text
stringlengths
0
4.32k
শুন্য হয় আমার হৃদয়ের চারিধার ।
আমি হতে পারিনি পাখির প্রেয়সী ,
তাইতো আজ কাঁদে মন নিরালায় বসি ।
আমার বুকে কাঁদছে আশা
পাখির তরে রইল আমার অবুঝ ভালোবাসা ।
যে চলে যায় - সেতো চলে যায়
শুধু হৃদয়ের ভিতর , জীবনের মাঝে
রেখে যায় রিক্ততা আর বিষণ্ণতা ।
বনের পাখি বনে উড়ে
মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে ।
আমার তরে রইল কেবল
পাখির বেদনার গান ।
পাখি তোমায় বলছি শোনো
আমি যখন থাকবো নাকো
পাখি তুমি গেয়ে নিও আমার লিখা গান ।
আমার উপর আর করোনা কোনো অভিমান ।।
দিন যায় , রাত যায়
সীমাহীন শুন্যতায় -
তবু জীবনের এই অভিরাম পথচলা
পাখির প্রেমে পড়িসনে ফুল
পাখির প্রেমে পড়িসনে ফুল
তোর তো দুটো ডানা নেই,
গহীন বনে তার বিচরণ
সে খবর কি জানা নেই?
রূপের জালে আটকে যাওয়ার
গল্পটা ঠিক পাখির না,
গল্প পাখির প্রেম বিষয়ক
কিংবা মাখামাখির না।
এক ডালে তার মন বসে না
শুনছি নদীর কূলেও যায়,
অনেক সময় উড়াল দিয়ে
ঘরের কথা ভুলেও যায়।
সাবধান তাই পাখির প্রেমে
মোটেও যেনো পড়িসনে,
ফুটেই মহা ভুল করেছিস
আরেকটা ভুল করিসনে।
পাখিরা কথা কয়
পাথর চুপ থাকে পাখিরা কথা কয়
পাখিরা কথা কয় শিকারী গুলি ছোড়ে
শিকারী গুলি ছোড়ে পাখির লাশ পড়ে,
পাখির লাশ পড়ে, পাখির লাশ পড়ে…
হঠাৎ একদিন পাথর কথা কয়,
পাখিরা চুপ থাকে পাথর কথা কয়!
সবাই বিস্ময়ে লাশের চারপাশে সেদিন জড়ো হয়,
কিভাবে চুপ থাকে পাখিরা আর সব
পাথর কথা কয়!?
পাথর চুপ থাকে পাখিরা কথা কয়
পাখিরা কথা কয় শিকারী গুলি ছোড়ে
এলোমেলো মেঘ ওড়ো
এলোমেলো মেঘ ওড়ো
যেদিকে ইচ্ছে যাও
তোমার তো নেই মানা;
আকাশ তোমার বাড়ি।
আমিও তোমার মতো
যদি পারতাম উড়ে যেতে;
যদি পিছু না ডাকতো আমার
এই শূন্য ভাতের হাঁড়ি!
পাখি
ঘুমায়ে রয়েছ তুমি ক্লান্ত হ'য়ে, তাই
আজ এই জ্যোৎস্নায় কাহারে জানাই
আমার এ-বিস্ময়- বিস্ময়ের ঠাঁই,
নক্ষত্রের থেকে এলো;- তুমি জেগে নাই,
আমার বুকের 'পরে এই এক পাখি;
পাখি? না ফড়িং কীট? পাখি না জোনাকি?
বাদামি সোনালী নীল রোম তার রোমে-রোমে রেখেছে সে ঢাকি,
এমন শীতের রাতে এসেছে একাকী
নিস্তব্ধ ঘাসের থেকে কোন্‌
ধানের ছড়ার থেকে কোথায় কখন,
রেশমের ডিম থেকে এই শিহরণ!
পেয়েছে সে এই শিহরণ!
জ্যোৎস্নায়- শীতে
কাহারে সে চাহিয়াছে? কতোদূরে চেয়েছে উড়িতে?
মাঠের নির্জন খড় তারে ব্যথা দিতে
এসেছিলো? কোথায় বেদনা নাই এই পৃথিবীতে।
না- না- তার মুখে স্বপ্ন সাহসের ভর
ব্যথা সে তো জানে নাই- বিচিত্র এ-জীবনের 'পর
করেছে নির্ভর;
রোম- ঠোঁট- পালকের এই মুগ্ধ আড়ম্বর।
জ্যোৎস্নায়- শীতে
আমার কঠিন হাতে তবু তারে হলো যে আসিতে,
যেই মৃত্যু দিকে-দিকে অবিরল- তোমারে তা দিতে
কেন দ্বিধা? অদৃশ্য কঠিন হাতে আমিও বসেছি পাখি,
আমারেও মুষড়ে ফেলিতে
দ্বিধা কেহ করিবে না; জানি আমি, ভুল ক'রে দেবে নাকো ছেড়েঃ
তবু আহা, তারের শিশিরে ভেজা এ রঙিন তূলোর বলেরে
কোমল আঙুল দিয়ে দেখি আমি চুপে নেড়ে-চেড়ে,
সোনালি উজ্জ্বল চোখে কোন্‌ এক ভয় যেন ঘেরে
তবু তার; এই পাখি- এতটুকু- তবু সব শিখেছে সে- এ এক বিস্ময়