content
stringlengths
0
129k
প্রশ্নঃ কম্পিউটারের জনক কে ?
উওরঃ স্যার চার্লস ব্যাবেজ
ইন্টারনেট এর জনক কে?
ইন্টারনেট আমাদের জীবনে চলার গতিপথকে পাল্টে দিয়েছে, আমাদের জীবনকে কর্মচঞ্চল ও সহজ করে তুলেছে
দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্র ইন্টারনেটের অবদানের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই
ইন্টারনেটে এর উপকারের কথা আমরা সবাই জানি যা বলে শেষ করা যাবে না
কিন্তু আমরা কি জানি কে এই ইন্টারনেট আবিষ্কারক যা আমাদের জীবনের গতিপথকে পালটে দিয়েছে? যাকে আমরা ইন্টানেটের জনক হিসাবে চিনি তার নাম হলো ভিনটন জি কার্ফ তবে এই বিশাল নেটওয়ার্ক এর অন্তর্জাল ইন্টারনেট একদিনে তৈরী হয়নি, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাত দিন কাজ করে ইন্টারনেটর বর্ত
ইন্টারনেটের ৫টি ব্যবহার
১. ডিজিটাল ই-কমার্সঃ
বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা বলতে ইন্টারনেট ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যার সাহায্যে সহজেই যেকোন গ্রাহকের কাছে পৌছে কাঙিখত পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব
ই-কমার্স ভিত্তিক যত বড়বড় ব্যবসা পদ্ধতি গড়ে উঠাছে তা সকল কিছু ইন্টারনেট ভিত্তিক অনলাইন ব্যবসা পদ্ধতি
যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোন পণ্য সহজভাবে গ্রাহক ও বিক্রেতা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে
২. সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ
ইন্টারনেটর অবদানে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছি
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা মুহুর্তের মধ্যেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারি
যেমন- ইমেইল, ভিডিও কল, অডিও কল, সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজ ইত্যাদি ইন্টারনেট ভিত্তিক সকল কমিউনিকেশন ব্যবস্থাকে বলতে পারি
৩. অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষাঃ
আমাদের সকল ছাত্র ছাত্রীদের জীবন থেকে করনো নামক একটি ভাইরাস শিক্ষা জীবনের দুটি বছর কেড়ে নিয়েছে
তবে আমাদের শিখিয়ে গিয়েছে কিভাবে অনলাইন ভার্চুয়াল ভাবে শিক্ষা গ্রহন করা যায়
আবার দিনে দিনে অনলাইনে সকল তথ্য খোঁজার চাহিদা বেড়ে চলেছে
যার মূল কারণ বিভিন্ন প্রকাশন ও ব্লগাররা তাদের সাইটে সকল জ্ঞান মূলক তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করে আবার গুগল ইউটিউব শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উপকারে আসছে
ফলে শিক্ষার্থীরা দিনে দিনে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে
জটিল বিষয় বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক সহজ ভাবে অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা করানো ক্লাস বিনামূল্যে সবার জন্য ইন্টারনেটে আপলোড করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজ করে তুলেছে
ফলে শিক্ষা জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার ত্রিমাত্রিক ভিডিও ও ইন্টারনেট ভিত্তিক পাঠদান খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
৪. নতুন তথ্য অনুন্ধানঃ
বর্তমানে আমরা খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারি
তার মধ্যে বিশেষ ভাবে গুগল ইউটিউব, কোরা, ফেইসবুক অন্যতম
এসকল সার্জ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সকল নতুন শিক্ষা মূলক জ্ঞান অর্জন করতে পারে
বলা যায় আমরা দিনে দিনে নতুন তথ্য খোঁজার জন্য সার্চ ইঞ্জিন এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি
৫. সর্বশেষ আপডেট খবরঃ
ইন্টারনেট ব্যবস্থার ফলে এখন মুহুর্তের মধ্যেই যেকোনো খবর ঘরে বসেই বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল অনলাইন টিভি, ইউটিউব, ফেইসবুক টিভির মাধ্যমে কুইক জেনে নিতে পারি
সাথে সাথে আমরা আমদের নিজেদের মতামতও তুলে ধরতে পারি
যেকারণে ইন্টারনেট দিনে দিনে এত জনপ্রিয় হচ্ছে
ইন্টারনেট আর টিভির নিউজের সাথে পার্থক্য হচ্ছে ইন্টারনেটে আমরা যেখবর দেখতে চাই সেটাই দেখতে পাই আর টিভিতে চ্যানেলগুলো যেখবর দেখায় সেটাই আমাদের দেখতে হয়
তাই দিনে দিনে টিভি চ্যানেল গুলো পিছিয়ে যাচ্ছে
শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার
বর্তমানে যেকোন দেশের শিক্ষার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে
বর্তমানে শিক্ষাভিত্তিক অনেক ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে, প্রতিনিয়ত হচ্ছে ফলে সাইটগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে প্রথমে একটি কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইস দরকার
ইদানীং মোবাইল টেলিফোন প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে
এখন শিক্ষণীয় অনেক বিষয় ইন্টারনেটে পাওয়া যায়
কোনো শিক্ষার্থী পড়ালেখায় কোনো একটা বিষয় বুঝতে না পারলে সে যদি ইন্টারনেটে সেটি অনুসন্ধান করে সঙ্গে সঙ্গেই সেটা পেয়ে যাচ্ছে
শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব
প্রাথমিক শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে, কোন ছাত্র যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে শিখতে চায়, জানতে চায় সে ইন্টারনেটে তা খুঁজে নিতে পারে
এ জন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষ সার্চ ইঞ্জিনও তথ্য প্রযুক্তিবিদরা তৈরি করেছেন
তবে এ সার্চ ইঞ্জিনগুলো ব্যবহার করার জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন
গণিতের অত্যন্ত চমৎকার কিছু সাইট রয়েছে, যেখানে গণিতের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়
বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাতে-কলমে দেখার জন্যও সাইট রয়েছে
উৎসাহী মানুষরা নানা বিষয়ে গ্রুপ তৈরি করে রেখেছেন, তাদের কাছে যে কোনো প্রশ্ন দেওয়া হলে তারা উত্তর দিতে পারবেন
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব ব্যাখ্যা
বাংলায় শিক্ষা দেওয়ার জন্যও ইন্টারনেটে অত্যন্ত চমৎকার কিছু সাইট রয়েছে
শিক্ষার সঙ্গে ইন্টারনেট শব্দটি জুড়ে দিলেও মনে রাখতে হবে, কেউ যেন মনে না করে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ বা ইন্টানেটে খুব ভালো কনটেন্ট থাকলেই রাতারাতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় খুব ভালো হয়ে যাবে
বাংলাদেশের আধুনিক শিক্ষার একটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হলো অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদনসহ যাবতীয় কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়
তা ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে
ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে ?
বন্ধুত্ব করতে পারি, বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিতে পারি, গল্গ-গুজব করতে পারি
ফেসবুক ইউটিউব অনলাইন টিভি দেখে অবসর সময় কাটাতে পারি
কেনাকাটা করতে পারি, অনলাইনে যেকোন পণ্যের অর্ডার দিতে পারি
তথ্য খুঁজতে পারি, তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, তথ্য পাঠাতে পারি
বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরির লাখ লাখ বই-পুস্তক, জার্নাল ও ম্যাগাজিনের সন্ধান পেতে পারি এবং পড়তে পারি
ই-মেইলে যে কোন ফাইল, ডকুমেন্ট ও ছবি পাঠাতে ও গ্রহণ করতে পারি
ঘরে বসে অফিসের সকল কাজ কর্ম করতে পারি
ঘরে বসে ভিডিও সভা (ভিডিও কনফারেন্স) করতে পারি
ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা:
যেকোন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে
নিচে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১.তথ্যের সহজলভ্যতা:
ইন্টারনেটের সাহায্যে কম পরিশ্রমে সহজে যেকোন তথ্য বিস্তারিত যাবতীয় জেনে নেওয়া যায়
ইন্টানেট ছাড়া আর অন্য কোনো মাধ্যম থেকে এতসহজে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয়
২. বিনামূল্যে তথ্য সংগ্রহ:
বিভিন্ন বইপত্র কিনে লাইব্রেরী বা গবেষণাগারে নিয়মিত যাতায়াত করে ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহ করা বিপুল অর্থব্যয় ও সময় সাপেক্ষ
হয়ে থাকে যা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অনেক কম
খুব সামান্য অর্থ ও সময় ব্যয় করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব
৩. দুর্লভ তথ্যপ্রাপ্তি:
ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা ধরনের অনলাইন লাইব্রেরী থেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দুর্লভ তথ্য যুক্ত সকল বইয়ের কপি, অনলাইন আর্কাইভ থেকে আসল রিপোর্টের কপি প্রভৃতি বই পিডিএফ আকারে সংগ্রহ করে ডিজিটাল বই হিসাবে সংগ্রহ করে পড়া যায়
৪. সকল প্রশ্নোত্তর:
যেকোন কাজের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনার মনে কোন প্রশ্ন জাগলে অনেক সময় ইন্টারনেটে সেই প্রশ্ন লিখে সার্চ করলেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়
যা আমাদের সময় এবং সাশ্রয় করে থাকে
এখন আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে ইন্টানেটে সার্চ করে দেখতে পারেন
ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা:
ইন্টারনেটের প্রবর্তন বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার
এটি ব্যবহার করে যেমন সুবিধা ভোগ করি তেমনী অনেক অসুবিধা রয়েছে যেগুলো আমাদের বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে ও ব্যবহার করতে হবে
যেমন -
১. নির্ভরযোগ্যতা:
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলির যথার্থতা বা নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা খুবই কঠিন
একই বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পৃথক পৃথক তথ্য থাকায় পাঠক বা গবেষকদের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়
২. মনগড়া তথ্য:
মুদ্রিত বইপত্রে যথার্থ লেখকদের সংখ্যাই বেশি
কিন্তু ইন্টারনেটে আজকাল যে কেউ নিজের মনগড়া ভুল তথ্য আপলোড করতে পারে বা করে থাকে
৩. গবেষণার মান হ্রাস:
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য ব্যবহার করতে গিয়ে পাঠক ও গবেষকগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ফলে গবেষণার গুণগত মান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়
৪. তথ্যের অসম্পূর্ণতা:
বহু ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে বই বা গবেষণার অংশবিশেষ পাওয়া যায়
এর পূর্ণাঙ্গ কাজটি পাওয়া না যাও য়ায় পাঠক ও গবেষকগণ নানা সমস্যার সম্মুখীন হন
ইন্টারনেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আজ আমরা সংক্ষেপে ইন্টারনেট এর ৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা জানবো যদি আপনি আরো বিস্তারিত জনাতে চান তাহলে নিচে আমাকে কমেন্ট করুন
ইন্টারনেট এর ৫টি উপকারিতা
১. দ্রুত যোগাযোগ করা