act
dict |
---|
{
"id": 1256,
"lower_text": [],
"name": "যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 11,
"published_date": "১ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
1256,
75,
607
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1256,
"details": "১। (১) এই আইন যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1256",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1256,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে,- (ক) ‘‘পক্ষ’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিবাহের বর বা কনে অথবা বর বা কনের পিতা-মাতা অথবা বর বা কনের পিতা-মাতার অবর্তমানে বৈধ অভিভাবক অথবা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর বা কনে পক্ষের অন্য কোনো ব্যক্তি; এবং (খ) ‘‘যৌতুক’’ অর্থ বিবাহের এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের নিকট বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবাহের সময় বা তৎপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ অব্যাহত রাখিবার শর্তে, বিবাহের পণ বাবদ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, দাবিকৃত বা বিবাহের এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষেকে প্রদত্ত বা প্রদানের জন্য সম্মত কোনো অর্থ-সামগ্রী বা অন্য কোনো সম্পদ, তবে মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়াহ্) প্রযোজ্য হয় এমন ব্যক্তিগণের ক্ষেত্রে দেনমোহর বা মোহরানা অথবা বিবাহের সময় বিবাহের পক্ষগণের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা শুভাকাঙ্ক্ষী কর্তৃক বিবাহের কোনো পক্ষকে প্রদত্ত উপহার-সামগ্রী ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1256,
"details": "৩। যদি বিবাহের কোনো এক পক্ষ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, বিবাহের অন্য কোনো পক্ষের নিকট কোনো যৌতুক দাবি করেন, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কিন্তু অন্যূন ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "যৌতুক দাবি করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1256,
"details": "৪। যদি বিবাহের কোনো এক পক্ষ যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করেন অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণে সহায়তা করেন বা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণের উদ্দেশ্যে চুক্তি করেন, তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কিন্তু অন্যূন ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ, ইত্যাদির দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1256,
"details": "৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ সংক্রান্ত কোনো চুক্তি ফলবিহীন (void) হইবে।",
"name": "যৌতুক সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1256,
"details": "৬। যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে মামলা বা অভিযোগ করিবার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মিথ্যা মামলা দায়ের, ইত্যাদির দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1256,
"details": "৭। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য এবং আপসযোগ্য হইবে।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনঅযোগ্যতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1256,
"details": "৮। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "অপরাধের বিচার, ইত্যাদি",
"related_acts": "75",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1256,
"details": "৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1256,
"details": "১০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে Dowry Prohibition Act, 1980 (Act No. XXXV of 1980) অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Act এর অধীন দায়েরকৃত কোনো মামলা বিচারাধীন থাকিলে বা কোনো মামলা তদন্তাধীন বা চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে যেন উক্ত Act রহিত হয় নাই।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "607",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1256,
"details": "১১। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
}
],
"text": "বিবাহের সময় বা তৎপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান নিরোধ সংক্রান্ত আইন Dowry Prohibition Act, 1980 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলী বিবেচনা করিয়া সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু বিবাহের সময় বা তৎপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান নিরোধ সংক্রান্ত আইন Dowry Prohibition Act, 1980 (Act no. XXXV of 1980) রহিতঅমে উহার বিধানাবলী বিবেচনা করিয়া সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল : -"
} |
{
"id": 1257,
"lower_text": [],
"name": "জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 20,
"published_date": "১ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
1257,
11,
442,
316,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1257,
"details": "১। (১) এই আইন জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1257",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1257,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) ‘‘একাডেমি’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি; (খ) ‘‘কর্মচারী’’ বলিতে কর্মকর্তাও বুঝাইবে; (গ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান; (ঘ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (ঙ) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ একাডেমির পরিচালনা বোর্ড; (চ) ‘‘ভাইস চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান; (ছ) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ একাডেমির মহাপরিচালক; এবং (জ) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বোর্ডের কোনো সদস্য এবং, ক্ষেত্রমত, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1257,
"details": "৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে Government Educational and Training Institutions Ordinance, 1961 (E.P. Ordinance No. XXVI of 1961)-এর অধীন পরিচালিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) একাডেমি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "একাডেমি প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "316",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1257,
"details": "৪। একাডেমির প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায় এবং একাডেমি, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "একাডেমির কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1257,
"details": "৫। একাডেমির পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1257,
"details": "৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই ধারার বিধানাবলি সাপেক্ষে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ অনধিক ১৫ (পনের) সদস্যবিশিষ্ট একাডেমির একটি পরিচালনা বোর্ড থাকিবে। (২) মন্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ, ভাইস চেয়ারম্যান হইবেন : তবে শর্ত থাকে যে, মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী একইসঙ্গে উক্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিলে, মন্ত্রী চেয়ারম্যান এবং প্রতিমন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান হইবেন। সেইক্ষেত্রে ‘সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ’ বোর্ডের সদস্য হইবেন। (৩) বোর্ড, সরকার কর্তৃক, সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে গঠিত হইবে। (৪) সরকারি কর্মচারীগণ পদাধিকারবলে এবং বেসরকারি প্রতিনিধিগণ ৩ (তিন) বৎসরের জন্য বোর্ডের সদস্য থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদ উত্তীর্ণের পর, কোনো বেসরকারি প্রতিনিধিকে অনধিক ২(দুই) বার পুনরায় নিযুক্তির ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকিবে না। (৫) মহাপরিচালক বোর্ডের সদস্য-সচিব হইবেন। (৬) সরকার, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, যে কোনো সময়, যে কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "পরিচালনা বোর্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1257,
"details": "৭। (১) বোর্ডের সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের পরামর্শ মোতাবেক, সভার সময়, স্থান, আলোচ্যসূচি ও কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবেন। (২) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৩) চেয়ারম্যান, বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ জরুরি সভা আহবান করিবেন। (৪) বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোটাধিকার থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে। (৫) বোর্ডের সদস্য-সচিব সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ ও সদস্যবৃন্দের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিবেন। (৬) শুধু কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। (৭) প্রতি তিন মাসে ন্যূনতম বোর্ডের একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1257,
"details": "৮। একাডেমির কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন, ক্রয়কার্য ব্যবস্থাপনা, কৌশলগত পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ, ই-গভর্ন্যান্স ও ই-কমার্স, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, অফিস ব্যবস্থাপনা, ভাষা শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা; (খ) অনুরোধের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের যে কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা; (গ) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক-বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইসহ প্রকল্প তৈরি এবং উহা পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের পরামর্শ প্রদান করা; (ঘ) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নে এবং উহার বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে গবেষণা পরিচালনা ও মূল্যায়নে সহায়তা করা; (ঙ) পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন বিষয়ে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উৎকর্ষতার লক্ষ্যে দেশি ও বিদেশি সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন করা; (চ) ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজনের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন অর্থনীতি এবং অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময় করা; (ছ) গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদনা ও প্রকাশ করা; এবং (জ) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা।",
"name": "একাডেমির কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1257,
"details": "৯। (১) একাডেমির একজন মহাপরিচালক থাকিবেন। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হইবে। (৩) মহাপরিচালক একাডেমির সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি- (ক) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন; (খ) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; (গ) প্রবিধানমালার বিধান ও সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, একাডেমির কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা কার্যকর করিবেন; (ঘ) একাডেমির প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং (ঙ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক একাডেমির অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন। (৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্যপদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, কিংবা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো কর্মকর্তা মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১০। একাডেমি উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১১। একাডেমি, দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি তহবিল’ নামে একাডেমির একটি তহবিল থাকিবে। (২) তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত সাধারণ ও বিশেষ ঋণ; (গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান ও ঋণ; (ঘ) একাডেমি কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ; (ঙ) একাডেমির নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়; (চ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে তহবিলের গচ্ছিত বা জমাকৃত অর্থ হইতে প্রাপ্ত সুদ বা আয়; এবং (ছ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (৩) তহবিলের অর্থ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কোনো তপশিলি ব্যাংকে একাডেমির নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে। (৪) সরকারের প্রচলিত নিয়ম-নীতি বা বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে একাডেমির কার্যাবলি সম্পাদন এবং মহাপরিচালক ও একাডেমির কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও সম্মানীসহ আনুষঙ্গিক সকল ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ করিতে হইবে। ব্যাখ্যা- এই ধারায় উল্লিখিত ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article (2)(j)-তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১৩। একাডেমি, প্রত্যেক বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে সরকারের নিকট হইতে একাডেমির কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১৪। (১) একাডেমি যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রত্যেক বৎসর একাডেমির হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও একাডেমির নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি একাডেমির সকল রেকর্ড, দলিল দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কোনো সদস্য, মহাপরিচালক বা একাডেমির যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. Order NO. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট দ্বারা ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ট্রাস্ট এক বা একাধিক চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "হিসাব ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১৫। (১) প্রত্যেক অর্থ-বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩(তিন) মাসের মধ্যে একাডেমি তৎকর্তৃক উক্ত অর্থ-বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, একাডেমির নিকট হইতে, যে কোনো সময়, একাডেমির যে কোনো বিষয়ের উপর রিটার্ন, বিবরণী, প্রাক্কলন, পরিসংখ্যান, তথ্য, প্রতিবেদন বা দলিল সরবরাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং একাডেমি উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১৬। (১) বোর্ড, বিশেষ বা সাধারণ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত শর্তাধীনে, কোনো সদস্য মহাপরিচালক, কমিটি বা একাডেমির যে কোনো কর্মচারীকে উহার যে কোনো ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে। (২) মহাপরিচালক, উপ-ধারা (১) এর অধীন তাহার উপর অর্পিত ক্ষমতা ব্যতীত, প্রয়োজনবোধে এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, একাডেমির যে কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ক্ষমতার্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১৭। মহাপরিচালক এবং একাডেমির কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর section 21 এ ‘‘public servant’’ (জনসেবক) অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে ‘‘Public Servant’’ (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "11",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1257,
"details": "১৯। বোর্ড, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1257,
"details": "২০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে,- (ক) ৬ জানুয়ারি ১৯৮৫ তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির বোর্ড অব গভর্নরসকে বডি কর্পোরেটে রূপান্তরকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, এবং (খ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ কর্তৃক ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ তারিখে APD/Admn.55/84/118 এবং PD/Admn.55/84/119 সংখ্যক স্মারকমূলে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনদ্বয়- রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও Government Educational and Training Institutions Ordinance, ১৯৬১ (E.P. Ordinance No. XXVI of ১৯৬১)-এর অধীন পরিচালিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি- (ক) বোর্ড অব গভর্নরস বা তৎকর্তৃক কৃত সকল কাজ-কর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) সকল সম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল প্রকার দাবি ও অধিকার একাডেমির সম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, সম্পত্তি, অর্থ এবং দাবি ও অধিকার হিসাবে গণ্য হইবে; (গ) সকল ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি একাডেমির ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে, উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন একাডেমির বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে; (ঙ) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সকল বিধিমালা, প্রবিধানমালা, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা অন্য কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নতুনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত অথবা বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে; (চ) বোর্ড অব গভর্নরস বা কমিটি, যদি থাকে, এর কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত না হইলে অথবা এই আইনের অধীন বোর্ড বা কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে; এবং (ছ) কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে একাডেমির চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হইবেন।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 20
}
],
"text": "জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1258,
"lower_text": [],
"name": "হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 19,
"published_date": "১ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
1258,
660,
442,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1258,
"details": "১। (১) এই আইন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1258",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1258,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান; (২) ‘‘ট্রাস্ট’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট; (৩) ‘‘ট্রাস্টি’’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের কোনো সদস্য; (৪) ‘‘ট্রাস্টি বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৫-এর অধীন গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড; (৫) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ১২ এ উল্লিখিত ট্রাস্টের তহবিল; (৬) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ ধারা ১৮ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৭) ‘‘বিধি’’ অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন প্রণীত বিধি; (৮) ‘‘ভাইস-চেয়ারম্যান’’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান; (৯) ‘‘সচিব’’ অর্থ ধারা ১০ এর অধীন নিযুক্ত ট্রাস্টের সচিব; এবং (১০) ‘‘সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান’’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1258,
"details": "৩। (১) Hindu Religious Welfare Trust Ordinance, 1983 (Ordinance No. LXVIII of 1983) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Hindu Religious Welfare Trust এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীনে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) ট্রাস্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "660",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1258,
"details": "৪। (১) ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) ট্রাস্টি বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রধান কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1258,
"details": "৫। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:- (ক) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ০২ (দুই) জন সংসদ-সদস্য, যাহারা সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (গ) সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; এবং (ঘ) হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে, প্রত্যেক বিভাগের অন্যূন ০২ (দুই) জন করিয়া, সরকার কর্তৃক মনোনীত ২১ (একুশ) জন ট্রাস্টি। (২) সচিব, ট্রাস্টি বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করিবেন। (৩) সরকার উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন মনোনীত ট্রাস্টিগণের মধ্য হইতে ১ (এক) জনকে ভাইস-চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করিবে। (৪) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন মনোনীত ট্রাস্টিগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে ট্রাস্টি হিসাবে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার কোনো মনোনীত ট্রাস্টিকে কোনরূপ কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন মনোনীত কোনো ট্রাস্টি যে কোনো সময় চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে ট্রাস্টির দায়িত্ব পরিত্যাগ করিতে পারিবেন। (৬) ট্রাস্টি পদে কেবল শূন্যতা বা ট্রাস্টি বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে ট্রাস্টি বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ড গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1258,
"details": "৬। ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হইবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় কল্যাণসহ সার্বিক কল্যাণ সাধন; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে কার্য পরিচালনা।",
"name": "ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1258,
"details": "৭। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে ট্রাস্টি বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) ট্রাস্টি বোর্ডের সভা, চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত সময়, তারিখ ও স্থানে সদস্য-সচিব কর্তৃক আহূত হইবে। (৩) চেয়ারম্যান ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যানদ্বয় জ্যেষ্ঠতানুসারে এবং তাহাদের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং উল্লিখিত সকলের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ট্রাস্টি সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) ট্রাস্টি বোর্ডের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে। (৫) ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে, সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1258,
"details": "৮। (ক) হিন্দুধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় এবং শ্মশান প্রতিষ্ঠা, সংস্কার, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনায় আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান; (খ) হিন্দুধর্মীয় উপাসনালয়ের পবিত্রতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; (গ) হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের দেশে-বিদেশে তীর্থভ্রমণে সহায়তা প্রদান; (ঘ) হিন্দুধর্মীয় উৎসব পালনে সহায়তা প্রদান; (ঙ) দুঃস্থ হিন্দুদের আর্থিক সহায়তা প্রদান; (চ) ট্রাস্টের সর্বক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণ; (ছ) ধর্মীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃত ভাষা বিষয়ে পুরোহিত ও সেবাইতগণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; (জ) হিন্দুধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য অনুদান, পুরস্কার, পদক ও বৃত্তি প্রদান; (ঝ) প্রাচীন তীর্থস্থান ও পীঠস্থান চিহ্নিতকরণ এবং উহাদের উন্নয়ন ও সংরক্ষেণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা প্রদান; (ঞ) হিন্দুধর্মীয় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও উহাদের উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান; (ট) দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার ও সংরক্ষণ; (ঠ) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ, বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ, মানবতাবোধ, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে সহযোগিতা প্রদান; (ড) হিন্দুধর্মীয় গ্রন্থাবলি প্রণয়ন, অনুবাদ এবং সাময়িকী বা প্রচারপত্র প্রকাশকরণ; (ঢ) হিন্দুধর্মীয় ইতিহাস, আদর্শ, সাহিত্য, দর্শন, সংস্কৃতি, আইন, ন্যায়বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা এবং এতদুদ্দেশ্যে সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা, সেমিনার, প্রদর্শনীসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি আয়োজন; (ণ) হিন্দুধর্ম সংক্রান্ত সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ও ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডার স্থাপন; এবং (ত) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন।",
"name": "ট্রাস্টের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1258,
"details": "৯। ট্রাস্টের পরিচালনা ও প্রশাসন ট্রাস্টি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ট্রাস্ট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, ট্রাস্টি বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১০। (১) ট্রাস্টের ০১ (এক) জন সচিব থাকিবেন, যিনি উহার প্রধান নির্বাহী হইবেন। (২) সচিব নির্ধারিত শর্তে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মধ্য হইতে ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন। (৩) সচিব প্রধান নির্বাহী হিসাবে ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ও কার্য-সম্পাদন করিবেন এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৪) সচিবের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে সচিব তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত সচিব কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা সচিব পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক মনোনীত হিন্দুধর্মাবলম্বী উপযুক্ত কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত শর্তে সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "সচিব",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১১। (১) ট্রাস্ট উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) ট্রাস্টের কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১২। ট্রাস্টের তহবিল (১) হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিল নামে ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (গ) সরকার অনুমোদিত দেশি বা বিদেশি উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; (ঘ) সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে কোনো ব্যাংক বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত ঋণ; (ঙ) তহবিলের বিনিয়োগ হইতে আহরিত অর্থ; (চ) ট্রাস্টের নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং (ছ) ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ ট্রাস্টের নামে ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্তরূপ অর্থ হইতে ট্রাস্টের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারায় উল্লিখিত ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থে Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে। (৩) তহবিলের ব্যাংক হিসাব ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে এবং ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ১(এক) জন ট্রাস্টি এবং সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হইবে।",
"name": "ট্রাস্টের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১৩। ট্রাস্ট প্রত্যেক বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থবৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণীর অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ট্রাস্টের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১৪। (১) ট্রাস্ট উহার আয়-ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া উল্লিখিত, প্রত্যেক বৎসর ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ট্রাস্টি বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ট্রাস্টের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, সচিব ও ট্রাস্টের অন্যান্য কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব-নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) এর Article 2 (1) (b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ট্রাস্ট এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১৫। ট্রাস্টি বোর্ড, উহার যে কোনো ক্ষমতা সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে চেয়ারম্যান, সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, কোনো ট্রাস্টি, সচিব বা অন্য যে কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১৬। (১) প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষ হইবার পর উক্ত অর্থ বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন পরবর্তী বৎসরের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার প্রয়োজনে, ট্রাস্টের নিকট হইতে উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী অথবা অন্য কোনো তথ্য চাহিতে পারিবে এবং ট্রাস্ট উহা সরবরাহ করিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ট্রাস্টি বোর্ড সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1258,
"details": "১৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে Hindu Religious Welfare Trust Ordinance, 1983 (Ordinance No. LXVIII of 1983) অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও উক্ত Ordinance- এর অধীন,- (ক) কৃত সকল কার্যক্রম ও গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত ও গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) গঠিত ট্রাস্ট এর তহবিল, সম্পদ, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, দায়-দেনা এই আইনের অধীন গঠিত ট্রাস্টের তহবিল, সম্পদ, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং দায়-দেনা হিসাবে গণ্য হইবে; (গ) গৃহীত কোনো কার্য ও ব্যবস্থা ট্রাস্ট কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে বা চলমান থাকিবে যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই; (ঘ) প্রণীত সকল বিধি, প্রবিধান যাহা উক্ত Ordinance রহিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্ব পর্যন্ত কার্যকর ছিল উহা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান দ্বারা রহিত বা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ এবং যতদূর পর্যন্ত এই আইনের বিধানাবলির পরিপন্থি না হয় ততদূর পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে; (ঙ) নিযুক্ত ট্রাস্টিগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যেই সকল শর্তাধীনে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তাধীনে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে প্রদেয় সুবিধাদি প্রাপ্ত হইবেন; এবং (চ) নিযুক্ত কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যেই সকল শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তাধীনে ট্রাস্টের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে, ক্ষেত্রমত প্রদেয় বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হইবেন।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "660",
"section_id": 19
}
],
"text": "Hindu Religious Welfare Trust Ordinance, 1983 রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাময়িক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Hindu Religious Welfare Trust Ordinance, 1983 (Ordinance No. LXVIII of 1983) রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1259,
"lower_text": [],
"name": "কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 32,
"published_date": "১ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
1025,
295,
75,
1259,
337
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1259,
"details": "১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন (১) এই আইন কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1259",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মচারী; (২) ‘‘কুল চেম্বার’’ অর্থ কৃষিপণ্য সাময়িকভাবে শীতল অবস্থায় সংরক্ষণ করিবার স্থান বা স্থাপনা; (৩) ‘‘কৃষি উপকরণ’’ অর্থ তপশিল-২ এ বর্ণিত কৃষি উপকরণ; (৪) ‘‘কৃষিপণ্য’’ অর্থ তপশিল-১ এ বর্ণিত কৃষিপণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য; (৫) ‘‘কৃষি বিপণন’’ অর্থ কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণ উৎপাদক পর্যায় হইতে ভোক্তার নিকট পৌছানো পর্যন্ত পরিবহণ, সংরক্ষণ, শ্রেণিকরণ, প্রমিতীকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কার্যাবলি; (৬) ‘‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর’’ অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর; (৭) ‘‘কৃষি ব্যবসায়ী’’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি; (৮) ‘‘কৃষিভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তা’’ অর্থ কৃষিপণ্য ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান; (৯) ‘‘গুদাম’’ অর্থ কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য কোনো দালান, স্থাপনা বা স্থাপনার অংশ; (১০) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের কোনো তপশিল; (১১) ‘‘প্রজ্ঞাপিত বাজার’’ অর্থ ধারা ৫ এর অধীন ঘোষিত বাজার; (১২) ‘‘প্রজ্ঞাপিত শস্য’’ অর্থ ধারা ১৫ এর অধীন ঘোষিত শস্য; (১৩) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (১৪) ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898); (১৫) ‘‘বাজার’’ অর্থ Sate Acquisition and Tenancy Act, 1950 এর section 2(12) এর বিধান অনুযায়ী হাট-বাজার; এবং কৃষিপণ্য, কৃষি উপকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকৃত কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় হয় এইরূপ স্থান, সুপারশপ, শপ বা ওয়েব বেইজড শপও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (১৬) ‘‘বাজারকারবারি’’ অর্থ কৃষিপণ্য এবং কৃষি উপকরণের ক্রয়-বিক্রয়ে মধ্যস্থতাকারী অথবা এতদসংক্রান্ত সেবা প্রদানকারী পাইকারি বিক্রেতা, আড়তদার, মজুদদার, কমিশন এজেন্ট বা ব্রোকার, ওজনদার, নমুনা সংগ্রহকারী, ফড়িয়া বা বেপারী; (১৭) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১৮) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে যে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, উহা নিবন্ধিত হউক বা না হউক, বাজারকারবারি, গুদাম মালিক, হিমাগার মালিক এবং কৃষি ব্যবসায়ীকে বুঝাইবে; (১৯) ‘‘ভোক্তা’’ অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি পুনঃবিক্রয় ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতিত সম্পূর্ণ বা আংশিক মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে বা প্রলম্বিত মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে বা কিস্তি ব্যবস্থায় কোনো কৃষিপণ্য, কৃষি উপকরণ বা সেবা ক্রয় ও ব্যবহার করেন; (২০) ‘‘মজুত’’ বা ‘‘গুদামজাতকরণ’’ অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজস্ব বা ভাড়া করা গুদাম বা হিমাগারে কৃষিপণ্য বা কৃষি উপকরণ সংরক্ষণ; (২১) ‘‘মজুতকারি’’ অর্থ যিনি কৃষিপণ্য গুদাম বা হিমাগারে মজুত করিয়াছেন অথবা গুদাম বা হিমাগার মালিক বরাবর হস্তান্তর করিয়াছেন এবং গুদাম বা হিমাগার মালিক কর্তৃক উক্ত পণ্যের বিপরীতে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র বহনকারী বা মজুতকারি কর্তৃক আইনানুগভাবে নিযুক্ত ও স্থলাভিষিক্ত যে কোনো ব্যক্তি; (২২) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ কৃষি বিপণন অধিধপ্তরের মহাপরিচালক; (২৩) ‘‘মার্কেট চার্জ’’ অর্থ কোনো প্রজ্ঞাপিত বাজারে কৃষিপণ্যের ক্রয়-বিক্রয় বা ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যস্থতা অথবা এইরূপ ক্রয়-বিক্রয়ের সহিত আনুষঙ্গিক অন্যান্য কার্য তথা ওজন, পরিমাপ, নমুনা সংগ্রহ প্রভৃতি সেবা প্রদানের বিনিময়ে ক্রেতা বা বিক্রেতা কর্তৃক বাজারকারবারিকে প্রদত্ত ধারা ১৬ এর অধীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কমিশন বা ফি; (২৪) ‘‘লাইসেন্স’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স; (২৫) ‘‘সরবরাহকারী’’ অর্থ কৃষি উপকরণ বা কৃষিপণ্যের সরবরাহকারী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান; (২৬) ‘‘সুপার শপ’’ অর্থ বৃহদাকারের খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র, যেখানে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য বহুবিধ পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হয়; (২৭) ‘‘হিমাগার’’ অর্থ কৃষিপণ্য অপেক্ষাকৃত দীর্ঘসময় যান্ত্রিক উপায়ে কৃত্রিমভাবে শীতল অবস্থায় সংরক্ষণ করিবার স্থান বা স্থাপনা।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "75",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) কৃষি বিপণন তথ্য ব্যবস্থাপনা; (খ) কৃষিপণ্যের মূল্য নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; (গ) কৃষি বিপণন ও কৃষি ব্যবসা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; (ঘ) কৃষক ও কৃষিপণ্যের বাজার সংযোগ সৃষ্টি ও সুষ্ঠু সরবরাহের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান; (ঙ) কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং বিপণন ও ব্যবসা সম্পর্কিত অর্থনৈতিক গবেষণা পরিচালনা; (চ) কৃষিপণ্য উৎপাদন ও ব্যবসায় নিয়োজিত কৃষক, কৃষি ব্যবসায়ী, প্রক্রিয়াজাতকারী, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ী সমিতিসমূহের সহিত নিবিড় সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ; (ছ) সুষ্ঠু বিপণনের স্বার্থে কৃষিপণ্য উৎপাদন এলাকায় বাজার অবকাঠামো, গুদাম, হিমাগার, কুলচেম্বার, ইত্যাদি নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণ; (জ) কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণের মজুদ বা গুদামজাতকরণ, পণ্যের গুণগতমান, মেয়াদ, মোড়কীকরণ ও সঠিক ওজনে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিবীক্ষণ; (ঝ) কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন; (ঞ) কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান; (ট) কৃষিপণ্যের মূল্য সহায়তা প্রদান; (ঠ) কৃষিপণ্যের অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ; (ড) কৃষিভিত্তিক শিল্প ও ব্যবসার উন্নয়ন, উৎসাহ প্রদান, প্রসার এবং চুক্তিভিত্তিক বিপণন ব্যবস্থার কার্যপদ্ধতি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; (ঢ) বাজারকারবারি অথবা কৃষি ব্যবসায়ী সংগঠন, সমিতি, সংস্থা, কৃষিভিত্তিক সংগঠন ও সমবায় সমিতিসমূহকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তালিকাভুক্তকরণ এবং, প্রয়োজনে, জাতীয় এবং জেলা পর্যায়ে কৃষিভিত্তিক সংগঠনসমূহের ফেডারেশন অথবা কনসোর্টিয়াম গঠন; (ণ) বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সুপার শপে সংরক্ষিত কৃষিপণ্যের গুণগতমান, নির্ধারিত মূল্য ও বিপণন কার্যক্রম পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদান; (ত) কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণের বিপণন কার্যক্রম সংক্রান্ত মান সংরক্ষণ, পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ; এবং (থ) সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।",
"name": "কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৫। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখ হইতে, কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য যে কোনো বাজারকে প্রজ্ঞাপিত বাজার হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে। (২) কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত প্রজ্ঞাপিত বাজারে বাজারকারবারি হিসাবে কার্য পরিচালনা করিতে পারিবেন না। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন লাইসেন্সের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি, ফরম ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর, মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে, কোনো নির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপিত বাজারে বাজারকারবারি হিসাবে কার্য পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবেন। (৫) প্রজ্ঞাপিত বাজার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হইবে।",
"name": "প্রজ্ঞাপিত বাজার",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৬। (১) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গুদাম বা হিমাগার পরিচালনা করিতে পারিবেন না। (২) কোনো ব্যক্তি গুদাম বা হিমাগার পরিচালনা করিতে চাহিলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি, ফরম ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, মহাপরিচালকের নিকট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর, মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, যাচাই-বাছাইক্রমে সন্তুষ্ট হইলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে, গুদাম বা হিমাগার পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "গুদাম ও হিমাগারের লাইসেন্স",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৭। (১) কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণের রপ্তানিকারক, আমদানিকারক, ডিলার, মিলার, সরবরাহকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী এবং চুক্তিবদ্ধ চাষ ব্যবস্থার সহিত সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে কার্য পরিচালনার জন্য লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্সের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি, ফরম ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর, মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে, লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবেন। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘মিলার’’ ও ‘‘প্রক্রিয়াজাতকারী’’ বলিতে এইরূপ ব্যক্তিকে বুঝাইবে যাহার অধীন অন্যূন ১০(দশ) জন শ্রমিক নিয়োজিত রহিয়াছে।",
"name": "রপ্তানিকারক, আমদানিকারক, ইত্যাদি কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৮। এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, লাইসেন্সের মেয়াদ, নবায়ন ও ফি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "লাইসেন্সের মেয়াদ, নবায়ন ও ফি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৯। কোনো ব্যক্তি তাহার লাইসেন্স অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।",
"name": "লাইসেন্স হস্তান্তর নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১০। কোনো ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করিলে, মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবেন।",
"name": "লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিলকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১১। প্রত্যেক গুদাম বা হিমাগারে মজুতকৃত কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হইবে।",
"name": "মজুতকৃত পণ্যের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১২। জরুরি অবস্থা বা সংকট মোকাবিলার জন্য সরকারের চাহিদা ও নির্দেশনা অনুযায়ী গুদাম বা হিমাগার মালিক এবং মজুতকারি গুদাম অথবা হিমাগারে মজুতকৃত পণ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "আপদকালীন পণ্য সরবরাহ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১৩। (১) মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, কোনো গুদাম বা হিমাগারের লাইসেন্স, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, মজুতকৃত কৃষিপণ্য, হিসাব বহি ও নথিপত্র পরিদর্শন ও পরীক্ষা করিতে পারিবেন। (২) জেলা বা উপজেলা কৃষি বিপণন সমন্বয় কমিটির কোনো সদস্য বা মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী বাজার, প্রজ্ঞাপিত বাজার, গুদাম বা হিমাগার পরিদর্শন করিতে পারিবে এবং পরিদর্শনকালে প্রত্যেক বাজারকারবারি, কৃষি ব্যবসায়ী, গুদাম বা হিমাগার মালিক লাইসেন্স প্রদর্শন করিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "পরিদর্শনকালে লাইসেন্স প্রদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, ‘জাতীয় কৃষি বিপণন সমন্বয় কমিটি’, ‘জেলা কৃষি বিপণন সমন্বয় কমিটি’, ‘উপজেলা কৃষি বিপণন সমন্বয় কমিটি’ এবং ‘বাজারভিত্তিক ব্যবস্থাপনা কমিটি’ গঠন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কমিটির গঠন এবং কার্যাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১৫। (১) জরুরি অবস্থা বা সংকট মোকাবিলার জন্য সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সময়ের জন্য, এক বা একাধিক কৃষিপণ্য সমগ্র দেশ বা নির্দিষ্ট এলাকার জন্য প্রজ্ঞাপিত শস্য হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপিত শস্যসমূহের এলাকাভিত্তিক এবং নির্দিষ্টকৃত সময়ের জন্য মূল্য নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "প্রজ্ঞাপিত শস্য ঘোষণা",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১৬। সরকার, মহাপরিচালকের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,- (ক) প্রজ্ঞাপিত বাজারের জন্য মার্কেট চার্জ নির্ধারণ করিতে পারিবে; (খ) কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণ মজুত অথবা গুদামজাতকরণের জন্য গুদাম অথবা হিমাগার মালিক কর্তৃক মজুতকারির নিকট হইতে আদায়যোগ্য ভাড়ার হার নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "মার্কেট চার্জ ও ভাড়া নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১৭। মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, জেলা অথবা উপজেলা কৃষি বিপণন সমন্বয় কমিটির কোনো সদস্য কোনো বাজারকারবারি, কৃষি ব্যবসায়ী, গুদাম বা হিমাগার মালিক, সুপার শপ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তার নিকট বাজার তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য চাহিতে পারিবেন এবং তাহারা উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "বাজার তথ্য",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১৮। মহাপরিচালক, প্রয়োজনে, এই আইনের অধীন কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কোনো সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবেন।",
"name": "অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1259,
"details": "১৯। (১) কোনো ব্যক্তি- (ক) ধারা ৫, ৬ ও ৭ এর অধীন লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত কার্য পরিচালনা করিলে; (খ) লাইসেন্স হস্তান্তর করিলে; (গ) ধারা ১৬ এ নির্ধারিত মার্কেট চার্জ বা ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করিলে; (ঘ) কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বা উহার কোনো কর্মচারীকে এই আইনের অধীন কার্য সম্পাদনে বাধা প্রদান করিলে বা চাহিত তথ্য প্রদান না করিলে; (ঙ) তাহার মালিকানাধীন কৃষি উপকরণ ও কৃষিপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রকাশ্য স্থানে বা পণ্যের মোড়কে বা দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে প্রদর্শন না করিলে; (চ) কৃষিপণ্যের মোড়কে পণ্যের পুষ্টিমান ও উপাদানের শতকরা হার, উৎপাদন ও মেয়াদ-উত্তীর্ণের তারিখ এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ না করিলে বা মেয়াদণ্ডউত্তীর্ণের পর উহা বিক্রয় করিলে বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করিলে; (ছ) জনস্বাস্থ্যোর জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক বা অন্য কোনো দ্রব্য কৃষিপণ্যে ব্যবহার করিলে; (জ) কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণ বিক্রয়কালে ওজনে কম প্রদান করিলে; (ঝ) ধারা ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করিলে; (ঞ) ক্রয়কৃত পণ্যের মূল রশিদ দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ না করিলে; (ট) সরকার কর্তৃক ইজারাকৃত বা অনুমোদিত হাট বাজারে কৃষিপণ্য পাইকারি বা খুচরা হিসাবে ক্রয় বিক্রয়ে বাধা প্রদান করিলে; (ঠ) কৃষি উপকরণ ও কৃষিপণ্যের সরবরাহে বাধা সৃষ্টি অথবা যে কোনোভাবে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করিলে বা বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তাহার গুদাম বা হিমাগার হইতে খুচরা বিক্রেতা বা ভোক্তার নিকট বিক্রয় করিতে অস্বীকার করিলে; (ড) কৃষিপণ্য, কৃষি উপকরণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করিলে বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারের অধিক মুনাফা গ্রহণ করিলে; উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। (২) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইবার পর পুনরায় একই অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২০। কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে প্রতিষ্ঠানের এমন প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। ব্যাখ্যা।-এই ধারায়- (ক) ‘‘প্রতিষ্ঠান’’ বলিতে কোনো কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং (খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘‘পরিচালক’’ বলিতে উহার কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে।",
"name": "প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২১। মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারীর লিখিত অভিযোগ ব্যতিত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২২। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non-cognizable) এবং জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২৩। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "তদন্ত, বিচারের পদ্ধতি, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২৪। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।",
"name": "ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অপরাধ বিচার",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২৫। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনের অধীন দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "দণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২৬। এই আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, ধারা ২১ এর বিধান অনুসরণক্রমে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার",
"related_acts": "1025",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২৭। (১) মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী বাজারকারবারি, কৃষি ব্যবসায়ী, কৃষক, ক্রেতা ও বিক্রেতা, গুদাম ও হিমাগার মালিক, মজুদকারী, পণ্য পরিমাপক, চুক্তিবদ্ধ চাষব্যবস্থার পক্ষগণ বা অন্য কোনো পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে মীমাংসা করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রে মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি, উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদানের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে- (ক) মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের নিকট; এবং (খ) মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বিরোধ মীমাংসা",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1259,
"details": "২৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মহাপরিচালক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৩০। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৩১। (১) Agricultural Produce Markets Regulation Act, 1964 (East Pakistan Act No. IX of 1964) এবং Warehouses Ordinance, 1959 (East Pakistan Ordinance No. LXVI of 1959), অতঃপর যথাক্রমে উক্ত Act ও Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Act ও Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা প্রদত্ত লাইসেন্স বা চলমান কোনো কার্য এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রদত্ত বা চলমান বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) প্রণীত কোনো বিধিমালা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন প্রণীত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (গ) দায়েরকৃত কোনো মামলা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত Act ও Ordinance রহিত হয় নাই।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "337,295",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1259,
"details": "৩২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 32
}
],
"text": "জাতীয় অর্থনীতি শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্যে কৃষক, উৎপাদক, কৃষি ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সহায়ক কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু জাতীয় অর্থনীতি শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্যে কৃষক, উৎপাদক, কৃষি ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সহায়ক কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1260,
"lower_text": [],
"name": "জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 27,
"published_date": "১ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
442,
1260,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1260,
"details": "১। (১) এই আইন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1260",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; (২) ‘‘কার্যনির্বাহী কমিটি’’ অর্থ ধারা ১১ এর অধীন গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি; (৩) ‘‘গভর্নিং বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত গভর্নিং বোর্ড; (৪) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ১৯ এর অধীন গঠিত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তহবিল; (৫) ‘‘দক্ষতা’’ অর্থে কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজ করিবার জন্য অর্জিত জ্ঞান ও কৌশল বা শিল্প ও বৃত্তির আদর্শমান অনুযায়ী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা মোতাবেক পণ্য ও সেবা উৎপাদনের সক্ষমতা ও সামর্থও অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৬) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত; (৭) ‘‘নির্বাহী চেয়ারম্যান’’ অর্থ ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান; (৮) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; এবং (৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1260,
"details": "৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে। (২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিল মোহর থাকিবে এবং উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1260,
"details": "৪। কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে ইহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1260,
"details": "৫। (১) একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে। (২) নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষ গঠন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1260,
"details": "৬। (১) কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি, কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা; (খ) দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্ম কৃতি নির্দেশক (Key Performance Indicator), অভিন্ন প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রম প্রণয়ন এবং উহাদের বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কার্যক্রম সমন্বয়, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা; (গ) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদার পূর্বাভাস সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ এবং খাতভিত্তিক দক্ষতা তথ্য ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা করা; (ঘ) এই আইনের পরিধিভুক্ত, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পেশার পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি (Recognition of Prior Learning) প্রদান করা; (ঙ) দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত সকল প্রকল্প ও কর্মসূচী পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় সাধন করা; (চ) প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন, সনদায়ন ও পারস্পরিক স্বীকৃতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (ছ) শিল্প দক্ষতা পরিষদ গঠন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা; (জ) শিল্প সংযুক্তিকরণ (Industry Linkage) শক্তিশালী করা; (ঝ) দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীয় বিবেচনায় কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা; এবং (ঞ) সরকার বা গভর্নিং বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত অন্য কোনো দায়িত্ব পালন করা। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রম প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করিতে হইবে। (৩) কর্তৃপক্ষ বিশেষায়িত পাঠ্যক্রম প্রণয়নে সহায়তা প্রদান করিবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1260,
"details": "৭। (১) নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হইবেন। (২) নির্বাহী চেয়ারম্যান- (ক) কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন; (খ) গভর্নিং বোর্ড ও কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত, নির্দেশনা ও পরামর্শ বাস্তবায়ন করিবেন; (গ) কর্তৃপক্ষের হিসাব সংরক্ষণ, হিসাব বিবরণী প্রণয়ন ও হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করিবেন; এবং (ঘ) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য কাজ সম্পাদন করিবেন।",
"name": "নির্বাহী চেয়ারম্যানের এর ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1260,
"details": "৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করিয়া নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি গভর্নিং বোর্ড থাকিবে, যথা:- (ক) মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীগণ, পদাধিকারবলে; (গ) মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; (ঘ) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; (ঙ) মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; (চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এর সচিব; (ছ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; (জ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ; (ঝ) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর একজন প্রতিনিধি; (ঞ) শিল্প দক্ষতা পরিষদ হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১(এক) জন প্রতিনিধি; (ট) মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখিয়াছেন সরকার কর্তৃক মনোনীত এইরূপ ১(এক) জন প্রতিনিধি; (ঠ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সদস্য সচিবও হইবেন। (২) গভর্নিং বোর্ড, প্রয়োজনে, যে কোনো ব্যক্তিকে গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হিসাবে কো-অপ্ট করিতে পারিবে বা সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবে।",
"name": "গভর্নিং বোর্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1260,
"details": "৯। গভর্নিং বোর্ডের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত নীতি ও কৌশলপত্র অনুমোদন; (খ) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন; (গ) কর্তৃপক্ষ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সামগ্রিক কর্মকান্ড পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান; এবং (ঘ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ।",
"name": "গভর্নিং বোর্ডের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, গভর্নিং বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) গভর্নিং বোর্ড বৎসরে অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠান করিবে। (৩) নির্বাহী চেয়ারম্যান, গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যানের সহিত পরামর্শক্রমে, গভর্নিং বোর্ডের সভা আহবান করিবেন এবং এইরূপ সভা গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) গভর্নিং বোর্ডের সকল সভায় উহার চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে, ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) গভর্নিং বোর্ড উহার সভায় কোন আলোচ্য বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম এইরূপ কোন ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করিতে পারিবে।",
"name": "গভর্নিং বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকিবে, যথা:- (ক) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; (গ) মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর; (ঘ) মহাপরিচালক, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো; (ঙ) মহাপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর; (চ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র; (ছ) মহাপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর; (জ) মহাপরিচালক, সমাজ সেবা অধিদপ্তর; (ঝ) মহাপরিচালক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর; (ঞ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড; (ট) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল (এনএইচআরডিএফ); (ঠ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন একজন যুগ্মসচিব; (ড) শিল্প দক্ষতা পরিষদ হইতে নির্বাচিত ২ (দুই) জন প্রতিনিধি; (ঢ) বাংলাদেশ এমপ্লায়ার্স ফেডারেশন কর্তৃক মনোনীত উহার একজন প্রতিনিধি; (ণ) ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন কর্তৃক মনোনীত উহার একজন প্রতিনিধি; (ত) নির্বাহী চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সদস্য সচিবও হইবেন। (২) সরকার, আদেশ দ্বারা, কার্যনির্বাহী কমিটির বেসরকারি সদস্যদের মধ্য হইতে একজনকে সহ-সভাপতি নির্ধারণ করিবে। (৩) কার্যনির্বাহী কমিটি, প্রয়োজনে, যে কোনো ব্যক্তিকে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে কো-অপ্ট করিতে পারিবে বা সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবে।",
"name": "কার্যনির্বাহী কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) কর্তৃপক্ষের উপর অর্পিত দায়িত্ব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা সংস্থার মধ্যে বিষয়ভিত্তিক বা সামগ্রিক সমন্বয় সাধন; (খ) সংশ্লিষ্টতা অনুযায়ী প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নির্ধারণ; (গ) কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতার সম্মুখীন হইলে উহার সমন্বয় সাধন ও সমাধান নিশ্চিতকরণ; (ঘ) মানব সম্পদ উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিলকে নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান। (২) কার্যনির্বাহী কমিটি যে কোন সময় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত বা সম্পদিতব্য যে কোনো কার্য সম্পর্কে প্রতিবেদন চাহিতে পারিবে। (৩) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন যে কোনো কর্মসূচীর বিষয়ে সময় সময় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১৩। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কার্যনির্বাহী কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) নির্বাহী চেয়ারম্যান, কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতির সম্মতিক্রমে, কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবান করিবেন। (৩) কার্যনির্বাহী কমিটি বৎসরে অন্যূন তিনটি সভা অনুষ্ঠান করিবে। (৪) কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সভায় উহার সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে, সহ-সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন।",
"name": "কার্যনির্বাহী কমিটির সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, কার্যনির্বাহী কমিটি কোনো নির্দিষ্ট খাতের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করিয়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোরাম, কমিটি, টাস্কফোর্স, সাব-কমিটি, আঞ্চলিক ও বিভাগীয় পরামর্শক কমিটি এবং ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "ফোরাম, কমিটি, ওয়ার্কিং গ্রুপ ও টাস্কফোর্স, ইত্যাদি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১৫। (১) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার দয়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১৬। (১) দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান ও জাতীয় পর্যায়ে সনদ প্রদানে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হইতে হইবে। (২) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে। (৩) এই আইনের অধীন নিবন্ধিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে তথ্য সংরক্ষণ করিবে।",
"name": "দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১৭। কোনো দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে বা নিবন্ধন সনদের কোনো শর্ত ভঙ্গ করিলে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবে।",
"name": "নিবন্ধন বাতিল",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী দক্ষতা উন্নয়নে নিয়োজিত কোনো প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং এইরূপ পরিদর্শনের সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ল্যাবরেটরি, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, উপকরণ, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, প্রশিক্ষণ সামগ্রী, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত বা সহায়তায় প্রাপ্ত আর্থিক অনুদান সংশ্লিষ্ট হিসাব সংক্রান্ত তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট কোনো রেকর্ডপত্র পরীক্ষা করিতে পারিবে।",
"name": "পরিদর্শন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1260,
"details": "১৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তহবিল নামে কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (খ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো উৎস হইতে গৃহীত ঋণ; (গ) নিবন্ধন ফি হইতে প্রাপ্ত অর্থ; (ঘ) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হইতে প্রাপ্ত সুদ; এবং (ঙ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে। ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2 এর clause (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে। (৩) তহবিল হইতে কর্তৃপক্ষের সমুদয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২০। কর্তৃপক্ষ প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে, তবে কর্তৃপক্ষ এর পৌনঃপুনিক ব্যয় নির্বাহে ক্রমান্বয়ে নিজস্ব আয় বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২১। (১) কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনেটন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন। (৪) কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মচারীসহ কর্তৃপক্ষের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২২। (১) কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৯০(নববই) দিনের মধ্যে উক্ত বৎসরে তদ্কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২৩। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, অস্পষ্টতা দূরীকরণার্থে যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পরিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ তারিখের প্রজ্ঞাপন নং-শকম/অধিশাখা-৮/ জাঃদক্ষতা/২০০৮/বি-১ রহিত হইবে এবং উহার অধীন স্থাপিত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ, অতঃপর বিলুপ্ত পরিষদ বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিলুপ্ত হওয়া সত্ত্বেও বিলুপ্ত পরিষদ কর্তৃক কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, সিদ্ধান্ত, প্রণীত নীতিমালা, ইস্যুকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো অনুমোদন বা নোটিশ, সম্পাদিত দলিল বা চুক্তিপত্র বা চলমান কোনো কাজ এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রণীত, ইস্যুকৃত, প্রদত্ত, সম্পাদিত বা চলমান বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত পরিষদের- (ক) স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তিতে বা উহা হইতে উদ্ভূত অন্য সকল অধিকার ও স্বার্থ, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, বিনিয়োগ, সকল হিসাব বহি, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত এবং উহার উপর ন্যস্ত হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুযায়ী উহা নিস্পত্তি হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1260,
"details": "২৭। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 27
}
],
"text": "জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন তরান্বিত করিবার লক্ষ্যে কর্মক্ষম জনগণের দক্ষতা উন্নয়ন পদ্ধতি উদ্ভাবন, সংস্কার, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমন্বয় প্রয়োজন; এবং যেহেতু বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে সকল পর্যায়ে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুগোপযোগী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন, কারিকুলাম প্রণয়ন, প্রশিক্ষণের মান পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন; এবং যেহেতু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদা বিবেচনা করিয়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক পেশাগত প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নপূর্বক শ্রমশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন প্রয়োজন; এবং যেহেতু উপরি-বর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণের লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1261,
"lower_text": [],
"name": "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 62,
"published_date": "৮ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
132,
75,
1261,
1011,
950,
24,
1087
],
"repelled": true,
"sections": [
{
"act_id": 1261,
"details": "১। (১) এই আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1261",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে এই আইনে- (ক) ‘‘আপিল ট্রাইব্যুনাল’’ অর্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সালের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ৮২ এর অধীন গঠিত সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনাল; (খ) ‘‘উপাত্ত-ভান্ডার’’ অর্থ টেক্সট, ইমেজ, অডিও বা ভিডিও আকারে উপস্থাপিত তথ্য, জ্ঞান, ঘটনা, মৌলিক ধারণা বা নির্দেশাবলি, যাহা- (অ) কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দ্বারা আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হইতেছে বা হইয়াছে; এবং (আ) কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হইয়াছে; (গ) ‘‘এজেন্সি’’ অর্থ ধারা ৫ এর অধীন গঠিত ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি; (ঘ) ‘‘কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন গঠিত জাতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম; (ঙ) ‘‘কম্পিউটার সিস্টেম’’ অর্থ এক বা একাধিক কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস এর মধ্যে আন্তঃসংযোগকৃত প্রক্রিয়া যাহা এককভাবে বা একে অপরের সহিত সংযুক্ত থাকিয়া তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করিতে সক্ষম; (চ) ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ ধারা ১২ এর অধীন গঠিত জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল; (ছ) ‘‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (Critical Information Infrastructure)’’ অর্থ সরকার কর্তৃক ঘোষিত এইরূপ কোনো বাহ্যিক বা ভার্চুয়াল তথ্য পরিকাঠামো যাহা কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কোনো ইলেকট্রনিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চারণ বা সংরক্ষণ করে এবং যাহা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকটাপন্ন হইলে- (অ) জননিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্য, (আ) জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্বের, উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়িতে পারে; (জ) ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ অর্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সালের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ৬৮ এর অধীন গঠিত সাইবার ট্রাইব্যুনাল; (ঝ) ‘‘ডিজিটাল’’ অর্থ যুগ্ম-সংখ্যা (০ ও ১/বাইনারি) বা ডিজিট ভিত্তিক কার্য পদ্ধতি, এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইলেকট্রিক্যাল, ডিজিটাল ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল, বায়োমেট্রিক, ইলেকট্রোকেমিক্যাল, ইলেকট্রোমেকানিক্যাল, ওয়্যারলেস বা ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক টেকনোলজিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (ঞ) ‘‘ডিজিটাল ডিভাইস’’ অর্থ কোনো ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল, ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল বা তথ্য প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র বা সিস্টেম, যাহা ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল, ম্যাগনেটিক বা অপটিক্যাল ইমপালস ব্যবহার করিয়া যৌক্তিক, গাণিতিক এবং স্মৃতি কার্যক্রম সম্পন্ন করে, এবং কোনো ডিজিটাল বা কম্পিউটার ডিভাইস সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সহিত সংযুক্ত, এবং সকল ইনপুট, আউটপুট, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চিতি, ডিজিটাল ডিভাইস সফটওয়্যার বা যোগাযোগ সুবিধাদিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (ট) ‘‘ডিজিটাল নিরাপত্তা’’ অর্থ কোনো ডিজিটাল ডিভাইস বা ডিজিটাল সিস্টেম এর নিরাপত্তা; (ঠ) ‘‘ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব’’ অর্থ ধারা ১০ এর অধীন স্থাপিত ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব; (ড) ‘‘পুলিশ অফিসার’’ অর্থ সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এইরূপ কোনো পুলিশ অফিসার; (ঢ) ‘‘প্রোগ্রাম’’ অর্থ কোনো পাঠযোগ্য মাধ্যমে যন্ত্র সহযোগে শব্দ, সংকেত, পরিলেখ বা অন্য কোনো আকারে প্রকাশিত নির্দেশাবলি, যাহার মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইস দ্বারা কোনো বিশেষ কার্য-সম্পাদন বা বাস্তবে ফলদায়ক করা যায়; (ণ) ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898); (ত) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, অংশীদারি কারবার, ফার্ম বা অন্য কোনো সংস্থা, ডিজিটাল ডিভাইস এর ক্ষেত্রে উহার নিয়ন্ত্রণকারী এবং আইনের মাধ্যমে সৃষ্ট কোনো সত্তা বা কৃত্রিম আইনগত সত্তাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (থ) ‘‘বে-আইনি প্রবেশ’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বা উক্তরূপ অনুমতির শর্ত লঙ্ঘনক্রমে কোনো কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থায় প্রবেশ, বা উক্তরূপ প্রবেশের মাধ্যমে উক্ত তথ্য ব্যবস্থার কোনো তথ্য-উপাত্তের আদান-প্রদানে বাধা প্রদান বা উহার প্রক্রিয়াকরণ স্থগিত বা ব্যাহত করা বা বন্ধ করা, বা উক্ত তথ্য-উপাত্তের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন বা সংযোজন বা বিয়োজন করা অথবা কোনো ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে কোনো তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ; (দ) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ এজেন্সির মহাপরিচালক; (ধ) ‘‘মানহানি’’ অর্থ Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 499 এ বিধৃত defamation; (ন) ‘‘ম্যালওয়্যার’’ অর্থ এমন কোনো কম্পিউটার বা ডিজিটাল নির্দেশ, তথ্য-উপাত্ত, প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্স যাহা- (অ) কোনো কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস কর্তৃক সম্পাদিত কার্যকে পরিবর্তন, বিকৃত, বিনাশ, ক্ষতি বা ক্ষুণ্ণ করে বা উহার কার্য-সম্পাদনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে; বা (আ) নিজেকে অন্য কোনো কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসের সহিত সংযুক্ত করিয়া উক্ত কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসের কোনো প্রোগ্রাম, তথ্য-উপাত্ত বা নির্দেশ কার্যকর করিবার বা কোনো কার্য-সম্পাদনের সময় স্বপ্রণোদিতভাবে ক্রিয়াশীল হইয়া উঠে এবং উহার মাধ্যমে উক্ত কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসে কোনো ক্ষতিকর পরিবর্তন বা ঘটনা ঘটায়; (ই) কোনো ডিজিটাল ডিভাইস এর তথ্য চুরি বা উহাতে স্বয়ংক্রিয় প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে; (প) ‘‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’’ অর্থ যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্ধুদ্ধ করিয়াছিল জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ; এবং (ফ) ‘‘সেবা প্রদানকারী’’ অর্থ- (অ) কোনো ব্যক্তি যিনি কম্পিউটার বা ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো ব্যবহারকারীকে যোগাযোগের সামর্থ্য প্রদান করেন; বা (আ) এমন কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা সংস্থা যিনি বা যাহা উক্ত সার্ভিসের বা উক্ত সার্ভিসের ব্যবহারকারীর পক্ষে কম্পিউটার ডাটা প্রক্রিয়াকরণ বা সংরক্ষণ করেন। (২) এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা এই আইনে প্রদান করা হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "950,950,75,950",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩। এই আইনের কোনো বিধানের সহিত যদি অন্য কোনো আইনের কোনো বিধান অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে অন্য কোনো আইনের বিধানের সহিত এই আইনের বিধান যতখানি অসমঞ্জস হয় ততখানির ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান কার্যকর থাকিবে : তবে শর্ত থাকে যে, তথ্য অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনে ২০নং আইন) এর বিধানাবলি কার্যকর থাকিবে :",
"name": "আইনের প্রয়োগ",
"related_acts": "1011",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪। (১) যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের বাহিরে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন যাহা বাংলাদেশে সংঘটন করিলে এই আইনের অধীন দণ্ডযোগ্য হইত, তাহা হইলে এই আইনের বিধানাবলি এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত অপরাধটি তিনি বাংলাদেশেই সংঘটন করিয়াছেন। (২) যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের বাহির হইতে বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাহায্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের বিধানাবলি এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত অপরাধের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই সংঘটিত হইয়াছে। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তর হইতে বাংলাদেশের বাহিরে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে এই আইনের বিধানাবলি এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত অপরাধের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই সংঘটিত হইয়াছে।",
"name": "আইনের অতিরাষ্ট্রিক প্রয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ১ (এক) জন মহাপরিচালক ও ২ (দুই) জন পরিচালকের সমন্বয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি নামে একটি এজেন্সি গঠন করিবে। (২) এজেন্সির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে, তবে সরকার, প্রয়োজনে, ঢাকার বাহিরে দেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে। (৩) এজেন্সির ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কার্যাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "এজেন্সি গঠন, কার্যালয়, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৬। (১) মহাপরিচালক ও পরিচালকগণ, কম্পিউটার বা সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের মধ্য হইতে, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (২) মহাপরিচালক ও পরিচালকগণ এজেন্সির সার্বক্ষণিক কর্মচারী হইবেন, এবং তাহারা এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলি সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত কার্য-সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন। (৩) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে, বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক দায়িত্বভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতম পরিচালক অস্থায়ীভাবে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক ও পরিচালকগণের নিয়োগ, মেয়াদ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৭। (১) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী এজেন্সির প্রয়োজনীয় জনবল থাকিবে। (২) এজেন্সি উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাধীনে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "এজেন্সির জনবল",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৮। (১) মহাপরিচালকের নিজ অধিক্ষেত্রভুক্ত কোনো বিষয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি সৃষ্টি করিলে তিনি উক্ত তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা, ক্ষেত্রমত, ব্লক করিবার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে, অতঃপর বিটিআরসি বলিয়া উল্লিখিত, অনুরোধ করিতে পারিবেন। (২) যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করে, বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহা হইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী উক্ত তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করিবার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোনো অনুরোধ প্রাপ্ত হইলে বিটিআরসি, উক্ত বিষয়াদি সরকারকে অবহিতক্রমে, তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা, ক্ষেত্রমত, ব্লক করিবে। (৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কতিপয় তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য এজেন্সির অধীন একটি জাতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম থাকিবে। (২) ধারা ১৫ এর অধীন ঘোষিত কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, প্রয়োজনে, এজেন্সির পূর্বানুমোদন গ্রহণক্রমে, উহার নিজস্ব কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করিতে পারিবে। (৩) কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি এবং প্রয়োজনে, আইন শৃঙখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হইবে। (৪) কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করিবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করিবে, যথা:- (ক) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর জরুরি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ; (খ) সাইবার বা ডিজিটাল হামলা হইলে এবং সাইবার বা ডিজিটাল নিরাপত্তা বিঘ্নিত হইলে তাৎক্ষণিকভাবে উহা প্রতিকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (গ) সম্ভাব্য ও আসন্ন সাইবার বা ডিজিটাল হামলা প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ; (ঘ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের অনুমোদন গ্রহণক্রমে, সমধর্মী বিদেশি কোনো টিম বা প্রতিষ্ঠানের সহিত তথ্য আদান-প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ; এবং (ঙ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্য। (৬) এজেন্সি, কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও তত্ত্বাবধান করিবে।",
"name": "ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এজেন্সির নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে, এক বা একাধিক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব থাকিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার অধীন কোনো ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপিত হইয়া থাকিলে, ধারা ১১ এর অধীন নির্ধারিত মান অর্জন সাপেক্ষে, এজেন্সি উহাকে স্বীকৃতি প্রদান করিবে এবং সেইক্ষেত্রে উক্ত ল্যাব এই আইনের অধীন স্থাপিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) এজেন্সি ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করিবে। (৪) ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন, ব্যবহার, পরিচালনা ও অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১১। (১) এজেন্সি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রত্যেক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এর গুণগত মান নিশ্চিত করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত গুণগত মান নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, প্রত্যেক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব- (ক) উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল দ্বারা উহার কার্যক্রম পরিচালনা করিবে; (খ) উহার ভৌত অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করিবে; (গ) উহার অধীন সংরক্ষিত তথ্যাদির নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রাখিবার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিবে; (ঘ) ডিজিটাল পরীক্ষার কারিগরি মান বজায় রাখিবার লক্ষ্যে মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিবে; এবং (ঙ) বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কার্য-সম্পাদন করিবে।",
"name": "ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এর মান নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একজন চেয়ারম্যানসহ নিম্নে বর্ণিত ১৩ (তেরো) সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠিত হইবে,- (ক) চেয়ারম্যান; (খ) মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; (গ) মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; (ঘ) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব; (ঙ) গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক; (চ) সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; (ছ) সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ; (জ) সচিব, জন নিরাপত্তা বিভাগ; (ঝ) পররাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; (ঞ) ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ; (ট) চেয়ারম্যান, বিটিআরসি; (ঠ) মহাপরিচালক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর; (ড) মহাপরিচালক - সদস্য সচিব (২) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হইবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, চেয়ারম্যানের পরামর্শ গ্রহণক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত মেয়াদ ও শর্তে, কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে (যেমন: বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফ্টওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশক্রমে গণমাধ্যমের ১(এক) জন প্রতিনিধিকে ইহার সদস্য হিসাবে যে কোনো সময় কো-অপ্ট করিতে পারিবে।",
"name": "জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১৩। (১) কাউন্সিল, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধির বিধান বাস্তবায়নকল্পে, এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করিবে। (২) কাউন্সিল অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, বিশেষ করিয়া, নিম্নবর্ণিত কার্য-সম্পাদন করিবে, যথা :- (ক) ডিজিটাল নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হইলে উহা প্রতিকারের জন্য প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান; (খ) ডিজিটাল নিরাপত্তার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনবল বৃদ্ধি এবং মানোন্নয়নে পরামর্শ প্রদান; (গ) ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক নীতি নির্ধারণ; (ঘ) আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং (ঙ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো কার্য। (৩) এজেন্সি কাউন্সিলকে উহার কার্য-সম্পাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।",
"name": "কাউন্সিলের ক্ষমতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১৪। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, কাউন্সিল উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) কাউন্সিলের সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) কাউন্সিল যতবার প্রয়োজন ততবার সভায় মিলিত হইবে। (৪) কাউন্সিলের চেয়ারম্যান উহার সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) কাউন্সিলের কোনো কার্য বা কার্যধারা কেবল উক্ত কাউন্সিলের কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা কাউন্সিল গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে অবৈধ হইবে না এবং তদসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কাউন্সিলের সভা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা তথ্য পরিকাঠামোকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।",
"name": "গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১৬। (১) মহাপরিচালক, এই আইনের বিধানাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হইতেছে কি না তাহা নিশ্চিত করিবার জন্য প্রয়োজনে, সময় সময়, কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো পরিবীক্ষণ ও পরিদর্শন করিবেন এবং এতদ্সংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবেন। (২) এই আইনের আওতায় ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, প্রতি বৎসর উহার অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ পরিকাঠামো পরিবীক্ষণপূর্বক একটি পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন সরকারের নিকট উপস্থাপন করিবে এবং উক্ত প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু মহাপরিচালককে অবহিত করিবে। (৩) মহাপরিচালকের নিকট যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, তাহার অধিক্ষেত্রভুক্ত কোনো বিষয়ে কোনো ব্যক্তির কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর জন্য হুমকিস্বরূপ বা ক্ষতিকর, তাহা হইলে তিনি, স্ব-প্রণোদিতভাবে বা কাহারও নিকট হইতে কোনো অভিযোগ প্রাপ্ত হইয়া, উহার অনুসন্ধান করিতে পারিবেন। (৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিরাপত্তা পরিবীক্ষণ ও পরিদর্শন কার্যক্রম ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা সম্পন্ন করিতে হইবে।",
"name": "গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর নিরাপত্তা পরিবীক্ষণ ও পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১৭। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে – (ক) বে-আইনি প্রবেশ করেন, বা (খ) বে-আইনি প্রবেশের মাধ্যমে উহার ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট বা অকার্যকর করেন অথবা করিবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর- (ক) দফা (ক) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; এবং (খ) দফা (খ) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫(পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বে-আইনি প্রবেশ, ইত্যাদির দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১৮। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে- (ক) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে বে-আইনি প্রবেশ করেন বা প্রবেশ করিতে সহায়তা করেন, বা (খ) অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে বে-আইনি প্রবেশ করেন বা প্রবেশ করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর- (ক) দফা (ক) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬(ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২(দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; (খ) দফা (খ) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০(দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কৃত অপরাধ কোনো সংরক্ষিত কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে সংঘটিত হয়, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০(দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৪) যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন কোনো অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে মূল অপরাধের জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রহিয়াছে তিনি উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার সিস্টেম, ইত্যাদিতে বে-আইনি প্রবেশ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1261,
"details": "১৯। (১) যদি কোনো ব্যক্তি- (ক) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হইতে কোনো উপাত্ত, উপাত্ত-ভাণ্ডার, তথ্য বা উহার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন, বা স্থানান্তরযোগ্য জমাকৃত তথ্য-উপাত্তসহ উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোনো উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন, বা (খ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো ধরনের সংক্রামক, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন, বা (গ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত বা কম্পিউটারের উপাত্ত-ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করেন, বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা উক্ত কম্পিউটার, সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোনো প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করিবার চেষ্টা করেন, বা (ঘ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোনো বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোনো উপায়ে প্রবেশ করিতে বাধা সৃষ্টি করেন বা বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, বা (ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত, কোনো পণ্য বা সেবা বিপণনের উদ্দেশ্যে, স্পাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন, বা (চ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করিয়া কোনো ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বা ধার্যকৃত চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করেন বা করিবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২০। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত কম্পিউটার সোর্স কোড গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করেন, বা অন্য কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত কোড, প্রোগ্রাম, সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করিবার চেষ্টা করেন, এবং উক্ত সোর্স কোডটি যদি সংরক্ষণযোগ্য বা রক্ষণাবেক্ষণ যোগ্য হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "কম্পিউটার সোর্স কোড পরিবর্তন সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২১। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা চালান বা উহাতে মদদ প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা ৩(তিন) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা বা প্রচারণার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২২। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করিয়া জালিয়াতি করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক জালিয়াতি’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক বিনা অধিকারে বা প্রদত্ত অধিকারের অতিরিক্ত হিসাবে বা অনধিকার চর্চার মাধ্যমে কোনো কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসের ইনপুট বা আউটপুট প্রস্তুত, পরিবর্তন, মুছিয়া ফেলা ও লুকানোর মাধ্যমে অশুদ্ধ ডাটা বা প্রোগ্রাম, তথ্য বা ভ্রান্ত কার্য, তথ্য সিস্টেম, কম্পিউটার বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক পরিচালনা।",
"name": "ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক জালিয়াতি",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২৩। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করিয়া প্রতারণা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্রতারণা’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অথবা অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম, ডিজিটাল নেটওয়ার্কে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো তথ্য পরিবর্তন করা, মুছিয়া ফেলা, নূতন কোনো তথ্যের সংযুক্তি বা বিকৃতি ঘটানোর মাধ্যমে উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাস করা, তাহার নিজের বা অন্য কোনো ব্যক্তির কোনো সুবিধা প্রাপ্তির বা ক্ষতি করিবার চেষ্টা করা বা ছলনার আশ্রয় গ্রহণ করা।",
"name": "ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্রতারণা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২৪। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, কোনো ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করিয়া- (ক) প্রতারণা করিবার বা ঠকাইবার উদ্দেশ্যে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচয় ধারণ করেন বা অন্য কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত কোনো তথ্য নিজের বলিয়া প্রদর্শন করেন, বা (খ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো জীবিত বা মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে নিজের বলিয়া ধারণ করেন,- (অ) নিজের বা অপর কোনো ব্যক্তির সুবিধা লাভ করা বা করাইয়া দেওয়া, (আ) কোনো সম্পত্তি বা সম্পত্তির স্বার্থ প্রাপ্তি, (ই) অপর কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার রূপ ধারণ করিয়া কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার ক্ষতিসাধন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২৫। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে,- (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, বা (খ) রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণু করিবার, বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২৬। (১) যদি কোনো ব্যক্তি আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, বিক্রয়, দখল, সরবরাহ বা ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘পরিচিতি তথ্য’’ অর্থ কোনো বাহ্যিক, জৈবিক বা শারীরিক তথ্য বা অন্য কোনো তথ্য যাহা এককভাবে বা যৌথভাবে একজন ব্যক্তি বা সিস্টেমকে শনাক্ত করে, যাহার নাম, ছবি, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, মাতার নাম, পিতার নাম, স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নম্বর, ফিংগার প্রিন্ট, পাসপোর্ট নম্বর, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ই-টিআইএন নম্বর, ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল স্বাক্ষর, ব্যবহারকারীর নাম, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড নম্বর, ভয়েজ প্রিন্ট, রেটিনা ইমেজ, আইরেস ইমেজ, ডিএনএ প্রোফাইল, নিরাপত্তামূলক প্রশ্ন বা অন্য কোনো পরিচিতি যাহা প্রযুক্তির উৎকর্ষতার জন্য সহজলভ্য।",
"name": "অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার, ইত্যাদির দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২৭। (১) যদি কোনো ব্যক্তি— (ক) রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা এবং জনগণ বা উহার কোনো অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করিবার অভিপ্রায়ে কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা বে-আইনি প্রবেশ করেন বা করান, বা (খ) কোনো ডিজিটাল ডিভাইসে এইরূপ দূষণ সৃষ্টি করেন বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করান যাহার ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়, বা (গ) জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও সেবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসসাধন করে বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে, বা (ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, সংরক্ষিত কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ বা অনুপ্রবেশ করেন বা এমন কোনো সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ করেন যাহা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্রের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জনশৃংখলা পরিপন্থি কোনো কাজে ব্যবহৃত হইতে পারে অথবা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্র বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার করা হইতে পারে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি সাইবার সন্ত্রাসের অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনের অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২৮। (১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ, সম্প্রচার, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1261,
"details": "২৯। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 499 এ বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩০। (১) যদি কোনো ব্যক্তি— (ক) কোনো ব্যাংক, বিমা বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হইতে কোনো ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করিয়া আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে ই-ট্রানজেকশন করেন, বা (খ) সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, জারিকৃত কোনো ই-ট্রানজেকশনকে অবৈধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও ই-ট্রানজেকশন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘ই-ট্রানজেকশন’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তাহার তহবিল স্থানান্তরের জন্য কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব নম্বরে অর্থ জমা প্রদান বা উত্তোলন বা উত্তোলন করিবার জন্য প্রদত্ত নির্দেশনা, আদেশ বা কর্তৃত্বপূর্ণ আইনানুগ আর্থিক লেনদেন এবং কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর।",
"name": "আইনানুগ কর্তৃত্ব বহির্ভূত ই-ট্রানজেকশন এর অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩১। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যাহা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, ইত্যাদির অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩২। (১) যদি কোনো ব্যক্তি Official Secrets Act, 1923 (Act No. XIX of 1923 এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "132",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩৩। (১) যদি কোনো ব্যক্তি কম্পিউটার বা ডিজিটাল সিস্টেমে বে-আইনি প্রবেশ করিয়া সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কোনো আর্থিক বা বাণিজ্যিক সংস্থার কোনো তথ্য-উপাত্তের কোনোরূপ সংযোজন বা বিয়োজন, স্থানান্তর বা স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১৫ (পনেরো) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "বে-আইনিভাবে তথ্য-উপাত্ত ধারণ, স্থানান্তর, ইত্যাদির দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩৪। (১) যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ব্যাখ্যা।— এই ধারায় ‘‘হ্যাকিং’’ অর্থ— (ক) কম্পিউটার তথ্য ভাণ্ডারের কোনো তথ্য বিনাশ, বাতিল, পরিবর্তন বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাসকরণ বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিসাধন; বা (খ) নিজ মালিকানা বা দখলবিহীন কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে উহার ক্ষতিসাধন।",
"name": "হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩৫। (১) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিবার ক্ষেত্রে, মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রহিয়াছে, কোনো ব্যক্তি সেই দণ্ডেই দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও উহার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩৬। (১) কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানির এইরূপ প্রত্যেক মালিক, প্রধান নির্বাহী, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে বা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত ব্যক্তি সত্তা বিশিষ্ট সংস্থা হইলে, উক্ত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান মোতাবেক কেবল অর্থদণ্ড আরোপযোগ্য হইবে। ব্যাখ্যা।—এই ধারায়— (ক) ‘‘কোম্পানি’’ অর্থে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি, সংঘ বা সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত; (খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, ‘‘পরিচালক’’ অর্থে উহার কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যও অন্তর্ভুক্ত।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩৭। কোনো ব্যক্তি ধারা ২২ এর অধীন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক জালিয়াতি, ধারা ২৩ এর অধীন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্রতারণা এবং ধারা ২৪ এর অধীন পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণের মাধ্যমে অপর কোনো ব্যক্তির আর্থিক ক্ষতিসাধন করিলে, ট্রাইব্যুনাল, সৃষ্ট ক্ষতির সমতুল্য অর্থ বা তদ্বিবেচনায় উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের জন্য আদেশ দিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষতিপূরণের আদেশ দানের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩৮। তথ্য-উপাত্ত প্রাপ্তির বন্দোবস্ত করিবার কারণে কোনো সেবা প্রদানকারী এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত বিধির অধীন দায়ী হইবেন না, যদি তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, সংশ্লিষ্ট অপরাধ বা লঙ্ঘন তাহার অজ্ঞাতসারে ঘটিয়াছে বা উক্ত অপরাধ যাহাতে সংঘটিত না হয় তজ্জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।",
"name": "সেবা প্রদানকারী দায়ী না হওয়া",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৩৯। (১) পুলিশ অফিসার, অতঃপর এই অধ্যায়ে তদন্তকারি অফিসার বলিয়া উল্লিখিত, এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধ তদন্ত করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো মামলার প্রারম্ভে বা তদন্তের যে কোনো পর্যায়ে যদি প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি তদন্ত দল গঠন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল বা সরকার আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিয়ন্ত্রণে এবং শর্তে, তদন্তকারি সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এবং এজেন্সি এর সমন্বয়ে একটি যৌথ তদন্ত দল গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "তদন্ত, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪০। (১) তদন্তকারি অফিসার— (ক) কোনো অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিবেন; (খ) দফা (ক) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে তিনি, তাহার নিয়ন্ত্রণকারি অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে, তদন্তের সময়সীমা অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবেন; (গ) দফা (খ) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে তিনি উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করিবেন, এবং ট্রাইব্যুনালের অনুমতিক্রমে, পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তকারি অফিসার কোনো তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে ট্রাইব্যুনাল তদন্তের সময়সীমা, যুক্তিসঙ্গত সময় পর্যন্ত, বৃদ্ধি করিতে পারিবে।",
"name": "তদন্তের সময়সীমা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪১। (১) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসারের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা :- (ক) কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা কোনো ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা কোনো প্রোগ্রাম, তথ্য-উপাত্ত যাহা কোনো কম্পিউটার বা কম্প্যাক্ট ডিস্ক বা রিমুভেবল ড্রাইভ বা অন্য কোনো উপায়ে সংরক্ষণ করা হইয়াছে তাহা নিজের অধিকারে লওয়া; (খ) কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট হইতে তথ্য প্রবাহের (traffic data) তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ; (গ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্য। (২) এই আইনের অধীন তদন্ত পরিচালনাকালে তদন্তকারী অফিসার কোনো অপরাধের তদন্তের স্বার্থে যে কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি বা বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবেন।",
"name": "তদন্তকারী অফিসারের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪২। যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে,— (ক) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা সংঘটিত হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, বা (খ) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ সংক্রান্ত কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা এতদসংক্রান্ত সাক্ষ্য প্রমাণ কোনো স্থানে বা ব্যক্তির নিকট রক্ষিত আছে, তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, ট্রাইব্যুনাল বা, ক্ষেত্রমত, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট আবেদনের মাধ্যমে তল্লাশি পরোয়ানা সংগ্রহ করিয়া নিম্নবর্ণিত কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন,— (অ) কোনো সেবা প্রদানকারীর দখলে থাকা কোনো তথ্য-প্রবাহের (traffic data) তথ্য-উপাত্ত হস্তগতকরণ, (আ) যোগাযোগের যে কোনো পর্যায়ে গ্রাহক তথ্য এবং তথ্যপ্রবাহের তথ্য-উপাত্তসহ যে কোনো তারবার্তা বা ইলেকট্রনিক যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরণ।",
"name": "পরোয়ানার মাধ্যমে তল্লাশী ও জব্দ",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪৩। (১) যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো স্থানে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছিয়া ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোনো উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হইবার বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, নিম্নবর্ণিত কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন,— (ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (খ) উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ; (গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; (ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইলে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তল্লাশি সম্পন্ন করিবার পর পুলিশ অফিসার তল্লাশি পরিচালনার রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের নিকট দাখিল করিবেন।",
"name": "পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪৪। (১) মহাপরিচালক, স্বীয় বিবেচনায়, বা তদন্তকারি অফিসার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, যদি এইরূপে বিশ্বাস করেন যে, কম্পিউটারে সংরক্ষিত কোনো তথ্য-উপাত্ত এই আইনের অধীন তদন্তের স্বার্থে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন এবং এইরূপ তথ্য-উপাত্ত নষ্ট, ধ্বংস, পরিবর্তন অথবা দুষ্প্রাপ্য করিয়া দেওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেমের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উক্তরূপ তথ্য-উপাত্ত ৯০ (নববই) দিন পর্যন্ত সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন। (২) ট্রাইব্যুনাল, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, উক্ত তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণের মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারিবে, তবে তাহা সর্বমোট ১৮০ (একশত আশি) দিনের অধিক হইবে না।",
"name": "তথ্য সংরক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪৫। (১) তদন্তকারি অফিসার এমনভাবে তদন্ত পরিচালনা করিবেন যেন কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইহার কোনো অংশের বৈধ ব্যবহার ব্যাহত না হয়। (২) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইহার কোনো অংশ জব্দ করা যাইবে, যদি- (ক) সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইহার কোনো অংশে প্রবেশ করা সম্ভব না হয়; (খ) সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা উহার কোনো অংশ অপরাধ প্রতিরোধ করিবার জন্য বা চলমান অপরাধ রোধ করিবার জন্য জব্দ না করিলে তথ্য-উপাত্ত নষ্ট, ধ্বংস, পরিবর্তন বা দুষ্প্রাপ্য হইবার সম্ভাবনা থাকে।",
"name": "কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার ব্যাহত না করা",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪৬। এই আইনের অধীন তদন্ত পরিচালনাকালে তদন্তকারি অফিসার কোনো ব্যক্তি বা সত্তা বা সেবা প্রদানকারীকে তথ্য প্রদান বা তদন্তে সহায়তার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপে কোনো অনুরোধ করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সত্তা বা সেবা প্রদানকারী তথ্য প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "তদন্তে সহায়তা",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪৭। (১) তদন্তের স্বার্থে কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা সেবা প্রদানকারী কোনো তথ্য প্রদান বা প্রকাশ করিলে উক্ত ব্যক্তি, সত্তা বা সেবা প্রদানকারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি আইনে অভিযোগ দায়ের করা যাইবে না। (২) এই আইনের অধীন তদন্তের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি, সত্তা বা সেবা প্রদানকারীর তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্যাদির গোপনীয়তা রক্ষা করিবেন। (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে অনুরূপ লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের গোপনীয়তা",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪৮। (১) ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পুলিশ অফিসার লিখিত রিপোর্ট ব্যতীত ট্রাইব্যুনাল কোনো অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ (cognizance) করিবে না। (২) ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন অপরাধের বিচারকালে দায়রা আদালতে বিচারের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২৩ এ বর্ণিত পদ্ধতি, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, অনুসরণ করিবে।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৪৯। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ কেবল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য হইবে। (২) কোনো ব্যক্তি ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।",
"name": "অপরাধের বিচার ও আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫০। (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোনো অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ও অন্যান্য বিষয়াদি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে। (২) ট্রাইব্যুনাল একটি দায়রা আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন যে কোনো অপরাধ বা তদনুসারে অন্য কোনো অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে। (৩) ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫১। (১) ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল, বিচারকার্য পরিচালনাকালে, কম্পিউটার বিজ্ঞান, সাইবার ফরেনসিক, ইলেকট্রনিক যোগাযোগ, ডাটা সুরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তির স্বাধীন মতামত গ্রহণ করিতে পারিবে। (২) সরকার বা এজেন্সি এই আইন বাস্তবায়নের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে, প্রয়োজনে, কম্পিউটার বিজ্ঞান, সাইবার ফরেনসিক, ইলেকট্রনিক যোগাযোগ, ডাটা সুরক্ষাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ, প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫২। (১) ট্রাইব্যুনালের বিচারক এই আইনের অধীন কোনো মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) কার্য দিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করিবেন। (২) ট্রাইব্যুনালের বিচারক উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো মামলা নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সময়সীমা সর্বোচ্চ ৯০ (নব্বই) কার্য দিবস বৃদ্ধি করিতে পারিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের বিচারক কোনো মামলা নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্ট বিভাগকে অবহিত করিয়া মামলার কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখিতে পারিবেন।",
"name": "মামলা নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত সময়সীমা",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫৩। এই আইনের― (ক) ধারা ১৭, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ আমলযোগ্য ও অ-জামিনযোগ্য হইবে; এবং (খ) ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ), ২০, ২৫, ২৯ ও ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হইবে; (গ) ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) তে উল্লিখিত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আদালতের সম্মতি সাপেক্ষে আপোষযোগ্য হইবে; (ঘ) অধীন কোনো অপরাধ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক দ্বিতীয় বা ততোধিকবার সংঘটনের ক্ষেত্রে উক্ত অপরাধ আমলযোগ্য ও অ-জামিনযোগ্য হইবে।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫৪। (১) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, যে কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি ডিস্ক, কমপ্যাক্ট ডিস্ক, টেপ-ড্রাইভ বা অন্য কোনো আনুষঙ্গিক কম্পিউটার উপকরণ বা বস্তু সম্পর্কে বা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি ট্রাইব্যুনালের আদেশানুসারে বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি ট্রাইব্যুনাল এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, যে ব্যক্তির দখল বা নিয়ন্ত্রণে উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি ডিস্ক, কমপ্যাক্ট ডিস্ক বা অন্য কোনো আনুষঙ্গিক কম্পিউটার উপকরণ পাওয়া গিয়াছে তিনি উক্ত উপকরণ সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী নহেন, তাহা হইলে উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি ডিস্ক, কমপ্যাক্ট ডিস্ক, টেপ ড্রাইভ বা অন্য কোনো আনুষঙ্গিক কম্পিউটার উপকরণ বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে না। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি ডিস্ক, কমপ্যাক্ট ডিস্ক, টেপ ড্রাইভ বা অন্য কোনো আনুষঙ্গিক কম্পিউটার উপকরণের সহিত যদি কোনো বৈধ কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি ডিস্ক, কমপ্যাক্ট ডিস্ক, টেপ ড্রাইভ বা অন্য কোনো কম্পিউটার উপকরণ পাওয়া যায়, তাহা হইলে সেইগুলিও বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। (৪) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো অপরাধ সংঘটনের জন্য কোনো সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কোনো কম্পিউটার বা তৎসংশ্লিষ্ট কোনো উপকরণ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, তাহা হইলে উহা বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে না।",
"name": "বাজেয়াপ্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫৫। এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের তদন্ত ও বিচারের ক্ষেত্রে, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন হইলে, অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪নং আইন) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা",
"related_acts": "1087",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫৬। মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, এজেন্সির কোনো কর্মচারী এবং অন্য কোনো ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসারকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫৭। এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনকালে সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কার্যের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।",
"name": "সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম",
"related_acts": "",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫৮। Evidence Act, 1872 (Act I of 1872) বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এ আইনের অধীন প্রাপ্ত বা সংগৃহীত কোনো ফরেনসিক প্রমাণ বিচার কার্যক্রমে সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "সাক্ষ্যগত মূল্য",
"related_acts": "24",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৫৯। এই আইনের বিধানাবলি কার্যক্রম করিবার ক্ষেত্রে কোনো বিধানের অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হইলে সরকার, উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৬০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিত পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, বিশেষত নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:- (ক) ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা ; (খ) মহাপরিচালক কর্তৃক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব তত্ত্বাবধান; (গ) ট্রাফিক ডাটা বা তথ্য পর্যালোচনা এবং উহা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পদ্ধতি; (ঘ) হস্তক্ষেপ, পর্যালোচনা বা ডিক্রিপশন পদ্ধতি এবং সুরক্ষা; (ঙ) সংকটাপন্ন তথ্য পরিকাঠামোর নিরাপত্তা; (চ) ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পদ্ধতি; (ছ) ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন, পরিচালনা ও অন্যান্য টিমের দলের সহিত সমন্বয়সাধন; (জ) ক্লাউড কম্পিউটিং, মেটাডাটা; এবং (ঝ) সংরক্ষিত ডাটা’র সুরক্ষা।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৬১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭, ও ৬৬ বিলুপ্ত, অতঃপর এই ধারায় বিলুপ্ত ধারা বলিয়া উল্লিখিত, হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিলুপ্ত ধারাসমূহের অধীন ট্রাইব্যুনালে সূচীত বা গৃহীত কোনো কার্যধারা (proceedings) বা কোনো মামলা যে কোনো পর্যায়ে বিচারাধীন থাকিলে উহা এমনভাবে চলমান থাকিবে যেন উক্ত ধারাসমূহ বিলুপ্ত হয় নাই।",
"name": "২০০৬ সনের ৩৯ নং আইনের সংশোধন ও হেফাজত",
"related_acts": "950",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1261,
"details": "৬২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে : (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 62
}
],
"text": "ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন, বিচার ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন, বিচার ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1262,
"lower_text": [],
"name": "সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 126,
"published_date": "৮ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
1217,
1025,
11,
75,
1262,
654,
791,
952,
442,
156,
957
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1262,
"details": "১। (১) এই আইন সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। *(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে। * এস, আর, ও নং ৩৩৩-আইন/২০১৯, তারিখঃ ২২ অক্টোবর, ২০১৯ ইং এবং ০৬ কার্তিক, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১ নভেম্বর, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখ হইতে আইনটি কার্যকর।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1262",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) “আনলেডেন ওজন” অর্থ চালকের ওজন ব্যতীত কোনো মোটরযান বা ট্রেইলর কার্যরত অবস্থায় উহাতে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ উক্ত মোটরযান বা ট্রেইলরের ওজন, এবং বিকল্প খুচরা অংশ বা বডি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো মোটরযানের \"আনলেডেন ওজন\" অর্থ উহার সর্বাধিক ভারী বিকল্প খুচরা অংশ বা বডিসহ ওজন; (২) “আর্টিকুলেটেড মোটরযান” অর্থ প্রাইম মুভার ও একটি সেমি-ট্রেইলরের সমন্বয়ে গঠিত মোটরযান যাহার সহিত সেমি-ট্রেইলর এমনভাবে সংযুক্ত থাকে যে সেমি-ট্রেইলরের একটি অংশ প্রাইম মুভারের উপর বিশেষভাবে আবদ্ধ থাকে ও উহার ওজনের একটি অংশ প্রাইম মুভার বহন করে; (৩) “এক্সপ্রেস ক্যারিজ” অর্থ ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত বা যাত্রী বহনের উপযোগী এইরূপ কোনো মোটরযান, যাহার ৩২ (বত্রিশ) কিলোমিটারের নিম্নে কোনো ভাড়া থাকিবে না, এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি কর্তৃক ভিন্নরূপ নির্ধারিত না হইলে, যাহা অনধিক ৩২ (বত্রিশ) কিলোমিটারের মধ্যবর্তী কোনো স্থানে যাত্রী উঠানোর জন্য থামিবে না: তবে শর্ত থাকে যে, জেলা সদরের নির্দিষ্ট স্থানে উক্তরূপ কোনো মোটরযান একবার থামাইবার ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হইবে না; (৪) “এক্সেল” অর্থ মোটরযান বা ট্রেইলরের ভারবহনকারী দণ্ড বা ঘূর্ণায়মান দণ্ড যাহার উপর বা যাহার সহিত মোটরযান বা ট্রেইলরের চাকা ভূমির সংস্পর্শে থাকে; (৫) “এক্সেল লোড বা এক্সেল ওজন” অর্থ কোনো মোটরযানের যে পৃষ্ঠের উপর যানটি অবস্থিত সেই পৃষ্ঠের উপর এক্সেলের সহিত সংযুক্ত সকল চাকার মাধ্যমে সঞ্চারিত মোট এক্সেল ওজন; (৬) “ওজন” অর্থ কোনো মোটরযান সমতলে অবস্থানকালে উহার চাকার মাধ্যমে সমতলে নিপতিত সর্বমোট ওজন; (৭) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ১৭ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ; (৮) “কন্ট্রাক্ট ক্যারিজ” অর্থ এইরূপ কোনো মোটরযান যাহা প্রত্যক্ষ (expressed) বা পরোক্ষ (implied) চুক্তির অধীন সম্পূর্ণ মোটরযান (vehicle as a whole) ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্টকৃত (fixed) বা সম্মত (agreed) হারে ভাড়ার বিনিময়ে,- (ক) কোনো রুট বা দূরত্ব উল্লেখপূর্বক বা উল্লেখ ব্যতীত, সময়ের ভিত্তিতে; বা (খ) এক স্থান হইতে অন্য স্থানে; এবং (গ) উভয় ক্ষেত্রে, উক্ত চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নহে এইরূপ রুট লাইন বা পথিমধ্যে হইতে কোনো যাত্রী উঠানো-নামানো (pick up or set down) ব্যতীত না থামিয়া (without stopping) এক বা একাধিক যাত্রী পরিবহন করে; এবং উহার যাত্রীগণ পৃথকভাবে ভাড়া প্রদান করুক বা না করুক, ভাড়ায় চালিত কোনো যানবাহন (rental vehicle), মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, মোটর সাইকেল বা অনুরূপ কোনো যানবাহনও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৯) “কন্ডাক্টর” অর্থ যাত্রীবাহী মোটরযানের যাত্রীদের নিকট হইতে ভাড়া আদায় ও যাত্রীদের মোটরযানে ওঠা-নামা নিয়ন্ত্রণ করিবার কার্যসহ নির্ধারিত অন্য কোনো কার্য সম্পাদনে নিয়োজিত ব্যক্তি; (১০) “কন্ডাক্টর লাইসেন্স” অর্থ কোনো মোটরযানে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করিবার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স; (১১) “গণপরিবহণ” অর্থ ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত বা ব্যবহারের জন্য উপযোগী যে কোনো মোটরযান; (১২) “চ্যাসিস” অর্থ মোটরযানের প্রধান কার্যকরী অংশ বা ফ্রেম বা ভিত্তি কাঠামো যাহার উপর মোটরযানের প্রধান যন্ত্রাংশ ও বডি সংযুক্ত থাকে এবং যাহা মোটরযান শনাক্তকারী ইউনিক নম্বর বহন করে; (১৩) “ট্রাক্টর” অর্থ কোনো মোটরযান যাহা প্রধানত কৃষি, চাষাবাদ, উদ্যান, বনায়ন বা অনুরূপ কাজের যন্ত্র হিসাবে ডিজাইনকৃত, নির্মিত ও ব্যবহৃত হয় এবং কেবল এইরূপ কাজের স্থানে যাতায়াতের সময় রাস্তায় চালিত হয় ও উহা চালনার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যতীত অন্য কোনো ভার বহন করে না, তবে কোনো রোড-রোলার ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না; (১৪) “ট্রাফিক সাইন বা সংকেত” অর্থ এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের বিধান অনুসারে প্রণীত বা উদ্ভাবিত ‘জাতীয় ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল’ বা পুস্তিকায় প্রদত্ত বা বর্ণিত বা, সময় সময়, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত আকার, রং বা ধরনের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রোথিত বা বহনযোগ্য সকল চিহ্ন, সংকেত, মার্কিং এবং যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ, যাহা ভাষা, উৎকীর্ণ লিপি, প্রতীক, ঘন্টা, আলো বা বাতি ব্যবহার করিয়া ট্রাফিককে তথ্য, পথনির্দেশ, সতর্ক সঙ্কেত বা নির্দেশনা প্রদান অথবা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করিবার জন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা উহার কোনো কর্মচারীর কর্তৃত্বাধীনে বা তত্ত্বাবধানে তাহার এখতিয়ারভুক্ত কোনো এলাকা, সড়ক, মহাসড়ক বা লেভেল ক্রসিং গেইটে স্থাপিত, উত্তোলিত বা অন্য কোনোভাবে প্রদর্শিত করা হয়; (১৫) “ট্যাক্স টোকেন” অর্থ মোটরযানের উপর আরোপিত ট্যাক্স বা কর পরিশোধের পর কর আদায়কারী কর্মচারী বা অনুমোদিত কোনো কর্মচারী কর্তৃক কর পরিশোধকারীকে প্রদত্ত টোকেন বা কার্ড বা সনদ; (১৬) “ট্যাক্সিক্যাব” অর্থ ভাড়ার বিনিময়ে চালক ব্যতীত অনধিক ৪ (চার) জন যাত্রী বহনের উপযোগী করিয়া নির্মিত বা ব্যবহৃত এইরূপ কোনো মোটরযান; (১৭) “ট্রেইন ওজন” অর্থ ট্রেইলর ও প্রাইম মুভার এর মোট লেডেন ওজন; (১৮) “ট্রেইলর” অর্থ কোনো পার্শ্বকার বা সম্মুখকার ব্যতীত কোনো মোটরযান, যন্ত্র, মেশিন বা অন্য কোনো কাঠামো, যাহা উহার নিজস্ব শক্তি দ্বারা চালিত হইবার জন্য ক্ষমতাসম্পন্ন নহে এবং অন্য কোনো মোটরযান দ্বারা টানিয়া লইবার জন্য ডিজাইনকৃত; (১৯) “ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির মোটরযান চালাইবার জন্য কোনো ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স; (২০) “দুর্ঘটনা” অর্থ কোনো সড়ক, বা মহাসড়ক বা পাবলিক প্লেসে মোটরযান বা অন্য কোনো যানবাহন ব্যবহারের দ্বারা বা উহা হইতে উদ্ভূত কোনো অঘটন বা ঘটনা সংঘটন, যাহার ফলে কোনো ব্যক্তি বা প্রাণির মৃত্যু বা উহার দেহে গুরুতর জখম সংঘটিত হয় অথবা কোনো সম্পত্তি, যানবাহন বা স্থাপনার ক্ষতি সাধিত হয়; (২১) “দোষসূচক পয়েন্ট” অর্থ মোটরযান চালককে প্রদত্ত পয়েন্ট হইতে এই আইন ও বিধিতে বর্ণিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইবার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তনকৃত পয়েন্ট; (২২) “দ্বৈত উদ্দেশ্য যান” অর্থ এইরূপ মোটরযান যাহা যাত্রী ও পণ্য উভয় পরিবহণের জন্য নির্মিত বা অভিযোজিত এবং যাহার নিবন্ধিত লেডেন ওজন ৫০০০ কিলোগ্রামের অধিক নহে; (২৩) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত; (২৪) “নিবন্ধিত লেডেন ওজন” অর্থ কোনো মোটরযান বা ট্রেইলার বা মোটরযান ও ট্রেইলারের কম্বিনেশনের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট যানের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত লেডেন ওজন; (২৫) “নিরব এলাকা” অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত বা নির্দেশিত এলাকা বা স্থান যেখানে শব্দ সংকেত ব্যবহার নিষিদ্ধ; (২৬) “পরিবহণযান” অর্থ এইরূপ কোনো বাণিজ্যিক যান, ব্যক্তিগত সেবা যান, পণ্যবাহী যান, বাস, হালকা বা ভারী আর্টিকুলেটেড যান, অসমর্থদের বাহনের উপযোগী বিশেষ উদ্দেশ্য যান বা বিশেষায়িত যান, যেইক্ষেত্রে টানিয়া লইবার যানটি কোনো মোটরকার এবং সম্মিলন বা কম্বিনেশনটি ব্যক্তিগত দ্রব্যাদি ব্যতীত অন্য কিছু বহনের জন্য ব্যবহৃত হয় এইরূপ কোনো মোটরযান ও ট্রেইলরের সম্মিলন বা কম্বিনেশন, এবং কেবল কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয় এইরূপ লোকোমোটিভ বা ট্রাক্টর ব্যতীত অন্য সকল লোকোমোটিভ বা ট্রাক্টর; (২৭) “পার্কিং এলাকা” অর্থ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিত স্থানসমূহ যেখানে কোনো মোটরযান দাঁড়াইতে বা অবস্থান করিতে পারিবে, তবে এইরূপ দাঁড়ানো বা অবস্থানের সময়সীমা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে; (২৮) “পারমিট” অর্থ কর্তৃপক্ষ বা যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি কর্তৃক কোনো মোটরযানকে পরিবহণ যান, কন্ট্রাক্ট ক্যারিজ, স্টেইজ ক্যারিজ, ব্যক্তিগত পরিবহণ, সেবাযান, দ্বৈত উদ্দেশ্য যান, বিশেষ উদ্দেশ্য যান, পর্যটক যান বা প্রমোদ পরিবহণ যান হিসাবে ব্যবহারের অনুমোদন প্রদান করিয়া, অথবা ব্যক্তিগত বা নিজস্ব পরিবহণ যান বা সাধারণ পরিবহণের মালিককে উক্ত যান ব্যবহারের অনুমোদন প্রদান করিয়া প্রদত্ত বা পৃষ্ঠাঙ্কৃত অনুমতিপত্র বা পারমিট, এবং অস্থায়ী অনুমতিপত্র বা পারমিটও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (২৯) “পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স, যাহা দ্বারা কোনো ব্যক্তি একজন বেতনভোগী কর্মচারী হিসাবে মোটরযান বা গণপরিবহণ চালাইবার অধিকারী হন; (৩০) “পাবলিক প্লেস” অর্থ কোনো সড়ক, মহাসড়ক বা রাস্তা অথবা জনগণের প্রবেশের অধিকার রহিয়াছে এইরূপ কোনো স্থান, এবং স্টেইজ ক্যারিজ কর্তৃক যাত্রী উঠানো বা নামানো হয় এইরূপ কোনো স্টান্ড বা স্থানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৩১) “প্রতিবন্ধীবান্ধব মোটরযান” অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে পরিকল্পিত ও নির্মিত কোনো মোটরযান, যাহা কেবল অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক বা অনুরূপ ব্যক্তির জন্যই ব্যবহৃত হয়; (৩২) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৩৩) “প্রাইম মুভার” অর্থ এইরূপ কোনো মোটরযান যাহা ট্রেইলর বা অন্য কোনো মোটরযান টানিয়া লইবার জন্য নির্মিত বা অভিযোজিত, তবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যতীত নিজে কোনো ভার বহনের জন্য নির্মিত নয়; (৩৪) “ফিটনেস সনদ” অর্থ কোনো মোটরযানের উপযুক্ততার সনদ যাহা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, সময় সময়, আরোপিত আবশ্যকতাও পূরণ করে; (৩৫) “বাণিজ্যিক মোটরযান” অর্থ কোনো পারমিট, ফ্রাঞ্চাইজ বা অপারেটর লাইসেন্সের অধীন ব্যবহৃত বা পরিচালিত কোনো গণপরিবহণ বা নিজস্ব পরিবহণ যান বা কোনো ব্যবসা বা বাণিজ্যের কাজে ব্যবহৃত কোনো মোটরযান; (৩৬) “বাস” অর্থ এইরূপ যাত্রীবাহী মোটরযান যাহার হুইল বেইজ অন্যূন ৪৯০০ মিলিমিটার, এবং আর্টিকুলেটেড বাসও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৩৭) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৩৮) “ভারী মোটরযান” অর্থ এইরূপ কোনো মোটরযান বা মোটরযান ও ট্রেইলরের কম্বিনেশন যাহার নিবন্ধিত লেডেন বা বোঝাইকৃত বা ভারসহ ওজন বা যাহার ট্রেইল বা শ্রেণিবদ্ধ ওজন, অথবা কোনো লোকোমোটিভ বা রোড রোলার যাহার আনলেডেন বা ভারবিহীন বা অ-বোঝাইকৃত ওজন ১২,০০০ (বারো হাজার) কিলোগ্রামের অধিক; (৩৯) “ভাড়া” অর্থ কোনো স্টেইজ ক্যারিজ, এক্সপ্রেস ক্যারিজ, সার্ভিস বাস বা কন্ট্রাক্ট ক্যারিজে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে টিকেটের জন্য ভাড়া বাবদ প্রদেয় অর্থ; (৪০) “মধ্যম মোটরযান” অর্থ এইরূপ কোনো মোটরযান বা মোটরযান ও ট্রেইলারের কম্বিনেশন যাহার নিবন্ধিত লেডেন বা বোঝাইকৃত বা ভারসহ ওজন বা মোটরযানের ট্রেইল বা শ্রেণিবদ্ধ ওজন, অথবা কোনো লোকোমোটিভ বা রোড রোলার যাহার আনলেডেন বা ভারবিহীন বা অ-বোঝাইকৃত ওজন ৭৫০১ হইতে ১২০০০ কিলোগ্রাম; (৪১) “মাইক্রোবাস” অর্থ এইরূপ কোনো মোটরযান যাহা চালক ব্যতীত অন্যূন ৮ (আট) জন এবং অনধিক ১৫ (পনেরো) জন যাত্রী বহনের জন্য নির্মিত বা প্রস্তুতকৃত বা ব্যবহৃত; (৪২) “মোটরযান” অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যানবাহন বা পরিবহণযান যাহা সড়ক, মহাসড়ক বা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত, নির্মাণ বা অভিযোজন করা হয় এবং যাহার চালিকাশক্তি অন্য কোনো বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উৎস হইতে সরবরাহ হইয়া থাকে, এবং কোনো কাঠামো বা বডি সংযুক্ত হয় নাই এইরূপ চ্যাসিস ও ট্রেইলারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, তবে সংস্থাপিত বা সংযুক্ত রেলের উপর দিয়া চলাচলকারী অথবা একচ্ছত্রভাবে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানা বা অন্য কোনো নিজস্ব চত্বরে বা অঙ্গনে ব্যবহৃত যানবাহন অথবা মনুষ্য বা পশু দ্বারা চালিত যানবাহন ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না; (৪৩) “মোটরযান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল” অর্থ প্রশিক্ষণ ফি এর বিনিময়ে বা ফি ব্যতীত মোটরযান চালনায় তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক বা উভয় বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের কোনো স্কুল বা প্রতিষ্ঠান; (৪৪) “মোটরযান চালক” অর্থ কোনো ব্যক্তি যিনি মোটরযান চালনা করেন বা উহার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ নিজের অধীনে রাখেন; (৪৫) “মোটরযান মালিক” অর্থ- (ক) এইরূপ কোনো ব্যক্তি যাহার কোনো মোটরযানে স্বত্ব রহিয়াছে এবং যাহার নামে মোটরযানটি রেজিস্ট্রেশন করা হইয়াছে; (খ) কোনো মোটরযান ভাড়া চুক্তি, ক্রয় চুক্তি, লিজ চুক্তি, বন্ধক চুক্তি, ঋণ চুক্তি বা কিস্তিতে মূ্ল্য পরিশোধের চুক্তির অধীন ক্রয় বা দখল গ্রহণের ক্ষেত্রে, উক্ত চুক্তির অধীন উক্ত মোটরযানের দখলদার ব্যক্তি; (গ) মোটরযানের স্বত্বাধিকারী ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত পাওয়ার অব এ্যাটর্নি প্রাপ্ত ব্যক্তি; (ঘ) মোটরযানের স্বত্বাধিকারী ব্যক্তির মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে, তাহার উত্তরাধিকারী; এবং (ঙ) নাবালকের ক্ষেত্রে, উক্ত নাবালকের আইনগত অভিভাবক; (৪৬) “মোটর সাইকেল” অর্থ দুই চাকা বিশিষ্ট মোটরযান; (৪৭) “যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি” বা “পরিবহণ কমিটি” অর্থ ধারা ২৭ এর অধীন গঠিত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি বা পরিবহণ কমিটি; (৪৮) “রেজিস্ট্রেশন সনদ” অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সনদ; (৪৯) “রুট” অর্থ কোনো মোটরযান চলাচল পথের এক প্রান্ত হইতে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত চলিবার সময় যে নির্দিষ্ট সড়ক বা মহাসড়ক অতিক্রম করে; (৫০) “শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে মোটরযান চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণের নিমিত্ত কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রদত্ত সাময়িক লাইসেন্স; (৫১) “সেমি-ট্রেইলর” অর্থ এইরূপভাবে নির্মিত বা প্রস্তুতকৃত (constructed) বা অভিযোজিত (adapted) কোনো ট্রেইলর যাহা একটি আর্টিকুলেটেড (articulated) যানের অংশ গঠন করে; (৫২) “স্টেইজ ক্যারিজ” অর্থ চালক ব্যতীত ৬ (ছয়) জনের অধিক যাত্রী বহনকারী বা বহনের জন্য ব্যবহৃত বা অভিযোজিত অন্য কোনো যাত্রীবাহী মোটরযান, যাহা সমগ্র যাত্রার জন্য বা যাত্রার কোনো পর্যায়ের জন্য প্রত্যেক যাত্রী কর্তৃক পৃথকভাবে মূল্য পরিশোধকৃত ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী পরিবহণ করে; (৫৩) “হালকা মোটরযান” অর্থ এইরূপ কোনো মোটরযান বা মোটরযান ও ট্রেইলারের কম্বিনেশন, যাহার নিবন্ধিত লেডেন ওজন, অথবা কোনো ট্রাক্টর বা রোড রোলার, যাহার আনলেডেন ওজন ৭৫০০ কিলোগ্রামের অধিক নহে; এবং (৫৪) “ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী” অর্থ সরকার বা কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচরী।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1217",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩। এই আইনের বিধানাবলি 'বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭’ (২০১৭ সনের ১৭ নং আইন) সহ এতদ্সংক্রান্ত প্রচলিত অন্যান্য আইনের বিধানাবলির পরিপূরক হইবে।",
"name": "আইনের প্রয়োগ",
"related_acts": "1217",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪। (১) কোনো ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স বা, ক্ষেত্রমত, শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত বা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করিয়া পাবলিক প্লেসে কোনো মোটরযান চালাইতে বা চালাইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন না। (২) কোনো ব্যক্তি যে শ্রেণি বা ক্যাটাগরির মোটরযান চালনার লাইসেন্স প্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই শ্রেণি বা ক্যাটাগরি ব্যতীত অন্য কোনো শ্রেণি বা ক্যাটাগরির মোটরযান চালাইতে পারিবেন না : তবে শর্ত থাকে যে, ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি হালকা ও মধ্যম শ্রেণি বা ক্যাটাগরির মোটরযান চালাইতে পারিবেন। (৩) মোটরযানের শ্রেণি বা ক্যাটাগরি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান চালনার উপর বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫। (১) কোনো ব্যক্তি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতিপত্র ব্যতীত গণপরিবহণ চালাইতে বা চালাইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন না। (২) গণপরিবহণ চালনা, চালনার অনুমতিপত্র প্রদান ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "গণপরিবহণ চালনার অনুমতিপত্র, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬। (১) কোনো ব্যক্তিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য, নির্ধারিত ফিস প্রদান সাপেক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিসহ নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন দাখিল করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য কোনো ব্যক্তিকে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলি পূরণ করিতে হইবে, যথা:- (ক) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স অন্যূন ১৮ (আঠারো) বৎসর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স অন্যূন ২১ (একুশ) বৎসর; (খ) অন্যূন অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; (গ) শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম; (ঘ) মোটরযান চালনার যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; এবং (ঙ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য শর্ত। (৩) কোনো ব্যক্তি এই আইন বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত পূরণ না করিলে কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন প্রত্যাখ্যান করিবে। (৪) কোনো ব্যক্তি এই আইন বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত পূরণ করিলে কর্তৃপক্ষ তাহাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করিবে এবং উক্তরূপে প্রাপ্ত লাইসেন্স, শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত, সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে। (৫) ড্রাইভিং লাইসেন্স হস্তান্তরযোগ্য হইবে না। (৬) কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে যে কোনো শ্রেণি বা ক্যাটাগরির লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন বা লাইসেন্সের শ্রেণি বা ক্যাটাগরি পরিবর্তন বা সংযোজন করিতে পারিবে। (৭) কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করিবে এবং উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে, নির্ধারিত ফিস প্রদান ও অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা নবায়নের জন্য আবেদন করা যাইবে। (৮) কোনো ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্সে উল্লিখিত ঠিকানা পরিবর্তন করিলে, তিনি উক্ত ঠিকানা পরিবর্তনের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে আবেদন করিবেন এবং কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্তরূপ নূতন ঠিকানা সংশ্লিষ্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সে লিপিবদ্ধ ও রেজিস্টারে রেকর্ডভুক্ত করিবে। (৯) লাইসেন্স প্রদান, মেয়াদ, নবায়ন, ফিস, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিশ্চিতকরণের পদ্ধতি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন, ঠিকানা পরিবর্তন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭। কর্তৃপক্ষ, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বিশেষ শারীরিক সামর্থ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে উপযুক্ত মনে করিলে, কোনো শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধীবান্ধব মোটরযান চালাইবার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮। (১) প্রতিরক্ষা বাহিনীর মোটরযান চালাইবার জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীর স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজস্ব পদ্ধতিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা যাইবে এবং উক্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স সমগ্র বাংলাদেশে মোটরযান চালনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ইহার আওতা বহির্ভূত থাকিবে। (২) প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত কোনো ব্যক্তির অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদী সংশ্লিষ্ট বাহিনী কর্তৃক প্রদত্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকিলে, কর্তৃপক্ষ যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা গ্রহণ ব্যতীত ধারা ৬ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে, তাহাকে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট শ্রেণির ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে। (৩) সরকার, যে কোনো সময়, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীর লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট যাচনা করিতে পারিবে এবং যাচিত তথ্য উক্ত কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করিবে।",
"name": "প্রতিরক্ষা বাহিনীর মোটরযান চালাইবার ড্রাইভিং লাইসেন্স",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯। (১) যে কোনো বিদেশি নাগরিক তাহার নিজ দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন ও পৃষ্ঠাঙ্কন করাইয়া উক্ত লাইসেন্সের মেয়াদকালে সমগ্র বাংলাদেশে মোটরযান চালনা করিতে পারিবেন। (২) যে কোনো বিদেশি নাগরিক ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য, নির্ধারিত ফিস প্রদান সাপেক্ষে, নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ কোনো আবেদন করা হইলে, তাহাকে এই আইনের অধীন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা যাইবে। (৩) কোনো বিদেশি নাগরিক এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধান বা লাইসেন্সে প্রদত্ত কোনো শর্ত লঙ্ঘন করিলে, কর্তৃপক্ষ তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, রহিত বা বাতিল করিতে পারিবে বা পৃষ্ঠাঙ্কিত বিদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স অকার্যকর করিতে পারিবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে কোনো মোটরযান চালনা করিতে পারিবেন না।",
"name": "বিদেশি নাগরিকের ড্রাইভিং লাইসেন্স",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০। (১) কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সমিতি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত বা প্রদান বা উহা নবায়ন করিতে পারিবে না। (২) কোনো ব্যক্তি কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স বিকৃত বা পরিবর্তন করিতে পারিবেন না। (৩) কোনো ব্যক্তি কোনো নকল, ভুয়া বা জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করিতে পারিবেন না।",
"name": "কর্তৃপক্ষ ব্যতীত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত, প্রদান বা নবায়নে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১। (১) শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে ১২ (বারো) পয়েন্ট বরাদ্দ থাকিবে, যাহা এই আইন বা বিধির অধীন অপরাধ সংঘটনের কারণে দোষসূচক পয়েন্ট হিসাবে কর্তনযোগ্য হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনে উক্তরূপ পয়েন্ট হ্রাস বা বৃদ্ধি করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পয়েন্ট কর্তনের ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করিতে হইবে, যথা :- (ক) লাল বাতি অমান্য করিয়া মোটরযান চালনা; (খ) পথচারী পারাপারের নির্দিষ্টকৃত স্থানে বা উহার সন্নিকটে বা ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এইরূপ কোনো স্থানে ওভারটেক; (গ) মোটরযান না থামাইয়া সরাসরি প্রধান সড়কে মোটরযান প্রবেশ; (ঘ) সড়কে নির্দেশিত গতিসীমা লঙ্ঘন; (ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে পথ আটকাইয়া বা অন্য কোনোভাবে অন্যান্য মোটরযানের চলাচলে বাধা সৃষ্টি; (চ) একমুখি সড়কে বিপরীত দিক হইতে মোটরযান চালনা; (ছ) বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে মোটরযান চালনা ও ওজনসীমা লঙ্ঘন; (জ) মদ্যপ বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মোটরযান চালনা; এবং (ঝ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য যে কোনো বিষয়। (৩) পয়েন্ট বরাদ্দ, হ্রাস-বৃদ্ধি, কর্তন সম্পর্কিত পদ্ধতি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পয়েন্ট বরাদ্দ, কর্তন ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১২। (১) কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির নিকট যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি অসুস্থ্, অপ্রকৃতিস্থ, শারীরিক বা মানসিকভাবে অক্ষম, মদ্যপ, অভ্যাসগত অপরাধী বা অন্য কোনো কারণে মোটরযান চালাইতে অযোগ্য, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে মোটরযান চালাইবার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করিতে বা তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করিতে পারিবেন। (২) কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তি এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধান বা লাইসেন্সে প্রদত্ত কোনো শর্ত অথবা সরকার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, সময় সময়, জারিকৃত কোনো আদেশ, পরিপত্র বা নীতিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে, কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করিতে পারিবে। (৩) কোনো ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে তিনি কোনো মোটরযান চালাইতে পারিবেন না। (৪) এই ধারার অধীন কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে, উহা পুনর্বিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন। (৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ে উহা নিষ্পত্তি করিবে এবং আবেদন মঞ্জুর করা হইলে তাহাকে প্রদত্ত পূর্বের লাইসেন্স পুনরুজ্জীবিত হইবে। (৬) ড্রাইভিং লাইসেন্সের কর্তনকৃত পয়েন্ট পুনরুদ্ধার এবং পয়েন্ট কর্তনজনিত কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৭) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের দায়ে উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হইলে, উক্ত ব্যক্তি যে আদালত কর্তৃক দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই আদালত আইনে অনুমোদিত দণ্ডাদেশের অতিরিক্ত হিসাবে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারণ বা নির্দিষ্ট শ্রেণি বা ক্যাটাগরির মোটরযান চালনার অযোগ্য ঘোষণা বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করিতে পারিবে। (৮) এই ধারার অধীন ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তিকে অযোগ্য ঘোষণা, অথবা তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে, তাহা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেকর্ডভুক্ত করিতে হইবে।",
"name": "ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে অযোগ্য ঘোষণা এবং লাইসেন্স বাতিল, প্রত্যাহার ও স্থগিতকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১৩। (১) কোনো ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকিলে বা ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাহাকে মোটরযান চালক হিসাবে নিয়োগ করিতে বা মোটরযান চালাইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে না। (২) বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) অনুযায়ী লিখিতভাবে চুক্তি সম্পাদন ও নিয়োগপত্র প্রদান ব্যতীত, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তিকে গণপরিবহণের চালক হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবেন না এবং কোনো ব্যক্তিও গণপরিবহণের চালক হিসাবে নিযুক্ত হইতে পারিবেন না। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো গণপরিবহণের চালক তাহার নিয়োগপত্র এবং মোটরযান চালনা সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্র (documents) গণপরিবহণে সংরক্ষণ করিবেন। (৪) গণপরিবহণের চালক নিয়োগের শর্ত, নিয়োগপত্র প্রদানের পদ্ধতি, চুক্তি সম্পাদন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মোটরযান চালকের নিয়োগের শর্ত, ইত্যাদি",
"related_acts": "952",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১৪। (১) কোনো ব্যক্তি কন্ডাক্টর লাইসেন্স ব্যতীত কোনো গণপরিবহণে কন্ডাক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন না। (২) কন্ডাক্টর লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি, মেয়াদ, নবায়ন, স্থগিত, প্রত্যাহার ও বাতিল এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কন্ডাক্টর লাইসেন্স",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১৫। (১) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) অনুযায়ী লিখিতভাবে চুক্তি সম্পাদন ও নিয়োগপত্র প্রদান ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে গণপরিবহণে কন্ডাক্টর হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে না। (২) কন্ডাক্টর নিয়োগের শর্ত, নিয়োগপত্র প্রদানের পদ্ধতি, চুক্তি সম্পাদন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কন্ডাক্টর নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "952",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১৬। (১) কোনো ব্যক্তি বা মোটরযান মালিক রেজিস্ট্রেশন সনদ ব্যতীত সড়ক, মহাসড়ক বা পাবলিক প্লেসে মোটরযান চালাইতে বা চালাইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন না। (২) কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা মোটরযান মালিক কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে, নির্ধারিত ফিস এবং ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিলের জন্য নির্ধারিত চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করিবেন। (৩) কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা মোটরযান মালিক রেজিস্ট্রেশন নম্বরপ্লেট সংযোজন ও প্রদর্শন ব্যতীত মোটরযান চালাইতে বা চালাইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন না। (৪) মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের আবেদন পদ্ধতি, ফি, আবেদন মঞ্জুর, প্রত্যাখ্যান, মেয়াদ, নবায়ন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৫) প্রাইম মুভার এবং ট্রেইলারের জন্য পৃথক পৃথক রেজিস্ট্রেশন করিতে হইবে এবং পৃথক পৃথক রেজিস্ট্রেশন নম্বরপ্লেট প্রদর্শন করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ক্ষেত্রে, প্রাইম মুভারের সহিত সংযুক্ত একটি সেমি-ট্রেইলারের জন্য পৃথক রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হইবে না। (৬) প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ব্যবহৃত মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সংশ্লিষ্ট বাহিনীর স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজস্ব পদ্ধতিতে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং উক্তরূপ রেজিস্ট্রেশন সমগ্র বাংলাদেশে মোটরযান চালাইবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ইহার আওতাবহির্ভূত থাকিবে। (৭) কোনো বিদেশি দূতাবাস বা আন্তর্জাতিক সংস্থার কোনো মোটরযান বাংলাদেশে বিক্রয় বা হস্তান্তর করা হইলে, উহা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমতিক্রমে, সংশ্লিষ্ট ক্রেতার অনুকূলে পুনঃরেজিস্ট্র্রেশন করিতে হইবে।",
"name": "মোটরযান রেজিস্ট্রেশন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১৭। কোনো ব্যক্তি তাহার অনুকূলে প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন সনদ বিকৃত বা পরিবর্তন করিতে পারিবেন না, বা কোনোরূপ নকল, ভুয়া বা জাল রেজিস্ট্রেশন সনদ ব্যবহার প্রদর্শন করিতে পারিবেন না।",
"name": "ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার ও প্রদর্শনে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১৮। (১) কোনো মোটরযান মালিক বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফি প্রদান সাপেক্ষে, আবেদন করিতে পারিবে। (২) অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের আবেদন পদ্ধতি, ফরম, ফি, আবেদন মঞ্জুর, প্রত্যাখ্যান, মেয়াদ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১৯। (১) মোটরযান মালিকের স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানার অধিক্ষেত্রে অবস্থিত রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করিতে হইবে। (২) কোনো মোটরযানের মালিকের ঠিকানা পরিবর্তন হইলে, সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ, মালিক কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে, উক্তরূপ আবেদনের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে পরিবর্তিত ঠিকানা নির্ধারিত পদ্ধতিতে লিপিবদ্ধ করিবে।",
"name": "রেজিস্ট্রেশনের স্থান",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২০। (১) কর্তৃপক্ষের সম্মুখে পরিদর্শনের জন্য নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে মোটরযান প্রদর্শন করিতে হইবে, যথা :- (ক) রেজিস্ট্রেশনের সময়; (খ) রেজিস্ট্রেশন সনদে মালিকানা পরিবর্তন রেকর্ডভুক্তকরণের সময়; (গ) রেজিস্ট্রিকৃত মোটরযানের কোনো কারিগরি, অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক পরিবর্তনের সময়; এবং (ঘ) মোটরযানের ফিটনেস সনদ গ্রহণের সময়। (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মোটরযান প্রদর্শন করিতে ব্যর্থ হইলে কর্তৃপক্ষ, ক্ষেত্রমত, রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য রেকর্ডভুক্তকরণে বা কারিগরি, অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক পরিবর্তন করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিবে।",
"name": "মোটরযান প্রদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২১। (১) কোনো মোটরযানের মালিকানা হস্তান্তর করা হইলে, হস্তান্তরের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে হস্তান্তরকারী কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে অবহিত করিবেন এবং উহার অনুলিপি হস্তান্তরগ্রহীতার নিকট প্রেরণ করিবেন। (২) যে কোনো কারণে মালিকানা পরিবর্তন হউক না কেন, উহা পরিবর্তন বা হস্তান্তরের কারণে হস্তান্তরগ্রহীতা হস্তান্তরের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে স্বীয় নামে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে আবেদন করিবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এবং (২) এর অধীন তথ্য প্রাপ্তির এবং আবেদন গ্রহণের পর কর্তৃপক্ষ অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে হস্তান্তরগ্রহীতার নামে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করিবে এবং উহা সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে। (৪) এই ধারার অধীন অন্যান্য বিষয় ও ফি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২২। (১) লীজ বা কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্ত সম্বলিত চুক্তির মাধ্যমে ক্রয়কৃত কোনো মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে, কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশন সনদে উক্তরূপ চুক্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করিবে। (২) এই অধ্যায়ের অধীন রেজিস্ট্রিকৃত কোনো মোটরযান কোনো ব্যক্তির সহিত লীজ বা কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে কোনো বিক্রয় চুক্তিতে আবদ্ধ থাকিলে, কর্তৃপক্ষ, হস্তান্তরকারী ও হস্তান্তরগ্রহীতার আবেদনের প্রেক্ষিতে, রেজিস্ট্রেশন সনদে উক্তরূপ চুক্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করিবে। (৩) কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ কর্তৃক লীজ বা কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে বিক্রয় চুক্তির অবসান ঘটিয়াছে মর্মে নিশ্চিত হইলে, উপ-ধারা (১) বা (২) অনুসারে রেজিস্ট্রেশন সনদে লিপিবদ্ধ তথ্যাদি বাতিল করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন লীজ বা কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়, রেজিস্ট্রেশন সনদে মালিকানা সংক্রান্ত তথ্যের অন্তর্ভুক্তি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "লীজ বা কিস্তিতে ক্রয়ের চুক্তি আবদ্ধ (Hire-purchase) মোটরযানসমূহের রেজিস্ট্রেশনের বিশেষ বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২৩। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান বা কোনো এলাকার জন্য মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা বা সীমা নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা বা সীমা নির্ধারণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২৪। (১) এই আইন বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত মোটরযান রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত শর্তাবলির কোনো শর্ত ভঙ্গ করিলে বা এই আইনের পরিপন্থি কোনো কার্য সম্পাদন করিলে, কর্তৃপক্ষ, শুনানি গ্রহণ ও কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন স্থগিত বা, ক্ষেত্রমত, বাতিল করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত বা বাতিল করা হইলে, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আপিল দায়ের করা হইলে সরকার নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে উহা নিষ্পত্তি করিবে। (৪) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "মোটরযান রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, বাতিল, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২৫। (১) মোটরযানের ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করিয়া, বা ইকোনোমিক লাইফ অতিক্রান্ত বা ফিটনেসের অনুপযোগী, ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত, রংচটা, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত নির্ধারিত রং পরির্বতন করিয়া জরাজীর্ণ, বিবর্ণ বা পরিবেশ দূষণকারী কোনো মোটরযান চালনা বা চালনার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না।। (২) উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী ফিটনেসের অনুপযোগী কোনো মোটরযানের ক্ষেত্রে ফিটনেস সনদ প্রদান করা হইলে, সনদ প্রদানকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।",
"name": "মোটরযানের ফিটনেস",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২৬। (১) Motor Vehicles Tax Act, 1932 (Act No. I of 1932) এবং তদধীন প্রণীত বিধির অনুযায়ী অব্যাহতিপ্রাপ্ত মোটরযান ব্যতীত অন্য কোনো মোটরযান, ট্যাক্স টোকেন ব্যতীত বা মেয়াদোত্তীর্ণ ট্যাক্স টোকেন ব্যবহার করিয়া, চালনা বা চালনার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না। (২) কোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স টোকেন সংগ্রহের জন্য সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত সড়ক কর নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়মিত পরিশোধ করিতে হইবে।",
"name": "ট্যাক্স টোকেন",
"related_acts": "156",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২৭। (১) কর্তৃপক্ষ, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রতিটি মহানগর এলাকা, বিভাগ এবং জেলায় একটি করিয়া যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি গঠন ও উহার কর্মপরিধি নির্ধারণ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশের যে কোনো এলাকার জন্য পৃথক পরিবহণ কমিটি গঠন ও উহার কর্মপরিধি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন গঠিত কমিটিতে সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের পরিবহন মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠন হইতে অন্যূন ১ (এক) জন করিয়া প্রতিনিধি থাকিবেন।",
"name": "যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২৮। (১) কর্তৃপক্ষ বা পরিবহণ কমিটি বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কর্তৃক প্রদত্ত বা, ক্ষেত্রমত, প্রতিস্বাক্ষরিত রুট পারমিট ব্যতীত, কোনো পরিবহণযানের মালিক পাবলিক প্লেসে পরিবহণযান ব্যবহার করিতে বা ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন না : তবে শর্ত থাকে যে, রুট পারমিটে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকিলেও, (ক) কোনো স্টেইজ ক্যারিজ কন্ট্রাক্ট ক্যারিজ হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে না; (খ) কোনো স্টেইজ ক্যারিজে পণ্য পরিবহন করা যাইবে না; এবং (গ) পরিবহণযানের মালিক স্টেইজ ক্যারিজে ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যক্তি বা পণ্য পরিবহণ করিতে পারিবেন না। (২) ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা মৌসুমী ব্যবসা উপলক্ষে নির্ধারিত রুটের বাহিরে বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময় ও শর্তপূরণ সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ বা পরিবহণ কমিটি বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী পরিবহণযান চলাচলের অস্থায়ী অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে। (৩) কর্তৃপক্ষ বা পরিবহণ কমিটি বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পরিবহণযানের রুট পারমিট পরিবর্তন বা, ক্ষেত্রমত, রুট পারমিটের শর্ত ভঙ্গের কারণে উহা স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে। (৪) এই ধারার অধীন প্রদত্ত রুট পারমিট সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "রুট পারমিট",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1262,
"details": "২৯। (১) কোনো বিদেশি নাগরিক কর্তৃক নিজ দেশের ব্যক্তিগত মোটরযান, গণপরিবহণ বা পণ্যবাহী মোটরযান লইয়া বাংলাদেশে প্রবেশ, পোর্ট অব এন্ট্রিতে ফি প্রদান, অবস্থান, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের পৃষ্ঠাঙ্কন (endorsement) বা প্রতিস্বাক্ষর, এবং রুট পারমিট প্রদান সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদেশি পণ্যবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিদ্যমান এক্সেল ওজন সীমা, এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন পরিচালনা এবং শুল্ক সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে রুট পারমিট প্রদান, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩০। (১) এই অধ্যায়ের অধীন রুট পারমিট সংক্রান্ত বিধান নিম্নবর্ণিত পরিবহণযানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা :- (ক) সরকার বা সরকারের পক্ষে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানাধীন পরিবহনযান; (খ) সরকার কর্তৃক অধিযাচনকৃত সরকারি কাজে ব্যবহৃত যে কোনো পরিবহণযান; (গ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকানাধীন বা চুক্তিবদ্ধ নাগরিক সেবা প্রদানে ব্যবহৃত পরিবহণযান; (ঘ) শৃঙ্খলা-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য ব্যবহৃত পরিবহণযান; (ঙ) মৃতদেহ বহন ও সৎকারে নিয়োজিত পরিবহণযান; (চ) বিকল মোটরযানকে টানিয়া লইবার কাজে নিয়োজিত পরিবহণযান; (ছ) যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মোটরযান প্রস্তুত বা নির্মাণ করেন অথবা চ্যাসিসে যুক্ত করিবার জন্য বডি নির্মাণ করেন, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কেবলমাত্র উক্তরূপ উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলি সাপেক্ষে ব্যবহৃত পরিবহণযান; (জ) সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবহণযান; (ঝ) সরকার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত মোটরযান চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পরিবহণযান; (ঞ) ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার, ভ্রাম্যমাণ ঔষধালয়, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট এবং অনুরূপ কার্যে ব্যবহৃত ভ্রাম্যমাণ পরিবহণযান; এবং (ট) প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে গন্তব্যস্থানে পৌঁছাইবার জন্য ভিন্নপথে চালনা করা প্রয়োজন এইরূপ কোনো পরিবহণযান। (২) সরকার বা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্তৃপক্ষ, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত রুট পারমিট হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত পরিবহণযানের শ্রেণি পুনঃনির্ধারণ বা সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "রুট পারমিট হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত পরিবহন যান",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩১। (১) রুট পারমিট প্রযোজ্য নহে, এইরূপ কোনো মোটরযান দ্বারা বাণিজ্যিক কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাইবে না : তবে শর্ত থাকে যে, রুট পারমিট ব্যতীত, চালনা করা যায় এইরূপ মোটরযানকে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারায় “বিশেষ ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম” বলিতে ব্যক্তিগত মোটরযানকে নির্ধারিত শর্তাধীনে ভাড়ায় চালনা করাকে বুঝাইবে। (২) সরকার বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত পরিবহণ ব্যবসার সহিত সংশ্লিষ্ট নহে এইরূপ কোনো ধরনের ভ্রাম্যমাণ বাণিজ্যিক কার্যক্রম মোটরযানে পরিচালনা করা যাইবে না বা পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না : তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি কর্মসূচির অধীন বিক্রয়, হস্তান্তর বা প্রমোশনাল কার্যক্রম ইহার আওতাভুক্ত হইবে না।",
"name": "মোটরযানের বাণিজ্যিক ব্যবহার",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩২। (১) সরকার বা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্তৃপক্ষ বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী, জনস্বার্থে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এবং প্রয়োজনে নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্থানীয়ভাবে প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বত্র বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকায়, কোনো সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার বা টানেলে যে কোনো মেয়াদের জন্য সকল বা যে কোনো শ্রেণির মোটরযান চলাচল নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে। (২) কোনো মোটরযান দ্বারা চালক, যাত্রী, সড়ক ব্যবহারকারী বা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকিলে, সরকার বা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্তৃপক্ষ, উক্ত মোটরযান বা কোনো শ্রেণির মোটরযানকে সড়ক হইতে প্রত্যাহার বা সড়কে চলাচল বন্ধের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "সড়ক পরিবহণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩৩। (১) সরকার বা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কর্তৃপক্ষ, জনস্বার্থে, সমগ্র বাংলাদেশ বা যে কোনো এলাকার জন্য যে কোনো ধরনের মোটরযানের সংখ্যা নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) কোনো এলাকার মোটরযানের সংখ্যা উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত সংখ্যার অধিক হইলে, অতিরিক্ত মোটরযানকে চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য এলাকায় চলাচলের অনুমতি প্রদান করা যাইবে।",
"name": "মোটরযানের সংখ্যা নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩৪। (১) কর্তৃপক্ষ বা যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি গণপরিবহণের নারী, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের জন্য আসন সংখ্যা নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, গণপরিবহণের জন্য ভাড়ার হার ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ বা পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল ও বিশেষ সুবিধাসম্বলিত গণপরিবহণের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে উহা প্রযোজ্য হইবে না : তবে আরও শর্ত থাকে যে, সরকার বা কর্তৃপক্ষ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল ও বিশেষ সুবিধাসম্বলিত গণপরিবহণের ভাড়া যুক্তিসংগতভাবে নির্ধারণের যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। (৩) কোনো গণপরিবহণ, সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন ব্যতীত, যাত্রী পরিবহণ করিতে পারিবে না। (৪) কোনো গণপরিবহণের মালিক, চালক, কন্ডাক্টর, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় করিতে পারিবে না।",
"name": "গণপরিবহনের আসন সংখ্যা ও ভাড়া নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩৫। (১) কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা তাহার প্রতিনিধি বা প্রতিষ্ঠান সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দিন ভিত্তিক জমার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করিতে পারিবে না। (২) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের ভাড়া সংক্রান্ত মিটার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ায় ক্রমাঙ্কন (calibration) করিবার পর উহাতে অবৈধভাবে কোনো ধরনের পরিবর্তন করিতে বা উক্তরূপ পরিবর্তনে কোনো সহায়তা করিতে পারিবে না। (৩) কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা চালক রুট পারমিটে বর্ণিত এলাকার মধ্যে যেকোনো গন্তব্যে মিটারে যাইতে বাধ্য থাকিবেন এবং মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করিতে পারিবেন না।",
"name": "কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মিটার, ভাড়া, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩৬। সরকার, বা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কর্তৃপক্ষ, যে কোনো ধরনের মোটরযানের ইকনোমিক লাইফ, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "ইকনোমিক লাইফ নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩৭। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো ব্যক্তি, ব্যবসায়িক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে, মহাসড়কের মালিকানাধীন জায়গায় বা ক্ষেত্রমত, মহাসড়কের ঢাল (slope) হইতে উভয় পার্শ্বে ১০ (দশ) মিটারের মধ্যে অবৈধভাবে কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা (যেমন: হাট-বাজার, দোকান, ইত্যাদি) নির্মাণ করিতে পারিবেন না। (২) মহাসড়কের মালিকানাধীন জায়গায় বা ক্ষেত্রমত, মহাসড়কের ঢাল (slope) হইতে উভয় পার্শ্বে ১০ (দশ) মিটারের মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা মহাসড়কে নিরাপদে মোটরযান চলাচল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পুলিশ বা কর্তৃপক্ষ বা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বা তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে উহা অপসারণ করিতে পারিবে।",
"name": "মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী অবৈধ স্থাপনা অপসারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩৮। (১) সরকার বা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্তৃপক্ষ, বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সুষ্ঠুভাবে যাত্রী বা পণ্য উঠা-নামা করিবার নিমিত্ত পরিবহণযান টার্মিনাল উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, তদারকি, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে টার্মিনাল উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, তদারকি, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার ব্যয় নির্বাহের জন্য কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান টার্মিনাল চার্জ নির্ধারণ করিতে পারিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত টার্মিনাল চার্জ ব্যতীত টার্মিনালে কোনো পরিবহণযান বা মোটরযান প্রবেশ বা বাহির হইবার সময়, বা সড়ক, মহাসড়ক বা পাবলিক প্লেসে চলাচলের সময় উহার নিকট হইতে কোনোরূপ অর্থ অবৈধভাবে আদায় করা যাইবে না।",
"name": "টার্মিনাল উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং চাঁদাবাজি নিষিদ্ধকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৩৯। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) এর সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া পরিবহণ যানের চালক, কন্ডাক্টর, হেলপার-কাম-ক্লিনারগণের কর্মঘণ্টা ও বিরতিকাল নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) নিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা পরিবহন যানের চালক, কন্ডাক্টর, হেলপার-কাম-ক্লিনার, উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত কর্মঘণ্টা ও বিরতিকাল মানিয়া চলিবেন।",
"name": "কর্মঘণ্টা নির্ধারণ",
"related_acts": "952",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪০। (১) মোটরযান নির্মাণ, সরঞ্জামাদির বিন্যাস ও রক্ষণাবেক্ষণ এমনভাবে করিতে হইবে যাহাতে মোটরযান চালক উহা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতে সক্ষম হন। (২) বাংলাদেশে চলাচলের জন্য মোটরযান ডান-দিক-চালিত স্টিয়ারিং বিশিষ্ট হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিশেষ ধরনের কাজে ব্যবহৃত মোটরযানের জন্য ইহার ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের স্টিয়ারিং অনুমোদন করিতে পারিবে। (৩) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত কারিগরি বিনির্দেশের (technical specification) ব্যত্যয় ঘটাইয়া কোনো মোটরযানের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, আসন বিন্যাস, হুইল বেইজ, রিয়ার ওভার হ্যাংগ, ফ্রন্ট ওভার হ্যাংগ, সাইড ওভার হ্যাংগ, চাকার আকৃতি, প্রকৃতি ও অবস্থা, ব্রেক ও স্টিয়ারিং গিয়ার, হর্ন, সেফটি গ্লাস, সংকেত প্রদানের লাইট ও রিফ্লেক্টর, স্পিড গভর্নর, ধোঁয়া নির্গমণ ব্যবস্থা ও কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ, শব্দ নিয়ন্ত্রণের মাত্রা বা সমজাতীয় অন্য কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাইবে না। (৪) রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরযানের কোনো কারিগরি, অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। (৫) সরকার বা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্তৃপক্ষ, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিশেষ ধরনের মোটরযানের রং নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ নির্ধারিত রং সরকার বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত পরিবর্তন করা যাইবে না।",
"name": "মোটরযানের নির্মাণ, সরঞ্জাম বিন্যাস ও রক্ষণাবেক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪১। সরকার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ট্রাফিক চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক নিরাপত্তা বিধানে মোটরযানের ব্যবহার, গতিসীমা, পার্কিং এলাকা, ট্রাফিক সাইন ও সংকেত ব্যবহার, চলাচল ইত্যাদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।",
"name": "ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪২। (১) সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান মোটরযানের গতিসীমা, ওজন, পার্কিং ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক নিরাপত্তা বিধানকল্পে সড়ক, মহাসড়ক বা পাবলিক প্লেসে ট্রাফিক সাইন স্থাপন, প্রতিস্থাপন বা অপসারণ করিতে পারিবে এবং কোনো সংকেত উত্তোলন বা প্রদর্শন করিতে পারিবে। (২) প্রত্যেক মোটরযান চালক, পথচারী বা সড়ক ব্যবহারকারী ট্রাফিক সাইন, সংকেত, ইত্যাদি মানিয়া চলিবে। (৩) প্রত্যেক সড়ক ব্যবহারকারীকে সড়ক বা মহাসড়ক পারাপারে নির্দিষ্ট জেব্রা ক্রসিং, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস বা অনুরূপ সুবিধা, যদি থাকে, ব্যবহার করিতে হইবে। (৪) সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বা মোটরযান পরিদর্শক বা পোশাকধারী কোনো পুলিশ অফিসার প্রয়োজনে কোনো চালককে মোটরযান থামাইতে এবং যুক্তিসঙ্গত সময় পর্যন্ত মোটরযান স্থির রাখিতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ট্রাফিক সাইন ও সংকেতের ব্যবহার",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪৩। (১) কোনো মোটরযান চালক বা কোনো ব্যক্তি সড়ক বা মহাসড়কে অনুমোদিত লেডেন ওজন, ট্রেইন ওজন বা এক্সেল ওজন এর অতিরিক্ত ওজন বহন করিয়া কোনো মোটরযান চালাইতে পারিবেন না বা চালাইবার অনুমতি প্রদান বা বাধ্য করিতে পারিবেন না। (২) কোনো মোটরযান মালিক, প্রতিষ্ঠান, চালক বা অন্য কোনো ব্যক্তি রেজিস্ট্রেশন সনদে উল্লিখিত আনলেডেন ওজন বৃদ্ধি করিতে পারিবেন না। (৩) সরকার, বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, সড়ক বা মহাসড়কে চলাচলকারী মোটরযান বা ট্রেইলর এর লেডেন ওজন, ট্রেইন ওজন বা এক্সেল ওজন পরীক্ষা করিতে পারিবে এবং অনুমোদিত ওজনের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করিতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে মোটরযান চালক অনুমোদিত ওজনের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করিতে বাধ্য থাকিবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, সড়ক বা মহাসড়কে চলাচলকারী মোটরযানের ওজন পরীক্ষায় ওজনের অতিরিক্ত ওজনের জন্য ক্রমবর্ধমান হারে জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে। (৫) সরকার, গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত জরিমানার হার নির্ধারণ বা পুনঃনির্ধারণ করিবে। (৬) সরকার, বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, মোটরযান বা ট্রেইলর এর সর্বোচ্চ লেডেন ওজন, ট্রেইন ওজন বা এক্সেল ওজন, গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারণ বা পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে। (৭) অনুমোদিত লেডেন ওজন, ট্রেইন ওজন বা এক্সেল ওজন এর অতিরিক্ত ওজন বহন করিয়া কোনো মোটরযান সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, কালভার্ট, বেইলি ব্রিজ, সড়কের ডিভাইডার, সড়ক বা মহাসড়কের পার্শ্বস্থ অবকাঠামো ইত্যাদির ক্ষতিসাধন করিলে, সংশ্লিষ্ট মোটরযানের মালিক ও চালক সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে। (৮) মোটরযানের মালিক ও চালক উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পরিশোধে ব্যর্থ হইলে, Public Demand Recovery Act, 1913 অনুযায়ী উক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাইবে।",
"name": "এক্সেল ওজন, ওজনসীমা নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪৪। (১) কর্তৃপক্ষ, সড়ক বা মহাসড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত পরামর্শক্রমে, বিভিন্ন শ্রেণির সড়কে মোটরযানের গতিসীমা নির্ধারণ বা পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) কোনো মোটরযানের চালক সড়ক বা মহাসড়কে নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে মোটরযান চালাইতে পারিবেন না। (৩) কোনো মোটরযান চালক সড়ক বা মহাসড়কে বিপজ্জনকভাবে বা অননুমোদিতভাবে ওভারটেকিং করিতে পারিবেন না বা মোটরযান চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিতে পারিবেন না।",
"name": "মোটরযানের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪৫। (১) সরকার বা সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, মোটরযানের শব্দমাত্রার সীমা নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) কোনো মোটরযান চালক উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত শব্দমাত্রার অতিরিক্ত উচ্চমাত্রার কোনোরূপ শব্দ সৃষ্টি করিতে পারিবেন না। (৩) সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা কর্তৃক, আদেশ দ্বারা, ঘোষিত নীরব এলাকা অতিক্রমকালে কোনো মোটরযান চালক কোনোরূপ হর্ন বাজাইতে পারিবেন না (৪) কোনো মোটরযান চালক, মালিক বা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, নির্ধারিত শব্দমাত্রার অতিরিক্ত শব্দমাত্রা সৃষ্টিকারী কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা হর্ন মোটরযানে স্থাপন, পুনঃস্থাপন বা ব্যবহার করিতে পারিবে না বা করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে না। (৫) উপ-ধারা (২) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নি-নির্বাপক যান, জরুরি উদ্ধার কাজে নিয়োজিত যান ও জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে ব্যবহৃত মোটরযানে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত শব্দমাত্রার হর্ন সংযোজন করা যাইবে। (৬) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪৬। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১নং আইন) ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া, পরিবেশ দূষণকারী ধোঁয়া নির্গমন বা অন্য কোনো প্রকার নিঃসরণ বা নির্গমনের মাত্রা নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) কোনো মোটরযান সরকার নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত পরিবেশ দূষণকারী ধোঁয়া নির্গমন বা অন্য কোনো প্রকার নিঃসরণ বা নির্গমন করিলে, উক্ত মোটরযানের চালক বা মালিক বা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান উহা চালনা করিতে পারিবে না। (৩) পরিবেশ দূষণকারী কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ মোটরযানে স্থাপন, পুনঃস্থাপন বা ব্যবহার করা যাইবে না বা ব্যবহার করিবার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না। (৪) কোনো ব্যক্তি ত্রুটিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ বা নিষিদ্ধ ঘোষিত বা বিধি-নিষেধ আরোপকৃত বা সড়ক বা মহাসড়কে চলাচলের অনুপযোগী কোনো মোটরযান চালনা বা চালনার অনুমতি প্রদান করিবেন না। ব্যাখ্যা। - এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘সড়ক বা মহাসড়কে চলাচলের অনুপযোগী’ অভিব্যক্তি অর্থে নসিমন, করিমন, ভড-ভডি, ইজি-বাইক, মোটরচালিত রিক্সা বা ভ্যান, বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং সরকার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, সময় সময়, নিষিদ্ধ বা বিধি-নিষেধ আরোপকৃত অনুরূপ যে কোনো যানবাহনকে বুঝাইবে।",
"name": "পরিবেশ দূষণকারী, ঝুঁকিপূর্ণ ইত্যাদি মোটরযান চালনার বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "791",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪৭। (১) সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বা কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব অধিক্ষেত্রের মধ্যে, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের পরামর্শ গ্রহণ করিয়া, সময় সময়, মোটরযান পার্কিং এলাকা, থামাইবার স্থান এবং যাত্রী ও পণ্য উঠা-নামার স্থান ও সময় নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত এলাকা ব্যতীত মোটরযান পার্কিং করা যাইবে না এবং যাত্রী বা পণ্য উঠা-নামার নির্ধারিত স্থান ও সময় ব্যতীত মোটরযান থামানো যাইবে না। (৩) কোনো যাত্রী বা সড়ক ব্যবহারকারী মোটরযান চালক বা শ্রমিককে উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত পার্কিং এলাকা ব্যতীত অন্য কোনো এলাকায় মোটরযান পার্কিং করিতে এবং যাত্রী ও পণ্য উঠা-নামার নির্ধারিত স্থান ও সময় ব্যতীত মোটরযান থামাইতে অনুরোধ বা বাধ্য করিতে পারিবেন না। (৪) পার্কিং সুবিধা প্রদানকারী কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবহণ কমিটির অনুমোদনক্রমে, মোটরযানের পার্কিং ফি আদায় করিতে পারিবে।",
"name": "মোটরযান পার্কিং ও থামাইবার স্থান",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪৮। (১) জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক সাধারণত দ্রুতগতির মোটরযান চলাচলে ব্যবহৃত হইবে, এবং উক্ত ক্ষেত্রে জেলা মহাসড়ক হইতে আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং আঞ্চলিক মহাসড়ক হইতে জাতীয় মহাসড়কে দ্রুতগতির মোটরযান প্রবেশকালে যথাক্রমে আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কে চলাচলরত মোটরযান অগ্রাধিকার পাইবে। (২) এক মহাসড়ক হইতে অন্য মহাসড়কে মোটরযান প্রবেশের ক্ষেত্রে যে মহাসড়কে মোটরযানের সংখ্যাধিক্য রহিয়াছে সেই মহাসড়কে চলাচলরত মোটরযান অগ্রাধিকার পাইবে।",
"name": "মহাসড়কের ব্যবহার",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৪৯। (১) মোটরযান চলাচলে নিম্নবর্ণিত নির্দেশাবলি মানিয়া চলিতে হইবে, যথা:- প্রথম অংশ (ক) মদ্যপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়া কোনো চালক মোটরযান চালাইতে পারিবেন না; (খ) মদ্যপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়া কোনো কন্ডাক্টর বা মোটরযান শ্র্রমিক মোটরযানে অবস্থান করিতে পারিবেন না; (গ) মোটরযান চালক কোনো অবস্থাতে কন্ডাক্টর বা মোটরযান শ্রমিককে মোটরযান চালনার দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবেন না; (ঘ) সড়ক বা মহাসড়কে নির্ধারিত অভিমূখ ব্যতীত বিপরীত দিক হইতে মোটরযান চালানো যাইবে না; (ঙ) সড়ক বা মহাসড়কে নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে বা উল্টো পার্শ্বে বা ভুল দিকে (wrong side) মোটরযান থামাইয়া যানজট বা অন্য কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাইবে না; (চ) চালক ব্যতীত মোটরসাইকেলে একজনের অধিক সহযাত্রী বহন করা যাইবে না এবং চালক ও সহযাত্রী উভয়কে যথাযথভাবে হেলমেট ব্যবহার করিতে হইবে; (ছ) চলন্ত অবস্থায় চালক, কন্ডাক্টর বা অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো যাত্রীকে মোটরযানে উঠাইতে বা নামাইতে পারিবেন না; (জ) প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য গণপরিবহনে অনুকূল সুযোগ-সুবিধা রাখিতে হইবে; (ঝ) মোটরযানের বডির সামনে, পিছনে, উভয়পার্শ্বে, বডির বাহিরে বা ছাদে কোনো প্রকার যাত্রী বা পণ্য বা মালামাল বহন করা যাইবে না; (ঞ) সরকার বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোনো মোটরযানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বা প্রচার করা যাইবে না; (ট) কোনো মহাসড়ক, সড়ক, ফুটপাত, ওভারপাস বা আন্ডারপাসে মোটরযান মেরামতের নামে যন্ত্রাংশ বা মালামাল রাখিয়া বা দোকান বসাইয়া বা অন্য কোনোভাবে দ্রব্যাদি রাখিয়া যানবাহন বা পথচারী চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাইবে না; (ঠ) সড়কের সংলগ্ন ফুটপাতের উপর দিয়া কোনো প্রকার মোটরযান চলাচল করিতে পারিবে না; (ড) কোনো ব্যক্তি কোনো মোটরযানের মালিক বা কোনো আইনানুগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালাইয়া বাহিরে লইয়া যাইতে পারিবেন না; এবং (ঢ) আইনানুগ কর্তৃপক্ষ বা যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি দাঁড়াইয়া থাকা কোনো মোটরযানে প্রবেশ বা আরোহন করিবে না। দ্বিতীয় অংশ (ক) মোটরযান চালক মোটরযান চালনারত অবস্থায় মোবাইল ফোন বা অনুরূপ সরঞ্জাম ব্যবহার করিতে পারিবেন না; (খ) মোটরযান চালক সিটবেল্ট বাঁধা ব্যতীত মোটরযান চালাইতে পারিবেন না; (গ) কোনো যাত্রী চলন্ত মোটরযানে চালকের মনোসংযোগের ব্যাঘাত ঘটে বা মোটরযান চালাইতে অসুবিধা হয় এইরূপ কোনো আচরণ বা কর্মকাণ্ড করিতে পারিবেন না; (ঘ) মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীর জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসিবেন না; (ঙ) যাত্রীগণের সিটবেল্ট বাঁধা সংক্রান্ত নির্ধারিত বিধান অনুসরণ করিতে হইবে; (চ) দূরপাল্লার মোটরযানে নির্ধারিত সংখ্যক যাত্রী বা আরোহীর অতিরিক্ত কোনো যাত্রী বা আরোহী বহন করা যাইবে না; (ছ) কোনো চালক, কন্ডাক্টর বা মোটরযান পরিচালনা সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি পরিবহণযানে যাত্রী সাধারণের সহিত কোনো প্রকার দুর্ব্যবহার বা অসৌজন্যমূলক আচরণ বা হয়রানি করিতে পারিবেন না; এবং (জ) রাত্রি বেলায় বিপরীত দিক হইতে আগত মোটরযান চালনায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এইরূপ হাইবিম ব্যবহার করিয়া মোটরযান চালানো যাইবে না। (২) সরকার, বা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্তৃপক্ষ, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলি সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫০। (১) এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো সরকারি কর্মচারী তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব বা সেবাপ্রদানে অবহেলা বা ত্রুটিপূর্ণভাবে পালন করিবার কারণে কোনো দুর্ঘটনা সংঘটিত হইলে, উক্ত সরকারি কর্মচারীকে দায়ী করিয়া প্রচলিত আইনে তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে। (২) কোনো সড়কের ডিজাইন বা নির্মাণজনিত ত্রুটি বা রক্ষণাবেক্ষণজনিত ত্রুটির কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনার দায়-দায়িত্ব, ক্ষেত্রমত, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা তদারককারী সংস্থা বা ব্যক্তির উপর একক বা যৌথভাবে বর্তাইবে এবং উহার জন্য দায়ী করিয়া প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।",
"name": "কতিপয় ক্ষেত্রে দায়ী কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫১। বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ সম্পর্কিত বিদ্যমান আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি অনুযায়ী অনুমোদিত প্যাকিং ও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন ব্যতীত এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট বিশেষ ধরনের মোটরযানে ও নির্ধারিত সময় ব্যতীত, কোনো বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ মোটরযানে পরিবহণ করা যাইবে না।",
"name": "দাহ্য পদার্থ, ইত্যাদি পরিবহনে সতর্কতা",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫২। কোনো মোটরযান হইতে উদ্ভূত দুর্ঘটনার ফলে কোনো ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করিলে, উক্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, তাহার উত্তরাধিকারীগণের পক্ষে মনোনীত ব্যক্তি ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল হইতে ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, চিকিৎসার খরচ প্রাপ্য হইবেন।",
"name": "ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তাহার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫৩। (১) ধারা ৫২ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অনুকূলে বা, ক্ষেত্রমত, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের লক্ষ্যে আর্থিক সহায়তা তহবিল নামে একটি তহবিল গঠিত হইবে। (২) কর্তৃপক্ষ বিধি দ্বারা নির্ধারিত হারে ও পদ্ধতিতে মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে মোটরযানের শ্রেণি বিন্যাস বিবেচনাক্রমে প্রত্যেক মোটরযানের বিপরীতে আর্থিক সহায়তা তহবিলের জন্য বাৎসরিক বা এককালীন চাঁদা (contribution) আদায় করিবে। (৩) মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (২) এর অধীন আর্থিক সহায়তা তহবিলের জন্য বাৎসরিক বা এককালীন চাঁদা (contribution) প্রদানে বাধ্য থাকিবে। (৪) আর্থিক সহায়তা তহবিল ও ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ট্রাস্টি বোর্ড সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (৫) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রবিধান দ্বারা কর্মচারীগণের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি নির্ধারিত হইবে।",
"name": "আর্থিক সহায়তা তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫৪। (১) ধারা ৫৩ তে উল্লিখিত আর্থিক সহায়তা তহবিল পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকার একজন চেয়ারম্যানসহ নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করিবে, যথা:- (ক) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান; (খ) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (গ) জননিরাপত্তা বিভাগের অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঘ) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঙ) স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (চ) সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত অন্যূন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ছ) হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি; (জ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন প্রতিনিধি; (ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন বা ফেডারেশনের একজন প্রতিনিধি; (ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি; (ঠ) সরকার কর্তৃক নিয়োজিত ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব, যিনি উহার সদস্য সচিব হইবেন। (২) সরকার, প্রয়োজনে যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসাবে কো-অপ্ট করিতে পারিবে। (৩) সরকার কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করিতে পারিবে। (৪) ট্রাস্টি বোর্ড একটি স্ব-শাসিত সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ড গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫৫। (১) ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) ট্রাস্টি বোর্ড, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার অধস্তন বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫৬। (১) ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যাবলি ও ক্ষমতা হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে প্রদেয় আর্থিক সহায়তার পরিমাণ নির্ধারণ ও মঞ্জুর; (খ) আর্থিক সহায়তা তহবিলের অর্থ বা সম্পত্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে সম্পাদিত হইতেছে কিনা উহা তদারকি ও প্রয়োজনে সম্পাদনের ব্যবস্থাকরণ; এবং (গ) আর্থিক সহায়তা তহবিলের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যয় মঞ্জুর বা অনুমোদন: তবে শর্ত থাকে থাকে যে, এই ব্যয় অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারের এতদ্সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুসরণ করিতে হইবে; (ঘ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদন ও প্রতিপালন। (২) ট্রাস্টি বোর্ড উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যাবলি সুষ্টুভাবে সম্পাদনের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন ও উহার কার্যপরিধি নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যাবলি ও ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫৭। (১) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠিত হইবে, যথা :- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) মোটরযানের মালিকের নিকট হইতে আদায়কৃত চাঁদা; (গ) এই আইনের অধীন আদায়কৃত জরিমানার অর্থ; (ঘ) মালিক সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঙ) মোটর শ্রমিক সংগঠন বা ফেডারেশন কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; এবং (চ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে। (৩) ট্রাস্টি বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার তহবিল পরিচালনা ও হিসাব সংরক্ষণ করিবে: তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা নির্দেশনা অনুযায়ী তহবিল পরিচালনা করা যাইবে। (৪) তহবিল হইতে ট্রাস্টি বোর্ডের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। (৫) প্রতি অর্থ বৎসরের সমাপ্তিতে ট্রাস্টি বোর্ড আর্থিক সহায়তা তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নির্দেশনা (যদি থাকে) সাপেক্ষে, সরকারি তহবিলে জমা প্রদান করিবে। (৬) ট্রাস্টি বোর্ড যথাযথভাবে তহবিলের হিসাবরক্ষণ এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (৭) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর “মহা হিসাব-নিরীক্ষক” নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর আর্থিক সহায়তা তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ট্রাস্টি বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন। (৮) উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No 2 of 1973) এর Article 2(1) (b)-তে সংজ্ঞায়িত “চার্টার্ড একাউন্টেন্ট” দ্বারা তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ট্রাস্টি বোর্ড এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউন্টেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে। (৯) উপ-ধারা (৮) এর অধীন নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পারিতোষিক প্রাপ্ত হইবেন। (১০) উপ-ধারা (৭) বা (৮) এর বিধান অনুসারে হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তদ্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা, ক্ষেত্রমত, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, ট্রাস্টি বোর্ডের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে রক্ষিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ট্রাস্টি বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা এতদ্সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠন, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, ইত্যাদি",
"related_acts": "442",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫৮। এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ট্রাস্টি বোর্ডের সভা, ব্যবস্থাপনা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৫৯। (১) আর্থিক সহায়তা তহবিল হইতে সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা বৈধ প্রতিনিধি নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ফরমে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করিয়া ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর বা অন্য কোনোভাবে জ্ঞাত হইয়া চেয়ারম্যান, স্বীয় বিবেচনায়, তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার বা আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অনুকূলে আর্থিক সহায়তা তহবিল হইতে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন, যাহা পরবর্তী বোর্ড সভায় অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। (৩) ট্রাস্টি বোর্ড ক্ষতিপূরণ দাবির বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করিবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অনুকূলে আর্থিক সহায়তা তহবিল হইতে ন্যায়ানুগ ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করিবে। (৪) আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা বৈধ প্রতিনিধির নিকট উপ-ধারা (৩) এর অধীন ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয় মর্মে প্রতীয়মান হইলে, তিনি- (ক) ট্রাস্টি বোর্ডের উক্তরূপ সিদ্ধান্তের সহিত ভিন্নমত পোষণ করিয়া ধারা ৬১ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী উহা পুনর্বিবেচনার জন্য ট্রাস্ট্রি বোর্ডের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন; এবং (খ) ট্রাস্টি বোর্ডের পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্তের সহিত একমত পোষণ না করিলে ধারা ৬১ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন। (৫) ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণের মানদণ্ড, পদ্ধতি, ক্ষতিপূরণ প্রদানের সময়সীমা, ক্ষতিপূরণের আবেদন মঞ্জুর, দাবি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির অনুসন্ধান এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "আর্থিক সহায়তার আবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬০। (১) কোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করিলে তাহার মালিকানাধীন যে কোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত তাহাদের জীবন ও সম্পদের বীমা করিতে পারিবে। (২) মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান উহার অধীন পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বীমা করিবেন এবং মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বীমার আওতাভুক্ত থাকিবে এবং বীমাকারী কর্তৃক উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন। (৩) মোটরযান দুর্ঘটনায় পতিত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা নষ্ট হইলে উক্ত মোটরযানের জন্য ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল হইতে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাইবে না। (৪) বীমার শর্ত, বীমার দায়-দায়িত্বের সীমা, বীমার দেউলিয়াত্ব, বীমা-দাবী পরিশোধ, বিরোধ-নিষ্পত্তি, বীমা সনদের কার্যকারিতা ও উহা হস্তান্তর, এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "যাত্রী বা মোটরযানের বীমা",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬১। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি এই অধ্যায়ের অধীন প্রদত্ত কোনো সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হইলে, তিনি সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ট্রাস্টি বোর্ডের নিকট উক্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত দ্বারা সন্তুষ্ট না হইলে, তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন। (৩) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) বা, (২) এর অধীন ক্ষেত্রমত, পুনর্বিবেচনা বা আপিলের সিদ্ধান্ত দ্বারা সন্তুষ্ঠ না হইলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত সালিশ নিষ্পত্তিকারীর (Arbitrator) নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং সালিশ নিষ্পত্তিকারী কর্তৃক প্রদত্ত এতদ্সংক্রান্ত রোয়েদাদ (award) ট্রাস্টি বোর্ডের উপর চূড়ান্তভাবে বাধ্যকর হইবে এবং উক্তরূপ রোয়েদাদ দেওয়ানি আদালতের ডিক্রির ন্যায় জারিযোগ্য হইবে। (৪) এই আইনের অধীন ক্ষতিপূরণ দাবি সংক্রান্ত প্রশ্ন জড়িত রহিয়াছে, এইরূপ কোনো মামলা দেওয়ানি আদালত বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না এবং কোনো দেওয়ানি আদালত, ক্ষতিপূরণ দাবি সালিশ নিষ্পত্তিকারী কর্তৃক গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা কার্যধারার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবে না। (৫) সালিশকারী নিয়োগ, সালিশের কার্যপদ্ধতি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পুনর্বিবেচনা, আপিল ও সালিশ",
"related_acts": "",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬২। (১) কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটিলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, কন্ডাক্টর বা তাহাদের প্রতিনিধি তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনা সম্পর্কে নিকটস্থ থানা এবং, ক্ষেত্রমত, ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বা হাসপাতালকে অবহিত করিবেন এবং আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির জীবন রক্ষার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিকটস্থ চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বা হাসপাতালে প্রেরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (২) বাংলাদেশ পুলিশ দেশব্যাপী টোল ফ্রি টেলিফোন নম্বর প্রবর্তন করিবে, যাহার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত মোটরযানের চালক, কন্ডাক্টর, মালিক, প্রতিষ্ঠান বা পরিচালনাকারী বা তাহাদের প্রতিনিধি বা তাহাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বা যাত্রী বা সড়ক দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষকারী কোনো ব্যক্তি দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নম্বরে টেলিফোন করিয়া জরুরি উদ্ধার, চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা চাহিতে পারিবেন।",
"name": "সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির চিকিৎসা",
"related_acts": "",
"section_id": 62
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬৩। (১) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনা করিতে পারিবেন না। (২) উপ-ধারা (১) যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মোটরযান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালনা করিতে থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই আইন কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এই আইনের অধীন মোটরযান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালনার নিমিত্ত কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিতে হইবে। (৩) লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনার জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর এই ধারার অধীন জরিমানা আরোপিত হইলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, আরোপিত জরিমানা প্রদানপূর্বক নির্ধারিত শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে, মোটরযান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনার নিমিত্ত কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিতে পারিবে। (৪) মোটরযান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলের ইন্সস্ট্রাক্টরের লাইসেন্স প্রদান, পাঠ্যক্রম, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মোটরযান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল",
"related_acts": "",
"section_id": 63
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬৪। (১) সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যতীত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন বা পরিচালনা করিতে পারিবে না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মোটরযান মেরামত কারখানা পরিচালনা করিতে থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই আইন কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এই আইনের অধীন মোটরযান মেরামত কারখানা পরিচালনার নিমিত্ত কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিতে হইবে। (৩) লাইসেন্স ব্যতীত কোনো মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন বা পরিচালনা করিবার জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর এই ধারার অধীন জরিমানা আরোপিত হইলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, আরোপিত জরিমানা প্রদানপূর্বক নির্ধারিত শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে, মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন বা পরিচালনার নিমিত্ত কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিতে পারিবে। (৪) মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন বা পরিচালনার লাইসেন্স প্রদান ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৫) কর্তৃপক্ষ, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সে কারখানার শ্রেণি, কারখানার স্থান ও কারখানার কর্মপরিধি উল্লেখ করিয়া তদানুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত কারখানার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।",
"name": "মোটরযান মেরামত কারখানা",
"related_acts": "",
"section_id": 64
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬৫। (১) কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ বাহিনী, আটককৃত মোটরযান রাখিবার জন্য, উপযুক্ত স্থানে ডাম্পিং ইয়ার্ড স্থাপন করিতে পারিবে এবং উক্ত ডাম্পিং ইয়ার্ড সংশ্লিষ্ট থানা বা ট্রাফিক বিভাগ বা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় থাকিবে। (২) ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণকারী কর্মচারীর প্রদত্ত আদেশ অথবা ক্ষেত্রমত, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ইয়ার্ড ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট থানা, ট্রাফিক বিভাগ আটককৃত মোটরযানের বিষয়ে বিলি-বন্দেজ করিবে।",
"name": "মোটরযান ডাম্পিং ইয়ার্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 65
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬৬। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪ এবং ৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাতীত মোটরযান ও গণপরিবহণ চালনার বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ৪ এবং ৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 66
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬৭। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৫) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ড্রাইভিং লাইসেন্স হস্তান্তর সংক্রান্ত ধারা ৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 67
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬৮। যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "বিদেশি নাগরিক কর্তৃক এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান বা লাইসেন্সে প্রদত্ত শর্ত অমান্য সংক্রান্ত ধারা ৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 68
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৬৯। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১০ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা তবে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "কর্তৃপক্ষ ব্যতীত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত, প্রদান বা নবায়নে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১০ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 69
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭০। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১২ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মোটরযান চালানোর উপর বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১২ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 70
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭১। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৪ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "কন্ডাক্টর লাইসেন্স ব্যতীত কোনো গণপরিবহণে কন্ডাক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত ধারা ১৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 71
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭২। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 72
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা তবে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ভূয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার ও প্রদর্শনে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 73
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭৪। যদি কোনো হস্তান্তরগ্রহীতা ধারা ২১ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাস কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তরের কারণে হস্তান্তরগ্রহীতা কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ধারা ২১ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 74
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭৫। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মোটরযানের ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদউত্তীর্ন ফিটনেস সনদ ব্যবহার করিয়া বা ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত বা ফিটনেসের অনুপযোগী, ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ২৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 75
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭৬। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৬ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ট্যাক্স-টোকেন ব্যতীত বা মেয়াদউত্তীর্ণ ট্যাক্স-টোকেন ব্যবহার করিয়া মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ২৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 76
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭৭। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "রুট পারমিট ব্যতীত পাবলিক প্লেসে পরিবহন যান ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ২৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 77
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭৮। যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ধারা ২৯ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "বিদেশি নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিজ দেশের মোটরযান/ গণপরিবহণের রুট পারমিট গ্রহণ না করা সংক্রান্ত ধারা ২৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 78
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৭৯। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩১ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "মোটরযানের বাণিজ্যিক ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৩১ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 79
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮০। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (৩) ও (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "গণপরিবহণে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন ও নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবী বা আদায় সংক্রান্ত ধারা ৩৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 80
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮১। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "কনট্রাক্ট ক্যারিজের মিটার অবৈধভাবে পরিবর্তন বা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় সংক্রান্ত ধারা ৩৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 81
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮২। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড, বা স্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা এবং অস্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ তাৎক্ষণিক অপসারণ সংক্রান্ত ধারা ৩৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 82
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860)-এর অধ্যায়-১৭ এর অধীন চাঁদাবাজি (extortion) সংক্রান্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "চাঁদাবাজি নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত ধারা ৩৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "11",
"section_id": 83
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮৪। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪০ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড তবে অন্যূন ১ (এক) বছর, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত কোনো মোটরযানের কারিগরি বিনির্দেশ অমান্য সংক্রান্ত ধারা ৪০ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 84
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮৫। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪২ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "ট্রাফিক সাইন ও সংকেতের ব্যবহার মানিয়া চলা সংক্রান্ত ধারা ৪২ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 85
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮৬। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৩ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ২ (দুই) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "অতিরিক্ত ওজন বহন করিয়া মোটরযান চালানো সংক্রান্ত ধারা ৪৩ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 86
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮৭। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৪ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "মোটরযানের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ধারা ৪৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 87
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮৮। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৫ এর উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "নির্ধারিত শব্দমাত্রার অতিরিক্ত উচ্চমাত্রার কোনরুপ শব্দ সৃষ্টি বা হর্ণ বাজানো বা কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা হর্ণ মোটরযানে স্থাপন সংক্রান্ত ধারা ৪৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 88
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৮৯। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে। (২) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "পরিবেশ দূষণকারী, ঝুঁকিপূর্ণ ইত্যাদি মোটরযান চালনার বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ৪৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 89
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯০। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৭ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "মোটরযান পার্কিং এবং যাত্রী বা পন্য উঠানামার নির্ধারিত স্থান ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৪৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 90
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯১। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "দ্রুতগতির মোটরযান প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাসড়কের ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৪৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 91
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯২। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৯ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সাধারণ নির্দেশাবলির প্রথম অংশের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে। (২) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৯ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সাধারণ নির্দেশাবলির দ্বিতীয় অংশের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত ধারা ৪৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 92
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫১ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ মোটরযানে পরিবহন সংক্রান্ত ধারা ৫১ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 93
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯৪। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫৩ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য কর্তৃপক্ষ তাহার গণপরিবহণ চালনার অনুমতিপত্র ও রুট পারমিট বাতিল করিতে বা ক্ষেত্রমত, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ বা উহার নবায়ন করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে এবং তদোতিরিক্ত নির্ধারিত হারে জরিমানা আরোপ করা যাইবে।",
"name": "মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আর্থিক সহায়তা তহবিলে বাৎসরিক বা এককালীন চাঁদা প্রদানের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারা ৫৩ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 94
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯৫। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬২ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।",
"name": "সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সংক্রান্ত ধারা ৬২ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 95
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯৬। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬৩ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল বন্ধ করিতে পারিবে।",
"name": "মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনা সংক্রান্ত ধারা ৬৩ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 96
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯৭। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬৪ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত মোটরযান মেরামত কারখানা সিলগালা করিয়া বন্ধ করিতে পারিবে।",
"name": "মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন বা পরিচালনা সংক্রান্ত ধারা ৬৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 97
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯৮। যদি নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে কোনো দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট মোটরযানের চালক বা কন্ডাক্টর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির অনুরূপ মোটরযান চালনা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 98
},
{
"act_id": 1262,
"details": "৯৯। যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন বা প্ররোচনা প্রদান করেন বা ষড়যন্ত্র করেন এবং যাহার ফলে সংশ্লিষ্ট অপরাধটি সংঘটিত হয়, তাহা হইলে উক্ত সহায়তাকারী, যড়যন্ত্রকারী বা প্ররোচনা প্রদানকারী ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংঘটনের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের সমপরিমাণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 99
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০০। এই আইনে উল্লিখিত কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডভোগকারী একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করিলে, উক্ত ব্যক্তিকে সংঘটিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত করা যাইবে এবং ইহা কোনোক্রমে পূর্বে প্রদত্ত দণ্ডের দ্বিগুণের কম হইবে না।",
"name": "অপরাধ পুনঃ সংঘটনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 100
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০১। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৬ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "পরিদর্শনে বাধা প্রদান বা প্রদত্ত নির্দেশনা অমান্য সংক্রান্ত ধারা ১১৬ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 101
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০২। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৮ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "আদেশ পালন ও তথ্য প্রদানে বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারা ১১৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 102
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৯ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "আক্রমনাত্মক আচরণ ও জনরোষ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ধারা ১১৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 103
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০৪। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১২৪ এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশনা এবং প্রণীত নীতিমালায় প্রদত্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশনা সংক্রান্ত ধারা ১২৪ এর অধীন প্রণীত বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 104
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০৫। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হইলে বা তাহার প্রাণহানি ঘটিলে, তৎসংক্রান্ত অপরাধসমূহ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860)-এর এতদ্সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, Penal Code,1860 (Act No. XLV of 1860)-এর section 304B এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হইলে বা তাহার প্রাণহানি ঘটিলে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধ",
"related_acts": "11",
"section_id": 105
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০৬। (১) কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, সচিব, অন্য যে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত সত্তা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, “কোম্পানি” অর্থে, নিগমিত বা নিবন্ধিত হউক বা না হউক, কোনো কোম্পানি বা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন এবং সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা সরকারের সম্পূর্ণ বা আংশিক মালিকানাধীন যে কোনো কোম্পানি বা সংস্থাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 106
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০৭। (১) যদি কোনো ব্যক্তি নবম অধ্যায় ব্যতীত এই আইনের অধীন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত আদেশ প্রাপ্তির অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত দ্বারা সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন। (৩) এই ধারার অধীন পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল, আপিল দায়ের ও উহা নিষ্পত্তির পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পুনর্বিবেচনা ও আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 107
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০৮। (১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার বা ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তি, ধারা ৪৩, ৬৬, ৭২, ৭৫, ৮৪, ৮৭, ৮৯, ৯২ এবং ৯৫ এর অধীন সংঘটিত অপরাধের জন্য অভিযোগ গঠন করিবেন, যাহার একটি কপি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হস্তান্তর করিতে হইবে, যিনি স্বাক্ষর বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দিয়া উহার প্রাপ্তি স্বীকার করিবেন, এবং অপর কপি পুলিশ সুপার বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান এলাকার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ট্রাফিক) বা অপরাধ সংঘটিত এলাকার জন্য সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত এখতিয়ারসম্পন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্ষমতাপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী নির্ধারিত পদ্ধতিতে অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন, এবং যদি উক্ত জরিমানা নির্দিষ্ট তারিখে বা তৎপূর্বে নগদ অথবা অন্য কোনভাবে নির্ধারিত স্থানে প্রদান করা হয়, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ সম্পর্কে অপরাধীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আরোপিত জরিমানার অর্থ প্রদান করা না হইলে, যে স্থানে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, উক্ত এলাকার আঞ্চলিক এখতিয়ারসম্পন্ন পুলিশ সুপার বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান এলাকার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ট্রাফিক), বা তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো পুলিশ অফিসার, বা যথাযথ অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আদালতে অভিযোগ দায়ের করিবেন। (৪) কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কপি গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিলে বা উহা এড়াইয়া যাইবার চেষ্টা করিলে, বা সংশ্লিষ্ট প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ গ্রহণে অস্বীকার করিলে, এই ধারা অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচরী তাহাকে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারিবেন এবং যথাযথ আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের অতিরিক্ত আদালত তাহাকে অতিরিক্ত অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে।",
"name": "কতিপয় অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ পদ্ধতি",
"related_acts": "75",
"section_id": 108
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১০৯। সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার বা, ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক কোনো চালক মোটরযান থামাইতে এবং মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "মোটরযান থামাইবার এবং মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 109
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১০। (১) কোনো পোশাকধারী পুলিশ অফিসারের সন্মুখে কোনো ব্যক্তি ধারা ৭২, ৭৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮৪, ৮৬, ৮৯, ৯২(১), ৯৮ বা ১০৫ এর অধীন শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করিলে, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারিবেন। (২) উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রয়োজনে, কোনো পুলিশ অফিসার ওয়ারেন্ট ব্যতীত কোনো মোটরযানের চালককে গ্রেফতার করিলে, তিনি উক্ত মোটরযানের নিরাপদ হেফাজতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, বা মোটরযানটি নিকটতম থানায় লইয়া যাইবেন। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ অফিসার, যথাশীঘ্র সম্ভব, তবে কোনক্রমেই চব্বিশ ঘন্টার অধিক নহে, সংশ্লিষ্ট মোটরযানের মালিককে মোটরযানটি কোথায় স্থানান্তর করা হইয়াছে এবং চালককে কোথায় লইয়া যাওয়া হইয়াছে তাহা অবহিত করিবেন।",
"name": "ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতারের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 110
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১১। (১) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, মোটরযানের চালক বা মোটরযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদর্শিত মোটরযান সনাক্তকরণ চিহ্ন বা লাইসেন্স বা পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সনদ, ফিটনেস সনদ, বীমা সনদ, বা অন্য কোনো কাগজপত্র Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর ধারা ৪৬৪ এ বিধৃত অর্থে মিথ্যা বা জাল, তাহা হইলে তিনি উক্ত কাগজপত্র বা চিহ্ন আটক করিতে এবং অনুরূপ মিথ্যা বা জাল কাগজপত্র বা চিহ্ন রাখিবার জন্য কৈফিয়ত প্রদানের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক অথবা মালিককে তলব করিতে পারিবেন। (২) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, এই আইনের অধীন অভিযুক্ত চালক বা কন্ডাক্টর, যদি থাকে, পলায়ন করিতে বা সমন জারি করা হইলে উহা এড়াইয়া যাইতে পারে, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ চালক বা কন্ডাক্টরের লাইসেন্স আটক করিয়া উহা সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করিবেন এবং চালক বা কন্ডাক্টর প্রথমবার হাজির হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত আদালত তাহাকে উপ-ধারা (৩) এর অধীন সাময়িক প্রাপ্তিস্বীকারপত্রের বিনিময়ে উক্ত লাইসেন্স ফেরত প্রদান করিবে। (৩) আদালত ভিন্নরূপ আদেশ প্রদান না করিলে, উপ-ধারা (২) এর অধীন লাইসেন্স আটককারী পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স সমর্পনকারী ব্যক্তিকে একটি সাময়িক প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি তৎদ্বারা লাইসেন্স ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত বা প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে বর্ণিত তারিখ পর্যন্ত মোটরযান চালাইতে বা কন্ডাক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন।",
"name": "পুলিশ অফিসার কর্তৃক মোটরযানের কাগজপত্র আটকের ক্ষমতা",
"related_acts": "11",
"section_id": 111
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১২। (১) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো নির্দিষ্ট মোটরযান ধারা ১৬ এ বর্ণিত রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিধান বা ধারা ২৫ এ বর্ণিত ফিটনেস সংক্রান্ত বিধান বা ধারা ২৮ এ বর্ণিত রুট পারমিট সংক্রান্ত বিধান প্রতিপালন ব্যতিরেকে উক্ত মোটরযান ব্যবহার করা হইতেছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত মোটরযান আটক করিতে এবং সাময়িক হেফাজতে লইতে পারিবেন। (২) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো মোটরযান ধারা ২৫ এ বর্ণিত ফিটনেস সংক্রান্ত বিধান বা ধারা ২৮ এ বর্ণিত রুট পারমিট সংক্রান্ত বিধান প্রতিপালন ব্যতিরেকে ব্যবহৃত হইতেছে, তাহা হইলে তিনি রেজিস্ট্রেশন সনদ আটক করিয়া উহার একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করিবেন।",
"name": "রেজিস্ট্রেশন বা ফিটনেস সনদ বা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান চালনার ফলাফল",
"related_acts": "",
"section_id": 112
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১৩। (১) এই আইন বা আপাতত বলবত অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক কেন, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত কোনো এলাকায় কোনো ব্যক্তি, যদি সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির সন্মুখে, ধারা ৪৩, ৬৬, ৭২, ৭৫, ৮৪, ৮৭, ৮৯, ৯২ এবং ৯৫ এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত অফিসার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই তাহাকে জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জরিমানা আরোপকারী কর্মচারী নির্ধারিত ফরমে অপরাধের ধরন এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য আরোপিত জরিমানার পরিমাণ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত জরিমানা প্রদান করিবেন এবং উক্ত কর্মচারীর নিকট হইতে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র গ্রহণ করিবেন। (৩) অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগের কপি গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিলে, বা উপ-ধারা (২) এর অধীন জরিমানা পরিশোধ না করা হইলে, উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়িত্বপালনকারী কর্মচারী যে মোটরযান অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত হইয়াছে উহা নিকটবর্তী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন, এবং ভারপ্রাপ্ত অফিসার মোটরযানটি তাহার হেফাজতে রাখিবেন এবং জরিমানা পরিশোধের পর যথাশীঘ্রসম্ভব মোটরযানটি অবমুক্ত করিবেন এবং যে অফিসার মোটরযানটি প্রেরণ করিয়াছিলেন তাহাকে এতদ্সম্পর্কে অবহিত করিবেন।",
"name": "ঘটনাস্থলে কতিপয় শ্রেণির অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে জরিমানা আরোপ করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 113
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১৪। (১) এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল, ইত্যাদির ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে। (২) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নম্বর আইন) এর তপশিলভুক্ত করিয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার করা যাইবে।",
"name": "অপরাধের তদন্ত, বিচার ইত্যাদি",
"related_acts": "75,1025",
"section_id": 114
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১৫। (১) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কোন কর্মকর্তা বা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট (টিআই) কোনো মোটরযান আটক করিতে পারিবেন এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। (২) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশের ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট (টিআই) পদমর্যাদার কোনো অফিসার মোটরযান ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করিতে পারিবেন। (৩) এই আইনের অধীন কোন মোটরযান ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করা হইলে উহা অবমুক্তির জন্য মোটরযান মালিক, মোবাইল কোর্টের ক্ষেত্রে, ২ (দুই) মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে এবং, অন্যান্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার বা উপ-পুলিশ কমিশনার বা সমমর্যাদার অফিসারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন; এবং আদালত বা সংশ্লিষ্ট কর্মচরী দলিল-দস্তাবেজ পর্যালোচনা ও শুনানি গ্রহণ করিয়া নিষ্পত্তিমূলক আদেশ প্রদান করিবেন। (৪) ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরিত মোটরযানের মালিক ডাম্পিং ইয়ার্ড হইতে মোটরযান অবমুক্তির জন্য উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করিলে, ডাম্পিং ইয়ার্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা কর্তৃক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি গ্রহণ করিয়া মোটরযানটি কোনো সরকারি সংস্থা বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা যাইবে বা নিলামে বিক্রয় করা যাইবে।",
"name": "মোটরযান আটক ও বিলি-বন্দেজ",
"related_acts": "",
"section_id": 115
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১৬। (১) কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচরী বা মোটরযান পরিদর্শক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির বিধান অনুসরণ করিয়া যে কোনো মোটরযান বা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বা তদসংশ্লিষ্ট স্থাপনা বা এলাকা পরিদর্শন করিতে এবং যে কোনো নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন। (২) কোনো মোটরযান মালিক বা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনে বাধা প্রদান করিতে পারিবেন না এবং উক্ত উপ-ধারার অধীন কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হইলে উহা মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "পরিদর্শনের এখতিয়ার",
"related_acts": "",
"section_id": 116
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১৭। (১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ ভিন্নতর কোনো কিছু না থাকিলে,- (ক) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন সংঘটিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য (cognizable) হইবে, যদি উক্তরূপ অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তি যথাযথ এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতকে অবহিত করেন; (খ) এই আইনের ধারা ৮৪, ৯৮ ও ১০৫ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধসমূহ জামিনযোগ্য (bailable) হইবে; এবং (গ) এই আইনের ধারা ৬৬, ৭২, ৭৫, ৮৭, ৮৯ এবং ৯২ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে। (২) আঞ্চলিক এখতিয়ারসম্পন্ন কোনো জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী বা অন্যূন অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বা সম-মর্যাদাসম্পন্ন কোনো পুলিশ অফিসার এই আইনের অধীন আপোষযোগ্য অপরাধসমূহ আপোষ-মীমাংসা করিতে পারিবেন।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা",
"related_acts": "75",
"section_id": 117
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১৮। (১) যদি কোনো ব্যক্তি, চালক, শ্রমিক, মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান বা তাহাদের প্রতিনিধিকে এই আইনের অধীন কোনো তথ্য প্রদান বা অন্য কোনো কার্য করিবার নির্দেশ প্রদান করা হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, চালক, শ্রমিক, মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান বা তাহাদের প্রতিনিধি উক্তরূপ নির্দেশ প্রতিপালনে বাধ্য থাকিবে। (২) কোনো ব্যক্তি, চালক, শ্রমিক, মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান বা তাহাদের প্রতিনিধি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো নির্দেশ অমান্য করিতে বা উহা বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করিতে বা যাচিত তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য পরিবেশন করিতে পারিবেন না।",
"name": "আদেশ পালন ও তথ্য প্রদানে বাধ্যবাধকতা",
"related_acts": "",
"section_id": 118
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১১৯। (১) কোনো সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হইলে দুর্ঘটনার সহিত সংশ্লিষ্ট মোটরযানের কোনরূপ ক্ষতিসাধন করা যাইবে না। (২) জীবন রক্ষার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং অধিকতর দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য দুর্ঘটনা কবলিত মোটরযানের চালক, কন্ডাক্টরের প্রতি কোনো আক্রমণাত্মক আচরণ করা যাইবে না। (৩) দুর্ঘটনায় জড়িত মোটরযান বা মোটরযানসমূহের যাত্রীগণ বা ঘটনাস্থলে সমবেত ব্যক্তিগণ জনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনোরূপ আক্রমণাত্মক আচরণ করিতে পারিবেন না। (৪) কোনো সংগঠনের ব্যানারে কোনো যাত্রীবাহী বা পণ্যবাহী কোনো মোটরযানের ক্ষতিসাধন এবং সাধারণ যাত্রীর প্রতি কোনোরূপ আক্রমণাত্মক আচরণ বা জনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজ করা যাইবে না।",
"name": "আক্রমণাত্মক আচরণ ও জনরোষ নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 119
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১২০। সরকার, এই আইনের অধীন নির্দিষ্ট কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে, কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মচারী বা মোটরযান পরিদর্শক বা পুলিশের সার্জেন্ট বা সাব-ইন্সপেক্টর এর নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো অফিসার বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্য কোনো সংস্থাকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 120
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১২১। (১) সড়ক পরিবহণ খাতে উন্নত সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে সরকার ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করিবে। (২) ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ডিজিটাইজেশন",
"related_acts": "",
"section_id": 121
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 122
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১২৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ নয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 123
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১২৪। (১) সরকার, বাস্তবতার নিরিখে জনস্বার্থে নিরাপদ সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের জন্য, সময় সময়, নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক বিষয়ে আদেশ প্রদান বা নীতিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:- (ক) রাস্তায় মোটরযান চলাচলের ক্ষেত্রে সময়ভিত্তিক বিধি-নিষেধ বা পিক-অফপিক আওয়ার নির্ধারণ; (খ) যে কোনো স্হানে রেজিস্ট্রিকৃত মোটরযানের ফিটনেস ইত্যাদি কর্তৃপক্ষের যে কোনো কার্যালয় হইতে নবায়নের সুযোগ প্রদান; (গ) যানবাহন চলাচলের জন্য নগরাঞ্চল এবং সারাদেশে সড়ক ও মহাসড়কের লেনভিত্তিক বিন্যাসকরণ; (ঘ) বায়ু-দূষণ, পরিবেশ দূষণরোধকল্পে যে কোনো অঞ্চলে বিকল্প ব্যবস্থায় যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থাকরণ; (ঙ) কোনো নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কোনো সড়কে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা নির্ধারণ; (চ) নতুন বা ব্যতিক্রমধর্মী মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, পুনঃরেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ বা উহার নবায়ন সম্পর্কিত বিধান অনুমোদন; (ছ) মোটরযান চালনার দায়-দায়িত্বের ক্ষেত্রে চালক ও নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান; (জ) যানবাহনের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ক্ষেত্রমত নারী চালক নিয়োগ উৎসাহ প্রদান; (ঝ) যাত্রী ও পণ্যপরিবহন কমিটিতে নারী, সিনিয়র সিটিজেন ও প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধি রাখা; (ঞ) রেজিস্ট্রেশন, নবায়ন, ফিটনেস সনদ প্রদান ও চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি বিশেষায়িত কাজের জন্য আউটসোর্সিংয়ের ব্যবস্থাকরণ; (ট) রাইড শেয়ারিং সংক্রান্ত কোনো বিষয়; (ঠ) যাত্রী বা নিরাপদ সড়ক পরিবহণ কর্মে নিয়োজিত সামাজিক সংগঠন কর্তৃক আনীত যাত্রী স্বার্থ বিষয়ক অভিযোগ শুনানি ও নিষ্পত্তিকরণ; (ড) যাত্রী ছাউনি, ওভারপাস, আন্ডারপাস, জেব্রাক্রসিং, বাস-স্টপেজ, ফুটপাথ, পরিবহণযান টার্মিনালের স্থান নির্ধারণ, পরিবহণযান চালক ও শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ ইত্যাদি; (ঢ) দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিগণের সাহায্যার্থে আগাইয়া আসা প্রথম সাহায্যকারীকে আইনি সুরক্ষা প্রদান; (ণ) জিপ, সিডান কার, থ্রি হুইলার, টু-হুইলার বা সমজাতীয় অন্যান্য হালকা মোটরযান সড়ক পথে পরিবহণের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার বিশিষ্ট মোটরযান ব্যবহার; (ত) দূর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জীবন রক্ষার্থে দ্রুততম সময়ের পরিমাণ নির্ধারণ; এবং (থ) সরকার কর্তৃক বিবেচিত অন্য যে কোনো বিষয়। (২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো নির্দেশনা যাচনা করিলে এবং সরকার, প্রয়োজনে, তৎসম্পর্কিত নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "সরকারের আদেশ প্রদান, নীতিমালা প্রণয়ন, ইত্যাদির ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 124
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১২৫। (১) Motor Vehicles Ordinance, 1983 (Ordinance No. LV of 1983), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Ordinance এর অধীন কৃত সকল কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) উক্ত Ordinance এর অধীন গৃহীত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই। (৪) এই আইনের অধীন বিধি বা প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত Ordinance এর অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান, আদেশ, নির্দেশাবলি, প্রজ্ঞাপন, ইত্যাদির কার্যকারিতা বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "654",
"section_id": 125
},
{
"act_id": 1262,
"details": "১২৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের একটি নির্ভরযোগ্য ইংরেজি পাঠ (Authentic English Text) প্রণয়ন করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 126
}
],
"text": "Motor Vehicles Ordinance,1983 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Motor Vehicles Ordinance, 1983 (Ordinance No. LV of 1983) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদা প্রতিফলনে নিরাপদ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে যুগোপযোগী নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1263,
"lower_text": [],
"name": "‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন ‘কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’",
"num_of_sections": 10,
"published_date": "৮ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
1263
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1263,
"details": "১। (১) এই আইন ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন ‘কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। (৩) এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে দারুল উলূম দেওবন্দের নীতি, আদর্শ ও নিসাব (পাঠ্যসূচি) অনুসরণে পরিচালিত কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ",
"related_acts": "1263",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1263,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) “কওমি মাদরাসা” অর্থ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আত ও দারুল উলূম দেওবন্দের আদর্শ, মূলনীতি ও মত-পথের অনুসরণে মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক সহায়তায় উলামায়ে কেরামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ইলমে ওহীর শিক্ষাকেন্দ্র; (২) “কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা” অর্থ: (ক) ঈমান, তাকওয়া ও তাওয়াক্কালতু আল্লাহ (একমাত্র আল্লাহর উপর নিরংকুশ ভরসা) এবং সর্বাবস্থায় সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলার রিযামন্দী ও সন্তুষ্টি অর্জনকে জীবনের পরম ব্রত ও লক্ষ্য স্থির করিয়া একমাত্র আল্লাহ তা’আলার সত্ত্বার সহিত ভয় ও আশার সম্পর্ক স্থাপন এবং তাহাতে অবিচল থাকা; (খ) মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাণী “আমি ও আমার সাহাবীগণ যে মত-পথের উপর প্রতিষ্ঠিত” এর আলোকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আত এর মতাদর্শ অনুসরণে আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের মা’সুম (নিষ্পাপ) হওয়ার বিশ্বাস এবং সাহাবায়ে কিরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমের যথাযথ আজমত (মার্যাদা) ও তাঁহাদের ‘মিয়ারে হক’ (সত্যের মাপকাঠি) হওয়ার বিশ্বাস অন্তরে সুদৃঢ় করা ও তদনুসারে জীবন যাপন; (গ) চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরমত সহিষ্ণুতার সহিত হানাফী মাযহাব অনুসরণ; (ঘ) সুলূক ও আধ্যাত্মিকতায় সুপরিচিত চার তরীকা (চিশতিয়া, সোহরাওয়ারদিয়া, নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া ও কাদিরিয়া) সহ সকল হকপন্থি ধারার প্রতি সহনশীল ও উদার মনোভাব পোষণ; (ঙ) উপমহাদেশে ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রদূত হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিছে দেহলভী (রহ.) এর চিন্তাধারার অনুসারী ও অনুগামী হযরত কাসেম নানুতবী (রহ.) ও হযরত রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী (রহ.) প্রমুখ আকাবিরে দেওবন্দের চিন্তা-চেতনার অনুসরণ এবং তা’লীম-তরবিয়াতসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি, আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ; এবং (চ) আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ কর্তৃক প্রণীত নেসাবে তা’লীম (পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি), শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, মাদরাসা পরিচালনা ইত্যাদিতে প্রভাবমুক্ত থাকিয়া স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রাখা; (৩) ‘‘কো-চেয়ারম্যান’’ অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান; (৪) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান; (৫) ‘‘দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)’’ অর্থ কওমি মাদরাসার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, যাহা মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান; (৬) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৭) ‘‘সদস্য’’ অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার কোনো সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1263,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1263,
"details": "৪। ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন নিম্নবর্ণিত অনূর্ধ্ব ৬(ছয়) টি কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থাকিবে, যথা :- (ক) বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ; (খ) বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ; (গ) আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ; (ঘ) আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালীম বাংলাদেশ; (ঙ) তানযীমূল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ; এবং (চ) জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ।",
"name": "বোর্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1263,
"details": "৫। আল-হাইআতুল উলয়ার প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায় এবং প্রয়োজনে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাইবে।",
"name": "আল-হাইআতুল উলয়ার কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1263,
"details": "৬। (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৩-০৪-২০১৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ৩৭.০০. ০০০০.১১৮.২০.০০৫.১৭-১২১ নম্বর স্মারকমূলে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের আলোকে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর নিম্নরূপ একটি কমিটি থাকিবে, যথা :- (ক) চেয়ারম্যান: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর সভাপতি (পদাধিকার বলে); (খ) কো-চেয়ারম্যান: সিনিয়র সহ-সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (পদাধিকার বলে); (গ) বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর ৫ (পাঁচ) জন্য সদস্য (পদাধিকারবলে মহাসচিবসহ অথবা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত); (ঘ) বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকারবলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত); (ঙ) আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকারবলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত); (চ) আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকারবলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত); (ছ) তানজিমূল মাদারিসিদ-দ্বীনিয়া বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকারবলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত); এবং (জ) জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকারবলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত)। (২) চেয়ারম্যান, প্রয়োজনে, যে কোনো সংখ্যক সদস্যকে কমিটিতে কো-অপট করিতে পারিবেন; তবে উক্ত সংখ্যা ১৫ (পনেরো) জনের অধিক হইবে না। (৩) অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম পূর্ণ হইবে। (৪) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল ও সনদ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে কমিটি এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে। (৫) কমিটি স্থায়ী কমিটি বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং উহা দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকিবে।",
"name": "‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1263,
"details": "৭। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৩-০৪-২০১৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখের ৩৭.০০.০০০০.১১৮.২০.০০৫.১৭-১২১ নম্বর স্মারকমূলে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বজায় রাখিয়া ও দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া গঠিত আল হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান এমনভাবে প্রদান করা হইল যেন উহা এই আইনের অধীন প্রদান করা হইয়াছে।",
"name": "দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1263,
"details": "৮। ধারা ৪ এ উল্লিখিত ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন বোর্ডসমূহ ধারা ৬ এ উল্লিখিত কমিটি দ্বারা নিবন্ধিত কওমি মাদরাসাসমূহে দারুল উলূম দেওবন্দের নীতি, আদর্শ ও নিসাব (পাঠ্যসূচি) অনুসারে দাওরায়ে হাদিসের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হইবে।",
"name": "শিক্ষা কার্যক্রম",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1263,
"details": "৯। (১) ধারা ৬ এ উল্লিখিত কমিটি নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করিবে, যথা :- (ক) কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সনদের শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ; (খ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সনদ বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণ; (গ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর পরীক্ষা গ্রহণ ও তত্ত্বাবধান; এবং (ঘ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ফলাফল ও সনদ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা। (২) কমিটি উহার কার্যক্রম সম্পর্কে, সময় সময়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করিবে।",
"name": "‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর কমিটির কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1263,
"details": "১০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে এই আইনে উল্লিখিত যে কোনো বিষয়ে কমিটি কর্তৃক বিধি ও সংবিধি প্রণয়ন করা যাইবে।",
"name": "বিধি ও সংবিধি প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
}
],
"text": "কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করিবার নিমিত্ত প্রণীত আইন যেহেতু কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রাখিয়া দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1264,
"lower_text": [],
"name": "জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 29,
"published_date": "৮ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
1264,
442,
478,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1264,
"details": "১। (১) এই আইন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1264",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘কার্যনির্বাহী কমিটি’’ অর্থ ধারা ১২ এর অধীন গঠিত পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটি; (২) ‘‘ক্রীড়া’’ অর্থ এক ধরনের খেলা যাহা মন, দেহ ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধন করে এবং যাহা শৃঙ্খলাবদ্ধ, উন্মুক্ত, ঐচ্ছিক, পেশাদারিত্বপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, এবং ধারা ৬ এর অধীন সরকার কর্তৃক ঘোষিত ক্রীড়াও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৩) ‘‘ক্রীড়া সংস্থা’’ অর্থ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড ও অন্যান্য সংস্থা; (৪) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান; (৫) ‘‘জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা’’ অর্থ ধারা ৫(১) এর অধীন স্বীকৃত এবং তপশিলে উল্লিখিত ক্রীড়া সংস্থা; (৬) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের তপশিল; (৭) ‘‘পরিষদ’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ; (৮) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১০) ‘‘ভাইস-চেয়ারম্যান’’ অর্থ পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান; (১১) ‘‘সচিব’’ অর্থ পরিষদের সচিব; (১২) ‘‘সভাপতি’’ অর্থ সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি; (১৩) ‘‘সহ-সভাপতি’’ অর্থ সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি; (১৪) ‘‘সাধারণ পরিষদ’’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত সাধারণ পরিষদ; (১৫) ‘‘স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থা’’ অর্থ বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1264,
"details": "৩। (১) National Sports Council Act, 1974 (Act No. LVII of 1974) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (National Sports Council) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং পরিষদ ইহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "পরিষদ প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "478",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1264,
"details": "৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিষদের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (১) দেশের ক্রীড়া উন্নয়ন এবং ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন; (২) আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ক্রীড়া সংস্থার প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন; (৩) স্টেডিয়াম, ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ এবং প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ; (৪) ক্রীড়াক্ষেত্রে সকল পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, রেফারি, ফিজিও, পুষ্টিবিদ ও ক্রীড়া চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; (৫) ক্রীড়া সংস্থার স্বীকৃতি প্রদান; (৬) জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা বা অন্য কোনো ক্রীড়া সংস্থার জন্য আদর্শ গঠনতন্ত্র প্রণয়ন; (৭) ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের জন্য জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থা ও অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান প্রদান এবং স্টেডিয়াম, সুইমিংপুল ও ব্যায়ামাগার নির্মাণের জন্য সহায়তা প্রদান ও উহাদের নিরীক্ষিত হিসাবের প্রতিবেদন তলব, পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাইকরণ; (৮) বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য ও এতদঞ্চলের অধিবাসীদের যাপিত জীবনের বিবর্তনের ধারা বহনকারী হিসাবে লোকজ ক্রীড়া চর্চা ও উহার পৃষ্ঠপোষকতা এবং বহির্বিশ্বে উহার প্রচার ও প্রসারে বিভিন্ন প্রীতি ও প্রতিযোগিতামূলক আসরের আয়োজন; (৯) আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অ্যাসোসিয়েশন, ফেডারেশন বা অনুরূপ কোনো সমিতিতে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্তি বিবেচনা ও অনুমোদন; (১০) বিদেশগামী ক্রীড়াদল এবং সহগামী কর্মচারীগণের তালিকা অনুমোদন; (১১) ক্রীড়া ও ক্রীড়াবিদদের বিষয়ে তথ্য ভাণ্ডার তৈরিসহ পুস্তক, সাময়িকী, পুস্তিকা, ইত্যাদি প্রকাশ; (১২) অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান; (১৩) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদান; এবং (১৪) সরকার কর্তৃক, সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা সাপেক্ষে, উহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।",
"name": "পরিষদের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1264,
"details": "৫। (১) পরিষদ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ক্রীড়া সংস্থাকে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি ও সনদ প্রদান করিতে পারিবে। (২) স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থা গঠিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষদ কর্তৃক স্বীকৃত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "ক্রীড়া সংস্থা ও স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার স্বীকৃতি প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1264,
"details": "৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো খেলাকে ক্রীড়া হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।",
"name": "ক্রীড়া ঘোষণা",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1264,
"details": "৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে, যথা : - (ক) চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) ভাইস-চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সহ-সভাপতিও হইবেন; (গ) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; (ঘ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; (ঙ) সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; (চ) সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; (ছ) সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়; (জ) সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; (ঝ) সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; (ঞ) সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; (ট) সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; (ঠ) সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; (ড) সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; (ঢ) সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ; (ণ) সভাপতি, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন; (ত) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; (থ) পরিচালক, ক্রীড়া পরিদপ্তর; (দ) জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক; (ধ) সকল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থাসমূহের একজন করিয়া প্রতিনিধি, যাহারা স্ব-স্ব সংস্থা কর্তৃক মনোনীত হইবেন; (ন) সেনা বাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি; (প) বিমান বাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি; (ফ) নৌ-বাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি; (ব) রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি; (ভ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি; (ম) আনসার ও ভিডিপি ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি; (য) আন্তঃবাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি; (র) আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি; (ল) সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ, যাহাদের মধ্যে একজন ক্রীড়া সংগঠক ও একজন মহিলা হইবেন; এবং (শ) কোষাধ্যক্ষ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ; (ষ) পরিচালক (সকল), জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ল) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৪ (চার) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং মনোনীত কোনো সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "সাধারণ পরিষদ গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1264,
"details": "৮। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরিষদের চেয়ারম্যান হইবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যান",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1264,
"details": "৯। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী সকলেই বিদ্যমান থাকিলে, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যতীত, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দুইজন বা একজন ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন : তবে শর্ত থাকে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রী না থাকিলে পরিষদের সদস্যগণের মধ্য হইতে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন।",
"name": "ভাইস-চেয়ারম্যান",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১০। (১) প্রতি দুই বছরে সাধারণ পরিষদের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার সময়, স্থান ও উহার কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সাধারণ পরিষদের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা : - (ক) কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রমকে গতিশীল করিবার জন্য পরামর্শ প্রদান; (খ) নীতি নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান; (গ) বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের অডিট প্রতিবেদন, বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা ও ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনার পর্যালোচনা ও উক্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদান; (ঘ) অন্যান্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান।",
"name": "সাধারণ পরিষদের সভা ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১১। পরিষদের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং পরিষদ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে কার্যনির্বাহী কমিটিও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১২। (১) পরিষদের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা : - (ক) চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) ভাইস-চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সহ-সভাপতিও হইবেন; (গ) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; (ঘ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; (ঙ) সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; (চ) সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; (ছ) সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; (জ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; (ঝ) পরিচালক, ক্রীড়া পরিদপ্তর; (ঞ) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বা তদ্কর্তৃক মনোনীত কোনো প্রতিনিধি; (ট) তপশিলের ক্রমিক নং ১ হইতে ২৮ এ উল্লিখিত জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের মধ্য হইতে প্রতি বৎসর পর্যায়ক্রমে ৭ (সাত) টি সংস্থার সভাপতি; (ঠ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ, যাহাদের মধ্যে একজন ক্রীড়া সংগঠক ও একজন মহিলা হইবেন; (ড) কোষাধ্যক্ষ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ; এবং (ঢ) সচিব, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঠ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৪ (চার) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং মনোনীত কোনো সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "কার্যনির্বাহী কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১৩। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, কার্যনির্বাহী কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) প্রতি ৩ (তিন) মাসে কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যূন একটি অনুষ্ঠিত সভা হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) সচিব, সভাপতির সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা সভা আহবান করিবেন। (৪) সভাপতি কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) কার্যনির্বাহী কমিটির সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে উহার কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদ্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কার্যনির্বাহী কমিটির সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১৪। (১) পরিষদের একজন সচিব থাকিবেন। (২) সচিব সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরিকৃত হইবে। (৩) সচিব পরিষদের সার্বক্ষণিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন। (৪) সবিচবের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত সচিব কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "সচিব",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১৫। (১) পরিষদের একজন কোষাধ্যক্ষ থাকিবেন। (২) কোষাধ্যক্ষ পরিষধ কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার দায়িত্ব, কার্যাবলি ও অন্যান্য শর্তাবলি পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কোষাধ্যক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১৬। (১) পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারী নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তহবিল নামে একটি তহবিল থাকিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা :― (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) পরিষদের নিজস্ব আয় ; (গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার, সংস্থা বা ব্যক্তি হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা ঋণ; (ঘ) পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রবেশের জন্য টিকেটের বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও অন্য কোনো আদায়কৃত অর্থ ; (ঙ) পরিষদের স্থাপনা ব্যহারের নিমিত্ত প্রাপ্ত লেভী ; (চ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ; এবং (ছ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অনুদান। (২) তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে পরিষদের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্তরূপ অর্থ হইতে কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি পরিশোধসহ পরিষদের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। ব্যাখ্যা।―‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে। (৩) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালিত হইবে, তবে বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে উক্ত তহবিল পরিচালনা করা যাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১৮। পরিষদ প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে পরিষদের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1264,
"details": "১৯। (১) পরিষদ নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রতি বৎসর পরিষদের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও পরিষদের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি পরিষদের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির যে কোনো সদস্য বা পরিষদের কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2 (1) (b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা পরিষদ উহার হিসাব নিরীক্ষা করিতে পারিবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২০। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পরিষদ উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, পরিষদের নিকট হইতে যে কোনো সময় পরিষদের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং পরিষদ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২১। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন, চুক্তি বা আইনি দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিষদ জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা বা তপশিলে উল্লিখিত ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটি, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, যথাযভাবে দায়িত্ব পালন করিতেছে না বা সংস্থার স্বার্থের পরিপন্থি কার্যক্রম পরিচালনা করিতেছে মর্মে পরিষদের নিকট প্রতীয়মান হইলে, উক্ত নির্বাহী কমিটি ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবে এবং, প্রয়োজনে, একটি এ্যাডহক কমিটি নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "এ্যাডহক কমিটি নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২২। আপতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, চুক্তি বা আইনি দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তপশিলে বর্ণিত সংস্থার প্রধান হিসাবে একজন সভাপতি থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত অথবা, ক্ষেত্রমত, বিধি মোতাবেক নির্বাচিত হইবেন।",
"name": "কতিপয় সংস্থার সভাপতি নিয়োগে সরকারের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২৩। জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা : ― (ক) উহার বার্ষিক আয়-ব্যয় এর হিসাব বিবরণী ও অডিট প্রতিবেদন পরবর্তী বৎসরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরিষদের নিকট দাখিল করা; (খ) প্রতি বৎসরের ক্রীড়াপঞ্জি উক্ত বৎসরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে পরিষদে দাখিল করা; এবং (গ) পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন নির্দেশনা প্রতিপালন করা।",
"name": "জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সময় সময়, পরিষদের কর্মকাণ্ডের দক্ষ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে যেইরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিষদকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং পরিষদ উহা প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "সরকারের নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২৫। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২৮। (১) National Sports Council Act, 1974(Act No. LVII of 1974) অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Act এর অধীন― (ক) গঠিত Council ও Executive Committee এই আইনের অধীন সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে; (খ) কৃত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা চলমান কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা চলমান বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) প্রণীত কোনো বিধি এবং জারিকৃত আদেশ বা প্রজ্ঞাপন, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন প্রণীত বা জারিকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) উক্ত Act রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Act এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Council এর― (ক) সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, তহবিল, বিনিয়োগ, সকল দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল পরিষদের অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, তহবিল, বিনিয়োগ, দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায়-দায়িত্ব, গৃহীত বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে পরিষদের ঋণ, দায়-দায়িত্ব, বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা পরিষদের বিরুদ্ধে বা পরিষদ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদের কর্মচারী হিসাব গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন সেই একই শর্তে নিযুক্ত থাকিবেন, যথক্ষণ পর্যন্ত না পরিষদ কর্তৃক তাহাদের চাকরির শর্তাবলি পরিবর্তিত হয়।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "478",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1264,
"details": "২৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
}
],
"text": "National Sports Council Act, 1974 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু National Sports Council Act, 1974 (Act No. LVII of 1974) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1265,
"lower_text": [],
"name": "পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 7,
"published_date": "৮ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
1265
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1265,
"details": "১। (১) এই আইন পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। (৩) এই আইন সমগ্র বাংলাদেশের পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ",
"related_acts": "1265",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1265,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) ‘‘কমিশন’’ অর্থ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২২ নভেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখে জারিকৃত রেজলিউশন নং-৪০.০০.০০০০.০১৬.৩১.০১.২০১৫-১২১-এর দ্বারা গঠিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন, ২০১৫; (খ) ‘‘নাইট শিফট’’ অর্থ প্রতিদিনের কাজ বিভিন্ন শিফটে সম্পন্ন করা হয়, এইরূপ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রাত্রি ১২ (বারো) টার পরে পরিচালিত কোনো শিফট; (গ) ‘‘পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ সরকারের মালিকানাধীন, রাষ্ট্রায়ত্ত, সরকারে ন্যস্ত বা সরকার কর্তৃক পুনঃগ্রহণকৃত (taken over) পণ্য উৎপাদনশীল- (অ) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, (আ) বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন, (ই) বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ কর্পোরেশন, (ঈ) বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন, (উ) বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশন, এবং (ঊ) বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন; এবং (ঘ) ‘‘শ্রমিক’’ অর্থ শিক্ষাধীনসহ কোনো ব্যক্তি, তাহার চাকরির শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন, যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোনো ঠিকাদারের মাধ্যমে মজুরি বা অর্থের বিনিময়ে কোনো দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা কেরানীগিরির কাজ করিবার জন্য নিযুক্ত হন, কিন্তু প্রধানত প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1265,
"details": "৩। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, চুক্তি, রোয়েদাদ, মীমাংসা, প্রথা, রীতি বা চাকরির শর্তাবলীতে যাহা কিছুই থাকুন না কেন, সরকার, কমিশনের কোনো সুপারিশ বিবেচনা করিয়া বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিককে প্রদেয় মজুরি, বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা, ধোলাই ভাতা, উৎসব ভাতা, ছুটি নগদায়ন, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, টিফিন ভাতা, গ্রাচ্যুইটি, পাহাড়ি ভাতা, রোটেটিং শিফট ডিউটি ভাতা, নাইট শিফট ডিউটি ভাতা, নববর্ষ ভাতা, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সুবিধা ও ভাতাদি ব্যতীত অন্যান্য যে সকল সুবিধা ২০১২ সালের মজুরি কাঠামোতে (জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন, ২০১০ এর সুপারিশের ভিত্তিতে প্রবর্তিত) প্রবর্তন করা হইয়াছিল তাহাও পূর্বের নিয়মে ও হারে বহাল থাকিবে তবে, পণ্য উৎপাদনশীলতা রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো শ্রমিককে উপরি-উক্তভাবে নির্ধারিত সুযোগ-সুবিধার অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করিতে পারিবে না। (৩) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত মজুরি বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা, ধোলাই ভাতা, উৎসব ভাতা, ছুটি নগদায়ন, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, টিফিন ভাতা, গ্রাচ্যুইটি, পাহাড়ি ভাতা, রোটেটিং শিফট ডিউটি ভাতা, নববর্ষ ভাতা, নাইট শিফট ভাতা, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নিমিত্ত পর্যায়ক্রমে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা প্রদানের জন্য নিয়মাবলী সম্বলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা যাইবে।",
"name": "কমিশনের কতিপয় সুপারিশ বিবেচনা করিয়া শ্রমিকের চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণে সরকারের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1265,
"details": "৪। ধারা ৩-এর অধীন নির্ধারিতব্য মজুরি ০১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ এবং ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার নূতন হার ০১ জুলাই, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "মজুরি ও সুযোগ সুবিধার ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1265,
"details": "৫। ধারা ৩-এর অধীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে সম্পাদিত চুক্তি, উপনীত মীমাংসা বা প্রদত্ত রোয়েদাদ উক্ত ধারার অধীনে নির্ধারিত কোনো কিছুর পরিপন্থি হইলে এইরূপ চুক্তি, মীমাংসা বা রোয়েদাদ বাতিল হইবে এবং উহা কোনোভাবেই বলবৎযোগ্য হইবে না।",
"name": "কতিপয় চুক্তি, ইত্যাদি বাতিল",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1265,
"details": "৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1265,
"details": "৭। (১) পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলি) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৪ নং-আইন) এবং উহার অধীন জারিকৃত বিধি যদি থাকে, ও প্রজ্ঞাপন অতঃপর উক্ত আইন, বিধি ও প্রজ্ঞাপন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও উক্ত আইন, বিধি বা প্রজ্ঞাপন-এর অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফজত",
"related_acts": "",
"section_id": 7
}
],
"text": "পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণের চাকরির শর্ত নির্ধারণকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণের চাকরির শর্ত নির্ধারণকল্পে গঠিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন, ২০১৫ এর সুপারিশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত আইন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1266,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 26,
"published_date": "৮ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
442,
409,
1266,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1266,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1266",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1266,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা’’ অর্থ স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের কারণে বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম বা বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা; (২) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান; (৩) ‘‘ট্রাস্ট’’ অর্থ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট; (৪) ‘‘ট্রাস্টি’’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের একজন সদস্য; (৫) ‘‘ট্রাস্টি বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড; (৬) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিল; (৭) ‘‘নির্বাহী কমিটি’’ অর্থ ধারা ১৩ এর অধীন গঠিত নির্বাহী কমিটি; (৮) ‘‘পরিবার’’ অর্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার; (৯) ‘‘পঙ্গুত্ব’’ অর্থ যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার আহত হওয়ার মাত্রা; (১০) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (১১) ‘‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’’ অর্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়া যাঁহারা দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন এবং ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়াছেন এইরূপ সকল বেসামরিক নাগরিক এবং সশস্ত্র বাহিনী, মুজিব বাহিনী, মুক্তি বাহিনী ও অন্যান্য স্বীকৃত বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ই. পি. আর. নৌ কমান্ডো, কিলো ফ্লাইট আনসার বাহিনীর সদস্য এবং নিম্নবর্ণিত বাংলাদেশের নাগরিকগণ, উক্ত সময়ে যাহাদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বয়সসীমার মধ্যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য হইবেন, যথা :- (ক) যে সকল ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করিয়া ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাহাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করিয়াছিলেন; (খ) যে সকল বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রাখিয়াছিলেন এবং যে সকল বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করিয়াছিলেন; (গ) যাঁহারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করিয়াছিলেন; (ঘ) মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সহিত সম্পৃক্ত সকল এম. এন. এ (Member of National Assembly) বা এম. পি. এ (Member of Provincial Assembly), যাঁহারা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য (Member of Constituent Assembly) হিসাবে গণ্য হইয়াছিলেন; (ঙ) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাহাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিতা সকল নারী (বীরাঙ্গনা); তবে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত নির্যাতিতা নারী বা বীরাঙ্গনার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বয়সসীমা প্রযোজ্য হইবে না; (চ) স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সকল শিল্পী ও কলা-কুশলী এবং দেশ ও দেশের বাহিরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সকল বাংলাদেশি সাংবাদিক; (ছ) স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের সকল খেলোয়াড়; এবং (জ) মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী মেডিক্যাল টিমের সকল ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা-সহকারী; (১২) ‘‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’’ অর্থ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক; (১৩) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১৪) ‘‘মুক্তিযুদ্ধ’’ অর্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধ; (১৫) ‘‘যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা’’ অর্থ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধে আহত হইয়াছেন এইরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধা, যাঁহার শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ বা গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে; (১৬) ‘‘শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা’’ অর্থ এইরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধা যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিয়া শহিদ হইয়াছেন; (১৭) ‘‘সুবিধাভোগী’’ অর্থ- (ক) বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ক্ষেত্রে- (অ) বীর মুক্তিযোদ্ধা; বা (আ) বীর মুক্তিযোদ্ধার অবর্তমানে তাঁহার স্ত্রী বা স্বামী; বা (ই) বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁহার স্ত্রী বা স্বামীর অবর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধার পিতা-মাতা; বা (ঈ) বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাঁহার স্ত্রী বা স্বামী এবং পিতা-মাতার অবর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; বা (উ) (অ)-(ঈ) পর্যন্ত বর্ণিত ব্যক্তিগণের অবর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই-বোন; (খ) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ক্ষেত্রে- (অ) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা; বা (আ) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার অবর্তমানে তাঁহার স্ত্রী বা স্বামী; বা (ই) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁহার স্ত্রী বা স্বামীর অবর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধার পিতা-মাতা; বা (ঈ) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাঁহার স্ত্রী বা স্বামী এবং পিতা-মাতার অবর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; বা (উ) (অ)-(ঈ) পর্যন্ত বর্ণিত ব্যক্তিগণের অবর্তমানে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই- বোন; (গ) খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ক্ষেত্রে- (অ) খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা; বা (আ) খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার অবর্তমানে তাঁহার স্ত্রী বা স্বামী; বা (ই) খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁহার স্ত্রী বা স্বামীর অবর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পিতা-মাতা; বা (ঈ) খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাঁহার স্ত্রী বা স্বামী এবং পিতা-মাতার অবর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; বা (উ) (অ)-(ঈ) পর্যন্ত বর্ণিত ব্যক্তিগণের অবর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই-বোন; (ঘ) শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ক্ষেত্রে- (অ) শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বা স্বামী; বা (আ) শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বা স্বামীর অবর্তমানে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পিতা-মাতা; বা (ই) শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বা স্বামী এবং পিতা-মাতার অবর্তমানে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; বা (ঈ) (অ)-(ই) পর্যন্ত বর্ণিত ব্যক্তিগণের অবর্তমানে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই-বোন। (ঙ) (ক)-(ঘ) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বা খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী না হইলে এই আইনের আওতায় সুবিধাভোগী হিসাবে গণ্য হইবেন না।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1266,
"details": "৩। (১) সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের কল্যাণে সম্মানী ভাতা, উৎসব ভাতা বা অন্য কোনো নামে অন্য কোনো ভাতা, সম্মানী বা অন্য কোনো সুবিধা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ অধীন কার্যক্রম, সময়ে সময়ে, সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করিতে হইবে।",
"name": "বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের কল্যাণ সাধন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1266,
"details": "৪। (১) সরকার নূতন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা জাগ্রতকরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কার্যক্রম, সময়ে সময়ে, সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করিতে হইবে।",
"name": "মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা জাগ্রতকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1266,
"details": "৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে Bangladesh (Freedom Fighters) Welfare Trust Order, 1972 (Presidesnt's Order No. 94 of 1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) ট্রাস্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "409",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1266,
"details": "৬। (১) ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) ট্রাস্ট, উহার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ট্রাস্টের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1266,
"details": "৭। ধারা ২ এর দফা (১৭) এর উপ-দফা (খ), (গ) ও (ঘ) এ বর্ণিত সুবিধাভোগীদের কল্যাণে ট্রাস্টের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) ট্রাস্টকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ ও সামর্থ্যবান করিবার জন্য ট্রাস্টের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং সম্পত্তি অর্জনের যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ; (খ) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে সম্মানী ভাতা, উৎসব ভাতা বা অন্য কোনো ভাতা, সম্মানী বা সুবিধা প্রদান; (গ) ত্রাণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে অর্থ, পণ্য বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো সহায়তা প্রদান; (ঘ) বিভিন্ন প্রকল্প বা কর্মসূচি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও উহার ব্যবস্থাপনা; (ঙ) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে ঔষধপত্রসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান; (চ) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে বিশেষায়িত চিকিৎসার নিমিত্ত ক্লিনিক, ডিসপেনসারি বা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন; (ছ) শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের জন্য পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন; (জ) সুবিধাভোগীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান; (ঝ) স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন, ধারণ ও সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে হস্তান্তর ও বিক্রয়; (ঞ) তহবিল গঠন ও উহার ব্যবস্থাপনা; (ট) ট্রাস্টের জন্য অর্থ, সিকিউরিটিজ, দলিলাদি অথবা অন্য কোনো অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ; (ঠ) ট্রাস্টের অর্থ ও তহবিল বিনিয়োগ এবং প্রয়োজনবোধে বিনিয়োগ পরিবর্তন; (ড) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোনো সিকিউরিটিজ ক্রয়, বিক্রয়, পৃষ্ঠাঙ্কন, হস্তান্তর, বিনিময় বা এই প্রকারের কার্যক্রম সম্পন্নকরণ; (ঢ) সরকারের অনুমোদনক্রমে যে কোনো ব্যক্তি বা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদন এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় দলিলাদি সম্পাদন; (ণ) দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সহিত যৌথভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও সম্পাদন; (ত) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অন্য যে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।",
"name": "ট্রাস্টের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1266,
"details": "৮। (১) ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে উহা গঠিত হইবে, যথা :- (ক) প্রধানমন্ত্রী, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী, যিনি ইহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (গ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত ৪ (চার) জন সংসদ সদস্য (বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের অবর্তমানে তাঁহাদের উত্তরাধিকারীগণ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হইবেন); (ঘ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; (ঙ) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়; (চ) সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; (ছ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এ উল্লিখিত মনোনীত সদস্য মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনবোধে, উক্ত সদস্যকে মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে : আরও শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উক্ত সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা ট্রাস্টি বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে ট্রাস্টি বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোথাও কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ড গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1266,
"details": "৯। ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) ট্রাস্টের কার্যক্রম সার্বিকভাবে পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ; (খ) ট্রাস্টের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ; (গ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অন্য যে কোনো কার্য সম্পাদন; এবং (ঘ) সরকার কর্তৃক, সময়ে সময়ে, জারিকৃত আদেশ ও নির্দেশ ইত্যাদি অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, ট্রাস্টি বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) ট্রাস্টি বোর্ডের সভা, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহুত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি বৎসর অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠান করিতে হইবে : আরও শর্ত থাকে যে, জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের নোটিশে ট্রাস্টি বোর্ডের সভা আহবান করা যাইবে। (৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে তাঁহার সম্মতিক্রমে ভাইস চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) ট্রাস্টি বোর্ডের সভার কোরামের জন্য ৬ (ছয়) জন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে। (৫) ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১১। (১) ট্রাস্টের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকিবে, যিনি ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী হইবেন। (২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নিধারিত হইবে। (৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ট্রাস্টের সার্বক্ষণিক এবং প্রধান নির্বাহী হিসাবে- (ক) ট্রাস্টি বোর্ড এবং নির্বাহী কমিটির সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; (খ) ট্রাস্টের কার্যাবলি ও প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; (গ) বোর্ড এবং নির্বাহী কমিটি কর্তৃক, সময় সময়, তাঁহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "ব্যবস্থাপনা পরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১২। (১) ট্রাস্ট উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) ট্রাস্টের কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১৩। ট্রাস্টের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বোর্ডের নিম্নরূপ ট্রাস্টিগণের সমন্বয়ে একটি নির্বাহী কমিটি থাকিবে, যথা :- (ক) ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রাস্টি হিসাবে মনোনীত সংশ্লিষ্ট ৪ (চার) জন জাতীয় সংসদ সদস্য; (গ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; (ঘ) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়; (ঙ) সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; (চ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।",
"name": "নির্বাহী কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১৪। নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) ট্রাস্টের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য আইন, বিধি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বা বোর্ড কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব, কার্যাবলি ও নির্দেশনা প্রতিপালন; (খ) ট্রাস্টের কার্যাবলি তদারকি; (গ) ট্রাস্ট এবং ট্রাস্টের অধীন সকল বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উহা বাস্তবায়ন; (ঘ) ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সকল পরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা, হিসাব পরিবীক্ষণ, ভবিষৎ কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও উহা বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণ; এবং (ঙ) ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক, সময়ে সময়ে, প্রদত্ত অন্যান্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন।",
"name": "নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১৫। নির্বাহী কমিটি ট্রাস্ট ও উহার অধীন সকল চালু শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা ও সম্প্রসারণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ও বন্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় চালুকরণ অথবা উন্নয়নের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবহার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবার ক্ষমতার অধিকারী হইবে : তবে শর্ত থাকে, নির্বাহী কমিটি ট্রাস্টি বোর্ডের পূর্বানুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে ট্রাস্টের কোনো স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়, হস্তান্তর, কোনো প্রতিষ্ঠানকে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা প্রদান বা অন্য কোনো বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে না।",
"name": "নির্বাহী কমিটির ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১৬। (১) এই ধারার অন্যন্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, নির্বাহী কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) নির্বাহী কমিটির সকল সভা উহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে, প্রতি ২ (দুই) মাসে নির্বাহী কমিটির অন্যূন ১ (এক) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) সভাপতি নির্বাহী কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত ট্রাস্টিগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোনো ট্রাস্টি সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) নির্বাহী কমিটির সভার কোরামের জন্য ৫ (পাঁচ) জন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।",
"name": "নির্বাহী কমিটির সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১৭। (১) ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকিবে যাহা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিল নামে অভিহিত হইবে। (২) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা তহবিল গঠিত হইবে, যথা :- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান, সাহায্য বা মঞ্জুরি; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সরকার, আন্তর্জাতিক কোনো এজেন্সি, সংস্থা, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ট্রাস্ট কর্তৃক গৃহীত ঋণ; (ঘ) ট্রাস্টের সম্পত্তি বা যে কোনো কার্যক্রম হইতে লব্ধ আয়; (ঙ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা অনুরূপ কোনো সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (চ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো ব্যক্তি, সমিতি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ছ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ হইতে অর্জিত মুনাফা; (জ) ট্রাস্টের নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং (ঝ) ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (৩) তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং ব্যাংক হইতে উক্ত অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালিত হইবে। ব্যাখ্যা- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘তপশিলি ব্যাংক’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank । (৪) সরকারের নিয়মনীতি ও বিধি বিধান অনুসরণক্রমে তহবিল হইতে ট্রাস্টের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করিতে হইবে। (৫) তহবিলের ব্যাংক হিসাব সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।",
"name": "ট্রাস্টের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১৮। (১) নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে ট্রাস্ট প্রত্যেক বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে উহার সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ট্রাস্টের সম্ভাব্য কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে। (২) প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার অব্যবহিত পর রাজস্ব বাজেট হইতে প্রাপ্ত অর্থের অব্যয়িত অর্থ পরবর্তী অর্থ বৎসরের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের কল্যাণে ব্যয় করিবার প্রয়োজন অপরিহার্য হইলে উহা অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে পরবর্তী অর্থ বৎসরের ট্রাস্টের বাজেট বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1266,
"details": "১৯। (১) ট্রাস্ট উহার আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি বৎসর ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ট্রাস্টের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং ট্রাস্ট উহার উপর মন্তব্য বা আপত্তি, যদি থাকে, সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার প্রয়োজনে মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা এতদুদ্দেশ্যে তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ট্রাস্টের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ট্রাস্টি বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা ট্রাস্টের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট দ্বারা ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ট্রাস্ট এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউন্টেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাঁহারা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত হারে পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন। (৫) ট্রাস্ট যথাশীঘ্র সম্ভব নিরীক্ষা প্রতিবেদনে চিহ্নিত কোনো দোষত্রুটি বা অনিয়ম প্রতিকার করিবার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1266,
"details": "২০। (১) ট্রাস্ট প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৯০(নববই) দিনের মধ্যে উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, ট্রাস্টের নিকট হইতে যে কোনো বিষয়ের উপর উহার বিবরণী, প্রতিবেদন ও রিটার্ন অথবা অন্য কোনো তথ্য আহবান করিতে পারিবে এবং ট্রাস্ট উহা সরকারের নিকট দাখিল করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1266,
"details": "২১। ট্রাস্টি বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এই আইনের অধীন উহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা, উক্ত আদেশে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা ট্রাস্টের অন্য কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1266,
"details": "২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1266,
"details": "২৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1266,
"details": "২৪। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অপস্পষ্টতা বা অসুবিধা দূর করিতে পারিবে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1266,
"details": "২৫। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে Bangladesh (Freedom Fighters) Welfare Trust Order, 1972 (President’s Order No. 94 of 1972), অতঃপর উক্ত Order বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত Order এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ-কর্ম ও গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) গৃহীত কোনো কার্য বা ব্যবস্থা অনিষ্পন্ন বা চলমান থকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে বা চলমান থাকিবে যেন উক্ত Order রহিত হয় নাই; (গ) প্রতিষ্ঠিত Trust এর তহবিল, সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট সকল হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য সকল দলিল-দস্তাবেজ, প্রকল্প এবং অন্য সকল প্রকার দাবি এই আইনের অধীন গঠিত ট্রাস্টের তহবিল, সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, সম্পত্তি, অর্থ, রেজিস্টার, দলিল-দস্তাবেজ, প্রকল্প এবং দাবি হিসাবে গণ্য হইবে; (ঘ) সকল ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্টের ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (ঙ) প্রতিষ্ঠিত Trust এর বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্টের বিরুদ্ধে বা ট্রাস্ট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; (চ) প্রণীত সকল বিধি, প্রবিধান, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ ও নীতিমালা, যদি থাকে এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত বা, ক্ষেত্রমত, বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় এমনভাবে চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রণীত, জারিকৃত ও প্রদত্ত হইয়াছে; (ছ) বিদ্যমান বোর্ড, কমিটি, কারিগরি কমিটি অথবা অন্যান্য কমিটি বা উপ-কমিটি, যদি থাকে, উহার কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত করা না হইলে, এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে যেন উক্ত বোর্ড, কমিটি বা কারিগরি কমিটি এই আইনের অধীন গঠিত হইয়াছে; (জ) নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিতপূর্বে যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে ট্রাস্টের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "409",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1266,
"details": "২৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 26
}
],
"text": "Bangladesh (Freedom Fighters) Welfare Trust Order, 1972 রহিতক্রমে পরিমার্জনপূর্বক যুগোপযোগী করিয়া উহা নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধার কল্যাণ সাধনকল্পে Bangladesh (Freedom Fighters) Welfare Trust Order, 1972 (Presidesnt's Order No. 94 of 1972) এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এবং অন্যান্য সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার কল্যাণ সাধনকল্পে উক্ত Bangladesh (Freedom Fighters) Welfare Trust Order, 1972 রহিতক্রমে পরিমার্জনপূর্বক যুগোপযোগী করিয়া উহা নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1267,
"lower_text": [],
"name": "কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 25,
"published_date": "৮ অক্টোবর, ২০১৮",
"related_act": [
442,
1267
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1267,
"details": "১। (১) এই আইন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1267",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1267,
"details": "২। বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ অর্থ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করিবার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড পর্যায়ে স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিক; (খ) ‘ট্রাস্ট’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট; (গ) ‘ট্রাস্টি বোর্ড’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড; (ঘ) ‘তহবিল’ অর্থ ধারা ১৪ এ উল্লিখিত ট্রাস্ট এর তহবিল; (ঙ) ‘প্রবিধান’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (চ) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (ছ) ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ অর্থ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক; (জ) ‘সদস্য’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য; এবং (ঝ) ‘সভাপতি’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1267,
"details": "৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকার এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করিবে। (২) ট্রাস্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1267,
"details": "৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ট্রাস্ট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করিতে পারিবে। (২) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে সরকার কর্তৃক ‘Revitalization of Community Health Care Initiatives in Bangladesh (RCHCIB)’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ‘Community Based Health Care’ শীর্ষক অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহ ট্রাস্টের অধীনে ন্যস্ত হইবে।",
"name": "কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1267,
"details": "৫। ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং ট্রাস্টি বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ট্রাস্টের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1267,
"details": "৬। ট্রাস্টের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন ট্রাস্টি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ট্রাস্ট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, ট্রাস্টি বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1267,
"details": "৭। ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ; (খ) গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান; (গ) সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সামাজিক সহযোগিতা গ্রহণ, ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে সম্পদ অথবা অনুদান সংগ্রহ ও উহার সুষ্ঠু ব্যবহার; এবং (ঘ) কমিউনিটি ক্লিনিকের সহিত ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একটি কার্যকর রেফারেল পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা।",
"name": "ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1267,
"details": "৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকিবে, যথা:- (ক) প্রধানমন্ত্রী, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী; (গ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী; (ঘ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী; (ঙ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী; (চ) সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ; (ছ) সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ; এবং (জ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন স্বনামধন্য ব্যক্তি। (২) প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে কোনো মন্ত্রীকে, যিনি উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ প্রয়োজনবোধে, সময় সময়, ট্রাস্টি বোর্ডকে দিক্-নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করিবে।",
"name": "ট্রাস্টের উপদেষ্টা পরিষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1267,
"details": "৯। (১) ট্রাস্টি বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত সমাজহিতৈষী স্বনামধন্য ১ (এক) জন ব্যক্তি, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন ; (খ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ১ (এক) জন ব্যক্তি, যিনি উহার সহ-সভাপতিও হইবেন; (গ) সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বা তৎকর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের ১ (এক) জন অতিরিক্ত সচিব; (ঘ) সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ বা তৎকর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের ১ (এক) জন অতিরিক্ত সচিব; (ঙ) সচিব, অর্থ বিভাগ বা তৎকর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের ১ (এক) জন অতিরিক্ত সচিব; (চ) সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ বা তৎকর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের ১ (এক) জন অতিরিক্ত সচিব; (ছ) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; (জ) মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর; (ঝ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড; (ঞ) সভাপতি, ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ; (ট) সভাপতি, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি; (ঠ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাহাদের মধ্যে অন্যূন ১ (এক) জন হইবেন মহিলা চিকিৎসক; (ড) ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঠ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার, যে কোনো মনোনীত সদস্যকে কোনোরূপ কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে: আরও শর্ত থাকে যে, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উক্তরূপ কোনো সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ড গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১০। ট্রাস্টি বোর্ডের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক, আর্থিক ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা; (খ) তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও ব্যবহার; (গ) ট্রাস্টের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ; (ঘ) গ্রামীণ জনগণের সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি অথবা কার্যক্রমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক সংগঠনসমূহ, বেসরকারি সংস্থা এবং সমাজের বিত্তশালীদের সম্পৃক্তকরণ; (ঙ) কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ; (চ) স্বাস্থ্যসেবায় জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করিবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতাভুক্ত এলাকাসমূহের জনগণের মধ্য হইতে মনোনীত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিউনিটি গ্রুপকে কার্যকর ও গতিশীলকরণ; (ছ) কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় কমিউনিটি গ্রুপকে সহযোগিতা এবং গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা নিশ্চিত করিবার জন্য স্বেচ্ছাপ্রণোদিত মহিলা, পুরুষ, কিশোর অথবা কিশোরীসহ সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বকারী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে গঠিত কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপকে কার্যকর ও গতিশীলকরণ; (জ) সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতা ও পরিধি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণ; (ঝ) ট্রাস্ট ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সকল কার্যক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, নিশ্চিতকরণ; এবং (ঞ) সরকার এবং উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন।",
"name": "ট্রাস্টের দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১১। (১) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), জেলা সিভিল সার্জন, উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহিত সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহের কার্যক্রম পরিচালিত হইবে। (২) কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহের মাধ্যমে সরকারের স্বাস্থ্য কার্যক্রমসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য ট্রাস্টের সাংগঠনিক কাঠামোর আওতায় কর্মরত কর্মচারী এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় কর্মরত কর্মচারীগণ কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কার্যক্রমের স্ব স্ব দায়িত্বের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট দায়বদ্ধ থাকিবে। (৩) জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করিবেন।",
"name": "সমন্বয় ও তদারকি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১২। (১) ট্রাস্টি বোর্ড উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক কমিটি বা উপকমিটি গঠন এবং উহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে কমিটি ও উপ-কমিটি গঠিত হইবে। (৩) কমিটি এবং উপ-কমিটিতে স্থানীয় জনগণকে বিশেষ করিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট জমিদাতা পরিবারের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১৩। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানসাপেক্ষে, ট্রাস্টি বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) ট্রাস্টি বোর্ডের সভা, উহার সভাপতির সম্মতিক্রমে উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহূত হইবে এবং সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ৩ (তিন) মাসে বোর্ডের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরি প্রয়োজনে সভাপতি যে কোনো সময় বোর্ডের সভা আহ্বান করিতে পারিবেন। (৩) সভাপতি বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি এবং তাহাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোনো সদস্য বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৫) ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় উহার প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৬) ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে গৃহিত হইবে। (৭) সদস্য পদে শুধুমাত্র শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "ট্রাস্টি বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১৪। (১) ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহা নিম্নরূপ দুইটি অংশে বিভক্ত থাকিবে, যথা:- (ক) স্থায়ী তহবিল; এবং (খ) চলতি তহবিল (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর অধীন গঠিত স্থায়ী তহবিলে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এককালীন অনুদান; (খ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত অনুদান; এবং (গ) উক্তরূপে জমাকৃত অর্থ হইতে প্রাপ্ত লভ্যাংশের সমুদয় অথবা অংশবিশেষ। (৩) স্থায়ী তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্তরূপ অর্থ ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় করা যাইবে এবং ব্যাংকের হিসাব ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্য-সচিবের স্বাক্ষরে পরিচালিত হইবে। (৪) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন গঠিত চলতি তহবিলে নিম্নরূপ অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক অনুদান; (খ) স্থানীয় ব্যক্তি অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত দান ও অনুদান; (গ) বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাধীন আর্থিক সহায়তা; (ঘ) প্রবাসীদের স্বেচ্ছাধীন আর্থিক সহায়তা; (ঙ) সরকার অনুমোদিত বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অনুদান; (চ) সরকার অনুমোদিত অন্যান্য দেশি ও বিদেশি উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; (ছ) সমাজের বিত্তবান, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও অন্যান্য সংগঠন, সামাজিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত স্বেচ্ছাধীন অনুদান; (জ) ট্রাস্টের আয়বর্ধনমূলক বিনিয়োগকৃত অর্থ হইতে মুনাফা বা লভ্যাংশের সমুদয় অর্থ অথবা উহার অংশবিশেষ; (ঝ) সরকার অনুমোদিত লটারির টিকেট বিক্রয়লব্ধ অর্থ। (৫) ট্রাস্টের দৈনন্দিন ব্যয় ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা চলতি তহবিল হইতে নির্বাহ করা হইবে। (৬) স্থানীয় পর্যায়ে সংগৃহীত অর্থ চলতি তহবিলে কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে স্থানীয় ব্যাংক হিসাবে জমা রাখিতে হইবে এবং এই ব্যাংক হিসাব ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে। (৭) ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ট্রাস্ট আয়বর্ধনমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বিনিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "ট্রাস্টের তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১৫। (১) ট্রাস্টের ১ (এক) জন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকিবেন। (২) সরকারের ১ (এক) জন অতিরিক্ত সচিব ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। (৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ট্রাস্টের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী হইবেন এবং তিনি- (ক) বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; (খ) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব ও কার্য সম্পাদন করিবেন; এবং (গ) ট্রাস্টের সাধারণ প্রশাসন পরিচালনা করিবেন। (৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্যপদে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন অতিরিক্ত সচিব ব্যবস্থাপনা পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "ব্যবস্থাপনা পরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১৬। (১) ট্রাস্ট ইহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রেডের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) ট্রাস্টের কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ট্রাস্টের কর্মচারী",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১৭। ট্রাস্ট প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ট্রাস্টের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১৮। (১) ট্রাস্ট উহার আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি বৎসর ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ট্রাস্টের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ অথবা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ট্রাস্টের যে কোনো সদস্য ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব-নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1267,
"details": "১৯। (১) প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী বৎসরের ৩০শে জুনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ড উক্ত অর্থ বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, ট্রাস্টি বোর্ডের নিকট হইতে যে কোনো সময়ে উহার যে কোনো কাজের প্রতিবেদন বা বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং ট্রাস্টি বোর্ড উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1267,
"details": "২০। ট্রাস্টি বোর্ড এই আইন অথবা বিধির অধীন ইহার যে কোনো ক্ষমতা, প্রয়োজনে এবং নির্ধারিত শর্তে, সভাপতি বা অন্য কোনো সদস্য, অথবা ৯ম বা তদুর্ধ্ব গ্রেডভুক্ত অন্য কোনো কর্মচারীর নিকট অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1267,
"details": "২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1267,
"details": "২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ট্রাস্টি বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন অথবা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1267,
"details": "২৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ট্রাস্টি বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন, বিধি, প্রবিধান বা সরকারি কোনো বিধি-বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ নীতিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1267,
"details": "২৪। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, সমঝোতা স্মারক, চুক্তি বা অন্য কোনো দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে- (ক) ৩০ জুন ২০১৫ এ সমাপ্ত ‘Revitalization of Community Health Care Initiatives in Bangladesh (RCHCIB)’ শীর্ষক প্রকল্প, অতঃপর সমাপ্ত প্রকল্প বলিয়া উল্লিখিত, এবং ‘Community Based Health Care’ শীর্ষক অপারেশনাল প্ল্যান, অতঃপর উক্ত প্ল্যান বলিয়া উল্লিখিত, উহার কার্যালয়ের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, সকল দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, এবং অন্যান্য দলিল ট্রাস্টে ন্যস্ত হইবে; (খ) সমাপ্ত প্রকল্প ও অপারেশনাল প্ল্যানের অধীন প্রকল্প কার্যালয় বা কমিউনিটি ক্লিনিক কর্তৃক কৃত কোনো কার্য বা গৃহিত ব্যবস্থা বা ইস্যুকৃত বিজ্ঞপ্তি ট্রাস্ট কর্তৃক কৃত, গৃহিত বা ইস্যুকৃত বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) সমাপ্ত প্রকল্প ও অপারেশনাল প্ল্যানের সকল দায়-দায়িত্ব ট্রাস্টের দায়-দায়িত্ব বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) সমাপ্ত প্রকল্প ও অপারেশনাল প্ল্যানের বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা ট্রাস্টের বিরুদ্ধে বা ট্রাস্ট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; (ঙ) ‘Revitalization of Community Health Care Initiatives in Bangladesh (RCHCIB)’ প্রকল্প এবং ‘Community Based Health Care’ শীর্ষক অপারেশনাল প্ল্যানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের সকল কর্মচারীর চাকরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রাস্টে ন্যস্ত হইবে এবং উক্ত প্রকল্প ও প্ল্যানের অধীন চাকরির জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী তাহাদের চাকরির জ্যেষ্ঠতা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে এবং দেশে প্রচলিত অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় তাহাদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগ, গ্র্যাচুইটি এবং অবসরভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য হইবে।",
"name": "হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1267,
"details": "২৫। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
}
],
"text": "সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন, বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় দেশের গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গঠন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন, বেসরকারি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় দেশের গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গঠন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1268,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 25,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1092,
957,
1268,
442,
669,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1268,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1268",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1268,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ ধারা-৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট; (২) ‘‘কো-চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান; (৩) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান; (৪) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৫) ‘‘প্রাণিসম্পদ বা প্রাণী’’ অর্থ যে কোনো প্রাণী বা পোল্ট্রি যাহা গৃহে বা খামারে লালন-পালন করা যায় এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত অন্য কোনো প্রাণী; (৬) ‘‘পোল্ট্রি’’ অর্থ গৃহে বা খামারে লালন-পালন করা যায় এইরূপ কোনো পাখি; (৭) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৮) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড; (৯) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং (১০) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বোর্ডের সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1268,
"details": "৩। (১) Livestock Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVIII of 1984) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Livestock Research Institute এই আইনের অধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামে একটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "669",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1268,
"details": "৪। (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) বোর্ড প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যালয়, আঞ্চলিক কেন্দ্র, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1268,
"details": "৫। (১) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন গঠিত কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ, সুপারিশ বা পরামর্শ ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রতিপালিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, যদি ইনস্টিটিউটের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্তরূপ কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ প্রতিপালন করা সম্ভব নয়, তাহা হইলে ইনস্টিটিউট, অনতিবিলম্বে কারণ উল্লেখপূর্বক উহার মতামত কাউন্সিলকে অবহিত করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করিয়া কাউন্সিল তদকর্তৃক প্রদত্ত কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে বা উক্ত বিষয়ে নূতন কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন এর প্রয়োগ",
"related_acts": "1092",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1268,
"details": "৬। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি বোর্ডের অধীন ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1268,
"details": "৭। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :- (ক) মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী, যদি থাকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের কো-চেয়ারম্যানও হইবেন; (গ) জাতীয় সংসদের স্পিকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ-সদস্য; (ঘ) সচিব, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (ঙ) সদস্য (কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান) পরিকল্পনা কমিশন; (চ) উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; (ছ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল; (জ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার ১(এক) জন প্রতিনিধি; (ঝ) মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর; (ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটের গবেষণা কর্মে নিয়োজিত ২(দুই) জন কর্মচারী; (ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রাণিসম্পদ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞ ও আগ্রহী ২(দুই) জন ব্যক্তি, যাহাদের মধ্যে ১ (এক) জন মহিলা হইবেন; (ঠ) মহাপরিচালক, যিনি বোর্ডের সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) ও (খ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মন্ত্রী না থাকিলে এবং প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী থাকিলে প্রতিমন্ত্রী চেয়ারম্যান ও উপ-মন্ত্রী কো-চেয়ারম্যান হইবে এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী না থাকিলে উপ-মন্ত্রী চেয়ারম্যান হইবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে মনোনীত কোনো সদস্যকে পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৪) কোনো সদস্য যে কোনো সময় সরকারের উদ্দেশ্যে তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "বোর্ড গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1268,
"details": "৮। (১) বোর্ডের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়াদির নীতিগত অনুমোদন; (খ) ইনস্টিটিউটের কার্যাবলির তত্ত্বাবধান এবং দিক নির্দেশনা প্রদান; (গ) ইনস্টিটিউটের নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান; (ঘ) ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা, কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অনুমোদন; (ঙ) ঋণ গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও এতদসংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন; (চ) বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন; (ছ) এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ সরকারি কোনো নির্দেশ বা কর্মসূচী বাস্তবায়ন। (২) বোর্ড উহার দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি এবং প্রবিধান অনুসরণ করিবে।",
"name": "বোর্ডের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1268,
"details": "৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) প্রতি ৩ (তিন) মাসে বোর্ডের অন্যূন ১ (এক) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) বোর্ডের সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা বোর্ডের সভা আহবান করিবেন। (৫) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে কো-চেয়ারম্যান এবং উভয়ের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৬) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ, সদস্যদের নিকট প্রেরণ এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে। (৮) বোর্ডের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতি নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন। (৯) বোর্ডের কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইনস্টিটিউটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) গবেষণার মাধ্যমে দেশের প্রাণিসম্পদের মৌলিক সমস্যা শনাক্তক্রমে উহার সমাধানের উপায় নির্ধারণ বা চিহ্নিত করা; (খ) প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন প্রকার রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ এবং উহার চিকিৎসার জন্য উপযোগী পদ্ধতি উদ্ভাবন করা; (গ) প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের উপর বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ এবং উহাদের সংক্রমণ প্রভাব নির্ণয়ে ইপিডিমিওলজিক্যাল গবেষণা (Epidemiological Research) পরিচালনা করা; (ঘ) প্রাণী এবং পোল্ট্রিতে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট রোগের বিষয়ে প্রাণীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংক্রান্ত গবেষণা এবং রোগের যথাযথ প্রতিষেধক উৎপাদনের জন্য লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা; (ঙ) দুধ, মাংস ও কর্ষণ শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি সহায়ক প্রাণিসম্পদের উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি সহায়ক পোল্ট্রির উন্নত জাত উদ্ভাবন করা; (চ) প্রাণী খাদ্যের উৎপাদন এবং সংরক্ষণ পদ্ধতির উন্নয়ন এবং কৃষিভিত্তিক উপজাত, উচ্ছিষ্ট ও অপ্রচলিত খাদ্য সামগ্রীর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা; (ছ) আপদকালীন সময়ে প্রাণিখাদ্য যোগানের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণযোগ্য প্রাণিখাদ্য প্রস্তুতকরণের কৌশল উদ্ভাবন করা; (জ) প্রাণী হইতে মানুষে সংক্রমণযোগ্য রোগ (Zoonotic Diseases) এবং আন্ত:দেশীয় প্রাণিরোগ (Trans boundary Animal Diseases) প্রতিরোধকল্পে গবেষণার মাধ্যমে উক্ত রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকারে মানসম্পন্ন টিকা উদ্ভাবন করা; (ঝ) প্রাণি হইতে মানুষে সংক্রমণযোগ্য রোগ (Zoonotic Diseases) নিয়ন্ত্রণে একস্বাস্থ্য (One health) বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করা; (ঞ) প্রাণীর সুস্বাস্থ্য রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চতকরণের ব্যবস্থাপনা কৌশলের উন্নয়ন করা; (ট) প্রাণীসম্পদের চিকিৎসায় ঔষধ হিসাবে দেশীয় গাছগাছড়ার ঔষধি গুণাগুণ মূল্যায়ন এবং উহার ব্যবহারের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা; (ঠ) প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর গাছ চিহ্নিত করা এবং উহার বিরূপ প্রভাব নির্ণয় ও প্রতিকারের উপায় শনাক্ত করা; (ড) প্রাণিজপণ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের লক্ষ্যে উহার পচন রোধ এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুণগতমান বজায় রাখিবার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ও উন্নত পদ্ধতি উদ্ভাবন করা; (ঢ) প্রাণী এবং উৎপাদিত প্রাণিজপণ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন উপাদানের উৎপাদন ব্যয় নির্ণয় করা; (ণ) ক্রমবর্ধিঞ্চু জনসংখ্যার এই দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নূতন নূতন প্রযুক্তি, জ্ঞান উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করা; (ত) প্রাণিসম্পদের উপর গবেষণালদ্ধ ফলাফলে প্রয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ করা; (থ) জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় প্রাণিসম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত সেমিনার, আলোচনা সভা বা কর্মশালা আয়োজন করা; (দ) পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বায়োটেকনোলজি এবং ন্যানো টেকনোলজি বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা; (ধ) অঞ্চলভিত্তিক পোল্ট্রি এবং প্রাণিসম্পদের উপর গবেষণা কর্ম পরিচালনা করা; (ন) প্রাণিসম্পদের উপর গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য কৃষকের নিকট পৌঁছানো; (প) প্রাণিসম্পদ এবং উহা হইতে উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ সংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয় এবং প্রাণিজপণ্যের শ্রেণিবিন্যাসসহ উহা বাজারজাতকরণে উপযুক্ত পদ্ধতির উন্নয়ন করা; (ফ) নিরাপদ প্রাণিজ খাদ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করা; (ব) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং দেশি-বিদেশী দাতা সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদন করা; (ভ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করা।",
"name": "ইনস্টিটিউটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১১। ইনস্টিটিউট প্রাণী বর্জ্যের প্রকৃতি ও বহুমুখী উপযোগিতা এবং উহার পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থাপনার উপর গবেষণা পরিচালনাক্রমে পদ্ধতি উদ্ভাবন করিবে।",
"name": "প্রাণী বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণা",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১২। (১) ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি- (ক) বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; (খ) বোর্ডের পক্ষে ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি সম্পাদন ও প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং (গ) সরকার বা বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়, তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১৩। ইনস্টিটিউট উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১৪। (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) গৃহীত ঋণ; (গ) গবেষণা স্বত্ব ও সেবা হইতে প্রাপ্ত আয়; (ঘ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো দেশি বা বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ঙ) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (চ) নিজস্ব আয় বা অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের সকল অর্থ তপশিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করা হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিলের অর্থ পরিচালিত হইবে। ব্যাখ্যা।- ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংঙ্গায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে। (৩) তহবিল হইতে সরকারের নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১৫। ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১৬। (১) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইনস্টিটিউট উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিব। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা ইনস্টিটিউটের কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও ইনস্টিটিউট প্রত্যেক বৎসর Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O.No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant দ্বারা ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করাইতে পারিবে। (৫) ইনস্টিটিউট, যথাশীঘ্র সম্ভব, নিরীক্ষা প্রতিবেদনে চিহ্নিত কোনো ত্রুটি বা অনিয়ম প্রতিকার করিবার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১৭। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউট উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে যে কোনো সময় উহার কার্যাবলির উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী চাহিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১৮। (১) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রাণিসম্পদ শিল্প স্থাপনা বা অনুসন্ধান বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করিবার জন্য ইনস্টিটিউট বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে ফি আদায় করিতে পারিবে। (২) উপধারা (১) এর অধীন প্রাপ্য ফি এর একটি নির্দিষ্ট অংশ সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বা তদূর্ধ্ব বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রাপ্ত হইবেন এবং অবশিষ্ট অংশ ইনস্টিটিউটের তহবিলে জমা হইবে।",
"name": "ফি, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1268,
"details": "১৯। (১) ইনস্টিটিউট কর্তৃক বা ইনস্টিটিউটের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা কর্মধারা প্রকাশিত প্রবন্ধ বা আর্টিকেল বা গবেষণালদ্ধ ফলাফল ইনস্টিটিউটের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হইবে। (২) ইনস্টিটিউট উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সম্পত্তির পেটেন্ট (Patent) ও কপিরাইট (Copyright) অধিকার সংরক্ষণ করিবে বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত সম্পত্তির ভৌগোলিক পণ্য নির্দেশক নিবন্ধন করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সম্পত্তি ইনস্টিটিউট, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাণিজ্যিক বা অন্যবিধভাবে প্রাণিসম্পদের গবেষণা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1268,
"details": "২০। ইনস্টিটিউট উহার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন এবং এইরূপ কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1268,
"details": "২১। বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, উহার যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, সুনির্দিষ্ট শর্তে, মহাপরিচালক, কোনো সদস্য বা ইনস্টিটিউটের অন্য কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1268,
"details": "২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1268,
"details": "২৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইন বা বিধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1268,
"details": "২৪। (১) Livestock Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVIII of 1984), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) সম্পাদিত সকল কাজ বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীনকৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে; (গ) ইস্যুকৃত কোনো আদেশ, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট প্রাক্কলন, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীনে ইস্যুকৃত, প্রদত্ত, প্রণীত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে; এবং (ঙ) প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহারা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Livestock Research Institute এর- (ক) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি, তহবিল, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, অন্য সকল দাবি ও অধিকার, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, অতঃপর উক্ত ইনস্টিটিউট বলিয়া উল্লিখিত, এর সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, অর্থ দাবি ও অধিকার, হিসাব বহি, রেজিস্টার রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে উক্ত ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) বিরুদ্ধে বা তদকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা উক্ত ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উক্ত ইনস্টিটিউটের কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন তাহারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে ইনস্টিটিউটের চাকরিতে নিয়োজিত এবং ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন; (ঙ) বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণালব্ধ সম্পদ বা পরিসম্পদ ইনস্টিটিউটের অর্জিত এবং প্রাপ্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "669",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1268,
"details": "২৫। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
}
],
"text": "The Livestock Research Institute Ordinance, 1984 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন ১৯৮৬, (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত সময়কালের অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদা প্রতিফলনে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, The Livestock Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVIII 1984) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদা প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজন; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1269,
"lower_text": [],
"name": "হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 27,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
11,
556,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1269,
"details": "১। (১) এই আইন হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ নির্ধারিত হইবে সেই তারিখ হইতে ইহা কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম এবং প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) “ইনস্টিটিউট” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট; (২) “কমিটি” অর্থ পরিচালনা পরিষদের নির্বাহী কমিটি; (৩) “চেয়ারম্যান” অর্থ পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান; (৪) “পরিচালনা পরিষদ” অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পরিষদ; (৫) “প্রবিধান” অর্থ ধারা ২৫ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৬) “বিধি” অর্থ ধারা ২৪ এর অধীন প্রণীত বিধি; (৭) “মহাপরিচালক” অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং (৮) “সদস্য’’ অর্থ পরিচালনা পরিষদের কোনো সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1269,
"details": "৩। (১) Housing and Building Research Institute Ordinance, 1977 (Ordinance No. XLIX of 1977) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (Housing and Building Research Institute) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত। (২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "556",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1269,
"details": "৪। (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে। (২) ইনস্টিটিউট, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1269,
"details": "৫। (১) ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা পরিষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে। (২) পরিচালনা পরিষদ উহার দায়িত্ব পালন ও কার্য-সম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি, প্রবিধান ও সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1269,
"details": "৬। ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) ইমারতের নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণ, নির্মাণ উপকরণ-শিল্প এবং মানব বসতির সহিত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার উপর কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা; (খ) দেশজ নির্মাণ উপকরণের প্রাপ্যতা, উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণের উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা; (গ) ক্রমিক (খ) এ উল্লিখিত নির্মাণ সামগ্রী ও উপকরণ প্রস্তুতে প্রণোদনা প্রদান ও ব্যবহারে উৎসাহিতকরণ এবং এই সকল বিষয়ে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সুপারিশকরণ; (ঘ) ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে মাননিয়ন্ত্রণ কৌশল (quality control measures) এর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উহা অনুসরণে উৎসাহ প্রদান; (ঙ) গৃহায়ন খাতে ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন দুর্যোগসহনীয় এবং পরিবেশবান্ধব নির্মাণ প্রযুক্তি, স্বল্পখরচে ইমারত নির্মাণের পরিকল্পনা ও ডিজাইন এবং ইমারত রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক কৌশল উন্নয়নে প্রয়োজনীয় গবেষণা ও অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণ; (চ) ইমারত নির্মাণে সাশ্রয়ী ও টেকসই নূতন উপকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ; (ছ) গৃহায়ণ ও ইমারত সম্পর্কিত গবেষণা কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং ইনস্টিটিউটের কর্মকাণ্ডের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও স্বীকৃতি অর্জনের জন্য যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ; (জ) বিকল্প নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ প্রযুক্তি বিষয়ক নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও অন্যান্য নির্মাণ সংক্রান্ত কোড, নীতিমালা, ইত্যাদি প্রণয়ন ও হালনাগাদকরণ; (ঝ) ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম মূল্যায়ন এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ; (ঞ) গৃহায়ন ও ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, গবেষণা এবং কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান কার্যক্রমকে উৎসাহিত করিবার জন্য ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রবর্তন; (ট) গৃহায়ন ও ইমারত নির্মাণ প্রযুক্তি সম্পর্কে কারিগরি পরামর্শ প্রদান ও গ্রহণের জন্য যে কোনো দেশি, বিদেশি বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন; (ঠ) গৃহায়ন ও ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য গবেষক ও টেকনিশিয়ানগণকে (research and technical personnel) প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন; (ড) গৃহায়ন ও নির্মাণ গবেষণায় অগ্রসর রাষ্ট্র এবং অগ্রণী প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষক সহায়তা প্রদান সম্পর্কিত চুক্তি সম্পাদনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ; (ঢ) গৃহায়ন ও ইমারত নির্মাণ শিল্পের বিভিন্ন বিষয় ও সমস্যা সম্পর্কিত পরামর্শ সেবা প্রদান; (ণ) গৃহায়ন ও ইমারত নির্মাণ শিল্পের বিভিন্ন সম্ভাবনা ও সমস্যা সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ, প্রচার ও সংরক্ষণ; (ত) ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের উপর নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রতিবেদন, জার্নাল, কারিগরি প্রতিবেদন এবং সম্পাদিত অন্যান্য কার্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ; এবং (থ) উপরি-উক্ত কার্যাবলির সহিত সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক বা সহায়ক অন্য যে কোনো কার্য সম্পাদন।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1269,
"details": "৭। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পরিষদ গঠিত হইবে, যথা:- (ক) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) সিনিয়র সচিব/সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, যিনি উহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (গ) প্রধান প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর; (ঘ) প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; (ঙ) চেয়ারম্যান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ; (চ) প্রধান স্থপতি, স্থাপত্য অধিদপ্তর; (ছ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা পরিষদ; (জ) পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঝ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঞ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ট) পরিচালক, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর; (ঠ) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ (দুই) জন অধ্যাপক, তন্মধ্যে ১ (এক) জন পুরকৌশল বিভাগ হইতে এবং অন্যজন স্থাপত্য বিভাগ অথবা আরবান এন্ড রিজনাল প্লানিং (Urban and Regional Planning) বিভাগ হইতে মনোনীত হইবেন; (ড) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলির সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের ১ (এক) জন অধ্যাপক; (ঢ) বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃক মনোনীত উক্ত ইনস্টিটিউশনের অন্যূন ফেলো পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ণ) ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট, বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত উক্ত ইনস্টিটিউটের অন্যূন ফেলো পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ত) ইমারত ডিজাইন প্রণয়ন কার্যে নিয়োজিত পরামর্শক প্রকৌশলীগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১(এক) জন প্রতিনিধি; (থ) রিয়েল এস্টেট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর সভাপতি বা তৎকর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (দ) ইমারত নির্মাণ ফার্মসমূহ হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ধ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটের ২ (দুই) জন প্রতিনিধি; এবং (ন) মহাপরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপধারা (১) এর ক্রমিক (ঠ), (ড), (ঢ), (ণ), (ত), (থ), (দ) এবং (ধ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন; তবে তাহারা যে কোনো সময় চেয়ারম্যানের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হইবে না। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার দায়িত্ব হইতে যে কোনো সময় অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৪) পরিচালনা পরিষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা পরিচালনা পরিষদের কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা পরিচালনা পরিষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না। (৫) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী থাকিলে তিনি পরিচালনা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন; সেইক্ষেত্রে সচিব উক্ত পরিষদের সদস্য হইবেন; এবং প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী না থাকিলে সচিব উক্ত পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন।",
"name": "পরিচালনা পরিষদের গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1269,
"details": "৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, পরিচালনা পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) পরিষদের সভা, চেয়ারম্যান বা তাঁহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) বৎসরে ন্যূনতম ২ (দুই) বার পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) চেয়ারম্যান পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন অর্ধেক সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণের ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। (৭) সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে, সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে। (৮) পরিচালনা পরিষদের সভায় যোগদানের জন্য সদস্যগণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত ভাতা প্রাপ্য হইবেন।",
"name": "পরিচালনা পরিষদের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1269,
"details": "৯। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে নির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে, যথা:- (ক) মহাপরিচালক, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) ইনস্টিটিউটের গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যে নিয়োজিত বা উক্ত কার্য সম্পাদনের জন্য নবম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব গ্রেডভুক্ত কর্মচারীগণের মধ্য হইতে পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক মনোনীত ৪ (চার) জন কর্মচারী। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। (৩) নির্বাহী কমিটির কোনো কার্য বা কার্যধারা নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা নির্বাহী কমিটির গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "নির্বাহী কমিটির গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, নির্বাহী কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারিবে। (২) নির্বাহী কমিটির সভা, মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) মহাপরিচালক নির্বাহী কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণের ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। (৫) নির্বাহী কমিটির সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে, সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে।",
"name": "নির্বাহী কমিটির সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১১। নির্বাহী কমিটির কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) পরিচালনা পরিষদের অনুমোদনের জন্য ইনস্টিটিউটের কার্যাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ প্রস্তাব ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং অনুমোদিত সকল প্রস্তাব ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন; (খ) পরিচালনা পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী গৃহায়ন ও ইমারত নির্মাণ ক্ষেত্রে গবেষণা এবং কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা পরিচালনা; (গ) পরিচালনা পরিষদকে উহার কার্যসম্পাদনে সহায়তা প্রদান; এবং (ঘ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বা, সময় সময়, পরিচালনা পরিষদ বা, ক্ষেত্রমত, সরকার কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন।",
"name": "নির্বাহী কমিটির কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১২। (১) ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক, গৃহায়ন ও ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে, নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নিযুক্ত হইবেন। (৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী হইবেন, এবং তিনি - (ক) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করিবেন; (খ) ইনস্টিটিউটের কার্যসম্পাদনে কোনো জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে সেইক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং গৃহীত পদক্ষেপ, যথাশীঘ্র সম্ভব, নির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় অবহিতকরণ এবং পরিচালনা পরিষদের সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করিবেন; এবং (গ) পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোনো দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। (৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা, বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১৩। (১) ইনস্টিটিউট উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১৪। ইনস্টিটিউট, নিজস্ব জনবল দ্বারা সক্ষম না হইলে, গৃহায়ন ও নির্মাণ সম্পর্কিত উদ্ভূত কোনো সমস্যা নিরসনে এবং জনস্বার্থে, প্রয়োজনে, কোনো বিষয়ে কোনো আবিষ্কার বা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১৫। (১) ইনস্টিটিউট, পরিচালনা পরিষদের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ বিষয়ে উহার গবেষক ও প্রযুক্তিবিদগণকে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (২) কোনো গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ বিষয়ে গবেষণার জন্য মনোনীত হইলে এবং উক্ত ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হইলে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার সমুদয় বা অংশবিশেষ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১৬। ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, পরিচালনা পরিষদের সম্মতি গ্রহণপূর্বক, আইনের অধীন উহার কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎস হইতে প্রয়োজনীয় ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত ঋণ প্রযোজ্য শর্তাবলির অধীন পরিশোধের জন্য ইনস্টিটিউট দায়ী থাকিবে।",
"name": "ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১৭। (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার অথবা দেশি বা বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান ও সাহায্য; (ঘ) গৃহীত ঋণ; (ঙ) ইনস্টিটিউট কর্তৃক গৃহীত ফি; (চ) ইনস্টিটিউটের সম্পদ বিক্রয় অথবা ভাড়া হইতে প্রাপ্ত অর্থ; এবং (ছ) অন্য যে কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ ইনস্টিটিউটের নামে ইনস্টিটিউট কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালিত হইবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত কোনো “Scheduled Bank”। (৩) তহবিলের অর্থ হইতে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১৮। ইনস্টিটিউট, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1269,
"details": "১৯। (১) ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া অভিহিত, এর সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে। (২) মহা হিসাব-নিরীক্ষক যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ পদ্ধতিতে ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষিত হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা এতদুদ্দেশ্যে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, বহি, দলিল, নগদ অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যান্য সম্পদ পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং পরিচালনা পরিষদের কোনো সদস্য অথবা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বা অন্য কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) মহা হিসাব-নিরীক্ষক তাহার নিরীক্ষা প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবেন এবং উহার একটি কপি ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২০। (১) ইনস্টিটিউট প্রতিবৎসর তদ্কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, যে কোনো সময়, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন, বিবরণী বা রিটার্ন আহবান করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২১। পরিচালনা পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ সংখ্যক কমিটি গঠন এবং উহার কার্যপরিধি নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২২। মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে এবং তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা ইনস্টিটিউটের কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২৩। পরিচালনা পরিষদের সকল সদস্য এবং ইনস্টিটিউটের সকল কর্মচারী এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী কোনো কার্য সম্পাদনকালে Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর Section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (Public Servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "11",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২৬। (১) Housing and Building Research Institute Ordinance, 1977 (Ordinance No. XLIX of 1977), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট প্রাক্কলন, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (খ) প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, ইস্যুকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত বা ইস্যুকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Institute এর- (ক) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, অন্য সকল দাবি ও অধিকার, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল ইনস্টিটিউটের সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও বাংকে গচ্ছিত অর্থ, দাবি ও অধিকার, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (ঘ) সকল কর্মচারী ইনস্টিটিউটের কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন সেই একই শর্তে নিযুক্ত থাকিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ইনস্টিটিউট কর্তৃক তাহাদের চাকরির শর্তাবলি পরিবর্তিত হয়।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "556",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1269,
"details": "২৭। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) ইংরেজি পাঠ এবং মূল বাংলা পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 27
}
],
"text": "Housing and Building Research Institute Ordinance, 1977 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের, অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ৩ক এবং ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯ এ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৬ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Housing and Building Research Institute Ordinance, 1977 (Ordinance No. XLIX of 1977) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1270,
"lower_text": [],
"name": "ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 74,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1025,
75,
11,
624,
528,
689,
529,
530,
531,
1270,
532,
533,
957
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1270,
"details": "১। (১) এই আইন ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮’ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম এবং প্রবর্তন",
"related_acts": "1270",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘অপ্রতিপাদিত (unverified) ওজন বা পরিমাপন’’ অর্থ কোনো ওজন বা পরিমাপন যাহা প্রতিপাদন ও স্ট্যাম্পযুক্ত করা হয় নাই; (২) ‘‘আমদানি’’ অর্থ কোনো পণ্য বা সেবা অন্য কোনো দেশ হইতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনয়ন; (৩) ‘‘আইনসম্মত পরিমাপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা (OIML)’’ অর্থ International Organization of Legal Metrology (OIML); (৪) ‘‘ইনস্টিটিউশন’’ অর্থ Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 1985 (Ordinance No. XXXVII of 1985) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Standards and Testing Institution; (৫) ‘‘উৎপাদনকারী’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, যিনি- (ক) কোনো ওজন ও পরিমাপন যন্ত্র তৈরি বা উৎপাদন করেন; (খ) স্বীয় বা অন্য কাহারও দ্বারা প্রস্তুতকৃত কোনো ওজন বা পরিমাপন বা উহাদের এক বা একাধিক অংশ সংযোজনের পর তৎকর্তৃক প্রান্তিক পণ্য হিসাবে উহা উৎপাদন করা হইয়াছে মর্মে দাবি করেন; (গ) অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক উৎপাদিত বা তৈরি কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের উপর তাহার নিজস্ব প্রতীক ব্যবহার করত দাবি করেন যে, উহা তৎকর্তৃক তৈরিকৃত বা উৎপাদিত হইয়াছে; বা (ঘ) কোনো মোড়কজাত পণ্য-সামগ্রী উৎপাদন, তৈরি বা প্রস্তুত, বা উহার মোড়কে চিহ্ন যুক্তকরণের সহিত সম্পর্কযুক্ত; ব্যাখ্যা।- কোনো উৎপাদনকারী তৎকর্তৃক নিয়ন্ত্রিত কোনো শাখা কার্যালয়ে কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বা উহার কোনো অংশ সংযোজন করিলে উক্ত শাখা কার্যালয়কে উৎপাদনকারী হিসাবে গণ্য করা হইবে না; (৬) ‘‘ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ব্যুরো’’ অর্থ ফ্রান্সের সেভরে মিটার কনভেনশনের অধীন প্রতিষ্ঠিত International Bureau of Weights and Measures (BIPM); (৭) ‘‘ওজন বা পরিমাপন’’ বা ‘‘ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র’’ অর্থ কোনো ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ড অথবা কোনো বস্তু, হাতিয়ার, যন্ত্র বা কৌশল বা উহাদের কোনো সমন্বয় যাহা দ্বারা ওজন বা পরিমাপ কার্য সম্পাদন করা হয়; (৮) ‘‘ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক সাধারণ সম্মেলন’’ অর্থ মিটার কনভেনশনের অধীন প্রতিষ্ঠিত General Conference of Weights and Measures (CGPM); (৯) ‘‘ক্রমাঙ্কন (Calibration)’’ অর্থ ওজন বা পরিমাপনের ত্রুটির পরিমাণ নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া এবং, প্রয়োজনে, এইরূপ ওজন বা পরিমাপনের পরিমাপ সম্পর্কিত অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা, এবং পরিমাপযোগ্য বস্তুর পরিমাণের তুল্য-মানের সহিত ওজন বা পরিমাপনের দৈর্ঘ্যমার্ক বা, ক্ষেত্রমত, স্কেলমার্কের প্রধান মার্কসমূহের প্রকৃত অবস্থান নির্দিষ্ট করা; ব্যাখ্যা।- নমুনা স্বরূপ কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রেও ক্রমাঙ্কন পরিচালনা করা যাইবে; (১০) ‘‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি’’ অর্থ এই আইনের অধীন কোনো বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালনের জন্য মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশনের কোনো কর্মচারী; (১১) ‘‘জাতীয় মানদণ্ড (National Standard)’’ অর্থ দেশব্যাপি পরিমাপের সমতা রক্ষার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পরিমাপক মান বা মানদণ্ড; (১২) ‘‘ডিলার’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি যিনি ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র ক্রয়, বিক্রয় সরবরাহ বা বিতরণ করেন, এবং কোনো কমিশন এজেন্ট যিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পক্ষে এইরূপ ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং কোনো আমদানিকারক যিনি কোনো ব্যবহারকারী, উৎপাদনকারী, মেরামতকারী, ভোক্তা বা অন্যকোনো ব্যক্তির নিকট অন্য কোনোভাবে বিলি, বিক্রয়, বিতরণ বা অন্য কোনোভাবে সরবরাহ করেন তিনিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন; ব্যাখ্যা।- একজন উৎপাদনকারী যিনি, ডিলার ব্যতীত কোনো ব্যক্তির নিকট কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বিক্রয়, সরবরাহ, বিতরণ বা প্রদান করেন তিনি ডিলার হিসাবে গণ্য হইবেন; (১৩) ‘‘ত্রুটিযুক্ত ওজন বা পরিমাপন’’ অর্থ কোনো ওজন বা পরিমাপন যাহা উক্ত ওজন বা পরিমাপন সম্পর্কে স্থিরীকৃত মানদণ্ড অনুসরণ করে না; (১৪) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত; (১৫) ‘‘নিবন্ধন’’ অর্থ এই আইনের অধীন ইনস্টিটিউশন কর্তৃক প্রদত্ত নিবন্ধন; (১৬) ‘‘পরিদর্শক’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 1985 (Ord. No. XXXVII of 1985) এর section 25 এর অধীন নিযুক্ত কোনো পরিদর্শক; (১৭) ‘‘প্রচলিত মানদণ্ড (Working Standard)’’ অর্থ ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ড যাহা জাতীয় মানদণ্ড, রেফারেন্স মানদণ্ড বা সেকেন্ডারি মানদণ্ড ব্যতীত, যে কোনো ওজন বা পরিমাপন প্রতিপাদনের জন্য সরকার কর্তৃক বা সরকারের পক্ষে উৎপাদন বা তৈরি করা হয়; (১৮) ‘‘প্রতিপাদন (Verification)’’ অর্থ ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ডের সহিত সমরূপতা নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে অন্য কোনো ওজন বা পরিমাপনের তুলনার পদ্ধতি, পরীক্ষা, পরখ বা উপযোগীকরণ, এবং পুনঃপ্রতিপাদন ও ক্রমাঙ্কনও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (১৯) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (২০) ‘‘প্রাইমারি মানদণ্ড (Primary Standard)’’ অর্থ কোনো বস্তু বা একই ভিত্তি এককের কোনো পরিমাপনের মানের সম্পর্ক ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিশেষ পরিমাপ পদ্ধতি ব্যবহার করিয়া স্থিরীকৃত পরিমাপন মান বা মানদণ্ড; (২১) ‘‘প্রাঙ্গণ’’ অর্থ- (ক) কোনো স্থান যেখানে কোনো ব্যক্তি স্বয়ং বা প্রতিনিধির মাধ্যমে, যে নামেই অভিহিত হউক, কোনো ব্যবসা, শিল্প, উৎপাদন বা বাণিজ্য পরিচালনা করেন; (খ) পণ্যাগার, গুদাম বা অন্য কোনো স্থান যেখানে কোনো ওজন, পরিমাপন যন্ত্র বা অন্যান্য পণ্য গুদামজাত বা প্রদর্শন করা হয়; (গ) কোনো স্থান যেখানে বাণিজ্য বা লেন-দেনের সহিত সম্পৃক্ত কোনো হিসাব বহি বা অন্যান্য দলিল রাখা হয়; (ঘ) বসবাসের গৃহ, যদি উহার কোনো অংশ ব্যবসা, শিল্প, উৎপাদন বা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়; ব্যাখ্যা।-এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘স্থান’’ অর্থ যান, জলযান বা অন্য যে কোনো ভ্রাম্যমাণ যন্ত্র (device) যাহার সাহায্য ক্রয়, বিক্রয় বা ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালিত হয়, এবং যান, জলযান বা অন্য কোনো ভ্রাম্যমাণ যন্ত্রের উপর খাড়াভাবে স্থাপিত যে কোনো পরিমাপন যন্ত্রও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (২২) ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898); (২৩) ‘‘বাণিজ্য’’ অর্থ কোনো লেন-দেন, ক্রয়-বিক্রয় বা চুক্তি, এবং টোল ও শুল্ক সংগ্রহও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (২৪) ‘‘বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন’’ অর্থ কোনো ব্যবসা বা বাণিজ্যের লেনদেনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত যে কোনো ওজন বা পরিমাপন; (২৫) ‘‘বিক্রয়’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রপাতির মালিকানা বা অন্যান্য পণ্য অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে হস্তান্তর করা, তবে ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বা অন্যান্য পণ্য বন্ধক, দায়বদ্ধতা বা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে হস্তান্তর ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না; (২৬) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (২৭) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ প্রাকৃতিক ব্যক্তিসত্তাবিশিষ্ট একক ব্যক্তি (individual), এবং কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, অংশীদারী কারবার, ফার্ম বা অন্য যে কোনো সংস্থাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (২৮) ‘‘ভর’’ অর্থ বস্তুর মধ্যে পদার্থের মোট পরিমাণ, যাহা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ওজন নামে অভিহিত হইবে; (২৯) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক; (৩০) ‘‘মেরামতকারী’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি যিনি কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের সমন্বয় করেন, পরিষ্কার করেন, তৈল বা গ্রিজ দিয়া পিচ্ছিল করেন, রঙ করেন বা ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের মানদণ্ড নিশ্চিত করিতে অন্য কোনো কাজ করেন; (৩১) ‘‘মোড়কজাত পণ্য’’ অর্থ পাইকারী বা খুচরা যে ভাবেই হউক না কেন, একক মাত্রায় বিক্রয় উপযোগী কোনো বোতলে, মোড়কে বা অন্য কোনোভাবে পূর্ব-মোড়কজাত পণ্য (Pre-packaged Goods); (৩২) ‘‘রপ্তানি’’ অর্থ বাংলাদেশে উৎপাদিত কোনো পণ্য বিক্রয় বা বাণিজ্যের জন্য অন্য দেশে প্রেরণ করা; (৩৩) ‘‘রেফারেন্স মানদণ্ড (Reference Standard)’’ অর্থ সরকার কর্তৃক বা উহার পক্ষে তৈরিকৃত বা উৎপাদিত ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ড যন্ত্রের সেট, যাহার দ্বারা সেকেন্ডারি মানদণ্ড ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের যথার্থতা নির্ণয় করা হয়; (৩৪) ‘‘লাইসেন্স’’ অর্থ এই আইনের অধীন ইনস্টিটিউশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স; (৩৫) ‘‘লেনদেন’’ অর্থ- (ক) ক্রয়, বিক্রয়, বিনিময় বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে চুক্তি; (খ) রয়েলটি, টোল, শুল্ক বা অন্যান্য পাওনা নির্ধারণ; বা (গ) কোনো সম্পাদিত কার্য, বকেয়া বেতন বা প্রদত্ত সেবা মূল্যায়ন; (৩৬) ‘‘লেবেল’’ অর্থ লিখিত মার্কযুক্ত, স্ট্যাম্পযুক্ত, ছাপানো বা গ্রাফিক ডিজাইনকৃত কোনো বস্তু, যাহা কোনো পণ্য বা মোড়কের উপর লাগানো থাকে বা প্রদর্শিত হইয়া থাকে; (৩৭) ‘‘সিলমোহর’’ অর্থ কোনো কৌশল বা প্রক্রিয়া যাহার দ্বারা স্ট্যাম্প যুক্ত করা হয় এবং কোনো স্ট্যাম্পের অখন্ডতা নিশ্চিতকরণে ব্যবহৃত হয় এইরূপ তার (Wire) বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৩৮) ‘‘সেকেন্ডারি মানদণ্ড (Secondary Standard)’’ অর্থ ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ড যন্ত্রের সেট যাহা কোনো প্রচলিত মানদণ্ডের যথার্থতা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক বা সরকারের পক্ষে তৈরিকৃত বা উৎপাদিত; (৩৯) ‘‘স্ট্যাম্প’’ অর্থ কোনো চিহ্ন যাহা নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের উপর স্থাপিত বা উহার সহিত যুক্ত করা হয়, যথা:- (ক) কোনো ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ড নিশ্চিত করিয়া থাকে মর্মে প্রত্যায়ন করা; (খ) মানদণ্ড নিশ্চিতের বিষয় প্রত্যায়ন করিয়া ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের উপর পূর্বের যে চিহ্ন প্রদান করা হইয়াছিল উহা মুছিয়া ফেলা হইয়াছে মর্মে নির্দেশ করা; ব্যাখ্যা।- ছাপ, ঢালাই, খোদাই, নকশা প্রদান, চিহ্ন প্রদান অথবা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় স্ট্যাম্প তৈরি করা যাইবে।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "689,689,75",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছু থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪। (১) আন্তর্জাতিক পদ্ধতির একক হিসাবে পরিচিত এককসমূহ সমগ্র বাংলাদেশে ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের মানদণ্ড একক হিসাবে ব্যবহৃত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ওজন বা পরিমাপ বিষয়ক সাধারণ সম্মেলনে এককসমূহের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি সম্পর্কে যেরূপ সুপারিশ করা হইয়াছে এবং আইনসম্মত পরিমাপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক সুপারিশকৃত অতিরিক্ত এককসমূহ মেট্রিক পদ্ধতি অথবা আন্তর্জাতিক পদ্ধতির একক হইবে। (৩) ভিত্তি এককসমূহ হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) কিলোগ্রাম (kilogram)- (অ) ভরের ভিত্তি একক হইবে কিলোগ্রাম (kilogram); (আ) কিলোগ্রাম হইবে কিলোগ্রামের আন্তর্জাতিক আদিরূপ ভরের সমান; ব্যাখ্যা।- ‘‘কিলোগ্রামের আন্তর্জাতিক আদিরূপ (prototype) অর্থ ১৮৮৯ সনে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ওজন এবং পরিমাপ বিষয়ক প্রথম সাধারণ সম্মেলনে অনুমোদিত এবং আন্তর্জাতিক ওজন বা পরিমাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ব্যুরোতে সংরক্ষিত আদিরূপ; (খ) মিটার (metre)- (অ) দৈর্ঘ্যের ভিত্তি একক হইবে মিটার; (আ) শূন্য মাধ্যমে আলো ১/২৯৯৭৯২৪৫৮ সেকেন্ড সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাহা হইবে ১ (এক) মিটার; (গ) সেকেন্ড (second)- (অ) সময়ের ভিত্তি একক হইবে সেকেন্ড; (আ) ‘‘সেকেন্ড’’ হইল বিকিরণের ৯১৯২৬৩১৭৭০ পরিব্যাপ্তি কাল, যাহা সিজিয়াম ১৩৩ পরমাণুর ভিত্তি অবস্থায় (ground state) দুইটি অতিসূক্ষ্ম স্তরের মধ্যে বিকিরণ সঞ্চালনের সময়কালের অনুরূপ; (ঘ) অ্যাম্পিয়ার (ampere)- (অ) বিদ্যুৎ প্রবাহের ভিত্তি একক হইবে অ্যাম্পিয়ার; (আ) ‘‘অ্যাম্পিয়ার’’ হইল সেই স্থির বিদ্যুৎ প্রবাহ যাহা অসীম দৈর্ঘ্যের নগণ্য বৃত্তাকার দুইটি সরল ও সমান্তরাল পরিবাহকের মধ্যে পরিচালিত হয় এবং শূন্যে এক মিটার দূরত্বে স্থাপন করা হইলে পরিবাহকদ্বয়ের মধ্যে প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে ২ x ১০-৭ নিউটন সমপরিমাণ বল উৎপাদিত হয়; (ঙ) কেলভিন (kelvin)- (অ) তাপমাত্রার ভিত্তি একক হইবে কেলভিন; (আ) ‘‘কেলভিন’’ হইল তাপ গতিবিদ্যায় পানির ত্রৈধ বিন্দুর অবস্থার (triple point) তাপমাত্রার ১/২৭৩.১৬ অংশ; টীকা- (অ) কেলভিন একক এবং উহার k প্রতীক তাপমাত্রার পার্থক্য অথবা মধ্যবর্তী সময় প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হইবে; (আ) কেলভিনে ব্যবহৃত তাপ গতিবিদ্যায় তাপমাত্রার অতিরিক্ত হিসাবে (প্রতীক, t) সেলসিয়াস তাপমাত্রার (প্রতীক, t) সমীকরণ দ্বারা নির্ধারিত t=T – T0, সংজ্ঞা অনুসারে যেখানে T0=২৭৩.১৫ k. যেক্ষেত্রে সংজ্ঞা দ্বারা সেলসিয়াস তাপমাত্রা সাধারণত ‘‘ডিগ্রি সেলসিয়াস’’ (প্রতীক 0C) ব্যবহৃত হয়। এইক্ষেত্রে, ডিগ্রি সেলসিয়াস একক ‘‘কেলভিন’’ এর সমান এবং সেলসিয়াস তাপমাত্রার পার্থক্য বা বিরতিকাল ডিগ্রি সেলসিয়াস হিসাবেও ব্যবহৃত হইতে পারে; (চ) ক্যানডেলা (candela)- (অ) আলোর তীব্রতা পরিমাপের ভিত্তি একক হইবে ক্যানডেলা (Candela); (আ) ‘‘ক্যানডেলা’’ হইল সেই পরিমাণ দীপন তীব্রতা, যাহা কোনো আলোক উৎস একটি নির্দিষ্ট দিকে ৫৪০ x ১০১২ হার্জ কম্পাঙ্কের একবর্ণী বিকিরণ নিঃসরণ করে এবং নির্দিষ্ট দিকে উহার বিকিরণ তীব্রতা হইতেছে প্রতি স্টেরেডিয়ান ঘন কোণে ১/৬৮৩ ওয়াট; (ছ) মোল (mole)- (অ) পদার্থের পরিমাণের ভিত্তি একক হইবে মোল (mole); (আ) ‘‘মোল’’ হইল যৌগিক পদার্থের পরিমাণ, যাহা কার্বন ১২ এর ০.০১২ কিলোগ্রামের মধ্যে যে পরিমাণ মৌলিক পদার্থ সেই পরিমাণ পদার্থ ধারণ করে; টীকা।- যখন মোল ব্যবহৃত হয় তখন মৌলিক পদার্থ সুনির্দিষ্ট হইবে এবং পরমাণু, অণু, আয়ন, ইলেকট্রন, অন্যান্য ক্ষুদ্র পদার্থ, অথবা এইরূপ ক্ষুদ্র পদার্থের নির্দিষ্ট শ্রেণি হইতে পারে।",
"name": "আন্তর্জাতিক পদ্ধতির ভিত্তি একক (Base unit)",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫। (১) সরকার, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ওজন ও পরিমাপের বিভিন্ন ভিত্তি একক প্রতিপাদন বা উপযোগী করিতে পারিবে এবং ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক সাধারণ সম্মেলন বা আইনসম্মত পরিমাপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা বা ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ব্যুরোর সুপারিশ অনুসারে মানদণ্ডের প্রতীক বা সংজ্ঞা, সম্পূরক, লব্ধ বা অন্যান্য এককের সুপারিশ করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পুরণকল্পে, ‘‘লব্ধ একক’’ অর্থ কোনো একটি একক, যাহা ভিত্তি একক, সম্পূরক একক বা উভয়বিধ একক হইতে গৃহীত হয়। (২) ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক সাধারণ সম্মেলন অথবা আইনসম্মত পরিমাপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার সুপারিশ অনুসারে, সরকার, এইরূপ ওজন ও পরিমাপ বিষয়ে ভৌত ধ্রুবক ও সহগের অনুপাতে গুণিতক ও উপগুণিতক নির্দিষ্ট করিতে পারিবে। (৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনে, ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক সাধারণ সম্মেলন অথবা আইন সম্মত পরিমাপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা যেরূপ সুপারিশ করে সেইরূপ মেয়াদের জন্য ওজন বা পরিমাপকে বিশেষ একক হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।",
"name": "ওজন বা পরিমাপের সম্পূরক, লব্ধ, বিশেষ এবং অন্যান্য একক",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬। (১) সরকার সকল ভিত্তি এককের জাতীয় মানদণ্ড প্রস্তুতের ব্যবস্থা করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, কোনো প্রাইমারি মানদণ্ডকে জাতীয় মানদণ্ড হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে। (২) ওজন ও পরিমাপের সকল জাতীয় মানদণ্ড ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও অবস্থায় সংরক্ষণ করা হইবে এবং তিনি সংরক্ষণের পূর্বে এবং প্রতি ১০(দশ) বৎসর পর উহা প্রতিপাদন ও প্রত্যয়নের ব্যবস্থা করিবেন।",
"name": "ভিত্তি এককসমূহের জাতীয় মানদণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৭। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ মাত্রা ও সংখ্যামানসমূহকে, পরিমাপনের সেকেন্ডারি মানদণ্ডের একক হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, সময়ের একক ব্যতীত, উক্তরূপ সেকেন্ডারি মানদণ্ডের একক সংশ্লিষ্ট ভিত্তি এককের দশ গুনের ধনাত্মক বা ঋণাত্মক (power) শক্তি হইবে।",
"name": "পরিমাপনের সেকেন্ডারি মানদণ্ড একক",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৮। (১) ধারা ৪ ও ৬ এ উল্লিখিত ওজন ও পরিমাপনের সকল একক এবং ধারা ৭ এর অধীন সেকেন্ডারি মানদণ্ডের ঘোষিত এককসমূহ ওজন ও পরিমাপনের মানদণ্ড একক হইবে। (২) কোনো স্থানে ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (ক) তে উল্লিখিত ভরের ভিত্তি একক সেই স্থানের ওজনের মানদণ্ড একক হইবে। (৩) কোনো ওজন, পরিমাপন বা সংখ্যামান, ওজন, পরিমাপন বা সংখ্যামানের মানদণ্ড ব্যতীত হইবে না। (৪) কোনো ওজন বা পরিমাপন ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ডের অনুরূপ না হইলে, উক্ত ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদন এবং বিক্রয়, বিপণন ও সরবরাহ করা যাইবে না : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, কেবল রপ্তানির উদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্ত বা বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ডের অনুরূপ নহে এইরূপ কোনো ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদনের জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে। (৫) ওজন, পরিমাণ বা সংখ্যামানের মানদণ্ড একক অনুসরণ ব্যতীত, কোনো ওজন, পরিমাপন বা অন্যান্য পণ্যের উপর খোদিত পরিচিতি বা নির্দেশনা প্রদান করা যাইবে না : তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল ওজন, পরিমাপন বা অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করা হয়, সেই সকল ওজন, পরিমাপন বা অন্যান্য পণ্যের উপর খোদিত পরিচিতি বা নির্দেশনা অন্য কোনো পদ্ধতিতেও প্রদান করা যাইবে।",
"name": "ওজন ও পরিমাপনের মানদণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৯। (১) ওজন বা পরিমাপের মানদণ্ড একক ব্যতীত কোনো ওজন বা পরিমাপন তপশিলে উল্লিখিত এককের মানদণ্ড মানে রুপান্তর করা যাইবে। (২) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন দলিলে উল্লিখিত মানদণ্ড একক মানের কোনো ওজন, পরিমাপন বা সংখ্যামান ব্যতীত অন্য কোনো ওজন, পরিমাপন বা সংখ্যামান তপশিলে উল্লিখিত এককে ব্যাখ্যেয় হইবে। (৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, আনুপাতিক হার নির্দিষ্ট করিতে পারিবে, যাহাতে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ওজন ও পরিমাপন ব্যতীত অন্য কোনো ওজন ও পরিমাপনের মানদণ্ডে রুপান্তর করা যাইবে। (৪) কোনো লেন-দেনে, এই ধারার অধীন, কোনো ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ডে প্রকাশিত মান রূপান্তরের প্রয়োজন হইলে এতদুদ্দেশ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা নিরূপণ করা হইবে।",
"name": "প্রচলিত ওজন ও পরিমাপনকে পরিমাপনের মানদণ্ডে রুপান্তর",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১০। (১) সরকার, ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পরিমাপনের মানদণ্ড বা উহার গুণিতক বা উপ-গুণিতকের জন্য, রেফারেন্স মানদণ্ড নামে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেট প্রস্তুতের ব্যবস্থা করিবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি পরিমাপনের সেট জাতীয় মানদণ্ডের সহিত তুলনা করিয়া প্রস্তুত করিবে। (২) রেফারেন্স মানদণ্ডসমূহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেইরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ স্থান ও অবস্থায় সংরক্ষণ করা হইবে।",
"name": "রেফারেন্স মানদণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১১। (১) প্রচলিত মানদণ্ডের শুদ্ধতা প্রতিপাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার, সেকেন্ডারি মানদণ্ড নামে ওজন ও পরিমাপনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক মানদণ্ড সেট প্রস্তুত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি সেট রেফারেন্স মানদণ্ডের সহিত প্রতিপাদন করিয়া নির্ভরযোগ্য করা যাইবে। (২) সেকেন্ডারি মানদণ্ড ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও অবস্থায় সংরক্ষণ করা হইবে এবং তিনি প্রতি ৫ (পাঁচ) বৎসরে কমপক্ষে একবার উহা রেফারেন্স মানদণ্ডের সহিত প্রতিপাদনের ব্যবস্থা করিবেন এবং উক্ত প্রতিপাদন তারিখ দ্বারা চিহ্নিত করিবেন।",
"name": "সেকেন্ডারি মানদণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১২। (১) বাণিজ্যিক ওজন ও পরিমাপনের শুদ্ধতা প্রতিপাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার, প্রচলিত মানদণ্ড নামে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মানদণ্ডের সেট প্রস্তুত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি সেট সেকেন্ডারি মানদণ্ডের সহিত প্রতিপাদন করিয়া নির্ভরযোগ্য করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে যে, স্বর্ণ ও রৌপ্যের বাট এবং মূল্যবান পাথর সংশ্লিষ্ট প্রচলিত মানদণ্ডসমূহ রেফারেন্স মানদণ্ডের সহিত সত্যতা প্রতিপাদন করিতে হইবে। (২) প্রচলিত মানদণ্ডসমূহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও অবস্থায় সংরক্ষণ করা হইবে এবং, ক্ষেত্রমত, তৎকর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও পদ্ধতিতে প্রতিপাদন করা হইবে এবং এইরূপ সত্যতা প্রতিপাদন তারিখ দ্বারা চিহ্নিত করিতে হইবে। (৩) নির্ধারিত বিরতিতে প্রতিপাদিত করা হয় নাই এইরূপ প্রচলিত মানদণ্ড পুনরায় প্রতিপাদনের তারিখ চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করা যাইবে না।",
"name": "প্রচলিত মানদণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১৩। (১) ব্যবসা বা বাণিজ্যে ব্যবহৃত ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের শুদ্ধতা প্রতিপাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র প্রস্তুত করিতে পারিবে এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার শুদ্ধতা প্রতিপাদন এবং প্রতিপাদনের তারিখ চিহ্নিত হইবে। (২) ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ড যন্ত্র সেকেন্ডারি মানদণ্ড অথবা প্রচলিত মানদণ্ড যেই স্থানে সংরক্ষণ করা হয় সে স্থানে সংরক্ষণ করিতে হইবে।",
"name": "ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ড যন্ত্র",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১৪। পরিদর্শক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহার এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় তাহার নিকট আনীত ওজন, পরিমাপন অথবা ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র প্রতিপাদন করিবেন, এবং যদি তিনি উহা যথাযথ দেখিতে পান, তাহা হইলে সরকার যেরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে সেইরূপে, সত্যতা প্রতিপাদনের সিলমোহর প্রদান করিবেন।",
"name": "পরিদর্শক কর্তৃক সত্যতা প্রতিপাদন এবং সিলমোহর প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১৫। (১) পরিদর্শক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যে কোনো যুক্তিসঙ্গত সময়ে, ব্যবসা বা বাণিজ্যের লেন-দেনে ব্যবহৃত যে কোনো ওজন, পরিমাপন, ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বা যে কোনো ব্যক্তির অধিকারে থাকা বা অনুরূপ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কোনো প্রাঙ্গনে রক্ষিত সকল সামগ্রী পরিদর্শন বা সত্যতা প্রতিপাদন করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন যে কোনো ওজন, পরিমাপন বা ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র প্রতিপাদনের উদ্দেশ্যে, পরিদর্শক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ব্যবসা বা বাণিজ্যের যে কোনো লেন-দেনের সময় বিক্রিত বা সরবরাহকৃত যে কোনো পণ্যের ওজন বা পরিমাণের সত্যতা প্রতিপাদন করিতে বা সত্যতা প্রতিপাদনের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন। (৩) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন বিক্রীত বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রহিয়াছে এইরূপ কোনো ওজন পরিমাপন, ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বা অন্য কোনো পণ্য পরিদর্শন বা প্রতিপাদন করা হয় এবং উহাতে নির্দেশিত নির্দিষ্ট পরিমাণ পাওয়া না যায়, সেইক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, উহা বাজেয়াপ্ত বা আটক করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বাজেয়াপ্তকৃত পণ্য দ্রুত ও স্বাভাবিক পচনশীল প্রকৃতির হইলে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত পণ্য নিষ্পত্তি বা ধ্বংস করিতে পারিবেন। (৫) যে কোনো অনুসন্ধান বা বাজেয়াপ্ত কার্যক্রম ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুসারে করা হইবে। (৬) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বাজেয়াপ্তকৃত প্রত্যেক ত্রুটিযুক্ত বা অপ্রতিপাদিত ওজন বা পরিমাপন অথবা পণ্য ইনস্টিটিউশন বরাবর বাজেয়াপ্ত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, অপ্রতিপাদিত ওজন বা পরিমাপন ইনস্টিটিউশন বরাবর বাজেয়াপ্ত হইবে না, যদি যে ব্যক্তির নিকট হইতে এইরূপ ওজন বা পরিমাপন বাজেয়াপ্ত হইয়াছিল তিনি উহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিপাদিত ও সিলমোহর প্রদানের ব্যবস্থা করেন।",
"name": "ওজন ও পরিমাপন পরিদর্শন ও সত্যতা প্রতিপাদনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১৬। (১) যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা পরিদর্শকের বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আবদ্ধ মোড়ক বা ধারণপাত্রে নিট ওজনের বা পরিমাণের পণ্য নাই, তাহা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, পরিদর্শক মোড়ক বা ধারণপাত্র খুলিতে পারিবেন এবং অভ্যন্তরস্থ বস্তুর ওজন বা পরিমাণ প্রতিপাদন করিতে পারিবেন। (২) যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরস্থ বস্তুর নিট ওজন বা পরিমাণ- (ক) মোড়ক বা ধারণপাত্রে নির্দেশিত পরিমাণের সমান পাওয়া যায়, তাহা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, পরিদর্শক মোড়ক বা ধারণপাত্রের অভ্যন্তরস্থ বস্তুর ক্ষতিসাধন ব্যতীত, পুনরায় আবদ্ধ করিবার ব্যবস্থা করিবেন; (খ) মোড়ক বা ধারণপাত্রের নির্দেশিত পরিমাণের সমান পাওয়া না যায়, তাহা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, পরিদর্শক মোড়ক বা ধারণপাত্র বা ইহার অভ্যন্তরস্থ বস্তু বাজেয়াপ্ত বা আটক করিতে পারিবেন।",
"name": "আবদ্ধ মোড়ক ও ধারণপাত্রের অভ্যন্তরস্থ বস্তু পরিদর্শন এবং প্রতিপাদনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১৭। যদি ক্ষতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মনে করেন যে, কোনো এলাকায় কোনো ওজন, পরিমাপন অথবা ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের সমন্বয় সাধন করা বাঞ্ছনীয়, তাহা হইলে তিনি কোনো পরিদর্শককে, তৎকর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে, উক্ত ওজন, পরিমাপন বা ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র সমন্বয় করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং পরিদর্শক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।",
"name": "ওজন এবং পরিমাপন উপযোগীকরণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১৮। ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের উৎপাদনকারী, মেরামতকারী বা ডিলার এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যে উহার ব্যবহারকারী প্রত্যেক ব্যক্তি এবং মোড়কজাত পণ্য উৎপাদনকারী ও মোড়কজাতকারী এতদসম্পর্কিত রেকর্ড ও দলিলপত্র সংরক্ষণ করিবেন এবং, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, পরিদর্শক তলব করিলে, এইরূপ রেকর্ড ও দলিলপত্র তাহার সম্মুখে উপস্থাপন করিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী, ইত্যাদি কর্তৃক রেকর্ড ও দলিলপত্র সংরক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1270,
"details": "১৯। কোনো পরিদর্শক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরিদর্শন বা সত্যতা প্রতিপাদনের উদ্দেশ্যে কোনো প্রাঙ্গনে প্রবেশ করিতে পারিবেন, এবং যে কোনো ব্যবসায়ী বা কর্মচারী বা ব্যবসায়ীর প্রতিনিধিকে উপস্থিত হইতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, অথবা যে কোনো ওজন বা পরিমাপন, ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বা মোড়কজাত পণ্য বা যে কোনো দলিল বা তৎসংশ্লিষ্ট রেকর্ড অনুসন্ধানের জন্য তাহার সম্মুখে আনয়নের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যবসায়ী বা কর্মচারী বা ব্যবসায়িক প্রতিনিধি উক্ত নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "প্রবেশ, ইত্যাদির ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২০। (১) প্রত্যেক ব্যক্তি, ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদনের পূর্বে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট তদকর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক ওজন বা পরিমাপন সম্পর্কিত মডেল, নকশা এবং অন্যান্য তথ্য অনুমোদনের জন্য দাখিল করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল ওজন বা পরিমাপন ইতোমধ্যে তৈরি বা প্রস্তুত করা হইয়াছে অথবা তৈরি বা প্রস্তুতের প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রহিয়াছে সেই সকল ওজন বা পরিমাপন হইতে মডেল ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট দাখিল করিতে হইবে : আরও শর্ত থাকে যে, কোনো ওজন বা পরিমাপন উহার বৈশিষ্ট্যের বা অন্য কোনো কারণে দাখিল করা সম্ভব না হইলে উহার নকশা ও অন্যান্য নির্দিষ্ট তথ্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট দাখিল করা যাইবে, এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অবিলম্বে ওজন ও পরিমাপনসমূহ যেস্থানে তৈরি বা উৎপাদিত হয় সেই স্থানে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো স্থানে পরীক্ষা করিতে পারিবেন। (২) ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অনুমোদনের জন্য দাখিলকৃত যে কোনো মডেল পরীক্ষার জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি উৎপাদনকারীর নিকট হইতে রশিদ প্রদানের মাধ্যমে সংগ্রহ করিতে পারিবেন। (৩) ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহার নিকট দাখিলকৃত কোনো মডেল নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে পরীক্ষা করিবেন, যথা:- (ক) উক্ত মডেল মানদণ্ডের অনুরূপ কিনা উহা নিশ্চিত করা; (খ) উক্ত মডেল সময়ের পরিক্রমায় টিকিয়া থাকিবার ক্ষমতা ও সঠিকতা বজায় রাখিতে সামর্থ্য কিনা উহা নির্ধারণ করা; এবং (গ) মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অবস্থায় উক্ত মডেলসমূহের কার্যকারিতা নির্ণয় করা। (৪) ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি উক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন বিবেচনার পর এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত মডেলসমূহ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি অনুসারে এবং সময়ের পরিক্রমায় টিকিয়া থাকিবে ও সঠিকতা বজায় রাখিবে, তাহা হইলে তিনি উক্ত মডেল অনুমোদনের সনদ ইস্যু করিতে পারিবেন। (৫) মডেল অনুমোদনের সনদ সরকারি গেজেটে অথবা সরকারের নির্দেশ অনুসারে অন্য কোনো ভাবে প্রকাশিত হইবে। (৬) ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি সন্তুষ্ট হন যে, তৎকর্তৃক অনুমোদিত মডেল অনুসারে প্রস্তুতকৃত বা উৎপাদিত পণ্য প্রত্যাশিত ফল প্রদানে ব্যর্থ হইয়াছে অথবা মানদণ্ডের উপযোগী হইতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি উপ-ধারা (৪) এর অধীন তৎকর্তৃক ইস্যুকৃত সনদ বাতিল বা স্থগিত করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ওজন বা পরিমাপনের উৎপাদনকারীকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান ব্যতীত, কোনো সনদ বাতিল করা যাইবে না : আরও শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সন্তুষ্ট হন যে, ওজন বা পরিমাপনের মডেলে প্রস্তুতকারক বা উৎপাদনকারী দ্বারা সম্পাদিত পরিবর্তনের কারণে, এইরূপ মডেল অনুমোদনের উপযুক্ত হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সনদ বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবেন। (৭) যেইক্ষেত্রে কোনো ওজন বা পরিমাপনের মডেল অনুমোদিত হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে এইরূপ ওজন বা পরিমাপনের বিভিন্ন শ্রেণির (denominations) মডেলের অনুমোদনের প্রয়োজন হইবে না, যদি উহা মূল উপাদান অনুসারে তৈরি হইয়া থাকে।",
"name": "মডেল অনুমোদন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২১। (১) ধারা ২০ এর অধীন কোনো ওজন বা পরিমাপনের মডেল অনুমোদিত হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবেন। (২) মডেল অনুমোদনের সনদ কোনো কারণে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক বাতিল হইলে বা অনুমোদিত মডেল অনুযায়ী ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র উৎপাদন না করিলে ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদনের জন্য ইস্যুকৃত লাইসেন্স স্থগিত করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে যে, পরবর্তীতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক এইরূপ মডেল অনুমোদিত হইলে উক্ত স্থগিতাবস্থা প্রত্যাহার করা যাইবে।",
"name": "ওজন বা পরিমাপন উৎপাদন করিবার লাইসেন্স",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২২। প্রতিটি ওজন বা পরিমাপন, যাহার জন্য একটি মডেল অনুমোদন করা হইয়াছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সনদের নম্বর বা ক্রমিক বহন করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে সরকার মনে করে যে, আকার ও বৈশিষ্ট্যের কারণে কোনো ওজন বা পরিমাপনের উপর বিবরণের অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নহে, সেইক্ষেত্রে উক্ত ওজন বা পরিমাপনের উপর উক্তরূপ অন্তর্ভুক্তি হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ওজন বা পরিমাপনে অনুমোদিত মডেলের নম্বর ধারণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২৩। (১) কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ব্যতিরেকে এলপিজি, এলএনজি বটলিং, টার্মিনাল, প্লান্ট, পেট্রোল পাম্প স্টেশন, সিএনজি ফিলিং স্টেশন, এলএনজি ফিলিং স্টেশন বা এলপিজি ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে পণ্য লেদদেন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেন না। (২) এই ধারার অধীন নিবন্ধন সনদ গ্রহণের জন্য ইনস্টিটিউশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিসহ মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর মহাপরিচালক আবেদনপত্রটি পরিচালক (মেট্রোলজি) বরাবর প্রেরণ করিবেন এবং তিনি উহা যাঁচাই-বাছাই করিয়া সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক সন্তুষ্ট হইলে, মহাপরিচালকের অনুমোদনক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি গ্রহণ সাপেক্ষে আবেদনকারীর অনুকূলে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদকালের জন্য নিবন্ধন সনদ ইস্যু করিবেন যাহা প্রতি ৩ (তিন) বৎসর পর ফি গ্রহণ সাপেক্ষে নবায়নযোগ্য হইবে। (৪) নিবন্ধনের আবেদন বা নবায়নের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিদর্শনের ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পণ্য লেন-দেনের কাজে ব্যবহৃত ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র, স্টোরেজ ট্যাংক, আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক, ফ্লো-মিটার, ডিসপেন্সিং ইউনিট, প্রেসার মিটার, গোপনীয় কোড, যন্ত্রাদির মডেল এবং উহাদের উপযোগিতা ও পরিবর্তনশীলতা, ইত্যাদি এবং প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কাগজপত্র ও দলিলাদি পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করিতে পারিবেন।",
"name": "এলপিজি ফিলিং স্টেশন, পাম্প, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২৪। (১) কোনো ব্যক্তি মোড়কজাত কোনো পণ্য- (ক) তৈরি, উৎপাদন, মোড়কজাত বা বিক্রয় করিবেন না, বা মোড়কজাত বা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করিবেন না; (খ) পরিবেশন বা সরবরাহ করিবেন না অথবা পরিবেশন বা সরবরাহের ব্যবস্থা করিবেন না; বা (গ) বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রদর্শন বা অধিকারে রাখিবেন না; যদি না পণ্য সামগ্রী মোড়কজাতকরণের নিবন্ধন সনদপত্র থাকে এবং এইরূপ মোড়কের উপরিভাগে প্যানেলে বাংলা ভাষায় (বাংলা ভাষার অক্ষরের আকৃতিকে অধিক প্রাধান্য দিয়া) নিম্নবর্ণিত তথ্যসহ সকল ঘোষণা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংযোজিত থাকে,- (অ) মোড়কের ভিতরের পণ্যের পরিচয়; (আ) মোড়কের ভিতরের পণ্যের নিট পরিমাণ এবং পণ্য মোড়কজাত করিবার নির্দিষ্ট পরিমাণ বা সংখ্যা; (ই) মোড়কের মধ্যে ধারণকৃত পণ্যের সঠিক সংখ্যা, যদি উক্তরূপ পণ্য সংখ্যার দ্বারা মোড়কজাত করা হয় বা বিক্রয় করা হয়; (ঈ) মোড়কজাত পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য; (উ) পণ্য উৎপাদনের তারিখ ও, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উপযুক্ত ব্যবহারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ; এবং (ঊ) উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী, পরিবেশক বা বিপণনকারীর নাম এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ ঠিকানা। ব্যাখ্যা।- ‘‘প্যানেল’’ অর্থ কোনো মোড়কের পৃষ্ঠদেশের সেই অংশ যেখানে বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে, এবং লেবেলও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক পণ্যের মোড়কের মূল প্রদর্শনী প্যানেলে পণ্যের পরিচয় ও পরিমাণ স্থায়ীভাবে মুদ্রিত থাকিতে হইবে। ব্যাখ্যা।- ‘‘মূল প্রদর্শনী প্যানেল’’ অর্থ কোনো মোড়কের প্যানেলের সেই অংশ যাহা স্বাভাবিক অবস্থায় বা বিক্রয় বা, বিপণনের সময় প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে অধিক দৃষ্টিগ্রাহ্য বা আকর্ষণীয় করা হয়। (৩) যেক্ষেত্রে কোনো পণ্যের মোড়ক বা উহার উপরিস্থিত লেবেলে অভ্যন্তরস্থ পণ্যের ওজন, পরিমাণ বা সংখ্যামানের ঘোষণা থাকে, সেইক্ষেত্রে মোড়ক বা লেবেলে এইরূপ ঘোষণায় নিট পরিমাণ উল্লেখের ক্ষেত্রে নিট পরিমাণ সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও অন্তর্ভুক্ত থাকিবে। (৪) মোড়কের উপরে ওজন, পরিমাণ বা সংখ্যাকে সীমিত বা বর্ধিত করিবার প্রবণতা সংক্রান্ত কোনো বর্ণনা এবং অভ্যন্তরস্থ বস্তু সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে না। (৫) মোড়কজাতকৃত কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপনে খুচরা মূল্য বর্ণিত হইলে সেইক্ষেত্রে পণ্যের নিট পরিমাণ বা সংখ্যার বিষয়ে দৃষ্টিগ্রাহ্য ঘোষণা এবং উহার একক খুচরা বিক্রয় মূল্যও অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। (৬) কোনো ব্যক্তি মোড়কের অভ্যন্তরস্থ বস্তুর সুরক্ষা ব্যতীত নির্দিষ্ট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মোড়কে উহার চাইতে কম পণ্য বিক্রয়, বিতরণ বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে মোড়কজাত করিতে পারিবেন না। (৭) মোড়কজাতকৃত কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য কোনো উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী, সরবরাহকারী বা পাইকারী বা খুচরা বিপণনকারী বিক্রয়ের উদ্দেশে প্রদর্শন বা সংরক্ষণ করিতে পারিবেন না। (৮) স্থানীয়ভাবে মোড়কজাতকৃত এবং নিবন্ধনকৃত পণ্যের মোড়কের গায়ে ঘোষিত ওজন বা পরিমাণের সহিত লোগো বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবহার করিতে হইবে।",
"name": "পণ্য মোড়কজাতকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২৫। (১) কোনো ব্যক্তি সনদ গ্রহণ ব্যতিরেকে বাণিজ্যিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে- (ক) মেরামতকারী হিসাবে ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র মেরামত, সংযোজন বা সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত ব্যবসা করিতে পারিবেন না; (খ) সরবরাহকারী বা ডিলার হিসাবে ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র ক্রয়, বিক্রয় সরবরাহ বা বিতরণ করিতে পারিবেন না; (গ) ক্যালিব্রেটর হিসাবে ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র ক্রমাঙ্কন বা সমতা বিধানের কাজ করিতে পারিবেন না। ব্যাখ্যা।- ‘‘ক্যালিব্রেটর’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি যিনি ওজন বা পরিমাপন যস্ত্র, স্টোরেজ ট্যাংক, অয়েল ট্যাংকার, বার্জ, ইত্যাদি ক্রমাঙ্কন বা সমতা বিধানের কাজ করেন। (২) কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন নিবন্ধন গ্রহণ ব্যতীত, কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র আমদানি বা রপ্তানি করিতে পারিবেন না। (৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত নিবন্ধন বা সনদ গ্রহণের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ের মধ্যে আবেদন করিতে হইবে। (৪) ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র প্রতিবার আমদানি বা রপ্তানি করিবার ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট হইতে অনুমতিপত্র গ্রহণ করিতে হইবে এবং নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে উক্ত যন্ত্রের প্রতিপাদন ও সীলমোহর যুক্ত করিতে হইবে।",
"name": "সনদ বা, ক্ষেত্রমত, নিবন্ধন ব্যতীত ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র মেরামত, সরবরাহ, আমদানি, রপ্তানি বা ক্রমাঙ্কন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২৬। (১) সরকার, কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র রপ্তানির জন্য নির্ধারিত শর্ত, সীমাবদ্ধতা ও বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র, সরকারের পূর্ব অনুমতিক্রমে, সম্পূর্ণভাবে রপ্তানির উদ্দেশ্যে উৎপাদন করিতে হইবে : আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র, এই আইনের অধীন বা এই আইন দ্বারা স্থিরিকৃত মানদণ্ডের উপযোগী হইবার আবশ্যকতা নাই। (২) যেক্ষেত্রে কোনো পণ্য মোড়কজাত আকারে রপ্তানি করা হয়, সেইক্ষেত্রে রপ্তানিকারক, ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ড একক অনুসারে মোড়কের অভ্যন্তরস্থ বস্তুর নিট পরিমাণ এবং উহার অতিরিক্ত হিসাবে যে ব্যক্তির নিকট রপ্তানি করা হইবে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত চাহিদা অনুসারে, এইরূপ ওজন বা পরিমাপনের এককে ইহার অভ্যন্তরস্থ বস্তুর নিট পরিমাণ নির্দেশ করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান সাপেক্ষে, রপ্তানিকারক আমদানিকারকের চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য বিষয়াদি উল্লেখ করিতে পারিবে।",
"name": "মানদণ্ডবিহীন ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বা অন্যান্য পণ্য রপ্তানির অনুমতি প্রদানের শর্তাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২৭। কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র আমদানি করা যাইবে না, যদি উহা দ্বারা- (ক) মেট্রিক পদ্ধতির এককে পরিমাপ করা না যায়; এবং (খ) মেট্রিক পদ্ধতির এককের পাশাপাশি অন্য পদ্ধতির এককেও পরিমাপ করা যায়।",
"name": "মেট্রিক পদ্ধতির ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র আমদানি",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২৮। ব্যবসা বা বাণিজ্য, কোনো লেনদেন বা মালামাল সরবরাহের কাজে মেট্রিক পদ্ধতির অনুসরণ ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতির ওজন বা পরিমাপন ব্যবহার করা যাইবে না।",
"name": "মানদণ্ড ওজন ও পরিমাপন ব্যতীত অন্য কোনো ওজন বা পরিমাপনের ব্যবহার নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1270,
"details": "২৯। কোনো প্রচলিত প্রথা, রীতিনীতি বা পদ্ধতিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ওজন বা পরিমাপের মানদণ্ডের পরিভাষায় নির্ণিত এবং চুক্তির দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণের তুলনায় কম বা বেশি পরিমাণের পণ্য বা পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের বেশি প্রদান, গ্রহণ বা দাবি করিতে পারিবেন না।",
"name": "ওজন বা পরিমাপের মানদণ্ড এককে নির্ণিত পরিমাণ হইতে ভিন্ন পরিমাণ গ্রহণ বা দাবি নিষিদ্ধ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩০। (১) কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ইমারত বা স্থাপনা তৈরি বা মেরামত করিবার ক্ষেত্রে সিডিউল বা ব্রুশিয়ারে উল্লিখিত বা ঘোষিত পরিমাপ অনুসরণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পরিমাপ ইনস্টিটিউশন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি গ্রহণপূর্বক যাঁচাই ও সনদ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ইমারত ও স্থাপনা তৈরি বা মেরামত করিবার ক্ষেত্রে সিডিউলে বা ব্রুশিয়ারে উল্লিখিত বা ঘোষিত পরিমাপ অনুসরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩১। কোনো ওজন বা পরিমাপনের উপরে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মানদণ্ড এককে পরিমাণ ঘোষণা না থাকিলে উহা বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন হিসাবে বিক্রয়, সরবরাহ বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন বা ইহার যে কোনো শ্রেণিকে অনুরূপ আবশ্যকতা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপনের উপর মানদণ্ড এককসহ পরিমাণ ঘোষণা",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩২। (১) কোনো বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন বা ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রতিপাদিত ও স্ট্যাম্পযুক্ত না হইলে বা উহার বৈধ ভেরিফিকেশন বা, ক্ষেত্রমত, ক্রমাঙ্কন সনদ না থাকিলে উহা বিক্রয়, সরবরাহ বা ব্যবহার করা বা অধিকারে রাখা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন বা ইহার যে কোনো শ্রেণিকে উক্ত আবশ্যকতা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (২) যেক্ষেত্রে কোনো বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন বা ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র কোনো ব্যবসায়ী বা তৎকর্তৃক নিযুক্ত কোনো কর্মচারী বা প্রতিনিধির অধিকারে পাওয়া যায়, সেইক্ষেত্রে, ভিন্নতর প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত, উহা উক্ত ব্যবসায়ী, কর্মচারী বা প্রতিনিধির অধিকারভুক্ত রহিয়াছে বলিয়া বিবেচনা করা হইবে। (৩) কোনো ব্যক্তি বৈধ ভেরিফিকেশন বা, ক্ষেত্রমত, ক্রমাঙ্কন সনদ ব্যতীত স্টোরেজ ট্যাংক, অয়েল ট্যাংকার , লাইটারেজ, বার্জ ও ট্যাংকলরি, ফ্লোটিং পাম্প, ফ্লুইড ফ্লো মিটার, এনার্জি মিটার, ভিহিকল মিটার, ট্যাক্সি মিটার, গ্যাস মিটার, ওয়াটার মিটার বা অনুরূপ পরিমাপ বা পরিমাপন যন্ত্র ব্যবহার করিতে বা ব্যবহার করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবে না।",
"name": "স্ট্যাম্পবিহীন বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন বিক্রয় ও ব্যবহার নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩৩। কোনো ব্যক্তি যদি রপ্তানির উদ্দেশ্য ভিন্ন ওজন বা পরিমাপন বা সংখ্যামানের মানদণ্ড ব্যতীত কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র তৈরি বা উৎপাদন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড অথবা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ৮(৪) লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩৪। কোনো ব্যক্তি যদি রপ্তানির উদ্দেশ্য ভিন্ন ওজন বা পরিমাপনের উপরিভাগে এইরূপ কোনো ওজন, পরিমাণ বা সংখ্যামান খোদাই করেন, যাহাতে মানদণ্ড একক অনুসরণ করা হয় নাই বা ওজন বা পরিমাপনের মানদণ্ডের অনুরূপ নহে, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ৮(৫) লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩৫। কোনো ব্যক্তি যদি সত্যতা প্রতিপাদনের জন্য পরিলক্ষিত ত্রুটি সংশোধন ব্যতীত, অন্য কোনো উপায়ে রেফারেন্স মানদণ্ড, সেকেন্ডারি মানদণ্ড বা প্রচলিত মানদণ্ড পরিবর্তন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ১০, ১১ এবং ১২ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩৬। কোনো ব্যক্তি যদি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত, এই আইনের অধীন কোনো রেকর্ড বা দলিলপত্র রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ বা অপারগ হন, অথবা পরিদর্শক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নির্দেশিত হইয়া, কোনো যুক্তি সঙ্গত কারণ ব্যতীত, কোনো রেকর্ড বা দলিলপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ বা অপারগ হন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ১৮ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩৭। (১) কোনো ব্যক্তি যদি, কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত, কোনো ওজন বা পরিমাপনের মডেল অনুমোদনের জন্য দাখিল করিতে ব্যর্থ হন বা অপারগ হন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬(ছয়) মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) কোনো ব্যক্তি যদি, ধারা ২০ এর অধীন ওজন বা পরিমাপন সম্পর্কিত মডেল অনুমোদনের সনদ গ্রহণ ব্যতীত উহা বিক্রয়, বিতরণ, সরবরাহের জন্য তৈরি বা উৎপাদন করেন, অথবা বিক্রয় বা ব্যবসায় বা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে হস্তান্তর করেন, তাহা হইলে তিনি, অনূর্ধ্ব ২(দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) কোনো ব্যক্তি যদি, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সুপারিশ বা অনুমোদন বহির্ভূত বস্তু দ্বারা কোনো ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডসহ অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২০ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩৮। কোনো ব্যক্তি যদি, লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে বিক্রয়, বিতরণ, সরবরাহের উদ্দেশ্যে কোনো ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র উৎপাদন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২১ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৩৯। কোনো ব্যক্তি যদি, ধারা ২২ এর বিধান অনুসরণ ব্যতীত, কোনো ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২২ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪০। কোনো ব্যক্তি যদি নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ব্যতীত এলপিজি, এলএনজি বটলিং, টার্মিনাল, প্লান্ট, পেট্রোলপাম্প স্টেশন, সিএনজি ফিলিং স্টেশন, এলপিজি ফিলিং স্টেশন, বা এলএনজি ফিলিং স্টেশন পরিচালনা করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২(দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২৩ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪১। কোনো ব্যক্তি যদি ধারা ২৪ বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলি লঙ্ঘন করিয়া, মোড়কজাত আকারে, যে কোনো পণ্য বিক্রয়, পরিবেশন, সরবরাহ বা হস্তান্তর করেন অথবা পরিবেশন বা সরবরাহের ব্যবস্থা করেন, তাহা হইলে তিনি, অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২৪ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪২। কোনো ব্যক্তি যদি ধারা ২৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ০৬(ছয়) মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২৫ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪৩। কোনো ব্যক্তি যদি সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত মোড়কজাত আকারে, কোনো ওজন বা পরিমাপন বা পণ্য রপ্তানি করেন, যাহা ওজন বা পরিমাপের মানদণ্ডের অনুরূপ নহে, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২৬ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪৪। কোনো ব্যক্তি যদি মেট্রিক পদ্ধতির এককে পরিমাপের উপযোগী নয় বা মেট্রিক পদ্ধতির এককের পাশাপাশি অন্য পদ্ধতির এককেও পরিমাপের উপযোগী ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র আমদানি করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২৭ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪৫। কোনো ব্যক্তি যদি ওজন বা পরিমাপন বা, ক্ষেত্রমত, সংখ্যামানের মানদণ্ড ব্যতীত, অন্য কোনো ওজন বা পরিমাপন বা সংখ্যামান ব্যবহার করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬(ছয়) মাসের কারাদণ্ড অথবা অনূর্ধ্ব ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২৮ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪৬। কোনো ব্যক্তি যদি- (ক) যে কোনো পরিমাণের বা সংখ্যায় কোনো বস্তু বা পণ্য বিক্রয়, সরবরাহ বা বিক্রয় বা সরবরাহের ব্যবস্থা করেন, যাহা চুক্তি বা অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে প্রাপ্য পরিমাণ বা সংখ্যা হইতে কম হয়; বা (খ) ওজন বা পরিমাপন বা সংখ্যা দ্বারা কোনো সেবা প্রদান করেন, যাহা চুক্তি বা অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে সেবার তুলনায় কম হয়; বা (গ) কোনো বস্তু বা পণ্য অথবা কোনো পরিমাণ বা সংখ্যার চুক্তি বা নির্দিষ্ট মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণ বা সংখ্যা দাবি বা দাবির ব্যবস্থা করেন, অথবা গ্রহণ বা গ্রহণের ব্যবস্থা করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২৯ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪৭। কোনো ব্যক্তি যদি ধারা ৩০ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ০২(দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২০(বিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ৩০ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪৮। কোনো ব্যক্তি যদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রতিপাদন ও স্ট্যাম্পযুক্ত না করিয়া বা বৈধ ভেরিফিকেশন বা, ক্ষেত্রমত, ক্রমাঙ্কন সনদ গ্রহণ ব্যতীত কোনো বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবহার করেন বা অধিকারে রাখেন অথবা ব্যবহার বা অধিকারে রাখিবার ব্যবস্থা করেন তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ৩২ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৪৯। কোনো ব্যক্তি যদি ওজন, পরিমাণ বা সংখ্যামান মানদণ্ড একক ব্যতীত ভিন্নভাবে ধারা ৬৭ তে বর্ণিত ক্ষেত্রে উদ্ধৃত করেন, তাহা হইলে তিনি ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ৬৭ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫০। কোনো ব্যক্তি যদি- (ক) কোনো সীলমোহর অথবা স্ট্যাম্প জাল করেন; বা (খ) জাল সীলমোহর অধিকারে রাখেন, বিক্রয় বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করেন; বা (গ) কোনো স্ট্যাম্প সরাইয়া ফেলেন বা বিকৃত করেন; বা (ঘ) কোনো স্ট্যাম্প সরাইয়া ফেলেন এবং অন্য কোনো ওজন বা পরিমাপনের উপরে আঁটিয়া বা প্রবিষ্ঠ করান; বা (ঙ) কোনো ব্যক্তিকে প্রতারিত করিবার উদ্দেশ্যে বা প্রতারিত হইতে পারে এইরূপ বিশ্বাসে কোনো ওজন বা পরিমাপন বৃদ্ধি, হ্রাস বা পরিবর্তন করেন, তাহা হইলে তিনি ৬(ছয়) মাস হইতে অনূর্ধ্ব ২(দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "সীলমোহর জালকরণের দণ্ড, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫১। কোনো ব্যক্তি যদি কোনো প্রতারণামূলক (false) বা অপ্রতিপাদিত ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদন করেন বা তাহার অধিকারে রাখেন অথবা হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখেন, তাহা হইলে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত, অনুমান করা হইবে যে, এইরূপ ওজন বা পরিমাপন ব্যবসা বা বাণিজ্যের কার্যক্রমে ব্যবহার বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলক ও অপ্রতিপাদিত ওজন বা পরিমাপন এইরূপ ব্যক্তি কর্তৃক জ্ঞাতসারে তৈরি বা উৎপাদিত, অধিকারভুক্ত বা নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।",
"name": "কতিপয় ক্ষেত্রে অনুমান করা",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫২। কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, যাহা লঙ্ঘনের জন্য এই আইনে দণ্ডের বিধান নাই, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "যেক্ষেত্রে দণ্ডের বিধান নির্দিষ্ট নহে",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫৩। কোনো ব্যক্তি যদি কোনোভাবে পরিদর্শক, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা অন্য কোনো কর্মচারীর ছদ্মবেশ গ্রহণ করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৫(পাঁচ) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২(দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "কর্মচারীর ছদ্মবেশ গ্রহণের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫৪। কোনো ব্যক্তি যদি পরিদর্শক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন তাহার ক্ষমতা প্রয়োগ বা তাহার কার্য সম্পাদনে বাধা প্রদান করেন অথবা তাহার ক্ষমতা ব্যবহারে বাধা বা ভয় প্রদর্শন করিয়া তাহার দায়িত্ব হইতে নিবৃত্ত করিতে চাহেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ২(দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদানের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫৫। কোনো ব্যক্তি যদি মিথ্যা জানিয়া বা মিথ্যা হইতে পারে বিশ্বাস করা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য বা বিবরণী প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬(ছয়) মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মিথ্যা তথ্য বা বিবরণ প্রদানের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫৬। কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনে উল্লিখিত কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর পুনরায় একই অপরাধ করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "অপরাধ পুনঃসংঘটনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫৭। কোনো আদালত, ইনস্টিটিউশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা পরিদর্শকের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, এই আইনের অধীন কোনো মামলা বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫৮। (১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কর্তৃক বিচার্য হইবে। (২) এই আইনের অধীন অপরাধ পুনঃসংঘটনের ক্ষেত্রে উহার বিচার, ক্ষেত্রমত, ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।",
"name": "অপরাধের বিচার",
"related_acts": "",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৫৯। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, ধারা ৫৭ এর বিধান অনুসরণক্রমে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ",
"related_acts": "1025",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬০। ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩২ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির উপর এই আইনের কোনো ধারায় উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ধারায় উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন।",
"name": "অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬১। (১) ধারা ৩৭, ৩৮, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১ বা ৫৩ এর অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধের অভিযোগ গঠনের পূর্বে বা পরে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মচারী দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ ইনস্টিটিউটের বরাবরে পরিশোধপূর্বক মীমাংসিত হইতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ অর্থ, কোনো অবস্থাতেই এইরূপ অপরাধ মীমাংসার জন্য এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য সর্বোচ্চ অর্থদণ্ডের পরিমাণকে অতিক্রম করিবে না। (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান এইরূপ কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাইবে না, যিনি তাহার দ্বারা সংঘটিত প্রথম অপরাধ মীমাংসা হইবার তারিখ হইতে ৩(তিন) বৎসরের মধ্যে একই বা সদৃশ অপরাধ সংঘটিত করেন। (৩) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ মীমাংসা করা হয়, সেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অপরাধীর বিরুদ্ধে কোনো কার্যক্রম বা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না এবং অপরাধী হেফাজতে থাকিলে তাহাকে অবিলম্বে অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করা হইবে। (৪) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ এই ধারার বিধান ব্যতীত মীমাংসা করা যাইবে না।",
"name": "বিভিন্ন অপরাধের মীমাংসা",
"related_acts": "",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬২। এই আইনের অধীন যে কোনো কার্যক্রমের ক্ষেত্রে, যদি আদালত এই আইনে উল্লিখিত দণ্ড আরোপ করে, তাহা হইলে আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে, এই আইনের অধীন গৃহীত যে কোনো বিশ্লেষণ বা পরীক্ষার ব্যয়সহ তৎকর্তৃক নির্ধারিত ব্যয়, ইনস্টিটিউশন বরাবর প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং এইরূপ অর্থ উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে এইরূপে আদায় করা হইবে যেন উক্ত অর্থদণ্ড এই আইনের অধীন আরোপ করা হইয়াছে।",
"name": "ব্যয় বহন",
"related_acts": "",
"section_id": 62
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬৩। (১) কোনো কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে বা অপরাধ সংঘটনের সময় ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কোম্পানির এইরূপ প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত ব্যক্তিসত্তা বিশিষ্ট সংস্থা (Body Corporate) হইলে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারি মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে কেবল অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারায়- (ক) ‘‘কোম্পানি’’ অর্থে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশিদারি কারবার, সমিতি, সংঘ বা সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত; (খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, ‘‘পরিচালক’’ অর্থে উহার কোনো অংশিদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যও অন্তর্ভুক্ত।",
"name": "কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 63
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬৪। এই আইনের অধীন ওজন বা পরিমাপন সংক্রান্ত অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে, Penal Code, 1860(Act No. XLV of 1860 এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "৬৪। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্র",
"related_acts": "11",
"section_id": 64
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬৫। কোনো সরকারি কর্মচারী এই আইন প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করিবার ক্ষেত্রে অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো কার্য করিলে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করিলে তিনি প্রচলিত আইন অনুসারে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অসৎ উদ্দেশ্যে কার্য, ইত্যাদির দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 65
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬৬। ওজন, পরিমাপন বা সংখ্যামানের মানদণ্ড যে কোনো এলাকায় বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে অথবা যে কোনো শ্রেণির শিল্প উদ্যোগ, ব্যবহারকারী বা পণ্যের প্রসার নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে, সরকার জরিপ করিতে বা জরিপের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং পরিসংখ্যান সংগ্রহ বা সংগ্রহের ব্যবস্থা করিবে এবং ওজন বা পরিমাপন ব্যবহারকারী প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য হইবে এইরূপ জরিপ সম্পন্নকারী বা পরিসংখ্যান সংগ্রহকারী ব্যক্তিকে প্রয়োজন অনুসারে সহায়তা প্রদান করা।",
"name": "জরিপ ও পরিসংখ্যান",
"related_acts": "",
"section_id": 66
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬৭। যে কোনো দ্রব্য, বস্তু বা সেবা সম্পর্কে কোনো ব্যক্তি ওজন বা পরিমান বা সংখ্যামান উদ্ধৃত করিবার ক্ষেত্রে মানদণ্ড একক ব্যতীত নিম্নরূপ কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন না, যথা:- (ক) মুখের ভাষায় বা ভিন্নভাবে কোনো মূল্য বা চার্জ ঘোষণা বা উদ্ধৃত করা; (খ) কোনো মূল্য তালিকা, চালান, ক্যাশ মেমো বা অন্য কোনো দলিল ইস্যু বা প্রদর্শন; (গ) কোনো বিজ্ঞাপন, পোস্টার বা অন্য কোনো দলিল তৈরি বা প্রকাশ; (ঘ) কোনো মোড়কের অভ্যন্তরস্থ বস্তুর পরিমাণ ইহার উপরিভাগে বা কোনো লেবেলে, কার্টুন বা অন্য জিনিসের উপরিভাগে প্রদর্শন; (ঙ) কোনো ধারণপাত্রের উপরে ধারণ ক্ষমতার পরিমাণ নির্দেশ করা; বা (চ) কোনো পরিমাণ বা মাত্রা প্রকাশ করা।",
"name": "ওজন বা পরিমাণ বা সংখ্যামান, মানদণ্ড এককের পরিভাষা ব্যতীত, ভিন্নভাবে উদ্ধৃত করা, ইত্যাদি নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 67
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬৮। (১) ওজন বা পরিমাপন বা সংখ্যামানের মানদণ্ড একক ব্যতীত, অন্য কোনো এককের ওজন বা পরিমাপন বা সংখ্যামান কোনো আইন, প্রজ্ঞাপন, বিধি, আদেশ, চুক্তি বা অন্য কোনো দলিলে উল্লেখ করা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, রপ্তানিমুখী পণ্যের উপরে বা তৎসম্পর্কিত যে কোনো চুক্তিতে ওজন, পরিমাপন বা সংখ্যামানের মানদণ্ড এককের সহিত অন্য কোনো পদ্ধতির ওজন, পরিমাপন বা সংখ্যামান উল্লেখ করা যাইবে। (২) কোনো পরিমাপের ফলাফলের লিখিত রেকর্ড ওজন বা পরিমাপন বা সংখ্যামানের মানদণ্ড একক ব্যতীত অন্য কোনো এককে সংরক্ষণ করা যাইবে না।",
"name": "মানদণ্ড একক নহে এইরূপ একক কোনো দলিলে উল্লেখ না করা",
"related_acts": "",
"section_id": 68
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৬৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউশন, উহার কর্মচারী বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে পরিমাপবিদ্যা (Metrology) সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করিতে পারিবে। (২) প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "প্রশিক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 69
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৭০। (১) ধারা ১৫ বা ২০ এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক মহাপরিচালকের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, যদি মহাপরিচালক এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপিলকারী উল্লিখিত ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করিতে যুক্তিসঙ্গত কারণে বাধাগ্রস্ত হইয়াছিলেন, তাহা হইলে তিনি পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপিল দায়েরের জন্য আপিলকারীকে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন। (২) মহাপরিচালক আপিলের পক্ষগণকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর, যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবেন বা, প্রয়োজনে, অধিকতর সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণের পর নূতন আদেশ প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন। (৩) মহাপরিচালক, স্বপ্রণোদিত হইয়া বা অন্যভাবে সিদ্ধান্তের যথার্থতা বা শুদ্ধতা সংক্রান্ত সন্তুষ্টির জন্য কোনো কার্যধারার রেকর্ড তলব ও পরীক্ষা এবং উক্ত বিষয়ে যথাযথ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, সংক্ষুব্ধ পক্ষকে কারণ দর্শানোর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান না করিয়া এই উপ-ধারার অধীন কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন করা যাইবে না।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 70
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৭১। (১) সরকার, ধারা ৭২ এর অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে ফি নির্ধারণ করিতে পারিবে, যথা :- (ক) ক্রয়, বিক্রয়, পরিবেশন বা সরবরাহের জন্য তৈরি বা মোড়কজাতকৃত পণ্য পরীক্ষা ও নিবন্ধন; (খ) যে কোনো ওজন বা পরিমাপনের মডেল পরীক্ষণ, নিবন্ধন ও অনুমোদন এবং লাইসেন্স প্রদান; (গ) টেস্ট ওজন, ভার, কাউন্টার ওজন, ইত্যাদি এবং বাণিজ্যিক, শিল্প বা বৈজ্ঞানিক ক্যাটাগরির ওজন, পরিমাপন এবং ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের সত্যতা প্রতিপাদন ও সিলমোহর প্রদান; (ঘ) প্রচলিত ও সেকেন্ডারি ক্যাটাগরির ওজন বা পরিমাপনের প্রতিপাদন ও সিলমোহর প্রদান; (ঙ) কোনো দলিলের অনুলিপি প্রদান; (চ) ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের রপ্তানিকারক বা আমদানিকারকগণের নিবন্ধন; (ছ) এই আইনের অধীন যে কোনো আপিল দায়ের; (জ) যেকোনো ওজন, পরিমাপন বা ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, মেরামতকারী, ক্যালিব্রেটর, সরবরাহকারী বা ডিলারগণকে সনদ প্রদান; (ঝ) এলপিজি, এলএনজি বটলিং, টার্মিনাল, প্লান্ট, পেট্রোলপাম্প স্টেশন, সিএনজি ফিলিং স্টেশন, এলএনজি ফিলিং স্টেশন এবং এলপিজি ফিলিং স্টেশনের নিবন্ধন বা, ক্ষেত্রমত, অনুমোদন বা ছাড়পত্র এবং ডিসপেন্সিং ইউনিট ভেরিফিকেশন বা বোতলজাত গ্যাসের পরীক্ষণ, ইত্যাদি সংক্রান্ত ফি নির্ধারণ। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে অনুমোদন, সত্যতা প্রতিপাদন, সিলমোহর প্রদান, অনুলিপি অনুমোদন বা নিবন্ধন করা হইবে বা আপিল গৃহীত হইবে।",
"name": "ফিস নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 71
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৭২। (১) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) বিশেষত এবং পূর্বোক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:- (ক) ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক সাধারণ সম্মেলন বা আইনসম্মত পরিমাপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার সুপারিশ অনুসারে ওজন বা পরিমাপের সম্পূরক একক, লব্ধ একক, বিশেষ বা অন্যান্য একক, মানদণ্ড প্রতীক বা মানদণ্ড সংজ্ঞা; (খ) ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক সাধারণ সম্মেলন বা আইনসম্মত পরিমাপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার সুপারিশ অনুসারে ওজন বা পরিমাপের এককসমূহের গুণিতক এবং উপগুণিতক, ওজন বা পরিমাপের এককসমূহের বিষয়ে ভৌত ধ্রুব সংখ্যাগুলির অনুপাত বা সংখ্যার মানদণ্ড সংজ্ঞা বা প্রতীক; (গ) সংখ্যার গুণিতক এবং উপ-গুণিতকের সংখ্যামান এবং উহা লিখনের পদ্ধতি; (ঘ) ধারা ৭ ও ৮ এ উল্লিখিত বস্তু বা সরঞ্জামের সঠিকতা প্রতিপাদনের পর্যায়ক্রমিক বিরতি; (ঙ) ওজন বা পরিমাপন সংক্রান্ত ভৌত ধর্ম, বাহ্যিক গঠন, গঠন সংক্রান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা, উপাদান, সরঞ্জাম, কার্য সম্পাদন, সহনীয় ক্ষমতা, পরীক্ষা পদ্ধতি বা পরীক্ষার কার্যপ্রণালি; (চ) মানদণ্ডবিহীন ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র রপ্তানির উদ্দেশ্যে উৎপাদন বা রপ্তানির শর্ত ও নিয়ন্ত্রণ; (ছ) পণ্যের শ্রেণি বা ভোক্তাশ্রেণি যাহাদের সম্বন্ধে কোনো লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয় বা চুক্তি সম্পাদন করা যাইবে না; (জ) মোড়কের অভ্যন্তরস্থ বস্তু সম্পর্কে ঘোষণা প্রণালি এবং ওজন বা পরিমাপন বা সংখ্যামানের মানদণ্ডের একক যাহা অনুসরণ করিয়া মোড়কের উপরে খুচরা বিক্রয় মূল্য ঘোষিত হয়; (ঝ) পণ্য মোড়কজাতকরণের পরিমাণ বা সংখ্যামানের মানদণ্ড; (ঞ) মোড়কজাত পণ্য উৎপাদনকারী বা মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, পণ্যসহ মোড়কের নমুনা সংগ্রহ, যাচাই বা পরীক্ষা পদ্ধতি এবং মোড়কজাত পণ্যের অভ্যন্তরস্থ নিট বস্তুর যুক্তিসঙ্গত পরিবর্তনশীলতা; (ট) প্রথম ক্যাটাগরি বা দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ওজন বা পরিমাপনের শ্রেণি; (ঠ) বিশেষ সিলমোহর যাহার দ্বারা প্রথম ক্যাটাগরির ওজন বা পরিমাপনের সিলের ছাপ প্রদান করা হয়; (ড) ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের নিবন্ধন বহিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনপত্র দাখিলের ফরম, পদ্ধতি ও সময়সীমা; (ঢ) ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের নিবন্ধন সনদ নবায়নের মেয়াদ; (ণ) ধারা ৭০ এর অধীন ফি এর পরিমাণ নির্ধারণ; (ত) নির্ধারিত বা নির্ধারিতব্য যে কোনো বিষয়।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 72
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৭৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 73
},
{
"act_id": 1270,
"details": "৭৪। (১) Standards of Weights and Measures Ordinance, 1982 (Ordinance No. XII of 1982), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) চলমান কোনো কার্যক্রম, যতদূর সম্ভব, এই আইনের অধীন নিষ্পত্তি করিতে হইবে; (গ) ইনস্টিটিউশনের বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই; (ঘ) প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন এবং সুপারিশ উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোনো বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উহা এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারিকৃত, এবং প্রদত্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "624",
"section_id": 74
}
],
"text": "Standards of Weights and Measures Ordinance, 1982রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, Standards of Weights and Measures Ordinance, 1982 (Ordinance No. XII of 1982) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1271,
"lower_text": [
"1 “এই আইনের বিধানাবলি, উপ-ধারা (৪ক) সাপেক্ষে,” শব্দগুলি, কমাগুলি, চিহ্ন, সংখ্যা এবং বন্ধনী “এই আইনের বিধানাবলি” শব্দগুলির পরিবর্তে সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৮ নং আইন) এর ২ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"2 “চাকরি বা” শব্দগুলি সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৮ নং আইন) এর ২ (খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।",
"3 উপ-ধারা (৪ক) সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৮ নং আইন) এর ২ (গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।",
"4 “৪৯” সংখ্যা “৫১” সংখ্যার পরিবর্তে সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৮ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"5 “১৫” সংখ্যা “১৭” সংখ্যার পরিবর্তে সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"6 “কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে,” শব্দগুলি ও কমা “সরকারি” শব্দটির পূর্বে সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৮ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত।"
],
"name": "সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 62,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
98,
680,
586,
460,
1271,
632,
1435,
957
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1271,
"details": "১। (১) এই আইন সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইন প্রজাতন্ত্রের কর্ম ও উহাতে নিয়োজিত কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য হইবে। (৩) অন্য কোনো আইন, চুক্তি বা সমজাতীয় দলিলে ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকিলে, 1এই আইনের বিধানাবলি, উপ-ধারা (৪ক) সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত কর্ম বা কর্ম বিভাগ বা উহাতে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের জন্য প্রযোজ্য হইবে না, যথা:- (ক) সংবিধান দ্বারা সৃষ্ট কোনো 2*** পদ; (খ) বিচার-কর্ম বিভাগ; (গ) প্রতিরক্ষা-কর্ম বিভাগ; (ঘ) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়; (ঙ) জাতীয় সংসদ সচিবালয়; (চ) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট; (ছ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়; (জ) স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান; (ঝ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান; (ঞ) সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প, কর্মসূচি বা অনুরূপ কোনো কার্যক্রমের আওতাধীন চাকরি; এবং (ট) এ্যাপ্রেনটিস, চুক্তি বা এডহক ভিত্তিক অথবা অন্য কোনো প্রকার অস্থায়ী, সাময়িক বা খণ্ডকালীন চাকরি। (৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত যে সকল কর্ম বা কর্মবিভাগ বা উহাতে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের জন্য ধারা ৬১ এর অধীন রহিতকৃত যে কোনো আইনের বিধান যেভাবে প্রযোজ্য ছিল, সেই সকল বিধানের বিষয়বস্তুর প্রতিফলনে যে সকল বিধান এই আইনে সংযোজিত হইয়াছে উহা প্রযোজ্য থাকিবে। 3(৪ক) উপ-ধারা (৪) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের ধারা ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ এর বিধানসমূহ স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীগণের জন্যও প্রযোজ্য হইবে। *(৫) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে। * এস, আর, ও নং ৩০৫-আইন/২০১৯, তারিখঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ইং দ্বারা ১০ আশ্বিন, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১ অক্টোম্বর, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখ হইতে আইনটি কার্যকর হইয়াছে ।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1271",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) “আইন” অর্থ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ এ সংজ্ঞায়িত আইন; (২) ‘‘উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী’’ অর্থ কোনো সরকারি কর্মচারী, যাহার পদ প্রশাসনিক পুনর্গঠন, জনবল যৌক্তিকীকরণ বা অন্য কোনো কারণে সরকার কর্তৃক বিলুপ্ত করা হইয়াছে; (৩) “উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ” অর্থ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা আপাতত বলবৎ কোনো আইন বা সরকারি আদেশ দ্বারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্ব পালন বা ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ; এবং এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৪) “এ্যাপ্রেনটিস” অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ প্রাপ্ত নহেন, তবে অনুরূপ নিয়োগের উদ্দেশ্যে কোনো বৃত্তি বা পেশা সম্পর্কে প্রশিক্ষণরত কোনো ব্যক্তি যিনি উক্ত প্রশিক্ষণকালে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাতা প্রাপ্ত হন; (৫) “কমিশন” অর্থ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন; (৬) “প্রজাতন্ত্রের কর্মবিভাগ” অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মের অন্তর্ভুক্ত যে কোনো কর্মবিভাগ, সার্ভিস, ক্যাডার বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো স্বতন্ত্র ইউনিট; (৭) “প্রেষণ” অর্থ কোনো সরকারি কর্মচারীকে তাহার নিজস্ব অথবা নিয়মিতভাবে নিয়োগযোগ্য কর্ম, পদ বা কর্মবিভাগ হইতে ভিন্নতর কোনো কর্ম, পদ বা কর্মবিভাগে অস্থায়ীভাবে প্রেরণ; (৮) “বেতন” অর্থ একজন কর্মচারী প্রতি মাসে বেতন, ওভারসিজ পে, বিশেষ বেতন, ব্যক্তিগত বেতন বা সরকার কর্তৃক বেতন হিসাবে বিশেষভাবে শ্রেণিভুক্ত অন্য যে কোনো প্রকার আয় বাবদ যে অর্থ প্রাপ্য হন; তবে কোনো পদে স্থায়ীভাবে বা অফিসিয়েটিং হিসাবে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে বা কোনো কর্মবিভাগে তাহার অবস্থানের কারণে বিশেষ বেতন বা তাহার ব্যক্তিগত যোগ্যতার কারণে মঞ্জুরিকৃত বেতন ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না; (৯) “বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি” অর্থ কোনো বিদেশি রাষ্ট্র অথবা কোনো স্বীকৃত আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক, বহুজাতিক বা বেসরকারি সংস্থার অধীন চাকরি; (১০) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; এবং অনুরূপ বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত প্রজাতন্ত্রের কর্ম ও উহাতে কর্মচারীগণের নিয়োগ এবং কর্মের শর্তাবলি সম্পর্কিত আপাতত বলবৎ অন্যান্য বিধিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (১১) “রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান” অর্থ সরকার অথবা কোনো স্ব-শাসিত সংস্থার মালিকানাধীন বা উহাতে ন্যস্ত অথবা শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগের অধিক সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত কোনো ব্যবসায়-উদ্যোগ, কোম্পানি, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা শিল্প-বাণিজ্য সম্পর্কিত বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান; (১২) “লিয়েন” অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মের কোনো স্থায়ী পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির উক্ত পদে স্থায়ীভাবে অধিষ্ঠিত থাকিবার অধিকার; (১৩) “শিক্ষানবিস (Probationer)” অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মের কোনো স্থায়ী পদের বিপরীতে সরাসরি বা পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগকৃত কোনো কর্মচারী, যাহার চাকরি এখনও স্থায়ীকরণ করা হয় নাই; (১৪) ‘‘সরকার’’ অর্থ এই আইনে বর্ণিত কোনো কার্য সম্পাদনের জন্য Rules of Business, 1996 এর Schedule-I (Allocation of Business Among the Different Ministries and Divisions) অনুসারে ক্ষমতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ; (১৫) ‘‘সরকারি আদেশ’’ অর্থ Rules of Business, 1996 এর অধীন বা উহাতে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত আদেশ, নির্দেশ, প্রজ্ঞাপন বা পরিপত্র; (১৬) “সরকারি কর্মচারী” অর্থ এই আইনের আওতাভুক্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি; (১৭) “সংবিধান” অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান; (১৮) “স্ব-শাসিত সংস্থা” অর্থ আপাতত বলবৎ কোনো আইনের বিধান দ্বারা অথবা উহার অধীন প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত এবং স্ব-শাসনে পরিচালিত দফা (৫) এ উল্লিখিত কমিশন ব্যতীত অন্য কোনো কমিশন অথবা কোনো কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, ইন্সটিটিউশন বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, যাহার স্বতন্ত্র আইনগত সত্তা রহিয়াছে; (১৯) “স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান” অর্থ সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আইন দ্বারা বা উহার অধীন প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ; (২০) “স্থায়ী পদ” অর্থ একটি নির্দিষ্ট বেতন-গ্রেডে অসীমিত সময়ের জন্য মঞ্জুরিকৃত প্রজাতন্ত্রের কর্মের কোনো পদ; এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে, নির্দিষ্ট সময় অন্তে স্থায়ী করিবার উদ্দেশ্যে রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে সৃজিত পদও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "957",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্ম বা উহার আওতাভুক্ত কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন অথবা অনুরূপ আইনের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধি বা আদেশে কোনো বিশেষ বিধান থাকিলে, অনুরূপ বিশেষ বিধান প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪। প্রজাতন্ত্রের কর্ম বা উহাতে নিয়োজিত কর্মচারীগণের নিয়োগ এবং কর্মের শর্ত সম্পর্কিত আপাতত বলবৎ কোনো আইন ও আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন দলিলের বিধান এবং এতদসংক্রান্ত সরকারি আদেশসমূহ, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, কার্যকর থাকিবে।",
"name": "চাকরি সম্পর্কিত অন্যান্য বিধানের শর্তসাপেক্ষ কার্যকারিতা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা, প্রজাতন্ত্রের যে কোনো কর্ম বা কর্মবিভাগ সৃজন, সংযুক্তকরণ, একীকরণ বা বিলুপ্তকরণসহ অন্য যে কোনোভাবে পুনর্গঠন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জারিকৃত আদেশ দ্বারা কোনো সরকারি কর্মচারীর কর্মের শর্তাবলির তারতম্য করা বা উহা রদ করা যাইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন জারিকৃত আদেশের ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে।",
"name": "প্রজাতন্ত্রের কর্ম এবং কর্মবিভাগ সৃজন ও পুনর্গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৬। (১) সরকারি কর্মচারীগণের উপর সরকারের এবং, সরকারের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, তাহার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আইনানুগ কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ থাকিবে । (২) সরকার, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও কর্ম সম্পর্কিত সাধারণ বা বিশেষ, যে কোনো শর্ত নির্ধারণ করিতে পারিবে। (৩) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মচারীর পদ, পদবি, কর্মপরিধি, কর্ম বা চাকরি সম্পর্কিত দায় ও এখতিয়ার নির্ধারণ বা পরিবর্তন করিতে পারিবে এবং জনস্বার্থে, তাহাকে আইনানুগ যে কোনো কর্ম বা দায়িত্বে নিয়োজিত করিতে পারিবে।",
"name": "সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও এখতিয়ার",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৭। (১) এই আইনের আওতাভুক্ত কোনো কর্ম বা কর্মবিভাগে সরাসরি জনবল নিয়োগের ভিত্তি হইবে মেধা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা। (২) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯(৩) এর উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। (৩) বাংলাদেশের নাগরিক নহেন এমন কোনো ব্যক্তিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ করা যাইবে না। (৪) যে সকল পদের ক্ষেত্রে কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ বা সুপারিশের আবশ্যকতা রহিয়াছে, সেই সকল পদে কমিশনের এবং অবশিষ্ট পদে সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত কমিটি বা কর্তৃপক্ষের সুপারিশ ব্যতিরেকে, কোনো ব্যক্তিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে সরাসরি নিয়োগ করা যাইবে না। (৫) প্রজাতন্ত্রের কর্মে সরাসরি নিয়োগের অন্যান্য বিষয় ও শর্তাদি সরকার কর্তৃক, এই আইন ও আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, নির্ধারিত হইবে।",
"name": "নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৮। (১) কোনো স্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে সততা, মেধা, দক্ষতা, জ্যেষ্ঠতা, প্রশিক্ষণ ও সন্তোষজনক চাকরি বিবেচনাক্রমে পদোন্নতি প্রদান করিতে হইবে। (২) এই আইন ও আপাতত বলবৎ কোন আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে পদোন্নতি প্রদান সম্পর্কিত বিষয় ও শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পদোন্নতি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৯। শিক্ষানবিসকাল ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পর্কিত বিষয় ও শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "শিক্ষানবিসকাল ও চাকরি স্থায়ীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১০। প্রেষণ ও লিয়েন সম্পর্কিত বিষয় ও শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "প্রেষণ ও লিয়েন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১১। (১) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উহার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো সরকারি কর্মচারীকে এতৎসংক্রান্ত বিধানাবলি অনুসারে বদলি, পদায়ন বা তাহার কর্মস্থল নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) যেক্ষেত্রে বদলি, পদায়ন বা কর্মস্থল নির্ধারণের জন্য বিদ্যমান বিধানাবলিতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকে, সেইক্ষেত্রে সুষ্ঠু জনবল ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদনক্রমে, উহার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি কর্মচারীগণের বদলি, পদায়ন ও কর্মস্থল নির্ধারণের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "বদলি, পদায়ন ও কর্মস্থল নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১২। বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি গ্রহণ সম্পর্কিত বিষয় ও শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১৩। (১) আপাতত বলবৎ কোনো আইনের বিধান অনুসারে সরকারি কর্মচারীগণের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হইবে। (২) কোনো পদের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত সুস্পষ্ট বিধান না থাকিলে, বা উপ-ধারা (১) এর অধীন জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা সম্ভব না হইলে, সরকার যেরূপ উপযুক্ত মনে করে সেইরূপে উহা নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "জ্যেষ্ঠতা",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১৪। (১) প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মের বিলুপ্তি, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস বা জনবল যৌক্তিকীকরণের ফলে উদ্বৃত্ত কোনো সরকারি কর্মচারীকে, যতদূর সম্ভব, অনুরূপ উদ্বৃত্ত হইবার অব্যবহিত পূর্বের বেতন স্কেলের সমস্কেলভুক্ত পদে আত্তীকরণ করিতে হইবে। (২) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতীত, কোনো উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারীকে প্রজাতন্ত্রের কর্মের কোনো পদে আত্তীকরণ করা যাইবে না। (৩) উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী আত্তীকরণ সম্পর্কিত পদ্ধতি, শর্ত ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী আত্তীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১৫। সরকার, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা, কোনো সরকারি কর্মচারীর বা সকল সরকারি কর্মচারীর বা সরকারি কর্মচারীগণের কোনো অংশের জন্য বেতন, ভাতা, বেতনের গ্রেড বা স্কেল, অন্যান্য সুবিধা ও প্রাপ্যতা বা অবসর সুবিধা সম্পর্কিত শর্তাদি নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "বেতন, ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১৬। (১) একজন সরকারি কর্মচারী তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধানাবলি ও সরকারি আদেশ অনুসারে ছুটি প্রাপ্য হইবেন এবং উহা ভোগ করিতে পারিবেন । (২) ছুটি সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় ও শর্তাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ছুটি",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১৭। সরকারি কর্মচারীর পেশাগত দক্ষতা ও সক্ষমতার উত্তরোত্তর উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন কর্ম বা কর্মবিভাগের উপযোগী করিয়া প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রশিক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১৮। সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানসমূহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন এবং সুষ্ঠু জনবল ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন কর্ম বা কর্মবিভাগের উপযোগী করিয়া কর্মজীবন পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে।",
"name": "কর্মজীবন পরিকল্পনা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1271,
"details": "১৯। সরকারি কর্মচারীগণের বস্তুনিষ্ঠ কর্ম-মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে ফলাফলমুখী কার্যসম্পাদনগত নিরীক্ষা বা মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রণয়ন করিতে হইবে।",
"name": "কর্ম-মূল্যায়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২০। সরকার, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে দক্ষতা, জবাবদিহিতা, কার্যকারিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিতকল্পে, ইহার উদ্দেশ্য ও অর্জিতব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং উহার নিরিখে দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২১। সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, উহার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি কর্মচারীর চাকরি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি অন্তর্ভুক্ত করিয়া হালনাগাদ চাকরিবহি, চাকরি-বৃত্তান্ত বা, ক্ষেত্রমত, চাকরির রেকর্ডপত্র (ডোসিয়ার) ও কর্মচারীভিত্তিক ইলেকট্রনিক তথ্য ভাণ্ডার, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত উপায়ে, সংরক্ষণ করিবে।",
"name": "চাকরি বহি, চাকরি-বৃত্তান্ত, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২২। (১) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মচারী ও তাহার পরিবারের সদস্যগণের কল্যাণে শিক্ষা, চিকিৎসা, আবাসন ও অনুরূপ অন্যান্য বিষয়ে কর্ম-কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘পরিবার” অর্থ- (অ) কর্মচারী পুরুষ হইলে, তাহার স্ত্রী বা স্ত্রীগণ এবং কর্মচারী মহিলা হইলে, তাহার স্বামী; এবং (আ) কর্মচারীর সহিত একত্রে বসবাসরত এবং তাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল সন্তান-সন্ততিগণ, পিতা, মাতা, দত্তক পুত্র (হিন্দু কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে), নাবালক ভাই এবং অবিবাহিতা, তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা বোন। (২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি কর্মচারীগণকে অনুদান, সহায়তা, সুদমুক্ত ঋণ ও অগ্রিম প্রদান বা তাহাদের কল্যাণে স্বাস্থ্যবিমাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। (৩) সরকারি স্বার্থ রক্ষার্থে কোনো কর্মচারী শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, তিনি এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন।",
"name": "কল্যাণমূলক ব্যবস্থা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২৩। সরকারি কর্মচারীগণের কল্যাণমূলক ভবিষ্য তহবিল, কল্যাণ তহবিল, বিমা বা অনুরূপ অন্যান্য বিষয় আপাতত বলবৎ আইন দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কল্যাণ তহবিল, ভবিষ্য তহবিল, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২৪। (১) কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে, সরকারি দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করিয়া, ক্ষতিপূরণ, অবমাননা, মানহানি বা অন্য কোনো মামলা বা আইনি কার্যধারা রুজু করা হইলে তিনি সরকারি আইন কর্মকর্তার সহায়তায় বা নিজ দায়িত্বে উহা পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং উক্ত মামলা পরিচালনায় ব্যয়িত অর্থ নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে সরকার কর্তৃক প্রদেয় হইবে। (২) দুর্নীতির অভিযোগে অথবা সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কোনো কর্মচারীকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করিয়া কোনো মামলা বা আইনি কার্যধারা রুজু করা হইলে, উপ-ধারা (১) এর অধীন অনুরূপ অর্থ প্রদেয় হইবে না। (৩) সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিষয়ে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করিয়া দায়েরকৃত কোনো অভিযোগ, মামলা বা আইনি কার্যধারা মিথ্যা প্রমাণিত হইলে, উক্ত কর্মচারীর আবেদনক্রমে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অনুরূপ মিথ্যা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "আইনি সহায়তা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২৫। (১) কোনো ব্যক্তি, সরকারি কোনো কার্য বা সেবা প্রাপ্তির জন্য আবেদন বা অনুরোধ করিলে, আপাতত বলবৎ সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান ও সরকারি আদেশ সাপেক্ষে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অথবা যে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারিত নাই সেই ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে, প্রার্থীত সেবা সরবরাহ বা অনুরূপ আবেদন নিষ্পত্তি করিতে হইবে। (২) যে ক্ষেত্রে অনুরূপ কোনো আবেদন বা অনুরোধ যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণে, প্রত্যাখ্যান বা না-মঞ্জুর করা হয় অথবা নির্ধারিত বা যুক্তিসঙ্গত সময়ে সরবরাহ বা নিষ্পত্তি করা না যায়, সেই ক্ষেত্রে উহার কারণ সেবা প্রার্থী ব্যক্তিকে অবহিত করিতে হইবে। (৩) কোনো কর্মচারী ইচ্ছাকৃত ও অভ্যাসগতভাবে এই ধারার বিধান লংঘন করিলে, উহা অসদাচরণ, বা, ক্ষেত্রমত, অদক্ষতা হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "নির্ধারিত সময়ে সরকারি সেবা প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২৬। (১) সেবা প্রার্থী কোনো ব্যক্তির আবেদন না-মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যাত হইলে অথবা নির্ধারিত বা যুক্তিসঙ্গত সময়ে উহা নিষ্পত্তি করা না হইলে, তিনি প্রতিকারকারী কর্তৃপক্ষের নিকট উহার প্রতিকার চাহিয়া আবেদন করিতে পারিবেন এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ আবেদন বিবেচনা করিয়া যথোপযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ আপিল বিবেচনাক্রমে যথোপযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে । (৩) কোনো ক্ষেত্রে প্রতিকার বা আপিলের নিমিত্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করা না হইয়া থাকিলে, সেবা প্রদানকারী কর্মচারীর অব্যবহিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রতিকারকারী কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিকারকারী কর্তৃপক্ষের অব্যবহিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আপিল কর্তৃপক্ষ হিসাবে বিবেচিত হইবে। (৪) যখন আপিল কর্তৃপক্ষ বা প্রতিকারকারী কর্তৃপক্ষ মনে করে যে, কোনো কর্মচারী পর্যাপ্ত ও যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত নির্ধারিত বা যুক্তিসঙ্গত সময়ে, উপ-ধারা (৫) এর অধীন নির্দিষ্টকৃত কোনো সরকারি সেবা প্রদানে ব্যর্থ হইয়াছেন, তখন উক্ত কর্তৃপক্ষ দায়ী কর্মচারীর নিকট হইতে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করিয়া উহা সেবাপ্রার্থী ব্যক্তিকে প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে । (৫) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে সকল কার্য বা সেবা প্রদানে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৪) এর অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করা যাইবে, উহা নির্দিষ্ট করিতে পারিবে। (৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা কোনো কর্মচারী সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল দায়ের অথবা আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্বিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন। (৭) এই ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে এবং যথাসম্ভব প্রতিটি কার্য বা ধাপ নিষ্পত্তির সময়সীমা উহাতে সুনির্দিষ্ট থাকিতে হইবে।",
"name": "প্রতিকার ও আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২৭। সরকার, সরকারি সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণে কর্মচারীগণের বিশেষ সাফল্য, উদ্যোগ, উদ্ভাবনী প্রয়াস বা অবদানের জন্য প্রণোদনা, পুরস্কার, স্বীকৃতি বা সম্মানি প্রদান করিবার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।",
"name": "প্রণোদনা, পুরস্কার, স্বীকৃতি ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২৮। সরকার, জনপ্রশাসনের সকল পর্যায়ে সুশাসন নিশ্চিতকল্পে, সরকারি কার্য সম্পাদনের নীতি, শুদ্ধাচার চর্চা এবং কর্মচারীগণ কর্তৃক অনুসরণীয় নৈতিকতার মানদণ্ডসমূহসহ অনুসরণের প্রক্রিয়া ও কৌশল প্রণয়ন করিবে।",
"name": "সরকারি কর্মচারীগণের অনুসরণীয় নীতি ও মানদণ্ড প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1271,
"details": "২৯। (১) কোনো কর্মচারী অফিস বা কর্মস্থলে উপস্থিতি সংক্রান্ত বিধির কোনো বিধান বা সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করিলে তজ্জন্য, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, এতৎসংক্রান্ত বিধিতে উল্লিখিত বিধান অনুসারে উক্ত কর্মচারীর বেতন কর্তন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কর্মচারী, অনুরূপ আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্বিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন পুনর্বিবেচনার কোনো আবেদন করা হইলে, আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ সংশোধন বা বাতিল করিতে অথবা বহাল রাখিতে পারিবে।",
"name": "নিয়মিত উপস্থিতির ব্যত্যয়ে বেতন কর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩০। এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, সরকারি কর্মচারীর আচরণ এবং শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিষয় ও শর্তাদি এতৎসংশ্লিষ্ট বিধি এবং সরকার কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "আচরণ ও শৃঙ্খলা",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩১। (১) সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এতৎসংক্রান্ত আপাতত বলবৎ আইনের বিধান অনুসরণক্রমে কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা রুজু ও পরিচালনা করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রুজুকৃত বিভাগীয় কার্যধারা এবং উহা হইতে উদ্ভূত আপিল, পুনর্বিবেচনা ও পুনঃরীক্ষণের পদ্ধতি এবং এতৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "বিভাগীয় কার্যধারা",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩২। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, বিভাগীয় কার্যধারায় দোষী সাব্যস্ত কোনো কর্মচারীকে এতৎসংক্রান্ত বিধির বিধান সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক লঘু বা গুরুদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে, যথা :- (ক) লঘু দণ্ডসমূহ - (অ) তিরস্কার; (আ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ; (ই) বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমিতকরণ; (ঈ) কোনো আইন বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ অথবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হইলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়। (খ) গুরু দণ্ডসমূহ- (অ) নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ; (আ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান; (ই) চাকরি হইতে অপসারণ; (ঈ) চাকরি হইতে বরখাস্ত।",
"name": "দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩৩। (১) ধারা ৩২ এর দফা (ক) এর উপ-দফা (ঈ) এ উল্লিখিত ক্ষতিপূরণের অর্থ দায়ী কর্মচারীর নিকট হইতে আদায় করিতে হইবে। (২) দায়ী কর্মচারীর নিকট হইতে উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করা সম্ভব না হইলে, উহা তাহার বেতন, ভাতা বা প্রাপ্য অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা হইতে কর্তনপূর্বক আদায় করা যাইবে, এবং অনুরূপভাবে আদায় করা সম্ভব না হইলে, উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Bengal Act No. III of 1913) এর অধীন সরকারি পাওনা হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।",
"name": "ক্ষতিপূরণ আদায়ের পদ্ধতি",
"related_acts": "98",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩৪। ধারা ৩২ এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোনো কর্মচারী, উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে, এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং আপিল কর্তৃপক্ষ উক্ত আদেশ বহাল রাখিতে, বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩৫। ধারা ৩৪ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৩২ বা ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাইবে না।",
"name": "রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ আপিলযোগ্য নয়",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩৬। (১) রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৩২ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কর্মচারী, উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করিতে পারিবেন। (২) রাষ্ট্রপতি, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনাক্রমে যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "পুনর্বিবেচনা (review)",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩৭। রাষ্ট্রপতি, তদকর্তৃক ধারা ৩২ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ, উহা প্রদানের ১ (এক) বৎসরের মধ্যে, পুনঃরীক্ষণ করিয়া যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "পুনঃরীক্ষণ (revision)",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩৮। প্রজাতন্ত্রের কর্ম হইতে বরখাস্ত হইয়াছেন এইরূপ কোনো ব্যক্তি ভবিষ্যতে প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্ম বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।",
"name": "বরখাস্তকৃত কর্মচারীর পুনরায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৩৯। (১) কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের প্রস্তাব বা বিভাগীয় কার্যধারা রুজু করা হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযোগের মাত্রা ও প্রকৃতি, অভিযুক্ত কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব হইতে বিরত রাখিবার আবশ্যকতা, তৎকর্তৃক তদন্তকার্যে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা, ইত্যাদি বিবেচনা করিয়া তাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অধিকতর সমীচীন মনে করিলে, এইরূপ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করিবার পরিবর্তে, লিখিত আদেশ দ্বারা, তাহার ছুটির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, উক্ত আদেশে উল্লিখিত তারিখ হইতে ছুটিতে গমনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। (২) কোনো কর্মচারী দেনার দায়ে কারাগারে আটক থাকিলে, অথবা কোনো ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হইলে বা তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গৃহীত হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ আটক, গ্রেফতার বা অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন হইতে তাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করিতে পারিবে। (৩) কোনো সরকারি কর্মচারী তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হইতে অব্যাহতি বা খালাসপ্রাপ্ত হইলে, তাহার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ, যদি থাকে, প্রত্যাহার করিতে হইবে।",
"name": "সাময়িক বরখাস্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪০। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো সরকারি কর্মচারী বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিতে পারিবেন না। (২) কোনো কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিলে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, তাহার চাকরি অবসানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো বিভাগীয় কার্যধারা রুজু করিবার প্রয়োজন হইবে না। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিবার কারণে চাকরির অবসান",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪১। (১) কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে। (২) কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো আদালতে ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনি কার্যধারা বিচারাধীন থাকিলে, বিচারাধীন কোনো এক বা একাধিক অভিযোগের বিষয়ে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা রুজু বা নিষ্পত্তির ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকিবে না। (৩) যদি বিচারকারী আদালতের গোচরীভূত হয় যে, তাহার আদালতে বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সরকারি কর্মচারী, তাহা হইলে আদালত অনতিবিলম্বে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবে।",
"name": "ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪২। (১) কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বা ১ (এক) বৎসর মেয়াদের অধিক মেয়াদের কারাদন্ডে দণ্ডিত হইলে, উক্ত দণ্ড আরোপের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হইতে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন। (২) কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কোনো কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইলে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাহাকে নিম্নবর্ণিত যে কোনো দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে, যথা:- (ক) তিরস্কার; (খ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ; (গ) নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ; অথবা (ঘ) কোনো আইন বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ অথবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হইলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়। (৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রপতি যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত ও চাকরি হইতে বরখাস্তকৃত কোনো ব্যক্তিকে অনুরূপ বরখাস্ত হইতে অব্যাহতি প্রদানের বিশেষ কারণ বা পরিস্থিতি রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন, এবং অনুরূপ আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত কর্মচারী চাকরিতে পুনর্বহাল হইবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন দণ্ড আরোপের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো বিভাগীয় কার্যধারা রুজু করিবার বা কারণ দর্শাইবার প্রয়োজন হইবে না এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত আদেশ আপিলযোগ্য হইবে না। (৫) ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক আরোপিত দণ্ডাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে- (ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন বরখাস্তকৃত ব্যক্তি, পরবর্তীতে আপিল আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করিতে হইবে; এবং (খ) উপ-ধারা (২) এর অধীন দণ্ডিত ব্যক্তি, পরবর্তীতে আপিল আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে, তাহার উপর আরোপিত দণ্ডাদেশ প্রত্যাহার করিতে হইবে। (৬) খালাসপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী, অবসরে গমনের বয়সে উপনীত হইলে অথবা সংশ্লিষ্ট পদ বা চাকরির বিলুপ্তি ঘটিলে, তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা যাইবে না, তবে তিনি সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হইবেন।",
"name": "ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪৩। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে,- (ক) একজন সরকারি কর্মচারী তাহার বয়স ৫৯ (ঊনষাট) বৎসর পূর্তিতে, এবং (খ) একজন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারী তাহার বয়স ৬০ (ষাট) বৎসর পূর্তিতে, অবসর গ্রহণ করিবেন। (২) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা পরিচিতি যাচাই করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভকারী ব্যক্তি এইরূপ যাচাই হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হইবেন।",
"name": "সরকারি কর্মচারীর অবসর গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪৪। (১) চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় একজন সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণের অভিপ্রেত তারিখের অন্যূন ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের অভিপ্রায় লিখিতভাবে ব্যক্ত করিয়া অবসর গ্রহণ করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যক্তকৃত অভিপ্রায় চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা সংশোধন বা প্রত্যাহার করা যাইবে না।",
"name": "ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪৫। কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।",
"name": "সরকার কর্তৃক অবসর প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪৬। (১) কোনো সরকারি কর্মচারী শারীরিক অথবা মানসিক অসামর্থ্য বা বৈকল্যের কারণে সরকারি কর্ম সম্পাদনে নিজেকে অক্ষম মনে করিলে, চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের আবেদন করিতে পারিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক স্থায়ীভাবে অক্ষম ঘোষিত হইলে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তাহাকে অক্ষমতাজনিত কারণে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি দায়িত্ব পালনের কারণে কোনো সরকারি কর্মচারীর শারীরিক অথবা মানসিক অক্ষমতার উদ্ভব হলে সরকার বিধি অনুযায়ী যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা সুবিধা প্রদানের বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "অক্ষমতাজনিত অবসর",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪৭। কোনো সরকারি কর্মচারী, চাকরি হইতে অবসরে গমন করিলে বা তাহার চাকরির অবসান ঘটিলে, তিনি এতৎসংক্রান্ত বিধানাবলি ও শর্ত সাপেক্ষে, সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত, অবসর-উত্তর ছুটি প্রাপ্য হইবেন ।",
"name": "অবসর-উত্তর ছুটি",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪৮। কোনো কর্মচারীর অবসর গ্রহণের পর তাহাকে, ধারা 4৪৯ এর বিধান অনুসরণ ব্যতীত, প্রজাতন্ত্রের কর্ম বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষে কোনো উপায়ে পুনরায় নিয়োগ করা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, সাংবিধানিক কোনো পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "অবসর গ্রহণকারী সরকারি কর্মচারীকে পুনঃনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৪৯। (১) রাষ্ট্রপতি, জনস্বার্থে, কোনো কর্মচারীকে, চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের পর, সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারী অবসর-উত্তর ছুটি ভোগরত থাকিলে, উক্ত ছুটি স্থগিত থাকিবে এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সমাপ্তির পর উক্ত অবশিষ্ট অবসর-উত্তর ছুটি ও তদ্সংশ্লিষ্ট সুবিধা ভোগ করা যাইবে।",
"name": "অবসর গ্রহণকারী সরকারি কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫০। (১) সরকারি কর্মচারীর অবসরে গমন বা অন্য কোনো উপায়ে চাকরির পরিসমাপ্তির ক্ষেত্রে সুবিধাদির প্রাপ্যতা, শর্তাদি ও অন্যান্য বিষয়, এই আইনের বিধানাবলি এবং ধারা 5১৫ এর অধীন জারিকৃত আদেশ সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (২) অবসর সুবিধা সংশ্লিষ্ট আবেদন ও কার্যাদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাসম্ভব দ্রুত নিষ্পত্তি করিতে হইবে এবং, পর্যাপ্ত ও যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, উহা করিতে ব্যর্থ হইলে, তাহা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর দায়িত্বে অবহেলা হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "অবসর সুবিধা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫১। (১) কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের সংশ্লেষ রহিয়াছে এমন কোনো বিচারিক বা বিভাগীয় কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে, উহার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, তিনি, ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত তাহার চাঁদা এবং উহার সুদ ব্যতীত, অন্য কোনো অবসর সুবিধা প্রাপ্য হইবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অবসর সুবিধা, অনুরূপ কার্যধারায় প্রদত্ত আদেশ সাপেক্ষে প্রদেয় হইবে। (৩) কোনো সরকারি কর্মচারীকে, এই আইনের অধীন, চাকরি হইতে অপসারণ বা বরখাস্ত করা হইলে, তিনি ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত তাহার চাঁদা এবং উহার সুদ ব্যতীত, অন্য কোনো সুবিধা প্রাপ্য হইবেন না: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার বিশেষ বিবেচনায় অনুকম্পা হিসাবে এ সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী অর্থ প্রদান করিতে পারিবে। (৪) অবসর সুবিধা ভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হইলে, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, তাহার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।",
"name": "অবসর সুবিধা স্থগিত, প্রত্যাহার ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫২। চাকরি হইতে অবসরে গমনের পর, ধারা ৪৯ এর অধীন চুক্তিভিত্তিক কর্মরত থাকা ব্যতীত, কোনো ব্যক্তির, বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি বা কোনো প্রকল্পে চাকরি গ্রহণ, অন্য কোনো পেশা গ্রহণ, ব্যবসা পরিচালনা এবং বিদেশ যাত্রার জন্য সরকার বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন হইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে, অনুরূপ ভিন্ন চাকরি বা পেশা গ্রহণ, ব্যবসা পরিচালনা বা বিদেশ যাত্রা বারিত করিয়া বা উহার ক্ষেত্রে অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করিয়া আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণমুক্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫৩। কোনো সরকারি কর্মচারী, চাকরিকালীন যে কোনো সময়ে, চাকরি হইতে স্বেচ্ছায় ইস্তফা প্রদান করিবার আবেদন করিতে পারিবেন, যাহা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষ্পত্তি বা চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "চাকরি হইতে ইস্তফা",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫৪। (১) সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে অনুমোদিত বা নির্দিষ্টকৃত কর্ম বা পদের বিপরীতে, সরকারি ক্রয় এবং এতৎসংক্রান্ত আপাতত বলবৎ কোনো আইনের বিধান অনুসরণক্রমে, আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে সেবা গ্রহণ করা যাইবে। (২) আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণকে কোনো অর্থেই প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বলিয়া গণ্য করা যাইবে না।",
"name": "আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫৫। এই আইনের অন্যান্য বিধান ও আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৫, ১৪, ১৫, ২৯, ৪০, ৪২ ও ৪৫ এর অধীন, প্রদত্ত বা জারিকৃত আদেশ, নির্দেশ অথবা গৃহীত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না এবং কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্যের জন্য সরকার, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের বা অন্য কোনো আইনি কার্যধারা রুজু করা যাইবে না।",
"name": "সীমাবদ্ধতা",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫৬। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন হইবে না, যথা:- (ক) ধারা ১৪ এর অধীন উদ্বৃত্ত কর্মচারী আত্তীকরণ; (খ) ধারা ২৯ এর অধীন নিয়মিত উপস্থিতির ব্যত্যয়ে বেতন কর্তন; (গ) ধারা ৩২ এর দফা (ক) অনুসারে লঘুদণ্ড আরোপ; এবং (ঘ) ধারা ৪৯ এর অধীন অবসর গ্রহণকারী কর্মচারীকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ।",
"name": "কমিশনের পরামর্শ গ্রহণের অপ্রয়োজনীয়তা",
"related_acts": "",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫৭। (১) কোনো কর্মচারী তাহার বেতন, ভাতা, অবসর সুবিধা বা চাকরির অন্য কোনো শর্তের বিষয়ে প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্বিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হইলে, আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এতৎসংক্রান্ত বিধির অনুসরণক্রমে তৎকর্তৃক প্রদত্ত আদেশ সংশোধন বা বাতিল করিতে অথবা বহাল রাখিতে পারিবে। (৩) এই ধারার অধীন পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিলের পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে ।",
"name": "বেতন, ভাতা, ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়ে প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনা",
"related_acts": "",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫৮। (১) কোনো কর্মচারী তাহার বেতন, ভাতা, অবসর সুবিধা বা চাকরির অন্য কোনো শর্তের বিষয়ে প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি, এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৫৫ এ উল্লিখিত ধারাসমূহের অধীন জারিকৃত বা প্রদত্ত আদেশের বিরূদ্ধে এবং যে সকল বিষয়ে এই আইনের অন্যত্র আপিল দায়েরের বিধান রহিয়াছে, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন আপিল দায়ের করা যাইবে না। (২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত আপিল কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত নাই, সেইক্ষেত্রে আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল দায়ের করা যাইবে । (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আপিল দায়ের করা হইলে, আপিল কর্তৃপক্ষ এতৎসংক্রান্ত বিধি অনুসরণক্রমে যথোপযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। (৪) এই ধারার অধীন আপিল দায়েরের পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে ।",
"name": "বেতন, ভাতা, ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়ে প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৫৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, 6কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো বিধি প্রণীত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত বিষয় সম্পর্কিত সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদের শর্তাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বা অন্য কোনো আইনের অধীন প্রণীত আপাতত বলবৎ বিধি বা আদেশের কার্যকরতা রহিত হইবে। (৩) এই আইন এবং আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা আইনের বিধান সাপেক্ষে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও কর্মের শর্ত সম্পর্কে Rules of Business,1996 এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা সরকারি আদেশ জারি করিবার সরকারের এখতিয়ার যথারীতি অক্ষুণ্ন থাকিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৬০। এই আইনের কোনো বিধান বাস্তবায়ন করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা উদ্ভব বা কোনো বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান আবশ্যক হইলে, উক্তরূপ অসুবিধা দূরীকরণ বা ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে, সরকার, এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৬১। (১) নিম্নবর্ণিত আইনসমূহ, অতঃপর উক্ত আইনসমূহ বলিয়া অভিহিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল, যথা:- (ক) Public Servants (Retirement) Act, 1974 (Act No. XII of 1974); (খ) Services (Reorganization and Conditions) Act, 1975 (Act No. XXXII of 1975); (গ) Government Servants (Special Provisions) Ordinance, 1979 (Ordinance No. XI of 1979); (ঘ) Public Employees Discipline (Punctual Attendance) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XXXIV of 1982); (ঙ) Public Servants (Dismissal on Conviction) Ordinance, 1985 (Ordinance No. V of 1985); এবং (চ) উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী আত্তীকরণ আইন, ২০১৬ (২০১৬ সনের ৩ নং আইন)। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও,- (ক) উক্ত আইনসমূহের অধীন, সময় সময়, প্রণীত বা জারিকৃত এবং এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ বিধি, আদেশ, নির্দেশসমূহ এই আইনের অধীন প্রণীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) উক্ত আইনসমূহের অধীন কৃত কোনো কাজ-কর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (গ) উক্ত আইনের অধীন গৃহীত কোনো কার্য বা ব্যবস্থা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে, উহা উক্ত আইনসমূহের বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "460,586,632,680",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1271,
"details": "৬২। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা পাঠ এবং ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 62
}
],
"text": "প্রজাতন্ত্রের কর্মবিভাগ সৃজন ও পুনর্গঠন, একীকরণ, সংযুক্তকরণ এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও তাহাদের কর্মের শর্তাবলি নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং এতৎসংক্রান্ত বিদ্যমান বিধানাবলি সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধানের ১৩৬ অনুচ্ছেদে আইনের দ্বারা প্রজাতন্ত্রের কর্মবিভাগ সৃজন, সংযুক্তকরণ ও একীকরণসহ পুনর্গঠন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির কর্মের শর্তাবলির তারতম্য করিবার ও উহা রদ করিবার বিধান রহিয়াছে; এবং যেহেতু সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও তাহাদের কর্মের শর্তাবলি আইন দ্বারা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করিবার বিধান রহিয়াছে; এবং যেহেতু প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলি সম্পর্কিত বিদ্যমান বিধানসমূহ সংহতকরণের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করিবার প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে; এবং যেহেতু সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদে সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য হইবে বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে; এবং যেহেতু সংবিধানে বর্ণিত নীতি ও নির্দেশনাসমূহের বাস্তবায়ন ও প্রতিফলনে দক্ষ, জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1272,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 20,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1169,
532,
1272,
442,
957,
1119,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1272,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1272",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1272,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘একাডেমি’’ অর্থ ধারা ৩ এ বর্ণিত বাংলাদেশ শিশু একাডেমি; (২) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ ধারা ১০ এর অধীন নিযুক্ত একাডেমির চেয়ারম্যান; (৩) ‘‘তহবিল’’ অর্থ একাডেমির তহবিল; (৪) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৫) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৬) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত একাডেমির ব্যবস্থাপনা বোর্ড; (৭) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ একাডেমির মহাপরিচালক; (৮) ‘‘শিশু’’ অর্থ শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন) তে সংজ্ঞায়িত শিশু; (৯) ‘‘সদস্য’’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য; এবং (১০) ‘‘সাম্মানিক ফেলো’’ অর্থ ধারা ৯ এ বর্ণিত ক্ষেত্রে ও পদ্ধতিতে একাডেমি কর্তৃক সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তি।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1119",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1272,
"details": "৩। (১) Bangladesh Shishu Academy Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXXIV of 1976) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিশু একাডেমি (Bangladesh Shishu Academy) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত। (২) একাডেমি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "একাডেমি প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "532",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1272,
"details": "৪। (১) একাডেমির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) একাডেমি, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা স্থাপন, স্থানান্তর বা বিলুপ্ত করিতে পারিবে।",
"name": "একাডেমির কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1272,
"details": "৫। (১) একাডেমির সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং একাডেমি যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে। (২) বোর্ড উহার দায়িত্ব পালন ও কার্যসম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি, প্রবিধান ও সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুরসরণ করিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1272,
"details": "৬। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একাডেমির ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :- (ক) একাডেমির চেয়ারম্যান, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি; (গ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি; (ঘ) ডিন, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; (ঙ) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (চ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ছ) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (জ) তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঝ) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঞ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ট) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঠ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ড) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঢ) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ণ) শিশু কল্যাণ পরিষদের ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ত) সরকার কর্তৃক মনোনীত শিশুদের উন্নয়নে বিশেষভাবে অবদান রাখিয়াছেন এমন ৪ (চার) জন প্রতিনিধি, যাহাদের মধ্যে ২ (দুই) জন মহিলা হইবেন; এবং (থ) একাডেমির মহাপরিচালক, যিনি বোর্ডের সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ত) এ উল্লিখিত মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার, যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে বা মনোনীত কোনো সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) কোনো মনোনীত সদস্য ধারাবাহিক ৩ (তিন)টি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে তাহার সদস্য পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবসান বা বিলুপ্ত হইবে এবং তদ্পরিবর্তে নূতন সদস্য মনোনীত হইবেন। (৪) যদি কোনো মনোনীত সদস্যের সদস্য পদে বহাল থাকিবার মেয়াদের মধ্যে বোর্ডের কোনো সদস্য পদ শূন্য হয় তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১ (এক) জন নূতন সদস্য মনোনীত করিবে এবং এইরূপে মনোনীত সদস্য তাহার পূর্বসুরির অনতিক্রান্ত সময় পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল থাকিবেন।",
"name": "ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1272,
"details": "৭। (১) বোর্ড প্রতি ৬ (ছয়) মাসে কমপক্ষে একবার সভায় মিলিত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধাতি তারিখ, সময় ও স্থানে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (২) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য অন্যূন ৭ (সাত) জন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে। (৩) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট (Casting Vote) প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৪) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যবৃন্দ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্বাচিত একজন সদস্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন। (৫) বোর্ডের কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1272,
"details": "৮। একাডেমির কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) শিশুদের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বদেশ প্রেম, নৈতিক শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সৃজনশীল ও সুকুমার বৃত্তিসহ সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ; (খ) শিশুদের সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক, বিনোদন ও শিক্ষামূলক কর্মতৎপরতার উন্নয়ন; (গ) শিশুদের শারীরিক বিকাশ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ বিপর্যয়, বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ; (ঘ) শিশুতোষ সাহিত্য সৃষ্টি ও বিকাশ; (ঙ) প্রতিবন্ধী এবং অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ; (চ) ডিজিটাল যুগের উপযোগী করিয়া শিশুদের গড়িয়া তুলিবার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ; (ছ) একাডেমির পক্ষে ও একাডেমির জন্য তহবিল, জামানত (securities) ও এইরূপ অন্য কোনো দলিল এবং অন্য কোনো স্থাবর অথবা অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ; (জ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, একাডেমির নিজস্ব তহবিলের বিনিয়োগ এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিনিয়োগসমূহ পরিবর্তন; (ঝ) জামানতসমূহ (securities) ক্রয়বিক্রয়, অনুমোদন, হস্তান্তর, বিনিময় কিংবা অন্য কোনো প্রকারে তদসম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ; (ঞ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে একাডেমির সম্পত্তিসমূহ জামানত বা বন্ধক প্রদান অথবা অন্য কোনো প্রকারের দায় সৃষ্টি; (ট) একাডেমির প্রয়োজনে যে কোনো চুক্তি ও প্রয়োজনীয় দলিল সম্পাদন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কোনো বিদেশি সরকার, বিদেশি সংস্থা বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত এইরূপ কোনো চুক্তি অথবা কোনো দলিল সম্পাদন করা যাইবে না। (ঠ) শিশুদের উপর গবেষণা কার্য পরিচালনা এবং গবেষণাপত্র ও উপকরণাদি প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ; (ড) শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নিকট সুপারিশ পেশ; এবং (ঢ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় এবং সহায়ক অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা।",
"name": "একাডেমির কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1272,
"details": "৯। (১) শিশুর সামগ্রিক বিকাশ ও উন্নয়নে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, শিল্পকলা অথবা সামাজিক বিশেষ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অবদান রাখিবার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (২) এর অধীন গঠিত কমিটির অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাম্মানিক ফেলো প্রদান করা যাইবে। (২) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাম্মানিক ফেলো প্রদানের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠিত হইবে, যথা:- (ক) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; (গ) একাডেমির চেয়ারম্যান; (ঘ) একাডেমির মহাপরিচালক; (ঙ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বোর্ডের ২ (দুই) জন সদস্য; (চ) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।",
"name": "সাম্মানিক ফেলো, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১০। (১) সরকার, প্রথিতযশা শিশু সাহিত্যিক বা শিশু সংগঠক বা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অথবা স্বাধীনতা পদক বা একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ বা সাহিত্যিকগণের মধ্য হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে একাডেমির ১ (এক) জন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করিবে। (২) চেয়ারম্যান যে কোনো সময় সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) এই আইন লঙ্ঘন বা গুরুতর অনিয়ম বা অসদাচরণের অভিযোগে বোর্ডের অন্যূন ১২ (বারো) জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অনাস্থা জ্ঞাপন করিলে, একাডেমি উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। (৪) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্যপদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যান নিয়োগ, মেয়াদ, পদত্যাগ, অপসারণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১১। (১) একাডেমির ১ (এক) জন মহাপরিচালক থাকিবে। (২) সরকার মহাপরিচালক নিয়োগ করিবে এবং তাহার চাকরির শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। (৩) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি অথবা অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে মহাপরিচালক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্যপদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত চাকরির জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে পরিচালকগণ মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) মহাপরিচালক একাডেমির সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে কার্যাবলি সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন। (৫) মহাপরিচালক বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাসত্মবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং বোর্ডের পক্ষে একাডেমির প্রশাসন পরিচালনা করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১২। (১) একাডেমি ইহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) একাডেমির কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "একাডেমির কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১৩। (১) একাডেমির একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) কোনো ব্যক্তি অথবা বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিদেশি সরকার বা সংস্থা হইতে প্রাপ্ত ঋণ ও অনুদান; (ঘ) দান এবং বৃত্তির (এনডাউমেন্ট) অর্থ; (ঙ) বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত সুদ বা লভ্যাংশ; এবং (চ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত সকল অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কোনো তপশিলি ব্যাংকে একাডেমির নামে জমা রাখিতে হইবে। (৩) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে। (৪) সরকারের নিয়মনীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে তহবিলের অর্থ হইতে কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি পরিশোধসহ একাডেমির প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১৪। একাডেমি প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে একাডেমির সম্ভাব্য কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১৫। (১) একাডেমি, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে অর্থ ব্যয়ের যথাযথ হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর এই ধারায় মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া অভিহিত, প্রতি বৎসর একাডেমির হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের অনুলিপি একাডেমি ও সরকারের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য একাডেমি অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উলিস্নখিত নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2 (1) (b) এ সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা একাডেমির হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে একাডেমি এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে। (৫) একাডেমির হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউনটেন্ট একাডেমির সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য, মহাপরিচালক বা একাডেমির যে কোনো কর্মচারীর নিকট হইতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করিতে পারিবে। (৬) এই ধারার বিধানাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর বিধানাবলি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442,1169",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১৬। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে একাডেমি উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, একাডেমির নিকট হইতে যে কোনো সময় একাডেমির যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং একাডেমি উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একাডেমি, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1272,
"details": "১৯। (১) Bangladesh Shishu Academy Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXXIV of 1976), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) Bangladesh Shishu Academy, অতঃপর Academy বলিয়া উল্লিখিত, কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলা বা গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে; (গ) Academy কর্তৃক সম্পাদিত কোনো চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে; (ঘ) Academy এর সকল ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা এই আইনের বিধান অনুযায়ী সেই একই শর্তে একাডেমির ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসাবে গণ্য হইবে; (ঙ) কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে Academy এর সকল কর্মচারী যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, তাহারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে একাডেমির চাকরিতে নিয়োজিত এবং ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবে; এবং (চ) Academy এর সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধা, তহবিল, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ অর্থ ব্যাংকে জমা ও সিকিউরিটিসহ তহবিল এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট সকল হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য সকল দলিল-দস্তাবেজ এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে একাডেমিতে হস্তান্তরিত এবং একাডেমি উহার অধিকারী হইবে। (৩) উক্ত Ordinance রহিত হওয়া সত্ত্বেও উহার অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ, প্রণীত সকল পরিকল্পনা বা কার্যক্রম এবং অনুমোদিত সকল বাজেট উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোনো বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারিকৃত প্রদত্ত এবং অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "532",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1272,
"details": "২০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
}
],
"text": "Bangladesh Shishu Academy Ordinance, 1976 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ৩ক ও ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯ এ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৬নং আইন দ্বারা উক্ত সময়কালের অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ জনস্বার্থে কার্যকর ও বলবৎ রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেকহোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু শিশুদের সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক বিনোদনমূলক ও শিক্ষামূলক কার্যাবলি এবং তদ্সম্পর্কিত বিষয়াদির উন্নতি বিধানকল্পে শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং তদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Bangladesh Shishu Academy Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXXIV of 1976) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1273,
"lower_text": [],
"name": "মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 31,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
96,
1025,
75,
788,
1273,
957
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1273,
"details": "১। (১) এই আইন মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম এবং প্রবর্তন",
"related_acts": "1273",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘অপ্রতিবাদী রোগী (Nonprotesting patient)’ অর্থ মানসিক স্বাস্থ্যগত কারণে চিকিৎসা অথবা ভর্তিসংক্রান্ত মতামত প্রদানে অক্ষম কিন্তু মানসিক চিকিৎসা গ্রহণে বাধা প্রদান করেন নাই এইরূপ কোনো মানসিক রোগী অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী; (২) ‘অভিভাবক’ অর্থ ধারা ২১ এ উল্লিখিত কোনো অভিভাবক; (৩) ‘আত্মীয়’ অর্থ অভিভাবকের অপারগতায় অথবা অনুপস্থিতিতে মানসিকভাবে অসুস্থ রোগীর তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত রক্তসম্পর্কিয় অথবা বৈবাহিক সূত্রে অথবা আদালত অনুমোদিত কোনো আত্মীয়-স্বজন; (৪) ‘আদালত’ অর্থ জেলা জজ আদালত বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো আদালত; (৫) ‘কোম্পানী’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এ বর্ণিত কোম্পানী; (৬) ‘চিকিৎসা’ অর্থ মানসিক রোগবিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ঔষধ প্রয়োগ, পরামর্শ বা সেবা প্রদান অথবা সরকার অনুমোদিত বিজ্ঞানসম্মত বিকল্প চিকিৎসা; (৭) ‘চিকিৎসার সম্মতি (Consent for treatment)’ অর্থ চিকিৎসার পূর্বে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসার উপকারিতা, ঝুঁকি, চিকিৎসা গ্রহণ না করিবার ক্ষতি, ইত্যাদি বিষয় অবহিত রাখিয়া চিকিৎসা প্রদানের বা উক্ত চিকিৎসার পরিবর্তে সরকার অনুমোদিত বিজ্ঞানসম্মত বিকল্প চিকিৎসা সম্পর্কে ভীতি অথবা প্ররোচনা ব্যতিরেকে উহা গ্রহণের জন্য রোগী বা তাহার অভিভাবকের নিকট হইতে অনুমতি গ্রহণ; (৮) ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার’ অর্থ মানসিক হাসপাতালে নিযুক্ত মানসিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো মেডিক্যাল অফিসার বা মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ; (৯) ‘নাবালক (Minor)’ অর্থ আঠারো বৎসর বয়সের নিম্নে কোনো ব্যক্তি; (১০) ‘প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাব’ অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮৪ (২) এ বর্ণিত হিসাব; (১১) ‘ব্যবস্থাপক’ অর্থ মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আদালত কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তি; (১২) ‘বিধি’ অর্থ আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১৩) ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ অর্থ মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে এখতিয়ার সম্পন্ন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, এবং মেট্রোপলিটন এলাকা ব্যতীত অন্য এলাকার ক্ষেত্রে এখতিয়ার সম্পন্ন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট; (১৪) ‘মাদকাসক্তি’ অর্থ কোনো দ্রব্য নিয়মিত ব্যবহার বা গ্রহণ বা নিয়মিত গ্রহণ পরবর্তী অকস্মাৎ বন্ধের ফলে ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের লক্ষণ; (১৫) ‘মানসিক অসুস্থতা (Mental illness)’ অর্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার কর্তৃক নির্ণীত মাদকাসক্তি এবং মানসিক প্রতিবন্ধিতা ব্যতীত মানসিক রোগের একটি ধরন; (১৬) ‘মানসিক রোগ (Mental disorder)’ অর্থ মানসিক প্রতিবন্ধিতা এবং মাদকাসক্তিসহ ক্লিনিক্যালি স্বীকৃত এইরূপ কতিপয় লক্ষণ অথবা আচরণ যাহা বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও মানসিক অথবা উভয়ের সহিত সম্পর্কিত এবং যাহা ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবন-যাপনকে বাধাগ্রস্ত করে; (১৭) ‘মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ (Psychiatrist)’ অর্থ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে মানসিক রোগ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত এবং বিএমডিসি কর্তৃক নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক; (১৮) ‘মানসিক সুস্থতা’ অর্থ এমন এক স্বাভাবিক অবস্থা যখন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের সম্ভাবনাসমূহ অনুধাবন করিতে পারেন, জীবনের স্বাভাবিক চাপসমূহের সহিত সংগতি রাখিয়া জীবন যাপন করিতে পারেন, উৎপাদনমুখী ও ফলদায়ক কার্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখিতে পারেন এবং নিজ এলাকার জনগোষ্ঠীর জন্য কোনোভাবে অবদান রাখিতে সক্ষম হন; (১৯) ‘মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি’ অর্থ আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী গঠিত রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি; (২০) ‘মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবী বা সাইকোলজিস্ট’ অর্থ স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, এডুকেশনাল সাইকোলজিস্ট, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মনোবিজ্ঞানী, সাইকিয়াট্রি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্ক, অকুপেশনাল থেরাপি, এডুকেশনাল সাইকোলজি, কাউন্সেলিং, কাউন্সেলিং সাইকোলজি, সাইকোথেরাপি এবং সাইকিয়াট্রিক নার্সিং-এ নিয়োজিত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান হইতে ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি; (২১) ‘মানসিক হাসপাতাল’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন স্থাপিত বা ধারা ৮ অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো মানসিক হাসপাতাল, মানসিক রোগ চিকিৎসা কেন্দ্র, মানসিক ক্লিনিক, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র, পুনর্বাসন কেন্দ্র বা আশ্রয় কেন্দ্র, উহা যে নামেই অভিহিত হউক; (২২) ‘মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (Medical certificate)’ অর্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার কর্তৃক রোগী পরীক্ষান্তে প্রদত্ত সনদপত্র; এবং (২৩) ‘লাইসেন্স (Licence)’ অর্থ আইনের ধারা ৮ অনুযায়ী প্রদত্ত লাইসেন্স।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "788,957",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৪। সরকার এই আইনের অধীন মানসিক স্বাস্থ্য সেবাসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, সম্প্রসারণ, উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বয় করিবার দায়িত্ব পালন করিবে।",
"name": "মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রত্যেক জেলায় ‘মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি’ নামে একটি কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যাহাদের মধ্যে ন্যূনতম একজন নারী সদস্য থাকিবেন, যথা :- (ক) জেলা প্রশাসক সভাপতি; (খ) উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সদস্য; (গ) জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সদস্য; (ঘ) জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বা সাইকোলজিস্ট সদস্য; এবং (ঙ) সিভিল সার্জন সদস্য-সচিব। (২) মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবক বা আত্মীয় রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হইলে কমিটির নিকট প্রতিকারের জন্য আবেদন করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী আবেদন প্রাপ্তির পর কমিটি ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে। (৪) মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটির আদেশের বিরূদ্ধে সংক্ষুব্ধ হইলে সরকারের নিকট আপিল দায়ের করা যাইবে। (৫) মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি সংক্রান্ত সকল বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৬। (১) মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য, সম্পত্তি, মর্যাদা, শিক্ষা ও অন্যন্য অধিকারের বিষয়াবলি নিশ্চিত করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১)-এ বর্ণিত মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার সংক্রান্ত বিষয়াবলি বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে।",
"name": "মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৭। (১) সরকার, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে যে কোনো স্থানে মানসিক হাসপাতাল স্থাপন, বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা জেলা হাসপাতালসমূহের পৃথক বিভাগ বা ইউনিট প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিটি মানসিক হাসপাতাল বা ইউনিটে মাদকাসক্ত ব্যক্তি এবং বিচারাধীন বা সাজাপ্রাপ্ত মানসিক রোগীর চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকিতে হইবে : আরও শর্ত থাকে যে, প্রতিটি মানসিক হাসপাতাল বা ইউনিটে নাবালক মানসিক রোগীর চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকিতে হইবে। (২) মানসিক হাসপাতালের মান নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়াবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মানসিক হাসপাতাল স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৮। (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, সরকারের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ করিয়া বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল স্থাপন ও পরিচালনা করা যাইবে। (২) বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল স্থাপনের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন, স্থগিতকরণ, বাতিল, ফি নির্ধারণ, উহার শ্রেণি ও মান এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "লাইসেন্স (Licence)",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৯। (১) সরকার কোনো মানসিক হাসপাতালে যে কোনো সময়ে প্রবেশ, পরিদর্শন, রেজিস্টার ও চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, নমুনা, কাগজপত্র পরীক্ষা এবং জব্দ করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, রেজিস্টার বা কাগজপত্র কোনো রোগীর রোগ সংক্রান্ত হইলে সংশ্লিষ্ট রোগী বা তাহার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত উহা সংগ্রহ করা বা জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাইবে না। (২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পরিদর্শনে এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি লঙিঘত হইয়াছে মর্মে প্রতীয়মান হইলে, সরকার- (ক) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের বা প্রতিপালনের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত মানসিক হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার উহা পালনে বাধ্য থাকিবেন; (খ) বেসরকারি মানসিক হাসপাতালে প্রদত্ত সেবা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বা মানসম্মত না হইলে এবং এই আইন, বিধি অথবা তদধীন প্রদত্ত নির্দেশ বা লাইসেন্সের শর্তাবলী ভঙ্গের প্রকৃতি যদি এইরূপ হয় যে, উক্ত বেসরকারি মানসিক হাসপাতালকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করা সমীচীন নহে, তাহা হইলে জনস্বার্থে উক্ত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিতপূর্বক তাৎক্ষণিকভাবে উহা বন্ধ করিতে পারিবে; এবং (গ) কোনো বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল বন্ধ করা হইলে চিকিৎসাধীন রোগীকে অনতিবিলম্বে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা সম্বলিত অন্য কোনো হাসপাতালে নিজ দায়িত্বে স্থানান্তরের জন্য বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এবং (২)-এর অধীন পরিদর্শন, তল্লশি ও জব্দ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মানসিক হাসপাতাল পরিদর্শন, তল্লাশি ও জব্দ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১০। (১) কোনো ব্যক্তি এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান লঙঘন করিয়া লাইসেন্সবিহীনভাবে মানসিক হাসপাতাল পরিচালনা করিলে সরকার তাহাকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া, অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা, এবং একই ব্যত্যয়ের পুনরাবৃত্তিতে অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জরিমানা আরোপের অতিরিক্ত হিসাবে সরকার সংশ্লিষ্ট মানসিক হাসপাতালের সকল কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ করিবার নির্দেশ প্রদান এবং মালামাল জব্দ করিতে পারিবে। (৩) মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবী জ্ঞাতসারে কোনো লাইসেন্সবিহীন মানসিক হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত থাকিলে সরকার তাহাকে অনধিক ১(এক) লক্ষ টাকা জরিমানা করিতে পারিবে। (৪) এই ধারার অধীন আরোপিত জরিমানা সরকারি কোষাগারে জমা করিতে হইবে। (৫) এই ধারার অধীন সরকার কর্তৃক জরিমানা আরোপ ও আপিল করার পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "জরিমানা আরোপের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১১। (১) মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় ভর্তি, অপ্রতিবাদী রোগী ভর্তি এবং অনিচ্ছাকৃত রোগী ভর্তির বিধান প্রযোজ্য হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, নাবালক রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবক বা আত্মীয়ের নিকট হইতে চিকিৎসার সম্মতি গ্রহণ করিতে হইবে। (২) ভর্তির লক্ষ্যে আগত রোগীকে ধারা ১২ এবং ১৩-এ বর্ণিত সময়সীমা বা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার বা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বিধিতে উল্লিখিত নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন রোগী ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার্থে ভর্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১২। (১) পূর্ণবয়ষ্ক রোগীর ক্ষেত্রে তৎসম্মতিতে ভর্তি করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির ২৪ (চবিবশ) ঘণ্টার মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার ভর্তিচ্ছু ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়া বিধিতে উল্লিখিত নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে। (৩) স্বেচ্ছায় ভর্তিকৃত রোগী ছাড়পত্র গ্রহণের অথবা চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, ভর্তিকৃত ব্যক্তি দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার কর্তৃক অনিচ্ছাকৃত ভর্তির আওতাভুক্ত ঘোষিত হইলে উক্ত আবেদন বিবেচ্য হইবে না। (৪) স্বেচ্ছায় ভর্তিকৃত রোগীকে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার তাহার ভর্তির মর্যাদা (admission status) পরিবর্তন অথবা স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র গ্রহণ অথবা চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করিবার অধিকার ক্ষুন্ন হইতে পারে মর্মে অবহিত করিবে। (৫) মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি রোগী ভর্তির ও মেয়াদের যৌক্তিকতা প্রতি পনের দিবস এবং নাবালকের ক্ষেত্রে প্রতি সাত দিবস অন্তরর অন্তর পুনর্বিবেচনা করিবে।",
"name": "স্বেচ্ছায় ভর্তির প্রক্রিয়া",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১৩। (১) অভিভাবক অথবা আত্মীয়ের আবেদন বা চিকিৎসার সম্মতিক্রমে অপ্রতিবাদী রোগী ভর্তি করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন বা সম্মতি প্রাপ্তির ২৪ (চবিবশ) ঘণ্টার মধ্যে রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার বিধিতে উল্লিখিত নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে। (৩) অপ্রতিবাদী রোগী ভর্তির ও মেয়াদের যৌক্তিকতা মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি ২৮ (আটাশ) দিবস অন্তর অন্তর পুনর্বিবেচনা করিবে। (৪) অপ্রতিবাদী রোগী বা অভিভাবককে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার তাহার ভর্তির মর্যাদা (Admission Status) পরিবর্তন অথবা স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র গ্রহণ অথবা চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করিবার অধিকার ক্ষুণ্ণ হইতে পারে মর্মে অবহিত করিবে।",
"name": "অপ্রতিবাদী রোগী ভর্তির প্রক্রিয়া",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১৪। (১) উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবক বা আত্মীয় বা স্থানীয় অধিক্ষেত্রে কর্মরত পুলিশ অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারের আবেদন বা চিকিৎসার সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে বিধিতে উল্লিখিত নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক অনিচ্ছুক রোগীর ভর্তির কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ভর্তির মেয়াদ হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারের সুপারিশের ভিত্তিতে ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টা পর্যন্ত জরুরি ভর্তি ; (খ) একজন মানসিক রোগবিশেষজ্ঞের সুপারিশ অনুসারে ২৮ (আটাশ) দিবস পর্যন্ত চিকিৎসা অথবা অ্যাসেসমেন্টের (Assessment) জন্য ভর্তি ; (গ) মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি অথবা মানসিক রোগবিশেষজ্ঞের পুনর্বিবেচনা অনুসারে ৬০ (ষাট) দিবস পর্যন্ত চিকিৎসা অথবা অ্যাসেসমেন্টের (Assessment) জন্য ভর্তি ; (ঘ) মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটির পুনর্বিবেচনা অনুসারে দ্বিতীয়বার ১২০ (একশত বিশ) দিবস পর্যন্ত এবং প্রয়োজনে পরবর্তীকালে প্রতি ১৮০ (একশত আশি) দিবস পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য ভর্তি; এবং (ঙ) দফা (ঘ) এ নির্ধারিত সময়সীমা উত্তীর্ণ হইবার পর মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি রোগীর চিকিৎসার গুরুত্ব বিবেচনাক্রমে ভর্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারিবে। (৩) অনিচ্ছুক রোগীর অভিভাবক বা আত্মীয়কে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার তাহার ভর্তির মর্যাদা (Admission Status) পরিবর্তন অথবা স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র গ্রহণ অথবা চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করিবার অধিকার ক্ষুণ্ণ হইতে পারে মর্মে অবহিত করিবে। (৪) তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘায়িত চিকিৎসার জন্য অনিচ্ছুক রোগীর ভর্তির পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার বা মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ বা মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি রোগীর অসুস্থতার প্রকৃতি ও মাত্রা, আক্রমণের ঘটনা ও প্রবণতা, ঔষধ গ্রহণে অনিচ্ছা, আত্মহত্যার প্রবণতা, রাসত্মায় ভবঘুরে থাকিবার প্রবণতা এবং রোগী ভর্তি না করা হইলে তাহার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং জনগণের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হইবার আশঙ্কা বিবেচনা করিবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারায় ‘‘অনিচ্ছুক রোগীর’’ বলিতে এমন মানসিক রোগীকে বুঝাইবে, যাহার মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের বিবেচনায় জরম্নরি হওয়া সত্ত্বেও উক্ত রোগী চিকিৎসা গ্রহণে অনাগ্রহী।",
"name": "অনিচ্ছুক রোগীর ভর্তি প্রক্রিয়া",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১৫। (১) ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত মানসিক রোগী রিসেপশন অর্ডারের ভিত্তিতে ভর্তি থাকিবে। (২) উপ-ধারা (১)-এর অধীন রিসেপশন অর্ডার গ্রহণ ও অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। ব্যাখ্যা: এ ধারায় ‘রিসেপশন অর্ডার (Reception order)’ বলিতে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত বা দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি এবং আবদ্ধ করিয়া রাখিবার উদ্দেশ্যে ম্যাজিস্ট্রেট প্রদত্ত আদেশকে বুঝাইবে।",
"name": "ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত মানসিক রোগী ভর্তি প্রক্রিয়া",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১৬। (১) স্বেচ্ছায়, অপ্রতিবাদী এবং অনিচ্ছুক ভর্তি মানসিক রোগীকে সুস্থ হইবার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতিক্রমে ছাড়পত্র প্রদান করা যাইবে। (২) স্বেচ্ছায়, অপ্রতিবাদী এবং অনিচ্ছুক ভর্তি রোগীর ছাড়পত্র প্রদান সংক্রান্ত বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ভর্তিকৃত রোগীর ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়া",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১৭। (১) অভিভাবক বা আত্মীয়বিহীন বা ঠিকানাবিহীন মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার এখতিয়ার- সম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নিকটতম সরকারি মানসিক হাসপাতাল প্রধানের নিকট হস্তান্তর করিবে। (২) কোনো ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত বলিয়া ধারণা করিবার কারণ থাকিলে এবং মানসিক অসুস্থতার কারণে উক্ত ব্যক্তিকে বিপজ্জনক বলিয়া মনে করিবার কারণ থাকিলে স্থানীয় অধিক্ষেত্রের পুলিশ অফিসার তাহাকে স্বীয় জিম্মায় গ্রহণ করিয়া নিকটতম মানসিক হাসপাতালে প্রেরণ করিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এবং (২) অনুযায়ী হস্তান্তরিত মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট মানসিক হাসপাতাল অনতিবিলম্বে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদানপূর্বক প্রমাণক কাগজপত্রের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় অধিক্ষেত্রের থানাকে সরবরাহ করিবে।",
"name": "মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার অধিকার",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১৮। (১) অভিভাবক বা আত্মীয়বিহীন বা ঠিকানাবিহীন মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থতার পর সংশ্লিষ্ট মানসিক হাসপাতাল তাহার সুস্থতার ছাড়পত্রসহ উক্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট জেলার অথবা নিকটতম সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানে অথবা পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ব্যক্তির সুস্থতা পরবর্তী চিকিৎসা সেবা (Follow-up treatment) সংশ্লিষ্ট মানসিক হাসপাতাল প্রদান করিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হইলে মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটির নিকট প্রতিকারের জন্য আবেদন করিতে পারিবে।",
"name": "মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পুনর্বাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1273,
"details": "১৯। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পুনর্বাসনের অধিকার নিশ্চিতকরণে সরকারের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়াদি বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে।",
"name": "মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পুনর্বাসন সংক্রান্ত কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২০। (১) মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো অভিভাবক বা আত্মীয় উক্ত ব্যক্তির মানসিক অবস্থা নিরূপণের জন্য আদালতে আবেদন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর আদালত কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারকে সময়সীমা নির্ধারণপূর্বক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হিসাবে অভিযুক্ত ব্যক্তির মানসিক অক্ষমতা চিহ্নিত ও যাচাই করিয়া প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আদেশ প্রাপ্তির পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্ধারিত সময় ও স্থানে হাজির করিবার জন্য আবেদনকারীসহ সংশ্লিষ্টকে নোটিশ প্রদান করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মহিলা হইলে এবং ধর্ম বা প্রথানুযায়ী জনসম্মুখে উপস্থিত হইবার বাধা থাকিলে, আদালত সুবিধাজনক স্থানে তাহাকে পরীক্ষার ব্যবস্থা করিবে। (৪) অনুসন্ধান সমাপ্তির পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার প্রতিবেদন দাখিল করিলে আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা এবং সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতার বিষয়ে আদেশ প্রদান করিবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হইলে উচ্চতর আদালতে আপিল দায়ের করা যাইবে। ব্যাখ্যা: এই ধারায় ‘মানসিক অক্ষমতা (Mental disability)’ বলিতে কোনো ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির ধারণা লাভের অসমর্থতাকে বুঝাইবে।",
"name": "মানসিক অবস্থার বিচারিক অনুসন্ধান",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২১। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর ও সম্পত্তির অভিভাবক হইবে তাহার পিতা বা মাতা। (২) মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পিতা ও মাতার অবর্তমানে তাহার বা তাহার আত্মীয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত উপযুক্ত ব্যক্তিকে অভিভাবক নিযুক্ত করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য যৌক্তিক কারণে কল্যাণকর বিবেচিত না হইলে কোনো আত্মীয়কে অভিভাবক নিযুক্ত করা যাইবে না। (৩) অভিভাবকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সংক্রান্ত বিষয়াবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) অভিভাবক উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করিলে বা অবহেলার প্ররোচনার সহিত জড়িত মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হইলে, স্থানীয় অধিক্ষেত্রের পুলিশ অফিসার বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।",
"name": "মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবকত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২২। (১) যেই ক্ষেত্রে মানসিক হাসপাতালে ভর্তির পর কোনো মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির মানসিক অক্ষমতার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে তাহার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম না হন, সেইক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার তাহার অভিভাবক বা আত্মীয়কে সম্পত্তির ক্ষতির সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত করিবে। (২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অবগত হইবার পর মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবক বা আত্মীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার আদালতের নিকট উক্ত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবস্থাপক নিয়োগের আবেদন করিবার ব্যবস্থা করিবে। (৩) দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তি তাহার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে অক্ষম, এবং তাহার পিতা বা মাতা জীবিত নাই, তাহা হইলে আদালত একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে ব্যবস্থাপক নিযুক্ত করিবে। (৪) ব্যবস্থাপক দায়িত্ব গ্রহণের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব ও তালিকা আদালতে পেশ করিবে। (৫) ব্যবস্থাপক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে তাহার সম্পত্তি গ্রহণ, ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, অংশীদারি কারবার অবসান এবং এতদসংক্রান্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে: তবে শর্ত থাকে যে, ব্যবস্থাপক আদালতের অনুমতি ব্যতীত মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক, হস্তান্তর, বিক্রয়, ভাড়া, উপহার, বিনিময় করিতে অথবা ৫ (পাঁচ) বৎসরের ঊর্ধ্বে উক্ত সম্পত্তি লিজ প্রদান করিতে পারিবে না। (৬) ব্যবস্থাপক প্রত্যেক আর্থিক বৎসর সমাপ্তির ৩ (তিন) মাসের মধ্যে তাহার দায়িত্বে থাকা সম্পত্তি ও সম্পদ, গৃহীত অর্থ এবং উক্ত ব্যক্তির মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসায় ব্যয়কৃত অর্থের পরিমাণ এবং স্থিতির হিসাব সংশ্লিষ্ট আদালতের নিকট পেশ করিবে। (৭) মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো অভিভাবক বা আত্মীয় ব্যবস্থাপকের নিকট হইতে অথবা তাহার অপসারণের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে অথবা তাহার মৃত্যুর পর বৈধ প্রতিনিধির নিকট হইতে তাহার অধীনে থাকা অথবা তৎকর্তৃক গৃহীত কোনো সম্পত্তির হিসাব প্রাপ্তির জন্য আদালতে আবেদন করিতে পারিবে। (৮) ব্যবস্থাপক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার চলতি ব্যয় এবং তাহার সম্পত্তি বা সম্পদ তত্ত্বাবধানের জন্য প্রয়োজনীয় আনুমানিক ব্যয় ব্যতীত অবশিষ্ট অর্থ প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবে জমা প্রদান করিবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতা হইতে আরোগ্য লাভ করিলে তিনি উক্ত জমাকৃত অর্থ ফেরৎ পাওয়ার অধিকারী হইবেন। (৯) ব্যবস্থাপক আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাহার আইনগত উত্তরাধিকারগণের স্বার্থে উক্ত অর্থ অন্য কোনোরূপে বিনিয়োগপূর্বক সকল লেনদেনের হিসাব উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী পেশ করিবে। (১০) যেই ক্ষেত্রে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতা হইতে আরোগ্য লাভ করিয়াছেন, সেইক্ষেত্রে আদালত উক্ত ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য একজন মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে অন্যূন ৩ (তিন) সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনপূর্বক অনুসন্ধানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। (১১) মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবক এবং তাহার সম্পত্তির ব্যবস্থাপক উভয়ই আদালত কর্তৃক নির্ধারিত হারে পারিশ্রমিক প্রাপ্য হইবে। (১২) আদালত কর্তৃক উপযুক্ত বিবেচিত হইলে ব্যবস্থাপক বা অভিভাবক অপসারণ বা মেয়াদ বৃদ্ধি বা পুনঃনিয়োগের কার্যক্রম গৃহীত হইবে। (১৩) মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আদালত কর্তৃক পরিত্যক্ত মর্মে বিবেচিত হইলে উহা সরকারি ব্যবস্থাপনায় হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২৩। (১) মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবী হিসাবে কোনো ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা সার্টিফিকেট প্রদান করিলে অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা ১ (এক) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে। (২) অভিভাবক বা ব্যবস্থাপক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা বা সম্পত্তির তালিকা প্রণয়ন বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে অবহেলা বা আদালতের কোনো নির্দেশ বাস্তবায়ন না করিলে অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা ৩ (তিন) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে। (৩) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অন্য কোনো বিধান বা উহার অধীন প্রণীত কোনো বিধি লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনে সহযোগিতা বা প্ররোচনা বা আইনে প্রতিপালনযোগ্য বিষয়াদি বা সরকারের কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রতিপালন না করা বা প্রতিপালন না করায় সহযোগিতা বা বাধা প্রদান করিলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।",
"name": "অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২৪। (১) ধারা ২৩ এর অধীন অপরাধসমূহ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে। (২) ফৌজদারি কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার লিখিত প্রতিবেদন ব্যতীত উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনের ধারা ২৩ এর অধীন কোনো অপরাধ আমলে গ্রহণ করিবে না। (৩) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, ধারা ২৩ এর অধীন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা দায়ের, অপরাধের তদন্ত, বিচার ও অন্যান্য কার্যক্রম ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন পরিচালিত হইবে, এবং উক্ত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non-Cognizable), আপোসযোগ্য (compoundable) এবং জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে। (৪) ফৌজদারি কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ম্যাজিস্ট্রেট ধারা ২৩ এ উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা: এই ধারায় ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’ বলিতে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) কে বুঝাইবে।",
"name": "অপরাধ আমলে গ্রহণ, বিচার, ইত্যাদি",
"related_acts": "75",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২৫। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলীতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, ধারা ৯ ও ১০ এ উল্লিখিত উহার যে কোনো ক্ষমতা, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে বা এলাকায়, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন পরিচালিত এক বা একাধিক মোবাইল কোর্টকে অর্পণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "মোবাইল কোর্টের ক্ষমতা",
"related_acts": "1025,1025",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২৬। (১) আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘনকারী সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বা সমিতি বা সংগঠন হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক পরিচালক বা অংশীদার বা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট ব্যক্তিগতভাবে বিধানটি লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি বা সংস্থা আইনগত সত্ত্বা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ব্যতিরেকেও উক্ত কোম্পানিকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারি মামলায় কেবল অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২৭। সরকার, এই আইনের অধীন উহার যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, উহার নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো দপ্তর, পরিদপ্তর বা অধিদপ্তর বা কমিটি বা এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২৮। এই আইনের অধীন যে কোনো কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার প্রয়োজনে সরকার এক বা একাধিক কমিটি গঠন এবং উহার কার্যপরিধি ও কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1273,
"details": "২৯। সরকার, সরকারি গেজেটে, প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৩০। (১) এই আইন বলবৎ হইবার সঙ্গে সঙ্গে ( Lunacy Act, 1912 (Act IV of 1912) এতদ্দ্বারা রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত Act এর অধীন সূচীত কোনো কার্যক্রম এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে এমনভাবে চলমান ও অব্যাহত থাকিবে যেন উক্ত Act রহিত হয় নাই।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "96",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1273,
"details": "৩১। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে, প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 31
}
],
"text": "শত বছরের পুরোনো আইনের প্রাসঙ্গিকতা ও সময়োপযোগিতা হ্রাস পাওয়ায় The Lunacy Act, 1912 রহিতক্রমে যুগোপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, মর্যাদার সুরক্ষা, সম্পত্তির অধিকার ও পুনর্বাসন এবং সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করিবার জন্য The Lunacy Act, 1912 (Act No. IV of 1912) রহিতক্রমে উহা যুগোপযোগী করিয়া নূতনভাবে একটি আইন প্রণয়ন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বরা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা :-"
} |
{
"id": 1274,
"lower_text": [],
"name": "সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 35,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
72,
236,
210,
564,
1274,
541,
926
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1274,
"details": "১। (১) এই আইন সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1274",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) ‘‘অধিদপ্তর’’ অর্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; (২) ‘‘কমিটি’’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত উপদেষ্টা কমিটি; (৩) ‘‘ক্ষমতাপ্রাপ্তকর্মচারী’’ অর্থ ধারা ৩০ এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী; (৪) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের তপশিল; (৫) ‘‘বাহক’’ অর্থ এক প্রাণী হইতে অন্য প্রাণীর দেহে জীবাণু বহনকারি আণুবীক্ষণিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী; (৬) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৭) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; (৮) ‘‘সংক্রামকরোগ’’ অর্থ ধারা ৪ এ উল্লিখিত কোনো সংক্রামক রোগ।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংক্রামক রোগ অর্থে নিম্নবর্ণিত রোগসমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:- (ক) ম্যালেরিয়া; (খ) কালাজ্বর; (গ) ফাইলেরিয়াসিস; (ঘ) ডেঙ্গু; (ঙ) ইনফ্লুয়েঞ্জা; (চ) এভিয়ান ফ্লু; (ছ) নিপাহ; (জ) অ্যানথ্রাক্স; (ঝ) মারস-কভ (MERS-CoV); (ঞ) জলাতংক; (ট) জাপানিস এনকেফালাইটিস; (ঠ) ডায়রিয়া; (ড) যক্ষা; (ঢ) শ্বাসনালির সংক্রমণ; (ণ) এইচআইভি; (ত) ভাইরাল হেপাটাইটিস; (থ) টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগসমূহ; (দ) টাইফয়েড; (ধ) খাদ্যে বিষক্রিয়া; (ন) মেনিনজাইটিস; (প) ইবোলা; (ফ) জিকা; (ব) চিকুনগুণিয়া; এবং (ভ) সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত কোনো নবোদ্ভূত বা পুনরুদ্ভূত (Emerging or Reemerging) রোগসমূহ।",
"name": "সংক্রামক রোগ",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের সাধারণ বা বিশেষ ক্ষমতার আওতায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল এবং ইহার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিস্তার হইতে জনগণকে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কর্মকৌশল প্রণয়নসহ সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ; (খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত কর্মকৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি এবং দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা গ্রহণ; (গ) জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি হ্রাসকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ; (ঘ) সংক্রমিত এলাকাকে সংক্রমণমুক্ত এলাকা হইতে পৃথককরণ, সংক্রমণমুক্ত এলাকায় উক্ত রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত এলাকায় পুনঃআবির্ভাব প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান; (ঙ) সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক ঔষধের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এবং অপব্যবহার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (চ) বাসগৃহ, অন্যান্য গৃহ, ক্লিনিক, হাসপাতাল এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বা কোনো স্থাপনায় সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেবা প্রদান করিলে বা অনুরূপ রোগের সংক্রমণের আধার হিসাবে বিবেচিত হইলে উক্ত স্থান বা স্থাপনা পরিদর্শন ও তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (ছ) সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক ও ল্যাবরেটরি পরীক্ষা এবং, প্রয়োজনে, এন্টিবায়োটিক, প্রতিষেধক টিকা বা ঔষধ প্রয়োগ; (জ) সংক্রামক রোগের তথ্য রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে উক্ত রোগের বিষয়ে অধিদপ্তরের নিকট তথ্য প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান; (ঝ) ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমন এবং ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য বাহক বাহিত রোগ (Vector Borne Disease) প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে- (অ) বাসগৃহ, অন্যান্য গৃহ, মশারি, পর্দা, বিছানার চাদর ও অন্যান্য ব্যবহারযোগ্য বস্ত্রাদিতে কীটনাশক প্রয়োগ; (আ) কীটনাশকের নিরাপদ মাত্রা নির্ধারণ; (ই) তথ্য সংগ্রহের জন্য কোনো প্রাঙ্গণে প্রবেশ; (ঈ) প্রজননস্থল ব্যবস্থাপনা; (উ) সংক্রামক রোগের বাহক নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক প্রয়োগ করা হইয়া থাকিলে উহা পরবর্তী ৫ (পাঁচ) মাসের মধ্যে ধৌত, চুনকাম বা প্লাস্টার করা হইতে বিরত থাকা এবং উহার উপরিভাগে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইতে বিরত রাখা; (ঞ) দূষণ বা ভেজাল শনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে খাদ্য, পানীয় বা উহার কাঁচামাল প্রস্তুত, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিতরণকালে উহা পরিদর্শন এবং পরীক্ষাকরণ; (ট) সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হইয়াছেন এইরূপ কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট হাসপাতাল, অস্থায়ী হাসপাতাল, স্থাপনা বা গৃহে অন্তরীণ (Quarantine)রাখা বা পৃথককরণ (Isolation); (ঠ) জীবাণুঘটিত দূষণ প্রতিরোধ ও রোগ সংক্রমণের উৎস অপসারণ বা ধ্বংসকরণ; (ড) ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য সংক্রামক রোগের বৃদ্ধি বা বিস্তার ঘটাইতে পারে এইরূপ প্রকৌশল, কৃষি বা শিল্প প্রকল্প নিষিদ্ধকরণ; (ঢ) কীটনাশকযুক্ত লং লাস্টিং ইনসেকটিসাইডাল নেট (LLIN) এবং ইনসেকটিসাইডাল নেট সিল বা পর্দার কার্যকারিতা ব্যাহত করিতে পারে এইরূপ দ্রব্যাদির বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ; (ণ) সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে কোনো বাজার, গণজমায়েত, স্টেশন, বিমানবন্দর, নৌ ও স্থলবন্দরগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে; (ত) সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে উড়োজাহাজ, জাহাজ, জলযান, বাস, ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহন দেশে আগমন, নির্গমন বা দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান হইতে অন্য স্থানে চলাচল নিষিদ্ধকরণ; (থ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, অর্পিত দায়িত্ব পালনসহ অন্যান্য কার্য-সম্পাদন। (২) এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালন এবং কার্য-সম্পাদনের জন্য মহাপরিচালক দায়ী থাকিবেন।",
"name": "অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৬। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হইবে,- (ক) দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ; (গ) সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ; (ঘ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঙ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (চ) পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ছ) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (জ) পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; (ঝ) পরিচালক, রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; (ঞ) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; (ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ২ (দুই) জন ব্যক্তি; (ঠ) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, যিনি ইহার সদস্যসচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, প্রয়োজনে, সংক্রামক রোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কোনো ব্যক্তিকে উপদেষ্টা কমিটিতে কো-অপ্ট করিতে পারিবে। (৩) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কমিটিকে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।",
"name": "উপদেষ্টা কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৭। কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) সংক্রামক রোগের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিস্তার হইতে জনগণকে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কর্মকৌশল প্রণয়নে অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান; (খ) সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ঔষধের ব্যবহার পর্যালোচনা; (গ) সংক্রামক রোগের বৃদ্ধি বা বিস্তার ঘটাইতে পারে এইরূপ প্রকৌশল, কৃষি বা শিল্প প্রকল্প নিষিদ্ধকরণ বা করণীয় বিষয়ে মহাপরিচালককে নির্দেশনা প্রদান; (ঘ) আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান; (ঙ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো কার্য।",
"name": "কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) কমিটি প্রত্যেক বৎসর অন্যূন ২ (দুই) টি সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) কমিটির সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা, বোর্ডের সভা আহ্বান করিবেন। (৪) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তদ্কর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন। (৫) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন অর্ধেক সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) বোর্ডের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতি নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন। (৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কমিটির কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদ্সম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কমিটির সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৯। সংক্রামক রোগের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিস্তার হইতে জনগণকে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে উক্ত রোগসমূহ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, উক্ত রোগের প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি ও পারস্পরিক সহায়তার সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এতদ্সংক্রান্ত শিক্ষা বিস্তার, রোগের উন্নতি পর্যালোচনা, অধিকার সংরক্ষণসহ অন্যান্য পদ্ধতিগত ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)কর্তৃক, প্রকাশিত এবং তপশিলে উল্লিখিত International Health Regulations, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রয়োগযোগ্য হইবে।",
"name": "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি-বিধানের অনুসরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১০। (১) যদি কোনো চিকিৎসক সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন এবং উক্ত রোগে আক্রান্ত হইয়া মৃত্যুবরণকারি ব্যক্তি, কোনো বাসগৃহ, প্রাঙ্গণ বা এলাকায় সংক্রামক রোগের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত হন, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে অবহিত করিবেন। (২) যদি কোনো বোর্ডিং, আবাসিক হোটেল বা অস্থায়ী বাসস্থানের মালিক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির যুক্তিসঙ্গত কারণে ধারণা হয় যে, উক্ত স্থানে বসবাসকারি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হইয়াছেন, তাহা হইলে তিনি অনতিবিলম্বে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন এবং জেলা প্রশাসককে অবহিত করিবেন। (৩) কোনো সিভিল সার্জন সংক্রামক রোগ বা উক্ত রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত হইলে তিনি বিষয়টি অনতিবিলম্বে মহাপরিচালককে অবহিত করিবেন।",
"name": "সংক্রামক রোগের তথ্য প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১১। (১) মহাপরিচালক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, আদেশ দ্বারা, নিম্নবর্ণিত কোনো এলাকাকে সংক্রমিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবেন, যথা:- (ক) বাংলাদেশের স্থানীয় কোনো এলাকা বা অঞ্চল যাহা কোনো সংক্রামক ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হইয়াছে বা আক্রান্ত হইয়া থাকিতে পারে মর্মে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ হইতেছে; (খ) সংক্রমনের বিস্তার নির্মূল বা সীমিত করিবার জন্য সংক্রমিত ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, গৃহ, আঙ্গিনা, বাসস্থান বা যানবাহন। (২) মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সংক্রামক রোগ সীমিত বা নির্মূল করা সম্ভব নহে, তাহা হইলে তিনি সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে বা সংক্রমিত স্থানে অন্য কোনো ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ, সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন। (৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "সংক্রমিত এলাকা ঘোষণা, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১২। (১) যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হইয়াছেন বা তাহার দেহে সংক্রামক জীবাণুর উপস্থিতি রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে নমুনা সংগ্রহ এবং উহা পরীক্ষা করিতে পারিবেন। (২) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর অধীন সংগৃহীত নমুনার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করাইবেন। (৩) প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় উক্ত নমুনাতে সংক্রামক রোগ বা জীবাণুর উপস্থিতি নিশ্চিত হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী করণীয় বিষয়ে পরামর্শসহ বিষয়টি নিজ অধিক্ষেত্রভুক্ত সিভিল সার্জনকে অবহিত করিবেন এবং উক্ত বিষয়ে তিনি সিভিল সার্জনের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।",
"name": "নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১৩। যদি কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত দ্রব্যাদিতে উক্তরূপ রোগের জীবাণু রহিয়াছে তাহা হইলে তিনি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্তরূপ দ্রব্যাদি বিশুদ্ধ বা ধ্বংস করিতে পারিবেন।",
"name": "রোগাক্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত দ্রব্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১৪। যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো সংক্রমিত ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করা না হইলে তাহার মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত হইতে পারেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সাময়িকভাবে অন্য কোনো স্থানে স্থানান্তর বা জনবিচ্ছিন্ন করা যাইবে।",
"name": "রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে সাময়িক বিচ্ছিন্নকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১৫। সংক্রামক রোগের বিস্তার প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তির বাসগৃহ, অন্য কোনো গৃহ, আঙ্গিনা বা ব্যবহৃত দ্রব্যাদিতে সংক্রামক রোগের উপস্থিতি বা জীবাণু রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত স্থান পরিদর্শন করিতে পারিবেন।",
"name": "পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১৬। (১) কোনো স্থান বা স্থাপনায় সংক্রামক রোগের জীবাণুর উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হইবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন,- (ক) সন্দেহজনক স্থান, স্থাপনা বা প্রাঙ্গণ পরীক্ষা; (খ) সন্দেহজনক স্থান, স্থাপনা বা প্রাঙ্গণ জীবাণুমুক্তকরণের নির্দেশ প্রদান; (গ) সন্দেহজনক স্থান, স্থাপনা বা প্রাঙ্গণ জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত স্থানে জনসাধারণের প্রবেশ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিতকরণ; (ঘ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যবস্থা। (২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যে কোনো সন্দেহজনক স্থান, স্থাপনা বা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিতে পারিবেন।",
"name": "সংক্রমিত স্থান বা স্থাপনা জীবাণু মুক্তকরণ বা বন্ধকরণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১৭। (১) যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট প্রতীয়মান হয় যে, জীবাণুযুক্ত কোনো স্থাপনা ধারা ১৬ এর অধীন জীবাণুমুক্তকরণ সম্ভব নহে, তাহা হইলে তিনি উহা সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে অবহিত করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অবহিত হইবার পর, সিভিল সার্জন, প্রয়োজনে, উক্ত স্থাপনা ধ্বংস করিবার জন্য উহার মালিককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো নির্দেশ প্রদান করা হইলে সিভিল সার্জন অনতিবিলম্বে উহা মহাপরিচালককে অবহিত করিবেন।",
"name": "স্থাপনা ধ্বংসকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১৮। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো যানবাহন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হইয়াছে বা উহাতে সংক্রামক জীবাণুর উপস্থিতি রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত যানবাহন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, জীবাণুমুক্তকরণের জন্য উক্ত গাড়ীর মালিক বা স্বত্বাধিকারি বা তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "যানবাহন জীবাণুমুক্ত করণের আদেশ প্রদানের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1274,
"details": "১৯। (১) কোনো যানবাহন, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বা পশুপাখি সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হইলে বা আক্রান্ত হইয়াছে বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে ধারণা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী উহা জব্দ করিতে পারিবেন। (২) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর অধীন জব্দকৃত যানবাহন, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বা পশুপাখি জীবাণুমুক্তকরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন জব্দকৃত যানবাহন, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বা পশুপাখি জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব না হইলে উহা সিভিল সার্জনকে অবহিত করিতে হইবে এবং উক্তরূপে অবহিত হইবার পর সিভিল সার্জন বিষয়টি নিয়ে মহাপরিচালকের সহিত পরামর্শক্রমে তদনুযায়ী উহা ধ্বংস করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "জীবাণুযুক্ত যানবাহন, দ্রব্যাদি জব্দ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২০। (১) যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করেন বা করিয়াছেন বলিয়া সন্দেহ হয় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির মৃতদেহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নির্দেশনা মোতাবেক দাফন বা সৎকার করিতে হইবে। (২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মৃতদেহের সৎকার",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সংক্রামক রোগের জীবাণু বহন করিতে পারে এইরূপ খাদ্য, পণ্য, পশুপাখি বা অন্য কোনো পদার্থ আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থার সহিত সমন্বয় সাধন করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, প্রয়োজনে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২২। (১) Imports and Exports (Control) Act, 1950 (Act No. XXXIX of 1950)বা তদধীন, সময় সময়, সরকার কর্তৃক জারিকৃত আমদানি ও রপ্তানি নীতি বা আদেশে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি খাদ্য, ভোগ্যপণ্য বা নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি আমদানি বা রপ্তানি করিতে পারিবেন না, যদি- (ক) উক্ত পণ্যে কোনো মানুষের অবশেষ, মানুষের টিস্যু বা অংশবিশেষ, সংক্রামক রোগের জীবাণু ,বা (খ) এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি অনুযায়ী কোনো ক্ষতিকর জীব বা পদার্থ বা অংশ বা উপাদান, বিদ্যমান থাকে। (২) Imports and Exports (Control) Act, 1950, বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০০৫ (২০০৫ সনের ৬ নং আইন) এবং উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ৫ নং আইন)-এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ফুল, উদ্ভিদ এবং পশুপাখি আমদানি বা রপ্তানি করিতে পারিবেন না, যদি- (ক) উক্ত পণ্যে কোনো সংক্রামক রোগের জীবাণু ,বা (খ) এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি অনুযায়ী কোনো ক্ষতিকর জীব, পদার্থ, অংশ বা উপাদান, বিদ্যমান থাকে।",
"name": "আমদানি ও রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা",
"related_acts": "236,236,926",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোনো যানবাহন, স্থান বা স্থাপনা জীবাণুমুক্তকরণের জন্য ব্যয়িত সরকারি অর্থ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ফেরত গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "সরকারি ব্যয়ের অর্থফেরত গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২৪। (১) যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটিতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি তাহার নিকট গোপন করেন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "সংক্রামক রোগের বিস্তার এবং তথ্যগোপনের অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২৫। (১) যদি কোনো ব্যক্তি- (ক) মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তাহার উপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, এবং (খ) সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও নির্দেশপালনে অসম্মতি জ্ঞাপনের অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২৬। (১) যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করেন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মিথ্যা বা ভুলতথ্য প্রদানের অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২৭। এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২৮। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non-cognizable), জামিনযোগ্য (Bailable)এবং আপোষযোগ্য (Compoundable)হইবে।",
"name": "অপরাধের অ-আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1274,
"details": "২৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, প্রয়োজনে, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৩০। মহাপরিচালক, প্রয়োজনে, লিখিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, যদি থাকে, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা, তাহার উপর অর্পিত কোনো ক্ষমতা অধিদপ্তরের যে কোনো কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৩১। এই আইনের কোনো বিধানের অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, সরকার, এই আইনের অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৩২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৩৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপসিলসংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৩৪। (১) The Epidemic Diseases Act, 1897 (২) The Public Health (Emergency Provisions) Ordinance, 1944 (৩) The Bangladesh Malaria Eradication Board (Repeal) Ordinance, 1977 এবং (৪) The Prevention of Malaria (Special Provisions) Ordinance, 1978 অতঃপর রহিতকৃত অধ্যাদেশসমূহ বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও- (ক) রহিতকৃত অধ্যাদেশসমূহের অধীন কৃত কোনো কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) রহিতকৃত অধ্যাদেশসমূহের অধীন জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি বা আদেশ বা সিদ্ধান্ত বা নির্ধারিত কার্যপদ্ধতি, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে এবং এই আইন দ্বারা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, এমনভাবে বলবৎ থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন জারিকৃত ও নির্ধারিত হইয়াছে; এবং (গ) এই আইন প্রবর্তনের তারিখে রহিতকৃত অধ্যাদেশসমূহর অধীন কোনো কার্য বা ব্যবস্থা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত অ অধ্যাদেশসমূহ রহিত হয় নাই।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "72,210,541,564",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1274,
"details": "৩৫। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text)প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা পাঠে ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠপ্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 35
}
],
"text": "জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাসকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাসকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1275,
"lower_text": [],
"name": "জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 23,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
656,
442,
1275,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1275,
"details": "১। (১) এই আইন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1275",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1275,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (ক) “কর্মচারী” অর্থ বোর্ডের কর্মচারী; (খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান; (গ) “পাঠ্যপুস্তক” অর্থ প্রাক-প্রাথমিক হইতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যে কোনো শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক; (ঘ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (ঙ) “বিদ্যালয়” অর্থ মাদ্রাসাসহ এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোনো আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত বা অনুমোদিত হউক বা না হউক, যেখানে প্রাক-প্রাথমিক হইতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা দান করা হয়; (চ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (ছ) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’; এবং (জ) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1275,
"details": "৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে National Curriculum and Text-Book Board Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVII of 1983) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত National Curriculum and Text-Book Board (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "বোর্ড প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "656",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1275,
"details": "৪। (১) বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে। (২) বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "বোর্ডের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1275,
"details": "৫। (১) একজন চেয়ারম্যান এবং নিম্নবর্ণিত বিষয়ভিত্তিক ৮(আট) জন সদস্য সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:- (ক) পাঠ্যপুস্তক; (খ) প্রাথমিক শিক্ষাক্রম; (গ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম; (ঘ) মাদ্রাসা শিক্ষাক্রম; (ঙ) কারিগরি শিক্ষাক্রম; (চ) শিক্ষাক্রম প্রশিক্ষণ; (ছ) শিক্ষাক্রম গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন; এবং (জ) অর্থ। (২) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং বোর্ডের পূর্ণ-কালীন কর্মচারী হিসাবে সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত শর্তাধীনে স্ব-পদে বহাল থাকিবেন ।",
"name": "বোর্ডের গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1275,
"details": "৬। চেয়ারম্যন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি এই আইন, বিধি ও প্রবিধান অনুসারে দায়িত্ব পালন ও কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যান",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1275,
"details": "৭। (১) চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় এবং স্থানে বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (২) ন্যূনতম ৫(পাঁচ) জন সদস্যের উপস্থিতিতে বোর্ডের সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) বোর্ড সভার সভাপতিসহ উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বোর্ডের সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। (৫) বোর্ডের সভায় উক্ত সভার সভাপতি ও উপস্থিত সদস্যগণের একটি করিয়া ভোটাধিকার থাকিবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে বোর্ড সভার সভাপতির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৬) কেবল কোনো পদের শূন্যতা অথবা বোর্ড গঠনে কোনো ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1275,
"details": "৮। (১) বোর্ডের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার; (খ) শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি এবং পাঠ্যপুস্তকের কার্যকারিতা যাচাই এবং মূল্যায়ন; (গ) পাঠ্যপুস্তকের পাণ্ডুলিপি প্রণয়ন; (ঘ) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত ও প্রকাশ; (ঙ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন; (চ) ডিজিটাল ও মিথস্ক্রিয় পুস্তক প্রণয়ন ও অনুমোদন; (ছ) পাঠ্যপুস্তকের মুদ্রণ, প্রকাশনা, বিতরণ এবং বিপণন; (জ) সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রেণি ও স্তরসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ; (ঝ) পাঠ্যপুস্তক, সহায়ক শিখন শেখানো সামগ্রী, পুরস্কার পুস্তক ও রেফারেন্স পুস্তক অনুমোদন; (ঞ) দান ও অনুদানের মাধ্যমে বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকাণ্ড উৎসাহিতকরণ; (ট) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন। (২) বোর্ড, উহার কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে, সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত অনুশাসন ও নির্দেশনা দ্বারা পরিচালিত হইবে।",
"name": "বোর্ডের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1275,
"details": "৯। (১) বোর্ডের নিম্নরূপ কমিটি থাকিবে, যথা:- (ক) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন কমিটি; এবং (খ) পাঠ্যপুস্তক কমিটি। (২) প্রত্যেক কমিটি সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে। (৩) কমিটির সদস্যগণ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন, যথা:- (ক) শিক্ষাবিদ; (খ) স্তর ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক বিশেষজ্ঞ (ক্ষেত্রমত বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ কলেজ, কারিগরী কলেজ, আলীয়া মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক); (গ) স্তরভিত্তিক শ্রেণি শিক্ষক; (ঘ) শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ বা প্যাডাগগ (শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট বা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের শিক্ষক); (ঙ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ; এবং (চ) বোর্ডের নবম গ্রেডের নিম্নে নহেন এমন একজন কর্মচারী। (৪) কমিটির সদস্যগণ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে দায়িত্ব পালন করিবেন। (৫) কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত বোর্ডের একজন কর্মচারী সংশ্লিষ্ট কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করিবেন। (৬) কোনো কমিটি প্রয়োজনে, বোর্ডের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো ব্যক্তিকে উহার সভায় আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবে অথবা তাহাকে উক্ত কমিটিতে কো-অপ্ট করিতে পারিবে। (৭) বোর্ড, প্রয়োজনে, উহার কার্যাবলী সম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য অন্যান্য কমিটি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১০। (১) বোর্ডের একজন সচিব থাকিবেন। (২) সচিব সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলী সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। (৩) বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সচিব তাহার কার্য সম্পাদন করিবেন।",
"name": "সচিব",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১১। (১) বোর্ড, উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১২। (১) বোর্ডের একটি তহবিল থাকিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) সরকার প্রদত্ত ঋণ; (গ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎস হইতে প্রাপ্ত ঋণ; (ঘ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি রাষ্ট্র বা সংস্থার নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ঙ) বোর্ড কর্তৃক বিনিয়োগ এবং বোর্ডের সম্পদ হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং (চ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃক সংগৃহীত সকল ধরনের ফি, রয়্যালটি, সার্ভিসচার্জ, ওভারহেড কস্ট এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে যে কোনো ধরনের সংগৃহীত তহবিল। (২) তহবিলের অর্থ বোর্ডের নামে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে। (৩) সরকারের নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ও সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তহবিলের অর্থ হইতে বোর্ডের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “তপশিলি ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত “Scheduled Bank”।",
"name": "বোর্ডের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১৩। বোর্ড, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে, যাহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে সরকারের নিকট হইতে বোর্ডের সম্ভাব্য কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে তাহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১৪। (১) বোর্ড, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বাৎসরিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর বোর্ডের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য বোর্ড অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে এবং বিষয়টি সরকারকে অবহিত করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত কোনো “chartered accountant” দ্বারা বোর্ডের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড এক বা একাধিক “chartered accountant” নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত “chartered accountant” সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত হারে পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন। (৫) বোর্ডের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত “chartered accountant”, বোর্ডের সকল রেকর্ড, দলিল, বাৎসরিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব বা বোর্ডের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১৫। (১) বোর্ড প্রতি বৎসর তৎকর্তৃক উহার পূর্ববর্তী বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন পরবর্তী বৎসরের ৩১ মার্চের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যে কোনো সময়, বোর্ডের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন, বিবরণী বা রিটার্ণ যাচনা করিতে পারিবে এবং বোর্ড উহা সরকারের নিকট প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১৬। (১) বোর্ড কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক হিসাবে প্রণীত ও প্রকাশিত নহে অথবা বোর্ড কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক হিসাবে অনুমোদিত নহে, এইরূপ কোনো পুস্তককে কোনো বিদ্যালয়ের জন্য পাঠ্যপুস্তক হিসাবে নির্ধারণ করা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো বিদ্যালয় বা কোনো শ্রেণির বিদ্যালয়কে এই ধারার প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (২) সকল পাঠ্যপুস্তক এবং বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত অন্যান্য পুস্তকের গ্রন্থস্বত্ব বোর্ডের অধিকারে থাকিবে।",
"name": "বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১৭। (১) বোর্ড, যে কোনো পাঠ্যপুস্তকের মুদ্রণকারী, প্রকাশক, বিতরণকারী, পাইকারি বিক্রেতা বা খুচরা বিক্রেতার নিকট হইতে উক্ত পাঠ্যপুস্তকের উপর যে কোনো তথ্য, বিবরণী বা প্রতিবেদন যাচনা করিতে পারিবে। (২) কোনো মুদ্রণকারী, প্রকাশক, সরবরাহকারী, পাইকারি বিক্রেতা অথবা খুচরা বিক্রেতা যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন যাচিত কোনো তথ্য, বিবরণী অথবা প্রতিবেদন সরবরাহে ব্যর্থ হন অথবা এইরূপ কোনো তথ্য, বিবরণী বা প্রতিবেদন সরবরাহ করেন, যাহার বিশেষ কোনো উপাদান অসত্য এবং যাহা তিনি অসত্য বলিয়া জানেন বা যুক্তিসংগত কারণে বিশ্বাস করেন অথবা সত্য নহে মর্মে বিশ্বাস করেন না, তাহা হইলে, উহা হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "প্রকাশকদের নিকট হইতে তথ্য, প্রতিবেদন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১৮। বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, এই আইন এবং বিধি বা প্রবিধানের অধীন উহার সকল বা যে কোনো ক্ষমতা চেয়ারম্যান অথবা কোনো সদস্য বা বোর্ডের কানো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1275,
"details": "১৯। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দূর করিতে পারিবে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1275,
"details": "২০। সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1275,
"details": "২১। বোর্ড, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1275,
"details": "২২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে National Curriculum and Text-Book Board Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVII of 1983) রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত রহিত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ-কর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) প্রতিষ্ঠিত বোর্ডের অর্জিত সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ অর্থ এবং ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও তহবিল, অর্থের বিনিয়োগ, ন্যায্য দাবি বা অধিকার, প্রাপ্ত সুবিধাদি, এইরূপ বিষয় সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত বা বিষয় সম্পত্তি হইতে উদ্ভূত অন্যান্য যাবতীয় অধিকার, মেধাস্বত্ব ও স্বার্থ এবং সকল পাঠ্যপুস্তক, হিসাববহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্য সকল দলিল-দস্তাবেজ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডের নিকট ন্যস্ত ও স্থানান্তরিত হইবে; (গ) প্রতিষ্ঠিত বোর্ডের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যদি থাকে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) প্রতিষ্ঠিত বোর্ড কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে, উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ড কর্তৃক উক্ত রহিত Ordinance এর অধীনে এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা রহিত হয় নাই; (ঙ) গঠিত Board, যদি থাকে, এর কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত না হইলে অথবা এই আইনের অধীন বোর্ড গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে; (চ) প্রতিষ্ঠিত বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃত কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হইবেন; এবং (ছ) প্রতিষ্ঠিত বোর্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সকল বিধি, প্রবিধান, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা অন্য কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত অথবা বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "656",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1275,
"details": "২৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
}
],
"text": "National Curriculum and Text-Book Board Ordinance, 1983 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ৩ক, ১৮ ও ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯ ও সিভিল আপিল নং-৪৮/২০১১ তে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে সামগ্রিকভাবে অননুমোদনপূর্বক (total disapproval of Martial law) উহাদের বৈধতা প্রদানকারী, যথাক্রমে, সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১ নং আইন) এবং সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৬ ও ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে National Curriculum and Text-Book Board Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVII of 1983) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1276,
"lower_text": [
"1 ‘‘হাইড্রোকার্বনজাত হাইড্রোক্সিল (OH-)’’ শব্দগুলি, বন্ধনী, বর্ণগুলি ও চিহ্ন ‘‘হাইড্রোকার্বনজাত (OH-) হাইড্রোক্সিল’’ শব্দগুলি, বন্ধনী, বর্ণগুলি ও চিহ্নের পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"2 দফা (৭ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২ (খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।",
"3 দফা (২৬) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"4 দফা (৩৩) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২ (ঘ) ধারাবলে বিলুপ্ত।",
"5 “এবং” শব্দ প্রান্তস্থিত সেমিকোলন চিহ্নের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২ (ঙ) ধারাবলে সংযোজিত।",
"6 “।” দাড়ি চিহ্ন “;” সেমিকোলন চিহ্নের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং “এবং” শব্দ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২ (চ) ধারাবলে বিলুপ্ত ।",
"7 দফা (৩৬) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২ (ছ) ধারাবলে বিলুপ্ত।",
"8 ‘‘কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা’’ শব্দগুলি ‘‘কাস্টমসের পরিদর্শক’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"9 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা, ক্ষেত্রমত, ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"10 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৫(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"11 ‘‘উক্ত আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"12 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি ‘‘উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৬(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"13 ‘‘অন্যান্য সংস্থা’’ শব্দগুলি ‘‘সকল কর্তৃপক্ষ’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"14 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৭(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"15 ‘‘আদালতকে’’ শব্দটি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৭(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"16 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৮(ক) (অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"17 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৮(ক) (আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"18 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৮(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"19 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৮(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"20 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট’’ শব্দের পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৮(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"21 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৮(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"22 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৮(চ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"23 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"24 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"25 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতকে’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ৯(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"26 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১০(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"27 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১০(খ)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"28 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১০(খ)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"29 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১০(খ)(ই) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"30 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১০(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"31 ‘‘অথবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ)’’ শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণ ‘‘উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ)’’ শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণের পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১১(ক)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"32 ‘‘ধারা ৯’’ শব্দ ও সংখ্যা ‘‘ধারা ১০’’ শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১১(ক)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"33 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১১(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"34 ‘‘মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার’’ শব্দগুলি ‘‘ট্রাইব্যুনাল স্থাপন ও অপরাধের বিচার’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"35 ধারা ৪৪ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"36 ধারা ৪৫ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে বিলুপ্ত।",
"37 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৫(ক)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"38 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৫(ক)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"39 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে, উভয় স্থানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"40 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে, উভয় স্থানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"41 ধারা ৪৮ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"42 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি ‘‘ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দের পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"43 ‘‘উক্ত আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"44 ধারা ৫০ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"45 উপ-ধারা (১) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"46 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"47 ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ১৯(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"48 ধারা ৫৩ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।",
"49 ‘‘আপিল’’ শব্দ ‘‘বিচার ও’’ শব্দগুলির পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে সন্নিবেশিত।",
"50 ধারা ৫৫ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২৬ নং আইন) এর ২২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।"
],
"name": "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 70,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
736,
1025,
75,
1355,
24,
1276,
1119
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1276,
"details": "১। (১) এই আইন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখ হইতে এই আইন কার্যকর হইবে। এস, আর, ও নং ৩৬২-আইন/২০১৮, তারিখঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ইং দ্বারা ১৩ পৌষ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1276",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) ‘অধিদপ্তর’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর; (২) ‘অ্যাগনিস্ট (Agonist)’ অর্থ এইরূপ কোনো বস্তু যাহা তপশিলে উল্লিখিত কোনো মাদকদ্রব্যের রাসায়নিক গঠনের অনুরূপ গঠনবিশিষ্ট বস্তু না হওয়া সত্ত্বেও আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে উক্ত বস্তুর মতো একইভাবে কার্যকর; (৩) ‘অ্যানালগ (Analogue)’ অর্থ তপশিলের অন্তর্ভুক্ত হয় নাই এইরূপ বস্তু, যাহার রাসায়নিক সংগঠন তপশিলের অন্তর্গত কোনো মাদকের রাসায়নিক সংগঠনের অনুরূপ এবং যাহার আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক কার্যক্রম একই রকম; (৪) ‘অ্যালকালয়েড (Alkaloid)’ অর্থ তপশিলের উল্লিখিত কোনো বস্তু বা মাদকদ্রব্য হইতে রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত কোনো বস্তু যাহার আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া মূল মাদকদ্রব্য বা মাদকজাতীয় বস্তুটির অনুরূপ; (৫) ‘অ্যালকোহল (Alcohol)’ অর্থ 1হাইড্রোকার্বনজাত হাইড্রোক্সিল (OH- মূলকসম্বলিত কোনো জৈব যৌগ অথবা তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্যের ক্রমিক নং ৩ এবং ‘গ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্যের ক্রমিক নং ১ ও ২ এ উল্লিখিত কোনো তরল পদার্থ; (৬) ‘আইসোমার (Isomer)’ অর্থ দুই বা ততোধিক সমগোত্রীয় পদার্থের যেকোনো একটি, যাহা একই উপাদান দ্বারা একই আনুপাতিক হারে গঠিত, কিন্তু উহাতে পারমাণবিক বিন্যাসের তারতম্যের কারণে কতিপয় গুণগত বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রহিয়াছে; (৭) ‘উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্যকে কোনো বস্তু হইতে সংগ্রহ, পরিশোধন, রাসায়নিক বিন্যাস ও বিশ্লেষণ, তৈরি, উহার সহিত কোনো কিছু দ্রবীভূত অথবা মিশ্রিত করা, উহাকে অন্য কোনো মাদকদ্রব্য, কিংবা উহার উপজাত দ্রব্য অথবা যৌগ কিংবা উহা হইতে উদ্ভূত অথবা প্রস্তুতকৃত কোনো পদার্থ (যাহাতে উক্ত পদার্থ উহার রাসায়নিক গুণাগুণ ও মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির ক্ষমতাসহ বিদ্যমান) কিংবা উহার কোনো অ্যালকালয়েড, সল্ট, আইসোমার, অ্যানালগ কিংবা অ্যাগনিস্ট যে বাণিজ্যিক নামে অথবা আকারেই থাকুক নামে অথবা আকারেই থাকুক না কেন ইত্যাদিতে রূপান্তরিত করা কিংবা উহা নির্দিষ্ট পরিমাণ ও মাত্রায় বিভাজন ও বিন্যস্ত করা; 2(৭ক) ‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’ অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী, ক্ষেত্রমত, অপরাধ আমলে গ্রহণের অথবা বিচারের এখতিয়ারসম্পন্ন কোনো আদালত; (৮) ‘ওয়াশ (Wash)’ অর্থ শর্করা কিংবা শ্বেতসার অথবা সেলুলোজসংবলিত যেকোনো বস্তুকে পানি ও অন্যান্য উপকরণ সহযোগে গাঁজানোর মাধ্যমে উৎপন্ন অ্যালকোহল মিশ্রিত কোনো দ্রবণ; (৯) ‘ক’শ্রেণির মাদকদ্রব্য, ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য ও ‘গ’শ্রেণির মাদকদ্রব্য অর্থ তপশিলে উল্লিখিত যথাক্রমে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য; (১০) ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার’ অর্থ ধারা ২৩ এ উল্লিখিত কোনো অফিসার; (১১) ‘চাষাবাদ’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্যের উৎস হইতে পারে এইরূপ কোনো উদ্ভিদের বীজ বপন, চারা রোপণ, কলমকরণ, চারা উৎপাদন এবং তাহা হইতে মাদকদ্রব্যের কাঁচামাল, উপাদান, উপকরণ সংগ্রহ করা; (১২) ‘চিকিৎসক’ অর্থ বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, 2010 (2010 সনের 61 নং আইন) এর ধারা 2 এর দফা (16) এবং (18) এ সংজ্ঞায়িত যথাক্রমে স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসক ও স্বীকৃত মেডিক্যাল চিকিৎসক; এবং Bangladesh Homeopathe Practitioners Ordinance, 1983 (Ordinance XLI of 1983) অনুসারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী ব্যক্তি এবং Bangladesh Veterinary Practitioner Ordinance, 1982 (XXX of 1982) এর section 2(g) তে সংজ্ঞায়িত Registered Veterinary Practitioner; (১৩) ‘তপশিল’ অর্থ এই আইনের সহিত সংযুক্ত কোনো তপশিল; (১৪) ‘দখল অথবা ধারণ’ অর্থ কোনো পদার্থ অথবা উপকরণ অথবা বস্তু সজ্ঞানে কোনো ব্যক্তির অঙ্গপ্রতঙ্গে, পোশাকে অথবা মালিকানায় অথবা স্বত্বাধিকারে, নিয়ন্ত্রণে অথবা কর্তৃত্বে থাকা অথবা কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনোকিছু সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, দখল অথবা ধারণ করা; (১৫) ‘নিয়ন্ত্রিত বিলি (Control Delivery)’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করিবার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিশেষ তদন্ত কৌশল, যাহাতে কোনো মাদকদ্রব্য, উহার উৎসবস্তু, উপাদান অথবা মিশ্রণের বেআইনি অথবা সন্দেহজনক চালানকে তদন্তের ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো আইন প্রায়োগকারী সংস্থার (সরকারের) জ্ঞাতসারে ও তত্ত্বাবধানে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত পরিবহন ও বিতরণ অথবা হস্তান্তর করিতে দেওয়া যাহার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত উক্ত মাদকদ্রব্যের উৎস হইতে গন্তব্য পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রমের সহিত জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করা যায়; (১৬) ‘পারমিট’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো পারমিট; (১৭) ‘পাস’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো পাস; (১৮) ‘পুনর্বাসন’ অর্থ এমন কোনো কার্যক্রম অথবা কর্মসূচি যাহার মাধ্যমে কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা; (১৯) ‘প্রিকারসর কেমিক্যালস (Precursor Chemicals)’ অর্থ তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য অংশের ৮ নং ক্রমিকে উল্লিখিত এবং সময়ে সময়ে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোনো প্রিকারসর কেমিক্যালস যাহা মাদকদ্রব্য উৎপাদনের উপাদান অথবা উপকরণ হিসাবে অপব্যবহৃত হইতে পারে; (২০) ‘ফৌজদারী কার্যবিধি’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898); (২১) ‘বাহন’ অর্থ বিমান, মোটরযান, জলযান এবং রেলগাড়িসহ যেকোনো প্রকারের বাহন; (২২) ‘বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু’ অর্থ ধারা ২৬ এ উল্লিখিত কোনো দ্রব্য বা বস্তু বা মাদকদ্রব্য; (২৩) ‘বিধি’ অর্থ ধারা ৬৮ এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি; (২৪) ‘বিয়ার’ অর্থ মল্ট ও হপস্ সহযোগে ব্রিউইং (Brewing) পদ্ধতিতে ব্রিউয়ারিতে প্রস্তুতকৃত অন্যূন ০.৫% (দশমিক পাঁচ শতাংশ) অ্যালকোহলযুক্ত কোনো পানীয়; (২৫) ‘ব্রিউয়ারি’ অর্থ বিয়ার অথবা বিয়ারের গুণাগুণসম্পন্ন যে-কোনো তরল পদার্থ প্রস্তুতের স্থাপনা, যন্ত্রপাতি, কারখানা অথবা কেন্দ্র; 3(২৬) ‘ব্যক্তি’ অর্থে যে কোনো কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ অথবা অনুরূপ সংঘ বা সমিতিও অন্তর্ভুক্ত হইবে; (২৭) ‘ব্যবস্থাপত্র’ অর্থ রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো চিকিৎসকের প্রদেয় লিখিত ঔষধের ফর্দ, কিংবা ব্যবহার বিধি, অথবা নির্দেশনাপত্র; (২৮) ‘মহাপরিচালক’ অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; (২৯) ‘মাদকদ্রব্য’ অর্থ- (ক) প্রথম তপশিলে উল্লিখিত কোনো দ্রব্য; বা (খ) মাদকদ্রব্যের সহিত অন্য যে-কোনো দ্রব্য একীভূত, মিশ্রিত, কিংবা দ্রবীভূত থাকিলে উহাদের সমুদয় কোনো দ্রব্য; (৩০) ‘মাদকদ্রব্য অপরাধ’ অর্থ এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ; (৩১) ‘মাদকাসক্ত’ অর্থ শারীরিক অথবা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের উপর নির্ভরশীল কোনো ব্যক্তি অথবা অভ্যাসবশে মাদকদ্রব্য ব্যবহারকারী অথবা সেবনকারী কোনো ব্যক্তি; (৩২) ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র’ অর্থ এই আইনের অধীন সরকারি খাতে স্থাপিত বা ঘোষিত অথবা বেসরকারি খাতে অনুমোদিত কোনো মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র; 4*** (৩৪) ‘লাইসেন্স’ অর্থ ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স; 5এবং (৩৫) ‘সম্পদ’ অর্থ বিনিময় মূল্য রহিয়াছে এমন যে-কোনো স্থাবর-অস্থাবর বস্তু, গ্রন্থস্বত্ব (Copyright), সুনাম (Goodwill), কর্তৃত্ব, ক্ষমতা, স্বত্ব, অংশীদারিত্ব বা অনুরূপ কোনো বিষয় 6। 7***",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "75",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৪। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর ধারা ৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এমনভাবে বহাল ও কার্যকর থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীনে স্থাপিত হইয়াছে।",
"name": "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর",
"related_acts": "736",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৫। (১) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে । (২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, দেশের যে কোনো স্থানে অধিদপ্তরের অধঃস্তন বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬। অধিদপ্তরের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) মাদকদ্রব্য-সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (খ) মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য যে কোনো ধরনের গবেষণা বা জরিপ পরিচালনা; (গ) মাদকদ্রব্য উৎপাদন, সরবরাহ, ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ; (ঘ) মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (ঙ) মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রচারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ; (চ) মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং এতৎসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন; (ছ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে-কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং (জ) সরকার কর্তৃক সময় সময় উহার উপর অর্পিত অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন।",
"name": "অধিদপ্তরের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৭। (১) অধিদপ্তরের একজন মহাপরিচালক থাকিবে এবং তিনি অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী হইবেন। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবে এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৮। সরকার অধিদপ্তরের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে তৎকর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিসহ চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৯। (১) অ্যালকোহল ব্যতীত অন্যান্য মাদকদ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্যের উৎপাদন অথবা প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত হয় এইরূপ কোনো দ্রব্য অথবা উদ্ভিদের,- (ক) চাষাবাদ, উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন বা স্থানান্তর; এবং আমদানি বা রপ্তানি করা যাইবে না; (খ) সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়, বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, লেনদেন, নিলামকরণ, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ ও প্রদর্শন করা যাইবে না; (গ) সেবন, প্রয়োগ অথবা ব্যবহার করা যাইবে না; এবং (ঘ) দফা (ক) হইতে (গ) পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো উদ্দেশ্যে কোনো প্রচেষ্টা অথবা উদ্যোগ গ্রহণ, অর্থ বিনিয়োগ, কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপন অথবা পরিচালনা কিংবা উহার পৃষ্ঠপোষকতা, কিংবা মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করা যাইবে না। (২) কোনো মাদকদ্রব্যের উপাদান অথবা উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় অথবা হইতে পারে এইরূপ কোনো প্রিকারসর কেমিক্যালসের- (ক) উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ; বহন, পরিবহন বা স্থানান্তর; এবং আমদানি বা রপ্তানি করা যাইবে না; (খ) সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়, বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, লেনদেন, নিলাম করা, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ ও প্রদর্শন করা যাইবে না; (গ) সেবন, প্রয়োগ অথবা ব্যবহার করা যাইবে না; এবং (ঘ) দফা (ক) হইতে (গ) পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো উদ্দেশ্যে কোনো প্রচেষ্টা অথবা উদ্যোগ গ্রহণ, অর্থ বিনিয়োগ, কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপন অথবা পরিচালনা, কিংবা উহার পৃষ্ঠপোষকতা, কিংবা মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করা যাইবে না। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো মাদকদ্রব্য, দ্রব্য অথবা উদ্ভিদ অথবা প্রিকারসর কেমিক্যালস কোনো আইনের অধীন অনুমোদিত কোনো ঔষধ প্রস্তুতে, শিল্পে ব্যবহার, চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কিংবা মহাপরিচালক কর্তৃক অনুমোদিত কোনো বৈধ কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন হইলে উহা এই আইনের অধীন প্রদত্ত- (ক) লাইসেন্সবলে চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, স্থানান্তর, আমদানি, রপ্তানি, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়, বিক্রয়, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন অথবা ব্যবহার করা যাইবে; (খ) পারমিটবলে সেবন, প্রয়োগ অথবা ব্যবহার করা যাইবে; এবং (গ) পাসবলে বহন অথবা পরিবহন করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের কোনো বিধান প্রতিপালনের নিমিত্ত, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো আইন প্রায়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য দায়িত্ব পালনকালে যুক্তিসংগতভাবে যথাযথ এবং বৈধ কাগজপত্র অথবা দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তপশিলে উল্লিখিত কোনো বস্তু বহন, পরিবহন, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, নিলামকরণ, নিয়ন্ত্রিত বিলিবন্দেজ, ইত্যাদি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না। (৪) উপ-ধারা ৩ এর অধীন উৎপাদিত, প্রক্রিয়াজাত এবং আমদানিকৃত মাদকদ্রব্যের মোড়ক ও লেবেলের উপর উহার অপব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে সর্তকবাণী স্পষ্ট অক্ষরে মুদ্রণ অথবা ছাপাংঙ্কন করিতে হইবে। (৫) যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত কোনো জলযান, আকাশযান অথবা স্থলযানে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে চিকিৎসকের নিয়ন্ত্রণে রক্ষিত প্রাথমিক চিকিৎসাবাক্সে, যদি থাকে, সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত পরিমাণ ঔষধ হিসাবে ব্যবহারযোগ্য মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ, বহন, পরিবহন, প্রয়োগ ও ব্যবহার করিবার ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "অ্যালকোহল ব্যতীত অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, ইত্যাদি নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১০। (১) কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স, পারমিট বা পাস ব্যতিরেকে নিম্নবর্ণিত কোনো কার্য করিতে পারিবে না, যথা:- (ক) কোনো ডিস্টিলারি অথবা ব্রিউয়ারি স্থাপন; (খ) কোনো অ্যালকোহল উৎপাদন অথবা প্রক্রিয়াজাতকরণ; (গ) কোনো অ্যালকোহল বহন, পরিবহন, আমদানি অথবা রপ্তানি; (ঘ) কোনো অ্যালকোহল সরবরাহ, বিপণণ, ক্রয় অথবা বিক্রয়; (ঙ) কোনো অ্যালকোহল ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ অথবা প্রদর্শন; (চ) কোনো অ্যালকোহল সেবন, প্রয়োগ ও ব্যবহার; (ছ) কোনো অ্যালকোহল জাতীয় ঔষধ প্রস্তুতের উপাদান হিসাবে ব্যবহার; এবং (জ) দফা (ক) হইতে (ছ) পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো উদ্দেশ্যে কোনো প্রচেষ্টা অথবা উদ্যোগ গ্রহণ, অর্থ বিনিয়োগ, কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পরিচালনা, উহার পৃষ্ঠপোষকতা, কিংবা মিথ্যা ঘোষণা (Misdeclaration) প্রদান। ব্যাখ্যা: এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘ডিস্টিলারি (Distillery)’ বলিতে অ্যালকোহল উৎপাদনের যে কোনো স্থাপনা অথবা কারখানাকে বুঝাইবে। (২) উপ-ধারা (১)-এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের কোনো বিধান প্রতিপালনের জন্য, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো আইন প্রায়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্যের নিকট সরকারি দায়িত্ব পালনকালে যুক্তিসংগতভাবে যথাযথ এবং বৈধ কাগজপত্র অথবা দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে অ্যালকোহল বহন, পরিবহন, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, নিলামকরণ, ইত্যাদি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে, এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "অ্যালকোহল উৎপাদন, ইত্যাদি সম্পর্কে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১১। (১) পারমিট ব্যতীত কোনো ব্যক্তি অ্যালকোহল পান করিতে পারিবেন না এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে সিভিল সার্জন অথবা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অন্যূন কোনো সহযোগী অধ্যাপকের লিখিত ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো মুসলমানকে অ্যালকোহল পান করিবার জন্য পারমিট প্রদান করা যাইবে না। (২) মুচি, মেথর, ডোম, চা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কর্তৃক তাড়ি ও পচুঁই পান করিবার ক্ষেত্রে এবং রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাসমূহ এবং অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কর্তৃক ঐতিহ্যগতভাবে প্রচলিত অথবা প্রস্তুতকৃত মদ পান করিবার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না। (৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন- (ক) লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার-এ বসিয়া বিদেশি ও পারমিটধারী দেশিয় নাগরিকগণ অ্যালকোহল পান করিতে পারিবেন; এবং (খ) কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী বিদেশি নাগরিকরা শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পাস বইধারী অথবা প্রচলিত ব্যাগেজ রুলসের দ্বারা স্বীকৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, অ্যালকোহল আমদানি, রপ্তানি, ক্রয়, বহন, সংরক্ষণ অথবা পানের ব্যাপারে কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না। (৪) অ্যালকোহল সংক্রান্ত সকল শুল্কমুক্ত কার্যক্রম (Duty Free Operations) এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সবলে সম্পাদিত হইবে।",
"name": "অ্যালকোহল পান, ইত্যাদি সম্পর্কে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১২। (১) চিকিৎসক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য ঔষধ হিসাবে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করিতে পারিবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্রের ভিত্তিতে একবারের অধিক মাদকদ্রব্য ক্রয় করা যাইবে না।",
"name": "মাদকদ্রব্যের ব্যবস্থাপত্র প্রদান সম্পর্কে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১৩। (১) লাইসেন্স, পারমিট ও পাস বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ফরমে, শর্তে এবং ফিস প্রদান সাপেক্ষে মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার কর্তৃক প্রদান করা যাইবে। (২) লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের মেয়াদ উহাতে উল্লিখিত শর্তে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অথবা উহার প্রদানের তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসর সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে: তবে শর্ত থাকে, কোনো লাইসেন্স অথবা পারমিট একাদিক্রমে ৩ (তিন) বৎসর নবায়ন না করা হইলে উহা পুনরায় নবায়নের যোগ্য হইবে না।",
"name": "লাইসেন্স, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১৪। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স অথবা পারমিট প্রাপ্তির যোগ্য হইবেন না, যদি- (ক) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে, অথবা ৫০০ (পাঁচশত) টাকার অধিক অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হন এবং দণ্ডের টাকা আদায় করিবার পর ৫ (পাঁচ) বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে; (খ) তিনি কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হন; এবং (গ) তিনি লাইসেন্স অথবা পারমিটের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেন এবং সেইজন্য তাহার উক্ত লাইসেন্স অথবা পারমিট বাতিল হইয়া যায়।",
"name": "লাইসেন্স, ইত্যাদি প্রদানের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১৫। (১) কোনো ব্যক্তি কোনো লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের শর্ত ভঙ্গ করিলে লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস প্রদানকারী অফিসার- (ক) প্রথমবার শর্ত ভঙ্গের ক্ষেত্রে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে ভবিষ্যতে এইরূপ শর্ত লঙ্ঘন না করিবার জন্য হলফনামার মাধ্যমে অঙ্গীকার অথবা মুচলেকা গ্রহণ করিয়া অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়পূর্বক উক্ত অভিযোগের আপোষ নিষ্পত্তি করিতে পারিবে; (খ) দ্বিতীয়বার শর্তভঙ্গের ক্ষেত্রে, লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস বাতিল করিতে পারিবে। (২) লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের শর্ত ভঙ্গজনিত অভিযোগের জন্য যদি কোনো ব্যক্তির দখল হইতে কোনো বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু জব্দ করা হয় এবং উক্ত ব্যক্তির উক্ত অভিযোগটি যদি উপ-ধারা (১)(ক) এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করা হয় এবং উক্ত ব্যক্তি যদি উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু সংরক্ষণের জন্য আইনগতভাবে বৈধ অধিকারপ্রাপ্ত হন, তাহা হইলে আটককারী অফিসার তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসারের অনুমোদনক্রমে উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু বাজেয়াপ্ত না করিয়া বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার প্রচলিত বাজারমূল্য নির্ধারণ করিয়া সমপরিমাণ অর্থ আদায়পূর্বক উহা উক্ত ব্যক্তির অনুকূলে হস্তান্তর করিতে পারিবে এবং আদায়কৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করিতে হইবে।",
"name": "লাইসেন্স, ইত্যাদির শর্ত ভঙ্গের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১৬। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেন অথবা যদি কোনো লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসধারী ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দণ্ডিত হন, তাহা হইলে লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস প্রদানকারী অফিসার তাহাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস বাতিল করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে- (ক) আদেশটি যদি মহাপরিচালকের অধস্তন কোনো অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে মহাপরিচালকের নিকট আপিল করিতে পারিবে; এবং (খ) আদেশটি যদি মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত আপিল কর্তৃপক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে না।",
"name": "লাইসেন্স, ইত্যাদি বাতিল",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১৭। (১) লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস প্রদানকারী কোনো অফিসারের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করা হইতেছে না, তাহা হইলে উক্ত অফিসার লিখিত আদেশ দ্বারা এই আইনের অধীন অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস অনূর্ধ্ব ৬০ (ষাট) দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে- (ক) আদেশটি যদি মহাপরিচালকের অধস্তন কোনো অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে মহাপরিচালকের নিকট আপিল করিতে পারিবে; এবং (খ) আদেশটি যদি মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (২)-এ উল্লিখিত আপিল কর্তৃপক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে না।",
"name": "লাইসেন্স, ইত্যাদি সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১৮। (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৯ ব্যতীত অন্য কোনো ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র অথবা যানবাহন চালকের লাইসেন্স প্রদান করা যাইবে না এবং তাহার উক্তরূপ কোনো লাইসেন্স থাকিলে উহা বাতিল হইয়া যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যক্তির লাইসেন্স বাতিল হইলে তিনি অথবা ক্ষেত্রমতে, তত্ত্বাবধায়ক অথবা অভিভাবক লাইসেন্স বাতিল হইবার দিন হইতে ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে লাইসেন্স প্রদানকারী অফিসার অথবা নিকটস্থ থানায় জমা প্রদান করিবেন এবং যদি লাইসেন্সটি আগ্নেয়াস্ত্র-এর জন্য হয়, তাহা হইলে আগ্নেয়াস্ত্রটি তৎসহ জমা প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "কতিপয় লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1276,
"details": "১৯। (১) মহাপরিচালকের অনুমোদন ব্যতীত লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনো মদের দোকান অথবা পানশালা বন্ধ করা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে তাঁহার অধীন কোনো এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কোনো মাদকদ্রব্যের দোকান বা পানশালা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের জন্য উক্ত দোকান বা পানশালা বন্ধ করিতে পারিবেন। (২) বিশেষ জরুরি অবস্থায় মহাপরিচালকের পূর্বানুমোদনক্রমে এই মেয়াদ আরও ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবেন। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন জারিকৃত কোনো আদেশের অনুলিপি অবিলম্বে মহাপরিচালকের নিকট তাঁহার অবগতির জন্য প্রেরণ করিতে হইবে।",
"name": "মাদকদ্রব্যের দোকান অথবা পানশালা (Bar) সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২০। মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার বিধির বিধান সাপেক্ষে- (ক) কোনো মাদকদ্রব্য লাইসেন্সবলে প্রস্তুত অথবা গুদামজাত করা হইয়াছে অথবা হইতেছে এইরূপ যে-কোনো স্থানে যে-কোনো সময় প্রবেশ করিতে এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবে; (খ) লাইসেন্সবলে প্রস্তুত অথবা সংগৃহীত মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য যে দোকানে মজুত রাখা হইয়াছে সেই দোকানে, দোকান খোলা রাখিবার সাধারণ সময়ে প্রবেশ করিতে পারিবে এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবে; (গ) দফা (ক) ও (খ) এ উল্লিখিত স্থান অথবা দোকানে,- (অ) রক্ষিত হিসাববহি অথবা নিবন্ধনবহি পরীক্ষা করিতে পারিবে; (আ) প্রাপ্ত মাদকদ্রব্য, মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও তৈজসপত্র পরীক্ষা, ওজন ও পরিমাপ করিতে পারিবে; (ই) উপ-দফা (অ) ও (আ) এ উল্লিখিত কোনো কিছু বেআইনি অথবা ত্রুটিপূর্ণ প্রাপ্ত হইলে অথবা বিবেচিত হইলে উহা জব্দ করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবেশ, ইত্যাদির ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২১। যদি কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যেকোনো প্রকাশ্য স্থানে অথবা কোনো চলাচলকারী যানবাহনে,- (ক) এই আইনের পরিপন্থি কোনো মাদকদ্রব্য অথবা বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু অথবা কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণের সহায়ক কোনো দলিলদস্তাবেজ রক্ষিত রহিয়াছে, তাহা হইলে, তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত মাদকদ্রব্য, বস্তু অথবা দলিলদস্তাবেজ তল্লাশি করিয়া জব্দ করিতে পারিবেন; এবং (খ) মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনকারী অথবা সংঘটনে উদ্যত কোনো ব্যক্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি তাহাকে আটকপূর্বক তল্লাশি করিয়া দলিল দস্তাবেজ প্রাপ্ত হইলে তাহাকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন।",
"name": "প্রকাশ্য স্থান, ইত্যাদিতে আটক অথবা গ্রেফতারের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২২। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জারিকৃত সকল পরোয়ানা, তল্লাশি, গ্রেফতার, ক্রোক, বাজেয়াপ্তি ও আটকের বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "তল্লাশি, ইত্যাদির পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২৩। (১) মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার, অথবা পুলিশের উপ-পরিদর্শক অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা 8কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অথবা সমমানসম্পন্ন অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ল্যান্স নায়ক অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা কোস্ট গার্ড বাহিনীর পেটি অফিসার অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কোনো কারণ থাকে যে, কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ কোনো স্থানে সংঘটিত হইয়াছে, হইতেছে অথবা হইবার আশংকা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া লাইসেন্স প্রিমিজেস ব্যতীত, যে কোনো সময়- (ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে, বাধা অপসারণের জন্য দরজা-জানালা ভাঙ্গাসহ যে-কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন; (খ) উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু এই আইনের অধীন আটক অথবা বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু এবং কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল, দস্তাবেজ অথবা জিনিসপত্র আটক করিতে পারিবেন; (গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যে-কোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করিতে পারিবে; এবং (ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তিকে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করিয়াছেন অথবা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহে গ্রেফতার করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সূর্যাস্ত হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি পরিচালনা না করিলে মাদকদ্রব্য অপরাধ সম্পর্কীয় কোনো বস্তু নষ্ট অথবা লুপ্ত হইবার অথবা অপরাধী পালাইয়া যাইবার আশংকা রহিয়াছে বলিয়া উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোনো অফিসারের বিশ্বাস করিবার সংগত কারণ থাকিলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করিতে পারিবে।",
"name": "পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, ইত্যাদির ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২৪। (১) এই আইনের অধীন কোনো তদন্ত অথবা তল্লাশি পরিচালনাকালে কোনো অফিসারের যদি ইহা বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে কোনো ব্যক্তি তাহার শরীরের কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মাদকদ্রব্য লুকাইয়া রাখিয়াছেন, তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি তাহাকে তাহার শরীরের এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, এন্ডোসকপি, কোলনস্কপি কিংবা রক্ত ও মলমূত্রসহ অন্য যে-কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিবার নিমিত্তে নিজেকে সমর্পণ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ অমান্য করিলে নির্দেশ প্রদানকারী অফিসার তাহাকে নির্দেশ পালনে বাধ্য করিবার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে পরীক্ষার পর কোনো ব্যক্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যদি কোনো মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি সনাক্ত হয়, তাহা হইলে তাহাকে প্রযোজ্যক্ষেত্রে ধারা ৩৬ এর সারণির ক্রমিক নম্বর ৬ হইতে ১১ কিংবা ১৩ হইতে ২০ এর বিধান অনুযায়ী দণ্ডিত মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য গ্রেফতার করা যাইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে পরীক্ষার পর যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো মাদকদ্রব্য গ্রহণের, সেবনের, ব্যবহারের অথবা প্রয়োগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় এবং উহা যদি ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) কিংবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) কিংবা ধারা ১০ এর (চ) এর বিধান লঙ্ঘনকারী হয় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে ধারা ৩৬ এর সারণি ক্রমিক নম্বর ১৬, ২১, ২৫, ২৯ অথবা ৩১ অনুসারে শাস্তিযোগ্য মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা যাইবে। (৪) মাদকাসক্ত ব্যক্তি শনাক্ত করিবার প্রয়োজনে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ডোপ টেস্ট (Dope Test) করা যাইবে। ডোপ টেস্ট (Dope Test) পজেটিভ হইলে ধারা ৩৬(৪) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।",
"name": "দেহ তল্লাশির জন্য বিশেষ পরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২৫। এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে অথবা কোনো বস্তু জব্দ করা হইলে, গ্রেফতারকারী অথবা আটককারী অফিসার তৎসম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাহার ঊর্ধ্বতন অফিসারকে অবহিত করিবেন এবং প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি মহাপরিচালকের নিকট প্রেরণ করিবে।",
"name": "আটক, ইত্যাদি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন অফিসারকে অবহিতকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২৬। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটিত হইলে মাদকদ্রব্য, মাদকদ্রব্যের সহিত জব্দকৃত অর্থ, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন অথবা অন্য কোনো বস্তু সম্পর্কে অথবা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। (২) মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময় বাজেয়াপ্তযোগ্য মাদকদ্রব্যের সহিত যদি কোনো বৈধ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত মাদকদ্রব্যও বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। (৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য যদি কোনো সরকারি অথবা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো যানবাহন ব্যবহার করা হয়, তাহা হইলে উহা জব্দযোগ্য হইবে এবং মামলা রুজুকারী অফিসার সরকারি কার্যের স্বার্থে উক্ত যানবাহন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী অফিসারের জিম্মায় প্রদান করিতে পারিবেন, তবে বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ করিতে হইবে। (৪) জব্দকৃত মাদকদ্রব্য 9এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের আদেশক্রমে উহা ধ্বংস করিতে হইবে।",
"name": "বাজেয়াপ্তযোগ্য মাদকদ্রব্য, বস্তু, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২৭। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের মামলা চলাকালে কোনো 10এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, আটককৃত কোনো বস্তু বাজেয়াপ্তযোগ্য, তাহা হইলে, 11উক্ত আদালত , উক্ত অপরাধ প্রমাণিত হউক অথবা না হউক- (ক) বস্তুটি মাদকদ্রব্য হইলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিবে; (খ) বস্তুটি মাদকদ্রব্য না হইলে বাজেয়াপ্ত করিবার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের বিক্রয়লব্ধ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং উক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। (২) যদি কোনো ক্ষেত্রে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো বস্তু আটক করা হয় কিন্তু উহার সহিত সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার, যিনি বস্তুটি আটককারী অফিসারের ঊর্ধ্বতন অফিসার হইবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে উক্তরূপ বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের পূর্বে বাজেয়াপ্তির বিরুদ্ধে আপত্তি প্রদানের সুযোগ প্রদান করিবার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারি করিতে হইবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারির তারিখ হইতে অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন হইতে হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "বাজেয়াপ্তকরণ পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২৮। (১) বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো মাদকদ্রব্য অথবা দ্রব্যের বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো অফিসার কর্তৃক আটককৃত হইলে উহা মহাপরিচালক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং মহাপরিচালক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা ব্যবহার, হস্তান্তর, ধ্বংস কিংবা অন্য কোনো প্রকারে নিষ্পত্তি অথবা বিলিবন্দেজের ব্যবস্থা করিবে। (২) আটককৃত মাদকদ্রব্য অথবা দ্রব্য এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো সংস্থা কর্তৃক আটককৃত হইলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের পর উহা উক্ত আটককারী সংস্থার নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং আটককারী সংস্থা 12এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের আদেশ অনুসারে মহাপরিচালক কিংবা তাহার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা হস্তান্তর কিংবা অন্য কোনো প্রকারে উহার বিলিবন্দেজ করিতে পারিবে। (৩) এই আইনের অধীন কোনো মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু আটক, বাজেয়াপ্ত ও নিষ্পত্তির ক্ষমতাপ্রাপ্ত 13অন্যান্য সংস্থা ও অফিসার এই আইনের অধীন নিষ্পত্তিকৃত সকল মাদকদ্রব্য ও বস্তুসমূহের নিষ্পত্তিসংক্রান্ত একটি বাৎসরিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।",
"name": "বাজেয়াপ্ত এবং আটককৃত মাদকদ্রব্য ও দ্রব্যাদির নিষ্পত্তি অথবা বিলিবন্দেজ",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1276,
"details": "২৯। (১) মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার অথবা কোনো পুলিশ অফিসার ব্যতীত অন্য কোনো অফিসার কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিলে অথবা কোনো বস্তু আটক করিলে তিনি অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে অথবা আটককৃত বস্তুটিকে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার হিসাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিকটস্থ কোনো অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তি অথবা বস্তুকে যে অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হইবে তিনি যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত ব্যক্তি অথবা বস্তু সম্পর্কে আইনানুগ যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং আটককৃত মাদকদ্রব্য অথবা মালামাল যদি পরিমাণে অত্যধিক হয় অথবা অতি মূল্যবান হয় কিংবা সংরক্ষণের জন্য অসুবিধাজনক কিংবা ঝুঁকিবহুল হয়, তাহা হইলে তদন্তকারী অফিসার 14এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের অনুমতিক্রমে উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা মালামালের যথোপযুক্ত নমুনা ও প্রমাণ সংরক্ষণপূর্বক অবশিষ্ট মাদকদ্রব্য অথবা মালামাল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হস্তান্তর, ধ্বংস অথবা অন্য কোনো প্রকারে বিলিবন্দেজ করিতে পারিবেন এবং বিষয়টি উক্ত 15আদালতকে অবিলম্বে অবহিত করিবেন। (৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন আটককৃত কোনো মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর যদি কোনো কারণে তাৎক্ষণিক বিলিবন্দেজ অপরিহার্য হয় অথবা উহা বহন অথবা স্থানান্তরের অযোগ্য হয়, তাহা হইলে আটককারী অফিসার কর্তৃক উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর উপযুক্ত নমুনা এবং পরিমাণ নির্দেশক যথাযথ প্রমাণ সংরক্ষণপূর্বক অবশিষ্ট মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর হস্তান্তর, ধ্বংস অথবা অন্য কোনো প্রকারে উহার বিলিবন্দেজ করা যাইবে।",
"name": "গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও আটককৃত মালামাল সম্পর্কে বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩০। (১) এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের ব্যাপারে মহাপরিচালকের থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের ক্ষমতা থাকিবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মহাপরিচালকের অধস্তন কোনো অফিসারকে এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত একজন অফিসারের ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "মহাপরিচালক ইত্যাদির তদন্তের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩১। (১) ফৌজদারি কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ তদন্ত- (ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতেনাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে অথবা এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া কোনো 16এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের নিকট সোপর্দ হইলে, তাহার ধৃত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে; (খ) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময় হাতেনাতে ধৃত না হইলে মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটন সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্যপ্রাপ্তি বা, ক্ষেত্রমত, মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার বা 17এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ৬০ (ষাট) কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে; এবং (গ) একই মামলায় গ্রেফতার ও পলাতক ব্যক্তি থাকিলে উক্ত মামলার তদন্ত উপ-ধারা (১) (খ) অনুযায়ী সম্পন্ন হইবে। (২) কোনো যুক্তিসংগত কারণে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে, তদন্তকারী অফিসার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তকার্য সম্পন্ন করিবেন এবং তৎসম্পর্কে কারণ উল্লেখপূর্বক তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার অথবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 18এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময় সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 19এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে অবহিত হইবার পর নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 20এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ উক্ত অপরাধের তদন্তভার অন্য কোনো অফিসারের নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তভার হস্তান্তর করা হইলে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত অফিসার- (ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতেনাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া পুলিশের নিকট সোপর্দ হইলে, তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিবে; এবং (খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 21এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (৬) উপ-ধারা (২) অথবা (৪) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোনো তদন্তকার্য সম্পন্ন না করিবার ক্ষেত্রে, তৎসম্পর্কে ব্যাখ্যা সংবলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 22এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হইবার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারই দায়ী, তাহা হইলে উহা দায়ী, ব্যক্তির অদক্ষতা বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অদক্ষতা তাহার বাৎসরিক গোপনীয় প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকরি বিধি অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।",
"name": "মাদকদ্রব্য অপরাধ তদন্তের সময়সীমা",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩২। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক এই আইনের অধীন রুজুকৃত এবং অধিদপ্তরের কোনো অফিসার কর্তৃক তদন্তকৃত কোনো মামলার তদন্তকালীন যদি মহাপরিচালক লিখিতভাবে অনুরোধ করেন, তাহা হইলে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ মহাপরিচালক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোনো অফিসারের নিকট তদন্তকার্য হস্তান্তর করিবেন এবং যে অফিসারের নিকট উক্ত তদন্তকার্য হস্তান্তর করা হইবে তিনি প্রয়োজনবোধে শুরু হইতে অথবা যে পর্যায়ে তদন্তকার্য হস্তান্তর হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে তদন্তকার্য পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।",
"name": "মামলার তদন্ত হস্তান্তর",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩৩। (১) যদি মহাপরিচালক অথবা তদন্তকারী অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত জড়িত থাকিয়া অবৈধ অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহে লিপ্ত রহিয়াছেন এবং উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের বিধান অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্ত তাহার ব্যাংক হিসাব অথবা আয়কর অথবা সম্পদের কর সম্পর্কীয় রেকর্ডপত্র পরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তদন্তকারী অফিসার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (২) তদন্তকারী অফিসার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (শ) এ উল্লিখিত সম্পৃক্ত মাদকদ্রব্য অপরাধ (অবৈধ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা) নিয়ন্ত্রণের জন্য তদন্তকারী অফিসার হিসাবে গণ্য হইবেন এবং তিনি অবৈধ মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অথবা সম্পদ সম্পর্কে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী তদন্তসহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন। (৩) প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত হিসাব অথবা রেকর্ডপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব নিষ্ক্রিয়করণ (Freezing) করা কিংবা সম্পদ যাচাই-বাছাইয়ের (Scrutinizing) অনুমতি প্রদানের জন্য 23এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে আবেদন করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারীকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া 24এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবে এবং যদি তিনি প্রার্থিত অনুমতি যুক্তিসংগত বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে অনুমতি প্রদান করিবেন এবং উহার একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, কর অফিসার অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অনুমতিপ্রাপ্ত অফিসার তাহার পরীক্ষা-নিরীক্ষার অগ্রগতি ও ফলাফল সম্পর্কে 25এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতকে নির্ধারিত সময়ে অবহিত করিবে।",
"name": "ব্যাংক হিসাব, ইত্যাদি নিরীক্ষা ও নিষ্ক্রিয়করণ",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩৪। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তকালে যদি তদন্তকারী অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তির নিকট উক্ত অপরাধের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পত্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর অথবা অন্য কোনো প্রকার হস্তান্তর তদন্ত কার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদানের জন্য, তিনি 26এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারী ও যাহার বিরুদ্ধে আবেদন করা হইয়াছে তাহাকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া 27এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবেন এবং যদি তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান যুক্তিসংগত বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান করিবেন: তবে শর্ত থাকে, ৩ (তিন) মাসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন না হইলে 28এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের আবেদনকারী অফিসারের আবেদনের ভিত্তিতে উক্ত সময় অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস হইলে তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান করিবেন: আরও শর্ত থাকে যে, উভয় পক্ষের শুনানির পর আবেদনটির নিষ্পত্তিসাপেক্ষে বিশেষ কারণে কেবল আবেদনকারীকে শুনানি প্রদান করিয়া 29এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত আবেদনটির ব্যাপারে সাময়িক আদেশ জারি করিতে পারিবে। (৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দায়েরকৃত কোনো মামলা চলাকালীন অভিযোগকারী যদি এই মর্মে আবেদন করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণিত হইলে তাহার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার প্রয়োজন হইবে এবং সেই কারণে তাহার সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর অথবা অন্য কোনো প্রকার লেনদেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদান প্রয়োজন, তাহা হইলে 30এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত উভয়পক্ষকে যুক্তিসংগত শুনানির সুযোগ দান করিয়া, প্রয়োজনবোধে, উক্তরূপ আদেশ প্রদান করিবে।",
"name": "সম্পত্তি হস্তান্তর, ইত্যাদি নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩৫। (১) উপ-ধারা (২) এবং কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সহিত বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত চুক্তি অথবা সমঝোতা সাপেক্ষে, সরকার, এই আইন অথবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের অনুরূপ কোনো আইনের অধীন সংঘটিত কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সম্পর্কে বাংলাদেশে অথবা অন্য কোথাও প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে, নিয়ন্ত্রিত বিলির লিখিত অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অনুমোদন প্রদান করা হইবে না, যদি না সরকার- (ক) কোনো ব্যক্তিকে, যাহার পরিচিতি জ্ঞাত অথবা অজ্ঞাত যাহাই হউক না কেন, এই বলিয়া সন্দেহ করে যে, তিনি এইরূপ কোনো কার্যে লিপ্ত ছিলেন অথবা রহিয়াছেন অথবা হইবার উদ্যোগ গ্রহণ করিয়াছেন যাহা এই আইন অথবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের অনুরূপ কোনো আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধ বলিয়া পরিগণিত; এবং (খ) এই মর্মে সন্তুষ্ট হয়, নিয়ন্ত্রিত বিলির ব্যবস্থা এইরূপ নির্ধারিত করা হইয়াছে যে, উহাতে উক্ত ব্যক্তির কার্য প্রকাশিত হইবার অথবা উক্ত কার্যসংক্রান্ত অন্য কোনো প্রমাণ লাভের সুযোগ রহিয়াছে। (৩) সরকার অনধিক ৩ (তিন) মাসের জন্য, সময়ে সময়ে, উক্ত অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, উক্ত উপ-ধারার অধীন অনুমোদনপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, নিয়ন্ত্রিত বিলি ও গোপন অভিযান চলাকালে এবং তদুদ্দেশ্যে, নিম্নরূপ কার্যাবলি সম্পাদন করিতে পারিবে, যথা:- (ক) কোনো বাহনকে বাংলাদেশে প্রবেশ অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ করিতে দেওয়া; (খ) কোনো বাহনকে মাদকদ্রব্য সরবরাহ অথবা সংগ্রহ করিতে দেওয়া; (গ) কোনো বাহনে প্রবেশ ও তল্লাশির জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী যুক্তিসংগত শক্তি প্রয়োগ করা; (ঘ) কোনো বাহনে গোপন সংকেত প্রদানকারী যন্ত্র (Tracking Device) স্থাপন করা; এবং (ঙ) যে ব্যক্তির অধিকারে অথবা হেফাজতে মাদকদ্রব্য রহিয়াছে তাহাকে বাংলাদেশে প্রবেশ অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ করিতে দেওয়া। (৫) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো গোপন অভিযান অথবা নিয়ন্ত্রিত বিলিতে অংশগ্রহণকারী কোনো অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যক্তি, অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী, উক্ত অভিযান অথবা নিয়ন্ত্রিত বিলিতে অংশগ্রহণের জন্য কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের দায়ে দায়ী হইবে না।",
"name": "গোপন অভিযোগ ও নিয়ন্ত্রিত বিলি",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩৬। (১) কোনো ব্যক্তি যদি নিম্নের সারণির ২য় কলামে উল্লিখিত কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এবং ১০ এর কোনো বিধান লঙ্ঘন করে তাহা হইলে তিনি উক্ত সারণির কলাম ৩ এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, যথা:- সারণি ক্রমিক মাদকদ্রব্যের নাম এবং অপরাধের বিবরণ দণ্ডের প্রকার (১) (২) (৩) ১। প্রথম তপশিলের ক শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়াম পপি গাছ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। (ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০টি হইলে অন্যূন ১(এক) বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) গাছের সংখ্যা ১০ এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০(দশ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) গাছের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ (দশ) বৎসর, এবং অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ২। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়ম পপি ফল সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) ফলের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ১(এক) বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) ফলের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০ (পাচশত) টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) ফলের সংখ্যা ৫০০ (পাঁচশত) টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ (দশ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৩। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়ম পপি বীজ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ গ্রাম হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড; (খ) অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ ১০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ ৫০(পঞ্চাশ) গ্রামের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৪। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত কোকা গাছ অথবা কোকা গুল্ম সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। (ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০টি হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) গাছের সংখ্যা ১০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) গাছের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৫। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত কোকা পাতা সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) পাতার পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর, কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) পাতার পরিমাণ ১০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০০ গ্রাম হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) পাতার পরিমাণ ১০০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৬। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়াম ফল নিঃসৃত আঠাল পদার্থ কিংবা পরিশোধিত, অপরিশোধিত কিংবা তৈরিকৃত যে-কোনো ধরনের আফিম কিংবা আসক্তি সৃষ্টিতে সক্ষম আফিম সহযোগে তৈরি যে-কোনো পদার্থ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০০ গ্রাম অথবা মিলি লিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ ১০০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনের) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৭। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৮। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ)বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ (পচিশ) গ্রাম অথবা মিলি লিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ৯। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ১০। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৪০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৪০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ১১। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৬ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১ এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ১২। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৬নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের এর ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ১৩। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৭ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০০ গ্রাম অথবা মি.লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর অনূর্ধ্ব যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ১৪। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৭ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ১৫। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৮ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ ১০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ ৫০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ১৬। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (গ) 31অথবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ৩ (তিন) মাস, অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ১৭। প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (ঘ) কিংবা উপ-ধারা (২)-এর দফা (ঘ) এবং উপ-ধারা (৪) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ৩ (তিন) মাস, অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ১৮। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত গাঁজা অথবা ভাং গাছ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। (ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ৫০টি হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড; (খ) গাছের সংখ্যা ৫০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০টি হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড; (গ) গাছের সংখ্যা ৫০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ১৯। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত গাঁজা অথবা ভাং গাছের শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল অথবা ইত্যাদি সহযোগে প্রস্তুত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৬ মাস, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১৫ কেজি হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ২০। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৩ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর, কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ২১। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির (৩ নং ক্রমিকে উল্লিখিত মাদকদ্রব্য ব্যতীত) কোনো মাদকদ্রব্যের সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (গ) কিংবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ৩ (তিন) মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ২২। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির (৩ নং ক্রমিকে উল্লিখিত মাদকদ্রব্য ব্যতীত) কোনো মাদকদ্রব্যের সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (ঘ) কিংবা উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ২৩। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ২৪। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) (ঘ) অথবা (ঙ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০০ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ২৫। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (চ) এর লঙ্ঘন অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ২৬। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ছ) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ২৭। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (জ) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ২৮। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে 32ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ২৯। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ) অথবা (ঘ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৩০। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ৩১। প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ) অথবা (ঘ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৩ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৩ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৩ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইতে ১০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৩২। প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ১ ও ২ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ), (ঘ) অথবা (ঙ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০ কেজি অথবা লিটার হইলে অনূর্ধ্ব ১ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ২ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৩৩। প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৩ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইতে ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৩৪। প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর অন্যূন ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। (২) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দণ্ড মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য এই আইনে সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দ্বিতীয়বার দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করেন তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দন্ড মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো 33এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকসেবন ব্যতীত অন্য কোনোরূপ মাদক অপরাধী হিসাবে প্রতীয়মান না হন, তাহা হইলে উক্ত আদালত উক্ত ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত ব্যক্তি বিবেচনাপূর্বক যে-কোনো মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রে স্বীয় অথবা পরিবারের ব্যয়ের মাদকাসক্তি চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং যদি উক্ত মাদকাসক্ত ব্যক্তি এইরূপ মাদকাসক্তির চিকিৎসা গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।(৫) কোনো ব্যক্তি অ্যালকোহল পান কিংবা যে-কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট অথবা বিরক্তিকর কোনো আচরণ করিলে কিংবা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালনা করিলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।(৬) কোনো সরকারি যানবাহনের চালক যানবাহন ব্যবহারকারী অফিসারের অনুপস্থিতিতে গাড়িতে মাদকদ্রব্য পরিবহণের সময় যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক হাতেনাতে আটক হন, তাহা হইলে তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধ অনুযায়ী আইনানুগ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।",
"name": "ধারা ৯ এবং ১০ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩৭। লাইসেন্সপ্রাপ্ত নহেন এইরূপ কোনো ব্যক্তির নিকট অথবা তাহার দখলকৃত কোনো স্থানে যদি মাদকদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য কোনো যন্ত্রপাতি, ওয়াশ অথবা অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।",
"name": "মাদকদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি, ইত্যাদি রাখিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩৮। কোনো ব্যক্তি যদি সজ্ঞানে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য তাহার মালিকানাধীন অথবা দখলি কোনো বাড়িঘর, জায়গাজমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, যন্ত্রপাতি অথবা সাজসরঞ্জাম কিংবা কোনো অর্থ অথবা সম্পদ ব্যবহার করিতে অনুমতি প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।",
"name": "গৃহ অথবা যানবাহন, ইত্যাদি ব্যবহার করিতে দেওয়ার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৩৯। যদি তল্লাশি, আটক অথবা গ্রেফতার করিবার ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো অফিসার- (ক) সন্দেহ করিবার যুক্তিসংগত কোনো কারণ ব্যতিরেকে তল্লাশির নামে কোনো স্থানে প্রবেশ করেন ও তল্লাশি চালান, (খ) হয়রানিমূলকভাবে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো বস্তু তল্লাশি করিবার নামে কোনো ব্যক্তির কোনো সম্পদ আটক করেন, এবং (গ) কোনো ব্যক্তিকে হয়রানিমূলক তল্লাশি করেন অথবা গ্রেফতার করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ডে অথবা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।",
"name": "বেআইনি অথবা হয়রানিমূলক তল্লাশি, ইত্যাদির দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৪০। কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ করিলে অথবা অর্থ সরবরাহ করিলে অথবা সহযোগিতা প্রদান করিলে অথবা পৃষ্ঠপোষকতা করিলে তিনি সংশ্লিষ্ট ধারায় নির্ধারিত দণ্ডের অনুরূপ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অর্থ যোগানদাতা, পৃষ্ঠপোষকতা, মদদদাতা, ইত্যাদি সম্পর্কে বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৪১। কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে কাহাকেও প্ররোচিত করিলে অথবা সাহায্য করিলে অথবা কাহারও সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলে অথবা এতদুদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোগ অথবা প্রচেষ্টা গ্রহণ করিলে, মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটিত হউক অথবা না হউক, তিনি সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের অনুরূপ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা, ইত্যাদির দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৪২। (১) কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন অথবা বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে যাহার জন্য উহাতে স্বতন্ত্র কোনো দণ্ডের ব্যবস্থা নাই, তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ডে এবং অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন কার্যে নিয়োজিত কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যকে তাহার দায়িত্ব পালনকালে কোনো ব্যক্তি কোনোভাবে অসহযোগিতা করিলে অথবা বাধা প্রদান করিলে কিংবা কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিলে তাহা মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা হিসাবে গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।",
"name": "শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় নাই, এইরূপ মাদকদ্রব্য অপরাধের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৪৩। এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানি হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব অথবা অন্য কোনো অফিসার অথবা এজেন্ট বিধানটি লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সামর্থ হন যে, উক্ত লঙ্ঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছে। ব্যাখ্যা: এই ধারায়- (ক) ‘কোম্পানি’ বলিতে কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সমিতি অথবা সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং (খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘পরিচালক’ বলিতে উহার কোনো অংশীদার অথবা পরিচালনা পর্ষদের সদস্যকেও বুঝাইবে।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1276,
"details": "35৪৪। (১) এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে। (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, উহার এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য, কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধ বিচারের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করিবেন।",
"name": "অপরাধের বিচার, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1276,
"details": "",
"name": "***",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৪৬। মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ আমলযোগ্য অপরাধ হইবে।",
"name": "মাদকদ্রব্য অপরাধ আমলযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৪৭৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হইবে না, যদি- (ক) তাহাকে মুক্তি প্রদানের আবেদনের উপর রাষ্ট্র বা, ক্ষেত্রমত, অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদান করা না হয়; এবং (খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে মর্মে 37এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত সন্তুষ্ট হন; অথবা (গ) তিনি নারী বা শিশু অথবা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ না হন এবং তাহাকে জামিনে মুক্তি প্রদানের কারণে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে 38এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত সন্তুষ্ট না হয়। (২) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্ত সমাপ্তির পর, তদন্ত প্রতিবেদন বা সেই সূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে যদি 39এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত বা, ক্ষেত্রমত, আপিল আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো ব্যক্তি উক্ত অপরাধের সহিত জড়িত নহেন বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে 40এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত বা আপিল আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্য ও কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "জামিন সংক্রান্ত বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1276,
"details": "41৪৮। এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক কারাদণ্ড না হইলে, সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২২ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "বিচারের বিশেষ পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৪৯৷ 42এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে মামলার বিচারকার্য আরম্ভ হইলে উহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম চলিবে, তবে 43উক্ত আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচারকার্য মুলতবি করা একান্ত প্রয়োজন, তাহা হইলে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য, যাহা তিন কার্য দিবসের অধিক হইবে না, বিচারকার্য মুলতবি করা যাইবে।",
"name": "বিচারকার্য মুলতবি",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1276,
"details": "44৫০। এই আইনের অন্য কোনো বিধান অথবা অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলার মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত অন্য কোনো অপরাধ যদি এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উক্ত অন্য অপরাধের বিচার বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত একই সঙ্গে হওয়া উচিত, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটি বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত, যতদূর সম্ভব, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে একই সঙ্গে বিচার্য হইবে।",
"name": "বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত জড়িত অন্য অপরাধের বিচার",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৫১৷ 45(১) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নববই) কার্যদিবসের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার সমাপ্ত করিতে হইবে। (২) কোনো অনিবার্য কারণে উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোনো বিচার সমাপ্ত করা সম্ভব না হইলে, 46এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে বিচার সমাপ্ত করিতে পারিবে এবং তৎসম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে ৷ (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বর্ধিত সময়ের মধ্যেও যদি যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণে কোনো বিচার কার্য সমাপ্ত করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে 47এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া বিচার কার্য সমাপ্তির জন্য সর্বশেষ আরও ১৫ (পনেরো) কার্যদিবস সময় বর্ধিত করিতে পারিবে এবং এইরূপ সময় বর্ধিতকরণ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বর্ধিত সময়ের মধ্যে আবশ্যিকভাবে বিচার কার্য সমাপ্ত করিতে হইবে।",
"name": "বিচার সমাপ্তির মেয়াদ",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৫২৷ কোনো শিশু মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত হইলে তাহার ক্ষেত্রে শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে ৷",
"name": "অভিযুক্ত শিশুর বিচার পদ্ধতি",
"related_acts": "1119",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1276,
"details": "48৫৩। এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে, রায় প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে, আপিল করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে যে, রায়ের জাবেদা নকল পাওয়ার জন্য যে সময় অতিবাহিত হইবে উহা উক্ত সময় হইতে কর্তন করিতে হইবে।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৫৪। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মাদকদ্রব্য অপরাধের অভিযোগ (এফ আই আর) দায়ের, তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার ও 49আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1276,
"details": "50৫৫। যদি কোনো ব্যক্তির নিকট অথবা তাহার দখলকৃত বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো মাদকদ্রব্য সেবন, অন্য কোনোভাবে মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা প্রয়োগ অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, ভিন্নতর প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, এই আইন লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে আইনানুগ অনুমান (presumption)",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৫৬। Evidence Act, 1872 (Act No.I of 1872) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি বা তদন্তকারী সংস্থার কোনো সদস্য বা অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ বা ক্ষতি সংঘটন বা সংঘটনের প্রস্তুতি গ্রহণ বা উহা সংঘটনে সহায়তা সংক্রান্ত কোনো ঘটনার ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ বা গ্রহণ করিলে বা কোনো কথাবার্তা বা আলাপ-আলোচনা টেপ রেকর্ড বা ডিস্কে ধারণ করিলে উক্ত ভিডিও, স্থিরচিত্র, টেপ বা ডিস্ক উক্ত অপরাধ বা ক্ষতি সংশ্লিষ্ট মামলা বিচারের সময় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে।",
"name": "ক্যামেরায় গৃহীত ছবি, রেকর্ডকৃত কথাবার্তা, ইত্যাদির সাক্ষ্য মূল্য",
"related_acts": "24",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৫৭। এই আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া বিচারকার্য সম্পাদন করা যাইবে।",
"name": "মোবাইল কোর্ট আইনের প্রয়োগ",
"related_acts": "1025",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৫৮৷ (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিলে উল্লিখিত মাদকদ্রব্যের উপর মাদকশুল্ক নামে এক প্রকার শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে এবং সময় সময় উক্ত শুল্ক পরিবর্তন করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো উৎপাদিত অ্যালকোহল বা প্রিকারসর কেমিক্যালস রপ্তানি করা হইলে উহার উপর উক্ত মাদকশুল্ক আরোপ করা হইবে না। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত শুল্ক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মহাপরিচালক বা তদধীন কোনো কর্মচারী কর্তৃক আদায় করা হইবে।",
"name": "মাদকশুল্ক",
"related_acts": "",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৫৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার জনস্বার্থে মাদকের ভয়াবহতার বিষয় বিবেচনা করিয়া দেশের যে-কোনো অঞ্চলকে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য বিশেষ মাদকপ্রবণ অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত অঞ্চলে মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রতিরোধের জন্য অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "মাদকপ্রবণ অঞ্চল ঘোষণা",
"related_acts": "",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬০। এই আইনের অধীন প্রদত্ত আদেশের কারণে কোনো লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসধারী ব্যক্তির কিংবা যেখানে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন অভিযান পরিচালনা করা হইয়াছে এইরূপ স্থানের কোনো মালিক অথবা তৎসংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি তজ্জন্য অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করিতে পারিবে না অথবা তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো ফিস ফেরত চাহিতে পারিবে না।",
"name": "ক্ষতিপূরণ, ইত্যাদির দাবি অগ্রহণযোগ্য",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬১। (১) অধিদপ্তর মাদকাসক্ত ব্যক্তির তালিকা প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,- (ক) অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে এবং উহা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাবলি অধিদপ্তরের চাকরি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে; এবং (খ) সরকারি খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসাবে নির্ধারণ বা ঘোষণা করিতে পারিবে। (৩) বেসরকারি পর্যায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অনুমতি সরকার প্রদান করিতে পারিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও মানদন্ডে উহা পরিচালিত হইবে।",
"name": "মাদকাসক্ত ব্যক্তির তালিকা প্রণয়ন, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন এবং মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬২। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,- (ক) মাদকদ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্যের কোনো উপাদানের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক পরীক্ষাগার স্থাপন করিতে পারিবে এবং উহার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষকসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাবলি অধিদপ্তরের চাকরি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে; এবং (খ) সরকারি খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানকে রাসায়নিক পরীক্ষাগার হিসাবে নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) এই আইনের অধীন পরিচালিত কার্যক্রমের কোনো পর্যায়ে কোনো বস্তুর রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন অনুভূত হইলে উহা উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত বা নির্ধারিত রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিতে হইবে। (৩) রাসায়নিক পরীক্ষকের স্বাক্ষরযুক্ত রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন মামলা দায়ের, মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার অথবা অন্য কোনো প্রকার কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে। ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘রাসায়নিক পরীক্ষক’ অর্থ এই আইনের অধীন সরকার কর্তৃক স্থাপিত বা নির্ধারিত সরকারি রাসায়নিক পরীক্ষাগারে নিয়োগকৃত অথবা স্বীকৃত যে-কোনো পদমর্যাদার রাসায়নিক পরীক্ষক।",
"name": "রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন ও উহার প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 62
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিম্ন-বর্ণিত এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে, যথা:- (ক) জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি; (খ) জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি; (গ) জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচার কমিটি; এবং (ঘ) উপজেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচার কমিটি। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রজ্ঞাপনে বা বিধি দ্বারা সরকার কমিটিসমূহের দায়-দায়িত্ব, সভা অনুষ্ঠান, কার্য পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়াদি নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি গঠন ও উহার দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 63
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬৪। মহাপরিচালক এই আইনের অধীন তাহার কোনো ক্ষমতা অথবা দায়িত্ব প্রয়োজনবোধে, লিখিত আদেশ দ্বারা, তাহার অধস্তন যে-কোনো অফিসারকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 64
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬৫। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে-কোনো তপশিল সংশোধন করিয়া কোনো মাদকদ্রব্যের নাম অর্ন্তভূক্তি বা কর্তন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 65
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬৬। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ব্যাপারে এবং তথ্য বিনিময় করিবার ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি অনুরুদ্ধ হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারগণকে সর্বপ্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "পারস্পরিক সহযোগিতায় বাধ্যবাধকতা",
"related_acts": "",
"section_id": 66
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬৭। এই আইনের কোনো অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 67
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, উক্ত বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:- (ক) অ্যালকোহল; (খ) মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন, মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা; (গ) লাইসেন্স, পারমিট ও ফিস; (ঘ) বাজেয়াপ্তকরণ; (ঙ) ডোপ টেস্ট; (চ) মাদকাসক্তদের তালিকা; এবং (ছ) অফিসার-কর্মচারী নিয়োগ: (৩) এই ধারার অধীন বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার, প্রয়োজনে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, যে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ ও সম্পাদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 68
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৬৯। (১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, (১৯৯০ সনের ২০ নং আইন), অতঃপর ‘উক্ত আইন’ বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত হইবে। (২) উক্ত আইন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে, উহার অধীন গঠিত- (ক) ‘জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড’ বিলুপ্ত হইবে; এবং (খ) ‘জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড তহবিল ও এতৎসংক্রান্ত ‘জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ( তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ ও অর্থ ব্যয় ) বিধি, ২০০১’ বিলুপ্ত হইবে, এবং বিলুপ্ত তহবিলে গচ্ছিত সকল অর্থ সরকারি কোষাগারে স্থানান্তরিত হইবে। (৩) উক্ত আইন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উহার অধীন- (ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) প্রণীত কোনো বিধি, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ বা কার্যক্রম উক্তরূপ রহিত হইবার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের অধীন প্রণীত, জারিকৃত বা প্রদত্ত না হওয়া পর্যন্ত, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বলবৎ থাকিবে; (গ) দায়েরকৃত অনিষ্পন্ন ফৌজদারি কার্যধারা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই; (ঘ) প্রতিষ্ঠিত বা অনুমোদিত মাদকাসক্তি পরামর্শ কেন্দ্র, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র এ মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (ঙ) স্থাপিত বা অনুমোদিত রাসায়নিক পরীক্ষাগার এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে। (৪) উক্ত আইন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উহাতে সংযুক্ত দ্বিতীয় তপশিলে উল্লিখিত মাদক শুল্কের হার এই আইনের অধীন নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 69
},
{
"act_id": 1276,
"details": "৭০। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা পাঠ এবং ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ",
"related_acts": "",
"section_id": 70
}
],
"text": "মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস, অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে বিধান প্রণয়নের জন্য প্রণীত আইন যেহেতু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ রহিতক্রমে, মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস, অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী করাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান সংবলিত একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1277,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 19,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1277,
667,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1277,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1277",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1277,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) “কেন্দ্র’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; (২) “চেয়ারপারসন” অর্থ বোর্ডের চেয়ারপারসন; (৩) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি অথবা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত; (৪) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৫) “বিধি” অর্থ আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৬) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৫ এর অধীন গঠিত কেন্দ্রের পরিচালনা বোর্ড; (৭) “রেক্টর” অর্থ ধারা ৮-এর অধীন নিয়োগকৃত রেক্টর; এবং (৮) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1277,
"details": "৩। (১) Bangladesh Public Administration Training Centre Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVI of 1984)-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Bangladesh Public Administration Training Centre) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) কেন্দ্র একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে। (৩) কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন গ্রহণক্রমে আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে।",
"name": "কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "667",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1277,
"details": "৪। (১) কেন্দ্রের বিষয়াদি ও কার্যাবলির সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন, নির্ধারিত বিধানাবলি সাপেক্ষে, একটি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে, এবং কেন্দ্র যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবে। (২) নীতিগত বিষয়ে বোর্ডের কার্যাবলি সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হইবে।",
"name": "কেন্দ্র পরিচালনার সাধারণ নির্দেশনা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1277,
"details": "৫। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:- (ক) রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত একজন মন্ত্রী, যিনি বোর্ডের চেয়ারপারসনও হইবেন; (খ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী; (গ) মন্ত্রিপরিষদ সচিব; (ঘ) সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; (ঙ) সচিব, অর্থ বিভাগ; (চ) সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ; (ছ) রেক্টর; (জ) উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; (ঝ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য, যিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত হইবেন; (ঞ) কমান্ড্যান্ট, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ; (ট) প্রেসিডেন্ট, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ; (ঠ) চেয়ারপারসন, লোক-প্রশাসন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পালাক্রমে উল্লিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমানুসারে; (ড) সরকার কর্তৃক মনোনীত ৪ (চার) জন ব্যক্তি, তন্মধ্যে দুইজন মহিলা হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঝ), (ঠ) ও (ড) তে উল্লিখিত সদস্যগণ তাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে বহাল থাকিবেন।",
"name": "বোর্ডের গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1277,
"details": "৬। কেন্দ্রের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি ও বেসরকারি নির্বাহীগণকে গতিশীল ও উন্নয়নমুখী সমাজ গঠনে নেতৃত্ব গ্রহণের উপযোগী করিয়া গড়িয়া তোলা; (খ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারভুক্ত কর্মচারীগণকে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান; (গ) ক্যাডার বহির্ভূত সরকারি কর্মচারীগণকে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান; (ঘ) প্রজাতন্ত্র ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাকরিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের কর্মকালীন প্রশিক্ষণ প্রদান; (ঙ) লোক-প্রশাসন ও উন্নয়নের উপর গবেষণা ও প্রকাশনার ব্যবস্থা গ্রহণ; (চ) প্রশাসন ও উন্নয়নের উপর পুস্তক, সাময়িকী ও প্রতিবেদন প্রকাশ করণ; (ছ) গ্রন্থাগার ও পাঠকক্ষ স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ; (জ) সরকারের চাহিদামতো প্রশাসন ও উন্নয়ন সংক্রান্ত কোনো সুনির্দিষ্ট সমস্যা সম্পর্কে সরকারকে পরামর্শ প্রদান; (ঝ) প্রশিক্ষণের জন্য ফলপ্রসূ ও প্রয়োজনানুগ প্রশিক্ষণ পাঠক্রম প্রণয়ন; (ঞ) কেন্দ্র হইতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সনদ প্রদান; এবং (ট) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্য যে কোনো কার্য-সম্পাদন।",
"name": "কেন্দ্রের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1277,
"details": "৭। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, বোর্ড উহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) চেয়ারপারসন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) প্রতি বৎসর বোর্ডের অন্যূন ২ (দুই) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) অন্যূন ৭ (সাত) জন সদস্যের উপস্থিতিতে বোর্ডের সভার কোরাম হইবে। (৫) চেয়ারপারসন বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে বোর্ডের জ্যেষ্ঠতম সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৬) বোর্ডে উপস্থাপিত যে কোনো বিষয়ে সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। (৭) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারপারসনের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৮) কেবল বোর্ডের কোনো সদস্য পদের শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না, বা গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1277,
"details": "৮। (১) কেন্দ্রের একজন রেক্টর থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন। (২) রেক্টর কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকিবেন। (৩) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, রেক্টর- (ক) কেন্দ্রের কার্যাবলি সম্পাদন ও তহবিল ব্যবস্থাপনা করিবেন; এবং (খ) কেন্দ্রের কার্যাবলির কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৪) রেক্টর বোর্ড কর্তৃক অর্পিত বা নির্ধারিত অন্যান্য দায়িত্বও পালন করিবেন। (৫) রেক্টরের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে রেক্টর তাহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হইলে সরকার রেক্টরের কার্যাবলি পরিচালনার জন্য যেরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করিবে সেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।",
"name": "রেক্টর",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1277,
"details": "৯। (১) কেন্দ্রে, সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত সংখ্যক, পরিচালক ও মেম্বার ডাইরেক্টিং স্টাফ থাকিবে। (২) পরিচালক ও মেম্বার ডাইরেক্টিং স্টাফ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন। (৩) পরিচালক বা মেম্বার ডাইরেক্টিং স্টাফ রেক্টর কর্তৃক অর্পিত বা নির্ধারিত কার্য-সম্পাদন করিবেন।",
"name": "পরিচালক ও মেম্বার ডাইরেক্টিং স্টাফ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১০। (১) কেন্দ্র উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) কেন্দ্রের কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কে প্রবিধানে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নাই এইরূপ কোনো বিষয়ে কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য অনুসৃত বিধি-বিধান অনুসরণ করিবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, আদেশ দ্বারা, উহার কাজের সহায়তার জন্য প্রয়োজনবোধে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ কমিটির সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব, কার্যধারা ও মেয়াদ নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১২। বোর্ড এই আইন এবং এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলির অধীন উহার উপর অর্পিত কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, সাধারণ বা বিশেষ লিখিত আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত শর্তে, যদি থাকে, চেয়ারপারসন, রেক্টর অথবা কেন্দ্রের একজন সদস্য বা কোনো কর্মচারীর নিকট অর্পণ করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ১৮ এর অধীন প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা এই ধারার বিধান অনুযায়ী অর্পণ করা যাইবে না।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১৩। (১) কেন্দ্রের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো উৎস হইতে মেয়াদি বা অন্য কোনো শর্তে গৃহীত ঋণ; (গ) কেন্দ্রের নিজস্ব সম্পদ হইতে প্রাপ্ত আয় বা রয়্যালটি; (ঘ) কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ সেবা, গবেষণা ও পরামর্শ এবং প্রকাশনা হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং (ঙ) অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে। ব্যাখ্যা ।-“তপশিলি ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No.127 of 1972) এর Article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank।",
"name": "কেন্দ্রের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১৪। কেন্দ্র প্রতি বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে, সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে, এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে সম্ভাব্য কি পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "কেন্দ্রের বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১৫। (১) কেন্দ্র, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে, উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর কেন্দ্রের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা কার্য সমাপ্ত হইবার পর নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি কেন্দ্রের নিকট প্রেরণ করিবেন, এবং কেন্দ্র উক্ত প্রতিবেদনের উপর বোর্ডের মতামতসহ উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কেন্দ্রের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা কেন্দ্রের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) কেন্দ্র, অবিলম্বে, নিরীক্ষা প্রতিবেদনে চিহ্নিত কোনো ত্রুটি বা অনিয়ম প্রতিকার করিবার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।",
"name": "কেন্দ্রের হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১৬। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পর, যথাশীঘ্র সম্ভব, কেন্দ্র উক্ত অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, কেন্দ্রের নিকট হইতে যে কোনো সময় কেন্দ্রের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন, রিটার্ণ, বিবরণ, প্রাক্কলন, পরিসংখ্যান বা অন্য কোনো তথ্য তলব করিতে পারিবে, এবং কেন্দ্র উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১৮। এই আইন এবং বিধির সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1277,
"details": "১৯। (১) Bangladesh Public Administration Training Centre Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVI of 1984), অতঃপর রহিত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত Ordinance এর- (ক) অধীন কৃত কোনো কাজ-কর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) অধীন গৃহীত কোনো কার্যক্রম বা সূচিত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে; (গ) আওতাধীন প্রণীত কোনো বিধি ও প্রবিধান উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত উহা বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "667",
"section_id": 19
}
],
"text": "Bangladesh Public Administration Training Centre Ordinance, 1984 রহিতক্রমে উহা পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, Bangladesh Public Administration Training Centre Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVI of 1984)-এর বিষয়বস্তু বিবেচনাপূর্বক রহিতক্রমে উহা পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1278,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 20,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
590,
442,
957,
1278,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1278,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1278",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1278,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (ক) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থ সংস্থার কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকও অন্তর্ভুক্ত হইবেন; (খ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান; (গ) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ বোর্ডের পরিচালক; (ঘ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (ঙ) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (চ) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা-৭ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড; (ছ) ‘‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’’ অর্থ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক; এবং (জ) ‘‘সংস্থা’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1278,
"details": "৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে Bangladesh Sangbad Sangstha Ordinance, 1979 (Ordinance No. XX of 1979) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Sangbad Sangstha (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) সংস্থা একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "সংস্থা প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "590",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1278,
"details": "৪। (১) সংস্থার প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায়। (২) সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "সংস্থার কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1278,
"details": "৫। সংস্থার দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশ-বিদেশের সংবাদ সংগ্রহ করিয়া গণমাধ্যমের সাহায্যে উহা বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের জনগণের নিকট প্রচার; (খ) জাতীয় সংবাদ বহির্বিশ্বে সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত বাংলাদেশের জাতীয় বার্তা সংস্থা হিসাবে দায়িত্ব পালন; (গ) সমগ্র বিশ্বের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের সকল সংবাদ সংগ্রহ ও বিনিময়; (ঘ) সংবাদ সংগ্রহ ও বিনিময়ের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের প্রশিক্ষণের জন্য দেশিয় বা বৈদেশিক গণমাধ্যম বা বার্তা সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদন; (ঙ) দেশে বা দেশের বাহিরের গণমাধ্যম বা বার্তা সংস্থার সঙেগ সংবাদ, ফিচার, ছবি বা ভিডিও চিত্র ক্রয়-বিক্রয়; (চ) সংস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে কর্মসূচি গ্রহণ; (ছ) সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড জনগণকে অবহিত করিবার উদ্দেশ্যে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি), তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার কার্যক্রমের সহিত সমন্বয় সাধন; এবং (জ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন।",
"name": "সংস্থার দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1278,
"details": "৬। (১) সংস্থার পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সংস্থা যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে। (২) বোর্ড উহার কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে জনস্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রাখিবে এবং, সময় সময়, সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সাধারণ বা বিশেষ নির্দেশ দ্বারা পরিচালিত হইবে।",
"name": "সংস্থার পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1278,
"details": "৭। (১) পরিচালনা বোর্ড নিম্নরূপভাবে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) ১ (এক) জন চেয়ারম্যান; (খ) নিম্নবর্ণিত ৬ (ছয়) জন পরিচালক, যথা:- (অ) তথ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (আ) অর্থ বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ই) জননিরাপত্তা বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঈ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১(এক) জন প্রতিনিধি; (উ) প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে; (ঊ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পদাধিকারবলে; (গ) সরকার কর্তৃক মনোনীত নিম্নবর্ণিত ৬(ছয়) জন পরিচালক, যথা:- (অ) সংস্থার সংবাদ সংগ্রহকারী সংবাদপত্রের ৩(তিন) জন সম্পাদক, যাহাদের মধ্যে ২(দুই) জন ঢাকা ও ১(এক) জন ঢাকার বাহির হইতে মনোনীত হইবেন; (আ) ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের ১(এক) জন সম্পাদক বা সমমানের কর্মকর্তা; (ই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ১(এক) জন বিশেষজ্ঞ; (ঈ) সংস্থার ১(এক) জন কর্মকর্তা। (২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "বোর্ডের গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1278,
"details": "৮। (১) চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত শর্তাধীনে নিয়োগের তারিখ হইতে ৩(তিন) বৎসর পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও পরবর্তী চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। (২) ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) তে উল্লিখিত পরিচালকগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩(তিন) বৎসরের জন্য উক্ত পদে বহাল থাকিবেন। (৩) চেয়ারম্যান ও পরিচালকগণ মেয়াদ অবসানের পর পুনরায় স্বীয় পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন: তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান ও পরিচালকগণ একাদিক্রমে দুই মেয়াদের বেশি নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না। (৪) সরকার, প্রয়োজনবোধে, চেয়ারম্যান এবং ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) তে উল্লিখিত কোনো পরিচালককে, মেয়াদ পূর্তির পূর্বে যে কোনো সময়, সংশ্লিষ্ট পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, চেয়ারম্যান এবং ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) তে উল্লিখিত কোনো পরিচালক, মেয়াদ পূর্তির পূর্বে যে কোনো সময়, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৬) ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে উল্লিখিত কোনো পরিচালক যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগ হইতে পরিচালক হিসাবে মনোনীত হইয়াছিলেন, সেই মন্ত্রণালয় বা বিভাগে কর্মরত না থাকিলে তিনি পরিচালক হিসাবে থাকিতে পারিবেন না। (৭) চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো পরিচালকের পদ শূন্য হইলে সরকার অনতিবিলম্বে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য শূন্য পদে নূতন চেয়ারম্যান নিয়োগ বা, ক্ষেত্রমতে, পরিচালক মনোনীত করিতে পারিবে।",
"name": "চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ, মেয়াদ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1278,
"details": "৯। (১) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যানের সহিত পরামর্শক্রমে নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে বোর্ডের সভা আহবান করিবেন। (২) চেয়ারম্যানসহ ৬(ছয়) জন পরিচালকের সমন্বয়ে বোর্ডের সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত পরিচালকগণ কর্তৃক, তাহাদের মধ্য হইতে, মনোনীত একজন পরিচালক সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) বোর্ড সভার সভাপতিসহ উপস্থিত পরিচালকগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বোর্ডের সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। (৫) বোর্ডের সভায়, উক্ত সভার সভাপতি ও উপস্থিত পরিচালকগণের একটি করিয়া ভোটাধিকার থাকিবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৬) কেবল কোনো পদের শূন্যতা অথবা বোর্ড গঠনে কোনো ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১০। (১) সরকার, তৎকর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদ ও শর্তে, সাংবাদিকতায় ন্যূনতম ১৮ (আঠারো) বৎসরের অভিজ্ঞতা রহিয়াছে এইরূপ কোনো সাংবাদিককে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত করিবে, যিনি সংস্থার প্রধান সম্পাদকও হইবেন। (২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ১ (এক) জন সার্বক্ষণিক কর্মচারী এবং সংস্থার প্রধান প্রশাসনিক কর্মচারী হইবেন এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, তিনি- (ক) সংস্থার কর্মকাণ্ড এবং তহবিল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করিবেন; (খ) সংস্থার কার্যাবলি সম্পাদন করিবার উদ্দেশ্যে নিযুক্ত কর্মচারীগণের তদারকি ও পরিচালনা করিবেন; এবং (গ) বোর্ড কর্তৃক অর্পিত এবং বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত কর্তব্য পালন করিবেন।",
"name": "ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১১। (১) সংস্থা, উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১২। বোর্ড, লিখিত আদেশ দ্বারা, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, এই আইন এবং বিধি বা প্রবিধানের অধীন উহার সকল বা যে কোনো ক্ষমতা কোনো পরিচালক বা সংস্থার কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১৩। (১) সংস্থার একটি তহবিল থাকিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) সংবাদ গ্রাহক প্রদত্ত ফি; (গ) সংবাদ, নিবন্ধ, ফিচার, ছবি ও তৎসংশ্লিষ্ট এবং অন্যান্য দ্রব্যাদির বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও রয়্যালটি; (ঘ) এজেন্সি, ফাউন্ডেশন ও সংগঠনের মঞ্জুরি ও চাঁদা; (ঙ) বিজ্ঞাপন হইতে আয়; এবং (চ) অন্যান্য বৈধ উৎস হইতে আয়। (২) তহবিলের অর্থ সংস্থার নামে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা থাকিবে। (৩) সরকারের নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে তহবিলের অর্থ হইতে সংস্থার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর Article 2(j)-তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank।",
"name": "সংস্থার তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১৪। সংস্থা, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে, যাহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে সরকারের নিকট হইতে সম্ভাব্য কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১৫। (১) সংস্থা, সরকার কর্তৃক হিসাব নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বাৎসরিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর সংস্থার হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরকার ও সংস্থার নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য সংস্থা অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উলিস্নখিত হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O.No. 2 of 1973) এর Article 2(1) (b)-তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা সংস্থার হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে। (৫) উপ-ধারা ৪ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংস্থা এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউনটেন্টকে, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত হারে পারিশ্রমিক প্রদান করা যাইবে। (৬) সংস্থার হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউনটেন্ট, সংস্থার সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বাৎসরিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, পরিচালক বা সংস্থার যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১৬। (১) সংস্থা প্রতিবৎসর তদকর্তৃক উহার পূর্ববর্তী বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি প্রতিবেদন পরবর্তী বৎসরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যে কোনো সময়, সংস্থার নিকট হইতে উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন, বিবরণী বা রিটার্ন যাচাই করিতে পারিবে এবং সংস্থা উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১৭। সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১৮। সংস্থা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1278,
"details": "১৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে Bangladesh Sangbad Sangstha Ordinance, 1979 (Ordinance No XX of 1979), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ-কর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ; (খ) প্রতিষ্ঠিত সংস্থার অর্জিত সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ অর্থ এবং ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও তহবিল, অর্থের বিনিয়োগ, ন্যায্য দাবি বা অধিকার, প্রাপ্ত সুবিধাদি, এইরূপ বিষয় সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত বা বিষয় সম্পত্তি হইতে উদ্ভূত অন্যান্য যাবতীয় অধিকার, মেধাস্বত্ব ও স্বার্থ এবং সকল হিসাববহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং এতদসংক্রান্ত অন্য সকল দলিল দস্তাবেজ, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত সংস্থার উপর ন্যস্ত ও স্থানান্তরিত হইবে; (গ) প্রতিষ্ঠিত সংস্থার যে ঋণ, দায় ও দায়িত্ব ছিল এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত যে সকল চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছিল উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত সংস্থার ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) প্রতিষ্ঠিত সংস্থা কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে, উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত সংস্থা কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে; (ঙ) Board of Directors, যদি থাকে, এ কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত না হইলে অথবা এই আইনের অধীন পরিচালনা বোর্ড গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে; (চ) প্রতিষ্ঠিত সংস্থা কর্তৃক নিয়োগকৃত কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত সংস্থার চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হইবেন; এবং (ছ) প্রতিষ্ঠিত সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সকল বিধি, প্রবিধান, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা অন্য কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত অথবা বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "590",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1278,
"details": "২০। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
}
],
"text": "Bangladesh Sangbad Sangstha Ordinance, 1979 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সনের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ৩ক ও ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯ এ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৬ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, Bangladesh Sangbad Sangstha Ordinance, 1979 (Ordinance No. XX of 1979) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1279,
"lower_text": [
"1 বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) হিসাবে বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ২ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সংখ্যায়িত।",
"2 উপ-ধারা (২) বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ২ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সংযোজিত।"
],
"name": "বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 30,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1279,
11,
1260,
442,
349,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1279,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1279",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) “কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ (Technical and Vocational Education and Training)” অর্থ তপশিল ১ এ উল্লিখিত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ; (২) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান; (৩) “জাতীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা কাঠামো (National Technical and Vocational Qualification Framework)” অর্থ তপশিল ২ এ উল্লিখিত জাতীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা কাঠামো; (৪) “জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” অর্থ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪৫ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; (৫) “তহবিল” অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত তহবিল; (৬) “তপশিল” অর্থ এই আইনের কোনো তপশিল; (৭) “পরিচালনা পর্ষদ” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদ; (৮) “পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি (Recognition of Prior Learning)” অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অর্জিত কোনো শিক্ষা, দক্ষতা বা জ্ঞানের পূর্ববর্তী শিখন স্বীকৃতি; (৯) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (১০) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১১) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড; (১২) “সচিব” অর্থ বোর্ডের সচিব; এবং (১৩) “সক্ষমতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন (Competency Based Training and Assessment)” অর্থ জাতীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা কাঠামো অর্জনের জন্য গৃহীত প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1260",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1279,
"details": "৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নামে একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হইবে । (২) বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি-বিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং বোর্ড উহার স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "বোর্ড প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1279,
"details": "৪। বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং বোর্ড প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক ও শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "বোর্ডের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1279,
"details": "৫। বোর্ডের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং বোর্ড যেসকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা পর্ষদও সেইসকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1279,
"details": "৬। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হইবে, যথা:- (ক) চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (গ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঘ) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঙ) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত উহার পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (চ) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ছ) জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কর্তৃক মনোনীত উহার পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (জ) বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঝ) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত উহার পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঞ) বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র কর্তৃক মনোনীত উহার পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ট) ভাইস চ্যান্সেলর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত উহার একজন অধ্যাপক; (ঠ) ভাইস চ্যান্সেলর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত উহার একজন অধ্যাপক; (ড) অধ্যক্ষ, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঢাকা; (ঢ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একজন অধ্যক্ষ; (ণ) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর একজন প্রতিনিধি; (ত) সরকার কর্তৃক মনোনীত বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন অধ্যক্ষ; (থ) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত শিল্প দক্ষতা পরিষদ এর একজন প্রতিনিধি; (দ) বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন কর্তৃক মনোনীত নির্বাহী সদস্য পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ধ) সরকার কর্তৃক মনোনীত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের ৩ (তিন) জন প্রতিনিধি, তন্মধ্যে একজন হইবেন মহিলা; এবং (ন) সচিব, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঢ), (ত) ও (ধ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, কোনো মনোনীত সদস্যের মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে তাহার মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবে : আরও শর্ত থাকে যে, কোনো মনোনীত সদস্য যে কোনো সময় চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1279,
"details": "৭। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, পরিচালনা পর্ষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) পরিচালনা পর্ষদের সভা উহার চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহূত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) প্রতি ৩ (তিন) মাস অন্তর অন্তর পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরি প্রয়োজনে পরিচালনা পর্ষদ সভা আহ্বান করিতে পারিবে। (৪) চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের মধ্য হইতে নির্বাচিত একজন সদস্য পরিচালনা পর্ষদের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোরামের জন্য অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় ও নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিচালনা পর্ষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1279,
"details": "৮। 1(১) বোর্ডের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পরিচালনা, স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণ; (খ) এই আইনের পরিধিভুক্ত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কোর্স নির্ধারণ এবং উক্ত কোর্সসমূহের জন্য পাঠ্যক্রম প্রস্তুত ও কারিকুলাম প্রণয়ন; (গ) বোর্ড কর্তৃক প্রণীত কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ তৈরী; (ঘ) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পরীক্ষা গ্রহণ, সক্ষমতা যাচাই, ফি নির্ধারণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান; (ঙ) বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং আন্তঃপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন; (চ) বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন, তদারকি ও পরিবীক্ষণ; (ছ) এই আইনের পরিধিভুক্ত পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদান; (জ) বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ; (ঝ) শিল্প দক্ষতা পরিষদের মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের চাহিদা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ; (ঞ) শিল্প দক্ষতা পরিষদের সহযোগিতায় সক্ষমতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করা; (ট) জাতীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা কাঠামো এর আওতায় যোগ্যতা মানদণ্ড নির্ধারণ; (ঠ) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বৃত্তি, পদক বা পুরস্কার প্রদান; (ড) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদন: তবে শর্ত থাকে যে, বিদেশি কোনো সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে; এবং (ঢ) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্য কোনো দায়িত্ব পালন। 2(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি অতিমারি (pandemic), মহামারী (epidemic), দৈব-দুর্বিপাক (Act of God) এর কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা সম্ভব না হইলে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, কোনো বিশেষ বৎসরের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা গ্রহণ ব্যতীত বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করিয়া, উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশনাবলি জারি করিতে পারিবে।",
"name": "বোর্ডের দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1279,
"details": "৯। (১) বোর্ড কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ স্বীকৃতি প্রদান করিবে: তবে শর্ত থাকে যে, বিদেশে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই আইনের আওতাভুক্ত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত স্বীকৃতি প্রদানের পদ্ধতি, ফি, স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিল, স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ স্বীকৃতি প্রদান, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১০। (১) বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা তদ্কর্তৃক পরিচালিত কোনো পরীক্ষা বা সক্ষমতা যাচাই পরিদর্শন করিতে পারিবেন। (২) পরিদর্শনকারী ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিচালিত পরিদর্শন প্রতিবেদন বোর্ডকে অবহিত করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিদর্শন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।",
"name": "পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১১। (১) বোর্ড উহার কার্যাবলির জন্য সরকারের নিকট দায়ী থাকিবে। (২) বোর্ড সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়ে পরিদর্শন বা তদন্ত করিবার ক্ষমতা সরকারের থাকিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন অনুষ্ঠিত পরিদর্শন বা তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার বোর্ডকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হইলে বোর্ড উহা প্রতিপালন করিবে। (৪) সরকার, জনস্বার্থে, লিখিত আদেশ দ্বারা বোর্ডের কোনো কার্যক্রম বা কমিটি বাতিল করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে, এইরূপ আদেশ প্রদানের পূর্বে সরকার, কেন উক্ত আদেশ প্রদান করা হইবে না, সেই মর্মে কারণ দর্শাইবার জন্য চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কমিটিকে তলব করিবেন।",
"name": "জবাবদিহিতা",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১২। (১) বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন। (২) চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। (৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি- (ক) বোর্ডের কার্যাবলি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন; (খ) বোর্ডের হিসাব সংরক্ষণ, হিসাব বিবরণী প্রণয়ন ও হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করিবেন; এবং (ঘ) সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, চেয়ারম্যান জরুরি প্রয়োজনে, যে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপে গৃহীত কার্যক্রম অনুমোদনের জন্য তৎপরবর্তীতে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে। (৫) চেয়ারম্যান, বোর্ডের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, প্রয়োজনে, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করিতে পারিবে। (৬) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্যপদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান তাহার পদে যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনের সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যক্তি সাময়িকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যান নিয়োগ এবং তাহার ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১৩। (১) বোর্ডের একজন সচিব থাকিবেন, যিনি অন্যূন সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মচারীগণের মধ্য হইতে প্রেষণে নিযুক্ত হইবেন। (২) সচিব বোর্ডের সার্বক্ষণিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ, সময় এবং আলোচ্যসূচি নির্ধারণ, সভার কার্যবিবরণী প্রস্তুত, বোর্ড কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট নথি সংরক্ষণ এবং বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদন করিবেন।",
"name": "সচিব",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১৪। (১) বোর্ড উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বোর্ডের নিম্নবর্ণিত কমিটি থাকিবে, যথা:- (ক) ডিপ্লোমা কোর্সেস অব স্টাডি কমিটি; (খ) সার্টিফিকেট কোর্সেস অব স্টাডি কমিটি; (গ) অর্থ কমিটি; (ঘ) রেগুলেশন কমিটি; (ঙ) সিলেকশন কমিটি; (চ) আপিল ও সালিশ কমিটি; (ছ) পরীক্ষা অথবা সক্ষমতা যাচাই কমিটি; (জ) বয়স শুদ্ধকরণ কমিটি; (ঝ) সমতুল্যতা প্রোগ্রাম কমিটি; (ঞ) স্বীকৃতি অথবা অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি; (ট) ইকুইটি উপদেষ্টা কমিটি; (ঠ) শৃঙ্খলা কমিটি; এবং (ড) গবেষণা কমিটি। (২) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন গঠিত কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন হয় এইরূপ কোনো কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, বোর্ড, প্রয়োজনে, পরামর্শক বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শকের দায়িত্ব ও তাহাদের নিয়োগের শর্তাবলি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পরামর্শক নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১৭। (১) বোর্ডের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (খ) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত দান; (গ) এই আইনের অধীন ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ; (ঘ) বিনিয়োগ হইতে অর্জিত আয়; (ঙ) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হইতে প্রাপ্ত সুদ; এবং (চ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে কোনো তফসিলি ব্যাংকে বোর্ডের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে। (৩) এই আইনের অধীন বোর্ডের কার্যাবলি সম্পাদন এবং চেয়ারম্যান, সচিবসহ কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও আনুষঙ্গিক সকল ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ করা হইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারায় উল্লিখিত “তপশিলি ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972)-এর Articale (2)(j)-তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১৮। বোর্ড, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, প্রতি অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় এবং উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হইবে উহা উল্লেখ করিয়া একটি বাজেট বিবরণী সরকারের অনুমোদনের জন্য পেশ করিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1279,
"details": "১৯। (১) বোর্ড যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রত্যেক বৎসর বোর্ডের হিসাব-নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য বোর্ড অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973)-এর Article 2(1) (b)-তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট দ্বারা বোর্ডের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড এক বা একাধিক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত হারে পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন। (৫) বোর্ডের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বোর্ডের সকল রের্কড, দলিল, বার্ষিক ব্যালেন্স শিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সচিব বা কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২০। (১) বোর্ড প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষে ৩১ জুলাই এর মধ্যে উক্ত বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, বোর্ডের নিকট হইতে যে কোনো সময় যে কোনো বিবরণী, হিসাব, পরিসংখ্যান এবং বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনো বিষয় সম্পর্কিত তথ্য বা উক্তরূপ যে কোনো বিষয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন যাচনা করিতে পারিবে এবং বোর্ড উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক ও প্রশিক্ষকগণের চাকরির শর্তাবলি ও আচরণবিধি সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও প্রশিক্ষকগণের চাকরির সাধারণ শর্তাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২২। চেয়ারম্যান, সচিব এবং বোর্ডের কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর Section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (public servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "11",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুন কেন, বোর্ডের স্থায়ী কর্মচারীগণের অবসর গ্রহণের বয়স হইবে ৬০ (ষাট) বৎসর।",
"name": "অবসর গ্রহণের বয়স",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২৪। বোর্ড, প্রয়োজনে, লিখিতভাবে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, যদি থাকে, এই আইনের অধীন উহার কোনো ক্ষমতা চেয়ারম্যান, সচিব বা কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কোর্সের ধরন, মেয়াদ, মান ও যোগ্যতা সনদ তপশিল ১ অনুযায়ী হইবে।",
"name": "কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কোর্সের ধরন, মেয়াদ, মান ও যোগ্যতা সনদ নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২৬। সরকার, বোর্ডের সুপারিশক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) বিশেষ করিয়া এবং উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বোর্ড, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে; যথা:- (ক) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পরীক্ষা ও সক্ষমতা যাচাই এ অংশগ্রহণের যোগ্যতা নির্ধারণ, সনদ প্রদান ও প্রত্যাহার; (খ) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পরীক্ষা ও সক্ষমতা যাচাই এর ফি নির্ধারণ; (গ) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রম ও কোর্স প্রণয়ন; (ঘ) পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদানের পদ্ধতি; (ঙ) বোর্ডের সকল পরীক্ষা ও সক্ষমতা যাচাই পরিচালনা; (চ) বোর্ডের কর্মচারীগণের ক্ষমতা ও দায়িত্ব; (ছ) বোর্ড ও কমিটির সভা পরিচালনা; (জ) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা সংক্রান্ত বিধি-বিধান; (ঝ) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও প্রশিক্ষকগণের চাকরির শর্তাবলি ও আচরণবিধি; (ঞ) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা বোর্ডের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসা সংক্রান্ত বিধান; (ট) পরিদর্শন পদ্ধতি ও ধরন; (ঠ) বোর্ডের কর্মচারীগণের চাকরি প্রবিধান; এবং (ড) বোর্ড ও কমিটির সভায় যোগদানের জন্য সদস্যগণের ভ্রমণভাতা ও সম্মানি।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1279,
"details": "২৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে Technical Education Act, 1967 (Act No. 1 of 1967), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও- (ক) এই আইনের অধীন পরিচালনা পর্ষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত Act এর অধীন গঠিত Board, অতঃপর উক্ত Board বলিয়া উল্লিখিত, এই আইনের অধীন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) উক্ত Act এর অধীন কৃত কোনো কাজ, প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, প্রদত্ত কোনো স্বীকৃতি বা সার্টিফিকেট, ইস্যুকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, প্রণীত, প্রদত্ত, ইস্যুকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) উক্ত Act রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Act এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Board এর- (ক) সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ অর্থ এবং ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও তহবিল, অর্থের বিনিয়োগ, অন্য সকল দাবি বা অধিকার, প্রাপ্ত সুবিধাদি, এইরূপ বিষয় সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত বা উহা হইতে উদ্ভূত যাবতীয় অধিকার, মেধাস্বত্ব ও স্বার্থ এবং সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্য সকল দলিল-দস্তাবেজ বোর্ডের উপর ন্যস্ত ও স্থানান্তরিত হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি, বোর্ডের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) সকল কর্মচারী বোর্ডের কর্মচারী হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে নিয়োজিত থাকিবেন; (ঘ) বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলা বা আইনগত কার্যধারা বোর্ডের বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "349",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1279,
"details": "৩০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 30
}
],
"text": "Technical Education Act, 1967 রহিতক্রমে যুগোপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু Technical Education Act, 1967 (Act No. 1 of 1967) রহিতক্রমে যুগোপযোগী করিয়া নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1280,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 52,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1280,
1025,
354,
75,
689,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1280,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1280",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘ইনস্টিটিউশন’’ অর্থ ধারা ৪ এ বর্ণিত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন; (২) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান; (৩) ‘‘ট্রেড মার্ক’’ অর্থ কোনো নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক অথবা কোনো পণ্যের সহিত ব্যবহৃত বা ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবিত এমন কোনো মার্ক যাহাতে ব্যবসায় উক্ত পণ্যের উপর মার্ক ব্যবহারকারী স্বত্বাধিকারীর অধিকার রহিয়াছে মর্মে প্রতীয়মান হয়; (৪) ‘‘দ্রব্য’’ অর্থ উৎপাদিত বা প্রাকৃতিক, অথবা আংশিক উৎপাদিত বা আংশিক প্রাকৃতিক, অথবা কাঁচা বা আংশিক বা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াজাতকৃত বা উৎপাদিত কোনো বস্তু; (৫) ‘‘পরিদর্শক’’ অর্থ ধারা ২২ এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত পরিদর্শক বা মহাপরিচালক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশনের কোনো কর্মচারী; (৬) ‘‘পরিষদ’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত পরিষদ; (৭) ‘‘প্রক্রিয়া’’ অর্থ কোনো দ্রব্যের উৎপাদনের প্রচলিত রীতি, পদ্ধতি ও ধরন; (৮) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ ধারা ৪৮ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৯) ‘‘ফি’’ অর্থ ইনস্টিটিউশন কর্তৃক প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত যে কোনো ফি ও চার্জ বা এই আইনের অধীন ফি বাবদ প্রদেয় যে কোনো অর্থ; (১০) ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898); (১১) ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড’’ অর্থ ইনস্টিটিউশন কর্তৃক নির্ধারিত ও প্রকাশিত বাংলাদেশের জাতীয় স্ট্যন্ডার্ড যাহা এইরূপ কোনো দ্রব্য বা প্রক্রিয়ার মান নির্দেশক, এবং এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিন্মবর্ণিত বিষয়ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:- (ক) কোনো সাময়িক স্ট্যান্ডার্ড; বা (খ) ইনস্টিটিউশন কর্তৃক গৃহীত কোনো আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড; (১২) ‘‘বিধি’’ অর্থ ধারা ৪৭ এর অধীন প্রণীত বিধি; (১৩) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি, সমিতি, অংশীদারি কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা অন্য কোনো সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (১৪) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক; (১৫) ‘‘মার্ক’’ অর্থ কোনো ডিভাইস, ব্রান্ড, শিরোনাম (heading), লেবেল, টিকেট, নাম, স্বাক্ষর, শব্দ, অক্ষর, প্রতীক, সংখ্যা, সংখ্যাযুক্ত উপাদান বা রং এর সমন্বয়, এবং উহাদের যে কোনোরূপ সমন্বয়ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (১৬) ‘‘লাইসেন্স’’ অর্থ ধারা ১৬ এর অধীন, কোনো দ্রব্য বা প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে, প্রদত্ত লাইসেন্স; (১৭) ‘‘লেবেল’’ অর্থ কোনো পণ্যের পরিচিতি, গঠন, উপাদান, গুণাগুণ, ব্যবহারের নির্দেশনা, বৈশিষ্ট্য, ওজন, পরিমাণ, মূল্য, উৎপাদন বা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রদানের উদ্দেশ্যে উক্ত পণ্য বা পণ্যের ধারক বা ট্যাগে লিখিত, মুদ্রিত বা চিত্রিত কোনো কিছু প্রদর্শন অথবা উক্ত পণ্য সম্পর্কিত মুদ্রিত বিবরণ (literature) বা উহার সহিত যুক্ত এইরূপ অন্যান্য উপাদান; (১৮) ‘‘শ্রেণিবিন্যাস’’ অর্থ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ডের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ বস্তুর শ্রেণিবিভাগ; (১৯) ‘‘সরলীকরণ’’ অর্থ কোনো মালামালের অপ্রয়োজনীয় আকার এবং ভিন্নতা হ্রাসকরণ; (২০) ‘‘স্ট্যান্ডার্ড মার্ক’’ অর্থ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিনিধিত্ব করিবার উদ্দেশ্যে ধারা ৬ এর দফা (ট) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন সার্টিফিকেশন মার্ক।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "75",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন গৃহীত কার্যধারা বা ব্যবস্থা অন্য কোনো আইনের অধীন গৃহীত ব্যবস্থার অতিরিক্ত হইবে এবং অন্য আইনের অধীন গৃহীত ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ণ করিবে না।",
"name": "অন্য আইনের অধীন ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ণ না করা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 1985 (Ord. No. XXXVII of 1985) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Standards and Testing Institution এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত। (২) ইনস্টিটিউশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "689",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৫। (১) ইনস্টিটিউশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) ইনস্টিটিউশন, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোনো স্থানে উহার কার্যালয় এবং শাখা স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৬। ইনস্টিটিউশনের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডের গুণ ও মাত্রা প্রতিষ্ঠিত করা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভিত্তিতে মালামাল, পণ্য, অবকাঠামো, কার্য ও উৎপাদন সম্পর্কিত একটি সাধারণ স্ট্যান্ডার্ড অবলম্বনের প্রস্তুতি গ্রহণ ও প্রচলিত রীতির কার্যক্রম উৎসাহিত করা এবং, সময় সময়, উক্ত স্ট্যান্ডার্ড প্রত্যাহার, রদবদল, পরিবর্তন এবং সংশোধন করা; (খ) দৈর্ঘ্য, ওজন, ভর, পরিমাপ এবং শক্তি পরিমাপের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড বিবেচনা এবং সরকারের নিকট সুপারিশ করা; (গ) শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ, মাননিয়ন্ত্রণ, মেট্রোলজি (metrology) এবং সরলীকরণের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিল্প উন্নয়নের সহিত সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা, নব প্রবর্তন বা গবেষণামূলক কাজ করা; (ঘ) ইনস্টিটিউশন কর্তৃক গৃহীত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড উৎপাদনকারী ও ভোক্তা কর্তৃক অনুসরণ নিশ্চিত করা; (ঙ) জাতীয় সার্টিফিকেশন মার্ক স্কীমপরিচালনা বা পণ্য পরিদর্শন অথবা উভয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড বাস্তবায়ন করা; (চ) তদন্ত, গবেষণা বা প্রয়োজনে রপ্তানি উন্নয়নের জন্য পণ্য (product), প্রক্রিয়া (process), পদ্ধতি (system) ও কার্য পরীক্ষা, পরখ ও পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা বা সুযোগ সৃষ্টি করা, এবং এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো দ্রব্যের বাংলাদেশ মান বা শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কিত পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রদান করা; (ছ) স্থানীয় ব্যবহার, রপ্তানি বা আমদানি, যাহাই হউক না কেন, পণ্যসামগ্রী, মালামাল, উৎপাদিত পণ্য এবং খাদ্যসামগ্রীসহ অন্যান্য দ্রব্যের গুণগতমান প্রত্যয়ন করা; (জ) কোনো দ্রব্য, উৎপাদিত পণ্য বা উহার ব্যবহারবিধি, সরঞ্জামাদি, প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য উৎপাদনকারী ও ভোক্তার কার্যে সমন্বয়সাধন করা যাহাতে দ্রব্যের জাতীয় অপচয় ও প্যাটার্নের অপ্রয়োজনীয় ভ্যারাইটি, উৎপাদনে ব্যয়িত সময় এবং দ্রব্যের আকার এবং অনুরূপ উদ্দেশ্য পরিহার করা যায়; (ঝ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো দ্রব্য বা প্রক্রিয়া বা ব্যবহারবিধি সংক্রান্ত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড নির্দিষ্টকরণের বিষয় নির্ধারণ ও প্রকাশ করা; (ঞ) বাংলাদেশ বা কোনো বৈদেশিক রাষ্ট্রে অবস্থিত কোনো ইনস্টিটিউশন, অথবা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্ট্যান্ডার্ডকে, কোনো দ্রব্য বা প্রক্রিয়ার জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান, ধারণ বা অনুমোদন করা; (ট) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন সার্টিফিকেশন মার্ক নামে একটি স্ট্যান্ডার্ড মার্ক নির্দিষ্ট করা, যাহা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড উপস্থাপনের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত নকশা এবং বিশেষ উপাদানে গঠিত হইবে; (ঠ) স্ট্যান্ডার্ড মার্কের ব্যবহারের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্স অনুমোদন, নবায়ন, প্রত্যাখ্যান, বাতিল অথবা স্থগিত আদেশ প্রদান করা; (ড) কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড মার্ক, লাইসেন্সসহ বা ব্যতীত, যথাযথভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে কিনা অথবা বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড মার্ক ব্যবহারের প্রস্তাব করা হইয়াছে কিনা অথবা কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়ায় স্ট্যান্ডার্ড মার্ক অনুচিতভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে কিনা উহা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য বা দ্রব্য পরিদর্শন ও উহার নমুনা সংগ্রহ করা; (ঢ) ইনস্টিটিউশন কর্তৃক পরিচালিত গবেষণাগার ব্যতীত, অন্যান্য গবেষণাগারের সেবা উহার মালিকের অনুমতিক্রমে, ব্যবহার করা এবং ইনস্টিটিউশনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অনুরূপ গবেষণাগার অনুমোদন করা; (ণ) সূক্ষ ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্র, যন্ত্রপাতি বা পরিমাপন পরীক্ষা এবং ক্যালিব্রেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ বা সুযোগ তৈরি এবং এতদুদ্দেশ্যে সনদ ইস্যু করা যাহা দ্বারা উহার স্ট্যান্ডার্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়; (ত) ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা সংগঠনকে সহায়তা করা; (থ) রপ্তানির উদ্দেশ্যে Agricultural Produce Grading and Marking Act, 1937 (Act. No. I of 1937) এবং তদধীন প্রণীত বিধি অনুসারে কৃষি পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস ও মার্ক করা; এবং (দ) উপরি-উল্লিখিত কার্যাবলির সহিত সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক বা প্রাসঙ্গিক সকল কার্য ও বিষয় সম্পাদন করা।",
"name": "ইনস্টিটিউশনের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৭। (১) ইনস্টিটিউশনের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউশন যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, পরিষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে। (২) পরিষদ উহার দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি, প্রবিধান ও সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে পরিষদ গঠিত হইবে, যথা:- (ক) শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি পরিষদের চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী, যদি থাকে, যিনি পরিষদের প্রথম ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (গ) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, যিনি পরিষদের দ্বিতীয় ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (ঘ) পুলিশ মহাপরিদর্শক; (ঙ) ‘চেয়ারম্যান’ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, পদাধিকার বলে; (চ) প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর; (ছ) প্রধান নিয়ন্ত্রক, আমদানি ও রপ্তানি; (জ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন; (ঝ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতার; (ঞ) তপশিলের অংশ-১ এ উল্লিখিত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত প্রত্যেক মন্ত্রণালয় বা, ক্ষেত্রমত, বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ট) তপশিলের অংশ-২ এ উল্লিখিত সংস্থার সভাপতি বা চেয়ারম্যান; (ঠ) তপশিলের অংশ-৩ এ উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী; এবং (ড) মহাপরিচালক, যিনি পরিষদের সচিবও হইবেন। (২) উপধারা (১) এ উল্লিখিত মনোনীত কোনো সদস্য মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য দায়িত্ব পালন করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি তাহার পদ বা নিয়োগের কারণে সদস্য হিসাবে মনোনীত হন, সেইক্ষেত্রে তাহার, পদ বা নিয়োগ বাতিল হইলে, সদস্য পদও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হইবে। (৩) সদস্য হিসাবে মনোনীত কোনো ব্যক্তি যে কোনো সময় চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে লিখিত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া ক্ষেত্রমত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হইবে না। (৪) কোনো পদে কেবল শূন্যতা অথবা পরিষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদ্সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "পরিষদের গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে এবং তদকর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) চেয়ারম্যান পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান, বা চেয়ারম্যান ও প্রথম ভাইস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান অথবা তাহাদের সকলের অনুপস্থিতিতে, উপস্থিত সদস্যগণের দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নির্বাচিত একজন সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) অন্যূন ৮ (আট) জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোরামের প্রয়োজন হইবেনা। (৫) পরিষদের সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণের ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। (৬) পরিষদের সভায় প্রত্যেক পরিচালকের একটি করিয়া ভোট থাকিবে , তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে, সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে। (৭) প্রতি ৪ মাসে ন্যূনতম একবার পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।",
"name": "পরিষদের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১০। (১) পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কমিটি গঠনকল্পে পরিষদ প্রয়োজনীয়তার নিরিখে কমিটির চেয়ারম্যান এবং সদস্য নির্ধারণ করিবে। (৩) কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদে দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "কমিটি নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১১। (১) পরিষদ বা ধারা ১০ এর অধীন গঠিত কমিটি উহার কার্যসম্পাদনে সহায়তা বা পরামর্শ প্রদান আবশ্যক মনে করিলে, যে কোনো ব্যক্তিকে উহার সহিত সম্পৃক্ত করিতে পারিবে। (২) পরিষদ অথবা ধারা ১০ এর অধীন গঠিত কমিটির সহিত সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি পরিষদ বা, ক্ষেত্রমত, কমিটির সভায় আলোচনায় অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তাহার ভোটাধিকার থাকিবে না।",
"name": "সদস্য বহির্ভূত ব্যক্তিবর্গের সহিত পরিষদের সম্পৃক্ততা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১২। (১) ইনস্টিটিউশনের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন যিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন। (২) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি ইনস্টিটিউশনের প্রশাসন যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য দায়ী থাকিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১৩। (১) ইনস্টিটিউশন উহার কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) ইনস্টিটিউশনের কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১৪। ইনস্টিটিউশনের সকল আদেশ ও সিদ্ধান্ত, এবং জারিকৃত অন্যান্য সকল দলিল, এতদুদ্দেশ্যে পরিষদ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রমাণীকৃত হইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউশনের আদেশ এবং অন্যান্য দলিলাদি প্রমাণীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১৫। (১) ধারা ১৬ এর অধীন লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে, কোনো ব্যক্তি কোনো দ্রব্য বা প্রক্রিয়ায়, বা কোনো প্যাটেন্টের শিরোনামে, অথবা কোনো ট্রেড মার্ক বা ডিজাইনে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক অথবা উহার কোনো অনুকরণ ব্যবহার করিতে পারিবে না। (২) ধারা ১৬ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও, যদি কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়া বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তাহা হইলে কোনো ব্যক্তি উহাতে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক বা উহার কোনো অনুকরণ ব্যবহার করিতে পারিবেন না।",
"name": "লাইসেন্স ব্যতিরেকে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১৬। (১) কোনো ব্যক্তি, কোনো পণ্য অথবা প্রক্রিয়া বা কোনো প্যাটেন্টের শিরোনাম বা কোনো ট্রেড মার্ক বা ডিজাইনে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার করিতে চাহিলে অথবা ধারা ২০ বা ২১ অনুযায়ী অনুরূপ বাধ্যবাধকতা থাকিলে, তিনি স্ট্যান্ডার্ড মার্কের এইরূপ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে লাইসেন্স গ্রহণের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ইনস্টিটিউশনের নিকট আবেদন করিবেন। (২) ইনস্টিটিউশন প্রয়োজনীয় তদন্তের পর নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইলে লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে, যথা:- (ক) যে পণ্য বা প্রক্রিয়ায় স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহৃত হইবে উহা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ; এবং (খ) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না উহা নিশ্চিত করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট পণ্য বা প্রক্রিয়া নিয়মিত পরিদর্শন বা পরীক্ষা করিবার ব্যবস্থা রহিয়াছে। (৩) ইনস্টিটিউশন কর্তৃক, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও শর্তে, ফি প্রাপ্তি সাপেক্ষে, লাইসেন্স প্রদান করা যাইবে। (৪) এই ধারার অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের মেয়াদ তিন বৎসর বলবৎ থাকিবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, লাইসেন্সে বর্ণিত কোনো শর্ত লঙ্ঘিত হইয়াছে মর্মে সন্তুষ্ট হইলে ইনস্টিটিউশন, শুনানি গ্রহণের যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, উহা বাতিল করিতে পারিবে। (৬) কোনো লাইসেন্সধারীর লাইসেন্স হারাইয়া গেলে বা অন্যভাবে নষ্ট হইয়া গেলে তিনি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে লাইসেন্সের প্রতিলিপির জন্য আবেদন করিতে পারিবেন। (৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর ইনস্টিটিউশন প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে লাইসেন্সের প্রতিলিপি প্রদান করিবে।",
"name": "লাইসেন্স, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১৭। ইনস্টিটিউশন আমদানিকৃত পণ্যের অনুকূলে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি পরিশোধ সাপেক্ষে, গুণগতমানের ছাড়পত্র প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ছাড়পত্র অনুমোদন",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১৮। প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্র এবং পরিস্থিতি ব্যতীত অন্য কোনো ক্ষেত্র বা পরিস্থিতিতে কোনো ব্যক্তি, ইনস্টিটিউশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, নিম্নরূপ কোনো নাম, অভিব্যক্তি বা মার্ক ব্যবহার করিতে পারিবেন না, যথা:- (ক) ইনস্টিটিউশনের নামের সহিত সাদৃশ্য রহিয়াছে এইরূপ কোনো নাম যাহার দ্বারা মানুষ প্রতারিত হইতে পারে বা প্রতারিত হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে অথবা ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড’’ অথবা ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড নির্দিষ্টকরণ’’ বা অনুরূপ অভিব্যক্তি; বা (খ) ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড’’ অথবা ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড নির্দিষ্টকরণ’’ অথবা অনুরূপ কোনো অভিব্যক্তির সংক্ষিপ্তরূপ প্রকাশ করে এইরূপ কোনো মার্ক বা ট্রেড মার্ক। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘নির্দিষ্টকরণ (specification)’’ অর্থ কোনো দ্রব্য বা প্রক্রিয়াকে অন্য কোনো দ্রব্য বা প্রক্রিয়া হইতে পৃথক করিবার জন্য যতদূর সম্ভব উহার প্রকৃতি, মান, দৃঢ়তা, বিশুদ্ধতা, মিশ্রণ, পরিমাণ, আয়তন, ওজন, শ্রেণিবিন্যাস, স্থায়ীত্ব, প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, স্থায়ীত্ব, উপকরণ,উৎস, প্রস্তুতকরণের ধরন অথবা অন্যান্য বৈশিষ্ট্য উল্লেখপূর্বক দ্রব্য বা প্রক্রিয়ার বিবরণ।",
"name": "কতিপয় নাম ব্যবহার নিষিদ্ধ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1280,
"details": "১৯। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কোনো নাম বা মার্ক ব্যবহারের ফলে ধারা ১৫ বা ১৮ এর বিধান লঙ্গিত হয় এইরূপ নাম বিশিষ্ট কোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি শ্রেণিকে অথবা ট্রেড মার্ক বা ডিজাইন নিবন্ধন করিবে না। (২) কোনো নাম বা মার্ক ব্যবহারের ফলে ধারা ১৫ বা ধারা ১৮ এর বিধান লঙ্গিত হইয়াছে কিনা তদমর্মে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে, এবং এইক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ কোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, অথবা ব্যক্তি-শ্রেণি, অথবা কোনো ট্রেড মার্ক বা ডিজাইন নিবন্ধনের জন্য অথবা প্যাটেন্ট প্রদানের জন্য আপাতত বলবৎ কোনো আইনের অধীন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ।",
"name": "কতিপয় ক্ষেত্রে নিবন্ধন নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২০। (১) সরকার, ইনস্টিটিউশনের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শর্ত এবং ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, যে কোনো নির্দিষ্ট বর্ণনার পণ্য যাহা রপ্তানির সহিত সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ধারণ করে না অথবা প্রচলিত সাধারণ রীতি, বাণিজ্য রীতিসহ, অনুসরণ করে না তাহা বাংলাদেশের বাহিরে লইয়া যাওয়া নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ অথবা অন্য কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে। (২) নির্দিষ্ট বর্ণনার কোনো পণ্য সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্ত অনুসরণ ব্যতিরেকে বাংলাদেশের বাহিরে নেওয়া যাইবে না। (৩) যে সকল পণ্যের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো প্রজ্ঞাপন প্রযোজ্য উহা Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) এর section 16 এর অধীন সীমাবদ্ধ বা নিষিদ্ধ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুসারে উক্ত Act এর সকল বিধান কার্যকর থাকিবে।",
"name": "কতিপয় পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "354",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২১। (১) সরকার, ইনস্টিটিউশনের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখ হইতে উহাতে বর্ণিত কোনো পণ্যের, যাহা উক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে ইনস্টিটিউশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে না, বিক্রয়, বিতরণ এবং বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখ, প্রজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের কম হইবে না। (২) সরকার, কোনো পণ্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইলে, উহা সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, স্ট্যান্ডার্ড মার্ক দ্বারা চিহ্নিত করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,- (ক) কোনো পণ্য বা উহার সহিত যুক্ত আবরণ বা লেভেল স্ট্যান্ডার্ড মার্ক দ্বারা চিহ্নিত থাকিলে উক্ত পণ্য স্ট্যান্ডার্ড মার্ক দ্বারা চিহ্নিত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত ‘‘আবরণ’’ অর্থ যে কোনো প্রকারের ছিপি, পিপা, বোতল, পাত্র, বাক্স, ঝাঁজর (crate), ঢাকনা, ক্যাপসুল, খাপ, ফ্রেম, মোড়ক, অথবা অন্যান্য আধার।",
"name": "কতিপয় পণ্য বিক্রয়, বিতরণ, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন, ইত্যাদি নিষিদ্ধ করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২২। (১) ইনস্টিটিউশন, কোনো দ্রব্য বা প্রক্রিয়ায় বা কোনো প্যাটেন্টের শিরোনামে, অথবা কোনো ট্রেড মার্ক বা ডিজাইনে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড মার্ক অনুচিতভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে কিনা উহা পরিদর্শন এবং তাহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিদর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান সাপেক্ষে, একজন পরিদর্শকের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা:- (ক) স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহৃত কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যে কোনো কার্যক্রম পরিদর্শন; (খ) স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহৃত হইয়াছে এইরূপ কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বস্তু বা মালামাল অথবা পণ্যের নমুনা সংগ্রহ; (গ) সাব-ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার একজন পুলিশ অফিসারের ন্যায় এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সম্পর্কে তল্লাশি, আটক বা তদন্ত; এবং (ঘ) অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ। (৩) প্রত্যেক পরিদর্শককে ইনস্টিটিউশন কর্তৃক পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগের সনদপত্র প্রদান করা হইবে এবং পরিদর্শকগণ চাহিবামাত্র উহা প্রদর্শন করিবেন।",
"name": "পরিদর্শক",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২৩। প্রত্যেক লাইসেন্সধারী, ইনস্টিটিউশনের চাহিদা অনুযায়ী, কোনো পণ্য অথবা প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কোনো দ্রব্য বা বস্তুর নমুনা এবং তথ্য ইনস্টিটিউশনের নিকট দাখিল করিবেন।",
"name": "তথ্য, ইত্যাদি সংগ্রহের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২৪। ইনস্টিটিউশন, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, লিখিতভাবে আদেশে উল্লিখিত ক্ষেত্রে ও শর্তে, যদি থাকে, উহার যে কোনো ক্ষমতা চেয়ারম্যান বা মহাপরিচালক বা পরিষদের কোনো সদস্য বা ইনস্টিটিউশনের কোনো ৯ম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডভুক্ত কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২৫। (১) ধারা ৬ এর দফা (ঠ) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি, সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে অথবা সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে সরকারের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন। (২) সরকার, ইনস্টিটিউশনের নিকট হইতে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র তলব করিতে পারিবে এবং উক্ত বিষয়ে, প্রয়োজনে, তদন্তের পর আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুরূপ আদেশই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২৬। (১) এই আইনের অধীন কোনো পরিদর্শক বা পরিষদের কোনো সদস্য বা ইনস্টিটিউশনের কোনো কর্মচারী কর্তৃক প্রদত্ত কোনো বিবৃতি বা সরবরাহকৃত বা প্রদত্ত কোনো সাক্ষ্য বা পরিদর্শনের ফলে প্রাপ্ত যে কোনো তথ্য গোপনীয় বলিয়া গণ্য হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন বিচারকার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোনো তথ্য প্রকাশ করিবার ক্ষেত্রে উক্ত উপ-ধারার কোনো কিছু প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "কতিপয় বিষয় গোপন রাখা",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২৭। (১) কোনো ব্যক্তি যদি ধারা ১৫, ১৮ বা ১৯ এর কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড, অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, তবে পঁচিশ হাজার টাকার নিম্নে নহে, বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তিকে দণ্ডাদেশ প্রদানকারী আদালত যে সম্পত্তি সম্পর্কে আইনের বিধান লঙ্ঘিত হইয়াছে উহা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ধারা ১৫, ১৮ বা ১৯ লঙ্ঘনের দণ্ড, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২৮। কোনো ব্যক্তি যদি ধারা ২০ এর অধীন জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন অথবা উহার অধীন প্রদত্ত কোনো লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি, ধারা ২০ এর উপ-ধারা (৩) দ্বারা প্রয়োগযোগ্য Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) এর বিধানের অধীন বাজেয়াপ্তি বা দণ্ড ক্ষুণ্ণ না করিয়া, অনধিক ১(এক) বৎসর কারাদণ্ড, অথবা অনধিক ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, তবে ১০ (দশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২০ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "354",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1280,
"details": "২৯। কোনো ব্যক্তি যদি ধারা ২১ এর অধীন জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপনের বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইল উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৪(চার) বৎসর কারাদণ্ড, অথবা অনধিক ২(দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, তবে ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ২১ লঙ্ঘনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩০। কোনো ব্যক্তি যদি পরিদর্শক কর্তৃক সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান করেন, অথবা মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১(এক) বৎসর কারাদণ্ড, অথবা অনধিক ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, তবে ১০ (দশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "পরিদর্শককে তাহার দায়িত্ব পালনকালে বাধা প্রদানের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩১। কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইল উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি, যদি এই আইনের কোনো ধারায় কোনো দণ্ডের বিধান না থাকে, অনধিক ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, তবে ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অন্যান্য অপরাধের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩২। এই আইনে উল্লিখিত কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তি যদি পুনরায় একই অপরাধ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অপরাধ পুনঃসংঘটনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩৩। কোনো আদালত, সরকার বা ইনস্টিটিউশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিদর্শকের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, এই আইনের অধীন কোনো মামলা বিচারার্থে আমলে গ্রহণ করিবে না।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩৪। (১) ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কর্তৃক বিচার্য হইবে। (২) ধারা ২৯ বা, ক্ষেত্রমত, অন্য কোনো ধারায় বর্ণিত অপরাধ পুনঃসংঘটনের ক্ষেত্রে উহার বিচার ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।",
"name": "অপরাধের বিচার",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩৫। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন অপরাধের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ",
"related_acts": "1025",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩৬। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৩২ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির উপর এই আইনের কোনো ধারায় উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ধারায় উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন।",
"name": "অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩৭। (১) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধ যে দ্রব্য বা বস্তু সম্পর্কে বা যাহার দ্বারা সংঘটিত হইয়াছে উহা বাজেয়াপ্ত করা যাইবে। (২) এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো দ্রব্য, ধারা ২৭ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের পর, অবিলম্বে মহাপরিচালকের নিকট, অথবা মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশনের কোনো কর্মচারীর নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং তিনি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত উপায়ে উহা ধ্বংস বা নিষ্পন্নের ব্যবস্থা করিবেন।",
"name": "বাজেয়াপ্তযোগ্য দ্রব্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩৮। (১) কোনো দ্রব্য পরীক্ষার পর, যদি দেখা যায় যে, উহা ইনস্টিটিউশন কর্তৃক উক্ত দ্রব্য সম্পর্কে নির্ধারিত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডের অনুরূপ নহে, অথবা ২০ এর শর্ত অনুসরণ ব্যতীত বাংলাদেশের বাহিরে লইয়া যাওয়া বা প্রেরণ করিবার কার্যক্রম গ্রহণ করা হইয়াছে বা ধারা ২১ এর অধীন লাইসেন্স গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এমন কোনো দ্রব্য বিক্রয়, বিতরণ বা উহার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হইতেছে, তাহা হইলে মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশনের কোনো কর্মচারী লিখিত আদেশ দ্বারা, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত দ্রব্য উৎপাদনকারী কারখানা অথবা উক্ত দ্রব্য যে প্রাঙ্গণে গুদামজাত রহিয়াছে উহা বন্ধ করিতে পারিবেন। (২) কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এর অধীন বন্ধকরণের আদেশ প্রদান করা হইলে, তিনি এইরূপ আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘প্রাঙ্গণ’’ অর্থে নিম্নবর্ণিত স্থান, পণ্যাগার, আবাসস্থল, যানবাহন, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:- (ক) কোনো স্থান, যেখানে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক, স্বয়ং বা কোনো এজেন্টের মাধ্যমে, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, কোনো ব্যবসায়, শিল্প, উৎপাদন বা ক্রয়-বিক্রয়ের কার্য পরিচালনা করা হয় ; (খ) কোনো পণ্যাগার (ware house), গুদাম বা অন্য কোনো স্থান, যেখানে কোনো দ্রব্য বা দ্রব্যাদি গুদামজাত, প্রদর্শন বা ক্রয়-বিক্রয় করা হয় ; (গ) কোনো আবাসস্থল, যদি উহার কোনো অংশ কোনো ব্যবসায়, শিল্প, উৎপাদন বা ক্রয়-বিক্রয়ের কার্য পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয়; এবং (ঘ) কোনো যাহবাহন বা জলযান বা অন্য যে কোনো চলমান যন্ত্র, যাহার সাহায্যে কোনো কিছু ক্রয়-বিক্রয় বা ব্যবসায় পরিচালনা করা হয়।",
"name": "কারখানা, ইত্যাদি বন্ধের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৩৯। এই আইন বা ইনস্টিটিউশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশনের কোনো কর্মচারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্যান্য সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করিবার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং এইরূপ কোনো অনুরোধ করা হইলে উক্ত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ উক্ত সহায়তা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪০। ধারা ৬ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন,- (ক) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউশনের কার্যাবলির আওতাভুক্ত কোনো পণ্যের পরীক্ষণ, পরিমাপন বা মাননিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত কোনো বিষয় পরীক্ষা করিবার জন্য ইনস্টিটিউশনের নিকট আবেদন করিলে বা এতদ্বিষয়ক তথ্য প্রদানের জন্য উহাকে অনুরোধ জানাইলে ইনস্টিটিউশন, প্রযোজ্য ফি গ্রহণক্রমে, পরীক্ষান্তে প্রতিবেদন এবং তথ্য প্রদান করিতে পারিবে; (খ) সরকার বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন করিলে ইনস্টিটিউশন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিবেদন এবং তথ্য প্রদান করিবে; এবং (গ) দফা (ক) এবং (খ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউশনের কার্যাবলির আওতাবহির্ভূত কোনো পণ্যের উপাদানের গুণগতমান পরীক্ষণ, পরিমাপন বা মাননিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত কোনো বিষয় যাচাই করিবার জন্য ইনস্টিটিউশনের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউশন, উহার সক্ষমতা সাপেক্ষে, প্রযোজ্য ফি গ্রহণক্রমে, পরীক্ষান্তে প্রতিবেদন এবং তথ্য প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউশন কর্তৃক সেবা প্রদান, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪১। (১) ইনস্টিটিউশনের একটি তহবিল থাকিবে এবং নিন্মবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত তহবিলে জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান ও ঋণ; (খ) ইনস্টিটিউশনের অর্থ বিনিয়োগ, রয়েলটিজ এবং সম্পদ হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং (গ) ইনস্টিটিউশনের অন্যান্য সকল আয়। (২) তহবিলের অর্থ ইনস্টিটিউশনের নামে ইনস্টিটিউশন কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করা যাইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত কোনো “Scheduled Bank”। (৩) তহবিলের অর্থ হইতে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলের অর্থে বাস্তবায়নাধীন কোনো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ বা যে কোনো অর্থ-বৎসরের শুরুতে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখিয়া তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ, যদি থাকে, সরকারি কোষাগারে জমা করিতে হইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউশনের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪২। ইনস্টিটিউশন, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউশনের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪৩। (১) ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া অভিহিত, এর সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে। (২) মহা হিসাব-নিরীক্ষক যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ পদ্ধতিতে ইনস্টিটিউশনের হিসাব নিরীক্ষিত হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা এতদুদ্দেশ্যে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, ইনস্টিটিউশনের সকল রেকর্ড, বহি, দলিল, নগদ অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যান্য সম্পদ পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং ইনস্টিটিউশনের যে কোনো সদস্য, মহাপরিচালক অথবা অন্য কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) মহা হিসাব-নিরীক্ষক তাহার নিরীক্ষা প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবেন এবং উহার একটি কপি ইনস্টিটিউশনের নিকট প্রেরণ করিবেন।",
"name": "হিসাব ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪৪। (১) ইনস্টিটিউশন প্রতিবৎসর তদকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন পরবর্তী বৎসরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, যে কোনো সময়, ইনস্টিটিউশনের নিকট হইতে উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন, বিবরণী বা রিটার্ন আহবান করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউশন উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪৫। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অসুবিধা দূর করিতে পারিবে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪৬। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও কর্মচারীগণসহ এই আইনের অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত বা দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী দণ্ডবিধির ধারা ২১ এ public servant (জনসেবক) অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪৭। (১) এই আইনের অধীন অপরাধ দমনে সহায়তাকারী কোনো সরকারি কর্মচারী জ্ঞাতসারে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইলে বা কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে অনুরূপ ব্যর্থতা বা লঙ্ঘনের জন্য তিনি দায়ী হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো ব্যর্থতা বা লঙ্ঘনের অভিযোগে কোনো সরকারি কর্মচারী দায়ী হইলে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান অনুযায়ী আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত হইবেন এবং উক্ত কারণে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করিতে হইবে।",
"name": "সরকারি কর্মচারী কর্তৃক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪৮। সরকার, ইনস্টিটিউশনের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৪৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৫০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৫১। (১) Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 1985 (Ord. No. XXXVII of 1985), অতঃপর রহিত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ-কর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্য বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকিলে, উক্ত কার্য বা কার্যধারা উক্ত রহিত Ordinance এর বিধান অনুসারে এইরূপে নিষ্পত্তি করিতে হইবে যেন এই আইন প্রবর্তিত হয় নাই; (গ) প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Standards and Testing Institution, অতঃপর Institution বলিয়া অভিহিত, কর্তৃক সম্পাদিত কোনো চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন ইনস্টিটিউশন কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছে; (ঘ) প্রতিষ্ঠিত Institution এর সকল প্রকার ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা এই আইনের বিধান অনুযায়ী একই শর্তে ইনস্টিটিউশনের ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসাবে গণ্য হইবে; (ঙ) কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে উক্ত Institution এর সকল কর্মচারী যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, উহা পরিবর্তিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে ইনস্টিটিউশনের চাকরিতে নিয়োজিত এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন; (চ) প্রতিষ্ঠিত Institution এর সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধা, ফি, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, অনুমোদিত মূলধন, তহবিল, নগদ অর্থ, ব্যাংক জমা ও সিকিউরিটিসহ সকল হিসাব এবং এতদসংশ্লিষ্ট সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য সকল দলিল-দস্তাবেজ এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইনস্টিটিউশনের নিকট হস্তান্তরিত হইবে এবং ইনস্টিটিউশন উহার অধিকারী হইবে; এবং (ছ) প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত কার্যালয় বা শাখার, ঢাকা শাখাসহ, যে নামে ও স্থানেই প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত হউক না কেন, কার্যক্রম এই আইনের অধীন ইনস্টিটিউশনের কার্যালয় বা শাখা প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত বা, ক্ষেত্রমত, বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, এমনভাবে কার্যকর ও অব্যাহত থাকিবে যেন উহারা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত হইয়াছে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Ordinance এর অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ, প্রণীত সকল স্কীম বা কার্যক্রম এবং অনুমোদিত সকল হিসাব বিবরণী ও বার্ষিক প্রতিবেদন উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারিকৃত, প্রদত্ত এবং অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজতকরণ",
"related_acts": "689",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1280,
"details": "৫২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) ইংরেজি পাঠ এবং মূল বাংলা পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 52
}
],
"text": "Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 1985 রহিতক্রমে উহা নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 1985 (Ord. No. XXXVII of 1985) রহিত করিয়া এর বিষয়বস্তু বিবেচনাপূর্বক সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1281,
"lower_text": [],
"name": "মৎস্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 33,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1281,
354,
1025,
75,
236
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1281,
"details": "১। (১) এই আইন মৎস্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1281",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) “আমদানি” অর্থ জল, স্থল বা আকাশ পথে অন্য কোনো দেশ হইতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো পণ্য বৈধভাবে আনয়ন করা; (২) “আমদানি অনুমতিপত্র” অর্থ ধারা ১০ এর অধীন ইস্যুকৃত আমদানি অনুমতিপত্র; (৩) “আমদানিকারক” অর্থ বাংলাদেশে কোনো পণ্য আমদানি করিতে ইচ্ছুক বা আমদানির সহিত সম্পৃক্ত এইরূপ কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সংগঠন, স্বত্বাধিকারী, প্রাপক (Consignee) বা প্রতিনিধি (Agent); (৪) “উপকারী জীবাণু” অর্থ ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, নেমাটোড, ভাইরাস, ভাইরাসের মত জীবাণুসহ যে কোনো সমজাতীয় জীবাণু বা এমন কোনো অমেরুদণ্ডী প্রাণী যাহা মৎস্যের রোগজীবাণু দমনে বা বাণিজ্যিকভাবে মূল্যবান মৎস্যজাত দ্রব্যাদি উৎপাদনের জন্য উপকারী এবং যাহা সরকার কর্তৃক, সময় সময়, মৎস্য উৎপাদনের জন্য উপকারী বলিয়া ঘোষিত; (৫) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত; (৬) “নিয়ন্ত্রিত এলাকা” অর্থ ধারা ১৯ এর অধীন ঘোষিত নিয়ন্ত্রিত এলাকা; (৭) “প্যাকিং দ্রব্যাদি” অর্থ মৎস্য, মৎস্যপণ্য ও উপকারী জীবাণুর প্যাকিং, ধারণ অথবা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় এমন কোনো দ্রব্য; (৮) “ফৌজদারি কার্যাবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898); (৯) “বাহন” অর্থ মৎস্য, মৎস্যপণ্য ও উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি জল, স্থল বা আকাশ পথে এক স্থান হইতে অন্য স্থানে পরিবহণ করিতে সক্ষম এমন সকল প্রকার যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিক বা প্রাণী বা মানুষ চালিত বাহন; (১০) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১১) “মৎস্য” অর্থ সকল প্রকার কোমল অস্থি ও কঠিন অস্থি বিশিষ্ট মাছ (Cartilaginous and Bony Fishes), স্বাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি (Prawn and Shrimp), উভচর জলজ প্রাণী (Amphibians), কচ্ছপ (Tortoise), কাছিম, কুমির (Crocodile), কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী (Crustacean), শামুক বা ঝিঁনুক জাতীয় জলজ প্রাণী (Molluscs), একাইনোডার্মস (Sea Cucumber) জাতীয় প্রাণী, ব্যাঙ (Frogs/Toad) এবং উহাদের জীবন্তকোষ ও জীবনচক্রের যে কোনো ধাপ এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত অন্য কোনো জলজ প্রাণী; (১২) “মৎস্যপণ্য” অর্থ কোনো মৎস্য হইতে উৎপন্ন পণ্য বা প্রক্রিয়াজাত বা উপজাত পণ্য (By product); (১৩) “মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষ” বা “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ৪ এর বিধান অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তর; (১৪) “মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা (Fisheries Quarantine Officer)” অর্থ ধারা ৭ এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা; (১৫) “সংক্রমিত (Infected)” অর্থ কোনো নির্দিষ্ট মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদির মধ্যে ক্ষতিকারক রোগজীবাণুর উপস্থিতি; (১৬) “সঙ্গনিরোধ (Quarantine)” অর্থ মৎস্য রোগের প্রাদুর্ভাব বা বিস্তার রোধকল্পে আমদানির উদ্দেশ্যে মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি পৃথকীকরণ (Isolation) এবং পরীক্ষার জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো স্থান বা আঙ্গিনায় মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অন্তরীণ (Confined) রাখা।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "75",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে মৎস্য সঙ্গনিরোধের বিষয়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষ হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৫। কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) অন্য দেশ হইতে বাংলাদেশে মৎস্যের রোগজীবাণু অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধকল্পে মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদির আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা; (খ) আন্তর্জাতিক পরিবহণে রহিয়াছে এমন মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদির কনসাইনমেন্ট, যাহা ক্ষতিকারক রোগজীবাণুর বাহন হিসাবে ব্যবহৃত হইতে পারে, পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধান করা; (গ) রোগজীবাণুর প্রাদুর্ভাব এবং বিস্তার রোধের লক্ষ্যে মৎস্য, মৎস্যপণ্য উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাহন, গুদাম ও উহার অভ্যন্তরস্থ দ্রব্যাদি পরিদর্শন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণা করা; (ঘ) মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর কনসাইনমেন্ট ও উহাদের কনটেইনার, প্যাকিং দ্রব্যাদি, সংরক্ষণ স্থান অথবা বাহন রোগজীবাণুমুক্ত বা সংক্রামণমুক্ত করিবার নিমিত্ত শোধন কার্যক্রম পরিচালনা করা; (ঙ) কোনো একটি সংক্রমিত এলাকাকে নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (চ) মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাদি হালনাগাদ এবং সমন্বয় (Harmonization) করিবার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আমাদানি নিষিদ্ধ বা শর্তারোপকৃত মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণুর তালিকা নিয়মিত পর্যালোচনা এবং হালনাগাদ করা; (ছ) বাংলাদেশে বিদ্যমান মৎস্য সঙ্গনিরোধ সম্পর্কিত রোগজীবাণুর উপর জরিপ, নজরদারী (surveillance) ও মৎস্য সঙ্গনিরোধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা; (জ) আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক অথবা অন্যান্য জাতীয় মৎস্য সংরক্ষণ সংস্থার সহিত কারিগরি তথ্য, মতামত ও প্রতিবেদন বিনিময় এবং মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর সংরক্ষণ ও সঙ্গনিরোধ বিষয়ে সর্বশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে অবগত থাকা; (ঝ) মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত বা স্বাক্ষরকারী এমন আন্তর্জাতিক চুক্তি, প্রটোকল, কনভেনশন, ইত্যাদি অনুসরণ এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং মৎস্য জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রম অনুসরণ, পরিচালনা ও সমন্বয় করা; এবং (ঞ) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।",
"name": "কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৬। (১) মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এই আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ উহার যে কোনো ক্ষমতা মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৭। (১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার মৎস্য অধিদপ্তরের অধীন প্রয়োজনীয় সংখ্যক মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকরির শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসাবে দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদন করিবেন।",
"name": "মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৮। (১) সরকার Imports and Exports (Control) Act, 1950 (Act No.XXXIX of 1950) এর অধীন প্রণীত আমদানি নীতি আদেশে উল্লিখিত শর্তে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু বা মানুষের রোগের সংক্রমণের কারণ হইতে পারে, উহার আমদানি নিষিদ্ধ, সীমিত বা অন্য কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে। (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু এবং প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানির ক্ষেত্রে Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) এ শুল্ক কর্মকর্তার বাধা-নিষেধ আরোপ করিবার যে ক্ষমতা রহিয়াছে, সেই ক্ষমতা মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।",
"name": "মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর আমদানি নিষিদ্ধকরণ (prohibition) বা সীমিতকরণ (restriction) ইত্যাদি",
"related_acts": "236,354",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৯। (১) আমদানি অনুমতিপত্র ব্যতিরেকে কোনো আমদানিকারক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানি করিতে পারিবে না। (২) কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি নির্ধারিত বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করিতে হইবে। (৩) সরকার, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানির শর্ত নির্ধারণ করিতে পারিবে অথবা কোনো শর্ত হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "আমদানি নিষেধাজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১০। (১) আমদানি অনুমতিপত্রের জন্য, নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে, কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতি ও ফরমে আবেদন করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে, আমদানির অনুমতিপত্র ইস্যু করিতে পারিবে। (৩) কর্তৃপক্ষ, যুক্তিসঙ্গত কারণে, ইস্যুকৃত আমদানির অনুমতিপত্র বাতিল বা স্থগিত বা সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "আমদানি অনুমতিপত্র ইস্যুকরণ, সংশোধন, বাতিল, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১১। (১) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা আমদানিকৃত মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি, বাহন, গুদাম ও উহার অভ্যন্তরস্থ দ্রব্যাদি পরিদর্শন, পরীক্ষা ও উহার নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে শোধনপূর্বক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (২) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার আদেশ মোতাবেক মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বহনকারী বা গুদামজাতকারী বা বাহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট গুদাম, বাহন ও উহার অভ্যন্তরস্থ দ্রব্যাদি পরিদর্শন এবং প্রয়োজনে শোধনের জন্য উন্মুক্ত করিয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন। (৩) আমদানিকারক, মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী, আমদানিকৃত দ্রব্যাদি পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করিবার অনুমতি প্রদানে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "পরিদর্শন, পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১২। মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা পরীক্ষাধীন মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি তাহার অনুমতি ব্যতীত স্থানান্তরিত করা যাইবে না বা কোনো কন্টেইনার খোলা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, শুল্ক কর্মকর্তার কার্য নির্বাহের জন্য উক্ত বিধানটি শিথিলযোগ্য হইবে।",
"name": "কন্টেইনার স্থানান্তর",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১৩। এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া বাংলাদেশে আমদানি করা মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু অথবা ট্রানজিটে থাকা বা বাংলাদেশের এক অংশ হইতে অন্য অংশে বহন করা মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি, যাহা রোগজীবাণু পোষণকারী হিসাবে সন্দেহযুক্ত বা সংক্রমিত, উহা আটক করা যাইবে অথবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রবেশের অসম্মতি প্রদান করা যাইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘ট্রানজিট’’ বলিতে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি এক দেশ হইতে অন্য দেশে পরিবহণকালে বাংলাদেশ অতিক্রমের সময়কে বুঝাইবে।",
"name": "রোগ সংক্রমিত মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর আটকাদেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আটক বা বাজেয়াপ্ত সকল মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু সঙ্গনিরোধের জন্য মৎস্য সঙ্গগনিরোধ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকিবে এবং তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর সঙ্গনিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।",
"name": "সঙ্গনিরোধের জন্য মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১৫। (১) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ধারা ১৩ এর অধীন আটককৃত মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাজেয়াপ্ত, ধ্বংস, অপসারণ, শোধন বা মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ধ্বংস করিতে হইবে এমন দ্রব্য ব্যতীত অন্যান্য দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হইলে উহা প্রকাশ্য নিলামে বা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক অন্য কোনো আইনসম্মত উপায়ে বিক্রয় করা যাইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করিতে হইবে। (৪) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ধারা ১৩ এর অধীন মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদির আটক এবং উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়, কারণসহ, আমদানিকারক অথবা, ক্ষেত্রমত, মালিককে অবহিত করিবেন। (৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন আটককৃত দ্রব্যাদি শোধন বা অপসারণ বা ধ্বংস করিবার ক্ষেত্রে সকল ব্যয় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বহন করিবে।",
"name": "আটককৃত সম্পত্তির নিষ্পত্তিকরণ, ব্যয় নির্বাহ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১৬। (১) কোনো ব্যক্তি তাহার সম্মতিক্রমে বা অসম্মতিতে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাংলাদেশের বাহির হইতে প্রাপ্ত হইলে, তিনি এবং সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিকটস্থ মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিকট উক্ত বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করিবেন। (২) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দ্রব্যাদি পরীক্ষান্তে উহা ছাড়করণ বা ধারা ১৫ এর বিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।",
"name": "মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিকট ঘোষণা প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১৭। মৎস্য রোগজীবাণু সীমাবদ্ধকরণ বা নির্মূলকরণের লক্ষ্যে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু, জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজমস্, লিভিং মডিফাইড অর্গানিজমস্ ও এলিয়েন ইনভেসিউ স্পেসিস, জার্মপ্লাজম, প্যাকিং দ্রব্যাদি, ক্ষতিকারক রোগজীবাণু অথবা সমজাতীয় অন্য যে কোনো দ্রব্য, যাহা মৎস্য রোগজীবাণু পোষণকারী ও বিস্তারকারী, উহার অনুপ্রবেশ, প্রবর্তন, বিক্রয়, চাষাবাদ, বংশবৃদ্ধিকরণ বা পরিবহণ নিষিদ্ধ বা বাধা-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "মৎস্য রোগজীবাণু সীমাবদ্ধকরণ (Containment) বা নির্মূলকরণ (Eradication)",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১৮। (১) কোনো ক্ষতিকারক রোগজীবাণু যদি মৎস্য উৎপাদন, উপকারী জীবাণু বা প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য শঙ্কাপূর্ণ হয় অথবা কোনো ক্ষতিকারক রোগজীবাণু যদি বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করিয়াছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া যায় বা বাংলাদেশে বিদ্যমান রহিয়াছে এবং এমন ক্ষতিকারক রোগজীবাণু সীমাবদ্ধকরণ ও নির্মূলকরণ প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হয়, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত রোগজীবাণুকে সংক্রামক রোগজীবাণু হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে। (২) কোনো পুকুর, দিঘি বা যে কোনো ধরনের জলাশয় অথবা কোনো আঙ্গিনায় সংক্রামক রোগজীবাণু হিসাবে পরিচিত বা অনুমিত রোগজীবাণু পাইবার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট জলাশয় বা আঙ্গিনার অধিকারী বা মালিক উহা নিকটস্থ মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।",
"name": "সংক্রামক রোগজীবাণু হিসাবে ঘোষণা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1281,
"details": "১৯। সরকার মৎস্য সঙ্গনিরোধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা :- (ক) ক্ষতিকারক রোগজীবাণু দ্বারা সংক্রমিত এলাকা অথবা সংক্রমিত হইয়াছে বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ হইতেছে এমন এলাকাকে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণাকরণ; (খ) সংক্রমিত পুকুর, দিঘি বা যে কোনো ধরনের জলাশয় বা কোনো আঙ্গিনা অথবা সংক্রমিত হইয়াছে বলিয়া সন্দেহ হইতেছে এমন পুকুর, দিঘি বা যে কোনো ধরনের জলাশয় বা আঙ্গিনাকে সঙ্গনিরোধ কার্যক্রমের জন্য নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা এবং মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (গ) নিয়ন্ত্রিত এলাকার মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বা উহার বাহন অথবা গুদামজাত এলাকার ক্ষতিকারক রোগজীবাণুর বিস্তার নির্মূল বা সীমিত বা নির্জীবিকরণ (disinfestation) বা সংক্রামক জীবাণু নাশকরণের (disinfection) বা নিমিত্ত শোধন কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ; (ঘ) দফা (গ) এর অধীন মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষতিকারক জীবাণু নির্মূল বা সীমিত করা সম্ভব নহে বলিয়া মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হইলে, সংক্রমিত এলাকার আংশিক বা সম্পূর্ণ অঞ্চলের মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর উৎপাদন ও আহরণ নিষিদ্ধকরণ, সীমাবদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণকরণ এবং এইরূপ নিষিদ্ধকরণ, সীমাবদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণ বহাল থাকিবার সময় নির্দিষ্টকরণ।",
"name": "সংক্রমিত এলাকাকে নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা এবং মৎস্য সঙ্গনিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২০। বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বাংলাদেশ কাস্টমস, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, ডাক বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, শিপিং এজেন্সিজ এবং সমজাতীয় সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এই আইনের পরিপন্থি কার্যক্রম রোধ করিতে পারিবেন এবং মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবেন।",
"name": "সহায়তা",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২১। (১) কোনো আমদানিকারক আমদানি অনুমতিপত্র ব্যতীত অথবা এই আইনের অধীন নিষিদ্ধ কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাংলাদেশে আমদানি, উৎপাদন, মজুদ, বহন বা বিক্রয় করিলে, উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি তাহার অধিকার, তত্ত্বাবধান বা নিয়ন্ত্রণে রাখিলে অথবা উৎপাদন, মজুদ, বহন, বিক্রয়, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার, বিতরণ বা পরিবহণ করিলে, উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। (৩) কোন ব্যক্তি বা আমদানিকারক- (ক) কোনো মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করিলে, প্রতিরোধ করিলে অথবা ভীতি প্রদর্শন করিলে; (খ) এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশনা প্রতিপালনে অস্বীকার করিলে অথবা অবজ্ঞা করিলে; (গ) আমদানি অনুমতিপত্র বা ছাড়পত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য প্রদান করিলে; (ঘ) ধারা ১১ ও ১২ এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ অমান্য বা অগ্রাহ্য করিলে; (ঙ) ধারা ১৬(১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে; (চ) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপিত অথবা তদ্কর্তৃক জারিকৃত কোনো দলিলের পরিবর্তন বা বিকৃত করিলে; উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২২। কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানির এমন প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। ব্যাখ্যা ।- এই ধারায়- (ক) ‘‘কোম্পানি’’ বলিতে কোনো কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং (খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘‘পরিচালক’’ বলিতে উহার কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে।",
"name": "কোম্পানি, ইত্যাদি কতৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২৩। মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২৪। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non cognizable) এবং জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।",
"name": "অপরাধ আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২৫। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "তদন্ত, বিচারের পদ্ধতি, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২৬। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।",
"name": "ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অপরাধ বিচার",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২৭। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনের অধীন দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "দণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২৮। এই আইনের অন্য কোনো বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২১ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন অপরাধ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাইবে।",
"name": "মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার",
"related_acts": "1025",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1281,
"details": "২৯। (১) এই আইনের অধীন কোনো লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো আমদানি অনুমতিপত্র গ্রহীতা সংক্ষুব্ধ হইলে উক্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে- (ক) আদেশটি যদি কোনো মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত থাকে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষের নিকট; এবং (খ) আদেশটি যদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট; আপিল করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আপিল দাখিল করা হইলে, আপিল দাখিলের অনধিক ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "প্রশাসনিক আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৩০। সরকার মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি পরিদর্শন, পরীক্ষণ অথবা উক্ত মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি ধারা ১৫ এর অধীন ধ্বংস, অপসারণ বা শোধনের জন্য, সময় সময়, ফিস ও মাসুল, নির্ধারিত পদ্ধতি ও হারে, নির্ধারণ ও আদায় করিতে পারিবে।",
"name": "ফিস ও মাসুল",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৩১। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নির্ধারিত বন্দরসমূহে মৎস্য সঙ্গনিরোধ স্টেশন স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "মৎস্য সঙ্গনিরোধ স্টেশন স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৩২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1281,
"details": "৩৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 33
}
],
"text": "মৎস্য, মৎস্যপণ্য ও উপকারী জীবাণুর আন্তর্জাতিক পরিবহণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রোগজীবাণুর অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধকল্পে এবং মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের সঙ্গনিরোধ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং এতদ্সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু মৎস্য, মৎস্যপণ্য ও উপকারী জীবাণুর আন্তর্জাতিক পরিবহণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রোগজীবাণুর অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধকল্পে এবং মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের সঙ্গনিরোধ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং এতদ্সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1282,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 24,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1282,
676,
1092,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1282,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1282",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1282,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট; (২) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী; (৩) ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ১৩ নং আইন) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল; (৪) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ পরিচালনা বোর্ড এর চেয়ারম্যান; (৫) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের তহবিল; (৬) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৭) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৮) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড; (৯) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং (১০) ‘‘সদস্য’’ অর্থ পরিচালনা বোর্ডের কোন সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1092",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1282,
"details": "৩। (১) Fisheries Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XLV of 1984) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট ইহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "676",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1282,
"details": "৪। (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহ জেলা সদরে থাকিবে। (২) ইনস্টিটিউট প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার আঞ্চলিক কেন্দ্র বা উপ-কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1282,
"details": "৫। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইনস্টিটিউট কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ, সুপারিশ বা পরামর্শ প্রতিপালন করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, যদি ইনস্টিটিউটের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্তরূপ কোন সুপারিশ বা পরামর্শ প্রতিপালন করা সম্ভব নহে, তাহা হইলে ইনস্টিটিউট, অনতিবিলম্বে কারণ উল্লেখপূর্বক উহার মতামত কাউন্সিলকে অবহিত করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের অধীন ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করিয়া কাউন্সিল তদকর্তৃক প্রদত্ত কোন সুপারিশ বা পরামর্শ সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে বা উক্ত বিষয়ে নূতন কোন সুপারিশ বা পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1282,
"details": "৬। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি বোর্ডের অধীন ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1282,
"details": "৭। ইনস্টিটিউট নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী সম্পাদন করিবে, যথা:- (ক) মৎস্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা ও সমন্বয় সাধন করা; (খ) মৎস্য উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও নিরাপদ খাদ্য হিসাবে বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে অধিকতর দক্ষ ও অর্থনৈতিক পন্থা উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা করা; (গ) গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রয়োগের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের মৎস্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সহিত সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করা; (ঘ) মৎস্য বিষয়ক সেমিনার, সভা, প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করা; (ঙ) দেশি ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত ক্ষেত্রমত যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান ও গ্রহণ করা; (চ) গবেষণা বিষয়ক গবেষণা জার্নাল প্রকাশ করা; এবং (ছ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করা।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1282,
"details": "৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:- (ক) মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী বা উভয়ই, যদি থাকেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যাহারা বোর্ডের কো-চেয়ারম্যানও হইবেন; (গ) স্পিকার কর্তৃক মনোনীত ২(দুই) জন সংসদ সদস্য; (ঘ) সিনিয়র সচিব/সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (ঙ) উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; (চ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল; (ছ) সদস্য (কৃষি, পানি সম্পদ ও পলস্নী প্রতিষ্ঠান), পরিকল্পনা কমিশন; (জ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঝ) মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর; (ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রমে নিয়োজিত দুইজন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বা পরিচালক; (ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত দুই জন প্রতিনিধি, তাহাদের মধ্যে একজন হইবেন বিশিষ্ট মৎস্যজীবী এবং অপরজন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য সম্পর্কিত বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধি; এবং (ঠ) মহাপরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ যে কোনো সময় চেয়ারম্যানের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হইবে না। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার দায়িত্ব হইতে যে কোনো সময় অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৫) বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা বোর্ডের কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রম্নটি থাকিবার কারণে অবৈধ হইবে না।",
"name": "পরিচালনা বোর্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1282,
"details": "৯। পরিচালনা বোর্ডের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) ইনস্টিটিউটের কার্যাবলীর তত্ত্বাবধান এবং দিক নির্দেশনা প্রদান; (খ) ইনস্টিটিউটের নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান; (গ) ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবিত নীতিমালা এবং কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদন; (ঘ) সরকারের নিকট হইতে বা অন্য কোন উৎস হইতে অনুদান গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন; (ঙ) ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন; (চ) বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন; এবং (ছ) উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রস্তাব অনুমোদন।",
"name": "বোর্ডের কার্যাবলী",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান তাহার অনুপস্থিতিতে কো-চেয়ারম্যান এবং কো-চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) বৎসরে ন্যূনতম ২(দুই) বার বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে কো-চেয়ারম্যান এবং কো-চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) বোর্ডের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন অর্ধেক সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) বোর্ডের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভার সভাপতি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১১। (১) ইনস্টিটিউটের জন্য একজন মহাপরিচালক থাকিবে। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ও সার্বক্ষণিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি- (ক) ইনস্টিটিউটের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্বে থাকিবেন; (খ) ইনস্টিটিউটের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন; (গ) বোর্ডের নীতি, আদেশ ও নির্দেশসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করিবেন; (ঘ) সার্বিক কাজের জন্য বোর্ডের নিকট দায়ী থকিবেন; এবং (ঙ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, তাহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তাহার কার্যালয়ের কার্যক্রম বা দায়িত্ব সম্পাদনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযু্ক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১২। ইনস্টিটিউট উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১৩। (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি বা অনুদান; (খ) গবেষণা স্বত্ব ও সেবা বা গবেষণা উদ্যোগ হইতে প্রাপ্ত আয়সহ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব আয়; (গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো দেশি বা বিদেশি সংস্থা বা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান বা সাহায্য; (ঘ) ইনস্টিটিউটের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত অর্থ বা উহার সম্পদ হইতে প্রাপ্ত অর্থ; (ঙ) কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; এবং (চ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ কোনো রাষ্ট্রায়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক বা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত তপশিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে জমা রাখিতে হইবে। (৩) তহবিল হইতে সরকারের বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১৪। (১) ইনস্টিটিউটে কর্মরত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকতা, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মৎস্য শিল্প স্থাপনা বা অনুসন্ধান বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করিবার জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে ফি প্রাপ্য হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্য ফিসের একটি নির্দিষ্ট অংশ, যাহা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত, উক্ত কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারী বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে, প্রাপ্য হইবেন এবং অবশিষ্ট অংশ ইনস্টিটিউটের তহবিলে জমা হইবে।",
"name": "ফি, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১৫। (১) ইনস্টিটিউটের গবেষণা কর্ম দ্বারা প্রকাশিত প্রবন্ধ বা আর্টিকেল এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের নিজস্ব সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং ইনস্টিটিউটের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গবেষণালব্ধ ফলাফল সংক্রান্ত কোনো প্রবন্ধ বা আর্টিকেল প্রকাশ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করিতে পারিবে না। (২) ইনস্টিটিউট উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সম্পত্তির পেটেন্ট (Patent) ও কপিরাইট (Copyright) অধিকার সংরক্ষণ করিবে বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত সম্পত্তির ভৌগোলিক পণ্য নির্দেশক নিবন্ধন করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সম্পত্তি ইনস্টিটিউট, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাণিজ্যিক বা অন্যবিধভাবে মৎস্য সম্পদের গবেষণা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১৬। ইনস্টিটিউট, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহাও উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১৭। (১) ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া অভিহিত, এর সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে। (২) মহা হিসাব-নিরীক্ষক যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ পদ্ধতিতে ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষিত হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা এতদুদ্দেশ্যে তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) মহা হিসাব-নিরীক্ষক তাহার নিরীক্ষা প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবেন এবং উহার একটি কপি ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবে।",
"name": "হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১৮। (১) ইনস্টিটিউট প্রতি বছর তদকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে যে কোনো সময় ইনস্টিটিউটের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং কোনো পরিসংখ্যান বা অন্য কোনো তথ্য যাচনা করিলে ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1282,
"details": "১৯। ইনস্টিটিউট উহার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহায়তা প্রদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন এবং উক্ত কমিটির দায়িত্ব ও কার্যপরিধি নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1282,
"details": "২০। ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য মহাপরিচালক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা উহাতে উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে উহার যে কোনো ক্ষমতা কোনো কর্মচারীর উপর অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1282,
"details": "২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1282,
"details": "২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1282,
"details": "২৩। (১) Fisheries Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XLV of 1984), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট প্রাক্কলন, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (খ) প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, ইস্যুকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত বা ইস্যুকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Institute এর- (ক) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, অন্য সকল দাবি ও অধিকার, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল ইনস্টিটিউটের সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, দাবি ও অধিকার, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) বিরুদ্ধে বা তদকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (ঘ) সকল কর্মচারী ইনস্টিটিউটের কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন সেই একই শর্তে নিযুক্ত থাকিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ইনস্টিটিউট কর্তৃক তাহাদের চাকরির শর্তাবলী পরিবর্তিত হয়।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "676",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1282,
"details": "২৪। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২)। বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
}
],
"text": "Fisheries Research Institute Ordinance, 1984 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল আপিল নং-৪৮/২০১১ তে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত সময়কালের অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Fisheries Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XLV of 1984) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাপূর্বক সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা:-"
} |
{
"id": 1283,
"lower_text": [],
"name": "কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 38,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1283,
558,
1169,
442,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1283,
"details": "১। (১) এই আইন কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1283",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) ‘আর্থিক বৎসর’ অর্থ জুলাই মাসের প্রথম দিবসে যে বৎসরের আরম্ভ; (খ) ‘অ্যাসোসিয়েট’ অর্থ ইনস্টিটিউটের একজন অ্যাসোসিয়েট সদস্য; (গ) ‘ইনস্টিটিউট’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন গঠিত ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ; (ঘ) ‘কর্মচারী’ অর্থ ইনস্টিটিউটের কোনো কর্মচারী; (ঙ) ‘কস্ট অডিটর’ অর্থ এইরূপ একজন সদস্য যিনি পেশায় নিয়োজিত একজন কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট; (চ) ‘কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট’ অর্থ এইরূপ ব্যক্তি যিনি ইনস্টিটিউটের একজন অ্যাসোসিয়েট অথবা ফেলো সদস্য; (ছ) ‘কাউন্সিল’ অর্থ ধারা ৫ এ উল্লিখিত ইনস্টিটিউটের কাউন্সিল; (জ) ‘কাউন্সিল সদস্য’ অর্থ ইনস্টিটিউটের কাউন্সিলের একজন সদস্য; (ঝ) ‘নির্ধারিত’ অর্থ বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত; (ঞ) ‘প্রবিধান’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (ট) ‘প্রেসিডেন্ট’ অর্থ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন; (ঠ) ‘ব্রাঞ্চ কাউন্সিল’ অর্থ ধারা ১৩ এর অধীন গঠিত ব্রাঞ্চ কাউন্সিল; (ড) ‘ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল’ অর্থ ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল; (ঢ) ‘ফেলো’ অর্থ ইনস্টিটিউটের একজন ফেলো সদস্য; (ণ) ‘বৎসর’ অর্থ একটি পঞ্জিকা বৎসর; (ত) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (থ) ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ অর্থ কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট; (দ) ‘সদস্য’ অর্থ ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েট বা ফেলো; এবং (ধ) ‘সদস্য-রেজিস্টার’ অর্থ সদস্যগণের নাম ও তথ্য সম্বলিত রেজিস্টার। (২) ‘পেশায় নিয়োজিত সদস্য’ অর্থ এইরূপ সদস্য যিনি এই আইনের অধীন নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জন করিয়া একক ব্যক্তিরূপে অথবা পেশায় নিয়োজিত ইনস্টিটিউটের এক বা একাধিক সদস্যের অংশগ্রহণে গঠিত কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মের অংশীদাররূপে প্রাপ্ত বা প্রাপ্তব্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে- (ক) নিজেকে কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং পেশায় নিয়োজিত করেন; বা (খ) ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে, পরিকল্পনা ও কার্যসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়নে এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সহিত সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিবেদন ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত সংক্রান্ত সেবা প্রদানের প্রস্তাব বা উহা সম্পাদন করেন; বা (গ) কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং নথি ও প্রতিবেদন এবং অন্যান্য সম্পর্কযুক্ত বিবরণী প্রত্যয়নের লক্ষ্যে নিরীক্ষা বা নিশ্চয়তা সেবার সহিত জড়িত সেবাসমূহ সম্পাদনের প্রস্তাব বা সম্পাদন করেন; বা (ঘ) পণ্য বা সেবার ব্যয় অথবা মূল্য নির্ধারণ অথবা কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২২০ এ উল্লিখিত কস্ট অ্যাকাউন্টস ও সংশ্লিষ্ট বিবরণীসমূহ প্রস্তুতকরণ, যাচাইকরণ, নিরীক্ষা অথবা প্রত্যয়নপত্র প্রদানের সহিত সংশ্লিষ্ট সেবাসমূহ সম্পাদনের প্রস্তাব বা উহা সম্পাদন করেন অথবা একজন কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টরূপে জনসাধারণের নিকট নিজেকে উপস্থাপন করেন; বা (ঙ) কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং প্রক্রিয়ার সহিত সম্পর্কিত নীতিমালা, বিস্তারিত বিষয়সমূহ, ব্যয় সংক্রান্ত ঘটনাসমূহ, উপাত্তসমূহ, এতদ্সম্পর্কিত বিষয়াদি নথিবদ্ধকরণ, উপস্থাপন অথবা প্রত্যয়নপত্র প্রদান সম্পর্কিত বিষয়ে বা তৎসম্পর্কে পেশাগত সেবা অথবা সহায়তা প্রদান করেন; বা (চ) এইরূপ অন্যান্য সেবা প্রদান করেন যাহা সরকার একজন কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টের কার্যাবলি হিসাবে নির্ধারণ করে; বা (ছ) এইরূপ অন্যান্য সেবা প্রদান করেন যাহা কাউন্সিলের অভিমত অনুযায়ী পেশায় নিয়োজিত রহিয়াছেন বা পেশায় নিয়োজিত হইবেন এইরূপ একজন কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট কর্তৃক প্রদান করা হয় অথবা প্রদান করা যাইতে পারে। ব্যাখ্যা: এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘পেশায় নিয়োজিত সদস্য’’ অর্থে যে কোনো ব্যক্তির অধীনে সার্বক্ষণিক বেতনভুক্ত একজন অ্যাসোসিয়েট বা ফেলো সদস্য অন্তর্ভুক্ত হইবেন না।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1169",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩। (১) Cost and Management Accountants Ordinance, 1977 (Ordinance No. LIII of 1977) এর অধীন গঠিত ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট ইহার স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "558",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৪। (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) ইনস্টিটিউট উহার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৫। (১) ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনার জন্য ইনস্টিটিউটের একটি কাউন্সিল থাকিবে। (২) কাউন্সিল নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) ইনস্টিটিউটের সদস্যগণ কর্তৃক ফেলোগণের মধ্য হইতে ১ (এক) জন আঞ্চলিক প্রতিনিধিসহ নির্বাচিত ১৬ (ষোলো) জন ফেলো; (খ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঘ) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঙ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; এবং (চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি। (৩) ইনস্টিটিউটের কোনো কর্মচারী কাউন্সিলের সদস্যরূপে নির্বাচিত হইবার জন্য যোগ্য হইবেন না।",
"name": "কাউন্সিল গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৬। (১) ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এ বর্ণিত আঞ্চলিক প্রতিনিধিসহ কাউন্সিলের সদস্যগণের নির্বাচন বিদ্যমান কাউন্সিলের মেয়াদ পূর্ণ হইবার পূর্বে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে। (২) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা, নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তি ও নির্বাচন সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কাউন্সিলের নির্বাচন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৭। কাউন্সিলের মেয়াদ হইবে উহার প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর।",
"name": "কাউন্সিলের মেয়াদ",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৮। (১) কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যগণ একটি বিশেষ সভায় উহার নির্বাচিত সদস্যগণের মধ্য হইতে নিম্নবর্ণিত পদাধিকারী নির্বাচন করিবেন, যথা:- (ক) প্রেসিডেন্ট; (খ) ২ (দুই) জন ভাইস প্রেসিডেন্ট; (গ) সচিব; এবং (ঘ) কোষাধ্যক্ষ । (২) প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করিবার উদ্দেশ্যে বিদায়ী কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বিশেষ সভা আহ্বান এবং উহাতে সভাপতিত্ব করিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, বিদায়ী কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে ভাইস প্রেসিডেন্টগণের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট উক্ত সভা আহ্বান এবং উহাতে সভাপতিত্ব করিবেন। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘জ্যেষ্ঠ’’ অর্থে সদস্যভুক্তির জ্যেষ্ঠতার ক্রম বুঝাইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্টগণের মধ্য হইতে একজন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং একজন পরীক্ষা বিষয়ক কার্যাবলি তদারকির দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব ও কোষাধ্যক্ষ এর মেয়াদ হইবে ১ (এক) বৎসর। (৫) প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব ও কোষাধ্যক্ষ এর মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও উত্তরাধিকারী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তাহারা স্বীয় দায়িত্ব পালন করিবেন। (৬) প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব ও কোষাধ্যক্ষ এর পদত্যাগ বা কাউন্সিলে তাহার সদস্যপদ অবসানের কারণে পদ শূন্য হইলে কাউন্সিল উক্ত পদ শূন্যতার তারিখ হইতে ১ (এক) মাসের মধ্যে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য বাকি সদস্যগণের মধ্য হইতে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, একজনকে প্রেসিডেন্ট বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করিবে।",
"name": "কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৯। কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) শিক্ষাদান, পাঠদান, প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা ও এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ ও সম্পাদনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ; (খ) সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত স্বীকৃত বা অনুমোদিত ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ অথবা অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমোদন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন; (গ) সদস্যপদ প্রদান, পেশাগত সনদ অনুমোদন, প্রত্যাখ্যান এবং বাতিলকরণ; (ঘ) সদস্য প্রার্থীদের যোগ্যতা ও পেশাগত যোগ্যতার মর্যাদা নির্ধারণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ; (ঙ) সদস্য পদের জন্য ফি, সদস্যদের বাৎসরিক ফি, ছাত্রভর্তি ফি, পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় ফি নির্ধারণ; (চ) ইনস্টিটিউট, শাখা কার্যালয় ও স্টাডি সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষাদান, পাঠদান, পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ ফিসহ পেশাগত উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রোগ্রাম ফি নির্ধারণ; (ছ) শিক্ষক, প্রশিক্ষক বা ফ্যাকাল্টিদের সম্মানী নির্ধারণ; (জ) শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন, পেশাগত উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রোগ্রাম এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ ও গাইড লাইন প্রণয়ন; (ঝ) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি সংক্রান্ত সিলেবাস, কারিকুলাম ও মডিউল প্রণয়ন এবং পরীক্ষাসহ এতদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতি নির্ধারণ; (ঞ) কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং পেশা অথবা ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প ও অর্থনীতি সংক্রান্ত অন্য কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক বা কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে, কাউন্সিলের সদস্য ব্যতীত, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন; (ট) কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং অথবা সমরূপ পেশাদারি সেবা প্রদান সংক্রান্ত মানদণ্ড নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ; (ঠ) সদস্য ও পেশায় নিয়োজিত সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ, তালিকা হইতে নাম অপসারণ এবং অপসারিত নামসমূহ তালিকায় পুনঃঅন্তর্ভুক্তিকরণ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ; (ড) সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন; এবং (ঢ) এই আইন, ইহার অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন।",
"name": "কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কাউন্সিলের সভা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে। (২) সভার তারিখ, সময় ও স্থান প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) সভা আহ্বান, সভার কোরাম, সভায় উপস্থিতি, ভোটাধিকার, ইত্যাদি বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কাউন্সিলের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্তে, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক কমিটি গঠন ও উহার কর্মপরিধি ও সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর প্রাসংগিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া কাউন্সিলের নিম্নরূপ স্থায়ী কমিটি থাকিবে, যথা:- (ক) কার্যনির্বাহী কমিটি; (খ) শিক্ষা কমিটি; (গ) পরীক্ষা কমিটি; (ঘ) গবেষণা ও উন্নয়ন কমিটি; এবং (ঙ) শৃঙ্খলা কমিটি। (৩) কার্যনির্বাহী কমিটি নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) প্রেসিডেন্ট; (খ) ১ (এক) জন ভাইস প্রেসিডেন্ট; এবং (গ) কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যগণের মধ্য হইতে কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন সদস্য। (৪) শিক্ষা কমিটি নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) ১ (এক) জন ভাইস প্রেসিডেন্ট; এবং (খ) কাউন্সিলের সদস্যগণের মধ্য হইতে কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত ৬ (ছয়) জন সদস্য। (৫) পরীক্ষা কমিটি নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) ১ (এক) জন ভাইস প্রেসিডেন্ট; এবং (খ) কাউন্সিলের সদস্যগণের মধ্য হইতে কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত ৬ (ছয়) জন সদস্য । (৬) গবেষণা এবং উন্নয়ন কমিটি নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) প্রেসিডেন্ট; (খ) ১ (এক) জন ভাইস প্রেসিডেন্ট; এবং (গ) কাউন্সিলের সদস্যগণের মধ্য হইতে কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত ৬ (ছয়) জন সদস্য। (৭) শৃঙ্খলা কমিটি নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) প্রেসিডেন্ট; (খ) ১ (এক) জন ভাইস প্রেসিডেন্ট; এবং (গ) কাউন্সিলের সদস্যগণের মধ্য হইতে কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন সদস্য যাহাদের মধ্যে সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যগণের মধ্য হইতে ১ (এক) জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকিবেন। (৮) প্রেসিডেন্ট যে সকল কমিটিতে সদস্য হইবেন এইরূপ প্রত্যেক কমিটিতে তিনি চেয়ারম্যান হইবেন এবং প্রেসিডেন্ট ব্যতীত গঠিত কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট উক্ত কমিটির চেয়ারম্যান হইবেন। (৯) স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কাউন্সিলের কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১২। (১) প্রেসিডেন্ট সরকার বরাবর লিখিত আবেদনক্রমে তাহার পদ হইতে পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং সরকার কর্তৃক তাহার পদত্যাগপত্র গৃহীত হইবার তারিখ হইতে প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (২) ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব ও কোষাধ্যক্ষ প্রেসিডেন্ট বরাবর লিখিত আবেদনক্রমে তাহার পদ হইতে পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক তাহার পদত্যাগপত্র গৃহীত হইবার তারিখ হইতে তাহার পদ শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) কাউন্সিলের কোনো সদস্য প্রেসিডেন্ট বরাবর লিখিত আবেদনক্রমে সদস্যপদ হইতে পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক তাহার পদত্যাগপত্র গ্রহণের তারিখ হইতে তাহার পদ শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৪) কাউন্সিলের মনোনীত কোনো সদস্য ব্যতিরেকে অন্য কোনো সদস্য, প্রেসিডেন্টের অনুমতি ব্যতীত, কাউন্সিলের পর পর ৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন অথবা তাহার নাম কোনো কারণে ধারা ১৯ এর অধীন সদস্য-রেজিস্টার হইতে অপসারিত হয় অথবা তিনি একনাগাড়ে ১ (এক) বৎসরের অধিককাল যাবৎ বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন, তাহা হইলে তাহার পদ শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৫) কাউন্সিলের পদশূন্যতা নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হইলে উক্ত নির্বাচিত ব্যক্তি কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিলের মেয়াদ অবসানের তারিখের পূর্ববর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সংঘটিত একটি নৈমিত্তিক পদশূন্যতা পূরণের উদ্দেশ্যে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে না, তবে উক্ত শূন্যপদ কাউন্সিল কর্তৃক উহার সদস্যগণের মধ্য হইতে কো-অপ্টের মাধ্যমে পূরণ করা যাইবে। (৬) কাউন্সিলের কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা কাউন্সিল গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কাউন্সিলের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবেনা বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্যগণের পদত্যাগ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১৩। শাখা কার্যালয়সমূহের কার্যাবলি সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্রাঞ্চ কাউন্সিল গঠন করা যাইবে এবং উহাদের গঠন, সদস্য সংখ্যা, কার্যাবলি, সভা, আয়-ব্যয় ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ব্রাঞ্চ কাউন্সিল",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১৪। ইনস্টিটিউটের একজন নির্বাহী পরিচালক থাকিবেন, যিনি ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১৫। (১) ইনস্টিটিউট উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত নির্বাহী পরিচালক ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও কর্মচারীগণের নিয়োগ পদ্ধতি ও চাকরির শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১৬। (১) কাউন্সিল প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইনস্টিটিউটের সদস্যগণের নাম ও তথ্য সম্বলিত সদস্য-রেজিস্টার নামীয় দুইটি পৃথক রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবে। (২) সদস্য-রেজিস্টারে ইনস্টিটিউটের প্রত্যেক সদস্যের নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা:- (ক) পূর্ণ নাম, পিতা ও মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, আবাসিক এবং পেশাগত ঠিকানা; (খ) সদস্য-রেজিস্টারে নাম অন্তর্ভুক্তির তারিখ; (গ) অ্যাসোসিয়েট বা ফেলো সংক্রান্ত যোগ্যতা; (ঘ) পেশায় নিয়োজিত সনদ বা অপেশাজীবী সনদ সংক্রান্ত তথ্য; এবং (ঙ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক বিষয়। (৩) কাউন্সিল প্রতিবৎসর ইনস্টিটিউটের সদস্যদের নামের একটি হালনাগাদ তালিকা প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে এবং উহার কপি ইনস্টিটিউটের প্রত্যেক সদস্যের নিকট প্রেরণ করিবে। (৪) সদস্য-রেজিস্টারে নাম অন্তর্ভুক্তির পর ইনস্টিটিউটের প্রত্যেক সদস্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বার্ষিক সদস্য ফি এবং অন্যান্য ফি পরিশোধ করিবেন।",
"name": "সদস্য-রেজিস্টার",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১৭। (১) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ সদস্য-রেজিস্টারে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য যোগ্য হইবেন, যথা:- (ক) যাহার বয়স ২১ (একুশ) বৎসর পূর্ণ হইয়াছে; (খ) যিনি ইনস্টিটিউটের সদস্যপদ লাভের জন্য কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন এবং প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করিয়াছেন; (গ) যিনি বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোনো ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া এবং প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করিয়া উক্ত ইনস্টিটিউটের সদস্য হইয়াছেন, যাহা কাউন্সিল কর্তৃক ইনস্টিটিউটের সমমান হিসাবে স্বীকৃতি পাইয়াছে: তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কাউন্সিল কর্তৃক উপযুক্ত বলিয়া নির্ধারিত অন্য কোনো শর্ত আরোপ করা হইলে উহা পূরণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী যোগ্য ব্যক্তিগণ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে সদস্য রেজিস্টারে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে সদস্য-রেজিস্টারে তাহাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। (৩) কাউন্সিল প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করিতে পারিবে। (৪) কাউন্সিল উপ-ধারা (৩) এর অধীন সদস্য-রেজিস্টারে নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন নামঞ্জুর করিলে আবেদনকারী উক্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত হইবার ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে কাউন্সিলের নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিষয়ে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "সদস্য-রেজিস্টারে নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১৮। ধারা ১৭ এর বিধান সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তি তাহার নাম সদস্য-রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করিবার অধিকারী হইবেন না, যদি তিনি- (ক) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; (খ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন; (গ) উপযুক্ত আদালত কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অথবা বাংলাদেশের বাহিরে নৈতিক স্খলনের সহিত জড়িত অপরাধে অথবা তাহার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তৎকর্তৃক কৃত, কারিগরি প্রকৃতির নহে, এইরূপ অপরাধে দণ্ডিত হইয়া থাকেন; (ঘ) ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে বর্ণিত অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া সদস্যপদ হইতে অপসারিত হইয়া থাকেন; অথবা (ঙ) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৪০ অনুসারে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক ইস্যুকৃত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং মানদণ্ডসমূহ এবং নিরীক্ষার মানদণ্ডসমূহ প্রতিপালন করেন নাই বলিয়া তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার ফলে ইনস্টিটিউটের সদস্যপদ হইতে অপসারিত হইয়া থাকেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তিকে কোনো নির্ধারিত মেয়াদের জন্য ইনস্টিটিউট এর সদস্য পদ হইতে অপসারণ করা হইলে তিনি উক্ত মেয়াদ পূর্ণ হইবার পূর্বে তাহার নাম সদস্য-রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করাইবার অধিকারী হইবেন না।",
"name": "সদস্যভুক্তির অযোগ্যতা",
"related_acts": "1169",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1283,
"details": "১৯। (১) কাউন্সিল নিম্নবর্ণিত কারণে কোনো সদস্যের নাম সদস্য-রেজিস্টার হইতে অপসারণ করিতে পারিবে, যথা:- যদি তিনি- (ক) মৃত্যুবরণ করেন; (খ) অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন; (গ) তাহার নাম সদস্য-রেজিস্টার হইতে অপসারণের জন্য কাউন্সিলের নিকট লিখিত আবেদন করিয়া থাকেন; (ঘ) ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করিয়া থাকেন; অথবা (ঙ) সদস্য-রেজিস্টারে নাম অন্তর্ভুক্ত থাকাকালীন অথবা তৎপরবর্তী কোনো সময়ে ধারা ১৮ এর অধীন অযোগ্য বলিয়া গণ্য হইয়া থাকেন অথবা অন্য কোনো কারণে সদস্য-রেজিস্টারে তাহার নাম সংরক্ষণের অধিকার হারাইয়া থাকেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সদস্য-রেজিস্টার হইতে কোনো সদস্যের নাম অপসারিত হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত হইবার ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "সদস্য-রেজিস্টার হইতে নাম অপসারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২০। (১) এই আইনের অধীন ইনস্টিটিউটের কোনো সদস্যকে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত করিয়া আদেশ প্রদান করা হইলে সদস্য-রেজিস্টারে উক্ত সদস্যের নামের বিপরীতে দণ্ড সম্পর্কিত তথ্যাদি অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। (২) ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী কোনো সদস্যের নাম সদস্য-রেজিস্টার হইতে অপসারিত হইলে তাহার অনুকূলে প্রদত্ত অ্যাসোসিয়েট বা ফেলো সদস্য এবং পেশা পরিচালনা সংক্রান্ত সনদ প্রত্যাহার বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, বাতিল করিতে হইবে।",
"name": "সদস্য-রেজিস্টারে দণ্ড সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভুক্তকরণ এবং সনদ বাতিলকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২১। (১) ইনস্টিটিউটের সদস্যগণ ফেলো এবং অ্যাসোসিয়েট এই দুই শ্রেণির পদাধিকারী হইবেন। (২) কোনো ব্যক্তির নাম সদস্য-রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হইলে তিনি একজন অ্যাসোসিয়েট হইবেন এবং অ্যাসোসিয়েট থাকাকালীন মেয়াদ পর্যন্ত তিনি তাহার নামের শেষে এসিএমএ শব্দ সংক্ষেপ ব্যবহারের অধিকারী হইবেন। (৩) অ্যাসোসিয়েট হিসাবে ৫ (পাঁচ) বৎসর পূর্ণ করিয়াছেন এইরূপ কোনো সদস্য এবং যিনি কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত যোগ্যতার অধিকারী তিনি ফেলো হিসাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফি ও পদ্ধতিতে আবেদন করিতে পারিবেন এবং কাউন্সিল প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাইপূর্বক সন্তষ্ট হইলে তাহার নাম একজন ফেলো হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হইবে এবং তিনি তাহার নামের শেষে এফসিএমএ শব্দ সংক্ষেপ ব্যবহারের অধিকারী হইবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীনে দাখিলকৃত কোনো আবেদন নামঞ্জুর করা হইলে উহা যথাশীঘ্র সম্ভব সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে অবহিত করিতে হইবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত সিদ্ধান্তে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি কাউন্সিলের নিকট প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে উক্তরূপ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিষয়ে কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "অ্যাসোসিয়েট এবং ফেলো",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২২। (১) ইনস্টিটিউটের কোনো সদস্য কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত পেশা পরিচালনার সনদ প্রাপ্ত হইলে তিনি বাংলাদেশে পেশা পরিচালনার অধিকারী হইবেন। (২) কাউন্সিল ইনস্টিটিউটের কোনো সদস্যকে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে আবেদন এবং সনদের জন্য নির্ধারিত বার্ষিক ফি পরিশোধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে, পেশা পরিচালনা সংক্রান্ত সনদ প্রদান করিবে। (৩) সনদপ্রাপ্ত প্রত্যেক সদস্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও হারে বার্ষিক ফি পরিশোধ করিবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন সনদপ্রাপ্ত সদস্য কোনো আর্থিক বৎসরের নির্ধারিত বার্ষিক ফি পরিশোধে ব্যর্থ হইলে তজ্জন্য তাহার পেশা পরিচালনার সনদ বাতিলযোগ্য হইবে। (৫) পেশায় নিয়োজিত সদস্যগণের ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং কর্তব্যসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পেশা পরিচালনা সংক্রান্ত সনদ",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২৩। (১) প্রত্যেক সদস্য কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টরূপে পরিচিত হইবেন এবং উক্তরূপ পরিচিতির পদবি ব্যবহার করিতে পারিবেন এবং উহার অতিরিক্ত অথবা প্রতিস্থাপিত কোনো পদবি ব্যবহার করিতে পারিবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো সদস্য বাংলাদেশে অথবা বাংলাদেশের বাহিরে কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত কোনো ইনস্টিটিউট অব অ্যাকাউন্ট্যান্সি এর সদস্যপদ নির্দেশক বর্ণনা অথবা পদবিসূচক শব্দ সংক্ষেপ তাহার নামের সহিত যুক্ত করিবার অধিকারী বা যোগ্যতাসম্পন্ন হইলে এবং তিনি অন্য কোনো যোগ্যতা সম্পন্ন হইলে, উহা তাহার নামের সহিত যুক্ত করা হইতে অথবা কোনো ফার্ম যাহার সকল সদস্য ইনস্টিটিউটের সদস্য এবং পেশা পরিচালনারত উহাকে কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস ফার্ম নামে পরিচিত হওয়া হইতে বারিত করিবে না।",
"name": "সদস্যগণ কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টরূপে পরিচিত হইবেন",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২৪। (১) যেক্ষেত্রে একজন কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট অথবা অ্যাকাউন্ট্যান্টগণের কোনো ফার্মের একাধিক কার্যালয় বাংলাদেশে থাকে, সেইক্ষেত্রে এইরূপ কার্যালয়সমূহের প্রত্যেকটি ইনস্টিটিউটের একজন সদস্যের পৃথক দায়িত্বে থাকিবে: তবে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিল উপযুক্ত ক্ষেত্রে যে কোনো কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টকে অথবা অ্যাকাউন্ট্যান্টস ফার্মকে এই উপ-ধারার কার্যকারিতা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (২) পেশায় নিয়োজিত প্রত্যেক কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট অথবা অ্যাকাউন্ট্যান্টস ফার্ম, যাহারা একাধিক অফিস পরিচালনা করিতেছেন তাহারা, উক্ত অফিস পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নামসহ কার্যালয়সমূহের একটি তালিকা কাউন্সিলের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং এতদ্সংক্রান্ত যে কোনো পরিবর্তন সম্পর্কে কাউন্সিলকে অবহিত রাখিবেন।",
"name": "পেশায় নিয়োজিত সদস্যদের দ্বারা আঞ্চলিক কার্যালয় পরিচালনা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২৫। (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) ইনস্টিটিউটের সদস্যগণ কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা, ফি এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনুদান; (গ) শিক্ষার্থীগণ কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত যাবতীয় ফি; (ঘ) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা হইতে প্রাপ্ত ফি; (ঙ) ইনস্টিটিউটের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হইতে অর্জিত আয়; (চ) সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো ব্যক্তি হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা; (ছ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে দাতা সংস্থা বা উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত ঋণ বা অনুদান; এবং (জ) অনুমোদিত অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে। (৩) এই আইনের অধীন সম্পাদিত কোন কার্য সংক্রান্ত ব্যয়সহ অন্যান্য সকল দায় ইনস্টিটিউটের তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে। (৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত তহবিলের অর্থ কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং কোনো সরকারি সিকিউরিটি অথবা কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত কোনো সিকিউরিটিতে অথবা ব্যাংক হিসাবে বিনিয়োগ করা যাইবে। (৫) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, তপশিলি ব্যাংক অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর Article 2 (J) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank।",
"name": "ইনস্টিটিউটের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২৬। (১) ইনস্টিটিউট, যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) এ সংজ্ঞায়িত ‘chartered accountant’ দ্বারা ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করাইতে হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউট এক বা একাধিক ‘chartered accountant’ নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপে নিয়োগকৃত ‘chartered accountant’ কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হারে পারিশ্রমিক প্রাপ্য হইবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিলের কোনো সদস্য অথবা যিনি এইরূপ সদস্যের সহিত একজন অংশীদাররূপে বিদ্যমান এইরূপ কোনো ব্যক্তি এই উপ-ধারার অধীন নিরীক্ষকরূপে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না। (৩) ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে উপ-ধারা (২) এর অধীন নিয়োগকৃত ‘chartered accountant’ ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স শিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ইনস্টিটিউটের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে। (৪) হিসাব নিরীক্ষার পর নিয়োগকৃত “chartered accountant” ইনস্টিটিউটের নিকট নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করিবে এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর প্রত্যেক আর্থিক বৎসর সমাপ্তির পর যত দ্রুত সম্ভব, কিন্তু পরবর্তী নভেম্বরের ৩০ (ত্রিশ) তম দিবসের পর নহে, এইরূপ সময়ে, ইনস্টিটিউট উহা প্রকাশ করিবে এবং উহার একটি কপি সরকার ও কাউন্সিলের প্রত্যেক সদস্যের এবং, প্রয়োজনে, ইনস্টিটিউটের সকল সদস্যগণের নিকট প্রেরণ করিবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২৭। ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি জনস্বার্থে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্র্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৪০ অনুসারে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্র্টিং কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে থাকিবে, যাহা এই মর্মে নিশ্চিত করিবে যে, ইনস্টিটিউট উচ্চ পেশাগত মানদণ্ড বজায় রাখিয়াছে এবং হিসাববিজ্ঞান পেশার উন্নয়নে উহার দায়িত্বসমূহ পালন করিয়াছে।",
"name": "ফাইনান্সিয়াল রিপোর্র্টিং কাউন্সিলের তত্ত্বাবধান",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২৮। ইনস্টিটিউটের সকল সদস্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৪০ অনুসারে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্র্টিং কাউন্সিল কর্তৃক ইস্যুকৃত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্র্টিং মানদণ্ডসমূহ এবং নিরীক্ষার মানদণ্ডসমূহ প্রতিপালন করিবে।",
"name": "ফাইনান্সিয়াল রিপোর্র্টিং ও নিরীক্ষার মানদণ্ডসমূহ প্রতিপালন",
"related_acts": "1169",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1283,
"details": "২৯। (১) কোনো ব্যক্তি যদি- (ক) ইনস্টিটিউটের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে ইনস্টিটিউটের একজন সদস্যরূপে পরিচয় প্রদান করেন অথবা কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট অথবা সমজাতীয় পেশা, যেমন-কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ওয়ার্কস অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অডিটর, ম্যানেজমেন্ট অডিটর অথবা কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অডিটর এর উপাধি অথবা উহার শব্দসংক্ষেপ এইরূপ ধারণা প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন যে, তিনি একজন কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট; অথবা (খ) ইনস্টিটিউটের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পেশা পরিচালনার সনদ গ্রহণ না করিয়া নিজেকে এইরূপভাবে উপস্থাপন করেন যে, তিনি দফা (ক) তে বর্ণিত পেশায় কর্মরত; তাহা হইলে তাহার উক্ত কার্য হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে তাহার বিরুদ্ধে অন্যান্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় তাহা ক্ষুণ্ন না করিয়াও, প্রথমবার অপরাধ সংঘটনের জন্য অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং পরবর্তীতে একই অপরাধের জন্য পুনরায় দোষী সাব্যস্ত হইলে প্রতিবারের জন্য অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "প্রতারণামূলকভাবে ইনস্টিটিউটের সদস্য দাবি করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩০। (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকিলে যদি কোনো ব্যক্তি, সমিতি, ফার্ম বা প্রতিষ্ঠান- (ক) জনসাধারণকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে বা জনসাধারণ প্রতারিত হইতে পারে এইরূপ ক্ষেত্রে ইনস্টিটিউটের নাম বা সিলমোহর অথবা নাম বা সিলমোহরের সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো নাম বা সিলমোহর ব্যবহার করেন; অথবা (খ) এইরূপ কোনো ডিগ্রি, ডিপ্লোমা অথবা উপাধি প্রদান বা অনুমোদন করেন, যাহা এই পেশাকে নির্দেশিত করে বা নির্দেশনার ইঙ্গিত বহন করে; তাহা হইলে তাহার উক্ত কার্য হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে, তাহার বিরুদ্ধে অন্যান্য যে সকল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (Proceedings) গ্রহণ করা যায় তাহা ক্ষুণ্ন না করিয়া প্রথমবার অপরাধ সংঘটনের জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং পরবর্তীতে একই অপরাধের জন্য পুনরায় দোষী সাব্যস্ত হইলে প্রতিবারের জন্য অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। (৩) সরকার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, ইনস্টিটিউট ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক অনুমোদিত বা প্রদত্ত কোনো ডিপ্লোমা, সনদ অথবা উপাধি যাহা যোগ্যতার দিক হইতে কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং যোগ্যতার ইঙ্গিতবাহী হইলেও সরকারের মতে যাহাতে কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস এর জন্য নির্ধারিত যোগ্যতাসমূহের ঘাটতি রহিয়াছে এবং প্রকৃতপক্ষে ইনস্টিটিউটের একজন সদস্যের কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং পেশায় যেইরূপ শিক্ষাগত অথবা পেশাগত যোগ্যতাসমূহ অথবা উপযুক্ততা থাকা প্রয়োজন সেইরূপ কোনো কিছু বুঝাইতেছে না অথবা ইঙ্গিত করিতেছে না তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এবং শর্ত আরোপ সাপেক্ষে, ঘোষণা করিতে পারিবে যে, উক্তরূপ ডিপ্লোমা, সনদ এবং উপাধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এবং (২) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "প্রতারণার উদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউটের নাম ব্যবহারের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩১। (১) বাংলাদেশে অথবা অন্যত্র যেকোনো স্থানেই নিবন্ধিত হউক না কেন, পেশায় নিয়েজিত সদস্য ব্যতীত অন্য কোনো কোম্পানি কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টরূপে পেশায় নিয়োজিত হইলে উক্ত কার্য হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ। (২) কোনো কোম্পানি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে প্রথমবার অপরাধ সংঘটনের জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং পরবর্তীতে প্রতিবার অপরাধ সংঘটনের জন্য অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "কোম্পানির কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং পেশায় নিয়োজিত হইবার অযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩২। (১) ইনস্টিটিউটের সদস্য ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি একজন কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মের পক্ষে তাহার নিজ বা পেশাগত ক্ষমতায় কোনো দলিলে স্বাক্ষর করিতে পারিবেন না এবং উক্তরূপ স্বাক্ষর প্রদান করা হইলে উক্ত কার্য হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে প্রথমবার অপরাধ সংঘটনের জন্য অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং পরবর্তীতে প্রতিবার অপরাধ সংঘটনের জন্য অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অযোগ্য ব্যক্তি কর্তৃক দলিলসমূহে স্বাক্ষর করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩৩। (১) কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, সচিব, অন্য কোনো কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্তরূপ অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত ব্যক্তিসত্ত্বা (Body Corporate) হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা হইলেও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারি মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে কেবল অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে। ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে- (ক) ‘কোম্পানি’ অর্থে যেকোনো সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন বা সংস্থা বা এজেন্টও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এক বা একাধিক যৌথ মালিকানাধীন সংঘকে বুঝাইবে যাহার মধ্যে ফার্ম বা অন্যান্য সমিতিও অন্তর্ভুক্ত এবং ধারা ২৯ ও ৩০ এর অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে যৌথ মালিকানাধীন সংঘকে বুঝাইবে; এবং (খ) ‘পরিচালক’ অর্থে ফার্মের অংশীদারকে বুঝাইবে।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩৪। (১) সরকার, ইনস্টিটিউট অথবা কাউন্সিলের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগ ব্যতীত এই আইনের অধীনে কোনো মামলা রুজু করা যাইবে না। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে দেশে প্রচলিত আইন অনুসারে তদন্ত ও বিচার অনুষ্ঠিত হইবে।",
"name": "মামলা, তদন্ত ও বিচার",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩৫। এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এবং, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩৭। (১) Cost and Management Accountants Ordinance, 1977 (Ordinance No. LIII of 1977), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজকর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) প্রতিষ্ঠিত Institute of Cost and Management Accountants, অতঃপর উক্ত Institute বলিয়া উল্লিখিত, কর্তৃক সম্পাদিত কোনো চুক্তি, দলিল বা ইন্সট্রুমেন্ট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে; (গ) প্রতিষ্ঠিত উক্ত Institute এর সকল প্রকার ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা এই আইনের বিধান অনুযায়ী সেই একই শর্তে ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসাবে গণ্য হইবে; (ঘ) কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে উক্ত Institute এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, তাহারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত সেই একই শর্তে ইনস্টিটিউটের চাকরিতে নিয়োজিত, এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন; (ঙ) প্রতিষ্ঠিত উক্ত Institute এর সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধা, ফি, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, তহবিল, নগদ অর্থ, ব্যাংক জমা ও সিকিউরিটিসহ সকল হিসাব এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট সকল হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য দলিল দস্তাবেজ এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইনস্টিটিউটের নিকট হস্তান্তরিত হইবে এবং ইনস্টিটিউট উহার অধিকারী হইবে; (চ) প্রতিষ্ঠিত উক্ত Ordinance এর অধীনে অনুমোদিত অ্যাসোসিয়েট ও ফেলো এবং প্রণীত পেশা পরিচালনার যে কোনো সনদ অথবা অপর যে কোনো দলিল এবং যাহা এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্ববর্তী সময়ে বলবৎ ছিল তাহা এই আইনের অনুরূপ বিধানসমূহের অধীনে অনুমোদিত এবং প্রণীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (ছ) প্রতিষ্ঠিত উক্ত Institute কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Ordinance এর অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ, প্রণীত সকল পরিকল্পনা বা কার্যক্রম এবং অনুমোদিত সকল হিসাব বিবরণী ও বার্ষিক প্রতিবেদন উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, উহা এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারিকৃত প্রদত্ত এবং অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ এবং হেফাজত",
"related_acts": "558",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1283,
"details": "৩৮। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 38
}
],
"text": "Cost and Management Accountants Ordinance, 1977 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ২৪ মার্চ ১৯৮২ হইতে ১১ নভেম্বর ১৯৮৬ সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ৩ক ও ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯ এ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৬নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট পেশা ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ এবং উক্ত পেশা সংক্রান্ত শিক্ষাদান, পাঠদান, প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ নামীয় একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা প্রয়োজন; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্ত ও উদ্দেশ্যের আলোকে, Cost and Management Accountants Ordinance, 1977 (Ordinance No. LIII of 1977) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজন; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1284,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮",
"num_of_sections": 37,
"published_date": "১৪ নভেম্বর, ২০১৮",
"related_act": [
1025,
1284,
1126,
75,
24,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1284,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1284",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) “কাউন্সিল” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল; (২) “তপশিল” অর্থ এই আইনের সহিত সংযুক্ত কোনো তপশিল; (৩) “নির্বাহী কমিটি” অর্থ ধারা ১০ এর অধীন গঠিত নির্বাহী কমিটি; (৪) “প্রতিবন্ধী ব্যক্তি” অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩ এ বর্ণিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি; (৫) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান; (৬) “ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898); (৭) “বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি; (৮) “রিহ্যাবিলিটেশন” অর্থ কতিপয় স্বীকৃত পদ্ধতি অথবা ব্যবস্থার সমষ্টি, যাহা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অথবা প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তির প্রাত্যহিক অথবা ব্যবহারিক জীবনমানের প্রত্যাশিত উন্নয়ন ঘটাইবার মাধ্যমে জীবনের সকলক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সহিত স্বাভাবিক ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে; (৯) “রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশিয়ান” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এমন কোনো টেকনিশিয়ান, যাহার তৃতীয় তপশিলে উল্লিখিত যোগ্যতা রহিয়াছে, এবং যিনি রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারের তত্ত্বাবধানে সেবা প্রদান করেন; (১০) “রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এমন কোনো টেকনোলজিস্ট, যাহার দ্বিতীয় তপশিলে উল্লিখিত যোগ্যতা রহিয়াছে, এবং যিনি রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারের তত্ত্বাবধানে সেবা প্রদান করেন; (১১) “রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এমন কোনো পেশাজীবী যাহার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তপশিলে উল্লিখিত যোগ্যতা রহিয়াছে; (১২) “রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনো রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার, যাহার প্রথম তপশিলে উল্লিখিত যোগ্যতা রহিয়াছে; (১৩) “রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান” অর্থ চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তপশিলে উল্লিখিত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; (১৪) “রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন অনুমোদিত কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের অধীন রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রদানের নিমিত্ত সৃষ্ট সেন্টার, বিভাগ বা ইউনিট; (১৫) “রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন অনুমোদিত কোনো রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান; (১৬) “রেজিস্ট্রার” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন নিয়োগকৃত কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার; এবং (১৭) “স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান” অর্থ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অথবা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অথবা ক্ষেত্রবিশেষে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ (State Medical Faculty) কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1126,75",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করিবে। (২) কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে, এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার, হস্তান্তর করিবার এবং চুক্তি সম্পাদন করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৪। (১) কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে। (২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, দেশের যে কোনো স্থানে কাউন্সিলের অধঃস্তন বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "কাউন্সিলের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৫। (১) কাউন্সিল নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি কাউন্সিলের সভাপতিও হইবেন; (খ) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অতিরিক্ত সচিব; (গ) চেয়ারপার্সন, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টি বোর্ড; (ঘ) মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর; (ঙ) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; (চ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন; (ছ) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (জ) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (ঝ) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (ঞ) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (ঠ) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (ড) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (ঢ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (ণ) সরকার কর্তৃক মনোনীত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনগণ হইতে অনধিক ০৩ (তিন) জন ডিন; (ত) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য; (থ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (National Institute of Traumatology and Orthopaedic Rehabilitation) এর পরিচালক বা তদকর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; (দ) পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল; (ধ) সরকার কর্তৃক মনোনীত (অধ্যাপক পদমর্যাদার) একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি রিহ্যাবিলিটেশন সেবা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে ন্যূনতম ১৫ (পনেরো) বৎসর যাবৎ সম্পৃক্ত; (ন) বাংলাদেশ ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সংস্থা (Bangladesh Association of Physical Medicine and Rehabilitation) কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য; (প) ট্রাস্ট ফর রিহ্যাবিলিটেশন অব দি প্যারালাইজড কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য; (ফ) সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল অথবা তৎকর্তৃক মনোনীত উক্ত কাউন্সিলের একজন অন্যূন ডেপুটি নিবন্ধক; (ব) সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির রিহ্যাবিলিটেশনে সক্রিয়ভাবে কর্মরত একজন ব্যক্তি; (ভ) বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; (ম) সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রথম তপশিলের (১) আবশ্যিকভাবে, (২) ও (৩) সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনসমূহের প্রতিটি হইতে ন্যূনতম ০১ (এক) জন প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ০৫ (পাঁচ) জন প্রতিনিধি; (য) সরকার কর্তৃক মনোনীত সেবা গ্রহণকারীদের মধ্য হইতে একজন প্রতিনিধি; এবং (র) কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, যিনি কাউন্সিলের সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (২) এর দফা (ধ), (ন), (ফ), (ব), (ভ), (ম) ও (য) তে উল্লিখিত মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত যে কোনো সদস্যকে তাহার দায়িত্ব হইতে যে কোনো সময় অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৩) কাউন্সিলের কোনো সদস্য, সভাপতি বরাবরে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, তবে সভাপতি কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না। (৪) কোনো ব্যক্তি একাধিক যোগ্যতায় কাউন্সিলের সদস্য হইতে বা থাকিতে পারিবে না। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “পেশাজীবী সংগঠন” বলিতে প্রথম তপশিলে উল্লিখিত রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনারের পেশা সংশ্লিষ্ট ও সরকারের যথাযথ নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পেশাজীবী সংগঠন হিসাবে নিবন্ধনপ্রাপ্ত সংগঠনকে বুঝাইবে।",
"name": "কাউন্সিলের গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৬। কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) বাংলাদেশে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বা রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার, রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট ও রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশিয়ানকে প্রদত্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান; (খ) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান; (গ) অন্য কোনো দেশের রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনার মাধ্যমে সেই দেশের রিহ্যাবিলিটেশন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রদানসহ এতদসংক্রান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ ও পরিচালনা; (ঘ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য আবশ্যিক পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার ন্যূনতম ও অভিন্ন মান নির্ধারণ, পাঠ্যসূচি ও পাঠক্রমের মান ও মেয়াদ নির্ধারণ; (ঙ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য আবশ্যিক পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল পর্যায়ে ভর্তির যোগ্যতা, নীতিমালা ও শর্তাদি নির্ধারণ; (চ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের ন্যূনতম মান নির্ধারণ; (ছ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লক্ষ্যে শিক্ষকগণের ন্যূনতম শিক্ষাগত, পেশাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মান নির্ধারণ; (জ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীগণের নিবন্ধন ও রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারদের পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক লাইসেন্স প্রদান; (ঝ) রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারদের লাইসেন্স প্রদানের নিমিত্ত পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি, পরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বোর্ড গঠন এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নির্ধারণ; (ঞ) তপশিল সংশোধনের নিমিত্ত সরকারের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ; (ট) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধন প্রদান, নিবন্ধন বহি (Register) প্রণয়ন, প্রকাশ, সংরক্ষণ ও প্রতিনিয়ত হালনাগাদকরণ; (ঠ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ যে-কোনো সময় পরিদর্শন করা, এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরিদর্শন কার্য সম্পাদন; (ড) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদান; (ঢ) রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট অনুমোদন প্রদান; (ণ) নিবন্ধন, পরীক্ষা গ্রহণ, পরিদর্শন ফি ও অন্যান্য ফি নির্ধারণ; (ত) এই আইনের অধীন নিবন্ধিত নহে অথচ রিহ্যাবিলিটেশন পেশায় নিয়োজিত রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ; (থ) রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার, রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট ও রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশয়ানদের ভুয়া পদবি, ডিগ্রি, প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব বা নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; (দ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর পেশাগত কর্মকান্ডের পরিধি ও সীমা নির্ধারণ; (ধ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর পেশাগত অসদাচরণের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ; (ন) কাউন্সিলের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং উহার হিসাব নিরীক্ষা; (প) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর জন্য অনুসরণীয় পেশাগত আচরণের মান নির্ধারণ ও অনুসরণের বিষয়টি নিশ্চিতকরণ; (ফ) দেশি বা বিদেশি কোনো রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেটের মান নিয়মিত মূল্যায়ন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তপশিল সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ; এবং (ব) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক অন্য যে কোনো কার্য সম্পাদন।",
"name": "কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৭। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, কাউন্সিল উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) প্রতি ৬ (ছয়) মাসে কাউন্সিলের অন্যূন ১ (এক) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং জরুরি প্রয়োজনে, যে কোনো সময়ে বিশেষ সভা আহ্বান করা যাইবে। (৪) কাউন্সিলের সকল সভায় উহার সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত কাউন্সিলের কোনো সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৭) কেবল কাউন্সিলের কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা কাউন্সিল গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কাউন্সিলের কোনো কার্য অথবা কার্যধারা অবৈধ হইবে না, বা কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কাউন্সিলের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৮। (১) কাউন্সিলের একজন রেজিস্ট্রার থাকিবে। (২) রেজিস্ট্রার রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। (৩) রেজিস্ট্রার কাউন্সিলের এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য-সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদন করিবে। (৪) রেজিস্ট্রার এর পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে রেজিস্ট্রার তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে উক্ত শূন্য পদে নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, অথবা রেজিস্ট্রার পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যক্তি রেজিস্ট্রার এর দায়িত্ব পালন করিবে।",
"name": "কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৯। (১) কাউন্সিল, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুসারে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে। (২) কাউন্সিলের কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১০। (১) কাউন্সিলের একটি নির্বাহী কমিটি থাকিবে। (২) কাউন্সিলের সভাপতি, রেজিস্ট্রার এবং সদস্যগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক, এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, অনধিক ০৫ (পাঁচ) জন সদস্য সমন্বয়ে নির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে। (৩) কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সনও হইবেন। (৪) কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার নির্বাহী কমিটির সদস্য-সচিবও হইবেন। (৫) কাউন্সিলের পরিচালনা ও প্রশাসন নির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কাউন্সিল যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে নির্বাহী কমিটিও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে। (৬) নির্বাহী কমিটি উহার ক্ষমতা প্রয়োগ, কার্যাবলি সম্পাদন ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কাউন্সিলের নিকট দায়ী থাকিবে এবং কাউন্সিল কর্তৃক, সময়ে সময়ে, প্রদত্ত নির্দেশনা, আদেশ ও নির্দেশ অনুসরণ করিবে।",
"name": "নির্বাহী কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১১। কাউন্সিল উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, প্রয়োজনবোধে, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১২। (১) বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল তহবিল নামে কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা উক্ত তহবিল গঠিত হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সরকার, সংস্থা, দেশিয় বা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ব্যক্তি হইতে প্রাপ্ত দান, অনুদান ও সহায়তা; (গ) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত দান, অনুদান ও সহায়তা; (ঘ) এই আইনের অধীন আদায়কৃত নিবন্ধন ফি ও পরিদর্শন ফি; (ঙ) কাউন্সিলের নিজস্ব সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত আয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং (চ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত তহবিল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তবে বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী, তহবিল পরিচালনা করা যাইবে। (৩) কাউন্সিলের তহবিল হইতে কাউন্সিলের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত ‘Scheduled Bank’ কে বুঝাইবে।",
"name": "কাউন্সিলের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১৩। (১) বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো কর্তৃপক্ষ হইতে কোনোরূপ অনুমোদন বা স্বীকৃতি প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানকে কাউন্সিলের নিকট হইতে স্বীকৃতি গ্রহণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃতি গ্রহণের জন্য রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানকে এই আইন বলবৎ হইবার ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (৩) কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তপূরণ সাপেক্ষে প্রত্যেক রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রমকে স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো ব্যক্তি রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কোনো কোর্স বা প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করিলে অথবা সনদ প্রদান করিলে উহা হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধে জড়িত ব্যক্তি ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।",
"name": "রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম ও রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১৪। (১) বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো কর্তৃপক্ষ হইতে কোনোরূপ অনুমোদন বা স্বীকৃতি প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা সেবা ইউনিটের সপ্তম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত না থাকিলে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা ইউনিটকে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিলের নিকট হইতে অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদন লাভের জন্য বিদ্যমান সকল রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা সেবা ইউনিটকে এই আইন বলবৎ হইবার ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (৩) কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তপূরণ সাপেক্ষে প্রত্যেক রিহ্যাবিলিটেশন সেবাপ্রতিষ্ঠান বা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিটকে অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো ব্যক্তি কোনো রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট পরিচালনা করিলে উহা হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ এবং তৎজ্জন্য তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হইবেন।",
"name": "রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট, ইত্যাদির অনুমোদন",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১৫। (১) বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো কর্তৃপক্ষ হইতে কোনোরূপ নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীগণকে এবং রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারগণকে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট হইতে যথাক্রমে নিবন্ধন ও লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী বা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে এই আইন বলবৎ হইবার ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (৩) কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তপূরণ সাপেক্ষে প্রত্যেক রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী বা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে যথাক্রমে নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রতিপালন না করিয়া কোনো ব্যক্তি রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী অথবা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার হিসাবে পেশা অথবা কার্য পরিচালনা করিলে তিনি অন্যূন ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন এবং রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে লাইসেন্স প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১৬। (১) বিদেশি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ অথবা সনদপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি উক্ত ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ অথবা সনদমূলে বাংলাদেশে রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী অথবা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার হিসাবে পেশা বা কার্য পরিচালনা করিতে আগ্রহী হইলে বা বাংলাদেশে উক্ত ডিগ্রি অথবা সনদ ব্যবহারে আগ্রহী হইলে উক্ত ব্যক্তিকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (২) কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্ত পূরণসাপেক্ষে উপযুক্ত বিবেচনা করিলে আবেদনকারীকে নিবন্ধন ও, ক্ষেত্রমতে, লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রতিপালন না করিয়া কোনো ব্যক্তি রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী অথবা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার হিসাবে পেশা অথবা কার্য পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হইবেন।",
"name": "বাংলাদেশের বাহিরের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষাসংক্রান্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১৭। (১) কাউন্সিল কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যদি কাউন্সিলের নিকট প্রতীয়মান হয় যে- (ক) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষাসংক্রান্ত স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর যোগ্যতার কোনো ডিগ্রি, ডিপ্লোমা অথবা সনদ প্রদানের জন্য বাংলাদেশের কোনো রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পরিচালিত পরীক্ষা মানসম্মত হইতেছে না; অথবা (খ) উক্ত ডিগ্রী ডিপ্লোমা বা সনদ প্রদানের জন্য গৃহীত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাঙ্ক্ষিত ব্যুৎপত্তির মান, নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতিমালার আলোকে সংশ্লিষ্ট যোগ্যতাধারীর জন্য আবশ্যিক জ্ঞান ও দক্ষতা নিশ্চিত হইতেছে না; অথবা (গ) সরকার প্রদত্ত আদেশ, নির্দেশ, সার্কুলার অথবা নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসৃত হইতেছে না; তাহা হইলে কাউন্সিল যেরূপ যুক্তিসংগত হয় সেইরূপ মন্তব্যসহ উক্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত বিষয়ে তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রতিবেদনটি প্রেরণ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পর কাউন্সিল উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি বা স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।",
"name": "স্বীকৃতি প্রত্যাহার",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১৮। (১) কাউন্সিল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধন করত প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন বহিতে (Register) অন্তর্ভুক্ত করিবে এবং উক্ত নিবন্ধনসমূহ তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাযথভাবে প্রকাশ এবং স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ ও প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করিবে। (২) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধনের শর্ত, নিবন্ধনের প্রক্রিয়া, কোনো বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ অথবা এতৎসংক্রান্ত বিষয়াদি কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কাউন্সিল কর্তৃক রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধনবহি সংরক্ষণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1284,
"details": "১৯। রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী নামের পূর্বে অথবা পরে কী রূপ পদবি, চিহ্ন, ডিগ্রি, বর্ণনা ব্যবহার করিবে তাহা কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীগণ কর্তৃক ব্যবহার্য পদবি, ডিগ্রি, চিহ্ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২০। (১) বাংলাদেশের অভ্যন্তরের অথবা বাহিরের কোনো আইনানুগ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া সত্ত্বেও কোনো নিবন্ধিত রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নহে এইরূপ কোনো নাম, উপাধি, বর্ণনা অথবা চিহ্ন ব্যবহার অথবা প্রকাশ করিতে পারিবে না যাহাতে কোনো ব্যক্তির এইরূপ ধারণা জন্মে যে তিনি অতিরিক্ত অথবা অন্যবিধ কোনো পেশাগত যোগ্যতার অধিকারী। (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রতিপালন না করিয়া কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নাম, উপাধি, বর্ণনা অথবা চিহ্ন ব্যবহার অথবা প্রকাশ করেন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে, এবং তাহার নিবন্ধন ও লাইসেন্স বাতিল হইবেন।",
"name": "মিথ্যা উপাধি, ডিগ্রি, চিহ্ন অথবা বর্ণনা ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং উহার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২১। কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন নিবন্ধিত না হইয়া অথবা স্বীকৃত যোগ্যতা অর্জন না করিয়া যদি রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী হিসাবে ভুয়া সনদ ব্যবহার করেন অথবা পেশা বা কার্য পরিচালনা করেন অথবা মিথ্যা বা নকল ডিগ্রি অথবা সনদ ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ০৭ (সাত) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "নিবন্ধন ব্যতীত মিথ্যা অথবা নকল ডিগ্রি ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং উহার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২২। (১) যদি কাউন্সিলের নিকট প্রতীয়মান হয় যে- (ক) কোনো নিবন্ধিত রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী কর্তৃক দাখিলকৃত সনদ মিথ্যা বা নকল বা ভুয়া; অথবা (খ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী চারিত্রিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে সাজা প্রাপ্ত; অথবা (গ) অনুসরণীয় আচরণ নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য কাউন্সিল কর্তৃক সাজা প্রাপ্ত; অথবা (ঘ) শারীরিক অথবা মানসিক অসুস্থতা অথবা অন্যবিধ কারণে পেশাগত কার্য পরিচালনায় অনুপযুক্ত; তাহা হইলে কাউন্সিল তাহাকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া নিবন্ধন বহি হইতে তাহার নিবন্ধন সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে বাতিল করিতে পারিবে, এবং কোনো রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন বাতিল করা হইলে রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার হিসাবে তাহার লাইসেন্সটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তির স্থায়ীভাবে অথবা সাময়িকভাবে বাতিলকৃত নিবন্ধন কাউন্সিল তাহার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত বিবেচনা করিলে পরবর্তীকালে পুনর্বহাল করিতে পারিবে। (৩) কোনো রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী স্থায়ী বা সাময়িকভাবে নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করিলে, কাউন্সিল উপযুক্ত বিবেচনা করিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "নিবন্ধন বহি (Register) হইতে নাম কর্তন অথবা নিবন্ধন বাতিল",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২৩। (১) এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংক্ষুব্ধ হইলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপিল আবেদনের বিষয়ে সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২৪। কোনো রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী মৃত্যুবরণ করিলে মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর মৃত্যুর তারিখ ও স্থানসহ বিস্তারিত বিবরণী সংবলিত এবং স্বাক্ষরিত একটি মৃত্যু সনদ অবিলম্বে ডাকযোগে, ই-মেইল অথবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবে, এবং তৎভিত্তিতে মৃত ব্যক্তির নাম রেজিস্টার হইতে কর্তন করা যাইবে।",
"name": "রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর মৃত্যুসংক্রান্ত তথ্যাদি অবহিতকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২৫। কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত ও সংরক্ষিত রেজিস্টারসমূহ Evidence Act, 1872 (Act 1 of 1872) এর অধীন সরকারি দলিল বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "রেজিস্টারসমূহ সরকারি দলিল",
"related_acts": "24",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২৬। (১) কাউন্সিল প্রতি বৎসর, ৩০ জুনের পূর্বে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয়সহ পরিকল্পনা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্যাদি উল্লেখ থাকিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত বাজেট কাউন্সিলের সভায় অনুমোদিত হইবার পর উহা সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২৭। (১) কাউন্সিল যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত, প্রতি বৎসর কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া কপি সরকার ও কাউন্সিলের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কাউন্সিলের সকল রেকর্ড, দলিল ও কাগজপত্র, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং রেজিস্ট্রার ও উহার যে কোনো সদস্য বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২৮। (১) কাউন্সিল, প্রতি বৎসর, তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি প্রতিবেদন পরবর্তী বৎসরের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, যে কোনো সময়, কাউন্সিলের নিকট উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং কাউন্সিল উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1284,
"details": "২৯। (১) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে সরকার অথবা কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না। (২) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে। (৩) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, আপিল ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩০। ফৌজদারি কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির উপর এই আইনের অধীন অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনে উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "অর্থদণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩১। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ",
"related_acts": "1025",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:- (ক) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের রিহ্যাবিলিটেশন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোর্স, কারিকুলাম এবং অভিন্ন ন্যূনতম মান ও মেয়াদ নির্ধারণ; (খ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা বিষয়ক ডিপ্লোমা, অন্যান্য কোর্স ও প্রশিক্ষণসমূহের কোর্স, কারিকুলাম এবং অভিন্ন ন্যূনতম মান ও মেয়াদ নির্ধারণ; (গ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা বিষয়ক সকল পর্যায়ের কোর্সসমূহের ভর্তির যোগ্যতা ও শর্তাদি নির্ধারণ; (ঘ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও শর্তাদি নির্ধারণ; (ঙ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা বিষয়ক ও প্রাকটিশনারের লাইসেন্স প্রাপ্তির সকল পরীক্ষা পরিচালনার পদ্ধতি ও মান নির্ধারণ; (চ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা বিষয়ক পেশাগত সকল পরীক্ষার পরীক্ষকগণের যোগ্যতা ও শর্তাদি নির্ধারণ; (ছ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী প্রত্যেকের জন্য পৃথক ব্যক্তিগত নথি ও ইলেট্রনিক নিবন্ধন বহি (Registers) প্রণয়ন, সংকলন, রক্ষণাবেক্ষণ ও হালনাগাদকরণ এবং নিবন্ধনসমূহ (Registers) প্রকাশ, সংরক্ষণ এবং হালনাগাদকরণের পদ্ধতি; (জ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন এবং লাইসেন্সযোগ্য রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, যোগ্যতা, শর্তাদি, ফি ও নবায়ন এবং এই সংক্রান্ত সামগ্রিক বিষয়াদি; (ঝ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রদান সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, শর্তাদি, ফি ও নবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং এতৎসংক্রান্ত তালিকা সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদি; (ঞ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিটের নিবন্ধন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, শর্তাদি, ফি ও নবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং এতৎসংক্রান্ত তালিকা সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদি; (ট) কাউন্সিলের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, উহার হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনা; (ঠ) কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠান ও আহ্বান, সভা অনুষ্ঠানের স্থান ও সময়, সভার কার্যাবলি পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়াদি; (ড) কমিটি গঠন, নির্বাহী কমিটি ও অন্যান্য কমিটির সভা আহ্বান, অনুষ্ঠান, কার্য পরিচালনা, কোরাম নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়াদি; (ঢ) কাউন্সিলের কর্মচারীর ক্ষমতা, দায়িত্ব, কর্তব্য ও মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়াদি; (ণ) কোনো রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট যে-কোনো সময় পরিদর্শনে পরিদর্শকগণের মনোনয়ন, ক্ষমতা, দায়িত্ব ও নিয়োগ পদ্ধতি; (ত) এই আইনের অধীন সংঘটিত সকল ধরনের অপরাধ, অনিয়ম, ব্যত্যয়সমূহের অনুসন্ধান, এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়াদি; (থ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর জন্য অনুসরণীয় আচরণ নীতিমালা প্রণয়ন; (দ) পেশাজীবীদের মধ্যে কোনো ধরনের রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট অথবা রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশিয়ান কোনো ধরনের রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারের তত্ত্বাবধানে পেশা অথবা কার্য পরিচালনা করিবেন তাহা নির্ধারণ; (ধ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর জন্য পরামর্শ অথবা সেবা প্রদানের ফি এর হার নির্ধারণ; (ন) কাউন্সিলের কর্মচারীদের চাকরি প্রবিধান প্রণয়ন; (প) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের পদবি নির্ধারণ; এবং (ফ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণযোগ্য অন্যান্য বিষয়।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩৪। সরকার, সময়ে সময়ে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তফশিল সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩৫। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতার উদ্ভব হইলে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে উক্ত অস্পষ্টতা দূর করিতে পারিবে।",
"name": "অস্পষ্টতা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩৬। কাউন্সিল, এই আইনের অধীন উহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, প্রয়োজনবোধে, তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, লিখিতভাবে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, কাউন্সিলের সদস্য, নির্বাহী কমিটির সদস্য বা কাউন্সিলের যে কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1284,
"details": "৩৭। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 37
}
],
"text": "রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রম বা পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতি, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা ইউনিট অনুমোদন, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন, এবং উহাদের যোগ্যতা ও সেবার মান নির্ধারণ ও নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল গঠন এবং এতৎসংশ্লিষ্ট বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা কার্যক্রম বা পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতি, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা ইউনিট অনুমোদন, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন, এবং উহাদের যোগ্যতা ও সেবার মান নির্ধারণ ও নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল গঠন এবং এতৎসংশ্লিষ্ট বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা:-"
} |
{
"id": 1285,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 207,
"published_date": "২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯",
"related_act": [
608,
1065,
812,
952,
957,
1054
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1285,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) এই আইন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের অধীন সকল ইপিজেড বা জোনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও মালিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে। (৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘অবসর গ্রহণ’’ অর্থ ধারা ২৪ অনুযায়ী কোনো শ্রমিকের চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ; (২) ‘‘আংশিক অক্ষমতা’’ অর্থ যেক্ষেত্রে অক্ষমতা অস্থায়ী প্রকৃতির, এমন অক্ষমতা যাহা যে দুর্ঘটনার কারণে তাহার অক্ষমতা সৃষ্টি হইয়াছে তাহা ঘটিবার সময় তিনি যে কাজে নিয়োজিত ছিলেন তৎসম্পর্কে তাহার উপার্জন ক্ষমতা কমাইয়া দেয় এবং যেক্ষেত্রে অক্ষমতা স্থায়ী প্রকৃতির, এমন অক্ষমতা যাহা উক্ত সময়ে তিনি যে যে কাজ করিতে পারিতেন তাহার প্রত্যেকটি সম্পর্কে তাহার উপার্জন ক্ষমতা কমাইয়া দেয়: তবে শর্ত থাকে যে, প্রথম তপশিলে উল্লিখিত প্রত্যেক জখম স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা সৃষ্টি করে বলিয়া গণ্য হইবে; (৩) ‘‘ইপিজেড’’ বা ‘‘এলাকা’’ বা ‘‘রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা’’ বা জোন অর্থ কর্তৃপক্ষের অধীন প্রতিষ্ঠিত ও নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ইপিজেড বা এলাকা বা অর্থনৈতিক অঞ্চল বা অনুরূপ বিশেষায়িত অঞ্চল; (৪) ‘‘ইপিজেড শ্রম আদালত’’ অর্থ ধারা 133 এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইপিজেড শ্রম আদালত; (৫) ‘‘ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল’’ অর্থ ধারা 136 এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল; (6) ‘‘উৎপাদন প্রক্রিয়া’’ অর্থ কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের কোনো দ্রব্য বা পণ্য প্রস্ত্তত বা উৎপাদন বা সেবা প্রদান প্রক্রিয়া; (7) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ Bangladesh Export Processing Zones Authority Act, 1980 (Act No. XXXVI of 1980) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Export Processing Zones Authority; (8) ‘‘কর্ম-ঘণ্টা’’ অর্থ আহার এবং বিশ্রামের জন্য বিরতি ব্যতীত যে সময়ে কোনো শ্রমিক কাজ করিবার জন্য মালিকের এখতিয়ারাধীন থাকেন; (9) ‘‘কাউন্সিলর’’ অর্থ ধারা 125 এর উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত কাউন্সিলর; (10) ‘‘কারখানা’’ অর্থ কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং উহার অন্তর্গত কোনো ওয়ার্কশপ, ভবন অথবা প্রাঙ্গণ যেখানে কমপক্ষে ১০ (দশ) জন অথবা ততোধিক শ্রমিক কর্মরত থাকেন; (11) ‘‘কোম্পানি’’ অর্থ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি, যাহার অধীন কোনো জোনে এক বা একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রহিয়াছে; (12) ‘‘চাকরির অবসান’’ অর্থ কোনো শ্রমিক কর্তৃক তাহার চাকরির ছেদ বা অবসান অথবা মালিক কর্তৃক কোনো শ্রমিককে চাকরি হইতে বরখাস্ত, অবসান, ছাঁটাই ইত্যাদি; (13) ‘‘ছাঁটাই’’ অর্থ অপ্রয়োজনীয়তার কারণে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকরির অবসান; (14) ‘‘ডিসচার্জ’’ অর্থ শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার কারণে অথবা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে মালিক কর্তৃক কোনো শ্রমিকের চাকরির অবসান; (15) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের কোনো তপশিল; (16) ‘‘দিন’’ অর্থ ভোর ৬ (ছয়) ঘটিকা হইতে শুরু করিয়া পরবর্তী ২৪ (চবিবশ) ঘণ্টা সময়; (17) ‘‘দেওয়ানী কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908); (18) ‘‘ধর্মঘট’’ অর্থ কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত একদল শ্রমিক কর্তৃক একত্রে কর্ম বন্ধকরণ বা কাজ করিতে অস্বীকৃতি অথবা উহাতে নিয়োজিত কোনো শ্রমিক সমষ্টি কর্তৃক ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাজ গ্রহণ করিতে বা কাজ চালাইয়া যাইতে অস্বীকৃতি; (19) ‘‘নির্বাহী চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান; (20) ‘‘নির্বাহী পরিষদ’’ অর্থ কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উক্ত সমিতির বিষয়াদি ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্য নির্বাহী পরিষদ; (21) “নির্বাহী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক)”, “অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক),” “পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক),” “উপ-পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক),” “সহকারী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক)” অর্থ চতুর্দশ অধ্যায়ের অধীন জোনসমূহের শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ে কার্য সম্পাদন ও দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত্ব কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা; (22) “নির্ধারিত” অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত; (23) ‘‘পঞ্জিকা মাস বা বৎসর’’ অর্থ গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা মাস বা বৎসর; (24) ‘‘পালা (Shift)’’ অর্থ যেক্ষেত্রে একই প্রকারের কাজ দিনের বিভিন্ন সময়ে দুই বা ততোধিক শ্রমিক দ্বারা সম্পাদিত হয় সেই ক্ষেত্রে উক্তরূপ প্রত্যেক সময়; (25) ‘‘পোষ্য’’ অর্থ কোনো মৃত শ্রমিকের- (ক) স্ত্রী/স্বামী, নাবালক সন্তান, অবিবাহিত কন্যা, অথবা বিধবা মাতা, এবং (খ) সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মৃত্যুর সময় তাহার আয়ের উপর সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নির্ভরশীল পিতা, বিধবা কন্যা, নাবালক ভ্রাতা, অবিবাহিত বা বিধবা ভগ্নি, বিধবা পুত্র বধু, মৃত পুত্রের নাবালক ছেলে, মৃত মেয়ের নাবালক সন্তান যদি তাহার পিতা জীবিত না থাকেন, অথবা মৃত শ্রমিকের মাতা বা পিতা জীবিত না থাকিলে তাহার দাদা ও দাদী; (26) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (27) ‘‘প্রসূতি কল্যাণ’’ অর্থ তৃতীয় অধ্যায়ের অধীন কোনো মহিলা শ্রমিককে তাহার প্রসূতি হইবার কারণে প্রদেয় মজুরিসহ ছুটি; (28) ‘‘প্রাপ্ত বয়স্ক’’ অর্থ ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোনো ব্যক্তি; (29) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898); (30) ‘‘বরখাস্ত’’ অর্থ অসদাচরণের কারণে মালিক কর্তৃক কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যূত করা; (31) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি; (32) ‘‘বেআইনী ধর্মঘট’’ বা ‘‘বেআইনী লক-আউট’’ অর্থ ধারা 145 এর অধীন বেআইনী ধর্মঘট বা বেআইনী লক-আউট; (33) ‘‘ভবিষ্য তহবিল’’ অর্থ ধারা 164 এর অধীন কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের জন্য গঠিত ভবিষ্য তহবিল; (34) ‘‘মজুরি’’ অর্থ অর্থের মাধ্যমে বা টাকায় প্রকাশ করা হয় বা যায় এমন সকল পারিশ্রমিক যাহা চাকরির শর্তাবলি, প্রকাশ্য বা উহ্য যেভাবেই থাকুক না কেন, পালন করা হইলে কোনো শ্রমিককে তাহার চাকরির জন্য বা কাজ করিবার জন্য প্রদেয় হয়, এবং উক্তরূপ প্রকৃতির অন্য কোনো অতিরিক্ত প্রদেয় পারিশ্রমিকও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, তবে নিম্নলিখিত অর্থ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা :-- (ক) বাসস্থান সংস্থান, আলো, পানি, চিকিৎসা সুবিধা বা অন্য কোনো সুবিধা প্রদানের মূল্য অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে এইরূপ কোনো সেবার মূল্য, (খ) অবসর ভাতা তহবিল বা ভবিষ্য তহবিলে মালিক কর্তৃক প্রদত্ত কোনো চাঁদা, (গ) কোনো ভ্রমণ ভাতা অথবা কোনো ভ্রমণ রেয়াতের মূল্য, (ঘ) কাজের প্রকৃতির কারণে কোনো বিশেষ খরচ বহন করিবার জন্য কোনো শ্রমিককে প্রদত্ত অর্থ; (35) ‘‘মহাপরিদর্শক’’ অর্থ সরকারের নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সদস্য যিনি চতুর্দশ অধ্যায়ের অধীন জোনসমূহের শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিষয়ে কার্য সম্পাদন ও দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন; এবং “অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, যুগ্ম মহাপরিদর্শক, উপ-মহাপরিদর্শক, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিদর্শন কর্মকর্তা ও পরিদর্শক” অর্থ একই অধ্যায়ের অধীন কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা; (36) ‘‘মালিক’’ অর্থ কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এইরূপ কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ যিনি বা যাহারা শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ করেন ; এবং নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন : (ক) উক্ত ব্যক্তির কোনো উত্তরাধিকারী, হস্তান্তরমূলে উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধি, (খ) উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি; (37) ‘‘মীমাংসা’’ অর্থ মীমাংসা কার্যক্রমের মাধ্যমে উপনীত কোনো মীমাংসা বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে উপনীত লিখিতভাবে সম্পাদিত ও স্বাক্ষরিত কোনো চুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি; (38) ‘‘মীমাংসাকারী’’ অর্থ ধারা 125 এর উপ-ধারা (১) এর অধীন মীমাংসাকারী হিসাবে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি; (39) ‘‘যন্ত্রপাতি’’ অর্থ দ্রব্য বা পণ্য প্রস্ত্তত বা উৎপাদনে বা সেবা প্রদানে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রপাতি ও প্রাইম মুভার, ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি এবং এমন অন্য কোনো যন্ত্রপাতি বা কলকব্জাকেও বুঝাইবে যাহার দ্বারা শক্তি উৎপাদন, হ্রাস-বৃদ্ধি বা প্রেরণ করা হয় অথবা প্রয়োগ করা হয়; (40) ‘‘যানবাহন’’ অর্থ যান্ত্রিক শক্তি চালিত যানবাহন যাহা স্থল, নৌ ও আকাশ পথে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয় বা ব্যবহারের যোগ্য, এবং কোনো ট্রলিযান ও আনুগমিক যানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (41) ‘‘যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট’’ অর্থ কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি যাহা উক্ত প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর-কষাকষির উদ্দেশ্যে শ্রমিকগণের এজেন্ট; (42) ‘‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসক’’ অর্থ চিকিৎসক হিসাবে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৬১ নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত ও রেজিস্টারভুক্ত কোনো চিকিৎসক; (43) ‘‘রোয়েদাদ’’ অর্থ সালিশকারী, ইপিজেড শ্রম আদালত অথবা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কোনো শিল্প বিরোধ অথবা উহার সহিত সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত, এবং কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্তও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (44) ‘‘লক-আউট’’ অর্থ কোনো মালিক কর্তৃক কোনো কর্মস্থান অথবা উহার কোনো অংশ বন্ধ করিয়া দেওয়া অথবা উহাতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কাজ স্থগিত রাখা অথবা কোনো মালিক কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বা শর্তসাপেক্ষে তাহার যে কোনো সংখ্যক শ্রমিককে চাকরিতে নিয়োজিত রাখিতে বা অস্বীকৃতি, যদি উক্তরূপ বন্ধকরণ, স্থগিতকরণ বা অস্বীকৃতি কোনো শিল্প বিরোধ সম্পর্কে হয় বা ঘটে অথবা উহা শ্রমিকগণকে চাকরির কতিপয় শর্ত মানিতে বাধ্য করিবার উদ্দেশ্যে করা হয়; (45) ‘‘লে-অফ’’ অর্থ কয়লা, শক্তি বা কাঁচামালের স্বল্পতা, অথবা মাল জমিয়া থাকা অথবা যন্ত্রপাতি বা কল-কব্জা বিকল বা ভাঙ্গিয়া যাইবার কারণে কোনো শ্রমিককে কাজ দিতে মালিকের ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি বা অক্ষমতা; (46) ‘‘শিল্প প্রতিষ্ঠান’’ বা ‘‘প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ কোনো দ্রব্য বা পণ্য প্রস্ত্তত বা উৎপাদন বা সেবা প্রদান করিবার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত জোনে স্থাপিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানা; (47) ‘‘শিল্প বিরোধ’’ অর্থ মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে উদ্ভূত কোনো বিরোধ বা মত পার্থক্য যাহা কোনো ব্যক্তির চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত বা নিয়োগের শর্তাবলি বা চাকরির শর্তাদির সহিত সম্পর্কিত; (48) ‘‘শ্রমিক’’ অর্থ মালিকের সংজ্ঞায় পড়ে না প্রাপ্ত বয়স্ক এমন যে কোনো ব্যক্তি (শিক্ষানবিশ হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তিসহ) তাহার চাকরির শর্তাবলি প্রকাশ্য বা উহ্য যেভাবেই থাকুক না কেন, যিনি, মজুরি বা পারিতোষিকের ভিত্তিতে কোনো জোনের কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে কোনো দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরি অথবা করণিক কার্য করিবার জন্য, সরাসরিভাবে বা যেভাবেই হউক না কেন, নিযুক্ত হইয়াছেন এইরূপ সকল শ্রেণির শ্রমিক; কিন্তু কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী অথবা প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি অথবা উহার তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মালিকের নিকট দায়ী অন্য কোনো ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না; (49) ‘‘শ্রমিক কল্যাণ সমিতি’’ অর্থ এই আইনের নবম অধ্যায়ের অধীন শ্রমিক ও মালিকগণের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করিবার উদ্দেশ্যে শ্রমিকগণ কর্তৃক গঠিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি; (50) “শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশন” অর্থ এই আইনের নবম অধ্যায়ের অধীন নিবন্ধনকৃত কোনো ইপিজেডের শ্রমিক কল্যাণ সমিতিসমূহের ফেডারেশন; (51) শ্রমিক কল্যাণ সমিতি সম্পর্কে, “প্রতিনিধি ’’ অর্থ উক্ত সমিতির নির্বাহী পরিষদের কোনো নির্বাচিত সদস্য; (52) ‘‘সপ্তাহ’’ অর্থ ৭ (সাত) দিনের মেয়াদ যাহা কোনো শুক্রবার সকাল ৬ (ছয়) ঘটিকা হইতে অথবা সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত অন্য কোনো দিন হইতে শুরু হয়; (53) ‘‘সম্পূর্ণ অক্ষমতা’’ অর্থ এমন অক্ষমতা, স্থায়ী প্রকৃতির হউক বা অস্থায়ী প্রকৃতির হউক, যাহা কোনো শ্রমিককে যে দুর্ঘটনার কারণে তাহার জখম হইয়াছে উহা ঘটিবার সময় তিনি যে যে কাজ করিতে সক্ষম ছিলেন উক্ত সকল কাজ হইতে তাহাকে অক্ষম করিয়া দেয় অথবা কর্মকালীন সময়ে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদির প্রতিক্রিয়া অথবা কাজের সাথে সম্পৃক্ত কোনো দূষণের ফলে স্বাস্থ্যহানির কারণে উক্ত শ্রমিক স্থায়ী বা অস্থায়ী প্রকৃতির কর্মক্ষমতা হারায় : তবে শর্ত থাকে যে, উভয় চোখের স্থায়ী সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি লোপ পাইলে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে অথবা প্রথম তপশিলে বর্ণিত কোনো জখমসমূহের এইরূপ সংযোজন হইতেও স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যেখানে উক্ত তপশিলে নির্ধারিত উক্ত জখমসমূহের জন্য উপার্জন ক্ষমতা লোপের মোট গড় হার শতকরা ১০০ (একশত) ভাগ হয়; (54) ‘‘সালিশ’’ অর্থ দশম অধ্যায়ের অধীন কোনো সালিশ; (55) ‘‘সালিশকারী’’ অর্থ ধারা 130 এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে নিযুক্ত ব্যক্তি।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1065",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪। (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকগণের নিয়োগ ও তৎসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নিজস্ব চাকরি বিধি থাকিতে পারিবে, কিন্তু এই প্রকার কোনো বিধি কোনো শ্রমিকের জন্য এই আইনের কোনো বিধান হইতে কম অনুকূল হইতে পারিবে না। (২) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশে উল্লিখিত চাকরি বিধি অনুমোদনের জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের নিকট পেশ করিতে হইবে, এবং মহাপরিদর্শক উহা প্রাপ্তির ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে অনুমোদন করিবেন অথবা কারণ উল্লেখপূর্বক অননুমোদন করিতে পারিবেন। (৩) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের অনুমোদন ব্যতীত উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কোনো চাকরি বিধি কার্যকর করা যাইবে না। (৪) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের আদেশে সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং আপিল প্রাপ্তির ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান উহা নিষ্পত্তি করিবেন এবং এক্ষেত্রে নির্বাহী চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "চাকরির শর্তাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫। (১) কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণকে নিম্নলিখিত শ্রেণিতে বিভক্ত করা যাইবে, যথা :- (ক) শিক্ষাধীন; (খ) সাময়িক; (গ) অস্থায়ী; (ঘ) শিক্ষানবিশ;ও (ঙ) স্থায়ী। (২) কোনো শ্রমিককে শিক্ষাধীন শ্রমিক বলা হইবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে হয়; এবং প্রশিক্ষণকালে তাহাকে ভাতা প্রদান করা হয়। (৩) কোনো শ্রমিককে সাময়িক শ্রমিক বলা হইবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে সাময়িক ধরনের কাজে সাময়িকভাবে তাহাকে নিয়োগ করা হয়। (৪) কোনো শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ এমন কোনো কাজের জন্য হয় যাহা একান্তভাবে অস্থায়ী ধরনের এবং যাহা সীমিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হইবার সম্ভাবনা থাকে। (৫) কোনো শ্রমিককে শিক্ষানবিশ শ্রমিক বলা হইবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো স্থায়ী পদে তাহাকে শিক্ষানবিশ হিসাবে নিয়োগ করা হয় এবং তাহার শিক্ষানবিশিকাল সমাপ্ত না হইয়া থাকে। (৬) কোনো শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো স্থায়ী পদে তাহাকে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত করা হয় অথবা উপ-ধারা (৫) এর অধীন শিক্ষানবিশ হিসাবে নিয়োগ করা হয় এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানে তিনি তাহার শিক্ষানবিশিকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়া থাকেন। (৭) করণিক কাজে নিযুক্ত কোনো শ্রমিকের শিক্ষানবিশিকাল হইবে ৬ (ছয়) মাস এবং অন্যান্য শ্রমিকের জন্য এই সময় হইবে ৩ (তিন) মাস : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো শ্রমিকের শিক্ষানবিশিকাল আরো ৩ (তিন) মাস বৃদ্ধি করা যাইবে যদি কোনো কারণে তিনি তাহার শিক্ষানবিশিকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত না করেন।",
"name": "শ্রমিকগণের শ্রেণি বিভাগ এবং শিক্ষানবিশিকাল",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1285,
"details": "6। কোনো মালিক নিয়োগপত্র প্রদান না করিয়া কোনো শ্রমিককে নিয়োগ করিতে পারিবেন না, এবং নিয়োজিত প্রত্যেক শ্রমিককে ছবিসহ পরিচয়পত্র প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭। প্রত্যেক মালিক তাহার নিজস্ব খরচে তৎকর্তৃক নিযুক্ত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য একটি করিয়া সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা করিবেন এবং সার্ভিস বই কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত মাপে, ফরমে ও পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হইবে।",
"name": "সার্ভিস বহি, সার্ভিস বইয়ের ফরম, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮। (১) মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিকের জন্য একটি শ্রমিক রেজিস্টার রাখিবেন এবং ইহা সকল কর্মসময়ে পরিদর্শনের কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর-কাম-পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য প্রস্ত্তত রাখিতে হইবে। (২) কর্তৃপক্ষ শ্রমিক রেজিস্টারের ফরম, উহা রক্ষণাবেক্ষণের পন্থা, সংরক্ষণের মেয়াদ এবং পরিদর্শনের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (৩) মালিক প্রত্যেক শ্রমিককে ১ (এক) টি টিকেট বা কার্ড সরবরাহ করিবেন।",
"name": "শ্রমিক রেজিস্টার, টিকেট, কার্ড, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯। (১) কোনো শ্রমিক তাহার প্রাপ্য ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন এবং ছুটির প্রাপ্যতা ইংরেজি পঞ্জিকা বৎসর অনুযায়ী হিসাব করা হইবে। (২) কোনো শ্রমিক তাহার প্রাপ্য ছুটির অতিরিক্ত সরকার ঘোষিত কোনো সাধারণ বা বিশেষ ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন। (৩) কর্তৃপক্ষ ছুটির পদ্ধতি ও এতৎসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি নির্ধারণ করিবে। (৪) কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময়ে কোনো জোনের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে বা একইসঙ্গে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে অথবা সকল জোনের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, উল্লিখিত ছুটি সাধারণ কর্মদিবস হিসাবে গণ্য হইবে এবং মালিক কর্তৃক উক্ত ছুটির দিনের জন্য শ্রমিকগণকে তাহার প্রাপ্য মজুরি প্রদেয় হইবে।",
"name": "ছুটির পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০। যদি কোনো শ্রমিকের চাকরি ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, বরখাস্ত, অবসর গ্রহণ, পদত্যাগ বা অন্য কোনো কারণে অবসান হয় এবং যদি তাহার কোনো বাৎসরিক ছুটি পাওনা থাকে, তাহা হইলে মালিক ঐ পাওনা ছুটির পরিবর্তে এই আইনের বিধান অনুযায়ী ছুটিকালীন উক্ত শ্রমিক যে মজুরি প্রাপ্য হইতেন তাহা প্রদান করিবেন।",
"name": "অব্যয়িত ছুটি মজুরি প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১। (১) অগ্নিকাণ্ড, মারাত্নক দৈব দুর্ঘটনা, মহামারি, ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা এর জন্য প্রয়োজন হইলে কোনো মালিক যে কোনো সময় তাহার প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা শাখাসমূহ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন এবং যে কারণে উক্তরূপ বন্ধের আদেশ দেওয়া হইবে তাহা বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত এই বন্ধের আদেশ বহাল রাখিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ বন্ধের আদেশ প্রদানের পর অনতিবিলম্বে তাহা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে : আরো শর্ত থাকে যে, কোনো আকস্মিক বিপত্তি, যন্ত্রপাতি বিকল, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ অথবা মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত অন্য কোনো কারণে প্রয়োজন হইলে, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে, কোনো মালিক যে কোনো সময় তাহার প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা শাখাসমূহ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন এবং যে কারণে উক্তরূপ বন্ধের আদেশ দেওয়া হইবে তাহা বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত এই বন্ধের আদেশ বহাল রাখিতে পারিবেন। (২) যদি উক্তরূপ বন্ধের আদেশ কর্মসময়ের পরে দেওয়া হয়, তাহা হইলে পরবর্তী কর্মসময় শুরু হইবার আগে মালিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শাখার নোটিশ বোর্ডে বা কোনো প্রকাশ্য স্থানে নোটিশ সাঁটিয়া বা লটকাইয়া দিয়া উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে অবহিত করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নোটিশে বন্ধ পরবর্তী কাজ কখন শুরু হইবে এবং সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে কাজ পুনরায় শুরু হইবার পূর্বে কোনো সময় তাহাদের কর্মস্থলে অবস্থান করিতে হইবে তৎসম্পর্কে নির্দেশ থাকিবে। (৪) যদি উক্তরূপ বন্ধ কর্মসময়ের মধ্যেই সংঘটিত হয়, তাহা হইলে মালিক উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত পন্থায় নোটিশ মারফত শ্রমিকগণকে যথাশীঘ্র সম্ভব তৎসম্পর্কে অবহিত করিবেন, এবং এই নোটিশে পরবর্তী কাজ কখন শুরু হইবে এবং শ্রমিকগণ কর্মস্থলে অবস্থান করিবেন কি না তৎসম্পর্কে নির্দেশ থাকিবে। (৫) উক্তরূপ কাজ বন্ধের পর যে সকল শ্রমিককে কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হইবে, তাহাদের এই অবস্থানের সময় ১ (এক) ঘণ্টার কম হইলে তাহারা কোনো মজুরি নাও পাইতে পারেন, এবং এই অবস্থানের সময় ইহার অধিক হইলে তাহারা অবস্থানকালীন সম্পূর্ণ সময়ের জন্য মজুরি পাইবেন। (৬) যদি কাজ বন্ধের মেয়াদ ১ (এক) কর্ম দিবসের চেয়ে বেশী না হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কোনো শ্রমিক, উপ-ধারা (৫) এর ক্ষেত্র ব্যতীত, কোনো মজুরি নাও পাইতে পারেন। (৭) যদি কাজ বন্ধের মেয়াদ ১ (এক) কর্ম দিবসের অধিক হয় তাহা হইলে, সাময়িক শ্রমিক ব্যতীত, প্রত্যেক শ্রমিককে ১ (এক) দিনের অতিরিক্ত সকল বন্ধ কর্মদিবসের জন্য মজুরি প্রদান করা হইবে। (৮) যদি কাজ বন্ধের মেয়াদ ৩ (তিন) কর্মদিবসের অধিক হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে ধারা ১৫ এর বিধান অনুযায়ী লে-অফ করা হইবে। (৯) উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত লে-অফ কাজ বন্ধ হইবার প্রথম দিন হইতেই বলবৎ হইবে, এবং প্রথম ৩ (তিন) দিনের জন্য প্রদত্ত কোনো মজুরি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রদেয় লে-অফকালীন ক্ষতিপূরণের সহিত সমন্বিত করা হইবে।",
"name": "কাজ বন্ধ রাখা",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২। (১) কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বে-আইনী ধর্মঘটের কারণে, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনক্রমে, মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন, এবং এইরূপ বন্ধের ক্ষেত্রে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকগণ কোনো মজুরি পাইবেন না। (২) যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো শাখা বা বিভাগ বন্ধের কারণে প্রতিষ্ঠানের অন্য কোনো শাখা বা বিভাগ এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে উহা চালু রাখা সম্ভব নহে, তাহা হইলে উক্ত শাখা বা বিভাগও বন্ধ করিয়া দেওয়া যাইবে, কিন্তু সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে ৩ (তিন) দিন পর্যন্ত লে-অফ এর ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের সমপরিমাণ মজুরি প্রদান করিতে হইবে, তবে এই মেয়াদের অতিরিক্ত সময়ের জন্য তাহারা আর কোনো মজুরি নাও পাইতে পারেন। (৩) উক্তরূপ বন্ধের বিষয়টি মালিক যথাশীঘ্র সম্ভব সংশ্লিষ্ট শাখা বা বিভাগের নোটিশ বোর্ডে বা প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকাশ্য স্থানে নোটিশ সাঁটিয়া বা লটকাইয়া দিয়া সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করিবেন এবং কাজ পুনরায় শুরু হইবার বিষয়ও উক্তরূপে বিজ্ঞাপিত করিবেন।",
"name": "প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩। (১) এই অধ্যায়ের প্রয়োজনে, কোনো শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ববর্তী ১২ (বারো) পঞ্জিকা মাসে বাস্তবে অন্তত ২৪০ (দুইশত চল্লিশ) দিন বা ১২০ (একশত বিশ) দিন কাজ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি যথাক্রমে ‘‘১ (এক) বৎসর’’ বা ‘‘৬ (ছয়) মাস’’ প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো শ্রমিকের বাস্তবে কাজ করিবার দিন গণনার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত দিনগুলিও গণনায় আনা হইবে, যথা :- (ক) তাহার লে-অফের দিনগুলি; (খ) অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কারণে মজুরিসহ বা বিনা মজুরিতে ছুটির দিনগুলি; (গ) বৈধ ধর্মঘট অথবা অবৈধ লক-আউটের কারণে কর্মহীন দিনগুলি; (ঘ) মহিলা শ্রমিকগণের ক্ষেত্রে, অনধিক ১৬ (ষোলো) সপ্তাহ পর্যন্ত প্রসূতি ছুটি। (৩) ধারা ১৮, ১৯, অথবা ২১ এর অধীন ক্ষতিপূরণ অথবা ধারা ২০, ২১, ২২ অথবা ২৩ এর অধীন মজুরি হিসাবের প্রয়োজনে ‘‘মজুরি’’ বলিতে কোনো শ্রমিকের ছাঁটাই, বরখাস্ত, অপসারণ, ডিসচার্জ, অবসর গ্রহণ বা চাকরির অবসানের অব্যবহিত পূর্বের ১২ (বারো) মাসে প্রদত্ত তাহার মূল মজুরি, এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এড-হক বা অন্তবর্তী মজুরি, যদি থাকে, এর গড় বুঝাইবে।",
"name": "কতিপয় ক্ষেত্রে ‘‘এক বৎসর’’, ‘‘ছয় মাস’’ এবং ‘‘মজুরি’’ গণনা",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪। এই অধ্যায়ের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অন্তত ৫ (পাঁচ) জন শ্রমিক নিযুক্ত নাই বা পূর্ববর্তী ১২ (বারো) মাসে নিযুক্ত ছিলেন না, এইরূপ কোনো প্রতিষ্ঠানে ধারা ১১, ১৫, ১৬ এবং ১৭ এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "ধারা ১১, ১৫, ১৬ এবং ১৭ প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫। (১) যেক্ষেত্রে সাময়িক শ্রমিক নহেন এইরূপ কোনো শ্রমিককে, যাহার নাম কোনো প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং যিনি মালিকের অধীন অন্তত ১ (এক) বৎসর চাকরি সম্পূর্ণ করিয়াছেন, লে-অফ করা হয়, তাহা হইলে মালিক তাহাকে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত তাহার লে-অফের সকল দিনের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরি, মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তর্বর্তী মজুরি, যদি থাকে, এর অর্ধেক এবং তাহাকে লে-অফ করা না হইলে তিনি যে আবাসিক ভাতা পাইতেন, উহার সম্পূর্ণের সমান। (৩) যে শ্রমিকের নাম কোনো প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত আছে, তিনি এই ধারার প্রয়োজনে সাময়িক বা অন্য শ্রমিক বলিয়া গণ্য হইবেন না যদি তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে ১ (এক) বছর চাকরি সম্পূর্ণ করিয়া থাকেন। (৪) মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে ভিন্নরূপ কোনো চুক্তি না থাকিলে, কোনো শ্রমিক এই ধারার অধীন কোনো পঞ্জিকা বৎসরে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের অধিক সময়ের জন্য ক্ষতিপূরণ পাইবেন না। (৫) উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো পঞ্জিকা বৎসরে কোনো শ্রমিককে অবিচ্ছিন্নভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের অধিক সময়ের জন্য লে-অফ করা হয়, এবং উক্ত ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের পর লে-অফের সময় যদি আরোও ১৫ (পনেরো) দিন বা তদূর্ধ্ব হয়, তাহা হইলে উক্ত শ্রমিককে, শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে ভিন্নরূপে কোনো চুক্তি না থাকিলে, পরবর্তী প্রত্যেক ১৫ (পনেরো) বা তদূর্ধ্ব দিনসমূহের লে-অফের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে। (৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরি, এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তর্বর্তী মজুরি, যদি থাকে, এর এক-চতুর্থাংশ এবং যদি আবাসিক ভাতা থাকে, উহার সম্পূর্ণের সমান। (৭) কোনো ক্ষেত্রে যদি কোনো শ্রমিককে কোনো পঞ্জিকা বৎসরে উপরে উল্লিখিত প্রথম ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন লে-অফের পর কোনো অবিচ্ছিন্ন ১৫ (পনেরো) দিন বা তদূর্ধ্ব সময়ের জন্য লে-অফ করিতে হয়, তাহা হইলে মালিক উক্ত শ্রমিককে লে-অফের পরিবর্তে ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন ছাঁটাই করিতে পারিবেন।",
"name": "লে-অফকৃত শ্রমিকগণের ক্ষতিপূরণের অধিকার",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬। কোনো প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকগণকে লে-অফ করা সত্ত্বেও মালিককে তাহাদের জন্য মাস্টার রোল সংরক্ষণ করিতে হইবে, এবং স্বাভাবিক কর্মসময়ে লে-অফকৃত শ্রমিকগণের মধ্যে যাহারা কাজের জন্য হাজিরা দিবেন, তাহাদের নাম উহাতে লিপিবদ্ধ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।",
"name": "লে-অফকৃত শ্রমিকগণের মাস্টার রোল",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭। (১) এই অধ্যায়ের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো লে-অফকৃত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবে না, যদি- (ক) তিনি একই প্রতিষ্ঠানে বা একই মালিকের অধীন একই শহরে বা গ্রামে অথবা ৮ (আট) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত ইপিজেডস্থ ভিন্ন কোনো প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা বা পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই এইরূপ কোনো বিকল্প পদে একই মজুরিতে কাজ গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন; (খ) তিনি মালিকের নির্দেশ সত্ত্বেও দিনে ১ (এক) বার প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কর্মসময়ের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কাজের জন্য হাজিরা না দেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর উদ্দেশ্যে যদি লে-অফকৃত কোনো শ্রমিক কোনো দিনে স্বাভাবিক কর্ম সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কোনো সময়ে কাজের জন্য হাজিরা দেন, এবং হাজিরার ২ (দুই) ঘণ্টার মধ্যে যদি তাহাকে কোনো কাজ দেওয়া না হয়, তাহা হইলে তিনি সেই দিনের জন্য এই ধারার অর্থ মোতাবেক লে-অফকৃত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিতরূপে যদি কোনো লে-অফকৃত শ্রমিক কাজের জন্য হাজিরা দেন, এবং তাহাকে কোনো দিনের কোনো পালায় উহা শুরু হইবার প্রাক্কালে কাজ দেওয়ার পরিবর্তে তাহাকে একই দিনে পালার দ্বিতীয়ার্ধে কাজে হাজির হইবার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তিনি তদনুযায়ী কাজের জন্য হাজিরা দেন, তাহা হইলে তিনি ঐ দিনের অর্ধেক কর্মসময়ের জন্য লে-অফ হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং অবশিষ্ট অর্ধেক কর্মসময়ে, তাহাকে কোনো কাজ দেওয়া হউক বা না হউক, তিনি চাকরিতে ছিলেন বলিয়া বিবেচিত হইবেন।",
"name": "কতিপয় ক্ষেত্রে লে-অফকৃত শ্রমিকগণ ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন না",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮। যদি কোনো শ্রমিক কোনো মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্তত ১ (এক) বৎসরের অধিককাল চাকরিরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে মালিক মৃত শ্রমিকের কোনো মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোনো পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ৬ (ছয়) মাসের অধিক সময় চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০ (ত্রিশ) দিনের এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় অথবা কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারণে পরবর্তীতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মজুরি প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ করিলে যে সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।",
"name": "মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯। (১) কোনো শ্রমিককে প্রয়োজনের অতিরিক্ততার কারণে কোনো প্রতিষ্ঠান হইতে ছাঁটাই করা যাইবে এবং উক্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে। (২) কোনো শ্রমিক যদি কোনো মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যূন ১ (এক) বৎসর চাকরিতে নিয়োজিত থাকেন, তাহা হইলে তাহার ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে মালিককে- (ক) তাহার ছাঁটাইয়ের কারণ উল্লেখ করিয়া ১ (এক) মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হইবে, অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরি প্রদান করিতে হইবে; এবং (খ) তাহাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকরির জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিনের মজুরি প্রদান করিতে হইবে। (৩) যেক্ষেত্রে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয় এবং ছাঁটাইয়ের ১ (এক) বৎসরের মধ্যে মালিক পুনরায় কোনো শ্রমিক নিয়োগ করিতে ইচ্ছুক হন সেই ক্ষেত্রে মালিক ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের সর্বশেষ জানা ঠিকানায় নোটিশ প্রেরণ করিয়া তাহাকে চাকরির জন্য আবেদন করিতে আহ্বান জানাইবেন, এবং এই আহ্বানে সাড়া দিয়া কোনো শ্রমিক পুনরায় চাকরি পাইবার জন্য আবেদন করিলে তাহাকে নিয়োগের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে, এবং এ রকম একাধিক ছাঁটাইকৃত শ্রমিক প্রার্থী হইলে তাহাদের মধ্যে পূর্বের চাকরির জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।",
"name": "ছাঁটাই ও ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের পুনঃনিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০। (১) কোনো শ্রমিককে, জোনের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক অথবা কোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়িত, শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে চাকরি হইতে ডিসচার্জ করা যাইবে। (২) ডিসচার্জকৃত কোনো শ্রমিক অন্যূন ১ (এক) বৎসর অবিচ্ছিন্ন চাকরি সম্পূর্ণ করিলে মালিককে তাহাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মূল মজুরি প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "ডিসচার্জ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২১। (১) এই আইনে লে-অফ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ এবং চাকরির অবসান সম্পর্কে অন্যত্র যাহা কিছুই বলা হউক না কেন, কোনো শ্রমিককে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বিনা মজুরিতে চাকরি হইতে বরখাস্ত করা যাইবে, যদি তিনি- (ক) কোনো ফৌজদারি অপরাধের জন্য দণ্ড প্রাপ্ত হন; অথবা (খ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। (২) অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো শ্রমিককে তদন্তকালীন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যাইবে, এবং যদি না বিষয়টি ইপিজেড শ্রম আদালতে বিচারাধীন থাকে, এই সাময়িক বরখাস্তের মোট মেয়াদ ৬০ (ষাট) দিনের অধিক হইবে না : তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সাময়িক বরখাস্তকালে মালিক তাহাকে তাহার গড় মজুরি, মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তর্বর্তী মজুরি, যদি থাকে, এর অর্ধেক খোরাকী ভাতা হিসাবে প্রদান করিবেন এবং অন্যান্য ভাতা পূর্ণ হারে প্রদান করিবেন। (৩) এই ধারার অধীন অন্যান্য অসদাচরণ ও তৎসংশ্লিষ্ট শাস্তি, শাস্তির আদেশ, তদন্তের পদ্ধতি, ইত্যাদি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "অসদাচরণ এবং দণ্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাস্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২২। (১) এই অধ্যায়ের অন্যত্র বিধৃত কোনো পন্থা ছাড়াও মালিক- (ক) কোনো স্থায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রে ১২০ (একশত বিশ) দিনের, (খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৬০ (ষাট) দিনের, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া শ্রমিকের চাকরির অবসান করিতে পারিবেন। (২) যেক্ষেত্রে মালিক বিনা নোটিশে কোনো শ্রমিকের চাকরির অবসান করিতে চাহেন সেক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) এর অধীন, প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরি প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন। (৩) যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোনো স্থায়ী শ্রমিকের চাকরির অবসান করা হয় সেই ক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মজুরি প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে। (৪) এই ধারার অধীন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ জোনের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে, ১০ (দশ) বা ততোধিক শ্রমিকের একসাথে চাকরি অবসানের ক্ষেত্রে মালিককে জোনের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এর সাথে পরামর্শ করিতে হইবে।",
"name": "বরখাস্ত, ইত্যাদি ব্যতীত অন্যভাবে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকরির অবসান",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২৩। (১) কোনো স্থায়ী শ্রমিক মালিককে ৩০ (ত্রিশ) দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া চাকরি হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন। (২) অস্থায়ী বা অন্য কোনো শ্রমিক ১৫ (পনেরো) দিনের লিখিত নোটিশ মালিকের নিকট প্রদান করিয়া চাকরি হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন। (৩) যেক্ষেত্রে শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকরি হইতে ইস্তফা দিতে চাহেন সেক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরির সমপরিমাণ অর্থ মালিককে প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন। (৪) যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী শ্রমিক চাকরি হইতে ইস্তফা দেন সেক্ষেত্রে, মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকরির জন্য- (ক) যদি তিনি পাঁচ বৎসর বা তদূর্ধ্ব, কিন্তু দশ বৎসরের কম মেয়াদে অবিচ্ছিন্নভাবে মালিকের অধীন চাকরি করিয়া থাকেন তাহা হইলে, ১৫ (পনেরো) দিনের মজুরি; (খ) যদি তিনি দশ বৎসর বা তদূর্ধ্ব সময় কিন্তু পঁচিশ বছরের কম সময় মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে চাকরি করিয়া থাকেন তাহা হইলে, ৩০ (ত্রিশ) দিনের মজুরি। (৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।",
"name": "শ্রমিক কর্তৃক চাকরির ইস্তফা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২৪। (১) এই অধ্যায়ের অন্যত্র যাহা কিছুই উল্লেখ থাকুক না কেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কোনো শ্রমিকের বয়স ৬০ (ষাট) বৎসর পূর্ণ হইলে তিনি চাকরি হইতে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো শ্রমিক ২৫ (পঁচিশ) বছর চাকরি পূর্ণ করিবার পর, যেকোনো সময়, তাহার সম্ভাব্য অবসর গ্রহণের ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ করিতে পারিবেন। (২) এই ধারার উদ্দেশ্যে বয়স যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের সার্ভিস বইয়ে লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখ উপযুক্ত প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে। (৩) এই ধারার অধীন কোনো স্থায়ী শ্রমিক চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করিলে, মালিক, অবসর গ্রহণকারী শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে 45 (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মূল মজুরি প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে অথবা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব চাকরি বিধি অনুযায়ী অবসর গ্রহণকারী শ্রমিকের প্রাপ্ত পাওনাদি পরিশোধ করিতে হইবে।",
"name": "চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২৫। যদি কোনো শ্রমিক কোনো ভবিষ্য তহবিলের সদস্য হন এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী তিনি মালিকের চাঁদাসহ উক্ত তহবিল হইতে কোনো সুবিধা প্রাপ্য হন, তাহা হইলে তাহার ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত, অবসর গ্রহণ, অপসারণ বা চাকরির অবসান হইবার বা মৃত্যুজনিত কারণে উক্ত সুবিধা হইতে তাহাকে বঞ্চিত করা যাইবে না।",
"name": "ভবিষ্য তহবিল পরিশোধ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২৬। (১) কোনো শ্রমিকের মজুরিকাল ১ (এক) মাসের ঊর্ধ্বে হইবে না। (২) কোনো শ্রমিকের যে মজুরিকাল সম্পর্কে তাহার মজুরি প্রদেয় হয় সেই কাল শেষ হইবার পরবর্তী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে তাহার মজুরি পরিশোধ করিতে হইবে।",
"name": "শ্রমিকের মজুরিকাল ও মজুরি পরিশোধের মেয়াদ",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২৭। সাময়িক শ্রমিক ব্যতীত, অন্য কোনো শ্রমিক তাহার ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত, অপসারণ, অবসর গ্রহণ বা চাকরির অবসানের সময় মালিকের নিকট হইতে চাকরি সম্পর্কিত একটি প্রত্যয়নপত্র পাইবার অধিকারী হইবেন।",
"name": "চাকরি সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্র",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২৮। (১) লে-অফ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত, অপসারণ অথবা অন্য যে কোনো কারণে চাকরির অবসান হইয়াছে এইরূপ শ্রমিকসহ যে কোনো শ্রমিকের, এই অধ্যায়ের অধীন কোনো বিষয় সম্পর্কে যদি কোনো অভিযোগ থাকে এবং যদি তিনি তৎসম্পর্কে এই ধারার অধীন প্রতিকার পাইতে ইচ্ছুক হন তাহা হইলে তিনি, অভিযোগের কারণ অবহিত হইবার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অভিযোগটি লিখিত আকারে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মালিকের নিকট প্রেরণ করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, যদি মালিক বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অভিযোগটি সরাসরি গ্রহণ করিয়া লিখিতভাবে প্রাপ্তিস্বীকার করেন, সেই ক্ষেত্রে উক্ত অভিযোগটি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে না পাঠাইলেও চলিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অভিযোগ তদন্ত, নিষ্পত্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "অভিযোগ পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২৯। (১) কোনো মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে কোনো মহিলা শ্রমিককে তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে কোনো কাজ করাইতে পারিবেন না। (২) কোনো মহিলা শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে কোনো কাজ করিতে পারিবেন না। (৩) কোনো মালিক কোনো মহিলা শ্রমিককে এমন কোনো কাজ করিবার জন্য নিয়োগ করিতে পারিবেন না যাহা দুষ্কর বা শ্রম-সাধ্য অথবা যাহার জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াইয়া থাকিতে হয় অথবা যাহা তাহার জন্য স্বাস্থ্য হানিকর হইবার সম্ভাবনা থাকে, যদি তাহার এই বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে, অথবা যদি মহিলা শ্রমিক তাহাকে অবহিত করিয়া থাকেন যে, ১০ (দশ) সপ্তাহের মধ্যে তাহার সন্তান প্রসব করিবার সম্ভাবনা আছে অথবা পূর্ববর্তী ১০ (দশ) সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসব করিয়াছেন।",
"name": "প্রসূতিকালীন মহিলা শ্রমিকের কর্মে নিয়োগ নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩০। (১) প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক তাহার মালিকের নিকট হইতে তাহার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৮ (আট) সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের জন্য প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন, এবং তাহার মালিক তাহাকে এই সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো মহিলা শ্রমিক উক্তরূপ সুবিধা পাইবেন না, যদি না তিনি তাহার মালিকের অধীন তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পূর্বে অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কাজ করিয়া থাকেন। (২) কোনো মহিলা শ্রমিককে কল্যাণ সুবিধা প্রদেয় হইবে না, যদি তাহার সন্তান প্রসবের সময় তাহার ২ (দুই) বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে, তবে এক্ষেত্রে তিনি কোনো ছুটি পাইবার অধিকারী হইলে তাহা পাইবেন।",
"name": "প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার এবং প্রদানের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩১। কোনো অন্তঃসত্ত্বা মহিলা শ্রমিক এই আইনের অধীন প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইলে তিনি মালিককে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ প্রদান করিবেন এবং মালিক সংশ্লিষ্ট মহিলা শ্রমিককে ছুটিসহ প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন।",
"name": "প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পরিশোধ সংক্রান্ত পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩২। (১) এই আইনের অধীন যে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদেয় হইবে উহা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত পন্থায় গণনা করিয়া দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক, যেক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য, গড় মজুরি হারে সম্পূর্ণ নগদে প্রদান করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর প্রয়োজনে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক গড় মজুরি গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলা শ্রমিক কর্তৃক এই অধ্যায়ের অধীন নোটিশ প্রদানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৩ (তিন) মাসে তাহার প্রাপ্ত মোট মজুরিকে উক্ত সময়ে তাহার মোট প্রকৃত কাজের দিনগুলি দ্বারা ভাগ করিয়া যে হার নিরূপিত হইবে উহা তাহার দৈনিক মজুরি হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার পরিমাণ",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩৩। (১) এই অধ্যায়ের অধীন প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী কোনো মহিলা শ্রমিক সন্তান প্রসবকালে অথবা উহার পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুবরণ করিলে মালিক প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং ব্যক্তিকে উক্তরূপ সুবিধা প্রদান করিবেন। (২) যদি উক্তরূপ কোনো মহিলা শ্রমিক প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হওয়ার সময় সীমার মধ্যে কিন্তু সন্তান প্রসবের পূর্বে মারা যান, তাহা হইলে মালিক উক্ত মহিলা শ্রমিকের মৃত্যুর তারিখসহ তৎপূর্ববর্তী সময়ের জন্য উক্তরূপ সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন, তবে ইতিমধ্যে প্রদত্ত উক্তরূপ সুবিধা যদি প্রদেয় সুবিধা হইতে বেশী হয়, তাহা হইলেও উহা আর ফেরত লইতে পারিবেন না, এবং মহিলা শ্রমিক বা কর্মচারীর মৃত্যুর সময় পর্যন্ত যদি মালিকের নিকট এই বাবদ কিছু পাওনা থাকে, তাহা হইলে তিনি এই অধ্যায়ের অধীন মহিলা শ্রমিক বা কর্মচারীর কোনো মনোনীত ব্যক্তিকে, অথবা কোনো মনোনীত ব্যক্তি না থাকিলে তাহার আইনগত প্রতিনিধিকে উহা প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "মহিলা শ্রমিকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩৪। যদি কোনো মহিলা শ্রমিকের সন্তান প্রসবের পূর্ববর্তী ৬ (ছয়) মাস এবং সন্তান প্রসবের পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহ মেয়াদের মধ্যে তাহাকে চাকরি হইতে ডিসচার্জ, বরখাস্ত বা অপসারণ করিবার জন্য অথবা তাহার চাকরি অন্যভাবে অবসানের জন্য মালিক কোনো নোটিশ বা আদেশ প্রদান করেন, এবং উক্তরূপ নোটিশ বা আদেশের যদি যথেষ্ট কোনো কারণ না থাকে তাহা হইলে, এই নোটিশ বা আদেশ প্রদান না করা হইলে এই অধ্যায়ের অধীন সংশ্লিষ্ট মহিলা শ্রমিক যে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইতেন, উহা হইতে তিনি বঞ্চিত হইবেন না।",
"name": "কতিপয় ক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকের চাকরির অবসানে বাধা",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩৫। (১) প্রত্যেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকের তাহার শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য মানসম্মত নিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও স্বাভাবিক কর্ম পরিবেশ প্রদান ও উহার রক্ষণাবেক্ষণ করা দায়িত্ব ও কর্তব্য। (২) প্রত্যেক মালিক, তাহার প্রতিষ্ঠানে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন- (ক) মানুষের জীবন বা নিরাপত্তার জন্য নিরাপদ কারখানা ভবন ও ভবনের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা, মেঝে, সিঁড়ি এবং যাতায়াত পথ এবং যন্ত্রপাতি বা প্ল্যান্ট বা কাজের সিস্টেম (working system) প্রদান ও রক্ষণাবেক্ষণ; (খ) কোনো দ্রব্য, পদার্থ, ইত্যাদির ব্যবহার, সংরক্ষণ এবং বহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির অনুপস্থিতি নিশ্চিত করা; (গ) কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে কাজের ঝুঁকি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও ক্ষেত্রমত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করা; (ঘ) বিনামূল্যে নিরাপত্তা উপকরণ, বিপজ্জনক যন্ত্রপাতি, বিষাক্ত কেমিক্যাল অথবা বিশেষ কোনো কাজে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য শ্রমিকদেরকে যথাযথ নিরাপত্তামূলক পোশাক ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা যন্ত্রপাতি সরবরাহ; (ঙ) প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, কারখানা ভবনের প্রত্যেক তলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ, এবং শ্রমিকগণকে এই সকল নিরাপত্তা উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা নোটিশের ব্যবস্থা; (চ) যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অথবা ভিন্ন অবস্থায় থাকিবার সময় যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা বিধান করা; (ছ) উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে উত্থিত গ্যাস, ধোঁয়া, বাষ্প বা ধূলা এমন প্রকৃতির বা এমন পরিমাণের হয় যে, উহা বিষ্ফোরিত বা প্রজ্জলিত হইবার সম্ভাবনা থাকে, সেই ক্ষেত্রে উক্তরূপ বিষ্ফোরণ বন্ধ করিবার জন্য সর্বপ্রকার ব্যবস্থা; (জ) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকগণের জন্য স্বতন্ত্র ও পর্যাপ্ত শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষের ব্যবস্থা এবং এইগুলি পরিষ্কার ও স্বাস্থ্য সম্মত রাখা; (ঝ) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে, উহাতে কর্মরত সকল শ্রমিকের পান করিবার জন্য উহার কোনো সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ; (ঞ) সেইফটি রেকর্ড বুক সংরক্ষণ, সেইফটি কমিটি গঠন, কল্যাণ কর্মকর্তা নিয়োগ, ধৌতকরণ সুবিধা, ক্যান্টিন, শিশুকক্ষ, ইত্যাদি কল্যাণমূলক ব্যবস্থা; (ট) কর্ম পরিচালনায় নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির শারীরিক জখম, বিষাক্রান্ত বা ব্যাধিতে আক্রান্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। (৩) কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে প্রবিধান দ্বারা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ নির্ধারণ করিবে- (ক) উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে সৃষ্ট কোনো বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা; (খ) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা, ধূলা-বালি ও ধোঁয়া, কৃত্রিম আর্দ্রকরণ, অতিরিক্ত ভীড়, আলোর ব্যবস্থা, আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী, ইত্যাদির ব্যবস্থা; (গ) যন্ত্রপাতি ঘিরিয়া রাখা, চলমান যন্ত্রপাতির উপরে বা নিকটে কাজ, স্ট্রাইকিং গিয়ার এবং শক্তি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করিবার পন্থা, ক্রেন এবং অন্যান্য উত্তোলন যন্ত্রপাতি, হয়েস্ট এবং লিফট, ঘূর্ণায়মান যন্ত্রপাতি, প্রেসার প্ল্যান্ট, অতিরিক্ত ওজন, বিপজ্জনক বিস্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস, ধূলা, ধোঁয়া, ইত্যাদির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং চোখের নিরাপত্তা; (ঘ) বিপজ্জনক চালনা, বিপজ্জনক ঘটনা, দুর্ঘটনা, ব্যাধি ইত্যাদি সম্পর্কে নোটিশের ব্যবস্থা; (ঙ) ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ নির্ণয় অথবা উহার স্থায়িত্ব পরীক্ষার ক্ষমতা, দুর্ঘটনা বা ব্যাধি সম্পর্কে তদন্তের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা, নমুনা সংগ্রহের ক্ষমতা, কতিপয় বিপদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের ক্ষমতা, বিপজ্জনক ভবন এবং যন্ত্রপাতি সম্বন্ধে তথ্য প্রদান, কতিপয় কাজে মহিলা শ্রমিকগণের নিয়োগে বাধা নিষেধ; (চ) কারখানা ভবন ও অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত নিরাপত্তা।",
"name": "স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত সাধারণ বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩৬। (১) যে সকল প্রতিষ্ঠানে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) জন স্থায়ী শ্রমিক কর্মরত রহিয়াছেন, সেইখানে মালিক প্রচলিত বিমা আইন অনুযায়ী গ্রুপ বিমা চালু করিবেন। (২) বিমা দাবির টাকা এই আইনের অধীন শ্রমিকের অন্যান্য প্রাপ্যের অতিরিক্ত হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিমা দাবি আদায় মালিকের দায়িত্ব হইবে এবং মালিক উক্ত বিমা দাবি হইতে আদায়কৃত অর্থ পোষ্যদের সরাসরি প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন : আরো শর্ত থাকে যে, অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী কোনো বিমা দাবি উত্থাপিত হইলে উহা অনূর্ধ্ব ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে বিমা কোম্পানি ও মালিক যৌথ উদ্যোগে নিষ্পত্তি করিবেন।",
"name": "বাধ্যতামূলক গ্রুপ বিমা চালুকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩৭। (১) প্রত্যেক জোনে চিকিৎসা কেন্দ্র থাকিবে । (২) প্রত্যেক শিল্প প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট জোনের চিকিৎসা কেন্দ্রের সদস্য হইবে এবং সদস্য কর্তৃক প্রদেয় চাঁদা এবং অন্যান্য বিষয়াদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "চিকিৎসা কেন্দ্র",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩৮। কোনো শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দৈনিক ৮ (আট) ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিবেন না বা তাহাকে দিয়ে কাজ করানো যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৪০ এর বিধান সাপেক্ষে, কোনো প্রতিষ্ঠানে উক্তরূপ কোনো শ্রমিক দৈনিক ১০ (দশ) ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করিতে পারিবেন।",
"name": "দৈনিক কর্মঘণ্টা",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৩৯। কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রমিক- (ক) দৈনিক ৬ (ছয়) ঘণ্টার অধিক কাজ করিতে বাধ্য থাকিবেন না, যদি না উক্ত দিনে তাহাকে বিশ্রাম বা আহারের জন্য ১ (এক) ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়; (খ) দৈনিক ৫ (পাঁচ) ঘণ্টার অধিক কাজ করিতে বাধ্য থাকিবেন না, যদি না উক্ত দিনে তাহাকে বিশ্রাম বা আহারের জন্য ৩০ (ত্রিশ) মিনিট বিরতি দেওয়া হয়; অথবা (গ) দৈনিক ৮ (আট) ঘণ্টার অধিক কাজ করিতে বাধ্য থাকিবেন না, যদি না উক্ত দিনে তাহাকে বিশ্রাম বা আহারের জন্য দফা (ক) এর অধীন একটি বিরতি অথবা দফা (খ) এর অধীন দুইটি বিরতি দেওয়া হয়।",
"name": "বিশ্রাম বা আহারের জন্য বিরতি",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪০। (১) কোনো শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে সাধারণত সপ্তাহে৪৮ (আটচল্লিশ) ঘণ্টার অধিক সময় কাজ করিবেন না বা তাহাকে দিয়ে কাজ করানো যাইবে না।(২) ধারা ৪৫ এর বিধান সাপেক্ষে, কোনো শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘণ্টার অধিক সময় কাজ করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সপ্তাহে উক্তরূপ কোনো শ্রমিকের মোট কর্মসময় ৬০ (ষাট) ঘণ্টার অধিক হইবে না, এবং কোনো বৎসরে উহা গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৫৬ (ছাপ্পান্ন) ঘণ্টার অধিক হইবে না:আরো শর্ত থাকে যে, বিশেষ বিশেষ শিল্পের ক্ষেত্রে, কর্তৃপক্ষ লিখিত আদেশ দ্বারা শর্ত সাপেক্ষে, এই ধারার বিধান শিথিল করিতে অথবা উহা হইতে এককালীন সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাস মেয়াদের জন্য অব্যাহতি দিতে পারিবে যদি কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থে বা অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে উক্ত শিথিল বা অব্যাহতি প্রয়োজন।",
"name": "সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪১। কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো শ্রমিক প্রতি সপ্তাহে ১ (এক) দিন ছুটি পাইবেন এবং এইরূপ কোনো ছুটির জন্য তাহার মজুরি হইতে কোনো কর্তন করা যাইবে না।",
"name": "সাপ্তাহিক ছুটি",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪২। যেক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানকে বা উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণকে ধারা ৪১ এর বিধান হইতে অব্যাহতি প্রদান করিয়া জারিকৃত কোনো আদেশের ফলে অথবা এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধানের ফলে কোনো শ্রমিক উক্ত ধারার অধীন তাহার প্রাপ্য কোনো ছুটি হইতে বঞ্চিত হন, সেই ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিককে অবস্থা অনুযায়ী পরবর্তী ৬ (ছয়) দিনের মধ্যে উক্তরূপ ছুটির দিনের সম সংখ্যক ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে।",
"name": "ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪৩। যেক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রমিকের কোনো পালার কাজ মধ্যরাত্রির পরেও সম্প্রসারিত হয়, সেই ক্ষেত্রে- (ক) ধারা ৪১ এর প্রয়োজনে উক্ত শ্রমিকের জন্য একটি পূর্ণ দিনের ছুটি বলিতে বুঝাইবে তাহার পালা শেষ হইবার সময় হইতে পরবর্তী অবিচ্ছিন্ন ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টা; এবং (খ) তাহার জন্য পরবর্তী দিন বলিতে বুঝাইবে তাহার পালা শেষ করিবার পর পরবর্তী অবিচ্ছিন্ন ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টা, এবং মধ্যরাত্রির পর তিনি যত ঘন্টা কাজ করিয়াছেন তাহা তাহার পূর্ববতী দিনের কাজের সময়ের সহিত গণনা করা হইবে।",
"name": "নৈশ-পালা",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪৪। এই আইনের অধীন অনুমোদিত সময়ের অতিরিক্ত কোনো সময় কোনো শ্রমিক কোনো যানবাহনে বা একাধিক যানবাহনে কাজ করিবেন না বা তাহাকে কাজ করিবার অনুমতি দেওয়া হইবে না।",
"name": "যানবাহনে কর্ম-ঘণ্টার উপর বাধা",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪৫। যেক্ষেত্রে কোনো শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো দিন বা সপ্তাহে এই আইনের অধীন নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত সময় কাজ করেন, সেই ক্ষেত্রে তিনি অধিকাল কাজের জন্য তাহার মূল মজুরি ও মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তর্বর্তী মজুরি, যদি থাকে, এর সাধারণ হারের দ্বিগুণ হারে ভাতা পাইবেন।",
"name": "অধিকাল কর্মের জন্য অতিরিক্ত ভাতা",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪৬। কোনো মহিলা শ্রমিককে তাহার এবং সংশ্লিষ্ট জোনের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের বিনা অনুমতিতে কোনো প্রতিষ্ঠানে রাত ৮ (আট) ঘটিকা হইতে ভোর ৬ (ছয়) ঘটিকা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।",
"name": "মহিলা শ্রমিকের জন্য সীমিত কর্মঘণ্টা",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪৭। অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের বিনা অনুমতিতে এবং তৎকর্তৃক আরোপিত শর্তের ব্যত্যয়ে, কোনো শ্রমিককে একই দিনে একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।",
"name": "দ্বৈত চাকরির উপর বাধা",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪৮। (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণ কোন্ কোন্ সময় কাজ করিবেন ইহা পরিষ্কারভাবে লিখিয়া একটি নোটিশ দ্বারা প্রদর্শিত হইবে এবং প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত হইবে। (২) শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কাজের সময় ও তৎসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়সমূহ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "শ্রমিকের কাজের সময়ের নোটিশ",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৪৯। ধারা ৪৮ (১) এর অধীন নোটিশ এবং ধারা ৮ এর অধীন রক্ষিত রেজিস্টারে কোনো শ্রমিকের নামের বিপরীতে পূর্ব লিপিবদ্ধ বিবরণ ব্যতীত তিনি কোনো কাজ করিতে পারিবেন না বা তাহাকে কোনো কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।",
"name": "নোটিশ এবং রেজিস্টারের সহিত কর্মঘণ্টার মিল থাকা",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫০। (১) প্রত্যেক শ্রমিক প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরিতে ১০ (দশ) দিনের নৈমিত্তিক ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন। (২) উক্তরূপ ছুটি কোনো কারণে ভোগ না করিলে উহা জমা থাকিবে না এবং কোনো বৎসরের ছুটি পরবর্তী বৎসরে ভোগ করা যাইবে না।",
"name": "নৈমিত্তিক ছুটি",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫১। (১) প্রত্যেক শ্রমিক প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরিতে ১৪ (চৌদ্দো) দিনের পীঁড়া ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন। (২) উক্তরূপ কোনো ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না যদি না মালিক কর্তৃক নিযুক্ত ১ (এক) জন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক অথবা উক্তরূপ চিকিৎসকের অবর্তমানে অন্য কোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসক পরীক্ষান্তে এই মর্মে প্রত্যয়ন করেন যে, সংশ্লিষ্ট শ্রমিক পীঁড়িত এবং তাহার চিকিৎসা বা আরোগ্যের জন্য প্রত্যয়নপত্রে উল্লিখিত সময় ছুটি প্রয়োজন। (৩) উক্তরূপ ছুটি জমা থাকিবে না এবং কোনো বৎসর ভোগ করা না হইলে পরবর্তী বৎসর উহা আর ভোগ করা যাইবে না।",
"name": "পীঁড়া ছুটি",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫২। (১) কোনো প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে ১ (এক) বৎসর চাকরি সম্পূর্ণ করিয়াছেন এমন প্রত্যেক শ্রমিক পরবর্তী ১২ (বারো) মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী ১২ (বারো) মাসের কাজের জন্য মজুরিসহ প্রতি ১৮ (আঠারো) দিন কাজের জন্য ১ (এক) দিন হারে অর্জিত ছুটি প্রাপ্য হইবেন। (২) প্রত্যেক পঞ্জিকা বর্ষে কোনো শ্রমিক তাহার জমাকৃত অর্জিত ছুটির নগদায়ন করিতে পারিবেন এবং কর্তৃপক্ষ অর্জিত ছুটির নগদায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করিবেন।",
"name": "অর্জিত ছুটি",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫৩। (১) প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পূর্ণ মজুরিতে ১১ (এগারো) দিনের উৎসব ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে। (২) মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত ছুটির দিন ও তারিখ স্থির করিবেন। (৩) কোনো শ্রমিককে কোনো উৎসব ছুটির দিনে কাজ করিতে বলা যাইবে, তবে ইহার জন্য তাহাকে উক্ত দিনের অব্যবহিত ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ২ (দুই) দিনের মজুরিসহ ক্ষতিপূরণ ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে। (৪) মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তাহার প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত প্রত্যেক স্থায়ী শ্রমিককে প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসরে তাহাদের স্ব স্ব ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে ২ (দুই) মাসের মূল মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "উৎসব ছুটি",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫৪। বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই অধ্যায়ে ‘‘মজুরি’’ বলিতে ধারা ২ এর দফা (৩৪) এ সংজ্ঞায়িত মজুরিসহ নিম্নলিখিত পাওনাগুলিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা :- (ক) নিয়োগের শর্ত মোতাবেক প্রদেয় কোনো বোনাস অথবা অন্য কোনো অতিরিক্ত পারিশ্রমিক; (খ) ছুটি, বন্ধ অথবা অধিকাল কর্মের জন্য প্রদেয় কোনো পারিশ্রমিক; (গ) কোনো আদালতের আদেশ অথবা পক্ষদ্বয়ের মধ্যে কোনো রোয়েদাদ বা নিষ্পত্তির অধীন প্রদেয় কোনো পারিশ্রমিক; (ঘ) চাকরির অবসান, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, পদত্যাগ, অবসর গ্রহণ, বরখাস্ত অথবা অন্য যেভাবেই হউক না কেন, এর কারণে কোনো চুক্তি বা এই আইনের অধীন প্রদেয় কোনো অর্থ; এবং (ঙ) লে-অফ অথবা সাময়িক বরখাস্তের কারণে প্রদেয় কোনো অর্থ।",
"name": "মজুরির বিশেষ সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫৫। প্রত্যেক মালিক তৎকর্তৃক নিযুক্ত প্রত্যেক শ্রমিককে সকল মজুরি পরিশোধ করিবার জন্য দায়ী থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা মালিক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অথবা উহার তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মালিকের নিকট দায়ী অন্য কোনো ব্যক্তিও উক্তরূপ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন।",
"name": "মজুরি পরিশোধের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫৬। অবসর গ্রহণ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত বা চাকরির অবসান, ইত্যাদি যে কোনো কারণে শ্রমিকের চাকরির অবসান ঘটিবার পরবর্তী ১৫ (পনেরো) কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত শ্রমিকের সকল পাওনা পরিশোধ করিতে হইবে।",
"name": "মজুরি পরিশোধের সময়",
"related_acts": "",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫৭। (১) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করিতে হইবে। (২) মালিককে শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এতদুদ্দেশ্যে সময় সময় জারিকৃত আদেশ বা সার্কুলার অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "মজুরি পরিশোধের পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫৮। (১) এই আইন দ্বারা অনুমোদিত কর্তনের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোনো ক্ষেত্রে কোনো শ্রমিকের মূল মজুরি হইতে কিছুই কর্তন করা যাইবে না। (২) কেবলমাত্র এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোনো শ্রমিকের মজুরি হইতে নিম্নলিখিত প্রকারের কর্তন করা যাইবে যথা :- (ক) ভবিষ্য তহবিলের জন্য চাঁদা কর্তন অথবা উহা হইতে প্রদত্ত অগ্রিম আদায়ের জন্য কর্তন; (খ) চেক-অফ পদ্ধতিতে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির জন্য চাঁদা কর্তন; (গ) কর্তব্য কাজে অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য কর্তন। (৩) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে কোনো শ্রমিকের উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত মজুরি কর্তন করা যাইবে।",
"name": "মজুরি হইতে কর্তনযোগ্য বিষয়াদি",
"related_acts": "",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৫৯। (১) এই অধ্যায়ের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কোনো শ্রমিককে মজুরি হিসাবে প্রদেয় সকল অর্থ তাহার মৃত্যুজনিত কারণে অথবা তাহার কোনো খোঁজ না পাইবার কারণে যদি পরিশোধ করা না যায়, তাহা হইলে- (ক) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী এতদুদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যক্তিকে প্রদান করা হইবে; (খ) উক্তরূপ কোনো মনোনীত ব্যক্তি না থাকিলে অথবা কোনো কারণে উক্তরূপ কোনো মনোনীত ব্যক্তিকে উহা প্রদান করা না গেলে ইপিজেড শ্রম আদালতে জমা দিতে হইবে, এবং উক্ত আদালত বিধি অনুযায়ী তৎসম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (২) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী কোনো শ্রমিককে মজুরি হিসাবে প্রদেয় সকল অর্থ মালিক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করা হইয়াছে অথবা ইপিজেড শ্রম আদালতে জমা দেওয়া হইয়াছে সেক্ষেত্রে উক্ত মজুরি প্রদান সম্পর্কে মালিক তাহার দায়িত্ব হইতে মুক্ত হইবেন।",
"name": "মৃত বা নিখোঁজ শ্রমিকের অপরিশোধিত মজুরি পরিশোধ",
"related_acts": "",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬০। (১) যেক্ষেত্রে এই আইনের বিধানের খেলাপের জন্য কোনো শ্রমিকের মজুরি হইতে কোনো কর্তন করা হয় অথবা কোনো শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করা না হয় অথবা তাহার মজুরি কিংবা প্রবিধানের আওতায় প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলের প্রাপ্য পরিশোধে বিলম্ব ঘটে সেক্ষেত্রে তিনি, অথবা তাহার মৃত্যু হইলে তাহার কোনো উত্তরাধিকারী অথবা কোনো আইনসঙ্গত প্রতিনিধি কর্তৃক মজুরি ফেরত পাইবার জন্য অথবা বকেয়া বা বিলম্বিত মজুরি ও অন্যান্য পাওনা আদায়ের জন্য ইপিজেড শ্রম আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দরখাস্ত পেশের সময়, স্থান ও ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত আদেশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মজুরি হইতে কর্তন অথবা মজুরি বিলম্বে পরিশোধের কারণে উত্থাপিত দাবি",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬১। (১) মজুরি প্রাপ্ত হন নাই অথবা মজুরি কর্তিত হইয়াছে এইরূপ শ্রমিকগণের পক্ষে অন্তর্ভুক্ত সকল অথবা একাধিক শ্রমিকের পক্ষে ধারা ৬০ এর অধীন মাত্র একটি দরখাস্ত দাখিল করা যাইবে, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ধারা ৬০ এর অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবে। (২) ইপিজেড শ্রম আদালত ধারা ৬০ এর অধীন দাখিলকৃত মজুরি প্রাপ্ত হন নাই এইরূপ শ্রমিক দলভুক্ত একাধিক শ্রমিক কর্তৃক দাখিলকৃত স্বতন্ত্র দরখাস্তসমূহকে একটি দরখাস্ত হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে, এবং তদনুযায়ী উহা নিষ্পত্তি করিতে পারিবে এবং এই ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে। (৩) এই ধারার প্রয়োজনে ‘‘মজুরি প্রাপ্ত হন নাই এইরূপ শ্রমিক দল’’ এর অন্তর্ভুক্ত বলিয়া ঐ সকল শ্রমিককে বুঝাইবে যাহারা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আছেন, এবং যাহাদের অনাদায়ী মজুরি অথবা বিলম্বিত মজুরি একই মজুরিকালের জন্য হইয়া থাকে।",
"name": "দাবি আদায়ের জন্য দরখাস্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬২। (১) ধারা ৬০ এর অধীন প্রদত্ত ইপিজেড শ্রম আদালতের কোনো আদেশের বিরুদ্ধে উহা প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাইবে। (২) আপিল সংক্রান্ত অন্যান্য বিধান বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 62
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬৩। (১) যেক্ষেত্রে যে কোনো সময়- (ক) ধারা ৬০ এর অধীন কোনো দরখাস্ত পেশ করিবার পর, ইপিজেড শ্রম আদালত; অথবা (খ) ধারা ৬২ এর অধীন কোনো শ্রমিক কর্তৃক আপিল পেশ করিবার পর, ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল; এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, মালিকের অথবা ধারা ৫৫ এর অধীন মজুরি পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোনো ব্যক্তির ধারা ৬০ বা ধারা ৬২ এর অধীন প্রদানের জন্য আদেশকৃত কোনো অর্থ পরিশোধ এড়াইবার সম্ভাবনা আছে, তাহা হইলে উক্ত ইপিজেড শ্রম আদালত বা, ক্ষেত্রমত, ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল উক্ত মালিক বা ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ দান করিয়া উক্ত আদেশকৃত অর্থ পরিশোধের জন্য তাহার সম্পত্তি ক্রোক করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, বিলম্বের কারণে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, উক্ত ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল শুনানির সুযোগ দেওয়ার পূর্বেও উক্তরূপ ক্রোকের আদেশ দিতে পারিবে : আরো শর্ত থাকে যে, উক্ত ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিবেচনায় যে পরিমাণ সম্পত্তি আদেশকৃত অর্থ আদায়ের জন্য যথেষ্ট হইবে, সেই পরিমাণ সম্পত্তিই ক্রোক করা হইবে। (২) বিচারের পূর্বে সম্পত্তি ক্রোক সম্পর্কীয় দেওয়ানী কার্যবিধি এর সকল বিধান উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্রোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "মালিক অথবা মজুরি পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোনো ব্যক্তির সম্পত্তির শর্তাধীন ক্রোক",
"related_acts": "",
"section_id": 63
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬৪। যেক্ষেত্রে ধারা ৫৫ এর অধীন মজুরি পরিশোধের জন্য দায়ী কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল তৎকর্তৃক আদেশকৃত কোনো অর্থ আদায় করিতে অক্ষম হয় সেই ক্ষেত্রে উক্ত আদালত উহা মালিকের নিকট হইতে আদায় করিতে পারিবে।",
"name": "কতিপয় ক্ষেত্রে মালিকের নিকট হইতে অর্থ আদায়",
"related_acts": "",
"section_id": 64
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬৫। (১) সরকার শ্রমিকগণের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইপিজেড নিম্নতম মজুরি বোর্ড, অতঃপর এই অধ্যায়ে মজুরি বোর্ড বলিয়া উল্লিখিত, গঠন করিতে পারিবে, যথা:- (ক) নির্বাহী চেয়ারম্যান অথবা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন ব্যক্তি, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) কর্তৃপক্ষের ১ (এক) জন সদস্য; (গ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঘ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঙ) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (চ) কর্তৃপক্ষের ২ (দুই) জন প্রতিনিধি; (ছ) মালিক পক্ষের ২ (দুই) জন প্রতিনিধি; (জ) শ্রমিক পক্ষের ২ (দুই) জন প্রতিনিধি। (২) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর দফা (ছ) ও (জ) এর অধীন যথাক্রমে, মালিকগণের এবং শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যগণকে মনোনয়ন করিবে: তবে শর্ত থাকে যে, যদি একাধিক প্রচেষ্টায় মালিক কিংবা শ্রমিক প্রতিনিধির মনোনয়ন না পাওয়া যায় তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ নিজ বিবেচনায়, যাহাকে উপযুক্ত মনে করিবে তাহাকেই মালিক বা শ্রমিক প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য হিসাবে মনোনীত করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ড প্রয়োজনবোধে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে কো-অপ্ট করিতে পারিবে। (৪) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, প্রয়োজনে, মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "নিম্নতম মজুরি বোর্ড প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 65
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬৬। সরকার মজুরি বোর্ডকে শ্রমিকগণের নিম্নতম মজুরি হার, যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে, সুপারিশ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে।",
"name": "নিম্নতম মজুরি হারের সুপারিশ",
"related_acts": "",
"section_id": 66
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬৭। (১) ধারা ৬৬ এর অধীন মজুরি বোর্ডের সুপারিশ সরকার কর্তৃক অনুমোদনের পর কর্তৃপক্ষ গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষণা করিতে পারিবে যে, মজুরি বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন শ্রেণির শ্রমিকদের জন্য সুপারিশকৃত নিম্নতম মজুরির হার উক্তরূপ শ্রমিকগণের জন্য নিম্নতম মজুরি হার হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপনে যদি এতদসম্পর্কে কোনো তারিখ উল্লেখ না থাকে তাহা হইলে উহার অধীন ঘোষণাটি উহা প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে কার্যকর হইবে। (৩) এই ধারার অধীন ঘোষিত নিম্নতম মজুরি হার চূড়ান্ত হইবে এবং তৎসম্পর্কে কোনোভাবে কোনো আদালতে বা কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "শ্রমিকগণের নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 67
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬৮। কোনো সুপারিশ প্রণয়নকালে মজুরি বোর্ড জোন বহির্ভূত এলাকার শিল্প-কারখানার নিম্নতম মজুরি বা বেতন কাঠামো এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করিয়া দেখিবে।",
"name": "সুপারিশ প্রণয়নে বিবেচ্য বিষয়",
"related_acts": "",
"section_id": 68
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৬৯। ধারা ৬৮ বা অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক বিষয়ের কোনো পরিবর্তনের কারণে প্রয়োজন হইলে সরকার মজুরি বোর্ডকে উহার কোনো সুপারিশ পুনরায় পর্যালোচনা করিবার এবং ধারা ৬৭ এর অধীন ঘোষিত নিম্নতম মজুরি হারের কোনো সংশোধন বা পরিবর্তনের নির্দেশ দিতে পারিবে।",
"name": "নিম্নতম মজুরি হারের পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা",
"related_acts": "",
"section_id": 69
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭০। ধারা ৬৭ এর অধীন ঘোষিত মজুরি নিম্নতম হার সংশ্লিষ্ট সকল মালিকের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে এবং প্রত্যেক শ্রমিক উক্তরূপ ঘোষিত বা প্রকাশিত মজুরির অন্যূন হারে মজুরি পাইতে অধিকারী হইবেন।",
"name": "নিম্নতম মজুরি প্রত্যেক মালিকের উপর অবশ্য পালনীয়",
"related_acts": "",
"section_id": 70
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭১। (১) কোনো মালিক কোনো শ্রমিককে এই অধ্যায়ের অধীন ঘোষিত বা প্রকাশিত নিম্নতম হারের কম হারে কোনো মজুরি প্রদান করিতে পারিবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো শ্রমিকের এই অধ্যায়ের অধীন ঘোষিত বা প্রকাশিত নিম্নতম হারের অধিক হারে মজুরি অথবা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা অব্যাহতভাবে পাইবার অধিকার ক্ষুণ্ণ করিবে না, যদি কোনো চুক্তি বা রোয়েদাদের অধীন বা অন্য কোনো কারণে তিনি উক্তরূপ অধিক হারে মজুরি পাইবার অথবা কোনো প্রথা অনুযায়ী উক্তরূপ সুযোগ-সুবিধা পাইবার অধিকারী হন। (৩) কোনো মালিক নিম্নতম হারের কম হারে কোনো মজুরি প্রদান করিলে কর্তৃপক্ষ লিখিত আদেশ বা নির্দেশ দ্বারা উক্ত মালিক বা মালিকের পক্ষে মজুরি পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "নিম্নতম মজুরি হারের কম হারে মজুরি প্রদান নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 71
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭২। কর্তৃপক্ষ, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, শ্রমিকগণের মজুরি নির্ধারণের পদ্ধতি এবং অন্যান্য সুবিধা স্থির করিতে পারিবে।",
"name": "মজুরি এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 72
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭৩। (১) চাকরি চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত দুর্ঘটনার ফলে যদি কোনো শ্রমিক শরীরে জখমপ্রাপ্ত হন তাহা হইলে মালিক তাহাকে এই অধ্যায়ের বিধান বা ক্ষেত্রমত, বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন। (২) কোনো মালিক উক্তরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকিবেন না, যদি- (ক) জখমের ফলে ৩ (তিন) দিনের অধিক সময় কোনো শ্রমিক সম্পূর্ণ বা আংশিক কর্মক্ষমতা না হারান; (খ) জখমের ফলে মারা যান নাই এইরূপ কোনো শ্রমিকের দুর্ঘটনায় জখমপ্রাপ্ত হইবার প্রত্যক্ষ কারণ ছিল- (অ) দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকের মদ্যপান বা মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে উহার প্রভাবাধীন থাকা; (আ) শ্রমিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার জন্য প্রণীত বিধি বা সুস্পষ্ট আদেশ শ্রমিক কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করা; (ই) শ্রমিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার জন্য ব্যবস্থা করা হইয়াছে ইহা জানা সত্ত্বেও শ্রমিক কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো আঘাত নিরোধক নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা অন্য কোনো কৌশল অপসারণ করা বা উপেক্ষা করা। (৩) যদি- (ক) তৃতীয় তপশিলে ‘ক’ অংশে বর্ণিত কোনো চাকরিতে নিযুক্ত কোনো শ্রমিক উহাতে উক্তরূপ চাকরি সম্পর্কিত বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া উল্লিখিত কোনো ব্যাধিতে আক্রান্ত হন, অথবা (খ) কোনো শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে কোনো মালিকের অধীন অন্যূন ৬ (ছয়) মাস তৃতীয় তপশিলের ‘খ’ অংশে বর্ণিত কোনো চাকরিতে নিযুক্ত থাকাকালে উক্ত তপশিলে উক্তরূপ চাকরি সম্পর্কে বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া উল্লিখিত কোনো ব্যাধিতে আক্রান্ত হন, তাহা হইলে উক্তরূপ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া এই ধারার অধীন কোনো দুর্ঘটনার ফলে জখম বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না মালিক ইহার বিপরীত কিছু প্রমাণ করেন, এবং দুর্ঘটনাটি চাকরি চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত বলিয়া গণ্য হইবে। ব্যাখ্যা । - এই উপ-ধারার প্রয়োজনে, কোনো চাকরিকাল অবিচ্ছিন্ন বলিয়া গণ্য হইবে যদি উহার সহিত অন্য কোনো মালিকের অধীন একই প্রকার কোনো চাকরি যুক্ত না থাকে। (৪) কর্তৃপক্ষ প্রবিধান দ্বারা তৃতীয় তপশিলে উল্লিখিত চাকরির সহিত অন্য কোনো প্রকারের চাকরিও যোগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত চাকরি সম্পর্কিত বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি কি হইবে তাহাও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিবে, এবং তৎপর উপ-ধারা (৩) এর বিধান এইরূপভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন এই অধ্যায় দ্বারা উক্ত ব্যাধি উক্ত চাকরি সম্পর্কে বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া ঘোষিত হইয়াছে। (৫) উপ-ধারা (৩) এবং (৪) এর ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রে, কোনো ব্যাধি সম্পর্কে কোনো শ্রমিককে কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবে না যদি না উক্ত ব্যাধি প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের চাকরি চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত কোনো দুর্ঘটনায় জখমের কারণে হয়। (৬) এখানে উল্লিখিত কোনো কিছুই কোনো শ্রমিকের জখম সম্পর্কে কোনো ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকার প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া বুঝাইবে না যদি তিনি মালিকের অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত জখমের ক্ষতিপূরণের জন্য দেওয়ানী আদালতে কোনো মোকদ্দমা দায়ের করিয়া থাকেন। (৭) কোনো আদালতে উক্ত জখম সম্পর্কে শ্রমিক কর্তৃক কোনো ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করা যাইবে না, যদি- (ক) তিনি ইপিজেড শ্রম আদালতে উক্ত জখমের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবী করিয়া দরখাস্ত পেশ করিয়া থাকেন; অথবা (খ) তাহার এবং তাহার মালিকের মধ্যে এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী উক্ত জখম সম্পর্কে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য কোনো চুক্তি হইয়া থাকে। (৮) এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ‘‘শ্রমিক’’ বলিতে মালিক কর্তৃক চতুর্থ তপশিলে উল্লিখিত কোনো পদে সরাসরি নিযুক্ত ব্যক্তিকে বুঝাইবে, তাহার চাকরির চুক্তি লিখিত হউক বা অলিখিত হউক, স্পষ্ট হউক বা অস্পষ্ট হউক, এবং কোনো জখমপ্রাপ্ত শ্রমিকের উল্লেখের ক্ষেত্রে, তিনি মারা গেলে তাহার মনোনীত ব্যক্তিগণ বা তাহার উপর নির্ভরশীল পোষ্যগণ অথবা তাহাদের যে কোনো একজনও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন। (৯) জখমের ফলে মৃত কোনো শ্রমিক সম্পর্কে প্রদেয় কোনো ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত অক্ষমতার অধীন কোনো ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদেয় থোক অর্থ ইপিজেড শ্রম আদালতে জমা দেওয়া ব্যতীত ভিন্ন কোনো পন্থায় পরিশোধ করা যাইবে না এবং ইপিজেড শ্রম আদালত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তৎসম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (১০) উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত কোনো ক্ষতিপূরণ যদি মালিক সরাসরিভাবে পরিশোধ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে উহা ক্ষতিপূরণ পরিশোধ বলিয়া গণ্য হইবে না, যদি না সংশ্লিষ্ট শ্রমিক তাহার চাকরিকালে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় জখমজনিত কারণে তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ গ্রহণের জন্য তাহার কোনো উত্তরাধিকারীকে মনোনীত করিয়া থাকেন, এবং সেই মনোনীত উত্তরাধিকারীকে ক্ষতিপূরণ প্রদত্ত হইয়া থাকে।",
"name": "ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য মালিকের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 73
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭৪। (১) এই অধ্যায়ের বিধান সাপেক্ষে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) যেক্ষেত্রে জখমের ফলে মৃত্যু হয়, সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক পঞ্চম তপশিলের দ্বিতীয় কলামে যে অর্থ উল্লেখ করা হইয়াছে সেই অর্থ : তবে শর্ত থাকে যে, এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তাহার চাকরির স্বাভাবিক ছাঁটাই, বরখাস্ত, অবসান, পদত্যাগজনিত ক্ষতিপূরণের অতিরিক্ত হইবে; (খ) যেক্ষেত্রে জখমের ফলে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটে সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক পঞ্চম তপশিলের তৃতীয় কলামে যে অর্থ উল্লেখ করা হইয়াছে সেই অর্থ; (গ) যেক্ষেত্রে জখমের ফলে স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা ঘটে সেই ক্ষেত্রে জখমটি প্রথম তপশিলে বর্ণিত হইলে, স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ এর ঐ শতকরা হার, যাহা উহাতে উল্লিখিত উক্ত জখমের কারণে উপার্জন ক্ষমতা হানির শতকরা হারের সমান এবং জখমটি প্রথম তপশিলে বর্ণিত না হইলে, স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ এর ঐ শতকরা হার, যাহা উক্ত জখমের কারণে স্থায়ীভাবে উপার্জন ক্ষমতা হানির শতকরা হারের সমান হইবে; এবং (ঘ) যেক্ষেত্রে জখমের ফলে সম্পূর্ণ বা আংশিক অস্থায়ী অক্ষমতা ঘটে সেই ক্ষেত্রে মাসিক ক্ষতিপূরণ যাহা অক্ষমতার তারিখ হইতে ৪ (চার) দিন অপেক্ষাকাল অতিবাহিত হইবার পর যে মাসে প্রদেয় হইবে উহার পরবর্তী মাসের প্রথম দিনে প্রদেয় হইবে এবং তৎপর অক্ষমতার সময়কালে অথবা পঞ্চম তপশিলের চতুর্থ কলামে উল্লিখিত সময়ের জন্য, যাহা স্বল্প হইবে, মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় হইবে। (২) যেক্ষেত্রে একই দুর্ঘটনার কারণে একাধিক জখম হয় সেই ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর অধীন তৎসম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ একত্রিত করা হইবে, কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে ইহা এমনভাবে করা হইবে না যাহাতে ইহা জখমগুলি হইতে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটিলে যে ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইত উহা হইতে বেশী হয়। (৩) কোনো মাসিক ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবার তারিখের পূর্বে যদি অক্ষমতার অবসান হয় তাহা হইলে উক্ত মাস সম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ উক্ত মাসের অক্ষমতা থাকাকালীন সময়ের আনুপাতিক হারে প্রদেয় হইবে।",
"name": "ক্ষতিপূরণের পরিমাণ",
"related_acts": "",
"section_id": 74
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭৫। (১) এই অধ্যায়ের প্রয়োজনে, ‘‘মাসিক মজুরি ’’ বলিতে ১ (এক) মাসের কাজের জন্য প্রদেয় বলিয়া গণ্য মজুরির পরিমাণ বুঝাইবে, উহা মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় হউক অথবা অন্য সময়ের ভিত্তিতে প্রদেয় হউক। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মজুরি নিম্নরূপভাবে হিসাব করা হইবে, যথা :- (ক) যেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার অব্যবহিত পূর্বে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য কোনো মালিকের অধীন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যূন ১২ (বারো) মাস কর্মরত ছিলেন, সেই ক্ষেত্রে তাহার মাসিক মজুরি হইবে উক্ত মালিক কর্তৃক প্রদেয় তাহার পূর্ববর্তী ১২ (বারো) মাস এর মোট মজুরির এক-দ্বাদশাংশ; (খ) যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক উক্তরূপ মালিকের অধীন দুর্ঘটনার অব্যবহিত পূর্বে অবিচ্ছিন্নভাবে ১ (এক) মাসের কম সময় কর্মরত ছিলেন সেই ক্ষেত্রে, তাহার মাসিক মজুরি হইবে দুর্ঘটনার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ১২ (বারো) মাস সময়ে একই মালিকের অধীন তাহার মত অনুরূপ কাজে নিয়োজিত অন্য কোনো শ্রমিক, অথবা উক্তরূপ অন্য কোনো শ্রমিক না থাকিলে, একই জোনে অনুরূপ কাজে নিয়োজিত অন্য কোনো শ্রমিকের অর্জিত আয়ের মাসিক গড়ের সমান অর্থ; (গ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, মাসিক মজুরি হইবে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য মালিক হইতে দুর্ঘটনার অব্যবহিত পূর্বে অবিচ্ছিন্নভাবে কর্মরত থাকাকালীন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্তৃক অর্জিত মোট মজুরিকে ৩০ (ত্রিশ) গুণ করিয়া উক্ত কর্মরত সময়ের মোট দিনগুলির দ্বারা উহাকে ভাগ করিলে যে ভাগফল পাওয়া যায় উহার সমপরিমাণ অর্থ। ব্যাখ্যা । - এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো কর্মরত সময় অবিচ্ছিন্ন বলিয়া গণ্য হইবে যদি ১৪ (চৌদ্দো) দিনের অধিককাল কাজে অনুপস্থিতির কারণে ইহার ধারাবাহিকতা ভঙ্গ না হয়।",
"name": "মজুরি হিসাবের পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 75
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭৬। এই অধ্যায়ের অধীন প্রদেয় কোনো মাসিক ক্ষতিপূরণ, উহা পক্ষদ্বয়ের মধ্যে চুক্তির অধীন হউক অথবা ইপিজেড শ্রম আদালতের আদেশের অধীন হউক, ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক পুনর্বিবেচনা করা যাইবে, যদি- (ক) শ্রমিকের অবস্থার পরিবর্তন হইয়াছে এই মর্মে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রসহ মালিক অথবা শ্রমিক কর্তৃক দরখাস্ত করা হয়; অথবা (খ) উক্তরূপ প্রত্যয়নপত্র ছাড়াও, প্রতারণার মাধ্যমে অথবা অবৈধ প্রভাব অথবা অন্যান্য অসংগত উপায়ের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হইয়াছে অথবা রেকর্ড হইতে সুস্পষ্ট দেখা যায় যে, উক্তরূপ নির্ধারণ ভুল এই মর্মে মালিক অথবা শ্রমিক কর্তৃক দরখাস্ত করা হয়।",
"name": "পুনর্বিবেচনা",
"related_acts": "",
"section_id": 76
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭৭। (১) এই আইন সাপেক্ষে, ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক এই আইনের কোনো ধারার অধীন প্রদানের জন্য নির্দেশিত কোনো অর্থ অথবা এই আইনের কোনো বিধানের অধীন কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় কোনো অর্থ অথবা কোনো নিষ্পত্তি বা চুক্তির অধীন বা কোনো মীমাংসাকারী বা সালিশকারী বা ইপিজেড শ্রম আদালতের বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্তের অধীন কোনো ব্যক্তি বা মালিক কর্তৃক প্রদেয় কোনো অর্থ উহা পাইবার অধিকারী কোনো ব্যক্তির দরখাস্তের ভিত্তিতে এবং তাহার ইচ্ছানুযায়ী ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক বা উহার নির্দেশে নিম্নরূপ যে কোনোভাবে আদায় করা যাইবে, যথা :- (ক) সরকারি দাবি হিসাবে; (খ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যে ব্যক্তি উক্ত অর্থ পরিশোধ করিতে বাধ্য তাহার অস্থাবর সম্পত্তি, ক্ষেত্রমত ক্রোক এবং বিক্রয় করিয়া; (গ) উক্ত প্রকারে সম্পূর্ণ অর্থ আদায় করা না গেলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তির স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করিয়া এবং বিক্রয় করিয়া; অথবা (ঘ) কোনো দেওয়ানী আদালতের অর্থ সংক্রান্ত ডিক্রী হিসাবে। (২) যেক্ষেত্রে কোনো নিষ্পত্তি বা চুক্তির অধীন অথবা কোনো মীমাংসাকারী বা সালিশকারী বা ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের কোনো সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদের অধীন কোনো শ্রমিক কোনো মালিকের নিকট হইতে এমন কোনো সুবিধা পাইবার অধিকারী যাহা টাকায় হিসাব করা যায় সেই ক্ষেত্রে, বিধি সাপেক্ষে, উক্ত সুবিধা টাকায় হিসাব করিয়া উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী আদায় করা যাইবে। (৩) এই ধারার অধীন অর্থ আদায়ের জন্য কোনো দরখাস্ত গ্রহণ করা হইবে না, যদি না উহা অর্থ প্রদেয় হইবার তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের মধ্যে পেশ করা হয় : তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়ের পরেও কোনো দরখাস্ত গ্রহণ করা যাইবে, যদি ইপিজেড শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, দরখাস্তকারীর উক্ত সময়ের মধ্যে দরখাস্ত পেশ করিতে না পারার পর্যাপ্ত কারণ ছিল : আরো শর্ত থাকে যে, শ্রমিকের পাওনা আদায়ের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাইবে।",
"name": "এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য অর্থ আদায়",
"related_acts": "",
"section_id": 77
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭৮। এই আইনের অধীন প্রদেয় কোনো থোক অথবা মাসিক ক্ষতিপূরণ কোনো ভাবে হস্তান্তর, ক্রোক অথবা দায়বদ্ধ করা যাইবে না, অথবা অন্য কোনো আইনের প্রয়োগ দ্বারা শ্রমিক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা যাইবে না; অথবা উহার সহিত অন্য কোনো দাবী সমন্বয় করা যাইবে না।",
"name": "ক্ষতিপূরণের হস্তান্তর, ক্রোক বা দায়বদ্ধকরণ নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 78
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৭৯। কোনো ইপিজেড শ্রম আদালত ক্ষতিপূরণের কোনো দাবি বিবেচনায় আনিবে না, যদি না দুর্ঘটনা ঘটিবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তৎসম্পর্কে নোটিশ প্রদান করা হয় এবং যদি না দুর্ঘটনা ঘটিবার ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে অথবা মৃত্যুর ক্ষেত্রে উহার ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে দাবি উত্থাপন করা হয়।",
"name": "নোটিশ ও দাবি",
"related_acts": "",
"section_id": 79
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮০। (১) যেক্ষেত্রে কোনো ইপিজেড শ্রম আদালত কোনো সূত্র হইতে এই খবর পায় যে, কোনো শ্রমিক তাহার চাকরি চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত কোনো দুর্ঘটনার কারণে মারা গিয়াছেন, সেই ক্ষেত্রে ইপিজেড শ্রম আদালত রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরিত নোটিশ দ্বারা সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মালিককে নোটিশ জারির৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে উহার নিকট একটি বিবৃতি পেশ করিবার জন্য নির্দেশ দিবে, যাহাতে শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ ও তৎসম্পর্কিত পরিস্থিতি এবং মালিকের মতে উক্ত মৃত্যুর কারণে তিনি কোনো ক্ষতিপূরণ জমা দিতে বাধ্য কিনা তৎসম্পর্কে বর্ণনা থাকিবে। (২) যদি মালিক এই মত পোষণ করেন যে, তিনি ক্ষতিপূরণ জমা দিতে বাধ্য তাহা হইলে নোটিশ জারির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে তিনি তাহা জমা দিবেন। (৩) যদি মালিক এই মত পোষণ করেন যে, তিনি কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য নহেন তাহা হইলে তিনি তাহার বিবৃতিতে উহার কারণ উল্লেখ করিবেন। (৪) যেক্ষেত্রে কোনো মালিক উপ-ধারা (৩) এর অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য নহেন মর্মে উল্লেখপূর্বক বিবৃতি দাখিল করেন সেই ক্ষেত্রে, ইপিজেড শ্রম আদালত, উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় তদন্তের পর, মৃত শ্রমিকের যে কোনো পোষ্যকে জানাইতে পারিবে যে, তাহারা ক্ষতিপূরণ দাবি করিতে পারেন, এবং প্রয়োজনীয় অন্য কোনো তথ্যও তাহাদিগকে দিতে পারিবে।",
"name": "মারাত্মক দুর্ঘটনা সম্পর্কে মালিকের নিকট হইতে বিবৃতি তলবের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 80
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮১। যেক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ কোনো আইনের দ্বারা কোনো মালিকের বাড়ীঘর বা আঙ্গিনায় ঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় মৃত্যু সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া প্রয়োজন সেই ক্ষেত্রে মালিক অথবা তাহার পক্ষে অন্য কেহ উক্তরূপ মৃত্যুর ৭ (সাত) দিনের মধ্যে মৃত্যুর কারণ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বর্ণনা করিয়া কর্তৃপক্ষকে একটি রিপোর্ট প্রেরণ করিবেন এবং ইপিজেড শ্রম আদালতে উহার একটি কপি প্রেরণ করিবেন।",
"name": "মারাত্মক দুর্ঘটনার রিপোর্ট",
"related_acts": "",
"section_id": 81
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮২। (১) যেক্ষেত্রে কোনো শ্রমিক কোনো দুর্ঘটনার নোটিশ প্রদান করেন, সেই ক্ষেত্রে মালিক নোটিশ প্রদানের ৩ (তিন) দিনের মধ্যে জোনের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক অথবা মালিকের খরচে কোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা শ্রমিককে পরীক্ষা করাইবেন এবং উক্ত শ্রমিক উক্তরূপ পরীক্ষার জন্য নিজেকে হাজির করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকের দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা গুরুতর হইলে, শ্রমিক যেখানে অবস্থান করিতেছেন মালিক সেখানে তাহাকে পরীক্ষা করাইবার ব্যবস্থা করিবেন। (২) এই অধ্যায়ের অধীন কোনো শ্রমিক মাসিক ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করিতে থাকিলে, যদি তিনি নির্দেশিত হন তাহা হইলে সময় সময় উক্তরূপ পরীক্ষার জন্য নিজেকে হাজির করিবেন। (৩) শ্রমিকদের উপ-ধারা (১) এর অধীন পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং এতৎসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "চিকিৎসা পরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 82
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮৩। (১) যেক্ষেত্রে কোনো মালিক এই অধ্যায়ের অধীন শ্রমিকগণের প্রতি কোনো দায় সম্পর্কে কোনো বিমাকারীর সহিত চুক্তিবদ্ধ হন সেই ক্ষেত্রে মালিক- (ক) দেউলিয়া ঘোষিত হইলে; বা (খ) পাওনাদারের সহিত কোনো ব্যবস্থা সম্পর্কে স্কীম প্রণয়ন করিলে; বা (গ) তাহার কোম্পানি গুটাইয়া ফেলা শুরু করিলে; উক্ত দায় সম্পর্কে বিমাকারীর বিরুদ্ধে মালিকের অধিকার, অন্য কোনো আইনে দেউলিয়াত্ব অথবা কোম্পানি গুটাইয়া ফেলা সম্পর্কে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শ্রমিকের নিকট হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকগণের প্রতি মালিকের যে দায় উহা হইতে শ্রমিকের প্রতি বিমাকারীর দায় অধিক হইবে না। (২) কোনো কোম্পানি পুনর্গঠিত হইবার জন্য অথবা অন্য কোনো কোম্পানির সহিত একত্রিত হইবার জন্য স্বেচ্ছায় গুটাইয়া ফেলিবার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "মালিকের দেউলিয়াত্ব, বিমাকারীর দায়, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 83
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮৪। কর্তৃপক্ষ, লিখিত আদেশ দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে শ্রমিক নিয়োগকারী প্রত্যেক ব্যক্তি অথবা উক্তরূপ ব্যক্তিগণের কোনো শ্রেণি, আদেশে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের নিকট, উহাতে উল্লিখিত সময়ে ও ফরমে একটি বিবরণী প্রেরণ করিবেন যাহাতে পূর্ববর্তী বৎসরে যে সমস্ত জখমের জন্য মালিক কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হইয়াছে উহার সংখ্যা, উক্তরূপ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দেশিত ক্ষতিপূরণ সম্বন্ধে অন্যান্য বিষয়, যদি থাকে, উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে বিবরণী",
"related_acts": "",
"section_id": 84
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮৫। এই আইন বলবৎ হইবার পূর্বে বা পরে সম্পাদিত কোনো চুক্তি দ্বারা যদি কোনো শ্রমিক তাহার চাকরিকালে অথবা উহা হইতে উদ্ভূত কোনো ব্যক্তিগত জখমের জন্য মালিকের নিকট হইতে কোনো ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকার পরিত্যাগ করেন, তাহা হইলে উক্ত চুক্তি দ্বারা এই অধ্যায়ের অধীন কোনো ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দায় যতখানি অপসারিত অথবা হ্রাস করা হইবে ততখানি পর্যন্ত বাতিল হইবে।",
"name": "দায়মুক্তি বা লাঘবের চুক্তি বাতিল",
"related_acts": "",
"section_id": 85
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮৬। (১) এই অধ্যায়ের অধীন কোনো কার্যক্রমে কোনো শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দায় অথবা জখমপ্রাপ্ত ব্যক্তি শ্রমিক কিনা, অথবা ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও মেয়াদ, অথবা কোনো অক্ষমতার প্রকৃতি বা পরিমাণ সম্পর্কে যদি কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহা হইলে প্রশ্নটি, কোনো চুক্তির অবর্তমানে, ইপিজেড শ্রম আদালত নিষ্পত্তি করিবে। (২) এই অধ্যায়ের অধীন যে প্রশ্ন নিষ্পত্তি করিবার এখতিয়ার ইপিজেড শ্রম আদালতকে দেওয়া আছে, সে সম্পর্কে অথবা এই অধ্যায়ের অধীন কোনো দায় বলবৎ করিবার ব্যাপারে কোনো দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার থাকিবে না।",
"name": "কতিপয় প্রশ্ন ইপিজেড শ্রম আদালতে নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 86
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮৭। যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের অধীন কোনো বিষয় ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক বা ইপিজেড শ্রম আদালত সমীপে সম্পাদন হইবার কথা সেক্ষেত্রে উহা এই অধ্যায়ের এবং কোনো বিধির বিধান সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক বা ইপিজেড শ্রম আদালত সমীপে সম্পাদিত হইবে যাহার এলাকার মধ্যে যে দুর্ঘটনার ফলে জখম হইয়াছে বা উহা ঘটিয়াছে।",
"name": "কার্যধারার স্থান",
"related_acts": "",
"section_id": 87
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮৮। এই অধ্যায়ের অধীন কোনো ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক নিজে অথবা পোষ্য কর্তৃক ক্ষতিপূরণের দরখাস্ত ব্যতীত, কোনো বিষয় নিষ্পত্তির জন্য ইপিজেড শ্রম আদালতে দরখাস্ত করা যাইবে না যদি না উভয়পক্ষ উক্ত বিষয় সম্পর্কে উত্থিত কোনো প্রশ্ন চুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হন।",
"name": "দরখাস্তের শর্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 88
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৮৯। (১) যেক্ষেত্রে জখমের ফলে মৃত কোনো শ্রমিক সম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ বাবদ কোনো অর্থ মালিক কর্তৃক জমা দেওয়া হইয়াছে এবং ইপিজেড শ্রম আদালতের মতে উক্ত অর্থ অপর্যাপ্ত, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইপিজেড শ্রম আদালত উহার যুক্তি উল্লেখপূর্বক লিখিত নোটিশ জারি করিয়া, উহাতে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, আরও অধিক অর্থ কেন জমা করা হইবে না তৎসম্পর্কে কারণ দর্শানোর জন্য মালিককে নির্দেশ দিতে পারিবে। (২) যদি মালিক ইপিজেড শ্রম আদালতের সন্তোষমত কারণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত ইপিজেড শ্রম আদালত ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট প্রদেয় অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করিয়া রোয়েদাদ দিতে পারিবে এবং মালিককে উক্ত পরিমাণের ঘাটতি অর্থ জমা দিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।",
"name": "মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক অতিরিক্ত জমা তলব করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 89
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯০। (১) এই অধ্যায়ের অধীন প্রদত্ত ইপিজেড শ্রম আদালতের নিম্নবর্ণিত আদেশের বিরুদ্ধে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাইবে, যথা :- (ক) ক্ষতিপূরণ হিসাবে থোক অর্থ রোয়েদাদের আদেশ, উহা মাসিক অর্থ পরিশোধ করিয়া হউক অথবা অন্যভাবে হউক, অথবা থোক অর্থ প্রদানের দাবি সম্পূর্ণ বা আংশিকনা-মঞ্জুরের আদেশ; (খ) অর্থ পরিশোধ করতঃ মাসিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের দায় হইতে মুক্ত হইবার আবেদন প্রত্যাখ্যানের আদেশ; (গ) কোনো মৃত শ্রমিকের পোষ্যগণের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ বণ্টনের ব্যবস্থা সম্বলিত আদেশ, অথবা উক্তরূপ পোষ্য বলিয়া দাবিদার কোনো ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ পাইবার দাবী না-মঞ্জুরের আদেশ; (ঘ) কোনো চুক্তির অধীন ক্ষতিপূরণের কোনো অর্থ দাবি মঞ্জুর বা না-মঞ্জুরের আদেশ; (ঙ) চুক্তির স্মারকলিপির নিবন্ধিকরণ প্রত্যাখ্যান, অথবা উহার নিবন্ধিকরণ অথবা উহার শর্তসাপেক্ষে নিবন্ধিকরণের আদেশ; অথবা (চ) ক্ষতিপূরণ বণ্টন সংক্রান্ত প্রদত্ত কোনো আদেশ। (২) পক্ষগণ কর্তৃক ইপিজেড শ্রম আদালতের সিদ্ধান্ত মানিয়া চলিতে সম্মত হইবার ক্ষেত্রে অথবা পক্ষগণের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি কার্যকর করিবার জন্য ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল চলিবে না। (৩) মালিক কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর অধীন কোনো আপিল দায়ের করা যাইবে না যদি না আপিলের স্মারকলিপির সহিত ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এই মর্মে প্রত্যয়নপত্র থাকে যে, আপিলকারী উক্ত আদালতে সংশ্লিষ্ট আদেশের অধীন প্রদেয় অর্থ জমা দিয়াছেন। (৪) কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল চলিবে না যদি না আপিলে কোনো উল্লেখযোগ্য আইনগত প্রশ্ন জড়িত থাকে, এবং উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত কোনো আদেশ ব্যতীত অন্য কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল চলিবে না, যদি না আপিলে বিরোধীয় অর্থের পরিমাণ অন্যূন ১ (এক) হাজার টাকা হয়। (৫) এই ধারার অধীন আপিলের জন্য তামাদির মেয়াদ হইবে ৬০ (ষাট) দিন।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 90
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯১। যেক্ষেত্রে কোনো মালিক ধারা ৯০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এ উল্লিখিত আপিল দায়ের করেন, সেই ক্ষেত্রে ইপিজেড শ্রম আদালত, আপিলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে, উহার নিকট জমাকৃত কোনো অর্থ পরিশোধ স্থগিত রাখিতে পারিবে।",
"name": "আপিলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে কতিপয় পরিশোধ স্থগিতকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 91
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯২। এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:- (ক) কোনো শ্রমিকের দ্বিতীয় তপশিলে উল্লিখিত ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হইবার বিষয়ে নোটিশ প্রদান, ব্যাধির কারণ এবং তদন্ত সম্পর্কিত বিষয়; (খ) চাকরি সম্পর্কিত বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি; (গ) ক্ষতিপূরণ বণ্টন; (ঘ) ক্ষতিপূরণ পরিশোধ পদ্ধতি; (ঙ) চুক্তি, চুক্তি নিবন্ধিকরণ, চুক্তি নিবন্ধন করিতে ব্যর্থতার ফলাফল; (চ) জখমের ফলে মৃত কোনো শ্রমিক সম্পর্কে প্রদেয় কোনো ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত অক্ষমতার অধীন কোনো ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ বণ্টন ও এতৎসংক্রান্ত বিষয়াদি; (ছ) এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য অর্থ আদায়; (জ) ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক মাসিক ক্ষতিপূরণ পুনর্বিবেচনা; এবং (ঝ) ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদত্ত কোনো অর্থ হস্তান্তর করা সম্পর্কে অন্য কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবস্থা কার্যকরণ পদ্ধতি।",
"name": "এই অধ্যায়ের অধীন বিধি প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 92
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯৩। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে এই অধ্যায়ে “শ্রমিক” অর্থ ধারা ২ এর দফা (৪৮) এ সংজ্ঞায়িত কোনো শ্রমিক, এবং এই অধ্যায়ের অধীন কোনো শিল্প বিরোধের প্রশ্নে এই আইন অনুসারে কার্যক্রম শুরু করিবার ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইতে পারিবে, যাহাকে শাস্তিমূলকভাবে বরখাস্ত, পদচ্যুত, ছাঁটাই অথবা লে-অফ করা হইয়াছে, অথবা উক্ত বিরোধের সূত্র ধরিয়া বা উক্ত বিরোধের কারণে অন্য কোনোভাবে চাকরি হইতে অপসারণ করা হইয়াছে, অথবা যাহার শাস্তিমূলক পদচ্যুতি, বরখাস্ত, লে-অফ অথবা অপসারণের কারণে উক্ত বিরোধের উৎপত্তি হইয়াছে, কিন্তু নিম্নলিখিত ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা :- (ক) পাহারা ও টহলদারী (watch and ward) সদস্য, গাড়ি চালক, কনফিডেনসিয়াল সহকারী, সাইফার সহকারী, অনিয়মিত শ্রমিক এবং রন্ধনশালা বা খাদ্য প্রস্ত্ততকারী ঠিকাদার কর্তৃক নিয়োজিত শ্রমিক; (খ) করণিক কাজে নিয়োজিত শ্রমিক।",
"name": "শ্রমিকের বিশেষ সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 93
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯৪। (১) কোনো জোনে অবস্থিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের, এই অধ্যায়ের বিধানাবলি সাপেক্ষে, শ্রম-সম্পর্ক বিষয়ে কার্যসম্পাদনের নিমিত্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন করিবার এবং গঠনতন্ত্র সাপেক্ষে শ্রমিক কল্যাণ সমিতিতে যোগদানের অধিকার থাকিবে। (২) যদি কোনো জোনে অবস্থিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণ কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন করিতে আগ্রহী হইয়া থাকেন, তাহা হইলে প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিকের পক্ষে একটি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন করিবার জন্য উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্থায়ী শ্রমিকগণের অন্যূন ২০% (বিশ শতাংশ) শ্রমিক নির্বাহী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক) এর নিকট নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ সম্বলিত আবেদন করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন স্থায়ী শ্রমিকগণ শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের উদ্দেশ্যে আবেদনপত্রের সাথে প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র, আইডি কার্ড এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি দাখিল করিবেন। (৪) কোনো মালিক কোনো প্রকারেই কোনো শ্রমিকের প্রতি উপ-ধারা (২) এর অধীন দরখাস্তের পক্ষ হইবার জন্য কোনোরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করিবে না, এবং এইরূপ কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ করিলে উহা ধারা ১১৫ এর অধীন মালিক কর্তৃক অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে। (৫) যে প্রতিষ্ঠানের জন্য শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠিত হইবে উহাতে কর্মরত স্থায়ী মহিলা শ্রমিকদের মধ্য হইতে উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদে ন্যূনতম ৩০% মহিলা সদস্য থাকিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে মহিলা শ্রমিক না থাকিলে উক্তরূপ বিধান প্রযোজ্য হইবে না। (৬) পৃথক নিগমিতকরণ সনদসহ (Certificate of Incorporation) কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধিত কোনো মালিক কোনো জোনে কার্যরত থাকিলে উক্ত জোনে উক্ত কোম্পানির অধীন একটি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি থাকিবে : তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধিত একই মালিকের অধীন কোনো জোনে ২ (দুই) বা ততোধিক শিল্প ইউনিট থাকিলে উহারা এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য হইবে। ব্যাখ্যা । - এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে ‘‘শিল্প ইউনিট’’ অর্থ কোনো জোনে স্থাপিত একই মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনার উদ্দেশ্যে ও সম্পর্কযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত কোনো শিল্প ইউনিট।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 94
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯৬। (১) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্রের কোনো বিধান এই আইনের কোনো বিধানের পরিপন্থি হইবে না। (২) শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই আইনের অধীন নিবন্ধনের অধিকারী হইবে না, যদি না উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত হইয়া থাকে, যথা:- (ক) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নাম ও ঠিকানা; (খ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের উদ্দেশ্য; (গ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য হইবার যোগ্যতা ও পদ্ধতি; (ঘ) একটি সাধারণ পরিষদ, যাহার সদস্য হইবেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য হিসাবে নিবন্ধিত সকল স্থায়ী শ্রমিক; (ঙ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধির সংখ্যা যাহা নির্ধারিত পন্থায় ০৫ (পাঁচ) জনের কম এবং ১৫ (পনেরো) জনের বেশী হইবে না; (চ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির তহবিলের উৎস এবং উক্ত তহবিল হইতে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রসমূহ; (ছ) যে সকল শর্তে একজন সদস্য শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকারী হইবেন অথবা যে সকল শর্তে একজন সদস্যের উপর কোনো জরিমানা বা বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করা হয়; (জ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ এবং প্রতিনিধি কিংবা সমিতির সদস্যগণ কর্তৃক উক্ত তালিকা পরিদর্শনের জন্য রাখা সুবিধাদির বিবরণ; (ঝ) গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন বা বাতিল হইবার পদ্ধতি; (ঞ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির তহবিলের নিরাপত্তা, হেফাজত, উহার বাৎসরিক নিরীক্ষা, নিরীক্ষার পদ্ধতি এবং প্রতিনিধি ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্যগণ কর্তৃক হিসাব বহিসমূহ পরিদর্শনের নিমিত্ত রাখা সুবিধাদি; (ট) শ্রমিক কল্যাণ সমিতি বাতিলকরণ সম্পর্কিত পদ্ধতি; (ঠ) নির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের পদ্ধতি; (ড) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ পরিষদ হইতে পদত্যাগ ও সদস্যপদ বাতিল হইবার পদ্ধতি; (ণ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপনের পদ্ধতি; এবং (ত) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের এবং সাধারণ সদস্যগণের সভা আহ্বান, যাহা নির্বাহী পরিষদের ক্ষেত্রে প্রতি ০৩ (তিন) মাসে অন্তত একবার এবং সাধারণ সদস্যগণের ক্ষেত্রে প্রতি বৎসরে অন্তত একবার হইতে হইবে। (৩) নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি জোন বহির্ভূত কোনো উৎস হইতে কোনো অর্থ সংগ্রহ বা গ্রহণ করিবে না।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্র",
"related_acts": "",
"section_id": 95
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯৫। (১) ধারা ৯৪ অনুযায়ী শ্রমিকগণ শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করিলে উহার নিবন্ধিকরণের জন্য একজন আহ্বায়কের স্বাক্ষরে, নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ উল্লেখ করিয়া আবেদন করিবেন যথা:- (ক) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নাম ও ঠিকানা; (খ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের তারিখ; (গ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্যদের পদবি, নাম, বয়স, ঠিকানা, পেশা ; (ঘ) চাঁদা প্রদানকারী সদস্যগণের পরিপূর্ণ বিবরণ; (ঙ) যে প্রতিষ্ঠানের সহিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি সংশ্লিষ্ট উহার নাম এবং উহাতে নিযুক্ত বা কর্মরত শ্রমিকের মোট সংখ্যা। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদনপত্রের সহিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্রের তিনটি অনুলিপি প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতি নিবন্ধনের জন্য আবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 96
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯৭। (১) নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই আইনের অধীন সকল শর্ত প্রতিপালন করিয়াছে এবং গঠনতন্ত্র প্রণীত হইয়াছে তাহা হইলে তিনি ধারা ৯৫ এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতিকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন প্রদান করিবেন। (২) যদি নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় কোনো বিষয় বা বিষয়াদির অপূর্ণতা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে তাহার আপত্তি উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতিকে আবেদন প্রাপ্তির ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে অবহিত করিবেন এবং অবহিত হইবার ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি উক্ত আপত্তিসমূহের জবাব প্রদান করিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন উত্থাপিত আপত্তিসমূহের জবাব নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট সন্তোষজনক প্রতীয়মান হইলে, তিনি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতিকে নিবন্ধন প্রদান করিবেন এবং জবাব সন্তোষজনক না হইলে আবেদন প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবেন। (৪) নির্বাহী চেয়ারম্যান উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করিলে বা আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করিলে, শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ইপিজেড শ্রম আদালতে আবেদন পেশ করিতে পারিবে; এবং ইপিজেড শ্রম আদালত নির্বাহী চেয়ারম্যানকে উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি নিবন্ধন এবং নিবন্ধন সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে অথবা আবেদন খারিজ করিতে পারিবে। (৫) শ্রমিকগণের কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই অধ্যায়ের অধীন নিবন্ধিকরণের অধিকারী হইবে না, যদি যে প্রতিষ্ঠানে উহা গঠিত হইয়াছে, সে প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত 2০% স্থায়ী শ্রমিক উহার সদস্য না হয়: তবে শর্ত থাকে যে, একই জোনে একই মালিকের অধীন একাধিক প্রতিষ্ঠান যদি একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে একে অপরের সহিত সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত হয়, তাহা হইলে উহারা যেখানেই স্থাপিত হউক না কেন এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যে একটি প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নিবন্ধন",
"related_acts": "",
"section_id": 97
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯৮। ধারা ৯৭ এর অধীন কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি নিবন্ধিত হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্ধারিত ফরমে নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবেন।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নিবন্ধন সম্পর্কিত সনদ",
"related_acts": "",
"section_id": 98
},
{
"act_id": 1285,
"details": "৯৯। (১) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্রের প্রত্যেক সংশোধন, উহার প্রতিনিধির প্রত্যেক পরিবর্তন, এবং উহার নাম ও ঠিকানার পরিবর্তন উহাতে উক্তরূপ সংশোধন বা পরিবর্তনের ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অথবা হাতে হাতে নোটিশ প্রদান করিয়া কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিতে হইবে, এবং কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্তরূপ নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উহার একটি কপি সংশ্লিষ্ট মালিককে, তাহার অবগতির জন্য প্রেরণ করিবে। (২) কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্তরূপ কোনো সংশোধন বা পরিবর্তন রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিতে পারিবেন যদি উহা এই আইনের কোনো বিধানের অথবা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্রের কোনো বিধানের খেলাপ করিয়া করা হয়। (৩) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের কোনো সদস্যের সমিতির সাথে সংযুক্তি/বিযুক্তি সংগঠিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরিত নোটিশ মারফত কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিতে হইবে। (৪) যদি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনো বিরোধ থাকে, অথবা উপ-ধারা (২) এর অধীন কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রত্যাখ্যান আদেশ দ্বারা কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি সংক্ষুব্ধ হয়, তাহা হইলে উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির যে কোনো সদস্য বা প্রতিনিধি ইপিজেড শ্রম আদালতে আপিল করিতে পারিবেন। (৫) ইপিজেড শ্রম আদালত উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোনো আপিল প্রাপ্তির ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে উহার শুনানির পর, উপযুক্ত বিবেচনা করিলে উহার রায়ে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সংশোধন অথবা উহার প্রতিনিধির পরিবর্তন রেজিস্ট্রি করার জন্য কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে, অথবা কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সমিতির নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে।",
"name": "গঠনতন্ত্র এবং নির্বাহী পরিষদের কতিপয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নোটিশ প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 99
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০০। কোনো জোনে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে একের অধিক শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন করা যাইবে না।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সংখ্যা সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা",
"related_acts": "",
"section_id": 100
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০১। একই জোনে ২ (দুই) বা ততোধিক শিল্প ইউনিট একই মালিকের অধীন কিনা অথবা একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে উহারা পরস্পর সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত কিনা সেই প্রশ্নে কোনো সন্দেহ বা বিরোধ উদ্ভূত হইলে, তদ্বিষয়ে নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "শিল্প ইউনিটের মালিকানা নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 101
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০২। (১) একজন শ্রমিক যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত থাকিবেন, তিনি কেবল সেই শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য হইবার অধিকারী হইবেন। (২) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে। (৩) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির প্রত্যেক সদস্যের কাজ হইবে কর্মসময়ে নিজ দায়িত্ব পালন, প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিক এবং মালিক সকলেরই অঙ্গীভূত হওয়ার ভাব প্রোথিত ও প্রসার করা, প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিকগণের অঙ্গীকার ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা, শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, সমঝোতা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো, শৃঙ্খলাবোধ উৎসাহিত করা, এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং অপচয় রোধ করা । (৪) ধারা ১১৩ এর অধীন শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশন গঠনের অধিকার ব্যতীত, কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এলাকা বা এলাকা বহির্ভূত অন্য কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সহিত অধিভুক্ত হইতে কিংবা অন্য কোনো প্রকার সংস্রব রক্ষা করিতে পারিবে না।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্যপদ এবং কর্মকাণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 102
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০৩। (১) ধারা ৯৭ অনুযায়ী কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি নিবন্ধন পাইলে শ্রমিকগণ অন্যূন ৬০ (ষাট) দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করিয়া কর্তৃপক্ষকে নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনুরোধ করিবেন। (২) শ্রমিকগণের আবেদন প্রাপ্তির পর, নির্ধারিত পন্থায় কোনো নির্বাচনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী শ্রমিকগণ কর্তৃক শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ নির্বাচিত হইবেন: তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী শ্রমিকগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিক ভোট প্রদান না করিলে নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অকার্যকর হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর শর্তে বর্ণিত কারণে নির্বাহী পরিষদের কোনো নির্বাচন অকার্যকর হইলে শ্রমিকগণ নির্ধারিত পন্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ০৬ (ছয়) মাস পরে পুনরায় নির্বাচন করিতে পারিবে। (৪) কেবল স্থায়ী শ্রমিকগণ এই অধ্যায়ের অধীন সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদে নির্বাচিত হইবার এবং ভোট প্রদান করিবার অধিকারী হইবেন।",
"name": "নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন",
"related_acts": "",
"section_id": 103
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০৪। নির্বাহী পরিষদ এই আইনের অধীন নির্বাচিত হইয়া থাকিলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান উহা অনুমোদন করিবেন।",
"name": "নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন",
"related_acts": "",
"section_id": 104
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০৫। পূর্বেই নিবন্ধন বাতিল বা কোনো প্রকারে অবসায়ন না হইয়া থাকিলে, কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ হইবে ধারা ১০৪ এর অধীন অনুমোদিত হইবার তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর।",
"name": "নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ",
"related_acts": "",
"section_id": 105
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০৬। (১) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন উহার নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্ববর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হইবে। (২) নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বেই যদি কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদ ভাঙ্গিয়া যায়, তাহা হইলে অনুরূপ ভাঙ্গিয়া যাইবার পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।",
"name": "পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠান",
"related_acts": "",
"section_id": 106
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০৭। কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্রে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো শ্রমিক কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য হইবার বা থাকিবার অধিকারী হইবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত বা এই আইন কিংবা অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন বা দণ্ডিত হইয়া মুক্তি পাইবার পর ২ (দুই) বৎসরকাল অতিবাহিত হইয়া না থাকে।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য হইবার অযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 107
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০৮। প্রতিটি নিবন্ধিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ সংরক্ষণ করিবে, যথা :- (ক) একটি রেজিস্টার, যাহাতে প্রত্যেক সদস্য কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদার বিবরণ উল্লেখ থাকিবে; (খ) একটি হিসাব বহি, যাহাতে আয় ও ব্যয় সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখ থাকিবে; এবং (গ) একটি কার্যবিবরণী বহি, যাহাতে সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ থাকিবে।",
"name": "নিবন্ধিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি কর্তৃক রেজিস্টার, ইত্যাদি সংরক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 108
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১০৯। (১) নির্বাহী চেয়ারম্যান নিম্নবর্ণিত যে কোনো কারণে কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন, যথা :- (ক) কোনো কারণে উহার অবসান বা বিলুপ্তি হইয়া থাকিলে; (খ) প্রতারণা অথবা অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে; (গ) গঠনতন্ত্রের কোনো মৌলিক বিধান লঙ্ঘন করিলে; (ঘ) অন্যায় আচরণ করিলে; (ঙ) এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো বিধান গঠনতন্ত্রে সন্নিবেশ করিলে; (চ) এই আইনের অধীন আবশ্যকমতে বাৎসরিক প্রতিবেদন নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করিতে ব্যর্থ হইলে; (ছ) নির্বাচিত হইবার অযোগ্য কোনো ব্যক্তিকে প্রতিনিধি পদে নির্বাচিত করিলে; অথবা (জ) এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের বিধান লঙ্ঘন করিলে।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নিবন্ধন বাতিল",
"related_acts": "",
"section_id": 109
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১০। (১) ধারা ১০৯ এর অধীন কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নিবন্ধন বাতিলের কারণে কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি সংক্ষুব্ধ হইলে উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি নিবন্ধন বাতিলের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে দরখাস্ত করিয়া নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করিতে পারিবে এবং ইপিজেড শ্রম আদালত তর্কিত আদেশ বহাল রাখিতে, বাতিল বা সংশোধন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি সংক্ষুব্ধ হইলে , অনুরূপ আদেশ প্রদত্ত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করিতে পারিবে এবং এক্ষেত্রে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 110
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১১। (১) অনিবন্ধিত, অথবা নিবন্ধন বাতিল করা হইয়াছে, এইরূপ কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতি হিসাবে কার্য করিতে পারিবে না। (২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির জন্য কোনোরূপ চাঁদা সংগ্রহ করা যাইবে না।",
"name": "নিবন্ধন ব্যতিরেকে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি কর্তৃক কার্য সম্পাদন নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 111
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১২। (১) প্রতিটি নিবন্ধিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে, যাহার স্থায়ী ধারাবাহিকতাসহ একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং নিবন্ধিত নামে উহার চুক্তি সম্পাদন এবং সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে। (২) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মালিক শিল্প এলাকার অভ্যন্তরে স্থানের ব্যবস্থা করিবে।",
"name": "নিবন্ধিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা",
"related_acts": "",
"section_id": 112
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১৩। (১) কোনো এলাকায় গঠিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতিসমূহের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) এর অধিক শ্রমিক কল্যাণ সমিতি সম্মত হইলে, উহারা উক্ত এলাকায় শ্রমিক কল্যাণ সমিতিসমূহের একটি ফেডারেশন গঠন করিতে পারিবে। (২) পূর্বেই বাতিল কিংবা অবসায়ন হইয়া না থাকিলে, উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশন নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী৪ (চার) বৎসরের জন্য বহাল থাকিবে। (৩) কোনো এলাকায় গঠিত কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশন অন্য কোনো এলাকার ফেডারেশন অথবা এলাকা বহির্ভূত অন্য কোনো ফেডারেশনের সহিত অধিভুক্ত হইতে কিংবা অন্য কোনো প্রকারের সংস্রব রক্ষা করিতে পারিবে না। (৪) কর্তৃপক্ষ প্রবিধান দ্বারা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশনের গঠন, নির্বাচনের পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ করিবে।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশন",
"related_acts": "",
"section_id": 113
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১৪। (১) কোনো জোনে অবস্থিত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকগণ সম্মত হইলে, শ্রম-সম্পর্ক বিষয়ে মালিক প্রতিনিধি হিসাবে কার্যসম্পাদনের নিমিত্ত, তাহারা উক্ত জোনে মালিক সমিতি গঠন করিতে এবং উক্ত সমিতিতে যোগদান করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের একটি ভোট থাকিবে এবং সকল ভোটার মালিক সমিতির সদস্য হইবে। (২) কোনো মালিক সমিতি জোন বহির্ভূত অন্য কোনো সমিতির সহিত অধিভুক্ত হইতে কিংবা অন্য কোনো প্রকারের সংস্রব রক্ষা করিতে পারিবে না। (৩) কর্তৃপক্ষ প্রবিধান দ্বারা মালিক সমিতির গঠন, নির্বাচনের পদ্ধতি, নিবন্ধন, সমিতির নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ এবং অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ করিবে।",
"name": "মালিক সমিতি",
"related_acts": "",
"section_id": 114
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১৫। (১) কোনো মালিক বা মালিক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা মালিকের দায়িত্ব পালনকারী কোনো ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কোনো কাজ করিলে উহা অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে, যথা :- (ক) চাকরি প্রদানের চুক্তিতে কোনো ব্যক্তির, যিনি উক্ত চুক্তির পক্ষ, কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতিতে যোগদানের বা কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্যপদ অব্যাহত রাখিবার অধিকার ক্ষুণ্ন করিয়া কোনো শর্ত আরোপ করা; (খ) কোনো শ্রমিক, শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য বা প্রতিনিধি পদে বহাল আছেন বা নাই, উহার ভিত্তিতে উক্ত ব্যক্তিকে চাকরিতে বহাল রাখিতে অস্বীকার করা; (গ) কোনো শ্রমিককে পদোন্নতি না দেওয়া, চাকরি হইতে বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারণ করা, অথবা বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারনের হুমকি প্রদর্শন করা, অথবা চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত করিবার হুমকি প্রদর্শন করা, এই কারণে যে উক্ত শ্রমিক- (অ) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য বা প্রতিনিধি হইয়াছেন বা হইবার ইচ্ছা পোষণ করিয়াছেন, অথবা সদস্য বা প্রতিনিধি হইবার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে উৎসাহিত করিবার চেষ্টা করিয়াছেন; (আ) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির উন্নয়ন, গঠন বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কর্মতৎপরতা চালাইবার কাজে অংশগ্রহণ করিয়াছেন; অথবা (ই) এই আইনের অধীন কোনো অধিকার প্রয়োগ করিয়াছেন; (ঘ) কোনো ব্যক্তিকে কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য বা প্রতিনিধি না হইবার জন্য অথবা সদস্য বা প্রতিনিধি হইয়া থাকিলে সেই পদ ত্যাগ করিবার জন্য প্রলুব্ধ করা এবং উক্ত উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সুযোগ প্রদান বা প্রদানে ব্যত্যয় করা; (ঙ) ভীতি-প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোনো স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতি, পানি, বিদ্যুৎ বা টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বা অনুরূপ কোনো কৌশল অবলম্বনপূর্বক শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো প্রতিনিধিকে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করিতে বাধ্য করা; (চ) এই আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা, অথবা অন্য কোনোভাবে প্রভাব বিস্তার করা; অথবা (ছ) ধারা ১৩১ এর অধীন সংঘটিত ধর্মঘটের সময় অথবা বে-আইনী নহে এমন ধর্মঘট চলাকালীন কোনো নতুন শ্রমিক নিয়োগ করা: তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হইয়া গেলে যন্ত্রপাতির বা ইউনিটের গুরুতর ক্ষতি হইবে, তাহা হইলে তিনি সংশ্লিষ্ট শাখায় সীমিত সংখ্যক শ্রমিককে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন। (২) শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বসম্পন্ন পদে নিয়োগ বা পদোন্নতির কারণে কোনো ব্যক্তির শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য বা প্রতিনিধির পদ বাতিল হইবার কিংবা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য বা প্রতিনিধি পদে তাহার অধিষ্ঠিত থাকিবার যোগ্যতা হারাইবার বিষয়ে মালিকের অধিকার উপ-ধারা (১) এর বিধান দ্বারা ক্ষুণ্ণ হইবে না।",
"name": "মালিকের তরফে অন্যায় আচরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 115
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১৬। (১) মালিকের বিনা অনুমতিতে কোনো শ্রমিক বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো সদস্য বা কোনো প্রতিনিধি তাহার কর্মসময়ে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকিবেন না; নিয়োজিত থাকিলে উহা শ্রমিক বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য বা প্রতিনিধির অন্যায় আচরণ হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো যৌথ দর-কষাকষি এজেন্টের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের এই আইনের অধীন শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো কমিটি, আলাপ-আলোচনা, সালিশ, মধ্যস্থতা অথবা অন্য কোনো কর্মধারা সম্পাদনে নিয়োজিত থাকার ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না যদি মালিককে তদ্সম্পর্কে যথাসময়ে অবহিত করা হয় । (২) কোনো শ্রমিক বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এবং উক্ত শ্রমিক বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির পক্ষে কর্মসম্পাদনকারী বা ভারপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কোনো কাজ করিলে উহা অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে, যথা :- (ক) শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মসময়ে কোনো শ্রমিককে শ্রমিক কল্যাণ সমিতিতে যোগদানের জন্য বা যোগদান করা হইতে বিরত থাকিবার জন্য উৎসাহিত করা; (খ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য বা প্রতিনিধি হইবার জন্য, বা উহা হইতে বিরত থাকিবার জন্য অথবা সদস্য বা প্রতিনিধি পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার বা না থাকিবার জন্য কোনো ব্যক্তিকে ভীতি প্রদর্শন করা; (গ) কোনো ব্যক্তিকে কোনোরূপ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করিবার প্রলোভন দেখাইয়া, অথবা কোনোরূপ সুযোগ-সুবিধা আদায় করিয়া বা আদায় করিয়া দেওয়ার প্রলোভন দেখাইয়া, শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সদস্য বা প্রতিনিধি পদে যোগদান করা হইতে বিরত থাকিবার অথবা সদস্য পদ ত্যাগ করিবার জন্য প্রলুব্ধ করা; (ঘ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোনো স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতিসাধন, টেলিফোন, পানি বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া বা অনুরূপ অন্য কোনো কৌশল অবলম্বনপূর্বক কোনো মীমাংসা-স্মারকে স্বাক্ষরদানের জন্য মালিককে বাধ্য করা বা বাধ্য করিবার চেষ্টা করা; অথবা (ঙ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোনো স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতিসাধন, টেলিফোন, পানি বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া বা অনুরূপ অন্য কোনো কৌশল অবলম্বনপূর্বক কোনো শ্রমিককে কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির তহবিলে চাঁদা প্রদানের জন্য বা চাঁদা প্রদান করা হইতে বিরত রাখিবার জন্য বাধ্য করা বা বাধ্য করিবার চেষ্টা করা; (চ) কোনো বেআইনী ধর্মঘট অথবা শ্লথ গতিতে কাজ শুরু করা বা চালু রাখা; অথবা উহাতে অংশগ্রহণের জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত করা; (ছ) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো দাবি অথবা উহার কোনো লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কোনো ঘেরাও, পরিবহন অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি অথবা কোনো সম্পত্তির ধ্বংস সাধন করা। (৩) কোনো শ্রমিক বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই আইনের অধীন কোনো নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণে অবাঞ্ছিত প্রভাব বিস্তার, ভীতি প্রদর্শন, জালিয়াতি, অথবা নির্বাহী পরিষদ বা উহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির মারফত উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করিলে উহা শ্রমিক বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির জন্য অন্যায় আচরণ হইবে।",
"name": "শ্রমিক বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির তরফে অন্যায় আচরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 116
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১৭। (১) শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও মালিকের মধ্যে সম্পাদিত কোনো চুক্তি পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং উহা ইপিজেড শ্রম আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য। (২) এই ধারার অধীনে কোনো চুক্তি বলবৎকরণ বা চুক্তি ভঙ্গের কারণে ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোনো মামলা কোনো দেওয়ানী আদালতে গ্রহণযোগ্য হইবে না।",
"name": "চুক্তির বলবৎযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 117
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১৮। প্রত্যেক শ্রমিক কল্যাণ সমিতি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত তারিখের মধ্যে, ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিগত বৎসরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা করাইবে এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ উক্ত বৎসরে উহার সম্পদ ও দায়-দায়িত্বের সাধারণ বিবরণী নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করিবে।",
"name": "হিসাব ও তথ্য দাখিল",
"related_acts": "",
"section_id": 118
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১১৯। (১) কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট হইবে। (২) মালিকের সহিত মজুরি, কর্মঘণ্টা এবং নিয়োগের অন্যান্য শর্তাদি বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করিবার অধিকার যৌথ দর-কষাকষি এজেন্টের থাকিবে এবং আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্যে তথ্য প্রাপ্তির জন্য শ্রমিক কল্যাণ সমিতি কর্তৃক পেশকৃত কোনো যুক্তিসংগত অনুরোধ মালিক অস্বীকার করিবে না। (৩) কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কিত যৌথ দর-কষাকষি এজেন্টের উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বিষয়ের অতিরিক্ত নিম্নবর্ণিত বিষয়েও অধিকার থাকিবে, যথা :- (ক) শ্রমিকদের নিয়োগ ও নিয়োগের শর্ত সংক্রান্ত বিষয়ে মালিকের সহিত যৌথ দর-কষাকষি করা; (খ) কোনো কার্যক্রমে সকল শ্রমিক বা কোনো একজন শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করা; এবং (গ) এই আইনের বিধানাবলি অনুসারে ধর্মঘটের নোটিশ প্রদান ও ধর্মঘট ঘোষণা করা। (৪) যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি রহিয়াছে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কেবল প্রারম্ভিক মজুরি প্রযোজ্য হইবে, যাহা প্রবেশ পর্যায়ে, আইন অথবা প্রযোজ্য কোনো আইনগত আদেশ দ্বারা, তাহাদের জন্য নির্ধারণ করা হইয়াছে এবং অন্যান্য মজুরি সম্পর্কিত বিষয়াদি, যথামজুরি বৃদ্ধি, পদোন্নতি অথবা অন্যান্য বর্ধিত সুবিধাদি মালিক ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হইবে।",
"name": "যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট (Collective Bargaining Agent)",
"related_acts": "",
"section_id": 119
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২০। (১) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদ অনুরোধ করিলে, মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণের লিখিত সম্মতিক্রমে তাহাদের মজুরি হইতে মালিক এবং শ্রমিক পক্ষ সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ (টাকা) শ্রমিক কল্যাণ সমিতি কর্তৃক পেশকৃত ডিমান্ড স্টেটমেন্ট অনুযায়ী কর্তন করিয়া শ্রমিক কল্যাণ সমিতি তহবিলে চাঁদা হিসাবে জমা করিবে। (২) কোনো শ্রমিকের লিখিত সম্মতি ব্যতিরেকে তাহার মজুরি হইতে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো চাঁদা কর্তন করা যাইবে না। (৩) কোনো মালিক উপ-ধারা (১) এর অধীন মজুরি হইতে টাকা কর্তন করিয়া থাকিলে উক্ত কর্তনের সমুদয় অর্থ পরবর্তী ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে যে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির পক্ষে উহা কর্তন করা হইয়াছে সেই শ্রমিক কল্যাণ সমিতির হিসাবে জমা করিবে। (৪) উপ-ধারা (১) এর অধীনে শ্রমিকদের মজুরি হইতে চাঁদা কর্তন করা হইতেছে কি না তাহা যাচাই করিবার জন্য মালিক নির্বাহী পরিষদকে পূর্ণ সুযোগ প্রদান করিবে। (৫) নির্বাহী পরিষদ প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসরের শুরুতে পূর্ববর্তী বৎসরের আর্থিক বিবরণসহ চলতি বৎসরের আয়-ব্যয় সম্বলিত রাজস্ব বাজেট অনুমোদনের জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যান অথবা তাহার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট জমা দিবে। একইসাথে উক্ত আর্থিক বিবরণীর হিসাব শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সকল সাধারণ সদস্যকে অবহিত করিবে।",
"name": "চাঁদা কর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 120
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২১। (১) কোনো মালিক বা কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান উহার শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো প্রতিনিধি হইবার কারণে কোনো শ্রমিকের সঙ্গে কোনোরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করিবে না। (২) কোনো মালিক বা কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নিম্নরূপ কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে না- (ক) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো প্রতিনিধিকে এক জোন হইতে অন্য জোনে অথবা এক শিল্প প্রতিষ্ঠান বা ইউনিট হইতে অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে বা ইউনিটে প্রতিনিধির সম্মতি ব্যতিরেকে বদলি; (খ) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধিকে চাকরি হইতে বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোনোভাবে কর্মচ্যুত : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো প্রতিনিধিকে এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন নিষিদ্ধ বা অন্যায় আচরণের অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরি হইতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে বা তাহার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করিতে মালিক বারিত বলিয়া গণ্য হইবে না। (৩) উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এর অধীন কোনো প্রতিনিধির সম্মতিক্রমে তাহার বদলি এবং দফা (খ) এ উল্লিখিত কোনো প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কোনোরূপ কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান, প্রয়োজনে, তদন্তের মাধ্যমে এতদ্সংক্রামত্ম সত্যতা নিরূপণ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন মালিকের যে কোনো কার্যের বৈধতার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত প্রদানে নির্বাহী চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব থাকিবে, এবং তিনি মালিকের সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে বা বাতিল করিতে এবং কোনো প্রতিনিধিকে স্ব-পদে পুনর্বহাল এবং তাহার অপরিশোধিত মজুরি ও সুবিধাদি পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিদের চাকরি নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিশেষ বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 121
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২২। (১) কোনো প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদ গঠিত না হইলে বা বিলুপ্ত হইলে সে প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠন করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদ গঠনেরসঙ্গে সঙ্গে অংশগ্রহণকারী কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হইবে। (২) মালিক ও শ্রমিকগণের প্রতিনিধি সমন্বয়ে অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠিত হইবে এবং উহাতে মালিক ও শ্রমিকগণের প্রতিনিধির সংখ্যা সমহারে হইবে। (৩) অংশগ্রহণকারী কমিটিতে উভয়পক্ষে মোট সদস্য সংখ্যা ৬ (ছয়) জনের কম এবং১৬ (ষোলো) জনের অধিক হইবে না এবং অংশগ্রহণকারী কমিটির মেয়াদ কোনোক্রমেই ২ (দুই) বছরের অধিক হইবে না। (৪) উক্ত কমিটির শ্রমিক প্রতিনিধিগণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণের মধ্য হইতে নির্বাচিত বা মনোনীত হইবেন। (৫) অংশগ্রহণকারী কমিটিতে শ্রমিক পক্ষের নির্বাচিত বা মনোনীত প্রতিনিধিদের কমিটির মেয়াদকালে তাহাদের সম্মতি ব্যতিরেকে মালিক বদলি করিবেন না।",
"name": "অংশগ্রহণকারী কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 122
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২৩। অংশগ্রহণকারী কমিটির কাজ হইবে প্রধানত প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিক এবং মালিক সকলেরই অঙ্গীভূত হওয়ার ভাব প্রোথিত ও প্রসার করা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিকগণের অঙ্গীকার ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা, এবং বিশেষ করিয়া- (ক) শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, সমঝোতা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো ; (খ) এই আইন প্রতিপালনে সহায়তা করা; (গ) শৃঙ্খলাবোধ উৎসাহিত করা, নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য রক্ষা এবং কাজের অবস্থার উন্নতি বিধান ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা; (ঘ) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, শ্রমিক শিক্ষা এবং পরিবার কল্যাণ প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করা; (ঙ) শ্রমিক এবং তাহাদের পরিবারবর্গের প্রয়োজনীয় কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহের উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এবং (চ) উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি , উৎপাদন খরচ হ্রাস এবং অপচয় রোধ করা এবং উৎপাদিত দ্রব্যের মান উন্নত করা।",
"name": "অংশগ্রহণকারী কমিটির কাজ",
"related_acts": "",
"section_id": 123
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২৪। (১) যে কোনো সময়, যদি, কোনো মালিক বা কোনো যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট দেখিতে পান যে, শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে শিল্প বিরোধ উদ্ভূত হইতে যাইতেছে, তাহা হইলে মালিক বা, ক্ষেত্রমত, যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট, উহার মতামত লিখিতভাবে অপর পক্ষকে অবহিত করিবে। (২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অবহিত হইবার ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে, উক্ত অবহিত পক্ষ, অপর পক্ষের প্রতিনিধিগণের সহিত আলোচনাক্রমে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় উপনীত হইবার লক্ষ্যে উদ্ভূত বিষয়ের উপর যৌথ দর-কষাকষির জন্য অপর পক্ষের প্রতিনিধিগণের সহিত একটি সভার আয়োজন করিবে। (৩) উভয়পক্ষ আলোচিত বিষয়ের উপর মীমাংসায় উপনীত হইলে, একটি মীমাংসা-স্মারক লিখিত হইবে এবং উভয়পক্ষ কর্তৃক উহা স্বাক্ষরিত হইবে এবং উহার একটি কপি নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং মীমাংসাকারীর নিকট প্রেরিত হইবে।",
"name": "শিল্প বিরোধ সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা",
"related_acts": "",
"section_id": 124
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২৫। (১) কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো জোন বা জোনসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক মীমাংসাকারী ও সালিশকারী নিয়োগ করিবে এবং তাহাদের কার্যাবলি নির্ধারণ করিবে। (২) কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাউন্সিলর নিয়োগ করিবে। (৩) কাউন্সিলর এর কার্যাবলি ও যে জোন বা জোনসমূহের জন্য তাহাদেরকে নিয়োগ করা হইবে উহা নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্ধারণ করিবেন।",
"name": "মীমাংসাকারী, সালিশকারী ও কাউন্সিলর নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 125
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২৬। পক্ষগণ ধারা ১২৪ এর অধীন আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে কোনো মীমাংসায় পৌঁছাইতে ব্যর্থ হইলে, যে কোনো পক্ষ নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং মীমাংসাকারীকে অবহিত করিতে পারিবে যে, আলাপ-আলোচনা ব্যর্থ হইয়াছে এবং লিখিতভাবে বিরোধটি মীমাংসা করিবার জন্য মীমাংসাকারীকে অনুরোধ করিতে পারিবে এবং মীমাংসাকারী অনুরূপ অনুরোধ প্রাপ্তির পর মীমাংসার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।",
"name": "ধর্মঘটের নোটিশের পূর্বে মীমাংসা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 126
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২৭। (১) মীমাংসাকারী ধারা ১২৬ এর অধীন অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে বিরোধটি মীমাংসা করিতে ব্যর্থ হইলে, যৌথদর-কষাকষি এজেন্ট অথবা মালিক, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, এবং এই আইনের বিধান অনুসারে, বিরোধের অপর পক্ষের প্রতি ধর্মঘট বা, ক্ষেত্রমত, লক-আউটের ৩০ (ত্রিশ) দিনের নোটিশ জারি করিতে পারিবে। (২) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তবে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইয়া না থাকিলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে, অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় গোপন-ব্যালটের মাধ্যমে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সম্মতি প্রদান না করিলে, কোনো যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট ধর্মঘটের নোটিশ জারি করিবে না।",
"name": "ধর্মঘট অথবা লক-আউটের নোটিশ",
"related_acts": "",
"section_id": 127
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২৮। (১) শিল্প বিরোধের কোনো পক্ষ ধারা ১২৭ এর অধীন ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারি করিলে, উক্ত নোটিশ জারির একটি কপি মীমাংসাকারীকে প্রদান করিবেন এবং মীমাংসাকারী তখন ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ সত্ত্বেও মীমাংসা কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন, অথবা, বিরোধের মীমাংসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখিবেন। (২) বিরোধ মীমাংসা শুরুর পূর্বেই মীমাংসাকারী ধর্মঘটের নোটিশের বৈধতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হইলে এবং যদি নোটিশটি এই আইনের বিধান বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না হয়, তাহা হইলে ধর্মঘটের নোটিশ এই আইনের বিধান অনুসারে প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না; এবং এইরূপ ক্ষেত্রে মীমাংসাকারী, তাহার স্বীয় বিবেচনায় মীমাংসা কার্যক্রম গ্রহণ না করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারির পর মীমাংসা",
"related_acts": "",
"section_id": 128
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১২৯। (১) মীমাংসাকারী, যত দ্রুত সম্ভব, মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে বিরোধের পক্ষগণকে সভায় আহ্বান করিবেন। (২) বিরোধের পক্ষগণ, ব্যক্তিগতভাবে অথবা তাহাদের মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে মীমাংসাকারীর নিকট উপস্থিত হইবেন, এবং পক্ষগণের উপর বাধ্যকর চুক্তিতে আবদ্ধ হইবার ও তাহাদের পক্ষে আলাপ-আলোচনা করিবার ক্ষমতা প্রতিনিধিগণকে প্রদান করিতে পারিবেন। (৩) মীমাংসাকারী, তাহার নিকট প্রেরিত কোনো বিরোধ সম্পর্কে যেইরূপ নির্ধারণ করা হইবে সেইরূপ কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন, এবং বিশেষত আপোষে বিরোধটির নিষ্পত্তির সম্ভাব্য লক্ষ্যে, দাবিতে যেইরূপ ছাড় প্রদান বা পরিমার্জন মীমাংসাকারীর অভিমতে প্রয়োজনীয় মনে হইবে, ঐরূপ ছাড় প্রদান বা পরিমার্জনের জন্য যে কোনো পক্ষকে তিনি পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবেন। (৪) যদি মীমাংসার ফলে বিরোধ নিষ্পত্তি হয় তাহা হইলে, মীমাংসাকারী তৎসম্পর্কে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন, এবং ইহার সহিত উভয় পক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত মীমাংসা-স্মারকের একটি কপিও নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৫) ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশের সময়সীমার মধ্যে মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব না হইলে, মীমাংসা কার্যক্রম, বিরোধের পক্ষগণ যেইরূপ সম্মত হইবেন সেইরূপ অধিকতর সময়ের জন্য, অব্যাহত রাখা যাইবে।",
"name": "মীমাংসাকারীর কার্যপদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 129
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩০। (১) যদি মীমাংসা কার্যক্রম ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে মীমাংসাকারী উভয়পক্ষকে বিরোধটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উহা কোনো সালিশকারীর নিকট প্রেরণ করিবার জন্য রাজি করাইতে চেষ্টা করিবেন এবং যদি পক্ষগণ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য কোনো সালিশকারীর নিকট প্রেরণ করিতে রাজি হন, তাহা হইলে মীমাংসাকারী তাহাদের সকলের স্বীকৃত কোনো সালিশকারীর নিকট বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য যৌথ অনুরোধপত্র প্রেরণ করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নির্বাহী চেয়ারম্যান সালিশকারীগণের একটি তালিকা প্রস্তুত করিবেন এবং অনুরূপ তালিকা সময় সময় সংশোধন করিতে পারিবেন। (৩) সালিশকারী উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অনুরোধ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, অথবা পক্ষগণ কর্তৃক লিখিতভাবে স্বীকৃত কোনো বর্ধিত সময়ের মধ্যে তাহার রোয়েদাদ প্রদান করিবেন। (৪) সালিশকারী তাহার রোয়েদাদ প্রদানের পর উহার কপি পক্ষগণকে এবং একটি কপি নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৫) সালিশকারী কর্তৃক প্রদত্ত রোয়েদাদ চূড়ান্ত ও পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে, এবং ইহার বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাইবে না। (৬) সালিশকারী কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের জন্য অথবা অনধিক ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কোনো রোয়েদাদ বৈধ থাকিবে। (৭) যদি পক্ষগণ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য কোনো সালিশকারীর নিকট প্রেরণে রাজি না হন, তাহা হইলে মীমাংসাকারী, মীমাংসা কার্যক্রম সফল না হইবার ৩ (তিন) দিনের মধ্যে, উহা ব্যর্থ হইয়াছে এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র পক্ষগণকে প্রদান করিবেন।",
"name": "সালিশ",
"related_acts": "",
"section_id": 130
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩১। (১) মীমাংসা কার্যক্রমের মাধ্যমে কোনো মীমাংসায় উপনীত হওয়া সম্ভব না হইলে এবং বিরোধে জড়িত পক্ষগণ ধারা ১৩০ এর অধীন বিরোধটি একজন সালিশকারীর নিকট প্রেরণ করিতে সম্মত না হইলে, ধারা ১২৭ এর অধীন নোটিশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর, অথবা বিরোধে জড়িত পক্ষগণের প্রতি মীমাংসাকারী কর্তৃক মীমাংসা কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হইয়াছে মর্মে সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার পর, যাহা পরে হয়, শ্রমিকগণ ধর্মঘটে যাইতে পারিবে অথবা, ক্ষেত্রমত, মালিক লক-আউট ঘোষণা করিতে পারিবে। (২) বিরোধে জড়িত পক্ষগণ, যে কোনো সময়, ধর্মঘট বা লক-আউট আরম্ভ হইবার পূর্বে বা পরে, বিরোধের বিচারের জন্য ইপিজেড শ্রম আদালতে যৌথ দরখাস্ত দায়ের করিতে পারিবে। (৩) ধর্মঘট বা লক-আউট ৩০ (ত্রিশ) দিনের অধিক অব্যাহত থাকিলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান, লিখিত আদেশ দ্বারা, ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্তরূপ ধর্মঘট বা লক-আউটের ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইতেছে অথবা উহা জনস্বার্থে বা জাতীয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা উক্তরূপ ধর্মঘট বা লক-আউটের মেয়াদ ১৫ (পনেরো) দিন পূর্তির পূর্বেই যে কোনো সময় ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন। (৫) নির্বাহী চেয়ারম্যান কোনো ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিলে, তিনি তৎক্ষণাৎ বিরোধটি ইপিজেড শ্রম আদালতে প্রেরণ করিবেন। (৬) ইপিজেড শ্রম আদালত, বিরোধের উভয়পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, যত দ্রুত সম্ভব, যেরূপ সমীচীন মনে করিবে সেইরূপ রোয়েদাদ প্রদান করিবে, কিন্তু রোয়েদাদ প্রদানের সময়সীমা, বিরোধটি ইহার নিকট প্রেরিত হইবার তারিখ হইতে ৪০ (চল্লিশ) দিনের বেশি হইবে না। (৭) ইপিজেড শ্রম আদালত, বিরোধীয় যে কোনো বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে এবং রোয়েদাদ প্রদানে ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক বিলম্ব হইবার কারণে, তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো রোয়েদাদের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না। (৮) ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রোয়েদাদ, রোয়েদাদে বর্ণিত মেয়াদের জন্য বৈধ থাকিবে, তবে উহা কোনোক্রমেই ২ (দুই) বৎসরের অধিক সময়ের জন্য বৈধ থাকিবে না। (৯) নতুন স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন শুরু হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত ধর্মঘট কিংবা লক-আউট নিষিদ্ধ থাকিবে: তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ প্রতিষ্ঠানে উত্থিত কোনো বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সালিশ বাধ্যতামূলক হইবে।",
"name": "ধর্মঘট এবং লক-আউট",
"related_acts": "",
"section_id": 131
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩২। কোনো যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট অথবা কোনো মালিক অথবা কোনো শ্রমিক এই আইন বা কোনো রোয়েদাদ বা কোনো নিষ্পত্তি বা চুক্তির অধীন বা চুক্তি দ্বারা নিশ্চিত বা প্রদত্ত কোনো অধিকার প্রয়োগের জন্য ইপিজেড শ্রম আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেন।",
"name": "ইপিজেড শ্রম আদালতের নিকট দরখাস্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 132
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩৩। (১) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইপিজেড শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে এবং একাধিক ইপিজেড শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠিত হইলে, সরকার উক্ত প্রজ্ঞাপনে প্রত্যেক ইপিজেড শ্রম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত জোন বা জোনসমূহ নির্দিষ্ট করিয়া দিবে। (২) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানকে পরামর্শদানের উদ্দেশ্যে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন মালিক ও একজন শ্রমিকদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ইপিজেড শ্রম আদালত গঠিত হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো অপরাধের বিচার অথবা ষষ্ঠ এবং অষ্টম অধ্যায়ের অধীন কোনো বিষয় নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কেবল চেয়ারম্যান সমন্বয়ে ইপিজেড শ্রম আদালত গঠিত হইবে। (৪) ইপিজেড শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান, সরকার কর্তৃক, কর্মরত জেলা জজ অথবা অতিরিক্ত জেলা জজগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন। (৫) ইপিজেড শ্রম আদালতের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) এই আইনের অধীন আনীত, পেশকৃত বা দায়েরকৃত শিল্প বিরোধ অথবা অন্য কোনো বিরোধ বা অন্য কোনো প্রশ্নের বিচার ও নিষ্পত্তি; (খ) নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত মীমাংসার শর্তাবলি কার্যকরণ বা লংঘন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের অনুসন্ধান, বিচার ও নিষ্পত্তি; (গ) এই আইনের অধীন কৃত অপরাধ, এবং সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট অন্য যে কোনো আইনের অধীনে কৃত অপরাধের বিচার; এবং (ঘ) এই আইন অথবা অন্য কোনো আইনের অধীন দ্বারা প্রদত্ত বা প্রদেয় অন্য কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করা। (৬) বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো ইপিজেড শ্রম আদালতকে উক্ত আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগের বা কার্যসম্পাদনের এখতিয়ার প্রদান করিতে পারিবে, এবং উক্তরূপে এখতিয়ার প্রাপ্ত হইলে, ইপিজেড শ্রম আদালত উক্ত আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের উক্তরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে। (৭) ইপিজেড শ্রম আদালতের একজন সদস্য আদালতের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকিলে অথবা উপস্থিত হইতে অসমর্থ হইলে, ইপিজেড শ্রম আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত থাকিবে এবং উক্ত সদস্যের অনুপস্থিতিতে ইপিজেড শ্রম আদালত সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবে; এবং কেবল একজন সদস্যের অনুপস্থিতির কারণে ইপিজেড শ্রম আদালতের কোনো কার্যক্রম, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ অবৈধ হইবে না, কিংবা এই বিষয়ে কোনোরূপ প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "ইপিজেড শ্রম আদালত",
"related_acts": "952",
"section_id": 133
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩৪। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ইপিজেড শ্রম আদালত ফৌজদারী কার্যধারার ক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, ফৌজদারী কার্যবিধিতে বর্ণিত সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি অনুসরণ করিবে। (২) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারের উদ্দেশ্যে ইপিজেড শ্রম আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুরূপ ক্ষমতার অধিকারী হইবে এবং দণ্ড প্রদানের উদ্দেশ্যে উক্ত কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালতের সমমর্যাদা সম্পন্ন গণ্য হইবে। (৩) অপরাধ ব্যতীত এই আইনের অধীন অন্য কোনো বিষয়, প্রশ্ন বা শিল্প বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে ইপিজেড শ্রম আদালত দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে, এবং দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ ক্ষমতা থাকিবে। (৪) কোনো শ্রমিককে কোনো মামলা দায়ের, দলিলপত্র প্রদর্শন বা রেকর্ড করিবার জন্য কিংবা ইপিজেড শ্রম আদালত হইতে কোনো দলিল সংগ্রহের জন্য কোনোরূপ কোর্ট ফি প্রদান করিতে হইবে না।",
"name": "ইপিজেড শ্রম আদালতের কার্যপদ্ধতি ও ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 134
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩৫। (১) ইপিজেড শ্রম আদালতের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে ও প্রকাশ্য আদালতে প্রদান করিতে হইবে, এবং উহার একটি অনুলিপি অবিলম্বে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। (২) মামলা দায়েরের পর ইপিজেড শ্রম আদালত ২৫ (পঁচিশ) দিনের মধ্যে ইহার রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে, যদি না বিরোধে জড়িত পক্ষগণ লিখিতভাবে সময় বৃদ্ধির পক্ষে সম্মতি প্রদান করিয়া থাকে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো রোয়েদাদ দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত রোয়েদাদ প্রদত্ত হইবার ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করিতে পারিবে এবং এই আপিলের বিষয়ে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত রোয়েদাদ ব্যতীত, ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সকল সিদ্ধান্ত এবং ধারা ১৩৪ এর উপ-ধারা (২) এ প্রদত্ত দণ্ড চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং অন্য কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত বিষয়ে কোনোরূপ প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "ইপিজেড শ্রম আদালতের রোয়েদাদ ও সিদ্ধান্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 135
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩৬। (১) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করিবে এবং সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিয়োগকৃত একজন সদস্য সমন্বয়ে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে। (২) ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য এমন একজন ব্যক্তি হইবেন যিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক পদে বহাল আছেন অথবা ছিলেন, এবং উক্ত সদস্যের নিয়োগের শর্তাবলি সরকার যেইরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ হইবে। (৩) ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল কোনো আপিল বিবেচনার পর ইপিজেড শ্রম আদালতের রোয়েদাদ বহাল রাখিতে, সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে বা বাতিল করিতে পারিবে অথবা মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য ইপিজেড শ্রম আদালতে ফেরত পাঠাইতে পারিবে; এবং অন্যত্র ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন প্রদত্ত ইপিজেড শ্রম আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে। (৪) ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়ের করিবার ৪০ (চল্লিশ) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে। (৫) ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল বিধি দ্বারা নির্ধারিত কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করিবে। (৬) ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল উহার নিজের অথবা কোনো ইপিজেড শ্রম আদালত অবমাননার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের ন্যায় দণ্ড প্রদান করিতে পারিবে। (৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড কিংবা ১০ (দশ) হাজার টাকার ঊর্ধ্বের অর্থদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে দণ্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল বিভাগে, উক্ত বিভাগ কর্তৃক লিভ মঞ্জুর হওয়া সাপেক্ষে, আপিল করিতে পারিবে।",
"name": "ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল । -",
"related_acts": "",
"section_id": 136
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩৭। (১) ইপিজেড শ্রম আদালত ও ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন), অতঃপর এই ধারায় শ্রম আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২১৪ এর অধীন স্থাপিত শ্রম আদালত ও ধারা ২১৮ এর অধীন গঠিত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, যথাক্রমে ইপিজেড শ্রম আদালত এবং ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল হিসাবে গণ্য হইবে। (২) শ্রম আইনের অধীন একাধিক শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠিত থাকিলে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত আদালতসমূহের প্রত্যেক আদালতের এখতিয়ারভুক্ত জোন বা জোনসমূহ নির্দিষ্ট করিয়া দিবে। (৩) ইপিজেড শ্রম আদালত ও ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচার অথবা অপরাধ ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়, প্রশ্ন বা বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন উহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করিবে।",
"name": "ইপিজেড শ্রম আদালত ও ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান",
"related_acts": "952",
"section_id": 137
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩৮। (১) মীমাংসার মাধ্যমে উপনীত কোনো নিষ্পত্তি, সালিশের রোয়েদাদ, ধারা ১৩৫ এর অধীন ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোনো সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, অথবা ধারা ১৩৬ এর অধীন ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কোনো রায় বা সিদ্ধান্ত নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের উপর বাধ্যকর হইবে, যথা :- (ক) শিল্প-বিরোধে জড়িত সকল পক্ষ; (খ) শিল্প-বিরোধে জড়িত অন্যান্যরা, যাহাদের ইপিজেড শ্রম আদালত, শিল্প-বিরোধের সহিত জড়িত থাকিবার কারণে ইপিজেড শ্রম আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হইবার জন্য তলব করিয়াছে; (গ) যে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিরোধ, সে প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ হইলে তাহার উত্তরাধিকারী বা আইনগত ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ; এবং (ঘ) যেক্ষেত্রে বিরোধের এক পক্ষ যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট সেই ক্ষেত্রে বিরোধটি যে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সে প্রতিষ্ঠানে বিরোধটি উত্থিত হইবার তারিখে নিয়োজিত ছিলেন অথবা পরে নিয়োজিত হইয়াছেন এইরূপ সকল শ্রমিক। (২) আপোস মীমাংসার মাধ্যম ব্যতীত অন্য কোনো প্রকারে মালিক এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতির মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে কোনো মীমাংসা হইয়া থাকিলে, চুক্তিভুক্ত পক্ষদের সকলের উপর উহা বাধ্যকর হইবে।",
"name": "নিষ্পত্তি বা রোয়েদাদ যাহাদের উপর বাধ্যকর",
"related_acts": "",
"section_id": 138
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৩৯। (১) মীমাংসা কার্যকর হইবে- (ক) বিরোধীয় পক্ষগণ সর্বসম্মতভাবে কোনো তারিখ তদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করিয়া থাকিলে, ঐ তারিখ হইতে; এবং (খ) এইরূপ কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করিতে সম্মত না হইলে, পক্ষদ্বয় যে তারিখে মীমাংসা-স্মারক স্বাক্ষর করিয়াছে, সেই তারিখ হইতে। (২) পক্ষদ্বয় যতদিনের জন্য সম্মত হইবে, ততদিন তাহাদের উপর মীমাংসা বাধ্যকর থাকিবে, এবং এইরূপ কোনো মেয়াদ নির্ধারণে তাহারা সম্মত না হইলে মীমাংসা-স্মারক স্বাক্ষরের দিন হইতে ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত উহা বাধ্যকর থাকিবে। (৩) ধারা ১৩৫ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত রোয়েদাদ, উহার বিরুদ্ধে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা না হইলে, রোয়েদাদে উল্লিখিত তারিখ হইতে নির্দিষ্ট মেয়াদে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কার্যকর থাকিবে। (৪) সালিশকারী, ইপিজেড শ্রম আদালত, অথবা ক্ষেত্রমত, ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল, রোয়েদাদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দাবী, প্রতিটি ক্ষেত্রে কোনো তারিখে ও কী শর্তে কার্যকর হইবে, উহা উল্লেখ করিবে। (৫) ধারা ১৩৬ এর অধীন আপিল আবেদনের উপর ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত, রোয়েদাদ প্রদানের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে। (৬) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোনো রোয়েদাদের কার্যকারিতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও, একপক্ষ অপর পক্ষের নিকট উহার সম্মতির কথা লিখিতভাবে অবগত করিবার তারিখ হইতে পরবর্তী ২ (দুই) মাস পর্যন্ত উক্ত সিদ্ধান্ত মানিয়া চলিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ বাধ্য থাকিবে।",
"name": "মীমাংসা, রোয়েদাদ, ইত্যাদি কার্যকর হইবার তারিখ । -",
"related_acts": "",
"section_id": 139
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪০। (১) ধারা ১২৭ এর অধীন মীমাংসাকারী যে তারিখে ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ প্রাপ্ত হইবেন, সেই তারিখ হইতে মীমাংসা কার্যক্রম শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (২) মীমাংসা কার্যক্রম সেই তারিখে সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে- (ক) মীমাংসায় উপনীত হইলে মীমাংসা-স্মারকে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ যে তারিখে স্বাক্ষর প্রদান করেন; এবং (খ) যেক্ষেত্রে কোনো মীমাংসায় উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে- (অ) ধারা ১৩০ এর অধীন বিরোধটি কোনো সালিশকারীর নিকট প্রেরিত হইলে, উক্ত সালিশকারী যে তারিখে রোয়েদাদ প্রদান করেন, অথবা তাহা না হইলে, (আ) ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশের মেয়াদ যে তারিখে উত্তীর্ণ হয়। (৩) ইপিজেড শ্রম আদালতে উত্থাপিত কার্যক্রম সেই তারিখে শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে- (ক) শিল্প বিরোধের ক্ষেত্রে ধারা ১৩১ অথবা ১৩২ এর অধীন কোনো আবেদন যে তারিখে পেশ করা হইয়াছে, এবং (খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, যে তারিখে উহা ইপিজেড শ্রম আদালতে প্রেরিত হইয়াছে। (৪) ইপিজেড শ্রম আদালতের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত ধারা ১৩৫ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন যে তারিখে প্রদত্ত হইয়াছে, সেই তারিখে ইপিজেড শ্রম আদালতে মোকদ্দমার কার্যক্রম সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "কার্যক্রমের সূচনা ও সমাপ্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 140
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪১। (১) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি কিংবা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বা মালিক কর্তৃক পরিচালিত কোনো ব্যবসা বিষয়ে কোনো তদন্ত বা অনুসন্ধান পরিচালনার সময় নির্বাহী চেয়ারম্যান, মীমাংসাকারী, সালিশকারী, ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সংগৃহীত বা প্রাপ্ত কোনো তথ্য, যাহা ঐরূপ কর্তৃপক্ষের সম্মুখে সাক্ষ্য প্রদান ব্যতিরেকে অন্য কোনো উপায়ে পাওয়া সম্ভব নহে, এবং যাহা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কল্যাণ সমিতি, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা মালিক গোপন রাখিবার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে অনুরোধ করিয়াছে, উহা এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো প্রতিবেদন, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত হইবে না; এবং এইরূপ কোনো তথ্য, শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা, ক্ষেত্রমত, কোম্পানি বা মালিক লিখিত সম্মতি প্রদান না করিলে, মোকদ্দমার কার্যক্রমে প্রকাশ করা যাইবে না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার কোনো কিছুই দণ্ড বিধি, ১৮৬০ (১৮৬০ সালের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ১৯৩ এর অধীন কোনো মামলায় অনুরূপ কোনো তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "কতিপয় বিষয়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 141
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪২। কোনো শিল্প বিরোধ উদ্ভব হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না যদি না ইহা এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক কোনো মালিক অথবা যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট কর্তৃক উত্থাপিত হয়।",
"name": "শিল্প বিরোধ উত্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 142
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪৩। শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে মীমাংসা বা সালিশী কার্যক্রম চলাকালীন অথবা তৎসংক্রান্ত কোনো মামলা ইপিজেড শ্রম আদালতে অথবা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে কোনো আপিল শুনানিকালে, বিরোধে জড়িত কোনো পক্ষ অন্য পক্ষের উপরে ধর্মঘট বা লক-আউটের কোনো নোটিশ জারি করিতে পারিবেন না।",
"name": "কার্যক্রম চলাকালীন ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 143
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪৪। (১) কোনো শিল্প বিরোধ অনুসারে কোনো ধর্মঘট অথবা লক-আউট ইতিমধ্যে শুরু হইয়াছে, এবং ইপিজেড শ্রম আদালতে উক্ত শিল্প বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া ধারা ১৩২ এর অধীন কোনো দরখাস্ত পেশ করিবার সময় অথবা ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক শুনানি চলাকালীন উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউট অব্যাহত থাকিলে ইপিজেড শ্রম আদালত, লিখিত আদেশ দ্বারা, উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউট চালাইয়া যাওয়া নিষিদ্ধ করিতে পারিবে। (২) শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে ধারা ১৩৬ এর অধীন ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে কোনো আপিল দায়ের করা হইলে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল, লিখিত আদেশ দ্বারা, আপিল দায়েরের তারিখে উক্ত শিল্প বিরোধ অনুসারে অব্যাহত আছে এইরূপ কোনো ধর্মঘট বা লক-আউট চালাইয়া যাওয়া নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।",
"name": "ইপিজেড শ্রম আদালত ও ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ধর্মঘট, ইত্যাদি নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 144
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪৫। (১) ধর্মঘট বা লক-আউট বেআইনী হইবে, যদি- (ক) উহা বিরোধে জড়িত অপর পক্ষের উপর প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধর্মঘট বা লক-আউট এর নোটিশ জারি না করিয়া অথবা প্রদত্ত নোটিশে উল্লিখিত তারিখের পূর্বে বা পরে অথবা ধারা ১৪৩ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া ঘোষিত হয়, শুরু হয় অথবা অব্যাহত রাখা হয়; অথবা (খ) উহা ধারা ১৪২ এর বিধান ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতিতে, উদ্ভূত শিল্প-বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া ঘোষিত হয়, শুরু হয় অথবা অব্যাহত রাখা হয়; অথবা (গ) উহা ধারা ১৪৪ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ এর লঙ্ঘনে অব্যাহত রাখা হয়; অথবা (ঘ) উহা কোনো মীমাংসা বা রোয়েদাদ দ্বারা সাব্যস্ত বিষয়ে উক্ত মীমাংসা বা রোয়েদাদ কার্যকর থাকাকালীন সময়ে ঘোষিত হয়, শুরু হয় বা অব্যাহত রাখা হয়। (২) বেআইনী ধর্মঘটের ধারাবাহিকতায় ঘোষিত লক-আউট এবং বেআইনী লক-আউটের ধারাবাহিকতায় ধর্মঘট অবৈধ বলিয়া গণ্য হইবে না।",
"name": "বেআইনী ধর্মঘট ও লক-আউট",
"related_acts": "",
"section_id": 145
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪৬। (১) শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো মীমাংসা কার্যধারা চলাকালে, অথবা সালিশকারী, ইপিজেড শ্রম আদালত অথবা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের নিকট কোনো কার্যধারা চলাকালে কোনো মালিক বিরোধে জড়িত কোনো শ্রমিকের, উক্ত কার্যধারা শুরু হইবার পূর্বে প্রযোজ্য চাকরির শর্তাবলি তাহার অসুবিধা হয় এমনভাবে পরিবর্তন করিতে পারিবেন না, অথবা মীমাংসাকারী, সালিশকারী, ইপিজেড শ্রম আদালত অথবা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল, যখন যেখানে বা যাহার নিকটে উক্তরূপ কার্যধারা চলিতে থাকে, এর বিনা অনুমতিতে, উক্ত বিরোধ সম্পর্কিত নহে এমন অসদাচরণের জন্য ব্যতীত, উক্তরূপে শ্রমিককে চাকরি হইতে অপসারণ, বরখাস্ত বা অন্য কোনোভাবে শাস্তি প্রদান করিতে পারিবেন না অথবা তাহার চাকরির অবসান করিতে পারিবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কার্যধারা অব্যাহত থাকাকালে, কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের কোনো প্রতিনিধিকে, ইপিজেড শ্রম আদালতের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, অপসারণ, বরখাস্ত অথবা অসদাচরণের জন্য অন্য কোনোভাবে শাস্তি প্রদান করা যাইবে না।",
"name": "কার্যক্রম চলাকালে চাকরির শর্ত অপরিবর্তিত থাকা",
"related_acts": "",
"section_id": 146
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪৭। কোনো ব্যক্তি কোনো বেআইনী ধর্মঘটে বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণ করিতে, বা অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখিতে অস্বীকার করিলে, উক্ত অস্বীকৃতির কারণে তাহাকে কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি হইতে বহিষ্কার করা যাইবে না, বা কোনো জরিমানা আরোপ বা দণ্ড প্রদান করা যাইবে না, বা এমন কোনো অধিকার বা সুবিধা হইতে তাহাকে বঞ্চিত করা যাইবে না, যাহা তিনি বা তাহার কোনো প্রতিনিধি উহা না হইলে ভোগ করিবার অধিকারী হইতেন, অথবা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির অন্যান্য সদস্যদের সহিত তুলনামূলকভাবে অধিকতর অসুবিধাজনক কোনো অবস্থা বা অক্ষমতার মধ্যে তাহাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিপতিত করা যাইবে না।",
"name": "কতিপয় ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 147
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪৮। (১) কোনো শিল্প বিরোধে জড়িত কোনো শ্রমিক এই অধ্যায়ের অধীন কোনো কার্য ধারায় তাহার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের কোনো প্রতিনিধির দ্বারা তাহার প্রতিনিধিত্ব করাইতে পারিবেন, এবং উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, শিল্প বিরোধে জড়িত কোনো মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি দ্বারা উক্ত কার্যধারায় তাহার প্রতিনিধিত্ব করাইতে পারিবেন। (২) এই অধ্যায়ের অধীন কোনো মীমাংসা কার্যধারায় শিল্প বিরোধে জড়িত কোনো পক্ষ কোনো আইনজীবীর দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করাইতে পারিবে না। (৩) শিল্প বিরোধে জড়িত কোনো পক্ষ সালিশকারীর সম্মুখে কোনো কার্যধারায়, ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের অনুমতিক্রমে, কোনো আইনজীবীর দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করাইতে পারিবে।",
"name": "পক্ষদের প্রতিনিধিত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 148
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৪৯। (১) কোনো রোয়েদাদ কিংবা মীমাংসার কোনো বিষয়বস্ত্তর বিষয়ে কোনো অসুবিধা বা সন্দেহ উদ্ভূত হইলে, উহা এই আইনের অধীন গঠিত ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। (২) ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রেরিত কোনো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে শুনানির সুযোগদান করিবার পর বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে এবং ইহার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং পক্ষদের উপর বাধ্যকর হইবে।",
"name": "মীমাংসা এবং রোয়েদাদের ব্যাখ্যা",
"related_acts": "",
"section_id": 149
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫০। (১) কোনো মীমাংসাকারী, সালিশকারী, ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের কোনো রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মালিকের নিকট হইতে পাওনা কোনো টাকা, উক্ত টাকার প্রাপক ব্যক্তির পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক আবেদন করা হইলে, বকেয়া ভূমি রাজস্ব বা সরকারি পাওনা আদায়ের অনুরূপ পদ্ধতিতে আদায়যোগ্য হইবে। (২) মীমাংসাকারী, সালিশকারী, ইপিজেড শ্রম আদালত বা ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত অনুসারে মালিকের নিকট হইতে কোনো শ্রমিক সংশ্লিষ্ট কোনো সুবিধা পাওনা হইলে এবং অনুরূপ পাওনা টাকা অংকে নিরূপণ করিয়া আদায় করিবার উপযোগী হইলে, উহা বিধি বা প্রবিধান সাপেক্ষে, অনুরূপভাবে টাকার অংকে নিরূপিত হইবে, এবং উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী আদায় করিয়া সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রদান করিতে হইবে",
"name": "মীমাংসা বা রোয়েদাদ অনুযায়ী মালিকের নিকট হইতে পাওনা টাকা আদায়",
"related_acts": "",
"section_id": 150
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫১। (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৫ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো কাজ করিলে, তিনি ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) কোনো শ্রমিক ধারা ১১৬ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো কাজ করিলে, তিনি ২ (দুই) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি, অথবা শ্রমিক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, ধারা ১১৬ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো কাজ করিলে, তিনি ২০ (বিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অন্যায় আচরণের জন্য দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 151
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫২। কোনো ব্যক্তি মীমাংসার কোনো শর্ত, রোয়েদাদ অথবা তাহার উপর বাধ্যকর কোনো সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করিলে, তিনি- (ক) প্রথমবার অনুরূপ অপরাধ করিবার জন্য ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; (খ) পরবর্তীতে প্রতিটি অনুরূপ অপরাধের জন্য ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মীমাংসা ভঙ্গ করিবার জন্য দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 152
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫৩। কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন তাহার উপর বাধ্যকর মীমাংসার কোনো শর্ত, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তবায়ন না করিলে, তিনি ২০ (বিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মীমাংসার শর্ত, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 153
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫৪। কোনো ব্যক্তি এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন দাখিলকৃত কোনো আবেদনপত্রে বা অন্য কোনো দলিলপত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোনো বিবৃতি প্রদান করিয়া বা করাইয়া থাকেন, যাহা অসত্য বলিয়া তিনি জানেন অথবা বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে; অথবা এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন কোনো দলিল সংরক্ষণ বা পেশ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে গাফিলতি করিলে বা ব্যর্থ হইলে, সেক্ষেত্রে- (ক) মালিক হইলে সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; (খ) শ্রমিক হইলে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "মিথ্যা বিবৃতি প্রদানের দণ্ড, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 154
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫৫। (১) কোনো শ্রমিক কোনো বেআইনী ধর্মঘট আরম্ভ করিলে, অব্যাহত রাখিলে অথবা উহার সমর্থনে অন্য কোনোভাবে কোনো কার্য করিলে, তিনি ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) কোনো মালিক বেআইনীভাবে কোনো লক-আউট আরম্ভ করিলে, চালাইলে অথবা উহার সমর্থনে অন্য কোনোভাবে কোনো কার্য করিয়া থাকিলে, তিনি ২০ (বিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের পুনরাবৃত্তি করিবার ক্ষেত্রে প্রথম অপরাধের পর অনুরূপ অপরাধ অব্যাহত থাকাকালীন সময়ে প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত ২ (দুই) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউটের জন্য দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 155
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫৬। কোনো ব্যক্তি বেআইনী ধর্মঘট বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণ করিবার জন্য কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত বা উত্তেজিত করিলে কিংবা উক্ত উদ্দেশ্যে অর্থ সরবরাহ করিলে অথবা অন্য কোনোভাবে সহায়তা করিলে, তিনি ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউট করিতে প্ররোচনা দানের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 156
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫৭। কোনো মালিক বা কোম্পানি ধারা ১৪৬ এর বিধান লংঘন করিলে তিনি ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ১৪৬ এর বিধান লংঘন করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 157
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫৮। (১) কোনো ব্যক্তি শ্রমিকগণের কোনো ভবিষ্য তহবিলের অর্থ আত্মসাত করিলে, তসরুফ করিলে অথবা অসৎ উদ্দেশ্যে নিজের কাজে ব্যয় করিলে, তিনি ১ (এক) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ব্যাখ্যা: কোনো মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণের ভবিষ্য তহবিলে তাহার প্রদেয় চাঁদা অথবা তৎকর্তৃক শ্রমিকগণের মজুরি হইতে কর্তীত উক্ত তহবিলের চাঁদা ০৩ (তিন) মাসের অধিক সময় পর্যন্ত নির্বাহী চেয়ারম্যানের সন্তোষমত কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিত, যথাসময়ে উক্ত তহবিলে জমা করিতে ব্যর্থ হইলে তিনি উক্ত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে। (২) কোনো নিবন্ধিত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের কোনো প্রতিনিধি উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এর তহবিল তসরুফ বা আত্মসাৎ এর জন্য দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, এবং তদুপরি যে পরিমাণ অর্থ তসরুফ বা আত্মসাৎ হইয়াছে মর্মে ইপিজেড শ্রম আদালতের নিকট প্রমাণিত হয়, অন্যূন সেই পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (৩) এই ধারার অধীন আরোপিত অর্থদণ্ড, যে পরিমাণ অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি আত্মসাত বা তসরুফ বা নিজ কাজে ব্যয় করিয়াছেন বলিয়া আদালত প্রমাণ পাইবে, সেই পরিমাণ হইতে পারিবে এবং অর্থদণ্ডের টাকা আদায় হইবার পর আদালত উহা সংশ্লিষ্ট তহবিলে প্রত্যর্পণ করিবে।",
"name": "ভবিষ্য তহবিল এবং শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের তসরুফ বা অর্থ আত্মসাতের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 158
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৫৯। (১) কোনো ব্যক্তি কর্তৃক এই আইনের কোনো বিধান লংঘন করিবার, অথবা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হইবার ক্ষেত্রে অনুরূপ লংঘন বা ব্যর্থতার জন্য এই আইনের অন্য কোনো বিধানে কোনো শাস্তির বিধান না থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) কোনো বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধান ভঙ্গ বা লংঘনের জন্য অনধিক ১ (এক হাজার) টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা অনধিক ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা যাইবে।",
"name": "অন্যান্য অপরাধের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 159
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬০। কোনো ব্যক্তি, সন্তোষজনক কারণ ব্যতিরেকে, ধারা ১২৯ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লংঘন করিয়া মীমাংসাকারীর নিকট হাজির না হইলে বা প্রতিনিধি প্রেরণ না করিলে, তিনি ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "ধারা ১২৯ এর বিধান লংঘন করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 160
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬১। কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানির এমন প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটিত করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। ব্যাখ্যা । - এই ধারায়- (ক) ‘‘কোম্পানি’’ বলিতে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি সংঘ এবং সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং (খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘‘পরিচালক’’ বলিতে উহার কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 161
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬২। (১) এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত ইপিজেড শ্রম আদালত ব্যতীত অন্য কোনো আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না। (২) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ আমল অযোগ্য (non-cognizable) এবং জামিনযোগ্য (bailable) হইবে।",
"name": "অপরাধের বিচার",
"related_acts": "",
"section_id": 162
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬৩। এই আইন বা তদধীন কোনো বিধি বা প্রবিধানে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, ইহাদের অধীন কোনো অপরাধ কোনো শ্রম আদালত বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না যদি না তৎসম্পর্কে অভিযোগ সংঘটিত হইবার ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তা পেশ করা হয়।",
"name": "অভিযুক্তি তামাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 163
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬৪। (১) প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক উহার শ্রমিকগণের জন্য একটি ভবিষ্য তহবিল গঠন করিবেন। (২) ভবিষ্য তহবিলের গঠন, পরিচালনা ও অন্যান্য বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) ভবিষ্য তহবিলের সদস্যদের বিদ্যমান কোনো আর্থিক বা প্রদত্ত অন্য কোনো সুবিধাদি মালিক কমাইতে পারিবে না।",
"name": "ভবিষ্য তহবিল গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 164
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬৫। (১) কোনো শ্রমিকের ভবিষ্য তহবিলের হিসাবে যে অর্থ জমা থাকে সে অর্থ কোনো ভাবেই হস্তান্তর যোগ্য বা দায়বদ্ধ যোগ্য হইবে না এবং উক্ত শ্রমিক কোনো কর্জ বা দায় সম্পর্কে কোনো আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বা রায়ের অধীন উহা ক্রোকযোগ্য হইবে না অথবা দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন) এর অধীন নিযুক্ত কোনো রিসিভার উক্তরূপ কোনো অর্থ দাবি করিবার অধিকারী হইবেন না। (২) কোনো শ্রমিকের মৃত্যুর সময় তাহার ভবিষ্য তহবিলের হিসাবে যে অর্থ জমা থাকে সে অর্থ, অন্য কোনো আইনের অধীন অনুমোদিত কর্তন সাপেক্ষে, তাহার মনোনীত ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হইবে, এবং তাহার মৃত্যুর পূর্বে তাহার বা তাহার মনোনীত ব্যক্তির কোনো কর্জ বা দায় হইতে ইহা মুক্ত থাকিবে।",
"name": "ভবিষ্য তহবিল অক্রোকযোগ্য",
"related_acts": "812",
"section_id": 165
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬৬। এই অধ্যায়ের অধীন কোনো চাঁদা অনাদায়ী থাকিলে উহা যদি মালিকের দেউলিয়া সাব্যস্ত হইবার পূর্বে প্রদেয় হয় অথবা গুটাইয়া ফেলার আদেশাধীন কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে উহা যদি উক্ত আদেশের পূর্বে প্রদেয় হয় তাহা হইলে অনাদায়ী চাঁদা সংক্রান্ত দায় দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৭৫ অথবা কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর ধারা ২৩০ এর অধীন এইরূপ কর্জের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যাহা উক্ত দেউলিয়া বা কোম্পানির সম্পত্তি বণ্টনের সময় অন্য সকল কর্জের উপর অগ্রাধিকার পাইবে।",
"name": "অন্য কোনো কর্জের উপর চাঁদা প্রদান অগ্রাধিকার পাইবে",
"related_acts": "812",
"section_id": 166
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নির্বাহী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক), অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক), পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক), উপ-পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক), সহকারী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক) এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা জোনসমূহের শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ে কার্য সম্পাদন ও দায়িত্ব পালন করিবেন। (২) নির্বাহী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক) এর নিম্নরূপ ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে: (ক) অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক), পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক), উপ-পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক), সহকারী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা বা ব্যক্তির তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা; (খ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো নির্বাচন তত্ত্বাবধান; (গ) কোনো শিল্প বিরোধে সালিশ হিসাবে দায়িত্ব পালন; (ঘ) অংশগ্রহণকারী কমিটির কার্যক্রম তত্ত্বাবধান; (ঙ) এই আইন এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান দ্বারা অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন; (৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এর অধীন নিযুক্ত কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব এবং কর্মক্ষেত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে এবং তাহাদের উপর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকিবে। (৪) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বাস্তবায়ন এবং জোনসমূহে শ্রমিকগণের অধিকার এবং শিল্প সম্পর্কিত বিষয়াদি পরিচালনার ভার কর্তৃপক্ষের উপর অর্পিত থাকিবে।",
"name": "নির্বাহী পরিচালক (শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক), ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 167
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬৮। (১) প্রধান পরিদর্শক ও অন্য পরিদর্শক নির্বাহী চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা । - উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যে ‘‘প্রধান পরিদর্শক ও অন্য পরিদর্শক’’ অর্থ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর বিংশ অধ্যায়ের অধীন নিযুক্ত প্রধান পরিদর্শক ও অন্যান্য পরিদর্শক। (২) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে। (৩) পরিদর্শন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে নির্বাহী চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "প্রধান পরিদর্শক, ইত্যাদি",
"related_acts": "952",
"section_id": 168
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৬৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মহাপরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, যুগ্ম মহাপরিদর্শক, উপ-মহাপরিদর্শক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিদর্শন কর্মকর্তা এবং পরিদর্শক জোনসমূহের শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কার্য সম্পাদন করিবেন। (২) মহাপরিদর্শকের নিম্নরূপ ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে: (ক) তাহার এখতিয়ারাধীন সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ; (খ) লিখিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তাহার কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব কোনো অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার উপর অর্পণ; (গ) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এবং পরিদর্শনের কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তির তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ; (ঘ) কোনো শিল্প বিরোধে সালিশ হিসাবে দায়িত্ব পালন; (ঙ) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন তত্ত্বাবধান; (চ) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন, অপরাধ সংঘটন বা কোনো অন্যায় আচরণের জন্য ইপিজেড শ্রম আদালতে অভিযোগ পেশ; (ছ) এই আইন এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান দ্বারা অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন।",
"name": "মহাপরিদর্শক, পরিদর্শন, ক্ষমতা ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 169
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭০। (১) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের ক্ষমতা ও দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ : (ক) তাহার এখতিয়ারাধীন জোনের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ; (খ) প্রয়োজনীয় সহকারী বা সহযোগী সহকারে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান, কোনো স্থান, আংঙ্গিনা, যানবাহনে যেকোনো সময়ে প্রবেশ, পরিদর্শন এবং পরীক্ষা কার্য পরিচালনা; (গ) এই আইন বা কোনো বিধি, প্রবিধান প্রয়োগ সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে ইহার অধীন দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে কোনো মালিকের নিকট হইতে কোনো রেকর্ড, রেজিস্টার, বা অন্য কোনো দলিল-দস্তাবেজ তলব করিতে এবং ইহা আটক করিতে পারিবেন; (ঘ) পরিদর্শন কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তির তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ; (ঙ) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন, অপরাধ সংঘটন বা কোনো অন্যায় আচরণের জন্য মহাপরিদর্শকের নিকট অভিযোগ পেশ; (চ) লিখিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তাহার কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব কোনো কর্মকর্তা বা পরিদর্শকের উপর অর্পণ; (ছ) এই আইন এবং উহার অধীন প্রনীত বিধি বা প্রবিধান দ্বারা অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন। (২) প্রত্যেক মালিককে এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের উদ্দেশ্যে, সকল রেকর্ড, রেজিস্টার, এবং অন্য কোনো দলিল-দস্তাবেজ পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের নির্দেশ অনুযায়ী উপস্থাপন করিতে হইবে, এবং চাহিদা অনুযায়ী তৎসম্পর্কে অন্য কোনো তথ্যও সরবরাহ করিতে হইবে। (৩) মালিককে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান লে-অফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবার পূর্বে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক অথবা তাঁহার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করিতে হইবে।",
"name": "অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, পরিদর্শন, ক্ষমতা ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 170
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭১। (১) এই অধ্যায়ের অধীন পরিদর্শনের কাজে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির কোনো আদেশ বা সিদ্ধান্তে সংক্ষুদ্ধ কোনো মালিক উক্ত আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদেশ বা সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিষয়ে নির্বাহী চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 171
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭২। ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য একটি মালিক-ক্রেতা-শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থাকিবে। (২) মালিক-ক্রেতা-শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল এর উদ্দেশ্য হইবে : (ক) আপৎকালীন সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা, ইত্যাদি ব্যয় নির্বাহ; (খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রশাসনিক, উন্নয়নমূলক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ।",
"name": "মালিক-ক্রেতা-শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল গঠন ও উদ্দেশ্য",
"related_acts": "",
"section_id": 172
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭৩। নিম্নবর্ণিত হারে ও পদ্ধতিতে মালিক-ক্রেতা-শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিলের অর্থ আদায়যোগ্য হইবে, যথা :- (ক) শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কার্যাদেশ (purchase order) এর বিপরীতে প্রাপ্ত নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ ; (খ) ক্রেতা বা কার্যাদেশ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অনুদান; (গ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঘ) দেশি-বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুদান; (ঙ) শ্রমিক কর্তৃক প্রদত্ত নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ; (চ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা। ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্যে “ক্রেতা বা কার্যাদেশ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান” বলিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে।",
"name": "মালিক-ক্রেতা-শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিলের অর্থের উৎস, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 173
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭৪। মালিক-ক্রেতা-শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, অর্থের ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "মালিক-ক্রেতা-শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, অর্থ ব্যয়, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 174
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭৫। কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে অপ্রাপ্ত-বয়স্ক শ্রমিক নিয়োগ করা যাইবে না। ব্যাখ্যা । - এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘অপ্রাপ্ত-বয়স্ক’’ অর্থ ১৮ (আঠারো) বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো ব্যক্তি।",
"name": "অপ্রাপ্ত-বয়স্ক শ্রমিক নিয়োগে বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 175
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭৬। কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মে জোরপূর্বক বা বল প্রয়োগে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ করা যাইবে না।",
"name": "জোরপূর্বক বা বল প্রয়োগে কর্মে নিয়োগে বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 176
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭৭। কোনো আকষ্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা মানুষের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিপর্যয় বা জরুরি প্রয়োজনে কোনো শিল্প স্থানান্তর বা কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ হইলে সেই ক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্ক, কর্তৃপক্ষ, নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিপর্যয় বা ক্ষতির কারণে মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক",
"related_acts": "",
"section_id": 177
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭৮। (১) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি উহার গঠনতন্ত্রে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হিসাবে বর্ণিত হয় নাই এইরূপ কোনো কর্মকান্ডে জড়িত থাকিতে পারিবে না। (২) কোনো জোনে গঠিত কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশন, প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন অথবা বেসরকারি সংস্থার সহিত কোনোরূপ সম্পর্ক স্থাপন বা রক্ষা করিতে পারিবে না। (৩) কোনো মালিক কর্তৃক উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নালিশের ভিত্তিতে তদন্ত অনুষ্ঠান করিয়া অনুরূপ অভিযোগ সত্য বলিয়া সিদ্ধান্তে উপনীত হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান অবিলম্বে উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির বা, ক্ষেত্রমত, বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশনের নিবন্ধন বাতিল করিবেন, এবং অনুরূপ বাতিল হইবার পর উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিকগণ বা, ক্ষেত্রমত, শ্রমিক কল্যাণ সমিতিসমূহ পরবর্তী ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি বা, ক্ষেত্রমত, শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশন গঠন করিতে পারিবে না। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, কোনো মালিক, উক্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি, বা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশন, ইপিজেড শ্রম আদালতে উহার বিরুদ্ধে আবেদন করিতে পারিবে, এবং ইপিজেড শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাইবে, এবং উক্ত বিষয়ে ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশই চূড়ান্ত হইবে। (৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রাজনৈতিক দল বলিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত রাজনৈতিক দলকে বুঝাইবে, এবং অনুরূপ রাজনৈতিক দলের সহিত অধিভুক্ত যে কোনো অংগ সংগঠনও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশনের কতিপয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ",
"related_acts": "957",
"section_id": 178
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৭৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিনিয়োগকারীদের নিকট হইতে সংগৃহীত অনুদানের মাধ্যমে একটি তহবিল গঠিত হইবে। (২) তহবিল হইতে, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা এবং ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য বিচারকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ এবং মীমাংসাকারী, সালিসকারী, কাউন্সিলর ও পরিদর্শক এর বেতন, ভাতা ও চাকরির শর্তাবলি অনুসারে প্রদেয় অন্যান্য অর্থ প্রদান করা হইবে এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রশাসনিক এবং উন্নয়নমূলক ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। (৩) অনুদান সংগ্রহ, তহবিল পরিচালনা ব্যবস্থাপনা, অর্থের ব্যবহার, ইত্যাদি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "তহবিল গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 179
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮০। নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথা :- (ক) শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নিবন্ধন এবং তদুদ্দেশ্যে রেজিস্টার সংরক্ষণ; (খ) এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের বিধান লঙ্ঘন করিবার অথবা অন্যায় আচরণ করিবার অথবা কোনো অপরাধ সংঘটন করিবার কারণে কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতি বা মালিকের বিরুদ্ধে এ আইনের অধীন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (গ) কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির বৈধতা এবং যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট হিসাবে উহার কার্য করিবার ক্ষমতার প্রশ্ন নির্ধারণ করা; এবং (ঘ) পদাধিকারবলে এই আইনের অধীন নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান এবং তাঁহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন; (ঙ) কোনো শিল্প বিরোধে সালিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন; (চ) পরিদর্শন সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা; (ছ) তাহার এখতিয়ারাধীন জোনের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ;এবং (জ) বিধি বা প্রবিধান দ্বারা আরোপিত ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালন।",
"name": "নির্বাহী চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 180
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮১। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, নির্বাহী চেয়ারম্যান এই আইনের অধীন তাহার কোনো ক্ষমতা তাহার অধঃস্তন কোনো কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 181
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮২। এই আইনের কোনো বিধানের অধীন করণীয় কোনো কাজ বা পালনীয় কোনো কর্তব্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে করা বা পালন করা সম্ভব না হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান যুক্তিসঙ্গত কারণে উক্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।",
"name": "নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক সময় বর্ধিতকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 182
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮৩। নির্বাহী চেয়ারম্যান, মীমাংসাকারী, ইপিজেড শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য দণ্ডবিধি, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ২১ ধারার অধীন সরকারি কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "",
"section_id": 183
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮৪। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোনো জোন বা জোনসমূহে স্থাপিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক বা মালিক-শ্রেণিকে অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান শ্রেণিকে বা ইহার কোনো অংশবিশেষকে অথবা কোনো শ্রমিক বা শ্রমিক-শ্রেণিকে এই আইনের কোনো অধ্যায় বা ধারা অথবা যে কোনো বিধানের প্রয়োগ বা মানিয়া চলা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "আইনের বিধান হইতে অব্যাহতি প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 184
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮৫। (১) কোনো কারখানা বা কোনো শ্রেণির কারখানা ভবন নির্মাণ, প্রতিষ্ঠা বা সম্প্রসারণের জন্য কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। (২) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ বহাল রাখিতে, অথবা পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবে।",
"name": "নকশা অনুমোদন এবং কারখানা ভবন নির্মাণ",
"related_acts": "",
"section_id": 185
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮৬। (১) যেক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোনো কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত কোনো লিখিত আদেশ কোনো মালিকের উপর জারি করা হয় সেই ক্ষেত্রে, উক্ত মালিক আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ইহার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করিতে পারিবেন, এবং উক্ত আপিল কর্তৃপক্ষ, এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি বা প্রবিধান সাপেক্ষে, উক্ত আদেশ বহাল রাখিতে, অথবা পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবে। (২) এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি বা প্রবিধান এবং আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত শর্ত বা নির্দেশিত কর্মসম্পাদন সাপেক্ষে, উক্ত আপিল কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে উহা স্থগিত রাখিতে পারিবে।",
"name": "কতিপয় আদেশের বিরুদ্ধে আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 186
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮৭। কোনো শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে- (ক) শ্রমিকগণের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করিবার জন্য গৃহীত কোনো ব্যবস্থার বা স্থাপিত কোনো যন্ত্রপাতি ইচ্ছাকৃতভাবে অপব্যবহার বা উহার ব্যবহারে হস্তক্ষেপ করিবেন না; (খ) ইচ্ছাকৃতভাবে বা যুক্তি সংগত কারণ ব্যতিরেকে এমন কোনো কিছু করিবেন না যাহাতে তাহার বা অন্য কোনো ব্যক্তির বিপদ হইতে পারে; (গ) শ্রমিকগণের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার জন্য স্থাপিত কোনো যন্ত্রপাতি বা ব্যবস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহারে গাফিলতি করিবেন না।",
"name": "শ্রমিকগণের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 187
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮৮। কোনো মালিক বা শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই আইনের কোনো বিধান প্রতিপালনে ব্যর্থতার ফলে যদি উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণ কোনো ইপিজেড অথবা জোন অথবা তৎসংলগ্ন এলাকায় কোনো উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ বা ভাংচুর করে তাহা হইলে উহার দায়-দায়িত্ব উক্ত মালিক বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তাইবে এবং কর্তৃপক্ষ উক্ত মালিক বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "মালিকের দায়-দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 188
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৮৯। কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে কোনো মহিলা নিযুক্ত থাকিলে, তিনি যে পদমর্যাদারই হউক না কেন, তাহার প্রতি উক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্য কেহ এমন কোনো আচরণ করিতে পারিবেন না যাহা অশ্লীল কিংবা অভদ্রজনোচিত বলিয়া গণ্য হইতে পারে, কিংবা যাহা উক্ত মহিলার শালীনতা ও সম্ভ্রমের পরিপন্থি।",
"name": "মহিলাদের প্রতি আচরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 189
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯০। কর্তৃপক্ষ প্রবিধান দ্বারা- (ক) এই আইনের অধীন কোনো আদেশ জারির পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে; এবং (খ) কোনো মালিককে, এই আইনের উদ্দেশ্যে নিয়মিত বা সময়ে সময়ে উহাতে উল্লিখিত বিবরণী দাখিলের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে।",
"name": "নোটিশ জারি ও বিবরণী পেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 190
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯১। (১) কর্তৃপক্ষ, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ এবং নিরপেক্ষ উৎস হইতে নির্বাচিত বা মনোনীত প্রতিনিধিগণ এই অধ্যায়ের অধীন অনুষ্ঠেয় কোনো শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অনুষ্ঠেয় কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচনের পর্যবেক্ষণ, পদ্ধতি ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 191
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯২। এই আইন প্রবর্তনের সময় কোনো শ্রমিক যে মালিকের অধীন যে সকল অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিতেছিলেন সেই মালিকের অধীন যতদিন কর্মরত থাকিবেন ততদিন সেই সকল অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিবেন, যদি না তাহার উক্ত অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন প্রদত্ত অধিকার ও সুযোগ সুবিধা হইতে অধিকতর অনুকূল হয়।",
"name": "কতিপয় ক্ষেত্রে চাকরির বর্তমান শর্তাবলী সংরক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 192
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯৩। (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের মালিক উহার বা উহার কোনো কর্মস্থলে প্রধান প্রবেশ পথে অথবা উহার নিকটে কোনো প্রকাশ্য জায়গায় বা যাতায়াতগম্য স্থানে এই আইন এবং বিধি ও প্রবিধানের জরুরি বা গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহের সার-সংক্ষেপ সম্বলিত একটি নোটিশ লটকাইয়া দিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদর্শিত সকল নোটিশ পরিষ্কার বা সুষ্ঠুভাবে পঠিতব্য অবস্থায় রাখিতে হইবে। (৩) কর্তৃপক্ষ মালিককে তাহার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা কল্যাণ সম্পর্কে কোনো বোর্ড অথবা কোনো নোটিশ বা পোস্টার লটকাইয়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন।",
"name": "আইন, বিধি এবং প্রবিধানের সার-সংক্ষেপ প্রদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 193
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯৪। এই আইন অথবা কোনো বিধি বা প্রবিধানের অধীন দায়িত্ব পালনরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজন হইলে কোনো মালিককে তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোনো রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ বা তথ্য সরবরাহের জন্য অথবা অন্য কোনো কাজ সম্পাদনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে, এবং উক্ত মালিককে উক্তরূপ নির্দেশ পালন করিতে হইবে।",
"name": "তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 194
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯৫। এই আইন বা তদধীন প্রণিত বিধানাবলি প্রতিপালনের জন্য কর্তৃপক্ষ আদেশ, ফরম, নোটিশ, ব্যাখ্যা বা সার্কুলার জারি এবং প্রকাশ করিতে পারিবে।",
"name": "আদেশ, নোটিশ, ব্যাখ্যা বা সার্কুলার জারির ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 195
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯৬। যদি কোনো ব্যক্তিকে কোনো কারখানায় উহার কাজ চলাকালে, আহার বা বিশ্রামের জন্য বিরতির সময় ব্যতীত অন্য কোনো সময়ে, অথবা উহার কোনো যন্ত্রপাতি চালু থাকাকালে পাওয়া যায় তাহা হইলে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত, তিনি উক্ত সময়ে কারখানায় নিযুক্ত ছিলেন বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "নিয়োগ সম্পর্কে অনুমান",
"related_acts": "",
"section_id": 196
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯৭। কোনো শ্রমিকের জন্য কোনো মজুরি নির্ধারণ বা নিম্নতম মজুরির হার স্থিরীকরণের ক্ষেত্রে, একই প্রকৃতির বা একই মান বা মূল্যের কাজের জন্য মহিলা এবং পুরুষ শ্রমিকগণের জন্য সমান মজুরির নীতি অনুসরণ করিতে হইবে; এবং এতৎসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে নারী-পুরুষ ভেদের কারণে কোনো বৈষম্য করা যাইবে না।",
"name": "সমকাজের জন্য সম-মজুরি প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 197
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯৮। এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, সরকার বিধি দ্বারা, এই আইনের অধীন কোনো দরখাস্ত, কার্যধারা বা আপিলের জন্য কোনো কোর্ট ফিস অথবা অন্য কোনো ফিস নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "সাধারণ ক্ষেত্রে কোর্ট ফি",
"related_acts": "",
"section_id": 198
},
{
"act_id": 1285,
"details": "১৯৯। এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তিকে এমন কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে অথবা বক্তব্য প্রদান করিতে বাধ্য করা যাইবে না যাহা তাহাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অপরাধের সহিত জড়িত করিতে পারে।",
"name": "কতিপয় প্রশ্ন, ইত্যাদি সম্বন্ধে বাধা-নিষেধ । -",
"related_acts": "",
"section_id": 199
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০০। এই আইন ও এর অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান, প্রশাসনিক আদেশ বা নির্দেশনার অধীন সরল বিশ্বাসে সম্পাদিত বা সম্পাদনের জন্য অভিষ্ঠ কোনো কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা রুজু বা অন্য কোনো আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।",
"name": "সরল বিশ্বাসে কৃত কাজ-কর্ম রক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 200
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০১। এই আইনের অধীন ইপিজেড শ্রম আদালত এবং ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গ্রহণযোগ্য বা বিচারযোগ্য কোনো মোকদ্দমা, অভিযোগ অথবা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা অন্য কোনো আদালত গ্রহণ করিতে বা বিচার করিতে পারিবে না।",
"name": "অন্য আদালতের এখতিয়ারের উপর বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 201
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০২। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 202
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 203
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০৪। (১) Bangladesh Export Processing Zones Authority Act, 1980 (Act No. XXXVI of 1980) এর section 3A এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার পর শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, পরিদর্শন, ইত্যাদি সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত কোনো বিষয়ে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "608",
"section_id": 204
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০৫। (১) ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪৩নং আইন) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত আইন এর অধীন কৃত কোনো কার্যক্রম অথবা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন এমনভাবে কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিযা গণ্য হইবে যেন, উক্ত কৃত কার্যক্রম অথবা গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার সময় এই আইন বলবৎ ছিল।",
"name": "২০১০ সনের ৪৩নং আইন এর রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "1054",
"section_id": 205
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০৬। (১) বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ, ২০১৯ ( ২০১৯ সনের ১ নং অধ্যাদেশ) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 206
},
{
"act_id": 1285,
"details": "২০৭। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) ইংরেজি পাঠ এবং মূল বাংলা পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 207
}
],
"text": "ইপিজেডস্থ বা জোনস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ক বিদ্যমান আইন রহিতপূর্বক উহা পুনঃপ্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু ইপিজেডস্থ বা জোনস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ক বিদ্যমান আইন রহিতপূর্বক উহা পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1286,
"lower_text": [],
"name": "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 73,
"published_date": "২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯",
"related_act": [
446
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1286,
"details": "১। (১) এই আইন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) “অনুষদ” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ; (২) “অর্থ কমিটি” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি; (৩) “অঙ্গীভূত ইনস্টিটিউট”, “একাডেমি” বা “প্রতিষ্ঠান” অর্থ এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অঙ্গীভূত ও স্বীকৃত ইনস্টিটিউট, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; (৪) “অ্যাভিয়েশন” অর্থ বিমান চালনা ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়াদি; (৫) “ইনস্টিটিউট”, “একাডেমি” বা “প্রতিষ্ঠান” অর্থ এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী স্বীকৃত ও অধিভুক্ত, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পরিচালনাধীন স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোনো ইনস্টিটিউট, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সিভিল অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টার, বিমান বাংলাদেশ ট্রেনিং সেন্টার অথবা বেসরকারি অ্যাভিয়েশন ইনস্টিটিউট ও ট্রেনিং সেন্টার; (৬) “একাডেমিক কাউন্সিল” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল; (৭) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ২১ এ উল্লিখিত কোনো কর্তৃপক্ষ; (৮) “কর্মচারী” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী এবং, ক্ষেত্রমত, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৯) “‘কমিটি” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত যে কোনো কমিটি; (১০) “কেন্দ্র” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র; (১১) “চ্যান্সেলর” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর; (১২) “ট্রেজারার” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার; (১৩) “ডিন” অর্থ অনুষদের ডিন; (১৪) “তপশিলি ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article (2)(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank; (১৫) “‘নির্ধারিত” অর্থ সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত; (১৬) “পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (১৭) “পরিচালক” অর্থ কোনো বিভাগ (প্রশাসনিক) বা ইনস্টিটিউটের প্রধান; (১৮) “পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (১৯) “প্রক্টর” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর; (২০) “প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর; (২১) “প্রভোস্ট” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলের প্রধান; (২২) “বিভাগ” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ; (২৩) “বিভাগীয় চেয়ারম্যান” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগের একাডেমিক প্রধান; (২৪) “বিশ্ববিদ্যালয়” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়; (২৫) “বাছাই কমিটি” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত বাছাই কমিটি; (২৬) “ভাইস-চ্যান্সেলর” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর; (২৭) “মঞ্জুরী কমিশন” বা “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন” অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P.O. No. 10 of 1973) এর অধীন গঠিত University Grants Commission of Bangladesh; (২৮) “মঞ্জুরী কমিশন আদেশ” অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P.O. No. 10 of 1973); (২৯) “‘রেজিস্ট্রার” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার; (৩০) “রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট” অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট; (৩১) “শিক্ষক” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষক অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃত অন্য কোনো ব্যক্তি; (৩২) “শিক্ষার্থী” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তিকৃত কোনো শিক্ষার্থী; (৩৩) “সরকার” অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অথবা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ; (৩৪) “সিনেট” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট; (৩৫) “সিন্ডিকেট” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট; (৩৬) “সংবিধি”, “বিশ্ববিদ্যালয় বিধি” ও “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত, যথাক্রমে, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধান; (৩৭) “হল” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ জীবন এবং সহশিক্ষাক্রমিক শিক্ষাদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ও পরিচালনাধীন আবাসন।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "446,446",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা অনুমোদিত স্থানে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Aviation and Aerospace University) নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণের সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হইবে। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫। (১) অধিভুক্ত এবং অঙ্গীভূত ইনস্টিটিউট, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের একাডেমিক কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকিকরণ, ব্যবস্হাপনা, উন্নয়ন, ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়াদি সন্তোষজনক মান বজায় রাখা সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রাধীনে পরিচালিত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রশাসনিক আদেশ জারির মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কলেজ, সেন্টার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কলেজ, সেন্টার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইবে, যথা :- (ক) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পরিচালনাধীন নিম্নবর্ণিত একাডেমি, ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠানসমূহ, যথা :- (অ) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমি; (আ) ফ্লাইং ইন্সট্রাকটর স্কুল; (ই) ফ্লাইট সেফটি ইনস্টিটিউট; (ঈ) কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট; (উ) অ্যারো মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট; (ঊ) অফিসার্স ট্রেনিং স্কুল; এবং (ঋ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক, সময়ে সময়ে, স্বীকৃত এবং অনুমোদিত বিমান বাহিনীর অন্য কোনো ইনস্টিটিউট, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; (খ) সিভিল অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টার এবং বিমান বাংলাদেশ ট্রেনিং সেন্টারসহ অ্যাভিয়েশন শিক্ষা সংক্রান্ত সরকারি ও বেসরকারি ইনস্টিটিউট, কলেজ, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; এবং (গ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক, সময় সময়, স্বীকৃত বা অনুমোদিত অন্য কোনো একাডেমি, ইনস্টিটিউট বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রশাসনিক আদেশ জারির সঙ্গে সঙ্গে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৪) এই ধারায় উল্লিখিত বিষয়াদি সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক বিধান সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "অধিভুক্ত এবং অঙ্গীভূত ইনস্টিটিউট, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬। এই আইন এবং মঞ্জুরী কমিশন আদেশের বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা:- (ক) অ্যাভিয়েশন, অ্যাভিয়েশন সংক্রান্ত প্রকৌশল, অ্যাভিয়েশন ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধ কৌশল, নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান, গবেষণা, জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন ও জ্ঞান বিতরণের ব্যবস্থা করা; (খ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিজনেস স্টাডিজ, অ্যারোস্পেস ও অ্যাভিয়েশন স্টাডিজ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এবং আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণা জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন ও জ্ঞান বিতরণের ব্যবস্থা করা; (গ) অঙ্গীভূত ও অধিভুক্ত ইনস্টিটিউট, একাডেমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা; (ঘ) বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটে শিক্ষাদানের জন্য পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করা; (ঙ) বিভাগ, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত পাঠ্যক্রমে অধ্যয়ন সম্পূর্ণ করিয়াছেন এবং সংবিধির শর্তানুযায়ী গবেষণা কার্য সম্পূর্ণ করিয়াছেন এইরূপ ব্যক্তিদের পরীক্ষা গ্রহণ করা এবং ডিগ্রি ও অন্যান্য একাডেমিক সম্মান প্রদান করা; (ছ) বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করা; (জ) সংবিধিতে বিধৃত পদ্ধতিতে সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান করা; (ঝ) অনুষদ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নহেন এইরূপ ব্যক্তিবর্গকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রদানের উদ্দেশ্যে বক্তৃতামালা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং সংবিধির শর্ত অনুযায়ী ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট প্রদান করা; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তৎকর্তৃক নির্ধারিত পন্থায় দেশে-বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা; (ট) চ্যান্সেলরের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং মঞ্জুরী কমিশন ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক, সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও ইমেরিটাস অধ্যাপকের পদসহ শিক্ষক, গবেষক এবং কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করা এবং সংশ্লিষ্ট বাছাই কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত ব্যক্তিগণকে সেই সকল পদে নিয়োগ প্রদান করা; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য হল স্থাপন করা এবং উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিদর্শনের ব্যবস্হা করা; (ড) মেধার স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে সংবিধি, বিধি ও প্রবিধানের বিধান অনুযায়ী ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন ও বিতরণ করা; (ঢ) শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য চ্যান্সেলরের পূর্বানুমোদন এবং মঞ্জুরী কমিশন হইতে বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে, একাডেমিক জাদুঘর, গবেষণাগার, অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করা; (ণ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিক শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করা এবং সহ-শিক্ষাক্রম কার্যাবলির উন্নয়নের ব্যবস্থা করা; (ত) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে বিভিন্ন বিষয়ে ফিস নির্ধারণ ও আদায় করা; (থ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য মঞ্জুরী কমিশন ও সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশি ও বিদেশি ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অনুদান চাঁদা ও বৃত্তি সাহায্য গ্রহণ করা; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সরকারের অনুমোদনক্রমে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া, চুক্তি বাস্তবায়ন করা, চুক্তির শর্ত পরিবর্তন বা চুক্তি বাতিল করা; (ধ) শিক্ষা ও গবেষণার উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য পুস্তক ও জার্নাল প্রকাশ করা; (ন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (প) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অথবা শিল্প কারখানার সহিত যৌথ সহযোগিতায় বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা; (ফ) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজ সম্পৃক্ততা কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করা; (ব) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকে বিশ্বমান পর্যায়ে উন্নীত করিবার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সহিত কার্যকর ও ফলপ্রসূ যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; (ভ) উচ্চশিক্ষার গুণগতমান সুষমকরণ ও উন্নয়নকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, সুষম ছাত্র শিক্ষক আনুপাতিক হার সংরক্ষণ, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার ও পরীক্ষাগারের ব্যবস্থাকরণ, উপযুক্ত ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি ও উপকরণের ব্যবস্থা করা; (ম) আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতির আধুনিকায়নের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা; (য) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাডেমিক দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; (র) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান সুষমকরণ ও উন্নয়নের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, ইত্যাদি আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (ল) জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, জন্মস্থান অথবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করিবার কার্যে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র, মেধাবী এবং আর্থিক সাহায্য প্রার্থীদের বৃত্তি বা শিক্ষা সাহায্য প্রদানের উদ্দেশ্যে এক অথবা একাধিক ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা; (শ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটির সদস্যগণের সম্মানি নির্ধারণ ও সভা অনুষ্ঠানের জন্য সম্মানি প্রদান করা; (ষ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক ও খণ্ডকালীন শিক্ষকদের বেতন বা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা; এবং (স) বিশ্ববিদ্যালয়ের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও বাস্তবায়নকল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্য সম্পাদন করা।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৭। এই বিশ্ববিদ্যালয় জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জন্মস্থান অথবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির দেশি ও বিদেশি উপযুক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি, জ্ঞান অর্জন এবং সাফল্যের সহিত ডিগ্রি, ডিপ্লোমা অথবা সনদ কোর্স সমাপনান্তে সনদ প্রাপ্তির জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।",
"name": "জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৮। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্বীকৃত শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত হইবে। (২) এই আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে শিক্ষকগণ শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন। (৩) শিক্ষাদানের দায়িত্ব কোন্ কর্তৃপক্ষের উপর থাকিবে তাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে। (৪) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি এই আইন ও সংবিধির বিধান অনুযায়ী নির্ধারণ করা হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৯। (১) মঞ্জুরী কমিশন এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও গুণগতমান নিশ্চিতকরণের বিষয়ে দিক্ নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও উহার ভবন, হল, গ্রন্থাগার, গবেষণাগার, যন্ত্রপাতি, সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষা, শিক্ষাদান এবং অন্যান্য কার্যক্রম যে কোনো সময় পরিদর্শন করাইতে পারিবে। (২) মঞ্জুরী কমিশন অনুরূপ পরিদর্শন অথবা মূল্যায়ন সম্পর্কে উহার অভিমতসহ একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবে এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলরকে নির্দেশনা প্রদান করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন মঞ্জুরী কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে। (৩) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত রেজিস্টার ও নথিপত্র সংরক্ষণ করিবে এবং মঞ্জুরী কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী পরিসংখ্যান এবং অন্যবিধ প্রতিবেদন ও তথ্য মঞ্জুরী কমিশনে সরবরাহ করিবে। (৪) প্রাপ্ত তথ্য ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঞ্জুরী কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, মতামত বা নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত মতামত, পরামর্শ বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মঞ্জুরী কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (৫) মঞ্জুরী কমিশন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নিরূপণ করিবে এবং উহার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করিবে। (৬) মঞ্জুরী কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজন পরীক্ষা করিয়া সুপারিশসহ সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। (৭) মঞ্জুরী কমিশন সরকার কিংবা দেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কিংবা প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া কিংবা অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত গোপন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিংবা যৌক্তিক কোনো কারণে মঞ্জুরী কমিশনের নিকট আবশ্যক বলিয়া বিবেচিত হইলে যে কোনো সময় নোটিশ প্রদান করিয়া কিংবা নোটিশ ব্যতীত আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো বিভাগ, শাখা, কার্যালয়, শিক্ষক, কর্মচারী কিংবা কর্তৃপক্ষের বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদন্ত করিতে অথবা তৎকর্তৃক নিযুক্ত বা মনোনীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিদর্শন ও তদন্ত করাইতে পারিবে। (৮) মঞ্জুরী কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মঞ্জুরী কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১০। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্মচারী থাকিবে, যথা :- (ক) ভাইস-চ্যান্সেলর; (খ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) রেজিস্ট্রার (ঙ) ডিন; (চ) কলেজ পরিদর্শক; (ছ) ইনস্টিটিউটের এবং বিভাগের (প্রশাসনিক) পরিচালক; (জ) বিভাগীয় চেয়ারম্যান; (ঝ) গ্রন্থাগারিক; (ঞ) প্রভোস্ট; (ট) প্রক্টর; (ঠ) পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা); (ড) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব); (ঢ) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন); (ণ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী; (থ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসক; (দ) পরিচালক (শরীরচর্চা ও শিক্ষা); (ধ) সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্মচারী।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১১। (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হইবেন এবং তিনি একাডেমিক ডিগ্রি ও সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, চ্যান্সেলর ইচ্ছা করিলে, কোনো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবার জন্য অন্য কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন। (২) চ্যান্সেলর এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত ক্ষমতার অধিকারী হইবেন। (৩) সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবে চ্যান্সেলরের অনুমোদন থাকিতে হইবে। (৪) চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ঘটনার তদন্ত করাইতে পারিবেন এবং তদন্তের প্রতিবেদন চ্যান্সেলরের নিকট হইতে সিন্ডিকেটে পাঠানো হইলে সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিবে। (৫) চ্যান্সেলরের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হইবার মত অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করিতেছে, তাহা হইলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখিবার স্বার্থে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ ও নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীরদের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে এবং ভাইস-চ্যান্সেলর উক্ত আদেশ ও নির্দেশ কার্যকর করিবেন।",
"name": "চ্যান্সেলর",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১২। (১) চ্যান্সেলর, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মরত এয়ার ভাইস মার্শাল বা তদূর্ধ্ব পদবির কোনো কর্মচারী অথবা অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল বা তদূর্ধ্ব পদবির কোনো কর্মচারীকে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ লাভের জন্য যোগ্য হইবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, চ্যান্সেলরের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর স্বপদে বহাল থাকিবেন। (৩) মেয়াদ সমাপ্ত হইবার কারণে ভাইস-চ্যান্সেলর পদ শূন্য হইলে কিংবা ছুটি বা অন্য কোনো কারণে অনুপস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে উক্ত পদ শূন্য হইলে কিংবা অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ভাইস-চ্যান্সেলর তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে অথবা অপারগতা প্রকাশ করিলে, শূন্যপদে নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ভাইস-চ্যান্সেলর পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, চ্যান্সেলরের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত না থাকা সাপেক্ষে, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করিবেন, তবে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদ শূন্য থাকিলে ট্রেজারার ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করিবেন এবং ট্রেজারার পদ শূন্য থাকিলে জ্যেষ্ঠতম ডিন ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "ভাইস-চ্যান্সেলর",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১৩। (১) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক প্রধান একাডেমিক ও প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মচারী হইবেন। (২) ভাইস-চ্যান্সেলর তাহার দায়িত্ব পালনে চ্যান্সেলরের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৩) ভাইস-চ্যান্সেলর এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধির বিধানাবলি এবং মঞ্জুরী কমিশন ও সরকার কর্তৃক, সময় সময়, জারিকৃত আদেশ-নির্দেশ বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (৪) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো কর্তৃপক্ষের সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং ইহার কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি উহার সদস্য না হইলে উহাতে কোনো ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না। (৫) ভাইস-চ্যান্সেলর সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করিবেন। (৬) ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৭) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষদ, ইনস্টিটিউট অথবা বিভাগ পরিদর্শন করিতে ও প্রয়োজনীয় দিক্নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন। (৮) ভাইস-চ্যান্সেলর, তৎবিবেচনায় প্রয়োজন মনে করিলে, তাহার যে কোনো ক্ষমতা ও দায়িত্ব, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষক অথবা কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন। (৯) ভাইস-চ্যান্সেলর, সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে এবং তাহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। (১০) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের উপর সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (১১) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়ী থাকিবেন। (১২) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং ভাইস-চ্যান্সেলরের বিবেচনায় তৎসম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে, তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে কর্তৃপক্ষ সাধারণতঃ বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার অধিকারপ্রাপ্ত সেই কর্তৃপক্ষকে যথাশীঘ্র সম্ভব, তৎকর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন। (১৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সহিত ভাইস-চ্যান্সেলর ঐকমত্য পোষণ না করিলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন স্থগিত রাখিয়া তাহার মতামতসহ সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পুনঃবিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাইতে পারিবেন এবং যদি উক্ত কর্তৃপক্ষ পুনঃবিবেচনার পর ভাইস-চ্যান্সেলরের সহিত ঐকমত্য পোষণ না করেন, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে, তবে সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে গৃহীত একাডেমিক বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। (১৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বাজেট বাস্তবায়নে ভাইস-চ্যান্সেলর সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন। (১৫) এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও ভাইস-চ্যান্সেলর প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১৪। (১) চ্যান্সেলর, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর বা তদূর্ধ্ব পদবির কোনো কর্মচারীকে অথবা অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ (পনেরো) বৎসরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করিবেন। (২) চ্যান্সেলরের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। (৩) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১৫। (১) চ্যান্সেলর, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ও মেয়াদে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর পদবির কোনো কর্মচারী অথবা কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫(পনেরো) বৎসরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সিলেকশন গ্রেডভুক্ত কোনো অধ্যাপককে ট্রেজারার নিযুক্ত করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, চ্যান্সেলর, প্রয়োজনবোধে যে কোনো সময়, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, ট্রেজারারকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন। (৩) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন এবং হিসাব সংক্রান্ত সকল বিষয়ে ভাইস-চ্যান্সেলরকে পরামর্শ প্রদান করিবেন। (৪) ট্রেজারার, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ তত্ত্বাবধান করিবেন এবং তিনি বার্ষিক বাজেট ও হিসাব-বিবরণী পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৫) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে ভাইস-চ্যান্সেলর, সংশ্লিষ্ট কমিটি, ইনস্টিটিউট ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করিবেন। (৬) যে খাতের জন্য অর্থ মঞ্জুর অথবা বরাদ্দ করা হইয়াছে সেই খাতেই যেন উহা ব্যয় হয় তাহা দেখিবার জন্য ট্রেজারার, সিন্ডিকেটের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৭) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন। (৮) ট্রেজারার এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও প্রয়োগ করিবেন। (৯) ছুটি, অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে ট্রেজারারের পদ সাময়িকভাবে শূন্য হইলে ভাইস-চ্যান্সেলর অবিলম্বে চ্যান্সেলরকে তৎসম্পর্কে অবহিত করিবেন এবং চ্যান্সেলর ট্রেজারারের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য যে প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করিবেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।",
"name": "ট্রেজারার",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১৬। (১) রেজিস্ট্রারের নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও কর্তব্য সংবিধির বিধান ও ভাইস-চ্যান্সেলর দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রয়োজনবোধে যে কোনো সময় কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে রেজিস্ট্রারকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন। (৩) রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কর্মচারী হইবেন, এবং তিনি- (ক) সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন; (খ) ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক তাহার হেফাজতে ন্যস্ত সকল গোপনীয় প্রতিবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র ও সাধারণ সিলমোহর রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (গ) সিন্ডিকেট কর্তৃক তাহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক হইবেন; (ঘ) সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করিবেন; (ঙ) নিয়োগ এবং তদ্বিষয়ক বিজ্ঞপ্তির জন্য দায়ী থাকিবেন; (চ) বাছাই কমিটি গঠন করা, বাছাই কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সিন্ডিকেটের অনুমোদন গ্রহণ এবং যোগদানপত্র ইস্যু করিবার জন্য দায়ী থাকিবেন; (ছ) শিক্ষক এবং কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন; (জ) শিক্ষক এবং কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (ঝ) বাৎসরিক গোপনীয় প্রতিবেদন ফর্ম সংগ্রহ, রক্ষণ এবং বিতরণ করিবেন; (ঞ) হাজিরা নিবন্ধন বহি এবং গমনাগমন নিবন্ধন বহি রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (ট) শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সার্ভিস বুক এর প্রচলন করিবেন এবং এন্ট্রিসমূহ নথিভুক্ত, লিপিবদ্ধকরণ ও হালনাগাদ নিশ্চিত করিবেন; (ঠ) স্টেশনারি ক্রয়ের নিয়মানুযায়ী দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ নিশ্চিত করিবেন; (ড) ভান্ডারের নিবন্ধন বহিতে প্রয়োজনীয় এন্ট্রি এবং বিতরণ নিশ্চিত করিবেন; (ঢ) সংশ্লিষ্ট সকলের প্রাপ্য ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন; (ণ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনয়নের জন্য সমন্বয়কারী হিসাবে কার্য করিবেন; (ত) ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশগত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন; (থ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করিবেন; (দ) নিবন্ধন কার্ড, মাইগ্রেশন কার্ড, বদলি সনদ, ইত্যাদি প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (ধ) ভর্তি সংক্রান্ত নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (ন) মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট সেকশনের নির্বিঘ্ন কার্যকারিতা নিশ্চিত করিবেন; (প) সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধির দ্বারা নির্ধারিত, সময় সময়, অর্পিত এবং ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন; (ফ) ডিনের সহিত তাহার পরিকল্পনা, কার্যক্রম অথবা শিডিউল সম্পর্কে সংযোগ রক্ষা করিবেন; (ব) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উহার সকল অফিস সংক্রান্ত চিঠিপত্রের আদান প্রদান করিবেন; এবং (ভ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত চুক্তি ব্যতীত অন্যান্য সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন।",
"name": "রেজিস্ট্রার",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১৭। (১) ভাইস-চ্যান্সেলর, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে অধ্যাপক অথবা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর অথবা তদূর্ধ্ব পদবির কোনো কর্মচারীকে ধারা ৩০ এর বিধান অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য ডিন হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবেন। (২) প্রত্যেক অনুষদে একজন করিয়া ডিন থাকিবেন এবং তিনি ভাইস-চ্যান্সেলরের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে থাকিয়া এই আইন এবং অনুষদ সম্পর্কিত সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুসারে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রয়োজনবোধে যে কোনো সময়, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, ডিনকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন। (৪) ডিন অনুষদ প্রধান হিসাবে, শিক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয় কার্যকর করিবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং, তিনি- (ক) তাহার অধীন সকল বিভাগের কার্যক্রম যথাযথ কার্যকর করিবার জন্য দায়ী থাকিবেন; (খ) তাহার বিভাগের মাধ্যমে অধিভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ রক্ষা করিবেন; (গ) একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট ও ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট হইতে প্রাপ্ত সকল আদেশ ও নির্দেশাবলি কার্যকর করিবার জন্য নিয়মিত বিরতির মাধ্যমে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করিবেন; (ঘ) প্রয়োজনবোধে, পরীক্ষক, মডারেটর ও প্রশ্ন প্রণেতাদের পরিবর্তনের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন; (ঙ) অনুষদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রধান হিসাবে নিয়োজিত থাকিবেন।",
"name": "ডিন",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১৮। (১) ভাইস-চ্যান্সেলর, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডর অথবা সমপদমর্যাদার কোনো অধ্যাপক বা অসামরিক সরকারি কর্মচারীকে একাডেমি বা ইনস্টিটিউট পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগদান করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, একাডেমি বা ইনস্টিটিউট পরিদর্শক পদে নিযুক্ত ব্যক্তিকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হইতে হইবে। (২) একাডেমি বা ইনস্টিটিউট পরিদর্শক- (ক) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবেন; (খ) প্রয়োজনে, অধিভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করিবেন এবং পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুতক্রমে উহা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করিবেন; (গ) প্রতিষ্ঠানসমূহের অধিভুক্তি ও অনধিভুক্তির উপযুক্ততা যাচাই করিবেন; এবং (ঘ) ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "একাডেমি বা ইনস্টিটিউট পরিদর্শক",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1286,
"details": "১৯। (১) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পরীক্ষা পরিচালনার সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্বে থাকিবেন এবং তাহার নিয়োগ পদ্ধতি ও দায়িত্ব-কর্তব্য সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক- (ক) পরীক্ষা পরিচালনার সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবেন; (খ) পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ এবং উহা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষার্থীকে অবহিত করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন; (গ) পরীক্ষার্থীদের নিবন্ধন, পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ, রোল নম্বর বরাদ্দকরণ, প্রবেশপত্র ইস্যু এবং উহা অধিভুক্ত কলেজসমূহের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন; (ঘ) পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পরীক্ষা কমিটি গঠন এবং উহা অনুষদ সদস্যদেরকে অবহিত করিবার ব্যবস্থা করিবেন; (ঙ) ভাইস চ্যান্সেলরের সহিত আলোচনা সাপেক্ষে প্রশ্নপত্র প্রণেতা এবং মডারেটর নির্বাচন করিবেন; (চ) সকল প্রকার প্রশ্নপত্র প্রস্তুত, মডারেশন এবং মুদ্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করিবেন এবং প্রেস কর্তৃপক্ষের সহিত যোগাযোগ করিবেন; (ছ) পরীক্ষাসমূহ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকল প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন; (জ) বিষয় অনুযায়ী পরীক্ষকগণের নামের তালিকা প্রস্তুত করিবেন; (ঝ) পরীক্ষার উত্তরপত্র সংগ্রহ এবং উহা পরীক্ষকগণের নিকট প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন; (ঞ) মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ এবং নির্দিষ্ট তারিখে পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করিবেন; (ট) প্রধান পরীক্ষকের নিকট হইতে নম্বরপত্র সংগ্রহ করিবেন, টেবুলেটর নিয়োগ করিবেন এবং টেবুলেশন সম্পন্ন করিবার ব্যবস্থা করিবেন; (ঠ) কম্পিউটার ইউনিট, রেজিস্ট্রেশন বিভাগ এবং অধিভুক্ত কলেজ অথবা প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করিবেন; (ড) ফল প্রকাশের পূর্বে উহা একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের নিকট উপস্থাপন করিবেন; (ঢ) নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করিবেন এবং উহাতে যদি কোনো ভুল পরিলক্ষিত হয় উহা সংশোধনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করিবেন; (ণ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাঝে সনদপত্র এবং প্রশংসাপত্র বিতরণ করিবেন; (ত) পরীক্ষা বিষয়ক সকল প্রকার সভার প্রয়োজনীয় কর্মপত্র প্রস্তুত করিবেন; (থ) পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনবোধে শিক্ষক ও কর্মচারীগণের সমন্বয়ে পরিদর্শন টিম গঠন করিবেন; (দ) পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল অভিযোগের তদন্ত করিবেন; (ধ) বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজসমূহের বিভিন্ন কার্যালয়ের সহিত সমন্বয় সাধন করিবেন; (ন) পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল সামগ্রী সংগ্রহ, গুদামজাতকরণ এবং প্রদানের নিশ্চয়তা বিধান করিবেন; (প) উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ সংক্রান্ত সকল কার্য করিবেন; এবং (ফ) ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ডিনের সকল প্রকার আইনানুগ আদেশ এবং নির্দেশাবলি পালন করিবেন।",
"name": "পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২০। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কর্মচারী নিয়োগ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে এই আইনের কোথাও উল্লেখ নাই, সিন্ডিকেট সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সেইসকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্ধারণ করিবে।",
"name": "অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২১। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষ থাকিবে, যথা :- (ক) সিনেট; (খ) সিন্ডিকেট; (গ) একাডেমিক কাউন্সিল; (ঘ) অনুষদ; (ঙ) পাঠ্যক্রম কমিটি; (চ) অর্থ কমিটি; (ছ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (জ) নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটি; এবং (ঝ) সংবিধি অনুসারে গঠিত অন্যান্য কমিটি বা কর্তৃপক্ষ।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২২। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হইবে সিনেট। (২) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে সিনেট গঠিত হইবে, যথা :- (ক) ভাইস-চ্যান্সেলর, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ সদস্য; (গ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর; (ঘ) ট্রেজারার; (ঙ) সকল ডিন; (চ) চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ; (ছ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স; (জ) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক মনোনীত এয়ার ভাইস মার্শাল পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঝ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক মনোনীত মেজর জেনারেল পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঞ) বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক মনোনীত রিয়ার অ্যাডমিরাল পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ট) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক মনোনীত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২(দুই)জন ভাইস-চ্যান্সেলর; (ঠ) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক মনোনীত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অথবা কমডোর অথবা এয়ার কমডোর পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ড) সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঢ) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অথবা তাহার প্রতিনিধি; (ণ) সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা তৎকর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ত) সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা তৎকর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিবের পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (থ) অধিভুক্ত ইনস্টিটিউট, একাডেমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানগণ; (দ) ব্যবস্হাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড; এবং (ধ) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (৩) সিনেটে মনোনীত সদস্যগণ প্রত্যেকে তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। (৪) সিনেটের কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন তাহা হইলে তিনি সিনেটের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "সিনেট",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২৪। এই আইন এবং মঞ্জুরী কমিশন আদেশের বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিনেট- (ক) সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রস্তাবিত সংবিধি অনুমোদন, সংশোধন ও বাতিল করিতে পারিবে; (খ) সিন্ডিকেট কর্তৃক পেশকৃত প্রস্তাব, বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাব ও বার্ষিক সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রস্তাব বিবেচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে; এবং (গ) এই আইন বা সংবিধি দ্বারা অর্পিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবে।",
"name": "সিনেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২৫। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গঠিত হইবে, যথা :- (ক) ভাইস-চ্যান্সেলর, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন: (খ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; (ঙ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (চ) চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত ৩(তিন)জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; (ছ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্য হইতে একজন শিক্ষক; (জ) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক মনোনীত অন্যূন এয়ার কমডোর পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঝ) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক মনোনীত এয়ার কমডোর অথবা সমপদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঞ) সদস্য (অপারেশন), বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ; (ট) ব্যাবস্হাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বিমান অথবা তৎকর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; (ঠ) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ড) বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঢ) সরকার কর্তৃক মনোনীত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে একজন প্রতিনিধি; (ণ) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) সিন্ডিকেটে মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, তাহার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন: আরও শর্ত থাকে, কোনো সদস্য যে পদ অথবা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন তাহা হইলে তিনি সিন্ডিকেটের সদস্যপদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "সিন্ডিকেট",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২৬। (১) এই ধারার বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিন্ডিকেট উহার সভার কার্যক্রম পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) সিন্ডিকেটের সভা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময়ে ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ২ (দুই ) মাসে সিন্ডিকেটের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) ভাইস-চ্যান্সেলর যখনই উপযুক্ত মনে করিবেন তখনই সিন্ডিকেটের বিশেষ সভা আহ্বান করিতে পারিবেন।",
"name": "সিন্ডিকেটের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২৭। (১) এই আইন ও মঞ্জুরী কমিশন আদেশের বিধানাবলি সাপেক্ষে সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হইবে এবং এই আইন ও ভাইস চ্যান্সেলরের উপর অর্পিত ক্ষমতা সাপেক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি, সংস্হাসমূহ এবং সম্পত্তির উপর সাধারণ ব্যবস্হাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা থাকিবে, এবং এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালিত হইতেছে কি না তাহার প্রতি লক্ষ্য রাখিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, সিন্ডিকেট- (ক) সিনেটের অনুমোদন সাপেক্ষে, সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন ও বাতিলের প্রস্তাব করিবে; (খ) বাৎসরিক প্রতিবেদন, বাৎসরিক হিসাব ও বাৎসরিক সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রস্তাব বিবেচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে; (গ) সিনেট ৩০ (ত্রিশ) জুনের পূর্বে বাৎসরিক বাজেট অধিবেশন আহ্বান এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ অনুমোদন করিবে; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি অর্জন ও তহবিল সংগ্রহ করিবে, উহা অধিকারে রাখিবে এবং নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করিবে; (ঙ) অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ কমিটির পরামর্শ বিবেচনা করিবে; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সিলমোহরের আকার নির্ধারণ এবং উহার হেফাজতের ব্যবস্থা ও ব্যবহার পদ্ধতি নিরূপণ করিবে; (ছ) সংশ্লিষ্ট বৎসরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক চাহিদার পূর্ণ বিবরণ প্রতি বৎসর মঞ্জুরী কমিশনের নিকট পেশ করিবে এবং পূর্ববর্তী বৎসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উৎস তথা মঞ্জুরী কমিশন বহির্ভূত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ সম্পদের বিবরণ প্রদান করিবে; (জ) বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত যে কোনো তহবিল পরিচালনা করিবে; (ঝ) এই আইন অথবা সংবিধিতে কোনো বিধান না থাকিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ ও তাহাদের দায়িত্ব ও চাকুরির শর্তাবলি নির্ধারণ করিবে; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে উইল, দান এবং অন্যভাবে হস্তান্তরকৃত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ করিবে; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠান এবং উহার ফল প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে; (ঠ) এই আইন দ্বারা অর্পিত ভাইস চ্যান্সেলরের ক্ষমতাবলি সাপেক্ষে, এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করিবে; (ড) ইনস্টিটিউট ও হল পরিদর্শনের ব্যবস্থা করিবে অথবা পরিদর্শনের নির্দেশ প্রদান করিবে; (ঢ) এই আইন, সংবিধি ও মঞ্জুরী কমিশন আদেশের বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন করিবে; (ণ) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক এবং অন্যান্য শিক্ষক, গবেষক এবং কর্মচারীর পদ সৃষ্টি, বিলোপ অথবা সাময়িকভাবে স্থগিত করিবে: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো পদের জন্য আর্থিক সংস্থান হইবার পূর্বে উক্ত পদে নিয়োগ প্রদান করা যাইবে না; (ত) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী, মঞ্জুরী কমিশন এবং চ্যান্সেলরের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, নূতন অনুষদ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করিবে; (থ) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো অনুষদ, বিভাগ অথবা ইনস্টিটিউট বিলোপ অথবা সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে; (দ) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো খ্যাতিমান ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরূপে স্বীকৃতি প্রদান করিবে; (ধ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে এবং ভাইস-চ্যান্সেলরের সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে উহার ক্ষমতা কোনো নির্ধারিত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে; (ন) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে নূতন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, অগ্রসর শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, আন্তঃবিভাগীয় এবং আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক নূতন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালু অথবা বন্ধ এবং পুরাতন কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে; (প) এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে অর্থ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারার ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, তাহাদের দায়িত্ব ও চাকুরির শর্তাবলি নির্ধারণ এবং তাহাদের কোনো পদ স্থায়ীভাবে শূন্য হইলে সেই পদ পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে; (ফ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক অথবা খ্যাতিমান পণ্ডিত ব্যক্তিকে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তাহার বিশেষ অবদানের জন্য মেধা ও মনীষার স্বীকৃতি হিসাবে পুরস্কৃত করিতে পারিবে; (ব) মঞ্জুরী কমিশন হইতে প্রাপ্ত মঞ্জুরি এবং নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়ের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বিবেচনা ও অনুমোদন করিবে; (ভ) সাধারণ অথবা বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত সকল তহবিল পরিচালনা করিবে; (ম) এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত বা আরোপিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবে; এবং (য) বিশ্ববিদ্যালয়ের এইরূপ অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে, যাহা এই আইন বা সংবিধির অধীন অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে প্রদত্ত নহে।",
"name": "সিন্ডিকেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একাডেমিক কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথা:- (ক) ভাইস-চ্যান্সেলর, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর; (গ) অনুষদসমূহের ডিন; (ঘ) সকল বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান; (ঙ) একাডেমি, ইনস্টিটিউট ও কেন্দ্রসমূহের প্রধানগণ; (চ) প্রক্টর; (ছ) ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ (সাত) জন অধ্যাপক; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক; (ঝ) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকগণের মধ্য হইতে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন প্রভাষক; (ট) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা হইতে দুইজন ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিজ্ঞান, প্রযু্ক্তি ও অ্যাভিয়েশন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুইজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; (ঠ) ভাইস-চ্যান্সেলর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কর্তৃক মনোনীত একজন ডিন বা অধ্যাপক; (ড) ভাইস-চ্যান্সেলর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ, কর্তৃক মনোনীত একজন ডিন বা অধ্যাপক; (ঢ) ভাইস-চ্যান্সেলর, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, কর্তৃক মনোনীত একজন ডিন বা অধ্যাপক; (ণ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (ত) রেজিষ্ট্রার, যিনি উহার সচিবও হইবেন। (২) একাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত কোনো সদস্য ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো মনোনীত সদস্য যে কোনো সময় একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) একাডেমিক কাউন্সিলের কোনো মনোনীত সদস্য তাহার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্য যে পদ অথবা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে যদি তিনি না থাকেন, তাহা হইলে তিনি একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "একাডেমিক কাউন্সিল",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1286,
"details": "২৯। (১) একাডেমিক কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ হইবে এবং এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধির বিধান সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, একাডেমিক বর্ষসূচি ও তৎসম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মান নির্ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য দায়ী থাকিবে এবং এই সকল বিষয়ের উপর উহার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান ক্ষমতা থাকিবে। (২) একাডেমিক কাউন্সিল এই আইন, সংবিধি এবং মঞ্জুরী কমিশন আদেশের বিধানাবলি সাপেক্ষে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাদান, গবেষণা ও পরীক্ষার সঠিক মান নির্ধারণের জন্য প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সামগ্রিক ক্ষমতার আওতায় একাডেমিক কাউন্সিলের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা :- (ক) বিশ্ব বাজার ও দেশের আর্থ-সামাজিক চাহিদার সহিত সংগতি রাখিয়া, মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সনদ কোর্স চালুর বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (খ) সার্বিকভাবে শিক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (গ) শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বিধি প্রণয়নের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের নিকট হইতে গবেষণা প্রতিবেদন তলব করা এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ এবং পাঠ্যক্রম কমিটি গঠনের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ও গবেষণার মানোন্নয়নের ব্যবস্থা করা; (ছ) সিন্ডিকেটের অনুমোদন এবং অনুষদের সুপারিশক্রমে, সকল পরীক্ষার প্রতিটি পত্রের পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যক্রম এবং গঠন ও গবেষণার সীমারেখা নির্ধারণ করা: তবে শর্ত থাকে যে, একাডেমিক কাউন্সিল কেবল অনুষদের সুপারিশমালা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনবোধে, সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য অনুষদের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে; (জ) এম.ফিল., ও পিএইচ.ডি. ডিগ্রির জন্য কোনো প্রার্থী থিসিস পেশ করিলে সংবিধি (যদি থাকে) অনুসারে, তৎসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করা; (ঝ) প্রয়োজনবোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সহিত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমতা বিধান করা; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে নূতন কোনো উন্নয়ন প্রস্তাবের উপর সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়ন এবং গ্রন্থাগার সুষ্ঠু পরিচালনার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা উন্নয়নের সুপারিশ করা এবং ইহার নিকট প্রেরিত শিক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (ড) নূতন অনুষদ প্রতিষ্ঠা এবং কোনো অনুষদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নূতন বিষয় প্রবর্তনের জন্য প্রস্তাব সিন্ডিকেটের বিবেচনার জন্য পেশ করা; (ঢ) অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষকসহ সকল পর্যায়ের বা প্রকারের শিক্ষক, গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ অথবা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব বিবেচনা করা এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ণ) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সনদ, বৃত্তি, ফেলোশীপ, স্কলারশীপ, স্টাইপেন্ড, পুরস্কার, পদক, ইত্যাদি প্রদানের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়ন এবং উপযুক্ত ব্যক্তিকে তাহা প্রদানের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ত) শিক্ষকের প্রশিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ এবং প্রশিক্ষণ ও ফেলোশীপ প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা; (থ) সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের সুপারিশক্রমে কোর্স, পাঠ্যক্রম ও সিলেবাস নির্ধারণসহ গবেষণা ডিগ্রির জন্য গবেষণার প্রতিটি বিষয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের গুণগত উৎকর্ষ ও তাহা সংরক্ষণ করিবার লক্ষ্যে প্রবিধান প্রণয়ন এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগসূত্র স্থাপন অথবা যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করিবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা; এবং (ধ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ভর্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলি নির্ধারণ এবং তদুদ্দেশ্যে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা। (৪) একাডেমিক কাউন্সিল সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা বিষয়ক অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রযোগ করিবে।",
"name": "একাডেমিক কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩০। (১) বিশ্ববিদ্যালয়, এই আইন ও সংবিধির বিধান এবং বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বা অর্থায়ন সম্পর্কে নিশ্চিত হইয়া, মঞ্জুরী কমিশন এবং চ্যান্সেলরের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, এক অথবা একাধিক অনুষদ প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে, তবে এই ক্ষেত্রে বিমান চলাচল সংক্রান্ত অনুষদ প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার প্রদান করিতে হইবে। (২) একাডেমিক কাউন্সিলের সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, প্রত্যেক অনুষদ সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণা পরিচালনার দায়িত্ব থাকিবে। (৩) অনুষদ গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) প্রত্যেক অনুষদে একজন করিয়া ডিন থাকিবেন এবং তিনি ভাইস চ্যান্সেলরের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে থাকিয়া অনুষদ সম্পর্কিত সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধির বিধান অনুসারে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৫) প্রত্যেক অনুষদের অধীন বিভাগসমূহে অধ্যাপকগণের মধ্য হইতে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একজন অধ্যাপক অথবা এয়ার কমডোর বা তদূর্ধ্ব পদবির কর্মচারী আবর্তন পদ্ধতিতে ২(দুই) বৎসরের জন্য ডিন হিসাবে নিযুক্ত হইবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো অনুষদের অধীন কোনো বিভাগেই অধ্যাপক না থাকিলে সহযোগী অধ্যাপকগণের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একজনকে ডিন হিসাবে নিযুক্ত করা যাইবে; আরও শর্ত থাকে যে, একাধিক বিভাগে সমজ্যেষ্ঠ অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক থাকিলে, সেইক্ষেত্রে তাহাদের মধ্যে ডিন পদের আবর্তনক্রম ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্দিষ্ট হইবে।",
"name": "অনুষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩১। (১) বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনবোধে, মঞ্জুরী কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এবং চ্যান্সেলর কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে, অ্যাভিয়েশন বিষয়ক গবেষণা কার্য পরিচালনাসহ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার অঙ্গীভূত একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কেন্দ্র হিসাবে এক বা একাধিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করিতে পারিবে অথবা, ক্ষেত্রমত, উক্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট কোনো ইনস্টিটিউটকে অধিভুক্ত করিতে পারিবে। (২) প্রতিটি একাডেমি, ইনস্টিটিউট বা কেন্দ্র পরিচালনার জন্য ১ (এক) জন পরিচালকসহ পৃথক বোর্ড অব গভর্নরস থাকিবে, যাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কেন্দ্র অথবা অনুরূপ প্রতিষ্ঠান",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩২। বিভাগের গঠন এবং দায়িত্ব ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারত হইবে।",
"name": "বিভাগ",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩৩। প্রত্যেক অনুষদে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পাঠ্যক্রম কমিটি থাকিবে।",
"name": "পাঠ্যক্রম কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ অনুদান; (খ) মঞ্জুরী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (গ) প্রাক্তন শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঘ) বৃত্তিদান তহবিল (Endowment Fund); (ঙ) শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত বেতন, ফি, ইত্যাদি; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত ও পরিচালন উৎসারিত আয়; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; (জ) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ঝ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি অথবা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঞ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত ঋণ; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত আয় বা মুনাফা; এবং (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয় বা অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে। (৩) তহবিল হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। (৪) তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো উন্নয়ন ও পরিকল্পনা খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে। (৫) বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনবোধে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে অন্য কোনো তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করিতে পারিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩৫। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে অর্থ কমিটি গঠিত হইবে, যথা:- (ক) ভাইস-চ্যান্সেলর, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) রেজিস্ট্রার; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত একজন ডিন; (ঙ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত সিন্ডিকেটের একজন সদস্য, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিতে নিয়োজিত নহেন; (চ) একাডেমিক কাউন্সিলে নিয়োজিত একজন শিক্ষক; (ছ) মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি (পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহে); এবং (জ) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবে। (২) অর্থ কমিটির মনোনীত কোনো সদস্য ২(দুই) বৎসর মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্য যে কোনো সময় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) অর্থ কমিটির কোনো মনোনীত সদস্য মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে তিনি মনোনীত হইয়াছিলেন সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে যদি না থাকেন, তাহা হইলে তিনি অর্থ কমিটির সদস্য পদেও অধিষ্ঠিত থাকিবেন না ।",
"name": "অর্থ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩৬। অর্থ কমিটি- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত কার্য তত্ত্বাবধান করিবে; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ, তহবিল, সম্পদ ও হিসাব নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; (গ) বার্ষিক বাজেট বিবেচনা করিবে এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; (ঘ) ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশনা অথবা এতৎসংক্রান্ত আদেশ ও নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবে; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সিন্ডিকেটের পরামর্শ অনুযায়ী কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা করা এবং উক্ত হিসাব হইতে অর্থ উত্তোলনসহ ইহা পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করিবে; (চ) শিক্ষক ও কর্মচারীদের সকল প্রকার পেনশন এবং অবসরজনিত সকল পাওনা পরিশোধ করিবে; (ছ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে শিক্ষক ও কর্মচারীদের ঋণ এবং অগ্রিম পরিশোধের ব্যবস্থা করিবে; (জ) শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবীমা এবং জীবন বীমার সকল প্রকার হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিবে; (ঝ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত অথবা ভাইস-চ্যান্সেলর বা সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবে; এবং (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে শিক্ষক, গবেষক ও কর্মচারীর পদ সৃষ্টির সুপারিশ করিবে।",
"name": "অর্থ কমিটির ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটি থাকিবে এবং ইহার গঠন, দায়িত্ব ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩৮। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জনসম্পর্ক ও তথ্য বিভাগ থাকিবে এবং উক্ত বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রচারণা, প্রিন্ট ও তথ্য প্রকাশ; (খ) সিম্পোজিয়াম, সেমিনার ও ওয়ার্কশপসমূহে অংশগ্রহণের জন্য অতিথিদের জন্য আমন্ত্রণপত্র মুদ্রণ; (গ) নীতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থাকরণ; (ঘ) জনস্বার্থে তথ্য সরবরাহের জন্য প্রেস কনফারেন্সের ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং (ঙ) ডিজিটাল অথবা আইসিটি বিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং ওয়েবপেজ প্রস্তুতকরণ।",
"name": "জনসম্পর্ক ও তথ্য বিভাগ",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৩৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও আর্কাইভ থাকিবে। (২) গ্রন্থাগারিক নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করিবে, যথা:- (ক) গ্রন্থাগারের উন্নয়নের জন্য নীতিমালা তৈরি; (খ) বই, সাময়িকী, ইত্যাদি সংগ্রহ এবং বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ; (গ) গ্রন্থাগার বুলেটিন প্রকাশ; (ঘ) গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং (ঙ) গ্রন্থাগার বিষয়ক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা ও উন্নয়ন সাধন।",
"name": "গ্রন্থাগার ও আর্কাইভ",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪০। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ থাকিবে এবং উক্ত বিভাগ নিম্নবর্ণিত কার্যাদি সম্পন্ন করিবে, যথা :- (ক) প্রশ্নপত্র মুদ্রণ; (খ) উত্তরপত্র প্রস্তুত; (গ) গবেষণামূলক প্রবন্ধ, পুস্তক, জার্নাল, ইত্যাদি মুদ্রণ ও প্রকাশ; এবং (ঘ) ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য কার্য।",
"name": "মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪১। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের জন্য পৃথক পৃথক বাছাই কমিটি থাকিবে। (২) বাছাই কমিটির গঠন ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) বাছাই কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে। (৪) বাছাই কমিটির সুপারিশের সহিত সিন্ডিকেট একমত না হইলে বিষয়টি চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "বাছাই কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪২। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত একাডেমিক ইউনিট থাকিবে, যথা:- (ক) স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান; (খ) স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান; এবং (গ) পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনিট",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪৩। (১) স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা সংগঠন, পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচি নির্ধারণ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের বিবেচনার জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি সুপারিশ করিবে, প্রশিক্ষণের মান সংরক্ষণ করিবে এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করিবে। (২) স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব পরিচালনা বিধি এবং একাডেমিক ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি থাকিবে, তবে নীতি-নির্ধারণী ক্ষেত্রে ইহা স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্র এবং পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের সহিত যোগাযোগ এবং সমন্বয় রক্ষা করিবে।",
"name": "স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪৪। স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র অ্যাভিয়েশন, বিমান প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, অ্যাভিয়েশন ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধ কৌশল, নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয় লইয়া গঠিত হইবে এবং ইহা- (ক) সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করিবে; (খ) একাডেমিক ইনস্টিটিউট অথবা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রসর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবে; এবং (গ) একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তবলির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে নিজস্ব পরিচালনা বিধি, একাডেমিক কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী পরিচালিত হইবে: তবে শর্ত থাকে যে নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে ইহা স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান এবং পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করিবে।",
"name": "স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪৫। (১) পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব থাকিবে, যথা :- (ক) জাতীয় ভাবধারার সহিত সংগতি রাখিয়া বিভিন্ন স্তরে শিক্ষা কোর্স এবং পাঠ্যক্রম মূল্যায়ন; (খ) বিভিন্ন পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচিতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতির প্রতিফলন; (গ) পরিবর্তনশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ও প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য ও প্রকৃতি নির্ধারণ; (ঘ) উপযুক্ত মূল্যায়নের মাধ্যমে আধুনিক ও যথোপযোগী শিক্ষা উপকরণ উদ্ভাবন ও ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান; (ঙ) শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রয়োজন নির্ধারণপূর্বক তাহা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়ন লক্ষ্যের সহিত সমন্বিতকরণ; (চ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের একাডেমিক কার্যক্রমের মূল্যায়ন। (২) একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের নিজস্ব পরিচালনা বিধি ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি থাকিবে: তবে শর্ত থাকে যে, নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে ইহা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করিবে।",
"name": "পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শৃঙ্খলা কমিটি থাকিবে। (২) শৃঙ্খলা কমিটির গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "শৃঙ্খলা কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪৮। এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংবিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যেকোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা:- (ক) ভাইস চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (খ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (গ) ট্রেজারারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (ঘ) জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মানে অধ্যাপক পদ (চেয়ার) প্রবর্তন; (ঙ) সম্মানসূচক ডিগ্রি অথবা অন্য কোনো সম্মান প্রদান; (চ) ফেলোশীপ, স্কলারশীপ, বৃত্তি, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন; (ছ) গবেষণা কার্যক্রমের বিষয় ও ধরন নির্ধারণ; (জ) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা অথবা সনদ প্রদান; (ঝ) শিক্ষাদানকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ; (ঞ) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি নির্ধারণ; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীগণের পদবি, ক্ষমতা, দায়িত্ব-কর্তব্য ও কর্মের শর্তাবলি নির্ধারণ; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (ড) ইনস্টিটিউট, হল প্রতিষ্ঠা এবং উহাদের রক্ষণাবেক্ষণ; (ঢ) হলের অনুমোদন সম্পর্কিত শর্তাবলি নির্ধারণ; (ণ) প্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ; (ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি ও ছাঁটাই সংক্রান্ত পদ্ধতি নির্ধারণ; (থ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর কল্যাণার্থে অবসরভাতা, গোষ্ঠীবীমা, কল্যাণ ও ভবিষ্য তহবিল গঠন; (দ) শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ অথবা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ সংক্রান্ত শর্তাবলি নির্ধারণ; (ধ) চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে নূতন বিভাগ বা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ, বিলোপ সাধন এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির বিধান নির্ধারণ; (ন) একাডেমিক কাউন্সিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ; (প) পি.এইচ.ডি. ডিগ্রির জন্য থিসিসের বিষয় নির্ধারণ; (ফ) অনুষদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (ব) অধিভুক্ত এবং অঙ্গীভূত ইনস্টিটিউট, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা; (ভ) বাছাই কমিটির গঠন ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (ম) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন; (য) বিভিন্ন কমিটি গঠন এবং দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্ধারণ সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন; (র) রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটদের রেজিস্টার সংরক্ষণ; এবং (ল) এই আইনের অধীন সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে অথবা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়।",
"name": "সংবিধি",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৪৯। (১) এই ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে সিন্ডিকেট সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন অথবা বাতিলের প্রস্তাব করিতে পারিবে। (২) তপশিলে বর্ণিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধি চ্যান্সেলরের অনুমোদন ব্যতীত সংশোধন অথবা বাতিল করা যাইবে না। (৩) সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত সকল সংবিধি সিন্ডিকেটের সুপারিশসহ অনুমোদনের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট পেশ করিতে হইবে। (৪) চ্যান্সেলর কর্তৃক অনুমোদিত না হইলে সিন্ডিকেটের প্রস্তাবিত কোনো সংবিধি বৈধ হইবে না।",
"name": "সংবিধি প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫০। এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা:- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রোগ্রাম বা কোর্সে ভর্তি ও নিবন্ধন; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট পাইবার যোগ্যতার শর্তাবলি নির্ধারণ; (ঘ) শিক্ষাদান, টিউটোরিয়াল ক্লাস, গবেষণাগার ও গ্রন্থাগার ব্যবহার ও পরিচালনার পদ্ধতি নিরূপণ; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে শিক্ষার্থীদের বসবাসের শর্তাবলি এবং তাহাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম বা কোর্সে ভর্তির জন্য আদায়যোগ্য ফি নির্ধারণ; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটি গঠন ও উহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (জ) শিক্ষাদান ও পরীক্ষা পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণ; (ঝ) ফেলোশীপ, স্কলারশীপ বা বৃত্তি, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্থা গঠন ও উহার ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ; (ট) হল পরিচালনা এবং হলের প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষক নিয়োগ; এবং (ঠ) এই আইন বা সংবিধির অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে অথবা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় বিধি",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫১। বিশ্ববিদ্যালয় বিধি সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নর্ণিত বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন করা যাইবে না, যথা :- (ক) শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন; (গ) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষাসমূহের সমতা; (ঘ) হলে শিক্ষার্থীদের বসবাসের শর্তাবলি; (ঙ) পরীক্ষা পরিচালনা; (চ) ফেলোশীপ ও বৃত্তি প্রবর্তন; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সকল ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটের জন্য পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও পাঠ্যক্রম নির্ধারণ; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং তাহাদের তালিকাভুক্তি; এবং (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা অথবা সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি, উহার বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের এবং উহার ডিগ্রি, সনদ ও ডিপ্লোমা পাইবার যোগ্যতার শর্তাবলি।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫২। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত বিষয়ে এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধির সহিত সংগতিপূর্ণ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:- (ক) উহাদের স্ব-স্ব সভায় অনুসরণীয় কার্যবিধি প্রণয়ন এবং কোরাম গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ; (খ) এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুসারে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণযোগ্য সকল বিষয়ের উপর প্রবিধান প্রণয়ন; এবং (গ) কেবল উক্ত কর্তৃপক্ষসমূহের সহিত সংশ্লিষ্ট, অথচ এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় বিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ উহার সভার তারিখ এবং সভার বিবেচ্য বিষয় সম্পর্কে উক্ত কর্তৃপক্ষের সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান এবং সভার কার্যবিবরণীর রেকর্ড সংরক্ষণ সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন করিবে। (৩) সিন্ডিকেট এই ধারার অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশোধন অথবা বাতিল করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকিবে: তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ২১ এ উল্লিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ অনুরূপ নির্দেশে অসন্তুষ্ট হইলে বিষয়টি সম্পর্কে চ্যান্সেলরের নিকট আপিল করিতে পারিবে এবং আপিলে চ্যান্সেলর প্রদত্ত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "প্রবিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫৩। (১) এই আইন এবং সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে। (২) কোনো শিক্ষার্থী বাংলাদেশের অনুমোদিত কোনো শিক্ষা বোর্ড অথবা সমমানের সংস্থার অধীন কোনো স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে কিংবা বিদেশের অনুমোদিত বা স্বীকৃত কোনো শিক্ষা বোর্ড, সমমানের সংস্থা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমানের পরীক্ষায় (যাহা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড, সমমানের সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সমমান বলিয়া স্বীকৃত) উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য যোগ্যতা তাহার না থাকিলে উক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কোর্সের কোনো পাঠ্যক্রমে যোগ্য হইবেন না। (৩) যে সকল শর্তাধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হইবে তাহা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) কোনো ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তির উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা স্বীকৃত সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রিকে তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো ডিগ্রির সমমানের বলিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে অথবা স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষাকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমানের বলিয়া স্বীকৃত প্রদান করিতে পারিবে। (৫) শিক্ষার্থীর প্রদত্ত মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কোনো শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হইলে এবং পরবর্তীকালে উহা প্রমাণিত হইলে ভর্তি বাতিলযোগ্য হইবে। (৬) নৈতিক স্খলনের দায়ে উপযুক্ত কোনো আদলত কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যোগ্য হইবেন না।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে ভর্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিচালন ব্যয়ের (মূলধন ব্যয় ব্যতিরেকে) নিরীখে শিক্ষার্থীদের নিকট হইতে বার্ষিক আদায়যোগ্য বেতন ও ফি নির্ধারিত হইবে। (২) সেমিস্টার অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন ও ফি সেমিস্টার আরম্ভ হইবার পূর্বেই পরিশোধ করিতে হইবে। (৩) সরকার অথবা অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অনুদান অথবা আয় হইতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধা ও প্রয়োজনের নিরিখে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করিতে পারিবে এবং শিক্ষা বৎসরওয়ারি বৃত্তি প্রদান করা হইবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি, অধ্যয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের উপর বৃত্তি প্রদানের বিষয়টি নির্ভর করিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যয় ও শিক্ষার্থীদের বেতনাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫৫। আন্তর্জাতিকতার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মাধ্যম হইবে ইংরেজি।",
"name": "শিক্ষার মাধ্যম",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫৬। (১) ভাইস চ্যান্সেলরের সাধারণ নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকিয়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (২) কোনো পরীক্ষার বিষয়ে কোনো পরীক্ষক কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে অথবা অপারগতা প্রকাশ করিলে ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশে তাহার স্থলে অন্য একজন পরীক্ষককে নিয়োগ প্রদান করা যাইবে।",
"name": "পরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫৭। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ও নির্ধারিত সংখ্যক কোর্সে একক ক্রেডিট আওয়ারস পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা যাইবে। (২) সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি নির্ধারিত সংখ্যক সেমিস্টারে বিভাজিত হইবে এবং ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বিশেষের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক কোর্স সম্পন্ন করিয়া ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা লাভের জন্য সর্বোচ্চ সময় নির্ধারিত থাকিবে এবং প্রত্যেক পাঠ্যক্রমের সফল সমাপ্তি এবং উহার উপর পরীক্ষা গ্রহণের পর পরীক্ষার্থীকে গ্রেড বা নম্বর প্রদান করা হইবে। (৩) সকল সেমিস্টার পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেডের সমন্বয়ের ভিত্তিতে পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল নির্ধারণপূর্বক পরীক্ষার্থীকে ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা প্রদান করা হইবে।",
"name": "পরীক্ষা পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫৮। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী লিখিত চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত হইবেন এবং চুক্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের হেফাজতে তাহার কার্যালয়ে গচ্ছিত থাকিবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মচারীকে উহার একটি অনুলিপি প্রদান করা হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী পূর্ণ সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সহিত দায়িত্ব কর্তব্য পালন করিবেন এবং পদ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ হইবেন। (৩) নিয়োগের শর্তাবলিতে স্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ না থাকিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক শিক্ষক ও কর্মচারীরূপে গণ্য হইবেন। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতনভোগী কোনো কর্মচারী অন্য কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী অথবা সাময়িক নিয়োগ গ্রহণ করিতে পারিবেন না। (৫) বিশ্ববিদ্যালয় অথবা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপের সহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক ও কর্মচারী নিজেকে জড়িত করিবেন না। (৬) কোনো শিক্ষক ও কর্মচারীর রাজনৈতিক মতামত পোষণের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন না করিয়া তাহার চাকুরির শর্তাবলি নির্ধারণ করিতে হইবে, তবে তিনি তাহার রাজনৈতিক মতামত প্রচার করিতে পারিবেন না অথবা তিনি নিজেকে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সহিত জড়িত করিতে পারিবেন না। (৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক বা কর্মচারী সংসদ সদস্য হিসাবে অথবা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচিত হইবার জন্য প্রার্থী হইতে চাহিলে তিনি তাহার মনোনয়নপত্র পেশ করিবার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি হইতে ইস্তফা দিবেন। (৮) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক বা কর্মচারীকে তাহার কর্তব্যে অবহেলা, অসদাচরণ, নৈতিক স্খলন অথবা অদক্ষতার কারণে প্রচলিত সরকারি বিধি বা সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চাকুরি হইতে অপসারণ অথবা পদচ্যুত করা অথবা অন্য কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, আনীত অভিযোগ সম্পর্কে কোনো তদন্ত কমিটি কর্তৃক তদন্ত অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে অথবা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া তাহাকে চাকরি হইতে অপসারণ অথবা পদচ্যুত করা যাইবে না।",
"name": "চাকুরির শর্তাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৫৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত করিতে হইবে এবং পরবর্তী শিক্ষা বৎসর আরম্ভের ৬০ (ষাট) দিবসের মধ্যে অথবা তৎপূর্বে উহা মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬০। (১) বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক হিসাব-নিরীক্ষার জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।",
"name": "বার্ষিক হিসাব",
"related_acts": "",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬১। (১) বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষভাবে দায়িত্ব প্রদত্ত ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিবর্গ দ্বারা, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সময় সময়, পরিদর্শন করাইতে পারিবে এবং উক্তরূপে পরিদর্শিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। (২) সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল এবং কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যে কোনো প্রতিবেদন, বিবরণ ও তথ্য সরবরাহ করিতে হইবে।",
"name": "পরিদর্শন ও প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬২। (১) একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শক্রমে সিন্ডিকেট কোনো কলেজ, একাডেমি অথবা প্রতিষ্ঠানকে যে সকল বিষয়ে ও যে পর্যায়ে শিক্ষাদানের ক্ষমতা প্রদান করিবে সংশ্লিষ্ট কলেজ, একাডেমি অথবা প্রতিষ্ঠান সেইসকল বিষয়ে এবং সেই পর্যায়ে শিক্ষাদান করিবে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে ভিন্নরূপ কোনো শিক্ষাদান করা যাইবে না। (২) একাডেমিক কাউন্সিল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সুপারিশ বিবেচনা করিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কলেজ, একাডেমি অথবা প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত পরামর্শক্রমে সহযোগিতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করিতে হইবে। (৩) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা একাডেমি শিক্ষার্থীদের উপকারার্থে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র নির্বাচিত বিষয়ে লেকচার অথবা কোর্স দানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত এবং কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত কোনো লেকচার, ভাইস চ্যান্সেলরের পূর্বানুমতিক্রমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা যাইবে।",
"name": "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬৩। কোনো ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকা বা বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো ইনস্টিটিউটের কোনো কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি- (ক) অপ্রকৃতিস্থ বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাহার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে অক্ষম হন; (খ) উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর উক্ত দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; (গ) নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন।",
"name": "কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 62
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬৪। এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বা প্রবিধানে এতদসম্পর্কিত বিধানের অবর্তমানে, কোনো ব্যক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার অধিকার সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে উহা সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং সিন্ডিকেট উহা নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরিত হইবে এবং উক্ত বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গঠন সম্পর্কে বিরোধ",
"related_acts": "",
"section_id": 63
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬৫। এই আইন বা সংবিধি দ্বারা কোনো কর্তৃপক্ষকে কমিটি গঠনের ক্ষমতা প্রদান করা হইলে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত মতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া কোনো কমিটি গঠন করিলে উহার গঠনের আইনগত বৈধতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 64
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬৬। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ অথবা ইনস্টিটিউটের পদাধিকারবলে সদস্য নহেন এইরূপ কোনো সদস্যের পদ আকস্মিকভাবে শূন্য হইলে, যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ উক্ত সদস্যকে নিযুক্ত, নির্বাচিত বা মনোনীত করিয়াছিলেন সেই ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ, যতশীঘ্র সম্ভব, উক্ত শূন্যপদ পূরণ করিবেন এবং যে ব্যক্তি এই প্রকার শূন্যপদে নিযুক্ত, নির্বাচিত বা মনোনীত হইবেন, তিনি যাহার স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন, তাহার অসমাপ্ত কার্যকালের জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য বহাল থাকিবেন।",
"name": "আকস্মিক সৃষ্ট শূন্যপদ পূরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 65
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের কোনো কার্য ও কার্যধারা কেবল উহার কোনো পদের শূন্যতা অথবা উক্ত পদে নিযুক্তি, মনোনয়ন অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যর্থতা অথবা ক্রটির কারণে অথবা কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে অন্য কোনো প্রকার ক্রটির জন্য অবৈধ হইবে না কিংবা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কার্যধারার বৈধতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 66
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬৮। এই আইন অথবা সংবিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ কোনো বিষয়ে অথবা চুক্তি সম্পর্কে কোনো বিতর্ক বা বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং সিন্ডিকেট উহা নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বিতর্কিত বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 67
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৬৯। সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং শর্তাবলি সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় উহার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কল্যাণার্থে দেশে প্রচলিত এতদসংক্রান্ত আইন, নিয়ম ও বিধির সহিত সংগতি রাখিয়া অবসরভাতা, গোষ্ঠীবীমা, কল্যাণ তহবিল এবং ভবিষ্য তহবিল গঠন অথবা আনুতোষিক প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।",
"name": "অবসরভাতা ও ভবিষ্য তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 68
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৭০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বৎসর মঞ্জুরী কমিশনের নিকট হইতে সরকার ও মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ মঞ্জুরিপ্রাপ্ত হইবে এবং মঞ্জুরী কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকার অথবা অন্য কোনো উৎস হইতে সংগ্রহ করিবে।",
"name": "সংবিধিবদ্ধ মঞ্জুরি",
"related_acts": "",
"section_id": 69
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৭১। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে অথবা উহার কোনো কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠকের বিষয়ে অথবা এই আইনের বিধানাবলি প্রথম কার্যকর করিবার বিষয়ে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষসমূহ গঠিত হইবার পূর্বে যে কোনো সময়ে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সমীচীন বা প্রয়োজনীয় বলিয়া চ্যান্সেলরের নিকট প্রতীয়মান হইলে তিনি আদেশ দ্বারা এই আইন এবং সংবিধির সহিত যতদূর সম্ভব সংগতি রক্ষা করিয়া যে কোনো পদে নিয়োগ দান বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং এই প্রকার প্রত্যেকটি আদেশ এইরূপে কার্যকর হইবে, যেন উক্ত নিয়োগদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ এই আইনের বিধান অনুসারে করা হইয়াছে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 70
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৭২। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার পর অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, কাউন্সিল বা প্রতিষ্ঠানের সহিত ধারা (৫) এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কলেজ, সেন্টার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অধিভুক্তি বা অধিকার, যদি থাকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আদেশ জারির সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হইবে এবং উক্ত একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কলেজ, সেন্টার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের বিষয়-সম্পত্তি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা শিক্ষার্থী সম্পর্কে এই আইন অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উক্ত অধিভুক্তি বা অধিকারে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কাউন্সিল বা প্রতিষ্ঠানের আর কোনো এখতিয়ার থাকিবে না। (২) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কলেজ, সেন্টার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীগণ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহাদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, কাউন্সিল বা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আনুষঙ্গিক নিয়মাবলি এমনভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন, উক্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আনুষঙ্গিক নিয়মাবলি এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত হইয়াছে।",
"name": "বিশেষ বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 71
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৭৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ২০১৮ ২০১৮ সনের ৪নং অধ্যাদেশ রহিত হইবে। (২) উপধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত অধ্যাদেশ-এর- (ক) অধীন কৃত সকল কার্যক্রম ও গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত ও গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (খ) অধীন গৃহীত কোন কার্য বা ব্যবস্থা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে বা চলমান থাকিবে যেন উক্ত অধ্যাদেশ রহিত হয় নাই।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 72
},
{
"act_id": 1286,
"details": "৭৪। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্য কোনো বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 73
}
],
"text": "অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্রসর বিশ্বের সহিত সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অ্যাভিয়েশন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্রসর বিশ্বের সহিত সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অ্যাভিয়েশন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1287,
"lower_text": [],
"name": "উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 39,
"published_date": "০৯ মে, ২০১৯",
"related_act": [
1287,
75,
1227,
1169,
442,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1287,
"details": "১। (১) এই আইন উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1287",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) “অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উদ্ভূত জাত (Essentially Derived Variety)’’ অর্থ এমন একটি জাত যাহা অন্য একটি প্রাথমিক (primary) জাত হইতে বংশ বিস্তার বা রূপান্তরের মাধ্যমে উৎপন্ন এবং যাহাতে উক্ত প্রাথমিক জাতের জেনোটাইপ বা জেনোটাইপসমূহের মিলনের ফলে নিম্নবর্ণিত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে, যথাঃ- (অ) উৎপন্ন জাতটি প্রাথমিক জাত হইতে স্পষ্টভাবে পৃথক বা ভিন্ন; এবং (আ) উৎপন্ন জাতটির অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রাথমিক জাতের সহিত সংগতিপূর্ণ; (২) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ; (৩) “কৃষক” অর্থ বাংলাদেশে বসবাসকারী এমন ব্যক্তি যিনি- (ক) নিজের জমিতে বা অন্যের জমিতে বা চাষোপযোগী যে কোনো স্থানে শস্য বা উদ্ভিদের চাষাবাদ করিয়া থাকেন; বা (খ) অন্য লোক নিয়োগ করিয়া সরাসরি চাষাবাদ কার্যের তদারক করিয়া থাকেন; বা (গ) এককভাবে বা যৌথভাবে উত্তম বৈশিষ্ট্যাবলি শনাক্তকরণ ও নির্বাচনের মাধ্যমে বন্য প্রজাতি বা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ও প্রচলিত জাতসমূহ অর্থাৎ দীর্ঘকালযাবৎ চাষাবাদ হইতেছে এইরূপ আদিজাত (Landraces) বা কৃষকের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করেন; (৪) “কৃষক অধিকার” অর্থ ধারা ২৩ এ বর্ণিত অধিকার; (৫) ‘কৃষক জাত’ অর্থ- (ক) যে জাত কৃষক কর্তৃক উদ্ভাবিত এবং যাহা কৃষক নিজ জমিতে চাষ করিয়া আসিতেছে, এবং (খ) যে জাত কোনো বন্য প্রজাতি (wild variety) এর সহিত সম্পর্কিত অথবা আদিজাত যাহার উদ্ভাবক অজ্ঞাত কিন্তু উক্ত জাত সম্পর্কে কৃষকের জ্ঞান রহিয়াছে; (৬) “কৌলিসম্পদ” অর্থ উদ্ভিদের সম্পূর্ণ, অংশবিশেষ বা বংশ বিস্তারক্ষম অংশ যেমন- বীজ, অঙ্গজ অংশ, কলা বা কোষসমষ্টি (Tissue) ও জীবকোষ (Cell) জিন (Gene) ও জেনোমিক ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড অনুক্রম; কোনো নির্দিষ্ট প্রজাতির সকল প্রকরণও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৭) “কোম্পানি” অর্থ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ সংজ্ঞায়িত কোনো কোম্পানি; (৮) “চেয়ারম্যান” অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান; (৯) “জাত” অর্থ বীজ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৩) এ উল্লিখিত জাত; (১০) “জাতীয় বীজ বোর্ড” অর্থ বীজ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬ নং আ্নি) এর ধারা ৩ এর অধীন গঠিত জাতীয় বীজ বোর্ড; (১১) “জিএমও (Genetically Modified Organism)” অর্থ কৌলিগতভাবে রূপান্তরিত প্রাণসত্তা (Organism) যাহা মলিকুলার পর্যায়ে জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবর্তিত বা রূপান্তরিত এবং নূতন ধরনের বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন করিতে বা নূতন বৃত্তির প্রকাশ ঘটাইতে সক্ষম; (১২) “নামকরণ” অর্থ সংশ্লিষ্ট জাত বা উহার বীজ বা বংশ বিস্তারক্ষম অংশের নাম যাহা যে কোনো ভাষায় লিখিত বর্ণসমষ্টি বা যুগপৎভাবে বর্ণসমষ্টি ও সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত; (১৩) “নিবন্ধন বহি” অর্থ ধারা ১৫ এ উল্লিখিত নিবন্ধন বহি; (১৪) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা, ক্ষেত্রমত, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত; (১৫) “প্রজননবিদ” অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি- (ক) এমন একটি উদ্ভিদের জাত প্রজনন বা উদ্ভাবন করিয়াছেন যাহা বাংলাদেশে সমসাময়িককালে নূতন; (খ) দফা (ক) এ উল্লিখিত ব্যক্তির নিয়োগকারী বা যিনি তাহাকে জাত প্রজনন বা উদ্ভাবন কার্যে নিয়োগদান করিয়াছেন; বা (গ) দফা (ক) বা (খ) এ উল্লিখিত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উত্তরসূরী; (১৬) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (১৭) “বীজ” অর্থ বীজ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১২) তে উল্লিখিত বীজ; (১৮) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি: (১৯) “বোর্ড” অর্থ এই আইনের ধারা ৮ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড; (২০) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ ধারা ১২ এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার; এবং (২১) ‘‘সংরক্ষিত জাত’’ অর্থ ধারা ১৫ এর বিধান অনুযায়ী নিবন্ধিত উদ্ভিদের জাত।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1227,1227,1227",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে। (২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৫। (১) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় থাকিবে। (২) কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরুপ, যথা :- (ক) উদ্ভিদের গণ ও প্রজাতি নির্ধারণ, প্রকাশ ও প্রচার; (খ) উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণের জন্য নিবন্ধন, নিবন্ধন সনদ প্রদান এবং এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধান লঙ্ঘনের জন্য নিবন্ধন বাতিল; (গ) উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আবেদনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ; (ঘ) উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ সংশ্লিষ্ট তথ্যের আদান-প্রদান এবং অধিকতর উন্নত পদ্ধতিতে উদ্ভিদের জাত পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা স্থাপন; (ঙ) প্রজননবিদের অধিকার, অধিকারের মেয়াদ নির্ধারণ, অধিকার সীমিতকরণ, বা ক্ষেত্রমত, অধিকার স্থগিত বা বাতিলকরণ বা অনুরূপ বিষয়াদির পদ্ধতি নিরূপণ ও উহার বাস্তবায়ন; (চ) কৃষক, ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রজননবিদের অধিকার কার্যকর করিতে পদক্ষেপ গ্রহণ; (ছ) জাত উদ্ভাবন ও উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ ও পুরস্কার প্রদান; (জ) আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের যথাযথ বাস্তবায়ন, নিয়মিতভাবে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন; (ঝ) সার্বিক কার্যক্রমের বিবরণ সম্বলিত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত ও সরকারের নিকট উহা উপস্থাপন; (ঞ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আনুষঙ্গিক সকল এবং উপরে বর্ণিত কার্যাদির সম্পূরক ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কার্যসম্পাদন; এবং (ট) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, কর্তৃপক্ষের উপর অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব ও কার্যসম্পাদন।",
"name": "কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৭। কর্তৃপক্ষের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৮। (১) কর্তৃপক্ষের একটি পরিচালনা বোর্ড থাকিবে, যাহা নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :- (ক) চেয়ারম্যান, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অনুবিভাগের অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (গ) পরিচালক (সরেজমিন উইং), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; (ঘ) সদস্য পরিচালক (শস্য), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল; (ঙ) মহাব্যবস্থাপক (বীজ), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন; (চ) পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট; (ছ) পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট; (জ) পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট; (ঝ) পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট; (ঞ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত উদ্ভিদের জাত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন অধ্যাপক; (ট) পরিচালক, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি; (ঠ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি কর্তৃক মনোনীত অন্যূন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ড) বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম কর্তৃক মনোনীত অন্যূন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঢ) প্রধান বীজতত্ত্ববিদ, কৃষি মন্ত্রণালয়; (ণ) বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; (ত) বাংলাদেশ কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন সমিতি কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; এবং (থ) রেজিস্ট্রার, উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ, যিনি উহার সদস্য সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঞ), (ণ) এবং (ত) এ উল্লিখিত মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, জনস্বার্থে, উক্ত মেয়াদ সমাপ্ত হইবার পূর্বে, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, কোনো মনোনীত সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং মনোনীত সদস্যগণও যে কোনো সময় চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন ।",
"name": "পরিচালনা বোর্ড গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সরকার কর্তৃক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন, তবে উক্তরূপ সদস্য নিযুক্ত না হইয়া থাকিলে, বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৩) প্রতি ৬ (ছয়) মাসে বোর্ডের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের নোটিশে বোর্ডের সভা আহবান করা যাইবে। (৪) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে সদস্য সচিব কর্তৃক আহূত হইবে। (৫) বোর্ডের মোট সদস্যের অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতেই সভার কোরাম হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে, সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে। (৭) শুধু কোনো সদস্য পদের শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে কোনো ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা এতদ্বিষয়ে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১০। (১) কর্তৃপক্ষের একজন চেয়ারম্যান থাকিবে। (২) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক এবং প্রধান নির্বাহী হইবেন। (৩) চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৪) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১১। (১) চেয়ারম্যান এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধান অনুসারে নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন, যথা : - (ক) কর্তৃপক্ষের সকল কার্যক্রম সূচারুরূপে সম্পন্ন করিবার উদ্দেশ্য এই আইনের অধীন অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ; (খ) কর্তৃপক্ষের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় সকল দায়িত্ব পালন; (গ) কর্তৃপক্ষের সকল কর্মচারী ও উহাদের কার্যক্রমের উপর নিয়ন্ত্রণ; (ঘ) কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন; এবং (ঙ) বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়, তাহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন। (২) চেয়ারম্যান তাহার অর্পিত দায়িত্ব পালন এবং ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নিকট দায়ী থাকিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যানের দায়-দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১২। (১) কর্তৃপক্ষের একজন রেজিস্ট্রার থাকিবে, যিনি সরকারের উপসচিব বা সমমর্যাদাধারীদের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন। (২) রেজিস্ট্রার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ও কার্য সম্পাদন করিবেন এবং তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যক্রমের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট দায়ী থাকিবেন।",
"name": "কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রার",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১৩। (১) কর্তৃপক্ষ উাহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী এবং, সময় সময়, সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সাধারণ ও বিশেষ নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উদ্ভিদের গণ ও প্রজাতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত উদ্ভিদের গণ ও প্রজাতি নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করিয়া সংরক্ষণ এবং ওয়েব সাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘উদ্ভিদের গণ (Plant genus)’ বলিতে এমন উদ্ভিদ কৌলিসম্পদ বা উদ্ভিদের জাত বুঝাইবে যাহা কৃষি, খাদ্য, ঔষধি, পুষ্টি ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহার উপযোগী এবং অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান।",
"name": "উদ্ভিদের গণ ও প্রজাতি নির্ধারণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো প্রজননবিদ কর্তৃক উদ্ভাবিত জাত অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উদ্ভূত জাত বা কৃষকের জাত ও জিএমও সংরক্ষিত জাত হিসাবে নিবন্ধন করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংরক্ষিত জাত হিসাবে নিবন্ধনের জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে, কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদনপত্রের সহিত বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধ করিতে হইবে এবং নির্ধারিত ফরমে সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত জাতের কারিগরি ও প্রজনন পদ্ধতির বিবরণ দাখিল করিতে হইবে। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন যথাযথভাবে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরীক্ষা করিতে হইবে। (৫) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৪) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন পরীক্ষা করিবার পর যথাযথ বলিয়া বিবেচিত হইলে উদ্ভিদের সংরক্ষিত জাত হিসাবে নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবে। (৬) এই ধারার অধীন নিবন্ধিত সংরক্ষিত জাত প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি নিবন্ধন বহিতে ম্যানুয়াল এবং ডিজিটাল উভয় পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে। (৭) কোনো ব্যক্তি কোনো সংরক্ষিত জাত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করিতে চাহিলে তাহাকে কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রার বরাবরে আবেদন করিতে হইবে এবং কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুকূলে উক্ত তথ্য প্রদান করিতে পারিবে। (৮) কোনো প্রজননবিদ যদি উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত নিবন্ধন বহিতে তাহার নামে নিবন্ধিত সংরক্ষিত জাতের তথ্য গোপন রাখিতে চাহেন, তাহা হইলে তাহাকে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে এবং কর্তৃপক্ষ, যুক্তিযুক্ত মনে করিলে, উহা গোপনীয় হিসাবে চিহ্নিত করিতে পারিবে। (৯) উপ-ধারা (৬) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিবন্ধন বহিতে সংরক্ষিত কোনো তথ্য উপ-ধারা (৮) এর অধীন গোপনীয় হিসাবে চিহ্নিত করা হইলে উক্ত তথ্য কোনো ব্যক্তির অনুকূলে সরবরাহ করা যাইবে না। (১০) এই ধারার অধীন সংরক্ষিত জাতের নিবন্ধনপ্রাপ্ত ব্যক্তি যে কোনো সময় কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে তাঁহার নিবন্ধন প্রত্যাহার করিতে পারিবে।",
"name": "উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ নিবন্ধন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১৬। (১) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণের জন্য আবেদনের যোগ্য বলিয়া গণ্য হইবে, যথা : - (ক) বাংলাদেশি নাগরিক বা আইনানুগ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান; (খ) অন্য কোনো দেশের নাগরিক বা আইনানুগ ব্যক্তি বা এমন কোনো প্রতিষ্ঠান যাহার বাংলাদেশে কার্যালয় রহিয়াছে; (গ) বাংলাদেশের নাগরিক বা আইনানুগ ব্যক্তি যিনি বিদেশ বা বিদেশি সংস্থায় কর্মরত অবস্থায় বা অন্য কোনোরূপ সহযোগিতার মাধ্যমে কোনো উদ্ভিদের নূতন জাত উদ্ভাবন করিয়াছেন, এবং উক্ত দেশ বা সংস্থার অনুমতি গ্রহণ করিয়া এই আইনের অধীন সংরক্ষণের জন্য আবেদন করিয়াছেন; (ঘ) বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব রহিয়াছে এইরূপ আন্তর্জাতিক কনভেনশন বা চুক্তির অংশীদার দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান; (ঙ) প্রজননবিদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি, উত্তরাধিকারী এবং প্রজননবিদ হিসাবে দাবিদার কোনো কৃষক বা কৃষক সমিতি; এবং (চ) রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত কোনো প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট বা বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্তৃপক্ষ। (২) কোনো সংস্থার চাকরি বা চুক্তিতে নিয়োজিত কোনো কর্মচারী যদি কোনো উদ্ভিদের জাত প্রজনন করেন, তাহা হইলে চাকরির শর্ত বা সম্পাদিত চুক্তিতে ভিন্ন কোনোরূপ শর্ত না থাকিলে, সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উহা সংরক্ষণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন। (৩) যদি একাধিক প্রজননবিদ নূতন উদ্ভিদের জাত উদ্ভাবন করেন, তাহা হইলে তাহারা যৌথভাবে অথবা তাহাদের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো একজন প্রজননবিদ জাত সংরক্ষণের আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন। (৪) যদি একাধিক প্রজননবিদ যৌথভাবে উদ্ভিদের নূতন জাত প্রজনন বা উদ্ভাবন করেন এবং যৌথভাবে উহার অধিকার সংরক্ষণ করিতে আগ্রহী হন, তাহা হইলে তাহাদের সকলের স্বাক্ষরে যৌথভাবে জাত সংরক্ষণের আবেদন দাখিল করিতে হইবে।",
"name": "নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো ব্যক্তি জাত সংরক্ষণের নিবন্ধনের জন্য আবেদনের যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি - (ক) এই আইন বা বীজ আইন, ২০১৮ এর কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন; (খ) তাহার আবেদনে নিম্নবর্ণিত তথ্য সরবরাহ বা, ক্ষেত্রমত, দাখিল করিতে ব্যর্থ হন, যথা :- (অ) আবেদনকৃত জাতটির প্রজননে কৃষকের জ্ঞান বা কৌলিসম্পদ ব্যবহারের প্রমাণ, (আ) কৃষকের জ্ঞান বা কৌলিসম্পদ ব্যবহারে কৃষক বা কৃষক সমিতির নিকট হইতে প্রজনন অধিকারের কারণে প্রাপ্য সুবিধাদি সংক্রান্ত শর্তাবলি ও অনুমতির উল্লেখসহ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ফরমে চুক্তি, এবং (ই) বাংলাদেশের বাহির হইতে সংগৃহীত কৌলিসম্পদের ক্ষেত্রে, উক্ত উপকরণাদি দেশের আইন অনুযায়ী সংগৃহীত এবং ইহা হইতে উদ্ভাবিত উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণের জন্য আবেদনকারীর অনুকূলে আবেদনের অনুমতি; (গ) জীববৈচিত্র্য কনভেনশন বা খাদ্য ও কৃষির জন্য উদ্ভিদ কৌলিসম্পদ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী অযোগ্য হন; এবং (ঘ) ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড রেস্ট্রিকশন টেকনোলজি বা টারমিনেটর টেকনোলজি ব্যবহার করিয়া কোনো জাত উদ্ভাবন করেন। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘টার্মিনেটর টেকনোলজি অথবা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড রেস্ট্রিকশন টেকনোলজি’ অর্থ জাতের কৌলিক পরিবর্তন যাহার দ্বারা বীজের অঙ্কুরোদ্গম ক্ষমতা পরবর্তী বৎসরে বাধাগ্রস্ত হইয়া থাকে।",
"name": "নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীর অযোগ্যতা",
"related_acts": "1227",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১৮। (১) ধারা ১৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ), (গ) ও (ঘ) এ উল্লিখিত কোনো প্রজননবিদ অন্য কোনো দেশে আবেদন দাখিল করিলে, সংশ্লিষ্ট জাতটি সংরক্ষণের জন্য এই আইনের অধীন আবেদন দাখিলের সময়সীমা গণনার ক্ষেত্রে ১২ (বার) মাসের অগ্রগণ্যতা পাইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অগ্রগণ্যতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রজননবিদকে প্রথম আবেদনে উল্লিখিত দেশ ও আবেদন দাখিলের তারিখ সুনির্দিষ্টভাবে পরবর্তী আবেদনে উল্লেখ করিতে হইবে। (৩) এই ধারার অধীন মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে প্রথম আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে গণনা শুরু করিতে হইবে।",
"name": "আবেদনের অগ্রগণ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1287,
"details": "১৯। (১) নিম্নবর্ণিত বৈশিষ্ট্যসমূহ বিদ্যমান থাকিলে কোনো উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ করা যাইবে, যথা :- (ক) নূতনত্ব (Novelty); (খ) সুস্পষ্ট স্বাতন্ত্র্য (Distinctness); (গ) সমরূপতা (Uniformity); এবং (ঘ) স্থায়িত্ব (Stability)। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এ উল্লিখিত নূতনত্ব বলিতে এই আইনের অধীন সংরক্ষিত জাত নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আবেদন দাখিলের পূর্ববর্তী ১ (এক) বৎসর বা বাংলাদেশের বাহিরে আবেদন দাখিলের পূর্ববর্তী ৪ (চার) বৎসর, বা বৃক্ষ ও লতাজাতীয় উদ্ভিদের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের পূর্ববর্তী ৬ (ছয়) বৎসরের পূর্বে উদ্ভাবিত জাতকে বুঝাইবে যাহার বীজ বা ফসল বিক্রয় বা হস্তান্তর করা হয় নাই। (৩) কোনো সংরক্ষিত জাত অন্যের নিকট বিক্রয় বা হস্তান্তরের ফলে নূতনত্ব ক্ষুণ্ণ হইবে না, যদি - (ক) প্রজননবিদ নিজেই বা তাঁহার উত্তরসূরির পক্ষে কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট জাতের বীজ উৎপাদনের অধিকার বিদ্যমান থাকে : তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে উৎপন্ন সামগ্রী প্রজননবিদ বা তাঁহার উত্তরসূরির নিকট প্রত্যর্পিত হইবে; এবং (খ) জীব নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা বা পরীক্ষা বা ব্যবসায় অনুপ্রবেশের জন্য জাতটি সরকারি তালিকাভুক্ত হয় এবং সংবিধি বা প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতা পূরণের অংশ হইয়া থাকে। (৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উপ-ধারা (১) এর - (অ) দফা (খ) এ উল্লিখিত সুস্পষ্ট স্বাতন্ত্র্য বলিতে জাত সংরক্ষণ নিবেন্ধন আবেদন দাখিলের সময় বিদ্যমান অপরাপর জাত হইতে সুস্পষ্টভাবে পৃথক করা যায় এইরূপ জাতকে বুঝাইবে; (আ) দফা (গ) এ উল্লিখিত সমরূপতা বলিতে উদ্ভিদের জাতের বৈশিষ্টসমূহে পর্যাপ্তভাবে সাদৃশ্য রহিয়াছে এইরূপ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জাতকে বুঝাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, নির্দিষ্ট কোনো বংশ বিস্তার পদ্ধতির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য প্রতীয়মান হইলেও এই বৈচিত্র্য জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে থাকিবে; এবং (ই) দফা (ঘ) এ উল্লিখিত স্থায়িত্ব বলিতে পুনঃপুনঃ বা বংশবিস্তার বা নির্দিষ্ট বংশবিস্তার চক্রের শেষ ধাপে যেসকল জাতের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহর অপরিবর্তিত থাকে, সেই জাতকে বুঝাইবে। (৫) যদি কোনো প্রজননবিদ তৎকর্তৃক উদ্ভাবিত কোনো জাত অন্য কোনো দেশে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন, তাহা হইলে উক্ত আবেদনের তারিখ হইতে উক্ত জাতটি জ্ঞাত জাত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণের শর্তাবলি, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২০। (১) প্রতিটি সংরক্ষিত জাত একটি গোষ্ঠীগত নাম দ্বারা চিহ্নিত হইবে। (২) সংরক্ষিত জাত কোনো নামে নিবন্ধিত হইলে উহা স্থায়ী নাম হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত জাত নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলেও উক্ত নাম কার্যকর থাকিবে। (৩) এই ধারার অধীন কোনো জাতের নামকরণে সুনির্দিষ্টভাবে জাতের বৈশিষ্ট্য, মূল্য বা পরিচিতি বা প্রজননবিদের পরিচিতির উল্লেখ থাকিতে হইবে। (৪) একই উদ্ভিদের প্রজাতি বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত প্রজাতির বিদ্যমান কোনো জাতের নামকরণ হইতে উহা ভিন্নতর হইতে হইবে। (৫) কোনো প্রজননবিদ কর্তৃক প্রস্তাবিত নামকরণ উপ-ধারা (৩) এর শর্তপূরণ না করিলে, কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রজননবিদকে ভিন্ন নাম প্রস্তাব করিতে নির্দেশ প্রদান করিবে এবং উক্ত প্রস্তাব অনুমোদিত হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত নামে জাতটিকে নিবন্ধনভুক্ত করিতে পারিবে। (৬) যদি পূর্বাধিকারের কারণে কোনো প্রজননবিদ কর্তৃক প্রস্তাবিত নাম ব্যবহার করা না যায়, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ প্রজননবিদকে সংশ্লিষ্ট জাতের জন্য নূতন নামকরণের প্রস্তাব দাখিল করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। (৭) কর্তৃপক্ষের নিকট সংরক্ষিত জাতের নাম নিবন্ধনের আবেদনটি প্রাথমিকভাবে সঠিক ও গ্রহণযোগ্য বলিয়া প্রতীয়মান হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত নামের বিষয়ে কাহারও কোনা আপত্তি রহিয়াছে কিনা উহা অবহিত করিবার জন্য সরকারি গেজেট, ইলেকট্রনিক গেজেট (যদি থাকে), ওয়েব সাইট এবং বহুল প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে উহার প্রাক্-প্রকাশ করিবে। (৮) উপ-ধারা (৭) এর বিধান অনুযায়ী প্রাক্-প্রকাশিত নাম নিবন্ধনের বিষয়ে কাহারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকিলে উহা প্রাক্-প্রকাশের অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ, কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। (৯) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (৮) এর অধীন প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনা করিয়া যথাশীঘ্র সম্ভব সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উহা অনুমোদন করিবে এবং সরকারি গেজেটে উহার চূড়ান্ত প্রকাশ করিবে। (১০) এই ধারা অধীন নামকরণের প্রস্তাব গৃহীত হইবার পর যদি দেখা যায় যে, আবেদনকারী কোনো তথ্য গোপন করিয়াছেন এবং কোনো কৃষকের জাতের নাম অবৈধভাবে ব্যবহার ও প্রস্তাব করিয়াছেন, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত নামকরণ বাতিল করিতে পারিবে।",
"name": "সংরক্ষিত জাতের নামকরণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২১। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী সংরক্ষিত জাত ব্যবহারের জন্য নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে, যথা:- (ক) উৎপাদন ও পুনরোৎপাদন; (খ) বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত অবস্থায় আনয়ন বা ব্যবহার; (গ) বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন ও প্রস্তাব; (ঘ) বিক্রয় বা অন্যভাবে বিপণন; (ঙ) আমদানি বা রপ্তানি; এবং (চ) দফা (ক) হইতে (ঙ) এ উল্লিখিত যে কোনো একটি উদ্দেশ্যে মজুদকরণ। (২) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে এবং নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, কোনো প্রজননবিদ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুমোদনের ক্ষমতা অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট অর্পণ করিতে পারিবে। (৩) কোনো প্রজননবিদের সংরক্ষিত জাত এক বা একাধিকবার ব্যবহার করিয়া যদি কোনো ব্যক্তি উক্ত জাতের মৌলিক বিশিষ্ট্যসমূহ অক্ষুণ্ণ রাখিয়া এক বা একাধিক নূতন জাত উদ্ভাবন করেন, তাহা হইলে মূল সংরক্ষিত জাতের উদ্ভাবক প্রজননবিদের অধিকার বহাল থাকিবে। (৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, একজন ব্যক্তি― (ক) পরবর্তী মৌসুমে কৃষি উৎপাদনের জন্য তাহার উৎপাদিত কোনো সংরক্ষিত জাতের বীজ সংরক্ষণ; বা (খ) দফা (ক) এ উল্লিখিত সংরক্ষিত বীজ নিজের প্রয়োজনে বা অন্য কোনো কৃষকের সহিত তাহার নিজের ব্যবহারের জন্য অন্য কোনো বীজ বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবহার; বা (গ) গবেষণা ও পরীক্ষার প্রয়োজনে সংরক্ষিত জাতের ব্যবহার; বা (ঘ) নূতন কোনো জাত উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক উৎস হিসাবে সংরক্ষিত জাতের ব্যবহার করিতে পারিবেন। (৫) কর্তৃপক্ষ, জনস্বার্থে সংরক্ষিত জাত ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রজননবিদের অধিকার, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে, সীমিত করিতে পারিবে, যথা:― (ক) রোগ প্রতিরোধ ; (খ) পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ; (গ) একতরফা বাণিজ্যের অপব্যবহার রোধ অর্থাৎ যদি সংরক্ষিত জাতের বীজের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপর্যাপ্ত রাখিয়া বাজারে বীজের দাম বৃদ্ধি করা হয়, বা যদি নূতন উদ্ভিদের জাতটি নিবন্ধন প্রদানের ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে বাজারজাত করা না হয়; (ঘ) রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনো সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি; এবং (ঙ) কর্তৃপক্ষ বা সরকারের বিবেচনায় অন্য যে কোনো জনকল্যাণমূলক প্রয়োজনে। (৬) কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদনক্রমে, জিএমও জাতের উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ, আমদানি বা ব্যবহারে প্রজননবিদের অধিকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সীমিত বা, ক্ষেত্রমত, নিষিদ্ধ করিতে পারিবে। (৭) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (৫) এর দফা (গ) ও (ঘ) এ উল্লিখিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করিবার উদ্দেশ্যে, সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদকে যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার অধিকার সীমিত করিতে পারিবে এবং সংরক্ষিত জাতের উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ, আমদানি বা ব্যবহারের জন্য অন্য কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে, উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে। (৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন অনুমতি প্রদানের সময় সংরক্ষিত জাত নিবন্ধনের পর অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর বহাল থাকিবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদের জন্য যথাযথ পারিতোষিক ধার্য করিতে হইবে। (৯) যে পরিস্থিতির কারণে কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত অনুমতি প্রদান করিয়াছিলেন সেইরূপ পরিস্থিতি বিদ্যমান না থাকিলে কর্তৃপক্ষ উক্ত অনুমতি বাতিল করিতে পারিবে। (১০) উপ-ধারা (৯) এর অধীন অনুমতি প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিত জাতের উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ, আমদানি বাব্যবহার করিতে পারিবেন না।",
"name": "প্রজননবিদের অধিকার, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২২। (১) ধারা ২১ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সংরক্ষিত জাত ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদের অনুমোদন গ্রহণের মেয়াদ হইবে নিম্নরূপ, যথা :― (ক) ফলদ বৃক্ষ, অন্যান্য বৃক্ষ প্রজাতি এবং বহুবর্ষী লতানো প্রজাতির ক্ষেত্রে ১৬ (ষোল) বৎসর; এবং (খ) অন্য সকল উদ্ভিদ প্রজাতির ক্ষেত্রে ১৪ ( চৌদ্দ ) বৎসর। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে সংরক্ষিত জাত নিবন্ধনের আবেদন দাখিল করিবার তারিখ বা ধারা ১৮ এ উল্লিখিত অগ্রগণ্যতা প্রাপ্তির তারিখের মধ্যে যেইটি সর্বাগ্রে হয় সেই তারিখ হইতে গণনা আরম্ভ করিতে হইবে। (৩) কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্র বা কারণে এই আইনের অধীন প্রদত্ত প্রজননবিদের অধিকার স্থগিত বা বাতিল ঘোষণা করিতে পারিবে, যথা:― (ক) নিবন্ধন সনদ প্রদানের সময় জাতটির নূতনত্ব বা সুস্পষ্ট স্বাতন্ত্র্য ছিল না; (খ) উদ্ভিদের জাতটির সমরূপতার গ্রহণযোগ্য সীমা বা স্থায়িত্ব না থাকা; (গ) প্রজননবিদ উদ্ভিদের জাতটির রক্ষণাবেক্ষণ যাচাইয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপকরণাদি সরবরাহ না করিলে; (ঘ) প্রজননবিদ তাঁহার অধিকার বলবৎ রাখিবার জন্য প্রয়োজনীয় নিবন্ধন ‘ফি’ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হইলে; (ঙ) নিবন্ধন প্রদানের পর কোনো উদ্ভিদের জাতের নাম বাতিল করা হইলে এবং প্রজননবিধ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্য কোনো উপযুক্ত নাম প্রস্তাব না করিলে; (চ) প্রজননবিদ কোনো জাতের সহিত সংশ্লিষ্ট ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করিলে; এবং (ছ) সংরক্ষিত জাতের নিবন্ধন সনদটি যাহাকে প্রদান করিবার কথা, তাহার পরিবর্তে অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রদান করা হইয়া থাকিলে, যদি সনদটি যথাযথ ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা না হইয়া থাকিলে। (৪) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (৩) এর অধীন একজন প্রজননবিদের অধিকার স্থগিত বা বাতিল করিবার পূর্বে উহার কারণ উল্লেখপূর্বক তাঁহাকে নোটিশ প্রদান করিবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে তদ্কর্তৃক সম্পাদিত কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। (৫) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৪) এর অধীন দাখিলকৃত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করিবে এবং প্রজননবিদের অধিকার স্থগিত বা বাতিলের বিষয়ে যথোপোযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে এবং উক্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। (৬) উপ-ধারা (৫) এর বিধান অনুযায়ী প্রজননবিদের অধিকার বাতিল করা হইলে তিনি এই আইনের অধীন কোনো অধিকার দাবি করিতে পারিবেন না। (৭) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পরও সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত জাতটির নাম পরিবর্তন না করিয়া উৎপাদন, পুনরুৎপাদন, সংরক্ষণ, ব্যবহার, পুনঃব্যবহার, বিনিময় বা বিক্রয় করা যাইবে। (৮) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোনো প্রজননবিদের সহিত কোনো ব্যক্তির আইনসংগত স্বার্থ বিদ্যমান থাকিলে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদের একক বা নিরঙ্কুশ অধিকার অকার্যকর বা বাতিল ঘোষণার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।",
"name": "প্রজননবিদের অধিকারের মেয়াদ, অধিকার স্থগিত, বাতিল, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২৩। (১) কর্তৃপক্ষ, কৃষকের নিম্নরূপ অধিকারসমূহ রক্ষা এবং কার্যকর করিবে, যথা : - (ক) কৃষক কর্তৃক নূতন উদ্ভাবিত জাত নিবন্ধন ও সংরক্ষণের আবেদন দাখিল ও সংরক্ষণের অধিকার; (খ) সংরক্ষিত জাতের উপর এই আইনে প্রদত্ত অধিকার; (গ) কোনো আদিজাতের কৌলিসম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো কৃষক বা কৃষক সমিতি তহবিল হইতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্বীকৃতি সনদ বা আর্থিক সহায়তা বা পুরস্কার প্রাপ্তির অধিকার। (ঘ) খাদ্য, কৃষি ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উদ্ভিদ কৌলিসম্পদ সম্পর্কিত চিরায়ত জ্ঞান সংরক্ষণে কৃষক ও কৃষক সমিতির স্বীকৃতি প্রাপ্তির অধিকার; (ঙ) প্রজননবিদ কর্তৃক কোনো জাত উন্নয়নে কৃষকের সংরক্ষিত জাতের কৌলিসম্পদ ব্যবহৃত হইলে উহা হইতে উদ্ভূত সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার; (চ) উদ্ভিদ কৌলিসম্পদ সংরক্ষণ এবং ইহার টেকসই ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের অধিকার; এবং (ছ) কৃষক সম্প্রদায় কর্তৃক চিরায়তভাবে ব্যবহৃত উদ্ভিদের জাতসমূহের কোনোটির নাম যদি সরকারি বা বেসরকারি প্রজননবিদ কর্তৃক নিজ নামে সংরক্ষিত জাত হিসাবে নিবন্ধন করেন, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উহা বাতিল করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অধিকারসমূহ ব্যতিরেকেও একজন কৃষক বাণিজ্যিক বিপণনের উদ্দেশ্য ব্যতীত, সংরক্ষিত জাতের বীজ উৎপাদন, পুনরুৎপাদন, সংরক্ষণ, ব্যবহার, পুনঃব্যবহার, বিনিময় বা বিক্রয় করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা - এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘চিরায়তজ্ঞান (Traditional Knowledge)’ বলিতে জীববৈচিত্র্য ও জীবসম্পদ সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের জ্ঞান, মেধা ও বুদ্ধি বৃত্তিক চর্চা ও কৃষ্টি যাহা লিখিত, মৌখিক, লোককথা ও কাহিনি আকারে প্রচলিত এবং যাহা যুক্তিসম্মত, বাস্তব বা রূপক, প্রতীকধর্মী বা রেখাচিত্রমূলক হইতে পারে এবং যাহা কোনো একক ব্যক্তির উদ্ভাবন বা প্রচেষ্টার ফল নহে।",
"name": "কৃষক অধিকার",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২৪। (১) যদি কোনো ব্যক্তি, সংগঠন, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কোনো সংরক্ষিত জাত উদ্ভাবনে অবদান থাকে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, সংগঠন, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত জাতের নিবন্ধনের জন্য প্রজননবিদের অধিকার ও সুবিধাদি বিষয়ে অংশীদারিত্ব দাবি করিয়া কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো ব্যক্তি, সংগঠন, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কোনো সংরক্ষিত জাত উদ্ভাবনে অবদান রহিয়াছে এইরূপ কোনো জাত যদি এই আইনের অধীনে এককভাবে কোনো প্রজননবিদের অনুকূলে নিবন্ধিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, সংগঠন, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবে।",
"name": "ব্যক্তি, সমিতি বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২৫। (১) কর্তৃপক্ষ, উদ্ভিদের জাতসংরক্ষণ ও উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সম্প্রদায় বা সংস্থার অনুকূলে ‘স্বীকৃতিসনদ’ প্রদান করিতে পারিবে। (২) যদি কোনো প্রজননবিদ কর্তৃক উদ্ভাবিত উদ্ভিদের কোনো জাত নূতন জাত হিসাবে সনদ লাভের উপযুক্ত কিন্তু উহা সংরক্ষণের আবেদন দাখিল করা হয় নাই, তাহা হইলে উহা স্বীকৃতি প্রাপ্তির যোগ্য এবং জাতীয় সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে। (৩) কর্তৃপক্ষ, দেশে উদ্ভিদের জাতসংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের গুরুত্ব বিবেচনা করিয়া, প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক যাহাই হউক না কেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে গবেষণা অনুদান বা আর্থিক পুরস্কার প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "স্বীকৃতিসনদ, পুরস্কার, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২৬। (১) কোনো ব্যক্তি সংরক্ষিত জাতের মিথ্যা নামকরণ করিলে, বা নিবন্ধিত কোনো জাতের বাণিজ্যিক ব্যবহারকালে স্বেচ্ছায় কোনো দেশ বা স্থান, প্রজননবিদ বা তাহার ঠিকানা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (২) কোনো ব্যক্তি নিবন্ধিত কোনো সংরক্ষিত জাতের ভুল নাম ব্যবহার করিলে, বা জাত উৎপাদনের দেশ বা স্থানের নাম বা প্রজননবিদের নাম, ঠিকানা মিথ্যা বা বিকৃত করিয়া উক্ত জাত বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন বা বিক্রয়, বাণিজ্য বা উৎপাদনের জন্য নিজ দখলে রাখিলে উহা এই আইনের অধীন একটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২৭। কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা যিনি এই অপরাধ সংঘটনকালে কোম্পানির ব্যবসায় পরিচালকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, তিনি অপরাধী বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছিল বা তিনি উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করিয়াছিলেন।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২৮। এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের তদন্ত ও বিচার Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) অনুযায়ী সম্পন্ন হইবে।",
"name": "তদন্ত ও বিচার",
"related_acts": "75",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1287,
"details": "২৯। Code of Criminal Procedure, 1898 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নির্ধারিত পদ্ধতিতে চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ",
"related_acts": "75",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩০। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (non-cognigable) ও জামিনযোগ্য (bailable) হইবে।",
"name": "অপরাধের অ-আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩১। এই আইনে উল্লিখিত ক্ষতিপূরণ এবং উদ্ভিদের নূতন জাত প্রজনন বা উদ্ভাবনের জন্য প্রজননবিদ বা বীজ উৎপাদকের উদ্দেশ্য প্রণোদিত অবহেলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সংক্ষুব্ধ কৃষক, ব্যক্তি, সংগঠন, সমিতি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষুব্ধ নাগরিক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ ও পদ্ধতিতে, ন্যায়সংগত ক্ষতিপূরণ আদায় করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষতিপূরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ তহবিল’ নামে কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে। (২) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা উক্ত তহবিল গঠিত হইবে, যথা: - (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি ও অনুদান; (খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ঘ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদায়কৃত ফি ও প্রাপ্ত অর্থ; (ঙ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি সংস্থা হইতে গৃহীত ঋণ; (চ) তহবিল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সুবিধা ও মুনাফা হইতে আহরিত অর্থ; এবং (ছ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, অন্যান্য আইনানুগ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ ও অনুদান। (৩) কর্তৃপক্ষের তহবিল কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্ত তহবিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে। (৪) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি এবং কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি পরিচালনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে এতদসংশ্লিষ্ট প্রচলিত বিধি-বিধান ও নিয়ম-নীতি অনুসরণ করিতে হইবে। (৫) কর্তৃপক্ষ তহবিলের অর্থ বোর্ডের অনুমোদনক্রমে যে কোনো তপশিলি ব্যাংক বা সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে। (৬) প্রত্যেক অর্থবৎসরে উহার সকল ব্যয় নির্বাহের পর কর্তৃপক্ষ তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে হইবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President's Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) এ সংজ্ঞায়িত 'Scheduled Bank'।",
"name": "কর্তৃপক্ষের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩৩। কর্তৃপক্ষ, উহার দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩৪। কর্তৃপক্ষ প্রতিবৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট দাখিল করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩৫। (১) কর্তৃপক্ষ, যথাযথভাবে উহার আয়-ব্যয়ের হিসাবরক্ষণ এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, প্রতিবৎসর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি কর্তৃপক্ষ ও সরকারের নিকট দাখিল করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ব্যতিরেকেও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President's Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) এ সংজ্ঞায়িত ‘chartered accountant' দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ এক বা একাধিক 'chartered accountant' নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত 'chartered accountant' সরকার কর্তৃক, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হারে, পারিশ্রমিক প্রাপ্য হইবেন। (৫) কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত 'chartered accountant' কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক স্থিতিপত্র, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার বা কর্তৃপক্ষের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৬) এই ধারার বিধানাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর বিধান, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442,1169",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩৬। (১) প্রত্যেক অর্থবৎসর সমাপ্তির ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে উহার কার্যাবলি বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য, বিবরণী, প্রাক্কলন, পরিসংখ্যান বা অন্য কোনো তথ্য আহবান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩৮। কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1287,
"details": "৩৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ।",
"related_acts": "",
"section_id": 39
}
],
"text": "উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ, নিবন্ধন, প্রজননবিদ ও কৃষকের অধিকার সংরক্ষণ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু কৃষি উন্নয়ন ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষক ও প্রজননবিদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যেহেতু উদ্ভিদের গবেষণা, জাতের উন্নয়ন, বীজ উৎপাদন, ব্যবহার, বিতরণ, বিপণন, রপ্তানি এবং প্রজনন ও জাত সংরক্ষণের সুফল কৃষকদের নিকট কার্যকরভাবে পৌঁছাইয়া দেওয়ার জন্য উৎসাহ, নির্দেশনা ও সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন; যেহেতু সরকারি এবং বেসরকারি খাতে জাত উন্নয়ন ও প্রজনন কর্মকাণ্ডে প্রজননবিদ ও কৃষকের উদ্ভিদের কৌলিসম্পদ সংরক্ষণে অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা সমীচীন; যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (World Trade Organization) এর সদস্য এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়াবলির মেধা স্বত্বাধিকার (Trade Related Aspects of Intellectual Property Rights) সংক্রান্ত চুক্তি মানিয়া চলিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ; এবং যেহেতু জীববৈচিত্র্য কনভেনশন (Convention on Biological Diversity) এবং খাদ্য ও কৃষির জন্য উদ্ভিদের কৌলিসম্পদ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি মানিয়া চলিতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ; এবং যেহেতু উপরি-উক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনাপূর্বক একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ, নিবন্ধন, প্রজননবিদ ও কৃষকের অধিকার সংরক্ষণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-"
} |
{
"id": 1288,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 24,
"published_date": "০৯ মে, ২০১৯",
"related_act": [
1288,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1288,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1288",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1288,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে, - (১) ‘কর্মচারী’ অর্থ পরিষদের কোনো কর্মচারী; (২) ‘চেয়ারম্যান’ অর্থ নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান; (৩) ‘তহবিল’ অর্থ পরিষদের তহবিল; (৪) ‘নির্বাহী কমিটি’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন গঠিত নির্বাহী কমিটি; (৫) ‘নির্বাহী সচিব’ অর্থ পরিষদের নির্বাহী সচিব; (৬) ‘পরিষদ’অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ; (৭) ‘পরিচালনা বোর্ড’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিচালনা বোর্ড; (৮) ‘প্রবিধান’ অর্থ ধারা ২২ এর অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান; (৯) ‘বিধি’ অর্থ ধারা ২১ এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি; এবং (১০) ‘সদস্য’ অর্থ পরিচালনা বোর্ডের কোনো সদস্য বা, ক্ষেত্রমত, নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1288,
"details": "৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হইবে। (২) পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর-অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "পরিষদ প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1288,
"details": "৪। (১) পরিষদের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) পরিষদ, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার কার্যক্রম পরিচালনা করিবার জন্য, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "পরিষদের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1288,
"details": "৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ নিম্নবর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদন করিবে, যথা :- (ক) সমাজের সকলের, বিশেষত, নারী, শিশু, অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত বা কম সুবিধাপ্রাপ্ত, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী, অসহায়, দুর্বল, অক্ষম, শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, বা অন্যবিধ কারণে পূর্ণাঙ্গ বা আংশিক অক্ষম, দুর্যোগে বিপদাপন্ন বা ক্ষতিগ্রস্ত, নদী ভাঙ্গনে ভিটামাটিহীন ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসী, চা-বাগান শ্রমিকসহ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী, নিম্ন আয়ের ব্যক্তি, গোষ্ঠী, শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের সার্বিক জীবনমান বা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আর্থিক অনুদান প্রদান করা; (খ) সমাজকল্যাণমূলক কার্যে নিয়োজিত বা আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ, অনুদান ও স্বীকৃতি প্রদান করা; (গ) সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা; (ঘ) সামাজিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সমস্যার কারণ এবং প্রতিকারের উপায় নিরূপণে গবেষণা পরিচালনা করা; (ঙ) সামাজিক গবেষণার জন্য দেশি-বিদেশি স্বীকৃত ও মানসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত চুক্তি সম্পাদন ও গবেষণা পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (চ) সমাজকল্যাণমূলক বিদেশি, আন্তর্জাতিক, বহুজাতিক, বৈশ্বিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং হালনাগাদ ধারণা, তত্ত্ব, তথ্য, কৌশল, কর্মপন্থা ও উপায় সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ এবং অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে উক্ত কার্যাবলির প্রয়োগযোগ্যতা বিশ্লেষণ এবং ফলাফল নিয়মিতভাবে সরকারকে অবহিত করা; (ছ) জাতীয় পর্যায়ে সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা; (জ) দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি বা প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন করা; (ঝ) সমাজের অস্বচ্ছল রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, এতদুদ্দেশ্যে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইহার কার্যক্রম তদারকি করা; (ঞ) সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার, প্রচারণা, সভা, সমিতি, সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন করা; (ট) পরিষদের কার্যক্রমের বার্ষিক, পঞ্চবার্ষিক ও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা; (ঠ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক যে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকা- গ্রহণ করা; এবং (ড) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করা।",
"name": "পরিষদের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1288,
"details": "৬। (১) পরিষদের পরিচালনা উহার পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং পরিষদ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে, পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে। (২) পরিচালনা বোর্ড উহার দায়িত্ব পালন ও কার্যসম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি, প্রবিধান বা সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত ও জারীকৃত আদেশ ও নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।",
"name": "পরিষদের পরিচালনা",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1288,
"details": "৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :- (ক) মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি পরিচালনা বোর্ডের সভাপতিও হইবেন; (খ) প্রতিমন্ত্রী, যদি থাকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি পরিচালনা বোর্ডের সহ-সভাপতিও হইবেন; (গ) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; (ঘ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; (ঙ) সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; (চ) সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; (ছ) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; (জ) মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; (ঝ) মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো; (ঞ) মহাপরিচালক সমাজ সেবা অধিদপ্তর; (ট) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; (ঠ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন; (ড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট; (ঢ) পরিচালক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়; (ণ) প্রতিটি জেলা হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ০১ (এক) জন করিয়া বিশিষ্ট সমাজকর্মী যাহাদের মধ্যে অন্যূন ২০ (বিশ) জন মহিলা হইবেন; (ত) খ্যাতিমান সমাজকর্মী অথবা সমাজকল্যাণ বিষয়ে খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, লেখক বা শিক্ষকগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন শষ্টবিনিাগরিক যাহাদের মধ্যে অন্যূন ০২ (দুই) জন মহিলা হইবেন; এবং (থ) নির্বাহী সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ, যিনি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ণ) ও (ত) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ০৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং কোনো মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবে। (৩) পরিচালনা বোর্ডের মনোনীত সদস্যের পদ শূন্য হইবে, যদি- (ক) তিনি মৃত্যুবরণ করেন; অথবা (খ) তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন; অথবা (গ) তিনি মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কারণ দর্শানো ব্যতিরেকেসরকার কর্তৃক অপসারিত হন; অথবা (ঘ) তাহার সদস্য হিসাবে মনোনয়নের মেয়াদ ০৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হয় অথবা কোনো শূন্য পদের বিপরীতে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং উক্ত অবশিষ্ট মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়; অথবা (ঙ) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না থাকেন; অথবা (চ) তিনি পরিচালনা বোর্ডের সভাপতির অনুমতি গ্রহণ ব্যতিরেকে পর পর ০৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন; অথবা (ছ) তিনি পরিষদ বা রাষ্ট্রের জন্য হানিকর কোনো কার্যে লিপ্ত থাকেন; অথবা (জ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে অন্যূন ০২ (দুই)বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন; অথবা (ঝ) তিনি কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন।",
"name": "পরিচালনা বোর্ড গঠন।",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1288,
"details": "৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, পরিচালনা বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে। (২) পরিচালনা বোর্ডের সভা সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) প্রতি বৎসর পরিচালনা বোর্ডের অন্যূন ২ (দুই) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) পরিচালনা বোর্ডের সকল সভায় উহার সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং উভয়ের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ সদস্য উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) পরিচালনা বোর্ডের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) পরিচালনা বোর্ডের সভায় উপস্থিত সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৭) কেবল সদস্যপদে শূন্যতা বা পরিচালনা বোর্ড গঠনে ত্রুটি কিবার কারণে পরিচালনা বোর্ডের কোনো কার্য অথবা কার্যধারা অবৈধ হইবে না, এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "পরিচালনা বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1288,
"details": "৯। (১) পরিষদের একটি নির্বাহী কমিটি থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে নির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে, যথা:- (ক) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ একজন কর্মচারী; (গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে হেন এইরূপ একজন কর্মচারী; (ঘ) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ একজন কর্মচারী; (ঙ) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ একজন কর্মচারী; (চ) মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; (ছ) মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর; (জ) মহাপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর; (ঝ) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; (ঞ) মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো; (ট) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন; (ঠ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট; (ড) পরিচালক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; (ঢ) পরিচালনা বোর্ডের মনোনীত সদস্যগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন বিশিষ্ট সমাজ কর্মী যাহাদের মধ্যে অন্যূন ২(দুই)জন মহিলা হইবেন; এবং (ণ) নির্বাহী সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঢ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে অব্যাহতি প্রদানকরিতে পারিবে এবং কোনো মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর দফা ঢ এর অধীন মনোনীত কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে সরকার নির্বাহী কমিটির মনোনীত সদস্যদের মধ্য হইতে অন্য যে কোনো সদস্যকে অবশিষ্ট সময়ের জন্য উক্ত শূন্য পদে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে। (৪) নির্বাহী কমিটির মনোনীত সদস্যগণের পদ শূন্য হইবে, যদি- (ক) তিনি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য না থাকেন; (খ) তিনি নির্বাহী কমিটির অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত পর পর ৩(তিন)টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন; (গ) তিনি সরকার কর্তৃক অপসারিত হন; (ঘ) তিনি স্বীয় পদ ত্যাগ করেন; এবং (ঙ) তিনি কোনো শূন্য পদের বিপরীতে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য মনোনীত হইবার পর অবশিষ্ট মেয়াদকাল শেষ হইয়া যায়।",
"name": "নির্বাহী কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, নির্বাহী কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে। (২) নির্বাহী কমিটির সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) নির্বাহী কমিটির সকল সভায় উহার চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ সদস্য উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) নির্বাহী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৫) নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৬) কেবল সদস্যপদে শূন্যতা বা নির্বাহী কমিটির গঠনে ত্রুটিাকিবার কারণে নির্বাহী কমিটির কোনো কার্য অথবা কার্যধারা অবৈধ হইবে না, এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "নির্বাহী কমিটির সভা।",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১১। (১) নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি নিম্নরূপ, যথা :- (ক) পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক এবং এই আইনের অধীন গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা; (খ) পরিচালনা বোর্ডকে উহার কার্যাবলি সুচারুভাবে সম্পাদনে সহায়তা প্রদান করা; এবং (গ) পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক অর্পিত সকল কার্যাবলি সম্পাদন,ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করা। (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে,পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করিবে। (৩) নির্বাহী কমিটি পরিষদের প্রশাসনিক কার্যাবলি সম্পর্কে, সময় সময়, নির্বাহী সচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে। (৪) নির্বাহী কমিটি উহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে পরিচালনা বোর্ডের নিকট দায়ী থাকিবে এবং পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়,প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।",
"name": "নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১২। (১) পরিষদের একজন নির্বাহী সচিব থাকিবে। (২) নির্বাহী সচিব সরকারের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদাধারীদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট শর্তে নিযুক্ত হইবে। (৩) নির্বাহী সচিব পরিষদের প্রধান নির্বাহী ও সার্বক্ষণিক কর্মচারী হইবে এবং তিনি পরিষদের আয়ন-ব্যয়ন কর্মচারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) নির্বাহী সচিব এর পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি তাহার কার্যালয়ের কার্যক্রম বা দায়িত্ব পালনে অসর্ম হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত নির্বাহী সচিব কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাহী সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "নির্বাহী সচিব",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১৩। নির্বাহী সচিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) তিনি পরিচালনা বোর্ডের সভাপতির সহিত পরামর্শক্রমে পরিচালনা বোর্ডের সভা আহবান করিবেন; (খ) তিনি চেয়ারম্যানের সহিত পরামর্শক্রমে নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করিবেন; (গ) তিনি পরিচালনা বোর্ডের এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য-সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন; (ঘ) তিনি পরিচালনা বোর্ড এবং নির্বাহী কমিটি এর সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; (ঙ) তিনি পরিষদের সার্বিক প্রশাসন ও তত্ত্বাবধানের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং (চ) তিনি নির্বাহী কমিটির নির্দেশ মোতাবেক পরিষদের অন্যান্য কার্যসম্পাদন করিবেন।",
"name": "নির্বাহী সচিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১৪। (১) পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১৫। পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, প্রয়োজনবোধে, শহর, জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটির গঠন, দায়িত্ব ও কর্তব্য সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১৬। (১) বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ তহবিল নামে পরিষদের একটি তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা উক্ত তহবিল গঠিত হইবে, যথা:- (ক) সরকারি দান, অনুদান, সাহায্য অথবা মঞ্জুরি অথবা বরাদ্ধকৃত অর্থ; (খ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, দানশীল ব্যক্তি অথবা সংগঠন, প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে প্রাপ্ত অর্থ অথবা উপকরণ আকারে প্রাপ্ত সাহায্য, দান, অনুদান অথবা চাঁদা; (গ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, জাতিসংঘ অথবা জাতিসংঘের কোনো বিশেষায়িত সংস্থা, কোনো আঞ্চলিক সংস্থা, কোনো বহুজাতিক অথবা আমত্মর্জাতিক সংস্থা অথবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সাহায্য, মঞ্জুরি, দান, অনুদান বা চাঁদা বা উপকরণ; (ঘ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সরকার বা নাগরিক বা কোনো বিদেশি সরকারি অথবা বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত সাহায্য, মঞ্জুরি,দান, অনুদান অথবা চাঁদা বা উপকরণ; (ঙ) সরকারের অনুমোদনক্রমে যে কোনো তপশিলি ব্যাংক অথবাকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ; (চ) পরিষদের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; (ছ) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; (জ) পরিষদের নিজস্ব আয়; এবং (ঝ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে পরিষদের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং প্রচলিত সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক তহবিল পরিচালিত হইবে। (৩) তহবিল হইতে পরিষদের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972 ) এর Article 2(J) তে সংজ্ঞায়িত ‘Scheduled Bank’ কে বুঝাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১৭। (১) পরিষদ প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থবৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে পরিষদের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত বাজেট পরিচালনা বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হইবার পর উহা সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১৮। (১) পরিষদ তদকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাযথভাবে হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত, প্রতি বৎসর পরিষদের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া কপি সরকার ও পরিষদের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি পরিষদের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং পরিষদের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ব্যতিরেকে Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973(President Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা পরিষদের হিসাব নিরীক্ষা করিতে হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে পরিষদ এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1288,
"details": "১৯। (১) প্রতি অর্থবৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পরিষদ উক্ত অর্থবৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, পরিষদের নিকট হইতে যে কোনো সময় পরিষদের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন আহবান করিতে পারিবে এবং পরিষদ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন।",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1288,
"details": "২০। পরিষদ উহার যে কোনো কার্যাবলি, ক্ষমতা বা দায়িত্ব, প্রয়োজনে, তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্বাহী কমিটি, কোনো সদস্য, নির্বাহী সচিব বা কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1288,
"details": "২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1288,
"details": "২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনা ববিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরুপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1288,
"details": "২৩। (১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২৫ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখের সকম/কর্ম-শাঃ/বাজাসকপ-১/২০০২-৯৮ নং রেজুলিউশন, অত:পর ‘উক্ত রেজুলিউশন’ বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে। (২) উক্ত রেজুলিউশন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে, উহার অধীন গঠিত ‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ’ বিলুপ্ত হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও,- (ক) উক্ত রেজুলিউশন এর অধীন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি, জেলা সমাজকল্যাণ পরিষদ এবং উপজেলা সমাজকল্যাণ পরিষদ এই আইনের অধীন যথাক্রমে পরিচালনা বোর্ড, নির্বাহী কমিটি, জেলা সমাজকল্যাণ কমিটি এবং উপজেলা সমাজকল্যাণ কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে ; (খ) উক্ত রেজুলিউশন এর অধীন গঠিত ‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ এর- (অ) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর অস্থাবরও সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, তহবিল, দায়, দলিল দসত্মাবেজ এবং অন্য সকল দাবি ও অধিকার পরিষদে হস্তান্তরিত হইবে; (আ) সকল ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব পরিষদের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (ই) সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী পরিষদের কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন, এবং তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, পরিষদ কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত সেই একই শর্তে পরিষদের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন; (গ) উক্ত রিজলিউশনের অধীন- (অ) গৃহীত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহাএই আইনের অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে ; এবং (আ) প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ বা কার্যক্রম উক্তরূপ রহিত হইবার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের অধীন প্রণীত, জারীকৃত বা প্রদত্ত না হওয়া পর্যন্ত, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1288,
"details": "২৪। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
}
],
"text": "বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠা এবং এতদ্সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠা এবং এতদ্সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা:-"
} |
{
"id": 1289,
"lower_text": [],
"name": "বীমা কর্পোরেশন আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 34,
"published_date": "০৯ মে, ২০১৯",
"related_act": [
442,
428,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1289,
"details": "১। (১) এই আইন বীমা কর্পোরেশন আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে এই আইনে, - (ক) ‘‘আর্থিক বিবরণী’’ অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন বা চূড়ান্ত স্থিতিপত্র, আয় বিবরণী বা লাভ ও লোকসান হিসাব, ইক্যুইটি পরিবর্তনের বিবরণী, নগদ প্রবাহ বিবরণী, টীকা ও অপরাপর বিবরণী ও ইহাদের উপর ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি; (খ) ‘‘কর্পোরেশন’’ অর্থ জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন; (গ) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১২ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ; (ঘ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান; (ঙ) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ বোর্ডের পরিচালক; (চ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (ছ) ‘‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’’ অর্থ জীবনবীমা ও সাধারণবীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক; (জ) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ প্রাকৃতিক ব্যক্তিসত্তাবিশিষ্ট একক ব্যক্তি (individual), কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, অংশীদারী কারবার, ফার্ম বা অন্য যে কোনো সংস্থাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (ঝ) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশনের পরিচালনা বোর্ড; (ঞ) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; এবং (ট) ‘‘বীমাকারী’’ অর্থ বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (২৫) এ সংজ্ঞায়িত বীমাকারী। (২) এই আইনে যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হয় নাই, সেই সকল শব্দ ও অভিব্যক্তি বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১২ নং আইন) এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে ব্যবহৃত হইবে।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৩। কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত আইন বা আইনের কতিপয় বিধান, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে, যথা : - (ক) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০; এবং (খ) বীমা আইন, ২০১০ এর ধারা ৪, ধারা ৯-১৫, ধারা ২১-২৫, ধারা ৪২, ধারা ৪৩ এর উপ-ধারা (৪) এর ‘‘এবং উক্ত ক্ষেত্রে এই আইনের ধারা ৯৫ এর বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে’’ অংশ, ধারা ৪৮ এর উপ-ধারা (৭) এর দফা (খ) ও (গ), ধারা ৫০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ), ধারা ৫২-৫৫, ধারা ৭৬-৮১, ধারা ৮২ এর উপ-ধারা (২), ধারা ৮৩, ধারা ৯৫-১১২ এবং ধারা ১২৫ ব্যতীত অন্যান্য ধারা।",
"name": "অন্যান্য আইনের প্রযোজ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Insurance Corporations Act, 1973 (Act No. VI of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উক্ত কর্পোরেশন দুইটি এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) কর্পোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও সাধারণ একটি সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "428",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৫। (১) জীবন বীমা কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হইবে ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হইবে ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকা। (২) সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হইবে ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হইবে ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (১) ও (২) এ বর্ণিত অনুমোদিত বা পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ পরিবর্তন এবং উৎস নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "মূলধন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৬। কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে, এবং কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে উহার এক বা একাধিক শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "কর্পোরেশনের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৭। কর্পোরেশনের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা : - (ক) বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাহিরে - (অ) জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক, বীমা আইন, ২০১০ এ বর্ণিত সকল প্রকার লাইফ বীমা ও এতদ্সংক্রান্ত পুনঃবীমা ব্যবসা পরিচালনা করা; এবং (আ) সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক, বীমা আইন, ২০১০ এ বর্ণিত সকল প্রকার নন-লাইফ বীমা এবং এতদ্সংক্রান্ত পুনঃবীমা ব্যবসা পরিচালনা করা; (খ) ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, ধারণ এবং হস্তান্তর করা; (গ) কর্পোরেশনের স্বার্থে সমীচীন মনে হইলে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের বাহিরে পরিচালিত বীমা ব্যবসায়ের সম্পূর্ণ বা কোনো অংশ কোনো ব্যক্তিকে হস্তান্তর করা; এবং (ঘ) কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে, বীমা সংক্রান্ত ব্যবসার সহিত সংশ্লিষ্ট এবং কর্পোরেশনের জন্য লাভজনক এবং যাহা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করিতে কর্পোরেশন সক্ষম এইরূপ অন্য কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা।",
"name": "কর্পোরেশনের ক্ষমতা ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৮। (১) প্রত্যেক বোর্ড উহার কর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে জনস্বার্থের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করিয়া বাণিজ্যিক বিবেচনায় কার্য সম্পাদন করিবে, কর্পোরেশনের বাণিজ্যিক কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে। (২) কর্পোরেশন কর্তৃক সম্পাদনযোগ্য সকল কার্য এবং প্রয়োগযোগ্য সকল ক্ষমতা কর্পোরেশন কর্তৃক সম্পন্ন ও প্রযুক্ত হইবে, এবং প্রতিটি কর্পোরেশনের সাধারণ বিষয়াবলি ও ব্যিবসা সম্পর্কিত সাধারণ নির্দেশনা ও এতদ্সংক্রান্ত প্রশাসন পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে।",
"name": "কর্পোরেশনের সাধারণ নির্দেশনা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৯। (১) কর্পোরেশনের পরিচালনা বোর্ড নিম্নবর্ণিত পরিচালক সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা : - (ক) সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন চেয়ারম্যান; (খ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ২ (দুই) জন কর্মচারী; (গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১(এক) জন কর্মচারী; (ঘ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১(এক)জন কর্মচারী; (ঙ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন অধ্যাপক; (চ) পরিচালক, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমী, পদাধিকারবলে; (ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বীমা ব্যবসা পরিচালনায় অভিজ্ঞ ২ (দুই) জন বীমাবিদ; (জ) সরকার কর্তৃক মনোনীত হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা বিষয়ে অভিজ্ঞ ১(এক) জন পেশাদার একাউন্টেন্ট; এবং (ঝ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পদাধিকারবলে। ব্যাখ্যা : উপ-ধারা (১) এর দফা (জ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘পেশাদার একাউন্টেন্ট’’ অর্থ ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১৮) তে সংজ্ঞায়িত ও নিবন্ধিত পেশাদার একাউন্টেন্ট। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক), (ঙ), (ছ) ও (জ) তে উল্লিখিত পরিচালকগণ ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বপদে বহাল থাকিবেন এবং অনধিক ১ (এক) মেয়াদে পুনঃনিয়োগের যোগ্য হইবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে যে কোনো সময় চেয়ারম্যান বা যে কোনো পরিচালককে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৩) চেয়ারম্যান বা পরিচালক সরকারের উদ্দ্যেশ্যে স্বীয় স্বক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক গৃহীত বা অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত উক্তরূপ পদত্যাগ কার্যকর হইবে না। (৪) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়াম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন পরিচালক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "পরিচালনা বোর্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১০। (১) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় এবং স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (২) এই ধারার বিধানাবলি সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (৩) চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক বোর্ডের সভা আহূত হইবে। (৪) সভায় কোরামের জন্য অন্যূন ৫ (পাঁচ) জন পরিচালকের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে। (৫) বোর্ডের সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত পরিচালকগণ কর্তৃক নির্বাচিত একজন পরিচালক উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৬) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক পরিচালকের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত পরিচালকগণের মধ্য হইতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতারর ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো পরিচালকের স্বার্থ জড়িত রহিয়াছে এইরূপ কোনো বিষয়ের উপর সংশ্লিষ্ট পরিচালক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না। (৭) কেবল কোনো পরিচালক পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১১। কোনো ব্যক্তি পরিচালক হইবেন না বা পরিচালক থাকিবেন না, যদি- (ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না হন অথবা অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন বা অন্য কোনো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য পোষণ করেন; (খ) তিনি কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া কোনো আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হন; (গ) তিনি আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট কোনো নিয়ামক সংস্থার কোনো আইন, বিধি বা প্রবিধান লঙ্ঘনজনিত কারণে উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হন; (ঘ) তিনি কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন অথবা দেউলিয়া ঘোষিত হইবার দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; (ঙ) তিনি কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন; (চ) তাহার সম্পর্কে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকে; (ছ) তিনি, চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে সরকারের নিকট হইতে এবং অন্যান্য পরিচালকের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের নিকট হইতে ছুটি গ্রহণ ব্যতিরেকে বোর্ডের পরপর ৩(তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন; (জ) তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষেত্র ব্যতীত, কর্পোরেশনের একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হন; (ঝ) তাহার অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা না থাকে; (ঞ) তিনি এমন কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত থাকেন, যাহার নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল করা হইয়াছে বা প্রতিষ্ঠানটি অবসায়িত হইয়াছে; (ট) তাহার নিজের বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ পরিশোধে তিনি ব্যর্থ বা খেলাপী হন; অথবা (ঠ) তিনি একই শ্রেণির বীমা ব্যবসার জন্য নিবন্ধিত অন্য কোনো বীমাকারী, কোনো ব্যাংক কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হন।",
"name": "পরিচালকগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১২। যদি কোনো সময় কর্তৃপক্ষের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো কর্পোরেশন তাহার বীমা ব্যবসা এইরূপে পরিচালনা করিতেছে যাহাতে বীমা পলিসি গ্রাহকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হইতে পারে, বা উক্ত কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় সলভেন্সি মার্জিন রাখিতে সমর্থ হইতেছে না, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত কর্পোরেশনকে, উহার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করিয়া, উহার বোর্ড বাতিল করিবার জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করিতে পারিবে।",
"name": "বোর্ড বাতিল",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১৩। (১) কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরিকৃত হইবে। (২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন, এবং তিনি - (ক) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব ও কার্যসম্পাদন করিবেন এবং বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং (খ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ, অর্পিত দাযিত্ব পালন ও কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন। (৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বীয় কর্পোরেশন ব্যতীত অন্য কোনো কর্পোরেশন, কোম্পানি বা ব্যবসায়ে কোনো পরিচালকের পদ ধারণ করিয়া থাকিলে উহা পরিত্যাগ করিবেন। (৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, উক্ত শূন্য পদে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদান না করা পর্যন্ত বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কর্পোরেশনের কোনো কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "ব্যবস্থাপনা পরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১৪। প্রত্যেক কর্পোরেশন উহার তহবিলের অর্থ, বীমা আইন, ২০১০ এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ, ক্ষেত্র ও পদ্ধতিতে, বিনিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "বিনিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১৫। (১) মন্দ ঋণ ও সন্দেহজনক ঋণ, সম্পদের অবচয় এবং বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত অন্য কোনো বিষয় নিষ্পত্তির পর সাধারণ বীমা কর্পোরেশন উহার নিট বার্ষিক মুনাফা হইতে একটি সংরক্ষিত তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারকে প্রদান করিবে। (২) ধারা ২৪ এর অধীন জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক অ্যাকচুয়ারি দ্বারা অনুসন্ধানের মাধ্যমে ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা এবং উহার উপরে দায়সমূহের মূল্যমান নির্ণয়ের পর কোনো উদ্বৃত্ত থাকিলে, উক্ত উদ্বৃত্ত অর্থের ৯৫% (শতকরা পঁচানববই ভাগ) বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কর্পোরেশনের জীবন বীমা পলিসি গ্রাহকগণের মধ্যে বণ্টন করিতে হইবে অথবা তাহাদের জন্য সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং উক্তরূপ বণ্টন অথবা সংরক্ষণের পর অবশিষ্ট অংশ সরকারকে প্রদান করিবে। (৩) সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ৯৫% (শতকরা পঁচানববই ভাগ) এর অধিক উদ্বৃত্ত অর্থ বীমা পলিসি গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টন করা যাইবে না।",
"name": "সংক্ষিপ্ত তহবিল গঠন, উদ্বৃত্ত, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১৬। (১) কোনো সরকারি সম্পত্তি অথবা সরকারি সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোনো ঝুঁকি বা দায় সম্পর্কিত সকল প্রকার নন-লাইফ বীমা ব্যবসা সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১০০% (শতকরা একশত ভাগ) অবলিখন (underwrite) করিয়া উহার ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) নিজের নিকট রাখিয়া অবশিষ্ট ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) সকল বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে সমহারে বণ্টন করিবে। ব্যাখ্যা। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘সরকারি সম্পত্তি’’ অর্থ - (ক) যে কোনো ধরনের স্থাবর অথবা অস্থাবর সম্পত্তি যাহা সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কিংবা সংরক্ষণে রহিয়াছে এবং যাহার রক্ষণাবেক্ষণের আইনগত দায়িত্ব সরকারের; (খ) সরকার অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাবরে ন্যস্ত সম্পত্তি; (গ) সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাধীনে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনো কোম্পানি, খামার, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, উদ্যোগ বা অন্য কোনো স্থাপনা, অথবা, যেইগুলিতে সরকারের বা সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বা সরকার ও কোনো কোম্পানির যৌথ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা রহিয়াছে বা যাহাতে সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঐরূপ আর্থিক সংশ্লেষ বা স্বার্থ রহিয়াছে বা কোনো কোম্পানির অর্থায়নে সরকারের গ্যারান্টি রহিয়াছে; (ঘ) সরকারের গ্যারান্টিযুক্ত বৈদেশিক ঋণ বা আর্থিক সাহায্যে পরিচালিত যে কোনো প্রকল্প; অথবা (ঙ) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো সম্পত্তি। (২) সরকার, বীমা শিল্পে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা এবং কর্পোরেশনকে জনস্বার্থে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালনার লক্ষ্যে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সীমা প্রয়োজনে পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া গৃহীত বা ইস্যুকৃত যে কোনো বীমা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "সরকারি সম্পত্তি বীমাকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১৭। (১) বাংলাদেশে নিবন্ধিত ও বীমা ব্যবসায়রত প্রত্যেক বীমাকারী, সাধারণভাবে প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য শর্তে, তাহার নিজস্ব ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পুনঃবীমা অংশের পুনঃবীমা করিবে। (২) নন-লাইফ বীমা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে, পুনঃবীমাযোগ্য অংশের ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের নিকট করিতে হইবে এবং অবশিষ্ট ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) উক্ত কর্পোরেশন অথবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে অবস্থিত অন্য কোনো বীমাকারীর নিকট করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত সীমা পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে। (৩) জীবন বীমা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে, পুনঃবীমাযোগ্য অংশের সম্পূর্ণ বা যে কোনো অংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে অবস্থিত কোনো বীমাকারীর নিকট করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তদ্কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত সীমা মোতাবেক, জীবন বীমা কর্পোরেশনের নিকট পুনঃবীমা করিবার বাধ্যবাধকতা আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "পুনঃবীমা",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১৮। কোনো বীমাকারী ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন করিলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর উপর অন্যূন ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা এবং অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1289,
"details": "১৯। (১) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ এবং তৎকর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতি ব্যতীত কোনো কর্পোরেশনের অবসায়ন করা যাইবে না। (২) কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অথবা এতদ্সম্পর্কিত অন্য কোনো আইন বা বিধিতে বর্ণিত অবসায়ন সংক্রান্ত বিধান কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "কর্পোরেশনের অবসায়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২০। (১) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এই আইনের অধীন উহার কার্যাবলি সম্পাদনের নিমিত্ত, সিকিউরিটসহ বা সিকিউরিটি ব্যতিরেকে, কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে, এবং উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবে। (২) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, অন্য কোনো সংস্থাকে অনুদান প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ঋণ গ্রহণ ও অনুদান প্রদানের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২১। বোর্ড, উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, অডিট কমিটি এবং নির্বাহী কমিটিসহ প্রয়োজনে এক বা একাধিক অন্যান্য কমিটি গঠন, উহার কার্যপরিধি ও মেয়াদ নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২২। (১) কর্পোরেশন উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্পোরেশনের কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্পোরেশনের কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২৩। এই আইনের অধীন, সরকার, প্রয়োজনে এবং তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শত সাপেক্ষে, উহার যে কোনো ক্ষমতা কর্তৃপক্ষের নিকট অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২৪। (১) প্রতি ২ (দুই) বৎসরে অন্যূন একবার জীবন বীমা কর্পোরেশনকে উহার ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা এবং উহার উপরে দায়সমূহের মূল্যমান কোনো অ্যাকচুয়ারি দ্বারা অনুসন্ধানের মাধ্যমে নির্ণয় করিতে হইবে এবং তদ্কর্তৃক প্রণীত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের নিকট দাখিল করিতে হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রয়োজনে, উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সময়সীমা পরিবর্তন করিতে পারিবে।",
"name": "অ্যাকচুয়ারিয়াল মূল্যায়ন ও প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২৫। কর্পোরেশন, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২৬। কর্পোরেশন যে কোনো তপশিলি ব্যাংকে উহার হিসাব খুলিতে ও পরিচালনা করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত ‘‘Scheduled Bank” কে বুঝাইবে।",
"name": "হিসাব পরিচালনা",
"related_acts": "415",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২৭। (১) কর্পোরেশন, সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী, আর্থিক বিবরণী ও প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের নিকট দাখিল করিবে। (২) কর্পোরেশন প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষ হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে, যদি না সরকার যুক্তিসঙ্গত কারণে উহা বর্ধিত করে, উক্ত অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কর্পোরেশনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের উপর একটি প্রতিবেদনসহ ধারা ২৮ এ বর্ণিত নিরীক্ষিত হিসাব, বিবরণী ও সংক্ষিপ্তসার সরকার ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বরাবরে দাখিল করিবে এবং উহার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে।",
"name": "আর্থিক বিবরণী, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২৮। (১) বীমা আইন, ২০১০ এর এতদ্সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রতিপালন সাপেক্ষে, কর্পোরেশন উহার যথাযথ হিসাবরক্ষণ করিবে এবং বৎসরান্তে উক্ত বৎসরের জন্য, একটি আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং উক্ত বিবরণীতে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির বীমা ব্যবসায়ে লাভ-ক্ষতির হিসাব, রাজস্ব হিসাবসহ অন্য সকল হিসাবের সংক্ষিপ্তসার ও বিবৃতি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদির উল্লেখ থাকিতে হইবে। (২) Comptroller and Auditor General (Additional Functions) Act, 1974 (Act No. XXIV of 1974) এর কোনো বিধানকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, কর্পোরেশনের হিসাব এমন অন্যূন ২ (দুই) জন নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষিত হইবে, যাহারা Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1) (b) তে সংজ্ঞায়িত ‘Chartered Accountant’ এবং ধারা ৯ এর ব্যাখ্যায় প্রদত্ত ‘পেশাদার একাউন্টেন্ট’। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ‘Chartered Accountant’ এবং ‘‘পেশাদার একাউন্টেন্ট’’ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবে। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রত্যেক নিরীক্ষককে কর্পোরেশনের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী ও অন্যান্য হিসাবের এক প্রস্থ করিয়া প্রদান করিতে হইবে এবং নিরীক্ষকগণ এতদ্সম্পর্কিত হিসাব বহি ও ভাউচারের সহিত যাচাই করিয়া উহা পরীক্ষা করিবেন। (৫) কর্পোরেশনের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (২) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত নিরীক্ষক কর্পোরেশনের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো প্রকার সম্পত্তি বা বিষয় সম্পর্কিত কর্পোরেশন কর্তৃক রক্ষিত সকল বহির একটি তালিকা সরবরাহ করিতে হইবে এবং নিরীক্ষকগণ ঐ সকল বিষয় পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বা এতদ্সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৬) বার্ষিক আর্থিক বিবরণী ও হিসাবের বিষয়ে নিরীক্ষকগণ সরকারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবেন এবং উক্ত প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখ থাকিতে হইবে, যথা : - (ক) আর্থিক বিবরণীতে প্রয়োজনীয় সকল বিবরণ ; (খ) কর্পোরেশনের বিষয়াবলীর বাস্তব অবস্থার সঠিক প্রতিফলন ; (গ) বোর্ডের নিকট হইতে তাহারা কোনো ব্যাখ্যা বা তথ্য চাহিলে উক্ত ব্যাখ্যা বা তথ্য; এবং (ঘ) দফা (গ) এর অধীন প্রদত্ত সন্তোষজনক ব্যাখ্যা। (৭) এই ধারার অধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরীক্ষকগণ অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজের জন্য অনুসৃত পদ্ধতির পর্যাপ্ততা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংস্কারের সুপারিশ করিবেন। (৮) সরকার, যে কোনো সময়, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনের পাওনাদারদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য, কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের পর্যাপ্ততা অথবা সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনের বিষয়াবলীর নিরীক্ষণ পদ্ধতির পর্যাপ্ততার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করিতে নিরীক্ষকগণকে নির্দেশনা দিতে পারিবে এবং নিরীক্ষার পরিধি বর্ধিতকরণ অথবা নিরীক্ষকগণ বা অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক অন্য কোনো পদ্ধতিতে নিরীক্ষণেরও নির্দেশ দিতে পারিবে। (৯) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আর্থিক বিবরণী তৈরি, নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত বা অনুরূপ কোনো কার্যসম্পাদনের ক্ষেত্রে, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর বিধানাবলি অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1289,
"details": "২৯। এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা বা জটিলতা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৩০। কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো দেশী ও বিদেশী সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "চুক্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৩১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৩২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৩৩। (১) Insurance Corporations Act, 1973 (Act No. VI of 1973), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Act এর অধীন - (ক) কৃত কোনো কাজ-কর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশন কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত বা গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে; (গ) প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশন কর্তৃক সম্পাদিত কোনো চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে; (ঘ) প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশনের সকল প্রকার ঋণ, দায়-দায়িত্ব ও আইনগত বাধ্যবাধকতা এই আইনের বিধান অনুযায়ী সেই একই শর্তে কর্পোরেশনের ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসাবে গণ্য হইবে; (ঙ) কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা কর্মচারী যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, তাহারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে কর্পোরেশনের চাকরিতে নিয়োজিত এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন; এবং (চ) প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশনের সকল ব্যবসা, সম্পদ, পরিসম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা কর্তৃত্ব ও সুবিধা, ফি, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, অনুমোদিত মূলধন, সংরক্ষিত তহবিল, নগদ অর্থ, উদ্বৃত্ত, ব্যাংক জমা ও সিকিউরিটিসহ সকল হিসাব, বিনিয়োগ, দায়-দেনা, ডিপোজিট এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাংলাদেশের বাহিরে বিদ্যমান সম্পদের মালিকানা, দখল, ক্ষমতা বা নিয়ন্ত্রণ এবং উহা হইতে উদ্ভূত অন্য সকল অধিকার ও স্বার্থ, এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট সকল হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য সকল দলিল-দস্তাবেজ এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তরিত বা, ক্ষেত্রমত, স্থানান্তরিত হইবে এবং কর্পোরেশন উহার অধিকারী হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Act এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নিদের্শ, অনুমোদন, সুপারিশ, প্রণীত সকল পরিকল্পনা বা কার্যক্রম এবং অনুমোদিত সকল হিসাব বিবরণী ও বার্ষিক প্রতিবেদন উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানে অধীন প্রণীত, জারীকৃত, প্রদত্ত এবং অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "428",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1289,
"details": "৩৪। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের নির্ভরযোগ্য ইংরেজি পাঠ (Authentic English Text) হইবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 34
}
],
"text": "Insurance Corporations Act, 1973 রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন যেহেতু Insurance Corporations Act, 1973 রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিমরূপ আইন করা হইল : -"
} |
{
"id": 1290,
"lower_text": [],
"name": "নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 3,
"published_date": "৩০ জুন, ২০১৯",
"related_act": [
1290
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1290,
"details": "১। এই আইন নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম।",
"related_acts": "1290",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1290,
"details": "২। ২০১৯ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরে যেই সকল ব্যয় উক্ত বৎসরের অর্থ পরিশোধের আওতাধীন হইতে পারে সেই সকল ব্যয় নির্বাহের জন্য এই আইনের তফসিলের কলাম ২ এ বর্ণিত কার্যাদির বিপরীতে কলাম ৫ এ উল্লিখিত ১৫১৬৬,১৮,৫৪,০০০ (পনেরো হাজার একশত ছেষট্টি কোটি আঠারো লক্ষ চুয়ান্ন হাজার) টাকার অনধিক পরিমাণ অর্থ সংযুক্ত তহবিল হইতে প্রদেয় ও ব্যয়যোগ্য হইবে।",
"name": "২০১৮-১৯ অর্থবৎসরের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে ১৫১৬৬,১৮,৫৪,০০০ (পনেরো হাজার একশত ছেষট্টি কোটি আঠারো লক্ষ চুয়ান্ন হাজার) টাকা প্রদান।",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1290,
"details": "৩। এই আইন দ্বারা সংযুক্ত তহবিল হইতে প্রদান করিবার ও ব্যয় নির্বাহের জন্য অনুমোদিত অর্থ ২০১৯ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরে এই আইনের তফসিলের কলাম ২ এ বর্ণিত কার্যের জন্য উহার বিপরীতে কলাম ৫ এ উলিস্নখিত পরিমাণের অনধিক অর্থ নির্দিষ্ট করা হইল।",
"name": "নির্দিষ্টকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
}
],
"text": "২০১৯ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন যেহেতু ২০১৯ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:"
} |
{
"id": 1291,
"lower_text": [],
"name": "নির্দিষ্টকরণ আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 3,
"published_date": "৩০ জুন, ২০১৯",
"related_act": [],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1291,
"details": "১। (১) এই আইন নির্দিষ্টকরণ আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা ১৭ আষাঢ়, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১ জুলাই, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1291,
"details": "২। ২০২০ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরে যেই সকল ব্যয় হইতে পারে সেই সকল ব্যয় নির্বাহের জন্য এই আইনের তফসিলের কলাম ২ এ বর্ণিত কার্যাদির বিপরীতে কলাম ৫ এ উল্লিখিত ৬৪২৪৭৮,২৭,২০,০০০ (ছয় লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার চারশত আটাত্তর কোটি সাতাশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকার অনধিক পরিমাণ অর্থ সংযুক্ত তহবিল হইতে প্রদেয় ও ব্যয়যোগ্য হইবে।",
"name": "২০১৯-২০২০ অর্থবৎসরের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে ৬৪২৪৭৮,২৭,২০,০০০ (ছয় লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার চারশত আটাত্তর কোটি সাতাশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1291,
"details": "৩। এই আইন দ্বারা সংযুক্ত তহবিল হইতে প্রদান করিবার ও ব্যয় নির্বাহের জন্য অনুমোদিত অর্থ ২০২০ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরে এই আইনের তফসিলের কলাম ২ এ বর্ণিত কার্যের জন্য উহার বিপরীতে কলাম ৫ এ উল্লিখিত পরিমাণের অনধিক অর্থ নির্দিষ্ট করা হইল।",
"name": "নির্দিষ্টকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
}
],
"text": "২০২০ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য প্রণীত আইন যেহেতু ২০২০ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1292,
"lower_text": [],
"name": "প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 24,
"published_date": "১০ জুলাই, ২০১৯",
"related_act": [
1025,
75,
115,
1292
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1292,
"details": "১। (১) এই আইন প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1292",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1292,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে - (১) ‘‘অনিরাময়যোগ্য অসুস্থ প্রাণি’’ অর্থ এমন অসুস্থ প্রাণি, চিকিৎসার মাধ্যমে যাহার নিরাময় সম্ভব নহে অথবা মারাত্মকভাবে আহত হইবার কারণে যাহার স্থায়ীভাবে অঙ্গহানি হইয়াছে বা করা হইয়াছে অথবা যাহা জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত; (২) ‘‘অসুস্থ প্রাণি’’ অর্থ ভেটেরিনারি সার্জনের প্রত্যয়ন অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক কারণে সুস্থ নহে এইরূপ কোনো প্রাণি এবং চিকিৎসা প্রদান করা হইলে যে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়া আসিতে পারে যথা : - (ক) যে উদ্দেশ্যে লালনপালন করা হইতেছে, সেই কাজের জন্য সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত; (খ) অঙ্গহানি, আঘাত বা ক্ষতজনিত কারণে অসুস্থ; (গ) শারীরবৃত্তিক কারণে বা কোনো জীবাণুর সংক্রমণজনিত কারণে অসুস্থ; (৩) ‘আবদ্ধ প্রাণি’ অর্থ এইরূপ প্রাণি যাহার পলায়নপরতা বা হিংস্রতা রোধের উদ্দেশ্যে যাহাকে আটক বা খাঁচায় বন্দী অবস্থায় লালনপালন করা হয়; (৪) ‘কর্তৃপক্ষ’ অর্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উক্ত অধিদপ্তরের কোনো ভেটেরিনারি সার্জন; (৫) ‘‘খামার’’ অর্থ বিদ্যমান কোনো আইনের অধীন নিবন্ধিত হোক বা না হোক, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কোনো প্রাণির খামার, যে স্থানে পাঁচ বা ততোধিক একই বা ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণি লালনপালন করা হয়; (৬) ‘‘গৃহপালিত প্রাণি’’ অর্থ এইরূপ প্রাণি যাহা কোনোভাবে মানুষের উপকারে আসে ও প্রকৃতিগতভাবে হিংস্র নহে এবং গৃহে বা খামারে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হোক বা না হোক, প্রতিপালন করা হয়; (৭) ‘‘তত্ত্বাবধানকারী’’ অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি, মালিকের সম্মতিতে বা সম্মতি ব্যতীত, স্বেচছায় কিংবা কর্তৃপক্ষের আদেশে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনো প্রাণিকে দখলে বা তত্ত্বাবধানে রাখিয়াছেন; (৮) ‘‘নিষ্ঠুর আচরণ’’ অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুর আচরণ; (৯) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত; (১০) ‘‘পোষা প্রাণি (Pet)’’ অর্থ গৃহপালিত প্রাণি ব্যতীত এইরূপ কোনো প্রাণি যাহা মানুষের মানসিক প্রশান্তি বা নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের জন্য গৃহে বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে খামারে প্রতিপালন করা হয়; (১১) ‘‘প্রাণি’’ অর্থে নিম্নবর্ণিত সকল ধরনের প্রাণি অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা : (অ) মানুষ ব্যতীত সকল স্তন্যপায়ী প্রাণি; (আ) পাখি; (ই) সরীসৃপ জাতীয় প্রাণি; (ঈ) মৎস্য ব্যতীত অন্যান্য জলজ প্রাণি; এবং (উ) সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত অন্য কোনো প্রাণি; (১২) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১৩) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে কোম্পানি, সংঘ, সমিতি, অংশীদারি কারবার, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাও অন্তর্ভুক্ত হইবে; (১৪) ‘‘ভেটেরিনারি সার্জন’’ অর্থ বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত যে কোনো ভেটেরিনারিয়ান এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান; (১৫) ‘‘মালিক’’ অর্থ কোনো প্রাণির আইনানুগ মালিক; (১৬) ‘‘মালিকবিহীন প্রাণি’’ অর্থ মালিকানা বা দাবিদারবিহীন কোনো প্রাণি, অথবা যুক্তিসংগতভাবে অনুসন্ধানের পরও যে প্রাণির মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীকে পাওয়া যায় না; (১৭) ‘‘সংকটাপন্ন’’ অর্থ নিষ্ঠুর আচরণ, অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কারণে জীবন হুমকিতে পতিত; (১৮) ‘‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1292,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি পাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1292,
"details": "৪। প্রত্যেক প্রাণির মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীর দায়িত্ব হইবে যৌক্তিক কারণ ব্যতীত, উক্ত প্রাণির প্রতি কল্যাণকর ও মানবিক আচরণ করা এবং নিষ্ঠুর আচরণ করা হইতে নিজে বিরত থাকা।",
"name": "মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীর দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1292,
"details": "৫। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রাণি প্রতিপালন, পরিবহন ও জবাই বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রাণি প্রতিপালন, পরিবহন ও জবাই বিধি প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1292,
"details": "৬। (১) কোনো ব্যক্তির নিম্নবর্ণিত আচরণ বা কার্য প্রাণির জন্য অকল্যাণকর এবং উহা এই আইনের অধীন প্রাণির প্রতি অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুর আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে, যদি - (ক) কোনো কার্য বা কার্য হইতে বিরত থাকা প্রাণির অসুস্থতার কারণ হয়; (খ) প্রাণিকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করানো বা অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রহার করা হয়; (গ) প্রাণিকে প্রয়োজনীয় পরিমাণে খাদ্য ও পানি প্রদান না করা হয় অথবা অতিরিক্ত খাদ্য এবং পানি গ্রহণে জবরদস্তি করা হয়; (ঘ) প্রাণিকে এইরূপভাবে বাধিয়া রাখা হয় বা এমন অবকাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ রাখা হয় বা বহন করা হয় যাহার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রাণি তাহার প্রকৃতি অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াইতে, বসিতে বা শায়িত অবস্থায় থাকিতে পারে না; (ঙ) নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রাণিকে ধারালো ধাতব বস্তু দ্বারা প্রহার বা আঘাত করা হয়; (চ) অসুস্থ অবস্থায় বা মৃত্যু ঘটানোর জন্য কোনো প্রাণিকে লোকালয়ে মুক্ত করিয়া দেওয়া হয়; (ছ) কোনো প্রাণিকে লড়াই করিবার জন্য প্ররোচিত করা বা টোপ হিসাবে ব্যবহার করা বা উত্যক্ত করা হয়; (জ) ইচছাকৃতভাবে এবং অকারণে প্রাণির জন্য ক্ষতিকর বা প্রয়োগযোগ্য নহে এমন কোনো ঔষধ বা পদার্থ সেবন করানো হয় বা ইনজেকশনের মাধ্যমে বা পায়ুপথ বা জননাংগের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করানো বা করানোর চেষ্টা হয়; ঝ) কুকুরকে শরীরচর্চার জন্য কোনো প্রকার চলাফেরার সুযোগ প্রদান না করিয়া একটানা চব্বিশ ঘণ্টা বা ততোধিক সময় বাঁধিয়া রাখা বা আটকাইয়া রাখা হয়; (ঞ) রাইফেল শ্যুটিং বা তীর ছোড়া প্রতিযোগিতায় কোনো প্রাণিকে লক্ষ্যবস্তু হিসাবে ব্যবহার করা হয় বা করিবার উদ্দেশ্যে ছাড়িয়া দেওয়া হয়; (ট) অঙ্গহানিজনিত অথবা ক্ষুধা, তৃষ্ণা বা অন্য কোনো নিষ্ঠুরতার কারণে ব্যথাভোগকারী প্রাণিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়; (ঠ) কোনো প্রাণিকে গৃহে আটক রাখিয়া এবং অন্য কাহারো তত্ত্বাবধানে না রাখিয়া উক্ত প্রাণির মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীর অপ্রয়োজনীয় সময়কাল গৃহের বাহিরে অবস্থান; (ড) ভেটেরিনারী সার্জন কর্তৃক কোনো প্রাণিকে প্রজননের জন্য শারীরিকভাবে অযোগ্য ঘোষণা করিবার পর উক্ত প্রাণিকে প্রজনন কাজে ব্যবহার করা হয়; (ঢ) কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র ব্যতিরেকে কোনো প্রাণিকে বিনোদন বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। (২) উপ-ধারায় (১) এ উল্লিখিত আচরণ বা কার্য ছাড়াও সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রাণির প্রতি অন্য কোনো আচরণ বা কার্যকেও প্রাণির প্রতি অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুর আচরণ হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এ বর্ণিত কোনো অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুর আচরণ সংঘটন করিলে বা সংঘটনে সহযোগিতা করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে। (৪) এই ধারার ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাণির প্রতি নিম্নবর্ণিত আচরণ বা কার্য অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুর আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি- (ক) নিষ্ঠুরতাটি যৌক্তিকভাবে পরিহার বা হ্রাস করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়; (খ) নিষ্ঠুরতাটি সৎ উদ্দেশ্যে, যেমন- উক্ত প্রাণি বা অন্য কোনো প্রাণির উপকার অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি বা অন্য কোনো প্রাণির প্রাণ সংশয়ের হুমকি নিরসনের জন্য করা হয়; (গ) সংশ্লিষ্ট কার্য, ভেটেরিনারি সার্জনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নিকট, যুক্তিসঙ্গতভাবে উপযুক্ত এবং মানবিক প্রতীয়মান হয়; (ঘ) কোনো নিশ্চিত জলাতঙ্কগ্রস্থ প্রাণি বা অন্য কোনো অনিরাময়যোগ্য সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়, যাহা মানুষ বা অন্য প্রাণিতে সংক্রমণ ঘটাইতে পারে, অথবা যাহা মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হইতে পারে বলিয়া সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত হয়, এবং নিয়ন্ত্রণে বা নির্মূলে সরকার বা সরকারের অনুমোদিত কোনো কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যথাহীন কোনো মানবিক উপায়ে এবং OIE (World Organization for Animal Health) Standards অনুসরণ করিয়া জনকল্যাণার্থে উক্ত অনিরাময়যোগ্য অসুস্থ প্রাণিকে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়; (ঙ) নিষ্ঠুরতাটি কোনো সরকার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা বা গবেষণার উদ্দেশ্যে হইয়া থাকে; (চ) খাদ্য হিসাবে ব্যবহারের জন্য প্রাণি জবাইকালে ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উৎসর্গকালে যে কোনো ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি কর্তৃক তাহার নিজস্ব ধর্মীয় আচার অনুযায়ী কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়; (ছ) চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চিড়িয়াখানা পরিচালনার জন্য প্রযোজ্য আইন, বিধি বা নীতিমালার অধীন চিড়িয়াখানায় রক্ষিত প্রাণির ক্ষেত্রে কোনো কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়; এবং (জ) বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৩০ নং আইন) এর অধীন কোনো কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।",
"name": "প্রাণির প্রতি অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুর আচরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1292,
"details": "৭। (১) এই আইনে উল্লিখিত কোনো কারণ ব্যতীত, মালিকবিহীন কোনো প্রাণি নিধন বা অপসারণ করা যাইবে না। (২) কোনো ব্যক্তি মালিকবিহীন কোনো প্রাণি হত্যা করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "মালিকবিহীন প্রাণি নিধন বা অপসারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1292,
"details": "৮। (১) শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত কোনো প্রাণিকে পরিবহন কাজে বাহক হিসাবে ব্যবহার এবং কোনো প্রাণির দ্বারা মাত্রাতিরিক্তি যাত্রী বা মালামাল বহন করানো যাইবে না। (২) নিম্নবর্ণিত কার্য এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে, যথা :- (ক) কোনো প্রাণিকে পরিবহন কাজে বাহক হিসাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত ঘোষণা করিবার পরও উক্ত প্রাণিকে উক্ত কাজে ব্যবহার; এবং (খ) পরিবহন কাজে কোনো প্রণি দ্বারা মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল পরিবহন। (৩) বাহক প্রাণিকে পরিবহন কাজের জন্য শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত ঘোষণা করিবার পদ্ধতি এবং প্রাণি কর্তৃক পরিবহনযোগ্য যাত্রী ও মালামালের ওজনের মাত্রা নির্ধারণ ও পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পরিবহন কাজে প্রাণির ব্যবহার",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1292,
"details": "৯। (১) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন গ্রহণ ব্যতিরেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোষা প্রাণি উৎপাদন এবং উক্ত উদ্দেশ্যে কোনো খামার স্থাপন ও পরিচালনা করা যাইবে না। (২) নিবন্ধিত খামার মালিক খামার অবসায়নের জন্য আবেদন করিলে বা তাহার মৃত্যু হইলে বা তিনি নিবন্ধনের শর্ত ভঙ্গ করিলে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত, যাহা কর্তৃপক্ষের নিকট উপযুক্ত বলিয়া প্রতীয়মান হইবে, করিতে পারিবে, এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবসায়নকৃত খামারের প্রাণির দখল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করিতে পারিবে। (৩) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন নিবন্ধন গ্রহণ ব্যতিরেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোষা প্রাণি উৎপাদন খামার পরিচালনা করিলে অথবা নিবন্ধন বাতিল করা হইয়াছে এমন কোনো খামার পরিচালনা অব্যাহত রাখিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "পোষা প্রাণির বাণিজ্যিক উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা নিবন্ধন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১০। (১) প্রাণির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে প্রাণিদেহের কোনো সংবেদনশীল টিস্যু অপসারণ করা হইলে বা অঙ্গ কর্তন করা হইলে অথবা শারীরিক কাঠামোর পরিবর্তন ঘটানো হইলে বা ঘটাইবার চেষ্টা করা হইলে অথবা উক্ত কাজে সহায়তা করা হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ভেটেরিনারি সার্জনের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে, গৃহপালিত প্রাণি, পোষা প্রাণি বা আবদ্ধ প্রাণির পরিচর্যা, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রয়োজনে উক্ত প্রাণির শিং কর্তন, লেজ কর্তন, কান কর্তন, হুফ ট্রিমিং, লাইগেশন, ক্যাশট্রেশান এবং অর্থনৈতিক কারণে কেশ বা লোম কর্তন করা যাইবে।",
"name": "অঙ্গহানি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১১। (১) কোনো ঔষধ বা খাবার বিষাক্ত বা অনিষ্টকর জানা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তি যদি প্রাণিকে উক্ত বিষাক্ত বা অনিষ্টকর ঔষধ বা খাবার অথবা বিষ মিশ্রিত খাবার খাওয়ান বা বিষ প্রাণির দেহে প্রয়োগ করেন অথবা অনুরূপ কাজ করিবার চেষ্টা করেন বা করিতে সহায়তা করেন, যাহার ফলে প্রাণির মৃত্যু বা স্থায়ী অঙ্গহানি হয় অথবা স্বাভাবিক আকার ও কর্মক্ষমতা নষ্ট হইয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত কার্য এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে। (২) যুক্তিযুক্ত প্রয়োজনে ভেটেরিনারি সার্জনের লিখিত পরামর্শ ও পদ্ধতি অনুসারে প্রাণিকে অজ্ঞান করিবার ক্ষেত্রে অথবা উহার ব্যথাহীন মৃত্যু (Euthansia) ঘটাইবার ক্ষেত্রে উপধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যাদি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে না।",
"name": "বিষ প্রয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১২। (১) কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত, কোনো প্রাণিকে দৈহিক কলাকৌশল প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান বা দৈহিক কসরৎ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা যাইবে না। (২) কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যক্তির অনুকূলে উপধারা (১) এ বর্ণিত অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অনুমতিপত্রে, অনুমতির মেয়াদসহ সংশ্লিষ্ট প্রাণির কল্যাণে করণীয় নির্ধারণপূর্বক প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করিতে পারিবে। (৩) মেয়াদান্তে এই ধারার অধীন প্রদত্ত অনুমতিপত্র কেবল অনুমতিপত্রে উল্লিখিত প্রাণির জন্য নবায়ন করা যাইবে। (৪) এই ধারার অধীন প্রদত্ত অনুমতিপত্র নবায়নের জন্য আবেদন করা না হইলে অথবা অনুমতিপত্র নবায়ন করা না হইলে অনুমতিপত্রে উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট প্রাণি দৈহিক কসরৎ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা যাইবে না। (৫) কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন প্রদত্ত অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অনুমতি বাতিল করিতে পারিবে। (৬) উপধারা (১) এবং (৪) এর বিধান লঙ্ঘন এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে। (৭) এই ধারার অধীন অনুমতি প্রাপ্তির জন্য আবেদন, অনুমতি প্রদান, অনুমতির মেয়াদ এবং অনুমতিপত্র নবায়নসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৮) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রতিরক্ষা বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডসহ অনুরূপ সরকারি কোনো বাহিনীর ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না। ব্যাখ্যা।- এই ধারায় ‘‘কলাকৌশল প্রদর্শনকারী প্রাণি’’ বলিতে মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীর হেফাজতে রক্ষিত এইরূপ প্রাণিকে বুঝাইবে, যাহাকে দৈহিক কসরতের মাধ্যমে মানুষের বিনোদন, খেলা, প্রদর্শন বা অর্থ উপার্জনের মত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা হয়।",
"name": "কলাকৌশল প্রদর্শনকারী প্রাণি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, অথবা বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শকের নিম্নে নহে এমন কোনো পুলিশ অফিসার তাহার এখতিয়ারাধীন এলাকায়, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সকল খামার যে কোনো সময় পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং প্রাণির প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ পরিহারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদানসহ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির আওতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন। (২) কর্তৃপক্ষ বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পুলিশ অফিসারকে খামার পরিদর্শনের জন্য খামারে প্রবেশ করিবার অনুমতি প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিতে খামার মালিক বা তাহার প্রতিনিধি বাধ্য থাকিবেন। (৩) উপধারা (১) এর অধীন খামার পরিদর্শনকালে পরিদর্শন কাজে বাধা প্রদান করা হইলে অথবা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা না হইলে, উহা এই আইনের অধীনে অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১৪। (১) কোনো প্রাণি সংকটাপন্ন অবস্থায় রহিয়াছে মর্মে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতীয়মান হইলে অথবা এইরূপ সংবাদ কাহারও নিকট হইতে অবহিত হইলে উক্ত সংকট প্রশমিত করিবার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে অথবা করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রাণির মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে অথবা সংকটাপন্ন অবস্থা হইতে সংশ্লিষ্ট প্রাণিকে উদ্ধারের জন্য, ক্ষেত্রমত, থানা, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবে। (২) সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা কোনো প্রাণি জীবিত উদ্ধারের সভমাবনা নাই মর্মে কর্তৃপক্ষের নিকট যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রতীয়মান হইলে অথবা সংকটাপন্ন অবস্থা হইতে উদ্ধারের চেষ্টা ব্যর্থ হইলে এবং নিধন অপরিহার্য হইলে, এখতিয়ারাধীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি গ্রহণক্রমে, সংশ্লিষ্ট প্রাণি যে স্থানে ও যে অবস্থায় থাকিবে, সেই স্থান ও অবস্থা হইতে উদ্ধারের পর, প্রাণিটি অনিরাময়যোগ্য অসুস্থ প্রাণি হইলে এবং তাহাকে বাঁচাইয়া রাখা নিষ্ঠুরতা হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত সংকটাপন্ন প্রাণিকে প্রয়োজনে উদ্ধারক্রমে অন্যত্র লইয়া ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটাইতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ, ক্ষেত্রমত, নিকটবর্তী থানা, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারায় ‘‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট’’ বলিতে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর ধারা ১০ এ উল্লিখিত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বুঝাইবে।",
"name": "সংকটাপন্ন প্রাণিকে তত্ত্বাবধানে নেওয়া এবং নিধন করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "75",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১৫। (১) কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীন অপরাধের শিকার (Victim) প্রাণিকে, সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকুক না থাকুক, আটক এবং আটককৃত প্রাণিকে আগ্রহী কোনো ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে প্রদান করিবার জন্য অথবা, যথাযথ প্রতীয়মান হইলে, ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটাইবার জন্য বা বিক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ উক্ত উপ-ধারার অধীন আটককৃত প্রাণিকে সরকারি ভেটেরিনারি হাসপাতাল অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট চিকিৎসা ও পরিচর্যার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন আটককৃত প্রাণি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত উহার চিকিৎসা, খাদ্য ও পানি সরবরাহের খরচের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট এলাকার ভেটেরিনারি সার্জন কর্তৃক নির্ধারিত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয় প্রাণির মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীকে বহন করিতে হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, তত্ত্বাবধানকারীকে পাওয়া না গেলে, ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যয় বহন করিবে।",
"name": "প্রাণি আটক এবং আটক প্রাণির চিকিৎসা ও পরিচর্যা ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১৬।কোনো ব্যক্তি এই আইনের- (ক) ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৩), ধারা ৭ এর উপ-ধারা (২), ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২), ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩), ধারা ১২ এর উপ-ধারা (৬) এবং ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে অথবা অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; এবং (খ) ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এবং ধারা ১১ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে অথবা অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।",
"name": "অপরাধ ও দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১৭। কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানির এমন প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। ব্যাখ্যা।-এই ধারায়- (ক) ‘‘কোম্পানি’’ অর্থে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং (খ) ‘‘পরিচালক’’ অর্থে অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যও অন্তর্ভুক্ত হইবে।",
"name": "কোম্পানি, ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১৮। কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, কোনো আদালত এই আইনের অধীন কৃত কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবেন না।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1292,
"details": "১৯। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non-cognizable) এবং জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1292,
"details": "২০। এই আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হইবে।",
"name": "মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার",
"related_acts": "1025",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1292,
"details": "২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1292,
"details": "২২। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, আদেশ দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দূর করিতে পারিবে।",
"name": "অস্পষ্টতা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1292,
"details": "২৩। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1292,
"details": "২৪। (১) The Cruelty to Animals Act, 1920 (Act No. I of 1920) অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও উক্ত আইনের অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা চলমান কোনো কার্যক্রম এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা চলমান বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) দায়েরকৃত কোনো মামলা বা কার্যধারা কোনো আদালতে চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজতকরণ",
"related_acts": "115",
"section_id": 24
}
],
"text": "The Cruelty to Animals Act, 1920 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নতুন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু প্রাণির প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ করা, সদয় আচরণ প্রদর্শন করা ও দায়িত্বশীল প্রতিপালনের মাধ্যমে প্রাণিকল্যাণ নিশ্চিত করা আবশ্যক; এবংযেহেতু প্রাণিকল্যাণ নিশ্চিত করণার্থে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিদ্যমান The Cruelty to Animals Act, 1920 (Act No. I of 1920) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল : -"
} |
{
"id": 1293,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 55,
"published_date": "১০ জুলাই, ২০১৯",
"related_act": [
1025,
11,
1293,
629,
24,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1293,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1293",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কিছু না থাকিলে, এই আইনে - (১) ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল; (২) ‘‘কার্যনির্বাহী কমিটি’’ অর্থ ধারা ১০ এর অধীন গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি; (৩) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি বা, ক্ষেত্রমত, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত; (৪) ‘‘নিবন্ধন বহি’’ অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক সংরক্ষিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার এবং প্যারাভেটদের নিবন্ধন বহি; (৫) ‘‘নিবন্ধিত প্যারাভেট’’ অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত কোনো প্যারাভেট; (৬) ‘‘নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার’’ অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত কোনো ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার; (৭) ‘‘পেশাগত অসদাচরণ’’ অর্থ এই আইন, বিধি, প্রবিধান বা পেশাগত বিষয়ে জারিকৃত কোনো নীতিমালা দ্বারা অর্পিত কোনো পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বা অবহেলা বা কাউন্সিল কর্তৃক প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত কোনো অসদাচরণ; (৮) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৯) ‘‘প্রাণি’’ অর্থ মানুষ ব্যতীত সকল প্রাণি; (১০) ‘‘প্যারাভেট’’ অর্থ জীববিদ্যা বিষয়সহ বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান হইতে অন্যূন ৩(তিন) বৎসর মেয়াদী ভেটেরিনারি কোর্সে উত্তীর্ণ কোনো ব্যক্তি; (১১) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১২) ‘‘ভেটেরিনারি’’ অর্থ ভেটেরিনারি শিক্ষা ও পেশায় দেশীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রাণির উৎপাদন, স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা, ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়াবলি; (১৩) ‘‘ভেটেরিনারিয়ান’’ অর্থ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠান হইতে ভেটেরিনারি শিক্ষায় অন্যূন স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী ব্যক্তি; (১৪) ‘‘ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ কোনো আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান যাহা ভেটেরিনারি শিক্ষা পরিচালনা এবং এতদ্বিষয়ে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা প্রশিক্ষণ প্রদান করিয়া থাকে; (১৫) ‘‘ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস’’ অর্থ প্রাণির চিকিৎসা, বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ, রোগ নির্ণয়, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও দমন, সম্প্রসারণ কার্যক্রম, প্রাণি ও প্রাণিজাত পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ, সঙ্গ নিরোধ, গবেষণা, কৃত্রিম প্রজনন, গণস্বাস্থ্য, ভেটেরিনারি বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান বা পরামর্শ প্রদান; (১৬) ‘‘ভেটেরিনারি শিক্ষা’’ অর্থ প্রাণির উৎপাদন, স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ, চিকিৎসা, ব্যবস্থাপনা এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তপশিলে উল্লিখিত কোনো ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা প্রশিক্ষণ; (১৭) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার; (১৮) ‘‘সদস্য’’ অর্থ কাউন্সিলের কোনো সদস্য; (১৯) ‘‘সভাপতি’’ অর্থ কাউন্সিলের সভাপতি; এবং (২০) ‘‘সহ-সভাপতি’’ অর্থ কাউন্সিলের সহ-সভাপতি।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪। (১) Bangladesh Veterinary Practitioners Ordinance,1982 (Ordinance No. XXX of 1982) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Veterinary Council এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল নামে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (২) কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাইবে।",
"name": "কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৫। (১) কাউন্সিলের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কার্যনির্বাহী কমিটি কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে। (২) কার্যনির্বাহী কমিটি উহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে কাউন্সিলের নিকট দায়ী থাকিবে এবং কাউন্সিল কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশ ও আদেশ অনুসরণ করিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৬। কাউন্সিল গঠন, ইত্যাদি ।- (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথা :- (ক) মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর; (খ) মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর; (গ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঘ) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উক্ত অধিদপ্তরে কর্মরত ১ (এক) জন জ্যেষ্ঠ ভেটেরিনারিয়ান; (ঙ) ডিন, ভেটেরিনারি বিজ্ঞান অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; (চ) ডিন, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়; (ছ) (ঙ) ও (চ) এ বর্ণিত বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত ভেটেরিনারি বিষয়ে পাঠদানকারী অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন নিবন্ধিত ভেটেরিনারিয়ান; (জ) বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল; (ঝ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত ভেটেরিনারি বিষয়ে স্বীকৃত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রতিরক্ষা বাহিনীর রিমাউন্ট ভেটেরিনারি এন্ড ফার্ম কোরের ১ (এক) জন সদস্য; (ঞ) সভাপতি, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন; (ট) ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার, তন্মধ্যে ১ (এক) জন মহিলা হইবেন; (ঠ) বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে নির্ধারিত উপায়ে নির্বাচিত ১ (এক) জন করিয়া নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার; এবং (ড) রেজিস্ট্রার, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কাউন্সিলের সদস্যগণ তাহাদের মধ্য হইতে কাউন্সিলের ১ (এক) জন সভাপতি ও ১ (এক) জন সহ-সভাপতি নির্বাচন করিবেন। (৩) কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) কাউন্সিলের মেয়াদ হইবে ৪ (চার) বৎসর এবং উক্ত মেয়াদের জন্য কাউন্সিলের সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হইবেন: তবে শর্ত থাকে যে, পরবর্তী কাউন্সিল গঠিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত কাউন্সিল স্বীয় দায়িত্ব পালন করিবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার সভাপতি বা সহ-সভাপতিকে বা, ক্ষেত্রমত, উভয়কে তাহার বা তাহাদের পদ হইতে যে কোনো সময় জনস্বার্থে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ অব্যাহতি প্রদানের পূর্বে সভাপতি বা সহ-সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করিতে হইবে। (৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন সভাপতিকে অব্যাহতি প্রদান করা হইলে বা উপ-ধারা (৮) এর অধীন তাহার পদত্যাগপত্র গৃহীত হইলে সহ-সভাপতি অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন। (৭) সভাপতি ও সহ-সভাপতি উভয়কেই অব্যাহতি প্রদান করা হইলে বা উপ-ধারা (৮) এর অধীন তাহাদের পদ শূন্য হইলে কাউন্সিলের সদস্যগণ নিজেদের মধ্য হইতে ১ (এক) জন সভাপতি এবং ১ (এক) জন সহ-সভাপতি নির্বাচিত করিবেন যাহারা কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদকালীন সময়ে স্বীয় দায়িত্ব পালন করিবেন। (৮) সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং কাউন্সিলের যে কোনো সদস্য যে কোনো সময় সরকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং সরকার কর্তৃক পদত্যাগপত্র গৃহীত হইবার তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট পদ শূন্য হইবে। (৯) উপ-ধারা (১) এর দফা (ট) এবং (ঠ) এর অধীন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়ন বা নির্বাচনের তারিখ হইতে পরবর্তী ৪ (চার) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, মনোনয়নকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় উক্তরূপ মনোনীত বা নির্বাচিত কোনো সদস্যকে জনস্বার্থে সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (১০) উপ-ধারা (৮) বা (৯) এর অধীন কোনো সদস্য পদ শূন্য হইবার কারণে কাউন্সিলের সভায় কোরাম সংকট সৃষ্টি হইলে সরকার এই আইনের বিধান অনুসরণ করিয়া উক্ত শূন্য পদে সদস্য নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যগণ কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।",
"name": "কাউন্সিল গঠন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার এবং প্যারাভেটদের নিবন্ধন ও সনদ প্রদান এবং বাতিল, নিয়ন্ত্রণ এবং তাহাদের আইনগত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সংরক্ষণ; (খ) ভেটেরিনারি শিক্ষা, পেশা ও সেবার মান নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ এবং ক্ষেত্রমত এতদ্বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা; (গ) ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারদের পেশাগত বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন, তদারকি, বাস্তবায়ন; (ঘ) ভেটেরিনারি শিক্ষা কোর্সে ভর্তির নির্দেশিকা ও শর্তাদি নির্ধারণ; (ঙ) ভেটেরিনারি শিক্ষার কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন, ডিগ্রির মান উন্নয়ন, ইন্টার্নশিপ নীতিমালা প্রণয়ন; (চ) ভেটেরিনারি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বীকৃতি প্রদান; (ছ) ভেটেরিনারি বিষয়ে বিদেশি কোনো ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠান হইতে প্রদত্ত কোনো ডিগ্রি বা ডিপ্লোমার সমতা মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রদান; (জ) ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারদের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশেষায়িত জ্ঞানের সুযোগ সৃষ্টি বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; (ঝ) ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন; (ঞ) ভেটেরিনারিয়ানদের নিবন্ধন ও সনদ ফি, নবায়ন ফি এবং এই আইনের অধীনে স্বীকৃত অন্য কোনো ফি নির্ধারণ করা; (ট) অসদাচরণের জন্য কোনো ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার ও প্যারাভেটদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং (ঠ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত আনুষিক কার্যাবলি সম্পাদন।",
"name": "কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কাউন্সিল উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) প্রতি বৎসর কাউন্সিলের অন্যূন ২ (দুই) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) সভাপতি কাউন্সিলের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) কাউন্সিলের অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কাউন্সিলের সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কাউন্সিলের সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৭) শুধু কাউন্সিলের কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা কাউন্সিল গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কাউন্সিলের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কাউন্সিলের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৯। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে কাউন্সিলের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হইবে, যথাঃ- (ক) মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ-সদস্য তন্মধ্যে ১(এক) জন মহিলা সংসদ-সদস্য হইবেন; (গ) সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; (ঘ) নিবন্ধিত ভেটেরিনারিয়ানদের মধ্য হইতে, কাউন্সিলের সহিত পরামর্শ সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক মনোনীত ৪ (চার) জন সদস্য, যাহারা হইবেন- (অ) বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ১ (এক) জন প্রাক্তন সভাপতি; (আ) বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বা প্রাক্তন ১ (এক) জন উপাচার্য বা ভেটেরিনারি অনুষদের ১ (এক) জন ডিন; (ই) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১ (এক) জন অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক; এবং (ঈ) বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের ১(এক) জন প্রাক্তন সভাপতি। (২) কাউন্সিলের সদস্য-সচিব উপদেষ্টা কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবেন। (৩) প্রতি বৎসর কমপক্ষে ১ (এক) বার উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৪) ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সার্বিক কার্যক্রম ও সেবার মান উন্নয়নের জন্য কাউন্সিল, সময় সময় উপদেষ্টা কমিটির নিকট হইতে পরামর্শ এবং দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করিতে পারিবেন। (৫) উপদেষ্টা কমিটির অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) উপদেষ্টা কমিটির মেয়াদ হইবে ৪ (চার) বৎসর এবং উক্ত মেয়াদে সদস্যগণ স্বীয় দায়িত্ব পালন করিবেন। (৭) উপদেষ্টা কমিটির যে কোনো সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "উপদেষ্টা কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১০। (১) কাউন্সিলের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকিবে। (২) কাউন্সিলের সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত উহার ৩ (তিন) জন সদস্যসহ মোট ৫ (পাঁচ) জন সদস্য সমন্বয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে। (৩) কাউন্সিলের সভাপতি, সহ-সভাপতি, পদাধিকারবলে, কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং সহ-সভাপতি হইবেন। (৪) কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক সম্পাদিত যাবতীয় কার্য কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।",
"name": "কার্যনির্বাহী কমিটি, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১১। (১) কাউন্সিল উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ১ (এক) জন রেজিস্ট্রার নিয়োগ করিবে। (২) রেজিস্ট্রার কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী হইবেন। (৩) রেজিস্ট্রারের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।",
"name": "রেজিস্ট্রার",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১২। কাউন্সিল উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের সুবিধার্থে এক বা একাধিক কমিটি গঠন এবং এইরূপ কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১৪। কোনো ভেটেরিনারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাউন্সিলের স্বীকৃতি ব্যতিরেকে ভেটেরিনারি শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ, পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, কোর্স পরিচালনা, প্রশিক্ষণ প্রদান অথবা এতদ্সংক্রান্ত কোনো সনদ, ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা প্রদান করিতে পারিবে না।",
"name": "কাউন্সিলের স্বীকৃতি ব্যতিরেকে ভেটেরিনারি শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১৫। (১) বাংলাদেশে অবস্থিত ভেটেরিনারি শিক্ষা বিষয়ক যোগ্যতার সনদ প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠানকে ভেটেরিনারি শিক্ষার স্বীকৃতির জন্য কাউন্সিলের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে কাউন্সিল, এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতিমালার আলোকে, প্রার্থিত প্রতিষ্ঠান যোগ্য হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ভেটেরিনারি শিক্ষার স্বীকৃতি প্রদান করিবে এবং অযোগ্য হইলে আবেদনপত্র নামঞ্জুর করিয়া ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদান করা হইলে কাউন্সিল উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম, ডিগ্রির নাম এবং স্বীকৃতি প্রদানের তারিখ উল্লেখপূর্বক প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শুরুতে একটি তালিকা প্রকাশ করিবে। (৪) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ভেটেরিনারি শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রি বা ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনে উক্ত ডিগ্রি বা ডিপ্লোমার স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (৫) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী বাংলাদেশের বাহিরে অর্জিত ডিগ্রি সংশ্লিষ্ট দেশের কাউন্সিল বা অনুরূপ সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত হইলে, আবেদনকারী, কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিবে এবং এইরূপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে কাউন্সিল আবেদনকারীর ডিগ্রির স্বীকৃতি প্রদান করিবে।",
"name": "ভেটেরিনারি শিক্ষার স্বীকৃতি (",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১৬। (১) কাউন্সিলের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক- (ক) প্রণীত পাঠ্যসূচি বা তদকর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষার মান নির্ধারিত মানদণ্ডের নিম্নে; অথবা (খ) সরকার ও কাউন্সিল, কর্তৃক, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ বা নীতিমালা যথাযথভাবে প্রতিপালিত হইতেছে না, তাহা হইলে কাউন্সিল, প্রয়োজনীয় মন্তব্যসহ, তদকর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা চাহিয়া নোটিশ প্রদান করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নোটিশের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে ব্যাখ্যা প্রাপ্ত হইবার পর বা নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যাখ্যা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে, কাউন্সিল, প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সংশ্লিষ্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার স্বীকৃতি প্রত্যাহার করিতে পারিবে।",
"name": "ভেটেরিনারি শিক্ষার স্বীকৃতি প্রত্যাহার",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস করিতে বা নিজেকে ভেটেরিনারি চিকিৎসক বা ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতে পারিবেন না।",
"name": "নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১৮। (১) এই আইনের অধীন কাউন্সিল ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার ও প্যারাভেটদের নিবন্ধন প্রদানের পূর্বে, প্রয়োজনে, পেশাগত শিক্ষা ও দক্ষতার উপর নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি যাচাই পরীক্ষা গ্রহণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতি ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।",
"name": "পরীক্ষা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1293,
"details": "১৯। (১) কোনো ব্যক্তিকে ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার হিসাবে নিবন্ধনের জন্য তপশিলের ক্রমিক নম্বর ১ ও ২ অথবা ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (৫) এর অধীন স্বীকৃত ডিগ্রিসহ ভেটেরিনারি বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল- (ক) আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাবলি পরীক্ষা করিয়া নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতিমালার আলোকে এবং ধারা ১৮ এর অধীন যদি কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় তাহা হইলে উক্ত পরীক্ষায় কৃতকার্য হইলে ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার হিসাবে উক্ত ব্যক্তিকে নিবন্ধন করিবে; এবং (খ) আবেদনকারী নিবন্ধনের অযোগ্য হইলে তাহাকে নিবন্ধন করিবে না এবং আবেদনটি নামঞ্জুরকরতঃ উহার কারণ উল্লেখক্রমে আবেদনকারীকে অবহিত করিবে। (৩) কাউন্সিল উপ-ধারা (২) এর অধীন নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারদের নাম ও এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য একটি নিবন্ধন বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিবে এবং উহা প্রকাশ ও সংরক্ষণ করিবে। (৪) নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার কর্তৃক প্রতি ৪ (চার) বৎসর অন্তর অন্তর নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার নিবন্ধন নবায়ন করিতে হইবে। (৫) কোনো নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার ভেটেরিনারি বিষয়ে কোনো অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা বা সনদ অর্জন করিলে কাউন্সিল তাহার আবেদনের প্রেক্ষিতে নিবন্ধন বহিতে তাহার নামের বিপরীতে উক্তরূপ যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত করিবে। (৬) নিবন্ধন বহি Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এর অধীন সরকারি দলিল বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারদের নিবন্ধন, ইত্যাদি",
"related_acts": "24",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২০। (১) কাউন্সিল, ধারা ১৯ এর অধীন নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার ও ধারা ২৫ এর অধীন নিবন্ধিত প্যারাভেটদের নির্ধারিত পদ্ধতিতে সনদ প্রদান করিবে। (২) এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে Bangladesh Veterinary Practitioners Ordinance, 1982 এর অধীন নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারদের নিবন্ধন এই ধারার অধীন প্রদত্ত সনদ বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) বিধি, প্রবিধান, নীতিমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সিল সনদ প্রদানের বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধমে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করিতে পারিবে।",
"name": "সনদ প্রদান, ইত্যাদি",
"related_acts": "629",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২১। রেজিস্টার প্রতি বৎসর নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারের নাম, ঠিকানা, ভেটেরিনারি বিষয়ে স্বীকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও উক্তরূপ যোগ্যতা অর্জনের তারিখ উল্লেখ করিয়া সরকারি গেজেটে এবং কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করিবেন।",
"name": "নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারের তালিকা প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২২। নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারগণ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব ও কর্তব্য নৈতিকতার সহিত পালন করিবে।",
"name": "নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারের দায়িত্ব ও কর্তব্য, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২৩। (১) শুধুমাত্র নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বে-সরকারি বা কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পরিচালিত ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ঔষধ ও খাদ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা প্রাণি জবাইখানায় ভেটেরিনারি বিষয়ক কোনো পদে নিয়োগলাভের যোগ্য হইবেন। (২) কোনো নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারগণ তাহাদের নামের সহিত ‘‘ডাক্তার’’ বা ‘‘ডাঃ’’ উপাধি ব্যবহার করিতে এবং তদকর্তৃক প্রদত্ত সেবার জন্য কাউন্সিল কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত ফি গ্রহণ করিতে পারিবেন। (৩) আপাততঃ বলবৎ কোনো আইনের অধীন ভেটেরিনারি স্বাস্থ্য সনদ বা ভেটেরিনারি বিষয়ক অন্য কোনো সনদ স্বাক্ষর বা সত্যায়নের প্রয়োজন হইলে, শুধুমাত্র নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার এইরূপ স্বাক্ষর বা সত্যায়ন করিতে পারিবেন।",
"name": "নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনারের বিশেষাধিকার",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২৪। (১) কোনো ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠান হইতে প্রদত্ত ভেটেরিনারি শিক্ষা বিষয়ক যোগ্যতা অর্জনকারী প্যারাভেট তাহার প্রশিক্ষণ বা ডিপ্লোমা ব্যবহার করিতে চাহিলে উহা এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হইতে হইবে। (২) কোনো প্রতিষ্ঠানকে তাহার প্রশিক্ষণ বা ডিপ্লোমা শিক্ষার স্বীকৃতির জন্য কাউন্সিলের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতিমালার আলোকে স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদান করা হইলে, কাউন্সিল উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম, ডিপ্লোমা বা প্রশিক্ষণের নাম উল্লেখপূর্বক প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শুরুতে একটি তালিকা প্রকাশ করিবে।",
"name": "প্যারাভেটদের শিক্ষার স্বীকৃতি",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২৫। (১) কোনো ব্যক্তি প্যারাভেট হিসাবে নিবন্ধিত হইতে চাহিলে তাহাকে তপশিলের ক্রমিক নং ৩ এ উল্লিখিত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি পরিশোধপূর্বক কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতিমালার আলোকে যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারীকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্যারাভেট হিসাবে নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবে। (৩) কাউন্সিল উপ-ধারা (২) এর অধীন নিবন্ধিত প্যারাভেটগণের নাম ও এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য একটি নিবন্ধন বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিবে এবং উহা প্রকাশ ও সংরক্ষণ করিবে। (৪) নিবন্ধিত প্যারাভেট কর্তৃক প্রতি ৪ (চার) বৎসর অন্তর অন্তর নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার নিবন্ধন নবায়ন করিতে হইবে।",
"name": "প্যারাভেটদের নিবন্ধন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২৬। নিবন্ধিত ও সনদপ্রাপ্ত প্যারাভেটগণ নিবন্ধিত প্র্যাকটিশনারের তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় নিম্নবর্ণিত সেবা প্রদান করিতে পারিবে, যথা:― (ক) প্রাণির কষ্ট লাঘব বা ব্যথা উপশমের জন্য প্রাথমিক সেবা (First aid) ; (খ) টিকা প্রদান ; (গ) কৃত্রিম প্রজনন করা ; (ঘ) বার্ডিজ দ্বারা খোজাকরণ; (ঙ) ড্রেসিং ; (চ) কাউন্সিল কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্যান্য সেবা ; এবং (ছ) সরকার কর্তৃক সময় সময়, নির্ধারিত এতদসংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক যে কোনো সেবা।",
"name": "প্যারাভেট কর্তৃক সেবা প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২৭। কোনো প্যারাভেট নিজেকে ভেটেরিনারি ডাক্তার হিসাবে পরিচয় দিতে বা তাহার নামের পূর্বে ‘‘ডাক্তার’’ বা ‘‘ডাঃ’’ উপাধি ব্যবহার করিতে পারিবেন না।",
"name": "প্যারাভেট কর্তৃক ‘ডাক্তার’ বা ‘ডাঃ’ উপাধি ব্যবহার নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২৮। (১) নিবন্ধিত কোনো ভেটেরিনারিয়ান বা প্যারাভেটের বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাভেটকে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শাইবার জন্য, সময় উল্লেখপূর্বক, তাহাকে নোটিশ প্রদান করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন উক্ত নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হইলে বা প্রাথমিকভাবে উক্ত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হইলে কাউন্সিল উক্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে গঠিত তদন্ত কমিটি আনীত অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করিবে এবং তদন্তের প্রয়োজনে অভিযোগকারীসহ যে কোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে বা অভিযোগের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোনো ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত হইবার বা কোনো দলিল বা তথ্য প্রেরণ করিবার জন্য নোটিশ প্রদান করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হইলে তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাভেটের বিরুদ্ধে অভিযোগের ধরন বিবেচনা করিয়া তাহার নিবন্ধন ও সনদ বাতিল, স্থগিতকরণ, সতর্কীকরণ বা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাউন্সিলের নিকট সুপারিশ পেশ করিবে। (৫) তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হইলে অভিযুক্ত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাভেটকে উক্ত অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশসহ কমিটি কাউন্সিলের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবে। (৬) উপ-ধারা (৩) এর অধীন নোটিশপ্রাপ্ত ব্যক্তি কমিটিকে সহায়তা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।",
"name": "অভিযোগ তদন্ত, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1293,
"details": "২৯। (১) ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রাপ্ত সুপারিশ অনুযায়ী কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাভেটকে সতর্কীকরণ বা নিদিষ্ট সময়ের জন্য প্র্যাকটিস হইতে বিরত রাখিতে বা সাময়িকভাবে তাহার নিবন্ধন ও সনদ বাতিল বা প্রয়োজনে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে। (২) কাউন্সিল, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি আদায় সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর অধীন বাতিলকৃত নিবন্ধন ও সনদ পুনর্বহাল করিতে পারিবে।",
"name": "ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাভেটদের নিবন্ধন ও সনদ স্থগিতকরণ, বাতিল, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩০। (১) কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক প্রয়োজনে কোনো ভেটেরিনারি ক্লিনিক, সেবা কেন্দ্র, খাদ্য ও ঔষধ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, প্রাণি জবাইখানা, প্রজনন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, প্রাণি পুনর্বাসন কেন্দ্র বা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার পরিচালনা করিতে চাহিলে তাহাকে স্বীকৃতির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (২) কাউন্সিল উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনপত্র বিবেচনা করিয়া, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, নির্ধারিত পদ্ধতি ও মানদণ্ডে প্রার্থিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনার স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে। (৩) কাউন্সিল উপ-ধারা (২) এর অধীন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের নাম, বিস্তারিত বিবরণ ও এতদ্সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য একটি নিবন্ধন বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিবে এবং উহার তালিকা প্রকাশ ও সংরক্ষণ করিবে।",
"name": "বেসরকারি ভেটেরিনারি ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, ইত্যাদির স্বীকৃতি",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩১। (১) কাউন্সিলের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোনো বেসরকারি ভেটেরিনারি ক্লিনিক, সেবা কেন্দ্র , খাদ্য ও ঔষধ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, প্রাণি জবাইখানা, প্রজনন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, প্রাণি পুনর্বাসন কেন্দ্র বা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার কর্তৃক- (ক) প্রদত্ত সেবার মান কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ডের নিম্নে ; অথবা (খ) সরকার ও কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ বা নীতিমালা যথাযথভাবে প্রতিপালিত হইতেছে না, তাহা হইলে কাউন্সিল, তদকর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে, ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিকট নোটিশ প্রেরণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রেরিত নোটিশের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে ব্যাখ্যা প্রাপ্ত হইবার পর বা নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যাখ্যা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে, কাউন্সিল, প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত প্রত্যাহার করিতে পারিবে।",
"name": "বেসরকারি ভেটেরিনারি ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, ইত্যাদির স্বীকৃতি প্রত্যাহার",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩২। (১) ধারা ১৫, ১৬, ১৯, ২৯ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপিল দায়ের করিতে পারিবে। (২) সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আপিল আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটি কমিটি গঠন করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন উহা প্রাপ্তির ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।",
"name": "কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধন না মঞ্জুর বা নিবন্ধন বহি হইতে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩৩। (১) কাউন্সিল কোনো ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে কোনো বিষয়ের পাঠ্যসূচি, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি, প্রশিক্ষণ ও এতদ্সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য তলব করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাউন্সিলকে তলবকৃত তথ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "পাঠ্যসূচি এবং পরীক্ষা, ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য তলব",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩৪। কাউন্সিল কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কোনো ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠান বা তদকর্তৃক গৃহীত পাঠ্যসূচি, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি, প্রশিক্ষণ ও এতদ্সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং পরিদর্শন সম্পর্কিত প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিবেন।",
"name": "পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩৫। কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩৬। (১) কোনো প্রতিষ্ঠান কাউন্সিলের স্বীকৃতি ব্যতিরেকে ভেটেরিনারি বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারেন যে, অপরাধটি তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং তাহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংঘটিত অপরাধের জন্য অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহত থাকিলে প্রতিদিনের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।",
"name": "কাউন্সিলের স্বীকৃতি ব্যতীরেকে ভেটেরিনারি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩৭। (১) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ধারা ৩০ এর অধীন স্বীকৃতি গ্রহণ ব্যতিরেকে কোনো বেসরকারি ভেটেরিনারি ক্লিনিক, সেবা কেন্দ্র, খাদ্য ও ঔষধ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, প্রাণি জবাইখানা, প্রজনন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, প্রাণি পুনর্বাসন কেন্দ্র বা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার পরিচালনা করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারেন যে, অপরাধটি তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং তাহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংঘটিত অপরাধের জন্য অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহত থাকিলে প্রতিদিনের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "কাউন্সিলের স্বীকৃতি ব্যতিরেকে বেসরকারিভাবে ভেটেরিনারি ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩৮। (১) কোনো ব্যক্তি- (ক) নিবন্ধিত না হইয়া নিজেকে ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাভেট বলিয়া পরিচয় প্রদান করিলে; (খ) প্রতারণা করিয়া ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার হিসাবে নিবন্ধন করিলে বা নিবন্ধন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করিলে; (গ) প্রতারণামূলকভাবে তাহার নাম, পদবির সহিত নিবন্ধিত প্র্যাকটিশনার মর্মে কোনো শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করিলে; (ঘ) মিথ্যা বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিয়া ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাভেট হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করিলে; (ঙ) নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার না হইয়া তাহার নামের সহিত ডাক্তার বা ‘‘ডাঃ’’ উপাধি ব্যবহার করিলে; অথবা (চ) প্যারাভেট হইয়া নিজেকে ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার হিসাবে পরিচয় দিলে বা তাহার নামের পূর্বে ডাক্তার বা ‘‘ডাঃ’’ উপাধি ব্যবহার করিলে, উহা এই আইনের অধীন একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। (২) উপ-ধারা ১ (এক) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তাকারী ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দণ্ডের সমদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "মিথ্যা বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৩৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল তহবিল নামে কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথাঃ- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) এই আইনের অধীন প্রাপ্ত নিবন্ধন, সনদ এবং অন্যান্য ফি; (গ) বিনিয়োগ ও সম্পত্তির আয়; (ঘ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো দেশি বা বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ঙ) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; এবং (চ) নিজস্ব আয় বা অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে তহবিলের অর্থ যে কোনো তপশলি ব্যাংকে কাউন্সিলের নামে জমা রাখিতে হইবে বা সরকারের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের লাভজনক ক্ষেত্রসমূহে বিনিয়োগ করা যাইবে। (৩) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল ও বিনিয়োগকৃত অর্থ পরিচালনা করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সিল কর্তৃক নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তহবিল ও বিনিয়োগকৃত অর্থ পরিচালিত হইবে। ব্যাখ্যা। -‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে। (৪) তহবিল হইতে সরকারের নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে কাউন্সিলের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪০। কাউন্সিল নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার কর্মচারী ও নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার, নিবন্ধিত প্যারাভেট এবং তাহাদের পরিবারের কল্যাণের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন এবং যৌথ বিমা পলিসি গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "কল্যাণ তহবিল গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪১। (১) কাউন্সিল নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ, সনদ প্রদান, সনদ নবায়ন বা অন্য কোনো সেবার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি আদায় করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ফিসমূহ কাউন্সিল, সময় সময়, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সিল সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে আদেশ দ্বারা উপ-ধারা (১) এ নির্ধারিত ফি আদায় করিতে পারিবে।",
"name": "ফি আদায়, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪২। এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে কাউন্সিল কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী বা ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ দায়ের ব্যতীত কোনো আদালত উক্ত অভিযোগ আমলে গ্রহণ করিবে না।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪৩। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non-Cognizable) ও জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪৪। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ",
"related_acts": "1025",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪৫। (১) কাউন্সিল, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতি অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় এবং উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহা উল্লেখ করিয়া একটি বাজেট সরকারের অনুমোদনের জন্য পেশ করিবে। (২) উক্তরূপ বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ছক ও পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪৬। (১) কাউন্সিল, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যথাযথ ভাবে উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কাউন্সিল এর নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা রিপোর্টে কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কাউন্সিল অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কাউন্সিলের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কাউন্সিল কার্য নির্বাহী কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি বা কোনো সদস্য বা যে কোনো কর্মচারী বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪৭। (১) কাউন্সিল প্রতি বৎসর ৩০ জুনের মধ্যে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত ১(এক) বৎসরের স্বীয় কার্যাবলির বিবরণ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, যে কোনো সময় কাউন্সিলের নিকট হইতে উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং কাউন্সিল উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪৮। কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার এবং কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (Public servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "11",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৪৯। কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৫০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো দেশী বা বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "চুক্তি সম্পাদন",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৫১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৫২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৫৩। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার নির্বাহী আদেশ দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে উক্ত অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দূর করিতে পারিবে।",
"name": "অস্পষ্টতা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৫৪। (১) Bangladesh Veterinary Practitioners Ordinance, 1982 (Ordinance No. XXX of 1982), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) section 3 এর অধীন গঠিত কাউন্সিল এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে যেন উক্ত কাউন্সিল এই আইনের অধীন গঠিত হইয়াছে; (খ) নিবন্ধিত সকল ভেটেরিনারি প্যাকটিশনার এই আইনের অধীন নিবন্ধিত বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) সম্পাদিত সকল কাজ বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন গৃহিত বা সূচিত হইয়াছে; (ঙ) প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে। (৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Veterinary Council এর- (ক) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি, তহবিল, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, অন্য সকল দাবি ও অধিকার, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, অতঃপর উক্ত কাউন্সিল বলিয়া উল্লিখিত, এর সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, অর্থ, দাবি ও অধিকার, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে; (খ) বিরুদ্ধে বা তদকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা উক্ত কাউন্সিলের বিরুদ্ধে বা কাউন্সিল কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) সকল কর্মচারী উক্ত কাউন্সিলের কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, তাহারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে কাউন্সিলের চাকরিতে নিয়োজিত এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন; (ঘ) রেজিস্ট্রার এই আইনের অধীন রেজিস্ট্রার হিসাবে নিয়োজিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে তিনি যে শর্তাধীনে নিয়োজিত ও কর্মরত ছিলেন উহা সরকার কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে নিয়োজিত ও কর্মরত থাকিবেন।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "629",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1293,
"details": "৫৫। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ।- (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 55
}
],
"text": "Bangladesh Veterinary Practitioners Ordinance, 1982 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, Bangladesh Veterinary Practitioners Ordinance, 1982 (Ordinance No. XXX of 1982) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজন; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1294,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 29,
"published_date": "১৮ নভেম্বর, ২০১৯",
"related_act": [
442,
1092,
1294,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1294,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1294",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে - (ক) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট; (খ) ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল; (গ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান; (ঘ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (ঙ) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (চ) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত বোর্ড; (ছ) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং (জ) ‘‘সুগারক্রপ’’ অর্থ ইক্ষু, সুগারবিট, তাল, খেজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফসল বা বৃক্ষ।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1092",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1294,
"details": "৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হইবে। (২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং ইনস্টিটিউট উহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে, এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1294,
"details": "৪। (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে থাকিবে। (২) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যালয় ও কেন্দ্র",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1294,
"details": "৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (১) জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনসমূহের সহযোগিতায় চিনি, গুড় ও সিরাপ উৎপাদন উপযোগী শর্করা সমৃদ্ধ ফসল বা বৃক্ষের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উহাদের উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণ করা; (২) চিনি, গুড়, সিরাপ ও মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রযুক্তি ও কলাকৌশল উদ্ভাবন করা; (৩) চিনি, গুড় ও সিরাপ উৎপাদন উপযোগী শর্করা সমৃদ্ধ ফসল বা বৃক্ষের ব্যবহারের কলাকৌশল সম্পর্কে গবেষণার ব্যবস্থা করা এবং উহাদের উপজাতসমূহের উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা; (৪) সুগারক্রপভিত্তিক গবেষণা, খামার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার উপর গবেষণা করা এবং উহাদের অর্থনৈতিক সুবিধা চিহ্নিত করা; (৫) বিভিন্ন ধরনের সুগারক্রপের জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করিয়া জার্মপ্লাজম ব্যাংক গড়িয়া তোলা, এবং সুগারক্রপের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ, মূল্যায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা; (৬) সুগারক্রপ গবেষণায় জীব প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ ও ক্ষতিকর পোকা-মাকড় প্রতিরোধ করা, এবং খরা, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঠাণ্ডা ও তাপসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ সহিষ্ণু সুগারক্রপের জাত ও উৎপাদন বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা; (৭) সুগারক্রপ ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে গবেষণাগার ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা; (৮) ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত সুগারক্রপের নূতন জাত ও প্রযুক্তিসমূহের প্রদর্শনীর আয়োজন করা, এবং উক্ত জাত ও প্রযুক্তিসমূহের বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্দেশ্যে এলাকা নির্ধারণ ও স্কিম গ্রহণ করা; (৯) মিষ্টি জাতীয় ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তির উপর সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, কৃষক এবং দেশি-বিদেশি গবেষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা; (১০) বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মিষ্টি জাতীয় ফসলের চিহ্নিত সমস্যাবলি সম্পর্কে মত বিনিময় করা, এবং মিষ্টি জাতীয় ফসলের সাম্প্রতিক উদ্ভাবনের সহিত সংশ্লিষ্ট সকলকে পরিচিত হইবার সুযোগ সৃষ্টি করিবার জন্য সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা; (১১) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় সুগারক্রপ গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা; (১২) ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ও উদ্ভিদ জাতের মেধাস্বত্ব নিশ্চিত করা; (১৩) সুগারক্রপের সহিত আন্তঃফসল হিসাবে উপযোগী যে কোনো ফসলের চাষাবাদ সম্পর্কিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা; (১৪) ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত মিষ্টি জাতীয় ফসলের বিভিন্ন জাতের দ্রুত বিস্তারের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্রিডারবীজ উৎপাদন ও সরবরাহ করা; (১৫) সুগারক্রপ বিষয়ে স্নাতকোত্তর, পিএইচ.ডি. এবং পোস্ট পিএইচ.ডি. পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা; (১৬) সুগারক্রপের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গবেষণায় নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে সহযোগিতা করা; (১৭) সুগারক্রপ গবেষণা ও শিক্ষা সম্প্রসারণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ করা; (১৮) সুগারক্রপ গবেষণা সংক্রান্ত মনোগ্রাফ, বুলেটিন ও শস্য পঞ্জিকাসহ ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ ফলাফল ও সুপারিশের ভিত্তিতে সাময়িকী, প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করা; (১৯) মিষ্টি জাতীয় ফসলের নীতি নির্ধারণে সরকারকে সাহায্য করা, এবং মিষ্টি জাতীয় ফসল সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ প্রদান করা; (২০) সরকার কর্তৃক, সময়ে সময়ে, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী উহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা; এবং (২১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্য যে কোনো কার্য সম্পাদন করা।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1294,
"details": "৬। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে উক্ত বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের পরিচালনা",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1294,
"details": "৭। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইনস্টিটিউট কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা, সুপারিশ বা পরামর্শ প্রতিপালন করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, ইনস্টিটিউটের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, উক্তরূপ কোনো নির্দেশনা, সুপারিশ বা পরামর্শ প্রতিপালন করা সম্ভব নহে, তাহা হইলে ইনস্টিটিউট অনতিবিলম্বে, কারণ উল্লেখপূর্বক, উহার মতামত কাউন্সিলকে অবহিত করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের অধীন ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করিয়া কাউন্সিল তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো নির্দেশনা, সুপারিশ বা পরামর্শ সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে অথবা উক্ত বিষয়ে নূতন কোনো নির্দেশনা, সুপারিশ বা পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1294,
"details": "৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) মহাপরিচালক, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;(খ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(গ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(ঘ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(ঙ) কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(চ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(ছ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অন্যূন পরিচালক অথবা সমপদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(জ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর অন্যূন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদমর্যাদার একজন বিজ্ঞানী;(ঝ) ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ, পদাধিকারবলে;(ঞ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটে কর্মরত ২(দুই) জন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী;(ট) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউট বহির্ভূত একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী;(ঠ) ইনস্টিটিউট কর্তৃক মনোনীত সুগারক্রপ চাষাবাদ সংশ্লিষ্ট কার্যে নিয়োজিত একজন কৃষক ও একজন কৃষাণী;(ড) ইনস্টিটিউটের প্রশাসন বিভাগের প্রধান, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ট) ও (ঠ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে অথবা মনোনীত কোনো সদস্যও মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "বোর্ড গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1294,
"details": "৯। বোর্ডের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) গবেষণার বিষয়বস্তু নির্ধারণ; (খ) ইনস্টিটিউটের কার্যাবলির তত্ত্বাবধান এবং দিক্নির্দেশনা প্রদান; (গ) ইনস্টিটিউটের নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান; (ঘ) ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবিত নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন;(ঙ) সরকারের নিকট হইতে অথবা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে অন্য কোনো উৎস হইতে অনুদান গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন; (চ) ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন; (ছ) সরকারের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন; (জ) ফেলোশিপ প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন; (ঝ) বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন; এবং (ঞ) প্রকল্প অনুমোদন।",
"name": "বোর্ডের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) বোর্ড প্রতি বৎসর অন্যূন ৩ (তিন) বার উহার সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) বোর্ডের সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা বোর্ডের সভা আহবান করিবেন। (৪) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে বোর্ডের উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক, তাহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন। (৫) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন অর্ধেক সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) বোর্ডের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোটাধিকার থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভার সভাপতি নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন। (৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১১। (১) ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালক থাকিবে। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। (৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী হইবেন, এবং তিনি ¾ (ক) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন; (খ) বোর্ডের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং (গ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১২। ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি দক্ষতার সহিত সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিচালক থাকিবে, এবং তাহারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১৩। (১) ইনস্টিটিউট, উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১৪। ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা :¾ (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি ও অনুদান; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে গৃহীত ঋণ; (গ) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঘ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো দেশি বা বিদেশি সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ঙ) ইনস্টিটিউটের নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং (চ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা ও ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে। ব্যাখ্যা। ¾ এই ধারায় উল্লিখিত ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (Persident’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank-কে বুঝাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১৫। ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, উহার সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে তাহাও উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১৬। (১) ইনস্টিটিউট, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রতি বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা ইনস্টিটিউটের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (Presidernt’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1) (b)-তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant দ্বারা ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউট এক বা একাধিক Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে। (৫) ইনস্টিটিউট, যথাশীঘ্র সম্ভব, নিরীক্ষা প্রতিবেদনে চিহ্নিত ত্রুটি বা অনিয়ম, যদি থাকে, প্রতিকার করিবার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।",
"name": "হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১৭। (১) প্রতি অর্থ-বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৪ (চার) মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউট উক্ত অর্থ-বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে, যে কোনো সময়, ইনস্টিটিউটের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী যাচনা করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১৮। ইনস্টিটিউট, উহার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদানের জন্য, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1294,
"details": "১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত ঋণ পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "চুক্তি সম্পাদন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২১। (১) ইনস্টিটিউট, বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে, উহার বিজ্ঞানীদের জন্য, প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে, প্রয়োজনীয় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে। (২) কোনো বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশিক্ষণ বা গবেষণার জন্য মনোনীত হইলে এবং উক্ত ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হইলে ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার সমুদয় বা অংশবিশেষ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২২। ইনস্টিটিউট, নিজস্ব জনবল দ্বারা সক্ষম না হইলে, সুগারক্রপ সম্পর্কিত উদ্ভূত কোনো সমস্যা নিরসন বা উহার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোনো প্রযুক্তি বা কৌশল উদ্ভাবনের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপদেষ্টা, পরামর্শক, গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "উপদেষ্টা, পরামর্শক, গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২৩। ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ও তৎকর্তৃক স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হইতে, কৃষিবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য ও কৃতিত্বের সহিত ডিগ্রি অর্জনকারী ব্যক্তিদের, ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্যের সহিত সম্পর্কিত বিষয়ে, দক্ষ বিজ্ঞানী, গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদ হিসাবে গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে ফেলোশিপ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ফেলোশিপ প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২৪। বোর্ড, প্রয়োজনে, উহার কোনো ক্ষমতা, লিখিত আদেশ দ্বারা ও নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, উহার কোনো সদস্য, কর্মচারী বা কোনো কমিটিকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২৫। বোর্ডের সকল সদস্য, ইনস্টিটিউটের সকল কর্মচারী, উপদেষ্টা, পরামর্শক, গবেষক ও প্রযুক্তিবিদ এবং ইনস্টিটিউটের পক্ষে কোনো কাজ করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তি Penal Code (Act No. XLV of 1860) এর section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (public servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২৭। ইনস্টিটিউট, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২৮। (১) বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উক্ত আইন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উহার অধীন ¾ (ক) কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (খ) প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারিকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত বা, ক্ষেত্রমত, বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় এমনভাবে চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রণীত বা জারি হইয়াছে। (৩) উক্ত আইন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উহার অধীন স্থাপিত বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলুপ্ত হইবে, এবং বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটের- (ক) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সকল দাবি ও অধিকার এবং সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড ও অন্যান্য দলিলাদি, যথাক্রমে, ইনস্টিটিউটের সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, সম্পত্তি, তহবিল, অর্থ, দাবি, অধিকার, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে, ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) ব্যবস্থাপনা বোর্ড ও কমিটির, যদি থাকে, কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত করা না হইলে, ইনস্টিটিউটের বোর্ড ও কমিটি হিসাবে এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন গঠিত হইয়াছে; (ঙ) মহাপরিচালক ও পরিচালকগণকে বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে অব্যাহতি প্রদান করা না হইলে, তাহারা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও পরিচালক হিসাবে স্ব-স্ব পদে এমনভাবে বহাল থাকিবেন যেন এই আইনের অধীন নিযুক্ত হইয়াছেন; (চ) প্রধান কার্যালয় বা শাখা কার্যালয়সমূহের কার্যক্রম, যে নামে ও স্থানেই স্থাপিত বা প্রতিষ্ঠিত হউক না কেন, বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, সংশ্লিষ্ট স্থানেই ইনস্টিটিউটের নামে ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় বা শাখা কার্যালয় হিসাবে এমনভাবে বহাল, কার্যকর ও অব্যাহত থাকিবে যেন উহারা এই আইনের অধীন স্থাপিত বা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে; এবং (ছ) সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইনস্টিটিউটের কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, তাহা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে ইনস্টিটিউটের চাকরিতে নিযুক্ত থাকিবেন।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1294,
"details": "২৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
}
],
"text": "বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৬ রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সুগারক্রপের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উহার উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণসহ আনুষঙ্গিক উদ্দেশ্যে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক; এবং যেহেতু বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১১ নং আইন) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1296,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থরক্ষা) আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 12,
"published_date": "১৮ নভেম্বর, ২০১৯",
"related_act": [
1296,
625,
957,
942
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1296,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থরক্ষা) আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1296",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1296,
"details": "২। বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে ¾ (১) ‘বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ’ অর্থ বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোনো জাহাজ; (২) ‘নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ’ অর্থ মহাপরিচালক, নৌপরিবহন অধিদপ্তর অথবা এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত অন্য কোনো কর্মকর্তা, সংস্থা অথবা কর্তৃপক্ষ।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1296,
"details": "৩। (১) আপাতত বলবৎ, অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে সমুদ্রপথে পরিবাহিত পণ্যের অন্যূন ৫০% পণ্য এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ কর্তৃক পরিবাহিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না, যথা :¾ (ক) এইরূপ কোনো পণ্য, যাহা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনাপত্তি সাপেক্ষে, দুই ব্যবসায়ী অংশীদারের মধ্যে কোনো পারস্পরিক সমঝোতা অনুযায়ী অন্য কোনো জাহাজ দ্বারা পরিবহণের ব্যবস্থা নেওয়া হইয়াছে; (খ) এইরূপ কোনো পণ্য, যাহার অনুকূলে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অব্যাহতি সনদ (Certificate of waiver) জারি করা হইয়াছে; (গ) এইরূপ কোনো পণ্য, যাহা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাধারণ অব্যাহতি প্রদত্ত; এবং (ঘ) এইরূপ কোনো পণ্যের পরিবহণ, যাহা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সহিত বাণিজ্য অংশীদার দেশের মধ্যে সরাসরি পরিবহণের জন্য বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ চলাচল করে না। (২) উপধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি তহবিলের অর্থে সমুদ্র পথে পরিবাহিত পণ্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো শিপিং সংস্থার মাধ্যমে পরিবহণ করিতে হইবে। (৩) উপধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন অব্যাহতি প্রাপ্তির লক্ষ্যে জাহাজ মালিক বা তাহার প্রতিনিধিকে পণ্য বোঝাই করিবার অন্যূন ১৫ (পনেরো) কার্যদিবস পূর্বে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করিতে হইবে। ব্যাখ্যা : এই ধারায় উল্লিখিত ‘‘সরকারি তহবিল’’ বলিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৪ নং আইন) এ সংজ্ঞায়িত তহবিলকে বুঝাইবে।",
"name": "সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "942",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1296,
"details": "৪। নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ হইতে অন্য কোনো দেশে বা অন্য কোনো দেশ হইতে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে অন্য কোনো দেশের পতাকাবাহী জাহাজ দ্বারা পণ্য পরিবহণের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে, যদি¾ (ক) বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ অথবা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য অংশীদার দেশের পতাকাবাহী জাহাজ পাওয়া না যায়; (খ) বাংলাদেশের অথবা উক্ত দেশের পতাকাবাহী জাহাজ দ্বারা কোনো কারণে পণ্য পরিবহণ করা সম্ভব না হয়।",
"name": "অন্য কোনো দেশের পতাকাবাহী জাহাজ কর্তৃক পণ্য পরিবহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1296,
"details": "৫। বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ নহে এইরূপ কোনো বিদেশি জাহাজ দ্বারা উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণ করা যাইবে না : তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত অব্যাহতি সনদপ্রাপ্ত জাহাজের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "বিদেশি জাহাজ দ্বারা উপকূলীয় অঞ্চলে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1296,
"details": "৬। বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ মালিকগণ তাহাদের জাহাজের বিস্তারিত বিবরণী সংক্রান্ত অসত্য তথ্য পরিবেশন করিয়া নির্ধারিত কর্তৃপক্ষকে পণ্য পরিবহণের জন্য বিদেশি জাহাজের পক্ষে বা বিপক্ষে অব্যাহতি সনদ প্রদানের জন্য সুযোগ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিতে পারিবেন না।",
"name": "অসত্য তথ্য প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1296,
"details": "৭। (১) কোনো জাহাজ ধারা ৩ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো পণ্য পরিবহণ করিলে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উক্ত জাহাজের মালিক অথবা ভাড়াকারীর উপর উক্ত পণ্য পরিবহণের ভাড়ার অধিক নহে এইরূপ পরিমাণ অর্থ প্রশাসনিক জরিমানা হিসাবে আরোপ করিতে পারিবে। (২) এই আইনের অন্যান্য বিধান লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ অন্যূন পাঁচ লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1296,
"details": "৮। (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ৭ এর অধীন প্রদত্ত জরিমানার আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত আদেশ প্রাপ্তির ৩০(ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন। (২) সরকার আপিল আবেদন প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে ইহা নিষ্পত্তি করিবে এবং এই ক্ষেত্রে সরকারের আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1296,
"details": "৯। (১) এই আইনের অধীন কোনো বিধান কোনো কোম্পানি কর্তৃক লঙ্ঘিত হইলে উক্তরূপ লঙ্ঘনের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত লঙ্ঘন তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। ব্যাখ্যা।¾ এই ধারায়¾ (ক) ‘‘কোম্পানি’’ বলিতে কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি বা এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং (খ) ‘‘পরিচালক’’ বলিতে উহার কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত সত্ত্বা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত পদবির ব্যক্তিসহ উক্ত কোম্পানির উপর পৃথকভাবে এই কার্য-ধারায় প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাইবে।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক বিধান লঙ্ঘন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1296,
"details": "১০। সরকার এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1296,
"details": "১১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে Bangladesh Flag Vessels (Protection) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XIV of 1982), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত হইবে। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Ordinance এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি অথবা জারিকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি অথবা প্রজ্ঞাপন এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, বলবৎ থাকিবে। (৩) এই আইনের অধীন গৃহীত কোনো কার্যধারা চলমান থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পত্তি হইবে যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "625",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1296,
"details": "১২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) ইংরেজি পাঠ এবং মূল বাংলা পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
}
],
"text": "Bangladesh Flag Vessels (Protection) Ordinance, 1982 রহিতক্রমে উহারবিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ৩ক, ১৮ ও ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯ ও সিভিল আপিল নং-৪৮/২০১১ তে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে সামগ্রিকভাবে অননুমোদনপূর্বক (total disapproval of Martial law) উহাদের বৈধতা প্রদানকারী, যথাক্রমে, সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১নং আইন) এবং সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৬ ও ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Bangladesh Flag Vessels (Protection) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XIV of 1982) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1297,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) আইন, ২০১৯",
"num_of_sections": 21,
"published_date": "১৮ নভেম্বর, ২০১৯",
"related_act": [
1297,
442,
1126,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1297,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1297",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1297,
"details": "২। বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘কমিটি’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে গঠিত কমিটি অথবা কমিটিসমূহ; (২) ‘কেন্দ্র’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক); (৩) ‘চেয়ারম্যান’ অর্থ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান; (৪) ‘পরিচালনা পর্ষদ’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ; (৫) ‘প্রবিধান’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৬) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; এবং (৭) ‘মহাপরিচালক’ অর্থ কেন্দ্রের মহাপরিচালক।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1297,
"details": "৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ২৬-০৫-১৯৬২ তারিখের Resolution No. C & P-9 (11)/62 দ্বারা প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Industrial Technical Assistance Center বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) Bangladesh Industrial Technical Assistance Center (BITAC) নামে অভিহিত হইবে এবং এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত। (২) কেন্দ্র একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "কেন্দ্র প্রতিষ্ঠ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1297,
"details": "৪। (১) কেন্দ্রের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে। (২) কেন্দ্র, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে-কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "কেন্দ্রের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1297,
"details": "৫। কেন্দ্রের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প কারখানার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি; (খ) কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি শিল্পে নিয়োজিত অথবা শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দক্ষতার মানোন্নয়ন; (গ) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র ছাত্রীদের শিল্প প্রতিষ্ঠান উপযোগী করিয়া গড়িয়া তুলিবার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা প্রদান;(ঘ) দেশি ও বিদেশি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত কারিগরি সহযোগিতার আওতায় উদ্যোক্ত তৈরি এবং দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন; (ঙ) প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তাহাদের প্রশিক্ষণ প্রদান; ব্যাখ্যা।- এই দফায় ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ৩ এ অন্তর্ভুক্ত এবং ধারা ৩১ এর অধীন নিবন্ধিত কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি; (চ) গবেষণার দ্বারা উন্নতমানের পণ্য অথবা প্রযুক্তি উদ্ভাবনপূর্বক হস্তান্তর; (ছ) খুচরা যন্ত্র অথবা যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামতপূর্বক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন; (জ) প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, যন্ত্র অথবা যন্ত্রাংশের টেস্টিং ফ্যাসিলিটি, ইত্যাদি কার্যক্রমের সাহায্যে সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সার্বিক সহায়তা প্রদান; (ঝ) সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন ও দেশীয় কাঁচামালের সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান; (ঞ) সেমিনার, দলবদ্ধ আলোচনা, প্রকাশনা, প্রদর্শনী, শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও অনুরূপ কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি সকল উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিশেষ করিয়া নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের প্রসার ঘটানো; এবং (ট) কারিগরি ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি সংস্থার সহিত প্রশিক্ষণ, গবেষণা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, যন্ত্রপাতি পরীক্ষা ও কারিগরি পরামর্শ বিষয়ক কার্যে যৌথ কারিগরি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন; এবং(ঠ) দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে কেন্দ্র প্রদত্ত প্রশিক্ষণের স্বীকৃতি অর্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ।",
"name": "কার্যাবলি",
"related_acts": "1126",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1297,
"details": "৬। (১) কেন্দ্রের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কেন্দ্র যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, পরিচালনা পর্ষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে। (২) পরিচালনা পর্ষদ উহার দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি, প্রবিধান ও সরকার কর্তৃক সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1297,
"details": "৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কেন্দ্রের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকিবে এবং উক্ত পরিচালনা পর্ষদ নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :- (ক) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) অতিরিক্ত সচিব অথবা যুগ্মসচিব (বিটাক উইং), শিল্প মন্ত্রণালয়; (গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঘ) মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর; (ঙ) মহাপরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর; (চ) মহাপরিচালক, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো; (ছ) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উক্ত কর্তৃপক্ষের ১ (এক) জন সদস্য; (জ) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উক্ত কর্তৃপক্ষের ১ (এক) জন নির্বাহী সদস্য; (ঝ) সভাপতি, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশন; (ঞ) সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি; এবং (ট) কেন্দ্রের মহাপরিচালক, যিনি উহার সদস্য সচিবও হইবেন।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদ গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1297,
"details": "৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানসাপেক্ষে, পরিচালনা পর্ষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) পরিচালনা পর্ষদের সভা, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) সভাপতিসহ অন্যূন পরিচালনা পর্ষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৫) পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে। (৬) প্রত্যেক ইংরেজি পঞ্জিকা বৎসরে পরিচালনা পর্ষদের অন্যূন দুইটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৭) কোনো সদস্য পদে কেবল শূন্যতা অথবা পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিচালনা পর্ষদের কার্য অথবা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1297,
"details": "৯। পরিচালনা পর্ষদ উহার কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে, প্রয়োজনে, এক অথবা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১০। (১) কেন্দ্রের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন, যিনি সরকারের অতিরিক্ত সচিবগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন। (২) মহাপরিচালক কেন্দ্রের সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন এবং কেন্দ্রের সুষ্ঠু প্রশাসনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৩) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা, বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্যপদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১১। মহাপরিচালক নিম্নরূপ কার্যসমূহ সম্পাদন করিবেন, যথা :― (ক) পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন; (খ) সরকার অনুমোদিত বাজেট হইতে আর্থিক বিধি বিধান অনুযায়ী সংস্থার ব্যয় নির্বাহ; (গ) প্রধান কার্যালয় এবং আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহে গৃহীত কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন; (ঘ) পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সময় সময় অর্পিত ক্ষমতাসমূহ প্রয়োগ; (ঙ) কমিটির সুপারিশ এবং পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে সকল কর্মচারীর নিয়োগ, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং (চ) পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত যে-কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান অথবা সমিতির সহিত কেন্দ্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যে-কোনো কার্য সম্পর্কিত চুক্তি সম্পাদন ও নবায়নে কেন্দ্রের পক্ষে স্বাক্ষর প্রদান।",
"name": "মহাপরিচালকের দায়িত্ব ও ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১২। (১) কেন্দ্র উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো-অনুযায়ী এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত সাধারণ ও বিশেষ নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কেন্দ্রের কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১৩। (১) কেন্দ্রের জন্য একটি তহবিল থাকিবে এবং নিম্নরূপ উৎস হইতে তহবিলে অর্থ জমা হইবে, যথা :― (ক) সরকারি অনুদান; (খ) প্রশিক্ষণ ফি, খুচরা যন্ত্রাংশ প্রস্তুত বাবদ প্রাপ্ত অর্থ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ; (গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার, সংস্থা অথবা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ঘ) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; (ঙ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো উৎস হইতে গৃহীত ঋণ; এবং (চ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা বা অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) কেন্দ্রের তহবিলের সকল অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে কেন্দ্রের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং সরকারের প্রচলিত বিধি-বিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে। ব্যাখ্যা।―এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) (এর) Article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত কোনো ‘‘Scheduled Bank”। (৩) তহবিলের অর্থ হইতে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে কেন্দ্রের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে। (৪) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো খাতে তহবিল বা উহার অংশ বিশেষ বিনিয়োগ করা যাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১৪। কেন্দ্র, প্রতিবৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থবৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থবৎসরে সরকারের নিকট হইতে কেন্দ্রের জন্য কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১৫। (১) কেন্দ্র, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে প্রতি বৎসর তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণসংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, যে-কোনো সময়, কেন্দ্রের নিকট হইতে উহার যে-কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন অথবা বিবরণী আহবান",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১৬। (১) কেন্দ্র যথাযথভাবে উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্রসহ বার্ষিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং এইরূপ হিসাব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক, সময়ে সময়ে, প্রদত্ত সাধারণ নির্দেশনা পালন করিবে। (২) বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি বৎসর কেন্দ্রের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরকার ও কেন্দ্রের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কেন্দ্র অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) এ সংজ্ঞায়িত কোনো \"chartered accountant\" দ্বারা কেন্দ্রের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কেন্দ্র এক বা একাধিক \"chartered accountant\" নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত \"chartered accountant\" সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত হারে পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন। (৫) কেন্দ্রের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত chartered accountant কেন্দ্রের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য বা কেন্দ্রের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাব ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১৭। মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে এবং তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা কেন্দ্রের ৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1297,
"details": "১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কেন্দ্র, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন অথবা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1297,
"details": "২০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, ২৬-০৫-১৯৬২ তারিখের Resolution No. C & P-9 (11)/62 এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Resolution এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কার্য অথবা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত অথবা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (খ) প্রণীত কোনো উপ-আইন (bye-law), জারিকৃত প্রজ্ঞাপন, আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ, গৃহীত সকল পরিকল্পনা অথবা কার্যক্রম, অনুমোদিত সকল বাজেট এবং কৃত সকল কার্যক্রম উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে এবং এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারিকৃত, প্রদত্ত, অনুমোদিত এবং কৃত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা এই আইনের অধীন রহিত অথবা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে। (৩) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, উক্ত Resolution দ্বারা গঠিত Bangladesh Industrial Technical Assistance Center এর- (ক) সকল ঋণ ও দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রের ঋণ ও দায়-দায়িত্ব বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) বিরুদ্ধে অথবা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কার্যধারা অথবা সূচিত যে-কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এমনভাবে চলমান থাকিবে ও নিষ্পন্ন হইবে, যেন উহা এই আইনের অধীন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অথবা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত, গৃহীত অথবা সূচিত হইয়াছে; (গ) সকল চুক্তি ও দলিল, যাহাতে উহা পক্ষ ছিল, কেন্দ্রের অনুকূলে অথবা বিরুদ্ধে এমন ভাবে বলবৎ ও কার্যকর থাকিবে, যেন কেন্দ্র উহাতে পক্ষ ছিল; (ঘ) কর্মচারীগণ যে নিয়ম ও শর্তে উহাতে কর্মরত ছিলেন, পরিবর্তিত অথবা পুনরাদেশ প্রদান না করা পর্যন্ত, সেই একই নিয়ম ও শর্তে কেন্দ্রের কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন; এবং (ঙ) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, ফি, তহবিল এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ অর্থ, ব্যাংক জমা ও আমানতসহ তহবিল এবং এইরূপ বিষয় সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত অথবা বিষয় সম্পত্তি হইতে উদ্ভূত অন্যান্য যাবতীয় অধিকার ও স্বার্থ এবং সকল হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং এইসব সংক্রান্ত অন্যান্য সকল দলিল-দস্তাবেজ কেন্দ্রে হস্তান্তরিত এবং কেন্দ্র উহার অধিকারী হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1297,
"details": "২১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) ইংরেজি পাঠ ও মূল-বাংলা পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
}
],
"text": "কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি, গবেষণার দ্বারা শিল্প ক্ষেত্রে উদ্ভাবন, যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামতপূর্বক শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি এবং এতদ্সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি, গবেষণার দ্বারা শিল্প ক্ষেত্রে উদ্ভাবন, যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামতপূর্বক শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি এবং এতদ্সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1298,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 21,
"published_date": "১২ ফ্রেব্রুয়ারি,২০২০",
"related_act": [
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1298,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1298,
"details": "২। বিষয় বা পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (১) ‘‘দেশীয় খেলাধুলা’’ অর্থ এই আইনের তপশিলে বর্ণিত খেলাসমূহ; (২) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৩) ‘‘প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি); (৪) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৫) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড; এবং (৬) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1298,
"details": "৩। (১) Bangladesh Krira Shikkha Protishthan, Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVIII of 1983) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Krira Shikkha Protishthan, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) (Bangladesh Krira Shikkha Protishthan) (BKSP) নামে অভিহিত হইবে এবং উহা এমনভাবে বহাল থাকিবে, যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) প্রতিষ্ঠান একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে, এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠানের স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1298,
"details": "৪। (১) প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় অবস্থিত হইবে। (২) প্রতিষ্ঠান, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1298,
"details": "৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (১) নির্ধারিত বয়সসীমার বালক-বালিকাদের মধ্য হইতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণ করা এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণি পর্যন্ত ক্রীড়া ও সাধারণ শিক্ষার সুযোগসহ ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাহাদের বিজ্ঞানভিত্তিক নিবিড় প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি এবং পর্যাপ্ত সুবিধা প্রদান; (২) উন্নতমানের ক্রীড়াবিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি এবং আম্পায়ার তৈরির উদ্দেশ্যে সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি এবং আম্পায়ারগণের প্রশিক্ষণ প্রদান; (৩) ক্রীড়াবিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি ও আম্পায়ারগণের কলাকৌশলগত দক্ষতা উন্নয়নকল্পে সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা; (৪) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসাবে জাতীয় দলের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান; (৫) অটিস্টিকসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিবন্ধী অর্থাৎ শারীরিক, মানসিক, দৃষ্টি ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলার জন্য পৃথক ইউনিট গঠন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের সহিত সমন্বয়ক্রমে তাহাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন; (৬) বিভিন্ন দেশীয় খেলাধুলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন; (৭) ক্রীড়া সম্পর্কিত তথ্যকেন্দ্র হিসাবে কার্য সম্পাদন ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা; (৮) ক্রীড়া সম্পর্কিত পুস্তক, সাময়িকী, বুলেটিন এবং হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ ও সংরক্ষণ; (৯) দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়; (১০) দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন ও কার্যাবলির সমন্বয় সাধন; (১১) ক্রীড়া উন্নয়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান; (১২) প্রতিবেশ ও পরিবেশবান্ধব ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন; এবং (১৩) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা সাপেক্ষে, উহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন এবং প্রয়োজনীয় অন্য যেকোনো কার্য সম্পাদন।",
"name": "প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1298,
"details": "৬। প্রতিষ্ঠানের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং প্রতিষ্ঠান যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1298,
"details": "৭। (১) প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ড নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) মন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যদি থাকেন, যিনি বা যাহারা বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন; (গ) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; (ঘ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; (ঙ) সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; (চ) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; (ছ) সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; (জ) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অন্যূন যুগ্মসচিব; (ঝ) কমিশনার, ঢাকা বিভাগ; (ঞ) পরিচালক, ক্রীড়া পরিদপ্তর; (ট) সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ; (ঠ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন একজন প্রতিনিধি; (ড) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মনোনীত উহার অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন একজন প্রতিনিধি; (ঢ) ক্যাডেট কলেজসমূহের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান; (ণ) চেয়ারম্যান, আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ড; (ত) মহাসচিব, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন; (থ) সভাপতি, জাতীয় মহিলা ক্রীড়া পরিষদ; (দ) সরকার কর্তৃক মনোনীত তিনজন খ্যাতনামা ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ, যাহাদের মধ্যে একজন নারী হইবেন এবং মনোনয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর সাবেক ক্রীড়াবিদগণ অগ্রাধিকার পাইবেন; (ধ) মহাপরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) ও (খ)-এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মন্ত্রী না থাকিলে এবং প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকিলে প্রতিমন্ত্রী চেয়ারম্যান ও উপমন্ত্রী ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী না থাকিলে, উপমন্ত্রী চেয়ারম্যান হইবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (দ) এ উল্লিখিত মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার, যেকোনো সময়, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে বা মনোনীত কোনো সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "পরিচালনা বোর্ড গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1298,
"details": "৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) প্রতি ৬ (ছয়) মাসে বোর্ডের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) বোর্ডের সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা, বোর্ড সভা আহবান করিবেন। (৪) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ভাইস-চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে, চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) বোর্ড সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৬) বোর্ডের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে উক্ত সভার সভাপতির একটি নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৭) বোর্ড উহার কোনো সভায় কোনো আলোচ্য বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম এইরূপ যেকোনো বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শককে আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবে এবং উক্ত ব্যক্তি সভার আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে ভোট প্রদানের কোনো ক্ষমতা তাহার থাকিবে না। (৮) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "বোর্ডের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1298,
"details": "৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ডের ক্ষমতা হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও অন্য সকল কার্যক্রমের বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ; (খ) প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পদ সংগ্রহ ও সম্পদের ব্যবহারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান; এবং (গ) এই আইনে বর্ণিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন।",
"name": "বোর্ডের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১০। (১) প্রতিষ্ঠানের একজন মহাপরিচালক থাকিবে। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) মহাপরিচালক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হইবেন, এবং তিনি- (ক) প্রতিষ্ঠানের সাধারণ কার্যাদি ও তহবিল পরিচালনা করিবেন; (খ) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন; (গ) বোর্ডের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং (ঘ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, তাহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা, বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্যপদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১১। (১) প্রতিষ্ঠান উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীগণের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১২। বোর্ড উহার কার্যাবলি পরিচালনায় সহযোগিতা করিতে যেরূপ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন বিবেচনা করিবে, সেইরূপ কমিটি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১৩। বোর্ড লিখিতভাবে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত পরিস্থিতি ও শর্তে, যদি থাকে, উহার কোনো ক্ষমতা বোর্ডের চেয়াম্যান বা অন্য কোনো সদস্য বা প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১৪। (১) প্রতিষ্ঠানের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নরূপ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:- (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি ও অনুদান; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, স্থানীয় সংস্থা বা কোনো বিদেশি সরকার বা সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা ঋণ; (গ) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত দান বা অনুদান; (ঘ) প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়; এবং (ঙ) অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের সকল অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানের নামে জমা রাখিতে হইবে। ব্যাখ্যা।- উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. 127 of 1972 এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank। (৩) সরকারের নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে প্রতিষ্ঠানের তহবিল পরিচালিত হইবে এবং তহবিলের অর্থ হইতে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১৫। প্রতিষ্ঠান প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে প্রতিষ্ঠানের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১৬। (১) প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়-ব্যয় বিবরণী ও স্থিতিপত্র প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রতি অর্থ বৎসর প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১৭। প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠান উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1298,
"details": "১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিষ্ঠান, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসাঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1298,
"details": "২০। (১) Bangladesh Krira Shikkha Protishthan Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVIII of 1983), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট প্রাক্কলন, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারীকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত বা জারি করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং (গ) কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন করিতে হইবে, যেন উক্ত Ordinance টি রহিত হয় নাই। (৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Krira Shikkha Protishthan এর- (ক) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, সকল দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে প্রতিষ্ঠানের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; (ঘ) সকল কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, তাহারা সেই একই শর্তে প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে নিয়োজিত এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1298,
"details": "২১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
}
],
"text": "Bangladesh Krira Shikkha Protishthan Ordinance, 1983 রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধনের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উল্লিখিত সিদ্ধান্তের আলোকে Bangladesh Krira Shikkha Protishthan Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVIII of 1983) রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল : -"
} |
{
"id": 1299,
"lower_text": [],
"name": "স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 9,
"published_date": "১২ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২০",
"related_act": [
1299
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1299,
"details": "১। (১) এই আইন স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1299",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1299,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের তপশিল; এবং (খ) ‘‘উদ্বৃত্ত অর্থ’’ অর্থ তপশিলভুক্ত কোনো সংস্থার বাৎসরিক পরিচালনা ব্যয়, নিজস্ব অর্থায়নে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাৎসরিক ব্যয় এবং বাৎসরিক পরিচালন ব্যয়ের ২৫ (পঁচিশ) শতাংশের অতিরিক্ত অর্থ।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1299,
"details": "৩। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তপশিলভুক্ত সংস্থাসমূহের তহবিলে রক্ষিত উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে। (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, তপশিলভুক্ত সংস্থাসমূহের তহবিলে রক্ষিত উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের ক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা আইনের বিধান যদি এই আইনের বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহা হইলে সেই আইন বা আইনের বিধান যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি অকার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান সত্ত্বেও তপশিলভুক্ত কোনো সংস্থা এই আইনের কোনো বিধানকে ব্যাহত করিবার উদ্দেশ্যে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিলে উহা অকার্যকর মর্মে গণ্য হইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1299,
"details": "৪। (১) ধারা ৫ এর বিধান সাপেক্ষে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তপশিলভুক্ত কোনো সংস্থা উহার পরিচালনা ব্যয় এবং নিজস্ব অর্থায়নে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাৎসরিক ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ নিজস্ব তহবিলে জমা রাখিতে পারিবে। (২) তপশিলভুক্ত কোনো সংস্থা আপৎকালীন ব্যয় নির্বাহের জন্য যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ অর্থ, যাহা বাৎসরিক পরিচালন ব্যয়ের সর্বোচ্চ ২৫ (পঁচিশ) শতাংশের সমপরিমাণ, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অর্থের অতিরিক্ত হিসাবে পৃথকভাবে সংরক্ষণ করিতে পারিবে। (৩) তপশিলভুক্ত কোনো সংস্থার পেনশন ও ভবিষ্য তহবিল থাকিলে উহা পৃথকভাবে পরিচালনা করা যাইবে। (৪) তপশিলভুক্ত সংস্থাসমূহে বাজেট বরাদ্দ হইতে প্রদত্ত অনুদান সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদান করা হইবে।",
"name": "তহবিল ব্যবস্থাপনা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1299,
"details": "৫। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তপশিলভুক্ত কোনো সংস্থা কর্তৃক- (ক) এই আইন প্রবর্তনের পর ধারা ৪ এ উল্লিখিত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ অবিলম্বে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে হইবে; এবং (খ) প্রতি অর্থবৎসর সমাপ্ত হইবার তিন মাসের মধ্যে ঐ অর্থবৎসরের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ জমা প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1299,
"details": "৬। তপশিলভুক্ত কোনো সংস্থা তহবিলে রক্ষিত অর্থ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান না করিলে, সরকার উক্ত সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "তহবিল সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান এবং ব্যত্যয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1299,
"details": "৭। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1299,
"details": "৮। এই আইনের কোনো বিধানের অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, সরকার অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1299,
"details": "৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি, আদেশ ও নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি, আদেশ, নির্দেশনা, সার্কুলার জারির ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
}
],
"text": "সময়াবদ্ধ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং তাহাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের তহবিলে জমাকৃত উদ্বৃত্ত অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহারের নিমিত্ত বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের তহবিল উহাদের নিজস্ব আইন, আইনের মর্যাদা সম্পন্ন দলিল ও বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত হইয়া থাকে; এবং যেহেতু উক্তরূপ সংস্থাসমূহ নিজস্ব তহবিল হইতে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের পরও উহাদের তহবিলে বিপুল পরিমাণ অথ উদ্বৃত্ত থাকে; এবং যেহেতু সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে ব্যাপকভিত্তিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকার কর্তৃক গৃহীত ও গৃহীতব্য উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সময়াবদ্ধভাবে বাস্তবায়নের উপর উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জন করা নির্ভরশীল; এবং যেহেতু উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের সংস্থার প্রয়োজন; এবং যেহেতু উপরি-বর্ণিত সংস্থাসমূহের তহবিলে রক্ষিত উদ্বৃত্ত অর্থের মালিকানা প্রকৃতপক্ষে জনগণের এবং সেই কারণে উক্ত অর্থ জনগণের কল্যাণ সাধনে ব্যবহার করা সমীচীন; এবং যেহেতু উক্তরূপ সংস্থাসমূহের তহবিলে রক্ষিত উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিবার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল : -"
} |
{
"id": 1300,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 29,
"published_date": "১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০",
"related_act": [
11,
314,
1262,
1300,
788,
442
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1300,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1300",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) “কর্পোরেশন” অর্থ এই আইনের ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি); (খ) ‘‘কমিটি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন গঠিত কোনো কমিটি; (গ) “কর্মচারী” অর্থ কর্পোরেশনের কর্মচারী; (ঘ) ‘‘কোম্পানি’’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর অধীন নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি; (ঙ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান; (চ) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ কর্পোরেশনের পরিচালক; (ছ) ‘‘পরিচালনা পর্ষদ” অর্থ এই আইনের ধারা ৭ এর অধীন গঠিত কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদ; (জ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (ঝ) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (ঞ) ‘‘রুট’’ অর্থ সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ এ বর্ণিত রুট; (ট) ‘‘সদস্য’’ অর্থ পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য; (ঠ) ‘‘সদস্য-সচিব’’ অর্থ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য-সচিব; এবং (ড) ‘‘সড়ক পরিবহণ সেবা’’ অর্থ কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে সড়ক পথে মোটরযান দ্বারা যাত্রী বা পণ্য পরিবহণ।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "788,1262",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1300,
"details": "৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Road Transport Corporation Ordinance, 1961 (East Pakistan Ordinance No. VII of 1961) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত The Bangladesh Road Transport Corporation, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি) নামে অভিহিত হইবে এবং উহা এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) কর্পোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার এবং চুক্তি সম্পাদন করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "314",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1300,
"details": "৪। (১) কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) কর্পোরেশন, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে এবং বিদেশে ইহার অধঃস্তন অফিস বা ইউনিট, প্রশিক্ষণ ইউনিট বা কেন্দ্র, মেরামত কারখানা বা ডিপো স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রধান কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1300,
"details": "৫। কর্পোরেশনের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ- (ক) যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ সেবা প্রদান করা; (খ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ সেবা প্রদান করা; (গ) প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ইউনিট বা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করা; (ঘ) প্রয়োজন অনুযায়ী যানবাহন মেরামত কারখানা স্থাপন ও পরিচালনা করা; (ঙ) দেশে ও বিদেশে যাত্রী ও পণ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস ও ট্রাক সংগ্রহ করা; (চ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যেকোনো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও দখলে রাখা বা ব্যবহার বা হস্তান্তর করা; (ছ) পরিবহণ সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে টার্মিনাল, ডিপো, যাত্রী ছাউনি বা অন্য কোনো সুবিধা সৃষ্টি করা; (জ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক যাত্রী ও পণ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিদেশে কার্যালয় বা টার্মিনাল, ডিপো, যাত্রী ছাউনি বা অন্য কোনো সুবিধা সৃষ্টি করা; (ঝ) মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা লাভজনক নহে এইরূপ বাস বা ট্রাক দীর্ঘ মেয়াদে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ইজারায় পরিচালনা করা; (ঞ) সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে ইজারায় যাত্রীবাহী বাস বা পণ্যবাহী ট্রাক পরিচালনা করা; (ট) কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা; (ঠ) সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা করা; (ড) বিশেষ পরিস্থিতি, যেমন- হরতাল, পরিবহণ ধর্মঘট, জরুরি অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন, বিশ্ব ইজতেমা, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং অনুরূপ কোনো পরিস্থিতিতে বিশেষ সড়ক পরিবহণ সেবা প্রদান করা; (ঢ) কর্পোরেশনের গাড়ি সম্ভার, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, প্লান্ট, সরঞ্জাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত, ক্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা; (ণ) কর্পোরেশনের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পাদন করা; (ত) কর্পোরেশনের কার্যাবলি সম্পাদনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের মালামাল মজুদ করা; এবং (থ) সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্য যেকোনো কার্য সম্পাদন করা।",
"name": "কর্পোরেশনের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1300,
"details": "৬। (১) কর্পোরেশনের পরিচালনা, প্রশাসন এবং অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদনের দায়িত্ব পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে। (২) পরিচালনা পর্ষদ, জনস্বার্থে, বাণিজ্যিক বিবেচনায় উহার দায়িত্ব পালন করিবে এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে। (৩) পরিচালনা পর্ষদ, সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান কর্পোরেশনের সকল ক্ষমতা, কার্য ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1300,
"details": "৭। (১) কর্পোরেশনের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকিবে। (২) পরিচালনা পর্ষদ নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:- (ক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব; (গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব; (ঘ) স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব; (ঙ) সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব; (চ) জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব; (ছ) নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অন্যূন উপসচিব;(জ) ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক কর্তৃক মনোনীত উক্ত কর্তৃপক্ষের একজন পরিচালক;(ঝ) সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কর্তৃক মনোনীত উক্ত অধিদপ্তরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী; (ঞ) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উক্ত কর্তৃপক্ষের একজন পরিচালক; (ট) কর্পোরেশনের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব); (ঠ) কর্পোরেশনের পরিচালক (কারিগরি);(ড) দেশের প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন করিয়া বেসরকারি সদস্য, তন্মধ্যে অন্যূন ৩ (তিন) জন মহিলা সদস্য হইবেন;(ঢ) উপ-ধারা (৩) এর অধীন শেয়ারহোল্ডারগণের পক্ষ হইতে নির্বাচিত পরিচালক বা পরিচালকবৃন্দ; এবং(ণ) কর্পোরেশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অপারেশন), যিনি সদস্য-সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন। (৩) কর্পোরেশনের শেয়ার জনসাধারণের নিকট বিক্রয় করা হইলে পরিশোধিত মূলধনের আনুপাতিক হারে পরিচালক নির্বাচিত হইবে এবং শেয়ারহোল্ডারগণ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিম্নরূপ শর্ত সাপেক্ষে পরিচালক নির্বাচন করিতে পারিবেন, যথা:- জনসাধারণের শেয়ারের পরিমাণ মোট পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণের- (ক) ২০% এর ঊর্ধ্ব হইতে ৩৪% পর্যন্ত হইলে, ১ (এক) জন পরিচালক; এবং (খ) ৩৪% এর ঊর্ধ্ব হইতে ৪৯% পর্যন্ত হইলে, ২ (দুই) জন পরিচালক। (৪) উপ-ধারা (২) এর দফা (ড) এবং (ঢ) এ ঊল্লিখিত সদস্যগণ মনোনীত বা নির্বাচিত হইবার তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদ গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1300,
"details": "৮। (১) প্রতি বৎসরে পরিচালনা পর্ষদের অন্যূন ৪ (চার)টি সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (২) চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে এতদুদ্দেশ্যে কোনো মনোনয়ন না থাকিলে, উপস্থিত সদস্যবৃন্দ কর্তৃক নির্বাচিত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৩) পরিচালনা পর্ষদের সভার কোরাম গঠনের জন্য চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক বিভাগ বা অর্থ বিভাগের সদস্যসহ অন্যূন ৭ (সাত) জন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে: তবে থাকে যে, কোনো মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৪) চেয়ারম্যান কর্তৃক জরুরি বলিয়া প্রত্যয়িত সভা ব্যতিরেকে সকল সভা অনুষ্ঠানের জন্য সদস্য-সচিব কর্তৃক অন্যূন ৭ (সাত) দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করিতে হইবে। (৫) প্রতিটি সভায় চেয়ারম্যানসহ প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে। (৬) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নহে অথচ সভার আলোচ্য বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা বা অভিজ্ঞতা রহিয়াছে এমন কোনো ব্যক্তি পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক আমন্ত্রিত হইলে, তিনি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত থাকিবেন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করিবার অধিকারী হইবেন, তবে তাহার কোনো ভোটাধিকার থাকিবে না। (৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিচালনা পর্ষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1300,
"details": "৯। পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অর্পিত কার্যাবলি সম্পাদন বা সম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য, পরিচালনা পর্ষদ, প্রয়োজনে, সময় সময়, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১০। (১) কর্পোরেশনের একজন চেয়ারম্যান থাকিবে। (২) চেয়ারম্যান প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত অসামরিক কর্মচারীদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন। (৩) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে উক্ত শূন্যপদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, বা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো সরকারি কর্মচারী চেয়ারম্যান হিসাবে পালন করিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যান",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১১। চেয়ারম্যান কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি- (ক) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুসারে কর্পোরেশন পরিচালনার দায়িত্বে থাকিবেন; (খ) পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন; (গ) পরিচালনা পর্ষদের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিবেন; (ঘ) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুসারে যেসকল বিষয় সরকারের গোচরীভূত করা প্রয়োজন, সেই সকল বিষয় লিখিতভাবে সরকারের গোচরে আনিয়া সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন; (ঙ) কর্পোরেশনের সংস্থাপন এবং প্রশাসন সম্পর্কিত যাবতীয় কার্য সম্পাদন করিবেন; এবং (চ) তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে যে কোনো সংকট উত্তরণে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও কর্তব্য",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১২। (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ৭ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ড) ও (ঢ) এ উল্লিখিত সদস্য পদের জন্য উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবেন না বা উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না, যদি তিনি- (ক) বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়্স্ক নাগরিক না হন; (খ) দেউলিয়া ঘোষিত হন বা ইতঃপূর্বে কোনো সময়ে দেউলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকেন এবং দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করেন; (গ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক উন্মাদ বা অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন; (ঘ) নৈতিক স্খলনজনিত বা ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন; (ঙ) চাকুরির জন্য অযোগ্য হইয়াছেন বা অযোগ্য বলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন বা চাকুরিচ্যুত হইয়াছেন; (চ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ঋণ খেলাপি বলিয়া ঘোষিত হন; এবং (ছ) কর্পোরেশনের তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করেন। (২) সরকার যে কোনো সদস্যকে, লিখিতভাবে আদেশ প্রদান করিয়া, অপসারণ করিতে পারিবে, যদি তিনি- (ক) এই আইনের অধীন স্বীয় দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন বা অপারগ হন বা সরকারের বিবেচনায় স্বীয় দায়িত্ব পালন করিতে অক্ষম হন; (খ) সরকারের বিবেচনায় সদস্য হিসাবে তাহার পদের অমর্যাদা করেন; (গ) কর্পোরেশনের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে তিনি বা তাহার পরিবারের কোনো সদস্য বা পোষ্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকেন; এবং (ঘ) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন ব্যতিরেকে পরিচালনা পর্ষদের পরপর ৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন।",
"name": "সদস্যগণের অযোগ্যতা, অপসারণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১৩। (১) কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ হইবে ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকা, যাহা প্রতিটি ১০ (দশ) টাকা অভিহিত মূল্যের ১০০ (একশত) কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত হইবে। (২) বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন বৃদ্ধি করা যাইবে। (৩) কর্পোরেশনের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভার মাধ্যমে নির্ধারিত হইবে যাহা কোনোভাবেই অনুমোদিত মূলধনের অধিক হইবে না। (৪) বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে কর্পোরেশনের পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করা যাইবে। (৫) কর্পোরেশনের পরিশোধিত মূলধনের শেয়ারের মধ্যে অন্যূন ৫১% শেয়ার সরকারের মালিকানাধীন থাকিবে এবং অবশিষ্ট ৪৯% শেয়ার পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ও সরকারের অনুমোদনক্রমে জনসাধারণের নিকট বিক্রয়ের জন্য নির্ধারণ করা যাইবে। (৬) কর্পোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধনের প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আদেশ-নির্দেশনা অনুসারে নির্ধারণ করিতে হইবে।",
"name": "শেয়ার মূলধন",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১৪। (১) কর্পোরেশনের শেয়ারহোল্ডারগণের বার্ষিক সাধারণ সভা পরবর্তী অর্থ বৎসরের হিসাব সমাপ্তির পূর্বে কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে বা প্রধান কার্যালয়ের নিকটবর্তী কোনো সুবিধাজনক স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে। (২) পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালকগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে কোনো সময় শেয়ারহোল্ডারগণের বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করা যাইবে। (৩) বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত শেয়ারহোল্ডারগণ কর্পোরেশনের বার্ষিক হিসাব, উহার কর্মকাণ্ডের উপর পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বার্ষিক স্থিতিপত্র ও হিসাবের উপর নিরীক্ষকের প্রতিবেদনের বিষয়ে আলোচনা এবং পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক উপস্থাপিত সুপারিশমালা অনুমোদন করিবার অধিকারী হইবেন।",
"name": "সভা এবং শেয়ারহোল্ডারগণের অধিকার",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১৫। (১) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্পোরেশনের কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকুরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্পোরেশনের কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১৬। (১) কর্পোরেশনের সকল প্রকার প্রশাসনিক, সংস্থাপন তথা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং আনুষঙ্গিক যাবতীয় ব্যয় ও বাণিজ্যিক ব্যয়, উহার যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ হইতে প্রাপ্ত আয় এবং উহার সম্পদের ব্যবহার হইতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ বা পরিশোধিত মূলধন হইতে নির্বাহ করা যাইবে। (২) কর্পোরেশনের ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি-বিধান ও নির্দেশনা অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "ব্যয় নির্বাহ",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১৭। সরকারি আর্থিক ক্ষমতা-অর্পণ সম্পর্কিত বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক কর্পোরেশন এবং পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক আর্থিক ক্ষমতা পুনঃঅর্পণ সাপেক্ষে উহার কর্মচারীগণ আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "আর্থিক ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১৮। কর্পোরেশন প্রতি বৎসর পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে প্রণয়ন করিয়া সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং ইহাতে সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসরে কর্পোরেশনের আয়, ব্যয়, উদ্বৃত্ত বা ঘাটতির বিস্তারিত বিবরণী উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1300,
"details": "১৯। (১) কর্পোরেশনের যথাযথভাবে উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্রসহ বার্ষিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং এইরূপ হিসাব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত সাধারণ নির্দেশনা পালন করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি অর্থ বৎসর কর্পোরেশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরকার ও কর্পোরেশনের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কর্পোরেশন অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ব্যতিরেকেও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 - এ বর্ণিত কোনো Chartered Accountant দ্বারা কর্পোরেশনের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এতদুদ্দেশ্যে কর্পোরেশন এক বা একাধিক Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত Chartered Accountant নির্দিষ্টকৃত হারে পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন। (৫) কর্পোরেশনের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত Chartered Accountant কর্পোরেশনের সকল রেকর্ড, দলিল, বার্ষিক স্থিতিপত্র, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, পরিচালক বা যে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২০। কর্পোরেশন প্রতি অর্থ বৎসরের হিসাব ও কর্মকাণ্ডের উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন পরবর্তী অর্থ বৎসর সমাপ্তির পূর্বে সরকারের নিকট পেশ করিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এক বা একাধিক কোম্পানি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২২। (১) সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্পোরেশন জনস্বার্থে সমগ্র বাংলাদেশের যে কোনো রুটে যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনা করিতে পারিবে। (২) কর্পোরেশন জনস্বার্থে গণপরিবহণের সহিত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবা পরিচালনা করিতে পারিবে।",
"name": "যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনার ক্ষমতা",
"related_acts": "1262",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২৫। কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং তাহার অধঃস্তন কর্মচারীগণ এই আইনের অধীন Penal Code, 1860 এর section 21 এ ‘‘public servant (জনসেবক)’’ অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "11",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২৬। (১) পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত এই আইন বা সরকারি স্বার্থের পরিপন্থি হইলে সরকার উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন রহিত করিতে পারিবে। (২) এই আইনে অন্তর্ভুক্ত নহে এইরূপ বিষয়ে সরকার বাস্তবতা বিবেচনা করিয়া স্বপ্রণোদিত হইয়া নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে এবং কর্পোরেশন অনুরূপ নির্দেশনা বাস্তবায়ণ করিবে। (৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন সরকারের নির্দেশনা চাহিতে পারিবে এবং সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করিয়া প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিবে এবং কর্পোরেশন অনুরূপ নির্দেশনা বাস্তবায়ণ করিবে।",
"name": "সরকারি নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২৭। (১) Road Transport Corporation Ordinance, 1961 (East Pakistan Ordinance No. VII of 1961), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন- (ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা অন্য কোনো দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত বা বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে; এবং(গ) কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন করিতে হইবে, যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই। (৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Road Transport Corporation - এর – (ক) সকল ঋণ, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প এবং সকল প্রকার দাবি ও অধিকার যথাক্রমে কর্পোরেশন এর ঋণ, সম্পত্তি, অর্থ, কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প এবং দাবি ও অধিকার হিসাবে গণ্য হইবে; (খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে কর্পোরেশন এর ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে, উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন কর্পোরেশন এর বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে; (ঘ) Board of Directors, যদি থাকে, এর কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত না হইলে বা এই আইনের অধীন পর্ষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে; (ঙ) কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকুরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইন বা তদধীন প্রণীত প্রবিধান দ্বারা পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে কর্পোরেশন এর চাকুরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি হইবেন; এবং (চ) কোনো সম্পত্তি নির্দিষ্ট কোনো শর্তে এবং নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদের জন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট ইজারা বা অন্য কোনোভাবে বরাদ্দ প্রদান করা হইয়া থাকিলে, উক্ত মেয়াদ অবসান না হওয়া পর্যন্ত, উক্ত সম্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইজারা গ্রহীতা বা বরাদ্দ গ্রহীতার বৈধ দাবি ও অধিকার উক্ত শর্তাধীনে অব্যাহত থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "314",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২৮। সরকারের আদেশ ব্যতীত কর্পোরেশনের অবসায়ন করা যাইবে না এবং সরকার যে পদ্ধতি নির্ধারণ করিবে সেই পদ্ধতিতে কর্পোরেশনের অবসায়ন ঘটানো যাইবে।",
"name": "কর্পোরেশনের অবসায়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1300,
"details": "২৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
}
],
"text": "Road Transport Corporation Ordinance, 1961 রহিতপূর্বক সময়োপযোগীকরিয়া নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু Road Transport Corporation Ordinance, 1961 (East Pakistan Ordinance No. VII of 1961) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত The Bangladesh Road Transport Corporation এর ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে উক্ত Ordinance, রহিতপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1301,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 21,
"published_date": "১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০",
"related_act": [
145,
642,
1301
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1301,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1301",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1301,
"details": "২। (১) বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘অধিদপ্তর’ অর্থ অধ্যাদেশের অধীন স্থাপিত নৌপরিবহণ অধিদপ্তর (Department of Shipping);(২) ‘অধ্যাদেশ’ অর্থ Bangladesh Merchant Shipping Ordinance, 1983 (Ord. No. XXVI of 1983);(৩) ‘কাস্টমস-কমিশনার’ অর্থ Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো Commissioner of Customs; (৪) ‘নৌবাণিজ্য দপ্তর’ অর্থ অধ্যাদেশের ধারা ৫ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Mercantile Marine Office;(৫) ‘প্রধান পরিদর্শক’ অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; (৬)‘প্রধান কর্মকর্তা’ অর্থ নৌবাণিজ্য দপ্তর, চট্টগ্রাম এর প্রধান কর্মকর্তা;(৭)‘পরিদর্শক’ অর্থ বাতিঘর পরিদর্শন কার্যে নিয়োজিত পরিদর্শক; (৮) ‘বন্দর বাতিঘর’ অর্থ বিভিন্ন বন্দর কর্তৃপক্ষের বাতিঘর;(৯)‘বাতিঘর’ অর্থ কোনো একটি ভৌগোলিক অবস্থানে নির্মিত কোনো টাওয়ার, ভবন বা অন্য কোনো স্থাপনা যেখানে সমুদ্রপথে নাবিকদের সতর্ক সংকেত প্রদানের জন্য বিশেষ ধরনের বাতি লাগানো হয়; এবং পাইলটদের নৌযান চালনায় সহায়ক হয় এমন যন্ত্রপাতি, আলোকিত নৌযান, কুয়াশা নির্দেশক চিহ্ন, বয়া ও বিকন; এবং- (ক) যাহা অন্যূন ১০ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন হইবে; (খ) যাহা হইতে বিচ্ছুরিত আলো অন্যূন ১৫ নৌ-মাইল (নটিক্যাল মাইল) পর্যন্ত দৃশ্যমান হইবে; (১০) ‘বাতিঘর অঞ্চল’ অর্থ ধারা ৩ এর বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সীমানাভুক্ত বাতিঘর এলাকা; (১১) ‘বন্দর’ অর্থ কোনো আইনের অধীন সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্থাপিত সমুদ্র বন্দর; (১২)‘বন্দর কর্তৃপক্ষ’ অর্থ বাংলাদেশের কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ, যাহার তত্ত্বাবধানে এবং ব্যবস্থাপনায় উক্ত বন্দর সংশ্লিষ্ট বাতিঘর পরিচালিত হইয়া থাকে; (১৩)‘মহাপরিচালক’ অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; (১৪)‘মালিক’ অর্থে কোনো জাহাজের অংশীদার, চার্টারার অথবা বন্ধক গ্রহীতা যাহার দখলে কোনো জাহাজ থাকে এবং যে কোনো এজেন্ট যাহার জিম্মায় কোনো জাহাজ ন্যাস্ত করা হয়, অন্তর্ভুক্ত হইবেন; এবং(১৫) ‘সাধারণ বাতিঘর’ অর্থ সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত কোনো সাধারণ বাতিঘর। (২) এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ অথবা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই, সে সকল শব্দ অথবা অভিব্যক্তি অধ্যাদেশে যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সে অর্থে প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "642",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1301,
"details": "৩। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাতিঘর অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "বাতিঘর অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1301,
"details": "৪। (১) সকল বাতিঘরের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারীসহ একজন প্রধান পরিদর্শক, প্রত্যেক বাতিঘর অঞ্চলের জন্য একজন করিয়া তত্ত্বাবধায়ক এবং সকল বাতিঘর পরিদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিদর্শক থাকিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অধিদপ্তর বা নৌবাণিজ্য দপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোর অধীন সামঞ্জস্যপূর্ণ পদে কর্মরত কর্মচারীগণের মধ্য হইতে তত্ত্বাবধায়ক এবং পরিদর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং অন্যান্য কর্মচারীও নিয়োগ করিতে পারিবে।",
"name": "কর্মচারি নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1301,
"details": "৫। (১) সরকার, এই আইন বাস্তবায়নের সহিত সম্পৃক্ত অথবা স্বার্থ জড়িত রহিয়াছে এবং বাতিঘর সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এইরূপ ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে, একটি বাতিঘর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করিবে।(২) সরকার, বাতিঘর বিশেষজ্ঞ কমিটির সহিত পরামর্শক্রমে, নিম্নরূপ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা:-(ক) নতুন কোনো বাতিঘর স্থাপন অথবা বিদ্যমান বাতিঘরে কোনো স্থাপনা তৈরি অথবা অপসারণ;(খ) বাতিঘরের কোনো পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন অথবা পুনঃস্থাপন অথবা পুনর্বাসন;(গ) বাতিঘরের বাতির বৈশিষ্ট্য, ব্যবহৃত পদ্ধতি অথবা পরিচালনার ব্যাপারে কোনো ব্যতিক্রম আনয়ন;(ঘ) বাতিঘর সম্পর্কিত খরচের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাবনা; এবং(ঙ) বাতিঘরের জন্য নতুন বিধান প্রণয়ন অথবা পরিবর্তন অথবা পরিবর্ধন এই আইনের অধীন পরিচালিত বাতিঘর ব্যবহারের মাশুলের হার পরিবর্তন।",
"name": "বিশেষজ্ঞ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1301,
"details": "৬। (১) নৌপরিবহণ অধিদপ্তর, সরকারের অনুমোদনক্রমে, সাধারণ বাতিঘরগুলোর তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনা, নৌবাণিজ্য দপ্তরের উপর ন্যস্ত করিতে পারিবে। (২) নৌবাণিজ্য দপ্তর যে কোনো সাধারণ বাতিঘর তত্ত্বাবধান এবং ব্যবস্থাপনার জন্য নিকটস্থ বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ বাহিনী অথবা কোস্ট গার্ডের সাহায্য গ্রহণ করিতে পারিবে। (৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জরুরি বা যুদ্ধাবস্থায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী অথবা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের স্থাপনার নিকটস্থ বাতিঘরসমূহের, নিরাপত্তার দায়িত্ব সাময়িকভাবে উক্ত বাহিনীর উপর ন্যস্ত করিতে পারিবে।",
"name": "সাধারণ বাতিঘর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1301,
"details": "৭। (১) প্রধান পরিদর্শক, তত্ত্বাবধায়ক অথবা পরিদর্শক, যে কোনো সময়, যে কোনো বাতিঘরে প্রবেশ এবং পরিদর্শন করিতে পারিবেন। (২) যে কোনো বাতিঘরের দায়িত্বে নিয়োজিত অথবা ব্যবস্থাপনার সহিত জড়িত কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তিকে এবং এতদ্সম্পর্কিত যে কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট তদ্কর্তৃক প্রার্থিত সকল তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বাতিঘর পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1301,
"details": "৮। (১) ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন যে কোনো পরিদর্শন অথবা তদন্তের পর অথবা নিরাপত্তা ও নৌযান পরিচালনার স্বার্থে ,সরকার প্রয়োজনে, যে কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ অথবা নৌবাণিজ্য দপ্তরকে নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে যথা:- (ক) যে কোনো বাতিঘর পরিচালনা বন্ধ রাখা অথবা বাতিঘর সরাইয়া ফেলা অথবা বাতিঘর বন্ধ রাখা হইতে অথবা সরাইয়া ফেলা হইতে বিরত থাকা অথবা বাতিঘরের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন করা অথবা পরিবর্তন করা হইতে বিরত থাকা; এবং (খ) যে কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ অথবা নৌবাণিজ্য দপ্তরের অধিক্ষেত্রে কোনো বাতিঘর তৈরি, স্থাপন অথবা রক্ষণাবেক্ষণ করা অথবা তৈরি, স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ হইতে বিরত থাকা।(২) কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ অথবা নৌবাণিজ্য দপ্তর সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কোনো বাতিঘর তৈরি, স্থাপন, সরানো অথবা পরিচালনা বন্ধ অথবা ব্যবহার পদ্ধতি অথবা বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন করিতে পারিবে না : তবে শর্ত থাকে যে, জরুরি অবস্থায় কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ বা নৌবানিজ্য দপ্তর উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত বিষয়ে সরকারকে তাৎণিকভাবে অবহিত করিবে এবং যতদ্রুত সম্ভব, আগমনকারী এবং বাতিঘরের আলোক দূরত্বের অধীনে চলাচলকারী জাহাজকে উক্ত বিষয়ে অবহিত করিবে।(৩) সরকার কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ অথবা নৌবাণিজ্য দপ্তরকে সরকারের সকল নির্দেশাবলী প্রতিপালন, যথাযথভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ বা যথাযথ দায়িত্ব পালনের জন্য এবং সরকারের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কর্তব্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে আর্থিক সংস্থান করিবার জন্য লিখিতভাবে নির্দেশ প্রদান ও উপযুক্ত সময়সীমা নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে, যদি উক্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ বা নৌবাণিজ্য দপ্তর- (ক) উপ-ধারা (১) এর নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হয়;(খ) বাতিঘর তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত প্রদত্ত অথবা প্রচলিত আইনের অধীন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে ব্যর্থ অথবা ব্যবস্থা গ্রহণে অসমর্থ হয় অথবা যথাযথভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালনে অসমর্থ হয়; এবং(গ) এই সকল কার্যের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ আর্থিক সুবিধার সংস্থান করিতে অসমর্থ হয় ।(৪) কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অথবা সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত সময়সীমার মধ্যে সরকারের নির্দেশাবলী প্রতিপালনে অসমর্থ হইলে, সরকার উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ, দায়িত্ব প্রতিপালন অথবা আর্থিক সংস্থান করিতে পারিবে, তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষ উক্ত কার্যের জন্য ব্যয়িত অর্থ পরবর্তীতে সরকারকে ফেরত প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বাতিঘর নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1301,
"details": "৯। (১) বাংলাদেশের বন্দরে আগত এবং প্রত্যাগত ও এক বন্দর হইতে অন্য বন্দরে যাতায়াতের নিমিত্ত জাহাজসমূহকে পথ প্রদর্শনের সুবিধার্থে বাতিঘরের সেবা সুবিধা প্রদানের জন্য নৌবাণিজ্য দপ্তর, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক আগমন ও প্রত্যাগমনকারী জাহাজের জন্য সময় সময়, বাতিঘরের মাশুল নির্ধারণ এবং সেই অনুযায়ী মাশুল সংগ্রহ করিতে পারিবে।(২) বাংলাদেশের যে কোনো বন্দরে আগমন ও প্রত্যাগমনের সময় জাহাজের মালিক অথবা এজেন্ট অথবা মাস্টার কর্তৃক বাতিঘর মাশুল পরিশোধ করিতে হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, কোনো জাহাজ কর্তৃক বাতিঘর মাশুল প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিবস অতিক্রান্ত না হইলে পুনরায় বাতিঘর মাশুল প্রদান করিতে হইবে না। (৩) বাতিঘরের মাশুল নির্ধারণের ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে পুনরায় বাতিঘর মাশুল আরোপ, বাতিল অথবা বাতিঘরের মাশুল তারতম্য করিবার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না।",
"name": "বাতিঘরের মাশুল আরোপ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১০। (১) নৌবাণিজ্য দপ্তর অথবা উহার পক্ষে কাস্টমস কমিশনার সরাসরি অথবা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বাতিঘর মাশুল আদায় করিতে পারিবে।(২) নৌবাণিজ্য দপ্তর অথবা কাস্টমস কমিশনার সরাসরি বাতিঘর মাশুল আদায়ের ক্ষেত্রে বাতিঘর মাশুল জমাদানকারীকে একটি লিখিত রশিদ প্রদান করিবে, যাহাতে নিম্নরূপ তথ্যাদি উল্লেখ থাকিবে, যথা:- (ক) যে বন্দরে বাতিঘর মাশুল প্রদান করা হইবে সেই বন্দরের নাম; (খ) টাকার পরিমাণ; (গ) বাতিঘর মাশুল পরিশোধের তারিখ; এবং (ঘ) জাহাজের নাম, টনেজ এবং জাহাজের অন্যান্য বর্ণনা যাহার উপর ভিত্তি করিয়া বাতিঘর মাশুল প্রদান করা হইয়াছে।",
"name": "বাতিঘর মাশুল আদায়",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১১। (১) অধ্যাদেশের আলোকে নির্ধারিত নীট টনেজের ভিত্তিতে বাতিঘর মাশুল নির্ধারণ করিতে হইবে। (২) যে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অথবা বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত জাহাজ যাহার টনেজ অধ্যাদেশ অনুযায়ী অনুমোদিত থাকে সেই ক্ষেত্রে ঐ জাহাজের রেজিস্ট্রেশন সনদে অথবা অন্য কোনো সনদে উল্লিখিত টনেজ গ্রহণযোগ্য হইবে। (৩) জাহাজের মালিক, মাস্টার অথবা যাহার কাছে নিবন্ধন সনদ (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট) অথবা অন্য কোনো সনদ থাকে যেখানে টনেজের বিষয়ে উল্লেখ রহিয়াছে, উহা টনেজ নির্ধারণের জন্য কাস্টমস কমিশনার অথবা প্রধান কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, মাস্টার, মালিক অথবা যাহার নিকট নিবন্ধনসনদ রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন সনদ অথবা টনেজ নির্দেশক সনদ উপস্থাপন করিতে অস্বীকার করিলে অথবা অবহেলা করিলে কাস্টমস কমিশনার অথবা প্রধান কর্মকর্তা জাহাজটি সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক টনেজ নির্ধারণের ব্যবস্থা করিবেন। (৪) অনিবন্ধিত জাহাজের মালিক অথবা মাস্টার অথবা এজেন্ট যথাযথ কাগজপত্র কাস্টমস কমিশনার অথবা প্রধান কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হইলে কাস্টমস কমিশনার অথবা প্রধান কর্মকর্তা উক্ত জাহাজটিকে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক উহার টনেজ নির্ণয় করিতে পারিবেন এবং সেই ক্ষেত্রে জাহাজের মাস্টার টনেজ নির্ধারণের জন্য ব্যয়িত অর্থ ও সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করিবেন। (৫) উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো জাহাজ নিবন্ধিত হইলে উহা যে বন্দরে অবস্থান করিবে অথবা বাংলাদেশের যে বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা আরম্ভ করিবে সেই বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক টনেজ সম্পর্কিত বিষয়ে যদি জাহাজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তাহা হইলে উক্ত জাহাজকে অনূর্ধ্ব ১০০০ (এক হাজার) মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করা যাইবে।",
"name": "বাতিঘরের মাশুল নির্ধারণে টনেজ সংক্রান্ত বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১২। (১) কোনো মালিক অথবা মাস্টার কোনো জাহাজের বাতিঘর মাশুল এবং এই আইনের অধীন অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করিতে অস্বীকার করিলে, কাস্টমস কমিশনার অথবা প্রধান কর্মকর্তা উক্ত জাহাজ এবং জাহাজের অ্যাপারেল এবং আসবাবপত্র জব্দ করিতে পারিবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত বাতিঘর মাশুল ও অন্যান্য পাওনা এবং আটক করিবার ব্যয় প্রদান করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত জাহাজ আটক (Detain) রাখিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী জাহাজ আটক হওয়ার ৫(পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে মালিক অথবা মাস্টার কর্তৃক বাতিঘর মাশুল, পাওনাদি এবং খরচের টাকা পরিশোধ করা না হইলে, কাস্টমস কমিশনার অথবা প্রধান কর্মকর্তা জাহাজ এবং অন্যান্য জব্দকৃত দ্রব্য নিলামে বিক্রয় করিতে পারিবে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ দ্বারা বাতিঘর মাশুল, পাওনাদি ও বিক্রয় প্রক্রিয়ার খরচ পরিশোধ করিতে পারিবে এবং কোনো অর্থ অবশিষ্ট থাকিলে উহা মালিক পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "বকেয়া মাশুল আদায়, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১৩। কোনো মালিক অথবা মাস্টার কর্তৃক কোনো জাহাজের জন্য এই আইনের অধীন যতক্ষণ পর্যন্ত বাতিঘর মাশুল, পাওনাদি, অন্যান্য খরচের টাকা ও জরিমানার অর্থ জমা না দেওয়া হয় অথবা এতদবিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জামানত প্রদান করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বন্দর ছাড়পত্র জারি করিবার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ‘‘বন্দর-ছাড়পত্র’’ জারি করিবেন না।",
"name": "‘‘বন্দর-ছাড়পত্র’’ প্রদানে অস্বীকৃতি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১৪। এই আইনের অধীন প্রদেয় বাতিঘর মাশুল, পাওনাদি, অন্যান্য খরচের টাকা ও জরিমানার অর্থ পরিশোধের বিষয়ে অথবা প্রদেয় বাতিঘর মাশুল, পাওনাদি, অন্যান্য খরচের টাকা ও জরিমানার পরিমাণের বিষয়ে কোনো বিরোধ দেখা দিলে বিরোধভুক্ত পক্ষগুলোর যে কোনো একপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই বন্দরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক শুনানিপূর্বক ব্যয়ের পরিমান নির্ধারণ করা যাইবে এবং উক্ত বিষয়ে ম্যাজিস্টেট্রের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "বাতিঘর মাশুল পরিশোধের বিষয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিকরণ সংক্রান্ত বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১৫। (১) কোনো জাহাজের মাস্টার কোনো বন্দরের পাওনা বাতিঘর মাশুল পরিশোধ না করিয়া বন্দর ত্যাগপূর্বক বাংলাদেশের অন্য কোনো বন্দরে গমন করিলে প্রথমোক্ত বন্দরের কাস্টমস কমিশনার পরবর্তী বন্দরের কাস্টমস কমিশনারকে বকেয়া আদায়ের জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করিবেন।(২) কোনো কাস্টমস কমিশনারের নিকট উপ-ধারা (১) এর অধীন বকেয়া বাতিঘর মাশুল আদায়ের নিমিত্ত অনুরোধ প্রাপ্ত হইলে, তিনি সংশ্লিষ্ট জাহাজের উপর এই আইনের অধীন প্রথম বন্দরে পরিশোধযোগ্য করের সমপরিমাণ কর আরোপ ও আদায় করিবেন এবং আদায়কৃত উক্ত অর্থের পরিমাণ উল্লেখপূর্বক উক্ত কাস্টমস কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত রশিদ হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে।",
"name": "এক বন্দরে পরিশোধযোগ্য বাতিঘর মাশুল অন্য বন্দরে পরিশোধ অথবা আদায় সংক্রান্ত বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১৬। (১) কোনো জাহাজের মাস্টার বা মালিক যদি এই আইনের অধীন জাহাজের বাতিঘর মাশুল, পাওনাদি এবং অন্যান্য খরচের অর্থ পরিশোধ না করেন অথবা কোনোভাবে ফাঁকি দেন অথবা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে যে বন্দরে উক্ত জাহাজ পাওয়া যাইবে অথবা যে বন্দরে উক্ত জাহাজ আগমন করিবে সেই বন্দরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত জাহাজের মালিক বা মাস্টারকে দোষী সাব্যস্তকরণপূর্বক প্রদেয় মাশুলের অনধিক পাঁচগুণ অর্থ জরিমানা ধার্য করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যধারায় ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত রশিদ মাস্টার অথবা মালিক যে প্রদেয় মাশুল ফাঁকি দিয়াছেন তাহার প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে, এবং মাস্টার অথবা মালিক উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত উক্ত অভিযোগ হইতে ততক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহতি পাইবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ইহা প্রমাণ করিতে পারেন যে, আইনগত কোনো জটিলতা, খারাপ আবহাওয়া অথবা গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো কারণে মাশুল প্রদান ব্যতিরেকে বন্দর ত্যাগ করা হইয়াছে।",
"name": "বাতিঘর মাশুল প্রদান না করিবার জরিমানা",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১৭। নিম্নবর্ণিত শ্রেণির কোনো জাহাজ এই আইনের অধীন আরোপিত বাতিঘরের মাশুলের আওতাবহির্ভূত থাকিবে, যথা:-(ক) কোনো দেশি বা বিদেশি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাহাজ যাহা কোনো ভাড়া আদায়ের উদ্দেশ্যে মালামাল অথবা যাত্রী পরিবহণ করে না;(খ) ১০ (দশ) টনের নিম্নের যে কোনো জাহাজ; এবং(গ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের দ্বারা, সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো শ্রেণির জাহাজ।",
"name": "বাতিঘরের মাশুল হইতে অব্যাহতি",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১৮। এই আইনের অধীন প্রদেয় বাতিঘর মাশুল পরিমাণের অতিরিক্ত বাতিঘর মাশুল প্রদান করা হইলে উক্ত অতিরিক্ত পরিমাণ মাশুলের অর্থ ফেরত পাওয়ার লক্ষ্যে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে আবেদন করিতে হইবে এবং উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর অতিরিক্ত মাশুলের অর্থ ফেরত পাওয়ার আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না।",
"name": "অতিরিক্ত বাতিঘর মাশুল ফেরত প্রদান সংক্রান্ত বিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1301,
"details": "১৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, সরকার, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, নিম্নরূপ এক অথবা একাধিক বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :-(ক) বাতিঘরের প্রধান পরিদর্শক, তত্ত্বাবধায়ক, পরিদর্শক, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ও প্রধান বাতিরক্ষকসহ সকল কর্মচারীর ক্ষমতা এবং দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ; এবং (খ) এই আইনের অধীন গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির দায়-দায়িত্ব ও কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1301,
"details": "২০। (১) Lighthouse Act, 1927 (Act No. XVII of 1927), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা রহিত করা হইল। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Act এর অধীন কৃত সকল কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Act এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি অথবা জারীকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি অথবা প্রজ্ঞাপন এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রণীত অথবা জারীকৃত বলিয়া গণ্য হইবে। (৪) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে উক্ত Act এর অধীন কোনো মামলা অথবা কার্যধারা কোনো আদালতে বিচারাধীন থাকিলে উহা উক্ত আদালত কর্তৃক এইরূপে শুনানি ও নিষ্পত্তি হইবে, যেন উক্ত Act রহিত হয় নাই।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "145",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1301,
"details": "২১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ ((Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
}
],
"text": "Lighthouse Act, 1927 রহিতপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু বাংলাদেশ একটি সমুদ্র উপকূলীয় দেশ এবং উপকূলীয় অঞ্চলে চলাচলকৃত নৌযানের পথ প্রদর্শনের বিষয়ে বাংলাদেশের দায়-দায়িত্ব রহিয়াছে; এবং যেহেতু বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে নিরাপদ নৌযান চলাচল এবং প্রয়োজনের নিরিখে উদ্ধারকার্য পরিচালনায় সহায়তা প্রদান এবং বন্দরে আগত জাহাজসমূহের পথ প্রদর্শনে সহায়তা করা আবশ্যক; এবং যেহেতু উপরোক্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করিয়া বাংলাদেশের বাতিঘর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিদ্যমান Lighthouse Act, 1927 (Act No. XVII of 1927) রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিমরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1302,
"lower_text": [],
"name": "নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 3,
"published_date": "৩০ জুন, ২০২০",
"related_act": [
1302
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1302,
"details": "১। এই আইন নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম",
"related_acts": "1302",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1302,
"details": "২। ২০২০ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরে যেই সকল ব্যয় উক্ত বৎসরের অর্থ পরিশোধের আওতাধীন হইতে পারে সেই সকল ব্যয় নির্বাহের জন্য এই আইনের তফসিলের কলাম ২ এ বর্ণিত কার্যাদির বিপরীতে কলাম ৫ এ উল্লিখিত ৪৬৫১৬,১১,১০,০০০ (ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশত ষোল কোটি এগারো লক্ষ দশ হাজার) টাকার অনধিক পরিমাণ অর্থ সংযুক্ত তহবিল হইতে প্রদেয় ও ব্যয়যোগ্য হইবে।",
"name": "২০১৯-২০২০ অর্থবৎসরের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে ৪৬৫১৬,১১,১০,০০০ (ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশত ষোল কোটি এগারো লক্ষ দশ হাজার) টাকা প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1302,
"details": "৩। এই আইন দ্বারা সংযুক্ত তহবিল হইতে প্রদান করিবার ও ব্যয় নির্বাহের জন্য অনুমোদিত অর্থ ২০২০ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরে এই আইনের তফসিলের কলাম ২ এ বর্ণিত কার্যের জন্য উহার বিপরীতে কলাম ৫ এ উল্লিখিত পরিমাণের অনধিক অর্থ নির্দিষ্ট করা হইল।",
"name": "নির্দিষ্টকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
}
],
"text": "২০২০ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন যেহেতু ২০২০ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1303,
"lower_text": [],
"name": "অর্থ আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 82,
"published_date": "৩০ জুন, ২০২০",
"related_act": [
672,
98,
354
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1303,
"details": "১। (১) এই আইন অর্থ আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) এই আইনের তৃতীয় অধ্যায় এবং পঞ্চম অধ্যায়ের ধারা ৭৯, ৮০ ও ৮১ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।(৩) এই আইনের দ্বিতীয় অধ্যায় এবং চতুর্থ অধ্যায় ও পঞ্চম অধ্যায়ের ধারা ৭৯, ৮০ ও ৮১ ব্যতীত, অন্যান্য ধারাসমূহ এবং ষষ্ঠ অধ্যায় ২০২০ সনের ১ জুলাই তারিখে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২। Excises and Salt Act, 1944 (Act No. I of 1944), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এর section 2 এর— (ক) clause (a) এর পর নিম্নরূপ নূতন clause (aa) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “(aa) “associate” means such a relation between two or more persons as would make one act or reasonably expected to act in accordance with the intention of the other or make both acts or reasonably expected to act in accordance with the intention of a third person, and it also includes the following persons, namely— (a) a partner of a partnership; (b) a shareholder of a company; (c) a Trust and a beneficiary of such Trust; or (d) a joint venture for property development and the landowner as a partner of that joint venture, builder, or other related person, but does not include the persons with employment relations;”; এবং (খ) clause (l) এর পর নিম্নরূপ নূতন clause (ll) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “(ll) “government entity” means— (a) a government or any of its ministries, divisions, or attached departments; (b) a semi-government entity or an autonomous body; (c) a state-owned enterprise; or (d) a local authority, council, or a similar organization;”।",
"name": "Act No. I of 1944 এর section 2 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩। উক্ত Act এর section3AA এর পরিবর্তে নিম্নরূপ section3AA প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “3AA. Determination of duty.— (1) The Commissioner of Excise may, after giving a person an opportunity of being heard, determine the amount of duty of excise payable by such person, if the Commissioner reasonably believes that the person has made false or untrue statement in respect of payable duty of excises or if such person fails to pay the payable duty within the prescribed time. (2) In the cases specified in sub-section (1), the Commissioner of Excise shall, within 45 (forty five) working days from the date of hearing, serve a notice of the determination of duty upon such person, which shall, along with other necessary particulars, contain the following matters, namely— (a) the reason for such determination, the amount of duty payable as a result of such determination and a description of the basis on or before such amount of duty is determined; (b) the date by which such duty shall be payable, but such date shall be at least 15 (fifteen) working days after the date on which the notice is served; and (c) the time and place of filing appeal against such determination of duty. (3) The Commissioner of Excise shall not make a determination of duty for a duty period at the expiry of 5 (five) years after such tax period, unless a person wilfully neglects or commits a fraud in order to evade payment of duty, conceals or distorts any information, and any other offences under Value Added Tax and Supplementary Duty Act, 2012 (Act No. 47 of 2012). (4) If a person fails to pay a payable duty on or before the due date of payment, he shall be liable to pay an interest at a simple rate of 2% (two percent) per month on the amount of payable duty, from the next day, after the date such payment becomes due until the date the payment is made. (5) Nothing in this section shall prevent a Commissioner of Excise from imposing a fine mentioned in section 9.”।",
"name": "Act No. I of 1944 এর section 3AA এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪। উক্ত Act এর section 9 এর clause (g) তে উল্লিখিত “five thousand or ten times” শব্দগুলির পরিবর্তে “five lac or two times” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Act No. I of 1944 এর section 9 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫। উক্ত Act এর section 11 এর পরিবর্তে নিম্নরূপ section 11 প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “11. Recovery of Government Dues.—(1) When under this Act or any rules made thereunder, a duty is payable to the Government by any person or a penalty is adjudicated against any person or a notice or demand is served upon any person calling for the payment of any amount unpaid which may be payable by way of duty, penalty or under any bond or other instrument executed under the rules and such duty, penalty or other sum is not paid within the time it was required to be paid, an Excise Officer, not below the rank of Assistant Commissioner, may at any time— (a) deduct or require any other Excise, Customs or Value Added Tax (VAT) Officer to deduct the amount so payable from any money owing to such person or due which may be in the hands or at the disposal orunder the control of such Officer or of the Government; (b) require, by a notice in writing, any person owing any money to the person from whom such duty or penalty or any other sum is recoverable or due, to pay to such officer the amount specified in the notice, or the whole of such money if it is less than the amount so recoverable or due, within 7 (seven) days of the receipt of the notice or within such longer time as may be allowed by such officer; (c) recover such amount by attachment and sale of excisable goods or any plant, machinery and equipment used for the manufacture of such goods or any other goods in the factory or bonded warehouse or in any premises where any excisable services are provided or rendered; (d) stop removal of any goods belonging to such person or his associates from Customs control in the sea port, airport, land port, any other Customs-station or from such factory, bonded warehouse or premises till such amount is paid or recovered in full; (e) require any officer of Customs to recover such amount by detaining and selling any goods belonging to such person which are under the control of the Customs authorities; (f) require, by a notice in writing, any Government Entity to stop any excisable services till such amount is paid or recovered in full; (g) require, by a notice in writing, any Scheduled Bank having deposit of money of the person from whom such duty or regulatory duty or penalty or any other sum is recoverable to pay to such officer the amount specified in the notice or to freeze the account or make the account inoperative on respect of the notice. (2) If the amount is not recovered from such person in the manner provided in sub-section (1), the Excise Officer may prepare a certificate signed by him specifying the amount due from the person liable to pay the same and send it to the Deputy Collector (DC) in which such person resides or owns any property or conducts his business and the said Collector shall, on receiving such certificate, proceed to recover the amount specified in the certificate as a public demand or as if it were an arrear of land revenue. (3) The Government may appoint one or more officers to exercise the powers of a Certificate-officer under the Public Demands Recovery Act, 1913 (Bengal Act III of 1913) for the purpose of recovering the amount specified in a certificate prepared under sub-section (2), and when more than one Certificate-officers are so appointed the Government may also specify their territorial or other jurisdiction.”।",
"name": "Act No. I of 1944 এর section 11 এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "98",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬ । উক্ত Act এর section 13 এর clause (g) তে উল্লিখিত “Superintendent” শব্দের পরিবর্তে “Revenue Officer” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Act No. I of 1944 এর section 13 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭। উক্ত Act এর FIRST SCHEDULE এর PART-II এর “SERVICES” শিরোনামাধীন টেবিলের কলাম (1) এর Service Code E032.00 এর বিপরীতে কলাম (3) তে উল্লিখিত “Taka 30,000.00 (thirty thousand)” শব্দগুলি, সংখ্যাটি, কমা এবং বন্ধনীর পরিবর্তে “Taka 40,000.00 (forty thousand)” শব্দগুলি, সংখ্যাটি, কমা এবং বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Act No.I of 1944 এর FIRST SCHEDULE এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৮ । Customs Act,1969 (Act No. IV of 1969), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এর section 3 এর clause (d) এর পর নিম্নরূপ নূতন clause (dd) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:—“(dd) a Commissioner of Customs (Single Window);”।",
"name": "Act No.IV of 1969 এর section 3 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৯। উক্ত Act এর section 18 এর sub-section (1) এর proviso এর পরিবর্তে নিম্নরূপ proviso প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“Provided that no customs duty and regulatory duty under this Act or any other tax leviable under any other law for the time being in force shall, subject to such conditions, limitations or restrictions as the Board may, from time to time, by notification in the official Gazette, impose, be levied or collected in respect thereof, if the value of the goods for assessment purpose in any one consignment does not exceed two thousand taka.”।",
"name": "Act No. IV of 1969 এর section 18 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১০। উক্ত Act এর section 79 এর sub-section (1A) এর পর নিম্নরূপ নূতন sub-section (1B) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:—\"(1B) A bill of entry under sub-section (1) shall be delivered within five working days since the arrival of goods:Provided that the Board may, by notification in the official Gazette, extend such time upon stipulating such conditions or limitations as it deems fit and proper.\"।",
"name": "Act No. IV of 1969 এর section79 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১১। Act No. IV of 1969 এর section 156 এর সংশোধন ।— উক্ত Act এর Section 156 এর sub-section (1) এর Table এর Offences কলাম এর 14 নং ক্রমিকে বর্ণিত Offence এর বিপরীতে Penalties কলাম এর এন্ট্রির পরিবর্তে নিম্নরূপ এন্ট্রি প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “Such person shall be liable to a penalty at least twice but not exceeding four times the amount of the tax evaded in respect of which such offence is committed and such goods shall be liable to confiscation; and upon conviction by a Magistrate such person shall further be liable to rigorous imprisonment for a term not exceeding five years or to a fine not exceeding Taka fifty thousand or to both.”।",
"name": "Act No. IV of 1969 এর section 156 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১২। Act No. IV of 1969 এর section 196 এর সংশোধন।— উক্ত Act এর section 196 এর পরিবর্তে নিম্নরূপ section 196 প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “196. Appellate Tribunal—(1) The Government shall constitute an Appellate Tribunal to be called the Customs, Excise and VAT Appellate Tribunal which shall consist of as many members as it thinks fit to exercise the powers and discharge the functions conferred on the Appellate Tribunal by this Act. (2) A person shall not be appointed as a member of the Customs, Excise and VAT Appellate Tribunal unless— (a) he was or is a member of the Board or holds the current charge of a member of the Board; or (b) he is a commissioner of Customs, Excise & VAT having experience of at least one year; or (c) he is, was or has been a District Judge. (3) The Government shall appoint one of the members of the Appellate Tribunal to be the President thereof, who is a member of the Board or holds the current charge of a member of the Board.”",
"name": "Act No. IV of 1969 এর section 196 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১৩। উক্ত Act এর section 196C এর sub-section (2) ও (3) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ sub-section (2) ও (3) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(2) Subject to the provisions of sub-sections (3) and (4), a Bench shall consist of any two members. (3) Every appeal against a decision or order relating, among other things, to the determination of any question having a relation to the rate of duty of customs or to the value of goods for purposes of assessment shall be heard by a special Bench constituted by the President for hearing such appeals and such Bench shall consist of not less than two members.”।",
"name": "Act No. IV of 1969 এর section 196C এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১৪। উক্ত Act এর section 197C এর পর নিম্নরূপ নূতন section 197D সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “197D. Establishment of Bangladesh Single Window— (1) The Government may, by notification in the official Gazette, establish Bangladesh Single Window (BSW) which shall serve as the single electronic entry point and a platform for person involved in import, export, warehousing, transit or transhipment of goods. (2) There may be a Commissionerate to be called the Bangladesh Single Window Commissionerate which shall be responsible for the operation of the Bangladesh Single Window. (3) The Bangladesh Single Window Commissionerate shall consist of the Commissioner of Customs (Single Window) and other designated representative from the certificate, license and permit issuing agencies or bodies, as the case may be. (4) The functions of the Bangladesh Single Window Commissionerate shall be determined by the Board by notification in the official Gazette. (5) Any person intending to engage in import, export, warehousing, transit or transhipment of goods, shall submit data and documents electronically to the Bangladesh Single Window in such form and manner as may be prescribed by the Board. (6) The Board may, by notification in the official Gazette, constitute a Standing Committee with the following members, namely:— (a) Chairman, the National Board of Revenue, who shall also be its Chairperson; (b) a Member (Customs), the National Board of Revenue, who shall also be its Member Secretary; and (c) one representative from each of the certificate, license and permit issuing agencies or bodies, as the case may be. (7) The Standing Committee formed under sub-section (6) shall supervise and coordinate the activities of the Bangladesh Single Window Commissionerate and give necessary advice to it. (8) The Board may, by rules, prescribe the procedure, fees and other charges for the use of Bangladesh Single Window.”।",
"name": "Act No. IV of 1969 এর section 197D এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১৫। উক্ত Act এর FIRST SCHEDULE এর পরিবর্তে এই আইনের তফসিল-১ এ উল্লিখিত “FIRST SCHEDULE” (পৃথকভাবে মুদ্রিত) প্রতিস্থাপিত হইবে।The Customs Act, 1969 (Act no. IVof 1969), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এর FIRST SCHEDULE এ নিম্নলিখিত সংশোধনীগুলি অন্তর্ভুক্ত হইবে:(১) 88 নং পৃষ্ঠার কলাম (1) এ উল্লিখিত Heading 28.33 এর আওতাভুক্ত কলাম (2) তে বর্ণিত H.S.Code “2833.19.00” এর বিপরীতে কলাম (5) এ উল্লিখিত এন্ট্রি “10%” এর পরিবর্তে এন্ট্রি “15%” প্রতিস্থাপিত হইবে।(২) 114 নং পৃষ্ঠার কলাম (1) এ উল্লিখিত Heading 32.05 এর আওতাভুক্ত কলাম (2) তে বর্ণিত H.S.Code “3205.00.00” এর বিপরীতে কলাম (5) এ উল্লিখিত এন্ট্রি “15%” এর পরিবর্তে এন্ট্রি “5%” প্রতিস্থাপিত হইবে। (৩)131 নং পৃষ্ঠার কলাম (1) এ উল্লিখিত Heading 38.24 এর আওতাভুক্ত কলাম (2) তে বর্ণিত H.S.Code “3824.99.50” এবং উহার বিপরীতে কলাম (3), (4), (5) ও (6) তে উল্লিখিতি এন্ট্রিসমূহের পর নিম্নবর্ণিত H.S.Code “3824.99.60” এবং উহার বিপরীতে কলাম (3), (4), (5) ও (6) তে উল্লিখিতি এন্ট্রিসমূহ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:- “3824.99.60 --- Calcium Chloride based container kg 10% Free”। desiccant (৪) 274 নং পৃষ্ঠার কলাম (1) এ উল্লিখিত Heading 84.03 এর বিপরীতে কলাম (3) এ উল্লিখিত “Central heading boilers other than those of heading 84.02.” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও চিহ্নগুলির পরিবর্তে “Central heating boilers other than those of heading 84.02.” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও চিহ্নগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Act No. IV of 1969 এর FIRST SCHEDULE এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "354",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১৬। Income-tax Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXXVI of 1984), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এর section 2 এর— (ক) clause (30) এর— (অ) প্রারম্ভে উল্লিখিত “in relation to capital asset” শব্দগুলির পর “or a business or undertaking” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে; এবং (আ) sub-clause (a) তে উল্লিখিত “the price which such asset” শব্দগুলির পর “or such business or undertaking” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে; এবং (খ) clause (35) এর প্রারম্ভে উল্লিখিত ““income year” means” শব্দগুলি ও উদ্ধৃতি চিহ্নগুলির পরিবর্তে ““income year” means financial year immediately preceding the assessment year and includes” শব্দগুলি ও উদ্ধৃতি চিহ্নগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 2 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১৭। উক্ত Ordinance এর section 16G এর পর নিম্নরূপ নূতন section 16H সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “16H. Charge of tax on the difference of investment, import and export.— Where, in any income year, the assessee has, in the statements submitted by him, (a) claimed to have carried on any import or export, and the amount paid or received for such import or export respectively, as shown in the statement, is found to be different from the actual transaction value, or (b) claimed to have made any investment and the actual of investment is found to be lower than the amount of investment disclosed in the statement, tax, without prejudice to any other provisions of this Ordinance, shall be payable at the rate of fifty percent (50%) on the amount of the difference as mentioned in clause (a) or on the difference between the disclosed and the actual amount of investment as mentioned in clause (b), as the case may be.”",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এ section 16G এর পর নূতন section 16H এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১৮। Ordinance No. XXXVI of 1984 এ নূতন sections 19AAAA এবং 19AAAAA এর সন্নিবেশ।— উক্ত Ordinance এর বিলুপ্ত section 19AAA এর পর নিম্নরূপ নূতন sections 19AAAA এবং19AAAAA সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “19AAAA. Special Tax Treatment in respect of investment in Securities.— (1) Notwithstanding anything contained in this Ordinance or any other law for the time being in force, no question as to the source of any sum invested in securities by an individual assessee during the period between the first day of July, 2020 and the thirtieth day of June, 2021 (both days inclusive) shall be raised by any authority if the assessee pays tax at the rate of ten percent (10%) on such investment within thirty days from the date of such investment. (2) In respect of such investment, a declaration in the prescribed form and manner shall be made and submitted to the respective Deputy Commissioner of Taxes. (3) Where any such sum invested is withdrawn from the capital market within one years from the day of such investment, such sum shall be deemed to be income of the assessee for that income year classifiable under the head “Income from other sources.” (4) The provisions of this section shall not apply to cases where any proceeding under any provision of this Ordinance or any other law has been drawn on or before the day of making such investment. Explanation.—For the purpose of this section ‘securities’ mean stocks, shares, mutual fund units, bonds, debentures and other securities of the companies listed in and approved by the Bangladesh Securities and Exchange Commission and all other government securities and bonds tradable in the capital market. 19AAAAA. Special Tax Treatment in respect of undisclosed property, cash, etc.—(1) Notwithstanding anything contained in this Ordinance or any other law for the time being in force, no question as to the source of any undisclosed movable property and immovable property shall be raised by any authority if an individual assessee pays, before the submission of return or revised return of income during the period between the first day of July, 2020 and the thirtieth day of June, 2021 (both days inclusive), tax at the rate specified in the following tables: Table- 1 Serial No. Description of the Property Rate of tax (1) (2) (3) 1. Land situated in the area of Gulshan Model Town, Banani, Baridhara, Motijheel Commercial Area and Dilkusha Commercial Area of Dhaka taka twenty thousand per square meter 2. Land situated in the area of Dhanmandi Residential Area, Defence Officers Housing Society (DOHS), Mahakhali, Lalmatia Housing Society, Uttara Model Town, Bashundhara Residential Area, Dhaka Cantonment, Sidheshwary, Kawran Bazar, Bijaynagar, Wari, Segunbagicha, Nikunja of Dhaka, and Panchlaish, Khulshi, Agrabad and Nasirabad Area of Chittagong taka fifteen thousand and five hundred per square meter 3. Land situated in the area of any City Corporation other than areas mentioned in serial nos. 1 and 2 taka five thousand per square meter 4. Land situated in the area of a Paurasabha or any district headquarters taka one thousand and five hundred per square meter 5. Land situated in the area other than the areas mentioned in serial nos.1, 2, 3 and 4 taka five hundred per square meter Table-2 Serial No. Description of the Property Rate of tax (1) (2) (3) 1. Building or apartment, the plinth area of which does not exceed two hundred square meter, situated in the area of Gulshan Model Town, Banani, Baridhara, Motijheel Commercial Area and Dilkusha Commercial Area of Dhaka taka four thousand per square meter 2. Building or apartment, the plinth area of which exceeds two hundred square meter, situated in the area of Gulshan Model Town, Banani, Baridhara, Motijheel Commercial Area and Dilkusha Commercial Area of Dhaka taka six thousand per squaremeter 3. Building or apartment, the plinth area of which does not exceed two hundred square meter, situated in the area of Dhanmandi Residential Area, Defence Officers Housing Society (DOHS), Mahakhali, Lalmatia Housing Society, Uttara Model Town, Bashundhara Residential Area, Dhaka Cantonment, Sidheshwary, Kawran Bazar, Banasree, Bijaynagar, Wari, Segunbagicha, Nikunja of Dhaka, and Panchlaish, Khulshi, Agrabad and Nasirabad Area of Chittagong taka three thousand per square meter 4. Building or apartment, the plinth area of which exceeds two hundred square meter, situated in the area of Dhanmandi Residential Area, Defence Officers Housing Society (DOHS), Mahakhali, Lalmatia Housing Society, Uttara Model Town, Bashundhara Residential Area, Dhaka Cantonment, Sidheshwary, Kawran Bazar, Banasree, Bijaynagar, Wari, Segunbagicha, Nikunja of Dhaka, and Panchlaish, Khulshi, Agrabad and Nasirabad Area of Chittagong taka three thousand five hundred per square meter 5. Building or apartment, the plinth area of which does not exceed one hundred and twenty square meter, situated in the area of any City Corporation other than areas mentioned in serial nos. 1, 2, 3 and 4 taka seven hundred per square meter 6. Building or apartment, the plinth area of which exceeds one hundred and twenty square meter but does not exceed two hundred square meter, situated in the area of any City Corporation other than areas mentioned in serial nos. 1, 2, 3 and 4 taka eight hundred and fifty per square meter 7. Building or apartment, the plinth area of which exceeds two hundred square meter, situated in the area of any City Corporation other than areas mentioned in serial nos. 1, 2, 3 and 4 taka one thousand and three hundred per square meter 8. Building or apartment, the plinth area of which does not exceed one hundred and twenty square meter, situated in the area of a Paurasabha of any district headquarters taka three hundred per square meter 9. Building or apartment, the plinth area of which exceeds one hundred and twenty square meter but does not exceed two hundred square meter, situated in the area of a Paurasabha of any district headquarters taka four hundred and fifty per square meter 10. Building or apartment, the plinth area of which exceeds two hundred square meter, situated in the area of a Paurasabha of any district headquarters taka six hundred per squaremeter 11. Building or apartment, the plinth area of which does not exceed one hundred and twenty square meter, situated in the area other than the areas mentioned in serial nos. 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 and 10 taka two hundred per square meter 12. Building or apartment, the plinth area of which exceeds one hundred and twenty square meter but does not exceed two hundred square meter, situated in the area other than the areas mentioned in serial nos.1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 and 10 taka three hundred per square meter 13. Building or apartment, the plinth area of which exceeds two hundred square meter, situated in the area other than the areas mentioned in serial nos.1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 and 10 taka five hundred per square meter Table-3 Serial No. Description of the Property Rate of tax (1) (2) (3) 1. Cash, bank deposits, financial schemes and instruments, all kinds of deposits or saving deposits, savings instruments or certificates ten percent of the total amount (2) The provisions of this section shall not apply to cases where any proceeding under any provision of this Ordinance or any other law has been drawn on or before the day of submission of return or revised return.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এ নূতন sections 19AAAA এবং 19AAAAA এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1303,
"details": "১৯। উক্ত Ordinance এর section 19BBBBB এর— (ক) marginal note এ উল্লিখিত “residential” শব্দটি বিলুপ্ত হইবে; (খ) sub-section (1) এ উল্লিখিত “residential building” শব্দগুলির পরিবর্তে “building” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (গ) sub-section (4) এ উল্লিখিত “residential building” শব্দগুলির পরিবর্তে “building” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 19BBBBB এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২০। উক্ত Ordinance এর section 28 এর sub-section (1) এর clause (h) এর প্রান্তস্থিত “.” (ফুলস্টপ) এর পরিবর্তে “;” (সেমিকোলন) প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অত:পর নিম্নরূপ নূতন clause (i) সংযোজিত হইবে, যথা:— “(i) the shortfall of capital referred to in sub-section (12) of section 82BB.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 28 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২১। উক্ত Ordinance এর section 30 এর clause— (ক) (h) এর ছকের Serial Nos. এর (i) ও (ii) এর বিপরীত কলামে উল্লিখিত “net profit” শব্দগুলির পরিবর্তে “net profit from business or profession, excluding any profit or income of subsidiary or associate or joint venture,” শব্দগুলি ও চিহ্নগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (খ) (k) তে উল্লিখিত “one point two five percent(1.25%)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি, চিহ্ন ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে “zero point five zero percent (0.50%)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি, চিহ্ন ও বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (গ) (0) এর পর নিম্নরূপ নূতন clause (p) সংযোজিত হইবে, যথা:— “(p) any promotional expense exceeding zero point five zero percent (0.50%) of the disclosed business turnover. Explanation: For the purpose of this clause, promotional expense means any expense incurred by way of giving any benefit in kind or cash or in any other form to any person for the promotion of business or profession.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 30 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২২। উক্ত Ordinance এর section 31 এর পর নিম্নরূপ নূতন section 31A সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “31A. Capital gains from the transfer of business or undertaking.— Tax shall be payable by an assessee on “capital gains from the transfer of business or undertaking” in respect of any profits and gains arising from the transfer of business or undertaking in its entirety with all of its assets and liabilities and such profits and gains shall be deemed to be the income of the assessee in respect of the income year during which the transfer takes place.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 31এর পর নূতন section 31A এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২৩। উক্ত Ordinance এর section 32 এর পর নিম্নরূপ নূতন section 32A সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “32A. Computation of capital gains from the transfer of business or undertaking.—The Capital gains from the transfer of business or undertaking shall be computed after making the following deductions from the full value of the consideration received or accruing from the transfer of the business or undertaking in its entirety or the fair market value thereof, whichever is higher, namely:— (a) any expenditure incurred solely in connection with the transfer of the business or undertaking in its entirety; and (b) the book value of the assets minus the liabilities taken up as on the date of transfer as a result of the transfer of the business or undertaking in its entirety.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 32 এর পর নূতন section 32A এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২৪। উক্ত Ordinance এর section 33 এর clause (d) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ clause (d) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(d) any income to which sub-sections (1)-(5), (8)-(13), (21), (24), (27), (29), (31) or (32) of section 19 and sub-section (3) of section 19AAAA apply.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 33 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২৫। উক্ত Ordinance এর section42 এর sub-section (3) এর পর নিম্নরূপ নূতন sub-sections (3A) ও (3B) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “(3A) Where the assessee is an Association of Persons, the loss sustained by it under any head of income shall be set off under section 37 only against the income of the Association of Persons under any other head and not against the income of any of the members of the Association of Persons. (3B) Where the assessee is a member of the Association of Persons, he shall not be entitled to have any loss sustained by the Association of Persons carried forward and set off against his own income.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 42 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২৬। Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 46BB এর সংশোধন।— উক্ত Ordinance এর section 46BB এর sub-section (2) এর clause (a) এর sub-clause (xxvi) পর নিম্নরূপ নূতন sub-clauses (xxvii), (xxviii), (xxix), (xxx), (xxxi), (xxxii) এবং (xxxiii) এবং উহাদের বিপরীতে উল্লিখিত এন্ট্রিগুলি সংযোজিত হইবে, যথা:— “(xxvii) Electrical transformer; (xxviii) Artificial fiber or manmade fiber manufacturing; (xxix) Automobile parts and components manufacturing;(xxx) Automation and Robotics design, manufacturing including parts and components thereof;(xxxi) Artificial Intelligence based system design and/or manufacturing; (xxxii) Nanotechnology based products manufacturing;(xxxiii) Aircraft heavy maintenance services including parts manufacturing;”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 46BB এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২৭। উক্ত Ordinance এর section 51এর পরিবর্তে নিম্নরূপ section 51প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “51. Deduction at source from discount, interest or profit on securities.— Any person responsible for issuing a security of the Government, or security approved by the Government or Bangladesh Securities and Exchange Commission, income of which is classifiable under the head “interest on securities”, shall collect income-tax at the rate of five percent (5%) on discount, intererst or profit on securities at the time of making payment or credit, whichever is earlier.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 51 এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২৮। উক্ত Ordinance এর section 52 এর— (ক) sub-section (1) এর proviso এর paragraph (d) এর প্রান্তস্থিত “.” (ফুলস্টপ) এর পরিবর্তে “:” (কোলন) প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন proviso সংযোজিত হইবে, যথা:— “Provided that in case of the goods supplied by any distributor or any other person under a contract as referred in sub-section (3) of section 53E, the term “B” as mentioned in paragraph (d) shall be computed as follows: B={the selling price of the company to the distributor or the other person as referred in section 53E (3)} x 7% x 5%.”; এবং (খ) sub-section (2) এর clause (d) তে উল্লিখিত “adjustment of payment” শব্দগুলির পর “or an order or instruction of making payment” শব্দগুলি সংযোজিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 52 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1303,
"details": "২৯। উক্ত Ordinance এর section52A এর sub-section (2) এর clause (d) তে উল্লিখিত “adjustment of payment” শব্দগুলির পর “or an order or instruction of making payment” শব্দগুলি সংযোজিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 52A এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩০। Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section52AAএর সংশোধন।— উক্ত Ordinance এর section 52AA এর—(ক) sub-section (1) এর Table এর S LNos.13 ও 13A এবং উহাদের বিপরীতে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ কলামে উল্লিখিত এন্ট্রিগুলির পরিবর্তে নিম্নরূপ SL Nos.13 ও 13A এবং উহাদের বিপরীতে উল্লিখিত এন্ট্রিগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—'' 13. (i) Transport service, carrying service, vehicle rentalservice; (ii) Any other service under any sharing economy platform including ride sharing service, coworking space providing service and accommodation providing service.; 3% 4% 13A. Wheeling charge for electricity transmission 2% 3% ”; এবং (খ) sub-section (2) এর clause (d) তে উল্লিখিত “adjustment of payment” শব্দগুলির পর “or an order or instruction of making payment” শব্দগুলি সংযোজিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 52AA এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩১। উক্ত Ordinance এর section 52C এর— (ক) clause (a) তে উল্লিখিত “two” শব্দটির পরিবর্তে “six” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) clause (b) তে উল্লিখিত “one” শব্দটির পরিবর্তে “three” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 52C এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩২। উক্ত Ordinance এর section 52Q এর পরিবর্তে নিম্নরূপ section 52Q প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাh:— “52Q. Deduction of Tax from any income remitted from abroad in connection with any service, revenue sharing, etc.— Any person, responsible for paying or crediting to the account of a person any sum remitted from abroad by way of a fee, service charges, commission or remuneration, called by whatever name, or by way of revenue sharing of any name and nature, for— (a) providing any service rendered in Bangladesh; or(b) rendering any service or performing any task by a resident person in favour of a foreign person; or(c) allowing the use of any online platform for advertisement or any other purposes, shall deduct tax at the rate of ten percent at the time of making payment of the sum or crediting the sum to the account of the payee: Provided that no deduction under this section shall be made against the remittance from abroad which is— (i) excluded from total income by paragraph 48 of Part A of the Sixth Schedule, or (ii) the proceeds of sales of software or services of a resident if the income from such sales or services is exempted from tax under paragraph 33 of Part A of the Sixth Schedule.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 52Q এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩৩। উক্ত Ordinance এর section 52R এর sub-section (2) তে উল্লিখিত “Access Network Services (ANS)” শব্দগুলি ও বন্ধনীগুলির পর “,Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC)” কমা, শব্দগুলি ও বন্ধনীগুলি সন্নিবেশিত হইবে ।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 52R এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩৪। উক্ত Ordinance এর section 52U এর— (ক) sub-section (3) তে উল্লিখিত “The provision of this section shall not be applicable” শব্দগুলির পরিবর্তে “The tax shall be deducted at the rate of two percent (2%)” শব্দগুলি, সংখ্যা, চিহ্ন ও বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) sub-section (4) বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 52U এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩৫। উক্ত Ordinance এর section 53BB তে উল্লিখিত “one percent (1%)” শব্দগুলি, সংখ্যা, চিহ্ন ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে “zero point five percent (0.5%)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি, চিহ্ন ও বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 53BB এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩৬। উক্ত Ordinance এর section 53BBB এর পরিবর্তে নিম্নরূপ section 53BBB প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “53BBB. Collection of tax from Member of Stock Exchanges.—The Chief Executive Officer of a stock exchange shall collect tax at the rate of “zero point zero five percent (0.05%)”on the value of shares and mutual funds transacted by a member of a stock exchange and at the rate of ten percent (10%) on the commission received or receivable by a member of a stock exchange for the transaction of securities other than shares and mutual funds at the time of making payment for such transactions.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 53BBB এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩৭। উক্ত Ordinance এর section 53BBBB তে উল্লিখিত “one percent (1%)” শব্দগুলি, সংখ্যা, চিহ্ন ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে “zero point five percent (0.5%)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি, চিহ্ন ও বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 53BBBB এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩৮। উক্ত Ordinance এর section53E তে উল্লিখিত “adjustment of payment” শব্দগুলির পর “or an order or instruction of making payment” শব্দগুলি সংযোজিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 53E এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৩৯। উক্ত Ordinance এর section 56 এর— (ক) sub-section (1) এর টেবিলের SL. No.20 এর বিপরীতে দ্বিতীয় কলামে উল্লিখিত এন্ট্রিগুলির পরিবর্তে নিম্নরূপ এন্ট্রিগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “Dividend— (a) company, fund and trust(b) any other person not being a company, fund and trust”; এবং (খ) sub-section (2A) এর পর sub-section (3) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ নূতন sub-section (3) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— (3) For the purpose of this section— (i) “specified person” shall have the same meaning as in clause (a) of sub-section (2) of section 52 of this Ordinance; and (ii) “payment” includes a transfer, a credit, an adjustment of payment or an order or instruction of making payment.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 56 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪০। উক্ত Ordinance এর section 68 এ উল্লিখিত “four” শব্দটির পরিবর্তে “six” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 68 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪১। উক্ত Ordinance এর section 68B এর sub-section (2) এর টেবিলের পরিবর্তে নিম্নরূপ Table প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “Table Serial No. Type and engine capacity of motor car Amount of tax (in taka) (1) (2) (3) 1. A car or a jeep, not exceeding 1500cc 25,000/- 2. A car or a jeep, exceeding 1500cc but not exceeding 2000cc 50,000/- 3. A car or a jeep, exceeding 2000cc but not exceeding 2500cc 75,000/- 4. A car or a jeep, exceeding 2500cc but not exceeding 3000cc 1,25,000/- 5. A car or a jeep, exceeding 3000cc but not exceeding 3500cc 1,50,000/- 6. A car or a jeep, exceeding 3500cc 2,00,000/- 7. A microbus 30,000/- : ”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 68B এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪২। উক্ত Ordinance এর section 75 এর— (ক) sub-section (1) এর clause (e) এর— (অ) sub-clause (vii) এর প্রান্তস্থিত “;” (সেমিকোলন) এর পর “or” শব্দটি সন্নিবেশিত হইবে; এবং (আ) sub-clause (x) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ sub-clauses (x) ও (xi) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(x) participates in a shared economic activities by providing motor vehicle, space, accommodation or any other assets; or “(xi) owns any licensed arms; or”; এবং সংযোজিত হইবে, যথা (ই) পর নিম্নরূপ নূতন clause (f) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “(f) if such person is required to have Twelve-Digit Taxpayer’s Identification Number under section 184A:”; এবং (খ) sub-section (2) এর clause (iv) এর প্রান্তস্থিত “.” (ফুলস্টপ) এর পরিবর্তে “;or” চিহ্ন ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন clauses (v) ও (vi) সংযোজিত হইবে, যথা:— “(v) an individual assessee who has no taxable income but who is required to have Twelve-Digit Taxpayer’s Identification Number under section 184A for selling a land; or (vi) an individual assessee who has no taxable income but who is required to have Twelve-Digit Taxpayer’s Identification Number under section 184A for obtaining a credit card.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section75 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪৩। উক্ত Ordinance এর section 75A এর sub-section (1) এর— (ক) “a private university” শব্দগুলির পরিবর্তে “a university” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) “a diagnostic centre,” শব্দগুলি ও চিহ্নের পর “an English medium school providing education following international curriculum, artificial juridical person, local authority,” চিহ্নগুলি ও শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে ।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section75A এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪৪। উক্ত Ordinance এর section 80 এর— (ক) sub-section (1) এর clause (a) তে উল্লিখিত “twenty five” শব্দগুলির পরিবর্তে “forty” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) sub-section (2) এর proviso তে উল্লিখিত “three” শব্দটির পরিবর্তে “four” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 80 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪৫। উক্ত Ordinance এর section 82C এর— (ক) sub-section (2) এর clause (b) এর— (অ) “SL No. 1 of the Table of sub-section (1) of section 52AA” অক্ষরগুলি, শব্দগুলি, চিহ্নগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে “SL. No. 1, 2 and 13A of the Table of sub- section (1) of section 52AA” অক্ষরগুলি, শব্দগুলি, চিহ্নগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (আ) proviso এর sub-clause (ii) তে উল্লিখিত “iron products,” শব্দগুলি ও চিহ্নের পর “ferro alloy products,” শব্দগুলি ও কমা সন্নিবেশিত হইবে; এবং (খ) sub-section (4) এর প্রারম্ভিক অংশ ও clause (a) এর পরিবর্তে নিম্নরূপভাবে sub-section (4) এর প্রারম্ভিক অংশ ও clause (a) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(4) Subject to the provision of sub-section (5), minimum tax for an individual, a firm or a company shall be the following— (a) an assessee being— (i) an individual having gross receipts of taka three crore or more; or (ii) a firm having gross receipts of more than taka fifty lakh;or (ii) a company, shall, irrespective of its profits or loss in an assessment year, for any reason whatsoever, including the sustaining of a loss, the setting off of a loss of earlier year or years or the claiming of allowances or deductions (including depreciation) allowed under this Ordinance, be liable to pay minimum tax in respect of an assessment year at the following rate— Serial No Classes of assessee Rate of minimum tax (1) (2) (3) 1. Manufacturer of cigarette, bidi, chewing tobacco, smokeless tobacco or any other tobacco products 1% of the gross receipts 2. Mobile phone operator 2% of the gross receipts 3. Individual other than individual engaged in mobile phone operation or in the manufacturing of cigarette, bidi, chewing tobacco, smokeless tobacco or any other tobacco products, having gross receipts taka 3 crore or more 0.50% of the gross receipts 4. Any other cases 0.60% of the gross receipts: Provided that such rate of tax shall be zero point one zero percent (0.10%) of such receipts for an industrial undertaking engaged in manufacturing of goods for the first three income years since commencement of its commercial production.” ।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 82C এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪৬। উক্ত Ordinance এর section 124 এর sub-section (2) এর clause (a) তে উল্লিখিত“75A,” সংখ্যা, অক্ষর ও কমার পর “103A,”সংখ্যা, অক্ষর ও কমা সন্নিবেশিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 124 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪৭। উক্ত Ordinance এর section 158 এর sub-section (2) এর proviso তে উল্লিখিত “reasonable to him” শব্দগুলির পর “and shall pass such order in this regard as he thinks fit within thirty days from date of the receipt of such application” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 158 এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪৮। উক্ত Ordinance এর section 184A এর sub-section (3) এর— (ক) clause (xxiii) তে উল্লিখিত “paurashava,” শব্দটি ও কমার পর “zilla parishad,” শব্দগুলি ও কমা সন্নিবেশিত হইবে; (খ) clause (xxxii) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ clause (xxxii) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(xxxii) participates in a shared economic activities by providing motor vehicle, space, accommodation or any other assets.”; এবং (গ) clause (xxxiii) এর প্রান্তস্থিত “.” (ফুলস্টপ) এর পরিবর্তে “;” (সেমিকোলন) প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অত:পর নিম্নরূপ নূতন clause (xxxiv) সংযোজিত হইবে, যথা:— “(xxxiv) obtaining or maintaining a license for arms.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর section 184A এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৪৯। উক্ত Ordinance এর section 184F এর পর নিম্নরূপ নূতন section 184G সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— “184G. Power to condone or extend, etc.— (1) Notwithstanding anything contained contrary to any provision of this Ordinance, the Board may, with prior approval of the Government, by an order, and in public interest,— (a) condone the period of epidemic, pandemic, or any other acts of God, and war in computing the time limits specified in any provision of this Ordinance; or (b) extend the time limits specified in any provision of this Ordinance to such extent as the Board may think fit, due to such epidemic, pandemic, or any other acts of God, and war. (2) The order under sub-section (1) may be issued with retrospective effect.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এ নূতন section 184G এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫০। উক্ত Ordinance এর FIRST SCHEDULE এর Part B এর paragraph 1 এর clause (f) এর sub-clause (i) তে উল্লিখিত “a company,” শব্দগুলি ও চিহ্নের পর “local authority,” শব্দগুলি ও চিহ্ন সন্নিবেশিত হইবে।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর FIRST SCHEDULE এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫১। উক্ত Ordinance এর SIXTH SCHEDULE এর PART A এর— (ক) paragraph 8 এর পরিবর্তে নিম্নরূপ paragraph 8 প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “8. Any pension due to, or received by an assessee from the Government or an approved pension fund.”; (খ) paragraph 20 এর পরিবর্তে নিম্নরূপ paragraph 20 প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “20. Any income up to taka two crore fifty lakh received by an assessee as gratuity from the Government or an approved gratuity fund.”; এবং (গ) paragraph 54 এর পরিবর্তে নিম্নরূপ paragraph 54 প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “54. Any income earned by an alternative investment fund recognized by the Bangladesh Securities and Exchange Commission.”।",
"name": "Ordinance No. XXXVI of 1984 এর SIXTH SCHEDULE এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫২। (১) উপ-ধারা (৩) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, ২০২০ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ কর বৎসরের জন্য কোনো কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই আইনের তফসিল-২ এর প্রথম অংশে নির্দিষ্ট কর হার অনুযায়ী আয়কর ধার্য হইবে। (২) যে সকল ক্ষেত্রে Income-tax Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXXVI of 1984) এর SECOND SCHEDULE (লটারী আয় সংক্রান্ত) প্রযোজ্য হইবে, সেই সকল ক্ষেত্রে আরোপণযোগ্য কর উক্ত SCHEDULE অনুসারেই ধার্য করা হইবে, কিন্তু করের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রয়োগ করিতে হইবে। (৩) Income-tax Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXXVI of 1984) এর Chapter VII অনুসারে কর কর্তনের নিমিত্ত তফসিল-২ এ (আয়কর হার সংক্রান্ত) বর্ণিত হার ২০২০ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য বৎসরের জন্য প্রযোজ্য হইবে। (৪) এই ধারায় এবং এই ধারার অধীন আরোপিত আয়কর হারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত “মোট আয় (total income)” অর্থ Income-tax Ordinance,1984 (Ordinance No. XXXVI of 1984) এর বিধান অনুসারে নিরূপিত মোট আয় (total income)। (৫) কোনো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা এনজিওতে সেবা গ্রহণকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবাস্থলে গম্যতার ক্ষেত্রে এবং সেবা প্রদানে দেশে বলবৎ আইনি বিধান অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা না রাখিলে ২০২০ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ কর বৎসর হইতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করের পাঁচ শতাংশ (৫%) অতিরিক্ত কর ধার্য করা হইবে। (৬) কোনো করদাতা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের ন্যূনতম দশ শতাংশ (১০%) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগ করিলে উক্ত করদাতাকে প্রদেয় করের পাঁচ শতাংশ (৫%) কর রেয়াত প্রদান করা হইবে।",
"name": "আয়কর",
"related_acts": "672",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫৩। Income-tax Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXXVI of 1984) এর আওতায় ২০২০ সালের ১ জুলাই হইতে আরদ্ধ কর বৎসরের জন্য কোনো কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে তফসিল-২ এর দ্বিতীয় অংশে নির্দিষ্ট হার অনুযায়ী সারচার্জ ধার্য হইবে।",
"name": "সারচার্জ",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫৪। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর—(১) দফা (১৭) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (১৭) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(১৭) “আমদানিকৃত সেবা” অর্থ বাংলাদেশের বাহির হইতে সরবরাহকৃত সেবা;”; (২) দফা (১৮) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (১৮ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:— (১৮ক) “উপকরণ” অর্থ সকল প্রকার কাঁচামাল, ল্যাবরেটরী রি-এজেন্ট, ল্যাবরেটরী ইকুইপমেন্ট, ল্যাবরেটরী এক্সেসরিজ, জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত যে কোন পদার্থ, মোড়ক সামগ্রী, সেবা, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ; তবে নিম্নবর্ণিত পণ্য বা সেবাসমূহ উপকরণ হিসাবে বিবেচিত হইবে না, যথাঃ- (ক) শ্রম, ভূমি, ইমারত, অফিস ইকুইপমেন্ট ও ফিক্সচার, দালানকোঠা বা অবকাঠামো বা স্থাপণা নির্মাণ, সুষমীকরণ, আধুনিকীকরণ, প্রতিস্থাপন, সম্প্রসারণ, সংস্কারকরণ ও মেরামতকরণ; (খ) সকল প্রকার আসবাবপত্র, অফিস সাপ্লাই, স্টেশনারী দ্রব্যাদি, রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার, এয়ারকন্ডিশনার, ফ্যান, আলোক সরঞ্জাম, জেনারেটর ক্রয় বা মেরামতকরণ; (গ) ইন্টেরিয়র ডিজাইন, স্থাপত্য পরিকল্পনা ও নকশা; (ঘ) যানবাহন ভাড়া ও লিজ গ্রহণ; (ঙ) ভ্রমণ, আপ্যায়ন, কর্মচারীর কল্যাণ, উন্নয়নমূলক কাজ ও উহার সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবা; এবং (চ) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গন, অফিস, শো-রুম বা অনুরূপ ক্ষেত্র, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ভাড়া (Rent) গ্রহণ: তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের তৃতীয় তফসিলের অনুচ্ছেদ (৩) এ উল্লিখিত “ব্যবসায়ী” কর্তৃক ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে বিক্রয়, বিনিময় বা প্রকারান্তে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত, ক্রয়কৃত, অর্জিত বা অন্যকোনভাবে সংগৃহীত পণ্য “উপকরণ” হিসাবে গণ্য হইবে; (৩) দফা (১৯) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (১৯) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“(১৯) “উপকরণ কর” (Input Tax) অর্থ কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক উপকরণ হিসাবে আমদানিকৃত পণ্য বা সেবার বিপরীতে আমদানি পর্যায়ে পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর (আগাম কর ব্যতীত) এবং স্থানীয় উৎস হইতে উপকরণ হিসাবে ক্রয়কৃত বা সংগৃহীত পণ্য বা সেবার বিপরীতে পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর;”;(৪) দফা (২৮) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (২৮) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“(২৮) “কর নির্ধারণ” অর্থ একাদশ অধ্যায় এর অধীন যথোপযুক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক কর নির্ধারণ (determination) ;”।(৫) দফা (৩৮) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (৩৮) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“(৩৮) “কোম্পানি” অর্থ বাংলাদেশ বা অন্য কোন দেশের বিদ্যমান কোন আইনের অধীন কোম্পানি হিসাবে নিগমিত কোন প্রতিষ্ঠান;”;(৬) দফা (৪০) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (৪০) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(৪০) “চালানপত্র” অর্থ পণ পরিশোধের দায় সংক্রান্ত কোন দলিল;”;(৭) দফা (৫৭) এর প্রান্তঃস্থিত সেমিকোলন চিহ্নের পরিবর্তে কোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ শর্তাংশ সংযোজিত হইবে, যথা:—“তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ) এর অধীন কোন ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করিবার ক্ষেত্রে এই নিবন্ধনসীমা প্রযোজ্য হইবে না;”; (৮) দফা (৬২) এর উপ-দফা (ক) তে উল্লিখিত “পণ্য বা সেবার উপকরণ” শব্দগুলির পরিবর্তে “পণ্য বা সেবা” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;(৯) দফা (৭৪) এর উপ-দফা (ঙ) এবং (চ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-দফা (ঙ), (চ) এবং (ছ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:¾“(ঙ) কোন আন্তঃ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন;(চ) সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ বা অনুরূপ কোন উদ্যোগ; বা(ছ) অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান;” (১০) দফা (৮২) তে উল্লিখিত “পণ্য” শব্দটি বিলুপ্ত হইবে;(১১) দফা (৯২) এর ১ম পঙক্তিতে অবস্থিত “সমম্বিত কর চালানপত্র এবং” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে;”।(১২) দফা (১০৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (১০৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“(১০৩) “হ্রাসকারী সমন্বয়” অর্থ নিম্নবর্ণিত কোন হ্রাসকারী সমন্বয়, যথা:—(ক) আগাম কর হিসাবে পরিশোধিত অর্থের হ্রাসকারী সমন্বয়; (খ) সরবরাহকারী কর্তৃক প্রদত্ত সরবরাহের বিপরীতে উৎসে কর্তিত করের হ্রাসকারী সমন্বয়; (গ) বাৎসরিক পুনঃহিসাব প্রণয়ন বা নিরীক্ষার ফলে প্রযোজ্য হ্রাসকারী সমন্বয়; (ঘ) ক্রেডিট নোট ইস্যুর কারণে হ্রাসকারী সমন্বয়;(ঙ) রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিশোধিত উপকরণ করের হ্রাসকারী সমন্বয়;(চ) মূসক হার হ্রাস পাইবার ক্ষেত্রে হ্রাসকারী সমন্বয়;(ছ) পূর্ববর্তী কর মেয়াদ হইতে নেতিবাচক অর্থের পরিমাণ জের টানার নিমিত্ত হ্রাসকারী সমন্বয়;(জ) পূর্ববর্তী কর মেয়াদে অতিরিক্ত পরিশোধিত মূসক হ্রাসকারী সমন্বয়; বা(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন হ্রাসকারী সমন্বয়।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫৫। উক্ত আইনের ধারা ৫ এর—(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “নির্ধারিত পদ্ধতিতে” শব্দগুলির পরিবর্তে “নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং(খ) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের প্রান্তঃস্থিত দাঁড়ি চিহ্নের পরিবর্তে কোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ শর্তাংশ সংযোজিত হইবে, যথা:—“আরও শর্ত থাকে যে, কেন্দ্রীয় নিবন্ধন গ্রহণ ও কর পরিশোধের লক্ষ্যে বোর্ড বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৫ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫৬। উক্ত আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৮ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫৭। উক্ত আইনের ধারা ১২ এর—(ক) উপান্তটীকায় উল্লিখিত “কমিশনার কর্তৃক” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে; (খ) দুইটি স্থানে উল্লিখিত “কমিশনার” শব্দটির পরিবর্তে, উভয়স্থানে, “সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১২ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫৮। উক্ত আইনের ধারা ৩১ এর—(ক) উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(২) করযোগ্য আমদানির উপর মূসক যে সময় ও পদ্ধতিতে আদায় করা হয় সেই একই সময় ও পদ্ধতিতে করযোগ্য আমদানির মূসক আরোপযোগ্য ভিত্তিমূল্যের উপর বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানিকৃত উপকরণের ক্ষেত্রে ৪ (চার) শতাংশ হারে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) শতাংশ হারে আগাম কর প্রদেয় হইবে।”;(খ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “দুইটি কর মেয়াদের” শব্দগুলির পরিবর্তে “চারটি কর মেয়াদের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৩১ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৫৯। উক্ত আইনের ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“(২) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের পণ হইবে সরবরাহের মূল্য বা সরবরাহকারী এবং সরবরাহগ্রহীতা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হইলে ন্যায্য বাজার মূল্য।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৩২ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬০। উক্ত আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “৬০ (ষাট)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দের পরিবর্তে “৯০ (নব্বই)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৩৩ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬১। উক্ত আইনের ধারা ৪৬ এর—(ক) উপ-ধারা (১) এর—(অ) দফা (গ) তে উল্লিখিত “দুইটি কর মেয়াদের” শব্দগুলির পরিবর্তে “চারটি কর মেয়াদের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (আ) দফা (ঙ) তে উল্লিখিত “ক্রয় হিসাব পুস্তকে” শব্দের পর “বা ক্রয়-বিক্রয় হিসাব পুস্তকে” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;(ই) দফা (ড)এর প্রান্তঃস্থিত দাঁড়ি চিহ্নের পরিবর্তে সেমিকোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা সংযোজিত হইবে, যথা:—(ঢ) মোট উপকরণ মূল্য ৭.৫ (সাত দশমিক পাঁচ) শতাংশের অধিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নূতন উপকরণ-উৎপাদ সহগ প্রদান না করিলে অতিরিক্ত বর্ধিত উপকরণ কর।”;(খ) উপ-ধারা (২) এর-দফা (ঘ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঘ) প্রতিস্থাপিত হইবে,যথা:—“(ঘ) উক্ত অর্জন পণ্য পরিবহন সেবা সংক্রান্ত ব্যয়ের ৮০ (আশি) শতাংশের অধিক হয়।”;(গ) উপ-ধারা (৩) এর—(অ) দফা (ঘ) তে উল্লিখিত “(৫)” বন্ধনী ও সংখ্যার পরিবর্তে “(২)” বন্ধনী ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে;(আ) দফা (ঘ) এর প্রান্তঃস্থিত দাঁড়ি চিহ্নের পরিবর্তে সেমিকোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা (ঙ) সংযোজিত হইবে, যথা:—“(ঙ) গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সেবার উপর পরিশোধিত মূসক রেয়াত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত বিল, যাহা চালানপত্র হিসাবে গণ্য হইবে।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৪৬ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬২। উক্ত আইনের ধারা ৪৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“৪৮।সমন্বয়।— (১) নির্ধারিত পরিমাণ, শর্ত, সময়সীমা ও পদ্ধতিতে করদাতা নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন, যথা:—(ক) উৎসে কর্তিত করের বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; (খ) বাৎসরিক পুনঃহিসাব প্রণয়নের ফলে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; (গ) ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পরিশোধ না করিবার ফলে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; (ঘ) ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত (private use) পণ্যের ক্ষেত্রে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; (ঙ) নিবন্ধিত হইবার পর বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; (চ) নিবন্ধন বাতিলের কারণে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; (ছ) মূসক হার পরিবর্তিত হইবার কারণে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; (জ) সুদ, জরিমানা, অর্থদণ্ড, ফিইত্যাদি পরিশোধ সংক্রান্ত বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; বা(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন বৃদ্ধিকারী সমন্বয়।(২) নির্ধারিত পরিমাণ, শর্ত, সময়সীমা ও পদ্ধতিতে করদাতা নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন, যথা:—(ক) আগাম কর হিসাবে পরিশোধিত অর্থের হ্রাসকারী সমন্বয়; (খ) সরবরাহকারী কর্তৃক প্রদত্ত সরবরাহের বিপরীতে উৎসে কর্তিত করের হ্রাসকারী সমন্বয়; (গ) বাৎসরিক পুনঃহিসাব প্রণয়ন বা নিরীক্ষার ফলে প্রযোজ্য হ্রাসকারী সমন্বয়; (ঘ) ক্রেডিট নোট ইস্যুর কারণে হ্রাসকারী সমন্বয়;(ঙ) রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিশোধিত উপকরণ করের হ্রাসকারী সমন্বয়;(চ) মূসক হার হ্রাস পাইবার ক্ষেত্রে হ্রাসকারী সমন্বয়;(ছ) পূর্ববর্তী কর মেয়াদ হইতে নেতিবাচক অর্থের পরিমাণ জের টানিবার নিমিত্ত হ্রাসকারী সমন্বয়;(জ) পূর্ববর্তী কর মেয়াদে অতিরিক্ত পরিশোধিত মূসক হ্রাসকারী সমন্বয়; বা(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন হ্রাসকারী সমন্বয়।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৪৮ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 62
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬৩। উক্ত আইনের ধারা ৪৯ এর—(ক) উপ-ধারা (১) এর প্রারম্ভে উল্লিখিত “উপ-ধারা” শব্দের পূর্বে “ধারা ৩৩ এর বিধানাবলী সত্ত্বেও,” শব্দগুলি, সংখ্যা এবং কমা সন্নিবেশিত হইবে;(খ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “সমন্বিত কর চালানপত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র” শব্দগুলির পরিবর্তে “কর চালানপত্র” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;(গ) উপ-ধারা (৪) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৫) সংযোজিত হইবে, যথা:—“(৫) কোন প্রকল্পের আওতায় কোন সেবা গ্রহণকারী কর্তৃক প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর যদি সেবা গ্রহণকারী বা, ক্ষেত্রমত, সেবার মূল্য বা কমিশন পরিশোধকারী ব্যক্তি সেবার মূল্য বা কমিশন পরিশোধকালে নির্ধারিত পদ্ধতিতে উৎসে আদায় বা কর্তনপূর্বক সরকারি ট্রেজারিতে জমা করেন এবং উক্ত সেবা সরবরাহকারী ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত সমুদয় সেবার অংশবিশেষ সরবরাহের লক্ষ্যে কোন সাব-কন্ট্রাক্টর, এজেন্ট বা অন্যকোন সেবা সরবরাহকারী ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন, সেইক্ষেত্রে উক্ত সেবা সরবরাহকারীর সাব-কন্ট্রাক্টর, এজেন্ট বা নিয়োগকৃত অন্যকোন সেবা সরবরাহকারী ব্যক্তির নিকট হইতে, উক্ত সেবার উপর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর আদায় বা কর্তন এবং সরকারি ট্রেজারিতে জমা প্রদানের দালিলিক প্রমাণাদি উপস্থাপন সাপেক্ষে পুনরায় উৎসে মূল্য সংযোজন কর আদায় করা যাইবে না; তবে, প্রকল্পের আওতায় পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৪৯ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 63
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬৪। উক্ত আইনের ধারা ৫০ এর উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“(৩) সরবরাহকারী উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা হইতে উৎসে কর কর্তন সনদপত্র গ্রহণ ব্যতীত হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন না।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৫০ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 64
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬৫। উক্ত আইনের ধারা ৫৩ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫৩ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “৫৩। উৎসে কর কর্তন সনদপত্র।— কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির নিকট হইতে উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা কোন সরবরাহ গ্রহণের ক্ষেত্রে, উক্ত উৎস কর কর্তনকারী সত্তা তৎকর্তৃক উক্ত সরবরাহের বিপরীতে মূল্য পরিশোধের সময় বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উৎসে কর কর্তন সনদপত্র ইস্যু করিবেন।”",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৫৩ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 65
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬৬। উক্ত আইনের ধারা ৬৪ এর— (ক) উপ-ধারা (১) এর প্রান্তঃস্থিত দাঁড়ি চিহ্নের পরিবর্তে কোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ শর্তাংশ সংযোজিত হইবে; যথা:—“তবে শর্ত থাকে যে, ১৫ (পনেরো) তম দিবসে সরকারি ছুটি থাকিলে তৎপরবর্তী কার্যদিবসে দাখিলপত্র পেশ করিতে হইবে।”; (খ) উপ-ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (১ক) ও (১খ) সংযোজিত হইবে; যথা:—“(১ক) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, দৈব-দুর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে, বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, আদেশ দ্বারা, উক্তরূপ আপৎকালীন সময়ের জন্য সুদ ও জরিমানা আদায় হইতে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক দাখিলপত্র পেশের সময়সীমা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।(১খ) উপ-ধারা (১ক) এ উল্লিখিত আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৬৪ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 66
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬৭। উক্ত আইনের ধারা ৬৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৬৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “৬৮। ঋণাত্মক নীট অর্থ জের টানা ও ফেরত প্রদান।— (১) যদি কোন কর মেয়াদে উপকরণ কর এবং প্রাপ্য হ্রাসকারী সমন্বয়ের সমষ্টি, উৎপাদ কর, সম্পূরক শুল্ক এবং বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের সমষ্টিকে অতিক্রমের কারণে উক্ত কর মেয়াদে প্রদেয় নীট অর্থের পরিমাণ ঋণাত্মক হয়, তাহা হইলে অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ জের টানিতে হইবে এবং পরবর্তী ছয়টি কর মেয়াদে উক্ত অর্থ বিয়োজন করা যাইবে, তৎপরবর্তীতে অবশিষ্ট অর্থ এই ধারা অনুসারে ফেরৎ প্রদান করিতে হইবে।(২) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তিকে পূর্ববর্তী কর মেয়াদ হইতে জের টানা অতিরিক্ত অর্থ নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে হ্রাসকারী সমন্বয় প্রদান করিতে হইবে—(ক) সকল উৎপাদ করের পরিমাণ এবং এই ধারার অধীন প্রদত্ত সমন্বয় ব্যতীত অন্যান্য সমুদয় সমন্বয় হিসাবে লইয়া পরবর্তী কর মেয়াদে উক্ত মেয়াদের জন্য প্রদেয় করের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে হইবে;(খ) যদি নিরূপিত অর্থের পরিমাণ ধনাত্মক হয়, তবে পূর্বের কর মেয়াদ হইতে জের টানা অতিরিক্ত অর্থের এমন অংশ হ্রাসকারী সমন্বয় প্রদান করিতে হইবে যাহাতে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ শূন্যে হ্রাস পায়;(গ) পূর্বের কর মেয়াদ হইতে জের টানা যে পরিমাণ অর্থ দফা (খ) এর অধীন সমন্বয় করা যাইবে না, উহা ততক্ষণ পর্যন্ত জের টানিতে হইবে, যতক্ষণ না—(অ) কোন কর মেয়াদের জন্য জের টানা সমুদয় অতিরিক্ত অর্থ বিয়োজিত হয়; বা(আ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য জের টানা অতিরিক্ত অর্থের আংশিক বা সমুদয় পরিমাণ ছয়টি কর মেয়াদ পর্যন্ত জের টানা হয়।(৩) যদি ছয়টি কর মেয়াদ যাবৎ জের টানিবার পর অতিরিক্ত অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তাহা হইলে—(ক) অতিরিক্ত অর্থের পরিমাণ ৫০,০০০.০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকার অধিক না হইলে উক্ত পরিমাণ শূন্যে হ্রাস না পাওয়া পর্যন্ত উহার জের টানিতে হইবে; বা(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, উক্ত পরিমাণ অর্থ নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে আবেদন প্রাপ্তির ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ফেরৎ প্রদান করিতে হইবে।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৬৮ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 67
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬৮। উক্ত আইনের ধারা ৭১ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “কমিশনার” শব্দের পরিবর্তে “কমিশনার বা মহাপরিচালক” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৭১ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 68
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৬৯। উক্ত আইনের ধারা ৭৩ এর—(ক) একাদশ অধ্যায়ের শিরোনামে উল্লিখিত“কমিশনার কর্তৃক” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে এবং উপ-ধারা (১) এ দুইবার উল্লিখিত “কমিশনার” শব্দটির পরিবর্তে উভয়স্থানে “কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা” শব্দগুলি ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (অ) এর “, বা অনিয়মিতভাবে উপকরণ কর রেয়াত বা হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণ করিয়াছেন” কমা ও শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে;(গ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “কমিশনার” শব্দের পরিবর্তে “কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা” শব্দগুলি ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে;(ঘ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “কমিশনার” শব্দের পরিবর্তে “কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা” শব্দগুলি ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে;(ঙ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত “কমিশনারকে” শব্দের পরিবর্তে “কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তাকে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;(চ) উপ-ধারা (৪) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৫) সংযোজিত হইবে, যথা:—“(৫) দাখিলপত্র পরীক্ষায় উপকরণ কর রেয়াত বা হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণের অনিয়ম উদঘাটিত হইলে সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া প্রদেয় করের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৭৩ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 69
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭০। উক্ত আইনের ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—“(১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধানের অপব্যাখ্যা বা অপব্যবহার করিয়া কোন পরিকল্পের (scheme) মাধ্যমে কোন কর সুবিধা গ্রহণ করেন বা গ্রহণ করিবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে কমিশনার করদাতাকে শুনানি প্রদান করিয়া নির্ধারিত ক্ষেত্র ও পদ্ধতিতে এমনভাবে কর সুবিধার যথার্থতা নিরূপণ, নির্ধারণ, রদকরণ বা হ্রাসকরণের জন্য যুক্তিযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং সুবিধা লাভকারী ব্যক্তির করদায়িতা নিরূপণ করিতে পারিবেন যেন বিশেষ প্রস্তাবটি গৃহীত হয় নাই বা কার্যকর হয় নাই।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৭৬ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 70
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭১। উক্তআইনের ধারা ৭৮ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (চচ) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (চচচ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:—“(চচচ) মহাপরিচালক, শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তর;”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৭৮ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 71
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭২। উক্ত আইনের ধারা ৮৩ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে; যথা:—“(৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাজস্ব কর্মকর্তার নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তা তাঁহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তির উৎপাদনস্থল বা সরবরাহস্থল বা সেবা প্রদানস্থল বা ব্যবসায়স্থল পরিদর্শন এবং মজুদ পণ্য, সেবা, উপকরণ ও হিসাব পরীক্ষা করিতে পারিবেন।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৮৩ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 72
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭৩। উক্ত আইনের ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৩) সংযোজিত হইবে; যথা:—(৩) যদি কোন ব্যক্তি তৎকর্তৃক ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত ন্যায় নির্ণয়ন এর আবেদন করেন, তবে সে ক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি ও শুনানী গ্রহণ ব্যতিরেকে উক্ত ক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে পারিবেন।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৮৬ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 73
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭৪। উক্ত আইনের ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (১ক) তে উল্লিখিত “উপ-কমিশনার” শব্দের পরিবর্তে “সহকারী কমিশনার” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৯৫ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 74
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭৫। উক্ত আইনের ধারা ১২১ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “১০ (দশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দের পরিবর্তে “২০ (বিশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১২১ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 75
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭৬। উক্ত আইনের ধারা ১২২ এর— (ক) উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা: — (২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত দাবীকৃত করের ২০ (বিশ) শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে: তবে উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কমিশনার (আপীল) কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এ আপীল দায়ের করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে তাহার উপর দাবীকৃত কর বা আরোপিত অর্থদণ্ডের কোনো অংশ জমা প্রদান করিতে হইবে না; (খ) উপ-ধারা (৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৫ক) এবং (৫খ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা: — (৫ক) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, মহামারী, দৈব-দূর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে সরকার উক্তরূপ আপৎকালীন সময়ের জন্য আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আপীল নিষ্পত্তির সময়সীমা আদেশ দ্বারা বৃদ্ধি করিতে পারিবে। (৫খ) উপ-ধারা (৫ক) এ উল্লিখিত সময়সীমা বৃদ্ধির আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১২২ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 76
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭৭। উক্ত আইনের ধারা ১২৬ এর—(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “সম্পূরক শুল্ক” শব্দগুলির পর “বা আগাম কর” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে; (খ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “সম্পূরক শুল্ক” শব্দগুলির পর “বা আগাম কর” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে; (গ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “সম্পূরক শুল্ক” শব্দগুলির পর “বা আগাম কর” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১২৬ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 77
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭৮। উক্ত আইনের ধারা ১৩০ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড, মূসক পরামর্শক নিয়োগের শর্ত, পদ্ধতি ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিতে পারিবে।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১৩০ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 78
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৭৯। উক্ত আইনের প্রথম তফসিল এর— (ক) প্রথম খন্ডের টেবিলের প্রথম কলামে উল্লিখিত— (অ) শিরোনামা সংখ্যা ০২.০৭ এর বিপরীতে দ্বিতীয় কলামে উল্লিখিত সামঞ্জস্যপূর্ণ নামকরণ কোড “০২০৭.১৩.৯০” ও “০২০৭.১৪.৯০” বিলুপ্ত হইবে; (আ) শিরোনামা সংখ্যা “০৪.০৯” এবং তৎবিপরীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলামে উল্লিখিত এন্ট্রিসমূহ বিলুপ্ত হইবে; (ই) শিরোনামা সংখ্যা “২৫.০৫” এবং তৎবিপরীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলামে উল্লিখিত এন্ট্রিসমূহের পর, যথাক্রমে, নিম্নরূপ নূতন শিরোনামা সংখ্যা ও এন্ট্রিসমূহ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:—“২৫.০৮ ২৫০৮.৪০.০০ মাটি”;(খ) দ্বিতীয় খন্ডের— (অ) অনুচ্ছেদ ৩ (সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট সেবা) এর দফা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:— “(খ) পুস্তক, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, সরকারি গেজেট ছাপা, প্রকাশনা ও বিক্রয় (ছাপাখানা ও বাধাই সংস্থা ব্যতীত);”; (আ) অনুচ্ছেদ ৪ (অর্থ ও আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট সেবা) এর দফা (গ) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (ঘ) সংযোজিত হইবে, যথা:— “(ঘ) শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম।”; (ই) অনুচ্ছেদ ৫ (পরিবহন সেবা) এর দফা (ঘ) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (ঙ) সংযোজিত হইবে, যথা:— “(ঙ) এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম।”।",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের প্রথম তফসিলের সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 79
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৮০। উক্ত আইনের দ্বিতীয় তফসিল এর— (ক) টেবিল-১ (আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যসমূহ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ টেবিল-১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের দ্বিতীয় তফসিলের সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 80
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৮১। ২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের তৃতীয় তফসিলের সংশোধন।—উক্ত আইনের তৃতীয় তফসিল এর—",
"name": "২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের তৃতীয় তফসিলের সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 81
},
{
"act_id": 1303,
"details": "৮২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে— (ক) মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০ (২০২০ সনের ২ নং অধ্যাদেশ); এবং(খ) Income-tax (Amendment) Ordinance, 2020 (২০২০ সনের ৩ নং অধ্যাদেশ);এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিতকৃত অধ্যাদেশ দুইটির অধীন কৃত কোন কার্য বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা বা জারীকৃত কোন আদেশ এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত বা জারীকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 82
}
],
"text": "সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকরকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকরকরণ এবং নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে কতিপয় আইন সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1304,
"lower_text": [],
"name": "নির্দিষ্টকরণ আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 3,
"published_date": "৩০ জুন, ২০২০",
"related_act": [
1304
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1304,
"details": "১। এই আইন নির্দিষ্টকরণ আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা ১৭ আষাঢ়, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১ জুলাই, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1304",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1304,
"details": "২। ২০২১ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরে যেই সকল ব্যয় হইতে পারে সেই সকল ব্যয় নির্বাহের জন্য এই আইনের তফসিলের কলাম ২ এ বর্ণিত কার্যাদির বিপরীতে কলাম ৫ এ উল্লিখিত ৭৫৯৬৪২,৪৪,২১,০০০ (সাত লক্ষ ঊনষাট হাজার ছয়শত বিয়াল্লিশ কোটি চুয়াল্লিশ লক্ষ একুশ হাজার) টাকার অনধিক পরিমাণ অর্থ সংযুক্ত তহবিল হইতে প্রদেয় ও ব্যয়যোগ্য হইবে।",
"name": "২০২০-২০২১ অর্থবৎসরের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে ৭৫৯৬৪২,৪৪,২১,০০০ (সাত লক্ষ ঊনষাট হাজার ছয়শত বিয়াল্লিশ কোটি চুয়াল্লিশ লক্ষ একুশ হাজার) টাকা প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1304,
"details": "৩। এই আইন দ্বারা সংযুক্ত তহবিল হইতে প্রদান করিবার ও ব্যয় নির্বাহের জন্য অনুমোদিত অর্থ ২০২১ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরে এই আইনের তফসিলের কলাম ২ এ বর্ণিত কার্যের জন্য উহার বিপরীতে কলাম ৫ এ উল্লিখিত পরিমাণের অনধিক অর্থ নির্দিষ্ট করা হইল।",
"name": "নির্দিষ্টকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
}
],
"text": "২০২১ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য প্রণীত আইন যেহেতু ২০২১ সনের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবৎসরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1305,
"lower_text": [],
"name": "আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 6,
"published_date": "৯ জুলাই, ২০২০",
"related_act": [
1305,
75,
957,
86
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1305,
"details": "১। (১) এই আইন আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1305",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1305,
"details": "২। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) “আইন” অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ তে সংজ্ঞায়িত অর্থে আইন; (খ) “আদালত” অর্থ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগসহ সকল অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল; (গ) “দেওয়ানি কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No.V of 1908); (ঘ) “ফৌজদারি কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No.V of 1898); (ঙ) “ভার্চুয়াল উপস্থিতি” অর্থ অডিও-ভিডিও বা অনুরূপ অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির আদালতের বিচার বিভাগীয় কার্যধারায় উপস্থিত থাকা বা অংশগ্রহণ। (২) এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা এই আইনে প্রদান করা হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধিতে যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "957,86,75",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1305,
"details": "৩। (১) ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কোনো আদালত, এই আইনের ধারা ৫ এর অধীন জারীকৃত প্রাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) সাপেক্ষে, অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ বা তাহাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিতক্রমে যে কোনো মামলার বিচার (trial), বিচারিক অনুসন্ধান (inquiry), বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, বা সাক্ষ্য (evidence) গ্রহণ, বা যুক্তিতর্ক (argument) গ্রহণ, বা আদেশ (order) বা রায় (judgment) প্রদান করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ বা তাহাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি বা ক্ষেত্রমত, দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1305,
"details": "৪। ধারা ৩ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা অন্য কোনো আইনের অধীন আদালতে তাহার স্বশরীরে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতার শর্ত পূরণ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "ভার্চুয়াল উপস্থিতি স্বশরীরে আদালতে উপস্থিতি গণ্য",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1305,
"details": "৫। ধারা ৩ ও ৪ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজন অনুসারে, সময় সময়, প্রাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করিতে পারিবে।",
"name": "প্রাকটিস নির্দেশনা জারির ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1305,
"details": "৬। (১) আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ (২০২০ সনের ১ নং অধ্যাদেশ) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 6
}
],
"text": "মামলার বিচার (trial), বিচারিক অনুসন্ধান (inquiry), বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, বা সাক্ষ্য (evidence) গ্রহণ, বা যুক্তিতর্ক (argument) গ্রহণ, বা আদেশ (order) বা রায় (judgement) প্রদানকালে পক্ষগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা প্রদানের নিমিত্ত বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু মামলার বিচার (trial), বিচারিক অনুসন্ধান (inquiry), বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, বা সাক্ষ্য (evidence) গ্রহণ, বা যুক্তিতর্ক (argument) গ্রহণ, বা আদেশ (order) বা রায় (judgement) প্রদানকালে পক্ষগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা প্রদানের নিমিত্ত বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1306,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 6,
"published_date": "২৮ জানুয়ারি, ২০২০",
"related_act": [
239
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1306,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1306,
"details": "২। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর প্রস্তাবনার পরিবর্তে নিম্নরূপ প্রস্তাবনা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাঃ- “যেহেতু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তাঁহার সরকারের আমলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেড ডিভিশনের ২৮ জুলাই ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখের ADMN-১E-২০/৭৩/৬৩৬ নং রেজুল্যুশনবলে একটি সম্পূর্ণ সরকারি দপ্তর হিসাবে ট্যারিফ কমিশন প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে; এবংযেহেতু বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন প্রতিষ্ঠাকল্পে একটি আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;”।",
"name": "১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইনের প্রস্তাবনার সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1306,
"details": "৩। উক্ত আইনের সর্বত্র উল্লিখিত ‘‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইনের সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1306,
"details": "৪। উক্ত আইনের ধারা ৭ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৭ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাঃ- “৭। কমিশনের কার্যাবলি।- (১) দেশিয় পণ্য ও সেবা রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে দেশিয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিকাশে শিল্পপণ্য উৎপাদন ও বিপণনে দক্ষতাবৃদ্ধি, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি এবং আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে তুলনামূলক সুবিধা (comparative advantage) নিরূপণকল্পে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কমিশন সরকারকে পরামর্শ প্রদান করিবে, যথা :- (ক) শুল্কনীতি পর্যালোচনাক্রমে শুল্কহার যৌক্তিকীকরণ; (খ) আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও বহু-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি; (গ) এন্টি ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং ও সেইফগার্ড সংক্রান্ত আইন ও বিধি অনুযায়ী দেশিয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ; (ঘ) ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট ট্রেড, জিএসপি (Generalized System of Preference), রুলস অব অরিজিন (Rules of Origin) ও অন্যান্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য; (ঙ) শিল্প, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শুল্কনীতি প্রণয়ন; (চ) বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ে উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; (ছ) Protective Duties Act, 1950 (Act No. LXI of 1950) এর আলোকে সুনির্দিষ্ট মেয়াদে সংরক্ষণমূলক আমদানি শুল্ক (Protective Duties of Customs) আরোপ; (জ) শিল্প সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণপূর্বক দেশিয় পণ্য ও সেবার রপ্তানি বৃদ্ধি; (ঝ) আমদানি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বা সেবাসমূহের হারমোনাইজড সিস্টেম কোড; (ঞ) বৈদেশিক বাণিজ্য পরিবীক্ষণ; এবং (ট) আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তারকারী নীতিমালা ও রীতিনীতি। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান ছাড়াও কমিশন নিম্নোক্ত কার্যাবলি সম্পাদন করিবে, যথা:- (ক) এন্টি-সারকামভেনশন সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা; (খ) বাংলাদেশ হইতে রপ্তানিকৃত পণ্য ও বাণিজ্যের উপর অন্য দেশ কর্তৃক গৃহীত বাণিজ্য প্রতিবিধান সংক্রান্ত পদক্ষেপ (এন্টি ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং, সেইফগার্ড মেজার্স ও এন্টি সারকামভেনশন) এর পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত দেশিয় রপ্তানিকারকগণকে সহায়তা প্রদান; (গ) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারদর নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনা; (ঘ) বিশ্ব-বাণিজ্য সংস্থার আওতায় বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তিতে সরকারকে সহায়তা প্রদান; (ঙ) বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ, ডাটাবেজ সংরক্ষণ, পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ এবং জনস্বার্থে উক্ত তথ্যসমূহ সরকার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ; (চ) অন্যান্য দেশের সহিত বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং এতদসংক্রান্ত চুক্তির ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের উপর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন; (ছ) সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ভোক্তা ও জনসাধারণের স্বার্থ বিবেচনার উদ্দশ্যে গণ শুনানির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ চিহ্নিতকরণ; (জ) দেশিয় শিল্প ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অংশীজনদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ; এবং (ঝ) দেশিয় শিল্প ও বাণিজ্যের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা বা সমীক্ষা পরিচালনা। (৩) এই ধারার অধীন পেশকৃত সুপারিশ বাস্তবায়নের ফলে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ভোক্তা ও জনসাধারণের স্বার্থ বিবেচনা করিয়া কমিশন ক্ষতি লাঘবের জন্য, উহার মতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট পেশ করিবে; (৪) এই ধারার অধীন কমিশন কর্তৃক পেশকৃত সুপারিশকে সরকার স্বীকৃতি দিবে এবং যথাযথভাবে বিবেচনা করিবে।“।",
"name": "১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইনের ধারা ৭ এর সংশোধন",
"related_acts": "239",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1306,
"details": "৫। উক্ত আইনের ধারা ৮ এর বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) হিসাবে সংখ্যায়িত হইবে এবং উক্তরূপে সংখ্যায়িত উপ-ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) সংযোজিত হইবে, যথাঃ- “(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রাপ্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে প্রকাশ করা যাইবে।“।",
"name": "১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইনের ধারা ৮ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1306,
"details": "৬। উক্ত আইনের ধারা ১২ এর উপ-ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) সংযোজিত হইবে, যথাঃ- “(২) গবেষণা বা সমীক্ষা কাজে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক ও গবেষণা সহায়তাকারী নিয়োগ করিতে পারিবে।“।",
"name": "১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইনের ধারা ১২ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
}
],
"text": "বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইন) এর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-"
} |
{
"id": 1307,
"lower_text": [],
"name": "ভোটার তালিকা (সংশোধন) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "২৮ জানুয়ারি, ২০২০",
"related_act": [
1005
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1307,
"details": "১। (১) এই আইন ভোটার তালিকা (সংশোধন আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1307,
"details": "২। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬ নং আইন) এর ধারা ১১ এর উপ-ধারা (১) এর “২ জানুয়ারী হইতে ৩১ জানুয়ারী” সংখ্যা ও শব্দগুলির পরিবর্তে “২ জানুয়ারী হইতে ২ মার্চ” সংখ্যা ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০০৯ সনের ৬ নং আইনের ধারা ১১ এর সংশোধন",
"related_acts": "1005",
"section_id": 2
}
],
"text": "ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-"
} |
{
"id": 1308,
"lower_text": [],
"name": "কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 15,
"published_date": "২৫ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২০",
"related_act": [
788,
1308
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1308,
"details": "১। (১) এই আইন কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1308",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1308,
"details": "২। কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঠ) এর প্রথম শর্তাংশের “কোন দলিলে কোম্পানীর সাধারণ সীলমোহর অংকিত করা,” শব্দগুলি ও কমা বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন",
"related_acts": "788",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1308,
"details": "৩। উক্ত আইনের ধারা ২৪ এর উপ-ধারা (২) এর “ও একটি সাধারণ সীলমোহর” শব্দগুলি বিলূপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২৪ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1308,
"details": "৪। উক্ত আইনের ধারা ৩১ এর “সাধারণ সীলমোহরযুক্ত” শব্দগুলি বিলূপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৩১ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1308,
"details": "৫। উক্ত আইনের ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (১) এর “উহার সাধারণ সীলমোহর যুক্ত করিয়া” শব্দগুলি বিলূপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৪৬ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1308,
"details": "৬। উক্ত আইনের ধারা ৭৮ এর দফা (খ) বিলূপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৭৮ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1308,
"details": "৭। উক্ত আইনের ধারা ৭৯ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) বিলূপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৭৯ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1308,
"details": "৮। উক্ত আইনের ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (চ) এ উল্লিখিত “উহার সীলমোহর নতুবা” শব্দগুলি বিলূপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৮৫ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1308,
"details": "৯। উক্ত আইনের ধারা ১২৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১২৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাঃ- “১২৮। দলিল সম্পাদন।– কোম্পানী লিখিতভাবে যে কোন ব্যক্তিকে সাধারণভাবে অথবা যে কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভিতর বা বাহিরে যে কোন স্থানে উহার পক্ষে দলিল সম্পাদনের জন্য উহার এটর্নী হিসাবে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে; এবং কোম্পানীর পক্ষে উক্ত এটর্নী কোন দলিলে স্বাক্ষর করিলে দলিলটি কার্যকর হইবে এবং কোম্পানীর উপর উহা বাধ্যকর হইবে।”।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ১২৮ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1308,
"details": "১০। উক্ত আইনের ধারা ১২৯ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১২৯ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাঃ- “১২৯। কোন কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশের বাহিরের কোন স্থানে কোন ব্যক্তিকে ক্ষমতা অর্পণ। - (১) কোন কোম্পানীর উদ্দেশ্যাবলী অনুসারে উহার কোন কার্য বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদনের প্রয়োজন হইলে এবং উহার সংঘবিধি দ্বারা কোম্পানী ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, বাংলাদেশের বাহিরের কোন ভূখণ্ডে, এলাকায় বা স্থানে কোম্পানী লিখিতভাবে যে কোন ব্যক্তিকে ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে এবং তিনি কোম্পানীর প্রতিনিধি বলিয়া গণ্য হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রতিনিধিকে ক্ষমতা প্রদান সম্পর্কিত দলিলে এতদুদ্দেশ্যে কোন সময় উল্লেখ থাকিলে, সেই সময় পর্যন্ত অথবা, উক্ত দলিলে কোন সময়ের উল্লেখ না থাকিলে, প্রতিনিধির সহিত লেনদেনকারী ব্যক্তিকে প্রতিনিধির ক্ষমতা প্রত্যাহার বা অবসানের নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত, প্রতিনিধির ক্ষমতা বহাল থাকিবে।(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রতিনিধি প্রয়োজনীয় দলিল দস্তাবেজে তাহার স্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে তারিখ উল্লেখ করিবেন এবং যে ভূখণ্ডে, এলাকা বা স্থানে স্বাক্ষর করা হইল সেই ভূখণ্ড, এলাকা বা স্থানের নাম উল্লেখ করিবেন।”।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ১২৯ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1308,
"details": "১১। উক্ত আইনের ধারা ২০৮ এ উল্লিখিত “সীলমোহর দ্বারা প্রমাণীকৃত (authenticated) হইলে, উক্ত অনুলিপি, উহাতে” শব্দগুলি, কমাগুলি ও বন্ধনী বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২০৮ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1308,
"details": "১২। উক্ত আইনের ধারা ২২৫ এর “এবং তাহা কোম্পানীর সাধারণ সীলমোহর দ্বারা মোহরাঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন হইবে না” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২২৫ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1308,
"details": "১৩। উক্ত আইনের ধারা ২৬২ এর দফা (ঘ) এর “এবং তদুদ্দেশ্যে যখন প্রয়োজন হয় কোম্পানীর সাধারণ সীলমোহর ব্যবহার করা” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২৬২ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1308,
"details": "১৪। উক্ত আইনের ধারা ৩৪৭ এর উপ-ধারা (৪) বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৩৪৭ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1308,
"details": "১৫। উক্ত আইনের ধারা ৩৬৩ এর “এবং একটি সাধারণ সীলমোহর” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৩৬৩ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
}
],
"text": "কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-"
} |
{
"id": 1309,
"lower_text": [],
"name": "Bangladesh Bank (Amendment) Act, 2020",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "০৯ জুলাই, ২০২০",
"related_act": [
1309,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1309,
"details": "১। এই আইন Bangladesh Bank (Amendment) Act, 2020 নামে অভিহিত হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম",
"related_acts": "1309",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1309,
"details": "২। Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর Article 10 এর clause (5) এর শর্তাংশে উল্লিখিত “sixty five” শব্দগুলির পরিবর্তে “sixty seven” শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "O. No. 127 of 1972 এর Article 10 এর সংশোধন",
"related_acts": "415",
"section_id": 2
}
],
"text": "Bangladesh Bank Order, 1972- এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর অধিকতর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-"
} |
{
"id": 1310,
"lower_text": [
"1 The entry of the Bangladesh Collaborators (Special Tribunals) Order, 1972 (P.O. No. 8 of 1972) was crossed-out from the FIRST SCHEDULE of the Constitution by the Constitution (Fifth Amendment) Act, 1979 (Act 1 of 1979) and the Constitution (Fifth Amendment) Act, 1979 was declared void and non est by the Appellate Division of the Supreme Court of Bangladesh in Civil Petition for leave to Appeal Numbers 1044 and 1045 of 2009, and subsequently the entry \"The Bangladesh Collaborators (Special Tribunals) Order, 1972 (P.O. No. 8 of 1972)\" was inserted in the FIRST SCHEDULE of the Constitution by section 47of the Constitution (Fifteenth Amendment) Act, 2011 (Act 14 of 2011)."
],
"name": "Bangladesh Collaborators (Special Tribunals) Order, 1972",
"num_of_sections": 18,
"published_date": "24th January, 1972",
"related_act": [
75,
1310
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1310,
"details": "1. (1) This Order may be called the Bangladesh Collaborators (Special Tribunals) Order, 1972.(2) It extends to the whole of Bangladesh.(3) It shall come into force at once and shall be deemed to have taken effect on the 26th day of march, 1971.",
"name": "1",
"related_acts": "1310",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1310,
"details": "2. In this Order,¾(a) “Code” means the Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);(b) “Collaborator” means a person who has¾(i) participated with or aided, or abetted the occupation army in maintaining, sustaining, strengthening, supporting or furthering the illegal occupation of Bangladesh by such army;(ii) rendered material assistance in any way whatsoever to the occupation army by any Act, whether by words, signs or conduct;(iii) waged war or abetted in waging war against the People's Republic of Bangladesh;(iv) actively resisted or sabotaged the efforts of the people and the liberation forces of Bangladesh in their liberation struggle against the occupation army; (v) by a public statement or by voluntary participation in propagandas within and outside Bangladesh or by association in any delegation or committee or by participation in purported bye-elections attempted to aid or aided the occupation army in furthering its design of perpetrating its forcible occupation of Bangladesh.Explanation¾ A person who has performed in good faith functions which he was required by any purported law in force at the material time to do shall not be deemed to be a collaborator:Provided that a person who has performed functions the direct object or result of which was the killing of any member of the civil population or the liberation forces of Bangladesh or the destruction of their property or the rape of or criminal assault on their women-folk, even if done underany purported law passed by the occupation army, shall be deemed to be a collaborator.(c) “Government”means the Government of the People's Republic of Bangladesh;(d) “Liberation forces”includes all forces of the People's Republic of Bangladesh engaged in the liberation of Bangladesh;(e) “Occupation army”means the Pakistan Armed Forces engaged in the occupation of Bangladesh;(f) “Special Tribunal”means a Tribunal set up under this Order.",
"name": "2",
"related_acts": "75",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1310,
"details": "3.(1) Any Police Officer or any person empowered bythe Government in that behalf may, without a warrant, arrest any person who may reasonablybe suspected of having been a collaborator.(2) Any Police Officer or person making an arrest under clause (1) shall forthwith report such arrest to the Government together with a precis of the information or materials on the basis of which the arrest has been made, and, pending receipt of the order of the Government, may, by order in writing, commit any person so arrested to such custody as the Government may by general or special order specify.(3) On receipt of a report under clause (2), the Government may by order in writing, direct such person to be detained for an initial period of six months for the purpose of inquiry into the case.(4) The Government may extend the period of detention if, in the opinion of the Government further time is required for completion of the inquiry.(5) Any person arrested an detained before the commencement of this Order who is alleged to be a collaborator, shall be deemed to be arrested and detained under this Order and an order in writing authorising such detention shall be made by the Government:Provided that the initial period of detention of six months in the case of such person shall be computed from the date of his arrest.",
"name": "3",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1310,
"details": "4.Notwithstanding anything contained in the Code or in any other law for the time being in force, any collaborator, who has committed any offence specified in the Schedule shall be tried and punished by a special Tribunal set up under this Orderand no other Court shall have any jurisdiction to take cognizance of any such offence.",
"name": "4",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1310,
"details": "5.(l) The Government may set up as many Special Tribunals as it may deem necessary to try and punish offences under this Order for each district or for such area as may be determined by it.(2) A Special Tribunal shall consist of one member.(3) No person shall be qualified to be appointed a member of a Special Tribunal unless he is or has been a Sessions Judge or an Additional Sessions Judge or an Assistant Sessions Judge.",
"name": "5",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1310,
"details": "6.(l) A Special Tribunal consisting of a Sessions Judge or an Additional Sessions Judge shall try and punish offences enumerated in Parts I and II of the Schedule.(2) A Special Tribunal consisting of an Assistant Sessions Judge shall try and punish offences enumerated in Parts III and IV of the Schedule.",
"name": "6",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1310,
"details": "7. A Special Tribunal shall not take cognizance of any offence punishable under this Order except upon a report in writing by an officer-in-charge of a policestation.",
"name": "7",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1310,
"details": "8.The provisions of the Code in so far as they are not inconsistent with the provisions of this Order, shall apply to all matters connected with, arising from or consequent upon a trial by a Special Tribunal.",
"name": "8",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1310,
"details": "9.(1) A Special Tribunal shall not be bound to adjourn a trial for any purpose unless such adjournment is, in its opinion, necessary in the interests of justice.(2) No trial shall be adjourned by reason of the absence of any accused person, if suchaccused person is represented by counsel, or if the absence of the accused person or his counsel has been brought about by the accused person himself, and the Special Tribunal shall proceed with the trial after taking necessary steps to appoint an advocate to defend an accused person who is not represented by counsel.",
"name": "9",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1310,
"details": "10.A Special Tribunal may, with a view to obtaining the evidence of any person supposed to have been directly or indirectly concerned in, or privy to the offence, tender a pardon to such person on condition of his making a full and true disclosure ofthe whole circumstances within his knowledge relative to the offence and to every other person concerned, whether as principal or a better, in the commission thereof; and any pardon so tendered shall, for the purpose of section 339 and 339A of the Code, be deemed to have been tendered under section 338, of the Code.",
"name": "10",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1310,
"details": "11. Notwithstanding anything contained in any other law for the time being in force,¾(a) any collaborator who is convicted for any of the offences specified in Part I of the Schedule shall be punished with death or transportation for life and shall be liable to a fine; (b) any collaborator who is convicted for any of the offences specified in Part II of the Schedule shall be punished with rigorous imprisonment for a term not exceeding ten years and shall also be liable to a fine;(c) any collaborator who is convicted for any of the offences specified in Part III of the Schedule shall be punished with rigorous imprisonment for a term not exceeding five years and shall also be liable to afine;(d) any collaborator who is convicted for any of the offences specified in Part IV of the Schedule shall be punished with rigorous imprisonment for a term not exceeding two years and shall also be liable to a fine.",
"name": "11",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1310,
"details": "12.Without prejudice to any sentence passed by the Special Tribunal, the property, immovable, movable, or any portion thereof, of a collaborator may, on his conviction, be forfeited to the Government, upon an order in writing made in this behalf by the Government.",
"name": "12",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1310,
"details": "13. If any accusedis convicted of and sentenced for more than one offence, the sentences of imprisonment shall run concurrently or consecutively, as determined by the Special Tribunal.",
"name": "13",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1310,
"details": "14. Notwithstanding anything contained in the Code on person who is in custody, accused or convicted of an offence punishable under this Order shall be released on bail.",
"name": "14",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1310,
"details": "15. The provisions of Chapter XXVII of the Code shall apply to a sentence of death passed by a Special Tribunal.",
"name": "15",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1310,
"details": "16. (1) A person convicted of any offence by a Special Tribunal may appeal to the High Court. (2) The Government may direct a Public Prosecutor to present an appeal to the High Court from an order of acquittal passed by a Special Tribunal; upon intimation to the Special Tribunal by the Public Prosecutor thatsuch an appeal is being filed, the person in respect of whom the order of acquittal was passed shall continue to remain in custody. (3) The period of limitation for an appeal under clause (l) shall be 30 days from the date of sentence and for an appeal under clause (2) shall be 30 days from the date of the order of acquittal. (4) The appeal may lie on matters of fact as well as of law.",
"name": "16",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1310,
"details": "17. (1) If the Government has reasons to believe that a person, who, in the opinion of the Government, is required for the purpose of any investigation, enquiry or other proceedings connected with an offence punishable under this Order, is absconding or is otherwise concealing himself or remaining abroad to avoid appearance, the Government, may, by a written proclamation published in the official Gazette or in such other manner as may be considered suitable to make it widely known:¾(a) direct the person named in the proclamation to appear at a specified place at a specified time;(b) direct attachment of any property, movable or immovable, or both, belonging to the proclaimed person.Explanation :“Property belonging to the proclaimed person”shall include property, movable and immovable, standing in the name of the proclaimed person or in the name of his wife, children, parents, minor brothers, sisters of dependents or any benamdar.(2) If the property ordered to be attached is a debt or other movable property, the attachment shall be made,¾(a) by seizure; or(b) by the appointment of an administrator; or(c) by an order in writing prohibiting the delivery of such property to the proclaimed person or to any one on his behalf; or(d) by all or any two of the methods mentioned in sub-clauses (a), (b) and (c) as the Government may direct. (3) If the property ordered to be attached is immovable, the attachment shall be made in the case of land paying revenue to Government, by the Deputy Commissioner of the district in which the land is situate, and in all other cases,¾(a) by taking possession of the property; or(b) by the appointment of an administrator; or(c) by an order in writing prohibiting the payment of rent or delivery of the property to the proclaimed person or to any one on his behalf; or(d) by all or any two of the methods mentioned in sub-clauses (a), (b) and (c) as the Government may direct.(4) If the property ordered to be attached consists of livestock or is of a perishable nature, the Government may, if it thinks it expedient, order immediate sale thereof, and in such case the proceeds of the sale shall abide the order of the Government.(5) The powers, duties and liabilities of an administrator appointed under this Article shall be the same as those of a receiver appointed under Chapter XXXVI of the Code of Civil Procedure,1908 (Act V of 1908).(6) If any claim is preferred to, or objection made to the attachment of, any property attached under this Article, within seven days from the date of such attachment, by any person other than the proclaimed person, on the ground that the claimant or objector has an interest in such property, and that such interest is not liable to attachment under this Article, the claim or objection shall be inquired into, and may be allowed or disallowed in whole or in part: Provided that any claim preferred or objection made within the period allowed by this clause may, in the event of the death of the claimant or objector, be continued by his legal representative.(7) A claim or an objection under clause (6) may be preferred or made before such person or authority as is appointed by the Government. (8) Any person whose claim or objection has been disallowed in whole or in part by an order under clause (6) may, within a period of one month from the date of such order, appeal against such order to an appellate authority, constituted by the Government, for such purpose, but subject to the order of such appellate authority, the order shall be conclusive.(9) If the proclaimed person appears within the time specified in the proclamation, the Government may make an order releasing the property from the attachment.(10) If the proclaimed person does not appear within the time specified in the proclamation, the Government may pass an order forfeiting to the Government the property under attachment.(11) When any property has been forfeited to the Government under clause (10), it may be disposed of in such manner as the Government directs.",
"name": "17",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1310,
"details": "18.Notwithstanding the provisions of the Code or of any other law for the time being in force, no action or proceeding taken or purporting to be taken under this Order shall be called in question by any Court, and there shall be no appeal from any order or sentence a Special Tribunal save as provided in section 16.",
"name": "18",
"related_acts": "",
"section_id": 18
}
],
"text": "1THE BANGLADESH COLLABORATORS (SPECIAL TRIBUNALS) ORDER, 1972 Whereas certain persons, individually or as members of organisations, directly or indirectly, have been collaborators of the Pakistan Armed forces, which had illegally occupied Bangladesh by brute force, and have aided or abetted the Pakistan Armed forces of occupation in committing genocide and crimes against humanity and in committing atrocities against men, women, and children and against the person, property and honour of the civilian population of Bangladesh and have otherwise aided or co-operated with or acted in the interest of the Pakistan Armed forces of occupation or contributed by any act, word or sign towards maintaining, sustaining, strengthening, supporting or furthering the illegal occupation of Bangladesh by the Pakistan Armed forces or have waged war or aided or abetted in waging war against the People's Republic of Bangladesh; And whereas such collaboration contributed towards the perpetration of a reign of terror and the commission of crimes against humanity on a scale which has horrified the moral consciences of the people of Bangladesh and of right-thinking people through the world; And whereas it is imperative that such persons should be dealt with effectively and be adequately punished in accordance with the due process of law; And whereas it is expedient to provide for the setting up of Special Tribunals for expeditious and fair trial of the offences committed by such persons;Now therefore, in pursuance of the Proclamation of Independence of Bangladesh, reads with the Provisional Constitution of Bangladesh Order, 1972 and in exercise of all powers enabling him in that behalf, the President is, pleased to make the following Order :"
} |
{
"id": 1312,
"lower_text": [
"1 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Pakistan\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"3 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"4 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"5 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Pakistan\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"6 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"7 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"8 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Pakistan\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"9 Sub-section (2) was substituted by section 2 of Chittagong Hill Tracts (Land Acquisition) Regulation (Amendment) Act, 2019 (Act No 3 of 2019).",
"10 The word \"Government\" was substituted for the words \"Commissioner of Chittagong Division\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"11 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "The Chittagong Hill-tracts (Land Acquisition) Regulation, 1958",
"num_of_sections": 6,
"published_date": "26th July, 1958",
"related_act": [
1312,
1313,
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1312,
"details": "1. (1) This Regulation may be called Chittagong Hill-tracts (Land Acquisition) Regulation, 1958' href='/act-1363.html'>THE Chittagong Hill-tracts (Land Acquisition) Regulation, 1958. (2) It shall come into force at once.",
"name": "Short title and commencement",
"related_acts": "1312,1312",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1312,
"details": "2.In this Regulation, unless there is anything repugnant in the subject or context,-(a) “Deputy Commissioner” means the Deputy Commissioner of the Chittagong Hill-tracts and includes any officer specially appointed by the 6Government to perform all or any of the functions of the Deputy Commissioner under this Regulation;(b) “land” includes benefits to arise out of land, and things attached to the earth or permanently fastened to anything attached to the earth;(c) “Person interested” includes all persons claiming an interest in the compensation to be paid on account of the acquisition of and under this Regulation.",
"name": "Definitions",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1312,
"details": "3.(1) When any land held on valid title, which is not resumable under the Chittagong Hill-tracts Regulation, 1900, or the rules made thereunder, is required for any public purpose, the Deputy Commissioner may acquire such land by an order in writing.(2) When an order is made under sub-section (1), the Deputy Commissioner shall serve a copy of such order on the person or persons interested:Provided that if the Deputy Commissioner is of the opinion that the service of the copy of such order on each such person will cause delay in taking possession of the land, he may dispense with such service and cause a public notice of such order to be given at convenient places in the locality.(3) On and from the date of service of a copy of the order or publication of a notice under sub-section (2), the land so acquired shall vest absolutely in the 7Government free from all incumbrances and the Deputy Commissioner may take possession of such land by using such force as may be necessary.",
"name": "Acquisition",
"related_acts": "1313",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1312,
"details": "4. (1) When any land is acquired under section 3, the 8Government shall pay compensation therefor as may be determined by the Deputy Commissioner and in determining the amount of such compensation, the Deputy Commissioner shall take into consideration,- firstly, the market value of the land on the date of the order of acquisition, but he shall not take into consideration the changes in the value of the land resulting from the project to which the acquisition relates;secondly, the damage sustained by the person interested by reason of the taking of any structures, bamboos, trees or standing crops which may be on the land at the time of the Deputy Commissioner’s taking possession thereof;thirdly, the damage, if any, sustained by the person interested at the time of the Deputy Commissioner’s taking possession of the land by reason of severing such land from his other land;fourthly, the damage, if any, sustained by the person interested at the time of the Deputy Commissioner’s taking possession of the land, by reason of the acquisition injuriously affecting his other property, movable or immovable, in any other manner, or his earnings;fifthly, if in consequence of the acquisition of the land by the Deputy Commissioner the person interested is compelled to change his residence or place of business, the reasonable expenses, if any, incidental to such change; andsixthly, the damage, if any, bona fide resulting from diminution of the profits of the land between the time of the service of a copy of the order or publication of the notice under sub-section (2) of section 3 and the time of the Deputy Commissioner’s taking possession of the land.9(2) In addition to the market value of the land, as provided above, the Deputy Commissioner shall, in every case, award a sum of 200 (two hundred) per centum for public purpose and 300 (three hundred) per centum for private purpose on such market value, in consideration of the compulsory nature of the acquisition.",
"name": "Compensation",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1312,
"details": "5. (1) An appeal against an order made by the Deputy Commissioner determining the compensation under section 4 shall, if presented within thirty days of the date of service of the notice of such determination, lie to the 10Government.(2) The sub-section (2) was omitted by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"name": "Appeal",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1312,
"details": "6. The 11Government may make rules for carrying out the purposes of this Regulation.",
"name": "Power to make rules",
"related_acts": "",
"section_id": 6
}
],
"text": "A Regulation to provide for the acquisition of land in the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS by a Proclamation dated the 25th day of June, 1958, under Article 193 of the Constitution of the Islamic Republic of Pakistan, the President has assumed to himself all the powers vested in, or exercisable by the 1Government;AND WHEREAS the President has, in pursuance of sub-clause (i) of clause (c) of the said Proclamation, been pleased to direct by Notification No. 22/11/58-Pol. (I), dated the 4th July, 1958, published in the Extraordinary Gazette of Pakistan, dated the 4th July, 1958, that the power vested in, or exercisable by, the 2Government under the constitution shall be exercised by the 3Government;AND WHEREAS it is expedient to provide for the acquisition of land in the Chittagong Hill-tracts;AND WHEREAS by clause (3) of Article 103 of the Constitution of the Islamic Republic of Pakistan, the 4Government is empowered to make Regulation for the peace and good Government of the excluded area in this province;NOW, THEREFORE, the 5Government, in exercise of the said powers and all other powers enabling it in this behalf, is pleased to make the following Regulation, namely:-"
} |
{
"id": 1313,
"lower_text": [
"1 The word \"Bangladesh\" was substituted for the words \"East Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Bangladesh\" was substituted for the words \"East Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"3 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"4 The semi-colon (;) was substituted for the full-stop (.) and clauses (c) and (d) were added by section 2 of the Chittagong Hill-Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003 (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)",
"5 The word \"Government\" was substituted, for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"6 The word \"Government\" was substituted, for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"7 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"8 The words \"three districts\" were substituted for the words \"a district\" and the words \"and civil\" and \"civil\" were omitted by section 3 of The Chittagong Hill-Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003 (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)",
"9 The words \"and civil\" were omitted by section 3 of The Chittagong Hill-Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003 (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)",
"10 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"11 The words \"civil\" were omitted by section 3 of The Chittagong Hill-Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003 (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)",
"12 The sub-section (1) was substituted by section 4 of The Chittagong Hill-Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003. (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)",
"13 The word \"The\" was substituted for the word \"As\" by section 4 of The Chittagong Hill-Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003 (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)",
"14 The words \"the Commissioner\" were omitted by section 4 of The Chittagong Hill- Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003, (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)",
"15 Sub-sections (3), (4) and (5) were added by section 4 of The Chittagong Hill-Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003. (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)",
"16 The words \"The Supreme Court of Bangladesh\" were substituted for the words \"The High Court of East Pakistan\" by Article 7(3) of the the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"17 The word \"Government\" was substituted for the words \"Central Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"18 The word “Bengal” was omitted by the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972).",
"19 The word “Bengal” was omitted by the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972).",
"20 The word \"Bangladesh\" was substituted for the words \"East Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"21 The comma and words \", except any order made in the matter of land administration and land reforms\" were added by by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"22 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"23 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"24 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"25 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"26 The word \"Government\" was substituted for the words \"Central Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"27 The word \"Government\" was substituted for the words \"Central Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "The Chittagong Hill-tracts Regulation, 1900",
"num_of_sections": 20,
"published_date": "17th January, 1900",
"related_act": [
1313,
75,
12,
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1313,
"details": "1. (1) This Regulation may be called the Chittagong Hill-tracts Regulation, 1900. (2) It extends to the Chittagong Hill-tracts; and (3) It shall come into force on such date as the 3Government may, by notification in the Official Gazette, appoint.",
"name": "Short title, extent and commencement",
"related_acts": "1313",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1313,
"details": "2. In this Regulation-(a) the expression “Chittagong Hill-tracts” means the area known by that name as existing on the first day of January 1936; and(b) “Commissioner” and Additional Commissioner” mean respectively the Commissioner and the Additional Commissioner of the Chittagong Division 4 ;(c) “District Judge” means the District Judge appointed by the Government in consultation with the Supreme Court of Bangladesh;(d) “Joint District Judge” means the Joint District Judge appointed by the Government in consultation with the Supreme Court of Bangladesh.",
"name": "Definitions",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1313,
"details": "3. Subject to the provisions of this Regulation, the administration of the Chittagong Hill-tracts shall be carried on in accordance with the rules for the time being in force under section 18.",
"name": "Chittagong Hill- tracts how to be administered",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1313,
"details": "4. (1) The enactments specified in the schedule, to the extent and with the modifications therein set forth and so far as they are not inconsistent with this Regulation or the rules for the time being in force thereunder, are hereby declared to be in force in the Chittagong Hill-tracts.(2)No other enactment heretofore or hereafter passed shall be deemed to apply in the Chittagong Hill-tracts:Provided that the 5Government may, by notification in the Official Gazette,- (a) declare that any other enactment shall apply in the said tracts, either wholly or to the extent or with the modifications which may be set forth in the notification; or (b) declare that any enactment which is specified in the schedule, or which has been declared to apply by a notification under clause (a) of this sub-section, shall cease to apply in the said tracts : Provided further that no such declaration shall be after the commencement of Part III of the Government of India Act, 1935.",
"name": "Enactments applicable in Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1313,
"details": "5. The 6Government may, by notification in the Official Gazette,- (a) appoint any person to be the Deputy Commissioner of the Chittagong Hill-tracts; and (b) appoint so many Deputy Magistrate and Deputy Collectors and other officers as it thinks fit to assist in the administration of the said tracts.",
"name": "Appointment of Deputy Commissioner and subordinate officers",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1313,
"details": "6. The 7Government may, by notification in the Official Gazette, invest any Deputy Magistrate and Deputy Collector or Sub-Deputy Magistrate and Sub-Deputy Collector with all or any of the powers of the Deputy Commissioner under this Regulation or the rules for the time being in force thereunder, and define the local limits of his jurisdiction.",
"name": "Investments of Deputy Magistrates and Deputy Collectors with powers of Deputy Commissioner",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1313,
"details": "7. The Chittagong Hill-tracts shall constitute 8three districts for the purposes of criminal 9*** jurisdiction and for revenue and general purpose, the Deputy Commissioner shall be the District Magistrate, and, subject to any orders passed by the 10Government under section 6, the general administration of the said Tracts, in criminal, 11*** revenue and all other matters, shall be vested in the Deputy Commissioner.",
"name": "Chittagong Hill- tracts to be a district under the Deputy Commissioner",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1313,
"details": "8. 12(1) The Rangamati, Khagrachory and Bandarban districts of the Chittagong Hill-Tracts shall constitute three separate sessions divisions and the concerned District Judge shall be the Sessions Judge of the respective sessions division and the Joint District Judge shall be the Assistant Sessions Judge. (2) 13The Sessions Judge 14*** may take cognizance of any offence as a Court of original jurisdiction, without the accused being committed to him by a Magistrate for trial, and, when so taking cognizance, shall follow the procedure prescribed by the Code of Criminal Procedure, 1898, for the trial of cases by Magistrates. 15(3) The Rangamati, Khagrachory and Bandarban districts of the Chittagong Hill-Tracts shall constitute three separate civil jurisdictions under three District Judges.(4) The Joint District Judge as a court of original jurisdiction, shall try all civil cases in accordance with the existing laws, customs and usages of the districts concerned, except the cases arising out of the family laws and other customary laws of the tribes of the districts of Rangamati, Khagrachory and Bandarban respectively which shall be triable by the Mauza Headmen and Circle Chiefs.(5) An appeal against the order, judgment and decree of the joint District Judge shall lie to the District Judge.",
"name": "Chittagong Hill- tracts to be a sessions division under the Commissioner",
"related_acts": "75",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1313,
"details": "9. 16The Supreme Court of Bangladesh shall exercise the powers of a High Court Division for all purposes of the Code of Criminal Procedure, 1898.",
"name": "High Court Division",
"related_acts": "75",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1313,
"details": "10. Section 10 was omitted by section 5 of The Chittagong Hill-Tracts Regulation (Amendment) Act, 2003. (২০০৩ সনের ৩৮ নং আইন)।",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1313,
"details": "11. (1) The Deputy Commissioner may fix the number of fire arms and the quantity and description of ammunition which may be possessed by the inhabitants of any village, and may grant permission, either to such inhabitants collectively or to any of them individually, to possess such fire arms and ammunition as he may think fit.(2) All fire arms for the possession of which permission is given under sub-section (1), shall be marked and entered in a register.(3) Any permission granted under sub-section (1) to possess fire arms and ammunition may be withdrawn by the Deputy Commissioner, and thereupon all fire arms and ammunition referred to in such permission shall be delivered to the Deputy Commissioner or one of his the subordinates.(4) The Deputy Commissioner may grant permission to any person to manufacture gunpowder, and may withdraw such permission.(5) Whoever, without the permission of the Deputy Commissioner, possesses or exports from the Chittagong Hill- tracts any fire arms or ammunition, or manufactures any gunpowder, shall be punishable with imprisonment for a term which may extend to three years or with fine, or with both.(6) The Deputy Commissioner may, with the previous sanction of the 17Government, by order in writing, direct that sub-sections (1), (2), (4) and (5), or any of them, shall not apply in any village specified in the order.",
"name": "Possession of fire arms and ammunition and manufacture of gun-powder",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1313,
"details": "12. (1) The Deputy Commissioner may, with the previous sanction of the Commissioner, by order in writing, prohibit all or any of the inhabitants of any village from carrying daos, spears and bows and arrows, or any of those weapons, in any tract to be defined in the order, if he is of opinion that such prohibition is necessary to the peace of such tract.(2) Every order made under sub-section (1) shall specify the length of time during which it shall remain force.(3) Whoever disobeys an order made under sub-section (1) shall be punishable with imprisonment for a term which may extend to six months, or with fine, or with both.",
"name": "Daos, spears and bows and arrows",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1313,
"details": "13. (1) Whoever, except under and in accordance with a license granted by the Deputy Commissioner, imports, exports, manufactures, possesses or sells opium, ganja or charas, or any preparation thereof, or cultivates any plant from which opium, ganja or charas can be produced, shall be punishable with imprisonment for a term which may extend to two years in the case of a person who has not been previously convicted of an offence under this section or to five years in the case of a person who has been so convicted, or with fine or with both, and shall also be punishable with whipping in lieu of, or in addition to any of the above punishments.(2) Notwithstanding anything contained in sub-section (1) any person may without a license granted by the Deputy Commissioner- (a) Possess, for domestic use, one tola of charas, or of any preparation thereof or three tolas of ganja or of any preparation thereof; and (b) if such person is registered under the provisions of the rules made under this Regulation as a habitual consumer of opium, possess such amount of opium or any preparation thereof not exceeding five tolas in weight as he may be allowed to have in his possession at one time under the said rules.(3) Nothing in sub-sections (1) and (2) shall apply to or in respect of “prepared opium” as defined in the 18*** Opium Smoking Act, 1932.",
"name": "Intoxicating drugs",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1313,
"details": "14. (1) Whoever, except under and in accordance with a license granted by the Deputy Commissioner, imports or sells foreign spirit or fermented liquor, shall be punishable with imprisonment for a term which may extend to three months, or with fine, or with both.(2) Nothing in this section applies-(a) to the import by any person, for his private use and consumption, and not for sale, of any foreign spirit or fermented liquor on which duty has been paid; or(b) to the sale of any such spirit or liquor legally procured by any person for his private use and consumption and sold by him, or by auction on his behalf, or on behalf of his representatives in interest, upon his quitting station or after his decease.Explanation.-For the purposes of this section, the expression “foreign spirit or fermented liquor” means any spirit or fermented liquor not manufactured or produced in the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Foreign spirits and fermented liquor",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1313,
"details": "15. Whoever, except under and in accordance with a license granted by the Deputy Commissioner, exports or sells spirit or fermented liquor manufactured or produced in the Chittagong Hill-tracts, shall be punishable with imprisonment for a term which may extend to three months, or with fine, or with both.",
"name": "Locally made spirit and fermented liquor",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1313,
"details": "16. The Chittagong Hill-tracts shall be deemed to be a general police-district within the meaning of Police Act, 1861, and the 19*** Police Act, 1869 and the Inspector-General of Police, 20Bangladesh shall exercise therein all the powers and authority conferred on an Inspector-General of Police.",
"name": "Police",
"related_acts": "12",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1313,
"details": "17. (1) All officers in the Chittagong Hill-tracts shall be subordinate to the Deputy Commissioner, who may revise any order made by any such officer, including a Deputy Magistrate and Deputy Collector or a Sub-Deputy Magistrate and Sub- Deputy Collector invested with any of the powers of the Deputy Commissioner under section 6.(2) The Commissioner may revise any order made under this Regulation by the Deputy Commissioner or by any other officer in the Chittagong Hill-tracts 21, except any order made in the matter of land administration and land reforms.(3) The 22Government may revise any order made under this Regulation.",
"name": "Control and revision",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1313,
"details": "18. (1) The 23Government may make rules for carrying into effect the objects and purposes of this Regulation.(2). In particular, and without prejudice to the generality of the foregoing power, such rules may-(a) provide for the administration of civil justice in the Chittagong Hill-tracts;(b) Prohibit, restrict, or regulate the appearance of legal practitioners in cases arising in the said Tracts;(c) Provide for the registration of documents in the said Tracts;(d) regulate or restrict the transfer of land in the said Tracts;(dd) provide for the control of money-lenders and the regulation and control of money-lending in the said tracts;(e) provide for the sub-division of the said Tracts into circles, and those circles into mauzas;(f) Provide for the collection of the rent and the administration of the revenue generally in the said circles, and mauzas through the chiefs, and headmen;(g) define the powers and jurisdiction of the Chiefs, and headmen, and regulate the exercise by them of such powers and jurisdiction;(h) regulate the appointment and dismissal of headmen;(i) provide for the remuneration of chiefs, headmen and village-officers generally by the assignment of lands for the purpose or otherwise as may be thought desirable;(j) prohibit, restrict or regulate the migration of cultivating raiyats from one circle to another;(k) regulate the requisition by Government of land required for public purposes;(kk) provide for compulsory vaccination in the said tracts;(l) provide for the levy of taxes in the said Tracts;(ll) provide for the registration of persons who are habitual consumers of opium in the said Tracts; and(m) regulate the procedure to be observed by officers acting under this Regulation or the rules for the time being in force thereunder.(3) All rules made by the 24Government under this section shall be published in the Official Gazette and on such publication, shall have effect as if enacted by this Regulation.(4) The powers conferred by this section on the 25Government shall be powers of the 26Government as respects rules for the regulation of the following matters, namely-(a) the possession of fire-arms and ammunition and the manufacture of gunpowder;(b) the cultivation, manufacture and sale for export of opium; and(c) the import or export across customs frontiers, as defined by the 27Government, of any intoxicating drug or foreign spirit or fermented liquor.",
"name": "Power to make rules",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1313,
"details": "19. Except as provided in this regulation or in any other enactment for the time being in force, a decision passed, act done or order made under this Regulation or the rules thereunder, shall not be called in question in any Civil or Criminal Court.",
"name": "Bar to jurisdiction of Civil and Criminal Courts",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1313,
"details": "20. Repeal of certain enactments. Rep. by the Amending Act, 1903 (I of 1903).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 20
}
],
"text": "A Regulation to declare the law applicable in, and provide for the administration of, the Chittagong Hill-tracts in 1Bangladesh; WHEREAS it is expedient to declare the law applicable in, and provide for the administration of, the Chittagong Hill-tracts in 2Bangladesh;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1315,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972).",
"2 The word “Bangladesh” was substituted of the word “Province” by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE *** WILLS AND INTESTACY REGULATION, 1799",
"num_of_sections": 7,
"published_date": "3rd May, 1799",
"related_act": [
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1315,
"details": "2. In all cases of Hindu, Mussalman or other person subject to the jurisdiction of the Zila Courts, having at his death left a will and appointed an executor or executors to carry the same into effect, and in which the heir to the deceased may not be a disqualified landholder subject to the superintendence of the Courts of wards the executors so appointed are to take charge of the estate of the deceased, and proceed in the execution of their trust according to the will of the deceased and the laws and usages of the country, without any application to the Judge of the Diwani Adalat or any other officer of the Government for his sanction; and the Courts of Justice are prohibited to interfere in such cases, except on a regular complaint against the executors for a breach of trust or otherwise, when they are to take cognizance of such complaint in common with all others of a civil nature.",
"name": "Estates of Hindus, Muhammadans and others, not being disqualified landholders, leaving wills",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1315,
"details": "3. In case of a Hindu, Mussalman or other person subject to the jurisdiction of the Zila Courts dying intestate, but leaving a son or other heir, who, by the laws of the country, may be entitled to succeed to the whole estate of the deceased, such heir, if of age and competent to take the possession and management of the estate, or, if under age or incompetent and not under the superintendence of the courts of Wards, his guardian or nearest of kin who, by special appointment or by the law and usage of the country, may be authorised to act for him, is not required to apply to the Courts of Justice for permission to take possession of the estate of the deceased as far as the same can be done without violence; and the Courts of Justice are restricted from interference in such cases, except a regular complaint be preferred.",
"name": "Estates of persons dying intestate",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1315,
"details": "4. If there be more heirs than one to the estate of a person dying intestate, and they can agree amongst themselves in the appointment of a common manager, they are at liberty to take possession, and the Courts of Justice are restricted from interference, without a regular Complaint, as in the case of a single heir; But if the right of succession to the estate be disputed between several claimants, one or more of whom may have taken possession, the Judge, on a regular suit being preferred by the party out of possession, shall take good and sufficient security from the party or parties in possession for his or their compliance with the judgment that may be passed in the suit; or, in default of such security being given within a reasonable period, may give possession, until the suit may be determined, to the other claimant or claimants who may be able to give such security, declaring at the same time that such possession is not in any degree to affect the right of property at issue between the parties, but to be considered merely as an administration to the estate for the benefit of the heirs who may on investigation be found entitled to succeed thereto.",
"name": "If there be more heirs than one to estate of intestate",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1315,
"details": "5. In the event of none of the claimants to the estate of a person dying intestate being able to give the security required by the preceding section, and in all cases wherein there may be no person authorised and willing to take charge of the landed estate of a person deceased, the Judge within whose jurisdiction such estate may be situated (or in which the deceased may have resided, or the principle part of the estate may lie, in the event of its being situated within two or more jurisdictions) is authorised to appoint an administrator for the due care and management of such estate, until, in the former case, the suit depending between the several claimants shall have been determined, or in the latter case until the legal heir to the estate, or other person entitled to receive charge thereof as executor, administrator or otherwise, shall attend and claim the same; when, if the Judge be satisfied that the claim is well-founded, or if the same be established after any inquiry that may appear necessary, the administrator appointed by the Court shall deliver over the estate to him, with a full and just account of all receipts and disbursements during the period of his administration.",
"name": "In what case Judge may appoint Administrator for care and management of estate of intestate",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1315,
"details": "6. In all instances of an administrator being appointed under this regulation, he is, previous to entering upon the execution of his office, to give good security for the faithful discharge of his trust in a sum proportionate to the extent thereof and appointing him is authorised to fix for him (Subject to the approbation of the Court of Sadar Diwani Adalat, to whom a report is to be made in such instances) an adequate personal allowance to be paid out of the proceeds of the estate, and to be a percentage thereupon, after deducting the expenses of management.",
"name": "Security to be taken from, and allowances paid to administrators",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1315,
"details": "7. The Judges of the Zila Courts on receiving information that any person within their respective jurisdictions has died intestate, leaving personal property, and that there is no claimant to such property, are to adopt such measures as may be necessary for the temporary care of the property, and to issue an advertisement in the current languages of the country requiring the heir of the deceased, or any person entitled to receive charge of his effects, to attend for this purpose. Such advertisement to be published on the spot where the property was found, at the Diwani Adalat cutcherry of the Zila, and if ascertainable, at the dwelling place of the deceased; after whish, should any person attend and satisfy the Judge of his title to the property, or to receive charge thereof as executor, administrator or otherwise, the same is to be delivered up to him, on repayment of any necessary expense incurred in the care of it. Should no claim be preferred within the twelve months next ensuing, an inventory of the property and report of the circumstances of the case is to be transmitted to the Government, for its orders.",
"name": "Procedure cases of persons dying intestate, leaving personal property to which there is no claimant",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1315,
"details": "8. Nothing in this Regulation is to be understood to limit or alter the jurisdiction of the Court of Wards in the appointment of managers or guardians for disqualified landholders, or in any case wherein a special power may be vested in the Court of Wards.",
"name": "Saving of jurisdiction of Court of Wards",
"related_acts": "",
"section_id": 7
}
],
"text": "A Regulation to limit the interference of the Zilla Courts of Diwani Adalat in the execution of wills and administration to the estates of persons dying intestate. Preamble 1. Doubts having been entertained to what extent and in what manner, the Judges of the Zila Courts of the Diwani Adalat are authorised to interfere in cases wherein the inhabitants of the 2Bangladesh may have left wills at their decease, and appointed executors to carry the same into effect, or may have died intestate leaving an estate real or personal; with a view to remove all doubts on the authority of the Zila Courts in such cases, and to apply thereto, as far as possible, the principle that in suits regarding succession and inheritance the Muhammadan laws with respect to Muhammadans, and the Hindu laws with regard to Hindus, be the general rules for the guidance of the Judges, the Vice-President in Council has passed the following Regulation, to be considered in force from the period of its promulgation."
} |
{
"id": 1316,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Bangladesh\" was substituted by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972).",
"3 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"4 3 The words \"the Government\" was replaced, for the words \"the Provincial Government\" by the Article 8 of Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"5 2 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"6 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"7 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"8 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"9 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"10 The word \"the Government\" was replaced, for the words \"the Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"11 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"12 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"13 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"14 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"15 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"16 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"17 The words \"the Government\" was replaced, for the words \"the Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"18 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"19 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"20 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"21 The word \"Bangladesh\" was replaced, for the words \"East Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"22 This section was added by section. 87 of the East Pakistan Waqfs Ordinance, 1962 (E.P. Ord. I of 1962).",
"23 The word \"Deputy Commissioner\" was substituted for the words \"Board of Revenue\" or \"Board\" Article 3, Schedule of by the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"24 The word \"Bangladesh\" was replaced for the words \"East Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE *** CHARITABLE ENDOWMENTS PUBLIC BUILDINGS AND ESCHEATS REGULATION, 1810",
"num_of_sections": 16,
"published_date": "14th December, 1810",
"related_act": [
388,
326
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1316,
"details": "2. The general superintendence of all lands granted for the support of colleges and for other beneficial purposes, and of all public buildings, such as bridges, sarais, kattras and otheredifices, is hereby vested in the 3Deputy Commissioner",
"name": "Superintendence of lands granted for support of Colleges, etc.",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1316,
"details": "3. It shall be the duty of the 4Deputy Commissioner to take care that all endowments made for the maintenance of establishments of the above description be duly appropriated to the purpose for which they were destined by the Government or individual by whom such endowments were granted.In like manner it shall be the duty of the 5Deputy Commissioner to provide, with the sanction of the Government, for the due repair and maintenance of all public edifices which have been erected, either at the expense of the former or present Government or of individuals, and which either at present are or can conveniently be rendered conducive to the convenience of the community.",
"name": "Appropriation of endowments",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1316,
"details": "4. In those cases, however, in which any of the buildings in question have fallen to decay, and cannot, from that or other causes, be conveniently repaired, or are not calculated if repaired to afford any material accommodation to the public, the 6Deputy Commissioner shall recommend that they be sold on the public account, or otherwise disposed of, as may appear most expedient.",
"name": "Disposal of ruined buildings",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1316,
"details": "5. Under the foregoing rules it will of course be incumbent on the 7Deputy Commissioner to prevent any lands which have been granted for the support of establishments of the above description from being converted to the private use of individuals, or appropriated in any other mode contrary to the intent and will of the donor; and likewise to prevent all public edifices from being usurped by individuals and falling into the possession and exclusive use of private persons.",
"name": "Lands or public edifices not to be appropriated by individuals for private uses",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1316,
"details": "6. Whenever the 9Deputy Commissioner may be of opinion that any of the above-mentioned edifices required repair, he shall obtain the necessary estimates of the expense required for the execution of the work, and forward them to 10the Government for its approval.",
"name": "Estimates of necessary repairs to be submitted to Government",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1316,
"details": "7. The general superintendence of all nazal property or escheats is likewise hereby vested in the 11Deputy Commissioner who will inform himself fully through the channel hereafter mentioned of all property of that description, and direct whether it should be sold on the public account, or in what other mode it should be disposed of.",
"name": "Superintendence of nazul property",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1316,
"details": "8. To enable the 12Deputy Commissioner the better to carry into effect the duties intrusted to him by this Regulation, local agents shall be appointed by the Government in each zila subject to the authority, control and orders of the 13Deputy Commissioner.",
"name": "Appointment of local agents",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1316,
"details": "9. This section was omitted by Article 3 and THE SCHEDULE of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973)",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1316,
"details": "10. Under the provisions of the present Regulation it will of course be the duty of the agents to obtain full information from the public records, and by personal inquiries, respecting all endowments, establishments and buildings of the nature of those above-described, and of all nazul property or escheats, and to report to the 14Deputy Commissioner any instances in which they may have reason to believe that the lands or buildings are improperly appropriated; being in all cases careful not to infringe any private rights, or to occasion unnecessary trouble or vexation to individuals.",
"name": "Agents to ascertain and report particulars of endowments, etc.",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1316,
"details": "11. The said agents will further ascertain and report the names, together with other particulars, of the present trustees, managers or superintendents of the several institutions, foundations or establishments above described, whether under the designation of mutawali or any other, and by whom and under what authority appointed or elected, and whether in conformity to the special provisions of the original endowment and appropriation by the founder, or under any general rule or maxim applicable to such institutions and foundations.",
"name": "also names, etc., of present trustees or managers",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1316,
"details": "12. The local agents will also report to the 15Deputy Commissioner all vacancies and casualties which may occur, with full information of all circumstances, to enable the 16Deputy Commissioner to judge the pretensions of the person or persons claiming the trust; particularly whether the succession have been heretofore by inheritance in the line of descent, or whether the successor have been in former instances elected, and by whom, or whether he has been nominated by the founder or his heir or representative, or by any other individual patron of the foundation, or by any officer or representative of the Government, or directly by the Government itself.",
"name": "and all vacancies or casualties, with full information as to pretensions of claimants",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1316,
"details": "13. In those cases in which the nomination has usually rested with the present or former Government, or with a public officer, or of right appertains to 17the Government, in consequence of no private person being competent and entitled to make sufficient provision for the succession to the trust and management, it will be the further duty of the local agents to propose, for the approval and confirmation of the 18Deputy Commissioner, a fit person or persons for the charge of trustee or manager and superintendent, duly attending to the qualifications of the person selected, and to any special provisions of the original endowment and foundation, and to the general rules or the known usages of the country applicable to such cases.",
"name": "to recommend fit persons in cases where nomination rests in Government",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1316,
"details": "14. On the receipt of the report and information required by the preceding clause, the 20Deputy Commissioner will either appoint the person or persons nominated for his approval, or will make such other provision for the trust, superintendence and management as may be right and fit with reference to the nature and conditions of the endowment having previously called for any requisite further information from the local agents.",
"name": "Deputy Commissioner to appoint such persons, or make other provision for trust",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1316,
"details": "15. Nothing contained in this Regulation shall be construed to preclude any individual who may conceive that he has just grounds of complaint on account of any orders which may be passed by any of the above-mentioned authorities, with respect to the appropriation of any lands or buildings of the nature of those above-described, from suing for the recovery thereof in the regular course of law, or for compensation in damages for any loss or injury supposed to have been unduly sustained by him.",
"name": "Saving of private rights",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1316,
"details": "16. It is to be clearly understood that the object of the present Regulation is solely to provide for the due appropriation of lands granted for public purpose agreeably to the intent of the grantor, and not to resume any part of the produce of them for the benefit of the Government.In like manner it is fully intended that all buildings erected by the former or present Government or by individuals for the convenience of the public should be exclusively appropriated to that purpose, with the exception of such as have fallen to decay and cannot from that or any other cause be conveniently repaired, or which, under existing circumstances, can no longer contribute to the accommodation of the community.",
"name": "Object of Regulation",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1316,
"details": "2216A. Notwithstanding anything contained in this Regulation, the powers and functions of the 23Deputy Commissioner under this Regulation shall be exercised in respect of any waqf property in 24Bangladesh by the Administrator of Waqfs appointed under the Waqfs Ordinance, 1962.",
"name": "Function of the Board of Revenue to be discharged by the Administrator of Waqfs in Bangladesh",
"related_acts": "",
"section_id": 16
}
],
"text": "A Regulation for the due appropriation of the rents and produce of lands granted for the support of colleges and other purposes; for the maintenance and repair of public buildings; and for the custody and disposal of nazul property or escheats. Preamble 1. Whereas considerable endowments have been granted in land by the preceding Governments of this country and by individuals for the support of colleges and for other beneficial purposes; and whereas there are grounds to suppose that the produce of such lands is in many instances appropriated, contrary to the intentions of the donors, to the personal use of the individuals in immediate charge and possession of such endowments; and whereas it is an important duty of every Government to provide that all such endowments be applied according to the real intent and will of the grantor; and whereas it is moreover essential to provide for the maintenance and repair of buildings which have been erected either at the expense of the Government or of individuals for the use and convenience of the public, and also to establish proper rules for the custody and disposal of nazul property or escheats, the following rules have been enacted, to be in force, from the period of their promulgation, throughout the 2Bangladesh."
} |
{
"id": 1317,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Bangladesh\" was substituted for the word \"Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Lows) order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"3 The word \"Bangladesh\" was substituted for the word \"Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Lows) order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"4 The word \"Bangladesh\" was substituted for the word \"Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Lows) order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"5 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"6 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"7 The word \"Bangladesh\" was substituted for the word \"Pakistan\" by Article 5 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Lows) order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE *** STATE PRISONERS REGULATION, 1818",
"num_of_sections": 18,
"published_date": "7th April, 1818",
"related_act": [
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1317,
"details": "2. First.- When the reasons stated in the preamble of this Regulation may seem to the Government to require that an individual should be placed under personal restraint, without any immediate view to ulterior proceedings of a judicial nature, a warrant of commitment shall be issued by the Government to the officer in whose custody such person is to be placed:Provided that a person shall not be placed under personal restraint for a period longer than two months without the authority of a Board consisting of a Judge of the Supreme Court, who shall be nominated by the Chief Justice of that Court, and another senior officer in the service of 2Bangladesh, who shall be nominated by the President.",
"name": "Proceedings for placing persons under restraint as State prisoners",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1317,
"details": "Second.- The warrant of commitment shall be in that one of the forms set out in the Appendix to this Regulation which is appropriate to the case.Third.- The warrant of commitment shall, in relation to a person to be confined for reasons connected with defence, external affairs or the security of 3Bangladesh be sufficient authority for his detention in any fortress, jail or other place in Bangladesh, and in relation to any person to be confined for reasons connected with the maintenance of public order in Bangladesh shall be sufficient authority for his detention in any fortress, jail or other place in Bangladesh.",
"name": "Form of warrant",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1317,
"details": "2A. The provisions of sub-section (2) of section 6 of the Security of Pakistan Act, 1952 (XXXV of 1952), and those of section 6A of that Act, shall mutatis mutandis apply in relation to a person placed under personal restraint under this Regulation as they apply in relation to a person detained under that Act.",
"name": "Procedure Board, etc.",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1317,
"details": "3. Every officer in whose custody any State prisoner may be placed shall, on the 1st of January and 1st of July of each year, submit a report to the Government on the conduct, the health and the comfort of such State prisoner, in order that the Government may determine whether the orders for his detention shall continue in force or shall be modified.",
"name": "Officers having custody of State prisoners to submit periodical reports",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1317,
"details": "4. First.- When any State prisoner is in the custody of a Zila Magistrate, the Judges are to visit such State prisoner on the occasion of the periodical sessions, and they are to issue any orders concerning the treatment of the State prisoner which may appear to them advisable, provided they be not inconsistent with the orders of the Government issued on that head.",
"name": "State prisoners in custody of Zila Magistrate, by whom to be visited",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1317,
"details": "Second.- When any State prisoner is placed in the custody of any public officer not being a Zila Magistrate, the Government will instruct either the Zila Magistrate, or the Judge, or any other public officer, not being the person in whose custody the prisoner may be placed, to visit such prisoner at stated periods and to submit a report to the Government regarding the health and treatment of such prisoner.",
"name": "State prisoners in custody of public officer, not being Zila Magistrate, by whom to be visited",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1317,
"details": "5. The officer in whose custody any State prisoner may be placed is to forward, with such observations as may appear necessary, every representation which such State prisoner may from time to time be desirous of submitting to the Government.",
"name": "Representations by State prisoners to be submitted to Government",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1317,
"details": "6. Every officer in whose custody any State prisoner may be placed shall, as soon after taking such prisoner into his custody as may be practicable, report to the Government whether the degree of confinement to which he may be subjected appears liable to injure his health, and whether the allowance fixed for his support be adequate to the supply of his own wants and those of his family, according to their rank in life.",
"name": "Report to Government regarding confinement, etc., of prisoners",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1317,
"details": "7. Every officer in whose custody any State prisoner may be placed shall take care that the allowance fixed for the support of such State prisoner is duly appropriated to that object.",
"name": "Appropriation of allowance for support",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1317,
"details": "7A. (1) Where a person is, or is to be, confined in Bangladesh under this Regulation for reasons connected with defence, external affairs or the security of 4Bangladesh, the warrant of commitment, and any orders as to his release or the place of his detention shall be issued by the Government, and the amount of the allowance to be fixed for his support shall be fixed by the Government and shall be paid by the Government; and all reports and representations to be made under the foregoing provisions of this Regulation shall be submitted and forwarded to the Government.Subject as aforesaid, all things to be done by or to the Government in relation to any persons confined or to be confined under this Regulation shall be done by or to the Government.References in the preceding sections of this Regulation to the Government shall be construed in accordance with the foregoing provisions of this section.",
"name": "Functions of the Government",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1317,
"details": "8. Applicability of ss. 3 to 7 to persons now confined, as State prisoners. Rep. by the Repealing Act, 1874 (XVI of 1874)",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1317,
"details": "9. Whenever the 5Government, for the reasons declared in the preamble to this Regulation, shall judge it necessary to attach the estates or lands of any zamindar, jagirdar, talukdar or other person, without any previous decision of a Court of Justice or other judicial proceeding, the grounds on which the Resolution of the Government may have been adopted, and such other information connected with the case as may appear essential, shall be communicated to the Judge and Magistrate of the district in which the lands or estates may be situated, and to the Sadar Dewani Adalat and Nizamat Adalat.",
"name": "Attachment of estates by order of Government without decision of Court",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1317,
"details": "10. First.-The lands or estates which may be so temporarily attached shall be held under the management of the officers of Government in the Revenue Department; and the collections shall be made and adjudged on the same principles as those of other estates held under khas management.",
"name": "Management of attached estates",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1317,
"details": "Second.- Such lands or estates shall not be liable to be sold in execution of decrees of the Civil Courts, or for the realisation of fines or otherwise, during the period in which they may be so held under attachment.",
"name": "Attached lands not liable to sale in execution",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1317,
"details": "Third.- In the cases mentioned in the preceding clause the Government will make such arrangement as may be fair and equitable for the satisfaction of the decrees of the Civil Courts.",
"name": "Government to arrange for satisfaction of decrees",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1317,
"details": "11. Whenever the 6Government shall be of the opinion that the circumstances which rendered the attachment of such estate necessary have ceased to operate, and that the management of the estate can be committed to the hands of the proprietor without public hazard or inconvenience, the Revenue authorities will be directed to release the estate from attachment, to adjust the accounts of the collections during the period in which they may have been superintended by the officers of the Government, and to pay over to the proprietor the profits from the estate which may have accumulated during the attachment.",
"name": "Rule as to cases where Government orders release of estate from attachment",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1317,
"details": "12. This Regulation, so far as it relates to the confinement of persons for reasons connected with defence, external affairs or the security of 7Bangladesh extends to the whole of all the Governors’ Provinces; and so far as relates to other matters, extends to Bangladesh except Sind.",
"name": "Extent",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1317,
"details": "12A. In this Regulation references to a Governor’s Provinces mean East Pakistan and those areas in West Pakistan which immediately before the 14th day of October, 1955 were comprised in the Punjab, the North-West Frontier Province, Sind-Baluchistan including the Leased Areas, the Baluchistan States Union and the State of Bahawalpur and the State of Khairpur and those areas which, immediately before the first day of July, 1961, were comprised in the Federal Territory of Karachi.",
"name": "Governor’s Province",
"related_acts": "",
"section_id": 18
}
],
"text": "A Regulation for the confinement of State Prisoners. Preamble 1. Whereas reasons of the security of 2Bangladesh occasionally render it necessary to place under personal restraint individuals against whom there may not be sufficient ground to institute any judicial proceeding, or when such proceeding may not be adapted to the nature of the case, or may for other reasons be unadvisable or improper;and whereas it is fit that, in every case of the nature herein referred to the determination to be taken should proceed immediately from the authority of the Government;and whereas the ends of justice required that, when it may be determined that any person shall be placed under personal restraint, otherwise than in pursuance of some judicial proceeding, the grounds of such determination should from time to time come under revision, and the person affected thereby should at all times be allowed freely to bring to the notice of the Government all circumstances relating either to the supposed grounds of such determination, or to the manner in which it may be executed;and whereas the ends of justice also require that due attention be paid to the health of every State prisoner confined under this Regulation, and that suitable provision be made for his support according to his rank in life, and to his own wants and those of his family;and whereas the reasons above declared sometimes render it necessary that the estates and lands of zamindars, talukdars and others should be attached and placed under the temporary management of the Revenue Authorities without having recourse to any judicial proceeding;and whereas it is desirable to make such legal provisions as may secure from injury the just rights and interests of individuals whose estates may be so attached under the direct authority of the Government;it is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1318,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE *** GOVERNMENT INDEMNITY REGULATION, 1822",
"num_of_sections": 6,
"published_date": "22th November, 1822",
"related_act": [
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1318,
"details": "2. Repeals. Rep. by the Amending Act, 1903 (1 of 1903).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1318,
"details": "3. to 35. Rep. by the Bengal Land-revenue Sales Act, 1841 (XII of 1841).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1318,
"details": "36. If a Collector shall at any time, being so instructed by either the Government or the Board, purchase on account of the Government an estate exposed to sale for the recovery of arrears of revenue, the rules applicable to the management of ordinary malguzari mahals held khas or farmed shall be considered applicable to such estate, and also to all other estates the property of the Government, according as they may be held khas or let in farm.",
"name": "Rules for Khas management applied to purchases by Government",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1318,
"details": "37. Collector’s power to punish for contempt. Rep. by the Bengal Land-revenue Sales Act, 1841 (XII of 1841).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1318,
"details": "38. It is hereby declared and enacted that the Government is not and shall not be held liable for any error or irregularity which may have occurred, or shall, occur, in any order, proceeding or decree of any Court of judicature, whether a revenue or other officer of the Government may or may not have been, or shall or shall not be, employed in giving effect to the order, proceeding or decree deemed to be erroneous or irregular.Nor shall any officer of the Government be held liable for anything done or suffered in conformity with an order, proceeding or decree of a Court as aforesaid: and if any person or persons shall sue the Government or any officer of the Government for anything done or suffered under an order, proceeding or decree of Court as aforesaid, such person or persons shall be non-suited, with costs.The same principle is and shall be held applicable to all orders proceedings or decrees made, held or passed by any public officer, in virtue of powers vested in him for the judicial cognisance of any pleas, suits, complaints or information, whatsoever, unless otherwise specially provided.",
"name": "Government not liable for errors of Courts",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1318,
"details": "39. Saving of Ben. Reg. I of 1821. Rep. by the Bengal Land- revenue Sales Act, 1841 (XII of 1841).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 6
}
],
"text": "A Regulation for declaring the Government to be not liable for any errors or irregularities in the proceedings of the Courts of Justice, and for making further provision for the conduct of the Revenue-officers in certain cases. 1.Preamble. Rep. by the Bengal Land-revenue Sales Act, 1841 (XII of 1841)."
} |
{
"id": 1319,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE *** ALLUVION AND DILUVION REGULATION, 1825",
"num_of_sections": 10,
"published_date": "26th May, 1825",
"related_act": [
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1319,
"details": "2. Whenever any clear and definite usage of Shikast paiwast respecting the disjunction and junction of land by the encroachment or recess of a river may have been immemorially established, for determining the rights of the proprietors of two or more contiguous estates divided by a river (such as that the main channel of the river dividing the estates shall be the constant boundary between them, whatever changes may take place in the course of the river, by encroachment on one side and accession on the other), the usage so established shall govern the decision of all claims and disputes relative to alluvial land between the parties whose estates may be liable to such usage.",
"name": "Claims and disputes as to alluvial lands to be decided by usage when clearly recognised and established",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1319,
"details": "3. Where there may be no local usage of the nature referred to in the preceding section, the general rules declared in the following section shall be applied to the determination of all claims and disputes relative to lands gained by alluvion or by dereliction either of a river or the sea.",
"name": "Where no usage established, claims how decided",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1319,
"details": "4. First.-When land may be gained by gradual accession, whether from the recess of a river or of the sea, it shall be considered an increment to the tenure of the person to whose land or estate it is thus annexed, whether such land or estate be held immediately from the Government by a zamindar or other superior landholder, or as a subordinate tenure by any description of undertenant whatever:",
"name": "Lands gained by gradual accession from recess of river or sea",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1319,
"details": "Provided that the increment of land thus obtained shall not entitle the person in possession of the estate or tenure to which the land may be annexed to a right of property or permanent interest therein beyond that possessed by him in the estate or tenure to which the land may be annexed, and shall not in any case be understood to exempt the holder of it from the payment to the Government of any assessment for the public revenue to which it may be liable under the provisions of Regulation II, 1819, or of any other Regulation in force.Nor, if annexed to a subordinate tenure held under a superior landholder, shall the under-tenant, whether a Khudkasht raiyat, holding a maurusi istimari tenure at a fixed rate of rent per bigha, or any other description of under-tenant liable by his engagements, or by established usage, to an increase of rent for the land annexed to his tenure by alluvion, be considered exempt from the payment of any increase of rent to which he may be justly liable.",
"name": "Extent of interest in increment of person in possession",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1319,
"details": "Second.-The above rule shall not be considered applicable to cases in which a river, by a sudden change of its course, may break through and intersect an estate, without any gradual encroachment, or may by the violence of stream separate a considerable piece of land from one estate and join it to another estate, without destroying the identity and preventing the recognition of the land so removed.In such cases the land, on being clearly recognised, shall remain the property of its original owner.",
"name": "When river by sudden change of course intersects estate",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1319,
"details": "Third.-When a char or island may be thrown up in a large navigable river (the bed of which is not the property of an individual), or in the sea, and the channel of the river or sea between such island and the shore may not be fordable, it shall, according to established usage, be at the disposal of the Government.",
"name": "Chars thrown up in navigable river",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1319,
"details": "But if the channel between such island and the shore be fordable at any season of the year, it shall be considered an accession to the land, tenure or tenures of the person or persons whose estate or estates may be most contiguous to it, subject to the several provisions specified in the first clause of this section with respect to increment of land by gradual accession.",
"name": "Property therein when channel fordable",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1319,
"details": "Fourth.- In small and shallow rivers, the beds of which, with the jalkar right of fishery, may have been heretofore recognised as the property of individuals, any sandbank or char that may be thrown up shall, as hitherto belong to the proprietor of the bed of the river, subject to the provisions stated in the first clause of the present section.",
"name": "Chars, etc., thrown up in small shallow rivers",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1319,
"details": "Fifth.- In all other cases, namely, in all cases of claims and disputes respecting land gained by alluvion or by dereliction of a river or the sea, which are not specifically provided for by the rules contained in this Regulation, the Courts of Justice, in deciding upon such claims and disputes, shall be guided by the best evidence they may be able to obtain of established local usage, if there be any applicable to the case, or, if not, by general principles of equity and justice.",
"name": "Disputes relative to lands gained by alluvion or by dereliction not provided for by Regulation",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1319,
"details": "5. Nothing in this Regulation shall be construed to justify any encroachments by individuals on the beds or channels of navigable rivers, or to prevent Zila Magistrate or any other officers of the Government who may be duly empowered for that purpose from removing obstacles which appear to interfere with the safe and customary navigation of such rivers, or which shall in any respect obstruct the passage of boats by tracking on the banks of such rivers, or otherwise.",
"name": "Encroachments on beds of navigable rivers and other obstructions",
"related_acts": "",
"section_id": 10
}
],
"text": "A Regulation for declaring the rules to be observed in determining claims to lands gained by alluvion, or by dereliction of a river or the sea. Preamble 1. In consequence of the frequent changes which take place in the channel of the principal rivers that intersect the territories immediately subject to the Presidency of Fort William and the shifting of the sands which lie in the beds of those rivers, chars or small islands are often thrown up by alluvion in the midst of the stream, or near one of the banks, and large portions of land are carried away by an encroachment of the river on one side, whilst accessions of land are at the same time, or in subsequent years, gained by dereliction of the water on the opposite side; similar instances of alluvion, encroachment and dereliction also sometimes occur on the sea-coast which borders the southern and south- eastern limits of Bengal.The Lands gained from the rivers or sea by the means above-mentioned are a frequent source of contention and affray, and although the law and custom of the country have established rules applicable to such cases, these rules not being generally known, the Courts of Justice have sometimes found it difficult to determine the rights of litigant parties claiming chars or other lands gained in the manner above-described.The Court of Sadar Diwani Adalat, with a view to ascertain the legal provisions of the Muhammadan and Hindu laws on this subject, called for reports from their law officers of each persuasion, and on consideration of the reports furnished by the law officers in consequence, as well as of the decisions which have been passed by the Court of Sadar Diwani Adalat in cases brought before them in appeal which involved the rights of claimants to lands gained by alluvion, or by dereliction of rivers or the sea, the Governor General in Council has deemed it proper to enact the following rules for the general information of individuals as well as for the guidance of Courts of Judicature; to be in force, as soon as promulgated throughout the whole of the territories subject to the Presidency of Fort William."
} |
{
"id": 1320,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972).",
"2 The commas and words \", and for controlling and directing the executive Revenue officers, who in several cases are also magistrates,\" were omitted by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"3 The fifth paragraph was omitted by Article 3, Schedule of the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973).",
"4 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE *** REVENUE COMMISSIONERS REGULATION, 1829",
"num_of_sections": 9,
"published_date": "1th January, 1829",
"related_act": [
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1320,
"details": "2. A Commissioner of Revenue and Circuit shall be appointed for each of the under-mentioned divisions : Provided, however, that it shall be competent to the 4Government by an order, to transfer any district or districts from one division to another, and to increase or reduce the number of Commissioners, if such a measure shall appear to be necessary or expedient; due notice of any such arrangement being given by public proclamation. 10th Division, to contain the districts under the Magistrates, Collectors, Joint- Magistrates and Sub-Collectors of ìSaran, Shahabad í îand Trihut. 11th ditto ditto of ìPatna, Bihar and í îRamgarah. 12th ditto ditto of ìïBhagalpur íMonghyr,Malda ïî and Purnea. 13th Division, to contain the districts ujnder the Magistrates, Collectors, Joint-Magistrates and Sub-Collectors of ìDinajpur íRangpur î Rajshahi and Bogra. 14th ditto ditto of ìMurshidabad í îBirbhum and Nadia. 15th ditto ditto of ìïDacca, Jalalpur íTippera and ïî Mymensingh. 16th ditto ditto of ìChittagong and í îNoakhali. 18th ditto ditto of ìBakarganj, Jesore íSuberbs of Calcutta î24-Paraganas and Barasat. 19th ditto ditto of ìCuttack, Khurda í Balasore, Midnapore î and Nagawan including Hijli. 20th ditto ditto of ìBurdwan, Jungle í îMahals and Hooghly.",
"name": "Appointment of Commissioners of revenue and Circuit for divisions specified",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1320,
"details": "3. Commissioners invested with powers of Judges of Circuit and Courts of Circuit collectively; period of holding sessions, etc. Rep. by the Repealing Act, 1874 (XVI of 1874).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1320,
"details": "4. Section 4 was omitted by the Bangladesh Laws (Repealing and Amending) Order, 1973 (President's Order No. 12 of 1973), Article 3, Schedule.",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1320,
"details": "5. Repeal of inconsistent provisions. Rep. by the Repealing Act, 1874 (XVI of 1874).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1320,
"details": "6. Repeal of inconsistent provisions. Rep. by the Repealing Act, 1903 (I of 1903).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1320,
"details": "7. Offices of Superintendents of Police abolished; Commissoners to perform duties of Superintendents; tender of pardon to accomplices; Powers of Commissioners of Cuttack and Midnapore. Rep. by the Amending Act, 1903 (I of 1903).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1320,
"details": "8. Offices of Superintendents of Police abolished; Commissoners to perform duties of Superintendents; tender of pardon to accomplices; Powers of Commissioners of Cuttack and Midnapore. Rep. by the Amending Act, 1903 (I of 1903).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1320,
"details": "9. First.- Powers of Commissioners of Arakan and Assam. Rep. by the Amending Act, 1903 (I of 1903). Second.- Conferment of powers on the Commissioner for the districts of the Northern Doab, etc. Rep. (except in certain Scheduled areas) by the North-Western Provinces Land- Revenue Act, 1873 (XIX of 1873). (Conferment of powers on the Resident at Delhi.) Rep. in part by Ben. Reg. VI of 1831; residue Rep. by Ben. Reg. X of 1831.",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1320,
"details": "10. Abolition of office of Mufassal Special Commissioner; modification of practice under Regs. I of 1821 and I of 1823. Rep. by the Amending Act, 1903).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 9
}
],
"text": "A Regulation for constituting Commissioners of Revenue and Circuit Preamble 1. The system in operation for superintending the magistracy and the police, and for controlling and directing the executive Revenue-officers 2*** has been found to be defective.The Courts of Appeal and Circuit, as now constituted, partly from the extent of country placed under their authority, and partly from their having to discharge the duties of both civil and criminal tribunals, have, in Many cases, failed to afford that prompt administration of justice which it is the duty of the Government to secure for the people.The goal-deliveries have been, in some instances, delayed beyond the term prescribed by law, and a great arrear of cases under appeal has accrued in all the Courts, to the manifest injury of many individuals and to the encouragement of litigation and crime.The Judges of Circuit, when employed singly in the districts under their authority, do not possess sufficient powers, nor have they the opportunity of acquiring sufficient local knowledge, to enable them adequately to control the police or protect the people.3***For the correction of the above defects, it has appeared to be expedient and necessary to place the magistracy and police under the superintendence and control of Commissioners, each vested with the charge of such a moderate tract of country as may enable them to be easy of access to the people, and frequently to visit the different parts of their respective jurisdictionsWith the above views and purposes the 2Government has enacted the following rules to be in force from the 1st March, 1829, throughout the Country."
} |
{
"id": 1321,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE *** SATI REGULATION, 1829",
"num_of_sections": 6,
"published_date": "4th December, 1829",
"related_act": [
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1321,
"details": "2. The practice of sati or burning or burying alive the widows of Hindus is hereby declared illegal and punishable by the Criminal Courts.",
"name": "Sati declared illegal and punishable",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1321,
"details": "3. First.- All Zamindars, talukdars or other proprietors of land, whether malguzari or lakhiraj, all sadar farmers and under-renters of land of every description, all dependent talukdars, all naibs and other local agents, all officers employed in the collection of the revenue and rents of lands on the part of the Government or the Court of wards and all mandals or other headmen of villages, are hereby declared especially accountable for the immediate communication to the officers of the nearest police station of any intended sacrifice of the nature described in the foregoing section; and any Zamindar or other description of persons above- noted, to whom such responsibility is declared to attach, who may be convicted of wilfully neglecting or delaying to furnish the information above-required, shall be liable to be fined by the Magistrate or Joint Magistrate in any sum not exceeding two hundred rupees, and in default of payment to be confined for any period of imprisonment not exceeding six months.",
"name": "Zamindars, etc., responsible for immediate communication to police of intended sacrifice Penalty in case of neglect",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1321,
"details": "Second.- Immediately on receiving intelligence that the sacrifice declared illegal by this Regulation is likely to occur, the police daroga shall either appear in person to the spot, or depute his muharrir or jamadar, accompanied by one or more barkandazes and it shall be the duty of the police officers to announce to the persons assembled for the performance of the ceremony that it is illegal, and to endeavour to prevail on them to disperse, explaining to them that, in the event of their persisting in it, they will involve themselves in a crime and become subject to punishment by the Criminal Courts.Should the parties assembled proceed in defiance of these remonstrances to carry the ceremony into effect, it shall be the duty of the police officers to use all lawful means in their power to prevent the sacrifice from taking place, and to apprehend the principal persons aiding and abetting in the performance of it; and in the event of the police officers being unable to apprehend them they shall endeavour to ascertain their names and places of abode, and shall immediately communicate the whole of the particulars to the Magistrate or Joint Magistrate for his orders.",
"name": "Police how to act on receiving intelligence of intended sacrifice",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1321,
"details": "Third.- Should intelligence of a sacrifice declared illegal by this Regulation not reach the police officers until after it shall have actually taken place, or should the sacrifice have been carried into effect before their arrival at the spot, they will nevertheless institute a full inquiry into the circumstances of the case, in like manner on all other occasions of unnatural death, and report them for the information and orders of the Magistrate or Joint Magistrate to whom they may be subordinate.",
"name": "How to act when intelligence of sacrifice does not reach them until after it has taken place",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1321,
"details": "4. Trial of persons concerned in the sacrifice; sentence of death by Court of Nizamat Adalat. Rep. by Act XVII of 1862.",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1321,
"details": "5. Trial of persons concerned in the sacrifice; sentence of death by Court of Nizamat Adalat. Rep. by Act XVII of 1862.",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 6
}
],
"text": "A Regulation for declaring the practice of sati or of burning or burying alive the widows of Hindus illegal and punishable by the Criminal Courts. Preamble 1. The practice of sati or of burning or burying alive the widows of Hindus is revolting to the feelings of human nature; it is nowhere enjoined by the religion of the Hindus as an imperative duty; on the contrary, a life of purity and retirement on the part of the widow is more especially and preferably inculcated, and by a vast majority of that people throughout India the practice is not kept up nor observed: in some extensive districts it does not exist; in those in which it has been more frequent it is notorious that in many instances acts of atrocity have been perpetrated which have been shocking to the Hindus themselves and in their eyes unlawful and wicked.The measures hitherto adopted to discourage and prevent such acts have failed of success, and the Governor-General in Council is deeply impressed with the conviction that the abuses in question cannot be effectually put an end to without abolishing the practice altogether.Actuated by these considerations, the Governor-General in Council, without intending to depart from one of the first and most important principles of the system of British Government in India, that all classes of the people be secure in the observance of their religious usages, so long as that system can be adhered to without violation of the paramount dictates of justice and humanity, has deemed it right to establish the following rules, which are hereby enacted to be in force from the time of their promulgation throughout the territories immediately subject to the Presidency of Fort William."
} |
{
"id": 1322,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President’s Order No. 48 of 1972).",
"2 Throughout this Regulation, the word \"Government\" was replaced for the words \"the Central Government\", \"the Government of Pakistan\", \"the Provincial Government\" or \"the Government of East Pakistan\" by Article 8 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Lows) order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE *** LAND-REVENUE (SETTLEMENT AND DEPUTY COLLECTORS) REGULATION, 1833",
"num_of_sections": 21,
"published_date": "9th September, 1833",
"related_act": [
388,
29
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1322,
"details": "2. Repeal of provisions of Regulation VII of 1822, as to mode of determining jama to be demanded from mahal Rep. by the Amending Act, 1903 (I of 1903).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1322,
"details": "3. Repeal of provisions of Regulation VII of 1822 as to investigation of claims simultaneously with determination of Government demand. Rep. by the Amending Act, 1903 (I of 1903).The 2Government will hereafter determine the order in which the above matters shall be respectively disposed of.",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1322,
"details": "4. Repeal of parts of the Bengal Land-Revenue Settlement Regulation, 1828 (IV of 1828. Rep. by the Repealing Act, 1874 (XVI of 1874).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1322,
"details": "5. In addition to section 33, Regulation VII of 1822 it is hereby enacted that whenever any judicial question may be depending before a Collector or other officer employed in making settlements under the provisions of Regulation VII of 1822, in which the interests of justice may, in the opinion of such officer, require that the case be decided by arbitration, it shall be lawful for him to fix, under the instructions with which he may be furnished by the superior Revenue- authorities, a period within which the parties must produce the award.",
"name": "When Collector making settlements considers arbitration necessary, he may fix period for production of award",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1322,
"details": "6. In that case, if the parties shall refuse or neglect to produce such award within the term limited, it shall be lawful for the Collector or other officer to summon a panchayat, to be composed of three or five impartial and otherwise competent persons of good repute for the trial of the matter at issue.",
"name": "When Collector may summon panchayat",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1322,
"details": "7. After duly considering the statement and evidence offered by the parties, or, in case of the default or recusance of either, the statements and evidence produced by the party in attendance, the panchayat shall declare their opinions, and judgment shall be recorded according to the sentence of the majority.The superior Revenue-authorities will from time to time issue such rules of practice for the guidance of the officers employed in this duty, or the panchayats, as they may consider necessary.",
"name": "Procedure of Panchayat",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1322,
"details": "8. No appeal shall be allowed from such decisions, which shall be immediately executed and maintained unless the Commissioner, subject to the control of the Board of Revenue should think proper, for any special reason, to direct that the case shall be submitted to another panchayat for decision.",
"name": "Bar of appeal:- submission to second panchayat",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1322,
"details": "9. Any suit brought before any Court of Justice to set aside a decision made in conformity with the above rules shall be non-suited with costs.",
"name": "Non-suit of suit to set aside decision: also suits against arbitrators",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1322,
"details": "10. In like manner any suit brought before any Court of Justice against the arbitrators, collectively, or individually, appointed in conformity with the rules prescribed, to recover from them the value of the property lost by the decision founded on their award, shall be non-suited with costs.",
"name": "Property lost by arbitrators decision non-suited",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1322,
"details": "11. It is hereby declared that the rules concerning malikana contained in section 5, Regulation VII of 1822, were intended to have a prospective effect only, and to be applicable solely to settlements made under that Regulation, and to recusance tendered at the completion of such settlements.",
"name": "Intention of rules as to malikana in section 5, Regulation VII, 1822",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1322,
"details": "12. It is further enacted that the village-accounts which are required to be kept in such manner and form as has heretofore been the custom, or in such other mode as may hereafter be prescribed by the Board of Revenue shall be prepared in duplicate sets-one for deposit in the office of patwari, and one for deposit in the office of Collector of the district in which the respective estates or tenures may be situated, and, wherever the office of a kanungo may be established, a third copy shall be prepared and deposited in that office.",
"name": "Village-accounts",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1322,
"details": "13. The several accounts required for deposit in the pargana and Zila Revenue-offices, as above-stated, instead of being delivered at the expiration of every six months, as prescribed by the rules at present in force, shall be furnished in such mode and at such periods as the Board may direct.They shall be open to the inspection of every person concerned desirous of examining them.",
"name": "Account to be furnished according to directions of Board",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1322,
"details": "14. Penalties to landholders for not conforming to rules regarding village accounts. Rep. by the Bengal Rent Act, 1859 (X of 1859).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1322,
"details": "15. Penalties to landholders for not conforming to rules regarding village accounts. Rep. by the Bengal Rent Act, 1859 (X of 1859).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1322,
"details": "16. It shall be competent to the 1Government to appoint to any revenue jurisdiction a Deputy Collector, with the powers hereinafter specified.",
"name": "Appointment of Deputy Collector",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1322,
"details": "17. Persons eligible to office, and how appointed. Rep. by the Repealing and Amending Act, 1914 (X of 1914).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1322,
"details": "18. Monthly allowance how fixed, and susceptible of increase. Rep. by the Repealing and Amending Act. 1914 (X of 1914).",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1322,
"details": "19. Solemn declaration to be made by Deputy Collectors. Rep. by the Indian Oaths Act, 1873 (X of 1873).",
"name": "",
"related_acts": "29",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1322,
"details": "20. The Deputy Collectors appointed under this Regulation are to be in all respects subordinate to the Collector under whom they may be placed, and are required to perform all duties assigned to them by that functionary.",
"name": "Subordination of Deputy Collectors",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1322,
"details": "21. It will be at the discretion of the latter officer to employ them in settlement-duties under the provisions of Regulation VII, 1822, in the superintendence of the Government Khas Mahals, and generally in the transaction of any other part of the duties of a Collector.",
"name": "Duties in which Collectors may employ them",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1322,
"details": "22. All proceedings held by a Deputy Collector appointed under this Regulation shall be recorded in his own name and on his own responsibility, subject to the revision and control of the Collector and appealable to the superior authorities in the usual course.",
"name": "Their proceedings how recorded and how appealable",
"related_acts": "",
"section_id": 21
}
],
"text": "A Regulation to modify certain portions of Regulation VII of 1822 to provide for the more speedy and satisfactory decision of judicial questions cognisable by officers of revenue employed in settlements under the above Regulation; for enforcing the production of the village- accounts; for the appointment of Deputy Collectors in the Revenue Department; and to declare the intent of section 5, Regulation VII of 1822, touching claims to malikana. Preamble 1. Experience having demonstrated the expediency of modifying certain enactments of Regulation VII of 1822, also of providing a more speedy and satisfactory mode of deciding such judicial questions as may be cognisable by officers of the Revenue Department under that Regulation and of declaring the intent of the rules regarding malikana promulgated by section 5, Regulation VII of 1822; it having been found expedient likewise that measures should be adopted for enforcing the production of the village- accounts, and for rendering them accessible to all persons concerned having occasion to examine them; also that persons of respectability should be employed in more important trusts connected with the revenue administration; the following provisions have been enacted, to be in force from the date of their promulgation."
} |
{
"id": 1323,
"lower_text": [],
"name": "গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 66,
"published_date": "১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1025,
98,
1323,
11,
75,
847,
1169,
788,
1047,
442,
254,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1323,
"details": "১। (১) এই আইন গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকা এবং সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকা সংলগ্ন যে সকল এলাকা নির্ধারণ করিবে সেই সকল এলাকায় প্রযোজ্য হইবে।(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1323",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২। বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে¾ (১) ‘‘ইমারত’’ অর্থ Building Construction Act, 1952 (Act No. II of 1953) এর section 2(b) এ সংজ্ঞায়িত building; (২) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; (৩) ‘‘কোম্পানি’’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২(ঘ) তে সংজ্ঞায়িত কোনো কোম্পানি; (৪) ‘‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মচারী; (৫) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান; (৬) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ৩১ এ উল্লিখিত তহবিল; (৭) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি বা, ক্ষেত্রমত, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত; (৮) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১০) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে যে কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা সংস্থা, উহা নিবন্ধিত হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে; (১১) ‘‘মহাপরিকল্পনা (Master Plan’’ অর্থ ধারা ১১ এর অধীন প্রণীত মহাপরিকল্পনা; (১২) ‘‘সচিব’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের সচিব; (১৩) ‘‘সদস্য’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের যে কোনো সদস্য; (১৪) ‘‘সার্বক্ষণিক সদস্য’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের কোনো সার্বক্ষণিক সদস্য; এবং (১৫) ‘‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনসহ কোনো আইনের অধীন কোনো নির্দিষ্ট কার্যাদি সম্পাদনের জন্য প্রতিষ্ঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "254,788",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে। (২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ ইহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪। (১) কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় থাকিবে।(২) কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) চেয়ারম্যান; (খ) চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য; (গ) জেলা প্রশাসক, গাজীপুর; (ঘ) বিভাগীয় প্রধান, নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, বুয়েট; (ঙ) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (চ) ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ছ) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূনউপ-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (জ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঝ) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত গণপূর্ত অধিদপ্তরের অন্যূন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঞ) পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর কর্তৃক মনোনীত অন্যূন উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ট) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন; (ঠ) নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ, গাজীপুর; (ড) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত সরকার কর্তৃক মনোনীত তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক তন্মধ্যে একজন হইবেন মহিলা; (ঢ) গাজীপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি বা তদকর্তৃক মনোনীত তিনজনের প্যানেল হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; এবং (ণ) সচিব, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ড) এবং (ঢ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার যে কোনো সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং কোনো মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "কর্তৃপক্ষ গঠন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :¾ (১) ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করিয়া মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; (২) মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের নিমিত্ত ভূমি জরিপ ও সমীক্ষা, গবেষণা পরিচালনা এবং তৎসংশ্লিষ্ট সকল প্রকার তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ; (৩) ভূমির উপর যে কোনো প্রকৃতির অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যাবলি গ্রহণ; (৪) সড়ক, মহাসড়ক, নৌপথ, রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনাক্রমে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন; (৫) কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা অপসারণ; (৬) অপরিকল্পিত, অপ্রশস্ত ও ঘনবসতি অপসারণক্রমে নূতন আবাসন প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং উক্ত এলাকার বাসিন্দাগণের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (৭) নিম্নবিত্ত, বস্তিবাসী এবং গৃহহীনদের আবাসন সমস্যার অগ্রাধিকার বিবেচনায় রাখিয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উহার বাস্তবায়ন; (৮) উন্নয়ন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রহিয়াছে এইরূপ কোনো এলাকার জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি এবং উক্ত এলাকার ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন বা কোনো ইমারত বা স্থাপনার পরিবর্তনের উপর অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ; (৯) আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা তৈরি এবং উহার ধারাবাহিকতা সংরক্ষণ; (১০) পর্যাপ্ত সংখ্যক বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনী তৈরি; (১১) কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে দেশি-বিদেশি বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে পরামর্শ বা সহযোগিতা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন; (১২) দেশি অথবা বিদেশি ব্যক্তি, সরকারি বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন; (১৩) কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান; (১৪) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ; (১৫) আধুনিক ও নগর সংক্রান্ত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন; (১৬) জনকল্যাণমূলক যে কোনো টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প ও বাস্তবায়ন; (১৭) শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য, যোগাযোগ, নগরায়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন, বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, খাল ও নালা নর্দমার উন্নয়ন, উড়াল সেতু, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাম, মেট্রোরেল খাতে উন্নয়ন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, যে কোনো পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন; (১৮) সরকারের পরিকল্পনার সহিত সমন্বয় করিয়া কর্তৃপক্ষের স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন; (১৯) মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়ন কর্মকান্ড নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে ভূমি ব্যবহারের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি; (২০) কৃষি ভূমি, বনভূমি, নিম্নভূমি, জলাভূমি এবং পরিবেশগত সংবেদনশীল এলাকাসমূহ সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ; (২১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে চুক্তি সম্পাদন; এবং (২২) সরকার কর্তৃক সময় সময় অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদন।",
"name": "কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৭। (১) সরকার কর্তৃপক্ষের একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য নিয়োগ করিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। (২) চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্যগণ কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে তিন বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবে না। (৩) কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন না বা উক্ত পদে থাকিতে পারিবেন না, যদি তিনি¾ (ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন; (খ) শারীরিক বা মানসিক অসমর্থের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; (গ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া অথবা অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন; (ঘ) কোনো ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ খেলাপি হিসাবে ঘোষিত হন এবং দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; (ঙ) কোনো ফৌজদারী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন; বা (চ) কর্তৃপক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো পেশা বা ব্যবসার সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন বা হন। (৪) সরকার, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, চেয়ারম্যান বা কোনো, সার্বক্ষণিক সদস্যকে যে কোনো সময় অপসারণ করিতে পারিবে। (৫) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা তাহার অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্যপদে নূতন চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো সার্বক্ষণিক সদস্য চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন। (৬) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি¾ (ক) এই আইন, বিধি ও প্রবিধানের বিধান অনুসারে কর্তৃপক্ষের প্রশাসন পরিচালনার জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং (খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যান এবং সার্বক্ষণিক সদস্য নিয়োগ, মেয়াদ, অপসারণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে। (২) প্রতি তিন মাসে কর্তৃপক্ষের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে: তবে শর্ত থাকে, যে কোনো সময় জরুরি সভা আহবান করা যাইবে। (৩) চেয়ারম্যান, কর্তৃপক্ষের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) কর্তৃপক্ষের সভায় কোরামের জন্য এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে। (৫) কর্তৃপক্ষের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে। (৬) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা কর্তৃপক্ষ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না। (৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হইবার অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট উহার অনুলিপি প্রেরণ করিতে হইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৯। কর্তৃপক্ষ উহার সভার নির্ধারিত আলোচ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম বা কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পাদনে সহায়তার জন্য, প্রয়োজনে, সদস্য নহে কিন্তু উক্তরূপ কার্যে অভিজ্ঞ এইরূপ কোনো ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের পরামর্শ বা সহযোগিতা গ্রহণ করিতে পারিবে, তবে তিনি কোনো ভোটাধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন না।",
"name": "পরামর্শ বা সহযোগিতা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১০। কর্তৃপক্ষ সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা উহার কার্যাবলি সম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১১। (১) কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করিয়া উহার আওতাভুক্ত এলাকার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে, যথা:¾ (ক) নৌ, বিমান, রেল, সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচলের গতি-প্রকৃতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং এতৎসংক্রান্ত বিষয়াদি; (খ) পানি সরবরাহ, সংরক্ষণ, পয়ঃপ্রণালি ও পয়ঃনিষ্কাশন; (গ) বিভিন্ন সরকারি অফিস, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা কেন্দ্র, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, উদ্যান, উন্মুক্ত স্থান, জলাশয় এবং বিনোদনমূলক ব্যবস্থা, পর্যটন তথ্য কেন্দ্র, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, ইত্যাদির জন্য ভূমি সংরক্ষণসহ উহার অবস্থান নির্ধারণ ও সংরক্ষণ; (ঘ) আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার অবস্থান নির্ধারণ, সংরক্ষণ এবং এতৎসংক্রান্ত বিষয়াদি; (ঙ) মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজন হইতে পারে এইরূপ ভূমি চিহ্নিতকরণ ও উহার অবস্থান নির্ধারণ; (চ) ভূমি ব্যবহার, জোনিং এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ অনুসরণ করিয়া ভূমি সংরক্ষণ; (ছ) সৌর-বিদ্যুৎসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ এবং এতৎসংক্রান্ত বিষয়াদি; (জ) দীর্ঘমেয়াদি ও আধুনিক নাগরিক সুবিধাসংবলিত নগরায়ন পরিকল্পনা, প্রকল্প, ধারাবাহিক উন্নয়ন, নিয়মিত সংস্কার এবং এতৎসংক্রান্ত বিষয়াদি; এবং (ঝ) আধুনিক পর্যটন ও বাণিজ্যিক নগরী গড়িয়া তুলিবার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আধুনিক সুবিধা। (২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত মহাপরিকল্পনা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেট, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং বহুল প্রচারিত দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে উহার প্রাক্-প্রকাশ করিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশিত মহাপরিকল্পনার বিষয়ে কাহারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকিলে উহা প্রাক-প্রকাশের ষাট দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। (৪) কর্তৃপক্ষ, প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনাপূর্বক উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশের তারিখ হইতে অনধিক একশত পাঁচ দিনের মধ্যে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে। (৫) সরকার, উপ-ধারা (৫) এর অধীন মহাপরিকল্পনা প্রাপ্ত হইবার ষাট দিনের মধ্যে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উহা অনুমোদন করিবে এবং সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা উহার চূড়ান্ত প্রকাশ করিবে।",
"name": "মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১২। কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, সময় সময়, মহাপরিকল্পনা সংশোধন করিতে পারিবে এবং এই ক্ষেত্রে ধারা ১১ এর উপ-ধারা (২), (৩), (৪), ও (৫) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "মহাপরিকল্পনা সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১৩। মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন অথবা উহার সংশোধন বা পরিবর্তন গেজেট প্রকাশিত হইবার পূর্বে বা পরে, উহা সম্পর্কে কোনো আদালতে মামলা করা যাইবে না।",
"name": "মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে মামলা করিবার উপর বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১৪। (১) কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো ভূমি ব্যবহার করিতে ইচ্ছুক হইলে তাহাকে লিখিতভাবে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর চেয়ারম্যান উহা মঞ্জুর করিতে পারিবেন অথবা নামঞ্জুর করিতে পারিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো আবেদন নামঞ্জুর করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করিতে পারিবে এবং এই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "মহাপরিকল্পনার পরিপন্থি ভূমি ব্যবহারের অনুমতি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১৫। (১) কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনার ভিত্তিতে উহার আওতাভুক্ত কোনো এলাকার জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুত করিয়া উহা অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখ থাকিবে, যথা :¾ (ক) গৃহায়নসহ প্রস্তাবিত উন্নয়ন, পূর্ত কাজের বিবরণ, প্রাক্কলিত ব্যয় ও প্রস্তাবিত অর্থের সংস্থান; (খ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করিবার জন্য যে পরিমাণ ভূমি অধিগ্রহণ করিতে হইবে বা উহা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে; (গ) এলাকার ভূমি বিন্যাস বা পুনর্বিন্যাস; (ঘ) প্রকল্প এলাকার ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমির উপর অবস্থিত যে সকল ইমারত ধ্বংস, পরিবর্তন বা পুনঃনির্মাণ করিতে হইবে; (ঙ) বিক্রয় ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে সকল ইমারত নির্মাণ করিতে হইবে; (চ) রাস্তা, নর্দমা, পয়ঃনিষ্কাশন, পানি সরবরাহের পাইপ লাইন, সেতু, গলি, টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেটের গ্লাসফাইবার লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন, গ্যাস লাইন ও কালভার্টের বিন্যাস বা পরিবর্তন; (ছ) রাস্তা সমতলকরণ, পাকাকরণ, পাথরকুচি বিছানো, পাথর বসানো, সংযোগকরণ, পয়ঃসংযোগ ও নর্দমার ব্যবস্থাকরণ এবং পানি সরবরাহ, আলোকিতকরণ এবং সাধারণভাবে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ সংস্থান করে এমন স্যানিটারি সুবিধাদি; (জ) প্রকল্পভুক্ত এলাকার ভূমি ভরাট করা, নিচু করা ও সমতল করা; (ঝ) উন্মুক্ত গণস্থান তৈরি, সংরক্ষণ, বর্ধিতকরণ ও উন্নয়ন; (ঞ) বিদ্যমান পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সমৃদ্ধিকরণ অথবা পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য গৃহীত প্রকল্প; (ট) নির্গমনদ্বারসহ নর্দমা ও পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প; (ঠ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র ও ইলেক্ট্রিক সাব- স্টেশন, বাস, ট্যাক্সি ও রিক্সা স্ট্যান্ড এবং বাজার নির্মাণের স্থান অধিগ্রহণ করিয়া উক্ত উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত রাখা; এবং (ড) এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্য যে কোনো বিষয়। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত উন্নয়ন প্রকল্প সরকার পরিবর্তনসহ বা পরিবর্তন ব্যতীত অনুমোদন করিতে পারিবে। (৪) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর অধীন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে। (৫) কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বা ইহার নিজস্ব ওয়েবসাইটে উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করিয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিবে এবং প্রকল্প এলাকায় দৃশ্যমান সাইনবোর্ডে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ প্রদর্শন করিবে। (৬) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ভূমির বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখিতে হইবে। (৭) কোনো উন্নয়ন বা জনকল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়নকালীন কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত কোনো রাস্তায় বা উহার অংশবিশেষে যানবাহন বা জনসাধারণের চলাচলের উপর কর্তৃপক্ষ সাময়িকবিধি-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে। (৮) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৭) এর অধীন সাময়িক বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি স্থানীয় জনসাধারণকে অবহিত করিবে যাহাতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উক্ত অঞ্চলের জনসাধারণ এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করিবার সুযোগ পায়।",
"name": "উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১৬। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হইবার পর কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহা সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "উন্নয়ন প্রকল্প সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১৭। (১) কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার কোনো অংশে কোনো ব্যক্তি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি সাধারণভাবে কোনো ধরনের রাস্তাঘাট ও ইমারত নির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়ন করিতে পারিবে না। (২) নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় ভরাট করিয়া অথবা উহাদের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করিয়া কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাইবে না। (৩) পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এমন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাইবে না। (৪) পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখিয়া প্রকল্প প্রণয়ন করিতে হইবে।",
"name": "কতিপয় উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১৮। (১) ধারা ১১ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, জনস্বার্থে, কোনো অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রণীত অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প অবাস্তবায়িত থাকাবস্থায় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হইলে উক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এবং মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হইবার পর উক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর থাকিবে না।",
"name": "অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1323,
"details": "১৯। (১) কর্তৃপক্ষের অধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, নৌ, বিমান, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ বা অন্য কোনো সংস্থার বা কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বা কোম্পানি মহাপরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উহাদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য উন্নয়ন ও নির্মাণ পরিকল্পনা সম্পর্কিত স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে এবং উহা অবগতির জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অবহিত হইবার পর কর্তৃপক্ষ উহার মতামত, যদি থাকে, বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিকট প্রেরণ করিবে।",
"name": "স্থানীয় পরিকল্পনা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২০। যদি কর্তৃপক্ষের নিকট জনস্বার্থে প্রতীয়মান হয় যে, কোনো ভূমির ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বা শর্ত আরোপ করা সমীচীন অথবা কোনো ইমারত, পূর্ত কার্য, কারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন বা অপসারণ করা সমীচীন তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ কার্য করিবার জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ভূমি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং ইমারত পরিবর্তন বা অপসারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২১। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে কোনো ব্যক্তি স্থানচ্যূত বা বাস্তুচ্যূত হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।",
"name": "ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২২। কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার রাস্তার প্রশস্ততা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "রাস্তার প্রশস্ততা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২৩। (১) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন কোনো ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চত্বর বা উহার কোনো অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা বা উহার অংশবিশেষ উহার অধীন ন্যস্ত করিবার জন্য উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদান করিবে এবং তদনুসারে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো রাস্তা, চত্বর বা উহার কোনো অংশবিশেষের কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত হইলে উক্ত রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশ বিশেষের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না।(৩) রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশবিশেষ ব্যতীত অন্য কোনো ভূমি বা ইমারত উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্ত হইলে, যে উদ্দেশ্যে উক্ত ভূমি বা ইমারত অধিগ্রহণ করা হইয়াছিল সেই একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হইলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোনোরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না :তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে উক্ত ভূমি বা ইমারত ব্যবহার করা হইলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে, এবং ইমারতের ক্ষেত্রে সাধারণ হারে উহার উপর কর আরোপযোগ্য হইবে।(৪) এই ধারার অধীন গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত বা কার্যক্রমের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে বা বিরোধ দেখা দিলে উহা ধারা ৫৮ এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।",
"name": "স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ভূমি ও ইমারত ন্যস্তকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২৪। মহাপরিকল্পনা বা অন্তর্বর্তীকালীন কোনো প্রকল্পের কাজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সমাপ্ত হইবার পর কর্তৃপক্ষ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত প্রকল্পের অধীন সমাপ্ত অবকাঠামো, যথা- উদ্যান, রাস্তা, নর্দমা এবং অনুরূপ অন্যান্য সেবা ও সুবিধাসমূহ স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ন্যস্ত করিতে পারিবে।",
"name": "সমাপ্ত প্রকল্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট ন্যস্তকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২৫। (১) সরকার, কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার মধ্যে সরকারি কোনো সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বা অনুমোদিত কোনো উন্নয়ন প্রকল্প এবং সরকারের মালিকানাধীন কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের বরাবরে হস্তান্তর করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন হস্তান্তরিত কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের অবাস্তবায়িত কার্য পূর্ববর্তী অনুমোদিত আকারে অথবা, প্রয়োজনে, কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্পের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিয়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়ন করা যাইবে।",
"name": "সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন প্রকল্প বা সম্পত্তি হস্তান্তর",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২৬। কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্তকৃত সকল রাস্তা, চত্বর, ইমারত, ভূমি বা উহার অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষ নিজে বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সহিত যৌথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করিবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্তকৃত সরকারি রাস্তা, নর্দমা, ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ যেকোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অথবা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ ক্রয়, লিজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জন করিতে পারিবে।",
"name": "ভূমি ক্রয় বা লিজ গ্রহণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো ভূমি বা ভূমিসংশ্লিষ্ট স্বার্থ অধিগ্রহণ করিবার প্রয়োজন হইলে উহা জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1323,
"details": "২৯। ধারা ২৭ এর অধীন অর্জিত ভূমি বা ধারা ২৮ এর অধীন অধিগ্রহণকৃত ভূমি বা ভূমিসংশ্লিষ্ট স্বার্থ কর্তৃপক্ষ নিজ কর্তৃত্বে রাখিতে পারিবে অথবা বিক্রয়, লিজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করিতে পারিবে।",
"name": "ভূমি বিলি-বন্দেজ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩০। (১) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে উক্ত এলাকার ভূমির মূল্য বৃদ্ধি পাইলে বা পাইবে বলিয়া মনে করিলে উক্ত ভূমির মালিক বা ভূমির স্বার্থসংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এমন ব্যক্তির উপর ভূমির মূল্য বৃদ্ধির অনুপাতে উন্নয়ন ফি ধার্য করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত উন্নয়ন ফি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধার্য, নির্ধারণ ও আদায় করা যাইবে।",
"name": "উন্নয়ন ফি ধার্যের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩১। (১) গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তহবিল নামে কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা :¾ (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি বা অনুদান; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো দেশি বা বিদেশি সংস্থা বা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (গ) স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষ হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (ঘ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে গ্রহীত ঋণ; (ঙ) কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিক্রয় বা ভাড়া হইতে প্রাপ্ত আয়; (চ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ফি, চার্জ, ইত্যাদি; এবং (ছ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) কর্তৃপক্ষের তহবিল কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা পরিচালনা করিতে হইবে। (৩) চেয়ারম্যান, সদস্য, কমিটির সদস্য, সচিব ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি, সম্মানি এবং কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে, তহবিলের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে এতৎসংশ্লিষ্ট প্রচলিত বিধি-বিধান ও নিয়ম-নীতি অনুসরণ করিতে হইবে। (৪) প্রত্যেক অর্থবৎসরে উহার সকল ব্যয় নির্বাহের পর কর্তৃপক্ষ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখিয়া তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবে জমা প্রদান করিবে। ব্যাখ্যা।¾ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩২। কর্তৃপক্ষ সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরের সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩৩। (১) কর্তৃপক্ষ, যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ এবং হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত, প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের অনুলিপি কর্তৃপক্ষ ও সরকারের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) এ সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিতে হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে। (৫) কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউনটেন্ট কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগত বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্তৃপক্ষের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৬) এই ধারার বিধানাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর বিধানাবলি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442,1169",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩৪। এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের নিকট কর্তৃপক্ষের কোনো অর্থ পাওনা থাকিলে উহা সরকারি দাবি হিসাবে Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No.III of 1913) এর বিধান-অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।",
"name": "বকেয়া আদায়",
"related_acts": "98",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩৫। (১) কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক অর্থবৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে উহার আয়, ব্যয় ও স্থিতির আর্থিক বিবরণসহ উক্ত বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনে, কর্তপক্ষের নিকট হইতে যেকোনো সময় কর্তৃপক্ষের যেকোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উহা পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩৭। কর্তৃপক্ষের একজন সচিব থাকিবেন, যিনি সরকারের উপসচিব অথবা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদাধারীদের মধ্য হইতে প্রেষণে নিযুক্ত হইবেন।",
"name": "কর্তৃপক্ষের সচিব",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩৮। (১) কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৩৯। চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য, সচিব এবং কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (Public servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "11",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪০। যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ভূমি ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "মহাপরিকল্পনার পরিপন্থি ভূমি ব্যবহারের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪১। (১) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার পর, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার মধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখনন কিংবা চালা বা উঁচু ভূমি কাটা যাইবে না। (২) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কোন ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখননের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি’সহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, মহাপরিকল্পনার সহিত সঙ্গতি রাখিয়া, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, উক্তরূপ কাজের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩১ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন ঘোষিত পর্যটন সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয় সাধন করিয়া কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা কৃত্রিম জলাধার খননের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে। (৩) কর্তৃপক্ষের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যে সকল শর্তে উপ-ধারা (২) এর অধীন অনুমতি প্রদান করা হইয়াছিল উহা প্রতিপালন করা হয় নাই বা ভঙ্গ করা হইয়াছে বা ভঙ্গ করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত অনুমতি বাতিল করিতে পারিবে। (৪) এই ধারার কোনো কিছুই বিদ্যমান ইমারত বা স্থাপনার মেরামত বা উহাদের সাধারণ মেরামত কার্য পরিচালনা কিংবা জলাধার সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না। (৫) অন্য কোনো আইনে যাহাই থাকুক না কেন, পর্যটন এলাকায় মহা-পরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্প প্রনয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে কোনো বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে উহা ধারা ৫৮ এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে। (৬) যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক দুই বৎসর কারা দণ্ড বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "ইমারত নির্মাণ, জলাধার খনন, চালা অথবা উঁচু ভূমি, ইত্যাদি বিষয়ে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "1047",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪২। (১) কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনবোধে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্বতিতে খননাধীন কোনো কৃত্রিম জলাধারের খননকার্য স্থগিত বা বন্ধ করিবার অথবা টিলা কাটার কার্য স্থগিত বা বন্ধ করিবার জন্য উহার মালিককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তী একই অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন দুই বৎসর, অনধিক দশ বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন দুই লক্ষ টাকা, অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "কৃত্রিম জলাধার খনন, টিলা কাটা, ইত্যাদি স্থগিতকরণ বা বন্ধ বা অপসারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪৩। (১) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত উহার আওতাধীন কোনো এলাকার নিচু ভূমি ভরাট বা উঁচু অথবা কোনো প্রাকৃতিক জলাধারের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ বা কোনো নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়, পুকুর, ডোবা, প্রাকৃতিক জলাধার, ইত্যাদির পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাইবে না। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি প্রথমবার অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে এবং পরবর্তী প্রতিবার অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অন্যূন দুই বৎসর, অনধিক দশ বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন দুই লক্ষ টাকা, অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "নিচু ভূমি ভরাট বা প্রাকৃতিক জলাধারের পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্তের উপর বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪৪। কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান এবং উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩৬ নং আইন) প্রযোজ্য হইবে।",
"name": "খেলার মাঠ, উন্মুক্ত মাঠ, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন",
"related_acts": "847",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪৫। কোনো ব্যক্তি আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতীত কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্থাপিত কোনো সীমানা প্রাচীর, দেয়াল, সীমানা খুঁটি, নিরাপত্তা বেষ্টনী, গ্রোথিত কোনো বার, চেইন বা পোস্ট অথবা কোনো বাতি অপসারণ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "সীমানা প্রাচীর, ইত্যাদি অপসারণ করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪৬। যদি কোনো ইমারত বা দেয়ালের মালিক কর্তৃপক্ষের সহিত স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত ইমারত বা দেয়াল অপসারণ না করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি পাকা ইমারত বা দেওয়ালের জন্য অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে এবং কাঁচা ইমারত বা দেওয়ালের জন্য অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "ইমারত অথবা দেয়াল অপসারণ না করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪৭। যদি আদালত কোনো ব্যক্তিকে কোনো দেয়াল, ইমারত বা স্থাপনা অপসারণের আদেশ প্রদান করে এবং উক্ত ব্যক্তি যদি আদালত কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত দেয়াল, ইমারত বা স্থাপনা অপসারণ না করেন, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উহা অপসারণ করিতে পারিবে এবং উক্ত অপসারণের জন্য ব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট মালিক বা ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ না করিলে উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর বিধান অনুযায়ী সরকারি দাবি হিসাবে আদায় করা যাইবে।",
"name": "অবৈধ নির্মাণ অপসারণ",
"related_acts": "98",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪৮। (১) কর্তৃপক্ষ, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্বতিতে, অননুমোদিত নির্মাণাধীন কোনো ইমারতের নির্মাণ কার্য স্থগিত বা কোনো নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ করিবার জন্য উহার মালিককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্মাণাধীন কোনো ইমারতের মালিককে নির্দেশ প্রদান করা হইলে উক্ত ইমারতের মালিক নহে এমন কোনো ব্যক্তি সেখানে বসবাস করিলে তাহাকেও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্বতিতে উক্ত ইমারত ত্যাগ করিবার জন্য কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, নির্মাণ কাজ স্থগিত করা না হইলে বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনা অপসারণ করা না হইলে অথবা সংশ্লিষ্ট বসবাসকারী উক্ত ইমারত পরিত্যাগ না করিলে কর্তৃপক্ষ, স্ব-উদ্যোগে, উক্ত ইমারত বা স্থাপনা অপসারণ করিতে অথবা সংশ্লিষ্ট বসবাসকারীকে উচ্ছেদ করিতে পারিবে এবং উক্ত অপসারণ বা উচ্ছেদ কার্যক্রমের আনুষঙ্গিক ব্যয়ের সমুদয় অর্থ সংশ্লিষ্ট মালিক বা ব্যক্তির নিকট হইতে নগদ আদায় করিবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত অর্থ সংশ্লিষ্ট মালিক বা ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ না করিলে উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর বিধান অনুযায়ী সরকারি দাবি হিসাবে আদায় করা যাইবে। (৫) উপ-ধারা (১) এর বিধান বিদ্যমান ইমারত সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না। (৬) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "অননুমোদিত নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ ও উহাতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ",
"related_acts": "98",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৪৯। (১) আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতীত, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা উহার নির্দেশনা অনুসারে কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কোনো কার্য সম্পাদনের সময় স্থাপিত কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বা তীরবর্তী খুঁটি বা গ্রোথিত কোনো বার বা চেইন বা পোস্ট বা অনুরূপ কোনো কিছু অপসারণ বা কোনো বাতি সরাইয়া লওয়া যাইবে না। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক এক বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "কর্তৃপক্ষের কার্যসম্পাদনকালে নিরাপত্তা বেষ্টনী, ইত্যাদি অপসারণ নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫০। (১) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইন কার্যকর হইবার পর, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার মধ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর অনুমতি ব্যতীত স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীন বিষয়সমূহ যেমন, কোনো ইমারত নির্মাণের নক্সা অনুমোদন, জলাধার খনন বা পুনঃখননের অনুমতি প্রদান করিবে না। (২) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী কোনো ইমারত নির্মাণ বা জলাধার খননের অনুমতি প্রদান করিলে তাহাকে উক্ত ইমারত বা জলাধারের নক্সাসহ তাহার স্বাক্ষরিত উক্ত অনুমতি পত্রের একটি অনুলিপি ইমারত বা জলাধার যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার মেয়র বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহীর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। (৩) এই আইন কার্যকর হইবার পর, কর্তৃপক্ষ ব্যতীত কোনো পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন উপ-ধারা (১)-এর ব্যত্যয় ঘটাইয়া কোনো অনুমতি প্রদান করিলে উহা বে-আইনি ও ক্ষমতাবহির্ভূত হিসাবে গণ্য হইবে বা অনুরূপ অনুমতির মাধ্যমে কৃত কার্যক্রম অকার্যকর ও অননুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইমারত নির্মাণের অনুমতি প্রদান নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫১। (১) চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব বা কোনো কর্মচারী কর্তৃপক্ষের কোনো পদে বহাল থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের সহিত ব্যবসা-বাণিজ্য বা কোনো লেনদেন বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো শেয়ার অথবা স্বত্ব বা দখল করিবেন না। (২) চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব বা কোনো কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব বা কোনো কর্মচারী কর্তৃক কর্তৃপক্ষের শেয়ার, স্বার্থ বা চুক্তিতে অংশগ্রহণে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫২। এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিপরীতে ক্ষতিপূরণের দাবি উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "ক্ষতিপূরণ প্রদান না করা",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫৩। এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী বা অন্য কোনো ব্যক্তি আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে এবং আদালত উক্ত অভিযোগ আমলে গ্রহণ করিবে।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫৪। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে। (২) উক্ত Code এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন― (ক) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে; এবং (খ) প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে বর্ণিত যে কোনো অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "বিচার, ইত্যাদি",
"related_acts": "75",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫৫। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য হইবে।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫৬। এই আইনের অন্য কোনো বিধানে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাইবে।",
"name": "মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার",
"related_acts": "1025",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫৭। (১) কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, সচিব, অন্য কোনো কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত সত্ত্বা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষের অধীন এলাকায় মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প, অন্তর্বর্তীকালীন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত অথবা কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে উহা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে আপস মীমাংসা না হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত বিরোধের বিষয়টি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সরকার উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, বা, ক্ষেত্রমত, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় এর সহিত পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে উহা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।",
"name": "বিরোধ নিষ্পত্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৫৯। (১) চেয়ারম্যান বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী, এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকার কোনো ভূমিতে নিম্নবর্ণিত যে কোনো উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিতে পারিবেন, যথা:― (ক) কোনো অনুসন্ধান, জরিপ, পরীক্ষা, মূল্যায়ন বা তদন্ত; (খ) ভূমির স্তর গ্রহণ; (গ) নিম্নস্তরের মাটি খনন বা ছিদ্রকরণ; (ঘ) পূর্ত কাজের চৌহদ্দি ও সীমারেখা নির্ধারণ; (ঙ) চিহ্ন বা নালা কাটিয়া উক্তরূপ স্তর চৌহদ্দি ও সীমারেখা চিহ্নিতকরণ; বা (চ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোনো কাজ। (২) সংশ্লিষ্ট ভূমির মালিক বা দখলদারকে উক্ত ভূমিতে প্রবেশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্যূন ২৪ (চবিবশ) ঘণ্টা পূর্বে নোটিশ প্রদান করিয়া সূর্যোদয়ের পর ও সূর্যাস্তের পূর্বে যেকোনো সময় উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রবেশ করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো কার্যের ফলে যদি ভূমির কোনো ক্ষতি হয়, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে।",
"name": "প্রবেশাধিকার",
"related_acts": "",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৬০। কর্তৃপক্ষ, উহার কোনো ক্ষমতা, প্রয়োজনে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য, সচিব বা উহার কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৬১। এই আইনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয় নাই এইরূপ ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোনো ক্ষেত্রে, এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধানের অধীন কর্তৃপক্ষ, চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব বা উহার কোনো কর্মচারীর উপর ন্যস্তকৃত দায়িত্ব পালনকালে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তিকে যুক্তিসংগত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষতিপূরণ প্রদানে কর্তৃপক্ষের সাধারণ ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৬২। এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানী আদালতে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "দেওয়ানী আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত",
"related_acts": "",
"section_id": 62
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৬৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সময় সময়, কর্তৃপক্ষকে যে কোনো নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা পালন করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 63
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৬৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 64
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৬৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 65
},
{
"act_id": 1323,
"details": "৬৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধ্যন্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 66
}
],
"text": "গাজীপুর ও উহার সন্নিহিত এলাকা সমন্বয়ে আধুনিক, সুপরিকল্পিত শিল্প ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন যেহেতু গাজীপুর ও উহার সন্নিহিত এলাকা সমন্বয়ে আধুনিক, সুপরিকল্পিত শিল্প ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :¾"
} |
{
"id": 1324,
"lower_text": [
"1 The words \"Penal Code\" were substituted, for the words \"Pakistan Penal Code\" by section 3 and 2nd Schedule of the Bangladesh Laws (Revision And Declaration) Act, 1973 (Act No. VIII of 1973)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS FRONTIER POLICE REGULATION, 1881",
"num_of_sections": 12,
"published_date": "7th December, 1881",
"related_act": [
1324,
430
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1324,
"details": "1. This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS FRONTIER POLICE REGULATION, 1881.",
"name": "Short title",
"related_acts": "1324",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1324,
"details": "It applies to all persons now or hereafter appointed under the said Act No. V of 1861 to be Frontier Police officers and posted to the Hill-tracts of Chittagong.Commencement Rep. by the Amending Act, 1903 (I of 1903)",
"name": "Local extent",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1324,
"details": "2. In this Regulation, unless there is something repugnant in the subject or context,-",
"name": "Interpretation clause",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1324,
"details": "“active service” means service at the frontier outposts or against hostile tribes or other persons in the field;",
"name": "“Active Service”",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1324,
"details": "“Superintendent” and “District Superintendent” mean the Superintendent of the Hill-tracts of Chittagong and the District Superintendent of Police within the same tracts, respectively; and the expressions “reason to believe”, “criminal force” “assault” and “fraudulently.” have the meanings assigned them respectively in the 1Penal Code.",
"name": "“Superintendent” and “District Superintendent” “reason to believe” “criminal force” “assault” and “fraudulently”",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1324,
"details": "3. Any person subject to this Regulation, not being above the rank of Subadar, who-(a) begins, excites, causes or joins in any mutiny or sedition, or, being present at any mutiny or sedition, does not use his utmost endeavour to suppress the same, or, knowing or having reason to believe in the existence of any mutiny, or of any intention to mutiny, does not without delay give information thereof to his commanding or other superior officer; or(b) uses or attempts to use, criminal force to, or commits an assault on, his superior officer, whether on or off duty, under any circumstances in which the superior officer is distinguishable as such in any manner; or(c) shamefully abandons or delivers up any garrison, fortress, post or guard committed to his charge or which it is his duty to defend; or(d) directly or indirectly holds correspondence with, or assists or relieves, any persons in arms against the State, or omits to discover immediately to his commanding or other superior officer any such correspondence coming to his knowledge; andany such person who, while on active service,-(e) disobeys the lawful command of his superior officer; or(f) deserts the service; or(g) being a sentry, sleeps upon his post, or quits it without being regularly relieved or without leave; or(h) without authority, leaves his commanding officers, or his post or party, to go in search of plunder; or(i) quits his guard, piquet party or patrol without being regularly relieved or without leave; or(j) uses criminal force to, or commits an assault on, any person bringing provisions or other necessaries to camp or quarters, or forces a safeguard, or without authority breaks into any house or any other place, for plunder, or plunders, destroys or damages any field, garden or other property of any kind; or(k) intentionally causes or spreads a false alarm in action, camp, garrison or quarters,shall be punished with transportation for life or for a term of not less than seven years, or with imprisonment, with or without hard labour, for a term which may extend to fourteen years.",
"name": "More heinous offences",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1324,
"details": "4. Any person subject to this Regulation, not being above the rank of subadar, who-(a) is in state of intoxication when on or for any duty, or on parade or on the line of march; or(b) strikes or attempts to force any sentry; or(c) being in command of a guard, piquet or patrol, refuses to receive any prisoner duly committed to his charge, or without proper authority releases any prisoner or negligently suffers any prisoner to escape; or(d) being under arrest or in confinement, leaves his arrest or confinement before he is set at liberty by proper authority; or(e) is grossly insubordinate or insolent to his superior officer in the execution of his office; or(f) refuses to superintend or assist in the making of any field-work or other military work of any description ordered to be made either in quarters or in the field; or(g) strikes or otherwise ill-uses any person subject to this Regulation being his subordinate in rank or position; or(h) being in command at any post on the march, and receiving a complaint that anyone under his command has beaten or otherwise maltreated or oppressed any person, or has committed any riot or trespass, fails to have due reparation made to the injured person, or to report the case to the proper authority; or(i) designedly or through neglect injures or loser in fraudulently disposes of, his arms, clothes tools, equipments, ammunition, accoutrements or regimental necessaries, or any such article entrusted to him or belonging to any other person; or(j) malingers, feigns or produces disease or infirmity in himself, or intentionally delays his cure or aggravates his disease or infirmity or(k) with intent to render himself or any other person unfit for service, voluntarily causes hurt to himself or any other person; and any such person who, while not on active service,-(l) disobeys the lawful orders of his superior officer; or(m) plunders, destroys or damages any field, garden or other property; or(n) being a sentry, sleeps upon his post, or quits it without being regularly relieved, or without leave;shall be punished with imprisonment, with or without hard labour, which may extend to one year.",
"name": "Less heinous offences",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1324,
"details": "5. Any person subject to this Regulation, not being above the rank of havildar, who, while on active commits any of the offences specified in section 3, or in section 4, clauses (a) to (k), both inclusive, may, in lieu of or addition to any punishment to which he is liable those sections be punished with whipping.In no case, if the cat-of-nine-tails be the instruments employed, shall the punishment of whipping exceed lashes, or, if the ratan be employed, shall the punishment exceed thirty stripes.",
"name": "Corporal Punishment",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1324,
"details": "6. In addition to the powers conferred upon them by the rules made under section 12 of the said Act No. V of 1861 the Superintendent, the District Superintendent, or an Assistant District Superintendent of Police in command of a detachment, may, without a formal trial, award to any person subject to his authority and to whom this Act applies the following punishments for the commission of petty offences against discipline which are not otherwise provided for or which arenot a sufficiently serious nature to call for a prosecution before a Criminal Court (that is to say):-(a) imprisonment to the extent of seven days in the quarter- guard, or such other place in or near the lines as may be considered suitable, with forfeitures of all pay and allowances during its continuance,(b) punishment-drill, extra guard, fatigue or other duty, not exceeding thirty days in duration, with or without confinement to lines.Any of these punishments may be awarded separately or in combination with the others.",
"name": "Minor punishment",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1324,
"details": "7. Any person sentenced under this Regulation to imprisonment for a period not exceeding three months shall, when also dismissed the service, be imprisoned in the nearest jail; but, when not also dismissed the service, he may, at the discretion of the convicting officer, subject to revision by the Superintendent, be confined in the quarter-guard or such other place as such officer may consider suitable.",
"name": "Where person sentenced to imprisonment to be confined",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1324,
"details": "8. Nothing in this Regulation shall prevent any person from being prosecuted under the said Act No. V of 1861 or any order or rule framed thereunder, or under any other enactment for the time being in force, for any act or omission punishable hereunder, or from being liable under any other enactment to any other or higher penalty than is provided for such act or omission by this Regulation:Provided that no person shall be punished twice for the same offence.",
"name": "Prosecution, etc., under other enactments",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1324,
"details": "9. Nothing contained in the said Act No. V of 1861 shall be deemed to prevent the 1Government from investing any police officer with the powers of a Magistrate for the purpose of inquiring into or trying any offence committed by a police officer and punishable under the said Act or this Regulation.",
"name": "",
"related_acts": "",
"section_id": 12
}
],
"text": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS FRONTIER POLICE REGULATION, 1881. Preamble Whether the Frontier Police of the Hill-tracts of Chittagong enrolled under Act No. V of 1861 (for the regulation of Police) perform services of a quasi-military character; and whereas the provisions of the said Act, and the orders and rules framed under section 12 thereof, have been found insufficient for the maintenance of discipline among such police, and it is therefore expedient to make further provision for the maintenance of discipline among them;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1325,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (Presidents Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS REGULATION, 1939",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "18th January, 1940",
"related_act": [
16,
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1325,
"details": "1. This Regulation may be called the Chittagong Hill- tracts Laws Regulation, 1939.",
"name": "Short title",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1325,
"details": "2. The 1*** Public Gambling Act, 1867, shall apply to the whole of the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Applications of Bengal Act II of 1867 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "16",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the 1*** Public Gambling Act, 1867, to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply the 1*** Public Gambling Act, 1867, to the whole of the Chittagong Hill- tracts;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1326,
"lower_text": [],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS REGULATION, 1942",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "12th March,1942",
"related_act": [],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1326,
"details": "1. This Regulation may be called the Chittagong Hill- tracts Laws Regulation, 1942.",
"name": "Short title",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1326,
"details": "2. The enactments specified in the Schedule shall apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of certain enactments to the Chittagong Hill-tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply certain enactments to the Chittagong Hill-tracts.. WHEREAS it is expedient to apply the enactments specified in the Schedule to the Chittagong Hill-tracts;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1327,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 29,
"published_date": "১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1327
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1327,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখ হইতে এই আইন কার্যকর হইবে। * এস, আর, ও নং ২৭৯-আইন/২০২০, তারিখঃ ২৫ অক্টোবর, ২০২০ ইং দ্বারা ১৬ কার্তিক, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০১ নভেম্বর, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ হতে উক্ত আইন কার্যকর ।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1327",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ তপশিলের অংশ-‘গ’ এ উল্লিখিত কোনো ইনস্টিটিউট; (২) ‘‘উপদেষ্টা পরিষদ’’ অর্থ এই আইনের ধারা ১১ এর অধীন গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ; (৩) ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল; (৪) ‘‘গভর্নিং বডি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৭ এর অধীন গঠিত গভর্নিং বডি; (৫) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান; (৬) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের তপশিল; (৭) ‘‘প্রকৌশল’’ অর্থ পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকসহ সকল প্রকার অবকাঠামো, মেশিন, যন্ত্রপাতি, ডিভাইস, প্ল্যান্ট এবং মালামালের (গধঃবৎরধষ) নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ, উৎপাদন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগতমান নিশ্চিতকরণ এবং এতদ্সংক্রান্ত পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া উদ্ভাবন ও নির্ধারণ করা; (৮) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের ধারা ২৭ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ২৬ এর অধীন প্রণীত বিধি; এবং (১০) ‘‘সদস্য’’ অর্থ গভর্নিং বডির সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1327,
"details": "৩। (১) সরকার, এই আইন কার্যকর হইবার পর, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করিবে। (২) কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1327,
"details": "৪। কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং ইহা, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোনো স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "কাউন্সিলের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1327,
"details": "৫। কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:¾ (১) জাতীয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্রসমূহ যথা : পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকসহ সকল প্রকার অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, প্ল্যান্ট, ডিভাইস এবং মালামালের (গধঃবৎরধষ) নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ, উৎপাদন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগতমান নির্ধারণ; (২) টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে শিল্প, শক্তি, কৃষি, খনিজ সম্পদ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, পরিবহণ ও সেবাসহ প্রকৌশলের সকল খাতে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ ও উৎসাহিতকরণ; (৩) প্রকৌশলের সকল ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে দেশে উদ্ভাবিত প্রকৌশল পদ্ধতি প্রয়োগপূর্বক দেশের উন্নয়ন উৎসাহিতকরণ; (৪) বিদ্যমান প্রকৌশল প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধন এবং চাহিদার নিরিখে দেশের উপযোগী নূতন প্রকৌশল প্রযুক্তি উদ্ভাবন কেন্দ্র স্থাপনে সরকারের নিকট সুপারিশ প্রদান ও বেসরকারি প্রকৌশল খাতসমূহকে উৎসাহিতকরণ; (৫) প্রকৌশল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, অভিযোজন, হস্তান্তর ও আত্তীকরণে উৎসাহিতকরণ; (৬) প্রযুক্তি প্রকৌশল গবেষণার নানাবিধ ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধকরণ; (৭) দেশে উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রকৌশল ও প্রযুক্তির মেধাস্বত্ব অধিকার অর্জন ও সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান; (৮) নূতন ও টেকসই প্রকৌশল প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারী ব্যক্তি বা সংস্থাকে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান ও পুরস্কৃতকরণ; (৯) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করিতে যথোপযোগী প্রকৌশল পদ্ধতির উদ্ভাবন, প্রয়োগ, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার সমন্বয়করণ; (১০) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণার প্রধান ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তদনুযায়ী স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকৌশল গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পরিচালনা এবং উহার সমন্বয়, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন; (১১) প্রাতিষ্ঠানিক, প্রায়োগিক ও শিল্পসংক্রান্ত প্রকৌশল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও উন্নয়ন এবং সরকারি ও বেসরকারি শিল্পখাতে প্রকৌশল সেবার সমন্বয়করণ; (১২) দেশে বিদ্যমান প্রকৌশল গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের বাস্তবতা ও চাহিদার নিরিখে যুগোপযোগী বিষয়ের উপর গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও কার্যক্রমের সমন্বয়করণ; (১৩) প্রকৌশল জ্ঞান চর্চা প্রতিষ্ঠানসমূহে তাত্ত্বিক জ্ঞানের সহিত শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত আধুনিক প্রকৌশল জ্ঞানের সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা প্রদান এবং সমন্বয়করণ; (১৪) নূতন প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশে উদ্ভাবিত সাশ্রয়ী ও টেকসই প্রকৌশল পণ্যসমূহের উৎপাদন ব্যয় হ্রাসপূর্বক জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে আনয়ন এবং এইরূপ পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রদান; (১৫) প্রকৌশল পরীক্ষাগার ও গবেষণাগার স্থাপনসহ উহাতে নিয়োজিত গবেষকগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বা কর্মশালার আয়োজন ও উচ্চশিক্ষার কার্যক্রম গ্রহণ; (১৬) প্রকৌশল বিষয়ক গবেষণালব্ধ ফলাফল ও উহার প্রয়োগ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করিবার উদ্দেশ্যে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বা কর্মশালার আয়োজন এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট প্রকাশনার ব্যবস্থা গ্রহণ; (১৭) প্রকৌশল খাতের গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান এবং গবেষণালব্ধ ফলাফলের যথাযথ প্রয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ; (১৮) প্রকৌশল খাতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং উক্ত সমস্যা নিরসনে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে পরামর্শ প্রদান; (১৯) গবেষকদের নিকট হইতে প্রাপ্ত প্রকৌশল গবেষণা প্রস্তাবসহ কাউন্সিলের বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন; (২০) প্রকৌশল বিষয়ক সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করা; (২১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোনো দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি বা সংস্থার সহিত প্রকৌশল গবেষণা সংক্রান্ত চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ইত্যাদি সম্পাদন; এবং (২২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি বা প্রবিধান দ্বারা বা সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।",
"name": "কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1327,
"details": "৬। কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও প্রশাসন গভর্নিং বডির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কাউন্সিল যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, গভর্নিং বডিও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1327,
"details": "৭। (১) কাউন্সিলের একটি গভর্নিং বডি থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গভর্নিং বডি গঠিত হইবে, যথা :- (ক) চেয়ারম্যান, যিনি উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন; (খ) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত নিম্নরূপ ৫ (পাঁচ) জন সদস্য, যথা :- (অ) পুরকৌশলবিদ ১ (এক) জন; (আ) যন্ত্রকৌশলবিদ ১ (এক) জন; (ই) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশলবিদ ১ (এক) জন; (ঈ) প্রশাসন ও অর্থ বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ১ (এক) জন; এবং (উ) প্রকৌশলের অন্যান্য শাখা হইতে ১ (এক) জন; (গ) ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ঘ) সরকার কর্তৃক মনোনীত যে কোনো সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঙ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় এর ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (চ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বেসরকারি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের ১ (এক) জন প্রতিনিধি; এবং (ছ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি। (২) চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকৌশল বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রিসহ প্রকৌশল পেশায় অন্যূন ২৫(পঁচিশ) বৎসরের অভিজ্ঞতা এবং স্বীকৃত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা থাকিতে হইবে এবং তাহার চাকুরির শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত সদস্যগণের নিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত যোগ্যতা থাকিতে হইবে এবং তাহাদের চাকুরির শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে, যথা:¾ (ক) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর উপ-দফা (ঈ) এ উল্লিখিত সদস্য ব্যতীত, অন্যান্য সদস্যগণের ক্ষেত্রে প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ স্ব স্ব প্রকৌশল পেশায় অন্যূন ২০(বিশ) বৎসরের অভিজ্ঞতা এবং স্বীকৃত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা; এবং (খ) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর উপ-দফা (ঈ) এ উল্লিখিত সদস্যের ক্ষেত্রে, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়ে অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসরের অভিজ্ঞতা। (৪) চেয়ারম্যান এবং উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত সদস্যগণ তাহাদের নিয়োগের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসরের জন্য স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন এবং তাহারা কাউন্সিলের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হইবেন এবং উক্ত মেয়াদ সমাপ্তির পর উক্ত পদে পরবর্তী সদস্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার সংশ্লিষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো প্রকৌশলীকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো সময় কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, চেয়ারম্যান এবং উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত সদস্যগণকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ), (ঘ), (ঙ) ও (চ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩(তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার প্রয়োজনবোধে, যে কোনো সময়, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, যে কোনো মনোনীত সদস্যকে তাহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৬) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক), (খ), (গ), (ঘ), (ঙ) ও (চ) এর অধীন নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ এবং মনোনীত সদস্যগণ সরকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "গভর্নিং বডি",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1327,
"details": "৮। চেয়ারম্যান কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি কাউন্সিলের যাবতীয় কার্যাবলির জন্য দায়ী থাকিবেন।",
"name": "প্রধান নির্বাহী",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1327,
"details": "৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, গভর্নিং বডি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) গভর্নিং বডির সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ৩ (তিন) মাসে গভর্নিং বডির অন্যূন ১ (এক)টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) গভর্নিং বডির সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) গভর্নিং বডির সভার কোরামের জন্য চেয়ারম্যানসহ উহার মোট সদস্য সংখ্যার অর্ধেকের বেশি সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে; তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৫) গভর্নিং বডির সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যগণের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে। (৬) গভর্নিং বডি উহার সভার আলোচ্য বিষয় সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বা উক্ত বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম এইরূপ যে কোনো ব্যক্তিকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ করিতে পারিবে এবং উক্ত ব্যক্তি আলোচনায় অংশগ্রহণপূর্বক মতামত প্রদান করিতে পারিবেন, তবে তাহার কোনো ভোটাধিকার থাকিবে না। (৭) কেবল কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা গভর্নিং বডি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে গভর্নিং বডির কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "গভর্নিং বডির সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১০। (১) কাউন্সিলের একজন পরিচালক (প্রশাসন) থাকিবেন এবং যিনি সরকারের অন্যূন উপসচিব বা সমপদর্মাদার ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন। (২) পরিচালক (প্রশাসন) গভর্নিং বডি কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনসহ গভর্নিং বডিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবেন।",
"name": "কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশাসন)",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১১। (১) কাউন্সিলের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকিবে, যাহা নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:¾ (ক) মন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার সহ সভাপতিও হইবেন; (গ) গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান; (ঘ) প্রেসিডেন্ট, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ; (ঙ) সরকার কর্তৃক মনোনীত যে কোনো দুইটি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য; (চ) তপশিলের অংশ-‘ক’ এ উল্লিখিত প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন করিয়া প্রতিনিধি; (ছ) তপশিলের অংশ-‘খ’ এ উল্লিখিত প্রতিটি অধিদপ্তর বা সংস্থা কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন করিয়া প্রতিনিধি; (জ) তপশিলের অংশ-‘গ’ এ উল্লিখিত প্রতিটি ইনস্টিটিউট বা সংস্থা কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন করিয়া প্রতিনিধি; (ঝ) স্বনামধন্য বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ, পেশাজীবী বা গবেষকদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন ব্যক্তি; (ঞ) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত প্রকৌশল পেশার সহিত সম্পৃক্ত ১ (এক) জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি; এবং (ট) কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশাসন), যিনি ইহার সদস্য সচিবও হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ), (ঝ) ও (ঞ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের পর উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় যোগদানের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ সমাপ্তির পূর্বে সরকার, যে কোনো মনোনীত সদস্যকে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ), (ঝ) ও (ঞ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ সরকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "উপদেষ্টা পরিষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১২। উপদেষ্টা পরিষদ, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রকৌশল গবেষণা সম্পর্কিত নূতন কোনো প্রস্তাব প্রণয়নের পরামর্শ প্রদান এবং প্রকৌশল গবেষণা সম্পর্কিত যে কোনো প্রস্তাব পর্যালোচনা এবং এতদ্বিষয়ে গভর্নিং বডিকে প্রয়োজনীয় দিক্নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "উপদেষ্টা পরিষদের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১৩। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, উপদেষ্টা পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) উপদেষ্টা পরিষদের সভা উহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি বৎসর উপদেষ্টা পরিষদের অন্যূন ১ (এক)টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) উপদেষ্টা পরিষদের সকল সভায় উহার সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সহ সভাপতি এবং সহ সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতি কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৪) উপদেষ্টা পরিষদের সভার কোরামের জন্য সভাপতিসহ উহার মোট সদস্য সংখ্যার অর্ধেক সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৫) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে। (৬) কেবল কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না। (৭) উপদেষ্টা পরিষদ উহার সভার আলোচ্য বিষয় সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বা উক্ত বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম দেশি বা বিদেশি যে কোনো ব্যক্তিকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ করিতে পারিবে এবং উক্ত ব্যক্তি আলোচনায় অংশগ্রহণপূর্বক মতামত প্রদান করিতে পারিবেন, তবে তাহার কোনো ভোটাধিকার থাকিবে না।",
"name": "উপদেষ্টা পরিষদের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১৪। (১) কাউন্সিল উহার কার্য সুচারুরূপে সম্পাদন এবং গবেষণা কার্য পরিচালনা বা এতদসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ, সুপারিশ বা সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি বা প্রবাসী বাংলদেশি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পেশাজীবী, শিল্প উদ্যোক্তা বা শিক্ষাবিদের সমন্বয়ে ১ (এক)টি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য সংখ্যা ৬ (ছয়) জনের অধিক হইবে না এবং উহার দায়িত্ব, ক্ষমতা, মেয়াদ, কার্যপরিধি ও সম্মানীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ প্যানেল",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১৫। কাউন্সিল, উহার বিশেষ ধরনের কারিগরি কার্য সম্পাদনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট কার্যে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং সুনাম রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরামর্শক সেবা গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "পরামর্শক সেবা গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১৬। কাউন্সিল উহার কার্যাবলি দক্ষতার সহিত সম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য প্রয়োজনবোধে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটি বা কমিটিসমূহের সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব, কর্মপরিধি এবং কার্যধারা কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১৭। কাউন্সিলের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের যোগ্যতা, নিয়োগ ও চাকুরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কাউন্সিলের কর্মচারী",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১৮। কাউন্সিল, লিখিত আদেশ দ্বারা, এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের অধীন উহার যে কোনো ক্ষমতা বা, সরকারি আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ সম্পর্কিত বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক, উহার আর্থিক ক্ষমতা কোনো সদস্য, কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশাসন) বা কাউন্সিলের কোনো কর্মচারী বা কোনো কমিটিকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1327,
"details": "১৯। (১) কাউন্সিলের কোনো কর্মচারী কর্তৃক বা কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত কোনো গবেষণালব্ধ ফলাফল কাউন্সিলের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হইবে, এবং কাউন্সিল, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উহার পেটেন্ট (চধঃবহঃ) করিতে পারিবে এবং গবেষক বা গবেষকদল বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে গবেষণালব্ধ ফলাফলের বাণিজ্যিক আয় হইতে কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হারে, সম্মানী প্রদান করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত গবেষণালব্ধ ফলাফল, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি বা শর্তসাপেক্ষে, প্রকৌশল গবেষণা সংক্রান্ত কার্যে ব্যবহারের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি প্রদান করা যাইবে।",
"name": "গবেষণা স্বত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল তহবিল নামে কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকিবে এবং উক্ত তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :¾ (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি বা অনুদান; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিদেশি কোনো ব্যক্তি, সরকার বা সংস্থা বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা ঋণ; (গ) গবেষণাস্বত্ব ও সেবা হইতে প্রাপ্ত আয়; (ঘ) কোনো স্থানীয় ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঙ) কাউন্সিল কর্তৃক বিনিয়োগকৃত অর্থ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা বা কাউন্সিলের অন্য সম্পদ হইতে উদ্ভূত আয়; এবং (চ) অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে কাউন্সিলের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালিত হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত তহবিলের অর্থ হইতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিলের উক্ত ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে, সরকারি আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করিতে হইবে। ব্যাখ্যা।¾ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর Article 2(j) এ সংজ্ঞায়িত “Scheduled Bank” কে বুঝাইবে ।",
"name": "কাউন্সিলের তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা দেশি বা বিদেশি অন্য কোনো উৎস হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে, এবং উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবে।",
"name": "ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২২। কাউন্সিল, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কাউন্সিলের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২৩। (১) কাউন্সিল যথাযথভাবে উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্রসহ বার্ষিক হিসাববিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং উক্ত হিসাব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত সাধারণ নির্দেশনা পালন করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি অর্থ বৎসর কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরকার ও কাউন্সিলের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কাউন্সিল অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ব্যতিরেকেও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. No. 2 of 1973) এ সংজ্ঞায়িত কোনো chartered accountant দ্বারা কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এতদুদ্দেশ্যে কাউন্সিল এক বা একাধিক chartered accountant নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত নিয়োগকৃত chartered accountant নির্দিষ্টকৃত হারে পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন। (৫) কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত chartered accountant কাউন্সিলের সকল রেকর্ড, দলিল, বার্ষিক স্থিতিপত্র, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান বা যে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২৪। (১) কাউন্সিল, প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্তির পর উহার পরিচালনা ও প্রশাসনসহ তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবে। (২) কাউন্সিল উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্তির পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে। (৩) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যে কোনো সময় কাউন্সিলের নিকট হইতে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন, বিবরণী, হিসাব পরিসংখ্যান বা অন্যান্য তথ্য আহবান করিতে পারিবে এবং কাউন্সিল উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার প্রয়োজনে, কাউন্সিলকে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং কাউন্সিল উক্ত নির্দেশনা পালন করিবে।",
"name": "নির্দেশনা প্রদানে সরকারের সাধারণ ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২৮। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1327,
"details": "২৯। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
}
],
"text": "বিভিন্ন প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধন, গবেষণালব্ধ ফলাফলের বাণিজ্যিকীকরণ এবং আমদানিকৃত প্রযুক্তি গ্রহণ, আত্তীকরণ ও অভিযোজন করিবার ক্ষেত্রে প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল গঠন এবং এতদ্সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু বিভিন্ন প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধন, গবেষণালব্ধ ফলাফলের বাণিজ্যিকীকরণ এবং আমদানিকৃত প্রযুক্তি গ্রহণ, আত্তীকরণ ও অভিযোজন করিবার ক্ষেত্রে প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে একটি প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল গঠন এবং এতদ্সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1328,
"lower_text": [],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. III) REGULATION, 1942",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "14th May, 1942",
"related_act": [
1328,
118
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1328,
"details": "1. This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. III) REGULATION, 1942",
"name": "Short title",
"related_acts": "1328",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1328,
"details": "2. The Securities Act, 1920, in so far as it Application is not inconsistent with the Chittagong Hill- tracts Regulation, 1900, (Reg. I of 1990), or with any rules made thereunder for the time being in force, shall apply to the Chittagong Hill-Tracts.",
"name": "Application of Act X of 1920 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "118",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Securities Act, 1920, to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply the Securities Act, 1920 to the Chittagong Hill-tracts; X of 1920 It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1329,
"lower_text": [],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. IV) REGULATION, 1942",
"num_of_sections": 4,
"published_date": "14th May, 1942",
"related_act": [
144,
1313,
1329
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1329,
"details": "1. This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. IV) REGULATION, 1942.",
"name": "Short title",
"related_acts": "1329",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1329,
"details": "2. The Forest Act, 1927 (hereinafter referred to as the said Act), shall apply to the Chittagong Hill-tracts and shall be deemed to have applied to the said tracts with effect from the twenty-first day of September, 1927.",
"name": "Application of Act XVI of 1927 to the Chittagong Hill-tracts",
"related_acts": "144",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1329,
"details": "3. Any notification purporting to have been issued or any rule or order purporting to have been made or any other action purporting to have been taken under the said Act before the Commencement of this Regulation shall be deemed to be as valid as if it had been issued, made or taken under the said Act as applied to the said tracts by this Regulation.",
"name": "Validation of certain notifications rules and action",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1329,
"details": "4. In the Schedule to the Chittagong Hill-tracts Regulation, 1900, all the entries relating to the Indian Forest Act, 1878, shall be omitted.",
"name": "Amendment of the Schedule, Regulation I of 1900",
"related_acts": "1313",
"section_id": 4
}
],
"text": "A Regulation to apply the Forest Act, 1927, to the Chittagong Hill-tracts and further to amend the Chittagong Hill-tracts Regulation, 1900. WHEREAS it is expedient to apply the Forest Act, 1927, to the Chittagong Hill-tracts and further to amend the Chittagong Hill-tracts Regulation, 1900, for the purpose and in the manner hereinafter appearing;XVI of 1927 Regulation I of 1900 It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1330,
"lower_text": [],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. V) REGULATION, 1942",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "4th June, 1942",
"related_act": [
1313,
1330,
62
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1330,
"details": "1. This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. V) REGULATION, 1942.",
"name": "Short title",
"related_acts": "1330",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1330,
"details": "2. The Merchandise Marks Act, 1889, in so far as it is not inconsistent with the Chittagong Hill-tracts Regulation, 1900 or with any rules made thereunder for the time being in force, shall apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of Act IV of 1889 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "62,1313",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Merchandise Marks Act, 1889, to the Chittagong Hill tracts. WHEREAS it is expedient to apply the Merchandise Marks Act, 1889, to the Chittagong Hill-Tracts;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1331,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 28,
"published_date": "১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
11,
1331
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1331,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1331",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে¾ (১) ‘ইনস্টিটিউট’ অর্থ এই আইনের ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ (BRiCM); (২) ‘কর্মচারী’ অর্থ ইনস্টিটিউটের কর্মচারী এবং বিজ্ঞানীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৩) ‘ট্রেসেবিলিটি’ অর্থ কোনো পরিমাপ ফলাফলের মান অবিচ্ছিন্ন তুলনা শিকলের (unbroken chain) মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান এককের (International System of Units-SI Unit) সহিত সম্পর্কিতকরণ; (৪) ‘তহবিল’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত তহবিল; (৫) ‘প্রবিধান’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৬) ‘পর্ষদ’ অর্থ এই আইনের ধারা ৮ এর অধীন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ; (৭) ‘বিজ্ঞানী’ অর্থ ইনস্টিটিউটে সায়েন্টিফিক অফিসার ও তদূর্ধ্ব পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী; (৮) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৯) ‘মহাপরিচালক’ অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং (১০) ‘সভাপতি’ অর্থ পর্ষদের সভাপতি।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1331,
"details": "৩। আপাতত বলবৎ এতদ্সংক্রান্ত অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "আইনের প্রাধান্য",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1331,
"details": "৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ (BRiCM) নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হইবে। (২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1331,
"details": "৫। (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে। (২) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোনো স্থানে ইহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1331,
"details": "৬। ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :¾ (ক) পরিমাপ ও রেফারেন্স পরিমাপ সেবা প্রদান; (খ) প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং ও ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন সেবা প্রদান; (গ) রাসায়নিক পরিমাপ পদ্ধতির উন্নয়ন, ভ্যালিডেশন ও হস্তান্তর; (ঘ) রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থা এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ রক্ষা এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারিগরি কমিটিসমূহে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে ট্রেসেবিলিটি প্রতিষ্ঠাকরণে সহায়তা প্রদান; (ঙ) দফা (ঘ) এর বিধান অনুযায়ী ট্রেসেবিলিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে International Bureau of Weights and Measures (Bureau International des Poids et Mesures-BIPM), Asia Pacific Metrology Programme (APMP) এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে, সময় সময়, গঠিত কারিগরি কমিটিসমূহে অংশগ্রহণ; (চ) প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং, ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন ও ক্যালিব্রেশন সেবা প্রদান দ্বারা দেশের পরীক্ষাগারসমূহের পরীক্ষণসেবা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং International Committee for Weights and Measures (CIPM) কর্তৃক প্রচলিত ও BIPM এ সংরক্ষিত আন্তর্জাতিক এককের সহিত তুলনাযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য করিতে সহায়তা প্রদান; (ছ) মেট্রোলজিক্যাল ট্রেসেবিলিটি সমেত রাসায়নিক, প্রসাধনী, ঔষধ, খাদ্য, পানীয়, জলবায়ু ও পরিবেশ, ক্লিনিক্যাল, অনুজৈবিক, গ্যাস, পেট্রোলিয়াম, পলিমার, ন্যানো ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি বিভিন্ন জৈব, অজৈব পদার্থে পরিমাপ সংক্রান্ত জাতীয় রেফারেন্স ম্যাটেরিয়ালস্ সংগ্রহ, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ বা বিক্রয়; (জ) বস্তুতে রাসায়নিক, জৈব, অজৈব অনুজৈবিক ইত্যাদি পদার্থের রেফারেন্স ভ্যালু প্রদান; (ঝ) ইন্সট্রুমেন্টেশন ও ক্যালিব্রেশন সেবা প্রদান; (ঞ) রেফারেন্স পরিমাপভিত্তিক বায়োইকুইভ্যালেন্স বা জৈবসমতা পরীক্ষণ এবং ক্রিয়াশীল মৌল উপাদান তথা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস্ (API) নিরূপণ সেবা প্রদান; (ট) ম্যাট্রিক্স ম্যাচ্ড রেফারেন্স ম্যাটেরিয়ালস্ প্রচলনের লক্ষ্যে জৈব ও অজৈব রেফারেন্স স্পেসিমেন ব্যাংক স্থাপন; (ঠ) রেফারেন্স পরিমাপভিত্তিক ‘রাসায়নিক বিষক্রিয়া ও ঝুঁকি নিরূপণ ব্যবস্থাপনা’ প্রচলন; (ড) রাসায়নিক পরিমাপ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যেমন: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট, ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর ইত্যাদি সমজাতীয় সংস্থার টেকনিক্যাল সাপোর্ট অর্গানাইজেশন (টিএসও) হিসাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেবা প্রদান; (ঢ) সরকারের অনুমোদনক্রমে চুক্তিভিত্তিক গবেষণা তথা কন্ট্রাক্ট রিসার্চ পরিচালনা; (ণ) রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান, গবেষণাগারের মান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, অ্যাক্রেডিটেশন ও ইন্সট্রুমেন্টেশন ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং এতৎসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শক সেবা প্রদান; (ত) রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ, পরিচালনা, গবেষণালব্ধ ফলাফলের প্রয়োগ ও সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ এবং এতৎসংক্রান্ত বিষয়ে নীতি নির্ধারণে সরকারকে সহায়তা প্রদান; (থ) রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান সংক্রান্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও উচ্চতর ডিগ্রিতে গবেষণা সহায়তা প্রদান; (দ) বৈদেশিক প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা; (ধ) পরিমাপবিজ্ঞান সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার Guideline, যেমন : International Union of Pure and Applied Chemistry (IUPAC), International Organization for Standardization (ISO), BIPM, APMP ও Association of Officials of Analytical Chemist (AOAC) ইত্যাদি অনুযায়ী নির্দেশিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা; (ন) ইনস্টিটিউটের অধীন গবেষণা কার্যে ফেলোশিপ প্রবর্তন ও প্রদান; এবং (প) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত যে কোনো দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদন।",
"name": "ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1331,
"details": "৭। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা পর্ষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1331,
"details": "৮। (১) ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, যিনি পর্ষদের সভাপতিও হইবেন; (খ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ; (গ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঘ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঙ) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ছ) খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (জ) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ঝ) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ঞ) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল মেট্রোলজি বিষয়ের ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ঠ) সরকার কর্তৃক মনোনীত শিল্প প্রতিষ্ঠানের ১ (এক) জন প্রতিনিধি; এবং (ড) ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, যিনি পর্ষদের সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ট) ও (ঠ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনবোধে উক্ত মেয়াদ সমাপ্ত হইবার পূর্বে, যে কোনো সময়, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপধারা (১) এর দফা (ট) ও (ঠ) এর অধীন কোনো মনোনীত সদস্য, যে কোনো সময়, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1331,
"details": "৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, পর্ষদ ইহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) প্রতি বৎসর পর্ষদের অন্যূন ৩ (তিন) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) পর্ষদের সভার কোরামের জন্য ইহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৪) সভাপতি পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভার সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৬) পর্ষদের কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পর্ষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "পর্ষদের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১০। (১) ইনস্টিটিউটের ১ (এক) জন মহাপরিচালক থাকিবেন। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী হইবেন এবং তিনি¾ (ক) ইনস্টিটিউটের প্রবিধান অনুযায়ী কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন; (খ) পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন; (গ) পর্ষদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; (ঘ) ইনস্টিটিউটের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং (ঙ) পর্ষদের নির্দেশনা অনুসারে ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন। (৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা, বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "মহাপরিচালক",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১১। (১) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, ইনস্টিটিউট ইহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) ইনস্টিটিউটের কর্মচারীগণের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইহার বিজ্ঞানী ও কর্মচারীগণকে বিশেষ প্রণোদনা ও ভাতা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১২। ইনস্টিটিউট, সময় সময়, লিখিত আদেশ দ্বারা, ইহার কার্যে সহায়তা প্রদানের জন্য এক বা একাধিক সদস্য বা ইহার যে কোনো কর্মচারী বা এক বা একাধিক বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত আদেশে এইরূপ কমিটির দায়িত্ব, মেয়াদ, সম্মানি, কার্যপরিধি ও অন্যান্য শর্তও নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১৩। ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষ প্রয়োজনে বা, ক্ষেত্রমত, গবেষণা এবং বিশেষায়িত পণ্য বা সেবা উদ্ভাবনের প্রয়োজনে দেশের বা দেশের বাহিরের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের সম্মানি ও অন্যান্য সুবিধা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১৪। (১) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইহার কার্যাবলি সুচারু ও ফলপ্রসূভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ে যে কোনো সমধর্মী জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক এবং বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির সহিত যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয় সাধন করিতে পারিবে, উহাদের সহিত সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে এবং ক্ষেত্রমত, দেশের প্রতিনিধিত্ব করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যাবলি সম্পাদন এবং ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে, ইনস্টিটিউট, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ ও সহযোগিতা গ্রহণ করিতে পারিবে ও উক্ত প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করিতে পারিবে। (৩) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসাবে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক এবং বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির সহিত যোগাযোগ, সমন্বয়, চুক্তি ও সহযোগিতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১৫। (১) ইনস্টিটিউট বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক, প্রয়োজনীয় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। (২) কোনো বিজ্ঞানী বা গবেষক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশিক্ষণ বা গবেষণার জন্য মনোনীত হইলে এবং উক্ত ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হইলে ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উক্তরূপ আর্থিক সহায়তার সমুদয় বা অংশবিশেষ প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিজ্ঞান গবেষণায় অগ্রসর রাষ্ট্র এবং অগ্রণী প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১৬। ইনস্টিটিউট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ক পরামর্শ ও সেবা প্রদান করিবার জন্য পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত হারে ফি আদায় করিতে পারিবে।",
"name": "ফি, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১৭। (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং ইহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা :¾ (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যাংক হইতে গৃহীত ঋণ বা প্রাপ্ত অনুদান; (গ) ইনস্টিটিউটের নিজস্ব উৎস হইতে আয়; (ঘ) ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত সেবা প্রদানের মাধ্যমে আয়; এবং (ঙ) ইনস্টিটিউটের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ এবং উহার সম্পত্তি হইতে অর্জিত অর্থ। (২) তহবিলের সকল অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালিত হইবে। ব্যাখ্যা।¾ এই আইনে ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2 (J) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে। (৩) তহবিলের অর্থ হইতে সরকারের নিয়মনীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে। (৪) তহবিলের অর্থ হইতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১৮। ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের জন্য ইহার বার্ষিক বাজেট প্রস্তুতপূর্বক সরকারের নিকট পেশ করিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1331,
"details": "১৯। (১) সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে ইহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক হিসাবে অভিহিত, প্রতি বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের এতৎসংক্রান্ত সকল রেকর্ড, দলিল দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং পর্ষদের যেকোনো সদস্য বা ইনস্টিটিউটের যেকোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২০। (১) প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউট উক্ত অর্থ বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে যেকোনো সময় ইনস্টিটিউটের যেকোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী যাচনা করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে। (৩) সরকার যেকোনো সময় ইনস্টিটিউটের কর্মকাণ্ড বা যেকোনো প্রকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২১। (১) পর্ষদ, বিশেষ বা সাধারণ আদেশ দ্বারা, নির্ধারিত শর্তাধীনে মহাপরিচালক, কোনো সদস্য বা কোনো কর্মচারীকে ইহার যেকোনো ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে। (২) মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর অধীন তাহার উপর অর্পিত ক্ষমতা ব্যতীত, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যেকোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২৩। ইনস্টিটিউট, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২৪। ইনস্টিটিউট, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা দেশি বা বিদেশি অন্য কোনো উৎস হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবে।",
"name": "ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২৫। ইনস্টিটিউটের সকল কর্মচারী এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনকালে Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর section 21 এ জনসেবক (public servant) অভিব্যক্তিটি যেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক (public servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "11",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২৬। ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব পালনের সময় ইহার বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কর্মরত কোনো বিজ্ঞানী ও কর্মচারীর আবিষ্কার বা উদ্ভাবন এবং আবিষ্কৃত কোনো উপাদান, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া (Process), যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামের যেকোনো প্রকারের উন্নয়ন সম্পর্কিত সকল অধিকার বা মেধাস্বত্ব বা গবেষণালব্ধ ফলাফল ইনস্টিটিউটের সম্পত্তি হিসাবে গণ্য হইবে।",
"name": "আবিষ্কার, উদ্ভাবন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২৭। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সৃষ্ট ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্’, অতঃপর বিলুপ্ত ইনস্টিটিউট বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিলুপ্ত হওয়া সত্ত্বেও বিলুপ্ত ইনস্টিটিউট কর্তৃক কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত ব্যবস্থা, ইস্যুকৃত আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি, প্রদত্ত সিদ্ধান্ত, সম্পাদিত দলিল বা চুক্তিপত্র বা চলমান কোনো কার্য এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, ইস্যুকৃত, প্রদত্ত, সম্পাদিত বা চলমান বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটের এবং ‘ডেভেলপমেন্ট অব আইএসও ১৭০২৫ অ্যাক্রিডেটেড ইনস্ট্রুমেন্টেশন ক্যালিব্রেশন সার্ভিস ল্যাবরেটরি ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্’, ‘Support to BCSIR Instrumentation & Calibration Service Laboratory ICSL for Chemical Metrology under Better Quality Infrastructure-BEST Program’, ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্’ এবং ‘কেমিক্যাল মেট্রোলজি অবকাঠামো সমৃদ্ধকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পসমূহের সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুযোগ-সুবিধা, যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, যন্ত্রপাতি, নগদ অর্থ, ব্যাংকের স্থিতি, মঞ্জুরি ও তহবিল, তৎসংশ্লিষ্ট বা উদ্ভূত অন্য সকল প্রকার অধিকার ও স্বার্থ এবং সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড ও তৎসম্পর্কিত অন্য সকল প্রকার দলিল ইনস্টিটিউটের নিকট হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং সকল প্রকার ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি সরকারের ভিন্নরূপ কোনো নির্দেশ না থাকিলে, ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি হিসাবে গণ্য হইবে। (৪) বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটে রাজস্বপদে ইতোমধ্যে নিয়োগকৃত কর্মচারী এই আইনের অধীন গঠিত ইনস্টিটিউটের কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন। (৫) বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটে কর্মরত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের কোনো কর্মচারী ইচ্ছাপোষণ করিলে এবং ইনস্টিটিউট প্রয়োজন মনে করিলে, ইনস্টিটিউটে কর্মরত থাকিতে পারিবেন এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের জ্যেষ্ঠতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখিয়া এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে ইনস্টিটিউটের নিয়মিত কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তক্ষেত্রে ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রণীত চাকরি প্রবিধান তাহার জন্য প্রযোজ্য হইবে। (৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউটে নিয়োজিত থাকিতে ইচ্ছাপোষণ না করিলে তিনি, এই আইন কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে, লিখিতভাবে মহাপরিচালকের নিকট এতদসংক্রান্ত অভিপ্রায় ব্যক্ত করিতে পারিবেন।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1331,
"details": "২৮। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 28
}
],
"text": "রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ে রেফারেন্স ল্যাবরেটরি হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা, গবেষণা, সেবা এবং এতৎসংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ে রেফারেন্স ল্যাবরেটরি হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা, গবেষণা, সেবা এবং এতৎসংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :¾"
} |
{
"id": 1332,
"lower_text": [],
"name": "THE MYMENSINGH PARTIALLY EXCLUDED AREAS TENANCY REGULATION, 1942.",
"num_of_sections": 3,
"published_date": "8th October,1942",
"related_act": [
1332
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1332,
"details": "(1) This Regulation may be called THE MYMENSINGH PARTIALLY EXCLUDED AREAS TENANCY REGULATION, 1942.(2) It extends to the partially excluded areas of the district of Mymensingh",
"name": "Short title and extent",
"related_acts": "1332",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1332,
"details": "In this Regulation-the word “tenant” has the same meaning as in the Mymensingh Partially Excluded Areas Tenancy Regulation, 1940;all other words and expressions used in this Regulationand used in the Bengal Tenancy Act, 1885, have the same meaning as in that Act.",
"name": "Definitions",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1332,
"details": "3. Notwithstanding anything contained in the Bengal Tenancy Act, 1885, or in any other law for the time being in force-(a) the Court shall, in a suit brought against a tenure- holder, raiyat or under-raiyat for recovery of an arrear of rent which has become due on or before the thirteenth day of April, 1945, order, at the time of passing a decree in such suit, that the amount of such decree shall be payable in such number of annual installments, not being less than three, and on such dates as the Court thinks fit and that, if the judgment debtor defaults in making payment of any such installment, the whole of the decretal amount then due shall be recoverable;(b) the Court executing a decree passed 1on or before the thirteenth day of April, 1945 for an arrear of rent against a tenure-holder, raiyat or under-raiyat shall, before ordering the sale of the tenure, holding or any portion thereof in respect of which such arrear of rent became due, allow the judgment-debtor to pay the decretal amount in such number of annual installments, not being less than three, and on such dates as the Court thinks fit and order that, if the judgment-debtor defaults in making payment of any such installment, the whole of the decretal amount then due shall be recoverable.",
"name": "Payment of the amount of certain decrees for arrears of rent by installments",
"related_acts": "",
"section_id": 3
}
],
"text": "A Regulation to provide temporary relief to the tenants of the partially excluded areas of the district of Mymensingh in respect of the payment by them of arrears of rent. WHEREAS it is expedient to provide temporary relief to the tenants of the partially excluded areas of the district of Mymensingh in respect of the payment by them of arrears of rent;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1333,
"lower_text": [],
"name": "চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 54,
"published_date": "১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1333,
446,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1333,
"details": "১। (১) এই আইন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে।* এস, আর, ও নং ৩০০-আইন/২০২০, তারিখঃ ১০ নভেম্বর, ২০২০ ইং দ্বারা ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০৮ ডিসেম্বর, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ হতে উক্ত আইন কার্যকর ।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1333",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে¾ (১) ‘‘অর্গানোগ্রাম’’ অর্থ আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম; (২) ‘‘অর্থ কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি; (৩) ‘‘অনুষদ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ; (৪) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত, অনুমোদিত বা স্থাপিত কোনো ইনস্টিটিউট; (৫) ‘‘একাডেমিক কাউন্সিল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল; (৬) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ১৭ এ উল্লিখিত কোনো কর্তৃপক্ষ; (৭) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থ ধারা ৮এ উল্লিখিত কোনো কর্মচারী; (৮) ‘‘আচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য; (৯) ‘‘ট্রেজারার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার; (১০) ‘‘ডিন’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের ডিন; (১১) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের ‘‘তপশিল’’; (১২) ‘‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (১৩) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ কোনো বিভাগ (প্রশাসনিক) বা ইনস্টিটিউটের প্রধান; (১৪) ‘‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (১৫) ‘‘প্রক্টর’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর; (১৬) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবিধান; (১৭) ‘‘প্রভোস্ট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলের প্রধান; (১৮) ‘‘উপউপাচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য; (১৯) ‘‘বাছাই কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত কমিটি; (২০) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি; (২১) ‘‘বিভাগ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ; (২২) ‘‘বিভাগীয় চেয়ারম্যান’’ অর্থ কোনো বিভাগের প্রধান; (২৩) ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন স্থাপিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; (২৪) ‘‘বোর্ড অব গভর্নরস’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের বোর্ড অব গভর্নরস; (২৫) ‘‘উপাচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য; (২৬) ‘‘মঞ্জুরি কমিশন’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (President's Order No. 10 of 1973) এর অধীন গঠিত University Grants Commission of Bangladesh; (২৭) ‘‘মঞ্জুরি কমিশন আদেশ’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (President's Order No. 10 of 1973); (২৮) ‘‘রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট’’ অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট; (২৯) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার; (৩০) ‘‘শিক্ষক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃত অন্য কোনো ব্যক্তি; (৩১) ‘‘শিক্ষার্থী’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তিকৃত কোনো শিক্ষার্থী; (৩২) ‘‘সংবিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি; (৩৩) ‘‘সংস্থা’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংস্থা; (৩৪) ‘‘সিন্ডিকেট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট; (৩৫) ‘‘হল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ জীবন এবং সহশিক্ষাক্রমিক শিক্ষাদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ও পরিচালনাধীন ছাত্রাবাস।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "446,446",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Chandpur Science and Technology University) নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, উপাচার্য, উপউপাচার্য, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণের সমন্বয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হইবে। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ইহার স্থাবর ও অস্থাবর সকল প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪। যে কোনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, গোত্র এবং শ্রেণির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত থাকিবে এবং কাহারও প্রতি কোনো প্রকার বৈষম্য করা যাইবে না।",
"name": "সকলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৫। এই আইন এবং মঞ্জুরি কমিশন আদেশের বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা :¾ (ক) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বাছাইকৃত আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণা, জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন ও জ্ঞান বিতরণের ব্যবস্থাকরণ; (খ) কর্মদক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে, আধুনিক প্রযুক্তি, পেশা, বৃত্তি ও অর্থনৈতিক চাহিদার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাশাপাশি আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া অনলাইন দূরশিক্ষণ, ক্যাম্পাস ভিত্তিক শিক্ষাদানের সমন্বয়ে শিল্প, বাণিজ্য, সমাজ ও অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সীমিত বা দীর্ঘমেয়াদি কোর্স প্রণয়ন ও পরিচালনা; (গ) বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটে শিক্ষাদানের নিমিত্ত পাঠক্রম নির্ধারণ; (ঘ) বিভাগ, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমন্বয় সাধন; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত পাঠক্রমে অধ্যয়ন সম্পূর্ণ করিয়াছেন এবং সংবিধির শর্তানুযায়ী গবেষণা কার্য সম্পূর্ণ করিয়াছেন এইরূপ ব্যক্তিদের পরীক্ষা গ্রহণ এবং ডিগ্রি ও অন্যান্য একাডেমিক সম্মান প্রদান; (চ) সংবিধিতে বিধৃত পদ্ধতিতে সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান; (ছ) অনুষদ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নহেন এইরূপ ব্যক্তিবর্গকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত সনদ ও ডিপ্লোমা প্রদানের উদ্দেশ্যে বক্তৃতামালা ও শিক্ষার ব্যবস্থাকরণ এবং সংবিধির শর্ত অনুযায়ী ডিপ্লোমা বা সনদ প্রদান; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তৎকর্তৃক নির্ধারিত পন্থায় দেশে-বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ; (ঝ) আচার্যের অনুমোদনক্রমে এবং মঞ্জুরি কমিশন ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও ইমেরিটাস অধ্যাপকের পদসহ এবং প্রয়োজনীয় অন্য কোনো শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি এবং সেই সকল পদে নিয়োগ প্রদান; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য হল স্থাপন, উহার রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা ও পরিদর্শন করানো; (ট) মেধার স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে সংবিধি, বিধি ও প্রবিধান অনুযায়ী ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন এবং বিতরণ; (ঠ) আচার্যের অনুমোদনক্রমে শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য একাডেমিক জাদুঘর, গবেষণাগার, অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন; (ড) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও একাডেমিক শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ, পাঠক্রম সহায়ক কার্যক্রমের উন্নতি বর্ধন এবং তাহাদের স্বাস্থ্যের উৎকর্ষ সাধনের ব্যবস্থাকরণ; (ঢ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি দাবি ও আদায়করণ; (ণ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য মঞ্জুরি কমিশন ও সরকারের অনুমতিক্রমে দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অনুদান ও সাহায্য গ্রহণ; (ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সরকারের অনুমোদনক্রমে সম্পাদনকৃত কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া, চুক্তি বাস্তবায়ন, চুক্তির শর্ত পরিবর্তন বা চুক্তি বাতিলকরণ; (থ) শিক্ষায় গবেষণার উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে পুস্তক ও সাময়িকী প্রকাশ; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও বাস্তবায়নকল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্বীকৃত শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের বা ইহার ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত হইবে এবং পরীক্ষাগার বা কর্মশিবিরের সকল বক্তৃতা ও কর্ম ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। (২) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে শিক্ষকগণ শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন। (৩) শিক্ষাদানের দায়িত্ব কোন্ কর্তৃপক্ষের উপর থাকিবে তাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে। (৪) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংবিধি ও বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৭। (১) মঞ্জুরি কমিশন এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও গুণগতমান নিশ্চিতকরণের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও উহার ভবন, হল, গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার, গবেষণার যন্ত্রপাতি বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষা, শিক্ষাদান এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করাইতে পারিবে। (২) মঞ্জুরি কমিশন উল্লিখিত উদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক অনুষ্ঠিতব্য প্রত্যেক পরিদর্শন বা মূল্যায়নের অভিপ্রায় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বাহ্নে অবহিত করিবে। (৩) মঞ্জুরি কমিশন অনুরূপ পরিদর্শন বা মূল্যায়ন সম্পর্কে উহার অভিমত অবহিত করিয়া তৎসম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৎকর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন মঞ্জুরি কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত রেজিস্টার ও নথিপত্র সংরক্ষণ করিবে এবং মঞ্জুরি কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী পরিসংখ্যান এবং অন্যবিধ প্রতিবেদন ও তথ্য মঞ্জুরি কমিশনে সরবরাহ করিবে। (৫) প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঞ্জুরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, মতামত বা নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত পরামর্শ, মতামত বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মঞ্জুরি কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (৬) মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নিরূপণ করিবে এবং উহার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করিবে। (৭) মঞ্জুরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজন পরীক্ষা করিয়া সুপারিশসহ সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। (৮) মঞ্জুরি কমিশন সরকার বা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অথবা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত গোপন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বা যৌক্তিক কোনো কারণে মঞ্জুরি কমিশনের নিকট আবশ্যক বলিয়া বিবেচিত হইলে যে কোনো সময় নোটিশ প্রদান করিয়া বা নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো বিভাগ, শাখা বা কার্যালয় পরিদর্শন ও তদন্ত করিতে বা উহার দ্বারা নিযুক্ত বা মনোনীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিদর্শন ও তদন্ত করাইতে পারিবে। (৯) মঞ্জুরি কমিশন বা উহার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (৮) এর অধীন পরিদর্শন ও তদন্তক্রমে কমিশনের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবে এবং মঞ্জুরি কমিশন উহার কপি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে। (১০) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৯) এর অধীন প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মঞ্জুরি কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।",
"name": "মঞ্জুরি কমিশনের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্মচারী থাকিবেন, যথা :¾ (ক) উপাচার্য; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) ডিন; (ঙ) ইনস্টিটিউটের পরিচালক; (চ) রেজিস্ট্রার; (ছ) বিভাগীয় চেয়ারম্যান; (জ) গ্রন্থাগারিক; (ঝ) প্রভোস্ট; (ঞ) প্রক্টর; (ট) পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা); (ঠ) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব); (ড) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন); (ঢ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (ণ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী; (ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসক; (থ) পরিচালক (শরীর চর্চা ও শিক্ষা); এবং (দ) সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্মচারী।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৯। (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হইবেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ডিগ্রি ও সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, আচার্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে, কোনো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন। (২) আচার্য এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত ক্ষমতার অধিকারী হইবেন। (৩) সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবে আচার্যের অনুমোদন থাকিতে হইবে। (৪) আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ঘটনার তদন্ত করাইতে পারিবেন এবং তদন্তের প্রতিবেদন আচার্যের নিকট হইতে সিন্ডিকেটে পাঠানো হইলে সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আচার্যের নিকট প্রেরণ করিবে। (৫) আচার্যের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হইবার ন্যায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করিতেছে, তাহা হইলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখিবার স্বার্থে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ ও নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে এবং উপাচার্য উক্ত আদেশ ও নির্দেশ কার্যকর করিবেন।",
"name": "আচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১০। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, শিক্ষা বা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদের অধিক সময়ের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আচার্যের সন্তুষ্টি অনুযায়ী উপাচার্য স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। (৩) উপাচার্যের পদ শূন্য হইলে বা তাহার ছুটি, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা উপাচার্য পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত উপউপাচার্য উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন, তবে উপউপাচার্যের অনুপস্থিতিতে উপউপাচার্যের পদটি শূন্য থাকিলে ট্রেজারার বা জ্যেষ্ঠতম ডিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "উপাচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১১। (১) উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক প্রধান একাডেমিক নির্বাহী হইবেন। (২) উপাচার্য তাহার দায়িত্ব পালনে আচার্যের নিকট দায়ী থাকিবেন এবং জবাবদিহি করিবেন। (৩) উপাচার্য এই আইন, সংবিধি, বিধি এবং প্রবিধানের বিধানাবলি বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (৪) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং উহার কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি উহার সদস্য না হইলে উহাতে কোনো ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না। (৫) উপাচার্য সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহবান করিবেন। (৬) উপাচার্য সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৭) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষদ, ইনস্টিটিউট বা বিভাগ পরিদর্শন করিতে ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন। (৮) উপাচার্য তাহার বিবেচনায় প্রয়োজন বোধ করিলে তাহার যে কোনো ক্ষমতা ও দায়িত্ব সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন। (৯) উপাচার্য সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ এবং তাহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। (১০) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের উপর সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (১১) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়ী থাকিবেন। (১২) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং উপাচার্যের বিবেচনায় তৎসম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা সাধারণত বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার অধিকারপ্রাপ্ত সেই কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে, যথাশীঘ্র সম্ভব, তৎকর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন। (১৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সিদ্ধান্তের সহিত উপাচার্য ঐকমত্য না হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন স্থগিত রাখিয়া তাহার মতামতসহ সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিবেন এবং পুনর্বিবেচনার পরও যদি উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা উপাচার্যের সহিত ঐকমত্য পোষণ না করেন, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য আচার্যের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সেই বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। (১৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বাজেট বাস্তবায়নে উপাচার্য সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন। (১৫) সংবিধি, বিধি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও উপাচার্য প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১২। (১) আচার্য, প্রয়োজনবোধে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক একজন শিক্ষাবিদকে উপউপাচার্য পদে নিয়োগ করিবেন। (২) আচার্যের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে উপউপাচার্য স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। (৩) উপউপাচার্য সংবিধি ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "উপউপাচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১৩। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য একজন ট্রেজারার নিযুক্ত করিবেন। (২) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ট্রেজারারের পদ সাময়িকভাবে শূন্য হইলে সিন্ডিকেট অবিলম্বে আচার্যকে তৎসম্পর্কে অবহিত করিবে এবং আচার্য ট্রেজারারের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য যেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৩) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে উপাচার্য, সংশ্লিষ্ট কমিটি, ইনস্টিটিউট ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করিবেন। (৪) ট্রেজারার, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ তত্ত্বাবধান করিবেন এবং তিনি বার্ষিক বাজেট ও হিসাব-বিবরণী পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৫) যে খাতের জন্য অর্থ মঞ্জুর বা বরাদ্দ করা হইয়াছে সেই খাতেই যেন উহা ব্যয় হয় তাহা নিশ্চিত করিবার জন্য ট্রেজারার সিন্ডিকেটের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৬) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন। (৭) ট্রেজারার এই আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "ট্রেজারার",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১৪। রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি¾ (ক) সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন; (খ) উপাচার্য কর্তৃক তাহার হেফাজতে ন্যস্ত সকল গোপনীয় প্রতিবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র ও সাধারণ সিলমোহর, ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (গ) সংবিধি অনুসারে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের একটি রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবেন; (ঘ) সিন্ডিকেট কর্তৃক তাহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক হইবেন; (ঙ) অনুষদের ডিনদের সহিত তাহাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানসূচি সম্পর্কে সংযোগ রক্ষা করিবেন; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উহার সকল দাপ্তরিক চিঠিপত্রের আদান-প্রদান করিবেন; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত চুক্তি ব্যতীত অন্য সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন; এবং (জ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "রেজিস্ট্রার",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১৫। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্বে থাকিবেন এবং সংবিধি বা বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য সকল দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১৬। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে এই আইনের কোথাও উল্লেখ নাই, সিন্ডিকেট সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সেই সকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্ধারণ করিবে।",
"name": "অন্যান্য কর্মচারীর নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষ থাকিবে, যথা :¾ (ক) সিন্ডিকেট; (খ) একাডেমিক কাউন্সিল; (গ) অনুষদ; (ঘ) পাঠক্রম কমিটি; (ঙ) অর্থ কমিটি; (চ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (ছ) বাছাই কমিটি; এবং (জ) সংবিধি অনুযায়ী গঠিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষ।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্য, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ-সদস্য; (ঘ) ট্রেজারার; (ঙ) মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (চ) সরকার কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হইতে ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (জ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; (ঝ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্য হইতে মনোনীত৩ (তিন) জন প্রতিনিধি; (ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে ১ (এক) জন প্রতিনিধি; এবং (ট) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) সিন্ডিকেটের মনোনীত কোনো সদস্য ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য উক্ত সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, তাহার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন : আরও শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন যদি তিনি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহা হইলে তিনি সিন্ডিকেটের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "সিন্ডিকেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1333,
"details": "১৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিন্ডিকেট উহার সভার কার্য পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) সিন্ডিকেটের সভা উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ৩ (তিন) মাসে সিন্ডিকেটের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) সিন্ডিকেটের অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত তলবনামার ভিত্তিতে উপাচার্য বিশেষ সভা আহবান করিবেন। (৪) কোরাম গঠনের জন্য সভার সভাপতিসহ মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।",
"name": "সিন্ডিকেটের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২০। এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষ, সিন্ডিকেট¾ (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হইবে এবং উপাচার্যের উপর অর্পিতক্ষমতা সম্পর্কিত বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি, কর্তৃপক্ষ এবং সম্পত্তির উপর সিন্ডিকেটের সাধারণ ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা থাকিবে এবং সিন্ডিকেট এই আইন, সংবিধি, বিধি ও প্রবিধানের বিধানসমূহ যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কি না তৎপ্রতি লক্ষ রাখিবে; (খ) সংবিধি সংশোধন ও অনুমোদন করিবে; (গ) বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাব ও বার্ষিক সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রস্তাব বিবেচনায়ক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে; (ঘ) বার্ষিক বাজেট অধিবেশন আহবান এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ বাজেট অনুমোদন করিবে; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি অর্জন ও তহবিল সংগ্রহ করিবে, এবং উহা সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করিবে; (চ) অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ কমিটির পরামর্শ বিবেচনা করিবে; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সিলমোহরের আকার নির্ধারণ এবং উহার হেফাজতের ব্যবস্থা ও ব্যবহার পদ্ধতি নিরূপণ করিবে; (জ) সংশ্লিষ্ট বৎসরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক চাহিদার পূর্ণ বিবরণ প্রতি বৎসর মঞ্জুরি কমিশনের নিকট পেশ করিবে এবং পূর্ববর্তী বৎসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উৎস তথা মঞ্জুরি কমিশন বহির্ভূত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ সম্পদের বিবরণ প্রদান করিবে; (ঝ) সাধারণ বা বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত যে কোনো তহবিল পরিচালনা করিবে; (ঞ) এই আইন বা সংবিধিতে অন্য কোনো বিধান না থাকিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ ও তাহাদের দায়িত্ব ও চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ করিবে; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে উইল, দান এবং অন্য কোনোভাবে হস্তান্তরকৃত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ করিবে; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠান এবং উহার ফল প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে; (ড) এই আইন দ্বারা অর্পিত উপাচার্যের ক্ষমতাবলি সাপেক্ষে, এই আইন, সংবিধি এবং বিধির বিধান অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করিবে; (ঢ) ইনস্টিটিউট ও হল পরিদর্শনের ব্যবস্থা করিবে বা পরিদর্শনের নির্দেশ প্রদান করিবে; (ণ) সংবিধি সাপেক্ষে, বিধি প্রণয়ন করিবে; (ত) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক এবং অন্যান্য শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিত করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষকের সৃষ্ট পদে নিয়োগ প্রদান করা যাইবে না : আরও শর্ত থাকে যে, কোনো পদের জন্য আর্থিক সংস্থান হইবার পূর্বে উক্ত পদে নিয়োগ প্রদান করা যাইবে না; (থ) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী আচার্য ও মঞ্জুরি কমিশনের পূর্বানুমোদনক্রমে নূতন অনুষদ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করিবে; (দ) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো অনুষদ, বিভাগ বা ইনস্টিটিউট বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে; (ধ) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো খ্যাতিমান ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরূপে স্বীকৃতি প্রদান করিবে; (ন) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে এবং উপাচার্যের সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে উহার ক্ষমতা কোনো নির্ধারিত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিবে; (প) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে নূতন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রাগ্রসর শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, আন্তঃবিভাগীয় এবং আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক নূতন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালু বা বন্ধ এবং পুরাতন কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে; (ফ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা খ্যাতিমান ব্যক্তিকে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তাহার বিশেষ অবদানের জন্য মেধা ও মনীষার স্বীকৃতি হিসাবে পুরস্কৃত করিতে পারিবে; (ব) মঞ্জুরি কমিশন হইতে প্রাপ্ত মঞ্জুরি এবং নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়ের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বিবেচনা ও অনুমোদন করিবে; (ভ) সংবিধি ও এই আইন দ্বারা তৎপ্রতি অর্পিত বা আরোপিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবে; এবং (ম) বিশ্ববিদ্যালয়ের এইরূপ অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে, যাহা এই আইন বা সংবিধির অধীন অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে প্রদত্ত নহে।",
"name": "সিন্ডিকেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২১। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একাডেমিক কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথা:¾ (ক) উপাচার্য, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) অনুষদসমূহের ডিন; (ঘ) বিভাগসমূহের চেয়ারম্যান; (ঙ) ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনধিক ৭ (সাত) জন অধ্যাপক যাহারা উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত হইবেন; তবে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অধ্যাপক না থাকিলে উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক অন্যান্য পর্যায়ের শিক্ষক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত হইবেন; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক; (জ) প্রতিটি অনুষদের ডিন কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত ১ (এক) জন সহকারী অধ্যাপক; (ঝ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠান হইতে ২ (দুই) জন ও উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; (ঞ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; এবং (ট) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (জ) তে উল্লিখিত সদস্যের মনোনয়ন সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) একাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত কোনো সদস্য ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য উক্ত সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো মনোনীত সদস্য যে কোনো সময় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৪) একাডেমিক কাউন্সিলের কোনো মনোনীত সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে যদি তিনি না থাকেন, তাহা হইলে তিনি একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "একাডেমিক কাউন্সিল",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২২। (১) একাডেমিক কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ হইবে এবং এই আইন, সংবিধি ও বিধির বিধান সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, একাডেমিক বর্ষসূচি ও তৎসম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মান নির্ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য দায়ী থাকিবে এবং এই সকল বিষয়ের উপর উহার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান ক্ষমতা থাকিবে। (২) একাডেমিক কাউন্সিল এই আইন ও সংবিধি সাপেক্ষে শিক্ষাক্রম ও পাঠক্রম এবং শিক্ষাদান, গবেষণা ও পরীক্ষার সঠিক মান নির্ধারণের জন্য প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সামগ্রিক ক্ষমতার অধীন একাডেমিক কাউন্সিলের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :¾ (ক) দেশের আর্থ-সামাজিক ও আন্তর্জাতিক চাহিদার সহিত সংগতি রাখিয়া মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম প্রণয়ন করা; (খ) সার্বিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (গ) শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে বিধান প্রণয়নের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের নিকট হইতে গবেষণা প্রতিবেদন আহবান করা এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ এবং পাঠক্রম কমিটি গঠনের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ও গবেষণার মান-উন্নয়নের ব্যবস্থা করা; (ছ) সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং অনুষদের সুপারিশক্রমে, সকল পরীক্ষার প্রতিটি পত্রের পাঠ্যসূচি ও পাঠক্রম এবং পঠন ও গবেষণার সীমারেখা নির্ধারণ করা: তবে শর্ত থাকে যে, একাডেমিক কাউন্সিল কেবল অনুষদের সুপারিশমালা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনবোধে সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য অনুষদের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে; (জ) এম.ফিল. বা পিএইচ.ডি ডিগ্রির জন্য কোনো প্রার্থী থিসিস দাখিল করিলে সংবিধি, যদি থাকে, অনুসারে তৎসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করা; (ঝ) প্রয়োজনবোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সহিত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমতা বিধান করা; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে নূতন কোনো উন্নয়ন প্রস্তাবের উপর সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়ন এবং গ্রন্থাগার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা উন্নয়নের সুপারিশ করা এবং ইহার নিকট প্রেরিত শিক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (ড) নূতন অনুষদ প্রতিষ্ঠা এবং কোনো অনুষদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নূতন বিষয় প্রর্বতনের জন্য প্রস্তাব সিন্ডিকেটের বিবেচনার জন্য পেশ করা; (ঢ) অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, অন্যান্য শিক্ষক বা গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব বিবেচনা করা এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ণ) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সনদ, ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, উপবৃত্তি, পুরস্কার পদক, ইত্যাদি প্রদানের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়ন এবং উপযুক্ত ব্যক্তিকে তাহা প্রদানের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ত) শিক্ষকবৃন্দের প্রশিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ এবং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা লাভের জন্য ফেলোশিপ প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা; (থ) সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের সুপারিশক্রমে কোর্স বা পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করা এবং গবেষণা ডিগ্রির জন্য গবেষণার প্রতিটি বিষয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা এবং এইরূপে প্রত্যেক বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পরীক্ষক নিয়োগ করা; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের গুণগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি ও তাহা সংরক্ষণ করিবার লক্ষ্যে প্রবিধান প্রণয়ন এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগসূত্র স্থাপন বা যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করিবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা; এবং (ধ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করা, ভর্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলি নির্ধারণ এবং তদুদ্দেশ্যে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা। (৪) একাডেমিক কাউন্সিল সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা বিষয়ক অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।",
"name": "একাডেমিক কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২৩। (১) বিশ্ববিদ্যালয়, বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ সম্পর্কে নিশ্চিত হইয়া মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে, এক বা একাধিক অনুষদ প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে, তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার প্রদান করিতে হইবে। (২) একাডেমিক কাউন্সিলের সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, প্রত্যেক অনুষদ এই আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণা পরিচালনার দায়িত্বে থাকিবে। (৩) অনুষদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি বিধি ও সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) প্রত্যেক অনুষদে ১ (এক) জন করিয়া ডিন থাকিবেন এবং তিনি উপাচার্যের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে থাকিয়া অনুষদ সম্পর্কিত বিধি, সংবিধি ও প্রবিধানের বিধান অনুসারে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৫) উপাচার্য সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে প্রত্যেক অনুষদের জন্য উহার বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকদের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে, পালাক্রমে, ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য ডিন নিযুক্ত করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে¾ (ক) কোনো ডিন পরপর ২ (দুই) মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হইতে পারিবেন না; (খ) কোনো অনুষদের অধীন কোনো বিভাগেই অধ্যাপক না থাকিলে সহযোগী অধ্যাপকগণের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একজনকে উপাচার্য ডিন হিসাবে নিযুক্ত করিবেন; (গ) একাধিক বিভাগে সমজ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক থাকিলে, সেই ক্ষেত্রে তাহাদের মধ্যে ডিন পদের আবর্তনক্রম উপাচার্য কর্তৃক নির্দিষ্ট হইবে। (৬) অসুস্থ বা অন্য কোনো কারণে ডিনের পদ শূন্য হইলে উপাচার্য ডিন পদের দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৭) ডিন অনুষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, ডিনের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক ডিনের দায়িত্ব পালন এবং সভাপতিত্ব করিবেন। (৮) অনুষদের অন্তর্গত যে কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষা সম্পর্কিত কোনো কমিটির সভায় ডিন উপস্থিত থাকিতে এবং সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি ঐ কমিটির সদস্য না হইলে তাহার ভোটাধিকার থাকিবে না।",
"name": "অনুষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়, প্রয়োজনবোধে, সরকার বা মঞ্জুরি কমিশন হইতে বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আচার্যের অনুমোদনক্রমে এক বা একাধিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করিতে পারিবে। (২) প্রতিটি ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য ১ (এক) জন পরিচালকসহ পৃথক বোর্ড অব গভর্ণরস থাকিবে, যাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউট",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করা হয় এমন কোনো বিষয়ের সকল শিক্ষকের সমন্বয়ে এক বা একাধিক বিভাগ গঠিত হইবে। (২) বিভাগের অধ্যাপকগণের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে উপাচার্য কর্তৃক বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিযুক্ত হইবেন : তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোনো বিভাগে অধ্যাপক না থাকেন তাহা হইলে উপাচার্য সহযোগী অধ্যাপকগণের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে ১ (এক) জনকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিযুক্ত করিবেন। (৩) যদি কোনো বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক না থাকেন তাহা হইলে উপাচার্য সহকারী অধ্যাপকগণের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ১ (এক) জনকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিযুক্ত করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে কোনো শিক্ষককে বিভাগীয় চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা যাইবে না। ব্যাখ্যা।¾ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পদবি ও পদমর্যাদার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হইবে এবং কোনো ক্ষেত্রে পদবি ও পদমর্যাদা সমান হইলে সমপদে চাকুরীকালের মেয়াদের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হইবে। (৪) ডিনের সাধারণ তত্ত্বাবধানে বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগের কার্য পরিচালনা ও সমন্বয় সাধনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৫) একাডেমিক কাউন্সিল এবং উপাচার্য কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশ অনুসরণ ও প্রতিপালন সাপেক্ষে বিভাগীয় চেয়ারম্যান তাহার বিভাগে শিক্ষাদান ও গবেষণা সংগঠন ও পরিচালনার জন্য ডিনের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৬) বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিধি ও সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন। (৭) প্রত্যেক বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হইবে এবং চেয়ারম্যান বিভাগের দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন। (৮) প্রত্যেক বিভাগে উক্ত বিভাগের সকল শিক্ষক সমন্বয়ে একটি একাডেমিক কমিটি গঠিত হইবে এবং উক্ত কমিটি নিম্নবর্ণিত কার্যাদি সম্পাদন করিবে, যথা :¾ (ক) শিক্ষার্থী ভর্তি; (খ) পাঠ্যসূচি প্রণয়ন; (গ) পরীক্ষা গ্রহণ; (ঘ) শিক্ষাদান; এবং (ঙ) শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক কার্যাবলী। (৯) বিভাগের নীতি নির্ধারণী বিষয়াদি বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির অধীন থাকিবে। (১০) প্রত্যেক বিভাগের মোট শিক্ষক সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক সমন্বয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একটি বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটি গঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা অন্যূন ৩ (তিন) জন হইতে হইবে। (১১) বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটি নিম্নবর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদন করিবে, যথা :¾ (ক) বিভাগের সম্প্রসারণ; এবং (খ) শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ।",
"name": "বিভাগ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২৬। অনুষদের প্রত্যেক বিভাগে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পাঠক্রম কমিটি থাকিবে।",
"name": "পাঠক্রম কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২৭। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :¾ (ক) মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ অনুদান; (গ) প্রাক্তন শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঘ) ট্রাস্ট তহবিল বা এনডাউমেন্ট ফান্ড; (ঙ) শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত বেতন, ফি, ইত্যাদি; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত ও পরিচালন উৎসারিত আয়; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; (জ) মঞ্জুরি কমিশন ও সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা সাহায্য; (ঝ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঞ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত ঋণ; এবং (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত আয় বা মুনাফা। (২) তহবিলের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে। ব্যাখ্যা।¾ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article (2) (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank। (৩) তহবিল হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। (৪) তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত কোনো খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে। (৫) বিশ্ববিদ্যালয়, প্রয়োজনবোধে, এক বা একাধিক বিশেষ তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করিতে পারিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২৮। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিচালন ব্যয়ের (মূলধন ব্যয় ব্যতিরেকে) নিরীখে প্রতিবৎসর শিক্ষার্থীদের নিকট হইতে আদায়যোগ্য বেতন ও ফি নির্ধারিত হইবে। (২) সেমিস্টার অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন ও ফি সেমিস্টার আরম্ভ হইবার পূর্বেই পরিশোধ করিতে হইবে। (৩) সরকার বা অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা আয় হইতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধা ও প্রয়োজনের নিরীখে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করিতে পারিবে। (৪) বৃত্তি বা উপ-বৃত্তি শিক্ষা বৎসরভিত্তিক প্রদান করা হইবে। (৫) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি অধ্যয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং শিক্ষা আহরণে পারদর্শিতার উপর বৃত্তি প্রদানের বিষয়টি নির্ভর করিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যয় ও শিক্ষার্থী বেতনাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1333,
"details": "২৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অর্থ কমিটি থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে অর্থ কমিটি গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্য, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) রেজিস্ট্রার; (ঙ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ (দুই) জন কর্মচারী; (চ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন সিন্ডিকেট সদস্য, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে নিয়োজিত নহেন; (ছ) মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মনোনীত পরিচালক পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (জ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উপসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঝ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উপসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; এবং (ঞ) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) সভাপতির অনুমোদনক্রমে, অর্থ কমিটির সভা আহবান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নিমিত্ত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৩) অর্থ কমিটির কোনো মনোনীত সদস্য ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্য যে কোনো সময় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৪) অর্থ কমিটির কোনো মনোনীত সদস্য তাহার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে তিনি মনোনীত হইয়াছিলেন সেই পদে বা প্রতিষ্ঠানে যদি তিনি না থাকেন, তাহা হইলে তিনি অর্থ কমিটির পদেও অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "অর্থ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩০। অর্থ কমিটি¾ (ক) অর্থ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত কার্য তত্ত্বাবধান করিবে; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ, তহবিল, সম্পদ ও হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট বিবেচনা করিবে এবং এতদ্সম্পর্কে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; এবং (ঘ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত বা উপাচার্য বা সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবে।",
"name": "অর্থ কমিটির ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩১। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্য, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) রেজিস্ট্রার; (ঙ) উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে মনোনীত ১ (এক) জন ডিন; (চ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত উহার একজন সদস্য; (ছ) মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মনোনীত একজন বিভাগীয় প্রধান; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী; (ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন স্থপতি বা পরিকল্পনাবিদ; এবং (ঞ) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ হইবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উহার জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল্যায়ন করিবে। (৩) এই কমিটি ঠিকাদার তালিকাভুক্তকরণ, দরপত্র বাছাই ও ঠিকাদারের সহিত চুক্তি সম্পাদন করিবে। (৪) এই কমিটি পূর্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন, অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় সাধন করিবে। (৫) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত বা উপাচার্য অথবা সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য কার্যাবলিও সম্পাদন করিবে। (৬) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির মনোনীত সদস্য ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, তাহার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।",
"name": "পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩২। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের সুপারিশের জন্য পৃথক পৃথকভাবে বাছাই কমিটি থাকিবে। (২) বাছাই কমিটির গঠন ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) বাছাই কমিটির সুপারিশের সহিত সিন্ডিকেট একমত না হইলে বিষয়টি আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই ব্যাপারে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বাছাই কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩৩। সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শৃঙ্খলা কমিটি থাকিবে। (২) শৃঙ্খলা কমিটির গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "শৃঙ্খলা কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত হইবেন। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ¾ (ক) বক্তৃতা, টিউটোরিয়াল, আলোচনা, সেমিনার, হাতে-কলমে প্রদর্শন ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক যুগোপযোগী পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করিবেন; (খ) গবেষণা পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করিবেন; (গ) শিক্ষার্থীদের সহিত ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করিবেন, তাহাদিগকে দিকনির্দেশনা প্রদান করিবেন এবং তাহাদের কার্যক্রম তদারক করিবেন; (ঘ) সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে বিভাগের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের ব্যাঘাত না ঘটাইয়া যে কোনো শিক্ষক পরামর্শক বা কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ কার্যের জন্য প্রাপ্ত পারিতোষিকের এক-পঞ্চমাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন; এবং (ঙ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য, ডিন ও বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য কার্য ও দায়িত্ব সম্পাদন ও পালন করিবেন।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩৬। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংবিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (খ) উপউপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (গ) জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মানে অধ্যাপক পদ (চেয়ার) প্রবর্তন; (ঘ) সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান; (ঙ) শিক্ষালাভের জন্য ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, বৃত্তি, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন; (চ) গবেষণা কার্যক্রমের ধরন নির্ধারণ; (ছ) ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট ও কোনো সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান; (জ) শিক্ষাদানকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ; (ঝ) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি নির্ধারণ; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীগণের পদবি, ক্ষমতা, দায়িত্ব-কর্তব্য ও কর্মের শর্তাবলি নির্ধারণ; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (ঠ) হল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং উহাদের রক্ষণাবেক্ষণ; (ড) হল এর অনুমোদন সম্পর্কিত শর্তাবলি নির্ধারণ; (ঢ) প্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ; (ণ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি ও ছাঁটাই সংক্রান্ত পদ্ধতি নির্ধারণ; (ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর কল্যাণার্থে অবসর ভাতা, গোষ্ঠীবীমা, কল্যাণ এবং ভবিষ্য তহবিল গঠন; (থ) শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ; (দ) আচার্যের অনুমোদনক্রমে নূতন বিভাগ বা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ, বিলোপ সাধন এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির বিধান নির্ধারণ; (ধ) একাডেমিক কাউন্সিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ; (ন) পি.এইচ.ডি. ডিগ্রির জন্য থিসিস এর বিষয় নির্ধারণ; (প) অনুষদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (ফ) বাছাই কমিটির গঠন ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (ব) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও অন্যান্য পাঠক্রমে ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন; (ভ) বিভিন্ন কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন; (ম) রেজিস্টার্ডভুক্ত গ্র্যাজুয়েটদের নিবন্ধনবহি সংরক্ষণ; এবং (য) এই আইনের অধীন সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়। (২) এই ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে সিন্ডিকেট, আচার্যের অনুমোদন সাপেক্ষে, সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে। (৩) তপশিলে বর্ণিত সংবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধি হইবে। (৪) কোনো সংবিধি অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রাপ্তির পর আচার্য সংবিধিটি বা উহার কোনো বিধান পুনর্বিবেচনার জন্য অথবা উহাতে আচার্য কর্তৃক নির্দেশিত কোনো সংশোধন বিবেচনার জন্য প্রস্তাবসহ সংবিধিটি সিন্ডিকেটের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবেন; তবে সিন্ডিকেট যদি সংবিধিটি নির্দেশিত সংশোধনসহ বা ব্যতিরেকে আচার্যের নিকট পুনঃপেশ করে, তাহা হইলে উহা পেশ করিবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত না হইলে, উক্ত সময়ের অবসানে উহা অনুমোদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৫) আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত বা অনুমোদিত বলিয়া গণ্য না হইলে সিন্ডিকেটের প্রস্তাবিত কোনো সংবিধি বৈধ হইবে না।",
"name": "সংবিধি প্রণয়ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩৭। (১) এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে¾ (ক) উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (খ) উপউপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা পাইবার যোগ্যতার শর্তাবলি নির্ধারণ; (চ) শিক্ষাদান, টিউটোরিয়াল ক্লাস, গবেষণাগার ও কর্মশিবির পরিচালনার পদ্ধতি নিরূপণ; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল ব্যবহার সংক্রান্ত শর্তাবলি এবং তাহাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিধি নির্ধারণ; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম বা কোর্সে ভর্তির জন্য আদায়যোগ্য ফি নির্ধারণ; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটি গঠন ও উহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (ঞ) শিক্ষাদান ও পরীক্ষা পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণ; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ গঠনসহ উহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (ঠ) শিক্ষালাভের জন্য ফেলোশিপ, স্কলারশিপ বা বৃত্তি, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন; (ড) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের গঠন ও উহার ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ; (ঢ) হল পরিচালনা; এবং (ণ) এই আইন বা সংবিধির অধীন বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়। (২) সিন্ডিকেট, মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশক্রমে এবং আচার্যের অনুমোদনক্রমে, বিধি প্রণয়ন করিবে: তবে শর্ত থাকে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ ব্যতীত বিধি প্রণয়ন করা যাইবে না, যথা :¾ (ক) শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন; (গ) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষাসমূহের সমতা; (ঘ) পরীক্ষা পরিচালনা; (ঙ) শিক্ষালাভের জন্য ফেলোশিপ ও বৃত্তির প্রবর্তন; (চ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সকল ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটের জন্য পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও পাঠক্রম নির্ধারণ; এবং (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি, উহার বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের এবং উহার ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা অর্জনের যোগ্যতার শর্তাবলি।",
"name": "বিধি প্রণয়ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩৮। (১) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে এই আইন ও সংবিধির বিধানের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :¾ (ক) উহাদের নিজ নিজ সভায় অনুসরণীয় কার্যবিধি প্রণয়ন এবং কোরাম গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ; (খ) এই আইন, সংবিধির বা বিধি অনুযায়ী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণযোগ্য সকল বিষয়ের উপর প্রবিধান প্রণয়ন; এবং (গ) কেবল উক্ত কর্তৃপক্ষসমূহের সহিত সংশ্লিষ্ট অথবা এই আইন, সংবিধি বা বিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা উহার সভার তারিখ এবং সভার বিবেচ্য বিষয় সম্পর্কে উক্ত কর্তৃপক্ষের বা সংস্থার সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান এবং সভার কার্যবিবরণীর রেকর্ড সংরক্ষণ সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন করিবে। (৩) সিন্ডিকেট এই ধারার অধীনে প্রণীত কোনো প্রবিধান তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশোধন বা বাতিল করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকিবে: তবে শর্ত থাকে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ অনুরূপ নির্দেশে অসন্তুষ্ট হইলে বিষয়টি সম্পর্কে আচার্যের নিকট আপিল করিতে পারিবে এবং আপিলে আচার্য প্রদত্ত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "প্রবিধান",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৩৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলসমূহ বিধি অনুযায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হইবে। (২) হলে প্রভোস্ট এবং আবাসিক শিক্ষকগণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত হইবেন। (৩) হলে বসবাসের শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "হল",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪০। (১) এই আইন এবং সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য পাঠক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে। (২) কোনো শিক্ষার্থী বাংলাদেশের কোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বা বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইনের অধীন কোনো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বা সমমানের কোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে বা বিদেশের স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সংস্থা কর্তৃক অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য যোগ্যতা তাহার না থাকিলে উক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কোর্সের কোনো পাঠক্রমে ভর্তির যোগ্য হইবেন না। (৩) যে সকল শর্তাধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হইবে তাহা এই আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) কোনো পাঠক্রমে ডিগ্রির জন্য ভর্তির উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, এই আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রিকে তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো ডিগ্রির সমমানের বলিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে বা স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষাকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমানের বলিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে। (৫) ভর্তির সময় প্রদত্ত মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কোনো শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হইলে এবং পরবর্তীকালে উহা প্রমাণ হইলে উক্ত ভর্তি বাতিল হইবে। (৬) নৈতিক স্খলনের দায়ে উপযুক্ত কোনো আদালত কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি ভর্তির যোগ্য হইবেন না।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ভর্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪১। (১) উপাচার্যের সাধারণ নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকিয়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (২) কোনো পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো পরীক্ষক কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে বা অপারগতা প্রকাশ করিলে উপাচার্যের নির্দেশে তাহার স্থলে অন্য একজন পরীক্ষককে নিয়োগ প্রদান করা যাইবে।",
"name": "পরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪২। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ও নির্ধারিত সংখ্যক কোর্সে একক (ক্রেডিট আওয়ার) পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হইবে। (২) সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি নির্ধারিত সংখ্যক সেমিস্টারে বিভাজিত হইবে এবং ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বিশেষের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক কোর্স সম্পন্ন করিয়া ডিগ্রি লাভের জন্য সর্বোচ্চ সময় নির্ধারিত থাকিবে এবং প্রত্যেক পাঠ্যক্রমের সফল সমাপ্তি এবং উহার উপর পরীক্ষা গ্রহণের পর পরীক্ষার্থীকে গ্রেড বা নম্বর প্রদান করা হইবে। (৩) সকল সেমিস্টার পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেডের সমন্বয়ের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণপূর্বক পরীক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হইবে।",
"name": "পরীক্ষা পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪৩। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী লিখিত চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত হইবেন এবং চুক্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের হেফাজতে তাহার কার্যালয়ে গচ্ছিত থাকিবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মচারীকে উহার একটি অনুলিপি প্রদান করা হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী সকল সময় সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সহিত দায়িত্ব কর্তব্য পালন করিবেন এবং পদ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ হইবেন। (৩) নিয়োগের শর্তাবলিতে স্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ না থাকিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক শিক্ষক ও কর্মচারীরূপে গণ্য হইবেন। (৪) বিশ্ববিদ্যালয় অথবা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপের সহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী নিজেকে জড়িত করিবেন না। (৫) কোনো শিক্ষক ও কর্মচারীর রাজনৈতিক মতামত পোষণের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ না করিয়া তাহার চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ করিতে হইবে, তবে তিনি তাহার মতামত প্রচার করিতে পারিবেন না বা তিনি নিজেকে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সহিত জড়িত করিতে পারিবেন না। (৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতন ভোগী শিক্ষক বা কর্মচারী সংসদ সদস্য হিসাবে বা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচিত হইবার জন্য প্রার্থী হইতে চাহিলে তিনি তাহার মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি হইতে ইস্তফা প্রদান করিবেন। (৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতন ভোগী শিক্ষক বা কর্মচারীকে তাহার কর্তব্যে অবহেলা, অসদাচরণ, নৈতিক স্খলন বা অদক্ষতার কারণে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চাকরি হইতে অপসারণ বা পদচ্যুত করা বা অন্য কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে যে, তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে কোনো তদন্ত কমিটি কর্তৃক তদন্ত অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া চাকরি হইতে অপসারণ বা পদচ্যুত করা যাইবে না।",
"name": "চাকরির শর্তাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত করিতে হইবে এবং পরবর্তী শিক্ষা বৎসর আরম্ভের ষাট (৬০) দিবসের মধ্যে বা তৎপূর্বে উহা মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক হিসাব ও স্থিতিপত্র সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত করিতে হইবে এবং উহা সরকার কর্তৃক মনোনীত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরীক্ষিত হইবে। (২) বার্ষিক হিসাব, নিরীক্ষা প্রতিবেদনের অনুলিপিসহ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক হিসাব",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪৬। কোনো ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার বা বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো ইনস্টিটিউটের কোনো কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি¾ (ক) অপ্রকৃতিস্থ বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; (খ) দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; এবং (গ) নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন: তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় বর্ণিত বিষয়ে সংশয় ও বিরোধের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি এই ধারা অনুযায়ী অযোগ্য কি না তাহা আচার্য সাব্যস্ত করিবেন এবং এই বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪৭। এই আইন, সংবিধি, বিধি বা প্রবিধানে এতদ্সম্পর্কিত বিধানের অবর্তমানে, কোনো ব্যক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার অধিকার সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে উহা আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই ব্যাপারে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা গঠন সম্পর্কে বিরোধ",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪৮। এই আইন বা সংবিধি দ্বারা কোনো কর্তৃপক্ষকে কমিটি গঠনের ক্ষমতা প্রদান করা হইলে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত মতে ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া কোনো কমিটি গঠন করিলে উহার গঠনের আইনগত বৈধতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৪৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ বা ইনস্টিটিউট সদস্য নহেন এই রকম কোনো সদস্যের পদে আকস্মিক শূন্যতা সৃষ্টি হইলে যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ উক্ত সদস্যকে নিযুক্ত, নির্বাচিত বা মনোনীত করিয়াছিলেন সেই ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ, যথাশীঘ্র সম্ভব, উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিবেন এবং যে ব্যক্তি এই প্রকার শূন্যপদে নিযুক্তি, নির্বাচিত বা মনোনীত হইবেন তিনি যাহার স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন, তাহার অসমাপ্ত কার্যকালের জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য পদে বহাল থাকিবেন।",
"name": "আকস্মিক সৃষ্ট শূন্যপদ পূরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৫০। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ, ইনস্টিটিউট বা সংস্থার কোনো কার্য ও কার্যধারা কেবল উহার কোনো পদের শূন্যতা বা উক্ত পদে নিযুক্তি, মনোনয়ন বা নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যর্থতা বা ত্রুটির কারণে বা কর্তৃপক্ষ গঠনের ব্যাপারে অন্য কোনো প্রকার ত্রুটির জন্য অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কার্যধারার বৈধতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৫১। এই আইন বা সংবিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ কোনো বিষয়ে বা চুক্তি সম্পর্কে বিতর্ক বা বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং প্রেরিত বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বিতর্কিত বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৫২। সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং শর্তসাপেক্ষে, আচার্যের অনুমতিক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয় উহার শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণার্থে দেশে প্রচলিত এই সংক্রান্ত নিয়ম ও বিধির সহিত সংগতি রাখিয়া অবসর ভাতা, গোষ্ঠীবিমা, কল্যাণ বা ভবিষ্য তহবিল গঠন বা আনুতোষিক বা পারিতোষিক প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।",
"name": "অবসর ভাতা ও ভবিষ্য তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৫৩। এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বৎসর মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অর্থ প্রাপ্ত হইবে।",
"name": "সংবিধিবদ্ধ মঞ্জুরি",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1333,
"details": "৫৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে বা উহার কোনো কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠকের বিষয়ে বা এই আইনের বিধানাবলি প্রথমবার কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবার পূর্বে যে কোনো সময়ে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সমীচীন বা প্রয়োজনীয় বলিয়া আচার্যের নিকট প্রতীয়মান হইলে তিনি আদেশ দ্বারা এই আইন এবং সংবিধির সহিত যতদূর সম্ভব সংগতি রক্ষা করিয়া যে কোনো পদে নিয়োগ প্রদান বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন; এই প্রকার প্রত্যেকটি আদেশ এইরূপে কার্যকর হইবে, যেন উক্ত নিয়োগদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ এই আইনের বিধান অনুসারে করা হইয়াছে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 54
}
],
"text": "চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় বিশ্বের সহিত সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চা, বিশেষ করিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ, পঠন-পাঠন ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণকল্পে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :¾"
} |
{
"id": 1334,
"lower_text": [],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACT LAWS REGULATIONS, 1943",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "18th March, 1943",
"related_act": [
87
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1334,
"details": "1. This Regulation may be called the Chittagong Hill-tracts Laws Regulation, 1943.",
"name": "Short title",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1334,
"details": "2. The Explosive Substances Act, 1908, shall apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of Act VI of 1908 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "87",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Explosive Substances Act, 1908, to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply the Explosive Substances Act, 1908, to the Chittagong Hill-tracts;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1335,
"lower_text": [],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. III) REGULATION, 1943",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "16th December, 1943",
"related_act": [
1335,
135
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1335,
"details": "1. This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. III) REGULATION, 1943.",
"name": "Short title",
"related_acts": "1335",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1335,
"details": "2. The Soldiers (Litigation) Act, 1925, shall apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of Act IV of 1925 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "135",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Soldiers (Litigation) Act, 1925, to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply the Soldiers (Litigation) Act, 1925, to the Chittagong Hill-tracts;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1336,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (Presidents Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (Presidents Order No. 48 of 1972).",
"3 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (Presidents Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. IV) REGULATION, 1943",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "23th December, 1943",
"related_act": [
1336,
388,
54
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1336,
"details": "1. This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. IV) REGULATION, 1943.",
"name": "Short title",
"related_acts": "1336",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1336,
"details": "2. The 3*** Ferries Act, 1885, with the exception of section 3 of the said Act, shall apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of Bengal Act I of 1885 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "54",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the 1*** Ferries Act, 1885, to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply the 2*** Ferries Act, 1885, to the Chittagong Hill-tracts;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1337,
"lower_text": [],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS (No. II) REGULATION, 1944",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "31th August, 1944",
"related_act": [],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1337,
"details": "1. This Regulation may be called the Chittagong Hill- tracts Laws (No. II) Regulation, 1944.",
"name": "Short title",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1337,
"details": "2. The enactments specified in the Schedule with the modification therein set forth shall apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of certain enactments to the Chittagong Hill-tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply certain enactment to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply the enactments specified in the Schedule to the Chittagong Hill-tracts;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1338,
"lower_text": [],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS LAWS REGULATION, 1946",
"num_of_sections": 4,
"published_date": "21th March, 1946",
"related_act": [],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1338,
"details": "1. This Regulation may be called the Chittagong Hill- tracts Laws Regulations, 1946.",
"name": "Short title",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1338,
"details": "2. The Bengal Births and Deaths Registration Act, 1873, with the exception of section 11 of the said Act, shall apply to the Chittagong Hill-tracts subject to the following modifications, namely:-(1) for section 1 of the said Act, the following section shall be substituted, namely:-",
"name": "Application of Bengal Act IV of 1873 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1338,
"details": "“1. The Government may, at any time, by a notification published in the Official Gazette, direct that all births and deaths occurring within the Chittagong Hill-tracts after a certain date to be named in such notification shall be registered”;(2) in section 2 of the said Act-(a) in the first paragraph for the words “any such area” the words “the Chittagong Hill-tracts” shall be substituted, and(b) in the second paragraph for the words “the area” the words “the Chittagong Hill-tracts” shall be substituted;",
"name": "Power to direct registration of births and deaths in the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1338,
"details": "(3) in section 6 of the said Act-(a) for the first paragraph, the following paragraph shall be substituted, namely:-“The headman of every mauza or where there is no headman, such person as the Magistrate may appoint, shall be required to report every birth or death occurring within the mauza to such registrar and at such periods as the Magistrate may direct”, and(b) in the third paragraph for the words “chaukidar or other village –watchman” the word “headman” shall be substituted;(4) in section 7 of the said Act-(a) in the first paragraph- (i) for the words “within such area” the words “within the Chittagong Hill-tracts” shall be substituted, (ii) after the words “personally or in writing to” the words “the headman of the mauza or to” shall be inserted, and (iii) for the words “chaukidar or other village watchman” the words “Karbari of the Para” shall be substituted, and(b) after the first paragraph the following paragraphs shall be inserted, namely:-“The Karbari of a para shall report any birth in his para to the headman of the mauza within which the para is situated within eight days next after the day of such birth.When the headman receives a report under this section, he shall, within thirty days of the receipt of such report, give information of such birth to the registrar of the district.”;(5) in section 8 of the said Act-(a) in the first paragraph- (i) for the words “within such area” the words “within the Chittagong Hill-tracts” shall be substituted, (ii) after the words “either personally or in writing to” the words “the headman of the mauza or to” shall be inserted,, and (iii) for the words “chaukider or other village watchman” the words “karbari of the para” shall be substituted, and(b) after the first paragraph the following paragraphs shall be inserted, namely:-“The Karbari of a para shall report any death in his para to the headman of the mauza within the para is situated within eight days next after the day of such death.When the headman receives a report under this section, he shall within thirty days of the receipt of such report give information of such death to the registrar of the district”.",
"name": "Mauza headmen to obtain particulars and to report on registrar",
"related_acts": "",
"section_id": 4
}
],
"text": "A Regulation to apply the Bengal Births and Deaths Registration Act, 1873, to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply the Bengal Births and Deaths Registration Act, 1873, to the Chittagong Hill-tracts;It is hereby enacted as follows:-"
} |
{
"id": 1339,
"lower_text": [],
"name": "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 55,
"published_date": "১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
446,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1339,
"details": "১। (১) এই আইন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে।* এস, আর, ও নং ৩০২-আইন/২০২০, তারিখঃ ১০ নভেম্বর, ২০২০ ইং দ্বারা ০২ পৌষ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ হতে উক্ত আইন কার্যকর ।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘অনুষদ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ; (২) ‘‘অর্গানোগ্রাম’’ অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম; (৩) ‘‘অর্থ কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি; (৪) ‘‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল; (৫) ‘‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’’ অর্থ বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ৯ নং আইন) এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল; (৬) ‘‘ইন্সটিটিউট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত, অনুমোদিত বা স্থাপিত কোনো ইন্সটিটিউট; (৭) ‘‘কমিশন’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P. O. No. 10 of 1973) এর অধীন গঠিত University Grants Commission of Bangladesh; (৮) ‘‘কমিশন আদেশ’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P. O. No. 10 of 1973); (৯) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ১৭ তে উল্লিখিত কোনো কর্তৃপক্ষ; (১০) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী; (১১) ‘‘আচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য; (১২) ‘‘ট্রেজারার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার; (১৩) ‘‘ডিন’’ অর্থ কোনো অনুষদের ডিন; (১৪) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ কোনো ইন্সটিটিউটের পরিচালক; (১৫) ‘‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (১৬) ‘‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (১৭) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ ধারা ৪৩ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান; (১৮) ‘‘প্রভোস্ট’’ অর্থ কোনো হলের প্রধান; (১৯) ‘‘প্রক্টর’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর; (২০) ‘‘উপউপাচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর; (২১) ‘‘বিভাগ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ; (২২) ‘‘বিভাগীয় চেয়ারম্যান’’ অর্থ কোনো বিভাগের প্রধান; (২৩) ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ’; (২৪) ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় বিধি’’ অর্থ ধারা ৪২ এর অধীন প্রণীত বিধি; (২৫) ‘‘বোর্ড অব গভর্নরস’’ অর্থ ইন্সটিটিউটের বোর্ড অব গভর্নরস; (২৬) ‘‘উপাচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য; (২৭) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার; (২৮) ‘‘রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট’’ অর্থ এই আইনের বিধানানুযায়ী রেজিস্টারভুক্ত গ্র্যাজুয়েট; (২৯) ‘‘শিক্ষক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক বা প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃত অন্য কোনো ব্যক্তি; (৩০) ‘‘সিন্ডিকেট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট; (৩১) ‘‘সিলেকশন কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত কমিটি; (৩২) ‘‘সংবিধি’’ অর্থ ধারা ৪১ এর অধীন প্রণীত সংবিধি; (৩৩) ‘‘সংস্থা’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংস্থা; এবং(৩৪) ‘‘হল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ছাত্রাবাস।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "446,446",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman University, Kishoreganj) নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, উপাচার্য, উপউপাচার্য, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণ সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হইবে। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা এবং একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ইহার স্থাবর ও অস্থাবর সকল প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪। এই আইন এবং কমিশন আদেশের বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা :- (ক) বিজ্ঞান, কলা, মানবিক, সমাজবিজ্ঞান, আইন, ব্যবসায় প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এবং জ্ঞানবিজ্ঞানের নূতন নূতন শাখায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান, গবেষণা, জ্ঞানের সৃজন, উৎকর্ষ সাধন ও বিতরণের ব্যবস্থা করা; (খ) কর্মদক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টির জন্য, আধুনিক প্রযুক্তি, পেশা, বৃত্তি ও অর্থনৈতিক চাহিদার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাশাপাশি আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া অনলাইন দূরশিক্ষণ, ক্যাম্পাস ভিত্তিক শিক্ষাদানের সমন্বয়ে শিল্প, বাণিজ্য, সমাজ ও অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সীমিত বা দীর্ঘমেয়াদি কোর্স প্রণয়ন ও পরিচালনা; (গ) বিভাগ এবং ইন্সটিটিউটে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা; (ঘ) বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত পাঠক্রমে অধ্যয়ন সম্পূর্ণ করিয়াছেন এবং সংবিধির শর্তানুযায়ী গবেষণা কাজ সম্পূর্ণ করিয়াছেন এমন ব্যক্তিগণের পরীক্ষা গ্রহণ করা এবং ডিগ্রি ও অন্যান্য অ্যাকাডেমিক সম্মান প্রদান করা; (চ) সংবিধিতে বিধৃত পদ্ধতিতে সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান করা; (ছ) অনুষদ বা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী নহেন এমন ব্যক্তিগণকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রদানের উদ্দেশ্যে বক্তৃতামালা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং সংবিধির শর্তানুযায়ী ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট প্রদান করা; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তৎকর্তৃক নির্ধারিত পন্থায় দেশে-বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা; (ঝ) আচার্যের অনুমোদনক্রমে এবং সরকার ও কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক, সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও এমিরেটাস অধ্যাপকের পদসহ শিক্ষক, গবেষক, কর্মচারীর যে কোনো পদ সৃষ্টি করা এবং সেই সকল পদে নিয়োগ প্রদান করা; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য হল স্থাপন করা এবং উহার রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা; (ট) মেধার স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধান অনুযায়ী ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন এবং বিতরণ করা; (ঠ) আচার্যের এবং কমিশনের পূর্বানুমোদনক্রমে শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে অ্যাকাডেমিক মিউজিয়াম, পরীক্ষাগার, অনুষদ, বিভাগ এবং ইন্সটিটিউট স্থাপন, প্রতিষ্ঠা বা, ক্ষেত্রমত, রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ, একত্রীকরণ ও বিলোপ সাধন করা; (ড) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও অ্যাকাডেমিক শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করা, পাঠক্রম সহায়ক কার্যক্রমের উন্নতি এবং তাহাদের স্বাস্থ্যের উৎকর্ষ সাধনের ব্যবস্থা করা; (ঢ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি দাবি ও আদায় করা; (ণ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য, কমিশন ও সরকারের অনুমতিক্রমে, দেশি ও বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অনুদান ও বৃত্তি গ্রহণ করা; (ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য, সরকারের অনুমোদনক্রমে, কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া, সম্পাদনকৃত চুক্তি বাস্তবায়ন করা, চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করা অথবা চুক্তি বাতিল করা; (থ) শিক্ষা ও গবেষণার উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য পুস্তক ও জার্নাল প্রকাশ করা এবং দেশে-বিদেশে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত এ বিষয়ে যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষা করা; (দ) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্প কারখানার যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা; (ধ) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজ সম্পৃক্ততা কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধি করা; (ন) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকে বিশ্বমানে উন্নীত করিবার লক্ষ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের শর্তাবলি প্রতিপালন এবং অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলসহ বিদেশের সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর ও ফলপ্রসূ যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; (প) উচ্চশিক্ষার গুণগত মান সুষমকরণ ও উন্নয়নকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র-শিক্ষকের সুষম আনুপাতিক হার সংরক্ষণ, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ও ল্যাবরেটরির ব্যবস্থাকরণ, উপযুক্ত ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি ও উপকরণের ব্যবস্থা করা; (ফ) আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতির আধুনিকায়নের জন্য কাজ করা; (ব) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিক দক্ষতা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; (ভ) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান সুষমকরণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি আয়োজন করা; (ম) জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, জন্মস্থান বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করিবার কাজে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র, মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বা শিক্ষা সাহায্য প্রদানের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা; (য) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটির সদস্যগণের সম্মানি নির্ধারণ ও সভা অনুষ্ঠানের জন্য সম্মানি প্রদান; (র) সরকারের অনুমোদনক্রমে ও কমিশনের নির্ধারিত শর্তে দেশি-বিদেশি কোনো শিক্ষক বা গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন বা অন্য কোনোভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের বেতন বা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা; এবং (ল) বিশ্ববিদ্যালয়ের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও বাস্তবায়নকল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজকর্ম সম্পাদন করা।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৫। এই বিশ্ববিদ্যালয় জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, জন্মস্থান বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির দেশি ও বিদেশি উপযুক্ত শিক্ষার্থীর ভর্তি, জ্ঞানার্জন এবং ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স সমাপনের পর সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।",
"name": "সকলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্বীকৃত শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় বা উহার ইন্সটিটিউট কর্তৃক পরিচালিত হইবে এবং পরীক্ষাগার বা কর্মশিবিরের সকল কর্মকাণ্ড ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে শিক্ষকগণ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন। (৩) শিক্ষাদানের দায়িত্ব কোন্ কর্তৃপক্ষের উপর থাকিবে তাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে। (৪) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে। (৫) বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধানে বিধৃত শর্তানুসারে অনুমোদিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৭। (১) কমিশন এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও গুণগতমান নিশ্চিতকরণের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও উহার ভবন, হল, গ্রন্থাগার, গবেষণার যন্ত্রপাতি বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষা, শিক্ষাদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করাইতে পারিবে। (২) কমিশন উল্লিখিত উদ্দেশ্য তৎকর্তৃক অনুষ্ঠিতব্য প্রত্যেক পরিদর্শন বা মূল্যায়নের অভিপ্রায় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বেই অবহিত করিবে। (৩) কমিশন অনুরূপ পরিদর্শন বা মূল্যায়ন সম্পর্কে উহার অভিমত অবহিত করিয়া তৎসম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত রেজিস্টার ও নথিপত্র সংরক্ষণ করিবে এবং কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য, পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদন কমিশনে সরবরাহ করিবে। (৫) প্রাপ্ত তথ্য, পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, মতামত বা নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত পরামর্শ, মতামত বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (৬) কমিশন শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নিরূপণ করিবে এবং উহার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করিবে। (৭) কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া সুপারিশসহ সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। (৮) সরকার বা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অথবা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত কোনো প্রতিবেদন বা অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অথবা যৌক্তিক কোনো কারণে কমিশনের নিকট আবশ্যক বলিয়া বিবেচিত হইলে, যে কোনো সময় নোটিশ প্রদান করিয়া বা নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে কমিশন উহার কোনো কর্মচারী কিংবা উহার দ্বারাক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা, আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষদ, বিভাগ, ইন্সটিটিউট ও সংস্থা পরিদর্শন ও তদন্ত করিতে পারিবে। (৯) কমিশনের কর্মচারী বা উহার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (৮) এর অধীন পরিদর্শন ও তদন্তক্রমে কমিশনের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবে এবং কমিশন উহার কপি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে। (১০) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষউপ-ধারা (৯) এর অধীন প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (১১) কমিশন উপ-ধারা (৮), (৯) ও (১০) অনুসারে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সরকারকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।",
"name": "কমিশনের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্মচারী থাকিবে, যথা :- (ক) উপাচার্য; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) অনুষদের ডিন; (ঙ) ইন্সটিটিউটের পরিচালক; (চ) রেজিস্ট্রার; (ছ) বিভাগীয় চেয়ারম্যান; (জ) গ্রন্থাগারিক; (ঝ) প্রভোস্ট; (ঞ) প্রক্টর; (ট) পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা); (ঠ) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব); (ড) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন); (ঢ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (ণ) প্রধান প্রকৌশলী; (ত) প্রধান চিকিৎসক; (থ) পরিচালক (শরীরচর্চা ও শিক্ষা); এবং (দ) সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্মচারী।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৯। (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হইবেন এবং তিনি অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি ও সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করিবেন। (২) আচার্য এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত ক্ষমতার অধিকারী হইবেন। (৩) সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবে আচার্যের অনুমোদন থাকিতে হইবে। (৪) আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ঘটনার তদন্ত করাইতে পারিবেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন আচার্যের নিকট হইতে সিন্ডিকেটে পাঠানো হইলে সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আচার্যের নিকট প্রেরণ করিবে। (৫) আচার্যের নিকট যদি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হইবার মত অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করিতেছে, তাহা হইলে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখিবার স্বার্থে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ ও নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে এবং উপাচার্য উক্ত আদেশ বা নির্দেশ কার্যকর করিবেন।",
"name": "আচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১০। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি একাদিক্রমে বা অন্য কোনোভাবে ২ (দুই) মেয়াদের অধিক উপাচার্য পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আচার্যের সন্তোষ অনুযায়ী উপাচার্য স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। (৩) মেয়াদ শেষ হইবার কারণে উপাচার্য পদটি শূন্য হইলে কিংবা ছুটি বা অন্য কোনো কারণে অনুপস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে শূন্য হইলে কিংবা অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে উপাচার্য তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে বা অপারগতা প্রকাশ করিলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা উপাচার্য পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, আচার্যের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত না থাকা সাপেক্ষে, উপউপাচার্য উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন, তবে উপউপাচার্যের পদ শূন্য থাকিলে ট্রেজারার এবং ট্রেজারারের অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম ডিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন। ব্যাখ্যা।- উপ-ধারা (৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ডিন পদে নিয়োগের তারিখের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হইবে এবং নিয়োগের তারিখ একই হইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীর সাকুল্য মেয়াদের দীর্ঘতার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হইবে।",
"name": "উপাচার্য নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১১। (১) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হইবেন। (২) উপাচার্য তাহার দায়িত্ব পালনে আচার্যের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৩) উপাচার্য এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধির বিধানাবলি বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (৪) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো কর্তৃপক্ষের সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং ইহার কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি উহার সদস্য না হইলে উহাতে কোনো ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না। (৫) উপাচার্য সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহবান করিবেন। (৬) উপাচার্য সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৭) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষদ, ইন্সটিটিউট বা বিভাগ পরিদর্শন করিতে ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন। (৮) উপাচার্য তাহার বিবেচনায় প্রয়োজন মনে করিলে তাহার যে কোনো ক্ষমতা ও দায়িত্ব, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন। (৯) উপাচার্য সরকার ও সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে এবং তাহাদের বিরুদ্ধে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। (১০) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপর সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (১১) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়ী থাকিবেন। (১২) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং উপাচার্যের বিবেচনায় তৎসম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে কর্তৃপক্ষ সাধারণত বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার অধিকারপ্রাপ্ত সেই কর্তৃপক্ষকে, যথাশীঘ্র সম্ভব, তৎকর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন। (১৩) সিন্ডিকেট ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সহিত উপাচার্য একমত না হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন স্থগিত রাখিয়া তাহার মতামতসহ সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পুনঃবিবেচনার জন্য প্রেরণ করিবেন। (১৪) উপ-ধারা (১৩) এর অধীন পুনঃবিবেচনার পরও যদি উক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সহিত উপাচার্য একমত না হন, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সিন্ডিকেটেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে উহা আচার্যের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সেই বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। (১৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বাজেট বাস্তবায়নে উপাচার্য সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন এবং (১৬) সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও উপাচার্য প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১২। (১) আচার্য, প্রয়োজনবোধে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য একজন অধ্যাপককে উপউপাচার্য পদে নিয়োগ করিবেন। (২) আচার্যের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে উপউপাচার্য স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। (৩) উপউপাচার্য সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "উপউপাচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১৩। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য ১ (এক) জন অধ্যাপককে ট্রেজারার নিযুক্ত করিবেন। (২) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে কোষাধ্যক্ষের পদ সাময়িকভাবে শূন্য হইলে উপাচার্য অবিলম্বে আচার্যকে তদ্সম্পর্কে অবহিত করিবেন এবং আচার্য ট্রেজারারের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য যেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করিবেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৩) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে উপাচার্য, সংশ্লিষ্ট কমিটি, ইন্সটিটিউট ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করিবেন। (৪) ট্রেজারার, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ তত্ত্বাবধান করিবেন এবং তিনি বার্ষিক বাজেট ও হিসাব বিবরণী পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৫) যে খাতের জন্য অর্থ মঞ্জুর বা বরাদ্ধ করা হইয়াছে, সেই খাতেই যেন উহা ব্যয় হয় তাহা নিশ্চিত করিবার জন্য ট্রেজারার সিন্ডিকেটের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৬) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন। (৭) ট্রেজারার এই আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "ট্রেজারার",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১৪। রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি- (ক) সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন; (খ) উপাচার্য কর্তৃক তাহার হেফাজতে ন্যস্ত সকল গোপনীয় প্রতিবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র ও সাধারণ সিলমোহর, ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (গ) সংবিধি অনুসারে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের একটি রেজিস্টার রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (ঘ) সিন্ডিকেট কর্তৃক তাহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক হইবেন; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক চিঠিপত্র আদান-প্রদান করিবেন; (চ) অনুষদের ডিন এবং ইন্সটিটিউটের পরিচালকদের প্ল্যান, প্রোগ্রাম ও শিডিউল সম্পর্কে সংযোগ রক্ষা করিবেন; (ছ) সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক, সময় সময়, অর্পিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন; এবং (জ) অর্থ সংক্রান্ত চুক্তি ব্যতীত অন্যান্য সকল চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করিবেন।",
"name": "রেজিস্ট্রার",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১৫। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্বে থাকিবেন এবং সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত ও উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য সকল দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১৬। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে এই আইনের কোথাও উল্লেখ নাই, সিন্ডিকেট সংবিধি দ্বারা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী সেই সকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্ধারণ করিবে।",
"name": "অন্যান্য কর্মচারীর নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষ থাকিবে, যথা :-(ক) সিন্ডিকেট; (খ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল; (গ) অনুষদ; (ঘ) পাঠক্রম কমিটি; (ঙ) অর্থ কমিটি; (চ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (ছ) সিলেকশন কমিটি; এবং (জ) সংবিধি অনুযায়ী গঠিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষ।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গঠিত হইবে, যথা :- (ক) উপাচার্য, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন্য সংসদ সদস্য; (ঘ) ট্রেজারার; (ঙ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; (চ) সরকার কর্তৃক মনোনীত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদাসম্পন্ন ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত অর্থ বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদাসম্পন্ন ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (জ) কমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঝ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্য হইতে মনোনীত ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সহিত সংশ্লিষ্ট পেশাদারি প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত ২ (দুই) জন প্রতিনিধি; এবং (ট) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ প্রত্যেকে তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, তাহার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন। (৩) সিন্ডিকেটের কোনো সদস্য পদত্যাগ করিতে চাহিলে যে কোনো সময় চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে সদস্য পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৪) সিন্ডিকেটের কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহা হইলে তিনি সিন্ডিকেটের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "সিন্ডিকেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1339,
"details": "১৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিন্ডিকেট উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) সিন্ডিকেটের সভা উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ৩ (তিন) মাসে সিন্ডিকেটের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে যে কোনো সময়ে সিন্ডিকেটের বিশেষ সভা আহবান করিতে পারিবেন। (৪) কোরাম গঠনের জন্য সভার সভাপতিসহ মোট সদস্যবৃন্দের অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে। (৫) উপাচার্য সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।",
"name": "সিন্ডিকেটের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২০। এই আইন ও কমিশন আদেশের বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিন্ডিকেট- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হইবে এবং উপাচার্যের উপর অর্পিত ক্ষমতা সম্পর্কিত বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি এবং সম্পত্তির উপর সিন্ডিকেটের সাধারণ ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা থাকিবে এবং সিন্ডিকেট এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধানের বিধানসমূহ যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কিনা তৎপ্রতি লক্ষ্য রাখিবে; (খ) সংবিধি সংশোধন ও অনুমোদন করিবে; (গ) বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাব ও বার্ষিক সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রস্তাব বিবেচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে; (ঘ) বার্ষিক বাজেট অধিবেশন আহবান এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ বাজেট অনুমোদন করিবে; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি অর্জন ও তহবিল সংগ্রহ এবং উহা সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করিবে; (চ) অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ কমিটির পরামর্শ বিবেচনা করিবে; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সিলমোহরের আকার নির্ধারণ এবং উহার হেফাজতের ব্যবস্থা ও ব্যবহার পদ্ধতি নিরূপণ করিবে; (জ) সংশ্লিষ্ট বৎসরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক চাহিদার পূর্ণ বিবরণ প্রতি বৎসর কমিশনের নিকট পেশ করিবে এবং পূর্ববর্তী বৎসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উৎস তথা কমিশন-বহির্ভূত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ-সম্পদের বিবরণ প্রদান করিবে; (ঝ) বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত যে কোনো তহবিল পরিচালনা করিবে; (ঞ) এই আইন বা সংবিধিতে অন্য কোনো বিধান না থাকিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ এবং তাহাদের দায়িত্ব ও চাকুরির শর্তাবলি, সরকারের এতৎসংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসারে, নির্ধারণ করিবে; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে উইল, দান এবং অন্য কোনোভাবে হস্তান্তরকৃত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ করিবে; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠান এবং উহার ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে; (ড) এই আইন দ্বারা অর্পিত উপাচার্যের ক্ষমতাবলি সাপেক্ষে, এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করিবে; (ঢ) ইন্সটিটিউট ও হল পরিদর্শনের ব্যবস্থা করিবে অথবা পরিদর্শনের নির্দেশ প্রদান করিবে; (ণ) এই আইন ও সংবিধি সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন করিবে; (ত) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সুপারিশক্রমে, সরকার ও কমিশনের পূর্বানুমতি ও বাজেটে বরাদ্দ থাকা সাপেক্ষে, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও অন্যান্য শিক্ষক এবং গবেষক ও কর্মচারীর পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিত করিবে; (থ) সংবিধি অনুসারে ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার ও কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে নূতন অনুষদ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণা সুযোগ সৃষ্টি করিবে; (দ) সংবিধি অনুসারে ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো অনুষদ, বিভাগ বা ইন্সটিটিউট বিলোপ করিতে বা সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে; (ধ) সংবিধি অনুসারে ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো খ্যাতিমান গবেষক বা শিক্ষাবিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরূপে স্বীকৃতি প্রদান করিবে; (ন) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে এবং উপাচার্যের সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে উহার ক্ষমতা কোনো নির্ধারিত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে; (প) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে নূতন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রাগ্রসর শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, আন্তঃবিভাগীয় ও আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক নূতন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালু বা বন্ধ করিতে এবং পুরাতন কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে; (ফ) উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ট্রেজারার ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, তাহাদের দায়িত্ব ও চাকুরির শর্তাবলি নির্ধারণ এবং তাহাদের কোনো পদ স্থায়ীভাবে শূন্য হইলে আইন ও সংবিধি অনুযায়ী সেই পদ পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে; (ব) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক অথবা খ্যাতিমান ব্যক্তিকে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তাহার বিশেষ অবদানের জন্য মেধা ও মনীষার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার প্রদান করিতে পারিবে; (ভ) কমিশন হইতে প্রাপ্ত মঞ্জুরি ও নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়ের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বিবেচনা ও অনুমোদন করিবে; (ম) সাধারণ বা বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত সকল তহবিল পরিচালনা করিবে; (য) এই আইন ও সংবিধি দ্বারা তৎপ্রতি অর্পিত বা আরোপিত অন্যান্যক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবে; এবং (র) বিশ্ববিদ্যালয়ের এইরূপ অন্যান্যক্ষমতা প্রয়োগ করিবে, যাহা এই আইন বা সংবিধির অধীন অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে প্রদত্ত নহে।",
"name": "সিন্ডিকেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২১। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথা :- (ক) উপাচার্য, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) অনুষদসমূহের ডিন; (ঘ) সকল বিভাগীয় চেয়ারম্যান; (ঙ) ইন্সটিটিউটসমূহের পরিচালক; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনধিক ৭ (সাত) জন অধ্যাপক যাহারা উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত হইবেন তবে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অধ্যাপক না থাকিলে উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক অন্যান্য পর্যায়ের শিক্ষক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত হইবেন; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকগণের মধ্য হইতে উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত ১(এক) জন সহযোগী অধ্যাপক, ১(এক) জন সহকারী অধ্যাপক ও ১(এক) জন প্রভাষক; (ঝ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত গবেষণা সংস্থা হইতে ২(দুই) জন গবেষক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২(দুই) জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ’ (ঞ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (ট) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবে। (২) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত কোনো সদস্য ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো মনোনীত সদস্য যে কোনো সময় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত কোনো সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন, সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে যদি তিনি না থাকেন, তাহা হইলে তিনি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২২। (১) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ হইবে এবং এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধির-বিধান সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, অ্যাকাডেমিক বর্ষসূচি ও তৎসম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ, পরীক্ষার মান নির্ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য দায়ী থাকিবে এবং এই সকল বিষয়ের উপর উহার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান ক্ষমতা থাকিবে। (২) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এই আইন, কমিশন আদেশ, সংবিধির বিধানাবলি এবং উপাচার্য ও সিন্ডিকেটের ক্ষমতা সাপেক্ষে, শিক্ষাক্রম ও পাঠক্রম এবং শিক্ষাদান, গবেষণা ও পরীক্ষার সঠিক মান নির্ধারণের জন্য প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সামগ্রিক ক্ষমতার আওতায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের নিম্নরূপ ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :- (ক) দেশের আর্থ সামাজিক ও আন্তর্জাতিক চাহিদার সহিত সংগতি রাখিয়া, সরকার ও কমিশনের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স চালুর বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (খ) সার্বিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ দান করা; (গ) শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বিধান প্রণয়নের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের নিকট হইতে গবেষণা প্রতিবেদন তলব করা এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও পাঠক্রম কমিটি গঠনের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ও গবেষণার মানোন্নয়নের ব্যবস্থা করা; (ছ) সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে ও অনুষদের সুপারিশক্রমে সকল পরীক্ষার প্রতিটি পত্রের পাঠ্যসূচি, পাঠক্রম, গঠন ও গবেষণার সীমারেখা নির্ধারণ করা : তবে শর্ত থাকে যে, (অ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কেবল অনুষদের সুপারিশমালা গ্রহণ, পরিমার্জন, অগ্রাহ্য বা ফেরত প্রদান করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনবোধে পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধনের জন্য অনুষদের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে; এবং (আ) অনুষদ কর্তৃক গৃহীত বিভাগীয় পাঠক্রম কমিটির কোনো সিদ্ধান্তের সহিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল একমত না হইলে বিষয়টি সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করা হইবে এবং এইক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে; (জ) এম.ফিল বা পিএইচ.ডি. ডিগ্রির জন্য কোনো প্রার্থী থিসিস দাখিল করিলে সংবিধি, যদি থাকে, অনুসারে তৎসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করা; (ঝ) প্রয়োজনবোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সহিত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমতা বিধান করা; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে নূতন কোনো উন্নয়ন প্রস্তাবের উপর সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়ন এবং গ্রন্থাগার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করা এবং ইহার নিকট প্রেরিত শিক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (ড) নূতন অনুষদ প্রতিষ্ঠা এবং কোনো অনুষদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নূতন বিষয় প্রবর্তনের জন্য প্রস্তাব সিন্ডিকেটের বিবেচনার জন্য পেশ করা; (ঢ) অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও অন্যান্য শিক্ষক বা গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব বিবেচনা করা এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ণ) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট, বৃত্তি, ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, স্টাইপেন্ড, পুরস্কার, পদক, ইত্যাদি প্রদানের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়ন এবং উপযুক্ত ব্যক্তিকে তাহা প্রদানের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ত) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ এবং প্রশিক্ষণ ও ফেলোশিপ প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা; (থ) সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের সুপারিশক্রমে কোর্স বা কারিকুলাম ও সিলেবাস নির্ধারণ, প্রত্যেক কোর্সের জন্য পরীক্ষক প্যানেল অনুমোদন, গবেষণা ডিগ্রির জন্য গবেষণার প্রতিটি বিষয়ের প্রস্তাব অনুমোদন এবং এইরূপ প্রত্যেক বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পরীক্ষক নিয়োগ করা; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের গুণগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি ও তাহা সংরক্ষণ করিবার লক্ষ্যে প্রবিধান প্রণয়ন এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগসূত্র স্থাপন বা যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করিবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা; এবং (ধ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ভর্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলি নির্ধারণ এবং এতদুদ্দেশ্যে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা। (৪) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা বিষয়ক অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।",
"name": "অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২৩। (১) বিশ্ববিদ্যালয়, এই আইন ও সংবিধির বিধান এবং বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ সম্পর্কে নিশ্চিত হইয়া কমিশনের অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে, এক বা একাধিক অনুষদ প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে। (২) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, প্রত্যেক অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণা পরিচালনার দায়িত্বে থাকিবে। (৩) অনুষদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) প্রত্যেক অনুষদের ১ (এক) জন করিয়া ডিন থাকিবেন এবং তিনি উপাচার্যের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে থাকিয়া অনুষদ সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয় বিধি, সংবিধি ও প্রবিধানের বিধান অনুসারে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৫) উপাচার্য সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে প্রত্যেক অনুষদের জন্য উহার বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকদের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আবর্তনক্রমে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য ডিন নিযুক্ত করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, (ক) কোনো ডিন পর পর ২ (দুই) মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হইতে পারিবেন না; (খ) কোনো বিভাগে অধ্যাপক না থাকিলে সেই বিভাগের জ্যেষ্ঠতম সহযোগী অধ্যাপক ডিন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন এবং কোনো বিভাগের ১ (এক) জন শিক্ষক ডিনের দায়িত্ব পালন করিয়া থাকিলে সেই বিভাগের অবশিষ্ট শিক্ষকগণ পরবর্তী আবর্তনক্রমে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ডিন পদে নিযুক্তির সুযোগ পাইবেন; এবং (গ) একাধিক বিভাগে সমজ্যেষ্ঠ অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক থাকিলে, সেইক্ষেত্রে তাহাদের মধ্যে ডিন পদের আবর্তনক্রম উপাচার্য কর্তৃক নির্দিষ্ট হইবে। (৬) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ডিনের পদ শূন্য হইলে উপাচার্য ডিন পদের দায়িত্ব পালনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৭) শিক্ষা সম্পর্কিত যে কোনো কমিটির যে কোনো সভায় ডিনগণ উপস্থিত থাকিতে এবং সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি উক্ত কমিটির সদস্য না হইলে তাহার ভোটাধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন না।",
"name": "অনুষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনবোধে, আচার্য কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে, কমিশনের সুপারিশ, গবেষণা কার্য পরিচালনাসহ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার অঙ্গীভূত বা অধিভুক্ত ইন্সটিটিউট হিসাবে এক বা একাধিক ইন্সটিটিউট স্থাপন করিতে পারিবে বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট কোনো ইন্সটিটিউটকে অধিভুক্ত করিতে পারিবে। (২) প্রতিটি ইন্সটিটিউট পরিচালনার জন্য ১ (এক) জন পরিচালকসহ পৃথক বোর্ড অব গভর্নরস থাকিবে, যাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ইন্সটিটিউট",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করা হয় এমন কোনো বিষয়ের সকল শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি বিভাগ গঠিত হইবে। (২) শিক্ষকগণের নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) বিভাগীয় চেয়ারম্যান সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিতক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "বিভাগ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২৬। অনুষদের প্রত্যেক বিভাগে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পাঠক্রম কমিটি থাকিবে।",
"name": "পাঠক্রম কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২৭। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :- (ক) সরকার ও কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) প্রাক্তন শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (গ) শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত বেতন, ফি, ইত্যাদি; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত ও পরিচালন উৎসারিত আয়; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; (চ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা সাহায্য; (ছ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (জ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, গৃহীত ঋণ; এবং (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত আয় বা মুনাফা। (২) তহবিলের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে। ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত কোনো ‘‘Scheduled Bank’’। (৩) তহবিল হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। (৪) তহবিলের উদ্ধৃত্ত অর্থ সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত অন্য যে কোনো খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে। (৫) বিশ্ববিদ্যালয় দেশি-বিদেশি কোনো সংস্থা, কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি বা প্রাক্তন শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদানের অর্থ দ্বারা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করিতে পারিবে এবং সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ফান্ড পরিচালনা করিতে হইবে। (৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ট্রাস্ট ফান্ড ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে অন্য কোনো তহবিল বা ফান্ড গঠন করিতে পারিবে এবং সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল বা ফান্ড পরিচালনা করিতে পারিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২৮। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিচালন ব্যয়ের (মূলধন ব্যয় ব্যতিরেকে) নিরিখে শিক্ষার্থীদের নিকট হইতে বার্ষিক আদায়যোগ্য বেতন ও ফি নির্ধারিত হইবে। (২) সেমিস্টার অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন ও ফি সেমিস্টার শুরু হইবার পূর্বেই পরিশোধ করিতে হইবে। (৩) সরকার বা অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা আয় হইতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধা ও প্রয়োজনের নিরিখে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৎসরওয়ারী বৃত্তি প্রদান করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি, অধ্যয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ভাল ফলাফলের উপর বৃত্তি প্রদানের বিষয়টি নির্ভর করিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যয় ও শিক্ষার্থীদের বেতনাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1339,
"details": "২৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অর্থ কমিটি থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে অর্থ কমিটি গঠিত হইবে, যথা :- (ক) উপাচার্য, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) রেজিস্ট্রার; (ঙ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ (দুই) জন কর্মচারী; (চ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন সিন্ডিকেট সদস্য, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিতে নিয়োজিত নহেন; (ছ) কমিশনের অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (জ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন পরিকল্পনাবিদ বা অর্থ বিশারদ; (ঝ) অর্থ বিভাগের অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঞ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; এবং (ট) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) সভাপতির অনুমোদনক্রমে, অর্থ কমিটির সভা আহ্বান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৩) অর্থ কমিটির কোনো মনোনীত সদস্য ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্য যে কোনো সময় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৪) অর্থ কমিটির কোনো মনোনীত সদস্য তাহার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে তিনি মনোনীত হইয়াছিলেন সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে যদি তিনি না থাকেন, তাহা হইলে তিনি অর্থ কমিটির পদেও অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "অর্থ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩০। অর্থ কমিটি- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত কার্যাবলি তত্ত্বাবধান করিবে; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ, তহবিল, সম্পদ ও হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট বিবেচনা করিবে এবং এতদ্সম্পর্কে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; (ঘ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত বা উপাচার্য বা সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবে; এবং (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মচারীর পদ সৃষ্টি, বিলোপ ও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার সম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করিবে।",
"name": "অর্থ কমিটির ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩১। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :- (ক) উপাচার্য, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) রেজিস্ট্রার; (ঙ) উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে মনোনীত ১ (এক) জন ডিন; (চ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত সিন্ডিকেটের ১ (এক) জন সদস্য, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চাকুরিতে নিয়োজিত নহেন; (ছ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিতে নিয়োজিত ১ (এক) জন অধ্যাপক; (জ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন ১ (এক) জন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রকৌশলী; (ঝ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন স্থপতি বা পরিকল্পনাবিদ; (ঞ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ট) কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী; এবং (ড) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির কোনো মনোনীত সদস্য ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, যে কোনো সদস্য যে কোনো সময় সভাপতিকে উদ্দেশ্যে করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির কোনো মনোনীত সদস্য তাহার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে তিনি মনোনীত হইয়াছিলেন সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে তিনি যদি না থাকেন, তাহা হইলে তিনি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য পদেও অধিষ্ঠিত থাকিবেন না। (৪) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষহইবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উহার জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল্যায়ন করিবে। (৫) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত অথবা উপাচার্য অথবা সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য কার্যাবলিও সম্পাদন করিবে।",
"name": "পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩২। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের সুপারিশের জন্য পৃথক পৃথক সিলেকশন কমিটি থাকিবে। (২) সিলেকশন কমিটির গঠন ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) সিলেকশন কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে। (৪) সিলেকশন কমিটির সুপারিশের সহিত সিন্ডিকেট একমত না হইলে বিষয়টি আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "সিলেকশন কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শৃঙ্খলা কমিটি থাকিবে। (২) শৃঙ্খলা কমিটির গঠন,ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) শৃঙ্খলা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করিবে।",
"name": "শৃঙ্খলা কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অভিযোগ কমিটি থাকিবে। (২) অভিযোগ কমিটির গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "অভিযোগ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলসমূহ বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হইবে। (২) হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরগণ বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত হইবেন। (৩) হলে বসবাসের শর্তাবলি বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "হল",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩৭। (১) এই আইন এবং সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য পাঠক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে। (২) কোনো শিক্ষার্থী বাংলাদেশের অনুমোদিত কোনো শিক্ষা বোর্ড বা সমমানের সংস্থার অধীন কোনো স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে কিংবা বিদেশের অনুমোদিত ও স্বীকৃত কোনো শিক্ষা বোর্ড, সংস্থা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধীন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য যোগ্যতা তাহার না থাকিলে উক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কোর্সের কোনো পাঠক্রমে ভর্তির যোগ্য হইবে না। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির শর্তাবলি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) কোনো পাঠক্রমে ডিগ্রির জন্য ভর্তির উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, উহার আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রিকে তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো ডিগ্রির সমমানের বলিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে অথবা স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষাকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমান সম্পন্ন বলিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে। (৫) ভর্তির সময় প্রদত্ত মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কোনো শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হইলে এবং পরবর্তীতে উহা প্রমাণিত হইলে তাহার ভর্তি বাতিলযোগ্য হইবে। (৬) নৈতিক স্খলনের দায়ে উপযুক্ত কোনো আদালত কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হইলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্য হইবে না।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ভর্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩৮। (১) উপাচার্যের সাধারণ নিয়ন্ত্রয়ণাধীন থাকিয়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (২) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরীক্ষা কমিটি গঠন করিবে এবং উহাদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) কোনো পরীক্ষার বিষয়ে কোনো পরীক্ষক কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে বা অপারগতা প্রকাশ করিলে উপাচার্যের নির্দেশে তাহার স্থলে অন্য একজন পরীক্ষককে নিয়োগ প্রদান করা যাইবে।",
"name": "পরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৩৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ও নির্ধারিত সংখ্যক কোর্সে একক (ক্রেডিট আওয়ারস) পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হইবে। (২) সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি নির্ধারিত সংখ্যক সেমিস্টারে বিভাজিত হইবে এবং ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বিশেষের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক কোর্স সম্পন্ন করিয়া ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা লাভের জন্য সর্বোচ্চ সময় নির্ধারিত থাকিবে এবং প্রত্যেক পাঠক্রমের সফল সমাপ্তি এবং উহার উপর পরীক্ষা গ্রহণের পর পরীক্ষার্থীকে গ্রেড বা নম্বর প্রদান করা হইবে। (৩) সকল সেমিস্টার পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেডের সমন্বয়ের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণপূর্বক পরীক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হইবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে প্রদত্ত প্রতিটি কোর্স, যাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ডিগ্রি প্রদানের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যক্রমের অংশ বিশেষ, পরীক্ষণের জন্য নিযুক্ত পরীক্ষকগণের মধ্যে অন্যূন ১ (এক) জন শিক্ষক থাকিবেন, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চাকুরিতে নিয়োজিত নহেন।",
"name": "পরীক্ষা পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪০। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী লিখিত চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত হইবেন এবং চুক্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের হেফাজতে তাহার কার্যালয়ে গচ্ছিত থাকিবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মচারীকে উহার একটি অনুলিপি প্রদান করা হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী সর্বদা সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সহিত দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করিবেন এবং এইরূপ দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ থাকিবেন। (৩) নিয়োগের শর্তাবলিতে ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ না থাকিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক শিক্ষক ও কর্মচারীরূপে গণ্য হইবেন। (৪) রাষ্ট্র অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক নীতি ও স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপের সহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী নিজেকে জড়িত করিবেন না। (৫) কোনো শিক্ষক ও কর্মচারীর রাজনৈতিক মতামত পোষণের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন না করিয়া তাহার চাকুরির শর্তাবলি নির্ধারণ করিতে হইবে, তবে তিনি তাহার রাজনৈতিক মতামত প্রচার করিতে পারিবেন না বা তিনি নিজেকে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সহিত জড়িত করিতে পারিবেন না। (৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক বা কর্মচারী সংসদ সদস্য হিসাবে অথবা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচিত হইবার জন্য প্রার্থী হইতে চাহিলে তিনি তাহার মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি হইতে ইস্তফা দিবেন। (৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক বা কর্মচারীকে তাহার কর্তব্যে অবহেলা, অসদাচরণ, নৈতিক স্খলন বা অদক্ষতার বা নাশকতার কারণে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চাকুরি হইতে অপসারণ বা বরখাস্তকরণ বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান বা অন্য কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে কোনো তদন্ত কমিটি কর্তৃক তদন্ত অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া চাকুরি হইতে অপসারণ বা বরখাস্তকরণ বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান বা অন্য কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইবে না।",
"name": "চাকুরির শর্তাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪১। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংবিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা :- (ক) উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (খ) উপউপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (গ) ট্রেজারারেরক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (ঘ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (চ) জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্নক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মানে চেয়ার অধ্যাপক পদ প্রবর্তন; (ছ) ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট অথবা সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান; (জ) শিক্ষাদানকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীগণের পদবি, ক্ষমতা, কর্তব্য ও কর্মের শর্তাবলি নির্ধারণ; (ঞ) হল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং উহাদের রক্ষণাবেক্ষণ; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, ছাঁটাই ও শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত পদ্ধতি নির্ধারণ; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর কল্যাণার্থে অবসরভাতা ও আনুতোষিক, গোষ্ঠী বীমা এবং কল্যাণ ও ভবিষ্য তহবিল গঠন; (ড) শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ; (ঢ) নূতন বিভাগ বা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা, সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ, বিলোপ সাধন এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির বিধান নির্ধারণ; (ণ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ; (ত) অনুষদের গঠন,ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (থ) সিলেকশন কমিটির গঠন ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (দ) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও অন্যান্য পাঠক্রমে ভর্তি ও পরীক্ষা;(ধ) বিভিন্ন কমিটি গঠন;(ন) রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের রেজিস্টার সংরক্ষণ; এবং(প) এই আইনের অধীন সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়। (২) তপশিলে বর্ণিত সংবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধি হইবে এবং সিন্ডিকেট, আচার্যের অনুমোদন সাপেক্ষে, সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে।",
"name": "সংবিধি প্রণয়ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪২। (১) এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা :- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি ও তাহাদের তালিকাভুক্তি এবং স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা অর্জনের যোগ্যতার শর্তাবলি নির্ধারণ; (ঘ) শিক্ষাদান, টিউটোরিয়াল ক্লাস, গবেষণাগার ও কর্মশিবির পরিচালনার পদ্ধতি নিরূপণ; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান ও উহার সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার সংক্রান্ত শর্তাবলি এবং তাহাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিধি নির্ধারণ; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমায় ভর্তির জন্য আদায়যোগ্য ফি নির্ধারণ; (ছ) শিক্ষাদান ও পরীক্ষা পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণ; (জ) বিভিন্ন কমিটি গঠন; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষগঠন এবং উহাদের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ; এবং (ঞ) এই আইন বা সংবিধির অধীন বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়। (২) সিন্ডিকেট, কমিশনের সুপারিশক্রমে ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন করা যাইবে না, যথা :- (ক) শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন; (গ) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষাসমূহের সমতাকরণ; (ঘ) পরীক্ষা পরিচালনা; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সকল ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটের জন্য পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও পাঠক্রম নির্ধারণ; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি ও তাহাদের তালিকাভুক্তকরণ; এবং (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি, উহার বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং উহার ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা অর্জনের যোগ্যতার শর্তাবলি নির্ধারণ।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪৩। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থাসমূহ নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :- (ক) উহাদের নিজ নিজ সভায় অনুসরণীয় কার্যবিধি প্রণয়ন এবং কোরাম গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ; (খ) এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণযোগ্য সকল বিষয়ের উপর বিধান প্রণয়ন; এবং (গ) কেবল উক্ত কর্তৃপক্ষসমূহের সহিত সংশ্লিষ্ট, অথবা এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় বিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক কর্তৃপক্ষবা সংস্থা উহার সভার তারিখ এবং সভার বিবেচ্য বিষয় সম্পর্কে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান এবং সভার কার্যবিবরণীর রেকর্ড সংরক্ষণ সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন করিবে। (৩) সিন্ডিকেট এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান তৎকর্তৃক নির্ধারিত প্রকারে সংশোধন বা বাতিল করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকিবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত কোনো নির্দেশ দ্বারা অসন্তুষ্ট হইলে বিষয়টি সম্পর্কে আচার্যের নিকট আপিল করিতে পারিবে এবং আপিলের উপর আচার্য কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত করিতে হইবে এবং পরবর্তী শিক্ষা বৎসর আরম্ভের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে বা তৎপূর্বে উহা কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক হিসাব ও আর্থিক বিবরণী সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বার্ষিক হিসাব সরকার কর্তৃক মনোনীত অডিট টিম দ্বারা নিরীক্ষিত হইতে হইবে। (৩) নিরীক্ষা প্রতিবেদনের অনুলিপিসহ বার্ষিক হিসাব, কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক হিসাব",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪৬। কোনো ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইন্সটিটিউটের কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার বা বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো ইন্সটিটিউটের কোনো কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো সংস্থার সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি- (ক) অপ্রকৃতিস্থ বা অন্য কোনো অসুস্থতাজনিত কারণে তাহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; (খ) দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; (গ) নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন; এবং (ঘ) সিন্ডিকেটের বিশেষ অনুমতি ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত কোনো পরীক্ষার পাঠক্রম হিসাবে নির্ধারিত কোনো বই, তাহা স্ব-লিখিত হোক বা সম্পাদিত হোক, এর প্রকাশনা, সংগ্রহ বা সরবরাহকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসাবে বা অন্য কোনো প্রকারে আর্থিক স্বার্থে জড়িত থাকেন : তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় বর্ণিত বিষয়ে সংশয় বা বিরোধের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি এই ধারা অনুযায়ী অযোগ্য কিনা তাহা আচার্য সাব্যস্ত করিবেন এবং এই বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবারক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪৭। এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বা প্রবিধানে এতদসম্পর্কিত বিধানের অবর্তমানে, কোনো ব্যক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো সংস্থার সদস্য হইবার অধিকার সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে উহা সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং সিন্ডিকেট উহা নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে আচার্যের নিকট প্রেরিত হইবে এবং এই বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা গঠন সম্পর্কে বিরোধ",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪৮। এই আইন বা সংবিধি দ্বারা কোনো কর্তৃপক্ষকে কমিটি গঠনের ক্ষমতা প্রদান করা হইলে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত মতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া কোনো কমিটি গঠন করিলে উহার গঠনের আইনগত বৈধতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৪৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষবা ইনস্টিটিউট পদাধিকারবলে সদস্য নহেন এমন কোনো সদস্যের পদে আকস্মিক শূন্যতা সৃষ্টি হইলে যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষউক্ত সদস্যকে নিযুক্ত, নির্বাচিত বা মনোনীত করিয়াছিলেন সেই ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ, যথাশীঘ্র সম্ভব, উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিবেন এবং যে ব্যক্তি এই প্রকার শূন্য পদে নিযুক্ত, নির্বাচিত বা মনোনীত হইবেন সেই ব্যক্তি যাহার স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন, তাহার অসমাপ্ত কার্যকালের জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য পদে বহাল থাকিবেন।",
"name": "আকস্মিকভাবে শূন্য হওয়া পদ পূরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৫০। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ, ইনস্টিটিউট বা কোনো সংস্থার কোনো কার্য ও কার্যধারা উহার কোনো পদের শূন্যতা বা উক্ত পদে নিযুক্তি, মনোনয়ন বা নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যর্থতা বা ত্রুটির কারণে অথবা কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে অন্য কোনো প্রকার ত্রুটির জন্য অবৈধ হইবে না কিংবা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কার্যধারার বৈধতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৫১। এই আইন বা সংবিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ কোনো বিষয়ে বা চুক্তি সম্পর্কে বিতর্ক বা বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং সিন্ডিকেট নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে উহা নিষ্পত্তির জন্য আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "বিতর্কিত বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্ত।-",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৫২। সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তাবলি সাপেক্ষে এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয় উহার শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণার্থে দেশে প্রচলিত এতৎসংক্রান্ত নিয়ম ও বিধির সঙ্গে সংগতি রাখিয়া অবসরভাতা, গোষ্ঠী-বীমা, কল্যাণ তহবিল বা ভবিষ্য তহবিল গঠন এবং আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।",
"name": "অবসরভাতা ও ভবিষ্য তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৫৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার নিরিখে কমিশন যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করা যৌক্তিক বলিয়া বিবেচনা করিবে, সেই পরিমাণ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়কে বরাদ্দ প্রদান করিবে।",
"name": "সংবিধিবদ্ধ মঞ্জুরি",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৫৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে অথবা উহার কোনো কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠকের বিষয়ে বা এই আইনের বিধানাবলি প্রথম কার্যকর করিবার বিষয়ে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষসমূহ গঠিত হইবার পূর্বে যে কোনো সময়ে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সমীচীন বা প্রয়োজনীয় বলিয়া আচার্যের নিকট প্রতীয়মান হইলে তিনি, আদেশ দ্বারা, এই আইন ও সংবিধির সঙ্গে, যতদূর সম্ভব, সংগতি রক্ষা করিয়া যে কোনো পদে নিয়োগ দান বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং এই প্রকার প্রত্যেকটি আদেশ এইরূপে কার্যকর হইবে যেন উক্ত নিয়োগদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ এই আইনের বিধান অনুসারে করা হইয়াছে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1339,
"details": "৫৫। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, প্রয়োজন মনে করিলে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 55
}
],
"text": "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সহিত সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1340,
"lower_text": [
"1 1.The word \"Government\" was replaced, for the word \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 2 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Bengal\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS (PREVENTION OF CORRUPTION) REGULATION, 1953",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "11th November, 1953",
"related_act": [
217,
1340,
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1340,
"details": "1. This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS (PREVENTION OF CORRUPTION) REGULATION, 1953.",
"name": "Short title",
"related_acts": "1340",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1340,
"details": "2. The Prevention of Corruption Act, 1947, shall apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of Act II of 1947 to Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "217",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Prevention of Corruption Act, 1947, to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply the Prevention of Corruption Act, 1947, to the Chittagong Hill-tracts;AND WHEREAS by sub-section (2) of section 92 of the Government of India Act, 1935, the 1Government is empowered to make regulations for the peace and good Government of any area in which is for the time being an excluded, or a partially excluded area;NOW, THEREFORE, the 2Government, in exercise of the said powers and all other powers enabling him in this behalf, is pleased to make the following regulation, namely:-"
} |
{
"id": 1341,
"lower_text": [],
"name": "হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 52,
"published_date": "১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1341,
446,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1341,
"details": "১। (১) এই আইন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। * (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে। * এস, আর, ও নং ৩০১-আইন/২০২০, তারিখঃ ১০ নভেম্বর, ২০২০ ইং দ্বারা ০২ পৌষ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ হতে উক্ত আইন কার্যকর ।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1341",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে¾ (১) ‘‘অর্গানোগ্রাম’’ অর্থ আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম; (২) ‘‘অর্থ কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি; (৩) ‘‘অনুষদ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ; (৪) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত, অনুমোদিত বা স্থাপিত কোনো ইনস্টিটিউট; (৫) ‘‘একাডেমিক কাউন্সিল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল; (৬) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ১৭ এ উল্লিখিত কোনো কর্তৃপক্ষ; (৭) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থ ধারা ৮ এ উল্লিখিত কোনো কর্মচারী; (৮) ‘‘আচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য; (৯) ‘‘ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা’’ অর্থ ধারা ৮ (ঠ) এ উল্লিখিত ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা; (১০)‘‘ট্রেজারার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার; (১১)‘‘ডিন’’ অর্থ অনুষদের ডিন; (১২)‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের তপশিল; (১৩)‘‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (১৪)‘‘প্রক্টর’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর; (১৫)‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবিধান; (১৬)‘‘প্রভোস্ট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলের প্রধান; (১৭)‘‘উপউপাচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য; (১৮)‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি; (১৯)‘‘বিভাগ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ; (২০)‘‘বিভাগীয় চেয়ারম্যান’’ অর্থ কোনো বিভাগের প্রধান; (২১)‘‘বিশ্ববিদ্যালয়’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন স্থাপিত হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; (২২) ‘‘বোর্ড অব গভর্নর্স’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের বোর্ড অব গভর্নর্স; (২৩) ‘‘উপাচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য;(২৪) ‘‘মঞ্জুরি কমিশন’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (President’s Order No. 10 of 1973) এর অধীন গঠিত University Grants Commission of Bangladesh; (২৫)‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার;(২৬)‘‘শিক্ষক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক বা প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃত অন্য কোনো ব্যক্তি;(২৭) ‘‘শিক্ষার্থী’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তিকৃত কোনো শিক্ষার্থী; (২৮) ‘‘শৃঙ্খলা কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি; (২৯) ‘‘সংবিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি; (৩০) ‘‘সিন্ডিকেট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট;(৩১) ‘‘হল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ জীবন এবং সহশিক্ষাক্রমিক শিক্ষদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ও পরিচালনাধীন ছাত্রাবাস।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "446",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (Hobiganj Agricultural University) নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, উপাচার্য, উপউপাচার্য, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণের সমন্বয়ে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হইবে। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ইহার স্থাবর ও অস্থাবর সকল প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪। যে কোনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, গোত্র এবং শ্রেণির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত থাকিবে এবং কাহারও প্রতি কোনো প্রকার বৈষম্য করা যাইবে না।",
"name": "সকলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৫। এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা :¾ (ক) কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাদান এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (খ) কর্মদক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে, আধুনিক প্রযুক্তি, পেশা, বৃত্তি ও অর্থনৈতিক চাহিদার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার নির্ধারিত মানদন্ড অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাশাপাশি আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া অনলাইন দূরশিক্ষণ, ক্যাম্পাস ভিত্তিক শিক্ষাদানের সমন্বয়ে শিল্প, বাণিজ্য, সমাজ ও অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সীমিত বা দীর্ঘমেয়াদি কোর্স প্রণয়ন ও পরিচালনা; (গ) কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং কৃষি বিজ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করিবার লক্ষ্যে শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ; (ঘ) কৃষি বিজ্ঞানের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি; (ঙ) ডিগ্রি, সনদ ও স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমার জন্য বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রণয়ন; (চ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি; (ছ) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কৃষিশিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, পেশাদার সংগঠন ও সংস্থাকে সহযোগিতা প্রদান এবং উহাদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও বাস্তবায়ন; (জ) সংবিধি ও বিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত কোর্স বা গবেষণা অনুসরণ ও সমাপন করিয়াছেন এইরূপ ব্যক্তিকে ডিগ্রি, সনদ, ডিপ্লোমা বা শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্য কোনো বিশেষ স্বীকৃতি বা সম্মান প্রদান; (ঝ) মেধার স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে সংবিধি অনুযায়ী শিক্ষা লাভের জন্য ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, উপবৃত্তি, পুরস্কার, পদক, ইত্যাদি প্রবর্তন ও প্রদান; (ঞ) আচার্যের অনুমোদনক্রমে এবং মঞ্জুরি কমিশন ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে অধ্যাপক, খণ্ডকালীন অধ্যাপক, ভিজিটিং অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও এমিরেটাস অধ্যাপকের পদ এবং প্রয়োজনীয় অন্য কোনো গবেষক ও শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা এবং সেই সকল পদে নিয়োগ প্রদান; (ট) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি ধার্য ও আদায়; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ডরমিটরি এবং শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য হল স্থাপন করা এবং উহার রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা ও পরিদর্শন; (ড) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও একাডেমিক শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করা, পাঠক্রম সহায়ক কার্যক্রমের উন্নতি বর্ধন এবং তাহাদের স্বাস্থ্যের উৎকর্ষ সাধনের ব্যবস্থা; (ঢ) বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া, চুক্তি বাস্তবায়ন, চুক্তির শর্ত পরিবর্তন বা চুক্তি বাতিলকরণ; (ণ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য, মঞ্জুরি কমিশন ও সরকারের অনুমতিক্রমে, দেশি ও বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অনুদান ও বৃত্তি গ্রহণ; (ত) কৃষি বিজ্ঞানের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উদ্ভাবনী সুযোগ সৃষ্টি; (থ) টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ দ্রব্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ এবং পুস্তক ও সাময়িকী প্রকাশ; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও বাস্তবায়নকল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্বীকৃত শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয় বা ইহার ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত হইবে এবং পরীক্ষাগার বা কর্মশিবিরের সকল বক্তৃতা ও কর্ম ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। (২) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে শিক্ষকগণ শিক্ষাদান পরিচালনা করিবেন। (৩) শিক্ষাদানের দায়িত্ব কোন্ কর্তৃপক্ষের উপর থাকিবে তাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে। (৪) শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়াবলি সংবিধি ও বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৭। (১) মঞ্জুরি কমিশন এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন বা মূল্যায়ন করাইতে পারিবে। (২) মঞ্জুরি কমিশন প্রত্যেক পরিদর্শন বা মূল্যায়নের অভিপ্রায় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বাহ্নে অবহিত করিবে এবং এইরূপ পরিদর্শন ও মূল্যায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বের অধিকার থাকিবে। (৩) মঞ্জুরি কমিশন অনুরূপ পরিদর্শন বা মূল্যায়ন সম্পর্কে উহার অভিমত অবহিত করিয়া তৎসম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান এবং মন্ত্রণালয়কে অবহিত করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৎকর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন মঞ্জুরী কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে। (৪) মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নিরূপণ করিবে এবং উহার ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করিবে। (৫) মঞ্জুরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজন পরীক্ষা করিয়া সুপারিশসহ সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। (৬) মঞ্জুরি কমিশনের নিকট পরিদর্শন শেষে কোনো বিষয় অত্যাবশ্যক বা জরুরি বিবেচিত হইলে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিবার নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "মঞ্জুরি কমিশনের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্মচারী থাকিবেন, যথা:¾ (ক) উপাচার্য; (খ) উপউপাচার্য (গ) ট্রেজারার; (ঘ) ডিন; (ঙ) রেজিস্ট্রার; (চ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (ছ) বিভাগীয় চেয়ারম্যান; (জ) পরিচালক (গবেষণা); (ঝ) পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম); (ঞ) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব); (ট) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন); (ঠ) ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা; (ড) প্রক্টর; (ঢ) প্রভোস্ট; (ণ) গ্রন্থাগারিক; (ত) প্রধান প্রকৌশলী; (থ) প্রধান চিকিৎসক; এবং (দ) সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্মচারী।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৯। (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হইবেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ডিগ্রি ও সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, আচার্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে, কোনো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন। (২) আচার্য এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত ক্ষমতার অধিকারী হইবেন। (৩) সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবে আচার্যের অনুমোদন থাকিতে হইবে। (৪) আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ঘটনার তদন্ত করাইতে পারিবেন এবং তদন্তের প্রতিবেদন আচার্য কর্তৃক সিন্ডিকেটে পাঠানো হইলে সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আচার্যের নিকট প্রেরণ করিবে। (৫) আচার্যের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হইবার ন্যায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করিতেছে, তাহা হইলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখিবার স্বার্থে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ ও নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে এবং উপাচার্য উক্ত আদেশ ও নির্দেশ কার্যকর করিবেন।",
"name": "আচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১০। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার সহিত সম্পৃক্ত এইরূপ একজন কৃষিবিদ বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা অধ্যাপককে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদের অধিক সময়ের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আচার্যের সন্তুষ্টি অনুযায়ী উপাচার্য স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন। (৩) উপাচার্যের পদ শূন্য হইলে কিংবা তাহার ছুটি, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা উপাচার্য পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত উপউপাচার্য উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন, তবে উপউপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বা উপউপাচার্য পদটি শূন্য থাকিলে ট্রেজারার বা জ্যেষ্ঠতম ডিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "উপাচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১১। (১) উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক প্রধান একাডেমিক নির্বাহী হইবেন এবং তিনি পদাধিকারবলে সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান হইবেন। (২) উপাচার্য তাহার দায়িত্ব পালনে আচার্যের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৩) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো কর্তৃপক্ষের সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং উহার কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি উহার সদস্য না হইলে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবার ক্ষেত্রে ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না। (৪) উপাচার্য এই আইন, সংবিধি, বিধি ও প্রবিধানের বিধানাবলি বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (৫) উপাচার্য সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সভা আহবান করিবেন এবং উক্ত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৬) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। (৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সহিত উপাচার্য ঐকমত্য পোষণ না করিলে, তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন স্থগিত রাখিয়া তাহার মতামতসহ সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নিয়মিত সভায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাইতে পারিবেন এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ যদি উহা পুনর্বিবেচনার পর উপাচার্যের সহিত ঐকমত্য পোষণ না করে, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আচার্যের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। (৮) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং উপাচার্যের বিবেচনায় তৎসম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইলে তিনি অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে কর্তৃপক্ষ সাধারণত বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই কর্তৃপক্ষকে, যথাশীঘ্র সম্ভব, গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন। (৯) উপাচার্য তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনবোধ করিলে তাহার যে কোনো ক্ষমতা ও দায়িত্ব সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন। (১০) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বাজেট বাস্তবায়নে উপাচার্য সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন। (১১) উপাচার্য সংবিধি, বিধি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১২। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বা কৃষি শিক্ষাবিদকে উপউপাচার্য পদে নিয়োগ করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আচার্যের সন্তুষ্টি অনুযায়ী উপউপাচার্য স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন। (৩) উপউপাচার্য সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "উপউপাচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১৩। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য একজন ট্রেজারার নিয়োগ করিবেন। (২) ট্রেজারার পদে নিয়োগের জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসরের অধ্যাপনা বা প্রশাসনিক বা আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আচার্যের সন্তুষ্টি অনুযায়ী ট্রেজারার স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন। (৪) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে উপাচার্য, সংশ্লিষ্ট কমিটি এবং সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবেন। (৫) ট্রেজারার, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ পরিচালনা করিবেন এবং তিনি বার্ষিক বাজেট ও হিসাব বিবরণী উপস্থাপনের লক্ষ্যে সিন্ডিকেটের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৬) যে খাতের জন্য অর্থ মঞ্জুর বা বরাদ্দ করা হইয়াছে সেই খাতেই যেন উহা ব্যয় হয় তাহা দেখিবার জন্য ট্রেজারার সিন্ডিকেটের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৭) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত সকল চুক্তি স্বাক্ষর করিবেন। (৮) ট্রেজারার সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। (৯) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ট্রেজারারের পদ সাময়িকভাবে শূন্য হইলে সিন্ডিকেট অবিলম্বে আচার্যকে তৎসম্পর্কে অবহিত করিবেন এবং আচার্য ট্রেজারারের দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।",
"name": "ট্রেজারার",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১৪। আচার্য, তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ও মেয়াদে একজন কৃষিবিদকে রেজিস্ট্রার হিসাবে নিয়োগদান করিবেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি¾ (ক) সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করিবেন; (খ) উপাচার্য কর্তৃক তাহার হেফাজতে ন্যস্ত সকল গোপনীয় প্রতিবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র ও সাধারণ সিলমোহর, ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (গ) সিন্ডিকেট কর্তৃক তাহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক হইবেন; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস সংক্রান্ত চিঠিপত্র আদান-প্রদান করিবেন; (ঙ) সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত চুক্তি ব্যতীত অন্যান্য সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন; এবং (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবেন।",
"name": "রেজিস্ট্রার",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১৫। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরীক্ষা পরিচালনার সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্বে থাকিবেন এবং সংবিধি ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১৬। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে এই আইনের কোথাও উল্লেখ নাই, সিন্ডিকেট, সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী সেই সকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্ধারণ করিবে।",
"name": "অন্যান্য কর্মচারীর নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষ থাকিবে, যথা :― (ক) সিন্ডিকেট; (খ) একাডেমিক কাউন্সিল; (গ) অনুষদ; (ঘ) বিভাগ; (ঙ) অর্থ কমিটি; (চ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (ছ) বাছাই কমিটি; (জ) শৃঙ্খলা কমিটি; এবং(ঝ) সংবিধি অনুসারে গঠিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষ।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্য, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশের অন্য কোনো সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ (এক) জন উপাচার্য; (গ) স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ সদস্য; (ঘ) উপউপাচার্য; (ঙ) ট্রেজারার; (চ) বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট; (ছ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল; (জ) মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; (ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১(এক) জন প্রতিনিধি; (ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট হইতে ১ (এক) জন করিয়া প্রতিনিধি; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ড) আচার্য কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন খ্যাতিসম্পন্ন কৃষিবিজ্ঞান বা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ; (ঢ) উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে মনোনীত (দুই) জন ডিন; (ণ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ (দুই) জন অধ্যাপক; (ত) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত অগ্রগণ্য কৃষি উদ্যোক্তা, কৃষি সংশ্লিষ্ট খামার বা প্রতিষ্ঠানের ১ (এক) জন সফল ব্যক্তিত্ব; এবং (থ) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) সিন্ডিকেটের মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, তাহার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন: আরও শর্ত থাকে যে, সিন্ডিকেটের কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহা হইলে তিনি সিন্ডিকেটের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "সিন্ডিকেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1341,
"details": "১৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিন্ডিকেট উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) সিন্ডিকেটের সভা উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ৩ (তিন) মাসে সিন্ডিকেটের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে যে কোনো সময় সিন্ডিকেটের বিশেষ সভা আহবান করিতে পারিবেন। (৪) কোরাম গঠনের জন্য, সভার চেয়ারম্যানসহ, মোট সদস্যের অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।",
"name": "সিন্ডিকেটের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২০। (১) সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হইবে এবং এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকিবে এবং শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের উপর তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা রাখিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ণ না করিয়া সিন্ডিকেট নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করিবে, যথা :¾ (ক) সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন ও অনুমোদন; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও কার্যধারা সম্পর্কে নীতিমালা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ; (গ) প্রয়োজনবোধে উপাচার্য কিংবা যে কোনো কর্তৃপক্ষকে উহার যে কোনো ক্ষমতা অর্পণ; (ঘ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বা সুপারিশকৃত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষা ও গবেষণার বিশেষ অবদানের জন্য মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ আর্থিক বা অন্যরূপে পুরস্কার, পদক, ইত্যাদি প্রদান; (ঙ) একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সুপারিশক্রমে মঞ্জুরি কমিশনের পূর্বানুমতি ও বাজেটে বরাদ্দ সাপেক্ষে এবং চ্যান্সেলরের অনুমোদন সাপেক্ষে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক এবং অন্যান্য শিক্ষক, গবেষক ও কর্মচারীর পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ; (চ) সংশ্লিষ্ট বৎসরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক চাহিদার পূর্ণ বিবরণ প্রতি বৎসর মঞ্জুরি কমিশনের নিকট পেশ করিবে এবং পূর্ববর্তী বৎসরে মঞ্জুরি কমিশন বহির্ভূত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ সম্পদের বিবরণ প্রদান; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উইল, দান এবং অন্যবিধ হস্তান্তরকৃত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ; (জ) সংবিধি অনুসারে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউট বিলোপ বা সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিতকরণ; (ঝ) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে শিক্ষা লাভের জন্য বৃত্তি এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে শিক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য পদ সৃষ্টি করিতে পারিবে এবং ঐ সকল পদে নিয়োগ প্রদান; (ঞ) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে এবং আচার্যের পূর্বানুমোদনক্রমে নূতন অনুষদ, বিভাগ, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিকরণ; (ট) সরকার হইতে প্রাপ্ত মঞ্জুরি ও নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়ের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বার্ষিক বাজেট বিবেচনা ও অনুমোদন এবং বার্ষিক সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রস্তাব বিবেচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক প্রয়োজন নিরূপণ, সম্পত্তি অর্জন ও তহবিল সংগ্রহ, উহা অধিকারে রাখা এবং নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা; (ড) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ ও তাহাদের দায়িত্ব ও চাকুরির শর্তাবলি নির্ধারণ; (ঢ) অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ কমিটির পরামর্শ গ্রহণ; (ণ) শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থার জন্য হল স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা; (ত) শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ এবং তাহাদের স্বাস্থ্য, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং সাধারণ কল্যাণ সাধন; (থ) শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষিবিজ্ঞানের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং প্রচলিত অন্যান্য ক্ষেত্রে চর্চা, অগ্রগতি ও উন্নতি সাধনের উদ্দেশ্যে যে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সিলমোহরের আকার নির্ধারণ এবং উহার হেফাজতের ব্যবস্থা ও ব্যবহার পদ্ধতি নিরূপণ; (ধ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলির সহিত সংশ্লিষ্ট এইরূপ কোনো বিষয়ে বিধি এবং প্রবিধান প্রণয়ন করা যে বিষয় সম্পর্কে এই আইন বা সংবিধিতে কোনো সুস্পষ্ট বিধান নাই; (ন) এই আইন ও সংবিধিতে প্রদত্ত অন্যান্য কার্য সম্পাদন।",
"name": "সিন্ডিকেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২১। (১) একাডেমিক কাউন্সিল নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্য, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) অনুষদসমূহের ডিন; (ঘ) বিভাগসমূহের চেয়ারম্যান; (ঙ) সকল অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (গবেষণা); (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম); (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য হইতে অন্যূন একজন কৃষি গবেষণা বিশেষজ্ঞ; (ট) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশের কোনো সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডিন; এবং (ঠ) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) একাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো মনোনীত সদস্য যে কোনো সময় চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) একাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহা হইলে তিনি একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "একাডেমিক কাউন্সিল",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২২। (১) একাডেমিক কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ হইবে এবং এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান, শিক্ষা ও পরীক্ষার মান বজায় রাখিবার বিষয়ে দায়ী থাকিবে এবং এই সকল বিষয়ের উপর ইহার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান ক্ষমতা থাকিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিক ক্ষমতার অধীন একাডেমিক কাউন্সিলের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :¾ (ক) সার্বিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম, কারিকুলাম ও সিলেবাস নির্ধারণ; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও পরীক্ষার মান নির্ণয় এবং শিক্ষার্থী ভর্তি, ডিগ্রি ও পরীক্ষার শর্তাবলি নির্ধারণ, প্রতিটি বিভাগের সময়মতো পরীক্ষা অনুষ্ঠান, মূল্যায়ন এবং পরীক্ষার ফল প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও তৎসম্পর্কে শিক্ষকদের দায়িত্ব এবং শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সহিত সম্পৃক্ত সকল বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন; (ঘ) প্রয়োজনবোধে নূতন নূতন অনুষদ বা বিভাগ প্রতিষ্ঠার এবং কোনো অনুষদের গবেষণা ও সংগ্রহশালার নূতন বিষয় প্রবর্তনের প্রস্তাব সিন্ডিকেটের বিবেচনার জন্য পেশ; (ঙ) অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও অন্যান্য শিক্ষক বা গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব বিবেচনা করা এবং এতদ্সম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ প্রদান; (চ) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট, বৃত্তি, ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, উপবৃত্তি, পুরস্কার, পদক, অনারারি ডিগ্রি, ইত্যাদি প্রদানের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়ন এবং উপযুক্ত ব্যক্তিকে তাহা প্রদানের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশকরণ; (ছ) শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নকল্পে যে কোনো বিষয়ে কমিটি গঠন এবং কমিটির সুপারিশ বিবেচনা ও অনুমোদনকরণ; (জ) সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের সুপারিশক্রমে কোর্স বা পাঠ্যসূচি নির্ধারণ, প্রত্যেক কোর্সের জন্য পরীক্ষক প্যানেল অনুমোদন, গবেষণা ডিগ্রির জন্য গবেষণার প্রতিটি বিষয়ের প্রস্তাব অনুমোদন এবং এইরূপ প্রত্যেক বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পরীক্ষক নিয়োগ; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের গুণগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি ও তাহা সংরক্ষণ করিবার লক্ষ্যে প্রবিধান প্রণয়ন এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগসূত্র বা যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করিবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ; (ঞ) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ এবং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা লাভের জন্য বৃত্তির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ; (ট) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রির স্বীকৃতি ও মানের সমতা নির্ধারণ; (ঠ) কোনো শিক্ষার্থী বা পরীক্ষার্থীকে কোনো কোর্স মওকুফ করিবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ; (ড) ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য কোনো প্রার্থী থিসিসের কোনো বিষয়ের প্রস্তাব করিলে সংবিধি অনুসারে তৎসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান; (ঢ) বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়ন এবং গ্রন্থাগার সুষ্ঠু পরিচালনার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা; এবং(ণ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা বিষয়ক অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ।",
"name": "একাডেমিক কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২৩। (১) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে, মঞ্জুরি কমিশন এবং আচার্যের অনুমোদন সাপেক্ষে, নির্ধারিত বিষয়সমূহের সমন্বয়ে এক বা একাধিক অনুষদ গঠিত হইবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে নিম্নবর্ণিত অনুষদসমূহ থাকিবে, যথা: ¾ (ক) কৃষি অনুষদ; (খ) মৎস্য অনুষদ; (গ) প্রাণি চিকিৎসা ও প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞান অনুষদ; এবং (ঘ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ। (২) একাডেমিক কাউন্সিলের সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, প্রত্যেক অনুষদ সংবিধি ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত বিষয়ে শিক্ষাকার্য ও গবেষণা পরিচালনার দায়িত্বে থাকিবে। (৩) অনুষদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) অনুষদ নূতন কোর্স বা পাঠক্রম প্রবর্তনের সুপারিশ বা প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থাপন করিবে। (৫) প্রত্যেক অনুষদের একজন করিয়া ডিন থাকিবেন এবং তিনি উপাচার্য নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে, অনুষদ সম্পর্কিত সংবিধি, বিধি ও প্রবিধান যথাযথভাবে পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৬) ডিন অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণাসহ সকল প্রকার কার্যের সার্বিক পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকিবেন। (৭) উপাচার্য সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে অনুষদের অধ্যাপকগণের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আবর্তন পদ্ধতিতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য ডিন নিযুক্ত করিবেন। (৮) কোনো ডিন পর পর দুই (২) মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হইতে পারিবেন না : তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোনো অনুষদে একজন মাত্র অধ্যাপক থাকেন, সেইক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না। (৯) অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ডিনের পদ শূন্য হইলে উপাচার্য ডিন পদের দায়িত্ব পালনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (১০) ডিন অনুষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, ডিনের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক ডিনের দায়িত্ব পালন এবং সভাপতিত্ব করিবেন। (১১) অনুষদের অন্তর্গত যে কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষা সম্পর্কিত কোনো কমিটির সভায় ডিন উপস্থিত থাকিতে এবং সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি ঐ কমিটির সদস্য না হইলে তাহার ভোটাধিকার থাকিবে না।",
"name": "অনুষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনবোধে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আচার্যের অনুমোদনক্রমে এক বা একাধিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করিতে পারিবে। (২) ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য একজন পরিচালকসহ বোর্ড অব গভর্নর্স থাকিবে, যাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ইনস্টিটিউট",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা দান করা হয় এইরূপ কোনো বিষয়ে সকল শিক্ষকের সমন্বয়ে এক বা একাধিক বিভাগ গঠিত হইবে। (২) ডিনের তত্ত্বাবধানে বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকগণের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও সমন্বয় সাধনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৩) বিভাগীয় চেয়ারম্যান সংবিধি ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "বিভাগ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২৬। প্রত্যেক বিভাগে শিক্ষা ও গবেষণা ব্যবস্থাপনার একটি কারিকুলাম কমিটি থাকিবে, যাহার গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কারিকুলাম কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২৭। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাধারণ তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :¾ (ক) সরকার ও মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত বেতন ও বিভিন্ন ফি; (গ) প্রাক্তন শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঘ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঙ) সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত অনুদান; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত ও পরিচালন উৎসারিত আয়; (ছ) ট্রাস্ট তহবিল বা বৃত্তিদান তহবিল; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উৎস হইতে আয়; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা বা আয়; এবং (ঞ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত ঋণ। (২) তহবিলের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে। ব্যাখ্যা¾ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article (2) (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank। (৩) তহবিল হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে। (৫) বিশ্ববিদ্যালয়, প্রয়োজনবোধে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে কোনো বিশেষ তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করিতে পারিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২৮। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অর্থ কমিটি থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে অর্থ কমিটি গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্য, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন অর্থ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ; (গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঘ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন অর্থ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ যাহাদের মধ্যে অন্যূন ১ (এক) জন এইরূপ ব্যক্তি হইবেন যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিতে নিয়োজিত নহেন; (ঙ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ (এক) জন অধ্যাপক; (চ) উপাচার্য কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন ডিন; এবং (ছ) ট্রেজারার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) অর্থ কমিটির মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, তাহার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন।",
"name": "অর্থ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1341,
"details": "২৯। অর্থ কমিটি¾ (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত কার্য তত্ত্বাবধান করিবে; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ, তহবিল, সম্পদ ও হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট বিবেচনা করিবে এবং এতদ্সম্পর্কে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; এবং (ঘ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত বা উপাচার্য বা সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবে।",
"name": "অর্থ কমিটির ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩০। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্য, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) সকল ডিন; (ঙ) পরিচালক (গবেষণা); (চ) পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম); (ছ) উপউপাচার্য কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন বিভাগীয় চেয়ারম্যান; (জ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরিরত নহেন এইরূপ ৩ (তিন) জন ব্যক্তি যাহাদের মধ্যে ১ (এক) জন প্রকৌশলী, ১ (এক) জন স্থপতি এবং ১ (এক) জন অর্থ ও হিসাব বিশেষজ্ঞ; (ঝ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন অধ্যাপক; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী; এবং (ট) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, তাহার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাহার পদে বহাল থাকিবেন: আরও শর্ত থাকে যে, মনোনীত কোনো সদস্য যে কোনো সময় চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৩) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ হইবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল্যায়ন করিবে।",
"name": "পরিকল্পনা ও উন্নয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩১। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের সুপারিশের জন্য পৃথক পৃথক বাছাই কমিটি থাকিবে। (২) বাছাই কমিটির গঠন ও কার্যাবলি সংবিধি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) বাছাই কমিটির সুপারিশের সহিত সিন্ডিকেট একমত না হইলে বিষয়টি আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বাছাই কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩২। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শৃঙ্খলা কমিটি থাকিবে। (২) শৃঙ্খলা কমিটির গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "শৃঙ্খলা কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩৩। সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত হইবেন : তবে শর্ত থাকে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যাহাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হয়, সেই জন্য উপাচার্য এক বা একাধিক খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবেন। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ¾ (ক) বক্তৃতা, টিউটোরিয়াল, আলোচনা, সেমিনার, হাতে-কলমে ও কর্মশিবিরের মাধ্যমে শিক্ষাদান করিবেন; (খ) গবেষণা পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করিবেন; (গ) শিক্ষার্থীদের সহিত ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখিবেন, তাহাদিগকে নির্দেশনা প্রদান করিবেন এবং তাহাদের কার্যক্রম তদারক করিবেন; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয় এবং উহার অনুষদ ও অন্যান্য কারিকুলাম সহায়ক সংস্থার কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা নির্ধারণ ও পরিচালনা, পরীক্ষার উত্তরপত্র ও গবেষণামূলক প্রবন্ধের মূল্যায়ন এবং গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার, অন্যান্য শিক্ষামূলক ও কারিকুলাম সহায়ক কার্যক্রম সংগঠনে কর্তৃপক্ষসমূহকে সহায়তা প্রদান করিবেন; এবং (ঙ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য, ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য কার্য ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন। (৩) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক খণ্ডকালীন বা পূর্ণকালীন অন্য কোনো কার্য বা চাকুরি করিতে পারিবেন না।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩৫। এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংবিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা :¾ (ক) উপাচার্য ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (খ) উপউপাচার্য ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (গ) ট্রেজারারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনিট, বিভাগ, গবেষণাগার, গবেষণা কেন্দ্র, গবেষণা খামার, সম্প্রসারণ কেন্দ্র, কম্পিউটার ল্যাব, অন্যান্য খামার এবং বহিরাঙ্গন কার্যক্রম কেন্দ্র স্থাপন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীগণের পদবি ও কর্মের পদমর্যাদা, ক্ষমতা, দায়িত্ব-কর্তব্য এবং শর্তাবলি নির্ধারণ; (চ) হল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও উহাদের রক্ষণাবেক্ষণ; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি ও ছাঁটাই সংক্রান্ত পদ্ধতি নির্ধারণ; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর কল্যাণার্থে অবসর ভাতা, যৌথবিমা, কল্যাণ তহবিল ও ভবিষ্য তহবিল গঠন; (ঝ) একাডেমিক কাউন্সিলের সভার পদ্ধতি নির্ধারণ; (ঞ) জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রখ্যাত ব্যক্তিগণের সম্মানে অধ্যাপক পদ (চেয়ার) প্রবর্তন; (ট) সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান; (ঠ) শিক্ষা লাভের জন্য ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন; (ড) গবেষণা কার্যক্রমের বিষয় ও ধরন নির্ধারণ; (ঢ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (ণ) শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ; (ত) নূতন বিভাগ বা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ, বিলোপ সাধন এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির বিধান নির্ধারণ; (থ) একাডেমিক কাউন্সিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ; (দ) বিভিন্ন কমিটির গঠন ও কার্যাবলি নির্ধারণ সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন; (ধ) রেজিস্টারভুক্ত গ্র্যাজুয়েটদের রেজিস্টার সংরক্ষণ; এবং (ন) এই আইনের অধীন সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ।",
"name": "সংবিধি",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩৬। (১) এই ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে সিন্ডিকেট সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে। (২) তপশিলে বর্ণিত সংবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধি হইবে। (৩) একাডেমিক কাউন্সিল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটের নিকট সংবিধি সংশোধনের প্রস্তাব করিতে পারিবে। (৪) সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত সকল সংবিধি সিন্ডিকেটের সুপারিশসহ অনুমোদনের জন্য আচার্যের নিকট পেশ করিতে হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের কর্মের শর্তাবলি সংক্রান্ত সংবিধিতে আচার্যের অনুমোদনের প্রয়োজন হইবে না। (৫) কোনো সংবিধি অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রাপ্তির পর আচার্য সংবিধিটি বা উহার কোনো বিধান পুনর্বিবেচনার জন্য অথবা উহাতে আচার্য কর্তৃক নির্দেশিত কোনো সংশোধন বিবেচনার জন্য প্রস্তাবসহ সংবিধিটি সিন্ডিকেটের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবেন; তবে সিন্ডিকেট যদি সংবিধিটি নির্দেশিত সংশোধনসহ বা ব্যতিরেকে আচার্যের নিকট পুনঃপেশ করে, তাহা হইলে উহা পেশ করিবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত না হইলে, উক্ত সময়ের অবসানে উহা অনুমোদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (৬) আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত না হইলে সিন্ডিকেটের প্রস্তাবিত কোনো সংবিধি বৈধ হইবে না।",
"name": "সংবিধি প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩৭। (১) এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:¾ (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট পাইবার যোগ্যতার শর্তাবলি নির্ধারণ; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণ; (ঘ) শিক্ষা লাভের জন্য ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, অ্যাসিসট্যান্টশিপ, সম্মানসূচক ডিগ্রি, পদক এবং পুরস্কার প্রদানের শর্তাবলি; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলে বসবাসের শর্তাবলি এবং তাহাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত ফি নির্ধারণ; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও তাহাদের তালিকাভুক্তি; (জ) শিক্ষাদান কার্যক্রম, শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা, গবেষণা, কর্মশালা, শিক্ষা সফর ও ইন্টার্নশিপ পরিচালনার পদ্ধতি নির্ধারণ; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কমিটি গঠন; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ গঠনসহ উহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; এবং (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ গঠন, দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ। (২) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে সিন্ডিকেট, মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ এবং সরকারের অনুমোদনক্রমে বিধি প্রণয়ন, সংশোধন ও বাতিল করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩৮। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে এই আইন, সংবিধি ও বিধির সহিত সংগতিপূর্ণ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :¾ (ক) উহাদের স্ব স্ব সভায় অনুসরণীয় কার্যবিধি প্রণয়ন এবং কোরাম গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ; (খ) এই আইন, সংবিধি বা বিধি অনুসারে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণযোগ্য সকল বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন; (গ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসমূহের সহিত সংশ্লিষ্ট, তবে এই আইন, সংবিধি বা বিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ উহার সভার তারিখ এবং সভার বিবেচ্য বিষয় সম্পর্কে উহার সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান এবং সভার কার্যবিবরণীর রেকর্ড সংরক্ষণ সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন করিবে। (৩) সিন্ডিকেট এই ধারার অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশোধন বা বাতিল করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকিবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর নির্দেশে সন্তুষ্ট না হইলে বিষয়টি সম্পর্কে আচার্যের নিকট আপিল করিতে পারিবে এবং আপিলে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৩৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হল, আবাসস্থল বা স্থানে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে বসবাস করিবে। (২) হলের প্রভোস্ট ও অন্যান্য তত্ত্বাবধানকারী কর্মচারী সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত হইবেন। (৩) প্রত্যেক হলে শৃঙ্খলা কমিটি কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মচারীর পরিদর্শনাধীন থাকিবে। (৪) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো হল পরিচালিত না হইলে বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত হলের অনুমোদন প্রত্যাহার করিতে পারিবে।",
"name": "হল",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪০। (১) ডরমিটরি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত ধরনের হইবে। (২) ডরমিটরি তত্ত্বাবধানকারী সকল কর্মচারী সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্বতিতে নিযুক্ত হইবেন।",
"name": "ডরমিটরি",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪১। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে শিক্ষার্থীদের ভর্তির শর্তাবলি সংবিধি ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) ভর্তির সময় প্রদত্ত মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কোনো শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হইলে এবং পরবর্তীকালে উহা প্রমাণিত হইলে উক্ত ভর্তি বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। (৪) নৈতিক স্খলনের দায়ে উপযুক্ত আদালত কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হইলে তাহার ভর্তি বাতিলযোগ্য হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ভর্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪২। (১) এই আইন এবং সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে, সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমের পরীক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ করিবে। (২) উপাচার্যের সাধারণ নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকিয়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৩) একাডেমিক কাউন্সিল পরীক্ষা কমিটিসমূহ গঠন করিবে এবং উহাদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) কোনো পরীক্ষার বিষয়ে কোনো পরীক্ষক কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে বা অপারগতা প্রকাশ করিলে উপাচার্য তাহার স্থলে অন্য একজন পরীক্ষককে নিয়োগদান করিবেন।",
"name": "পরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪৩। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ও নির্ধারিত সংখ্যক কোর্সে একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হইবে। (২) সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি কয়েকটি সেমিস্টারে বিভাজিত হইবে এবং ডিগ্রি বা স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমার জন্য নির্ধারিত সংখ্যক কোর্স একক প্রাপ্তির ভিত্তিতে ডিগ্রি লাভে সর্বোচ্চ সময় নির্ধারিত থাকিবে এবং প্রত্যেক পাঠক্রমের সফল সমাপ্তি এবং উহার উপর পরীক্ষা গ্রহণের পর পরীক্ষার্থীকে গ্রেড বা নম্বর প্রদান করা হইবে। (৩) শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে অবশ্যই বাংলা ভাষার সহিত ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করিতে হইবে। (৪) সকল সেমিস্টার পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেড বা নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হইবে।",
"name": "পরীক্ষা পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী লিখিত চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত হইবেন এবং চুক্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের হেফাজতে তাহার কার্যালয়ে গচ্ছিত থাকিবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মচারীকে উহার একটি অনুলিপি প্রদান করা হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী সকল সময় সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সহিত কর্তব্য পালন করিবেন এবং দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ থাকিবেন। (৩) নিয়োগের শর্তাবলিতে স্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ না থাকিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক শিক্ষক ও কর্মচারীরূপে গণ্য হইবেন। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের বা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপের সহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক ও কর্মচারী নিজেকে জড়িত করিবেন না। (৫) কোনো শিক্ষক ও কর্মচারীর রাজনৈতিক মতামত পোষণের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ না করিয়া তাহার চাকুরির শর্তাবলি নির্ধারণ করিতে হইবে, তবে তিনি তাহার উক্ত মতামত প্রচার করিতে পারিবেন না বা তিনি নিজেকে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সহিত জড়িত করিতে পারিবেন না। (৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী সংসদ সদস্য হিসাবে অথবা স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিবার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি হইতে ইস্তফা দিবেন। (৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকুরির শর্তাবলি, তাহাদের নাগরিক ও অন্যান্য অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিয়া সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৮) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারীকে তাহার কর্তব্যে অবহেলা, অসদাচরণ, নৈতিক স্খলন বা অদক্ষতার কারণে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চাকুরি হইতে অপসারণ বা পদচ্যুত করা বা অন্য প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে যে, তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে কোনো তদন্ত কমিটি কর্তৃক তদন্ত অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে অথবা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়া চাকুরি হইতে অপসারণ বা পদচ্যুত করা যাইবে না।",
"name": "চাকুরির শর্তাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত করিতে হইবে এবং পরবর্তী শিক্ষাবৎসর আরম্ভ হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বা তৎপূর্বে উহা মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত করিতে হইবে এবং উহা সরকার কর্তৃক মনোনীত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরীক্ষিত হইবে। (২) বার্ষিক হিসাব, নিরীক্ষা প্রতিবেদনের অনুলিপিসহ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক হিসাব",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪৭। কোনো ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি¾ (ক) অপ্রকৃতিস্থ বা অন্য কোনো কারণে তাহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; (খ) দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; (গ) নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন; বা (ঘ) সিন্ডিকেটের বিশেষ অনুমতি ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত কোনো পরীক্ষায় পাঠক্রম হিসাবে নির্ধারিত কোনো বই, তাহা স্ব-লিখিত হউক বা সম্পাদিত হউক, ইহার প্রকাশনা, সংগ্রহ বা সরবরাহকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসাবে বা অন্য কোনো প্রকারে আর্থিক স্বার্থ জড়িত থাকে : তবে শর্ত থাকে যে, সংশয় বা বিরোধের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি এই ধারা অনুসারে অযোগ্য কিনা তাহা আচার্য সাব্যস্ত করিবেন এবং এই বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ বা ইনস্টিটিউটের পদাধিকারবলে সদস্য নহেন এইরূপ কোনো সদস্যের পদে আকস্মিক শূন্যতা সৃষ্টি হইলে যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ উক্ত সদস্যকে নিযুক্ত বা মনোনীত করিয়াছিলেন সেই ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ, যথাশীঘ্র সম্ভব, উক্ত শূন্যপদ পূরণ করিবেন এবং যে ব্যক্তি এই প্রকার শূন্যপদে নিযুক্ত বা মনোনীত হইবেন তিনি যাহার স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন, তাহার অসমাপ্ত কার্যকালের জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষ বা ইনস্টিটিউটের সদস্য পদে বহাল থাকিবেন।",
"name": "আকস্মিক সৃষ্ট শূন্যপদ পূরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৪৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের বা ইনস্টিটিউটের কোনো কার্য ও কার্যধারা কেবল উহার কোনো পদের শূন্যতা বা উক্ত পদে নিযুক্তি বা মনোনয়ন সংক্রান্ত ব্যর্থতা বা ত্রুটির কারণে অথবা উক্ত কর্তৃপক্ষ বা ইনস্টিটিউট গঠনের বিষয়ে অন্য কোনো প্রকার ত্রুটির জন্য অবৈধ হইবে না কিংবা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কার্যধারার বৈধতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৫০। এই আইন বা সংবিধিতে বিশেষভাবে বিধৃত হয় নাই এইরূপ কোনো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং উহার কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে বিরোধটি উপাচার্যের কর্তৃক আচার্যের নিকট সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বিতর্কিত বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৫১। সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তাবলি সাপেক্ষে এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয় উহার শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণার্থে দেশে প্রচলিত এতৎসংক্রান্ত নিয়ম ও বিধির সঙ্গে সংগতি রাখিয়া অবসরভাতা, গোষ্ঠী-বীমা, কল্যাণ তহবিল বা ভবিষ্য তহবিল গঠন এবং আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।",
"name": "অবসরভাতা ও ভবিষ্য তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1341,
"details": "৫২। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে বা উহার কোনো কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠকের বিষয়ে বা এই আইনের বিধানাবলি প্রথমবার কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সমীচীন বা প্রয়োজনীয় বলিয়া আচার্যের নিকট প্রতীয়মান হইলে তিনি আদেশ দ্বারা এই আইন ও সংবিধির সহিত যতদূর সম্ভব সংগতি রাখিয়া যে কোনো পদে নিয়োগদান বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং এই ধরনের প্রত্যেকটি আদেশ এইরূপে কার্যকর হইবে, যেন উক্ত নিয়োগদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ এই আইনের বিধান অনুসারে করা হইয়াছে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 52
}
],
"text": "কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রাগ্রসর বিশ্বের সহিত সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে কৃষি বিজ্ঞানে উন্নত শিক্ষাদানের পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি এবং নূতন প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ দেশে কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষার সম্প্রসারণের নিমিত্ত হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রাগ্রসর বিশ্বের সহিত সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে কৃষি বিজ্ঞানে উন্নত শিক্ষাদানের পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি এবং নূতন প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ দেশে কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সম্প্রসারণের নিমিত্ত হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :¾"
} |
{
"id": 1342,
"lower_text": [
"1 1 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 2 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Bengal\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG-HILL TRACTS (LAWS) REGULATION, 1952",
"num_of_sections": 3,
"published_date": "26th July, 1952",
"related_act": [
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1342,
"details": "1. This Regulation may be called the Chittagong Hill- tracts (Laws) Regulation, 1952.",
"name": "Short title",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1342,
"details": "2. The enactment specified in the Schedule annexed hereto shall, subject to the amendments mentioned in the fourth column thereof, apply to the Chittagong Hill-tracts and shall be deemed to have applied to the said tracts with effect from the 21st June, 1949.",
"name": "Application of certain enactments to the Chittagong Hill tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1342,
"details": "3. The Chittagong Hill-tracts (Laws) Regulation, 1949, is hereby repealed.",
"name": "Repeal",
"related_acts": "",
"section_id": 3
}
],
"text": "A Regulation to apply certain enactments to the Chittagong Hill-tracts. WHEREAS it is expedient to apply to the Chittagong Hill-tracts certain enactments specified in the Schedule;AND WHEREAS by sub-section (2) of section 92 of the Government of India Act, 1935, the 1Government is empowered to make regulations for the peace and good Government of any area in his Province which is for the time being an excluded, or a partially area;NOW, THEREFORE, the 2Government, in exercise of the said powers and all other powers enabling him in this behalf, is pleased to make the following Regulation, namely:-"
} |
{
"id": 1343,
"lower_text": [
"1 The word \"Government\" was replaced, for the word \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 The words \"East Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (Presidents Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE PARTIALLY EXCLUDED AREAS LAWS REGULATION, 1950",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "27th March, 1950",
"related_act": [
217,
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1343,
"details": "1. (1) This Regulation may be called the 2*** Partially Excluded Areas Laws Regulation, 1950. (2) It shall come into force on the date of its publication in the Official Gazette.",
"name": "Short title and commencement",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1343,
"details": "2. The Prevention of Corruption Act, 1947, shall apply to the partially excluded areas of the Mymensingh district.",
"name": "Application of Act II of 1947 to the partially excluded areas of the Mymensingh district",
"related_acts": "217",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Prevention of Corruption Act, 1947, to the Partially Excluded Areas of the Mymensingh district. WHEREAS it is expedient to apply the Prevention of Corruption Act, 1947, to the partially excluded areas of the Mymensingh district; AND WHEREAS by sub-section (2) of section 92 of the Government of India Act, 1935, as adapted by the Pakistan (Provisional Constitution) Order, 1947, the 1Government is empowered to make regulation for the peace and good Government of any area in his Province which is for the time being an excluded area, or a partially excluded area; NOW, THEREFORE, the 1Government in exercise of the said powers and all other powers enabling it in that behalf, is pleased to make the following Regulation:-"
} |
{
"id": 1344,
"lower_text": [
"1 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (Presidents Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"3 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"4 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (Presidents Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE EXCLUDED AND PARTIALLY EXCLUDED AREAS LAWS REGULATION, 1950",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "12th September, 1943",
"related_act": [
1344,
154,
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1344,
"details": "1. (1) This Regulation may be called THE EXCLUDED AND PARTIALLY EXCLUDED AREAS LAWS REGULATION, 1950. (2) It shall come into force on the date of its publication in the Official Gazette.",
"name": "Short title and commencement",
"related_acts": "1344",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1344,
"details": "2. The 4*** State Aid to Industries Act, 1931, shall apply to the Chittagong Hill-tracts and to the partially excluded areas of the Mymensingh district.",
"name": "Application of Bengal Act III of 1931 to the Chittagong Hill- tracts and to the partially excluded areas of the Mymenshingh district",
"related_acts": "154",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the 1*** State Aid to Industries Act, 1931, to the Chittagong Hill-tracts and to the partially excluded areas of the Mymensingh district. WHEREAS it is expedient to apply the Bengal State Aid to Industries Act, 1931, to the Chittagong Hill-tracts and to the partially excluded areas of the Mymensingh district; AND WHEREAS by sub-section (2) of section 92 of the Government of India Act, 1935, as adapted by the Pakistan (Provisional Constitution) Order, 1947, the 2Government is empowered to make regulations for the peace and good Government of any area in his Province which is for the time being an excluded area or a partially excluded area; NOW, THEREFORE, the 3Government in exercise of the said powers and all other powers enabling him in that behalf, is pleased to make the following Regulation:-"
} |
{
"id": 1345,
"lower_text": [
"1 The word \"Government\" was substituted for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Government\" was substituted for the words \"Provincial Government\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS SARAIS REGULATION, 1951",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "22th January, 1951",
"related_act": [
1345,
18,
388
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1345,
"details": "(1) This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS SARAIS REGULATION, 1951. (2) It shall come into force on the date of its publication in the Official Gazette.",
"name": "Short title and commencement",
"related_acts": "1345",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1345,
"details": "2. The Sarais Act, 1867, shall apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of Act XXII of 1867 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "18",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Sarais Act, 1867, to the Chittagong Hill-tracts; WHEREAS it is expedient to apply the Sarais Act, 1867, to the Chittagong Hill-tracts; AND WHEREAS by sub-section (2) of section 92 of the Government of India Act, 1935, as adapted by the Pakistan (Provisional Constitution) Order, 1947, the 1Government is empowered to make regulations for the peace and good Government of any area in his Province which is for the time being an excluded area, or a partially excluded area; NOW, THEREFORE, the 2Government, in exercise of the said powers and all other powers enabling it in that behalf, is pleased to make the following Regulation:-"
} |
{
"id": 1347,
"lower_text": [],
"name": "সামুদ্রিক মৎস্য (Marine Fisheries) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 64,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1025,
642,
98,
646,
75,
957
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1347,
"details": "১। (১) এই আইন সামুদ্রিক মৎস্য (Marine Fisheries) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২। বিষয় অথবা প্রসংগের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘‘অপরাধ’’ অর্থ এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ;(২) ‘‘অনুমতিপত্র’’ অর্থ ধারা ২১ এর অধীন আর্টিসানাল নৌযানের অনুকূলে মৎস্য আহরণের জন্য প্রদত্ত অনুমতি;(৩) ‘‘আর্টিসানাল নৌযান’’ কোনো মৎস্য নৌযান যাহার ধারণ ক্ষমতা নেট ১৫ (পনেরো) টন বা তাহার নীচে;(৪) ‘‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’’ অর্থ ধারা ৪৩ এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত মৎস্য অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা;(৫) ‘‘গভীর সমুদ্র’’ অর্থ রাষ্ট্রীয় জলসীমা (Territorial Water) এবং একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive Economic Zone) এর বহির্ভূত আন্তর্জাতিক জলসীমা;(৬) ‘‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’’ অর্থ ধারা ৩২ এর অধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা;(৭) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;(৮) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ এই আইনের অধীন ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত মৎস্য অধিদপ্তরের কোনো পরিচালক;(৯) ‘‘বাণিজ্যিক ট্রলার’’ অর্থ ট্রলিং বা লংলাইনিং বা পার্সেনিং পদ্ধতিতে মৎস্য আহরণে সক্ষম কোনো মৎস্য নৌযান;(১০) ‘‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমা’’ অর্থ দেশীয় কোনো আইন দ্বারা ঘোষিত রাষ্ট্রীয় জলসীমা (Territorial Water) Ges United Nations Convention on the Law of the Sea, 1982 Gi Article 33 Øviv wba©vwiZ msjMœ AÂj (Contiguous Zone) এবং Article 55 দ্বারা নির্ধারিত একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive Economic Zone) বা সরকার কর্তৃক আইন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী ঘোষিত জলসীমা;(১১) ‘‘বিদেশি মৎস্য নৌযান’’ অর্থ মৎস্য আহরণের স্থানীয় নৌযান ব্যতীত অন্য কোনো নৌযান যাহার শতকরা অন্যূন ৫১ (একান্ন) ভাগ স্বত্ব বিদেশি কোনো ব্যক্তির;(১২) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (১৩) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ মহাপরিচালক মৎস্য অধিদপ্তর;(১৪) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, নৌযানের মালিক, যে কোনো ধরনের কোম্পানি, সংঘ, সমিতি, অংশীদারী কারবার, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা অন্য কোনো কৃত্রিম আইনগত সত্তা;(১৫) ‘‘মৎস্য’’ অর্থ জীবন্ত বা প্রক্রিয়াজাতকৃত সামুদ্রিক সম্পদের যে কোনো প্রজাতি এবং উহার বাচ্চা, পোনা, ডিম এবং স্পন;(১৬) ‘‘মৎস্য আহরণ’’ অর্থ নির্ধারিত উপায়ে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় মৎস্য অনুসন্ধান বা সংগ্রহ করা, ধরা, একত্রীভূত করা, প্রলুব্ধ করা বা এইরূপ কাজের উদ্যোগ গ্রহণ;(১৭) ‘‘মৎস্য নৌযান’’ অর্থ সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জন্য স্থানীয় বা বিদেশি নৌযান, যে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক ট্রলার, যান্ত্রিক নৌযান, আর্টিসানাল নৌযান, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, মজুতকরণের জন্য ব্যবহৃত নৌযান বা মৎস্য আহরণে সহায়ক হিসাবে ব্যবহৃত যে কোনো নৌযান;(১৮) ‘‘যান্ত্রিক মৎস্য নৌযান’’ অর্থ ট্রলিং বা লংলাইনিং বা পার্সেনিং পদ্ধতি ব্যতীত ইঞ্জিন চালিত কোনো মৎস্য নৌযান যাহার ধারণ ক্ষমতা নেট ১৫ (পনেরো) টন এর বেশি;(১৯) ‘‘লাইসেন্স’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন ইস্যুকৃত কোনো লাইসেন্স;(২০) ‘‘সমুদ্র যাত্রা’’ অর্থ ধারা ১৬ তে উল্লিখিত সমুদ্র যাত্রা;(২১) ‘‘সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র’’ অর্থ ধারা ১৬ তে উল্লিখিত সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র (Sailing Permission); (২২) ‘‘সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকা’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন ঘোষিত সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকা;(২৩) ‘‘স্কিপার’’ অর্থ মৎস্য নৌযানের কমান্ড বা উহার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি; এবং(২৪) ‘‘স্থানীয় মৎস্য নৌযান’’ অর্থ এমন কোনো মৎস্য নৌযান, যাহা-(ক) সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের নাগরিকের স্বত্বাধীন, বা(খ) আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী, সংগঠন (Society) বা অন্য কোনো সংঘ (Association) এর সম্পূর্ণ স্বত্বাধীন নৌযান যাহার মোট স্বত্বের অন্যূন শতকরা ৫১ (একান্ন) ভাগ বাংলাদেশের নাগরিকের এবং বাংলাদেশে নিবন্ধিত এবং যৌথ উদ্যোগে বা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে অন্য কোনো সমন্বয়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহি হিসাবে মৎস্য আহরণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী নৌযান, বা(গ) সম্পূর্ণ সরকারের স্বত্বাধীনে বা বাংলাদেশের আইনে সংবিধিবদ্ধ সংস্থার স্বত্বাধীনে পরিচালিত কোনো নৌযান।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমাকে সমুদ্রের গভীরতার ভিত্তিতে বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো পদ্ধতি অনুসরণে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকা ঘোষণা করিতে পারিবে এবং উক্ত এলাকায়, কোন ধরনের নৌযানের সাহায্যে মৎস্য আহরণ করা যাইবে উহা নির্দিষ্ট করিতে পারিবে।(২) সরকার, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য, প্রয়োজনবোধে, উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সকল বা যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিতে পারিবে।(৩) কোনো ব্যক্তি যদি উপ-ধারা (২) এর অধীন আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিয়া মৎস্য আহরণ করে তাহা হইলে তাহার উপর আহরিত মৎস্যের মূল্যের সমপরিমাণ প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ এবং আহরিত মৎস্য বাজেয়াপ্ত করা যাইবে।",
"name": "সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকা ঘোষণা",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪। মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, টেকসই ও আহরণযোগ্য মজুদ বজায় রাখিবার জন্য এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রয়োজনে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় বা গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের লাইসেন্স প্রদানের জন্য, সময় সময়, নৌযানের সংখ্যা নির্ধারণ এবং শ্রেণিবিন্যাস করিতে পারিবে।",
"name": "নৌযানের শ্রেণি ও সংখ্যা নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫। (১) সরকার অবৈধ, অনুল্লিখিত এবং অ-নিয়ন্ত্রিত (Illegal, Unreported and Unregulated) মৎস্য আহরণ রোধকল্পে প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(২) মহাপরিচালক, বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার মৎস্য সম্পদের, প্রজাতি ভিত্তিক বা সার্বিক, জরিপ পরিচালনা, মজুদ এবং অনুমোদিত আহরণের পরিমাণ (Allowable catch) নির্ধারণ এবং মৎস্য সম্পদের সর্বোচ্চ টেকসই উৎপাদন (Maximum sustainable yield) নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান (Monitoring, Controlling and Surveillance) এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।(৩) উপধারা (১) এর অধীন সরকার কর্তৃক জারিকৃত আদেশ বা নির্দেশ কোনো ব্যক্তি বা স্কিপার লঙ্ঘন করিলে উহা অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য স্থানীয় মৎস্য নৌযানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা স্কিপার বা উভয়ই অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "অবৈধ, অনুল্লিখিত এবং অ-নিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৬। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সুনীল অর্থনীতি (Blue Economy) প্রসারে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় মেরিকালচার এলাকা (Mariculture area) ঘোষণা করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত এলাকার ব্যবস্থাপনা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।ব্যাখ্যা- এই ধারায় ‘‘মেরিকালচার’’ অর্থ উপকূলসহ সমুদ্রে বিশেষভাবে চিহ্নিত এলাকা যেখানে অস্থায়ী আবদ্ধ ক্ষেত্র প্রস্তুতপূর্বক বা কোনো জলাশয়ে সমুদ্রের পানি (Marine and brakish water) ব্যবহার করিয়া খাদ্য বা অন্য কোনো পণ্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যে সামুদ্রিক জীবিত সম্পদ চাষ করা হয়।",
"name": "মেরিকালচার এলাকা ঘোষণা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৭। (১) ধারা ২১ এর বিধান সাপেক্ষে লাইসেন্স বা অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় বা গভীর সমুদ্রে নৌযানের সাহায্যে বা অন্য কোনো প্রকারে মৎস্য আহরণ করিতে পারিবে না :তবে শর্ত থাকে যে, বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিয়া মৎস্য আহরণ করিলে বা করিবার উদ্যোগ গ্রহণ বা সহায়তা করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং মৎস্য নৌযান ও অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত হইবে।",
"name": "মৎস্য আহরণে বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৮। (১) পরিচালক, মৎস্য নৌযানের মালিক বরাবরে, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় বা গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জন্য বাণিজ্যিক ট্রলারের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবে।(২) পরিচালক, ধারা ৪ এর অধীন নির্ধারিত সংখ্যক মৎস্য নৌযানের অধিক নৌযান বরাবর লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবেন না।",
"name": "লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৯। (১) কোনো মৎস্য নৌযানের মালিককে মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে।(২) আবেদনপত্রের সহিত নিম্নলিখিত দলিল বা তথ্য সংযুক্ত করিতে হইবে, যথা :-(ক) আবেদনকারীর নাগরিকত্ব বা জাতীয়তা প্রমাণের সনদপত্র;(খ) মৎস্য নৌযানের আমদানি বা প্রস্তুতের বৈধ দলিলাদি;(গ) স্থানীয় মৎস্য নৌযানের ক্ষেত্রে, Bangladesh Merchant Shipping Ordinance, 1983 (Ordinance No. XXVI of 1983) এর অধীন ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট অব রেজিস্ট্রেশন এবং সার্টিফিকেট অব ইন্সপেকশন এর কপি;(ঘ) মৎস্য নৌযানের মালিকানা সংক্রান্ত প্রমাণপত্র;(ঙ) নির্ধারিত ফি প্রদানের রসিদ;(চ) নির্ধারিত অন্য কোনো সনদ বা তথ্য।(৩) কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযানের মালিককে উপ-ধারা (২) এর দফা (খ) এবং (গ) এ উল্লিখিত দলিলের পরিবর্তে তাহার দেশের সংশ্লিষ্ট মৎস্য নৌযান নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুরূপ সনদপত্র সংযুক্ত করিতে হইবে।(৪) পরিচালকের নিকট, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনপত্রে উল্লিখিত তথ্যাবলি বা সংযোজিত দলিলাদি যাচাই-বাছাইপূর্বক, সঠিক বলিয়া বিবেচিত হইলে ধারা ১৯ এবং ২২ এর বিধান সাপেক্ষে, তিনি উহা দাখিলের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদনকারী বরাবর লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবেন।",
"name": "লাইসেন্সের জন্য আবেদন",
"related_acts": "642",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১০। লাইসেন্স হস্তান্তরযোগ্য বা বিক্রয়যোগ্য হইবে না :তবে শর্ত থাকে যে, ব্যক্তিমালিকানার ক্ষেত্রে লাইসেন্স গ্রহীতার মৃত্যু হইলে মৃত ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকারী বা নৌযানের মালিকানা পরিবর্তন হইলে নূতন মালিক বরাবরে ধারা ৮ এর বিধান সাপেক্ষে, নূতন লাইসেন্স প্রদান করা যাইবে।",
"name": "লাইসেন্স হস্তান্তর নিষিদ্ধ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১১। (১) লাইসেন্সের মেয়াদ হইবে ২ (দুই) বৎসর।(২) লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে নবায়নের জন্য পরিচালকের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে হইবে এবং নবায়নের জন্য প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনাপূর্বক, ধারা ১২ এর বিধান সাপেক্ষে, পরিচালক লাইসেন্স নবায়ন করিতে পারিবেন।",
"name": "লাইসেন্সের মেয়াদ ও নবায়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১২। (১) পরিচালক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, লাইসেন্স নবায়নের অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।(২) পরিচালক বিশেষ বিবেচনায় লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি এর দ্বিগুণ ফি আদায় করিয়া কেবল একবার লাইসেন্স নবায়ন করিতে পারিবেন।",
"name": "লাইসেন্স নবায়নে অস্বীকৃতি",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১৩। (১) পরিচালক নিম্নবর্ণিত যে কোনো কারণে লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবেন, যদি মৎস্য নৌযানের মালিক-(ক) এই আইন বা বিধি বা লাইসেন্সের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করিয়া থাকেন;(খ) কোনো অসত্য তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপনপূর্বক লাইসেন্স গ্রহণ করিয়া থাকেন;(গ) মৎস্য আহরণ ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে মৎস্য নৌযানটি ব্যবহার করিয়া থাকেন;(ঘ) একাধারে ৩ (তিন) বৎসর লাইসেন্স নবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হন;(ঙ) লাইসেন্স হস্তান্তর বা বিক্রয় করেন;(চ) তাহার মৎস্য নৌযান কর্তৃক নদী বা সমুদ্রের পানি বা পরিবেশ দূষণ করেন বা করিয়া থাকেন;(ছ) তাহার মৎস্য নৌযানের সাহায্যে সংঘটিত কোনো অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইয়া থাকেন;(জ) মৃত্যুবরণ করেন;(ঝ) এই আইনের অধীন ২ (দুই) বার প্রশাসনিক জরিমানা বা অন্য কোনো অপরাধে দণ্ডিত হন; বা(ঞ) নির্ধারিত অন্য কোনো শর্ত প্রতিপালন না করিয়া থাকেন।(২) পরিচালক উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্স বাতিলের পূর্বে তাহার লাইসেন্স কেন বাতিল করা হইবে না এই মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য মৎস্য নৌযানের মালিককে নোটিশ প্রদান করিবেন এবং নোটিশে উল্লিখিত অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাহার লাইসেন্স স্থগিত করিতে পারিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর-(ক) জবাব সন্তোষজনক হইলে পরিচালক লাইসেন্সের উপর প্রদত্ত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারপূর্বক মৎস্য নৌযানের মালিককে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন;(খ) জবাব সন্তোষজনক না হইলে তাহাকে ব্যক্তিগত শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার নামে ইস্যুকৃত লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবেন।",
"name": "লাইসেন্স স্থগিতকরণ, বাতিল ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১৪। প্রতিটি লাইসেন্স উহাতে বর্ণিত মৎস্য প্রজাতি এবং মৎস্য আহরণের যন্ত্রপাতি বা পদ্ধতি বা নির্দিষ্টকৃত এলাকার জন্য বৈধ থাকিবে।",
"name": "যে বিষয়সমূহের জন্য লাইসেন্স বৈধ",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১৫। (১) পরিচালক, নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে বা উপ-ধারা (৩) দ্বারা নির্ধারিত, শর্ত আরোপ করিতে পারিবেন, যথা:- (ক) মৎস্য আহরণের জন্য অনুমোদিত এলাকা বা সময়কাল;(খ) যে মৎস্য আহরণ এবং বহন করা হইবে উহার প্রজাতি, আকার, লিঙ্গ, বয়স এবং পরিমাণ;(গ) মৎস্য আহরণ এবং বহনের পদ্ধতি;(ঘ) মৎস্য নৌযান কর্তৃক ব্যবহৃত হইতে পারে এইরূপ মৎস্য ধরিবার যন্ত্রপাতির ধরন, আকার ও পরিমাণ;(ঙ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত আদেশ বা নির্দেশ পালন সংক্রান্ত;(চ) মৎস্য নৌযান বরাবরে ইস্যুকৃত লাইসেন্স মৎস্য নৌযানে রাখা সংক্রান্ত বিষয়;(ছ) মৎস্য নৌযান চিহ্নিতকরণ এবং উহা সনাক্তকরণের অন্যান্য উপায়;(জ) নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষেত্র।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত শর্তের অতিরিক্ত হিসাবে সরকার, বিদেশি মৎস্য নৌযানের লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অন্য যে কোনো শর্ত আরোপ করিতে পারিবে।(৩) এই আইনের অধীন বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্সে আরোপনীয় শর্ত সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারণ করিতে পারিবেন।(৪) কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্সে আরোপিত কোনো শর্ত অমান্য করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "লাইসেন্সে শর্ত আরোপের ক্ষেত্র",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১৬। (১) প্রত্যেক লাইসেন্সপ্রাপ্ত মৎস্য নৌযানকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিচালকের নিকট হইতে সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র (Sailing Permission) গ্রহণ করিতে হইবে।(২) মৎস্য নৌযানের মালিককে নির্ধারিত পদ্ধতিতে সমুদ্রে যাতায়াতের বিষয়, সমুদ্রে অবস্থানকালীন মেয়াদ, মৎস্য আহরণের লগবুক ও স্ট্যাকিং শীট সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করিতে হইবে।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন জারীকৃত সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি পরবর্তী যাত্রায় মৎস্য আহরণের জন্য উক্তরূপ অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন না।(৪) মৎস্য আহরণ শেষে বন্দরে প্রত্যাবর্তনের অন্যূন ২৪ (চবিবশ) ঘণ্টা পূর্বে মৎস্য নৌযানের অবস্থান, মৎস্য খালাসের সময় উল্লেখ করিয়া পরিচালক বরাবর আগমনী বার্তা প্রেরণ করিতে হইবে এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আহরিত মৎস্য খালাস করিতে হইবে।(৫) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-ধারা (৪) এর অধীন আগমনী বার্তা প্রাপ্তির পর মৎস্য খালাসের সময়, মৎস্য আহরণের পরিমাণ, ধরন বা প্রকৃতি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিতে পারিবেন।(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন পরীক্ষাকালে যদি প্রতীয়মান হয় যে, সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র বা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করিয়া মৎস্য আহরণ করা হইয়াছে, তাহা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহরিত মৎস্যের বাজারমূল্যের ৩ (তিন) গুণ প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ এবং উক্ত আহরিত মৎস্য বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন।(৭) সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্রের নির্ধারিত শর্ত ভঙ্গ করিলে, পরিচালক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লিখিত আদেশ দ্বারা পরবর্তী সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র স্থগিত বা সমুদ্র যাত্রার অনুমতির আবেদন নামঞ্জুর করিতে পারিবেন।(৮) উপ-ধারা (৭) অনুসারে স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে বা আবেদনপত্র নামঞ্জুরের ক্ষেত্রে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিচালক সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র প্রদান করিতে পারিবেন।(৯) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (৪) এর অধীন আগমনী বার্তা প্রেরণ না করিয়া কোনো মৎস্য নৌযান হইতে মৎস্য খালাস করিলে তাহার উপর খালাসকৃত মৎস্যের বাজারমূল্যের সমপরিমাণ প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ এবং খালাসকৃত মৎস্য বাজেয়াপ্ত করা যাইবে।ব্যাখ্যা-এই ধারায় ‘‘আগমনী বার্তা’’ অর্থ কোনো মৎস্য নৌযান কর্তৃক উপকূল বা সমুদ্র হইতে মৎস্য আহরণ শেষে বন্দরে মৎস্য খালাসের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরকে প্রদত্ত আগাম বার্তা।",
"name": "সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র, আগমনী বার্তা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১৭। (১) সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি আহরণকৃত মৎস্য সংক্রান্ত বিবরণী এবং বিক্রয় সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিবেন এবং উহার অনুলিপি পরিচালকের নিকট দাখিল করিবেন।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান অমান্য করিলে তাহার উপর অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাইবে।",
"name": "ধৃত মৎস্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১৮। কোনো মৎস্য নৌযান এইরূপভাবে পরিচালনা করা যাইবে না যাহাতে নৌ বা জাহাজ চলাচলের স্বীকৃত নৌপথে বিঘ্ন সৃষ্ট হয়।",
"name": "নৌ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না করা",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1347,
"details": "১৯। পরিচালক স্থানীয় মৎস্য নৌযান বরাবরে লাইসেন্স ইস্যু করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে, যদি-(ক) ধারা ৯ অনুযায়ী আবেদনপত্র সঠিক পাওয়া না যায়;(খ) আবেদনপত্রে উল্লিখিত ও সংযোজিত তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট বা অপর্যাপ্ত হয়;(গ) সামুদ্রিক মৎস্য শিল্পের বৃহত্তর স্বার্থে এবং মৎস্য ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুসারে কোনো বিশেষ মৎস্য জলসীমার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য লাইসেন্স প্রদান না করা প্রয়োজন হয়;(ঘ) আবেদনকারী এই আইন অথবা অন্য কোনো আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির অযোগ্য হন;(ঙ) যে মৎস্য নৌযান বরাবরে লাইসেন্স ইস্যু করা হইয়াছে সেই নৌযান এই আইন, বিধি বা লাইসেন্সে উদ্ধৃত কোনো শর্ত লঙ্ঘন করিয়া উহা ব্যবহার করিয়া থাকে;(চ) যে মৎস্য নৌযানের সাহায্যে মৎস্য আহরণের জন্য আবেদন করা হইয়াছে সেই নৌযানটি Bangladesh Merchant Shipping Ordinance, 1983 (Ordinance No. XXVI of 1983) এর অধীন নিবন্ধিত না হয়; বা(ছ) নির্ধারিত অন্য কেনো শর্ত প্রতিপালন না করা হয়।",
"name": "স্থানীয় মৎস্য নৌযান বরাবরে লাইসেন্স ইস্যু করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন",
"related_acts": "642",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২০। (১) সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত নমুনা (Specification) অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক ট্রলার আমদানি বা স্থানীয়ভাবে তৈরী করিতে হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নমুনা অনুযায়ী বাণিজ্যিক ট্রলার আমদানি বা স্থানীয়ভাবে তৈরী করা না হইলে উহার মালিক লাইসেন্স প্রাপ্ত হইবেন না।(৩) উপধারা (১) মোতাবেক প্রাপ্ত নির্দিষ্টকৃত নমুনা মতে বাণিজ্যিক ট্রলার আমদানি বা স্থানীয়ভাবে তৈরির জন্য সরকারের প্রদত্ত অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য হইবে না এবং হস্তান্তর করা হইলে তাহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।(৪) অন্য কোনো আইনে যাহাই উল্লেখ থাকুক না কেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত নির্দিষ্টকৃত নমুনা ব্যতীত কোনো মৎস্য নৌযান আমদানি বা স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হইলে উক্ত মৎস্য নৌযানের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা যাইবে না।",
"name": "বাণিজ্যিক ট্রলার আমদানি বা স্থানীয়ভাবে তৈরিতে নমুনা অনুসরণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২১। (১) প্রত্যেক আর্টিসানাল নৌযানের মালিককে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় মৎস্য আহরণের অনুমতির জন্য, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে।(২) পরিচালক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন অনুযায়ী আবেদনকারীকে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন অনুমতিপ্রাপ্ত আর্টিসানাল নৌযান ব্যতীত অন্য কোনো আর্টিসানাল নৌযান সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় মৎস্য আহরণ করিতে পারিবে না।(৪) এই ধারা অধীন প্রদত্ত অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য বা বিক্রয়যোগ্য হইবে না।(৫) এই ধারার অধীন প্রদত্ত অনুমতি সরকার বা পরিচালক কর্তৃক পুনরাদেশ দ্বারা বাতিল না করা পর্যন্ত বহাল থাকিবে।(৬) সরকার, বা ক্ষেত্রমত পরিচালক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অনুমতি বাতিল করিতে পারিবে।(৭) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার আর্টিসানাল নৌযানকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই ধারার অধীন অনুমতি গ্রহণ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।(৮) এই ধারার অধীন অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত কোনো আর্টিসানাল নৌযান সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় মৎস্য আহরণ করিলে আহরিত মৎস্যের সমপরিমাণ মূল্য প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ এবং আহরিত মৎস্য বাজেয়াপ্ত করা যাইবে।",
"name": "আর্টিসানাল নৌযানের অনুমতি",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২২। সরকার, কারণ উল্লেখপূর্বক বা উপযুক্ত বিবেচনায় কারণ উল্লেখ ব্যতিরেকে, বিদেশি মৎস্য নৌযান বরাবরে ধারা ৮ এর অধীন লাইসেন্স ইস্যু করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে।",
"name": "বিদেশি মৎস্য নৌযান বরাবরে লাইসেন্স ইস্যুর অস্বীকৃতি জ্ঞাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২৩। (১) কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযান লাইসেন্স ব্যতীত বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় প্রবেশ করিতে পারিবে না।(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৩) ও (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযান কেবল নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় প্রবেশ এবং যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য অবস্থান করিতে পারিবে, যথা :-(ক) বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার বাহিরের কোনো স্থানে গমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার উপর দিয়া অতিক্রমণের উদ্দেশ্যে;(খ) যেক্ষেত্রে নৌযান ও উহার নাবিকের নিরাপত্তা বিপদাপন্ন, সেক্ষেত্রে আসন্ন বিপদ এড়াইবার জন্য;(গ) বিপদগ্রস্ত ও সংকটাপন্ন ব্যক্তি, নৌযান অথবা উড়োজাহাজকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে;(ঘ) কোনো নাবিকের জরুরি চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজনে;(ঙ) আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে, যাহা নির্দোষ অতিক্রমণ (Innocent Passage) এর আওতাভুক্ত।(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত যে কোনো উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় প্রবেশকারী বিদেশি মৎস্য নৌযান-(ক) এই আইনসহ দেশে বলবৎ অন্য আইন প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে; এবং(খ) যে উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিয়াছে উহা পূরণ হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত জলসীমার বাহিরে চলিয়া যাইবে। (৪) উপ-ধারা (২) বর্ণিত উদ্দেশ্যে কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযানকে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় আগমন এবং বহির্গমন সম্পর্কে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, পরিচালককে অবহিত করিতে হইবে।ব্যাখ্যা- এই ধারায় ‘‘নির্দোষ অতিক্রমণ’’ অর্থ United Nations Convention on the Law of the Sea, 1982 তে বর্ণিত নির্দোষ অতিক্রমণ।",
"name": "বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় বিদেশি মৎস্য নৌযানের প্রবেশে বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২৪। যদি কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযান লাইসেন্স ব্যতীত-(ক) বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় প্রবেশ করে;(খ) মৎস্য আহরণ করে বা আহরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে;(গ) মৎস্য বোঝাই (load), খালাশ (unload) বা এক নৌযান হইতে অন্য নৌযানে মৎস্য স্থানান্তর (tranship) বা ক্রয়-বিক্রয় করে;(ঘ) বেআইনিভাবে মৎস্য পরিবহন, পাচার বা অন্য কোনোভাবে মৎস্য সম্পদ বা পরিবেশের কোনো ক্ষতিসাধন করে বা ক্ষতিসাধন হইতে পারে এমন কোনো কাজ করে বা কাজ করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করে বা উক্ত কাজে সহায়তা করে; বা(ঙ) জ্বালানি সরবরাহ বোঝাই বা খালাশ করে;তাহা হইলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ।",
"name": "লাইসেন্স ব্যতীত বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২৫। (১) যদি কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক ধারা ২৪ এ বর্ণিত অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহা হইলে উক্ত নৌযানের মালিক, স্কিপার এবং নৌযানে অবস্থানরত অপরাধ সংঘটনকারী অন্য কোনো ব্যক্তি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন।(২) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কোনো শৃঙ্খলা বাহিনী ধারা ২৪ এ উল্লিখিত অপরাধ সংঘটনের দায়ে কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযান, উহার মালিক, স্কিপার এবং নৌযানে আরোহণকৃত অপরাধ সংঘটনকারী অন্য কোনো ব্যক্তিকে আটক করিতে পারিবে এবং আটকের পর উক্ত নৌযানকে কোনো নিকটবর্তী বন্দরে নোঙরপূর্বক ঘটনার তারিখ, সময়, স্থান এবং আটক ব্যক্তি এবং মৎস্য নৌযানে রক্ষিত মালামালের বর্ণনাসহ একটি প্রতিবেদন পরিচালকের নিকট দাখিল করিবেন।(৩) পরিচালক উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আটককৃত মৎস্য নৌযান এবং অভিযুক্ত মালিক, স্কিপার এবং মৎস্য নৌযানে অবস্থানরত অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।(৪) পরিচালক উপ-ধারা (২) এর অধীন আটককৃত মৎস্য নৌযান, মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম এবং আহরিত মৎস্য বাজেয়াপ্ত করিবেন।(৫) পরিচালক উপ-ধারা (৪) এর অধীন বাজেয়াপ্ত মৎস্য নৌযান, মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম এবং আহরিত মৎস্য, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিলামে বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা রাখিবেন।(৬) পরিচালক উপ-ধারা (২) ও (৩) এ উল্লিখিত তথ্য এবং গৃহীত ব্যবস্থাদি তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদন আকারে মহাপরিচালকের মাধ্যমে সরকারকে অবহিত করিবেন।",
"name": "বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২৬। সরকার লাইসেন্স দ্বারা কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযানকে শুল্ক, কর, ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য, সমুদ্রোপযোগিতা এবং নিরাপত্তা সনদ সম্পর্কিত আইন দ্বারা আরোপিত বাধ্যবাধকতা বা অবশ্য পালনীয় শর্ত প্রতিপালন হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে না :তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কারণ উল্লেখপূর্বক লিখিত আদেশ দ্বারা বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় জরীপ বা গবেষণা কাজে ব্যবহৃত বিদেশি কোনো মৎস্য নৌযানকে উক্তরূপ বাধ্যবাধকতা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "আইনগত বাধ্যবাধকতা হইতে অব্যাহতি প্রদানে বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২৭। (১) কোনো ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায়-(ক) মৎস্য নিধন করে অথবা হতচেতন বা অক্ষম করিয়া মৎস্য আহরণ করে বা অন্য কোনো উপায়ে সহজে মৎস্য ধরিবার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক, বিষ বা অন্য কোনো ক্ষতিকর দ্রব্য ব্যবহার করে বা ব্যবহার করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করে;(খ) দফা (ক) তে বর্ণিত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিস্ফোরক, বিষ বা অন্য কোনো ক্ষতিকর দ্রব্য বহন করে বা নিজ দখল বা নিয়ন্ত্রণে রাখে;(গ) মৎস্য আহরণের জন্য ঘোষিত নিষিদ্ধ পদ্ধতি ব্যবহার করে বা উক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করে বা মৎস্য আহরণের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সরঞ্জাম মৎস্য নৌযানে বহন করে বা দখল বা নিয়ন্ত্রণে রাখে; বা(ঘ) এই ধারা বা বিধি লঙ্ঘন করিয়া মৎস্য আহরণ করা হইয়াছে জানিয়াও বা তাহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকা সত্ত্বেও উক্ত মৎস্য গ্রহণ করে বা বৈধ কোনো কারণ ব্যতীত তাহার দখলে রাখে;তাহা হইলে তাহার উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত বিস্ফোরক, বিষ বা অন্য কোনো ক্ষতিকর পদার্থ বা মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম কোনো মৎস্য নৌযানে পাওয়া গেলে, বিপরীত কিছু প্রমাণিত না হইলে, ধরিয়া লওয়া হইবে যে উহা উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত উদ্দেশ্যে রাখা হইয়াছে।(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার পরিবেশ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হইতে পারে এইরূপ যে কোনো পদ্ধতি বা সরঞ্জাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে।",
"name": "বিস্ফোরক, ইত্যাদির ব্যবহার নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২৮। কোনো ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় মৎস্য আহরণের জন্য নির্ধারিত আকারের জাল ব্যতীত অন্য কোনো জাল, মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে, দখলে বা মৎস্য নৌযানে রাখে তাহা হইলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1347,
"details": "২৯। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার মধ্যে নিম্নবর্ণিত এলাকাকে মৎস্য অভয়ারণ্য বা সামুদ্রিক সংরক্ষিত (Protected) এলাকা হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে, যথা :-(ক) বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার মধ্যে যে সকল এলাকায় জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণিকূল সংকটাপন্ন বা বিলুপ্তির ঝুঁকির মধ্যে রহিয়াছে, সে সকল এলাকা; অথবা(খ) যে সকল এলাকায় সামুদ্রিক জলজ জীব ক্রমহ্রাসমান পর্যায়ে রহিয়াছে, সে সকল এলাকা।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মৎস্য অভয়ারণ্য বা সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকায় জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণিকূলের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র ও আবাসস্থলের নিরাপত্তা ও সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক পুনরুৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি এবং বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা ও গবেষণা কর্মের প্রসারে সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩০। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৯ এর অধীন ঘোষিত মৎস্য অভয়ারণ্য বা সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকায় পরিচালক বা, ক্ষেত্রমত, সরকারের অনুমতি ব্যতীত-(ক) মৎস্য আহরণ করে বা করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করে, বা(খ) ড্রেজিং, বালি ও কাঁকড় আহরণ করে, বর্জ্য বা অন্য কোনো দূষিত পদার্থ নিক্ষেপ বা জমা করে বা অন্য কোনোভাবে মৎস্য বা মৎস্যের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র বা আবাসস্থলের ব্যাঘাত ঘটায় বা পরিবর্তন বা ধ্বংস সাধন করে, বা(গ) উক্ত সংরক্ষিত এলাকায় কোনো ইমারত বা অন্য কোনো স্থাপনা নির্মাণ করে,তাহা হইলে তাহার উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন।(২) মৎস্য অভয়ারণ্য বা সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বা ধারা ২৯ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অনুরূপ কোনো কার্য সম্পাদনের প্রয়োজন রহিয়াছে বলিয়া মনে করিলে পরিচালক উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যাদি সম্পাদনের জন্য লিখিত অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকায় মৎস্য শিকার, ড্রেজিং, ইত্যাদি নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩১। (১) সরকার লিখিতভাবে এবং নির্ধারিত শর্তে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় মৎস্য সম্পর্কিত গবেষণা বা জরিপ কাজে নিয়োজিত কোনো নৌযান, ব্যক্তি বা বাংলাদেশি, আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক কোনো সংস্থাকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে গবেষণা পরিচালনাকারী নৌযান, ব্যক্তি বা সংস্থা গবেষণার ফলাফল সরকারের নিকট দাখিল করিবে এবং সরকার যে পরিমাণ তথ্য প্রকাশের অনুমতি প্রদান করিবে শুধু সেই পরিমাণ তথ্য প্রকাশ ও ব্যবহার করিতে পারিবে।(৩) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর বিধান লংঘন করিলে তাহাকে অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাইবে।",
"name": "বৈজ্ঞানিক গবেষণার অনুমতি প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩২। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, পরিদর্শক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন মৎস্য অধিদপ্তরের এইরূপ কর্মকর্তা, পেটি অফিসার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্য, যে কোনো শুল্ক কর্মকর্তা বা সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (Authorised Officer) হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।",
"name": "দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩৩। যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় কোনো মৎস্য নৌযানের সাহায্যে এই আইন বা বিধি লংঘন করিয়া মৎস্য আহরণ করা হইয়াছে বা হইতেছে বা উক্ত মৎস্য পরিবহণ করা হইতেছে বা নৌযানে উক্ত মৎস্য মজুদ রাখা হইয়াছে বা মৎস্য নৌযানের সাহায্যে এই আইন বা বিধির অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি পরোয়ানা ব্যতীত-(ক) উক্ত মৎস্য নৌযানে বহনকৃত মৎস্য আহরণের যন্ত্রপাতি, জাল, সরঞ্জাম, নাবিক বা বহনকৃত মৎস্য পরীক্ষা এবং তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং তল্লাশিকালে যদি উক্ত মৎস্য নৌযানে অবৈধভাবে আহরণকৃত মৎস্য পাওয়া যায় বা এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত মৎস্য নৌযানের সাহায্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ করা হইয়াছে বা হইতেছে বা উক্ত মৎস্য পরিবহণ করা হইতেছে তাহা হইলে তিনি উক্ত মৎস্য নৌযান, নৌযানে সংরক্ষিত মৎস্য, মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম জব্দ করিতে এবং উক্ত অপরাধের সহিত জড়িত মৎস্য নৌযান পরিচালনাকারী ব্যক্তিকে আটক করিয়া নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করিতে পারিবেন; (খ) মৎস্য আহরণের লাইসেন্স, অনুমতিপত্র, সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র বা এতদসংক্রান্ত যে কোনো দলিল পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে উহার অনুলিপি দাখিল করিতে মৎস্য নৌযানের স্কিপার বা মালিককে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "মৎস্য নৌযানের গতিরোধ, পরীক্ষা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩৪। (১) যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো গৃহে বা গুদামে বা আঙ্গিনায় বা কোনো স্থানে এই আইন বা বিধি লংঘন করিয়া আহরণকৃত মৎস্য এবং এতদসংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম মজুদ রাখা হইয়াছে বা কোনো অপরাধ সংঘটনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হইতেছে বা অপরাধ সংঘটনের সরঞ্জাম মজুদ রাখা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি পরোয়ানা ব্যতীত উক্ত গৃহে বা গুদামে বা আঙ্গিনায় বা স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং(ক) উক্ত স্থানে রক্ষিত মৎস্য, মৎস্য নৌযান, আসবাবপত্র, আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম, যানবাহন জব্দ করিতে পারিবেন; এবং (খ) অপরাধ সংঘটনকারী বা অপরাধ সংঘটনের প্রস্ত্ততি গ্রহণকারী ব্যক্তিকে আটক করিয়া নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করিতে পারিবেন।(২) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এর অধীন আটককৃত দ্রব্য বা সরঞ্জামের একটি লিখিত তালিকা প্রস্তুতপূর্বক উহার একটি কপি পরিচালক এবং একটি কপি আটককৃত ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধিকে প্রদান করিবেন।",
"name": "পরোয়ানা ব্যতীত আঙ্গিনায় প্রবেশ, তল্লাশি, নৌযান জব্দ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩৫। (১) এই আইন বা বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক কোনো নৌযানের গতিরোধ করিবার প্রয়োজন হইলে, তাহার কর্তৃত্বে থাকা নৌযান বা উড়োজাহাজ হইতে আন্তর্জাতিক সংকেত, কোড বা অন্য কোনো স্বীকৃত পদ্ধতির মাধ্যমে উক্ত নৌযানের গতিরোধ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত নৌযান গতিরোধ না করিলে বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার বাহিরেও উহাকে অনুসরণ করা যাইবে এবং গতিরোধের জন্য সতর্কতা স্বরূপ বন্দুকের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা যাইবে এবং উক্তরূপ সতর্কতার পরেও উক্ত নৌযান না থামিলে উহাতে লক্ষ্য করিয়া গুলি বর্ষণ করা যাইবে।(২) কোনো নৌযানের গতিরোধ করিবার লক্ষ্যে উপ-ধারা (১) এর অধীন পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়া উহার গতিরোধ করা সম্ভব হইলে, উক্ত নৌযানকে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার বাহিরেও আটক করা যাইবে এবং আটকের পর উক্ত নৌযানসহ উহার নাবিককে নিকটস্থ বন্দর বা থানায় সোপর্দ করিতে হইবে।",
"name": "নৌযানের গতিরোধ করিবার লক্ষ্যে পিছু ধাওয়া করিবার ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩৬। কোনো ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন গ্রেফতার করা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে, যথাশীঘ্র সম্ভব, নিকটবর্তী থানায় হাজির করিতে হইবে এবং উক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই আইন, বিধি এবং Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) মোতাবেক তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।",
"name": "গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সংক্রান্ত বিধান",
"related_acts": "75",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩৭। (১) এই আইনের অধীন আটককৃত কোনো মৎস্য নৌযান, মৎস্য আহরণের গিয়ার বা সরঞ্জাম, বিস্ফোরক, বিষ বা অন্য কোনো ক্ষতিকর পদার্থ বা যন্ত্রপাতি বা ধারা ৪১ এর অধীন প্রাপ্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থ, উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে,-(ক) যদি এই আইনের অধীন কোনো মামলা দায়ের হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত মামলা নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত পদ্ধতিতে আটক থাকিবে;(খ) যদি এই আইনের অধীন কোনো মামলা দায়ের না হইয়া থাকে, তাহা হইলে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত আটক থাকিবে এবং উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর সরকার বরাবরে বাজেয়াপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না উক্ত সময়ের মধ্যে আটককৃত মালামালের প্রকৃত মালিক লিখিতভাবে কোনো দাবী উত্থাপন করেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন কোনো লিখিত দাবি পাওয়া গেলে পরিচালক কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া প্রয়োজনে অঙ্গীকারনামা, বা ক্ষেত্রমত, জামানত গ্রহণপূর্বক দাবিকৃত মালামাল বা অর্থ অবমুক্ত করিয়া দাবিদার মালিকের নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন।(৩) আদালত, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মালামাল বা সরঞ্জামের মালিকের আবেদনক্রমে প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা, বা ক্ষেত্রমত, জামানত বা ধারা ৩৪ এর বিধান কার্যকর করিবার পূর্বশর্ত আরোপ করিয়া আবেদনকারী বরাবর আটককৃত মৎস্য নৌযান বা মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম অবমুক্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।",
"name": "আটককৃত মৎস্য নৌযান, ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩৮। কোনো ব্যক্তি এই আইন বা বিধি লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকিলে অথবা এই আইন বা বিধির অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে মর্মে আদালতের নিকট প্রমাণিত হইলে, আদালত আরোপিত দণ্ডের অতিরিক্ত-(ক) মৎস্য নৌযান, আসবাবপত্র, আনুষঙ্গিক বস্তু, স্টোরের মালামাল, কার্গো, মৎস্য আহরণের গিয়ার, জাল অথবা সংঘটিত অপরাধে ব্যবহৃত মৎস্য আহরণের কোনো সরঞ্জাম বাজেয়াপ্তির আদেশ দিতে পারিবে বা আদালত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লাইসেন্স স্থগিত রাখিতে বা লাইসেন্স বাতিলের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে; এবং(খ) অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে আহরিত মৎস্য বা ধারা ৪১ অনুসারে বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত কোনো বিস্ফোরক, বিষ অথবা অন্য কোনো ক্ষতিকর পদার্থ বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "আদালত কর্তৃক দণ্ড আরোপের অতিরিক্ত হিসাবে বাজেয়াপ্তির আদেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৩৯। সরকার, ধারা ৩৭ বা ৩৮ অনুসারে বাজেয়াপ্ত হিসাবে গণ্য বা আদেশপ্রাপ্ত কোনো মৎস্য নৌযান, আসবাবপত্র, আনুষঙ্গিক বস্তু, স্টোরের মালামাল, কার্গো, মৎস্য আহরণের গিয়ার, জাল বা অন্যান্য সরঞ্জাম, বিস্ফোরক, বিষ অথবা অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ এবং মৎস্য হইতে বিক্রয়লব্ধ অর্থ, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিষ্পত্তি করিবে।",
"name": "বাজেয়াপ্তকৃত মৎস্য নৌযান, ইত্যাদি নিষ্পত্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪০। এই আইন বা বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করিয়া সংঘটিত অপরাধে ব্যবহৃত মৎস্য নৌযানে যে সকল মৎস্য পাওয়া যাইবে, বিপরীত কিছু প্রমাণিত না হইলে উহা বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমা হইতে অবৈধভাবে ধৃত হইয়াছে বলিয়া অনুমিত হইবে।",
"name": "অবৈধভাবে ধৃত মৎস্য",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪১। আটককৃত মৎস্য ও অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য পরিচালক স্বীয় উদ্যোগে, বা ক্ষেত্রমত, আদালতের নির্দেশে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিষ্পত্তি করিবেন এবং উক্ত দ্রব্য বিক্রয় করা হইলে বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাতে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে হইবে।",
"name": "মৎস্য ও পচনশীল দ্রব্য নিষ্পত্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪২। এই আইন বা বিধির অধীন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকালে উক্ত ব্যক্তি চাহিবামাত্র ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাহার পরিচয়পত্র বা লিখিত কর্তৃত্ব দাখিল করিবেন, যাহাতে যুক্তিসংগতভাবে প্রমাণিত হয় যে তিনি এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একজন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।",
"name": "ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিচয়পত্র প্রদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪৩। সরকার, বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা ব্যতীত, তাহার অন্য কোনো ক্ষমতা মহাপরিচালককে, মহাপরিচালক তাহার ক্ষমতা অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা পরিচালককে এবং পরিচালক তাহার ক্ষমতা প্রয়োজনীয় শর্ত সাপেক্ষে লিখিত আদেশ দ্বারা যে কোনো কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪৪। এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজকর্মের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না।",
"name": "সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪৫। (১) পরিচালক কর্তৃক লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়নে অস্বীকৃতির আদেশ, লাইসেন্স বাতিলের আদেশ বা এই আইনের অধীন প্রদত্ত জরিমানা আরোপের আদেশসহ অন্য কোনো প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি উক্ত আদেশদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সরকারের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।(২) সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়েরকৃত আপিল আবেদন উহা প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিষ্পত্তি করিবে।(৩) আপিল আবেদনের উপর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "প্রশাসনিক আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪৬। কোনো ব্যক্তি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা প্রদানের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪৭। কোনো ব্যক্তি মৎস্য নৌযান, খুঁটি, গিয়ার বা মৎস্য আহরণের সরঞ্জামের ক্ষতি সাধন বা ধ্বংস করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "মৎস্য নৌযান, ইত্যাদির ক্ষতি সাধনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪৮। কোনো ব্যক্তি আটক বা চিহ্নিতকরণ এড়াইবার জন্য মৎস্য, মৎস্য আহরণের যন্ত্রপাতির ও সরঞ্জাম, বিস্ফোরক দ্রব্য, বিষ, কোনো ক্ষতিকর পদার্থ বা অন্য কোনো প্রমাণ ধ্বংস করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "প্রমাণাদি ধ্বংসের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৪৯। কোনো নৌযানের মালিক বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে মার্কিং ব্যতীত কোনো মৎস্য নৌযান পরিচালনা করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "মার্কিং ব্যতীত মৎস্য নৌযান পরিচালনার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫০। নৌযানে আরোহণকৃত কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা বিধির অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন তাহা হইলে উক্ত নৌযানের স্কিপার উক্ত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইবেন এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "নৌযানে আরোহণকৃত ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫১। কোনো ব্যক্তি যদি জ্ঞাতসারে বেআইনিভাবে ধৃত মৎস্য সংরক্ষণ, মজুদ বা বিক্রয় করেন, তাহা হইলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "বেআইনিভাবে ধৃত মৎস্য সংরক্ষণ, মজুদ বা বিক্রয় করিবার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫২। কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের সমপরিমাণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "অপরাধ সংঘটনে সহায়তার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫৩। এই আইনে উল্লিখিত কোনো অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি পর্যায়ক্রমিকভাবে উক্ত দণ্ডের দ্বিগুণ হারে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "অপরাধ পুনঃসংঘটনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫৪। (১) পরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এই আইনে নির্ধারিত প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ ও আদায় করিতে পারিবেন।(২) কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন তাহার উপর আরোপিত প্রশাসনিক জরিমানা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. IX of 1913) এর অধীন সরকারি দাবি গণ্যে আদায়যোগ্য হইবে।",
"name": "প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ",
"related_acts": "98",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫৫। এই আইন বা বিধি লঙ্ঘন করিয়া বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার মধ্যে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত কোনো অপরাধ, এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং বাংলাদেশের যে কোনো আদালত কর্তৃক এমনভাবে বিচার্য হইবে যেন উক্ত অপরাধটি উক্ত আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের আওতায় বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে সংঘটিত হইয়াছে।",
"name": "স্থানীয় অধিক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধ",
"related_acts": "",
"section_id": 55
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫৬। Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) বা অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন- (ক) এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বা ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে;(খ) প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দোষী সাব্যসত্ম ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে অনুমোদিত যে কোনো দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি",
"related_acts": "75",
"section_id": 56
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫৭। (১) এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় অপরাধ আমলযোগ্য (Cognizable) ও জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।(২) ধারা ৭ এবং ২৪ এ বর্ণিত অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ আপসযোগ্য (Compoundable) হইবে।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 57
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫৮। (১) Code of Criminal Procedure, 1898, (Act No. V of 1898) এ যাহাই উল্লেখ থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন আপসযোগ্য অপরাধের মামলা নিষ্পত্তি হইবার পূর্বে পরিচালক এবং অভিযুক্ত উভয়ের স্বাক্ষরযুক্ত আপসনামা আদালতে দাখিল করা হইলে আদালত অপরাধের সংশ্লিষ্ট ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের সর্বাধিক পরিমাণের তিন চতুর্থাংশ পরিমাণ অর্থ, অর্থদণ্ড হিসাবে আরোপক্রমে অব্যাহতি প্রদান করিয়া মামলা নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন।(২) উপধারা (১) এ যাহাই উল্লেখ থাকুক না কেন, অপরাধ সংশ্লিষ্ট আটককৃত নৌযান, আহরণকৃত মৎস্য, যদি থাকে, এবং অন্যান্য সকল আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আদালত এই আইনের অধীনে নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "অপরাধের আপস",
"related_acts": "75",
"section_id": 58
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৫৯। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের ক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ",
"related_acts": "1025",
"section_id": 59
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৬০। (১) এই আইন বা বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো ব্যক্তির উপর কোনো নোটিশ জারি করিতে হইলে-(ক) যে ব্যক্তির প্রতি নোটিশ জারি করিতে হইবে, তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে উহার অনুলিপি সরবরাহ করিয়া অথবা তাহার বাড়ীর প্রকাশ্য কোনো স্থানে ঐ নোটিশের অনুলিপি সাঁটিয়া দিয়া; অথবা(খ) যদি নোটিশটি নৌযানের স্কিপার বা কোনো আরোহীর উপর জারি করিতে হয়, তাহা হইলে তাহার পক্ষে নৌযানের স্কিপার বা মৎস্য নৌযানটি ঐ সময়ে যাহার কর্তৃত্বাধীন রহিয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহার নিকট উহা সরবরাহ করিয়া; অথবা(গ) উক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ জ্ঞাত আবাসস্থল, ব্যবসা কেন্দ্র বা কর্মস্থলের ঠিকানায় প্রাপ্তি স্বীকারসহ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া জারি করিতে হইবে। (২) নোটিশের বিষয় অন্য কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবহিত হইয়াছে বলিয়া পরিচালক বা সরকারের নিকট স্পষ্ট হইলে শুধু নোটিশ জারির পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে গৃহীত কার্যক্রম বাতিল হইবে না।",
"name": "নোটিশ জারি",
"related_acts": "",
"section_id": 60
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৬১। (১) সরকার, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নৌযানের মৎস্য আহরণের ক্ষমতা এবং শ্রেণি অনুযায়ী লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন এবং সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্রের জন্য ফি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ফি পরিচালক বা কর্মকর্তা কর্তৃক আদায়যোগ্য হইবে।",
"name": "ফি আদায়",
"related_acts": "",
"section_id": 61
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৬২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 62
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৬৩। (১) Marine Fisheries Ordinance, 1983 (Ordinance No. XXXV of 1983), অতঃপর রহিতকৃত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিতকৃত Ordinance এর অধীন-(ক) ইস্যুকৃত লাইসেন্স, কৃত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা, এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) দায়েরকৃত কোনো মামলা বা কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে বা চলমান থাকিবে যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই;(গ) সম্পাদিত কোনো চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে;(ঘ) ইতোমধ্যে যে সকল মৎস্য নৌযানকে শ্রেণিতে বিভক্ত করা হইয়াছে উহা এই আইনের অধীন সংশোধিত ও পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ ও কার্যকর থাকিবে।(৩) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিতকৃত Ordinance এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোনো বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উহা এই আইনের অধীন প্রণীত, জারীকৃত এবং প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত বা পুনঃপ্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "646",
"section_id": 63
},
{
"act_id": 1347,
"details": "৬৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।(২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 64
}
],
"text": "Marine Fisheries Ordinance, 1983 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সনের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক আদেশ দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের, অতঃপর উক্ত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লিখিত, অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবংযেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, Marine Fisheries Ordinance, 1983 (Ordinance No. XXXV of 1983) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজন; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1348,
"lower_text": [],
"name": "মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 50,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
640,
1025,
1348,
75,
11,
957
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1348,
"details": "১। (১) এই আইন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1348",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘অপদ্রব্য’ অর্থ কৃত্রিমভাবে মৎস্যের ওজন বৃদ্ধি করিতে পারে বা উহার আকার বা গুণগত মান নষ্ট করিতে পারে এমন কোনো দ্রব্য, পদার্থ বা বস্তু; (২) ‘অপরাধ’ অর্থ এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধ; (৩) ‘অনাপত্তিপত্র’ অর্থ ধারা ২৩ এর অধীন প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র; (৪) ‘অভ্যন্তরীণ বাজার’ অর্থ বাংলাদেশের কোনো স্থান বা স্থাপনা, যেখানে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা হয়; (৫) ‘আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (Regional Competent Authority)’ অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ; (৬) ‘আমদানি’ অর্থ কোনা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য জল, স্থল ও আকাশপথে বাংলাদেশে আনয়ন; (৭) ‘আমদানিকারক’ অর্থ জল, স্থল ও আকাশপথে বিদেশ হইতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আনয়নকারী লাইসেন্সধারী ব্যক্তি; (৮) ‘কারখানা’ অর্থ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি, বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে উহা প্রক্রিয়াজাতকরণ, মোড়কজাতকরণ ও সংরক্ষণ সুবিধা সংবলিত কোনো স্থান, ঘর-বাড়ি, আঙ্গিনা বা নৌযান (Vessel) সহ যে কোনো যান যেখানে পাঁচ বা ততোধিক কর্মচারী বা শ্রমিক কর্মরত থাকে; (৯) ‘কিউরড মৎস্য (Cured Fish)’ অর্থ শুষ্ক, লবণাক্ত শুষ্ক, লবণাক্ত, ধূমায়িত (Smoked), লবণাক্ত ধূমায়িত, ফারমেন্টেড, মেরিনেটেড, পিকলড অথবা উক্ত পদ্ধতিসমূহের একাধিক সংমিশ্রণে প্রক্রিয়াজাত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য; (১০) ‘কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (Central Competent Authority)’ অর্থ ধারা৬ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ; (১১) ‘কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার’ অর্থ ধারা ৫ এ উল্লিখিত কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার; (১২) ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ’ অর্থ ফরমালিন, কীটনাশক বা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো রাসায়নিক পদার্থ; (১৩) ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ অর্থ ধারা ৪৫ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা; (১৪) ‘জালিয়াতি (Forgery)’ অর্থ Penal Code, 1860 এর section 463 তে বর্ণিত জালিয়াতি; (১৫) ‘টাটকা মৎস্য’ অর্থ সদ্য ধৃত বা আহরণকৃত মৎস্য বা গুণগত মানসম্পন্ন (Quality) মৎস্য যাহা বরফায়িত ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করা হয় নাই; (১৬) ‘‘ট্রেসিবিলিটি (Traceability)” অর্থ মৎস্য উৎপাদন ও আহরণ সংশ্লিষ্ট মৎস্য খামারের তথ্যাদি, মৎস্য খামার ব্যতীত অন্যান্য আহরণস্থল বা কারখানা ও স্থাপনার তথ্যাদি বা মৎস্য পরিচর্যা, পরিবহণ ও সংরক্ষণের তথ্যাদি এবং মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, পরিবহণ ও বাজারজাতকরণের বিভিন্ন ধাপে গৃহীত কার্যক্রমের তথ্যাদি সংরক্ষণের পদ্ধতি যাহা কোনো এক বা একাধিক ধাপে গৃহীত কার্যক্রম ও তাহার উৎস অনুসন্ধান ও শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহারযোগ্য; (১৭) ‘‘দূষিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য’’ অর্থ যে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জীবাণু অথবা কোনো বিষাক্ত দ্রব্য অথবা ক্ষতিকর বা ভেজাল বা মানুষের রুচি বিগর্হিত কোনো পদার্থ রহিয়াছে, সেই মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বা পঁচা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য; (১৮) ‘ধারা’ অর্থ এই আইনের কোনো ধারা; (১৯) ‘নিবন্ধন’ অর্থ ধারা ১৫ এর অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন; (২০) ‘নির্ধারিত’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত; (২১) ‘পঁচা’ অর্থ টাটকা মৎস্যের গুণাগুণ বিদ্যমান নাই এবং ঝাঁঝাল গন্ধ, বিকৃত বর্ণ, বিস্বাদ, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য; (২২) ‘পরিদর্শক’ অর্থ মৎস্য অধিদপ্তর এর পরিদর্শক, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ; (২৩) ‘পরিদর্শন’ অর্থ ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পরিদর্শন; (২৪) ‘পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা’ অর্থ মৎস্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক বা পরিদর্শন সংক্রান্ত কার্যের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো কর্মকর্তা; (২৫) ‘পাত্র (Container)’ অর্থ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য মোড়কজাতকরণ অথবা বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবহার উপযোগী যে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসম্মত আধার, প্যাকেট, মোড়ক, কনফাইনিং ব্যান্ড, ইত্যাদি; (২৬) ‘বরফায়িত মৎস্য (Chilled fish)’ অর্থ বরফ দ্বারা বা অন্য কোনো উপায়ে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস হইতে (+)৫ (পাঁচ) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে সংরক্ষিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য; (২৭) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (২৮) ‘ব্যক্তি’ অর্থ মৎস্য উৎপাদন বা আহরণ বা পরিবহণে নিয়োজিত নৌযান এবং এয়ারক্রাফটসহ যে কোনো যানবাহন অথবা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, পরিচর্যা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাতকরণ অথবা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য ব্যবহারের জন্য বরফ উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহণ, বিপণন অথবা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য ব্যবসায় জড়িত কোনো ব্যক্তি অথবা কোম্পানি এবং ইহার মালিক, পরিচালক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী; (২৯) ‘ভেজাল’ অর্থ মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে নির্ধারিত বা অনুমোদিত মাত্রার কম বা বেশি মিশ্রিত কোনো রাসায়নিক পদার্থ বা অন্য কোনো বস্তু যাহা মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের গুণাগুণ নষ্ট করে বা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর; (৩০) ‘ভৌত গুণাগুণ পরীক্ষা’ অর্থ কোনো মৎস্য বা মৎস্যপণ্যের গুণাগুণ বা বাহ্যিক অবস্থা বিচার করিবার পদ্ধতি; (৩১) ‘মৎস্য’ অর্থ কোমল ও কঠিন অস্থিবিশিষ্ট মৎস্য (Cartilaginous and Bony Fishes), স্বাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি (Prawn and Shrimp), উভচর জলজ প্রাণী (Amphibians), কচ্ছপ, কুমির (Crocodile), কাঁকড়া জাতীয় (Crustacean), শামুক অথবা ঝিনুক জাতীয় জলজ প্রাণী (Molluscs), সিলেন্টারেটস (Coelenterates), একাইনোডার্ম (Echinoderms), ব্যাঙ (Frog) এবং উল্লিখিত জলজ প্রাণী অথবা প্রাণীসমূহের জীবন্ত কোষ ও জীবনচক্রের যে কোনো ধাপ এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত অন্য কোনো জলজ প্রাণী; (৩২) ‘মৎস্য খামার’ অর্থ ঘের, পুকুর, দিঘি, পেন, জলাধার, চৌবাচ্চা অথবা জলজ খাঁচা যে স্থানে প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম অথবা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মৎস্য চাষ করা হয় অথবা যে স্থানে মৎস্য উহার জীবন চক্রের যে কোনো ধাপে অথবা বাজারজাতকরণের উপযোগী আকার পর্যন্ত লালন-পালন করা হয়; (৩৩) ‘মৎস্যপণ্য’ অর্থ কোনো মৎস্য হইতে উৎপন্ন পণ্য অথবা প্রক্রিয়াজাত মৎস্য (Processed fish) অথবা উপজাত পণ্য (By product); (৩৪) ‘মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (Fish Processing)’ অর্থ রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাতকরণের নিমিত্ত পূর্ণ মৎস্যের (Whole fish), ড্রেসকরণ (Dressed), শুষ্ককরণ (Dry), মাথা, খোসা বা নাড়িভুঁড়ি ছাড়ানো এবং ইহাদের এক অথবা একাধিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করিয়া পূর্ণ অথবা ফালিকৃত, পরিষ্কৃত, বরফায়িত, হিমায়িত, কুকড, ব্লান্চড (Blanched) বা ধূমায়িতকরণ বা অন্য কোনো উপায়ে রক্ষণ বা কিউরড মৎস্য বা মৎস্যের কোনো অংশ যাহা মোড়কজাতকরণ বা কৌটাজাতকরণ করা হয়; (৩৫) ‘মান নিয়ন্ত্রণ’ অর্থ মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের নির্ধারিত মান (Standard) নিশ্চিতকরণের কোনো প্রক্রিয়া (Techinques); (৩৬) ‘মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার (Laboratory)’ অর্থ ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত পরীক্ষাগার; (৩৭) ‘মিথ্যা সনদ বা দলিল (False Document)’ অর্থে Penal Code, 1860 এর section 464 এ বর্ণিত উপায়ে সৃজিত মিথ্যা বা বানোয়াট সনদ বা দলিল; (৩৮) ‘রপ্তানি’ অর্থ কোনো মৎস্য ও মৎস্যপণ্য জল, স্থল ও আকাশপথে বাংলাদেশ হইতে বিদেশে প্রেরণ; (৩৯) ‘রপ্তানিকারক’ অর্থ জল, স্থল ও আকাশপথে বাংলাদেশ হইতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রেরণকারী লাইসেন্সধারী ব্যক্তি; (৪০) ‘লাইসেন্স’ অর্থ ধারা ১০ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স; (৪১) ‘স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ’ অর্থ ধারা ২৮ এর প্রদত্ত স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ; (৪২) ‘স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (Local Competent Authority)’ অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ; (৪৩) ‘স্থাপনা’ অর্থ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, পরিচর্যা কেন্দ্র, ডক, পাইকারী মৎস্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র ও বাজার, নিলাম কেন্দ্র, মৎস্য ডিপো, আড়ত, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য সংরক্ষণের হিমাগার ও কোল্ড স্টোর, মৎস্য প্যাকিং সেন্টার, মৎস্য সংরক্ষণের নিমিত্ত ব্যবহৃত যান, বরফ উৎপাদনে স্থাপিত বরফকল, বরফ সংরক্ষণের স্থান, মৎস্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, নন প্যাকার রপ্তানিকারক, স্থানীয় বায়িং এজেন্টের অফিস, গুদামঘর; এবং (৪৪) ‘হিমায়িত মৎস্য’ অর্থ কোনো মজুদাগারে (-)১৮০ সেলসিয়াস অথবা তদপেক্ষা নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষিত মৎস্য বা মৎস্যপণ্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "11,11",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩। (১) কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, পরিবহণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ বা প্রক্রিয়াজাতকরণের মান নির্ধারণ করিবে। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত মান ব্যতীত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, পরিবহণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ বা অন্য কোনো উপায়ে কোনো ভোক্তার নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবে না।",
"name": "মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের মান নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, রপ্তানিযোগ্য, আমদানিকৃত বা বাজারজাতকরণযোগ্য মৎস্য ও মৎস্যপণ্য, উহা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণে ব্যবহৃত দ্রব্য, পানি, বরফ, সোয়াব এবং মৎস্য খাদ্য বা খাদ্য উপকরণের মান পরীক্ষা বা উহার বিশুদ্ধতা নির্ণয়ের নিমিত্ত দেশের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার স্থাপন করিতে পারিবে। (২) কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স ম্যানেজার, কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারের স্বীকৃতির (Accreditation) জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে।",
"name": "মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৫। ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স ম্যানেজারের কর্তৃত্বাধীনে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিচালিত হইবে।",
"name": "কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স ম্যানেজার",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নলিখিত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থাকিবে, যথা :- (ক) কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ; (খ) আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ; এবং (গ) স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। (২) মহাপরিচালক হইবেন কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এবং তিনি কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত কার্যাবলি ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। (৩) উপ-পরিচালক (মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) হইবেন আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এবং তিনি আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত কার্যাবলি ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। (৪) উপ-পরিচালক বা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হইবেন স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এবং তিনি স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত কার্যাবলি ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘মহাপরিচালক’’ এবং ‘‘উপ-পরিচালক’’ বলিতে মৎস্য অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক এবং বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপ-পরিচালককে বুঝাইবে।",
"name": "উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের গঠন ও পরিচালনা",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৭। কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র হইবে সমগ্র বাংলাদেশ এবং কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, নির্ধারিত পদ্ধতিতে আঞ্চলিক ও স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৮। কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি, কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করিতে পারিবে না।",
"name": "লাইসেন্স ব্যতীত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি, ইত্যাদিতে বাধা-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৯। আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানির জন্য কোনো রপ্তানিকারককে বা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং এতদসংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কার্যের জন্য কোনো মালিককে কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবে।",
"name": "লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১০। (১) ধারা ৯ এর অধীন কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার লক্ষ্যে লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে হইবে। (২) আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদনপত্র যাচাইপূর্বক লাইসেন্স ইস্যু করিবেন।",
"name": "লাইসেন্সের জন্য আবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১১। আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স ইস্যু করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে, যদি- (ক) ধারা ১০ অনুযায়ী আবেদনপত্র সঠিক না পাওয়া যায়; (খ) আবেদনপত্রে উল্লিখিত ও সংযোজিত তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট বা অপর্যাপ্ত হয়; (গ) আবেদনকারী এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির অযোগ্য হন; বা (ঘ) নির্ধারিত অন্য কোনো শর্ত প্রতিপালন না করা হয়।",
"name": "লাইসেন্স ইস্যু করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১২। (১) লাইসেন্সের মেয়াদ হইবে ৩(তিন) বৎসর এবং উহা হস্তান্তরযোগ্য বা বিক্রয়যোগ্য হইবে না। (২) লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার ৩০(ত্রিশ) দিন পূর্বে লাইসেন্স নবায়ন করিতে হইবে। (৩) লাইসেন্স নবায়নের জন্য আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে হইবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীনে প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনাপূর্বক, ধারা ১১ এর বিধান সাপেক্ষে, আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স নবায়ন করিতে পারিবেন। (৫) লাইসেন্স নবায়ন করা না হইলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত লাইসেন্স স্থগিত থাকিবে, তবে মেয়াদ উত্তীর্ণের পরে ১ (এক) বছরের মধ্যে বিধিতে বর্ণিত লাইসেন্স নবায়ন ফিসহ উহার অতিরিক্ত লাইসেন্স ফি এর তিনগুণ পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে চালানের মাধ্যমে জমাদানপূর্বক লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।",
"name": "লাইসেন্স হস্তান্তর, লাইসেন্সের মেয়াদ ও নবায়ন",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১৩। (১) আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত যে কোনো কারণে লাইসেন্স বাতিল, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্থগিত করিতে পারিবে, যদি লাইসেন্সগ্রহীতা- (ক) এই আইন বা বিধি বা লাইসেন্সের কোনো শর্ত লংঘন করিয়া থাকেন; (খ) কোনো অসত্য তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপনপূর্বক লাইসেন্স গ্রহণ করিয়া থাকেন; (গ) মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি, মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লক্ষ্যে কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে লাইসেন্স ব্যবহার করিয়া থাকেন; (ঘ) একাধারে ২(দুই) বার লাইসেন্স নবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হন; (ঙ) লাইসেন্স হস্তান্তর বা বিক্রয় করেন; (চ) তাহার স্থাপিত কারখানা বা স্থাপনা কর্তৃক নদী বা সমুদ্রের পানি বা পরিবেশ দূষণ করেন বা করিয়া থাকেন; (ছ) মৃত্যুবরণ করেন; (জ) এই আইনের অধীন ২(দুই) বার প্রশাসনিক জরিমানা বা অন্য কোনো অপরাধে দন্ডিত হন; বা (ঝ) নির্ধারিত অন্য কোনো শর্ত প্রতিপালন না করিয়া থাকেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো লাইসেন্স বাতিল করিবার পূর্বে আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাইসেন্স বাতিলের কারণ উল্লেখ করিয়া সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সগ্রহীতাকে নোটিশ প্রাপ্তির ৭(সাত) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত বক্তব্য, যদি থাকে, উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়া নোটিশ প্রদান করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর উক্ত জবাব সন্তোষজনক না হইলে আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, নোটিশে উল্লিখিত মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত বক্তব্য সন্তোষজনক হইলে আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সগ্রহীতাকে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিবেন।",
"name": "লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১৪। (১) মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের নির্ধারিত মান নিশ্চিত করিবার জন্য পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা যে কোনো সময় যে কোনো কারখানা, স্থাপনা, মৎস্য আহরণে নিয়োজিত নৌযান, মৎস্য পরিবহণে নিয়োজিত এয়ারক্রাফটসহ যে কোনো যানবাহন, মৎস্য বিক্রয়ের অভ্যন্তরীণ বাজার, মৎস্য খামার পরিদর্শন করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকালে পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা যদি দেখিতে পান যে, কারখানা বা স্থাপনায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা হয় নাই বা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে নির্ধারিত মান রক্ষা করা হয় নাই তাহা হইলে তিনি কারখানা বা স্থাপনার মালিককে অনধিক৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপসহ উক্ত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য জব্দ করিতে পারিবেন। (৩) পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন অভ্যন্তরীণ বাজার, কারখানা বা স্থাপনা পরিদর্শনকালে কোনো মৎস্য বা মৎস্যপণ্যের ভৌত গুণাগুণ বা অন্য কোনো কারিগরি পরীক্ষা করিয়া নিশ্চিত হন যে, কোনো মৎস্য বা মৎস্যপণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত করিয়া উহা ভোক্তার নিকট বিক্রয় করা হইয়াছে বা হইতেছে বা প্রক্রিয়াজাত করা হইয়াছে বা হইতেছে তাহা হইলে তিনি উক্ত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য সরবরাহকারী, বিক্রেতা, উৎপাদনকারী, কারখানা বা স্থাপনার মালিক বা উক্ত প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধারা ৩০ এর অধীন মামলা দায়ের করিবেন এবং তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য জব্দ করিবেন। (৪) পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা যদি মৎস্য নৌযান, এয়ারক্রাফট, যানবাহন পরিদর্শন করিয়া দেখিতে পান যে, উক্ত নৌযান, এয়ারক্রাফট, যানবাহন দ্বারা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বা অপদ্রব্য অনুপ্রবেশকৃত দূষিত বা পঁচা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বহন করা হইতেছে তাহা হইলে তিনি উক্ত নৌযান, এয়ারক্রাফট এবং যানবাহনের চালক এবং মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের মালিকের বিরুদ্ধে ধারা ৩০ এর অধীন মামলা দায়ের করিতে পারিবেন। (৫) পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা যদি কোনো কারখানা বা স্থাপনা পরিদর্শনকালে দেখিতে পান যে, উক্ত কারখানা বা স্থাপনায় ভেজাল বা পঁচা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য হ্যান্ডলিং, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ বা বিক্রয় করা হইতেছে তাহা হইলে তিনি হ্যান্ডলিং, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বিক্রয়কারীর বিরুদ্ধে ধারা ৩১ এর অধীন মামলা দায়ের করিবেন এবং তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য জব্দ ও নিষ্পত্তি করিবেন। (৬) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকালে পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কারখানা বা স্থাপনার কোনো রেজিস্টার, নথিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ, রেকর্ড ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করিয়া ছায়ালিপি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনে এতদ্সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। (৭) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শন এবং উপ-ধারা (২), (৩), (৪), (৫) এবং (৬) এর অধীন কোনো আদেশ বা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বাধা সৃষ্টি করিতে পারিবে না।",
"name": "পরিদর্শন ও প্রশাসনিক জরিমানা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১৫। (১) প্রত্যেক মৎস্য খামারের মালিক বা পরিচালনাকারীকে তাহার মৎস্য খামারে উৎপাদিত মৎস্যের ট্রেসিবিলিটি ও নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকরণার্থে নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে মৎস্য খামারের নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধন ব্যতীত কোনো মৎস্য খামারে উৎপাদিত মৎস্য রপ্তানি বা কোনো কারখানায় পক্রিয়াজাত বা মৎস্যপণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা যাইবে না।",
"name": "মৎস্য খামার নিবন্ধন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১৬। (১) কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত নিষিদ্ধ ঔষধ (Banned Aquaculture Medicinal Products) এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মৎস্য খামারে ব্যবহার করা যাইবে না : তবে শর্ত থাকে যে, মৎস্যের রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ঔষধ বা রাসায়নিক পদার্থ নির্ধারিত পদ্ধতিতে মৎস্য চাষে ব্যবহার করা যাইবে। (২) প্রত্যেক নিবন্ধিত মৎস্য খামারের উত্তম মৎস্য চাষ পদ্ধতি (Good Aquaculture Practice) অনুসরণ করিয়া মানসম্পন্ন নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন করিতে হইবে।",
"name": "মৎস্য খামারে ঔষধ ও রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১৭। (১) কোনো মৎস্য খামারের মালিক এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধির কোনো শর্ত ভঙ্গ করিলে স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ মৎস্য খামারের মালিককে যুক্তিসঙ্গত কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া মৎস্য খামারের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবেন। (২) স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থগিত বা বাতিলকৃত মৎস্য খামার পুনঃনিবন্ধন করিতে পারিবে।",
"name": "নিবন্ধন স্থগিত, বাতিল, পুনঃনিবন্ধন",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১৮। (১) কোনো কারখানা বা স্থাপনায় ধারা ৩ এর অধীন নির্ধারিত মান অনুসারে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করিতে হইবে। (২) প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় টাটকা ও সম্পূর্ণ মৎস্য (Whole fish) গ্রহণ করিতে হইবে।",
"name": "কারখানা বা স্থাপনার মান নিয়ন্ত্রণ",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1348,
"details": "১৯। কারখানা বা স্থাপনার মালিককে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কারখানা বা স্থাপনার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং স্যানিটারি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিতে হইবে।",
"name": "কারখানা বা স্থাপনার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২০। (১) সিভিল সার্জন বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার বা রেজিস্টার্ড কোনো চিকিৎসকের নিকট হইতে সংক্রামক কোনো রোগে আক্রান্ত নহে, এইরূপ চিকিৎসা সনদ ব্যতীত কারখানা বা স্থাপনায় কোনো কর্মচারী বা শ্রমিককে মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহণ বা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য হ্যান্ডলিং সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োগ করা যাইবে না। (২) কারখানা বা স্থাপনায় কর্মরত অবস্থায় কোনো কর্মচারী বা শ্রমিক কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হইলে উক্ত রোগমুক্তির পূর্ব পর্যন্ত তাহাকে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্য সম্পাদন হইতে বিরত রাখিতে হইবে এবং উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত চিকিৎসা সনদ ব্যতীত তাহাকে পুনরায় কারখানা বা স্থাপনার কোনো কাজে নিয়োগ করা যাইবে না। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘সংক্রামক রোগ’’ অর্থ টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়া, কুষ্ঠরোগ, যক্ষ্মা বা সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত কোনো রোগ। (৩) কোনো কারখানা বা স্থাপনার মালিক বা ম্যানেজারকে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত চিকিৎসা সনদ, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং কারখানা বা স্থাপনা পরিদর্শনের সময় পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাকে উক্ত সনদ প্রদর্শন করিতে হইবে। (৪) কারখানা বা স্থাপনার মালিক বা ম্যানেজার উপ-ধারা (১), (২) এবং (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা তাহাকে অনধিক ৪ (চার) লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে যে কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "চিকিৎসকের সনদ ব্যতীত কর্মচারী বা শ্রমিক নিয়োগ নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২১। প্রত্যেক কারখানা বা স্থাপনার মালিক বা ম্যানেজারকে তাহার কারখানা বা স্থাপনায় কর্মরত কর্মচারী বা শ্রমিকের যাবতীয় তথ্য নির্ধারিত ফরম বা রেজিস্টারে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা পরিদর্শনের সময় চাহিবামাত্র উক্ত ফরম বা রেজিস্টার প্রদর্শন করিতে হইবে।",
"name": "তথ্য সংরক্ষণ",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২২। (১) এই আইনের কোনো বিধান বা অন্য কোনো আইন, আদেশ বা বিধি দ্বারা নিষিদ্ধ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বা পঁচা, দূষিত, ভেজাল ও অপদ্রব্য মিশ্রিত, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থযুক্ত কোনো মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি করা যাইবে না। (২) কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকস, অনুজীব, হেভী মেটাল, কীটনাশক, রঞ্জক পদার্থ, এডিটিভস, স্টেরয়েডস, হরমোন এবং অন্য কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ এর অনুমোদিত মাত্রা নির্ধারণ করিতে পারিবে।",
"name": "আমদানি নিষিদ্ধ",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২৩। (১) কোনো আমদানিকারক কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অনাপত্তিপত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি কারিতে পারিবে না। (২) আমদানিকারককে অনাপত্তিপত্রের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমদানিতব্য মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের বিবরণসহ উহা আমদানির অন্যূন ১৫ (পনের) দিন পূর্বে কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে এই আইনসহ প্রযোজ্য অন্যান্য আইন, বিধি বা আদেশের বিধান সাপেক্ষে অনাপত্তিপত্র ইস্যু করিতে পারিবে।",
"name": "আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্র",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২৪। (১) আমদানিকারককে আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির প্রতিটি কনসাইনমেন্টের সহিত রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ, ট্রেসিবিলিটি ও হালাল সনদ দাখিল করিতে হইবে। (২) আমদানিকৃত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পূর্বে আমদানিকারককে কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য সম্পর্কে ঘোষণা প্রদান করিতে হইবে। (৩) হিমায়িত ও কিউরড মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির প্রতিটি কনসাইনমেন্টের সহিত রপ্তানিকারক দেশের ইস্যুকৃত স্বাস্থ্যকরত্ব সনদের সহিত আমদানিকারক দেশের বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরি কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিকারক এন্টিবায়োটিক, প্যাথোজেনিক ও নন-প্যাথোজেনিক অনুজীব, কীটনাশক, হেভী মেটাল, রঞ্জক পদার্থ, এডিটিভস, স্টেরয়েডস, হরমোন এবং অন্য কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ পরীক্ষণের প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে।",
"name": "মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির শর্তাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২৫। (১) পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আমদানিকৃত বরফায়িত, হিমায়িত, কিউরড বা অন্য কোনো উপায়ে প্রক্রিয়াজাত মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের কনসাইনমেন্ট পরিদর্শন, বন্দর হইতে ছাড়করণ, ভৌত গুণাগুণ পরীক্ষা করিবেন এবং অণুজীব, এন্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল, কীটনাশক, হরমোন, রঞ্জক পদার্থ ও অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরীক্ষিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের নির্ধারিত মাত্রা অপেক্ষা অধিক অণুজীব পাওয়া গেলে অথবা নিষিদ্ধ এন্টিবায়োটিক ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ সনাক্ত হইলে অথবা অনুমোদিত এন্টিবায়োটিক ও রাসায়নিক পদার্থ নির্ধারিত মাত্রা অপেক্ষা অধিক পরিমাণে উপস্থিত থাকিলে, পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আমদানিকৃত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বিনষ্ট করিতে বা রপ্তানিকারকের নিকট ফেরত প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন। (৩) কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে উপ-ধারা (২) এর উল্লিখিত ক্ষেত্র বিবেচনা করিয়া সংশ্লিষ্ট দেশ হইতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "আমদানিকৃত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২৬। কোনো আমদানিকারক এই আইন বা বিধি বা অনাপত্তিপত্রে উল্লিখিত কোনো শর্ত লঙ্ঘন করিলে সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া তাহাকে প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র বাতিল করিতে পারিবেন।",
"name": "অনাপত্তিপত্র বাতিল",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২৭। (১) কোনো রপ্তানিকারক এখতিয়ারসম্পন্ন আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র গ্রহণপূর্বক এবং এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করিতে পারিবে। (২) উপধারা (১) এ যাহাই উল্লেখ থাকুক না কেন, স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ গ্রহণ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করিতে পারিবে না।",
"name": "মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২৮। (১) আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত পরীক্ষণ, উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন এবং এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ প্রদান করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ গ্রহণের জন্য রপ্তানিকারককে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করিতে হইবে। (৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমায়িত মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা ব্যতিরেকে যে কোনো বন্দরে কেবল ভৌত গুণাগুণ পরীক্ষা সাপেক্ষে ১০(দশ) কেজি পর্যন্ত বাণিজ্যিক নমুনার (Trade sample) স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ প্রদান করিতে পারিবে।",
"name": "স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1348,
"details": "২৯। (১) আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ প্রদান করিবেন না, যথা :- (ক) ধারা ৮, ১২(২), ১২(৫), ১৫, ১৬, ১৮, ২০ এবং ৪৩ এর ব্যত্যয় ঘটিলে; (খ) উৎপাদিত অথবা প্রক্রিয়াজাতকৃত মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের ট্রেসিবিলিটি, আমদানিকারকের ইনভয়েস না থাকিলে; (গ) আমদানিকারক দেশের চাহিদা অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষণ প্রতিবেদন এবং সঠিক লেবিলিং না থাকিলে; (ঘ) নির্ধারিত অন্য কোনো কারণে। (২) কোনো ব্যক্তি এই আইনের কোনো বিধান বা বিধি লঙ্ঘন করিলে তাহার স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ বাতিল হইবে।",
"name": "স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ প্রদানের বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩০। কোনো ব্যক্তি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাত করিবার জন্য উহাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসরের, কিন্তু ৫(পাঁচ) বৎসরের নিম্ন নহে, কারাদণ্ড এবং অন্যূন ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩১। (১) কোনো ব্যক্তি রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাত করিবার উদ্দেশ্যে মৎস্য বা মৎস্যপণ্যে ভেজাল মিশ্রণ বা অপদ্রব্য অনুপ্রবেশ করাইলে বা নির্ধারিত পরিবেশ এবং পাত্র ব্যতীত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ বা পরিবহণ করিলে বা নির্ধারিত মানের পানি ব্যবহার ব্যতীত বরফ তৈরি, সংরক্ষণ বা ব্যবহার করিলে; বা (২) কোনো ব্যক্তি মৎস্য খামারে নিষিদ্ধ ঔষধ এবং রাসায়নিক ও ক্ষতিকারক পদার্থ ব্যবহার করিলে বা মৎস্য খামারে উত্তম মৎস্য চাষ পদ্ধতি অনুসরণ না করিলে- উহা হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অন্যূন ২(দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৮ (আট) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "ভেজাল মিশ্রণ, অপদ্রব্য অনুপ্রবেশ এবং নিষিদ্ধ ঔষধ ও রাসায়নিক ক্ষতিকারক পদার্থ ব্যবহারের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩২। কোনো ব্যক্তি স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ গ্রহণ ব্যতীত বা মিথ্যা স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ ব্যবহার করিয়া বা স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ জালিয়াতি করিয়া মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করিলে বা রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০(দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ ব্যতীত রপ্তানি বা মিথ্যা বা জাল স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ ব্যবহারের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩৩। কোনো ব্যক্তি পঁচা বা দূষিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি, রপ্তানি ও বিক্রয় করিলে তাহার উপর অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাইবে এবং উক্ত মৎস্য বাজেয়াপ্ত হইবে।",
"name": "পঁচা বা দূষিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি, রপ্তানি, বিক্রয়, ইত্যাদি করিবার জরিমানা",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩৪। কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অন্যূন ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৪(চার) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "লাইসেন্স ব্যতীত কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩৫। কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইবার পর পুনরায় একটি অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।",
"name": "অপরাধ পুনঃসংঘটনের দণ্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩৬। (১) কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, সচিব, অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত সত্ত্বা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একটি কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে। ব্যাখ্যা- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘কোম্পানি’’ অর্থ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর ধারা ২ এর দফা (ঘ) তে সংজ্ঞায়িত কোম্পানি এবং যে কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা এক বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন বা সংস্থাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।",
"name": "কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩৭। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার বা আটকের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) অনুসরণ করিতে হইবে। (২) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।",
"name": "অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার",
"related_acts": "75,75",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩৮। এই আইনের অধীন সংঘটিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য (Cognizable) কিন্তু জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৩০ এবং ৩২ এর অধীন সংঘটিত অপরাধের প্রকৃত ও ক্ষেত্র বিবেচনা করিয়া আদালত জামিন প্রদানের অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে।",
"name": "অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৩৯। এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।",
"name": "মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ",
"related_acts": "1025",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪০। এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে যে মৎস্য, মৎস্যপণ্য, কারখানা বা স্থাপনার যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।",
"name": "বাজেয়াপ্তযোগ্য মৎস্য, মৎস্যপণ্য ও সাজসরঞ্জাম, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪১। এই আইনের অধীন আটককৃত কোনো মৎস্য ও মৎস্যপণ্য দ্রুত পঁচনশীল হইয়া থাকিলে উহা সংরক্ষণ না করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার ব্যবহার, হস্তান্তর, ধ্বংস বা অন্য কোনো প্রকারে বিলি বন্দোবস্ত করা যাইবে।",
"name": "পঁচনশীল মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের নিষ্পত্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪২। কাঁচা মৎস্য এবং দ্রুত পঁচনশীল কোনো মৎস্যপণ্য কোনো খুচরা মৎস্য বিক্রেতা, হকার বা ফেরিওয়ালার নিকট বা কোনো দোকানে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণে পঁচিয়া যাওয়া অবস্থায় পাওয়া গেলে উক্ত কারণে উক্ত খুচরা মৎস্য বিক্রেতা, হকার, ফেরিওয়ালা বা দোকানদারকে দায়ী করিয়া কোনো ফৌজদারি বা প্রশাসনিক কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যদি না ইহা সহজেই বোধগম্য হয় যে, পঁচিয়া গিয়াছে জানিয়াও তিনি উক্ত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বিক্রয়ের জন্য রাখিয়াছেন বা বিক্রয়ের চেষ্টা করিয়াছেন।",
"name": "দায় হইতে অব্যাহতি",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪৩। সরকার, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, জাতীয় রেসিডিউ কন্ট্রোল প্লান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিবে।",
"name": "জাতীয় রেসিডিউ কন্ট্রোল প্লান (National Residue Control Plan)",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪৪। এই আইনের অধীন আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট এবং কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবে এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "প্রশাসনিক আপিল",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪৫। (১) সরকার, বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা ব্যতীত, কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উহার যে কোনো ক্ষমতা, নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, মৎস্য অধিদপ্তরের প্রথম শ্রেণির নিম্নে নহেন এমন যে কোনো কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) উল্লিখিত কোনো কর্মকর্তা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে গণ্য হইবেন।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা চাহিলে সংশ্লিষ্ট বাহিনী সহায়তা প্রদান করিবে।",
"name": "আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা গ্রহণ",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪৭। সরকার, নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন এবং মাননিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের মান পরীক্ষা, স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ বা অনাপত্তি পত্র প্রদান বাবদ নির্ধারিত হারে ফি আরোপ ও আদায় করতে পারিবে।",
"name": "ফি আরোপ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করা যাইবে, যথা :- (ক) মৎস্য আহরণ, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য হ্যান্ডলিং, প্রক্রিয়াজাতকরণ, গ্রেডিং, হিমায়িতকরণ, বরফায়িতকরণ, প্যাকেজিং, লেবেলিং, মার্কিং, বাজারজাতকরণ, মজুদ, সংরক্ষণ, পরিবহণের পদ্ধতি নির্ধারণ; (খ) মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের মোড়ক সামগ্রী বিনির্দেশিকা, ধরন (Type), মান নির্ধারণ এবং উহা শনাক্তকরণ ও পরিদর্শনের পদ্ধতি নির্ধারণ; (গ) কারখানা বা স্থাপনার সরঞ্জাম, নির্মাণকার্য এবং মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি কার্যে ব্যবহৃত যানবাহন সম্পর্কিত শর্তাবলী নির্ধারণ; (ঘ) মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বরফ তৈরিতে পানীয় জলের ব্যবহার, উহার মান নির্ধারণ, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, এডিটিভিস, প্রিজারভেটিভ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ব্যবহার এবং উহার মাত্রা নির্ধারণ; (ঙ) রপ্তানিকৃত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বিদেশ হইতে ফেরত আসা পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ; (চ) রপ্তানিকৃত বা ঘোষিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের কনসাইনমেন্টের নন-কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে পণ্য দূষণের উৎস শনাক্তকরণের জন্য খামার, ডিপো, সরবরাহকারী ও কারখানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নির্ধারণ; (ছ) প্রক্রিয়াজাতকৃত মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের মান নিশ্চিতকরণের জন্য Hazard Analysis Critical Control Point (HACCP) পদ্ধতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণ; (জ) কারাখানা বা প্রতিষ্ঠান বা মৎস্য খামারের মালিক কর্তৃক মৎস্য ও মৎস্যপণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণ; (ঝ) মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উহার ব্যয় ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি নির্ধারণ; (ঞ) মৎস্য ও মৎস্যপণ্য সংক্রান্ত যে কোনো ঝুঁকি (Risk) ও সংকট (Crisis) ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি নির্ধারণ; (ট) মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে ব্যবহারের জন্য স্থাপিত বরফকলের লাইসেন্স, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও শর্তাবলি নির্ধারণ; এবং (ঠ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত অন্য যে কোনো বিষয়।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৪৯। (১) Fish and Fish Products (Inspection and Quality Control) Ordinance, 1983 (Ordinance No. XX of 1983) অতঃপর রহিত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Ordinance এর অধীন- (ক) ইস্যুকৃত লাইসেন্স, কৃত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচীত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) দায়েরকৃত কোনো মামলা বা কার্যধারা (Proceedings) অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে বা চলমান থাকিবে যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই; (গ) সম্পাদিত কোনো চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে। (৩) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত Ordinance এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উহা এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারিকৃত, প্রদত্ত এবং অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত বা পুনঃপ্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "640",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1348,
"details": "৫০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 50
}
],
"text": "Fish and Fish Products (Inspection and Quality Control) Ordinance, 1983 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক আদেশ দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের, অতঃপর উক্ত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লিখিত, অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবং যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Fish and Fish Products (Inspection and Quality Control) Ordinance, 1983 (Ordinance No. XX of 1983) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজন; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1349,
"lower_text": [],
"name": "আকাশপথে পরিবহণ (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 13,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
352,
165,
138,
86,
344
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1349,
"details": "১। (১) এই আইন আকাশপথে পরিবহণ (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) উড়োজাহাজের মাধ্যমে যাত্রী, মালামাল বা কার্গো পরিবহণের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের কোনো কিছুই শৃঙ্খলা বাহিনী, কাস্টমস এবং বাংলাদেশ সরকারের জন্য ব্যবহৃত উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না। (৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1349,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) ‘অভ্যন্তরীণ পরিবহণ’ অর্থ আকাশপথে পরিবহণে পক্ষসমূহের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এইরূপ কোনো পরিবহণ যাহাতে পরিবহণকালীন কোনো বিরতি বা উড়োজাহাজ পরিবর্তনের ব্যবস্থা এবং প্রস্থানস্থল ও গন্তব্যস্থলের নির্দেশনা রহিয়াছে; (খ) ‘এসডিআর’ অর্থ Special Drawing Rights যাহার মান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund) কর্তৃক নির্ধারিত ও সংরক্ষিত; (গ) ‘তপশিল’ অর্থ এই আইনের তপশিল; (ঘ) ‘পরিবারের সদস্য’ অর্থ স্ত্রী বা স্বামী, মাতা-পিতা, সৎ মাতা-পিতা, সন্তান, সৎ সন্তান, ভাই-বোন, সৎ ভাই-বোন, নাতি-নাতনি, দাদা-দাদি, বিবাহ বহির্ভূত সন্তান ও দত্তক সন্তান; (ঙ) ‘পক্ষভুক্ত রাষ্ট্র’ অর্থ মন্ট্রিল কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৫৩ ও ৫৬ অনুযায়ী উক্ত কনভেনশন স্বাক্ষর, অনুসমর্থন, গ্রহণ, অনুমোদনকারী রাষ্ট্র; (চ) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; এবং (ছ) ‘মন্ট্রিল কনভেশন’ অর্থ ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ২৮ মে তারিখে কানাডার মন্ট্রিলে সম্পাদিত the Convention for the Unification of Certain Rules for International Carriage by Air।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1349,
"details": "৩। এই আইন এবং তপশিলে উল্লিখিত মন্ট্রিল কনভেনশন দ্বারা যাত্রী, মালামাল, কার্গো, পরিবহণকারী, কনসাইনর (consignor), কনসাইনি (consignee) ও অন্যান্য ব্যক্তির অধিকার ও দায় নির্ধারিত হইবে এবং মন্ট্রিল কনভেনশন বাংলাদেশে বিদ্যমান অন্যান্য আইনের ন্যায় মর্যাদাসম্পন্ন হইবে।",
"name": "মন্ট্রিল কনভেনশনের প্রয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1349,
"details": "৪। (১) মন্ট্রিল কনভেনশনের প্রতিটি পক্ষভুক্ত রাষ্ট্র কোনো আদালতে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে ১ (এক) জন আইনানুগ ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং আদালতের অধিক্ষেত্র Code of Civil Procedure, 1908 অনুসারে নির্ধারিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মামলা দায়ের ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে Code of Civil Procedure, 1908 এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে। (৩) এই ধারার কোনো কিছুই কোনো আদালতকে মন্ট্রিল কনভেনশনের পক্ষভুক্ত রাষ্ট্রের কোনো সম্পত্তি আটক বা বিক্রয় করিবার অধিকার প্রদান করিবে না।",
"name": "পক্ষভুক্ত রাষ্ট্র কর্তৃক মামলা দায়ের",
"related_acts": "86,86",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1349,
"details": "৫। (১) কোনো দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু ঘটিলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর পরিবহণকারী উক্ত যাত্রীর পরিবারের সদস্যকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে দায়বদ্ধ থাকিবে। (২) মৃত ব্যক্তির পরিবারের যে কোনো সদস্য সংশ্লিষ্ট পরিবহণকারীর নিকট হইতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ১ (এক) জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য কেবল একটি মামলা দায়ের করা যাইবে এবং যাহার দ্বারাই উক্তরূপ মামলা দায়ের হউক না কেন, পরিবারের সকল সদস্য বাংলাদেশে বসবাসরত বা অনুপস্থিত উক্তরূপ মামলায় পক্ষভুক্ত হইতে পারিবেন। (৩) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, উপ-ধারা (২) অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হইলে উক্ত মামলা দ্বারা আদায়কৃত অর্থ মৃত যাত্রীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আনুপাতিক হারে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভক্ত হইবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আদায়যোগ্য অর্থ হইতে পরিবহণকারী কর্তৃক কোনো অর্থ প্রদত্ত হইয়া থাকিলে তাহা কর্তনযোগ্য হইবে। (৫) মন্ট্রিল কনভেনশন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ নির্ধারিত হইবে এসডিআর এর ভিত্তিতে। (৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন যে দিন উক্তরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করা হইবে সেই দিনের বিনিময় হারে এসডিআর এর সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশি মুদ্রায় (টাকায়) রূপান্তর করিয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অথবা তাহার পরিবারের সদস্যকে প্রদান করিতে হইবে। (৭) কোনো যাত্রীর মৃত্যুর সহিত সম্পর্কিত কোনো মামলার কার্যধারা চলমান থাকিবার যে কোনো পর্যায়ে আদালত এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবহণকারীর দায় সীমিত করিবার নিমিত্ত যথাযথ বিবেচনা করিয়া যে কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। (৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন আদেশ বা নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে অনুরূপ কোনো মামলা চলমান থাকিলে উপযুক্ত প্রমাণ আদালতের বিবেচনার নিমিত্ত উপস্থাপন করিতে হইবে।",
"name": "যাত্রীর মৃত্যু ঘটিলে পরিবহণকারীর দায়",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1349,
"details": "৬। (১) মৃত ব্যক্তির পরিবারের যে কোনো সদস্য সংশ্লিষ্ট পরিবহণকারী হইতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা দায়েরের পরিবর্তে আবেদন দাখিল করিতে পারিবে। (২) ধারা ৫ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী মামলা দায়ের করিলে যেইরূপ অর্থ প্রাপ্ত হইত, সেইরূপ অর্থ প্রাপ্তির জন্য এইরূপে আবেদন করিতে হইবে, যেন ধারা ৭ অনুযায়ী প্রদত্ত সনদে উল্লিখিত অনুপাতে পরিবারের সদস্যগণের মধ্যে উক্ত অর্থ বিভক্ত হয়। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়েরকৃত আবেদনের সহিত ধারা ৭ অনুযায়ী প্রদত্ত সনদ না থাকিলে পরিবহণকারী আবেদনকারীকে উক্তরূপ সনদসহ আবেদন করিতে অনুরোধ করিতে পারিবেন।",
"name": "যাত্রীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবহণকারীর নিকট আবেদন দাখিল",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1349,
"details": "৭। (১) যাত্রীর মৃত্যু হইলে উপযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে উত্তরাধিকার সনদ প্রাপ্তির নিমিত্ত আদালতে আবেদন করিতে হইবে। (২) উক্তরূপ সনদে যাহাদের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকিবে কেবল তাহারাই যাত্রীর পরিবারের সদস্য বলিয়া গণ্য হইবেন। (৩) সনদে প্রত্যেক সদেস্যের অর্থ প্রাপ্তির আনুপাতিক হার উল্লেখ থাকিতে হইবে এবং উক্তরূপ আনুপাতিক হার সদস্যগণের স্বীয় সম্মতি অথবা ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হইবে। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন সম্মতির ভিত্তিতে উক্ত আনুপাতিক হার নির্ধারণ করা সম্ভব না হইলে আদালত কর্তৃক উক্তরূপ আনুপাতিক হার নির্ধারিত হইবে। (৫) The Succession Act, 1925 (Act No. XXXIX of 1925) এর অধীন উত্তরাধিকার সনদের জন্য যেরূপ আবেদন ও পদ্ধতি অনুসরণ করা হইয়া থাকে এই বিধানের অধীন সনদের ক্ষেত্রেও সেইরূপ আবেদন ও পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।",
"name": "যাত্রী মৃত্যুর ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার সনদপ্রাপ্তি",
"related_acts": "138",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1349,
"details": "৮। কোনো পরিবহণকারী এই আইনের অধীন প্রদত্ত উত্তরাধিকারীর সনদ অনুযায়ী প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করিলে উক্ত পরিবহণকারী তাহার দায় হইতে পূর্ণ ও চূড়ান্তরূপে মুক্ত হইবে।",
"name": "পরিবহণকারীর চূড়ান্ত দায়মুক্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1349,
"details": "৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, কোনো পরিবহণকারী, তাহার প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট অন্য যে কোনো ব্যক্তির দলিল ও রেকর্ডপত্র, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিদর্শন ও পরীক্ষা করিতে পারিবে।",
"name": "পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1349,
"details": "১০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।",
"name": "তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1349,
"details": "১১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1349,
"details": "১২। (১) The Carriage By Air Act, 1934 (Act No. XX of 1934), The Carriage by Air (International Convention) Act, 1966 (Act No. IX of 1966) এবং The Carriage by Air (Supplementary Convention) Act, 1968 (Act No. V of 1968), অতঃপর উক্ত ‘আংশিক রহিত আইনসমূহ’ বলিয়া উল্লিখিত, এর বিধানাবলি ও তপশিলের যে অংশসমূহ এই আইনের বিধানাবলি ও তপশিলের সহিত সম্পর্কিত উক্ত আইনসমূহের সেই অংশসমূহ এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত আংশিক রহিত আইনসমূহের অধীন প্রণীত কোনো বিধি জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, নোটিশ, কার্যধারা বা অন্য কোনো কার্যক্রম উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে এবং এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন কৃত, প্রণীত, জারিকৃত, দায়েরকৃত, পেশকৃত, মঞ্জুরিকৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "165,344,352",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1349,
"details": "১৩। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) ইংরেজি পাঠ এবং মূল বাংলা পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
}
],
"text": "আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিবহণসহ এতদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আনুষঙ্গিক বিধানসমূহ যুগোপযোগী করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু বাংলাদেশ আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যাত্রী, মালামাল ও কার্গো পরিবহণ নির্বিঘ্নকরণ এবং আকাশপথে পরিবহণে ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ন্যায়সংগত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ; এবং যেহেতু আকাশপথে আন্তর্জাতিক পরিবহণ বিষয়ক Unification of Certain Rules Relating to International Carriage by Air signed in Warsaw on 12 October, 1929 অর্থাৎ Warsaw Convention, সংশ্লিষ্ট প্রটোকল এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি যুগোপযোগী করিবার লক্ষ্যে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কানাডার মন্ট্রিল শহরে Unification of Certain Rules Relating to International Carriage by Air signed in Montreal on 28 May, 1999 সম্পাদিত হইয়াছে এবং বাংলাদেশ উহাতে স্বাক্ষর করিয়াছে; এবং যেহেতু মন্ট্রিল কনভেনশনের অনুসমর্থন এবং উহার বিধানাবলি বাস্তবায়নের নিমিত্ত একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন প্রণয়ন করা হইল-"
} |
{
"id": 1350,
"lower_text": [],
"name": "সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 55,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1209,
446,
1350,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1350,
"details": "১। (১) এই আইন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1350",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘অর্গানোগ্রাম’’ অর্থ আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম; (২) ‘‘অর্থ কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি; (৩) ‘‘অনুষদ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ; (৪) ‘‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল; (৫) ‘‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’’ অর্থ বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল; (৬) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত, অনুমোদিত বা স্থাপিত কোনো ইনস্টিটিউট; (৭) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ১৭ তে উল্লিখিত কোনো কর্তৃপক্ষ; (৮) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থ ধারা ৮ এ উল্লিখিত কোনো কর্মচারী; (৯) ‘‘ আচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য; (১০) ‘‘ট্রেজারার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার; (১১) ‘‘ডিন’’ অর্থ অনুষদের ডিন; (১২) ‘‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (১৩) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ কোনো ইনস্টিটিউটের পরিচালক; (১৪) ‘‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (১৫) ‘‘প্রক্টর’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর; (১৬) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ ধারা ৪৩ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান; (১৭) ‘‘প্রভোস্ট’’ অর্থ কোনো হলের প্রধান; (১৮) ‘‘উপউপাচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য; (১৯) ‘‘সিলেকশন কমিটি’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত সিলেকশন কমিটি; (২০) ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় বিধি’’ অর্থ ধারা ৪২ এর অধীন প্রণীত বিধি; (২১) ‘‘বিভাগ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ; (২২) ‘‘বিভাগীয় চেয়ারম্যান’’ অর্থ কোনো বিভাগের প্রধান; (২৩) ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন স্থাপিত সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; (২৪) ‘‘বোর্ড অব গভর্নরস’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের বোর্ড অব গভর্নরস; (২৫) ‘‘উপাচার্য’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য; (২৬) ‘‘মঞ্জুরি কমিশন’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (President’s Order No. 10 of 1973) এর অধীন গঠিত University Grants Commission of Bangladesh; (২৭) ‘‘মঞ্জুরি কমিশন আদেশ’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (President’s Order No. 10 of 1973); (২৮) ‘‘রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট’’ অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট; (২৯) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার; (৩০) ‘‘শিক্ষক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃত অন্য কোনো ব্যক্তি; (৩১) ‘‘শিক্ষার্থী’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তিকৃত কোনো শিক্ষার্থী; (৩২) ‘‘সংবিধি’’ অর্থ ধারা ৪১ এর অধীন প্রণীত সংবিধি; (৩৩) ‘‘সংস্থা’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংস্থা; (৩৪) ‘‘সিন্ডিকেট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট; এবং (৩৫) ‘‘হল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ছাত্রাবাস।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "1209,446,446",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলার দেখার হাওড় পাড়ে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Sunamgonj Science and Technology University) নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, উপাচার্য, উপউপাচার্য, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণের সমন্বয়ে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হইবে। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ইহার স্থাবর ও অস্থাবর সকল প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪। এই আইন এবং মঞ্জুরি কমিশন আদেশের বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা :- (ক) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এবং আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণা, জ্ঞানের উৎকর্য সাধন ও জ্ঞান বিতরণের ব্যবস্থা করা; (খ) কর্মদক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে, আধুনিক প্রযুক্তি, পেশা, বৃত্তি ও অর্থনৈতিক চাহিদার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাশাপাশি আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া অনলাইন দূরশিক্ষণ, ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষাদানের সমন্বয়ে শিল্প, বাণিজ্য সমাজ ও অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সীমিত বা দীর্ঘমেয়াদী কোর্স প্রণয়ন ও পরিচালনা; (গ) বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা; (ঘ) বিভাগ, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত পাঠক্রমে অধ্যয়ন সম্পূর্ণ করিয়াছেন এবং সংবিধির শর্তানুযায়ী গবেষণা কর্ম সম্পূর্ণ করিয়াছেন এমন ব্যক্তিগণের পরীক্ষা গ্রহণ করা এবং ডিগ্রি ও অন্যান্য অ্যাকাডেমিক সম্মান প্রদান করা; (চ) সংবিধিতে বিধৃত পদ্ধতিতে সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান করা; (ছ) অনুষদ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নহেন এমন ব্যক্তিগণকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রদানের উদ্দেশ্যে বক্তৃতামালা ও শিক্ষার ব্যবস্থা এবং সংবিধির শর্তানুযায়ী ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট প্রদান করা; (জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তৎকর্তৃক নির্ধারিত পন্থায় দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা; (ঝ) উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে এবং সরকার ও কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক, সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও ইমেরিটাস অধ্যাপকের পদসহ শিক্ষক, গবেষক, কর্মচারীর যে কোনো পদ সৃষ্টি করা এবং সেই সকল পদে নিয়োগ প্রদান করা; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য হল স্থাপন এবং উহার রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা; (ট) মেধার স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধান অনুযায়ী ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন এবং বিতরণ করা; (ঠ) মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে অ্যাকাডেমিক মিউজিয়াম, পরীক্ষাগার, অনুষদ, বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট স্থাপন, প্রতিষ্ঠা বা, ক্ষেত্রমত, রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ, একত্রীকরণ ও বিলোপ সাধন করা; (ড) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও অ্যাকাডেমিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, পাঠক্রম সহায়ক কার্যক্রমের উন্নতি এবং তাহাদের স্বাস্থ্যের উৎকর্ষ সাধনের ব্যবস্থা করা; (ঢ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি দাবি ও আদায় করা; (ণ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য, সরকারের অনুমতিক্রমে, দেশি ও বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অনুদান ও বৃত্তি গ্রহণ করা; (ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য, সরকারের অনুমোদনক্রমে, কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া, সম্পাদনকৃত চুক্তি বাস্তবায়ন করা, চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করা বা চুক্তি বাতিল করা; (থ) শিক্ষা ও গবেষণার উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য পুস্তক ও জার্নাল প্রকাশ করা এবং দেশে ও বিদেশে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত উক্ত বিষয়ে যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষা করা; (দ) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্প কারখানার যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা; (ধ) শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজ সম্পৃক্ততা (community engagement) কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধি করা; (ন) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকে বিশ্বমানে উন্নীত করিবার লক্ষ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের শর্তাবলি প্রতিপালন এবং অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলসহ বিদেশের সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সহিত কার্যকর ও ফলপ্রসূ যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; (প) উচ্চশিক্ষার গুণগত মান সুষমকরণ ও উন্নয়নকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র ও শিক্ষকের সুষম আনুপাতিক হার সংরক্ষণ, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ও ল্যাবরেটরির ব্যবস্থাকরণ, উপযুক্ত ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি ও উপকরণের ব্যবস্থা করা; (ফ) আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতির আধুনিকায়নের জন্য কাজ করা; (ব) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিক দক্ষতা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; (ভ) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান সুষমকরণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম সহ সমজাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা; (ম) জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, জন্মস্থান বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করিবার কাজে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র, মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বা শিক্ষা সাহায্য প্রদানের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা; (য) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটির সদস্যগণের সম্মানি নির্ধারণ ও সভা অনুষ্ঠানের জন্য সম্মানি প্রদান করা; (র) সরকারের অনুমোদনক্রমে ও মঞ্জুরি কমিশনের নির্ধারিত শর্তে, দেশি ও বিদেশি কোনো শিক্ষক বা গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন বা অন্য কোনোভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাহাদের বেতন বা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা; এবং (ল) বিশ্ববিদ্যালয়ের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও বাস্তবায়নকল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন করা।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয় জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, জন্মস্থান বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির যোগ্য শিক্ষার্থীর ভর্তি, জ্ঞানার্জন এবং সাফল্যের সহিত ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স সমাপনের পর সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য উন্মুক্ত থাকিবে। (২) সরকারের অনুমোদনক্রমে সিন্ডিকেট কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিনণ কোর্স ও প্রোগ্রামে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাইবে।",
"name": "সকলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্বীকৃত শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় বা ইহার ইন্সটিটিউট কর্তৃক পরিচালিত হইবে এবং পরীক্ষাগার বা কর্মশিবিরের সকল বক্তৃতা ও কর্ম ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে শিক্ষকগণ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন। (৩) শিক্ষাদানের দায়িত্ব কোন্ কর্তৃপক্ষের উপর থাকিবে তাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে। (৪) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা হইবে। (৫) বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধানে বিধৃত শর্তানুসারে অনুমোদিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৭। (১) মঞ্জুরি কমিশন এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও গুণগতমান নিশ্চিতকরণের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও ইহার ভবন, হল, গ্রন্থাগার, গবেষণার যন্ত্রপাতি বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষা, শিক্ষাদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করাইতে পারিবে। (২) মঞ্জুরি কমিশন উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, তৎকর্তৃক অনুষ্ঠিতব্য প্রত্যেক পরিদর্শন বা মূল্যায়নের অভিপ্রায় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বে অবহিত করিবে। (৩) মঞ্জুরি কমিশন অনুরূপ পরিদর্শন বা মূল্যায়ন সম্পর্কে উহার অভিমত অবহিত করিয়া তৎসম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন মঞ্জুরি কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত রেজিস্টার ও নথিপত্র সংরক্ষণ করিবে এবং মঞ্জুরি কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য, পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদন মঞ্জুরি কমিশনের নিকট সরবরাহ করিবে। (৫) প্রাপ্ত তথ্য, পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঞ্জুরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, মতামত বা নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত পরামর্শ, মতামত বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক মঞ্জুরি কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (৬) মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নিরূপণ করিবে এবং উহার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করিবে। (৭) মঞ্জুরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজন পরীক্ষা করিয়া সুপারিশসহ সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। (৮) সরকার, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অথবা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত কোনো প্রতিবেদন বা অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অথবা যৌক্তিক কোনো কারণে মঞ্জুরি কমিশনের নিকট আবশ্যক বলিয়া বিবেচিত হইলে যে কোনো সময় নোটিশ প্রদান করিয়া বা নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে মঞ্জুরি কমিশন উহার কোনো কর্মচারী কিংবা উহার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষদ, বিভাগ, ইন্সটিটিউট ও সংস্থা পরিদর্শন ও তদন্ত করাইতে পারিবে। (৯) মঞ্জুরি কমিশন বা উহার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (৮) এর অধীন পরিদর্শন ও তদন্তক্রমে মঞ্জুরি কমিশনের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবে এবং মঞ্জুরি কমিশন উহার কপি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে। (১০) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৯) এর অধীন প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মঞ্জুরি কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে। (১১) মঞ্জুরি কমিশন উপ-ধারা (৮), (৯) ও (১০) অনুসারে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করিবে।",
"name": "মঞ্জুরি কমিশনের দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্মচারী থাকিবে, যথা :- (ক) উপাচার্য; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) ডিন; (ঙ) ইন্সটিটিউটের পরিচালক; (চ) রেজিস্ট্রার; (ছ) বিভাগীয় চেয়ারম্যান; (জ) গ্রন্থাগারিক; (ঝ) প্রভোস্ট; (ঞ) প্রক্টর; (ট) পরিচালক (ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স সেল) (ঠ) পরিচালক (গবেষণা সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর) (ড) পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা); (ঢ) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব); (ণ) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন); (ত) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; (থ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসক; (ধ) পরিচালক (শরীরচর্চা ও শিক্ষা); এবং (ন) সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্মচারী।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৯। (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হইবেন এবং তিনি অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি ও সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবেন। (২) আচার্য এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত ক্ষমতার অধিকারী হইবেন। (৩) সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবে আচার্যের অনুমোদন থাকিতে হইবে। (৪) আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ঘটনার তদন্ত করাইতে পারিবেন এবং তদন্তের প্রতিবেদন আচার্যের নিকট হইতে সিন্ডিকেটে পাঠানো হইলে সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আচার্যের নিকট প্রেরণ করিবে। (৫) আচার্যের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হইবার মত অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করিতেছে, তাহা হইলে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখিবার স্বার্থে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ ও নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে এবং উপাচার্য অথবা উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে যিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন তিনি উক্ত আদেশ ও নির্দেশ কার্যকর করিবেন।",
"name": "আচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১০। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি একাদিক্রমে বা অন্য কোনোভাবে ২ (দুই) মেয়াদের অধিক সময়ের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আচার্যের সন্তোষানুযায়ী ভাইস-চ্যান্সেলর স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। (৩) মেয়াদ শেষ হইবার কারণে ভাইস-চ্যান্সেলর পদটি শূন্য হইলে কিংবা ছুটি বা অন্য কোনো কারণে অনুপস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে শূন্য হইলে কিংবা অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে উপাচার্য তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে বা অপারগতা প্রকাশ করিলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা উপাচার্যের পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, উপাচার্যের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত না থাকা সাপেক্ষে, উপউপাচার্যের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন, তবে উপউপাচার্যের পদ শূন্য থাকিলে ট্রেজারার এবং ট্রেজারারের অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম ডিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন। ব্যাখ্যা।- উপ-ধারা (৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ডিন পদে নিয়োগের তারিখের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হইবে এবং নিয়োগের তারিখ একই হইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির সাকূল্য মেয়াদের দীর্ঘতার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "উপাচার্য নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১১। (১) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক প্রধান একাডেমিক নির্বাহী হইবেন। (২) উপাচার্য তাহার দায়িত্ব পালনে আচার্যের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৩) উপাচার্য এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধির বিধানাবলি বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (৪) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো কর্তৃপক্ষের সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং উহার কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি উহার সদস্য না হইলে উহাতে কোনো ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না। (৫) উপাচার্য সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহবান করিবেন। (৬) উপাচার্য সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৭) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষদ, ইন্সটিটিউট বা বিভাগ পরিদর্শন করিতে ও প্রয়োজনীয় দিক্-নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন। (৮) উপাচার্য তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় মনে করিলে তাহার যে কোনো ক্ষমতা ও দায়িত্ব, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন। (৯) উপাচার্য, সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে এবং তাহাদের বিরুদ্ধে, সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। (১০) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপর সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। (১১) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়ী থাকিবেন। (১২) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং উপাচার্যের বিবেচনায় তৎসম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে কর্তৃপক্ষ সাধারণত বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার অধিকারপ্রাপ্ত সেই কর্তৃপক্ষকে, যথাশীঘ্র সম্ভব, তৎকর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন। (১৩) উপাচার্য সিন্ডিকেট ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সহিত একমত না হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন স্থগিত রাখিয়া তাহার মতামতসহ সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিবেন। (১৪) উপ-ধারা (১৩) এর অধীন পুনর্বিবেচনার পরও যদি উক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সহিত উপাচার্য একমত না হন, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সিন্ডিকেটেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে উহা আচার্যের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। (১৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বাজেট বাস্তবায়নে উপাচার্য সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন। (১৬) সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১২। (১) আচার্য, প্রয়োজন, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য উপযুক্ত কোনো অধ্যাপককে উপউপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করিবেন। (২) আচার্যের সন্তোষানুযায়ী উপউপাচার্য স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। (৩) উপউপাচার্য সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "উপউপাচার্য",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১৩। (১) আচার্য, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন শিক্ষাবিদকে ট্রেজারার নিযুক্ত করিবেন। (২) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ট্রেজারারের পদ সাময়িকভাবে শূন্য হইলে উপাচার্য অবিলম্বে আচার্যকে তৎসম্পর্কে অবহিত করিবেন এবং আচার্য ট্রেজারারের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য যেরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৩) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে উপাচার্য, সংশ্লিষ্ট কমিটি, ইন্সটিটিউট ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করিবেন। (৪) ট্রেজারার, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ তত্ত্বাবধান করিবেন এবং তিনি বার্ষিক বাজেট ও হিসাব বিবরণী পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৫) যে খাতের জন্য অর্থ মঞ্জুর বা বরাদ্দ করা হইয়াছে, সেই খাতেই যেন উহা ব্যয় হয় তাহা নিশ্চিত করিবার জন্য ট্রেজারার সিন্ডিকেটের নিকট দায়ী থাকিবেন। (৬) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন। (৭) ট্রেজারার এই আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।",
"name": "ট্রেজারার",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে এই আইনের কোথাও উল্লেখ নাই, সিন্ডিকেট সংবিধি দ্বারা, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী, সেই সকল কর্মচারীর নিয়োগ পদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্ধারণ করিবে।",
"name": "অন্যান্য কর্মচারীর নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১৫। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন রেজিস্ট্রার থাকিবেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি- (ক) সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন; (খ) উপাচার্য কর্তৃক তাহার হেফাজতে ন্যস্ত সকল গোপনীয় প্রতিবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র ও সাধারণ সিলমোহর, ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (গ) সংবিধি অনুসারে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের একটি রেজিস্টার রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন; (ঘ) সিন্ডিকেট কর্তৃক তাহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক হইবেন; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক চিঠিপত্র আদান-প্রদান করিবেন; (চ) অনুষদের ডিন এবং ইন্সটিটিউটের পরিচালকদের প্ল্যান, প্রোগাম ও সিডিউল সম্পর্কে সংযোগ রক্ষা করিবেন; (ছ) সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক, সময় সময়, অর্পিত এবং উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন; এবং (জ) অর্থ সংক্রান্ত চুক্তি ব্যতীত অন্যান্য সকল চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করিবেন।",
"name": "রেজিস্ট্রার",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১৬। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবেন এবং সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত ও উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য সকল দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষ থাকিবে, যথা :- (ক) সিন্ডিকেট; (খ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল; (গ) বোর্ড অব গভর্নরস; (ঘ) অনুষদ; (ঙ) পাঠক্রম কমিটি; (চ) অর্থ কমিটি; (ছ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি; (জ) সিলেকশন কমিটি; (ঝ) অভিযোগ প্রতিকার কমিটি; এবং (ঞ) সংবিধি অনুযায়ী গঠিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষ।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গঠিত হইবে, যথা :- (ক) উপাচার্য, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ-সদস্য; (ঘ) ট্রেজারার; (ঙ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে অন্যূন একজন শিক্ষাবিদসহ ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; (চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ছ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (জ) মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; (ঝ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্য হইতে একজন প্রতিনিধি; (ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সহিত সংশ্লিষ্ট পেশাদারি প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত ২ (দুই) জন প্রতিনিধি; এবং (ট) রেজিস্ট্রার, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) সিন্ডিকেটের মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। (৩) সিন্ডিকেটের কোনো সদস্য পদত্যাগ করিতে চাহিলে যে কোনো সময় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে সদস্য পদত্যাগ করিতে পারিবেন। (৪) সিন্ডিকেটের কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহা হইলে তিনি সিন্ডিকেটের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "সিন্ডিকেট",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1350,
"details": "১৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিন্ডিকেট উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) সিন্ডিকেটের সভা উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ২ (দুই) মাসে সিন্ডিকেটের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। (৩) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে, যে কোনো সময় সিন্ডিকেটের বিশেষ সভা আহবান করিতে পারিবেন। (৪) কোরাম গঠনের জন্য সভার সভাপতিসহ, মোট সদস্যের অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।",
"name": "সিন্ডিকেটের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২০। এই আইন ও মঞ্জুরি কমিশন আদেশের বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিন্ডিকেট- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হইবে এবং উপাচার্যের উপর অর্পিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কিত বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি এবং সম্পত্তির উপর সিন্ডিকেটের সাধারণ ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা থাকিবে এবং এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধানের বিধানসমূহ যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কিনা সিন্ডিকেট উক্ত বিষয়ে লক্ষ্য রাখিবে; (খ) সংবিধি সংশোধন ও অনুমোদন করিবে; (গ) বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাব ও বার্ষিক সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রস্তাব বিবেচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে; (ঘ) বার্ষিক বাজেট অধিবেশন আহবান এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ বাজেট অনুমোদন করিবে; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি অর্জন ও তহবিল সংগ্রহ এবং উহা সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করিবে; (চ) অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ কমিটির পরামর্শ বিবেচনা করিবে; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সিলমোহরের আকার নির্ধারণ এবং উহার হেফাজতের ব্যবস্থা ও ব্যবহার পদ্ধতি নিরূপণ করিবে; (জ) সংশ্লিষ্ট বৎসরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক চাহিদার পূর্ণ বিবরণ প্রতি বৎসর মঞ্জুরি কমিশনের নিকট পেশ করিবে এবং পূর্ববর্তী বৎসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উৎস তথা মঞ্জুরি কমিশন বহির্ভূত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ সম্পদের বিবরণ প্রদান করিবে; (ঝ) বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত যে কোনো তহবিল পরিচালনা করিবে; (ঞ) এই আইন বা সংবিধিতে অন্য কোনো বিধান না থাকিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ এবং তাহাদের দায়িত্ব ও চাকরির শর্তাবলি, সরকারের এতদ্সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসারে, নির্ধারণ করিবে; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে উইল, দান এবং অন্য কোনোভাবে হস্তান্তরকৃত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ করিবে; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠান এবং উহার ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে; (ড) এই আইন দ্বারা অর্পিত উপাচার্যের ক্ষমতাবলি সাপেক্ষে, এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করিবে; (ঢ) ইনস্টিটিউট ও হল পরিদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে অথবা পরিদর্শনের নির্দেশ প্রদান করিবে; (ণ) এই আইন ও সংবিধি সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন করিবে; (ত) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সুপারিশক্রমে, সরকার ও মঞ্জুরি কমিশনের পূর্বানুমতি ও বাজেট বরাদ্দ থাকা সাপেক্ষে, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও অন্যান্য শিক্ষক এবং গবেষক ও কর্মচারীর পদ সৃজন, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে; (থ) সংবিধি অনুসারে ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার ও মঞ্জুরি কমিশনের পূর্বানুমোদনক্রমে, নূতন অনুষদ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করিবে; (দ) সংবিধি অনুসারে ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো অনুষদ, বিভাগ বা ইনস্টিটিউট বিলোপ করিতে বা সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে; (ধ) সংবিধি অনুসারে ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো খ্যাতিমান গবেষক বা শিক্ষাবিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরূপে স্বীকৃতি প্রদান করিবে; (ন) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে এবং উপাচার্যের সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে উহার ক্ষমতা কোনো নির্ধারিত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে; (প) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে নূতন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রাগ্রসর শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, আন্তঃবিভাগীয় ও আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক নূতন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরম্ভ বা বন্ধ এবং পুরাতন কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে; (ফ) উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ট্রেজারার ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, তাহাদের দায়িত্ব ও চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ এবং তাহাদের কোনো পদ স্থায়ীভাবে শূন্য হইলে এই আইন ও সংবিধি অনুযায়ী সেই পদ পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে; (ব) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক অথবা খ্যাতিমান ব্যক্তিকে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তাহার বিশেষ অবদানের জন্য মেধা ও মনীষার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার প্রদান করিতে পারিবে; (ভ) সরকার ও মঞ্জুরি কমিশন হইতে প্রাপ্ত মঞ্জুরি ও নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়ের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বিবেচনা ও অনুমোদন করিবে; (ম) সাধারণ বা বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত সকল তহবিল পরিচালনা করিবে; (য) এই আইন ও সংবিধি দ্বারা ইহার উপর অর্পিত বা আরোপিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবে; এবং (র) বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে, যাহা এই আইন বা সংবিধির অধীন অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে প্রদত্ত নহে।",
"name": "সিন্ডিকেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২১। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথা :- (ক) উপাচার্য, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) অনুষদসমূহের ডিন; (ঘ) বিভাগসমূহের চেয়ারম্যান; (ঙ) ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক; (চ) উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনধিক ৭ (সাত) জন অধ্যাপক, তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অধ্যাপক না থাকিলে উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক অন্যান্য পর্যায়ের শিক্ষক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত হইবেন; (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক; (জ) উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপকগণের মধ্য হইতে একজন সহযোগী অধ্যাপক; (ঝ) উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকগণের মধ্য হইতে একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন প্রভাষক; (ঞ) আচার্য কর্তৃক মনোনীত গবেষণা সংস্থা হইতে ২ (দুই) জন গবেষক এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞ ২ (দুই) জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; (ট) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; এবং (ঠ) রেজিস্ট্রার, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। (৩) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের কোনো সদস্য পদত্যাগ করিতে চাহিলে যে কোনো সময় চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে সদস্য পদত্যাগ করিতে পারিবেন। (৪) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহা হইলে তিনি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২২। (১) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ হইবে এবং এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধির বিধান সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, অ্যাকাডেমিক বর্ষসূচি ও তৎসম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, পরীক্ষার মান নির্ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য দায়ী থাকিবে এবং উক্তরূপ বিষয়ের উপর উহার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান ক্ষমতা থাকিবে। (২) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, এই আইন, মঞ্জুরি কমিশন আদেশ, সংবিধি, উপাচার্য ও সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, শিক্ষাক্রম ও পাঠক্রম এবং শিক্ষাদান, গবেষণা ও পরীক্ষার সঠিক মান নির্ধারণের জন্য প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতার আওতায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের নিম্নরূপ ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :- (ক) দেশের আর্থ সামাজিক ও আন্তর্জাতিক চাহিদার সহিত সংগতি রাখিয়া, সরকার ও মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স চালুর বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (খ) সার্বিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ দান করা; (গ) শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বিধান প্রণয়নের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা; (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তিগণের নিকট হইতে গবেষণা প্রতিবেদন তলব করা এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও পাঠক্রম কমিটি গঠনের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ও গবেষণার মানোন্নয়নের ব্যবস্থা করা; (ছ) সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে ও অনুষদের সুপারিশক্রমে সকল পরীক্ষার প্রতিটি পত্রের পাঠ্যসূচি, পাঠক্রম, গঠন ও গবেষণার সীমারেখা নির্ধারণ করা : তবে শর্ত থাকে যে,- (অ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কেবল অনুষদের সুপারিশমালা গ্রহণ, পরিমার্জন, অগ্রাহ্য বা ফেরত প্রদান করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনবোধে পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধনের জন্য অনুষদের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে; এবং (আ) অনুষদ কর্তৃক গৃহীত বিভাগীয় পাঠক্রম কমিটির কোনো সিদ্ধান্তের সহিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল একমত না হইলে বিষয়টি সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করা হইবে এবং এই ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে; (জ) এম. ফিল বা পিএইচ. ডি. ডিগ্রির জন্য কোনো প্রার্থী গবেষণাপত্র দাখিল করিলে সংবিধি, যদি থাকে, অনুসারে তৎসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করা; (ঝ) প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সহিত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমতা বিধান করা; (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে নূতন কোনো উন্নয়ন প্রস্তাবের উপর সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়ন এবং গ্রন্থাগার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করা এবং ইহার নিকট প্রেরিত শিক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করা; (ড) নূতন অনুষদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং নূতন বিষয় প্রবর্তনের জন্য প্রস্তাব সিন্ডিকেটের বিবেচনার জন্য পেশ করা; (ঢ) অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও অন্যান্য শিক্ষক বা গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব বিবেচনা করা এবং তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ণ) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট, বৃত্তি, ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, স্টাইপেন্ড, পুরস্কার, পদকসহ এতদ্সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়ন এবং উপযুক্ত ব্যক্তিকে তাহা প্রদানের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা; (ত) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ করা এবং প্রশিক্ষণ ও ফেলোশিপ প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা; (থ) সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের সুপারিশক্রমে কোর্স বা কারিকুলাম ও সিলেবাস নির্ধারণ, প্রত্যেক কোর্সের জন্য পরীক্ষক প্যানেল অনুমোদন, গবেষণা ডিগ্রির জন্য গবেষণার প্রতিটি বিষয়ের প্রস্তাব অনুমোদন এবং এইরূপ প্রত্যেক বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পরীক্ষক নিয়োগ করা; (দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের গুণগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি ও তাহা সংরক্ষণ করিবার লক্ষ্যে প্রবিধান প্রণয়ন এবং দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগসূত্র স্থাপন বা যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করিবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা; এবং (ধ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ, ভর্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলি নির্ধারণ এবং এতদুদ্দেশ্যে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা। (৪) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত, শিক্ষা বিষয়ক অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।",
"name": "অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২৩। (১) বিশ্ববিদ্যালয়, এই আইন ও সংবিধির বিধান এবং বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ সম্পর্কে নিশ্চিত হইয়া, মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে, এক বা একাধিক অনুষদ প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে। (২) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে প্রত্যেক অনুষদ এই আইন ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণা পরিচালনার দায়িত্বে থাকিবে। (৩) অনুষদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও সংবিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) প্রত্যেক অনুষদের একজন করিয়া ডিন থাকিবেন এবং তিনি উপাচার্যের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে থাকিয়া অনুষদ সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয় বিধি, সংবিধি ও প্রবিধানের বিধান অনুসারে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন। (৫) উপাচার্য সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে প্রত্যেক অনুষদের জন্য উহার বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকদের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে, আবর্তনক্রমে, ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য ডিন নিযুক্ত করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে,- (ক) কোনো ডিন একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হইতে পারিবেন না; (খ) কোনো বিভাগে অধ্যাপক না থাকিলে সেই বিভাগের জ্যেষ্ঠতম সহযোগী অধ্যাপক ডিন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন এবং কোনো বিভাগের একজন শিক্ষক ডিনের দায়িত্ব পালন করিয়া থাকিলে সেই বিভাগের অবশিষ্ট শিক্ষকগণ পরবর্তী আবর্তনক্রমে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ডিন পদে নিযুক্তির সুযোগ প্রাপ্ত হইবেন; এবং (গ) একাধিক বিভাগে সমজ্যেষ্ঠ অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক থাকিলে, সেই ক্ষেত্রে তাহাদের মধ্যে ডিন পদের আবর্তনক্রম উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৬) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ডিনের পদ শূন্য হইলে উপাচার্য ডিন পদের দায়িত্ব পালনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৭) শিক্ষা সম্পর্কিত যে কোনো কমিটির যে কোনো সভায় ডিনগণ উপস্থিত থাকিতে এবং সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি উক্ত কমিটির সদস্য না হইলে তাহার ভোটাধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন না।",
"name": "অনুষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়, প্রয়োজনবোধে, আচার্যের অনুমোদন সাপেক্ষে, গবেষণা কার্য পরিচালনাসহ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার অঙ্গীভূত বা অধিভুক্ত ইন্সটিটিউট হিসাবে এক বা একাধিক ইন্সটিটিউট স্থাপন করিতে পারিবে বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট কোনো ইন্সটিটিউটকে অধিভুক্ত করিতে পারিবে। (২) প্রত্যেকটি ইন্সটিটিউট পরিচালনার জন্য একজন পরিচালকসহ পৃথক বোর্ড অব গভর্নরস থাকিবে, যাহা সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "ইন্সটিটিউট",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করা হয় এমন কোনো বিষয়ের সকল শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি বিভাগ গঠিত হইবে। (২) শিক্ষকগণের নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) বিভাগীয় চেয়ারম্যান সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "বিভাগ",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২৬। অনুষদের প্রত্যেক বিভাগে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পাঠক্রম কমিটি থাকিবে।",
"name": "পাঠক্রম কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২৭। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :- (ক) মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ অনুদান; (গ) প্রাক্তন শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঘ) শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত বেতন, ফি, ইত্যাদি; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত ও পরিচালন উৎসারিত আয়; (চ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অন্যান্য বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; (ছ) মঞ্জুরি কমিশন ও সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা সাহায্য; (জ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, গৃহীত ঋণ; এবং (ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত আয় বা মুনাফা। (২) তহবিলের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত কোনো ‘‘Scheduled Bank’’। (৩) তহবিল হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে। (৪) তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত কোনো খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে। (৫) বিশ্ববিদ্যালয় দেশি ও বিদেশি কোনো সংস্থা, কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি বা প্রাক্তন শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদানের অর্থ দ্বারা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করিতে পারিবে এবং সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ফান্ড পরিচালনা করিতে হইবে। (৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ট্রাস্ট ফান্ড ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, প্রয়োজনে, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে অন্য কোনো তহবিল বা ফান্ড গঠন করিতে পারিবে এবং সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল বা ফান্ড পরিচালনা করিতে পারিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২৮। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিচালন ব্যয়ের, মূলধন ব্যয় ব্যতিরেকে, নিরিখে শিক্ষার্থীদের নিকট হইতে বার্ষিক আদায়যোগ্য বেতন ও ফি নির্ধারিত হইবে। (২) সেমিস্টার অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন ও ফি সেমিস্টার শুরু হইবার পূর্বেই পরিশোধ করিতে হইবে। (৩) সরকার বা অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা আয় হইতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধা ও প্রয়োজনের নিরিখে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করিতে পারিবে। (৪) বৃত্তি বা উপ-বৃত্তি শিক্ষা বৎসরওয়ারী প্রদান করা হইবে। (৫) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি, অধ্যয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও শিক্ষা আহরণে পারদর্শিতার উপর বৃত্তি প্রদানের বিষয়টি নির্ভর করিবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যয় ও শিক্ষার্থীদের বেতনাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1350,
"details": "২৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অর্থ কমিটি থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে অর্থ কমিটি গঠিত হইবে, যথা :- (ক) উপাচার্য, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) রেজিস্ট্রার; (ঙ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত এই আইনের ৮ ধারায় উল্লিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ (দুই) জন কর্মচারী; (চ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত একজন সিন্ডিকেট সদস্য, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে নিয়োজিত নহেন; (ছ) মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (জ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন পরিকল্পনাবিদ বা অর্থ বিশারদ; (ঝ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; (ঞ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; এবং (ট) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) সভাপতির অনুমোদনক্রমে, অর্থ কমিটির সভা আহবান করিবেন এবং সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (৩) অর্থ কমিটির মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। (৪) অর্থ কমিটির কোনো সদস্য পদত্যাগ করিতে চাহিলে যে কোনো সময় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে সদস্য পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৫) অর্থ কমিটির কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহা হইলে তিনি অর্থ কমিটির সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।",
"name": "অর্থ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩০। অর্থ কমিটি- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত কার্যাবলি তত্ত্বাবধান করিবে; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ, তহবিল, সম্পদ ও হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট বিবেচনা করিবে এবং এতদসম্পর্কে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ প্রদান করিবে; (ঘ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত বা উপাচার্য বা সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবে; এবং (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পদ সৃজন, বিলোপ ও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব বিবেচনা করা ও তৎসম্পর্কে সিন্ডিকেটের নিকট সুপারিশ করা।",
"name": "অর্থ কমিটির ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩১। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :- (ক) উপাচার্য, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) উপউপাচার্য; (গ) ট্রেজারার; (ঘ) রেজিস্ট্রার; (ঙ) উপাচার্য কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে মনোনীত একজন ডিন; (চ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত সিন্ডিকেটের একজন সদস্য, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে নিয়োজিত নহেন; (ছ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে নিয়োজিত একজন অধ্যাপক; (জ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী; (ঝ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন স্থপতি বা পরিকল্পনাবিদ; (ঞ) পরিকল্পনা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার একজন প্রতিনিধি; (ট) মঞ্জুরি কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের একজন পরিচালক; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী; এবং (ড) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির মনোনীত কোনো সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। (৩) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির কোনো সদস্য পদত্যাগ করিতে চাহিলে যে কোনো সময় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে সদস্য পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন। (৪) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির কোনো সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন তিনি যদি সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহা হইলে তিনি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না। (৫) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ হইবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উহার জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল্যায়ন করিবে। (৬) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত অথবা উপাচার্য বা সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য কার্যাবলিও সম্পাদন করিবে।",
"name": "পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 31
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩২। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের সুপারিশের জন্য পৃথক পৃথক সিলেকশন কমিটি থাকিবে। (২) সিলেকশন কমিটির গঠন ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) সিলেকশন কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে। (৪) সিন্ডিকেট সিলেকশন কমিটির সুপারিশের সহিত একমত না হইলে বিষয়টি আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।",
"name": "সিলেকশন কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 32
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্তৃপক্ষ",
"related_acts": "",
"section_id": 33
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শৃঙ্খলা বোর্ড থাকিবে। (২) শৃঙ্খলা বোর্ডের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) শৃঙ্খলা বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করিবে।",
"name": "শৃঙ্খলা বোর্ড",
"related_acts": "",
"section_id": 34
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অভিযোগ কমিটি থাকিবে। (২) অভিযোগ কমিটির গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "অভিযোগ কমিটি",
"related_acts": "",
"section_id": 35
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলসমূহ বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হইবে। (২) হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরগণ বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত হইবেন। (৩) হলে বসবাসের শর্তাবলি বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "হল",
"related_acts": "",
"section_id": 36
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩৭। (১) এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য পাঠক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে। (২) কোনো শিক্ষার্থী বাংলাদেশে অনুমোদিত কোনো শিক্ষা বোর্ড বা সমমানের সংস্থার অধীন কোনো স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে কিংবা বিদেশের অনুমোদিত ও স্বীকৃত কোনো শিক্ষা বোর্ড, সমমানের সংস্থা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধীন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে, যাহা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বোর্ড, সমমানের সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সমমান বলিয়া স্বীকৃত, এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য যোগ্যতা তাহার না থাকিলে উক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কোর্সের কোনো পাঠক্রমে ভর্তির যোগ্য হইবে না। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির শর্তাবলি এই আইন ও সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৪) কোনো পাঠক্রমে ডিগ্রির জন্য ভর্তির উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, এই আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রিকে তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো ডিগ্রির সমমানের বলিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে অথবা স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষাকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমানের বলিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে। (৫) ভর্তির সময় প্রদত্ত মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কোনো শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হইলে এবং পরবর্তীতে উহা প্রমাণিত হইলে তাহার ভর্তি বাতিলযোগ্য হইবে। (৬) নৈতিক স্খলনের দায়ে উপযুক্ত কোনো আদালত কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্য হইবেন না।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ভর্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 37
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩৮। (১) উপাচার্যের সাধারণ নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিয়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (২) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরীক্ষা কমিটি গঠন করিবে এবং উহাদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) কোনো পরীক্ষার বিষয়ে কোনো পরীক্ষক কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে বা অপারগতা প্রকাশ করিলে উপাচার্যের নির্দেশে তাহার স্থলে অন্য একজন পরীক্ষককে নিয়োগ প্রদান করা যাইবে।",
"name": "পরীক্ষা",
"related_acts": "",
"section_id": 38
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৩৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ও নির্ধারিত সংখ্যক কোর্সে একক (ক্রেডিট আওয়ারস) পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হইবে। (২) সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি নির্ধারিত সংখ্যক সেমিস্টারে বিভাজিত হইবে এবং ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বিশেষের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক কোর্স সম্পন্ন করিয়া ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা লাভের জন্য সর্বোচ্চ সময় নির্ধারিত থাকিবে এবং প্রত্যেক পাঠক্রমের সফল সমাপ্তি এবং উহার উপর পরীক্ষা গ্রহণের পর পরীক্ষার্থীকে গ্রেড বা নম্বর প্রদান করা হইবে। (৩) সকল সেমিস্টার পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেডের সমন্বয়ের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণপূর্বক পরীক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হইবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে প্রদত্ত প্রতিটি কোর্স, যাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ডিগ্রি প্রদানের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যক্রমের অংশবিশেষ, পরীক্ষণের জন্য নিযুক্ত পরীক্ষকগণের মধ্যে অন্যূন একজন শিক্ষক থাকিবেন, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চাকরিতে নিয়োজিত নহেন।",
"name": "পরীক্ষা পদ্ধতি",
"related_acts": "",
"section_id": 39
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪০। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী লিখিত চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত হইবেন এবং চুক্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের হেফাজতে তাহার কার্যালয়ে গচ্ছিত থাকিবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মচারীকে উহার একটি অনুলিপি প্রদান করা হইবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী সর্বদা সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সহিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিবেন এবং এইরূপ দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ থাকিবেন। (৩) নিয়োগের শর্তাবলিতে ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ না থাকিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক শিক্ষক ও কর্মচারীরূপে গণ্য হইবেন। (৪) বিশ্ববিদ্যালয় অথবা রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি ও স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপের সহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী নিজেকে জড়িত করিবেন না। (৫) কোনো শিক্ষক ও কর্মচারীর রাজনৈতিক মতামত পোষণের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন না করিয়া তাহার চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ করিতে হইবে, তবে তিনি তাহার রাজনৈতিক মতামত প্রচার করিতে পারিবেন না বা তিনি নিজেকে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সহিত জড়িত করিতে পারিবেন না। (৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক বা কর্মচারী সংসদ সদস্য হিসাবে বা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচিত হইবার জন্য প্রার্থী হইতে চাহিলে তিনি তাহার মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি হইতে ইস্তফা প্রদান করিবেন। (৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক বা কর্মচারীকে তাহার কর্তব্যে অবহেলা, অসদাচরণ, নৈতিক স্খলন, অদক্ষতা বা নাশকতার কারণে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চাকরি হইতে অপসারণ বা বরখাস্তকরণ বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান বা অন্য কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে কোনো তদন্ত কমিটি কর্তৃক তদন্ত অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া চাকরি হইতে অপসারণ বা বরখাস্তকরণ বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান বা অন্য কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইবে না।",
"name": "চাকরির শর্তাবলি",
"related_acts": "",
"section_id": 40
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪১। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংবিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা :- (ক) উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (খ) উপউপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (গ) ট্রেজারারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (ঘ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (চ) জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মানে চেয়ার (অধ্যাপক পদ) প্রবর্তন; (ছ) ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট বা সম্মানসূচক ডিগ্রি অথবা অন্য কোনো সম্মান প্রদান; (জ) শিক্ষাদানকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীগণের পদবি, ক্ষমতা, কর্তব্য ও কর্মের শর্তাবলি নির্ধারণ; (ঞ) হল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং উহাদের রক্ষণাবেক্ষণ; (ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত পদ্ধতি নির্ধারণ; (ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণার্থে অবসরভাতা ও আনুতোষিক, গোষ্ঠী বীমা এবং কল্যাণ ও ভবিষ্য তহবিল গঠন; (ড) শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ; (ঢ) নূতন বিভাগ বা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা, সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ, বিলোপ সাধন এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির বিধান নির্ধারণ; (ণ) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ; (ত) অনুষদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (থ) সিলেকশন কমিটির গঠন ও কার্যাবলি নির্ধারণ; (দ) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও অন্যান্য পাঠক্রমে ভর্তি ও পরীক্ষা; (ধ) বিভিন্ন কমিটি গঠন; (ন) রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের রেজিস্টার সংরক্ষণ; (প) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চশিক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান অধিভুক্তকরণ; এবং (ফ) এই আইনের অধীন সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়। (২) তপশিলে বর্ণিত সংবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধি হইবে এবং সিন্ডিকেট, আচার্যের অনুমোদন সাপেক্ষে, সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে।",
"name": "সংবিধি প্রণয়ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 41
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪২। (১) এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা :- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি ও তাহাদের তালিকাভুক্তি এবং স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন; (গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা অর্জনের যোগ্যতার শর্তাবলি নির্ধারণ; (ঘ) শিক্ষাদান, টিউটোরিয়াল ক্লাস, গবেষণাগার ও কর্মশিবির পরিচালনার পদ্ধতি নিরূপণ; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান ও হলের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার সংক্রান্ত শর্তাবলি এবং তাহাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিধি নির্ধারণ; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমায় ভর্তির জন্য আদায়যোগ্য ফি নির্ধারণ; (ছ) শিক্ষাদান ও পরীক্ষা পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণ; (জ) বিভিন্ন কমিটি গঠন; (ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্থা গঠন এবং উহাদের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ; এবং (ঞ) এই আইন বা সংবিধির অধীন বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ। (২) সিন্ডিকেট, মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশক্রমে ও সরকারের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন করা যাইবে না, যথা :- (ক) শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা; (খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন; (গ) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষাসমূহের সমতাকরণ; (ঘ) পরীক্ষা পরিচালনা; (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সকল ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটের জন্য পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও পাঠক্রম নির্ধারণ; (চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি ও তাহাদের তালিকাভুক্তকরণ; এবং (ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি, উহার বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং উহার ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা অর্জনের যোগ্যতার শর্তাবলি নির্ধারণ।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 42
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪৩। (১) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থাসমূহ নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় বিধির সহিত সঙগতিপূর্ণভাবে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :- (ক) উহাদের নিজ নিজ সভায় অনুসরণীয় কার্যবিধি প্রণয়ন এবং কোরাম গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ; (খ) এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণযোগ্য সকল বিষয়ের উপর বিধান প্রণয়ন; এবং (গ) কেবল উক্ত কর্তৃপক্ষসমূহের সহিত সংশ্লিষ্ট, অথবা এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় বিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন। (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা উহার সভার তারিখ এবং সভার বিবেচ্য বিষয় সম্পর্কে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান এবং সভার কার্যবিবরণীর রেকর্ড সংরক্ষণ সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন করিবে। (৩) সিন্ডিকেট এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান তৎকর্তৃক নির্ধারিত প্রকারে সংশোধন বা বাতিল করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ বাধ্য থাকিবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত কোনো নির্দেশ দ্বারা অসন্তুষ্ট হইলে বিষয়টি সম্পর্কে চ্যান্সেলরের নিকট আপিল করিতে পারিবে এবং আপিলে আচার্য কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়ন, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 43
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত করিতে হইবে এবং পরবর্তী শিক্ষা বৎসর আরম্ভের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে বা তৎপূর্বে উহা মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 44
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪৫। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক হিসাব ও আর্থিক বিবরণী সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করিতে হইবে। (২) উহা সরকার কর্তৃক মনোনীত অডিট টিম দ্বারা নিরীক্ষিত হইতে হইবে। (৩) বার্ষিক হিসাব, নিরীক্ষা প্রতিবেদনের অনুলিপিসহ, মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।",
"name": "বার্ষিক হিসাব",
"related_acts": "",
"section_id": 45
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪৬। কোনো ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার বা বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো ইনস্টিটিউটের কোনো কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো সংস্থার সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি- (ক) অপ্রকৃতিস্থ বা অন্য কোনো অসুস্থতাজনিত কারণে তাহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; (খ) দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; (গ) নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন; এবং (ঘ) সিন্ডিকেটের বিশেষ অনুমতি ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত কোনো পরীক্ষার পাঠক্রম হিসাবে নির্ধারিত কোনো পুস্তক, তাহা স্ব-লিখিত হোক বা সম্পাদিত হোক, এর প্রকাশনা, সংগ্রহ বা সরবরাহকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসাবে বা অন্য কোনো প্রকারে আর্থিক স্বার্থে জড়িত থাকেন : তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় বর্ণিত বিষয়ে সংশয় বা বিরোধের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি এই ধারা অনুযায়ী অযোগ্য কিনা তাহা আচার্য সাব্যস্ত করিবেন এবং এই বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ",
"related_acts": "",
"section_id": 46
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪৭। এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বা প্রবিধানে এতদ্সম্পর্কিত বিধানের অবর্তমানে, কোনো ব্যক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো সংস্থার সদস্য হইবার অধিকার সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে উহা সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং সিন্ডিকেট উহা নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা গঠন সম্পর্কে বিরোধ",
"related_acts": "",
"section_id": 47
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪৮। এই আইন বা সংবিধি দ্বারা কোনো কর্তৃপক্ষকে কমিটি গঠনের ক্ষমতা প্রদান করা হইলে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত মতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া কোনো কমিটি গঠন করিলে উহার গঠনের আইনগত বৈধতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 48
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৪৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ বা ইনস্টিটিউট পদাধিকারবলে সদস্য নহেন এমন কোনো সদস্যের পদে আকস্মিক শূন্যতা সৃষ্টি হইলে যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ উক্ত সদস্যকে নিযুক্ত, নির্বাচিত বা মনোনীত করিয়াছিলেন সেই ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ, যথাশীঘ্র সম্ভব, উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিবেন এবং যে ব্যক্তি এই প্রকার শূন্য পদে নিযুক্ত, নির্বাচিত বা মনোনীত হইবেন সেই ব্যক্তি যাহার স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন, তাহার অসমাপ্ত কার্যকালের জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য পদে বহাল থাকিবেন।",
"name": "আকস্মিকভাবে শূন্য হওয়া পদ পূরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 49
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৫০। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ, ইনস্টিটিউট বা কোনো সংস্থার কোনো কার্য ও কার্যধারা উহার কোনো পদের শূন্যতা বা উক্ত পদে নিযুক্তি, মনোনয়ন বা নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যর্থতা বা ত্রুটির কারণে অথবা কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে অন্য কোনো প্রকার ত্রুটির জন্য অবৈধ হইবে না কিংবা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "কার্যধারার বৈধতা, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 50
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৫১। এই আইন বা সংবিধিতে বিধৃত হয় নাই এইরূপ কোনো বিষয়ে বা চুক্তি সম্পর্কে বিতর্ক বা বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং সিন্ডিকেট নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে উহা নিষ্পত্তির জন্য আচার্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।",
"name": "বিতর্কিত বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্ত",
"related_acts": "",
"section_id": 51
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৫২। সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তাবলি সাপেক্ষে এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় উহার শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণার্থে দেশে প্রচলিত এতদ্সংক্রান্ত নিয়ম ও বিধির সহিত সংগতি রাখিয়া অবসরভাতা, গোষ্ঠী-বীমা, কল্যাণ তহবিল বা ভবিষ্য তহবিল গঠন এবং আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।",
"name": "অবসরভাতা ও ভবিষ্য তহবিল",
"related_acts": "",
"section_id": 52
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৫৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার নিরীখে মঞ্জুরি কমিশন যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করা যৌক্তিক বলিয়া বিবেচনা করিবে, সেই পরিমাণ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়কে বরাদ্দ প্রদান করিবে।",
"name": "সংবিধিবদ্ধ মঞ্জুরি",
"related_acts": "",
"section_id": 53
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৫৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে বা উহার কোনো কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠকের বিষয়ে বা এই আইনের বিধানাবলি প্রথম কার্যকর করিবার বিষয়ে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষসমূহ গঠিত হইবার পূর্বে যে কোনো সময়ে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সমীচীন বা প্রয়োজনীয় বলিয়া আচার্যের নিকট প্রতীয়মান হইলে তিনি, আদেশ দ্বারা, এই আইন ও সংবিধির সহিত, যতদূর সম্ভব, সংগতি রক্ষা করিয়া যে কোনো পদে নিয়োগ প্রদান বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং এই প্রকার প্রত্যেকটি আদেশ এইরূপে কার্যকর হইবে যেন উক্ত নিয়োগ প্রদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ এই আইনের বিধান অনুসারে কৃত হইয়াছে।",
"name": "অসুবিধা দূরীকরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 54
},
{
"act_id": 1350,
"details": "৫৫। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 55
}
],
"text": "সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে অগ্রসরমান বিশ্বের সহিত সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1351,
"lower_text": [],
"name": "নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 8,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
835,
1351,
470,
1151,
1086,
1119
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1351,
"details": "১। (১) এই আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1351",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1351,
"details": "২। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৮ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৭ এর “ধারা ৫-এ উল্লিখিত” শব্দগুলি, সংখ্যা এবং চিহ্নের পরিবর্তে “মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৩ নং আইন) এর ধারা ৩ ও ৬ এ উল্লিখিত” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি এবং বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ৭ এর সংশোধন",
"related_acts": "835,1086",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1351,
"details": "৩। উক্ত আইনের ধারা ৯ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এর “যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে” শব্দগুলির পরিবর্তে “মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (খ) উপ-ধারা (২) এর দ্বিতীয় লাইনে উল্লিখিত “ধর্ষিতা” শব্দের পরিবর্তে “ধর্ষণের শিকার” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (গ) উপ-ধারা (৪) এর দফা (ক) এর “যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে” শব্দগুলির পরিবর্তে “মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (ঘ) উপ-ধারা-৫ এর “প্রথম ও তৃতীয় লাইনে দুইবার, উল্লিখিত “ধর্ষিতা” শব্দটির পরিবর্তে উভয় স্থানে “ধর্ষণের শিকার” শব্দগুলি এবং অতঃপর উল্লিখিত “দায়ী” শব্দের পরিবর্তে “দায়িত্বপ্রাপ্ত” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1351,
"details": "৪। উক্ত আইনের ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :- “(১) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় হইবে, এবং ধারা ১১ এর দফা (গ) এ উল্লিখিত অপরাধ আপসযোগ্য হইবে।”।",
"name": "২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১৯ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1351,
"details": "৫। উক্ত আইনের ধারা ২০ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এর “ধারা ২৫ এর” শব্দগুলি এবং সংখ্যার পরিবর্তে “ধারা ২৬ এর” শব্দগুলি এবং সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) উপ-ধারা (৭) এর “Children Act, 1974 (XXXIX of 1974)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি এবং বন্ধনীর পরিবর্তে “শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি এবং বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ২০ এর সংশোধন।-",
"related_acts": "470,1119",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1351,
"details": "৬। উক্ত আইনের ধারা ৩২ এর- (ক) উপান্তটীকার “অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা” শব্দগুলির পরিবর্তে “অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) উপ-ধারা (১) এর “অপরাধের শিকার ব্যক্তির” শব্দগুলির পরিবর্তে “অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ৩২ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1351,
"details": "৭। উক্ত আইনের ধারা ৩২ এর পর নিম্নরূপ ধারা ৩২ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা :- “৩২ক। অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) পরীক্ষা।- এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ধারা ৩২ এর অধীন মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াও, উক্ত ব্যক্তির সম্মতি থাকুক বা না থাকুক, ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১০ নং আইন) এর বিধান অনুযায়ী ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) পরীক্ষা করিতে হইবে।”।",
"name": "২০০০ সনের ৮ নং আইনে নূতন ধারা ৩২ ক এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "1151",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1351,
"details": "৮। (১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০ (২০২০ সনের ৪ নং অধ্যাদেশ) এতদ্বারা রহিত করা হইল। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত অধ্যাদেশের অধীন- (ক) কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, এবং (খ) দায়েরকৃত কোনো মামলা বা গৃহীত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত বা গৃহীত হইয়াছে।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "",
"section_id": 8
}
],
"text": "নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৮ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1352,
"lower_text": [
"1 বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) হিসাবে বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ০৩ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সংখ্যায়িত।",
"2 উপ-ধারা (২) বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ০৩ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সংযোজিত।"
],
"name": "বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 31,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1352,
11,
566,
442,
1275,
957,
415
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1352,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1352",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২। বিষয় অথবা প্রসংগের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘‘অধ্যক্ষ’’ অর্থ আলিম, ফাযিল বা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ(২) ‘‘আলিম মাদ্রাসা’’ অর্থ বোর্ডের অধিভুক্ত এবং আলিম মানের জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাদ্রাসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;(৩) ‘‘আলিম মান’’ অর্থ আলিম কোর্সের মাদ্রাসা শিক্ষা, যাহা উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট কোর্সের সমমান;(৪) ‘‘ইবতেদায়ি মাদ্রাসা’’ অর্থ বোর্ডের অধিভুক্ত এবং ইবতেদায়ি মানের জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাদ্রাসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;(৫) ‘‘ইবতেদায়ি মান’’ অর্থ ইবতেদায়ি কোর্সের মাদ্রাসা শিক্ষা, যাহা পঞ্চম শ্রেণির সমমান;(৬) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;(৭) ‘‘তত্ত্বাবধায়ক বা সুপারিনটেনডেন্ট’’ অর্থ দাখিল মাদ্রাসার প্রধান;(৮) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত তহবিল;(৯) ‘‘দাখিল মাদ্রাসা’’ অর্থ বোর্ডের অধিভুক্ত এবং দাখিল মানের জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাদ্রাসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;(১০) ‘‘দাখিল মান’’ অর্থ দাখিল কোর্সের মাদ্রাসা শিক্ষা, যাহা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট কোর্সের সমমান;(১১) ‘‘পরিচালনা পর্ষদ’’ অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদ;(১২) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের তপশিল;(১৩) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ ধারা ২৯ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান;(১৪) ‘‘বিধি’’ অর্থ ধারা ২৮ এর অধীন প্রণীত বিধি;(১৫) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড;(১৬) ‘‘মাদ্রাসা’’ অর্থ ইসলামি শাস্ত্র শিক্ষা ও চর্চার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, দাখিল মাদ্রাসা এবং আলিম মাদ্রাসাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১৭) ‘‘মাদ্রাসা শিক্ষা’’ অর্থ ইবতেদায়ি মান, দাখিল মান ও আলিম মান সংক্রান্ত শিক্ষা;(১৮) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ বোর্ডের রেজিস্ট্রার; এবং(১৯) ‘‘সদস্য’’ অর্থ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।",
"name": "সংজ্ঞা",
"related_acts": "",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Madrasah Education Ordinance, 1978 (Ordinance No. IX of 1978) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত The Madrasah Education Board, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, নামে অভিহিত হইবে এবং ইহা এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।(২) বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।",
"name": "বোর্ড প্রতিষ্ঠা",
"related_acts": "566",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৪। বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক ও শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।",
"name": "বোর্ডের কার্যালয়",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৫। বোর্ডের সাধারণ প্রশাসনসহ সার্বিক কার্যক্রম চেয়ারম্যান কর্তৃক পরিচালিত হইবে, যাহা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে।",
"name": "পরিচালনা ও প্রশাসন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৬। (১) বোর্ডের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হইবে, যথা :-(ক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;(খ) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(গ) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(ঘ) বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;(ঙ) পরিচালক, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়;(চ) সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা চেয়ারম্যানগণের মধ্য হইতে মনোনীত একজন প্রতিনিধি;(ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(জ) সরকার কর্তৃক সরকারি মাদ্রাসার অধ্যগণের মধ্য হইতে মনোনীত একজন প্রতিনিধি;(ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বেসরকারি মাদ্রাসার দুইজন অধ্যক্ষ;(ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বেসরকারি মাদ্রাসার দুইজন তত্ত্বাবধায়ক বা সুপারিনটেনডেন্ট;(ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত মাদ্রাসা শিক্ষার সহিত সংশিস্নষ্ট একজন শিক্ষাবিদ;(ঠ) অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট, ঢাকা; এবং(ড) রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (চ), (ছ), (জ), (ঝ), (ঞ) ও (ট) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কোনো মনোনীত সদস্যের মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবে :আরও শর্ত থাকে যে, কোনো মনোনীত সদস্য, যে কোনো সময়, চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদ",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৭। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, পরিচালনা পর্ষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) পরিচালনা পর্ষদের সভা উহার চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহূত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।(৩) প্রতি ৩ (তিন) মাসে পরিচালনা পর্ষদের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরি প্রয়োজনে পরিচালনা পর্ষদ যে কোনো সময় সভা আহবান করিতে পারিবে।(৪) চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের মধ্য হইতে নির্বাচিত একজন সদস্য পরিচালনা পর্ষদের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৫) পরিচালনা পর্ষদের সভার কোরামের জন্য অন্যূন উহার অর্ধেক সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।(৬) পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।(৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিচালনা পর্ষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।",
"name": "পরিচালনা পর্ষদের সভা",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৮। (১) কোনো সদস্যের সদস্য পদ ইস্তফা, মৃত্যু অথবা অন্য কোনো কারণে শূন্য হইলে ধারা ৬ এর বিধান অনুসারে অন্য কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট শূন্য পদে মনোনীত অথবা নিযুক্ত হইবেন।(২) মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও একজন সদস্য তাঁহার পদে বহাল থাকিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত মেয়াদের অবসান দ্বারা সৃষ্ট শূন্যতা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পূরণ করা না হয়।",
"name": "সাময়িক শূন্য পদ পূরণ",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৯। 1(১) বোর্ডের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :- (ক) মাদ্রাসা শিক্ষা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ; (খ) মাদ্রাসা স্থাপন, পাঠদান, স্বীকৃতি ও নবায়নের অনুমতি প্রদান এবং পাঠদান ও স্বীকৃতির অনুমতি স্থগিত, বাতিল ও পুনর্বহাল; (গ) মাদ্রাসা শিক্ষা কোর্স নির্ধারণ; (ঘ) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬২ নং আইন) অনুযায়ী পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান; (ঙ) বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ, ফি নির্ধারণ, ফল প্রকাশ, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সনদ প্রদান; (চ) বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং আন্তঃপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন; (ছ) মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নকল্পে গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ; (জ) বোর্ড কর্তৃক মাদ্রাসা পরিদর্শন, তদারকি ও পরিবীক্ষণ; (ঝ) বোর্ড কর্তৃক মাদ্রাসার তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষাণাবেক্ষণ; (ঞ) মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃত্তি, পদক বা পুরস্কার প্রদান; (ট) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদন : তবে শর্ত থাকে যে, বিদেশি কোনো সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে; এবং (ঠ) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্য কোনো দায়িত্ব পালন।2(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি অতিমারী (pandemic), মহামারী (epidemic), দৈব-দুর্বিপাক (Act of God) এর কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় ঘোষিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে, কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা সম্ভব না হইলে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, কোনো বিশেষ বৎসরের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা গ্রহণ ব্যতীত বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করিয়া, উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশনাবলি জারি করিতে পারিবে।",
"name": "বোর্ডের দায়িত্ব ও কার্যাবলি",
"related_acts": "1275",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১০। (১) বোর্ড মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি প্রদান করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত স্বীকৃতি প্রদানের পদ্ধতি, ফি, স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিল, স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে, তবে বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী এতদ্সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা যাইবে।",
"name": "মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি প্রদান",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১১। (১) বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কোনো মাদ্রাসা বা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত কোনো পরীক্ষা পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং তিনি উক্ত পরিদর্শন প্রতিবেদন বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।",
"name": "পরিদর্শন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১২। (১) বোর্ড উহার কার্যাবলি পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের নিকট দায়ী থাকিবে।(২) সরকার, বোর্ডের যে কোনো বিষয় পরিদর্শন বা তদন্ত করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিচালিত পরিদর্শন বা তদন্তের পর সরকার তদনুযায়ী বোর্ডকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হইলে বোর্ড উহা প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে।(৪) সরকার, জনস্বার্থে, লিখিত আদেশ দ্বারা পরিচালনা পর্ষদের কোনো কার্যক্রম বা কোনো কমিটি বাতিল করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ আদেশ প্রদানের পূর্বে সরকার, কেন উক্ত আদেশ প্রদান করা হইবে না, তৎমর্মে কারণ দর্শাইবার জন্য চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদ বা সংশ্লিষ্ট কমিটিকে তলব করিবে।",
"name": "জবাবদিহিতা",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১৩। (১) বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন।(২) চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।(৩) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্যপদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, বোর্ডের রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রারের অবর্তমানে অন্য কোনো বিভাগীয় প্রধান সাময়িকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যান নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১৪। (১) চেয়ারম্যান বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি-(ক) বোর্ডের কার্যাবলি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;(খ) বোর্ডের হিসাবরক্ষণ, হিসাব বিবরণী প্রণয়ন ও হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করিবেন; এবং(গ) সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, চেয়ারম্যান জরুরি প্রয়োজনে, যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপে গৃহীত কার্যক্রম অনুমোদনের জন্য তৎপরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে।(৩) চেয়ারম্যান, বোর্ডের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, প্রয়োজনে, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদের জন্য, শ্রমিক নিয়োগ করিতে পারিবেন।",
"name": "চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১৫। (১) বোর্ড, উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বোর্ডের নিম্নবর্ণিত কমিটি থাকিবে,যথা :-(ক) একাডেমিক কমিটি;(খ) ইবতেদায়ি পাঠক্রম কমিটি;(গ) দাখিল পাঠক্রম কমিটি;(ঘ) আলিম পাঠক্রম কমিটি;(ঙ) অর্থ কমিটি;(চ) অডিট কমিটি;(ছ) বিধি প্রণয়ন কমিটি;(জ) প্রবিধান প্রণয়ন কমিটি;(ঝ) বাছাই কমিটি;(ঞ) আপিল ও সালিশ কমিটি;(ট) পরীক্ষা ও সক্ষমতা যাচাই কমিটি;(ঠ) নাম ও বয়স শুদ্ধকরণ কমিটি;(ড) স্বীকৃতি প্রদান কমিটি;(ঢ) কেন্দ্র কমিটি;(ণ) শৃঙ্খলা কমিটি; এবং(ত) গবেষণা কমিটি।(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন গঠিত কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "কমিটি গঠন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন হয় এইরূপ কোনো কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বোর্ড, প্রয়োজনে, পরামর্শক বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করিতে পারিবে।(২) বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শকের দায়িত্ব ও তাহাদের নিয়োগের শর্তাবলি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।",
"name": "পরামর্শক নিয়োগ",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১৮। (১) বোর্ডের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা :-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(খ) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত দান;(গ) এই আইনের অধীন ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;(ঘ) বিনিয়োগ হইতে অর্জিত আয়;(ঙ) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হইতে প্রাপ্ত আয়;(চ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিদেশি সরকার বা সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান; এবং(ছ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।(২) তহবিলের অর্থ পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে কোনো তপশিলি ব্যাংকে বোর্ডের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে।(৩) এই আইনের অধীন বোর্ডের কার্যাবলি সম্পাদন এবং চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রারসহ কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ করা হইবে।ব্যাখ্যা - এই ধারায় উল্লিখিত ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article (2)(j)-তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে।",
"name": "তহবিল",
"related_acts": "415",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1352,
"details": "১৯। বোর্ড সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, প্রতি অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় এবং উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কি পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হইবে উহা উল্লেখ করিয়া একটি বাজেট বিবরণী সরকারের অনুমোদনের জন্য পেশ করিবে।",
"name": "বাজেট",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২০। (১) বোর্ড যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রত্যেক বৎসর বোর্ডের হিসাব-নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য বোর্ড অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। (৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত হিসাব নিরীক্ষা ব্যতিরেকেও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b)-তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত Chartered Accountant পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত হারে পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন।(৫) বোর্ডের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত Chartered Accountant বোর্ডের সকল রেকর্ড, দলিল, বার্ষিক ব্যালেন্স শিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার, তহবিল বা অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার বা কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।",
"name": "হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা",
"related_acts": "442",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২১। (১) বোর্ড প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষে ৩১ জুলাই এর মধ্যে উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।(২) সরকার, প্রয়োজনে, বোর্ডের নিকট হইতে যে কোনো সময় যে কোনো বিবরণী, হিসাব, পরিসংখ্যান এবং বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনো বিষয় সম্পর্কিত তথ্য বা উক্তরূপ যে কোনো বিষয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন যাচাই করিতে পারিবে এবং বোর্ড উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।",
"name": "বার্ষিক প্রতিবেদন",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২২। চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার এবং বোর্ডের কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর Section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (Public servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।",
"name": "জনসেবক",
"related_acts": "11",
"section_id": 22
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ডের স্থায়ী কর্মচারীগণের অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ (ষাট) বৎসর।",
"name": "অবসর গ্রহণের বয়স",
"related_acts": "",
"section_id": 23
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২৪। বোর্ডের কোনো চুক্তির সহিত সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে কোনো সদস্য জড়িত হইতে পারিবেন না।",
"name": "বোর্ডের সহিত চুক্তি করিতে সদস্যদের বাধা",
"related_acts": "",
"section_id": 24
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২৫। বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত অথবা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত কোনো পরীক্ষার পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত কোনো পুস্তকে যাহার আর্থিক স্বার্থসংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে অথবা এইরূপ কোনো পুস্তকের প্রকাশক, সংগ্রাহক অথবা সরবরাহকারী অথবা এই জাতীয় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসাবে আর্থিক স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তি পরিচালনা পর্ষদ অথবা এই আইনের অধীনে নিযুক্ত কোনো কমিটির সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন না এবং এইরূপ স্বার্থ লাভের পর আর সদস্য হিসাবে কার্য করিতে পারিবেন না।",
"name": "বোর্ডের বিষয়াবলিতে আর্থিক স্বার্থ রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তিদের পরিচালনা পর্ষদ কমিটির সদস্য হইবার ক্ষেত্রে বাধা",
"related_acts": "",
"section_id": 25
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২৬। পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজনে, লিখিতভাবে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে বর্ণিত শর্তসাপেক্ষে, যদি থাকে, এই আইনের অধীন উহার কোনো ক্ষমতা চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার বা কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।",
"name": "ক্ষমতা অর্পণ",
"related_acts": "",
"section_id": 26
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মাদ্রাসা শিক্ষার ধরন, মেয়াদ, মান ও বিষয় তপশিল-২ অনুযায়ী হইবে।",
"name": "মাদ্রাসা শিক্ষার ধরন, মেয়াদ, মান ও বিষয় নির্ধারণ",
"related_acts": "",
"section_id": 27
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।",
"name": "বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।",
"related_acts": "",
"section_id": 28
},
{
"act_id": 1352,
"details": "২৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বোর্ড, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে; যথা :-(ক) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা নির্ধারণ, পরীক্ষার ফি নির্ধারণ, সনদ প্রদান ও প্রত্যাহার;(খ) পাঠ্যক্রম ও কোর্স প্রণয়ন;(গ) বোর্ডের সকল পরীক্ষা পরিচালনা;(ঘ) বোর্ডের কর্মচারীগণের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;(ঙ) বোর্ড ও কমিটির সভা পরিচালনা;(চ) মাদ্রাসা পরিচালনা সংক্রান্ত বিধান;(ছ) মাদ্রাসার শিক্ষকগণের চাকুরির শর্তাবলি ও আচরণবিধি;(জ) মাদ্রাসার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যকার বিরোধ মীমাংসা বা সালিশ সংক্রান্ত বিধান;(ঝ) পরিদর্শন পদ্ধতি ও ধরন;(ঞ) বোর্ডের রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মচারীগণের নিয়োগ ও চাকুরির শর্তাবলি ও আচরণ বিধি; এবং(ট) বোর্ড ও কমিটির সভায় যোগদানের জন্য সদস্যগণের ভ্রমণভাতা ও সম্মানি।(৩) তপশিল-১ এ সংযোজিত প্রবিধানসমূহ ধারা ২৯ এর অধীন প্রণীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং বোর্ড, উপধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত প্রবিধান সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে।",
"name": "প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা",
"related_acts": "",
"section_id": 29
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৩০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, Madrasah Education Ordinance, 1978 (Ordinance No. IX 1978), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা রহিত করা হইল।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন উক্ত রহিতকরণ সত্ত্বেও-(ক) এই আইনের অধীন পরিচালনা পর্ষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত Ordinance এর অধীন গঠিত Board, অতঃপর উক্ত Board বলিয়া উল্লিখিত, এর পরিচালনা পর্ষদ এই আইনের অধীন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) উক্ত Ordinance এর অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান এই আইনের অধীন বিধি বা প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বলবৎ থাকিবে।(৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে, উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Board এর-(ক) সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ অর্থ এবং ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও তহবিল, অর্থের বিনিয়োগ, অন্য সকল দাবি বা অধিকার, প্রাপ্ত সুবিধাদি, এইরূপ বিষয় সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত বা উহা হইতে উদ্ভূত যাবতীয় অধিকার, মেধাস্বত্ব ও স্বার্থ এবং সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং এতদসংক্রান্ত অন্য সকল দলিল-দস্তাবেজ বোর্ডের উপর ন্যস্ত ও স্থানান্তরিত হইবে;(খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি, বোর্ডের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;(গ) বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলা বা আইনগত কার্যধারা বোর্ডের বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;(ঘ) কৃত কোনো কার্য, প্রদত্ত কোনো স্বীকৃতি বা সার্টিফিকেট, ইস্যুকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, প্রদত্ত, ইস্যুকৃত গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং(ঙ) সকল কর্মচারী বোর্ডের কর্মচারী হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তাধীনে চাকুরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে বোর্ডের চাকুরিতে নিয়োজিত থাকিবেন।",
"name": "রহিতকরণ ও হেফাজত",
"related_acts": "566",
"section_id": 30
},
{
"act_id": 1352,
"details": "৩১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।(২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।",
"name": "ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ",
"related_acts": "",
"section_id": 31
}
],
"text": "Madrasah Education Ordinance, 1978 রহিতক্রমে সংশোধনসহ পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ৩ক, ১৮ ও ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপিল নং ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯ ও সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে সামগ্রিকভাবে অননুমোদনপূর্বক (total disapproval of Martial law) উহাদের বৈধতা প্রদানকারী, যথাক্রমে, সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১ নং আইন) এবং সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং যেহেতু ২০১৩ সনের ৬ ও ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবংযেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবংযেহেতু স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও কর্মমুখী করিবার উদ্যোগ গৃহীত হয় এবং উহার ধারাবাহিকতায় Madrasah Education Ordinance, 1978 (Ordinance No. IX of 1978) এর অধীন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠিত হয়; এবংযেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Madrasah Education Ordinance, 1978 (Ordinance No. IX of 1978) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে যুগোপযোগী করিয়া বাংলা ভাষ্যে একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-"
} |
{
"id": 1353,
"lower_text": [],
"name": "কোম্পানী (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 12,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1353,
788,
950
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1353,
"details": "১। (১) এই আইন কোম্পানী (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1353",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1353,
"details": "২। কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর পর নিম্নরূপ দফা (খখ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(খখ) “এক ব্যক্তি কোম্পানী\" বলিতে এমন একটি কোম্পানীকে বুঝাইবে যাহার শেয়ার হোল্ডার কেবল একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি (natural person);”।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন",
"related_acts": "788",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1353,
"details": "৩। উক্ত আইনের ধারা ১১ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ১১ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“১১ক। সীমিতদায় কোম্পানী সনাক্তকরণ (Indication of Limited Company)।- এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সীমিতদায় কোম্পানী নিম্নবর্ণিতভাবে সনাক্ত করিতে হইবে, যথা:- (ক) সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানীর ক্ষেত্রে উহার নামের শেষে “পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী” বা “PLC.” শব্দসমূহ লিখিতে হইবে;(খ) সীমিতদায় প্রাইভেট কোম্পানীর ক্ষেত্রে উহার নামের শেষে “সীমিতদায়” বা “LTD.’’ শব্দ লিখিতে হইবে;(গ) সীমিতদায় এক ব্যক্তি কোম্পানীর ক্ষেত্রে উহার নামের শেষে “এক ব্যক্তি কোম্পানী বা One Person Company বা OPC” শব্দসমূহ লিখিতে হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ২৮ এর অধীন মুনাফা ব্যতীত ভিন্ন উদ্দেশ্য বিশিষ্ট সমিতি এবং ধারা ২৯ এর অধীন গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।”।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনে নূতন ধারা ১১ক এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1353,
"details": "৪। উক্ত আইনের ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ উপ-ধারা (৩ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:- “(৩ক) শেয়ার হস্তান্তর দলিলে শেয়ার হস্তান্তরকারীর স্বাক্ষর নিম্নবর্ণিতভাবে নিশ্চিত করিতে হইবে, যথা:-(ক) শেয়ার হস্তান্তরকারী সংশ্লিষ্ট পরিচালকের তালিকা, বার্ষিক মূলধনের বিবরণী, শেয়ার হস্তান্তর দলিল এবং শেয়ার হস্তান্তরের সপক্ষে প্রদত্ত হলফনামা রেজিস্ট্রারের দপ্তরে দাখিল করিবার পর সংশ্লিষ্ট শেয়ার হস্তান্তরকারীকে সশরীরে উপস্থিত হইয়া পুনঃস্বাক্ষরপূর্বক শেয়ার হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করিতে হইবে;(খ) শেয়ার হস্তান্তরকারী বিদেশি নাগরিক হইলে বা বিদেশে অবস্থান করিলে শেয়ার হস্তান্তরের সমর্থনে শেয়ার হস্তান্তর দলিল ও হলফনামা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়নপূর্বক প্রেরণ করিতে হইবে; এবং(গ) শেয়ার হস্তান্তরকারী যুক্তিসঙ্গত কারণে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে উপস্থিত হইতে না পারিলে নির্ধারিত ফি আদায় সাপেক্ষে রেজিস্ট্রার কর্তৃক কমিশন প্রেরণ করা যাইবে।\"।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৩৮ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1353,
"details": "৫ । উক্ত আইনের ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এর-(ক) দফা (ক) এর “ চৌদ্দ” শব্দের পরিবর্তে “একুশ” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) দফা (খ) এর “সভায়” শব্দের পরিবর্তে “সভার স্থান, সময়, তারিখ এবং” শব্দগুলি এবং কমাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;(গ) দফা (ঙ) এর প্রান্তস্থিত “।” চিহ্নের পরিবর্তে “;” চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ দফা (চ), (ছ) এবং (জ) সংযোজিত হইবে, যথা:-“(চ) বিশেষ সাধারণ সভায় (Extraordinary General Meeting) গৃহীত সকল কার্যক্রম বিশেষ কার্যক্রম হিসাবে গণ্য হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, ডিভিডেন্ড মঞ্জুরি, বোনাস শেয়ার, অডিট রিপোর্ট অনুমোদন, পরিচালক ও নিরীক্ষকের প্রতিবেদন, পরিচালক পদে পর্যায়ক্রমিক অবসর এবং অডিটরগণের পারিশ্রমিক নির্ধারণ বিশেষ কার্যক্রম হিসাবে গণ্য হইবে না; (ছ) বিশেষ সাধারণ সভায় আলোচ্য কোন বিশেষ এজেন্ডা যদি কোন দলিল দ্বারা সমর্থিত হয়, তাহা হইলে উহা পরিদর্শনের সময় ও স্থান নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে; এবং(জ) ন্যূনতম ৫% শেয়ার মূলধনের অধিকারী শেয়ার হোল্ডারগণ কোম্পানীর এজিএম/বার্ষিক সাধারণ সভায় আলোচ্যসূচি (Agenda) প্রস্তাব করিতে পারিবেন।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৮৫ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1353,
"details": "৬। উক্ত আইনের ধারা ২৫৫ এর উপ-ধারা (৪) এর পর নিম্নরূপ উপ-ধারা (৪ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(৪ক) কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির কার্যক্রম শুরু হইবার পর পাওনাদারগণ তাহাদের প্রথম সভায় সরকারি লিকুইডেটর নিয়োগের বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবেন।”।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২৫৫ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1353,
"details": "৭। উক্ত আইনের ধারা ২৬২ এর দফা (ছ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ছ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:- “(ছ) কোম্পানীর পরিসম্পদ জামানত রাখিয়া প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা এবং উহা ব্যয় করা এবং যে সকল ঋণদাতা উক্তরূপ অর্থায়নে সম্মতি প্রদান করিয়াছেন, তাহাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে অনিশ্চিত পাওনাদারগণের (unsecured creditors) উপর অগ্রাধিকার প্রদান করা;”।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২৬২ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1353,
"details": "৮। উক্ত আইনের ধারা ৩২৭ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) ও (৫) সংযোজিত হইবে, যথা:-“(৪) যেই ক্ষেত্রে অবলুপ্তির আবেদন পেশ করিবার পূর্ববর্তী ছয় মাসের মধ্যে কোম্পানী কর্তৃক অথবা কোম্পানীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার উদ্দেশ্যে কোন অর্থ প্রদান করা হয় অথবা কোন মালামাল সরবরাহ করা হয় অথবা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রাধিকার প্রদান করা হয়, সেইক্ষেত্রে আদালতের নিকট উপযুক্ত প্রতীয়মান হইলে উক্ত লেনদেন অকার্যকর ঘোষণা করিয়া পূর্বাবস্থায় ফিরাইয়া নেওয়ার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। (৫) যেইক্ষেত্রে কোন কোম্পানী কর্তৃক অবলুপ্তির জন্য আদালতে দরখাস্ত পেশ করিবার পূর্বে কিংবা স্বেচ্ছায় অবসায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে এক বৎসরের মধ্যে কোন সম্পদ হস্তান্তর করা হয় বা মালামাল সরবরাহ করা হয়, সেইক্ষেত্রে উহা বাতিল হইবে, যদি না উহা কোম্পানীর স্বাভাবিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়া হইয়া থাকে কিংবা সরল বিশ্বাসে অথবা উপযুক্ত মূল্যের বিনিময়ে ক্রেতাকে দায়বদ্ধ করা হইয়া থাকে এবং যে ব্যক্তি বা কোম্পানীর নিকট সম্পদ হস্তান্তর করা হইয়াছিল বা মালপত্র সরবরাহ করা হইয়াছিল সেই কোম্পানী বা ব্যক্তির নিকট হইতে লিকুইডেটর উক্ত সম্পদ বা মালপত্র পুনরুদ্ধার করিতে পারিবেন।”।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৩২৭ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1353,
"details": "৯। উক্ত আইনের দশম খণ্ডের পর নিম্নরূপ নূতন খণ্ড দশম-ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“দশম-ক খণ্ডএক ব্যক্তি কোম্পানী গঠন, নিবন্ধন, পরিচালনা, ইত্যাদি ৩৯২ক। এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধি।- এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধি বলিতে তপশিল ৯ক এবং তপশিল ৯খ এ উল্লিখিত এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধিকে বুঝাইবে।৩৯২খ। এক ব্যক্তি কোম্পানীর গঠন, ইত্যাদি।- (১) একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি, আইনানুগ যে কোন উদ্দেশ্যে, এক ব্যক্তি কোম্পানী গঠন করিতে পারিবে, এবং উহা করিতে চাহিলে, তাহার নাম স্মারকে উদ্যোক্তা হিসাবে স্বাক্ষর করিয়া এবং নিবন্ধিকরণ সংক্রান্ত এই আইনের বিধান মোতাবেক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া সীমিতদায় কোম্পানী গঠন করিতে পারিবেন।(২) একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি কেবল একটি এক ব্যক্তি কোম্পানী গঠন করিতে পারিবেন।(৩) এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারকে একজন মনোনীত ব্যক্তির নাম, উক্ত মনোনীত ব্যক্তির লিখিত সম্মতিক্রমে, উল্লেখ থাকিতে হইবে, যিনি একমাত্র শেয়ার হোল্ডার মৃত্যুবরণ করিলে বা কোম্পানী পরিচালনায় অসমর্থ বা অপ্রকৃতিস্থ হইলে উক্ত কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার হইবেন। (৪) এক ব্যক্তি কোম্পানীর নিবন্ধনকালে উহার স্মারক, বিধি এবং নিবন্ধন বহিতে উক্ত মনোনীত ব্যক্তির লিখিত সম্মতি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।(৫) উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার সম্মতি প্রত্যাহার করিতে পারিবেন।(৬) যদি উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তি শেয়ার হোল্ডারের পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন অথবা অন্য কোন কারণে অসমর্থ বা অপ্রকৃতিস্থ হন, তাহা হইলে উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তির স্থলে অন্য কোন ব্যক্তিকে, তাহার সম্মতিক্রমে, মনোনীত করা যাইবে।(৭) এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার উপযুক্ত মনে করিলে, তৎকর্তৃক উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তির স্থলে অন্য কোন ব্যক্তিকে, তাহার সম্মতিক্রমে, মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন।(৮) এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তির পরিবর্তন সম্পর্কে বিধিতে উল্লেখ করিতে হইবে এবং নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিতে হইবে।৩৯২গ। এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার মূলধন, ইত্যাদি।- (১) এক ব্যক্তি কোম্পানীর-(ক) পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হইবে অন্যূন পঁচিশ লক্ষ টাকা এবং অনধিকপাঁচ কোটি টাকা; এবং(খ) অব্যবহিত পূববর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক টার্নওভার অন্যূন এক কোটি টাকা এবং অনধিক পঞ্চাশ কোটি টাকা।(২) যদি এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিশোধিত শেয়ার মূলধন উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এ উল্লিখিত পরিমাণ হইতে অধিক হয় এবং বার্ষিক টার্নওভার উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত পরিমাণ হইতে অধিক হয়, তাহা হইলে প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে, এক ব্যক্তি কোম্পানীকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী অথবা, ক্ষেত্রমত, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তর করা যাইবে।৩৯২ঘ। এক ব্যক্তি কোম্পানী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অনুসৃত পদ্ধতি।- প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, এক ব্যক্তি কোম্পানী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে। ৩৯২ঙ। এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিচালক।- (১) এক ব্যক্তি কোম্পানীর একমাত্র শেয়ার হোল্ডার উহার পরিচালক হইবেন।(২) এক ব্যক্তি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থাপক, কোম্পানী সচিব এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ করা যাইবে। ৩৯২চ। এক ব্যক্তির কোম্পানীর সভা।- এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিচালক অর্ধ পঞ্জিকা বৎসরে অন্যূন একটি পরিচালক সভা অনুষ্ঠান করিবে।৩৯২ছ। এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক বা বিধি পরিবর্তন।- এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক বা বিধিতে কোন পরিবর্তন করা হইলে, উক্ত পরিবর্তন সম্পর্কে নির্ধারিত পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিতে হইবে এবং এইক্ষেত্রে ধারা ১২ এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে ।৩৯২জ। এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তর।- এক ব্যক্তি কোম্পানীর সকল শেয়ার কেবল একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা যাইবে এবং শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ধারা ৩৮ এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে। ৩৯২ঝ। এক ব্যক্তি কোম্পানীর ব্যালান্স শীট।- (১) এক ব্যক্তি কোম্পানীর ক্ষেত্রে কোন অর্থ বৎসর সমাপ্তির একশত আশি দিনের মধ্যে উহার আর্থিক বিবরণী দলিলাদিসহ সংযুক্ত করিয়া রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে। (২) প্রতিটি ব্যালান্স শীট এবং প্রতিবারের লাভ-ক্ষতির হিসাব অথবা আয় ও ব্যয়ের হিসাব কোম্পানীর একমাত্র শেয়ারহোল্ডার পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে। ৩৯২ঞ। এক ব্যক্তি কোম্পানীর নিরীক্ষা।- এক ব্যক্তি কোম্পানীতে নিরীক্ষক নিয়োগ ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে।৩৯২ট। এক ব্যক্তি কোম্পানী কর্তৃক ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ।- এক ব্যক্তি কোম্পানী কর্তৃক কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ বা পরিশোধের ক্ষেত্রে ধারা ১৫৯ হইতে ধারা ১৭৫ এর বিধানাবলী, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে । ৩৯২ঠ। এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি।- এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে।\"।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনে নূতন খণ্ড দশম-ক এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1353,
"details": "১০। উক্ত আইনের ধারা ৪০০ এর- (ক) ““লিমিটেড” বা “সীমিতদায়”” চিহ্নগুলি ও শব্দগুলির পরিবর্তে “পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী বা PLC., বা সীমিতদায় বা LTD., বা এক ব্যক্তি কোম্পানী বা One Person Company বা OPC” প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) “অথচ সীমিতদায় সহকারে” শব্দগুলির পরিবর্তে “উক্তরূপ নাম বা শিরোনাম” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৪০০ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1353,
"details": "১১। উক্ত আইনের ধারা ৪০১ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ৪০১ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:- “৪০১ক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর প্রয়োগ।- (১) এই আইনের অধীন সম্পাদিতব্য কোন কাজ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করা যাইবে এবং এইক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুসরণ করিতে হইবে। (২) ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সেবা প্রদানের জন্য সরকার ফি ধার্য করিতে পারিবে।”।",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনে নূতন ধারা ৪০১ক এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "950,950",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1353,
"details": "১২। উক্ত আইনের তপশিল ৯ এর পর নিম্নরূপ তপশিল ৯ক ও তপশিল ৯খ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-",
"name": "১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনে নূতন তপশিল ৯ক ও ৯খ এর সন্নিবেশ",
"related_acts": "",
"section_id": 12
}
],
"text": "কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1354,
"lower_text": [],
"name": "বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1354
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1354,
"details": "১। (১) এই আইন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1354",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1354,
"details": "২। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-‘‘(৫) কমিশন, একক বা পৃথক পৃথক আদেশ দ্বারা, তৎকর্তৃক নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থ বৎসরে প্রয়োজনে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করিতে পারিবে।’’।",
"name": "২০০৩ সনের ১৩ নং আইনের ধারা ৩৪ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 2
}
],
"text": "বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৩ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা :-"
} |
{
"id": 1355,
"lower_text": [],
"name": "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০",
"num_of_sections": 22,
"published_date": "২৬ নভেম্বর, ২০২০",
"related_act": [
1355,
1276
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1355,
"details": "১। (১) এই আইন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।",
"name": "সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন",
"related_acts": "1355",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1355,
"details": "২। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬৩ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর- (ক) দফা (৫) এ উল্লিখিত ‘‘হাইড্রোকার্বনজাত (OH®) হাইড্রোক্সিল’’ শব্দগুলি, বন্ধনী, বর্ণগুলি ও চিহ্নের পরিবর্তে ‘‘হাইড্রোকার্বনজাত হাইড্রোক্সিল(OH®)’’ শব্দগুলি, বন্ধনী, বর্ণগুলি ও চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে; (খ) দফা (৭) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৭ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:- ‘‘(৭ক) ‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’ অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী, ক্ষেত্রমত, অপরাধ আমলে গ্রহণের অথবা বিচারের এখতিয়ারসম্পন্ন কোনো আদালত;’’; (গ) দফা (২৬) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (২৬) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:- ‘‘(২৬) ‘ব্যক্তি’ অর্থে যে কোনো কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ অথবা অনুরূপ সংঘ বা সমিতিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;’’; (ঘ) দফা (৩৩) বিলুপ্ত হইবে; (ঙ) দফা (৩৪) এর প্রান্তস্থিত সেমিকোলন চিহ্নের পর ‘‘এবং’’ শব্দ সংযোজিত হইবে; (চ) দফা (৩৫) এর প্রান্তস্থিত সেমিকোলন চিহ্নের পরিবর্তে দাঁড়ি চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং ‘‘এবং’’ শব্দ বিলুপ্ত হইবে; এবং (ছ) দফা (৩৬) বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন",
"related_acts": "1276",
"section_id": 2
},
{
"act_id": 1355,
"details": "৩। উক্ত আইনের ধারা ২৩ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ‘‘কাস্টমসের পরিদর্শক’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩নং আইনের ধারা ২৩ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 3
},
{
"act_id": 1355,
"details": "৪। উক্ত আইনের ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা, ক্ষেত্রমত, ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩নং আইনের ধারা ২৬ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 4
},
{
"act_id": 1355,
"details": "৫। উক্ত আইনের ধারা ২৭ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত- (ক) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘উক্ত আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩নং আইনের ধারা ২৭ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 5
},
{
"act_id": 1355,
"details": "৬। উক্ত আইনের ধারা ২৮ এর- (ক) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ‘‘উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘সকল কর্তৃপক্ষ’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘অন্যান্য সংস্থা’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩নং আইনের ধারা ২৮ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 6
},
{
"act_id": 1355,
"details": "৭। উক্ত আইনের ধারা ২৯ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত- (ক) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘আদালতকে’’ শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩নং আইনের ধারা ২৯ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 7
},
{
"act_id": 1355,
"details": "৮। উক্ত আইনের ধারা ৩১ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এর- (অ) দফা (ক) তে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (আ) দফা (খ) তে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (খ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (গ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (ঘ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (ঙ) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (চ) উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩নং আইনের ধারা ৩১ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 8
},
{
"act_id": 1355,
"details": "৯। উক্ত আইনের ধারা ৩৩ এর- (ক) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (খ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (গ) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতকে’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৩৩ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 9
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১০। উক্ত আইনের ধারা ৩৪ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (খ) উপ-ধারা (২) এর- (অ) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (আ) প্রথম শর্তাংশে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (ই) দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (গ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৩৪ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 10
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১১। উক্ত আইনের ধারা ৩৬ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এর সারণির- (অ) ক্রমিক নং ১৬ এর বিপরীতে (২) নং কলামের এন্ট্রিতে উল্লিখিত ‘‘উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ)’’ শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণের পরিবর্তে ‘‘অথবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ)’’ শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণ প্রতিস্থাপিত হইবে; (আ) ক্রমিক নং ২৮ এর বিপরীতে (২) নং কলামের এন্ট্রিতে উল্লিখিত ‘‘ধারা ১০’’ শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে ‘‘ধারা ৯’’ শব্দ ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৩৬ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 11
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১২। উক্ত আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের শিরোনামে উল্লিখিত ‘‘ট্রাইব্যুনাল স্থাপন ও অপরাধের বিচার’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের শিরোনাম সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 12
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১৩। উক্ত আইনের ধারা ৪৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:- ‘‘৪৪। অপরাধের বিচার, ইত্যাদি। - (১) এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে। (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, উহার এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য, কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধ বিচারের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করিবেন।’’।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৪৪ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 13
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১৪। উক্ত আইনের ধারা ৪৫ বিলুপ্ত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৪৫ এর বিলুপ্তি",
"related_acts": "",
"section_id": 14
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১৫। উক্ত আইনের ধারা ৪৭ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এর- (অ) দফা (খ) তে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (আ) দফা (গ) তে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (খ) উপ-ধারা (২) এ, দুইবার উল্লিখিত, ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে, উভয় স্থানে, ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৪৭ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 15
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১৬। উক্ত আইনের ধারা ৪৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:- ‘‘৪৮। বিচারের বিশেষ পদ্ধতি। - এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক কারাদণ্ড না হইলে, সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২২ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিতে হইবে।’’।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৪৮ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 16
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১৭। উক্ত আইনের ধারা ৪৯ এ উল্লিখিত ‘‘ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি এবং ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘উক্ত আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৪৯ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 17
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১৮। উক্ত আইনের ধারা ৫০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:- ‘‘৫০। বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত জড়িত অন্য অপরাধের বিচার। - এই আইনের অন্য কোনো বিধান অথবা অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলার মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত অন্য কোনো অপরাধ যদি এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উক্ত অন্য অপরাধের বিচার বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত একই সঙ্গে হওয়া উচিত, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটি বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত, যতদূর সম্ভব, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে একই সঙ্গে বিচার্য হইবে।’’।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৫০ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 18
},
{
"act_id": 1355,
"details": "১৯। উক্ত আইনের ধারা ৫১ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :- ‘‘(১) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) কার্যদিবসের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার সমাপ্ত করিতে হইবে।’’; (খ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (গ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৫১ এর সংশোধন",
"related_acts": "",
"section_id": 19
},
{
"act_id": 1355,
"details": "২০। উক্ত আইনের ধারা ৫৩ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫৩ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :- ‘‘৫৩। আপিল। - এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে, রায় প্রদানের তারিখ হইতে৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে, আপিল করা যাইবে : তবে শর্ত থাকে যে, রায়ের জাবেদা নকল পাওয়ার জন্য যে সময় অতিবাহিত হইবে উহা উক্ত সময় হইতে কর্তন করিতে হইবে।’’।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৫৩ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 20
},
{
"act_id": 1355,
"details": "২১। উক্ত আইনের ধারা ৫৪ তে উল্লিখিত ‘‘বিচার ও ’’ শব্দগুলির পর ‘‘আপিল’’ শব্দ সন্নিবেশিত হইবে।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৫৪ এর সংশোধন।",
"related_acts": "",
"section_id": 21
},
{
"act_id": 1355,
"details": "২২। উক্ত আইনের ধারা ৫৫ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫৫ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :- ‘‘৫৫। মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে আইনানুগ অনুমান (presumption)। - যদি কোনো ব্যক্তির নিকট অথবা তাহার দখলকৃত বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো মাদকদ্রব্য সেবন, অন্য কোনোভাবে মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা প্রয়োগ অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, ভিন্নতর প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, এই আইন লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।’’।",
"name": "২০১৮ সনের ৬৩ নং আইনের ধারা ৫৫ এর প্রতিস্থাপন",
"related_acts": "",
"section_id": 22
}
],
"text": "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬৩নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-"
} |
{
"id": 1356,
"lower_text": [
"1 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Bengal\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS (TARIFF AND CUSTOMS) REGULATION, 1952",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "15th August, 1953",
"related_act": [
388,
1356
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1356,
"details": "1. (1) This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS (TARIFF AND CUSTOMS) REGULATION, 1952. (2) It shall come into force at once.",
"name": "Short title and commencement",
"related_acts": "1356",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1356,
"details": "2. (1) The enactments specified in Schedule I annexed hereto shall, subject to the amendments mentioned in the fourth column thereof, apply to the Chittagong Hill-tracts. (2) The enactment specified in Schedule II annexed hereto shall, to the extent mentioned in the fourth column thereof, apply to the Chittagong Hill-tracts.",
"name": "Application of certain Central Acts to the Chittagong Hill-tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply to the Chittagong Hill-tracts certain Central Acts relating to tariff and customs. WHEREAS it is expedient to apply to the Chittagong Hill- tracts certain Central Acts relating to tariff and customs;AND WHEREAS by sub-section (2) of section 92 of the Government of India Act, 1935, the 1Government is empowered to make regulations for the peace and good Government of any area in his Province which is for the time being an excluded, or a partially excluded area;NOW, THEREFORE, the 2Government, in exercise of the said powers and all other powers enabling him in this behalf, is pleased to make the following Regulation, namely:-"
} |
{
"id": 1357,
"lower_text": [
"1 The word \"Government\" was replaced for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Bengal\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS (LABOUR LAWS) REGULATION, 1954",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "6th August, 1954",
"related_act": [
388,
1357
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1357,
"details": "1. (1) This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS (LABOUR LAWS) REGULATION, 1954.",
"name": "Short title and commencement",
"related_acts": "1357",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1357,
"details": "2. The enactments specified in the Schedule annexed hereto shall, subject to the amendments mentioned in the fourth column thereof, apply to the Chittagong Hill-tracts;",
"name": "Application of certain enactments to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply certain labour laws to the Chittagong Hill-tracts WHEREAS it is expedient to apply to the Chittagong Hill-tracts certain enactments regulating labour, trade union and industrial disputes, payment of wages and compensation and employment of women and children in factories and industries; AND WHEREAS by sub-section (2) of section 92 of the Government of India act, 1935, the 1Government is empowered to make regulations for the peace and good Government of any area in which is for the time being an excluded or a partially excluded area; NOW, THEREFORE, the 2Government, in exercise of the said powers and all other powers enabling him in this behalf, is pleased to make the following Regulation, namely:-"
} |
{
"id": 1358,
"lower_text": [
"1 The word \"Government\" was replaced for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Bengal\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS CINEMATOGRAPH REGULATION, 1954",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "2th February, 1955",
"related_act": [
388,
108
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1358,
"details": "1. This Regulation may be called the Chittagong Hill- tracts Cinematograph Regulation, 1954.",
"name": "Short title",
"related_acts": "",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1358,
"details": "2. The Cinematograph Act, 1918, together with Rules made thereunder, shall, subject to the modification shown below, apply to the Chittagong Hill-tracts:-Modification.Sub-section (3) of section 1 shall be omitted.",
"name": "Application of Act II of 1918 to the Chittagong Hill-tracts",
"related_acts": "108",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Cinematograph Act, 1918, to the Chittagong Hill-tracts. Whereas it is expedient to apply the Cinematograph Act, 1918, to the Chittagong Hill-tracts;And Whereas by sub-section (2) of section 92 of the Government of India Act, 1935, the 1Government is empowered to make regulations for the good Government of any area in which is for the time being an excluded or a partially excluded area;Now, Therefore, in exercise of the said powers and all other powers enabling him in that behalf, the 2Government is pleased to make the following Regulation:-"
} |
{
"id": 1359,
"lower_text": [
"1 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor\" by Article 9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"2 The word \"Government\" was replaced, for the words \"Governor of East Bengal\" by Article9 of the Bangladesh (Adaptation of Existing Laws) Order, 1972 (President's Order No. 48 of 1972).",
"3 The word \"Bengal\" was omitted by Article 6 of the Bangladesh (Adaptation of ExistingLaws) Order, 1972 (Presidents Order No. 48 of 1972)."
],
"name": "THE CHITTAGONG HILL-TRACTS CRIMINAL LAW (INDUSTRIAL AREAS) REGULATION, 1955",
"num_of_sections": 2,
"published_date": "12th April, 1955",
"related_act": [
388,
1359
],
"repelled": false,
"sections": [
{
"act_id": 1359,
"details": "1. (1) This Regulation may be called THE CHITTAGONG HILL-TRACTS CRIMINAL LAW (INDUSTRIAL AREAS) REGULATION, 1955. (2) It shall come into force on the date of its publication in the Official Gazette.",
"name": "Short title and commencement",
"related_acts": "1359",
"section_id": 1
},
{
"act_id": 1359,
"details": "2. The 3*** Criminal Law (Industrial Areas) Amendment Act, 1942, shall subject to the following modifications, apply to the Chittagong Hill-tracts:-Sub-section (2) of section 1 and section 2 shall be omitted.",
"name": "Application of Bengal Act IV of 1942 to the Chittagong Hill- tracts",
"related_acts": "",
"section_id": 2
}
],
"text": "A Regulation to apply the Bengal Criminal Law (Industrial Areas) Amendment Act, 1942, to the Chittagong Hill- tracts. WHEREAS it is expedient to apply the Bengal Criminal Law (Industrial Areas) Amendment Act, 1942, to the Chittagong Hill-tracts;AND WHEREAS by sub-section (2) of section 92 of the Government of India Act, 1935, the 1Government is empowered to make regulations for the peace and good Government of any area in which is for the time being an excluded area, or a partially excluded area;NOW, THEREFORE, the 2Government, in exercise of the said powers and all other powers enabling him in that behalf, is pleased to make the following Regulation:-"
} |