content
stringlengths
1
63.8k
নিখোঁজ ছাত্র আজিজুল হক ওরফে শাওনকে (১৭) উদ্ধারের দাবিতে বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সচেতন শেরপুরবাসীর আয়োজনে গত মঙ্গলবার বিকেলে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর নিমাই ঘোষ। বক্তব্য দেন জানে আলম, আবদুল বারী, বদরুল ইসলাম পোদ্দার, শাহাবুল করিম, ব্যবসায়ী পিয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা আগামী এক মাসের মধ্যে তাকে উদ্ধারের দাবি জানানো হয়। নিখোঁজ শাওন ঢাকার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শেরপুর পৌর শহরের হাজীপুর এলাকার মো. আক্তারুজ্জামানের ছেলে। গত বছরের ২ নভেম্বর ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে সে নিখোঁজ হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কামারজগদইল এলাকায় গতকাল বুধবার এমালী বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রাজশাহীর পুঠিয়ায় আবদুল মতিন (১৮) নামের এক ছাত্রের ও জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অজ্ঞাত তরুণের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর:চাঁপাইনবাবগঞ্জ: কামারজগদইল এলাকায় বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে শরিফ উদ্দীন কোদাল দিয়ে তাঁর স্ত্রী এমালী বেগমের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলের তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর স্বামী শরিফ উদ্দীন পালিয়ে যান।রাজশাহী: গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর এলাকার দেয়ারের বিলের একটি পাটখেত থেকে আবদুল মতিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার জাইগিরপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ও মতিন পুঠিয়া টেকনিক্যাল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে মতিন আর ফিরে আসেনি।আক্কেলপুর (জয়পুরহাট): গতকাল বিকেলে আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছে গোবরপুর গ্রামের রেললাইনের পাশে একটি ঝুপরির ভেতর থেকে অজ্ঞাত তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে বখাটেদের হুমকির মুখে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী পাঁচ দিন ধরে মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। এ বিষয়ে গত রোববার ওই ছাত্রীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে চরসাজাই মণ্ডলপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু রুহুল আমীন, বিপ্লব ও হাফিজুর ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেন। এ নিয়ে কয়েকবার সালিস বৈঠক হয়। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে বখাটেরা ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে তুলে আনার চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।ওই ছাত্রী বলে, ‘ওরা আমাকে তুইলা নিয়া নষ্ট করার হুমকি দিয়েছে। এ কারণে মাদ্রাসায় যাই না।’ মেয়ের দিনমজুর বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, কামলা বেইচা খাই। অনেক আশা আছিল, মাইয়াডাকে লেহাপড়া করামু। কিন্তু অরা তা করবার দিব না।’ গ্রামের মাতব্বর আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, কয়েকবার বিচার করা হয়েছে। কিন্তু ছেলেগুলো ভালো হবে না। জহুরুল ইসলামের বাবা বাহাদুর মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে খারাপ কিছু করে না। মেয়েটাকে পছন্দ করছে। বিয়া করবার চায়। কিন্তু তাঁরা আমার ছেলের সঙ্গে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে দেবে না।’রাজীবপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তদন্ত করে অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
যমুনা নদীর পানির তোড়ে গতকাল বুধবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সিন্না-গোদারবাগ বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্রায় ৫০ হেক্টর জমির তিল, পাট এবং শতাধিক ঘর তলিয়ে গেছে।একই দিন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা-কুতুবপুর এলাকায় নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ গতকাল ভোরে ভেঙে গেছে। এতে ৩১ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।কাজীপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সিন্না-গোদারবাগ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। গতকাল ভোরে গোদারবাগ এলাকায় বাঁধের প্রায় ৫০০ মিটার অংশ ভেঙে পানি ঢুকে শতাধিক ঘর তলিয়ে যায়। এ ছাড়া ৫০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। লোকজন বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা-কুতুবপুর এলাকায় নির্মাণাধীন বাঁধ গতকাল ভোরে ভেঙে তলিয়ে গেছে ৩১ হেক্টর জমির ফসল। খবর পেয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান খান ঘটনাস্থলে যান। পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, কুতুবপুরের কাছে নির্মাণাধীন বাঁধের ১০০ ফুট ভেঙে গেছে। বাঁধ ভেঙে গেলেও পানির উচ্চতা কম থাকায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। দু-একদিনের মধ্যে সেখানে প্রতিরোধমূলক কাজ করা হবে।
হবিগঞ্জ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার মান ও অভিভাবকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ছয় মাস ধরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগে বেশ খুশি অভিভাবকেরা। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা পাঠ দান করায় শিক্ষার মান অনেকটা উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি নতুন ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহি ও নিয়ম-শৃঙ্খলাও এসেছে। জেলা প্রশাসক মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার বলেন, ‘এ স্কুলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। যে কারণে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। কয়েক মাসেই এ স্কুল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সামনে আরও ভালো করবে। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দুই বছর এ দায়িত্ব পালন করবেন।’জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ামের (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) উদ্যোগে দেশের ৩১টি জেলায় বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল (ইংরেজি ভার্সন) চালু আছে। এর পৃষ্ঠপোষকতায় আছেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। হবিগঞ্জ বিয়াম স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালে। অস্থায়ীভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয় হবিগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ভবনে। বর্তমানে জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবনে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলে। এ বিদ্যালয়ে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ দান করা হয়। জেলা প্রশাসন দেড় বছর আগে শহরের রাজনগর এলাকায় বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন তৈরির জন্য ৫২ শতক ভূমি বরাদ্দ দিয়েছে।মাস ছয়েক আগে অধ্যক্ষের সঙ্গে শিক্ষকের মতবিরোধ, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বেতন ও ফি নেওয়া, যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া, বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা না হওয়া এবং মানসম্মত পাঠদান না হওয়ার অভিযোগ ওঠে। একসময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ থেকে ১০০-এর নিচে নেমে আসে। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের লোকজন নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।সভায় জেলা প্রশাসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ওই বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা পালাক্রমে পাঠদান শুরু করেন।গত সোমবার বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষকদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা পাঠ দান করছেন। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, স্কুলের দায়িত্ব নেওয়ায় ভালোই লাগছে।জান্নাতুল ফেরদৌস নামের একজন অভিভাবক প্রথম আলোকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন ক্লাস নিচ্ছেন। এতে শিক্ষার মান আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের মধ্যে ভালো করার প্রতিযোগিতা লক্ষ করা গেছে।অধ্যক্ষ সৈয়দা হুসনে আরা তাওহিদ বলেন, তাঁর সঙ্গে কোনো শিক্ষকের বিরোধ নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে; শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।জেলা প্রশাসক বলেন, নিজস্ব জায়গায় বিদ্যালয়ের ভবন ও অবকাঠামো তৈরি করা জরুরি হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর দায়িত্ব এখন অনেক। তিনি এ কাজে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
নরসিংদীতে গৃহবধূ মাহমুদা ইয়াসমিন হত্যা মামলার বাদী ফারুক হোসেনকে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাদী কিশোরগঞ্জের নিকলী ও নরসিংদী সদর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবার ও পুলিশ জানায়, ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নিকলী উপজেলার ছাতিরচর এলাকার আবদুর রহিমের মেয়ে মাহমুদা ইয়াসমিনের (২২) সঙ্গে একই এলাকার হায়দার আলীর ছেলে মেহেদী হাসানের (২৬) বিয়ে হয়। মেহেদীর বাবার কর্মস্থল নরসিংদী শহরের বাসাইল হওয়ায় তাঁরাও ওই এলাকায় এসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। ২৬ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে মাহমুদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রথমে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ৩ জুন মেহেদীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মাহমুদার বড় ভাই ফারুক মিয়া হত্যা মামলা করেন। এর পর থেকে মামলা তুলে না নিলে তাঁকে (ফারুক) হত্যা করা হবে বলে আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন।এ ঘটনায় গত ৬ জুন নিকলী থানায় ও ২৮ জুন নরসিংদী সদর থানায় জিডি করেছেন ফারুক মিয়া। এ ব্যাপারে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার রায় জানান, মামলার আসামি মেহেদী ছাড়া বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। মাহমুদা হত্যা মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।
হাওরের ‘আফাল’ (ঢেউ) আতঙ্ক কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের শতবর্ষী আবদুল মোতালেবকে ঘরে রাখতে পারেনি। ছোট নৌকায় করে প্রথমে বড়িবাড়ি ট্রলারঘাট, পরে লাঠিতে ভর করে ভোটকেন্দ্রে আসেন তিনি। সকাল নয়টার মধ্যে বড়িবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। ভোট দেওয়ার পর চোখে-মুখে তৃপ্তির ছাপ। এত কষ্ট করে ভোট দিতে এলেন? এ প্রশ্নে আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আপনারা কইছুন, ভোট দিলাম।’ দুই প্রার্থীই গেছেন তাঁর কাছে ভোট চাইতে। প্রচারণা তাঁর ঘরও স্পর্শ করেছে। হাওরের তিন উপজেলা ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেল, তরুণ, মধ্যবয়সীর পাশাপাশি বয়োবৃদ্ধদের সরব উপস্থিতি।অষ্টগ্রাম সদরের বর্ধমানপাড়ার আসমা খাতুন (৭৫) ভোট দিয়েছেন পূর্ব অষ্টগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে। দুপুর ১২টার দিকে ভোট দিয়ে তিনি জানান, ভোটকে তিনি দেখেন নাগরিক দায়িত্ব আর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে। নাতির গায়ে নিজের ভারসাম্য রেখে একই উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের চৌদন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ভোট দেন রাধামোহন দাস। বয়স তাঁর ৯০ বছর ছুঁই ছুঁই। বাড়ি চৌদন্ত গ্রামে। এ নিয়ে কতবার ভোট দিলেন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেডা রাহে কার হিসাব। কত আর অইব। সব মিলাইয়া ২০-৫০ বারের কম কী আর সিল মারছি।’ ইটনা সদরের শরিকহাটি গ্রামের জুবেদ আলী মুন্সি (৮৫) ভোট দিয়েছেন মহেশচন্দ্র শিক্ষা নিকেতনকেন্দ্রে। জুবেদ আলী বলেন, ‘আগে হইত, অহন হয় না।’ আলাপে জানা গেল, একসময় হাওরে ছোটখাটো কারণে উৎসব হতো। এখন আর তেমন হয় না। নির্বাচন হাওরবাসী উৎসবের মতোই উপভোগ করেন। বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিরা তাতে অংশ নেন। সবার উপস্থিতিতে উৎসব ভিন্নমাত্রা পায়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সাইকেলযোগে দেশ ভ্রমণ করছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার সকালে তাঁরা দেশের ২৫তম জেলা হিসেবে সিলেটে পৌঁছেছেন। তাঁরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তাঁরা দেশের ৬৪টি জেলা সাইকেলযোগে ভ্রমণ করবেন। জানা যায়, মেহেরপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম ও নূর ইসলাম ১২ মে সকাল ১০টায় কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে দেশ ভ্রমণের যাত্রা শুরু করেন। মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা ভ্রমণকালে আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংবলিত একটি লিফলেট বিতরণ করছি। এ ছাড়া নিজেরাও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটি, মানুষ, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে-বুঝতে পারছি।’ আগামী দুই মাসের মধ্যে তাঁরা পুরো দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
টেলিভিশন দেখাকে কেন্দ্র করে একটি হামলায় গত মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় গোপাল পানিকা (৪০) নামের এক চা-শ্রমিক নিহত হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাধা দিতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সাগরনাল চা-বাগানের লেবার লাইনে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিভিশন দেখাকে কেন্দ্র করে গোপাল পানিকার মেয়ে মণির সঙ্গে প্রতিবেশী রাজন তন্তুবাইয়ের মেয়ে নীতির কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত নয়টার দিকে রাজন (৩০) ও তাঁর ছোট ভাই সাজন (২৬) ধারালো দা দিয়ে গোপালকে কয়েকটি আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর স্ত্রী সুমতি পানিকা (২৭) ও তাঁদের ছেলে অজয় পানিকা (১৩) আহত হয়। এলাকাবাসী আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর বাজারের ধানের হাটের ২০ শতক খাসজমি মঙ্গলবার রাতে দখল করে ঘর তুলেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে প্রশাসন তাঁদের উচ্ছেদ করে দেয়। পৌর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, পৌর বাজারের কাটিয়ারা মৌজার ৮৩৭ দাগে ৩৭ শতক জমি আছে। ওই জমি বাজারের ধানের হাট হিসেবে ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছেন। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই দাগের প্রায় ২০ শতক জমি দখল করে টিনের একটি লম্বা ঘর তোলেন। সকালে ব্যবসায়ীরা পৌর মেয়র হিরেন্দ্র লাল সাহাকে বিষয়টি জানান। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন জাহান ঘটনাস্থলে এসে ওই জমি থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করেন।মাধবপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মাধবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম ১৮ জন নেতা-কর্মীর নামে ওই দাগের আট শতক জমি এক বছরের জন্য বন্দোবস্ত নেন। কিন্তু তাঁরা মঙ্গলবার অতিরিক্ত আরও ১২ শতক জমি দখলে নিয়েছিলেন।পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমরা এক বছরের বন্দোবস্ত নিয়েই টিন দিয়ে বেড়া দিয়েছিলাম। এখন আমরা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ওই জমি ছেড়ে দিয়েছি। দিনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন। তাই রাতে কাজ করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার রেলস্টেশন-সংলগ্ন নাটাল চত্বর এলাকায় ‘আনন্দ মেলা’র নামে ১৫ দিন ধরে চলা জুয়ার আসর অবশেষে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানোর পর আয়োজকেরা মেলাটি বন্ধ করে দেন। একই দিন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে এবং এই মেলার আয়োজক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে সমাবেশ করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের সামনে দুপুরে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি কমান্ডার মহররম খন্দকার।বক্তৃতা করেন আশুগঞ্জ সেক্টর কমান্ডার ফোরামের আহ্বায়ক শেখ জসিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা হেলিম, আমিরুল হক, আবুল হাসেম আজাদ, আবদুল হেকিম প্রমুখ।গত ১৫ জুন থেকে ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র রেলস্টেশন-সংলগ্ন নাটাল চত্বর এলাকায় জুয়ার আসর বসায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় মেলার আয়োজন করা হলেও জুয়ার আসরের বিষয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা কিছু জানতেন না। এ নিয়ে ১ ও ২ জুলাই প্রথম আলোয় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।ইউএনও ইসমাইল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর আন্দোলন, প্রশাসনের অনুরোধ ও প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর আয়োজনকারীরা জুয়ার আসর বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ছয় দফা দাবি আদায়ে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের তৃতীয় দিনে গতকাল বুধবার ২৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ১ জুলাই সকাল ১০টা থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চার শতাধিক শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অনশনের তৃতীয় দিনে গতকাল ২৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এঁদের মধ্যে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রোকসানা শারমিন, মোহসানা আক্তার ও হামিদা সুলতানা এবং প্রথম বর্ষের মাহমুদা সুলতানা ও হালিমা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ারা খাতুন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে শিক্ষানবিশ কোর্স চালু, বৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা ও অ্যাপ্রন পরিধানের বিধান করার দাবিসহ তিনটি দাবি তিন মাস সময়ের মধ্যে পূরণ করার কথা রয়েছে। চিঠিটি অনশনরত শিক্ষার্থীদের পড়ে শোনানোর পরও তাঁরা অনশন ভাঙছেন না। শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের ছয়টি দাবি এক মাসের মধ্যে পূরণ করার আশ্বাস দিতে হবে।
চট্টগ্রামের সিআরবিতে দরপত্র নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষ তিনটি পিস্তল ব্যবহার করে। দুই পক্ষের আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ এই তথ্য পেয়েছে। রিমান্ডে নেওয়া সর্বশেষ আসামি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ওরফে বাবরকে গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল উদ্দিন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক সাইফুল আলম ওরফে লিমনসহ ৪১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পর্যায়ক্রমে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।পুলিশ সূত্র জানায়, রিমান্ডে আসামিরা ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের নাম বলেছেন। আর ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে তিনটি পিস্তল। যুবলীগের হেলাল উদ্দিন এবং ছাত্রলীগের সাইফুলের ক্যাডাররা অস্ত্রগুলো ব্যবহার করেন। অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মহি উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামিরা সবাই ধূর্ত প্রকৃতির। এর পরও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের কাছ থেকে কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। তথ্যগুলো যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ ২৪ জুন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৯৬ লাখ টাকার দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডারদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে আট বছরের শিশু আরমান এবং যুবলীগ নেতা সাজু পালিত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল উদ্দিনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন পুলিশের এক উপপরিদর্শক। পুলিশ ঘটনার দিন ছাত্রলীগ নেতা লিমনসহ ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করে। ২৫ জুন আরেকজন গ্রেপ্তার হন। ২৫ জুন রাতে ঢাকার নিকেতন এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন হেলাল উদ্দিনসহ আরও ছয়জন। তাঁদের মধ্যে শাকিল নামের এক যুবক ঢাকা মহানগর পুলিশের করা মামলার আসামি। তাঁকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর পদত্যাগ করেছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানা গেছে। এদিকে ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে অবস্থানকারী সব শিক্ষার্থী মঙ্গলবার রাতেই হল ত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি বিবি খাদিজা হলের (ছাত্রী হল) শিক্ষার্থীদের আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার কথা রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক পাঠদান অব্যাহত রাখার দাবিতে গতকাল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা এ-সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি ডিনের কাছে দেন। এরপর তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দুটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমস্যা রয়েছে। এর চেয়ে আরও বড় সমস্যাও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। কিন্তু উপাচার্য তা না করে একক ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বাকি ১২টি বিভাগের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন।মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবনে ও উপাচার্যের কার্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) ও ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে উপাচার্যের কক্ষে শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক বসে। সন্ধ্যায় এ বৈঠক মুলতবি করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে উপাচার্যের সভাপতিত্বে পুনরায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি ও ফুড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবিতে সম্প্রতি আন্দোলন শুরু করেন। এর জের ধরে রোববার দুই শিক্ষককে জিম্মি করে দাবি মেনে নেওয়ার মুচলেকা আদায় করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের জিম্মি করার ঘটনায় মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ ১২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। এ শাস্তি প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে হামলা-ভাঙচুর চালান। এ পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে।প্রক্টরের পদত্যাগপত্র জমা ও বৈঠক সম্পর্কে জানতে উপাচার্য এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরীর মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি।পরে রেজিস্ট্রার মো. মমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বিকেল পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত অফিসিয়ালি কোনো কাগজপত্র পাইনি। তা ছাড়া পদত্যাগপত্র দিলেও যতক্ষণ গৃহীত না হবে, ততক্ষণ তিনি প্রক্টর থাকবেন।’ �� আ�'�����r��r�ার পৌরসভার ভোটার ১৭ হাজার ১৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৬৩৮ জন ও নারী আট হাজার ৪৯৯ জন। গোপালদীতে ভোটার ২৪ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৫৫২ জন ও নারী ভোটার ১১ হাজার ৯৭৩ জন।
চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অবশেষে অনশন ভেঙেছেন। ডিরেক্টরেট অব নার্সিং সার্ভিসের (ডিএনএস) পক্ষ থেকে তাঁদের ছয় দফা দাবির মধ্যে তিনটি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। এ তিনটি দাবি হলো ইন্টার্নশিপের মেয়াদ ও মাথাপিছু বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো এবং ইউনিফর্ম হিসেবে অ্যাপ্রোন পরার অনুমতি প্রদান।কর্মসূচির তৃতীয় দিনে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা, নার্সিং সুপার মিনারা খানম, সহকারী পরিচালক মোদাব্বের আহমেদ শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এর আগে গতকাল সকালে অনশন চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিল্পী রানী ও তৌহিদা আক্তার নামের দুজন শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ছয় দফা দাবিতে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (এসডব্লিউএ) গত সোমবার থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে অনশন কর্মসূচি শুরু করে। কেন্দ্রীয় সংগঠন বিবিজিএসএনএর (বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টস নার্স অ্যাসোসিয়েশন) অধীনে দেশের সাতটি নার্সিং কলেজে একই কর্মসূচি পালিত হয়। এসডব্লিউএ চট্টগ্রামনার্সিং কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মেরী নাথ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল ডিএনএসের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আগামী তিন মাসের মধ্যে আমাদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অনশন ভাঙার অনুরোধ জানানো হয়। তাই বিবিজিএসএনএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।’ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: ছয় মাস থেকে এক বছর মেয়াদের ইন্টার্নশিপ চালু করা, মাথাপিছু বৃত্তির পরিমাণ বাড়িয়ে ন্যূনতম তিন হাজার টাকা নির্ধারণ, বিশেষ বিসিএস চালুসহ সুনির্দিষ্ট বিধিমালা তৈরি, বিএসসি নার্সিং কোর্স শেষে মাস্টার্স ও উচ্চশিক্ষার সুব্যবস্থা, পৃথক সেবা অনুষদ গঠন এবং ইউনিফর্মের সঙ্গে সুরক্ষা পোশাক হিসেবে অ্যাপ্রোন প্রদান।
বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকায় জুমিয়া আদিবাসীদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক জীবিকা উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দুই হাজার ৭০০ অতিদরিদ্র জুমচাষি পরিবার, এক হাজার ৫০০ জুমিয়া নারীকে কৃষি উপকরণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে। থানচিতে এক হাজার ৫০০ জুমিয়া পরিবারের মধ্যে ফলদ গাছের চারা, সবজির বীজসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে। উপজেলা সদরে বেসরকারি সংস্থা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (এইচএফ) প্রাঙ্গণে বিতরণকাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান হাবেরুং ত্রিপুরা।এফএওর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, শুধু যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন দুর্গম এলাকার হতদরিদ্র জুমিয়া পরিবারগুলোকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫টি লিচু, ১৫টি নারকেলগাছের চারাসহ মোট ৮০টি বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ চারা দেওয়া হবে। এক হাজার ৫০০ জুমিয়া নারীর জন্য সাত-আট প্রজাতির সবজির বীজ ও ৩০০ নারীকে মুরগির খামার উন্নয়নে সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও এইচএফ এক বছর পর্যন্ত ওই জুমিয়াদের প্রয়োজনীয় কৃষি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান ও নিবিড় পরিবীক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।বান্দরবানে এফএওর সমন্বয়কারী লিনো প্রু মারমা বলেন, ২০০৭-০৮ সালে ইঁদুর বন্যায় (পঙ্গপালের মতো ইঁদুরের উপদ্রবকে ইঁদুর বন্যা বলা হয়) জুমচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। তখন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে। ডব্লিউএফপির ওই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করার জন্য তাঁরা কৃষিনির্ভর জীবিকা উন্নয়নের এ উদ্যোগ নিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকে জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনে গতকাল বুধবার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। এতে যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন।পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গতকাল খাগড়াছড়ি থেকে আন্তজেলা ও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে কোনো যানবাহন চলেনি। পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব কে এম ইসমাইল জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।এদিকে গতকাল বিকেল চারটায় জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। শ্রমিকনেতারা বলেন, আমাদের দাবির ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।খাগড়াছড়িতে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ; শ্রমিক ও যানবাহনের নিরাপত্তা; ভাড়ায়চালিত অবৈধ মোটরসাইকেল, সিএনজি ও ডিজেলচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ; জেলায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক দ্রুত মেরামতের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
জামায়াত-শিবিরের হরতাল চলাকালে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে হরতালবিরোধী মিছিল সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। দুপুরে নগরের দারুল ফজল মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার কারণে মানুষ আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুনীল সরকার, দুই যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।এদিকে বাকলিয়া থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কালামিয়া বাজার চত্বরে জামায়াত-শিবিরের হরতালের প্রতিবাদে এক সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাকলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিদ্দিক আলম। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়।
চট্টগ্রামের মাঝিরঘাটে গতকাল বুধবার দুপুরে একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ১০০ টন নষ্ট গম জব্দ করেছে পুলিশ। পচা গমের সঙ্গে ৫০ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ সার এবং আরও কিছু পণ্য ছিল।সদরঘাট থানার পুলিশ জানায়, পচা গম মজুত করার খবর পেয়ে মাঝিরঘাটের স্ট্যান্ড রোডের দোভাষ ভবনের নিচের গুদামে এ অভিযান চালানো হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আহমেদের উপস্থিতিতে পুলিশ গুদামটি সিলগালা করে দেয়। এ সময় বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা শাফায়াত চৌধুরীও অভিযানে অংশ নেন। নষ্ট গমের পাশাপাশি গুদাম থেকে ৭৫০ কেজির ৫০ প্যাকেট ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার পাওয়া গেছে। এসব সারের মেয়াদ পেরিয়ে গেছে ২০১০ সালের ১ আগস্ট।এ ছাড়া এক বস্তা চুনাপাথর এবং কিছু তার পাওয়া গেছে। অভিযানে অংশ নেওয়া জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আহমেদ বলেন, গম-সারের বিশ্রী গন্ধে গুদামে ঢোকা যাচ্ছিল না।সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, গমগুলো পচে-গলে কালো এবং জমাটবদ্ধ হয়ে গেছে। কেন সেগুলো গুদামজাত করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের হচ্ছে।গমের মালিকপক্ষ জেনারেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সোহেল আহমেদ বলেন, বিভিন্ন আমদানিকারকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা এসব গম মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য খুলনার মিতালী ট্রেডার্স নামের একটি মৎস্যঘেরের মালিকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পুলিশের কাছ থেকে এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানার দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. নাজিম উদ্দিন ও মোহামঞ্চদ গিয়াস উদ্দিন। গত মঙ্গলবার বিকেলে আসামি পালিয়ে যাওয়ার পর রাতে পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান ওই দুই কনস্টেবলকে বরখাস্তের আদেশ দেন।জানতে চাইলে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বিষয়টি পুলিশ সুপার প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলুর রহমান ও মো. ফারুক বেগমগঞ্জ থানার দুটি চুরির মামলার আসামি। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা জজ আদালত থেকে দুই কনস্টেবল নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের বহনকারী গাড়িটি হাসপাতালের সামনে পৌঁছামাত্র আসামি খলিল ও ফারুক হাতকড়া খুলে দৌড় দেন। এ সময় কর্তব্যরত দুই কনস্টেবল ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে খলিলকে ধরতে সক্ষম হলেও ফারুক পালিয়ে যান।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নবগঠিত আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভা নির্বাচন আগামী শনিবার ৬ জুলাই। তবে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানোর সুযোগ পাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা। তাই শেষ মুহূর্তে গতকাল বুধবার ব্যস্ত সময় কাটান প্রার্থীরা।দুটি পৌরসভার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আড়াইহাজারের নবগঠিত দুটি পৌরসভাই অনুন্নত। বিগত দিনে এই দুটি এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। রয়েছে যোগাযোগ ও জলাবদ্ধতার সমস্যা। বেশির ভাগ এলাকায় গ্যাসের সংযোগ নেই। এসব সমস্যা সমাধানে যে প্রার্থী ভূমিকা রাখবেন, তাঁকে ভোট দেবেন তাঁরা।মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা আছেন সবচেয়ে বেকায়দায়। কেননা, আড়াইহাজার পৌরসভায় ১১ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সাতজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রার্থীরা হলেন আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী (চশমা), আড়াইহাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আলী (জাহাজ), সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ (টেলিভিশন), সম্প্রতি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া আড়াইহাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান (তালা), আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোজামেঞ্চল হক (টেবিল), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক ভিপি কাজী সুজন ইকবাল (কাপ-পিরিচ), ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য বিল্লাল হোসেন (মাইক), পারভীন আক্তার (দোয়াত-কলম), উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমিন মোল্লা (প্রজাপতি) ও কবির হোসেন (টেলিফোন), উপজেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী আবদুস সেলিম (আনারস)। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থন কেউ পাননি। বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন পারভীন আক্তার। তাঁকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন যুবদলের নেতা রুহুল আমিন মোল্লা। তবে ব্যালটে তাঁর প্রতীক থাকছে।এদিকে গোপালদী পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এমদাদ ভূঁইয়ার অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম হালিম শিকদার (্চশমা)। বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন গোপালদী পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার (কাপ-পিরিচ)।তিন প্রার্থীকে জরিমানা: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গতকাল তিন মেয়র প্রার্থীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাড়িতে পোস্টার লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারের দায়ে আড়াইহাজার পৌরসভার পারভীন আক্তার ও গোপালদী পৌরসভার রফিকুল ইসলামকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে আড়াইহাজারে নির্ধারিত সময়ের আগে মাইক বাজানোর দায়ে কাজী আবদুস সেলিমকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আড়াইহাজার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জালালউদ্দিন।গত বছরের ৯ এপ্রিল আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভা গঠন করা হয়। আড়াইহাজার পৌরসভার ভোটার ১৭ হাজার ১৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৬৩৮ জন ও নারী আট হাজার ৪৯৯ জন। গোপালদীতে ভোটার ২৪ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৫৫২ জন ও নারী ভোটার ১১ হাজার ৯৭৩ জন।
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় গতকাল বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর টহল দল ১০টি তাজা গুলিসহ একটি দেশি বন্দুক (এলজি) উদ্ধার করেছে। লংগদু সেনা জোন সূত্রে জানা গেছে, সকাল নয়টার দিকে লংগদু জোনের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. রহিমের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল টহলে নামে। তারা ডানে আটরকছড়া এলাকায় একদল সন্ত্রাসীর চাঁদা আদায়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেনাসদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই যুবক পালিয়ে যান।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কর্মী-সমর্থকেরা সংখ্যালঘু একটি পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উত্তম কুমার দাস নামের এক ব্যক্তি। উত্তম নারায়ণগঞ্জ নগরের জামতলা ধোপাপট্টি নিউ চাষাঢ়ার পুরাতন ৭৪/৬ নম্বর হোল্ডিংয়ের (নতুন ৬৪/১) বাসিন্দা মৃত লালমোহন দাসের ছেলে।পুলিশ সুপারের কাছে উত্তম অভিযোগ করেন, ‘২৪ জুন বিমল চন্দ্র দাস, আনোয়ার প্রধান ও মোহাম্মদ বুলবুল আমার বাড়িতে আসেন। তাঁরা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের (জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য) নাম ভাঙিয়ে বলেন, ‘‘তোরা দুই-তিন লাখ টাকা নিয়ে এই বাড়ি থেকে চলে যাবি এবং কোর্ট থেকে মামলা তুলে ফেলবি। দুই দিনের সময় দিলাম। অন্যথায় নাসিম ভাই তোর (উত্তম) লাশ ফেলে দিবে। এক রাতের মধ্যে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দিবে।’’ আরও বলেন, ‘‘আমরা ছাড়াও ফয়েজ ও সওদাগর তোদের উপর নজর রাখছে। যেকোনো সময় প্রাণনাশসহ বড় ধরনের অঘটন ঘটাবে।’’ এ কথা বলার দুই দিন পর আমরা লক্ষ করি, সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস নিয়ে অপরিচিত দুজন লোক এসে আমাকে খুঁজতে থাকেন এবং আমার ভাইকে আমার সন্ধান দিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এ কারণে আমি আমার পরিবার নিয়ে বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’নগরের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা ও জাতীয় পার্টির সমর্থক আনোয়ার প্রধান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উত্তম দরিদ্র পরিবারের। ওদের ভালো চাইছি। একটা ঝামেলা করে লাভ নাই। দুইটা পয়সা যাতে সবাই পায়, সে জন্য গিয়েছিলাম। ওরা একচুয়ালি এখানে কোনো জমি পাবে না। কোর্টে গেলেও পাবে না। এ জন্য বললাম, তোমরা বসো। বসে একটা সমাধান করি।’আইনজীবী বিমল চন্দ্র দাস উত্তমকে মামাতো ভাই দাবি করে বলেন, ‘উত্তমই নাসিম (সাংসদ নাসিম ওসমান) ভাইয়ের কাছে গেছে। এ জমির ব্যাপারে সাহায্য চেয়েছে। এ জন্য নাসিম ভাই আমাকে বিষয়টা দেখতে বলেছেন। এখন যখন উত্তম এমন একটা অভিযোগ করছে, তাহলে ওর বিষয় ও বুঝুক। আমি আর নাই।’তবে বিমলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে উত্তম বলেন, ‘তিনি আমার কোনো ধরনের আত্মীয় নন।’এ ব্যাপারে কথা বলতে সাংসদ নাসিম ওসমানের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তম কুমার দাসের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচ ব্যক্তি। আহত হয়েছে দুই শিশুসহ তিনজন। ঢাকার ধামরাইয়ের ইসলামপুরে গতকাল বুধবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাঘুইর গ্রামের প্রেম কুমার দাস (৩৫), তাঁর স্ত্রী ভানু রানী দাস (২৮), ছেলে সৈকত চন্দ্র দাস (৮), শ্যালকের স্ত্রী কল্পনা রানী দাস (২৮) ও অটোরিকশার চালক বাবুল (৩০)। মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রেম কুমারের শ্যালিকা শশি রানী এবং তাঁর আড়াই বছরের মেয়ে রাত্রি ও অপরূপা নামে অপর এক শিশুকে।ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াসুর রহমান ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবার জানায়, দিন পাঁচেক আগে প্রেম কুমার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সাভারের হেমায়েতপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ধামরাইয়ের রামরাবন গ্রামে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহনকারী অটোরিকশাটি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসলামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি মাটিবোঝাই ট্রাক এটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সৈকত।মুমূর্ষু অবস্থায় অন্যদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান ভানু রানী দাস। ওই হাসপাতালে ভর্তি করার পর মারা যান চালক বাবুল। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রেম কুমার ও কল্পনা।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইসলামপুরের মো. মাসুম আহমেদ জানান, আরিচার দিক থেকে আসা মাটিবোঝাই একটি ট্রাক যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নূর-ই-মোস্তফা খান ও তাঁর কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল বুধবার টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সমেঞ্চলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন। নূর-ই-মোস্তফা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাঁর কর্মী আবু সায়েম ও হেলালকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর এক অসুস্থ কর্মীকে দেখতে মরকুনের টেকপাড়া এলাকায় যান। এ সময় একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল উদ্দিনের কর্মী সুজন ও শুক্কুরের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী আবু সায়েমকে বেধড়ক মারধর করে। তিনি এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁকেও মারধর করার একপর্যায়ে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে তিনি টেকপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ছেড়ে দেয়। হেলাল উদ্দিন বলেন, তাঁর কোনো কর্মী কাউকে মারধর বা আটকে রাখার প্রশ্নই আসে না।
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহামঞ্চদ ত্বকীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে তাঁরা ওই বিবৃতি দেন।বিবৃতিতে সই করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (খণ্ডকালীন শিক্ষক), ফিরদৌস আজীম, রিয়াজ খান, মীর মজিবর রহমান, এ এ জেড আহমেদ, এম মাহবুব হোসেন, আবু এম খান, শিউলি সবুর, সামিউল তাজ, এফ হক, ইফতেখার প্রমুখ।বিবৃতিতে শিক্ষকেরা উল্লেখ করেন, ‘মেধাবী কিশোর তানভীর মুহামঞ্চদ ত্বকী গত ৬ মার্চ নিখোঁজ হয়। এর দুই দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে তার লাশ পাওয়া যায়। নিরপরাধ এ কিশোরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসেবে কয়েকজনের নাম স্থানীয় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে দিয়েছেন। এ ঘটনার চার মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি ঘটেনি। দৃশ্যত এর বিচারকার্য বন্ধ হয়ে আছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। সম্প্রতি তদন্ত র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা অতি দ্রুত এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় গত মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী (৯)।গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এলাকাবাসী ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবার জানায়, রাত দুইটার দিকে মেয়েটির বাবা-মা বাড়ি থেকে একটু দূরে শৌচাগারে যান। এ সময় প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান খানের ছেলে সোহেল খান (২২) ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকান। পরে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি মেয়েটিকে ঘরের বাইরে নিয়ে যান এবং বাড়ির পাশে ঝোপের মধ্যে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে সোহেল পালিয়ে যান।গতকাল বুধবার ভোরে গুরুতর অবস্থায় মেয়েটিকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ফাতেমা দৌলা প্রথম আলোকে জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, ধর্ষণের অভিযোগে সোহেলকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় গতকাল বুধবার পৃথক ঘটনায় বিদ্যুতের সংস্পর্শে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।ওই দুই শ্রমিক হলেন সদর উপজেলার দিয়ারা-ভবানীপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আবুল কাশেম (১৮) ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার টিপশাল গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে নূরুন্নবী (২৫)।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল আটটার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ইট ভেজানোর কাজ করছিলেন নূরুন্নবী। এর একপর্যায়ে ভবনের পাশে ৩৩ কেভির একটি বিদ্যুতের তারে বিদ্যুায়িত হয়ে সেখান থেকে নিচে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টারের দ্বিতল একটি ভবনের ছাদে পাইপ মেরামতের কাজ করছিলেন কাশেম। এ সময় ভবনের পাশে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লোহার পাইপ জড়িয়ে পড়লে কাশেম বিদ্যুায়িত হয়ে ছাদ থেকে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান লোকজন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যাপারে দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ হারার পর আচমকাই নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন গত ৮ মে। অভিমানের বরফ গলে গিয়েছিল দ্রুতই। চার দিন পরই ভুল স্বীকার করে বলেছিলেন, সিদ্ধান্তটি ছিল আবেগতাড়িত হয়ে তাড়াহুড়ো করে নেওয়া। জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে একান্ত কথাও হয়েছে কয়েক দফা। তখনই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় নেতৃত্বে থাকছেন তিনিই। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। সেটাও হয়ে গেল কাল। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকছেন মুশফিকুর রহিম। মাহমুদুল্লাই ডেপুটি। অনুমিত এই সিদ্ধান্তের পাশে বড় চমক হয়ে এল বরং আরেকটি ঘোষণা। জাতীয় দলের মূল কোচ হিসেবে শেন জার্গেনসেনের দায়িত্বে মেয়াদ বেড়েছে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে বিশ্বকাপের আসর বসছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে। বাংলাদেশের কোচ হয়েই তাই নিজ দেশের বিশ্বকাপে যাবেন ৩৭ বছর বয়সী সাবেক এই পেসার।কাল বিসিবির অস্থায়ী কমিটির প্রায় ছয় ঘণ্টাব্যাপী সভায় নেওয়া হয়েছে আরও কিছু সিদ্ধান্ত। চাইলে সভাটিকে ‘মেয়াদ বাড়ানোর সভাও’ বলা যায়। অধিনায়ক, কোচের পাশাপাশি মেয়াদ বেড়েছে নির্বাচক কমিটিরও। আকরাম খানের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিই বহাল থাকছে আরও তিন মাস। জাতীয় দলের ফিজিও বিভব সিং ও কম্পিউটার অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদের দায়িত্বে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরও এক বছর।ছিল আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। অস্থায়ী কমিটির মূল দায়িত্ব যা, সেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য এ মাসেই বোর্ড চিঠি দেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে। নির্বাচন কোন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বা কোন প্রক্রিয়ায় হবে, সেটাও ক্রীড়া পরিষদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বোর্ড। আর অনুমিতভাবেই আরেক দফা পিছিয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। নতুন ঘোষণা অনুয়ায়ী ২৫ জুলাই হবে দলবদল। আর লিগ শুরু ২৯ আগস্ট।দলবদলের এক মাস পর লিগ শুরুর কারণ ব্যাখ্যা করলেন অস্থায়ী কমিটির সদস্য ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, ‘আগস্টে বাংলাদেশ ‘এ’ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দল থাকবে ইংল্যান্ডে, অনূর্ধ্ব-২৩ দল থাকবে সিঙ্গাপুরে। ২৪ আগস্টের মধ্যে সবগুলো দল দেশে ফিরে আসবে। এ জন্যই ২৯ আগস্ট থেকে লিগ। এবারের লিগ আর আগামী মৌসুমের লিগ তাতে হয়তো খুব কাছাকাছি হয়ে যাবে। তবে সমস্যা নেই। ২০১৩ সালের লিগ হবে আগামী এপ্রিলে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। জার্গেনসেনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে সভায়। নিউজিল্যান্ডের সাবেক বোলিং কোচকে বাংলাদেশের বোলিং কোচ করা হয় ২০১১ সালের অক্টোবরে। গত অক্টোবরে রিচার্ড পাইবাস দায়িত্ব ছাড়ার পর নভেম্বরে ভারপ্রাপ্ত মূল কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় জার্গেনসেনকে। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারপ্রাপ্ত থেকে স্থায়ী মূল কোচই করে দেওয়া হয় এক বছরের জন্য। মূল কোচ হিসেবে তাঁর কাজে নীতিগতভাবে খুশিই বোর্ড, তবে এত লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব দিতে আপত্তি ছিল বোর্ড সদস্যদের কয়েকজনের। তবে জার্গেনসেন আবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মূল কোচের দায়িত্ব নিতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বোর্ডকে। তাই মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত।আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে বোর্ডে আসতে চান বলে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে আর থাকতে চাননি আকরাম খান। মুঠোফোনে জানালেন আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে রাজি হওয়ার কারণ, ‘নান্নু ভাই (মিনহাজুল আবেদীন) ও সুমনের (হাবিবুল বাশার) মেয়াদ হয়তো এমনিতেই বাড়ত। তবে আমি তো আগেই বলেছি, আর থাকতে চাই না। বোর্ড অনুরোধ করেছে বলেই আপাতত চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছি।’সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়ে টেলিভিশন সম্প্রচার ও বিপিএলের পাওনা আদায় নিয়ে। টিভি সম্প্রচার নিয়ে জানতে চাইলে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বললেন, ‘আপাতত আমরা শুধু অক্টোবরের নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য দরপত্র আহ্বান করব। আর নির্বাচিত বোর্ড এসে সিদ্ধান্ত নেবে দীর্ঘমেয়াদি সম্প্রচার স্বত্বের ব্যাপারে।’ বিপিএলের খেলাপি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে চুক্তি বাতিলের চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, চিঠিও প্রস্তুত। তবে চিঠি দেওয়ার আগে বোর্ড সভাপতি আরেকবার দলগুলোর মালিকদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন শেষ সুযোগ দিতে।নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর আবেদন করেছেন ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ আম্পায়ার নাদির শাহ। সেটা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে বোর্ড। আর আকালপ্রয়াত সাবেক ক্রিকেটার ও বোর্ড কর্মকর্তা মাজহারুল হকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।* ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধিনায়ক থাকছেন মুশফিক, সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ* ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোচ থাকছেন শেন জার্গেনসেন* জাতীয় নির্বাচক কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিন মাস* ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদল ২৫ জুলাই, লিগ শুরু ২৯ আগস্ট* নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য এই মাসের মধ্যে এনএসসিকে চিঠি দেবে বিসিবি* ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিলের চিঠি পাবে বিপিএলের খেলাপি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো, তবে এর আগে শেষ সুযোগ দিতে মালিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বোর্ডপ্রধান
ইঙ্গিতটা পাওয়া গিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পরই। কদিন আগে বাংলাদেশে এসে শহীদ আফ্রিদিও বলে যান, দলে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। পরশু লাহোরে অনুশীলনের এক ফাঁকে বলে বসলেন, ‘এখনো আমি অনেক ক্রিকেটারের চেয়ে ভালো।’ আফ্রিদির কথার যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়ে গেল গতকালই। আবার পাকিস্তান দলে ডাক পেয়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েন আফ্রিদি। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে ফিরলেও ছয় মাসের ব্যবধানে আবার বাদ পড়েন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে। আফ্রিদির সঙ্গে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দলে ফিরেছেন উমর আকমল ও আহমেদ শেহজাদও। পাঁচটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে কয়েক দিনের মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ জন্য কাল মিসবাহ-উল হক ও মোহাম্মদ হাফিজকে অধিনায়ক করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির আলাদা দল দিয়েছে পাকিস্তান। আফ্রিদি-উমর-শেহজাদ জায়গা পেয়েছেন দুই দলেই। আকমল ভাইদের ছোট জন মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি খেললেও সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে। এএফপি, রয়টার্স।উমরকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন বড় ভাই কামরান আকমল। কামরানের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন শোয়েব মালিক, ইমরান ফারহাত ও এহসান আদিল। ওয়ানডে দলে দ্বিতীয় উইকেটকিপার নবাগত মোহাম্মদ রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ৩৪ বছর বয়সী নবাগত জুলফিকার বাবর এবং আটটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলা হাম্মাদ আজম।বাকি সবাই ছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বা মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে। মোদ্দা কথা, নতুন চেহারায় অনেকটা পুরোনো দলই। তার পরও পাকিস্তান স্বপ্ন দেখছে নতুন করে পথচলার। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও (২-১) দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে টেস্ট-ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। টেস্ট সিরিজে হয়েছে ধবলধোলাই। এরপর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিন ম্যাচেই শোচনীয় পরাজয়। পিসিবির অন্তর্বর্তী প্রধান নাজাম শেঠির উপলব্ধি, খেলোয়াড়দের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি, অন্য দেশগুলোর পাকিস্তান সফরে না যাওয়া এবং বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে!
তাঁর প্রথম আপিলটাই টেকেনি। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হয়নি। কিন্তু হাল না ছেড়ে দানিশ কানেরিয়া আপিল করেছিলেন আবারও। নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে না নিলেও যাতে সেটি কমানো হয়। কপাল মন্দ পাকিস্তানি লেগ স্পিনারের। এবারও ইসিবি খালি হাতেই ফিরিয়ে দিল তাঁকে। উল্টো প্রকাশ্যে দোষ স্বীকার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কানেরিয়াকে।২০০৯ সালে এসেক্সের হয়ে কাউন্টিতে ৪০ ওভারের একটি ম্যাচ খেলার সময় সতীর্থ মারভিন ওয়েস্টফিল্ডকে সঙ্গে নিয়ে স্পট ফিক্সিং করেছিলেন তিনি। কানেরিয়া নিজে কখনো স্বীকার না করলেও তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন এবং গত বছর ইসিবি তাঁকে আজীবন নিষিদ্ধ করে। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন করেন কানেরিয়া। সেটা ব্যর্থ হলে পরে আপিল করেন নিষেধাজ্ঞা কমানোর। কিন্তু এবারও সাড়া দেয়নি ইসিবি। ক্ষুব্ধ পাকিস্তানি স্পিনার তাই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন ইসিবির বিরুদ্ধে, ‘আমি ওদের সিদ্ধান্তে খুব হতাশ ও বিরক্ত। ওয়েস্টফিল্ডের শাস্তি কমিয়ে আনা হয়েছে অথচ আমাকে দোষী বলা হচ্ছে।’ ইসিবি কোনো প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে শাস্তি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কানেরিয়া, ‘আমার বিরুদ্ধে ওদের হাতে কোনো প্রমাণ নেই। ইসিবি আমার প্রতি অবিচার করছে এবং এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ এই দুঃসময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি বলেও ক্ষোভ দেশের হয়ে ৬১ টেস্ট ও ১৮ ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটারের, ‘মাঝে মাঝে আমার নিজেকে একা মনে হয়। হয়তো আমি সংখ্যালঘু বলেই কেউ আমার পাশে দাঁড়াচ্ছে না।’ ক্রিকইনফো।এতে অবশ্য পিসিবি বা ইসিবির মন গলছে না। উল্টো কানেরিয়াকে প্রকাশ্যে নিজের দোষ স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসিবি চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্ক।
মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়া বাকি সবাই-ই তো আছেন। কিন্তু কে বলবে এই দলটা কদিন আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে এসেছে! আগের দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে লড়াই করে হেরেছিল মাত্র ১ উইকেটে। কিন্তু পরশু কিংস্টনে শ্রীলঙ্কার সামনে তারা দাঁড়াতেই পারল না! ক্রিকইনফোর ম্যাচ রিপোর্টের শিরোনাম, ‘থারাঙ্গা-জয়াবর্ধনে মিলে চাবুকপেটা করেছেন ভারতকে।’ আসলেও তা-ই। ভারতীয় বোলারদের গলির বোলার বানিয়ে ছেলেখেলা করেছেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার। তাঁদের জোড়া সেঞ্চুরিতে লঙ্কানরা গড়ে ৩৪৮ রানের পাহাড়, যার নিচে চাপা পড়ে ১৬১ রানে হেরেছে কোহলির দল। টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো দলের কাছে রানের দিক দিয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় পরাজয়!‘টস জেতা আর হলো না’—বিরাট কোহলির কাছে টসে হেরে আফসোস করছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টস ও ম্যাচ দুটিই হেরেছিলেন। কিন্তু চার ঘণ্টা পর নিজেদের ব্যাটিং শেষে স্কোর বোর্ডে তাকিয়ে তৃপ্তই ছিলেন ম্যাথুস। অধিনায়ক নিজে তিন নম্বরে উঠে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু ভারতের সর্বনাশটা করে দিয়ে গেছেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার মাহেলা জয়াবর্ধনে ও উপুল থারাঙ্গা। স্যাবাইনা পার্কের উইকেটে উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা কিংবা নতুন সুযোগ পাওয়া সামি আহমেদদের নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলেছেন এ দুজন। ২৫ রানে জয়াবর্ধনের ক্যাচ ফেলেছিলেন মুরালি বিজয়। সেই জয়াবর্ধনে যখন আউট হলেন, তাঁর নামের পাশে ১০৭ রান! শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়কের ১৬তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ১৫ থেকে ১৬-তে আসার মাঝখানে পেরিয়ে গেছে প্রায় দুই বছর, ৫০টি একদিনের ম্যাচ!ভারতের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা নিজেদের করে নিয়েছেন জয়াবর্ধনে-থারাঙ্গা। দলীয় ২১৩ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে জয়াবর্ধনে ফিরে গেলেও থারাঙ্গাকে শেষ পর্যন্ত ফেরাতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। ৯১ রানে যাদব তাঁর ক্যাচ ফেলেছিলেন। কিন্তু ওই একটা সুযোগ দিয়েই একদিনের ক্যারিয়ারে ১৩তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আরও খুনে মেজাজে স্ট্রোক খেলেছেন উইকেটের চারপাশে। ইনিংসের আদ্যন্ত ব্যাট করে অপরাজিত থাকলেন ১৭৪ রানে। ১৫৯ বলে ১৯ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (প্রথম সনাৎ জয়াসুরিয়া, ১৮৯, ভারতের বিপক্ষে)।এই পাহাড় ডিঙানো সহজ নয়, কিন্তু ভারতের ব্যাটিং লাইনআপের জন্য অসম্ভবও ছিল না। কিন্তু যে উইকেটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন সেখানেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ৬৫ রানের মধ্যে শুরুর চার ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, মুরালি বিজয় ও বিরাট কোহলি নেই। এই ম্যাচে জিততে হলে এরপর অতিমানবীয় কিছু করতে হতো পরের কোনো ব্যাটসম্যানকে। সেটা কেউ করতে পারেননি। ১৮৭ রানে যখন ভারতের শেষ উইকেট পড়ে তখন ৪৯ রানে অপরাজিত রবীন্দ্র জাদেজা। ওটাই তাদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান! ক্রিকইনফো। সংক্ষিপ্ত স্কোরশ্রীলঙ্কা: ৩৪৮/১, ৫০ ওভার (থারাঙ্গা ১৭৪*, জয়াবর্ধনে ১০৭; অশ্বিন ১/৬৭)।ভারত: ১৮৭/১০, ৪৪.৫ ওভার (জাদেজা ৪৯*; হেরাথ ৩/৩৭, মালিঙ্গা ২/৪০, সেনানায়েকে ২/৪৬)।ফল: শ্রীলঙ্কা ১৬১ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: উপুল থারাঙ্গা।
গত ৫ মে, মিউনিখে নিকোলাই ডোম্বোর বাড়িতে নিমন্ত্রণ। গেট দিয়ে ঢুকতেই সমস্বরে শুভ জন্মদিন...শুভ জন্মদিন...অভ্যর্থনা। ডোম্বোর মা-বাবা কেক-টেক এনে হুলুস্থুল কাণ্ড করলেন। রাসেল মাহমুদ জিমি তো অবাক, ‘ওরা আমার জন্মদিন জানল কীভাবে!’ রেড হোয়াইট মিউনিখ হকি দলের অধিনায়ক ডোম্বোই নাকি সেদিন সতীর্থ জিমিকে বলেছিলেন, ‘তোমার সব খবরই আমরা রাখি। তাই এই জন্মদিনের পার্টি।’অভিভূত জিমি। বাংলাদেশের আরও দুই খেলোয়াড় মশিউর রহমান বিপ্লব ও মামুনুর রহমান চয়নও ছিলেন। জিমির জন্মদিনের অনির্ধারিত এই অনুষ্ঠানে। ‘চয়ন, বিপ্লব আর আমি মিলে সেখানে ‘বাংলা’ রান্না-টান্না করে খেয়েদেয়ে ফিরেছিলাম’—জিমির স্মৃতিতে দিনটা ভাস্বর। রেড হোয়াউট মিউনিখকে দক্ষিণ জার্মানির চ্যাম্পিয়ন করে আসতে পারা জিমির জন্য আরও বড় স্মরণীয় ঘটনা। আগামী সেপ্টেম্বরে বুন্দেসলিগার ডিভিশন টুতে খেলবে তাঁর দল। এবার হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েভিত্তিক ফিরতি পর্বে যাতে নয় ম্যাচে ৭ গোল করে বাংলাদেশের হকির ‘মুখ’ হয়ে ওঠা জিমির বড় অবদান। গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ২০১২ বর্ষসেরা রানারআপের পুরস্কার হাতে তুলেই জিমি ফিরতি পর্বটা খেলতে যান। তাতে ঔজ্জ্বল্য ছড়ানোর সুবাদে আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন মৌসুমেও একই দলে খেলার আগাম খেলার প্রস্তাব পেলেন। এই সুখবর নিয়ে তিন দিন আগে জিমির দেশে ফেরাটা হলো একটু অন্য রকম।কিন্তু ভুলতে পারছেন না সেই মজার কাণ্ডটা! রেড হোয়াইট ক্লাবের একটা জার্সি লাল, আরেকটা সাদা। ১৯ নম্বর জার্সি পরতেন জিমি। অথচ শেষ চারটি ম্যাচ খেলেছেন সতীর্থ চয়নের ২০ নম্বর লাল জার্সি পরে! ‘চয়ন ভুল করে আমার জার্সি নিয়ে এসেছে ঢাকায়। তাই চয়নের জার্সিই হয়ে যায় আমার ভরসা। আমার শর্টস ১৯ নম্বর, জার্সি ২০!’ জিমির মুখে হাসি থামছিলই না কাল বলার সময়। সতীর্থরা এটা বেশ উপভোগ করতেন। জার্সি গন্ডগোলে জিমিকে ‘চায়ান’, ‘চায়ান’ ডাক শুনতে হতো! ম্যাচের আগে আম্পায়ারকে জার্সির বিষয়টা জিমি জানাতেন। আম্পায়ার নাকি হেসে বলতেন, ‘সমস্যা নেই। তোমার নামে কার্ড হবে না, ওটা চায়ানের নামে হবে (হা হা)!’ মাঠের বাইরেও সময়টা কেটেছে অন্য রকম। ‘ক্লাব থেকে বাইসাইকেল দিয়েছিল ঘোরার জন্য। একদিন কথা বলতে বলতে রাস্তায় ভুল দিকে চলে গিয়েছিলাম, আমাকে বাইসাইকেলে দেখে এক মহিলা ২০ গজ দূরে গাড়ি থামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। পরে আমি হাত উঁচিয়ে স্যরি-টরি বুঝিয়ে চলে এসেছি। নিজের কাছেই খুব খারাপ লেগেছিল, এখানে তো আইন ভাঙা যাবে না’—জিমির কাছে জার্মান সফর বড় এক শিক্ষাও। বিপ্লবকে নিয়ে থাকতেন কোচ পিটার গেরহার্ডের (বাংলাদেশের সাবেক কোচ) বাড়িতে আলাদা ফ্ল্যাটের একটা কক্ষে। একমাত্র বিদেশি সতীর্থ ভারতীয় জাতীয় দলের অন্যতম খেলোয়াড় প্রভজোত সিং পাশের রুমে। কাছাকাছি থাকা বড় বিপণিবিতানে দেওয়া আড্ডায় তাঁর সঙ্গী হতেন ওই প্রভজোত।অন্য দলে খেলা বিপ্লবকে সঙ্গে নিয়ে মাঝেমধ্যে বেরোতেন। স্থানীয় জার্মান শিশুদের স্টিকের কারিকুরি দেখাতেন। ‘বিদেশিরা’ স্থানীয় শিশুদের একটু দেখিয়ে দিলে অভিভাবকেরা উৎসাহিত হয়। জিমি-বিপ্লব এটা করতেন প্রায়ই।ম্যাচ জেতার পর পাটি-টার্টিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ হতো নিয়মিতই। বিপ্লবের ‘বাংলা’ খাবারই চাই, কিন্তু জিমি খেতেন গেরহার্ডের স্ত্রীর রান্না করা জার্মান খাবার। ম্যাচ খেলতে ভ্রমণ করতে হতো ৪-৫ ঘণ্টা পথ। খেলোয়াড়েরা নিজ গাড়িতেই যেতেন ভেন্যুতে। জিমি আর প্রভজোতের বাহন ছিল কোচের গাড়ি। এই গেরহার্ডের কল্যাণেই জিমিদের সামনে খুলেছে ইউরোপের হকির দুয়ার। এখন নানা দিক থেকে প্রস্তাব পেয়ে ভালো লাগছে জিমির। দিল্লিতে বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা টেন স্পোর্টসে দেখে এখন সবাই বাংলাদেশের হকি সম্পর্কে জানে। জার্মানিতে সবাই তাই আগ্রহ দেখাচ্ছে জিমিদের নিয়ে। জিমির কাছে এটি মধুরতম অনুভূতি।জিমি নিজে অভিভূত জার্মান ক্লাবের সুযোগ-সুবিধা দেখে। ক্লাবের মাঠ অনেকগুলো, জিম, আধুনিক ড্রেসিংরুম, নিজস্ব ফুড রেস্টুরেন্ট। এলাহি ব্যাপার। বছর তিনেক আগে প্রথম খেলতে গিয়ে টাকাপয়সা সেভাবে পেতেন না। এখন মাসে সাড়ে সাত-আট শ ইউরো পাচ্ছেন। যাওয়া আসা-থাকা-খাওয়া, মুঠোফোনসহ সব খরচ ক্লাবের। জিমির ভাষায়, ‘এখন অবস্থা বেশ ভালো!’ কিন্তু আবহাওয়া বেকায়দায় ফেলেছিল শুরুর দিকে। মার্চের তীব্র শীতে সমস্যা হয়েছিল। খেলতে পারছিলেন না ভালো। সতীর্থরাই নাকি দোয়া করেছেন রোদ ওঠার জন্য! এই জায়গাতেই টিমমেটদের কথা ভুলতে পারছেন না। ‘ওরা সবসময়ই উৎসাহ দিয়েছে। বলত, তুমি গোল করাচ্ছ। নিজে করছ না কেন?’জার্মান সতীর্থরা তাঁর কাছে ‘বাংলা’ শিখতেন, ‘কেমন আছো’, ‘ভালো আছি’। জিমিও জার্মান ভাষা টুকটাক রপ্ত করে ফেলেছেন, ‘...ওরা হ্যালোকে বলে ‘চেউস’, বাইকে ‘চাও’। এগুলো মুখস্থ করতাম ওদের সঙ্গে।’একই সঙ্গে জার্মানদের মনও জয় করেছেন আরমানিটোলার ছেলে।
পরশু জয়াবর্ধনে-থারাঙ্গার ২১৩ রানের জুটিসহ এক দিনের ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতে এখন পর্যন্ত ২০০ কিংবা এর চেয়ে বেশি রান হয়েছে ২৫ বার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৯ বারই এই কীর্তিটি গড়েছে শ্রীলঙ্কা, এই ৯ বারের ৭ বারই জুটির একজন উপুল থারাঙ্গা! ২৫ বারের ৫ বারই প্রতিপক্ষের নাম ভারত! ২০০ রানের জুটি২৮৬   থারাঙ্গা-জয়াসুরিয়া   শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড   লিডস   ২০০৬২৮২   থারাঙ্গা-দিলশান   শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে   পাল্লেকেলে   ২০১১২৭৪ জে মার্শাল-বি ম্যাককালাম   নিউজিল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড   অ্যাবারডিন   ২০০৮২৫৮ সৌরভ-টেন্ডুলকার  ভারত-কেনিয়া   পার্ল   ২০০১২৫২ সৌরভ-টেন্ডুলকার  ভারত-শ্রীলঙ্কা   কলম্বো   ১৯৯৮২৩৭   আতাপাত্তু-জয়াসুরিয়া   শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া সিডনি   ২০০৩২৩৫ জি কারস্টেন-গিবস   দ. আফ্রিকা-ভারত   কোচি   ২০০০২৩১*   থারাঙ্গা-দিলশান   শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড   কলম্বো   ২০১১২২৮*   হাফিজ-ফারহাত   পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে  হারারে   ২০১১২২৫   চুডাসামা-ওটিয়েনো   কেনিয়া-বাংলাদেশ   নাইরোবি  ১৯৯৭২২৪ হাফিজ-জামশেদ   পাকিস্তান-ভারত   ঢাকা   ২০১২২১৫   থারাঙ্গা-জয়াবর্ধনে   শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ   ঢাকা   ২০১০২১৩   থারাঙ্গা-জয়াবর্ধনে   শ্রীলঙ্কা-ভারত   কিংস্টন ২০১৩২১২ জি মার্শ-বুন   অস্ট্রেলিয়া-ভারত   জয়পুর   ১৯৮৬২০৬   গিলক্রিস্ট-মার্ক ওয়াহ   অস্ট্রেলিয়া-ও. ইন্ডিজ   ব্রিসবেন ২০০১২০৪   আনোয়ার-রমিজ   পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা   শারজা   ১৯৯৩২০৪ লু ভিনসেন্ট-ফ্লেমিং   নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে   বুলাওয়ে  ২০০৫২০৩   হ্যামিল্টন-ওয়াটস   স্কটল্যান্ড-কানাডা   অ্যাবারডিন   ২০০৯২০২ রমিজ-আনোয়ার   পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা   অ্যাডিলেড ১৯৯০২০২   থারাঙ্গা-জয়াবর্ধনে   শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান   ডাম্বুলা ২০০৯২০১*   গম্ভীর-শেবাগ   ভারত-নিউজিল্যান্ড   হ্যামিল্টন   ২০০৯২০১   থারাঙ্গা-জয়াসুরিয়া   শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড   নেপিয়ার  ২০০৬২০১   জয়াসুরিয়া-সাঙ্গাকারা   শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ   করাচি   ২০০৮২০০*   উইলিয়ামস-চন্দরপল   ও. ইন্ডিজ-ভারত   ব্রিজটাউন ১৯৯৭২০০     ট্রেসকোথিক-সোলাঙ্কি     ইংল্যান্ড-দ. আফ্রিকা     ওভাল     ২০০৩
একবার ভাবুন তো দৃশ্যটা। বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজে গিয়ে ‘নেইমার’ বলে ডাক দিলেন, একসঙ্গে আট-দশজন চলে এল! কল্পনা নয়, কয়েক বছরের মধ্যে এটাই সত্যি হবে। বলিভিয়ান দৈনিক লা রেজন সম্প্রতি এক জরিপে দেখেছে, সন্তানের নাম ‘নেইমার’ রাখার ধুম পড়েছে লা পাজের দম্পতিদের মধ্যে। লা পাজের প্রতি এক শ শিশুর ২০ জনের নামই নাকি নেইমার! জন্ম নিবন্ধন বিভাগের হিসাবে, এমন চলতে থাকলে আজ থেকে ১৭ বছর পরে লা পাজের বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের নামই হবে নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ‘নাম্বার টেন’ এতটাই জনপ্রিয় বলিভিয়ার রাজধানীতে! ওয়েবসাইট।
না, নির্দিষ্ট দিনক্ষণের জন্য অপেক্ষা নয়। অ্যাশেজ চলাকালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা (ওয়াগরা) তাঁদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন যখন-তখন। আগের কোচ মিকি আর্থারের মাথায়ও এই দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনাটা ছিল। তবে আর্থার একটা সীমারেখা টেনে দিয়ে বলেছিলেন, প্রথম টেস্ট শুরুর আগে নটিংহামে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তাঁদের স্ত্রী-বান্ধবীরা। কিন্তু নতুন কোচ ড্যারেন লেম্যান সীমারেখাটা তুলে অ্যাশেজটাকে ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন। লেম্যানের মতে, ক্রিকেট শুধুই একটা খেলা। জীবন অনেক বড়। সুখী জীবনে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা এমনিতেই আসে। আর আপনজনদের সান্নিধ্য সেই কাজটাই করে। ওয়েবসাইট।
১০ বছর হলো রোমান আব্রামোভিচ চেলসির মালিক হয়েছেন। এই সময়ে দেদার টাকা ঢেলেছেন রুশ ধনকুবের, অল্পবিস্তর সাফল্যও এসেছে। প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে তিনবার, রূপকথার জন্ম দিয়ে জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। কিন্তু এখন আর আগের মতো যথেচ্ছ ব্যয় করা যাচ্ছে না। খেলোয়াড় কেনার জন্য অর্থব্যয়ে যে লাগাম পরিয়ে দিয়েছে উয়েফা। চেলসির বোধোদয় হয়েছে। টাকা দিয়ে খেলোয়াড় কেনার চেয়ে খেলোয়াড় গড়ে তোলাই ভালো! প্রধান নির্বাহী রন গোরলে তাই পরশু ঘোষণা দিলেন, এখন থেকে নিজেদের একাডেমি থেকে বিশ্বমানের খেলোয়াড় বের করে আনার দিকেই জোর দেবে চেলসি। রয়টার্স।
কুশলী এক ফুটবল কোচ তিনি। হোসে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি একজন প্রকৌশলীও বটে। সান্তিয়াগোর ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশলের স্নাতক বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটির এই চিলিয়ান কোচ।
তাঁদের যুগলবন্দী দেখার অপেক্ষায় অধীর হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। নেইমার-মেসিকে একসঙ্গে খেলতে দেখার চেয়ে রোমাঞ্চকর আর কী হতে পারে? ন্যু ক্যাম্পে সেই মুহূর্তটার জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে সবার আগে গত পরশু দুজনকে এক ম্যাচে খেলতে দেখল পেরু। দুজন ছিলেন প্রতিপক্ষ। দুজনেই পরেছিলেন ১০ নম্বর জার্সি। পেরুর লিমায় হওয়া ম্যাচটা ছিল মেসি ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি প্রীতি ম্যাচ।শেষ পর্যন্ত নেইমারের অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশকে মেসি ও তাঁর বন্ধুদের দল হারিয়েছে ৮-৫ গোলে। তবে ম্যাচের সেরা গোলটা করেছেন উড়তে থাকা এই ব্রাজিলিয়ানই। দুটি গোল করেছেন, দ্বিতীয় গোলটি ছিল বিস্ময়কর। ৪৫ মিটার দূর থেকে করা শটে পরাস্ত করেছেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরাকে। প্রথমার্ধে অবশ্য পেনাল্টিও মিস করেছেন। জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসিও, আবার একটি গোল করিয়েছেন বার্সা-সতীর্থ দানি আলভেজকে দিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত নেইমার-মেসি নন, এই ম্যাচের আসল জয়ী মানবতা। ম্যাচ থেকে পাওয়া সব অর্থই ব্যয় করা হবে শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে! ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশ আনসার তাদের সব খেলোয়াড়কে সফিপুরে আনসার একাডেমিতে যোগ দিতে বলেছে। এটা সম্ভব নয় ধরে নিয়ে আনসার থেকে কাল পদত্যাগ করেছেন শারমিন আক্তার (রত্না)। এ নিয়েই কাল কথা বললেন কমনওয়েলথ শ্যুটিংয়ের সোনাজয়ী শ্যুটারl শুনলাম, আপনি আনসার ছেড়েছেন। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কী?শারমিন আক্তার: সবচেয়ে বড় কারণ, আনসার বলেছে সব খেলোয়াড়কে সফিপুরে গিয়ে থাকতে হবে। আমার পক্ষে তো ব্যাটালিয়নে গিয়ে থাকা সম্ভব নয়। তাই আজ (কাল) পদত্যাগপত্র দিয়ে এলাম।l ব্যাটালিয়নে থাকা সম্ভব নয় মনে করছেন কেন?শারমিন: দেখুন, এত দিন আমরা আগে খেলোয়াড় তারপর আনসারের সদস্য ছিলাম। কিন্তু এখন নিয়ম করা হয়েছে, আগে সবাইকে আনসার হতে হবে। মানে, আনসারের প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেনিং নিতে হবে। আমি একজন খেলোয়াড়, খেলাটাই আমার কাছে আগে। তাই আনসারের এমন নির্দেশ পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে আমার জন্য।l এটা তো সত্য, আপনার এগিয়ে চলার পথে আনসারের বিরাট অবদান আছে...শারমিন: অবশ্যই, আমি তা স্বীকারও করি। আমি ২০০৫ সালে নিজের প্রথম ন্যাশনালটাই খেলেছি আনসারের হয়ে। পরের বছর চাকরি হয় আনসারে। প্রথম থেকেই আমি ঘরোয়া শ্যুটিংয়ে আনসারের পক্ষে খেলে এসেছি। কিন্তু এখন তো তারা সবকিছুই ফেরত নিয়েছে।l সবকিছু মানে, কী ফেরত নিয়েছে?শারমিন: আনসারের টাকায় আমি প্রায় পাঁচ লাখ টাকার শ্যুটিং সরঞ্জাম কিনেছিলাম। রাইফেলসহ সেসবই তারা ফেরত নিয়েছে। এগুলো পেতে আমাকে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়। বেশ কিছুদিন আগে ডিজি মহোদয় প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও আমাকে রাইফেল দেওয়া হচ্ছিল না। আমি তাই পদত্যাগও করেছিলাম। ডিজি মহোদয় সেটি গ্রহণ করেননি। পরে আমাকে টাকা দেওয়া হয় সরঞ্জাম কেনার জন্য।l এখন তাহলে কী করবেন?শারমিন: আমার তো চাকরির অভাব হবে না। আমি অন্য দল থেকে আগেও প্রস্তাব পেয়েছি। এখন তো পাবই। আমার চিন্তা হচ্ছে অন্য খেলোয়াড়দের নিয়ে, যাদের কাছে আনসারের চাকরিটা খুব দরকার। তারা এখন ব্যাটালিয়নে গিয়ে থাকতে না পারলে বাধ্য হয়ে হয়তো চাকরি ছাড়বে। যেটা দেশের গোটা ক্রীড়াঙ্গনেই নেতিবাচক প্রভাব ফেরতে পারে।l আনসার কর্তৃপক্ষ বলেছে, সবকিছু একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতেই এই সিদ্ধান্ত। আপনি এটাকে কীভাবে দেখেন?শারমিন: তারা কী চায় বা কী বলেছে, সেটার চেয়ে বড় কথা, খেলোয়াড়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে তো সফিপুর গিয়ে আনসারের ট্রেনিং নেওয়া কঠিন। এটা বুঝতে হবে। যখনই কেউ যেতে পারবে না, তখন তার সামনে বিকল্প হলো চাকরি ছাড়া। আর চাকরি ছাড়া মানে তো খেলার ওপরও একটা প্রভাব পড়া। এটাই সবচেয়ে হতাশার।l এমনিতে অন্য খেলোয়াড়েরা কী বলছেন?শারমিন: সবাই আক্ষেপ করছে। শুনেছি, কোনো কোনো খেলোয়াড়কে নাকি পার্বত্য এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এখন বলেন, এভাবে কি খেলাধুলা হয়? বাংলাদেশের খেলাধুলায় আনসারের অনেক অবদান রয়েছে। অনেক খেলোয়াড় একটা ঠিকানা পেয়েছে আনসারকে অবলম্বন করে। এখন জানি না কী হবে? আমি তো পদত্যাগ করলাম, হয়তো আমার মতো অনেকে সরে যেতে পারে আনসার খেকে। এমনকি ক্রীড়াঙ্গনই ত্যাগ করতে পারে খেলোয়াড়দের একটা অংশ।
সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভা, ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, লি না, পেত্রা কেভিতোভারা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে শিরোপা দৌড়ে ফেবারিট ছিলেন। কিন্তু এক এক করে ঝরে পড়েছেন সবাই। তাঁদের বিদায়ী মঞ্চে, মেয়েদের এককে আজ যাঁরা সেমিফাইনাল খেলতে নামছেন, সেই নামগুলো মিলিত কণ্ঠে গাইছে নতুনের জয়গান। সাবিনা লিসিকি, আগ্নিয়েস্কা রাদভানস্কা, মারিওন বারতোলির সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠে সবচেয়ে বড় বিস্ময়টির জন্ম দিয়েছেন বেলজিয়ামের কারস্টেন ফ্লিপকেনস।অঘটনের উইম্বলডনে মেয়েদের এককের কোয়ার্টার ফাইনালে ছিল অন্য রকম এক ছবি। শেষ আটে উঠেছিলেন ৮ দেশের ৮ জন। যাঁদের মধ্যে গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের অভিজ্ঞতা ছিল মাত্র দুজনের! ২০১১ ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী লি না ও একই বছরের উইম্বলডনজয়ী কেভিতোভা। কিন্তু দুজনই বিদায় নিয়েছেন শেষ আট থেকে। চার সেমিফাইনালিস্টের গ্র্যান্ড স্লাম জয় দূরে থাক, ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতাই আছে দুজনের। এই উইম্বলডনেই ২০০৭ সালে ফাইনালে উঠেছিলেন ফ্রান্সের বারতোলি, গত বছর পোল্যান্ডের রাদভানস্কা।দুই ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের লড়াইয়ে লি নাকে ৭-৬ (৭-৫), ৪-৬, ৬-২ গেমে হারিয়েছেন গত বছরের রানারআপ রাদভানস্কা। কেভিতোভাকে ৬-৪, ৩-৬, ৪-৬ গেমে হারিয়ে ফ্লিপকেনস পেয়েছেন যেন ‘দ্বিতীয় জীবন’। এক বছর আগেও তাঁর ক্যারিয়ারে যতি পড়ে যাচ্ছিল প্রায়। পায়ের পেশিতে পাওয়া যায় জমাটবাঁধা রক্ত। ২৭ বছর বয়সী সেই ফ্লিপকেনসের চোখেই এখন প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের স্বপ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের স্লোয়ান স্টিভেনসকে বারতোলি হারিয়েছেন ৬-৪, ৭-৫ গেমে। ২০০৭ সালে জাস্টিন হেনিনের পর তিনিই প্রথম বেলজিয়ান মেয়ে, যিনি উঠলেন গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে। এস্তোনিয়ার কেইয়া কানেপিকে ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারিয়ে লিসিকি দ্বিতীয়বারের মতো উইম্বলডনের সেমিফাইনালে।এক একটি সিঁড়ি ভেঙে এ পর্যায়ে এসে চারজনই হয়তো মনের মধ্যে ধরেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার আশায় আজ চারজনই নামছেন। সেমিফাইনালে জার্মানির লিসিকির মুখোমুখি বর্তমান রানারআপ রাদভানস্কা, আর বারতোলির সামনে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে ওঠা ফ্লিপকেনস।শেষ পর্যন্ত চারজনের কে হাসবেন শিরোপা জয়ের হাসি? নয়বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার ফেবারিট লিসিকি। চতুর্থ রাউন্ডে টপ ফেবারিট সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়েছেন বলেই নয়, জার্মানির ২৩ বছরের তরুণী প্রতিটি ম্যাচেই যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। ২০১১ সালেও অল-ইংল্যান্ডের এই ঘাসের কোর্টে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন লিসিকি। কিন্তু হেরে যান শারাপোভার কাছে। তবে সেরেনার বিপক্ষে এবারের জয়টা যেন তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। সেমিফাইনালে উঠেই যেমন বলেছেন, ‘দুই বছর আগের চেয়ে আমি অনেক বেশি সতেজ এবং ভালো বোধ করছি।’শেষ পর্যন্ত যে-ই জিতুন, উইম্বলডন পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। এএফপি, রয়টার্স।
স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে প্রাণঘাতী এইডস রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন। এই রোগের জন্য দায়ী এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্যক্তির রক্তের ক্যানসার (লিম্ফোমা) চিকিৎসার জন্য স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এতে ওই ভাইরাসের কার্যকারিতা অনেকাংশেই কমে এসেছে। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটি কনফারেন্সে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলন গতকাল বুধবার শেষ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে ওই দুই ব্যক্তির একজনের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য তিন বছর আগে স্টেম সেল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। অপর রোগীকে পাঁচ বছর আগে একই চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাঁদের এইডসের ওষুধ যথাক্রমে ১৫ সপ্তাহ ও সাত সপ্তাহ বন্ধ রাখার পরও এইচআইভির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রোগমুক্তির পথে তাঁদের অগ্রগতি অনেকটা জার্মানির টিমোথি রে ব্রাউনের মতো, যাঁকে এইডস থেকে আরোগ্যলাভকারী বিশ্বের একমাত্র পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে ছয় বছর আগে ঘোষণা দেওয়া হয়। স্টেম সেল থেকে তৈরি হয় মানবদেহের সব কোষ, কলা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।এইচআইভিকে অকার্যকর করার চেষ্টায় নতুন আরও বেশ কয়েকটি সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে এইচআইভি আক্রান্ত একটি শিশুর ওপর বিশেষ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। ১৫ মাস পর ওষুধটি বন্ধ করে দেওয়ার পর তার শরীরে ভাইরাসটি ফিরে আসার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। একসময় এইডসকে একেবারেই অপ্রতিরোধ্য বলে মনে করা হতো। তবে রোগটিকে ‘কার্যত’ থামিয়ে রাখার চেষ্টায় বিজ্ঞানীরা এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনকারী বোস্টনের ওই দুই রোগীকে নিয়ে গবেষণাকারী ব্রিংহ্যাম অ্যান্ড ওমেনস হসপিটালের চিকিৎসক টিমোথি হেনরিক বলেন, রোগীদের অবস্থাকে আরোগ্য হয়তো বলা যায় না। কিন্তু তাঁরা তো এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধ ছাড়াই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সুস্থ রয়েছেন। চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার পরও তাঁদের শরীরে ভাইরাসটি ফিরে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।এইচআইভি প্রতিরোধে ১৯৯৬ সাল থেকে একটি বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করে লাখ লাখ এইডস রোগীর জীবনসীমা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে ওষুধটি বন্ধ করে দিলে রোগীর অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে যায়।বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত। এইডস রোগে প্রতিবছর প্রায় ১৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এইচআইভি ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত করা হয় ১৯৮১ সালে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এবং নিউমোনিয়া বা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এএফপি, বিবিসি ও নেচার।
খুক খুক শুকনো কাশি যখন-তখন অনেককে ভোগায়, বিব্রতও করে। কারও সারা বছর খুসখুসে কাশি লেগেই থাকে। সব সময় কাশি সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক বা কাশির ওষুধের দরকার নেই। কাশির কারণটা খুঁজে বের করে তা দূর করা দরকার বেশি।সংক্রমণ: ঋতু বদলের সময় ভাইরাস সংক্রমণের কারণেই কাশির প্রকোপ বাড়ে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। কাশির সঙ্গে জ্বর, কফ ইত্যাদি থাকলে ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া কি না ভাবতে হবে। দীর্ঘদিনের (যেমন তিন সপ্তাহের বেশি) কাশি, ঘুসঘুসে জ্বর, ওজন হ্রাস, কাশির সঙ্গে রক্ত যক্ষ্মার লক্ষণ হতে পারে।হাঁপানি ও অ্যালার্জি: শ্বাসকষ্ট নয়, কেবল কাশিও হতে পারে হাঁপানি বা অ্যাজমার লক্ষণ। রাতে কাশি বেড়ে যাওয়া, বুকে শব্দ ও পরিবারে হাঁপানির ইতিহাস থাকলে এটি এক ধরনের অ্যাজমা হতে পারে—একে বলে কফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা। লক্ষ্য করুন, ধুলাবালু, ফুলের রেণু, এসির ঠান্ডা বাতাস ইত্যাদি কারণে কাশির প্রকোপ বেড়ে যায় কি না। তাহলে এটি অ্যালার্জিজনিত। কাজের দিন বেড়ে যায় আবার ছুটির দিনে কমে আসে—এমন হলে বুঝতে হবে আপনার কর্মস্থলের পরিবেশে কোনো সমস্যা রয়েছে।অম্লতা: ভারী বা চর্বিযুক্ত খাদ্য খাবার পর বুকে জ্বালাপোড়া বা টক ঢেকুরের সঙ্গে খুক খুক কাশিও হতে পারে। পাকস্থলীর অম্ল খাদ্যনালিতে উঠে এসে এই কাশির সৃষ্টি করে। অনেক সময় ঠান্ডা সর্দি লাগা থেকে নাকের পেছন দিক থেকে গলায় নিঃসরণের জন্য ইরিটেসন ও শুষ্ক কাশি হয়।ক্যানসার: বয়স্ক ও ধূমপায়ী ব্যক্তিদের দীর্ঘদিনের কাশি, জ্বর, পুরোনো কাশির নতুন ধরন, কফের সঙ্গে রক্ত এসব উপসর্গ থাকলে সাবধান। ফুসফুসের ক্যানসার হবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।হূদেরাগ: হূদেরাগের কারণেও ক্রনিক কাশি হয়। শরীরে পানি জমা, দুর্বলতা, সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট এগুলো হূদেরাগের দিকেই নির্দেশ করে।ওষুধ: কোনো কিছুতেই কাশি না সারলে ও পরীক্ষায় কিছু না পাওয়া গেলে লক্ষ করুন কোনো ওষুধের জন্য এটি হচ্ছে কি না।নিরাময়ের উপায়ধূমপান ও বায়দূষণ কাশির একটি অন্যতম কারণ। তাই ধূমপান বর্জন করুন।ধুলাবালিতে কাশি হলে ঘর ঝাড়ু, ঝুল ঝাড়া ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।ঠান্ডায় সমস্যা হলে গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। খুব ঠান্ডা পানি খাবেন না।লিকার চা, কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস, গরম স্যুপ ইত্যাদি কাশি সারাতে সাহায্য করে।গরম পানির ভাপ নিতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভুগলে, বিশেষ করে ধূমপায়ীরা সতর্ক হোন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।
তিন বছরের কম বয়সী শিশুর ৩০ শতাংশই কখনো না-কখনো কানব্যথায় কান্নাকাটি করে থাকে। কানব্যথার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির হারও কম নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই কানব্যথার কারণ হলো মধ্যকর্ণে প্রদাহ বা সংক্রমণ। সাধারণ কানব্যথায় জ্বর তেমন না থাকলেও কানের পর্দা লাল হয়ে যায় এবং শিশুরা প্রচণ্ড কান্নাকাটি করতে থাকে। যেসব শিশু স্তন্য পান করেনি, পেসিফায়ার বা চুষনি খায়, যাদের অ্যাডিনয়েড আছে বা বাড়িতে অন্য কেউ সংক্রমণে ভুগছে, তাদের এটা বেশি হয়। পরোক্ষ ধূমপানকেও দায়ী করা হয়ে থাকে। বারবার মধ্যকর্ণে প্রদাহ হলে বা চিকিৎসা না করানো হলে পরবর্তী সময়ে কানপাকা, কানের পর্দা ফেটে যাওয়া বা কানে কম শোনার মতো জটিলতাও দেখা দিতে পারে। যেসব শিশুর বারবার এই সমস্যা হচ্ছে, তাদের সংক্রমণের উৎস খোঁজা, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোক্কাল টিকা দেওয়া এবং অ্যাডিনয়েড আছে কি না, দেখা উচিত। সূত্র: বেএমজে এভিডেন্স সেন্টার।
তিন বছরের কম বয়সী শিশুর ৩০ শতাংশই কখনো না-কখনো কানব্যথায় কান্নাকাটি করে থাকে। কানব্যথার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির হারও কম নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই কানব্যথার কারণ হলো মধ্যকর্ণে প্রদাহ বা সংক্রমণ। সাধারণ কানব্যথায় জ্বর তেমন না থাকলেও কানের পর্দা লাল হয়ে যায় এবং শিশুরা প্রচণ্ড কান্নাকাটি করতে থাকে। যেসব শিশু স্তন্য পান করেনি, পেসিফায়ার বা চুষনি খায়, যাদের অ্যাডিনয়েড আছে বা বাড়িতে অন্য কেউ সংক্রমণে ভুগছে, তাদের এটা বেশি হয়। পরোক্ষ ধূমপানকেও দায়ী করা হয়ে থাকে। বারবার মধ্যকর্ণে প্রদাহ হলে বা চিকিৎসা না করানো হলে পরবর্তী সময়ে কানপাকা, কানের পর্দা ফেটে যাওয়া বা কানে কম শোনার মতো জটিলতাও দেখা দিতে পারে। যেসব শিশুর বারবার এই সমস্যা হচ্ছে, তাদের সংক্রমণের উৎস খোঁজা, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোক্কাল টিকা দেওয়া এবং অ্যাডিনয়েড আছে কি না, দেখা উচিত। সূত্র: বেএমজে এভিডেন্স সেন্টার।
লাল-সবুজ জার্সি গায়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু মাত্র তিন দিনেই ধূসর সবকিছু। সাফ ফুটবল দলের ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছেন আনন্দ রহমান। এক বছর বয়সে মা-বাবার হাত ধরে তাঁর অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া। সিডনির জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা ২০ বছরের তরুণ বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। এখানকার অনুশীলনের চাপ আর গরমে ‘অতিষ্ঠ’ হয়ে গতকাল সকালে গিয়ে ওঠেন মোহাম্মদপুরে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায়।জাতীয় দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলছিলেন, ‘আনন্দ কোচ রেনে কোস্টারকে বলেছে, তার ভালো লাগছে না। সমস্যা হচ্ছে। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না। এই পরিবেশে সে চালিয়ে যেতে পারবে না। তাই ক্যাম্প ছাড়তে চায়। কেউ ক্যাম্পে না থাকতে চাইলে তো কিছু করার নেই।’ গোলরক্ষক বিপ্লব আক্ষেপই করলেন এই তরুণের জন্য, ‘ওর নাকি নাক দিয়ে রক্ত পড়েছে। আসলে মানিয়ে নেওয়াই তো আসল। সেটাই সে পারেনি।’আরেক ‘বিদেশি’ জামাল ভূঁইয়া অবশ্য এখনো পর্যন্ত মানিয়ে নিতে পেরেছেন। যদিও প্রথমবার এসে তাঁরও সমস্যা হয়েছিল। ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া এই তরুণ জানাচ্ছেন, ‘এবার আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে আনন্দ আমাকে বলেছে, সে রাতে ঘুমাতে পারেনি। তাই ওর পক্ষে আর চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় এখানে।’লোডভিক ডি ক্রুইফের ক্যাম্পের তৃতীয় প্রবাসী রিয়াসাত খাতন (জার্মানি) আসছেন ১০ জুলাই। তিনি এসে টিকতে পারবেন কিনা সময়ই বলবে। তবে কোচ দলে চান ইউরোপে বেড়ে ওঠা ফুটবলার। যে কারণে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দেন কোচ। তা দেখেই আনন্দ ও জামাল ভূঁইয়া ঢাকায় এসেছেন।দলে নতুন সংযোজন ডাচ ফিটনেস ট্রেনার ইয়াম আলী মোহাম্মেদ পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। খেলোয়াড়দের রেখেছেন বেশ চাপে। চাপ সামলাতে না-পারা কেউ কেউ আড়ালে বলছেন ট্রেনার খারাপ! তবে বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বলছেন, ফিটনেস ট্রেনার যেভাবে চাপ দিচ্ছেন সেটি দলের জন্যই ভালো, এমন কঠোর শারীরিক অনুশীলনই দরকার। ওদিকে পানিশূন্যতায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে ডিফেন্ডার আরশাদ মাহমুদকে (লিংকন)। তবে তা তেমন গুরুতর নয়। হালকা চোট আছে স্ট্রাইকার শাখাওয়াত রনি ও উইঙ্গার জাহিদ হোসেনের।
লাল-সবুজ জার্সি গায়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু মাত্র তিন দিনেই ধূসর সবকিছু। সাফ ফুটবল দলের ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছেন আনন্দ রহমান। এক বছর বয়সে মা-বাবার হাত ধরে তাঁর অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া। সিডনির জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা ২০ বছরের তরুণ বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। এখানকার অনুশীলনের চাপ আর গরমে ‘অতিষ্ঠ’ হয়ে গতকাল সকালে গিয়ে ওঠেন মোহাম্মদপুরে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায়।জাতীয় দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলছিলেন, ‘আনন্দ কোচ রেনে কোস্টারকে বলেছে, তার ভালো লাগছে না। সমস্যা হচ্ছে। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না। এই পরিবেশে সে চালিয়ে যেতে পারবে না। তাই ক্যাম্প ছাড়তে চায়। কেউ ক্যাম্পে না থাকতে চাইলে তো কিছু করার নেই।’ গোলরক্ষক বিপ্লব আক্ষেপই করলেন এই তরুণের জন্য, ‘ওর নাকি নাক দিয়ে রক্ত পড়েছে। আসলে মানিয়ে নেওয়াই তো আসল। সেটাই সে পারেনি।’আরেক ‘বিদেশি’ জামাল ভূঁইয়া অবশ্য এখনো পর্যন্ত মানিয়ে নিতে পেরেছেন। যদিও প্রথমবার এসে তাঁরও সমস্যা হয়েছিল। ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া এই তরুণ জানাচ্ছেন, ‘এবার আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে আনন্দ আমাকে বলেছে, সে রাতে ঘুমাতে পারেনি। তাই ওর পক্ষে আর চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় এখানে।’লোডভিক ডি ক্রুইফের ক্যাম্পের তৃতীয় প্রবাসী রিয়াসাত খাতন (জার্মানি) আসছেন ১০ জুলাই। তিনি এসে টিকতে পারবেন কিনা সময়ই বলবে। তবে কোচ দলে চান ইউরোপে বেড়ে ওঠা ফুটবলার। যে কারণে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দেন কোচ। তা দেখেই আনন্দ ও জামাল ভূঁইয়া ঢাকায় এসেছেন।দলে নতুন সংযোজন ডাচ ফিটনেস ট্রেনার ইয়াম আলী মোহাম্মেদ পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। খেলোয়াড়দের রেখেছেন বেশ চাপে। চাপ সামলাতে না-পারা কেউ কেউ আড়ালে বলছেন ট্রেনার খারাপ! তবে বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বলছেন, ফিটনেস ট্রেনার যেভাবে চাপ দিচ্ছেন সেটি দলের জন্যই ভালো, এমন কঠোর শারীরিক অনুশীলনই দরকার। ওদিকে পানিশূন্যতায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে ডিফেন্ডার আরশাদ মাহমুদকে (লিংকন)। তবে তা তেমন গুরুতর নয়। হালকা চোট আছে স্ট্রাইকার শাখাওয়াত রনি ও উইঙ্গার জাহিদ হোসেনের।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে চতুর্থ এশিয়ান ইনডোর গেমসের একক দাবায় আন্তর্জাতিক মাস্টার মিনহাজউদ্দিন আহমেদ ৫০ জনের মধ্যে ১৮তম হয়েছেন। গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ হয়েছেন ১৯তম। মহিলা বিভাগে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার শামিমা আক্তার হয়েছেন ১৯তম, মহিলা ফিদে মাস্টার শারমীন সুলতানা ২৬তম। গতকাল এই টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। এদিকে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ওয়ার্ল্ড ওপেন দাবায় জয় দিয়ে শুরু করেছেন গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ও ফিদে মাস্টার তৈয়বুর রহমান।
মিকি আর্থার তাঁকে নামিয়ে দিয়েছিলেন মিডল-অর্ডারে। কিন্তু শেন ওয়াটসনের পছন্দের জায়গা যে ওপেনিং, সেটা তো অজানা নয় নতুন কোচ ড্যারেন লেম্যানের। উস্টারশায়ারের বিপক্ষে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে তাই ওয়াটসনকে তাঁর পছন্দের জায়গাটা ফিরিয়ে দিলেন লেম্যান। আর কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ১১১ বলে ১০৯ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে। ১০ জুলাই থেকে ট্রেন্ট ব্রিজে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজের প্রথম টেস্টেও যে ওয়াটসনই ওপেন করবেন, এটা নিয়ে মনে হয় আর কোনো সংশয় নেই। এএফপি।
বয়ঃসন্ধিকালে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের প্রভাবে অল্প বয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মসচেতন প্রবণতা গড়ে ওঠে। এ ছাড়া তারা সন্দেহ করে যে কেউ না কেউ সব সময় তাদের দেখছে। আর বিপরীত লিঙ্গের কেউ লক্ষ করলে তারা নিজের সম্পর্কে তুলনামূলক বেশি সচেতন হয়ে ওঠে। মার্কিন গবেষকেরা এমনটিই দাবি করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী লি সামারভিলের নেতৃত্বে একদল গবেষক আট থেকে ২২ বছর বয়সী ৬৯ জনের ওপর জরিপ চালান। এতে অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষায়িত এমআরআই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তাঁদের বলা হয়, এই প্রক্রিয়ায় একটি নতুন ভিডিও ক্যামেরা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর ক্যামেরায় তোলা ভিডিওচিত্র ভিন্ন কক্ষ থেকে বিপরীত লিঙ্গের সমবয়সী কেউ একজন দেখছে। জরিপে তরুণ-তরুণীদের সামনে রাখা একটি পর্দার মাধ্যমে জানানো হয় ক্যামেরাটি চালু রয়েছে নাকি বন্ধ আছে বা চালু হতে যাচ্ছে। কিন্তু আসলে সেখানে কোনো ক্যামেরা ছিল না। এমআরআইয়ের মাধ্যমে তাদের আত্মসচেতন আবেগ, মানসিক প্রতিক্রিয়া ও মস্তিষ্কের বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করা হয়। লাইভসায়েন্স।
প্লুটোর চতুর্থ ও পঞ্চম চাঁদের নতুন নাম দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে কেরবেরোস ও স্টিক্স। নামকরণের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএইউ)। নামকরণে এবারও পৌরাণিক নাম বেছে নেওয়ার রীতি বহাল রাখা হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনগণের ভোটে ভলকান নামটির পক্ষে বেশি ভোট পড়লেও আইএইউ সেটির বিরোধিতা করে। কেরবেরোস ২০১১ সালের জুলাই এবং স্টিক্স ২০১২ সালের জুলাই মাসে আবিষ্কৃত হয়। শুরুতে এ দুটি উপগ্রহকে পিফোর ও পিফাইভ নামে চিহ্নিত করা হয়। প্লুটো ২০০৬ সালে গ্রহের মর্যাদা হারানোর আগ পর্যন্ত ৭৬ বছরব্যাপী পূর্ণাঙ্গ একটি গ্রহ হিসেবেই বিবেচিত হতো। ১৯৩০ সালে এটি আবিষ্কার করা হয়। তবে ১৯১৫ সালে প্লুটোর অবস্থানের ব্যাপারে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন পার্সিভাল লওয়েল নামের একজন জ্যোতির্বিদ। বিবিসি।
ধানমন্ডি বাস্কেটবল জিমনেসিয়ামে গতকাল শুরু হয়েছে সিটিসেল তৃতীয় অনূর্ধ্ব ১৬ (বালক) ফিবা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্ব। প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক বাংলাদেশ ৬৩-৪৬ পয়েন্টে নেপালকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে।
গাড়ি নির্ধারিত স্থানে রাখা (পার্ক করা) নিয়ে চালকদের কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়, তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ, সুইডেনের বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ভলভো এমন একটি গাড়ি (এক্সসিনাইনটি) তৈরি করেছে, যা স্মার্টফোনের নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে। চালক গাড়িটি ছেড়ে যাওয়ার পর গাড়িটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পার্ক হয়ে যাবে। পার্কিংয়ের জন্য চালককে অপেক্ষা করতে হবে না। ভলভোর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা থমাস ব্রবার্গ বলেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চালককে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা খুঁজতে হবে না। ফলে সময়ের অপচয় বন্ধ হবে। দ্য টেলিগ্রাফ।
প্রশ্ন: জোরে জোরে নাকের সর্দি ঝাড়া কি খারাপ?উত্তর: সব সময় খারাপ না-ও হতে পারে। তবে কারও নাকের সেপটাম বাঁকা থাকে, কখনো ঝিল্লি পর্দায় প্রদাহ থাকলে জোরে নাক ঝাড়া বা নাক খোঁচানোর কারণে রক্তপাত হতে পারে। নাক পরিষ্কার করার সময় হালকা কুসুম গরম পানি বা লবণ-পানি দিয়ে পরিষ্কার করাই ভালো। শুকনো জমে থাকা সর্দি খোঁচাখুঁচি না করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।  ডা. মো নাজমুল ইসলাম, নাক-কান-গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
১৩ বছর ধরে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণ সামলেছেন। হয়তো খেলে যেতে পারতেন আরও কিছুদিন। কিন্তু ক্রিকেটকে হঠাৎ করেই পরশু বিদায় বলে ফেললেন ক্রিস মার্টিন। ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন তাঁর ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ আরও অনেক কিছু নিয়েই l ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষে কেন অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন?মার্টিন: ছয় বা ১২ মাস ধরেই আমার মনে হচ্ছিল, আগের সেই আকাঙ্ক্ষা বা নেশাটা আর নেই, বিদায় বলার সময় এটাই। একটা টেস্ট ম্যাচ খেলেই আমি বিদায় বলতে চেয়েছিলাম, সে জন্যই খেলে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ড দলে ৩৮ বছর বয়সী একজন ক্রিকেটারের খুব একটা প্রয়োজন নেই।l আপনি কি মনে করেন, সাউদি, বোল্ট বা ব্রেসওয়েলের মতো বোলারদের হাতে আপনি পেস আক্রমণটাকে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় রেখে যাচ্ছেন?মার্টিন: হ্যাঁ, ভালো কিছু বোলার আসছে। অনেক দিন ধরেই এদের দেখছি। দলে এখন টেকসই ভালো একটা পেস আক্রমণ আছে। নিউজিল্যান্ডে দরজাটা অনেক দিন ধরেই উন্মুক্ত ছিল। আমি নিশ্চিত, আমিই সবচেয়ে বেশি সময় এখানে ছিলাম। তবে আমি চাইব, এই দলটা ছয় থেকে আট বছর একসঙ্গে খেলুক। এতে অধিনায়কের জন্য কাজটা অনেক সহজ হবে।l রিচার্ড হ্যাডলি আর ড্যানিয়েল ভেট্টোরিই শুধু টেস্টে আপনার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। এ নিয়ে নিশ্চয়ই গর্বিত আপনি?মার্টিন: আমি সন্তুষ্ট। আমি কখনোই সবচেয়ে ভালো বা সহজাত প্রতিভাবান ছিলাম না। কিন্তু যেটুকু দরকার, সেটুকু আমার ছিল। আর পরিশ্রম ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞা দিয়েই অনেক দিন থাকতে পেরেছি। প্রমাণ করেছি, টেস্ট ক্রিকেটে আমি আসলেই ভালো এবং উপভোগও করেছি।l ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য কোনো মুহূর্ত মনে পড়ছে?মার্টিন: ইডেন পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একটা টেস্টে আমি খুব ভালোভাবে ফিরে এসেছিলাম। সেই ম্যাচে ১১টি উইকেট পেয়েছিলাম। টেস্টটা জিতেছিলাম। নিউজিল্যান্ডের জন্য এমনটা খুব কম ঘটে। শুধু নিজের জন্যই নয়, যদি দলের জয়ে অবদান রাখা যায়, তাহলে স্মৃতিটা মাথায় গেঁথে যায়। এর দুই বছর আগে ভারতের বিপক্ষে ওদের মাটিতেই (আহমেদাবাদ) পাঁচ উইকেট পেয়েছিলাম। সেটাও আমি সানন্দে স্মরণ করি। কারণ, ফাস্ট বোলার হিসেবে সেখানে ভালো করার আশা সাধারণত আপনি করবেন না।l দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আপনার রেকর্ড আসলেই দারুণ, বিশেষ করে গ্রায়েম স্মিথের বিপক্ষে। ওদের বিপক্ষে বোলিং কেন উপভোগ করতেন?মার্টিন: ওদের ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করতাম আমি। অপেক্ষা করতাম কখন খোঁচা মারবে। আর বাঁহাতিদের বিপক্ষে আমি বাইরের দিকে সুইং করানোর চেষ্টা করতাম। স্মিথ যেভাবে ব্যাট করত, তাতে আমাকে সামলাতে ওকে বেগ পেতে হতো। মানসিকভাবে ওদের বিপক্ষে আপনাকে সেরাটা ঢেলে দিতে হবে। কারণ, ওরা খুবই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। বেশির ভাগ সময় ওরা আমাদের টেক্কা দিত, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি ওদের সঙ্গে ভালোই করেছি।l ২০১১-১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার ফিল হিউজ চার ইনিংসে চারবার আপনার বলে আউট হয়েছিলেন। আপনি কি মনে করেন, তাঁর বিপক্ষে করা প্রতিটা বলই আপনার জন্য সুযোগ ছিল?মার্টিন: হ্যাঁ, কিছু ব্যাপার তো আছেই, যার জন্য সে আমার মুখোমুখি হতে চাইত না। আমার মনে হয়, ফিলের পা ঠিকমতো নড়ত না, এ কারণে কঠিন একটা সিরিজ গেছে তার। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেই সিরিজের পর আমি আরও দুই বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। হোবার্টের ওই জয়ের পর মনে হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে এই স্বাদটা আপনি আবার পেতে চাইবেন।l অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট জয় অনেক কম। সেদিক দিয়ে হোবার্টের জয়টা নিশ্চয়ই আপনার জন্য ছিল বিশেষ কিছু?মার্টিন: আমরা কোনো অমর অস্ট্রেলিয়া নয়, বরং মরণশীল দলের বিপক্ষে খেলছিলাম। ক্যারিয়ারে যেটা আমি অনেক দিন মনে রাখব। আপনি সেরাদের সঙ্গে নিজেদের পরখ করতে সব সময় চাইবেন। আগের অস্ট্রেলিয়া দলটা ছিল আসলেই স্পেশাল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কঠিন সময় গেছে আমাদের। কিন্তু আশা করি, এখন থেকে আমরা ভালোই লড়ব।l কোন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করাটা সবচেয়ে উপভোগ করতেন? মার্টিন: যারা খুব দ্রুত লেংথ বুঝে ফেলে। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও রিকি পন্টিং ছিল এমন দুজন, যাদের বিপক্ষে নিজেকে খুব সাধারণ মনে হবে আপনাকে। অনেকেই এমন ব্যাটসম্যানের নাম বলবে, যারা একটু ঝুঁকি নিয়ে খেলাটা শেষ করে দেবে। অনেকেই এটা অন্যভাবে করে। জ্যাক ক্যালিস যেমন আপনাকে হতাশ করেই যাবে। দেখবেন ছয়-সাত সেশন পরও ওকে বল করে যেতে হবে! ফর্মের তুঙ্গে থাকা সেরারা আপনাকে ঘোল খাইয়ে দেবে, আমাকে যেমন দিয়েছিল রিকি ও অ্যাডাম। তারা দুজনই ভয়ংকর ছিল। ম্যাথু হেইডেনও। তাকে বল করাটাও দারুণ ছিল।l আপনার ব্যাটিং তো অনেক দিন ধরেই আলোচিত। কিন্তু এটার জন্য কি বিব্রতবোধ করেননি কখনো?মার্টিন: অবশ্যই। যেটা আপনি পারেন না, সেটা নিয়ে আপনি লজ্জাবোধ করতেই পারেন। আমি আসলে চেষ্টা করতাম ব্যাপারটাকে একটু কম ভয়াবহ দেখাতে! আমার রসবোধ ভালো না থাকলে এটা নিয়ে কথাই বলতাম না। আমি তো জানি, কাজটা একদম পারি না।l আপনার ব্যাটিং পরিসংখ্যান, শূন্যসংখ্যা বা গড় নিয়ে আপনি কতটুকু ভাবেন?মার্টিন: একসময় ব্যাটিং গড় ছিল ৪-এর মতো, ওটা পুরোপুরি হাস্যকর ছিল না। আমি এটা নিয়ে আসলে খুব একটা ভাবিনি। ক্যারিয়ারে ‘ডাকের’ সংখ্যা খুব একটা ভালো দেখায় না। কিন্তু আমি আত্মপক্ষ সমর্থনে বলতে পারি, অনেকগুলো তো ফিরিয়েও দিতে পেরেছি!l সামনে কোচিং করাবেন, নাকি ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যাবেন?মার্টিন: আপাতত ক্রিকেট থেকে দূরে থাকছি। যদি মনে হয়, নিজের মতো কিছু করতে পারব, তাহলেই ফিরব। কিন্তু কেউ যদি আমাকে চায়, তাহলে সহজেই পাবে।l পরিবারের সঙ্গে নিশ্চয়ই অনেক সময় কাটাবেন?মার্টিন: হ্যাঁ, আমার স্ত্রী আছে। ছোট দুটি মেয়ে আছে। একজন এক বছর, আরেকজন সাড়ে তিন। তারা ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে খুব একটা জানে না, কিন্তু বাবা হিসেবে এখন থেকে তারা আমাকে ভালো জানতে পারবে।
যতটা না বোলিং, তার চেয়েও মানুষ তাঁকে বেশি মনে রাখবে তাঁর ব্যাটিংয়ের কারণে। এই যুগে যখন টেল-এন্ডাররাও টুকটাক রান করেন, তখন ১০৪ টেস্ট ইনিংসে ২.৩৬ গড়ে ১২৩ রান। কিছুটা অবিশ্বাস্য বৈকি! ‘খাঁটি ১১ নম্বর’ ক্রিস মার্টিন আরেকটা জায়গায় অনন্য। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ‘পেয়ার’ তো নিউজিল্যান্ডের এই পেসারেরই (৭)। পেছনে ফেলেছেন চার পেয়ারের ওয়ালশ, ডিলন, চন্দ্রশেখর, মুরালিধরন, আতাপাত্তুদের। সবচেয়ে বেশি ‘শূন্যের’ তালিকায় ওয়ালশের (৪৩) ঠিক পেছনেই ছিলেন মার্টিন (৩৬)। তবে তাঁর এই ‘বিনোদন-জোগানো’ ব্যাটিং আর দেখা যাবে না। গত পরশু ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন এই ৩৮ বছর বয়সী পেসার । ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট ক্রিকেটে। এরপরই টেস্টে কিউই পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা হয়ে ওঠেন। চোট আর ফর্মহীনতায় ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উৎরাই দেখেছেন, তবে শেষ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য একটা ক্যারিয়ারই কাটিয়েছেন। ৭১ টেস্টে ৩৩.৮১ গড়ে ২৩৩ উইকেট নিয়ে মার্টিন রিচার্ড হ্যাডলি ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির পর নিউজিল্যান্ডের সফলতম টেস্ট বোলার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০ ও ৬টি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই বেশি সফল ছিলেন মার্টিন, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২৬.৭২ গড়ে নিয়েছেন ৫৫ উইকেট। ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) মিডিয়া কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে চ্যানেল ২৪ ও আরটিভি। গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে চ্যানেল ২৪ টাইব্রেকারে (৩-০) হারিয়েছে চ্যানেল আইকে, অন্য সেমিফাইনালেও পেনাল্টি শ্যুট আউটে আরটিভি ৫-৪ গোলে জিতেছে ডেইলি স্টার-এর বিপক্ষে। খেলা শেষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আশরাফুদ্দিন আহমেদ (চুন্নু)। বিজ্ঞপ্তি
এ মুহূর্তে বিশ্বসেরা ফুটবলার কে? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসিরা যত দিন না পর্যন্ত মাঠে নামছেন, তত দিন পর্যন্ত আপাতত একজনের নামই আসবে। কনফেডারেশনস কাপজুড়ে অপ্রতিরোধ্য এই ব্রাজিলিয়ান নিজেকে নিয়ে গেছেন মেসি-রোনালদোর কাতারে। লা লিগা ভক্তরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতে পারেন, আসন্ন মৌসুমে এই তিনজনই খেলবেন স্পেনে!অনেক দিন থেকেই বার্সেলোনা তক্কে তক্কে ছিল নেইমারকে দলে আনতে। ওত পেতে ছিল রিয়াল মাদ্রিদও। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাই করেছে বাজিমাত। নেইমার দেখিয়েছেন শুধু তাঁর জার্সি বিক্রি করার জন্য বা বাণিজ্যিক কারণেই বার্সা-রিয়াল এত আগ্রহী ছিল না। নেইমার এমনই একজন, যিনি গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপ্রকৃতি। জিততে পারেন শিরোপা। ভুলে যান ইউরোপিয়ান ফুটবলের খাপ খাইয়ে নেওয়ার কথা। ভুলে যান লিকলিকে শরীরের কথা। নেইমার ব্রাজিলের হয়ে প্রথম বড় টুর্নামেন্টেই তো ছেলেখেলা করলেন প্রতিপক্ষদের নিয়ে!মারাকানা থেকে নেইমারের বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তটি ছিল দেখার মতো। এতগুলো পুরস্কার দুই হাতে ধরে রাখতে পারছিলেন না। মাঠে যেমন বল নিয়ে কারিকুরি করেন, তেমনি পুরস্কারগুলো হাতে ধরে রাখতেও দেখাতে হলো কারিকুরি! তিনটি ম্যান অব দ্য ম্যাচের ট্রফি ছাড়া আরও চারটি ট্রফি পেয়েছেন নেইমার। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হলো, যাঁরা বলছিলেন নেইমার বড় মঞ্চে খেই হারিয়ে ফেলবেন, সেই সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটে দেওয়া। নেইমার সেটা করেছেন এবং করেছেন রাজসিকভাবেই। গোল ডট কম।
সেমিফাইনালে উঠে গেছেন কাল, তবু সাবিনা লিসিকির সেরেনা-বধের বিস্ময় এখনো কাটেনি অনেকের। তবে লিসিকির গত চার বছরের ইতিহাস যাঁরা জানেন, তাঁদের খুব একটা অবাক হওয়ার কথা নয়। ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়নকে তো চার বছর ধরেই নিয়ম করে উইম্বলডনে হারিয়ে আসছেন জার্মান-কন্যা! ২০০৯ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী কুজনেতসোভাকে হারিয়েছিলেন উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে। ২০১০ সালে খেলেননি উইম্বলডনে। ২০১১ সালের রোলা গ্যাঁরোতে জয়ী লি নাকে হারিয়েছিলেন উইম্বলডনের দ্বিতীয় রাউন্ডে। ২০১২ সালে প্যারিসে জয়ী শারাপোভাকে হারিয়েছিলেন উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ডে। এবার চতুর্থ রাউন্ডেই শিকার ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী সেরেনা উইলিয়ামস।
পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি-বাণিজ্য করছে ছাত্রলীগ। প্রতিটি আসনের বিপরীতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কবি নজরুলের ছাত্রলীগের নেতারা ভর্তি-বাণিজ্যে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতারা অস্বীকার করেছেন।অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রলীগের নেতাদের অনুমতি ছাড়া অপেক্ষমাণ থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরম দেওয়া হয় না। এ জন্য আগেই নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে দিতে হয়।এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যদি কেউ ভর্তি-বাণিজ্য করে থাকে, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কলেজ প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।’ কবি নজরুল সরকারি কলেজ: কবি নজরুল সরকারি কলেজে এ বছর এইচএসসি প্রথম বর্ষে এক হাজার ১৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার কথা। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩৫০, ব্যবসায় শিক্ষায় ৪৫০ ও মানবিকে ৩৭০ জন। এরই মধ্যে বোর্ডের মেধাতালিকা অনুযায়ী গত ১৭ জুন প্রথম দফার ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ হয় ২৭ জুন। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী। এখন চলছে মেধাতালিকায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির কার্যক্রম। ১০ জুলাই অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির কার্যক্রম শেষ হবে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, কলেজ প্রশাসনের সহায়তায় ছাত্রলীগ প্রতিবছরই ভর্তি-বাণিজ্য করে। ভর্তিসংশ্লিষ্ট যে শিক্ষকেরা আছেন, তাঁরাও ছাত্রলীগের কাছে অসহায়। কোনো প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়। গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেল, কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের মধ্যস্থতা করছেন ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী। যাঁদের সঙ্গে টাকায় বনিবনা হয়, তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন-উর-রশিদের কাছে। মামুন টাকা পেয়ে অনুমতি দিলেই ভর্তির ফরম হাতে পাওয়া যায়।ভর্তি হতে আসা এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলে, ‘ওয়েটিং লিস্টে সিরিয়াল পেছনে থাকায় বড় ভাইরা ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের এক কর্মী জানান, অপেক্ষমাণ থাকা প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন-উর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পত্রিকায় নিউজ করে কোনো লাভ নেই। আমার কাজ আমি করমুই। আপনাগো মতো অনেকেরই ভর্তির তদবিরও করি।’ভর্তি-বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনেই ভর্তি করাচ্ছি। বাইরে কে কী করছে, তা জানা নেই।’সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ: প্রায় একই চিত্র সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে। কলেজ সূত্র জানায়, এ বছর এইচএসসি প্রথম বর্ষে এক হাজার ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির কথা। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩০০, ব্যবসায় শিক্ষায় ৬৭৫ ও মানবিকে ৪০০ জন। এই কলেজে প্রথম দফায় প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এখন চলছে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির কার্যক্রম। এই সুযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভর্তি-বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ। সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের ‘ছাত্র সংসদ’ দপ্তরের সামনে ও ভেতরে চেয়ারে বসে আছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। মেধাতালিকায় অপেক্ষমাণ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছে। যে শিক্ষার্থীর সঙ্গে টাকার হিসাব মিলে যায়, তাকেই ভর্তির ফরমের ব্যবস্থা করে দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।কলেজে ভর্তি হতে আসা এক শিক্ষার্থী বলে, ‘এ বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। অনেক স্বপ্ন ছিল রাজধানীর একটি কলেজে পড়াশোনা করব। কিন্তু ভর্তি হওয়ার আগেই কলেজে বড় ভাইদের পেছনে দৌড়াতে হচ্ছে।’ সে ভর্তির জন্য ছাত্রলীগের নেতাদের টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে। ভর্তি-বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগের কোনো কর্মীর ভর্তি-বাণিজ্যে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলেজের অধ্যক্ষ রামদুলাল রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভর্তিতে দুর্নীতির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
টাকা না দিলে আদালতের পেশকার-পিয়নরা মামলার নথি দেখান না। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) আয়োজিত জাস্টিস ফর অল প্রোগ্রামের পরিচিতি সভায় আইনজীবীরা এই অভিযোগ করেন। সভায় উপস্থিত কয়েকজন আইনজীবী বলেন, ‘আমরা লিগ্যাল এইড দিতে গিয়ে আদালতের কর্মচারীদের কাছে প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হই। টাকা ছাড়া তাঁরা মামলার কোনো নথি দেখাতে চান না, যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।’ ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মজিদ বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, এখন থেকে লিগ্যাল এইডের মামলায় বিনা পয়সায় নথি দেখার ব্যবস্থা করা হবে।’ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সভার প্রধান অতিথি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, দরিদ্র জনগণের প্রতি বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড কার্যালয় স্থাপন করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মজিদ। বক্তব্য দেন ইউএসএআইডির জাস্টিস ফর অল কর্মসূচির চিফ অব পার্টি সান্ড্রা ফেইনজিগ, ডেপুটি চিফ অব পার্টি শারমীন ফারুক, জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ। সভায় ঢাকার মহানগর, জেলা জজ, সিএমএম এবং সিজিএম আদালতের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, আইনজীবী ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে গত ১৫ জুন বিকেল সাড়ে চারটায় পরামর্শ সহায়তা-৩৯-এর আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে। এ আয়োজনে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো। প্রশ্ন: আমার ছেলে একসময় ভালো ছিল। সে একটি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এখন মাদকাসক্ত। প্রথম দিকে বন্ধুরা তাকে বিনা পয়সায় মাদক খাইয়েছে। এখন টকার জন্য আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। ভাড়াটেদের কাছ থেকে জোর করে টাকা তুলে মাদক নেয়। এখন কী করতে পারি?উত্তর: আপনি বলছেন আপনার ছেলে ভালো। সে একটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এখনো তার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। যেকোনো কারণে খারাপ বন্ধুরা তাকে মাদকের পথে এনেছে। এখন সে খারাপ আচরণ করছে। এটা তার সত্যিকার আচরণ নয়। সে মাদকের ওপর নির্ভরশীল। নিজের ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাকে যেকোনো চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। তার শরীরের কিছু পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে হয়তো একটা নির্দিষ্ট সময় নিরাময়কেন্দ্রে থাকতে বলবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা করালে আপনার সন্তান নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবে। ধৈর্যহারা হলে চলবে না। মাদকের চিকিৎসা কিছুটা দীর্ঘ হয়। রোগীর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। ডাক্তারের নিয়মের বাইরে যাওয়া চলবে না। চিকিৎসকের দেওয়া নিয়মগুলো ঠিকমতো পালন করলে রোগী সেরে উঠবে। আর দেরি না করে তাকে এক্ষুনি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান, অথবা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনতে পারেন।প্রশ্ন: আমার সন্তান দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে কোনোভাবেই চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না। অনেক বোঝাই। কিন্তু কথা শোনে না। এখন কীভাবে তাকে ভালো করতে পারি?উত্তর: মাদকের ওপর অত্যধিক নির্ভরশীল ব্যক্তিরা কারও কথা শুনতে চায় না। তারা মনে করে, নিজেরাই ভালো বোঝে। চিকিৎসা করে লাভ নেই। কিন্তু তার পরও সবাই মিলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। বাড়িতে বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কারও না-কারও প্রভাব তার ওপর আছে। তার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। তার পেছনে লেগে থাকতে হবে। একসময় না-একসময় সে ভালো হওয়ার কথা বলবে। তখনই তাকে চিকিৎসকের কাছে আনতে হবে। আর একান্তই যদি কোনোভাবে বোঝানো সম্ভব না হয়, তাহলে জোর করে নিরাময়কেন্দ্রে আনতে হবে। কোনো কোনো হাসপাতাল ও নিরাময়কেন্দ্রে জোর করে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা আছে। এসব হাসপাতাল বা নিরাময়কেন্দ্র বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীকে নিয়ে যাবে, অথবা থানা-পুলিশের সাহায্যে ভর্তি করতে হবে। মোট কথা, রোগীকে ভালো করতে হলে চিকিৎসাকেন্দ্রে আনতে হবে।প্রশ্ন: কত দিন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে? চিকিৎসার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে কি?উত্তর: কত দিন থাকতে হবে, সেটা নির্ভর করে রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর। অনেক রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বেশি খারাপ থকে। তাদের সময় বেশি লাগে। যাদের সমস্যা কম, তাদের কম সময় লাগে। শরীরের কিছু পরীক্ষার পরই বিষয়টি বোঝা যায়। তবে তিন মাস সময়কে একটা সাধারণ মান হিসেবে ধরা যায়। এর কিছুটা বেশি বা কম সময় লাগতে পারে।প্রশ্ন: আমার সন্তান নবম শ্রেণীতে পড়ে। আমার সঙ্গে এসেছে। রাতে বেশি পরিমাণ ঘুমের ওষুধ খায়। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে রাগারাগি করে হাত কেটে ফেলে। এসব কাজ থেকে ও ভালো হতে চায়। ছেলেকে কীভাবে ভালো করতে পারি?উত্তর: আপনার কথায় ধারণা করছিলাম, ও হয়তো মাদক নেয়। আপনারা জানেন না। ওকে প্রশ্ন করে জানলাম, ও মাদক নেয়। এটা আমাদের সবার জন্য ভালো হয়েছে। না জানলে চিকিৎসা করতে সমস্যা হতো। তবে সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনার ছেলে ভালো হতে চায়। যারা নিজ থেকে ভালো হতে চায়, তাদের জন্য ভালো হওয়ার কাজটা সহজ হয়। মাদকের জন্য শরীরে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। তা ছাড়া ওর ব্যক্তিত্বের ও মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। মানসিক সমস্যা থাকলে আগে মানসিক রোগের চিকিৎসা করতে হবে। আবার একেকজনের ব্যক্তিত্ব একেক ধরনের হয়ে থকে। এটা পরামর্শের মাধ্যমে ঠিক করা যায়। ওকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। বাইরে মাত্র ১০ টাকায় টিকিট করে দেখাতে পারবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করলে ভালো থাকবে।প্রশ্ন: আমার বড় ভাই ভালোবাসায় কষ্ট পেয়ে প্রথমে সিগারেট খেত। এখন সব ধরনের মাদক নেয়। সংসার থেকে জোর করে টাকা নেয়। সব সময় উত্তেজিত থকে। তার জন্য কী করতে পারি?উত্তর: তাকে ভালো করার জন্য সংসারের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। মা-বাবা, ভাইবোন, প্রয়োজনে আত্মীয়স্বজন—সবাই একসঙ্গে বসে আলোচনা করতে হবে। কোনো মাদকাসক্ত রোগী সব সময় উত্তেজিত থাকে না। মাঝেমধ্যে উত্তেজিত থাকে। আবার শান্ত থাকে। যখন তার মন ভালো থাকে, তখন তার এখনকার জীবন ও মাদক গ্রহণের আগের জীবনের মধ্যের পার্থক্য তুলে ধরতে হবে। মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। সে কখনো মাদক নিতে পারে না। তা ছাড়া সংসারের বড় ছেলে হিসেবে তার অনেক দায়িত্ব আছে। এসব বিষয় তাকে বোঝাতে হবে। বোঝাতে বোঝাতে কোনো একসময় সে ভালো হওয়ার কথা বলবে। যখনই বলবে, তখনই নিরাময়কেন্দ্রে আনতে হবে। কারণ, জোর করে আনার থেকে নিজ থেকে আসতে চাইলে তার জন্য মাদকমুক্ত হওয়া অনেক সহজ হয়। সময় কম লাগে।প্রশ্ন: একজন মাদকাসক্ত রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হয়েছে। কিন্তু তার মা-বাবা এখনো তাকে তেল পড়া ও পানি পড়া খাওয়ান। এতে সে রেগে গিয়ে মাদক নেওয়ার কথা ভাবতে থকে। মা-বাবার এ আচরণ কি ঠিক?উত্তর: চিকিৎসার মাধ্যমে সন্তান ভালো হয়েছে। সে যাতে দ্বিতীয়বার মাদক না নেয়, সে জন্য তার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সে যাতে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে না মিশে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। সে কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় মাদক নিত। সেসব জায়গায় যেন না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টাকাপয়সা যেন না পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু তার ভালো প্রয়োজনগুলো মেটাতে হবে। তার প্রিয় খাবার, জামাকাপড়, শখের জিনিস অভিভাবক কিনে দেবেন। কিন্তু হাতে টাকা দেওয়া যাবে না। কোনো রোগী ভালো হওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত এভাবে চলতে হবে। এ সময়ের মধ্যে যদি কোনোভাবে মাদক গ্রহণ না করে, তাহলে পরবর্তী সময়ে সে স্বাধীনভাবে চলতে পারবে। কিন্তু তেল পড়া, পানি পড়া দেওয়ার দরকার নেই। এতে কোনো কাজ হবে না। কিন্তু মনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।প্রশ্ন: আমি কীভাবে বুঝব আমার সন্তান মাদক নিচ্ছে?উত্তর: সন্তানের ওপর মা-বাবার নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে? কখন যাচ্ছে? কার সঙ্গে যাচ্ছে? কখন ফিরছে? কীভাবে ফিরছে? তার আচরণের কী কী পরিবর্তন লক্ষ করছেন? সবকিছু খেয়াল করতে হবে। অনেক অভিভাবক বলেন, তাঁদের সন্তান বদলে গেছে। সন্তানদের ঠিকমতো বুঝতে পারছেন না। যারা মাদক গ্রহণ করে, তাদের আচরণ বদলে যায়। খাবার খেতে অনিয়ম করে। চেহারা পরিবর্তন হয়। প্রায়ই নতুন বন্ধু হয়। পড়ালেখা ও খাওয়াদাওয়া বাদ দিয়ে অধিকাংশ সময় বন্ধুদের সঙ্গে থাকে। মেজাজ খিটখিটে হয়। টাকাপয়সার জন্য চাপ দিতে থাকে। সাধারণত এসব উপসর্গ দেখে বোঝা যায়, সে মাদকাসক্ত হয়েছে। একেবারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কোনো চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। মাদক গ্রহণ করে কি না, এ বিষয়ে কিছু পরীক্ষা দেবেন তিনি। এ পরীক্ষা থেকেও বুঝতে পারবেন, সে মাদক গ্রহণ করে কি না।প্রশ্ন: একজন মাদক ব্যবসায়ী আমার এক বন্ধুকে প্রথমে বিনা পয়সায় মাদক খাওয়ায়। পরে তাকে মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত করে। এখন সে পুরাপুরি মাদকাসক্ত। মাদক ব্যবসা কীভাবে বন্ধ করা যায়?উত্তর: মাদক ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ডে আমরা আতঙ্কিত। তাঁরা তরুণদের কৌশলে মাদকাসক্ত করেন। এখানেই শেষ নয়, তারপর এই তরুণদের মাদক বাজারজাতকরণের কাজে ব্যবহার করেন। তাদের দিয়ে মাদকের ব্যবসা করেন। তাঁরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনা পয়সায় মাদক দিয়ে আসক্ত করেন। তারপর তাদের কাছে মাদক বিক্রি করে তাদের সর্বস্বান্ত করেন। এভাবে তাঁরা সমাজের প্রতিটি জায়গায় মাদকের প্রসার ঘটাচ্ছেন। আমাদের অসংখ্য মেধাবী ছেলেমেয়ে নরঘাতক, হায়েনা, অর্থলোভী মাদক ব্যবসায়ীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এভাবে তারা মাদক ব্যবসায়ী হয়ে যাচ্ছে। আপনার মতো আমরাও এ বিষয়ে চিন্তিত। আসলে আমরা কী করব? কী করা উচিত? আমরা কি তাদের ঘৃণা করব? এই বিষয়গুলো ভাবিয়ে তুলছে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। তারা যেন মাদক ব্যবসায়ীদের কঠিন সাজার আওতায় আনে। আমাদের চারপাশের দেশগুলো থেকে দেশে প্রচুর মাদক আসছে। বিদেশ থেকে দেশে যাতে কোনোভাবে মাদক ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। অভিভাবকদেরও সন্তানদের ব্যাপারে বেশি যত্নবান ও সতর্ক থাকতে হবে।প্রশ্ন: আমরা কেউ চাই না সন্তানেরা মাদকাসক্ত হোক। সন্তানেরা যাতে মাদকাসক্ত না হয়, সে ক্ষেত্রে মা-বাবার কি কোনো ভূমিকা আছে?উত্তর: আপনি ভালো প্রশ্ন করেছেন। প্রথমে আমাদের ঘরের পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকবে। মা-বাবা দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। পরিবার থেকেই সন্তানেরা আত্মবিশ্বাসী, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল হয়। বাইরের প্রতিকূল পরিবেশ সম্পর্কে সন্তানদের ধারণা দিতে হবে। তার পেছনে আমরা লেগে থাকব না। তাকে সন্দেহ করব না। মায়া-মমতা দিয়ে সন্তানদের কাছে রাখতে হবে। মা-বাবাকে সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। অর্থ বা অন্য কোনো কাজে এমনভাবে ছোটা যাবে না, যাতে সন্তানদের সঙ্গে মা-বাবার দূরত্ব তৈরি হয়। তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। তাদের কথা মন দিয়ে শুনতে হবে।আমরা কেবল সন্তানদের দোষ দিই। কিন্তু মা-বাবারও অনেক উদাসীনতা ও গাফিলতি আছে। আমাদের কাছে অনেক সন্তান বলে, ‘জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি। কিন্তু যেটা চেয়েছি, সেটা পাইনি। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে দেখি মা-বাবা নেই। শূন্য বাসা। দুজনেই সকালে বেরিয়ে যান, রাতে ফেরেন। দিনের পর দিন তাদের জন্য অপেক্ষা করি। অনেক ভালো লাগা, খারাপ লাগা তাদের জানাতে চাই, পারি না। টাকাপয়সা সবই পেয়েছি। কিন্তু মা-বাবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাইনি। মাঝেমধ্যে সবকিছু অর্থহীন মনে হয়েছে। হতাশায় ভুগতে ভুগতে কোনো একসময় মাদক নিয়েছি।’ সন্তানদের এই অভিযোগ অমূলক নয়। মা-বাবাকে অবশ্যই সন্তানদের সময় দিতে হবে। মা-বাবার আচার-আচরণ, তাঁদের নিজেদের ভালো সম্পর্ক, তাদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ সবকিছু সন্তানদের প্রভাবিত করে। কয়েকজন মাদকমুক্ত তরুণের কথাঅনুষ্ঠানে এসে আপনাদের কথা শুনছিলাম। একদিন আপনাদের মতো করে, আমাদের মা-বাবাও অনেক চেষ্টা করেছেন। অনেক জায়গায় ঘুরেছেন। একটি কথা বিশেষভাবে বলতে চাই, অনেক পরিবারে হয়তো এই সমস্যা আছে। আপনারা কখনো নিরাশ হবেন না। কেউ একবার চিকিৎসায় পর ভালো হয়। কারও একাধিকবার লাগতে পারে। কিন্তু সে অবশ্যই ভালো হবে। আমাদের মা-বাবা এভাবে চেষ্টা করে সফল হয়েছেন। আমরাও ভাগ্যবান। কারণ, আমরা এখন ভালো আছি। মাদকাসক্ত অবস্থায় কোথাও যেতে পারতাম না। সবাই ভয় পেত। খারাপ চোখে দেখত। ঘৃণা করত। সব সময় চেষ্টা করতাম, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু পারতাম না। অবশেষে পেরেছি। আপনারাও পারবেন।সঞ্চালনা: সাইদুজ্জামান রওশন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০১৩-১৪ অর্থবছরে হোল্ডিং কর বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের অন্যতম খাত হিসেবে হোল্ডিং কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮৮ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেশি। গতকাল বুধবার ডিএনসিসির নতুন অর্থবছরের জন্য এক হাজার ৯৮৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। দুপুরে গুলশানের একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বাজেট ঘোষণা করেন ডিএনসিসির নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আখতার হোসেন ভূইয়া। তিনি বলেন, বাজেটে নতুন করারোপ করা হচ্ছে না। তবে এখনো যাঁরা বাইরে রয়েছেন, তাঁদের করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে সিটি করপোরেশনের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবামূলক কার্যক্রমও বাড়বে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, ‘গত ২৪ বছর ধরে হোল্ডিং কর বাড়ানো হচ্ছে না। এবার এই কর বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ নেব। কারণ, আমরা কর না বাড়ালেও বাড়ির মালিকেরা প্রতিবছর ভাড়া বাড়াচ্ছেন। তাঁদের আয় অনেক বেড়েছে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিপ্তরের (মাউশি) নিয়োগ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতিকে জড়িয়ে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সমিতির নেতারা।গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে সমিতির নেতারা এই দাবি করেন। তাঁরা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সেটা লিখুন, না হয় গোপনে নেতাদের জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে লেখা হচ্ছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং বেঙ্গল গ্যালারির যৌথ আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। বেঙ্গল গ্যালারিতে বেলা তিনটায় ‘আমাদের রঙিন স্বপ্নগুলো’ নামের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্পী সাঈদা কামাল। প্রদর্শনী চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। ছবি বিক্রির অর্থ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। বিজ্ঞপ্তি।
জনপ্রিয় ভিডিও গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউবিসফটে নিবন্ধিত লাখো গেমারের পাসওয়ার্ড চুরি (হ্যাক) হয়েছে। সম্প্রতি ইউবিসফট তাদের ব্যবহারকারীদের দ্রুত নিজেদের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে। জানা গেছে, ইউবিসফটে হ্যাকিংয়ের সময়টিতে প্রায় পাঁচ কোটি আট লাখ ব্যবহারকারী ছিল, যাদের ইউজার নেম, ই-মেইল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড তথ্য চুরি হয়েছে। অবৈধভাবে এসব তথ্য হ্যাকড হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এতে গ্রাহকদের ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড-সংক্রান্ত কিছু ছিল না বলেও জানা গেছে। গত বছরও এমন একটি সমস্যায় পড়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। সে সময় জরুরিভাবে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবারের এ হামলাটি বড় ধরনের হামলা ছিল উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে ইউবিসফট নিজেদের ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড দ্রুত পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ওয়েবসাইট কিংবা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়ও যদি কেউ একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে, সেটিও পরিবর্তনের কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। সনির প্লে-স্টেশন নেটওয়ার্কে একই ধরনের হামলার দুই বছর পর এ ধরনের বড় হামলা হলো। সে সময় লাখো ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ডসহ ক্রেডিট কার্ডে বিস্তারিত তথ্যও অনলাইনে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ‘প্রিন্স অব ফার্সিয়া’ শীর্ষক গেম সিরিজের জন্য সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইউবিসফট। সাধারণত এ ধরনের গেমসের জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব একটি ইউজার অ্যাকাউন্টভিত্তিক সার্ভিস দিয়ে থাকে গেমারদের জন্য। হ্যাকিংয়ের এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে এ কাজে কারা জড়িত, সে ব্যাপারটি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানা গেছে।—বিবিসি অবলম্বনে কাজী আলম
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আইসিটি-রবি ইন্টারনেট মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার আবদুল জলিল মিলনায়তনে এ মেলার আয়োজন করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মেলায় সহায়তা করে মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি। মেলার উদ্ধোধনীঅনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শ্যামা প্রসাদ ব্যাপারী, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব আলাওল কবির, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাঈনুদ্দিন মজুমদারসহ অনেকে। মেলায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের তথ্যসেবাকেন্দ্র, ৩৫টি মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষক ও দুটি বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। মেলায় ইন্টারনেট, ওয়েবসাইটসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা বিষয় নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। —আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
গ্লোবাল ব্র্যান্ড (প্রা.) লিমিটেডের আয়োজনে গত রোববার চট্টগ্রামের অনুষ্ঠিত হয়েছে আসুস ডিলার সম্মেলন। ‘আসুস পার্টনার মিট চট্টগ্রাম-২০১৩’ শীর্ষক এ আয়োজনে চট্টগ্রামের ১৫০ জন আমন্ত্রিত প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ব্র্যান্ড (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ্, আসুস বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোডাক্ট ম্যানেজার আল ফুয়াদ, আসুস চ্যানেল বিক্রয় ব্যবস্থাপক কাজী মেহেদী হাসানসহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আসুসের পণ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার খালেদ বিন আহমেদ। —বিজ্ঞপ্তি
জামালপুরের সরিষাবাড়ী আরডিএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কম্পিউটার ল্যাবে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ১৫ দিনব্যাপী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অর্থায়নে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে উপজেলার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ জন কম্পিউটার শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি শ্রেণীকক্ষ ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ রায়হান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ইলাহী আখন্দ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক রুহুল আমীন বেগসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সরিষাবাড়ী রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চবিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক আনিছুর রহমান জানান, প্রতিবছর কম্পিউটার শিক্ষকদের এ ধরনের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ সহজেই গড়ে উঠবে। —সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
মার্কিন নজরদারি ফাঁস করে আলোড়ন তোলা এডওয়ার্ড স্নোডেন আছেন সন্দেহে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিমানকে পথ পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়েছে। পর্তুগাল ও স্পেনসহ চারটি দেশ তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় বিমানটি অস্ট্রিয়ায় অবতরণ করে। বলিভিয়া ও অস্ট্রিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বিমানে স্নোডেন ছিলেন না। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোরালেস। বলিভিয়া এ বিষয়ে জাতিসংঘে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোরালেসকে বহনকারী বিশেষ বিমান মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে বলিভিয়া ফিরছিল। পথে পর্তুগাল, স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্স নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারে বাধা দেয় ওই বিমানকে। বিমানে স্নোডেন আছেন সন্দেহ করে তা করা হয়। একপর্যায়ে জ্বালানি নেওয়ার জন্য স্পেনের মাদ্রিদে অবতরণ করার অনুমতি চাওয়া হয়। সেই অনুমতিও মেলেনি। পরে মোরালেসের বিমান অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনির্ধারিতভাবে অবতরণ করে। ক্ষুব্ধ মোরালেস বলেছেন, ‘আমি অপরাধী নই। কোনো ভুলও করিনি। তার পরও এমনটা করা হয়েছে।’ বিমানে প্রেসিডেন্ট মোরালেসের সঙ্গে ছিলেন তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন সুভের্ডা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারকে ব্যবহার করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বলিভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড চাকুয়েহুয়ানসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্নোডেন বিমানে আছেন—এই ডাহা মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে ফ্রান্স ও পর্তুগাল প্রেসিডেন্ট মোরালেসকে বহনকারী বিমানকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি। আমরা জানি না কারা এ ধরনের মিথ্যা ছড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট মোরালেসের বিমান নিয়ে এই অন্যায়ের তীব্র নিন্দা জানাই আমরা।’অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেকজান্ডার সলেনবার্গ নিশ্চিত করেছেন, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানে স্নোডেন ছিলেন না। মোরালেস একটি সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া গিয়েছিলেন। সেখানেই মস্কোর শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় গত ২৩ জুন থেকে অবস্থান করছেন হংকং থেকে যাওয়া স্নোডেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করায় এবং কোনো দেশ এখনো রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ায় ট্রানজিট এলাকাতেই অবস্থান করতে হচ্ছে স্নোডেনকে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও নিজ দেশের জনগণের ওপর মার্কিন প্রশাসনের নজরদারির খবর ফাঁস করায় যুক্তরাষ্ট্র স্নোডেনের ওপর ক্ষুব্ধ।মোরালেস গত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, স্নোডেন তাঁর দেশের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে তা বিবেচনা করে হবে। তবে তিনি জানান, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত স্নোডেনের কোনো আবেদন তাঁর সরকার পায়নি। রাশিয়ার গণমাধ্যমে এমন কথা প্রচারের কয়েক ঘণ্টা পরই মোরালেসের বিমান নিয়ে এ ঘটনা ঘটল। মোরালেসকে বহনকারী বিমান শেষ পর্যন্ত অস্ট্রিয়া থেকে বলিভিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে তেল নিতে এটির স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে অবতরণের কথা। পরে স্পেনের কাছ থেকে সেই অনুমতি পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।  জাতিসংঘে নিযুক্ত বলিভিয়ার রাষ্ট্রদূত সাচা লরেন্তি গতকাল জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মোরালেসের বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে এর নিন্দা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’ এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইইউভুক্ত একটি দেশের সার্বভৌমত্বের দায়দায়িত্ব তার নিজের নিয়ন্ত্রণে। কোনো দেশ এককভাবে চাইলে তার আকাশসীমায় প্রবেশে যে কাউকে বাধা দিতে পারে। তবে ফ্রান্স ও পর্তুগাল কী কারণে প্রেসিডেন্ট মোরালেসের বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি, তা অস্পষ্ট। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
দেশব্যাপী নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর সচেতনতামূলক কার্যক্রম হিসেবে প্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন নিউজপোর্টাল টেকজুম২৪ ডটকম এবং এভিজি ইন্টারনেট সিকিউরিটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে ব্লগ প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম আমান উল্লাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব আইটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, টেকজুম২৪ ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক ওয়াশিকুর রহমানসহ অনেকে। প্রতিযোগিতা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। বিস্তারিত: blog.techzoom24.com। —বিজ্ঞপ্তি
টাটা মাদিবা, সেরে ওঠো; আমরা তোমাকে ভালোবাসি।’ ভক্তরা নেচে-গেয়ে প্রিয় নেতার আরোগ্য লাভের জন্য এভাবেই প্রার্থনা করেছেন। জোহানেসবার্গের প্রেসিডেন্ট স্ট্রিটে এএনসির সদর দপ্তর লুথুলি হাউসের বাইরে মঙ্গলবার ম্যান্ডেলার সুস্থতা কামনায় এ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ক্ষমতাসীন দল এএনসির প্রধান ধর্মযাজক ভুকিলে মেহানা ম্যান্ডেলা পরিবারের ঐক্যের জন্যও প্রার্থনা করেন। ম্যান্ডেলা ভক্তরা কবি এমজোয়াখে এমবুলির গানের ছন্দের সঙ্গে নাচেন। এ সময় ম্যান্ডেলার স্তুতি গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আরও কয়েকজনের নামও উচ্চারিত হয়। এর মধ্যে ছিলেন ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ সহচর এএনসির প্রবীণ নেতা অলিভার টাম্বো এবং ওয়াল্টার সিসলু। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সবার কণ্ঠেই ছিল ম্যান্ডেলার সেরে ওঠার জন্য আকুতি। এএনসির মহাসচিব গোয়েদে মানতাশে বলেন, ‘জানি, আমরা চিরদিন বেঁচে থাকব না। তবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন ম্যান্ডেলাকে সুস্থ করে দেন।’ এএনসি ন্যাশনাল চেয়ারপারসন বালেকা এমবেতে বলেন, ‘মাদিবা দক্ষিণ আফ্রিকা ও বহির্বিশ্বের মানুষকে এক সুতায় গেঁথেছেন। আমরা চাই, তিনি চিরকাল আমাদের সঙ্গে থাকুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময়টা শুধু এএনসির জন্য নয়, গোটা মানবতার জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। আমি আশা করি, ঈশ্বর মাদিবাকে আমাদের মাঝেই রেখে দেবেন।’ দ্য স্টার।
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করলাম। এ কাজ বরাবরই উপভোগ্য রামপুরার কুঞ্জবনের একটি বাড়ির দোতলা। বাইরে থেকে ঠিক বোঝা যাবে না ফ্ল্যাটের ভেতরে কতজন মানুষের বসবাস। গত ২৪ জুন সোমবার দোরঘণ্টি বাজাতেই ওই বাড়ির কর্তাব্যক্তি যখন দরজা খুললেন, তখন সকাল ১০টা। পরনে তাঁর লুঙ্গি ও গেঞ্জি—সাধারণ পোশাক। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল, বসার ঘরে শেলফভর্তি সার সার বই। এ ছাড়া যেটুকু খালি জায়গা, সেখানে অজস্র মানুষ—কেউ একমনে খবরের কাগজ পড়ছেন, কেউ বা বসে আছেন চুপচাপ। কিন্তু এর মধ্যে আমরা বসব কোথায়? আমরা যে আসব—তা তো আগে থেকে ঠিক করা—এসব যখন ভাবছি, বাড়ির কর্তা মোশাররফ করিম তখন বাতলে দিলেন সমাধান, ‘চলুন, বেডরুমে বসি।’মোশাররফ করিমের শোবার ঘরের বড়সড় খাটের ওপর বসে জানা গেল, বাড়িভর্তি মানুষের কাহিনি—বাবা বেঁচে নেই, এখন মা, ভাই, ভাইয়ের বউ, বোন, তাঁদের ছেলেমেয়ে এবং নিজের স্ত্রী-সন্তানসহ এ বাড়িতে বিরাট এক একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে বাস করেন তিনি।সেই একান্নবর্তী পরিবারের প্রধান মোশাররফ করিম এখন নিজের খাটের ওপর বসে যৌথ পরিবারের কার্যকারণ ব্যাখ্যা করছেন, ‘একান্নবর্তী পরিবারে বসবাস করলে উদারতা অনেক বাড়ে। পারিবারিক শিক্ষাও পাওয়া যায়। আসলে একধরনের কাল্পনিক চিন্তা থেকে আমরা নিজেকে ক্রমেই আলাদা করে ফেলছি, পালাচ্ছি জীবনের বৃহৎ স্বাদ থেকে। কেবল নিজের চিন্তা আমাদের মধ্যে একরকম স্বার্থপরতা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আমি যদি মা-বাবা ও ভাইবোনকে নিয়ে একসঙ্গে না-ই থাকতে পারি; তবে উদারতা, প্রেম ও দেশপ্রেম—এগুলো শিখব কোথা থেকে।’এসেছি তারকা মোশাররফ করিমের খোঁজখবর জানতে। কিন্তু আমাদের সামনে এখন কথা বলছেন অন্য এক মানুষ—কে এম মোশাররফ হোসেন। হ্যাঁ, এটিই মোশাররফ করিমের পুরো নাম। তাঁর বাবার নাম আবদুল করিম। নিজের নামের সঙ্গে বাবার নামের অংশ জুড়ে দিয়ে তবেই তিনি প্রবেশ করেছেন তারকাজীবনে। কিন্তু এ মুহূর্তে তাঁর সঙ্গে আড্ডায় তারকাসুলভ ভঙ্গি যে একদমই নেই! ক্রমাগত কথা বলছেন আর খাচ্ছেন কাঁঠালের সঙ্গে মুড়ি মাখিয়ে।‘আপনারা কাঁঠাল-মুড়ি খান না?’আমাদের দিকে মোশাররফের এ প্রশ্নের পর কাঁঠাল-মুড়ি এল আমাদের কাছেও।আড্ডার পারস্পরিক কথা এর মধ্যেই অন্য পথে ঘুরে গেছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে তারকাভুবনে। মোশাররফকে তাই বলা হলো, এবারের মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের তিন উপস্থাপকের একজন ছিলেন আপনি। কেমন উপভোগ করেছেন উপস্থাপনা?‘এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করলাম। এ কাজ বরাবরই উপভোগ্য। তবে উপস্থাপনার ধরন যদি একটু মুক্ত ও ক্যাজুয়াল হয়, তবে তো সোনায় সোহাগা।’অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি জর্দা জামাল নাটকে অভিনয় করে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পীও হয়েছেন তিনি। কথায় কথায় প্রসঙ্গটি যখন এল, মোশাররফ তখন ‘খুব ভালো লেগেছে’—এই একটি মাত্র বাক্যে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন না। বললেন নাটকের নির্দেশক হাসান মোরশেদের কথা, ‘মোরশেদ আমার শিডিউলের জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করেছে, অনেক খেটে কাজটি করেছে। তার কথাও বলতে হবে।’একটু পরেই শুটিংয়ে যেতে হবে, তাই এর মধ্যেই বাক্সপেটরা গোছগাছ করছেন তিনি। কথায় কথায় বাড়ছে সকাল, ‘আমি তো চাকরিজীবী নই—দশটা-পাঁচটা অফিস করি না। দিনরাত শুটিং, হাড়ভাঙা পরিশ্রম। তবে ক্লান্তি লাগে না, যদি কাজ করে তৃপ্তি পাই।’পাঠক, এর পরই মোশাররফের কথায় ক্লান্তির আঁচ লাগল। তিনি বললেন, ‘কিন্তু অধিকাংশ সময়ই ওই তৃপ্তিটা আমি পাই না। আসলে একটা দৃশ্য ধারণের জন্য ন্যূনতম যতটুকু সময় প্রয়োজন, ততটুকু আমরা পাই না। মনে হয়, কাজটা যেভাবে করতে চেয়েছিলাম সেভাবে পারিনি। আরেকটু মহড়া দরকার ছিল। ফলে আমি আসলে কতদূর অভিনয় করতে পারতাম বা পারি, মাঝেমধ্যে সেটাই বুঝতে পারি না! আমাদের মিডিয়ার অবস্থা এখন এমন, যেন ছাদটাকে নামিয়ে এনে মাথার সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে—ছাদ মাথায় ঠেকেছে এমন নয়। বদ্ধ জায়গায় কোনো শিল্প হয় না।’আপন মনে মনের ভেতর জমে থাকা খেদ একনাগাড়ে বলে চলেছেন তিনি। অন্যদিকে, আমরা অপেক্ষা করছি, মোশাররফ করিমের কথা শেষ হবে। জানব তাঁর সাম্প্রতিক কাজকর্ম সম্পর্কে—তিনি বলবেন, সালাউদ্দিন লাভলুর কবুলিয়তনামা, মাসুদ সেজানের রেড সিগন্যাল, শামস করিমের মীরজাফর মীর, মারুফ মিঠুর অসীম চাকরসহ ঈদের নাটক নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে।তারপর একসময় নিজের শয়নকক্ষ থেকে বেরিয়ে বাক্সপেটরাসহ শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পা বাড়াবেন। কিন্তু না, মায়ের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া হয়নি, তাই আবার তাঁকে ফিরতে হবে ঘরে—মাকে বলতে হবে, ‘মা, আসি।’
সিএসএস ৩ লেখক: মিজানুর রহমান দাম: ৩৫০ টাকা পৃষ্ঠা: ৪১৯ প্রকাশনী: জ্ঞানকোষ প্রকাশনী ঢাকা।বর্তমানে ডায়নামিক কোন ওয়েবপেজ আকর্ষণীয় করে তুলতে সিএসএস ব্যবহার করতে হয়। ক্যাসকেডিং স্টাইল শিটে (সিএসএস) যেখানে এইচটিএমএল ফাইলের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়। নানা ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করে সিএসএসের মাধ্যমে ওয়েবপেজকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা সম্ভব। এর নানা ধরনের কাজ শিখে যে কেউ দারুণ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। সিএসএসের এমন নানা বিষয় নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে সিএসএস ৩ বইটি। লিখেছেন মো. মিজানুর রহমান। বইটি প্রকাশ করেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। বইটিতে সিএসএস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি পেশাদারিদের কাজের বিভিন্ন উপায়ের বর্ণনা করা হয়েছে। ওয়েবপেজ ডিজাইন, ওয়েবপেজ লে-আউট ডিজাইন, বিভিন্ন ব্রাউজারে সমানভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। বইতে ৩৮টি অধ্যায়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সিএসএস ৩ দিয়ে কী কী করা যায় এমন বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা। প্রতিটি অধ্যায়ে বিষয় ও প্রকল্পের সঙ্গে রয়েছে প্রয়োজনীয় ছবি। এর মধ্যে রয়েছে ওয়েব ডিজাইন কী, তা সম্পর্কে ধারণা, ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ সম্পর্কে জান, সিএসএস কী, কেন সিএসএস ব্যবহার করব, এইচটিমেল কী, এইচটিমেল ফাইল তৈরি করা, ভিডিও, গান অথবা অন্য যেকোনো ফাইল ব্যবহার, আউট লাইন কী, আইডি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদির বর্ণনা। বই পড়ার পাশাপাশি কাজের অভিজ্ঞতার জন্য বইটির সঙ্গে রয়েছে সিডি। ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখতে আগ্রহীদের বইটি সাহায্য করবে। —রাহিতুল ইসলাম
দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে গতকাল বুধবার বেশির ভাগ শেয়ারের মূল্য সংশোধন হয়েছে। আগের দিন দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের বড় ধরনের উত্থান ঘটলেও গতকাল সূচকে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন প্রায় ৮ পয়েন্ট বাড়লেও সাধারণ মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট কমেছে।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের পরও সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল মৌলভিত্তির কিছু শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি। সূচকে মৌলভিত্তির এসব শেয়ারের প্রাধান্য বেশি।কসমোপলিটন ফিন্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ঢাকার বাজারের সূচককে ঊর্ধ্বমুখী রাখার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো, বেক্সফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস, খুলনা পাওয়ার। এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে প্রায় শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ সূচক বাড়িয়েছে।এসব কোম্পানির মধ্যে তিতাসের প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা তিন টাকা ৮০ পয়সা। বেক্সিমকো, বেক্সফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস ও খুলনা পাওয়ারের প্রতিটি শেয়ারের দাম যথাক্রমে ৭ দশমিক ৫৮, ৯ দশমিক ১৩, চার দশমিক ৩০ এবং ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।জানতে চাইলে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকার বাজারের সূচক সাড়ে চার হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি ঘুরপাক খাচ্ছিল। সেই প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। তাঁরা ভাবছেন, সূচকের ইতিবাচক ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি যেসব বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নিয়েছেন, তাঁরা আবারও বিনিয়োগে ফিরে আসছেন। সব শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা বাজারকে এখন ইতিবাচকভাবে দেখছেন।মনিরুজ্জামান আরও বলেন, বড় ধরনের ঊত্থানের পর স্বাভাবিক নিয়মে বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধনের চাপ তৈরি হয়। এ কারণে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমেছে।এদিকে মঙ্গলবারের মতো গতকালও লেনদেনে একক প্রাধান্য ধরে রেখেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এদিন লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে আরও বেড়েছে। দিন শেষে এ খাতের ১৫ কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২২১ কোটি টাকায়, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের সাড়ে ২৭ শতাংশ। একক কোম্পানি হিসেবে এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তিতাস গ্যাস। দিন শেষে কোম্পানিটির লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি টাকা, যা ঢাকার বাজারের মোট লেনদেনের প্রায় ৬ শতাংশ।ডিএসইতে বুধবার ২৮৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৭টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ১১৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১২টির দাম। দিন শেষে ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮০৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪২ কোটি টাকা বেশি। গত ১৯ জুনের পর ঢাকার বাজারে গতকাল সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।চট্টগ্রামের বাজারে ২০৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৮টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৬৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে এক কোটি টাকা কম।
দোষ-গুণ মিলিয়েই মানুষ। তারকারাও এর বাইরে নন। তারকাদের ভালো গুণগুলো কী, তাঁদের কি কোনো মন্দ দিক আছে? এবার তারকার নিজের মুখেই শুনুন দোষ-গুণের খবরআমার যত দোষ কথায় বলে, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। এ ক্ষেত্রে আমার জন্য বোধ হয় নিয়মটা উল্টো—কেননা আমি সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করি। এরপর তর্কাতীতভাবে পদে পদে ঠকি। যাকেই বিশ্বাস করি, সে-ই আমাকে বিপদে ফেলে। আমি মানুষ চিনতে ভুল করি। ফলে মানুষকে বিশ্বাস করাই নিজের সবচেয়ে বড় দোষ বলে মনে হয়। আরেকটি দোষ—আমার ঘুমের কোনো আকার-সাইজ নেই, আগামাথা নেই, কাজ না থাকলে ঘুুমাচ্ছি তো ঘুমাচ্ছিই। কিন্তু মানুষের একটা নির্দিষ্ট সময় ধরেই তো ঘুমানো উচিত। আমি সেটা পারি না। অবশ্য এ জন্য কাছের মানুষদের কাছ থেকে কম কথা শুনতে হয় না! আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। কারও একটু কটু কথায়ও গাল ফুলিয়ে প্রচণ্ড মন খারাপ নিয়ে বসে থাকি।আমার যত গুণ আমি মোটামুটি কম কথা বলি, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই। বেশি কথা বলা পছন্দ করি না। আর বর্তমানে যা দিনকাল পড়েছে, তাতে কম কথা বলাই ভালো, তাই না? বলতে পারেন, আমি মুখরা রমণী নই, হা হা হা... কাজের ক্ষেত্রে আমি ভীষণ সিরিয়াস। যতটুকু কাজ করি, মন দিয়েই করি। কাজে কখনো ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করি না। মিডিয়াতে অনেক সময় বিভিন্ন তারকার সম্পর্কে নানা কানকথা তৈরি হয়। এই কানকথা আবার রসালভাবে ছড়ানোও হয়। আমি এসব কানকথার ধারেকাছেও নেই। কানকথার আশপাশে ভিড়তে ভয় পাই। আর রসাল গল্প নিজে যেমন শুনতে চাই না, তেমনি বিশ্বাসও করি না। যখন কানকথাজনিত রসাল গল্পগুলো ছড়ায়, তখন স্রেফ দুই কান বন্ধ করে রাখি আমি। আপনারা কী বলেন, এটা ভালো গুণ নয়?গ্রন্থনা: শফিক আল মামুন
ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকার ৩১৫/বি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরণিতে গতকাল বুধবার ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) ১২৭তম শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ শাখাটির উদ্বোধন করেন। এ সময় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন। কে এস তাবরেজ বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বর্তমানে সারা দেশে দুই হাজার ৩৬৬টি এটিএম ও ২৩৫টি ফাস্ট ট্রাকের মাধ্যমে ২৭ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে।এ ছাড়া রিটেইল ও করপোরেট গ্রাহকদের নানা ধরনের আর্থিক সেবা প্রদান করে আসছে ডিবিবিএল। এ ছাড়া ৩৬০ উপজেলায় ডিবিবিএলের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রয়েছে বলে তিনি জানান। বিজ্ঞপ্তি।
বলিউডে প্রথম ছবিতেই সেরা নবাগতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। এরপর পা, ইশকিয়া, ডার্টি পিকচার ও কাহানি—গত কয়েক বছরের অভিনীত ছবিগুলোয় একের পর এক অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ারে জুটেছে সেরা অভিনেত্রী পুরস্কারও। সেই ফিল্মফেয়ারের ব্যাকস্টেজেই সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রথমবার দেখা বিদ্যার। অতঃপর দুজনের প্রেম-ভালোবাসার লুকোচুরি শেষে গত বছর বিয়েটাও হয়ে গেল। বলিউডপাড়ার কন্যারা যখন তাঁর দাপুটে ক্যারিয়ার নিয়ে হিংসায় জ্বলছেন, বি-টাউনের লেডি খান তখন স্বামীর সঙ্গে হানিমুন মুডে কিছুটা অবসর কাটিয়ে নিলেন। তবে দর্শকদের মন জয় করতে প্রযোজক স্বামী সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের হাত ধরেই নতুন ছবি নিয়ে আবারও হাজির বিদ্যা। এবার ভিন্ন ধাঁচের কমেডি চরিত্রে অভিনয়ে মজার চমক নিয়ে এসেছেন জাতীয় পুরস্কার পাওয়া বলিউডের অন্যতম এই সেরা অভিনেত্রী। পরিণীতায় বাঙালি মেয়ে, ডার্টি পিকচার-এ দক্ষিণী নায়িকার পর এবার পাঞ্জাবি মেয়ের ভূমিকায় বিদ্যা বালান।ছবির নাম ঘনচক্কর। গল্পের শুরুটা একটা ব্যাংক ডাকাতিকে ঘিরে। আর সেই ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য সঞ্জু (এমরান হাশমি)। স্ত্রী নীতুর (বিদ্যা বালান) নিত্যনতুন চাহিদা মেটাতেই সঞ্জুর এই ডাকাতির পথ বেছে নেওয়া। তবে একটা সময় সেই কাজের প্রতি তার অনীহা চলে আসে। সঞ্জু তার বাকি দুই পার্টনারের সঙ্গে মিলে স্থির করে, এসব চুরিচামারি আর নয়, বাকি জীবনটা সহজ-সরল পথেই কাটিয়ে দেবে তারা। দরকার শুধু একটা জুৎসই ব্যাংকে হাত সাফ করা, যাতে ডাকাতির টাকা-পয়সা দিয়ে বাকিটা জীবন নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সঞ্জু তার দুই সঙ্গীকে নিয়ে অভিযান চালায় একটি ব্যাংকে। যথারীতি সফলও হয় তাদের মিশন। ব্যাঙ্কের ভল্ট ভেঙে সোজা ৪৫ কোটি টাকা চুরি করে পুরো টাকাই সঞ্জুর হেফাজতে রেখে দেওয়া হয়। তিন বন্ধুতে চুক্তি হয়, পুলিশ আর মিডিয়া একটু ঝিমিয়ে পড়লেই সঞ্জুর বাসা থেকে প্রত্যেকের ভাগ বুঝে নিজেদের পথে চিরদিনের জন্য হাঁটা দেবে বাকি দুজন। দুই মাস পর যখন সবাই মোটামুটি ভুলেই গেছে ওই ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা, সঙ্গীরা ভাগের টাকা আদায় করতে এলে ভাগ তো দূরের কথা, তাদের চিনতেই অস্বীকার করে সঞ্জু। কোনো কিছুই মনে করতে না পারার ভান করে সে। শেষ পর্যন্ত সঞ্জু ও নীতুর কী হবে, তা জানা যাবে বড় পর্দায়—এমনই এক গল্প নিয়ে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক রাজকুমার গুপ্তার কমেডি থ্রিলার ঘনচক্কর।বিদ্যা বালানের জন্য প্রথম কমেডি ছবি। বরাবরের মতো দর্শকদের সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু দেওয়ার প্রত্যয়ে বিদ্যাকে আবারও দেখা যাচ্ছে নতুন এক রূপে। ছবিতে বিদ্যা একজন উচ্ছল, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা পাঞ্জাবি গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো, এ ছবিতে উদ্ভট ধরনের পোশাক পরে হাজির হতে হয়েছে বিদ্যাকে। আর এই উদ্ভট টাইপের পোশাকের ডিজাইন করতে গিয়ে ডিজাইনাররা সত্যিই নাকি বিপাকে পড়ে গেছেন। নীতু চরিত্রে তাঁর কথাবার্তা, কাণ্ডকীর্তি, বিচিত্র সাজ-পোশাক ইত্যাদি দেখে নাকি রীতিমতো চমকে উঠবেন দর্শকেরা। এমন একটি নারী চরিত্রে অভিনয়ে বিদ্যা বালানের আন্তরিকতা ও সাহসিকতা ছবির পরিচালক রাজকুমার গুপ্তকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। এই পরিচালকের আগের ছবি নো ওয়ান কিল্ড জেসিকায়ও অন্যতম প্রধান চরিত্রে বিদ্যা অভিনয় করেছিলেন, যা ২০১১ সালের ব্যবসাসফল ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল। তাই ঘনচক্কর নিয়ে বেশ স্নায়ুচাপেই রয়েছেন বিদ্যা, ‘আমি নার্ভাস, কারণ এটি আমার প্রথম কমেডি ছবি। আমি সত্যিই দর্শকদের হাসাতে পারব কি না, তাই নিয়ে চিন্তিত। সন্দেহ নেই, নীতু চরিত্রটি আমার জন্য চমৎকার মজার অভিজ্ঞতা। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি এ চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে। আমি সব সময়ই একটি কমেডি ছবি করতে উদগ্রীব ছিলাম। একজন আদর্শ অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্রের সব শাখায় বিচরণ করাই ভালো। আশা করছি ঘনচক্কর দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে আমার মধ্যে পরিপূর্ণতা আসবে।’ডার্টি পিকচার-এর পর আবারও এমরান হাশমির সঙ্গে জুটি বাঁধলেন বিদ্যা। আর এই দুই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যার অভিনয়ের দারুণ ভক্ত হয়ে গেছেন এমরান হাশমি নিজেই। ছবির প্রচারণামূলক এক অনুষ্ঠানে এমরান বলেন, ‘আমি ওর অভিনয়ের দারুণ ভক্ত। ও পর্দায় যা-ই করে, আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি। এর কারণ, বিদ্যা একেবারে ভিন্নধর্মী কাজ করে সব সময়। সে কারণেই ও স্বতন্ত্র। ছবিতে শুধু বিদ্যার নতুন লুক নয়, ছবির প্রমোশনেও ছিল চমক।’ ছবিতে মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে, তাই বিদ্যা ও এমরান হাশমি লোকাল ট্রেনে ছবির প্রমোশন করেছেন। এ ছাড়া ছবির প্রচারণা ও জনপ্রিয়তা বাড়াতে ছবিটিকে ভিডিও গেম আকারেও প্রকাশ করা হচ্ছে। ঘনচক্কর ছবির ভিন্ন আঙ্গিকের গানগুলোর সংগীত আয়োজনে আছেন সংগীত পরিচালক অমিত ত্রিভেদী। সাজিদুল হকজিনিউজ, ফিল্মফেয়ার, ইন্ডিয়া টাইমস, বলিউড হাঙ্গামা, রেডিফ, আইএমডিবি অবলম্বনে
নেলসন ম্যান্ডেলার তিন সন্তানের মরদেহ পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র থেকে স্থানান্তর নিয়ে মামলায় হেরে গেলেন সাবেক প্রেসিডেন্টের নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে জিতেছেন ম্যান্ডেলা পরিবারেরই ১৬ জন সদস্য।দুই বছর আগে মান্ডলা ম্যান্ডেলা ওই দেহাবশেষগুলো পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র থেকে সরিয়ে অন্য কবরস্থানে সমাহিত করেন। পরিবারের সদস্যরা তা আবার আগের সমাধিক্ষেত্রে কবর দিতে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। উচ্চ আদালত গতকাল বুধবার তাঁদের পক্ষে রায় দেন। স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যার মধ্যেই রায় কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কিংবদন্তিপ্রতিম নেতা ম্যান্ডেলাও অনেক আগেই ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের কুনু গ্রামে অবস্থিত পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। মান্ডলার বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ করা হয়, দুই বছর আগে ম্যান্ডেলার তিন সন্তানের মরদেহ পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র থেকে সরিয়ে ফেলার সঙ্গে তিনি জড়িত। নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর নাতিকে কুনু থেকে ২২ কিলোমিটার দূরের এমভেজো এলাকার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ম্যান্ডেলার তিন সন্তানের দেহাবশেষ উঠিয়ে মান্ডলা এমভেজোতে সমাধিস্থ করেন। তিনি সেখানে নেলসন ম্যান্ডেলার সম্মানে একটি ঐতিহ্যকেন্দ্র গড়ে তুলতে চান। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ম্যান্ডেলা পরিবারের অনেকের বাধার মুখে পড়েন মান্ডলা। নেলসন ম্যান্ডেলা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই অবস্থায়ই তাঁর পরিবারের সদস্যরা আইনি লড়াইয়েলিপ্ত। বিবিসি।
এম এম হাইকেল হাশমী সম্প্রতি আইএফআইসি ব্যাংকের নতুন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ রিস্ক অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।এর আগে হাইকেল হাশমী একই পদে ট্রাস্ট ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালে আইএফআইসি ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা ব্যাংক, মাশরেক ব্যাংক, আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক ও ব্যাংক ইন্দোসুয়েজ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে দেশে-বিদেশে কাজ করেন। বিজ্ঞপ্তি।
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের মানিকপীর গ্রামে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ৩৭৫তম শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে গতকাল বুধবার শাখাটির উদ্বোধন করেন। এ সময় রাকাবের রংপুর জোনের মহাব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান, পঞ্চগড় জোনের ব্যবস্থাপক বীরেন্দ্রনাথ রায়, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সফলভাবে পেসমেকার স্থাপন শেষে গতকাল বুধবার হাসপাতাল ছেড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বশেষ শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ক (৭৭)। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী এ কথা জানিয়েছেন। ডি ক্লার্কের ব্যক্তিগত সহকারী ব্রেন্ডা স্টেইন বলেন, ‘তাঁকে আজ সকালে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক আছে।’ ডি ক্লার্কের অফিস থেকে গত সপ্তাহে বলা হয়, ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে সাবেক প্রেসিডেন্ট তাঁর ইউরোপ ভ্রমণের মেয়াদ কমিয়ে এনেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে ১৯৯৩ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ডি ক্লার্ক। দেশটিতে বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটাতে ভূমিকা রাখার জন্য তাঁরা এই সম্মানে ভূষিত হন। রয়টার্স।
তিন অর্থবছর পর দেশে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হলো। সদ্য সমাপ্ত ২০১২-১৩ অর্থবছরে তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। এই সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক লাখ আট হাজার ২৪৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে। এ ছাড়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণ, যোগানদারসহ অন্য মূল্য সংযোজন কর (মূসক) খাতে বকেয়া আরও এক হাজার কোটি টাকা আদায় হবে। সেই হিসাবে আলোচ্য অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াবে এক লাখ নয় হাজার ২২৪ কোটি টাকা। সারা বছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।গতকাল বুধবার এনবিআর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন এনবিআরের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন। এনবিআরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সদস্য বশিরউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ আমিনুল করিম, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।আদায় পরিস্থিতি: ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের বছর রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৯৫ হাজার ৫৮ কোটি টাকা।২০১২-১৩ অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতি প্রায় তিন হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আদায়ে এক হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। আয়কর খাতে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য কর ও শুল্ক খাতে আদায় হয়েছে ৫৭৮ কোটি টাকা। লক্ষ্য ছিল ৯৫৯ কোটি টাকা।এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, দেশে ও বিদেশে কিছু ঘটনা এবং বিশ্বমন্দা প্রলম্বিত হওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি জানান, বিদয়ী অর্থবছরে ভোগ্যপণ্যের আমদানি ২৪ শতাংশ কমেছে, এই ভোগ্যপণ্য থেকেই বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হওয়ায় রাজস্ব আদায় কমেছে।আগামী অর্থবছরের লক্ষ্য অর্জন সম্পর্কে গোলাম হোসেন বলেন, করবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য তিনটি বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হবে। রাজস্ব প্রদানে সেবাসমূহ নিশ্চিত করা, অনুকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনকানুন সময়োপযোগী করা। গোলাম হোসেন বলেন, লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী। তবে দেশটা সবার। পরবর্তী সময়ে যে সরকারই আসুক, তাদের টাকা লাগবে। তাই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন রাজস্ব আহরণে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সেদিকে লক্ষ রাখার অনুরোধ করেন তিনি। গোলাম হোসেনের মতে, রাজস্ব আদায় বাড়াতে করদাতাদের সহজ ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির দিকে বেশি নজর দিচ্ছে এনবিআর। সব উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস হচ্ছে। অনলাইনে টিআইএন নেওয়ার সুযোগ করা হয়েছে। একদিকে ছোট করদাতাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে ধনীদের কাছ থেকে বেশি কর আহরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে গোলাম হোসেন বলেন, আবাসন খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে কমবেশি ৭৩টি খাত জড়িত। বিশাল শ্রমশক্তিও কাজ করে এ খাতে। এ খাতের বিপর্যয় রক্ষায় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, নৈতিক প্রশ্নে এই সুযোগ দেওয়া ঠিক হয়নি। কিন্তু অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে এই সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন ছিল।এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, গত অর্থবছরে শেয়ারবাজারে মাত্র ছয় কোটি টাকা সাদা হয়েছে।
দেখতে ফরসা, মিষ্টি চেহারার ছেলেটিকে স্কুলে সবাই থমাস জেফ্রি হ্যাঙ্কস নামে চিনত। মজার ব্যাপার হলো, প্রচণ্ড লাজুক স্বভাবের হলেও যথেষ্ট ভালো এবং দায়িত্বশীল ছেলেটি কখনো বিপদে পড়ত না। ছোট্ট সেই ছেলেটি এখন ছয় ফুটের এক মধ্যবয়সী অভিনেতা। ঝুলিতে তাঁর দুটি অস্কারসহ আরও ৬৭টি পুরস্কার। বলছি বিখ্যাত মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও লেখক টম হ্যাঙ্কসের কথা। তিনি সমসাময়িক মার্কিন সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের অন্যতম। আসছে ৯ জুলাই জন্মদিন উপলক্ষে হ্যাঙ্কসভক্তদের জন্য এই বিশেষ নিবেদন। টম হ্যাঙ্কসের জন্ম ১৯৫৬ সালের ৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের কনকর্ডে। জন্মসূত্রে তিনি কর্কট রাশির জাতক। বাবা অ্যামস মেফোর্ড হ্যাঙ্কস ছিলেন একজন ভ্রাম্যমাণ পাচক, আর মা জ্যানেট ম্যারিলিন হাসপাতালকর্মী। তাঁদের অন্য পরিচয়, তাঁরা দুজন ওই এলাকায় বিবাহ-বিচ্ছেদ আইন উন্নতি করার প্রবর্তক। ১৯৬০ সালে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর বাবার হাত ধরে ঘুরতে ঘুরতে আর নিত্যনতুন স্কুলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে নিতেই টমের শৈশবের অনেকটা সময় কেটে যায়। স্কাইলাইন হাইস্কুল, চ্যাবট কলেজ এবং ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কাটে তাঁর শিক্ষাজীবন। অভিনয়জীবনে ঈর্ষণীয় সাফল্যের অধিকারী হ্যাঙ্কস মূলত দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় সাধারণ মানুষের চরিত্রে কিংবা অসাধারণ পরিস্থিতিতে সাধারণ চরিত্রে বেশি অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে সেভিং প্রাইভেট রায়ান, দ্য গ্রিন মাইল, ক্লাউড অ্যাটলাস, অ্যাঞ্জেল অ্যান্ড ডেমন্স, ফরেস্ট গাম্প, কাস্ট অ্যাওয়ে, বিগ, দ্যাট থিং ইউ ডু!, স্লিপলেস ইন সিয়াটল ইত্যাদি মনে রাখার মতো। টয় স্টোরি সিরিজ তাঁর বিখ্যাত অ্যানিমেশন সিরিজ। আসুন, তাঁর কিছু বিখ্যাত ছবি সম্পর্কে সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করি । সেভিং প্রাইভেট রায়ান (১৯৯৮) ছবিতে টম হ্যাঙ্কসের অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তাঁকে ১৯৯৯ সালে ইউএস নেভি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘ডিস্টিংগুইশড পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ পদকে ভূষিত করে। ছবিটির মূল কাহিনির লেখক রবার্ট রোড্যাট এবং পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ। এতে টম হ্যাঙ্কস অভিনয় করেন ক্যাপ্টেন মিলারের চরিত্রে। তাঁর নেতৃত্বে শত্রুর হাত থেকে প্রাইভেট জেমস রায়ান নামের এক ছত্রীসেনাকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আনতে আট সদস্যের একটি দল পাঠানো হয়। জেমস রায়ানের বাকি তিন ভাই যুদ্ধে শহীদ হন। ১৬৯ মিনিটের এই ছবি পাঁচটি অস্কার জিতে নেয়। ফরেস্ট গাম্প (১৯৯৪) ছবিতে তাঁর কৃতিত্ব তাঁকে প্রিমিয়ার ম্যাগাজিনের সর্বকালের সেরা ১০০ ছবি তারকার তালিকায় ৪৩তম স্থান দিয়েছে। ছবির কেন্দ্রীয় ফরেস্ট গাম্প চরিত্রে অভিনয় করেন টম নিজে, যার অতি সামান্য সাধারণ জ্ঞান থাকলেও অনেক ভালো কিছু করার চেষ্টা থাকে। ছোটবেলার প্রিয়তমা জেনির কাছে সব সাফল্য যার তুচ্ছ মনে হতো, সেই গাম্প পরবর্তীকালে প্রমাণ করতে চেষ্টা করে, যে কেউ চাইলে যে কাউকে ভালোবাসতে পারে! ১৪২ মিনিটের ছবিটির পরিচালক রবার্ট জিমেকিস। ছবিটি ছয়টি অস্কারসহ আরও ৩৮টি পুরস্কার জিতে নেয়। একই সঙ্গে হাসি, আনন্দ ও কান্না এনে দেয় ফ্রাংক ডারাবন্ট পরিচালিত দ্য গ্রিন মাইল (১৯৯৯) ছবিটি। এতে টম হ্যাঙ্কস পল এজকম্বের চরিত্র অলংকরণ করেন, যিনি ছিলেন গ্রিন মাইলের প্রধান কারারক্ষী। ১৮৯ মিনিটের ছবিটি চারটি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। টম হ্যাঙ্কসের বর্তমান জীবনসঙ্গিনী রিটা উইলসন। তাঁর সন্তান চারজন। বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি পেয়েছেন অসংখ্য স্বীকৃতি। স্পেন্সার ট্রেসির পর তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি ফিলাডেলফিয়া (১৯৯৩) এবং ফরেস্ট গাম্প (১৯৯৪) ছবি দুটির জন্য পরপর দুই বছর অস্কার জয়ের গৌরব অর্জন করেন। ২০০২ সালে প্রদত্ত স্টার টিভির নব্বইয়ের দশকের শীর্ষ ১০ বক্স অফিস তারকার তালিকায় তাঁর স্থান প্রথম। ১৯৯৭ সালে এম্পায়ার ম্যাগাজিনের সর্বকালের সেরা ১০০ ছবি তারকার তালিকায় তিনি ১৭তম স্থান লাভ করেন। খেলাধুলার প্রতি যথেষ্ট অনুরাগী হ্যাঙ্কস ক্লিভল্যান্ড ইন্ডিয়ানস বেসবল দলের সমর্থক। টম হ্যাঙ্কস সম্পর্কে অনেকটাই তো জানা হলো, এবার তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পালা। দিনপঞ্জির দিকে তাকিয়ে ৯ জুলাইয়ের অপেক্ষায় ভক্তরা। দেবদুলাল গুহতথ্যসূত্র: আইএমডিবি, রোটেন টমেটো, ইয়াহু মুভিজ, উইকিপিডিয়া ইত্যাদি।
সম্পদশালী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্বও বেড়ে যায়। বিশেষ করে যখন বিশ্বের কোটিপতিদের তালিকায় নাম ওঠে, তখন মানুষের প্রত্যাশা অনেক বৃদ্ধি পায়, নিজেকে অনেক বেশি দৃশ্যমান হতে হয়। তাই দায়িত্বের গুরুত্বও চলে আসে। নেপালের প্রথম কোটিপতি বিনোদ চৌধুরী এভাবেই নিজের মনোভাব তুলে ধরেন প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে। গত সপ্তাহে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন সামাজিক ব্যবসা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। তাঁর জন্য ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) পক্ষ থেকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।বিনোদ চৌধুরী বলেন, ‘কোটিপতি হিসেবে স্বীকৃতিতে জৌলুশ ও মর্যাদা যেমন আছে, তেমনি আছে দায়দায়িত্ব। নেপালে বা বাংলাদেশে আমার চেয়েও ধনী ব্যক্তি আছেন, যাঁরা কোটিপতি। কিন্তু ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি ব্যবসায় সুশাসনের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করায় আমি এই স্বীকৃতি পেয়েছি।’ উল্লেখ্য, ফোর্বস ম্যাগাজিন নেপালের প্রথম কোটিপতি ধনকুবের (বিলিওনিয়ার) হিসেবে বিনোদ চৌধুরীকে তালিকাভুক্ত করেছে এ বছর। ২০১৩ সালের এক হাজার ৪২৬ জন কোটিপতির তালিকায় তাঁর অবস্থান এক হাজার ৩৪২তম। ১০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ সম্পদ আছে তাঁর। প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে শুরু করে চৌধুরী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বিনোদ চৌধুরী ৮০টি শিল্প-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন নিজ দেশে ও দেশের বাইরে। তাঁর সবচেয়ে বড় ব্যবসা সিঙ্গাপুরে। ওয়াই ওয়াই ব্র্যান্ডের নুডলস নিয়ে ভারতে তাঁর ব্যবসায় রয়েছে তাজ হোটেলের সঙ্গে অংশীদারি। শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে আছে হোটেল। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিনোভেশন গ্রুপেরও তিনি কর্ণধার। নেপালি এই ধনকুবের বলেন, ‘ব্যবসার জন্য কোনো নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় না। তবে ফোর্বসের এই স্বীকৃতি আমার কাছে নোবেল পুরস্কারের সমতুল্য।’ বিনোদ চৌধুরীর মতে, এই খ্যাতির মধ্য দিয়ে শুধু নিজেকে নয়, দেশকেও বিশ্বের দরবারে নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ তৈরি হয়। আর বিশ্বের মানুষ ব্যক্তির মধ্য দিয়ে দেশকে দেখার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি নেপাল। সেই দেশের মানুষ হিসেবে আমি যখন কোটিপতির স্বীকৃতি পাই, তখন নেপালকে নিয়ে বাইরের জগৎ অন্যভাবে চিন্তা করবে।’বিনোদ চৌধুরীর আদি বাড়ি অবশ্য ভারতের রাজস্থানে। তাঁর পিতামহ ঊনবিংশ শতকে নেপালে চলে আসেন এবং একটি বস্ত্রের দোকান খোলেন। সেখান থেকে রাজপরিবার ও সম্ভ্রান্তরা বস্ত্র কিনতেন। এরপর তাঁর বাবা নেপালের প্রথম ডিপার্টমেন্ট স্টোর খোলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিনোদ ব্যবসায় যোগ দেন। তখন তিনি ভারতে হিসাবরক্ষণ শাস্ত্র অধ্যয়ন করছিলেন। বাবা অসুস্থ হওয়ায় পড়ালেখার পর্ব অসম্পূর্ণ রেখেই নেপাল ফিরে যান। সেই থেকে শুরু। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছরের ব্যবসায়ী জীবনে খাদ্য, আবাসন, সিমেন্ট, হোটেল, ব্যাংক, বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রনিক খাতে নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন।বিনোদ চৌধুরী মনে করেন, নেপালসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধির অবারিত সুযোগ রয়েছে। ‘আমাদের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হলো আমরা রাজনীতির নামে একে অন্যের বিরুদ্ধে লেগে থাকি।’ তিনি আরও মনে করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করার অনুকূল পরিবেশ তৈরিই সরকারের প্রধান কাজ। তাঁর ভাষায়, ‘সরকার হস্তক্ষেপ করবে এ জন্যই যে, কেউ যাতে একচেটিয়া ব্যবসা করতে না পারে।’নোবেলজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের অনুরাগী বিনোদ চৌধুরী এখন ইউনূস-প্রবর্তিত সামাজিক ব্যবসার ধারণা নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। বিশ্বে আজ সামাজিক ব্যবসা নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। হাইতি থেকে উগান্ডা, জাপান থেকে নেপাল—সর্বত্রই এই সামাজিক ব্যবসা জোর আলোচনায়। অন্য ব্যবসার মতো এই ব্যবসাকেও টেকসই ও লাভজনক হতে হবে, মুনাফা করতে হবে। শুধু উদ্যোক্তারা মুনাফা নিতে পারবেন না।বিনোদ চৌধুরীর মতে, সামাজিক ব্যবসা প্রথাগত ব্যবসার ভাবমূর্তি বদলে দিচ্ছে। সামাজিক সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতেই সামাজিক ব্যবসা। এখানে যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনি মুনাফাও হবে।
১. ঘনচক্কর: বিদ্যা বালান, এমরান হাশমি, রাজেশ শর্মা২. রনঝনা: ধানুস, সোনম কাপুর, অভয় দেওল৩. ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি: রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, অদিত্য রায় কাপুর ৪. ফাকরে: পুলকিত সম্রাট, বিশাখা সিং, আলী ফজল৫. ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ২: সানি দেওল, ববি দেওল, ধর্মেন্দ্রদ্য মুভিটাইমসকম অবলম্বনে
মিসরের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নতুন ‘লৌহমানব’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। তিনি চলমান সংকটের ইতি টানতে উদগ্রীব। তবে দেশকে ২০১১-১২ সালের মতো অজনপ্রিয় সেনাশাসনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা।সেনাপ্রধান সিসি গত সোমবার নাটকীয়ভাবে দেশটির চলমান পরিস্থিতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি দেশটির ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে  বিরোধীদের সঙ্গে ক্ষমতার ভাগাভাগির প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছাতে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। এতে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নামা জনতার প্রশংসা কুড়িয়েছেন সিসি।মুরসিবিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর কায়রোর তাহরির স্কয়ারে স্লোগান দিয়েছে ‘সেনাবাহিনী ও জনগণ ঐক্যবদ্ধ’। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থকদের কাছে সেনাবাহিনীর এ হস্তক্ষেপ কার্যত অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ছদ্মবেশী হুমকি।প্রেসিডেন্ট মুরসির দাপ্তরিক টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তাঁকে মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখ করে ‘সাংবিধানিক বৈধতা’র দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘(তিনি) কোনো প্রকার সীমা লঙ্ঘনের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের হুঁশিয়ারি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং কোনো প্রকার নির্দেশ—তা সে অভ্যন্তরীণই হোক আর বিদেশিই হোক—প্রত্যাখ্যান করছেন।’কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কামেল আল-সাইদ বলেন, জেনারেল সিসি অতীতে রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি গত বছর নতুন সংবিধান প্রণয়ন নিয়ে সংকট চলাকালে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চেষ্টা করেন।রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের মধ্যে যাঁরা সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছেন তাঁদের বিশ্বাস, তাঁর প্রধান ভাবনা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাকে কেন্দ্র করে।৫৮ বছর বয়সী সিসি তাঁর উত্তরসূরি মোবারকের ঘনিষ্ঠ হুসেইন তানতাউয়ির চেয়ে বয়সে ২০ বছরের ছোট। গত বছরের আগস্টে মুরসি যখন সিসিকে সেনাপ্রধানের পদে বসান তখন মনে করা হচ্ছিল, ইসলামপন্থীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক ভালো হবে। সেনাপ্রধান পদে নিযুক্ত হওয়ার পর অনেকেই অভিযোগ করেন সিসি ইসলামপন্থীদের কাছের মানুষ। অন্য অনেক মিসরীয় সেনা কর্মকর্তার মতো সিসি সাবেক জাতীয়তাবাদী প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসেরের একান্ত অনুরক্ত। ১৯৫৪ সালের নভেম্বরে কায়রোতে জন্মগ্রহণকারী সিসি মিসরের সামরিক একাডেমি থেকে সমরবিজ্ঞানে ১৯৭৭ সালে স্নাতক পাস করেন। এএফপি।
রমজান মাস সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় এখনো ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু হয়নি। কারণ এই জেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৪৮ জন ডিলারের কেউই এখনো রোজার পণ্যগুলো তোলেননি।রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে গত ২৪ জুন থেকে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু হয়, যা চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত। এই কাযর্যক্রমের আওতায় একেকজন ডিলারের এক থেকে পাঁচ টন চিনি, ৫০০ থেকে এক হাজার ২০০ কেজি মশুরের ডাল, এক হাজার ৫০০ কেজি ছোলা, ৪০০ থেকে এক হাজার লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির কথা রয়েছে। এ ছাড়া ডিলাররা চাইলে প্রত্যেকে আরও ২০০ লিটার পামওলিন তেল এবং যতটা ইচ্ছা খেজুর বরাদ্দ নিতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডিলার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে অভিযোগ করেন, টিসিবির পণ্যের মান ভালো নয়, আবার লাভও হবে কম। সে জন্য তাঁরা টিসিবির পণ্য তুলতে খুলনা যাচ্ছেন না। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আলীমুন রাজীব গতকাল বুধবার টিসিবির ডিলারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ডিলাররা জানান, লাভ কম হবে বলে তাঁরা টিসিবির পণ্য উত্তোলন করছেন না।তবে টিসিবির খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী মো. বজলুর রশীদ দাবি করেন, ‘পণ্যের মান খুবই ভালো। ডিলাররা বেশি লাভ করতে চায় বলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’এদিকে রমজানের পর ডিলারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বজলুর রশীদ জানান।
নরেন্দ্র মোদিকে দল ও জোটের মুখ হিসেবে তুলে ধরা নিয়ে বিজেপি যখন বিব্রত, দ্বিধাবিভক্ত এবং অগোছালো, কংগ্রেস তখন ঘর গোছানো শুরু করে দিয়েছে। শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বন্ধুর সন্ধান শুরু করেছে। এই প্রচেষ্টারই সাম্প্রতিক উদ্যোগ ঝাড়খন্ডে একসময়কার মিত্র ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) সঙ্গে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত।সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলতি সপ্তাহেই ঝাড়খন্ডে রাষ্ট্রপতির শাসনের বদলে জেএমএম-কংগ্রেস-রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট সরকার গঠিত হবে। ঝাড়খন্ডের দিকে তাকানোর আগে গত সপ্তাহেই তামিলনাড়ুর একদা বন্ধু পরে ক্ষুব্ধ ডিএমকের সঙ্গে বোঝাপড়া প্রায় পাকা করে নেয় কংগ্রেস। করুণানিধির কন্যা কানিমোড়ি (এটাই ঠিক তামিল উচ্চারণ) কংগ্রেসের সমর্থন না পেলে দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যসভায় নির্বাচিত হতে পারতেন না। প্রয়োজনীয় সেই সমর্থন চাওয়ামাত্রই কংগ্রেস হাত বাড়িয়ে দেয়। ডিএমকেকে যেমন কংগ্রেসের প্রয়োজন, করুণানিধিরও তেমনি চাই কংগ্রেসকে। দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রী এ. রাজা এবং কন্যা কানিমোড়ির জেলযাত্রা আটকাতে ব্যর্থ করুণানিধি শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় তামিলদের ‘স্বার্থহানির’ প্রশ্নে ইউপিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।ঝাড়খন্ডে গত জানুয়ারি মাসে অর্জুন মুন্ডা সরকারের পতন ঘটার পর থেকে রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে। ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ শিবু সোরেনের হাত ধরে জোট সরকার গঠনে শুরুতে কংগ্রেসের আপত্তি ছিল। কিন্তু মোদির উত্থানে বিজেপি যাতে বাড়তি গুরুত্ব না পায়, সে জন্য পুরোনো বন্ধু শিবু সোরেনের হাত ধরতে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যায়। ঠিক হয়েছে জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ পাবে জেএমএম (মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন না তাঁর পুত্র হেমন্ত ঠিক হয়নি), কংগ্রেস পাবে রাজ্যের ১৪ লোকসভা আসনের মধ্যে আট থেকে দশটি। এই ফর্মুলায় ২০০৪ সালে কংগ্রেস, জেএমএম ও লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ১৪টির মধ্যে ১৩টি আসন জিতেছিল। বিজেপিকে রুখতে এবারও সেই পথে হাঁটতে চলেছে কংগ্রেস।ঝাড়খন্ডের পাশের রাজ্য বিহারেও নিতীশ কুমারের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। নিতীশ সেই হাত ধরবেন না, এমন কোনো ইঙ্গিত এখনো দেননি। কংগ্রেস চাইছে, বিহারেও তাদের সঙ্গে বিজেপিবিরোধী তিন শক্তি, নিতীশ-লালু-রামবিলাস একজোট হোন। কংগ্রেসের নজরে পরবর্তী রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ। রাজশেখর রেড্ডির অকালমৃত্যু ও তাঁর ছেলে জগনমোহনের বিদ্রোহ কংগ্রেসকে যথেষ্ট দুর্বল করে দিয়েছে। জগনমোহনের সঙ্গে সমঝোতার একটা চেষ্টা তলে তলে চলছে।এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গতকাল রাতে খাদ্য নিরাপত্তা অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে। কংগ্রেসের আশা, এই অধ্যাদেশও ভোটের রাজনীতিতে তাদের সুবিধা করে দেবে।
পাকিস্তান যদি তালেবানকে তার জঙ্গী কার্যক্রম বন্ধ করতে বলে দেয়, তবে আফগানিস্তানে সংঘাত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই থেমে যাবে। আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল শের মোহাম্মদ করিমি এ মন্তব্য করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তানই তালেবানকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। পাকিস্তান তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে।বিবিসির জনপ্রিয় হার্ডটক অনুষ্ঠানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল করিমি বলেন, ‘তালেবান (পাকিস্তানের) নিয়ন্ত্রণের আওতায় রয়েছে। তাদের নেতৃত্ব পাকিস্তানে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সব তালেবানকে আফগানিস্তানে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’যদি যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান চায়, তবেই আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেন করিমি। তিনি বলেন, ‘(পাকিস্তান) যদি (তালেবানের) নেতৃত্বকে চাপ দেয় অথবা কী করতে হবে সে বিষয়ে বোঝায়, তবে সেটা ব্যাপকভাবে সাহায্য করতে পারে।’গত এপ্রিল মাসে ন্যাটো বাহিনীর একটি প্রতিবেদন ফাঁস হয়। তাতে দেখা যায়, তালেবান নেতারা যে পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে রয়েছেন, সে বিষয়ে দেশটি অবগত রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাসিরউদ্দিন হাক্কানির মতো জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতারা ইসলামাবাদে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সদর দপ্তরের কাছাকাছি অবস্থিত কোনো বাড়িতে রয়েছেন। ধরা পড়া ২৭ হাজার তালেবান, আল-কায়েদা ও বিদেশি যোদ্ধাদের পাশাপাশি বেসামরিক লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।পাকিস্তান তালেবানকে নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছে। যদিও ১৯৯৪ সালে আফগানিস্তানে তালেবান বাহিনী প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে ২০০১ সালে তাদের সরকারের পতন হওয়া পর্যন্ত সংগঠনটির অন্যতম প্রধান সমর্থক ছিল পাকিস্তান। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর অভিযানে তালেবান সরকারের পতন ঘটার পর সংগঠনটির অধিকাংশ নেতা পাকিস্তানে পালিয়ে যান বলে দাবি করা হয়। এখনো তাঁরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেশটির সহায়তার ওপরে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।জেনারেল করিমির মন্তব্য, এমন এক স্পর্শকাতর সময়ে এল, যখন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার চেষ্টা করছে এবং ন্যাটো বাহিনী তার সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া অব্যাহত রেখেছে। আগামী বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা।পাকিস্তানের অস্বীকৃতি: আফগানিস্তানের সেনাপ্রধান করিমির মন্তব্যকে ‘সুনিশ্চিতভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তান তালেবানকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের আফগানিস্তানে লেলিয়ে দেয় এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমরা সুনিশ্চিতভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করি।’ বিবিসি ও এএফপি।
বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবাসী-আয় প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি উন্নীত হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১২-১৩ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী-আয় (রেমিট্যান্স) এসেছে দেশে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত অর্থবছরে এক হাজার ৪৪৬ কোটি পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন। স্বাধীনতার ৪২ বছরে এটাই বছরে প্রবাসীদের পাঠানো সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এটি তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৬২ কোটি ২০ লাখ ডলার, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের তৈরি করা সাময়িক চিত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। তার আগেরবার, অর্থাৎ ২০১০-১১ অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৬৫ কোটি তিন লাখ ডলার। তবে আলোচ্য অর্থবছরের শেষ তিন মাসে প্রবাসী আয়প্রবাহ ক্রমাগত কমেছে। জুন মাসেই সবচেয়ে কম ১০৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে অক্টোবর মাসে, যার পরিমাণ ১৪৫ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। প্রবাসী-আয়ের উচ্চপ্রবাহ বাংলাদেশের লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর চাপ কমিয়ে রেখেছে। বিশেষত, চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তাবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। অর্থবছরের ১০ মাসে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ১৬৩ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত হয়েছে। পুরো বছরের হিসাব পেতে কিছুটা সময় লাগবে। চলতি হিসাবে মূলত কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেনের চিত্র প্রতিফলিত হয়। নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত এটাই বোঝায়, নিয়মিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। ব্যাংক-ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রবাসী-আয় দেশে আনতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলোর ইতিবাচক ফল মিলতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
১. মনস্টারস ইউনিভার্সিটি: বিলি ক্রিসটাল, জন গুডম্যান, ডেভ ফলি২. দ্য হিট: স্যান্ড্রা বুলক, মেলিসা ম্যাকার্থি, বিল বার৩. ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড: ব্র্যাড পিট, মিরেলি এনোস, ম্যাথিউ ফক্স৪. হোয়াইট হাউস ডাউন: চ্যানিং ট্যাটুম, জেমি ফক্স, ম্যাগি গিলেনহল৫. ম্যান অব স্টিল: হেনরি ক্যাভিল, অ্যামি অ্যাডামস, রাসেল ক্রো
এশিয়ার বাজারে গতকাল বুধবারও অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম খানিকটা বেড়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মিসরে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেলের সরবরাহ বিঘ্নিত হবে এমন আশঙ্কায় পণ্যটির দাম বাড়ছে। এ ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফেকচারিং বা উৎপাদন খাত চাঙা হয়ে ওঠার ইঙ্গিতও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে প্রভাব ফেলছে। গতকাল লাইট সুইট ক্রুড (অশোধিত) জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১০১ দশমিক ৮০ ডলারে উঠেছে। আর ব্রেন্ট নর্থ সি ক্রুড তেলের দামও বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১০৫ দশমিক ১১ ডলার হয়েছে। খবর এএফপির। আগের দিন মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেল লাইট সুইট ক্রুড জ্বালানি তেল ৯৮ দশমিক ০৭ ডলার ও ব্রেন্ট নর্থ সি ক্রুড তেল ১০৩ দশমিক ১৮ ডলারে কেনাবেচা হয়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সিএমসি মার্কেটসের প্রধান বিশ্লেষক মাইকেল ম্যাককার্থি এএফপিকে বলেন, মিসরে বর্তমানে যে অবস্থা চলছে এবং তা যদি মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে সত্যিকার অর্থেই তেলের বাজার নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে।
ঢাকায় বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘর কমপ্লেক্সে সাত দিনব্যাপী ষষ্ঠ এশীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন মেলা-২০১৩ গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত। মেলায় ১০টি দেশের ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলা প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় সেমস ইউএসএ মেলাটির আয়োজন করেছে। বিজ্ঞপ্তি।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপজাতি-অধ্যুষিত উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আবারও মার্কিন চালকবিহীন বিমানের (ড্রোন) হামলা হয়েছে। গতকাল বুধবারের এ হামলায় অন্তত ১৭ সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা এ খবর জানিয়েছেন। পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।ড্রোন হামলার ঘটনাস্থলে জঙ্গিসংগঠন আল-কায়েদার সহযোগী হাক্কানি নেটওয়ার্কের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, মিরানশাহ শহরে ভোরের ওই ড্রোন হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আফগান ও পাকিস্তানি জঙ্গিরা রয়েছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি এর লক্ষ্য ছিল কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।স্থানীয় একটি বিপণিকেন্দ্র লক্ষ্য করে ড্রোন থেকে চারটি গোলা নিক্ষেপ করা হয়। পাকিস্তানের জনবহুল ও স্থাপনাসমৃদ্ধ এলাকায় এ রকম ড্রোন হামলার ঘটনা বিরল। তবে হামলায় বিধ্বস্ত স্থানটি হাক্কানি নেটওয়ার্কের ঘাঁটি ছিল বলে পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।আফগানিস্তানে বিভিন্ন সরকারি ও পশ্চিমা স্থাপনায় বড় ধরনের হামলার কয়েকটি ঘটনার জন্য হাক্কানি নেটওয়ার্ককে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় গত বছরের ১১ অক্টোবর এক মার্কিন ড্রোন হামলায় ১৮ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর গতকালের হামলাটিই সবচেয়ে ভয়াবহ। এএফপি ও বিবিসি।
প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর পেটপূজা করেন দীপিকা পাড়ুকোন! এমনকি ছবির সেটের অন্যদের খাবারেও নাকি ভাগ বসান ছিপছিপে গড়নের এই মডেল ও অভিনেত্রী। সম্প্রতি দীপিকার হাঁড়ির খবর ফাঁস করে দিয়েছেন চেন্নাই এক্সপ্রেস ছবির অভিনেতা শাহরুখ খান। ছবিটিতে অভিনয় করছেন শাহরুখ ও দীপিকা। পরিচালক রোহিত শেঠি। চেন্নাই এক্সপ্রেস মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৮ আগস্ট। ছবিটির প্রচারণার কাজে সম্প্রতি কালারস টিভির ‘কমেডি নাইট উইথ কপিল’ অনুষ্ঠানে হাজির হন শাহরুখ, দীপিকা ও রোহিত। দীপিকার কাছে তাঁর শরীরের ফিটনেস মন্ত্র জানতে চান অনুষ্ঠান সঞ্চালক কপিল। তখন শাহরুখের দিকে ফিরে তাঁর মুখেই এ প্রশ্ন শুনতে চান দীপিকা। এভাবে নিজেই নিজের ফাঁদে পড়ে যান দীপিকা। দীপিকাকে প্রশ্ন না করে শাহরুখ বলেন, ‘প্রচুর খায় দীপিকা। পার্বত্য এলাকায় চেন্নাই এক্সপ্রেস ছবির শুটিং করার সময় আমাদেরকে স্রেফ চা আর বিস্কুট খেয়ে থাকতে হয়েছে। কারণ, দীপিকা ছবির দলের সবার খাবার একাই খেয়ে ফেলত। এমনকি স্পট বয়দের খাবারেও সে ভাগ বসাত।’দীপিকা সম্পর্কে শাহরুখের এই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন রোহিত শেঠিও। আইএএনএস।
২০০২ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশে নির্মিত প্রায় সাড়ে ৫০০ চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে ২১টি চলচ্চিত্র বাছাই করেছে জুরি কমিটি। এই চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে গতকাল বুধবার থেকে শুরু হলো ‘সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র উৎসব’। সাত দিনের এই উৎসব আয়োজন করেছে যৌথভাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারেক মাসুদের মাটির ময়না ছবিটি প্রদর্শন করা হয়। উৎসবের অন্য চলচ্চিত্রগুলো হলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, তানভীর মোকাম্মেলের লালন, চাষী নজরুল ইসলামের শুভা, সাইদুল আনাম টুটুলের আধিয়ার, মুরাদ পারভেজের চন্দ্রগ্রহণ, সারাহ বেগম কবরীর আয়না, গোলাম রাব্বানী বিপ্লবের স্বপ্নডানায়, হুমায়ূন আহমেদের শ্যামল ছায়া, তৌকীর আহমেদের জয়যাত্রা, কাজী মোরশেদের ঘানি, নুরুল আলম আতিকের ডুবসাঁতার, তারেক মাসুদের রানওয়ে, কোহিনুর আক্তার সুচন্দার হাজার বছর ধরে, আবু সাইয়ীদের শঙ্খনাদ, গিয়াসউদ্দিন সেলিমের মনপুরা, মোরশেদুল ইসলামের প্রিয়তমেষু, এনামুল করিম নির্ঝরের আহা!, নোমান রবিনের কমন জেন্ডার, টোকন ঠাকুরের ব্ল্যাক আউট ও নাসির উদ্দীন ইউসুফের গেরিলা। আর চলচ্চিত্রগুলোর প্রদর্শনী হবে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা, বেলা তিনটা, বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা সাতটায়।
রাইসুল ইসলাম আসাদ প্রথম গান গেয়েছিলেন ঘুড্ডি ছবিতে। এর পরও গেয়েছেন। এবার তিনি গাইলেন মৃত্তিকা মায়া ছবিতে। গানটি হলো ‘গোয়াইল্লা ডোহার মাটি, সালনি চকের খড়/ কলসি খাদা ধানের ভাটি, চটির চানগাড়িতে ভর’। রাইসুল ইসলাম আসাদ বললেন, ‘আমি তো গানের মানুষ নই। এ পর্যন্ত যে গানগুলো গেয়েছি, তার সবই ছবির প্রয়োজনে। ঘুড্ডি কিংবা আয়না বিবির পালা ছবির গানগুলোকে প্লেব্যাক বলতে পারেন। কিন্তু মৃত্তিকা মায়া ছবির গানটি অভিনয়েরই একটি অংশ।’ সরকারি অনুদানে নির্মিত মৃত্তিকা মায়া ছবির কাহিনি লিখেছেন ও পরিচালনা করছেন গাজী রাকায়েত। তিনি বললেন, ‘এই ছবিতে মোট চারটি গান থাকছে। রাইসুল ইসলাম আসাদ যে গানটি গেয়েছেন, তা পুরো ছবিতে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ছবির জন্য গানটি তিনি খালি কণ্ঠে গেয়েছেন। তবে অ্যালবামের জন্য আবার নতুন করে গানটি রেকর্ড করা হবে। আশা করছি, আসাদ ভাইয়ের কণ্ঠে গানটি শ্রোতাপ্রিয়তা পাবে।’ গাজী রাকায়েত জানালেন, মৃত্তিকা মায়া ছবিটি গত সপ্তাহে অনুদান কমিটি দেখেছে। আগামী সপ্তাহে ছাড়পত্রের জন্য তা সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হবে। পরিচালক আগামী পয়লা বৈশাখে ছবিটি মুক্তি দিতে চান। তবে এ ব্যাপারে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন। আর গানের অডিও অ্যালবামটি বের হবে কোরবানির ঈদে।‘গোয়াইল্লা ডোহার মাটি’ গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন গাজী রাকায়েত। অন্য গানগুলোর কথা লিখেছেন মাফরুহা সোহানা, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন সাজ আহমেদ শাহিরয়ার। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন ফাহমিদা নবী, নিগার সুলতানা ও এ কে আজাদ।
ইরানের নবনির্বাচিত মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ না করার জন্য দেশটির সরকার ও ক্ষমতাশালী ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ইন্টারনেটের ব্যবহার সবার জন্য উন্মুক্ত করা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে সংবাদ পরিবেশনে গণমাধ্যমকে আরও স্বাধীনতা দেওয়ারও আহ্বান জানান। গতকাল বুধবার তেহরানে মাঝারি সারির ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন হাসান রুহানি। তাঁর এই ভাষণ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। রুহানি এ সময় বলেন, দেশের মানুষ যখন সমাজে পরিবর্তন দেখতে চাইছে, তখন ইরানের সরকার ও ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে কোনো টানাপোড়েন বা বিভেদ থাকা উচিত নয়।রুহানি বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী সমাজ দরকার। দরকার শক্তিশালী সরকার। আজ সবার অংশগ্রহণে সমাজকে বদলে দেওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে।...শক্তিশালী সরকার মানে এই নয় যে তারা সব বিষয়ে নাক গলাবে এবং হস্তক্ষেপ করবে।’ রয়টার্স।
আনিসুর রহমান মিলনের নতুন ছবি রোমান্স। চলচ্চিত্রের একজন নায়কের নায়ক হওয়ার পর যে ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়, তা নিয়ে ছবির গল্প। মিলন বলেন, একজন নায়ক একটা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর সে আসলে কী করবে, ভেবে পায় না। দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। তারপর নায়কের জীবনের সংকটগুলো ধরেই ছবির গল্পটা এগিয়ে যায়। রোমান্স ছবির পরিচালক অনন্য মামুন জানান, ছবির শুটিং শুরু হবে ১৯ জুলাই। ছবিতে মিলনের সঙ্গে অভিনয় করবেন দুজন নতুন শিল্পী। মিলন জানান, ইফতেখার চৌধুরীর ওয়ান ওয়ে এবং অংশুর আদি ছবিতে তাঁর অভিনয়ের কথা চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারের নতুন ছবিতেও অভিনয় করবেন। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে থাকবেন মৌসুমী। ওয়ান ওয়ে ছবির অন্য দুজন অভিনয়শিল্পী হচ্ছেন ববি ও বাপ্পি।