content
stringlengths
0
129k
আমি ধীর পাঁয়ে এগিয়ে যাই
আমার হার্টবিট তখন বেশ বেড়ে যায়। কেমন যেন লাগতে থাকে আমার। আমি এগিয়ে যাই। হঠাৎ মিহিন লক্ষ্য করে আমায়। আমি ভাবলাম আমায় দেখে সে প্রসন্ন বোধ করবে। অথচ সে চেহারা কালো করে ভ্রু কুচকে তাকায়
আমি হঠাৎ থমকে যাই
এই মিহিনকে যেন আমি একদমই চিনি না। ভীষণ অচেনা লাগে
সে ভ্রু কুচকে বলে,
'তুমি? তুমি এখানে কী করছো?'
আমি আরেকটু এগিয়ে যাই। বলি,
'মিহিন, তোমার সাথে কথা আছে আমার
'
'তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই। ভালো হয় তুমি এখান থেকে চলে যাও
'
'প্লীজ মিহিন। এমনটা বলো না। এতোটা পথ হেঁটে এসেছি, অন্তত এমন কোনো কথা শুনতে নয়
'
'তাহলে কেমন কথা তুমি শুনতে চাও বলো? কীভাবে বললে তুমি এখান থেকে চলে যাবে?'
'প্লীজ! ডোন্ট হার্ট মি মোর
'
'হার্ট! হার্টের কি বোঝো তুমি?'
'মিহিন, আমাকে অন্তত কিছুটা সময় দাও প্লীজ। আমি তোমাকে সবটা বলবো
'
'সবটা বলা লাগবে না। তুমি চলে যাও এখান থেকে। দ্রুত চলে যাও
তোমাকে আমার অসহ্য লাগছে
'
'অসহ্য লাগুক, আর যা-ই লাগুক, আমি তোমাকে বলেই যাবো
'
'দেখো, সিনক্রিয়েট করো না। আমাকে একা থাকতে দাও
'
'একা থাকতে দিলে তুমি ভালো থাকবে?'
'অবশ্যই থাকবো
অন্তত আঘাত দেওয়ার মতো কেউ থাকবে না
'
'আমি তোমাকে আঘাত দেইনি মিহিন
'
'যেটা করেছো সেটা আসলেই আঘাত ছিল না। তুমি আমায় আঘাত করোনি
স্পষ্ট খুন করেছো
'
আমি তার দিকে এগিয়ে যাই
বলি,
'আমি তোমাকে ভালো রাখতে চেয়েছি
'
'তার নমুনা আমি বেশ পেয়েছি
'
'বোঝার চেষ্টা করো মিহিন
চিত্রার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই
'
'ওই কু**বাচ্চার নাম নিবি না তুই
'
মিহিন চেহারা লাল করে আমার দিকে তাকায়। হঠাৎ তার এমন রেগে যাওয়ায় আতঙ্কিত হই আমি। আমি বেঞ্চিতে বসি। সে দ্রুত বলে,
'উঠ! উঠে যা এখান থেকে
তা না হলে চিল্লাবো আমি
'
আমি সেখানে বসে থাকি। মিহিনের দিকে তাকিয়ে থাকি কেবল
তার চেহারা কেমন লালচে হয়ে উঠে
হঠাৎ তাকে কেমন মায়াবী লাগে আমার কাছে। ওই মূহুর্তে আমি যেন দ্বিতীয়বার আমার রাজকন্যার মায়ায় পড়ি
প্রেমে পড়ি
আমি বলি,
'মিহিন, শান্ত হও
আমি চলে যাবো
'
'বেশ তো! যাও
দ্রুত যাও
'
'পাঁচ মিনিট। জাস্ট পাঁচ মিনিট দাঁতে দাঁত চেপে আমার কথা গুলো শোনো
পাঁচ মিনিটের পর এক সেকেন্ডের জন্যে তুমি আমাকে এখানে পাবা না। কথা দিলাম
'
মিহিন হঠাৎ শান্ত হয়। আমার থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে বসে
বলে,
'বলো
'
আমি মৃদু হাসি। হঠাৎই আমার মনটা কেমন ফুরফুরে হয়ে যায়। ওই মূহুর্ত, মিহিনের ওই রাগান্বিত চেহারা আমায় কেমন আনন্দিত করে
আমি বলি,
'তোমাকে এই অবস্থায় অসাধারণ লাগছে মিহিন
অসাধারণ লাগছে
'
মিহিন ভ্রু কুচকে কিছু বলতে চায়
আমি তাকে থামিয়ে বলি,
'তোমাকে কিছু বলতে হবে না। আমি জানি আমার সময় পাঁচ মিনিট
এই সময়টা কেবল আমার
তাই আমি যা বলবো তুমি তা'ই শুনবে।'
মিহিন চুপচাপ থাকে
আমি আবারও বলি,
'পাঁচ মিনিট অনেক সময়। ৩০০ সেকেন্ড
৩০০ সেকেন্ডে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে
'
মিহিন কেমন জানি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায়। তার দৃষ্টি কেমন শূন্য শূন্য লাগে
আমি বলি,
'তুমি জানতে আমি আসবো। অবশ্যই জানতে
সে জন্যেই তুমি এমন সেজেছো
সাদ-ওরেঞ্জ মিলিয়ে তুমি জীবন্ত একটা শিউলি হয়ে এখানে এসেছো। তোমাকে আমি একবার একটা ভোরের গল্প বলেছিলাম
সেই গল্প ভোর থাকবে, ভোরের শিউলি থাকবে, শিউলির মতো করে তুমি সাজবে
আমি তোমাকে দেখে মুগ্ধ হবো
তুমি আমার চাওয়া পূর্ণ করেছো
সত্যিই মিহিন, তুমি আমায় ভালোবাসো না, আমাকে নিয়ে ভাবো না। তাও আমার জন্যে কতো করলে!'
মিহিন কেমন করে যেন তাকায়। তার দৃষ্টি সরল হয় ক্রমশ
সে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে
আমি মৃদু হাসি
বলি,
'এই যে চমৎকার একটা ভোর উপহার দিলে, কুয়াশা, শিউলি, তুমি, হিমশীতল বাতাস এসব আমার জন্যে কম কিছু না। অনেক অনেক
'
মিহিন একবার চোখ নামিয়ে নেয়। আবার মাথা তুলে তাকায়। আমি বলি,
'চিত্রা আমার কেউ না। সে অচেনা