োজনে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে শুরু হয়েছে আট দিনের প্রেস্টিজিও স্মার্টফোন ও ট্যাবের মেলা। এ ছাড়া সারা দেশে ট্রান্সকম ডিজিটাল শো-রুমে ১০ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোন কিনলেই পাওয়া যাচ্ছে স্ক্র্যাচ কার্ড। যাতে পুরস্কার হিসেবে রয়েছে ক্যামেরা, এসডি কার্ড ইত্যাদি। বিক্রেতারা জানান, উৎসবের এই সময়ে স্মার্টফোনের চাহিদা বেশ বেড়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। গতকাল শনিবার ঢাকার একাধিক বাজার থেকে পাওয়া স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটারের দাম নিচে দেওয়া হলো।স্মার্টফোনস্যামসাং: গ্যালাক্সি এস ফাইভ ৬০০০০; নোট থ্রি ৬৩,০০০; নোট ফোর ৮০০০০; এস ডুয়োস টু ১২৫০০; ট্রেন্ড ৮৫০০; গ্র্যান্ড নিও ২১৯০০ ও গ্র্যান্ড টু ২৬৫০০ টাকা। এইস নেক্সট ৮৯০০; কোর টু ১৬৫০০ ও কে-জুম ৪৭০০০ টাকা। অ্যাপল: আইফোন ফোর ৩৪,৯০০; ফোর-এস ৩৯,৯০০; ফাইভ-এস ১৬ জিবি ৫৫৫০০ ও ৩২ জিবি ৬২০০০ টাকা।নকিয়া: লুমিয়া-৫২৫ ১২৫০০; লুমিয়া-৬৩০ ১৪৯০০; লুমিয়া-৬২৫ ১৮,৫০০; লুমিয়া-৯২৫ ৩২,০০০ ও লুমিয়া-১০২০ ৪২০০০ টাকা। সনি: এক্সপেরিয়া এস ২৫০০০; পি ২০০০০; জেড ৩২৯০০ ও সোলা-১৫৫০০ টাকা। ব্ল্যাকবেরি: বোল্ড ৯৭০০ ৩৫০০০; বোল্ড টাচ ৯৯০০ ৪৩০০০ ও জেড১০ ৫৫০০০ টাকা।সিম্ফনি: ডব্লিউ-১৬ ৪৫০০; ডব্লিউ-৭২ ৭৯০০; ডব্লিউ-২৮ ১০৯৯০; ডব্লিউ-১৩০ ১২৯৯০; ডব্লিউ-১৬০ ১৪৬৯০; ডব্লিউ-১২৮ ১১৪৯০; ডব্লিউ-৬৯কিউ ৭৩৯০ ও জেডআইভি ২২৯৯০ টাকা। ওয়ালটন: প্রিমো ডি ফোর ৪৭৫০; এনএক্স ১৭৯৯০; এফ-ওয়ান ৮৯৯০; ই-ওয়ান ৫২৯০; জি এফ ৮৬৯০; জি টু ১২৫৯০ ও জি থ্রি ১১৯৯০ টাকা।হুয়াউই : অ্যাসেন্ড ওয়াই৫১১ ৬৯৯০; জি৬১০ ১৪৯৯০; জি৬৩০ ১৫৪৯০; জি৭৩০ ১৬৯৯০; জি৭০০ ১৯৯৯০; মেট ২২৯৯০ ও পি৬ ২৪৯৯০ টাকা। এইচটিসি: ওয়ান ম্যাক্স ৫১০০০; ওয়ান ৪২৯০০ ও ওয়ান মিনি ৩১৯০০ টাকা। প্রেস্টিজিও: ৩৪০০ডিইউও ৭২০০; ৫৫০০ডিইউও ১২৫০০ ও ৫৩০০ডিইউও ১৮২০০ টাকা।ট্যাবলেটঅ্যাপল: আইপ্যাড মিনি ১৬জিবি ৪৬০০০; ৩২জিবি ৫২০০০; ৬৪জিবি-৬০০০০; আইপ্যাড টু ১৬জিবি ৪৭০০০; ফোর ৮জিবি ৩৯০০০; ৩২জিবি ৬২০০০ ও ৬৪জিবি ৬৯৫০০ টাকা।স্যামসাং: গ্যালাক্সি ট্যাব ফোর ৭.০ ৮জিবি ২৮৫০০; ট্যাব ফোর-১০.১ ১৬জিবি ৪০০০০; ট্যাব এস-৮.৪ ৫৩০০০ ও ট্যাব এস-১০.১ ৬৩০০০ টাকা। আসুস: নেক্সাস সেভেন ওয়াই-ফাই থ্রিজি ৩৬০০০; টিএফ১০১জি এনভিডিয়া ৪৪০০০ ও মেমোপ্যাড ১৫০০০; ফোনপ্যাড ৮জিবি ২২০০০ টাকা।ফুজিৎসু: ট্যাব এম৫৩২ ৬০৫০০ টাকা। এইচপি: এলিটপ্যাড ৯০০ ৩২জিবি ৯২০০০ টাকা। সনি: এসজিপিটি থ্রি ৩৯০০০; এসজিপি টু ৪৯০০০ ও ট্যাবলেট পি-এসজিপিটি টু ৪৫০০০ টাকা। লেনোভো: ইয়োগা৮ ২৭৫০০; ইয়োগা১০ ২৯৫০০ টাকা। কোয়াড কোর ২০৫০০ ও এস৬০০০ কোয়াড কোর ২৫০০০ টাকা। তোশিবা: এটি-১০০ ৪১৫০০ টাকা।এরকোর্স: এরনোভা ৭সি জি৩ ১৩০০০ ও এরনোভা ৮০এক্সএস-২৩০০০; এরনোভা চাইল্ডপ্যাড-১২৫০০; এরনোভা ৭সি জি৩-১৩০০০ ও এরনোভা ৯জি২-১৭,০০০ টাকা।প্রেস্টিজিও: প্রিমি ডিইউও থ্রিজি ৭.০ ৪জিবি ১৫০০০; কোয়ান্টাম ৭.৮৫ ৮জিবি ১৮০০০; আল্টিমেট-৮.০ ১৬জিবি ১৯০০০ ও কোয়ান্টাম ৭.৮৫ ৮জিবি ২৫০০০ টাকা। - সংগ্রহ: রাহিতুল ইসলাম | null |
iw2rxvjxv5 | রোজার প্রতিটি মুহূর্তই দামি। রমজানের প্রতিটি মুহূর্তেই রহমত বর্ষণ হয়। এর মধ্যেও সবচেয়ে বেশি রহমত থাকে রমজানের শেষ দশ দিনে। কারণ ওই সময়ে রয়েছে শবে কদর। এই সময়ে বহু কিছু আমল করার আছে। ১. অল্প আমলেও এ সময়ে হাজার মাসের সওয়াবের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আল্লাহ। এটা শবে কদরের মাধ্যমে সম্ভব। শেষ দশদিন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আত্মার পরিচর্যার দিকে জোর দিতে হবে। ২. সহিহ্ বুখারিতে আছে যে আয়েশা (রা.) বলেছেন, 'শেষ দশদিন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নবীজি (সা.) ইবাদতে ব্যস্ত থাকতেন এবং পরিবারের সদস্যদের ও সারা রাত জেগে ইবাদত করতে বলতেন।' ৩. পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইতিকাফ করা যায়। ৪. একটি হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) রমজানে শেষ দশদিন এমনভাবে ইবাদতে ব্যস্ত থাকতেন, যা বছরের অন্য কোনো সময় থাকতেন না। শেষ দশদিন তিনি রাত জেগে নামাজ আদায় করতেন, জিকির ব্যস্ত থাকতেন, কোরআন তিলাওয়াত করতেন। এই সুন্নত মনে রেখে ইবাদতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। শরিয়ত-সম্মত যে কোনো আমল বেছে নেওয়া যায়। কেউ নামাজ, কেউ জিকির, কেউ কোরআন তিলওয়াত পছন্দ করেন। নিজের পছন্দের ইবাদতগুলো বেছে নিয়ে সেসব বার বার আমল করা যায়। ৫. যাকে যত বেশি ভালোবাসেন, তার সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে ততই পছন্দ করেন। তেমনি বান্দা যত বেশি তার রবকে জানে, তাঁর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে ততই প্রশান্তি অনুভব করে, আনন্দিত হয়। ইতিকাফই সেই ইবাদত। এটি সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। ইতিকাফে ব্যক্তি তার পরিবার, ব্যবসা-বাণিজ্য, দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে আসে। তওবা, ইস্তিগফার, কিয়াম, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির মশগুল থাকেন সর্বক্ষণ। রোজার শেষ দশদিন প্রথম বিশ দিনের মতো নয়। আগামী রোজা আদৌ পাওয়া যাবে কি যাবে না, তা কারো জানা নেই। সে অনিশ্চয়তার কথা ভেবেই মনে করতে হবে, রমজানের শেষ দশ দিন ইবাদতের জন্য জীবনের সেরা সময়। | null |
ID_33905 | বেকি লিঞ্চ রেবেকা কিউইন (জন্ম ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৭) হলেন একজন আইরিশ পেশাদারি কুস্তিগির। সে বর্তমানে ডাব্লিউডাব্লিউই এর সাথে চুক্তিবদ্ধ আছেন, সেখানে সে বেকি লিঞ্চ হিসেবে কুস্তি লড়েন। সে রেবেকা কনক হিসেবে স্বাধীনভাবে কুস্ত কর্মজীবন শুরু করেন। রেবেকা ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে ফেরগাল ডেভিট এবং পল ট্রেসির কাজ পেশাদারি কুস্তির প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করে। তার পাঁচ মাস পর তার অভিষেক শুরু হিয়। প্রথম দিকে রেবেকা আইয়ারল্যান্ডে কাজ শুরু করে এবং মাঝেমাঝে তার ভাইয়ের সাথে দল গঠন করে। | null |
3s0ap3mckb | একসময় এ দেশে দলে দলে প্রার্থী, ঝাঁকে ঝাঁকে ভোটার ছিল। অলিগলিতে লম্বা লম্বা ভোটের মিছিল এবং কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারের দীর্ঘ লাইন। টিনের চোঙায় 'ভোট দেবেন কাকে' - স্লোগানে গ্রাম-শহরের আকাশ-বাতাস মুখর হতো। হাতে লেখা বা লেটার প্রেসে কাঠের ব্লকে সাদাকালো পোস্টার। টিনের চোঙা ও লেটার প্রেসের যুগ বহু আগে শেষ হয়েছে। সত্তরের সাধারণ নির্বাচনের পর টিনের চোঙা আর লেটার প্রেসের যুগের পর এল লাউড স্পিকার আর অপসেট প্রেসের যুগ। হোন্ডা-গুন্ডার যুগ। মাইকের চিৎকারে কান ঝালাপালা, লেমিনেটেড পোস্টারে আকাশ ঢেকে ফেলে। মাইকের পর এখন পরপর ডিজিটাল, স্মার্ট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ চলছে। ডিজিটাল পোস্টার-ফেস্টুন, অনলাইন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির ব্যবহার বাড়ছে। অধুনা নির্বাচন ও ভোট বাংলা ভাষার অভিধানে অনেক পুরোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছকে নতুন অভিব্যক্তি ও অর্থ দিয়েছে। যেমন ভোট চুরি, ভোট ডাকতি, রাতের ভোট, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। আবার প্রার্থী অপহরণ, পোলিং, এজেন্টকে ভোটের চাঁদরাতে অন্য জেলায় চালান করা এবং নির্বাচন নিয়ে আরও নানা বিচিত্র সব ঘটনার নিষ্ঠুর রসিকতা। এসব দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর খোদ নির্বাচনব্যবস্থাই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে এক রসিকপ্রবর বললেন, জনগণকে ঘুমে রেখে পুরো নির্বাচনই 'গুম' হয়ে গেছে। কোনো এক প্রার্থী বিজয়ী হয়ে বগল বাজিয়ে চলেছেন। আর সাধারণ মানুষ ও সংবাদমাধ্যম হন্যে হয়ে নির্বাচন, ভোট ও ভোটার খুঁজে বেড়াচ্ছে। চান্দগাঁওয়ের হামিদচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পাওয়া গেল। কিন্তু ভোটার গেল কই? বলা হচ্ছে, নির্বাচন কর্মকর্তার ১ শতাংশ ভোট কাস্ট করার অধিকার নির্বাচন কমিশনস্বীকৃত। আর এক কেন্দ্রে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সর্বসাকল্যে ১৯০টি কেন্দ্র মিলিয়ে টেনেটুনে ১৪ শতাংশ। (প্রথম আলো, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩)। বাকি ৮৬ শতাংশ ভোটার গুম হলো না অঘোর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে রইল? কেউই কিছু বলে না। কারণ, বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কোনো এক বোকা রাজার রাজ্যের চতুর এক মন্ত্রীর পাখি গণনার গল্প শোনা গেল। চট্টগ্রাম-৮-এর চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনে মোট পাখির সংখ্যা ধরা যায় প্রায় পাঁচ লাখ। কমসে কম ২০ শতাংশ ঈদে গ্রামের বাড়ি থেকে ফেরেনি, ১৫ শতাংশ ভাসমান, ঠিকানা পরিবর্তন করে নগরের অন্য কোথাও বা বেয়াই বাড়ি কিংবা শ্বশুরবাড়ি দাওয়াত খেতে চলে গেছে। ১৪ শতাংশ ভোট ইভিএম মেশিনে পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ৭ শতাংশ দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী বাহিনীর, যারা বুক দিয়ে কেন্দ্র আগলে রেখেছিল তাদের মূল্যবান অবদান, আর ৭ শতাংশ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ডিজিটাল বদান্যতা। বাকি ৫১ শতাংশ ভোটার ভোটের দিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রাণভরে ঘুমিয়েছে। রাজার হিসাব সুন্দর মিলে গেছে। রাজা খোশ, মন্ত্রীও খোশ। নাখোশ জনগণ অন্ধকারের বদ্ধ ঘরে কালো বিড়াল খুঁজতে খুঁজতে এখন ভুলে যেতে পারে এ দেশে একদা ভোট হতো। ভোটের তো এই হাল। দেশের রাজনীতির কী হালহকিকত। রাজনীতিতে 'মানি লন্ডারিং' রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। রাজনীতিকে কোনোভাবে আর দেশে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। দেশের রাজনীতি হুরবুর করে বিদেশে চলে যাচ্ছে। বিদেশ থেকে প্রার্থী আসে, ইউটিউবে নানা সংবাদ ভাষ্য, বিপ্লব, গণতন্ত্র সবই এসে দেশ সয়লব। দেশের সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের মুখে আপাতত ললিপপ। আর কিছু অসার গপসপ। আগের দিনের ঢাউশ দেয়ালঘড়ির দোলকের মতো রাজনীতি এখন দিল্লি, মস্কো, চীন ও ওয়াশিংটনের পেন্ডুলামে দোল খাচ্ছে, আর টিকটিক আবর্তিত হচ্ছে। দিক পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ নেই। দেশের চার সিটি নির্বাচনের সিটি তো বাজল। এই ইদুঁর-বিড়াল খেলা তো জুনের মধ্যে শেষ। তারপর প্রয়াত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সে চোরের গাট্টি নিয়ে নিরাপদে সরে পড়ার মতো কাপুরুষ গৃহস্থের বারবার একই চিন্তা 'দেখি না বেটা কী করে?' অবশেষে চোর অবশ্য সদর রাস্তা ধরে চলে যায়। যাঁরা এসব নির্বাচনে এইভাবে বিজয়ী হন, তাঁদের আত্মসম্মানবোধ কোথায় গিয়ে লুকায় কে জানে! আসল-নকল মিলিয়ে ১৪ শতাংশ ভোট পেয়ে তাঁরা কীভাবে বিজয়ের মালা গলায় তোলেন? ড. তোফায়েল আহমেদস্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ | null |
258d38c1f8 | সংবিধান হচ্ছে দেশ বা রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান নির্দেশিকা। একে ভিত্তি বা রক্ষাকবচও বলা হয়। পৃথিবীর মানচিত্রে যখন কোনো নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়, তখন সে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কিছু মূলনীতি ঠিক করা হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্য তেমনি একটি সংবিধান প্রণীত হয়েছিল। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমাদের সংবিধান পৃথিবীর যেকোনো উন্নত সংবিধানের সমতুল্য। একই সঙ্গে এ কথাও প্রযোজ্য যে স্বল্প সময়ের মধ্যে এত বড় একটি সংবিধান রচনা করতে গেলে কিছু অর্থ-ভাষাতাত্ত্বিক ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। যেকোনো ভুল ভুলই। ভুল হওয়াটা দোষের নয়, কিন্তু তা সংশোধনের প্রয়াস না নেওয়া নিঃসন্দেহে দোষের। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত হলে স্বাধীন পাকিস্তানের সংবিধান তৈরি করতে লেগেছিল নয় বছর। সেখানে ১৯৫০ সালে 'মূলনীতি কমিটি' প্রস্তাব করে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার। যেখানে পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাংলা ভাষাভাষী এবং দুই পাকিস্তান মিলে বাংলা হচ্ছে প্রধান ভাষা, তা উপেক্ষা করে উর্দুর প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের পরবর্তী পরিণতির ইতিহাস আমাদের জানা। যদিও শেষ পর্যন্ত সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যত তা ছিল কাগজে-কলমে, বাস্তবে বাংলা উপেক্ষিতই ছিল।যেকোনো সংবিধানে ভাষার প্রশ্ন এবং সংবিধানের ভাষা, অর্থাত্ যে ভাষায় সংবিধান রচিত হয়েছে সেই ভাষা কতটা স্বচ্ছ ও দ্ব্যর্থতামুক্ত, তা যেমন একটি বড় প্রশ্ন, তেমনি সংবিধানে ব্যবহূত শব্দাবলি, নাম, প্রতিষ্ঠান, আইনকানুন এমনকি বিরতিচিহ্নগুলোও গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ভুল থাকলেও । প্রয়োজন মনে করলে জনগণের সংবিধান জনগন তাদের জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু যতক্ষণ না পাল্টানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটিই প্রামাণ্য। সমস্যা হচ্ছে, ভাষা মানুষ প্রয়োগ করে তার ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে, সেখানে নিয়ম করে কী বলবে কী বলবে না তার নির্দেশনা দেওয়া কঠিন। তাই আমাদের সংবিধানে সংসদ সদস্য শব্দটি রয়েছে, অথচ আমরা প্রয়োগ করছি 'সাংসদ' - এটি সংবিধানের ভাষা বিচারে আইনসিদ্ধ নয়। বিভিন্ন সময় যখন সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, তখন আগের ধারাবতিকতা লক্ষ না করে কোথাও 'Bengali' কোথাও 'Bangla' রয়ে গেছে। বাংলাদেশের মূল সংবিধান রচিত হয়েছিল ইংরেজিতে। পরে তার বাংলায় অনুবাদ করা হয় এবং এও বলা হয়, 'বাংলায় এই সংবিধানের একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ এবং ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য অনুমোদিত পাঠ থাকিবে এবং উভয় পাঠ নির্ভরযোগ্য বলিয়া গণপরিষদের স্পিকার সার্টিফিকেট প্রদান করিবেন' (১৫৩/২); এরপর (৩) বলা হয়েছে, 'বাংলা-ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।'১৯৭৮ সালের দ্বিতীয় ঘোষণাপত্রের ৪ নম্বর আদেশে বলা হয়েছে এর উল্টো কথা। তা হচ্ছে, যেকোনো ধরনের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, অর্থগত অসংগতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে 'ইংরেজি পাঠ প্রধান্য পাইবে'।অর্থাত্ আমাদের সংবিধানে ভাষা প্রসঙ্গে বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে এবং এটি হয়েছে এ কাজে ভাষাবিশেষজ্ঞ সমপৃক্ত না থাকার ফলে। একই সঙ্গে পরবর্তীকালে যাঁরা একে পরিবর্তন করেছেন, তাঁরা ভাষার ব্যাপারে মনোযোগী যেমন ছিলেন না, তেমনি বাংলা ভাষার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।আমাদের সংবিধানের প্রথম ভাগের তৃতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: 'প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা'। এরপর দ্বিতীয় ভাগের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: রাষ্ট্র জাতীয় ভাষা-সংস্কৃতি ঐতিহ্য প্রভৃতি উন্নয়নের ব্যবস্থা করবেন। অর্থাত্ সংবিধানে 'রাষ্ট্রভাষা' এবং 'জাতীয় ভাষার' প্রসঙ্গ এসেছে। এখানে একটা বিষয় বলে নেওয়া প্রয়োজন, বাংলাদেশ একটি বহুজাতিক ও বহুভাষিক রাষ্ট্র। কাজেই আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা তথা ইউনেসকো-নির্দেশিত দাপ্তরিক ভাষা বাংলা হওয়া যেমন সংগত, তেমনি এ দেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা আদিবাসীদের ভাষার স্বীকৃতিও থাকা প্রয়োজন ছিল। 'বাংলা ছাড়াও এ দেশের অন্য সব ভাষাভাষীর ভাষিক মর্যাদা রক্ষাও এই সংবিধানের লক্ষ্য' - এ ধরনের একটি লাইন তৃতীয় অনুচ্ছেদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে আরও ভালো হতো। ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ হলে এর আরও ভাষাগত পরিমার্জন করা যেতে পারে। বিশেষ করে ইংরেজি ও বাংলা পাঠের মধ্যে যে শব্দ ও অর্থগত দ্ব্যর্থকতা রয়েছে, তা সংশোধন করা জরুরি। যেমন ইংরেজি 'Local Government'-এর বাংলা হয়েছে স্থানীয় শাসন, স্পিকারের বাংলা অধ্যক্ষ প্রভৃতি। আবার বাংলা অংশে মাঝেমধ্যে রোমান হরফের প্রয়োগও রয়েছে। ভারতে হিন্দি যেমন দাপ্তরিক ভাষা, রাষ্ট্রভাষা নয়, তেমনি আমাদের সংবিধানের এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সাখাওয়াত্ আনসারী লিখেছেন - 'প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা' - এই উল্লেখের মাধ্যমে সংবিধানপ্রণেতারা বাঙালির সংবেদনশীলতার প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করলেও আমরা ভাষাবৈজ্ঞনিক দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করেছি যে 'রাষ্ট্রভাষা' অভিধাটি অভ্রান্ত নয়। এ স্থানে যথার্থ অভিধা 'দাপ্তরিক ভাষা' (২০০৯) । ১৯৮৭ সালে 'বাংলা ভাষা প্রচলন আইন' করা হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। এমনকি সংবিধানেই এ দেশের ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, সরকার বা রাষ্ট্র সে বিষয়টিকে কখনো কোনো গুরুত্ব দিয়েছেন বলে আমরা জানি না, অর্থাত্ বাংলা ভাষা প্রয়োগের যে নৈরাজ্য সৃষ্ট হয়েছে, তা প্রতিহত করার জন্য সাংবিধানিক বিধানও রয়েছে (দ্বিতীয় ভাগের ২৩ পরিচ্ছেদ)।রাষ্ট্র বা সরকার এই বিধানকে প্রয়োগ না করে জাতীয় সংস্কৃতি-ভাষা রক্ষা না করে প্রকারান্তরে সংবিধান লঙ্ঘনই করছেন।ভাষাবিজ্ঞানী মনসুর মুসা সংবিধান ও বাংলা ভাষা বিষয়ে আমাদের জানান, আমাদের সংবিধানে বাংলা ভাষা বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। আর যা বলা হয়েছে তা আইন বলে পরিগণিত। কাজেই এগুলো না মানা সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। তবে সংবিধানে আইনের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কিছু ভাষাগত সমস্যা রয়ে গেছে। সংবিধানের ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ না হওয়ায় কোনো কোনো স্থানে বক্তব্য সাংঘর্ষিক বা দ্ব্যর্থবোধক মনে হতে পারে। ভাষা বিষয়ে সংবিধান অনেক বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত দিলেও তা কার্যকর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ তৈরি করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হয়নি। অনেক কিছুরই পদবি, নাম পরিবর্তন হয়নি; প্রয়োজন নেই তবু ইংরেজি শব্দ রয়েছে। 'আমাদের সংবিধান-এর আর একটি দিক হচ্ছে, সে সময়ের প্রেক্ষিত ও আবেগের কারণে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি স্পষ্ট হলেও এ দেশের অন্য ভাষাগুলো ঠাঁই পায়নি। এ বিষয়ে ভাবার এখন সময় এসেছে।'সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ম-কানুন-নীতি। কাজেই তার মধ্যে যেমন রাষ্ট্রের ভাষা অর্থাত্ রাষ্ট্রে বসবাসকারী সব মানুষের ভাষার অধিকার রক্ষিত হবে, তেমনি সংবিধানের ভাষাকেও হতে হবে দ্বিধাদ্বন্দ্বমুক্ত, স্বচ্ছ, সরল ও স্পষ্ট। আমাদের সংবিধানে প্রথমত সব জাতির সব ভাষার অধিকার স্বীকৃত হয়নি। দ্বিতীয়ত ভাষাবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে এর ভাষায় রয়েছে কিছু অসংগতি, যা দূর করার কাজটি মোটেই দুরূহ নয়। প্রয়োজন ছিল ভাষা ও অর্থতত্ত্বের বিশ্লেষণ। আমাদের সংবিধানের এত বছর পার হলেও তা হয়নি। এর ফলে সত্য-সত্যায়িত অর্থতত্ত্বের (Truth Conditional Semantics) ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে সমস্যা দেখা দেয় অনেক ক্ষেত্রেই। এমনকি আইনের ক্ষেত্রে ভাষা প্রয়োগের যে সচেতনতা থাকা দরকার ছিল, সে চেষ্টা আমরা লক্ষ করিনি এযাবত্কালে। একটি বিশেষ কমিটি করে তাদের দায়িত্ব দিলে এ কাজটি অনায়াসে করা সম্ভব। সেই সঙ্গে সম্ভব নতুন সংশোধনী এনে এটা বাস্তবায়ন করা। অন্তত ভাষার স্বার্থের প্রশ্নে এ দেশে বিরোধিতা করার মানুষ পাওয়া কঠিন হবে।সৌরভ সিকদার: অধ্যাপক, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। | null |
3990eddbc6 | বিসিবি একাডেমি ভবনের সিঁড়ির একেকটা ধাপে দাঁড়িয়ে খুদে ক্রিকেটাররা। সবার ওপরেসাকিব আল হাসান। ছবিটা নিঃসন্দেহে অর্থবহ। সাকিব একটা সময় এ খুদে ক্রিকেটারদের মতোই বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছেন। এরপর সাফল্যের একেকটা সিঁড়ি পেরিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন। এ ছবিটা বলে দেয়, সাকিবের মতো সেরা হতে হলে পেরোতে হবে একেকটা সিঁড়ি। রাজধানীর এক ঝাঁক খুদে ক্রিকেটার সাকিবের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছে বিসিবি একাডেমি কাপ সামনে রেখে। ঢাকার প্রাইভেট ক্রিকেট একাডেমিগুলো নিয়ে বিসিবি নিয়মিত আয়োজন করে থাকে এ টুর্নামেন্টের। এবার একাডেমি কাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল। ১৮ মার্চ থেকে শুরু টুর্নামেন্টের ফাইনাল ৭ এপ্রিল। ৩২টি দল খেলবে ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে। গ্রুপের সেরা দুটি দল খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। খেলা হবে চার মাঠে - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ হল, সিটি ক্লাব ও ফতুল্লা আউটার স্টেডিয়ামে। একাডেমি কাপের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে আজ খুদে ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিলেন সাকিব আর সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ। এ ধরনের টুর্নামেন্টকে খুদে ক্রিকেটারদের বড় প্ল্যাটফর্ম বললেন সাকিব, 'যদ্দুর জানি, ঢাকা শহরে অনেক একাডেমি আছে। এসব একাডেমিতে যত খেলোয়াড় আছে তাদের একটা প্ল্যাটফর্ম থাকা দরকার। ওই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বিসিবি খুব ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছে। এটির মাধ্যমে অনেকে নজর কাড়তে পারে। কীভাবে আরও ওপরে উঠবে, সেটির একটা প্ল্যাটফর্ম হতে পারে এই টুর্নামেন্ট। বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করায়। এখানে যারা অংশ নেবে তাদেরও একটা দায়িত্ব থাকবে যেন ভালো কিছু করতে পারে। এটির মাধ্যমে চোখে পড়তে পারবে খেলোয়াড়েরা। যেহেতু একাডেমির খেলোয়াড়েরা খেলবে, সবাই অনূর্ধ্ব-১৯ বা এর নিচে। এখান থেকে যেন অনেক খেলোয়াড় উঠে আসতে পারে, সে প্রত্যাশাই করব।' বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট বলেই সাকিব খুদে ক্রিকেটারদের চাপ নিতে মানা করলেন। বললেন, খেলাটা মন ভরে উপভোগ করতে, 'খেলার আনন্দ নিয়েই ওদের খেলতে বলব। এখনই অনেক বড় লক্ষ্য ঠিক করা মনে হয় না ভালো কিছু হবে। যদি খেলাটা উপভোগ করে, ভালো করতে পারে, এটাই ওদের বড় পাওয়া হবে। মনোযোগ দিয়ে অবশ্যই খেলবে। তবে এ টুর্নামেন্টকে সবকিছু মনে না করে। এখানে যারা ব্যর্থ হবে, তাদের জন্য যেমন সব শেষ হবে না, আবার সফল হলে সব পাওয়া হয়ে যাবে, সেটিও নয়। এটা একটা শুরু মাত্র। ওরা যেন এসব ভেবেই খেলে। এ টুর্নামেন্টের মজাটা যেন ওরা নিতে পারে।' | null |
22914651b5 | লিভারপুলের কাছে হারার পর লেস্টার সিটি কোচ ক্লদিও রানিয়েরির মনটা একটু খারাপই ছিল। কিন্তু কে জানত, কয়েক ঘণ্টা পর সাউদাম্পটনের কাছ থেকে বক্সিং ডের এমন উপহার পাবেন? লেস্টারকে টপকে ইংলিশ লিগের শীর্ষে চলে যাওয়ার সুযোগ ছিল আর্সেনালের, কিন্তু সাউদাম্পটনের কাছে ৪-০ গোলে হেরে সুযোগটা তারা কাজে লাগাতে পারেনি। ৪-০ ব্যবধানই বলে দিচ্ছে, ম্যাচে কতটা একপেশে ছিল। তবে আর্সেন ওয়েঙ্গার কিন্তু রেফারি জন মসকেই দাঁড় করিয়েছেন কাঠগড়ায়, 'আমাদের দুর্ভাগ্য, রেফারির সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে। প্রথম গোলটা ছিল অফসাইড, দ্বিতীয় গোলটা ছিল ফাউল, তৃতীয়টা ছিল গোলকিক। এমনিতেই আমরা খারাপ খেলেছি, কিন্তু তিনটি সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেলে তো কাজটা অনেক কঠিন।' ওয়েঙ্গার প্রথম গোল নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কুকো মার্টিনা সেটি অনেক দিন মনে রাখবেন। সাউদাম্পটন ডিফেন্ডারের ৩০ গজ দূর থেকে করা গোলটা তো মৌসুমেরই অন্যতম সেরা। ওয়েঙ্গারের পর রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সাউদাম্পটন কোচ রোনাল্ড কোম্যানকেও। একটি বাক্যেই সব উত্তর দিয়ে দিয়েছেন ডাচ কোচ, '৪-০ গোলে হারলে রেফারিকে দোষ দেওয়া যায় না।' রানিয়েরি অবশ্য তখনো জানতেন না দিন শেষে হাসতে পারবেন। লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হারের পর লেস্টার কোচের প্রতিক্রিয়া ছিল স্বাভাবিকই, 'আমার মনে হয় জয়টা লিভারপুলেরই প্রাপ্য ছিল। না জিততে পারায় একটু হতাশ আমরা, আবার প্রতি ম্যাচেই আপনি জিততে পারবেন না। আমি খুশি নই, কিন্তু ব্যাপারটা মেনে নিচ্ছি।' আগামীকাল রাতেই আরও বড় পরীক্ষা দিতে হবে লেস্টারকে, প্রতিপক্ষ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির ম্যানচেস্টার সিটি। এএফপি। | null |
132d06dabf | যশোরের অভয়নগরে যুবলীগের কর্মী হুমায়ুন কবীর ওরফে খোকন (২৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। হুমায়ুনের মা জুলেখা বেগম গতকাল শুক্রবার বিকেলে অভয়নগর থানায় মামলাটি করেন।মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।হত্যাকাণ্ডের পর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রউফের ভাই মিজানুর রহমান ওরফে মিঠুকে (৩২) পুলিশ আটক করে। তাঁকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন: রাজু আহমেদ (২৫), আবু সুফিয়ান (৩০), আবদুস সালাম (২২), ইউনুস আলী (৩২) ও অহিদ (৩৩)।বিষয়টি নিশ্চিত করে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, মিজানুরকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বুধবার রাতে নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় যুবলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। | null |
1ea1e11130 | বজ্রপাতে পাবনার ঈশ্বরদীতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের তিনটি যন্ত্রাংশ পুড়ে যাওয়ায় শহরের ৮০ ভাগ এলাকায় সাড়ে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ায় আবাসিক এলাকা, দোকানপাট ও কলকারখানায় গ্রাহকেরা পড়েন দুর্ভোগে। ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাতে শহরের পাতিলাখালী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্গমন (ইনকামিং) লাইনে ব্রেকারের সিটি ও পিটি নামে তিনটি যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যায়। এতে অন্যান্য যন্ত্রাংশ ও বিদ্যুৎ লাইন অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে গতকাল রাত দেড়টা থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার পশ্চিম টেংরি বাবুপাড়া, দড়িনারিচা, ফতেমোহাম্মদপুর, বাজার, পিয়ারাখালী, সাঁড়া, রহিমপুর, গোকুলনগর, বিমানবন্দর সড়ক, উপজেলা সড়ক, আড়মবাড়িয়াসহ ৪০টি এলাকায় টানা সাড়ে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান জানান, বজ্রপাতে এই প্রথমবার বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্রে বড় ধরনের ক্ষতি হলো। বজ্রপাতের কারণে বিদ্যুৎ-সঞ্চালন লাইনে ব্রেকারের তিনটি যন্ত্রাংশ একেবারে পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক তিন লাখ টাকা। চার-পাঁচ বছর আগে এগুলো উপকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়। তিনি আরও জানান, বজ্রপাত থেকে উপকেন্দ্র রক্ষার জন্য স্থাপিত সার্জ স্টোক টাওয়ারটি সে সময় বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। নতুন তিনটি যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করার পর আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। | null |
288f153103 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেশকে এগিয়ে নিতে এখনো জনগণকে অনুপ্রাণিত করছে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপন উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এখনো আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।' প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কেউ আর নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। কারণ, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে সবকিছুই এখন উন্মুক্ত। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর কেউ বিকৃত করতে পারবে না। পারবে না তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'আজকের প্রজন্মের সামনে বিশ্ব আজ উন্মুক্ত। কাজেই তারা আর বিভ্রান্ত হতে পারে না। যদিও অতীতের সরকারগুলো ২১ বছর ধরে এটি করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে প্রযুক্তির যুগে তাদের (নতুন প্রজন্ম) অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হবে না।' বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণ লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে উৎসাহিত করবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বাজানো হয় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। | null |
5745b65bcc | ভারতে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করার সরকারি পদক্ষেপের শিকার হয়েছেন মুম্বাইয়ের এক দম্পতি। ওই দুটি নোট পরিবর্তন করে দিতে না পারায় স্থানীয় একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের অসুস্থ নবজাতক শিশুকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শিশুটি মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।মুম্বাইয়ের গোবান্দি এলাকার বাসিন্দা শিশুটির বাবা জগদীশ শর্মা বলেন, গত বুধবার তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে মুম্বাইয়ের জীবন জোত হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং হোমে যান। ওই হাসপাতালটিতে তাঁরা ছয় মাস ধরে নিয়মিত চেকআপ করিয়ে আসছিলেন। তাঁরা হাসপাতালের বিলের আংশিক ৫০০ ও ১০০০ হাজার রুপির নোটসহ ছয় হাজার রুপি জমা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা শিশুটিকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফিরিয়ে দেয়।জগদীশ শর্মা বলেন, 'সরকার হাসপাতালগুলোকে আগামী আরও কয়েক দিন ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে জানিয়ে আমি তাদের বারবার অনুরোধ করি। তবে তারা আমার কথা শোনেনি।' তিনি আরও বলেন, ওই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথি নিতে না পারায় শিশুটিকে তাঁরা অন্য হাসপাতালেও ভর্তি করতে পারেননি। পরের দিন বৃহস্পতিবার শিশুটি তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হয়। ওই দিনই সে মারা যায়।তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ 'মিথ্যা ও বানোয়াট' বলে উল্লেখ করেছে।জগদীশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করছে।গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই দিন মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেন। জাল নোট ও কালো রুপি লেনদেন বন্ধ করার অংশ হিসেবে তিনি ওই ঘোষণা দেন। | null |
1c3abbd625 | রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংকে বিক্ষোভ করেছেন পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা। পদোন্নতি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি এমন অভিযোগ তুলে গতকাল রোববার বিক্ষোভে অংশ নেন কর্মকর্তারা। পরে তাঁরা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে দাবি পেশ করেন। সম্প্রতি ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক, সহকারী মহাব্যবস্থাপক, প্রথম সহকারী মহাব্যবস্থাপক, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি হয়। জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, পদ কম, প্রার্থী বেশি। এ কারণে পদোন্নতিতে সবাই সন্তুষ্ট হতে পারেননি। বিষয়টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হবে। এদিকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম অসুস্থতার কারণে গতকাল কার্যালয়ে আসেননি। | null |
7f11626633 | জামায়াতের ডাকা হরতালের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়েছে।কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধীনে বি২-বি৭ ইউনিটের পরীক্ষা ৭ নভেম্বর এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে সি১-সি৩ ইউনিটের পরীক্ষা ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি পরীক্ষা যথাক্রমে ৬ ও ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব এস এম আকবর হোছাইন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়টি জানানো হয়। পরীক্ষা পেছানো হলেও এসব পরীক্ষার পূর্বঘোষিত কেন্দ্রসমূহ এবং সময় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এ ছাড়া অন্যান্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে পূর্বনির্ধারিত সূচি কার্যকর থাকবে। | null |
2dc257b35e | ব্যাংকে ঋণের জন্য ধরনা দিতে গেলে হয়তো সময় লেগে যেত অনেক। ক্ষয় হয়ে যেত জুতার তলা, কিন্তু আরাফাত কীর্তি এবং আরাফাত মহসীনকে জুতার তলা ক্ষয় করতে হয়নি। তাঁরা এসব না করেই পেয়ে গিয়েছিলেন ঋণ। তবে ব্যাংক থেকে নয়, মায়ের কাছ থেকে। সেটা দিয়েই করেছিলেন স্টুডিও। নিয়মিত হয়েছেন গানে। বছর পেরোতেই মায়ের সেই টাকা তো শোধ করেছেনই, আবার স্টুডিওটাও বড় করেছেন। আরাফাত কীর্তি আর আরাফাত মহসীনকে মানুষ চেনে কীর্তি আর নিধি নামে। মহসীনের ডাকনাম তো নিধি। সম্প্রতি ঢাকার নিকেতনে তাঁদের স্টুডিওতে বসে কথা হয় সংগীতশিল্পী দুই ভাইয়ের সঙ্গে। আলাপের শুরুতেই জানতে চাই - 'আপনারা তো পেছনের মানুষ। শব্দ, মিউজিক, গান নিয়ে কাজ-কারবার। মানুষ আপনাদের কেন চিনবে বা মনে রাখবে বলুন তো?' বড় ভাই হিসেবে কীর্তি ফ্লোর নেন আগে, উল্টো প্রশ্ন করেন, 'চেনাটা কি খুব জরুরি?' এবার নিধির পালা, 'আমরা দুই ভাই অনেকটা দরজির মতো। ও কাপড় কাটে। আমি সেলাই করি। মানে কীর্তি সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার (শব্দ প্রকৌশলী) হিসেবে কাজ করে আর আমি মিউজিক ডিরেক্টর (সংগীত পরিচালক)। যারা মিউজিক ভালোবাসে বা বোঝে তারা ঠিকই চিনতে পারবে বা মনে রাখবে আমাদের।' যোগ করেন কীর্তি। 'আমরা আসলে চেনা-জানার দিকে বেশি গুরুত্ব দিই না। আমরা যদি নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে যাই তাহলে সবাই এমনিতে চিনবেন, মনে রাখবেন।' এই 'ঠিকঠাক' কাজটা কয়েক বছর ধরে নিয়মিত করে যাচ্ছেন দুই ভাই - কীর্তি ও নিধি। অসংখ্য দেশি বিজ্ঞাপনের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন এই ভ্রাতৃজুটি। তবে কাজের গল্প বলার আগে নিজেদের শুরুর গল্প দিয়ে আড্ডা জমান নিধি। বাড়িতে একটা গানের পরিবেশ ছিল। বাবা-মা দুজনই গান পছন্দ করতেন। সন্ধ্যায় অফিস থেকে এসে বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে বসতেন। সঙ্গে সন্তানেরা। হঠাৎ করেই ২০০৬ সালে বাবা মারা যান। সংসারের হাল ধরেন মা। ওই সময় একটি বেসরকারি রেডিও স্টেশনে চাকরি শুরু করেন কীর্তি। বড় ভাই যখন সুর আর শব্দযন্ত্র নিয়ে কাজ শুরু করলেন ছোট ভাই আর বসে থাকলেন না। যদিও দুই ভাইয়ের জীবনের লক্ষ্য মূলত গানকে ঘিরে ছিল না। তবু পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে নানা ধরনের শব্দ আর সুর নিয়ে খেলতে শুরু করেন তাঁরা। এই ফাঁকে ২০০৯ সালে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে চলে যান কীর্তি। নিধি যেন আরও একটু স্বাধীনতা পেয়ে যান। ওই সময় দু-চারজন চিনতে শুরু করেছেন কীর্তি ও নিধিকে। প্রথমে তাঁরা সবার নজরে আসেন মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে সুর ও সংগীতের কাজ করে। সেই কাজটা অবশ্য এনে দেন তাঁদের পারিবারিক বন্ধু রাজীব আশরাফ। ওই বিজ্ঞাপনটাই একদিন মাকে দেখিয়ে নিধি বলেন, 'এই বিজ্ঞাপনের মিউজিক আমার করা।' বুটিক ব্যবসায়ী মা পুরো খুঁটিনাটি শুনে নেন। জেনে নেন, এই মিউজিক কোথায় কীভাবে করা হয়েছে। নিধি সহজ করে উত্তর দেন, এগুলো বিভিন্ন স্টুডিও ভাড়া নিয়ে করেছে। মা জানতে চান স্টুডিও করতে খরচ কেমন? ৩ লাখ টাকা শুনে সেই 'লোন' পাস করেন মা। বাংলালিংকের বিজ্ঞাপনটা প্রচারের পর থেকেই সাড়া পড়ে যায়। বিজ্ঞাপনচিত্রের সুর ও সংগীতায়োজন করার জন্য ধীরে ধীরে ডাক আসতে থাকে নিধির। লন্ডন থেকে কীর্তিও নানাভাবে সহযোগিতা করেন দেশে থাকা ভাইকে। তারপর ডাক আসে আরেক মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল থেকে। শিহাব শাহীনের ভালোবাসি তাই নামের একটি টেলিছবিতে 'জলকনা' নামে একটি গান করেন নিধি। তারপর থেকে চেনা মুখ হয়ে যান তিনি। এরপর অসংখ্য বিজ্ঞাপন, টেলিছবিতে গান করেছেন এই দুই ভাই। ২০১২ সালের দিকে দেশে ফেরেন কীর্তি। আগে স্টুডিও ছিল মিরপুর ডিওএইচএসের বাসাতেই। কিন্তু কীর্তি দেশে আসার পর তাঁদের মা আবারও দুই ছেলের পাশে দাঁড়ান। এবার বিনিয়োগ করেন তিনিও। তা-ও ৭ লাখ টাকা। স্টুডিও গড়েন নিকেতনে। তারপর থেকে দুই ভাই সমানতালে কাজ করছেন। তাঁদের সুর দেশের সীমানাও ছাড়িয়েছে। ভারতের বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন এই দুই ভাই। করেছেন রেদওয়ান রনির আইসক্রিম চলচ্চিত্রের আবহসংগীত। এ ছাড়া সম্প্রতি কোরিয়ায় বুশান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের ছবি ইতি, তোমারই ঢাকা-তেও এই দুই ভাইয়ের সুর রয়েছে। সামনের দিনগুলো নিয়ে কথা বলেন দুই ভাই। সবাই চিনছে, শুনছে তাঁদের সুর - এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তবে নিজেরাও গান করেন মাঝেমধ্যে। কনসার্টেও হাজির হন তাঁরা। জনপ্রিয় গান শোনার আবদার করেন শ্রোতারা। | null |
4909ee093a | চারদিকে হাওরের থই থই পানি। মাঝখানে ছোট্ট এক গ্রাম। দূর থেকে মনে হয় গ্রামটি জলের ওপর ভাসছে। গাছপালা তেমন নেই, নেই কোনো রাস্তাঘাট, স্কুল। ভরা বর্ষায় যাতায়াতের একমাত্র বাহন নৌকা। গ্রামের মানুষের জীবন যেন বাঁধা হাওরে জলে, উথালপাতাল ঢেউয়ে। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে বছরের ছয় মাসই জলবন্দী জীবন কাটে মানুষের। এখানে ৬০ থেকে ৭০টি পরিবারের বাস। ঘরবাড়ি কাঁচা, কোনোটিবা টিনের। গ্রামটি দুই হাওরের মাঝখানে। পশ্চিমে আঙ্গারুলি, পূর্বে খরচার হাওর। গ্রামের লোকজন শুকনো মৌসুমে কৃষিশ্রমিকের কাজ করেন। আর বর্ষায় হাওরে মাছ ধরে জীবন চালাতে হয়। জলবন্দী জীবনে অভ্যস্ত হলেও হাওরের 'আফাল' নিয়ে যত ভয় তাদের। ঝড়ের সময় উত্তাল হাওরে যে ঢেউ ওঠে, এ জনপদের মানুষের কাছে সেটি আফাল। তখন বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও জীবন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। গ্রামের জামাল উদ্দিন (৪৮) জানালেন, আষাঢ় থেকে ভাদ্র - এই তিন মাস হাওরে পানি থাকে বেশি। ঢেউ থেকে বসতভিটা রক্ষায় প্রতিবছর চারপাশে বাঁশ দিয়ে আড় দিতে হয়। ফেলতে হয় মাটির বস্তা ও চাইল্যা বন। এবার এ কাজে তাঁর ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার টাকা। কিন্তু বন্যায় ঘর ও আড় দুটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার কীভাবে মেরামত করবেন, টাকা কোত্থেকে পাবেন - এই নিয়ে চিন্তায় আছেন। জামাল উদ্দিনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম জানান, গ্রামে কোনো স্কুল নেই। ২০ থেকে ২৫ জন ছেলেমেয়ে পাশের গ্রামের স্কুলে গিয়ে পড়ে। বর্ষায় নৌকাই ভরসা। নৌকা না পেলে বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। যেদিন হাওরে ঢেউ বেশি থাকে, সেদিন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো হয় না। নারগিস বেগমের ঘরটি গ্রামের একেবারে উত্তর মাথায়। দেখলে মনে হবে, এই বুঝি হাওরের জলে ভেঙে পড়ল। নারগিস বলেন, 'এত খারাপ ছিল না। ঢেউয়ের ধাক্কা এই অবস্থা করেছে। ভাত খাওয়ার উপায় নেই, মেরামত করব কীভাবে।' তাঁর স্বামী আক্কেল আলী (৩৮) এই সময়ে হাওরে মাছ ধরেন। বললেন, 'ঘর থেকে কয়েক শ গজ সামনে গিয়ে মাছ ধরা যায় না। ইজারাদারের লোকজন বাধা দেয়। আমরা এখন আর বর্ষায় ভাসান পানিতে মাছ ধরতে পারি না।' একসময় হাওরে প্রচুর হিজল-করচের গাছ ছিল। এসব গাছ ঢেউয়ের সামনে বুক পেতে বাড়িঘর আগলে রাখত। এখন গাছগাছালি কমে যাওয়ায় সরাসরি ঢেউ আঘাত হানে বসতভিটায়। সবকিছু তছনছ করে দেয় বলে জানালেন গ্রামের আরেক বাসিন্দা আবদুল আলীম (৪০)। তিনি বলেন, গ্রামের পূর্ব দিকে সরকারি খরচার হাওরের পাড়ে একটা স্থায়ী বেড়িবাঁধ হলে আফাল থেকে গ্রামটি রক্ষা পেত। কিন্তু কেউ তা করে না। | null |
3c68c23586 | দিনাজপুরের পার্বতীপুরে গত বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে পণ্যবোঝাই একটি মিনি ট্রাক পার্বতীপুর শহরের পুরাতন বাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে শহরের বাবুপাড়ার স্টেশন রোডে ইয়াছিন (৪২) নামের এক পথচারীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ কালেখাপাড়া গ্রামে। | null |
2b025bc08b | মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ১১টি ভুয়া প্রকল্পে বরাদ্দ বাবদ অন্তত ৯৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও আড়াই লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাবার নামে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে উত্তোলন করা হয়েছে ৪৫ টন খাদ্যশস্য।এ ছাড়া উপজেলায় দুটি রাস্তা মেরামতের জন্য আট মেট্রিক টন গম ও ছয় লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ হয়েছে খুবই সামান্য। একটি রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্য ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও চাল বিক্রির টাকা দিয়ে একটি খাল ভরাট করা হয়েছে।তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাওয়া তথ্য অনুসন্ধান করে এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম দেখা গেছে। এর আগে একই রকম তথ্যানুসন্ধান করে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছিল। ওই সব তথ্য নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় 'প্রকল্প কর্মকর্তার দপ্তরেই গেল সাড়ে ২৬ টন' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), কাজের বিনিময় টাকা (কাবিটা), টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পে এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। সাটুরিয়ার নয়টি ইউনিয়নে ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিন অর্থবছরে এক হাজার ১৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুই হাজার ১৫১ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও তিন কোটি ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি অনেক প্রকল্পের অনুকূলে জেলা পরিষদ থেকেও অর্থ বরাদ্দ করা হয়।সাংসদ-চেয়ারম্যানের বাবার নামে দুর্নীতি: উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নে 'কর্নেল মালেক উচ্চবিদ্যালয়'-এর উন্নয়ন ও মাঠে মাটি ভরাটের জন্য টিআর প্রকল্প থেকে চলতি অর্থবছরে তিন দফায় ১৬ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয় সাত লাখ টাকা। অথচ কর্নেল মালেক উচ্চবিদ্যালয় নামে দিঘুলিয়ায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই।ওই ইউনিয়নে দিঘুলিয়া ইউনিয়ন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, স্থানীয় সাংসদ (মানিকগঞ্জ-৩) জাহিদ মালেক তাঁর বাবা প্রয়াত কর্নেল (অব.) আবদুল মালেকের নামে তাঁদের বিদ্যালয়টির নামকরণ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এখনো নাম অনুমোদন হয়নি। এর পরও কর্নেল মালেক উচ্চবিদ্যালয়ের নামে বিভিন্ন বরাদ্দ আসছে।জেলা পরিষদের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণের কাজ চোখে পড়লেও বরাদ্দ করা খাদ্যশস্যের কাজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ তাঁর বাবার নামে এ বছর ফুকুরহাটি ইউনিয়নের রাইল্যা গ্রামে করেছেন 'রাইল্যা আবদুল জব্বার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট'। চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবরেটরির উন্নয়নের জন্য ২৩ মেট্রিক টন চাল ও মাঠ ভরাটের জন্য ছয় মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উত্তোলন করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় নয় লাখ টাকা। এ ছাড়া ভবন নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আরও সাড়ে চার লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির ক্লাস শুরু হয়নি। রয়েছে শুধু টিনশেডের দুটি ঘর। ওই ঘরের পাশে পাকা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সানিহুর আক্তার জানান, স্থানীয় অনুদানে সম্ভব না হওয়ায় সরকারি অনুদান দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করা হচ্ছে।ভুয়া প্রকল্প: ঘিওর খেলার মাঠ ও পানাইজুরী পুরাতন ঈদগাহ মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ২১ টন, দিঘুলিয়া ইউনিয়নের আঙ্গুটিয়া বেসরকারি স্কুলের উন্নয়ন ও আঙ্গুটিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য ১১ টন, ফুকুরহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্মিত ভবনের সংস্কার ও মাঠে মাটি ভরাটের আট টন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার কক্ষের উন্নয়নের জন্য পাঁচ টন, ধানকোড়া আদর্শ গ্রাম সমবায় সমিতি ও কমিউনিটি সেন্টারের উন্নয়নের জন্য তিন টন, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের সীমানাপ্রাচীর মেরামতের জন্য তিন টন ও বরাইদ ইউনিয়নে রোকেয়া ইলিয়াস চক্ষু হাসপাতালের জন্য দুই টন খাদ্যশস্য এবং ধানকোড়া ইউনিয়নের কামতা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাহির-কামতা আরশেদ ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্য দুই লাখ টাকা ও সাটুরিয়া উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সরেজমিনে ওই সব প্রকল্পের স্থানে গিয়ে কোনো কাজের প্রমাণ মেলেনি। এর মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী ইলিয়াস খান মজলিশের বাড়িতে 'রোকেয়া ইলিয়াস খান চক্ষু হাসপাতাল' নামে শুধু একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। আঙ্গুটিয়া বেসরকারি স্কুল, আঙ্গুটিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও ধানকোড়া আদর্শ গ্রামে সমবায় সমিতির কোনো অস্তিত্ব নেই। কমিউনিটি সেন্টার বলতে পাওয়া যায় ভিটেবিহীন আটটি বাঁশের খুঁটির ওপর জরাজীর্ণ একটি দোচালা টিনের ঘর।সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য: খাদ্যশস্য বরাদ্দের বিষয়টি জানেন না উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা উপখাদ্য পরিদর্শক আবদুল মান্নান ও ফুকুরহাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান। সাইফুদ্দিন জানান, হাসপাতালে অস্ত্রোপচার কক্ষের কোনো অনুমোদন নেই।আবদুল মান্নানের জানামতে, গত দুই বছরে খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কোনো উন্নয়নকাজ হয়নি।খাল ভরাট করে রাস্তা: চলতি অর্থবছরে বরাইদ ইউনিয়নের আগসাভার সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে সাভার বাজার পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্য ১৭ টন চাল বরাদ্দ করা হয়। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ পাঁচ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এই টাকায় রাস্তা পুনর্নির্মাণ না করে প্রবহমান একটি খালের দেড় হাজার ফুট এলাকা দুই থেকে তিন ফুট উঁচু করে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে।স্থানীয় লোকজন জানান, খালে বছরে চার থেকে পাঁচ মাস পানি থাকত। কিন্তু ভরাট করায় খালের পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস খান মজলিশ জানান, জনসাধারণের দাবির কারণেই খাল ভরাট করে রাস্তা করা হয়েছে।কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: সাটুরিয়া উপজেলায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদ্য বদলি হয়ে যাওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল বাছেদ। তিনি বলেন, 'আমার সঙ্গে কথা না বলে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললেই সব বুঝতে পারবেন।'চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, 'গত তিন বছরে কিছু প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। আর যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।'বাবার নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থ ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, 'উদ্দেশ্য ভালো থাকলে নাম কোনো বিষয় নয়। দুর্নীতি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার বিষয়।'উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন আক্তার বলেন, 'আমি এখানে নতুন। অতীতের বিষয়গুলো আমার জানা নেই। এখন থেকে যতটা সম্ভব সতর্কতার সঙ্গে বরাদ্দ প্রদানের পাশাপাশি বরাদ্দের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।' | null |
ID_7769 | গডফ্রি কপলি স্যার গডফ্রি কপলি, দ্বিতীয় ব্যারনেট, এফআরএস (; ১৬৫৩ - ৯ই এপ্রিল, ১৭০৯) সম্পদশালী ইংরেজ ভূমিমালিক, শিল্প সংগ্রাহক ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের স্প্রটবরোতে থাকতেন। এখান থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁকে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করা হয় রয়েল সোসাইটির বিখ্যাত কপলি মেডেল-এর মাধ্যমে। তিনি ১৭০৯ সালে রয়েল সোসাইটিকে এই বার্ষিক পুরস্কার প্রদানের জন্য অনুদান দিয়েছিলেন। বৈজ্ঞানিক অর্জনের জন্য সোসাইটির সর্বোচ্চ পুরস্কার এটি। কপলি ১৬৬১ সালে কিং চার্লস ২ কর্তৃক স্বীকৃত এক ব্যারনেটের ছেলে। ১৬৭৮ সালে তিনি নিজ পিতার উপাধি গ্রহণ করেন। ১৬৯১ সালে তাকে রয়েল সোসাইটির সদস্য করে নেয়া হয়। ১৬৭৯ থেকে ১৬৮৫ সাল পর্যন্ত অ্যাল্ডোবরো থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৬৯৫ খেবে ১৭০৯ সাল পর্যন্ত থার্স্ক-এর সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া পাবলিক অ্যাকাউন্টের কমিশনার এবং সেনাবাহিনীর অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোলারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের নটিংহ্যামশায়ারের অন্যতম ধনী ভূমিমালিক ছিলেন তিনি। স্প্রটবরো, নিউটন, কাসওয়ার্থ, কেইডবি, ওয়াইল্ডথর্প, লাভারসল, বেন্টলি ও ওয়ার্মসওয়ার্থসহ অনেক স্থানেই তাঁর জমি ছিল। কপলির মেয়ে অ্যান গেন্টের হাই মেল্টন "ইমানুয়েল মোট"-কে বিয়ে করেছিল। | null |
7261a0de03 | বাসে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে থাকা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয়জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। ছয় কাউন্সিলর হলেন তানভীর আহমেদ,মো. শফি উদ্দিন, শেখ মো. আলেক, মো. হান্নান মিয়া ওরফে হানু, মো. শহীদুল ইসলাম ও ফয়সাল আহমেদ সরকার। এই ছয় কাউন্সিলর বিএনপি-সমর্থক। আদালতে ছয়জনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আবু হানিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর। আইনজীবী মো. আবু হানিফপ্রথম আলোকে বলেন, নিম্ন আদালতে তাঁদের জামিন নামঞ্জুর হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চাওয়া হয়। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ছয় কাউন্সিলরকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানান শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল জয়দেবপুর থানার চান্দনা চৌরাস্তায় একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানসহ কয়েকজন কাউন্সিলরের নাম উল্লখ করে জয়দেবপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। | null |
4e301486e8 | ১৯৮২ বিশ্বকাপের স্মৃতিটা এবার নিশ্চয়ই মুছে ফেলতে চাইবে আলজেরিয়া? জার্মানি-অস্ট্রিয়ার প্রহসনের ম্যাচের বলি হয়ে 'মরুশিয়াল'দের বিদায় নিতে হয়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকেই। ৩২ বছর পর বিশ্বকাপে আবার জয় পেয়েছে আলজেরিয়া। আজ রাশিয়াকে হারালে তো বটেই, ড্র করলেও টিকিট মিলতে পারে নকআউট পর্বের।আগে কখনো নকআউট পর্ব খেলতে পারেনি আলজেরিয়া। ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে মিডফিল্ডার ইয়াসিন ব্রাহিমি তাই রোমাঞ্চিতই, 'এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর একটি। এই ম্যাচ জিতেই আমরা নতুন একটা ইতিহাস লিখতে পারি। আমাদের মাথায় এখন শুধু এটাই।' তবে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মাজিদ বুগেরা পা রাখছেন মাটিতেই, 'আমাদের সামনে এখন শেষ ষোলোতে উঠে যাওয়ার সুযোগ। তবে কোরিয়ার সঙ্গে জয়টা আমাদের খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যেতে হবে, পা মাটিতেই রাখতে হবে।'রাশিয়ার সামনে অবশ্য জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলে বিশ্বকাপে এসেছে তারা। কিন্তু গ্রুপের শেষ ও তৃতীয় ম্যাচে নামার আগে তাদের পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে। হাতে মাত্র ১ পয়েন্ট, আজ না জিততে পারলেই বিদায় হবে পরের বিশ্বকাপ (২০১৮) আয়োজকদের। রুশরা আজ তাই জয়ের জন্য মরিয়া। ডিফেন্ডার অ্যালেক্সেই কজলভ বললেন সেই কথাই, 'এই দুই ম্যাচে কী হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা হতাশ। তবে এখনো টুর্নামেন্টে আরও বেশ কিছুদূর যাওয়ার আশা আছে আমাদের। এখন আমাদের অন্যকিছু নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই।' এএফপি।পয়েন্ট তালিকাগ্রুপ 'এইচ'ম্যাচ জয় ড্র হার গোল পয়েন্টবেলজিয়াম ২ ২ ০ ০ ৩/১ ৬আলজেরিয়া ২ ১ ০ ১ ৫/৪ ৩রাশিয়া ২ ০ ১ ১ ১/২ ১দক্ষিণ কোরিয়া ২ ০ ১ ১ ৩/৫ ১ | null |
11270abd92 | আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম ও দেশের ৫১তম বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান, শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। এ বছর বাজেটের মোট ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার মধ্যে সরকার পরিচালনা খাতের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে ৪ লাখ ১১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতের টাকাগুলো পর্যায়ক্রমে ভাগ করে দেওয়া হবে পরিবহন, যোগাযোগ, জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা, জলবায়ু, পরিবেশসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ প্রায় ৭১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় অর্থাৎ পায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। জ্বালানির এই বরাদ্দ থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পেছনে খরচ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। যা হবে, সরকারের আগামী অর্থবছরের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প। এ ছাড়া উন্নয়ন খাতের ব্যয়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তৃতীয় সর্বোচ্চ খাত হলো শিক্ষা, চতুর্থ গৃহায়ণ গণপূর্ত, পঞ্চম স্বাস্থ্য, ষষ্ঠ স্থানীয় সরকার, সপ্তম কৃষি, অষ্টম পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ; নবম শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা, দশম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এর বাইরেও বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। এবার আসা যাক মূল পয়েন্টে, প্রস্তাবিত বাজেটের বরাদ্দের দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়। (২০২২-২৩) অর্থবছরে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদে বরাদ্দ পেয়েছে ১ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতে রাখা হয়েছে ৭৩৮ কোটি ৬৯ লাখ, যা মোট বরাদ্দের ৪৯ দশমিক ২০ শতাংশ। এটি গত অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট থেকে ১৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি। এ বছরের বাজেটে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখছে। তবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ যা-ই হোক, তা বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এর আগে অনেক বাজেটের জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ে বরাদ্দকৃত টাকা জলবায়ু ও পরিবেশের বিধ্বংসী বিষয়ে খরচ করার অভিযোগ করেন কেউ কেউ। যেমন ২০২১ সালে জলবায়ু প্রকল্পের টাকায় উপকূলীয় বন বিভাগে লাগানো হয়েছিল আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাসগাছ। এগুলো মাটির গুণ নষ্টের পাশাপাশি দেশীয় গাছেরও ক্ষতি করে। বিপুল পরিমাণ পানি শোষণ করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নামিয়ে দেয়। আশপাশে ফসলও ভালো হয় না।শুধু তা-ই নয়, আমরা এর আগের আরও দেখেছি জলবায়ু তহবিলের টাকায় অবাস্তব সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। বিগত বছরগুলোয় লক্ষ করলে দেখা যাবে, জলবায়ু ফান্ডের টাকায় বিভিন্ন স্থানে পার্ক নির্মাণ, পদচারী-সেতু, ট্রাফিক বাতি, টয়লেট নির্মাণ, বিদেশে শিক্ষা সফর উল্লেখযোগ্য; যে বিষয়গুলো তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।তাই আমার মতে, জলবায়ু খাতে কী পরিমাণ বরাদ্দ পেয়েছে, সেটা মূল বিষয় নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। এটা তো সবারই জানা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি দিন দিন তীব্র হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নাজুক অবস্থায় আছে, এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম, যার জন্য মূল দায়ী উন্নত বিশ্ব। আমরা কি সেই শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে আমাদের ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পেরেছি? আর যেটুকু আদায় করি, সেটার যাতায়াত স্থানে ব্যবহার করি? প্রতিবছর জলবায়ু সম্মেলন এলেই অনেক বেশি আলোচনা হয় এসব বিষয় নিয়ে। কিন্তু সম্মেলনে যে সিদ্ধান্ত হয়, সেটা বাস্তবায়ন হয় কতটুকু! ২০২২-২৩ অর্থবছরের জলবায়ু ও পরিবেশের জন্য বরাদ্দকৃত সব টাকা এ খাতেই ব্যবহার হবে এমন প্রত্যাশা সবার। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়াই হোক আমাদের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি প্রস্তাবিত বাজেটে নিষিদ্ধ পলিথিনে বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানাই। কারণ, এতে দেশে পলিথিন ব্যাগের দাম কমার আশঙ্কা আছে। আর দাম কমলে পলিথিনের ব্যবহার বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশদূষণও বাড়বে। তাই পরিবেশ-বিধ্বংসী পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করার জোর দাবি জানাই। সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ পলিথিনে পৃথিবী ও মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। ডি এইচ মান্নাইয়ুথ ক্লাইমেট অ্যাকটিভিস্ট (সিলেট)ইমেইল:[email protected] | 2,606 |
9a038fef17 | শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘব করতে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রথম আলো চট্টগ্রাম বন্ধুসভা। শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার শীতবস্ত্র সংগ্রহ অভিযান। কম্বল, শীতের গরম কাপড় (বেশি পুরোনো নয়) কিংবা নগদ অর্থ দিয়ে যে-কেউ শীতার্ত মানুষজনকে সাহায্য করতে পারেন। সংগৃহীত শীতবস্ত্র বন্ধুরা পৌঁছে দেবেন শীতার্ত মানুষের কাছে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা - প্রথম আলো বন্ধুসভা, এ এস টাওয়ার, সড়ক-১, প্লট-৫৫৩, হিলভিউ আবাসিক এলাকা (শিশু একাডেমির পাশে), পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম। বিস্তারিত মুঠোফোনে (০১৮১-৫৫৭২৭০৭, ০১৫২১-৩২৮৮৪২) জানা যাবে। বিজ্ঞপ্তি। | null |
6f73546874 | ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় একজন ও এর উপসর্গ নিয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ময়মনসিংহের তিনজন এবং জামালপুর, নেত্রকোনা ও গাজীপুর জেলার একজন করে আছেন। এ নিয়ে চলতি মাসে এই হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই হিসাবে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। এর আগে জুলাই মাসে এই হাসপাতালে করোনা ও এর উপসর্গে ৪৮২ জন এবং আগস্ট মাসে ৪১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মহিউদ্দিন খান জানান, আজ সকাল পর্যন্ত নতুন ৩৯ জনসহ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মোট ১০৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। গেল দুই সপ্তাহের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে সর্বোচ্চ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে আইসিউতে চিকিৎসাধীন নয়জন। এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২। আজ সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট ২১ হাজার ৯৪২ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৯৫২ জন। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। | null |
79900f5cd2 | সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে অধিকাংশ পদে আওয়ামী লীগ-বামপন্থী প্যানেলের কর্মকর্তারা জয়ী হয়েছেন। বুধবার রাতে কার্যনির্বাহী কমিটি-২০১৫ নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আওয়ামী-বামপন্থী প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হচ্ছেন সভাপতি আ ন ম জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক তাজিম উদ্দিন, সহসাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, কোষাধ্যক্ষ মো. হেলাল হোসেন দেওয়ান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মো. মুজিবুর রহমান, এ এস এম খয়রুল আক্তার চৌধুরী, শাহিন আহমদ চৌধুরী ও মো. ফখর উদ্দিন। আর বিএনপি-জামায়াতপন্থী প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে মোহাম্মদ মুর্শেদ আহমদ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মো. জয়নাল ইসলাম চৌধুরী ও আহমদ মাহবুব ফেরদৌসী নির্বাচিত হয়েছেন। | null |
3d1961c3b2 | রংপুর শহরের একটি ক্লিনিকে আনাড়ি চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম আরেফা বেগম (৩৫)।আরেফা রংপুর সদর উপজেলার সাতগাড়া ইউনিয়নের মরিচপাড়া গ্রামের জমশেদ আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আত্মগোপন করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।জমশেদ আলী জানান, গত শনিবার তাঁর স্ত্রী গলায় ব্যথা অনুভব করলে চিকিৎসক শাহজাহান বসুনিয়াকে দেখানো হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, গলায় টনসিলের অস্ত্রোপচার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁর মালিকানাধীন শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পাশের সমতা ক্লিনিকে আরেফা বেগমকে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর রোববার রাত নয়টার দিকে রোগীকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসক শাহজাহান নিজেই রোগীকে অচেতন (অ্যানেসথেসিয়া) করেন। এরপর রোগীর গলায় অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার শেষ হওয়ার পরও রোগীর চেতনা ফিরছিল না। রাত ১১টার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে অক্সিজেনের সংকট আছে; রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। এ সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষই অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, রোগী আগেই মারা গেছেন।জমশেদ আলী অভিযোগ করেন, 'শাহজাহান নাক-কান-গলার চিকিৎসক নন। এ ছাড়া তিনি অবেদনবিদও (অ্যানেসথেসিস্ট) নন। তা সত্ত্বেও তিনি নিজে আমার স্ত্রী আরেফাকে অচেতন করে অস্ত্রোপচার করায় তার মৃত্যু হয়। আমি ওই চিকিৎসকের ফাঁসি চাই।'ভুল অস্ত্রোপচারে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসক শাহজাহান বসুনিয়ার বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন জমশেদ আলী।রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রউফ জানান, চিকিৎসক শাহজাহান রংপুর মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রভাষক। তিনি কোনো বিশেষজ্ঞ নন।গতকাল বিকেলে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে সমতা ক্লিনিক বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করে চিকিৎসক শাহজাহান বসুনিয়ার মুঠোফোন বন্ধও পাওয়া যায়।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলতাফ হোসেন জানান, মামলার পর চিকিৎসক শাহজাহান আত্মগোপন করেছেন। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আরেফা বেগমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। | null |
616ab4a711 | চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চাম্বলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম নুরুল ইসলাম (৩৫)। তিনি একই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে। নুরুল বাবার সঙ্গে চাম্বলবাজারে ডিমের ব্যবসা করতেন। নিহত নুরুলের চাচাতো ভাই মো. আবদুল হালিম জানান, চাম্বলবাজারে দোকান বন্ধ করে হেঁটে বাড়িতে ফিরছিলেন নুরুল ইসলাম। চাম্বল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে তাঁর পথ রোধ করেন কয়েকজন। ওই সময় তাঁর টাকাপয়সা নিয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিউল কবীর বলেন, নিহত ওই ব্যবসায়ীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। | 2,724 |
a88c0de707 | কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন থেকে আবদুর রহমান (৩০) নামের এক সেনাসদস্যের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার গোত্রশাল গ্রাম থেকে গতকাল শনিবার সকাল সাতটার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আবদুর রহমানকে হত্যার পর রাতে কোনো এক চলন্ত ট্রেন থেকে তাঁর লাশ ফেলে দেওয়া হয়।নিহত আবদুর রহমানের ভাই ও দুই সাবেক সহকর্মীকে উদ্ধৃত করে লাকসাম রেলওয়ে থানার পুলিশ বলেছে, আবদুর রহমান বগুড়া সেনানিবাসের ওয়ান সিগন্যাল ব্যাটালিয়নের সদস্য। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামের মফিজুর রহমান তাঁর বাবা।লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কান্তি বড়ুয়া বলেন, নাঙ্গলকোট স্টেশনের কাছেই গোত্রশালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে গতকাল সকালে এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেন। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় মৃত যুবকের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন থেকে যোগাযোগ করলে আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি ফোন ধরে আবদুর রহমানকে তাঁর ভাই উল্লেখ করে পরিচয় নিশ্চিত করেন।আবদুর রহিম বলেছেন, আবদুর রহমান উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বগুড়া সেনানিবাস থেকে তিন দিনের ছুটিতে চট্টগ্রামের পটিয়ায় গিয়েছিলেন। কর্মস্থলে ফেরার পথে তিনি নিহত হন।ওসি স্বপন কান্তি বড়ুয়া বলেন, পূর্বপরিচিত কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত দুই সেনাসদস্য বিল্লাল হোসেন ও কামরুল হাসানও থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন।লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, আবদুর রহমানের মাথায়, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাত রয়েছে। বাঁ হাতের কনুইয়ের ওপর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া ডান হাতের মধ্যমা কাটা ছিল। | null |
53bea97489 | মিরসরাই উপজেলা পরিষদ আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী একুশে বইমেলা উদ্যাপনের চতুর্থ দিনে গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার মিঠানালা, মঘাদিয়া, খৈয়াছড়া ও মায়ানী ইউনিয়নের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কবিতা, গান ও একক অভিনয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই পৌর মেয়র এম শাহজাহান, মনিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।আলোচনা সভার আগে চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য চিকিৎসক রবিউল হোসেনকে একুশ মেলা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে শিল্পমন্ত্রী সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ঝুলনপুল বেণীমাধব উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ এয়াকব্বরের মহব্বত নামের একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। আজ প্রথম আলো বন্ধুসভা মিরসরাই ইউনিটের বন্ধুদের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হবে নাটক আরো একটি যুদ্ধ। | null |
ID_13795 | সোরো সোরো () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বর জেলার একটি শহর। ভৌগোলিক উপাত্ত. শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩ মিটার (৯ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত. ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সোরো শহরের জনসংখ্যা হল ২৭,৭৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৮%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সোরো এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। | null |
6fab5b760f | মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছে ৯৪টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ওই আদেশের বিরোধিতা করে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবে আদালতের নির্দেশে আপাতত ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রয়েছে। ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাপল, ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, ইনটেল ও টুইটারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে। তবে আমাজন এবং টেসলা ও স্পেসএক্স এই তালিকায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল কোর্টের কোর্ট অব আপিলসে ওই আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের এই নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রতিযোগিতায় থাকা মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোও। আবেদনে ওই নির্বাহী আদেশকে বেআইনি বলেও দাবি করা হয়। আবেদনে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রযুক্তি খাতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ ওই দেশগুলো থেকে মেধাবী প্রযুক্তিবিদদের আনতে পারবে না তারা। প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে চলা অভিবাসন প্রক্রিয়ার সততা ও ভবিষ্যদ্বাণীর নীতি কোনো কিছুই নির্বাহী আদেশে প্রতিফলিত হয়নি। ফরচুন সাময়িকীর করা ৫০০ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা ২০০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে অভিবাসী বা তাঁদের সন্তানেরা। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ড্রাম | null |
5dfa21dcd2 | কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একটি মাইক্রোবাসে আগুন ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার লাকসামে জামায়াতের ঝটিকা মিছিলের পর এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, বেশ কয়েকটি দোকান, একটি বাড়ি ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় এই তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় কুমিল্লার বড় ব্যবসাকেন্দ্র লাকসাম বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার লাকসাম ব্যাংক মোড়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সভা হয়েছে। সভা থেকে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও তাঁর ছবি ভাঙচুর করার অভিযোগ তোলা হয়। এতে বক্তব্য দেন লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবুল খায়ের, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। বুধবারের ঘটনা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লাকসাম বাজারের বাইপাস, উত্তর লাকসাম, চাঁনমিয়া মার্কেট এলাকার অন্তত ১০ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তাঁরা কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের একটি লাইন উদ্ধৃত করে বলেন, '...মনে মনে সকলেই যাহা জানে মুখ ফুটিয়া তাহা বলিবার অধিকার তাহার নাই।' এই নেতা বলেন, 'জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি ও কার্যক্রম আমার একবারেই অপছন্দ। ব্যবসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে তাণ্ডবলীলা কোনোভাবেই মানতে পারছি না।' স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ১০ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে বুধবার ভোরে ঝটিকা মিছিল বের করেন লাকসাম উপজেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। মিছিল শেষে তাঁরা লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লাগোয়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির চিকিত্সক আবদুল মবিনের চেম্বারে বসেন। সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই খবর জানতে পারেন। এরপর অন্তত ৩০০ লোক জড়ো হয়ে বেলা ১১টায় আবদুল মবিনের ব্যক্তিগত চেম্বারে লাঠিসোঁটা নিয়ে ঢুকে তাঁর প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে তাঁর লাকসাম কমপ্যাথ হাসপাতালের চেম্বারের কাচ ও আসবাব ভাঙচুর করেন তাঁরা। এরপর বাইপাস এলাকায় লাকসাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের দোতলা এবং তিনতলায় ভাঙচুর করা হয়। লাকসাম পৌর জামায়াতের আমির জয়নাল পাটোয়ারীর পশ্চিমগাঁও এলাকার থাই অ্যালুমিনিয়ামের দোকানেও হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়। লাকসাম বাজারের চান মিয়া মার্কেটের কাপড়ের দোকানে লুটপাট চালানো হয়। জামায়াত নেতা দেওয়ান খোকনের পশ্চিমগাঁও এলাকার বাড়িতে হামলা করা হয়। এরপর উত্তর লাকসাম গন্ডামারা এলাকায় অবস্থিত লাকসাম ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুটি ক্যাম্পাসের জানালার কাচ, কম্পিউটার, এসি ভাঙচুর করা হয়। লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা সারওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং লাকসাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লাকসাম ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের তিনতলায় কাচ ভাঙা। বেশ কিছু কাচের টুকরো ফেলে রাখা আছে সভাপতির কক্ষে। ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিটি কক্ষের জানালার কাচের টুকরো এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। বইপত্র তছনছ করা। পোড়া মাইক্রোবাস মাঠে পড়ে আছে। ভাঙা মাইক্রোবাসও রাখা আছে। উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির চিকিত্সক আবদুল মবিন বলেন, 'আমার চেম্বারে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুট করা হয়। কোনো কারণ ছাড়াই এগুলো করা হয়।' লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস ভূঁইয়া বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি দাবি করে বুধবার ভোরে জামায়াতের নেতারা ঝটিকা মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর ও কটূক্তি করেন। এই কারণে দলের কিছু উত্তেজিত নেতা-কর্মী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটান। তবে কোনো লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। জানতে চাইলে লাকসাম থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বুধবার লাকসামের কয়েকটি স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ থানায় মামলা করতে আসেননি।লাকসাম উপজেলা জামায়াতের আমির জহিরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা কোনো মামলা করিনি। পৌর আমিরের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন।' পৌর আমির জয়নাল পাটোয়ারীর মুঠোফোনে সন্ধ্যায় একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। | null |
yzbtt1otch | মে দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার সরকারি ছুটি ছিল। রাজধানীতে যানবাহন চলাচল ছিল একেবারে কম। আবার কলকারখানাও ছিল বন্ধ। আর গতকাল ঢাকার বায়ুর মান ছিল অপেক্ষাকৃত ভালো। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে ঢাকার বায়ু হয়ে উঠেছে অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে গতকাল সোমবার ঢাকার অবস্থান ছিল ১৯তম। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) গতকাল বেলা ১১টায় ঢাকার স্কোর ৮২। আর আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। আর একিউআই স্কোর ১৬৬। এ বায়ু অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। আজ বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৭১। তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৫৩। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে ভিয়েতনামের হ্যানয় ও চীনের উহান। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৩৩ ও ১৩২। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে তা 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে 'খুবই অস্বাস্থ্যকর' ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ধরা হয়। একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে 'মধ্যম' বা 'গ্রহণযোগ্য' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 'ভালো' মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হয়ে থাকে। ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছেন নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে। নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি - বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ। | null |
x3q975sgml | কয়েক দিন ধরেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মমতাবিরোধী আন্দোলন জোরালো হয়ে উঠেছে। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদীঘিতে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে বামফ্রন্ট-কংগ্রেসের জোটের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে পশ্চিমবঙ্গে মমতাবিরোধী আন্দোলনে জোয়ার লক্ষ করা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবারও রাজ্যে নানান স্তরে সভা, মিছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিরোধীরা। সাগরদীঘির হারের বিষয়টিকে একটি বিরাট ঘটনা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর প্রধান কারণ কংগ্রেস এমন এক আসনে জয় পেয়েছে, যেখানে জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ মুসলমান। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসসহ যেকোনো দলই ক্ষমতায় থাকে প্রধানত বাঙালি মুসলমানের ভোট পেয়ে, এই সত্য অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই তৃণমূলের পরাজয়ের পরে, স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। গণসমাবেশে সিপিআইএম-কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, মুসলমান ভোট তৃণমূলের থেকে সরে যাচ্ছে। এই বক্তব্যের কিছু ভিত্তি হয়তো আছে। তা সত্ত্বেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, সাগরদীঘি আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন 'উচ্চবর্ণের হিন্দু' দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন দাঁড় করালেন? তাঁর বিরুদ্ধে দুটি বক্তব্য সাগরদীঘির ভোটারদের ছিল। এক. তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ির দিকের আত্মীয়। আর দ্বিতীয় অভিযোগটি আরও জোরালো। তিনি এত দিন বিজেপি করতেন। তা সত্ত্বেও, যে আসনে ভোটারদের বড় অংশটি মুসলমান, সেখানে একজন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন দাঁড় করালেন মমতা, এটা নিয়ে বিস্তর কথা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এ আলোচনার দুটি দিক আছে। বলা হচ্ছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নানা কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান সমাজ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যথেষ্ট রেগে রয়েছেন। তাই তাঁরা এক হয়ে মমতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ যুক্তি দিচ্ছে, আসনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারতেই চেয়েছিলেন। এর কারণ, এই জয়ের ফলে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে কিছুটা উজ্জীবিত হলে, তাতে লাভ হয় তৃণমূল কংগ্রেসেরই। কারণ, বিজেপির ভোট কমে। যেমনটা হয়েছে সাগরদীঘিতে। ২০২১ সালের নির্বাচনে সেখানে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ২৪ শতাংশ, ২ মার্চ পেয়েছে ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ বিজেপির ভোট কমেছে ১০ শতাংশ এবং বাম-কংগ্রেস জোটের ভোট ১৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ, বিজেপির ভোট কমে গেছে এবং বাম-কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য খুব ভালো লক্ষণ। কারণ, ২০২১ সালের নির্বাচনে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছিল বিজেপি। বাম-কংগ্রেস জোটের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে তারা আবার ২০ শতাংশের নিচে চলে গেছে। কিন্তু এই সমীকরণ ততক্ষণই ভালো, যতক্ষণ তৃণমূল কংগ্রেস ১ নম্বরে থাকছে। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। আর সেই কারণেই একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুসলমানদের মনের কথা নতুন করে বুঝতে চান তিনি। কমিটি আগামী সপ্তাহের শেষে তাঁদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন। সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু নীতির পরিবর্তন হয় কি না এবং হলে তার কী প্রভাব সংখ্যাগুরুরওপরে পড়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নজর থাকবে সেই দিকেই। | null |
27701103cb | ডেসটিনি গ্রুপের ব্যাংক হিসাবের কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।বাংলাদেশ ব্যাংক ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিবসহ বিবাদীদের এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।গত ২৪ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক ইস্কান্দার মিয়া এক আদেশে দৈনিক ডেসটিনি ও বৈশাখী লিমিটেড ছাড়া ডেসটিনি গ্রুপের ব্যাংক হিসাবের কার্যক্রম ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। ১৯ জুন স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৩০ দিন বাড়ানো হয়।এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল আমিন আজ রিট আবেদনটি করেন। এতে রুল জারির পাশাপাশি স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়।আজ রিট আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুস সালাম মণ্ডল।আদালত থেকে বের হয়ে শ ম রেজাউল করিম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের ২৩ (১) (গ) ধারায় বলা আছে, অপরাধ সংগঠনের মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থ/সম্পদ অর্জন করে - এটা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই সম্পত্তি বা অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়ে লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করতে পারবে। কিন্তু যে আদেশ দ্বারা লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে, সেখানে অপরাধ সংঘটনের কথা বলা হয়নি। এ ছাড়া কী কারণে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে, তা-ও বলা হয়নি। এ কারণে ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়। | null |
1901cd7d65 | মনের যে রোগ হতে পারে, এটা সমাজের অনেকে আজও বিশ্বাস করে না। বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের পৃথিবীটা বড় কষ্টের হয়। এদের অনেকেই আত্মহত্যা করে। শুধু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এদের সুস্থ করতে পারবে না। এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবিলায় সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা এসব কথা বলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে অনলাইন পোর্টাল মেনর খবর। এতে সহায়তা দেয় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।গতকাল ৭ এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য, 'আসুন, বিষণ্নতা নিয়ে কথা বলি'। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, অতিরিক্ত ইন্টারনেট, ফেসবুক ব্যবহারের কারণে শিশুরা সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিঃসঙ্গতায় ভুগছে। এই নিঃসঙ্গতা বিষণ্নতার অন্যতম কারণ। চিকিৎসকের পক্ষে এই নিঃসঙ্গতা দূর করা সম্ভব নয়। মানুষকে সমাজে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করতে হবে।পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের সামনে জাদু প্রদর্শনীর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। তিনি বলেন, মন বলে যে বায়বীয় জিনিস আছে, তার যে কোনো রোগ হতে পারে, তা অনেকেই বিশ্বাস করে না। বিষণ্নতায় যারা ভোগে, তাদের পৃথিবীটা বড় কষ্টের।মূল উপস্থাপনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, উন্নত বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ মোট স্বাস্থ্য বরাদ্দের ৫ শতাংশ। বাংলাদেশে এর পরিমাণ দশমিক ৫ শতাংশ। তিনি বলেন, বিষণ্নতা নিয়ে বেশি কথা বলা ও আলোচনা হওয়া দরকার। এতে রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার পথ সুগম হবে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ঝুনু শামসুন্নাহার বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, বস্তির নারীদের মধ্যে বিষণ্নতা তুলনামূলকভাবে কম। সম্ভবত বস্তির মানুষ মনের কথা খুলে বলতে পারে এবং অর্থনৈতিক কিছু স্বাধীনতা আছে, তাই তাদের মধ্যে বিষণ্নতা কম।দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলাদা অনুষ্ঠানে মূল উপস্থাপনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মোহিত কামাল বলেন, কেউ যদি বিষণ্নতায় ভোগে তা হলে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। এতে আত্মহত্যার ঝুঁকি কমবে। | null |
7d04f3fa0c | ২০০৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জুরি বোর্ডের সদস্যরা বিজয়ী হিসেবে যাঁদের নাম বিবেচনায় এনেছিলেন, মন্ত্রিপরিষদ তা অনুমোদন করেছে। এখন সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।চলচ্চিত্রে অবদান রাখার জন্য এবারই প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে 'আজীবন সম্মাননা' দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এই নামটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জুরি বোর্ড ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিত্বকে 'আজীবন সম্মাননা' দেওয়ার জন্য জুরি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে।জুরি বোর্ডের সাম্প্রতিক এক সভায় তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলতানা জামান, ফেরদৌসী রহমান ও রাজ্জাক।বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনার পর সুলতানা জামানের নাম চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই তা সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে। | null |
5538de5824 | পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, কুড়িগ্রামে ভেঙে যাওয়া বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ দ্রুততম সময়ে মেরামত করা হবে। মন্ত্রী গতকাল শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাংটুর ঘাট এলাকায় বন্যায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, বরাদ্দের স্বল্পতার কারণে বাঁধ সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় না। প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করতেই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ অর্থ শেষ হয়ে যায়। সে কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাঁধের সার্বিক উন্নয়নের জন্য। এ ক্ষেত্রে বাঁধ রক্ষায় কৌশল পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন টি-গ্রোয়েন নির্মাণ করে বাঁধ রক্ষার পাশাপাশি জমি উদ্ধার করা হবে। এ ব্যাপারে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এর আগে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রী পরে সারোডোব, কালুয়ার চরে ভেঙে যাওয়া বাঁধ এবং উলিপুর উপজেলার বজরা, গুনাইগাছ ও চিলমারী নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজার রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আজিজ মোহাম্মদ ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম। | null |
5w41yhvsha | প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা শঙ্কাজনক। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবারপ্রথম আলোকে বলেন, লিভার ও কিডনি সমস্যা আরও জটিল হওয়ায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে তাঁর চিকিৎসকেরা শঙ্কিত। খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একাধিক সদস্যপ্রথম আলোকে জানিয়েছেন, লিভারের জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পেটে পানি জমে যাচ্ছে। তাঁর কিডনি ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাও জটিল হচ্ছে। এসব জটিলতার ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখছেন না। মেডিকেল বোর্ডের ওই দুজন সদস্য আরও জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে 'নিবিড় পর্যবেক্ষণে' রাখা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন সকাল-দুপুর-রাত - তিন দফায় বৈঠক করে তাঁর স্বাস্থ্যের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এসব বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকেও বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন। জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে সম্ভাব্য চিকিৎসা যা আছে, চিকিৎসকেরা তার সর্বোচ্চটাই খালেদা জিয়াকে দিয়েছেন। এখন তাঁদের আর বেশি কিছু করার নেই। সে জন্য মেডিকেল বোর্ড বারবার তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া কবে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারবেন, এ মুহূর্তে চিকিৎসকেরা তা বলতে পারছেন না। এর আগেও গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর অনুমতি চেয়ে তাঁর ছোট ভাই শামীম ইসকান্দর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন দুই দিন আগে। এই আবেদনে বিএনপির নেত্রীর স্থায়ীভাবে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানপ্রথম আলোকে বলেন, আবেদনটি তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকপ্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদন তিনি পেয়েছেন। এখন আইনগত বিষয় পর্যালোচনা করে অল্প সময়ের মধ্যে আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দী হন। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা 'খুবই ঝুঁকিপূর্ণ' বলে উল্লেখ করে গতকাল বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তাঁরা খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, সাবেক সহ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিবৃতিতে সই করেন। | null |
1722839a2e | চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই আগামী সোমবার শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দুই বছর আগে নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করা এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৮ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে না। তবে গতবারের চেয়ে এবার মোট পরীক্ষার্থী ৪৬ হাজার ৫৩৯ জন বেড়েছে।পরীক্ষা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।নিবন্ধন করেও পৌনে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা না দেওয়া সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা কম-বেশি হতেই পারে। এ বছর গণিতেও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হচ্ছে। এই ভীতির চাপ থেকেও হয়তো অনেকে পিছিয়ে গেছে। তবে এটা কাম্য নয়। এরা আগামী বছর পরীক্ষা দিতে পারবে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দুজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১৬ হাজার ৫৭৯টি বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। এসব বিদ্যালয় থেকে দুই বছর আগে নিবন্ধন করা গড়ে ৭ দশমিক ৭৬ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছে না। এর ২ শতাংশের মতো নিজ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে না। 'পাস করতে পারবে না' - এমন অজুহাতে বিদ্যালয়গুলো বাকি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দিচ্ছে না। কারণ, পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও সেরা ২০টি প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা হয়। ফেল করতে পারে, এমন শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের সুনামের জন্য পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় না। এসব কারণেই ঝরে পড়ার সংখ্যা বেশি।ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক বছর ধরে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করা হচ্ছে। এ কারণে পাস করতে পারে, কেবল এমন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তাই সেরা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের বিষয়টি বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী ১ লাখ ১০ হাজার ২৯৫ জন। মোট ৩ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। সময়সূচি অনুযায়ী ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ মার্চ।শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বোর্ডের দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধ থাকলেও পরীক্ষা হবে। তবে হরতাল হলে ওই দিনের পরীক্ষা পেছানো হবে।পরীক্ষা সামনে রেখে হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য আবারও সবার প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ হোক, বিএনপি হোক, জাতীয় পার্টি হোক, সবার প্রতি আহ্বান - ছেলেমেয়েদের বিঘ্ন ঘটাবেন না।'বিএনপি ও জামায়াতের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মানবতার খাতিরে আল্লাহর ওয়াস্তে পৌনে ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর কথা ভেবে কর্মসূচি বন্ধ করুন। করলে ধন্যবাদ পাবেন। | null |
tda7yfxrma | একপেশে জয়ে বিশ্বকাপটা শুরু থেকেই যেন খানিকটা ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে পড়েছিল। ১০ দিন পার হয়ে গেলেও দেখা যায়নি নাটকীয় কোনো জয় কিংবা অঘটন। অবশেষে সেই অঘটনের জন্ম দিয়ে বিশ্বকাপে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করল আফগানিস্তান। দিল্লিতে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে হারিয়েছে তারা। টস হেরে আগে ব্যাট করে ২৮৪ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ৪০.৩ ওভারে ২১৫ রানে ইংল্যান্ডকে অলআউট করে তারা। আফগানিস্তানের এ জয়ে নায়কের ভূমিকা পালন করেছেন মুজিব উর রেহমান। ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে ২৮ রানের ক্যামিও খেলার পর বল হাতে ৫১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে এ স্পিনার বলেছেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারাতে পারার মুহূর্তটা দারুণ জন্য দারুণ গর্বের। পাশাপাশি ম্যাচসেরার পুরস্কারটি দেশের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উৎসর্গ করেছেন মুজিব। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও ফেবারিট ইংল্যান্ডকে হারানোর অনুভূতি জানতে চাইলে মুজিব বলেছেন, 'বিশ্বকাপে আসতে পারা এবং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারাতে পারার মুহূর্তটা গর্বের। দলের জন্য এটা দারুণ অর্জন। এটা এমন কিছু যার জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা অনেক বড় একটি দলকে হারিয়েছি। বোলার এবং ব্যাটসম্যানরা দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।' সম্প্রতি আফগানিস্তানের হেরাত শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় দুই হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বিশ্বকাপে ম্যাচসেরার পুরস্কার দেশের মানুষকে উৎসর্গ করেছেন মুজিব, 'আমি এই পুরস্কার (ম্যাচ সেরার পুরস্কার) দেশের মানুষকে উৎসর্গ করছি, যারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা এমন কিছু যা দল হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি করতে পারি।' ঘূর্ণি জাদুতে শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন মুজিব। অভিজ্ঞ ও ছন্দে থাকা জো রুটকে ১১ রানে বোল্ড করার পর ফেরান থিতু হয়ে যাওয়া হ্যারি ব্রুককেও (৬৬)। এ ছাড়া বোল্ড করেছেন ৯ রান করা ক্রিস ওকসকে। নিজের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে জানতে চাইলে মুজিব বলেছেন, 'স্পিনার হিসেবে পাওয়ার প্লেতে বল করাটা বেশ কঠিন। কারণ বাইরে কেবল দুজন ফিল্ডার থাকে। আমি নেট অনুশীলনে নতুন বলে বল করেছি এবং যথাসম্ভব ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। এটাই আমাকে অনেক বেশি কার্যকর করে তুলেছে। বাইরে বল ফেলার মতো ভুলের সুযোগ এখানে নেই, তাই আমি উইকেট লক্ষ্য করে বল করেছি। আমরা জানতাম শিশির এখানে ভূমিকা রাখবে, তাই আমি পাওয়ার প্লেতে বল করতে চেয়েছি। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। আমি চেয়েছি ব্যাটসম্যানদের খুব বেশি জায়গা না দেওয়ার এবং ঠিকঠাক জায়গায় বল করার।' শুধু বোলিংয়েই নন, ব্যাট হাতেও ভূমিকা রেখেছেন মুজিব। ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ২৮ রান। ব্যাটিংয়ের কৃতিত্বটা অবশ্য ম্যানেজমেন্টকেই দিয়েছেন এই আফগান তারকা, 'ব্যাটিংয়ের কৃতিত্ব ম্যানেজমেন্টকে দিতে হবে। তারা আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি চেয়েছি লোয়ার অর্ডারে নিজের অবদান রাখার। সেই ২৫-৩০ রান দলকে সাহায্য করেছে। আমি চাই এটা চালিয়ে যেতে।' | 2,963 |
580cc9a780 | মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়নি মোটেই। 'অসুখী' রোনালদো, লা লিগায় তিন ম্যাচে হোঁচট, কোচের সঙ্গে সার্জিও রামোসের প্রকাশ্য বিতর্ক - সব মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ যেন একটু দিগ্ভ্রান্তই হয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকেই সব বিতর্কের জবাব মাঠেই দিতে শুরু করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও যেন প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন যে ফর্মটা ক্ষণস্থায়ী, মানটাই আসল। চ্যাম্পিয়নস লিগে পরশু আয়াক্সকে তাদের মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে রিয়াল মাদ্রিদ আবার আগের সেই বিধ্বংসী চেহারায়।অনেক দিক দিয়েই ম্যাচটা হোসে মরিনহোকে দিয়েছে স্বস্তি। দেপোর্তিভোর বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে ফর্মে ফেরার বার্তা পাঠিয়েছিলেন রোনালদো। বুধবার রাতে আবারও দারুণ এক হ্যাটট্রিক করে রিয়ালের পর্তুগিজ তারকা জানান দিলেন, ফিরছেন বিধ্বংসী রূপেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে এই প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন। আগামীকালই বহু প্রতীক্ষার এল ক্লাসিকো। তার আগে রোনালদোর এই ফর্ম বার্সেলোনাকে উদ্বিগ্ন না করে পারেই না! শুরু থেকেই আক্রমণে প্রতিপক্ষকে জেরবার করে তুলতে থাকে রিয়াল। বেশ কয়েকটি সুযোগ ফসকে যাওয়ার পর ৪২ মিনিটে রোনালদো এগিয়ে নেন দলকে। বিরতির পর করিম বেনজেমার অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। আয়াক্স অবশ্য কর্নার থেকে ব্যবধান কমাতে পারলেও রাতটা ছিল রিয়ালেরই! ডাচ চ্যাম্পিয়নদের লজ্জায় ডুবিয়ে রোনালদো হ্যাটট্রিক করে ফেলেন ৮১ মিনিটে। এ ম্যাচে রিয়ালের জন্য আরেকটা সুসংবাদ, দারুণ খেলে ও একটা গোল বানিয়ে দিয়ে কাকাও দিয়েছেন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত। চোট আর ফর্মহীনতায় দলে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন। বুধবারের ম্যাচটা খেলেছেন শুরু থেকেই। কাকাও জানিয়েছেন তাঁর পড়ন্ত বেলাটা আসার ঢের দেরি। অবস্থা এখন এমন, এল ক্লাসিকোর আগে মরিনহো পড়েছেন মধুর সমস্যায়। মৃত্যুকূপের গ্রুপে প্রথম দুই ম্যাচেই জয়, তবে স্পেশাল ওয়ান বলছেন মিশন সম্পন্ন করতে এখনো যেতে হবে অনেক দূর, '৬ পয়েন্ট আমাদের একটু স্বস্তি দিয়েছে, কিন্তু পুরোটা নয়। দল জিতেছে এবং এমন একটা গ্রুপে লক্ষ্যগুলো পূরণ করছে যেটা ছেলেখেলা নয়। এখানে আপনি পয়েন্ট হারালেই বিপাকে পড়বেন।' একই দিনে ম্যানচেস্টারে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। দুই বড় লিগের দুই চ্যাম্পিয়ন-শ্রেষ্ঠত্বের নিষ্পত্তি অবশ্য থেকে গিয়েছে অমীমাংসিতই, ম্যাচটা ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। তবে অন্তিম মুহূর্তে বালোতেল্লি পেনাল্টি থেকে গোল না পেলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্নটা একেবারেই ফিকে হয়ে যেত সিটির। ডর্টমুন্ড তাই ড্র করেও তুলনামূলকভাবে খুশিই। এ নিয়ে গত নয় ম্যাচের মাত্র তিনটিতে জিতল সিটি, মানচিনির উদ্বেগটা তাই অমূলক নয় মোটেও, 'আমি সমস্যাটা জানি এবং খুব দ্রুতই সেটা মিটিয়ে ফেলব। আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের পারফরম্যান্স দৃষ্টিকটুই ছিল, কিন্তু ম্যাচ শেষে পাওয়া ১ পয়েন্টই পরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।'কয়েক দিন আগে সান সিরোতে পেয়েছে নিজেদের প্রথম জয়, এবার জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গকে হারিয়ে দুঃসময় কাটানোর আভাস দিল এসি মিলান। তবে সেটা কিছুটা ভাগ্যপ্রসূতই, জেনিত আত্মঘাতী গোলটা হজম না করলে ফলাফলটা অন্য রকমও হতে পারত। চ্যাম্পিয়নস লিগে জয়রথ ছুটিয়ে চলেছে আর্সেনালও, অলিম্পিয়াকসকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। জেরভিনহো, পোডলস্কি, রামসেরা ওয়েঙ্গারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তবে হোঁচট খেয়েছে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই, এফসি পোর্তোর মাঠে হেরে বসেছে ১-০ গোলে। শালকের মাঠ থেকে ১ পয়েন্ট ছিনিয়ে এনেছে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন মঁপেলিয়ে। এএফপি, রয়টার্স।এক নজরে কিয়েভ ২ - ০ জাগরেব পোর্তো ১ - ০ পিএসজি শালকে ২ - ২ মঁপেলিয়ে আর্সেনাল ৩ - ১ অলিম্পিয়াকস আন্ডারলেখট ০ - ৩ মালাগা জেনিত ২ - ৩ এসি মিলান আয়াক্স ১ - ৪ রিয়াল মাদ্রিদ ম্যান সিটি ১ - ১ ডর্টমুন্ড* প্রথমে স্বাগতিক দল | null |
mglgamn86b | ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের গত ৭ অক্টোবর চালানো হামলায় গ্যাড হাগাই নামের এক মার্কিন নিহত হয়েছেন। এ খবর শোনার পর ঘটনাটিকে 'হৃদয়বিদারক' বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন। হাগাই ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত আমেরিকান। তাঁর বয়স ৭৩ বছর। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, হামলার পরে হামাস স্ত্রীসহ তাঁকে জিম্মি করেছে। হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, '৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় মার্কিন নাগরিক গ্যাড হাগাই নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ খবর শুনে আমি ও জিল বাইডেন মর্মাহত। আমরা গ্যাড হাগাইয়ের স্ত্রী জুডিথ ওয়েনস্টেইন যাতে নিরাপদে ফিরতে পারেন, সে জন্য প্রার্থনা করছি।' ইসরায়েলি গণমাধ্যম হারেৎজের খবর অনুসারে, হাগাইয়ের স্ত্রী জুডিথকে গাজায় এখনো জিম্মি করে রাখা হয়েছে। বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, 'আজ আমরা হাগাইয়ের চার সন্তান, সাত নাতি-নাতনি ও অন্য প্রিয়জনদের জন্য প্রার্থনা করছি।' গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী শহর কিববুতজিমে ও একটি সংগীত উৎসবে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের হিসাব অনুসারে, এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। ২৪০ জনকে গাজায় জিম্মি করা হয়। এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অনেকে নিখোঁজ। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। হারেৎজ পত্রিকায় দেওয়া বিবৃতিতে গ্যাড হাগাইয়ের পরিবার বলেছে, তিনি খুবই দক্ষ পরিচারক ছিলেন। তাঁরা হাগাইয়ের মরদেহ ও তাঁর স্ত্রী জুডিকে ফিরে পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। | null |
615771fd7e | বিসিবি একাডেমি মাঠ কিংবা কার্যালয় - সবখানে একটাই আলোচনা, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলা। নৃশংস এ হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বাংলাদেশ দল। ক্রাইস্টচার্চের যে মসজিদে হামলা হয়েছে, সেখানে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাঁদের সঙ্গে ছিল না কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা। কাল থেকে তাই প্রশ্ন উঠছে, ভবিষ্যতে বিদেশ সফরে গেলে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তায় বিসিবির উদ্যোগ হবে কী? বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস না পেলে কোনো দেশে সফর করবে না বাংলাদেশ। আজ শনিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরীও প্রায় একই কথা বললেন। দুপুরে তিনি জানালেন, কাল ঘটনার সময় কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রেখেছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইটের সঙ্গে। নিজামউদ্দীন বললেন, এ ঘটনায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বারবার দুঃখ প্রকাশ করেছে তাঁদের কাছে। নিউজিল্যান্ডের কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না, এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাদের দেশে। মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া আর ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিল হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট নানাভাবে বিসিবিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, অনুরোধ করেছে, বাংলাদেশ যেন এই ঘটনায় নেতিবাচক ধারণা না নেয় তাদের দেশ কিংবা বোর্ড সম্পর্কে। বিসিবি মনে করে, এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দুই বোর্ডের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে, ভবিষ্যতেও কঠিন সময়ে দুই বোর্ড যেন একে অপরের পাশে থাকে।দুদিন ধরেই একটা প্রশ্ন উঠেছে, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড যেমন কোনো দেশে সফরে গেলে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে একটা অগ্রবর্তী দল পাঠায়। সফরের সঙ্গেও থাকে নিজস্ব নিরাপত্তা দল। ভবিষ্যতে বিসিবিও কি এটা অনুসরণ করবে? বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ এটার পক্ষে, 'আমার মনে হয় বাংলাদেশকেও এটা করা উচিত। আপনি এখন কোথাও বলতে পারবেন না নিরাপদ।' তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহীর যুক্তি ভিন্ন, তাঁর কথা হচ্ছে, একটা দেশে গিয়েই তাদের নিরাপত্তা সমস্যা ধরে ফেলবেন দলের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা, এটা আশা করা ঠিক নয়। নিজামউদ্দীন মনে করেন, সব সময়ই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের, 'যখন কোনো দল বিদেশে যায়, তখন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডের। অন্যান্য বিষয়ও ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। এটাই প্রচলিত নিয়ম।' তবে প্রধান নির্বাহী বিসিবি সভাপতির কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন, 'হ্যাঁ, এটা ঠিক, ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই আমরা সফর করব।' আপাতত বাংলাদেশের 'ভবিষ্যৎ সফর' হচ্ছে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে। মে মাসে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ নিয়েই এখন যত চিন্তা। নিউজিল্যান্ডে কাল প্রথম হতে পারে, ইংল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা আগেও ঘটেছে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মূলত আইসিসির। কালকের ঘটনার পর আইসিসি অনেক সতর্ক বলেই জানালেন নিজামউদ্দীন। এরই মধ্যে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, প্রতিটি সদস্য দেশকে তাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়েছে। বিসিবিও পেয়েছে। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন প্রথম আলোকে বললেন, 'আইসিসি সব সময়ই কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে। তারা আমাদের কাছে কঠোর নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়েছে। সব সদস্য দেশের সঙ্গে তারা আবার কথা বলছে। এ ঘটনার পর আইসিসি এখন আরও সতর্ক হবে, আরও সচেতন হবে। আপনারা জানেন, আগে কিছু ঘটনা ইংল্যান্ডেও ঘটেছে। নিউজিল্যান্ডে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার পর আরও সতর্কতা বাড়বে। যে বোর্ডগুলো নিরাপত্তা নিয়ে একটু উদার থাকে, আয়োজক দেশের ওপর নির্ভর করে, তারাও হয়তো ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক থাকবে।' | null |
ID_21955 | কনফুসিয়াস কনফুসিয়াস (জন্মের নামের চৈনিক রূপ 孔丘 "খোং ছিঔ", তবে এখন 孔夫子 "খোং ফ়ুৎস্যি" বা 孔子 "খোং ৎস্যি" অর্থাৎ "খোং গুরু" নামে সুপরিচিত) (জীবনকাল: খ্রি.পূ. ৫৫১-৪৭৯) প্রাচীন চীনের প্রখ্যাত দার্শনিক এবং চিন্তাবিদ। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৫৫১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চীনের লু-(魯) রাষ্ট্রের ছুফু (曲阜 "ছ্যুফু") শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দর্শন ও রচনাবলী চীনসহ পূর্ব এশিয়ার জীবনদর্শনে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। কনফুসিয়াস মূলত নীতিবাদী দার্শনিক ছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে নীতিজ্ঞান। এই প্রাচীন চীনা দার্শনিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৭৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। | null |
3252ae9370 | বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে নতুন একটি ছাত্রী হলের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আকবর হলটির উদ্বোধন করেন। তবে হলের কোনো নাম দেওয়া হয়নি। হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমীন। হলটি এখনো নির্মাণাধীন। আবাসন সংকট থাকায় যে অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, সেখানে ছাত্রীদের ওঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে হলটিতে ৩৯০ জন ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীসংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ৪৫ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও ১২টি হলের মাত্র তিনটি ছিল ছাত্রী হল। তা ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় আসনসংখ্যা বাড়লেও হলের সংখ্যা বাড়েনি। আবাসন সংকট থাকায় চিকিৎসাকেন্দ্র, চাষি ভবন ও অন্যান্য হলের গণরুমে ছাত্রীদের রাখা হতো। | null |
29f669f3a9 | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর অংশ-৩এসএসসি পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশে ছয়টি প্রশ্নে ১৮ নম্বরের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন লিখতে হবে। অধ্যায়-২জ্ঞানমূলক প্রশ্ন৮. কোন রাতে সম্পূর্ণ আল-কোরআন একই সঙ্গে নাজিল হয়? উত্তর: কদর রাতে। ৯. মহানবী (সা.)-এর নিকট কোন সূরা প্রথম নাজিল হয়? উত্তর: সূরা আল ফাতিহা।১০. আল-কোরআনের প্রামাণ্য সংস্করণ হিজরি কত সালে তৈরি হয়? উত্তর: ২৪ সালে। ১১. পবিত্র কোরআন মজিদের আয়াতের ক্রমধারা রক্ষা করা কী? উত্তর: ওয়াজিব।১২. মাক্কি সূরার সংখ্যা কয়টি?উত্তর: ৮৬টি।১৩. 'আদ-দোহা' শব্দের অর্থ কী?উত্তর: পূর্বাহ্ন বা দিবসের প্রথম ভাগ।১৪. সূরা আল-ইনশিরাহ কোথায় অবতীর্ণ হয়?উত্তর: মক্কায়। ১৫. সূরা আত-তিনে আল্লাহ তাআলা কয়টি জিনিসের শপথ করেছেন?উত্তর: চারটি। ১৬. সূরা আল-যিলযাল কোথায় অবতীর্ণ হয়?উত্তর: মদিনায়।১৭. হাদিসের বর্ণনা পরম্পরাকে কী বলা হয়? উত্তর: সনদ। ১৮. যে ব্যক্তি হাদিস বর্ণনা করেন, তাঁকে কী বলে?উত্তর: রাবি।১৯. কিয়াস অর্থ কী?উত্তর: পরিমাণ, অনুমান ও তুলনা করা।২০. ফরজ অস্বীকার করলে কী হয়?উত্তর: কাফির।অনুধাবনমূলক প্রশ্নপ্রশ্ন: হজরত ওসমান (রা.)-কে জামিউল কোরআন বলা হয় কেন?উত্তর: আল-কোরআন সংকলনে হজরত ওসমান (রা.)-এর অবদান অপরিসীম। তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পবিত্র কোরআন সংগৃহীত হয়। এ মহান কাজের জন্য হজরত ওসমান (রা.)-কে জামিউল কোরআন বলা হয়।প্রশ্ন: পবিত্র কোরআনের সূরাগুলোকে মাক্কি ও মাদানি বলার কারণ কী? বুঝিয়ে লেখো।উত্তর: পবিত্র কোরআনের মক্কায় অবতীর্ণ সূরাগুলোকে মাক্কি ও মদিনায় অবতীর্ণ সূরাগুলোকে মাদানি বলা হয়।প্রশ্ন: মাক্কি ও মাদানি সূরা বলতে কী বোঝো?উত্তর: রাসুল (সা.)-এর মক্কা-জীবনে যেসব সূরা নাজিল হয়েছে, সেগুলোকে মাক্কি সূরা বলে। আর মদিনায় হিজরতের পর যে সূরাগুলো অবতীর্ণ হয়েছে, সেগুলোকে মাদানি সূরা বলা হয়।প্রশ্ন: সূরা আল-কদর অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করো।উত্তর: মহানবী (সা.) ও তাঁর উম্মতের আয়ু কম হওয়ায় তাঁদের পক্ষে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে পূর্ববর্তী ব্যক্তিদের সমকক্ষ হওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। সাহাবিগণের এ অক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ তাআলা নবী করিম (সা.)-এর ওপর সূরা আল-কদর অবতীর্ণ করেন।প্রশ্ন: 'সিহাহ সিত্তাহ' বলতে কী বোঝো?উত্তর: সিহাহ সিত্তাহ প্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম। সাধারণত বিখ্যাত হাদিসশাস্ত্রের প্রসিদ্ধ ছয়খানা হাদিসগ্রন্থকে সিহাহ সিত্তাহ বলা হয়।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | null |
23c9bf49a0 | বরগুনায় এক কৃষি কর্মকর্তা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ১৫ শতক জমির রোপণ করা আউশ ধানের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একসনা জমি ঠিকা না দেওয়ার আক্রোশে গত শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।জমির চাষি হেমায়েত হোসেনের মা হাসিনা বেগম গতকাল শনিবার অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ১৫ শতক জমি একসনা ঠিকা নিয়ে আউশ ধানের বীজ রোপণ করেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এই গ্রামের বাসিন্দা ও বদরখালী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সালাম ও তাঁর ছেলে সোহেল মিয়া রোপণ করা আউশের সব চারা উপড়ে ফেলেন।হাসিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'মোরা গরিব মানুষ। পোলায় সাগরে মানুষের ট্রলারে মাছ ধইরা সোংসার চালায়। এইবার ওই জমিটুক একসনা নিয়া পোলায় আউশ ধান রুইছেলো। সব চারা উপড়াইয়্যা হালাইছে। এহন আমি কী হরমু, কার ধারে যামু। পোলায়ও গ্যাছে সাগরে মাছ ধরতে।'জমির মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, 'কয়েক বছর ধরে ওই জমি আবদুস সালাম নগদ টাকায় রেখে অন্যকে দিয়ে চাষাবাদ করাতেন। কিন্তু তিনি জমি ঠিকা নেওয়ার টাকাপয়সা ঠিকমতো দিতেন না বলে এবার হেমায়েতের কাছে জমি একসনা ঠিকা দিই। এই আক্রোশে আবদুস সালাম ও তাঁর ছেলে এই এ কাজ করেছেন।'তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মো. আনোয়ার বলেন, 'শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আমি ওই জমির পাশের জমিতে কাজ করছিলাম। এ সময় আবদুস সালাম ও তাঁর ছেলে সোহেল খেতে নেমে হেমায়েতের রোপণ করা আউশের চারা উপড়ে ফেলতে থাকেন। কেন চারা উপড়ে ফেলছেন - জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই জমি আমার।'স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ হাওলাদার বলেন, 'ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। স্থানীয় লোকজন আমাকে বলেছেন আবদুস সালাম ও তাঁর ছেলে সোহেল এ কাজ করেছেন।'এ ব্যাপারে আবদুস সালাম ও তাঁর ছেলে সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁদের মুঠোফোনে গতকাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও তাঁদের দুজনের ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদ মুঠোফোনে বলেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি। রোপণ করা ধানের চারা উপড়ে ফেলে এটা তিনি ঠিক করেননি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' | null |
12b3f5467c | মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে দায়িত্ব পালনকারী অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে কোনো ওয়াকিটকি নেই। এতে চলতি শীত মৌসুমের ঘন কুয়াশায় ফেরি পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের ভীষণ সমস্যা হচ্ছে।রো রো ফেরি শাহ্ মখদুমের মাস্টার ইনচার্জ এবং ইনল্যান্ড মাস্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এম ইদ্রিস হোসেন সিরাজী জানান, এই রুটের প্রতিটি ফেরিতে ওয়াকিটকি দেওয়ার কথা ছিল। ওয়াকিটকি না থাকায় কুয়াশার মধ্যে ফেরিগুলো নদীর কোন কোন চ্যানেলে অবস্থান করছে বা কোনো দুর্ঘটনা হয়েছে কি না, তাত্ক্ষণিকভাবে জানা যাচ্ছে না। প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরত্বের দীর্ঘ এই রুটের বেশির ভাগ স্থানে মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকে না। তাই দ্রুত প্রতিটি ফেরিতে ওয়াকিটকির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।ওয়াকিটকি না থাকায় ফেরি পরিচালনায় বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করে বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া ঘাটের এ জি এম আশিকুর রহমান জানান, ছয় মাস আগে এই নৌপথে সাতটি ওয়াকিটকি সরবরাহ করার এক মাসের মধ্যেই সেগুলো বিকল হয়ে যায়। পরে তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে। | null |
11a7aa314d | রাজশাহী জেলা জজ আদালতের হাজত থেকে মাদক মামলার এক আসামির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত রোববার রাতে এই বরখাস্তের আদেশ দেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া।বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন জেলা জজ আদালতের এটিএসআই মমিন আজাদ ও তাজুল ইসলাম, কনস্টেবল আবদুল মমিন ও মনসুর আলী। রোববার বিকেলে মোখলেসুর রহমান (২২) নামের এক আসামি পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যান।জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক খুরশিদা বানু বলেন, পলাতক আসামির নামে রোববার রাতে নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এটিএসআই মমিন আজাদের হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ায় মমিন নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন।তিন আরও বলেন, রোববার বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকজন আসামিকে আদালতের হাজত থেকে বের করা হচ্ছিল। একই সময় কিছু আসামিকে হাজতে ঢোকানো হচ্ছিল। সেই সুযোগে আসামি মোখলেসুর রহমান পালিয়ে যান।মোখলেসুর জেলার পবা উপজেলার জাঙ্গালপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। গত শনিবার ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে আটক করে। এ ঘটনায় পবা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ। | null |
21307d2444 | ব্যতিক্রমী ধারার না হলেওট্রিপল এক্স: রিটার্ন অবজেন্ডারকেইজছবিটি মনে হচ্ছে ভালোই দর্শক টানবে। অবশ্য ব্যাপারটা আপনার পছন্দের ওপরও অনেকটা নির্ভর করে। উপমহাদেশীয় দর্শকদের কাছে এই হলিউড চলচ্চিত্রের বড় আকর্ষণ দীপিকা পাড়ুকোন। তিনি এই সিক্যুয়েল ছবির নায়ক ভিন ডিজেলের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ভিন ডিজেলই এখানে জেন্ডার কেইজ, যিনি একসময় শক্তিশালী ক্রীড়াবিদ ছিলেন। এখন সরকারের তুখোড় গোয়েন্দা। স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে ফিরে এসেছেন এক বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলার আহ্বান পেয়ে। তারপর জড়িয়ে পড়েন জিয়াং ও তাঁর দলের সঙ্গে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে। একপর্যায়ে জানতে পারেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। প্রতিটি চরিত্রই নিজস্ব দক্ষতা নিয়ে আবির্ভূত হয়। ডি জে কারুসো পরিচালিত এই ছবিতে অ্যাকশনের এক অনন্য ভারসাম্য আছে। ট্রিপল এক্স: রিটার্ন অবজেন্ডারকেইজছবির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্যামুয়েল এল জ্যাকসন, টনি জা, জেট লি, নিনা ডোবরেভ প্রমুখ। বলিউড তারকা দীপিকাকে পর্দায় অনেকটা সময় ধরে দেখা যাবে। তাই ভক্ত-অনুরাগীদের হতাশার কারণ অল্প। বলিউডের আরেক তারকা ইরফান খানকেইনফার্নোছবিতে খুব অল্প সময় পর্দায় দেখে অনেকে নিরাশ হয়েছিলেন। দীপিকার চরিত্রটির নাম সেরেনা আঙ্গার। কাহিনির ধারাবাহিকতায় প্রায়ই তিনি হাজির হন। তাঁর সঙ্গে ভিন ডিজেলের রসায়নটা হয়েছে বেশ। ডিজেল এই সিরিজে কাজ করছেন ১৫ বছর ধরে। ট্রিপল এক্স সিরিজের নায়কের ভূমিকায় থেকেইআইস কিউবছবিতে ২০০৫ সালে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু এবারের পর্বে তিনি আবার জেন্ডার কেইজ চরিত্রে ফিরে এসেছেন। তবে এই ছবিতে সব মিলিয়ে অ্যাকশনটাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। কাহিনি ও চরিত্রগুলোর হাস্যরসে অনেক সময় গরমিল আছে মনে হলেওট্রিপল এক্স: রিটার্ন অবজেন্ডার কেইজউতরে যেতে পারে। কারণ, নির্দোষ মজাই এখানে বেশি দেখবেন দর্শকেরা। ভারতে ইতিমধ্যে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে এবং ব্যবসাও ভালো করেছে। আশিস আচার্য মুভি ইনসাইডার ও হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে | null |
3044abd1b1 | পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বিজিবির স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি করেছেন সেখানকার আদিবাসীসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলেছেন, স্থাপনা নির্মাণ করা হলে স্থানীয় আদিবাসীরা ভূমি থেকে উচ্ছেদ হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই রোয়াংছড়ি উপজেলার ক্রাইক্ষং-হাংসামাপাড়ায় আদিবাসীদের বসবাসের জায়গায় বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তর তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়।আদিবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধিদল ২০ অক্টোবর রোয়াংছড়ির ক্রাইক্ষং-হাংসামাপাড়া পরিদর্শন করে। এর ওপর ভিত্তি করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ ঘটনাটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের এবং বিষয়টি মীমাংসিত না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, আদিবাসী নেতা দীপায়ন খীসা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। | null |
6022b6f80d | এফএ কাপের ম্যাচে স্ট্রোক সিটির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ১-০ গোলের জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। খেলার প্রায় অন্তিম সময়ে ৮৫ মিনিটে দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছেন ম্যানসিটির আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার জাবালেতা।স্ট্রোক সিটির বিপক্ষে বেশির ভাগ সময়ই বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ম্যানচেস্টার সিটির দখলে। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর কয়েকটি ভালো সুযোগও পেয়েছিলেন ম্যানসিটির স্ট্রাইকাররা। কিন্তু ডেভিড সিলভা ও তেভেজের দুটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে এলে ০-০ ব্যবধান নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় রবার্তো মানচিনির শিষ্যদের। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকবার স্ট্রোক সিটির রক্ষণভাগে ত্রাস সৃষ্টি করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাটা পাচ্ছিলেন না তেভেজ, অ্যাগুয়েরো, ডেকোরা। ৮৪ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য কাটার পর ম্যানচেস্টার সিটি শিবিরকে আনন্দে ভাসান ডিফেন্ডার জাবালেতা। ৮৫ মিনিটের মাথায় তেভেজ, অ্যাগুয়েরো ও ডেভিড সিলভার মিলিত প্রচেষ্টায় ফাঁকায় বল পেয়ে যান জাবালেতা। আর মোক্ষম এই সুযোগটি কাজে লাগাতে একটুও দেরি করেননি আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। শেষ মুহূর্তে নাটকীয় এক গোল করে দলকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল এনে দিয়েছেন তিনি। - সকারনেট | null |
2d4cb90c25 | জামালপুর সদরের জামে মসজিদ রোডের তমালতলায় গতকাল রোববার ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) ১০৬তম শাখা খোলা হয়েছে।ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ শাখাটির উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সিরাজুল হক, জামালপুরের জেলা প্রশাসক সিরাজুদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক, ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোসাদ্দিকুর রহমান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন। কে এস তাবরেজ বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক রিটেইল ও করপোরেট গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের সেবাসহ নানাবিধ ব্যাংকিং পণ্য ও আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে।কে এস তাবরেজ আরও বলেন, ডিবিবিএল শাখা নেটওয়ার্কের পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এটিএম নেটওয়ার্ক ও ফাস্ট ট্র্যাক স্থাপনের মাধ্যমেও ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি। | null |
68a8640354 | চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সোমবার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী গতকাল সকাল নয়টার মধ্যেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন হলের ছাত্রীরা। এর আগে গত রোববার বেলা তিনটার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়েছে হলের ছাত্ররা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন মো. আবদুর রশিদকে। কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক মশিউল হক, যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক শেখ মো. হুমায়ন কবির, পুরোকৌশল বিভাগের শিক্ষক সুদীপ কুমার পাল ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ। কমিটিকে ২৮ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়াও নির্দেশ দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের এক পক্ষের মানববন্ধন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মী নায়েব হোসাইন খানের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বিকেল চারটায় নগরের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের মোসলেহ উদ্দিন পক্ষের সঙ্গে মেহেদী হাসান পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোসলেহ উদ্দিন পক্ষের নায়েব হোসাইন গুরুতর আহত হন। নায়েব এখন পঙ্গু হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা এ ঘটনাকে সংঘর্ষ নয় উল্লেখ করে এটি তাঁদের ওপর পরিকল্পিত হামলা বলে দাবি করেন। এ সময় তাঁরা নায়েবের ওপর হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। মানববন্ধনে মোসলেহ উদ্দিন, আতিক ইজাজ, ইমতিয়াজ হোসাইনসহ ছাত্রলীগের মোসলেহ পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। | null |
14831ea1ce | 'আপনার জন্য প্রার্থনা করি, আপনি আবার সাহসী এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠুন। আমরা প্রার্থনা করি, আপনি ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং আপনার জনগণের একতার কথা বলুন। আমরা প্রার্থনা করি, বাড়তে থাকা এ সংকটে আপনি হস্তক্ষেপ করুন এবং জনগণকে ন্যায়পরায়ণতার পথে ফিরে যেতে আপনি আবার পথ দেখান।' ডেসমন্ড টুটু টুইটারে নিজের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা অং সান সু চিকে লেখা এক খোলা চিঠিতে (সূত্র:প্রথমআলো, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭) ডেসমন্ড টুটু:দক্ষিণ আফ্রিকার একজন সমাজকর্মী এবং কেপটাউনের আর্চবিশপ ইমেরিটাস। জন্ম ১৯৩১ সালে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ১৯৮০ সালের দিকে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেন তিনি। ১৯৮৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। | null |
312211c35a | '৩০ বছর ধরি সংসার চালাই। কোনো দিন অত অভাবে পড়ছি না। হাতে কোনো টাকাপয়সা নেই। এখন এক বেলা ভাতের জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। সামনে ঈদ। একটা পুয়া-পুরিরে (ছেলেমেয়ে) কোনো নতুন কাপড়চোপড় দিছি না। তারার (ছেলেমেয়ে) মুখের দিকে চাইলে (তাকালে) বড় কষ্ট অয়। এই কষ্টে একলা একলা (একা একা) কান্দি।' ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কষ্ট ও অসহায়ত্বের কথা এভাবেই তুলে ধরেন হাওরে ফসলহারা কৃষক আসক আলী (৫৫)। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামে। শুধু আসক আলী নয়, গত শুক্রবার ও এর আগের দুই দিন সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর - এই চার উপজেলার হাওরপাড়ের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ফসলহারা কৃষকদের এমন কষ্টের কথা জানা গেছে। অনেকেই বলেছেন, ফসলহানির পর হাওর এলাকায় অভাব দেখা দিয়েছে। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। এলাকায় কাজ নেই। কাজের খোঁজে গ্রাম ছাড়ছে মানুষ। প্রথম দিকে মানুষ নিজের সঞ্চয় ও গবাদিপশু বিক্রি করে কোনো রকমে চলেছেন। এখন যেখানে দুবেলা খাবারের জোগাড় হচ্ছে না, সেখানে ঈদের কেনাকাটার কথা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা। ঘাগটিয়া গ্রামটি এলাকার খরচার হাওরের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। গ্রামের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে হাওরে বোরো ধান চাষ করে ও বর্ষায় মাছ ধরে। সবার জমি খরচার হাওরে। যে জমির সব ধান গত এপ্রিলের পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন গ্রামের কৃষকেরা। আসক আলী বলেন, প্রতিবছর তিনি এক থেকে দেড় শ মণ ধান পান। এই ধানেই তাঁর সংসার চলে। খাবার বাদে কিছু ধান বিক্রি করে সংসারের অন্যান্য খরচ মেটান। প্রতিবছর ধুমধামে ঈদ করেন। এবার এক ছটাক ধানও পাননি, হাতে টাকা নেই। আসক আলীর কথার মাঝখানে আবদুল মজিদ নামের আরেক বৃদ্ধ বলেন, 'ইবার হাওরে ঈদের কোনো ফুর্তি নাই। সবাই কষ্টের মাঝে আছে।' বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, 'এই সময় হাওরের ফসল ঘরে তুলে এলাকার মানুষ আনন্দে থাকে। কিন্তু এবার সেটা নেই, তার বদলে মানুষ এখন ভাতের কষ্টে আছে।' বিশ্বম্ভরপুর থেকে তাহিরপুর উপজেলায় যাওয়ার পথে আনোয়ারপুর বাজার পেরোলেই শনির হাওর শুরু। এই হাওরের ফসল যখন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে, তখন একটানা ২৪ দিন স্থানীয় মানুষ বাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ২২ এপ্রিল বাঁধ ভেঙে হাওরের ফসল তলিয়ে যায়। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন, মানুষ সীমাহীন কষ্টে আছে। তারা ঠিকমতো সহায়তা পাচ্ছে না। সবাই আস্তে আস্তে এই অসহায় মানুষদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার দেখার হাওরপাড়ের গোয়াছুড়া গ্রামের ঘাটে এই প্রতিবেদককে বহনকারী নৌকাটি ভেড়াতেই নানা বয়সী মানুষ ভিড় করেন। তাঁরা ধারণা করছিলেন, শহর থেকে কেউ ত্রাণ নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আগন্তুকদের খালি হাত দেখে তাঁরা হতাশ হন। কাঁচি হাতে নৌকাঘাটে এসেছিলেন কৃষক কমর আলী (৪৬)। এবার সাড়ে তিন একর জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ধানই পাননি। তিন ছেলে ও এক মেয়ে তাঁর। ঘরে গিয়ে কমরের স্ত্রী মালেকজান বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সব সময়ই ঘরের সবাই ঈদের সময় নতুন পোশাক কেনেন। এখন দুবেলা দুমুঠো ভাতের জন্য কষ্ট করতে হচ্ছে তাঁদের।গ্রামের আছদ্দর আলী (৭০), আবদুল্লাহ মিয়া (৫০), আলা উদ্দিন (৪৫) জানান, এই গ্রামের শতাধিক পরিবারের সবাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এখন কেউ কেউ হাওরে মাছ ধরছেন। কেউ আবার শহরে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করছেন। 'হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন' সংগঠনের আহ্বায়ক বজলুল মজিদ চৌধুরী বলেন, সরকারের বিশেষ সহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে দেড় লাখ কৃষককে ৩০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। সহায়তার বাইরে আছে আরও পৌনে দুই লাখ কৃষক। সুনামগঞ্জে এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। গত ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল। এরপর একে একে তলিয়ে যায় সুনামগঞ্জের সব হাওরের কাঁচা ধান। জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে এবার ১৫৪টি হাওরে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১২ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৯০ কৃষক পরিবার। তবে স্থানীয় কৃষক-জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, হাওরের ৯০ শতাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। | null |
3793483538 | শীত জাঁকিয়ে বসেছে পুরো দেশে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে বাইকের হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব বেশি দূর চোখ যায় না। ফলে ব্যস্ত রাস্তায় বাইক চালানোর সময় বেশ সতর্ক থাকতে হয় চালকদের। মুহূর্তের অসতর্কতায় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে বাইকে ব্যবহার করা উচিত 'ফগলাইট'। এতে থাকা বাল্বের আলো কুয়াশা ভেদ করে অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়ায় নিরাপদে বাইক চালানো যায়। শীতকালে কুয়াশা ভেদ করার পাশাপাশি ধুলোবালিতে রাস্তায় পথ চলতেও বেশ কাজে লাগে ফগলাইট। সামনের পথ ভালোভাবে দেখতে সাহায্য করার পাশাপাশি বিপরীত দিকে থাকা যানবাহনকেও সতর্ক করে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে যায়। কোথায় বসবে ফগলাইট গাড়িতে ফগলাইট ব্যবহারের জন্য আলাদা চেম্বার থাকলেও বাইকে থাকে না। ফলে অনেকেই হেডলাইটের মধ্যেই যুক্ত করেন। কিন্তু এমনটি করা যাবে না মোটেও। কারণ, কুয়াশাভেদী এ বাল্বের আলো সব সময় দরকার হয় না। তাই মূল হেডলাইটের সঙ্গে এ বাল্ব ব্যবহার না করে আলাদাভাবে বসানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মানতে হবে নিয়ম ফগলাইট বসানোর আগে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। ফগলাইট এমনভাবে বাইকে যুক্ত করতে হবে, যেন বিপরীত দিকের চালকের চোখে এই আলো না পড়ে। সে জন্য বাইকের বাম্পারে (আঘাত থেকে রক্ষা করার কাঠামো বিশেষ) অথবা বাইকের দুই পাশের শক্ত কাঠামোতে এই লাইট বসানো উচিত। ফগলাইটের আলো বেশ উজ্জ্বল হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো। ব্যাটারিতে চলবে তো ফগলাইট সাধারণ হেডলাইটের চেয়ে ফগলাইটে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। এ জন্য ফগলাইট কেনার আগে জানতে হবে এতে থাকা বাল্বগুলো কত ভোল্টেজে চলে। বাইকে থাকা ব্যাটারি ফগলাইট সমর্থন করবে কি না, তা-ও জানতে হবে। ব্যাটারির ওপর চাপ কমাতে অবশ্যই রিলেসহ ফগলাইট ব্যবহার করা উচিত। জানতে হবে ফগলাইটের আলোর দূরত্ব আলোর দূরত্ব জানতে লুমেন একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লুমেন আলোক ফ্লাক্স এর এসআই একক, যা ব্যবহার করে উৎস থেকে আসা আলোর মোট পরিমাণ জানা যায়। তাই সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার লুমেন এবং ৪ হাজার থেকে ৬ হাজারকে সাদা আলোর ফগলাইট ব্যবহার করলে কুয়াশার মধ্যে স্বচ্ছন্দে পথচলা যাবে। মনে রাখতে হবে, ফগলাইট যেহেতু বাইকের বাইরে থাকে, তাই সেটি ধুলোবালি এবং পানিরোধক না হলে বেশি দিন টিকবে না। তাই কেনার সময় আইপি৬৫ রেট দেখে ফগলাইট কেনা দরকার। একটি না দুটি কয়টি ফগলাইট যুক্ত করবেন, তা আপনার চোখের দৃষ্টিক্ষমতা এবং বাইকের গতির ওপর নির্ভর করে। যদি স্পোর্টস ঘরানার বাইক হয়, সে ক্ষেত্রে দুটি ফগলাইট রাস্তার অনেক দূর পর্যন্ত দৃশ্যমান করতে পারে। সাধারণ বাইকের ক্ষেত্রে ভালো মানের একটি ফগলাইটই যথেষ্ট। পাওয়া যাবে কোথায় বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফগলাইট পাওয়া যায়। ট্যাসলাইট এক্স ২২ নামের ফগলাইট আমদানিকারক ট্যাসলকের ব্র্যান্ড প্রধান ওয়াহেদ রেজা রোমেল জানান, ট্যাসলাইট এক্স ২২-এর অপারেটিং ভোল্টেজ ১০-৮০ ভোল্ট। তাই বাইকের ব্যাটারিতে আলাদা কোনো চাপ পড়ে না। ফগলাইটে থাকা বাল্বের তাপমাত্রাও মাথায় রাখতে হবে। হংকংয়ে তৈরি এই ফগলাইটগুলোতে অ্যালুমিনিয়াম রেডিওয়েটর থাকায় দীর্ঘক্ষণ জ্বললেও সহজে গরম হয় না। জ্বালানো অবস্থায় বাল্বটির তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। এ জন্য আইপি ৬৫ সনদও পেয়েছে এই ফগলাইট। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ ট্যাসলাইট এক্স ২২-এর দাম ২ হাজার ২৫০ টাকা। এক জোড়ার দাম ৪ হাজার ২০০ টাকা। এক্স ২২-এর কর্মকাল ৬০ হাজার ঘণ্টা। এ ছাড়াও বাজারে ক্রিটুলাইট, এ সেভেন প্যাসিফিক/ ক্রি/ এইচজেসি, এইচজেসি কেজেড৩০, এফএনএম সিঙ্গেল, এলফোরএক্স, এলসিক্সএক্স, এল নাইট নামের ফগলাইটগুলো ৮০০ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। মনে রাখা ভালো যেসব বাইকের স্টার্টার কিক থাকে না, সেসব বাইকে ফগলাইট ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে ভারী কুয়াশা, অতিরিক্ত ধুলাবালি, রাতের মহাসড়ক ও পাহাড়ি রাস্তায় চলার জন্য শুধু ফগলাইট ব্যবহার করা হয়। শহরে এ লাইটের তেমন প্রয়োজন হয় না। তাই প্রয়োজন ছাড়া ফগলাইট জ্বালানো উচিত নয়। এতে বাইকের ব্যাটারির স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমনি বিপরীতে থাকা চালক এবং পথচারীরও সমস্যা হবে না। | 3,783 |
567c3ccada | রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লির বাসিন্দারাজাতীয় সংসদ নির্বাচননিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চান না। অনেকের মধ্যেই আছে আতঙ্ক। তাই কেউ কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে চাচ্ছেন না।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই এলাকাটি পড়েছে রাজবাড়ী-১ আসনের (সদর ও গোয়ালন্দ) মধ্যে।গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেবেন যৌনপল্লির বাসিন্দারা। যৌনপল্লির তালিকাভুক্ত ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ মাত্র ৩৫ জন। বাকি ১ হাজার ১৩৫ জনই যৌনকর্মী ভোটার। তবে পল্লির বাইরেও অনেক যৌনকর্মী আশপাশের ঠিকানা দিয়ে ভোটার হয়েছেন। সেই হিসাবে এখানে প্রায় দেড় হাজার ভোটার রয়েছেন বলে ধারণা। গত বুধবার সেখানে গিয়ে কথা হলো বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীর সঙ্গে। পল্লির এক বাসিন্দা বললেন, তিনি পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। তবে কেমন প্রার্থী পছন্দ, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সব দলের লোকেরাই এখানে ভোট চাইতে আসেন। তবে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের আনাগোনা একটু বেশি। একজন বললেন, 'প্রার্থী তেমন পছন্দের নেই। ভোট দিতে হবে, তাই দেব। কোনো প্রার্থীই আমার পছন্দ না। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাঁর কথা মনে পড়বে, তাঁকেই ভোটটি দিয়ে চলে আসব।' এখানকার একজন বাসিন্দা বলেন, পল্লির সার্বিক পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আগে যাতায়াতের জন্য ভালো রাস্তা ছিল না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল নোংরা। এখন এখানেও উন্নয়ন হয়েছে। ভোট নিয়ে আলাপচারিতার সময় বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলো। তাঁদের কথায়, ভোট প্রদানে কোনো চাপ নেই। তবু অনেকের মধ্যে অজানা আতঙ্ক রয়েছে। তাই প্রকাশ্যে কেউ কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে চাচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত প্রথম আলোকে বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, এ জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য থাকবেন। এ ক্ষেত্রে আতঙ্ক বা শঙ্কা সৃষ্টির কোনো কারণ নেই। | null |
22b5686a05 | সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুলিবাড়ি এলাকায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন এনায়েতপুর থানার চারাবাড়ি গ্রামের আবুল কালাম (৫০) ও বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাতি গ্রামের বেলাল হোসেন (৩০)। আহত ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে কালাম, বেলাল ও অপর এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে এনায়েতপুর থেকে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁরা মুলিবাড়িতে পৌঁছালে একটি বাস পেছন থেকে তাঁদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক বেলাল নিহত হন। আহত অবস্থায় কালাম ও অপর ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল নয়টার দিকে কালামের মৃত্যু হয়। ওসি আমিনুল ইসলাম আরও জানান, বাসটি আটক করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। | null |
423c8d2a31 | হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় পাথরবোঝাই ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার বেড়তলা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এতে রাস্তার দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত তিন ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্যাংক-লরি সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর খন্দকার (৪০), সাধারণ সম্পাদক আলী আজম (৪৫) ও দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান মিয়া (৫৫)। তাঁদের তিনজনের বাড়ি সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা সকালে তিন যাত্রীসহ মোটরসাইকেলটি থামিয়ে দেন। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর অভিযোগে পুলিশ তাঁদের কাছে টাকা দাবি করে। মোটরসাইকেল আরোহীরা টাকা না দিয়ে স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করলে পুলিশের এক সদস্য মোটরসাইকেলের পেছনে লাঠি ছুড়ে মারেন। লাঠির আঘাতে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা পাথরবোঝাই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় শত শত জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের একটি রেকার ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা রেকারটি ভাঙচুর করে। ক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে টাকা টাকা না পেয়ে লাঠি ছুড়ে মারা সেই পুলিশ সদস্য সরাইল হাইওয়ে থানা থেকে চলে গেছেন। ওই থানায় এখন গেট বন্ধ করে ভেতরে দুজন কনস্টেবল বসে আছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা বলেন, 'বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে।' | null |
76ea603c7b | সাভারের বলিয়ারপুর থেকে রাজধানীর গাবতলী পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তীব্র যানজট চলছে। আজ সোমবার সকাল সাতটার দিক থেকে এ যানজটের শুরু। এতে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। সাভার ট্রাফিকের পরিদর্শক আবুল হোসেন জানান, গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র যানজটের কারণে অফিসগামী লোকজন চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। গাবতলী ব্রিজ এলাকায় একটি ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মো. বিপ্লব বলেন, বলিয়ারপুর থেকে গাবতলী আসতে এক ঘণ্টা লেগে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে আসতে লাগে পাঁচ মিনিট। | null |
77a55c7c01 | সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পাঁচটি গ্রামে গতকাল রোববার সকাল আটটার দিকে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। দেয়ালচাপা পড়ে চারটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। গাছের ডালপালা ও দেয়ালচাপা পড়ে ২৫ জন আহত হয়েছে।উপজেলার মাঘরি গ্রামের আবদুর রহমান ও ইউনুস আলী জানান, সকাল আটটার দিকে উপজেলার চণ্ডীপুর, মাঘরি, কোড়া, পাচপোতা ও রহিমপুর গ্রামের ওপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে যায়। এতে ওই সব গ্রামের ২০-২৫টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অর্ধশতাধিক ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে এবং অন্তত ১০টি ঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে।গাছের ডাল ও ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা হলেন, কোড়া গ্রামের ওসমান গনি, আবু রায়হান, হোসেন আলী, মোসলেমা খাতুন, শাহানারা বেগম, ফজিলা বিবি, নাছিমা খাতুন, মনিরা বেগম, মাঘরি গ্রামের রেহেনা খাতুন, সুকুমার ঘোষ, বাসন্তী ঘোষ, শেফালী ঘোষ, হূদয় হোসেন, কাঞ্চন ঘোষ, লাকী ঘোষ; পাঁচপোতা গ্রামের ইউনুস আলী, আনোয়ারা খাতুনসহ ছকিনা বিবি ও মিতা আফরিন। তাঁদের দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।ঝড়ে মাঘরি গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এ সময় কোড়া রজব আলীর একটি ও সুকুমার ঘোষের একটিসহ চারটি গরু দেয়ালচাপায় মারা গেছে।দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন তরিকুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। | null |
2b3d0f70c7 | চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অক্ষরবৃত্তের 'অক্ষরবৃত্ত পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০১৯' পেয়েছেন পাঁচ লেখক। মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কবিতায় সাজিদ মোহন, গল্পে প্রিন্স আশরাফ, উপন্যাসে এমরান কবির, প্রবন্ধে জাহাঙ্গীর আলম জাহান, শিশুসাহিত্যে জনি হোসেন কাব্য। অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক আনিস সুজন বলেন, মৌলিক সাহিত্যকর্ম তুলে আনার লক্ষ্যেই এই আয়োজন। পাঁচটি বিভাগে প্রায় ১ হাজার ২০০টি পাণ্ডুলিপি জমা পড়ে। দেশের খ্যাতিমান সাহিত্যিকেরা নিজ নিজ শাখায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন। কয়েক ধাপে বাছাই শেষে পাঁচটি পাণ্ডুলিপি নির্বাচন করা হয়। পুরস্কার পাওয়া পাণ্ডুলিপিগুলো বই আকারে ২০২০ সালের বইমেলায় প্রকাশ করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে অক্ষরবৃত্ত 'পাণ্ডুলিপি পুরস্কার'-এর আয়োজন করে আসছে। ওই বছরও পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাণ্ডুলিপি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। পুরস্কার পাওয়া পাণ্ডুলিপিগুলো ২০১৯ সালের বইমেলায় বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছিল। | null |
4a34926e82 | এক মাস তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচির মাথায় এবার আমরণ অনশন শুরু করেছেন 'ছাত্রলীগেরপদবঞ্চিতরা'। চার দফা দাবি পূরণে আওয়ামী লীগ কিংবা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে কোনো আশ্বাস না পেয়ে তাদের নতুন এই কর্মসূচি। আজ শুক্রবার বেলা দুইটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তাঁরা আমরণ অনশনে বসেন। তাঁরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি মানতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের সদস্যরা। তবে এই সময়ের মধ্যে দাবির পক্ষে কোনো আশ্বাস না মেলায় আজ তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। তাঁদের চার দফা দাবি হলো,আওয়ামী লীগসভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ, পদ শূন্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটির ১৯ জনের পদসহ নাম প্রকাশ, বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে পদবঞ্চিতদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিটিতে পদায়ন এবং মধুর ক্যানটিনে (১৩ মে) ও টিএসসিতে (১৯ মে) তাঁদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার । আমরণ অনশন কর্মসূচির বিষয়ে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের মুখপাত্র ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, 'আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল কোনো পর্যায় থেকে দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় আমরা আমরণ অনশন শুরু করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। আমাদের প্রাণের বিনিময়ে যদি ছাত্রলীগ কলঙ্কমুক্ত হয়, তবে তা-ই হোক।' অনশনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের বিগত কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম বলেন, আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে। আওয়ামী লীগ কিংবা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীলদের আশ্বাসের অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অন্তত ৩৫ জন নেতা অনশনে অংশ নেবেন বলে জানান তিনি। 'যা যা ঘটেছে'এই সংকটের শুরু গত ১৩ মে। ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি প্রকাশের প্রায় ১০ মাস পর সেদিন ঘোষণা করা হয় সংগঠনের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কমিটি করতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কমিটি ঘোষণার দিন সন্ধ্যায় কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে কয়েকজন নারী নেত্রীসহ ১০-১২ জন আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন রাতে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পদবঞ্চিতদের তোপের মুখে পড়ে ফিরে যান। পরদিন সকালে সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ারা। এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে অনশন ও সংগঠন থেকে গণপদত্যাগের মতো কর্মসূচির হুমকিও দেন তাঁরা। এর পরদিন দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গণভবনে ডেকে ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্তদের বহিষ্কারে ২৪ ঘণ্টা সময় নেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সেখানে বিতর্কিত ১৬ জনের নামও প্রকাশ করেন তাঁরা। তার পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটিতে থাকা 'বিতর্কিত' ও 'অযোগ্য' ৯৯ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেন পদবঞ্চিতরা। ১৯ মে টিএসসিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের হাতে ফের মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেন পদবঞ্চিতরা। এক দিনের মাথায় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্বাসে তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান। পরের দিন মধুর ক্যানটিনের ঘটনায় ৫ জনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। বহিষ্কৃত হওয়ার দুঃখে রাতেই জারিন দিয়া নামের এক নেত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর ২৬ মে রাতে নবগঠিত কমিটির সবাইকে নিয়ে পরদিন ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। সেদিন দিবাগত রাত থেকে এখনো পর্যন্ত টানা অবস্থানে রয়েছেন পদবঞ্চিতরা। ৫ জুন ঈদুল ফিতরের দিনটিও তাঁরা সেখানেই কাটান। এর মধ্যে ২৮ মে দিবাগত রাতে কমিটির বিতর্কিত ১৯ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে যাঁদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করেনি ছাত্রলীগ। | null |
72b513328b | বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন বিনতা নন্দা। তিনি ছোট পর্দার স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং পরিচালক ও প্রযোজক। বড় পর্দায়ও কাজ করেছেন। অলোক নাথের স্ত্রী ছিলেন তাঁর ভালো বন্ধু। একসঙ্গে থিয়েটার করতেন। এ কারণে অলোক নাথের বাসায় তাঁর যাওয়া-আসা ছিল। গত ৮ অক্টোবর ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, অলোক নাথের বাসায় এক পার্টিতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। ঘটনাটি গত শতকে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি। গত ১৭ অক্টোবর মুম্বাই পুলিশের কাছে অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন বিনতা নন্দা। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বিনতা নন্দা লিখেছেন, 'অলোক নাথ মদ্যপ, অসভ্য আর বিরক্তিকর মানুষ। যেহেতু তিনি টেলিভিশনের জনপ্রিয় তারকা, তাই খারাপ কাজ, অপকর্ম, খারাপ ব্যবহার করেও তিনি সহজেই পার পেয়ে যান।' এত দিন পরে বিনতা নন্দা কেন এসব কথা বলছেন? আইএএনএসকে তিনি বলেন, '১৯ বছর ধরে এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেছি।' অভিযোগপত্রে বিনতা নন্দা আরও লিখেছেন, 'অলোক নাথের বাসার এক পার্টিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তখন তাঁর স্ত্রী ছিলেন শহরের বাইরে। সেদিন পার্টিতে আমার গ্লাসে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি যখন তাঁর বাসা থেকে বের হয়েছি, তখন রাত দুইটা। আমার সঙ্গে গাড়ি ছিল না। সেদিন কেউ আমাকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার জন্য বলেনি। রাস্তায় আমি একাই ছিলাম। হঠাৎ অলোক নাথ গাড়ি নিয়ে আসেন। তিনি আমাকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমিও তাঁকে বিশ্বাস করেছি। কিন্তু গাড়িতে ওঠার পর আমাকে জোর করে আরও মদ খাওয়ানো হয়। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরদিন ঘুম থেকে ওঠার পর আমার শরীরের নিচের অংশে খুব ব্যথা অনুভব করি। বুঝতে পারি, শুধু ধর্ষণ নয়, বর্বরতার শিকার হয়েছি আমি। ওই সময় বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না।' বিনতা নন্দার অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অলোক নাথ আর তাঁর অপকর্মের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কেউ কেউ তাঁকে 'সংস্কারি বাবুজি' বলে ব্যঙ্গ করেছেন। কারণ, পর্দায় তাঁকে সেভাবেই উপস্থাপন করা হয়। | null |
95d1471605 | পাকিস্তানে ঘুষ নিয়ে করোনার টিকা প্রয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন টিকাদানকেন্দ্রে নানা অনিয়মের অভিযোগে লাহোরের ১৮ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা লাহোর মেট্রোপলিটন করপোরেশনসহ স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা। গত সোমবার তাঁদের বরখাস্ত করে সিটি ডিস্ট্রিক্ট প্রশাসন। বেশির ভাগ অভিযোগ এসেছে লাহোরের পাকিস্তান কিডনি অ্যান্ড লিভার ইনস্টিটিউট এবং এক্সপো কেন্দ্রগুলো থেকে। ঘুষের দায়ে বরখাস্ত করা হয় ৯ জনকে। লাহোর কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ উসমান পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনকে বলেন, 'আমাদের অভিযোগের পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো। লাহোরের ডিসি জেলার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রশাসক। তিনি তদন্ত করিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ১৮ জনকে বরখাস্ত করেছেন।' মোহাম্মদ উসমান লাহোর মেট্রোপলিটন করপোরেশনের প্রধান। তিনি আরও বলেন, বরখাস্ত ব্যক্তিরা সবাই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের, লাহোর মেট্রোপলিটন করপোরেশনের কেউ নেই। তবে লাহোরের ডিসি বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলছেন, বরখাস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাস্থ্য, এমসিএলসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা রয়েছেন। ডিসি মুদাচ্ছির রিয়াজ মালিক সাংবাদিকদের বলেন, 'ওই কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে লোকজনকে টিকা দিচ্ছিলেন। বেশির ভাগ অভিযোগ এসেছে পাকিস্তান কিডনি অ্যান্ড লিভার ইনস্টিটিউট কেন্দ্র থেকে। কিছু এসেছে জোহার টাউনের এক্সপো সেন্টার থেকে। এ ঘটনা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।' ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারকে উদ্ধৃত করে আরি নিউজ জানায়, পাকিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ হাজার ৫৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের। | 3,367 |
6f6ecdfddf | রাজশাহী কলেজ:ক্যাম্পাসে 'ওয়াই-ফাই' প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবার উদ্বোধন, বেলা ১১টায়, কলেজ মিলনায়তনে। | null |
2a3fb4da10 | কান্না ধরে রাখতে পারছিলেন না সুরাইয়া বেগম। গতকাল মঙ্গলবার সজল চোখে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্বামীর নামে একটি সড়কের নামফলক উন্মোচন করলেন তিনি। নীলফামারীর সৈয়দপুর সেনানিবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী মো. ফজলুর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়।এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২২২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী মুরতজা খান। এ সময় সৈয়দপুর ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মোস্তফা, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শামসুদ্দিন, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল কামরুল ইসলাম, সৈয়দপুর সেনানিবাসের স্টেশন অফিসার মেজর শাহ্জাহান, ১৭৩ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কোম্পানির অধিনায়ক মেজর রহমান, শহীদ ফজলুর রহমানের ছোট ভাই স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মো. শামসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহীদ বুদ্ধিজীবী ফজলুর রহমান তৎকালীন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গৃহসংস্থান অধিদপ্তরের অধীন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে সৈয়দপুর সেনানিবাসের অবকাঠামো নির্মাণকাজে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল হানাদার বাহিনী সৈয়দপুর সেনানিবাসে সরকারি বাসভবনের সামনে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। | null |
75336b3b68 | ঘোষিত মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান এবং ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা করার দাবিতে আজ শনিবার সকাল থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আশুলিয়ার পোশাকশ্রমিকেরা। বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত দফায় দফায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আশুলিয়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয় । সংঘর্ষে আহত হন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ইকবাল বাহারসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি। শ্রমিকেরা ওই এলাকার কয়েকটি কারখানা, পুলিশের সাতটি গাড়িসহ অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে। আবদুল্লাহপুর বাইপাইল সড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। বেলা দুইটা থেকে এ সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী, শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা করার দাবিতে আজ সকাল আটটার দিকে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর ও জামগড়া এলাকার তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে কারখানা এলাকায় অবস্থান নেন। এ পরিস্থিতিতে মালিকেরা আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানায় আজ ছুটি ঘোষণার নোটিশ জারি করেন। কারখানা ছুটি ঘোষণার পর অনেক শ্রমিক বাসায় চলে গেলেও কিছু বিক্ষুব্ধ শ্রমিক আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে অন্য শ্রমিকেরা বিক্ষোভে যোগ দেন। পুলিশ সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরাতে জলকামান ব্যবহার ও লাঠিপেটা করে। শ্রমিকেরা পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ইকবাল বাহার, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামসহ অর্ধশতাধিক পুলিশ এবং অন্তত ১০০ শ্রমিক আহত হন। শ্রমিকেরা পুলিশের সাতটি গাড়িসহ অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা এনভয় গ্রুপ, শেখ ফ্যাশন লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর চালান। শ্রমিকেরা বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত আবদুল্লাহপুর বাইপাইল সড়ক অবরোধ করে রাখেন। বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশ শ্রমিকদের হটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর দুইটা থেকে এ সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। | null |
49c47240c7 | দীর্ঘ ১১ বছর পূর্ণ করল প্রাণ ফুডস ইউএই। এ উপলক্ষে সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় ইউয়ান হোটেলে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুবাই প্রাণ ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান মাহবুব, পরিচালক আহসান খান চৌধুরী, বিপণন ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম, দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনস্যুলার জেনারেল মাসুদুর রহমান, আরব আমিরাতে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মাহমুদ-উল হকসহ দুবাইয়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিগত বছরে সাফল্যের জন্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে। বিজ্ঞপ্তি। | null |
4c451683f4 | চট্টগ্রামে সোনা চোরাচালানের একটি মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদকের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এইচ এম আক্তারুজ্জামান গত বুধবার বিকেলে আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেন। আগামী রোববার অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে।দুদকের চট্টগ্রামের কোর্ট পরিদর্শক এমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগপত্রে সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। সাক্ষী রাখা হয়েছে ১২ জনকে। আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপকের তৎকালীন ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকসেদ, কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ট্রাফিক হেলপার কে এম নুরুদ্দীন, আনসার সদস্য মো. মাহফুজার রহমান, মো. শাহীন মিয়া ও মো. ইলিয়াছ উদ্দিন এবং চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী। আসামিদের মধ্যে প্রথম ছয়জন ঘটনার সময় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন।দুদক সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর বোয়ালখালীর পূর্ব গোমদণ্ডী গ্রামের আলাউদ্দিন চৌধুরী একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। সেদিন তিনি সঙ্গে থাকা দুটি লাগেজ বিমানবন্দরে ফেলে যান। পরদিন বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে লাগেজ দুটি ছাড়িয়ে নেন আলাউদ্দিন। ওই সময় বিমানবন্দরে লাগেজ দুটি স্ক্যান করে ২৫টি সোনার বার পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় সেদিন কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।দুদক সূত্র জানায়, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। পরের বছরের ৩১ ডিসেম্বর মোমেন মোকসেদ, আনিসুর রহমান ও আলাউদ্দিনকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় চোরাচালান আইনে মামলা করে দুদক। দুই বছর তদন্ত শেষে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এইচ এম আক্তারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সোনা চোরাচালানের ওই ঘটনার সঙ্গে সাতজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তিনি বলেন, সোনার বারগুলো বিদেশ থেকে বহন করে নিয়ে আসা আলাউদ্দিনকে ধরতে না পারায় সোনাগুলো বিদেশ থেকে কে পাঠিয়েছে, তা জানা যায়নি। এ ছাড়া চেষ্টা করেও সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। | null |
4fb8fac492 | চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তৌহিদুল আলমের পক্ষে গতকাল বুধবার গণসংযোগ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার। গণসংযোগের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় গোলাম আকবর বলেন, দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় পর্যন্ত গণসংযোগ করেন। এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা সভাপতি ইদ্রিচ মিয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সহসভাপতি এনামুল হকসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ:আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী হারুনুর রশিদের সমর্থনে গতকাল গণসংযোগ করেছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথক দুটি দল নয়টি ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন। | null |
60daf5c65c | যে পণ্য বা পরিষেবা এখন কার্যত বিনা পয়সায় হাতের মুঠোয়, মানুষ কি তা সত্যিই বিনা মূল্যে পাচ্ছে, নাকি তার দাম মেটাচ্ছে অন্য কেউ। এখন যা কিছু নামমাত্র বা বিনা মূল্যে পাওয়া যায়, তা কি চিরদিন এমনই থাকবে? সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মঞ্চে এমন প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন।রঘুরাম রাজনের মতে, কোনো কিছুই অনন্তকাল একেবারে নামমাত্র দামে কিংবা বিনা পয়সায় (ফ্রি) দিয়ে যাওয়া অসম্ভব। অথচ এ মুহূর্তে সারা বিশ্বে কার্যত বিনা পয়সায় অনেক পণ্য ও পরিষেবা মিলছে। অর্থনীতির তত্ত্ব বলে, কোনো সংস্থা একসঙ্গে বিপুল পরিমাণে পণ্য উৎপাদন করলে তার গড় খরচ কমে। গুগলের উদাহরণ টেনে রাজন বলেন, মূলত এই কৌশলে ভর করেই এখন ক্রেতা বা গ্রাহকদের অনেক সময়ে কার্যত বিনা পয়সায় পণ্য বা পরিষেবা দিতে পারছে বিভিন্ন সংস্থা।রাজনের প্রশ্ন, কোনো সংস্থা কি গাঁটের টাকা খরচ করে ক্রেতাকে দিনের পর দিন বিনা পয়সায় পণ্য জোগাবে? সে জন্য জানা দরকার, যে পণ্য বা পরিষেবা আপাতদৃষ্টিতে বিনা মূল্যে পাওয়া যায় বলে মনে হয়, তার দাম মেটাচ্ছেন কে বা কারা? এতে অনেকে আবার ফুলেফেঁপে উঠছে। তাঁর প্রশ্ন, এসব 'সুপারস্টার' সংস্থার সঙ্গে অন্য সংস্থাগুলো দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠবে তো? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আজকের বাস্তবতায় রাজনের তোলা প্রশ্নগুলো অসম্ভব তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতেই দেখা যাচ্ছে, মাশুলের গলাকাটা প্রতিযোগিতায় নাভিশ্বাস উঠেছে টেলিকম কোম্পানিগুলোর। টিকিটের দামে ছাড়ের প্রতিযোগিতায় নেমে সমস্যায় পড়ছে বিমান পরিবহন শিল্প। বিপুল বিক্রি সত্ত্বেও এখনো টানা লাভের মুখ দেখতে পারছে না অধিকাংশ ই-কমার্স সংস্থা। এতে বাজারে প্রতিযোগিতার ছন্দ কেটে যাচ্ছে। অনেকে বাজারে টিকতে পারছে না। সেই সুযোগে পণ্যের দাম বাড়ছে। অনেক সময় আবার প্রতিযোগিতায় টিকতে কর্মী ছাঁটাই করছে সংস্থাগুলো। | null |
5h2es61ghk | মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ৬০ নম্বর। এর মধ্যে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (ব্যাকরণ অংশ সহ) , ভাব-সম্প্রসারণ, অনুচ্ছেদ লিখন, অনুধাবন, সারাংশ ও সারমর্ম - থাকবে ১.দুটি শব্দ যখন ধ্বনিগত দিক থেকে একই রকম শোনায় কিন্তু অর্থের দিক থেকে ভিন্ন হয়, তখন একে কী বলে? উত্তর: সমশব্দ ২.'কৃতি'-এর সমশব্দ কী? উত্তর: কাজ ৩.যেসব শব্দ সমান বা একই শব্দ প্রকাশ করে তাকে কী বলে? উত্তর: সমার্থক শব্দ ৪.'শশাঙ্ক'-এর সমার্থক শব্দ কোনটি? উত্তর: চাঁদ ৫.সমার্থক শব্দের অপর নাম কী? উত্তর: প্রতিশব্দ ৬.'আকাশ'-এর প্রতিশব্দ কোনটি? উত্তর: গগন ৭.'বসুন্ধরা' শব্দটির প্রতিশব্দ কোনটি? উত্তর: পৃথিবী ৮.'গাল' শব্দের প্রতিশব্দ কী? উত্তর: কপোল ৯.'জল' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি? উত্তর: নীর ১০.'পাহাড়' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি? উত্তর: ভূধর মো. আফলাতুন,সহযোগী অধ্যাপক,ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী | null |
4d38692f50 | রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে কয়েক মাস ধরে মৃত্যু কমেছিল। তবে গত দুই দিন ধরে আবারও মৃত্যু বেড়েছে। করোনা ও করোনার উপসর্গে গত দুই দিনে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আজ বুধবার করোনা পজিটিভ কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টার মধ্যে তাঁরা মারা যান। তাঁদের মধ্যে করোনায় রাজশাহীর একজন এবং উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী ও নওগাঁর একজন করে মারা গেছেন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী ও নওগাঁর একজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া ওই ইউনিটে কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জের একজন করে রোগী মারা গেছেন। প্রথমে করোনা নিয়ে ভর্তি হলেও পরে তাঁদের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন নেগেটিভ আসে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী প্রথম আলোকে বলেন, করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দুই দিনে বেড়েছে। তবে এটা উদ্বেগজনক নয়। যাঁরা উপসর্গে মারা গেছেন, তাঁরা কেউ কেউ হার্টের সমস্যা নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসেছেন। তাঁদের সেভাবে পরীক্ষাও করা হয়নি। শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়নি। তবে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন একজন রোগী। ৩৪ শয্যার করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ছয়জন রোগী। এক দিন আগেও এ সংখ্যা ছিল ১০। বর্তমানে হাসপাতালে করোনা নিয়ে কোনো রোগী ভর্তি নেই। তবে সন্দেহভাজন করোনা রোগী আছেন পাঁচজন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে আরও একজন ভর্তি আছেন। এদিকে গতকাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে রাজশাহীর ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। | null |
ID_2299 | আজভ সাগর আজভ সাগর () ইউক্রেন ও রাশিয়ার দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি প্রায়-স্থলবেষ্টিত সাগর। এটি দক্ষিণে কের্চ প্রণালীর মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগরের সাথে সংযুক্ত। আজভ সাগর উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৩৪০ কিমি দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১৩৫ কিমি প্রশস্ত। এর আয়তন প্রায় ৩৭,৬০০ বর্গকিমি। দোন ও কুবান নামের বড় দুইটি নদী আজভ সাগরে পতিত হয়েছে। এছাড়াও মিউস, বের্দা, ওবিতোচনায়া এবং ইয়েয়া নদীগুলিও এখানে পতিত হয়েছে। আজভ সাগরের পশ্চিম প্রান্তে আরাবাত নামের একটি ৭০ মাইল দীর্ঘ প্রাকৃতিক বালুবাঁধ সাগরটিকে সিভাশ নামের জলা এলাকা থেকে পৃথক করেছে। সিভাশ ইউক্রেনীয় মূল ভূখণ্ড থেকে ক্রিমেয়া উপদ্বীপকে আলাদা করেছে। আজভ সাগরের গড় গভীরতা মাত্র ১৩ মিটার (৪৩ ফুট)। এটি তাই বিশ্বের সবচেয়ে অগভীর সাগর। দোন ও কুবান নদীর বয়ে আনা পলি নদীগুলির মোহনায় তাগানরোগ উপসাগরে জমা হওয়ায় সেখানে আজভ সাগরের গভীরতা মাত্র তিন ফুট বা তারও কম। আজভ সাগরের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব উপকূল পলিমাটিসমৃদ্ধ নিম্নভূমি। এগুলিতে বহু অগভীর উপসাগর ও লেগুন ও দীর্ঘ বালিয়াড়ি দেখতে পাওয়া যায়। সাগরের দক্ষিণ উপকূল তুলনামূলকভাবে উচ্চ এবং অমসৃণ। সমুদ্রের তলদেশ মূলত সমতল। আজভ সাগরের জলবায়ু মহাদেশীয় ও মৃদু প্রকৃতির। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বরফ পড়ে এবং গভীরতা ও লবণাক্ততা কম বলে সাগরের উত্তরাংশ মাঝে মাঝে জমে যায়। সাগরের পানি উপকূল ধরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘোরে। জোয়ারের উচ্চতা ১৮ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। বড় নদীগুলির মোহনায় পানি মিষ্টি। নদীর বয়ে আনা পুষ্টিকর জলজ খাদ্য সাগরটিকে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের এক বিরাট সমারোহে পরিণত করেছে। এখানে ৩০০রও বেশি জাতের অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং ৮০রও বেশি প্রজাতির মাছ বাস করে। মারিওপোল, ইয়েইস্ক ও বের্দিয়ান্স্ক এখানকার প্রধান বন্দর। | null |
6856656893 | উপকরণ:বেগুন ২টি, রুই মাছ ৫-৬ টুকরা, হলুদবাটা ১ চা-চামচ, মরিচবাটা ১চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৩-৪টি, টেলে নেওয়া জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, তেল প্রয়োজনমতো, পানি ১ কাপ।প্রণালি:মাছে হলুদ ও লবণ মেখে ভেজে তুলে রাখুন। বেগুন চাক চাক কেটে হলুদ ও লবণ মেখে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। কড়াইয়ে আরও কিছু তেল দিয়ে তাতে সব বাটা মসলা, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষা হলে তাতে এক কাপ পানি দিন। ফুটে উঠলে ভাজা মাছ ও ভাজা বেগুন দিন। প্রয়োজন হলে আরও আধা কাপ গরম পানি দিন। কাঁচা মরিচ ফালি ও ভাজা জিরার গুঁড়া দিন। একটু ঝোল রেখে নামিয়ে নিন। উপকরণ:মুরগির মাংস ১ কেজি, গোল আলু (তেলে ভাজা) ৬-৭ টুকরা, মরিচবাটা দেড় চা-চামচ, হলুদবাটা ১ চা-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচি ৩-৪টি, গরমমসলাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তাবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, লবণ স্বাদমতো, শর্ষের তেল আধা কাপ, গরম পানি প্রয়োজনমতো।প্রণালি:মাংস টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। হাঁড়িতে তেল গরম হলে দারুচিনি, এলাচি, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হলে এতে রসুন, আদা, মরিচ, হলুদ, জিরা, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে একটু কষিয়ে মাংস দিয়ে আবারও কষাতে হবে। অল্প অল্প করে গরম পানি দিয়ে কষিয়ে আলু দিতে হবে এবং দুই কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে জ্বাল দিতে হবে কিছুক্ষণ। মাংস সেদ্ধ হলে গরমমসলাবাটা, বেরেস্তাবাটা ও কাঁচা মরিচ দিন। মৃদু আঁচে কিছুক্ষণ চুলায় দমে রেখে নামিয়ে নিন। উপকরণ:চ্যাপা শুঁটকি ৫০ গ্রাম, ছাঁচি মিষ্টিকুমড়া ১ কাপ, বেগুন ১ কাপ, গাজর আধা কাপ, শিম আধা কাপ, টমেটো আধা কাপ, আলু ২টি (পছন্দমতো যেকোনো সবজি দেওয়া যেতে পারে, সব সবজি ধুয়ে ছোট ডুমো করে কেটে নিতে হবে), পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, রসুনকুচি ২ চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, শুকনা মরিচ ২টি, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, হলুদবাটা ১ চা-চামচ, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, নারকেলবাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল প্রয়োজনমতো।প্রণালি:চ্যাপা শুঁটকি তাওয়ায় টেলে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে বেটে নিন। সব সবজি ধুয়ে ছোট ডুমো করে কেটে তেলে ভেজে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে আধা কাপ পেঁয়াজকুচি এবং রসুন, আদা, তেজপাতা, লবণ, হলুদ ও চ্যাপা শুঁটকি দিয়ে নাড়ুন, মসলা কষানো হলে তাতে সবজি দিন এবং আধা কাপ পানি দিন। বেশি ঝাল খেতে চাইলে কাঁচা মরিচ ফালি করে দিন। ঝাল কম খেতে চাইলে আস্ত দিন। সবজি মাখামাখা হলে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, শুকনো মরিচ, আস্ত জিরা ও শর্ষের তেল দিয়ে ফোড়ন দিন। নামিয়ে গরম-গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। উপকরণ:লাউশাক ৩০০ গ্রাম, চিংড়ি ২ টেবিল চামচ, আতপ চালের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, নারকেলবাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, রসুনকুচি ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪-৫টি, হলুদবাটা আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।প্রণালি:শাক ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কুচি করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে রসুনকুচি, পেঁয়াজকুচি, চিংড়ি, নারকেলবাটা, হলুদবাটা লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন; কষানো হলে ১ কাপ পানি দিন। ফুটে উঠলে লাউশাক দিন। কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়ুন। সব মসলা মিশে গেলে এবং শাক সেদ্ধ হলে চালের গুঁড়া আধা কাপ পানিতে গুলে শাকের মধ্যে দিন। পরে গরম-গরম পরিবেশন করুন। উপকরণ:ছোট মাছ ৪০০ গ্রাম, শর্ষের তেল প্রয়োজনমতো, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮-১০ ফালি, শর্ষে বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ ও মরিচবাটা আধা চা-চামচ করে, টমেটোকুচি ১টি, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, কলাপাতা প্রয়োজনমতো।প্রণালি:সব উপকরণ দিয়ে মাছ মেখে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে ১০ মিনিট। মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে রান্না করুন। সব উপকরণ সেদ্ধ হলে মাছ একবার উল্টে দিন। কিছুক্ষণ চুলায় রেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। | null |
2375ef36cb | দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, আইনজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীরা আগামী ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার 'সংকটে বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক সংলাপে এ আহ্বান জানানো হয়। তাঁদের অনেকে বলেন, জাতীয় সংসদকে পুনরুজ্জীবিত করে দুই প্রধান দলের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছানো যেতে পারে। এরপর জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ওই সংলাপের আয়োজন করে। গুলশানের লেকশোর হোটেলে অনুষ্ঠিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রেহমান সোবহান বলেন, আসন্ন নির্বাচন চলমান সমস্যার গঠনমূলক সমাধান করবে না। সংবিধানের আওতায় এই সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান করা যেতে পারে। এ জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্য হতে হবে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, আজকের (গতকাল) আলোচনায় একটি বিষয় বুঝলাম, বেশির ভাগ বক্তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এ সংকট উত্তরণে দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে গুচ্ছ সমঝোতা করতে হবে। আবার সমঝোতা হলেও ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হলে কী হবে - সেটাও চিন্তার বিষয়। আরেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, '৫ জানুয়ারি নির্বাচন হলে এর আগে-পরে কোনো শান্তি আসবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই, গ্রহণযোগ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাই।' ৫ জানুয়ারি নির্বাচন স্থগিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক বলেন, বাইরের লোক ডেকে এনে নয়, দুই নেত্রীকেই সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে হবে। দুই নেত্রীকে বলব, দেশের স্বার্থে সমঝোতায় আসুন। সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন পেছানো যাবে। সময় আরও ৯০ দিন বাড়ানো যাবে। গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিন। 'ডেইলি স্টার'-এর সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, নির্বাচন বলতে যা বোঝায় সেই নির্বাচন হচ্ছে না। এটা সংবিধানের মূল চেতনায় হচ্ছে না। সংবিধানে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, সেই বিষয়ে আদালতের মতামত নেওয়া যায় কি না, কিংবা আইনগতভাবে আসন্ন নির্বাচন বাদ দেওয়া যায় কি না দেখতে হবে। তিনি মত দেন, আসন্ন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ একটি কলঙ্কময় দল হিসেবে চিহ্নিত হবে। তিনি মনে করেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হলে আরও প্রাণহানি হবে। প্রাণ বাঁচানোও সবার দায়িত্ব। সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান সংকট সমাধানে রাজনৈতিক নেতাদের ইচ্ছা কতটা কাজ করবে, সেটাই বড় কথা। তাই নাগরিক সমাজ চাপ দিতে পারবে কি না, সেটাও দেখা বিষয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, প্রহসনের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত। মানুষের জন্য এই সংবিধান। এটা কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয় যে পরিবর্তন করা যাবে না। মানুষের জন্য না হয় আরেকটা সংশোধনী আনা হোক। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতির স্বার্থে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বাতিল করা উচিত। কারণ, এ ধরনের নির্বাচনের পরিণতি ভালো হয় না। সহিংসতার রাজনীতি শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান ও আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জানান, দুই রাজনৈতিক দলই সংঘাতপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে দল ক্ষমতায় যায়, সেই দলই সর্বময় স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি নিয়ে আসে। সে জন্য দুর্নীতি ও দলবাজি বাড়ছে। | null |
fcb83eaf0f | রাজধানীর গুলিস্তানে আজ সোমবার দুপুরে নির্মাণাধীন একটি বহুতল মার্কেটের সপ্তম তলার লিফট বাসনোর ফাঁকা স্থান থেকে নিচে পড়ে আবুল হোসেন (৭০) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে বৃদ্ধ আবুল হোসেন গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সপ্তম তলায় হাত দিয়ে লিফট ফাঁকা করে উঁকি দিলে মাথা ঘুরে নিচে পড়ে যান। এ সময় লিফটটি নয়তলায় অবস্থান করছিল। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লিফটের স্থানের নিচতলায় নেমে আবুল হোসেনকে উদ্ধার করেন। এরপর তাঁকে অচেতন অবস্থায় বেলা সোয়া একটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্সের সার্জেন্ট সরদার বুলবুল আহমেদ জানান, আবুল হোসেন লিফটের দরজা লাগানো দেখতে পেয়ে দুই হাত দিয়ে টেনে তা ফাঁকা করে উঁকি দেন। এ সময় শপিং কমপ্লেক্সের একজন কর্মচারী পেছন থেকে পাঞ্জাবি টেনে ধরলে এর কিছু অংশ ছিঁড়ে তাঁর হাতে থেকে গেলেও আবুল নিচে পড়ে যান।পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হোসেন পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীর ১৫, কবিরাজ গলিতে থাকতেন। গতকাল সকালে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। | null |
15cd1dcac0 | নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ঝুটের দাবিতে (পরিত্যক্ত কাটা কাপড়) একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে মাসদাইর গাবতলী টাগারপাড় এলাকার দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় র্যা ব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।কে অ্যান্ড জেড পোশাক কারখানার স্বত্বাধিকারী ও বিকেএমইএর সাবেক পরিচালক জাকারিয়া মঞ্জু জানান, গতকাল বিকেলে গাবতলীর ছাত্রলীগের নেতা মিঠু হত্যা মামলার আসামি নবীর হোসেনের ছেলে জনি, জিলানীর ছেলে উজ্জ্বল, রফিকসহ কয়েক সন্ত্রাসী তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসে ঝুট দাবি করে। কিন্তু কারখানার উৎপাদন কর্মকর্তা (পিএম) তাদের মালিকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কিন্তু তারা এখনই তাদের ঝুট দিতে হবে বলে পিএমকে শাসাতে থাকে। পিএম বিষয়টি তাঁকে অবহিত করলে তিনি পুলিশ প্রশাসন ও বিকেএমইএর সভাপতি সাংসদ সেলিম ওসমানকে জানান। এ সময় সন্ত্রাসীরা কারখানা থেকে নেমে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা প্রহরীকে এলোপাতাড়ি পেটায়। পরে পুলিশ ও র্যা ব এসে কারখানাটি ঘিরে ফেলে আজিমুল নামের এক সন্ত্রাসীকে হাতেনাতে আটক করে নিয়ে যায়। অন্যরা কারখানার দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়। পরে র্যা ব-পুলিশ চলে গেলে সন্ধ্যায় জনি, রফিক ও উজ্জ্বলের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আবার কারখানায় হামলা চালায়। এ সময় ভয়ে ও আতঙ্কে নিরাপত্তা প্রহরীরা কারখানার গেট বন্ধ করে দেন। পরে সন্ত্রাসীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানার জানালার কাচ ভাঙচুর করে।জাকারিয়া মঞ্জু বলেন, 'হামলার বিষয়টি জানাতে আমি পুলিশ ও র্যা বকে ফোন দিই। পুলিশ ও র্যা ব পুনরায় এসে লোহার রড ও দেশি অস্ত্রশস্ত্রসহ হাতেনাতে তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে।'ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঝুট না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন: আজিমুল (২২), জাহিদুল ইসলাম (৩৫), মিলন (২০) ও ওয়ারেশ মোল্লা (৩৬)। | null |
14f24efea2 | মিয়ানমারের বাগো শহরে গতকাল শুক্রবার রাত থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর চরম দমন-পীড়ন শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। চলে শনিবার বিকেল অবধি। এ সময় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর রাইফেল গ্রেনেড ছোড়া হয়। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮২ বিক্ষোভকারী। অধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। আজ শনিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুন থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে বাগো শহরের অবস্থান। শুক্রবার রাতে হঠাৎ উত্তাল হয়ে ওঠে শহরটি। নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতদের মরদেহ সেনাবাহিনীর ট্রাকে করে স্থানীয় জেয়ার মুনি প্যাগোডায় নিয়ে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়। এ কারণে হতাহতের সংখ্যা এখনো সুস্পষ্ট নয়। তবে এএপিপি ও দেশটির গণমাধ্যম মিয়ানমার নাও জানিয়েছে, গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮২ জন। বিক্ষোভকারী ইয়ে হুতুত বলেন, 'তারা (নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা) প্রতিটি ছায়া লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। এটা গণহত্যার শামিল।' সংঘর্ষের ঘটনায় শহর ছাড়তে শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই আশপাশের গ্রামগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাগো শহরে সংঘাত ও হতাহতের বিষয়ে জানতে জান্তা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থান রক্তপাতহীন হলেও এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দেশটির রাজপথে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে রক্ত ঝরেছে। শুক্রবার এএপিপি জানিয়েছিল, দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভে জান্তা সেনা-পুলিশের গুলিতে শিশুসহ অন্তত ৬১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বাগোতে নিহতের সংখ্যা যোগ হলে তা ৭০০ ছাড়িয়ে যাবে। তবে নিহতের এ সংখ্যা স্বীকার করেনি জান্তা সরকার। গতকাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাউ মিন তুন রাজধানী নেপিডোতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি বলেন, চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৪৮ জন 'সহিংস সন্ত্রাসী' ও ১৬ পুলিশ মারা গেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটেনি। জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে মিয়ানমারের স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র দলগুলোর অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। গতকাল দেশটির শান রাজ্যে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি সশস্ত্র দলের সদস্যরা সম্মিলিতভাবে পুলিশ স্টেশনে হামলা চালান। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান রাজ্যের নাউংমন পুলিশ স্টেশনে হামলায় ১০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে শান নিউজ। তবে শিউ ফি মাইআই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, নিহত পুলিশের সংখ্যা ১৪। এর আগে গত ২৭ মার্চ মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) থাইল্যান্ডের সীমান্তসংলগ্ন একটি সীমান্তচৌকিতে হামলা চালিয়ে ১০ সেনাকে হত্যা করে। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে কারেন রাজ্যের দুটো গ্রামে বিমান হামলা চালায় জান্তা। এতে নিহত হন অন্তত দুজন। নিজ দেশের জনগণের ওপর জান্তা সরকারের রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের প্রতিনিধি খাউ মোয়ে তুন। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি পরিষদের প্রতি মিয়ানমারে নো ফ্লাই জোন গঠন, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ, সেনা কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দেন। এ সময় তিনি বলেন, 'দ্রুত আপনাদের কঠোর ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে। দয়া করে কিছু করুন।' তবে মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদ কতটা কঠোর হতে পারবে, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা, কঠোর উদ্যোগ নিতে হলে স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়ার সমর্থন প্রয়োজন হবে। দেশ দুটি জান্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো বড় কোনো পদক্ষেপ আটকে দেবে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছে। | 1,484 |
58d3bebe4f | এশিয়ার আটটি দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও বিনিময়ের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক উচ্চ পরিষদের সভা। এবারের আসরে দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ওষুধ প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দিচ্ছে। দুই দিনের আলোচনায় প্রযুক্তিগত সহায়তাবিষয়ক কয়েকটি চুক্তিও সই হবে।রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে গতকাল বুধবার সকালে 'ডি-৮ টেকনোলজি ট্রান্সফার অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম নেটওয়ার্ক (ডি-৮ টিটিইএন)' শীর্ষক এই সভার উদ্বোধন করা হয়। এবারের চতুর্থতম এ আসরের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ।ডি-৮ টিটিইএনভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, মিসর, তুরস্ক, ইরান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। সভার কর্মসূচিতে দেশগুলোর প্রযুক্তিবিষয়ক সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া সভায় সংস্থাটির পরবর্তী আলোচ্যসূচি ঠিক করা হবে।সভার উদ্বোধন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, 'বিশ্ববাজারে গার্মেন্টস ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বাংলাদেশ অনেক সুনাম অর্জন করেছে। এই সভা থেকে আমাদের প্রযুক্তিগত সহায়তার পরবর্তী দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।' | null |
46288db051 | নির্বাচনের আগে থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছেন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে তিনি দেয়াল নির্মাণ করবেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্বাচিত হলে তিনি ওই দেয়াল নির্মাণ করবেনই। ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিন পরই বলেছেন, ওই দেয়াল নির্মাণের ব্যয় মেক্সিকোকেই দিতে হবে। এখন ওই কাঁটাতারের বেড়া ও দেয়াল নির্মাণে কত দিন সময় লাগবে এবং এই বিশাল কর্মযজ্ঞে কত অর্থ ব্যয় হবে তার হিসাব দিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জুলিয়া এডওয়ার্ড অ্যাইনসলের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত 'দেয়াল' নির্মিত হবে কাঁটাতারের বেড়া ও দেয়ালের সমন্বয়ে। আর এতে খরচ হবে ২ হাজার ১৬০ কোটি ডলার। এই দেয়াল নির্মাণে সময় লাগতে পারে সাড়ে তিন বছরের মতো। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে গতকাল বৃহস্পতিবার এমন অনুমান করা হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওই অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে দেয়াল নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ট্রাম্পের দাবির চেয়ে অনেক বেশি। নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেছিলেন, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে ব্যয় হবে ১২ বিলিয়ন ডলার। হাউস স্পিকার পল রায়ান ও সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছিলেন, এতে ১৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে। খুব শিগগিরই এই প্রতিবেদনটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের প্রধান জন কেলিকে দেওয়া হবে। তবে এ প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ীই যে দেয়াল নির্মিত হতে হবে, তা কিন্তু নয়। ওই পরিকল্পনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ হাজার ২৫০ মাইলের (২০০০ কিলোমিটার) এই দেয়াল পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে নির্মাণ করে সীমান্ত সিল করা হবে। এই পুরো নির্মাণকাজ শেষ করতে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত লেগে যাবে।মেক্সিকো সীমান্তে ৬৫৪ মাইল (১০৪৬ কিলোমিটার মি) ইতিমধ্যে শক্তিশালী বেড়া-দেয়াল আছে। নতুন এই দেয়াল নির্মিত হলো পুরো সীমান্ত সিল করা যাবে। তবে এ ব্যাপারে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একজন মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ওই প্রতিবেদনের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, যেহেতু প্রতিবেদনটি এখনো প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছায়নি, তাই এ ব্যাপারে এখন মন্তব্য করার কোনো সময় আসেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে দেয়ালটি ছোট হবে। ২৬ মাইল বা ৪২ কিলোমিটারের ওই দেয়াল ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো থেকে টেক্সাসের এল পাসো হয়ে টেক্সাসের রিও গ্র্যান্ড ভ্যালি পর্যন্ত তৈরি করা হবে। প্রতিবেদনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট অনুমান করেছে, আগামী এপ্রিল বা মে মাসে কংগ্রেস থেকে তহবিল পেতে পারে। এরপরই ঠিকাদার নিয়োগ করে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। ট্রাম্প এর আগে বলেছেন, দেয়াল নির্মাণে কংগ্রেসের অনুমোদন দেওয়া উচিত। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে মেক্সিকোকে। তবে মেক্সিকো বলে দিয়েছে, তারা এর জন্য কোনো অর্থ পরিশোধ করবে না। দেশটির প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। সীমান্তে ১৮ ফুট উঁচু ইস্পাতের বেড়া রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যকার সীমান্ত প্রায় ১ হাজার ৯০০ মাইল। যার মধ্যে অনেক এলাকা খালি, ধুলোময় মরুভূমি, ঘন সবুজ ঝোপঝাড়, রিও গ্রেনেড নদীকে ঘিরে উঁচু-নিচু পথ। তবে দীর্ঘ এই সীমান্তের মধ্যে এখন প্রায় ৬৫০ মাইল জায়গায় ছাড়া ছাড়া অবস্থায় বেড়া দেওয়া আছে। কোথাও কোথাও আবার কংক্রিটের স্ল্যাব ও অন্যান্য অবকাঠামো দিয়ে ঘেরা। ট্রাম্প বলেছেন, এক হাজার মাইলজুড়ে হবে এ দেয়াল। আর বাকিটা প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে নিরাপদ থাকবে। নিউইয়র্কভিত্তিক স্ট্রাকচারাল প্রকৌশলী আলী এফ রুজখান ন্যাশনাল মেমো নামের একটি আর্টিকেলে লিখেছেন, দেয়াল হিসেবে অবশ্যই কংক্রিট বেশি জুতসই। ট্রাম্পের মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১ হাজার ৯০০ মাইল দেয়াল করতে হলে প্রায় ৩৩৯ মিলিয়ন কিউবিক ফুট কংক্রিট লাগবে, যা হোভার বাঁধ তৈরির সময় লাগা কংক্রিটের তিন গুণ। রুজখান এই হিসাব করেছেন দেয়ালটিকে মাটির নিচে ৫ ফুট আর ওপরে ২০ ফুট হিসাব করে। কিন্তু ট্রাম্পের হিসাবে দেয়ালের উচ্চতা ৩০ ফুট থেকে ৫৫ ফুট হতে পারে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। আর এটি যদি হয়, তাহলে কংক্রিটের পরিমাণ আরও ব্যাপক হারে বাড়বে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে পরিবহন খরচ, নির্মাণকর্মীদের খরচসহ নানা ধরনের ব্যয়। আরও পড়ুনট্রাম্পের দেয়াল নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরেই বিরোধিতা মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের দেয়াল কতটা বাস্তবসম্মত? | null |
2b26339a24 | বাগ্বিতণ্ডার জেরে একজন বাসযাত্রীকে মারধর করে চলন্ত গাড়ির নিচে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাসচালক ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গতকাল রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।নিহত যাত্রীর নাম আবদুল আউয়াল (৩২)। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের হুমায়ুন কবীরের ছেলে। পরিবার সূত্র জানায়, আউয়ালের দাদি খায়রুন নেছা গত শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান। তাঁর জানাজায় যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে আউয়াল তাঁর ছোট ভাই আল-আমিন, ছোট বোন ফরিদা আক্তার, ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলাম ও ভাগনি কুলসুম আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে লক্ষ্মীপুরগামী একটি লোকাল বাসে চড়ে রওনা হন। গাড়িটি বিভিন্ন জায়গায় থেমে ধীরে ধীরে চলার কারণে আউয়াল তাঁর দাদির জানাজায় অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে চালক ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে তিনি বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।আউয়ালের ছোট বোন ফরিদা আক্তার অভিযোগ করেন, বাসটি বাউশিয়ায় পৌঁছানোর পর চালক অন্য প্রায় ১৫ জন যাত্রীকে নামিয়ে গাড়িটি ফাঁকা একটি জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে তিনি সহযোগীদের নিয়ে আউয়ালসহ পাঁচজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফরিদার অভিযোগ, বেদম মারধরের একপর্যায়ে আউয়ালকে রাস্তায় চলন্ত একটি গাড়ির নিচে ফেলে দেওয়া হয়।পরিবার জানিয়েছে, পরে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আউয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, তাঁরা ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।আউয়ালের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, তাঁর স্বামী ঢাকার মুগদাপাড়ায় একটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালাতেন। তাঁদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।অভিযুক্ত গাড়িচালক ও তাঁর সহযোগীদের পরিচয় গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেদায়েতুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জানার পর মামলা নেওয়া হবে। | null |
316a45aea1 | দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা থাকলেও ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে কোচিং করতে পারেন না। একই শহরে বসবাস করেও দূরত্ব বা আর্থিক সমস্যার কারণে কোচিং করতে পারেন না অনেকে। খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে অনলাইনে পড়ার সুযোগ দিতে আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে মৌচাক ডটকম (www.mouchak.com)। এই ওয়েবসাইটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অনলাইনে সরাসরি ক্লাস নিতে পারবেন। এতে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই অনলাইন ক্লাস শুরু করা যায়। ফলে প্রযুক্তি বিষয়ে ধারণা কম থাকলেও সহজে অনলাইন ক্লাস নেওয়া যাবে। 'আপনার সাফল্যে আমরা আর হাজারো শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণায় আপনি' স্লোগানে যাত্রা শুরু করা মৌচাকে যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা নিজেদের পছন্দমতো সময়ে ক্লাস নিতে পারবেন। শিক্ষার্থীরাও ঘরে বসে নিজেদের পছন্দমতো শিক্ষকের কাছে ক্লাস করতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, এতে থাকা মডেল টেস্ট এবং কুইজে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন ব্যাংকও ব্যবহার করতে পারবেন। মৌচাকে শিক্ষকেরা নিজেদের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কোর্স কারিকুলাম তৈরি করে ক্লাস করাতে পারবেন। অনলাইনে পরীক্ষাও নিতে পারবেন। হয়ে যাওয়া পরীক্ষার উত্তরপত্র পিডিএফ ফরম্যাটে জমা হবে শিক্ষকদের কাছে। ফলে পরীক্ষার খাতায় নম্বর ও মতামতও দেওয়া যাবে। চাইলে পরীক্ষার ফলাফল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সঙ্গে ই-মেইল ও বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগও করতে পারবেন শিক্ষকেরা। ফলে সশরীর কোচিং করানোর মতোই অনলাইন ক্লাসের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে শিক্ষকদের কাছে। মৌচাক ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আওলাদ হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিক্ষকদের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সুযোগ দিতে যাত্রা শুরু করেছে মৌচাক। যেকোনো বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকেরা প্ল্যাটফর্মটি কাজে লাগিয়ে বিনা মূল্যে বা অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। শিক্ষার্থীরাও তাঁদের প্রয়োজনমতো এক বা একাধিক বিষয়ে বিনা মূল্যে বা অর্থের বিনিময়ে ক্লাস করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ সরাসরি পাবেন শিক্ষকেরা। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুপাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবে ওয়েবসাইটটি। খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয় শিক্ষকদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সুযোগ দিতে কোর্স ডিজাইন, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ভিডিও ডকুমেন্টেশনের পাশাপাশি স্টুডিও ব্যবহারসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে। | 9,435 |
587d217611 | মোহাম্মদ নয়ন বারবার ফোন দিচ্ছিলেন আনসার কনস্টেবল আনোয়ারকে। আনোয়ার ফোন ধরেননি। অথচ তিনি নয়নকে বলেছিলেন, গত বৃহস্পতিবার তাঁর দুই ভাগনির পাসপোর্ট বুঝিয়ে দেবেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর পাসপোর্ট অফিসে দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর নয়ন জানান, আনসারের আনোয়ার দুই ভাগনির পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার জন্য ১৫ হাজার টাকা নেন। ১০ দিন আগে পাসপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পাননি। যাত্রাবাড়ীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নয়নের অভিযোগ অস্বীকার করেননি আনোয়ার। তাঁর দাবি, পাসপোর্ট করার জন্য এক লোক নয়নকে সাহায্য করতে বলায় তাঁকে সাহায্য করেন। পাসপোর্ট করার জন্য অনেক খরচ আছে। সেই খরচের জন্য টাকা নেন। আনোয়ারের মতো যাত্রাবাড়ীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এক শক্তিশালী দালাল চক্রের সিন্ডিকেট রয়েছে। দালালের খপ্পরে পড়া নয়নের মতো বেশ কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে, যাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে এই দালাল চক্র। গত বুধবার যাত্রাবাড়ীর পাসপোর্ট অফিস ঘুরে মিলেছে এসব তথ্য। সোমবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, পাসপোর্ট করতে গিয়ে সেবাগ্রহীতারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হন পুলিশি ছাড়পত্রের (ভেরিফিকেশন) ক্ষেত্রে। পুলিশি তদন্তে সেবাগ্রহীতাদের ৭৬ দশমিক ২ শতাংশ অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন এবং ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ সেবাগ্রহীতাকে পুলিশকে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে হয়েছে। রায়েরবাগের মুজাহিদনগরের একটি ভাড়া বাসায় চলছে এই পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে আধা কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। ছোট্ট গলির রাস্তা দিয়ে সেখানে যেতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাসপোর্ট অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, আবাসিক এলাকার মধ্যে অফিস হওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন দালাল নিয়মিত অফিসে আসেন। লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাসপোর্ট করিয়ে দেন। এঁদের কিছু বলতে গেলেও বিপদ। কুমিল্লার সাইফুল ইসলাম ঢাকায় টিউশনি করে পড়াশোনা চালাচ্ছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তিনি। এক মাসের মধ্যে পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার কথা বলে জামান নামের পাসপোর্ট অফিসের এক দালাল তাঁর কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা নেন। ১৫ দিন আগে তাঁর পাসপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার আসেন পাসপোর্ট নিতে। দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকায় পর অফিসের পাসপোর্ট বিতরণ শাখা থেকে তাঁকে বলা হয়, পাসপোর্ট এখনো তৈরি হয়নি। ক্ষুব্ধ সাইফুল প্রথম আলোকে বলেন, জীবনে আগে কোনো দিন পাসপোর্ট অফিসে আসেননি। দালাল জামান টাকা খেল, কিন্তু পাসপোর্ট দিচ্ছেন না। ভেরিফিকেশনের (ছাড়পত্র) জন্য ওয়ারী থানার এসআই হারুন অর রশীদ নিলেন ৫০০ টাকা। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ি থেকে আলমগীর নামের এক পুলিশ টাকা নিয়েছে ১ হাজার। সাইফুলের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওয়ারী থানার এসআই হারুন অর রশীদ বলেন, কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলে নেন। জোর করে কারও কাছ থেকে টাকা নেন না। নয়ন ও সাইফুলের মতো পাসপোর্ট নিতে আরও ১০ ব্যক্তি প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, প্রত্যেককে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। নিয়ম হলো, যে ব্যক্তি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন তাঁকে সশরীরে হাজির হয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। অথচ দেখা গেল এর উল্টো চিত্র। একেকজন দালাল চার থেকে পাঁচটি করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করছেন। এসব পাসপোর্ট দিচ্ছেন অফিসের সুইপার অজয়। পাসপোর্ট করতে আসা কয়েকজন অভিযোগ করলেন, আনসার সদস্য আনোয়ার, হামিদসহ আরও চারজন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন, যাঁরা পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে থাকেন। সুইপারের পাসপোর্ট বিতরণ ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, দালালের দৌরাত্ম্য যে আছে, তা অস্বীকার করব না। আবাসিক এলাকায় অফিস হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের নেতৃত্বে দালাল চক্র আছে। তাদের ঠেকাতে তৎপর থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আনসার সদস্যদের কেউ দালাল হিসেবে কাজ করছেন কি না, তা তিনি জানেন না। যাত্রাবাড়ীর পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বপালনকারী আনসার-পুলিশ, অফিসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল সিন্ডিকেট সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ আদায় করছে। ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা আদায় করছে পুলিশ। এই দুর্নীতি ঠেকাতে হলে পাসপোর্ট অফিসের এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন। এখন যাঁদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তাঁদের পাসপোর্ট করার জন্য পুলিশের কোনো ভেরিফিকেশনের দরকার নেই। যাঁদের স্মার্টকার্ড নেই, তাঁদের জন্মসনদ নিয়ে পাসপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। | null |
239724a26f | নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়ে তাঁর হাসির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি দিয়াদের বাসায় যান। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন। শাজাহান খান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী তাঁকে বলেন, তিনি অন্য একটি প্রসঙ্গে হেসেছিলেন। তখনো জানতেন না সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পরে সাংবাদিকেরা বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর হাসিতে সবাই দুঃখ পেয়েছে জেনে তিনি আগেই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এখন নিজে এসে তাঁদের পরিবারের কাছেও ক্ষমা চান। জাহাঙ্গীর নৌপরিবহনমন্ত্রীকে বলেছেন, যা-ই হোক না কেন, তিনি সড়কে নিরাপত্তা চান। তিনি চান তাঁর মেয়ের অছিলায় হলেও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হোক। অদক্ষ চালকদের হাতে আর স্টিয়ারিং না থাকুক। তাঁর মেয়ে অন্যদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। শুধু চালকের খামখেয়ালির কারণে তাঁর মেয়েটা মারা গেছে। গত রোববার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর নামের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নিহত হয়। ঘটনার দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের হাসিমুখে প্রতিক্রিয়া জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। | null |
2bf4db65fd | গত সপ্তাহে টুইটারে ১০ মিলিয়ন টুইটার অনুসারী পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বলিউডের অভিনেত্রী, গায়িকা ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এবার 'কৃশ' তারকা হৃতিক রোশনের উচ্ছ্বাস প্রকাশের পালা। কারণ, প্রিয়াঙ্কার পর গতকাল শনিবার ১০ মিলিয়ন টুইটার অনুসারীর মাইলফলক স্পর্শ করেছেন হৃতিক।এত বিপুলসংখ্যক টুইটার অনুসারী পেয়ে দারুণ খুশি হৃতিক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল বিকেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন হৃতিক। লেখেন, 'আমি ১০ মিলিয়ন অতিক্রম করেছি। এইমাত্র বুঝলাম। কী চমৎকার! ধন্যবাদ সবাইকে। আপনারা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। নিজের সেরা কাজ উপহার দেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণও আপনারা।' এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে পিটিআই।বলিউডের তারকাদের মধ্যে বর্তমানে টুইটারে রাজত্ব করছেন 'শাহেনশা' তারকা অমিতাভ বচ্চন। সবচেয়ে বেশি টুইটার অনুসারী রয়েছে তাঁর দখলে। এই মুহূর্তে অমিতাভের টুইটার অনুসারীর সংখ্যা ১৫.৫ মিলিয়ন। আর ১৩.৮ মিলিয়ন টুইটার অনুসারী নিয়ে অমিতাভের পরেই আছেন 'বলিউড বাদশাহ' শাহরুখ খান। | null |
27e5698857 | বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আজ সোমবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় হাইকমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জাগদ্বীপ সিং চিমা। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতের হাইকমিশনার সেনাসদরে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন এবং কিছু সময় অতিবাহিত করেন। হাইকমিশনার দোরাইস্বামী সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করায় জেনারেল শফিউদ্দিনকে অভিনন্দন জানান। সেনাবাহিনীর প্রধান তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেনারেল শফিউদ্দিন। | 877 |
3337bb57f2 | নিরুদ্দেশের পর বুড়িগঙ্গা থেকে ব্যবসায়ী মো. হাসান খালেদের (৫৪) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত হাসান খালেদের ছোট ভাই মুরাদ হাসান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়েছে। ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করা হয়। অজ্ঞাত কেউ হাসান খালেদকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করেছিল বলে এজাহারে সন্দেহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২ জুলাই রাতে মামলাটি নথিভুক্ত হয়। পরদিন ডিএমপি কমিশনার অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহারে গতকাল মামলাটি বুঝে পেয়েছেন বলে ডিবি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেওয়াজ উদ্দিন জানিয়েছেন। ডাচ্-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাসান খালেদ গত ২৩ জুলাই সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁর ধানমন্ডির ৪/এ নম্বর সড়কের বাসা থেকে বের হন। এরপর তাঁর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ওই দিন রাতে হাসান খালেদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ২৬ জুলাই কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানার মাঝামাঝি খোলামোড়া ঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে হাসান খালেদের লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, হাসান খালেদ নিখোঁজ হওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে দুটি মুঠোফোন ছিল। ধানমন্ডি থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে বাসার সামনেই হাসান খালেদের মুঠোফোন দুটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি কোথায় গেছেন তা আর শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ হাসান খালেদের মুঠোফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করেও সন্দেহজনক কোনো তথ্য পায়নি। তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী হাসান খালেদ স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে ধানমন্ডিতে থাকতেন। নিউ ইস্কাটনে ব্যবসায়িক কার্যালয় ও বসুন্ধরা সিটিতে তাঁর একটি পোশাক বিক্রির দোকান আছে। মুরাদ হাসান বলেন, 'কেউ তাঁকে অপহরণের পর হত্যা করেছে বলে আমরা ধারণা করছি।' | null |
7f059a5473 | সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড় শ শিক্ষার্থী 'জুলুম ও নির্যাতনবিরোধী ছাত্রসমাজ' ব্যানারে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেছে।কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো: শর্ট সেমিস্টার চালু, ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদের ১৫তম ব্যাচের দ্বিতীয় লেভেলের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন, তিন শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার, ৩৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ছাত্ররাজনীতি পুনরায় চালু করা।মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আফরাদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ-আল মামুন, ঋত্বিক দেব, মাহফুজুল হক, চন্দন, ধ্রুব জ্যোতি, শামীম মোল্লা, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক হোসাইন প্রমুখ।মানববন্ধন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিথ্যা অভিযোগে নিরীহ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে এবং ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না - এমন শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের আক্রোশ মেটানোর উদ্দেশে মামলা দায়ের করেছে। এটা অন্যায়। আমরা এসব বহিষ্কার আদেশ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ শিগগিরই শর্ট সেমিস্টার চালুর দাবি জানাচ্ছি।'উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদের ১৫তম ব্যাচের দ্বিতীয় লেভেলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মীসহ নয়জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হন। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ হতে না পেরে ওই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী ওই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটান। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২২ জানুয়ারি ৩৬ শিক্ষার্থীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি ২৩ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধসহ তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। প্রশাসনের নেওয়া এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র ধর্মঘট ও ক্যাম্পাসের বাইরে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। | null |
6ca53e9e19 | গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের সময় দিয়ে যত্ন নিতে হবে। পাশাপাশি মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রবীণ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠিয়ে তাঁদের প্রতিদিন কিছু সময় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার অব সোশ্যাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএসইআরএফ)।ধানমন্ডিতে নজরুল ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে গতকাল বুধবার বিকেলে প্রবীণদের মর্যাদা ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'গুরুজন আসর' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, সমাজে একটা ভাঙন ধরেছে। তাই মানুষ ব্যক্তি উন্নয়নে মন দিয়ে পরিবারকে ভুলে যাচ্ছে। তিনি পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠানোর আহ্বান জানান। সভায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সৈয়দ জাবের মাহমুদ প্রবীণদের বিভিন্ন মানসিক রোগের সমস্যা ও এর উত্তরণে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেন। সভায় সিএসইআরএফের সভাপতি প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার, নির্বাহী পরিচালক সাবিনা সিদ্দিক বক্তব্য দেন। | null |
2a6b906257 | একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। তিনি বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল জঙ্গলের শাসনের চেয়েও খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এম কে আনোয়ার এ কথা বলেন।জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশের কাছে দেওয়া ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দিকে তাঁদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার যে আদেশ ট্রাইব্যুনাল দিয়েছেন, তার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা এ কথা বলেন।'বাংলাদেশ: চতুর্মুখী আগ্রাসনে অতিষ্ঠ জনপদ' শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম কে আনোয়ার দাবি করেন, ট্রাইব্যুনাল যে পদ্ধতিতে বিচার করছেন, তাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হয়নি। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দি সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে গ্রহণ করার যে আদেশ আদালত দিয়েছেন, তা প্রাগৈতিহাসিক। এটি আইনের শাসন নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'কেন এত টালবাহানা? তার চেয়ে পল্টনে নিয়ে ফাঁসি দিয়ে দেন!'বিএনপির নেতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, 'বিএনপির নেতারা প্রায়ই বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধের চাই, কিন্তু তা হতে হবে স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু বিচার আন্তর্জাতিক মানের ও স্বচ্ছ হচ্ছে কি না, তা কি আপনারা দেখছেন? না দেখলে কবে দেখবেন, ওনারা মারা গেলে দেখবেন?' | null |
65c4f409e5 | বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাত বছর কারাদণ্ডের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা পুলিশি বাধায় করতে পারেনি জয়পুরহাট জেলা বিএনপি। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অনুমতি না নেওয়ায় বিএনপির এ কর্মসূচি পালনে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এদিকে একই ইস্যুতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপি।জয়পুরহাট জেলা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের রেলঘুমটি এলাকার বিএনপির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কিন্তু মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের ১০ গজ পেরোতে না-পেরোতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলে বাধা দেয়। এতে মিছিল আর সামনে এগোতে পারেনি। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সেখানে বক্তব্য দেন জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান। জয়পুরহাট সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পূর্বানুমতি না নেওয়ায় তাদের নিষেধ করা হয়েছে। | null |
6e45e2bb31 | এবারের আইপিএলের শুরুটা ভালোই হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারানোর পর থেকেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে দলটি। পরের ছয় ম্যাচে মাত্র একবারই হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পেরেছে দলটি। এমনই অবস্থা যে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং - সবকিছু নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে। কলকাতার দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, উঠেছে বোলারদের ধার নিয়ে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দলের ব্যাটিং নিয়ে।এবারের আইপিএলের অর্ধেক মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। প্রথম সাত ম্যাচে কলকাতাকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচের পর থেকে প্রতি ম্যাচেই ইনিংসের কোনো না পর্যায়ে ধস নেমেছে কলকাতা ইনিংসে। আর প্রায় প্রতি ম্যাচেই ধীরগতিতে শুরু করেছে দল। এরই মূল্য চুকিয়েছে একের এক পর ম্যাচ হেরে। গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে আরও একবার উড়ে গেছে কলকাতার ব্যাটিং। নিজের দলের ব্যাটসম্যানদের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠেছেন কলকাতার কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। পাওয়ার-প্লের সুবিধা নিতে পারছে না বলে বিরক্ত কোচ দলে পরিবর্তন আনার পক্ষে। সে সুবাদে দলের ব্যাটিং লাইনের খোলনলচে বদলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন সাকিবদের কোচ। গতকাল কলকাতার ম্যাচটি বেশ কৌতূহলোদ্দীপক ছিল। একদিকে টেনেটুনে মাত্র ১৫৪ রান তুলেছিল কলকাতা। উল্টো দিকে পৃথ্বী শর আগ্রাসী ইনিংস সে স্কোরকে রীতিমতো মামুলি বানিয়ে দিয়েছিল। ৪১ বলে ৮২ রান তোলা শ দিল্লিকে ২১ বল আগেই জয় এনে দিয়েছেন। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যান যেখানে ঝড় তুলছেন, সেখানে তাঁর ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো ওয়ানডে ছন্দে ব্যাট করছেন - এটা দেখা বেশ কষ্টদায়ক ম্যাককালামের মতো আগ্রাসী ক্রিকেটারের জন্য। কাল ম্যাচ শেষ তাই নিজের টপ অর্ডারকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন ম্যাককালাম। ম্যাককালামের দাবি, এক-দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও যেন বাদ দেওয়া না হয়, এমন প্রতিশ্রুতি তাঁর কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছিলেন কলকাতার ব্যাটসম্যানরা। প্রতিদানে আগ্রাসী খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত কিছু পাননি ম্যাককালাম। গতকালও পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৪৫ রান তুলেছে কলকাতা, 'এটা খুবই হতাশজনক। আমার ধারণা, একজন খেলোয়াড় হিসেবে সবাই স্বাধীনতা চায়, দল নির্বাচনের সময় আস্থা ও বিশ্বাস চায় যেন মাঠে গিয়ে খেলাটা ধরতে পারে, আগ্রাসী হতে পারে, দলের জন্য কিছু করতে পারে। আমি আর অধিনায়ক (এউইন মরগান) এমন খেলাটাই খেলোয়াড়দের কাছে চাইছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা সেটা করতে পারছি না। নিশ্চিতভাবে যতটা দরকার ততটা পাচ্ছি না।' দলের দুই ওপেনারের ওপরই বেশি বিরক্ত ম্যাককালাম। সরাসরি নাম না বললেও শুভমন গিল ১২০-এর নিচে স্ট্রাইকরেটে মাত্র ১৩২ রান করেছেন। নিতীশ রানা একটু ভালো করেছেন। দলের সর্বোচ্চ ২০১ রান তাঁর। কিন্তু তাঁর স্ট্রাইকরেটও মাত্র ১২২.৫৬। এই আইপিএলে মাত্র দুবার পাওয়ার প্লেতে ৫০ পেরিয়েছে কলকাতা। আর কাল দিল্লি কলকাতার বিপক্ষে তুলেছে ৬৭ রান। পৃথ্বী শ প্রথম ওভারেই তুলেছেন ২৫ রান। শিভম মাভির প্রথম ওভারের ছয় বলে ছয়টি চার মেরেছেন শ। মুগ্ধ ম্যাককালাম নিজের ব্যাটসম্যানদের শর ইনিংস থেকে শিখতে বলছেন, 'আজ (গতকাল) রাতে পৃথ্বী শর কাছ থেকে যা দেখেছি, সেভাবেই আমরা খেলতে চাই। আপনি প্রতি বলেই চার বা ছক্কা মারতে পারবেন না, কিন্তু আপনার মধ্যে সেই চেষ্টা থাকতে হবে, বিশেষ করে যখন আপনাকে সেই লাইসেন্স দিয়ে রাখা হয়েছে।' ম্যাককালাম এরপরই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলে বড় পরিবর্তন আনতে চাইছেন, 'পুরো ক্যারিয়ারে একটা কথা সব সময় বলেছি, "যদি কোনো মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনতে না পারো, তাহলে মানুষটাকেই বদলে ফেলো।" আমরা তাই কিছু পরিবর্তন আনতে পারি এবং নতুন কিছু মুখ আনব, যারা খেলাটাকে আরেকটু বেশি কিছু দিতে পারে।' পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেও তাতে অবশ্য সাকিব আল হাসানের ফেরার সম্ভাবনা কম। প্রথম তিন ম্যাচ খেলা সাকিব ৩ ম্যাচে ৩৮ রান করলেও সেটা এসেছে ৯৭ স্ট্রাইকরেটে। তাঁর বদলি হিসেবে খেলা সুনীল নারাইন আরও ব্যর্থ। ৪ ম্যাচে করেছেন ১০ রান। কিন্তু সাকিব বা নারাইন মিডল অর্ডারে নিচের দিকে খেলেন। ম্যাককালাম পরিবর্তন আনতে চাইছেন টপ অর্ডারে। দ্রুত রান তুলতে পারেন এমন ব্যাটসম্যানদেরই খেলাতে চান ম্যাককালাম, 'ধীরগতির উইকেটে নতুন বল ও ফিল্ডিংয়ের বাধ্যবাধকতার নিয়ম কাজে লাগাতে হয়। আমাদের একটা জিনিস মাথায় গেঁথে নিতে হবে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পুরোনো সেই মানসিকতা ঝেড়ে ফেলতে হবে যে একটা বাউন্ডারির পরের বলে একটা সিঙ্গেল নিতে হবে। যদি একটি বাউন্ডারি পান, তবে আরেকটা মারার কথা ভাবতে হবে এবং এরপর আরেকটা। যদি সেটা করতে পারেন, তাহলেই প্রতিপক্ষ বোলার অনেক চাপে পড়বে এবং তখন সাধারণত যা হয়, তারা পরিকল্পনা আর কাজে লাগাতে পারে না। এটা খুবই হতাশাজনক; কারণ, বারবার বলেছি আমাদের আরও আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং আরও বেশি আগ্রাসী হতে হবে, খেলাটাকে ধরতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা করছিই না। তার মানে আমাদের কিছু বদল আনতেই হচ্ছে।' | 5,258 |
39d4f02816 | চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনেও দল-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে অনেক আগেই। গতকাল চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতা এবং আওয়ামী লীগের দুই নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী ২৩ মার্চ রাউজান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।রাউজানে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিএনপির মধ্যে লুকোচুরি খেলা চলছে বলে অনেক তৃণমূল নেতা-কর্মী অভিযোগ করেছেন।গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জসিমউদ্দিন সিকদার, উত্তর জেলা বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক নুরুল আলম মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, 'রাউজানে আমরা এখনো কাউকে সমর্থন দিইনি। আরেকটু সময় নিয়ে আমরা একজনকে সমর্থন দেব।' উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস কাদের চৌধুরী বলেন, '৫ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। বিএনপির তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে আমরা একজনকে সমর্থন দেব, যিনি জিতে আসতে পারেন।'আওয়ামী লীগে 'বিদ্রোহী' প্রার্থী: আওয়ামী লীগ বর্তমান চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি গতকাল রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এহছানুল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন খান গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেন।মুসলিম উদ্দিন খান বলেন, 'আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার দাবিদার কেবল আমি। আওয়ামী লীগ কাউকে মনোনয়ন দিলে আমার সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারত। সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। আমি নির্বাচনী মাঠে আছি।' | null |
7cb4d7163b | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বন্দী প্রশিক্ষণ শিবিরে কর্মরত ৯৫ বছর বয়স্ক এক সহয়তাকারীকে জার্মানিতে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ১৪ বছর আগেই জাকিভ পালিজ নামের ওই যুদ্ধাপরাধীকে জার্মানিতে ফেরত পাঠাতে এবং বিচারের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাকিভ পালিজকে জার্মানির ডুসেলডর্ফ বিমানবন্দরে হস্তান্তর করা হয়। এর পর তাঁকে একটি বৃদ্ধাশ্রমে নেওয়া হয়। জাকিভ পালিজ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন পোল্যান্ডের ট্রাভিঙ্কি ক্যাম্পে যুদ্ধবন্দীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে একজন প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর অপরাধ, তিনি যুদ্ধবন্দীদের জোর করে কাজ করাতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধাপরাধী জাকিভ পালিজকে বহিষ্কারের সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের প্রশংসা করে বলেছেন, যারা মানবেতর অবস্থার জন্য দায়ী তাদের ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে, জাকিভ পালিজ আরও অনেক যুদ্ধাপরাধীদের মতো মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি পোল্যান্ডে তার বাবার কৃষি কাজকর্মে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। তবে আসল পরিচয় প্রকাশ হলে ২০০৩ সালে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। জাকিভ পালিজ নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় থাকতেন। যুদ্ধাপরাধীর পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার পর সে সময় তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারে জন্য প্রায়ই বিক্ষোভ সমাবেশ করতেন সেখানকার বাসিন্দা। অবশ্য জাকিভ পালিজ সব সময় বলে আসছেন, তিনি ট্রাভিঙ্কিতে নাৎসি এস এস বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত যুদ্ধবন্দীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে শুধুমাত্র একজন প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন যুদ্ধাপরাধী জাকিভ পালিজকে জার্মানিতে বহিষ্কার করবার চেষ্টা করছিলেন। তবে জাকিভ পালিজ জার্মানির নাগরিক না হওয়াই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। পরে জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ মানবিক আইনে তাঁকে জার্মানিতে গ্রহণ করেছে। ৯৫ বছর বয়সী জাকিভ পালিজ মঙ্গলবার সকালে ডাসেলডর্ফ বিমানবন্দরে অবতরণ করবার পর কর্তৃপক্ষ তাঁকে মুনস্টারল্যান্ডে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেন। জন্মগতভাবে এ পোলিশ নাগরিক ১৯৪৩ সালে বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জার্মানি অধিকৃত পোল্যান্ডর ট্রাভিঙ্কি ক্যাম্পে যুদ্ধবন্দীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাৎসি বাহিনীর হয়ে কাজ করলেও কোনো সময় তার জার্মান নাগরিকত্ব ছিল না। ইতিপূর্বে ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করে ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত যুদ্ধাপরাধী ইভান ডেমিয়ানইউকে জার্মানির মিউনিখে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে মিউনিখের একটি আদালত টানা দেড় বছর বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১১ সালে ৯১ বছর বয়স্ক ইভান ডেমিয়ানউের বিরুদ্ধে ১৯৪৩ সালে সোবিবর ডেথ ক্যাম্পে ২৭ হাজার ৯ শত বন্দীকে হত্যার কাজে সহায়তার অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। অবশ্য ২০১২ সালেই ৯২ বছর বয়সে যুদ্ধাপরাধী ইভান ডেমিয়ানইউ মারা যান। | null |
3180722534 | জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার অংশ হিসেবে নেওয়া ব্যবহারিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলার সময়ছাত্রলীগেরনেতা-কর্মীদের একটি সুপারিশ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি না রাখায় গতকাল রাতে ওই বিভাগে ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জালাল উদ্দিন বলেন, 'ই' ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তিনি ফিরে এলে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ময়মনসিংহে চলা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গত মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অভিনয়সহ বিভিন্ন বিষয়ের পরিবেশনা থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল পাঁচটায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত চলে। ওই দিন ভর্তি-ইচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান। ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি রাজবাড়ীতে। ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘট থাকায় তিনি সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারেননি। দেরিতে পৌঁছায় ওই শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার আর পরীক্ষায় অংশ নিতে যাননি। রাতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকেন। পরে গতকাল বুধবার সকালে তিনি পরীক্ষায় অংশ নিতে যান। ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা 'ই' ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত। ওই ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা ওই শিক্ষার্থীকে জানান যে, নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থী তাঁর জন্য নির্ধারিত দিনে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে পরের দিন আর কোনো সুযোগ থাকে না। পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীকে বিষয়টি জানান। ছাত্রলীগের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামকে অনুরোধ করেন তিনি যেন 'ই' ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে অনুরোধ করেন। গতকাল সন্ধ্যায় রাকিবুল শিক্ষকদের অনুরোধ করলেও ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এরপর রাকিবুল চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী উত্তেজিত হয়ে শিক্ষকদের গালাগাল দেন এবং জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিকেল পাঁচটায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাত ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকেরা অনেক নিয়ম ভাঙেন। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে একজন শিক্ষার্থী সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় তাঁর পরীক্ষা না নেওয়া ঠিক হয়নি। এ ঘটনায় 'ই' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা জরুরি সভা করে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন। পরে রাত ১১টার দিকে স্থগিতের সিদ্ধান্তটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জালাল উদ্দিনকে জানালে তিনি ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, 'ওই শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে সারা রাত কেঁদেছেন। সকালে ছাত্রলীগের কর্মীরা ওই শিক্ষার্থীকে কাঁদতে দেখে আমার কাছে আসেন। আমি সবার অনুরোধে শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ নিয়ে যাই। কিন্তু অনুরোধ রাখা না হলে আমি ফিরে আসি। ভাঙচুরের বিষয়টি আমার জানা নেই।' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার ধর বলেন, ভাঙচুরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | null |
521da5a408 | ঢাকার দোহার উপজেলার হাজারবিঘা গ্রামে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় তিনজন খুন হওয়ার ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল রোববার ভোর চারটার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন দোহার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমাছ উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের কর্মী আবুল বয়াতি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।৬ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন সকালে দোহারের বিলাশপুর ইউনিয়নের হাজারবিঘা গ্রামে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুকুম আলী চোকদারের লোকজন হামলা চালিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন। আহত করেন ২০ জনকে। হতাহত ব্যক্তিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লার লোকজন। নির্বাচনে তাঁরা জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলামকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আব্দুল মান্নান খানের ছোট ভাই দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোতালেব খানসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মোতালেব খন্দকার নামের এক ব্যক্তি। হামলায় তিনি তাঁর বাবা ও ভাইকে হারিয়েছেন। ঘটনার দিন দিবাগত রাত সোয়া একটায় মামলা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, টানা ছয় দিন অভিযান চালিয়ে গতকাল ভোর চারটায় ঢাকার ফকিরাপুল মোড় থেকে আলমাছ ও আবুল বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। | null |
472b054310 | বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ইউরোপ মহাদেশে করোনা বাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সঙ্গনিরোধ ও ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে বৈঠক করা সম্ভব হবে না বলে শেষ মুহূর্তে এই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডাইসো কাসতিলো এক বিবিৃতিতে বলেছেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমাদের পক্ষে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। পরিস্থিতি অনুকূল হলে নতুন করে বৈঠকের তারিখ ঘোষণা করা হবে'। ডব্লিউটিওর মহা পরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা বলেছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ায় অনেক মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি মুখোমুখি বসে বৈঠক করতে পারবেন না। সমস্যা হচ্ছে, এতে সবাই একভাবে অংশ নিতে পারবে না। এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা আরও বলেন, অনেক প্রতিনিধি দীঢর্ঘদিন ধরে বলে বলে আসছেন, রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল অনেক বিষয় ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে আলোচনা করা যায় না; বা করা গেলেও ফলপ্রসূ হয় না। এই পরিস্থিতিতে স্বশরীরের বৈফঠক স্থগিতের সুপারিশ করা তাঁর পক্ষে সহজ নয় বলে মনে করেন এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা। তবে প্রতিনিধিদের জীবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; সে জন্য তাঁর মত, সতর্ক থাকাই মঙ্গল, তাতে কিছু বাড়াবাড়ি হলে ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না'। তবে কোভিডের মধ্যে অনেক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য বেগবান হয়েছে। এই বাস্তবতায় আলোচনার যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা। তিনি বলেছেন, বৈঠক স্থগিত হওয়ার মানে এই নয় যে আলোচনা থেমে যাবে। বরং বৈঠকে যে প্রতিনিধিদের আসার কথা ছিল তাঁদের আরও ক্ষমতায়ন করা করা উচি ; এরপর বৈঠক যখন হবে, তখন যেন তারা ব্যবধান ঘোচাতে পারেন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক স্থগিত করা হলো। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজাখস্তানে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়। এবার বৈঠক জেনেভায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কাজাখস্তানেরই তাতে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। তবে এই বৈঠক আবার কবে অনুষ্ঠিত হবে, তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক করা হয়নি। | null |
Subsets and Splits