content
stringlengths 40
35k
|
---|
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রতিবেশী পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সুসম্পর্ক চাইলে দেশটিকে অবশ্যই ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রভূমি’ হিসেবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকের আগের দিন জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে মনমোহন এ কথা বললেন।ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিও নওয়াজ শরিফের মতো সুসম্পর্কের প্রত্যাশা করেন। কিন্তু সে জন্য পাকিস্তানকে আর এ অঞ্চলের ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রভূমি’ হওয়া চলবে না।মনমোহন বলেন, তিনি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বিষয়টি সমর্থন করেন। তবে তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, ‘হিমালয়ের কোলের এ অঞ্চলটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কখনোই ভারতের ঐক্য ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার ব্যাপারে আপস করা হবে না।’ এএফপি।বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁরা ছিলেন গুরু-শিষ্য। একসঙ্গে রাজনীতি করতেন। গুরু মোরশেদ মিলটন গাবতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। শিষ্য জাহিদুল ইসলাম নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন শিষ্য জাহিদুল ইসলাম। এতে নির্বাচনী সমন্বয়ক ছিলেন গুরু মোরশেদ মিলটন। নির্বাচনে শিষ্যের হয়ে ভোট চান তিনি। সেই ভোটে বিজয়ী হন শিষ্য। নির্বাচনের কয়েক মাস পর স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বগুড়া-৭ আসনের সাংসদ মওদুদ আহমদের সুনজর পড়ে শিষ্যের ওপর। ওই নেতার ইচ্ছায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। শিষ্যের এই উত্থানে ‘আত্মসম্মান’ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায় গুরুর। জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ায় দলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠেন শিষ্য। এ নিয়ে শুরু হয় গুরু-শিষ্যের বিরোধ। দুজনের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁরা সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ গত রোববারের হরতালে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নেপালতলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শাহজাহান আলী (৪২) নিহত হন। শাহজাহান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুলের সমর্থক ছিলেন। ওই ঘটনার পর উপজেলা সদরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।গাবতলীতে বিএনপির দুই নেতার মধ্যে কোন্দলের কারণ খুঁজতে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। দুই নেতার বিরোধ সংঘাতে রূপ নেওয়ায় জেলা বিএনপির নেতারাও বিব্রত।পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, গাবতলীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রোববার একজন নিহত হয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো মামলা করতে রাজি হয়নি। পরিবার মামলা না দিলে পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করবে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ মার্চ বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গাবতলী সফরে আসেন। এ সময় মঞ্চে ওঠা নিয়ে মোরশেদ মিলটন ও জাহিদুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকে তাঁরা আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন।পৌর মেয়র ও বিএনপির নেতা মোরশেদ মিলটন বলেন, ‘জাহিদুল ছিলেন ইউনিয়নের নেতা। রাজনীতিতে তাঁর উত্থান আমার হাত ধরে। গত উপজেলা নির্বাচনে দলের দুর্দিনে তাঁকে সমর্থন দিয়ে জিতিয়ে এনেছিলাম। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ও জেলার দুই নেতার প্রশ্রয় পেয়ে পদলোভী ও উচ্চাভিলাষী হয়ে পড়েন তিনি। ইউনিয়ন থেকে জেলা কমিটির পদ পাওয়ার পর তিনি উপজেলা বিএনপিতে খবরদারি ফলানোর চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব দখলে নিতে তিনি মরিয়া হয়ে ওঠেন। খালেদা জিয়ার সভামঞ্চ থেকে তিনি আমাদের জোর করে নামিয়ে দেন। তাঁর উসকানিতে রোববার বিএনপির মিছিলে গুলি চালানো হয়।’উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গুরু-শিষ্য নয়, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বের। এখনো সেই সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি। উপজেলা নির্বাচনে তিনিই ছিলেন আমার স্থানীয় অভিভাবক। জেলা বিএনপির শীর্ষ পদ পাওয়ার পর তিনি আমার বিরোধিতা শুরু করেন। নানা বিপদে লোকজন আমার কাছে আসেন। দলের একটা পদে থাকলে তাঁদের সহযোগিতা করা সহজ হয়। এই বিষয়টি তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। অন্য দলের সঙ্গে আঁতাত করে তিনি দলে সংঘাত সৃষ্টি করছেন।’বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জানান, জেলা থেকে দুই নেতার বিরোধ মেটানোর জন্য শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে। আপাতত দুজনকেই সংযত থাকার জন্য বলা হয়েছে।পাকিস্তানে নতুন সেনাপ্রধানের পর নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন গত বুধবার তাসাদ্দুক হোসেইন জিলানিকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।প্রেসিডেন্ট অনুমোদন দেওয়ার পরই সংবিধানের ৩ নম্বর সেকশনের ১৭৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে এ-সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনকালে পারভেজ মোশাররফ, পিপিপি ও আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রায় দিয়ে তিনি আলোচিত হন।নতুন প্রধান বিচারপতি তাসাদ্দুক হোসেইন জিলানি আগামী ১২ ডিসেম্বর শপথ নেওয়ার কথা। সেই হিসেবে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানের জন্য সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার প্রেসিডেন্টের কাছে বুধবারই একটি চিঠি দিয়েছেন। তবে শপথ অনুষ্ঠানের দিন-তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।গত মে মাসে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বিচারপতি ফখরুদ্দিন জি ইব্রাহিম অবসরে যাওয়ার পর ১৬ আগস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন বিচারপতি জিলানি। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারক। তিনি মাত্র সাত মাস ১৮ দিন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। কারণ, আগামী বছর ৫ জুলাই তাঁর চাকরির মেয়াদ শেষ হবে।পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা খুরশিদ আহমেদ শাহ বিচারপতি জিলানির নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন। ডন।আফগানিস্তানে কিছু মার্কিন সেনা রয়ে গেলেও সেখানে গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের যে অর্জন হয়েছে, তা ২০১৭ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় উল্টোপথে ঘুরতে পারে। এক নতুন গোপন মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ আভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা গত শনিবার এ খবর প্রকাশ করেছে।প্রভাবশালী পত্রিকাটি বলেছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও অনুমান করা হয়, ন্যাটো বাহিনীর অবস্থানের নির্ধারিত সময়সীমা ২০১৪ সালের পর দেশটিতে এ বাহিনী মোতায়েন রাখার বিষয়ে ওয়াশিংটন ও কাবুল একটি নিরাপত্তা চুক্তি সইয়ে ব্যর্থ হলে আফগানিস্তান দ্রুতই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পড়বে।আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি সই করা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। ২০১৪ সালের পরও থেকে যাওয়া মার্কিন সেনাদের ভূমিকা কী হবে, ওই চুক্তিতে তা ঠিক হওয়ার কথা।কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্ট আরও বলেছে, বহুজাতিক সেনাদের অব্যাহত উপস্থিতি ও আর্থিক সমর্থন না থাকলে পরিস্থিতির রাতারাতি অবনতি ঘটতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, প্রতিবেদনটি মাত্রাতিরিক্ত হতাশাপূর্ণ। এ ছাড়া এতে আফগানিস্তানের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর অগ্রগতির বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি। রয়টার্স। |
যুক্তরাষ্ট্রে বাজেটে অর্থায়ন নিয়ে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও বিরোধী রিপাবলিকানদের মধ্যে এখনো কোনো মতৈক্য হয়নি। এতে করে একটি সম্ভাব্য অচলাবস্থার মুখে পড়েছে মার্কিন সরকার।অর্থায়ন সমস্যার সমাধান করতে হবে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে। এ লক্ষ্যে মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট একটি বিলে সম্মতি দিয়েছে। এতে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থায়নে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ জানিয়ে দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্য সুরক্ষা খাতের ব্যয় বাদ দেওয়া না হলে ওই বিলে তারা সম্মতি দেবে না।সিনেটে ওবামার দল ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানরা। বিবিসি।বড় তোয়ালে বা কম্বলে শিশুর সারা শরীর জড়িয়ে রাখার প্রাচীন পদ্ধতিটি কতটুকু স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে। এভাবে রাখার ফলে শিশু দুই হাত স্থির এবং পা দুটি লম্বা করে রাখতে বাধ্য হয়। এটি শিশুর নিতম্বের জন্য ক্ষতিকর বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন। মা-বাবাদের অনেকের ধারণা, কাপড়ে জড়িয়ে রাখার পুরোনো পদ্ধতিটি শিশুকে ঘুম পাড়াতে বেশ কার্যকর। কিন্তু শিশুর অস্থিবিষয়ক শল্যচিকিৎসক নিকোলাস ক্লার্ক বলছেন, এভাবে রাখা হলে সংশ্লিষ্ট শিশুটি পরবর্তী জীবনে নিতম্বের সমস্যায় পড়তে পারে। এমনকি মধ্যবয়সে পৌঁছানোর পর তার নিতম্ব প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনও পড়তে পারে।যুক্তরাজ্যের আর্কাইভস অব ডিজিজ ইন চাইল্ডহুড সাময়িকীতে এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করতে হলে শিশুর হাত-পা এ রকম শক্ত করে বেঁধে রাখা উচিত নয়। এএফপি।ছেলেটা ভারি দুষ্টু! স্কুলে প্রতিদিন এর-ওর সঙ্গে মারপিট বেঁধে যায়, পুঁচকে বয়সেই বন্ধুরা তাকে ‘মারকুটে’ হিসেবে চেনে। বাবা রমেশ আর মা রাজনি তো বটেই, বড় ভাই অজিতও ভীষণ চিন্তায় পড়লেন এই দুষ্টের শিরোমণিকে নিয়ে।১৯৮৪ সালের কথা। ছোট ভাইকে নিয়ে অজিত গেলেন ক্রিকেট প্রশিক্ষক রমাকান্ত আচরেকারের কাছে। ক্রিকেটকে বলা হয় ‘জেন্টলম্যানস গেম’, অর্থাৎ ভদ্রলোকের খেলা। ভদ্রলোকের খেলা যদি দুষ্ট ছোট ভাইটাকে কিছুটা ভদ্র করতে পারে, সেই আশায়ই যাওয়া। আশার গুড়ে বালি। অজিতের ছোট ভাইয়ের খেলা দেখে আচরেকার বলে দিলেন, ‘নাহ্, একে দিয়ে হবে না। সে খেলায় মনোযোগী নয়।’ মনোযোগ থাকবেই বা কী করে? ক্রিকেট যে তাকে একেবারেই টানে না। সে তখন টেনিসে মজেছে। প্রিয় টেনিস খেলোয়াড় জন ম্যাকেনরো, ম্যাকেনরোর মতো লম্বা চুল রেখে মাথায় ব্যান্ডেনাও বাঁধতো সে। অজিত হাল ছাড়লেন না। আচরেকারকে বললেন, ‘আরেকটা সুযোগ দিন। আপনি সামনে না থেকে ওকে ওর মতো খেলতে দিন।’আচরেকার মানলেন। দূরে একটা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখলেন পুঁচকে ছোড়াটার খেলা। সেদিন কী দেখে তাঁর মন গলেছিল, কে জানে! অবশেষে অজিতের ছোট ভাইকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন তিনি। রমাকান্ত আচরেকার তখনো জানতেন না, এই পুঁচকে ছেলেই একদিন দুনিয়া কাঁপাবে! পুরো ক্রিকেট-বিশ্ব তাকে চিনবে এক নামে—শচীন টেন্ডুলকার! যার আরেক নাম লিটল মাস্টার।অল্প কয়েক দিনেই আচরেকারের প্রিয় শিষ্য হয়ে উঠেছিলেন টেন্ডুলকার। শিষ্যকে গড়ে তুলতে আজব সব পদ্ধতি অনুসরণ করতেন তিনি। এই যেমন ‘পয়সা পদ্ধতি’!স্টাম্পের ওপর একটি এক রুপির পয়সা রাখতেন আচরেকার। বলতেন, যে টেন্ডুলকারকে আউট করতে পারবে, পয়সাটি তার। আর যদি কেউই আউট করতে না পারে, পুরস্কার হিসেবে পয়সার মালিক হবে টেন্ডুলকার। শিষ্যও কম যায় না! গুরুকে মুগ্ধ করে মোট ১৩টি পয়সা (১৩ রুপি) বাগিয়েছিল সে। শচীন টেন্ডুলকার এখনো দাবি করেন, শত শত পুরস্কারের ভিড়েও সেই ১৩টি পয়সা তাঁর কাছে অমূল্য!তাহলে সেই মারকুটে, দুষ্টু ছেলেটার কী হলো? হুম, ক্রিকেটে বুঁদ হওয়ার পরও পাড়ার ছেলেপুলেরা তাকে ভয় পেত বটে। তবে ‘মারকুটে’ হিসেবে নয়, ‘মারকুটে ব্যাটসম্যান’ হিসেবে! আচরেকারের শিষ্যদের মধ্যে তখন নেটে অনুশীলনের সময় বোলিং পরিচালনা করতেন কসটিউভ অ্যাপ্টে। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘অনুশীলনের সময় প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে ৩০-৪০টি বল খেলতে হতো। ১৫টি বল খেলার পরই মারকুটে হয়ে উঠত টেন্ডুলকার। এত জোরে ব্যাট ঘুরাত যে প্রায়ই বলের আঘাত লাগত সিনিয়র খেলোয়াড়দের গায়ে। একসময় তো তাঁরা বলেই দিলেন, “আমরা আশপাশে থাকলে শচীনকে খেলতে দেবে না!”’মজার ব্যাপার কী জানো? ১৯৮৭ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ‘বল কুড়ানি’র কাজ করেছিলেন লিটল মাস্টার। সীমানার বাইরে দাঁড়িয়ে শচীন দেখেছিলেন সেবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার জয়। ১৪ বছরের কিশোরটি হয়তো সেদিনই হাত মুঠো করে মনে মনে বলেছিলেন, ‘একদিন এই সীমানার বাইরে নয়, ভেতরে থাকব। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাব!’ তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ২০১১ সালে।কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের গল্প শুনলে কেমন গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়, তাই না! ‘বিনয়ী’ শচীন কিন্তু বিশ্বাস করেন, তাঁর চেয়েও বড় মাপের ক্রিকেটার এসে চমকে দেবে ক্রিকেট-বিশ্বকে। কে হবে সেই নতুন প্রতিভা? হয়তো তুমি!মো. সাইফুল্লাহ, সূত্র: উইকিপিডিয়ানির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য কী পদক্ষেপ নিতে হবে?এ বি এম আহসান হাবিব, কাউনিয়া, রংপুর আপনাকে কিছুই করতে হবে না, ঘরে বসে থাকলেই চলবে।অভিনন্দন হাবিব, আপনি পাচ্ছেন ১০০ টাকার মুঠোফোন রিচার্জ।পোস্টকার্ডের ওপর লিখুন: সবজান্তা সমীপেষু, রস+আলো, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। |
ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে ঘুরছে ঘানি। ঘানি থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় তেল বেয়ে পড়ছে মাটির হাঁড়িতে। একটু পর পর তাতে উঁকি দিচ্ছেন পঁচাত্তর বছর বয়সী সালেক উদ্দিন সরকার। দেরি সইছিল না তাঁর। হাটের বেলা বয়ে যাচ্ছে। হাঁটার গতি বাড়ানোর তাড়া দিচ্ছিলেন তিনি। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে নিজেও ঘানি টানছিলেন। ভোর থেকে ঘানি টেনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন স্ত্রী রিতা বেগম (৫৫)।ঘানি টানতে টানতে স্কুলপড়ুয়া শিশু মাহবুবুল হাসানের (১৫) শরীর থেকেও ঘাম ঝরছে। ক্লান্ত শরীরটা ঢলে পড়তে চাইছে। ভোর থেকে পেটে কিছু পড়েনি তার। শরীর যেন আর চলে না। একটু পর পর দম নিতে হচ্ছে। কিন্তু বিশ্রামের যে সুযোগ নেই। ঘানি টানা শেষ হলেই যেতে হবে স্কুলে। এদিকে বেলা ১০টায় বসবে হাট। তাই বাড়ছে বাবার তাড়া। ঘন ঘন কদম পড়ছে, বাড়ছে তেলের ফোঁটার গতিও।২১ সেপ্টেম্বর সকাল নয়টার দিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পূর্ব তেকানী চুকাইনগর বাঁধের কলুপাড়ায় আশ্রয় নেওয়া সালেক সরকারের ঘানিঘরে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। শুধু সালেক সরকারের ঘানিঘরে নয়, বলদ না থাকায় স্কুলপড়ুয়া শিশুদের দিয়ে এ ঘানি টানার দৃশ্য আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও চোখে পড়ে।কলুপাড়ার লোকজন জানান, তাঁদের পৈতৃক ভিটা ছিল চার কিলোমিটার দূরে পাকুল্যা ইউনিয়নের যমুনাপাড়ের গ্রাম বাউল্যাপাড়ায়। যমুনায় গ্রামটি বিলীন হওয়ার পর আশ্রয়হীন হয়ে পড়া ৬৩টি পরিবার বছর ত্রিশেক আগে এ বাঁধে এসে আশ্রয় নেয়। ৩০-৩২টি পরিবার শহর থেকে কলের তেল এনে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বিক্রি করে। অভাব ও শত প্রতিকূলতার মাঝেও ঘানি টানার পৈতৃক পেশা আঁকড়ে আছে ৮-১০টি পরিবার।দশম শ্রেণীপড়ুয়া মাহবুবুল বলে, ঘানি টানতে ভীষণ কষ্ট হয়। কিন্তু না টানলে বাবা-মায়ের কষ্ট হবে।সালেক সরকার বলেন, ‘চায়্যা-চিন্তে কাঠ জোগাড় করে ঘানি বানাচি। টেকার অভাবে বলদ কিনবার পারিচ্চি না। বউ-ছল লিয়ে লিজেরাই ঘানি টানিচ্চি।’কথা বলার সময় পাশের আরেকটি ঘর থেকে ঘানির ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ আসছিল। সেখানে উঁকি দিতেই দেখা গেল, সালেক সরকারের বড় ছেলের বউ মোমেনা বেগম নয় বছর বয়সী মেয়ে ইতি আখতারকে নিয়ে ঘানি টানছেন। ইতি পাশের সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে।মোমেনা বেগম বলেন, ‘ছোট্ট মাইয়াডাক দিয়ে ঘানি টানে লিতে কষ্ট লাগে। এ্যাকডা বলদ কিনবার পারলে মাইয়াডার শরীল আরাম পাইতো।’পাকুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আকন্দ বলেন, বাঁধে আশ্রিত ওই পরিবারগুলো টাকার অভাবে ঘানির বলদ কিনতে না পেরে নিজেরাই ঘানি টানছে।সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার মণ্ডল বলেন, মানুষ দিয়ে ঘানি টানার বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক। ভবিষ্যতে সরকারি কর্মসূচি বা তহবিল থেকে পরিবারগুলোকে ঘানি টানার জন্য একটি করে বলদ কিনে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।বগুড়ার ধুনটে ছাত্রদল নেতাকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল মান্নান নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গত সোমবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মান্নান উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও খাদুলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউর রহমান ওরফে জ্যোতির সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নানের দ্বন্দ্ব ছিল। শফিউর রহমানের ছেলে ও ছাত্রদল মথুরাপুর ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সাজেদুল রহমান ওরফে রিপনকে (২৪) গত ২২ জুন দুপুরে বাড়ি থেকে তাঁর বন্ধু বাবু খান মুঠোফোনে ডেকে নেন। ২৩ জুন সকালে রিপনের মরদেহ গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার জিরানি বাজার এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির চাচা নুরুন্নবী বাদী হয়ে ২৩ জুন রাতে জয়দেবপুর থানায় কারও নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার ৪০ দিন পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বাবু খান (২৪) ও আবদুর রাজ্জাক (৪০) নামের দুই ব্যক্তিকে শেরপুর উপজেলার তালতা গ্রাম থেকে পুলিশ আটক করে। আদালতে বাবু খানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ সোমবার আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে।এর চেয়ে কম টাকায় অনেকে হয়তো একটি ছবিই বানিয়ে ফেলেন। কিন্তু না, দেদার টাকা ঢালতে কোনো কিপ্টেমি করেননি ধুম থ্রির প্রযোজক। একটি গানেই যেমন খরচ করা হয়েছে পাঁচ কোটি রুপি। ক্যাটরিনা কাইফ আর আমির খান অভিনীত সেই গানটির শিরোনাম ‘মালাং’; যে গানে আমির-ক্যাটরিনা ছাড়াও অংশ নিয়েছেন ২০০ জন শিল্পী!শুধু শিল্পীর সংখ্যার জন্য নয়, সেট আর কস্টিউমের পেছনেও দেদার খরচ হয়েছে। দুই মাস লেগেছে এগুলো বানাতে। স্বাভাবিকভাবেই গানটি শোনা এবং দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন শ্রোতারা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।অস্বাভাবিকভাবে সরকারি কেনাকাটা বেড়ে গেছে। গত ছয় মাসে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার ১৩০টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হওয়ার দুই দিন আগে অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত দুই মাস পাঁচ দিনে ক্রয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে ৭৫টি প্রস্তাব। এতে ব্যয় হবে ছয় হাজার ৭০০ কোটি টাকা।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ গতকালের ক্রয় কমিটির বৈঠকে ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এতে ব্যয় হবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।নির্বাচনকালীন সরকারের এই সময়ে কেন এত প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে—বৈঠক শেষে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, একনেক বৈঠক হচ্ছে না, তবে ক্রয় কমিটির বৈঠক হতেই হবে। কী কেনাকাটা করা হচ্ছে, সেটা হলো আসল বিষয়।অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। আর এটা আমি শুরু করি নাই। আগে ছিল কি না জানি না, তবে এটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শুরু হয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই বলে তিনি মনে করেন।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে ১২টি ক্রয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সময়ে অনুমোদিত হয়েছে ১৩০টি প্রস্তাব।এর মধ্যে ২৩ অক্টোবর অনুমোদিত হয়েছিল ২০টি প্রস্তাব। অর্থমন্ত্রী সেদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ক্রয় কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদনের সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান সরকারের আমলে এটিই রেকর্ড।অবশ্য সেই রেকর্ড ভেঙে ২৩টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে গত ১৪ নভেম্বর। ওই বৈঠকে ২৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির দুটি বৈঠক ও একটি সার্কুলারে ২১টি, আগস্টে এক বৈঠকে নয়টি, সেপ্টেম্বরে তিন বৈঠকে ২৪টি, অক্টোবরে একটি সার্কুলারসহ ২১টি এবং নভেম্বরে দুই বৈঠকে ৩৫টি এবং ডিসেম্বরে দুই বৈঠকে ২০টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।গত দুই মাসে খাদ্যপণ্য ও সারের পাশাপাশি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে পাঁচ বছর করে সরকারের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিসংক্রান্ত প্রস্তাবই বেশি। তবে ছয় মাসের মোট ব্যয় নয় হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই হবে বিদ্যুৎ খাতে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সরকারের চুক্তির মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। তার পরও তড়িঘড়ি করে আরও পাঁচ বছর করে বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী এককভাবে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের প্রস্তাবের জন্য ক্রয় কমিটির অনুমোদন নিতে হয়।ক্রয় কমিটির গতকালের বৈঠকে দুটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর করে বৃদ্ধিসহ অন্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ৫০ হাজার টন গম, এক লাখ ৭৫ হাজার টন সার, নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ, ঈশ্বরদী থেকে দর্শনা পর্যন্ত ১১টি রেলস্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়নে ঠিকাদার নিয়োগ, দেড় কোটি পিস বস্তা কেনা ইত্যাদি।এদিকে, ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। এতে চারটি বিষয় অনুমোদিত হয়। কানাডা থেকে সার কেনা, এক কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিনিময়ে কোকাকোলা ও তাবানি বেভারেজের মধ্যকার ব্যবসায়িক চুক্তির অবসান এবং চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা রেলস্টেশনের পাশে রেলওয়ের অব্যবহূত জমিতে শপিংমল কাম গেস্টহাউস নির্মাণ।তাবানি বেভারেজের সঙ্গে কোকাকোলা কোম্পানির ঝুলে থাকা বিষয়টির নিষ্পত্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের এটাই প্রথম অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা। কানাডা থেকে সার কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকটি করতে হয়েছে। কারণ, তারা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। |
জয়পুরহাটে আমনের ভরা মৌসুমে একদিকে প্রচণ্ড খরা, আরেকদিকে লোডশেডিংয়ে ফসল রক্ষা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষক। তীব্র লোডশেডিংয়ে বিদ্যুচ্চালিত গভীর নলকূপগুলো বন্ধ থাকায় জমিতে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে আছেন হিমাগারের মালিকেরাও।এই অবস্থায় বিদ্যুতের দাবিতে গত বুধবার জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে হিমাগারের মালিক, জেলা গভীর নলকূপ মালিক ও কৃষক কল্যাণ বহুমুখী সমিতি এক সংবাদ সমেঞ্চলন করেছে।সংবাদ সমেঞ্চলনে ক্ষেতলালের মোল্লা হিমাগারের মালিক মোখলেছুর রহমান অভিযোগ করেন, ১০ থেকে ১২ দিন ধরে তাঁরা দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টারও কম সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে হিমাগারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এখানে রক্ষিত আলুতে চারা গজাতে শুরু করেছে। কালাইয়ের পুনট হিমাগারের ব্যবস্থাপক বিপ্লব ঘোষ জানান, জেলার ১৫টি হিমাগারে ১৫-১৮ লাখ বস্তা আলু রক্ষিত আছে।জেলা গভীর নলকূপ মালিক সমিতির সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল অভিযোগ করেন, ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে তাঁরা গভীর নলকূপ চালাতে পারছেন না।সদর উপজেলার কমর গ্রামের কৃষক আবদুর রশিদ ও হালট্টি গ্রামের বাবু হোসেন জানান, সেচের জন্য প্রতি বিঘায় ৬০০ টাকা করে নলকূপ মালিককে দিতে হচ্ছে। কিন্তু গভীর নলকূপ মালিকেরা যন্ত্র চালু করলেও বিদ্যুতের অভাবে পর্যাপ্ত পানি ওঠাতে পারছেন না। ফলে জমিতে পানি পৌঁছাচ্ছে না।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আক্কেলপুরের উপমহাব্যবস্থাপক এবং জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক নূরুল ইসলাম সরকার জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ৩০ মেগাওয়াট। তাঁরা পান মাত্র ১৫-১৬ মেগাওয়াট। ক্ষেতলালের ইটাখোলা সাবস্টেশনে অধীনে বিদ্যুতের চাহিদা নয় মেগাওয়াট। সেখানে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র দুই থেকে আড়াই মেগাওয়াট। অথচ কালাই ও ক্ষেতলালেই রয়েছে ১২টি হিমাগার। এগুলোর জন্যই দুই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।জয়পুরহাট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপপ্রকৌশলী মঞ্জুরুল হক জানান, জয়পুরহাটে পিডিবির চাহিদা প্রায় নয় মেগাওয়াট। সেখানে তাঁরা চার মেগাওয়াট সরবরাহ পাচ্ছেন।একেকটি হরতালের ঘোষণা আসে আর আতঙ্কে থাকেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রিকশা, ভটভটি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। গাড়ি চালালে তাঁরা ভাঙচুর-পোড়ানের ভয়ে থাকেন আর না চালালে বেকার বসে থাকতে হয় তাঁদের।যানচালক ও মালিকদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৮০০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, তিন হাজার ভটভটি ও ছয় হাজার ৫০০টি রিকশাভ্যান রয়েছে। হরতালের ডাক এলেই এই ১০ হাজার ৩০০ পরিবারে নেমে আসে হতাশা। এসব পরিবারের অধিকাংশেরই আয়ের একমাত্র উৎস এসব হালকা যানবাহন চালানো। তাঁরা সারা দিন যা রোজগার করেন, সন্ধ্যায় তা দিয়ে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে আনেন। দিনের পর দিন হরতাল চলায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ধারদেনা করে তাঁরা কোনো রকমে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার আমতলী বাজারে গল্প করছিলেন কয়েকজন রিকশা ও ভটভটিচালক।রিকশাচালক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হামাকেরে গাড়ির চাকা ঘুরলে প্যাটে ভাত জোটে আর চাকা না ঘুরলে খাওয়াদাওয়া বন্ধ।’ ভটভটিচালক শফিকুল ইসলাম (৩৫) বলেন, ‘হামি ভাড়ায় গাড়ি চালায়। এক দিন গাড়ি না চলাবার পরলে সংসার চলে না। সেটি একন তিন দিন বসে থাকপার লাগবি। টানা হরতালের কারণে দারদেনা না করলে পেটে ভাত জুটপি না।’সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গত সোমবার ৩৪ হাজার কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলেন শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মনছুর আলম। ঢাকায় আনার জন্য দুটি ট্রাকে তা বোঝাই করেন। তবে অবরোধের কারণে তিন দিন ধরে ওই বন্দরেই পড়ে আছে সেসব পেঁয়াজ।মনছুর আলম বলেন, ‘৫২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। তখন শ্যামবাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা। ওই পেঁয়াজ এখন ৪৫ থেকে ৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে আমার প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।’এখানেই শেষ নয়। লালন শাহ ভান্ডারের এই স্বত্বাধিকারী জানালেন, তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের বড় একটি অংশ পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার বসে থাকার পরও ট্রাকমালিককে বাড়তি ভাড়াও দিতে হবে। অবরোধের কারণে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তাঁর ২৯ হাজার টন চীনা রসুনবাহী দুটি ট্রাকও আটকে আছে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের তৃতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটায় রাজধানীর শ্যামবাজারে মনছুরের সঙ্গে কথা হয়। কথা হয় আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে। প্রত্যেকেই শোনালেন লোকসানের কথা। জানালেন, বেচাবিক্রি নেই। পাহারা দেওয়ার জন্য কেবল দোকানের শাটার খুলে গদিতে বসেছেন।শ্যামবাজারের সবজির আড়তে কথা হয় আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি জানালেন, তিন দিন ধরে উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো শাকসবজি আসছে না। শেরপুর থেকে দু-চারটি সবজিবাহী ট্রাক এসেছে। মুন্সিগঞ্জ থেকে নৌকা ও ট্রলারে করে আসছে কিছু সবজি।আবুল কালাম বললেন, ট্রাক আসতে চায় না। ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কিত। মঙ্গলবার রাতে উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রাকে করে সবজি আনতে গিয়ে পিকেটারদের ঢিলে দুই ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। একজনের তো চোখই নষ্ট হয়ে যাওয়ার অবস্থা। পণ্য কম এলেও চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় দাম খুব একটা বাড়ছে না।সেখানকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেল, প্রতিদিনের মতো ভিড়ভাট্টা তেমন নেই। ভরদুপুরেও বুড়িগঙ্গা নদী হয়ে ট্রলারে করে সবজি আসছে। অনেক ব্যবসায়ী শিম, করলা, আলু, পটোলসহ নানা ধরনের সবজি নিয়ে ঝাঁকা বোঝাই করে বসে আছেন। তবে ক্রেতা নেই।সবজিবিক্রেতা জসিম জানালেন, সকাল থেকে দুই মণ করলা নিয়ে বসে আছেন। দুপুর পর্যন্ত বিক্রি করছেন মাত্র ১০ কেজি।শ্যামবাজার থেকে ফিরে আসার সময় বাহাদুরশাহ পার্কের সামনে শীতের পোশাকবিক্রেতা মোহাম্মদ বশারের সঙ্গে কথা হয়। ফুটপাতের এই ব্যবসায়ীর দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকার পোশাক। জানালেন, মঙ্গলবারের সারা দিনের বিক্রি ছিল ৩৫০ আর বুধবারের ৫০০ টাকা।বশার ওয়াইজঘাট এলাকায় অসুস্থ বাবাকেসহ একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিন বেলাই হোটেলে খেতে হয়। বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এলাকায়। সেখানে আছেন মা, ভাই আর ছোট দুই বোন। প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা বাড়ি পাঠান। তবে এবার দুশ্চিন্তায় আছেন। বশারের কথা, ‘মহাজনের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা বাকিতে কাপড় এনেছি। কিন্তু খাওয়ার খরচই জোটাতে কষ্ট হচ্ছে। বাড়িতেও টাকা পাঠাতে হবে। কীভাবে কী করব?’বুধ ও বৃহস্পতিবার—এই দুদিন ইসলামপুর, সদরঘাট, গুলিস্তান, টিকাটুলী ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় কয়েকজন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের কয়েকজন জানালেন, কর্মসূচির প্রথম দিন সারা দিন দোকানদারি করে ‘বনি’ পর্যন্ত হয়নি।বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনের ফুটপাতে ২২ বছর ধরে কাপড়ের ব্যবসা করেন চাঁদপুরের জাকির হোসেন। মৌসুমি ব্যবসা হিসেবে এখন বাচ্চাদের শীতের কাপড় বিক্রি করছেন। বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, জাকির দোকান সাজিয়ে পাশেই একটি টুলের ওপর বসে আছেন।বেচাবিক্রির খবর জানতে চাইলে জাকির বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হয়। কিন্তু হরতাল-অবরোধ থাকলে এক-দেড় হাজারের বেশি বেচাবিক্রি হয় না। তিনি বলেন, ‘মাস খানেক ধরে একের পর এক হরতালে ব্যবসা খুব মন্দা যাচ্ছে। কী করব বুঝতে পারছি না। মাস শেষ হলেই তো সংসারের খরচের জন্য টাকা পাঠাতে হবে।’ফার্মগেট এলাকায় চশমা বিক্রি করেন দেলোয়ার। বুধবার তিনি দুপুরে দোকান খোলেন। বেচাবিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে চশমার ধুলা পরিষ্কার করতে করতে বললেন, ‘কাইল ভয়ে দোকান খুলি নাই। কিন্তু না খুললে খামু কী? তাই আইজ খুললাম। বিকালে অবরোধ শেষ হইলে যদি কিছু বিক্রি হয়?’নাগরিকদের সমস্যা সমাধানের একটি পদ্ধতি প্রণয়নের জন্য ১০ দিন সময় চেয়েছেন দিল্লির নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর লোকজনের ক্ষোভ ও সমস্যা শুনে সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আম আদমি পার্টির (এএপি) এই নেতা। মাত্র আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া কেজরিওয়াল গতকাল রোববার জানান, একটি পদ্ধতি দাঁড় করানোর পর তিনি লোকজনের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের মিথ্যা আশ্বাস দিতে চাই না। সমস্যা সমাধানের জন্য একটি পদ্ধতি দাঁড় করানোর পরই কেবল আমি আপনাদের আবেদন গ্রহণ করব।’গতকাল গাজিয়াবাদে কেজরিওয়ালের বাসার সামনে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমায়। এ সময় তিনি তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, এ ধরনের একটি পদ্ধতি গড়ে তুলতে জনগণের সহায়তা দরকার। তাঁদের সহায়তা ছাড়া তিনি কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারবেন না। এএপির নেতা বলেন, ‘আমরা কেবল ক্ষমতায় এলাম। আপনাদের সমসাগুলো সমাধানের জন্য একটি পদ্ধতি দাঁড় করাতে সাত থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।’কেজরিওয়ালের বাসার সামনে জড়ো হওয়া লোকজনের মধ্যে ছিলেন ভারতের প্রত্যক্ষ কর কোডের (ডিটিসি) কর্মী এবং বাল্মীকি সম্প্রদায়ের লোকজন। ডিটিসির কর্মীরা এবং পৌর করপোরেশনের লোকজন এসেছিলেন তাঁদের সংস্থায় চুক্তি পদ্ধতির অবসান ঘটানোর দাবি নিয়ে। তাঁদের আরেকটি দাবি ছিল, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে কাজ করছেন, তাঁদের চাকরি স্থায়ী করা।প্রথম পদক্ষেপেই নয়জনকে বদলি: কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজ শুরুর প্রথম ঘণ্টায় প্রশাসনে তোলপাড় তোলেন। প্রথম দিনের ছয় ঘণ্টার মধ্যেই নয়জন জ্যেষ্ঠ বর্ষীয়ান আমলাকে বদলি করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছেন দিল্লি পানি বোর্ডের প্রধান নির্বাহী। দিল্লিবাসীকে পরিবারপিছু দৈনিক ৭০০ লিটার পানীয় জল সরবরাহ করা এএপির একটি অঙ্গীকার ছিল।মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল প্রথম দিন টানা ছয় ঘণ্টা কাজ করেছেন। অনেকগুলো বৈঠক করেছেন। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নেতা-মন্ত্রী-আমলা কেউই লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে পারবেন না। মন্ত্রী-আমলারা অযথা কোনো নিরাপত্তা নিতে পারবেন না।মুখ্যমন্ত্রীর সচিব বদল করে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজেন্দ্র কুমারকে। দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিতের প্রধান সচিব ছিলেন এম এম কুট্টি। তাঁকে সরিয়ে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক করা হয়েছে। নয়াদিল্লির মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অর্চনা অরোরার ওপর ভরসা রেখেছেন কেজরিওয়াল। তাঁকে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।গত শনিবার দুপুরে দিল্লির সর্বকনিষ্ঠ ও সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কেজরিওয়াল।সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাবেন ২ জানুয়ারি: কেজরিওয়াল আগামী শনিবার দিল্লি বিধানসভায় তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাবেন। সরকারি এক বিবৃতিতে গতকাল এ কথা জানানো হয়েছে।দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কেজরিওয়াল সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নতুন বিধানসভার প্রথম অধিবেশন আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধিবেশন শুরুর পর প্রথম দিনেই বিধায়কেরা শপথ নেবেন। এরপর ২ জানুয়ারি বিধানসভায় আস্থা ভোটের আয়োজন করা হবে। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে ৩ জানুয়ারি। পিটিআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য হিন্দু। |
রাজশাহীর বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের নাককাটি বিলে গতকাল শনিবার ১৪৪ ধারা ভেঙে কয়েক শ মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসী বিলে নেমে মাছ শিকার করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনকে বিলের আশপাশে দেখা যায়নি। বিলে এখনো ১৪৪ ধারা বহাল আছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকালে কয়েক শ মৎস্যজীবী এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিলে মাছ ধরতে নেমে পড়েন। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে মাছ শিকার।বাসুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান বিলটি দখল করে মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। বিলটি উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোতে ‘এলাকাবাসীকে বঞ্চিত করে চেয়ারম্যানের বিল দখল’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়।মৎস্যজীবী মোজামেঞ্চল হক, আমজাদ হোসেন ও লালু জানান, মাছ ধরতে না পেরে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে তাঁরা কষ্টে ছিলেন। নিরুপায় হয়ে তাঁরা মাছ ধরেছেন। তবে ১৪৪ ধারার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন।স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য দেলশাদ আলী জানান, এলাকার লোকজন বিলটি উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দখলদার চেয়ারম্যানকে রক্ষায় প্রশাসন বিলে ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে শেষ পর্যন্ত জীবনের তাগিদে মৎস্যজীবী ও সাধারণ লোকজন বিলের দখল নিয়ে নিয়েছেন। বাগমারা থানার ওসি আবদুল হামিদ জানান, সংঘর্ষ এড়ানোর আশঙ্কায় বিলে এখনো ১৪৪ ধারা জারি আছে।টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মনজুরকে হরতাল-সমর্থকেরা লাঞ্ছিত করেছেন। উপজেলার সান্তাহার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে হরতাল-সমর্থকেরা সান্তাহার শহরের উপহার সিনেমা হলের সামনে সান্তাহার-বগুড়া আঞ্চলিক সড়ক বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ সভা করছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে আদমদীঘির ইউএনও রাসেল মনজুর মোটরসাইকেল চালিয়ে সেখানে আসেন। পরে তিনি উপজেলা যুবদলের সভাপতি মাহফুজুর রহমানকে কাছে পেয়ে তাঁকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদারকে ডেকে দিতে বলেন। এ সময় হরতাল-সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় বিএনপি নেতারা তাঁকে উদ্ধার করেন। বেলা একটার দিকে পুলিশ ভ্যানে করে তাঁকে সান্তাহার থেকে আদমদীঘি উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া হয়।আদমদীঘি থানার ওসি তোজাম্মেল হক বলেন, ‘ইউএনও সাহেব আমাকে না জানিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। জানিয়ে এলে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত না।’কানাডার অন্টারিও শহরে ২০১০ সালে জি-৮ ও জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠান চলাকালে গোয়েন্দাগিরি চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার কর্তৃপক্ষ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে (এনএসএ) এ গোয়েন্দাগিরি করার অনুমতি দিয়েছিল।এনএসএর সাবেক চুক্তিভিত্তিক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের সরবরাহ করা নথিপত্রের বরাত দিয়ে গত বুধবার কানাডার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি নিউজ এ তথ্য প্রকাশ করে।খবরে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে ওই নথিপত্রে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এপি।বিরোধী দলের ডাকা ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচি এবং সরকারের নেওয়া পুলিশি ব্যবস্থায় গতকাল রোববার ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শেয়ারবাজার, ব্যাংক, বিমায় বিপর্যয় নেমে আসে। সকাল থেকে ঢাকার অধিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক থাকায় একেবারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হননি কেউ। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বেচাকেনা হয়নি বললেই চলে।ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সকালেই অফিস যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অফিসগুলোতে উপস্থিতির হার ছিল কম। শহরজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে খুব একটা বের হননি।বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কিছু রিকশা ছাড়া লোকজনের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। দোকানগুলো খোলা থাকলেও সেখানে কোনো ক্রেতা দেখা যায়নি। দোকানের কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে গল্প করে এবং টেলিভিশনে চোখ রেখে সময় পার করেন। তবে সন্ধ্যার আগে আগে কিছু গাড়ি দেখা যায়, কোনো কোনো দোকানে এক-আধজন ক্রেতাও আসেন বলে জানা গেছে।এলিফ্যান্ট রোডের মতো গতকাল রাজধানীর প্রায় সব স্থানেই দোকানপাট খোলা ছিল। তবে বেচাকেনা হয়নি। কারণ আতঙ্কিত ক্রেতাদের নিত্য পণ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য কেনায় আগ্রহ ছিল না। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব এস এ কাদের কিরণ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশে কী শুরু হইল। আমরা তো দোকান খোলা রাখছি। ভয়ে পাবলিক বাইর হয় নাই। তাহলে দোকান খোলা রাইখা লাভ কী?’সপ্তাহের প্রথম দিন হলেও মতিঝিলের ব্যস্ত এলাকায় তেমন কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম চোখে পড়েনি। বরং শাপলা চত্বর ও দৈনিক বাংলার মোড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ-র্যাবের উপস্থিতিতে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। অনেকটা ঈদের পর প্রথম অফিস খোলার দিনের মতো মনে হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও ছিল কিছু কম। লেনদেনও হয়েছে নামমাত্র। উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টেলিভিশন দেখে আর নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা করে সময় পার করেন। বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে বাসার উদ্দেশে রওনাও হন। বিশেষত নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুপুরের পর থেকে কর্মস্থল ছাড়তে শুরু করেন। কোনো পরিবহন না থাকায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও তাঁদের আগেভাগে চলে যেতে বলা হয়।অন্যদিন প্রায় বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে-বাইরে ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাউন্টারগুলো ফাঁকা পড়ে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কোনো লেনদেন সারতেও গাড়ি নিয়ে সেখানে আসেনি। যথেষ্ট নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে।মতিঝিলের অনেক হোটেলও গতকাল বন্ধ থাকে। ফুটপাতের দোকানিদের দেখা যায়নি। দু-একটা চায়ের দোকানে দাঁড়ানো ক্রেতারা রাজনৈতিক আলোচনা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মতিঝিলের বেশির ভাগ হাউস ছিল বিনিয়োগকারীশূন্য। ব্রোকারেজ হাউসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে চাকরির প্রয়োজনে কর্মস্থলে গেলেও মালিকদের বেশির ভাগই ছিলেন অনুপস্থিত।ডিএসইর একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক কারণে তাঁরা এদিন ঘর থেকে বের হননি। টেলিফোনেই অফিসের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর সাবেক এক নেতা বলেন, ‘সাধারণত আমি দেশে থাকলেও কখনো অফিস কামাই করি না। কিন্তু গতকাল বাসা থেকেই বের হইনি।’ডিএসই ও ব্রোকারেজ হাউসের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রিকশা ও পথের নানা ভোগান্তির মধ্যে তারা কর্মস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথেও তাদের একই ধরনের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে। কেউ কেউ পায়ে হেঁটে বাসায় গেছেন বলেও আলাপকালে জানান।তবে উত্তরা এলাকায় বেশির ভাগ দোকানপাট ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ ছিল। বিশেষ করে মূল সড়কের পাশে থাকা রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স, বেলী কমপ্লেক্স, নর্থ টাওয়ার, বিএনএস সেন্টার, আমির কমপ্লেক্স, কুশল সেন্টারসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানের বেশির ভাগ দোকানপাট খোলা হয়নি। বিভিন্ন পণ্যের শোরুমগুলো বন্ধ ছিল। ফুটপাতের ওপর নিত্যপণ্যের পসরা বসেননি দোকানিরা।বিপণিবিতানগুলোর অল্প কিছু খোলা থাকলেও মূল ফটক বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এসব দোকানে ক্রেতা ছিল না বললেই চলে।নন্দন, মীনাবাজারের মতো সুপার শপগুলো খোলা ছিল। উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে মীনাবাজারে বাজার করতে আসা গৃহিণী হাসিনা মমতাজ জানান, ‘আগে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সহিংস প্রভাব উত্তরা এলাকায় খুব একটা পড়ত না। এখন উত্তরায় মারামারি হয়, ককটেল ফোটানো হয়। নিরুপায় হয়ে বাজার করতে এসেছি।’এদিকে উত্তরা অফিসগুলোতে উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। এমএএইচ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আতঙ্কিত হয়ে আমাদের গ্রাহকেরা আসেননি। সারা দিনে মাত্র দু-তিনজন গ্রাহক এসেছেন।’ |
কবি ও কবিতা নিয়ে বর্ণাঢ্য আলোচনা, স্মৃতিচারণা, ভরপুর আড্ডা আর একসঙ্গে খাওয়া—সব মিলিয়ে জমে উঠেছিল কবি ও কবিতা উৎসবের আয়োজন। এই আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় তখনই, যখন ঘোষণা আসে, ‘আজ কবি মাকিদ হায়দারের ৬৭তম জন্মদিন’।গতকাল শনিবার বগুড়া লেখক চক্রের আয়োজনে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভাসুবিহারে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে সারা দেশ থেকে আসা অর্ধশতাধিক কবির উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে তোলে পরিবেশ। দুপুর ১২টায় দিকে ভাসুবিহারের প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বসে জমজমাট কবি-আড্ডা। বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি কবি ইসলাম রফিকের সভাপতিত্বে কবি-আড্ডা, কবিতা, কৌতুক ও গানে অংশ নেন মাকিদ হায়দার, তৌহিদুর রহমান, সুজন হাজারী, রফিকুর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, সাজাহান সাকিদার, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আদিত্য অন্তর, প্রদীপ মোহন্ত, আবদুর রউফ, জে এম রউফ, হাবীবুল্লাহ্, শাহানা সিরাজী, নাজমুল হাসান, সানাউল্লাহ সাগর, ঈশান সামী, এহসান হাবীব, মিজানুর রহমান, রবু শেঠ, এমরান হাসান প্রমুখ।সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের বড় পোওতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার তাড়াশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।জানা গেছে, বড় পোওতা গ্রামের ওই কিশোরী (১৩) সোমবার বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। এ সময় একই গ্রামের আরিফুল ইসলাম (২৫) তান হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। পরে তাকে মাঠে ফেলে রেখে পালিয়ে যান আরিফুল। সন্ধ্যায় গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের ভবন বিক্রি করতে যাচ্ছে। গত বুধবার তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ঐতিহাসিক ওয়াশিংটন পোস্ট ভবনটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির প্রাণকেন্দ্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের খুব কাছে অবস্থিত। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবনটি তারা একটি প্রপার্টি ফার্মের কাছে ১৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি করেছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর কার্যালয় আপাতত পরিবর্তন হচ্ছে না। এএফপি।আইনপ্রণেতাদের মধ্যে অনৈক্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মহীন লোকজনের জরুরি ভাতা পাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বেকার ভাতার মেয়াদ নিয়ে কোনো ঐকমত্যে না পৌঁছেই আইনপ্রণেতারা শীতকালীন অবকাশে চলে গেছেন। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা শুরু পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মহীন ব্যক্তিদের বর্ধিত সময়ের জন্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে। বেকারত্ব বিমা কর্মসূচির আওতায় অধিকাংশ কর্মজীবীর ২৬ সপ্তাহের ভাতার মেয়াদ ৯৯ সপ্তাহের জন্য বর্ধিত করা হয়েছিল। কর্মসংস্থান পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হওয়ায় সম্পূরক বেকার ভাতার পৃথক একটি কর্মসূচি চালু করা হয়। কংগ্রেসের পূর্ব অনুমোদন অনুযায়ী এ সপ্তাহেই সম্পূরক বেকার ভাতার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৩ লাখ কর্মহীন মানুষের জন্য আপৎকালীন ভাতা নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।গত বছর থেকে জাতীয় বাজেট প্রণয়নে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট দলের মধ্যে জোর টানাপোড়েন শুরু হয়। শীতকালীন অবকাশে যাওয়ার আগে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে একটি সাময়িক রাজস্ব আইন অনুমোদিত হলেও বেকার ভাতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে আগামী সপ্তাহ থেকে এক-চতুর্থাংশ কর্মহীনের ভাতা বন্ধ হয়ে পড়বে। এত কর্মহীন ব্যক্তির ভাতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা মার্কিন অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মহীন ব্যক্তিদের জন্য সম্পূরক বেকার ভাতার মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে জরুরিভাবে ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট বলেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেকার ভাতার মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রভাবশালী আইনপ্রণেতাদের নিজেই ফোন করেছেন। এ নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে আইনপ্রণেতাদের ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে। স্পিকার জন বোয়েনারের মুখপাত্র মাইকেল স্টিল বলেছেন, রিপাবলিকানরা সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। তবে রাষ্ট্রীয় ব্যয় হ্রাস এবং অধিকতর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে, এমন সমন্বিত পরিকল্পনাকে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে সব সময় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।যুক্তরাষ্ট্রের কর্মজীবীদের জন্য বেকারত্ব বিমা নামের একটি কর্মসূচি চালু আছে। কেউ হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়লে এর আওতায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর্মকালীন সময়ের আয়ের অনুপাতে ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে ব্যাপক কর্মহীনতা দেখা দেয়। এ কারণে বেকার ভাতা গ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে গেলে জাতীয় রাজস্ব বরাদ্দের ওপর চাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কর্মসংস্থান পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হওয়ায় কংগ্রেস কয়েক দফা ঐকমত্যের ভিত্তিতে বেকার ভাতার মেয়াদ বৃদ্ধি অনুমোদন করে। |
১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে ‘নিষ্ফল চেষ্টা, নাটোরে নামেননি খালেদা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাটোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক। তিনি দাবি করেছেন, প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজশাহী সফরে নাটোর বিএনপি বিভক্ত হয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত করা হয়েছে। বাস্তবে সংগঠনটিতে কোনো বিভক্তি নেই। বিভাগীয় সমাবেশের পর নাটোরে নেত্রীকে নামানোর কর্মসূচি ছিল না বলেও প্রতিবাদপত্রে দাবি করা হয়।প্রতিনিধির বক্তব্য: প্রতিবেদনে দলের নেতা-কর্মীদের দ্বিধা-বিভক্তির খবর ছাপা হয়নি। শুধু দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে কারা, কীভাবে চেয়ারপারসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, তা তুলে ধরা হয়েছে। চেয়ারপারসনকে নামানোর চেষ্টার বিষয়টি বাস্তব। কারণ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লে চেয়ারপারসনের গাড়িবহর মুহূর্তের জন্য দাঁড়িয়ে যায়। পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।হরতালের কারণে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রক্ষিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নামিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার হরতাল চলাকালে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এ কাজ করেন বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে হরতালকারীরা ইউনিয়নের রায়গ্রাম শাইলট্টি কারিগরি মহাবিদ্যালয়, ফতেহপুর আলিম মাদ্রাসা, ছাতিনালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাইলট্টি উচ্চ ও শাইলট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নামিয়ে ভাঙচুর করে। পাঁচবিবি থানার ওসি নূর হোসেন খন্দকার বলেন, ‘জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নামিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’পাকিস্তানের বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদায়ী বৈঠক করেছেন। জেনারেল কায়ানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার সময় কমান্ডাররা জেনারেল কায়ানিকে বিদায়ী সম্মান জানান। আজ শুক্রবার কায়ানি আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর প্রধান পদ থেকে সরে যাচ্ছেন। এএফপি। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বিদেশি সহায়তা ছাড় হয়েছে মোট ৯৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৭৪ কোটি ১০ লাখ ডলার আর অনুদান ২৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার।আলোচ্য সময়ে দাতারা ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় করার প্রতিশ্রতি দিয়েছিল। এর মধ্যে ১২৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণ আর অনুদান ১৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।ইআরডি সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের একই সময়ে তুলনা করলে অর্থ ছাড়ে খুব বেশি ব্যবধান নেই। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ছিল ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার, অনুদান ২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার।এদিকে নভেম্বর পর্যন্ত সুদ-আসল বাবদ ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার অর্থ ফেরত দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আসল ৩২ কোটি ৯০ লাখ এবং সুদ সাত কোটি ৪০ লাখ ডলার। প্রসঙ্গত, সুদ-আসলের অর্থ পরিশোধের জন্য সরকার বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখে।উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে মোট ৬০০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। |
নগরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে এ কার্যক্রম শুরু করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কয়েকটি চিহ্নিত ভবন খালি করার জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে সপ্তাহ দুয়েক ধরে এ কার্যক্রম বন্ধ আছে। চউকের (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) তালিকা অনুযায়ী নগরে মোট ৬৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি নগরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে গত দুই সপ্তাহ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। তবে শিগগির এ কার্যক্রম আবার শুরু হবে।সূত্র জানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত চউক-ঘোষিত ৬৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের লক্ষ্যে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান শুরু করেন। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এ সময়ে আদালত ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন খালি করার জন্য সংশ্লিষ্ট মালিককে নির্দেশ দেন।জানা গেছে, অভিযানের প্রথম দিন নগরের সদরঘাটের পি কে সেন সড়কের বড়ুয়া ভবন, ১০ সেপ্টেম্বর কে সি দে সড়ক এলাকার ঐতিহ্যবাহী সিনেমা প্যালেসসহ চারটি ভবন এবং চকবাজারের পেশকার ভবন এক সপ্তাহের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।এর মধ্যে পি কে সেন সড়কের ছয়তলা বড়ুয়া ভবনের তিনতলার ওপরের অংশ অপসারণ শুরু হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে পরে তা বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর তালিকাভুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মালিকদের অনুরোধ জানায় সিটি করপোরেশন।চউক সূত্রে জানা গেছে, নগরে মোট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে ৬৪টি। সংস্থাটি ২০০৬ সালে এ তালিকা প্রণয়ন করে। এর আগে তালিকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ছিল ৫৭টি।সিটি করপোরেশনের ২০০৯ সালের ইমারত নিয়ন্ত্রণ উপধারা ১৭.১ অনুসারে নগরে জরাজীর্ণ ভবন অপসারণের দায়িত্ব করপোরেশনের। এই আইনের আলোকে এসব ভবন অপসারণের জন্য ২০০৭ সালে চউক তালিকা দেয় সিটি করপোরেশনকে।চউকের তালিকায় থাকা অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বয়স ৫০ থেকে ১০০ বছর। তালিকায় রয়েছে আবাসিক-কাম বাণিজ্যিক ভবন ১৫টি, সিনেমা হল একটি এবং বাণিজ্যিক ভবন সাতটি। অন্যগুলো আবাসিক ভবন। এসব ভবনে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বসবাস করে।অভিযোগ রয়েছে, ২০০৬ সালে তালিকা তৈরি করা হলেও দীর্ঘদিন এসব ভবন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর আবারও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের বিষয়টি নজরে আসে। ওই সময় করপোরেশন একটি কমিটি গঠন করে।চউকের উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে তালিকা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি। এসব ভবন অপসারণের দায়িত্ব করপোরেশনের।’সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ কমিটির সদস্যসচিব আহমদুল হক বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিজ উদ্যোগে অপসারণ করতে ভবন মালিকদের একাধিকবার নোটিশ দিয়েছি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভবনমালিক আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এ জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণে দেরি হচ্ছে।’ বাকি ভবনগুলো অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে আহমুদুল হক জানান।নাটোরে আরটিভির সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেনকে হত্যাচেষ্টার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরকে দায়ী করেছে। গতকাল মঙ্গলবার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে দল দুটির নেতা-কর্মীরা এই অভিযোগ করেন। উভয় দল দাবি করছে, ককটেল বিস্ফোরণে ওই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তবে চিকিৎসকদের দাবি, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।গত সোমবার নাটোর শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ চলাকালে আরটিভির নাটোর জেলা প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসেন আহত হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গতকাল বিকেলে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সমেঞ্চলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক দাবি করেন, সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তোফাজ্জল হোসেনকে ককটেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে হত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে সন্ধ্যার পর সার্কিট হাউসে আয়োজিত সংবাদ সমেঞ্চলনে জেলা আওয়ামী লীগ ওই অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, বিএনপির ক্যাডাররা ককটেল ছুড়ে তোফাজ্জলকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ঘটনার পর তাঁর দলের পক্ষ থেকে আহত সাংবাদিকের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক বলেন, পরীক্ষা-নীরিক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তোফাজ্জলের শরীরের আঘাতটি ধারালো অস্ত্রের।সোয়ানসি শহরের অনেক বাসিন্দাই সেদিন পথ চলতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিল। তাদের বিস্ময়ের কারণ মূলত রাস্তার পাশে একটি পানশালা। এক দিন আগেও পানশালাটির নাম ছিল নোয়া’স ইয়ার্ড। অথচ রাতারাতি সেটা বদলে হয়ে গেল ‘পল... আই অ্যাম ডিভোর্সিং ইউ’! নাম বদল হতেই পারে, তবে এমন বিচিত্র নাম পথচারীর ভ্রু কুঞ্চিত করবে, সেটাই স্বাভাবিক। এমনটাই চেয়েছিলেন নোয়া’স ইয়ার্ডের নিকটস্থ ফ্ল্যাটের বাসিন্দা, পলের ‘প্রাক্তন’ স্ত্রী। সংবাদমাধ্যমের কাছে নাম প্রকাশে আপত্তি জানালেও, প্রাক্তন মিসেস পল জানান, স্বামীর প্রতি বিরক্ত হয়েই তিনি এমনটা করেছেন। স্বামীর সঙ্গে আর এক ছাদের নিচে বসবাস করতে চান না, সেটি জনসমক্ষে জানাতেই এমন ব্যতিক্রম পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তিনি। অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর পানশালার মালিক নোয়া রেডফার্ন তাঁর ডিজিটাল সাইনবোর্ডটির লেখা বদলে দিতে রাজি হয়েছিলেন।সূত্র: মিররবিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা এই কর্মসূচি ও তার বিপরীতে সরকারের কঠোর অবস্থান ঘিরে দেশজুড়ে চরম আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে দেশের শেয়ারবাজারে।এই প্রভাবে গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীর উপস্থিতিও ছিল অনেক কম।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউস মালিক ও বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশই রোববার সশরীরে অনুপস্থিত ছিল। যেসব বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের অনেকেই রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সময় কাটান। অনেক ব্রোকারেজ হাউসে দেখা গেছে, শেয়ারবাজারের খোঁজখবরের চেয়ে টিভি পর্দায় রাজনৈতিক খবরাখবর দেখতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন বিনিয়োগকারীরা।সব মিলিয়ে গতকাল ঢাকার বাজারে শেয়ারের লেনদেন প্রায় দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। দিন শেষে ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৬৪ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে প্রায় ১০৪ কোটি টাকা কম। এর আগে সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।অবশ্য লেনদেন কমলেও ঢাকার বাজারে এদিন লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। দিন শেষে ডিএসইতে ২৮০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৭টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ১২৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির দাম। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২১০ পয়েন্টে। যদিও লেনদেনের শুরুটা হয়েছিল সূচকের পতন দিয়ে। পরে তা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে যে সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, বাস্তবে সেটি না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা যায়। এর ফলে দুপুরের পর থেকে সূচকে ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে।চট্টগ্রামের বাজারে গতকাল ৩৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে তিন কোটি টাকা কম। এদিন সিএসইতে ২০৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১১৫টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৬৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির দাম। দিন শেষে সার্বিক সূচক চার পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৬ পয়েন্টে।এদিকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণ বা ডিমিউচুয়ালাইজেশন-পরবর্তী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) শেয়ারধারী পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচনের এই তারিখ নির্ধারণ করেছে সিএসই কর্তৃপক্ষ। তবে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারধারী পরিচালক নির্বাচনের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সাজিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শেয়ারধারী পরিচালক নির্বাচনের পাশাপাশি স্বতন্ত্র পরিচালক বাছাইয়ের কাজও চলছে। ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, শিগগিরই স্বতন্ত্র ১৪ পরিচালকের নাম নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হবে।ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ হবে ১৩ সদস্যের। এর মধ্যে সভাপতিসহ সাতজন হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক। শেয়ারধারীদের মধ্য থেকে পরিচালক হতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঁচজন। শেয়ারধারী এই পাঁচ পরিচালকের মধ্যে ন্যূনতম একজন হবেন কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) বিনিয়োগকারী। সেই হিসেবে ডিএসইর বিদ্যমান শেয়ারধারী বা সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ চারজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবেন।এদিকে ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের বাধ্যবাধ্যকতা অনুযায়ী, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারধারী সদস্যদের মধ্য থেকে চারজন পরিচালক নির্বাচিত করতে হবে।ডিএসই-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, খুব শিগগির পরিচালক নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। |
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া হাতির বাচ্চা আসাম এখন চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। পার্কের বন্য প্রাণী চিকিৎসালয়ে তার চিকিৎসা এখনো চলছে। ২০ সেপ্টেম্বর আসামকে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে বন বিভাগ।বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৪ সেপ্টেম্বর কাপ্তাইয়ের বাইজ্জ্যাতলী থেকে বনকর্মীরা আহত অবস্থায় হাতির বাচ্চাটি উদ্ধার করেন। পরদিন এটিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আনা হয়।সাফারি পার্কের সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন সাজ্জাদ মো. জুলকার নাঈম জানান, হাতির বাচ্চাটির পায়ে জখমের চিহ্ন ছিল। বর্তমানে এটিকে পার্কের বন্য প্রাণী চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চাটি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। মো. জুলকার নাঈম আরও জানান, বাচ্চাটিকে সুস্থ করে তুলতে ক্ষতস্থানে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ এবং নিয়মিত ড্রেসিং করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল-বিকেল খাওয়ানো হচ্ছে গরুর দুধ। পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হাতির বাচ্চা আসামকে এখন হাসপাতাল করিডরে খাঁচার ভেতর রাখা হয়েছে। বাচ্চাটি সেখানে নানা ভঙ্গিমায় খেলছেও।ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর এবার বগুড়ায় শুরু হয়েছে চোখের ভিট্রেকটমি (রেটিনা) অস্ত্রোপচার। বগুড়া ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অরবিস চক্ষুসেবা প্রকল্পের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে দেশে এই সেবা চালু হয়েছে। উত্তরবঙ্গে এই প্রথম রেটিনা অস্ত্রোপচারের কাজ শুরু হলো। সোমবার শহরের মাটিডালিতে ডায়াবেটিক স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালে চার রোগীর চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাতি চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার ডি রেইমেন এবং অরবিস হাসপাতালের নার্স লিওনার্দ পি মার্কাদো।পাঠক, এই প্রদর্শনীর শিল্পীরা আমাদের খুব পরিচিত। প্রায়ই সংবাদপত্রের পাতায় আমরা তাঁদের কাজ দেখি। এঁদের আমরা চিনি তাঁদের কার্টুন আর ছবি আঁকার ধরন দেখে। ‘ভেরি গ্রাফিক—দ্য আর্ট অব স্টোরি টেলিং ইন গ্রাফিক ডিটেল’ শিরোনামের এই প্রদর্শনীর ১৫ জন শিল্পীর মধ্যে দুজন লন্ডনের এবং অন্য ১৩ জন বাংলাদেশের শিল্পকলা ও প্রকাশনা জগতে খ্যাতিমান। গল্পের সঙ্গে ছবি আঁকার রেওয়াজ বহুল প্রচলিত। এ প্রদর্শনীর শিল্পকর্মে আমরা সেই গল্পের আবহ পাই, গল্প বলতে দেখি প্রতিটি শিল্পকর্মে। এ প্রদর্শনীতে ব্যঙ্গ ও তামাশার মাধ্যমে সমসাময়িক জনজীবনঘনিষ্ঠ বিষয়কে প্রকাশ করেছেন এ শিল্পীরা। কেমন তার রূপ? পাঠক, আপনাকে একটি ধারণা-রেখা দেওয়ার জন্য মোটাদাগে বলে যাই:প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া রফিকুন নবীর ১৯৮১ ও ১৯৮৩ সালে আঁকা ‘টোকাই’ ছবিতে তিন ধরনের সমাজবাস্তবতাকে তুলে এনেছেন শিল্পী। রনবী এই সিরিজের নাম দিয়েছেন ‘টোকাই’। টোকাইয়ের মাধ্যমে সমাজে চলতে থাকা ঘটনাপ্রবাহকে গল্পের মাধ্যমে ব্যঙ্গরূপ দিয়েছেন তিনি।প্রদর্শনীর আরও তিনটি কার্টুন শিশির ভট্টাচার্য্যের আঁকা। শিশির বাংলাদেশের সংবাদপত্রের পাতায় ছাপা ব্যঙ্গচিত্রের ব্যতিক্রমী রূপকার। বাংলা দৈনিকের পাতায় আলোকচিত্রের সরাসরি ব্যবহারের বদলে একটি চলমান ঘটনাপ্রবাহকে ব্যঙ্গ করে শিশির অনাচারের শরীরে তীব্র আঘাত করেন। তাঁর প্রদর্শিত কার্টুনে রয়েছে সেই ছাপ। বিশেষত তাঁর ‘দ্য ইলেকশান কম্পিটিশান’ কাজটি আমাদের চলতি সময়ের রাজনীতিকে স্পষ্ট করে দেখায়।আবার সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময়ের আঁকা কার্টুনে নাগরিক জীবনের বিপত্তি ও অস্থিরতা উঠে এসেছে চমৎকারভাবে। ঈদ উৎসবের শুরুতে নগরের রাস্তায় গাড়ি, পথচারী, দোকানির বিরক্তি আর হতাশা স্পষ্ট করে দেন তিনি। তাঁর ছবিতে পটচিত্রের প্রভাব স্পষ্ট। ছবির বিষয়ে কোনো পরিপ্রেক্ষিত ছাড়াই ছবিটি উপস্থাপন করেন তিনি। আরেকটি বলার কথা হলো, এ শিল্পী পটচিত্রের আদলে গ্রাফিক স্টোরি স্ক্রল উপস্থাপন করেছেন। পাশ্চাত্য কমিক আর্টের ধরনে যুক্ত করেছেন পটচিত্রের ফর্ম। রাশেদের এ উপস্থাপনায় লোকচিত্রের প্রতি আকুতি বোঝা যায়।এদিকে ফরিদুর রহমান রাজীব তাঁর ব্যঙ্গচিত্রে সমসাময়িক ঘটনাকে তুলে আনেন পুরোনো সিনেমার আবহে। ধনী-গরিবের ব্যবধান আর নগরে প্রাত্যহিক বিষয় হয়ে উঠেছে তাঁর কার্টুনের বিষয়। তাছাড়া, আসিফুর রহমান দিনযাপন নিয়ে এঁকেছেন সাদাকালো কার্টুন। জিসান খান ‘প্রতিরক্ষী’ শিরোনামের পোস্টার প্রদর্শন করেছেন।অন্যদিকে, দুই বিদেশি শিল্পীর মধ্যে ক্যারি ফ্রান্সম্যান গ্রাফিকস নভেলিস্ট। পাশাপাশি তাঁর আঁকা ছবিকে তিনি কমিকসে রূপান্তর করেন। এ প্রদর্শনীতে ‘দ্য মার্কেট’ ও ‘অ্যান্ড দ্য আর্টিস্ট’ শিরোনামের সিরিজ কার্টুন রেখেছেন তিনি।এ ছাড়া অপর শিল্পী স্টিভেন হারিস কাজ করেন কাগজে পেনসিল মাধ্যমে। মজার ব্যাপার হলো, কোনো প্রযুক্তিনির্ভরতা ছাড়াই ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ব্যক্তিগত বা পরিবেশ নিয়ে কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র আঁকেন হারিস। রং ব্যবহারে তাই অত্যন্ত সাবধানী দেখা যায় তাঁকে। তাঁর কাজের একটি বৈশিষ্ট্য এমন, কার্টুনে নির্দিষ্ট অংশে রং প্রয়োগ করেন তিনি। ফলে কার্টুনগুলোও ভিন্ন মাত্রা পায়।এ প্রদর্শনীর ১৫ জন শিল্পীর আঁকা কার্টুনচিত্র ও অলংকরণে দর্শক নতুন এক দিগন্ত খুঁজে পাবেন। ১৬ নভেম্বর বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী শেষ হবে ৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশি আসবাবপত্র দেশের বাইরে শক্তিশালী অবস্থান করে নেওয়ায় বেড়েই চলছিল আসবাবপত্র রপ্তানিও। তবে রপ্তানির সে গতি এখন বেশ কমে গেছে।সরকারি সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ শতাংশ কম। টাকার অঙ্কে রপ্তানি হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ডলারের আসবাবপত্র।আর এই পাঁচ মাসের জন্য সরকার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল এক কোটি ৪৩ লাখ ডলার।সরকার আসবাবপত্র রপ্তানি থেকে এ অর্থবছরে মোট আয় তিন কোটি ৭৬ লাখ ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানির যে চিত্র তাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয়ে আছেন রপ্তানিকারকেরা।প্রসঙ্গত, গেল ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশের আসবাবপত্র রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে সব মিলিয়ে তিন কোটি ১৪ লাখ ডলার।বর্তমানে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, জার্মানিসহ ১৫টি দেশে আসবাবপত্র রপ্তানি হয়। আসবাবপত্র প্রস্তুতকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখন রপ্তানি করছে। |
বগুড়ার নন্দীগ্রামে অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতা ধাওয়া দিয়ে ছয় ছিনতাইকারীকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে। অন্য দুই ছিনতাইকারী মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে হাটকড়াই-দেওগ্রাম সড়কের বান্ধাখাঁড়ায় এ ঘটনা ঘটে।নন্দীগ্রাম থানার ওসি শাহজাহান আলী জানান, ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায়। মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযান চলছে।প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা: বিশেষ প্রস্তুতি-৫৭ সঠিক উত্তর অংশ-১৭প্রিয় শিক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ে ৫ নং প্রশ্নটি থাকবে ‘সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ’ এর ওপর। অনুচ্ছেদটি পড়ে উত্তর লিখতে হবে।ঘাসফুলআমরা ঘাসের ছোট ছোট ফুলহাওয়াতে দোলাই মাথা,তুলো না মোদের দোলো না পায়েছিঁড়ো না নরম পাতা।১। ‘তুলো না মোদের দোলোনা পায়ে’—এখানে কাদের কাছে মিনতি করা হয়েছে?ক. আমাদের খ. পশুদেরগ. পাখিদের ঘ. বড় গাছেরউত্তর: ক. আমাদের২। হাওয়াতে মাথা দোলায় কে?ক. বাঁশফুল খ. ঘাসফুল গ. কাশফুল ঘ. গাঁদা ফুলউত্তর: খ. ঘাসফুল৩। ঘাসফুল মানুষকে কী করতে মানা করেছে?ক. নরম ফুল ছিঁড়তে খ. কচি ডাল ভাঙতেগ. নরম পাতা ছিঁড়তে ঘ. ফুলের চাষ করতেউত্তর: গ. নরম পাতা ছিঁড়তে৪। ঘাসফুল নিজেদের পায়ে দলে যেতে বারণ করেছেন কাদের?ক. পথিককে খ. শিকারিকেগ. কবিকে ঘ. পাখিকেউত্তর: ক. পথিককে৫। ঘাসফুল কার সঙ্গে হেসে ওঠে?ক. চাঁদের সঙ্গে খ. তারার সঙ্গেগ. সূর্যের সঙ্গে ঘ. বিজলি বাতির সঙ্গেউত্তর: গ. সূর্যের সঙ্গে৬। ধরার বুকের স্নেহকণাগুলো কী হয়ে ফুটে ওঠে?ক. ঘাস হয়ে খ. ফুল হয়েগ. গাছ হয়ে ঘ. পাতা হয়েউত্তর: ক. ঘাস হয়ে৭। ঘাসফুল রূপকথার নীল আকাশের কী শোনে?ক. বাঁশি খ. ঢোল গ. একতারা ঘ. দোতারাউত্তর: ক. বাঁশি৮। আকাশে তারারা ফুটলে ঘাসফুল কী করে?ক. পাখা মেলে উড়ে খ. ঘুমিয়ে পড়েগ. শান্ত বাতাসে দুলতে থাকে ঘ. হাসতে থাকেউত্তর: গ. শান্ত বাতাসে দুলতে থাকে৯। ঘাসফুল নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কাদের প্রতি মিনতি করছে?ক. মানুষের প্রতি খ. যেকোনো প্রাণীর প্রতিগ. রোগজীবাণুর প্রতি ঘ. কীটপতঙ্গের প্রতিউত্তর: ক. মানুষের প্রতি১০। কবির মতে, ‘ঘাসফুল’ কি অনুভূতিসম্পন্ন?ক. না খ. নির্জীব গ. হ্যাঁ ঘ. অনুভূতি নেইউত্তর: গ. হ্যাঁ১১। ‘দোলা’ শব্দের অর্থ কী?ক. দোল খাওয়া খ. নড়াচড়াগ. দলিয়ে যাওয়া ঘ. হাঁটাহাঁটিউত্তর: ক. দোল খাওয়া১২। ‘মোদের’ শব্দের মানে কী?ক. তোমাদের খ. আমাদেরগ. তাদের ঘ. ঘাসদেরউত্তর: খ. আমাদের১৩। ‘কিরণ’ শব্দের অর্থ কী?ক. কী ধরনের যুদ্ধ খ. আলোগ. কী কারণে ঘ. মানুষের নাম উত্তর: খ. আলো১৪। ‘ঘাসফুল’ কবিতায় ফুল ছেঁড়ার অর্থ কী?ক. ফুলকে মেরে ফেলা খ. ফুলকে কাজে লাগানো গ. ফল থেকে চারা উৎপাদনঘ. ফুলকে টুকরো টুকরো করাউত্তর: ক. ফুলকে মেরে ফেলা১৫। ‘ঘাসফুল’ কবিতায় কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?ক. উদ্ভিদ ও ফুলের প্রাণ আছে, সেই বিষয়টিখ. উদ্ভিদের প্রাণ নেইগ. গাছের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণের বিষয়টিঘ. গাছপালার অস্তিত্বের দিকটিউত্তর: ক. উদ্ভিদ ও ফুলের প্রাণ আছে, সেই বিষয়টি।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালস্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ও ডেইলি স্টার সম্প্রতি আয়োজন করেছে ‘সেলিব্রিটিং লাইফ ২০১৩’। চ্যানেল আইয়ে আজ ও কাল বেলা ১১টা পাঁচ মিনিটে প্রচারিত হবে এই আয়োজন নিয়ে তৈরি অনুষ্ঠান। এই আয়োজনে চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র আর গান লেখার ওপর পুরস্কার দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছিল গান আর নাচ। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করেছেন বিটপি দাশ চৌধুরী ও রাফি হোসেইন। উপস্থাপনা করেছেন ত্রপা মজুমদার ও ইফ্ফাত আরা নেওয়াজ। চ্যানেল আইয়ের জন্য তৈরি অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন রাজু আলীম।বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণসুবিধা চলমান রাখার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতফসিল, এককালীন জমা বা ডাউন পেমেন্ট দেওয়া থেকে সব ক্ষেত্রেই নমনীয় হতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম আমজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা গতকাল রোববার ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশে বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কৃষি ও শিল্প খাতের উপকরণ ও পণ্যাদির স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হয়ে ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এতে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।নির্দেশনাতে আরও বলা হয়েছে, এ মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে এসএমই ও কৃষিসহ সব খাতের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা ও ঋণ আদায় নিশ্চিতকল্পে প্রদত্ত ঋণসুবিধা চলমান রাখা প্রয়োজন। এ জন্য ঋণ হিসাব পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে এককালীন জমা নেওয়া ও মেয়াদকাল নিরূপণের বিষয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিবেচনা করা এবং ঋণ হিসাব পুনর্গঠনের মেয়াদকাল যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি নিতে হবে। আগামী ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এসব সুবিধা বলবৎ থাকবে। |
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বন বিভাগের গাছ কাটার অভিযোগে বাবা ও ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন এনায়েতপুরের সৈয়দপুর গ্রামের মজিবর রহমান, হারেজ আলী ও তাঁর ছেলে রুবেল। পুলিশ জানায়, এনায়েতপুর-কৈজুরী সড়কে গত শুক্রবার রাতে থানা-পুলিশের টহল চলছিল। একই সময়ে সড়কের সৈয়দপুর এলাকায় ওই তিনজন মিলে রাস্তার পাশে থাকা ইউক্যালিপটাস গাছ কাটছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জচাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রায় সব কটি সড়ক এখন অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টি হলেই এসব সড়কের গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। এসব গর্তে পড়ে প্রায়ই মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।সওজ সূত্র জানায়, বরাদ্দের অপ্রতুলতার কারণে এসব সড়ক সংস্কারও করা হচ্ছে না।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির নেতারা জানান, জেলায় সওজের প্রায় সব কটি আন্ত-উপজেলা সড়কই এখন খারাপ। এসব সড়কে কয়েক শ খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনূরা-নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর, রহনপুর-ভোলাহাট, রহনপুর-আড্ডা, নাচোল-আড্ডা, আড্ডা-সরাইগাছি, কানসাট-গোমস্তাপুর, ভোলাহাট-শিবগঞ্জ সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এসব সড়কে চলাচলকারী বাসগুলো সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। জরিমানার ভয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে গিয়ে চালকেরা অনেক সময় খারাপ সড়ক দিয়েই দ্রুত বাস চালান। তখন বয়স্ক ও অসুস্থ যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, কানসাট-গোমস্তাপুর সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে প্রায়ই মালবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। পাশাপাশি খারাপ রাস্তায় চলতে গিয়ে গাড়ির গিয়ারবক্স, এক্সেল ও টায়ার নষ্ট হচ্ছে।মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান বলেন, রহনপুর-আড্ডা-সরাইগাছি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনূরা সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কগুলোতে মিনিবাস চলতে গিয়ে চালক ও যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন। পাশাপাশি দুর্ঘটনারও আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া আমনূরা-মুণ্ডুমালা সড়কের কলেজপাড়া এলাকায় ২৫-৩০ মিটার এলাকাজুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই মালবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ছে।কলেজপাড়ার বাসিন্দারা জানান, খানাখন্দে পড়ে ট্রাক আটকে গেলে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মাল নামিয়ে ট্রাক পার করতে হয়। বৃষ্টি নামলেই সড়কে হাঁটুপানি জমে যায়। এখানে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে বারবার সড়ক মেরামতের কারণে টাকার অপচয় হচ্ছে।সওজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, সড়ক বিভাগের আওতায় জেলায় মোট ২৩১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র তিন কোটি টাকা। এক-দেড় মাসের মধ্যে এগুলো মেরামতের কাজ শুরু হতে পারে। তবে এগুলো ভালোভাবে মেরামতের জন্য প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকা।ক্রিকেট খেলার মাঠে যখন দামালগুলো ঝলসে ওঠেবাংলাদেশের আকাশ-বাতাস সাগড়জুড়ে হররা ছোটেওই নেমেছে তামিম মাঠে, ওপেনিংয়ে দক্ষ খুব ওসতর্কতার সঙ্গে লড়ে খুঁটির মতো শক্ত শুভনাঈম নেমে দেখায় দাপট, যাচ্ছে খেলে ভীষণ ঝড়োদামালগুলোর মারের তোড়ে প্রতিপক্ষ জড়সড়।মুশফিক এসে হাল ধরেছে, বাইছে তরী ধীরে, জেগেআর মাহমুদউল্লাহ দেখো চালাচ্ছে ব্যাট তড়িৎ বেগেরানের গতি বাড়ল হঠাৎ, দর্শকেরা পোড়ায় বাজিগ্যালারিতে উঠল ধ্বনি—সোহাগ গাজী, সোহাগ গাজীনাসির এসে দেখেশুনে পেটাচ্ছে বল বীরের মতোহাতটি খুলে মারার নেশায় মমিনুলের ব্যাট উদ্যত।রুবেল ছোড়ে অগ্নিগোলা, ডরায় না কে মাশরাফিকে?রাজ্জাকের ওই ঘূর্ণিবলে প্রতিপক্ষের মুখটি ফিকে।বাংলাদেশের দামালগুলো কখন কে যে ঝলসে ওঠেব্যাট হাঁকালেই ওদের হাতে ফুলের মতো ছক্কা ফোটে!সবাই ওরা মাটির ছেলে—এঁটেল, বেলে কিংবা দোআঁশবাঘের মতো গর্জে আবার করবে ধোলাই—বাংলাওয়াশ।ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে কিউবার সরকার। সমাজতান্ত্রিক দ্বীপ রাষ্ট্রটির সংকটে পড়া অর্থনীতিকে টেনে তোলার প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ এটা।এখন থেকে ব্যক্তিগতভাবে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য স্বল্প পরিমাণে অর্থ ঋণ হিসেবে নেওয়া যাবে এবং তা সরকারকে ফেরত দিতে অধিকতর বেশি সময় পাওয়া যাবে। কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো সংস্কারের অংশ হিসেবে দুই বছর আগে এ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। নতুন এই পদক্ষেপ সরকারি ঘোষণা হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষণা অনুসারে, সর্বনিম্ন ঋণের পরিমাণ ২০০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬৭ ডলার করা হয়েছে। আর ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময় পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে কিউবার সরকার ব্যক্তিগতভাবে নতুন ও পুরোনো বিদেশি গাড়ি কেনার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করে। ফলে কিউবার বা বিদেশি নাগরিকেরা সরকারি সংস্থার মাধ্যমে গাড়ি আমদানি করতে পারবেন। এর আগে এ জন্য সরকারি অনুমোদন লাগত।গত কয়েক বছরে দেশটিতে যেসব সংস্কার কর্মসূচি চালু হয়েছে, তার মূল উদ্দেশ্য অর্থনীতিকে বেগবান করা। ঋণের সংস্কৃতি চালু করতে সর্বশেষ এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।২০১১ সাল থেকেই কিউবার নাগরিকেরা ব্যাংকঋণ নেওয়ার অধিকার পেয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত মাত্র ৫০০ জনের মতো ঋণ নিয়েছেন। এই সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে চায় সরকার। তাদের লক্ষ্য, ১৫ লাখ মানুষকে রাষ্ট্রীয় বেতনভুক্ত খাত থেকে বেসরকারি খাতে স্থানান্তর। বিবিসি। |
যাত্রীছাউনি নেই। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। নেই শৌচাগার। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে আবর্জনা। শুধু তা-ই নয়, বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো এলাকা। নালা না থাকায় পানিনিষ্কাশনের পথও নেই। এমন করুণ হাল খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটির।জানা যায়, ২৪ বছর ধরে টার্মিনালের কোনো উন্নয়ন নেই। ফলে দিনে দিনে বেড়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি। তিন বছর ধরে হচ্ছে না টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা। বাস টার্মিনালটি দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী ও অভ্যন্তরীণ রুটের দুই শতাধিক গাড়ি যাতায়াত করে। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী ব্যবহার করেন এই টার্মিনাল।সম্প্রতি সরেজমিনে টার্মিনালে দেখা যায় চারপাশে ময়লা-আর্বজনার স্তূপ। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রী বিদ্যালয় ছুটি শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছে। প্রখর রোদে টার্মিনালের বিভিন্ন দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে তারা।দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহিদা আক্তার ও মুন্নি আক্তার বলে, তাদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় বাস টার্মিনালের মাধ্যমে। এখানে বসার কোনো জায়গা নেই। তাই বিভিন্ন দোকানে সামনে দাঁড়িয়ে গাড়ির অপেক্ষায় থাকে।যাত্রী জাহেদা বেগম, সুশান্ত চাকমা, শিল্পী চাকমা, মোহাম্মদ আলী জানান, বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বাড়ে। তখন টার্মিনালে হাঁটা যায় না। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে টার্মিনালে এলে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়।উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দীঘিনালা বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে এটির কোনো উন্নয়ন হয়নি। ২০১২ সালের ২৯ জুন রাতে আগুনে পুড়ে গেলে যাত্রীছাউনিটিও আর পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। এ ছাড়া বর্তমানে টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা কমিটির কোনো কার্যক্রম নেই। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট সর্বশেষ ওই কমিটির সভা হয়। এরপর আর সভা হয়নি।টার্মিনালে দায়িত্বরত লাইনম্যান মোজাফ্ফর হোসেন ও মো. মহসিন বলেন, টার্মিনালে তাঁদের বসার স্থান পর্যন্ত নেই। বৃষ্টি হলে তাঁদেরও দোকানে আশ্রয় নিতে হয়। বাসচালক সজীব বড়ুয়া ও মো. এনাম বলেন, তাঁরা অর্ধশতাধিক চালক প্রতিদিন বাস টার্মিনালে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের বিশ্রামের কোনো স্থান নেই। শৌচাগার না থাকায় বেশি বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়।এ প্রসঙ্গে বাস টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজুলল জাহিদ বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। শিগগিরই যানবাহন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে টার্মিনালের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেব।’সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দু-তিন মাস ধরে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। টাঙিয়েছেন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। এ প্রচারণায় এগিয়ে আছেন প্রবাসী প্রার্থীরা। তাঁরা সংখ্যায় কম করে হলেও ১২ জন।সরেজমিনে দেখা গেছে, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের জনগুরুত্বপূর্ণ সব এলাকা পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। এতে নিজেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করেন অনেকে।বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এত পোস্টার-ফেস্টুন দেখা যায় কিন্তু সবাইকে তো চিনি না।’আওয়ামী লীগদলীয় সূত্র জানায়, এখানে দলটি থেকে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের প্রার্থিতা অনেকটা নিশ্চিত। তবুও এ আসন থেকে এবার মনোনয়ন দাবি করতে পারেন কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার আহমদ।বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান বলেন, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেবেন আগামী নির্বাচনে কে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। তবে সিলেট-৬ আসনে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবারও মনোনয়ন পাবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাসিব মনিয়া বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের যে উন্নয়ন করেছেন তাতে তাঁকে ছাড়া আর কাউকে প্রার্থী হিসেবে ভাবা যায় না।প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ আসনে কাকে মনোনয়ন দেবে তা বোঝা যাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, সাবেক বিদ্রোহী প্রার্থী মকবুল হোসেন ও বেসরকারীকরণ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী—এ দুজনের যে কেউ মনোনয়ন পেতে পারেন।আবার জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে এ আসন ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। বিএনপি থেকেও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী দুজন কয়েক মাস ধরে প্রচার চালাচ্ছেন। এঁরা হলেন সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি রশিদ আহমদ চৌধুরী ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ চৌধুরী।বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজমূল হোসেন বলেন, বিএনপির প্রার্থী কে হবেন, তা দলের চেয়ারপারসনই ঠিক করবেন।মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি (জাপা) কয়েক মাস আগেই এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালিক জানান, জাতীয় পার্টির একমাত্র প্রার্থী হচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন। তিনিও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।এ ছাড়া এলডিপি থেকে এবার এ আসনে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্য এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনজ্জির আলী।বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘প্রবাসীরা যেভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন, শেষ পর্যন্ত তাঁরা মনোনয়ন পেলে এ আসনে এবার ডলার-পাউন্ডের ছড়াছড়ি চলবে।’আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আয়করসংক্রান্ত ছাড়পত্র নেওয়ার সুবিধার্থে আজ শুক্র ও আগামীকাল শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাঠপর্যায়ের সব কর কার্যালয় খোলা থাকবে।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুরোধে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। কমিশন গতকাল বিকেলে এনবিআরকে এ অনুরোধ করে। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি করখেলাপি নন—এমন ছাড়পত্রও জমা দিতে হয়।নির্বাচন কমিশন গত সোমবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, শুক্র ও শনিবার করদাতারা নিয়মিত আয়কর বিবরণীও (রিটার্ন) দাখিল করতে পারবেন।এদিকে ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর বিবরণী দাখিলের সময়সীমা আরও এক মাস বাড়াতে এনবিআরের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। এ নিয়ে তিন দফায় এমন আহ্বান জানাল সংগঠনটি। এফবিসিসিআই থেকে গতকাল পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।উল্লেখ্য, ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর বিবরণী দাখিলের সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর। নিয়মিত সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হলেও ই-টিআইএন জটিলতাসহ একাধিক কারণে এনবিআর দুই দফা একমাস করে আয়কর বিবরণী দাখিলের সময়সীমা বাড়ায়।শনিবার ব্যাংক খোলা: এদিকে মনোয়নপত্র দাখিলের সুবিধার্থে শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোর সব শাখা খোলা থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান বাসসকে এ তথ্য জানান।আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।ঢাকার কমলাপুরের অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোর (আইসিডি) উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে শনিবার রেলযোগে ৭০ কনটেইনার পণ্য পাঠানো হয়েছে, যা গতকাল রোববার গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছেছে। এসব কনটেইনার জাহাজ থেকে বন্দরে নামানো হয়েছিল ২০ দিন আগে! অর্থাৎ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে ৩২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকার কমলাপুরে পণ্যভর্তি কনটেইনার নিয়ে যেতে অপেক্ষাসহ এখন সময় লাগছে ২১ দিন!অথচ জাহাজ থেকে বন্দরে নামানোর পর শুল্কায়ন করে তিন-চার দিনের মধ্যেই সড়কপথে ঢাকা ও আশপাশের কারখানা বা গুদামে আমদানি পণ্য নেওয়ার সুযোগ ছিল ব্যবসায়ীদের। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মহাসড়কের পরিবর্তে রেলপথের ওপর নির্ভর করেও ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় পড়েছেন।একইভাবে রেলপথে ঢাকা থেকে বন্দরে এনে জাহাজেও নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি পণ্য তুলে দেওয়া যাচ্ছে না বলে ব্যবসায়ীরা জানান।রেলপথে বিলম্বের কারণে ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আমদানিকারকেরা সময়মতো পণ্য খালাসের সুযোগ পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক পণ্য আমদানিকারকদের পাশাপাশি শিল্পপণ্যের আমদানিকারকেরাও সমস্যার মুখে রয়েছেন।বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, আগে যেখানে রেলে নিয়মিত ১২০ একক কনটেইনার পরিবহন হতো, সেখানে এখন ৬০ থেকে ৭০ এককের বেশি কনটেইনার পরিবহন হচ্ছে না। এতে বন্দর চত্বরে ঢাকাগামী কনটেইনারের (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ) সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬টিতে।সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আরও বলেন, ‘রেলওয়েকে আমরা তাগাদা দিচ্ছি। তবে কোনো আমদানিকারক জরুরি মনে করলে দলিলপত্র সংশোধন করে ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে নিয়ে যেতে পারবেন। একইভাবে পানগাঁও থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।’বন্দরের হিসাব অনুযায়ী গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জাহাজ থেকে নামানো হয় ২১৩ একক কনটেইনার। একই সময়ে বন্দর থেকে কমলাপুর ডিপোতে রেলে পরিবহন হয়েছে ৭০ একক কনটেইনার। অর্থাৎ এক দিনেই রয়ে গেছে ১৪৩ একক কনটেইনার। যে হারে জাহাজ থেকে নামানো হচ্ছে সেই হারে পরিবহন করতে না পারায় বন্দর চত্বরে নিয়মিত বাড়ছে কনটেইনারের সংখ্যা।কনটেইনার ও জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা সিএমএ সিজিএম বাংলাদেশ শিপিং লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ওয়াহিদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার কমলাপুর ডিপোতে বুঝিয়ে দেওয়ার পর এক-দুই দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা যেত। এখন সেখানে সময় লাগছে চার থেকে পাঁচ দিন। আর আগে আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় ছয়-সাত দিনে নেওয়া সম্ভব হলেও এখন তার তিন গুণ বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এ কারণে আমদানি-রপ্তানিকারকেরা উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।হিসাব করে দেখা গেছে, রেলওয়ের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার করা হলেও শুধু বন্দরে জমে থাকা কনটেইনার ঢাকায় পরিবহন করতে সময় লাগবে নয় দিন। কিন্তু এ নয় দিনে জাহাজ থেকে নামানো হবে অন্তত ৮০০ থেকে ৯০০ কনটেইনার। অর্থাৎ শিগগির কনটেইনার জট কাটছে না।জানতে চাইলে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মিয়া জাহান প্রথম আলোকে বলেন, রেলে আমদানি-রপ্তানিমুখী পণ্যভর্তি কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে। সে জন্য বন্দরে কনটেইনার জমলেও শিগগিরই এ সংখ্যা কমে আসবে। কারণ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এখন রেলওয়ের মাধ্যমে ঢাকার কমলাপুরে নিয়মিত কনটেইনার পরিবহন হচ্ছে। |
নাটোরের ভূমি হুকুম দখল কার্যালয় এক উপজেলার জমি অধিগ্রহণের চিঠি দিয়ে অন্য উপজেলার এক কৃষকের একমাত্র আবাদি জমি দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির দরও অনেক কম ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একমাত্র সম্বল হারিয়ে ওই কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি রানীবাড়ি মৌজার মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান জানান, তিনি একজন ক্ষুদ্র চাষি। গড়মাটি মৌজার ৫২৫২ দাগে ৩৩ শতক ধানি জমি তাঁর পরিবারের একমাত্র সম্বল। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সাবস্টেশন নির্মাণ করতে জমি অধিগ্রহণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নাটোরের ভূমি হুকুম দখল কার্যালয় ১৬ জুন এক চিঠির মাধ্যমে জমিটি অধিগ্রহণের বিষয় ওই কৃষককে জানায়। জমির মূল্য বাবদ তাঁকে সাত লাখ ৭৫ হাজার ১৫১ টাকা পরিশোধ করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ওই চিঠিতে জমির তফসিল বর্ণনায় বাগাতিপাড়া উপজেলার মিশ্রিপাড়া মৌজার ৫২৫২ দাগের কথা উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে প্রতি শতক জমির মূল্য ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৪৮৯ টাকা।গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জমিটির মূল্য অস্বাভাবিক কম ধরা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার প্রতি শতক জমির মূল্য গড়ে এক লাখ টাকা। এ ছাড়া জমিটি মিজানুর রহমানের একমাত্র ধানি জমি। এটা হারিয়ে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন।এদিকে ২২ জুলাই তৎকালীন জেলা হুকুম দখল কর্মকর্তা সানিউল ফেরদৌস জমির ওপর গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে দখল নিয়েছেন। জমিটি বর্তমানে পতিত অবস্থায় রয়েছে। চাষাবাদের একমাত্র জমি হারিয়ে কৃষক মিজানুর দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।মিজানুর বলেন, ‘আমার জমির আশপাশে বড় লোকদের অনেক জমি রয়েছে। সরকার তাদের জমি লিচ্ছে না। আমার জমি লিচ্ছে পানির দরে।’হুকুম দখল কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২ অনুসারে সরকার জনস্বার্থে যেকোনো জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। একই কারণে সরকার এই জমি অধিগ্রহণ করেছে। অন্য উপজেলার জমির বর্ণনা দিয়ে নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি করণিকের ভুল বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর মূল্য নির্ধারণের বিষয়টিও যাচাই-বাছাই করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ছয় দিনে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।এলাকাবাসী ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নারায়ণপুর ও উচারগাতি, উচাখিলা ইউনিয়নের হরিয়াখালি ও রাজীবপুর ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামে ১৯ অক্টোবর থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। উচারগাতি গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (৪০) ২৩ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। সকাল সাতটায় তিনি মারা যান। গত সোমবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নারায়ণপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছয় মাস বয়সী মেয়ে মিতু মারা যায়। হরিয়াখালি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী ছালেমা খাতুন (৮০) সোমবার রাতে এ রোগে আক্রান্ত হন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।নারায়ণপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন জানান, ডায়রিয়ায় এভাবে তিনজনের মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আশপাশের গ্রামে নতুন করে লোকজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা ডায়রিয়ায় তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনাতলি সারদিওকভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে তদন্ত কমিটি। একসময়ের প্রভাবশালী এই মন্ত্রীকে এক বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত কমিটি জানায়, সারদিওকভের বিরুদ্ধে দক্ষিণ রাশিয়ার একটি অবকাশ যাপন কেন্দ্র ও এর সংলগ্ন সড়ক উন্নয়নের একটি নির্দেশে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। এএফপি।দক্ষিণ সুদানের বিদ্রোহীদের নেতা রিক মাচারের অনুগত বলে পরিচিত ‘হোয়াইট আর্মি’ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বোর শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার তরুণকে নিয়ে গঠিত এই বাহিনীর বোরমুখী যাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।হোয়াইট আর্মির বোরমুখী যাত্রা ইঙ্গিত দিচ্ছে, সরকারের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বিদ্রোহীরা। গত শুক্রবার দক্ষিণ সুদান সরকার অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। সার্বিক পরিস্থিতিতে অস্ত্রবিরতির সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বিদ্রোহীদের নেতা মাচার জাতিগতভাবে নুয়ের গোষ্ঠীর মানুষ। হোয়াইট আর্মির তরুণেরাও মূলত নুয়ের গোষ্ঠীর। তারা মাচারের একনিষ্ঠ সমর্থক। হোয়াইট আর্মিতে ২৫ হাজার তরুণ রয়েছে বলে জানা গেছে। তথ্যমন্ত্রী মাইকেল মাকেয়ি বলেন, ‘হোয়াইট আর্মির সদস্যরা হালকা অস্ত্র ও মেশিনগান নিয়ে বোর শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরেছি, হোয়াইট আর্মির সদস্যসংখ্যা ১৫ হাজারের মতো।’ দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র জো কন্ট্রেরাস বলেন, হোয়াইট আর্মির সদস্যরা রিক মাচারের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে তারা সরাসরি মাচারের নির্দেশে চলে বলে মনে হয় না। সামরিক কোনো প্রশিক্ষণ না থাকলেও এই বাহিনী অনেক তেজোদীপ্ত। কন্ট্রেরাস জানান, চলমান সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্রোহী সেনাদের সঙ্গে থেকে মাচারের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে হোয়াইট আর্মি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, হোয়াইট আর্মি বোর শহরে ঢুকে পড়লে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যাবে।বোর শহর এখন সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই হোয়াইট আর্মিসহ বিদ্রোহীদের সেদিকে যাত্রায় ওই অঞ্চলে ব্যাপক লড়াইয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র জানান, মাচার হোয়াইট আর্মিকে সংগঠিত করেননি। এই বাহিনীর সদস্যরা সরকারের সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্য। এখন তারা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।পূর্ব আফ্রিকার আট দেশের নেতারা গত শুক্রবার কেনিয়ায় বৈঠক করে দুই পক্ষকে চার দিনের মধ্যে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওই বৈঠক চলাকালেই অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট কির। বিবিসি ও আল-জাজিরা। |
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শামছুর রহমানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাঁর অপসারণের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ইউপি সদস্যরা।গতকাল শনিবার নন্দীগ্রামে আয়োজিত এক সংবাদ সমেঞ্চলনে ভাটগ্রাম ইউপির ১১ সদস্য যৌথভাবে ওই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ অক্টোবর মানববন্ধন, ৩ অক্টোবর ইউপি ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি এবং ১০ অক্টোবর বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ।১১ জনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলাম দাবি করেন, ৭ জুলাই ভাটগ্রাম ইউনিয়নের দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ হয়েছে দেখিয়ে চেয়ারম্যান ৮১ বস্তা চাল নিজেই আত্মসাৎ করেন।পরে বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। কিন্তু এখনো তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তাঁরা এই আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুর রহমান বলেন, ‘কয়েকজন ইউপি সদস্য দুস্থদের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিএফের চাল ভাগাভাগি করে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি এভাবে চাল ভাগাভাগি করতে রাজি হইনি। এখন উল্টো তাঁরা আমার বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ আনছে।’কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্বামীর হাতে পারভীন বেগম (১৯) নামে এক নারী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের মধ্যেরচর গ্রামের এক পুকুর থেকে পারভীনের লাশ উদ্ধার করে। পারভীনকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ তাঁর স্বামী রমজান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানান, পারভীন উপজেলার শম্ভুপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার মেয়ে। ছয় মাস আগে একই এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে রমজানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে কলহ হতো। গত সোমবার রমজান উপজেলার মধ্যেরগ্রামে তাঁদের উকিল শ্বশুরের বাড়ি বেড়াতে যান। গতকাল সকালে পারভীনের মৃতদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখা যায়।ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন গতকাল বিকেলে বলেন, রমজান তাঁর স্ত্রীর ছোট বোনকে ভালোবাসতেন। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হতো। মূলত দাম্পত্য কলহ থেকে রমজান তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন। এই ঘটনায় পারভীনের বাবা হোসেন মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হন্ডুরাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের প্রার্থী হুয়ান ওরলান্দো হার্নান্দেজ জয়ী হয়েছেন বলে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিরোধী বামপন্থী দল নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। মানুষ খুনের হারে লাতিন আমেরিকাসহ বিশ্বে হন্ডুরাসের অবস্থান শীর্ষে। মাদক পাচারকারীরা দেশটিকে কোকেনসহ বিভিন্ন মাদক পাচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করে। এএফপি।ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি ও আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর কাছে কিছুই নন। ভারতের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ যাদব এ মন্তব্য করেছেন। আলোচিত গোখাদ্য মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া লালু বলেন, ‘রাহুল গান্ধী, রাহুল গান্ধী-ই। সংবাদমাধ্যম কেজরিওয়াল ও মোদিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলে ধরছে।’লালু আরও বলেন, ‘দিল্লির মানুষ এক মাসের মধ্যে তাঁদের ভুল বুঝতে পারবেন। তাঁরা (এএপি নেতা-কর্মীরা) কেমন লোক, নগরবাসী তা জানেন না। কেজরিওয়াল যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেটি বড় নাটক ছাড়া কিছু নয়। তিনি দিল্লির শাসনে সবচেয়ে বাজে নজির তৈরি করবেন।’ টাইমস অব ইন্ডিয়া। |
গরমে আখের রস যেন প্রাণে শীতল পরশ বুলিয়ে দেয়। মৌসুমে এই আখ পছন্দ করেন না—এমন লোক কমই আছে। এই সময়টায় বাজারে আখের কদরও অন্য রকম। এবার আখ চাষে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছেন আমন চাষের এলাকা ফটিকছড়ির কুম্ভারপাড়া গ্রামের চাষিরা। এখানে মাঠজুড়ে এখন আখের সমারোহ। খেত থেকে ইতিমধ্যে আখ বিক্রি শুরু হয়েছে। আশাতীত ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।চাষিরা জানান, কুম্ভারপাড়া বিলে অনেক বছর ধরে আমনের চাষ করে আসছিলেন তাঁরা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ধানের দাম আশানুরূপ না পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে তাঁরা আখ চাষ করার চিন্তা করেন। তিন বছর আগে থেকে কয়েকজন চাষি আখ চাষ শুরু করেন। ফসল তুলে লাভবান হওয়ায় আরও অনেকে আখ চাষে এগিয়ে আসেন। বর্তমানে রোসাংগিরী, সমিতিরহাট, লেলাং ও দৌলতপুর এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে আখ চাষ। এখানকার উৎপাদিত আখ কিনে নিয়ে পার্শ্ববর্তী হাটহাজারী, রাউজান এবং চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা।উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে বিভিন্ন গ্রামে আখ চাষ হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সরকারি নিয়ন্ত্রণে হয়েছে ১২ হেক্টর জমিতে। সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চাষ হয়েছে আরও আট হেক্টরে। গত মৌসুমে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আট হেক্টর ও বেসরকারি পর্যায়ে পাঁচ হেক্টরসহ মোট ১৩ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছিল।চাষিরা জানান, প্রতি কানিতে (৪০ শতক) আমন চাষে সব মিলিয়ে খরচ পড়ে ২০-২৫ হাজার টাকা। কিন্তু ধান বেচে পাঁচ-সাত হাজার টাকার বেশি থাকে না। অন্যদিকে একই খরচে প্রতি কানি জমিতে আখ চাষ করে ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ পাওয়া যায়। চাষি মো. খোকন বলেন, ‘এবার আখের বিপ্লব হয়েছে। আমি ৪০ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার টাকার আখ বিক্রি করেছি, সব আখ বিক্রি করে আরও অন্তত ৫০ হাজার টাকা পাব বলে আশা করছি।’সরেজমিনে দেখা গেছে, কুম্ভারপাড়ার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আখখেত। চাষিরা আখ কিনতে আসা পাইকারদের সঙ্গে দরদাম করছেন। নগরের বিবিরহাট থেকে আসা ব্যবসায়ী আলী আকবর বলেন, ‘দৈর্ঘ্য ও ঘের (মোটা) দেখে খেতেই দরদাম করে আখ কিনি। এরপর শহরে নিয়ে বিক্রি করি।’ চাষি মো. বাবুল বলেন, ‘আমি চারা রোপণের পর প্রথম দিকে খেতে ছত্রাকজাতীয় রোগ ও বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘নতুন হিসেবে কৃষকেরা আখ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। চাষিদের সহযোগিতা কিংবা পরামর্শ দেওয়ার জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে।’ক্রিয়া পদের চলিত রূপ অংশ-২প্রিয় শিক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ে ১১ নং প্রশ্নটি থাকবে ‘ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ’-এর ওপর। শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু ক্রিয়াপদের চলিত রূপ দেওয়া হলো।সাধুরূপ — চলিতরূপথাকিবে— থাকবেদেখিতেছ— দেখছকরিতে— করতেদাঁড়াইল— দাঁড়ালঠেলিয়া— ঠেলেকাটিতেছে— কাটছেপাইতেছ— পাচ্ছপাঠাইয়া— পাঠিয়েছাড়িতে— ছাড়তেচালাইতেছে— চালাচ্ছেলাগাইয়া— লাগিয়েঘুমাইয়াছিলেন— ঘুমিয়েছিলেনবুঝিতে— বুঝতেহারাইল— হারালবলিতেছি— বলছিপাকাইয়া— পাকিয়েলাগাইয়া— লাগিয়েফেলিয়া— ফেলেদাঁড়াইলে— দাঁড়ালেভাবিতে— ভাবতেচলিতে— চলতেশিখিতেছি— শিখছিহাঁটিতে— হাঁটতেঠেকাইয়া— ঠেকিয়েদাঁড়াইয়া— দাঁড়িয়েযাইতেছেন— যাচ্ছেনচালাইয়া— চালিয়েফিরিতে— ফিরতেফিরিল— ফিরলদেখাইতেছি— দেখাচ্ছিছুটিল— ছুটলহইতেছ— হচ্ছকরিব— করবহাঁকাইয়া— হাঁকিয়েচলিয়া— চলে।নাইলনের উদ্ভব হয় ১৯৩৭ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ালেস এইচ ক্যারোদারস নামের একজন রসায়নবিদের দীর্ঘদিনের গবেষণায় এই উপদান আবিষ্কৃত হয়। ক্যারোদারস লং চেইন পলিমার ফাইবার আর কৃত্রিম রেশমের ওপর প্রায় ১০ বছর ধরে গবেষণা চালান। কিন্তু গবেষণাটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ব্যাপারটি হতাশার হলেও ক্যারোদারস ও তাঁর দল হাল ছাড়েনি। আরও কিছু দিন গবেষণা চালিয়ে তারা মলিয়ামিড নামের এক প্রকার কৃত্রিম অণুর উদ্ভব ঘটায়।ক্যারোদারসের মৃত্যুর পর তাঁর প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণালব্ধ বিষয়গুলো থেকে ‘ফাইবার ৬৬’ নামের একটি উপাদানের উদ্ভব ঘটায়। পরবর্তী সময়ে এটি নাইলন নামে পরিচিতি লাভ করে।পেঙ্গুইন বুক অব ফার্স্ট অবলম্বনে নাইর ইকবালফু-ওয়াং ফুডস তার শেয়ারধারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে।গাজীপুরের হোতাপাড়ায় ২৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কারখানায় অনুষ্ঠিত ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়।সভায় ফু-ওয়াং ফুডসের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. সাদেক সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আহমেদ চৌধুরী, উপদেষ্টা ফোরকান আহমেদ, কোম্পানি সচিব আবদুল হালিম ঠাকুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সভায় উপস্থিত শেয়ারধারীরা ৩০ জুন শেষ হওয়া বছরে কোম্পানির নিরীক্ষিত হিসাব ও অন্যান্য কার্যক্রমের ওপর আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি। |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন ইয়াহ্ইয়াসহ শিবিরের আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজশাহী বিভাগের চার জেলায় আজ রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ছাত্রশিবির।গতকাল শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক মহসিন আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদকসহ শিবিরের আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও অস্ত্র উদ্ধারের ‘সাজানো নাটকের’ প্রতিবাদে রাজশাহী অঞ্চল ছাত্রশিবিরের আহ্বানে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে।টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালে সিলেটে ১৮-দলীয় জোটের ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের প্রভাব দেখে বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো পৃথকভাবে মিছিল-সমাবেশ করে। এ অবস্থায় ‘১৮-দলীয় জোটকে গিলে ফেলছে জামায়াত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী।সিলেটে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জিন্দাবাজারে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে তাঁরা সকাল আটটার দিকে একটি মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় যান। সেখানে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তাঁরা মিছিল নিয়ে বন্দরবাজার এলাকা ঘুরে সিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন। মিছিলটি জিন্দাবাজার পুরান লেনের সামনে ১৮-দলীয় জোটের মিছিলের মুখোমুখি হয়, কিন্তু একাত্ম হয়নি।১৮ দলের মিছিল-সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের প্রভাব দেখে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করছে বলে দলীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।সকালে সিটি সেন্টারের সামনে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী প্রমুখ। পরে নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে জিন্দাবাজার সিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে আলাদা অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেন।একই সময়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ১৮-দলীয় জোটের মিছিলটি কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশ করে। মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির নেতা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, নগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির সায়েফ আহমদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি আবদুল আহাদ খান আলাদা কর্মসূচি পালনের বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন। আলাদা অবস্থানের কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতা ১৮-দলীয় জোটের ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের শক্তিশালী অবস্থান মেনে না নেওয়াটাই নেপথ্য কারণ বলে মন্তব্য করেন। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতা বলেন, জামায়াত-শিবির এত দিন প্রকাশ্যে আসতে পারছিল না। বিএনপিকে ঢাল বানিয়ে তারা প্রকাশ্য হয়েছে।স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা বলেন, ‘তারা (জামায়াত-শিবির) ব্যানারের সামনে থাকে না। কিন্তু ভেতরে পুরোটাই দখলে রাখে। অবস্থান এমন যে ১৮-দলীয় জোটকে গিলে ফেলছে জামায়াত।’ বিএনপির নেতৃত্বেই ১৮-দলীয় জোট—এখানে কেউ কাউকে এগিয়ে নেওয়া বা পেছনে ফেলার সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান লোদী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অঙ্গসংগঠনগুলো আলাদাভাবে কর্মসূচি করতেই পারে। তবে কেউই আমাদের মূল দাবির বাইরে নয়। তাই বিষয়টি আলাদাভাবে দেখার অবকাশ নেই।’ছোট-বড় বিভিন্ন আকারে হিন্দু সমাজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাসস্থানে হামলা চলছেই। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশের সময় থেকেই দেশজুড়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়। বিস্ময়করভাবে বড় বড় সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের সঙ্গে এক ‘সর্বদলীয়’ যোগসাজশ দেখা গেছে। প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার যদি হামলা প্রতিহত করতে এবং অপরাধীদের আইনের হাতে আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনসমাজকেই সামাজিক প্রতিরোধে শামিল হতে হবে।স্থান দুটি দেশের দুই প্রান্তে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া। কিন্তু কোন অদৃশ্য যোগাযোগে একই দিনে প্রকাশ্য ‘অজুহাত’ ছাড়াই দুই জায়গায় মন্দিরে হামলা হলো? দুটি স্থানেই রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। আবার দুটি স্থানেই এলাকাবাসী ঘুম ভেঙে আগুন নেভাতে আসে। বিষয়টিকে তাই দুটি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার কলহের জের ধরে দুর্বল পক্ষের ওপর সবল পক্ষের সংঘবদ্ধ আক্রমণ বলা যাচ্ছে না। গুটি কয়েক লোক গোপনে চোরের মতো এসে সংখ্যালঘুদের স্থাপনাসমূহে আক্রমণ করেছে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।সারা দেশে জমি দখল, রাজনৈতিক ক্ষমতা, ভোটের হিসাব-নিকাশসহ নানা স্বার্থগত কারণে হিন্দু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করার ইতিহাস সুদীর্ঘ। এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি কিংবা প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়াতেই ঘটনাগুলো ঘটেছে। ঘটনার কারণগুলো সর্বক্ষেত্রে ধর্মবিশ্বাস বা অপর সম্প্রদায়ের প্রতি ধর্মবিদ্বেষ নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। হামলায় জড়িতদের তাই খুঁজে বের করাও কঠিন নয়। কিন্তু অপরাধী যদি নিজ দলের হয়, তাহলে সরকারি দলপ্রভাবিত প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকে। ভিন্ন দলের সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তদেরও যে কঠিন শাস্তি হয়েছে তা নয়। এ কারণেই প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টিতে মানবাধিকারকর্মী, অগ্রণী নাগরিকেরা এবং জনসমাজের উদ্যোগী হওয়ার প্রয়োজন আছে।দরকার হলে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ‘মাইনরিটি কমিশন’ গঠন করতে হবে। সম্প্রতি রামু, সাঁথিয়া, সাতক্ষীরা, বরিশালসহ সব সাম্প্রদায়িক হামলা-নির্যাতনের বিচার করতেই হবে। নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির জন্যও এ বিষয়ে সতর্কতা জরুরি।নোয়াখালীতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড়ের বেচাকেনাও বেড়েছে।শহরের প্রধান সড়ক ও জেলা জজ আদালত সড়কের দুই ধারে গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে এত দিন ফুটপাতের এ ব্যবসায় স্থবিরতা বিরাজ করলেও গত দু-তিন দিনে শীত বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতারা ব্যাপক হারে ভিড় করেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ ছাড়াও ফুটপাত থেকে কম দামে গরম কাপড় কিনতে এসেছেন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা।তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকান বসেছে কম। দামও আগের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে গাড়ি ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে খুচরা বিক্রিতে।জেলা জজ আদালতের সামনে গরম কাপড় কিনতে আসা ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অতীতে ফুটপাত থেকে একটি সোয়েটার ১৫০-১৬০ টাকায় পাওয়া যেত। এবার একই মানের সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। শহরের প্রধান সড়কের পাশে গরম কাপড় নিয়ে বসা মো. জহির বলেন, টানা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচির কারণে পাইকারি বাজার থেকে গরম কাপড় কিনে আনতে আগে যে পরিমাণ ভাড়া লাগত, এখন তার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি গুনতে হচ্ছে। তাই দাম কিছুটা বেশি। |
পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার বালিপাড়া বাজারে বিএনপির সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ১৮-দলীয় জোটের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি বালিপাড়া বাজারে মিছিল বের করে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাজারের ভেতরে ঢুকলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা মিছিল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া করে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা পরে সংগঠিত হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে বিএনপির কর্মীরাও পাল্টা গুলি চালান।বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, খুলনায় ১৮ দলের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যার তাঁরা বালিপাড়া বাজারে মিছিল বের করেন। কিন্তু যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলি চালান। এতে মিরাজুল ইসলাম, জুয়েল, সোহেল বয়াতি ও শাহজাহান গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া গতকাল শনিবার সকালে ইউনিয়নের পথেরহাট বাজারের খুদে ব্যবসায়ী আলামিন, শাহ আলম, আ. ছালাম ও শাহজাহানের দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করেছের যুবলীগের কর্মীরা।তবে বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও জিয়ানগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন দাবি করেন, বিএনপির মিছিল থেকে প্রথমে তাঁদের ওপর হামলা ও গুলি চালানো হয়। গুলিতে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি রুহুল আমীন শেখ, কর্মী মামুন খান আহত হন।এ ছাড়া বিএনপির কর্মীদের হামলায় বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন আহত হন। তিনি পথেরহাট বাজারে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। জিয়ানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থানায় মামলা করেনি।১৮-দলীয় জোটের ডাকা হরতালের তৃতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ ও বিএনপির দুই পক্ষ আলাদাভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে।হরতালের বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরের কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন ও তাঁর অনুসারীরা। দুপুর ১২টায় কান্দিরপাড় নজরুল অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল বের করে কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. ওমর ফারুকের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা।সকাল ১০টায় নগরের রামঘাট মিডল্যান্ড হাসপাতাল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদের সমর্থকেরা। মনোহরপুর এলাকায় মিছিল করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হকের অনুসারীরা।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা করা তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২ ডিসেম্বর। বিএনপি নির্বাচনে এলে নতুন করে তফসিল হতে পারে বলে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ইসি। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দল নির্বাচনে আসবে, এমন ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।নির্বাচনে নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে যে সংলাপ বা সমঝোতার কথা দীর্ঘদিন ধরে বলা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রেও অগ্রগতি লক্ষণীয় নয়। এই পরিস্থিতিতে যে প্রশ্নটি দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, ২ ডিসেম্বরের আগে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার সুযোগ আছে কি? আর যদি সমঝোতা না হয়, সে ক্ষেত্রে দেশবাসীর জন্য কী অপেক্ষা করছে সামনের দিনগুলোতে!এটা দুর্ভাগ্যজনক যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেল, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনও কাছে চলে এসেছে, অথচ নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। ইসির তফসিল ঘোষণার পর অন্তত এটা প্রত্যাশিত ছিল যে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন চলে আসার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু হবে। এখন এটা স্পষ্ট হয়েছে যে নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সমঝোতা হলে তফসিল পেছানোর প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু দুই পক্ষ থেকে সে ধরনের উদ্যোগ নেই।গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে যেমন নির্বাচন প্রয়োজন, তেমনি সেই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হওয়াও জরুরি। বিরোধী দল নির্বাচনে না এলে এর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। আমরা বারবার বলে আসছি যে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতায় আসার পথ হচ্ছে সংলাপ বা আলোচনা। আর এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষকেই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলে নিশ্চয়ই সবচেয়ে ভালো হতো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যেহেতু প্রয়োজনে নতুন করে তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে, ফলে বর্তমান তফসিল আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নয়। ইসির তফসিল ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলের যে টানা অবরোধ কর্মসূচি চলছে, সে সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১৭ জনের। আহত হয়েছেন অগুনতি লোক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, বিনাশ হচ্ছে সম্পদের, সর্বনাশ ঘটছে অর্থনীতির। দুই পক্ষের সমঝোতা না হলে সামনের দিনগুলোতে যে আমাদের আরও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।নির্বাচন কমিশন যেহেতু নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে প্রস্তুত রয়েছে, ফলে দুই পক্ষ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে সমঝোতায় আসুক, সেই আহ্বান আমরা আবারও উভয় পক্ষের প্রতি রাখছি। তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, এ জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে সময় খুবই কম। দেশকে সংকটের মুখে ঠেলে না দিতে চাইলে এই কাজ এখনই করতে হবে।রাজধানীর মতিঝিলে এনসিসি ব্যাংকের আরেকটি শাখা চালু করা হয়েছে। এটি ব্যাংকটির ১০০তম শাখা।টয়েনবি সার্কুলার রোডে এনসিসি ব্যাংকের ভবনেই নতুন শাখাটি চালু করা হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম গতকাল রোববার এ শাখার উদ্বোধন করেন।ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন করে এনসিসি ব্যাংক এগিয়ে চলেছে।অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এ এস এম মাঈনউদ্দিন মোনেম, পরিচালক এম এ আওয়াল ও খায়রুল আলম চাকলাদারবিশেষ অতিথি ছিলেন। আরও বক্তব্য দেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার হামিদ খান। বিজ্ঞপ্তি। |
‘ধরুন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। খেলাটা হচ্ছে চট্টগ্রামে। তো, আপনারা কোন দলকে সমর্থন করবেন?’ প্রায় সবাই এক সঙ্গে চেচিয়ে উঠল, ‘আপনি কি পাগল? বুঝতে পারছেন না! অবশ্যই শ্রীলঙ্কাকে।’ বললাম, ‘তা জানি, কিন্তু বাংলাদেশ জিতলে কেমন উৎসব হয় চট্টগ্রামে, সেটা নিশ্চয় দেখেছেন। বাংলাদেশ হেরে গেলে এমন উৎসব তো মিস করবেন।’ কপট রাগ নিয়ে একজন বললেন, ‘বয়েই গেছে আপনাদের উৎসবে যোগ দিতে, এখানে বাংলাদেশ জিতলে সমর্থকেরা দেখি গায়ে রং ছিটায়। শ্রীলঙ্কানরা কখনোই এমন করে না। খেলা দেখে খুশি মনে বাড়ি চলে যায়।’গত সোমবার এমন খুনসুটি দিয়েই শুরু হয় চট্টগ্রামে পড়তে আসা শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) ক্যাফেটরিয়ায় তখন দুপুরের খাবার খেতে আসা শিক্ষার্থীদের ভিড়। এর মধ্যে দুটো টেবিল জোড়া দিয়ে বসেছেন জনা দশেক শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থী। তাঁরা সবাই ইউএসটিসির এমবিবিএসের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী।একরাশ কালো চুলের মধ্যে গুচ্ছ গুচ্ছ সোনালি চুল উঁকি দিচ্ছে এমবিবিএস ফানাইল শেষ করা কলম্বোর মেয়ে সুরাঙ্গি কুরুপ্পুর মাথায়। ঠোঁটে দুষ্টু হাসি এনে বললেন, ‘শুরুতে আমাদের কাছে নিশ্চয় জানতে চাইবেন, চট্টগ্রাম কেমন লাগছে?’ হেসে ‘হ্যাঁ’ বলতেই পাশে বসা একজনকে দেখিয়ে দিলেন। ‘সামিরাই বলুক, ও তো কিছুদিন হলো এসেছে।’ সুঠাম দেহের অধিকারী প্রথম বর্ষের ছাত্র সামিরা সামারা সিংহে কথাবার্তায় বেশ সপ্রতিভ। বললেন, ‘ভীষণ ধুলাবালু আর শব্দ। তবে আবহাওয়াটা আমাদের দেশের কাছাকাছি।’ তাঁর মুখ থেকে কথা টেনে নিলেন গলের মেয়ে গাইনি ডি সিলভা। বললেন, ‘আসলে চট্টগ্রামের মানুষ ভীষণ আন্তরিক আর বন্ধুসুলভ। সবাইকে নিজের দেশের মানুষ বলে মনে হয়।’এত জায়গা থাকতে চট্টগ্রামে কেন পড়তে আসা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানান, শ্রীলঙ্কায় চিকিৎসাবিজ্ঞানে সবাই পড়ার সুযোগ পান না। বছর খানেক আগেও সেখানে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। চট্টগ্রামের ইউএসটিসি সে দেশের সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। তা ছাড়া এখানে পড়ার খরচও কম। জানা গেল ইউএসটিসি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬০০ শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থী পড়ছেন। এ ছাড়া সে দেশের আরও নাগরিক কর্মসূত্রে বসবাস করছেন এই শহরে। ২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার জাতীয় দিবসের দিন ও ১৩-১৪ এপ্রিল সিংহলি নববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামে বসবাসরত শ্রীলঙ্কানরা একত্র হন।আড্ডায় ঘুরে-ফিরে এল ক্রিকেট, খাবারদাবার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিষয়। বিশেষত ঘুরে-ফিরে আসছিল ক্রিকেট প্রসঙ্গ। শ্রীলঙ্কা ছাড়া আর কোন দেশের খেলা ভালো লাগে? সবাই একযোগে বললেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ। তবে ভারতকে আমরা কখনোই সমর্থন করি না।’ যোগ করলেন এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষে ছাত্র ভিরাজ মঞ্চনায়েক। তাঁর কথায় সায় দিলেন সবাই। বোঝা গেল ভারত তাঁদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।এ দেশের খাবারের মধ্যে শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থীদের ভালো লেগেছে কাচ্চি বিরিয়ানি, ফুচকা, টিক্কা কাবাব ও শিঙাড়া। শুঁটকির কথা তুলতেই গা-ঝাড়া দিয়ে বসলেন বিন্দিয়া হেরাথ। বললেন, বাংলাদেশের সেরা হলো দুটি জিনিস—একটি শুঁটকি, অন্যটি সেন্ট মার্টিন। আবারও একমত হলেন সবাই। সুরাঙ্গি বললেন, ‘আপনাদের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সত্যি অতুলনীয়। আর রাঙামাটিও খুব সুন্দর।’চট্টগ্রামের সবকিছু ভালো লাগলেও ধনী-গরিবের মস্ত ফারাক খুব পীড়া দেয় এসব শিক্ষার্থীকে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ভিরাজ, ‘দেখুন এখানে এসেই দেখলাম, ছোট ছেলেরা কাজ করে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও টেম্পোতে। সবাই তাদের পিচ্চি বলে। এমন পিচ্চির দেখা পাবেন না শ্রীলঙ্কায়। সেখানে এ বয়সের বাচ্চারা স্কুলে যায়।’চট্টগ্রামে এসে সবার অভিজ্ঞতার ঝুলি বড় হয়েছে। তবে নির্মল আতে গুনাবর্ধনারটি সব চেয়ে ব্যতিক্রম। তাঁর ফ্ল্যাটে প্রায়ই ভুতুড়ে কাণ্ডকীর্তি ঘটে। আলোর ঝলকানি দেখেন হঠাৎ হঠাৎ। আপনা-আপনিই দরজা, জানালা আর ল্যাপটপের ডালা খোলে বন্ধ হয়। বাড়ির দারোয়ানের কাছে শুনেছেন, ভূত আছে সেখানে।প্রশ্ন করা হলো, ভূতটা কোন দেশি? শ্রীলঙ্কান না বাংলাদেশি? সবার সহাস্য উত্তর, বাংলাদেশি।বিএমটিটিআই, গাজীপুর বিরাম চিহ্ন অংশ-৮প্রিয় শিক্ষার্থী, সমাপনী পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১০ নম্বর প্রশ্ন থাকবে ‘বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনর্লিখন’-এর ওপর। নম্বর থাকবে ৫। তোমাদের চর্চার জন্য নিচে এর কিছু নমুনা দেওয়া হলো।১৮.একবার তো কী জানি কী হয়েছে নিরীহ একটা হরিণকে শুঁড়ে জড়িয়ে ছুড়ে ফেলে দিল দূরে আরেকবার ছোট্ট একটা পিঁপড়ে চোখে পড়ে কি পড়ে না, বিন্দুসদৃশ তার চলা তাকেও পায়ের তলায় পিষে মেরে ফেলল সেই থেকে বনের কোনো প্রাণী হাতিটার ছায়াও মাড়াত না দেখলেই সমীহ করে পথ ছেড়ে দিত দিনে দিনে হাতিটা হয়ে উঠল আরও দুর্বিনীত আরও অহংকারী।উত্তর: একবার তো কী জানি কী হয়েছে। নিরীহ একটা হরিণকে শুঁড়ে জড়িয়ে ছুড়ে ফেলে দিল দূরে। আরেকবার ছোট্ট একটা পিঁপড়ে। চোখে পড়ে কি পড়ে না, বিন্দুসদৃশ তার চলা। তাকেও পায়ের তলায় পিষে মেরে ফেলল। সেই থেকে বনের কোনো প্রাণী হাতিটার ছায়াও মাড়াত না। দেখলেই সমীহ করে পথ ছেড়ে দিত। দিনে দিনে হাতিটা হয়ে উঠল আরও দুর্বিনীত, আরও অহংকারী।১৯.মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত আক্রমণে পাকিস্তানিদের সাতটি স্পিডবোটই ডুবে গেল অনেকে মারা গেল বাকি লঞ্চ দুটো থেকে গোলাবর্ষণ আর গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা পিছু হটতে থাকল এ রকম মুহূর্তেই হঠাৎ একটা গোলা এসে পড়ল তাঁর ওপর তিনি শহিদ হলেন বীরের পবিত্র রক্তস্রোতে রঞ্জিত মাটি অর্থাৎ রাঙামাটির বোর্ড বাজারে অন্তিম শয়ানে শায়িত আছেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ।উত্তর: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত আক্রমণে পাকিস্তানিদের সাতটি স্পিডবোটই ডুবে গেল। অনেকে মারা গেল। বাকি লঞ্চ দুটো থেকে গোলাবর্ষণ আর গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা পিছু হটতে থাকল। এ রকম মুহূর্তেই হঠাৎ একটা গোলা এসে পড়ল তাঁর ওপর, তিনি শহিদ হলেন। বীরের পবিত্র রক্তস্রোতে রঞ্জিত মাটি, অর্থাৎ রাঙামাটির বোর্ড বাজারে অন্তিম শয়ানে শায়িত আছেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ।২০.বাংলার রক্তরঞ্জিত মাটিতে পড়ে রইল তাঁর নিথর দেহ নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে নূর মোহাম্মদ শেখ সেদিন এভাবেই রক্ষা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন অসীম সাহসী এই বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে নড়াইলের মহেশখালী গ্রামে।উত্তর: বাংলার রক্তরঞ্জিত মাটিতে পড়ে রইল তাঁর নিথর দেহ। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে নূর মোহাম্মদ শেখ সেদিন এভাবেই রক্ষা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন। অসীম সাহসী এই বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে নড়াইলের মহেশখালী গ্রামে।২১.বাংলাদেশ আজ মুক্ত ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি বুঝতে অসুবিধা হয় না এই অর্জন খুব সহজে ঘটেনি লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা দেশমাতৃকাকে মুক্ত করেছি বীরের পূত পবিত্র রক্তস্রোত আর মাতার অশ্রুধারায় স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের।উত্তর: বাংলাদেশ আজ মুক্ত। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। বুঝতে অসুবিধা হয় না, এই অর্জন খুব সহজে ঘটেনি। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা দেশমাতৃকাকে মুক্ত করেছি। বীরের পূত-পবিত্র রক্তস্রোত আর মাতার অশ্রুধারায় স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের।সহকারী অধ্যাপকপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালআজ গ্রুপ থিয়েটার দিবস। এই দিনটি উদ্যাপন করার জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। আয়োজনগুলোর মধ্যে থাকছে সারা দেশে একযোগে শোভাযাত্রা, নাটক, আবৃত্তি আর গণসংগীত পরিবেশন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী জানান, আজ বিকেল চারটায় বেইলি রোডের গাইড হাউসের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করা হবে। তিনি এই আয়োজনে মঞ্চনাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজরদারির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে মানববিহীন খুদে বিমান বা ড্রোন কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে থাকবে হেরন ড্রোন, যা ৩০ হাজার ফুট ওপরে উড়তে সক্ষম। প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি রুপি দামে ১৫টির মতো ড্রোন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ভারতীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটি। দেশটির সেনাবাহিনীতে ইতিমধ্যে ৪০টির বেশি ড্রোন রয়েছে। সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ড সম্প্রতি ক্ষুদ্র গোয়েন্দা ড্রোন কেনার জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার নোটিশ দিয়েছে। এনডিটিভি। |
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহমঞ্চদ এরশাদ বলেছেন, ‘দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের কোনো আশা আমি দেখতে পাচ্ছি না। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। এখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। অন্যদিকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলছে। এ অবস্থায় দেশে কীভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে, তা আমার জানা নেই।’ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী হাইস্কুল মাঠে গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। অস্ত্র ও টাকার কারণে ভালো মানুষ সাংসদ হতে পারেন না। ব্যক্তি নয়, দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে দল সংসদে আসন পাবে।জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, সুনীল শুভ রায়, আহসান হাবিব প্রমুখ।আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে যেসব দল আছে, তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘এই দুই দল থেকে দেশকে রক্ষা করতে আমার দল নির্বাচন করবে। আপনারা আমার সাথে থাকবেন।’তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। দেশে আগের মতো উন্নয়ন হবে। দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’এরশাদ আরও বলেন, মহাজোট ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগ দলীয়করণ করেছে। টাকা ছাড়া চাকরি হয় না। শেয়ার কেলেঙ্কারিতে ৩০ লাখ মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির নায়কেরা প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন।তিনি বলেন, দেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও লুটপাট চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। মানুষ গুম হচ্ছে, তার তদন্ত হয় না। এই সংকটের জন্য ক্ষমতাসীনেরা দায়ী।এরশাদ আগামী নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে হারুন অর রশীদকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন।ময়মনসিংহে অ্যানালগ মিটার ব্যবহারকারী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গত আগস্ট মাসের বিলে ৩০ শতাংশ জরিমানা করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহে পিডিবির কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের কথা বললেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তাঁদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ময়মনসিংহের নাগরিক সমাজ।বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের ভোগান্তি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সমেঞ্চলনকক্ষে পিডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা হয়। জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে সভায় ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলন কমিটির লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিকেরা ছিলেন।সভায় পিডিবির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ৩০ শতাংশ জরিমানা আদায়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, অ্যানালগ মিটার সঠিক পাঠ না দেওয়ায় প্রতি মাসে ব্যবহূত বিদ্যুতের সঠিক মূল্য পাওয়া যায় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অ্যানালগ মিটার ব্যবহারকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এর আগের কয়েক মাস বিদ্যুৎ বিলের কাগজে গোয়েন্দা সংস্থার জরিপের বরাত দিয়ে ডিজিটাল মিটার ব্যবহার না করলে জরিমানা করা হবে বলে সিল লাগিয়ে দেয় পিডিবি।কিন্তু নাগরিকেরা অভিযোগ করেন, ওই সিলটি এতই অস্পষ্ট যে তাতে কী লেখা আছে কোনোভাবেই পড়া যায় না। এমনকি ওই সিলের কোথাও বলাও ছিল না ডিজিটাল মিটার ব্যবহার না করলে কবে থেকে জরিমানা করা হবে।সভায় ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ-সম্পর্কিত প্রমাণপত্র নাগরিকদের সামনে দেখানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু পিডিবির কর্মকর্তারা কোনো নির্দেশ দেখাতে পারেননি।সভায় উপস্থিত নাগরিক প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয় ৩০ শতাংশ জরিমানা করার কথা বলেনি। পিডিবির বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চল ময়মনসিংহের প্রধান প্রকৌশলী রইস উদ্দিন সরকারের একক ইচ্ছায় ওই জরিমানা আদায় করে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন।সবাই বলে ভোরের মানে পাখির গানে শুরুআমার বেলায় মায়ের বকা, কুঁচকে কপাল, ভুরু।প্রতি ভোরেই মা চেঁচাবে ঢুকে আমার রুমে‘সূর্য কখন উঠে গেছে, তুই এখনো ঘুমে!’প্রায়ই আমি ভাবতে বসি, ভাবতে গিয়ে থামিসূর্য ওঠার সাথে কেন উঠতে যাব আমি!যে ঘুমাবে আগে তারই ঘুম ভাঙবে আগেএই কথাটা বুঝতে বুঝি বুদ্ধি অনেক লাগে!সূর্য ঘুমায় সন্ধ্যা হলেই, আমি অনেক রাতেআমি কেন উঠতে যাব সূর্য ওঠার সাথে।বড় যারা তারাই দেখি যুক্তি ছাড়া চলেদুঃখ হলো আমার মা-ও যুক্তিহীনের দলে।উত্তর ইসরায়েলে দুটি রকেট এসে পড়ার পর দেশটির সেনারা লেবাননে গোলাবর্ষণ করেছেন। ইসরায়েলি সেনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে ট্যাংকের তিনটি গোলা ছুড়েছে। ইসরায়েলে ছোড়া রকেটগুলো খোলা জায়গায় পড়ায় জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি। দুই সপ্তাহ আগে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলি সেনারা দুই লেবাননি সেনাকে গুলি করেন। এতে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। বিবিসি। |
‘পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার সময় গ্রামের বাড়িঘর, পথঘাট হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। কারও বাড়িতে চুলাও জ্বলে না তখন। না খেয়েই থাকতে হয় পুরো দিন।’সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হারুনের মুখ থেকে শোনা গেল এই বিবরণ। উপকুলীয় এই গ্রামের কয়েক শ পরিবার এমন দুর্ভোগকে সঙ্গী করে বেঁচে আছেন। বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে প্রতি পূর্ণিমা ও অমাবস্যার সময় গ্রামটি প্লাবিত করে। তলিয়ে যায় রাস্তা, ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও বিদ্যালয়। লোনা পানি প্রবেশ করায় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।কেবল আকিলপুর নয় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়াকুল, নুনাবিল, কুমিরার জমাদারপাড়া, মাঝামাঝিপাড়া, জেলেপাড়া, সোনাইছড়ির ঘোড়ামরা ও বাংলাবাজার এলাকার বিভিন্ন গ্রামে আমবস্যা ও পূর্ণিমার সময় জোয়ারের পানি ঢুকছে। উপজেলার বেড়িবাঁধের অন্তত তিন কিলোমিটার ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকছে। ফলে এসব এলাকার তিন হাজার পরিবার চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ধরনা দিয়েও লাভ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার ২৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন অংশে অন্তত দুই কিলোমিটার ভেঙে গেছে প্রায় চার বছর আগে। যার কারণে পাঁচটি গ্রাম অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়।এদিকে কুমিরা ইউনিয়নের ঘাটঘর জেলেপাড়া থেকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামরা পর্যন্ত আরও এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ এলাকায় অবস্থিত জাহাজভাঙার ইয়ার্ডগুলোর ভারী লোহার কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে।এদিকে, উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জোয়ারের লোনা পানির কারণে উপকূলের ৩০০ হেক্টর ফসলি জমিতে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার কৃষকেরাও।জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের টাকা পেলে বেড়িবাঁধ সংস্কার হবে। আশা করি এবার টাকা ছাড় করা হবে। বর্ষার শেষে কাজ শুরু করতে পারব।’বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য নানা জায়গায় ধরনা দিয়েছি। সর্বশেষ স্থানীয় সাংসদ এ বি এম আবুল কাসেমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি পানিসম্পদমন্ত্রী এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীমের নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। আবদুল আলীমের ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মির্জাপুর থানায় এ মামলা করেন।মামলায় গোড়াই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার পারভেজ শাহ আলমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলামকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। হরতাল চলাকালে গত সোমবার মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে শাহ আলমের পক্ষের সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সদস্য ফিরুজ হায়দার খানের পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষে আবদুল আলীম আহত হন। কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়।মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুনজিয়া আক্তার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য প্রস্তাবিত স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো কয়েকটি কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।কারণগুলো হচ্ছে: বিদ্যমান আইনে কোনো বিধান না থাকা, আমলাদের অনীহা, চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের বিরোধিতা এবং নতুন বেতন কমিশন গঠনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ।এসব কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১৪ নভেম্বর অনুমোদন দিলেও বাস্তবে ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর প্রজ্ঞাপন হতে দেরি হবে বলে জানা গেছে।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত যেহেতু নেওয়া হয়েছে, এটি হবেই। এখন আইনি ধারা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’আইনি বাধার কারণে যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে কিছু করা হবে না।’অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের জারি করা আদেশের বলে এবং জাতীয় বেতনকাঠামো ২০০৯ অনুযায়ী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা পেয়ে আসছেন। চাকরি (পুনর্গঠন ও শর্তাবলি) আইন, ১৯৭৫-এর ৫ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি হয়।জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো করতে গেলে বিদ্যমান চাকরি (পুনর্গঠন ও শর্তাবলি) আইন সংশোধন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এই আইনের আওতার বাইরে নিয়ে আসতে হবে। সংসদ না থাকায় বর্তমানে যা সম্ভব নয়।অর্থমন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, চার ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানি। নিজেদের পর্ষদেই ব্যাংকগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আইনের সংশোধনের দরকার হতে পারে।অবসরে যাবেন এবং নতুন যোগ দিয়েছেন—বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমন কর্মকর্তা ছাড়া মধ্যম সারির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতনকাঠামোর সঙ্গেই থাকতে চান। মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের অনেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আলাদা বেতনকাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি না করার পক্ষেও কাজ করছেন বলে জানা গেছে। আবার একাধিক ব্যাংকার মনে করেন, মন্ত্রণালয় এটা সহজে হতে দেবে না। কেননা, সচিবের সমান বেতন হয়ে যাবে ব্যাংকের একজন কর্মকর্তার, তা মেনে নিতে পারছেন না আমলারা।অবশ্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন বেতন কমিশন গঠিত হলো মাত্র। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হবে নতুন বেতনকাঠামো। তখন ব্যাংকের বেতনকাঠামোর চেয়ে জাতীয় বেতনকাঠামোর বেতন-ভাতা সমান বা বেশি হবে। বিষয়টি আরেকটি জটিলতা তৈরি করবে এবং আবারও তা সংশোধনের দরকার হয়ে পড়বে।জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) সহায়তাপুষ্ট অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পূবালী ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক সুকোমল সিংহ চৌধুরী এবং পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল আহমদ চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে সই করেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম কায়-খসরু, পূবালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।পূবালী ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশে এসএমই খাতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের বাজার উন্নয়নে জাইকার সহায়তায় এ প্রকল্প নেওয়া হয়। এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ এসএমই খাতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য জাপান সরকার ৫০০ কোটি ইয়েন (তাদের মুদ্রা) সহায়তা দেবে। |
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিরঞ্জন প্রসাদ বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিক্ষুব্ধ লোকজন সাত ঘণ্টা মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়ক অবরোধ করে রাখেন। গত বুধবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে আওয়ামী লীগের নেতা জি এম মজিদের হাতে ওই চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত হন।উপজেলার হাজিরহাট এলাকার মুক্তেশ্বরী নদীসংলগ্ন একটি জলাশয় ইজারা নিয়েছে সোনালি যুব উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড। ওই জলাশয়ের পাড় যাতে ভেঙে না যায়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে গাছ লাগিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নিরঞ্জন প্রসাদ বিশ্বাস। বুধবার চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জি এম মজিদ তাঁর কাছে সরকারি জমিতে গাছ লাগানোর বিষয়ে জানতে চান।নিরঞ্জন প্রসাদ বিশ্বাস অভিযোগ করেন, জি এম মজিদ তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁকে মারতে উদ্যত হলে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় রক্ষা পান। হরিদাসকাটি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সুকৃতি বিশ্বাস বলেন, ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা না করলে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।সময়: ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট, পূর্ণমাণ: ১০০[ঘাসফুল থেকে অপেক্ষা পর্যন্ত। প্রশ্ন ক্রমিক: ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩]অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভাব প্রকাশের জন্য গান করে এসেছে। কাজে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য শ্রমজীবী মানুষ সমস্বরে গান করে থাকে। এগুলোকে বলে শ্রমসংগীত। শ্রমজীবী মানুষ ছাদ পেটায় আর শ্রম লাঘব করার জন্য সমস্বরে ছাদ পেটানোর গান গায়। ধান কাটার সময়, ফসল তোলার সময় কৃষক গান করেন। এভাবে শ্রমের সঙ্গে বিনোদনকে যুক্ত করে শ্রমকে করে আনন্দদায়ক। জন্মদিন ও বিশেষ উৎসবেও গান গাওয়া হয়। ঋতুবৈচিত্র্য প্রতিটি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে বাংলাদেশের গানের ভাবে, কথায় আর সুরে। সে জন্য অনেকেই এ দেশকে বলে গানের দেশ।১। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো। ১৫ = ৫ক) অনুচ্ছেদটি মূলত কোন বিষয়ে লেখা?১. বাকিশল্প ২. সংগীতশিল্প ৩. যন্ত্রশিল্প ৪. লোকসংগীতখ) বাংলাদেশের মানুষ সংগীতের জগতে বিচরণ করছে— ১. আবহমানকাল থেকে ২. হাজার বছর ধরে৩. অতীতকাল থেকে ৪. অতি সাম্প্রতিক কাল থেকেগ) কাজে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য শ্রমজীবী মানুষ যে গান করেন— ১. উচ্চাঙ্গ সংগীত ২. লোকসংগীত৩. শ্রমসংগীত ৪. কোরাসঘ) প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভাব প্রকাশের জন্য করেছে-১. বাক্যালাপ ২. গান ৩. ঝগড়া ৪. মামলাঙ) সমস্বরে শব্দটির ‘স্ব’ যুক্তবর্ণটিতে আছে—১. স+ব ২. ব+স ৩. স+অ ৪. স+ফলা২। নিচে শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করো। ১৫=৫ক) পরিশ্রমের সঙ্গে — ব্যবস্থা রাখা দরকার।খ) কাজে সাফল্য লাভের জন্য — প্রয়োজন।গ) ছাদ পেটার গান একধরনের —।ঘ) মানুষের সুখ-দুঃখের — ঘটে তার কর্মে।ঙ) — থেকে মানুষ ভাব প্রকাশ করার জন্য গান করে এসেছে।৩। যুক্তবর্ণগুলো কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি, তা লেখো এবং একটি করে শব্দ লেখো— ১৫ = ৫প্র, ঞ্চ, ষ্ট, দ্দ, ঙ্গ।৪। প্রশ্নোত্তর লেখো। ৫২ = ১০ক) শ্রমসংগীত কী? উদাহরণসহ লেখো।খ) কোন দেশকে গানের দেশ বলা হয়? কেন?# অনুচ্ছেদ পড়ে ৫, ৬, ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর লেখো।কানাডায় অবস্থিত নায়াগ্রা হলো একটি জলপ্রপাত। জলপ্রপাত তো কখনো দেখিনি। শুধু জেনে এসেছি। ঝরনার মতো পাহাড়ের ওপর থেকে পানি নিচে সমতল ভূমিতে গড়িয়ে পড়ছে। তবে আকারে-প্রকারে অনেক বিশাল। ঝরনা ছোট, আর জলপ্রপাত বড়—এইটুকু যা তফাত। ওপর থেকে নিচে জলপতনের ব্যাপার দুই জায়গাতেই ঘটছে; জল যদি না-ই পড়ে, তাহলে ঝরনাও হবে না, জলপ্রপাতও হবে না। কিন্তু জল যে নিচে পড়ে, তা যাচ্ছে কোথায়? জলের ধর্ম তো গড়িয়ে যাওয়া। ঝরনার জলও গড়াতে গড়াতে ক্রমেই নদী হয়ে যায়। পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে। এ জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। এটি সমতলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খরস্রোতা নদী। নায়াগ্রা তাই ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত।৫। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো। ১৫ = ৫১. নিচের কোনটি জলপ্রপাত?ক) হিমছড়ি খ) সীতাকুণ্ডগ) নায়াগ্রা ঘ) মাধবকুণ্ড২. নায়াগ্রা মূলত কী?ক) পাহাড় খ) ঝরনা গ) জাহাজ ঘ) খরস্রোতা নদী৩. নায়াগ্রা কোথায় অবস্থিত?ক) কানাডা খ) চিলি গ) পেরু ঘ) মেক্সিকো৪. নায়াগ্রা দেখতে বড় হওয়ার কারণ কী?ক) দূর থেকে দেখতে হয় খ) কাছে যাওয়া যায় নাগ) নায়াগ্রার রূপবৈচিত্র্যের জন্য ঘ) এখানে সুবিধার জন্য৫. কোন জলপ্রপাতটি পাহাড় থেকে নামেনি?ক) ইজুয়াজু জলপ্রপাত খ) নায়াগ্রা জলপ্রপাতগ) রাঙামাটি জলপ্রপাত ঘ) মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত৬। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখো। ২৫=১০(ক) জলপ্রপাত কী? (খ) নায়াগ্রা কোথায় অবস্থিত?(গ) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিশেষত্ব কী? (ঘ) ঝরনা ও জলপ্রপাতের মধ্যে পার্থক্য কী? (ঙ) জলের ধর্ম কী?৭। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটির সারাংশ লেখো। ৫৮। প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখো। ১৫ = ৫বৃহৎ খরস্রোতা, প্রবাহিত, বিশাল, তফাত৯। এককথায় প্রকাশ করো। ১৫ = ৫যে অভিযান করে, কোনোভাবেই পূরণ করা যায় না এমন, সামনের দিকে থাকে যারা, অন্যের অনিষ্ট কামনা, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত১০। নিচের দাগ দেওয়া শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লিখে বাক্যগুলো পুনরায় লেখো। ১৫ = ৫ক) কাজটি তাড়াতাড়ি আরম্ভ করো।খ) দুর্যোগ একটি দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।গ) শান্তি দাবা খেলায় ব্যর্থ হয়েছে।ঘ) তনু খুব সরল। ঙ) সুন্দর পরিবেশে থাকা কঠিন।১১। প্রদত্ত বাক্যের ভুল শব্দটি শুদ্ধ করে লেখো। ৫ক) নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে আবহাওয়া পর্য্যবেক্ষণ করতে হয়।খ) বিশিষ্টজনের বক্তিতা শুনতে ভালো লাগে।গ) পাখিরা অসীম আকাশে উরে বেড়ায়।ঘ) অসাধু ব্যক্তি বিদ্ধান হলেও ঘৃণ্য।ঙ) কানাডার রাস্তা অসম্বভ ভালো।১২। বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি পুনরায় লেখো। ৫৮ এপ্রিল ২০১০ সাল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশে মুসা ঢাকা ত্যাগ করলেন সেখানে পৌঁছে অভিযানের জন্যে যা যা প্রয়োজন কিনে ফেললেন সেই সব জিনিস১৩। কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখো। ৬ক) মোরা তারই লাল নীল সাদা হাসিধরার বুকের স্নেহকণাগুলি/শুনি আর দুলে শান্ত বাতাসেযখন তারারা ফোটে।রূপকথা নীল আকাশের বাঁশি/ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে।খ) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ, তা লেখো। ১গ) কবিতাটির কবির নাম কী? ১ঘ) ঘাসফুল কার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেছে? কীভাবে তুলনা করেছে? ২ভারতের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক তেহেলকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সোমা চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন। তেহেলকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সোমা চৌধুরীসহ ছয়জন সাংবাদিক তেহেলকা থেকে পদত্যাগ করলেন। বিবিসি ও এনডিটিভিজমাট কঠিন তুষারে আটকা পড়া একটি বিজ্ঞান গবেষণা জাহাজকে উদ্ধার করার নতুন চেষ্টায় অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজ পূর্ব অ্যান্টার্কটিকায় রওনা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে আটকে থাকা জাহাজটিকে মুক্ত করতে এর আগে চীনা ও ফরাসি তুষার অপসারণকারী জাহাজের চেষ্টায় কোনো কাজ হয়নি। তবে রুশ জাহাজটিতে থাকা একজন সাংবাদিক বলেছেন, জমাট তুষারের মধ্যে বড় বড় ফাটল ধরেছে। বিবিসি। |
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বানিবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শরৎ মেলায় চলছে জুয়ার আসর।শহীদ বসির সঞ্চৃতি সংসদের উদ্যোগে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে মেলা শুরু হয়। স্থানীয় প্রশাসন থেকে মেলা উপলক্ষে সার্কাস ও র্যাফল ড্রয়ের অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু মেলায় গুটি ও চরকি নামে জুয়ার রমরমা আসর বসছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ক্লাবের নামে মেলার অনুমতি নেওয়া হলেও মেলাটি পরিচালনা করছেন আলী চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। তিনি ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ার কেউ প্রতিবাদ করছেন না।গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি সড়কের বানিবহ বাজার মোড়ে মেলা উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে একটি বড় গেট। বিদ্যালয় মাঠে বসানো হয়েছে একটি সার্কাসের প্যান্ডেল। প্যান্ডেলের বাঁ পাশে স্থাপন করা হয়েছে লাকি কুপনের মঞ্চ। মঞ্চের পাশে কাপড় দিয়ে ঘেরা জায়গায় পাশাপাশি তিনটি স্থানে বসেছে জুয়ার আসর।শহীদ বসির সঞ্চৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইউসুব শেখ বলেন প্রথম আলোকে , ‘মেলায় কোনো জুয়া খেলা হচ্ছে না।’ এই প্রতিবেদক নিজে গিয়ে দেখে এসেছেন বলার পর তিনি বলেন, ‘আসলে শরীর খারাপ থাকায় আমি বাড়িতে রয়েছি।’ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখেন বিএনপিপন্থী সোনালি দলের শিক্ষকেরা।এদিকে সেশনজটের আশঙ্কায় ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মিছিল-সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি এবং সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম। এ ছাড়া গত সোমবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ এবং বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে গত রোববার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা।গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সঙ্গে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলামের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ওই নেতা প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ আনেন শিক্ষকেরা।শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কারণে সেশনজটের আশঙ্কায় গতকাল শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের মুক্তিযুদ্ধের সঞ্চারক ভাস্কর্য বিজয় ’৭১-এর সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম।পরে বেলা সাড়ে তিনটায় আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকেরা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের জিম্মি না করে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করেন তাঁরা।বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রাঞ্চ (ডিএসবি) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুজন ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।এর আগে উপাচার্যের মুঠোফোনে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন করে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে জানান উপাচার্যের একান্ত সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বেলা একটার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন উপাচার্য মো. রফিকুল হক।উপাচার্য রফিকুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা। মূলত বিরোধী দলের হরতাল কর্মসূচি পালন করছেন ওই শিক্ষকেরা।বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিধিবিধান অনুযায়ী নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। উপাচার্য বলেন, আশা করি, ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে শিক্ষকেরা এগিয়ে আসবেন।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা আবাসন। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আট বছর পরেও আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি হল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। শুধু হাবিবুর রহমান হল উদ্ধার করা হয় ২০১১ সালে।বেদখলে থাকা ১০টি হল উদ্ধারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন রকম আশ্বাস দেয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বছরের পর বছর কমিটি গঠিত হয়েছে, লোক দেখানো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু হল উদ্ধার হয়নি।শিক্ষার্থীদের পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকায় মেস ভাড়া করে কত যে কষ্টের মধ্যে থাকতে হচ্ছে, তা শুধু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাই জানেন। এ ছাড়া সেখানে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যা তো আছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফির সঙ্গে অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নেওয়া হচ্ছে।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। পাশেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন হল নির্মিত হচ্ছে, কিন্তু একই শহরের বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি এমন অবিচার কেন? আজ শিক্ষার্থীদের অবস্থা একটা গৃহহীন পরিবারের মতো। কিন্তু এভাবে আর কত দিন?বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ২০১১ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পের ১০০ কোটি টাকা ছাড় করেছে সরকার। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে উন্নয়ন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিবছর ভর্তির সময় বিরাট অঙ্কের টাকা নেওয়া হচ্ছে।তাহলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধানে সমস্যা কোথায়? ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি পারে না শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধান করতে?বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি নতুন ছাত্রী হলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। হলটি যত দ্রুত শেষ হয় ততই মঙ্গল। এ ছাড়া বেদখলে যে পুরোনো হলগুলো রয়েছে, সেই হলগুলো উদ্ধার করে সেখানে নতুন হল নির্মাণ করা যেতে পারে। উপাচার্যের কাছে আবেদন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে হল উদ্ধার করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।সাধন সরকারশিক্ষার্থী, মাস্টার্স,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। তাঁর ছোট বোন ঝুমুর গতকাল শনিবার বিকেলে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে এই খবর জানান। সিডনির পশ্চিমাঞ্চলের অবার্ন হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল আটটায় (বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায়) শাবনূরের অস্ত্রোপচার করা হয়। শাবনূর তাঁর ছেলের নাম রেখেছেন আইজান নেহান। মা ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছে।শাবনূরের স্বামী অনীক মাহমুদ এখন ঢাকায়। তিনি বললেন, ‘খুব মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। যাক, সবকিছু ভালোভাবেই হয়েছে। আমাদের দুই পরিবারের সবাই খুব খুশি হয়েছে। ইচ্ছা ছিল এ সময় শাবনূরের পাশে থাকব, কিন্তু ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে যেতে পারছি না। তাই মনটা খুব খারাপ।’ঢাকা থেকে শাবনূরের বাবা শাহজাহান চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার মেয়ে আর নাতির জন্য সবাই দোয়া করবেন।’শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর শাবনূর মুঠোফোনে তাঁর অনুভূতি জানান এভাবে, ‘খুব ভালো লাগছে। এটা আসলে একেবারেই অন্য রকম অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। অন্য এক জীবন। সন্তানের মুখ দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।’আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে শাবনূরের দেশে আসার কথা আছে। |
বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এক মঞ্চে জনগণের মুখোমুখি হয়েছেন। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) আয়োজনে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বরগুনার পাথরঘাটার খাসকাচারি মাঠে জনগণের মুখোমুখি হন প্রার্থীরা।একই মঞ্চে জনগণের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শওকত হাচানুর রহমান ওরফে রিমন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহামঞ্চদ আবদুস সোবহান। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ওরফে হিরু অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দীলিপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় জনগণের মুখোমুখি হন ওই দুই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। তাঁরা সুজনের অঙ্গীকার নামায় একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেন। পরে ওই দুই প্রার্থী নাগরিকদের সামনে নিজের ও দলের পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি তুলে ধরেন।নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনগণের মুখোমুখি ওই অনুষ্ঠানে দুই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ছাড়া আরও বক্তব্য দেন সুজনের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি আক্কাস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কাদের প্রমুখ।বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের জন্য ধারাবাহিকভাবে বাংলা ২য় পত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।শব্দার্থ১৭। ‘ব্যর্থ’ শব্দের সঠিক বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. অনর্থ খ. সার্থকগ. পরার্থ ঘ. সার্থকসঠিক উত্তর: ঘ. সার্থক১৮। ‘অগ্রজ’ শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. গ্রহীতা খ. অগ্রগ. অনুজ ঘ. পশ্চাৎসঠিক উত্তর: গ. অনুজ১৯। ‘অন্তরঙ্গ’ শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. অভ্যাস খ. কুটিলগ. অন্তর ঘ. বহিরঙ্গসঠিক উত্তর: ঘ. বহিরঙ্গ২০। ‘অর্পণ’ শব্দটির বিপরীত শব্দ কী?ক. দাতা খ. প্রদানগ. গ্রহণ ঘ. গ্রহীতাসঠিক উত্তর: গ. গ্রহণ২১। ‘আগমন’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. চলে যাওয়া খ. আসাগ. যাওয়া ঘ. প্রস্থানসঠিক উত্তর: ঘ. প্রস্থান২২। ‘আরোহণ’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. নির্গমন খ. বিসর্জনগ. অবরোহণ ঘ. সংশেষণসঠিক উত্তর: গ. অবরোহণ২৩। ‘উন্নতি’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. অবনতি খ. রসাতলগ. অধঃপতন ঘ. অনুন্নতিসঠিক উত্তর: ক. অবনতি২৪। ‘উপচয়’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. সঞ্চয় খ. অনাচারগ. অপচয় ঘ. উপাচারসঠিক উত্তর: গ. অপচয়২৫। ‘ঐহিক’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. পারত্রিক খ. ইহলৌকিকগ. পরলোক ঘ. পারলৌকিকসঠিক উত্তর: ক. পারত্রিক২৬। ‘নিন্দা’ এর বিপরীত শব্দ কোনটিক. প্রশংসা খ. আনন্দিতগ. গর্ব ঘ. দুর্নামসঠিক উত্তর: ক. প্রশংসা২৭। ‘কৃষ্ণ’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. দুষ্ট খ. শিষ্ট গ. শুক্ল ঘ. ধবলসঠিক উত্তর: গ. শুক্ল২৮। ‘গৃহী’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. সন্ন্যাসী খ. বাহিরীগ. নিগৃহী ঘ. অগৃহীসঠিক উত্তর: ক. সন্ন্যাসী২৯। ‘চপল’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. ঠান্ডা খ. গম্ভীরগ. রাজভারী ঘ. সম্ভাবসঠিক উত্তর: খ. গম্ভীর৩০। ‘চতুর’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. চালাক খ. বোকাগ. সচেতন ঘ. দুরন্তসঠিক উত্তর: খ. বোকা৩১। ‘জড়’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. চেতন খ. ঘুমন্তগ. জঙ্গম ঘ. জাগ্রতসঠিক উত্তর: ক. চেতন৩২। ‘জঙ্গম’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. অস্থাবর খ. বহিরাঙ্গগ. স্থাবর ঘ. শান্তিসঠিক উত্তর: গ. স্থাবর৩৩। ‘ডুবন্ত’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. তলানো খ. ভাসন্তগ. উড়ন্ত ঘ. ভাসমানসঠিক উত্তর: খ. ভাসন্ত৩৪। ‘তিমির’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. অন্ধকার খ. অপচয়গ. সমুদয় ঘ. আলোকসঠিক উত্তর: ঘ. আলোক৩৫। ‘তিরোধান’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. জ্বলজ্বল খ. গোপনগ. আবির্ভাব ঘ. বিলম্বিতসঠিক উত্তর: গ. আবির্ভাব৩৬। ‘নির্ভীক’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. ভীরু খ. বোকাগ. ভীতু ঘ. ভয়ালসঠিক উত্তর: ক. ভীরু৩৭। ‘নীরস’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?ক. সরস খ. সবল গ.দুর্বল ঘ. রসালসঠিক উত্তর: ক. সরস।শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালমুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের আয় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে ১ শতাংশ বেড়েছে।রবির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।রবির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মাহতাবউদ্দিন আহমেদ তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল উপস্থাপন করে বলেন, তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে কম মূল্যে কল সেবা দেওয়ায় প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে।মাহতাবউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য নতুন অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে, যা কোম্পানির সার্বিক আর্থিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় আয় বৃদ্ধির হার কমেছে বলে মন্তব্যকরেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর প্রদানের পর মুনাফার পরিমাণ ছিল ১১০ কোটি টাকা, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ৩০ কোটি টাকা বেড়ে ১৪০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও ও সিএইচআরও মতিউল ইসলাম নওশাদ, সিআরএলের ইভিপি মাহমুদুর রহমানসহ অপারেটরটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ক থো প ক থ ন: তানিয়া আহমেদ। অভিনয়শিল্পী। মাঝেমধ্যে পরিচালনাও করেন। সেগুলো এক ঘণ্টার নাটক কিংবা টেলিছবি। এবারই প্রথম তিনি ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেছেন। নাম এ টিম। আজ প্রচারিত হবে চ্যানেল আইয়ে‘এ টিম’...ধারাবাহিকটির কাজ করেছিলাম বছর তিনেক আগে। বেশির ভাগ কাজ করেছি লন্ডনে। কিছু কাজ করেছি ঢাকায়। কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পী এই নাটকে অভিনয় করেছেন।ধারাবাহিক নাটক পরিচালনার অভিজ্ঞতা...এই অভিজ্ঞতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রথম যিনি নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন, তিনি যখন আমাকে তা দিলেন, তখন হাতে সময় আছে মাত্র সাত দিন। নাট্যরূপটি একেবারেই পছন্দ হলো না। পরে মাসুদ সেজানকে নাট্যরূপ দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিই। আমরা লন্ডনে যাওয়ার পর তিনি প্রতিদিন ১২টি দৃশ্য লিখে ফ্যাক্স করতেন। পরদিন আমরা তা দিয়ে শুটিং করতাম।স্বামী সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল যখন অভিনয়শিল্পী...টুটুল আমার সব কটি নাটক ও টেলিছবির সংগীত পরিচালনা করেছে। এ টিম নাটকে ও অভিনয় করেছে। নাটকে মোশাররফ করিম একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আর টুটুল জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী।আমাদের ছেলেমেয়ে...আমাদের তিন ছেলে—অনয় এ লেভেলে পড়ছে, শ্রেয়াস পড়ছে সেভেনে আর আরশ একেবারেই ছোট। আমাদের কিন্তু আরও দুটি মেয়ে আছে—আয়াত ও সামিয়া। ওদেরকে দত্তক নিয়েছি। আমাদের এখন পাঁচ ছেলেমেয়ে। সবাইকে নিয়ে আমাদের দারুণ সময় কাটছে।আমাদের স্কুল...এস আই টুটুল আর আমি মিলে উত্তরায় একটি স্কুল দিয়েছি। নাম ‘অল সেইন্টস’। ডে কেয়ার স্কুল। এখন মিউজিক ও আর্টও শেখানো হচ্ছে। টুটুল এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর আমি উপব্যবস্থাপনা পরিচালক।বিনোদন প্রতিবেদক |
কোরবানির ঈদের আর বেশি দেরি নেই। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে শুরু হবে কোরবানির পশুর বেচাকেনা। এই পশু বিক্রি করে অতি লাভের আশায় বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে পশু মোটাতাজাকরণ তৎপরতা। আর এ জন্য মিয়ানমার থেকে প্রচুর নিষিদ্ধ বলবর্ধক বড়ি আসছে দেশে। কক্সবাজারের টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন চোরাইপথে এসব নিষিদ্ধ বড়ি আনছেন স্থানীয় কিছু অসৎ ব্যবসায়ী। স্থানীয় ভাষায় এগুলোকে বলা হয় ‘পাম্পবড়ি’।চিকিৎসকেরা জানান, পশুকে নিষিদ্ধ পাম্পবড়ি খাইয়ে দ্রুত মোটাতাজা করা যায়। তবে এসব বড়ি মোটাতাজা হওয়া পশুর জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি এসব পশুর মাংসও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত ও টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারি প্রশাসনের লোকজনকে ফাঁকি দিয়ে অন্য পণ্যের ভেতরে লুকিয়ে পাম্পবড়ি নিয়ে আসছেন।টেকনাফ বার্মিজ মার্কেটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, টেকনাফ সদর, সাবরাং, বাহারছড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের পশু ব্যবসায়ীদের কাছে পাম্পবড়ির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সিপ্রোহেপটাডিন, ডেক্সামেথাসোন ও ডেক্সাভেট নামের প্রতি ১০০ বড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়।এসব বড়ি খাওয়ালে গরু-মহিষ ও ছাগল অল্প দিনের মধ্যে ফুলে মোটাতাজা হয়ে যায়। কোরবানির ঈদের পশুর বাজারে বেশি দাম পাওয়ার আশায় ব্যবসায়ীরা এই পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন।।স্থানীয় পশু ব্যবসায়ী নবী হোসেন জানান, আকারভেদে একেকটি পশুকে দিনে ১০-১৫টি পাম্পবড়ি খাওয়ানো যায়। এভাবে বড়ি খাওয়ানোর পর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পশু মোটাতাজা হয়। আবার কোনো কোনো সময় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পশু মারাও যায়। কোরবানির ঈদের আগে পশুগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও এ কে এম হুমায়ুন কবির জানান, বলবর্ধক এসব বড়ি খাওয়ানোর ফলে পশুর যকৃৎ ও কিডনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি জমে যায়। এই পানি স্বাভাবিকভাবে শরীর থেকে বের হতে না পারায় তা মাংসে সঞ্চারিত হয় এবং শরীর ফুলে যায়। বড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পশুগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। মোটাতাজা হওয়া পশুকে বড়ি খাওয়ানো বন্ধ করা হলে যেকোনো সময় তার মৃত্যু হতে পারে। চোরাইপথে আসা এই বড়ি ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, এই বড়ি খাওয়া পশুর মাংসও মানুষের জন্য ক্ষতিকর।জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে দু-এক দিনের মধ্যে উপজেলার হাটবাজারে অভিযান চালানো হবে।বাংলাদেশে ব্যবসা করা আগের চেয়ে একটু সহজ হয়েছে। বিশেষ করে নতুন ব্যবসা খুলতে গেলে যে রকম ঝামেলা-প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হতো, এক বছরের ব্যবধানে তাতে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন-আইএফসি) ‘সহজে ব্যবসা করার সূচক-২০১৪’ প্রকাশ করেছে গতকাল সোমবার। সারা বিশ্বে একযোগে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে।এতে দেখা যায়, ২০১৩ সালের বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩২তম। ২০১৪ সালের সূচকে তা হয়েছে ১৩০তম। অর্থাৎ বিশ্বের ১৮৯ দেশের মধ্যে সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম। এটি অবশ্য ২০১২ সালের জুন থেকে ২০১৩ সালের মে পর্যন্ত সময়কালের।প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করার আনুষঙ্গিক পরিবেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। ব্যবসার পরিবেশকে ১০টি বৃহত্তর নির্দেশিকা বা বিষয়ে বিন্যস্ত করে সেগুলোর অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তারপর তা সূচকে রূপান্তর করা হয়েছে। এসব উপসূচককে সমন্বিত করে মূল সূচক নির্ণীত হয়েছে। তারপর বিভিন্ন দেশের অবস্থানক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে।আবার এই সূচক এখন নতুন পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হচ্ছে। তাই ২০১৩ সালের সূচক সমন্বয় করা হয়েছে। পুরোনো পদ্ধতিতে ২০১৩ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৯তম। নতুন পদ্ধতিতে এর আগের বছরগুলোয় এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আর নির্ণয় করে দেখানো হয়নি।আইএফসির এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের উল্লেখযোগ্য সংস্কার সম্পন্ন করায় সার্বিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। উপসূচকগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে অর্থাৎ ব্যবসা শুরুর উপসূচকে বাংলাদেশ গত বছরের ৮৩তম অবস্থান থেকে ৯ ধাপ এগিয়ে ৭৪তম অবস্থানে উঠে এসেছে। গড়ে নতুন ব্যবসা শুরুর জন্য সাতটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাড়ে ১০ দিন সময় লাগে।এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যবসা নিবন্ধন, বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজকরণ ও স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংস্কার সাধন করেছে। এর ফলে ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং কর ও মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধনের সময় কমেছে।বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক জোহানেস জাট বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসা শুরুর কাজটি যে সহজ করা হয়েছে, তা খুবই উৎসাহজনক। তবে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে বিনিয়োগ পরিবেশের আরও উন্নতি করতে হবে এবং উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে হবে।ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হলেও বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ার কাজটি এখনো বাংলাদেশে সবচেয়ে কঠিন। ১৮৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম তালিকার সর্বশেষে। এখানে বিদ্যুৎ-সংযোগ পেতে অন্তত নয়টি পর্যায়ক্রম সম্পন্ন করতে হয়। আর গড়ে সময় লাগে ৪০৪ দিন। গতবারও একই অবস্থা ছিল।ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। গতবারের ৮২তম অবস্থান থেকে এবার নেমে যেতে হয়েছে ৮৬তম অবস্থানে।প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এবারও পঞ্চম। বাংলাদেশের পরে আছে ভারত, ভুটান ও আফগানিস্তান। ভারতের অবস্থান ১৩৪তম। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৮৫তম, যা এই অঞ্চলের মধ্যে শীর্ষে।দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ সমন্বিতভাবে ৭৫টি সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে ভারত করেছে সর্বোচ্চ ১৭টি। এরপর শ্রীলঙ্কা করেছে ১৬টি।সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে এখনো বিশ্বে সবচেয়ে ভালো দেশ হলো সিঙ্গাপুর। এরপর যথাক্রমে হংকং ও নিউজিল্যান্ডের অবস্থান। চতুর্থ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র আর পঞ্চম স্থানে ডেনমার্ক। এ পর্যন্ত গতবারের অবস্থানই অটুট। তবে এবার যুক্তরাজ্যকে হটিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে মালয়েশিয়া। সপ্তম স্থান অক্ষুণ্ন দক্ষিণ কোরিয়ার। এরপর যথাক্রমে জর্জিয়া, নরওয়ে ও যুক্তরাজ্য।তথ্য ও বিনোদনগিটার নেভার লাইজসাজ্জাদ আরেফিনের গিটার গাইডেন্স [রাত ১১.২০-২.০০]হাওয়া বদলকথাবন্ধু শারমীন ও ড. মাহবুব পিয়ালের সঙ্গে[বেলা তিনটা-সন্ধ্যা ছয়টা]এবিসি খবর[সকাল ০৮.০০-রাত ১২.০০ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায়]আগের তিনটি মৌসুমে নারীর মাথাতেই উঠেছে মুকুটটি। এবারও তাই হলো। জনপ্রিয় রিয়েলিটি অনুষ্ঠান ‘বিগ বস’ জিতলেন একজন নারীই। তানিশা মুখার্জিকে হারিয়ে ‘বিগ বস সেভেন’ জিতেছেন গওহর খান। ১০৪ দিন ধরে টিকে থেকে ট্রফির পাশাপাশি ৫০ লাখ রুপিও পেয়েছেন তিনি।রিয়েলিটি শো চলার সময়ই সতীর্থ প্রতিযোগী কুশল ট্যান্ডনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে আলোচনার জন্ম নেওয়া গওহর তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। আমি নিজেও এই অনুষ্ঠানের বড় ভক্ত। ভাবিইনি এতদূর আসতে পারব।’চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও সততা আর শান্ত স্বভাবের কারণে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন তানিশা। তিনি বলেন, ‘আমি এতটা ভালোবাসা পাব ভাবিনি। এটা অবিশ্বাস্য একটা অভিজ্ঞতা ছিল।’চূড়ান্ত পর্বে শেষ চারজন প্রতিযোগী হিসেবে গওহর ও তানিশার পাশাপাশি সংগ্রাম সিং আর আজাজ খানও ছিলেন। প্রথমে সংগ্রাম, এরপর আজাজ বেরিয়ে এলে লড়াইটা প্রথম দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত জেতেন গওহরই। পিটিআই। |
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ফরাসি ভাষার নতুন সেশন ৫ অক্টোবর শুরুচট্টগ্রাম আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ফরাসি ভাষার নতুন সেশন আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। ভর্তির জন্য ৪ অক্টোবর শুক্রবারও অফিস খোলা থাকবে। কোর্সের সময়কাল তিন মাস। সুবিধামতো সময়সূচি থাকবে চাকরিজীবীদের জন্য।সেশন চলাকালে একজন সদস্যের জন্য নির্ধারিত সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন অংশগ্রহণকারীরা। যেমন তথ্যকেন্দ্রের সুবিধা (বই, হাস্যরসাত্মক ছবি ও সিডি), কফি হাউস ও সাপ্তাহিক ফরাসি ছবি দেখার সুযোগ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে অডিও ও ভিডিও পদ্ধতিতে ক্লাসগুলো পরিচালিত হয়। বিস্তারিত জানার জন্য ফোন: ০৩১-৬১৫৭৪০। বিজ্ঞপ্তি।আলকরণ জামে মসজিদ রক্ষায় গণ-অবস্থান কর্মসূচিআলকরণ জামে মসজিদ রক্ষায় মুসল্লি পরিষদের গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেছেন, মসজিদের জায়গায় মসজিদ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। আমরা ইমানি দায়িত্বে এই আন্দোলন করছি। কর্তৃপক্ষ মসজিদের মতো পবিত্র স্থানকে নিয়ে বাণিজ্যিকীকরণ করছে। বক্তারা দ্রুত মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।২১ সেপ্টেম্বর মসজিদ প্রাঙ্গণে গণ-অবস্থান কর্মসূচি এম এ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আবু বকর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন তারেক সোলায়মান, সোলায়মান আলম শেঠ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিদারুল রহমান, মঞ্জুর মোর্শেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন, গোলাম কিবরিয়া, মাহবুবুল হক, জাহেদুল হক, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, মোহাম্মদ রবিউল হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম, আরিফুল হক ফরহাদ প্রমুখ।কর্মসূচিতে জানানো হয় আলকরণ জামে মসজিদ রক্ষায় আজ ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গণস্বাক্ষর সংগ্রহ চলবে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় আলকরণ গোলচত্বরে গণজমায়েত এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি।এইচ এইচ ফাউন্ডেশনের শেয়ারহোল্ডারদের মতবিনিময় সভাচট্টগ্রামে শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান এইচ এইচ ফাউন্ডেশনের শেয়ারহোল্ডারদের মতবিনিময় সভা সম্প্রতি নগরের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সেইভ অ্যান্ড সেইফ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফখরুল আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।বক্তব্য দেন বান্দরবান জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুল হক চৌধুরী, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম, এইচ এইচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, শেয়ারহোল্ডার নেয়াজুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসাইন চৌধুরী, তাহমিনা খানম, আবু বক্কর সিদ্দিক, কামাল উদ্দিন, রাজীবুল হক চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।‘জাকাতের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হতে পারে’বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান বলেছেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যক্তির প্রয়োজনের অতিরিক্ত সমুদয় সম্পদে বঞ্চিত মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই যুগে যুগে সুফি দরবেশরা তাঁদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বিত্তহীনদের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছেন। জাকাত গরিবের অধিকার, এটা ধনীদের করুণা নয়।১৪ সেপ্টেম্বর রাউজান ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডা. মুহাম্মদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ জাফর, সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, বাঁশখালী ছনুয়া আমেনা খাতুন ইসলামি কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান সাইফুল কাদের, ডা. সঞ্জয় দাশ ও ডা. মহিউদ্দিন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মুহাম্মদ মহসীন চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গোলাম মোহাম্মদ, মুহাম্মদ জাহেদুল আলম, মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা, রিদুয়ান চৌধুরী, জাহেদুল আনোয়ার, ছমিউদ্দীন, মো. জসিম উদ্দীন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।ফটিকছড়ি সম্প্রযুগ পাঠাগার পরিদর্শনে লায়ন্স গভর্নরলায়ন্স ক্লাব গভর্নর এস এম শামসুদ্দীন সম্প্রতি ফটিকছড়ির সামাজিক সংগঠন সম্প্রযুগের (সমমনা প্রগতিশীল যুব গোষ্ঠী) পাঠাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিজিয়ন চেয়ারপারসন শওকত হাসান খান, মো. জাহাঙ্গীর মিয়া, কামরুজ্জামান, একরামুল হক ভূঁইয়া, মোহাম্মদ জানে আলম, মো. ওসমান গণি, কর্ণফুলী লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি জহির উদ্দীন আহম্মদ, সম্প্রযুগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক রিয়াদ উদ্দীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, পাঠাগার সম্পাদক চৌধুরী রায়হান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক লোকমান বাদশা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।কারাতে বেল্ট পেল ফুলকির ৫৪ শিক্ষার্থীফুলকির কারাতে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় আবর্তন শেষে ২২ সেপ্টেম্বর বেল্ট প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ৫৪ জন কারাতে শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মানের কারাতে বেল্ট দেওয়া হয়।ফুলকিতে অনুষ্ঠিত বেল্ট প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রশিক্ষক শিহান রতন তালুকদার, ফুলকির অধ্যক্ষা শীলা মোমেন ও কারাতে প্রশিক্ষকেরা।অনুষ্ঠানে ৫৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন জনকে ব্লু বেল্ট, চার জনকে গ্রিন বেল্ট, পাঁচজনকে অরেঞ্জ বেল্ট, ১৩ জনকে অরেঞ্জ ইন্টার বেল্ট, চারজনকে ইয়োলো বেল্ট, ১৪ জনকে ইয়োলো ইন্টার বেল্ট ও ১১ জনকে রেড বেল্ট দেওয়া হয়।উল্লেখ্য, হোনকে সোতোকান কারাতে দো অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ফুলকিতে শিশু কিশোর শিক্ষার্থীদের এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে কারাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি।তৃণমূলে মানুষের সংস্কৃতি চর্চায় সহযোগিতার আশ্বাস জার্মান রাষ্ট্রদূতেরবাংলাদেশের জার্মান রাষ্ট্রদূত এলভিট কোনসে ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর থিয়েটার আর্টস (বিটা)-এর পটিয়ায় অবস্থিত কার্যালয় পরিদর্শন করেন। কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর তৃণমূল শিল্পীদের একটি দল ঢোল বাজিয়ে অতিথিদের স্বাগত জানান।জার্মান রাষ্ট্রদূত এই সময় বিটার থিয়েটার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসোর্স সেন্টারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এরপর অতিথিদের সম্মানে বিটার তৃণমূল শিল্পীরা মারমা লোকনৃত্য, পাপেট প্রদর্শনী ও নাটক পরিবেশন করেন।রাষ্ট্রদূত তৃণমূল মানুষের সংস্কৃতি চর্চা ও বিটার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিটার নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত, পরিচালক মৌসুমী চৌধুরী, কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি কমল সেনগুপ্ত, সদস্য আব্দুস সালাম ও বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা।নতুন নামে শীতলপুর স্টিলরি-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শীতলপুর স্টিল কোম্পানি এখন থেকে এসএএসএম বা শীতলপুর অটো স্টিল মিলস লিমিটেড হিসেবে পরিচিত হবে। এই উপলক্ষে বাজারে কোম্পানিটি নতুন ৫০০ স্টিল বার বাজারে ছেড়েছে । ২৫ সেপ্টেম্বর বন্দরনগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে কোম্পানিটি এই ঘোষণা দেয়। সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধিরা।সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, শীতলপুর স্টিল গত ৫০ বছর ইস্পাত উৎপাদন করে আসছে। এবার সময় এসেছে শীতলপুরকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার।সংবাদ সম্মেলনে সাংসদ এবিএম আবুল কাশেম, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেফজাতুর রহমান, কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ জান-এ-আলম, মোহাম্মদ হোসেইন ও মাহবুব আলম । বিজ্ঞপ্তি।উইমেন চেম্বারের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠাননারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিলে এবং তাদের ক্ষমতায়ন হলে দেশের বিকাশমান অর্থনীতি আরও বেগবান হবে। ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে চিটাগাং উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান।ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন ও সেবা লিমিটেডের সহযোগিতায় হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কামরুন মালেক। বক্তব্য দেন চিটাগাং উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট বিলকিস ইকবাল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আইভি হাসান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত ১৫টি প্রশিক্ষণ কোর্সের ৩৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।অবিদ্যামুক্ত বৌদ্ধ চিন্তা গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানবিভুল কুমার চৌধুরীর অবিদ্যামুক্ত বৌদ্ধ চিন্তা গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষাবিদ সলিল বিহারী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ড. বেনু প্রসাদ বড়ুয়া।প্রকাশনা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুপ্রতিম বড়ুয়ার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ড. সংঘপ্রিয় মহাথের। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক রাশেদ রউফ, সত্যব্রত বড়ুয়া, অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়া। আলোচক ছিলেন অধ্যাপক শিমুল বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ডা. প্রভাব চন্দ্র বড়ুয়া ও বিশ্বজিত বড়ুয়া। অ্যাডভোকেট জিকো বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও অন্য অতিথিরা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। বিজ্ঞপ্তি।ইডিইউ পরিদর্শন করলেন অলিয়ঁস ফ্রঁসেজের পরিচালকঅলিয়ঁস ফ্রঁসেজের পরিচালক রাফায়েল জায়গার ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) প্রবর্তক সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁকে শুভেচ্ছা জানান ইডিইউর উপাচার্য মোহাম্মদ সিকান্দার খান।রাফায়েল জায়গার পরে ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এতে অংশ নেন ইডিইউর ডিন মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসার, সহকারী অধ্যাপক শাহ আহমেদ রিপন, প্রভাষক সারজিদা ইয়াসমিন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের উপপরিচালক গুরুপদ চক্রবর্তী প্রমুখ।মতবিনিময়কালে রাফায়েল জায়গার ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির পাঠদানপদ্ধতি, শ্রেণীকক্ষের পর্যাপ্ততা, ই-লাইব্রেরি, উন্নত ল্যাব সুবিধা, গরিব মেধাবী ছাত্রদের পড়ার সুযোগ দানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ সিদান্দার খান বলেন, ‘প্রতিযোগিতার বাজারে বিবিএ, এমবিএ, ইংরেজি, অর্থনীতি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে পাঠদান করছে ইডিইউ। ভবিষ্যতে আরও নতুন বিষয় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। বিজ্ঞপ্তি।এ কে খান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদলের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনএ কে খান ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাইরিন শ্যামা ইসলাম ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার।প্রতিনিধিদল হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। এরপর শাইরিন শ্যামা ইসলাম হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট এ এস এম ফজলুল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।উল্লেখ্য, এ কে খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু আছে। প্রতিনিধিদল হাসপাতালে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য অবকাঠামো নির্মাণসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। বিজ্ঞপ্তি।জেলা আইনজীবী বিজয়া সম্মেলন পরিষদের কমিটি গঠনচট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী বিজয়া সম্মেলন পরিষদের বার্ষিক সম্মেলন ২৩ সেপ্টেম্বর সংগঠনের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সমন্বয়কারী দুলাল দেবনাথের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। আইনজীবী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি চন্দন দাশ, অ্যাডভোকেট মৃদুল কান্তি দে, অজিত নারায়ণ অধিকারী, রতন কুমার রায়, শম্ভু নন্দী, পরিমল বসাক, উমাপদ তালুকদার, উত্তম দত্ত প্রমুখ।সভায় ২০১৩-১৪ সালের জন্য বিজয়া সম্মেলন পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে অ্যাডভোকেট তুষার সিংহ হাজারীকে সভাপতি, চন্দন বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক ও নিখিল কুমার নাথকে সমন্বয়কারী মনোনীত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নপৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নারী জনপ্রতিনিধি এবং জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের নির্বাচন ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ নিকোনো দেশের যদি সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন করতে হয়, তাহলে অবশ্যই গ্রামীণ পর্যায়ের উন্নয়ন সবার আগে দরকার। আমাদের দেশের গ্রামগুলো শহরের তুলনায় সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য গ্রাম পর্যায়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন। কারণ, একজন সুদক্ষ ও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি ছাড়া শুধু তাঁর গ্রাম নয়, বরং আশপাশের গ্রামও উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। এ বছরের ৩১ আগস্ট প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত ‘১৭৫ নারী ও একজন সাদেকা’ বিশেষ প্রতিবেদনটি পড়ে অভিভূত হয়েছি। একজন নারী কীভাবে নিজের কল্যাণের পাশাপাশি অন্য নারীদের কল্যাণ করতে পারেন, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন সাদেকা আক্তার। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নারীরা এখন সাদেকা আক্তারের নেতৃত্বে নিজের জন্য শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামের নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথও তিনি দেখিয়েছেন। প্রায় দেড় শ গৃহবধূ স্বাবলম্বী হয়েছেন তাঁর মাধ্যমে। তিনি নারীদের নিয়ে একটি সমিতি করেছেন। এই সমিতির মাধ্যমে শাড়িতে নকশার কাজ ছাড়াও মাছ, সবজি, কলা, আদা চাষ করা হচ্ছে। সমিতিতে ‘মা দল’ তৈরি করেছেন। এই দল জন্মনিয়ন্ত্রণ, শিশুদের টিকা সম্পর্কে ধারণা দেন। এ ছাড়া এই দল বহু বিয়ে ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া এই সমিতির অধীনে একটি শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। সাদেকার স্বপ্ন আরও সুদূরপ্রসারী। তিনি স্বপ্ন দেখেন নারীদের জীবনে দুঃখ মোচন করা এবং শাড়িতে নকশার কাজে অন্য গ্রামের নারীদের যুক্ত করা। পুরো উপজেলার নারীদের সংগঠিত করে সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার। সাদেকার মতো এ দেশের অন্য প্রতিষ্ঠিত নারীরা যদি এভাবে এগিয়ে আসেন, তাহলে অবশ্যই এ দেশের গ্রামীণ উন্নয়ন সম্ভব। বিশেষ করে শহরের প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষিত নারীরা যদি নিজ গ্রামে গিয়ে অন্য নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন এবং সক্রিয় কাজে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে এ দেশ ঘুরে যেতে বাধ্য।আমরা চাই, সাদেকার এসব দৃষ্টান্ত অন্য নারীরাও অনুসরণ করবেন এবং নিজের ও অন্যের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট হবেন।মো. আরিফুর রহমানসাধারণ বীমা করপোরেশন।১৯৮০ সালের ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালের এদিন সারা দেশের নাট্যকর্মীদের মানুষ, সমাজ, দেশ ও শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে নাটকের সামগ্রিক দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজনেই গঠিত হয়েছিল সংগঠনটি। এ বছর ৩৩ বছরে পদার্পণ করবে সংগঠনটি।বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংকট আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কী প্রভাব ফেলতে পারে, কীভাবে দেশে একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসতে পারে, সে বিষয়ে প্রথম আলো মুখোমুখি হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ফারুক চৌধুরীপ্রথম আলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে কি বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল?ফারুক চৌধুরী আমি তো মনে করি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যে অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, এতটা নিচে আর কখনো নামেনি। ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমি কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য দেশের বাইরে ছিলাম। বিদেশে বসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ওঠানামা লক্ষ করেছি। অনেকটা শ্রাবণের মেঘের মতো। কিন্তু এবার যা হলো, সম্ভবত আর কখনোই তা হয়নি।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ছিল এক বিস্ময়। আমাদের স্বাধীনতার দুটি মাইলফলক ঘটনা আছে—২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। পৃথিবীর আর কোনো দেশের বিজয় দিবস নেই। অর্থাৎ, আমরা একটি দখলদার বিদেশি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। সেই দ্বিমেরু বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম বিশ্বসম্প্রদায়ের ব্যাপক সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল। ভারত বা তৎকালীন সোভিয়েত শিবির তো আমাদের সাহায্য করেছেই, কিন্তু যে পশ্চিমা বিশ্ব পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমর্থন করেনি; সেসব দেশের জনগণ নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে।প্রথম আলো গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হলো সুষ্ঠু নির্বাচন ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। গত ৪২ বছরেও আমরা সেটি করতে পারলাম না কেন?ফারুক চৌধুরী এটি রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা। তাঁরা ঠিক করতে পারেননি নির্বাচনটি কীভাবে করবেন। আমাদের রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা দখলের। ক্ষমতায় আসা মানে রাজনীতিবিদদের কাছে শুধু সরকার গঠন নয়; যা খুশি তাই করা। সরকারপ্রধানেরা হয়ে ওঠেন আইনকানুনের ঊর্ধ্বে। তাঁরা কাউকেই পরোয়া করেন না। দেশের বর্তমান সংকটের মূলেও এই মানসিকতা কাজ করেছে।প্রথম আলো বিশ্বের যেসব রাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তারাও তো একসময় সামরিক শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে?ফারুক চৌধুরী নিশ্চয়ই দিয়েছে। পাকিস্তানে, ফিলিপাইনে, ইরানেও তারা স্বৈরশাসকদের মদদ জুগিয়েছে। এ কারণেই আমি বলব, আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। এই যে কূটনীতিক দেবযানীকে নিয়ে ভারত আমেরিকার সঙ্গে একটি অবস্থান নিতে পেরেছে, তা তার নিজের সামর্থ্যবলেই। একই সঙ্গে এ নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক ঐকমত্যও এই অবস্থান নিতে সহায়তা করেছে।প্রথম আলো ভারত প্রথম দিকে শক্ত অবস্থান নিলেও পরে মনে হয় কিছুটা সরে এসেছে, নমনীয় হয়েছে।ফারুক চৌধুরী দুটি দেশের অর্থনৈতিক শক্তিও কিন্তু এক নয়। অধিকতর শক্তিধরের বিরুদ্ধে লড়তে নানা হিসাব-নিকাশ করতে হয়। কিন্তু যেটুকু তারা নিতে পেরেছে, সেটি জাতীয় ঐকমত্যের কারণেই। আর আমাদের এখানে ঠিক তার বিপরীতটি ঘটেছে।প্রথম আলো কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার বিষয়ে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে নেওয়া প্রস্তাবকে কীভাবে দেখছেন?ফারুক চৌধুরী এটি তাদের চরম নির্বুদ্ধিতা। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের বলার কিছু নেই। এর মাধ্যমে পাকিস্তান আবারও প্রমাণ করল, তারা একাত্তরের দৃষ্টিভঙ্গিতেই আচ্ছন্ন। কাদের মোল্লাকে তারা তাদের লোক বলে দাবি করেছে। এটাই হলো পাকিস্তানি মানসিকতা। আর ইমরান খানের রাজনীতি হলো তালেবানি রাজনীতি। তবে পাকিস্তানে এর প্রতিবাদও হয়েছে।প্রথম আলো কিন্তু এ নিয়ে বাংলাদেশে যে পাল্টাপাল্টি রাজনীতি হচ্ছে?ফারুক চৌধুরী যেখানে জাতীয় মর্যাদার প্রশ্ন, সেখানে পাল্টাপাল্টি মোটেই কাম্য নয়। কিন্তু কোনো কোনো মহল থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের যে দাবি করা হয়েছে। আমি মনে করি, সেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। তবে পাকিস্তানের অন্যায়ের প্রতিবাদ আমরা অবশ্যই করব।প্রথম আলো পাকিস্তানের ব্যাপারে আমরা যতটা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি, তুরস্কের ব্যাপারে সেটি দেখাতে পারিনি। তারা আরও নগ্নভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারে হস্তক্ষেপ করেছে। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা হয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা নীরব থেকেছি।ফারুক চৌধুরী আমি মনে করি তুরস্কের ব্যাপারে আমাদের নমনীয় থাকার কোনো কারণ নেই। সব ক্ষেত্রেই ভারসাম্য থাকা উচিত।প্রথম আলো ৪০ বছর পর আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছি। এ ব্যাপারে বহির্বিশ্বে নানা অপপ্রচারও চলছে। এসব বন্ধে এবং বিচারের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে সরকারের যা যা করণীয় ছিল তা কি তারা করতে পেরেছে?ফারুক চৌধুরী সরকার করতে পারেনি। আমি বলব, এটি কূটনৈতিক দুর্বলতা।প্রথম আলো বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে, তার পেছনে দুটি ঘটনা কাজ করছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার ও নির্বাচন।ফারুক চৌধুরী দুটি আলাদা বিষয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। যে বিচার শুরু হয়েছে, তা শেষ করতে হবে। কিন্তু সরকার ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে ফেললে তার ফল খুব নেতিবাচক হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, তার বিশ্বাসযোগ্যতাও থাকবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বলতেন, দুই পক্ষের ঝগড়ায় কে হারবে, কে জিতবে—সেটি বড় কথা নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো, মানুষের ওপর এর প্রতিক্রিয়া কী হবে?ইকোনমিস্ট-এর সঙ্গে আমি একমত নই যে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলে বাংলাদেশ হারবে। বাংলাদেশ হারবে না। আমি বলব, বাংলাদেশ একটি কালো অধ্যায় অতিক্রম করছে। এমনকি পুরোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগও কিন্তু কঠিন সময়ের মুখোমুখি। কীভাবে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে, সেটাই দেখার বিষয়।প্রথম আলো এ অবস্থার জন্য বিরোধী দলেরও কি দায় নেই?ফারুক চৌধুরী অবশ্যই দায় আছে। বিরোধী দলের যে দায়িত্ব, তা কি তারা গত পাঁচ বছরে পালন করতে পারেনি? তারা সংসদে গরহাজির থেকেছে। বিএনপি এখন বসে বসে বিবৃতি দেয় এবং তাদের একটি কর্মসূচি পালনের জন্য আরেকটি বাহু আছে, তার নাম জামায়াত-শিবির। তারা দেশের ভয়াবহ ক্ষতি করেছে, তারা মানুষ মেরেছে, সরকারি স্থাপনায় হামলা করছে, পরিবহনব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। এগুলো আন্দোলন নয়, সন্ত্রাস। আর জামায়াত-শিবিরই তা করতে পারে। কেননা, দেশের প্রতি তাদের দরদ নেই। থাইল্যান্ডেও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। সেখানে তো সরকারি কোনো স্থাপনায় হামলা হচ্ছে না।প্রথম আলো বিরোধী দলের অভিযোগ, সরকার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে বলেই তারা এসব করতে বাধ্য হচ্ছে।ফারুক চৌধুরী বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে জামায়াত-শিবিরকে দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে হবে। শান্তিপূর্ণ উপায়েই তারা সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে পারে।তবে আবারও ম্যান্ডেলার কথায় ফিরে যেতে হয়। ১৯৯৭ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন, ‘আমি দেশের প্রেসিডেন্ট। অতএব দেশটিতে যা কিছু ঘটুক না কেন, তার দায় আমাকেই নিতে হবে।’ বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদেরও আমি সে কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।দেশে বর্তমানে জনজীবনে যে দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব তার দায় এড়াতে পারে না। দুই দলে মুষ্টিমেয় লোক রাজনীতি করেন। আর সেই রাজনীতির জন্য গোটা দেশের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।প্রথম আলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের বন্ধু ও উন্নয়ন-সহযোগী রাষ্ট্রগুলো বলা যায় মুখোমুখি অবস্থানে। এর কারণ কী?ফারুক চৌধুরী আমার মতে, কোনো রাষ্ট্রই স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু নয়। সবাই নিজের স্বার্থ দেখবে। প্রশ্ন হলো, আমরা আমাদের স্বার্থ কতটা দেখছি।প্রথম আলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। আরও কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে?ফারুক চৌধুরী হ্যাঁ, তারা অবরোধ আরোপ করতে পারে। যেমন, অনেক দেশে করেছে। জিএসপি সুবিধা বাতিলও একধরনের অবরোধ। কিন্তু বাংলাদেশে চূড়ান্ত অবরোধ আরোপ করার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়েছে বলে মনে করি না।প্রথম আলো যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা জাতিসংঘ যদি শেষ পর্যন্ত কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলাদেশ কি তা বহন করতে পারবে?ফারুক চৌধুরী বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতির ওপর মারাত্মক চাপ পড়বে। আমাদের রপ্তানি কমবে, বিনিয়োগ কমলে মানুষের কর্মসংস্থানও কমবে, বেকারত্ব বাড়বে। ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশের পক্ষে এসব দায় বহন করা কঠিন হবে। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ যে সুনাম অর্জন করেছিল, তা ধুলায় মিশে যাবে।প্রথম আলো আপনাকে ধন্যবাদ।ফারুক চৌধুরী ধন্যবাদ।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান ও রাহীদ এজাজ |
‘বাবা আবদুস ছমদ ছিলেন পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের কর্মকর্তা। ১৯৬১ সালে তিনি চকবাজার এলাকা থেকে একটি জায়গা কেনেন প্রতিবেশী এক ব্যক্তির কাছ থেকে। কিছুদিনের মধ্যে ওই জায়গা নিয়ে চট্টগ্রাম প্রথম সাবজজ আদালতে একটি গোলাভাগের মামলা (বন্টন মামলা) করেন অপর এক ব্যক্তি। আমি তখন ছোট। বাবাই মামলা চালাতেন।‘ইতিমধ্যে আমি বড় হয়ে চাকরি শেষে ১৯৮৭ সালে অবসরে এসেছি। এদিকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আদালত ভবনে দলিলপত্র নষ্ট হয়ে যায়। হাতে থাকা কিছু নকল কপির ভিত্তিতে স্বাধীনতার পর মামলাটি চালু হয় নতুন করে। মামলা চালানোর একপর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বাবা। ৯২ সালে তিনি মারা যান। এ অবস্থায় ছয় ভাইবোনের মধ্যে বড় হিসেবে মামলা চালানোর ভার পড়ে আমার কাঁধে। সেই থেকে মামলার বোঝা বইতে বইতে এখন আমিও ক্লান্ত। জীবদ্দশায় এর কুল-কিনারা হবে কি না, আল্লাহই জানেন।’৫২ বছর ধরে চলা এই মামলার উত্তরাধিকার সূত্রে বহনকারী ভদ্রলোকের নাম আজমল হোসেন। নগরের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা। মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। কথা বলতে কণ্ঠ জড়িয়ে আসছিল তাঁর।১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম আইনজীবী ভবনে মামলাজটের কারণে ভোগান্তি নিয়ে কথা হচ্ছিল আইনজীবী দিদারুল আলমের সঙ্গে। এ সময় তাঁর কক্ষে ক্রাচে ভর দিয়ে ষাটোর্ধ্ব আজমলকে ঢুকতে দেখে দিদারুল আলম বলেন, এই যে দেখছেন লোকটা, ৫২ বছর আগের একটি মামলা নিয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন বছরের পর বছর। তাঁর কাছেই জানতে পারবেন মামলায় ভোগান্তি কাকে বলে!আজমল হোসেন আরও জানান, ইতিমধ্যে মামলার আইনজীবীদের মধ্যে তিনজন—সালেহ আহমদ, আনোয়ারুল কবির চৌধুরী ও বজল আহমদ মারা গেছেন। বছর তিনেক আগে আদালতে আসার সময় অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি। মামলা চালাতে গিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের আইনজীবীর ফি, বিভিন্ন নথির সই মুহুরি নকল সংগ্রহ, যাতায়াত, খাবার ও আনুষঙ্গিক খাতে ইতিমধ্যে ৫০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়ে গেছে। সময় তো গেছেই। মামলায় জিতে জায়গা পেলেও জায়গার দামে খরচ উঠে আসবে কি না সন্দেহ।অনুসন্ধানে জানা গেছে, আজমল হোসেনের মতোই ২৭ বছর ধরে মামলাজটে ঘুরপাক খাচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদ, ২৬ বছর ধরে পটিয়ার গোবিন্দার খিলের আবু ছিদ্দিকসহ হাজারো মানুষ।নিষ্পত্তির অপেক্ষায় দেড় লাখ মামলা: চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে মামলাজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন হাজারো বিচারপ্রার্থী মামলা নিষ্পত্তির আশায় আদালত ভবনে এসে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। অনেকে মামলা পরিচালনা, আদালতে আসা-যাওয়া ও বোর্ডিংয়ে থাকা-খাওয়ার খরচ জোগাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ৪০-৫০ বছর ধরে মামলা চলাকালে বাদী-বিবাদী কিংবা আইনজীবী মারা গেলেও মামলার অগ্রগতি হয় না এমন নজিরও পাওয়া গেছে।জেলা ও দায়রা জজ আদালত: আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আওতাধীন দেওয়ানি আদালতগুলোতে মামলাজট অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত নগরসহ জেলার বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার ৪৭৯। এ বছর জুলাই পর্যন্ত এ সংখ্যা এক লাখ এক হাজার ৬৩৬-এ দাঁড়িয়েছে।নগরের বাইরে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ১৫ হাজারের বেশি মামলা রয়েছে পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।অন্যদিকে, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আওতায় গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল চার হাজার ৯৪১টি। এ বছর ৩১ জুলাই পর্যন্ত তা বেড়ে পাঁচ হাজার ২২৫টিতে দাঁড়িয়েছে।মহানগর দায়রা জজ আদালত: মহানগর দায়রা জজ আদালতের আওতায় মোট ১৩টি আদালতে গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৬৮৩। এ বছর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা ১৭ হাজার ৬২২টিতে উন্নীত হয়েছে।সিএমএম আদালত: সূত্র জানায়, সিএমএম (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত) আদালতের আওতাধীন ছয়টি আদালতেও মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এসব আদালতে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৫১৮। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ২৭৬-এ।সন্ধ্যা৬-১০ ১ ২ ৩ সিসিমপুর।৬-৩৫ মাটি ও মানুষ।৭-০০ বনফুলের গান।৭-২৫ ম্যাকগাইভার।৮-৪০ শেষ বিকেলের পানকৌড়ি।৯-০৫ নিঃসঙ্গ পানকৌড়ি।৯-৩০ আঙিনায় জোছনাতে।১০-২৫ গান চিরদিন।এটিএন বাংলাসন্ধ্যা৬-১৫ কথামালা।৮-০০ প্রজ্ঞা পারমিতা।৮-৪০ ঠিকানা জানা নেই।৯-২০ কালান্তর।১০-৫৫ বিবেকের কাছে প্রশ্ন।১১-৩০ ট্রাম্পকার্ড। চ্যানেল আইবেলা৩-০৫ ডিজিটাল আকাশ।৫-৩০ চলচ্চিত্র তারকাদের নিয়ে।৬-০০ নবরত্ন।৬-২০ দেশ-বিদেশে রান্না।৭-৫০ ১৯৭১ সেই সব দিনগুলো।৯-৩৫ অ্যাডাল্ট হুড।১১-৩০ খোলা আকাশ।একুশে টিভিসন্ধ্যা৬-৩০ লাইফ টু দ্য ফুলেস্ট।৭-৫০ কুজিন নেভিগেটর।৮-২০ চার কন্যা।৯-৩০ সংসার সীমান্তে।১০-১০ একুশের সংলাপ।এনটিভিসন্ধ্যা৬-৪৫ পাস্ট প্রেজেন্ট ফিউচার।৮-১৫ ফ্যামিলি ফিস্ট।৯-০০ যে গান গৌরবে বহমান।৯-৪৫ নীল রঙের গল্প।১১-৩০শান্তিনিলয়।দেশ টিভিবেলা৩-০০ গান আর গান।৬-০০ কল্পলোকের গল্পকথা।৬-৩০ দূরের জানালা।৭-৪৫ কনসার্ট ফর ভিক্টোরি।৯-৪৫ রেডিও চকলেট রিলোডেড।১০-৩০ রেস্টুরেন্ট টোয়েন্টিওয়ান।১১-৪৫ সোজা কথা।আরটিভিসন্ধ্যা৬-০৫ পাখি ও মানুষেরা।৭-৩০ আর মাত্র কয়ডা দিন।৮-১৫ চোরকাঁটা।৯-০৫ যৈবতী কন্যা।৯-৫০ অপরাজিতা। ১১-২০ গোলটেবিল।বাংলাভিশনসন্ধ্যা৬-২৫ ফ্রন্ট লাইন।৮-১৫ লঙ্গরখানা।৯-০৫ অ-এর গল্প।১১-২৫ মিউজিক ক্লাব (বাদশা বুলবুল, মৌটুসী)।বৈশাখী টিভিসন্ধ্যা৬-১৫ গুপ্তধন।৮-০০ নিসর্গ।৮-৩৫ গ্ল্যামার গাইড।৯-২০ ইয়াবাবা গেন্দুচোরা।১১-০০ সংঘাত।১১-৩০ নায়িকা উপাখ্যান।মাছরাঙা টেলিভিশনসন্ধ্যা৬-৩০ বিনোদন সারাদিন।৭-৩৫ খেলার মাঠে।৮-০০ মুম্বাসা।৮-৪০ ক্ষণিকালয়।৯-২০ রূপকথা।১১-০০ মিউজিক ডাইজেস্ট।১১-৩০ দলের চেয়ে দেশ বড়।চ্যানেল নাইনসন্ধ্যা৬-৩০ গ্রেট মামা সেন্টার।৭-৪০ মানি আওয়ার।৮-২৫ ব্লাফ মাস্টার।৯-১০ কাক।১০-২০ হ্যাকার্স।১১-০০ ফিউশন লাউঞ্জ।জি টিভি (গাজী টিভি)রাত৮-১০ ওয়ারিশ।৮-৫৫ ক্রাইম ফিকশন।১১-০০ কমেন্ট্রি বক্স।১১-৩০ ওয়ার্ল্ড উইক।এশিয়ান টিভিসন্ধ্যা৬-৪০ গোল্ডেন আওয়ার।৭-৪০ বড় পর্দার গান।৮-২০ বিশাখা।৯-০০ প্রতিপক্ষ।৯-৪০ মন যে কিছু বোঝে না।১০-২০ স্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ড।১১-০০ এশিয়ান মিউজিক।এসএ টিভিরাত৮-০০ বাংলাদেশি আইডল।৮-৩০ কাম টু দ্য পয়েন্ট।৯-০০ অন্তরে মম।৯-৩০ সংশয়।১১-০০ খোঁজ।১১-৩০ লেট এডিশন।নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর পথচলার তিন দশক পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে চলছে আট দিনব্যাপী প্রাঙ্গণেমোর নাট্যায়োজন। গতকাল ছিল উৎসবের সপ্তম দিন। এদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় নাট্যদলটির সাম্প্রতিক প্রযোজনা আওরঙ্গজেব। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনা থেকে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। অনন্ত হিরা ছাড়াও এ নাটকের অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন নূনা আফরোজ, রামিজ রাজু, ইউসুফ পলাশ, সরোয়ার আলম প্রমুখ।বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংকট আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কী প্রভাব ফেলতে পারে, কীভাবে দেশে একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসতে পারে, সে বিষয়ে প্রথম আলো মুখোমুখি হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরীরপ্রথম আলো নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি কম আন্দোলন করল না, ২৫ নভেম্বর থেকে দফায় দফায় টানা অবরোধ কর্মসূচি হলো, কিন্তু সরকার তো একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে?শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির কর্মসূচি সফল হয়নি, তা বলা যাবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দেশের মানুষ এমন নির্বাচন চায় না। এটা তো শুধু ভোটারবিহীন নয়, প্রার্থীবিহীন নির্বাচন হচ্ছে। ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। জনগণকে আমরা সচেতন করতে পেরেছি। প্রার্থী যাঁরা হয়েছেন, তাঁরা ঠিকমতো প্রচার-প্রচারণাও করতে পারছেন না। এটা তো আমাদের আন্দোলনের ফলেই হয়েছে।প্রথম আলো আপনাদের চিন্তা-ভাবনা কী?শমসের মবিন চৌধুরী খালেদা জিয়া ২৪ ডিসেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গণতন্ত্র হচ্ছে আর্ট অব কম্প্রোমাইজ। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এটা করতেই হবে। তিনি সেদিন এটা পরিষ্কার করেছেন যে দলের চেয়ে দেশ ও দেশের জনগণ বড়। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের সময় ও সুযোগ আছে। আইনগত বা সাংবিধানিক—সবভাবেই তা সম্ভব। সংসদ এখনো বহাল রয়েছে, আমরা আজকেই সংলাপে বসে একটি পথ খুঁজে বের করতে পারি।প্রথম আলো বিএনপি কি আপস করতে প্রস্তুত রয়েছে?শমসের মবিন চৌধুরী আমরা তো সব সময়ই বলে আসছি সংলাপে বসলে দুই পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে আসা সম্ভব। জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত তারানকোর সঙ্গে যখন আমরা বৈঠক করেছি, তখন আমরা বলেছি যে তফসিল বাতিল, আটক নেতাদের মুক্তি—এ ধরনের কিছু উদ্যোগ নেওয়া হোক, আমরা আলোচনায় বসে সমাধানের একটি পথ খুঁজে বের করতে পারব। দেশকে বাঁচানোর সদিচ্ছা যদি সরকারের থাকে, তাহলে এটা সম্ভব। আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই, এখন সরকার যদি গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তো আর হবে না।প্রথম আলো বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ যে দাবি আদায়ে দলটি দেশের জনগণ নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে?শমসের মবিন চৌধুরী এটা নিছক অপপ্রচার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ রয়েছে, সেটা গতানুগতিক। বিএনপি সব সময়ই জনগণের দল, নির্বাচনমুখী দল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এবং জনগণের সমর্থনেই দলটি কাজ করে।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও যথেষ্ট যোগাযোগ রয়েছে এবং তা আমাদের চেয়ে কোনোভাবেই কম নয়। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার অন্তত ছয়জন সরকার ও দলটির পররাষ্ট্রবিষয়ক দিকগুলো দেখছেন।প্রথম আলো বিএনপির রাজনীতিতে ভারতবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট, আবার এখন দেখা যাচ্ছে, ভারতের সমর্থন পাওয়ার বিষয়টিকেও দলটি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। বিএনপি কি অবস্থান পরিবর্তন করছে?শমসের মবিন চৌধুরী ২০১২ সালে বেগম খালেদা জিয়া যখন ভারত সফরে গিয়েছিলেন, তখন তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তিনি এটা স্পষ্ট করেছেন, যেকোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক লাভ ও পারস্পরিক সমমর্যাদা। ভারত এখন এটা বুঝতে পেরেছে যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে গেলে সেটা রাখতে হবে দেশটির জনগণের সঙ্গে, কোনো বিশেষ দলের সঙ্গে নয়।ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যখন অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন তিনি এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেছিলেন। ভারতের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এখন এ বিষয়টি খুবই গুরুত্ব পাচ্ছে যে একটি দলের সঙ্গে বাড়তি সম্পর্ক রাখার বিষয়টি খুব কাজের কথা নয়।প্রথম আলো দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারত বাড়তি কোনো ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করেন কি?শমসের মবিন চৌধুরী দেখুন, জনগণের মধ্যে এ ধরনের একটি ধারণা রয়েছে। ভারতের কিছু কিছু গণমাধ্যমে এমন কিছু খবর বের হয়েছে, তাতে এটা মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক যে এখনকার নির্বাচন নিয়ে দেশটির বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি যে একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে সরকার, সেখানে এরই মধ্যে পর্যবেক্ষক না পাঠানের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। অর্থাৎ এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণেরও অযোগ্য। ভারত দেশ হিসেবে পর্যবেক্ষক না পাঠালেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সূত্রে পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে থাকে। এই নির্বাচনের ব্যাপারে দেশটির কাছ থেকে আমরা এখনো স্পষ্ট করে কিছু শুনিনি। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, সেখানে এর ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে এখনকার গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার প্রতিও ভারতের সমর্থন থাকাটাই স্বাভাবিক। আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ভারতের জন্যও একটি জরুরি বিষয়। অস্থিতিশীল বাংলাদেশ ভারতের স্বার্থের অনুকূলে যেতে পারে না।প্রথম আলো তারানকোর উদ্যোগ তো কার্যত ব্যর্থ হলো, যখন এই সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তখন আপনাদের প্রত্যাশা কী ছিল?শমসের মবিন চৌধুরী আমরা আসলে যা চেয়েছিলাম তা হচ্ছে, নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করা। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের চাওয়া হচ্ছে নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেই নির্বাচনের পন্থাটি ঠিক হবে, সেটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা।প্রথম আলো বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনারা জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফে নতুন কোনো উদ্যোগ আশা করছেন কি না?শমসের মবিন চৌধুরী জাতিসংঘ আবার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না, সেটা তাদের ব্যাপার। জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবাই বাংলাদেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক—সব বিবেচনাতেই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাওয়া।প্রথম আলো সাম্প্রতিক কালে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮-দলীয় জোট যে আন্দোলন করল, তাতে দুর্বৃত্তপনা ও সহিংসতার ঘটনাই বেশি ঘটেছে। আপনাদের পক্ষ থেকে এসব ঘটনার নিন্দা জানানো হয়নি।শমসের মবিন চৌধুরী দেখুন, এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদের কর্মসূচির সম্পর্ক নেই। সর্বশেষ বাংলামোটর এলাকায় পুলিশ সদস্যের দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না।আর এসব বর্বরতা ও সহিংসতার নিন্দা দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনেও নিন্দা জানিয়েছেন। আর প্রকাশ্যে নিন্দা- প্রতিবাদ জানানোর পথ তো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, সভানেত্রীর বাসা, অফিস অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। দলের কার্যালয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।প্রথম আলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান কিন্তু এখনো পরিষ্কার নয়।শমসের মবিন চৌধুরী আমরা এখন বিরোধী দলে, সরকারে যখন যাব তখন পরিষ্কার হবে যে এ ব্যাপারে আমরা কী করব। বিরোধী দলে বসে তা পরিষ্কার করা কঠিন। যুদ্ধাপরাধের বিচার অবশ্যই অব্যাহত থাকবে, তবে বিচার-প্রক্রিয়া গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের করা হবে।এখন যাদের বিচার চলছে, এর বাইরেও অনেকে নানা রাজনৈতিক বিবেচনায় এই প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন, সবাইকেই বিচারের আওতায় আনা হবে।প্রথম আলো আপনাকে ধন্যবাদ।শমসের মবিন চৌধুরী ধন্যবাদ।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ কে এম জাকারিয়া |
বিচারক ও আইনজীবীরা জানান, বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর থেকে সিএমএম আদালতে বিচারকসংকট কমলেও দেওয়ানি আদালতে সংকট এখনো রয়েছে। মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা কম হওয়ায় মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হচ্ছে।আদালত সূত্র জানায়, জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অধীনে জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ সহকারী আদালতসহ মোট দেওয়ানি আদালত রয়েছে ৪১টি। এর মধ্যে জেলা জজ আদালতের অধীন তিনজন অতিরিক্ত জেলা জজ, একজন যুগ্ম জেলা জজ ও নয় জন সহকারী জজের পদ খালি। এ ছাড়া, ছয় জন উচ্চমান সহকারী ও ৩১ জন নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটারের পদ শূন্য রয়েছে বিভিন্ন আদালতে। নগরের বাইরে সবচেয়ে বেশি বিচারকসংকট রয়েছে পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। সেখানে একজন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ছাড়াও পাঁচ জন সিনিয়র সহকারী জজ থাকার কথা। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় ধরে আছেন মাত্র একজন সিনিয়র সহকারী জজ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দুদিন সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য সরকারি ছুটি বাদ দিলে আদালতের কার্যদিবস চলে মাসে ১৬-১৭ দিন। এর বাইরে হরতাল-অবরোধসহ অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে কিছু কার্যদিবস নষ্ট হয়।চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ এ এফ মোস্তফা বলেন, ‘বিচারকের তুলনায় মামলার আধিক্য, ত্রুটিপূর্ণ মামলা দায়ের, অকারণে সময় চাওয়া, সমনজারি ও কাম্যমান বাদী-বিবাদী অন্তর্ভুক্তিতে সময়ক্ষেপণ ইত্যাদি কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা হয়। দেওয়ানি কার্যবিধিতে সামান্য কারণে উচ্চআদালতে রিভিশন আপিল করার সুযোগ থাকায় অনেকে তার সুযোগ নিয়ে মামলা দীর্ঘায়িত করেন। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও পক্ষগণের কারও কারও যথাসময়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণে ইচ্ছাকৃত সময়ক্ষেপণের কারণেও মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হয়।’ জেলা জজ বলেন, ‘দেওয়ানি কার্যবিধি সহজিকরণ, বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো, এবং আইনজীবী ও পক্ষগণ আন্তরিক হলে মামলা আরও কম সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব।’উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হারিকেনের মতো শক্তিশালী ঝড়ের কারণে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত দুই দশকের মধ্যে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে, বিশেষ করে যোগাযোগব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে।ঝড়ে নিহত ১৪ জনের মধ্যে সাতজনই জার্মানির। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে চারজন এবং নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও ফ্রান্সে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জার্মানিতে গাছের নিচে চাপা পড়ে কয়েকজন গাড়িচালক নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত একজন পানিতে ডুবে এবং একজন দেয়াল চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।যুক্তরাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার। এ ঝড় দেশটির দক্ষিণের বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। লন্ডনের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কেন্টে নিজ বাড়িতে গাছচাপায় নিহত হয় ১৭ বছর বয়সী এক তরুণী। লন্ডনের উত্তরে অবস্থিত ওয়াটফোর্ড শহরে গাছের নিচে গাড়িচাপায় নিহত হন ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। পশ্চিম লন্ডনে গাছ উপড়ে পড়ার পর রাস্তার কাছে সম্ভাব্য গ্যাসপাইপ লাইনে বিস্ফোরণে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে একটি বাড়ি থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।যুক্তরাজ্যে প্রাণহানির পাশাপাশি অবকাঠামোগত এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতিও উল্লেখ করার মতো। ঝড়ের কারণে একটি বিশাল ক্রেন লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্যাবিনেট অফিস মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। এ কারণে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ তাঁর নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করতে বাধ্য হন।শত শত গাছ উপড়ে রাস্তার ওপরে পড়ায় এবং বিদ্যুৎব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় লন্ডনের সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের ট্রেনযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম হিথরো বিমানবন্দরের নির্ধারিত ১৩০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।যুক্তরাজ্যের চার লাখ ৮৬ হাজার বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিদ্যুৎহীনভাবে কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউকে পাওয়ার নেটওয়ার্কস। এর আগে ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডে আঘাত হানা ভয়াবহ ঝড় ‘গ্রেট স্টর্ম’-এর প্রভাবে এক লাখ স্থাপনা দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎহীন ছিল। সে সময় ঝড়ে এক কোটি ৫০ লাখ গাছ উপড়ে পড়েছিল। সেবার প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ১৮।এবারের ঝড়টি যুক্তরাজ্যে আঘাত হানার পর পূর্ব দিকে ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের দিকে যায়। নেদারল্যান্ডসের ওপর দিয়ে ১৫০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো অসংখ্য গাড়ি ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। রাজধানী আমস্টারডামের দুটি বিমানবন্দরের অন্তত ৫০টি ফ্লাইটি বাতিল করা হয়েছে।উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের ব্রিটানি উপকূলের কাছের একটি দ্বীপে হাঁটার সময় ঝড় এক ব্যক্তিকে উড়িয়ে সমুদ্রে নিয়ে ফেলে। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডেনমার্কের গিলিলিজে এলাকায় দেয়ালচাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সুইডেন, বেলজিয়ামসহ আরও কয়েকটি দেশে ঝড়ে ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রয়টার্স ও বিবিসি।ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র, গুলশানগানের অনুষ্ঠান। আজ গান করবেন এস আই টুটুল ও তাঁর ব্যান্ড ধ্রুবতারা। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণেমোর নাট্যায়োজন। আজকের নাটক ঈর্ষা। নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা ভবন মিলনায়তনে, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। আরণ্যকের নতুন নাটক স্বপ্নপথিক। লিখেছেন হারুন রশীদ। নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ। জাতীয় নাট্যশালায়, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউবাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে ১৫ জন শিল্পীর দলগত প্রদর্শনী। শিল্পীকর্মের সংখ্যা ৩৫টি। চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডপূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। সকাল সাড়ে ১০টা, সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি: বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। প্যাসিফিক রিম থ্রিডি: বেলা ১১টা, পৌনে দুইটা, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। দ্য কানজারিং: বেলা সোয়া ১১টা, পৌনে দুইটা, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। রিডিক: বেলা ১১টা ও দেড়টায়। টাইটানিক থ্রিডি: বেলা তিনটা ও সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে। স্টেপ আপ রেভোল্যুশন থ্রিডি: সকাল ১০টা ৫০ ও বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে।এক কঠিন ও অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ। সরকারি দলের শাসন প্রলম্বিত কিংবা বিরোধী দলের ক্ষমতায়নের জন্য প্রাণ দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। ক্ষতির শিকার হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা ও শিক্ষা কার্যক্রম। বিরোধী দলগুলোর কাছে এমনকি সর্বদলীয় সরকারও গ্রহণযোগ্য নয়, চাই নির্দলীয় সরকার। কারণ, দলীয় লোকজনকে বিশ্বাস নেই, যদিও তাঁরাই দেশ পরিচালনা করবেন। অন্যদিকে সরকারের কাছে সংবিধান রক্ষা করাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। যদিও সন্ত্রাসী তৎপরতায় নিয়মিতভাবে জীবন দিচ্ছে সাধারণ নাগরিক, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। যুগ যুগ ধরে আমাদের নেতৃত্বে দূরদর্শিতার অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। যারা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করছে। আর যারা কেবল পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয় ভাবত, তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না, যদিও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উভয় দল কম নাজেহাল হয়নি। এই অপরিণামদর্শিতার জন্য উভয় দলেরই জাতির কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।প্রাণী হিসেবে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, জাতীয় স্বার্থে সরকারি ও বিরোধী দলের এই মুখোমুখি সাংঘর্ষিক অবস্থানের পরিবর্তন হোক। দেশ রক্ষায় দুটি দল যদি একমতও হয়, ঘটনাগুলো এত দ্রুততার সঙ্গে ঘটবে যে স্বল্পকালীন যেকোনো সমাধান নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবং কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের বোধোদয় ঘটবে যে তা স্থায়ী সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয়। অথচ দেশ শাসনের নিয়মকানুন ঠিক করা দরকার, এমন সময়ে যখন কোনো দলই সরকারে নেই। কারণ, তখন তাদের লক্ষ্য প্রায় অভিন্ন হবে। এতৎসংক্রান্ত কিছু প্রস্তাব নিম্নে উত্থাপন করছি।১. পরমতসহিষ্ণুতা ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। দলগুলোর মধ্যে পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের মতো কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হলে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন। সেই সমঝোতা প্রয়োজন তত্ত্বাবধায়ক/নিরপেক্ষ/ নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠায় কিংবা স্বাধীন কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে।২. ’৯৬-এর নির্বাচনে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্তটি যে কতটা অপরিপক্ব ও অদূরদর্শী ছিল, তা বোঝার জন্য সাধারণ জ্ঞানই যথেষ্ট। সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি কে হবেন তা সরকার যেখানে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, এ রকম ব্যবস্থা বিরোধী দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।৩. নিয়মিতভাবে বিরোধী দলের সংসদ বর্জন এবং সাংসদ হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণের বিষয়টি সংসদ ও সাংসদদের ভাবমূর্তি ম্লান করছে। সংসদ বর্জন এবং সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি আমাদের জাতীয় এবং সমাজ-জীবনে দারুণ ঋণাত্মক প্রভাব যে ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য। এই বিষয়টি উভয় দলের ইশতেহারে বর্ণিত হওয়া উচিত।৪. আমাদের সংবিধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অপার ক্ষমতা দিয়েছে। তা-ই যদি হয়ে থাকে, তাহলে এ বিষয়েও সমঝোতা প্রয়োজন, তাও নির্বাচনের আগে, যাতে উভয় দলই একই সমতল থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।৫. ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাঁদের অবস্থান, তাঁদের বিত্তবৈভব অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাংসদদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আমাদের সংবিধানে যদি বিধান থেকে থাকে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সংবিধান সমুন্নত রাখা অবশ্যই আমাদের সাংসদদের পবিত্র দায়িত্ব, যেমনটি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। নেতারা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন অনুশীলন করেন, তা সাধারণ মানুষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে উদ্বুদ্ধ করবে। এ বিষয়ে নির্বাচনের আগেই উভয় দলের মধ্যে গ্রহণযোগ্য সমঝোতা প্রয়োজন।৬. দুর্নীতি দমন কমিশন, বিচারব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন কমিশনের গঠন কিংবা কার্যপরিধি, ক্ষমতার বিষয়েও নির্বাচনের আগেই উভয় দলের মধ্যে সমঝোতা হওয়া প্রয়োজন। উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য মানুষ খুঁজে পেতে যথেষ্ট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে টেলিভিশনের পর্দায় জনসমক্ষে তা করা সম্ভব, যাতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততাও থাকবে।৭. সম্প্রতি ভারতে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং তা সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশেও অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে পারলে তা আমাদের সাংসদদের জনকল্যাণমুখী কাজ করতে উৎসাহিত করবে।৮. বিগত নির্বাচনগুলোর ফল বলে, একটি দলের সর্বমোট প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে সংসদে আসনসংখ্যার কো-রিলেশন সামান্যই। যেমন, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রাপ্ত ভোটের শতকরা ব্যবধান পাঁচ-সাত হলেও লীগ আসন পায় কয়েক গুণ কমবেশি। তাই প্রার্থীদের আঞ্চলিক জনপ্রিয়তা এবং দলগুলোর সাধারণ জনপ্রিয়তার বিষয়টিও বিবেচনা করে সম্ভবত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়টি ভাবা দরকার, যাতে সংসদে দলগুলোর যথাযোগ্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।৯. ভোগ করে নয় বরং ত্যাগ করেই আমাদের নেতারা সারা দেশের মানুষকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে কী কী সুযোগ-সুবিধা পাওয়া উচিত, তার থেকে সাধারণ জনগণের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা উচিত, তা নিয়ে ভাবলে ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হবে।১০. আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা কাজ না করে বিভিন্ন সভা-সমিতিতে যখন-তখন অংশগ্রহণ, নেতাদের সংবর্ধনা জানাতে বিমানবন্দরে গমন এবং রাস্তাঘাটে যানজট তৈরিতে অবদান রাখছেন। একই সঙ্গে দেশের সম্পত্তি রেল, যানবাহন ভাঙচুরসহ সব রকম ঋণাত্মক কাজেই রাজনৈতিক দলের অনুসারীদের পাচ্ছি। খুব ভালো হতো জনকল্যাণমুখী কাজে যদি তারা নেতৃত্ব দিত। যেমন, বয়স্কদের শিক্ষার জন্য, রাস্তাঘাট মেরামতসহ অন্যান্য সামাজিক কর্মকাণ্ডে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করা। তাহলে নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক কর্মী ও সংগঠনের সদস্যদের প্রতি মনোভাব অনেক ইতিবাচক হতো।আশা করি, দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে উল্লিখিত বিষয়সমূহ আমলে নিয়ে কার্যকর স্থায়ী সমাধানে আমরা দূরদর্শিতার পরিচয় দেব।মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। |
লক্ষ্মীপুর সদর থানার টুমচর গ্রামের বেকার যুবক আলমগীর। বন্দরে ডকশ্রমিক হিসেবে চাকরির স্বপ্ন নিয়ে ছুটে আসেন চট্টগ্রামে। সঙ্গে নিয়ে আসেন খরচের জন্য দুই হাজার টাকা। ওই টাকাই তাঁর জন্য কাল হলো। হালিশহর বড়পোল এলকায় পড়েন ছিনতাইকারীর কবলে। ছিনতাইকারীর সঙ্গে অনেক ধস্তাধস্তির পরও নিজের শেষ সম্বলটুকু দিতে নারাজ আলমগীর। অন্যদিকে, নেশার টাকা জোগাড় করতে মরিয়া মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীরা। তাঁরা ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেন আলমগীরকে। শেষ পর্যন্ত প্রাণ গেল তাঁর। চাকরি নিতে আসা আলমগীর লাশ হয়ে ফিরল স্বজনদের কাছে।গত ২৬ জুন গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী সোহাগ, সুজন, জহির ও শাহ আলম স্বীকার করেন, তাঁরা আলমগীরের বুক, ঘাড় ও বাঁ হাতের কবজির ওপর ছুরিকাঘাত করেন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আলমগীরের পকেট থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে ওই টাকা ভাগাভাগি করে তাঁরা নেশা করেন। শুধু আলমগীর নন, মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীদের হাতে গত চার মাসে প্রাণ হারায় আরও চারজন। আহত হয় অর্ধশতাধিক লোক। নেশার টাকার জন্য তাঁরা ছুরি চালাতে দ্বিধা করেন না।চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার জানান, ছিনতাইকারীদের বেশির ভাগই নেশাগ্রস্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতেই তাঁরা ছিনতাইয়ে নেমে পড়েন। মাদককে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে পারলে মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীদের সংখ্যা কমে যাবে।চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ রফিকুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারাগারে আসা ছিনতাই মামলার বেশির ভাগ আসামি মাদকাসক্ত। নেশার জন্য তাঁরা কারাগারে পাগলের মতো আচরণ করে। কারাগারে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা না থাকলেও কেস টেবিল বসিয়ে মাদকাসক্ত আসামিদের সুস্থ-স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।হালিশহর থানার পুলিশ জানায়, গত ১৯ মে নগরের হালিশহর অ্যাক্সেস সড়কে ছিনতাইকারীরা আনজুমান আরা নামের এক নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার সময় গাড়ি থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান ওরফে সাদ্দাম (২২), আবদুল কাদের (২৯) ও টিপু সুলতান (৩৫) নামের তিন ছিনতাইকারীকেক গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে টিপু সুলতান আদালতে গত ২৬ মে ঘটনার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, ওই নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ কেড়ে নিয়ে যে টাকা ও স্বর্ণালংকার পেয়েছিলেন, তা তাঁরা বিক্রি করে দেন। পরে ওই টাকায় নেশার আসর জমান। টাকা শেষ হওয়ার পর আবার ছিনতাইয়ে নেমে পড়েন। এদিকে গত ২৩ জুন দিবাগত রাত একটার দিকে দামপাড়া এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামার সময় দুজন ছিনতাইকারী জসিম নামের এক যুবকের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ছিনতাইকারীদের সঙ্গে জসিমের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাঁর পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ রানা নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাক আহমেদ বলেন, আটক ছিনতাইকারী রানা মাদকাসক্ত।বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার ম্যান বুকার। চলতি বছর এই পুরস্কার পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এলিনর ক্যাটন। তবে সবার থেকে তাঁর পার্থক্য হলো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সে (২৮ বছর) ম্যান বুকার পুরস্কার জিতলেন তিনি। এলিনর তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য লুমিনারিজ-এর জন্য পুরস্কারটি পেয়েছেন।কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন এলাকায় ১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এলিনর। ছয় বছর বয়সে তাঁর পরিবার নিউজিল্যান্ডে ফিরে আসে। সেখানেই তিনি বার্নসাইড উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানেরই ক্যান্টরবুরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এলিনর তাঁর প্রথম বইটি স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে থিসিস করার সময়ে লেখেন। পরের বইটি নিউজিল্যান্ডের সোনার খনিকে কেন্দ্র করে লেখা। যা বুকার পুরস্কার জিতে নেয়।৮৩২ পৃষ্ঠার বইটি বুকার পুরস্কারের ৪৫ বছরের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সাহিত্যকর্ম হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। এর আগে ২৭ বছর বয়সে ম্যান বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন এলিনর। বর্তমানে সৃজনশীল লেখা বিষয়ে শিক্ষকতা করা এলিনর লেখালেখির বিষয়ে একধিক ফেলোশিপ পেয়েছেন। লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে ইতিমধ্যে অ্যাডাম পুরস্কার, দ্য গার্ডিয়ান ফার্স্ট বুক পুরস্কার, অরেঞ্জ পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার জিতেছেন তিনি। লেখালেখির কাজটি নিয়মিতই করে যেতে চান তিনি।গ্রন্থনা: নুরুন্নবী চৌধুরীতথ্যসূত্র: দ্য ম্যান বুকার প্রাইজ, উইকিপিডিয়াপ্রস্তাবিত তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) প্রতিষ্ঠা করা হলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে। অর্থনীতিতে আরও গতি আসবে। একই সঙ্গে নতুন করে আট লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।এই তিনটি এসইজেড হবে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও আনোয়ারা এবং মৌলভীবাজারের শেরপুরে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার এসইজেড তিনটির ওপর পরিচালিত সমীক্ষার একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান।এসইজেড তিনটির সমীক্ষা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সমীক্ষা দলের প্রধান এস কোবাইশি।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তিনটি এসইজেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আটটি খাতের শিল্পকারখানা চালু করা সম্ভব হবে। ২০১৬ সালের মধ্যে কাজ শুরু হলে বিভিন্ন মেয়াদে এসব এসইজেডের কাজ শেষ হবে। এর মধ্যে শেরপুর এসইজেড ২০১৯ সাল, আনোয়ারা ২০২০ এবং মিরসরাই ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে। এখানে প্রতি বর্গমিটার জমির দাম পড়বে ৮০ থেকে ১১০ ডলার।মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। এ অবস্থায় উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।বেজার প্রকল্প পরিচালক নুরুন্নবী মৃধা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগের বিকল্প নেই। নানা সমস্যার কারণে দেশে কাঙ্ক্ষিত বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না।সুচিত্রা সেনের ফুসফুসের সংক্রমণ এখনো কমেনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সুচিত্রা সেনের শ্বাসকষ্ট কিছুটা বেড়েছে। এখনও তাঁকে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর শরীর অত্যন্ত দুর্বল। শনিবার সংবাদমাধ্যমকে সুচিত্রা সেনের চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র জানান, ভয়ের কিছু নেই। সুচিত্রা সেন ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। শনিবার জ্বর আসেনি। তাঁর রক্তচাপ ও হূদ্যন্ত্রের অবস্থা স্বাভাবিক।বেলভিউ হাসপাতালে শনিবার দুপুরে সুচিত্রা সেনকে দেখতে আসেন তাঁর দুই নাতনি রাইমা সেন ও রিয়া সেন। সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য তাঁরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন পেছনের দরজা দিয়ে।কয়েক দিন ধরে সর্দি, জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন সুচিত্রা সেন। তাঁর বয়স এখন ৮২। |
রামু উপজেলার ঈদগড় গ্রাম থেকে ঘরের ১০টি কবুতর বিক্রি করতে ২১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার শহরে আসেন বৃদ্ধ কালা মিয়া (৬৫)। দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সামনে (সড়কের পাশে) বসে তিনি কবুতর বিক্রি শুরু করেন। দাম প্রতি জোড়া ৩৪০ টাকা। বেলা একটার মধ্যে বিক্রি হলো ছয়টি। বাকি চারটি কবুতর বিক্রি হলেই স্ত্রী ও নিজের জন্য দরকারি ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরবেন কালা মিয়া।বেলা দুইটার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে তাঁর সামনে নামেন এক যুবক। চোখে কালো চশমা। ৬৮০ টাকায় চারটি কবুতর কিনে নিলেন ওই যুবকটি। তারপর এক হাজার টাকার একটি নতুন নোট ধরিয়ে দিলে বৃদ্ধ ওই যুবককে ৩২০ টাকা ফেরত দেন। এরপর বৃদ্ধ গেলেন ওষুধ কিনতে। ফার্মেসির কর্মচারী তাঁকে ধমক দিয়ে পুলিশে তুলে দেওয়ার ভয় দেখান। ভড়কে যান তিনি। পরে বৃদ্ধ জানতে পারেন, এক হাজার টাকার নোটটি জাল। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কালা মিয়া বলেন, ‘এত বড় জালিয়াতি মানুষ করতে পারে ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। বেশি দামে বিক্রি করতে পারব বলে এখানে ছুটে এসেছি। এখন সব শেষ।’শুধু কালা মিয়া নন, জাল নোট সরবরাহকারী চক্রের হাতে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কক্সবাজার শহর ও বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারে সক্রিয় চক্রটি। কোরবানির ঈদ আর দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হাটবাজার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিপণিকেন্দ্র, ব্যাংকসহ সর্বত্রই এখন জাল নোট ছড়িয়ে পড়ছে।শহরের বিমানবন্দর সড়কের কানামিয়া বাজারের ব্যবসায়ী কেরামত উল্লাহ (৩৪) জানান, ২২ সেপ্টেম্বর তিনি সাত হাজার টাকার আখ বিক্রি করেন। কিন্তু ঘরে গিয়ে দেখেন, তার মধ্যে ৫০০ টাকার দুটি জাল নোট। বড়বাজারের মাছ ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন (৩৭) বলেন, মাছ বিক্রির সময় প্রায় সময় জাল টাকা ধরা পড়ে।টেকনাফ ৪২ বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর শফুিকর রহমান বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার সময় বিজিবির সদস্যরা টেকনাফগামী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সিটের নিচে একটি মিষ্টির প্যাকেটের ভেতর থেকে এক হাজার টাকার ৫২১টি জাল নোট (পাঁচ লাখ ২১ হাজার) উদ্ধার করেন। কিন্তু জাল নোট পাচারকারীদের ধরা সম্ভব হয়নি। এগুলো টেকনাফ থানায় জমা দিয়ে একটি মামলা করা হয়েছে।সূত্র জানায়, টেকনাফ, রামু ও কক্সবাজার শহরের কয়েকটি সিন্ডিকেট স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের দিয়ে বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে। ইয়াবা বড়িসহ মাদক কেনাবেচা এবং হাটবাজার ও বিপণিকেন্দ্রে কেনাকাটায় জাল টাকার ব্যবহার করা হচ্ছে।পুলিশ জানায়, ২০০৯ সালের রমজনা মাসে তিন হাজার ৭০০ টাকার জাল নোট নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সুমন নামের এক যুবক। কয়েক মাস কারাগারে থেকে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপর তিনি আবার জাল নোটের ব্যবসায় নামেন। এখন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া টেকনাফের থ্রি-বাদার্স সিন্ডিকেট নামের একটি চক্র জাল নোটের কারবারে জড়িত বলে জানা গেছে।কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, কোরবানির ঈদ ও দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে চোরাচালান সিন্ডিকেট জাল নোটের বাণিজ্য চালাচ্ছে। কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন বসিয়ে লোকজনকে প্রতারণার থেকে রক্ষার উদ্যোগ নিচ্ছে পুলিশ।অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিয়ানমারের মংডু ও আশপাশের দুর্গম পাহাড়ে জাল নোট তৈরি হচ্ছে। তারপর ছাড়া হচ্ছে বাজারে। নেশার বড়ি ইয়াবা, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্য বেচাকেনার বিপরীতে জালনোটের কারবার বেশি হচ্ছে। আবার ইয়াবা ও হুন্ডির টাকার বিপরীতে গ্রাহকদের হাতে তুলে দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ জালনোট। বিশেষ করে সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো টাকার বেশির ভাগ গ্রাহককে জালনোট ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।শহরের কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, জালনোট নিয়ে তাঁদের সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। লেনদেনের সময় প্রতিদিন ৫০০ ও এক হাজার টাকার একাধিক জালনোট ধরা পড়ছে। সোনালী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার উপমহাব্যবস্থাপক অখিলচন্দ্র সরকার বলেন, জালনোট দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। জালনোটের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।যেকোনো মানুষের সুস্থ থাকতে জিনগত ব্যাপারটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে সব সময়ে ফিট রাখতে খাদ্যাভ্যাস আর শারীরিক ফিটনেসটাও থাকা জরুরি। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে সহজে বয়সকে হার মানানো যায়।আমি নিজে খাবারকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সব সময় পেট খালি রেখে খাওয়া শেষ করি। কারণ, সম্পূর্ণ পেট ভরা থাকলে মেদ বাড়তে থাকে। ভাত যতটা কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। ভাত কম খেয়ে বেশি করে সবজি ও মাছ খাই। অনেক সময় সবজি খেতে একঘেয়ে লাগে। তাই সবজিকে বিভিন্ন উপায়ে রেঁধেসুস্বাদু করে তোলা যায়। আমি নিজেও তাই করি। চেষ্টা করি লাল মাংস (রেডমিট ) না খেতে।আর কখনোই ফাস্টফুড খাই না। নিজেকে ফিট রাখতে চাইলে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা দরকার।এবার আসি শরীরচর্চার বিষয়ে। আমি প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করি। এটা বিভিন্ন সময়ে হতে পারে। কারণ, কাজের জন্য একটা ধরাবাঁধা সময় রাখা যায় না। হাঁটা, সাঁতার কাটা আর ফ্রি হ্যান্ড নানা ধরনের ব্যায়াম করি। শরীরের কোনো অংশ যদি বেড়ে যেতে থাকে, সেটি কমাতে নির্দিষ্ট ব্যায়াম বেশি করে করি। তখন সহজেই বাড়তি মেদ ঝরে যায়। এ ছাড়া ফিট থাকার জন্য সব সময় হাসিখুশি থাকতে হবে। কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা বা চাপ নিলে তার ছাপ পড়ে মুখে বা ত্বকে। নিজেকে তাই হাসিখুশি রাখি সারাক্ষণ। এই তো আমার ফিট থাকার রহস্য।সাত বছর পর আগামীকাল শনিবার ঈশ্বরদী চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সভাপতি পদে চারজন ও নির্বাহী সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। সহসভাপতি পদে ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।পূর্বঘোষিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তাঁর বাসা থেকে বের হতে না দিয়ে সরকার অযৌক্তিক আচরণ করেছে। ফলে ‘অভিযাত্রা’ কর্মসূচির মেয়াদ আরও এক দিন বাড়ল। তাহলে কি গত কয়েক দিনের মতো রাজধানীমুখী বাস-লঞ্চ পথে পথে থামিয়ে দেওয়া চলবে? সরকার কত দিন সারা দেশ থেকে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়?শনিবার সন্ধ্যা থেকেই খালেদা জিয়ার বাসভবনের চারপাশে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করে সরকার এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। নিরাপত্তা বাড়ানোর নামে এসব পদক্ষেপের কথা বলা হলেও আসল উদ্দেশ্য হলো আন্দোলনের মাঠে খালেদা জিয়াকে উপস্থিত হতে না দেওয়া।সংসদ যখন বহাল এবং খালেদা জিয়া যখন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদমর্যাদায় রয়েছেন, তখন তাঁকে দলীয় কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁর বাসভবন ঘিরে রাখা, তাঁকে বাইরে বেরোতে না দেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়। সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকারের এ রকম আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। একতরফা নির্বাচন করতে হবে বলে তাদের উদ্বেগ থাকতে পারে। কিন্তু এ কারণে মানুষের জন্য অশেষ দুর্ভোগ ডেকে আনতে হবে?সরকার প্রথম থেকেই ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা বলে চিহ্নিত করে আসছিল। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হাইকোর্টের ভেতরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সমাবেশে ও জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের সমাবেশে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মিছিলেও লাঠিধারীরা হামলা চালায়। পুলিশ নির্লিপ্ত থেকে ন্যক্কারজনক হামলার প্রতি কার্যত সমর্থনই জানায়।জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়া নিশ্চয়ই সরকারের দায়িত্ব। এর আগে গত ৪ মে শাপলা চত্বরে বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু তার পরদিন সেখানে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশের নামে চরম বিশৃঙ্খলা ও জ্বালাও-পোড়াও চালায়, তার পুনরাবৃত্তি কেউই চায় না। সেই অজুহাতে বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবন ঘিরে রাখা হলে সেটা সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়। |
আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রামে এবার দুটি স্থায়ী ও ছয়টি অস্থায়ী পশুর হাট বসছে। ইতিমধ্যে এসব হাটের ইজারা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে অস্থায়ী হাটগুলোতে বেচাকেনা শুরু হবে। ইজারা পাওয়া ব্যবসায়ীরা হাটে পশু তোলার প্রস্তুতিও শেষ করেছেন।নগরে দুটি স্থায়ী পশুর হাট হলো সাগরিকা ও বিবিরহাট। অস্থায়ী হাটগুলো হলো কর্ণফুলী গরুর বাজার, স্টিলমিল বাজার, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, সল্টগোলা রেলক্রসিং মাঠ, কমলমহাজন হাট ও পোস্তারপাড় বিদ্যালয় মাঠ।করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার দুই দফায় অস্থায়ী হাটগুলো ইজারা দেওয়া হয়। প্রথম দফায় চারটি ও দ্বিতীয় দুটি হাট ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন। প্রথম দফায় কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় কর্ণফুলী গরু বাজার ও সল্টগোলা রেলক্রসিং মাঠের জন্য দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দরপত্র কার্যক্রম শেষ হয়। এবার ছয়টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে একটির ইজারা দেওয়া হয়েছে গতবারের তুলনায় কম দামে।সিটি করপোরেশন এবার ছয়টি হাট ইজারা দিয়েছে দুই কোটি দুই লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৪ টাকায়। গত বছর আয় হয়েছিল এক কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ৫৬৮ টাকায়। গতবারের তুলনায় এবার করপোরেশনের বেশি আয় হয়েছে ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ২০৬ টাকা।করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৫ অক্টোবর থেকে এসব হাটে গরু-ছাগল বিক্রি শুরু হবে। এ জন্য ইজারাদারেরা প্রস্তুতিও নিয়েছেন।সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। গতবারের তুলনায় ইজারামূল্য কম হওয়ায় দুটি হাটের দ্বিতীয় দফা দরপত্র দেওয়া হয়।করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এক কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কর্ণফুলী হাটের ইজারা নেন ইব্রাহিম সওদাগর। গতবার এই হাটের ইজারামূল্য ছিল এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রথম দফা নিলামে এই হাটের সর্বোচ্চ ইজারামূল্য ছিল এক কোটি ২৯ লাখ টাকা। ছয়টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে এই হাট থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে করপোরেশন।অন্যদিকে সল্টগোলা রেলক্রসিং হাটের ইজারামূল্য গত বছরের তুলনায় কম উঠেছে। পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৯৯৯ টাকায় এই হাটের ইজারা নেন কামরুল ইসলাম। গত বছর হাটটি ইজারা দেওয়া হয় পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৬ টাকায়।এ ছাড়া স্টিলমিল বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গত বছর ইজারামূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয় মাঠ ইজারা দেওয়া হয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। গতবার ছিল তিন লাখ ৫৫ হাজার টাকা। কমল মহাজন হাটের ইজারা মূল্য গত বার এক লাখ ১৫ হাজার টাকা থাকলেও এবার দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার টাকায়। এই তিনটি হাটের ইজারা পেয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী সমর্থক মো.সাইফুদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দর দিয়ে ইজারা পেয়েছি। আমরা এলাকার সবাই মিলে হাটগুলো ইজারা নিয়েছি। এতে স্থানীয় কাউন্সিলর সহযোগিতা করেন।’ তিনি জানান, হাট থেকে অর্জিত আয়ের একটি অংশ স্থানীয় মাদ্রাসা-মসজিদে দেওয়া হবে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) নজরদারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর কার্যক্রম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য নীতিগত নির্দেশনা দেওয়া হবে।এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গোয়েন্দা প্রকল্পগুলো ‘পুরোপুরি পর্যালোচনার’ আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির প্রধান ডায়ান ফাইনস্টাইন।প্রেসিডেন্ট ওবামা এবিসি টেলিভিশনের ফিউসন নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা দেখেছি গত কয়েক বছরে এনএসএর সামর্থ্যের উন্নতি ও বিস্তৃতি ঘটেছে। এ কারণেই আমি এখন একটি পর্যালোচনার উদ্যোগ নিচ্ছি, যাতে এটা নিশ্চিত হয় যে তারা আসলে কতটুকু নজরদারি করতে পারে।’ সাক্ষাৎকারে ওবামা মার্কিন মিত্রদেশগুলোর নেতাদের ওপর নজরদারি প্রসঙ্গে সরাসরি কোনো কথা বলেননি।এনএসএর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নজরদারির অভিযোগ ওঠায় বেশ চাপে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সার্বিক পরিস্থিতিতে গত সোমবার প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার আহ্বান জানালেন প্রভাবশালী সিনেটর ডায়ান ফাইনস্টাইন।সিনেটর ফাইনস্টাইন এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁকে টেলিফোন রেকর্ড সংগ্রহের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আদালতের নির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত করলেও বিদেশি নেতাদের কীভাবে অনুসরণ করবেন, তা জানাতে ব্যর্থ হন। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স, স্পেন, মেক্সিকো, জার্মানিসহ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলোর নেতাদের ওপর এনএসএর নজরদারির প্রতি সম্মান দেখিয়েই বলছি—সরাসরি বললে বলব, আমি এই নজরদারির পুরোপুরি বিরোধী।’ফাইনস্টাইন আরও বলেন, বন্ধু দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর ফোনকল কিংবা ই-মেইলে নজরদারি করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে তা করা যেতে পারে।সিনেটর ফাইনস্টাইনের এই বিবৃতি প্রসঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র কেটলিন হেইডেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘নজরদারির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো প্রশাসন পর্যালোচনা করে দেখছে। মার্কিন গোয়েন্দারা কীভাবে কাজ করতে পারেন, সে বিষয়ে দুটি পৃথক পর্যালোচনা কমিটি কাজ করছে।নজরদারির বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটির সামনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার কথা এনএসএর প্রধান কিথ আলেকজান্ডার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।কয়েক দিন ধরে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মুঠোফোনসহ ৩৫ বিশ্বনেতার ফোনে আড়ি পাতা এবং ফ্রান্স ও স্পেনের প্রায় ১৩ কোটি ফোনকলে আড়ি পাতার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর স্পেন ও ফ্রান্স সে দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। ম্যার্কেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে যুক্তরাষ্ট্রের। সব অভিযোগই প্রকাশিত হয় সিআইএর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথির বরাত দিয়ে। বিবিসি ও এপি।রাজধানীর শাহবাগে শিশুপার্কের সামনে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ যুবক নাহিদ মোড়ল (২২) মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কর্তব্যরত সহকারী রেজিস্ট্রার হোসাইন ইমাম প্রথম আলো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগুনে নাহিদের শরীরের ৫৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি তাঁর মৃত্যু হয়।নাহিদ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। তিনি মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর বাড়ি শিবচরের মোড়লকান্দি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সোহ্রাওয়ার্দী মোড়ল।বার্ন ইউনিটে থাকা তাঁর ভাই রাসেল মোড়ল কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সকালে বাবার সঙ্গে পেঁয়াজ খেতে কাজ করেছে নাহিদ। দুপুরে খাওয়ার পর জ্যাকেট কেনার কথা বলে সে ঢাকায় যায়। যাওয়ার আগে তাঁর (রাসেল) কাছ থেকে ১০০ টাকা এবং আরেক ভাইয়ের কাছ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা নেয় নাহিদ। তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর নাহিদ ফোন করে তাঁকে জানায়, তাঁর গাড়িটিতে আগুন ধরেছে। সে আর বাঁচবে না। এ খবর পেয়ে তিনিসহ ভাইয়েরা তত্ক্ষণাত্ ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।রাসেল মোড়ল বলেন, হাসপাতালে নাহিদকে দেখে চিনতে পারেননি তাঁরা। কারণ তাঁর মুখ আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গেছে। তাঁরা তাঁকে পা দেখে চিনেছেন। শাহবাগ এলাকায় শিশুপার্কের সামনে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের বাসে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহবাগ শিশুপার্কের সামনে যাওয়ার পরই বাইরে থেকে কেউ বাসটি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুঁড়ে মারে। এরপর তাঁরা হঠাত্ করেই বাসের সামনের দিকে আগুন দেখতে পান। সেই আগুন মুহূর্তেই ভেতরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার লাইটপোস্ট ভেঙে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে অন্তত ১৮ জন দগ্ধ হন।নাহিদ ছাড়া অগ্নিদগ্ধ অন্য ব্যক্তিরা হলেন গাড়ির চালক মাহবুবুর রহমান, চালকের সহকারী হাফিজুল ইসলাম, রবিন, পুলিশের হাবিলদার নূরনবী, আইনজীবী খোদেজা নাসরিন, বরিশালের ভেদরগঞ্জ উপজেলার হিসাব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা, পূবালী ব্যাংকের শ্যামবাজার শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাছুমা আকতার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার শফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু তালহা, বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের মুক্ত খবরের সাংবাদিক সুস্মিতা সেন ও তাঁর মা গীতা সেন, আমজাদ হোসেন, রাহাবুল, রিয়াজ, শামীম, আবদুর রাজ্জাক ও মাসুদ।গত শনিবার নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে চলমান রাজনৈতিক সংকট সম্পর্কে যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মনোভাবই প্রকাশিত হয়েছে। সিপিডিসহ চারটি বেসরকারি সংগঠন আয়োজিত এই সেমিনারে বর্তমান সংকট নিরসনে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত এবং সমঝোতার ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়ে তিন মাসের মধ্যে সবার অংশগ্রহণে যে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন; তা সবারই মনের কথা।বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন চলমান সমস্যার গঠনমূলক সমাধান করবে না। একজন ব্যবসায়ী নেতা সংকট নিরসনে গণতান্ত্রিক দলগুলো ব্যর্থ হলে দেশে উগ্র মৌলবাদী শক্তির পুনরুত্থান ঘটবে বলে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তার সঙ্গেও দ্বিমত করার কিছু নেই।এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই দায় রয়েছে। সরকার যেমন একতরফা নির্বাচন দেশবাসীর ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে, তেমনি বিরোধী দলও সেই নির্বাচন প্রতিরোধের নামে দেশ ও জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করতে জামায়াত-শিবিরের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ।এর প্রতিকার কী? আমরা মনে করি, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। বিচার চলবে। কিন্তু সেই বিচারের দোহাই দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা যাবে না। আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক দল কেন ভোটারবিহীন ও প্রার্থীবিহীন নির্বাচনের কেলেঙ্কারি মাথায় নেবে? এ ধরনের একটি নির্বাচন করার ফলে দেশে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দেখা দেবে, তাতে গত পাঁচ বছরে ক্ষমতাসীন দলটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে যে সাফল্য অর্জন করেছিল, তা-ও ম্লান হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরশাসকদের মতো পোড়ামাটি নীতি নিয়ে দেশ চালাতে না চায়, তাহলে তাদের উচিত হবে বর্তমান তফসিল বাতিল করে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। একই সঙ্গে বিরোধী দলকে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে।নাগরিক সমাজের আহ্বানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমরা মনে করি। দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীত হলে কেবল নির্বাচন নয়, দেশ শাসনের বিষয়েও মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় তিন জোটের রূপরেখাই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছিল।এ প্রসঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সেই বাণী স্মরণ করতে বলব। তিনি বলেছিলেন, ‘বিবাদে আমি না প্রতিপক্ষ কে জয়ী হলো সেটি বড় কথা নয়, বড় হলো জনগণের ওপর এর প্রতিক্রিয়া কী পড়ল।’ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সম্প্রতি একটি সভায় বলেছেন, ‘সংবিধান রক্ষার চেয়েও বেশি জরুরি দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা।’ আশা করি, সরকার সমঝোতার শেষ সুযোগটি হেলায় হারাবে না। |
ফেনী সদরের মহিপাল থেকে শতাধিক টিয়া পাখি উদ্ধার করেছে সামাজিক বন বিভাগ। ২৬ সেপ্টেম্বর মহিপাল সার্কিট হাউস সড়কের একটি বস্তির ঝুপড়িঘরে অভিযান চালিয়ে এসব টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়। পাখিগুলো অবমুক্তের জন্য গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।বন বিভাগ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনীর সামাজিক বন বিভাগের একটি বিশেষ টহল দল মহিপাল সার্কিট হাউস সড়কের বস্তি এলাকার একটি ঝুপড়িঘরে অভিযান চালায়। এ সময় ওই ঘরে প্রচুর টিয়া পাখি একাধিক খাঁচায় বন্দী অবস্থায় দেখতে পান বন কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের দেখে বাসার ভাড়াটে ও পাখির মালিক পালিয়ে যান।বন কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী অঞ্চলের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় বিশেষ ধরনের ফাঁদ পেতে অবৈধভাবে এসব পাখি ধরা হয়। অনেকে শখের বশে এসব পাখি কিনে বাড়িতে নিয়ে যান। ফেনীর বিভাগীয় সামাজিক বন কর্মকর্তা গোলাম মওলা পাখি উদ্ধার ও সেগুলো অবমুক্তের জন্য গাজীপুর পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।সমুচা-শিঙাড়া খেতে কার না ইচ্ছা করে। লোভনীয় হলেও খাবারটা আমি এড়িয়ে যাই। আমরা যাঁরা ঘরের বাইরে কাজ করি, তাঁদের জন্য ব্যায়াম করার আলাদা সময় বের করা কঠিন। এ কারণে খাওয়াটা বুঝেশুনে করা ভালো। খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে আমি সচেতন থাকি। পরিমিত খাই, কখনোই বেশি খাই না। বিশেষ করে ভাত ও রুটি পরিমিত পরিমাণে খাই। চর্বিযুক্ত খাবারটা এড়িয়ে যাই। পানি খাই বেশি। নিয়মিত ফলমূল আর দুধ খাই। ডিমের সাদা অংশ খেলেও কুসুমটা এড়িয়ে যাই। চা পান করি তবে চিনি ছাড়া।আর একটা বিষয় আমি খাওয়ার সময় খাই-ঘুমের সময় ঘুমাই। নিয়ম মেনে চলি, অনিয়ম করি না। এখন শারীরিক পরিশ্রম কম হয় বসে বসে কাজ করা হয়। তাই আমি ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি নিজের জন্য একটু সময় বের করতে। নিয়মিত যোগব্যায়াম করি। এতে শারীরিক-মানসিক উভয় অবসাদই কেটে যায়। সপ্তাহে তিন দিন ব্যায়ামাগারে ব্যায়াম করি। কলেজজীবন থেকেই আমি স্বাস্থ্যসচেতন ছিলাম। ছোটবেলায় খেলাধুলা করতাম। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া, সকাল সকাল ওঠা—এটাও আমার ছোটবেলার অভ্যাস। আমার সব সময় সাদামাটা থাকতে ভালো লাগে। হালকা সাজগোজ আমার পছন্দ। চোখে কাজল লাগাতে ভালোবাসি। বাইরে বের হওয়ার আগে ত্বকে সানব্লক লাগাতে ভুলি না। ঘরে ফিরে আমার একমাত্র রূপচর্চা হলো ক্লিনজার দিয়ে মেকআপটা তুলে ফেলা। আমি চুলের বিষয়ে সচেতন। সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলে প্রাকৃতিক কোনো প্যাক লাগাই। আমি বিশ্বাস করি, মন ভালো তো সব ভালো। মানুষ হিসেবে যে সুন্দর, দেখতেও তাঁকে সুন্দর লাগে। আমি সব সময় সেভাবে চলার চেষ্টা করি।দেশে কেন এত অরাজকতা, কেন এত অশান্তি? ওনারা তো কিছু হারায় না। হারাইলে বুঝত!’—ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চতুর্থ তলায় ব্লু জোনে চিত্কার করে কাঁদছিলেন আর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার ওপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন এক নারী। মাঝে মাঝেই মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী শফিকুল ইসলাম বংশাল শাখা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তা। অফিস শেষে বাসায় ফিরতে গিয়ে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় শিশুপার্কের সামনে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরের ২৩ শতাংশ পুড়ে গেছে।গাড়ি চালকের সহকারী হাফিজুল ইসলাম (২৫) বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। একদিন বইয়্যা থাকলে আমগো খাওয়াইবো ক্যাডা? হ্যাল্লাইগাই কামে বাইর অইছিলাম। অহন চিকিত্সার খরচ দিব ক্যাডা?’হাফিজুল মনে করে রাজনীতিবিদরা নিজেরা সমস্যার সমাধান না করে খেটে খাওয়া মানুষের ওপর জুলুম করছে। তিনি বলেন, ‘আইজ যারা পুইড়া গ্যাছে হ্যার কী দোষ কইরছে? হ্যারা সবাই তো নিজেগো কাজ কামের লাইগ্যা বাইধ্য হইয়া ঘরের বাইর অইছে। এরা কী ভোটার না? ভোট দিব না?’ব্যাংক কর্মকর্তা মাসুমা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার দেশে আমি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারব না। আতংক নিয়ে থাকতে হবে। রাস্তায় বের হলে ঘরে ফিরতে পারব কী না তার নিশ্চয়তা নেই। এটা আমাদের রাজনীতিবিদরা কী একটু ভাববেন?’ মাসুমা পূবালী ব্যাংক শ্যামবাজার শাখায় কর্মরত। অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে দগ্ধ হন মাসুমা। তাঁর শরীরের ১৭ শতাংশ পুড়ে গেছে।একুশে টেলিভিশনের মুক্ত-খবর অনুষ্ঠানে কিশোরী সুস্মিতা শখ করে সাংবাদিকতা করেন। বড় সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। আজ নিজেই খবরের শিরোনাম হয়ে গেল। তার শরীরের ১১ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার মা গীতা সেনও গুরুতর আহত। মায়ের পুড়েছে ২১ শতাংশ। তাদের স্বজনরা উদ্বিগ্ন এই অবস্থায়।আজ বৃহস্পতিবার রাতে পুরো বার্ন ইউনিটের অবস্থাই পুরোপুরি বিষণ্ন। কান্না আর আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের চিকিত্সক, নার্সসহ সব কর্মীরাই ব্যস্ত আহতদের শুশ্রূষায়। অনেকেরই কোন আত্মীয়স্বজন তখন পর্যন্ত এসে পৌঁছাননি। কাউকে কাউকে খবর দেওয়া হয়েছে। কেউই জানেন না কার অবস্থা কী রকম। বার্ন ইউনিটের পরিচালক ডা. সামন্তলাল সেন বললেন, এখনও বলা যাচ্ছে না কার অবস্থা কেমন। যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের এককেজনের কমপক্ষে ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় কয়েকজন চিকিত্সা নিয়ে ফিরে গেলেও ১৮ জন চিকিত্সাধীন রয়েছেন। শুক্রবার প্রত্যেকের অবস্থা সম্পর্কে অনুমান করা যেতে পারে বলে জানালেন সেখানকার চিকিত্সকরা।২৪ ডিসেম্বর মনজুরুল আহসান বুলবুলের ‘টিভি টক শো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে?’ কলামটির সারমর্ম ছিল এ রকম—টক শোগুলোতে কে অতিথি বা উপস্থাপক হবেন, তা নির্ভর করে টেলিভিশনের মালিক, কর্তৃপক্ষ বা অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারীর ওপর। এই স্বাধীনতায় সরকারের হস্তক্ষেপ নেই।লেখাটি পড়ে মনে হলো, লেখক হয়তো বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দুরবস্থা এবং সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেননি। শুধু টক শো কেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তো প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার।সম্প্রতি আওয়ামী লীগের চাপের মুখে সরকারদলীয় সাংসদ-মন্ত্রীদের সম্পদের তথ্য লুকানোর উপায় খুঁজছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে টিভি টক শো নিয়ন্ত্রণের খবর শুনে আশ্চর্য হওয়ার কী আছে?রবিউল করিমএলিট ফোর্স সিকিউরিটি সার্ভিস। |
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও বাংলাদেশ স্বপ্নের দেশ হয়ে উঠতে পারেনি। তবে হাল ছাড়েনি নতুন প্রজন্ম। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ‘জ্বলে শুধু এক শপথের ভাস্কর’ শিরোনামের বৃন্দ আবৃত্তিতে এভাবেই ওঠে এল তরুণ প্রজন্মের প্রতিজ্ঞার কথা।নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তধ্বনি আবৃত্তি সংসদ। মুক্তধ্বনির সদস্যদের বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় এ আয়োজন।আবৃত্তিতে অংশ নেন মশরুর হোসেন, ফাতেমা ইদ্রিস, দিদারুল আলম প্রমুখ। এরপর হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনা সভা শেষে মুক্তধ্বনি আবৃত্তি সংসদ আয়োজিত আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ২০১৩-এর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।মঞ্চনাটক থেকে টেলিভিশন। অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন দুই মাধ্যমই। নিয়মিত লিখছেন নাটক। অভিনয় বা ব্যক্তিগত জীবনে সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মুখটা অভিনেতা আজাদ আবুল কালামের। পরিচিত ব্যক্তিরা ডাকেন পাভেল নামেই। কর্মক্ষেত্র বা এর বাইরে একটা নিজস্ব স্টাইল আছে এই অভিনয়শিল্পীর।কাজের ফাঁকে আলাদা করে সময় রাখেন পড়া আর লেখার রাজ্যে বিচরণের জন্য। বাসায় এই সময়টা থাকেন আরামদায়ক কোনো পোশাকে। হতে পারে ফতুয়া বা টি-শার্ট। যখন যে পোশাকই পরেন না কেন সেটা ঢিলেঢালা হতে হবে। এই অভিনয়শিল্পীর ভাষায় ‘ল্যাল্লাড়া’ পোশাকই বেছে নেন।নিজের পছন্দের পোশাক নিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘পোশাক নিয়ে আমার ফিউশন ভাবনা আছে। একটা সময়ে তো পাঞ্জাবি প্যান্টের সঙ্গে ইন করে পরতাম। তবে কখনোই আঁটসাঁট বা শরীরের সঙ্গে লেগে থাকা পোশাক আমার পছন্দ না। যেকোনো অনুষ্ঠানে পোশাক ভেবেচিন্তে পরি।’নিজের সবচেয়ে পছন্দের পোশাকের মধ্যে আছে স্পোর্টস ট্রাউজার, টি-শার্ট। আর পায়ে থাকা চাই স্নিকার। যেকোনো দেশে গেলেই আগে খুঁজে বেড়ান পুরুষের ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ। তার মধ্যে নানা ধরনের গয়না আর হ্যাটই বেশি কেনেন। তাই সংগ্রহের ভান্ডারে আছে দেশ-বিদেশের গয়না ও টুপি। এ ছাড়া ঘড়ি সংগ্রহের নেশা আছে তাঁর। শত বছরের পুরোনো ঘড়িও আছে সে তালিকায়। এর পাশাপাশি একালের রঙিন ঘড়িও পরছেন। কালো রং পছন্দের বলেই পোশাকে সেটা বেছে নিতে চান বেশির ভাগ সময়। শার্টের সঙ্গে পরেন কোটি বা ওয়েস্ট কোট। গলা বা হাতে নানা ধরনের অনুষঙ্গ পরেন। চোখে পরেন চশমা। সেগুলোও দেখে বেছে কেনেন। ছোটবেলায় ব্র্যান্ডের প্রতি আলাদা আকর্ষণ থাকলেও এখন সেটা নেই। বললেন, ‘আজকাল পোশাকটা আমার পছন্দ হলেই কিনে ফেলি ঝটপট।’লেখালেখি করতে এখনো পছন্দ ফাউন্টেন পেন। পরে সেটাকে কম্পোজ করে নেন কম্পিউটারে। রাত জাগতেও পছন্দ করেন বেশ।গাছের সঙ্গে আছে সখ্য। সকালে উঠে বাসার গাছগুলোতে পানি দেওয়া বা ডাল ছাঁটার কাজও করেন মনের আনন্দে। স্ত্রী আর সন্তান কাব্যকে নিয়ে হুটহাট বেরিয়ে পড়েন হাঁটতে বা ঘুরতে। পুরো মাসের সর্বোচ্চ ১২ দিন রাখেন নাটকের শুটিংয়ের জন্য। আর বাকিটা সময় লেখা আর মঞ্চনাটকের জন্য রেখে দেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ১৮-দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে সারা দেশে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এরাই শাহবাগে বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ যাত্রীদের আহত করেছে।আজ বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এই দাবি করেন।প্রসঙ্গত, আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে একটি বাসে পেট্রলবোমার আগুনে ১৮ জন দগ্ধ হন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অভিযোগ করেন, তাঁদের ন্যায়সংগত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকার পুলিশ-র্যাব-বিজিবি ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে একদিকে নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে, অন্যদিকে নিজেদের এজেন্টদের দিয়ে যানবাহনে নাশকতা চালাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।ফখরুল ইসলাম বলেন, শাহবাগের এই ঘটনা আওয়ামী লীগ কর্তৃক হোটেল শেরাটনের সামনে বাসে গান পাউডার ছিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিরোধী দলের ওপর দায়ভার চাপানো আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি এবং অভ্যাস। এই দলটি একটি সন্ত্রাস-আশ্রিত দল। তিনি বলেন, বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পরও সরকারের সমর্থক গণমাধ্যমে তা বিকৃত করে প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।২৮ ডিসেম্বর আমি আমার মা বনশ্রী পালের হয়ে একটি বিশেষ পুরস্কার গ্রহণ করেছি। মায়ের উপস্থিত হতে অপারগতায় আজ আমি মায়ের প্রতিনিধি হয়ে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য এ সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেছি।দাদির এ সম্মানে আমার সদ্য ক্লাস সিক্সে পড়া ছেলেও উদ্বেলিত। সে এখনই স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে নিজ দেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে গিয়ে পড়ালেখা করার। কিন্তু কেন এই দূরের স্বপ্ন আমার ছোট্ট ছেলের ভাবনায়।মনে মনে অনেক ভেবেছি কেন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করেছেন। কিন্তু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই গেজেটে নাম দেখতে চাননি, চাকরিতে দুই-তিন বছরের অতিরিক্ত সুবিধার কথাও ভাবেননি।আমার মা বনশ্রী পাল নিভৃতে থেকে চেষ্টা করছেন নিজের চারপাশটা বদলে দেওয়ার। সমাজে কিছুটা আলো ছড়ানোর। তেমনই এক মায়ের ছেলে আমি। আজই প্রথম নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ভাবতে ভালো লাগল।মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে দেশ আজ বিভক্ত। কোটি কোটি মুক্তিকামী মানুষের বিপক্ষে গুটি কয়েক মানুষের বিরুদ্ধে মানুষই বিরোধী পক্ষে। কিন্তু স্বাধীনতাযুদ্ধের পরে যাদের জন্ম, যারা সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ তারা কেন গাছ কাটে, মাতম করে, আগুন ছুড়ে মারে?এর উত্তর কার কাছে পাব?পুলক পালশ্যামলী, ঢাকা। |
অবশেষে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ঘর পেল কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ও মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ৩০ পরিবার। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্ন সময় এসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা পরিবারগুলো। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ৪০টি পরিবার ঘর পায়।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আইলায় বিধ্বস্ত জেলাগুলোর চর এলাকায় জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম, মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ৭০টি ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ৭১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ধলঘাটায় ৪০টি, মাতারবাড়িতে ২০ ও কুতুবজোম ইউনিয়নে ১০টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় সিকদার এন্টারপ্রাইজ, আমিন কনস্ট্রাকশন ও কোয়ালিটি কনস্ট্রাকশন। কার্যাদেশ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১২ মার্চ থেকে শুরু করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা কথা ছিল। কিন্তু বরাদ্দ না পাওয়ায় যথাসময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ধলঘাটার ৪০টি এবং চলতি বছরের আগস্ট মাসে মাতারবাড়িতে ২০টি ও কুতুবজোমে ১০টি ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ি ইউনিয়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে নির্মিত ঘরে বসবাস করছেন বাসিন্দারা। এসব পরিবারের সদস্যদের বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করার জন্য ১০ পরিবার মিলে বসানো হয়েছে একটি করে নলকূপ।মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ফুলজান মোরার বাসিন্দা আশরাফ আলী বলেন, তিন বছর আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বাঁশের তৈরি কুড়েঘরটি ভেঙে যায়। নতুন করে ঘর তৈরি করার সামর্থ্য না থাকায় পরিবারের লোকজন নিয়ে পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিই। এখন নতুন ঘর পেয়ে একটা ঠিকানা হয়েছে।কামরাঙার আদি বাড়ি কই, কোথা থেকে কেমন করে আমাদের দেশে এসে মিলেমিশে থাকছে, সেটি নির্দিষ্ট করে জানা যায় না। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া ছিল তার আদি বাস। তারপর অভিবাসী হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। শহরাঞ্চলেও এই ফল এখন সহজলভ্য। যদিও একসময় শুধু এ দেশের গ্রামগঞ্জে পাওয়া যেত এটি।সবুজ রঙের ফলটিতে কী আছে, জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও অধ্যাপক আলেয়া মাওলা বলেন, এন্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম আর ভিটামিন সির বড় উৎস কামরাঙা। নিয়মিত কামরাঙা খেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর ত্বকও ভালো থাকে। শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পর আর যেসব রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে কামরাঙা, তা জেনে নেওয়া যাক। নিয়মিত কামরাঙা খেলে রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আসে। মাথা ব্যথা এবং জলবসন্ত হলে কামরাঙা খেলে উপকার পাওয়া যায়। কোনো কারণে চোখ ব্যথা করলে কামরাঙা খেলে ব্যথা কমে যায়। শিশুর জন্য পর্যাপ্ত বুকের দুধ পেতে, মায়েরা খেতে পারেন কামরাঙা। অতিরিক্ত গরমে অজ্ঞান হলে, জ্ঞান ফেরার পর কামরাঙার রস খেতে দিন। তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে। বমিভাব এবং হজমে সমস্যা দেখা দিলে প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর কামরাঙা খান। দ্রুত আরোগ্য হবে। সর্দি, কাশি প্রতিরোধ করে কামরাঙা। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ডায়েট করছেন, তাঁরা কামরাঙা নিয়মিত খেতে পারেন, উপকার পাবেন।এ তো গেল কামরাঙার গুণের কথা, বিপরীত কথাও আছে। সে সম্পর্কেও আলেয়া মাওলা বলেন, ‘কামরাঙায় অক্সালিক অ্যাসিড থাকায়, যাঁরা কিডনিজনিত রোগে ভুগছেন, তাঁদের কামরাঙা না খাওয়াই ভালো। কিন্তু বাকিরা আরাম করে, আয়োজন করে কামরাঙা খান। ভালো থাকবেন।’নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রদলের কর্মী বলে কথিত দুর্বৃত্তদের হামলায় আনোয়ার নামের ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা রামদাসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের এক বৈঠকে হামলা চালায় এবং অন্তত ১০ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলায় আনোয়ার ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।নিহত আনোয়ার হোসেন উপজেলা ছাত্রলীগের একজন সাধারণ সদস্য।এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ চলাকালে আজ সকালে ছাত্রদলের কর্মীরা একটি অটোরিকশায় আগুন লাগাতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা ধাওয়া করে দুজনকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।স্থানীয় লোকজন মনে করছেন, এ ঘটনায় ক্ষেপে গিয়ে ছাত্রদলের কর্মীরা প্রতিশোধ নিতে ছাত্রলীগের ওপরে হামলা চালিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল এলাকার পাইকশায় ছাত্রলীগের নেতা মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে আজ সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন ছাত্রলীগের নেতারা। সেখানে ছাত্রদলের কথিত কর্মীরা হামলা চালান।এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।পাইরেসির সঙ্গে কিছুতেই পেরে উঠছেন না যেন তাঁরা। যতই বজ্র আঁটুনি ব্যবস্থা করা হয়, ততই ফসকা গেরো বের হয়ে আসে। বেহুলার বাসরঘর যেন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগেই ভিডিও অনলাইনে চলে আসার শিকার হলেন মাইলি সাইরাস। তাঁর নতুন ভিডিও গান ‘অ্যাডোর ইউ’ কারা জানি ছেড়ে দিয়েছে অনলাইনে।ক্ষুব্ধ, বিরক্ত সাইরাস এ নিয়ে টুইট করে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, এভাবে ফাঁস না হলে এই গানটিও সব রেকর্ড হয়তো ভেঙে দিত। আইএএনএস। |
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আমনের ভরা মৌসুমে ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কম বরাদ্দ দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা। এদিকে সংকট মোকাবিলায় ইউরিয়া সারের জন্য জরুরি বরাদ্দ চেয়ে ২২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুল আবছার চকরিয়া উপজেলায় ইউরিয়া সার-সংকটের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, ২০১১-১২ অর্থবছরে এই উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার জন্য ইউরিয়া সারের বরাদ্দ দেওয়া হয় আট হাজার ৬০ মেট্রিক টন। ওই সময় কয়েক দফা বন্যার ফলে চাষাবাদ কম হয়।এ ছাড়া যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অনেক ডিলার বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করতে পারেননি। ফলে অনেক সার ফেরত যায়। যার ফলে এবার বরাদ্দ কম দেওয়া হয়।অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয় চকরিয়ার জন্য ইউরিয়া সার বরাদ্দ দেয় ছয় হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন, যা গত বছরের তুলনায় এক হাজার ৫৩৭ মেট্রিক টন কম। অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে চলতি আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের সংকট হয়েছে।চকরিয়া উপজেলা কৃষি বর্গাচাষি সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন, ‘এখন আমনের ভরা মৌসুম। কিন্তু কৃষকেরা ডিলারের কাছে সারের জন্য গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসছেন। এমন সময় সার পাওয়া না গেলে আমন চাষে বির্পযয় দেখা পাবে।’উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। চারা রোপণকাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে খেত পরিচর্যা। পুরো মৌসুমে সংকট মোকাবিলায় আরও ৭৮৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন রয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ বলেন, ৭৮৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ চেয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ২২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।মনির খান শিমুল প্রথম অভিনয় করেন চলচ্চিত্রে। ছবির নাম একাত্তরের যিশু। সময়টা ছিল ১৯৯৩ সাল। ওই বছরই অভিনয় করেন টিভি নাটকে। এরপর মডেলিং, টিভি আর মঞ্চনাটক নিয়েই ছিলেন ব্যস্ত। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। কিন্তু এর ফাঁকেই তিনি আরেকটি কাজ করেছেন কিছুটা গোপনে। তিনি নাটক লেখার পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেছেন ছদ্মনাম। এ ব্যাপারে শিমুলের কথা হলো, ‘আত্মবিশ্বাসের অভাব বলব না, নিজের মনে কেমন যেন ভীতি কাজ করত। এবার এই ভীতিটা কাটিয়ে দিয়েছে ভূতের বাড়ি নাটকটি। ঈদে এটি প্রচারিত হয়েছে গাজী টিভিতে।’শিমুল আরও বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে আমরা বন্ধুরা মিলে একটি সংগঠন করেছিলাম। নাম ছিল জলছবি। এই সংগঠনের প্রায় সবাই ছিলেন নির্মাতা। তাঁদেরকে দেখে দেখেই নাটক নির্মাণের আগ্রহটা তৈরি হয়। প্রথম নাটক তৈরি করেছিলাম একুশে টিভির জন্য। তখন একুশে টিভি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নাটক দুটি এনটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। আমি নাট্যকার ও পরিচালক হিসেবে ঋত্বিক কথক নামটি ব্যবহার করতাম।’এরই মধ্যে শিমুলের পরিচালনায় প্রচারিত হয়েছে কয়েকটি নাটক। আর ছদ্মনাম নয়, এখন থেকে নিজের নামই ব্যবহার করবেন তিনি। এখন তিনি দুটি ধারাবাহিকের কাজ করছেন—শঙ্খ সাদা পরিবার ও কোথাও কিছু আছে। আর এক ঘণ্টার নাটকটি হলো—বাট কিন্তু হোয়াট কী। রাজধানীর শিশুপার্কের সামনে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, গাড়িচালকসহ ১৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ লোকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।শাহবাগ এলাকায় শিশুপার্কের সামনে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের বাসে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহবাগ শিশুপার্কের সামনে যাওয়ার পরই বাইরে থেকে কেউ বাসটি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। এরপর তাঁরা হঠাত্ করেই বাসের সামনের দিকে আগুন দেখতে পান। সেই আগুন মুহূর্তেই ভেতরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার লাইটপোস্ট ভেঙে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে অন্তত ১৮ জন দগ্ধ হন।অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন গাড়ির চালক মাহবুবুর রহমান, চালকের সহকারী হাফিজুল ইসলাম, রবিন, পুলিশের হাবিলদার নূরনবী, আইনজীবী খোদেজা নাসরিন, বরিশালের ভেদরগঞ্জ উপজেলার হিসাব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা, পূবালী ব্যাংকের শ্যামবাজার শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাছুমা আকতার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার শফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু তালহা, বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের মুক্ত খবরের সাংবাদিক সুস্মিতা সেন ও তাঁর মা গীতা সেন, আমজাদ হোসেন, রাহাবুল, রিয়াজ, শামীম, আবদুর রাজ্জাক, নাহিদ ও মাসুদ। বর্তমানে পরীক্ষার পূর্ব রাতে প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। তা সে সার্টিফিকেট পরীক্ষা হোক, আর চাকরির পরীক্ষা হোক। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটা প্রশ্নপত্র পরীক্ষার পূর্ব রাতে অনেক টাকায় বিক্রি হয়েছে।দেখে মনে হচ্ছিল, টাকাওয়ালা লোকের জন্যই কর্তৃপক্ষ চাকরি বিক্রি করছে। যার যত টাকা, তার তত যোগ্যতা। বিত্তের কাছে বিদ্যা এভাবে পর্যুদস্ত।অনেকে পরীক্ষার হলে মোবাইলে প্রশ্নের উত্তর শুনে, আবার কেউ মোবাইলে পাওয়া মেসেজ থেকে উত্তর দেখে বৃত্ত ভরাট করে। মনে হচ্ছিল, শিক্ষকতার মতো মহান পেশা পরীক্ষা নামক প্রহসনের কাছে পরাজিত হচ্ছে। এসব ঘটনায় যুবসমাজের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।তাই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার অনুরোধ করছি।অনুপম গোলদারডুমুরিয়া, খুলনা। |
আট বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ওই নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন হচ্ছে না। চতুর্থবারের মতো পিছিয়ে সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ অক্টোবর। এখন ভোট আদায়ের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রত্যাশীরা কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, অনেকে পছন্দের নেতাকে জয়ী করতে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। অনেকে আবার সম্মেলন পণ্ড করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন। সম্মেলনের দিন কাউন্সিলরদের ভোটে নেতা নির্বাচন হয় কি না সন্দেহ রয়েছে।সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তনের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা সময় দিতে না পারায় ৩০ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে সম্মেলনের তারিখ আগামী ৪ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে অবশ্যই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। এ ছাড়া বন ও পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর ও কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন।নেতা-কর্মীরা জানান, সভাপতি পদ-প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে আহমদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও অর্থ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রত্যাশীরা হলেন পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, রামু উপজেলা কমিটির সভাপতি সোহেল সরওয়ার, চকরিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি জাফর আলম ও পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার।জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুল আলম বলেন, পক্ষে-বিপক্ষের উত্তেজনার কারণে এ পর্যন্ত জেলা সম্মেলন চারবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবারও যদি সম্মেলন না হয়, তাহলে তৃণমূলে ক্ষোভ ও হতাশা আরও বাড়বে। দলীয় সূত্র জানায়, ২৯৮ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। ২০ সেপ্টেম্বর জেলা আ.লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আটটি উপজেলা, একটি সাংগঠনিক উপজেলা ও দুটি পৌরসভা কমিটি থেকে এসব কাউন্সিলর নির্বাচন করা হয়।দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও কৃষ্ণাঙ্গদের দেশছাড়া করার ষড়যন্ত্রের জন্য ২০ জন উগ্রপন্থীর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গতকাল মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে।সাজা পাওয়া ২০ জন ‘বোয়েরেমাগ’ নামের একটি উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্য। বর্ণবাদী ডানপন্থী এ সংগঠনটি ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) দলের সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিল। ২০০২ সালে তারা দেশে অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা চালায়।বোয়েরেমাগের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রায় এক দশক ধরে বিচার চলার পর গত বছরের আগস্ট মাসে উল্লিখিত ২০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। গত সোমবার প্রিটোরিয়ায় হাইকোর্টে তাঁদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরু হয়।রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এসবিএসির খবরে জানানো হয়েছে, চক্রান্তের মূল পরিকল্পনাকারী বোয়েরেমাগ নেতা মাইক ডু টোইটকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক টোইটকে উগ্রবাদী সংগঠনটিতে তাঁর নেতৃস্থানীয় ভূমিকার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সংগঠনটির এক নেতাকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য ১৮ জনের পাঁচ বছর থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান হয়। সব জাতির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা ম্যান্ডেলা। তিনি ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা ছাড়েন।বোয়েরেমাগের সদস্যরা ম্যান্ডেলাকে হত্যার পরিকল্পনা করা ছাড়াও পুলিশ, রেলপথ, সেতু ও বৌদ্ধদের উপাসনালয়ে বোমা হামলার মাধ্যমে সরকার উৎখাতের চেষ্টা চালায়। ২০০২ সালের অক্টোবরে সোয়েটোতে তাদের বোমা হামলায় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। রয়টার্স ও নিউজটোয়েন্টিফোর।প্রশ্ন করা সহজ, কিন্তু উত্তর দেওয়া কঠিনই বটে। সাত বছরের বালক প্রশ্ন করে আটকে ফেলতে পারে যেকোনো বিজ্ঞ-বর্ষীয়ানকে। ব্রিটিশ ক্রীড়ামন্ত্রী হেলেন গ্রান্টের ক্ষেত্রে নিশ্চয় এমনটা ঘটেনি। তবে তাঁর ক্রীড়া-সম্পর্কিত জ্ঞানের দৌড় দেখে আপনার চোখ কপালে উঠতেই পারে!হয়েছে কী, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের আইটিভির এক স্পোর্টস কুইজে অংশ নেন ব্রিটিশ ক্রীড়ামন্ত্রী। তাঁকে খেলাধুলা-সম্পর্কিত পাঁচটি প্রশ্ন করা হয়। ফলাফল—ইয়া বড় আন্ডা! একটি প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি গ্রান্ট। বিষয়টি বেশ হাস্যরস সৃষ্টি করেছে দেশটির ক্রীড়াঙ্গনে।বেমক্কা প্রশ্নে তাঁকে আটকে ফেলেছে; তা-ও কিন্তু নয়। প্রশ্নগুলো ছিল খুব সহজ। যেমন—এ বছর উইম্বলডনের মহিলা একক কে জিতেছেন? কিছুক্ষণ হাতড়ে জবাব দিলেন, ‘উমমম... তিনি আমাদের দেশের নন। তবে আমি জানি অ্যান্ডি মারে এ শিরোপা জিতেছিল। যেটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দদায়ক।’ প্রশ্ন ছিল কী আর উত্তর দিলেন কী! আসলে সঠিক উত্তর—মারিওন বারতোলি।পরের প্রশ্নটি অরো জলবত তরলং। বর্তমান এফএ কাপ জয়ী কোন দল? প্রশ্ন শুনে যেন অকূল পাথারে পড়লেন ব্রিটিশ মন্ত্রী। তাঁর তথ্য কর্মকর্তাকে বললেন, ‘একটু সাহয্য কর!’ এরপর যে উত্তরটি দিলেন তাতে মুখ টিপে হাসতে হবে। বললেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড; কেননা এটি আমার প্রিয় ক্লাব।’ প্রশ্নের সঠিক উত্তর—উইগ্যান অ্যাথলেটিক।পরের তিনটি প্রশ্ন ছিল এমন—ইংল্যান্ড রাগবি ইউনিয়নের অধিনায়ক কে? কোন বছরে মেইডস্টোন ইউনাইটেড ফুটবল লীগ ত্যাগ করে? কোন প্যারা অলিম্পিয়ান লন্ডন ২০১২-এ সবচেয়ে বেশি পদক পেয়েছেন? বলাই বাহুল্য, একটি প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি এ ব্রিটিশ নারী ক্রীড়ামন্ত্রী। তবে তিনি বলেছেন, ‘যদি জানতাম, ভালোভাবে রিভিশন দিয়ে আসতাম।’ এরপর কোনো টিভি অনুষ্ঠানে এলে হয়তো মাথাটা ভালো করে ঝালাই করেই আসবেন গ্রান্ট।চ্যানেল আইবেলা ২-৩০ অ্যানাকোন্ডা (আইস কিউব, জেনিফার লোপেজ)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ স্ত্রী হত্যা।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ আসামী গ্রেফতার (ইলিয়াস কাঞ্চন, দিতি, শাহনাজ)।বাংলাভিশনবেলা ১-০৫ অবিচার (মিঠুন, রোজিনা, উৎপল দত্ত)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ বাংলার বউ।মাছরাঙা টিভিসকাল ৯-০২ বাবার কসম (মান্না, নিপুণ)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ খেয়া ঘাটের মাঝি (ফেরদৌস, মৌসুমী)।জি টিভি (গাজী টিভি)বেলা ১১-৩৫ রক্তের অধিকার (ইলিয়াস কাঞ্চন, মৌসুমী)।এসএ টিভিসকাল ৯-৩০ যেখানে তুমি সেখানে আমি।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ পিতৃঋণ (অভিষেক, চিরঞ্জিত, দেবশ্রী রায়)।সনি আটবিকেল ৪-৩০ ত্রিশঙ্কু।জলসা মুভিজসকাল ৯-২০ আজব গাঁয়ের আজব কথা (সৌমিত্র, মনোজ মিত্র, দেবশ্রী রায়)। ১১-৫৫ সকাল সন্ধ্যা (প্রসেনজিৎ, রচনা, অভিষেক)। ৩-২৫ প্রতিধ্বনি (রাহুল, প্রিয়াঙ্কা, রঞ্জিত মল্লিক)। ৬-৪০ জীবন নিয়ে খেলা (রঞ্জিত মল্লিক, দেবশ্রী রায়, সুপ্রিয়া চৌধুরী)। ৯-৩০ প্রেম আমার (সোহম, পায়েল, লাবনী)।জি সিনেমাসকাল ৮-৫৪ আর্মি (শাহরুখ খান, শ্রীদেবী)। ১১-৫২ মাস্টারজি (রাজেশ খান্না, শ্রীদেবী, অনিতা রাজ)। ৩-০৪ আর্য কি প্রেম প্রতিজ্ঞা (আল্লু অর্জুন, অনুরাধা)। ৬-১১ আগ কি গোলা (গৌতম, শ্রীদেবী)। ৯-০০ সালাখেঁ (সানি দেওল, রাভিনা)।জি প্রিমিয়ারসকাল ১০-০০ ইস রাত কি সুবা নেহি (তারা দেশপান্ডে, অখিল মিশ্র)। ১-৩০ মেরি ইজ্জত (চিরঞ্জীবি, সিমরান)। ৫-৩০ ফতেহ (সঞ্জয় দত্ত, সোনম, শাবানা আজমি)। ৮-৩০ শেহের (মাহিমা, আরশাদ ওয়ার্সি)।সনিবিকেল ৫-০০ রোবোট (রজনীকান্ত, ঐশ্বরিয়া রাই)।সেট ম্যাক্স (ভারত)সকাল ৯-১৫ তা রা রাম পাম (সাইফ আলী খান, রানী মুখার্জি, ভিক্টর ব্যানার্জি)। ১২-৩৫ জুড়ুয়া (সালমান খান, রম্ভা, কারিশমা কাপুর)। ৩-৩০ ডন নাম্বার ওয়ান (নাগার্জুন, আনুশকা)। ৬-০৫ কিউ কি...ম্যায় ঝুট নেহি বোলতা (গোবিন্দ, সুস্মিতা সেন, রম্ভা)। ৯-৩০ এক থা টাইগার (সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ)।ফক্স মুভিজসকাল ৯-৫৫ ব্রেভ। ১১-৩০ ড্রেড। ১-০৫ আইস এজ। ৪-১০ দ্য হবিট। ৭-০০ দ্য আদার গাইজ (উইল ফেরেল, মার্ক ওয়ালবার্গ)। ৮-৫০ কুংফু হাসল। ১০-২৫ রে ডনোভ্যান। ১১-১৫ ড্রেড।এইচবিওসকাল ১০-০৪ লারা ক্রফট: টুম্ব রাইডার (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, জেরার বাটলার)। ১২-১৯ আরগো (বেন অ্যাফ্লেক)। ২-৩৬ অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ (জ্যাকি চ্যান)। ৪-৫৫ ইউএস মার্শালস (টমি লি জোনস, ওয়েসলি স্নাইপস, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র)। ৭-৩৩ রাইজ অব দ্য গার্ডিয়ানস। ৯-৩০ দ্য হাঙ্গার গেমস (জেনিফার লরেন্স)। |
হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ কাদেরীয়া চিশ্তীয়া পরিষদের সাধারণ সভা ১৯ সেপ্টেম্বর সংগঠনের কার্যালয়ে মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও এস এম রাকিব উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ আবদুল হালিম, হাফেজ মুহাম্মদ জানে আলম, মুহাম্মদ খোরশেদুল আলম, মুহাম্মদ উল্লাহ্, মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন, মুহাম্মদ হান্নান উদ্দিন, মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে ৫৭৯ ট্রাক শিল্পের কাঁচামাল আটকা পড়েছে। টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের কারণে এসব মাল কারখানায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।এতে দেশীয় শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হয়ে বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে হরতালের কারণে সরকারের ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার ফাইজুর রহমান জানান, এই বন্দরে দৈনিক গড়ে সাড়ে নয় কোটি টাকা করে রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। অথচ হরতালের প্রথম দুই দিনে আদায় হয়েছে মাত্র এক কোটি ৬২ লাখ টাকা। এতে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ১৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।বন্দর সূত্রে জানা গেছে, শুল্কায়নের কাজ শেষ হলেও হরতালের কারণে ৫৭৯ ট্রাক পণ্য এখন আটকা রয়েছে।বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুটো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের কাজীর দেউরি এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুজন মারা যাওয়ার ঘটনায় চকবাজার থানায় করা একটি এবং নাসিমন ভবনে মারামারির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা আজ রাতে ঢাকা যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে যান। সেখানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।বিমানবন্দরের অভিবাসন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে এলে মীর নাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।তথ্য ও বিনোদনকুয়াশাসত্য বা রহস্য কাহিনি নিয়েকথাবন্ধু শারমীনের সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০] |
সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিরসরাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মিরসরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে পালিত হয় ওই কর্মসূচি।কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মঞ্জুর কাদের চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক নিজামীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন শিক্ষক নেতা আবুল কালাম আজাদ, নুর উদ্দিন চৌধুরী, নাছিমা আক্তার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা চত্বর থেকে বের হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।মা বা স্ত্রী, ভূমিকা যাই হোক না কেন, ব্যস্ততার কমতি নেই কারও। কখনো ঘরের কাজে কখনো কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকেন।অনেক সময় দেখা যায় তাঁকে সাহায্য করার জন্য কেউই থাকে না। এমনকি ছুটির দিনগুলোতে সব কাজ তাঁকে একাই করতে হয়। তাঁকে যে সাহায্য করতে হবে, এই অনেকের মধ্যে নেই। স্ত্রীই সব দিন রান্না করবেন, ঘর গোছাবেন এটি আমরা ধরে নেই। তাঁর স্বামীও তো এক দিন তাঁকে ঘরের কাজে সাহায্য করতে পারেন। দেখবেন তিনি কত খুশি হন। আবার সন্তানেরাও দেখা গেল ছুটির দিনে মাকে সাহায্য করল বা বাবার সঙ্গে মিলে কোনো কিছু রান্না করে মাকে অবাক করে দিল। এমন ছোট ছোট বিষয়ের মাধ্যমে পারিবারিক বন্ধনও দৃঢ় হবে।মনোবিজ্ঞানী তামিমা তানজিনের মতে, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের বাসার কাজে সহযোগিতা করা শেখাতে হবে। কারণ, এখনকার বেশির ভাগ শিশুই কাজের লোকের ওপর নির্ভর। আবার মা-বাবা অনেক বেশি আদর দিয়ে এটা বোঝান যে তাদের কাজ করার কোনো দরকার নেই। ফলে ছোটবেলা থেকেই আর কোনো কাজ করা শিখে না। কাজ শিখলে শিশু যে শুধু আনন্দই পাবে তা নয়, এতে করে মা-বাবার সঙ্গে তার বোঝাপড়াও ভালো হবে।একসঙ্গে সময় কাটাতে পারবে।ছুটির দিনগুলোতে মা যদি তাঁর কাজগুলো সন্তান বা সন্তানদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন তাহলে মায়ের ওপর থেকে কিছু কাজের চাপ কমতে পারে। সন্তানও আত্মনির্ভরশীল হবে। স্বামীদেরও উচিত ছুটির দিনগুলোতে স্ত্রীকে কাজে সাহায্য করা।এ থেকে তাঁদের ও সন্তানদের মধ্যে পরস্পরকে সাহায্য করার মনোভাব গড়ে উঠবে। ঢাকার একটি কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক স্বপন কুমার মিত্র। ছুটির দিনগুলোতে তিনি স্ত্রীকে রান্নাবান্নায় সহযোগিতা করেন। তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদেরও নিজের কাজ নিজে করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। বিশেষ করে নিজেদের জামাকাপড় ধোয়া এবংনিজেদের বিছানা গুছিয়ে রাখা। তাঁর মতে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো মনোমালিন্য বা মান-অভিমান হলে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সম্পর্ক সহজ হয়। মাকে বাবা সাহায্য করছেন এটি দেখলে সন্তানেরাও নিজের কাজ নিজে করে। পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব তৈরির জন্য এই সময়টুকু প্রয়োজন।গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইসমাত রুমিনা বলেন, এ সময়ে স্বামী-স্ত্রী-সন্তান সবাই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোয়ালিটি সময় কাটানোও দুষ্কর হয়ে যায় তাঁদের জন্য। কিন্তু সুস্থ পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য সময় দিতে হবে পরস্পরকে। সে জন্য ছুটির দিন বা সুযোগ পেলেই পরস্পরকে ঘরের কাজে সাহায্য করলে একসঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটানো যায়। সন্তানেরাও শুধু ফেসবুক বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে মাকে সাহায্য করলে, পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শিখবে।একজন নারী স্বামী-সন্তানকে ভালোবাসবেন, তাদের কষ্ট হবে এমন কিছু করবেন না, এটি যেমন ঠিক। আবার সংসারের কাজে তাদের একটু একটু করে যুক্ত করলে এটি সবার জন্যই ভালো কিছু বয়ে আনবে।কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা এবং মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন একজন শিক্ষক। তিনি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার আইরিশ কোচিং সেন্টারের পরিচালক মাহমুদুর রহমান (৩০)।মুঠোফোনে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাহমুদুরকে আজ বৃহস্পতিবার শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে কৌশলে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয় তাঁকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ফেরদৌস জামান মাহমুদুরকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।বগুড়ার সদর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া জানান, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের মাহমুদুর শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় আইলিট কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পড়াতেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠলে তাঁকে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, সম্প্রতি আইলিট কোচিং সেন্টারের পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শহরের রহমান নগর এলাকার ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন অভিভাবক মাহমুদুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে খুদে বার্তা পাঠাতেন মাহমুদুর। ওই বার্তায় স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অভিভাবকদের কাছে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করতেন তিনি। এসব অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। পরে পুলিশ মাহমুদুরের ব্যবহূত নম্বরটি শনাক্ত করতে প্রযুক্তির ফাঁদ পাতে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, ‘মাহমুদুর আমার মেয়েকে পড়াতেন। এ কারণে তাঁর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। পরিবারের সবাই তাঁকে ভালো ছেলে হিসাবেই চিনতেন। বেশ কিছুদিন থেকে অচেনা একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তিনি ১০ হাজার টাকা না দিলে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দেন। একই সঙ্গে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও কথা বলেন।’বেঙ্গল শিল্পালয়, ধানমন্ডিশিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজন। জয়নুল আবেদিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী ‘শিল্পাচার্যের প্রসারিত শিল্পাঙ্গন’। চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।বেঙ্গল লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউকাশেফ মাহবুব চৌধুরীর স্থাপত্যকলা প্রদর্শনী ‘ধীর জন্মেই জীবন’। চলবে।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড্ভালোবাসা আজকাল ও উধাও। বেলা সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: সকাল ১০টা ৫০ ও বিকেল সাড়ে চারটায়। স্পিড: বেলা একটা ৪০ ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। প্যাসিফিক রিম থ্রিডি: বেলা ১১টা, দেড়টা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। দ্য কানজারিং: বেলা ১১টা ১০, পৌনে দুইটা, বিকেল পৌনে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। দ্য হাঙ্গার গেমস: সকাল ১০টা ৫০, বেলা পৌনে দুইটা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। |
কোনাল। সংগীতশিল্পী, অভিনয়ও করেছেন। চ্যানেল আইয়ের ১৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ‘ওয়ালটন ঘরে ঘরে গানের উৎসব’ অনুষ্ঠানে গান গাইবেন তিনি। গান করার পাশাপাশি তিনি অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও উপস্থাপনাও করবেন।ওয়ালটন ঘরে ঘরে গানের উৎসব...আজকের অনুষ্ঠানটি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। আড়াই ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে আজ গান গাইবেন সেরাকণ্ঠ, খুদে গানরাজ এবং নব গানে নব প্রাণে অনুষ্ঠানের শিল্পীরা। তাঁদের মধ্যে আছেন ঝিলিক, মুগ্ধ, পূজা, মনির, অর্ণা, মেহেদি, প্রান্তি, জুয়েল, মুন্না, অনন্যা, আশা ও স্বপ্নীল। থাকছি আমিও। আড্ডা আর গান দিয়ে অনুষ্ঠানটি স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।আমার প্রথম গান...চার বছর বয়সে আমি প্রথম গান করি। মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের কিশলয় স্কুলের মাঠে ঈদের একটি অনুষ্ঠানে। ওই বছরই পরিবারের সবার সঙ্গে আমি কুয়েতে চলে যাই।শেকড়ের টানে...কুয়েতে যাওয়ার পর অবশ্য প্রতি বছরই বাংলাদেশে আসতাম। ২০০৮ সালে আসার পর মনে হলো—বাংলা গান নিয়ে কিছু করতে হলে বাংলাদেশে থেকেই করতে হবে। তারপর সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় নাম নিবন্ধন করা এবং স্থায়ীভাবে ঢাকায় থাকা।বিজ্ঞাপনচিত্রে আমি...একটিমাত্র বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেছি। ইদানীং বিজ্ঞাপনচিত্রেও কণ্ঠ দিচ্ছি।আমার পড়াশোনা...ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে (ইউল্যাব) মিডিয়া স্টাডিজ ও জার্নালিজম বিষয়ে স্নাতক শেষ সেমিস্টারে পড়ছি।এখন আমি...২০০৯ সালে ‘সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গানে খুব একটা মন দিতে পারিনি। কয়েক মাস ধরে আবার গানে মনোযোগী হয়েছি। চলচ্চিত্রে ও নাটকের গানে কণ্ঠ দিচ্ছি এবং বিভিন্ন অ্যালবামে গান করছি।বিনোদন প্রতিবেদকক্লান্তি দূর করতে, অতিথি আপ্যায়নে সবুজ চায়ের জুড়ি নেই। এই চায়ের আরেকটি বড় গুণ আবিষ্কার করেছেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে, সবুজ চায়ে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। এমনকি যাঁরা নিয়মিত সবুজ চা পান করেন, তাঁদের স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কম।চীন, জাপান, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে চায়ের ওপর অনেক গবেষণা হয়েছে। জানা গেছে, এই চায়ে ঔষধি গুণাগুণসহ রয়েছে ভিটামিন,খনিজ লবণ ও রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পলিফেনলস।গবেষকদের মতে, চায়ের এসব উপাদান শরীরে ক্যানসার গঠনের প্রতিটি স্তরে সক্রিয় প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। ক্যানসার তৈরি হওয়ার উপাদানগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। দেহকোষ ক্যানসারে রূপান্তরিত হতে শুরু করলে চায়ের পলিফেনল বিশেষ করে কোটসিল ভিটামিন ও খনিজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। চায়ের বিশেষ পলিফেনল উপাদানটি ক্যানসার কোষের রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ক্যানসার কোষ বিনষ্ট করে দেয়। চা-পাতার পলিফেনল স্তন, খাদ্যনালি, প্রস্টেট ও মুখের ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষভাবে কাজ করে।সবুজ চায়ের উপকার পেতে হলে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ কাপ সবুজ চা পান করতে হবে। সবুজ ও লাল চা দুটোতেই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তবে সবুজ চা পাতায় সতেজতা অনেক বেশি এবং খেতে ভালো। মনে রাখতে হবে যে দুধ-চিনি দিয়ে চা-পান করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এতে চায়ের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।এ ছাড়া স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সবুজ চায়ের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি, মাশরুম, আম, জাম, পেয়ারা, বেদানা, তরমুজ ও আপেল খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে। সবুজ চায়ের সম্পূর্ণ গুণাগুণ পেতে হলে নিম্ন উপায়ে চা তৈরি করতে হবে:ক. চায়ের কেতলি গরম রাখার জন্য গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।খ. এক কাপ চায়ের জন্য কেতলিতে এক চা চামচ সবুজ চা নিতে হবে।গ. ফুটন্ত পানি কেটলিতে ঢেলে কেটলির মুখ বন্ধ করে তিন থেকে পাঁচ মিনিট রাখতে হবে। তারপর পরিবেশন করা যাবে।ঘ. চা সঙ্গে সঙ্গে পান না করা হলে চা-পাতাগুলো তুলে ফেলে দিতে হবে, তা না হলে চায়ের স্বাদ তিতা হয়ে যাবে।ঙ. চায়ের স্বাদে ভিন্নতা আনতে এক টুকরো আদা (ছেঁচে)ও দারচিনি দিতে পারেন।লেখক: চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ব্রেস্ট ক্যানসার সাপোর্ট গ্রুপভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন কুইজ প্রতিযোগিতা কৌন বানেগা ক্রোরপতির সপ্তম মৌসুমে প্রথমবারের মতো এক নারী পুরস্কার জিতেছেন। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ বলছে, প্রতিযোগিতায় জিতে ফিরোজ ফাতেমা এক কোটি রুপির (প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা) অধিকারী হয়ে গেছেন।প্রতিবেদনে বলা হয়, ২২ বছর বয়সী ফিরোজ ফাতেমার বাড়ি উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে। স্নাতক শেষে ফিরোজ ফাতেমা পড়াশোনার পাঠ চুকান। আরও বেশি লেখাপড়া চালিয়ে গেলে বোনের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত বলে তাঁর এ উদ্যোগ।ভারতের খ্যাতনামা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের উপস্থাপনায় আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পেছনে ফিরোজের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কিছু অর্থ লাভ করা, যাতে তাঁর মৃত্যুর আগে বাবার করে যাওয়া ঋণগুলো শোধ করা যায়। কেবল সংবাদপত্র পাঠ ও টিভির সংবাদ দেখে তিনি জ্ঞানার্জন করেছেন।ফিরোজ বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের শেষ পর্বে যখন হট সিটে যাওয়ার জন্য উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তখন খুবই বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, খালি হাতে বাড়িতে ফিরতে হবে। কিন্তু পরে প্রথম রাউন্ডে সবার আগে উত্তরের জন্য হাত তুলি আর হট সিটে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাই। পরে দর্শকদের হাততালি শুনে এবং যখন দেখলাম যে বচ্চন সাহেব খুশিতে আমাকে জড়িয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, তখন বুঝলাম আমি এক কোটি রুপি জিতে গেছি। দারুণ এক অনুভূতি।’ফিরোজ চাইছেন, পুরস্কারের অর্থে নিজের উচ্চশিক্ষা চালাবেন এবং মায়ের জন্য একটি নিশ্চিন্ত জীবনের আয়োজন করবেন। আসছে ১ ডিসেম্বরে সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনে পর্বটি সম্প্রচারিত হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয় ও সোচ্চার হয়েছেন। এদের ব্যাপারে সবার সজাগ থাকতে হবে। আজ রোববার গণভবনে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।৫ জানুয়ারি নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে বিশিষ্টজনদের দেওয়া পরামর্শ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁরা কি অসাংবিধানিক পন্থা চাইছেন? নির্বাচন একটা পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন নির্বাচন বন্ধ করতে হলে অসাংবিধানিক পন্থায় যেতে হবে। বিশিষ্টজনেরা কি সেই পন্থা চান? অবশ্য অসাংবিধানিক পন্থা থাকলেই বিশিষ্টজনদের কদর বাড়ে। তাঁদের অবশিষ্ট কাজটুকু হয়ে যায়।’গতকাল শনিবার এক আলোচনা সভায় সংকট এড়িয়ে রাজনৈতিক সমঝোতার পথ প্রশস্ত করতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করার পরামর্শ দেন বিশিষ্টজনেরা। ‘সংকটে বাংলাদেশ, নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এই বৈঠকের আয়োজন করেছিল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু বিশিষ্টজন হঠাত্ করেই বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেককে এক-এগারোর সময়ও দেখা গিয়েছিল।’ নাগরিক সমাজের এই প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, ‘তাঁদের এই চেতনা এত দেরিতে কেন এল? যখন হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেল, বাসে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা হলো, তখন উনাদের এই চেতনা কোথায় ছিল? হেফাজতে ইসলাম যখন তাণ্ডব চালাল, আমার আহ্বানের পরও বিরোধীদলীয় নেতা সংলাপে সাড়া দিলেন না, তখন কেন বিশিষ্টজনেদের চেতনা জাগ্রত হলো না?’ ‘অন্য কিছু হলে’ এই বিশিষ্টজনদের ডাক পড়তে পারে এই আশাতেই তাঁরা বসে থাকেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যখন মানুষ খুন হচ্ছে, সন্ত্রাস হচ্ছে, গাছ কাটা হচ্ছে, তখন পরিবেশবিদদের কেউ তো একটি বিবৃতি দিলেন না। সুশীল সমাজও এ নিয়ে একটা কথাও বলল না।’শেখ হাসিনা বলেন, পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ দেওয়ায় বাচ্চাদের মানসিক প্রস্তুতি নষ্ট হয়ে যায়, তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পরীক্ষা দেওয়া কঠিন। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে ফল দিয়ে আপনারা সবাই অসাধ্য সাধন করেছেন। আপনারা সবাই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।’এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন। |
খাগড়াছড়ির সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরা হয়।১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ পোদ্দারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সনাক খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি অনন্ত বিহারী খীসা, খাগড়াছড়ি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বেলা রানী দাশ প্রমুখ।সভায় সনাকের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি সদরের গঞ্জপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালিত চলমান কার্যক্রম, বিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও আগামী দিনে করণীয় বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা এ জি এম জাহাঙ্গীর আলম। প্রতিবেদনে গঞ্জপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করা হয়।আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের রাজত্বটা আরও একটু বিস্তৃত করলেন প্রিয়াংকা চোপড়া। গান দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন পরিচিতি পাওয়া সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী এবার পণ্যদূত হয়েছেন বিখ্যাত মার্কিন পোশাক ও ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান গেস-এর। প্রথম ভারতীয় তারকা হিসেবে ‘গেস গার্ল’ হওয়ার সৌভাগ্য হলো তাঁর। গেসের নতুন বিজ্ঞাপনে প্রিয়াংকার ছবি শুট করেছেন রকস্টার ও আলোকচিত্রী ব্রায়ান অ্যাডামস। এবার ‘গেস গার্ল’ হয়ে ক্লডিয়া শিফার, ড্রিউ ব্র্যারিমোরদের কাতারে নাম লেখালেন প্রিয়াংকা। এনডি টিভি।ব্রাজিলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময়ই কাটাতে হচ্ছে লুইস ফিলিপ স্কলারিকে। আগামী বছর নিজ দেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপটা জেতার আপ্রাণ চেষ্টাই তো করবেন বিল ফিল। কিন্তু তাই বলে কি নাওয়া-খাওয়ার সময়ও পাচ্ছেন না ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ? নইলে সংবাদ সম্মেলনে এসে দাড়ি কামাতে বসবেন কেন?১৯৮২ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর পর অসংখ্যবার সংবাদ সম্মেলনে আসতে হয়েছে স্কলারিকে। তবে সম্প্রতি ব্রাজিলিয়ান কোচকে দেখা গেছে নতুনরূপে। অবাক করার মতো ব্যাপার হলেও সত্যি, ঘরভর্তি সাংবাদিকের সামনে দাড়ি কামিয়েছেন স্কলারি। তবে বিষয়টা প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে সময় না পাওয়ার জন্য ঘটেনি। সাও পাওলোর মোরুম্বি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্কলারি কাজটা করেছেন জিলেটের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।ফুটবল মাঠে নিত্যনতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে কীভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেন, সেটা তো কম-বেশি সবারই জানা। স্কলারি কীভাবে সব সময় নিজেকে পরিপাটি করে রাখেন, সেটাও সম্প্রতি জানা গেল বিচিত্র এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।অবশ্য ভরা মজলিসে একগাদা সাংবাদিকের সামনে ক্ষৌরকর্মের মতো ব্যক্তিগত কাজটা এভাবে সারা ক্রীড়া বিশ্বে নতুন নয়। এর আগে ফেদেরার-উডসের মতো তারকারাও সংবাদ সম্মেলনে পাশাপাশি বসে ‘শেভ’ করেছিলেন!খালেদা জিয়া গোপালগঞ্জের নাম পাল্টানের হুমকি দেওয়ায় ওই জেলার বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। বিক্ষোভ শেষে তাঁরা খালেদা জিয়ার কুশপুতুল পুড়িয়েছেন।আজ রোববার দুপুরে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার মুখে বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে ‘গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলে যাবে’ বলে পুলিশ সদস্যদের হুমকি দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ খবর জানার পর গোপালগঞ্জের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার কুশপুতুল দাহ করেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। গোপালগঞ্জ শহরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে সন্ধ্যায় প্রতিবাদে চৌরঙ্গীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সভায় শরিফুল ইসলাম খান, রফিকুল ইসলাম, তানজিমুর রহমান, মিকাইল মুন্সি, আমিনুল হক রানা ও শরীফুল ইসলাম বক্তব্য দেন। |
গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। দেশজুড়ে তাঁর ভক্তরা জানাচ্ছেন শুভেচ্ছা। কিন্তু লতা মঙ্গেশকরের মনে আনন্দ নেই। তাঁর পরিবারে এখন শোকের ছায়া। লতা বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমার বড় বোনের স্বামী মারা গেছেন। সম্প্রতি ছোট বোন আশা হারিয়েছে তাঁর মেয়েকে। বছরটা আমাদের পরিবারের জন্য বেশ খারাপ, এমনকি পরিবারের বাইরেও খারাপ অনেক কিছুই ঘটছে। আনন্দ করার কোনো কারণই নেই বলে মনে হচ্ছে আমার।’কিন্তু বোনের জন্মদিনে তাঁর ভাই হূদয়নাথ মঙ্গেশকর এক দারুণ আয়োজন করেছেন। পুনেতে এক কনসার্টে লতার গানের সঙ্গে গাইবেন তিনি। তবে লতা সেখানে থাকবেন না। তাঁর রেকর্ড করা কণ্ঠের সঙ্গে সংগীতায়োজন করা হবে।আবার চার দেয়ালের বন্দীজীবন। এক মাসের সাময়িক মুক্তি শেষে আবারও পুনের ইয়েরওয়াড়া কারাগারে ফিরেছেন সঞ্জয় দত্ত। গতকাল মঙ্গলবার ৩০ দিনের সাময়িক মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে এই বলিউড তারকার। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৪২ মাসের কারাভোগ করছেন সঞ্জয়।স্বাস্থ্যগত কারণে ১ অক্টোবর দুই সপ্তাহের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ১৪ অক্টোবর মুক্তির মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়। পুরোটা সময় সঞ্জয় মুম্বাইয়ে নিজের বাড়িতে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। পূজা-অর্চনাও করেছেন। এনডি টিভি।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সারদা গোষ্ঠীর অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার ও কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) দিয়ে ঘটনার তদন্ত দাবিতে কলকাতার বিধান নগরে পুলিশ কমিশনারেটের সামনে বিক্ষোভ করেছেন সব স্তরের মানুষ। তাঁরা সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের সাংসদ কুণাল ঘোষের ভাষ্য অনুযায়ী ওই ১২ জনকে অবিলম্বে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান। সারদা-কাণ্ডে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন কুণাল ঘোষ। গ্রেপ্তারের রাতেই ফেসবুকে ১২ জনের নাম প্রকাশ করেন কুণাল। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিরা সারদা-কাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে পারেন। এই ১২ জন হলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্র, কেডি সিং, সাংসদ মুকুল রায়, ‘সংবাদ প্রতিদিন’ পত্রিকার সম্পাদক সাংসদ সৃঞ্জয় বোস, বিধাননগর পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী, তাঁর স্বামী বুয়া চক্রবর্তী (সমীর), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টুটু বোস, সৌমিক বোস, আসিফ খান ও রজত মজুমদার ।আজ বিক্ষোভকারীদের পক্ষে ১০ জনের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু পুলিশ বাধা দিলে উপস্থিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য ধাক্কাধাক্কি ও লাঠিপেটা করে বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন। পরে পুলিশ শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল, সিপিএমের সাবেক সাংসদ সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাশ বর্মা, অসীম চ্যাটার্জি, সমীর পুততুন্ডসহ বেশ কয়েকজনকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আটক করে উত্তর বিধান নগর থানায় নিয়ে যায়। এই বিক্ষোভ সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট এবং আমানতকারীরাও যোগ দেন।জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সমাবেশে হামলার ঘটনায় সরকারি দলের লোকেরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ।তিনি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে কামাল উদ্দিন সবুজ সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি তুলে ধরেন। কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ইতিহাসে ক্লাব চত্বরে ঢুকে বহিরাগতদের হামলার নজির নেই।এটা ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা।এই হামলার সময় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।কর্তব্যকাজে অবহেলা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।এর আগে বিকেল পাঁচটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী সাংবাদিক সমাবেশে হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করারও হুমকি দেন তিনি।রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিএফইউজের একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল।এ সময় হঠাত্ করে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মিছিল করে এসে সমাবেশে হামলা চালায়।একপর্যায়ে তাঁরা প্রেসক্লাবের ভেতরে সমাবেশ লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।এতে ৪০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।রুহুল আমিন গাজী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা চারবার সাংবাদিকদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে।তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, সন্ত্রাসীরা হামলা চালানোর সময় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ নির্বিকার ছিল।পুলিশের সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায়নি।একই সঙ্গে সাংবাদিকেদের উদ্দেশে বিষোদগার করায় ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও দাবি জানান তিনি।এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় সাংবাদিকদের কর্মসূচি আবারও অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএফইউজের একাংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ডিইউজের একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। |
মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের সরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ধসে পড়েছে এক বছর পার হলো। এর মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় পাশের ঝুঁকিপূর্ণ সাইক্লোন শেল্টারে পাঠদান চলছে শিক্ষার্থীদের। এটিও যেকোনো সময় ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন।বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে টিনের অবকাঠামো দিয়ে সরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সময় সাগরের ঢেউয়ের আঘাতসহ ১৯৯১ সালের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বিদ্যালয় ঘরটি ভেঙে যায়। ১৯৯৪ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দোতলাবিশিষ্ট নতুন পাকা ভবন নির্মাণ করে। কিন্তু এলাকার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি আসা-যাওয়া, ঢেউয়ের আঘাত এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় নতুন ভবনটিতেও ফাটল ধরে। শেষ পর্যন্ত গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এটিও এক পাশে ধসে পড়ে।এরপর পার্শ্ববর্তী একটি বেড়ার তৈরি কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন শিক্ষকেরা। গত মার্চ মাসে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন করে ধসে পড়া বিদ্যালয় ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন এবং আপাতত স্থানীয় সাইক্লোন শেল্টারে শ্রেণীর কাজ চালানোর জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন।স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল কবির, মোহাম্মদ আলমগীর ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মকছুদুল করিম জানান, সাইক্লোন শেল্টারটিও জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জোয়ার-ভাটা ও ঢেউয়ের আঘাতে এটিও যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে এমন শঙ্কার কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছে না।শিক্ষক মকছুদুল করিম আরও জানান, বিদ্যালয়ে ১৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য চারজন শিক্ষক প্রয়োজন হলেও একজন অস্থায়ীসহ শিক্ষক আছেন তিন জন। এতে শ্রেণীর কাজ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আমির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সাইক্লোন সেন্টারে শ্রেণীর কাজ চালাচ্ছি।’জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন বলেন, সরইতলায় নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও হরতাল-সমর্থকেরা বন্দর এলাকায় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।এর আগে রোববার ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানোর পরই ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন।ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুল ইসলাম জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ফলে পেঁয়াজ, চাল, গম ও খইলবোঝাই ৫০০ ট্রাক ভারতের ওপারে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায়।ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমের সহকারী কমিশনার উত্তম বিশ্বাস জানান, তিন দিন ধরে আমদানি-রপ্তানি না হওয়ায় সরকার প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ১৩ ডিসেম্বরের পর সিদ্ধান্ত হবে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই ইঙ্গিত দেন।সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিজিবির মহাপরিচালক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং অন্য বাহিনী ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।কবে থেকে সেনা মোতায়েন করা হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে।’ সাধারণত মনোনয়ন প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়।কাজী রকিব বলেন, আপাতত নির্বাচনের মাঠে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ড থাকবে। তবে নির্বাচন যেহেতু এক দিনে হবে তাই নিয়মিত বাহিনীর পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভন না-ও হতে পারে। তাই আগে যেমন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।একতরফা নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে নামানো হলে বাহিনীটি বিতর্কিত হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, বিতর্কের কিছু নেই। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যেমন চাইবে তারা সব সময় তেমন সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার আশা এখনো ছাড়িনি। সমঝোতা হলে সব দলের অংশ গ্রহণের মধ্য নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’বৈঠকে নির্বাচনী মালামাল, নির্বাচনী অফিস ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।কাজী রকিব বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে।গত সোমবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি রোববার ভোট নেওয়া হবে।তফসিল ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। গতকাল বুধবার অবরোধ কর্মসূচি আরও ২৩ ঘণ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জোট। আগামীকাল শুক্রবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সারা দেশে জোটের এই কর্মসূচি চলবে। অবরোধে সহিংসতায় গত দুই দিনে ১৭ জন নিহত হয়েছে।বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ডাকে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় যোগ দিতে নয়াপল্টন যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একটি দল। আজ রোববার দুপুরে ‘সচেতন শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে তাঁরা কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করতে নয়াপল্টন অভিমুখে রওনা হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সোয়া দুইটার দিকে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের দলটি নয়াপল্টনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ প্রেসক্লাবের কাছে কদম ফোয়ারার কাছে তাঁদের আটকে দেয়। তখন তাঁরা ওই রাস্তায় বসে পড়ে একটি সমাবেশ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ, তাজমেরী এস ইসলাম প্রমুখ। তাঁরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের দাবি জানান।সমাবেশ চলাকালে বেলা আড়াইটার দিকে হঠাত্ করেই ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা সেখানে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন। পুলিশ দুই পক্ষকে সরাতে গেলে ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষকদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফেরত পাঠানো হয়। |
মল্লিকা শেরাওয়াতের মন পাওযার জন্য ৩০ যুবক এবার লড়বেন। তবে সময়টা উপভোগ করার আগেই ঘটল বিপত্তি। মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে আহত হলেন মল্লিকা শেরাওয়াত। ‘দ্য ব্যাচেলরেট ইন্ডিয়া মেরে খায়ালো কি মালিক’ নামের এই টিভি অনুষ্ঠানের কাজ করতে গিয়েই ঘটেছে দুর্ঘটনাটি।অনুষ্ঠানটির প্রোমোর জন্য শুটিং করছিলেন মল্লিকা। মোটরবাইকে বসে ছিলেন তিনি। তখনই এর গতি বেড়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। চাকায় আটকে যায় তাঁর শাড়ি। কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। তবে এর পরপরই তৈরি হয়েছেন আবার শুটিং করার জন্য। জানিয়েছে একটি সূত্র।লাইফ ওকে চ্যানেলে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে দেখানো হবে অনুষ্ঠানটি। এটি উপস্থাপনা করছেন অভিনয়শিল্পী রোহিত রায়।প্রকৃতির হাওয়া বদল হতে শুরু করেছে। দিনে গরম লাগে, আবার রাতের দিকে বেশ একটা শীত শীত ভাব। এই গরম ঠান্ডার মধ্যে মৌসুমি জ্বরও তার প্রভাব বিস্তার করে। এই ভাইরাল জ্বর বায়ুবাহিত হওয়ায় দ্রুত একজনের মাধ্যমে আরেকজন সংক্রমিত হয়। তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এমন ভাইরাল জ্বরকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ভাইরাস জীবাণুর সংক্রমণের কারণে এ জ্বর হয়। এটি সাধারণত ৭-১৪ দিন স্থায়ী হতে পারে। ওষুধ ও পুষ্টিকর খাবার খেলে এই সময়ের মধ্যে জ্বর ভালো হয়ে যায়। ভাইরাল জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।ভাইরাল জ্বরের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, মাথা ভারী মনে হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। তবে শিশুদের মুখ লাল হয়ে যায়, শরীরের তাপমাত্রা বেশি, মাথা ব্যথা, সর্দি ও কাশি হতে দেখা যায়।কীভাবে বুঝবেন ভাইরাল জ্বর হঠাৎ জ্বর আসা ও সাত-আট দিন ধরে চলতে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ১০২-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হয়। জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা থাকে। বেশির ভাগ সময় জ্বরের সঙ্গে সর্দি, কাশি থাকে। বিশেষ ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে পেট ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। গায়ে, হাত, পায়ে অসহ্য ব্যথা করে। মুখে বিস্বাদ, বমি বমি ভাব ও খিদে কমে যায়। গলায় ব্যথা হতে পারে। জ্বরের মাত্রা খুব বেশি হলে শিশুরা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।চিকিৎসা ও পরামর্শ জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর কমানোর ও শরীরের ব্যথা কমার ওষুধ খেতে পারেন। জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো শরীর নরম কাপড় ভিজিয়ে মুছে ফেলতে হবে। মাথা পানি দিয়ে ধুয়ে বাতাস করে জ্বর কমাতে হবে। জ্বর কখনোই বাড়তে দেওয়া যাবে না। খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক রাখতে হবে। শরীরে যাতে পুষ্টির অভাব না হয়, সে জন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পুষ্টিকর খাবার। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে সেই ক্ষমতা দিয়ে সাধারণ ভাইরাল জ্বর ভালো হয়ে যায়। অসুস্থ ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা হলে সকাল-বিকেল চা বা কফি খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। ভাইরাল জ্বর হলে রোগীকে একটু আলাদা রাখতে হবে। জ্বর হওয়ামাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।পাল্টাপ্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন দলের বহিষ্কৃত সাবেক জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ।আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে কাজী জাফরের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তাফা প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে আজ দুপুরে কাজী জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান এরশাদ। রাজধানীর বারিধারা এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান তিনি। এরশাদ বলেন, ‘দল থেকে কাজী জাফরকে বহিষ্কারের চিঠি এই মাত্র সই করে এলাম।’৫ জানুয়ারিই নির্বাচন হবে।আর জানুয়ারির যেকোনো একটা সময়ে নতুন সরকার শপথ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।আজ রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আশরাফ এ মন্তব্য করেন।সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে নির্বাচন হবে।দেশ সংবিধানের বাইরে গেলে অপশক্তি ক্ষমতায় আসতে পারে।’ এ সময় সংবিধানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। |
ফটিকছড়ি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নয়জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ শাহ্ নেওয়াজ, এস এম সোলায়মান ও মতিউল ইসলাম চৌধুরী। তাঁরা পরবর্তী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মনিরুজ্জমান।রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী এবং সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। তাঁর মেয়ে নামীরা নুজহাত। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। এবারের দুই প্রজন্মে জানা যাক এই মা ও মেয়ের পছন্দ-অপছন্দের কথা।১. আমার পছন্দের গান...রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: সব ধরনের গানই আমার পছন্দ। রবীন্দ্রসংগীতের প্রতি আলাদা ভালো লাগা রয়েছে। আর পছন্দের শিল্পীদের মধ্যে আছেন কণিকা বন্দ্যোপধ্যায়, নীলিমা সেন, উৎপলা সেন, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে। এখনকার মধ্যে শ্রীকান্ত আচার্যর গানও শুনতে ভালো লাগে।মেয়ে: মায়ের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত অনেক ভালো লাগে। এ ছাড়া মায়ের ছাত্রছাত্রীদের গানও আমার পছন্দ।২. অবসরে কী করেন?রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: টেলিভিশনে ধারাবাহিক নাটক দেখি, বই পড়ি, ঘর গোছানোর কাজ করি। সময় পেলে বাগানের পরিচর্যাও করি।মেয়ে: টিভি দেখে, সিনেমা দেখে অবসর কাটাই।৩. সংবাদপত্রে যা ভালো লাগে...রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: আমি নিয়মিতই প্রথম আলো পড়ি। প্রথম পৃষ্ঠা, সম্পাদকীয়, বিনোদন বিভাগ ভালো লাগে।মেয়ে: স্মার্টফোনের অ্যাপসে বিবিসির খবর পড়ি।৪. প্রিয় পোশাক...রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: শাড়ি পরতে বেশি পছন্দ করি।মেয়ে: পাশ্চাত্য পোশাকের পাশাপাশি শাড়ি পরতেও ভালো লাগে।৫. চা-কফি কোনটা পছন্দ?রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: চা পান করতেই ভালো লাগে।মেয়ে: চা ভালো লাগে। তবে কফিও খাওয়া হয়।৬. ভ্রমণে আনন্দ পাই...রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: উজবেকিস্তান, তুরস্ক, প্যারিস, ইতালি, মেক্সিকো ও ইউরোপ ভ্রমণটা বেশ উপভোগ করি।মেয়ে: ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভারতই আমার সবচেয়ে প্রিয়।সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদেরআগামী শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনও সব তফসিলি ব্যাংক খোলা থাকবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সুবিধার্থে আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক আ ফ ম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, শনিবার বন্ধের দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলভুক্ত সব ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গ, গত সোমবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এই সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সুবিধার্থে শনিবার ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি নিয়ে আজ রোববার দিনভর ছিল টানটান উত্তেজনা। নানা নাটকের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে আগামীকাল সোমবারও একই কর্মসূচি দিয়ে ঘরে ফিরে যান বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।কর্মসূচিতে শামিল হতে গিয়ে মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মানসুর প্রধানীয় (২৪) নামের শিবিরের এক নেতার, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশি চালানোর সময় বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরণে আবুল কাশেম নামে একজন নিরাপত্তাকর্মীর এবং তল্লাশির নামে সময়ক্ষেপণের কারণে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাভারে গুরুতর অসুস্থ বৃদ্ধা মাবিয়া বেগমের মৃত্যু হয়।এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটক খুলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ওপর দফায় দফায় চড়াও হন ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড করে দেন আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আর নয়াপল্টনে যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে প্রেসক্লাবের পাশে কদম ফোয়ারার সামনে বসে সমাবেশ করার সময় হামলার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী একদল শিক্ষক।তল্লাশি-হয়রানি, ক্ষমতাসীনদের হাতে লাঠিসোঁটাআজকের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত থেকেই রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকে কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় প্রবেশের মুখে বুড়িগঙ্গা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেতু; গাজীপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে টঙ্গীর স্টেশন রোড ও চেরাগআলী, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাইরে থেকে ঢাকায় বাসের প্রবেশ কার্যত বন্ধ হয়ে পড়লে মানুষ রিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন বিকল্প পথে রাজধানীতে আসার সময় মোড়ে মোড়ে তল্লাশির মুখে পড়েন।জাতীয় পতাকা হাতে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের কর্মসূচি হলেও লাঠিতে পতাকা বেঁধে গোটা রাজধানী ও এর প্রবেশমুখ দখলে রাখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ভোর থেকে লাঠি-পতাকা, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্টাম্পসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম হাতে মাঠে নামেন দলটির নেতা-কর্মীরা। যৌথ বাহিনীর সঙ্গে অবস্থান করেন তাঁরা।পুলিশের বাড়াবাড়ি, অসুস্থ বৃদ্ধার মৃত্যুআজ তল্লাশির নামে বাড়াবাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মোড়ে মোড়ে তল্লাশির নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সময়ক্ষেপণের কারণে এবং ঢাকায় প্রবেশের পর সরকারি দলের কর্মীদের বাধার কারণে সাভারের কাউন্দিয়া থেকে চিকিত্সার জন্য ঢাকায় আসার পথে মাবিয়া বেগম নামের এক অসুস্থ বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর ছেলে মোহাম্মদ আলী সকালে অভিযোগ করেছেন।এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন ‘প্রথম আলো’কে বলেন, তল্লাশি করতে গিয়ে হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যেতে পারে।কর্মীশূন্য নয়াপল্টন, খালেদার উপদেষ্টাসহ আটক ৪০রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় জোটের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। কার্যালয়ের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি। দিনভর কার্যালয়ের আশপাশে ছিল প্রচুর পুলিশ।নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও বিএনপির সাবেক সাংসদ রওশন আরা ফরিদসহ চারজন, প্রেসক্লাব এলাকা থেকে ৩০ জন, মালিবাগ রেলক্রসিং এলাকা থেকে চারজন এবং বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করার অভিযোগে দুজনসহ মোট ৪০ জনকে আটক করে পুলিশ।মালিবাগে শিবিরের নেতা নিহতবেলা ১১টার দিকে মালিবাগ পদ্মা সিনেমা হলের সামনে থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করেন। তাঁরা টায়ারে আগুন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। এ ঘটনার পরে রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল পাশের একটি গলিতে তল্লাশি করতে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে শিবিরের কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের পাঁচজন সদস্য ও অপর একজন আহত হন। সংঘর্ষ শেষে মানসুর প্রধানীয়কে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।মানসুরের বন্ধু মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি আশকোনা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিবিরের সভাপতি ছিলেন। তিনি বনানীর সিটি ইউনিভার্সিটি নামে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।সাংবাদিকদের সভা পণ্ডদুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের একটি বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা লাঠিসোঁটা হাতে প্রেসক্লাবের বাইরে থেকে ইট-পাটকেল ছুড়লে সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকদের আরেকটি সমাবেশ করলে সেখানে হামলা হয়। ইটের আঘাত মাথা ফেটে যায় একজন সাংবাদিকের।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ওপর হামলা‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় যোগ দিতে নয়াপল্টন যাওয়ার পথে বেলা সোয়া দুইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একটি দল প্রেসক্লাবের পাশে কদম ফোয়ারার কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। তাঁরা রাস্তায় বসে সমাবেশ করতে গেলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন ও তাঁদের কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন।পুলিশের উপস্থিতিতে আইনজীবীদের ওপর চড়াওবেলা ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত দফায় দফায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে ও কোর্টের ভেতরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ওপর চড়াও হন ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। এ সময় রেহানা পারভীন নামের এক আইনজীবী আহত হন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ফটক থেকে বের হতে ও ফটকের সামনে জড়ো হতে বাধা দেয় পুলিশ। রঙিন পানি ছুড়ে ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।তল্লাশিকালে বিস্ফোরণে নিরাপত্তাকর্মী নিহতবেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশি চালানোর সময় দুই যুবকের ব্যাগে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরিত হয়ে আবুল কাশেম নামের একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি স্টেশন ইয়ার্ডের ১৭ নম্বর বিটে দায়িত্ব পালন করছিলেন।দিনভর অবরুদ্ধ খালেদার বাড়িখালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে ভোর থেকে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আট প্লাটুন পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির সামনে নেওয়া হয় জলকামান। এ ছাড়া বাড়ির সামনের রাস্তায় বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পেছনের রাস্তায় দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।বেলা সাড়ে তিনটার আগ পর্যন্ত খালেদার বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের ভিড়তে দেওয়া হয়নি। এরপর দক্ষিণ-পূর্ব পাশের একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীর বেয়ে সাংবাদিকদের একটি দল খালেদা জিয়ার বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের কাছে যায়। এ সময় খালেদা জিয়ার বাড়ির ভেতর থেকে তাঁদের জন্য একটি মই দেওয়া হয়। কয়েকজন সাংবাদিক সেই মই বেয়ে বাড়িতে ঢুকে তাঁর কাছে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন।বেলা তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত চেষ্টা করে বের হতে না পেরে খালেদা জিয়া ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’র যে কর্মসূচি আজ ছিল, তা কাল সোমবারও অব্যাহত থাকার ঘোষণা দিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যান। এর আগে বিকেল চারটার দিকে খালেদা জিয়ার বাড়ির প্রধান ফটকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি বাড়ির লনে জাতীয় পতাকা হাতে বসে ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর খালেদা জিয়া বাসার ভেতরে ঢোকেন। আর এর মধ্য দিয়েই কর্মসূচি উপলক্ষে নানা নাটকীয়তা, উত্তেজনা আর সহিংসতার সমাপ্তি ঘটে। |
স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণ (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) সংক্রান্ত কর্মসূচির চূড়ান্ত অনুমোদনের ফলে প্রক্রিয়াটির দৃশ্যমান কার্যকারিতা শুরু হবে এবার। গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই কর্মসূচি অনুমোদন করেছে।বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের জন্য এটি নতুন এক অধ্যায়। ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করার বিষয়টি বড় হয়ে সামনে আসে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের সুপারিশ করে। এতে বলা হয়, যেহেতু স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ারবাজারের প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক, তাই সেখানে একটি নিরপেক্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাঠামো থাকা উচিত। নিয়ন্ত্রিতের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রকের কার্যাবলি থেকে আলাদা করার মাধ্যমে বাজারের ‘প্লেয়ারদের’ ওপর নিরপেক্ষভাবে ‘রুলস অব দ্য গেম’ প্রয়োগের জন্য নিয়ন্ত্রককে প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া এবং প্লেয়ারদের প্রভাববলয় থেকে আলাদা রাখা দরকার।নিরপেক্ষভাবে ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ‘প্রশাসক’ নিয়োগেরও সুপারিশ করা হয়েছিল পুঁজিবাজার তদন্ত প্রতিবেদনে। অবশ্য প্রশাসক নিয়োগ ছাড়াই এটির দৃশ্যমান কার্যকারিতা শুরু হচ্ছে।জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা এবি মো. আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে, ‘প্রত্যক্ষভাবে নয়, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পরোক্ষভাবে এটির সুফল পাবেন। বর্তমানে যাঁরা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই আবার পরিচালক বা নীতি নির্ধারক। ফলে স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো সদস্য বা তাঁদের প্রতিষ্ঠান বাজারে কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বা তদন্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ডিমিউচুয়ালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বার্থের সংঘাত এড়ানো।’মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের অর্ধেক সদস্যই লেনদেনকারী বা ব্রোকারদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বিষয়টি নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মতো। কিন্তু ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জে এই ধরনের সুযোগ থাকে না।’অনুমোদিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই হবেন স্বতন্ত্র বা স্বাধীন পরিচালক। কর্মসূচিতে নির্ধারিত যোগ্যতা বা মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসব স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনীত করা হবে।মির্জ্জা আজিজ বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে বাস্তব ক্ষেত্রে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের কতটা সুফল পাওয়া যায়, সেটি জানতে বেশ অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, স্বাধীন পরিচালকেরা কীভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন, সেটির ওপরই এটির সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করবে।তারহীন লাই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগে প্রতি সেকেন্ডে ১০ গিগাবাইট গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করতে পেরেছেন যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী। সোমবার তাঁরা লাই-ফাইতে এই গতি তুলতে সক্ষম হন। এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) বাতির মাধ্যমে এই লাই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৩ গিগাবাইট গতি পাওয়া গেছে এলইডির ইন্টারনেটে। এই ইন্টারনেটে ক্ষুদ্র (মাইক্রো) এলইডি বাতি ব্যবহার করা হয়েছে।এডিনবরা, সেন্ট অ্যান্ড্রুজ, স্ট্রাথস্লাইড, অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের যৌথ উদ্যোগে ‘আল্ট্রা-প্যারালাল ভিজিবল লাইট কমিউনিকেশনস প্রজেক্ট’ শীর্ষক গবেষণার আওতায় এলইডি বাতি থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হ্যারাল্ড হাস এই প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনিই বৈদ্যুতিক বাতি থেকে এই ইন্টারনেট সংযোগের নামকরণ করেছিলেন ‘লাই-ফাই’। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিল। এই ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ক্ষুদ্র এলইডি বাল্ব। এটি তৈরি করেছে গ্লাসগোর ইউনিভার্সিটি অব স্ট্রাথস্লাইড।—বিবিসি অবলম্বনে রোকেয়া রহমানসব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের নেতারা বলেন, শাসক জোটের একগুঁয়েমির কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির সুযোগে বিরোধী ১৮-দলীয় জোট সারা দেশে সহিংসতাকে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে একতরফা নির্বাচনে সিপিবি-বাসদ অংশ নেবে না।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। সূচনা বক্তব্য দেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। লিখিত বক্তব্য পড়েন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ।মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বর্তমান ভয়ার্ত পরিবেশ থেকে মুক্তি এবং সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় মানুষ। একতরফা নির্বাচন হলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে পড়বে। চলমান সহিংসতার মধ্যেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি এক হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সরকার তড়িঘড়ি করে নির্বাচনকালীন সরকারের এখতিয়ারের বাইরে টিকফা চুক্তি করেছে। অন্যদিকে বিএনপিও চুক্তির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এক হয়ে যেতে পারে। তার জন্য কোনো আলোচনা, সংলাপের প্রয়োজন হয় না। অথচ দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা এক হতে পারে না। দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সদিচ্ছা থাকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চলমান সংকটের সমাধান সম্ভব। খালেকুজ্জামান বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির চক্র ও সাম্রাজ্যবাদ তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে তত্পর হয়ে উঠেছে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবেই বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।এ ছাড়াও ৩০ নভেম্বর দেশের সব জেলা-উপজেলায় দাবি দিবসের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করা, হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ খুন, বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগসহ ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ করা এবং টিকফা চুক্তি বাতিলের দাবিতে ওই দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাজ্জাদ জহির চন্দন, আহসান হাবিব লাবলু, জাহেদুল হক মিলু, রাজেকুজ্জামান রতন, আবদুল কাদের, মাহবুবুল আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, শাহীন রহমান, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন ও জলি তালুকদার।বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশে ঘর থেকে বেরিয়ে আসায় ১৮-দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি সফল হয়নি। আজ রোববার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক তথ্য বিবরণীতে এ দাবি করেছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা আলী হোসেন স্বাক্ষরিত ওই তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, যারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এবং সরকারি সম্পদ ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, মালিবাগ মোড়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের পিকআপ গাড়িতে আগুন দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মো. মানসুর প্রধানীয় নামে এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন এবং পুলিশের চারজন সদস্য আহত হন। এ ছাড়াও চকবাজারের ডালপট্টিতে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের ছোড়া ককটেলের আঘাতে দুই ব্যক্তি ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পুরিন্দা এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেল ও ককটেলের আঘাতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হন। |
পাঁচটি বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিকারক হিসেবে দেশের পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার দিল হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি ব্যাংক)।রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ পুরস্কার দেওয়া হয়। চতুর্থবারের মতো এমন পুরস্কার দিল এইচএসবিসি ব্যাংক।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু টিল্ক ও করপোরেট ব্যাংকিং প্রধান মাহবুবুর রহমান।তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতকে ‘এ’ (বার্ষিক রপ্তানি আয় পাঁচ কোটি ডলার বা তার বেশি) এবং ‘বি’ (বার্ষিক রপ্তানি আয় পাঁচ কোটি ডলারের কম) দুটি বিভাগে ভাগ করে পুরস্কার দিয়েছে এইচএসবিসি ব্যাংক। ‘এ’ গ্রুপে পুরস্কার পেয়েছে ডিবিএল গ্রুপ আর ‘বি’ গ্রুপে এসএম গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেড। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিবিএল গ্রুপ ২১টি দেশে এবং ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসএম গ্রুপ ১৩টি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে।রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ। ছয়টি দেশে এ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।সনাতন ও উদীয়মান শিল্প খাতের (তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত ছাড়া) সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ইউনিগ্লোরি সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ বিভাগে পুরস্কার পাওয়ার শর্ত ছিল প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক রপ্তানি হতে হবে ৩০ লাখ ডলার বা তার বেশি।ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে ওয়েব এপ্লিকেশন ও মোবাইল সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ব্রেইন স্টেশন-২৩। এ বিভাগে শর্ত ছিল বার্ষিক রপ্তানি হতে হবে ৩০ লাখ ডলারের কম।ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, এসএম গ্রুপের এমডি সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান, প্যাসিফিক জিনসের অন্যতম স্বত্বাধিকারী সৈয়দ তানভীর, ইউনিগ্লোরির পক্ষে মেঘনা গ্রুপের অন্যতম পরিচালক তানভীর তিতাস এবং ব্রেইন স্টেশন-২৩-এর প্রধান নির্বাহী রাইসুল কবির অতিথিদের হাত থেকে পুরস্কারের ট্রফি গ্রহণ করেন।এইচএসবিসির এই সেরা রপ্তানিকারক স্বীকৃতি দেওয়ার কার্যক্রমে পরিকল্পনা ও আনুষঙ্গিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কেজিএমজি বিজয়ী যাচাইকরণ প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করেছে। মনোনয়ন নেওয়া ও অন্যান্য বিষয়ে সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।ফারাহ রুমা। অভিনেত্রী। আজ চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হবে তাঁর অভিনীত কাক নাটকটি। পরিচালনা করেছেন গিয়াসউদ্দীন সেলিম।কাক...অনেক দিন পরে গিয়াসউদ্দীন সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলাম। কাক নাটকের গল্পটি খুবই সুন্দর। শুরুতে মনে হবে কোনো রহস্য গল্পনির্ভর নাটক। কিন্তু নাটকটিতে একটা বার্তা আছে। আমি অভিনয় করি এক মফস্বলের মেয়ের চরিত্রে। যার বিয়ে হয়, তারপর শহরে আসে। শহরে সে থাকে একটা বাসায়, যে বাসার সামনে একটা ডাস্টবিন। মফস্বলের মুক্ত পরিবেশের পুরোপুরি বিপরীত পরিবেশ। সেই পরিবেশে সে মানিয়ে নিতে পারে না। এদিকে বারান্দায় একটা কাক এসে জ্বালাতন করে।ধারাবাহিকের খোঁজখবর...গেল দুটো ঈদে অনেকগুলো এক ঘণ্টার নাটক করলাম। আনন্দের বিষয় হলো, এবার আমি অনেক প্রিয় পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। নাটকগুলোর গল্পও ছিল বেশ ভালো। এ কারণেই ধারাবাহিকে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছিলাম। এখন কেবল একুশে টেলিভিশনে চার কন্যা ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে।সিনেমায় অভিনয়...নারগিস আখতারের পুত্র এখন পয়সাওয়ালা ছবিতে অভিনয় করলাম। শিগগিরই মুক্তি পাবে ছবিটি। আমি খুব আশাবাদী, এটাই আমার প্রথম ছবি। আর এর গল্পটাও গতানুগতিক ধারার বাইরে। নায়কেরও যে নেতিবাচক দিক থাকতে পারে, তা এই ছবিতে দেখা যাবে। আর ছবিতে অভিনয় করে এর মজাটা বুঝেছি। যখন কাজ করেছি তখন ততটা বুঝিনি, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি। তাই ঠিক করেছি, নাটকে অভিনয় কমিয়ে দিয়ে সিনেমায় বেশি মনোযোগী হব।উপস্থাপনা...আমি নিজেকে উপস্থাপক হিসেবে পরিচয় দিতে আগ্রহী নই। তবে এনটিভিতে ‘আমারও গাইতে ইচ্ছে হলো’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছি। অনুষ্ঠানটির সঙ্গে আমার নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই এক ধরনের দায়বদ্ধতাও কাজ করে। এরপর ভালো কোনো ভাবনার অনুষ্ঠান হলে উপস্থাপনা করতে পারি।মাহফুজ রহমানকলকাতা মহানগরের পাশে রাজারহাট এলাকার নিউটাউনের নাম ‘জ্যোতি বসু নগরী’ রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। গতকাল বুধবার রাজারহাটে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জানান, জ্যোতি বসু নগরীর নাম পরিবর্তনে তাঁর সায় নেই।এদিকে রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের পর নিউটাউনের নাম জ্যোতি বসু নগরী রাখার পক্ষে আন্দোলনরত বাম বিধায়কেরা নতুন মাত্রা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।২০১০ সালে নিউ টাউনের নাম রাখা হয়েছিল জ্যোতি বসু নগরী। ২০১১ সালে তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকার এ-সংক্রান্ত একটি বিলও বিধানসভায় পাস করিয়ে তা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু সেই বিল রাজ্যপালের অনুমোদনের আগে সরকার বদল হয়। এরপর রাজ্যপাল এ ব্যাপারে নতুন সরকারের মতামত চান। কিন্তু এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেই নাম বাদ দিয়ে পুরোনো নিউটাউন নামেই একটি সংশোধনী বিল পেশ করেন রাজ্যের নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এর পরপরই বাম দলের বিধায়কেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার বাম বিধায়কেরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সেখান থেকে ওয়াকআউট করেন।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে পুলিশের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে আট প্লাটুন পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। আরও দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির সামনে একটি জলকামানও নেওয়া হয়।এ ছাড়া বাড়ির সামনের রাস্তায় বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পেছনের রাস্তায় দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।সেখানে নিরাপত্তায় থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্য প্রথম আলোকে জানান, গতকাল রাতভর সেখানে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এখনো অনেকে আছেন।এদিকে গতকাল খালেদা জিয়ার সরকারি প্রটোকল প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাতে তিনি এক বিবৃতিতে প্রটোকল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে পুলিশ বলেছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রটোকল প্রত্যাহার হয়নি, কেবল নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া সরকারি প্রটোকলের আওতায় গাড়ি, নিরাপত্তাসহ আনুষঙ্গিক কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন।গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়া ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার কথা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের সমাবেশ করার অনুমতি না দিলেও যেকোনো মূল্যে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। আর এই কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া উপস্থিত থেকে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন বলে গতকাল দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ জানান। |
এইচপি ব্রান্ডের চতুর্থ প্রজন্মের ডেল ল্যাপটপ এসেছে প্রযুক্তি বাজারে। প্রায় সাড়ে ১৫ ইঞ্চি প্রশস্ত সম্পূর্ণ স্পর্শ পর্দার (টাচ স্ক্রিন) ল্যাপটপটিতে রয়েছে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম।করপোরেট প্রফেশনাল, ব্যবসায়ী এবং গেমারদের জন্য উপযোগী এই ল্যাপটপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কোর আই সেভেন প্রসেসর। ল্যাপটপটিতে রয়েছে এক টেরাবাইট হার্ডডিস্ক ও দুই জিবি গ্রাফিক্স কার্ড। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ ল্যাপটপটির দাম পড়বে ৯৯ হাজার ৬০০ টাকা।এ ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে ডেল ব্র্যান্ডের ইন্সপায়রন সিরিজের (এন ৫৪৩৭ ও এন ৫৫৩৭ মডেল) নোটবুক। সিলভার, নীল এবং লাল রঙের ডেলের এই নোটবুকে রয়েছে দু ধরনের প্রশস্ত পর্দা। ৫৪৩৭ মডেলের ল্যাপটপে রয়েছে ১৪ ইঞ্চি প্রশস্ত পর্দা।দুটি নোটবুকের দাম রাখা হচ্ছে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা করে। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা ছাড়াও এই নোটবুকের সঙ্গে একটি ক্যারি কেস দেওয়া হচ্ছে বিনা মূল্যে। নিজস্ব প্রতিবেদককথায় বলে বিপদ যখন আসে, তখন চার দিক দিয়েই আসে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের অবস্থা এখন প্রায় তেমন। কেননা, তাঁর খাসতালুকে নরেন্দ্র মোদির জনসভায় বিস্ফোরণ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে তাঁকে নতুন চাপের মুখে ফেলেছেন নিজের দলেরই শীর্ষ নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। এবং সেই চাপের হেতুও নরেন্দ্র মোদি। এর ফলে নীতিশের দল আবার ভাঙনের আশঙ্কার মুখে বলে অনেকের ধারণা।নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করেই নীতিশ দীর্ঘ ১৭ বছরের জোট ছেড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই মোদির প্রথম বিহার সফরে গান্ধী ময়দানে বোমা হামলা ও মৃত্যুও আটকাতে পারলেন না নীতিশ। এ জন্য বিজেপি তো বটেই, কংগ্রেসের সমালোচনাও তাঁকে সহ্য করতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনার পাঁচ দিন আগেই বিহার সরকারকে সতর্ক করেছিল। সিন্ধে জানান, এ নিয়ে নীতিশের সঙ্গে বুধবার দিল্লিতে তাঁর কথা হবে।নীতিশ কুমারের রাজ্য পুলিশ অবশ্য বলছে, কেন্দ্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি।নীতিশ যখন এনিয়ে তোপের মুখে তখন মঙ্গলবার বিহারের রাজগীরে সংযুক্ত জনতা দলের কর্মকর্তাদের ‘চিন্তন শিবিরে’ নীতিশ কুমার, শারদ যাদবদের সামনে তিওয়ারি বলেন, আত্মবিশ্বাস এবং একাগ্রতার জোরে অতি দরিদ্র অনগ্রসর পরিবারে জন্ম নিয়ে এই জায়গায় পৌঁছেছেন মোদি। তাই তাঁর শক্তিকে যেন খাটো করে দেখা না হয়। তিওয়ারির এই ভাষণের ফলে কর্মকর্তাদের একাংশ তাঁকে হেনস্থা করেন। তাঁদের বাধা দেওয়ার কোনো চেষ্টা নীতিশ-শারদেরা করেননি। এ ঘটনায় তিওয়ারির নীতিশের সঙ্গে থাকা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে দলে কোণঠাসা ছিলেন তিনি।এরশাদ ও কাজী জাফরের বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনীতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা চলছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি থেকে কাজী জাফরের বহিষ্কার এবারই প্রথম নয়। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে নতুন দল জাতীয় পার্টি (জা-মো) গঠন করেন তিনি। তখনো দল থেকে বহিষ্কৃত হন কাজী জাফর। এর বছর খানেক পর আবারও দলে ফেরেন তিনি। এর বাইরেও রাজনৈতিক জীবনে নানা ডিগবাজি, দল পরিবর্তন আর দুর্নীতির নানা অভিযোগে ব্যাপকভাবে আলোচিত কাজী জাফর।নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়া নিয়ে মতবিরোধের জেরে আজ বৃহস্পতিবার কাজী জাফরকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এর কিছুক্ষণ পরই সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এরশাদকেই পাল্টা বহিষ্কারের ঘোষণা দেন কাজী জাফর।নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়া বিষয়ে এরশাদকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও মন্তব্য করেন কাজী জাফর। এরশাদ শুরুতে কাজী জাফরকে ‘ফ্যামিলি মেম্বার’ বললেও বহিষ্কারের আগে সাংবাদিকদের কাছে আক্ষেপ করে বলেন, ‘উনি (কাজী জাফর) যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন ৩০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে ওনার চিকিত্সা করিয়েছি। তিনি বলেছেন, “আপনি আমায় জীবন দিয়েছেন। চিরকাল আপনার সঙ্গে থাকব।” উনি এখন প্রতিদিন আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন। তিনি আজ থেকে আর আমার দলে নেই।’গত সোমবার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেছিলেন, ‘হোয়াট হি সেইস, ডাজ নট ম্যাটার। হোয়াট আই সে, ম্যাটারস। হু ইজ কাজী জাফর? আই এম দি ফাদার অফ জাতীয় পার্টি?’পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এরশাদকে উদ্দেশ করে কাজী জাফর বলেছেন, ‘আমি শুনেছি তিনি (এরশাদ) বলেছেন, “হু ইজ কাজী জাফর? আই এম দি ফাদার অফ জাতীয় পার্টি।” আমি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই, হু ইজ এরশাদ? এরশাদ সবকিছুর পিতৃত্ব দাবি করতে পারেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির পিতৃত্ব তিনি দাবি করতে পারেন না।’কাজী জাফরের রাজনৈতিক জীবন অনুসন্ধান করতে গিয়ে বের হয়ে আসে নানান তথ্য। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এক সময়ের ঝানু শ্রমিকনেতা কাজী জাফর কতটা ডিগবাজি খেতে পারেন, সেটা তাঁর রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে।অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৫৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কাজী জাফর অবিভক্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ষাটের দশকের শুরুতে। পরবর্তী সময় যুক্ত হন শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে।১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। টঙ্গী অঞ্চলের একজন প্রভাবশালী শ্রমিকনেতা হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলনে শ্রমিকদের সংগঠিত করার ব্যাপারে তাঁর ভূমিকা ছিল।মাওপন্থী নেতা কাজী জাফর এক সময় সঙ্গী হন জিয়াউর রহমানের। সামরিক শাসককে রাজনৈতিক বৈধতা দেওয়ার খাতিরে তল্পিবাহক রাজনৈতিক দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি বানান তিনি। পরে জিয়াউর রহমান ইউনাইটেড ফ্রন্ট গঠন করলে ছিটকে পড়েন কাজী জাফর।১৯৮৫ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগে সাত দলভুক্ত ইউপিপির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কাজী জাফর এক জনসভায় বলেছিলেন, ‘স্বৈরাচারী এরশাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।’ টেনেহিঁচড়ে এরশাদকে ক্ষমতা থেকে নামানোরও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে সুনামগঞ্জ বিএনপির নেতা ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরী এরশাদের মন্ত্রিসভায় যোগ দিলে ‘এরশাদের গোয়ালে আরেকটি রাম ছাগল যোগ দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন কাজী জাফর। ওই বক্তব্যের পরদিনই সেই ‘গোয়ালে’ই যোগ দেন কাজী জাফর।রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, এরশাদের মন পাওয়ার মন্ত্র কাজী জাফরের জানাই ছিল। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের পর একসময় এরশাদ তাঁকে বানালেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ আগস্ট ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে বন্যার্ত মানুষের জন্য বিদেশ থেকে আসা কোটি কোটি টাকার চিনি বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে তাঁর বিরুদ্ধে। চিনির কৃত্রিম সংকট তৈরির পর দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় একটি সিন্ডিকেট। ক্ষুব্ধ মানুষজন তখন দোকানে গিয়ে বলতেন, ‘এক পোয়া জাফর হবে’। সেই থেকে কাজী জাফর পরিচিতি পেয়ে যান ‘চিনি জাফর’ হিসেবে। মন্ত্রী থাকার সময়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির অর্থ আত্মসাতের দায়ে ১৯৯৯ সালে ১৫ বছরের সাজাও হয়েছিল তাঁর।তার পরও দলের রাজনীতিতে কাজী জাফরের প্রভাব কমেনি। জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে যাচ্ছিলেন কাজী জাফর। মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে সরিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে একত্র করার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। কিন্তু এরশাদের হস্তক্ষেপে সেটাও ব্যর্থ হয়ে গেল।নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর কারাবন্দী থাকা অবস্থায় জামিন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন কাজী জাফর। পরবর্তী সময় সেখানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পাওয়ায় সে দেশের গণমাধ্যমের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল অস্ট্রেলীয় সরকার। শরণার্থী হয়ে পাক্ষিক ৩৭০ ডলার ভাতাও পেতেন তিনি। সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কাজী জাফর আহমদ কীভাবে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিলেন, সে রহস্য খুঁজে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড।সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কাজী জাফরের অবস্থা কী দাঁড়ায়, সেটার অপেক্ষায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।জাতীয় পতাকা হাতে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের কর্মসূচি হলেও লাঠিতে পতাকা বেঁধে গোটা রাজধানী ও এর প্রবেশমুখ দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আজ রোববার ভোর থেকে লাঠি-পতাকা, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্টাম্পসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম হাতে মাঠে নামেন দলটির নেতা-কর্মীরা। যৌথ বাহিনীর সঙ্গে অবস্থান করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আয়োজিত সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘আমরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও গণতন্ত্র রক্ষায় লাঠি হাতে গতকাল থেকেই মাঠে নেমেছি, মাঠে অবস্থান করব। খালেদা জিয়ার আহ্বানে ঢাকায় একটা মাছিও প্রবেশ করেনি।’ বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ডাকে মানুষ আর রাস্তায় নামে না। তাঁর ক্ষমতা শেষ। এখন আর তাঁর রাজনীতি করার সম্ভব না। রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে তাঁর আল্লাহ-বিল্লাহ করা উচিত।’বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের নেতা-কর্মীরা। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায় বাঁশের লাঠি, ক্রিকেট স্টাম্প হাতে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অবস্থান করছেন।রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর গাবতলীতে মিছিল সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ আসলামুল হক। এ ছাড়া আবদুল্লাহপুরে আরেকটি সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন।এ ছাড়া ধানমন্ডিতে আওয়ামী সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়, মিরপুর-১০, মিরপুর-১ ও শেওড়াপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং কারওয়ান বাজারের তিতাস গ্যাস ভবনের নিচে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়ে পাহারা বসিয়েছে। প্রতিটি এলাকায় তারা লাঠি-পতাকা হাতে মিছিলও করে।রাজধানীর বিমানবন্দর, উত্তরা, খিলগাঁও, বাবুবাজার, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা এলাকার আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ভোর থেকেই তাঁরা ওই সব এলাকায় অবস্থান করছেন। ঢাকার অভ্যন্তরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশেই তাঁরা এসব এলাকায় পাহারা বসিয়েছেন।এদিকে লাঠি হাতে মিছিল করেছে জাতীয় শ্রমিক লীগ। তারা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে। তখন তাদের ‘বাঁশের লাঠি তৈরি করো, জামায়াত-শিবির ধোলাই করো’ স্লোগান দিতে শোনা গেছে।এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মিছিল করেছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগ। একই স্থানে অবস্থান করছে আওয়ামী যুবলীগ। সেখানে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।ঢাকা শহরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অবস্থান জানতে চাইলে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় ঢাকা শহরের প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন। আমার জানা মতে, কোনো নেতা-কর্মী এখনো পর্যন্ত কোথাও কাউকে আঘাত করেনি। আইন ভঙ্গ করলে সেটি দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু অরাজকতা করলে তার জবাব দেব আমরা।’ লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পতাকা তো লাঠিতেই বাঁধা হয়।’ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিসগামী লোকজনকে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয়ে বসে তিনি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। |
চামড়াশিল্পের শ্রমিকেরা তাঁদের বেতন-ভাতা ব্যাংকের মাধ্যমে পেতে ১০০ টাকায় হিসাব খুলতে পারবেন। ভাউচারের মাধ্যমে এই হিসাবে অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যাবে।শ্রমিকেরা তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ইস্যু করা পরিচয়পত্র দিয়েই হিসাবটি খুলতে পারবেন। এ হিসাবে ন্যূনতম স্থিতি রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। কোনো প্রকার মাশুল আদায় করা যাবে না।বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর বিভাগ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো সার্কুলারে এ নির্দেশনা দিয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেকবইয়ের অপ্রতুলতা থাকলে চেকবইয়ের পরিবর্তে ভাউচারের মাধ্যমেও হিসাবগুলোতে লেনদেন করা যাবে। চামড়া খাতের ব্যবসা উন্নয়ন কাউন্সিলের (এলএসবিপিসি) প্রকল্পভুক্ত পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ক্ষুদ্র কারখানার কারিগরদের বেতন-ভাতা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য শ্রমিকেরা এই ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন।ব্যাংকগুলো হিসাব খুলছে কি না বা কতটা হিসাব খোলা হয়েছে, এ-সংক্রান্ত তথ্যাদি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে প্রতি ত্রৈমাসিকের পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে।মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে চলমান বিচার থেকে বিচারকেরা সরে গেছেন। তাঁদের এই পদক্ষেপের কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আদালতের একজন কর্মকর্তা বলেন, মুরসির মামলার জন্য গঠিত তিনজন বিচারকের প্যানেলের বিচারক মোহাম্মদ এল-কারমোতি গতকাল মঙ্গলবার বিচারকদের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। ওই মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের আগ মুহূর্তে বিচারকদের এই সিদ্ধান্ত এল।ব্রাদারহুডের উল্লেখযোগ্য ছয় নেতার বিরুদ্ধে এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে গত ৩০ জুনের সংঘর্ষে নয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা চলছে। এই নেতাদের মধ্যে আছেন ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক নেতা মোহাম্মদ বাদেই ও অর্থবিষয়ক নেতা খায়রাত এল-শাতের। গত আগস্টে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এপি।জনগণকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সঠিক সময়ে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’ তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা রাস্তাঘাটে নিরীহ জনগণ হত্যা করছেন এবং দেশকে পুরোপুরি অরাজকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি নিজে রাস্তায় নামছেন না বরং বাসায় বসে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন।’আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের মুলতবি বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। খবর বাসসের।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে কোনো রকম হস্তক্ষেপ ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তর এবং জনগণের সাংবিধানিক ক্ষমতা কোনোভাবেই যাতে বিঘ্নিত না হয়।বর্তমান রাজনৈতিক সংকট অবসানে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁদের একজন একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। ‘কীভাবে আপনি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানকে নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তির রাজনীতিবিদের মতোই কথা বলা উচিত।বিএনপি-জামায়াত ককটেল ফাটাতে শিশুদের ভাড়া করছে‘বিএনপি-জামায়াত সব ধরনের মানবিক মূল্যবোধ হারিয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ট্রেন লাইনচ্যুত করে একসঙ্গে শত শত লোক হত্যা করার মাধ্যমে পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায়। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা আন্দোলন করতে এবং আপনাদের দাবির প্রতি জনসমর্থন যাচাই করতে চাইলে রাস্তায় নেমে আসছেন না কেন?’‘বিএনপি ও জামায়াত বোমা ও ককটেল ফাটাতে শিশু-কিশোরদের ভাড়া করছে এবং তাদেরকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত করছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, যেসব শিশুকে বোমা তৈরি ও ছোড়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যত্ কী?শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট জাতির ভবিষ্যত্ ধ্বংস করার জন্য শিশুদের সন্ত্রাসী হিসেবে গড়ে তুলছে। তিনি জানতে চান, ‘তাদের লাখ লাখ কর্মী কোথায় গেল? তাদের বদলে কেন তারা শিশুদের ব্যবহার করছে?’ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিরোধী দলের নেতাকে বারংবার আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। দুদলের সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো বিষয় নিষ্পত্তি করা সম্ভব।লাল পতাকা ওড়ানো কৃষককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদরেলপথের ফিস প্লেট খোলা দেখতে পেয়ে লাল পতাকা উড়িয়ে যে কৃষক বহু লোকের জীবন রক্ষা করেছেন, তিনি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিএনপি-জামায়াতকে অনুরোধ করব ওই কৃষকের কাছ থেকে মানবতা শিখুন।’বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির আশপাশে আজ রোববার সকাল থেকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত বিকল্প পথে খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছেছেন সাংবাদিকেরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনের দক্ষিণ-পূর্বপাশে একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীর বেয়ে সাংবাদিকদের একটি দল খালেদা জিয়ার বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের কাছে যান। এ সময় খালেদা জিয়ার বাড়ির ভেতর থেকে তাঁদের জন্য একটি মই দেওয়া হয়। কয়েকজন সাংবাদিক সেই মই বেয়ে খালেদা জিয়ার বাড়িতে ঢোকেন। পরে তাঁরা খালেদা জিয়ার গাড়ির কাছে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন। |
ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে ৩.৫জি নেটওয়ার্ক চালু করল বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড।এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গতকাল শনিবার সকালে এই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। মুঠোফোন অপারেটরদের মধ্যে রবিই প্রথম একসঙ্গে দেশের প্রধান দুটি শহরে এই নেটওয়ার্ক চালু করল।রাজধানীর গুলশানে রবির প্রধান কার্যালয়ে ৩.৫জি নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবুবকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ক্যুনার প্রমুখ।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি বছরের শেষে মোট গ্রাহকের ৪০ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৬০ শতাংশ ৩.৫জি সেবার নেটওয়ার্কে আসতে পারবে। আর ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে রবির ৬০ শতাংশ গ্রাহক এই নেটওয়ার্কের মধ্যে আসবে।আগামী অক্টোবর মাস থেকে রবির গ্রাহকেরা বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি সেবা পাবেন। তবে গ্রাহকেরা চাইলে এখনই থ্রিজি সেবা উপভোগ করা যায় এমন মুঠোফোন ও ট্যাবলেট নিয়ে গুলশান ও চট্টগ্রামের ওয়াক ইন সেন্টারে রবির ৩.৫জি সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কয়েক সপ্তাহজুড়ে ধাপে ধাপে কয়েকটি জেলায় ৩.৫জি প্রযুক্তি চালু এবং গ্রাহকদের সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সুবিধা দেবে রবি। রবি ইতিমধ্যে বিটিআরসির কাছ থেকে ৩.৫জি ট্যারিফ অনুমোদন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।কলকাতার অদূরে মধ্যমগ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে দুবার গণধর্ষণ করেছে একদল দুষ্কৃতকারী। গত শুক্রবার রাতে জনৈক ছোট্টু তালুকদারের নেতৃত্বে সাতজন মেয়েটিকে তুলে নিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। সে মামলা করলে খেপে যায় অপরাধীরা। গত রোববার রাতে পথ থেকে ছোট্টু আবার জোর করে তুলে নিয়ে যায় তাকে। গতকাল মঙ্গলবার অভিযুক্ত ছোট্টু তালুকদারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কলকাতা প্রতিনিধি।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লার বাসায় দলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সব সদস্যের সম্মতিক্রমে নুরুজ্জামানকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। নুরুজ্জামান জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।রেজা আহম্মেদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, দলের সঙ্গে বেইমানি করায় হাবলু মোল্লাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে জেলা কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী বলেন, নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রে জানানো হয়েছে।যোগাযোগ করা হলে নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমককে বলেন, ‘দল থেকে বহিষ্কার করলেও আমার কোনো সমস্যা নাই। আমি আওয়ামী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করব।’গতকাল বুধবার দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লার পক্ষে ফিরোজ হোসেন নামে এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র তোলেন।কুষ্টিয়ায় মনোনয়নপত্র তুললেন বিএনপির এক নেতাদক্ষিণ রাশিয়ার ভোলগোগ্রাদ শহরের একটি রেলস্টেশনে আজ রোববার আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে।বিবিসি জানিয়েছে, ভোলগোগ্রাদ শহরে স্থানীয় সময় ১২টা ৪৫ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। তদন্তকারী কমিটির মুখপাত্র ভ্লাদিমির মারকেন বিবিসিকে বলেন, এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত হিসেবে তাঁরা বিবেচনা করছেন।রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদবিরোধী কমিটির ধারণা, একজন আত্মঘাতী নারী এই হামলা করেছেন। সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, স্টেশনের প্রবেশপথে স্থাপন করা মেটাল ডিটেকটরের কাছে বোমা হামলাটি চালানো হয়েছে।আগামী ফেব্রুয়ারিতে সোচিতে শুরু হচ্ছে ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক। এ বিশাল কর্মযজ্ঞের আগে এ ধরনের আত্মঘাতী বোমা হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মস্কো। গত জুলাইতে বিদ্রোহী চেচেন নেতা দুকো উমারভ এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছিলেন, শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজন প্রতিরোধ করতে ‘সর্বোচ্চ শক্তির’ প্রয়োগ করা হবে।গত অক্টোবরে মাসে ভোলগোগ্রাদ শহরের একটি বাসে এই ধরনের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন আরোহী মারা গিয়েছিল। |
যশোর জেলার বেনাপোল সীমান্তের নিকটবর্তী গ্রাম বাহাদুরপুরে সহিংসতা ও পাচারের শিকার নারীদের চরম দারিদ্র্য ও নিরাপত্তাহীনতা দূর করে তাদের সচ্ছল করে তোলার জন্য ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) বিএসআরএমের আর্থিক সহায়তায় একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।এই প্রকল্পের আওতায় এখানে নারীদের জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যা থেকে গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে।এমআরডিআইয়ের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অলটারনেট ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ফর রেইজিং এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ (এডর) এবং দৈনিক গ্রামের কাগজ যৌথভাবে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে।ঢাকায় একটি হোটেলে সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলী হুসেন আকবর আলী, এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, দৈনিক গ্রামের কাগজ-এর সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন এবং এডরের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদ হাসান চুক্তিতে সই করেন।এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে চারদিকে নানা আকৃতির লাল রঙের ব্যানার। নানা বয়সের নারী-পুরুষের উচ্ছ্বসিত উপস্থিতি। বেশির ভাগের পরনে লাল পাঞ্জাবি আর লাল পেড়ে সবুজ শাড়ি। চারদিক যেন লাল-সবুজের জয়জয়কার। এ রকম পরিবেশে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ৪৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। তাঁদের স্লোগান ‘লড়াই তো চলছেই/ নিশ্চিত জেনো, বিজয় আসবেই’।সময়টা ১৯৬৮। পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বাংলার মানুষ। উঁকি মারছে একটি কালজয়ী গণ-অভ্যুত্থান। এ সময় সত্যেন সেনের নেতৃত্বে ঢাকায় ২৯ অক্টোবর ‘উদীচী’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। সত্যেন সেন ও তাঁর সহযোদ্ধারা মিলে গড়ে তুলেছিলেন এই সাংস্কৃতিক সংগঠন। সেই সংগঠন শত বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে পেরিয়ে এসেছে ৪৫টি বছর। একটি আন্দোলনের নাম হয়ে ওঠা উদীচীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান তাই হয়ে উঠেছে এক মিলনমেলা। নিয়মিত কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী আর একসময়কার সক্রিয় কর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সমবেত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংগঠনের পাঁচ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তমিজ উদ্দীন, বদরুল আহসান খান, তসলিম উদ্দীন, এ কে এম মুজিবর রহমান ও আবদুল হালিম। এরপর স্বোপার্জিত স্বাধীনতা থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার/এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘জয় বাংলা’, ‘জয় জনতা’ আর ‘জয় উদীচী’ স্লোগানে মুখর এই শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড়ের প্রজন্ম চত্বর ঘুরে অনুষ্ঠানস্থলে এসে শেষ হয়।শোভাযাত্রার পর বিভিন্ন জেলা ও শাখা সংসদের ৪৫ জন শিল্পীর সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয় চারটি গণসংগীত। প্রথমেই যুদ্ধাপরাধীদের উদ্দেশে ধিক্কার সংগীত—‘ধর ধর ধর রে রাজাকাররে ধর/ওদের ধর্ম নিয়ে ভণ্ডামিতা এবার বন্ধ কর’। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় ‘গ্রাম থেকে জেগে ওঠো/শহর থেকে জেগে ওঠো’, ‘আমরা মানুষের জয়গান গাই’ ইত্যাদি গান।আলোচনা পর্ব উঠে আসে সংগঠনের নানা আন্দোলন-সংগ্রামসহ সাফল্যগাথার কথা। উদীচীর কেন্দ্রীয় সভাপতি কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীষ, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম প্রমুখ।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে উদীচীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ও গেন্ডারিয়া শাখা। একক সংগীত পরিবেশন করেন সুরাইয়া পারভীন, আশরাফুল আলম ও বিপ্লব রায়হান। নাচ ও আবৃত্তি করেন উদীচীর শিল্পীরা।আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কর ছাড়পত্র নেওয়ার সুবিধার জন্য আগামীকাল শুক্র ও পরশু শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাঠ পর্যায়ের সব কর কার্যালয় খোলা থাকবে।নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি করখেলাপি নন—এমন ছাড়পত্রও জমা দিতে হয়।নির্বাচন কমিশন গত সোমবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার মুখে বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে বলে পুলিশ সদস্যদের হুমকি দিয়েছেন খালেদা জিয়া। কর্মসূচিতে যোগ দিতে নয়াপল্টনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলেও বাধার মুখে তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে ঘরে ফিরতে হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্ষোভ প্রকাশের একপর্যায়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশ কোথায়? গোপালী? গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জের নামই থাকবে না। যাঁরা এসব করছেন, আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে।’বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘আপনাদের অফিসার কোথায়? এতক্ষণ তো অনেক কথা বলেছেন....মুখটা বন্ধ কেন এখন? গোপালগঞ্জের জেলার নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জ আর থাকবে না। ... ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করল। সেদিন হাসিনা কোথায় ছিল? সেদিন হাসিনার এই ফোর্স কোথায় ছিল? কেন সে পাঠায়নি এই ফোর্সকে। কারণ সে নিজেই জড়িত ছিল এই হত্যাকাণ্ডে।’পুলিশের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকুন। জনগণের সঙ্গে থাকেন। দেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন। তবেই কাজে দেবে। দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে। আজকে সবার দায়িত্ব হয়ে গেছে দেশ বাঁচানো। আর আপনারা এখন ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করছেন। মনে করেন এগুলোর হিসাব নাই? এই মা-বোনের কান্না ... বিডিআরের অফিসারদের ওয়াইফদের কান্না—এগুলো কি বৃথা যাবে? এগুলো কোনো দিন বৃথা যাবে না। আজকে যাঁরা এই জুলুম নির্যাতন করছেন, তাঁদেরকে একদিন এদের মতো চোখের পানি ফেলতে ফেলতে চোখ অন্ধ হয়ে যাবে।’একপর্যায়ে খালেদা জিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, ‘ধাক্কাধাক্কি বন্ধ করেন। ধাক্কাধাক্কি করবেন না। আমরা কেউ ধাক্কাধাক্কি করতে আসিনি। আমাদের গায়ের ওপর উঠে পড়বেন না। দূরে থাকেন। আপনাদের জায়গা যেখানে, সেখানে। আপনাদের তো রাস্তায় থাকার কথা, বাড়িতে এসে গেছেন কেন? আপনাদের মেয়েরা এ রকম ঝগড়া করে কেন? এই মেয়েরা চুপ করো। কয়দিনের চাকরি হয়েছে, এত কথা বলো? কিসের জন্য এত কথা বলো। চুপ থাক। বেয়াদব কোথাকার।’বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার আগে বিরোধীদলীয় নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা হলেন গণতন্ত্রের রক্ষক। আর যে পুলিশ বাহিনী রয়েছে, এরা গণতন্ত্র রক্ষায়ও নেই, দেশ রক্ষায়ও নেই। দেশরক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষার সৈনিক আপনারা। আমরা আছি আপনাদের সাথে। থাকব ইনশাআল্লাহ। তাই সাংবাদিক ভাইদের, আইনজীবী ভাইদের ... জনগণ যারা রাজপথে নেমেছে, নানাভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে, তাদের প্রতি আমি জানাই সহানুভূতি। আন্তরিক ধন্যবাদ। আমাদের কর্মসূচি কালকেও চলবে।’জনগণকে গণমাধ্যমের মাধ্যমে বলতে চাই, ‘গণতন্ত্র আজকে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন গণতন্ত্র এবং দেশ রক্ষার যে ডাক আমি দিয়েছি, সেই ডাকে যেন তাঁরা সাড়া দেন। জনগণ সাড়া দিয়েছে। আজকে সরকার ভীত হয়ে সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে, যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে। যাতে জনগণ আসতে না পারে। কিন্তু এই কর্মসূচি চলবে। এই সরকার অবৈধ সরকার। এই সরকার অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী সরকার। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই। এই সরকারের যদি লজ্জা থাকে তাহলে অবিলম্বে বিদায় নেবে।’গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়া ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।এর পর থেকে বিরোধীদলীয় নেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।গতকাল রাত থেকে এ নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় আট প্লাটুন পুলিশ।তবে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার জানান, সেখানে পাঁচ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির সামনে একটি জলকামানও নেওয়া হয়।দুপুরের দিকে পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয় র্যাব।র্যাব-১-এর অধিনায়ক কিসমৎ হায়াত্সহ র্যাবের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে যান। জানতে চাওয়া হলে কিসমৎ হায়াৎ জানান, কুশলবিনিময় করতে তাঁরা সেখানে গেছেন।এ ছাড়া বাড়ির সামনের রাস্তায় বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পেছনের রাস্তায় দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাড়ির সামনে সারা দিন সাংবাদিকদের যেতে দেওয়া হয়নি। তবে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গুলশানের একটি বাড়ির দক্ষিণ-পূর্বপাশের সীমানাপ্রাচীর বেয়ে সাংবাদিকদের একটি দল খালেদার বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের কাছে যায়। এ সময় খালেদা জিয়ার বাড়ির ভেতর থেকে তাঁদের জন্য একটি মই দেওয়া হয়। কয়েকজন সাংবাদিক সেই মই বেয়ে খালেদা জিয়ার বাড়িতে ঢোকেন। পরে তাঁরা খালেদা জিয়ার গাড়ির কাছে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন। |
আমাদের মতিউর (১৮ মিনিট), পম্পি নামের ছেলেটি (২০ মিনিট) ও অটুট স্বপ্ন (২০ মিনিট)—তিনটি শিশুতোষ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। আর এগুলো নির্মাণ করেছে শিশু-কিশোরেরা। নিজেদের গল্প, নিজেরাই শুটিং করেছে, আবার শুটিং-পরবর্তী কাজগুলোও করেছে শিশুরা। তবে তাদের কাজে বড়দের সহযোগিতাও ছিল। গত শুক্রবার সকালে এই শিশু-কিশোরদের তৈরি ছবিগুলো দেখলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ছবি তিনটির উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এখানে তথ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।এই কোর্সের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রধান গ্রন্থাগারিক রেজিনা আক্তার। তিনি জানান, গত বছর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ‘চতুর্থ শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও অনুষ্ঠান নির্মাণ কর্মশালা’র আয়োজন করে। এখানে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ২১ জন শিশু-কিশোর অংশ নেয়। ১০০ ঘণ্টার এই কর্মশালায় এই শিশুদের চলচ্চিত্র ও অনুষ্ঠান নির্মাণের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক দিকগুলোর ব্যাপারে ধারণা দেওয়া হয়। কর্মশালার অংশ হিসেবে এই শিশুরা তিনটি দলে ভাগ হয়ে তিনটি ছবি নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে আমাদের মতিউর প্রামাণ্যচিত্র আর পম্পি নামের ছেলেটি ও অটুট স্বপ্ন কাহিনিচিত্র। ভবিষ্যতে ছবিগুলো বিটিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার করা হবে।রেজিনা আক্তার আরও জানান, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই কর্মশালা পরিচালনা করছে।গুগল এবার আগ্রহীদের নতুন স্মার্টফোন তৈরির সুযোগ দেবে। আর এ কাজটি পরিচালনা করবে গুগলের প্রতিষ্ঠান মটোরোলা। এর ফলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দের সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এ প্রকল্পের আওতায় আগ্রহী ব্যবহারকারীরা একটি সাধারণ ফোন কিনে সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী মডিউল যেমন কীবোর্ড, ব্যাটারি, অন্যান্য সেন্সর, ফিচার যুক্ত করতে পারবেন। ডাচ নকশাবিদ ডেভ হ্যাককেন্স এ ক্ষেত্রে মটোরোলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যিনি ফোনব্লকস নামে একটি মডিউল তৈরি করেছেন এ প্রকল্পের জন্য।তবে বিশেষজ্ঞরা এখনো এ বিষয়ে সন্দিহান। কীভাবে গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী একটি স্মার্টফোন তৈরি হবে সেটি নিয়েও চলছে আলোচনা। তবে মটোরোলা জানিয়েছে এ প্রকল্পটি এখন চালু হলেও এর কাজ চলছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এ বিষয়ে প্রকাশিত এক ব্লগ পোস্টে মটোরোলা জানায়, আমরা হার্ডওয়্যার এবং অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম সুবিধা দেব আর চাইছি গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের একটি ডেভেলপার ইকোসিস্টেম। এতে করে মূলত গ্রাহককে নিশ্চিত করা হবে যে ফোনটিতে কী আছে, কোথা থেকে তৈরি, তৈরিতে খরচ কেমন পড়েছে ইত্যাদি। এ প্রকল্পকে সহজে ব্যবহারকারীদের হাতে পৌঁছাতে ডেভেলপারদের জন্য বিশেষ ডেভেলপারস কিট তৈরির ব্যাপারেও কাজ করছে মটোরোলা। একটি নির্দিষ্ট মডিউল নির্বাচন করার পর গ্রাহক চাইলে পরবর্তী সময়ে তার পছন্দের বিষয়গুলো স্মার্টফোনে যোগ করতে পারবেন। আর তাতেই একেবারে মনের মতোই হবে প্রিয় স্মার্টফোনটি, এমনই আশাবাদ কর্তৃপক্ষের।—বিবিসি অবলম্বনে কাজী আলমমাঠে না নেমেও পুরো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামই দখল করে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ ম্যাচে ৪৫ হাজার দর্শক মাঠে এসেছিল রোনালদোর মুখোশ পরে। দলের প্রধান তারকার প্রতি শুধু শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দেখানোই নয়, এটা ছিল রোনালদোর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণাও। ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটা যে তাঁদের ক্লাবের তারকা ফুটবলারের হাতেই ওঠা উচিত, সেই দাবিও জানিয়েছেন রিয়ালের সমর্থকেরা।ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা দেওয়া হয় ভোটাভুটির মাধ্যমেই। ফিফার সদস্য দেশগুলোর অধিনায়ক-কোচ আর সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচন করা হয় বর্ষসেরা ফুটবলারকে। শেষ পর্যন্ত এটা যেহেতু নির্বাচনই, এখানে তাই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তো থাকবেই। বছরের শেষে পুরস্কারটি কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে কথার লড়াইও অনেক হয়ে থাকে। তবে ১৯৯১ সাল থেকে এই বর্ষসেরা পুরস্কার চালুর পর রিয়াল সমর্থকদের মতো নির্বাচনী প্রচারণা আগে কখনো দেখা যায়নি।বিশাল আকৃতির এক ব্যানারে রোনালদো-ভক্তরা লিখে এনেছিলেন, “ব্যালন ডি’অর অরের জন্য “কমান্ডার” রোনালদোর প্রতি আমাদের শর্তহীন সমর্থন আছে।’ কমান্ডার শব্দটিই বুঝিয়ে দিচ্ছে, এটি ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারকেও একটা পাল্টা জবাব। রিয়াল সমর্থকদের আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আমরা সবাই রোনালদো’।ভক্তদের ভালোবাসা-সমর্থনে নিশ্চয়ই আপ্লুত হয়েছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। তবে রোনালদোর সত্যিকারের ‘প্রচারণা’ আসলে গ্যালারিতে নয়, চলছে মাঠে। সবুজ জমিনে গোলের ফুল যে ফুটিয়ে চলেছেন রোনালদো। এ বছরের বর্ষসেরার পুরস্কারটা জেতার জন্য যা করার, সেটা মাঠেই করছেন। এ বছরে এখন পর্যন্ত করেছেন ৬৬টি গোল। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি আর ফ্রাঙ্ক রিবেরি—দুজনের মোট গোলও রোনালদোর চেয়ে একটি কম!আরেক তারকা প্রতিদ্বন্দ্বী জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকেও হারিয়েছেন মুখোমুখি লড়াইয়ে। ইব্রার সুইডেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেই পর্তুগালকে বিশ্বকাপে নিয়ে গেছেন রোনালদো। এত কিছুর পরও কি এবারের ব্যালন ডি’অরটা হাতে নিতে পারবেন না রিয়াল মাদ্রিদ তারকা?রোনালদোর এই ফর্ম দেখে ভড়কে গিয়েই সম্ভবত ফিফা ভোট দানের শেষ তারিখই শুধু বদলায়নি, চাইলে আগে দেওয়া ভোটটি বদল করার সুযোগও রেখে দিয়েছে!সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হওয়ার পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।নির্বাচনের তফসিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা রাজপথ, নৌপথ ও রেলপথে অবস্থান নেবে বলে ঘোষণা দেওয়ার পরে তাঁকে আটক করা হয়।আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির নেতা হাফিজ। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনকে নিয়ে রুচিবিবর্জিত ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, বিভিন্ন বিদ্রূপ করেছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’সংবাদ সম্মেলনে হাফিজউদ্দিন জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ১৮ দলের“গণতন্ত্রের অভিযাত্রা” কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।সেই সঙ্গে ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা রাজপথ, নৌপথ ও রেলপথে অবস্থান নেবে।’ নির্বাচনের তফসিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে তিনি জানান।সংবাদ সম্মেলনে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা ও সুপ্রিম কোর্টে সরকারি দলের বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার জঙ্গি স্টাইলে আজ হামলা চালিয়েছে।’ এটি বিরল ঘটনা বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হওয়ার সময় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাঁকে পুলিশ আটক করে। শাহবাগ থানা পুলিশের ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁকে আটক করেছে। |
বাংলাদেশ টেলিভিশনবিকেল৬-১০ মালঞ্চ।৬-৩৫ লবির রান্নাঘর।৭-০০ মুখোমুখি।৭-২৫ নোঙর।৮-৪০ বরফের পাথর।৯-০৫ প্রাণের মানুষ।৯-৩০ অনির্ধারিত।১০-২৫ দিন যায় কথা থাকে।১০-৫০ জীবনের গল্প।এটিএন বাংলাসন্ধ্যা৬-১৫ সুস্থ থাকুন।৮-০০ বুনো চালতার গাঁয়।৮-৪০ গোল্ডেন রেসিপি।৯-২০ ডিবি।১০-৫৫ স্ক্যান্ডাল।১১-৩০ বৈরি বাতাস।চ্যানেল আইবেলা২-৩০ ঘরে ঘরে গানের উৎসব।৬-০০ রূপান্তর।৬-২০ মন ও চোরাগলি।৭-৫০ নূরজাহান।৯-৩৫ বধু কেন বোঝেনা।১১-৩০ কৃষ্ণকলি।একুশে টিভিসন্ধ্যা৬-০০ আলোকিত সন্ধ্যা।৬-৩০ দেশজুড়ে।৭-৫০ সিনে হিটস।৮-২০ ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট।৯-৩০ চতুরঙ্গ।এনটিভিসন্ধ্যা৬-১৫ শুভ সন্ধ্যা।৬-৪৫ রূপালী পর্দার গান।৮-১৫ অঘটনঘটনপটিয়সী।৯-০০ আংটি।১১-৩০ মিউজিক জ্যাম।দেশ টিভিসন্ধ্যা৬-৩০ সংস্কৃতি সারাদেশ।৭-৪৫ ট্রিবিউট দ্য লিজেন্ড (পিন্টু ভট্টাচার্য)।৯-৪৫ রেডিও চকলেট রিলোডেড।১০-৩০ সিক্রেট সার্ভিস।১১-৪৫ সোজা কথা।আরটিভিসন্ধ্যা৭-৩০ থানার নাম শনির আখড়া।৮-১০ তিন তালা তিন চাবি।৯-০৫ অলসপুর।৯-৫০ ধ্রুপদী কাহিনি।১১-২০ আওয়ার ডেমেক্রেসি।বাংলাভিশনসন্ধ্যা৬-০৫ এবং ক্লাসের বাইরে।৬-৩০ পিকেএসএফ।৮-১৫ লেডিস ফার্স্ট।৯-০৫ রেড সিগন্যাল।১১-২৫ সুরের শব্দজাল।বৈশাখী টিভিসন্ধ্যা৬-১৫ বরিশাইল্যা পোলা কোটি টাকা তোলা।৮-০০ নিসর্গ।৮-৩৫ স্পট লাইট।৯-২০ অগ্নিপথ।১১-০০ সংঘাত।১১-৩০ পাথরের কান্না।মাছরাঙা টেলিভিশনবিকেল৪-০২ ড্রিংকস অ্যান্ড ডেজার্ট।৪-৩০ চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি ক্রকেট: লায়নস বনাম ওটাগো। সরাসরি।৮-৩০ চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি ক্রকেট: রাজস্থান রয়্যালস বনাম পার্থ স্করচার্স। সরাসরি।চ্যানেল নাইনসন্ধ্যা৬-৪৫ রং ভুবনের নাও।৭-৪০ গ্রন্থিকগণ কহে।৮-২৫ চন্দ্রাবতী।৯-১০ কবির লড়াই।১০-২০ গেম।১১-০০ পাওয়ার ভয়েস।জি টিভি (গাজী টিভি)সন্ধ্যা৬-৩০ আয়োজনে আমন্ত্রণে।৮-১০ রহস্য গল্প।৮-৫৫ রূপমাধুর্য।৯-৩৫ মায়া।১১-০০ বিজনেস টক।এশিয়ান টিভিসন্ধ্যা৬-৪০ গোল্ডেন আওয়ার।৭-৪০ বড় পর্দার গান।৮-২০ চেনা পথ অচেনা গলি।৯-০০ জীবন সংসার।৯-৪০ দ্য ডিজিটাল।১০-২০ হিডেস ফোল্ডার।১১-০০ এশিয়ান মিউজিক।এসএ টিভিরাত৮-০০ রঙের মেলা।৮-৩০ আগুনপোকা।৯-০০ ইনসাইড টিউন।৯-৩০ নাটক।11-0 গ্লিটারজ।দক্ষিণ সোমালিয়ায় গতকাল সোমবার একটি ড্রোন হামলায় ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাবের দুজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। উত্তর আফ্রিকার অন্যতম জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাবের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার সংশ্লিষ্টতা আছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, আল-শাবাবের দুই কমান্ডার গাড়িতে জঙ্গিনিয়ন্ত্রিত জিলিব ও বারাওয়ি শহরের মধ্যে যাতায়াত করছিলেন। ড্রোন হামলায় তাঁদের গাড়িটি ধ্বংস হয়েছে।একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত দুই নেতার একজন আল-শাবাবের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। তিনি আনতা নামে পরিচিত ছিলেন। জিলিব শহরের বাসিন্দা হাসান নূর বলেন, বিকেলে তিনি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। দেখতে পান একটি ড্রোন উড়ে চলে যাচ্ছে এবং রাস্তায় একটি সুজুকি গাড়িতে আগুন জ্বলছে। এরপর আল-শাবাবের অনেক সদস্য সেই স্থানে আসেন। হাসান নূর আরও জানান, ড্রোন থেকে শুধু একটি সুজুকি গাড়ির ওপর হামলা চালানো হয়।এদিকে কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, সোমালিয়ায় মোতায়েন তাঁদের সেনারা জিলিব শহরে অভিযান চালিয়েছে। তাই আরও হতাহতের আশঙ্কা আছে।গত মাসে কেনিয়ার রাজধানীতে অবস্থিত ওয়েস্টগেট বিপণিবিতানে আল-শাবাবের হামলায় ৬৭ জন নিহত হন। ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডোরা সোমালিয়ায় অভিযান চালায়। তাদের ওই অভিযানের লক্ষ্য ছিল আল-শাবাব নেতা আবদুকাদির মোহাম্মদ আবদুকাদিরকে (ইকরিমা) আটক করা। কিন্তু শক্তিশালী প্রতিরোধের মুখে তারা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়। বারাওয়ি শহরের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ইকরিমা আল-শাবাবের সরবরাহের জন্য কাজ করেন। আর সব সময় ২০ জন সশস্ত্র রক্ষী তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে।যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত সোমালিয়ায় বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে। জিবুতিতে সোমালিয়া সীমান্তের কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় সামরিক ঘাঁটি আছে। বিবিসি ও রয়টার্স।সোনা ও বিদেশি মুদ্রার পর এবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার পিস অনুমোদনহীন ওষুধ আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমানবন্দরের পণ্যগুদাম থেকে এ ওষুধ আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।এই সপ্তাহে ২০ কেজি সোনা আটক করা হয়। এ ছাড়া আজ সকালে ১ কোটি ৪৭ লাখ ভারতীয় রুপিসহ এক পাকিস্তানিকে আটক করে শুল্ক বিভাগ।শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক উম্মে নাহিদা আক্তার প্রথম আলো ডটকমকে জানান, খাদ্যপণ্য উল্লেখ করে ট্রিটি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফিনল্যান্ড থেকে ওষুধগুলো আমদানি করে। ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ৩৬২/২ পূর্ব রামপুরা। দুদিন আগে কনটেইনারে করে ৫ হাজার ১৬৮ পিস কার্ডিওসান এবং ১০ হাজার ২০০ পিস কার্ডিমেয়ার নামের দুই ধরনের ওষুধ বিমানবন্দরের পণ্যগুদামে রাখা হয়।এই ওষুধ আমদানির অনুমোদন নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, এ তথ্য জানিয়ে সহকারী পরিচালক উম্মে নাহিদা আক্তার বলেন, ‘এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আজ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, ট্রিটি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালকে এসব ওষুধ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।শেষ পর্যন্ত বের হতে দেওয়া হলো না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। আজ রোববার বেলা তিনটা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পুলিশের বাধায় ব্যর্থ হয়ে তাঁদের বকাঝকা করে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আবার ঘরে ফিরে যান বিএনপির নেত্রী। যাওয়ার আগে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে গেছেন তিনি। ঘরে ফিরে যাওয়ার আগে প্রায় আধাঘন্টা তিনি তাঁর বাসভবনের সামনের চত্বরে বসেছিলেন। এক পর্যায়ে পাঁচিল টপকে ঢোকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আজ না হয় কাল, কাল না হয় পরশু কর্মসূচি চলবে।’ গত মঙ্গলবার গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘিরে রাখে পুলিশ। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি। পুলিশ সূত্র বলছে, তাঁর বাড়ির সামনে আট প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রাখা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় জলকামান, আর সাড়ে তিনটার দিকে যুক্ত হয় র্যাবের ২০ সদস্যের একটি দল।তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফের (চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্স) কর্মী এবং তাঁর প্রেস উইংয়ের দুজন কর্মকর্তা সায়রুল কবির খান ও দিদারুল আলম ছাড়া বাসভবনের ত্রিসীমানায় কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। এমনকি ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পানের দোকানদারদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।এর আগে গতকাল শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে দুটি ও পেছনে দুটি ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে পুলিশ। পৌনে সাতটার দিকে আসে পঞ্চম ট্রাকটি।ট্রাকচালকেরা জানান, কাল রাতে তাঁদের আমিনবাজার থেকে আনা হয়েছে। ভোর ছয়টা পর্যন্ত থাকতে হবে বলে পুলিশ তাঁদের জানায়। আজ খালেদার বাড়ি ঘিরে রেখেছিল আট প্লাটুন পুলিশ। খালেদা জিয়া গৃহবন্দী কি না, কেন তাঁর বাড়ি এত পুলিশ ঘিরে রেখেছে, কেন পাঁচটি ট্রাক দিয়ে তাঁর যাতায়াতের পথ ঘিরে রাখা হয়েছে—এমন সব প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান গুলশান অঞ্চলের উপকমিশনার লুত্ফুল কবীর। বেলা একটার সময় ‘প্রথম আলো’র প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি কাজে ব্যস্ত, পরে জবাব দেবেন। বেলা তিনটার দিকে আবারও সাংবাদিকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি ‘যথাসময়ে’ কথা বলবেন বলে জানান।এদিকে দুপুর ১২টার পর চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা সায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া বেরোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বেলা তিনটা নাগাদ তিনি বেরোনোর শেষ চেষ্টা করবেন এমন খবর শোনা যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়ির মূল ফটকের সামনে পুলিশের প্রায় ৭০-৮০ জন সদস্য অবস্থান নেন। তিনটা ১৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে আসেন র্যাব-১-এর কমান্ডিং অফিসার কিসমৎ হায়াৎ। খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিতে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি দেখতে এসেছেন, সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে চান। এরশাদকে বারিধারার বাসভবন থেকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়ার পর কিসমৎ হায়াৎ বলেছিলেন, এরশাদ অসুস্থ। তাই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি ও তাঁর বাহিনীর ২০ জন সদস্য এ সময় খালেদার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।বেলা সাড়ে তিনটার দিকে খালেদার বাসভবনের পেছনে থাকা ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকেরা জানান, বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পতাকা হাতে গাড়ি থেকে নেমে এসেছেন। একপর্যায়ে তাঁর বাসভবন থেকে মই এগিয়ে দেওয়া হলে সাংবাদিকেরা তাঁর বাসভবনে ঢোকেন। এ সময় খালেদা জিয়াকে খুব উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। তিনি পুলিশকে উদ্দেশ করে গালমন্দ করেন। |
এনটিভিসকাল ৮-৪৫ ফাঁসি (মান্না, ইলিয়াস কাঞ্চন, সুবর্ণা মুস্তাফা)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ বিশ্বাস অবিশ্বাস।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ তুমি কত সুন্দর (রিয়াজ, পূর্ণিমা, শাকিল খান)।বাংলাভিশনদুপুর ১-০৫ মন মানে না (রিয়াজ, শাবনূর)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ গরীবেরাও মানুষ।মাছরাঙা টিভিসকাল ৯-০২ প্রেমগীত (ওমর সানি, লিমা, বাপ্পারাজ)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ ম্যাডাম ফুলি (আলেকজান্ডার বো, সিমলা)।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৪৫ রাস্তার রাজা (রোজিনা, অলিভিয়া)।জি বাংলাসন্ধ্যা ৭-৩০ অপরাজিত প্রসেনজিৎ—৩০ বছর।ডিডি বাংলাবিকেল ৪-৩০ বাঘ বন্দি খেলা (উত্তম কুমার, সুপ্রিয়া দেবী, পার্থ মুখার্জি)।স্টার জলসাদুপুর ১২-৩০ প্রেমের কাহিনি (যীশু, কোয়েল মল্লিক, রঞ্জিৎ মল্লিক)। সন্ধ্যা ৬-৩০ গয়নার বাক্স (শাস্বত, কঙ্কনা সেন শর্মা, মৌসুমী চ্যাটার্জি)জলসা মুভিজসকাল ৯-৫০ অমর সাথী (সুমন্ত, দোলন রায়, দীপঙ্কর দে)। ১২-৫০ চ্যালেঞ্জ ২ (দেব, পূজা বোস, তাপস পাল, আশীষ বিদ্যার্থী)। ৪-২০ কলকাতা ফুটবল লিগ। সরাসরি। ৬-৩০ বেহুলা লখীন্দর (মহুয়া রায় চৌধুরী, অভি ভট্টাচার্য)। ৯-৩০ আওয়ারা (জিৎ, সায়ন্তিকা)।জি টিভিবেলা ১-০০ পেয়ার কা পঞ্চনামা। ৪-০০ লাইফ ইন এ মেট্রো (ধর্মেন্দ্র, ইরফান খান, কঙ্কনা সেন শর্মা, শিল্পা শেঠি)।সনিরাত ৯-০০ ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই দোবারা (অক্ষয় কুমার, ইমরান খান, সোনাক্ষী সিনহা)।জি সিনেমাসকাল ৮-৫৫ বৈষ্ণবি। ১১-৫৮ শাহেনশাহ (অমিতাভ বচ্চন, মীনাক্ষী)। ৩-২৭ কমান্ডো-এ ওয়ান ম্যান আর্মি (জয়দীপ, ডিম্পল)। ৬-১০ গড তুসি গ্রেট হো (অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান, প্রিয়াঙ্কা)। ৯-৩০ কমান্ডো-এ ওয়ান ম্যান আর্মি।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-০০ ভিরানা। ১১-০০ গোলমাল-ফান আনলিমিটেড (অজয় দেবগন, আরশাদ ওয়ার্সি, তুষার কাপুর, শরমান যোশি, রিমি সেন)। ১-৩০ গিপ্পি। ৬-০০ এক থা টাইগার (সালমান খান, ক্যাটরিনা) ৮-৩০ মুন্নাভাই এমবিবিএস (সঞ্জয় দত্ত, আরশাদ ওয়ার্সি, গ্রেসি সিং)।ফক্স মুভিজসকাল ১০-৩০ পিস, লাভ অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং। ১২-০৫ টাইটানিক (লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, কেট উইন্সলেট, বিলি জেন)। ৩-১৫ দিস মিনস ওয়ার (রিজ উইদারস্পুন, ক্রিস পাইন)। ৪-৫৫ টেকেন ২ (লিয়াম নিসন)। ৬-৩০ ওয়ান্স আপন এ টাইম। ৭-১৫ ট্রু জাস্টিস। ৮-০০ দ্য ওয়াকিং ডেড। ৯-৩৫ দ্য এক্সপেন্ডেবলস (সিলভেস্টার স্ট্যালোন)। ১১-২৫ পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার (ব্রুস উইলিস, হ্যালি বেরি)।এইচবিওসকাল ১০-১৭ চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি (জনি ডেপ)। ১২-৪১ হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ (ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ)। ৩-২৫ লিজেন্ডারি অ্যাসেসিন। ৫-১৪ স্টম্প দ্য ইয়ার্ড। ৭-৩৭ পুস ইন বুটস। ৯-৩০ শার্লক হোমস: এ গেম অব শ্যাডোজ (রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, জড ল)।জাতিসংঘে নিযুক্ত কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত মার্টিন কবলার বলেছেন, এম ২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে প্রায় ধ্বংস করা হয়েছে। এই গোষ্ঠী আর কঙ্গোর জন্য কোনো সামরিক হুমকি নয়।মার্টিন কবলার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ কথা বলেন। কবলার জানান, বিদ্রোহীরা কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার সামরিক অবস্থানগুলো থেকে সরে গেছে। এখন রুয়ান্ডা সীমান্তঘেঁষা ছোট একটি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে তারা। ওই সীমান্তের কাছের একটি শক্ত ঘাঁটি থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে বিদ্রোহীরা।কবলার দাবি করেন, সামরিক বাহিনী সত্যিকার অর্থেই এম ২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে শেষ করে দিয়েছে। কঙ্গোর সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত পঞ্চম এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা বলছে, তারা সাময়িকভাবে সামরিক অবস্থানগুলো থেকে সরে এসেছে। বিবিসি।আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।এফবিসিসিআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ে ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দানে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। চলতি মাসে হরতাল, অবরোধ ও রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম করতে পারেনি। এ ছাড়া আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করাও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর অনু বিভাগের সম্প্রসারণ ও পুনর্গঠনের কারণে আয়কর-সংক্রান্ত অধিক্ষেত্র (জোন ও সার্কেল) পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন ও পুরোনো করদাতারা অনলাইনের মাধ্যমে টিন নিবন্ধন ও ই-টিনের মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল করতে জটিলতায় পড়ছেন।এতে বলা হয়, এ অবস্থায় এফবিসিসিআই মনে করে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা না বাড়ালে করদাতাদের পক্ষে সময়মতো রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন এবং পেশাজীবী সংগঠনও আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর জন্য এফবিসিসিআইকে অনুরোধ জানিয়েছে। তাই আয়কর খাত থেকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো আরও এক মাস বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।ডারবান টেস্টটা বুঝি ক্যালিসময় হয়েই থাকবে! সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার শতক পেলেন। তাঁর দিনে দলও পেল ১৬৬ রানের লিড। ম্যাচ যত এগোচ্ছে, ভারতের জন্য সমীকরণ ততই কঠিন হচ্ছে। জয় দিয়েই ক্যালিসকে বিদায় সংবর্ধনা দিতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেই কাজটিতে ক্যালিস নিজে সেঞ্চুরি করে রেখেছেন বড় ভূমিকা।এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলার সৌভাগ্য হয়েছে দুই হাজার ৭৩৪ জনের। সংখ্যাটা কম নয়। এঁদের সিংহভাগই বিদায় নিয়েছেন ক্রিকেট থেকে। তবে শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করে বিদায় নেওয়ার গৌরব খুব বেশি খেলোয়াড়ের হয়নি। সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৩৩ জনের। সেঞ্চুরি করে বিদায় নেওয়ার গৌরব হয়নি অনেক রথী-মহারথীরও। ক্যালিসও সেই তালিকায় নাম লেখালেন। নিজের বিদায়ী টেস্টে তুলে নিলেন ৪৫ নম্বর সেঞ্চুরিটা।১১৫ রান করার পর টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় রাহুল দ্রাবিড়কে পেরিয়ে গেলেন ক্যালিস। কিংসমিডে শতরানের পর ১৩ হাজার ২৮৯ রান করে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। ১৬৬ টেস্টে ক্যালিস রয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার (১৫ হাজার ৯২১ রান) ও রিকি পন্টিংয়ের (১৩ হাজার ৩৭৮ রান) পরেই।ক্যালিসের সেঞ্চুরির পাশাপাশি এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৭৪, নয়ে নামা রবিন পিটারসনের ৬১, ডেল স্টেইনের ৪৪ ও ফ্যাফ ডু প্লেসিসের ৪৩ রানের সৌজন্যে অলআউট হওয়ার আগে ৫০০ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের প্রথম ৬ উইকেটের পাঁচটিই তুলে নেওয়া রবীন্দ্র জাদেজা শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট ঝোলায় পুরলেও রান দিয়েছেন ১৩৮। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিনা উইকেটে করেছে ৮ রান।দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সবচেয়ে বড় হাইলাইটস অবশ্যই ক্যালিসের ইনিংসটি। কাল ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রকৃতির বাধায় শেষ পর্যন্ত দিনের শেষ ৮ ওভার খেলা হয়নি। তবে আজ আর কোনো বাধাই বাধা হলো না। ক্যালিস ঠিকই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। শুধু তা-ই নয়, আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা স্টেইনকে নিয়ে দারুণ একটা জুটিও গড়ে তুললেন। ষষ্ঠ উইকেটে ৮৬ রান যোগ করে এই জুটি। শেষ পর্যন্ত ক্ষণিকের ভুলে জাদেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইনিংসটা ১১৫ রানেই সমাপ্ত হয়েছে ক্যালিসের। না হলে হয়তো আরও লম্বা একটা ইনিংসই খেলতে পারতেন।ক্যালিসের বিদায়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা আরও ১১৬ রান যোগ করেছে। এর মধ্যে ১১০ রানই জোগান দিয়ে অষ্টম উইকেটের ডু প্লেসিস আর পিটারসনের জুটিটা। ডু প্লেসিস রানআউটের খাঁড়ায় পড়ে বিদায় নিলেও পিটারসন শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। |
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীবিশ্বনাটকের যূথ উৎসব। আয়োজন করেছে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়। আজ দেশ নাটকের নাটক অরক্ষিত, জাতীয় নাট্যশালায়। আরণ্যক নাট্যদলের নাটক রাঢ়াঙ, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে। থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনীর নাটক গডোর প্রতীক্ষায়, স্টুডিও থিয়েটারে। সন্ধ্যা সাতটায়।ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন, ধানমন্ডিবিশ্বনাটকের যূথ উৎসব। কলকাতার প্রাচ্যের নাটক রোমিও জুলিয়েট। সন্ধ্যা সাতটায়।জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগআমারে তুমি অশেষ করেছ। চিত্রনায়িকা কবরীর চলচ্চিত্রজীবন ও রাজনৈতিক জীবনের স্থিরচিত্র ও বিভিন্ন ছবির গানের ভিডিও ক্লিপিংস নিয়ে প্রদর্শনী। চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।গ্যালারি কায়া, উত্তরাগৌতম চক্রবর্তীর চিত্রকলা প্রদর্শনী ‘আমি’। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।বেঙ্গল শিল্পালয়, ধানমন্ডিএস এম সুলতানের প্রদর্শনী ‘অদেখা সুষমা’। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।গ্যালারি টোয়েন্টি ওয়ান, ধানমন্ডিশাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকলা প্রদর্শনী ‘যোদ্ধা। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।অ্যাথেনা গ্যালারি, উত্তরাইউনিটি অব সোলস। নয়জন বাংলাদেশী আর আটজন পাকিস্তানী শিল্পীর চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী। চলবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।স্টার সিনেপ্লেক্স নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: সকাল ১০টা ৫০, দুপুর একটা ৪০, বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। ডায়ানা: বেলা সোয়া ১১টা, পৌনে দুইটা, বিকেল পৌনে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। রেড টু: বেলা ১১টা, দুপুর দেড়টা ও বিকেল সোয়া পাঁচটায়। আর.আই.পি.ডি. থ্রিডি: বেলা ১১টা, দুপুর একটা ৫, বেলা তিনটা ১০ ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। ওজ গ্রেট অ্যান্ড পাওয়ারফুল থ্রিডি: বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়।তুরস্কের বসফরাস সুড়ঙ্গপথে ট্রেন চলাচল গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। ফলে ইস্তাম্বুল নগরের এশীয় ও ইউরোপীয় উপকূলের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপিত হলো। তবে এ পথে ট্রেন চলাচল পুরোদমে শুরু করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। নতুন সুড়ঙ্গপথের কল্যাণে বসফরাস চীন থেকে শুরু করে গোটা পশ্চিম ইউরোপের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইস্তাম্বুল নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, সুড়ঙ্গপথটির কারণে দুটি সেতুর ওপর চাপ কমবে। এ ছাড়া যানজট ও পরিবেশদূষণ কমবে। অটোমান সুলতান আবদুল মেদজিদ ১৮৬০ সালে প্রথম এ ধরনের সুড়ঙ্গপথ স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বিবিসি।উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নুসরাত ফতেহ আলী খানের ভাতিজা রাহাত ফতেহ আলী খান পাকিস্তানের পাশাপাশি বলিউডের ছবিতে গান গেয়ে ভারতেও তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সম্প্রতি এক খবরে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অনেকটা গোপনেই মাস খানেক আগে দ্বিতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন ৩৮ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রেমিকা ও মডেল ফালাককে বিয়ে করেছেন রাহাত। ‘পাপ’, ‘ওমকারা’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘লাভ আজকাল’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই’, ‘রেডি’, ‘বডিগার্ড’, ‘জান্নাত ২’, ‘হিরোইন’, ‘দাবাং’, ‘দাবাং ২’, ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’সহ বলিউডের অসংখ্য ছবিতে কণ্ঠ দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন রাহাত। সম্প্রতি রাহাতের দ্বিতীয় বিয়ের খবর ফাঁস করে দিয়েছেন তাঁরই এক রেডিও জকি বন্ধু।নুসরাত ফতেহ আলী খানের মেয়ে নিডাকে বিয়ে করেছিলেন রাহাত। রাহত-নিডার তিন সন্তান। দুই মেয়ের নাম মাহিন খান ও ফিলজা খান এবং ছেলের নাম সাজমান খান। ঘর-সংসার থাকার পরও মডেল ফালাকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাহাত। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন তিনি। বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর মাস খানেক আগে পরিবারের সদস্য ও কাছের বন্ধু-বান্ধবদের উপস্থিতিতে ঘরোয়াভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন রাহাত ফতেহ আলী খান।গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে শামিল হতে গিয়ে আজ রোববার মালিবাগে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মানসুর প্রধানীয় (২৪) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া হাইকোর্ট এলাকায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ওপর জলকামান থেকে রঙিন ও গরম পানি ছিটানো হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানসুরের বন্ধু মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মানসুর আশকোনা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিবিরের সভাপতি ছিল। তিনি বনানীর সিটি ইউনিভার্সিটি নামে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১১টার দিকে মালিবাগ পদ্মা সিনেমা হলের সামনে থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। তাঁরা টায়ারে আগুন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে।এ ঘটনার পরে রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল পাশের একটি গলিতে তল্লাশি করতে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে শিবিরের কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের পাঁচজন সদস্যসহ অপর একজন আহত হন। সংঘর্ষ শেষে মানসুর নামে ওই ব্যক্তিকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টার দিকে মালিবাগের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মানসুরের বড় ভাই মানজুর আশিক হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরের মুন্সিরহাটে। ঢাকায় মানসুর বিমানবন্দর রোডে থাকতেন। তাঁদের বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক।এদিকে আবুল হোটেলের কাছে ১৮-দলীয় জোটের ৬০-৭০ জন সমর্থক একটি মিছিল বের করেন। তাঁরা সেখানে একটি টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পুলিশের একটি ভ্যান সেখানে পৌঁছালে মিছিল থেকে সেটি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়েন ১৮-দলীয় জোটের সমর্থকেরা। পুলিশ ধাওয়া করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ কাউকে আটক করেনি। |
তথ্য ও বিনোদনযাহা বলিব সত্য বলিবকথাবন্ধু কিবরিয়ার সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০]খবরএবিসি খবর [সকাল ৮.০০-রাত ১২.০০ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায়]ঢাকায় ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে গুগল ম্যাপিং কর্মশালা। ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার এবং প্রোগ্রামিং ক্লাব ও ম্যাপিং বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। ‘ম্যাপআপ’ শীর্ষক এ কর্মশালা বেলা আড়াইটায় শুরু হবে।—বিজ্ঞপ্তিদশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে বিএনপির সাবেক সাংসদ মো. রুস্তম আলী ফরাজী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা এম নজরুল ইসলামও এই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁদের দুজনের পক্ষে দুটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।এদিকে, গতকাল বুধবার কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসন থেকে মনোনয়নপত্র তোলায় দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।এম নজরুল ইসলাম মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় নেতা। রুস্তম আলী ফরাজী অষ্টম জাতীয় সংসদে বিএনপির সাংসদ ছিলেন। বিএনপির সংস্কারপন্থী সাবেক এই সাংসদ নবম সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। গত জুলাইতে তিনি চরমোনাই পীরের রাজনৈতিক দল ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনে যোগ দেন।জানতে চাইলে এম নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। দল মনোনয়ন দিলে প্রার্থী হব। না দিলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিব।’রুস্তম আলী ফরাজীর মনোনয়নপত্র তাঁর পক্ষে সংগ্রহ করেন এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘হুজুর (চরমোনাই পীর) নির্বাচন এলে রুস্তম আলী ফরাজী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হবেন। আর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নির্বাচনে না এলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন।’ রুস্তম আলী ফরাজীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ বি এম আজমল হোসেন জানান, আজ পর্যন্ত দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্য আরোহী বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবত্ থাকবে বলে আজ রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেলে চালকের সঙ্গে অন্য আরোহী চড়ে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণের মতো সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। তাই ‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নাশকতা রোধকল্পে’ মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুসারে মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত অন্য আরোহী বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। |
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ‘নদী দখলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ হিমালয় অঞ্চল’ স্লোগান নিয়ে ডাকাতিয়া সুরক্ষা আন্দোলন, রিভারাইন পিপল ও শ্রাবণ প্রকাশনী যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী নদীবিষয়ক বইমেলা আয়োজন করেছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় আজিজ সুপার মার্কেট (দ্বিতীয় তলা), ঢাকায় শ্রাবণ প্রকাশনীর কার্যালয়ে এ মেলা উদ্বোধন করবেন লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। মেলায় নদীবিষয়ক বইপত্রিকার প্রদর্শনীও থাকবে।পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ছয়টি মামলার শুনানি আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। জারদারি এক সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশে যাবেন বলে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর পক্ষে সাবেক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ফারুক এইচ নায়েক আদালতে সময় প্রার্থনা করেছিলেন। ডন।লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৪ গোল। সুপার কাপে ২ ম্যাচে ১ গোল। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থতা কাটছে না নেইমারের। বার্সেলোনার হয়ে এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগে পাঁচটি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। এর একটিতেও গোলের দেখা পাননি।পরশু রাতে আয়াক্সের বিপক্ষে গোলখরা কাটানোর সুযোগ ছিল নেইমারের। চোটের কারণে লিওনেল মেসি ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছিল, আর্জেন্টাইন মহাতারকার শূন্যতাটা পূরণ করবেন নেইমার। কিন্তু সেটা হয়নি। আগের চার ম্যাচের মতো আয়াক্সের বিপক্ষেও গোলহীন থাকেন বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত এই তারকা।প্রথমার্ধে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তাঁকে কড়া মার্কিংয়ে রাখেন আয়াক্সের খেলোয়াড়েরা। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা অবদান রেখেছেন। ওই ম্যাচের বার্সার একমাত্র গোলে পরোক্ষভাবে কৃতিত্ব ছিল তাঁর। নেইমারকে ফাউল করাতেই লাল কার্ড দেখেন আয়াক্সের ভেল্টমেন। প্রাপ্ত পেনাল্টিটা কাজে লাগান জাভি। ৫৬ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরানোর সুযোগও পেয়েছিলেন নেইমার। ইনিয়েস্তার পাস থেকে নেওয়া তাঁর দারুণ শট ঠেকিয়ে দেন আয়াক্সের গোলরক্ষক।নেইমার অবশ্য নিজের গোল না পাওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নন। সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিটাই বেশি ভাবাচ্ছে তাঁকে, ‘আমাদের জন্য সময়টা খারাপ। কারণ লিও আমাদের অন্যতম স্তম্ভ। আমরা জানি, ও যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আশা করছি ও দ্রুতই ফিরে আসবে।’৫৭ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সায় যোগ দেওয়া নেইমারের শুরুটা সুখকর ছিল না মোটেই। হঠাত্ই যেন ফর্ম পড়ে গিয়েছিল। জুনে অনুষ্ঠিত ফিফা কনফেডারেশনস কাপে পাঁচ ম্যাচে করেছিলেন চার গোল। পেয়েছিলেন প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা। সেই নেইমার বার্সার জার্সি গায়ে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না। স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে প্রথম সাত ম্যাচে গোলের দেখা পান মাত্র একটি। প্রাথমিক ধাক্কাটা অবশ্য সামলে নিয়েছেন নেইমার। ১৫ ম্যাচে এ পর্যন্ত গোল করেছেন পাঁচটি। সতীর্থদের নয়টি গোল করতে সহায়তা করেছেন।কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের গোলদাতাদের তালিকায় এখনো নিজের নামটা লিখতে পারেননি ব্রাজিলের বিস্ময়-প্রতিভা। হয়তো দ্বিতীয় রাউন্ডের আসল লড়াইয়ের জন্যই জমিয়ে রেখেছেন সবগুলো গোল।ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) সীমিত পরিসরে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। পর্যবেক্ষণে তারা ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতির হার এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। আজ রোববার ইডব্লিউজির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব দলের অংশগ্রহণে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ বর্তমানে নেই। ভোট গ্রহণের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। যে কারণে ইডব্লিউজি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, ইডব্লিউজি যে সব এলাকায় আগে থেকেই পর্যবেক্ষণ করে আসছে, সেখানে পর্যবেক্ষণের কাজ অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়া নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে স্বল্পসংখ্যক আসনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে। |
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা: বিশেষ প্রস্তুতি-২৯সঠিক প্রশ্নোত্তর অংশ-১৯প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ প্রাথমিক বিজ্ঞানের ১ নম্বর প্রশ্ন অর্থাৎ ‘সঠিক উত্তরটি খাতায়লেখ’ দেওয়া হলো। তোমরা মনোযোগ সহকারে পড়বে।অধ্যায়-৮২২. দিন ও রাত হয় কোন গতির কারণে?ক. আহ্নিক গতি খ. বার্ষিক গতি গ. নিজস্ব গতি ঘ. সৌরগতিউত্তর: ক. আহ্নিক গতি।২৩. পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার পথটি কোন ধরনের?ক. বৃত্তাকার খ. সমান্তরাল গ. উপবৃত্তাকার ঘ. বক্রাকারউত্তর: গ. উপবৃত্তাকার২৪. দিন-রাতসম্পর্কিত সঠিক ব্যাখ্যার মডেল কোন বিজ্ঞানী প্রদান করেন?ক. গ্যালিলিও খ. নিউটন গ. আর্কিমিডিস ঘ. কোপার্নিকাসউত্তর: ঘ. কোপার্নিকাস২৫. পৃথিবীর মেরু রেখাটি অক্ষের সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণ করে আছে?ক. ৬৬ ডিগ্রি খ. ৩৫ ডিগ্রি গ. ৫০ ডিগ্রি ঘ. ১২০ ডিগ্রিউত্তর: ক. ৬৬ ডিগ্রি২৬. বাংলাদেশে কোন সময়ে আমরা সূর্যের নিকটতম থাকি?ক. গ্রীষ্মকালে খ. শীতকালে গ. বর্ষকালে ঘ. শরৎকালেউত্তর: ক. গ্রীষ্মকালে২৭. কিসের পার্থক্যের জন্য ঋতুর পরিবর্তন ঘটে?ক. তাপ খ. দূরত্ব গ. তাপমাত্রা ঘ. সময় উত্তর: গ. তাপমাত্রা২৮. আপন অক্ষের ওপর ঘুরতে পৃথিবীর কত সময় লাগে?ক. ৩৬৫ দিন খ. ৩৬৫ দিন ছয় ঘণ্টা গ. ২৪ ঘণ্টা ঘ. ৪৮ ঘণ্টাউত্তর: গ. ২৪ ঘণ্টা২৯. পৃথিবী তার অক্ষের চারদিকে কীভাবে ঘুরছে?ক. পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে খ. পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকেগ. উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ঘ. দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকেউত্তর: খ. পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে৩০. যে সময় উত্তর গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট হয়, তখন দক্ষিণ গোলার্ধে কোন সময় থাকবে বলে তুমি মনে কর?ক. শরৎকাল খ. শীতকাল গ. গ্রীষ্মকাল ঘ. হেমন্তকালউত্তর: খ. শীতকাল৩১. চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে, তখন পৃথিবীতে কোনটি হয়?ক. পূর্ণিমা খ. মরাকটাল গ. অমাবস্যা ঘ. সমুদ্রে ভাটাউত্তর: গ. অমাবস্যা।সহকারী শিক্ষকপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে হলের প্রাক্তন ছাত্রীদের এবং যাঁরা এর আগে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্য হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর সপ্তাহের প্রতি শুক্র, শনি, সোম এবং বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত রোকেয়া হলের ফটকসংলগ্ন অতিথিকক্ষে এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ০১৫৫২৩২৪৬২৯, ০১৫৫২৪২৪২০৫, ০১৭১৫১৮৬০৫৯, ০১৭১৬৩৫৪৯৯৬ মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। বিজ্ঞপ্তি।১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৭১ ঘণ্টার রাজপথ, নৌপথ ও রেলপথ অবরোধের শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সারা দেশের রেল যোগাযোগ-ব্যবস্থা। অবরোধের শেষ দিনে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকলেও বন্ধ রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে।কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে রেললাইন উপড়ে ফেলায় কুমিল্লায় উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।এদিকে দুই দিন বন্ধ থাকার পর বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ ছাড়া অন্য রুটগুলোয়ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।সকাল থেকে মোট ১২টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে এসেছে এবং সেগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ইশা খাঁ এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, পারাবাত এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেস যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস কিছুটা দেরিতে, তিস্তা এক্সপ্রেস ৭.২০-এর পরিবর্তে সাড়ে ১১টার দিকে ও এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৮.১০-এর পরিবর্তে বেলা একটায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে।কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাখাওয়াত হোসেন খান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, অধিকাংশ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে এসেছে এবং স্টেশন ছেড়েছে। তবে রংপুর এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি সকালে আসার কথা থাকলেও এখনো স্টেশনে এসে পৌঁছেনি বলে জানান তিনি।যাত্রীদের দুর্ভোগএদিকে কয়েকটি ট্রেন যথাসময়ে স্টেশনে না আসায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, রংপুর ও দিনাজপুরগামী যাত্রীদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী বিশ্রামাগারে কথা হয় মো. সোহেলের সঙ্গে। তিনি রংপুর থেকে ঢাকায় চাকুরির পরীক্ষা দিতে এসেছেন। তিনি জানান, গতকাল বুধবার তাঁর পরীক্ষা ছিল। আজ সকালে ট্রেনের টিকিট নিয়েছেন তিনি। ট্রেনের অপেক্ষায় সকাল সাতটা থেকে স্টেশনে বসে আছেন। বেলা দুইটা নাগাদও ট্রেন স্টেশনে এসে পৌঁছেনি। ট্রেন কখন আসবে, সে ব্যাপারে স্টেশনের কেউ নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না।ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা মোকসেদ আলী নামের অপর যাত্রী বলেন, ‘আমাদের কথা লিখে কী হবে। তারা তো টেবিলে বসে কর্মসূচি দেয়, আর দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।’ ব্যক্তিগত কাজে তিনি দিনাজপুর যাবেন বলে সকাল থেকে স্টেশনে বসে আছেন। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না আসায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক খায়রুল বশীর বলেন, ‘এতে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ গত দুদিনের তুলনায় আজ ট্রেন চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।খায়রুল বশির আরও বলেন, ‘রেলওয়ে জনগণের সম্পদ। জনগণ যাতে আটকে না পড়ে, তাদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় এবং জনগণের চলার গতি যাতে থেমে না যায়, সে বিষয়ে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ জনগণকে জিম্মি করে এমন কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান পরিদর্শক মোহাম্মাদ শহীদল্লাহ বলেন, ‘১৮ দলের অবরোধকে ঘিরে বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অনেক জায়গায় রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। বিগত দিনে এ ধরনের নাশকতা আমরা দেখিনি। তবে রেলওয়ের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত এবং দুর্ঘটনায় পড়া ট্রেনের উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।’ রেলওয়ের নিরাপত্তা-ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।উত্তুরে কনকনে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তবে তার আগে আজ সন্ধ্যায় একপশলা ঝড় বইয়ে গেল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে! এ ম্যাচের আগে ব্যক্তিগত রান সংগ্রহের শীর্ষ তালিকায় তামিম ইকবালের অবস্থান ছিল চারে। তাঁর আগে ছিল এনামুল, সাব্বির রুম্মান ও সৌম্য সরকার। ব্যাপারটি কি তামিমকে বেশ পোড়াচ্ছিল? হয়তো বা! নইলে তাঁর ব্যাট আজ অমন জ্বলে উঠবে কেন? কেনই বা তাঁর তাণ্ডবে মোহামেডানের বোলাররা উড়ে যাবেন খড়কুটোর মতো!মিরপুরে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমেই মারলেন চার! মাশরাফির করা প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলে চার দিয়েই খুললেন রানের খাতা। সেই যে শুরু হলো, তা চলল ১৮ ওভার অবধি! এর মাঝে হয়ে গেল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম শতক! শতকও আবার যেনতেন নয়, ৬৪ বলে ৪ হালি চার আর ১ হালি ছয়ে সাজানো ১৩০ রানের রীতিমতো বিস্ফোরক শতক! ইউসিবি-বিসিবি একাদশের অধিনায়ক তামিম বোধ হয় আজ একটু বেশিই চড়াও হয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক মাশরাফির ওপর। মাশরাফির করা ১৪তম ওভারের শেষ তিন বলেই মারলেন পরপর তিনটি চার। ওই ওভারেই উঠল ২০ রান। তামিমের বেধড়ক ‘পিটুনি’ থেকে রক্ষা পাননি মোহামেডানের কোনো বোলারই। এ ক্ষেত্রে দেওয়ান সাব্বিরের কথা না বললেই নয়! সাব্বিরের করা ১২তম ওভারেও উঠেছে ২০ রান। এর মধ্যে তামিমের ভাগে পড়েছে মোটে ১৭ রান!মূলত তামিমের শতকে রানের পাহাড় গড়েছে ইউসিবি। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৭। টুর্নামেন্টে তামিমের সংগ্রহ ২৭৩। ব্যক্তিগত সংগ্রহে যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এনামুলের সংগ্রহ ২৭১। |
মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী গতকাল থেকে শুরু হলো ধানমন্ডির ৬ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর বাড়ির গ্যালারি চিত্রকে। বিকেলে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরাসি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাবু ক্যামিশে ও বিশিষ্ট শিল্পী রফিকুন নবী। সভাপতিত্ব করেন বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। শিল্পী শাহাবুদ্দিন তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। স্বাগত জানান চিত্রকের নির্বাহী পরিচালক শিল্পী মনিরুজ্জামান। প্রদর্শনীতে সম্প্রতি আঁকা ৩০টি শিল্পকর্ম রয়েছে। এতে তিনি গতিময় তুলির টানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়োল্লাস তুলে ধরেছেন। প্রদর্শনী চলবে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসিন্দা ওয়াহিদ শাহিন পেশায় চিকিৎসক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সকাল আটটা থেকে তাঁর ডিউটি। গতকাল দুপুরে বকশীবাজার এলাকায় তাঁকে দেখা দেখা গেল ক্লান্ত ও ঘর্মাক্ত হয়ে হেঁটে যেতে। বিরস বদনে বললেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাসপাতালে গিয়েছি হেঁটে। দুইটা পর্যন্ত টানা ডিউটি করে ফিরছি বাসায়।’দক্ষিণ মৈশুন্দি এলাকার নাজমা বেগম জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত। তাঁর কিছু বিশেষ ওষুধ ও ইনজেকশন দরকার, যা শুধু তেজগাঁও এলাকার একটি ওষুধ কোম্পানির কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হয়। হরতালের কারণে ওষুধগুলো জোগাড় করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন।বিরোধী দলের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষকে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। গতকাল সকালে পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাড়ি ভাঙচুরের খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ আতঙ্কের ফলে সকাল থেকেই রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। এতে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য মানুষকে পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ।ধোলাইখাল, সদরঘাট, নবাবপুর, টিকাটুলী, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকেই দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষের অসহায় ছোটাছুটি। সবার চোখেমুখেই উদ্বেগের ছাপ। ইসলামপুর, নবাবপুর, চকবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীসহ ধোলাইখাল এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ঈদের টানা ছুটির পর এখন ব্যবসার সময়। অথচ এই সময়ে হরতালে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। ধোলাইখালের পুরোনো পার্টসের দোকানদার রিপন বলেন, ঈদের নানা খরচে পকেট খালি হয়ে আছে। এখন এভাবে ব্যবসা বন্ধ থাকলে কয়েক দিন পর না খেয়ে মরতে হবে। রিপন জানালেন, ধোলাইখালের ব্যবসাটা পুরোপুরি যানবাহন চলাচলের ওপর নির্ভর করে।পল্টনের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারিন্দার বাসিন্দা হাবিবা লোপাকে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো পুরো পথ হেঁটে অফিসে আসতে হয়েছে। ক্ষোভের সঙ্গে হাবিবা লোপা বলেন, ‘হরতাল মানেই হচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।’ গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা স্বপন নন্দী চাকরি করেন ফার্মগেট এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে। তিনি জানান, বাস ছাড়া কোনো গতি নেই। ভাগ্য ভালো থাকলে যদি বাস পাওয়াও যায়, সে জন্য সইতে হয় মানুষের ধাক্কাধাক্কি।টিকাটুলী এলাকার একটি হাসপাতালের সামনে স্ত্রী এবং নবজাতক নিয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় আশিকুর রহমানকে। বললেন, ‘বউ-বাচ্চা নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও কোনো গাড়ি পাইনি।’ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করলেন, ‘যে দলেরই হরতাল হোক না কেন, এতে সাধারণ মানুষের কোনো লাভ হয় না, কেবল ভোগান্তি বাড়ানো ছাড়া হরতালের আর কোনো উপযোগিতা নেই।’হরতালে গণপরিবহন তুলনা-মূলকভাবে কম চলায় এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অবর্ণনীয় সংকটে পড়েছে পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। হরতাল হলেই এখানকার নাগরিক জীবনে নেমে আসে একধরনের স্থবিরতা।বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হকের আদালত ওই পাঁচ নেতার জামিন মঞ্জুর করা বা না-করার বিষয়ে অধিকতর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।গত বৃহস্পতিবার বিএনপির পাঁচ নেতার জামিন বিষয়ে ২৮ নভেম্বর অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। আজ এ বিষয়ে অধিকতর শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।১৪ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির এই পাঁচ নেতার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে হাইকোর্ট এসব নেতার রিমান্ড স্থগিত করেন ও কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় ৫ নভেম্বর করা ১৬ নম্বর মামলা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর দায়ের করা ৪৪ নম্বর মামলায় বিএনপির এই নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।৮ নভেম্বর রাতে পাঁচ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।খেলায় বেশ কিছু শব্দের চল হয়েছে। যেমন ২৬ ডিসেম্বর শুরু টেস্টকে বলে বক্সিং ডে টেস্ট। কেন? হ্যাটট্রিক শব্দটিই বা এল কেমন করে? টেনিসে ‘লাভ’ মানে কেন শূন্য? সেই সব শব্দ-শব্দবন্ধের গল্প নিয়ে আমাদের নতুন ধারাবাহিক—ক্রীড়া অভিধান। চতুর্থ পর্বে থাকছে ‘নেলসন’। লিখেছেন অনিরুদ্ধ রহমানরোহিলাহলা নামের শিশুটি যখন প্রথম পাঠশালায় যায়, সেদিনই শ্রেণী শিক্ষক ছেলেটির নাম পাল্টে করে দেন নেলসন। ইংরেজ নৌ সেনাপতি হোরাসিও নেলসনের নামে নাম দেওয়া হয়েছিল তার। নাম পাল্টে দেওয়ার কারণ ছিল স্থানীয় অধিবাসীদের নামকে শাসক ইংরেজদের কাছে সহজবোধ্য করে তোলা। পরে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের বিশ্বনেতা হয়ে সেদিনের সেই শিশু নেলসন অ্যাডমিরাল নেলসনের খ্যাতিকে ছাড়িয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। নেলসন ম্যান্ডেলা নামেই তাঁকে চেনে পৃথিবীবাসী।ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির বিখ্যাত নৌ-সেনানী ছিলেন হোরাসিও নেলসন। বেশ কয়েকটি যুদ্ধে নেলসন অসাধারণ নেতৃত্ব, উদ্ভাবনী কৌশল এবং একেবারেই ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা দিয়ে ইংরেজদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক অসাধারণ সব বিজয়। ১৮০৫ সালে ব্যাটেল অব ট্রাফালগারের ঐতিহাসিক যুদ্ধে জয়ের পথে মারাত্মক আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এই ইতিহাসখ্যাত নৌযোদ্ধা।অনেকেই হয়তো এসব ইতিহাস এবং রাজনীতির সাথে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক খুঁজে ফিরছেন এতক্ষণ। এতক্ষণে অনেকেই পেয়েও গেছেন সম্পর্ক। ব্যক্তিগত বা দলীয় রান ‘১১১’ হলেই আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ডকে দেখা যেত এক হাত শূন্যে মেলে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে কিংবা একটা ছোট্ট লাফে নেলসনের অপয়া ভূতটিকে তাড়িয়ে দিতে।‘আনলাকি নেলসন’ একটা জনপ্রিয় ক্রিকেট কুসংস্কার যার জনপ্রিয়তায় প্রয়াত আম্পায়ার শেফার্ড বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আনলাকি থার্টিনের একটা ক্রিকেটীয় সংস্করণ এই আনলাকি নেলসন ।কথিত আছে, ভাইস অ্যাডমিরাল নেলসন যুদ্ধে আহত হয়ে তাঁর একটি পা, একটি হাত এবং একটি চোখ হারান। তাঁর সেই হতভাগ্য পরিণতির কথা স্মরণ করেই ১-১-১-এর এই বিশেষ নামকরণ। এরই ধারাবাহিকতায় ২২২ বা ৩৩৩-কেও কেউ কেউ ‘আনলাকি’র কাতারে ফেলে থাকেন।এ কারণেই ‘১১১’ ক্রিকেটে একটি অপয়া স্কোর! |
রাজধানীতে গতকাল শনিবার পালিত হয়েছে কবিতাবিষয়ক দিবস ‘গ্লোবাল পোয়েট্রি ডে’।এ উপলক্ষে রাজধানীর কাঁটাবনের রাঁচী গ্রন্থনিকেতনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কবি মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক। পোয়েট্রি অব ইয়োগা নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। তবে বাংলাদেশে এ আয়োজন এবারই প্রথম। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বদরুল হায়দার, সৈকত হাবিব, শেখ বাতেন, বিনয় বর্মণ, নূর কামরুন নাহার, শামস হক প্রমুখ।আগামী ৪,৫ ও ৬ নভেম্বর দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ, নৌপথসহ অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আজ মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বৈঠকে অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতার আগে সরকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে, তা প্রতিহত করতে টানা কর্মসূচি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে সরকারের সঙ্গে সংলাপের বিষয় নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, সংলাপ নিয়ে সরকার নাটক করছে। তাই এ নিয়ে বেশি দূর অগ্রসর হওয়ার সুযোগ নেই। তাঁরা সংলাপের বিষয়টিকে ‘ডেড ইস্যু’ হিসেবে বিবেচনা করছেন।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, আবদুল মঈন খান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আর এ গণি প্রমুখ।সংঘর্ষ, রেলপথে নাশকতা ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশে ৭১ ঘণ্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ চলছে। বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত পুলিশের ১১ সদস্য আহত হয়েছেন। রাজশাহীতে পুলিশের এক সদস্যসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ১৮-দলীয় জোট।নারায়ণগঞ্জ: সকাল সাতটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুরে শিবিরের কর্মীরা একটি ট্রাকে আগুন দেন এবং বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। ধাওয়া দিলে বালুঘাটের শ্রমিকদের সঙ্গে শিবিরের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সকাল পৌনে আটটার দিকে আড়াইহাজারে বিএনপির কর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়েছে।নোয়াখালী: বেলা ১১টা থেকে হরিনারায়ণপুর উচ্চবিদ্যালয়, বিশ্বনাথ, রশিদ কলোনি ও ফকিরপুর এলাকায় প্রধান সড়কে ও আশপাশের সড়কে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি শটগান ও চাইনিজ রাইফেল থেকে ৪০টি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের ১২টি শেল ছোড়ে।এতে ১৮ দলের কর্মী-সমর্থক ও পথচারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।পুলিশ অবরোধকারী সন্দেহে ওই সব এলাকা থেকে ১৫ জনকে আটক করে। দুপুর ১২টার দিকে অবরোধকারীরা শহরের বিশ্বনাথ এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।হামলাকারীরা এ সময় কার্যালয়ের ফটকের ভেতরে রাখা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভান। রাজশাহী: সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরের শালবাগান এলাকায় ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। তাঁরা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি, কাঠ ফেলে ও আগুন জ্বেলে অবরোধ করেন। পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে পৌঁছালে অবরোধকারীরা তা লক্ষ্য করে ককটেল, পেট্রলবোমা ও ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে সাঁজোয়া যানে পেট্রলবোমা বিস্ফোরিত হয়ে আগুন জ্বলে ওঠে। গাড়িটি দ্রুত সামনের দিকে টান দিলে বাতাসে আগুন নিভে যায়। সেখানে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক দফা রাবারের বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের পুলিশ লাইন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।প্রথম আলো ডটকমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান।নগরের চারখোঁটার মোড়ে পুলিশের ছোড়া শটগানের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দাঙ্গা দমন বিভাগের কনস্টেবল রেজাউল করিম গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক রিকশাচালকের পায়ে গুলি লাগে।সকাল ১০টার দিকে নগরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে রাস্তায় অবরোধকারীরা আগুন জ্বালে ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পটুয়াখালী: পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলিখালী এলাকার মহাসড়কে আজ সকালে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।পটুয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনসার উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শর্টগানের ৫০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।চাঁদপুর: সকালে চাঁদপুর শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় রেললাইনে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা।এতে স্টেশন এলাকার পাশের রেল ব্রিজে পাটাতনের কিছু অংশ পুড়ে যায়।পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর জানান, অবরোধে পিকেটিংয়ের সময় চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে।কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মণ্ডল ফিলিং স্টেশনের সামনে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা।এ সময় ওই পথ দিয়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে তারা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।তবে কাউকে আটক করা যায়নি।কুষ্টিয়া থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি।পোড়াদহ-গোয়ালন্দ রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।বগুড়া: বগুড়া সদর উপজেলার সাতিয়ানতলা এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৭২ ফুট রেললাইন কেটে ফেলে অবরোধকারীরা। এতে করতোয়া, লালমনি, রংপুর এক্সপ্রেস ও একটি লোকাল ট্রেন আটকা পড়ে। সকাল নয়টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বগুড়া রেলস্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক বেলাল হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রেললাইন কেটে ফেলা হয়। এ কারণে প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা সান্তাহার-লালমনিরহাট পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রেলপথ মেরামত শেষে সকাল নয়টার দিকে এ পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোজাম্মেল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, চারটি ট্রেনে এক হাজারেরও বেশি যাত্রী ছিলেন। এই যাত্রীরা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন।এদিকে, গতকাল রাতে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় আরটিভির একটি গাড়ি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। তবে চালক কৌশলে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। এ ছাড়া মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি যানবাহনে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা।সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): সকালে মিরসরাই উপজেলার দমদমা এলাকা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয় রণজিত বড়ুয়ার পরিবার।অটোরিকশাটি সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলা এলাকায় পৌঁছালে অবরোধকারীরা তাঁদের গাড়িতে হামলা চালায়।এ সময় দুই নারীসহ তিনজন আহত হন।আহত ব্যক্তিরা হলেন চালক সুমন বড়ুয়া, যাত্রী আরতি বড়ুয়া ও মায়া বড়ুয়া।লালমনিরহাট: সকাল ১০টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজার এবং বুড়ির বাজার এলাকায় রেল ও সড়ক অবরোধ করতে আসা অবরোধকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।এ সময় র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের ওপর চারপাশ থেকে ঢিল ছোড়া হয়।এ সময় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব ২৮টি, পুলিশ ৬২টি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের আটটি শেল ছোড়ে।এ সংঘর্ষে পুলিশের তিন সদস্যসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হন।র্যাব-৫ এর সদস্যরা তাদের দিকে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ফকিরটারী গ্রামের আবদুর রহমানকে (৫০) ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন আমাদের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, রাজশাহী অফিস, পটুয়াখালী প্রতিনিধি, চাঁদপুর প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া অফিস, বগুড়া প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ডু প্রতিনিধি, লালমনিরহাট প্রতিনিধি ও নোয়াখালী প্রতিনিধি)প্রতারণা বা বহুগামিতা নিয়ে নারী-পুরুষ উভয়েরই বহুকাল ধরে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলার বিষয়টি চলে আসছে। ঠিক কী কী কারণে পুরুষেরা প্রতারণা করে, তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। পুরুষদের বিশ্বাসঘাতকতার ওপর গবেষণা এবং দাম্পত্য পরামর্শক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন নর-নারীর সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কামাল খুরানা। ভারতীয় এই বিশ্লেষকের অনুসন্ধান থেকে পুরুষদের প্রতারণার শীর্ষ আট কারণ—দাম্পত্য কলহঘরে স্ত্রীর সঙ্গে সব সময়ই ঝগড়াঝাঁটি হচ্ছে কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। অবস্থাটা এমনই যে ‘অসুখী’ এবং ‘বিরক্ত’ হয়ে থাকাটাই নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে হয় তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন, নয় পালিয়ে যাবেন। অন্য একটি সম্পর্ক খোঁজাকে এ ক্ষেত্রে দাম্পত্যের অমীমাংসিত সমস্যা থেকে পালানোর পথ মনে করে থাকেন অনেক পুরুষই। এমন সময়ে অন্য নারীর সঙ্গে সহজ সম্পর্কের মানে দাঁড়ায় সংকটময় জীবনেও অন্য কোনো আশ্রয়ে সমান্তরাল জীবনে সুখী হওয়ার চেষ্টা করা।পরকীয়ার কারণ শোয়ার ঘর!কিছু পুরুষ বিবাহিত জীবনের একঘেয়ে আটপৌরে নিয়মে ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে পড়েন। দাম্পত্য সম্পর্ককে নতুনভাবে চাঙা করার চেষ্টার চেয়ে বাইরে কোথাও অন্য কোনো সম্পর্কের মধ্যেই উত্তেজনা বোধ করেন তাঁরা। সংসারের জটিল মারপ্যাঁচ থেকে বেরিয়ে আসার কাজ অনেক কঠিন মনে হয় তাঁদের। এর চেয়ে বর্তমানের কোনো জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে থাকতে চান এ পুরুষেরা। এমন সময়ে দায়দায়িত্বহীন নতুন প্রেমের তাজা আনন্দে পরকীয়ার ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না পুরুষেরা। ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতেযৌনতা চিরদিনই দাম্পত্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, চিরকাল তা থাকবেও। অনেক পুরুষই জীবনটা এক নারীর সঙ্গেই কাটিয়ে দেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে অনেক পুরুষই যৌনতার আরও ভিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন। এমন পুরুষেরা অনেক নারীর সঙ্গ চান। আর এ পথে পা বাড়ালে বরাবরের জন্যই বহুগামিতা পেয়ে বসে তাঁদের। ফলে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবেন না তাঁরা।মানসিক আত্মসন্তুষ্টি থেকেনিজের কর্মজীবন, বাচ্চা-কাচ্চা পেলে-পুষে বড় করা কিংবা হয়তো শ্বশুর-শাশুড়ির দেখভাল করা নিয়ে ব্যস্ত স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে আর কোনো আবেগ-অনুভূতি নেই। এমন সময়েও কিছু পুরুষ মানসিকভাবে অসন্তুষ্ট বোধ করেন এবং ভাবতে শুরু করেন, স্ত্রী তাঁকে যথেষ্ট আদরযত্ন করছেন না, তাঁকে বোঝার চেষ্টা করছেন না, কঠোর পরিশ্রম করে সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য তাঁকে প্রশংসা করছে না। সংসারের বাস্তবতা ভিন্ন হলেও স্ত্রী তাঁর কাঁধে হাত রাখুক, তাঁর খোঁজখবর করুক, এটা তিনি চান, কিন্তু নিজে থেকে এ নিয়ে উদ্যোগী হওয়াকে সে কাপুরুষোচিত মনে করে। ফলে সব সময়ই স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকে তাঁর।এ অবস্থায় স্ত্রীকে প্রতারণা করে যে নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তিনি হয়তো তাঁর সহকর্মী, বস, কিংবা ব্যবসায়ের অংশীদার বা এমন কেউ, যিনি তাঁর জীবনকে ভালই জানেন। আর তাঁর কাজের জন্য তাঁকে প্রশংসা করেন, স্বীকৃতি দেন। বাইরের এ স্বীকৃতি নিজের ঘরে নিজেকে আরও অবহেলিত আর অগুরুত্বপূর্ণ ভাবতে সহায়তা করে তাঁকে। যার ফল পরকীয়া।মা-বাবার পরকীয়া, ছেলেবেলার অভিজ্ঞতা থেকেছেলেবেলায় বাবা-মায়ের পরকীয়া প্রেমের সাক্ষী হয়ে থাকলে অনেক পুরুষের এমন মনে হতে পারে, যে এটা খুব অন্যায় কিছু নয়। একে অনৈতিক মনে করলেও মা-বাবার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার সহজাত প্রবৃত্তি থেকে নিজের জীবনেও এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন তাঁরা। আবার ছেলেবেলায় বড় ভাই-বোন, নিকটাত্মীয় বা প্রতিবেশীদের কারও অনৈতিক সম্পর্ক প্রত্যক্ষ করে থাকলেও এটা ঘটতে পারে।এমন নানা সামাজিক কারণে অনেক পুরুষই তরুণ বয়সে নানাভাবে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমন পুরুষদের কেউ কেউ বিয়ের পর আবেগ-আক্রান্ত হয়ে পুরোনো প্রেমিকার কাছে ফিরে যেতে পারেন। আর কেউ কেউ তরুণ বয়সের অভ্যাসে বিয়ের পরও বহু সম্পর্কের চর্চায় অভ্যস্ত থাকতে চাইতে পারেন।স্ত্রী প্রতারক হয়ে থাকলেঅনেক সময় প্রতারক স্ত্রীর ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার স্পৃহা থেকেও প্রতারক হয়ে ওঠে পুরুষ। এমনকি স্ত্রী ভুল স্বীকার করে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে ফিরে এলেও স্বামী আর তাঁকে বিশ্বাস করতে পারেন না। এ অবস্থায় একদিকে স্ত্রীর ওপর অবিশ্বাস, অন্যদিকে নতুন সম্পর্কের নতুন মোহে পড়ে বিয়ের বাইরের সম্পর্কটিও চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন পুরুষেরা। স্ত্রীকে ক্ষমা করতে চান না, এমন পুরুষেরাই এটা করেন।বিবাহ-বিচ্ছেদ চান বলেকিছু পুরুষ প্রবৃত্তিগত ভাবেই অবিশ্বাসী ও বহুগামী। সামাজিক কোনো কারণে বিয়ে করে ফেলেছেন কিন্তু এখন বিবাহ-বিচ্ছেদ চাইছেন তিনি। এ অবস্থায় পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তা লুকিয়ে না রাখার কৌশল নেন এ পুরুষেরা। আর এটা করেন সংসার ভেঙে দেওয়ার জন্যই। এভাবে স্ত্রীকে হতাশ করে দিয়ে তাঁর ধৈর্যের সব বাঁধ ভেঙে দেওয়ার চেষ্টায় থাকেন এমন পুরুষেরা। সংখ্যায় কম হলেও এমন পুরুষ বিরল নন।নিজেকে ফিরে পেতেঅনেক সময় কোনো পুরুষ অনুভব করতে পারেন যে তাঁর স্ত্রীর আর তাঁকে প্রয়োজন নেই। তখন অন্য কোনো নারীকে খুঁজতে পারেন তিনি, যে তাঁকে বুঝতে চাইবে, যার কাছে গেলে নিজেকে বিশেষ আর গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে। তেমন কোনো নতুন সম্পর্ক পেলে অবধারিত পরিণতি হিসেবে কিছুদিনের জন্য হলেও নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে থাকেন তিনি। |
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগের বিষয়টি কেবল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন নয়, বিশ্ব কূটনীতিতেও একটি ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করি। উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে থেকে এই দুটি দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সাড়ে তিন দশকের অচলাবস্থা কাটিয়ে যদি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তা হবে বর্তমান বিশ্বে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এবারে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন, তা পশ্চিমা কূটনীতিক মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকে ভেবেছিলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের দেওয়া ভোজসভায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কুশল বিনিময় হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নিউইয়র্ক ত্যাগের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করলে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা তাঁদের মধ্যে টেলিফোন সংযোগ করিয়ে দেন। দুই প্রেসিডেন্ট ১৫ মিনিট কথা বলেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জাফরির মধ্যে বৈঠক হয়েছে; যদিও সেটি একান্ত বৈঠক ছিল না। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দিয়েছিলেন। এই সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিশ্ব কূটনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হয়। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যকার বৈঠক ও টেলিফোন সংলাপের প্রভাব কেবল সংশ্লিষ্ট দুটি দেশের বৈরিতা অবসানেই ভূমিকা রাখবে না, এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি ও কূটনীতির গতিধারাও বদলে দিতে পারে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামেও তারা একে অপরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে। এমনকি ইরানের বন্ধু দেশগুলোকেও যুক্তরাষ্ট্র সন্দেহের চোখে দেখে। এ অবস্থায় দুটি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সরাসরি যোগাযোগ বড় ধরনের পরিবর্তন বলেই ধারণা করি। আলোচনার এই ধারা অব্যাহত থাকলে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতেও সময় লাগবে না। এখন দেখা যাক কী প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির টেলিফোন আলাপটি হলো? এটি নিছক সৌজন্য সংলাপ, না মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির মোড় ফেরা—সেটি জানার জন্য হয়তো আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি জ্বলন্ত সমস্যা হলো যথাক্রমে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধ, সিরিয়ায় ‘গৃহযুদ্ধ’ এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। ইতিমধ্যে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা আপাতত কাটানো গেছে রাশিয়ার হস্তক্ষেপে। শেষ মুহূর্তে সিরিয়া আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষায় সম্মতি দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো হামলা থেকে বিরত থাকে। আর রাশিয়া এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেয়। বলা যায়, শক্তিধর দেশগুলোর শুভবুদ্ধির ফলে বিশ্ব আরেকটি যুদ্ধ এড়াতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যার মূলে যে তেল আবিবের আগ্রাসী নীতি, সেই বাস্তবতা যুক্তরাষ্ট্র কখনোই স্বীকার করেনি। তারা এত দিন আক্রমণকারী ও আক্রান্তকে সমান দৃষ্টিতে দেখে এসেছে। বারাক ওবামা প্রথম মেয়াদে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েও সফল হননি। জন কেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার সমাধানে কূটনৈতিক প্রয়াস শুরু করেছেন। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক এর অংশ হলে সেটি অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।দ্বিতীয় সমস্যা সিরিয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যগুলো একটি সমঝোতায় আসতে সক্ষম হয়েছে। তারা বলেছে, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের সম্ভার ধ্বংস করে দিতে হবে। দামেস্কও এই অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ আন্তর্জাতিক সংস্থার হাতে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, সিরিয়া সংকটের পথ ধরেই ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈরিতা আরও বৃদ্ধি পায়। ওয়াশিংটনের দাবি, ইরান ও তাদের সমর্থক ইসলামি গ্রুপ হিজবুল্লাহ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সর্বাত্মক সহায়তা করছে। অন্যদিকে সিরিয়ার ‘গৃহযুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্র বাশার আল-আসাদের বিরোধীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির অর্থনীতিই কেবল বিপর্যস্ত হয়নি, হাজার হাজার মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। অনেকে দেশ ছেড়ে পাশের দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ শুভযাত্রা বলেই মনে হয়। এই দুটি দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার মূলে রয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধ তথা ইসরায়েলি আগ্রাসন। ছয় দশকের বেশি স্থায়ী এই সমস্যার সমাধানে গৃহীত কোনো আন্তর্জাতিক উদ্যোগই সফল হতে পারছে না ইসরায়েলের বিরোধিতা ও একগুঁয়েমির কারণে।তেহরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ দাবি করলেও পশ্চিমা শক্তিসমূহ দেখছে বিপদ হিসেবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে; ফলে এ অঞ্চলে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বেড়েছে। ওবামা ও রুহানির টেলিফোন সংলাপে মনে হচ্ছে, দুই দেশই এই অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।শেষ মুহূর্তে সিরিয়ার যুদ্ধ এড়ানো, সিরিয়া প্রশ্নে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ঐকমত্য এবং ইরানের ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনের নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দেয়। তবে পশ্চিমের এই নীতি পরিবর্তনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জনমতও অনেকটা নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে সিরিয়ার যুদ্ধে যোগ দেওয়ার যে প্রস্তাব আনেন, তা ভোটাভুটিতে নাকচ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে বারাক ওবামাও পিছু হটেন।আমি মনে করি, ওবামা প্রশাসনের এই সতর্ক পদক্ষেপের পেছনে আরও দুটি বিষয় কাজ করেছে। প্রথমত, ইরান ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তাদের পক্ষে যায়নি। দ্বিতীয়ত, আরেকটি যুদ্ধের ভার বহনের মতো ক্ষমতা এই মুহূর্তে মার্কিন অর্থনীতির নেই। ২০০৮ সালে দেশটিতে যে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে, তা এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।বারাক ওবামা ও হাসান রুহানির টেলিফোন আলোচনার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হলো যে যুদ্ধ নয়, আলোচনাই শান্তির পূর্বশর্ত। আর যুক্তরাষ্ট্র যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন, বিশ্বকাঠামোয় তারও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই বাস্তবতাও তাকে মেনে নিতে হবে।আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বিষয়টিকে ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ভাষায়, অত্যন্ত ভিন্ন দৃষ্টি ও ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়েই তাঁরা এই বৈঠকে বসেছেন এবং তা এখানেই শেষ হচ্ছে না। অক্টোবরে জেনেভায় তাঁদের মধ্যে আরেক দফা বৈঠকের কথা রয়েছে।অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ আলোচনাকে অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ ও কার্যকর বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইরানের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। আর জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিডো ভেস্টারভেলের মতে, ‘এই সপ্তাহটিতে সুযোগের জানালা খুলে গেল।’ এখন সত্যি সত্যি সেই জানালা খুলবে কি না, তা নির্ভর করছে দুই দেশের নেতৃত্বের প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার ওপর।হুমায়ুন কবির: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত।সব আয়োজন সম্পন্ন করার পর শেষ মুহূর্তে এসে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আলোচিত বিশেষ সাধারণ সভাটি (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়নি।এর ফলে ডিএসইর ডিমিউচুয়ালাইজেশন বাস্তবায়নের পথে একটি ধাক্কা লাগল। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই ইজিএম অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করা হয়েছিল।এতে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) অনুমোদিত কর্মসূচি (স্কিম), সংশোধিত সংঘবিধি ও সংঘস্মারক এবং প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকা বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণের কথা ছিল।জানা গেছে, ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহমেদ ইকবাল হাসান কিছু অসংগতির বিষয়ে ২৮ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমানের আদালতের শরণাপন্ন হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইজিএমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন। উচ্চ আদালত সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও গতকাল দুপুরে ডিএসইর সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) হাতে এই নিষেধাজ্ঞার চিঠি পৌঁছায়।জানতে চাইলে আবেদনকারীর আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ডিএসই যেভাবে আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডামের পরিবর্তন এনেছে, তা সঠিক হয়নি। ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের সঙ্গে অনুমোদিত স্কিমের কিছু বিষয়ে অসংগতিও রয়েছে। আবার দাবিদার না থাকা ডিএসইর চারটি সদস্যের সম্পদ অন্যদের কাছে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আইনি সুরক্ষার জন্য আদালতে পিটিশন দাখিল করেন আহমেদ ইকবাল হাসান। তবে পিটিশনের কোথাও ডিমিউচুয়ালাইজেশনের কোনো বিরোধিতা করা হয়নি, বরং আইনটিকে সঠিকভাবে পরিপালনে অসংগতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে।আহসানুল করিম আরও বলেন, আইনে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ১৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের কথা বলা হলেও ডিএসই প্রথম পরিচালনা পর্ষদ গঠন করছে ২৫ সদস্যের। এটিও আইনের সঙ্গে অসংগতি।অপরদিকে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনগতভাবে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।এদিকে গতকাল ইজিএমস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সময়মতো বেশির ভাগ সদস্যই সভায় যোগ দেন। তখনো অনেক সদস্যই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানতেন না। কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডিএসইর সভাপতি আহসানুল ইসলাম আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরেন। এর পরই ইজিএমস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যরা।১৮ দলের ডাকা অবরোধের প্রথম দুই দিনে তিন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন—এমন দাবি করে এর প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে আজ বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে ১৮-দলীয় জোট। শহরের সমাজকল্যাণ মোড়ে জামায়াত-শিবিরের লাঠি মিছিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জামায়াতের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।এ ছাড়া পিকেটিং করার দায়ে সলঙ্গা থানার শিবিরের কর্মী আরিফুল ইসলামকে (২৫) আটক করা হয়। পরে তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।এ দিকে ভোরে এনায়েতপুর থানা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেজির মোড় এলাকায় গেলে মিছিলকারীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তিনজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় চা-বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী হেলেনা বেগমকে (৪৫) স্থানীয় খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি এবং অপর পিঠা-বিক্রেতা আজগার হোসেন (৫২) ও তাঁর ছেলে ইউসুফ আলীকে (১৪) স্থানীয়ভাবে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।অপরদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চণ্ডীদাসগাঁতীতে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা সিরাজগঞ্জ-বগুড়া আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পৌর এলাকার রহমতগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি নিক্ষেপ করেছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।সার্বিক বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোক্তার হোসেন জানান, জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। হরতাল চলাকালে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির জোরদার টহল রয়েছে।অনেক দিন পর টেলিভিশন রেটিংয়ে (টিভিআর) বিটিভির নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত কোনো নাটক সেরা দশের তালিকায় স্থান পেল। সর্বশেষ প্রকাশিত টেলিভিশন রেটিংয়ে (সপ্তাহ ৫১, ১৪-২০ ডিসেম্বর) সেরা দশের তালিকায় স্থান পাওয়া ধারাবাহিক নাটকটির নাম ‘হাসি আনন্দের গল্প’।বিটিভির একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর রাত ৯.১৮ মিনিটে প্রচারিত এ নাটকটির টিভিআর (টেলিভিশন রেটিং) ছিল ১.৪৬। জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন রেজাউর রহমান ইজাজ। প্রযোজনা করেছেন আউয়াল চৌধুরী।ধারাবাহিকটিতে বর্তমানে যে উপন্যাসের নাট্যরূপ প্রচারিত হচ্ছে তার নাম ‘নায়কের আড়ালে নায়ক’। ভিন্নধারার এক কাহিনি নিয়ে উপন্যাসটি রচনা করেছেন ইমদাদুল হক মিলন। এতে হাসি আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে নাটকীয়তাও। নাটকটির মাধ্যমে একটি পরিবারের নানা সমস্যার কথা উঠে এসেছে।‘হাসি আনন্দের গল্প’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহেদ শরীফ খান, মুক্তি, চিত্রলেখা গুহ, হাফিজুর রহমান সুরুজ, আফজাল শরীফ, পুতুল, এ টি এম রাসেল, তারিকুজ্জামান তপন প্রমুখ। বিটিভিতে এ ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার রাত সোয়া নয়টায়।সেরা ১০ নাটকের তালিকায় স্থান পাওয়া অন্য নাটকগুলো হচ্ছে বৈশাখী টিভির ধারাবাহিক ‘জয়িতা’ ও ‘নায়িকা উপাখ্যান’, এটিএন বাংলার ‘স্মৃতিকাব্য’, এনটিভির ‘শোন বলি প্রেম’, একুশে টেলিভিশনের ‘ইউ টার্ন’, বাংলাভিশনের ধারাবাহিক ‘বাতিঘর’, এশিয়ান টিভির ‘মন যে কিছু বোঝে না’ ও ‘সেকেন্ড ইনিংস’ এবং চ্যানেল নাইনের ধারাবাহিক ‘গেইম’। |
মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় এ বছরের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উঠল ফিলিপাইনের মেগান ইয়াংয়ের মাথায়। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন নগর বালিতে মিস ওয়ার্ল্ডের শিরোপা পরিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১২৬ জনকে টপকে ২৩ বছর বয়সী ইয়াং উঠে আসেন এক নম্বরে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া মেগান ইয়াং ১০ বছর বয়সে ফিলিপাইনে আসেন।বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, ফ্রান্সের ম্যারিন লর্ফেলিন দ্বিতীয় এবং ঘানার ক্যারানজার ওকাইলি তৃতীয় হয়েছেন।শিরোপা জয়ের খবর ঘোষণার পরই ঝলমলে গাউন পরে বালির নুসা দুয়া কনভেনশন সেন্টারের মঞ্চে ওঠেন ইয়াং। গতবারের মিস ওয়ার্ল্ড চীনা সুন্দরী ওয়েনজিয়া তাঁকে এবারের মুকুট পরিয়ে দেন। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এবারের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা থাকলেও কট্টরপন্থী মুসলিমদের বিক্ষোভের মুখে বালিতে সরিয়ে নেওয়া হয়।ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য পুনঃ অর্থায়ন তহবিল চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১০০ কোটি টাকার এই তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে ইসলামি ব্যাংকগুলো মফস্বল এলাকাতে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতে ঋণ দিতে পারবে।পুনঃ অর্থায়নের সুদ নির্ধারিত হবে ব্যাংকের আগের প্রান্তিকে ঘোষিত মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের সমান। আর ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালার আলোকে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে।বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে।এর আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে ১০ হাজার থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা যাবে। আর বিভাগীয় সদর ও নারায়ণগঞ্জ শহরের বাইরে অবস্থিত কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগের শতভাগ ঋণ বিতরণ করা যাবে। তবে এ ধরনের শিল্পে ভূমি ও ইমারত ছাড়া স্থায়ী সম্পদের সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ১০ কোটি টাকা।ঋণ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকগুলোর পুনঃ অর্থায়ন অনুমোদনের কপি, গ্রাহকের দেওয়া স্বীকৃতিপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই বিভাগে জমা দিয়ে অর্থ নিতে হবে। তবে কোনো ব্যাংক যদি ভুল তথ্য দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়, তাহলে জরিমানা করা হবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসএমই খাতের উন্নয়ন, প্রসার ও শিল্পায়নে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর ভূমিকা আরও বৃদ্ধি করতে এই তহবিল চালু করা হয়েছে।তহবিল সহায়তা নিতে আগ্রহী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হবে।১৮-দলীয় জোটের রাজপথ, রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সকালে ধানমন্ডি ও পুরান ঢাকায় এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া নয়টার দিকে ধানমন্ডির ১৫ নম্বরে জামায়াত ও শিবিরের কর্মীরা একটি যাত্রীবাহী লেগুনায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়িতে ভাঙচুর করেন।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় তাঁরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান এবং মোহাম্মদপুর-মতিঝিল সড়কপথের মৈত্রী পরিবহনের একটি গাড়িতে পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মোহাম্মদ মাসুম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বাংলাবাজারের প্রধান সড়কে শিবিরের কর্মীরা আগুন জ্বালিয়ে অবরোধের চেষ্টা চালান। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।সকালে রায়েরবাগ এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশা ও তিনটি বাসে ভাঙচুর চালান শিবিরের কর্মীরা।দুপুরে মিরপুর সড়কের টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত।সকাল ১০টার দিকে মতিঝিলে শিল্প ব্যাংকের সামনে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেয় দৃর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাজমা আক্তার জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।রাজধানীতে বিভিন্ন ঘটনায় পাঁচ পিকেটারকে আটক করে তাদের প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন। আজ রোববার সকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ওব্যান হাসপাতালে শাবনূরের অস্ত্রোপচার করা হয়। মা ও নবজাতক দুজনই এখন সুস্থ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাবনূরের বোন ঝুমুর।অস্ট্রেলিয়া থেকে মুঠোফোনে ঝুমুর প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, ‘ছেলে সন্তানের মা হয়েছে শাবনূর। তারা দুজনই সুস্থ আছে। আপনারা সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। শাবনূর মা হওয়ায় আমাদের পরিবারের সবাই অনেক খুশি।’এদিকে শাবনূরের স্বামী অনীক মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘সবকিছু আল্লাহর রহমতে ভালোই আছে। খুব ইচ্ছে ছিল সন্তানের জন্মের সময় পাশে থাকব। কিন্তু ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারিনি। শাবনূর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আজ যখন তাঁর মা হওয়ার খবর শুনলাম তখন আনন্দে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম আমি।’ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে শাবনূর অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি হচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’। এই ছবিতে শাবনূর ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী, ফেরদৌস প্রমুখ। নতুন বছরের মার্চে শাবনূরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এসেই তিনি আবারও নতুন করে ছবির কাজ শুরু করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। |
বিপরীত শব্দ অংশ-৫প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন ‘বিপরীত শব্দটি খাতায় লেখো’ নিয়ে আলোচনা করা হলো।কক্ষমা শাস্তিক্ষীণ পুষ্টক্ষুদ্রতম বৃহত্তমখখুঁত নিখুঁতখোলা বন্ধখুচরা পাইকারিখাঁটি ভেজালখোঁজ নিখোঁজখরিদ বিক্রিখাদ্য অখাদ্যখানিক অধিকখেদ হর্ষখ্যাতনামা অখ্যাতনামাখ্যাতি অখ্যাতিগগরিষ্ঠ লঘিষ্ঠগুরু লঘুগ্রহণ বর্জনগৃহী সন্ন্যাসীগত অনাগতগতি স্থিতিগদ্য পদ্যগণ্য নগণ্যগভীর অগভীরগাঢ় পাতলাগরিমা লঘিমাগুণ দোষগূঢ় ব্যক্তগৃহীত বর্জিতগেঁয়ো শহূরেগোপন প্রকাশগোপনীয় প্রকাশ্যগৌণ মুখ্যগৌরব অগৌরবগ্রাম শহরগ্রাহ্য অগ্রাহ্যঘঘাটতি বাড়তিঘন তরলঘরে বাইরেঘাতক পালকঘুমন্ত জাগ্রতঘৃণা শ্রদ্ধাঘোলা স্বচ্ছচচোখা ভোঁতাচোর সাধুচেতন অচেতনচেনা অচেনাচড়াই উতরাইচতুর নির্বোধচপল গম্ভীরচলিত সাধুচালাক বোকাচালু অচল।শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকাবাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে ব্যবসায়ী সমাজ। একই সঙ্গে রাজপথের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট নিরসনে প্রধান দুই দলের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ছয় সভাপতি, পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ, মেট্রোপলিটন চেম্বার, ঢাকা চেম্বারের সভাপতিসহ শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা না হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের পথ নিজেরা খুঁজে বের করবেন। সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ প্রয়োগ শুরু হলো। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী সমাজ উদ্বিগ্ন, ভীত ও চিন্তিত।’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে কাজী আকরাম বলেন, ‘আর কোনো তৃতীয় শক্তিকে সমর্থন করে না ব্যবসায়ী সমাজ। কারণ, অতীতে তৃতীয় শক্তিকে সমর্থন দিয়ে ব্যবসায়ীরা তার ফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। তৃতীয় শক্তির হাতে ব্যবসায়ীরা নিগৃহীত হয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ীকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। কেউ কেউ পলাতক ছিলেন।’সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ীদের বিকল্প কোনো প্রস্তাব নেই উল্লেখ করে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনীতিবিদদেরই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সেটি সম্ভব। ব্যবসায়ী সমাজ আশা করে, দুই নেত্রী মিলেমিশে সমঝোতার একটি পথ বের করবেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশা করা হয়, দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রীর মধ্যে টেলিফোন আলাপের মাধ্যমে সমঝোতার যে পথ তৈরি হয়েছে, সেটির সফল পরিসমাপ্তি ঘটবে। এতে দেশবাসীর জন্য শান্তির পথ সুগম হবে।এ সময় সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে সংযম ও সমঝোতার নীতি অনুসরণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।কাজী আকরাম আরও জানান, দুই নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান ব্যবসায়ী নেতারা। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার দুই নেত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে। দুই নেত্রী সময় দিলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে নিজেদের উদ্বেগ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরবেন।কাজী আকরাম বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই ব্যবসায়ীরাও সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং) প্রত্যাশা করে। সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আকরাম হোসেন, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, সালমান এফ রহমান, মীর নাসির হোসেন, আনিসুল হক ও এ কে আজাদ, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমান, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সবুর খান প্রমুখ।এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে গতকালই দুই নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নেতারা। কিন্তু রাত সাড়ে আটটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই নেত্রীর কাছ থেকে সময় পাননি ব্যবসায়ী নেতারা।কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রামুর হামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে কক্সবাজার মডেল থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ বেলা ১১টায় তোফায়েল আহমদ উপজেলা পরিষদের নিজ কার্যালয়ে যান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। খবর পেয়ে কক্সবাজার মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তোফায়েল আহমদকে গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার নিয়ে আসে।তোফায়েল আহমদ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে রামুর হামলার ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে রামুর বৌদ্ধপল্লিতে যখন হামলা চলছে, তখন তিনি লোকজন নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ১০টির বেশি বৌদ্ধমন্দিরে পাহারা বসিয়ে রক্ষা করেন। এটা বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ প্রশাসনের সবাই জানে।কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তোফায়েল আহমদ রামুর বৌদ্ধপল্লিতে হামলার ঘটনায় জড়িত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে। এ ম্যাচটিতে আবাহনীর চাওয়া-পাওয়ার কিছু ছিল না! গতকালই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তাদের। আবাহনীর না হোক, প্রাইম ব্যাংক সিসির জন্য ম্যাচটি ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। গতকাল দুটি ম্যাচ শেষে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপে তিন দলের পয়েন্ট ছিল ৬! নেট রান রেটে খানিকটা এগিয়ে থাকলেও আজ আবাহনীর কাছে হারলে হিসাব-নিকাশ হয়তো অন্য রকম হতে পারত প্রাইম ব্যাংকের জন্য। প্রাইম ব্যাংক অবশ্য সে সুযোগ দেয়নি আবাহনীকে।বরং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ১৬ রানে তারা হারিয়েছে আবাহনীকে।বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন প্রাইম ব্যাংকের এনামুল হক বিজয়। আজও করেছেন ৬৯ রান। টুর্নামেন্টে তাঁর সংগ্রহ ২৭১, যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এনামুলের দারুণ ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়নি। যদিও আবাহনীর সোহরাওয়ার্দী শুভ ও নাজমুল মিলনের অবিচ্ছিন্ন ৬৮ রানের জুটি ভালোই চোখ রাঙানি দিচ্ছিল প্রাইম ব্যাংককে। শুভ ও মিলন যখন জ্বলে উঠেছেন, ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। তাই আবাহনীর অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ জুটি জোর তত্পরতা চালিয়েও হারাতে পারেনি সাকিবের প্রাইম ব্যাংককে! আবাহনীর পরাজয়ের ক্ষেত্রে সাকিব, তাইজুল ও সোহাগ গাজীর কিপ্টে বোলিংও কিন্তু কম ‘দায়ী’ নয়! এ তিনজনই ওভারপ্রতি ছয়ের কিছু বেশি রান দিয়েছেন।এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ১৫ রানের মাথায় প্রাইম ব্যাংকের লিটন কুমারকে ফিরিয়ে প্রথম তোপ দাগেন নাবিল সামাদ। এরপর অবশ্য এনামুল ও সাকিব দ্রুতই সামলে নেন প্রতিকূল পরিস্থিতি। প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক সাকিবকে ফেরান আবাহনী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সাকিব ১৯ বলে করেন ২৫। সাকিবের বিদায়ের খানিকক্ষণ পর ফেরেন এনামুলও। এর আগে ৫টি চার, ৩টি ছয়ে সাজানো ৪৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংসটি বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় প্রাইম ব্যাংককে। টুর্নামেন্টে আরেক সফল ব্যাটসম্যান সাব্বির রুম্মান এদিন করেন ২৬ রান। ২০ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৫। আবাহনীর পক্ষে নাবিল সামাদ ও মাহমুদউল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট।১৭৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সাকিবের শিকার হয়ে দলীয় ২৬ রানে ফেরেন শামসুর রহমান। ১১.২ ওভারে ৯১ রানে আবাহনী হারায় ৫ উইকেট। এ অবস্থায় আবাহনীর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া কঠিনই বৈকি। কিন্তু হঠাত্ করে শুভ-মিলন চমক! এ দুজনের কল্যাণেই মূলত আবাহনীর চোখে ঝিলিক দিয়ে ওঠে জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। সাকিব, তাইজুল ও সোহাগের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আবাহনী শত চেষ্টা করেও ম্যাচটি নিজেদের করতে পারল না। তাদের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯। আর এ পরাজয়ে শেষ ম্যাচে জয়ের সান্ত্বনা থেকেও বঞ্চিত হলো আবাহনী! |
২০১৩ সালের আদালত অবমাননা আইন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিল। এর গণমাধ্যমসংক্রান্ত বিধানাবলি ভারত ও ইংল্যান্ডের আইনের অবিকলই ছিল না, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া একাধিক রায়ের সঙ্গেও ছিল সংগতিপূর্ণ। ২০০৫ সালে বিচারপতি মোস্তাফা কামালের নেতৃত্বাধীন আইন কমিশনের প্রস্তুত করা খসড়া আইনের সঙ্গেও তার মিল ছিল। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে গুরুদণ্ড দিয়েও আপিল বিভাগ ২০১০ সালে অভিমত দেন যে, ‘জনস্বার্থ এবং সদ্বিশ্বাসে কোনো বিচারকের আচরণের ন্যায্য সমালোচনা আদালত অবমাননা নয়।’ আইনটি পুরোপুরি বাতিল হওয়ায় আমরা তাই অবাক হয়েছি।ভারতীয় বিচারপতি কৃষ্ণা আয়ারের মতে, ‘আদালত অবমাননা আইনের একটা উভয়সংকট আছে। কারণ, বাকস্বাধীনতা এবং ন্যায় ও নির্ভীক বিচার—এই দুটি মহান নীতি, যা কখনো কখনো সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায়, তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার একটি সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই দুইয়ের মধ্যে বিভাজনরেখা এতটাই স্পষ্টভাবে টানতে হবে, যাতে আদালতের এই প্রাচীন ও সহজাত ক্ষমতা জনগণকে ন্যায়বিচারে আস্থাশীল রাখে। স্টার চেম্বারের (মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের নিপীড়ক আদালত) প্রতি বৈরী মনোভাবের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। বিচারকেরা ক্ষয়প্রাপ্ত হলে আদালত অবমাননার ক্ষমতা তাঁদের বাঁচাবে না। এ ক্ষেত্রে মুদ্রার অপর পিঠ হচ্ছে “সিজারের স্ত্রীকে অবশ্যই সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে” কথাটির মতোই।’ কামাল হোসেন শুনানিকালে এর উল্লেখ করলে আদালত ওই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সহমত হন।আমাদের আদালত অবমাননা আইনটি ছিল ৮৭ বছরের প্রাচীন। মাত্র তিনটি ধারাসংবলিত এই অপূর্ণাঙ্গ আইনটির সঙ্গে ভারত, পাকিস্তান ও ব্রিটেনের বিদ্যমান আইনের তুলনা চলে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে এটি রহিত করে অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল। ছয় মাস না যেতেই হাইকোর্টের রায়ে সেটি বাতিল হয়। যুক্তি ছিল, এটি নীতিনির্ধারণী বিষয়, অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ ব্যাপারে অধ্যাদেশ জারির অধিকার নেই। আর এবারে আইনটি পাসের ১৩ দিনের মধ্যে জনৈক আইনজীবী, যাঁর ভূমিকা স্পিকারকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলাসংক্রান্ত বিতর্কে সংসদে প্রশ্নবিদ্ধ, তিনি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই আইনের আটটি ধারা বাতিল চেয়ে পাঁচ সচিবের ওপর নোটিশ জারি করেন। এরপর হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই সচিবদের ওপর রুল কার্যকর এবং তাঁদের ১০ দিনের মধ্যে উত্তরদানের নির্দেশ দেন। এ রকম একটি জনগুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি বিষয়ে আদালতকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষ অর্থাৎ অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর অমনোযোগ ও অবহেলার নজির স্থাপন করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের কর্তব্য, দেশে বর্তমানে আদৌ কোনো আদালত অবমাননা আইন বহাল আছে কি না, তা নিশ্চিত করা। ১৯২৬ সালের আইনটিতে এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল ছিল। নতুন আইনে পুরোনো আইনটি বাতিল করে দেয়। তাই এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।এটা বিস্ময়কর যে কেবল মন্ত্রিপরিষদ সচিবই আদালতের আদেশ তামিল করেন। অথচ আইনটি প্রণয়নের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট অপর চার সচিব উত্তর না দিয়ে রহস্যময়ভাবে নীরব। ২০০৮ সালের বাতিল হওয়া অধ্যাদেশ থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সুরক্ষাদান-সংক্রান্ত দুটি অস্বাভাবিক বিধান নকল করার কী দরকার পড়েছিল, তা-ও বিরাট প্রশ্ন। আমরা দ্রুততার সঙ্গে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় লাভ এবং তার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের এবং তা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রইলাম।হঠাৎ করেই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনারে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন কমছে। এ কারণে জাহাজ কোম্পানিগুলো চট্টগ্রাম বন্দর নৌপথে জাহাজের সংখ্যা কমাচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ফিডার জাহাজ পরিচালনার ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে একটি বিদেশি কোম্পানি।বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দৈনিক গড়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী সাড়ে চার হাজার কনটেইনার পরিবহন হয়। চলতি মাসে এ সংখ্যা চার হাজারের নিচে নেমে আসে। ঈদের পর দিনে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কনটেইনার পরিবহন হচ্ছে।সূত্র আরও জানায়, আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন কমায় ফিডার অপারেটরগুলো এখন জাহাজ চলাচলের সংখ্যা কমাচ্ছে। এক মাস আগেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর, কলম্বো, পোর্ট কেলাং ও তানজুম পালাপাস—এই চারটি বন্দরে নিয়মিত জাহাজের পাশাপাশি অন্য পথের জাহাজ চলাচল করত। এখন সেসব বাড়তি জাহাজ প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিয়মিত জাহাজের চলাচলও কমানো হয়েছে।ফিডার অপারেটর উল্লেখযোগ্য সি কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন এ এস চৌধুরী জানান, আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন কমে যাওয়ায় জাহাজের “ভয়েজ” সংখ্যা কমানো হয়েছে। তবে পণ্য পরিবহন বাড়লে আবার জাহাজের চলাচল বাড়ানোর প্রস্তুতি আছে তঁদের।রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে কর্তব্যরত পুলিশকে লক্ষ্য করে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে সোহেল রানা নামে এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাঁকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলার সৌভাগ্য হয়েছে দুই হাজার ৭৩৪ জনের। সংখ্যাটা কম নয়। এঁদের সিংহভাগই বিদায় নিয়েছেন ক্রিকেট থেকে। তবে শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করে বিদায় নেওয়ার গৌরব খুব বেশি জনের হয়নি। সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৩৩ জনের। সেঞ্চুরি করে বিদায় নেওয়ার গৌরব হয়নি অনেক রথী-মহারথীরও। জ্যাক ক্যালিসও সেই তালিকায় নাম লেখালেন। ডারবানে নিজের বিদায়ী টেস্টে ৪৫ নম্বর সেঞ্চুরিটা করেছেন এই কিংবদন্তি।কাল ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রকৃতির বাধায় শেষ পর্যন্ত দিনের শেষ ৮ ওভার খেলা হয়নি। তবে আজ আর কোনো বাধাই বাধা হলো না। ক্যালিস ঠিকই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। শুধু তা-ই নয়, আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা ডেল স্টেইনকে নিয়ে দারুণ একটা জুটিও গড়ে তুলেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেছে এই জুটি। শেষ পর্যন্ত ক্ষণিকের ভুলে রবীন্দ্র জাদেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইনিংসটা ১১৫ রানেই সমাপ্ত হয়েছে ক্যালিসের। না হলে হয়তো আরও লম্বা একটা ইনিংসই খেলতে পারতেন।এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৬ উইকেটে ৩৮৪ রান তুলে ৫০ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে ভীষণই নড়বড়ে স্টেইন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটির দিকে এগিয়ে চলেছেন। মাত্রই উইকেটে এসেছেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন জাদেজা। দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেটের কেবল একটিই পাননি এই বাঁ হাতি স্পিনার। |
প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সাংসদেরা বিভিন্ন জনসভায় উচ্ছ্বসিতভাবেই সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এই সরকারের উন্নয়নের একটি তালিকা জনগণের সামনে তুলে ধরেন। এই তালিকায় সাফল্যের শীর্ষে অবস্থানকারী খাত হচ্ছে বিদ্যুৎ।প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় থাকেন। সাংসদ-মন্ত্রীরাও অভিজাত এলাকায় থাকেন। সেখানে তো আর লোডশেডিং হয় না। এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের সব পর্যায়ের নেতা-নেত্রীরা বিদ্যুতের উন্নয়নের সাফল্যগাথায় ঘি ঢালছেন।কিন্তু লোডশেডিং কী এবং কত প্রকার, তা কেবল আমরা যারা গ্রামে থাকি তারাই বুঝি। আগে লোডশেডিংয়ের একটা শিডিউল ছিল। কখন আসবে আর কখন যাবে আমরা জানতাম। এখন আর কোনো শিডিউল নেই। সন্ধ্যা ছয়টায় গেলে আবার কখন আসবে, তা বিদ্যুৎ অফিসের লোকেরাও বলতে পারেন না।আমাদের এখানে পিকআওয়ার কিংবা অফ পিকআওয়ার বলে কিছু নেই। ভোরেও যখন লোডশেডিং হয়, তখন বিদ্যুৎ বিতরণের অবস্থা কতটা করুণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আমরা অচিরেই ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের মালিক হচ্ছি।’ গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের পক্ষে আমার প্রশ্ন, বিদ্যুতের এই যে বাড়তি উৎপাদনের কথা বলা হচ্ছে, সেটা কি আপনাদের জন্যই, নাকি আমরাও কিছু পাব?প্রচণ্ড গরমে রাতে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজকর্ম করতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, আমরা কি অবহেলার পাত্র হয়েই থাকব?মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মেঘনা, কুমিল্লা।নবম বিশ্ব ইসলামি অর্থনৈতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, আরব দেশগুলোতে সাম্প্রতিক গণজাগরণের কারণে মুক্তবাজার অর্থনীতি বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এসব দেশে অধিকতর সুযোগ, স্বাধীনতা, বাণিজ্যে স্বচ্ছতা এবং প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যার সুযোগ কোম্পানিগুলো গ্রহণ করতে পারে।রাষ্ট্রপতি বলেন, বাজারকে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে নিয়ে যাওয়াই হলো এখনকার চ্যালেঞ্জ। যাতে সবার জন্য সুযোগ তৈরি করা যায়। তিনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য যথেষ্ট নয়। সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগের ওপর রাষ্ট্রপতি গুরুত্বারোপ করেন।লন্ডনের এক্সেল সম্মেলন কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার শুরু হওয়া তিন দিনের এই ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব আবদুল রাজ্জাক, ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসান আল বালকিয়া, মরক্কোর বাদশা আবদুল্লাহ, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আবদেল্লাহ বেনকারনে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, বাহরাইনের যুবরাজ সালমান বিন হামাদ বিন ইসা আল খলিফা, তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী আলী বাবাচান প্রমুখ বক্তব্য দেন।রাষ্ট্রপতি পরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। রাতেও তাঁর ফোরামের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।আগামীকাল বুধবার দুপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায়ও রাষ্ট্রপতির অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত নাগরিক সংবর্ধনা কমিটি এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।এর আগে লন্ডনে পৌঁছানোর পর গতকাল সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি হাইকমিশনার মিজারুল কায়েসের বাসভবনে এক চা-চক্রে অংশ নেন। ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানা, আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি মকিম আহমেদ, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পাশা খন্দকার, আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সুলতান শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক উপস্থিত ছিলেন।কাল বুধবার রাতে দেশের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির লন্ডন ছাড়ার কথা।গোঁফ ছিল বটে মার্ভ হিউজের। তাঁর গোঁফের বহর দেখেই প্রতিপক্ষ কতটা ঘাবড়ে যেত কে জানে! তবে ‘থম্মো’ জেফ টমসন আর ডেনিস লিলির মতো ফাস্ট বোলাররা গোঁফ লালন করেছেন সযতনে। বলের পাশাপাশি সেই গোঁফ নিশ্চয়ই ত্রাস ছড়াতে সাহায্য করেছে তাঁদের। হালের অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা গোঁফের ততটা সমঝদার নন। তবে প্রতি নভেম্বরে এঁদের অনেককেই গোঁফ রাখতে দেখা যায়। এর কারণ আর কিছুই নয়, ‘মভেম্বর’ আন্দোলনে শরিক হওয়া।প্রতি নভেম্বরে বিশ্বজুড়ে এই মভেম্বর আন্দোলন হয়ে থাকে। ‘মাশটাশ’ আর ‘নভেম্বর’ মিলিয়ে মভেম্বর। এই মাসে তারকারা গোঁফ রাখেন। প্রস্টেট ক্যানসার সম্পর্কে পুরুষদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলাই উদ্দেশ্য। প্রথম টেস্টের নায়ক মিচেল জনসনের নাকের নিচে যে গোঁফ শোভা পাচ্ছে, সেটা এ কারণেই। জনসন ছাড়াও কোচ ড্যারেন লেম্যান, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নাও এই গোঁফ রাখার মিশনে শামিল।অবশ্য অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, এই গোঁফ জনসনের বাবু বাবু চেহারায় একটা বিশেষ পরিবর্তন এনেছে। সেটা তাঁর বাউন্সার আর ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশনের মতোই বাড়তি অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। এ কারণেই একটি অস্ট্রেলীয় পত্রিকা খোলা চিঠি লিখেছিল জনসন যেন গোঁফটা রেখে দেন পুরো অ্যাশেজেই।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জনসন গোঁফ রাখতে রাজি হয়েছেন। তবে শুধু ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মনে ত্রাস ছড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য নয়। একটা মহতী উদ্দেশ্যও আছে। এই গোঁফ রাখার বিনিময়ে তিনি পাবেন ৫০ হাজার ডলার। যে টাকা দান করে দেওয়া হবে দাতব্য কাজে। জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের একটি বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রেসক্লাবের বাইরে থেকে ইট-পাটকেল ছুড়লে সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকদের আরেকটি সমাবেশ করলে সেখানে হামলা হয়। ইটের আঘাত মাথা ফেটে যায় একজন সাংবাদিকের। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী সমর্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ, বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে ওই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তাঁদের ব্যানারে লিখা ছিল ‘বন্ধ গণমাধ্যমের খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ’। দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মিছিল থেকে সমাবেশে ইটপাটকেল ছুড়লে সাংবাদিক নেতারাও পাল্টা ইটপাটকেল ছোড়ে। প্রায় ১৫-২০ মিনিট এই অবস্থা চলতে থাকে। একপর্যায়ে সাংবাদিক নেতারা প্রেসক্লাবের ভেতরে আশ্রয় নেন। এ সময় পুলিশকে খানিকটা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে।ধানমন্ত্রীর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসক্লাবকে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে ব্যবহার কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সদস্যদের জন্য এটি একটি অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ জায়গা। এ চত্বরকে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা অনৈতিক। এর মাধ্যমে ক্লাবের সদস্যদের নিরাপত্তা ও সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। জাতির কাছে নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। যাঁরা দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করছেন, তাঁরা এর বিরোধীপক্ষকে প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।এরপর পৌনে একটার দিকে প্রেসক্লাবের ভেতরে ইকবাল সোবহান এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শাবান মাহমুদসহ আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকেরা একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। ঠিক তাদের পাশেই সরকারবিরোধী স্লোগানে মুখর ছিল বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের আরেক অংশ। এ সময় ইকবাল সোবহান চৌধুরীর পাশে দাঁড়ানো মফিজুল ইসলামের মাথায় এসে একটি ইটের টুকরো পড়ে। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের কোষাধ্যক্ষ।আওয়ামী সমর্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ, বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে মফিজুল আহত হয়েছেন। সাংবাদিক নামধারী কিছু বহিরাগত প্রেসক্লাবে ঢুকে এ ধরনের নাশকতা চালাচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান জানান, ‘আমরা বন্ধ গণমাধ্যম খোলার দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়মিত এ ধরনের সমাবেশ হয়। কিন্তু হঠাত্ করে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে ইট-পাটকেলে ছোড়ে সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।’বহিরাগতদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস খান বলেন, এখানে আমাদের সঙ্গে সংহিত জানাতে অনেকেই এসেছেন। চিকিত্সক, প্রকোশলীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেনীর মানুষ আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে এসেছে। তাঁদেরকে বহিরাগত বলা কতটা সমীচীন আমি জানি না।’ মফিজুল ইসলামের আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নিন্দনীয়। আমরা সাংবাদিকেরা সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে চাই। |
দেশের নানা ঘটনারই তদন্ত হয়, তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু সেই প্রতিবেদনে যা পাওয়া যায় বা যেসব সুপারিশ আসে, সেগুলো কতটুকু বিবেচনায় নেওয়া হয় বা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেটা সত্যিই বড় প্রশ্ন। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দংয়ের ঘটনায় সরকার যে তদন্ত কমিটি করেছিল, তারা প্রতিবেদন দিয়েছে। এই প্রতিবেদনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা কার্যকর হবে তো?তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাঙালি অপহরণ নাটক সাজিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা ঘটানো হয়েছে। গত ৩ আগস্ট তাইন্দং ইউনিয়নে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় ৩৭৩টি আদিবাসী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু বাঙালি দুর্বৃত্ত ষড়যন্ত্র করে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে বাঙালিদের খেপিয়ে তুলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলার ভয়াবহতা এমন ছিল যে কিছু পাহাড়ি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ ঘটনা দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি করেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ ধরে এই জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু অভিজ্ঞতা আমাদের তেমন আশাবাদী করতে পারছে না। বান্দরবানের বাদুরঝিরি-চাকপাড়া থেকে পাহাড়িদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের ঘটনা নিয়েও সরকার তদন্ত কমিটি করেছিল এবং সেই কমিটি যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল, তা কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৪ জনকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তাইন্দংয়ের ক্ষেত্রে আমরা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। আমরা আশা করব, তদন্ত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।আশা থাকলেও সংলাপের কোনো লক্ষণ দেখছেন না আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, ‘আমাদের আশা আছে, বিরোধী দল সংলাপে আসবে। কিন্তু এর কোনো লক্ষণ দেখছি না। আমাদের তরফ থেকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন নানা ছুতা দেখিয়ে তারা দাওয়াত ফিরিয়ে দিচ্ছে। আমরা আর কয়বার দাওয়াত দেব।’জয় বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী গত শনিবারের মধ্যে আলোচনার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। তার আগেই আমার মা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংলাপের জন্য নিজে ফোন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার দাওয়াত দেন। যাতে এর মাধ্যমে আলোচনার একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেত্রী তাঁর এই অনুরোধ রাখেননি। এটা খুব দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এ উদ্যোগ নেন, যেন আর হরতাল ও সন্ত্রাস না হয়।’জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় দেশের জন্য কাজ করছে। আগামীতেও করবে। আমরা চাই সংলাপের মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছান সম্ভব। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী সংবিধান অনুযায়ী একটি সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন।’ তবে চলমান সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি নিজে আর উদ্যোগ নেবেন না।বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ-সম্পর্কিত ভারতীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘তাঁদের এই জঙ্গি তত্পরতা আশ্চর্যের কিছু না। তাঁর সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের যোগাযোগ ছিল এটা সবার জানা।’আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে জয় বলেন, আইনমন্ত্রী, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বাসায় বোমা হামলা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের আগের আমলের মতো বোমা আমলা শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে জঙ্গি তত্পরতা বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় এলে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, হিন্দু, সুশীল সমাজ সবাইকে মারবে। উড়িয়ে দেবে। আওয়ামী লীগের ভিশন-২০২১ বিষয়ে জয় বলেন, যদি ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাহলে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের পরিণত হবে। এই দেশ হবে পরবর্তী মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড।জয় বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, নিজে নির্বাচনে অংশ নিলে দলীয় প্রচারণায় সময় দিতে পারব না।’‘প্রথম আলো’র জরিপ প্রসঙ্গে জয় বলেন, ‘আমি অক্সফোর্ডে জরিপ নিয়ে পড়াশোনা করেছি। তাদের ওই জরিপ সঠিক ছিল না।’ এতে যেসব নমুনা নেওয়া হয়েছে এবং যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কী এমন ভিশন দেখিয়েছে যে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে?’‘ইউর সান ইজ ভেরি স্মার্ট’—প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ছেলে জয় সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এমন মন্তব্য করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এই বিষয়ে জয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, রাজনীতি নিয়ে দু-তিন মিনিট বারাক ওবামার সঙ্গে আলাপ হয়। কিন্তু তাঁর মাকে ওবামা এ কথা বলেছেন কি না এটা তাঁর জানা নেই।এর আগে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান জয়। সফরকালে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।সীতাকুণ্ডের কাজীপাড়া এলাকায় ছলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীনের বাড়িসহ তিনটি বাড়িতে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। এ সময় ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রোকন উদ্দিন মেম্বারের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মো. ইছহাক, মোক্তার হোসেন, ফরিদা বেগম, ইকবাল হোসেন, মিনহাজ উদ্দীন, মো. আরমান, মো. তুষার, মো. শওকত, রোজি আক্তার, মো. তামিম ও শামছুন নাহার। এর মধ্যে চারজন চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। অন্যরা চিকিত্সা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঘটনার শিকার কয়েকজন অভিযোগ করেন, রাত তিনটার দিকে গোলাম মহিউদ্দীনের বাড়িতে হামলা চালান বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা গোলাম মহিউদ্দীনের ঘরসহ তিনটি ঘর ভাঙচুর করেন ও একটি দোকানে লুটপাট চালান। তাঁদের ছোড়া ছররা গুলিতে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁরা বলেন, গোলাম মহিউদ্দীন এ সময় বাড়িতে থাকলেও তিনি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হন। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম নয়জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।তবে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ১১ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’যুবদলের নেতা রোকন ও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আনোয়ার সিদ্দিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রতিবারই তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি শওকতের মুঠোফোন খোলা থাকলেও তিনি ফোন ধরেননি।কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ বেড়েছে চার গুণের বেশি। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থী। তবে পাসের হার গতবারের চেয়ে এবার কমেছে।এই হার ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এবার পাসের হারে ছেলেরা এবং জিপিএ-৫-এ মেয়েরা এগিয়ে।এবার বোর্ডের সেরা ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহরের নামকরা প্রতিষ্ঠান বেশি স্থান পেয়েছে। তবে বোর্ডের অধিভুক্ত দুই ক্যাডেট কলেজ এ বছর মেধাতালিকার প্রথম দিকে নেই। আজ রোববার ওই ফল প্রকাশ করা হয়। বোর্ডে এবার শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যাও কমেছে।কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ জানান, ২০১৩ সালে জেএসসি পরীক্ষায় বোর্ডের অধিভুক্ত ছয় জেলার এক হাজার ৮৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৯৪ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৯ জন। ছেলেদের পাসের হার ৯১ দশমিক ৬ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৫৬। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে ছেলে ছয় হাজার ৬৬৫ জন, মেয়ে নয় হাজার ৪৩০ জন। এ বছর শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১৪টি । ২০১২ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৮৬। এবার কমেছে পাসের হার ১ দশমিক ৪১ ভাগ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৭৬৩ জন। এ বছর এক লাফেই বেড়েছে ১২ হাজার ৩৩২টি। গত বছর ৪১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এবার এ সংখ্যা ৩১৪।এদিকে কুমিল্লা বোর্ডে সেরা ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম কুমিল্লা জিলা স্কুল, দ্বিতীয় নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও তৃতীয় কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুল। সেরা ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কুমিল্লা জেলার ১০টি, ফেনীর তিনটি, চাঁদপুরের তিনটি, নোয়াখালীর তিনটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি বিদ্যালয় রয়েছে। তবে সেরা ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। এ বছর সেরা ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কুমিল্লার গ্রামাঞ্চলের একটি বিদ্যালয় বেশ ভালো করেছে। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ২৫৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪০ জন। বোর্ডে এর অবস্থান ১৪তম। ক্যাডেট কলেজের মধ্যে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ চতুর্থ ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ক্যাডেট কলেজের সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ বলেন, এ বছর চতুর্থ বিষয় থাকায় জিপিএ-৫ বেড়েছে। অবরোধ, হরতাল না থাকলে পাসের হার আরও বাড়ত। শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন হওয়ায় পাসের হারে ছন্দপতন হয়েছে। |
সঠিক প্রশ্নোত্তর অংশ-১৭প্রিয় সমাপনী পরীক্ষার্থী, আজ দেওয়া হলো ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ১ নম্বর প্রশ্নটি অর্থাৎ ‘সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ’-এর ওপর প্রশ্নোত্তর।অধ্যায়-২৮৯. ইসলামের অন্যতম মূলনীতি কী?ক. ধর্মে জবরদস্তি নেইখ. মানুষ ছিল একই উম্মতের অন্তর্ভুক্তগ. রাসূলকে গোটা মানবজাতির কাছেই পাঠিয়েছিঘ. রাসূলদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি নাউত্তর: ঘ. রাসূলদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না।৯০. তুমি পড়া শুরুর সময় বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলে, একটানা তিন ঘণ্টা পড়াশোনা করলে তোমার এই তিন ঘণ্টা সময় কী হিসেবে গণ্য হবে?ক. জ্ঞান অর্জন খ. পড়াশোনা গ. এবাদত ঘ. অর্জনউত্তর: গ. এবাদত৯১. পবিত্র কাবা শরীফ কোথায় অবস্থিত?ক. মক্কায় খ. মদীনায় গ. তাবুকে ঘ. জেরুজালেমেউত্তর: ক. মক্কায়।অধ্যায়-৩১। ‘আখলাক’ শব্দের অর্থ কী?ক. শান্তি খ. ঐক্য গ. শিক্ষা ঘ. সদাচারউত্তর: ঘ. সদাচার২। সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে কী বলে?ক. আখলাক খ. সত্যবাদী গ. মুমিন ঘ. কাফেলাউত্তর: ক. আখলাক।৩। কোনটি আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে মূল্যবান দান?ক. ধনসম্পত্তি খ. সুন্দর চরিত্রগ. গাছপালা ঘ. সুন্দর মুখের হাসিউত্তর: খ. সুন্দর চরিত্র।৪। নিচের কোন কাজ উত্তম আখলাক—ক. মানুষের সঙ্গে না মেশা খ. দেশ বিদেশ বেড়ানোগ. সত্য কথা বলা ঘ. কথা ঠিক না রাখাউত্তর: গ. সত্য কথা বলা৫। হজরত আব্দুল কাদির জিলানি (রহ.) উচ্চশিক্ষার জন্য কোথায় গিয়েছিলেন?ক. মক্কা খ. মদিনা গ. বাগদাদ ঘ. আবুধাবিউত্তর: গ. বাগদাদ।৬। হজরত আব্দুল কাদির জিলানি (রহ.)-কে তাঁর মা জামার আস্তিনে কয়টি সোনার মুদ্রা দেন?ক. পঞ্চাশটি খ. চল্লিশটি গ. ত্রিশটি ঘ. বিশটিউত্তর: খ. চল্লিশটি।৭। মানুষকে মুক্তি দেয় কোনটি?ক. শক্তি ও সাহস খ. আদর্শ ও নীতিগ. সুন্দর আখলাক ও নৈতিক মূল্যবোধঘ. ধনসম্পদ ও টাকাপয়সাউত্তর: গ. সুন্দর আখলাক ও নৈতিক মূল্যবোধ।শিক্ষক, বিএমটিটিআই, গাজীপুরপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালসিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পোলিওর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এবং তা দেশটির ওই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।রয়টার্স বলছে, এ মাসে দিয়ের আল-জাওর প্রদেশে ২২ জন শিশু পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এদের যে ধরনের শিথিল পক্ষাঘাত ও অন্যান্য লক্ষণ দেখা গেছে, তাতে তারা ভিন্ন কোনো রোগেও আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।১০ জন আক্রান্তে দেহ থেকে নেওয়া নমুনায় পোলিওর সন্ধান পেয়েছে তিউনিসে অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাগার।জাতিসংঘের এ সংস্থাটি বলছে, ১৯৯৯ সালের পর সিরিয়াতে আবার পোলিওর প্রাদুর্ভাব ঘটল।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ওলিভার রোজেনবায়ের জেনেভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২২ জনের মধ্যে ১০ জনের নমুনাতে পোলিও টাইপ ওয়ানের জীবাণু পাওয়া গেছে। তিনি রয়টার্সকে বলেন, প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।রোজেনবায়ের বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এসব ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করা, তাতে জানা যাবে যে এগুলো কোথা থেকে এসেছে। এর ফলে ভাইরাসটির উত্পত্তি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা মিলবে।জাতিসংঘ বলছে, প্রতিদিন চার হাজারের বেশি শরণার্থী সিরিয়া থেকে পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সিরীয়দের পোলিও প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।রোজেনবায়ের আরও বলেন, ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার কারণে রোগটি জনবাহিত হয়ে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ জন্য এলাকাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেলযোগযোগ চালু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে কুমিল্লা শহরের অশোকতলা রেল ক্রসিংয়ের ২০০ গজ দক্ষিণে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে লাইনের শতাধিক স্লিপার নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় দীর্ঘ সময় চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেলযোগাযোগ বন্ধ ছিল।লাকসাম জংশনের রেলওয়ের ট্রাফিক পরিবহন পরিদর্শক মাসুদ সারোয়ার বলেন, আখাউড়া ও লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ও দল সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘ সময় কাজ শেষ করার পর বেলা দেড়টার দিকে ওই পথে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।প্রথম আলো ডটকমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার সফিকুর রহমান। তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি বগির কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। ইঞ্জিন ও বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বেশ কয়েকটি মালবাহী ট্রেন আটকা পড়েছিল।নোয়াখালী শহরে আজ রোববার সকালে পুলিশের সঙ্গে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছেন ১৮-দলীয় জোটের কর্মীরা।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছোড়ে পুলিশ।এতে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর সদরের রশিদ কলোনি এলাকা থেকে বিএনপি নেতা মাহবুব আলমগীরের নেতৃত্বে ১৮-দলীয় জোটের কর্মীদের একটি পতাকা মিছিল বের হয়।মিছিলটি পৌর বাজারের কাছে বক্সিমিজি পোলের কাছে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়।এ সময় মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।এ সময় ১৮-দলীয় জোটের কর্মীরা একটি বাস, একটি পিকআপভ্যান ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দেন।এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িসহ কমপক্ষে ছয় থেকে সাতটি যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।এ সময় জোটের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমগীর দাবি করেছেন, সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।এঁদের মধ্যে কমপক্ষে ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ৭০টি, পিস্তলের তিনটি ও চাইনিজ রাইফেলের ২০টি গুলি এবং পাঁচটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে।এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।সীমিত সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে।এতে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। |
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, প্রথম আলোর আয়োজনে ‘ঢাকা মহানগরে বায়ুদূষণ ও শিশুস্বাস্থ্য’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগিতায় ছিল ওয়ার্ল্ড ভিশন, বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই ক্রোড়পত্রে ছাপা হলো।যাঁরা অংশ নিলেনআইনুন নিশাত : উপাচার্য, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়নজরুল ইসলাম : নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যানমো. নাসির উদ্দিন : যুগ্ম সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়মো. শাহজাহান : অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরডমিনিক পিউরিফিকেশন : ডাইরেক্টর অপারেশন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশএম এ মতিন : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনইকবাল হাবিব : যুগ্ম সম্পাদক, (বাপা), সদস্যসচিব নগরায়ণ ও সুশাসন কমিটি এবং স্থপতিবনিফেস রোজারিও : ডিভিশনাল ডাইরেক্টরমুসা ইব্রাহীম : বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ীমো. আফজালুর রহমান : প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনখন্দকার এনায়েত উল্যাহ: চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর বাস মালিক সমিতিশরিফুজ্জামান : সাধারণ সম্পাদক, নাগরিক সংহতিশুভলতা আকতার : চেয়ারম্যান, উদ্ভাস শিশু ফোরামবেলাল হোসেইন : সদস্য, গ্রিন স্কুল মুভমেন্টআলেমা আকতার : সদস্য, গ্রিন স্কুল মুভমেন্টসঞ্চালকআব্দুল কাইয়ুম, সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলোআলোচনাআব্দুল কাইয়ুম: ঢাকা মহানগরের শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে সবাই চিন্তা করি। এখন আগের মতো কালো ধোঁয়া নেই। কিন্তু রাস্তার পুরোনো গাড়ি, ইটভাটার কালো ধোঁয়া, নিম্নমানের ডিজেলের ব্যবহার, শহরের বস্তিগুলোতে কেরোসিনের চুলা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রায় সর্বক্ষণ বায়ু দূষণ হচ্ছে। বায়ুদূষণের এসব কারণে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিনিয়ত শিশুরা অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন এ বিষয়ে আলোচনা করবেন আইনুন নিশাত।আইনুন নিশাত: বায়ুদূষণের একটা বড় কারণ ইটের ভাটা। ভাটার চিমনি উঁচু করা হয়েছে। কিন্তু তাতে বায়ুদূষণ কমেনি। চিমনি উঁচু করার ফলে দূষিত বায়ু কিছুটা দূরে পড়ছে। এ ব্যবস্থা বন্ধ করা কঠিন। কারণ, এর সঙ্গে রয়েছে একধরনের রাজনৈতিক শক্তি। এখন সময় এসেছে ইটের জন্য বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবা। এরপর আসে পরিবহনব্যবস্থা। পরিবহনের মধ্যে বাস ও ট্রাক বেশি বায়ুদূষণ করে। ট্রাকে পণ্য বোঝাইয়ের একটা পরিমাণ থাকে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিমাণের অনেক বেশি মালামাল বোঝাই করা হয়। অতিরিক্ত মালামাল বোঝাইয়ের জন্য কারও সাজা হতে দেখিনি। অতিরিক্ত মাল নামিয়ে রাখার মতো ঘটনা দেখিনি। এমনকি যেখানে ওজন মাপা হয়, সেখানো কোনো গুদামঘর নেই। গণপরিবহনের একই অবস্থা। নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি মানুষ তোলা হয়। কোনো পরিবহন অতিরিক্ত ওজন বহন করলে সেটা থেকে কালো ধোঁয়া বের হয়। রান্নাঘরগুলো বায়ুদূষণের একটা বড় কারণ। রান্নাঘরে ভেজা, অল্প শুকনা বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। এর থেকে পর্যাপ্ত ধোঁয়া নির্গত হয়। আজকে বুড়িগঙ্গার পানির কাছে যাওয়া যায় না। এটা ভয়ানক মাত্রায় বিষাক্ত। নিঃশ্বাস নিতে গেলে নাক জ্বলে। আমি বিজ্ঞানী নয়। তাই বুঝি না যে কী আছে এ পানিতে। এসব বিষয়ে আমাদের এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।ডমিনিক পিউরিফিকেশন: ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশুদের নিয়ে কাজ করে। এখন আমরা এক লাখ ৯৫ হাজার শিশু ও প্রায় পাঁচ লাখ পরিবারের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের বায়ুদূষণ শিশুদের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন শিশুদের মধ্যে সচেতনতার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে যেখান থেকে বায়ুদূষণের সৃষ্টি হয়, তাদের সচেতন হওয়া দরকার এবং কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতি না মানলে শাস্তির বিধান আছে। তবে এ শাস্তি খুব হালকা। এ জন্য কেউ এ নীতি মানছে না। কিন্তু বায়ুদূষণের কারণে শিশুরা অ্যাজমা থেকে শুরু করে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভবিষ্য ৎ উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য আজকের শিশুর জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য স্থান দিতে হবে। তা না হলে শিশুদের ভবিষ্য ৎ অনিশ্চিত হবে।নজরুল ইসলাম: ধানমন্ডির একটা ছয়তলা ভবনে থাকি। কিন্তু ছয়তলায়ও প্রচুর ধুলা। সিটি করপোরেশনের লোকজন রাস্তার পাশে ময়লা জমা করে। ময়লার গাড়ি ঠিক সময়ে আসে না। ফলে ময়লা আবার সব জায়গায় ছড়িয়ে যায় এবং বায়ুদূষণের সৃষ্টি হয়। কেবল বায়ুদূষণ নয়, প্রচণ্ড রকমের শব্দদূষণেও আমরা আক্রান্ত। বাসায় দুই বছরের একটি শিশু আছে। তাকে কীভাবে এসব থেকে রক্ষা করব। এটি একটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে। যানবাহন, ইটের ভাটা, রাস্তার অসমাপ্ত কাজ ইত্যাদি কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে। আবার প্রকৃতিতে গাছপালা ও জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে দিন দিন ধুলার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। মহানগরে হাতিরঝিলসহ কিছু জায়গা খোলামেলা আছে। কিন্তু সেখানে বড় মানুষদের ভিড় থাকে। শিশুরা এসব জায়গায় বিনোদনের সুযোগ পায় না। গ্রাম এখনো কিছুটা খোলামেলা। বৃহত্তর ঢাকায় লোকসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এই মহানগরে প্রায় ১০ লাখ যানবাহন আছে। কয়েক লাখ রিকশা আছে। রিকশা বায়ুদূষণ করে না। কিন্তু এত মানুষের পয়োনিষ্কাশন, বাসস্থান ইত্যাদির সমস্যা হয়। কোনো আদর্শ শহরের শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ খোলা জায়গা থাকতে হয়। হংকং একটি অন্যতম জনবহুল শহর। তার পরও সেখানে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ খোলা জায়গা আছে। সবাই জানি, আমাদের শহরের অবস্থা কী? এখন সবাইকে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।এম এ মতিন: বায়ুদূষণের অনেক কারণ আছে। প্রধান কারণ সিটি করপোরেশনের অব্যবস্থাপনা। কলেজে পড়ার সময় খুব ভোরে ঝাড়ু দিতে দেখতাম। এখন সকাল নয়টায় অফিসে যাওয়ার সময় ঝাড়ু দিতে দেখি। ধুলার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও অন্যদের পথে চলতে হয়। এভাবে ঝাড়ু দেওয়া খুবই খারাপ। রাস্তায় হাঁটার সময় মানুষের নাকে-মুখে ধুলা যায়। একটা সিটি করপোরেশনে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকবে না, এটি ভাবাও যায় না। দিনের বেলা ময়লার গাড়ি জ্যামে পড়ে অসহনীয় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। সিটি করপোরেশনের শহরের মানুষের প্রতি কোনো দায়বোধ আছে বলে মনে হয় না। থাকলে দিনের বেলায় ঝাড়ু দেওয়া, ময়লার গাড়ি চলা বন্ধ হতো। আমার বাসা ১২ তলায়। এখানেও প্রচুর ধুলা ও মশা। সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবে গাড়ি জ্যামে পড়ে বেশি ধোঁয়া ছড়ায়। হাসপাতালের জীবাণুযুক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে জীবাণু ছড়ায়। ২০০০ সালের এক জরিপ থেকে দেখা যায়, ৭৪ শতাংশ মানুষ পরিবেশদূষণের জন্য অসুস্থ হয়। যে করেই হোক শহরকে বায়ুদূষণমুক্ত করতে হবে।শুভলতা আকতার: আমাদের বাসস্থানের জায়গাটি ভীষণভাবে দূষিত। এর মধ্যে বায়ুদূষণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। আমাদের এলাকায় কলকারখানা আছে। এ থেকে অনবরত কালো ধোঁয়া বের হয়। এ ধোঁয়া ভীষণভাবে পরিবেশকে দূষিত করছে। এ জন্য আমরা বিভিন্ন অসুখে ভুগছি। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এ থেকেও বায়ুদূষণ হচ্ছে। আমাদের চারপাশের গাছপালা ছিল। এগুলো কাটা হয়েছে। এখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণের কারণে প্রচণ্ড শব্দ হয়। নির্মাণসমাগ্রী থেকে নিয়মিত ধুলা-বালু উড়তে থাকে। ফলে সবদিক থেকে আমরা বায়ুদূষণে আক্রান্ত হচ্ছি। এলাকার প্রতিটি শিশু পরিবেশদূষণে ক্ষতির মুখে পড়ছে। আমাদের রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক।শরিফুজ্জামান: শিশুসহ সবাই বায়ুদূষণে আক্রান্ত। ঢাকা শহরে দেড় কোটি মানুষের বসবাস। আমার পরিবারের সদস্যাসংখ্যা পাঁচ। কিন্তু গণনায় আছি কি না জানি না। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নাগরিকদের কাছে দায়বদ্ধ। প্রশাসকেরা দায়বদ্ধ সরকারের কাছে। তাঁরা আমাদের কথা শুনবেন না। একসময় বাজেট সমনে রেখে জুন মাসের শেষের দিকে রাস্তা খোঁড়া হতো। এখন কোনো নিয়মনীতি নেই। রাজনৈতিক কর্মীদের যেকোনো সময় পাইপ বসানোর ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়গুলো সবার পক্ষ থেকে তোলা দরকার। ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আইন করা হয়েছে। ইটভাটার জন্যও আছে। আরও অনেক আইন আছে। এসব আইন কি বাস্তবায়ন করা গেছে? তাই আইন থাকাটা কোনো সমাধান নয়; আইন বাস্তবায়ন করাই সমাধান। ২০০৯ সালে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে এক বছরে বায়ুদূষণের ফলে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার। সমাজে প্রথম আলোর গ্রাহণযোগ্যতা ও প্রভাব ব্যাপক। রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া বা ডাস্টবিন ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে কি না। এ নিয়ে ছয় মাস ফলোআপ করলে একটি পরিবর্তন আসতে পারে। আগে আমরা দেখতাম অসাধু নেতারা চাল-গম খান। এখন তাঁরা খাল-বিল, নদী-ডোবা সব খান।মো. আফজালুর রহমান: আমি সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। সিটি করপোরেশনের কাজ রাত থেকে শুরু হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে যানবাহন আছে ১৫০টি। এর মধ্যে ১২৮টি যানবাহন খোলা। এই খোলা যানবাহনে বর্জ্য বহনের ফলে তীব্র দুর্গন্ধ বায়ুকে দূষণ করে। নাগরিকদেরও দায়বদ্ধতা আছে। অনেকে ডাস্টবিনের মধ্যে ময়লা ঠিকমতো ফেলেন না। নাগরিকেরা এ ব্যাপারে সচেতন না হলে বায়ুদূষণ হতেই থাকবে। রাজনীতিকদেরও এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এ-সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ নেই। অর্থের অভাব রয়েছে। এখন উন্নত পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে। এডিবি এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতে গন্ধ ছড়াবে না। খোলা ট্রাকও আস্তে আস্তে বন্ধ করা হচ্ছে। কিছু স্কুলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিন হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আছেন। প্রয়োজন ১০ হাজার। রাতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিষ্কার করে। সকাল বেলা দোকানদার তাঁর দোকানের সামনে ময়লা ফেলেন। এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে হবে।মুসা ইব্রাহীম: দেশে থাকার সময় অ্যাজমা ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে শীতের দেশ নেপালে যাওয়ার পর অ্যাজমার সমস্যা হলো না। বুঝলাম অ্যাজমার কারণ শীত নয়, কারণ ঢাকার বায়ুদূষণ ও ধুলা-বালু। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার ছেলেটিরও অ্যাজমা। অনেক বিষয়ের মতো বায়ুদূষণেও ঢাকা শহর বিশ্বে ১ নম্বর। সত্যিকার অর্থে কী পরিমাণ গাছ, জলাশয়, ফাঁকা জায়গা থাকা দরকার, এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। এ নিয়ে আজও কোনো গবেষণা হয়নি। নগরায়ণের ফলে সবুজায়ন দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে। অ্যাকাশিয়ার পরাগরেণু মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অথচ অর্থ প্রদানকারী সংস্থার নির্দেশমতো মানুষের জন্য ক্ষতিকর এই গাছবেশি লাগানো হচ্ছে। কেন লাগানো হচ্ছে, জিজ্ঞেস করলে বন কর্মকর্তা বললেন, এটা ছাগলে খায় না। খোঁজ নিয়ে জানলাম, দ্রুত বাড়ে এমন অনেক প্রজাতির দেশীয় গাছ আছে। এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। এক তথ্যমতে জানা যায়, ঢাকা শহরে প্রতি ঘণ্টায় গাড়ির গতি ১৪ কিলোমিটার। ২০২৫ সালে এটা হবে ৪ কিলোমিটার। এতে তেলের খরচ ও বায়ুদূষণ দুটোই সমান হারে বাড়বে। অন্য এক তথ্যমতে, দূষণের জন্য প্রতিবছর ১৫ হাজার শিশু মারা যায়। এটা তো একটা মহাদুর্যোগ। ভবিষ্যতের শিশুদের বাঁচাতে হলে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।খন্দকার এনায়েত উল্যাহ খান: ঢাকা শহরে ২০ থেকে ২৫ বছরের পুরোনো গাড়ি চলে না। কারণ নির্দিষ্ট সময় পর তদারক করা হয়। আমাদের ডিজেলে ১০ শতাংশের বেশি সালফার আছে। এটা অধিক মাত্রায় কার্বন নির্গত করে মারাত্মকভাবে বায়ুদূষণ করে। আমরা ইউরো এক, দুই ইঞ্জিন ব্যবহার করছি; অন্য দেশগুলো ইউরো চার, পাঁচ, ছয় পর্যন্ত ব্যবহার করছে। এসব ইঞ্জিন থেকে বায়ুদূষণের মাত্রা একেবারেই কম। সরকারকে ইউরো চার, পাঁচ ইঞ্জিন আনার জন্য শুল্কমুক্ত করতে হবে। দেশে মোট উত্তোলিত গ্যাসের মাত্র ৫ শতাংশ সিএনজিতে ব্যবহার হয়। কিন্তু গ্যাস এখন খুব উচ্চমূল্যে কিনতে হয়। সরকার আমাদের গ্যাসের মূল্য না বাড়ানোর অনুরোধ শোনেনি। ফলে গাড়িগুলো আবার আগের মতো ডিজেলে ফিরে যাচ্ছে। বিআরটিএর এক জরিপে দেখা গেল ৫৩ শতাংশ গাড়ি ডিজেলচালিত। এমনকি সরকারের বিআরটিসি গাড়িও ডিজেলচালিত। কারণ, সিএনজির দাম বাড়ছে। সঠিক পদ্ধতিতে ইঞ্জিন কনভার্ট না করার জন্য বছরে দু-তিন ওভারহলিং করতে হয়। সব দিক মিলিয়ে সিএনজিতে খরচ বেশি পড়ার জন্য ডিজেলে এখন বেশি গাড়ি চলছে। শ্রম মন্ত্রণালয় এক ধরনের সংস্থাকে লাইসেন্স দিয়েছে। এরা ধারণক্ষমতার বাইরে অনেক বেশি বোঝাই করে টাকা আয় করছে। মালিক তাঁর ট্রাকটি ভাড়া দিতে পারেন না। এসব অব্যবস্থাপনা না তুলতে পারলে বায়ুদূষণ কমবে না।মো. শাহজাহান: ইটভাটার চিমনি বড় করায় বায়ুদূষণ কমেনি। এখন আমাদের বিকল্প ইটের কথা ভাবতে হবে। কমপ্রেসড ইট (কংক্রিট ইট) ব্যবহার করতে হবে। এ ইট তৈরি করতে প্রচুর বালু লাগে। আমাদের নদীগুলোতে পর্যাপ্ত বালু রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা লাগবে এবং ইট ব্যবহারকারীদেরও সচেতন হতে হবে। ২০ বছর আগে সুন্দর পরিকল্পনা থাকলে আজকে একটি সুন্দর পরিবেশ পেতাম। পরিকল্পনার ভীষণ অভাব রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে কয়েক মাস আগে পরিবহন খাত নিয়ে একটি সম্মেলন হয়েছে। আমি এবং পরিবহনসচিব সেখানে ছিলাম। এ সম্মেলনে তিনটি বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে থ্রি জিরো (শূন্য) লক্ষ্যমাত্রা। প্রথমটি হলো, জিরো দূষণ। দ্বিতীয়টি, জিরো কনজেশন (যানজট)। তৃতীয়টি জিরো দুর্ঘটনা। ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এর জন্য অ্যাভয়েড, শিফট ইমপ্রুভড নামে তিনটি কাজ করতে বলা হয়েছে। অ্যাভয়েড হলো এড়িয়ে চলা। রাস্তায় যাওয়া থেকে কীভাবে বিরত থাকা যায়। অর্থা ৎ সব সেবা দোরগোড়ায় নিয়ে আসতে হবে। শিফট হলো, স্থানান্তর। ২০ বছর আগে যদি আমরা রেলওয়ে ও নদী ব্যবহারের কথা চিন্তা করতাম, তাহলে আজকে শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় কাটাতে হতো না। ইমপ্রুভড হলো, রাস্তায় মানসম্মত জ্বালানি নিয়ে বের হতে হবে। ট্রাফিক কন্ট্রোলের আওতায় পড়তে হবে। গাড়ি চেকের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মোটকথা, গণযোগাযোগের ব্যাপক উদ্যোগ ছাড়া বায়ুদূষণ থেকে মুক্ত থাকতে পারব না।আলেমা আক্তার: আমি বাড্ডা এলাকায় থাকি। নানাভাবে এখানকার বায়ুদূষিত হচ্ছে। আমার স্কুলের পথে পোশাক কারখানা থেকে কাপড়ের টুকরাসহ নানা প্রাকার ধুলা-বালু গায়ে লাগে। এতে নাক-মুখ জ্বলতে থাকে। কাপড়ের কেমিক্যালে নাক-মুখ জ্বালা-পোড়া করতে থাকে। বাসার পাশের খাবারের কারখানার কালো ধোঁয়া ও ময়লার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়াতে থাকে। আমাদের চলাচলের রাস্তায় বর্ষায় কাদা হয় এবং শুকনার সময় প্রচুর ধুলা ওড়ে। তার ওপর পুরোনো গাড়ি প্রতিদিন কালো ধোঁয়া ছেড়ে চলাচল করছে। সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধে গাড়িতে একবার আমি বমি করি। ধূমপানকারীকে নিষেধ করলে তিনি বলেন, গাড়িটি কারও কেনা নয়। তাই সবার কাছে অনুরোধ, বায়ুদূষণের জন্য যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।বেলাল হোসেইন: আমাদের স্কুলে যাওয়ার পথে ইটের গুঁড়া এবং বালু জমা করে রাখা হয়। বাতাসের সঙ্গে এগুলো নাকে-মুখে প্রবেশ করে। আবার বাড়ির পাশে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে অনবরত প্রচসময়টা এমনই যাচ্ছে, একের পর এক রেকর্ড নেড়েচেড়ে দেখতে বাধ্য করছেন মুমিনুল হক। টেস্ট সিরিজের বাংলাদেশের হয়ে বেশ কিছু রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার পর প্রথম ওয়ানডেতে মুমিনুল আজ করেছেন আরেকটি রেকর্ড। নিশ্চিতভাবেই বলে দেওয়া যায় এই রেকর্ড মুমিনুল চাননি। রেকর্ডটা যে কোনো বল না খেলেই আউট হয়ে যাওয়ার। ক্রিকেটের কেতাবি ভাষায় যাবে বলে ডায়মন্ড ডাক।আজ এনামুল হকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে মাত্রই উইকেটে আসা মুমিনুল রান আউটের ফাঁদে পড়েন। অথচ তখনো স্ট্রাইকিং প্রান্তে যাওয়ার সৌভাগ্যই হয়নি তাঁর। মানে কিনা একটি বলও তিনি খেলেননি। আর তাতেই সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে ডায়মন্ড ডাকের শিকার হয়েছেন তিনি।বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার আগে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল আকরাম খানের। ১৯৯৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে কোনো বল খেলার আগেই আউট হয়ে যান আকরাম। এর পর একে এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল নাইমুর রহমান, হাবিবুল বাশার, এনামুল হক জুনিয়র, নাঈম ইসলাম এবং জুনায়েদ সিদ্দিকীর। সর্বশেষ এই বিচ্ছিরি অভিজ্ঞতা হলো মুমিনুলের। এক বল না খেলেই ড্রেসিংরুমে ফিরে আসতে কারই বা ভালো লাগে। তার ওপর আপনি যদি থাকেন ফর্মের তুঙ্গে!ওয়ানডে ইতিহাসে অবশ্য ডায়মন্ড ডাক নতুন কিছু নয়। মুনিমুলের আগেও ১২৪ বার এ ধরনের আউটের শিকার হয়েছেন ব্যাটসম্যানেরা। তবে এঁদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার রায়ান হ্যারিসের দুঃখ নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি। সর্বোচ্চ চারবার ডায়মন্ড ডাকের শিকার হয়েছেন তিনি। কোনো বল খেলার আগেই তিনবার আউট হয়েছেন অ্যাঙ্গাস ফ্রেসার। দুবার করে এই অভিজ্ঞতা আর হয়েছে কেবল এডি হেমিংস, আহসান মালিক ও রমেশ পাওয়ারের।ফেসবুক পাতায় জাহিদ হাসান ও মেহজাবিনকে জড়িয়ে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার পর অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করলেন উঠতি মডেল শবনম ফারিয়া। আর এই দুঃখ প্রকাশের বিষয়টিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখছেন মেহজাবিন।ফারিয়ার দুঃখপ্রকাশের ঘটনাটি ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন মেহজাবিন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফারিয়া নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে—এটাই অনেক বড় ব্যাপার। আমি শুধু তাকে বলতে চাই, কারও সম্পর্কে কোনো কিছু বলার আগে ভাবা উচিত বিষয়টা নিজের সঙ্গে ঘটলে কেমন লাগে। আসলে কাউকে শ্রদ্ধা করলে শ্রদ্ধা পাওয়া যায়। আশা করব, ভবিষ্যতে ফারিয়া আর এ ধরনের কোনো ভুল কাজ করবে না।’ ফারিয়ার প্রতি শুভকামনাও ঝরেছে মেহজাবিনের কণ্ঠে, ‘ফারিয়া ভালো থাকুক। আরও ভালো ভালো কাজ করুক।’ স্রেফ মজা করেই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন বলে মন্তব্য শবনম ফারিয়ার, ‘আমি আগেই বলেছি, পুরো বিষয়টা শুধু মজাচ্ছলে করা হয়েছিল। ভুল আমাদের দুজনেরই ছিল! কিন্তু শুরুটা যেহেতু আমাকে দিয়েই, তাই আমিই বলছি, আমি দুঃখিত, আমি সত্যিই আপনাকে হার্ট করতে চাইনি, নিতান্তই দুষ্টামি থেকে পোস্ট করেছিলাম!’ব্যাপারটি নিয়ে অনুশোচনাও আছে শবনম ফারিয়ার, ‘এটা ঠিক যে দ্বিতীয় পোস্টটা দেওয়া আমার উচিত হয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক যে, পোস্টটা দেওয়ার ৩০ মিনিট পরেই আমি তা মুছে দিয়েছি।’ তবে শবনম ফারিয়ার একটা অভিযোগও আছে, ‘মেহজাবিনের পোস্টে কিছু লোক খুব বাজে মন্তব্য করেছে। ওগুলো দেখে নিজেকে সামলাতে পারিনি।’ তবে ব্যাপারটি যে মোটেও ভালো কাজ হয়নি তা স্বীকার করেছেন তিনি, ‘আমরা দুজন এক জায়গাতেই কাজ করি। নিজেদের মধ্যে ছোট্ট একটা মনোমালিন্য সবাইকে জানিয়ে অযথাই নিজেরা ছোট হয়েছি। এখন পুরো বিষয়টি আমি ভুলে যেতে চাইছি। আশা করছি, মেহজাবিনও এমনটাই করবেন।’লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় আবির্ভাব হয় মেহজাবিনের। এরপর বিজ্ঞাপনচিত্র ও টিভি নাটকেও নিয়মিত তিনি। সম্প্রতি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যও তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অন্যদিকে শবনম ফারিয়াও মডেলিংয়ের মাধ্যমেই মিডিয়াতে পরিচিত। ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এই মডেল এয়ারটেল প্রযোজনায় আদনান আল রাজীবের ‘অ্যাট এইটিন’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচিত হন।মেহজাবিন-ফারিয়ার ভার্চুয়াল যুদ্ধক্ষমতা যদি এক দিনের জন্যও হাতে আসে কী করা যেতে পারে—তা দেখিয়ে দিলেন আম আদমির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এত দিন বলিউডের ‘নায়ক’ চলচ্চিত্রের অনিল কাপুরকে দেখে এসেছিলেন এক দিনের মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্রে। কিন্তু চলচ্চিত্র আর বাস্তব এক নয়। তবুও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার এক দিনের মধ্যেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল যা করে দেখিয়েছেন তা চলচ্চিত্রকেও হার মানায়। কী করেছেন তিনি?টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, কাজ শুরুর প্রথম ঘণ্টায় তোলপাড় করে দিয়েছেন প্রশাসনযন্ত্রকে। প্রথম দিনের ছয় ঘণ্টার মধ্যেই নয়জন বর্ষীয়ান আমলাকে বদলি করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন দিল্লি জল বোর্ডের প্রধান নির্বাহী৷ প্রথম দিন টানা ছয় ঘণ্টা কাজ করেছেন৷ অনেকগুলো বৈঠক করেছেন। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নেতা-মন্ত্রী-আমলা কেউই লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে পারবেন না৷ মন্ত্রী-আমলারা অযথা কোনও নিরাপত্তা নিতে পারবেন না৷ গাড়ির সামনে কোনও পুলিশের টহল থাকবে না৷সবচেয়ে বড় কথা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি মাত্র ১০ দিনেই দিল্লির সমস্যার সমাধান করার পথ বের করে ফেলবেন! এর পরই কেবল সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণের কাছ থেকে অভিযোগ শুনবেন।কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘আমি আপনাদের কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। আমি সমস্যা সমাধানের একটি পদ্ধতি বের করতে পারলেই সব অভিযোগ শুনব।’ এ জন্য সাধারণ মানুষের সমর্থন চান তিনি।কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমরা কেবল ক্ষমতায় এসেছি। আমাদের থিতু হতে কিছুটা সময় দরকার। সমস্যা সমাধান করতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে।’আম আদমির নেতাআম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার এক দিনের মধ্যেই আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তোলপাড় তুলে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। রামলীলা ময়দানে আমলাদের উদ্দেশে কেজরিওয়াল ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে আম আদমির দিন শুরু। আমলাদের মধ্যে সততা থাকলে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ কেজরিওয়ালের সরকারে সচিব হিসেবে যোগ দিয়েছেন ১৯৮৯ সালের ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের রাজেন্দ্র কুমার। তিনি কংগ্রেস আমলের প্রধান সচিব এম এম কুট্টির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। গতকাল শনিবার দুপুরের পর মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন রাজেন্দ্র কুমার। দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিতের প্রধান সচিব ছিলেন এম এম কুট্টি। তাঁকে সরিয়ে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক করা হয়েছে। নয়াদিল্লির মিনিউসিপ্যাল কাউন্সিলরের চেয়ারম্যান অর্চনা অরোরার ওপর ভরসা রেখেছেন কেজরিওয়াল। তাঁকে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।গতকাল বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে দিল্লির সর্বকনিষ্ঠ ও সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ভারতের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এল। এরপর দুপুর ১২টা ১৪ মিনিটে দলটির ছয় মন্ত্রী শপথ নেওয়ার পরই শুরু হলো দিল্লিতে আম আদমির শাসন। তবে ১২টা ১৫ মিনিটে জনতার উদ্দেশে ভাষণে কেজরিওয়াল যখন বললেন, ‘দিল্লির সাধারণ মানুষের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। আজ সাধারণ মানুষের জয় হলো।’ কেজরিওয়ালের ভাষণ শুনে আমলাদের ভয় পাওয়ার কথা। তবে তাঁদেরও অভয় দিয়েছেন তিনি। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কেজরিওয়াল সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।কেজরিওয়াল বলেন, ‘সব সমস্যা সমাধানে আমাদের কাছে জাদুর কাঠি নেই। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সমস্যা সমাধানে আমরা এক হয়ে কাজ করতে পারি। কিছু লোক কোনোকিছু করতে পারে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার এবং একসঙ্গে লড়াই করা দরকার।’ এর আগে সাধারণ মানুষের মতো মেট্রোরেলে চড়ে রামলীলা ময়দানের উদ্দেশে রওনা দেন কেজরিওয়াল।আম আদমি কী ভারতে পরিবর্তন আনতে পারবে?কেজরিওয়ালের দাবি, সত্ ভাবে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে৷ আম আদমিকে হয়রানি করা চলবে না৷ প্রথম দিন থেকেই সে লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।দিল্লির মানুষের যে ব্যাপক প্রত্যাশার চাপ নিয়ে আম আদমি সরকার গঠন করেছে তা কত দিন টিকবে, তা নিয়ে কেজরিওয়ালও চাপে রয়েছেন। কংগ্রেসের যে শক্ত ঘাঁটিকে কেজরিওয়াল দখল নিয়েছেন, তিনি জানেন তাঁর সরকারের সামান্য ভুল-ভ্রান্তিও বিজেপি-কংগ্রেস লুফে নেবে। তবে কেজরিওয়ালের ওপর বড় চাপ হচ্ছে, আম আদমির যে প্রত্যাশার বেলুন দিল্লিতে উড়িয়েছেন তা এখন পুরো ভারতে উড়তে শুরু করেছে। এখন লক্ষ্য ভারতের লোকসভা নির্বাচন আর রাজ্যে রাজ্যে আম আদমির যোগ্য প্রার্থীকে তুলে আনা।কেজরিওয়াল এখন তাঁর কাজের জন্য ‘নায়ক’। কিন্তু কত দিন মানুষের প্রত্যাশা মিটিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন, তা এখন দেখার বিষয়। |
দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে অবশেষে বরখাস্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা ও রাজ্যসভার সদস্য কুণাল ঘোষ। আজ শনিবার এক সাংবাদ সম্মেলনে তৃণমূলের নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কুণালের বরখাস্তের বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দলের বিরুদ্ধাচরণ করায় সাংসদ কুণাল ঘোষকে বরখাস্ত করা হলো। কুণাল দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। তাই দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।গত ২০ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে কুণাল ঘোষ দল ও দলনেত্রী মমতার কড়া সমালোচনা করেন। একই দিন আরও তিন সাংসদ সোমেন মিত্র, তাপস পাল এবং শতাব্দী রায়ও দলনেত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। পরে সোমেন মিত্র বাদে তিনজনকে শোকজ করে তৃণমূল।এদিকে বরখাস্তের ঘোষণা শুনে কুণাল ঘোষ বলেন, বিচারের আগে রায় ঘোষণা করা হলো। তিনি দলের তরফ থেকে কোনো শোকজ নোটিশ পাননি বলেও জানান।এর আগে দলের বিরুদ্ধাচরণ করলেও সাংসদ কবীর সুমনকে বরখাস্ত না করে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে সাংসদ সোমেন মিত্রের স্ত্রী তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্র দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় তাঁকেও দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। আবার যদি ‘অন্য কিছু’ এসে যায়, তাহলে এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হবে না। তিনি গণতান্ত্রিক ধারা ধরে রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।আজ মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সিপিবি ও বাসদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি মতবিনিময় সভা শুরু হয়। ওই সভার সূচনা বক্তব্যে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের মানুষকে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে হবে। এটা সম্ভব কেবল স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলেই। তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা গণতন্ত্র শক্তিশালী ও সুরক্ষিত করতে চাই। এ জন্য সবার মতামত চাই।’রাত আটটার দিকে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সভাটি চলছিল।রাজশাহীতে আগামী রোববার আধাবেলার হরতালের ডাক দিয়েছে ১৮-দলীয় জোট। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ১৮-দলীয় জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়। ওই দিন ভোর ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত হরতাল চলবে।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মিনু অভিযোগ করেন, ‘মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের গুন্ডারা পুলিশের পোশাক পরে সমাবেশের ওপর এপিসি (আরমারড পারসোনেল ক্যারিয়ার) তুলে দিয়েছিল। মেয়রকে লাঠি দিয়েও পেটানো হয়েছে। মেয়রের গায়ে ৩৭টি বুলেট লেগেছে। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।’ মেয়রকে বেসরকারি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হকও আহত হয়ে হাসপাতালে পড়ে আছেন। এই হামলা রাজশাহীর ১০ লাখ মানুষের ওপরে করা হয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁর জেদের কারণে দেশ আজ বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। রাজশাহী এর বাইরে নয়।’সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নগরের ১৩৭টি কেন্দ্রে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসংযোগ করা হবে। আগামীকাল শুক্রবার ওয়ার্ডগুলোতে বিক্ষোভ করা হবে। পরদিন শনিবার নগরের থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।বিনামূল্যে দেশের ২৫০ জন নারীকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং বিষয়ে বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫০ জন নারীকে এ বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘নারীদের অগ্রযাত্রায় ফ্রিল্যান্সিং’ শীর্ষক এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ জন নারীকে বৃত্তি দেওয়া হয় এবং আরও ১৫০ জনকে সরকারি খরচে এ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়।‘নারীদের অগ্রযাত্রায় ফ্রিল্যান্সিং’ নামের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির প্রকল্প পরিচালক এএনএম সফিকুল ইসলাম, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান, ক্রিয়েটিভ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনির হোসেনসহ আরও অনেকে।নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীরা অনেক ভালো করছেন। প্রথম পর্যায়ে ১০০ জন ও পরবর্তীতে ১৫০ জন ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বৃত্তি পাবেন।নজরুল ইসলাম খান আরও জানিয়েছেন, ভারতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীর অংশগ্রহণ ৬৬ শতাংশ আর আমাদের দেশে মাত্র ছয় শতাংশ। আগামীতে ৪৫ হাজার মানুষকে সরকারি উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হবে।ক্রিয়েটিভ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনির হোসেন জানান, খরচ ছাড়াই গ্রাফিকস ও ওয়েব ডিজাইনের ওপর চার মাসের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতেই ক্রিয়েটিভ আইটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। |
এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই কি গত মৌসুমে জিতেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা? এবারের মৌসুমের খেলা দেখে সেটা বিশ্বাস করতে কষ্টই হচ্ছে। লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটির পর আজ লিগের ষষ্ঠ ম্যাচে রেড ডেভিলরা হারের স্বাদ পেয়েছে ওয়েস্ট ব্রমউইচের বিপক্ষেও। নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হেরেছে ২-১ গোলে। তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিও ৩-২ গোলে হেরেছে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে। সব মিলিয়ে সত্যিই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ম্যানচেস্টারের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজকের ম্যাচের প্রথমার্ধটা কেটেছিল গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে ওয়েস্ট ব্রমকে এগিয়ে দেন মরগান আমালফিটানো। খেলায় সমতা ফেরাতে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। তিন মিনিট পরেই ফ্রি-কিক থেকে ম্যাচের সমতাসূচক গোলটি করেন ওয়েইন রুনি। ৬৭ মিনিটে ওয়েস্ট ব্রমের স্ট্রাইকার সাইডো বেরাহিনো আরেকটি গোল করে বসলে হার দেখতে থাকেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকেরা। শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি ডেভিড ময়েসের শিষ্যরা। ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। হতাশাজনক এই পারফরম্যান্সের পর গতবারের শিরোপাজয়ীরা আছে পয়েন্ট তালিকার ১২ নম্বর অবস্থানে। ছয় ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ মাত্র ৭ পয়েন্ট।ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আজকের আরেকটি ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিকেও। প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলার মাঠে উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটিতে ৩-২ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনির শিষ্যদের। ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।চার বছরেরও বেশি সময় পর আগামীকাল বুধবার বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল। তবে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, কাল বহুল আলোচিত ওই মামলার রায় হচ্ছে না।বিডিআর বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের সুসজ্জিত দরবার হল থেকে। সকাল আটটায় দরবার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, কেন যেন সেদিন দরবার বসেছিল সকাল নয়টা দুই মিনিটে। দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন আড়াই হাজারেরও বেশি বিডিআর সদস্য। তত্কালীন বিডিআরের মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের বক্তব্যের সময় দুজন বিদ্রোহী অতর্কিতে মঞ্চে প্রবেশ করে। বিদ্রোহের শুরু। সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্রোহীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে দরবার হলে ঢোকে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে কর্মকর্তারা এক সারিতে দরবার হল থেকে বের হন। সিঁড়িতে পা দিতেই ব্রাশফায়ার। মুহূর্তে ঢলে পড়েন ডিজিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।২৫ ফেব্রুয়ারি সকালেই মহাপরিচালক খুন হয়েছিলেন। দুপুরে নবাবগঞ্জের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসে উঠেছিল ঢাকার সেক্টর কমান্ডার সৈয়দ মুজিবুল হক এবং ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এনায়েতের মৃতদেহ। বিকেলের দিকে ডিএডি তৌহিদসহ ১৪ জন যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে মহাপরিচালক অসুস্থ, বাকিদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।জঙ্গিবাদ দমনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ। বিদ্রোহের পর বাঁচার আকুতি জানিয়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মুঠোফোনে পাঠানো খুদে বার্তায় বলেছিলেন তিনি, ‘ভাই, আমাদের বাঁচান, সৈনিকেরা আমাদের ঘিরে গুলি করছে। আমি বাঁচব, নাকি মরব বুঝতে পারছি না।’ সকাল নয়টা ৫৫ মিনিটে তিনি ‘প্রথম আলো’র একজন সাংবাদিকের মোবাইলে ফোন করে বলেন, দরবার হলে মহাপরিচালকের বক্তব্যের পর পরই গোলাগুলি শুরু হয়েছে। কথা শেষ করার আগেই ফোন কেটে যায়। দিনভর চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।বিডিআরে যে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ হতে যাচ্ছে তার একটা আভাস ছিল। বিডিআর জওয়ানেরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছিলেন। তাঁরা সদর দপ্তরের ভেতরেও প্রচারপত্র বিলি করেছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দারা যথাসময়ে যথাযথভাবে কাজ করেননি বলে অভিযোগ আছে।বিদ্রোহের সেই ৩৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান হয় বিডিআর জওয়ানদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে দুই দফা বৈঠক করেন। বৈঠক হয় পুলিশ প্রশাসন, ১৪ দল এবং মহাজোটের নেতাদের সঙ্গেও। তিনি রক্তপাত এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে বেশি গুরুত্ব দেন। বেলা দুইটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের প্রতি অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণ করে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ভাইয়ের বুকে গুলি করবেন না, আত্মঘাতী সংঘাত বন্ধ করুন।’কয়েক দফায় দীর্ঘ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় বিডিআর সদর দপ্তরের সব জওয়ান তাঁদের অস্ত্র পুলিশের হাতে তুলে দেন। এর পরপরই পুলিশ আলো নিভিয়ে সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। জাতির ওই ক্রান্তি লগ্নে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সরকারে ভূমিকার প্রশংসা করে সহযোগিতার আশ্বাস দেয় প্রতিবেশী দেশ ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকার।২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ জুড়ে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয় বিদ্রোহের খবর। সত্যি বলতে কি বিদ্রোহের শুরুতে বিডিআর জওয়ানদের পক্ষে জনমত গড়ে উঠেছিল। বিডিআর জওয়ানেরা তাঁদের নানা দাবিদাওয়া-সংবলিত প্রচারপত্র বিলি করেছিল সাধারণ মানুষ ও সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে। কিন্তু একদিন পরই জনমত ঘুরে যায় দাবিদাওয়া আদায়ের নামে কিছু জওয়ানদের নির্মমতার ব্যাপ্তি দেখে।জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আহমদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান এরশাদ।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল থেকে কাজী জাফরকে বহিষ্কারের চিঠি এই মাত্র সই করে এলাম।’এরশাদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘উনি (কাজী জাফর) যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন ৩০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে ওনার চিকিত্সা করিয়েছি। তিনি বলেছেন, “আপনি আমায় জীবন দিয়েছেন। চিরকাল আপনার সঙ্গে থাকব।” উনি এখন প্রতিদিন আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন। তিনি আজ থেকে আর আমার দলে নেই।’নির্বাচন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, দেশের যে পরিস্থিতি তাতে নির্বাচন করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে শামিল হতে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।আজ রোববার বেলা একটার দিকে দলের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।এদিকে গুলশানের বাসভবনের সামনে পুলিশের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।বর্তমানে আট প্লাটুন পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখেছে।আরও দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির সামনে একটি জলকামানও নেওয়া হয়।এ ছাড়া বাড়ির সামনের রাস্তায় বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পেছনের রাস্তায় দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।সেখানে নিরাপত্তায় থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্য প্রথম আলোকে জানান, গতকাল রাতভর সেখানে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এখনো অনেকে আছেন।এদিকে গতকাল খালেদা জিয়ার সরকারি প্রটোকল প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাতে তিনি এক বিবৃতিতে প্রটোকল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে পুলিশ বলেছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রটোকল প্রত্যাহার হয়নি, কেবল নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া সরকারি প্রটোকলের আওতায় গাড়ি, নিরাপত্তাসহ আনুষঙ্গিক কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন।গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়া ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার কথা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের সমাবেশ করার অনুমতি না দিলেও যেকোনো মূল্যে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। আর এই কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া উপস্থিত থেকে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন বলে গতকাল দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ জানান। |
উপমহাদেশের প্রখ্যাত কবিয়াল বিজয় সরকার প্রসঙ্গে ঢাকার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বিজয় সরকার ছিলেন আমাদের জনপ্রিয় এক লোককবি। বাংলা সংস্কৃতির জাগরণে তিনি ছিলেন এক অন্যতম সৈনিক।’আজ শনিবার কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মিলনায়তনে বিজয় সরকারের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মূল আলোচকের বক্তব্যে শামসুজ্জামান খান এ মন্তব্য করেন। যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে লোককবি বিজয় সরকার স্মারক সমিতি ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ।শামসুজ্জামান খান তাঁর আলোচনায় বিজয় সরকারের জীবন, বাউল গান আর সংগীতজীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। এরপর বিজয় সরকারের গানের একটি নতুন সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার নৈহাটির লালন একাডেমি এই সিডিটি প্রকাশ করেছে।বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি বারিদবরণ ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আবিদা ইসলাম, পশ্চিমবঙ্গের যতীন্দ্রনাথ রায় ও শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায়।অনুষ্ঠানে বিজয় সরকারের গান পরিবেশন করেন উমা সরকার ও তাপসী রায় চৌধুরী।১৯০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় বিজয় সরকারের জন্ম। তিনি চার শতাধিক গান লিখেছেন।স্বপ্নে দেখা গুপ্তধন খুঁজতে গিয়ে পণ্ডশ্রম হয়েছে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধানকারী সরকারি সংস্থার। অগত্যা আজ মঙ্গলবার খননকাজ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)।ভারতের উত্তর প্রদেশের উন্নাও জেলার রাজা রাও রাম বক্স সিংয়ের দুর্গে কয়েক টন সোনা লুকানো আছে, এমন বিশ্বাসের সূত্র ধরে সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই স্থানে খননকাজ চালানো শুরু করে এএসআই। সংস্থাটি আজ জানিয়েছে, দুর্গের নিচে কোনো সোনা লুকানো নেই। এরপরই খনন বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুর্গের ভেতরে ১৬ ফুট গভীর পর্যন্ত খুঁড়ে সোনা বা অন্য কোনো ধাতব পদার্থের সন্ধান মেলেনি।লোকমুখে প্রচলিত আছে যে সিপাহি বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশদের হাত থেকে বাঁচাতে রাজা এক হাজার টন সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন দুর্গের মন্দিরের তলায়। সিপাহি বিদ্রোহে যোগ দেওয়ায় রাজার ফাঁসি হয়েছিল।এর আগে উন্নাও জেলার দৌন্ডিয়াখেরা গ্রামের পুরাতন মন্দিরটির নিচে এক হাজার টন সোনা পুঁতে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শোভন সরকার নামের স্থানীয় এক সাধু। তিনি বলেছিলেন, তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন তত্কালীন রাজা রাও রাম বক্স সিং। স্বপ্নে রাও শোভনকে সোনা উদ্ধারের নির্দেশ দেন।পরে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চরণদাস মোহন্তকে গুপ্তধনের কথা জানান শোভন সরকার। চরণদাসের হস্তক্ষেপে এলাকা পরিদর্শন করে ভারতের জিওলজিক্যাল সার্ভে ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের কর্মকর্তারা।১৮ অক্টোবর থেকে এ মন্দিরে শুরু হয় খননকাজ। খননের দিন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ওবি (আউটসাইড ব্রডকাস্টিং) ভ্যানও থাকে ওই এলাকায়। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে খোঁড়াখুঁড়ি চলে।ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত ও লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার হওয়ায় ৩৭ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চালু হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ।গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে রেললাইনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজির আহমদ মজুমদার জানান, রাজেন্দ্রপুর স্টেশন থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দক্ষিণে রেলওয়ে সড়কের বনখড়িয়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা ফিশপ্লেপের নাট-বল্টু ও ২৫০টি পিন খুলে রেলসড়কের পাশে ফেলে রাখে। পরে অগ্নিবীণা ট্রেনটি যাওয়ার পথে ওই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে রেললাইনের ৪০০ ফুট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেনটি উদ্ধার ও রেললাইন মেরামতের পর আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঘটনাস্থল এলাকায় অনেক গজারিগাছ থাকায় উদ্ধারকাজে দেরি হয়।রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার এস এম মফিজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী তিস্তা এক্সপ্রেস, ভাওয়াল এক্সপ্রেস ও কমিউটারসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের মাস্টার মো. জিয়া উদ্দিন সরদার জানান, লাইন মেরামত ও ট্রেন উদ্ধারের পর পর্যায়ক্রমে পার্শ্ববর্তী স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ কমিউটার, যমুনা ও ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনসহ অন্যান্য ট্রেন ছেড়ে দেওয়া হয়।তদন্ত কমিটি গঠনএ দুর্ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা বিভাগের টেকনিক্যাল অফিসার (ডিটিও) নাজমুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিগন্যাল অফিসার (ডিএসপি) মো. জাকারিয়া, মেকানিক্যাল অফিসার (ডিএমও) মিজানুর রহমান ও লিয়াকত শরীফ খান। তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।অপমানের প্রতিশোধ এভাবে খুব বেশি কেউ নিতে পারেনি। মাত্র পাঁচ মাস আগে যে ইংল্যান্ড তৃতীয়বারের মতো অ্যাশেজ জিতে নিয়েছিল, সেই দলটাকেই ক্রিকেটের পাঠশালায় আবার ফেরত পাঠানোর উপক্রম করে সিরিজে ৪-০ করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। হুট করে ক্রিকেট খেলতেই যেন ভুলে গেছে ইংলিশরা। ২০০৬ সালের পর আবারও ইংলিশদের ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় ফেলার সুবর্ণ সুযোগ এখন অস্ট্রেলিয়ার হাতে।অস্ট্রেলিয়া যে ম্যাচটা জিতে যাচ্ছে, সেটা তৃতীয় দিন শেষেই বোঝা গিয়েছিল। শুধু প্রশ্ন ছিল, জিতবে কখন। আজ চা-বিরতির আগেই ৮ উইকেটে সেই জয়ের কাজটা সমাপ্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজে প্রাপ্য সেঞ্চুরিটা অবশেষে পেয়ে গেলেন ক্রিস রজার্স। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ভরাডুবির মধ্যেও ৬১ রান করেছিলেন। তবে ম্যাচ সেরা রজার্স নন, বৃহস্পতির তুঙ্গে থাকা মিচেল জনসন। এই ম্যাচেও ৮ উইকেট নিয়েছেন। চার টেস্টে এখন পর্যন্ত তাঁর উইকেট ৩১টি!এক অ্যাশেজে ৪৬ উইকেট নেওয়া জিম লেকারের রেকর্ডটা অবশ্য তাঁর থেকে অনেক দূরে। তবে সিরিজের শেষ টেস্টে আর নয়টি উইকেট নিতে পারলে এক অ্যাশেজে ৪০ উইকেট শিকার করা ইতিহাসের ষষ্ঠ বোলার অন্তত হতে পারবেন।অস্ট্রেলিয়াকে আজ সহজেই জয়ের বন্দরে ভিড়তে সাহায্য করেছে আরও একজন। শেন ওয়াটসন। আগের টেস্টেই পার্থে সেঞ্চুরি করা ওয়াটসন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেন স্রেফ লক্ষ্যটা কম ছিল বলে। শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটির পর দ্বিতীয় উইকেটে রজার্স-ওয়াটসনের ১৩৬ রানের জুটিই এই ম্যাচে ইংলিশদের অঘটন ঘটানোর সুদূরতম আশাকে ছারখার করে দেয়।অস্ট্রেলিয়া এই দলটা যে কতটা এককাট্টা, কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করছে, সেটা ম্যাচ শেষে বুঝিয়ে দিলেন জনসন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে বললেন, ‘এই পুরস্কার আসলে ক্রিসেরই প্রাপ্য ছিল, ও খুবই ভালো করেছে।’ রজার্স তখন কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে দিলেন। যেন বললেন, ‘ধন্যবাদ বন্ধু।’কাঁধ মিলিয়ে লড়লে যে পাহাড় বাধাও জয় করা যায়! |
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের শক্তি। যারা আওয়ামী লীগকে শেষ করতে এসেছিল, তারাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আছি, আমরা থাকব। আমাদের আদর্শ জনগণ নিয়ে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন সে প্রতিজ্ঞা নিয়ে।’আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের ট্রাস্ট কমিউনিটি সেন্টারে দলের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাজেদা চৌধুরী এসব কথা বলেন।গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. আখতার উজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্যাহ খান প্রমুখ।সাজেদা বলেন, ‘আমরা ধর্মকে রাজনীতিতে আনতে চাই না। ধর্মকে রাজনীতিতে এনে ধর্মকে কলুষিত করতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী আছে তাদের কাজে, তারা দেশ রক্ষা করবে। তাদের সহযোগিতা করব আমরা। তারা আমাদের নেতা হয়ে বসবে, এই পরিকল্পনা আমাদের নাই। যাঁরা করেছেন, তাঁরা আজ কোথায়? নামও নাই, নিশানাও নাই।’এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন সাজেদা চৌধুরী।কলকাতার অদূরে মধ্যমগ্রাম থানার হুমাইপুরে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে দুবার গণধর্ষণ করেছেন স্থানীয় একদল যুবক। গত শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রী প্রথমবার গণধর্ষণের শিকার হয়। ওই দিন স্থানীয় ছোট্টু তালুকদারের নেতৃত্বে সাতজন দুষ্কৃতকারী ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে ফাঁকা একটি মাঠে গণধর্ষণ করেন। পরের দিন দুপুরে ওই মাঠ থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার প্রবল বৃষ্টির কারণে স্কুলছাত্রীর ট্যাক্সিচালক বাবা ফোনে জানিয়ে দেন তিনি বাড়ি ফিরবেন না। এই খবর জানতে পেরে কিশোরীর বাড়িতে ছোট্টু তালুকদার গিয়ে বলেন, তাঁর বাবা রাস্তায় আটকে পড়েছে। ছাত্রীটি ছোট্টুর কথায় বিশ্বাস করে বাড়ির বাইরে গেলে ছোট্টু ও তাঁর সঙ্গী আরও ছয়জন জোর করে ধরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। গত শনিবার ওই ছাত্রী স্থানীয় থানায় মামলা করলে খেপে যায় দুষ্কৃতকারীরা। পরদিন রোববার রাতে ভ্যানে করে মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে ছোট্টু আবার জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মধ্যমগ্রামের রেলস্টেশনের কাছে ধর্ষণ করে ফেলে যান তাকে। রাতেই রেললাইনের পাশ থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার মধ্যমগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন।এদিকে আজ মঙ্গলবার অভিযুক্ত ছোট্টু তালুকদারকে দিঘা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় পলাশ দেবনাথ নামের আরও এক দুষ্কৃতকারীকে। অন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় দুই নেতা হত্যার ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা অবরোধের প্রথম দিন গত মঙ্গলবার কলারোয়ার দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান ওরফে বাবু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম জামায়াত-শিবিরের হামলায় নিহত হন।কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, মাহমুদের চাচাতো ভাই আবদুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিউলের বাবা মজিবর রহমান বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুই মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত জোটের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। সমাবেশ অনুষ্ঠানের কোনো প্রস্তুতিও চোখে পড়েনি। তবে বেলা ১১টার দিকে হঠাত্ করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে আটক হন জাতীয়তাবাদী মহিলা...বিস্তারিত |
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার নয়টি মার্কেটে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে আজ শনিবার ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ২৮টি ওষুধের দোকান ও গুদাম সিলগালা করা হয়। এ নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র্যাবের হাতাহাতিও হয়। র্যাব সূত্র জানায়, সকাল ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে মিটফোর্ড এলাকায় ভান্ডারি মার্কেট, খান মার্কেট, আমিন মার্কেট, আমির মার্কেট, আলিফ লাম মীম মার্কেট, নায়লা মার্কেট, নুরপুরী মার্কেট, বিসিবিএস ও আলী মার্কেটে র্যাবের ২০০ সদস্য অভিযান চালান। এতে অংশ নেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, র্যাব-১০-এর পরিচালক লে. কর্নেল ইমরান ইবনে এ রউফ ও বিএসটিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত খান ও সর্দার মার্কেটে গেলে ওষুধ ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধে র্যাবের ওপর হামলা চালান। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে র্যাবের সদস্য আমিনুর রহমানের (২৭) মাথা ফেটে যায়। তাঁকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে র্যাবের অতিরিক্ত সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকবার ব্যবসায়ীদের বাধার মুখেও পড়েন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে প্রচুর পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল, অবৈধ ও নিম্নমানের ওষুধ, নানা রকম ফুড সম্পূরক, ব্যথানাশক ওষুধ পাওয়া যায়। এসবের সংরক্ষণপ্রক্রিয়া ও বিক্রিতে জড়িত অভিযোগে ১০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং পরে তাঁদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া জয়। বাকি ৮৩ জনকে এক কোটি সাড়ে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, আজ রাতের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের প্রত্যেককে তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে। এসব ঘটনায় মোট ৮০টি মামলা হয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, র্যাবের সদস্যরা সাদা পোশাকে থাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সামান্য ভুল-বোঝাবুঝি হয়। এতে র্যাবের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।শেখ হাসিনা: না না। আপনি তো আরও হরতাল দেবেন। আপনি ৩৩০ দিন হরতাল দিয়েছিলেন। সেটা তো আমার মনে আছে।খালেদা জিয়া: ৩৩০ দিন দেইনি কিন্তু। আপনি ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছেন। মনে নেই? আচ্ছা আপনি বলেন, ১৯৯১ সালে আমরা দুজনে আন্দোলন করে গণতন্ত্র আনলাম। তার পরে সেখানে আপনি অপজিশনে গেলেন, তাতে কী আছে? আমরা একসঙ্গে কাজ করতাম। কিন্তু আপনি তো সংসদে ফ্লোরে দাঁড়িয়ে বললেন, এক দিনের জন্য আমাকে শান্তিতে থাকতে দেবেন না।শেখ হাসিনা: এটা আমি বলিনি। নো।খালেদা জিয়া: এগুলো তো রেকর্ড আছে। আর তত্ত্বাবধায়ক? তত্ত্বাবধায়ক তখন কার ছিল? জামায়াতের ছিল। আপনি তখন তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া মানবেনই না।শেখ হাসিনা: তখন মাগুরার ইলেকশন।খালেদা জিয়া: মাগুরার ইলেকশন? ভোলার ইলেকশন আপনি বলেন না কেন?শেখ হাসিনা: ভোলার ইলেকশনের পরে যে সিচুয়েশন তৈরি হয়, তখন উপায় ছিল কি? ওইভাবে ভোট কারচুপি করলে...খালেদা জিয়া: এই সিচুয়েশন এখনো হয়েছে। আপনার পক্ষে আপনার ডিসি ভোট চেয়ে বেড়ায়। ডিসি নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়ায়।শেখ হাসিনা: ডিসি কী কথা বলছে আর পত্রিকা কী কথা বলছেখালেদা জিয়া: না, এগুলো ঠিক তো। আপনি কালকে ডিসিকে বলবেন ব্যালট বাক্স ভর্তি করো। নো, এগুলো হতে পারে না। আপনি যদি ৩০ তারিখে করতে চান, আমি রাজি আছি। আমার এটা ফাইনাল। এর বাইরে আমি যেতে পারি না।শেখ হাসিনা: না না। ডিসিরা ভোট চাইবে কী জন্য।খালেদা জিয়া: চেয়েছে তো। পত্রিকায় এসেছে তো।শেখ হাসিনা: ভোট চাওয়ার লোকের আমার অভাব নাই। আমার দল তো এ দেশে সংগ্রামের মধ্য দিয়েই জন্ম নিছে।খালেদা জিয়া: আমার দলও। অনেক সংগ্রাম করে ক্ষমতায় এসছে। এগুলো কথা বললে কথার পৃষ্ঠে কথা আসবেই।শেখ হাসিনা: আমি আবারও আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনি হরতালটা প্রত্যাহার করেন।খালেদা জিয়া: আমি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারব না। আপনি সময়মতো আমাকে টেলিফোন করেননি। সে জন্য আমি দুঃখিত। কালকে যদি টেলিফোন করতেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি অন্য রকম হতো।শেখ হাসিনা: আপনি কালকেই তো আলটিমেটাম দিলেন। কালকে একটার দিকেই তো আপনাকে ফোন করেছি। তাও পাইনি। আপনি বলছেন ফোন বাজতেছে না। কিন্তু আমার যে এডিসি দেড়টা-পৌনে দুইটা থেকে চেষ্টা করছে।খালেদা জিয়া: ফোন না বাজলে তো আমার কিছু করার নেই। আমি তো বলেছিলাম নয়টার সময় নেতাদের ডাকব, কথা বলব, তখনো তো আমাকে ফোন দিলেন না। আপনি তো বসে থাকলেন ছয়টা, ছয়টা...শেখ হাসিনা: আমার জরুরি মিটিং। কোনো মিটিংয়ে আমি দেরি করতে পছন্দ করি না। অলরেডি দেরি হয়ে গেছিল।খালেদা জিয়া: আপনি যদি মনে করেন মিটিং বেশি ইমপোরটেন্ট, না এটা বেশি ইমপোরটেন্ট।শেখ হাসিনা: না, সব মিটিং তো ইমপোরটেন্টই। আমার কথা বলার পর আপনি ১২টার দিকে নেতাদের সঙ্গে বসে হরতালটা প্রত্যাহার করে নিতেন।খালেদা জিয়া: মিটিং থেকে বের হয়েও আপনি কথা বলতে পারতেন। তাহলে আমার তখন সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো।শেখ হাসিনা: আপিন দয়া করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন।খালেদা জিয়া: এককভাবে আমি কীভাবে সিদ্ধান্ত নিব?শেখ হাসিনা: আপনি বলেন যে আমি আপনাকে অনুরোধ করছি। সে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি হরতালটা প্রত্যাহার করছেন। সে কথা জনগণের সামনে বলেন।খালেদা জিয়া: না, সেটা তো হবে না। তাহলে আপনি বলবেন যে আপনি নির্দলীয় সরকার মেনে নেবেন। তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করব।শেখ হাসিনা: তাহলে আর আলোচনার কী থাকল?খালেদা জিয়া: নো, আলোচনা অনেক থাকে। আলোচনার অনেক প্রক্রিয়া থাকে। আপনি বলেন যে আমি নির্দলীয় সরকার মেনে নেব। তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করব।শেখ হাসিনা: আমার ৯০ ভাগ সিট থাকা সত্ত্বেও আমি আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি সর্বদলীয় সরকার করার জন্য।খালেদা জিয়া: সর্বদলীয় সরকার হয় না। আপনি এর আগেও বলেছেন। সেগুলো হতে পারে না। আপনি যদি বলেন যে এখন আপনি নিরপেক্ষ সরকারের জন্য রাজি আছেন, তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করে নেব। আপনি বলেন।শেখ হাসিনা: যারা মাইনাস টু করতে চেয়েছিল, তাদেরকে আবার সুযোগ দিতে চান কেন?খালেদা জিয়া: আমি দিতে চাই না। সেটা আপনি দিতে চান। আপনি যে ভাষায় কথা বলেন।শেখ হাসিনা: না, আপনি তো খুব মধুর ভাষায় কথা বলছেন।খালেদা জিয়া: আপনি যে ভাষায় কথা বলেন সে জন্য আমরা আপনার বক্তব্য শুনিই না।শেখ হাসিনা: আমরা যেটা চাচ্ছি যে পার্লামেন্টে আমরা আছি। পার্লামেন্টে আমরা যেহেতু আছি কখনো আপনি অপোজিশনে, কখনো আমি অপোজিশনে। কখনো আমি সরকারে কখনো আপনি সরকারে। আমরা যা করব, পার্লামেন্টের ভেতরেই করব।খালেদা জিয়া: না না, আপনার মিটিংয়ের সময় তো আপনি নষ্ট করছেন। আপনার মিটিংয়ের টাইম তো আমি নষ্ট করতে চাই না। আপনার তো মিটিংয়ে যাওয়ার কথা। আপনি দেরি করছেন তো। আপনার মিটিংয়ের দেরি আমি করতে চাচ্ছি না। এভাবে সব কথা হয় না।শেখ হাসিনা: হরতালটা উইথড্র করে দেন।খালেদা জিয়া: না, আপনি বলেন আগে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করে নেব।শেখ হাসিনা: এটা নিয়ে তো যখন কথা হবে তখন আলোচনা হবে আপনাদের সঙ্গে ।খালেদা জিয়া: আলোচনা তো কোন কোন ব্যক্তি নিরপেক্ষ হবে, নির্দলীয় কে ,কী হবে, আপনার ফর্মুলা থাকবে না আমরা ফর্মুলা থাকবে—এগুলো নিয়ে তো আরও অনেক আলোচনা বাকি আছে।শেখ হাসিনা: আপনি নিজের দলের লোকের ওপর ভরসা করেন না?খালেদা জিয়া: আমার দলের লোকের ওপর আমার ভরসা আছে। আপনি যদি বলেন যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে রাজি আছেন তাহলে কালকেই আমি হরতাল উইথড্র করে দেব। রাতের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দেব হরতাল উইথড্র হবে। আমরা কালকেই আপনার সঙ্গে আলোচনায় বসব। কোনো অসুবিধা নেই। আপনি শুধু এটুকু বলেন।শেখ হাসিনা: আপনি সর্বদলীয়টা মেনে নেন।খালেদা জিয়া: না। সর্বদলীয় মানা যায় না। সর্বদলীয় মানা যায় না।শেখ হাসিনা: পরে আবার কাকে আনবেন, ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন হয়ে যাবে। আপনি আর ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন সৃষ্টি করেন না। বরং যা করি আমরা নিজেরা নিজেরা করি।খালেদা জিয়া: আমি কিছুই করতে চাই না। আপনি নির্দলীয় সরকারে রাজি হলে বলেন, নাহলে আপনি ৩০ তারিখের পরে ডেট দেন। আমি করব। হরতাল প্রত্যাহার হবে না। ২৯ তারিখের পরে ডেট দেন। আমি আলোচনা করব।শেখ হাসিনা: আমি ২৮ তারিখে আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি। আপনি আসেন।খালেদা জিয়া: আমি ২৮ তারিখে যেতে পারব না। হরতালের মধ্যে আমি কোথাও যাই না।শেখ হাসিনা: কাদেরকে আনবেন বলেন। আপনি ২৮ তারিখে আসেন।খালেদা জিয়া: ২৮ তারিখে আমি যাব না। হরতাল প্রত্যাহার হবে না। আপনি যদি ৩০ তারিখে রাজি থাকেন ...শেখ হাসিনা: ধন্যবাদ। আপনি ভালো থাকেন।হাসিনা-খালেদা টেলিফোনে যা বলেছিলেন-৩বিএনপির কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতার জামিন মঞ্জুর করা বা না করার বিষয়ে অধিকতর শুনানি শেষ হয়েছে। পরে আদেশ দেবেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হকের আদালতে এ শুনানি হয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির পাঁচ নেতার জামিন বিষয়ে ২৮ নভেম্বর অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। আজ এ বিষয়ে অধিকতর শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত পরে আদেশ দেবেন।১৪ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে হাইকোর্ট এসব নেতার রিমান্ড স্থগিত করেন ও কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় ৫ নভেম্বর করা ১৬ নম্বর মামলা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর দায়ের করা ৪৪ নম্বর মামলায় বিএনপির এই নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।৮ নভেম্বর রাতে পাঁচ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আজ রোববার সকালে আগুন লাগে। টের পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত আনসার সদস্য ও অন্যরা আগুন নেভান।আগুনে একটি ব্যালট বাক্স, একটি টাইপ রাইটার মেশিন, কিছু পুরোনো ভোটার তালিকাসহ বেশ কিছু কাগজপত্র ও চারটি চেয়ার পুড়ে গেছে।সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন ফারজানা প্রথম আলোকে জানান, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয় ও অনুসন্ধানের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিমসহ র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। |
ক্রিমের ছোট ছোট কৌটা। খুললেই ক্রিম। কিন্তু এ ক্রিমের আড়ালেই আছে ইয়াবা!র্যাব-২-এর কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়ে জানান, আজ শনিবার ধানমন্ডি এলাকা থেকে এ ধরনের অনেকগুলো কৌটার ভিতর থেকে তাঁরা ১৩ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় আটক করেছেন হারুনুর রশিদ (২৮) নামের এক যুবককে।র্যাব-২-এর অধিনায়ক আনিসুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা আড়াইটার দিকে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠসংলগ্ন একটি ভবনের নিচতলা থেকে ইয়াবাসহ হারুনকে আটক করা হয়। হারুন একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। টেকনাফ থেকে এক ব্যক্তি ক্রিমের কৌটায় ভরে ইয়াবাগুলো কুরিয়ার সার্ভিসে তাঁর কাছে পাঠিয়েছেন।র্যাব কর্মকর্তা আনিসুর আরও বলেন, ক্রিমের কৌটাগুলো পলিথিনসদৃশ বস্তু দিয়ে মোড়ানো। ঢাকনা খুললেই ক্রিম। তবে এ ক্রিম আছে কৌটার এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে। কিন্তু নিচে অসংখ্য ইয়াবা। এভাবে বেশ কয়েকটি কৌটায় কৌশলে ইয়াবাগুলো আনা হয়েছিল। আটক হারুনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের শেষ দিনে আজও দেশজুড়ে চলেছে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা। দেশের ২০ জেলায় সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ জায়গায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে হরতাল-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেশের ২০ জেলায় শতাধিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।এর মধ্যে লক্ষ্মীপুরে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ২০ জন, চাঁদপুরে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ১৫ জন, নওগাঁয় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পাঁচজন, দিনাজপুরে কৃষক লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে ৩০ জন, সাতক্ষীরায় বিএনপির নেতা, সরাইলে সংঘর্ষে ১০ জন এবং গোয়ালন্দে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আটজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশও রয়েছেন।আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।রামগতি (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার করইতলা বাজারে আজ দুপুরে হরতাল-সমর্থক জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংঘর্ষে দুই পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া সংঘর্ষে পড়ে একজন রিকশাচালকও আহত হন। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত ব্যানার্জি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় বিকেলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চলে। পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। পুলিশ সুপার আমির জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে হরতাল চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের এক হাজার ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মকবুল হোসেন ওই মামলা করেন। মামলায় ৯৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা এক হাজার ১০০ জনকে আসামি করা হয়। সিরাজগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাসুদেব সিনহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় জামায়াত নেতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।নওগাঁ: নওগাঁয় দুপুর ১২টার দিকে হরতাল-সমর্থক ও বিরোধীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামের অভিযোগ, তাঁদের হরতালে যুবলীগ হামলা চালায়। জেলা পুলিশের সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজ আফজাল সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।বিরামপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় দুই পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় একটি পাওয়ারটিলারে আগুন দেওয়া হয় এবং দুটি ভেঙে দেওয়া হয়। দিনাজপুরের এএসপি সুশান্ত সরকার ও বিরামপুর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।জুড়ী (মৌলভীবাজার): মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা সদরের গ্রামতলা এলাকায় সকালে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বড়লেখা থানার ওসি মো. সেলিম নেওয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ২০টি রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. আবদুর রব জানান, শহরে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।দিনাজপুর: দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষক লীগ থানা শাখার সভাপতি মো. শামসুল ইসলামকে (৪৫) তাঁর কার্যালয়ে হরতাল-সমর্থকেরা কুপিয়ে জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুহুল আমিন জানান, তিন দিনের হরতালে সহিংসতার ঘটনায় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।টঙ্গী (গাজীপুর): গাজীপুরের জেলা শহরের শিববাড়ি মোড় এলাকায় সকালে পুলিশ ও বিএনপি, জামায়াতের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ দাবি করেছে তাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে হরতাল-সমর্থকদের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে তাঁরা আহত হয়েছেন। জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম হাতবোমায় পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট, কদমতলা, বাঁকাল চেকপোস্ট, বিনেরপোতা ও জেলা সদরের সাতটিসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন হরতাল-সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা ১০-১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। মিছিল চলাকালে ছাত্রলীগের কর্মীরা ইট নিক্ষেপ করলে তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম আহত হন। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় কোনো বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।সরাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় সকাল ১০টার দিকে ইসলামী ঐক্যজোট ও শ্রমিক লীগের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে জামায়াত ও বিএনপির পিকেটাররা যোগ দেন। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখেন। এ সময় শিবির নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে। হরতালের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহর থেকে ছেড়ে না আসায় আজও কোনো বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।গোপালগঞ্জ : হরতালের নামে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে জেলা ছাত্রলীগ। আজ বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আইনজীবী বার সমিতির সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিকাইল হোসেন প্রমুখ।গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): হরতালের শেষ দিনে আজ হরতাল পালনকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বিএনপি দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের আটজন নেতা-কর্মী আহত হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল নয়টার দিকে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম গ্রুপের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি মহাসড়ক হয়ে উপজেলা মাঠ চত্বরে আসতে থাকে। অপর দিকে ওই মাঠ থেকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আসলাম মিয়া গ্রুপের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল বের হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের সামনে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্রুপ থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনই হতাহত হন। তাঁদের মধ্যে কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আতিয়ার রহমানকে (৩০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিত্সা দেওয়া হয়।চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হরতালের সমর্থনে আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে শহরের নিমতলা মোড় থেকে একটি মিছিল বের করে শিবির। মিছিলটি বাতেন খাঁর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ ছাড়া শহরের আর কোথায় কোনো পিকেটিং করতে দেখা যায়নি হরতাল-সমর্থকদের। এদিকে জেলার পাঁচ উপজেলায় গতকাল সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে শিবির ও বিএনপির ১৫ কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৩ জনই বিএনপির কর্মী-সমর্থক।রাজশাহী: রাজশাহী নগরের কয়েকটি স্থানে সকালে পুলিশের সঙ্গে হরতাল-সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে নগরের সোনাদিঘি মোড়ে সড়কে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় হরতাল-সমর্থকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে দুটি হাতবোমা ও ইটপাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে হরতাল-সমর্থকদের সংঘর্ষ বেধে যায়। হরতাল-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে ৪০-৪৫টি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়। সেখান থেকে একটি অবিস্ফোরিত হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ।নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে সকালে দুটি গাড়িতে আগুন এবং প্রায় ১৩টির মতো যানবাহন ভাঙচুর করেছেন পিকেটাররা। এ সময় তাঁরা ১২টি ককটেলেও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এ ছাড়া ভোরে রূপগঞ্জের ভূলতায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়েছেন হরতাল-সমর্থকেরা।ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক রাডইয়ার্ড কিপলিংয়ের বিখ্যাত চরিত্র মোগলির কথা মনে আছে আপনাদের? ভারতের মধ্যাঞ্চলের গভীর বনে বাঘের আক্রমণে ব্রিটিশ মা-বাবার মৃত্যুর পর একটি নেকড়ে পরিবারের সান্নিধ্যে বেড়ে উঠেছিল যে শিশুটি?মানবসন্তানের সঙ্গে বনের জীব-জন্তুদের ভালোবাসার এ গল্প অনেকের মনে নাড়া দিয়েছিল। গল্পটি লেখকের নিছক কল্পনা হলেও বাস্তব পৃথিবীর অনেক গল্প মাঝেমধ্যে কল্পনাকেও হার মানায়।সম্প্রতি বিবিসি ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এমনই এক গল্প প্রকাশিত হয়েছে। গল্পটি সত্যিকারের এক মোগলির। অবিশ্বাস্য সেই ব্যক্তিটি হলেন স্পেনের ষাটোর্ধ্ব মারকোস রদ্রিগেজ প্যানতোহা। নিতান্ত শিশু বয়সে গভীর বনে গিয়ে নেকড়ে, সাপ ও অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গী বনে যান তিনি। কাটিয়ে দেন প্রায় এক যুগ।মারকোসের জবানিতে জানা গেছে, তাঁর বয়স তখন ছয় কি সাত। একদিন অর্থকষ্টের কাছে নতিস্বীকার করে এক কৃষকের কাছে মারকোসকে বিক্রি করে দিলেন তাঁর দরিদ্র বাবা। ওই কৃষক তাঁকে সিয়েরা মোরেনা পাহাড়ে নিয়ে যান। মারকোসের কাজ ছিল ওই কৃষকের সঙ্গে তাঁর ছাগলের পাল চরানো। তবে বিধি বাম, কিছুদিন পর ওই বৃদ্ধ কৃষক মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর পাহাড়ের গভীর অরণ্যে পালিয়ে যান মারকোস।রাখালের কাজ করতে গিয়ে এরই মধ্যে মারকোস শিখে গেছেন কীভাবে ফাঁদ পেতে খরগোশ বা তিতির পাখি ধরতে হয়। তাই বনে থাকার দিনগুলোতে খাবারের অভাব হয়নি তাঁর। জনমানবশূন্য বনে নিঃসঙ্গ মারকোসের সঙ্গে দ্রুত পশুপাখির অদ্ভুত সখ্য গড়ে ওঠে।একদিনের ঘটনা, একটি গুহার ভেতর কিছু নেকড়ে ছানার সঙ্গে খেলায় মেতে ওঠেন মারকোস। খেলতে খেলতে গুহার ভেতর ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। খানিক পর বাচ্চাদের জন্য খাবার নিয়ে গুহায় প্রবেশ করে নেকড়ে মা। ঘুম ভাঙার পর মারকোস দেখেন, নেকড়ে মা হিংস্র দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে। নেকড়ে শাবকগুলো মহা আনন্দে মাংসের টুকরো খাচ্ছিল। ক্ষুধার্ত মারকোস পাশে থাকা একটি নেকড়ে শিশুর খাবার চুরি করার চেষ্টা করলে মা নেকড়ে থাবা দিয়ে মারকোসকে সরিয়ে দেয়। শিশুদের খাওয়া শেষ হলে মা নেকড়ে মারকোসের দিকে এক টুকরো মাংস ছুড়ে দেয়। প্রথমে মারকোস ভয়ে তা স্পর্শ করেননি। তা দেখতে পেয়ে নেকড়ে মা নাক দিয়ে মাংসের টুকরোটি আবারও তাঁর দিকে ঠেলে দেয়। মারকোস সভয়ে মাংসের টুকরোটি তুলে নিয়ে খেতে শুরু করেন। এ সময় নেকড়ে মা তার জিহ্বা দিয়ে মারকোসকে আদর করে দেয়। এভাবে মারকোস ওই নেকড়ে পরিবারটির একজন হয়ে ওঠেন।নেকড়ে পরিবারটি ছাড়াও একটি সাপের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে কিশোর মারকোসের। গুহার ভেতর ওই সাপটির সঙ্গে কিছুদিন কাটিয়েছিলেন মারকোস।এ ব্যাপারে মারকোস বলেন, ‘আমি সাপটির জন্য একটি বাসা তৈরি করি। তাকে ছাগলের দুধ পান করাতাম। এভাবে তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। আমি যেখানে যেতাম, সেও আমার পিছু পিছু যেত। সে আমাকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করত।’১৯৬৫ সালে ১৯ বছর বয়সী মারকোসকে সিয়েরা মোরেনার গভীর অরণ্য থেকে উদ্ধার করে স্পেনের পুলিশ।উদ্ধারের পর মারকোসের পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ তাঁর বাবাকে সামনে নিয়ে আসে। দেখা হওয়ার পর বাবা তাঁকে প্রথম যে প্রশ্নটি করেছিলেন, ‘তোমার জ্যাকেটটি কোথায়?’মারকোস বলেন, ‘বাবার ভাবটা এমন ছিল, যেন এত দিন ধরে আমি জ্যাকেটটা পরে ছিলাম।’ বাবাকে দেখে তাই কোনো অনুভূতি হয়নি তাঁর।মানবসমাজে ফিরে আসার দিনটিকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে ‘ভয়ানক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন মারকোস। তাঁর জন্য প্রতিটি অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। নাপিতের দোকানে চুল কাটতে নিয়ে যাওয়া হলে মারকোস ভেবেছিলেন, নাপিত বেটা বুঝি তাঁর আস্ত গলাটাই কেটে দেবে।প্রথম যেদিন খাবার টেবিলে বসিয়ে এক বাটি স্যুপ তাঁর সামনে রাখা হলো, তখন এর দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়েছিলেন মারকোস। কিছু বুঝতে না পেরে বাটিটির ভেতর যেই হাত চোবালেন তিনি, অমনি উত্তপ্ত স্যুপের তাপে তার হাত ঝলসে যায়। মুহূর্তে বাটিটি হাত থেকে ছিটকে মেঝেতে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। মাদ্রিদে এক নান তাঁকে বিছানায় ঘুমানোর বিষয়টি শেখাতে চাইলে তাঁর সঙ্গে রীতিমতো কুস্তি লেগে যায়।দীর্ঘদিন বনে থাকার কারণে মানবসমাজের রীতিনীতি, সভ্যতা-ভব্যতা শিখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে মারকোসকে। শুরুর দিকে রাস্তা পার হতে খুব ভয় পেতেন মারকোস। চারপাশের শব্দ, মানুষের হট্টগোলের সঙ্গে আজও অভ্যস্ত হতে পারেননি তিনি। সোজা হয়ে হাঁটতে শেখানোর জন্য মারকোসের পিঠে কাঠের টুকরো বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।ধীরে ধীরে এসব শিখে নিয়েছেন মারকোস। স্পেনের রানতে অঞ্চলের একটি ছোট্ট গ্রামে ১৫ বছর ধরে বাস করছেন তিনি। সেখানকার বাসিন্দারা তাঁকে খুব পছন্দ করেন। বিগত বছরগুলোতে পিয়ানো ও গিটার বাজাতে শিখেছেন মারকোস। গ্রামের একটি ছোট্ট বারে এগুলো বাজিয়ে মাঝেমধ্যে গ্রামবাসীদের আনন্দ দেন।সিয়েরা মোরেনার সেই বনে কি আবারও ফিরে যেতে ইচ্ছে করে—এমন প্রশ্নের জবাবে মারকোস বলেন, এ বিষয়ে আমি অনেকবারই ভেবেছি। তবে এখনকার জীবনে আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখানকার অনেক জিনিস ওই বনে পাব না। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সংগীত ও নারী। মারকোস জানান, তাঁর বেশ কয়েকজন বান্ধবী ছিল। আপাতত তিনি নিঃসঙ্গ দিন কাটাচ্ছেন।আবহাওয়াবিদদের দেওয়া পূর্বাভাসের সঙ্গে অনেক সময় বাস্তবের মিল থাকে না। কখনও কোনো অঞ্চলের জন্য মুষলধারে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও বাস্তবে দেখা যায় সেখানে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ। তাঁদের নিয়ে মজার অনেক কৌতুকও প্রচলিত। কিন্তু তাঁরা তো আর অনুমান করে কোনো পূর্বাভাস দেন না। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেন। আবহাওয়াবিদেরা যাতে আরও নিখুঁতভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারেন সে লক্ষে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা ও জাপানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান জাক্সা। সায়েন্স ডেইলির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের গবেষকেরা একত্রে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আবহাওয়া সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পেতে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উেক্ষপণ করবেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি নাসা ও জাক্সার গবেষকেরা জাপানের তৈরি এইচ-টুএ রকেটে করে গ্লোবাল প্রিসিপেশন ম্যাজারমেন্ট (জিপিএম) কোর অবজারভেটরি নামের কৃত্রিম উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠাবেন।গবেষকেরা জানিয়েছেন, জিপিএম হচ্ছে আন্তর্জাতিক একটি মিশন যা বৃষ্টি, তুষার সম্পর্কে যে তথ্য দেবে তা বিশ্লেষণ করে নিখুঁত আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারবেন গবেষকেরা। |
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রাঙাদিয়া এলাকায় অবস্থিত একটি সার কারখানায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শ্রমিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দুই শ্রমিক।আজ শনিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকেরা হলেন মো. সাহাবউদ্দিন (৩০), মো. মারুফ (২০) ও ওয়াইছ নূর (৪০)।আহত শ্রমিকেরা হলেন এনামুল হক ও সাইদুর রহমান। এনামকে চমেক হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ও সাইদুরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা কারখানার উৎপাদন বিভাগের সার ব্যাগিং ও প্যাকিং শাখায় ঠিকাদার আবদুল হালিম খানের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ছিলেন।কারখানার অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম তিন শ্রমিক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দুর্ঘটনার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এই কারখানা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন বলে জানান তিনি।কারখানা সূত্র জানায়, কারখানার সার প্যাকিং ও ব্যাগিং করতে ট্রলি বেল্ট ব্যবহূত হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করতে হয়।কারখানার উপব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, শ্রমিকেরা সুইচ বন্ধ না করে কাজ করতে গেলে ট্রলি বেল্টের একটি তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে পুরো বেল্ট বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনার সময় কারখানায় কর্মরত তাজুল ইসলাম ও মো. ইসমাঈল জানান, ‘আমরা কারখানার ওপরের অংশে কাজ করছিলাম। হঠাৎ আওয়াজ শুনে নিচে নেমে দেখি, পাঁচজন গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছেন।’ইসমাঈল ও তাজুল বলেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার দেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।প্রার্থী হতে হলে রাজনৈতিক দলে তিন বছরের সদস্যপদ থাকার বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ থেকে বাদ দেওয়ার (আরপিও সংশোধন) ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের মতামত নেয়নি আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ। বিকেলে শেরেবাংলা নগরের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সিইসি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।সিইসি বলেন, সংসদের কাজ সংসদ করেছে। জনগণ সাংসদদের ভোট দিয়ে আইন করার জন্য সংসদে পাঠিয়েছে। তাঁরা যা ভালো মনে করেন, তাই করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তফসিল ঘোষণার পর কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিইসি। এ লক্ষ্যে এখন থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।সিইসি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনে খোঁজখবর রাখছি। জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনে রদবদল করতে হবে এ রকম কোনো কথা নেই।’কাজী রকিব জানান, বিগত নির্বাচনগুলোতে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বদলি করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনেও কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে বদলি করা হবে।কমিশন সভায় বুধবার আচরণবিধি পর্যালোচনার পর দুয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করার কথা জানান। এরপর নির্বাচনী তফসিলের বিষয়ে নিজেরা আলোচনা করা হবে। ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের জন্য ৪৫-৫০ দিন সময় রেখে ভোটের সময়সূচি নির্ধারণের পরিকল্পনার কথাও জানান সিইসি।সম্প্রতি সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে নির্বাচনকালে সরকারের যেকোনো সংস্থা-বিভাগের প্রয়োজন হলে ‘তাত্ক্ষণিক’ বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন ধারাবাহিক রদবদলের নিয়ম থাকলেও এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো কোনো কাজ নেই। আমরা শিগগির এই ক্ষমতা প্রয়োগ করব।’বিভিন্ন মহলে ‘সমালোচিত, অভিযুক্ত ও বিতর্কিত’ কর্মকর্তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি জানান, তফসিল ঘোষণার পর অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হয়। ইতিপূর্বে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনেও তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে ইসি বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।আচরণবিধির বিষয়ে সিইসি বলেন, আগামীকাল (বুধবার) কমিশন বৈঠকে নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া একই সময় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ নিয়েও আলোচনা হবে।নির্বাচনের সময় মন্ত্রীদের অর্থ ছাড়করণে বিষয়ে সিইসি জানান, তফসিল ঘোষণার পরে অর্থ ছাড়ের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা থাকবে। তবে কোনো বিশেষ অবস্থা যেমন দুর্যোগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ছাড় দেওয়া হবে।রাজধানীর মিরপুরে ককটেল বিস্ফোরণ ও বহনের অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী দাবি করেন, আজ সকালে মিরপুর ১৪ নম্বরে শহীদ স্মৃতি পুলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মনজুরুল ইসলাম নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তিনি কাফরুল থানা ছাত্রশিবিরের সদস্য। পরে মনজুরুলের কাফরুলের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে উসকানিমূলক প্রচারপত্র ও বই উদ্ধার করা হয়। আটক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।আজ সকালে মিরপুর ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছের একটি গলি থেকে দুটি ককটেলসহ দুই পিকেটারকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।পল্লবী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার কামাল হোসেন জানান, আটক হওয়া দুজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।সাম্প্রতিক এক জরিপে মার্কিন মুলুকের সবচেয়ে বাজে প্রতিবেশী নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির টিভি ব্যক্তিত্ব ও অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ান ও তাঁর সঙ্গী সংগীতশিল্পী কেনি ওয়েস্ট। এ জরিপে অংশগ্রহণকারী মার্কিন নাগরিকদের বড় একটি অংশ কিম ও কেনির প্রতিবেশী হতে চান না বলেই স্পষ্ট জানিয়েছেন।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জিলো নামের একটি রিয়েল এস্টেট ওয়েবসাইট এ জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কিম ও কেনির নামে। ২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে সবচেয়ে বাজে প্রতিবেশী নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে রাডার অনলাইন।১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ‘হেয়ার কামস হানি বু বু’ টিভি সিরিজের অভিনয়শিল্পীরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এর পরেই আছে কানাডীয় পপ গায়ক জাস্টিন বিবারের নাম। তিনি পেয়েছেন ১৬ শতাংশ ভোট। মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী মাইলি সাইরাসও পেয়েছেন ১৬ শতাংশ ভোট।৪ শতাংশ ভোট পাওয়ায় পঞ্চম অবস্থানে ঠাঁই পেয়েছে বিতর্কিত মার্কিন পপ গায়িকা লেডি গাগার নাম। তালিকায় ঠাঁই পাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন বেসবল খেলোয়াড় অ্যালেক্স রডরিজ এবং বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেবর্ন জেমস। |
নির্বাচন যথাসময়ে হতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আজ সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা শেষে সাংবাদিকদের সৈয়দ আশরাফ এ কথা বলেন।সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন হবেই। নির্বাচন যথাসময়ে হতে কোনো বাধা নেই। যথাসময়ে যুদ্ধাপরাধীদের সাজাও কার্যকর হবে। এটা নিয়ে সন্দেহের কিছু নেই।’এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূইয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে শেখ হাসিনার জন্মদিনে বস্ত্র বিতরণ করেছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গরিব ও দুস্থ মানুষের মাঝে এ বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, দলীয় নেতা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলাদ মাহফিলে শরিক হন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, মসজিদে দোয়া, মন্দিরে প্রার্থনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আট দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।ককটেল বিস্ফোরণে আহত রংমিস্ত্রি আবদুর রহমানের বাঁ চোখে আজ মঙ্গলবার সকালে টানা চার ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে অস্ত্রোপচারের পর চিকিত্সকেরা আশা করছেন, কিছুটা হলেও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে পারেন আবদুর রহমান।গতকাল সোমবার পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মার্কেটে ককটেল বিস্ফোরণে আবদুর রহমানের বাঁ চোখটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই চোখে আজ অস্ত্রোপচারের পর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হাসিবুল হাসান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা যতটা সম্ভব আবদুর রহমানের বাঁ চোখের কর্নিয়া মেরামত করে দিয়েছি।’পুরোপুরি দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম জানিয়ে ডা. হাসিবুল হাসান জানান, ‘রুগীর অবস্থা এখন ভালো। আবদুর রহমানের ডান চোখের ক্ষতি না হলেও সেটির পরিচর্যা করছি।’গতকাল প্রথম আলো ডটকমে আবদুর রহমানের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর তাঁকে বিনা মূল্যে চিকিত্সা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট। অস্ত্রোপচার ছাড়াও আবদুর রহমানের জন্য ইনজেকশনসহ এই হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় সব ওষুধ সরবরাহ করা হবে। আবদুর রহমানের চিকিত্সায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। হাসিবুল হাসান জানান, এই বোর্ডের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণে আবদুর রহমানের চিকিত্সা চলবে।আবদুর রহমানের ছোট ভাই মো. রফিক জানান, সকাল নয়টার দিকে তাঁর ভাইকে অস্ত্রোপচারের জন্য নেওয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও কথা বলতে পারছেন না আবদুর রহমান। চিকিত্সকদের পরামর্শ অনুযায়ী আজ রাত পর্যন্ত রুগীর সঙ্গে কথা বলা নিষেধ।‘আমার মাথায় বাড়ি দিল কে?’জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আহমদ বলেছেন, এরশাদ জাতীয় পার্টির পিতৃত্ব দাবি করতে পারেন না। গতকাল বুধবার প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, অনেকে মনে করে অর্থ এবং একটি ‘ভিনদেশের’ চাপে পড়ে এরশাদ ‘তথাকথিত সর্বদলীয়’ সরকারে যোগ দিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই তিনি এরশাদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ শুরু করবেন। আগামীকাল শুক্রবার তাঁর হাসপাতাল ছাড়ার কথা রয়েছে।এরশাদকে উদ্দেশ করে কাজী জাফর বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি বলেছেন, “হু ইজ কাজী জাফর? আই এম দি ফাদার অফ জাতীয় পার্টি।” আমি তাঁকে প্রশ্ন করতে চাই, হু ইজ এরশাদ? এরশাদ সবকিছুর পিতৃত্ব দাবি করতে পারেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির পিতৃত্ব তিনি দাবি করতে পারেন না।’ কাজী জাফর এরশাদকে ভদ্র ভাষায় কথা বলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই এরশাদ চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও পরে রাষ্ট্রপতি হতে পেরেছিলেন। জাতীয় পার্টি যখন গঠন করা হয়, তখনও এরশাদ চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এমনকি তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও ছিল না। কাজী জাফরের দাবি, ১৮ দফার ভিত্তিতে তিনি, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, রিয়াজউদ্দিন ভোলা, শাহ মোয়াজ্জেম, শামসুল হুদা, এম এ মতিন, মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রথমে জাতীয় ফ্রন্ট এবং পরে জাতীয় পার্টি গঠন করেন।প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘হোয়াট হি সে, ডাজ নট ম্যাটার। হোয়াট আই সে, ম্যাটারস। হু ইজ কাজী জাফর? আই এম দি ফাদার অফ জাতীয় পার্টি?’কাজী জাফর আহমদ বলেন, এরশাদ যে ডিগবাজি খেয়েছেন, উপমহাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন অর্থ ও ভিনদেশি একটি রাষ্ট্রের চাপে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছেন এরশাদ। দেশটির প্রভাব এতটাই যে চীন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীন দেখতে চায়।হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে কাজী জাফর যে কথাটি ভাবছেন তা হলো এরশাদ মহাজোটকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন আসলে নিজের লাভের জন্য। সে কারণেই এখন নির্বাচনকালীন সরকারে কাজী জাফরের ভাষায়, ‘সাত ভাই চম্পা’ আশ্রয় পেয়েছেন। তাঁর ধারণা, অনেক দিন ধরেই সরকার দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল জাতীয় পার্টিকে দলে টানছিল। মহাজোট ছেড়ে মহাজোটকে লাভবান করতেই এরশাদ ‘গণদাবি’ উপেক্ষা করে নির্বাচনে গেছেন বলে অভিযোগ করেন কাজী জাফর। জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণে তাঁর ভাষায় একতরফা নির্বাচন কিছুটা বৈধতা পায়।হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ঠিক কী ‘জিহাদ’ করবেন জানতে চাইলে কাজী জাফর বলেন, ‘আই উইল ফাইট অন।’ কিন্তু তিনি দল ভাঙবেন কি না, তৃণমূলের নেতারা কী করবেন তার কোনো সুস্পষ্ট জবাব দেননি কাজী জাফর। বারবার শুধু ‘সর্বদলীয় সরকারে’ কীভাবে সাত মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করার সমালোচনা করেন।জীবনটা বড় অদ্ভুত!লিওনেল মেসির কথাই ধরুন। ছোটবেলায় হরমোনজনিত সমস্যায় ফুটবলার হওয়া তো দূরের কথা, ঠিকমতো বেড়ে উঠবেন কি না, তা নিয়েই সংশয়! সেই মেসি এখন গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলার! কীভাবে ঘুরে গেল তাঁর জীবনের বাঁক, ভাবতেই শিহরণ জাগায় মনে! নাহ, মেসি নয়; ওয়েইন হ্যারিসনের জীবনের গল্প পাড়তেই এত কথা বলা।এই তো! ভ্রু কুঁচকে গেল? ভাবছেন ওয়েইন হ্যারিসনটা আবার কে? হ্যাঁ, খুব অচেনাই মনে হবে। যাঁরা ক্লাব ফুটবলের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন, এমনকি লিভারপুলের পাঁড় ভক্তদেরও নামটি বড্ড অচেনা ঠেকবে। লিভারপুলের কথা এল কেন? ওয়েইন হ্যারিসনের নামটা যে ‘অল রেড’দের সঙ্গেই জড়িত।এই হ্যারিসন ১৯৮৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে যখন ওল্ডহাম থেকে লিভারপুলে আসেন, তখন ফুটবলবিশ্বে বিরাট হইচই পড়ে। রীতিমতো রেকর্ড গড়েই রেডদের শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন হ্যারিসন। তিনি ছিলেন ওই সময়ে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দামি তরুণ ফুটবলার। আড়াই লাখ পাউন্ড খরচ করে তাঁকে দলে ভিড়িয়েছিলেন তত্কালীন লিভারপুল ম্যানেজার জো ফ্যাগান।লিভারপুল এত্ত দামে কৈশোরোত্তীর্ণ এক ফুটবলারকে কেনার পর ওই সময় পত্রিকায় শিরোনাম করা হয়েছিল, ‘আপনি এমন একজন অসাধারণ খেলোয়াড়ের খবর শুনবেন ২০ বছরে একবার!’ এরপর ফ্যাগান বলেছিলেন, ‘আর এ কারণেই তাকে কিনেছি আমরা!’রাতারাতি গ্রেট খেলোয়াড় হওয়ার দারুণ মওকা এসেছিল হ্যারিসনের সামনে। রেডদের জার্সি গায়ে গোলের বন্যা বইয়ে দেবেন, খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বময়, পুরস্কার হুড়মুড়িয়ে পড়বে চরণ তলে—এমন স্বপ্ন যখন ঝিলিক মারছিল মনের অন্দরে; ঠিক তখনই ঘটে গেল এক দুর্ঘটনা! নিজ বাড়ির চিলেকোঠা থেকে পড়ে হাঁটুতে মারাত্মক আঘাত পেলেন হ্যারিসন। এরপর শুরু ভয়াবহ রক্তক্ষরণ।সেই যে অসুস্থ হলেন আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেই পারলেন না। এ সময়ে অন্তত ২৩ বার যেতে হলো শল্যচিকিত্সকের ছুরির নিচে। পরে খেলার মাঠে একই জায়গায় আবারও চোট পেলে গোটা ক্যারিয়ারেই যতি পড়ে গেল। মাত্র ২২ বছর বয়সেই মৃত্যু হলো এক অমিত সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের।লিভারপুলে সে অর্থে তিনি খেলতেও পারেননি। চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন, তাও আবার ধারে। অবসর ঘোষণার পর, ১৯৯২ সালে বাউন্ডারি পার্কে তাঁর স্মরণে লিভারপুল ও পুরোনো ঘর ওল্ডহামের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। কপাল তাঁর এতটাই খারাপ ছিল, মারাত্মক ইনজুরির কারণে ওই ম্যাচেও অংশ নিতে পারেননি।আসলেই হ্যারিসন ধরায় এসেছিলেন পোড়া কপাল নিয়েই। নইলে এক সময়ের প্রতিভাবন ও দামি খেলোয়াড় কেন জীবনের শেষ সময়ে লরি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করবেন! ১৯৬৭ সালের ১৫ নভেম্বর জন্ম নেওয়া লিভারপুলের এ সাবেক খেলোয়াড় জীবনের অন্তিম মুহূর্তে নিজ শহর স্টকপোর্টে একটি মদের কারখানার লরি চালক ছিলেন!‘অন্তিম মুহূর্ত’ বলার কারণ রয়েছে। দীর্ঘদিন অগ্ন্যাশয়ের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ২৫ ডিসেম্বর হঠাত্ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রেও তাঁর ভাগ্য খুবই খারাপ। বড়দিনে হ্যারিসন যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। কেননা ধর্মঘটের কারণে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ছিল এদিন। যখন হাসপাতালে নেওয়া হলো তখন আর আশা নেই। মাত্র ৪৬ বছর বয়সেই বড়দিনে নিভে গেল হ্যারিসনের প্রাণ!ছিলেন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া তরুণ ফুটবলারদের একজন। তবে হতে পারতেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি তারকাদের একজন। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে হ্যারিসনকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছে লরি চালক হিসেবে। সেই ভাগ্যই তাঁকে শেষ পর্যন্ত অকালেই নিয়ে গেল জীবন নদীর ওপারে।জীবন সত্যিই বড় অদ্ভুত! |
রাজধানীতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী আদুরির শরীরে পোড়া ও কাটা ক্ষতে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিত্সাধীন।হাসপাতাল সূত্র জানায়, আদুরির চিকিত্সার্থে গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এইচ এ এম নাজমুল আহসানকে প্রধান করে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।ওসিসির সমন্বয়কারী ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য বিলকিছ বেগম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আদুরির মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ও পোড়া ক্ষতচিহ্ন আছে। ডাস্টবিনে পড়ে থেকে আদুরির ক্ষত স্থানে সংক্রমণ (ইনফেকশন) দেখা দেয়। সে অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায়ও ভুগছে। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হলেও শারীরিক দুর্বলতার কারণে স্পষ্ট করে কথাও বলতে পারছে না।হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ শনিবারই মেডিকেল বোর্ড তার চিকিত্সাসেবা শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকেরা তার স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়েছেন। সেখান থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী চিকিত্সা করা হবে।বিছানার পাশে মেয়ের শরীরে নির্যাতনের ক্ষত দেখে আদুরির মা সুফিয়া বেগম ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। তিনি বলেন, ‘সংসার চলে না, কোনো উপায় না দেইখ্যা দুই মাইয়ারে ঢাকায় কাজে দেছেলাম। আদুরিরে ৫০০ টাহা মাসিক ব্যাতন দেওয়ার কথা থাকলেও ওরা এক টাহাও দেয় নাই আমারে। ওরা আমার মাইয়াডারে এমনভাবে নির্যাতন করল ক্যান? বাড়িতে ফেরত পাডাইয়া দেত।’ তিনি আদুরির ওপর নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।গত রোববার বিকেলে বারিধারার ডিওএইচএস এলাকার একটি ডাস্টবিনে দুই নারী প্রায় নিস্তেজ অবস্থায় শিশু আদুরিকে (১১) উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিত্সাসেবা পেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে সে।আদুরি হাসপাতালে প্রথম আলো ডটকমকে জানায়, গৃহকর্ত্রী তাকে বিভিন্ন সময় মারধর করত। ব্লেড দিয়ে তার শরীরে কেটে দেয় এবং আয়রন (ইস্ত্রি) দিয়ে ছ্যাঁকা দিত। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর জৈনকাঠিতে।এ নিয়ে একাধিক দৈনিকে খবর ছাপা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কর্মকর্তারা পল্লবী থানার সহায়তায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ২৯/১ সাগুফতা বাড়ি কল্যাণ সমিতি থেকে নির্যাতনকারী নওরীন জাহানের বাসা শনাক্ত করে। পরে সেখান থেকে নওরীনকে আটক করা হয়।পল্লবী অঞ্চলের পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, গতকাল শুক্রবার আদুরির মামা মো. নজরুল চৌধুরী বাদী হয়ে নওরীন জাহানকে আসামি করে পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় নওরীনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে নওরীন আদুরিকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন। তবে নওরীন দাবি করেন, আদুরি কথামতো কাজ করতো না এবং সে চুরি করত। সহকারী কমিশনার কামাল আরও বলেন, আগামীকাল রোববার থেকে (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ মামলার তদন্ত করবে।আজ ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ ওসিসিতে চিকিত্সাধীন আদুরিকে দেখতে যান। তিনি আদুরির সার্বিক খরচ বহনে ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট ও ইনভেস্টিগেশন বিভাগকে নির্দেশ দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। এ ঘটনায় জড়িত মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়ের হওয়া মামলাটি প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে দ্রুত বিচার আদালতে হস্তান্তর করা হবে।আর মাত্র দুটি টেস্ট খেলেই ২৪ বছরের বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারটি শেষ করবেন শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেট বিশ্বে এখন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের শেষ উদ্যাপনেরই প্রস্তুতি চলছে। টেন্ডুলকার অবশ্য তার আগে চলে এসেছেন আরও একটি শেষের দ্বারপ্রান্তে। হরিয়ানার বিপক্ষে মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফির শেষ ম্যাচটা খেলছেন লিটল মাস্টার। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের এই শেষ ম্যাচটা জয় দিয়ে শেষ করার থেকে মাত্র ৩৯ রান দূরে আছেন টেন্ডুলকার। নিজে অপরাজিত আছেন ৫৫ রান করে। ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেট হারানো মুম্বাই এখন জয়ের আশা খুঁজছে টেন্ডুলকারের ব্যাটের দিকে তাকিয়েই।প্রথম ইনিংসে সফল হতে পারেননি টেন্ডুলকার। সাজঘরে ফিরেছিলেন মাত্র ৫ রান করে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভক্তদের হতাশ করেননি ভারতের এই ব্যাটিং বিস্ময়। ৮৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে এসে দলের হাল ধরেছেন শক্ত হাতেই। এরপর মুম্বাই আরও চারটি উইকেট হারালেও দিনের শেষে অপরাজিতই আছেন টেন্ডুলকার। আগামীকাল শেষ দিনে মাত্র ৩৯ রান সংগ্রহ করতে পারলেই জয় পাবে মুম্বাই। টেন্ডুলকারও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে পারবেন তৃপ্তি নিয়ে।পিসি, ট্যাব আর স্মার্টফোনের জন্য উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ আরটি, উইন্ডোজ ফোন সফটওয়্যার এই তিনটি আলাদা আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। কিন্তু মাইক্রোসফটের ডিভাইস বিভাগের প্রধান জুলি লারসন গ্রিন উইন্ডোজের ভবিষ্যত্ দেখছেন অন্যত্র। সম্প্রতি ইউবিএস গ্লোবাল টেকনোলজি সম্মেলনে জুলি জানিয়েছেন, মাইক্রোসফট ভবিষ্যতে উইন্ডোজের জন্য শুধু একটি প্ল্যাটফর্মই রাখবে। অর্থাত্ উইন্ডোজের সব প্ল্যাটফর্মগুলোকে একীভূত করে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উপস্থাপন করবে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ প্রধান টেরি মেয়ারসনও জুলি লারসন গ্রিনের মন্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।এদিকে, প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা বলছেন, মাইক্রোসফট তাদের সব অপারেটিং সিস্টেমকে একত্রিত করে একটি একক উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মের দিকেই যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে শুরুতেই মাইক্রোসফট তৈরি করছে একটি অ্যাপ স্টোর যেখানে একটি অ্যাপ স্টোরের মধ্যেই উইন্ডোজের সব অ্যাপ্লিকেশন পাবেন ব্যবহারকারীরা।দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইন্ডোজ ফোন স্টোর আর উইন্ডোজ স্টোর এ দুটিকে একীভূত করার পরিকল্পনা করেছে মাইক্রোসফট। ২০১৪ সাল নাগাদ উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন স্টোর চালু করবে মাইক্রোসফট।মাইক্রোসফটের একীভূত অ্যাপ স্টোর থেকে উইন্ডোজনির্ভর সব পণ্যের জন্য অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সুবিধাই থাকবে। এ ছাড়াও উইন্ডোজ ৮এর সব প্ল্যাটফর্মেই একই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা সম্ভব হবে। উইন্ডোজ ফোন ৮ নির্ভর স্মার্টফোনের কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করলে সেই অ্যাপ্লিকেশনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উইন্ডোজনির্ভর ট্যাবলেট ও কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়ে যাবে। আবার উইন্ডোজ নির্ভর ডেস্কটপে তা ডাউনলোড করলে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটেও এটি ব্যবহার করা যাবে। ফলে একই অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডোজের আলাদা প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদাভাবে ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়বে না।জুলি লারসন গ্রিন জানিয়েছেন, মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের ভবিষ্যত্. নিরাপত্তা, পণ্যের ব্যাটারি লাইফ ও খরচের কথা মাথায় রেখে উইন্ডোজের নতুন সংস্করণ তৈরির দিকে যাচ্ছে মাইক্রোসফট।উইন্ডোজ নিয়ে পরিকল্পনার পাশাপাশি উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টওয়াচ, স্মার্টগ্লাসের মতো পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মাইক্রোসফটের শীর্ষ পর্যায়ের এই নারী কর্মকর্তা।গাজীপুরের সালনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজ রোববার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন জ্যোত্স্না বেগম (২৮), ছেলে রাফি (৫), অটোরিকশার যাত্রী উজ্জ্বল (৩৫) ও অটোরিকশা চালক শরিফুল ইসলাম (২৫)।এ ঘটনায় জ্যোত্স্না বেগমের স্বামী হাবিবুর রহমান (৩৫) আহত হয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।জ্যোত্স্না বেগম ও হাবিবুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাওজোর হাইওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে টঙ্গী থেকে ত্রিশালগামী একটি সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পরিবহনের সংঘর্ষ হয়। তবে কোন পরিবহন অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার জ্যোত্স্না বেগম, তাঁর ছেলে রাফি ও অটোরিকশা যাত্রী উজ্জ্বল নিহত হন। চালক শরিফুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। অন্যদের লাশগুলো ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন ইয়াহইয়াসহ শিবিরের আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আগামীকাল রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ছাত্রশিবির। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক মহসিন আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিবিরের আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও অস্ত্র উদ্ধারের ‘সাজানো নাটকের’ প্রতিবাদে রাজশাহী অঞ্চল ছাত্রশিবিরের আহ্বানে চার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারের ভূমিকা পালন না করে নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে জনগণের জানমাল রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানানো হয়। তা ছাড়া হরতাল পালনে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের মানুষকে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহইয়াসহ শিবিরের আটজন কর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ আটক করে র্যাব। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিনই ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি না দিলে হরতাল দেওয়া হবে।আদালতের নিষেধাজ্ঞায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়নি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইজিএম শুরুর মিনিট দশেক আগে স্থগিতাদেশের এই কাগজ ডিএসই কর্তৃপক্ষের হাতে এসে পৌঁছে। এ সময় ইজিএম শুরুর প্রস্তুতি চলছিল।ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেল পাঁচটায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইজিএম শুরু হওয়ার কথা ছিল। ইজিএমের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। তার আগে ইজিএম স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হন ডিএসইর সাবেক পরিচালক আহমেদ ইকবাল হাসান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।আদালতে পিটিশন দায়ের করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আহমেদ ইকবাল হাসান।ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ইজিএম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ডিএসইর সাবেক এক পরিচালকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইজিএম স্থগিতাদেশ দেন।নিজেদের মাটিতে ইংল্যান্ডকে শক্ত পরীক্ষায় ফেলার ছকটা করেই রেখেছিলেন ড্যারেন লেম্যান। ব্রিসবেন টেস্টে তাঁর প্রমাণটা মিলিয়ে দিয়েছেন তাঁর ছেলেরা। মিচেল জনসনের ছড়িয়ে দেওয়া আগুনে পুড়ে খাক ইংলিশরা। পরীক্ষাটা কেবল ব্যাটে-বলেই সীমিত ছিল না, কথার লড়াইও উত্তাপ ছড়িয়েছে বেশ ভালোভাবেই। গ্যাবায় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের স্লেজিংয়ে জেরবার ইংলিশ কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার যতই ‘সাদা পতাকা’ ওড়াতে চান না কেন, অস্ট্রেলিয়ার কোচ লেম্যান রণে ভঙ্গ দিতে চান না মোটেও। মুখ খারাপ করা যে তাঁদের কৌশলেরই অংশ!ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনকে স্লেজ করে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা গুনেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ‘চাপজনিত অসুস্থতায়’ ভোগা জোনাথন ট্রটকে ‘দুর্বল’ বলায় বিতর্কিত হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এমন পরিস্থিতিতে শান্তির ডাক দিতে চান ফ্লাওয়ার। ফ্লাওয়ারের আহ্বান অবশ্য আমলে না নিয়ে লেম্যান সাফ জানিয়েছেন—কথার লড়াই চলবেই।অস্ট্রেলিয়ার একটি বেতারকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে লেম্যান স্লেজিংকে খেলার অংশ হিসেবেই অভিহিত করেছেন, ‘এটি খেলাই অংশ। আমরা যখন ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়েছিলাম ওরা তখন আমাদের সঙ্গে এমনটাই করেছিল। আমরা সেটি থেকে দূরে থাকতে পারিনি। যখন বিদেশের মাটিতে খেলতে যাবেন, তখন একই ঘটনা ঘটবে। ফলে ইংল্যান্ডে যা ঘটেছিল, সেটির মধ্যে আর এখানকার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না।’৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অ্যাডিলেডে টেস্টেও ব্যাট-বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুখের লড়াইও যে চলবে, সে হুমকিই বোধ হয় আগাম দিয়ে রাখলেন লেম্যান। ওয়েবসাইট।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের পূর্বঘোষিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ রোববার রাজধানী ও রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তাব্যবস্থার কড়াকড়িতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ সকাল থেকে রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়ক, মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সাদা পোশাকে সক্রিয় রয়েছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের পাশাপাশি আছে র্যাব। সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আছেন।রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, নয়াপল্টন, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট মোড়, শাহবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, আসাদগেট, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, মহাখালী, বনানী, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তাঁরা পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছেন।খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সকালে সেখানে আট প্লাটুন পুলিশ মোতায়েনের খবর জানা গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নয়াপল্টনে ঢোকার সব পথে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সকাল ১০টা পর্যন্ত কার্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ দেখা গেছে। এই সময়ের মধ্যে ওই এলাকায় জোটের কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। সেখানে কোনো মঞ্চও নেই।ঢাকার সবগুলো প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। এসব জায়গায় রাজধানীমুখী মানুষ ও যানবাহনে ব্যাপকভাবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশি ছাড়া কাউকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন।বুড়িগঙ্গা সেতু, সদরঘাট, কেরানীগঞ্জে: বুড়িগঙ্গা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেতুতে পুলিশ তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যারিকেড দিয়েছে। প্রথম সেতুতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে একটিও লঞ্চ ঢাকায় আসেনি। ঢাকা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়েও যায়নি। সদরঘাট টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ না ছাড়ায় সকাল থেকে সেখানে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন।বুড়িগঙ্গা নদী নৌযানশূন্য রয়েছে। এমনকি খেয়া নৌকাও নেই। কেরানীগঞ্জে শতাধিক খেয়াঘাটে পুলিশি পাহারা রয়েছে। কোনো খেয়া নৌকা যাতে পাড়ে ভিড়তে না পারে, সে জন্য এসব স্থানে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন। খেয়া না থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর দাবি করেন, ‘আমরা যান চলাচলে কোনো রকম বাধা দিচ্ছি না।’টঙ্গী: স্টেশন রোড ও চেরাগআলী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আড়াআড়িভাবে গাড়ি রেখে অবরোধ সৃষ্টি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তল্লাশির সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকেও রোগী ও যাত্রীদের নামিয়ে দিতে দেখা গেছে।সকাল নয়টার দিকে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন স্টেশন রোডে পুলিশের ব্যারিকেড পরিদর্শন করেন। তিনি রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদেরও তল্লাশির নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী কয়েকজন সাধারণ যাত্রী তল্লাশির নামে হয়রানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।স্টেশন রোড এলাকা থেকে সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।গাবতলী: গাবতলী এলাকায় কয়েক স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও অবস্থান করছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ‘ওয়াচ টাওয়ার’ তৈরি করা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেখানে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। তবে ওই এলাকায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।গাবতলী এলাকা দিয়ে খুব অল্পসংখ্যক যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে কোনো ধরনের গণপরিবহন বা বাস ঢাকায় ঢুকছে না।ঢাকার বাইরে থেকে আসা অফিসগামী যাত্রীদের গাবতলী এলাকায় নামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেককেই দীর্ঘপথ হাঁটতে হচ্ছে। তল্লাশির সময় পরিচয়পত্র কিংবা গন্তব্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাতে ব্যর্থ হলে যাত্রীদের ঢাকায় ঢুকতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।গাবতলী সেতুর পূর্ব পাশে দারুস সালাম থানা পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা, সেতুর পশ্চিম পাশের এক পাড়ে ঢাকা জেলার পুলিশ ও অন্য পাড়ে র্যাব সদস্যরা অবস্থান নেয়। ঢাকায় ঢুকতে চাওয়া রিকশা আরোহী ও মোটর সাইকেল আরোহীদের তল্লাশি করছে তারা।মিরপুর এক নম্বরের ব্যবসায়ী রমিজউদ্দিনের বাসা সাভারে। তিনি সেখান থেকে ঢাকায় প্রবেশ করার পথে হয়রানির ব্যাপারে বলেন, তাঁকে পুলিশ গাবতলী সেতুর পশ্চিম পাশে আটকে দেয়। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা কোন দেশে বাস করছি? তারা সাধারণ মানুষের চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে।’গাবতলী-মাজার রোডের মোড়ে সাংসদ আসলামুল হক সমাবেশ করছে। লাঠি নিয়ে সহড়া দিচ্ছে।[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা এবং কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) ও টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি] |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ টটেনহামের সঙ্গেও ড্র করেছে হোসে মরিনহোর চেলসি। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও অধিনায়ক জন টেরির গোলে রক্ষা পেয়েছে ব্লুরা। মাঠ ছাড়তে পেরেছে একটি পয়েন্ট নিয়ে। প্রথমার্ধে টটেনহামের পক্ষে গোলটি করেছিলেন সিগার্ডসন।নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময়ই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে টটেনহাম। ১৯ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটিও করে স্বাগতিকরা। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের পাস থেকে বল পেয়ে সেটা আস্তে করে থামিয়ে সিগার্ডসনকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন রবার্তো সোলদাদো। মোক্ষম সুযোগটা কাজে লাগাতে একটুও ভুল করেননি আইসল্যান্ডের এই উইঙ্গার। বল জড়িয়ে দিয়েছেন চেলসির জালে। তিন মিনিট পরে আরও একটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল টটেনহাম। কিন্তু চেলসির ডিফেন্ডারদের দক্ষতায় সফলতার মুখ দেখেনি সেই গোল প্রচেষ্টা।দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়েই মাঠে নামে মরিনহোর শিষ্যরা। শুরুতে তারা পেয়েও গিয়েছিল ভালো একটি সুযোগ। টটেনহামের দুই ডিফেন্ডারকে চমত্কারভাবে কাটিয়ে অস্কারের উদ্দেশে বল ঠেলেছিলেন ফার্নান্দো তোরেস। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বলটা জড়াতে পারেননি টটেনহামের জালে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামা হুয়ান মাতার চমত্কার এক ফ্রি-কিকের কারণেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছে চেলসি শিবির। মাতার ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক হেড করে খেলায় সমতা ফিরিয়েছেন চেলসি অধিনায়ক জন টেরি।৮০ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তোরেসকে। শেষ ১০ মিনিট ১০ জনের এই চেলসির রক্ষণভাগে বারবার হানা দিয়েও সফল হতে পারেনি টটেনহাম। ৮৭ মিনিটে সিগার্ডসনই পেয়েছিলেন শেষ সুযোগটা। চেলসির পেনাল্টি বক্সের ভেতর নেওয়া তাঁর জোরালো শটটা চলে যায় গোলপোস্টের কিছুটা বাইরে দিয়ে।শিল্প উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে বিএসটিআইয়ের অফিস জেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।আজ মঙ্গলবার ৪৪তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে ‘আন্তর্জাতিক মান ইতিবাচক পরিবর্তন নিশ্চিত করে’—শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মান ভবন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এ সভার আয়োজন করে।দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিএসটিআইয়ের অফিস সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও কক্সবাজার জেলায় বিএসটিআইয়ের অফিস কাম ল্যাবরেটরি স্থাপনের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে অন্য জেলাতেও অফিস স্থাপন করা হবে।বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ুন কবীর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক আবু আবদুল্লাহ, শিল্প উদ্যোক্তা মতিন চৌধুরী, মজিবুল হক প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পণ্যের মান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হলে ভোক্তা পর্যায়ে মানসম্মত পণ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা কঠিন। তাঁরা মান পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ করে কাউকে অন্যায়ের সুযোগ না দিতে বিএসটিআইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন।প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিএসটিআই সাড়ে তিন হাজার স্ট্যান্ডার্ডস (মান) নির্ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে বিএসটিআইয়ের ফুড, সিমেন্ট, রড, মাইক্রোবায়োলজিসহ বেশ কিছু ল্যাবরেটরি ভারতে অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থা এনএবিএলের স্বীকৃতি পেয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে বৈঠক শুরু হয়েছে। বেলা ১১টায় এ বৈঠক শুরু হয়।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিজিবির মহাপরিচালক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং অন্য বাহিনী ও বিভাগের কর্মকর্তারা।নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও সেনা মোতায়েন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা।গত সোমবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি রোববার ভোট নেওয়া হবে।তফসিল ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। গতকাল বুধবার অবরোধ কর্মসূচি আরও ২৩ ঘণ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জোট। আগামীকাল শুক্রবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সারা দেশে জোটের এই কর্মসূচি চলবে। অবরোধে সহিংসতায় গত দুই দিনে ১৮ জন নিহত হয়েছে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ রোববার তল্লাশির নামে বাড়াবাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মোড়ে মোড়ে তল্লাশির নামে সময়ক্ষেপণের কারণে সাভারের কাউন্দিয়া থেকে চিকিত্সার জন্য ঢাকায় আসার পথে মাবিয়া বেগম নামের এক অসুস্থ বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর ছেলে অভিযোগ করেছেন।বৃদ্ধার ছেলে মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন, গতকাল শনিবার রাতে তাঁর মা হঠাত্ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য কোনো যানবাহন পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে একটি রিকশাভ্যানে করে অসুস্থ মাকে নিয়ে তিনি ঢাকায় রওনা হন। কিন্তু ঢাকা জেলা পুলিশ একটু পরপরই রিকশাভ্যানটি আটকে তল্লাশি চালায়। এতে সময়ক্ষেপণ হয়। এরপর গাবতলী বাস টার্মিনালে আসার পর মাজার রোড ও কল্যাণপুরে লাঠিসোঁটা হাতে পাহারায় থাকা যুবকেরা দুই দফা তাঁদের রিকশাভ্যানটিকে আটকায়। একপর্যায়ে তাঁকেসহ অন্যদের নামিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর মাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন।কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোহাম্মদ আলী বলেন, পথে পথে এমন বাধা আর তল্লাশির কারণে সময় বেশি লাগায় তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া গেলে তাঁর মাকে হয়তো বাঁচানো যেত।এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তল্লাশি করতে গিয়ে হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যেতে পারে। এটা যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। |
সাত দিন শ্রমিক বিক্ষোভের পর অবশেষে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা পোশাক শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে ওই বৈঠকে অঙ্গীকার করেছে বিজিএমইএ। বৈঠকে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে কারখানার মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৈঠকে শ্রমিক-মালিক নেতাদের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, দেশের ৭৯ শতাংশ রপ্তানি আয় অর্জনকারী পোশাকশিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন মালিক ও শ্রমিকনেতারা। বহিরাগতদের দ্বারা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ করবেন। এ ছাড়া নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান নেতারা। বিজিএমইএর সভাকক্ষে আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে আতিকুল ইসলাম যৌথ ঘোষণাটি পড়েন। বৈঠকে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ও জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তারসহ ৪০টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, রিয়াজ-বিন-মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সবজি সরবরাহের অন্যতম মোকাম বগুড়ার মহাস্থানগড় বাজার। গত দুই দিনের হরতালে একটি সবজির ট্রাকও ছেড়ে যায়নি সেখান থেকে। ফলে ঢাকার পাইকারি বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা সবজি না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন, নয়তো অল্পস্বল্প যা পেয়েছেন তা-ই চড়া দামে কিনেছেন ।একই অবস্থা সবজির অন্যতম মোকাম যশোরের বারীনগর বাজারে। সোমবার মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি ট্রাক ছেড়েছে সেখান থেকে। ঢাকায় সবজির যে জোগান তা দিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা চাহিদামতো সবজি না পেয়ে ফিরে গেছেন। অনেকে উচ্চমূল্যে সবজি বিক্রি করছেন।আজ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০, পটল ৩৫ থেকে ৫০, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০, পেঁপে ২০ থেকে ২৫, ঢ্যাঁড়স ৭০, করলা ৭০ থেকে ৮০, শিম ৯০ থেকে ১০০, শসা ৩০ থেকে ৪০, আলু ১৮ থেকে ২৫, মরিচ ৮০ থেকে ১০০, পেঁয়াজ ১১০ ও টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এর আগে হরতালে কাঁচামাল বহন করা ট্রাকে কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু এবার সমস্যা হওয়ায় কেউ আর ট্রাক বের করতে চাচ্ছেন না।বগুড়া থেকে ‘প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, মহাস্থান বাজারের আড়তদার সমিতির নেতা ও পাইকারি ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম তাঁকে বলেছেন মহাস্থান মোকাম থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক সবজি পাঠানো হয়। হরতালের আগের দিন ঝুঁকি নিয়ে যেসব সবজি পাঠানো হয়েছিল সেগুলোকে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে আটকে দেওয়া হয়।আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের তরকারির বাজারে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। দু-একটি দোকান খোলা থাকলেও সেগুলোয় সবজির পরিমাণ কম। এই বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মাসুদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘গতকাল রাতে মাল পাওয়া যায়নি। যা পাওয়া গেছে, তা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। বেশি দামে তাই বেচতেও হচ্ছে বেশি দামে।’মতিঝিলের এজিবি কলোনি কাঁচাবাজারে এসেছিলেন আবদুল আলীম। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা আমাদের নিয়ে ভাবেন না। তাঁরা নিজেদের স্বার্থে হরতাল দেন। আর এর খেসারত দিতে হয় আমাদের।’ তিনি বলেন, ‘বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। কী করব? জীবন তো থেমে থাকে না। বাড়তি দামেই কিনছি।’শুধু যে ক্রেতা-বিক্রেতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা-ই নয়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উত্পাদকেরাও। যশোরে কৃষকের সবজিবোঝাই বেশ কয়েকটি ভ্যান হরতালকারীরা ফিরিয়ে দেয়। এ জন্য তাঁরা হরতালে আর বাজারে আসেননি।সকালে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে সবজি বিক্রি করতে এসেছিলেন চিঙ্গাশপুরের কৃষক হাফিজার রহমান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘হরতাল করবি করুক, তাই বুলি সবজির টেরাক চলাচলও বন্ধ করে দিবি। টেরাক না চললি হামাকেরে খেতের সবজি কিনবি কেডা? কিনার নাই একন এই সবজি হামি কার কাচে ব্যাচমো?’প্রতিবেদন তৈরি করেছেন আব্দুল্লাহিল ওয়ারিশ, বগুড়ায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার পারভেজ ও যশোরের মনিরুল ইসলাম‘ময়নামতি’ চলচ্চিত্রে জুটি হলেন আনিসুর রহমান মিলন ও মাহি। ছবিটির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। ২১ নভেম্বর ভোলায় এ ছবির শুটিং শুরু হয়েছে।এ প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমকে মিলন বলেন, ‘আমাদের দুজনের প্রথম ছবি ছিল ‘‘পোড়ামন’’। অবশ্য ছবিটিতে আমরা সেই অর্থে জুটি ছিলাম না। কিন্তু এবারই প্রথম আমরা দুজন জুটি হয়ে অভিনয় করছি।’মিলন আরও বলেন, ‘ছবিটির জন্য চমত্কার কিছু গান তৈরি করা হয়েছে। আমরা এখন ভোলায় গানের দৃশ্যের শুটিং করছি। চিত্রায়ণে বেশ নতুনত্ব আছে।’‘ময়নামতি’ চলচ্চিত্রের শুটিং চলবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।এদিকে, প্রথম আলো ডটকমকে মাহি বলেন, ‘মিলন ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করলে অনেক কিছুই শেখা যায়। তিনি অনেক বড় মাপের একজন অভিনেতা। আশা করছি, আমাদের দুজনের এ ছবিটি দর্শকদের ভালো লাগবে।’মিলন ও মাহি ছাড়া ‘ময়নামতি’ ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পী।‘ময়নামতি’ ছাড়াও মিলন খুব শিগগির রকিবুল আলমের ‘প্রেম করব তোমার সাথে’ ছবির কাজ শুরু করবেন। মিলন এখন আরও বেশ কয়েকটি ছবির কাজও করছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ইফতেখার চৌধুরীর ‘ওয়ান ওয়ে’, শফিকুল ইসলাম ভৈরবীর ‘শুয়াচান পাখি’ এবং শাহ আলম মণ্ডলের ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। ছবিগুলোতে মিলনের নায়িকারা হলেন ববি, নওশীন ও পরি।চট্টগ্রামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গতকাল শনিবার রাতে ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ভাঙচুর, নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে।এঁদের মধ্যে সাতকানিয়ায় ২৬, লোহাগাড়ায় ১৫ ও সীতাকুণ্ড থেকে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২৮ ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর ওয়ালিদ প্রথম আলোকে বলেন, সীতাকুণ্ডের আমিরাবাদে অভিযান চালিয়ে নাশকতার মামলার ১৬ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে গান পাউডার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।এ ছাড়া সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানা কর্তৃপক্ষও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।এদিকে, নগরের কোতোয়ালি সিরাজদ্দৌলা রোড এলাকায় গতকাল গভীর রাতে একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে চালক নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে প্রথম আলোকে জানান কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ।আজ সকাল থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। শহরের ভেতরে যান চলাচলের সংখ্যাও তুলনামূলক কম। |
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, তাতে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়বে না। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে গেলে কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো আবশ্যক।আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিয়ে অনেকের মনে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। তাঁরা নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজে পিছিয়ে আছে। হলফনামার বিদ্যমান ছকটি অসম্পূর্ণ এবং অকার্যকর। এটিতে পরিবর্তন আনা দরকার। কিন্তু এ সম্পর্কে কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যয় পর্যবেক্ষণের জন্য প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তা মন্ত্রিসভায় পাঠায়নি। প্রার্থীদের ব্যয় পর্যবেক্ষণের শক্তিশালী ব্যবস্থা না থাকলে নির্বাচনে কালোটাকার দৌরাত্ম্য অব্যাহত থাকবে।এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মের ব্যবহার একটি গুরুতর অপরাধ। সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। বর্তমানে নির্বাচনী অপরাধের চরিত্র বদলে গেছে। নির্বাচনের দিন কোনো সহিংসতা হয় না। কারণ নির্বাচনের আগেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রভাব বিস্তার করে। এদের দমন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।অনুষ্ঠানের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেবল পুলিশ আর আনসার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েন আবশ্যক।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এস এম শাহজাহান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে কিছু লোককে ক্ষমতায়িত করা নয়, বরং সব জনগণকে ক্ষমতায়িত করা। বর্তমানে দেশে আইন আছে, শাসন আছে, কিন্তু আইনের শাসন নেই। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার।’বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা দরকার। কমিশনারদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ তাঁরা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তাঁদের মেরুদণ্ড খাড়া করে দাঁড়ানো উচিত। তা না হলে জাতি তাঁদের ক্ষমা করবে না।’‘না’ ভোটের বিধান পুনরায় চালুর দাবি জানিয়ে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জনগণের সামনে উন্মুক্ত করা উচিত। এতে দুর্নীতি কমে আসবে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গতকাল সোমবার বলেছেন, কী উপায়ে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আল-জাজিরা বলছে, বেআইনিভাবে বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের বহু রাষ্ট্রপ্রধান, প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। এ কারণে দেশটির ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।দেশটির সাবেক গোয়েন্দা এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথিপত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) গোপনে তথ্য সংগ্রহের খবরাদি ফাঁস হয়। ফোনালাপ, ইন্টারনেট, খুদে বার্তা, ই-মেইল ও চ্যাট থেকে মার্কিন গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করে। ইতিমধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এসব গোয়েন্দাবৃত্তির কারণ ও ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে।বিবিসি জানায়, ফিউশন নামের একটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ওবামা বলেন, ‘তাদের (গোয়েন্দা সংস্থাগুলো) যা করা উচিত ছিল, শুধু তা-ই নয় বরং তারা কী করছে তা জানতে’ তিনি গোয়েন্দা কার্যক্রম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, এনএসএসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেসব তথ্য সংগ্রহ করছে তিনি নিজে সেগুলোর ‘চূড়ান্ত ব্যবহারকারী’ এবং হোয়াইট হাউস এনএসএর ‘কর্মকৌশল নির্ধারিত’ করে দেওয়ার পরেও সংস্থাটি নিজের ‘সামর্থ্যের পরিধি বাড়িয়েছে ও ছড়িয়েছে’।যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির প্রধান ডায়ান ফেইনস্টেইনও ওমাবার মতো কথা বলেছেন। মার্কিন গোয়েন্দারা জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফোনে আড়ি পেতেছে এমন খবর বিশ্বজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টির পর ফেইনস্টেইন ‘সব গোয়েন্দা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে খতিয়ে দেখার’ আহ্বান জানান।ফেইনস্টেইন বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝি, ২০০২ সাল থেকে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের ফোনালাপ যে রেকর্ড করা হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ওবামা জানতেন না। এটা খুব বড় একটা সমস্যা।’সিনেটর ফেইনস্টেইন জানান, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর প্রধানদের ওপরে গোয়েন্দাবৃত্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হোয়াইট হাউস।তবে বিবিসি বলেছে, ফেইনস্টেইনের বক্তব্য পুরোপুরি সত্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা কর্মকৌশলে এখনো কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সামনে আজ মঙ্গলবার দেশটির জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করার কথা রয়েছে।চলতি বছরের নয় মাসে ম্যালওয়্যার তৈরিতে মাইলফলক ছুঁয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই সময়ে এক কোটিরও বেশি ম্যালওয়্যার তৈরি করেছে তারা। কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান পাণ্ডাল্যাবসের গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন।পাণ্ডাল্যাবসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে সাইবার দুর্বৃত্তদের প্রচুর আয় বেড়েছে। সেই সঙ্গে তারা নতুন ম্যালওয়্যার তৈরিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, অ্যান্টি ম্যালওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে দুর্বৃত্তদের ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, দুর্বৃত্তরা সব সময় একধাপ এগিয়ে থাকছে।পান্ডাল্যাবসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি ম্যালওয়্যার শনাক্ত করেছে তারা যার মধ্যে অধিকাংশই ২০১২ সালের ম্যালওয়্যারগুলোর অনুরূপ। ২০১২ সালে যত ম্যালওয়্যার তৈরি হয়েছিল এ বছরের নয় মাসে তার চেয়ে বেশি ম্যালওয়্যার তৈরি হয়েছে।পাণ্ডাল্যাবসের কারিগরি পরিচালক লুইস করনস জানিয়েছেন, সাইবার দুর্বৃত্তরা এখন ম্যালওয়্যার তৈরি করে প্রচুর আয় করতে সক্ষম। এজন্য তাদের খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। নতুন ম্যালওয়্যার তৈরির পরিবর্তে পুরোনো ম্যালওয়্যারগুলোর রূপ বদল করে দেয় তারা।পাণ্ডাল্যাবস এ বছর যতো ম্যালওয়্যার শনাক্ত করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকি তৈরি করতে সক্ষম ছিল নতুন করে তৈরি ট্রোজান, ওয়ার্ম ও ভাইরাস।পাণ্ডাল্যাবসের তথ্য অনুযায়ী, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ম্যালওয়্যার আক্রমণের হার কম কারণ সেখানে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হয়। এশিয়ার দেশগুলোতে ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে পাণ্ডাল্যাবস।এদিকে, আরেক কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফিও এ বছর কম্পিউটার ও মোবাইল প্ল্যাটফর্মে ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বেড়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ বিএনপির সাবেক সাংসদসহ ২৪ জনকে আটক করেছে। আজ রোববার সকাল থেকে এঁদের আটক করা হয়।বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাঁরা হলেন সাবেক সাংসদ রওশন আরা ফরিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাদিয়া হক ও জান্নাতুল ফেরদৌস।একই সময়ে প্রেসক্লাব এলাকা থেকে পুলিশ ১৫ জনকে আটক করেছে। পুলিশের রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করে আটক করা হচ্ছে। আটক ১৫ জনকে রমনা থানায় রাখা হয়েছে।বেলা সোয়া ১১টার দিকে মালিবাগ রেলক্রসিং এলাকা থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশ। মালিবাগ রেললাইনের কাছে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করেন। তাঁরা রাস্তায় আগুন জ্বালান। ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।সকাল ১০টার দিকে বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করার অভিযোগে আবু তাহের ও ইসমাইল নামের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ইসমাইল ছবি তুলছিল। পুলিশ তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে সংবাদকর্মী দাবি করেন। কিন্তু তিনি কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এঁদের দুজনকে পল্টন থানায় নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে বাগেরহাটের রামপালের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে না সরলে ১২ অক্টোবর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।আজ শনিবার রামপালে লংমার্চের সমাপনী ঘোষণা করে বক্তব্য দেন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি সুন্দরবন ঘোষণায় বলেন, সরকার যদি জনগণের দাবির বিরুদ্ধে যায়, তাহলে সেই পদক্ষেপ উপড়ে ফেলবে জনগণ। তিনি বলেন, সুন্দরবনকে নিজ শক্তিকে বিকশিত হওয়ার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সেই নীতিমালা দ্রুত প্রয়োগ করতে হবে।সমাপনী ঘোষণা দেওয়ার আগে কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, সুন্দরবনের পাশে শুধু ভারত নয়, অন্য যেকোনো দেশ বা দেশীয় প্রতিষ্ঠান যদি ধ্বংস করার প্রকল্প নেয়, তা প্রতিরোধ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোনো দল বা মতের নয়। সুন্দরবন রক্ষায় সারা দেশের মানুষের জাতীয় আন্দোলন।’ এ আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।লংমার্চে খুলনা, যশোর, বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেয়।বাগেরহাটে সমাবেশদুপুরে বাগেরহাট শহরের পুরাতন কোর্ট চত্বরে লংমার্চ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, লংমার্চের মধ্য দিয়ে সারা দেশের দেশপ্রেমিক জনতা একত্র হয়েছে। এ জনতা সুন্দরবন ধ্বংসের সব চক্রান্ত রুখে দেবে।এই লংমার্চে যাঁরা যোগ দেননি, কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংসের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছেন, তাঁদের প্রতি নিজ নিজ এলাকায় ‘সুন্দরবন রক্ষা কমিটি’ গড়ে তোলার আহ্বান জানান জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক।সমাবেশে জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকারি নানা ধরনের তৎপরতায় ইতিমধ্যে সুন্দরবন ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে একে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের যেহেতু বিদ্যুতের সংকট আছে, বিদ্যুৎ আমাদের প্রয়োজন, তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি আমাদের সামনে মুলো হিসেবে ঝুলোনো হয়েছে। তবে এর পেছনে রয়েছে সুন্দরবনকে চিরতরে ধ্বংস করে দিয়ে একে মুনাফার রসদে পরিণত করার চক্রান্ত। এরই মধ্যে নানা দেশি-বিদেশি কোম্পানি সুন্দরবনের আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছে। এসব আয়োজন বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশকে মায়ের মতো আগলে রাখা সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষ এ চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দেবে না।’আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘সব চক্রান্ত বানচাল করে আমরা বাগেরহাটে পৌঁছেছি। সব বাধা অতিক্রম করে রামপালে পৌঁছাব। সুন্দরবনকে আমরা রক্ষা করে ছাড়বই।’বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সের সঞ্চালনায় সমাবেশে বাম রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাংস্কৃতিক সমাবেশ হয়। এর আগে বেলা একটার দিকে বাগেরহাটে প্রবেশ করে লংমার্চের কাফেলা। বাগেরহাট শহরে পৌঁছানোর পর হাজারো মানুষ রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাদের স্বাগত জানায়।খুলনায় সমাবেশখুলনা ছাড়ার আগে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নগরের শহীদ হাদিস পার্কে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জাতীয় কমিটির খুলনা জেলা আহ্বায়ক মনোজ দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হলে প্রথম আঘাত আসবে সুন্দরবনের ওপর। সুন্দরবন ধ্বংস হলে হাজারো মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হবে। সুন্দরবনে থাকা প্রাণীকুল মারা যাবে। রামপালের খুব কাছে খুলনা নগর। তাই এখানেও এর প্রভাব হবে তীব্র।এ সময় শহীদ হাদিস পার্ক ও এর আশপাশের এলাকা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।‘জনতা সুন্দরবন ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দেবে’রাজধানীর জুরাইনে আজ মঙ্গলবার ককটেল বিস্ফোরণে রহিমা আক্তার (৯) নামের এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। চিকিত্সকেরা বলছেন, ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে শিশুটির ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ চোখ দিয়ে দেখার সম্ভাবনা কম।এদিকে এ ঘটনা ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলামসহ সাতজন আহত হয়েছেন। ওসিসহ কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। কয়েকজন প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।আহত শিশু রহিমার মা সোমা আক্তার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, শ্যামপুর থানার পশ্চিম জুরাইনে চার সন্তান ও স্বামী নিয়ে থাকেন তিনি। সন্তানদের মধ্যে রহিমা দ্বিতীয়। সে স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। শিশুটির মা জানান, বেলা পৌনে ১১টার দিকে বাসার সামনে পশ্চিম জুরাইনের বালুর মাঠে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে খেলছিল রহিমা। পাশেই একটি সিমেন্টের পরিত্যক্ত বস্তার নিচে লাল টেপ মোড়ানো একটি বস্তু দেখতে পেয়ে সে তা কুড়িয়ে নেয়। খেলার বল মনে করে সে ওই টেপ খুলতে গেলে বিকট শব্দে তা বিস্ফোরিত হয়। এতে তার দুই চোখ, হাত, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে স্প্লিন্টার ঢুকে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।হাসপাতালটির চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আল মাহমুদ লেমন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ককটেলের স্প্লিন্টারে শিশুটির দুই চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি হয়েছে ডান চোখ। স্প্লিন্টারের আঘাতে ডান চোখের ভেতরে ফেটে গেছে। ওই চোখ দিয়ে দেখার সম্ভাবনা খুব কম। তার পরও ভালো করার জন্য চিকিত্সা চলছে।রহিমার মা কাঁদতে কাঁদতে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তাঁর স্বামী সোবহান মোল্লা আগে অটোরিকশা চালালেও বর্তমানে তেমন কিছুই করেন না। তিনি (সোমা) আগে বাসা বাড়িতে কাজ করতেন; শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা এখন করতে পারেন না। তাঁর মা-বোনদের আর্থিক সহায়তায় টিকে আছেন তাঁরা। রহিমার এমন পরিস্থিতিতে চরম অসহায় বোধ করছেন তিনি।রহিমা বলেন, ‘সকালে খিচুড়ি খাইয়া মাঠে খেলতে গেছিল আমার মাইয়া। চিত্কার শুইনা গিয়া দেখি, তার সারা গায়ে রক্ত। এখন আমি কী করমু? মাইয়ার চিকিত্সা কীভাবে করামু?’ভারতের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘তেহেলকা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সোমা চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। ‘তেহেলকা’র প্রতিষ্ঠাতা তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির যে অভিযোগ উঠেছে, এর জের ধরে তিনি পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে এ কথা জানানো হয়।সম্প্রতি ‘তেহেলকা’র এক নারী সাংবাদিক তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। অভিযোগকারী নারী সাংবাদিকের ভাষ্য, চলতি মাসের শুরুতে পর্যটন নগর গোয়ায় ‘তেহেলকা’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তেজপালের যৌন নির্যাতনের শিকার হন তিনি।এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ বেলা তিনটার মধ্যে তরুণ তেজপালকে থানায় উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে গোয়া পুলিশ। সেখানে গোয়া পুলিশের অপরাধ বিভাগ তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।অভিযোগকারী নারী সাংবাদিক গতকাল গোয়ার একটি আদালতে হাকিমের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ওই নারীর নিরাপত্তা রক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের আদালতের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।গোয়া পুলিশ জানায়, নারী সাংবাদিকের সাক্ষ্যে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আদালতে তাঁর এ সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে হাজির করা হবে।যৌন হয়রানির শিকার হয়ে ওই নারী সাংবাদিক প্রথমে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সোমা চৌধুরীর কাছে অভিযোগ করেন। তিনি ওই অভিযোগটি তদন্তের জন্য গোয়া পুলিশকে জানালে তদন্ত শুরু হয়। এ ছাড়া তিনি ঘটনার জন্য তরুণ তেজপালকে দুঃখপ্রকাশ করতে বলেন।তরুণ তেজপাল ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে পুরো বিষয়টি ভালোভাবে তদন্তের জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। গোয়া পুলিশ ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের পর সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে জানায়, যৌন হয়রানির মতো কিছু তারা এতে পায়নি। তবে ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ তরুণ তেজপালকে গ্রেপ্তারের উপায় খুঁজছে বলে ডিআইজি ও পি মিশ্র জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে তরুণ তেজপাল যে দুঃখপ্রকাশ করে ওই নারী কর্মীর কাছে ই-মেইল করেছেন, তার কপি এনডিটিভির হাতে পৌঁছায়। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার একপর্যায়ে ছয় মাসের জন্য তরুণ তেজপালকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ-হরতালসহ নানা কর্মসূচি মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ বিভাগকে। এ কারণে এ বছর ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সহিংস ঘটনার মামলার সুরাহা করতে পারেনি তারা।২০১৩ সালের আলোচিত পাঁচটি সহিংস ঘটনার প্রত্যেকটিতেই একাধিক মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনোটিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি পুলিশ। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।আলোচিত পাঁচটি ঘটনার মধ্যে তিনটিই হলো জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনা। এ ছাড়া রেলওয়ে দরপত্র নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে শিশুসহ দুজন নিহতের ঘটনাও সবার নজর কাড়ে। এ ছাড়া নগরের লালখান বাজারের জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও দেশের শীর্ষ দৈনিকগুলোর শিরোনামে স্থান পায়। নগরের বাইরে হাটহাজারী, বাঁশখালী ও ফটিকছড়ির ভূজপুরে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনাও সারা দেশে আলোচিত হয়।রেলওয়ের দরপত্র নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ: গত ২৪ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে প্রাণ হারান সাজু পালিত (২৮) ও আট বছরের শিশু আরমান। এ ঘটনার মামলার অন্যতম আসামি অজিত বিশ্বাসসহ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ছয় মাস পার হলেও তদন্ত চলছে শ্লথ গতিতে। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডাররা মহড়া দিলেও এখনো কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।এদিকে, এজাহারভুক্ত ৫৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁরা একে একে জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছেন। মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক সাইফুল আলমসহ চারজন জামিনে বেরিয়ে যান।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, হরতাল সহিংসতায় দিনরাত মাঠে ব্যস্ত থাকায় মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়নি। লালখান বাজার মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরণ: গত ৭ অক্টোবর লালখান বাজারের জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন নিহত হন। এই ঘটনার মামলার আসামি হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির একাংশের সভাপতি মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরীকে এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তাঁর ছেলে হারুন ইজাহার কারাগারে আটক রয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন বলেন, মামলার অন্যতম আসামি মুফতি ইজহারের ছেলে হারুন ইজহারকে এখনো জ্ঞািসাবাদ করা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। হাটহাজারীতে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ: গত ৬ মে হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে হেফাজতে ইসলামের দেওয়া ব্যারিকেড তুলতে গেলে এ সংঘর্ষ বাধে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন আনোয়ার জাহিদ (২৫), শাহাদাত হোসেন (১৮), মোহাম্মদ মামুন (২০), জসিম উদ্দিন (৩২), আবু নোমান (৪০) ও সাইদুর রহমান (৩৫)। আনোয়ার জাহিদ ও শাহাদাত হোসেন হেফাজতের কর্মী। তাঁরা হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র। সাইদুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট। এ ঘটনার পর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি।বাঁশখালীতে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব: যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ বাঁশখালীর উপজেলা পরিষদ, আদালত ভবন ও বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, মন্দির ও দোকানে আগুন দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এসব হামলায় বাঁশখালীর শিলকূপা গ্রামে এক বৃদ্ধও নিহত হন। এতে তিন কোটি টাকারও বেশি সম্পদ নষ্ট হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এসব ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলেও ১০ মাসেও পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি। আর ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন তাণ্ডবকারীরা। এতে জনমনে আতঙ্ক কাটছে না এখনো।ফটিকছড়ির ভূজপুরে তাণ্ডব: গত ১১ এপ্রিল ফটিকছড়ির ভূজপুরের কাজীরহাটে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মোটর শোভাযাত্রায় সশস্ত্র হামলা চালানো হলে তিনজন নিহত ও আরও শতাধিক লোক আহত হন। হামলাকারীরা শতাধিক গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। কাজীরহাটে মসজিদের মাইক থেকে স্থানীয় জামায়াতের নেতা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীকে জড়ো করেন। এরপর চারদিক থেকে ঘেরাও করে আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রায় সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী ও সমর্থক বলে তদন্ত সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি। ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন মূল হোতারা। এ বিষয়ে কোর্ট পরিদর্শক উনু মং বলেন, বাঁশখালী, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির ভূজপুরের সহিংসতার ঘটনায় আদালতে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে এখনো তদন্ত প্রতিবেদন আসেনি। |
ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মুঙ্গেশকরের ৮৪তম জন্মদিন আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। তবে ঘটা করে জন্মদিন উদযাপনের বিপক্ষেই নিজের মতামত তুলে ধরেছেন ‘নাইটিংগেল অব ইন্ডিয়া’খ্যাত বর্ষীয়ান এ সংগীতশিল্পী।৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার লতার একটি সাক্ষাত্কার নেন জিনিউজের সম্পাদক সুধীর চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতার সময় লতা বলেন, ‘বরাবরই ঘটা করে জন্মদিন উদযাপন আমার পছন্দ নয়। জীবনের বিশেষ এ দিনটিতে ঘরে থাকতেই ভালো লাগে আমার। প্রায় সব জন্মদিনই আমি ঘরোয়াভাবে পালন করেছি। এই দিনটিতে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে কিংবা আমার বাড়িতে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করি।’জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে, জানতে চাইলে লতা বলেন, ‘জন্মদিনের উপহার হিসেবে আমি কিছু চাই না। ঈশ্বর আমায় অনেক কিছু দিয়েছেন। ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাঁরা আমার গান পছন্দ করেছেন—এটাই আমার পরম পাওয়া। তাঁদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছুই চাই না আমি।’১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশে একটি মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা। তাঁর বাবা সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা পণ্ডিত দীননাথ মুঙ্গেশকর। লতার ভাই-বোনদের মধ্যে আশা ভোঁসলে, হূদয়নাথ, ঊষা ও মিনা মুঙ্গেশকরও সংগীত জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত।১৯৪২ সালে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন লতা। দীর্ঘ ছয় দশকের ক্যারিয়ারে অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন গুণী এ শিল্পী। হাজার খানেক বলিউডের ছবির গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক অনেক ভাষায়ও গান গেয়েছেন তিনি। নূতন, মিনা কুমারী থেকে শুরু করে মাধুরী দীক্ষিত এবং হালের কারিনা কাপুর খানও ঠোঁট মিলিয়েছেন লতার গানে।কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পদ্মভূষণ (১৯৬৯), দাদা সাহেব ফালকে (১৯৮৯), পদ্ম বিভূষণ (১৯৯৯), ভারতরত্ন (২০০১) খেতাব পেয়েছেন লতা মুঙ্গেশকর। তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্পর্কে কোনো ধরনের কটুকাটব্য কিংবা অসৌজন্যমূলক আচরণ একদমই সহ্য করতে পারেন না জয়া বচ্চন। তিনি অতীতে ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ খানকে চড় মারতে চেয়ে এর প্রমাণ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি সংবাদকর্মীদের আচরণে ঐশ্বরিয়ার প্রতি অসম্মানের গন্ধ পেয়ে কড়া মন্তব্য ছুড়ে আবারও পুত্রবধূর প্রতি তীব্র ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন জয়া বচ্চন। বলিউডের প্রভাবশালী বচ্চন পরিবারের বউ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের কপাল বেশ ভালোই বলতে হয়। কেবল স্বামী অভিষেক বচ্চনের ভালোবাসাতেই সিক্ত নন তিনি, অভিষেকের বাবা-মা অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনও তাঁকে দিয়েছেন অফুরন্ত ভালোবাসা।অতীতে ঐশ্বরিয়া সম্পর্কে শাহরুখ খানের কটু মন্তব্যের খবর চাউর হলে শাহরুখকে চড় মারার কথা বলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন জয়া বচ্চন। সম্প্রতি পুরো নাম না বলে শুধু ঐশ্বরিয়া সম্বোধন করায় সংবাদকর্মীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে কড়া মন্তব্য ছুড়ে খবরের শিরোনাম হলেন বাঙালি বংশোদ্ভূত বলিউডের প্রখ্যাত এ অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ।সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন জয়া বচ্চন। সেখানে সংবাদকর্মীরা ঐশ্বরিয়ার পুরো নামের পরিবর্তে শুধু ঐশ্বরিয়া সম্বোধন করায় ভীষণ চটে যান জয়া। তিনি সংবাদকর্মীদের শুধু ঐশ্বরিয়া নামে সম্বোধন না করে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন নামে ডাকতে বলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে জয়া বলেন, ‘তাঁকে ঐশ্বরিয়া ঐশ্বরিয়া নামে কেন ডাকাডাকি করছেন? সে কি আপনাদের সহপাঠী ছিল?’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিয়ের আগে বলিউডের আরেক অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঐশ্বরিয়ার। শাহরুখ-সালমানের দ্বন্দ্ব যখন চরমে, তখন একবার খবর চাউর হয়েছিল, ঐশ্বরিয়া সম্পর্কে নাকি আজেবাজে মন্তব্য করেছেন কিং খান।এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জয়ার কড়া মন্তব্য ছিল, ‘শাহরুখ যদি কখনো আমার সামনে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করত, তবে তাকে চড় মারতাম আমি।’ থাইল্যান্ডে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে চাপের মুখে থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা আজ বৃহস্পতিবার থাই পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে জয়লাভ করেছেন।রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব আনলেও ইংলাকের দল ফিউ থাই পার্টি সহজে ভোটে জয়লাভ করে।ইংলাক সরকার ২০১০ সালের সহিংসতার পর থাইল্যান্ডের বৃহত্তম সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখোমুখি হয়েছে।জাতিসংঘের প্রধান বান কি মুন দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। বান কি মুন দেশটির সব দলকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার, আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ জানান।গত রোববার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা দেশটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি কার্যালয় দখল করে প্রতিবাদ করে।তাদের দাবি, ইংলাক তাঁর ভাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক থাকসিন সিনাওয়াত্রার নির্দেশমতো দেশ পরিচালনা করছেন।সীতাকুণ্ডে জামায়াত-শিবির কর্মীদের একের পর এক নাশকতায় কার্যত অচল হয়ে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। গত ১০ মাসে সহিংসতায় এই উপজেলার সাতজন প্রাণ হারান। গুলিবিদ্ধ হন অর্ধশতাধিক মানুষ। হামলাকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি গবাদি পশুও। গত ১০ মাসে ২১৯টি গাড়িতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় প্রায় এক হাজার ৩০০টি গাড়ি। |
ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে ৩.৫জি নেটওয়ার্ক চালু করল মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড।আজ শনিবার অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। মুঠোফোন অপারেটরদের মধ্যে রবিই প্রথম একসঙ্গে দেশের প্রধান দুটি শহরে এই নেটওয়ার্ক চালু করল।রাজধানীর গুলশানে রবির প্রধান কার্যালয়ে ৩.৫জি নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ক্যুনার প্রমুখ।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৬০ শতাংশকে ৩.৫জি সেবার নেটওয়ার্কের আসতে পারবে। আর ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে রবির ৬০ শতাংশ গ্রাহক এই নেটওয়ার্কের মধ্যে আসবেন।আগামী অক্টোবর থেকে রবি গ্রাহকেরা বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি সেবা পাবেন। তবে গ্রাহকেরা চাইলে এখনই থ্রিজি সেবা উপভোগ করা যায় এমন মুঠোফোন (হ্যান্ডসেট) ও ট্যাবলেট নিয়ে গুলশান ও চট্টগ্রামের ওয়াক ইন সেন্টারে রবির ৩.৫জি সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহজুড়ে ধাপে ধাপে কয়েকটি জেলায় ৩.৫জি প্রযুক্তি চালু এবং গ্রাহকদের সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সুবিধা দেবে রবি। ইতিমধ্যে বিটিআরসির কাছ থেকে ৩.৫জি ট্যারিফ অনুমোদন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে রবি। ট্যারিফ অনুমোদন পাওয়ার পর বাণিজ্যিক এই সেবা দেওয়ার শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাহারা খাতুন বলেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট-সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এই প্রযুক্তির অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। টেলিযোগাযোগ হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতির পাওয়ার হাউস। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের আমলেই ৯৫ শতাংশ অঞ্চল টেলিনেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। আর শতভাগ জনগোষ্ঠীর কাছে নেটওয়ার্ক পৌঁছেছে। গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুঠোফোন অপারেটরদের থ্রিজি সেবার মান ধরে রাখতে পারব বলে আশা করি।’মাইকেল ক্যুনার বলেন, থ্রিজি সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর টেলিযোগাযোগ বাজারে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।১৮-দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ধানমন্ডি ও মিরপুরে হরতাল-সমর্থকদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশের দুজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। মহাখালীতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যালয়ের পাশ থেকে ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।পুলিশের দুই কর্মকর্তা আহত: আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে পশ্চিম ধানমন্ডির ১৯ নম্বর সড়কে হরতাল-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ হরতালকারীদের ধাওয়া করলে তাদের ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে হাজারীবাগ থানার ওসি মইনুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ব্যাপারে রমনা বিভাগীয় পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হাসান জানান, মইনুল ইসলাম এখন আশঙ্কামুক্ত। তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের অংশ পুড়ে গেছে।অন্যদিকে সকাল আটটার দিকে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের সনি সিনেমা হলের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলকারীরা কয়েকটি যাত্রীবাসে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে। ককটেলের বিস্ফোরণে শাহ আলী থানার এসআই সাইফুল ইসলাম আহত হন।মিরপুর বিভাগীয় পুলিশের ডিসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সাইফুল ইসলামের ডান হাতে আঘাত লেগেছে, প্রাথমিক চিকিত্সা শেষে তিনি বাড়ি ফিরে যান।তেজগাঁও: তেজগাঁও বিভাগীয় পুলিশের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, আজ সকাল সাড়ে সাতটায় পল্লবী থেকে ককটেলসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোর সোয়া ছয়টার দিকে তেজগাঁও কলেজের সামনে থেকে ককটেলসহ জুয়েল নামের একজনকে এবং সকাল সাতটার দিকে পান্থপথে ককটেল ও পেট্রলবোমাসহ আলমগীর নামের আরেকজনকে আটক করেছে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ।হরতাল-সমর্থকদের দেওয়া আগুনে তেজগাঁও কুতুববাগ দরবার শরিফের সামনে একটি বাস পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।মহাখালী: রাজধানীর মহাখালী এলাকায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যালয়ের পাশ থেকে আজ মঙ্গলবার চারটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেলা ১১টার দিকে নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নির্মাণাধীন বাসভবনের সামনে থেকে এসব ককটেল উদ্ধার করা হয়।বনানী থানার উপপরিদর্শক মোর্শেদ আলম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, নির্মূল কমিটির কার্যালয়ের পাশের নির্মাণাধীন এই ভবনের সামনে ককটেল চারটি পড়েছিল। তবে ভবনের কর্মরত শ্রমিকেরা এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ককটেল চারটি নিষ্ক্রিয় করবে।এ ব্যাপারে নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল জানান, এ ঘটনার সময় নির্মূল কার্যালয়ে একটি বৈঠক চলছিল। সেখানে সংগঠনটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবিরসহ ঢাকা মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গুলিতে টিভি ক্যামেরাম্যান আহত: সকালে পুরান ঢাকার বংশালে পুলিশের গুলিতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাপারসন মাসুদুর রহমান আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।পুলিশ জানায়, সকাল ১০টার দিকে নাজিরা বাজার চৌরাস্তার মোড়ে যুবদলের একটি মিছিল বের হয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন মিছিলের ছবি তুলতে যান। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় মাসুদুর রহমানের গায়ে গুলি লাগে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে মো. দুলাল, জাহাঙ্গীর হোসেন ও জামাল হোসেন নামের তিনজন পথচারী আহত হন। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।সবুজবাগ: রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ককটেলসহ মো. সুজন, মো. ইমন ও মো. পারভেজ নামের তিন যুবককে আটক করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁদের আটক করে র্যাব-৩-এর একটি দল।র্যাব-৩-এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, র্যাব-৩-এর কমান্ডার মেজর আলী আহসানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল আজ ভোররাতে সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হরতালে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে ধারণা করছে র্যাব। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।সেগুনবাগিচা: সকাল আটটার দিকে সেগুনবাগিচা এলাকায় একটি মিছিল বের করে হরতাল-সমর্থকেরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দেয়। পুলিশ সেখান থেকে দুই যুবককে আটক করে।প্রেসক্লাব: বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে দুটি ককটেল ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে সেখানে উপস্থিত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ছাড়া বেলা দেড়টার দিকে পল্টন মোড়ে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে খোরশেদ নামের ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী আহত হন।মতিঝিল: হরতালের শেষ দিনে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন চলছে।মতিঝিল থানার পুলিশের ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শক (পিআই) শেখ আবুল বাশার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে মতিঝিল এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।গত দুই দিনের তুলনায় আজ রাজধানীর সড়কগুলোতে যাত্রী পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। সড়কগুলোতে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।অন্যদিকে হরতাল চলাকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ভোর ছয়টা থেকে ঢাকা শহরের ১৬টি জায়গায় মিছিল, অবরোধ ও পিকেটিং করেছে বলে জানা গেছে।পুরান ঢাকায় ছাত্রদল-শিবিরের পাঁচ কর্মী আটকপুরান ঢাকার বাবুবাজার এলাকা থেকে আজ মঙ্গবার দুপুর একটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে সকাল ১০টার দিকে সূত্রাপুর থানার সামনে শিবিরকর্মীরা ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে দুই শিবির কর্মীকে আটক করা হয়। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, হরতাল সমর্থকরা ভাঙচুর করায় তাদের আটক করা হয়েছে।আগের রাতে বার্সেলোনা ও চেলসির হার। তবে গত রাতটা দারুণ কাটল বড় দলগুলোর। সহজ জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠে গ্যালাতাসারাইকে ৪-১ গোলে হারায় রিয়াল। বায়ার লেভারকুসেনের মাঠে লেভারকুসেনকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ইউনাইটেড। মস্কোকে ৩-১ গোলে হারায় বায়ার্ন। আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করা ম্যানচেস্টার সিটি ৪-২ গোলে হারায় ভিক্টোরিয়া প্লজেনকে। এ ছাড়া পিএসজি ২-১ গোলে অলিম্পিয়াকোসকে ও জুভেন্টাস ৩-১ গোলে এফসি কোপেনহেগেনকে হারায়।রিয়াল-গ্যালাতাসারাই: ম্যাচের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সময় ১০ জনের দল নিয়ে খেলে রিয়াল। এর ওপর চোটের কারণে ছিলেন না দলের প্রাণভোমরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে নিজেদের মাঠে হেসেখেলেই জয় তুলে নিয়েছে সাবেক স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। ২৬ মিনিটে গ্যালাতাসারাইয়ের ফরোয়ার্ড উমুত বুলুতের শার্ট টেনে ধরলে লালকার্ড দেখেন সার্জিও র্যামোস। এর ১১ মিনিট পরই দারুণ এক ফ্রি-কিকে রিয়ালকে এগিয়ে দেন গ্যারেথ বেল। পরের মিনিটেই অবশ্য সেটা শোধ করে ম্যাচে সমতা আনেন বুলুত। দ্বিতীয়ার্ধটা ছিল অবশ্য শুধুই রিয়ালের। একটি করে গোল করেন আরবেলোয়া (৫১), ডি মারিয়া (৬৩) ও ইসকো (৮০)।ইউনাইটেড-লেভারকুসেন: ৫-০ স্কোরলাইনটাই বলে দেয়, এ ম্যাচে ইউনাইটেডের কাছে কতটা অসহায় ছিল স্বাগতিক লেভারকুসেন। ইউনাইটেডের গোলবন্যায় শুরুটা আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়াকে দিয়ে, ম্যাচের ২২ মিনিট। আট মিনিট পর ‘আত্মঘাতী’ গোল করে স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলেন লেভারকুসেনের ডিফেন্ডার এমির স্পাহিক। দ্বিতীয়ার্ধে একটি করে গোল করেন জনি ইভানস (৬৫ মিনিট), ক্রিস স্মালিং (৭৭ মিনিট) ও নানি (৮০ মিনিট)। ১৯৫৭ সালে শামরক রোভার্সকে হারানোর পর গত রাতের জয়টা ইউরোপে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইউনাইটেডের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়।বায়ার্ন-মস্কো: চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে গত রাতে টানা দশম জয় তুলে নেয় বায়ার্ন। প্রথমার্ধে খুব বেশি উত্তেজনা ছিল না। একমাত্র গোলটি করেন আরিয়েন রোবেন। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হয় তিনটি, এর মধ্যে দুটি আসে পেনাল্টি থেকে। ৫৬ মিনিটে মারিও গোেসর গোলটি ছিল দৃষ্টিনন্দন। মস্কোর তিন খেলোয়াড়কে পরাস্ত করে স্কোরলাইন ২-০ করেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। ৬২ মিনিটে পোনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করেন কিউসুকে হোন্ডা। তবে এর তিন মিনিট পর সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করেন টমাস মুলার।সিটি-প্লজেন: দুই দফায় সমতায় ফিরেও হার ঠেকাতে পারেনি প্লজেন। ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা সার্জিও অ্যাগুয়েরোর গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ১০ মিনিট পর ম্যাচে সময় ফেরান টমাস হোরাভা। ৬৫ মিনিটে সামির নাসরির গোলে আবারও এগিয়ে যায় সিটি। এবার প্লজেনকে সমতায় ফেরান স্তানিসলাভ, ৬৯ মিনিটে। নেগ্রেদো (৭৮ মিনিট) ও এডিনের (৮৯ মিনিট) করা গোল অবশ্য শোধ করতে পারেনি সফরকারী দল। সিটি জেতে ৪-২ গোলে। সূত্র: গোল ডটকম।আতঙ্কের জনপদ সাতকানিয়ায় অবরুদ্ধ জীবন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষজন। বন্ধ হয়ে গেছে ব্যবসা- বাণিজ্য। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর থেকে এই উপজেলায় আজ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলায় ছয় ব্যক্তি নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন। |
নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আরও একটি অঘটনের খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে থাকা বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের একজন নারী সাংবাদিক সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করেন। পরে কর্মকর্তারা রেকর্ডটি জব্দ করেন।কর্মকর্তারা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে ওই নারী সাংবাদিক সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে যান। তাঁর সঙ্গে শেখ হাসিনা অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিক তাঁর সঙ্গে থাকা ভিডিও ক্যামেরাটি চালু করে দেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণ বা রেকর্ড করার অনুমতি না নেওয়ায় প্রটোকল কর্মকর্তারা তাতে বাধ সাধেন।প্রধানমন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার পর ওই সাংবাদিকের ভিডিও ক্যামেরা পরীক্ষা করা হয়। ওই ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীর সব অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা রেকর্ড পাওয়া যায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তারা ওই সাংবাদিকের ধারণ করা ভিডিও টেপটি জব্দ করেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের সামনে রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী এক কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কপির প্যাকেট ফেলে রাখায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই প্যাকেটকে বোমা মনে করে সেখানে নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে আসেন। পরে সেটি বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা উদ্ধার করেন।প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্যাকেট নিউইয়র্কের রাস্তায়, বোমা সন্দেহে হুলুস্থুল!অনলাইনে নজরদারি ঠেকাতে ভারতের সরকার জিমেইল, ইয়াহু মেইল, হটমেইলের মতো সেবাগুলো সরকারি দাপ্তরিক কাজে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছে।চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ ভারতে সরকারি কাজে অফিশিয়াল যোগাযোগের ক্ষেত্রে জিমেইল, ইয়াহু ও হটমেইল ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে। ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্যের সুরক্ষায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।অফিশিয়াল যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারতীয় সরকার দেশটির ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টারের (এনআইসি) তৈরি নিজস্ব ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করবে। এক্ষেত্রে ভারতের ডিপার্টমেন্ট অব ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডিইআইটিওয়াই) সরকারি দপ্তরগুলোতে ইমেইল ব্যবহারের জন্য বিশেষ নীতিমালা তৈরি করছে।এনআইসির মেইল ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজে শেয়ার করার জন্য ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সরকার।ডিইআইটিওয়াই-এর সচিব এস সত্যনারায়ণ জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সরকার বুঝতে পেরেছে যে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত নজরদারি বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ইমেইল সেবা ব্যবহার করায় নজরদারির ঝুঁকি বাড়ছে এবং নজরদারি করা হলে তা ধরা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।এর আগে চলতি বছরের জুন মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সরকারি তথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসএ) নজরদারি করছে বলেই এ অঞ্চলের নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ইমেইলে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকতার তথ্য নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনার ঝড় ওঠে।যুক্তরারে গোয়েন্দাদের গোপনে তথ্য সংগ্রহের তথ্য ফাঁস করেন এডওয়ার্ড স্নোডেন নামের সিআইএ-এর সাবেক এক কর্মী। ‘প্রিজম’ নামে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার গোপন একটি কর্মসূচীর কথা ফাঁস করেন তিনি। এ কর্মসূচীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বিভিন্ন অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভারে গোয়েন্দারা আড়ি পাতেন এবং তথ্য সংগ্রহ করেন।৭ জুন ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ান পত্রিকা গোয়েন্দাদের গোপন কর্মসূচী ফাঁস করে। প্রতিবেদনে বলা হয় গুগল, ইয়াহু, ফেসবুকসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানের সার্ভার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। তবে এ বিষয়টি গোয়েন্দা প্রধান ও প্রতিষ্ঠানগুলো অস্বীকার করেছে। এ ঘটনায় এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা ও নজরদারিতে থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।এশিয়া বাদে অন্যান্য দেশের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত কাজে কেবল ব্যক্তিগত মেইল ব্যবহার করেন কিন্তু এশিয়া অঞ্চলে এ চিত্র ভিন্ন। এশিয়ার কয়েকটি অঞ্চলে অফিশিয়ালভাবে যোগাযোগের প্রয়োজন হলেও ব্যক্তিগত মেইল ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও অনেক মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ডোমেইন নেই আর যাদের আছে সেগুলো ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না এবং মোবাইল থেকে পড়ার সুবিধাও নেই।জাকার্তাভিত্তিক নিরাপত্তা পরামর্শক ও প্রযুক্তিবিদ মারেক বিয়ালোগ্লোয়ি জানান, এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারি কর্মকর্তারা ইমেইল লেনদেনের জন্য জিমেইল বা ইয়াহু মেইল ব্যবহার করেন কারণ, তাদের অফিশিয়াল মেইল ঠিকানাগুলোতে বড় বা এনক্রিপটেড তথ্য পাঠানো যায় না। পাবলিক ইমেইল ব্যবহার করে স্পর্শকাতর তথ্য পাঠানো হলে পাসওয়ার্ড হ্যাক করে সহজেই তথ্য জানা সম্ভব হতে পারে। তবে সিঙ্গাপুর, জাপানের মতো দেশগুলো তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে পাবলিক মেইল ঠিকানা ব্যবহারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। জাপানে সরকারি কর্মকর্তাদের পাবলিক মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে স্পর্শকাতর তথ্য পাঠানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে ভারত।ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, তারা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে অফিশিয়াল মেইল ব্যবহার করেন। তবে ব্যক্তিগত যোগাযোগে জিমেইল, ইয়াহু মেইল সার্ভিস ব্যবহার করেন।ডিইআইটিওয়াই-এর কর্মকর্তারা আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেইল সেবাগুলো সরকারি কাজে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে চার থেকে পাঁচ লাখ কর্মী তাদের সুরক্ষিত যোগাযোগের জন্য এনআইসির মেইল সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।গবেষকেরা আরও জানান, স্পর্শকাতর তথ্যের ক্ষেত্রে পাবলিক মেইল ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খন্দকার ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য ইয়াসিন চৌধুরীসহ দলটির সাত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে এই সাতজনকে আটক করা হয়।নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. বাবুল আক্তার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে দলটির ওই সাত নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।কোতোয়ালি অঞ্চলের পুলিশের সহকারী কমিশনার মির্জা সায়েম জানিয়েছেন, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গোলাম আকবর খন্দকার এজারহারভুক্ত আসামি। সাতকানিয়া, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ি—চলতি বছরে এই চার সংসদীয় আসনে সহিংসতার মাত্রা ছিল ভয়াবহ। এখন এসব আসনে নির্বাচন। এ নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারাই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের আরও পাঁচ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।জানা গেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর থেকেই এই চার উপজেলা সহিংস হয়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো বিরোধী দলের যোকোনো কর্মসূচিতে অশান্ত হয়ে ওঠে সাতকানিয়া, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ি। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন—ফলে প্রশাসনের দুশ্চিন্তা বেশি। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ওই সভায় সাতকানিয়া ও বাঁশখালীর জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকায় নির্বাচনের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান বিষয়টি স্বীকার করে গত শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবগুলো আসনে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যাপক থাকবে। তবে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম-১৫) যেহেতু প্রধান সড়কের ওপর তাই একটু গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। তা ছাড়া সেখানে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে।’জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘তবে কোনো আসনকে কম গুরুত্বের সঙ্গে দেখা যাবে না। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে, এটা মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা নিচ্ছি।’সীতাকুণ্ড চট্টগ্রাম শহরের আসনের সঙ্গে থাকলেও এর নিরাপত্তাও সেভাবে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, সীতাকুণ্ডসহ নগরের তিনটি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে সরঞ্জাম চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে। নির্বাচনের দুই দিন আগে তা প্রতিটি সংসদীয় আসনে পৌঁছে দেওয়া হবে। চট্টগ্রামের নয়টি সংসদীয় আসনে মোট এক হাজার ৪৪টি ভোটকেন্দ্র এবং পাঁচ হাজার ৫৮৩টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে নগরের তিনটি চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি), চট্টগ্রাম -১১ (বন্দর পতেঙ্গা) ও চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড আংশিক) এর কেন্দ্রসংখ্যা ৩৩৩টি। এসব কেন্দ্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী কমিশনার কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ আছে কি নেই বুঝি না, আমরা সবগুলো কেন্দ্রকে সমান গুরুত্ব দেব। সবখানে একই ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। তবে কী পরিমাণ ফোর্স থাকবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা এবং নিজেদের আলাপ-আলোচনায় সেটা নির্ধারণ করা হবে।’পুলিশ সূত্র জানায়, নগরের চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাবে উপজেলার আসনগুলো। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫ জনের মতো পুলিশ-আনসার থাকবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়া কোনো স্থানে দুই কিংবা তিনটি কেন্দ্র মিলে থাকবে একটি করে ভ্রাম্যমাণ দল। চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া, লোহাগাড়া), চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের দিকে আলাদা দৃষ্টি থাকবে। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ বলেন, ‘আমরা সবগুলোকে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সহিংসতাসহ সবকিছু মিলিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে। মোবাইল দলের পাশাপাশি, র্যাব, বিজিবিও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।’এদিকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম-৩) অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কোস্টগার্ড নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানা গেছে। এর বাইরে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি সাতটি আসনে একক প্রার্থী হওয়ায় ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে না। |
পানশালায় মাতাল অবস্থায় অস্বাভাবিক কাজকর্ম করে বেশ ভালোই সমালোচিত হয়েছিলেন মন্টি পানেসার। তার পরও ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ দলে জায়গা করে নিতে পেরেছেন ইংলিশ এই অফস্পিনার। কিন্তু আবারও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় এসেছেন পানেসার। কাউন্টি ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করায় তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এক ম্যাচের জন্য। নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন পানেসার।ঘটনাটা অবশ্য এই মাসের শুরুর দিকের। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে এসেক্সের হয়ে খেলার সময় প্রতিপক্ষ উস্টারশায়ারের ব্যাটসম্যান রস হোয়াইটলের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেছিলেন পানেসার। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল অভিজ্ঞ আম্পায়ার পিটার উইলিকে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড মনে করেছে, পানেসারের আচরণ ছিল ‘ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দেওয়ার শামিল।’ এমন আচরণের জন্য পানেসার নিজেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এই নিষেধাজ্ঞা অবশ্য শুধুই কাউন্টি ক্রিকেটের জন্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।গত আগস্টে নৈশ ক্লাবে বাউন্সারের গায়ে মূত্রত্যাগ-কাণ্ড ঘটিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পানেসার। তার পরও যে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ দলে সুযোগ পেয়েছেন, সেজন্য সৌভাগ্যবানই বলতে হবে ইংলিশ স্পিনারকে। সাসেক্স থেকে ধারে খেলতে এসেছিলেন এসেক্সে। সেখানে ৫ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েই নজর কেড়েছেন ইংল্যান্ডের নির্বাচকদের।সরকার সমঝোতার চেয়ে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ কাজেই বেশি ব্যস্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ মঙ্গলবার ১৮-দলীয় জোটের ডাকা হরতাল শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এই অভিযোগ করেন। রোববার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ সন্ধ্যা ছয়টায় হরতাল শেষ হয়। হরতাল শেষে আগামী বৃহস্পতিবার সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।সংলাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য ছিল সাজানো নাটক দেখিয়ে সংলাপ-সংলাপ খেলা করবে। সে জায়গায় তারা চলে এসেছে। এর দায় তাদেরই নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি, এ দায়িত্ব সরকারের।’মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ৬০ ঘণ্টার হরতালে সারা দেশে ১৮ দলের ১৮ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই হাজার ৬৩০ জন, সাত হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং ৮২ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। হরতালে হত্যা-গ্রেপ্তার-হামলা-মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশে সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ এবং পরদিন সারা দেশে নিহত ব্যক্তিদের গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।হরতালে নিহত ব্যক্তিদের শহীদ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করেছে দাবি করে এ জন্য তিনি সবাইকে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।বিএনরি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও সদস্যসচিব এম এ সালামের বাড়িতে সরকারি দল হামলা করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়িতে হামলার যথাযথ উত্তর দিতে বিএনপি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।মির্জা ফখরুল জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পরদিন জুমার নামাজের পর হরতালে নিহত দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সারা দেশে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আর ঢাকায় ঢাকায় নয়াপল্টনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আসরের নামাজের পর। পরবর্তী কর্মসূচি দলের স্থায়ী কমিটি ও ১৮ দলের বৈঠকের পর ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।যেন ছিলেন হারিয়ে যাওয়া এক তারা হয়ে। সেই ২০০৫ সালে ব্রাজিলের হয়ে ফ্রেডের অভিষেক। ২০০৬ বিশ্বকাপেও খেলেছেন হলুদ জার্সি গায়ে। সেই ফ্রেডকে আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। রোনালদিনহো, কাকা, আদ্রিয়ানো, রবিনহোদের ভিড়ে তিনি ছিলেন অনেকটাই ব্রাত্য। দ্বিতীয় দফায় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর হারিয়ে যাওয়া তারাকে ফিরিয়ে এনেছেন লুইস ফেলিপে স্কলারি। সেই ফ্রেড এখন ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগের বড় ভরসা।গত জুনে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশনস কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ফ্রেড। গোল্ডেন বুটটা জিততে পারেননি, সেটি দখল করেন ফার্নান্দো তোরেস। অথচ তোরেসের পাঁচ গোলের চারটিই ছিল ‘অচেনা’ তাহিতির বিপক্ষে। সেখানে ফ্রেডের পাঁচ গোলের দুটি ফাইনালে, একটি গোল করেন সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও।২০০২ সালে সিনিয়র ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা ফ্রেড বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন ঘরোয়া ক্লাবে। বাইরে খেলার অভিজ্ঞতা বলতে শুধু ফরাসি ক্লাবে অলিম্পিক লিওঁতে (২০০৫ থেকে ২০০৯)। এর পর থেকে খেলছেন ফ্লুমিনেনসের হয়ে। ২৯ বছরে এসে ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম হওয়া ফ্রেড সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত ফুটবল সাময়িকী ‘ফোরফোরটু’রএ মুহূর্তে রিওতে জীবনটা উপভোগ করছেন। আপনার কি মনে হয়, এটাই আপনার ক্যারিয়ারের সেরা সময়?ফ্রেড: হ্যাঁ, সেটা বলতে পারেন। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে। আমি মনে করি, আমার সামনে আরও পাঁচ বছর ফুটবল ক্যারিয়ার পড়ে আছে। আমি তখনই ফ্লুমিনেনস ছাড়ব, যখন ক্লাব বলবে যে তাদের কাছে ভালো প্রস্তাব আছে অথবা ক্লাব যখন আমার বেতন দিতে পারবে না। ক্লাব ছাড়তে আমি ভয় পাই না, এটা চ্যালেঞ্জের। ফ্রান্সে চার বছর কাটিয়ে সেটা প্রমাণ করেছি। তবে এখানে খেলেই অবসর নিতে চাই।ইউরোপের জীবন মিস করেন?ফ্রেড: আমি ব্রাজিলকে ভালোবাসি। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ইউরোপে সবকিছু এখানকার চেয়ে ভালো। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা...। খাবারের জন্য বিখ্যাত লিওঁ শহরে ছিলাম বলে সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোও মিস করি। কিছু সমস্যাও ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় এবং মেয়ের কাছ থেকে দূরে থাকার কারণে অনেক সময় বিষণ্ন লাগত। এটাও ঠিক, ফরাসি লোকজন খুব বন্ধুভাবাপন্ন। সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে গেলে অনেকেই ‘হাই’ বলত। ফুট-ভলি খেলতে, রেস্টুরেন্ট বা পানশালায় যেতে আমন্ত্রণ জানাত। মনে হতো সবাই যেন আমার রিওর বন্ধু।চার বছর আগে বলেছিলেন, প্রিমিয়ার লিগ আপনার ভালো লাগে না, ব্রাজিলের চেয়ে ভালো লিগ কেবল স্পেনেই। এখনো তা-ই মনে করেন?ফ্রেড: না, আমি প্রিমিয়ার লিগ পছন্দ করি। সেখানকার পরিবেশ দারুণ। স্টেডিয়ামগুলো দর্শকে ঠাসা থাকে। পয়েন্ট টেবিলে ক্লাবগুলোর অবস্থান কী, এটা ব্যাপার নয়। প্রিমিয়ার লিগে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল এমন অনেক শক্তিশালী ক্লাব রয়েছে। অন্যদিকে স্প্যানিশ লিগ কেবল দুই দলের লড়াই।কখনো আপনার ইংল্যান্ডে খেলার সম্ভাবনা ছিল?ফ্রেড: ফ্লুমিনেনসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ (২০০৯) হওয়ার আগে টটেনহাম থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আমার ভাই, একই সঙ্গে যে আমার এজেন্টও, মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু আমি তখন ব্রাজিলে ফিরে আমার মেয়ের কাছাকাছি থাকার সিদ্ধান্ত নিই। পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে টটেনহামই আমার জন্য ভালো হতো। কিন্তু অল্প বেতন হলেও আমি ব্রাজিলেই ফিরে আসি। এটা ছিল আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।আপনার কি মনে হয় যে বাইরে খেললে ক্যারিয়ারে আরও বেশি সফলতা পেতেন?ফ্রেড: এটা বলা কঠিন। যেমন লিওঁতে খেলার সময় এসি মিলানে যাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল। সেখানে যদি যেতাম, কী হতো অনুমান করা কঠিন। লিওঁতে আরও দু-তিনটা বছর কাটানোর আগ্রহ ছিল। ইচ্ছা ছিল এরপর রিয়াল মাদ্রিদ, মিলান বা ইন্টারের মতো বড় ক্লাবে খেলব। কিন্তু স্ট্রাইকারদের মধ্যে লিওঁর আবর্তন নীতির কারণে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আমার খেলার দরকার ছিল। এ কারণে ফ্লুমিনেনসে যোগ দিই। ভেবেছিলাম, আমাকে বসিয়ে রেখে ওরা নিজেদের ক্ষতি করবে না। কিন্তু এখানে দুটি ম্যাচে গোল না পেলেই অনেকে বলতে শুরু করে, নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা আছে। কিন্তু এই চাপটাকে আমি পছন্দ করি। এটা আমার দরকারও।ইনজুরি জর্জরিত দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা পেয়ে বসে না কখনো?ফ্রেড: সত্যি বলতে কিম ব্যাপারটা নিয়ে ভাবি না। তিনটি অ্যাডাকটর মাসলের দুটিই ছিঁড়ে গিয়েছিল। চিকিত্সকেরা আশঙ্কা করেছিলেন, আমি বোধ হয় আর খেলতে পারব না। এমনকি পা-ও তুলতে পারব না। সেটা আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। কিন্তু এখন আমি সব কিছু স্বাভাবিকভাবে করতে পারি।কোচ হয়ে ফেরার পর স্কলারি ব্রাজিল দলে নতুন কী যোগ করেছেন?ফ্রেড: স্কলারি আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। তিনি ও পেরেইরা (টেকনিক্যাল ডিরেক্টর কার্লোস আলবার্তো) যখন কথা বলেন, আমরা মন দিয়ে শুনি। কোনো প্রশ্ন করার প্রয়োজন মনে করি না।কনফেডারেশনস কাপের ফাইনালে স্পেনকে হারানোর পর ব্রাজিল কি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত?ফ্রেড: আমাদের আরও উন্নতি দরকার। বিশ্বকাপ আরও কঠিন হবে। সেখানে আর্জেন্টিনা, জার্মানির মতো দল থাকবে। দুটি দলই এই মুহূর্তে বেশ ভালো অবস্থায় আছে। তবে আমাদের হাতে আছে বেশ খানিকটা সময়। ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাসটাও ভালো থাকবে। আগে প্রতিপক্ষ আমাদের খুব বেশি গুরুত্ব দিত না। তবে এখন আমরা প্রমাণ করেছি, যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য আমাদের রয়েছে।আর ৯ নম্বর জার্সির দায়িত্ব কাঁধে নিতে আপনি প্রস্তুত?ফ্রেড: আমি প্রস্তুত এবং উজ্জীবিত। সেলেসাওদের হয়ে যেভাবে উদ্দীপনা নিয়ে খেলছি, একইভাবে ক্লাবের হয়ে খেলতে চাই।ব্রাজিলের হয়ে সফল হওয়ার পর আপনার ওপর সবার দৃষ্টি। মাঠের ভেতরে ঢুকে এক ভক্ত যখন আপনার বুটে চুমু খেল, কেমন লেগেছিল?ফ্রেড: আমি তো ওকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। যখন এমন কিছু ঘটে, মাঠকর্মীরা সাধারণত ভদ্র আচরণ করে না। তাই আমি তাকে মাঠের বাইরে চলে যেতে বলি। তাকে বলি যে পরে আমরা একসঙ্গে ছবি তুলব। ব্যাপারটা মজার লাগলেও এর মধ্য দিয়ে ব্রাজিলীয় স্টেডিয়ামগুলোর নিরাপত্তা সমস্যাটা আবারও বেরিয়ে এসেছে।এক নারী ভক্তের সঙ্গে চুম্বনরত অবস্থায় দেখা গেছে আপনাকে। লেডিকিলার হিসেবেও আপনার পরিচিতি আছে। ব্যাপারটা নিশ্চয়ই উপভোগ করেন?ফ্রেড: কনফেডারেশনস কাপের পর থেকে আমি ভক্তদের মনোযোগের কেন্দ্র, বিশেষ করে নারীদের। অনেক সময় এটা বিব্রতকরও। একদিন ফ্লুমিনেনসের সঙ্গে অনুশীলন করছিলাম। হঠাত্ এক নারী সেখানে ঢুকে পড়ে আমাকে জানায়, সে তার শরীরে আমার নাম ট্যাটো করেছে। তবে তা জনসম্মুখে দেখানো যাবে না। ওই নারী আমাকে চুমু দেওয়ার, জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি তার উদ্দেশ্যটা বুঝতে পেরেছিলাম!সীতাকুণ্ডে একের পর এক নাশকতায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে দেশের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। গত ১০ মাসে সহিংসতায় এই উপজেলায় সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। হামলাকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি গবাদিপশুও। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার উপজেলার ফৌজদারহাটে গরুবাহী ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলা হলে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায় সাতটি গরু। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ও সহকারীও মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের মতে, এসব ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জড়িত। মূলত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই সীতাকুণ্ডে জামায়াত-শিবিরের উত্থান ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেবল তা-ই নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার জামায়াত-শিবির কর্মীদের ছাড়িয়ে নিতেও তৎপর ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।আগুন ও ভাঙচুর: ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও বাসমালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী সীতাকুণ্ডে গত ১০ মাসে আগুন দেওয়া হয় ২১৯টি গড়িতে। ভাঙচুর করা হয় প্রায় এক হাজার ৩০০টি গাড়ি। গ্রেপ্তার-জামিন-ফের নাশকতা: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মহাসড়কে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিপরীতে ১০৮টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোতে ঘুরেফিরে ৪৯৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। সহিংসতা শুরুর পর থেকে পুলিশের ব্যাপক অভিযান চললেও অপরাধীরা জামিনে বের হয়ে ফের নাশকতায় যুক্ত হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।বিরোধী দলের পাঁচজনসহ সাতজন খুন: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হয়েছেন সাতজন। গত মে মাসে খুন হন ভাটিয়ারী আওয়ামী লীগের নেতা মো. শফি, পরের মাসে খুন হন পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সোহেল। আগস্টে খুন হন জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ আল রাসেল ওরফে বাবু. আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে পারভেজ। নভেম্বর মাসে খুন হন বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম ও মুরাদপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম। এ ছাড়া ডিসেম্বর মাসে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন শিবির নেতা মো. রাসেল। ঘরবাড়ি ছাড়ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা: গত নভেম্বর মাসে জামায়াত নেতা আমিনুল খুনের পর বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাদাকাত উল্ল্যাহসহ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালান জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ সময় প্রায় ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনার পর অনেক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন।রাবণ-সীতা একাকার: সীতাকুণ্ডে নাশকতার অভিযোগে কেউ আটক হলে সরকারি দল থেকে ছাড়ানোর তদবির শুরু হয়, যা পুলিশও স্বীকার করেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দীন বলেন, ‘উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ছয়টির চেয়ারম্যান ও একটি পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ সমর্থক। এমন সাংগঠনিক ভিত্তি থাকার পরও নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই সীতাকুণ্ডে জামায়াত-শিবিরের উত্থান ঘটেছে।’ নাশকতার বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এমনকি আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা আত্মরক্ষার্থে তার জবাব দিই।’তবে এত কিছুর পরেও স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে বিজিবি ও র্যাবের ক্যাম্প স্থাপন করা হয় সীতাকুণ্ডে। জামায়াত-শিবির, বিএনপি হামলা চালায় চোরাগোপ্তাভাবে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত-শিবির কর্মীদের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে দুর্বল করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতায় এখন নাশকতা কমে গেছে। |
রাজধানীর মিরপুরে নিজ বাসায় খুন হয়েছেন এক ব্যবসায়ী। তাঁর নাম জাফরুল হক মোক্তার। তিনি আবাসন প্রতিষ্ঠান হোম টেক্স ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান।জাফরুলের স্বজনেরা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তিনি রূপনগর থানার মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ট ব্লকে একটি ছয়তলা বাড়ির মালিক। ভবনের দ্বিতীয় তলায় তিনি সপরিবারে বাস করতেন। আর নিচের তলাটি জাফরুল বৈঠকখানা হিসেবে ব্যবহার করতেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাফরুল ড্রইংরুমের সোফায় বসে ছিলেন। এ সময় অপরিচিত কয়েকজন যুবক বাসায় ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে নেওয়া হয়। পরে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধে তিনি খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জাফরুলের ভাতিজি মারুফা হক জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর থানার ক্রোকচরে। ওখানে চার বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জাফরুলের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা আছেন।শেখ হাসিনা: আমরা নিশ্চয় ঝগড়া করতে চাই না।খালেদা জিয়া: আপনি তো ঝগড়া করছেনই।শেখ হাসিনা: একরতফা বলে যাচ্ছেন। আমাকে তো কথা বলারই সুযোগ দিচ্ছেন না।খালেদা জিয়া: আমি একতরফা বলব কেন। আপনি কথা বলছেন আমি জবাব দিচ্ছি শুধু। শেখ হাসিনা: আমি তো আপনার সঙ্গে কথা বলারই সুযোগ পাচ্ছি না।খালেদা জিয়া: আপনি বারবার বলছেন হরতাল হরতাল। হরতাল এখন প্রত্যাহার হবে না। আমাদের কর্মসূচি শেষ হলে তারপর যদি...আপনি জানেন। আপনি যদি...শেখ হাসিনা: হরতালের নামে মানুষ খুন করা অব্যাহত রাখবেন?খালেদা জিয়া: আমি মানুষ খুন করতে চাই না। আপনারা মানুষ খুন করেছেন। কালকেও নয়জন মানুষ আমার খুন করেছেন আপনারা।...আপনার ছাত্রলীগ যুবলীগ করে না।শেখ হাসিনা: না।খালেদা জিয়া: আপনার ছাত্রলীগ-যুবলীগের আমরা অস্ত্রসহ ছবি দেখাতে পারব। আপনার ছাত্রলীগ-যুবলীগ কীভাবে খুন করে নিরীহ মানুষকে।শেখ হাসিনা: বললাম তো খুনের রাজনীতি আমরা করি না; বরং আমি দেখি...খালেদা জিয়া: ...আপনাদের তো পুরানা অভ্যাস। আপনারা সেই স্বাধীনতার পর থেকে ৭১-এ যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনও এই হত্যা করেছেন। এত মানুষ হত্যা করেছেন। এগুলো ভুলে গেছেন আপনি?শেখ হাসিনা: একাত্তরে আমরা মানুষ হত্যা করেছি?খালেদা জিয়া: হ্যাঁ অবশ্যই। একাত্তরের পরেশেখ হাসিনা: যুদ্ধপরাধীদের রক্ষার জন্য ...খালেদা জিয়া: যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য নয়...। আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি ঠিকমতো করতেন তাহলে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিতাম। কিন্তু আপনারা সেই ট্রাইব্যুনাল করেননি। না করে, একতরফা করেছেন এবং আপনার দলে যে অনেক যুদ্ধাপরাধী আছে, সেগুলো একটাও ধরেননি। সেগুলোকে একটাও কেন ধরেননি?আপনি তো প্রধানমন্ত্রী নন। দলের প্রধানমন্ত্রী। আপনি তো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। নিরপেক্ষতার ঊর্ধ্বে আপনি যেতে পারেননি। তবে ...না হলে, আমার সঙ্গে এই আচরণ তো আপনারা করতেন না, যা করেছেন আপনারা। আমার সঙ্গে যেই আচরণ করেছেন, সেদিন আমার পার্টি অফিসে আপনারা যে আচরণ করলেন, এরপর আর বলতে হবে? বিরোধীদলীয় নেতাকে আপনারা সম্মান দিতে জানেন না। কিসের গণতন্ত্রের কথা বলেন আপনি।শেখ হাসিনা: আপনার কথার জবাব দিতে গেলে আমাকে তো সেই ২০০১ থেকে অনেক কথা বলতে হবে।খালেদা জিয়া: সেটার জবাব আমিও দিতে পারি। আপনি দিবেন আমিও দিতে পারি...শেখ হাসিনা: ...এরশাদ বা তার দলের সঙ্গে কী কী করেছিলেন। আর ২০০১ সালে...খালেদা জিয়া: একাত্তর সালে আমরা কিছু করিনি। এরশাদের সময় যত করেছেন আপনারা। এরশাদ যখন একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা নিল, তারপর আপনি বললেন আই এম নট আনহ্যাপি। আপনি যখন বিবিসিকে বললেন। ...ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন কোন সংবিধানের অধীনে ক্ষমতা নিল...শেখ হাসিনা: ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন আপনার চয়েজ ছিল।খালেদা জিয়া: ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন আমার চয়েজ ছিল না। আপনার চয়েজ ছিল। আপনি নিজে বলেছেন আপনার আন্দোলনের ফসল। এগুলো ভুলে যান কেন? মানুষ তো ভুলে না সেগুলো।শেখ হাসিনা: নয়জন অফিসার ডিঙ্গিয়ে মইনুদ্দিনকে আপনি আর্মি চিফ বানিয়েছিলেন।খালেদা জিয়া: আপনি এমন অনেক অফিসারকে বাড়ি পাঠিয়েছেন। সেটা নয়জন না সাতজন, সেটা কথা নয়। আপনি অনেককে ডিঙ্গিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছেন। মইনুদ্দিন যেই থাকুক না কেন যখন এটা করল, সেখানে আপনারা...সেই ইয়েতে গেলেন কেন আপনি। সেটা সংবিধানসম্মত হয়নি। সংবিধানসম্মত ছিল না। সেটাতে কেন গেলেন আপনি? সেদিন তো আপনি মনে করেননি। আমরা দুই দলই তখন ক্ষমতার বাইরে...তখন তো একবার মনে করলেন না আমরা আলোচনা করি। ফখরুদিন-মইনুদ্দিনের এখানে যাওয়া ঠিক হবে না। এরা সংবিধানসম্মত নয়। আপনি তো সেটা মনে করলেন না। চলে গেলেন সেখানে হাসিমুখে।শেখ হাসিনা: ...আমি আগুনে বসেও হাসিখুশি থাকি। আবার বাবা, মা, ভাই...খালেদা জিয়া: ...অতীত ছেড়ে দিয়ে আমি বলতে চাই এখন সামনের দিকে কী করে আগাবেন...আপনার যদি সত্যি সত্ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আমরা সামনের দিকে কী করে এগুবো...সামনের দিকে এগুতে চাই।শেখ হাসিনা: আপনি তো অনেক অভিযোগ করলেন। আমি তো এত অভিযোগ করতে চাই না। ছোট্ট রাসেল..., ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।খালেদা জিয়া: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আপনারা করিয়েছেন। আপনাকে হত্যা করতে কেউ চায়নি।...আপনি যত থাকবেন, তত আমাদের জন্য ভালো।...শেখ হাসিনা: ১৫ আগস্ট আপনি যখন কেক কাটেন...খালেদা জিয়া: ১৫ আগস্ট আমার জন্মদিন। আমি কেক কাটবই।শেখ হাসিনা: খুনিদের উত্সাহিত করার জন্য যখন আপনি কেক কাটেন।...খালেদা জিয়া: ...এটা বলেন না। ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে কোনো মানুষের জন্ম হবে না? কোনো মানুষ পালন করবে না। এগুলো বাদ দেন। কথায় কথায় আপনরা বলেন। অনেক কথা বলেন জিয়াউর রহমানকে। আরে জিয়াউর রহমান তো আপনাদের নতুন জীবন দান করেছে। এগুলো কথা বইলেন না। বুঝেছেন। আপনারা তো বাকশাল ছিলেন।... আপনারা জিয়াউর রহমানের বদলৌতে আওয়ামী লীগ হতে পেরেছেন। আদার ওয়াইজ আওয়ামী লীগ হতে পারতেন না।শেখ হাসিনা: ... রাসেলকে তো এই বাসায় ঘুরতেও দেখেছেন।...খালেদা জিয়া: নতুন করে শুরু করি। সেটাতে আপনি রাজি থাকেন, আসেন আমরা সুন্দর আলোচনা করি। আমার আলোচনা করতে আপত্তি নাই। কিন্তু সেই ডেট হতে হবে আমার হরতাল শেষ হওয়ার পর।শেখ হাসিনা: আপনার হরতাল প্রত্যাহার করবেন না?খালেদা জিয়া: না, আমি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারব না। এটা তো আমার ডিসিশন না। এটা ১৮ দলের ডিসিশন। আমি এটা কী করে একলা করব।শেখ হাসিনা: আপনি ১৮ দলকে ডেকে নিয়ে বলেন...খালেদা জিয়া: এখন সময় নাই। আপনি যে তাড়া করতেছেন। এখন তো খুঁজে পাওয়া যাবে না লোকজনকে। আপনি তো সবার পেছনে পুলিশ লাগিয়ে রেখেছেন। কী করে মানুষ পাওয়া যাবে, বলেন?শেখ হাসিনা: আমরা পুলিশ লাগিয়ে রাখব কেন?খালেদা জিয়া: আপনি লাগিয়ে রাখবেন না তো কে রাখবে? পুলিশ...কার কথায়... কি আমার কথায় চলে? আপনি তো সবার বাসায় বাসায় রেড করছেন। বস্তি থেকে পর্যন্ত আপনি লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।শেখ হাসিনা: যেখানে বোমা বার্স্ট হয়ে যাবে...খালেদা জিয়া: বোমা ব্লাস্ট হয়ে যাবে। বোমা ব্লাস্ট তো আপনারা করেন আর নাম দেন আমাদের। এগুলো তো আপনাদের পুরাতন ঐতিহ্য।আমি বলতে চাই, যদি আপনারা ২৯ তারিখের পরে করেন আমি রাজি আছি। আমি নিশ্চয় কথা বলতে রাজি আছি।শেখ হাসিনা: আপনি আলটিমেটাম দিলেন দুই দিনের। এখন আমি দুই দিনের মধ্যেই ফোন করলাম। অথচ এখন হরতাল ও করবেন আবার বলছেন ২৯ তারিখের পরে। আপনি কী বক্তৃতা দিলেন আর আজকে এখন কী বলছেন, আপনি একটু ভেবে দেখেন।খালেদা জিয়া: আমি বলেছি আলোচনা চলুক, কর্মসূচিও চলবে।শেখ হাসিনা: আপনি নিজেই বলছেন দুই দিনের মধ্যে আলোচনা...হরতাল দিবেন না।...শুনেন আমার কথা...আমার এখানে ক্যামেরা নাই...খালেদা জিয়া: আমার এখানে ক্যামেরা টেমেরা নাই। আমি নিজেই কথা বলছি। আমি বাসায় বসে কথা বলছি। অফিসে হলে আমার জন্য সুবিধা হতো। ক্যামেরা টেমেরা থাকত। টেলিভিশনে দেখব আপনারাই ক্যামেরা দেখাচ্ছেন।...যে বলেছে...টেলিভিশনে স্ক্রল দিয়েছে যে ওনার রেড টেলিফোন ঠিক আছে। আমি এটা দেখতে চাই।শেখ হাসিনা: আমি খবর নিলাম। ফোন ঠিক আছে। ১০-১২ বার ফোন করেছি।খালেদা জিয়া: ফোন ঠিক নাই। তাহলে বলতে চান আমরা কেউ ফোনে শুনছি না। ফোন বাজে আমরা কেউ শুনি না।শেখ হাসিনা: আমি কানে শুনব কি করে। গ্রেনেড হামলায় তো আমার এক কান এমনিতেই নষ্ট। ...ফোন আমি নিজে করেছি।খালেদা জিয়া: আপনি নিজে করলে কী হবে। আপনি একটা ডেড ফোনকে... আপনি বলেছেন আপনি ফোন করেছেন।শেখ হাসিনা: ফোন রিং হচ্ছিলখালেদা জিয়া: রিং হবে কী করে। যে ফোন ডেড, সেটা রিং হবে কী করে। এটাই তো মন-মানসিকতার পরিচয়। আপনি কি সত্যি কথা বলছেন কি না।শেখ হাসিনা: আমি সত্যি কথা বলছি। মিথ্যা বলার কিছু নেই...খালেদা জিয়া: আমি কাল পর্যন্ত চেক করেছি। আপনি করতে পারেন।...ফোন চেক করে রিপোর্ট করেছি। আপনারা...লোকজন...কেউ আসেন। তারা তো আমাদের মানুষ বলে মনে করে না। কাজেই আসেও না, টেলিফোন ঠিক করা গরজও বোধ করে না। রেড টেলিফোন কেন? আজকাল তো মোবাইল ফোন আছে, টিঅ্যান্ডটি আছে...শেখ হাসিনা: রেড টেলিফোনের দোষ দিয়ে খামাখা মিথ্যা বলার তো দরকার নেই।খালেদা জিয়া: মিথ্যে বলব কিসের জন্য। যে টেলিফোন ডেড। তো ডেডকে ডেড বলবই তো। আপনি বললে তো হবে না যে ফোন বিজি ছিল। এটা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না...........শেখ হাসিনা: এক্সচেঞ্জে কালকে খবর নেওয়াই যাবে। এটা কোনো ব্যাপার না।খালেদা জিয়া: কিন্তু আপনার গুলশান এক্সচেঞ্জ থেকে যে বলেছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ সে সত্য কথাটা বলেনি।শেখ হাসিনা: রেড টেলিফোন কিন্তু আলাদা এক্সচেঞ্জ। আরও ভালো করে জানবেন।খালেদা জিয়া:: আলাদা এক্সচেঞ্জই। টেলিভিশন স্ক্রল দিছে। আপনি নিজে সামনে থাকলে দেখতেন।শেখ হাসিনা: আমি গণভবনের অফিসে বসে আছি। আমার অফিসে কোনো টেলিভিশন নেই।খালেদা জিয়া: তাহলে কেন বলা হচ্ছে, টেলিফোন ঠিক আছে।শেখ হাসিনা: আপনার শিমুল বিশ্বাসের সাথে কথা হয়েছে...খালেদা জিয়া: আপনার সঙ্গে কথাই ছিল যে এই টেলিফোনে কথা হবে আমাদের। আমি তো বসে আছি এখানে। আধা ঘণ্টা বসে আছি যে আপনার টেলিফোন আসবে। আমরা তো গোপন কিছু বলব না। একসময় আমরা অনেক কথা বলেছি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে কাজ করেছি। কেন কথা বলব না। এখনো বলতে চাই, কাজ করতে চাই। আসুন দেশের...শেখ হাসিনা: আগামী ২৮ তারিখ আসেন। আমরা আলোচনা করি।খালেদা জিয়া: না, আমি ২৮ তারিখ যেতে পারব না। আপনি যদি সত্যি আন্তরিক হন, ২৯ তারিখের পর ডেট দেন। আমি আসব।শেখ হাসিনা: আপনি কালকে বললেন...খালেদা জিয়া: না, আমি কর্মসূচি দিয়ে ফেলেছি। এখন সম্ভব না।শেখ হাসিনা: আপনি নিজেই বলেছেন, দুই দিনের মধ্যে আলোচনার জন্য না ডাকলে হরতাল দেবেন।খালেদা জিয়া: আমি হরতাল দিয়ে ফেলেছি। তার আগে বলা উচিত ছিল।শেখ হাসিনা: আপনি আপনার বক্তব্যটা আবার শুনেন।খালেদা জিয়া: হ্যাঁ, এখন আমি নিজে শুনলেও কর্মসূচি দিয়ে ফেলেছি। সঙ্গে সঙ্গেই বলেছি, কর্মসূচিও চলবে, আলোচনাও চলবে।শেখ হাসিনা: আপনি যেহেতু বললেন দুই দিনের মধ্যে...খালেদা জিয়া: আমি বলেছি। কর্মসূচি-সংলাপ একসঙ্গে চলবে।শেখ হাসিনা: এর আগেই আমি ফোন করলাম।খালেদা জিয়া: না, হরতাল চলবে। কর্মসূচি ঠিক হয়ে গেছে। ১৮ দলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৮ দল পাব কোথায় এখন? এখন কেউ নেই।শেখ হাসিনা: ১৮ দল আপনি পাবেন, ডাকলেই পাবেন। আপনি ডাকলে হবে না, এটা কোনো কথা হলো নাকি। এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।খালেদা জিয়া: বিশ্বাস করবে না ঠিক আছে। আমি ডাকলে হতো। কিন্তু এখন হবে না, এই কারণে...শেখ হাসিনা: আপনি বললেন, দুই দিনের মধ্যে আলোচনা না করলে আপনি হরতাল দেবেন। এ সময়ের মধ্যেই আপনাকে ফোন করলাম।খালেদা জিয়া: না, আপনি যদি কাল রাতেও যদি আপনি ফোন করতেন, তাহলে কর্মসূচি বিবেচনা করা যেত। পুরো রাত চলে গেছে। সকালে অফিসে চলে গেছি।শেখ হাসিনা: রাতে ফোন না দিলে তো আপনার হয় না। আমি রাত জাগি না।খালেদা জিয়া: আপনি কি সন্ধ্যার সময় ঘুমিয়ে পড়েন?শেখ হাসিনা: আমি নামাজ পড়ি...খালেদা জিয়া: আমি জানি। আপনি নামাজ পড়েন, কোরআন পড়েন... করেন। সবই জানি।...শেখ হাসিনা: আপনি যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন আমি ঠিক সেই সময়ের মধ্যেই আপনাকে ফোন করেছি আলোচনার জন্য।খালেদা জিয়া: এখন আমার দলের কোনো নেতাকে পাব না, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের পাব না, ১৮ দলের নেতাদের পাব না, কার সাথে কথা বলে আমি এটা প্রত্যাহার করব, আপনি বলেন? শেখ হাসিনা: আপনি কাউকে পাবেন না—এটা একটা কথা হলো? আপনি হুকুম দিলেই তো সব হবে।খালেদা জিয়া: আরে আপনার ডিবি, এসবি তো আমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে। আমার নেতারা কি করে আসবে বলেন?শেখ হাসিনা: আপনারা ছুরি-কাঁচি-দা-কুড়াল নিয়ে মানুষকে আক্রমণ করার কথা বলছেন।খালেদা জিয়া: ছুরি-কাঁচি-দা-কুড়াল নিয়ে তো আপনারা করেন। বিশ্বজিেক আপনার লোকজন দা দিয়ে হত্যা করল না?শেখ হাসিনা: আমার লোকজন না। যারা করেছে তারা অনেক আগে থেকেই বহিষ্কৃত। আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছি।খালেদা জিয়া: আমি আপনাকে আবার রিকোয়েস্ট করছি, ২৯ তারিখের পর আপনি সময় দেন, আমি আলোচনায় রাজি আছি। এখন এই কর্মসূচি থেকে বেরোনোর কোনো পথ নেই। আপনি ৩০ তারিখে ডাকেন, আমি যাব।শেখ হাসিনা: আপনি জনগণের সামনে, জাতির সামনে যে বক্তব্যটা দিয়েছেন, সেটা অনুসরণ করেন। হরতাল প্রত্যাহার করেন।খালেদা জিয়া: সেটা করার পথ আর খোলা নেই এখন। টাইম ওভার হয়ে গেছে। আপনি যদি কাল রাতেও ফোন করতেন, আমি রাতেই মিটিং ডাকতাম। শেখ হাসিনা: আপনি দুই দিন সময় দিয়েছিলেন। আমি দুই দিনের মধ্যেই আপনাকে ফোন করেছি।খালেদা জিয়া: আপনি কি মনে করছেন এই হরতালেই আমাদের কর্মসূচি শেষ হয়ে যাবে!পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলিখালী এলাকার মহাসড়কে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।পটুয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনসার উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে ঘণ্টাব্যাপী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগানের ৫০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। পুরো বছর কেটেছে রাজনৈতিক অস্থিরতায়। এর থেকে রেহাই পায়নি পর্যটন কক্সবাজারও। ক্ষতি দিনকে দিন মাত্রা ছাড়িয়েছে। গত ১১ মাসে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁসহ নানা খাতে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়েছেন দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। থমকে আছে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। এই অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটনশিল্প ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শহরের রুমালিয়ারছড়া এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরপর থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে কক্সবাজার।হোটেল মালিকেরা জানান, মার্চের প্রথম দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া, আমিরাবাদ ও লোহাগড়া এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করলে বিপুলসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে আটকা পড়েন। এ সময় পর্যটকেরা নিরাপদে ফিরে যাওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন। এরপর জেলা প্রশাসন আটকে পড়া পর্যটকদের আকাশ ও সমুদ্রপথে ঢাকা-চট্টগ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। দেশি-বিদেশি প্রচারমাধ্যমে এ খবর প্রচারিত হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় পর্যটক আসা।হোটেলেই লোকসান হাজার কোটি: কক্সবাজারের ছোট-বড় প্রায় ৩০০ হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউসের গত ১১ মাসে লোকসান গেছে এক হাজার ২১১ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার বঞ্চিত হয় শতকোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে। চাকরি হারাতে হয়েছে এসব হোটেলের অন্তত ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।এর সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন হোটেলের লোকসান গেছে ১১০ কোটি টাকা। গত নভেম্বর মাসের লোকসান ১২০ কোটি। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে লোকসান গেছে এক হাজার ২১১ কোটি টাকা। রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সব হোটেল-মোটেল বন্ধ হয়ে যাবে। তখন পর্যটনশিল্পে মারাত্মক ধস নামবে।রেহাই পায়নি কেউ: ক্ষুদ্র থেকে বড় ব্যবসায়ী—ক্ষতি থেকে রেহাই পায়নি কেউ। নাফ পেপার বিতানের পরিচালক আবদুল গণি বলেন, অবরোধ কর্মসূচির কবলে পড়ে স্থানীয় অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পথে বসেছেন। হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে অভাব অনটনে জীবন কাটাচ্ছেন।টেকনাফ বাসস্টেশন বণিক কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি একরামুল হক জানান, গত নভেম্বর-ডিসেম্বরের টানা অবরোধ কর্মসূচির কারণে সমিতির অন্তর্ভুক্ত ৪৩০টি দোকানের মালিক প্রায় ৫০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে ৫০টির বেশি দোকান।কক্সবাজার পোলট্রি খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ চৌধুরী জানান, জেলার আটটি উপজেলায় প্রায় ৩৬০টি পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আটকে পড়ে নষ্ট হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ। একইভাবে, চিংড়ির পোনা উৎপাদন হ্যাচারি, পরিবহন ও পর্যটকদের ভ্রমণে নিয়োজিত টুর অপারেটর, সৈকতের শামুক-ঝিনুক ব্যবসায়ী, সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ নৌপথে চলাচলকারী প্রমোদতরি জাহাজ ব্যবসা, আবাসন ব্যবসা, রেস্তেরাঁসহ নানা বিপণিকেন্দ্রে লোকসান হয়েছে আরও অন্তত ১৫০ কোটি টাকা। কক্সবাজার বণিক সমিতির সহসভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কক্সবাজারের পর্যটনসহ ১০টি খাতে গত ১১ মাসে লোকসান গেছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। এই লোকসান পুষিয়ে নিতে হলে পর্যটনের এই শহরকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির আওতামুক্ত ঘোষণা করতে হবে এবং ভ্রমণে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কক্সবাজারের দিকে কেউ আর ফিরে তাকাবে না। |
যশোরের চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান (৪৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ শনিবার পর্যন্ত মামলা হয়নি। এদিকে উপজেলার হরতাল কর্মসূচি আজ দুপুর দুইটার দিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ডাকে গত শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে উপজেলায় হরতাল চলছিল।আজ দুপুরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল শেষে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান কবির।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ মিত্র প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুজ্জামান আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়ায় পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার না করলে আবার হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।গত বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা জিল্লুর রহমানের বুকে ও পেটে গুলি করে হত্যা করে। সিংহঝুলি ইউপি-সংলগ্ন শহীদ মশিউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। জিল্লুর রহমান যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মামলা দেওয়ার জন্য নিহত চেয়ারম্যানের পরিবারের লোকজনকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। তাঁরা পারিবারিক বৈঠক করে মামলা দেবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক চৌগাছার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের বকুল ও পান্নু এবং দীঘলসিংহা গ্রামের রনিকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেওয়া হবে বলে ওসি জানান।জিমেইল ব্যবহারকারীরা তাঁদের লগ ইন পেজটি নতুন নকশায় দেখতে পারছেন। নতুন নকশায় লগ ইন করার অংশটিকে পাতার ঠিক মাঝখানে বসানো হয়েছে। আগে এটি একপাশে ছিল।মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মতো করে এবার ডেস্কটপের জন্যও এ পরিবর্তন এনেছে গুগল। ২০ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশের জিমেইল ব্যবহারকারীদের কাছে নতুন নকশার জিমেইল লগ ইন পেজটি ব্যবহারকারীদের কাছে উন্মুক্ত হয়েছে।গুগলের একজন মুখপাত্র প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলকে জানিয়েছেন, জিমেইল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ফিডব্যাক বা প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর মেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন প্রক্রিয়াটিকে সহজ করতে নতুন নকশা উন্মোচন করা হয়েছে।ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনিকে দেশটির পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কর জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গতকাল বুধবার এ পদক্ষেপ নেয় সিনেট।বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল এ বিষয়ে সিনেটে ভোটাভুটি হয়। বেরলুসকোনিকে পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দেয় সিনেট। সিনেটের এই পদক্ষেপ তাত্ক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।সিনেটের সিদ্ধান্তে বেরলুসকোনির ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবন বড় ধরনের ধাক্কা খেল। এতে আগামী ছয় বছরের মধ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না তিনি। তা ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অন্য মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন বিতর্কিত এই নেতা।ঘটনার পর রোমে সমর্থকদের উদ্দেশে বেরলুসকোনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য এ এক শোকাবহ দিন।’পার্লামেন্টের বাইরে থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।গত ফেব্রয়ারি মাসে শুরু। এরপর থেকে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা এবং গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের মতো সহিংসতা চলছেই। জামায়াত-শিবির কর্মীদের লাগাতার তাণ্ডবের কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা এখন আতঙ্কের জনপদ।গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর থেকে সাতকানিয়ায় আজ পর্যন্ত জামায়াত-শিবির কর্মীদের হামলায় ছয় ব্যক্তি নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন, কাটা পড়েছে শত শত গাছ, দেড় শ দোকান ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে, মহাসড়কে ভাঙচুর করা হয়েছে ৩০০-এর বেশি গাড়ি। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়েছেন। ঘর ছেড়ে বের হতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ গ্রামবাসীও।গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কেরানীহাটে গাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও রাতে কাঞ্চনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামানের বাড়িতে হামলার মাধ্যমে সাতকানিয়া উপজেলায় তাণ্ডবের সূচনা করেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা। সেদিন কেরানীহাটে প্রায় ১০০ দোকান ভাঙচুর করা হয় ও ১০টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। রাতে কাজী আসাদুজ্জামানের মোটরসাইকেলটিও জ্বালিয়ে দেয় শিবিরের কর্মীরা। সেই ঘটনার পর সাতকানিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী ও সমর্থক জামায়াত-শিবির কর্মীদের ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন। এখনো অনেকে এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন। সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরফুদ্দিনকে মির্জাখীল বাংলাবাজার এলাকায় কুপিয়ে আহত করে তাঁর মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা।জামায়াত-শিবির কর্মীদের ভয়ে মামলাও করতে পারছেন না তাঁদের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। ১০ ডিসেম্বর রাতে সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আবদুল জাব্বারের(২৬) বাড়িতে ঢুকে তাঁকে কুপিয়ে যখম করেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। ১৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা মামলাও করেননি। নিহত জব্বারের বড় ভাই আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমার ভাই আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল। এই অপরাধে ১০ ডিসেম্বর রাতে পরিবারের সদস্যদের সামনে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে চিহ্নিত জামায়াত-শিবির কর্মীরা। হামলায় তাঁর মৃত্যু হলেও আমরা মামলা করিনি। মমলা করলে আবারও আমাদের ওপর হামলা হতে পারে।’ এসব হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার কারণে সাতকানিয়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়নের লোকজন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর দোকানদার মো. জসিম উদ্দিন (৪৩) বলেন, ‘গত ১০ মাস কোনো ব্যবসা করতে পারিনি। প্রতিদিন আতঙ্কে থাকি, কখন দোকানে হামলা হয় এই ভয়ে।’সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, জামায়াত-শিবিরের হামলার হাত থেকে শিশু ও বৃদ্ধরাও রেহাই পাচ্ছে না। তাদের তাণ্ডবের কারণে সাতকানিয়া উপজেলার মানুষজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।এসব হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মোহাম্মদ ইসহাক প্রথম আলোকে বলেন, যারা কর্মসূচি পালন করছে তারা তো কিছু করতেই পারে। কিন্তু তাই বলে সব দোষ জামায়াত-শিবিরের ঘাড়ে চাপালে হবে না। এখানে ১৮-দলীয় জোটের অন্যান্য শরিক দলও আছে। তা ছাড়া সাধারণ মানুষও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। তারাও ক্ষুব্ধ হয়ে অনেক কিছু করে থাকতে পারে।সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এ কে এম এমরান ভুঞা প্রথম আলোকে বলেন, এসব সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জড়িত। তাণ্ডবের ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় ৩০টিরও বেশি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে । বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। |
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধায়ক পদে নিয়োগের প্রতিবাদে এবং দুই দফা দাবিতে আজ শনিবার বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা ও নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।এ সময় পুলিশের সঙ্গে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন স্থানে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।বগুড়া:বগুড়া প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের শেরপুর সড়কের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সমবেত হন। একপর্যায়ে তাঁরা মানববন্ধন ও অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করে তা সমাধানের আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলেও বেশকিছু শিক্ষার্থী রাস্তা অবরোধ করে টিআর ট্রাভেলসের একটি বাস ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। এ সময় তিন শিক্ষার্থী বুলেটবিদ্ধ হলে তাঁদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিন রেজা বলেন, ‘ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা সনদ পেলেও সরকারি চাকরিতে প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন না।তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন।এর প্রতিবাদে আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে।’ এ ছাড়া চাকরি ক্ষেত্রে পদোন্নতিরও দাবি তুলেছেন তাঁরা।বগুড়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র রাস্তায় নেমে ভাঙচুর করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি আমরাও সংহতি জানিয়েছি।দাবি না মানলে রোববারের পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হবে।’বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।সিরাজগঞ্জ:সিরাজগঞ্জ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সিরাজগঞ্জ-কাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার ফকিরতলায় অবস্থিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাস ও সড়কে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।আজ সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে না নিলে কাল রোববার থেকে শুরু হওয়া সব পরীক্ষা বর্জনসহ সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।মাগুরা:মাগুরা প্রতিনিধি জানান, দুদফা দাবিতে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) সহযোগী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ (বাকাছাপ) মাগুরা জেলা শাখার ছাত্ররা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল নয়টার দিকে মাগুরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করেন।তাঁরা রাস্তায় আগুন জ্বালান এবং একাডেমিক ভবনের জানালার কয়েকটি গ্রিল ও কাচ ভাঙচুর করেন।এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও হাতবোমা ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।এ পরিস্থিতিতে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে প্রায় চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।পরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকের পর দুপুর দেড়টার দিকে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।আইডিইবির মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হাসান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছিল দুই ঘণ্টার।কিন্তু শিক্ষার্থীরা কেন সহিংস হলো, তা বুঝতে পারছি না।’মাগুরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. আইয়ুব আলী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ছাত্ররা আমার কার্যালয় ঘেরাও না করে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মানববন্ধন করতে ইনস্টিটিউটের সামনে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে চলে যায়।এ সময় তাঁরা সেখানে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিরোধ বাধে।আন্দোলনকারী ছাত্ররা ইনস্টিটিউটের একটি ভবনের পাঁচ-সাতটি জানালার গ্রিল ও কাচ ভাঙচুর করেছে।’মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল) সাহেব আলী পাঠান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ঠিক কতটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়েছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।তবে পরিস্থিতি শান্ত করতে আপাতত সাত-আটটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও কয়েক রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ার তথ্য পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।নরসিংদী:নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, আজ দুপুরে নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শহরের দগরিয়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনের দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মিঠুন মিয়া ও আকরাম হোসেন নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হন।ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বেতন বৈষম্য ও পদায়নের দুই দফা দাবি আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাজীবী-ছাত্র-শিক্ষক সংগ্রাম পরিষদ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।সম্প্রতি সচিব পর্যায়ের বৈঠকে নীতিগতভাবে দুই দফা দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।বাংলাদেশের গ্যালাক্সি নোট থ্রি আগেভাগে কেনার ফরমায়েশ দেওয়া গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছে স্যামসাং বাংলাদেশ। স্যামসাং কর্তৃপক্ষ এর নাম দিয়েছে ‘স্মার্ট অ্যাকাডেমি’। এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পণ্যের বিভিন্ন বিষয়গুলো জানানো ও ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে ‘স্মার্ট অ্যাকাডেমি’ নামের এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশে গ্যালাক্সি নোট থ্রি গ্রাহকদের জন্য এ বিশেষ কর্মশালা গ্রহণ করেছে স্যামসাং বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চুন সু মুন জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট অ্যাকাডেমি’ নামের উদ্যোগ গ্রহণ নিয়েছে স্যামসাং। বাংলাদেশে এটি চালু করতে পেরে আমরাও খুশি। ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোন ও স্মার্টফোনের সঙ্গে স্মার্টঘড়ি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা পেয়েছেন এ কর্মশালা থেকে।রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে প্রায় দেড় কোটি রুপিসহ এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করেছে বিমানবন্দর শুল্ক বিভাগ।আটক পাকিস্তানি নাগরিকের নাম মো. ইমতিয়াজ। তিনি আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে ইত্তেহাদ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে আবুধাবি থেকে ঢাকায় আসেন।বিমানবন্দর শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ থেকে নামার পর ইমতিয়াজের গতিবিধি লক্ষ করছিল শুল্ক কর্তৃপক্ষ। সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ গ্রিন চ্যানেলে স্ক্যান করতে দেওয়া হয়। এ সময় ওই ব্যাগের ভেতর থেকে মোট এক কোটি ৪৭ লাখ ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়। এগুলোর বেশির ভাগই এক হাজার রুপির নোট।ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার জাকিয়া সুলতানা প্রথম আলো ডটকমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটক ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।আবৃত্তি কথামালা আর একাত্তরের চিঠি পাঠ—যেন ফিরে এল সেই যুদ্ধদিন। ত্রিতরঙ্গ আবৃত্তি দল ২৫ ডিসেম্বর নগরের স্টুডিও থিয়েটারে আয়োজন করে ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ শিরোনামের এ আয়োজন। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ তালুকদার। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের অধ্যাপক আলেক্স আলীম, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির চিফ কমান্ড্যান্ট সাজিদ হোসেন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেহানা বেগম। এ ছাড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ত্রিতরঙ্গের সংগঠনের উপদেষ্টা সাইফুদ্দিন খালেদ। সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণাকেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। আবৃত্তিপর্বের শুরুতেই অমিত অমির নির্দেশনায় ত্রিতরঙ্গ আবৃত্তি দলের বৃন্দ পরিবেশনা ‘আগুন ঝরা বাংলাদেশ’ জমিয়ে তোলে অনুষ্ঠান। এরপর বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রমা আবৃত্তি সংগঠন ও উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ। আবৃত্তির পর গানের শুরু দলীয় পরিবেশনায়। অংশ নেয় সমাজ সমীক্ষা সংঘের সাংস্কৃতিক স্কোয়াড। একক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন ত্রিতরঙ্গের লীনা ভট্টাচার্য ও সুমন তালুকদার। এরপর আবার আবৃত্তি। একে একে একক আবৃত্তি করেন বোধন আবৃত্তি পরিষদের রমিজ বাবু, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সাইদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের কনা দাশ, নরেন আবৃত্তি একাডেমির ফোরকান ইমন, ত্রিতরঙ্গের নাসরিন আক্তার, আসাদউল্লাহ চৌধুরী, উম্মে সানজিদা, জাকিয়া হোসেন ও প্রিয়াংকা চৌধুরী। সব শেষে ছিল একাত্তরের চিঠি পাঠের আসর। এতে অংশ নেন তুষ্টি চৌধুরী ও সেঁজুতি শ্রেয়া। চিঠি পাঠের সময় মিলনায়তনজুড়ে ছিল পিনপতন নীরবতা। বারবার ভিজে আসছিল চোখ।শফিউল আজম ও দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ত্রিতরঙ্গের সভাপতি দেবাশিস রুদ্র। |
আগের ম্যাচে ৬৭ রানে অলআউট হওয়ার ধাক্কা এখনো পুরো সামলে উঠতে পারেনি মোহামেডান। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে আজ আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা। গত ম্যাচের মতো লজ্জায় না পড়লেও এবার ১৭৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এত অল্প পুঁজি নিয়ে মোহামেডানের বোলাররা লড়াই চালিয়েছিল। ৭৬ রানে প্রাইম ব্যাংকের ৫ উইকেট তুলেও নিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। টানা তিন জয় দিয়ে শুরু করলেও পরপর দুটো হার হজম করতে হলো মোহামেডানকে।প্রিমিয়ার লিগে আজ যেন ব্যাটিং ব্যর্থতারই দিন ছিল। ফতুল্লায় ক্রিকেট কোচিং স্কুলের ২১৭ রান তাড়া করতেই সাত উইকেট হারিয়েছে ভিক্টোরিয়া। ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভিক্টোরিয়াকে অঘটনের শিকার হতে দেননি অধিনায়ক নাসির হোসেন। ৭৮ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৭৭ করেছেন নাসির। লিগে এটি তাঁর দ্বিতীয় ফিফটি।দিনের অন্য ম্যাচে মিরপুরে ৯ উইকেটে ২১১ রান করেছে প্রাইম দোলেশ্বর। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পেসার রুবেল হোসেন এই ম্যাচেও নিয়েছেন চার উইকেট। ৫ ম্যাচে ১৯ উইকেট হয়ে গেল তাঁর। রুবেলের গাজী ট্যাংক অবশ্য ম্যাচটা হেরে গেছে মাত্র চার রানে। বৃষ্টির কারণে ৩৬ ওভারে গাজী ট্যাংকের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল ১৪৬ রান। ৩৪ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৩১ রানও তুলে ফেলেছিল তারা। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান।সহজ কাজটাই গাজীর জন্য কঠিন করে দেন ‘আসল’ গাজী। ৩৫ নম্বর ওভারটায় সোহাগ গাজী মাত্র ৩ রানে তুলে নেন ২ উইকেট। শেষ ওভারে তাই ১২ রান দরকার ছিল গাজী ট্যাংকের। ফরহাদ রেজার করা শেষ ওভারের প্রথম বলে আবার উইকেট পতন। পরের তিন বলে অবশ্য সাত রান আবারও গাজী ট্যাংককে আশান্বিত করে তোলে। শেষ দুই বলে দরকার ৫। কিন্তু পঞ্চম বলে আবার উইকেটের পতন। শেষ বলে ছক্কা মারতেই হতো আরাফাত সানিকে। আরাফাত নিতে পেরেছেন মাত্র এক রান।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়াঘাটের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফজলুর রহমান মোল্যা নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মুখে স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে।ফজলুর রহমান আওয়ামী লীগের গোয়ালন্দ শহর শাখার সহসভাপতি ছিলেন। পুলিশ বলেছে, তাঁকে সোমবার দিবাগত রাতে কে বা কারা শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে বলে তাঁরা মনে করছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়াঘাট আঞ্জুমানে কাদেরিয়া খানকা পাক শরিফের প্রবেশপথের সামনে নিজের পাঁচ মিশালি পণ্যসামগ্রীর দোকানে (মেসার্স ফজলু স্টোর) কাজ শেষে প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে দোকানেই ঘুমান ফজলুর। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন দোকানের একটি ঝাঁপ খোলা দেখে ডাকাডাকি করেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা ভেতরে উঁকি দিয়ে ফজলুর রহমানের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।খবর পেয়ে থানার পুলিশ সাদা স্কচটেপ দিয়ে মুখ আটকানো অবস্থায় ফজলুরকে দেখতে পায়। পুলিশের দাবি, ফজলুরের গলায় শ্বাসরোধে হত্যার চিহ্ন পাওয়া গেছে।এদিকে রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) কাজী আহসান হাবিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক শ গজ দূরেই দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি।ফজলুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন খাদেম জানান, কয়েক দিন আগে তাঁর বাবা একটি জমি বিক্রি করেন। জমি বিক্রির এক লাখ টাকা দোকানেই ছিল। দুর্বৃত্তরা তাঁর বাবাকে হত্যা করলেও ওই টাকা নেয়নি। এতে তাঁদের কাছে বিষয়টি আরও রহস্যজনক মনে হচ্ছে।আওয়ামী লীগের গোয়ালন্দ শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান জানান, ফজলুর রহমান মোল্যা আওয়ামী লীগের শহর শাখার সহসভাপতি। তিনি একজন সাদামাটা মানুষ। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যার রহস্য উন্মোচন করা দরকার।গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ফজলুর খুন হয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।ফজলুরের ছেলে আলমগীর হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও নিশ্চিত করেন আবুল বাসার।এ কোন সালমান!প্রেমের দুনিয়ায় তিনি যেন এক ভ্রমর। ভ্রমণরত ভ্রমর আরকি! এক ফুলের সুবাস বেশি দিন যাঁর ভালো লাগে না। সালমান খানের প্রেমিকার তালিকাটা তাই দিনকে দিন বাড়ছেই। ঐশ্বরিয়া রাই, ক্যাটরিনা কাইফ, সংগীতা বিজলানি, সোমি আলী থেকে শুরু করে সদ্যই সাবেক হয়ে যাওয়া রোমানিয়ান মডেল লুলিয়া—তালিকায় নিত্যনতুন যোগ হয় অনেকেই। এই ৪৭ বছর বয়সেও বলিউডের ‘এলিজিবল ব্যাচেলর’ হয়ে আছেন। তবে ‘চিরকুমার’ থাকার শখ তাঁর নেই। সম্প্রতি ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানে প্রেমের ব্যাপারে সালমান তাঁর যে দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন, তাতে নাকি অচেনা একজনকেই খুঁজে পাওয়া গেছে। এই অনুষ্ঠানে সালমান বলেছেন, তিনি এবার সিরিয়াস একটি সম্পর্কে জড়াতে চান। থিতু হতে চান জীবনে। মানে কিনা বিয়ের কথাও তিনি ভাবছেন!বিয়ের বাদ্যি?দুদিনেই যেখানে সম্পর্কের পাড় ভেঙে যায় হলিউডে, সেখানে দুই বছর তো অনেক লম্বা সময়। অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান ছবিতে কাজ করতে গিয়ে অ্যান্ড্রু গারফিল্ডের সঙ্গে পরিচয়। পর্দার প্রণয়টা দ্রুতই রূপ নিয়েছে বাস্তবে, সত্যিকারের প্রেমে। ২০১১ সালের মাঝামাঝি থেকেই প্রেম করছেন এমা স্টোন আর গারফিল্ড। শোনা যাচ্ছে, দুজনে নাকি এবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই দুজনের কাছের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা বিয়ে করে সংসার শুরু করতে চায়। এ ব্যাপারে তারা কথা বলছে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেও শিগগিরই মালাবদলের সম্ভাবনা অবশ্য নেই। কারণ, দুজনেরই এখন ব্যস্ত সময়। সেই সূত্রটি জানিয়েছে, তারা পাগলের মতো একে অপরকে ভালোবাসে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণেই এখনই বিয়েটা করে ফেলা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।হ্যারি পটারকে ‘না’হ্যারি পটারই তাঁকে তারকা বানিয়েছে। অখ্যাত কিশোর থেকে হ্যারি পটারের বদৌলতে তিনি এখন বিশ্বের মহা তারকা। তবে ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ এখন জানাচ্ছেন, সিরিজটির তৃতীয় ছবি করার পরই আর হ্যারি পটারের ভূমিকায় অভিনয় না করার কথাই তিনি ভেবেছিলেন। হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান-এর পর খুবই গুরুত্বের সঙ্গেই চরিত্রটি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন র্যাডক্লিফ। তাঁর মনে হয়েছিল, অন্য কোনো অভিনেতা খুব সহজেই হ্যারি পটার চরিত্রটিতে মানিয়ে নিতে পারবে। তবে শেষ পর্যন্ত চরিত্রটির মায়া ছাড়তে পারেননি। এরপর এই সিরিজের বাকি সব ছবিতেও কাজ করেছেন।রা. হা.তথ্য: রয়টার্স, এএনআই, আইএএনএস কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় বাড়ছে সড়ক ডাকাতি। গত দুই মাসে ডাকাতের কবলে পড়েছে অর্ধশতাধিক গাড়ি। এ নিয়ে উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তবে এসব ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।স্থানীয় লোকজন, পরিবহনশ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা, গলাচিরা সেতু, রশিদ মিয়া ফার্মসংলগ্ন পাহাড়ি ঢালা ও কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী সড়কে ডাকাতের উৎপাত বেশি।ডাকাতের কবলে পড়া গোরকঘাটা কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, গত ৯ নভেম্বর রাত ১২টায় তরকারিভর্তি পাঁচটি চাঁদের গাড়ি চকরিয়া থেকে গোরকঘাটা আসার পথে কালারমারছড়ার চালিয়াতলী এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়ে। এ সময় সড়কে প্রতিবন্ধকতা (ব্যারিকেড) সৃষ্টি করে ডাকাতেরা গাড়িচালক, সহকারী ও ব্যবসায়ীদের মারধর করে মুঠোফোন সেট, নগদ টাকা ও ছয় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। একই সময় ডাকাতেরা দুপাশে আটকে পড়া ইটভর্তি ১০টি পিকআপ, পাঁচটি মুরগির গাড়ি, একটি অটোরিকশা ও চট্টগ্রাম থেকে আসা মুদির দোকানের বিভিন্ন মালামালভর্তি আরও চারটি পিকআপে ডাকাতি করে। এর কয়েক দিন পর আরও ১০টি গাড়িতে ডাকাতি হয়। জানা যায়, সর্বশেষ ২০ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে মুদির দোকানের বিভিন্ন মালামালভর্তি চারটি পিকআপ চট্টগ্রাম থেকে মহেশখালী উপজেলা সদরে গোরকঘাটা আসার পথে শাপলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সীমান্তে রশিদ মিয়ার র্ফামসংলগ্ন পাহাড়ি ঢালায় পৌঁছালে সড়কে গাছ ফেলে ওই গাড়িগুলো ডাকাতেরা আটক করে। এরপর ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া একই সিএনজিচালিত সময়ে যাত্রীবাহী চারটি অটোরিকশা, চারটি চাঁদের গাড়ি, দুটি মাহিন্দ্র, পাঁচটি পিকআপ, পাঁচটি বেবিট্যাক্সি ও একটি মোটরসাইকেল ডাকাতের কবলে পড়ে। এ সময় ডাকাতের হামলায় চার চালকসহ অন্তত ৩০ জন যাত্রী আহত হয়। স্থানীয় শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদতুল খালেক চৌধুরী বলেন, প্রায় সময় ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর সড়কে গাড়ি ডাকাতি হচ্ছে। উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে ডাকাতেরা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ডাকাতি প্রতিরোধ করতে পুলিশের টহল জোরদার করা জরুরি।মহেশখালী পরিবহন শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, ২০ ডিসেম্বর রাতে ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই সড়কে দুপাশে যাত্রীবাহী ২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। পরে পুলিশি পাহারায় ওই গাড়িগুলো এলাকা ছেড়ে যায়। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। ডাকাতি প্রতিরোধে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি টহল জোরদার করার পাশাপাশি চিহ্নিত ডাকাতদের ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।সড়ক ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের বলেন, সড়ক ডাকাতির বিষয় নিয়ে গত ২৭ নভেম্বর উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সড়কে পুলিশি টহল আরও জোরদার করা জন্য থানার ওসিকে অনুরোধ করা হয়। এর পরও বিচ্ছিন্নভাবে সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। |
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিরোধী দলের সঙ্গে এখনো আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি। আপনাদের কোনো প্রস্তাব থাকলে সংসদে এসে পেশ করুন। আলোচনার মাধ্যমেই সংকট নিরসন সম্ভব।’সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হানিফ বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল করতে অযথা হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই। হুমকি-ধমকি দিয়ে সরকারের উন্নয়নযাত্রা ব্যাহত করা যাবে না।’ বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বললেও বহুদলীয় গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব প্রমুখ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৭) নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সোনার ছয়টি বার ও ৪৭টি হার্ডডিস্ক আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি বার জাহাঙ্গীর হোসেনের কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের জায়গায় লুকানো ছিল।গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল সোনাসহ জাহাঙ্গীরকে আটক করে।শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আটক করা ৬০০ গ্রাম ওজনের এই সোনার বাজারমূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, রাত ১০টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে করে ঢাকায় আসেন জাহাঙ্গীর হোসেন। বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁর মালামাল তল্লাশি করে এসব সোনা আটক করেন। জাহাঙ্গীর চারটি সোনার বার কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে ও বাকি দুটি বার তাঁর প্যান্টের পকেটে রেখেছিলেন। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।গত সাত দিনে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এটি সোনা আটকের চতুর্থ ঘটনা। ২৫ অক্টোবর এক কেজি ১৬১ গ্রাম সোনাসহ সৌদি ফেরত এক হাজিকে আটক করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এর আগে ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুবাই থেকে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার উড়োজাহাজের শৌচাগারে ৩২ কেজি ও ২৩ অক্টোবর বুধবার ব্যাংকক থেকে আসা এক যাত্রীর ল্যাপটপের ভেতরে থেকে এক কেজি ২০০ গ্রাম সোনা আটক করা হয়।শীতের রাত আর ঘন কুয়াশা ঠেলে বিপুল উৎসাহের সঙ্গে দর্শক আসছে যাত্রা প্যান্ডেলে। কয়েক দিন আগ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ ও কাহার রোল থানায় মৌসুমি মেলা বসেছে। মেলায় অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যাত্রা-সার্কাস। অনেক বছর ধরে হয়ে আসা এসব মেলায় এ বছরও যাত্রাগান লোকজনকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।কাহার রোল থানার জিন্দাপীর মেলায় গান গাইছে পারুল চৌধুরীর সুন্দরবন অপেরা, ওয়াসিম আসকারের নির্দেশনায় ওটি বিশ্বাসের চ্যালেঞ্জার অপেরা, জোনাকী অপেরা। ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার রুহিয়া আজাদ মেলায় আছে মৌসুমী পারবীনের আদি ভোলানাথ অপেরা। এখানে চৈতালী নামের একটি নতুন দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হয়েছে ভোলানাথকে। বীরগঞ্জের কালীর মেলায়ও একই সঙ্গে তিনটি যাত্রার দল প্রযোজনায় নেমেছে। সব মেলা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার মেলার গানে শালীনতা এসেছে। পালার ভাব-ভাষা-ছন্দ গানে দর্শক আকৃষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে নতুন পালা থাকলে তার প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে আদি ভোলানাথ অপেরা, চৈতালী অপেরা, সুন্দরবন অপেরা।সুন্দরবনেরসুন্দরী পালার জয়জয়কার যাচ্ছে। একই সঙ্গে ভোলানাথের নতুন পালা সুজন বেদের ঘাট ও রক্তে রাঙা সোনার বাংলা দর্শক সাদরে গ্রহণ করেছে। চৈতালীর মুক্তিফৌজ আর মা মাটি মানুষ দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে আছে। বিপুল দর্শকসমাগম দেখে মেলায় যাত্রাগান আয়োজনকারীরা আছেন ফুরফুরে মেজাজে।রুহিয়া আজাদ মেলায় সব দলের পালা দেখেছেন, এমন একজন দর্শক বসন্ত মোদক। পেশায় মিষ্টি ব্যবসায়ী। মেলায় দোকান দিয়েছেন। কেনাবেচার পর প্রতি রাতে যাত্রা দেখেন তিনি। বসন্ত মোদক জানান, যাত্রাগান শুনে তিনি অনেক কিছুই শিখতে পেরেছেন। পাঠ্যবইয়ে যেমন জ্ঞানের কথা থাকে, তেমনি যাত্রাপালায়ও উপদেশ-নির্দেশ, প্রবাদ-প্রবচনসহ লোকশিক্ষার বহু উপাদান রয়েছে। কান্তজীর মেলায় চ্যালেঞ্জারের গুরুদক্ষিণা পালা দেখে স্কুলছাত্র পরিতোষ তার কাকা হরিপদ বাইনকে বলে, ‘যাত্রায় এত ভালো ভালো কথা থাকে!’ গুরু-শীষ্যের ভক্তিবাদ তার কাছে ভালো লেগেছে। সে তার অন্য সহপাঠীদের যাত্রা দেখার কথা বলবে জানায়।উত্তরাঞ্চলে এই মেলায় যাত্রা জোয়ার থাকতে থাকতেই পঞ্চগড়ে শুরু হচ্ছে ‘আলোখোয়া মেলা’। এ মেলায়ও চারটি-পাঁচটি আসর বসবে একত্রে। শীতের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে সরগরম থাকবে যাত্রাঙ্গন।চট্টগ্রাম-২(ফটিকছড়ি) আসনে তরীকত ফেডারেশন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে এবার। তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করলেও এই আসনে তাঁকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদ হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন এলাকার ভোটারেরা।বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো অংশ না নেওয়ায় নির্বাচনে তেমন উত্তাপ নেই। ভোটারদের মধ্যেও ভোট নিয়ে আগ্রহ কম। তবে এই আসনের তিন প্রার্থীর দুজনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কৌতূহলও তৈরি হয়েছে ভোটারদের মধ্যে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁরা হলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদ হাসান (আনারস) ও নাজিম উদ্দিন মুহুরী (মোরগ)। ৩০৮ বর্গমাইল আয়তনের এ উপজেলার লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। ভোটার তিন লাখ ২৬ হাজার ৫০০ জন।এলাকার ভোটারেরা জানান, নির্বাচনে মূলত উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদ হাসানের সঙ্গে তরীকতের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। দলের অনেক তৃণমূল কর্মী গোপনে মাহমুদ হাসানের পক্ষে কাজ করছেন বলে তাঁরা জানান।তবে অপর প্রার্থী ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজিম উদ্দীন মুহুরী নির্বাচনী প্রচারণায় তেমন দৃশ্যমান নন। গত ২২ ডিসেম্বর দলের বর্ধিত সভায় দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। তবে এর পরও এলাকায় তাঁর পোস্টার দেখা গেছে।এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলাইমান বলেন, বর্ধিত সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের আরও সময় দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে, ফটিকছড়ি উপজেলা সদর, বিবিরহাট, নাজিরহাট, নানুপুর, আজাদী বাজার, ভূজপুর, নারায়ণহান, মির্জারহাট ও হেয়াকোতে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। কোনো প্রার্থীর পক্ষে মিছিল না হলেও রিকশা ও অটোরিকশায় চলছে মাইকিং। নির্বাচন সামনে রেখে গণসংযোগও করেছেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়লেও তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করেছি। সাংসদ থাকাকালে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক কাজ করেছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি সব সময় দলের সঙ্গে ছিলাম। দলের বিপদের দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’ নাজিম উদ্দিন মুহুরী বলেন, ‘উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন দীর্ঘদিন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। তাদের কথা ভেবেই প্রার্থী হয়েছিলাম। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে নেই আমার।’ উল্লেখ্য, ফটিকছড়ির এই আসনে এর আগে বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। |
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে গতকাল শুক্রবার ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ১৯৭৯ সালের পর ইরানের কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সরাসরি আলোচনা।বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেই রুহানির সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ওবামা-রুহানির ফোনালাপকে ঐতিহাসিক হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর তেহরানের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছাড়ার আগে ওবামার সঙ্গে ফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন রুহানি। তাঁর এই আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউস দ্রুত দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপের ব্যবস্থা করে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।দুই নেতার মধ্যে ১৫ মিনিট আলোচনা হয়েছে। তাঁদের আলোচনাকে আন্তরিক বলে আখ্যায়িত করেছে হোয়াইট হাউস।হোয়াইট হাউসে ওবামা বলেন, রুহানির সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে দুই দেশ একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধানে পৌঁছতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে নিজ নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি ও রুহানি।নিজের টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় রুহানি জানিয়েছেন, আলোচনা শেষে তিনি ওবামাকে বলেছেন, ‘আপনার দিন শুভ হোক।’ আর এর জবাবে ওবামা তাঁকে বলেছেন, ‘ধন্যবাদ, খোদা হাফেজ।’গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রুহানি বলেন, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং ফলপ্রসূ’ সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাত্কারে রুহানি বলেন, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চান তিনি।প্রধান বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে আজ মঙ্গলবার রাতে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাত সাড়ে নয়টায় এ বৈঠক ডেকেছেন। দলের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।দলীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোনে গণভবনে আমন্ত্রণ ও সংলাপ নিয়ে বিএনপির করণীয় এবং দলের পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঠিক করতে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে।স্থায়ী কমিটির এর আগের বৈঠকের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ নভেম্বর থেকে লাগাতার অবরোধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপির অবস্থান কী হবে, তা আজ এ বৈঠকে ঠিক করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।কথায় বলে, ‘মামা-ভাগনে যেখানে আপদ নেই সেখানে’। আর সেই মামার অভাবটাই যেন পুরো বছরজুড়ে হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ভাগনে ইমরান খান। কেনই বা পাবে না বলুন? তাঁর ছয় বছরের ফিল্মি ক্যারিয়ারে চারটি হিট ছবির মধ্যে দুটি ছবিই পেরেছে সুপারহিটের তকমা গায়ে লাগাতে। আর এই দুটি ছবিই মামা আমির খানের প্রোডাকশনের। অথচ এ বছর মুক্তি পাওয়া প্রতিটি ছবি নিয়েই ইমরান খানের ছিল আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। আকাশ তো দূরের কথা, ইমরানের দিকে বলিউডের বক্স অফিস একবারও মুখ তুলে তাকাল না। বছরের শুরুতেই আনুশকাকে নিয়ে মাত্রু কি বিজলি কা মান্ডোলা, মাঝে এসে ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন মুম্বই দোবারা এবং বছরের শেষে এসে কারিনার সঙ্গে গোরি তেরে পেয়ার ম্যায়—তিনটি ছবিই বক্স অফিসে টায় টায় ফিস! অভিনয়ে প্রশংসা জুটলেও বক্স অফিস মাতানোটা অধরাই রয়ে গেল তেরোয় এসে, বছরটাই যে ছোটে খানের জন্য আনলাকি থারটিন!বলিউডের রুপালি পর্দায় ইমরানের আগমন কিন্তু পাঁচ বছর বয়সেই। শুরুটাও মামা আমির খানের হাত ধরেই। আমির খান অভিনীত ১৯৮৮ সালের ব্লকবাস্টার কেয়ামত সে কেয়ামত তাক ছবিতে শিশুশিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ইমরান। এরপর ১৯৯২ সালে আমির খানের আরেকটি ছবি জো জিতা ওহি সিকান্দার ছবিতেও দেখা যায় ইমরানকে। দুটি ছবিতেই শিশু আমির খানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।এরপর কেটে গেছে অনেক বছর। শিশু ইমরান যে কৈশোর পেরিয়ে যুবা হয়ে গিয়েছেন তা যেন আবার মামার চোখেই ধরা পড়ল। ক্যামেরার পেছনে কাজ করতে বেশি আগ্রহী ছেলেটাকে ক্যামেরার সামনে এনেই দাঁড় করিয়ে দিলেন। সালটা ২০০৮, তখনো স্রেফ খানদের জমানা। কিন্তু বয়স বাড়ছে খানদের। আর চকলেটবয় হিরো হিসেবে তাঁদের পর্দায় চালানো যাচ্ছে না। বলিউডে ভীষণভাবে প্রয়োজন নতুন মুখ। আর তখনই আমির খান আবারও পর্দায় নিয়ে এলেন ভাগনে ইমরান খানকে। সেই ছবির পরিচালক আব্বাস টায়ারওয়ালাও ছবির নায়কের মতোই নতুন। একমাত্র সামান্য চেনা মুখ, নায়িকা জেনেলিয়া ডিসুজা। কিন্তু তাতে কিছু এসে গেল না। বক্স অফিস জানিয়ে দিল ইমরানের প্রথম ছবি জানে তু ইয়া জানে না সুপারহিট। একটা টাটকা বাতাস নিয়ে আসতে পেরেছিলেন ইমরান তাঁর উপস্থিতি দিয়ে। তাঁর মিষ্টি চেহারার প্রেমে পড়ে গিয়েছিল মেয়েরা।ইমরানকে দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল পাশের বাড়ির মিষ্টি ছেলেটা বুঝি! প্রথম ছবিতেই ভালো অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি, জোটে ফিল্মফেয়ারে সেরা নবাগত অভিনেতার পুরস্কারটিও। তবে জানে তু ইয়া জানে নার বক্স অফিস সাফল্যের পরেই কিডন্যাপ ও লাক —পরপর দুটো ফ্লপ ছবি ইমরানের। নিন্দুকেরা তো তাঁর নামই দিয়ে দিলেন ‘ওয়ান ফিল্ম ওয়ান্ডার বয়’। তবে মামা ছাড়াও যে ভাগনে সফল হতে পারে ইমরান তা প্রথম প্রমাণ করেন ২০১০-এর ছবি আই হেট লাভ স্টোরিজ দিয়ে। ছবিটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেলেও পরের ছবি ব্রেক কে বাদ আবারও ব্রেক আনে ইমরানের সফলতায়। ব্রেক কে বাদ ছবিটি বক্স অফিসে মার খায়। তাই আবারও মামার কাছেই ফিরতে হয় ইমরানকে।২০১১ সালে আমির খানের প্রযোজনায় দিল্লি বেলি ছবিটি ইমরানকে হারিয়ে যাওয়া জমিন বেশ খানিকটা ফেরত পেতে সাহায্য করেছিল। মামার প্রোডাকশনের ছবি বলে কথা, সাফল্য নিয়ে তাই সেবারও ভাবনা ছিল না ইমরান খানের। দিল্লি বেলি ছবিটিও হয়ে যায় সুপারহিট। সাফল্যের পালে একটু হাওয়া লাগে, সেই হাওয়াতেই ইমরানের পরের ছবি মেরে ব্রাদার কি দুলহানও হিট হয় সে বছর। কিন্তু তারপর? আবারও মোটামুটি ফ্লপের খাতাতেই নাম লেখাতে হয় ছোটে খানকে।গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ইমরানের নতুন ছবি গোরি তেরে পেয়ার ম্যায়। করণ জোহর প্রযোজিত ও পুনিত মালহোত্রা পরিচালিত এই ছবিতে আবারও দ্বিতীয়বারের মতো জুটি হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর ও ইমরান খান। এর আগে ২০১২তে কারিনা কাপুর এক ম্যায় আউর এক তু ছবিতে ইমরান খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন। গোরি তেরে পেয়ার ম্যায় ছবিতে ইমরান খান অভিনয় করেছেন একজন দক্ষিণ ভারতীয় যুবকের চরিত্রে। রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের এই ছবিটি প্রথম দুদিনে বক্স অফিস থেকে আয় করেছে মাত্র ৫.৫ কোটি রুপি। ইমরানের এই ছবিটিও যে ফ্লপের তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে তা আগেভাগেই আঁচ করা যাচ্ছে। মামাকেই বুঝি আবারও প্রয়োজন ইমরানের। কিন্তু মামা তো এখন ধুম মাচাতেই ব্যস্ত। আসছে বড়দিনে মুক্তি পাবে এ বছরের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি আমির খান অভিনীত ধুম থ্রি।সাজিদুল হকমুম্বাই মিরর ও ইন্ডিয়া টাইমস অবলম্বনেকর্ণফুলীপাড়ের দুই তীরের আনন্দ-বেদনার গল্প সুর তুলেছিল শেফালী ঘোষের কণ্ঠে। তাঁকে হারিয়ে চট্টগ্রামবাসীর কেটে গেল সাত বছর। ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যু দিন। শেফালী ঘোষের গানে এই জনপদের সংস্কৃতি, জীবনাচার এবং মানুষের মনের কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে বারবার। তাই সেই সব গান আজও বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কর্ণফুলী যত দিন বয়ে চলবে, ততদিন শেফালী থাকবেন। কেননা তাঁর গানে সূর্য ওঠার অসাধারণ বর্ণনার সঙ্গে প্রিয় বিরহের বেদনা একাকার যেমন হয়েছে, তেমনি চিরপ্রবহমান জলধারা কর্ণফুলীর কথাও উঠে এসেছে—‘সূর্য উডের অভাই লাল মারি/ রইস্যা বন্ধু যারগই আমার বুকে শেল মারি’, ‘ছোড ছোড ঢেউ তুলি পানিত, লুসাই পাহাড়ত্তুন লামিয়ারে যারগই কর্ণফুলী’। শেফালী ঘোষ বেশির ভাগ গান গেয়েছেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। কিন্তু তাঁর সেই গানের সুর ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। আজও কোনো গানের আসরে শত শত দর্শক-শ্রোতা মাতোয়ারা হয়ে শোনেন তাঁর গান। শুরুতে নজরুলসংগীত ও আধুনিক গান করতেন শেফালী। ১৯৬৩ সালের কথা। বয়স তখন ২২। ওই সময় চট্টগ্রাম বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক ছিলেন আশরাফুজ্জামান। তিনি শেফালী ঘোষ আর আঞ্চলিক গানের সম্রাট শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবকে ডেকে পাঠালেন। প্রস্তাব দিলেন আঞ্চলিক ভাষায় গান গাওয়ার। দুজনে রাজি হলেন। ডেকে আনা হলো মলয় ঘোষ দস্তিদারকেও। তিনি এই দুই শিল্পীর জন্য গান বাঁধলেন। এ গানের কথায় মানুষের অন্তরের আকুলতা যেন কর্ণফুলীর ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছে—‘নাইয়র গেলে বাপর বাড়ি আইস্য তাড়াতাড়ি/ তোঁয়ারে ছাড়া খাইল্যা ঘরত থাইক্যুম কেন গরি?’ শেফালী ঘোষ আর শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের সেই দ্বৈত কণ্ঠের গান নিয়ে হইচই পড়ে গেল। শেফালী ঘোষকেও আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান তাঁকে জনপ্রিয়তার এমন শীর্ষ এক পর্যায়ে নিয়ে গেল যে কোনো পালাগান, অনুষ্ঠান আর শেফালী ছাড়া জমল না। গ্রামে, গঞ্জে, পাড়ায় ছেলে-বুড়ো-যুবক সবার মুখে শেফালীর গান। তাই তো তাঁর জন্য গান লিখলেন উপমহাদেশখ্যাত রমেশ শীল, আবদুল গফুর হালী, এম এন আখতার, কবিয়াল এয়াকুব আলী, সৈয়দ মহিউদ্দিন, অচিন্ত্য কুমার চক্রবর্তী, চিরঞ্জিত দাশ, মোহাম্মদ নাসির, মোহন লাল দাশেরা। তাঁদের লেখা সেই সব গান শেফালীর জাদুকরি কণ্ঠে এসে মানুষের হূদয় কেড়ে নিল, আর তাদের মুখে ফিরতে ফিরতে এক ধরনের লোকগানের মর্যাদায় অমর হয়ে গেল। মানুষ কি ভুলবে সেই কথাগুলো— ‘আঁধার ঘরত রাত হাডাইয়ুম হারে লই’, ‘ও রে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দেওয়ানা’, ‘পালে কী রং লাগাইলিরে মাঝি’, ‘সাম্পানে কী রং লাগাইলি’, ‘নাতিন বরই খা বরই খা হাতে লইয়া নুন’। আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো রয়ে যাবে শেফালীর গানে। শিল্পী হিসেবে শ্রেষ্ঠ যে পুরস্কারটি তিনি পেয়েছেন তা হচ্ছে, অগুনতি মানুষের ভালোবাসা। অবশ্য ২০০৬ সালে মৃত্যুর এক বছর পর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছিলেন একুশে পদক। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর যখন উপদ্রুত উপকূল মৃত্যু-উপত্যকায় পরিণত হয়। তখন শেফালী গেয়ে উঠলেন তাঁর বিখ্যাত গান—ভাঙা গাছর নয়া টেইল/পাতা মেলি দেহার খেইল/পঙ্খি আবার উড়ের ফিরের/ চুপতে প্রেমের হথা হঅর। ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে আবার জীবনের হাল ধরার এমন প্রেরণাদায়ী গান গেয়েছিলেন বলেই জীবনমুখী শিল্পী শেফালী ঘোষ বেঁচে আছেন জীবনের কোলাহলে। |
নানা দুর্ঘটনায় পা হারিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কর্মরত কর্মীরাও। আবার হাঁটতে পারবেন, ফিরে যেতে পারবেন স্বাভাবিক জীবনে—এমন আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই আশাতীতভাবে আবার যখন পা ফিরে পেলেন, পেলেন নতুন করে হাঁটতে পারার নিশ্চয়তা, আনন্দে ভরে ওঠে তাঁদের মন; তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন আগের মতো জীবনের।দুর্ঘটনায় পা হারানো ১০৭ জনকে এমন আনন্দে ভাসিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং থাইল্যান্ডের প্রোসথেসিস ফাউন্ডেশন। আজ শনিবার ছিল অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রথম পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠান।জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভী বিভিন্ন দুর্ঘটনায় যাঁদের হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে, তাঁদের ওই হাসপাতালে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে বলেন। তিনি জানান, আজ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। তবে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এতে সহযোগিতা করবে থাইল্যান্ডের প্রোসথেসিস ফাউন্ডেশন ও ভারতের জয়পুর ফুট।খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভী জানান, নিয়মিতভাবে বিকল্প অঙ্গ প্রস্তুত ও প্রতিস্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সরকার একমত হয়েছে। দুই দেশের চিকিত্সকেরা পরস্পর অভিজ্ঞতা বিনিময় করে এই কার্যক্রম চালিয়ে নেবেন। এতে থাইল্যান্ডের চিকিত্সকেরা বাংলাদেশে আসবেন এবং বাংলাদেশের চিকিত্সকেরা থাইল্যান্ড যাবেন।‘ফেভিকল সে’ কিংবা ‘হালকাত জাওয়ানি’ গানগুলোতে কারিনা কাপুর খানের নাচ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অগণিত দর্শক। ভারতের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বলিউডের এ তারকা অভিনেত্রী। সম্প্রতি তিনি লেবাননের বৈরুতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। সেখানে ছুটি কাটানোর পাশাপাশি ‘আরব’স গট ট্যালেন্ট’ টিভি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে নাচ পরিবেশন করে দেড় কোটি রুপি আয় করেছেন এই ‘হিরোইন’ তারকা।এ প্রসঙ্গে ‘আরব’স গট ট্যালেন্ট’ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে জিনিউজ জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কারিনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিপুল অঙ্কের পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তাঁকে ‘আরব’স গট ট্যালেন্ট’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে নাচ পরিবেশনের প্রস্তাব দেন আয়োজকেরা। প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে দেড় কোটি রুপি আয় করেছেন কারিনা।সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ওই টিভি অনুষ্ঠানে কারিনাকে দেখার পর দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা। এ জন্য তাঁরা ভীষণ খুশি।‘আরব’স গট ট্যালেন্ট’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার এক দিন পর নতুন একটি চ্যানেলের যাত্রা শুরু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও হাজির হয়েছিলেন কারিনা।পাঠক, গত সপ্তাহে বলেছিলাম, ‘গল্পটি সুর ও তালের’। এ সপ্তাহেও বলব সেই একই গল্প। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে এবারের এই গল্পে-গানে থাকবে কত-না আয়োজন! কিন্তু না, গল্পের সবটুকু এখনই নয়! বরং আগেভাগে জানিয়ে রাখি, স্কয়ার নিবেদিত ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১৩’ সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য:আজ ২৮ নভেম্বর থেকে আগামী ১ ডিসেম্বর—চার দিনব্যাপী উচ্চাঙ্গসংগীতের এ আয়োজনের পর্দা উঠছে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে উৎসব শুরু হয়ে চলবে ভোর পর্যন্ত। উৎসবে সহায়তা দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও মাছরাঙা টেলিভিশন।তো, আর কী লাগে...শিল্পীরা তো আসতে শুরু করেছেন; এখন পাঠক-দর্শক, অপেক্ষা কেবল আপনার জন্য। আচ্ছা, একটু দাঁড়ান, আপনি আজ উৎসবে আসার আগে জানিয়ে দিই, আজকের কয়েকজন শিল্পী সম্পর্কে। একপলকে তাঁদের সম্বন্ধে আলাদাভাবে জেনে নিলে আপনি যে ঠকবেন না—এ কথা বাজি ধরে বলতে পারি!বিদুষী কৌশিকী চক্রবর্তীপণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মেয়ে বিদুষী কৌশিকী চক্রবর্তী গত বছর বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে এসে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে গান গাইতে এসে ভীষণ ভালো লাগছে। এটি অনেক বড় একটি উৎসব। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা ছিল। এই উৎসব প্রতিবছরই করা দরকার।’সেই ‘দরকার’-এর টানেই এবারে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের দ্বিতীয় আয়োজনে এসেছেন কৌশিকী। উৎসবের প্রথম দিনে আজ রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে কণ্ঠের মাধুর্য ছড়াবেন তিনি। আজ হয়তো তিনি কেবল শুদ্ধ উচ্চাঙ্গসংগীতের আভায় বশ করবেন সবাইকে।পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার‘আমি দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা রেওয়াজ করতাম। তবে এমন একটা প্রক্রিয়া নিজের মধ্যে আয়ত্ত করেছি যে যখন রেওয়াজ করি না, তখনো সংগীতচিন্তার মধ্যেই ডুবে থাকি।’ —মাইহার ঘরানার শিল্পী সরোদবাদক পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদারের কথা এটি। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছিলেন তিনি। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ছেলে ওস্তাদ আলী আকবর খাঁর কাছে সরোদের তালিম নেওয়া এই মানুষ আজ আবার সুরঝংকার তুলবেন সরোদে। তাঁর সুরের মৌতাতে মুখরিত হবে রাত।পণ্ডিত রাজন মিশ্র ও সাজন মিশ্রতাঁদের সম্পর্কে একবাক্যে বলা যায়, তাঁরা দুই ভাই, ভাসেন গানের খেয়ায়। বলছি পণ্ডিত রাজন মিশ্র ও সাজন মিশ্রের কথা। বেনারস ঘরানার খেয়ালিয়া পণ্ডিত এই দুই সহোদর। গত বছর বেঙ্গলের উৎসবে এ দুই ভাইয়ের যুগল পরিবেশনায় দারুণ মজেছিলেন সবাই।সেদিন রাজন ও সাজন শুরু করেছিলেন নায়কি কানাড়া রাগ দিয়ে। আজ উৎসবের প্রথম রাতেও দর্শক, আবার আপনার মুখোমুখি তাঁরা। এই সহোদরেরা আজ কোন রাগে সুরের ঝড় তুলবেন, জানতে হলে অবশ্যই আর্মি স্টেডিয়ামে হাজির হতে হবে আপনাকে।বিদুষী গিরিজা দেবীতাঁকে বলা হয় ঠুমরির জীবন্ত কিংবদন্তি। তিনি পূরব অঙ্গের গায়কিপরম্পরার একমাত্র জীবিত শিল্পী। হ্যাঁ, আপনার অনুমান সঠিক—বিদুষী গিরিজা দেবীর কথা বলছি। আপনি নিশ্চয় সামনাসামনি বসে তাঁর ঠুমরির বোল শুনতে চান। আজ তিনি বাংলাদেশে রয়েছেন কেবল আপনার জন্যই। বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী বোমাং রাজপুণ্যাহ উৎসব আয়োজনে এবার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে খাজনা আদায়ের রাজকীয় এ উৎসব আয়োজন করা হয়। কিন্তু হরতাল-অবরোধ ও রাজনৈতিক সংকটে ওই সময়ে উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।এখন সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। তবে আদৌ উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না, এ নিয়ে সন্দিহান রাজপরিবারের সদস্যরা। গত বছর ৩ জানুয়ারি এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে রাজপুণ্যাহের মতো বিশাল উৎসব আয়োজন করা কঠিন। আগামী বছরের জানুয়ারির তৃতীয় অথবা শেষ সপ্তাহে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আর পরিস্থিতি পরিবর্তন না হলে উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হবে না।বোমাং রাজপরিবারের সদস্যরা জানান, ১৭তম বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরীর এটি প্রথম রাজপুণ্যাহ। এ জন্য উৎসবের জন্য তাঁর আগ্রহ ছিল বেশি। কিন্তু টানা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে উৎসব আয়োজনের পরিবেশ নেই। এ কারণে সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, জুমিয়া আদিবাসীদের কাছ থেকে খাজনা বা জুম রাজস্ব আদায়ের রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতা রাজপুণ্যাহ উৎসব। এই উৎসব ঘিরে তিন থেকে পাঁচ দিনব্যাপী মেলা বসে। ১৮৭৫ সাল থেকে বান্দরবান বোমাং সার্কেলের রাজারা ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় উৎসব আয়োজন করে আসছেন। এবার উৎসবের ১৩৮তম আয়োজন। |
অনুপ্রবেশের অভিযোগে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে বিনা বিচারে ৭৯ জন বাংলাদেশি কয়েক মাস ধরে আটক রয়েছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর কুর্দিস্তানের স্থানীয় ইংরেজি অনলাইন সংবাদমাধ্যম রুদাও-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ওই বাংলাদেশিরা কুর্দিস্তানের সুলাইমানি কারাগারে আটক রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের দেশের পরিবর্তে ইরানে পাঠানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।তবে কারাপ্রধান হিয়া শেখ আলী বলেছেন, ‘আটক ব্যক্তিদের সবাইকে দেশে পাঠানোর ব্যাপারে আমরা আদালতের আদেশের অপেক্ষায় আছি। আমরা তাঁদের থাকা-খাওয়ার প্রয়োজনীয় সবকিছুই দিচ্ছি।’রুদাও তাদের প্রতিবেদনে আটক হওয়া তিন বাংলাদেশির বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তাঁরা হলেন আমজাদ আলী, মুহাম্মদ আতিক ও শামসু মিয়া।সুলাইমানি পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ১৮০ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে। তাঁদের অধিকাংশকেই দেশে পাঠানো হয়েছে। কেউ আবার বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ নিয়ে ওই দেশে থাকার সুযোগ পেয়েছেন।ঝটিকা সফরে কলকাতায় গেলেন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান। আজ দুপুরের পর কলকাতার উদ্দেশে তিনি ঢাকা ছেড়েছেন। দুপুরের আগ পর্যন্ত তিনি রাজধানীর বাংলামোটরে একটি রেস্টুরেন্টে নতুন চলচ্চিত্র ‘জিরো ডিগ্রি’র মহরত অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখান থেকে সরাসরি বিমানবন্দরের উদ্দেশে চলে যান তিনি।যাওয়ার আগে প্রথম আলো ডটকমকে জয়া বলেন, ‘কোনো ছবির কাজে যাচ্ছি না। এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় যাওয়া। কাজ শেষে কালকের মধ্যে ঢাকায় চলে আসব। এসেই “জিরো ডিগ্রি” চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে অংশ নেব।’‘জিরো ডিগ্রি’ ছবিটি নিয়ে জয়া বলেন, অ্যাকশন-থ্রিলার ধাঁচের গল্প। একেবারেই বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি’র পর এ ছবিটির কাজ করতে যাচ্ছি।এবারের ঈদে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত চলচ্চিত্র ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘প্রেমকাহিনি’। সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত এ ছবিতে জয়া অভিনয় করেছেন শাকিব খানের বিপরীতে।ছবিটি প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে সব সময় নতুন কিছু করতে চাই, খুঁজতে চাই বৈচিত্র্য। এর আগে পুরোপুরি এফডিসি ফরম্যাটের ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ হয়নি। তাই নতুন কিছু করার চিন্তা থেকেই এই ছবিতে নাম লিখিয়েছিলাম। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর যতটুকু আশা করেছিলাম, তার চেয়েও অনেক বেশি ইতিবাচক মন্তব্য পাচ্ছি দর্শকদের কাছ থেকে। এই ছবিতে আমি নিজেকে বাণিজ্যিক ছবির অভিনেত্রী হিসেবেই দেখতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি সেভাবেই অভিনয় করতে। আমার পোশাক, নাচ, গান—সবকিছুতেই এই চেষ্টা ছিল।’হালকা ঠান্ডায় গায়ে গরম কাপড় চাপিয়ে রাতভর উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের সুরের ইন্দ্রজালে তন্ময় হয়ে থাকার সুযোগ এল আবার। আজ বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে চার দিনের বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ছয়টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এই সুরের অভিযাত্রা।বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কলকাতার সংগীত রিসার্চ একাডেমির (এসআরএ) সহযোগিতায় এই উৎসবের আয়োজন করছে। এবারও উৎসবের সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে প্রথম আলো। সহযোগিতায় রয়েছে দ্য ডেইলি স্টার। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে আইস মিডিয়া। রেডিও পার্টনার এবিসি রেডিও এবং সম্প্রচার সহযোগী মাছরাঙা টেলিভিশন। উৎসব চলবে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরিবেশনা থাকবে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা থেকে ভোর পর্যন্ত। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে।গত বছরও একই সময়ে একই স্থানে প্রথমবারের মতো চার দিনের উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এবার অর্ধশতাধিক শিল্পী অংশ নেবেন। আয়োজকেরা জানান, এবারের উৎসবে নতুন যাঁরা অংশ নিচ্ছেন তাঁদের মধ্যে আছেন বিখ্যাত সেতারবাদক ওস্তাদ রাইস খান, কর্ণাটক সংগীতের শিল্পী বিদুষী বম্বে জয়শ্রী, রুদ্রবীণাবাদক ওস্তাদ বাহাউদ্দিন ডাগর ও তবলাবাদক পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী। এ ছাড়া গতবারে অংশ নেওয়া শিল্পীদের মধ্যে আছেন বিদুষী গিরিজা দেবী, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, ওস্তাদ রশিদ খান, বিদুষী কৌশিকী চক্রবর্তী, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, পণ্ডিত রাজন, সাজন মিশ্র প্রমুখ। বাংলাদেশের শিল্পীরা হলেন: কণ্ঠসংগীতে অসিত দে, সেতারে রিনাত ফোওজিয়া, মণিপুরি নাচে তামান্না রহমান ও তাঁর দল। এবারও অনলাইনে নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে শ্রোতা-দর্শকেরা এই উৎসব উপভোগ করতে পারবেন।আজ সন্ধ্যা ছয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, এসআরএর নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর। বক্তব্য দেবেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের।আজকের পরিবেশনা: উদ্বোধনী পর্বের পর শুরু হবে প্রথম দিনের অধিবেশন। শিল্পী বিশাল কৃষ্ণের পরিবেশনায় কত্থক নৃত্য দিয়ে শুরু হবে এই পর্ব। এরপর কণ্ঠসংগীত পরিবেশন করবেন বিদুষী গিরিজা দেবী। এ ছাড়া এদিন থাকবে গৌতম সরকার, ইফতেখার আলম প্রধান, স্বরূপ হোসেন ও জাকির হোসেনের তবলাবাদন, অয়ন সেনগুপ্তর সেতার বাদন, বিদুষী কৌশিকী চক্রবর্তীর কণ্ঠসংগীত, পণ্ডিত তেজেন মজুমদারের সরোদবাদন এবং পণ্ডিত রাজন ও পণ্ডিত সাজন মিশ্রের কণ্ঠসংগীত।শিল্পীর মুখোমুখি: উৎসব উপলক্ষে গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর একটি হোটেলে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন শিল্পী ও সাংবাদিকদের মতবিনিময়ের আয়োজন করে। ‘শিল্পীর মুখোমুখি’ নামের এই আয়োজনে অংশ নেন ভারতের পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, পণ্ডিত তেজেন মজুমদার, পণ্ডিত সমর সাহা, বাংলাদেশের শিল্পী অসিত দে ও রিনাত ফোওজিয়া। সঞ্চালনা করেন নবনীতা চৌধুরী।অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় উচ্চাঙ্গসংগীতের উৎসব।’ তেজেন মজুমদার বলেন, ‘ভালো শিল্পী থাকলেই হয় না, দর্শকদের সামনে তাঁদের তুলে ধরতে হয়। এ ধরনের উৎসব তাই খুবই প্রয়োজনীয়।’উৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। সারা দিন কাজের শেষে রাতটি সুরের সাম্পানে ভেসে যেতে আগ্রহীরা আজ সন্ধ্যায় ছুটবেন আর্মি স্টেডিয়াম অভিমুখে।গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের শেষ রাত ৩১ ডিসেম্বর। বিদায় নেবে ২০১৩। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বড় শহরগুলোতে শুরু হয়েছে ক্ষণগণনা। চলছে নানা প্রস্তুতি। পিছিয়ে নেই নগরের হোটেল-রেস্তোরাঁও। নববর্ষ উদ্যাপনে বিশেষ আয়োজনে থাকছে বুফে ডিনারের সঙ্গে সুরের মূর্ছনা।নগরের চারতারকা হোটেল পেনিনসুলা মেতে উঠবে বুফে খাবারের সঙ্গে বিদেশি সংগীত ও ডিজে নাচের তালে। হোটেলের ক্লাব ২১ রেস্টুরেন্টে রাত আটটার এ আয়োজনে থাকবে ব্যান্ড দল শূন্যের গান ও জেসনের ডিজে। এতে যোগ দিতে জনপ্রতি খরচ পড়বে দুই হাজার ৫০০ টাকা। রাত দুইটা পর্যন্ত চলবে আয়োজন। নগরের আরেক চারতারকা হোটেল আগ্রাবাদে থার্টি ফাস্ট নাইট উদ্যাপনের আয়োজন শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়। হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতী ও ক্রিস্টাল বলরুমে একসঙ্গে শুরু হবে অনুষ্ঠান। রয়েছে বুফে রাতের খাবারের সঙ্গে সংগীত ও ডিজের পরিবেশনা। এ ছাড়া এখানকার সিনামন রেস্টুরেন্টে নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে রয়েছে টার্কি খাবার উৎসব। টার্কি খাবার উৎসবে অংশ নিতে জনপ্রতি খরচ পড়বে এক হাজার টাকা। হোটেল আগ্রাবাদের বিক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থাপক শাহিন মোহাম্মদ নওশাদ বলেন, এখানে আগত দর্শকেরা নিজেদের পছন্দমতো নববর্ষ উদ্যাপনের এসব আয়োজন উপভোগ করতে পারবেন।নগরের জিইসি এলাকার ওয়েলপার্ক রেসিডেনসে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে বর্ষবরণের আয়োজন। এতে গান পরিবেশন করবে ‘পলাশ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’। থাকবে ৯০ পদের খাবারের সমাহারে বুফে আয়োজন। সংগীতের মূর্ছনার সঙ্গে খাবারের এ আয়োজনে অংশ নিতে দর্শকদের জনপ্রতি খরচ পড়বে এক হাজার ৫০০ টাকা। তবে যৌথভাবে এলে দুই হাজার ৫০০ টাকায় উপভোগ করা যাবে এ আয়োজন। এ ছাড়াও নববর্ষ উপলক্ষে এখানে দম্পতিদের হোটেলে থাকার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এর জন্য খরচ পড়বে সাত হাজার টাকা। আগ্রাবাদ এলাকার হোটেল আম্ব্রোসিয়ায় রয়েছে গান ও বুফে খাবারের আয়োজন।চাইলে ওয়েস্টার্ন ক্রুজে চেপে বছরের শেষ সূর্যাস্তটা উপভোগ করতে পারেন কর্ণফুলী নদীতে। বছরের শেষ দিনে বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এ নৌভ্রমণে অংশ নিতে গুনতে হবে জনপ্রতি এক হাজার টাকা করে। পতেঙ্গা এলাকার প্রজাপতি পার্কেও রয়েছে ‘ব্লিটজ নাইট’ শিরোনামের আয়োজন। এতে থাকবে গান ও ডিজে। সন্ধ্যা ছয়টার এ আয়োজনে অংশ নিতে জনপ্রতি খরচ পড়বে ৬০০ টাকা। |
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘জনগণ আমাদের ভোট না দিলে আমরা হার মেনে নেব, ক্ষমতা হস্তান্তর করব। তবে আপনারা নির্বাচনে না এলে আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচনের পথে হাঁটবে।’আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘স্পিকার ডেকেছেন। এটাই আপনাদের (বিএনপি) শেষ সুযোগ। অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে চান, সংসদে এসে আলোচনা করুন। কিন্তু আপনারা (বিএনপি) যদি নির্বাচনে না আসেন, তাহলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে বাধ্য হচ্ছি, “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে।” আমরাও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একাই নির্বাচন করব।’নাসিম বলেন, ‘সংবিধানসম্মতভাবে আগামী দিনে নির্বাচন হবেই। এ নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না। বিএনপি-জামায়াত আর হেফাজতে ইসলাম নির্বাচন প্রতিরোধে রাজপথে পাঁচ হাজার লোক জমায়েত করলে আওয়ামী লীগ ৫০ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করবে।’এ সরকারের আমলের বিভিন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করে আমরা হেরেছি। আমরা মেনে নিয়েছি। কোনো কারচুপি করি নাই। আপনারা নির্বাচনে আসুন। জনগণ আমাদের ভোট না দিলে আমরা মেনে নেব, ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’বিএনপিকে উদ্দেশ করে নাসিম বলেন, ‘আমরা চার বছরে কোনো ভুল করি নাই, তা নয়। আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। তাই জনগণের কাছে আবার ভোট চাইছি। মুখোশ পরে আপনারা চলেন। আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চান। আপনাদের শাসনামলে আমরা দেখেছি জঙ্গিদের কর্মকাণ্ড। তাই বলব, খোলস থেকে বেরিয়ে আসুন।’যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান প্রমুখ।ঈদের আগে কানাডা থেকে দেশে ফিরেছেন সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী। দেশে ফিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ঈদ-পূজা উপলক্ষে অংশ নেন বেশ কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানে। স্টেজ শো করেছেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরে। ঈদ-পূজার ব্যস্ততা কাটিয়ে তপন চৌধুরী এখন অডিও অ্যালবামের কাজে মন দিয়েছেন।তপন চৌধুরীর ভাষায়, ‘গেল কয় বছর ধরে আমি শুধু কথা দিয়ে আসছি, সেটা রাখতে পারিনি, রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ করতে পারিনি। তবে এবার ভাবছি রেকর্ডিং শেষ করেই কানাডায় যাব। তার আগে নয়।’অডিওতে ব্যান্ড ও আধুনিক গানের অন্যতম এই শিল্পীর শেষ অডিও অ্যালবামটির নাম ছিল ‘যেতে হবে বহুদূর’। প্রকাশ পেয়েছিল বছর দশেক আগে।তপন চৌধুরী বলেন, ‘অ্যালবামটি করার সময়ও আমি জানতাম না ঢাকা ছেড়ে স্ত্রী-সন্তানদের জন্য আমাকে কানাডায় চলে যেতে হবে। প্রকাশের পরই আমি কানাডায় চলে যাই। তখন মনে মনে ভাবলাম, অ্যালবামের নামটির সঙ্গে আমার জীবনের এত মিল হলো কেমন করে!’যা-ই হোক, তপন এরই মধ্যে গুছিয়ে ফেলেছেন তিন-তিনটি এককের পরিকল্পনা। আবার শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর গাওয়া পুরোনো জনপ্রিয় গানগুলোর রিমেক অ্যালবাম। যে অ্যালবামে স্থান পেয়েছে পলাশ ফুটেছে, ঢালেতে লরি চরি বইয়ো, এমন কোনো স্মৃতির চিহ্ন নেই, যেতে যেতে কেন পড়ে বাধার মতো মেগাহিট গানগুলোর রিমেক ভার্সন। মেহেদীর সংগীতায়োজনে এ অ্যালবামটি প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চলতি বছরেই।তপন চৌধুরী বলেন, ‘এরই মধ্যে আমি বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুধু রিমেক অ্যালবামই নয়। এরই মধ্যে আরও দুটি মৌলিক গানের অ্যালবাম তৈরি করছেন তপন চৌধুরী।’এর মধ্যে একটি মৌলিক একক, অন্যটি শাকিলা জাফরের সঙ্গে দ্বৈত। তবে এ অ্যালবাম দুটির রেকর্ডিং শেষ করে প্রকাশ করতে শ্রোতাদের কাছ থেকে তিনি সময় নিয়েছেন নতুন বছর পর্যন্ত।টোটাল ফুটবলের মুখোমুখি টিকি-টাকা! এ তো শুধুই একটা ফুটবল ম্যাচ নয়, দুই ফুটবল ঐতিহ্যের লড়াইও!মাস দুয়েক আগে প্রথম লড়াইয়ে জয় হয়েছিল টিকি-টাকার। পরশু নিজের মাঠে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে শোধ নিল আয়াক্সের টোটাল ফুটবল। দারুণ জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে আয়াক্সের প্রায় ফিকে হয়ে আসা নকআউট পর্বের স্বপ্ন এখন বেশ ঝলমলে। শেষ ম্যাচে মিলানকে হারাতে পারলেই শেষ ষোলোতে উঠে যাবে ফ্রাঙ্ক ডি বোরের দল। কিন্তু এ ম্যাচের মাহাত্ম্য শুধু এটুকু নয়।ম্যাচের আগেই ডি বোর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, অপ্রতিরোধ্য বার্সেলোনাকে যদি কেউ হারাতে পারে তবে সেটা আয়াক্স। আমস্টারডামে মেসিবিহীন বার্সেলোনাকে হারিয়ে নিজের কথার প্রমাণও দিলেন সাবেক বার্সা ডিফেন্ডার। জাভি-ইনিয়েস্তা-পুয়োল-পিকেদের নিয়ে গড়া বার্সেলোনাকে ২০ ম্যাচ পর প্রথম হারের স্বাদ দিলেন ডি বোরের ছাত্ররা। গড়ে যাঁদের বয়স মাত্র বাইশের একটু বেশি! দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম হারে কোনো অজুহাত দেখাননি বার্সেলোনা কোচ জেরার্ডো মার্টিনো, ‘যদি কোনো দল আয়াক্সের মতো খেলে আর যদি আমাদের খেলায় এ রকম গভীরতা না থাকে, তাহলে সব সময় প্রতিপক্ষ জিতবে এটাই স্বাভাবিক। আমার তত্ত্বাবধানে এটা সবচেয়ে বাজে প্রথমার্ধ। খুবই জঘন্য এবং এর কোনো অজুহাতও নেই।’আশা আছে মিলানেরওগ্লাসগোতে ঠিক ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে যেতে পারেননি মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। সিরি ‘আ’তে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য সমালোচনা শুনতে হয়েছে, সান সিরোতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মিলান-ভক্তরা। জবাবটা দিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগে সেল্টিকের বিপক্ষে ম্যাচে। কাকা, জাপাতা আর বালোতেল্লির গোলে ৩-০ ব্যবধানের জয় শুধু সমর্থকদেরই আপাতত ঠান্ডা করছে না, টিকিয়ে রেখেছে মিলানের নকআউট পর্বে খেলার আশাও। সান সিরোতে আয়াক্সের সঙ্গে ড্র করলেই পরের রাউন্ডের টিকিট পেয়ে যাবে অ্যালেগ্রির দল।জিতেও অপেক্ষায় আর্সেনালপাঁচটি করে ম্যাচ খেলেছে সব দল। অথচ ‘এফ’ গ্রুপ থেকে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পায়নি কোনো দল! বার্সেলোনা-আয়াক্স-মিলানের ‘এইচ’ গ্রুপকে ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলা হলেও এবার সত্যিকারের মৃত্যুকূপ যেন ডর্টমুন্ড, আর্সেনাল, নাপোলি ও মার্শেইয়ের এই গ্রুপটা। মার্শেইকে পরশু রাতে ২-০ গোলে হারানোয় ৫ ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ১২। এর পরও হিসাব-নিকাশের প্যাঁচে পরের রাউন্ড অনিশ্চিত রয়ে যাওয়ায় অবাক আর্সেনাল কোচ ওয়েঙ্গারও, ‘এটা অবিশ্বাস্য। কিন্তু এটাই বাস্তব এবং আমাদের বাকি কাজটুকু শেষ করতে হবে।’ বাকি কাজ মানে নেপলসে শেষ ম্যাচে নাপোলির কাছে না হারা। অবশ্য হারলেও আশা থাকবে, কিন্তু তখন তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের ফলাফলের দিকে।শেষ ম্যাচেও জয় চায় ডর্টমুন্ডশেষ দুই ম্যাচ অগ্নিপরীক্ষা ছিল দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের। পরশু নিজের মাঠে নাপোলিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম সেই পরীক্ষা উতরে গেছে ডর্টমুন্ড। শেষ ম্যাচে জিতলে বর্তমান রানার্সআপরা পৌঁছে যাবে নকআউট পর্বে। হেরে গেলে বা ড্র করলেও আশা থাকবে, সে ক্ষেত্রে ভাগ্য গড়ে দেবে নাপোলি-আর্সেনাল ম্যাচ। গোলমেলে এই হিসাবে না গিয়ে তাই শুধু জয়ের কথাই ভাবছেন ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডার কেভিন গ্রসকক্রুটজ, ‘আমি আমার অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নাপোলির সঙ্গে জয়টা আমাদের হিসাব সহজ করেছে কি না। কোচ আমাকে পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করেছেন, কিন্তু আমি আসলে কিছুই বুঝিনি।’হেরেও নকআউটে চেলসি১২ পয়েন্ট নিয়েও আর্সেনালের পরের রাউন্ড নিশ্চিত নয়। এদিকে ৯ পয়েন্ট নিয়েই চেলসি ড্যাং ড্যাং করে নকআউট পর্বে। বাসেলের সঙ্গে ১-০ গোলের হারটা ব্লুদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেনি। আসলে লন্ডনি ক্লাবটি বেঁচে গেছে গ্রুপের অন্য ম্যাচে শালকে-স্টুয়া বুখারেস্ট গোলশূন্য ড্র করায়। তবে দুই লেগেই বাসেলের কাছে হারে মোটেও সন্তুষ্ট নন হোসে মরিনহো। বিশেষ করে পরশুর ম্যাচ নিয়ে রীতিমতো হতাশ চেলসি কোচ, ‘খুব বাজে খেলেছি, হারই পাওনা ছিল। খেলার প্রথম মিনিট থেকেই আমার কিছুই পছন্দ হচ্ছিল না।’ এএফপি।চ্যাম্পিয়নস লিগআয়াক্স ২ : ১ বার্সেলোনাসেল্টিক ০ : ৩ মিলানবাসেল ১ : ০ চেলসিস্টুয়া বুখারেস্ট ০ : ০ শালকেআর্সেনাল ২ : ০ মার্শেইডর্টমুন্ড ৩ : ১ নাপোলিজেনিত ১ : ১ অ্যাটলেটিকোপোর্তো ১ : ১ অস্ট্রিয়া ভিয়েনা* স্বাগতিক দল প্রথমেঘনিয়ে আসছে নির্বাচন। প্রচারণার জন্য সময় আছে মাত্র ছয় দিন। তার পরও প্রার্থীদের তেমন গণসংযোগ ও পোস্টার চোখে পড়ছে না। শেষ সময়েও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে প্রার্থীদের প্রচারণা চলছে ঢিমেতালে।এ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন জন—আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী ওরফে জাবেদ, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী তপন চক্রবর্তী ও বিএনএফের প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত। তাঁদের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তপন চক্রবর্তী মাঠে থাকলেও ভোটাররা এখনো দেখা পাননি নারায়ণ রক্ষিতের। জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে হজরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করে প্রচারণা শুরু করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। মাজার জিয়ারত শেষে তিনি ওই দিন বটতলী-রুস্তমহাট এলাকায় গণসংযোগ করেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে কাকতালীয়ভাবে সাইফুজ্জামানের পর পরই ওই দিন মাজার জিয়ারত শেষে প্রচারণা শুরু করেছেন তপন চক্রবর্তীও। তিনিও বটতলী-রুস্তমহাটসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেছেন। তবে এখনো কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী সভা-সমাবেশ ও মিছিল দেখা যায়নি। পোস্টার-ব্যানারও তেমন টানানো হয়নি। নেই মাইকিং। গহিরা গ্রামের ভোটার আবদুস সালাম (৪৩) বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোর মতো পোস্টার-ব্যানার নেই। দৌড়ঝাঁপ নেই প্রার্থীদের। জনগণ সত্যিকারের নির্বাচনী আমেজ পাচ্ছে না।’ চাতুরী চৌমুহনী বাজারের ভোটার নুরুল ইসলাম (৩৬) বলেন, ‘আদৌ ভোট দিতে যাব কি না চিন্তা করছি। কোনো প্রার্থীর চেহারা এখনো দেখলাম না।’আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটার বাড়ানোর জন্য কৌশল খুঁজছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন নগরের সার্সন সড়কের বাসায়। বৈঠকে ভোট বাড়ানোর ব্যাপারে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, গত ১১ মাসে আনোয়ারায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নির্বাচিত হলে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রচারণা প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলছে তৃণমূলে। জানতে চাইলে নারায়ণ রক্ষিতও তাঁর প্রচারণা চলছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মী কম। তার পরও আমি নিজেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছি।’ জাপার প্রার্থী তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি, সাড়াও পাচ্ছি।’ প্রচারকালে তিনি দলের চেয়ারম্যান এরশাদের করা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি দেন। জানা যায়, বিগত নয়টি সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিএনপি চারবার, আওয়ামী লীগ চারবার ও জাসদ একবার জয়ী হয়। এর মধ্যে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনসহ দুটি নির্বাচন ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সরওয়ার জামাল, ১৯৭৯ সালে বিএনপির অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ১৯৮৮ সালে জাসদের মোখতার আহমদ জয়লাভ করেন। তা ছাড়া ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর আখতারুজ্জমান চৌধুরী মারা গেলে এ বছর ১৭ জানুয়ারির উপনির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন তাঁর ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী। |
শিক্ষার্থীরা কেউ খেলছে, কেউ শিক্ষকের অপেক্ষায় ক্লাসে বসে আছে। স্কুলে চারজন শিক্ষকের মধ্যে আছেন মাত্র একজন। তিনি অফিসকক্ষ আটকে ঘুমাচ্ছেন। এভাবেই কেটে যাচ্ছে স্কুলের পুরো সময়। অবশেষে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ না করেই বাড়ি ফিরল। এই ঘটনা এক দিনের নয়, প্রায় প্রতিদিনের।আজ শনিবার সরেজমিন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ‘রামদেবপুর, মথুরাপুর, ইসলামপুর (আরএমআই) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ গিয়ে পাওয়া গেল এমনই চিত্র।মেহেরপুর শহর থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরের ওই স্কুলটি (আরএমআই) ১৯৯১ সালে স্থাপিত। স্কুলের মোট শিক্ষার্থী ১৫৮ জন। প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের শিক্ষকের সংখ্যা চারজন। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস হওয়ার নিয়ম। কিন্তু সকাল ১০টায় গিয়ে দেখা গেল শিক্ষার্থীরা কেউ খেলছে, কেউ শিক্ষকের অপেক্ষায় শ্রেণীকক্ষে বসে আছে। বেলা সাড়ে ১১টা, তখনও একই অবস্থা। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করলে সবাই সমস্বরে উত্তর দিল, ‘নাম লিখবেন না, আমরা রক্ত দিব না।’ জানা গেল, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঘন ঘন শিশুদের রক্ত পরীক্ষা করতে যায়। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই আতঙ্ক। কিন্তু এনজিওর নাম জানে না কেউই।শিক্ষার্থী শীলা খাতুন জানায়, বেশির ভাগ দিনই এভাবে খেলে তারা বাড়ি ফেরে। আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন জানায়, সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সে বসে আছে, কোনো ক্লাস হয়নি। শিক্ষার্থী পূর্ণিমা জানায়, ‘তিন ঘণ্টা বসে, কোনো স্যারের দেখা পাইনি।’ রিয়া খাতুন জানায়, ‘কোনো দিন ক্লাস হয়, কোনো দিন হয় না। তার পরও ক্লাস হবে, এমন প্রত্যাশায় স্কুলে আসি নিয়মিত।’বেলা সাড়ে ১১টার পর স্কুলের দ্বিতীয় তলার কার্যালয়ে দরজার কড়া নাড়লে ঘুমভরা চোখ নিয়ে দরজা খোলেন স্কুলের একমাত্র উপস্থিত শিক্ষক আবুল কাশেম। তিনি জানান, ‘বসে থাকতে গিয়ে ঘুমিয়ে গেছি। তাই ক্লাস নেওয়া হয়নি।’এ সময় সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে হাজির হন শিক্ষক গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, কাজ ছিল, তাই খাতায় উপস্থিতি স্বাক্ষর দিয়ে তিনি বাড়ি যান। আরেক শিক্ষক জহিরুল ইসলাম স্কুলে কেন অনুপস্থিত, তা কেউ জানেন না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান মুঠোফোনে জানান, ‘মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিতে শহরে আছি, তাই স্কুলে নেই। তবে, দুজন স্যারকে রেখে এসেছি। তাঁদের তো ক্লাস নেওয়ার কথা। কেন ক্লাস নেননি গিয়ে দেখব।’সারা দেশে তিন দিনের হরতালে হত্যা-গ্রেপ্তার-হামলা-মামলার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার দেশে সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন।মির্জা ফখরুল বলেছেন, ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আজ রাতে স্থায়ী কমিটির যে বৈঠক আছে তা থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।এ ছাড়া শুক্রবার জুমার নামাজের পর হরতালে নিহত দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় নয়াপল্টনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আসরের নামাজের পর।একই দিনেএকই দিনে ভারত ও নিউজিল্যান্ডে খেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ! কানপুরে ডোয়াইন ব্রাভোর নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলল। লিঙ্কনে কার্ক এডওয়ার্ডের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামল যে দলটি, সেটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ! নিউজিল্যান্ড সিরিজের সূচিটা অনেক আগেই করা। মাঝখানে হঠাৎ ভারত সফর ঠিক হয়ে যাওয়াটাই বাঁধিয়েছে ফ্যাকড়াটা। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়েরাই শুধু নির্ধারিত সময়ে নিউজিল্যান্ডে যেতে পেরেছে। ১১ জনই হয় না দেখে নিউজিল্যান্ডের চারজন খেলোয়াড়কে ধার করে মাঠে নামতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে! প্রস্তুতি ম্যাচটা স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পাচ্ছে না। ওয়েবসাইট।ডাকাতিহ্যামস্ট্রিং চোটটা সব দিক দিয়েই সর্বনাশ করল আবদুল রাজ্জাকের। চোটের কারণে না খেলেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। দেশে ফিরেই পড়লেন ডাকাতের কবলে। পরশু ভোররাতে লাহোরে বাড়িতে ঢুকে টাকাপয়সা, সোনাদানার সঙ্গে ডাকাতেরা তাঁর পাসপোর্টটাও নিয়ে গেছে। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, গোসলখানার জানালা দিয়ে ঢুকে ডাকাতেরা লকার রুম থেকে ৩৮ আউন্স সোনা, ৮ হাজার ডলার ও ২০০ পাউন্ড এবং পাসপোর্ট নিয়ে গেছে। ‘পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে এটা ছিল আমার জন্য আতঙ্কজনক অভিজ্ঞতা। মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতির সময় ডাকাতেরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখেছিল’—বলেছেন রাজ্জাক। ওয়েবসাইট।সেই স্মৃতিপাইলটের দক্ষতায় পরশু অল্পের জন্য বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১৯৫৮-এর মিউনিখ দুর্ঘটনাকে মনে করিয়ে দিতেই এবারের ঘটনাটিও ঘটেছে জার্মানির আকাশে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বেয়ার লেভারকুসেনের সঙ্গে খেলতে পরশু জার্মানি পৌঁছেছে ইংলিশ ক্লাবটি। কোলন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দেখা যায় রানওয়েতে আরেকটি বিমান। ভূমি থেকে মাত্র ৪০০ মিটার ওপরে থাকা বিমানটি তখন অন্যপথে ঘুরে যেতে বাধ্য হয়। মিনিট দশেক পর বিমানবন্দরে নিরাপদেই নামে বিমানটি। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য ইউনাইটেডের সদস্যদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পাইলট। তবে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড জানিয়েছেন নামার আগে বেশ ভয়েই ছিলেন তাঁরা। ওয়েবসাইট।সেরা নাদালমিগুয়েল ইন্দুরাইন, পাউ গ্যাসল, রিকার্ডো জামোরা, তেলমো জারা থেকে শুরু করে রাউল গঞ্জালেস, ইকার ক্যাসিয়াস—যুগে যুগে স্প্যানিশ ক্রীড়া ইতিহাসে একেকজন নায়ক। কিন্তু সবাইকে পেছনে ফেলে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার পাঠকদের ভোটে স্পেনের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হলেন রাফায়েল নাদাল। পত্রিকাটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। ১৩টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় নাদালের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাঁচবারের ট্যুর ডি ফ্রান্সজয়ী মিগুয়েল ও বাস্কেটবল কিংবদন্তি গ্যাসল। ২০০৭ সালে মার্কার কিংবদন্তি পুরস্কার পান নাদাল। ওয়েবসাইট।উঠল নেপাল-আমিরাতটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে বাংলাদেশে আসছে নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কাল আবুধাবিতে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বের কোয়ার্টার ফাইনালে জিতেই দল দুটি নিশ্চিত করেছে চূড়ান্ত পর্ব। এর আগে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। কাল হংকংয়ের (১৪৩/৮) বিপক্ষে শেষ বলে পাওয়া জয়েই নিশ্চিত হয়েছে কোনো দলীয় খেলায় নেপালের (১৪৪/৫) বিশ্বমঞ্চে প্রবেশ। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক আমিরাত (১১৭/৮) ১০ রানে হারিয়েছে হল্যান্ডকে (১০৭)। আজ প্লে-অফে হংকং-পাপুয়া নিউ গিনি ও হল্যান্ড-স্কটল্যান্ড ম্যাচের জয়ীরাও সুযোগ পাবে মূল পর্বে। আগামীকাল সেমিফাইনালে নেপালের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, আমিরাত খেলবে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। ওয়েবসাইট।নগরের বিভিন্ন অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁয় উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদ্যাপিত হয়। রেস্তোরাঁগুলোয় বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ খাবারদাবার ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন শিশুদের জন্যও ছিল বিশেষ আনন্দ আয়োজন। পাশাপাশি আগত অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নানা উপহার, কাটা হয় বড়দিনের কেক।বড়দিনে হোটেল পেনিনসুলাও সেজেছিল রঙিন সাজে। হোটেলের লেগুনা রেস্তোরাঁয় বসেছিল আনন্দ আসর। বড়দিন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর রাতে ও ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে বুফে ডিনার ও লাঞ্চের আয়োজন করা হয়েছিল। হালকা সংগীতের তালে তালে চলেছিল খাবার পরিবেশন। প্রতিবেলার বুফে আয়োজনে ছিল ১০১ পদের খাবার। ডিনারের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বড়দিন উপলক্ষে তৈরি টার্কি মোরগের রোস্ট। পেনিনসুলায় শিশুদের স্বাগত জানান লাল পোশাকের সান্তা ক্লজ। সান্তা ক্লজকে পেয়ে শিশুরা যেমন আনন্দে মেতেছিল, ঠিক তেমনি সান্তাও উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন তাদের। কেবল শিশু নয়, উপহার পেয়েছেন বড়রাও। বড়দিনের আয়োজন নিয়ে পেনিনসুলার সহকারী বিক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ বলেন, ‘বড়দিনে প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের বিশেষ আয়োজন ছিল। দিনটাকে আমরা যতটা পারি সবার জন্য আনন্দময় করে তুলতে চেয়েছি।’নগরের আগ্রাবাদ এলাকার হোটেল আগ্রাবাদে বড়দিন উপলক্ষে ছিল নানা আয়োজন। ২৪ ডিসেম্বর এই হোটেলের ইস্ট প্যান এশিয়ান কুইজিন রেস্তোরাঁয় বড়দিন উপলক্ষে দম্পতিদের জন্য আয়োজন করা হয় ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। ২৫ ডিসেম্বর সকাল থেকেই সান্তা ক্লজ মাতিয়ে রাখেন হোটেলে আসা অতিথিদের। এ ছাড়া এখানকার সিনামন রেস্তোরাঁয় বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে ছিল টার্কি বুফে ডিনারের আয়োজন। ডিনারের পাশাপাশি র্যাফেল ড্র এই আয়োজনে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।নগরের জিইসি এলাকার ওয়েলপার্ক রেসিডেন্স হোটেলেও বড়দিন উপলক্ষে উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে হোটেলের মোহরা গার্ডেন রেস্তোরাঁয় ৭৫ পদের বুফে খাবারের আয়োজন করা হয়। বিশেষ খাবারের মধ্যে ছিল হাঁস ও টার্কি মোরগের রোস্ট এবং বড়দিনের কেক। ওয়েলপার্ক রেসিডেন্সের সহকারী বিক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থাপক নাইম উদ্দিন বলেন, সান্তা ক্লজ সকাল থেকেই এখানে ব্যস্ত ছিলেন সবাইকে উপহার বিতরণে। |
ইরানের উদারপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করেছে দেশটির একদল রক্ষণশীল বিক্ষোভকারী।বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে দেশে ফেরার পর আজ শনিবার এ ঘটনা ঘটে।তেহরানের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছাড়ার আগে গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রুহানি। ১৯৭৯ সালের পর ইরানের কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সরাসরি আলোচনা।তেহরানে ফিরে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দেখা করেন রুহানি। তিনি তাঁর সমর্থক ও বিরোধী লোকজনের সঙ্গেও মিলিত হন।নিউইয়র্ক টাইমসের তেহরানের ব্যুরোর প্রধান থমাস আর্ডবিঙ্ক টুইটারে লিখেছেন, রাজধানী তেহরানে সাক্ষাত্স্থলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একদল রক্ষণশীল বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে জুতা ও ডিম ছুড়েছেন।মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সমর্থন করায় দেশটির এক কুংফু চ্যাম্পিয়নের সোনার পদক কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে খেলোয়াড়ের পরিবার। এই খেলোয়াড় যাতে দেশের প্রতিনিধি হয়ে কোনো খেলায় অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।বিবিসি জানায়, মোহাম্মদ ইউসুফ রাশিয়াতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময়ে এমন প্রতীক-সংবলিত টি-শার্ট পরেন, যাতে বোঝা যায় তিনি মুরসির সমর্থনে চলা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছেন।গত জুলাই মাসে মিসরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মুরসি ও তাঁর দলের সদস্য-সমর্থকদের ওপরে ভীষণ দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে দেশটির সেনা-সমর্থিত সরকার।ইউসুফের ভাই হাম্মাম বিবিসির কায়রো প্রতিনিধি ওরলা গুয়েরিনকে বলেন, প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার আগেই ইউসুফকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং পৌঁছানোর পরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।মিসর কুংফু অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা জামাল আল যাজ্জার বলেন, আচরণগত কারণে মোহাম্মদ ইউসুফকে রাশিয়া থেকে ফেরত আনা হয়েছে। আসছে কুংফু চ্যাম্পিয়নশিপেও এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।নিষেধাজ্ঞার স্থায়িত্বের ব্যাপারে পরিষ্কার বক্তব্য না থাকলেও, রাশিয়ায় জেতা সোনার পদকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।মিসরের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, পুরস্কার নেওয়ার সময় ইউসুফের টি-শার্টে খোলা চার আঙুলসহ হাতের তালুর ছবি ছাপানো ছিল।এর আগে মুরসির সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা কায়রোতে যেসব শিবির স্থাপন করেছিল, সেগুলোতে এ প্রতীকটি ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয়। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী এসব শিবির উচ্ছেদ করতে ব্যাপক বল প্রয়োগ করে, যাতে কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারায়।নিজেদের ৫০০তম ওয়ানডে। জয় পেতে ৩৮ বলে দরকার মাত্র ৩৬ রান। হাতে উইকেট ৬টি, ক্রিজে আছেন হাশিম আমলা। জয় দিয়েই উপলক্ষটা উদ্যাপন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনটাই ভাবা স্বাভাবিক। কিন্তু হলো উল্টোটা, কাল পোর্ট এলিজাবেথে ম্যাচ শেষে উদ্যাপন করল পাকিস্তানিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের উদ্যাপন। দ্বিতীয় ওয়ানডেটা যে ১ রানে হেরেছে প্রোটিয়ারা।৪৫ ওভারের ম্যাচ, ২৬৩ রানের লক্ষ্য। ১১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ১১৬ বলে দরকার ছিল ১৪৬ রান। ওপেনার হাশিম আমলার সঙ্গে ১১০ রানের (৭৮ বলে) জুটি বেঁধে অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ম্যাচটাকে প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এলেন। ৪৫ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে ৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ডি ভিলিয়ার্স যখন আউট হলেন, জয় থেকে তখন ৩৬ রানের দূরত্বে স্বাগতিকেরা। মনে হচ্ছিল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরিটা করেই দলকে জেতাবেন আমলা। কিন্তু সাঈদ আজমলের করা ৪৪তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ হাফিজের হাতে ক্যাচ দিলেন ৯৮ রানে দাঁড়ানো এই ডানহাতি। শেষ ওভারে নিতে হবে ৯ রান, জুনায়েদের ওভার থেকে স্বাগতিকেরা পেল ৭ রান।এর আগে পাকিস্তানের ইনিংসটা পুরোপুরিই আহমেদ শেহজাদময়। এই ব্যাটসম্যানের প্রতিভা নিয়ে সংশয় কখনোই ছিল না। তবে থিতু হয়েও উইকেট ছুড়ে আসার দুর্নাম সঙ্গী তাঁর বরাবরই। কাল অন্তত সেটিকে দূরে ঠেলতে পারলেন। ইনিংস সূচনায় তরুণ এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এল দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। শেষের দিকে উমর আকমল, বিলাওয়াল ভাট্টিদের ব্যাটে ঝড়। ডেল স্টেইনের ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংও (৬/৩৯) দমিয়ে দিতে পারেনি পাকিস্তানকে। বৃষ্টিতে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে পাকিস্তান করেছে ২৬২।মেঘলা আকাশের নিচে টস জিতে বোলিং নিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। নাসির জামশেদ ও প্রিয় শিকার মোহাম্মদ হাফিজকে (২০ ম্যাচে ১৫ বার) শুরুতেই তুলে নেন স্টেইন। কিন্তু সোহেব মাকসুদকে (৪২) নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান শেহজাদ। তৃতীয় উইকেটে ১২৪ রানের জুটি গড়েন দুজন। ১০৮ বলে তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে শেহজাদ হয়েছেন রানআউট। নিজের শেষ তিন ওভারে চারটি উইকেট নিয়ে স্টেইন প্রথমবার পেয়েছেন ৬ উইকেটের স্বাদ। ওয়েবসাইট।সংক্ষিপ্ত স্কোরপাকিস্তান: ৪৫ ওভারে ২৬২ (জামশেদ ২, শেহজাদ ১০২, হাফিজ ৮, মাকসুদ ৪২, মিসবাহ ১২, আকমল ৪২, আফ্রিদি ১১, বিলাওয়াল ২১, আনোয়ার ৭, আজমল ০, জুনাইদ ১*; স্টেইন ৬/৩৯, তাহির ১/৩৩, ম্যাকলারেন ১/৭১)। দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫ ওভারে ২৬১/৬ (আমলা ৯৮, স্মিথ ১, ডি কক ৪৭, ক্যালিস ৬, ডি ভিলিয়ার্স ৭৪, ডুমিনি ১৫, মিলার ২*, ম্যাকলারেন ০*; জুনাইদ ৩/৪২, আফ্রিদি ২/৩৮, আজমল ১/৪৬)।ফল: পাকিস্তান ১ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আহমেদ শেহজাদ।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার মোহাম্মদ শাহ আলম বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তান বেদায়বি করেছে। বাঙালি জাতি এর সমুচিত জবাব দেবে। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের বিষয়ে পাকিস্তানের সংসদে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।২৩ ডিসেম্বর বিকেলে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টির যৌথ গেরিলা বাহিনীর উদ্যোগ পটিয়া থানার মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সিপিবির নেতা হাবিবুর রহমান ইদ্রিচের সভাপতিত্বে সমাবেশে এতে বক্তব্য দেন গণতন্ত্রী পার্টির তাজুর মুল্লুক, সিপিবির মুক্তিমান বড়ুয়া, পুলক দাশ, মো. আলমগীর প্রমুখ। সমাবেশ শেষে পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো হয় এবং বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। |
যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় স্বপ্নের দেশ। বিশ্বের বহু মানুষের স্বপ্ন থাকে আমেরিকার নাগরিকত্ব অর্জনের। আর সেই আমেরিকানরাই কিনা দেশটির নাগরিকত্ব ছেড়ে অন্য দেশের নাগরিক বনে যাচ্ছেন!বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত খবরে এমনটিই জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, কার্যকর হতে যাচ্ছে এমন একটি নতুন আয়কর আইনের বিধিবিধানে হতাশ হয়ে অনেক মার্কিন নাগরিক এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশটির এক হাজার ১৩১ জন প্রবাসী মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এর আগের বছরের এই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৮৯।যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নিবন্ধকের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রবাসী মার্কিন নাগরিকদের একটি অংশ তাদের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিতে চায় সম্ভবত করের কারণে। আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর বৈদেশিক হিসাব ও করসংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে, প্রবাসী কোনো মার্কিন বছরে ৫০ হাজার ডলারের বেশি আয় করলে যাবতীয় সম্পদ ও আয়ের বিবরণী মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সার্ভিসকে জানাতে হবে। প্রবাসী মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকে অনাদায়ি আনুমানিক ১০০ বিলিয়ন ডলার আদায় করার লক্ষ্যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন তাঁদের পাশাপাশি বিদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকেও কর আদায় করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন নাগরিক বিবিসিকে জানান, তিনি ২০১১ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। তিনি বর্তমানে স্ক্যান্ডিনেভিয়াভুক্ত একটি দেশে বাস করছেন। তিনি জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রে করের অর্থ পরিশোধের কারণে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। কারণ, তিনি বর্তমানে যে দেশে বাস করেন সেখানে বেশ মোটা অঙ্কের কর পরিশোধ করতে হয়। এরপর আবার কর আদায়ে নতুন আইন পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।থুন ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইসরসের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড কুইনজি বলেন, ‘কর পরিশোধকারীদের দলে আমি। তবে নতুন আইনের বিধান মেনে চলা খুবই ব্যয়বহুল হবে। অনেক প্রবাসী বছরে চার থেকে পাঁচ হাজার ডলার কর দেন; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো ধরনের সেবাই তাঁরা নেন না।’নতুন আইন বাস্তবায়নের ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ। আন্তর্জাতিক করসংক্রান্ত বিভাগের উপসহকারী মন্ত্রী রবার্ট স্টেক ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে-বিদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের নতুন আইন অনুযায়ী কর দিতে হবে।আগামী বছর মুঠোফোনের চাহিদা শতকরা ৫ শতাংশ বাড়লেও দামি স্মার্টফোনের চাহিদা কমে যাবে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের গবেষকেরা জানিয়েছে, বেশি দামের স্মার্টফোনের চাহিদা কমে যাচ্ছে এবং বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।গবেষকেরা জানিয়েছেন, ২০১২ সালে ১৭৪ কোটি ইউনিট মুঠোফোন বাজারে এসেছিল। এ বছর ১৮১ কোটি ইউনিট মুঠোফোন বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে যা ২০১৪ সালে ১৯১ কোটি ইউনিটে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।গার্টনারের গবেষকেরা জানিয়েছেন, মুঠোফোনের বাজার কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও এবারে বেশি দামের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে গড় মূল্যে বড় ধরনের পতনের সম্ভাবনা রয়েছেন। উন্নত দেশের বাজারগুলোতে মাঝারি দামের বা মিড রেঞ্জের স্মার্টফোনগুলোর চাহিদা দেখা দেবে আর উন্নয়নশীল বাজারগুলোতে সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনের চাহিদা দেখা যাবে।এদিকে, বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ট্যাবলেট, কম্পিউটার, মুঠোফোন সব বিভাগ মিলিয়ে এ বছর প্রযুক্তিপণ্যের বাজার সাড়ে চার শতাংশ বেড়েছে যার মূল কারণ ছিল কম দামের পণ্যের উপস্থিতি।গবেষকেরা জানিয়েছেন, মুঠোফোনের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এ বছরে কম্পিউটারের বিক্রি কমতে থাকায় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের বাজার দখল ৪.৩ শতাংশ কমে গেছে তবে ২০১৪ সালে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জনপ্রিয়তা আরও ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। কারণ, আগামী বছর উইন্ডোজনির্ভর বেশ কয়েকটি পণ্য বাজারে আসবে।গার্টনারের মতোই বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসির গবেষকেরাও বলছেন, সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনের বাজার বাড়ছে। বাজারে ২০০ মার্কিন ডলার দামের স্মার্টফোনের উপস্থিতি প্রযুক্তিপণ্যের বাজার বাড়িয়েছে। আইডিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর মুঠোফোন বিক্রির হার বাড়বে।বেশ কয়েকটি উপলক্ষেই দাবিটা জানিয়ে রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষেও বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেলে পরিকল্পনা করে এগোনো যায়। ভবিষ্যতে যিনিই অধিনায়কত্ব পান, যেন লম্বা সময়ের জন্য পান। বাংলাদেশ অধিনায়কের সে ইচ্ছা অবশেষে পূরণ হলো। কাল বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুশফিককে।সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান মুশফিকের অধিনায়কত্বের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান। যার অর্থ, মাঝখানে অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটলে ২০১৫ বিশ্বকাপে মুশফিকুর-জার্গেনসেন জুটির ওপরই থাকবে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব। কোচ শেন জার্গেনসেনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগেই।লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পেয়ে মুশফিক সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন দলীয় পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ওপর। কাল রাতে বিসিবির মাধ্যমে দেওয়া আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় অধিনায়ক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আমার সামর্থ্যের ওপর বিসিবি যে আস্থা দেখিয়েছে, সে জন্য সম্মানিত বোধ করছি। কোচ শেন জার্গেনসেন, খেলোয়াড় এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বাকি সদস্যদের নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার দারুণ এক সুযোগ এটা।’সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। মুশফিক এই ধারাটাই ধরে রাখতে চান, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে ধারাবাহিক হয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব ইতিবাচক এই ধারাটা ধরে রাখতে। আশা করি, আমি দলের সব খেলোয়াড় এবং বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাব।’পথটা বন্ধুর, তিনি জানেন। তবু দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব এই চ্যালেঞ্জ জয় করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও জোগাচ্ছে মুশফিককে, ‘এই পথটা খুব চ্যালেঞ্জিং জানি, তবে ইনশাআল্লাহ সব ধরনের ক্রিকেটেই আমরা আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’২০১১ সালের অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে অভিষেক হয়েছিল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড বিবেচনায় সফলই বলতে হবে তাঁকে। তাঁর নেতৃত্বে ১২টি টেস্ট খেলে বাংলাদেশ সাতটিতেই হারলেও জয়ও আছে একটি। চারটি টেস্ট ড্র করাও বলার মতোই। এর মধ্যে প্রথমটিতে বৃষ্টির বড় ভূমিকা থাকলেও গলে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এবং দেশের মাটিতে গত নিউজিল্যান্ড সিরিজের দুটি টেস্টই ড্র করতে পারাটা টেস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশের এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ারই প্রমাণ। অধিনায়ক মুশফিক ২৪ ওয়ানডেতে ১১টিতে জয় পেয়েছেন, আর ১৫টি-টোয়েন্টির ৬টিতে।রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৭০ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন প্রকল্পের আওতায় ২২ ডিসেম্বর এসব হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রতিবন্ধীবিষয়ক কর্মকর্তা সাইদা ফেরদৌস। প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম মজুমদার। আরও বক্তব্য দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যেকেন্দ্রের কনসালট্যান্ট সুবীর দেবনাথ প্রমুখ। |
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও জড়িয়েছেন শাকিব খান। সেখানেও চেষ্টা করছেন ভিন্নতা আনার। ভিন্নতা আর নতুনত্বের জন্যই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর প্রযোজিত ছবির লোকেশন বদলানোর। তাই ইউরোপ মিশনে নামছেন শাকিব। অন্তত ছবির লোকেশনে হলেও।বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শাকিব খান। এই সময়ে শাকিব উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রশিল্পের কথা চিন্তা করে শুরুর দিকে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে গেছেন। অবশ্য শাকিব সে অবস্থান থেকে ইদানীং সরেও এসেছেন। এখন চলচ্চিত্রের কাজ হাতে নিচ্ছেন বুঝেশুনে। বছরে চার-পাঁচটির বেশি ছবিতে অভিনয় করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের ব্যস্ত এই নায়ক। মনোযোগ দিচ্ছেন ছবি প্রযোজনায়। এরই মধ্যে প্রযোজক সমিতিতে শাকিব খান তাঁর নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নামও নিবন্ধন করেছেন। এসকে ফিল্মসের ব্যানারে শাকিব খান প্রযোজিত ছবি নিয়ে এখন থেকে নানা হিসাব-নিকাশ করা শুরু করে দিয়েছেন। অভিনয়ে সফল এই অভিনেতা প্রযোজনায় এসেও সফল হতে চান। আর তাই ছবির গল্প, পরিচালক, শুটিং লোকেশন থেকে শুরু করে সবকিছুতে নতুনত্ব রাখার ব্যাপারে সজাগ তিনি।প্রথম আলো ডটকমকে শাকিব বলেছেন, ‘আমার প্রথম প্রযোজিত ছবিতে লোকেশনের দিক থেকে বাংলাদেশের দর্শক নতুন কিছু দেখতে পাবেন। এত দিন পর্যন্ত আমাদের দেশের ছবিগুলো মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভারতের কিছু জায়গায় শুটিং হয়েছে। কিন্তু আমার প্রযোজিত প্রথম ছবিটি আমি ইউরোপে করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছি। এরই মধ্যে আমি কিছু লোকেশনের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি। আমি চাইব, বাংলাদেশের দর্শক যেন আবার নতুন করে বাংলা ছবির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে, যা অবশ্য এরই মধ্যে শুরুও করেছে।শুধু লোকেশনের ক্ষেত্রে নয়, নায়িকা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও শাকিব প্রযোজিত ছবিতে চমক থাকবে বলে জানান তিনি। শাকিব বলেন, ‘আমার প্রযোজিত ছবিতে দুজন নায়িকা থাকবে। কোনোটিই এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে দুই নায়িকার ক্ষেত্রে চমক যে থাকবে, এটা কিন্তু নিশ্চিত।’শাকিব প্রযোজিত প্রথম ছবির গল্প ও চিত্রনাট্যের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে শাকিব বলেন, ‘চিত্রনাট্য পুরোপুরিভাবে তৈরি হওয়ার পর নায়িকার ঘোষণাটি দেব। আর আমার ছবিটি পরিচালনা করবেন অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবির নির্মাতা বদিউল আলম খোকন। তাঁর পরিচালনায় গত ঈদে আমার “মাই নেম ইজ খান” ছবিটিও ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পেয়েছে।কুয়েতের জাহারার আমগারায় গত শনিবার সকালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় চার বাংলাদেশি নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। খবর ইউএনবির।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের ইসরাফিল, মাদারীপুরের শওকত, মানিকগঞ্জের নাসির উদ্দিন ও নাজির আহমেদ।স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) গত এক দশকে বেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। কিন্তু দেশগুলোতে কর্মসংস্থান সে হারে বাড়ছে না।২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ হারে। একই সময়ে দেশগুলোর গড় প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ। সে কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এই প্রবৃদ্ধি কার্যতই ‘কর্মহীন প্রবৃদ্ধি’। এমনটাই মনে করে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড)।সংস্থাটি বলছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বড় সম্পদ তাদের জনশক্তি, বিশেষ করে যুবসমাজ। কিন্তু এসব দেশে প্রতিবছর যত মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে, সে অনুযায়ী তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। ফলে বর্ধিত কর্মক্ষম মানুষগুলোকে কাজও দেওয়া যাচ্ছে না। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ।এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থানের সঙ্গে মানুষকে যুক্ত করতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে উৎপাদনশীলতার সামর্থ্য বাড়াতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে কর্মসংস্থানমুখী নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এসব করতে না পারলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি যেমন টেকসই হবে না, তেমনি দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক অস্থিরতার মতো বিষয়গুলোও মোকাবিলা করতে পারবে না।আঙ্কটাডের এলডিসিবিষয়ক প্রতিবেদন-২০১৩-তে এসব বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী গতকাল বুধবার একযোগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। আঙ্কটাডের পক্ষে ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এবার প্রতিবেদনটির প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থানকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধি’।প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের ৪৯টি দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় রয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।আঙ্কটাড স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কীভাবে বর্ধিত জনসংখ্যার কর্মসংস্থান করা যাবে এর একটি কাঠামো এবং এ ক্ষেত্রে কিছু সুপারিশও করেছে।মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা—এই তিনটি সূচকের ওপর ভিত্তি করেই স্বল্পোন্নত দেশকে মূল্যায়ন করা হয়। উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছাতে হলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে মাথাপিছু আয় এক হাজার ১৯০ ডলার, মানবসম্পদ সূচক ৬৬ এবং অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচক ৩৮ হতে হবে।আঙ্কটাড বলছে, ২০১২ সালের হিসাবে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৮৪০ ডলার, মানবসম্পদ সূচক ৫৪ দশমিক ৭ এবং ভঙ্গুরতা সূচক ৩২ দশমিক ৪। অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার দৌড়ে বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। তবে অনেক স্বল্পোন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাবে, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন এক হাজার ৪৪ ডলার।বাংলাদেশ কবে এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসবে জানতে চাইলে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘২০২৭ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হতে পারবে।’ তবে সিপিডির অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ২০২১ সালের আগে কোনোভাবেই এটি সম্ভব না।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ।হাটহাজারী উপজেলার সামাজিক সংগঠন মিতালীর উদ্যোগে ২০ ডিসেম্বর দরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি সংগঠনের উদ্যোগে ফুটবল লীগেরও উদ্বোধন করা হয়।এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিতালীর সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মিতালীর সভাপতি বলাই শীল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ধলই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুর। অতিথি ছিলেন রাজউকের পরিচালক মো. আবুল বশর, মিতারলীর সদস্য সৈয়দ মো. জাফর হোসেন, সৈয়দ হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।আলোচনা শেষে ৩০০টি পরিবারের মধ্যে কম্বল ও সোয়েটার বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি। |
আসছে নভেম্বরে ৪৮ বছরে পা রাখবেন ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ খান। এই বয়সে মাথায় সাদা চুল থাকাটা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। এত দিন শাহরুখের মাথায় সাদা চুল দেখা না গেলেও সম্প্রতি এমন রূপেই দেখা গেছে তাঁকে। এর পেছনের কারণ সম্পর্কে কিং খান বলেছেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনেই তিনি চুলে সাদা রং করিয়েছেন।‘দ্য রোল অব কারেজ ইন সাকসেস’-এর মতো গুরুগম্ভীর বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য সম্প্রতি শাহরুখকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে তাঁর সাদা চুলের রহস্য সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহরুখ বলেন, ‘আমি “হ্যাপি নিউ ইয়ার” ছবির শুটিং করছি। ছবিটিতে নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্যই চুলে সাদা রং করাতে হয়েছে আমাকে।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।শাহরুখ আরও বলেন, ‘আমি এখনো সাদা চুলে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, আমার নতুন এই রূপ সবার পছন্দ হবে।’গণভবনে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিক রক্ষা না করে কিছুটা বিপাকে পড়েছে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এখন সংলাপ যদি না হয় তাহলে তার দায় তাদের দিকেই আসতে পারে।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতার সংলাপ আয়োজনে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা গত দুই দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এ অবস্থায় সংলাপে সমঝোতার জন্য বিএনপি কূটনীতিকদের দিকেও তাকিয়ে আছে।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতার সংলাপ হলে বা না হলে দল ও জোটের পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা ঠিক করতে দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার হরতাল শেষে গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে বসবেন খালেদা জিয়া।বিএনপির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে বিরোধীদলীয় নেতা দিনক্ষণ ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দেবেন। তবে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির নেতারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি টেলিফোনেও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তাঁরা।সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত দুই দিন সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। তবে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেছেন, ফোন করার বিষয়টি সঠিক নয়।বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য তাদের দলের নেতারা কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দুই পক্ষই যেন ছাড় দিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে, এটাই তাদের লক্ষ্য। কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বিএনপির এমন দুজন নেতা গত দুই দিনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা না করায় যেন সংলাপের সম্ভাবনা শেষ হয়ে না যায়, সেটা নিয়েই তাঁরা কূটনৈতিক পর্যায়ে কথা বলছেন।সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা সফল না হলেও বিএনপি সংলাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।প্রধানমন্ত্রী ২৬ অক্টোবর বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে ফোন করে ২৮ অক্টোবর গণভবনে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু নিজের ডাকা হরতালের কারণে ২৯ তারিখের আগে গণভবনে যাওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। যদিও খালেদা জিয়া হরতাল ঘোষণার আগে বলেছিলেন, ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ না নিলে ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর হরতাল হবে।বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, কোনো কারণে সংলাপ না হলে এর দায় সরকারের ওপর চাপানোর উপায় খুঁজছে দলটি। ২৮ অক্টোবর খালেদা জিয়া গণভবনে যেতে না চাওয়ায় সংলাপের পথ রুদ্ধ হতে পারে—এমন আশঙ্কায় বিএনপির কোনো কোনো নেতা এখন বলতে চাইছেন, প্রধানমন্ত্রী নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন, সংলাপ বা আলোচনার জন্য নয়।মির্জা ফখরুল গতকাল সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, আজ মঙ্গলবার জোটের হরতাল শেষে সংলাপের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলে বুঝতে হবে সরকার সংলাপ চায় না।সংলাপের জন্য বিএনপির তরফ থেকে যোগাযোগ করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘কে যোগাযোগ করবে, সেটি মুখ্য নয়।’ তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই সংলাপ নিয়ে আশাবাদী।আজ বৈঠক: আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব দেওয়ার আগে বিএনপির সিদ্ধান্ত ছিল ৩ নভেম্বর থেকে টানা আন্দোলনে যাওয়ার। ওই দিন থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালনেরও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল দলটির। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে আজ আলোচনায় বসছেন খালেদা জিয়া।বিএনপির নেতারা বলেছেন, সময় কম থাকায় আন্দোলন ও সংলাপ পাশাপাশি চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আছে। সংলাপে সংকট নিরসনের পথ খোলা রেখেই বিএনপি কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে পারে।জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বুধবার পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। লে. জেনারেল রাহিল শরিফ নতুন সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। পদাতিক বাহিনীর কার্যপদ্ধতির পরিবর্তনের মাধ্যমে সুনাম কুড়িয়েছেন এ সেনা কর্মকর্তা।বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি আগামীকাল শুক্রবার অবসরে যাচ্ছেন।প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কার্যালয়ের এক বার্তায় রাহিলকে সেনাপ্রধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বার্তায় আরও জানানো হয়েছে, লে. জেনারেল রাশেদ মাহমুদকে সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। দুই শীর্ষ কর্মকর্তাই গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।লে. জেনারেল রাহিল ইন্সপেক্টর জেনারেল ট্রেইনিং অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশন পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। লে. জেনারেল রাশেদ ছিলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফের দায়িত্বে।পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানে সেনাবাহিনীকে প্রথাগতভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে কারণে এ দেশে সেনাপ্রধানের পদটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।পাকিস্তানি বিশ্লেষক হাসান আসকারি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের তালেবান জঙ্গিদের মোকাবিলায় নতুন সেনাপ্রধান কঠোর নীতি অবলম্বন করবেন বলেই আমি মনে করি। কারণ রাহিল সেনা পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা শহীদ হয়েছিলেন। ভাই দেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদ লাভ করেছিলেন।’ এএফপি ও ডন।প্রযুক্তি বাজারে এসেছে গ্যালাক্সি নোট সিরিজের নতুন সংস্করণ গ্যালাক্সি নোট (১০.১) ২০১৪ এডিশন। এর সঙ্গে রয়েছে এস-পেন। যার মাধ্যমে পুরো এইচডি পর্দায় কাগজ ও কলম ব্যবহারের মতো স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাবে। এ ছাড়া এস-পেনের সাহায্যে উপভোগ করা যায় অভিনব সব ফিচার। যেমন: এয়ার কমান্ড, অ্যাকশন মেমো, স্ক্র্যাপ বুক ও এস ফাইন্ডার। আর মাল্টি-উইন্ডো অপশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন।থ্রিজি ও ওয়াই-ফাই সংযোগের সুবিধা তো থাকছেই; পাশাপাশি সর্বাধুনিক অ্যান্ড্রয়েড (৪.৩) অপারেটিং সিস্টেম, ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরি, তিন গিগাবাইট র্যাম, এলইডি ফ্ল্যাশসহ আট মেগাপিক্সেল ক্যামেরা (দুই মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা), ব্লুটুথ, দীর্ঘমেয়াদি ব্যাটারি প্রভৃতি। দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ স্যামসাং গ্যালাক্সি নোটটির দাম পড়বে ৬০ হাজার টাকা।প্রযুক্তি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ডেল ব্র্যান্ডের নতুন এক্সিকিউটিভ ল্যাপটপ। ডেল ইন্সপায়ন (৩৪২১ মডেল) এক্সিকিউটিভ ল্যাপটপটিতে রয়েছে কোর আই থ্রি প্রসেসর।আরও থাকছে দুই জিবি র্যাম, ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক, ১৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ডিভিডি রাইটার, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই ও এক গিগাবাইট গ্রাফিকস কার্ড। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ ল্যাপটপটির দাম ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। |
যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। যে ক্রিকেট খেলে, তার ফুটবল খেলতেও তো বাধা নেই। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আগের রাতে ব্যাটে ঝড় তোলার পরদিন মহেন্দ্র সিং ধোনি খেললেন একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। তাতে গোলও করেছেন ভারত ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।সেই চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে থিসারা পেরেরার এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়েছেন ধোনি। ১৯ বলে করেছেন অপরাজিত ৬৩। ব্যাট হাতে এই ফর্ম তাঁর দেখা গেল ফুটবল মাঠেও। ক্রিকেট খেলতেই নিজের শহর রাঁচিতে গেছেন ধোনি। সেই রাঁচি থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে রাজ্যের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাহোর নির্বাচনী এলাকা সিল্লিতে এই ম্যাচটি খেলেছেন ধোনি। মাহাতোর দলের হয়েই স্থানীয় একটি ফুটবল একাডেমি দলের বিপক্ষে নিজের ফুটবলপ্রতিভা দেখিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ধোনির দল ম্যাচটিও জিতেছে ৪-১ গোলে।ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত ধোনি ফুটবলটাও ভীষণ ভালোবাসেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। স্কুলজীবনে গোলকিপার হিসেবে খেলা ধোনি অবশ্য এখন উইকেটকিপার।সিল্লি স্টেডিয়ামে ধোনির খেলা দেখার জন্য বেশ ভিড় হয়েছিল। দর্শকেরা ধোনির ফুটবলে মুগ্ধ। তবে তাদের একটা আবদারও আছে। এবার এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকাতে হবে ধোনিকে। ধোনি অবশ্য কথা দিয়েছেন। তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভক্তদের।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতাকে দুর্বলতা হিসেবে দেখেছেন বিরোধীদলীয় নেতা। তাই আর নতুন করে সংলাপের উদ্যোগ নেবে না সরকার। দলটি মনে করছে সংলাপে বিরোধী দলের আগ্রহ নেই।দলটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, সংলাপে বসতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতাকে। কিন্তু হরতাল, নৈরাজ্য ও নাশকতা করে বিরোধী দল সংলাপের পরিবেশকে বিনষ্ট করেছে। তাই নির্বাচন কীভাবে হবে, সে জন্য ইতিমধ্যে মহাজোট ও ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ সহকারী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতাকে অপব্যবহার করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা। তাই নতুন করে প্রধানমন্ত্রী আর তাঁকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাবেন না।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমেই চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন সম্ভব। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করেছেন। আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন বিরোধীদলীয় নেতার উচিত এগিয়ে আসা। নতুন করে প্রধানমন্ত্রী আর উদ্যোগ নেবেন না।’এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে শক্ত হাতে নাশকতা মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দলটির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে নিজ নিজ এলাকায় পাহারা বসাতে নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।এর আগে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘সংলাপের উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।’ বিএনপি না এলে কী হবেআওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা না হলে ছোট ছোট দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে। এর অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।১৪ দলের এক শরিক নেতা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে এমন দলগুলোর অংশগ্রহণের ভিত্তিতে ‘নির্বাচিত সর্বদলীয় সরকার’ গঠন করা হবে। তবে গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল কেমন ভোট পেয়েছে তার ভিত্তিতেও ‘অনির্বাচিত সর্বদলীয় সরকার’ করা যায় কি না, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ছোট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে সবকিছু নির্ভর করবে বিএনপির আন্দোলনের ওপর। ১৪ দলের এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকটি সূত্র বলেছে, এরই অংশ হিসেবে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সঙ্গে শেখ হাসিনা বৈঠক করবেন। মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া দল দুটিকে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাতে পারেন।বৈঠকে কী আলোচনা হতে পারে এ বিষয়ে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘সব দলের ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, আমরা সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সংকট নিরসনের জন্য আহ্বান জানাব। আশা করি, তিনি সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেবেন।’বিরক্ত শেখ হাসিনা: আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, ৪ মে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সেই সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দেন। আবার ২৫ অক্টোবর বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই হিসেবে ২৭ অক্টোবর আলোচনার উদ্যোগ নিতেই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ফোন করেন। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতার কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় ভীষণ বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) পছন্দমতো যেকোনো দিন আলোচনা জন্য আসতে পারেন। আমাদের পক্ষ থেকে দাওয়াত অব্যাহত আছে। তাই আলোচনার উদ্যোগ এখন বিরোধীদলীয় নেত্রীকেই নিতে হবে।’পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে চীনের ঘোষিত ‘বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল’ নিয়ে সে অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। চীনের উদ্যোগকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে পূর্বঘোষণা ছাড়াই গত মঙ্গলবার বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে টহল দিয়েছে দুটি মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান। চীন প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, তারা বিমান দুটির টহল ‘পর্যবেক্ষণ করেছে’।এদিকে বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া ক্যানবেরায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।চীন গত শনিবার পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু (জাপানি নাম) বা দিয়াওউ (চীনা নাম) দ্বীপ এলাকা নিয়ে বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ওই দ্বীপ এলাকা বর্তমানে জাপানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই চীনের ওই ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় জাপান। জাপানের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়ে বলে, চীনের এ একতরফা ঘোষণা ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এর দুদিন পরই ওই অঞ্চলে দুটি মার্কিন বিমানের টহলের ঘটনা ঘটল; যদিও একে পূর্বনির্ধারিত ও রুটিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন বিমানের টহলের পুরো সময় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে চীনের বিমানবাহিনী। ঘোষিত বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে প্রবেশ করা সব বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই অঞ্চল যথাযথভাবে কার্যকর ও নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য চীনের রয়েছে।এর আগে চীন বলেছিল, তার ঘোষিত বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল দিয়ে কোনো বিমানকে যেতে হলে অবশ্যই জানাতে হবে, বিমানটি কোন দেশের এবং তার গতিপথ কী। দ্বিমুখী বেতার যোগাযোগও রাখতে হবে। কোনো বিমান এটা করতে অস্বীকৃতি জানালে ‘জরুরি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা’ গ্রহণ করা হবে।চীনের জনগণের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে অনেক চীনাই বিমান প্রতিরক্ষা সীমা কার্যকর করতে সরকারের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে অস্ট্রেলিয়া: চীনের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে ক্যানবেরায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।তবে অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তকে ‘পুরোপুরি ভুল’ আখ্যা দিয়ে চীন বলেছে, এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ুন বিয়ুং-সে গতকাল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ভূখণ্ডগত বিরোধ উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটাতে পারে। সিউলে প্রতিরক্ষাবিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিনির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি—বাকশিস চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতারা। সংগঠনের সভাপতি দবির উদ্দীন খান ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে। এ ধরনের সহিংসতা স্বাধীনতার ৪২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে জনগণের সঙ্গে শিক্ষকসমাজও শঙ্কিত। আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতারা। |
ব্যস্ত দুনিয়ায় টেস্ট ক্রিকেট আবেদন হারিয়েছে কি না, এ নিয়ে বিতর্কে অনেকেরই আগ্রহ। অনেকেই মনে করেন, মানুষের এত সময় নেই যে পাঁচ দিন ধরে ঢিমেতালের ক্রিকেট দেখতে উত্সাহী হবে। এ ধরনের আলোচনা পৌঁছে গেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার (আইসিসি) কাছেও। এমন প্রেক্ষাপটে আইসিসিও নতুন করে ভাবছে টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার উপায় নিয়ে।অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ভাবনা অবশ্য অন্য রকম। তিনি মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটকে অজনপ্রিয় ভাবার কোনো কারণ কখনোই ঘটেনি। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট নিয়েই রয়েছে তাঁর গর্ব, ‘ক্রিকেট একটি অসাধারণ খেলা। তিন ফরম্যাটেই এই খেলাটি সমান জনপ্রিয়। টেস্ট অবশ্যই একটু ধ্রুপদী ঢঙের খেলা। টি-টোয়েন্টি অনেক দ্রুতলয়ের। ওয়ানডে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির মিশেল। এতে তিনটি ফরম্যাটই স্বতন্ত্র আবেদন নিয়ে বিদ্যমান। একটির সঙ্গে আরেকটির তুলনা অবশ্যই অবান্তর।’টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ইতিমধ্যেই ক্রিকেটের ‘সোনার ডিমপাড়া হাঁস’ হিসেবে অভিহিত হয়েছে। অনেক খেলোয়াড়ই নিজের টেস্ট-ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত করে ফেলছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরও সময় দেওয়ার জন্য। ব্যাপারটি একেবারেই সমর্থন করেন না গিলক্রিস্ট। এমনকি তিনি বিশ্বাসও করেন না কোনো খেলোয়াড় আদৌ তাঁর দেশের চেয়ে টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে পারেন কি না, ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না। কোনো খেলোয়াড় কেবল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পয়সা রোজগারের জন্য দেশের হয়ে খেলা ছাড়তে পারে, এটা অবিশ্বাস্য। আমি অন্তত এমন কোনো খেলোয়াড় দেখিনি। তবে কেউ যদি এমন চিন্তা-ভাবনা করে থাকে, তাহলে তা সত্যিই দুঃখজনক। আমি অন্তত তা সমর্থন করব না।’অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নিয়েছেন। কিন্তু ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর কখনোই নিজের দেশের মাটিতে খেলা হয়নি গিলক্রিস্টের। এ ব্যাপারে একটা আফসোস রয়েই গেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারের। তবে ২০১৫ সালে ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ তাঁর মধ্যে এক অন্য রকম উদ্দীপনাই জোগাচ্ছে, ‘ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ নিয়ে আমি খুবই উদ্দীপ্ত। আমি কখনোই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপ খেলিনি। তবে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ প্রাণভরে উপভোগ করে সেই আফসোসটা মিটিয়ে ফেলতে চাই।’ সূত্র: গালফ নিউজ।যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা দাবি করেছেন যে তাঁরা এমন একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেছেন, যা মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করে এবং ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলতে পারে। মানুষ ও কম্পিউটারের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার পার্থক্য নির্ণয় করতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বাঁকা অক্ষর ও সংখ্যা মিলিয়ে ক্যাপচা কোড ব্যবহার করা হয়। গুগল, ইয়াহু, পেপালের মতো সাইটগুলো ক্যাপচা কোড ব্যবহার করে থাকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।‘কমপ্লিটলি অটোমেটেড পাবলিক টিউরিং টেস্ট টু টেল কম্পিউটারস অ্যান্ড হিউম্যানস অ্যাপার্ট’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে এই ক্যাপচা। পঞ্চাশের দশকে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী অ্যালান টিউরিং প্রবর্তিত টিউরিং টেস্ট বা কম্পিউটারের বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষণের কাজে ক্যাপচা কোড ব্যবহার করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক ভিকারিয়াস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ক্যাপচা কোড ভাঙতে সক্ষম এমন একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবনের দাবি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্কট ফিনিক্স জানিয়েছেন, আমাদের এলগরিদম কোনো অসত্ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়নি এবং এই সফটওয়্যার বিক্রির জন্য নয়।স্কট আরও জানিয়েছেন, মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করতে সক্ষম এমন কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরিতে একধাপ এগিয়ে গেছি আমরা। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছি এটাও প্রমাণ করতে চাই।ভিকারিয়াসের গবেষকেরা এখন পর্যন্ত কোনো সাময়িকীতে তাঁদের গবেষণাপদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেননি। তাই বিশেষজ্ঞরা এখনো এ ভিকারিয়াসের দাবিকে মূল্যায়ন করে দেখার সুযোগ পাননি। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা তাঁদের সাইটে গুগল, ইবে, পেপালের মতো সাইটের ক্যাপচা কোড কম্পিউটার সফটওয়্যার দিয়ে ভেঙে ফেলার দাবি করেছেন।ভিকারিয়াসের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও ক্যাপচার কোডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লুইস ভন আন। তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে ক্যাপচা রয়েছে। ২০০৩ সাল থেকেই প্রতি ছয় মাস অন্তর কম্পিউটার ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলেছে এমন দাবি করা হয়। কম্পিউটারের সফটওয়্যার যদি অক্ষর ও সংখ্যার ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলে, তখন ক্যাপচা কোড হিসেবে ছবির ব্যবহার শুরু হবে। এলোমেলো ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি ক্যাপচা কোড হিসেবে ব্যবহার করলে কেবল মানুষের পক্ষেই তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।এদিকে ভিকারিয়াসের গবেষকেরা জানিয়েছেন, ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে ভিকারিয়াসের সাফল্য ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ। ক্যাপচার জটিলতার ওপর নির্ভর করে যদি কোনো কম্পিউটার একবারে সেটি ভেঙে ফেলতে পারে, তবে তা সাফল্য হিসেবে ধরা হয়। গবেষকদের দাবি, সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলা সম্ভব বলে এখন অক্ষর ও সংখ্যাভিত্তিক ক্যাপচার গুরুত্ব কমে গেছে। এখন আর এ ধরনের ক্যাপচা মানুষ ও রোবটের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে সক্ষম নয়। তাই ভিকারিয়াসের দাবি যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে।গবেষকেরা জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন করে তাঁরা মানুষের মস্তিষ্কের মতো ‘রিকারসিভ করশিয়াল নেটওয়ার্ক’ তৈরি করবেন, যা রোবটিকস, মেডিকেল ইমেজ বিশ্লেষণ, ভিডিও সার্চসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।সিলেটের শাহি ঈদগাহ এলাকার খেলার মাঠ দখল করে এবার বসানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। খেলার মাঠের উন্নয়নের নামে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমদ ‘বাংলাদেশ বেনারসি মসলিন অ্যান্ড জামদানি সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠনকে ওই মাঠ বরাদ্দ দিয়েছেন।আগামী ৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ওই মেলা। গত রোববার সকাল থেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে খেলার মাঠে স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, খেলার মাঠের দায়িত্বে আছে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু মাঠ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এ অবস্থায় গত ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাঠে পশুর হাট বসানো হয়েছিল। ওই হাট পরিচালনায় জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ছিল না। একইভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নামে মাঠ বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টিও জেলা প্রশাসন জানে না।সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের মাঝখানে বাঁশের স্তূপ রেখে চারদিকে বেষ্টনী তৈরি করছেন শ্রমিকেরা।অভিযোগ রয়েছে, মাঠের উন্নয়ন করার নামে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ এককালীন টাকা নিয়ে ওই মেলা আয়োজনের সুযোগ করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই সংগঠন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রচারপত্র বিলি শুরু করেছে। প্রচারপত্রে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে ‘সার্বিক সহযোগী’ উল্লেখ করা হয়েছে এবং আগামী ৬ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়েছে।তবে আশফাক আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে মেলার আয়োজক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তিনি এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মেলার আয়োজক বাংলাদেশ বেনারসি মসলিন অ্যান্ড জামদানি সোসাইটির সভাপতি এম এ মঈন খান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘যথাযথ নিয়ম’ অনুযায়ী তিনি মাঠ বরাদ্দ নিয়েছেন। যথাযথ নিয়মটা কী—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাঠের মালিক উপজেলা পরিষদ। উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠ বরাদ্দ দিয়েছেন। মেলা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যানকে মাঠের উন্নয়নের জন্য এককালীন টাকা দেওয়ার বিষয়টি ফয়সালা হওয়ায় মেলার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।’এদিকে খেলার মাঠে মেলার আয়োজন করলে আশপাশের এলাকার পরিবেশ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এমন আশঙ্কা থেকে আটটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছে। স্মারকলিপিতে মেলার আয়োজক সংগঠনকে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন অভিহিত করে এর মাধ্যমে সাধারণ ব্যবসায়ীরা প্রতারিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এনামুল হাবীব জানান, মাঠ নিয়ে মামলা থাকায় আইনগতভাবে এর কর্তৃত্ব প্রশাসনের হাতে নেই। এ অবস্থায় মেলা আয়োজন করার বৈধতাও নেই। বিষয়টি জেলা প্রশাসন অবহিত হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইম্পেরিয়াল বিদ্যালয় ও কলেজে আয়োজিত শিশুমেলা। বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের মেহেদীবাগের ক্যাম্পাসে ২৫ ডিসেম্বর ‘কার্নিভাল-২০১৩’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এতে ছিল মিউজিক শো, সাপের নাচ, কুইজ, নাচ, গান, অভিনয় ও আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়। অতিথিদের কথামালার ফাঁকে শিশুদের পরিবেশনা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে রাখে। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন লায়ন্স জেলা ভাইস গভর্নর মোস্তাক হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর হোসাইন চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিনা ইসলাম, লায়ন শেখ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, কাজী জহিরুল ইসলাম ও চট্টলকুড়ি সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক রাজিবুল হক চৌধুরী। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জিটিভি ব্যুরো প্রধান অনিন্দ্য টিটো ও চট্টলকুড়ির চেয়ারম্যান সাজ্জাদ বিন খালেদ। বিজ্ঞপ্তি। |